ইবনে মাজাহ সিয়াম বা রোজা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১৭০৫ – ১৭৮২
৭/২৮. অধ্যায়ঃ
সারা বছর সিয়াম রাখা।
১৭০৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ ح و حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَأَبُو دَاوُدَ قَالُوا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ الْأَبَدَ فَلَا صَامَ وَلَا أَفْطَرَ
আবদুল্লাহ্ ইবনুশ শিখখীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সর্বদা সিয়াম রাখে সে রোযাও রাখেনি, আবার সিয়াম ভঙ্গও করেনি। [১৭০৫]
[১৭০৫] নাসাঈ ২৩৮০, ২৩৮১, আহমাদ ১৫৮৬৯, ১৫৮৭৩, ১৫৮৮৮, দারিমী ১৭৪৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭০৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ مِسْعَرٍ وَسُفْيَانَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ الْمَكِّيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَا صَامَ مَنْ صَامَ الْأَبَدَ
আবদুল্লাহ্ বিন আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সর্বদা সিয়াম রাখে, সে রোযাই রাখেনি। [১৭০৬]
[১৭০৬] মুসলিম ১১৫৯, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/২৯. অধ্যায়ঃ
প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম রাখা
১৭০৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الْمِنْهَالِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَأْمُرُ بِصِيَامِ الْبِيضِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ وَخَمْسَ عَشْرَةَ وَيَقُولُ هُوَ كَصَوْمِ الدَّهْرِ أَوْ كَهَيْئَةِ صَوْمِ الدَّهْرِ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَنْبَأَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ قَتَادَةَ بْنِ مَلْحَانَ الْقَيْسِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ قَالَ ابْن مَاجَةَ أَخْطَأَ شُعْبَةُ وَأَصَابَ هَمَّامٌ.
মিনহাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমুল বীদ অর্থাৎ প্রতি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখে সিয়াম রাখার নির্দেশ দিতেন এবং বলতেন, তা সারা বছর সিয়াম রাখার সমতুল্য। [১৭০৭]
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলো:]
১/১৭০৭(১). কাতাদাহ বিন মালহান আল-কায়সী হতে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। ইবনু মাজাহ বলেন, এক্ষেত্রে শু’বাহ ভুল করেছেন এবং হাম্মাম ঠিক করেছেন। [১৭০৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ লিগাইরিহি।
[১৭০৭] নাসায়ী ২৪৩০, ২৪৩১, ২৪৩২, ৫৭৫৮, বায়হাকী ৪/২৯৬, সহীহ, আবী দাউদ ২১১৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ, লিগাইরিহি।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
১৭০৮
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ فَذَلِكَ صَوْمُ الدَّهْرِ فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ تَصْدِيقَ ذَلِكَ فِي كِتَابِهِ {مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا} فَالْيَوْمُ بِعَشْرَةِ أَيَّامٍ
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম রাখলো, সে যেন সারা বছর সিয়াম রাখলো। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর কিতাবে এর সমর্থনে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ): “কেউ কোন সৎকাজ করলে, সে তার দশ গুণ পাবে” (সূরা আনআমঃ ১৬০)। অর্থাৎ প্রতিটি দিন দশ দিনের সমান। [১৭০৮]
[১৭০৮] নাসায়ী ২৪১০, ইরওয়াহ ৪/১০২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭০৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَصُومُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ قُلْتُ مِنْ أَيِّهِ قَالَتْ لَمْ يَكُنْ يُبَالِي مِنْ أَيِّهِ كَانَ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম রাখতেন, রাবী বলেন, আমি বললাম, মাসের কোন্ কোন্ দিন? তিনি বলেন, তিনি যে কোন দিন সিয়াম রাখতে ইতস্তত করতেন না। [১৭০৯]
[১৭০৯] মুসলিম ১১৬০, তিরমিযী ৭৬৩, আবূ দাউদ ২৪৫৩, সহীহ আবী দাউদ ২১১৭, মুখতাসার শামাইল ২৬০, মুসলিম। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৩০. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রোযা।
১৭১০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَوْمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ صَامَ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ أَفْطَرَ وَلَمْ أَرَهُ صَامَ مِنْ شَهْرٍ قَطُّ أَكْثَرَ مِنْ صِيَامِهِ مِنْ شَعْبَانَ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ إِلَّا قَلِيلًا
আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তিনি একাধারে সিয়াম রেখেই যেতেন। এমনকি আমরা বলতাম, তিনি সিয়াম রেখেই যাবেন। আবার তিনি একাধারে রোযাহীন অবস্থায় কাটাতেন, এমনকি আমরা বলতাম, তিনি রোযাহীন অবস্থায়ই থাকবেন। শা‘বান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে আমি তাঁকে এত অধিক সিয়াম রাখতে দেখিনি। তিনি প্রায় পুরা শা‘বান মাসই সিয়াম রাখতেন। তিনি শা‘বানের অল্প কিছুদিন বাদ দিয়ে পুরা মাসই সিয়াম রাখতেন। [১৭১০]
[১৭১০] সহীহুল বুখারী ১৯৬৯, মুসলিম ৭৪৬, আবূ দাউদ ১৩৪২, ২৪৩৪, আহমাদ ২৪৭৮৯, ২৫৫২২, ২৫৭৭৮, মুয়াত্তা মালেক ৬৮৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لَا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لَا يَصُومُ وَمَا صَامَ شَهْرًا مُتَتَابِعًا إِلَّا رَمَضَانَ مُنْذُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একাধারে সিয়াম রেখে যেতেন, এমনকি আমরা বলতাম, তিনি আর সিয়াম ভঙ্গ করবেন না। আবার কখনো তিনি একাধারে রোযাহীন থাকতেন, এমনকি আমরা বলতাম, তিনি আর সিয়াম রাখবেন না। মাদীনায় আসার পর থেকে তিনি রমজান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে সম্পূর্ণ মাস সিয়াম রাখেননি। [১৭১১]
[১৭১১] সহীহুল বুখারী ১৯৭১, মুসলিম ১১৫৭, নাসায়ী ২৩৪৬, আবূ দাউদ ২৪৩০, আহমাদ ১৯৯৯, ২০৪৭, ২১৫২, ২৯৪১, ৩০০২, দারেমী ১৭৪৩, সহীহ আবী দাউদ ২১০০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৩১. অধ্যায়ঃ
দাঊদ (আ.) এর রোযা
১৭১২
– حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ الشَّافِعِيُّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَبَّاسِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللهِ صِيَامُ دَاوُدَ فَإِنَّهُ كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا وَأَحَبُّ الصَّلَاةِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ صَلَاةُ دَاوُدَ كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيُصَلِّي ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ
আবদুল্লাহ্ বিন আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোযাসমূহের মধ্যে দাঊদ (আলাইহিস সালাম) এর সিয়াম আল্লহ্র নিকট অধিক প্রিয়। তিনি এক দিন সিয়াম রাখতেন এবং পরবর্তী দিন সিয়াম রাখতেন না। আল্লাহ্র নিকট দাঊদ (আলাইহিস সালাম) এর সলাত অধিক প্রিয়। তিনি রাতের অর্ধাংশ ঘুমাতেন, এক-তৃতীয়াংশ সলাতে কাটাতেন এবং আবার এক-ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। [১৭১২]
[১৭১২] ইরওয়াহ ৪৫১, ৯৪৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭১৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمَيْنِ وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ وَيُطِيقُ ذَلِكَ أَحَدٌ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ ذَلِكَ صَوْمُ دَاوُدَ قَالَ كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمَيْنِ قَالَ وَدِدْتُ أَنِّي طُوِّقْتُ ذَلِكَ
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হে আল্লাহ্র রসূল! যে ব্যক্তি দু’ দিন সিয়াম রাখে এবং এক দিন রাখে না, তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বলেন, কেউ কি তার সামর্থ্য রাখে? উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! যে ব্যক্তি এক দিন সিয়াম রাখে এবং এক দিন রাখে না? তিনি বলেন, সেটা হলো দাঊদ (আলাইহিস সালাম) -এর রোযা। উমার (রাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি একদিন সিয়াম রাখে এবং দু’ দিন রাখে না? তিনি বলেন, আমি পছন্দ করি যে, আমাকে এ ধরনের সিয়াম রাখার সামর্থ্য দান করা হোক। [১৭১৩]
[১৭১৩] মুসলিম ১১৬২, আবূ দাউদ ২৪২৫, আহমাদ ২২০২৪, ২২১৪৪, সহীহ আবী দাউদ ২০৯৬, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৩২. অধ্যায়ঃ
নূহ আলাইহিস সালামের রোযা।
১৭১৪
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ أَبِي فِرَاسٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ صَامَ نُوحٌ الدَّهْرَ إِلَّا يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الْأَضْحَى
আবদুল্লাহ্ বিন আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ নূহ (আলাইহিস সালাম) ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আযহার দিন ব্যতীত সারা বছর সিয়াম রাখতেন। [১৭১৪]
[১৭১৪] যঈফাহ ৪৫৯। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবুল কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হতো তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৩৩. অধ্যায়ঃ
শাওয়াল মাসের ছয় দিনের রোযা।
১৭১৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الذَّمَارِيُّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أَسْمَاءَ الرَّحَبِيَّ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ مَنْ صَامَ سِتَّةَ أَيَّامٍ بَعْدَ الْفِطْرِ كَانَ تَمَامَ السَّنَةِ {مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا}
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুক্ত দাস সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের পর ছয় দিন সিয়াম রাখলো, তা পূর্ণ বছর সিয়াম রাখার সমতুল্য। “কেউ কোন সৎকাজ করলে, সে তার দশ গুণ পাবে” (সূরা আনআমঃ ১৬০)। [১৭১৫]
[১৭১৫] আহমাদ ২১৯০৬, দারেমী ১৭৫৫, ইরওয়াহ ৪/১০৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭১৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِسِتٍّ مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصَوْمِ الدَّهْرِ
আবূ আয়্যূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমজান মাসের সিয়াম রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম রাখবে, তা যেন সারা বছর সিয়াম রাখার সমতুল্য। [১৭১৬]
[১৭১৬] মুসলিম ১১৬৪, তিরমিযী ৭৫৯, আবূ দাউদ ২৪৩৩, আহমাদ ২৩০২২, ২৩০, ইরওয়াহ ৯৫০, দারেমী ১৭৫৪, বায়হাকী ৪/৩০২, সহীহ আবী দাউদ ২১০২, তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সা’দ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন, তার হিফযের পূর্বে হাদিস বর্ণনার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২২০৮, ১০/১৬২ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৭/৩৪. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র রাস্তায় এক দিন সিয়াম রাখার ফযিলত ।
১৭১৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ الْهَادِ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللهِ بَاعَدَ اللهُ بِذَلِكَ الْيَوْمِ النَّارَ مِنْ وَجْهِهِ سَبْعِينَ خَرِيفًا
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্র রাস্তায় একদিন সিয়াম রাখে, আল্লাহ্ ঐ দিনের বিনিময়ে জাহান্নামকে তার মুখমন্ডল থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে দেন। [১৭১৭]
[১৭১৭] সহীহুল বুখারী ২৮৪০, মুসলিম ১১৫৩, তিরমিযী ১৬২৩, নাসায়ী ২২৪৫, ২২৪৭, ২২৪৮, ২২৩৯, ২২৫০, ২২৫১, ২২৫২, ২২৫৩,আহমাদ ১০৮২৬, ১১০১৪, ১১১৬৬, ১১৩৮১, দারেমী ২৩৯৯, বায়হাকী ৪/২৮৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস সহীহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬২৯, ১২/২২৩ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭১৮
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ اللَّيْثِيُّ عَنْ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللهِ زَحْزَحَ اللهُ وَجْهَهُ عَنْ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفًا
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্র রাস্তায় একদিন সিয়াম রাখে, আল্লাহ্ তার বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে তার মুখমন্ডলকে সত্তর বছরের দূরত্বে রাখেন। [১৭১৮]
[১৭১৮] নাসায়ী ২২৪৪, আহমাদ ৭৯৩০, ৮৪৭৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন আবদুল আযীয আল-লায়সী সম্পর্কে ইমাম বুখারী তাকে মুনকার বলেছেন। জাওযুজানী বলেন, তিনি যুহরী থেকে মুনকার ভাবে হাদিস বর্ণনা করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আহমদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল ও শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৩৯৫, ১৫/২৩৮ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবদুল্লাহ বিন আবদুল আযীয আল-লায়সী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৩৭ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২৫ টি অধিক দুর্বল, ৭১ টি দুর্বল, ৫৩ টি হাসান, ৮৮ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ বুখারী ২৮৪০, মুসলিম, ১১৫৪, ১১৫৫, তিরমিযি ১৬২২, ১৬২৩, ১৬২৪, দারিমী ২৩৯৯, আহমাদ ৭৯৩০, ৮৪৭৫, ১০৪২৭, ১০৮২৬, ১১০১৪, ১১১৬৬, ১১৩৮১, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ৯৬৮৩, ৯৬৮৪, ৯৬৮৫, মু’জামুল আওসাত ১৬০, ২১৭৩, ৩১১৮, ৩২৪৩, ৩২৪৯, ৩৫৭৪, ৪৬৬০ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৩৫. অধ্যায়ঃ
আইয়্যামে তাশরীকে সিয়াম রাখা নিষেধ
১৭১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيَّامُ مِنًى أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মিনার দিনসমূহ হলো পানাহারের দিন। [১৭১৯]
[১৭১৯] ইরওয়াহ ৪/১২৯, সহীহাহ ১২৮২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু আমর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৭২০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ بِشْرِ بْنِ سُحَيْمٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ فَقَالَ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ وَإِنَّ هَذِهِ الْأَيَّامَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ
বিশ্র বিন সুহায়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আইয়্যামে তাশরীকে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, মুসলিম ব্যক্তি ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং এই দিনসমূহ হচ্ছে পানাহারের দিন। [১৭২০]
[১৭২০] নাসায়ী ৪৯৯৪, আহমাদ ১৫০০২, ১৮৪৭৬, দারেমী ১৭৬৬, ইরওয়াহ ৪/১২৮, ১২৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৩৬. অধ্যায়ঃ
ঈদুল ফিতর ও ইদুল আযহার দিন সিয়াম রাখা নিষেধ ।
১৭২১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى التَّيْمِيُّ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ قَزَعَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الْأَضْحَى
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতর ও ইদুল আযহার দিন সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন। [১৭২১]
[১৭২১] সহীহুল বুখারী ১১৯৭, ১৮৬৪, ১৯৯৬, মুসলিম ৮২৭, তিরমিযী ৭৭২, আবূ দাউদ ২৪১৭, আহমাদ ২৭৯২০, ২৭৯২৪, ১০৯৫৫, ২৭৬৩৬, ১১১১৩, ১১২৩৭, ১১২৪৩, ১১৩২৫, ১১৩৯৫, ১১৫০০, দারেমী ১৭৫৩, ইরওয়াহ ৯৬২, ইরওয়া ৯৬২, সহীহ আবী দাউদ ২০৮৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২২
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ قَالَ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ هَذَيْنِ الْيَوْمَيْنِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الْأَضْحَى أَمَّا يَوْمُ الْفِطْرِ فَيَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ وَيَوْمُ الْأَضْحَى تَأْكُلُونَ فِيهِ مِنْ لَحْمِ نُسُكِكُمْ
আবূ উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে ঈদের দিন উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুতবাহ্র আগে সলাত পড়েন, অতঃপর বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এ দু’ দিন সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন। কেননা ঈদুল ফিতরের দিন হচ্ছে তোমাদের সিয়াম ভঙ্গের দিন এবং ঈদুল আযহার দিন তোমরা তোমাদের কুরবানির গোশত খাবে। [১৭২২]
[১৭২২] সহীহুল বুখারী ১৯৯০, ৫৫৭৩, মুসলিম ১১৩৭, তিরমিযী ৭৭১, আবূ দাউদ ২৪১৬, আহমাদ ২৮৪, মুয়াত্তা মালেক ৪৩১, বায়হাকী ৫/১১৭, ইরওয়াহ ৩/১২৭-১২৮, সহীহ আবী দাউদ ২০৮৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৩৭. অধ্যায়ঃ
জুমুআর দিন সিয়াম রাখা।
১৭২৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ إِلَّا بِيَوْمٍ قَبْلَهُ أَوْ يَوْمٍ بَعْدَهُ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমুআর আগের দিন বা পরের দিনসহ সিয়াম রাখা ব্যতীত, কেবলমাত্র জুমুআর দিন সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন। [১৭২৩]
[১৭২৩] সহীহুল বুখারী ১৯৮৫, মুসলিম ১১৪৪, তিরমিযী ৭৪৩, আবূ দাউদ ২৪২০, আহমাদ ১৭২৪৯০৩১, ৯১৮১, ৯৫৮৭, ১০০৫২, ১০৪২১৭২৫৫, ১০৫০৯, ইরওয়াহ ৯৫৯, ৯৮১, সহীহাহ ০৮১, ১০২২, সহীহ আবী দাউদ ২০৯১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ وَأَنَا أَطُوفُ بِالْبَيْتِ أَنَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ قَالَ نَعَمْ وَرَبِّ هَذَا الْبَيْتِ
মুহাম্মাদ বিন আব্বাদ বিন জা’ফর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আল্লাহ্র ঘর তাওয়াফকালে জাবির বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি জুমুআর দিন সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন? তিনি বলেন, হাঁ, এই ঘরের প্রভুর শপথ! [১৭২৪]
[১৭২৪] সহীহুল বুখারী ১৭২৬, ১৯৮৪, মুসলিম ১১৪৩, আহমাদ ১৩৭৪০, ১৩৯৪৩, দারেমী ১৭৪৮, সহীহাহ ৩/১১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২৫
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَنْبَأَنَا أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَلَّمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জুমুআর দিন খুব কমই রোযাহীন দেখেছি। [১৭২৫]
[১৭২৫] তিরমিযী ৭৪২, সহীহ আবী দাউদ ৩১১৬, তা’লীক ইবনু খুযাইমাহ ২১২৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আসিম বিন বাহদালাহ সম্পর্কে আবু বকর আল-বাযযার বলেন, তিনি হাফিয ছিলেন না। তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এমন কাউকে পায়নি। আবু জা’ফার আল উকায়লী বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল ছাড়া তার মাঝে অন্য কোন দোষ পাইনি। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। ইসমাইল বিন উলাইয়্যাহ বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০০২, ১৩/৪৭৩ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৭/৩৮. অধ্যায়ঃ
শনিবারের রোযা
১৭২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تَصُومُوا يَوْمَ السَّبْتِ إِلَّا فِيمَا افْتُرِضَ عَلَيْكُمْ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ أَحَدُكُمْ إِلَّا عُودَ عِنَبٍ أَوْ لِحَاءَ شَجَرَةٍ فَلْيَمُصَّهُ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ عَنْ أُخْتِهِ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ.
আবদুল্লাহ্ বিন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের উপর যে সিয়াম ফরয করা হয়েছে সেই সিয়াম ব্যতীত তোমরা শনিবার সিয়াম রাখবে না। তোমাদের কেউ আঙ্গুরের ডাল বা গাছের ছাল ব্যতীত কিছু না পেলে সে যেন তা চুষে (শনিবারের) সিয়াম ভঙ্গ করে।
১/১৭২৬(১). আস-সমা’ বিনতু বুসর (রাঃ), রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- বলে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। [১৭২৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[১৭২৬] তিরমিযী ৭৪৪, আবূ দাউদ ২৪২১, আহমাদ ২৬৫৩৪, দারেমী ১৭৪৯, ইরওয়াহ ৯৬০, তা’লীক ইবনু খুযাইমাহ ৩১৬৪, সহীহ আবী দাউদ ২০৮২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৩৯. অধ্যায়ঃ
দশ দিনের রোযা।
১৭২৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ يَعْنِي الْعَشْرَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ قَالَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্র নিকট (যুলহিজ্জার) দশ দিনের সৎকাজের চাইতে অধিক পছন্দনীয় সৎকাজ আর নেই। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহ্র পথে জিহাদও নয় কি? তিনি বলেন, আল্লাহ্র পথে জিহাদও নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি তার জান-মালসহ আল্লাহ্র পথে বের হয়ে তার কোন কিছু নিয়ে আর ফিরে আসে না (তার মর্যাদা অনেক)। [১৭২৭]
[১৭২৭] সহীহুল বুখারী ৯৬৯, তিরমিযী ৭৫৭, আবূ দাউদ ২৪৩৮, আহমাদ ১৯৬৯, ৩১২৯, দারেমী ১৭৭৩, ইরওয়াহ ৯৫৩, সহীহ আবী দাউদ ২১০৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭২৮
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ شَبَّةَ بْنِ عَبِيدَةَ حَدَّثَنَا مَسْعُودُ بْنُ وَاصِلٍ عَنْ النَّهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا أَيَّامٌ أَحَبُّ إِلَى اللهِ سُبْحَانَهُ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ أَيَّامِ الْعَشْرِ وَإِنَّ صِيَامَ يَوْمٍ فِيهَا لَيَعْدِلُ صِيَامَ سَنَةٍ وَلَيْلَةٍ فِيهَا بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (যুলহিজ্জার) দশ দিনের ইবাদাতের চেয়ে দুনিয়ার অন্য কোন দিনের ইবাদাত মহান আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয় নয়। এই ক’দিনের মধ্যকার এক এক দিনের সিয়াম এক বছর সিয়াম রাখার সমান এবং তার এক একটি রাত কদরের রাতের সমান। [১৭২৮]
[১৭২৮] তিরমিযী ৭৫৮, মিশকাত ১৪৭১, যঈফাহ ৫১৪২। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মাসউদ বিন ওয়াসীল সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই বাছাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইমাম দারাকুতনী, সুলায়মান বিন দাউদ আত-তায়লাসী ও তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক তারা সকলে বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯১৪, ২৪/৪৮১ নং পৃষ্ঠা) ২. নাহহাস বিন কাহম সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান তার স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, তিনি সিকাহ রাবী থেকে এককভাবে বর্ণনা করলে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৪৮২, ৩০/২৮ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭২৯
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَامَ الْعَشْرَ قَطُّ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (যুলহিজ্জার) দশ দিন কখনো সিয়াম রাখতে দেখিনি। [১৭২৯]
[১৭২৯] মুসলিম ১১৭৬, তিরমিযী ৭৫৬, আবূ দাউদ ২৪৩৯, সহীহ আবী দাউদ ২১০৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৪০. অধ্যায়ঃ
আরাফাত দিবসের রোযা।
১৭৩০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالَّتِي بَعْدَهُ
আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি আল্লাহ্র নিকট আরাফাত দিবসের রোযার এই সওয়াব আশা করি যে, তিনি তার বিনিময়ে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। [১৭৩০]
[১৭৩০] তিরমিযী ৭৪৯, আহমাদ ২২০২৪, ইরওয়াহ ৯৫২, আবী দাউদ ২০৯৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩১
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ صَامَ يَوْمَ عَرَفَةَ غُفِرَ لَهُ سَنَةٌ أَمَامَهُ وَسَنَةٌ بَعْدَهُ
কাতাদাহ্ বিন নু’মান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আরাফাত দিবসে সিয়াম রাখলো, তার আগের বছরের ও পরের বছরের গুনাহ মাফ করা হলো। [১৭৩১]
[১৭৩১] ইরওয়াহ ৪/১০৯, ১১০, যঈফাহ ৫/২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল-জুরজানী বলেন, তার সানাদ বা মাতান কোনটিরই কেউ অনুসরণ করেনি। আবু বকর আল বুরকানী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মাতরুক বা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু বকর আল বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু ইয়ালা আল খালীলী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৭, ২/৪৪৬ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইসহাক বিন আবদুল্লাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৪০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১ টি জাল, ৩১ টি অধিক দুর্বল, ৮২ টি দুর্বল, ৬৫ টি হাসান, ৬১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ৭৪৯, ৭৫২, আহমাদ ২২০১০, ২২০২৩, ২২০৮, ২২০১৯, ২২১১৩, ২৪৪৪৮, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ৭৮১৬, ৭৮২৭, ৭৮৩১, ৭৮৩২, মু’জামুল আওসাত ২০৬৫, ৪৮৭৫, ৫৬৪৬ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنِي حَوْشَبُ بْنُ عَقِيلٍ حَدَّثَنِي مَهْدِيٌّ الْعَبْدِيُّ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فِي بَيْتِهِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَاتٍ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَاتٍ
ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর বাড়িতে গিয়ে তাকে আরাফাতের ময়দানে আরাফাত দিবসে সিয়াম রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতের ময়দানে আরাফাত দিবসে সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন। [১৭৩২]
[১৭৩২] আবূ দাউদ ২৪৪০, তা’লীকুর রগীব ২/৭৭ যঈফ আবী দাউদ ৪২১। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হাওশাব বিন আকীল সম্পর্কে হাকিম একে বুখারীর শর্তে সহিহ বলেছেন, যাহাবী তাতে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু এটা তাদের অশোভনীয় ধারানা মাত্র। কেননা সানাদে হাওশাব ইবনু আকীল এবং তার শায়খ মাহদী আল-আবাদী হতে ইমাম বুখারী বর্ণনা করেননি। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৫৭১, ৭/৪৬১ নং পৃষ্ঠা) ২. মাহদী আল-আবদী সম্পর্কে ইবনু হাযম তার মুহাল্লা গ্রন্থে বলেন, তিনি অজ্ঞাত। ইমাম যাহাবী আল-মীযান গ্রন্থে তা সমর্থন করেছেন। আবু হাতিম ও ইবনু মাঈনও তাই বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬২২০, ২৮/৫৮৬ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৪১. অধ্যায়ঃ
আশূরার দিনের রোযা
১৭৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ عَاشُورَاءَ وَيَأْمُرُ بِصِيَامِهِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশূরার দিন সিয়াম রাখতেন এবং এ দিন সিয়াম রাখতে নির্দেশ দিতেন। [১৭৩৩]
[১৭৩৩] সহীহুল বুখারী ১৫৯২, ১৮৯৩, ২০০১, ২০০২, ৩৮৩১, ৪৫০২,৪৫০৪ মুসলিম ১১২৫, তিরমিযী ৭৫৩, আবূ দাউদ ২৪৪২, আহমাদ ২৩৪৯১, ২৩৭১০, ২৪৭৬৬, ২৫৫৩৭, ২৫৫৭৬, মুয়াত্তা মালেক ৬৬৫, দারেমী ১৭২০, ১৭৬৩, সহীহ আবী দাউদ ২১১০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৪
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنِ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَوَجَدَ الْيَهُودَ صُيَّامًا فَقَالَ مَا هَذَا قَالُوا هَذَا يَوْمٌ أَنْجَى اللهُ فِيهِ مُوسَى وَأَغْرَقَ فِيهِ فِرْعَوْنَ فَصَامَهُ مُوسَى شُكْرًا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَحْنُ أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالَ يَعْنِي أَهْلَ الْعَرُوضِ حَوْلَ الْمَدِينَةِ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হিজরত করে) মদিনায় পৌঁছে ইহূদীদের সিয়াম অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ এটা কী? তারা বললো, এ দিনে আল্লাহ্ মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে মুক্তি দেন এবং ফিরাউনকে ডুবিয়ে মারেন। তাই মূসা (আলাইহিস সালাম) এ দিন শোকরানা সিয়াম রাখেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমরা মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর (অনুসরণের) ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। তারপর তিনি এদিনে সিয়াম রাখেন এবং অন্যদেরও সিয়াম রাখার নির্দেশ দেন। [১৭৩৪]
[১৭৩৪] সহীহুল বুখারী ২০০৪, ৩৩৯৭, ৩৯৪৩, ৪৬৮০, ৪৭৩৭, মুসলিম ১১৩০, ১১৩৪, আবূ দাউদ ২৪৪৪, ২৪৪৫, আহমাদ ২৬৩৯, ২৮২৭, ৩১০২,৩১৫৪, ৫১৫৪, দারেমী ১৭৫৯, সহীহ আবী দাউদ ২১২, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ صَيْفِيٍّ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَاشُورَاءَ مِنْكُمْ أَحَدٌ طَعِمَ الْيَوْمَ قُلْنَا مِنَّا طَعِمَ وَمِنَّا مَنْ لَمْ يَطْعَمْ قَالَ فَأَتِمُّوا بَقِيَّةَ يَوْمِكُمْ مَنْ كَانَ طَعِمَ وَمَنْ لَمْ يَطْعَمْ فَأَرْسِلُوا إِلَى أَهْلِ الْعَرُوضِ فَلْيُتِمُّوا بَقِيَّةَ يَوْمِهِمْ قَالَ يَعْنِيْ أَهْلَ الْعَرُوْضِ حَوْلَ الْمَدِيْنَةِ.
মুহাম্মাদ বিন সায়ফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশূরার দিন আমাদের জিজ্ঞেস করেনঃ তোমাদের কেউ আজ আহার করেছ কি? আমরা বললাম, আমাদের কতক আহার করেছে এবং কতক আহার করেনি। তিনি বলেন, তোমরা যারা আহার করেছো এবং যারা আহার করোনি, তোমাদের অবশিষ্ট দিনটি সিয়াম রাখো। আর তোমরা মাদীনাহ্র পার্শ্ববর্তীদের নিকট লোক পাঠিয়ে দাও, তারাও যেন দিনটির অবশিষ্টাংশ সিয়াম রাখে। [১৭৩৫]
[১৭৩৫] আহমাদ ১৮৯৫৭, সহীহাহ ২৬২৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَيْرٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَئِنْ بَقِيتُ إِلَى قَابِلٍ لَأَصُومَنَّ الْيَوْمَ التَّاسِعَ
قَالَ أَبُو عَلِيٍّ رَوَاهُ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ زَادَ فِيهِ مَخَافَةَ أَنْ يَفُوتَهُ عَاشُورَاءُ.
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি আগামী বছর বেঁচে থাকলে অবশ্যই (মুহাররমের) নবম তারিখে সিয়াম রাখবো। ইবনু আবূ যি’ব-এর বর্ণনায় আরো আছেঃ তাঁর থেকে আশূরার সিয়াম চলে যাওয়ার আশঙ্কায় (তিনি এ কথা বলেন)। [১৭৩৬]
[১৭৩৬] মুসলিম ১১৩৪, আবূ দাউদ ২৪৪৫, আহমাদ ২১০৭, হীহ আবী দাউদ ২১১৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَوْمًا يَصُومُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَصُومَهُ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَرِهَهُ فَلْيَدَعْهُ
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আশূরার দিন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, জাহিলী যুগে লোকেরা এ দিন সিয়াম রাখতো। অতএব তোমাদের কেউ এ দিন সিয়াম রাখতে আগ্রহী হলে রাখতে পারে এবং কেউ অনাগ্রহী হলে নাও রাখতে পারে। [১৭৩৭]
[১৭৩৭] সহীহুল বুখারী ২০০০, ৪৫০১, মুসলিম ১১২৬, আবূ দাউদ ২৪৪৩, আহমাদ ৫১৮১, ৬২৫৬, দারেমী ১৭৬২, বায়হাকী ৪/১৩৯, সহীহ আবী দাউদ ২১১১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৩৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আশূরার দিনের রোযার দ্বারা আমি আল্লাহ্র নিকট বিগত বছরের গুনাহ মাফের আশা রাখি। [১৭৩৮]
[১৭৩৮] তিরমিযী ৭৫২, আবূ দাউদ ২৪২৫, আহমাদ ২২০৮২, ইরওয়াহ ৪/১০৯, সহীহ আবী দাউদ ২০৯৬, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৪২. অধ্যায়ঃ
সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম রাখা।
১৭৩৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ الْغَازِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يَتَحَرَّى صِيَامَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ
রবীআহ ইবনুল গায (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোযার প্রতি খুবই খেয়াল রাখতেন। [১৭৩৯]
[১৭৩৯] তিরমিযী ৭৪৫, নাসায়ী ২১৮৬, ২৩৬০, ২৩৬১, ২৩৬২, ২৩৬৩, ২৩৬৪, ইরওয়াহ ৪/১০৫-১০৬, তা’লাক ইবনু খুযাইমাহ ২১৭, মুখতাসার, শামায়িল ২৫৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৪০
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّكَ تَصُومُ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ فَقَالَ إِنَّ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ يَغْفِرُ اللهُ فِيهِمَا لِكُلِّ مُسْلِمٍ إِلَّا مُهْتَجِرَيْنِ يَقُولُ دَعْهُمَا حَتَّى يَصْطَلِحَا
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম রাখতেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম রেখে থাকেন। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তাআলা সোমবার ও বৃহস্পতিবার এ দু’ দিন পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারী দু’ ব্যক্তি ব্যতীত প্রত্যেক মুসলমানকে ক্ষমা করেন। তিনি (ফেরেশতাদের) বলেন, তারা সন্ধিতে আবদ্ধ হওয়া অবধি তাদের ত্যাগ করো। [১৭৪০]
[১৭৪০] তিরমিযী ৭৪৭, তা’লীকুর রগীব ৩২/৮০-৮৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস সহীহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬২৯, ১২/২২৩ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৪৩. অধ্যায়ঃ
হারাম মাসসমূহের রোযা
১৭৪১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي السَّلِيلِ عَنْ أَبِي مُجِيبَةَ الْبَاهِلِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَوْ عَنْ عَمِّهِ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللهِ أَنَا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيْتُكَ عَامَ الْأَوَّلِ قَالَ فَمَا لِي أَرَى جِسْمَكَ نَاحِلًا قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ مَا أَكَلْتُ طَعَامًا بِالنَّهَارِ مَا أَكَلْتُهُ إِلَّا بِاللَّيْلِ قَالَ مَنْ أَمَرَكَ أَنْ تُعَذِّبَ نَفْسَكَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَقْوَى قَالَ صُمْ شَهْرَ الصَّبْرِ وَيَوْمًا بَعْدَهُ قُلْتُ إِنِّي أَقْوَى قَالَ صُمْ شَهْرَ الصَّبْرِ وَيَوْمَيْنِ بَعْدَهُ قُلْتُ إِنِّي أَقْوَى قَالَ صُمْ شَهْرَ الصَّبْرِ وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ بَعْدَهُ وَصُمْ أَشْهُرَ الْحُرُمِ
ইসমু মুবহাম (বা নাম অপরিচিত) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহ্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি সেই ব্যক্তি, গত বছরও আপনার নিকট এসেছিলাম। তিনি [রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বলেন, কী ব্যাপার, আমি তোমার শরীর দুর্বল দেখছি কেন? তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি দিনে আহার করি না, রাতেই আহার করি। তিনি বলেন, নিজের দেহকে শাস্তি দিতে কে তোমাকে নির্দেশ দিয়েছে? আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি অধিক শক্তিশালী। তিনি বলেন, তুমি ধৈর্যের মাসের সিয়াম রাখো এবং এরপর (প্রতি মাসে) এক দিন সিয়াম রাখো। আমি বললাম, আমি তো অধিক শক্তিশালী। তিনি বলেন, তুমি ধৈর্যের মাসের সিয়াম রাখো এবং প্রতি মাসে দু’ দিন সিয়াম রাখো। আমি বললাম, আমি এর অধিক শক্তি রাখি। তিনি বলেন, তুমি ধৈর্যের মাসের সিয়াম রাখো, অতঃপর প্রতিমাসে তিন দিন এবং হারাম মাসসমূহে সিয়াম রাখো। [১৭৪১]
[১৭৪১] আবূ দাউদ ২৪২৮, যঈফ আবী দাউদ ৪১৯। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। এর সানাদ ভাল নয়। কেননা এর সানাদে ইদতিরাব হয়েছে। যা হাফিয ‘আত-তাহযীব’ গ্রন্থে এবং তার পূর্বে মানযিরী ‘মুখতাসার সুন্সান’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তিনি বলেছেন, এর সানাদে এরূপ মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে যা আপনি প্রত্যক্ষ করলেন। আর এ জন্যই আমাদের কতিপয় শায়খ এটি দুর্বল হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এতে আরেকটি দোষ আছে তা হল জাহালাত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭৪২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَيُّ الصِّيَامِ أَفْضَلُ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ قَالَ شَهْرُ اللهِ الَّذِي تَدْعُونَهُ الْمُحَرَّمَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো, রমজান মাসের পর কোন্ সিয়াম উত্তম? তিনি বলেন, আল্লাহ্র সেই মাস যাকে তোমরা মুহাররম বলে থাকো। [১৭৪২]
[১৭৪২] মুসলিম ১১৬৩, তিরমিযী ৪৩৮, ৭৪০, আবূ দাউদ ২৪২৯, আহমাদ ৮৩০২, ৮৩২৯, ১০৫৩২, দারেমী ১৭৫৭, ইরওওয়া ৯৫১, সহীহ আরবী দাউদ ২০৯৯, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৪৩
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَطَاءٍ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ رَجَبٍ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রজব মাসে সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন। [১৭৪৩]
[১৭৪৩] যঈফাহ ৪০৪। তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী দাউদ বিন আতা সম্পর্কে ইমাম বুখারী মুনকার বলেছেন। আবু হাতিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। আবু বাকর আল-বায়হাকী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭৭৫, ৮/৪১৯ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
১৭৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ كَانَ يَصُومُ أَشْهُرَ الْحُرُمِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صُمْ شَوَّالًا فَتَرَكَ أَشْهُرَ الْحُرُمِ ثُمَّ لَمْ يَزَلْ يَصُومُ شَوَّالًا حَتَّى مَاتَ
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) হারাম মাসসমূহে সিয়াম রাখতেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেন, তুমি শাওয়াল মাসে সিয়াম পালন করো। অতঃপর তিনি হারাম মাসসমূহের সিয়াম পালন করা ছেড়ে দেন এবং আমরণ শাওয়াল মাসে সিয়াম পালন করেন। [১৭৪৪]
[১৭৪৪] তা’লীকুর রগীব ২/৮১। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয আদ-দারওয়ারদী সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি যখন তার কিতাব থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করেন তখন তা সহিহ কিন্তু যখন মানুষের কিতাব থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন তখন তিনি সন্দেহ করতেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৪৪. অধ্যায়ঃ
সিয়াম হলো দেহের যাকাত ।
১৭৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ ح و حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ جَمِيعًا عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ جُمْهَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِكُلِّ شَيْءٍ زَكَاةٌ وَزَكَاةُ الْجَسَدِ الصَّوْمُ زَادَ مُحْرِزٌ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصِّيَامُ نِصْفُ الصَّبْرِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি জিনিসের যাকাত আছে। সিয়াম হলো শরীরের যাকাত। মুহরিযের হাদীসে আরো আছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সিয়াম হলো ধৈর্যের অর্ধাংশ। [১৭৪৫]
[১৭৪৫] মিশকাত ২০৭২, যঈফাহ ১৩২৯, ৩৮১১। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন উবায়দাহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হুজ্জাহ নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬২৮০, ২৯/১০৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৪৫. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করালো তার সওয়াব ।
১৭৪৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى وَخَالِي يَعْلَى عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ حَجَّاجٍ كُلُّهُمْ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا
যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করায়, তার জন্য রয়েছে ইফতারকারীদের সমান সওয়াব এবং এজন্য তাদের সওয়াব থেকে কিছুই হ্রাসপ্রাপ্ত হবে না। [১৭৪৬]
[১৭৪৬] তিরমিযী ৮০৭, আহমাদ ১৬৫৮২, ২১১৬৮, দারেমী ১৭০২, রওয ৩২২, তা’লীকুর রগীব ২/৯৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ব্যাক্তি আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪০৬, ২৫/৬২২ নং পৃষ্ঠা) ২. হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়, অন্যত্রে তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহীহ তবে ইবনু আবু লায়লা ও হাজ্জাজ এর রেওয়য়াতে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৮৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ৮ টি অধিক দুর্বল, ২৭ টি দুর্বল, ৪৭ টি হাসান, ১০১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বুখারী ৪৮৪৩, মুসলিম ১৮৯৬, ১৮৯৭, তিরমিযি ৮০৭, ১৬২৮, ১৬২৯, ১৬৩১, আবু দাউদ ২৫০৯, দারিমী ১৭০২, ২৪১৯, আহমাদ ১৬৫৯১, ১৬৫৯৬, ১৬৫৯৭, ১৬৬০৮, ২১১৬৭, ২১১৭২, ২১৫৩২, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ৭৯০৫, মু’জামুল আওসাত ৫৩২, ১০৪৮, ৭১৩৬, ৭৭০০, ৭৮৮৩, ৮০৩৮, ৮৪৩৮ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৪৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى اللَّخْمِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ مُصْعَبِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ أَفْطَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فَقَالَ أَفْطَرَ عِنْدَكُمْ الصَّائِمُونَ وَأَكَلَ طَعَامَكُمْ الْأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمْ الْمَلَائِكَةُ
আবদুল্লাহ্ ইবনুয-যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সা’দ বিন মুআয (রাঃ)-এর এখানে ইফতার করেন, অতঃপর বলেন, তোমাদের এখানে রোযাদারগণ ইফতার করেছেন, নেককারগণ তোমাদের খাদ্যদ্রব্য আহার করেছেন এবং ফেরেশতাগণ তোমাদের জন্য রহমাত কামনা করেছেন। [১৭৪৭]
তাহকীক আলবানীঃ ইফতার করার কথা ব্যতীত সহীহ।
[১৭৪৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আদাবুয যিফাক ৮৫৮৬। উক্ত হাদীসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন আমর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি কখনো হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, তার হাদীস বর্ণনায় সমস্যা নেই। ইমাম নাসায়ী তাঁকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২৬২ নং পৃষ্ঠা) ২. মুসআব বিন সাবিত সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তাকে আমি দুর্বল হিসেবেই জানি। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাঁকে দুর্বল বলেছেন। আবূ হাতিম আর-রাবী বলেন, তিনি সিকাহ নন তবে সত্যবাদী কিন্তু হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম নাসায়ী বলেন, তিনি গায়ির সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৮০, ২৮/১৮ নং পৃষ্ঠা)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৪৬. অধ্যায়ঃ
রোযাদারের সামনে কেউ পানাহার করলে।
১৭৪৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ وَسَهْلٌ قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا لَيْلَى عَنْ أُمِّ عُمَارَةَ قَالَتْ أَتَانَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَّبْنَا إِلَيْهِ طَعَامًا فَكَانَ بَعْضُ مَنْ عِنْدَهُ صَائِمًا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّائِمُ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ الطَّعَامُ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ
উম্মু উমারাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের এখানে আসলে আমরা তাঁর সামনে খাদ্যসামগ্রী পরিবেশন করলাম। তাঁর সাথের কতক লোক ছিল রোযাদার। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রোযাদারের সামনে আহার করা হলে ফেরেশতাগণ তার জন্য (আল্লাহ্র) অনুগ্রহ কামনা করেন। [১৭৪৮]
[১৭৪৮] তিরমিযী ৭৮৪, ৭৮৫, আহমাদ ২৬৫১৯, ২৬৯২৬, দারেমী ১৭৩৮, তা’লীকুর রগীব ২/৭৬, যঈফ ১৩৩২। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী লায়লা সম্পর্কে ইমাম যাহাবী অজ্ঞাত নারীর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, তার সুত্রে হাবিব ইবনু যায়দ একক হয়ে গেছেন। হাফিয তার সম্পর্কে মুতাবআতের ক্ষেত্রে মাকবুল বলেছেন। অন্যথায় তিনি হাদিস গ্রহনে শিথিল। কিন্তু তার মুতাবিআত জানা যায়নি। বরং একথা বলা সম্ভব যে, তিনি বিপরীত করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৯২৭, ৩৫/৩০১ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭৪৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِبِلَالٍ الْغَدَاءُ يَا بِلَالُ فَقَالَ إِنِّي صَائِمٌ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَأْكُلُ أَرْزَاقَنَا وَفَضْلُ رِزْقِ بِلَالٍ فِي الْجَنَّةِ أَشَعَرْتَ يَا بِلَالُ أَنَّ الصَّائِمَ تُسَبِّحُ عِظَامُهُ وَتَسْتَغْفِرُ لَهُ الْمَلَائِكَةُ مَا أُكِلَ عِنْدَهُ
বুরায়দাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ)-কে বললেনঃ হে বিলাল! সকালের খাবার। বিলাল (রাঃ) বলেন, আমি রোযাদার। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমরা আমাদের রিযিক আহার করবো, আর বিলালের অংশ রয়েছে জান্নাতে। হে বিলাল! তুমি কি জানো যে, রোযাদারের সামনে খাওয়া-দাওয়া করা হলে, তার হাড়সমূহ আল্লাহ্র গুণগান করে এবং ফেরেশতাগণ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে! [১৭৪৯]
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট।
[১৭৪৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৪/৬২। যঈফাহ ১৩৩২। তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা) ২. বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হবেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৩৮, ৪/১৯২ নং পৃষ্ঠা) ৩. মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আল-উকায়লী বলেন, তিনি অপরিচিত, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আল-আযদী তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী তাকে উল্লেখ করে বলেন, তার মাঝে জাহালাত রয়েছে। তিনি সন্দেহভাজন নির্ভরযোগ্য নয়। তার সম্পর্কে আবুল ফাত্তাহ আদ্দী বলেন, তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪১৬, ২৫/৬৫৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৭/৪৭. অধ্যায়ঃ
রোযাদারকে আহার গ্রহণের জন্য আহ্বান করা হলে।
১৭৫০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন তোমাদের কাউকে আহার করার জন্য ডাকা হয়, অথচ সে রোযাদার, তখন সে যেন বলে, আমি রোযাদার। [১৭৫০]
[১৭৫০] মুসলিম ১১৫০, তিরমিযী ৭৮১, আবূ দাউদ ২৪৬১,আহমাদ ৭২৬২, দারেমী ১৭৩৭, সহীহাহ ১৩৪, ইরওয়াহ ১৯৫৩, সহীহ আবী দাউদ ২১২৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ دُعِيَ إِلَى طَعَامٍ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيُجِبْ فَإِنْ شَاءَ طَعِمَ وَإِنْ شَاءَ تَرَكَ
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রোযাদার ব্যক্তিকে আহার গ্রহণের আহবান জানানো হলে সে যেন তাতে সাড়া দেয়। অতঃপর তার ইচ্ছা হলে খাবে অথবা খাবে না। [১৭৫১]
[১৭৫১] মুসলিম ১৪৩০, আবূ দাউদ ৩৭৪০, আহমাদ ১৪৭৯৭, সহীহাহ ৩৪৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৪৮. অধ্যায়ঃ
রোযাদারের দুআ প্রত্যাখ্যাত হয় না (কবুল হয়)।
১৭৫২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سَعْدَانَ الْجُهَنِيِّ عَنْ سَعْدٍ أَبِي مُجَاهِدٍ الطَّائِيِّ وَكَانَ ثِقَةً عَنْ أَبِي مُدِلَّةَ وَكَانَ ثِقَةً عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثَلَاثَةٌ لَا تُرَدُّ دَعْوَتُهُمْ الْإِمَامُ الْعَادِلُ وَالصَّائِمُ حَتَّى يُفْطِرَ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ يَرْفَعُهَا اللهُ دُونَ الْغَمَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَتُفْتَحُ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَيَقُولُ بِعِزَّتِي لَأَنْصُرَنَّكِ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দুআ রদ হয় নাঃ ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোযাদার যতক্ষণ না ইফতার করে এবং মজলুমের দুআ। কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্ তার দুআ মেঘমালার উপরে তুলে নিবেন এবং তার জন্য আসমানের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং আল্লাহ্ বলবেনঃ আমার মর্যাদার শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো, একটু বিলম্বেই হোক না কেন। [১৭৫২]
[১৭৫২] তিরমিযী ৩৫৯৮, যঈফাহ ১৪৫৮, রোযাদার ও মাযলুমের দুয়ার কথা সহীহ এবং ন্যায়পরায়ণ ইমাম এর স্থলে মুসাফিরের কথা সহীহ। সহীহাহ ৫৯৬, ১৭৯৭। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মুদিল্লাহ হল আইশাহ (রাঃ) এর আযাদকৃত দাস এবং আমরা তাকে এই হাদিস দ্বারা চিনতে পেরেছি। বিষয়টি যদি তাই হয় তবে উসুলী কায়িদাহ অনুযায়ী সে একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তি। ইমাম মাদানী বলেছেন, তার নাম জানা যায়নি। সে অজ্ঞাত এবং আবু মুজাহিদ ব্যাতিত কেউ তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেনি। মুলতঃ তার সম্পর্কে এরূপ বক্তব্য তার হাদিসকে হাসান করেন না, বিশেষ করে হাদিসটি আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত ভিন্ন একটি হাদিসের বিপরীত। সেই হাদিসটি রয়েছে সহীহাহ ২য় খণ্ড ৭ম অধ্যায়ে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৬১১, ৩৪/২৬৯ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৩
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ الْمَدَنِيُّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِلصَّائِمِ عِنْدَ فِطْرِهِ لَدَعْوَةً مَا تُرَدُّ
قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ إِذَا أَفْطَرَ اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي.
আবদুল্লাহ বিন আম্র ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইফতারের সময় রোযাদারের অবশ্যই একটি দুআ আছে, যা রদ হয় না (কবুল হয়)। বিন আবূ মুলাইকা (রাঃ) বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ)-কে ইফতারের সময় বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ্! আমি আপনার দয়া ও অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি যা সব কিছুর উপর পরিব্যাপ্ত, যেন আপনি আমাকে ক্ষমা করেন”। [১৭৫৩]
[১৭৫৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এহকভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৯২১। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন উবায়দুল্লাহ আল-মাদানীর কারণে হাদিসটি দুর্বল হয়েছে। তার সম্পর্কে শায়খ আলবানী ইরওয়া’উল গালীল এর মধ্যে প্রায় ৫ পৃষ্ঠা আলোচনা করেছেন। বিস্তারিত জানতে দেখুন ইরওয়া’উল গালীল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৪৯. অধ্যায়ঃ
ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে আহার করা।
১৭৫৪
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَا يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَطْعَمَ تَمَرَاتٍ
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিন খেজুর না খেয়ে (ঈদের মাঠে) রওয়ানা হতেন না। [১৭৫৪]
[১৭৫৪] সহীহুল বুখারী ৯৫৩, তিরমিযী ৫৪৩, আহমাদ ১১৮৫৯, ১৩০১৪, মিশকাত ১৪৪০, যঈফাহ ৪২৪৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্ (আল্লাহ্ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৯১, ৪/৪৮৯ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৯২ টি শাহিদ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৯৫৩, তিরমিযি ৫৪২, ৫৪৩, দারিমী ১৬০০, আহমাদ ১০৮৪২, ১০৯৬২, ১১৮৫৯, ১৩০১৪, ২২৪৭৩, ২২৪৭৪, ২২৫৩২, দারাকুতনী ১৬৯৯, ১৭০১, ১৭০২, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ৫৭৩৪, মু’জামুল আওসাত ৪৫১, ২৮৬৭, ৩০৬৫, ৪৫০২, ৫০১৪, ৫৮৩৬, শারহুস সুন্নাহ ১১০৪, ১১০৫, ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৫
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ حَدَّثَنَا مَنْدَلُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ صَهْبَانَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يُغَذِّيَ أَصْحَابَهُ مِنْ صَدَقَةِ الْفِطْرِ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিন ভোরে তাঁর সহাবীদের ফিতরা পরিশোধের নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত (ঈদগাহে) রওয়ানা হতেন না। [১৭৫৫]
[১৭৫৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যঈফাহ ৪২৪৮। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্ (আল্লাহ্ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৯১, ৪/৪৮৯ নং পৃষ্ঠা) ২. মানদাল বিন আলী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াকুব বিন শসায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬১৭৬, ২৮/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা) ৩. উমার বিন সহবান সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ বলেন, তার ব্যাপারে হাদিস বিশারদগণ এতো কথা বলেছেন, যে তা অন্য কারো ব্যাপারে আমি আর দেখিনি। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৬০, ২১/৩৯৮ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا ثَوَابُ بْنُ عُتْبَةَ الْمَهْرِيُّ عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ لَا يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ وَكَانَ لَا يَأْكُلُ يَوْمَ النَّحْرِ حَتَّى يَرْجِعَ
বুরায়দাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিন আহার না করে (ঈদের মাঠে) রওয়ানা হতেন না এবং কুরবানীর দিন ঈদগাহ থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত আহার করতেন না। [১৭৫৬]
[১৭৫৬] তিরমিযী ৫৪২, আহমাদ ২২৪৭৪, ২২৫৩৩, দারেমী ১৬০০, মিশকাত ১৪৪০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৫০. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি অবহেলা করে রমাযানের সিয়াম অনাদায় রেখে মারা গেলো।
১৭৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْثَرُ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامُ شَهْرٍ فَلْيُطْعَمْ عَنْهُ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينٌ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার যিম্মায় রমজান মাসের সিয়াম বাকি রেখে মারা গেলো, তার পক্ষ থেকে প্রতি দিনের রোযার জন্য যেন একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে আহার করানো হয়। [১৭৫৭]
[১৭৫৭] তিরমিযী ৭১৮, মিশকাত ২০৩৪। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আশআস (বিন সাওয়ার) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও অন্যত্রে তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। উসমান বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২৪, ৩/২৬৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৫১. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি মানতের সিয়াম যিম্মায় রেখে মারা গেলো।
১৭৫৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ وَالْحَكَمِ وَسَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَعَطَاءٍ وَمُجاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أُخْتِي مَاتَتْ وَعَلَيْهَا صِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ أَرَأَيْتِ لَوْ كَانَ عَلَى أُخْتِكِ دَيْنٌ أَكُنْتِ تَقْضِينَهُ قَالَتْ بَلَى قَالَ فَحَقُّ اللهِ أَحَقُّ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার বোন তার যিম্মায় রমাদানের পর পর দু’ মাসের সিয়াম রেখে মারা গেছে। তিনি বলেন, তুমি কি মনে করো, তোমার বোন ঋণগ্রস্ত থাকলে তুমি তা পরিশোধ করতে? সে বললো, হাঁ। তিনি বলেন, আল্লাহ্র প্রাপ্য তো অধিক পরিশোধযোগ্য। [১৭৫৮]
[১৭৫৮] সহীহুল বুখারী ১৯৫৩, মুসলিম ১১৪৮, তিরমিযী ৭১৬, নাসায়ী ৩৮১৬ আবূ দাউদ ৩৩১০, আহমাদ ২০০৬, দারেমী ১৭৬৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল-আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালিহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৫৯
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أُمِّي مَاتَتْ وَعَلَيْهَا صَوْمٌ أَفَأَصُومُ عَنْهَا قَالَ نَعَمْ
বুরায়দাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার মা তার যিম্মায় সিয়াম রেখে মারা গেছেন। আমি কি তার পক্ষ থেকে সিয়াম রাখবো? তিনি বলেন, হাঁ। [১৭৫৯]
[১৭৫৯] মুসলিম ১১৪৯, তিরমিযী ৬৬৭, ৯২৯, আবূ দাউদ ১৬৫৬, ২৮৭৭, ৩৩০৮, আহমাদ ২২৪৪৭, ২২৪৬২, ২২৫২৩, ২২৫৪৫, সহীহ আবী দাউদ ২৫৬১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন আতা সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযগে অভিযুক্ত। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি আহলে ইমমের নিকট নির্ভরযোগ্য। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল ও তাদলীস করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪২৯, ১৫/৩১১ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৫২. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি রমজান মাসে ইসলাম গ্রহণ করলো।
১৭৬০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ حَدَّثَنَا وَفْدُنَا الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِإِسْلَامِ ثَقِيفٍ قَالَ وَقَدِمُوا عَلَيْهِ فِي رَمَضَانَ فَضَرَبَ عَلَيْهِمْ قُبَّةً فِي الْمَسْجِدِ فَلَمَّا أَسْلَمُوا صَامُوا مَا بَقِيَ عَلَيْهِمْ مِنْ الشَّهْرِ
ইসমু মুবহাম বা নাম অপরিচিত থেকে বর্ণিতঃ
আমাদের যে প্রতিনিধি দলটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গিয়েছিল, তারা সাকীফ গোত্রের ইসলাম গ্রহণের বর্ণনা দেয়। রাবী বলেন, তারা তাঁর দরবারে রমজান মাসে উপস্থিত হয়। তিনি মাসজিদে তাদের জন্য একটি তাঁবু খাঁটিয়ে দিয়েছিলেন। তারা ইসলাম গ্রহণ করার পর রমজান মাসের অবশিষ্ট রোযাগুলো রেখেছিল। [১৭৬০]
[১৭৬০] তা’লীক ইবনু মাজাহ। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৫৩. অধ্যায়ঃ
যে মহিলা তার স্বামীর সম্মতি ব্যতীত (নফল) সিয়াম রাখে।
১৭৬১
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَان بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا تَصُومُ الْمَرْأَةُ وَزَوْجُهَا شَاهِدٌ يَوْمًا مِنْ غَيْرِ شَهْرِ رَمَضَانَ إِلَّا بِإِذْنِهِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
স্বামীর উপস্থিতিতে তার সম্মতি ব্যতীত স্ত্রী রমজান মাসের সিয়াম ছাড়া এক দিনও সিয়াম রাখবে না। [১৭৬১]
[১৭৬১] সহীহুল বুখারী ৫১৯২, ৫১৯৫, মুসলিম ১০২৬, তিরমিযী ৭৮২, আবূ দাউদ ২৪৫৮, আহমাদ ৭২৯৪, ২৭৪০৫, ৯৪৪১, ৯৬৬২, ৯৮১২, ১০১১৭, দারেমী ১৭২০, ইরওয়াহ ২০০৪, সহীহ আবী দাউদ ২১২১, বুখারী, মুসলিমে রামাযানের উল্লেখ ব্যতীত। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم النِّسَاءَ أَنْ يَصُمْنَ إِلَّا بِإِذْنِ أَزْوَاجِهِنَّ
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদেরকে তাদের স্বামীদের সম্মতি ব্যতীত সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন। [১৭৬২]
[১৭৬২] আবূ দাউদ ২৪৫৯, আহমাদ ১১৩৫০, ১১৩৯২, দারেমী ১৭১৯, ইরওয়াহ ৭.৬৪-৬৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৫৪. অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের মেহমান হলে সে তাদের সম্মতি ব্যতীত (নফল) সিয়াম রাখবে না।
১৭৬৩
– حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ وَخَالِدُ بْنُ أَبِي يَزِيدَ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْمَدَنِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا نَزَلَ الرَّجُلُ بِقَوْمٍ فَلَا يَصُومُ إِلَّا بِإِذْنِهِمْ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের মেহমান হলে সে যেন তাদের সম্মতি ব্যতীত (নফল) সিয়াম না রাখে। [১৭৬৩]
[১৭৬৩] তিরমিযী ৭৮৯, যঈফাহ ২৭১৪। তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী আবু বকর আল-মাদানী সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি ও ইমাম যাহাবী দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৭/৫৫. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি বলে, কৃতজ্ঞ আহারকারী ধৈর্যশীল রোযাদারের সমতুল্য।
১৭৬৪
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْنٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْأُمَوِيِّ عَنْ مَعْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ عَلِيٍّ الْأَسْلَمِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ الطَّاعِمُ الشَّاكِرُ بِمَنْزِلَةِ الصَّائِمِ الصَّابِرِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কৃতজ্ঞ আহারকারী ধৈর্যশীল রোযাদারের সমতুল্য। [১৭৬৪]
[১৭৬৪] তিরমিযী ২৪৮৬, সহীহাহ ৬৫৫, তালীক ইবনু খুযাইয়াহ ১৮৯৮, ১৮৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা’ফার আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ আল উমাবী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। আবু আহমাদ বিন আলী আল-জুরজানী ও তাহরিরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে আমার জানা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৩৬৮, ১৫/১৮৫ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইয়াকুব বিন হুমায়দ ও আবদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ আল উমাবী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৩ টি জাল, ৯ টি অধিক দুর্বল, ২০ টি দুর্বল, ১৩ টি হাসান, ৯ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ২৪৮৬, দারিমী ২০২৪, আহমাদ ৭৭৪৭, ৭৮২৯, ১৮৫৩৪, মু’জামুল আওসাত ৭৩৮১, শারহুস সুন্নাহ ২৮৩২ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৬৫
حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي حُرَّةَ عَنْ عَمِّهِ حَكِيمِ بْنِ أَبِي حُرَّةَ عَنْ سِنَانِ بْنِ سَنَّةَ الْأَسْلَمِيِّ صَاحِبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الطَّاعِمُ الشَّاكِرُ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ الصَّائِمِ الصَّابِرِ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী সিনান বিন সান্নাহ আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কৃতজ্ঞ আহারকারীর জন্য রয়েছে ধৈর্যশীল রোযাদারের অনুরূপ প্রতিদান। [১৭৬৫]
[১৭৬৫] দারেমী ২০২৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযিয আদ-দারাওয়ারদী সম্পর্কে মুহাম্মাদ বোন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি যখন তার কিতাব হতে কোন হাদিস বর্ণনা করেন তখন তা সহীহ কিন্তু যখন মানুষের কিতাব থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন তখন তিনি সন্দেহ করতেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৫৬. অধ্যায়ঃ
লায়লাতুল কদর (কদরের রাত) সম্পর্কে
১৭৬৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتُوَائِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ اعْتَكَفْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْعَشْرَ الْأَوْسَطَ مِنْ رَمَضَانَ فَقَالَ إِنِّي أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَأُنْسِيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ فِي الْوَتْرِ
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে রমজান মাসের মধ্যম দশকে ই‘তিকাফ করেছিলাম। তিনি বলেন, আমাকে লায়লাতুল কদর দেখানো হয়েছিল; পরে তা আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অতএব তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহে তা অনুসন্ধান করো। [১৭৬৬]
[১৭৬৬] সহীহুল বুখারী ২০১৮, মুসলিম ১১৬৭, নাসায়ী ১৩৫৬, আবূ দাউদ ১৩৮২, আহমাদ ১০৬৫০, ১০৮০২, ১১১৮৬, ১১৩০৭, মুয়াত্তা মালেক ৭০১, সহীহ আবী দাউদ ১২২১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৫৭. অধ্যায়ঃ
রমজান মাসের শেষ দশকের ফযিলত।
১৭৬৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ وَأَبُو إِسْحَقَ الْهَرَوِيُّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَاتِمٍ قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَجْتَهِدُ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مَا لَا يَجْتَهِدُ فِي غَيْرِهِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজান মাসের শেষ দশকে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ইবাদাতে অধিক মশগুল থাকতেন। [১৭৬৭]
[১৭৬৭] সহীহুল বুখারী ২০২৪,মুসলিম ১১৭৪, ১১৭৫, তিরমিযী ৭৯৬, নাসায়ী ১৬৩৯, আবূ দাউদ ১৩৭৬, আহমাদ ২৩৬১১, ২৩৮৫৬,২৩৮৬৯, ২৪০০৭, ২৪৩৯২, ২৫৬৫৬, সহীহাহ ২১২৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৬৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنِ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَتْ الْعَشْرُ أَحْيَا اللَّيْلَ وَشَدَّ الْمِئْزَرَ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজান মাসের শেষ দশকে রাত জাগতেন, তহবন্দ শক্ত করে বেঁধে নিতেন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে (ইবাদাতে মশগুল হওয়ার জন্য) জাগিয়ে দিতেন। [১৭৬৮]
[১৭৬৮] সহীহুল বুখারী ২০২৪,মুসলিম ১১৭৪, ১১৭৫, তিরমিযী ৭৯৬, নাসায়ী ১৬৩৯, আবূ দাউদ ১৩৭৬, আহমাদ ২৩৬১১, ২৩৮৫৬,২৩৮৬৯, ২৪০০৭, ২৪৩৯২, ২৫৬৫৬, সহীহ আবী দাউদ ১২৪৬, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৫৮. অধ্যায়ঃ
ই‘তিকাফ সম্পর্কে।
১৭৬৯
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ كُلَّ عَامٍ عَشْرَةَ أَيَّامٍ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا وَكَانَ يُعْرَضُ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّةً فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ عُرِضَ عَلَيْهِ مَرَّتَيْنِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি বছর দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন। তবে তিনি ইনতিকালের বছর বিশ দিন ই‘তিকাফ করেন। প্রতি বছর (রমজান মাসে) তাঁর কাছে একবার কুরআন পেশ করা হতো। তবে তাঁর ইনতিকালের বছর তাঁর কাছে তা দু’বার পেশ করা হয়। [১৭৬৯]
[১৭৬৯] সহীহুল বুখারী ২০৪৪, ৪৯৯৮, তিরমিযী ৭৯০, আবূ দাউদ ২৪৬৬, আহমাদ ৭৭২৬, ৮২৩০, ৮৪৪৮, ৮৯৫৯, ২৪৮৩০, দারেমী ১৭৭৯, সহীহ আবী দাউদ ২১২৬, ২১৩০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ فَسَافَرَ عَامًا فَلَمَّا كَانَ مِنْ الْعَامِ الْمُقْبِلِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا
উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাদানের শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন। তবে তিনি কোন এক বছর এ সময় সফরে অতিবাহিত করেন। এরপর পরবর্তী বছর তিনি বিশ দিন ই‘তিকাফ করেন। [১৭৭০]
[১৭৭০] আবূ দাউদ ২৪৬৩, আহমাদ ২০৭৭০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৫৯. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি ই’তিকাফে বসলো এবং ই’তিকাফের কাযা সম্পর্কে।
১৭৭১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ صَلَّى الصُّبْحَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَكَانَ الَّذِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهِ فَأَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ فَأَمَرَ فَضُرِبَ لَهُ خِبَاءٌ فَأَمَرَتْ عَائِشَةُ بِخِبَاءٍ فَضُرِبَ لَهَا وَأَمَرَتْ حَفْصَةُ بِخِبَاءٍ فَضُرِبَ لَهَا فَلَمَّا رَأَتْ زَيْنَبُ خِبَاءَهُمَا أَمَرَتْ بِخِبَاءٍ فَضُرِبَ لَهَا فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ آلْبِرَّ تُرِدْنَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ رَمَضَانَ وَاعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফ করার ইচ্ছা করলে ফজরের সলাত পড়ার পর ই’তিকাফের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থানে প্রবেশ করতেন। তিনি রমাদানের শেষ দশদিন ই‘তিকাফ করার ইচ্ছা করলেন এবং তাঁর জন্য একটি বেষ্টনী তৈরি করার নির্দেশ দিলেন। আয়িশা (রাঃ)-ও তাঁর জন্য একটি বেষ্টনী তৈরির নির্দেশ দেন। অতএব তার জন্যও বেষ্টনী তৈরি করা হলো। হাফসা (রাঃ)-ও একটি বেষ্টনী তৈরির নির্দেশ দিলে তাঁর জন্যও তা তৈরি করা হলো। যয়নাব (রাঃ) তাদের দু’জনের বেষ্টনী দেখে আরেকটি বেষ্টনী তৈরির নির্দেশ দেন এবং তাঁর জন্যও তা তৈরি করা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে বলেন, তোমরা কি পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে এমনটি করছো! এরপর তিনি আর রমজান মাসে ই‘তিকাফ করলেন না, পরে শাওয়াল মাসের দশ দিন ই‘তিকাফ করেন। [১৭৭১]
[১৭৭১] সহীহুল বুখারী ২০৩৩, ২০৩৪, ২০৪১, ২০৪৫, মুসলিম ১১৭২, ১১৭৩, তিরমিযী ৭৯১, নাসায়ী ৭০৯, আবূ দাউদ ২৪৬৪, আহমাদ ২৪০২৩, ২৫৩৬৯, মুয়াত্তা মালেক ৬৯৯, তা’লীক ইবনু খুযাইমাহ ২২২৪, সহীহ আবী দাউদ ২১২৭, ২১২৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৬০. অধ্যায়ঃ
এক দিন অথবা এক রাত ই‘তিকাফ করা।
১৭৭২
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مُوسَى الْخَطْمِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ عَلَيْهِ نَذْرُ لَيْلَةٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ يَعْتَكِفُهَا فَسَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ أَنْ يَعْتَكِفَ
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ), জাহিলী যুগে তার এক রাত ই‘তিকাফ করার মানত ছিল। তিনি এ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে ই‘তিকাফ করার নির্দেশ দেন। [১৭৭২]
[১৭৭২] সহীহুল বুখারী ২০৩২, ২০৪২, ২০৪৩, ৩১৪৪, ৪৩২০, ৬৬৯৭, মুসলিম ১৬৫৬, তিরমিযী ১৫৩৯, নাসায়ী ৩৮২০, ৩৮২১, ৩৮২২, আবূ দাউদ ৩৩২৫, আহমাদ ২৫৭, ৪৬৯১, ৫৫১৪, ৬৩৮২, দারেমী ২৩৩৩, তা’লীক ইবনু খুযাইমাহ ২২২৯, সহীহ আবী দাউদ ২১৩৬, ২১৩৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৬১. অধ্যায়ঃ
ই‘তিকাফকারী মাসজিদের একটি স্থান নির্ধারণ করে নিবে।
১৭৭৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ أَنْبَأَنَا يُونُسُ أَنَّ نَافِعًا حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ
قَالَ نَافِعٌ وَقَدْ أَرَانِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ الْمَكَانَ الَّذِي كَانَ يَعْتَكِفُ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
আবদুল্লাহ্ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজান মাসের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন। নাফি’ (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) আমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ই’তিকাফের স্থানটি দেখিয়েছেন। [১৭৭৩]
[১৭৭৩] সহীহুল বুখারী ২০২৫, মুসলিম ১১৭১, আবূ দাউদ ২৪৬৫, আহমাদ ৬১৩৭, সহীহ আবী দাউদ ২১২০, বুখারীতে নাফি‘ বলেছেন এ কথা নেই। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ عِيسَى بْنِ عُمَرَ بْنِ مُوسَى عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا اعْتَكَفَ طُرِحَ لَهُ فِرَاشُهُ أَوْ يُوضَعُ لَهُ سَرِيرُهُ وَرَاءَ أُسْطُوَانَةِ التَّوْبَةِ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু উমার (রাঃ) ই’তিকাফের ইচ্ছা করলে তার জন্য “উসতুওয়ানায়ে তাওবা”-এর পেছনে তাঁর বিছানা দেয়া হতো অথবা তাঁর খাট রাখা হতো। [১৭৭৪]
[১৭৭৪] তা’লীক সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২২৩৬। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী নু’আয়ম বিন হাম্মাদ সম্পর্কে আল-আজলী সিকাহ বলেছেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ ও ভুল করেন। মুসলিম বিন কাসিম বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি কিছু হাদিসের ব্যাপারে বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেছেন। আবু বিশর আদ দাওলানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস গ্রহনের ব্যাপারে শিথিল। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায়অধিক ভুল করেন।(তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৪৫১, ২৯/৪৬৬ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৬২. অধ্যায়ঃ
মাসজিদের অভ্যন্তরে তাঁবুতে ই‘তিকাফ করা।
১৭৭৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَكَفَ فِي قُبَّةٍ تُرْكِيَّةٍ عَلَى سُدَّتِهَا قِطْعَةُ حَصِيرٍ قَالَ فَأَخَذَ الْحَصِيرَ بِيَدِهِ فَنَحَّاهَا فِي نَاحِيَةِ الْقُبَّةِ ثُمَّ أَطْلَعَ رَأْسَهُ فَكَلَّمَ النَّاسَ
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি তুর্কী তাঁবুর মধ্যে ই’তিকাফে বসেন, যার জানালায় টাঙ্গানো ছিলো চাটাইয়ের টুকরা। রাবী বলেন, তিনি তাঁর হাত দিয়ে চাটাইটি সরিয়ে বেষ্টনীর পাশে রাখেন, অতঃপর মাথা বের করে লোকদের সাথে কথা বলেন। [১৭৭৫]
[১৭৭৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৪/১৮২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৬৩. অধ্যায়ঃ
ই’তিকাফকারির রোগীকে দেখতে যাওয়া ও জানাযায় উপস্থিত হওয়া।
১৭৭৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنْ كُنْتُ لَأَدْخُلُ الْبَيْتَ لِلْحَاجَةِ وَالْمَرِيضُ فِيهِ فَمَا أَسْأَلُ عَنْهُ إِلَّا وَأَنَا مَارَّةٌ قَالَتْ وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةٍ إِذَا كَانُوا مُعْتَكِفِينَ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ই’তিকাফরত অবস্থায় কেবলমাত্র প্রাকৃতিক প্রয়োজনে ঘরে যেতাম এবং ঘরে রোগী থাকলে হাঁটতে হাঁটতে তাকে দেখতে যেতাম। তিনি আরো বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই’তিকাফকালে প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরে যেতেন না। [১৭৭৬]
[১৭৭৬] আহমাদ ২৪২১০, ২৪৯৫৬, ইরওয়াহ ৯৭৪, ৯৭৮, তা’লীক ইবনু খুযাইমাহ ২২৩০, সহীহ আবী দাউদ ২১৩১, বুখারিতে মারফু’ভাবে। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا الْهَيَّاجُ الْخُرَاسَانِيُّ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الْخَالِقِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمُعْتَكِفُ يَتْبَعُ الْجِنَازَةَ وَيَعُودُ الْمَرِيضَ
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ই‘তিকাফকারী জানাযায় শরীক হতে পারে এবং রোগীকেও দেখতে যেতে পারে। [১৭৭৭]
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট।
[১৭৭৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যঈফাহ ৪৬৭৯। তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হায়্যাজ (বিন বিসতাম) আল-খুরাসানী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, হাদিস বিশারদগণ তার হাদিস বর্জন করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৬৩৭, ৩০/৩৫৭ নং পৃষ্ঠা) ২. আম্বাসাহ বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, হাদিস বিশারদগণ তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইমাম তিরমিযি ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৫৩৬, ২২/৪১৬ নং পৃষ্ঠা) ৩. আবদুল খালিক সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অত্যান্ত দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। এছাড়াও এ হাদিসটি সহীহ হাদিসের বিপরীত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৩২, ১৬/৪৬৬ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৭/৬৪. অধ্যায়ঃ
যে ই‘তিকাফকারী তার মাথা ধোয় এবং চুল আঁচড়ায়।
১৭৭৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم «يُدْنِي إِلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ مُجَاوِرٌ فَأَغْسِلُهُ وَأُرَجِّلُهُ وَأَنَا فِي حُجْرَتِي وَأَنَا حَائِضٌ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ».
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফরত অবস্থায় তাঁর মাথা আমার দিকে এগিয়ে দিতেন। আমি তা ধৌত করে দিতাম এবং আঁচড়িয়ে দিতাম। তখন আমি হায়িয অবস্থায় আমার ঘরে থাকতাম এবং তিনি মাসজিদে থাকতেন। [১৭৭৮]
[১৭৭৮] সহীহুল বুখারী ২৯৫, ২৯৬, ৩০১, ২০২৮, ২০২৯, ২০৩১, ২০৪৬, ৫৯২৫, মুসলিম ২৯৭, তিরমিযী ৮০৪, নাসায়ী ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ৩৮৬, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯, আবূ দাউদ ২৪৬৭, ২৪৬৯, আহমাদ ২৩৭১৮, ২৩৭৫৯, ২৪০০০, ২৪১৬২, ২৪২১০, ২৪৮৪১, ২৪৯৫৬, ২৫০৩৫, ২৫১৫৪, ২৫৩৯৪, ২৫৪১০, ২৫৪৪২, ২৫৪৪৯, ২৫৫৭১, ২৫৭২৯, মুয়াত্তা মালেক ১৩৫, ৬৯৩, দারেমী ১০৫৮, ১০৫৯, ১০৬৬, ১০৬৮, ১০৬৯, বায়হাকী ৪/৮৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৬৫. অধ্যায়ঃ
ই‘তিকাফকারির সাথে তার পরিবার-পরিজনের সাক্ষাত করা।
১৭৭৯
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عُمَرَ بْنِ مُوسَى بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ مَعْمَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً مِنْ الْعِشَاءِ ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ فَقَامَ مَعَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ بَابَ الْمَسْجِدِ الَّذِي كَانَ عِنْدَ مَسْكَنِ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّ بِهِمَا رَجُلَانِ مِنْ الْأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَفَذَا فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ قَالَا سُبْحَانَ اللهِ يَا رَسُولَ اللهِ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী সাফিয়্যাহ বিনতু হুইয়ায় (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রমজান মাসের শেষ দশকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে ই‘তিকাফ করেছিলেন। তখন সাফিয়্যা (রাঃ) তাঁর সাথে দেখা করতে আসেন এবং রাতের কিছুক্ষণ তাঁর সাথে কথাবার্তা বলেন। অতঃপর তিনি চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও তাকে বিদায় দেয়ার জন্য দাঁড়ান। সাফিয়্যা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অপর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর ঘরের নিকটবর্তী মাসজিদের দরজার কাছাকাছি পৌঁছলে দু‘জন আনসারী তাদেরকে অতিক্রম করে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সালাম দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যেতে লাগলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বলেন, থামো! এ হচ্ছে সাফিয়্যা বিনতু হুইয়ায়। তারা বলেন, সুবহানাল্লাহ, হে আল্লাহ্র রসূল! বিষয়টি তাদের জন্য কঠিন মনে হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, শয়তান আদম-সন্তানের শিরা-উপশিরায় রক্ত প্রবাহের মত ধাবিত হয়। আমি আশঙ্কা করছিলাম, শয়তান তোমাদের অন্তরে কোনরূপ কুধারণার সৃষ্টি করে কিনা? [১৭৭৯]
[১৭৭৯] সহীহুল বুখারী ২০৩৫, ২০৩৮, ২০৩৯, ৩১০১, ৩২৮১, ৬২১৯, ৭১৭১, মুসলিম ২১৭৫, আবূ দাউদ ২৪৭০, ৪৯৯৪, আহমাদ ২৬৩২২, দারেমী ১৭৮০, সহীহ আবী দাউদ ২১৩৩-২১৩৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৬৬. অধ্যায়ঃ
রক্তপ্রদর রোগিনীর ই’তিকাফ করা।
১৭৮০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّبَّاحُ حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ اعْتَكَفَتْ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةٌ مِنْ نِسَائِهِ فَكَانَتْ تَرَى الْحُمْرَةَ وَالصُّفْرَةَ فَرُبَّمَا وَضَعَتْ تَحْتَهَا الطَّسْتَ
ইকরামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক স্ত্রী তাঁর সাথে ই‘তিকাফ করেন। তিনি লাল ও হলদে বর্ণের রক্ত দেখতে পেতেন। তাই অধিকাংশ সময় তিনি তার নিচে একটি ছোট প্লেট পেতে রাখতেন। [১৭৮০]
[১৭৮০] সহীহুল বুখারী ৩০৯, ৩১০, ৩১১, আবূ দাউদ ২৪৭৬, আহমাদ ২৪৪৭৭, দারেমী ৮৭৭, সহীহ আবী দাউদ ২১৩৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭/৬৭. অধ্যায়ঃ
ই‘তিকাফের সওয়াব।
১৭৮১
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أُمَيَّةَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُوسَى الْبُخَارِيُّ عَنْ عُبَيْدَةَ الْعَمِّيِّ عَنْ فَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الْمُعْتَكِفِ هُوَ يَعْكِفُ الذُّنُوبَ وَيُجْرَى لَهُ مِنْ الْحَسَنَاتِ كَعَامِلِ الْحَسَنَاتِ كُلِّهَا
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফকারী সম্পর্কে বলেন, সে নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখে এবং নেককারদের সকল নেকী তার জন্য লেখা হয়। [১৭৮১]
[১৭৮১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ২১০৮, দ্বিতীয় তাহকীক। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ঈসা বিন মুসা আল-বুখারী সম্পর্কে মুসলিম বিন কাসিম বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি কখনো কখনো হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবীর বিপরীত বর্ণনা করেন। হাকিম বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিনতি ১০০ জন অপরিচিত ব্যাক্তির নিকট থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ২. উবায়দাহ আল-আম্মী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৫১, ১৯/২৫৬ নং পৃষ্ঠা) ৩. ফারকাদ আস-সাবাখী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আল-আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। আবু আহমাদ আল-হাকিম, আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসাঈ ও আবু যুরআহ আর-রাযী তারা বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তিনি যাচাই বাছাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭১৫, ২৩/১৬৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭/৬৮. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি দু’ ঈদের রাতে ইবাদাত করে।
১৭৮২
حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الْمَرَّارُ بْنُ حَمُّويَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَامَ لَيْلَتَيْ الْعِيدَيْنِ مُحْتَسِبًا لِلهِ لَمْ يَمُتْ قَلْبُهُ يَوْمَ تَمُوتُ الْقُلُوبُ
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি দু’ ঈদের রাতে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদাত করবে তার অন্তর ঐ দিন মরবে না, যে দিন অন্তরসমূহ মরে যাবে। [১৭৮২]
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট।
[১৭৮২] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৪/১০৩। যঈফাহ ৫২১, ৫১৩৬, তা’লীকুর রগীব ২/১০০। তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা) ২. বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হবেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৩৮, ৪/১৯২ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস