১. অধ্যায়ঃ
মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার
৩৬৫৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ ابْنِ سَلاَمَةَ السُّلَمِيِّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ أُوصِي امْرَأً بِأُمِّهِ أُوصِي امْرَأً بِأُمِّهِ أُوصِي امْرَأً بِأُمِّهِ – ثَلاَثًا – أُوصِي امْرَأً بِأَبِيهِ أُوصِي امْرَءًا بِمَوْلاَهُ الَّذِي يَلِيهِ وَإِنْ كَانَ عَلَيْهِ مِنْهُ أَذًى يُؤْذِيهِ ” .
ইবনু সালামাহ (উপনাম) আবূ সালামা আস-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি লোককে তার মায়ের সাথে সদাচারের উপদেশ দিচ্ছি, আমি লোককে তার মায়ের সাথে সদাচারের উপদেশ দিচ্ছি, আমি লোককে তার মায়ের সাথে সদাচারের উপদেশ দিচ্ছি, আমি মানুষকে তার অধীন দাসের সাথে সদাচারের উপদেশ দিচ্ছি , যদিও সে তার সাথে কষ্টদায়ক আচরণ করে। [২৯৮৯]
[২৯৮৯] আহমাদ ১৮৩১২। ইরওয়া’ ৮৩৭।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৫৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ مَيْمُونٍ الْمَكِّيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبَرُّ قَالَ ” أُمَّكَ ” . قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ” أُمَّكَ ” . قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ” أَبَاكَ ” . قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ” الأَدْنَى فَالأَدْنَى ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কার সাথে সদাচরণ করবো? তিনি বলেনঃ তোমার মায়ের সাথে। তারা বলেন, অতঃপর কার সাথে? তিনি বলেনঃ তোমার পিতার সাথে। তিনি বলেন, অতঃপর কার সাথে? তিনি বলেন, অতঃপর পর্যায়ক্রমে নিকটবর্তীদের সাথে। [২৯৯০]
[২৯৯০] বুখারী ৫৯৭১, মুসলিম ৪৬২১, আহমাদ ৮১৪৪,৮৮৩৮,৮৯৬৫।ইরওয়া’ ২১৬৯,গায়াতুল মারাম ২৭৬, রাওদুন নাদীর ৮৬৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৫৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لاَ يَجْزِي وَلَدٌ وَالِدَهُ إِلاَّ أَنْ يَجِدَهُ مَمْلُوكًا فَيَشْتَرِيَهُ فَيُعْتِقَهُ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেনঃ কোন সন্তান তার পিতার হক আদায় করতে সক্ষম নয়। তবে সে যদি তাকে দাসরূপে পায় এবং তাকে খরিদ করে আযাদ করে দেয় (তাহলে কিছু হক আদায় হয়)। [২৯৯১]
[২৯৯১] মুসলিম ১৫১০, তিরমিযী ১৯০৬,আবূ দাউদ ৫১৩৭, আহমাদ ৭১০৩,৭৫১৬,৮৬৭৬,৯৪৫২। ইরওয়া’ ১৭৪৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ” الْقِنْطَارُ اثْنَا عَشَرَ أَلْفَ أُوقِيَّةٍ كُلُّ أُوقِيَّةٍ خَيْرٌ مِمَّا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ” . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” إِنَّ الرَّجُلَ لَتُرْفَعُ دَرَجَتُهُ فِي الْجَنَّةِ فَيَقُولُ أَنَّى هَذَا فَيُقَالُ بِاسْتِغْفَارِ وَلَدِكَ لَكَ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এক কিনতার হলো বারো হাজার উকিয়ার সমান এবং উকিয়া হলো আসমান-যমিনের মাঝখানে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। রাসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেনঃ জান্নাতে মানুষের মর্যাদা অবশ্যই বৃদ্ধি করা হবে। সে বলবে, এটা (মর্যাদা বৃদ্ধি) কীভাবে হলো? বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার বদৌলতে। [২৯৯২]
তাহকীক আলবানী : (আরবী) হাদীসটি দুর্বল। (আরবী) হাদীসটি হাসান। ……….
[২৯৯২] আহমাদ ৮৫৪০,দারিমী ৩৪৬৪। (আরবি লেখা) হাদীসটি হাসান।(আরবি লেখা) দঈফা ৪০৭৬, দঈফ আল-জামি‘ ৪১৪১,(আরবি লেখা) সহীহাহ ১৫৯৮, মিশকাত ২৩৫৪।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৬৬১
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ يُوصِيكُمْ بِأُمَّهَاتِكُمْ – ثَلاَثًا – إِنَّ اللَّهَ يُوصِيكُمْ بِآبَائِكُمْ إِنَّ اللَّهَ يُوصِيكُمْ بِالأَقْرَبِ فَالأَقْرَبِ ” .
মিকদাম বিন মা‘দীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের মায়েদের সম্পর্কে তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন। একথা তিনি তিনবার বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের পিতাদের সম্পর্কে উপদেশ দিচ্ছেন। নিশ্চয় আল্লাহ পর্যায়ক্রমে তোমাদের নিকটবর্তীদের সম্পর্কে তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন (সদাচারের)। [২৯৯৩]
[২৯৯৩] আহমাদ ১৬৭৩৩,১৬৭৩৬।সহীহাহ ১৬৬৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ الْوَالِدَيْنِ عَلَى وَلَدِهِمَا قَالَ “ هُمَا جَنَّتُكَ وَنَارُكَ ” .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! সন্তানের উপর মাতা-পিতার কী অধিকার আছে? তিনি বলেনঃ তারা তোমার জান্নাত এবং তোমার জাহান্নাম। [২৯৯৪]
[২৯৯৪] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।মিশকাত ৪৯৪১, আর রাদ্দু আলাল বালীক ১২২, দঈফ আল-জামি‘ ৬০৯৮।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ الْوَالِدُ أَوْسَطُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ فَأَضِعْ ذَلِكَ الْبَابَ أَوِ احْفَظْهُ ” .
আবূ দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন : পিতা হলো জান্নাতের দরজাসমূহের মধ্যবর্তী দরজা। অতএব তুমি ঐ দরজা নষ্টও করতে পারো অথবা তার হেফাজতও করতে পারো। [২৯৯৫]
[২৯৯৫] তিরমিযী ১৯০০, আহমাদ ২১২১০,২৬৯৬৫,২৬৯৮০,২৭০০৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২. অধ্যায়ঃ
যার সাথে তোমার পিতা সম্পর্ক রেখেছেন তুমিও তার সাথে সেই সম্পর্ক বজায় রাখো
৩৬৬৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَسِيدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عُبَيْدٍ، مَوْلَى بَنِي سَاعِدَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ، مَالِكِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبَقِيَ مِنْ بِرِّ أَبَوَىَّ شَىْءٌ أَبَرُّهُمَا بِهِ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِمَا قَالَ “ نَعَمْ الصَّلاَةُ عَلَيْهِمَا وَالاِسْتِغْفَارُ لَهُمَا وَإِيفَاءٌ بِعُهُودِهِمَا مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِمَا وَإِكْرَامُ صَدِيقِهِمَا وَصِلَةُ الرَّحِمِ الَّتِي لاَ تُوصَلُ إِلاَّ بِهِمَا ” .
আবূ উসায়দ মালিক বিন রাবীআহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু আলিইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সালামা গোত্রের এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের সাথে সদাচারের কিছু অবশিষ্ট আছে কি, যা আমি তাদের সাথে করতে পারি? তিনি বলেনঃ হাঁ, তাদের জন্য দুআ’ করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের মৃত্যুর পর তাদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পালন করা, তাদের বন্ধুদের সম্মান করা এবং (অপরের সাথে) তাদের গড়ে তোলা সম্পর্ক উজ্জীবিত রাখা। [২৯৯৬]
[২৯৯৬] আবূ দাউদ ৫১৪২। মিশকাত ৪৯৩৬।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩. অধ্যায়ঃ
কন্যা সন্তানদের সাথে পিতার সদাচরণ ও দয়া প্রদর্শন
৩৬৬৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَدِمَ نَاسٌ مِنَ الأَعْرَابِ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالُوا أَتُقَبِّلُونَ صِبْيَانَكُمْ قَالُوا نَعَمْ . فَقَالُوا لَكِنَّا وَاللَّهِ مَا نُقَبِّلُ . فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ وَأَمْلِكُ أَنْ كَانَ اللَّهُ قَدْ نَزَعَ مِنْكُمُ الرَّحْمَةَ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কতক বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, আপনারা কি আপনাদের শিশুদের চুমু দেন? সাহাবীগণ বলেন, হাঁ। তারা বললো, কিন্তু আল্লাহর শপথ! আমরা চুমু দেই না। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তর থেকে দয়ামায়া তুলে নিয়ে থাকেন তাহলে আমি আর কী করতে পারি। [২৯৯৭]
[২৯৯৭] সহীহুল বুখারী ৫৯৯৮, মুসলিম ২৩১৭, আহমাদ ২৩৭৭০,২৩৮৮৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ يَعْلَى الْعَامِرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ يَسْعَيَانِ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَضَمَّهُمَا إِلَيْهِ وَقَالَ “ إِنَّ الْوَلَدَ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ ” .
ইয়া‘লা আল-আমিরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাসান ও হোসাইন (রাঃ) দৌড়াতে দৌড়াতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন। তিনি তাদের কে বুকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেনঃ সন্তান মানুষকে কাপুরুষ ও দুর্বল বানিয়ে দেয়। [২৯৯৮]
[২৯৯৮] আহমাদ ১৭১১১। মিশকাত ৪৬৯১,৪৬৯২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، سَمِعْتُ أَبِي يَذْكُرُ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى أَفْضَلِ الصَّدَقَةِ ابْنَتُكَ مَرْدُودَةً إِلَيْكَ لَيْسَ لَهَا كَاسِبٌ غَيْرُكَ ” .
সুরাকাহ বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কি তোমাদেরকে সর্বোত্তম দান-খয়রাতের পথ নির্দেশ করবো না? তোমার যে কন্যা তোমার নিকট ফিরে এসেছে এবং তুমি ছাড়া তার আর কোন উপার্জনকারী নেই, তার জন্য কৃত দান-খয়রাত সর্বোত্তম। [২৯৯৯]
[২৯৯৯] আহমাদ ১৭১৩৬। মিশকাত ৫০০২, দঈফাহ ৪৮২২।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، أَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ صَعْصَعَةَ، عَمِّ الأَحْنَفِ قَالَ دَخَلَتْ عَلَى عَائِشَةَ امْرَأَةٌ مَعَهَا ابْنَتَانِ لَهَا فَأَعْطَتْهَا ثَلاَثَ تَمَرَاتٍ فَأَعْطَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا تَمْرَةً ثُمَّ صَدَعَتِ الْبَاقِيَةَ بَيْنَهُمَا . قَالَتْ فَأَتَى النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ “ مَا عَجَبُكِ لَقَدْ دَخَلَتْ بِهِ الْجَنَّةَ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(সা’সাআহ) বলেন, এক মহিলা তার দু’ কন্যা সন্তানসহ আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট এলো। তিনি তাকে তিনটি খেজুর দিলেন। সে তাদের প্রত্যেককে একটি করে খেজুর দিলো এবং অবশিষ্ট খেজুরটিও দু’ টুকরা করে তাদের মাঝে বণ্টন করলো। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলে আমি তাঁর নিকট ঘটনা বর্ণনা করলাম। তিনি বলেনঃ তুমি তো অবাক হচ্ছো, এর ফলে সে অবশ্যি জান্নাতে প্রবেশ করেছে। [৩০০০]
[৩০০০] সহীহুল বুখারী ১৪১৮, ৫৯৯৫, মুসলিম ২৬২৯, ২৬৩০, তিরমিযী ১৯১৫, আহমাদ ২৩৫৩৫, ২৪০৫১, ২৫৫২৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৯
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عُشَّانَةَ الْمَعَافِرِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ مَنْ كَانَ لَهُ ثَلاَثُ بَنَاتٍ فَصَبَرَ عَلَيْهِنَّ وَأَطْعَمَهُنَّ وَسَقَاهُنَّ وَكَسَاهُنَّ مِنْ جِدَتِهِ – كُنَّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
উকবাহ বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : কারো তিনটি কন্যা সন্তান থাকলে এবং সে তাদের ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করলে, যথাসাধ্য তাদের পানাহার করালে ও পোশাক-আশাক দিলে, তারা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম থেকে অন্তরায় হবে। [৩০০১]
[৩০০১] আহমাদ ১৬৯৫০। সহীহাহ ৩৯৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭০
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ فِطْرٍ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَا مِنْ رَجُلٍ تُدْرِكُ لَهُ ابْنَتَانِ فَيُحْسِنُ إِلَيْهِمَا مَا صَحِبَتَاهُ أَوْ صَحِبَهُمَا إِلاَّ أَدْخَلَتَاهُ الْجَنَّةَ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির দু’টি কন্যা সন্তান থাকলে এবং সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করলে যত দিন তারা একত্রে বসবাস করবে, তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। [৩০০২]
[৩০০২] আহমাদ ২১০৫, ৩৪১৪। সহীহাহ ২৭৭৫।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭১
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُمَارَةَ، أَخْبَرَنِي الْحَارِثُ بْنُ النُّعْمَانِ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ “ أَكْرِمُوا أَوْلاَدَكُمْ وَأَحْسِنُوا أَدَبَهُمْ ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাথে উত্তম আচরন করো এবং তাদেরকে উত্তমরূপে সদাচার শিক্ষা দাও। [৩০০৩]
[৩০০৩] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তা’লীকুর রাগীব ৩/৮৭। দঈফাহ ১৬৪৯, দঈফ আল-জামি ১১৩৩।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪. অধ্যায়ঃ
প্রতিবেশীর অধিকার
৩৬৭২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ، يُخْبِرُ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُحْسِنْ إِلَى جَارِهِ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَسْكُتْ ” .
আবূ শুরায়হ আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীর সাথে সদাচরন করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার মেহমানকে সমাদর করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে, অন্যথায় নীরব থাকে। [৩০০৪]
[৩০০৪] মাজাহ ৩২৭৫, সহীহুল বুখারী ৬০১৯, ৬১৩৫, ৬৪৭৬, মুসলিম ৪৮, তিরমিযী ১৯৬৭, ১৯৬৮, আবূ দাউদ ৩৭৪৮, আহমাদ ১৫৯৩৫, ২৬৬১৮, ২৬৬২০, মুওয়াত্তা মালিক ১৭২৮, দারিমী ২০৩৫, ২০৩৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَعَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জিবরাঈল (আঃ) আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে অবিরত উপদেশ দিচ্ছিলেন, এমনকি আমার ধারনা হলো যে, অচিরেই তিনি তাকে হয়তো ওয়ারিস বানাবেন। [৩০০৫]
[৩০০৫] সহীহুল বুখারী ৬০১৪, মুসলিম ২৬২৪, তিরমিযী ১৯৪২, আবূ দাউদ ৫১৫১, আহমাদ ২৩৭৩৯, ২৪০৭৯, ২৪৪২১, ২৫০১২, ২৫৪৮২। ইরওয়া’ ৮৯১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَا زَالَ جِبْرَائِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জিবরাঈল (আঃ) আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে অবিরত উপদেশ দিচ্ছিলেন, এমনকি আমার মনে হলো যে, অচিরেই তিনি হয়ত তাকে ওয়ারিস বানাবেন। [৩০০৬]
[৩০০৬] আহমাদ ৭৪৭০, ৭৯৮৫, ৯৪৫৩, ১০২৯৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫. অধ্যায়ঃ
মেহমানের অধিকার
৩৬৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَجَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَلاَ يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَثْوِيَ عِنْدَ صَاحِبِهِ حَتَّى يُحْرِجَهُ الضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ وَمَا أَنْفَقَ عَلَيْهِ بَعْدَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فَهُوَ صَدَقَةٌ ” .
আবূ শুরায়হ আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে। আর মেহমানের অধিকার হলো এক দিন ও এক রাত। আপ্যায়নকারীর কষ্ট হতে পারে এরূপ দীর্ঘ সময় তার নিকট মেহমানের অবস্থান বৈধ নয়। আপ্যায়ন তিন দিন। তিন দিনের অতিরিক্ত সময়ের জন্য যা সে ব্যয় করবে তা তার জন্য দান হিসেবে গণ্য হবে। [৩০০৭]
[৩০০৭] সহীহুল বুখারী ৬০১৯, ৬১৩৫, ৬৪৭৬, মুসলিম ৪৮, তিরমিযী ১৯৬৭, ১৯৬৮, আবূ দাউদ ৩৭৪৮, আহমাদ ১৫৯৩৫, ২৬৬১৮, ২৬৬২০, মুওয়াত্তা মালিক ১৭২৮, দারিমী২০৩৫, ২০৩৬। ইরওয়া’ ২৫২৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ قَالَ قُلْنَا لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِنَّكَ تَبْعَثُنَا فَنَنْزِلُ بِقَوْمٍ فَلاَ يَقْرُونَا فَمَا تَرَى فِي ذَلِكَ . قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنْ نَزَلْتُمْ بِقَوْمٍ فَأَمَرُوا لَكُمْ بِمَا يَنْبَغِي لِلضَّيْفِ فَاقْبَلُوا وَإِنْ لَمْ يَفْعَلُوا فَخُذُوا مِنْهُمْ حَقَّ الضَّيْفِ الَّذِي يَنْبَغِي لَهُمْ ” .
উকবাহ বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললাম, আপনি আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে থাকেন। আমরা এমন সব জনপদে যাত্রাবিরতি করি যারা আমাদের আপ্যায়ন করে না। এ ব্যাপারে আপনার কি অভিমত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলেনঃ যদি তোমরা কোন বসতি এলাকায় যাত্রাবিরতি করো এবং তারা মেহমানের আপ্যায়নযোগ্য ব্যবস্থা করলে তা তোমরা গ্রহণ করো। আর যদি তারা তা না করে, তবে তাদের থেকে তাদের সামর্থ্য অনুসারে মেহমানদারির ন্যায্য দাবি আদায় করো। [৩০০৮]
[৩০০৮] সহীহুল বুখারী ২৪৬১, ৬১৩৭, মুসলিম ১৭২৭, তিরমিযী ১৫৮৯, আবূ দাউদ ৩৭৫২, ১৬৮৯৪। ইরওয়া’ ২৫২৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْمِقْدَامِ أَبِي كَرِيمَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لَيْلَةُ الضَّيْفِ وَاجِبَةٌ فَإِنْ أَصْبَحَ بِفِنَائِهِ فَهُوَ دَيْنٌ عَلَيْهِ فَإِنْ شَاءَ اقْتَضَى وَإِنْ شَاءَ تَرَكَ ” .
মিকদাম আবূ কারীমাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতে আগত মেহমানকে আপ্যায়ন করা বাধ্যতামূলক। কারো বাড়ির আঙ্গিনায় মেহমান (অভুক্ত) রাত কাটালে সেটা (বাড়ির মালিকের জন্য) ঋণস্বরূপ। মেহমান ইচ্ছা করলে এ ঋণ উসুল করতেও পারে, অথবা ত্যাগও করতে পারে। [৩০০৯]
[৩০০৯] আবূ দাউদ ৩৭৫০, ৩৭৫১, আহমাদ ১৬৭২০, ১৬৭৪৪, ১৮৭৪৪। আত তা’লীকুর রাগীব ৩/২৪২, সহীহাহ ২২০৪
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬. অধ্যায়ঃ
ইয়াতীমের অধিকার
৩৬৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أُحَرِّجُ حَقَّ الضَّعِيفَيْنِ الْيَتِيمِ وَالْمَرْأَةِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি দু’ দুর্বলের অর্থাৎ ইয়াতীম ও নারীর অধিকার (নস্যাৎ করা) নিষিদ্ধ করেছি। [৩০১০]
[৩০১০] আহমাদ ৯৩৭৪। সহীহাহ ১০১৫।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي عَتَّابٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ خَيْرُ بَيْتٍ فِي الْمُسْلِمِينَ بَيْتٌ فِيهِ يَتِيمٌ يُحْسَنُ إِلَيْهِ وَشَرُّ بَيْتٍ فِي الْمُسْلِمِينَ بَيْتٌ فِيهِ يَتِيمٌ يُسَاءُ إِلَيْهِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুসলমানদের ঘরসমূহের মধ্যে যে ঘরে ইয়াতীম থাকে এবং তার সাথে সদয় ব্যবহার করা হয়, সেই ঘরই সর্বোত্তম। পক্ষান্তরে মুসলমানদের ঘরসমূহের মধ্যে যে ঘরে ইয়াতীম থাকে এবং তার সাথে নির্দয় ব্যবহার করা হয়, সেই ঘরই সর্বাধিক নিকৃষ্ট। [৩০১১]
[৩০১১] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ১৬৩৭, আত তা’লীকুর রাগীব ৩/২৩০, আর রাদ্দু আলাল বালীক ২৩৪, দঈফ আল-জামি’ ২৯০৫।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮০
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكَلْبِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ عَالَ ثَلاَثَةً مِنَ الأَيْتَامِ كَانَ كَمَنْ قَامَ لَيْلَهُ وَصَامَ نَهَارَهُ وَغَدَا وَرَاحَ شَاهِرًا سَيْفَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَكُنْتُ أَنَا وَهُوَ فِي الْجَنَّةِ أَخَوَيْنِ كَهَاتَيْنِ أُخْتَانِ ” . وَأَلْصَقَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةَ وَالْوُسْطَى .
আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তিনজন ইয়াতীমের ভরণপোষণ করে, সে ঐ ব্যক্তি সমতূল্য যে রাতভর ইবাদতরত থাকে, দিনভর রোযা রাখে এবং সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর রাস্তায় সশস্ত্র জিহাদ করে। জান্নাতে আমি ও সেই ব্যক্তি এই দু’ বোনের মত দু’ ভাইরূপে বসবাস করবো, (এই বলে) তিনি তর্জনি ও মধ্যমা আঙ্গুল একত্র করে দেখান। [৩০১২]
[৩০১২] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফ আল-জামি ৫৬৯৩।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭. অধ্যায়ঃ
যাতায়াতের রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ
৩৬৮১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَمْعَةَ، عَنْ أَبِي الْوَازِعِ الرَّاسِبِيِّ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ أَنْتَفِعُ بِهِ . قَالَ “ اعْزِلِ الأَذَى عَنْ طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ ” .
আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি কাজের পথনির্দেশ দিন যার দ্বারা আমি উপকৃত হতে পারি। তিনি বলেনঃ মুসলমানদের যাতায়াতের পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলো। [৩০১৩]
[৩০১৩] মুসলিম ২৬১৮, আহমাদ ১৯২৬৯, ১৯২৮৬। সহীহাহ ২৩৭২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ كَانَ عَلَى الطَّرِيقِ غُصْنُ شَجَرَةٍ يُؤْذِي النَّاسَ فَأَمَاطَهَا رَجُلٌ فَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এক রাস্তার উপর একটি ডাল এসে পড়েছিল যা মানুষকে কষ্ট দিতো। এক ব্যক্তি তা সরিয়ে ফেললে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। [৩০১৪]
[৩০১৪] সহীহুল বুখারী ৬৫৪, ২৪৭২, মুসলিম ১৯১৪, তিরমিযী ১৯৫৮, আবূ দাউদ ৫২৪৫, আহমাদ ৭৭৮২, ৭৯৭৯, ৮২৯৩, ৮৩১৫, ৮৯৯৩, ৯১১৫, ২৭২৯২, ১০৩৭৪, ১০৫১৫, মালিক ২৯৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ وَاصِلٍ، مَوْلَى أَبِي عُيَيْنَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ عُرِضَتْ عَلَىَّ أُمَّتِي بِأَعْمَالِهَا حَسَنِهَا وَسَيِّئِهَا فَرَأَيْتُ فِي مَحَاسِنِ أَعْمَالِهَا الأَذَى يُنَحَّى عَنِ الطَّرِيقِ وَرَأَيْتُ فِي سَيِّئِ أَعْمَالِهَا النُّخَاعَةَ فِي الْمَسْجِدِ لاَ تُدْفَنُ ” .
আবূ যার্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার উম্মাতের ভালো ও মন্দ কার্যাবলী আমার সামনে পেশ করা হলে, আমি তাদের ভালো কার্যাবলীর মধ্যে যাতায়াতের পথ থেকে তাদের কষ্টদায়ক বস্তু সরানোও অন্তর্ভুক্ত দেখতে পেলাম এবং তাদের নিকৃষ্ট কার্যাবলীর মধ্যে মসজিদে থুথু ফেলাও অন্তর্ভুক্ত দেখতে পেলাম যা (মাটি দিয়ে) ঢেকে দেয়া হয়নি। [৩০১৫]
[৩০১৫] মুসলিম ৫৫৩, আহমাদ ২১০৩৯, ২১০৫৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮. অধ্যায়ঃ
পানি দান করার ফাদীলাত
৩৬৮৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ قَالَ “ سَقْىُ الْمَاءِ ” .
সা’দ বিন উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন প্রকারের দান সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ পানি পান করানো। [৩০১৬]
[৩০১৬] নাসায়ী ৩৬৬৪, ৩৬৬৫, ৩৬৬৬, আবূ দাউদ ১৬৭৯। আত তা’লীকুর রাগীব ২/৫৩, সহীহ আবূ দাউদ ১৪৭৪।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” يَصُفُّ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صُفُوفًا – وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ أَهْلُ الْجَنَّةِ – فَيَمُرُّ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ عَلَى الرَّجُلِ فَيَقُولُ يَا فُلاَنُ أَمَا تَذْكُرُ يَوْمَ اسْتَسْقَيْتَ فَسَقَيْتُكَ شَرْبَةً قَالَ فَيَشْفَعُ لَهُ وَيَمُرُّ الرَّجُلُ فَيَقُولُ أَمَا تَذْكُرُ يَوْمَ نَاوَلْتُكَ طَهُورًا فَيَشْفَعُ لَهُ ” . قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ ” وَيَقُولُ يَا فُلاَنُ أَمَا تَذْكُرُ يَوْمَ بَعَثْتَنِي فِي حَاجَةِ كَذَا وَكَذَا فَذَهَبْتُ لَكَ فَيَشْفَعُ لَهُ ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, লোকেরা বা জান্নাতবাসীরা কিয়ামতের দিন কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে। তখন জাহান্নামী এক জান্নাতীর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় বলবে, হে অমুক! তোমার কি মনে পড়ে, এক দিন তুমি পানি পান করতে চেয়েছিলে এবং আমি তোমাকে শরবত পান করিয়েছিলাম? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জান্নাতী লোকটি তার জন্য শাফা’য়াত করবে। আরেক ব্যক্তি যাওয়ার সময় বলবে, তোমার কি মনে আছে, এক দিন আমি তোমাকে ওযুর পানি দিয়েছিলাম? তখন সে তার জন্য শাফা’য়াত করবে। বিন নুমাইর (রাঃ)-র বর্ণনায় আরো আছে : আরেক ব্যক্তি বলবে, হে অমুক! তোমার কি মনে আছে, এক দিন তুমি আমাকে অমুক অমুক প্রয়োজনে পাঠিয়েছিলে এবং আমি তোমার প্রয়োজন সমাধা করতে গিয়েছিলাম? তখন সে তার জন্য শাফা’য়াত করবে। [৩০১৭]
[৩০১৭] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫৬০৪, আত তা’লীকুর রাগীব ২/৫০, দঈফাহ ৯৩, ৫১৮৬।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُعْشُمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ، سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ ضَالَّةِ الإِبِلِ تَغْشَى حِيَاضِي قَدْ لُطْتُهَا لإِبِلِي فَهَلْ لِي مِنْ أَجْرٍ إِنْ سَقَيْتُهَا فَقَالَ “ نَعَمْ فِي كُلِّ ذَاتِ كَبِدٍ حَرَّى أَجْرٌ ” .
সুরাকাহ বিন জু’শুম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি আমার উটের জন্য পানির যে চৌবাচ্চা তৈরি করে রেখেছি, পথ ভুলে আসা উটও তার পানি পান করে। আমি যে সেটিকে পানি পান করতে দিলাম, তাতে কি আমার সওয়াব হবে? তিনি বলেনঃ হাঁ, প্রতিটি কলিজাধারী বা প্রাণধারীর বেলায় সওয়াব রয়েছে। [৩০১৮]
[৩০১৮] আহমাদ ১৭১৩১। আত তা’লীকুর রাগীব ২/৫২, সহীহাহ ২১৫২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯. অধ্যায়ঃ
নম্র ব্যবহার
৩৬৮৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هِلاَلٍ الْعَبْسِيِّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ يُحْرَمِ الرِّفْقَ يُحْرَمِ الْخَيْرَ ” .
জারীর বিন আব্দুল্লাহ আল-বাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নম্র স্বভাব বঞ্চিত, সে যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। [৩০১৯]
[৩০১৯] মুসলিম ২৫৯২, আবূ দাঊদ ৪৮০৯, আহমাদ ২৭৮২৯, ১৮৭৬৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৮
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ حَفْصٍ الأُبُلِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ وَيُعْطِي عَلَيْهِ مَا لاَ يُعْطِي عَلَى الْعُنْفِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ হলেন রফীক (নম্র), তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্রতার সাথে (দ্বীনের) দাওয়াত দানকারীকে যে পরিমাণ সওয়াব দান করেন, কঠোরতা প্রদর্শনকারীকে তদ্রূপ দান করেন না। [৩০২০]
[৩০২০] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الأَمْرِ كُلِّهِ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ হলেন নম্র ও দয়ার্দ্র, তিনি প্রতিটি কাজে নম্রতা ও দয়ার্দ্রতা প্রদর্শন পছন্দ করেন। [৩০২১]
[৩০২১] সহীহুল বুখারী ৬০২৪, ৬২৫৬, ৬৯৩৫, মুসলিম ২১৬৫, ২৫৯৩, তিরমিযী ২৭০১, আহমাদ ৩৩৫৭০, ২৪০৩২, ২৫১০৫, দারিমী ২৭৯৪। রাওদুন নাদীর ৩৬, ৭৬৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০. অধ্যায়ঃ
দাস-দাসীর সাথে দয়ার্দ্র ব্যবহার
৩৬৯০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِخْوَانُكُمْ جَعَلَهُمُ اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ فَأَطْعِمُوهُمْ مِمَّا تَأْكُلُونَ وَأَلْبِسُوهُمْ مِمَّا تَلْبَسُونَ وَلاَ تُكَلِّفُوهُمْ مَا يَغْلِبُهُمْ فَإِنْ كَلَّفْتُمُوهُمْ فَأَعِينُوهُمْ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (এরা) তোমাদের ভাই, আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন। অতএব তোমরা যা খাও, তাদেরকে তা খাওয়াও, তোমরা যা পরিধান করো, তাদেরকেও তা পরিধান করাও এবং তাদের উপর তাদের সাধ্যাতীত কাজ চাপিও না, যদি চাপাও তবে তোমরা (সেই কাজে) তাদের সাহায্য করো। [৩০২২]
[৩০২২] সহীহুল বুখারী ৩০, মুসলিম ১৬৬১, তিরমিযী ১৯৪৫, আবূ দাঊদ ৫১৫৭, ৫১৫৮, আহমাদ ২০৯০০, ২০৯২১। ইরওয়া’ ২১৭৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ فَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ، عَنْ مُرَّةَ الطَّيِّبِ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ سَيِّئُ الْمَلَكَةِ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ أَخْبَرْتَنَا أَنَّ هَذِهِ الأُمَّةَ أَكْثَرُ الأُمَمِ مَمْلُوكِينَ وَيَتَامَى قَالَ ” نَعَمْ فَأَكْرِمُوهُمْ كَكَرَامَةِ أَوْلاَدِكُمْ وَأَطْعِمُوهُمْ مِمَّا تَأْكُلُونَ ” . قَالُوا فَمَا يَنْفَعُنَا فِي الدُّنْيَا قَالَ ” فَرَسٌ تَرْتَبِطُهُ تُقَاتِلُ عَلَيْهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَمْلُوكُكَ يَكْفِيكَ فَإِذَا صَلَّى فَهُوَ أَخُوكَ ” .
আবূ বাক্র সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অধীনস্থদের সাথে দুর্ব্যবহারকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি কি আমাদের অবহিত করেননি যে, এ উম্মাতের অধিকাংশ হবে গোলাম ও ইয়াতীম? তিনি বলেনঃ হাঁ, অতএব তোমরা তোমাদের সন্তানের মত তাদের সাথে ব্যবহার করো এবং তোমরা যা আহার করো তা তাদেরকে আহার করাও। সাহাবীগণ বলেন, দুনিয়াতে কোন জিনিস আমাদের উপকারে আসবে? তিনি বলেনঃ আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করার উদ্দেশ্যে তুমি যে ঘোড়া প্রতিপালন করো এবং যে গোলাম তোমার দায়িত্ব পালন করে। সে যদি নামায পড়ে, তবে সে তোমার ভাই। [৩০২৩]
[৩০২৩] তিরমিযী ১৯৪৬, আহমাদ ১৪, ৩২, ৭৬। আত তা’লীকুর রাগীব ৩/১৬১, দঈফ আল-জামি’ ৬৩৪০।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১১. অধ্যায়ঃ
সালামের প্রসার ঘটানো
৩৬৯২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهُ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا . أَوَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى شَىْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং তোমরা পরস্পরকে মহব্বত না করা পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিসের প্রতি পথনির্দেশ দিবো না যা করলে তোমরা পরস্পরকে মহব্বত করবে? তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও। [৩০২৪]
[৩০২৪] মুসলিম ৮১, তিরমিযী ২৬৮৮, আহমাদ ৮৮৪১, ৯৪১৬, ২৭৩১৪, ১০২৭২। ইরওয়া’ ৭৭৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ أَمَرَنَا نَبِيُّنَا ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نُفْشِيَ السَّلاَمَ .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন সালামের প্রসার ঘটাই। [৩০২৫]
[৩০২৫] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ اعْبُدُوا الرَّحْمَنَ وَأَفْشُوا السَّلاَمَ ” .
আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা দয়াময় রহমানের ইবাদত করো এবং সালামের প্রসার ঘটাও। [৩০২৬]
[৩০২৬] তিরমিযী ১৮৫৫, আহমাদ ৬৫৫১, ৬৮০৯, দারিমী ২০৮১। ইরওয়া’ ৩/২৩৯, সহীহাহ ৫৭১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২. অধ্যায়ঃ
সালামের উত্তর দেয়া
৩৬৯৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَالِسٌ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ فَقَالَ “ وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলো এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন মসজিদের এক কোণে উপবিষ্ট ছিলেন। সে নামায পড়ার পর এসে সালাম করলো। তিনি উত্তরে বলেনঃ তোমার প্রতিও সালাম। [৩০২৭]
[৩০২৭] বুখারী ৭৫৭, ৭৯৩, ৬২৫১, ৬৬৬৭, মুসলিম ৬০২, তিরমিযী ৩০৩, নাসায়ী ৮৮৪, আবূ দাঊদ ৮৫৬, আহমাদ ৯৩৫২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ زَكَرِيَّا، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَهَا “ إِنَّ جِبْرَائِيلَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ ” . قَالَتْ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, জিবরাঈল (আঃ) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তাঁর প্রতিও সালাম এবং আল্লাহর রহমত। [৩০২৮]
[৩০২৮] সহীহুল বুখারী ৩২১৭, ৩৭৬৮, ৬২০১, ৬২৪৯, ৬২৫৩, মুসলিম ২৪৪৭, তিরমিযী ২৬৯৩,৩৮৮১, ৩৮৮২, নাসায়ী ৩৯৫২, ৩৯৫৩, ৩৯৫৪, আবূ দাঊদ ৫৩৩২, আহমাদ ২৩৭৬০, ২৩৯৪১, ২৪০৫৩, ২৪২৯৪, ২৪৩৩৬, ২৪৬০৭, ২৪৬৪৭, ২৫৩৫২
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩. অধ্যায়ঃ
যিম্মীদের সালামের উত্তর দেয়া
৩৬৯৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَقُولُوا وَعَلَيْكُمْ ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আহলে কিতাবের কেউ তোমাদের সালাম দিলে তোমরা বলবে, ওয়া আলায়কুম (তোমাদের প্রতিও)। [৩০২৯]
[৩০২৯] সহীহুল বুখারী ৬২৫৮, ৬৯২৬, মুসলিম ২১৬৩, তিরমিযী ৩৩০১, আবূ দাঊদ ৫২০৭, আহমাদ ১১৫৩৭, ১২০১৯, ১২০৫৮, ১২৭৯৯, ১২৮২৮, ১৩০৪৭, ১৩৩৫৫। ইরওয়া’ ৫/১১৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَاسٌ مِنَ الْيَهُودِ فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ . فَقَالَ “ وَعَلَيْكُمْ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একদল ইহুদী এসে বললো, আস-সামু আলায়কা ইয়া আবুল কাসিম! (হে আবুল কাসিম! তোমার মৃত্যু হোক)। তিনি উত্তরে বলেনঃ ওয়া আলাইকুম (তোমাদের মৃত্যু হোক)। [৩০৩০]
[৩০৩০] সহীহুল বুখারী ২৯৩৫,৬০২৪, ৬২৫৬, ৬৩৯৫, ৬৯২৭, মুসলিম ২১৬৫, তিরমিযী ২৭০১, আহমাদ ২৩৫৭০, ২৪৩৩০, ২৪৫০৮, ২৫১০৫, ২৫৩৯৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْيَزَنِيِّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنِّي رَاكِبٌ غَدًا إِلَى الْيَهُودِ فَلاَ تَبْدَءُوهُمْ بِالسَّلاَمِ فَإِذَا سَلَّمُوا عَلَيْكُمْ فَقُولُوا وَعَلَيْكُمْ ” .
আবূ আবদুর রহমান আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আগামী কাল আমি জন্তুযানে করে ইহুদীদের লোকালয়ে যাবো। তোমরা আগে তাদের সালাম করো না। তারা তোমাদেরকে সালাম করলে তোমরা বলবে, ওয়া আলায়কুম (তোমাদের প্রতি)। [৩০৩১]
[৩০৩১] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া’ ৫/১১২, ১১৩, ১২৭৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৪. অধ্যায়ঃ
শিশু ও নারীদের সালাম করা
৩৭০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ صِبْيَانٌ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের এখানে আসলেন, আমরা ছিলাম বালক। তিনি আমাদের সালাম দিলেন। [৩০৩২]
[৩০৩২] সহীহুল বুখারী ৬২৪৭, মুসলিম ২১৬৮, তিরমিযী ২৬৯৬, আবূ দাঊদ ৫২০২, ৫২০৩, আহমাদ ১১৯২৮, ১২৩১৩, ১২৬১০, দারিমী ২৬৩৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭০১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، سَمِعَهُ مِنْ، شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ يَقُولُ أَخْبَرَتْهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ، قَالَتْ مَرَّ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي نِسْوَةٍ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا .
আসমা’ বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মহিলাদের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের সালাম দিয়েছেন। [৩০৩৩]
[৩০৩৩] তিরমিযী ২৬৯৭, আবূ দাঊদ ৫২০৪, আহমাদ ২৭০১৪, দারিমী ২৬৩৭। সহীহাহ ৮২৩, হিজাবুল মাবআহ ৯৯, ১০০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫. অধ্যায়ঃ
মুসাফাহা (করমর্দন) করা
৩৭০২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السَّدُوسِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَنْحَنِي بَعْضُنَا لِبَعْضٍ قَالَ ” لاَ ” . قُلْنَا أَيُعَانِقُ بَعْضُنَا بَعْضًا قَالَ ” لاَ وَلَكِنْ تَصَافَحُوا ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি (পারস্পরিক সাক্ষাতে) একে অপরের সামনে মাথা ঝুঁকাবো? তিনি বলেনঃ না। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আমরা কি পরস্পর মু’আনাকা (আলিঙ্গন) করবো? তিনি বলেনঃ না, বরং তোমরা পরস্পর মুসাফাহা করো। [৩০৩৪]
[৩০৩৪] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১৬০।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَجْلَحِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ فَيَتَصَافَحَانِ إِلاَّ غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَتَفَرَّقَا ” .
বারা’ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’জন মুসলমান পারস্পরিক সাক্ষাতে মুসাফাহা করলে তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের ক্ষমা করা হয়। [৩০৩৫]
[৩০৩৫] তিরমিযী ২৭২৭, আবূ দাঊদ ৫২১১। সহীহাহ ৫২৫,৫২৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬. অধ্যায়ঃ
একে অপরের হাতে চুমা দেয়া
৩৭০৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَبَّلْنَا يَدَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
ইবনূ উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে চুমা দিয়েছি। [৩০৩৬]
৩০৩৬. আবূ দাউদ ৫২২৩, আহমাদ ৫৩৬১।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَغُنْدَرٌ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، أَنَّ قَوْمًا، مِنَ الْيَهُودِ قَبَّلُوا يَدَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَرِجْلَيْهِ .
সাফওয়ান বিন আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদল ইহুদী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে ও পদদ্বয়ে চুমা দিয়েছিল। [৩০৩৭]
[৩০৩৭] তিরমিযী ২৭৩৩।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৭. অধ্যায়ঃ
অনুমতি প্রার্থনা
৩৭০৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ أَبَا مُوسَى، اسْتَأْذَنَ عَلَى عُمَرَ ثَلاَثًا فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ فَانْصَرَفَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عُمَرُ مَا رَدَّكَ قَالَ اسْتَأْذَنْتُ الاِسْتِئْذَانَ الَّذِي أَمَرَنَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثَلاَثًا فَإِنْ أُذِنَ لَنَا دَخَلْنَا وَإِنْ لَمْ يُؤْذَنْ لَنَا رَجَعْنَا . قَالَ فَقَالَ لَتَأْتِيَنِّي عَلَى هَذَا بِبَيِّنَةٍ أَوْ لأَفْعَلَنَّ . فَأَتَى مَجْلِسَ قَوْمِهِ فَنَاشَدَهُمْ فَشَهِدُوا لَهُ فَخَلَّى سَبِيلَهُ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ মুসা (রাঃ) উমার (রাঃ) এর নিকট তিনবার অনুমতি চাইলেন, কিন্তু তিনি অনুমতি পেলেন না। তাই তিনি ফিরে গেলেন। উমার (রাঃ) তার নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার ফিরে যাওয়ার কারন কী? তিনি বলেন, আমি অনুমতি প্রার্থনা করেছি যেভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে তিনবার অনুমতি প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদেরকে অনুমতি দেয়া হলে আমরা প্রবেশ করেছি এবং অনুমতি না দেয়া হলে ফিরে গেছি। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) বলেন, উমার (রাঃ) বললেন, এ বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে আমার নিকট সাক্ষী পেশ করতে হবে। অন্যথায় আমি অবশ্যই একটা কিছু করবো (আপনাকে শাস্তি দিবো)। আবূ মুসা (রাঃ) তার সম্প্রদায়ের সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের সাক্ষ্য তলব করেন। তারা তার পক্ষে সাক্ষ্য দিলে উমার (রাঃ) তার পথ ছেড়ে দেন। [৩০৩৮]
[৩০৩৮] সহীহুল বুখারী ২০৬২, মুসলিম ২১৫৪, তিরমিযী ২৬৯০, আবূ দাঊদ ৫১৮০, ৫১৮১, ১০৬৪৬, ১০৬৬১, ১৯০১৬, ১৯০৬২, ১৯০৮৪, ১৯১১৪, ১৯১৭৮, ১৯২৫১, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৯৮, দারিমী ২৬২৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ وَاصِلِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي سَوْرَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا السَّلاَمُ فَمَا الاِسْتِئْنَاسُ قَالَ “ يَتَكَلَّمُ الرَّجُلُ تَسْبِيحَةً وَتَكْبِيرَةً وَتَحْمِيدَةً وَيَتَنَحْنَحُ وَيُؤْذِنُ أَهْلَ الْبَيْتِ ” .
আবূ আইউব আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই সালাম তো বুঝলাম, কিন্তু অনুমতি প্রার্থনা কী? তিনি বলেনঃ আগন্তুক মুখে আল্লাহর গুণগান, মহত্ব ও প্রশংসাবাক্য উচ্চারণ করে বা গলা খাকারি দিয়ে বাড়ির লোকজনের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করবে। [৩০৩৯]
[৩০৩৯] নাসায়ী ১২১১, ১২১২, ১২১৩, আহমাদ ২০৯, ৬৪৮।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُجَىٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ لِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُدْخَلاَنِ مُدْخَلٌ بِاللَّيْلِ وَمُدْخَلٌ بِالنَّهَارِ فَكُنْتُ إِذَا أَتَيْتُهُ وَهُوَ يُصَلِّي يَتَنَحْنَحُ لِي .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আমার হাজির হওয়ার দু’টি সময় নির্দিষ্ট ছিলো : রাতে একবার এবং দিনে একবার। আমি তাঁর নিকট তাঁর নামাযরত অবস্থায় উপস্থিত হলে তিনি আমার উদ্দেশে গলা খাঁকারি দিতেন। [৩০৪০]
[৩০৪০] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اسْتَأْذَنْتُ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ” مَنْ هَذَا ” . فَقُلْتُ أَنَا فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” أَنَا أَنَا ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : কে? আমি বললাম, আমি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি! আমি (নাম বলতে পারো না)! [৩০৪১]
[৩০৪১] সহীহুল বুখারী ৬২৫০, মুসলিম ২১৫৫, তিরমিযী ২৭১১, আবূ দাউদ ৫১৮৭, আহমাদ ১৩৭৭৩, ১৪০৩০, ১৪৪৯৩, দারিমী ২৬৩০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮. অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার রাত কেমন গেলো?
৩৭১০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْبَحْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ “ بِخَيْرٍ مِنْ رَجُلٍ لَمْ يُصْبِحْ صَائِمًا وَلَمْ يَعُدْ سَقِيمًا ”
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার রাত কেমন গেলো? তিনি বলেনঃ ভালোভাবেই কেটেছে, সেই লোকের চেয়ে যে রোযা অবস্থায় প্রভাত করেনি এবং রুগ্ন ব্যক্তিকেও দেখতে যায়নি। [৩০৪২]
[৩০৪২] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭১১
حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَرَوِيُّ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، حَدَّثَنِي جَدِّي أَبُو أُمِّي، مَالِكُ بْنُ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي أُسَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَدَخَلَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ ” السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ ” . قَالُوا وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ . قَالَ ” كَيْفَ أَصْبَحْتُمْ ” . قَالُوا بِخَيْرٍ نَحْمَدُ اللَّهَ فَكَيْفَ أَصْبَحْتَ بِأَبِينَا وَأُمِّنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” أَصْبَحْتُ بِخَيْرٍ أَحْمَدُ اللَّهَ ” .
আবূ উসাইদ মালিক বিন রাবীআহ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ)-র ওখানে প্রবেশ করে তাঁকে বলেনঃ আসসালামু আলায়কুম। তারা উত্তরে বলেন, ওয়া আলাইকাস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : তোমাদের রাত কেমন গেলো? তারা বলেন, ভালোভাবেই কেটেছে, আল্লাহর প্রশংসা করছি। হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। আপনার রাত কেমন কেটেছে? তিনি বলেনঃ আল্লাহর প্রশংসা করছি, আমার রাতও ভালোই কেটেছে। [৩০৪৩]
[৩০৪৩] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯. অধ্যায়ঃ
তোমাদের নিকট কোন সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তি এলে তোমরা তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে
৩৭১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا أَتَاكُمْ كَرِيمُ قَوْمٍ فَأَكْرِمُوهُ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের নিকট কোন সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তি এলে তোমরা তাকে যথাযথ সম্মান করো। [৩০৪৪]
[৩০৪৪] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১২০৫, রাওদুন নাদীর ২৬৮।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২০. অধ্যায়ঃ
হাঁচির জবাব দেয়া
৩৭১৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ عَطَسَ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا – أَوْ سَمَّتَ – وَلَمْ يُشَمِّتِ الآخَرَ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَطَسَ عِنْدَكَ رَجُلاَنِ فَشَمَّتَّ أَحَدَهُمَا وَلَمْ تُشَمِّتِ الآخَرَ فَقَالَ “ إِنَّ هَذَا حَمِدَ اللَّهَ وَإِنَّ هَذَا لَمْ يَحْمَدِ اللَّهَ ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে দু’ ব্যক্তি হাঁচি দিলে, তিনি তাদের একজনের হাঁচির জবাব দিলেন এবং অপর জনের জবাব দেননি। তাঁকে বলা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার নিকট দু’ ব্যক্তি হাঁচি দিয়েছে। আপনি তাদের একজনের জবাব দিলেন এবং অপরজনের জবাব দেননি। তিনি বলেনঃ এই ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেছে এবং ঐ ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেনি। [৩০৪৫]
[৩০৪৫] সহীহুল বুখারী ৬২২১, ৬২২৫, মুসলিম ২৯৯১, তিরমিযী ২৭৪২, আবূ দাউদ ৫০৩৯, আহমাদ ১১৫৫১, ১১৭৫৭, ১২৩৮৭, দারিমী ২৬৬০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭১৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ يُشَمَّتُ الْعَاطِسُ ثَلاَثًا فَمَا زَادَ فَهُوَ مَزْكُومٌ ” .
সালামা ইবনুল আকওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হাঁচিদাতার উত্তর দিতে হবে তিনবার, এর অধিকবার হাঁচি দিলে সে ঠান্ডায় আক্রান্ত। [৩০৪৬]
[৩০৪৬] মুসলিম ২৯৯৩, তিরমিযী ২৭৪৩, আবূ দাউদ ৫০৩৭, আহমাদ ১৬০৬৬, দারিমী ২৬৬১। মিশকাত ৪৭৪৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭১৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ . وَلْيَرُدَّ عَلَيْهِ مَنْ حَوْلَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ . وَلْيَرُدَّ عَلَيْهِمْ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে যেন বলে, আলহামদু লিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর)। তার আশেপাশে উপস্থিত ব্যক্তিগণ যেন বলে, ইয়ারহামুকাল্লাহ (আল্লাহ তোমায় অনুগ্রহ করুন)। প্রতি উত্তরে হাঁচিদাতা যেন বলে, ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বালাকুম (আল্লাহ তোমাদের সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং তোমাদের অবস্থার সংশোধন করুন)। [৩০৪৭]
[৩০৪৭] তিরমিযী ২৭৪১, দারিমী ২৬৫৯। ৭৮০, ৩/২৪৫, ২৪৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১. অধ্যায়ঃ
যে কেউ নিজ সহযোগীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে
৩৭১৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبِي يَحْيَى الطَّوِيلِ، – رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ – عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا لَقِيَ الرَّجُلَ فَكَلَّمَهُ لَمْ يَصْرِفْ وَجْهَهُ عَنْهُ حَتَّى يَكُونَ هُوَ الَّذِي يَنْصَرِفُ وَإِذَا صَافَحَهُ لَمْ يَنْزِعْ يَدَهُ مِنْ يَدِهِ حَتَّى يَكُونَ هُوَ الَّذِي يَنْزِعُهَا وَلَمْ يُرَ مُتَقَدِّمًا بِرُكْبَتَيْهِ جَلِيسًا لَهُ قَطُّ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করতেন এবং কথা বলতেন, তখন সে মুখ ফিরিয়ে না নেয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর মুখ ফিরিয়ে নিতেন না এবং যখন কারো সাথে মুসাফাহা করতেন, তখন সে তার হাত সরিয়ে না নেয়া পর্যন্ত তিনি তার থেকে নিজের হাত সরিয়ে নিতেন না। তাঁর সাথে উপবিষ্ট লোকেদের দিকে পা ছড়িয়ে দিয়ে তাঁকে কখনো বসতে দেখা যায় নি। [৩০৪৮]
তাহকীক আলবানী : মুসাফাহার কথা ব্যতীত দুর্বল। কেননা মুসাফাহার কথাটি প্রমাণিত।
[৩০৪৮] তিরমিযী ২৪৯০। সহীহাহ ২৪৮৫।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২২. অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তি মজলিসে নিজ স্থান থেকে উঠে গিয়ে আবার ফিরে এলে সে-ই উক্ত স্থানের অধিক হকদার
৩৭১৭
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ عَنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ رَجَعَ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ তার বসার স্থান থেকে উঠে গিয়ে আবার ফিরে এলে সে-ই উক্ত স্থানের অধিক হকদার। [৩০৪৯]
[৩০৪৯] মুসলিম ২১৭৯, আবূ দাউদ ৪৮৫৩, আহমাদ ৭৫১৪, ৭৭৫১, ৮৩০৪, ৮৮১০, ৯৪৬৩, ৯৪৮২, ৯৮৯৪, ১০৪৪২, ১১৫৫৯, দারিমী ২৬৫৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩. অধ্যায়ঃ
ওযর বা অপারগতা প্রকাশ
৩৭১৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ مِينَاءَ، عَنْ جَوْدَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنِ اعْتَذَرَ إِلَى أَخِيهِ بِمَعْذِرَةٍ فَلَمْ يَقْبَلْهَا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ خَطِيئَةِ صَاحِبِ مَكْسٍ ” .
জূওদান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের নিকট ওযর বা অপারগতা প্রকাশ করলে এবং সে তা গ্রহণ না করলে, সে কর আদায়কারীর অপরাধের সমান অপরাধী গণ্য হবে।
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
২/৩৭১৮ (১). জূওদান (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। [৩০৫০]
[৩০৫০] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। গায়াতুল মারাম ২৩৬ নং পৃষ্ঠা।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৪. অধ্যায়ঃ
রসিকতা
৩৭১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَمْعَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ بْنِ زَمْعَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبِ بْنِ زَمْعَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فِي تِجَارَةٍ إِلَى بُصْرَى قَبْلَ مَوْتِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِعَامٍ وَمَعَهُ نُعَيْمَانُ وَسُوَيْبِطُ بْنُ حَرْمَلَةَ وَكَانَا شَهِدَا بَدْرًا وَكَانَ نُعَيْمَانُ عَلَى الزَّادِ وَكَانَ سُوَيْبِطٌ رَجُلاً مَزَّاحًا فَقَالَ لِنُعَيْمَانَ أَطْعِمْنِي . قَالَ حَتَّى يَجِيءَ أَبُو بَكْرٍ . قَالَ فَلأُغِيظَنَّكَ . قَالَ فَمَرُّوا بِقَوْمٍ فَقَالَ لَهُمْ سُوَيْبِطٌ تَشْتَرُونَ مِنِّي عَبْدًا لِي قَالُوا نَعَمْ . قَالَ إِنَّهُ عَبْدٌ لَهُ كَلاَمٌ وَهُوَ قَائِلٌ لَكُمْ إِنِّي حُرٌّ . فَإِنْ كُنْتُمْ إِذَا قَالَ لَكُمْ هَذِهِ الْمَقَالَةَ تَرَكْتُمُوهُ فَلاَ تُفْسِدُوا عَلَىَّ عَبْدِي . قَالُوا لاَ بَلْ نَشْتَرِيهِ مِنْكَ . فَاشْتَرَوْهُ مِنْهُ بِعَشْرِ قَلاَئِصَ ثُمَّ أَتَوْهُ فَوَضَعُوا فِي عُنُقِهِ عِمَامَةً أَوْ حَبْلاً . فَقَالَ نُعَيْمَانُ إِنَّ هَذَا يَسْتَهْزِئُ بِكُمْ وَإِنِّي حُرٌّ لَسْتُ بِعَبْدٍ . فَقَالُوا قَدْ أَخْبَرَنَا خَبَرَكَ . فَانْطَلَقُوا بِهِ فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَأَخْبَرُوهُ بِذَلِكَ . قَالَ فَاتَّبَعَ الْقَوْمَ وَرَدَّ عَلَيْهِمُ الْقَلاَئِصَ وَأَخَذَ نُعَيْمَانَ . قَالَ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَخْبَرُوهُ . قَالَ فَضَحِكَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَصْحَابُهُ مِنْهُ حَوْلاً .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তিকালের এক বছর পূর্বে আবূ বকর (রাঃ) ব্যবসা উপলক্ষে বুসরা যান। নুআয়মান (রাঃ) এবং হারমালাহ’র পুত্র সুয়ায়বিত (রাঃ) তার সাথে ছিলেন। তারা উভয়ে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। নুআয়মান (রাঃ) রসদপত্রের দায়িত্বে ছিলেন। সুয়ায়বিত (রাঃ) ছিলেন কৌতুকপ্রিয়। তিনি নুআয়মান (রাঃ) কে বলেন, আমাকে কিছু আহার দিন। তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তিনি বলেন, না, আমি আপনাকে পেরেশান করে ছাড়বো। রাবী বলেন, অতঃপর তারা একদল লোককে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। সুয়ায়বিত (রাঃ) তাদের বলেন, তোমরা কি আমার নিকট থেকে আমার একটি গোলাম খরিদ করবে? তারা বলেন, হাঁ। তিনি বলেন, সে এমন গোলাম যার একটা কথা আছে। সে তোমাদের বলবে, আমি স্বাধীন। তোমরা তার এ কথায় বিশ্বাস করে তাকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে কিন্তু আমার এ গোলামের ব্যাপারে ফ্যাসাদে ফেলো না যেন। তারা বললো, না, আমরা বরং তাকে তোমার থেকে ক্রয় করবো। তারা তার থেকে তাকে দশটি উটের বিনিময়ে ক্রয় করে তার নিকট এলো। তারা তার গলায় পাগড়ি অথবা রশি বাঁধলো। নুআয়মান (রাঃ) বলেন, এই লোক কিন্তু তোমাদের সাথে উপহাস করেছে, সত্যি আমি স্বাধীন, গোলাম নই। তারা বললো, তোমার ব্যাপারটা আমাদের অবহিত করা হয়েছে। তারা তাঁকে নিয়ে চলে গেল। ইতোমধ্যে আবূ বকর (রাঃ) এসে গেলে তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলেন। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি তাদের নিকট গেলেন এবং তাদের উট তাদেরকে ফেরত দিয়ে নুআয়মান (রাঃ) কে ছাড়িয়ে আনলেন। রাবী বলেন, তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ফিরে এসে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করেন। রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ তাকে নিয়ে (এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে) প্রায় এক বছর হাসি-তামাশা করেন। [৩০৫১]
[৩০৫১] আহমাদ ২৬১৪৭।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُخَالِطُنَا حَتَّى يَقُولَ لأَخٍ لِي صَغِيرٍ “ يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ” . قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي طَيْرًا كَانَ يَلْعَبُ بِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে মেলামেশা করতেন, এমনকি তিনি আমার এক ছোট ভাইকে বলতেন : হে আবূ উমায়র! কী করেছে নুগায়র? ওয়াকী’ (রাঃ) বলেন, অর্থাৎ যে পাখিটি নিয়ে আবূ উমাইর খেলা করতো। [৩০৫২]
[৩০৫২] বুখারী ৬১২৯, ৬২০৩, মুসলিম ৪০০৩, তিরমিযী ৩৩৩, ১৯৮৯, আবূ দাঊদ ৬৫৮, ৪৯৫৯, আহমাদ ১১৭২৭, ১১৭৮৯, ১২৩৪২, ১২৫৪৫, ১২৬৬৪, ১২৭৯৭, ১২৯১২। মুখতাসরুশ শামাইল ২০১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৫. অধ্যায়ঃ
সাদা চুল উপড়ানো
৩৭২১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ نَتْفِ الشَّيْبِ وَقَالَ “ هُوَ نُورُ الْمُؤْمِنِ ” .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাদা চুল উপড়াতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেনঃ এটা মুমিনের নূর। [৩০৫৩]
[৩০৫৩] নাসায়ী ৫০৬৮, আবূ দাউদ ৪২০২। আত তা’লীকুর রাগীব ৩/১১৩, মিশকাত ৪৪৫৮।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৬. অধ্যায়ঃ
ছায়া ও রোদের মাঝামাঝি বসা
৩৭২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ أَبِي الْمُنِيبِ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى أَنْ يُقْعَدَ بَيْنَ الظِّلِّ وَالشَّمْسِ .
বুরায়দাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছায়া ও রোদের মাঝামাঝি বসতে নিষেধ করেছেন। [৩০৫৪]
[৩০৫৪] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৮৩৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭. অধ্যায়ঃ
উপুড় হয়ে শোয়া নিষেধ
৩৭২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طِخْفَةَ الْغِفَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَصَابَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ عَلَى بَطْنِي فَرَكَضَنِي بِرِجْلِهِ وَقَالَ “ مَا لَكَ وَلِهَذَا النَّوْمِ هَذِهِ نَوْمَةٌ يَكْرَهُهَا اللَّهُ أَوْ يُبْغِضُهَا اللَّهُ ” .
তিখফাহ বিন কায়স আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে মসজিদে উপুড় হয়ে শোয়া অবস্থায় পেলেন। তিনি তাঁর পা দ্বারা আমাকে খোঁচা মেরে বলেনঃ তোমার এ ধরণের শোয়া কিরূপ। এ ধরণের শোয়া তো আল্লাহ অপছন্দ করেন বা ঘৃণা করেন। [৩০৫৫]
[৩০৫৫] তিরমিযী ২৭৬৮, আবূ দাউদ ৫০৪০, আহমাদ ১৫১১৫, ১৫১১৭, ২৩১০৩। মিশকাত ৪৭১৮, ৪৭১৯, ৪৭৩১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৪
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ طِخْفَةَ الْغِفَارِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ مَرَّ بِيَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا مُضْطَجِعٌ عَلَى بَطْنِي فَرَكَضَنِي بِرِجْلِهِ وَقَالَ “ يَا جُنَيْدِبُ إِنَّمَا هَذِهِ ضِجْعَةُ أَهْلِ النَّارِ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি আমাকে তাঁর পা দ্বারা খোঁচা মেরে বলেনঃ হে জুনাইদিব! এটা তো জাহান্নামের শয়ন। [৩০৫৬]
[৩০৫৬] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৫
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ رَجَاءٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جَمِيلٍ الدِّمَشْقِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ الْقَاسِمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى رَجُلٍ نَائِمٍ فِي الْمَسْجِدِ مُنْبَطِحٍ عَلَى وَجْهِهِ فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ “ قُمْ وَاقْعُدْ فَإِنَّهَا نَوْمَةٌ جَهَنَّمِيَّةٌ ” .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে উপুড় হয়ে শায়িত এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যেতে তাঁর পা দ্বারা তাকে খোঁচা মেরে বলেনঃ দাঁড়াও অথবা বসো। কেননা এটা জাহান্নামীর শয়ন। [৩০৫৭]
[৩০৫৭] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৮. অধ্যায়ঃ
জ্যোতিষ বিষয়ক জ্ঞান অর্জন
৩৭২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষ বিদ্যার কিছু শিক্ষা করলো, সে যেন যাদু বিদ্যার একটা শাখা আয়ত্ত করলো, এখন তা যত বাড়ায় বাড়াক। [৩০৫৮]
[৩০৫৮] আবূ দাউদ ৩৯০৫, আহমাদ ২০০১, ২৮৩৬। সহীহাহ ৭৯৩।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২৯. অধ্যায়ঃ
বাতাসকে গালি দেয়া নিষেধ
৩৭২৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الزُّرَقِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لاَ تَسُبُّوا الرِّيحَ فَإِنَّهَا مِنْ رَوْحِ اللَّهِ تَأْتِي بِالرَّحْمَةِ وَالْعَذَابِ وَلَكِنْ سَلُوا اللَّهَ مِنْ خَيْرِهَا وَتَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ شَرِّهَا ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বাতাসকে গালি দিও না। কারণ তা আল্লাহর রহমাতের অন্তর্ভুক্ত, তা রহমাত ও শাস্তি বয়ে আনে। তোমরা আল্লাহর নিকট এর মধ্যে নিহিত কল্যাণের প্রার্থনা করো এবং তার মধ্যে নিহিত অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো। [৩০৫৯]
[৩০৫৯] আবূ দাউদ ৫০৯৭, আহমাদ ৭৩৬৫, ৯৩৪৬। মিশকাত ১৫১৬, তাখরীজুল কালিমুত তায়্যিব ১৫৩, সহীহাহ ২৭৫৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০. অধ্যায়ঃ
যেসব নাম পছন্দনীয়
৩৭২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا الْعُمَرِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ أَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মহান আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় নাম হলো আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। [৩০৬০]
[৩০৬০] মুসলিম ২১৩২, তিরমিযী ২৮৩৩, আবূ দাউদ ৪৯৪৯, আহমাদ ৪৭৬০, ৬০৮৭, দারিমী ২৬৯৫। ইরওয়া ১১৭৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১. অধ্যায়ঃ
যেসব নাম অপছন্দনীয়
৩৭২৯
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لَئِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لأَنْهَيَنَّ أَنْ يُسَمَّى رَبَاحٌ وَنَجِيحٌ وَأَفْلَحُ وَنَافِعٌ وَيَسَارٌ ” .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইনশাআল্লাহ আমি বেঁচে থাকলে রাবাহ, নাজীহ, আফলাহ, নাফে‘ ও ইয়াসার নাম রাখতে নিষেধ করবো। [৩০৬১]
[৩০৬১] তিরমিযী ২৮৩৫। সহীহাহ ২১৪৩।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৭৩০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الرُّكَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نُسَمِّيَ رَقِيقَنَا أَرْبَعَةَ أَسْمَاءٍ أَفْلَحُ وَنَافِعٌ وَرَبَاحٌ وَيَسَارٌ .
সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দাসদের চারটি নামে নামকরণ করতে নিষেধ করেছেন : আফলাহ, নাফে‘, রাবাহ ও ইয়াসার। [৩০৬২]
[৩০৬২] মুসলিম ২১৩৬, ২১৩৭, তিরমিযী ২৮৩৬, আবূ ৪৯৫৮, ৪৯৫৯, আহমাদ ১৯৫৭৪, ১৯৬০১, ১৯৬১৮, ১৯৬২৫, ১৯৭৩২, দারিমী ২৬৯৬। ইরওয়া ১১৭৭।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৭৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا مُجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ لَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ مَنْ أَنْتَ فَقُلْتُ مَسْرُوقُ بْنُ الأَجْدَعِ . فَقَالَ عُمَرُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ الأَجْدَعُ شَيْطَانٌ ” .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(মাসরূক) বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন, তুমি কে? আমি বললাম, মাসরূক ইবনুল আজদা‘। উমার (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : আজদা‘ এক শয়তানের নাম। [৩০৬৩]
[৩০৬৩] আবূ দাউদ ৪৯৫৭, আহমাদ ২১১। মিশকাত ৪৭৬৭।
উক্ত হাদীসের রাবী মুজালিদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়া‘কূব বিন সুফিয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি দঈফ বা দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৮০, ২৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২. অধ্যায়ঃ
নাম পরিবর্তন করা
৩৭৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا رَافِعٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ زَيْنَبَ، كَانَ اسْمُهَا بَرَّةَ فَقِيلَ لَهَا تُزَكِّي نَفْسَهَا فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ زَيْنَبَ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যায়নাব (রাঃ) এর নাম ছিলো বাররাহ (পুণ্যবতী)। এতে বলাবলি হলো যে, তিনি নিজেই নিজের পবিত্রতা প্রকাশ করছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নাম রাখলেন যায়নাব। [৩০৬৪]
[৩০৬৪] সহীহুল বুখারী ৬১৯২, মুসলিম ২১৪১, আহমাদ ৯২৭৬, ৯৫৯৮, দারিমী ২৬৯৮। সহীহাহ ২১১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ ابْنَةً لِعُمَرَ، كَانَ يُقَالُ لَهَا عَاصِيَةُ فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَمِيلَةَ .
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ) এর এক কন্যাকে আসিয়াহ (গুনাহগার) নামে ডাকা হতো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নাম রাখলেন জামীলাহ (সুন্দরী)। [৩০৬৫]
[৩০৬৫] মুসলিম ২১৩৯, তিরমিযী ২৮৩৮, আবূ দাউদ ৪৯৫২, আহমাদ ৪৬৬৮, দারিমী ২৬৯৭। সহীহাহ ২১৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى أَبُو الْمُحَيَّاةِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، حَدَّثَنَى ابْنُ أَخِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَلَيْسَ اسْمِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلاَمٍ فَسَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلاَمٍ .
আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন আমার নাম রাখেন আবদুল্লাহ বিন সালাম। [৩০৬৬]
[৩০৬৬] আবূ দাউদ ২৩২৮০।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৩৩. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাম ও তাঁর উপনাম একত্র করা
৩৭৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكَنَّوْا بِكُنْيَتِي ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রেখো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না। [৩০৬৭]
[৩০৬৭] সহীহুল বুখারী ১১০, ৬১৮৮, মুসলিম ২১৩৪, তিরমিযী ২২৮০, ২৮৪১, আবূ দাউদ ৪৯৬৫, আহমাদ ৭৩৩০, ৭৪৭৯, ৭৫৯৭, ৭৬৭১, ৮০৪৭, ৮৮৫০, ৮৮৮৬, ৯৫৫৪, ৯৫৮০, ৯৭২৭, ৯৮৩৫, ৯৯৯৯, ১০১০৪, ১০২৪৯
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكَنَّوْا بِكُنْيَتِي ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না। [৩০৬৮]
৩০৬৮. সহীহুল বুখারী ৩১১৪, মুসলিম ২১৩৩, তিরমিযী ২৮৪২, আহমাদ ১৩৭৭১, ১৩৮৩৭, ১৩৯৪৭, ১৪৫৪৬, ১৪৭১০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالْبَقِيعِ فَنَادَى رَجُلٌ رَجُلاً يَا أَبَا الْقَاسِمِ فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ إِنِّي لَمْ أَعْنِكَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘বাকী‘’ নামক স্থানে ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে ডাক দিয়ে বললো, হে আবুল কাসিম! এতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে ফিরে তাকালেন। সে বললো, আমি আপনাকে ডাকিনি। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না। [৩০৬৯]
[৩০৬৯] সহীহুল বুখারী ২১২০, ২১২১, ৩৫৩৭, মুসলিম ২১৩১, তিরমিযী ২৮৪১, আহমাদ ১১৭২০, ১১৮০৮, ১২৩২০, ১২৫৪৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪. অধ্যায়ঃ
সন্তান ভূমিষ্ঠ না হতেই কোন ব্যক্তির উপনাম গ্রহণ
৩৭৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ صُهَيْبٍ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ لِصُهَيْبٍ مَا لَكَ تَكْتَنِي بِأَبِي يَحْيَى وَلَيْسَ لَكَ وَلَدٌ . قَالَ كَنَّانِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِأَبِي يَحْيَى .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ) সুহায়ব (রাঃ) কে বললেন, ব্যাপার কী, তুমি যে আবূ ইয়াহইয়া উপনাম গ্রহণ করেছো, অথচ তোমার কোন সন্তান নেই? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার উপনাম রেখেছেন আবূ ইয়াহইয়া। [৩০৭০]
[৩০৭০] আহমাদ ২৩৪০৮। সহীহাহ ৪৪।
উক্ত হাদীসের রাবী যুহায়র বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে আবূ হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় ভুল ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদীস বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু আবদুল বার আল-আন্দালাসী বলেন, তিনি সকলের নিকট দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০১৭, ৯/৪১৪ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আকীল সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবূ আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার থেকে হাদীস গ্রহণ করা যায়। আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই বাছাই ছাড়া হাদীস গ্রহণ করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবূ দাউদ আস সাজিসতানী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় শিথিল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৪৩, ১৬/৭৮ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ مَوْلًى، لِلزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ، . أَنَّهَا قَالَتْ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كُلُّ أَزْوَاجِكَ كَنَّيْتَهُ غَيْرِي . قَالَ “ فَأَنْتِ أُمُّ عَبْدِ اللَّهِ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলেন, আমি ছাড়া আপনার সকল স্ত্রীর উপনাম রেখেছেন। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি উম্মু আবদুল্লাহ। [৩০৭১]
৩০৭১. আবূ দাউদ ৪৯৭০। সহীহাহ ১৩২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৪০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْتِينَا فَيَقُولُ لأَخٍ لِي وَكَانَ صَغِيرًا “ يَا أَبَا عُمَيْرٍ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের এখানে আসতেন এবং আমার এক ছোট্ট ভাইকে আবূ উমাইর বলে ডাকতেন। [৩০৭২]
[৩০৭২] বুখারী ৬১২৯, ৬২০৩, মুসলিম ৪০০৩, তিরমিযী ৩৩৩, ১৯৮৯, আবূ দাউদ ৬৫৮, ৪৯৫৯, আহমাদ ১১৭২৭, ১১৭৮৯, ১২৩৪২, ১২৫৪৫, ১২৬৬৪, ১২৭৯৭, ১২৯১২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস