ইবনে মাজাহ সিয়াম বা রোজা অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ১৬৩৮ – ১৭০৪

৭/১. অধ্যায়ঃ

সিয়াম বা রোযার ফযিলত।

১৬৩৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ وَوَكِيعٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ مَا شَاءَ اللهُ يَقُولُ اللهُ إِلَّا الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ وَلَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র মর্জি হলে আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকাজের প্রতিদান দশ গুণ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। আল্লাহ্‌ বলেন, তবে সিয়াম ব্যতীত, তা আমার জন্যই (রাখা হয়) এবং আমিই তার প্রতিদান দিবো। সে তার প্রবৃত্তি ও পানাহার আমার জন্যই ত্যাগ করে। রোযাদারের জন্য দু’টি আনন্দঃ একটি আনন্দ তার ইফতারের সময় এবং আরেকটি আনন্দ রয়েছে তার প্রভু আল্লাহ্‌র সাথে তার সাক্ষাতের সময়। রোযাদার ব্যক্তির মুখের গন্ধ আল্লাহ্‌র নিকট কস্তুরীর ঘ্রাণের চেয়েও অধিক সুগন্ধময়। [১৬৩৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৩৮] সহীহুল বুখারী ১৮৯৪, ১৯০৪, মুসলিম ১১৫১, তিরমিযী ৭৬৪, নাসায়ী ২২১৪, ৬৬১৬, ২২১৭, ২২১৮, ২২১৯, ৭১৩৪, ৭১৫৪, ৭৫৫২, ৭৬৩৬, ৭৭৩০, ৮৮৬৮, ৮৮৯৩, ৯০২২, ৯০৬৭, ৯০৯৯, ৯৪২১, ২৭২৫৫, ২৭২৭১, ৯৮১৯, ৯৯১৮, ১০১২৭, ১০১৭৬, ১০৩১৩, মুয়াত্তা মালেক ৬৯০, দারেমী ১৭৬৯, ১৭৭০ সহীহ্ তারগীব, ৯৬৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৩৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ أَنَّ مُطَرِّفًا مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ الثَّقَفِيَّ دَعَا لَهُ بِلَبَنٍ يَسْقِيهِ قَالَ مُطَرِّفٌ إِنِّي صَائِمٌ فَقَالَ عُثْمَانُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ «الصِّيَامُ جُنَّةٌ مِنْ النَّارِ كَجُنَّةِ أَحَدِكُمْ مِنْ الْقِتَالِ».

উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যুদ্ধের মাঠে ঢাল যেমন তোমাদের রক্ষাকারী, সিয়ামও তদ্রূপ জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল। [১৬৩৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৩৯] নাসায়ী ২২৩০, ২২৩১, আহমাদ ১৫৮৩৯, ১৫৮৪৪, ১৭৪৪৫, সহীহ তারগীব ৯৭১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪০

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يُدْعَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَمَنْ كَانَ مِنْ الصَّائِمِينَ دَخَلَهُ وَمَنْ دَخَلَهُ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا».

সাহ্‌ল বিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, জান্নাতের একটি দরজার নাম ‘রায়্যান’। কিয়ামাতের দিন সেখান থেকে আহ্বান করা হবেঃ রোযাদারগণ কোথায়? যে ব্যক্তি রোযাদার হবে, সে উক্ত দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং যে উক্ত দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে, সে কখনও পিপাসার্ত হবে না। [১৬৪০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪০] সহীহুল বুখারী ১৮৯৬, ৩২৫৭, মুসলিম ১১৫২, তিরমিযী ৭৬৫, নাসায়ী ২২৩৬, ২২৩৭, আহমাদ ২২৩১১, ২২৩৩৫ সহীহ তারগীব ৯৬৯, বুখারী, মুসলিম পিপাসার কথা ব্যতীত। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হিশাম বিন সা’দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার মুখস্তশক্তি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীলযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। তার শিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ আছে। (তাহযীবুল কামাল রাবী নং ৬৫৭৭, ৩০/২০৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/২. অধ্যায়ঃ

রমজান মাসের ফযিলত

১৬৪১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় রমজান মাসের সিয়াম রাখলো, তার পূর্বের গুণাহরাশি মাফ করা হলো। [১৬৪১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪১] ১৩২৬ এর অনুরূপ, সহীহ তারগীব ৯৮২, ইরওয়াহ ৯০৬, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪২

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا كَانَتْ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ صُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ وَفُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَنَادَى مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلهِ عُتَقَاءُ مِنْ النَّارِ وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন শয়তান ও অভিশপ্ত জিনদের শৃংখলিত করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ হয় না এবং একজন ঘোষক ডেকে বলেন, হে সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি! অগ্রসর হও, হে অসৎকর্মপরায়ণ! থেমে যাও। আল্লাহ্‌ (রমযানের) প্রতিটি রাতে অসংখ্য লোককে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন। [১৬৪২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪২] সহীহুল বুখারী ১৮৯৮, ১৮৯৯, ৩২৭৭, মুসলিম ১০৭৯, তিরমিযী ৬৮২, নাসায়ী ২০৯৭, ২০৯৮, ২০৯৯, ২১০০, ২১০১, ২১০২, ২১০৪, ২১০৫, ২১০৬, আহমাদ ৭১০৮, ৭৭২৩, ৭৮৫৭, ৮৪৬৯, ৮৬৯৭, ৮৭৬৫, ৮৯৫১, ৯২১৩, দারেমী ১৭৭৫ তা’লীকুর রগীব ২/৬৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৩

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِلهِ عِنْدَ كُلِّ فِطْرٍ عُتَقَاءَ وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তাআলা প্রতি ইফতারের অর্থাৎ প্রতি রাতে বেশ সংখ্যক লোককে (জাহান্নাম থেকে) মুক্তি দেন। [১৬৪৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪৩] তারগীব ৯৯১, ৯৯২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৬৪৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلَالٍ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ دَخَلَ رَمَضَانُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ هَذَا الشَّهْرَ قَدْ حَضَرَكُمْ وَفِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَهَا فَقَدْ حُرِمَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَلَا يُحْرَمُ خَيْرَهَا إِلَّا مَحْرُومٌ

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রমজান মাস শুরু হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের নিকট এ মাস সমুপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো সে সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। কেবল বঞ্চিত ব্যক্তিরাই তা থেকে বঞ্চিত হয়। [১৬৪৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪৪] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন, সহীহ তারগীব ৯৮৯, ৯৯০। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন বিলাল সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, আমার দৃষ্টিতে তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তার ব্যাপারে ভাল ছাড়া খারাফ কিছু শুনিনি। ইমাম যাহাবী বলেন, মানুষ যেভাবে ভুল করে তিনিও সেরকম ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৯৯, ২৪/৫৪৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৭/৩. অধ্যায়ঃ

সন্দেহের দিনের (ইয়াওমুশ-শাক্ক) রোযা।

১৬৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَمَّارٍ فِي الْيَوْمِ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَأُتِيَ بِشَاةٍ فَتَنَحَّى بَعْضُ الْقَوْمِ فَقَالَ عَمَّارٌ مَنْ صَامَ هَذَا الْيَوْمَ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم

সিলাহ বিন যুফার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সন্দেহের দিনে আমরা আম্মার (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন একটি (ভুনা) বকরী পেশ করা হলো। কতক লোক পিছনে সরে গেলো। আম্মার (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আজ সিয়াম রাখলো সে তো অবশ্যই আবুল কাসিম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর অবাধ্যাচরণ করলো। [১৬৪৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪৫]তিরমিযী ৬৮৬, নাসায়ী ২১৮৮, আবূ দাউদ ২৩৩৪, দারেমী ১৬৮২ তা‘লীক ইবনু খুযাইমাহ ১৯১৪, ইরওয়াহ ৯৬১, সহীহ আবী দাউদ ২০২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হুজ্জাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ রাবীর সদৃস্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ جَدِّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَنْ تَعْجِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ قَبْلَ الرُّؤْيَةِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

চাঁদ দেখার একদিন আগে থেকে সিয়াম রাখতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। [১৬৪৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহ আবী দাউদ ২০১৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তার মজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী ও আমর বিন আলী আল-ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু যুরআহ তাকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৩০৫, ৩৫/৩১ নং পৃষ্ঠা)। উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবদুল্লাহ বিন সাঈদ এর কারণে দুর্বল। হাদিসটির ৭৫১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৩৭ টি অধিক দুর্বল। ১৯৫ টি দুর্বল, ১৯৩ টি হাসান, ৩২৬ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৯০০, ১৯০৬, ১৯০৭, ১৯০৯, মুসলিম ১০৮০, তিরমিযি ৬৮৪, ৬৮৫, ৬৮৮, আবু দাউদ ২৩২৬, ২৩২৭, ২৩৩৫, ২৩৪২, দারিমী ১৬৮৪, ১৬৮৫, ১৬৮৯, ১৬৯০, ১৬৯১ ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৭

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ الْحَارِثِ عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ قَبْلَ شَهْرِ رَمَضَانَ الصِّيَامُ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا وَنَحْنُ مُتَقَدِّمُونَ فَمَنْ شَاءَ فَلْيَتَقَدَّمْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَتَأَخَّرْ

কাসিম আবূ আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মুআবিয়া বিন আবূ সুফ্‌‌ইয়ান (রাঃ) কে মিম্বারের উপর বলতে শুনেছেন, রমজান মাস শুরু হওয়ার পূর্বে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ সিয়াম অমুক অমুক দিন। আমরা আগেই সেই সিয়াম রাখবো। অতএব যার ইচ্ছা সে আগে সিয়াম রাখুক, আর যার ইচ্ছা পরে রাখুক। [১৬৪৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী হায়সাম বিন হুমায়দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার ভাল ছাড়া খারাফ কিছু জানি না। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু মুসহির বলেন, তিনি দুর্বল ও কাদিরিয়া মতাবলম্বী ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৬৪৩, ৩০/৩৭০ নং পৃষ্ঠা) ২. আলা ইবনুল হারিস সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ তবে কাদিরিয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৫৬০, ২২/৪৭৮ নং পৃষ্ঠা) ৩. কাসিম আবু আব্দুর রহমান সম্পর্কে আল আজালী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি সিকাহ নন। ইমাম তিরমিযি তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে অপরিচিত। মুফাদদাল বিন গাসসান বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলীগত ফিসক এর সাথে জড়িত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮০০, ২৩/৩৮৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭/৪. অধ্যায়ঃ

শা’বান মাসে সিয়াম রাখতে রাখতে রমজান মাসে পৌছা।

১৬৪৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَصِلُ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা‘বান মাসে সিয়াম রাখতে রাখতে রমাদানে পৌঁছতেন। [১৬৪৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪৮] তিরমিযী ৭৩৬, নাসায়ী ২১৭৫, ২১৭৬, ২৩৫২, ২৩৫৩, আবূ দাউদ ২৩৩৬, আহমাদ ২৬০২২, ২৬১১৩, দারেমী ১৭৩৯ সহীহ আবী দাউদ ২০২৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে সাওরীর হাদিস বর্ণনায় ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৪৯

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ الْغَازِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ «كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ حَتَّحَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ الْغَازِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ حَتَّى يَصِلَهُ بِرَمَضَانَ».ى يَصِلَهُ بِرَمَضَانَ

রবীআহ ইবনুল গায (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রায় গোটা শা‘বান মাস সিয়াম রাখতেন, এমনকি এভাবে রমজান মাসে উপনীত হতেন। [১৬৪৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৪৯] সহীহুল বুখারী ১৯৬৯, মুসলিম ৭৪৬, আবূ দাউদ ১৩৪২, ২৪৩৪, আহমাদ ২৪৭৮৯, ২৫৫২২, ২৫৭৭৮, মুয়াত্তা মালেক ৬৮৮, সহীহ আবী দাউদ ২১০১। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৭/৫. অধ্যায়ঃ

রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের দিন সিয়াম রাখা নিষেধ, কিন্তু কারো নিয়মিত সিয়াম রাখতে রাখতে সেদিন পৌঁছলে তার জন্য নয়।

১৬৫০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبٍ وَالْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَا تَقَدَّمُوا صِيَامَ رَمَضَانَ بِيَوْمٍ وَلَا بِيَوْمَيْنِ إِلَّا رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صَوْمًا فَيَصُومُهُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন রমজান মাসের এক দিন বা দু’দিন আগে সিয়াম রাখা শুরু না করে। তবে যে ব্যক্তি অনবরত সিয়াম রাখতে অভ্যস্ত, সে ঐ দিন সিয়াম রাখতে পারে। [১৬৫০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫০] সহীহুল বুখারী ১৯১৪, মুসলিম ১০৮২, তিরমিযী ৬৮৪, ৬৮৫, নাসায়ী ২১৭২, ২১৭৩, আবূ দাউদ ২৩৩৫, আহমাদ ২৭২১১, ২৭৩১৭, দারেমী ১৬৮৯ সহীহাহ ২৩৯৮, সহীহ আবী দাউদ ২০২৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল হামিদ বিন হাবীব বিন আবুল ঈশরীন সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী ও আবু হাতিম আর-রাযী সিকাহ বললেও ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭১০, ১৬/৪২০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ ح و حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ قَالَا حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ النِّصْفُ مِنْ شَعْبَانَ فَلَا صَوْمَ حَتَّى يَجِيءَ رَمَضَانُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শা‘বান মাসের অর্ধেক অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে রমজান মাস না আসা পর্যন্ত কোন সিয়াম নাই। [১৬৫১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫১] তিরমিযী ৭৩৮; আবূ দাউদ ২৩৩৭; আহমাদ ৯৪১৪; দারেমী ১৭৪০ মিশকাত ১৯৭৪, সহীহ আবী দাউদ ২০২৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/৬. অধ্যায়ঃ

নতুন চাঁদ দেখার সাক্ষ্য প্রদান।

১৬৫২

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَوْدِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيُّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبْصَرْتُ الْهِلَالَ اللَّيْلَةَ فَقَالَ أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ قَالَ قُمْ يَا بِلَالُ فَأَذِّنْ فِي النَّاسِ أَنْ يَصُومُوا غَدًا قَالَ أَبُو عَلِيٍّ هَكَذَا رِوَايَةُ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ وَالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ وَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ فَلَمْ يَذْكُرْ ابْنَ عَبَّاسٍ وَقَالَ فَنَادَى أَنْ يَقُومُوا وَأَنْ يَصُومُوا.

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক বেদুইন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, আমি আজ রাতে (সন্ধ্যায়) নতুন চাঁদ দেখেছি। তিনি বলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, “আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রসূল”? সে বললো, হাঁ। তিনি বলেন, হে বিলাল! ওঠো এবং লোকদের মধ্যে ঘোষণা দাও যে, তারা যেন আগামীকাল থেকে সিয়াম রাখে। [১৬৫২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫২] তিরমিযী ৬৯১; নাসায়ী ২১১২, ২১১৩; আবূ দাউদ ২৩৪০; দারেমী ১৬৯২ ইরওয়াহ, ৯০৭, যঈফ আবী দাউদ ৪০২-৪০৩। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী সিমাক বিন হারব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার পূর্বে বর্ণিত হাদিস যারা শ্রবন করেছেন তা সহিহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭৯, ১২/১১৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ حَدَّثَنِي عُمُومَتِي مِنْ الْأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالُوا أُغْمِيَ عَلَيْنَا هِلَالُ شَوَّالٍ فَأَصْبَحْنَا صِيَامًا فَجَاءَ رَكْبٌ مِنْ آخِرِ النَّهَارِ فَشَهِدُوا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ رَأَوْا الْهِلَالَ بِالْأَمْسِ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَنْ يُفْطِرُوا وَأَنْ يَخْرُجُوا إِلَى عِيدِهِمْ مِنْ الْغَدِ

আবূ উয়ায়মির বিন আনাস বিন মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবী এবং আনসার সম্প্রদায়ভুক্ত আমার এক চাচা (ইসমু মুবহাম বা নাম অজ্ঞাত) আমার নিকট বর্ণনা করেন, মেঘের কারণে আমরা শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখতে পাইনি। আমরা (পরের দিন) সিয়াম রাখলাম। দিনের শেষভাগে একটি কাফেলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে গতকাল চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকেদেরকে ইফতার (সিয়াম ভঙ্গ) করার এবং পরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দেন। [১৬৫৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫৩] নাসায়ী ১৫৫৭, আবূ দাউদ ১১৫৭ ইরওয়াহ ৬৩৪, সহীহ আবী দাউদ ১০৫০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/৭. অধ্যায়ঃ

চাঁদ দেখে সিয়াম রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) করো।

১৬৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَيْتُمْ الْهِلَالَ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ قَالَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَصُومُ قَبْلَ الْهِلَالِ بِيَوْمٍ.

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম রাখা শুরু করবে এবং চাঁদ দেখে ইফতার (রোযার সমাপ্তি) করবে। তোমাদের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে (ত্রিশ দিন) পূর্ণ করবে। ইবনু উমার (রাঃ) নতুন চাঁদ দেখার একদিন আগেও সিয়াম রাখতেন। [১৬৫৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫৪] সহীহুল বুখারী ১৯০০, ১৯০৬, ১৯০৭, মুসলিম ১০৮০, নাসায়ী ২১২০, ২১২১, ২১২২, আবূ দাউদ ২৩২০, আহমাদ ৪৪৭৪, ৪৫৯৭, ৫২৭২, ৬২৮৭, মুয়াত্তা মালেক ৬৩৩, ৬৩৪, দারেমী ১৬৮৪ ইরওয়াহ ৪/১০০, সহীহ আবী দাউদ ২০০৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫৫

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَيْتُمْ الْهِلَالَ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَصُومُوا ثَلَاثِينَ يَوْمًا

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নতুন চাঁদ দেখে সিয়াম রাখা শুরু করবে এবং (শাওয়ালের) নতুন চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) করবে। তোমাদের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তোমরা ৩০ দিন সিয়াম রাখবে। [১৬৫৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫৫] সহীহুল বুখারী ১৯০৯, মুসলিম ১০৮১, তিরমিযী ৬৮৪, নাসায়ী ২১১৭, ২১১৮, ২১১৯, ২১২৩, আহমাদ ৭৪৬৪, ৭৫২৭, ৭৭২১, ৭৮০৪, ৯১১২, ৯২৭১, ২৭২১১, ২১৩১৭, দারেমী ১৬৮৫ ইরওয়াহ ৯০২, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/৮. অধ্যায়ঃ

ঊনত্রিশ দিনেও মাস হয়।

১৬৫৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَمْ مَضَى مِنْ الشَّهْرِ قَالَ قُلْنَا اثْنَانِ وَعِشْرُونَ وَبَقِيَتْ ثَمَانٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الشَّهْرُ هَكَذَا وَالشَّهْرُ هَكَذَا وَالشَّهْرُ هَكَذَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَأَمْسَكَ وَاحِدَةً

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করেনঃ মাসের কত দিন গত হয়েছে? রাবী বলেন, আমরা বললাম, বাইশ দিন এবং আট দিন বাকী আছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মাস এত দিনে হয়, মাস এত দিনে হয় এবং মাস এত দিনেও হয়। তৃতীয়বার তিনি এক আঙ্গুল বন্ধ রাখেন। [১৬৫৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫৬] আহমাদ ৭৩৭৫ সহীহ আবী দাউদ ২০০৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا وَعَقَدَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ فِي الثَّالِثَةِ

সা‘দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাস এত দিনে হয়, মাস এত দিনে হয়, মাস এত দিনেও হয় এবং তৃতীয়বারে তিনি একটি আঙ্গুল বন্ধ করে রাখেন। [১৬৫৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫৭] মুসলিম ১০৮৬, নাসায়ী ২১৩৫, ২১৩৬ আহমাদ ১৫৯৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৫৮

حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مَالِكٍ الْمُزَنِيُّ حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ مَا صُمْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تِسْعًا وَعِشْرِينَ أَكْثَرُ مِمَّا صُمْنَا ثَلَاثِينَ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে ঊনত্রিশ দিনের চেয়ে বেশির ভাগ ত্রিশ দিনই (রমাদানের রোযা) রেখেছি। [১৬৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫৮] সহীহ আবী দাউদ ২০১১। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৭/৯. অধ্যায়ঃ

ঈদের দু’ মাস

১৬৫৯

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ شَهْرَا عِيدٍ لَا يَنْقُصَانِ رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ

আবূ বাক্রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈদের দু’মাস রমজান এবং যুল-হিজ্জা (সাধারণত) একই বছরে কম (ঊনত্রিশ দিনে) হয় না। [১৬৫৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৫৯] সহীহুল বুখারী ১৯১২, মুসলিম ১০৮৯, তিরমিযী ৬৯২, আবূ দাউদ ২৩২৩, আহমাদ ১৯৮৮৬, সহীহ আবী দাউদ ২০১২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبِي عُمَرَ الْمُقْرِئُ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الْفِطْرُ يَوْمَ تُفْطِرُونَ وَالْأَضْحَى يَوْمَ تُضَحُّونَ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে দিন তোমরা ইফতার (সিয়াম শেষ) করো সেদিন ঈদুল ফিতর এবং যেদিন তোমরা কুরবানী করো সেদিন ঈদুল আদহা। [১৬৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬০] তিরমিযী ৬৯৭, আবূ দাউদ ২৩২৪, ইরওয়াহ ৯০৫, সহীহাহ ২২৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন উমার বিন আবু উমার আল-মুকরী সম্পর্কে ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে অজ্ঞাত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৯৮, ২৬/১৭৬ নং পৃষ্ঠা)। উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন উমার বিন আবু উমার আল-মুকরী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১৬ টি দুর্বল, ২৬ টি হাসান, ২০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ৬৯৭, ৮০২, সুনান আদ দারাকুতনী ২১৬০, ২১৬১, ২৪২৪, শারহুস সুন্নাহ ১৭২৫, ১৭২৬, মু’জামুল আওসাত ৩৩১৫ ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১০. অধ্যায়ঃ

সফররত অবস্থায় সিয়াম রাখা।

১৬৬১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ صَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ وَأَفْطَرَ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো সফররত অবস্থায় সিয়াম রাখতেন এবং কখনো রাখতেন না। [১৬৬১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬১] সহীহুল বুখারী ১৯৪৪, ১৯৪৮, ২৯৫৪, ৪২৭৫, ৪২৭৬, ৪২৭৮, ৪২৭৯, মুসলিম ১১১৩, নাসায়ী ২২৮৬, ২২৮৮, ২২৮৯, ২২৯০, ২২৯১, ২৩১৩, ২৩১৪, আবূ দাউদ ২৪০৪, আহমাদ ১৮৯৫, ২১৮৬, ২৩৫৯, ২৩৮৮, ৩০৭৯, ৩১৯৯, ২৩৪৮, ৩২৬৯, ২৪৫০, মুয়াত্তা মালেক ৬৫৩, দারেমী ১৭০৮ সহীহ আবী দাউদ ২০৮০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَأَلَ حَمْزَةُ الْأَسْلَمِيُّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي أَصُومُ أَفَأَصُومُ فِي السَّفَرِ فَقَالَ صلى الله عليه وسلم إِنْ شِئْتَ فَصُمْ وَإِنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হামযাহ আল-আসলামী (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করে বলেন, আমি সিয়াম রাখি। আমি কি সফররত অবস্থায়ও সিয়াম রাখবো? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি চাইলে সিয়াম রাখো, আর যদি চাও না রাখো। [১৬৬২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬২] সহীহুল বুখারী ১৯৪২, ১৯৪৩, মুসলিম ১১২১, তিরমিযী ৭১১, নাসায়ী ২৩০৫, ২৩০৭, ২৩০৬, ২৩০৮, ২৩৮৪, আবূ দাউদ ২৪০২, আহমাদ ২৩৬৭৬, ২৫০৭৯, ২৫১৩৭, ২৫২০২, ১৭০৭ রওয়াহ ৯২৭, সহীহাহ ১৯৪, সহীহ আবী দাউদ ২০৭৯। ইরওয়াহ ৯২৭, সহীহাহ ১৯৪, সহীহ আবী দাউদ ২০৭৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ ح و حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَمَّالُ قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ جَمِيعًا عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَيَّانَ الدِّمَشْقِيِّ حَدَّثَتْنِي أُمُّ الدَّرْدَاءِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ أَنَّهُ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فِي الْيَوْمِ الْحَارِّ الشَّدِيدِ الْحَرِّ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَضَعُ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ وَمَا فِي الْقَوْمِ أَحَدٌ صَائِمٌ إِلَّا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَعَبْدُ اللهِ بْنُ رَوَاحَةَ

আবূ দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা প্রচণ্ড গরমের মৌসুমে রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এক সফরে প্রচণ্ড খরতাপের শিকার হলাম। গরমের তীব্রতার কারণে লোকেরা তাদের হাত মাথার উপর রাখছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহাহ (রাঃ) ব্যতীত দলের মধ্যে আর কেউ রোযাদার ছিলো না। [১৬৬৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৩] সহীহুল বুখারী ১৯৪৫, মুসলিম ১১২২, আবূ দাউদ ২৪০৯, আহমাদ ২১১৮৯ সহীহাহ ১৯১, সহীহ আবী দাউদ ২০৮৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হিশাম বিন সা’দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার মুখস্তশক্তি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীলযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। তার শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৭৭, ৩০/২০৪ নং পৃষ্ঠা) ২. উসমান বিন হায়্যান আদ-দিমাশকী সম্পর্কে ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি আল-ওয়ালীদ বিন আবদুল মালিক এর কর্মচারী। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮০৬, ১৯/৩৬০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১১. অধ্যায়ঃ

সফররত অবস্থায় সিয়াম না রাখা।

১৬৬৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ كَعْبِ بْنِ عَاصِمٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَيْسَ مِنْ الْبِرِّ الصِّيَامُ فِي السَّفَرِ

কা’ব বিন আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সফরে সিয়াম রাখা সাওয়াবের কাজ নয়। [১৬৬৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৪] নাসায়ী ২২৫৫, আহমাদ ২৩১৬৭, ২৩১৬৮, ২৩১৬৯, দারেমী ১৭১০, ১৭১১, ইরওয়া ৪/৫৮, ৯২৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَيْسَ مِنْ الْبِرِّ الصِّيَامُ فِي السَّفَرِ

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সফরে সিয়াম রাখা সাওয়াবের কাজ নয়। [১৬৬৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৪/৫৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৬৬

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى التَّيْمِيُّ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صَائِمُ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ كَالْمُفْطِرِ فِي الْحَضَرِ

আবদুর রহমান বিন আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সফরে সিয়াম রাখে সে আবাসে উপস্থিত সিয়াম ভঙ্গকারী ব্যক্তির অনুরূপ। আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেন, হাদীসটি নির্ভরযোগ্য নয়। [১৬৬৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যঈফাহ ৪৯৮, তা’লীকুর রগীব ২/৯১। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন মুসা আত-তায়মী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৯৭, ১৬/১৮৪ নং পৃষ্ঠা) ২. উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজলী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৭, ২/৩৪৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১২. অধ্যায়ঃ

গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধপোষ্য শিশুর মায়ের সিয়াম না রাখার সুযোগ।

১৬৬৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ أَبِي هِلَالٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَوَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ أَغَارَتْ عَلَيْنَا خَيْلُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَتَغَدَّى فَقَالَ ادْنُ فَكُلْ قُلْتُ إِنِّي صَائِمٌ قَالَ اجْلِسْ أُحَدِّثْكَ عَنْ الصَّوْمِ أَوْ الصِّيَامِ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَضَعَ عَنْ الْمُسَافِرِ شَطْرَ الصَّلَاةِ وَعَنْ الْمُسَافِرِ وَالْحَامِلِ وَالْمُرْضِعِ الصَّوْمَ أَوْ الصِّيَامَ وَاللهِ لَقَدْ قَالَهُمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كِلْتَاهُمَا أَوْ إِحْدَاهُمَا فَيَا لَهْفَ نَفْسِي فَهَلَّا كُنْتُ طَعِمْتُ مِنْ طَعَامِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم.

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল আশহাল গোত্রের এবং আলী বিন মুহাম্মাদের মতে আবদুল্লাহ বিন কা’ব গোত্রের এক ব্যক্তি বললেন, রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অশ্বারোহী বাহিনী আমাদের উপর হামলা করলো। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে দেখলাম যে, তিনি সকালের নাস্তা করছেন। তিনি বলেন, কাছে এসো এবং আহার করো। আমি বললাম, আমি রোযাদার। তিনি বলেন, বসো, আমি তোমার সাথে সিয়াম সম্পর্কে আলোচনা করবো। মহান আল্লাহ্ মুসাফির থেকে অর্ধেক সলাত হ্রাস করেছেন এবং মুসাফির, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারিণীকে সিয়াম রাখার ব্যাপারে অবকাশ দিয়েছেন। আল্লাহ্‌র শপথ! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দু’টি অথবা একটির কথা বলেছেন। আমার নিজের জন্য দুঃখ হয়, আমি কেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে আহার করলাম না! [১৬৬৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৭] তিরমিযী ৭১৫, নাসায়ী ২২৭৪, ২২৭৬, ২৩১৫, আবূ দাউদ ২৪০৮, আহমাদ ১৮৫৬৮, ১৯৮১৪, মিশকাত ২০২৫, সহীহ আবী দাউদ ২০৮৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু হিলাল সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। বাযযার বলেন, তিনি গায়র হাফিয। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২৫৬, ২৫/২৯২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৬৬৮

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ بَدْرٍ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لِلْحُبْلَى الَّتِي تَخَافُ عَلَى نَفْسِهَا أَنْ تُفْطِرَ وَلِلْمُرْضِعِ الَّتِي تَخَافُ عَلَى وَلَدِهَا

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে গর্ভবতী নারী নিজ জীবনের ক্ষতির আশঙ্কা করে এবং যে স্তন্যদায়িনী মা তার সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে সিয়াম না রাখার অনুমতি দিয়েছেন। [১৬৬৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৮] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রওযুন নাদীর ৭৪। তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী রাবী’ বিন বাদর সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৮৫৪, ৯/৬৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৭/১৩. অধ্যায়ঃ

রমাদানের সিয়াম কাদা’ করা।

১৬৬৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ إِنْ كَانَ لَيَكُونُ عَلَيَّ الصِّيَامُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فَمَا أَقْضِيهِ حَتَّى يَجِيءَ شَعْبَانُ.

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার উপর রমজান মাসের রোযার কাদা’ থাকলে আমি শা’বান মাস না আসা পর্যন্ত তা রাখতাম না। [১৬৬৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৬৯] সহীহুল বুখারী ১৯৫০, মুসলিম ১১৪৬, তিরমিযী ৭৮৩, নাসায়ী ২১৭৮, ২৩১৯, আবূ দাউদ ২৩৯৯, আহমাদ ২৪৪০৭, ২৪৯৩৪, মুয়াত্তা মালেক ৬৮৬ ইরওয়াহ ৯৪৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আলী ইবনুল মুনযীর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৪০, ২১/১৪৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ عُبَيْدَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنَّا نَحِيضُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় আমরা ঋতুবতী হতাম। তিনি আমাদের (ছুটে যাওয়া) রোযার কাদা’ করার নির্দেশ দিতেন। [১৬৭০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭০] মুসলিম ৩৩৫, নাসায়ী ২৩১৯, সহীহ আবী দাউদ ২৫৫, ইরওয়াহ ২০০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উবায়দ সম্পর্কে আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল ও তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মানুষ তাকে বর্জন করেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ নন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৬০, ১৯/২৭৩ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু উবায়দাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫৬ টি শাহিদ হাদিস রিয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩২১, মুসলিম ৩৩৬, ৩৩৭, তিরমিযি ৭৮৭, আবু দাউদ ২৬২, দারিমী ৯৮৬, ৯৮৮, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১২৭৭, শারহুস সুন্নাহ ৩২৩ ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১৪. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি রমাদানের একটি রোযাও ভঙ্গ করে তার কাফফারা।

১৬৭১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ هَلَكْتُ قَالَ وَمَا أَهْلَكَكَ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لَا أُطِيقُ قَالَ أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ اجْلِسْ فَجَلَسَ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أُتِيَ بِمِكْتَلٍ يُدْعَى الْعَرَقَ فَقَالَ اذْهَبْ فَتَصَدَّقْ بِهِ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنَّا قَالَ فَانْطَلِقْ فَأَطْعِمْهُ عِيَالَكَ

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ فَقَالَ وَصُمْ يَوْمًا مَكَانَهُ.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বলেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো। সে বললো, আমি রমযানের রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি একটি গোলাম আযাদ করো। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্য নেই। তিনি বলেন, তাহলে একাধারে দু’মাস সিয়াম রাখো। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নেই। তিনি বলেন, তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নেই। তিনি বলেন, তুমি বসো। অতএব সে বসে থাকলো। ইতোমধ্যে এক ঝুড়ি খেজুর এলো। তিনি বলেন, যাও এটা দান করে দাও। সে বললো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! মদীনার দু’ কংকরময় প্রান্তরের মাঝে আমাদের চেয়ে অধিক অভাবগ্রস্ত আর কেউ নেই। তিনি বললেন, যাও, এগুলো তোমার পরিবার-পরিজনদের খাওয়াও। [১৬৭১]

[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের একটি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]

১/১৬৭১(১). আবূ হুরায়রা (রাঃ), রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তার পরিবর্তে একদিন সিয়াম রাখো। [১৬৭১]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭১] সহীহুল বুখারী ১৯৩৬, ১৯৩৭, ২৬০০, ৫৩৬৮, ৬০৮৭, ৬১৬৪, ৬৭০৯, ৬৭১০, ৬৭১১, ৬৮২২, মুসলিম ১১১১, তিরমিযী ৭২৪, আবূ দাউদ ২৩৯০, ২৩৯২, আহমাদ ৬৯০৫, ৭২৪৮, ৭৭২৭, ১০৩০৯, মুয়াত্তা মালেক ৬৬০, দারেমী ১৭১৬, ইরওয়াহ ৯৩৯, সহীহ আবী দাউদ ২০৬৮-২০৭৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল জাব্বার বিন উমার সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণনা করেছেন। আল-যাহলী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও মুনকার। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৯৫, ১৬/৩৮৮ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আবদুল জাব্বার বিন উমার এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫১৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ৬৬ টি অধিক দুর্বল, ১৫৪, টি দুর্বল, ১৪১ টি হাসান, ১৫৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৯৩৫, ১৯৩৬, ১৯৩৭, ২৬০০, ৫৩৬৮, ৬০৮৭, ৬১৬৪, ৬৭০৯, ৬৭১০, ৬৭১১, ৬৮২২, মুসলিম ১১১২, ১১১৩, তিরমিযি ১১৯৮, ১১৯৯, ৩২৯৯, সুনান আবু দাউদ ২২১৩, ২২১৪, ২২১৭, ২২১৮, ২২২১, ২২২২, ২৩৯০, ২৩৯৪, দারিমী ১৭১৬, ১৭১৮, ২২৭৩ ইত্যাদি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ ابْنِ الْمُطَوِّسِ عَنْ أَبِيهِ الْمُطَوِّسِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ لَمْ يُجْزِهِ صِيَامُ الدَّهْرِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিনা ওজরে রমজান মাসের একদিন সিয়াম ভাঙ্গে সে সারা জীবন সিয়াম রাখলেও তার ক্ষতিপূরণ হবে না। [১৬৭২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭২] তিরমিযী ৭২৩, আবূ দাউদ ২৩৯৬, আহমাদ ৮৭৮৭, ৯৪১৩, ৯৫৯৩, ৯৭৩০, দারেমী ১৭১৪, তা’লীকুর রগীব ২/৭৪, যঈফ আবী দাউদ ৪১৩, মিশকাত ২০১৩। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী (ইয়াযীদ) ইবনুল মুতাব্বিস সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তাকে চিনি না। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি তার পিতা থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, যা তার হাদিসের অনুসরণ করা যায় না। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৬৩৪, ৩৪/২৯৯ নং পৃষ্ঠা) ২. মুতাব্বিস সম্পর্কে ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০১০, ২৮/৮৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১৫. অধ্যায়ঃ

কোন ব্যক্তি ভুলবশত সিয়াম ভঙ্গ করলে।

১৬৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ عَوْفٍ عَنْ خِلَاسٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْ أَكَلَ نَاسِيًا وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللهُ وَسَقَاهُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন রোযাদার ভুলক্রমে আহার করলে সে যেন তার সিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহ্‌ তাকে পানাহার করিয়েছেন। [১৬৭৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭৩] সহীহুল বুখারী ১৯৩৩, ৬৬৬৯, মুসলিম ১১৫৫, তিরমিযী ৭২১, আবূ দাউদ ২৩৯৮, ৮৮৯১, ৯২০৫, ৯৯৭৫, ৯৯৯৬, ১০০২০, ১০২৮৭, দারেমী ১৭২৬, ১৭২৭, ইরওয়াহ ৯৩৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ أَفْطَرْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ غَيْمٍ ثُمَّ طَلَعَتْ الشَّمْسُ قُلْتُ لِهِشَامٍ أُمِرُوا بِالْقَضَاءِ قَالَ فَلَا بُدَّ مِنْ ذَلِكَ

আসমা’ বিনত আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় মেঘাচ্ছন্ন দিনে ইফতার করলাম, তারপর সূর্য প্রকাশ পেলো। অধঃস্তন রাবী বলেন, আমি হিশাম (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তাদেরকে কাযা’ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল কি? তিনি বলেন, অবশ্যই। [১৬৭৪]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ, বুখারী তাতে অতিরিক্ত মুয়াল্লাক রূপে আছে বিধায় হিশাম বলেছেনঃ আমি জানিনা তারা কি কাযা করেছেন না করেন নি?

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭৪] সহীহুল বুখারী ১৯৫৯, আবূ দাউদ ২৩৫৯, আবী দাউদ ২০৪২, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। বুখারী, তাতে অতিরিক্ত মুয়াল্লাক রূপে আছে হিশাম বলেছেনঃ আমি জানিনা তারা কি কাযা করেছেন না করেন নি?

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১৬. অধ্যায়ঃ

রোযাদার বমি করলে

১৬৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَعْلَى وَمُحَمَّدُ ابْنَا عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيِّ قَالَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي مَرْزُوقٍ قَالَ سَمِعْتُ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ الْأَنْصَارِيَّ يُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَيْهِمْ فِي يَوْمٍ كَانَ يَصُومُهُ فَدَعَا بِإِنَاءٍ فَشَرِبَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ هَذَا يَوْمٌ كُنْتَ تَصُومُهُ قَالَ أَجَلْ وَلَكِنِّي قِئْتُ

ফাদালাহ বিন উবায়দ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন রোযারত অবস্থায় তাদের নিকট বেরিয়ে আসেন। তিনি পানির পাত্র চেয়ে নিয়ে পানি পান করেন। আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি তো এই দিন (নফল) সিয়াম রেখেছিলেন। তিনি বলেন, হাঁ, তবে আমি বমি করেছি। [১৬৭৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭৫] তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭৬

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ ح و حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ سُلَيْمَانَ أَبُو الشَعْثَاءِ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ جَمِيعًا عَنْ هِشَامٍ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ ذَرَعَهُ الْقَيْءُ فَلَا قَضَاءَ عَلَيْهِ وَمَنْ اسْتَقَاءَ فَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যার মুখ ভরে বমি হয় তাকে সিয়াম কাযা’ করতে হবে না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করে তাকে রোযার কাযা’ করতে হবে। [১৬৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭৬] তিরমিযী ৭২০, আবূ দাউদ ২৩৮০, আহমাদ ১০০৮৫, দারেমী ১৭২৯, ইরওয়াহ ৯২৩, তা’লীক ইবনু খুযাইমাহ ১৯৬০, ১৯৬১, সহীহ আবী দাউদ ২০৫৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১৭. অধ্যায়ঃ

রোযাদারের মিসওয়াক করা ও সুরমা লাগানো।

১৬৭৭

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْمَعِيلَ الْمُؤَدِّبُ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْرِ خِصَالِ الصَّائِمِ السِّوَاكُ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোযাদারের উত্তম গুণাবলির একটি হলো দাঁতন করা। [১৬৭৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭৭] যঈফাহ ৩৫৭৪। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু ইসমাইল আল-মুআদ্দিব সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন সালিহ আল জায়লী তাকে সিকাহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আব্দুর রহমান বিন ইউসুফ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭৮, ২/৯৯ নং পৃষ্ঠা) ২. মুজালীদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৮০, ২৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৭৮

حَدَّثَنَا أَبُو التَّقِيِّ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْحِمْصِيُّ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اكْتَحَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَائِمٌ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযারত অবস্থায় সুরমা লাগিয়েছেন। [১৬৭৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭৮] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রওদুন নাদীর ৭৫৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবুত তাকী হিশাম বিন আবদুল মালিক আল হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৮৩, ৩০/২২৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১৮. অধ্যায়ঃ

রোযাদারের রক্তমোক্ষণ করানো

১৬৭৯

حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقِّيُّ وَدَاوُدُ بْنُ رَشِيدٍ قَالَا حَدَّثَنَا مُعَمَّرُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بِشْرٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রক্তমোক্ষণকারী ও যার রক্তমোক্ষণ করা হয়, তারা উভয়ে সিয়াম ভঙ্গ করেছে। [১৬৭৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৭৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৪/৬৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন বিশর সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল-জুরজানী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবূরী বলেন, তিনি আ’মাশ থেকে একাধিক হাদিস মুনকার সুত্রে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হাজার আল আসকালানী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই কিন্তু ইবনু মাঈন ও ইবনু হিব্বান তার বিরোধিতা করেছেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি হাফিয নয়। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি যুহরীর হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৮২, ১৪/৩৩৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ أَنْبَأَنَا شَيْبَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي أَبُو قِلَابَةَ أَنَّ أَبَا أَسْمَاءَ حَدَّثَهُ عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ «أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ».

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ রক্তমোক্ষণকারী ও যার রক্তমোক্ষণ করা হয়েছে তারা উভয়ে সিয়াম ভঙ্গ করেছে। [১৬৮০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮০] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৯৩১, সহীহ আবী দাউদ ২০৪৯, ২০৫২-২০৫৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ أَنْبَأَنَا شَيْبَانُ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي قِلَابَةَ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ شَدَّادَ بْنَ أَوْسٍ بَيْنَمَا هُوَ يَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالْبَقِيعِ فَمَرَّ عَلَى رَجُلٍ يَحْتَجِمُ بَعْدَ مَا مَضَى مِنْ الشَّهْرِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ

শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আবূ কিলাবাহ) অবহিত করেন যে, একদা শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বাকী‘ নামক স্থানে হাঁটছিলেন। তিনি এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে গমন করেন, যে রক্তমোক্ষণ করছিল, তখন রমজান মাসের আঠার দিন গত হয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রক্তমোক্ষক ও যার রক্তমোক্ষণ করা হয়েছে তারা উভয়ে সিয়াম ভঙ্গ করেছে। [১৬৮১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮১] আবূ দাউদ ২৩৬৭, ২৩৬৯,আহমাদ ১৬৬৬৩, ১৬৬৬৮, ১৬৬৭৫, ১৬৬৮৮, দারেমী ১৭৩০, ইরওয়াহ ৪/৬৮-৭০, সহীহ আবী, দাউদ ২০৫০, ২০৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ مِقْسَمٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ احْتَجَمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَائِمٌ مُحْرِمٌ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিয়াম ও ইহরামরত অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। সহীহ, এ শব্দে তিনি মুহরিম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। [১৬৮২]

তাহকীক আলবানীঃ (“আরবী’) শব্দ দ্বারা সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮২] সহীহুল বুখারী ১৮৩৫, ১৯৩৮, ১৯৩৯, ২১০৩, ২২৭৮, ২২৭৯, ৫৬৯১, ৫৬৯৪, ৫৬৯৫, ৫৬৯৯,৫৭০১, মুসলিম ১২০২, তিরমিযী ৭৭৫, ৭৭৬, ৭৭৭, ৮৩৯, নাসায়ী ২৮৪৫, ২৮৪৬, ২৮৪৭, আবূ দাউদ ১৮৩৫, ১৮৩৬, ২৩৭২, ২৩৭৩, আহমাদ ১৮৫২, ১৯২২, ১৯৪৪, ২১০৯, ২১৮৭, ২২২৯, ২২৪৩, ২২৪৯,২৩৩৩, ২৩৫১, ২৫৩২, ২৫৮৪, ২৬৫৪, ২৭১১, ২৭৮৫৩, ২৮৮৩, ৩০৬৫, ৩০৬৮, ৩২০১, ৩২২৩, ৩২৭২, ৩৫১৩,৩৫৩৭ দারেমী ১৮১৯, ১৮২১ ইরওয়াহ ৯৩২, সহীহ আবী দাউদ ২০৫৪। তাহকীক আলবানীঃ তিনি মুহরিম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন, এ শব্দে সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯১, ৩২/১৩৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/১৯. অধ্যায়ঃ

রোযাদারের চুমু দেয়া সম্পর্কে

১৬৮৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَبْدُ اللهِ بْنُ الْجَرَّاحِ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ فِي شَهْرِ الصَّوْمِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজান মাসে চুমা দিতেন। [১৬৮৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮৩] সহীহ, ইরওয়াহ ৪/৮২, সহীহ আবী দাউদ ২০৬২, সহীহাহ ২১৯-২২১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ ইবনুল জাররাহ সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য। আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৯৯, ১৪/৩৬১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ الْقَاسِمِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযারত অবস্থায় চুমা দিতেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেমন নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন, তোমাদের মধ্যে কে নিজের উপর তদ্রূপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রাখে! [১৬৮৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮৪] সহীহাহ ২২০, সহীহ আবী দাউদ ২০৬১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ شُتَيْرِ بْنِ شَكَلٍ عَنْ حَفْصَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ

হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযারত অবস্থায় চুমা দিতেন। [১৬৮৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮৫] তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮৬

. حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ زَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِي يَزِيدَ الضِّنِّيِّ عَنْ مَيْمُونَةَ مَوْلَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَجُلٍ قَبَّلَ امْرَأَتَهُ وَهُمَا صَائِمَانِ قَالَ قَدْ أَفْطَرَا

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুক্ত দাসী মায়মূনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রোযাদার দম্পতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, স্বামী তাকে চুমা দিয়েছে। তিনি বলেন, তারা সিয়াম ভঙ্গ করেছে। [১৬৮৬]

তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত দঈফ, তা’লীক ইবনু মাজাহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৪/২১৮। তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত যঈফ, তা’লীক ইবনু মাজাহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু ইয়াযীদ আদ-দিন্নী সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি অপরিচিত। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি পরিচিত নন। ইবনু মাকুলা বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি একজন অপরিচিত ব্যাক্তি। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৭০৫, ৩৪/৪০৮ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৭/২০. অধ্যায়ঃ

সিয়াম অবস্থায় স্ত্রীর দেহ স্পর্শ করা।

১৬৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ دَخَلَ الْأَسْوَدُ وَمَسْرُوقٌ عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَا أَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ قَالَتْ كَانَ يَفْعَلُ وَكَانَ أَمْلَكَكُمْ لِإِرْبِهِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(ইবরাহীম) বলেন, আসওয়াদ ও মাসরূক আয়িশা (রাঃ)–এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযারত অবস্থায় কি স্ত্রীর দেহের সাথে নিজ দেহ মিলাতেন? তিনি বলেন, তিনি তা করতেন। আর তিনি ছিলেন তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক সংযমী। [১৬৮৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮৭] ইরওয়াহ ৪/৮১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৮৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْوَاسِطِيُّ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ رُخِّصَ لِلْكَبِيرِ الصَّائِمِ فِي الْمُبَاشَرَةِ وَكُرِهَ لِلشَّابِّ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বৃদ্ধ রোযাদারকে স্ত্রীর দেহ স্পর্শ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং যুবকদের জন্য তা অপছন্দ করা হয়েছে। [১৬৮৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮৮] সহীহ আবী দাউদ ২০৬৫, বায়হাকী ৪/২৩৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন খালিদ বিন আবদুল্লাহ আল-ওয়াসিতী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও তিনি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি জঘন্য মিথ্যুক। আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। আল খাল্লাল তাকে খুবই দুর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫১৭৮, ২৫/১৩৯ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন খালিদ বিন আবদুল্লাহ আল-ওয়াসিতী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৮ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৪ টি অধিক দুর্বল, ৯ টি দুর্বল, ১ টি হাসান, ৪ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আবু দাউদ ২৩৮৭, মু’জামুল আওসাত ৮৪২১, আহমাদ ৬৭০০, ৭০১৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/২১. অধ্যায়ঃ

রোযাদার ব্যক্তির গীবত ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হওয়া ।

১৬৮৯

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم رُبَّ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الْجُوعُ وَرُبَّ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلَّا السَّهَرُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মিথ্যাচার, মূর্খতা ও মূর্খতাসুলভ কাজ ত্যাগ করলো না, তার পানাহার বর্জন করায় আল্লাহ্‌র কোন প্রয়োজন নেই। [১৬৮৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৮৯] সহীহ আবী দাউদ, ২০৪৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯০

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم رُبَّ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الْجُوعُ وَرُبَّ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلَّا السَّهَرُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কত রোযাদার আছে যাদের রোযার বিনিময়ে ক্ষুধা ছাড়া আর কিছুই জোটে না। কত সলাত আদায়কারী আছে যাদের রাত জাগরণ ছাড়া আর কিছুই জোটে না। [১৬৯০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯০] আহমাদ ৮৬৩৯, ৯৩৯২, দারেমী ২৭২০, বায়হাকী ৪/২৭০, মিশসাত ২০১৪। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজলী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৭, ২/৩৪৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৬৯১

– حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلَا يَرْفُثْ وَلَا يَجْهَلْ وَإِنْ جَهِلَ عَلَيْهِ أَحَدٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي امْرُؤٌ صَائِمٌ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন সিয়াম অবস্থায় অশ্লীল ও মূর্খতাসুলভ আচরণ না করে। কেউ তার সাথে মূর্খতাসুলভ আচরণ করলে সে যেন বলে, আমি রোযাদার। [১৬৯১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯১] সহীহুল বুখারী ১৮৯৪, ১৯০৪,মুসলিম ১১৫১,তিরমিযী ৭৬৪, নাসায়ী ২২১৬, ২২১৭, আহমাদ ৭৬৩৬, ৯৬৭৩, বায়হাকী ৪/২৭৫, সহীহ আবী দাউদ ২০৪৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/২২. অধ্যায়ঃ

সাহরী খাওয়া

১৬৯২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السُّحُورِ بَرَكَةً

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাবে। কেননা সাহরীতে বরকত আছে। [১৬৯২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯২] সহীহুল বুখারী ১৯২৩, মুসলিম ১০৯৫, তিরমিযী ৭০৮, নাসায়ী ২১৪৬, আহমাদ ১১৫৩৯, ১২৮৩৩, ১২৯৭৭, ১৩১৩৯, ১৩২৯৩, ১৩৫৮১, দারেমী ১৬৯৬, বায়হাকী ৩/৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ سَلَمَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ اسْتَعِينُوا بِطَعَامِ السَّحَرِ عَلَى صِيَامِ النَّهَارِ وَبِالْقَيْلُولَةِ عَلَى قِيَامِ اللَّيْلِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা সাহরী খাওয়ার মাধ্যমে দিনে সিয়াম রাখার জন্য এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতে নামায পড়ার জন্য সাহায্য গ্রহণ করো। [১৬৯৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯৩] তা’লীকুর রগীব ২/৯৩, যঈফাহ ২৭৫৮। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী যামআহ বিন সালিহ সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সহিহ হাদিসের বিপরীত বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০০৩, ৯/৩৮৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭/২৩. অধ্যায়ঃ

বিলম্বে সাহরী খাওয়া

১৬৯৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتُوَائِيِّ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قُمْنَا إِلَى الصَّلَاةِ قُلْتُ كَمْ بَيْنَهُمَا قَالَ قَدْرُ قِرَاءَةِ خَمْسِينَ آيَةً

যায়িদ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সাহরী খেলাম, এরপর সালাতে দাঁড়ালাম। রাবী কাতাদাহ (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, সাহরী ও সলাতের মধ্যে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বলেন, পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করার পরিমাণ সময়। [১৬৯৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯৪] সহীহুল বুখারী ৫৭৫, ১৯২১, মুসলিম ১০৯৭, তিরমিযী ৭০৩, নাসায়ী ২১৫৫, ২১৫৬, আহমাদ ২১০৮৫, দারেমী ১৬৯৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ تَسَحَّرْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ النَّهَارُ إِلَّا أَنَّ الشَّمْسَ لَمْ تَطْلُعْ

হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বলতে গেলে দিনেই সাহরী খেয়েছি, পার্থক্য এতটুকু যে, তখনও সূর্য উদিত হয়নি। [১৬৯৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯৫] নাসায়ী ২১৫২, তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আসিম বিন বাহদালাহ সম্পর্কে আবু বকর আল বাযযার বলেন, তিনি হাফিয ছিলেন না, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এমন কাউকে পাওয়া যায় না। আবু জা’ফার আল উকায়লী বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল ছাড়া তার মাঝে অন্য কোন দোষ পায়নি। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। ইসমাইল বিন উলায়্যাহ বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০০২, ১৩/৪৭৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৬

– حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ أَذَانُ بِلَالٍ مِنْ سُحُورِهِ فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ لِيَنْتَبِهَ نَائِمُكُمْ وَلِيَرْجِعَ قَائِمُكُمْ وَلَيْسَ الْفَجْرُ أَنْ يَقُولَ هَكَذَا وَلَكِنْ هَكَذَا يَعْتَرِضُ فِي أُفُقِ السَّمَاءِ

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, বিলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে তার সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কেননা সে তোমাদের ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগাবার বা সতর্ক করার জন্য এবং তোমাদের সলাতীকে সলাতে রত বা অবসর হওয়ার জন্য আযান দিয়ে থাকে। আর এ সময়কে ফজর বলা হয় না, বরং উর্ধাকাশে আড়াআড়িভাবে সাদা আভা প্রকাশ পাওয়াই ফজর। [১৬৯৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯৬] সহীহুল বুখারী ৬২১, ৫২৯৯, ৭২৪৭, মুসলিম ১০৯৩, নাসায়ী ৬৪১, ২১৭০,আবূ দাউদ ২৩৪৭ আহমাদ ৩৬৪৬, ৩৭০৯, ৪১৩৬, সহীহ আবী দাউদ ২০৩২, ইরওয়াহ ৪/৩১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭/২৪. অধ্যায়ঃ

যথাসময়ে ইফতার করা

১৬৯৭

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْإِفْطَارَ

সাহল বিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মানুষ কল্যাণের সাথে থাকবে, যাবত তারা জলদি (যথাসময়ে) ইফতার করতে থাকবে। [১৬৯৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯৭] সহীহুল বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮ তিরমিযী ৬৯৯, আহমাদ ২২২৯৮, ২২৩২১, ২২৩৩৯, ২২৩৫২, ২২৩৬৩, মুয়াত্তা মালেক ৬৩৮, দারেমী ১৬৯৯, ইরওয়াহ ৯১৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬৯৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ عَجِّلُوا الْفِطْرَ فَإِنَّ الْيَهُودَ يُؤَخِّرُونَ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাবত লোকেরা যথাসময়ে ইফতার করবে তাবত তারা কল্যাণের সাথে থাকবে। তাই তোমরা যথাসময়ে ইফতার করো। কারণ ইহুদীরা বিলম্বে ইফতার করে। [১৬৯৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯৮] আবূ দাউদ ২৩৫৩, আহমাদ ২৭২১৮, মিশকাত ১৯৯৫, সহীহ আবী দাউদ ২০৩৮। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু আমর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ইমাম যাহাবী বলেন তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৭/২৫. অধ্যায়ঃ

যা দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব

১৬৯৯

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ وَمُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ ح و حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ عَنْ الرَّبَابِ أُمِّ الرَّائِحِ بِنْتِ صُلَيْعٍ عَنْ عَمِّهَا سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى الْمَاءِ فَإِنَّهُ طَهُورٌ

সালমান বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ ইফতার করলে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। সে খেজুর না পেলে যেন পানি দিয়ে ইফতার করে। কারণ তা পবিত্র। [১৬৯৯]

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ, আর সহীহ হলো নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কর্ম ছিলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬৯৯] তিরমিযী ৬৫৮, ৬৯৫, আবূ দাউদ ২৩৫৫ আহমাদ ১৫৭৯২ , ১৫৭৯৮, ১৭৪১৪, ১৭৪১৭, ১৭৪৩০, দারেমী ১৭০১, ইরওয়াহ ৯২২, যঈফ আবী দাউদ ৪০৫, তাহকীক আলবানীঃ যঈফ, আর সহীহ হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কার্য ছিল। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. রাবাব উম্মু রায়িহ সুলায় সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অজ্ঞাত ব্যাক্তি। তার থেকে হাফসাহ ব্যাতিত কেউ হাদিস বর্ণনা করেনি। আল্লামা আলবানী সানাদের বর্ণনা কারী রাবাব সম্পর্কে আপত্তি তুলেছেন এবং যারা হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন, রাবাব থাকার কারণে তিনি তা সমালোচনা করেছেন। ইমাম যাহাবী বলেন, হাফসাহ থেকে বর্ণিত রেওয়াতটি ছাড়া তাকে চিনা যায় না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী তাকে মাকবুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৮৩৬, ৩৫/১৭১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭/২৬. অধ্যায়ঃ

রাত থাকতে ফরদ রোযার নিয়াত করা এবং নফল রোযার নিয়াতে বিলম্ব করা যায়।

১৭০০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ الْقَطَوَانِيُّ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ حَازِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَا صِيَامَ لِمَنْ لَمْ يَفْرِضْهُ مِنْ اللَّيْلِ

হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত থাকতে ফরদ রোযার নিয়াত করলো না তার সিয়াম হয়নি। [১৭০০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭০০] তিরমিযী ৭৩০,নাসায়ী ২৩৩১, ২৩৩২, ২৩৩৩, ২৩৩৪, ২৩৩৫, ২৩৩৬, ২৩৩৭, ২৩৩৮, ২৩৩৯, ২৩৪০, ২৩৪১, আবূ দাউদ ২৪৫৪,মাজাহ ১৭০০, আহমাদ ২৫৯১৮, মুয়াত্তা মালেক ৬৩৭, দারেমী ১৬৯৮, ইরওয়াহ ৭১৪, সহীহ, আবী দাউদ ২১১৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. খালিদ বিন মাখলাদ আল-কাতওয়ানী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল জুরজানী বলেন, ইনশাআল্লাহ্‌ আমার আমার নিকট তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইমাম যাহাবী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৫২, ৮/১৬৩ নং পৃষ্ঠা) ২. ইসহাক বিন হাযিম সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল আযদী বলেন, তিনি কাদিরিয়া মতাবলম্বী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কাদারিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ আছে। ইমাম যাহাবী ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৮, ২/৪১৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭০১

حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلْ عِنْدَكُمْ شَيْءٌ فَنَقُولُ لَا فَيَقُولُ إِنِّي صَائِمٌ فَيُقِيمُ عَلَى صَوْمِهِ ثُمَّ يُهْدَى لَنَا شَيْءٌ فَيُفْطِرُ قَالَتْ وَرُبَّمَا صَامَ وَأَفْطَرَ قُلْتُ كَيْفَ ذَا قَالَتْ إِنَّمَا مَثَلُ هَذَا مَثَلُ الَّذِي يَخْرُجُ بِصَدَقَةٍ فَيُعْطِي بَعْضًا وَيُمْسِكُ بَعْضًا.

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এসে বলেন, তোমাদের কাছে (আহার করার মত) কিছু আছে কি? আমরা বললাম, না। তিনি বলেন, তাহলে আমি সিয়াম রাখলাম। অতঃপর তিনি সিয়াম অবস্থায় থাকেন। আমাদের নিকট কিছু হাদিয়া এলে তিনি সিয়াম ভঙ্গ করেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি কখনো সিয়াম রাখতেন আবার কখনো সিয়াম রাখতেন না। রাবী মুজাহিদ (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তা কিভাবে? আয়িশা (রাঃ) বলেন, তার দৃষ্টান্ত এরূপ যে, কোন ব্যক্তি সদকার মাল নিয়ে দান করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে এর কিছু অংশ দান করে, আর কিছু অংশ রেখে দেয়। [১৭০১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭০১] মুসলিম ১১৫৪, আবূ দাউদ ২৪৫৫, ইরওয়াহ ৪/১৩৫, ১৩৬। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। ইসমাইল বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু শিয়া মতাবলম্বী। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন ও তার রাফিদি মতাবলম্বী। হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা) ২. তালহাহ বিন ইয়াহইয়া বিন তালহাহ বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৮৪, ১৩/৪৪১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৭/২৭. অধ্যায়ঃ

সিয়াম রাখতে ইচ্ছুক ব্যক্তির অপবিত্র অবস্থায় ভোর হলে।

১৭০২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ جَعْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو الْقَارِيِّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ لَا وَرَبِّ الْكَعْبَةِ مَا أَنَا قُلْتُ مَنْ أَصْبَحَ وَهُوَ جُنُبٌ فَلْيُفْطِرْ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم قَالَهُ

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র আল-কারী (মাকবূল) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, না, কা‘বার প্রভুর শপথ! এ কথা আমি বলছি নাঃ “যে ব্যক্তি নাপাক অবস্থায় ভোরে উপনীত হলো সে সিয়াম ভঙ্গ করুক”। বরং মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথা বলেছেন। [১৭০২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭০২] সহীহুল বুখারী ১৯২৫, মুসলিম ১১০৯, মুয়াত্তা মালেক ৬৪৩, সহীহাহ ৩/১১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭০৩

دَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم «يَبِيتُ جُنُبًا فَيَأْتِيهِ بِلَالٌ فَيُؤْذِنُهُ بِالصَّلَاةِ فَيَقُومُ فَيَغْتَسِلُ فَأَنْظُرُ إِلَى تَحَدُّرِ الْمَاءِ مِنْ رَأْسِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ فَأَسْمَعُ صَوْتَهُ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ».

قَالَ مُطَرِّفٌ فَقُلْتُ لِعَامِرٍ أَفِي رَمَضَانَ قَالَ رَمَضَانُ وَغَيْرُهُ سَوَاءٌ.

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাপাক অবস্থায় রাতে ঘুমাতেন। অতঃপর বিলাল (রাঃ) তাঁর নিকট এসে তাঁকে সলাতের জন্য ডাকতেন। তখন তিনি উঠে গোসল করতেন। আমি তাঁর মাথা থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়তে দেখেছি। তারপর তিনি বের হয়ে যেতেন এবং ফজরের সলাতে আমি তাঁর কন্ঠস্বর শুনতে পেতাম। মুতাররিফ (রাঃ) বলেন, আমি আমির (রাঃ)-কে বললাম, তা কি রমাদানে? তিনি বলেন, রমজান ও অন্য মাস একই সমান। [১৭০৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭০৩] সহীহুল বুখারী ১৯২৬, ১৯৩০, ১৯৩২,মুসলিম ১১০৯, ১১১০, তিরমিযী ৭৭৯, আবূ দাউদ ২৩৮৮, ২৩৮৯, আহমাদ ২৩৫৪২, ২৩৫৫৪, ২৩৫৮৪, ২৩৮৬৪, ২৩৯০৮, ২৪১৬০, ২৪১৮৪, ২৪২৯৫, ২৪৭০০, ২৪৯৬৬, ২৪৯৮১, ২৫১৪৫, ২৫২৭৩, ২৫৩২৫, ২৫৩৯১, ২৫৫৫১, ২৫৬৬০, ২৫৭৬৬, ২৫৮৪০, ২৫৮৫৯, ২৫৯৪২, ২৬০৮৪, ২৬১২১, ২৬১২৪, মুয়াত্তা মালেক ৬৪১, ৬৪২, ৬৪৩,৬৪৪ দারেমী ১৭২৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭০৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ قَالَ سَأَلْتُ أُمَّ سَلَمَةَ عَنْ الرَّجُلِ يُصْبِحُ وَهُوَ جُنُبٌ يُرِيدُ الصَّوْمَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ الْوِقَاعِ لَا مِنْ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيُتِمُّ صَوْمَهُ

নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি উম্মু সালামাহ (রাঃ) এর নিকট জানতে চাইলাম যে, এক ব্যক্তি নাপাক অবস্থায় ভোরে উপনীত হলো, সে সিয়াম রাখতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বপ্নদোষজনিত নয়, বরং সহবাসজনিত নাপাক অবস্থায় ভোরে উপনীত হতেন, অতঃপর গোসল করতেন এবং তাঁর সিয়াম পূর্ণ করতেন। [১৭০৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭০৪] সহীহুল বুখারী ১৯২৬, ১৯৩২, মুসলিম ১১০৯, তি৭৭৯ আবূ দাউদ ২৩৮৮, আহমাদ ২৩৫৪২, ২৩৫৫৪, ২৪৯৮১, ২৫১৪৫, ২৫৫৫১, ২৫৯৪২, ২৬০৫৪, ২৬০৬৯, ২৬০৮৪, ২৬১০৮, ২৬১২১, ২৬১২৪, ২৬২০৫, ৬৪২, ৬৪৩, ৬৪৪, দারেমী ১৭২৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস