ইবনে মাজাহ মসজিদ ও জামাআত অধ্যায় হাদিস নং ৭৩৫ – ৮০২

১. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করলো ।

৭৩৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْجَعْفَرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ الْعَدَوِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا يُذْكَرُ فِيهِ اسْمُ اللَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র নামের যিকিরের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন। [৭৩৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৩৩] আহমাদ ১২৭, ৩৭৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ওয়ালীদ বিন আবুল ওয়ালীদ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত বর্ণনা করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا بَنَى اللَّهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏

উসমান বিন আফ্‌ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ অনুরূপভাবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করেন। [৭৩৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৩৪] বুখারী ৪৫০, মুসলিম ৫৩১-২, তিরমিযী ৩১৮, আহমাদ ৪৩৬, দারিমী ১৩৯২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৭

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو الأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا مِنْ مَالِهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏

আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ সম্পদ ব্যয়ে আল্লাহ্‌র জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করেন। [৭৩৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৩৫] যইফ। তাখরীজ আলবানী: রওযুন পাঠীর ৮৮৬। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আব্বাস বিন উসমান দিমাশকী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী সিকাহ বললেও ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত বর্ণনা করেন। ২. ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাবসমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, কিতাবসমুহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৮

حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَشِيطٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ النَّوْفَلِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ أَوْ أَصْغَرَ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র জন্য টিড্ডির ঢিবির ন্যায় বা তার চাইতেও ক্ষুদ্র একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন। [৭৩৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৩৬] সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অধ্যায়ঃ

মসজিদসমূহ সৌন্দর্যমণ্ডিত করা।

৭৩৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَبَاهَى النَّاسُ فِي الْمَسَاجِدِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত লোকেরা মসজিদের সৌন্দর্য ও সুসজ্জিতকরণ নিয়ে পরস্পর গর্ব না করবে ততক্ষণ কিয়ামাত সংঘটিত হবে না। [৭৩৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৩৭] নাসায়ী ৬৮৯, আবূ দাঊদ ৪৪৯, আহমাদ ১১৯৭১, ১২০৬৪, ১২১২৮, ১২৯৯১, ১৩৬০৬; দারিমী ১৪০৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৭১৯, সহীহ আবূ দাউদ ৪৭৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪০

حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْبَجَلِيُّ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَرَاكُمْ سَتُشَرِّفُونَ مَسَاجِدَكُمْ بَعْدِي كَمَا شَرَّفَتِ الْيَهُودُ كَنَائِسَهَا وَكَمَا شَرَّفَتِ النَّصَارَى بِيَعَهَا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার মনে হয়, তোমরা আমার পরে তোমাদের মসজিদসমূহকে ইহুদীদের সেনাগণ ও নাসারাদের গির্যার ন্যায় বিশালাকার প্রাসাদরূপে তৈরি করবে। [৭৩৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৩৮] আবূ দাঊদ ৪৪৮, যঈফাহ ২৭৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৭৪৩ যঈফ, যঈফা ২৭৩৩ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্‌ (আল্লাহ্‌ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাবভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১

حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا سَاءَ عَمَلُ قَوْمٍ قَطُّ إِلاَّ زَخْرَفُوا مَسَاجِدَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন জাতির মসজিদসমূহকে সোনা-রূপা খচিত করা কত মন্দ কাজ! [৭৩৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ জিদ্দান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৩৯] যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫০৭৫ যঈফ জিদ্দান, যঈফা ৪৪৪৭ যঈফ।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৩. অধ্যায়ঃ

মসজিদসমূহ নির্মাণের বৈধ স্থান।

৭৪২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ الضُّبَعِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ مَوْضِعُ مَسْجِدِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِبَنِي النَّجَّارِ وَكَانَ فِيهِ نَخْلٌ وَمَقَابِرُ لِلْمُشْرِكِينَ فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ ثَامِنُونِي بِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ نَأْخُذُ لَهُ ثَمَنًا أَبَدًا ‏.‏ قَالَ فَكَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْنِيهِ وَهُمْ يُنَاوِلُونَهُ وَالنَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ أَلاَ إِنَّ الْعَيْشَ عَيْشُ الآخِرَةِ فَاغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي قَبْلَ أَنْ يَبْنِيَ الْمَسْجِدَ حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম)-এর মসজিদের স্থানটি ছিল নাজ্জার গোত্রের, সেখানে কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ এবং মুশরিকদের কবর ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বলেন, তোমরা এই জমিখণ্ড আমার নিকট বিক্রয় করো। তারা বলেন, আমরা কখনো এর বিনিময় মূল্য গ্রহন করবো না। রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন এবং সাহাবীগণ তাঁকে মাটি ও কাদা দিতে থাকেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে থাকেনঃ “আখেরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন। আপনি আনসার ও মুজাহিদদের ক্ষমা করুন”। ইতোপূর্বে যেখানেই সালাতের ওয়াক্ত হয়ে যেতো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানেই সালাত আদায় করতেন। [৭৪০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪০] বুখারী ২৮৩৪, ৩৭৯৫, ৬৪১৩; মুসলিম ১৮০১-৪, আহমাদ ১১৭৬৮, ১২৩১১, ১২৩২১, ১২৩৪৬, ১২৪৩৯, ১২৫৩৯, ১২৭১৪, ১২৭৭৯, ১২৭৯৬, ১২৮৪৬, ১৩১৪৯, ১৩২৩৪, ১৩৫০৯, ১৩৫৪৩, ১৩৬৫৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৪৭৭-৪৭৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو هَمَّامٍ الدَّلاَّلُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيَاضٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَهُ أَنْ يَجْعَلَ مَسْجِدَ الطَّائِفِ حَيْثُ كَانَ طَاغِيَتُهُمْ ‏.‏

উসমান বিন আবূল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে তায়েফবাসীদের জন্য তাদের মূর্তির পাদপিঠে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। [৭৪১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪১] আবূ দাঊদ ৪৫০ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ৪৫০ যঈফ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَسُئِلَ، عَنِ الْحِيطَانِ، تُلْقَى فِيهَا الْعَذِرَاتُ فَقَالَ ‏ “‏ إِذَا سُقِيَتْ مِرَارًا فَصَلُّوا فِيهَا ‏”‏ ‏.‏ يَرْفَعُهُ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাকে ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বরাতে বলেন, কয়েকবার পানি ঢেলে দেয়ার পর তথায় সালাত পড়া যাবে। [৭৪২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪২] যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আমর বিন উসমান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার ব্যপারে সমালোচনা রয়েছে। ইবনু আদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আল উকায়লী বলেন, তিনি দুর্বল। আল আযদী বলেন, তিনি দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অধ্যায়ঃ

যেসব স্থানে সালাত পড়া মাকরূহ।

৭৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدٌ إِلاَّ الْمَقْبَرَةَ وَالْحَمَّامَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কবরস্থান ও গোসলখানা ব্যতীত সকল (পবিত্র) জায়গাই মসজিদ। [৭৪৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪৩] তিরমিযী ৩১৭, আবূ দাঊদ ৪৯২, দারিমী ১৩৯০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩২০, সহীহ আবূ দাউদ ৫০৭, মিশকাত ৭৩৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ جَبِيرَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُصَلَّى فِي سَبْعِ مَوَاطِنَ فِي الْمَزْبَلَةِ وَالْمَجْزَرَةِ وَالْمَقْبَرَةِ وَقَارِعَةِ الطَّرِيقِ وَالْحَمَّامِ وَمَعَاطِنِ الإِبِلِ وَفَوْقَ الْكَعْبَةِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাত স্থানে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেনঃ ময়লা-আবর্জনাপূর্ণ স্থানে, কসাইখানায়, কবরস্থানে, রাস্তার মাঝখানে, গোসলখানায়, উটের খোঁয়াড়ে এবং কা‘বার ঘরের ছাদে। [৭৪৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪৪] তিরমিযী ৩৪৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ২৮৭ যঈফ, মিশকাত ৭৩৮ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আদ-দিমাশকী সম্পর্কে ইবনু আদি বলেন, মুনকারুল হাদিস ও তার নিকট হাদিস সংরক্ষিত নয়। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি মিথ্যুক। হাকিম বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ২. যায়দ বিন জাবীরাহ সম্পর্কে ইমাম বুখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন তিনি সিকাহ নন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ دَاوُدَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْحُسَيْنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ سَبْعُ مَوَاطِنَ لاَ تَجُوزُ فِيهَا الصَّلاَةُ ظَاهِرُ بَيْتِ اللَّهِ وَالْمَقْبَرَةُ وَالْمَزْبَلَةُ وَالْمَجْزَرَةُ وَالْحَمَّامُ وَعَطَنُ الإِبِلِ وَمَحَجَّةُ الطَّرِيقِ ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সাত জায়গায় সালাত পড়া জায়েয নয়ঃ কাবা ঘরের ছাদে, কবরস্থানে, ময়লা ফেলার স্থানে, কসাই খানায়, গোসলখানায়, উঁটের খোঁয়াড়ে ও রাস্তার মাঝখানে। [৭৪৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪৫] তিরমিযী ৩৪৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ৩২৩৫, ইরওয়াহ ২৮৭, মিশকাত ৭৩৮। উক্ত হাদিসের রাবী আবু সালিহ সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবদুল মালিক বিন শু’আয়ব তাকে সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অধ্যায়ঃ

মসজিদসমূহে যেসব কাজ করা মাকরূহ।

৭৪৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ جَبِيرَةَ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ خِصَالٌ لاَ تَنْبَغِي فِي الْمَسْجِدِ لاَ يُتَّخَذُ طَرِيقًا وَلاَ يُشْهَرُ فِيهِ سِلاَحٌ وَلاَ يُنْبَضُ فِيهِ بِقَوْسٍ وَلاَ يُنْشَرُ فِيهِ نَبْلٌ وَلاَ يُمَرُّ فِيهِ بِلَحْمٍ نِيءٍ وَلاَ يُضْرَبُ فِيهِ حَدٌّ وَلاَ يُقْتَصُّ فِيهِ مِنْ أَحَدٍ وَلاَ يُتَّخَذُ سُوقًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কতিপয় আচরণ মসজিদে নিষিদ্ধ। মসজিদকে চলাচলের পথ বানানো যাবে না, সেখানে অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শনী করা যাবে না, তীর, বর্শা বা কামান বহন করা যাবে না, কাঁচা গোশত নেয়া যাবে না, হদ্দ কার্যকর করা যাবে না, কারো কিসাস কার্যকর করা যাবে না এবং একে বাজারে পরিণত করা যাবে না। [৭৪৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ, তবে মসজিদকে চলাচলের পথ করা যাবে না-এ অংশ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪৬] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ, তবে মাসজিদকে চলাচলের পথ করা যাবে না-এ অংশ সহীহ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ২৮৩০ যঈফ, যঈফা ১৪৯, যঈফ জিদ্দান, সহীহাহ ১০০১। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ বিন জাবীরাহ সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭৪৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْبَيْعِ وَالاِبْتِيَاعِ وَعَنْ تَنَاشُدِ الأَشْعَارِ فِي الْمَسَاجِدِ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদসমূহে ক্রয়-বিক্রয় করতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে নিষেধ করেছেন। [৭৪৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪৭] তিরমিযী ৩২২, নাসায়ী ৭১৫, আবূ দাঊদ ১০৭৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৬৩, সহীহ আবূ দাউদ ৯৯১।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ نَبْهَانَ، حَدَّثَنَا عُتْبَةُ بْنُ يَقْظَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ جَنِّبُوا مَسَاجِدَكُمْ صِبْيَانَكُمْ وَمَجَانِينَكُمْ وَشِرَارَكُمْ وَبَيْعَكُمْ وَخُصُومَاتِكُمْ وَرَفْعَ أَصْوَاتِكُمْ وَإِقَامَةَ حُدُودِكُمْ وَسَلَّ سُيُوفِكُمْ وَاتَّخِذُوا عَلَى أَبْوَابِهَا الْمَطَاهِرَ وَجَمِّرُوهَا فِي الْجُمَعِ ‏”‏ ‏.‏

ওয়াসিলা ইবনুল আসকা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা তোমাদের মসজিদসমূহকে শিশু, পাগল, ক্রয়-বিক্রয়, ঝগড়া-বিবাদ, হৈ-চৈ, হদ্দ কার্যকরকরণ ও উন্মুক্ত অস্ত্র বহন থেকে হেফাযত করো। তোমরা তার দরজাসমূহের কাছে শৌচকর্মের জন্য ঢিলা রাখো এবং জুমুআহ্‌র দিন তাকে সুগন্ধময় করো। [৭৪৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪৮] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ তারগীব ১৮৬ যঈফ জিদ্দান, তালাকুর রগীব ১২০-১২১, ইরওয়াহ ৩৬২। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হাদিস বিন নহাবান সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস লিখা হয় না। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। ২. উতবাহ বিন ইয়াকযান সম্পর্কে ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ৩. আবু সাঈদ সম্পর্কে ইমামগন বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অধ্যায়ঃ

মসজিদে ঘুমানো।

৭৫১

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا نَنَامُ فِي الْمَسْجِدِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে মসজিদে ঘুমাতাম। [৭৪৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪৯] বুখারী ৪৪০, ১১২২, ৩৭৩৯, ৭০২৯, ৭০২১; মুসলিম ২৪৭৯, তিরমিযী ৩২১, নাসায়ী ৭২২, আহমাদ ৪৫৯৩, ৬২৯৪; দারিমী ১৪০০, ২১৫২, মাজাহ ৩৯১৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ يَعِيشَ بْنَ قَيْسِ بْنِ طِخْفَةَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ انْطَلِقُوا ‏”‏ ‏.‏ فَانْطَلَقْنَا إِلَى بَيْتِ عَائِشَةَ وَأَكَلْنَا وَشَرِبْنَا فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِنْ شِئْتُمْ نِمْتُمْ هَاهُنَا وَإِنْ شِئْتُمُ انْطَلَقْتُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْنَا بَلْ نَنْطَلِقُ إِلَى الْمَسْجِدِ ‏.‏

তিখফাহ বিন কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আসহাবে সুফফার অন্যতম সদস্য। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেনঃ তোমরা যাও। অতএব আমরা আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে গেলাম এবং পানাহার করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা ইচ্ছা করলে এখানেও ঘুমাতে পারো, আর চাইলে মসজিদেও যেতে পারো। রাবী বলেন, আমরা বললাম, বরং আমরা মসজিদে চলে যাই। [৭৫০]

 

তাহকিক আলবানীঃ দঈফ মুযত্বরাব। মুযতারিব।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫০] আবূ দাঊদ ৫০৪০ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ মুযবত্বরাব। তাখরীজ আলবানী: মুযতারিব।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭. অধ্যায়ঃ

সর্বপ্রথম যে মসজিদ নির্মিত হয়েছে।

৭৫৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ أَوَّلُ قَالَ ‏”‏ الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ الْمَسْجِدُ الأَقْصَى ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ كَمْ بَيْنَهُمَا قَالَ ‏”‏ أَرْبَعُونَ عَامًا ثُمَّ الأَرْضُ لَكَ مُصَلًّى فَصَلِّ حَيْثُ مَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! সর্বপ্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে? তিনি বলেন, মাসজিদুল হারাম। রাবী বলেন, আমি আবার বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বলেন, তারপর মাসজিদুল আকসা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের? তিনি বলেন। চল্লিশ বছরের। এখন তোমার জন্য সমগ্র পৃথিবীই মসজিদ। অতএব যেখানেই তোমার সালাতের ওয়াক্‌ত হয়, সেখানেই তুমি সালাত আদায় করতে পারো। [৭৫১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫১] বুখারী ৩৩৬৬, ৩৪২৫; মুসলিম ৫২০, নাসায়ী ৬৯০, আহমাদ ২০৮২৬, ২০৮৭৫, ২০৯১২, ২০৯৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অধ্যায়ঃ

গোত্রের এলাকায় বা মহল্লায় নির্মিত মসজিদেসমূহ।

৭৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيِّ، – وَكَانَ قَدْ عَقَلَ مَجَّةً مَجَّهَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ دَلْوٍ فِي بِئْرٍ لَهُمْ – عَنْ عِتْبَانَ بْنِ مَالِكٍ السَّالِمِيِّ – وَكَانَ إِمَامَ قَوْمِهِ بَنِي سَالِمٍ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ – قَالَ جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ أَنْكَرْتُ مِنْ بَصَرِي وَإِنَّ السَّيْلَ يَأْتِينِي فَيَحُولُ بَيْنِي وَبَيْنَ مَسْجِدِ قَوْمِي وَيَشُقُّ عَلَىَّ اجْتِيَازُهُ فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ تَأْتِيَنِي فَتُصَلِّيَ فِي بَيْتِي مَكَانًا أَتَّخِذُهُ مُصَلًّى فَافْعَلْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفْعَلُ ‏”‏ ‏.‏ فَغَدَا عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَبُو بَكْرٍ بَعْدَ مَا اشْتَدَّ النَّهَارُ وَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنْتُ لَهُ وَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى قَالَ ‏”‏ أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ لَكَ مِنْ بَيْتِكَ ‏”‏ ‏.‏ فَأَشَرْتُ لَهُ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي أُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ فِيهِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَصَفَفْنَا خَلْفَهُ فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ احْتَبَسْتُهُ عَلَى خَزِيرَةٍ تُصْنَعُ لَهُمْ ‏.‏

ইতবান বিন মালিক আস-সালিমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ছিলেন তাঁর গোত্র বনু সালিমের মসজিদের ইমাম এবং তিনি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসছে এবং সয়লাবের কারণে আমার ঘর ও আমার গোত্রের মসজিদের মধ্যকার নালাটি পরিপূর্ণ হয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। তা পার হয়ে আসা-যাওয়া আমার জন্য বেশি কষ্টকর। আপনি যদি মনে করেন, আমার বাড়িতে এসে আপনি একটা স্থানে সালাত পড়বেন, যাকে আমি সালাতের স্থান বানাতে পারি, তাহলে তাই করুন। তিনি বলেন, আচ্ছা! তাই করবো। পরের দিন দুপুরের পূর্বে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) আমার বাড়িতে আসেন এবং ভিতরে আসার অনুমতি চান। আমি তাঁকে ভিতর বাড়িতে আসার অনুমতি দিলাম। কিন্তু তিনি না বসে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার ঘরের কোন জায়গায় তোমার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমার সালাত পড়া তুমি পছন্দ করো? আমি ঘরের যে স্থানে আমার সালাত পড়া পছন্দ করি সেই জায়গাটি তাঁকে ইশারায় দেখিয়ে দিলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতে দাঁড়ালেন এবং আমরাও তাঁর পিছনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালাম। তিনি আমাদের নিয়ে দু’রাকআত সালাত পড়েন। এরপর আমি তাঁকে খাযীরা (এক প্রকার খাদ্য) খাওয়ানোর জন্য অপেক্ষা করালাম, যা তাঁদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। [৭৫২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫২] বুখারী ৭৭, ৪২৪-২৫, ৬৬৭, ৬৮৬, ৮৩৮, ৮৪০, ৪০১০, ৫৪০১; মুসলিম ৩৩, নাসায়ী ৭৮৮, ৮৪৪, ১৩২৭; আহমাদ ২৩১২৬, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪১৭; মাজাহ ৬৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْفَضْلِ الْمُقْرِي، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ أَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ تَعَالَ فَخُطَّ لِي مَسْجِدًا فِي دَارِي أُصَلِّي فِيهِ وَذَلِكَ بَعْدَ مَا عَمِيَ فَجَاءَ فَفَعَلَ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক আনসারী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট লোক পাঠিয়ে তাঁকে অনুরোধ করেন, আপনি এসে আমার বাড়ির একটি স্থান আমার সালাতের জন্য নির্দিষ্ট করে দিন। যাতে সেখানে আমি সালাত আদায় করতে পারি। ঘটনাটি ছিল তার অন্ধ হয়ে যাওয়ার পরের। অতএব তিনি এসে তাই করলেন। [৭৫৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫৩] সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ الْجَارُودِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ صَنَعَ بَعْضُ عُمُومَتِي لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَعَامًا فَقَالَ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِنِّي أُحِبُّ أَنْ تَأْكُلَ فِي بَيْتِي وَتُصَلِّيَ فِيهِ ‏.‏ قَالَ فَأَتَاهُ وَفِي الْبَيْتِ فَحْلٌ مِنْ هَذِهِ الْفُحُولِ فَأَمَرَ بِنَاحِيَةٍ مِنْهُ فَكُنِسَ وَرُشَّ فَصَلَّى وَصَلَّيْنَا مَعَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ الْفَحْلُ هُوَ الْحَصِيرُ الَّذِي قَدِ اسْوَدَّ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার কোন এক ফুফু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য খাবার তৈরি করেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলেন, আমার একান্ত ইচ্ছা যে, আপনি আমার ঘরে এসে পানাহার করুন এবং তাতে সালাত পড়ুন। অতএব তিনি এলেন। ঘরে একটি কালো চাটাই ছিল। তিনি ঘরের এক কোণের দিকে ইশারা করেন। আমার চাটাইয়ে পানি ছিটিয়ে (তা পরিষ্কার করে রেখে) দিলাম। তিনি সালাত পড়লেন এবং আমরাও তাঁর সাথে সালাত পড়লাম। আবূ আবদুল্লাহ বিন মাজা (রহঃ) বলেন, যে চাটাই পুরানো হয়ে কালো হয়ে যায় তাকে ‘ফাহ্‌ল’ বলে। [৭৫৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫৪] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৬৬৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অধ্যায়ঃ

মসজিদসমূহ পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখা এবং তাকে সুগন্ধিযুক্ত করা।

৭৫৭

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي الْجَوْنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ أَخْرَجَ أَذًى مِنَ الْمَسْجِدِ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে ময়লা দূর করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। [৭৫৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫৫] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ ৫৩৬৭ যঈফ, যঈফ তারগীব ১৮৫, তালীকুর রগীব ১১৯।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْحَكَمِ، وَأَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ سُعَيْرٍ، أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَ بِالْمَسَاجِدِ أَنْ تُبْنَى فِي الدُّورِ وَأَنْ تُطَهَّرَ وَتُطَيَّبَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং তাতে খোশবু ছড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। [৭৫৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫৬] তিরমিযী ৫৯৪, আবূ দাঊদ ৪৫৫, মাজাহ ৭৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৭১৭, সহীহ আবূ দাউদ ৪৭৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৯

حَدَّثَنَا رِزْقُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ تُتَّخَذَ الْمَسَاجِدُ فِي الدُّورِ وَأَنْ تُطَهَّرَ وَتُطَيَّبَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে এবং সুগন্ধি ছড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। [৭৫৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫৭] তিরমিযী ৫৯৪, আবূ দাঊদ ৪৫৫, মাজাহ ৭৫৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَوَّلُ مَنْ أَسْرَجَ فِي الْمَسَاجِدِ تَمِيمٌ الدَّارِيُّ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন তামিম আদ-দারী (রাঃ)-ই প্রথম ব্যক্তি যিনি মসজিদে আলো-বাতির ব্যবস্থা করেন। [৭৫৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ দঈফ জিদ্দান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫৮] যঈফ জিদ্দান। উক্ত হাদিসের রাবী খালিদ বিন ইয়াস সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন তিনি নির্ভরযোগ্য নন বরং তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল এবং মুনকার। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

১০. অধ্যায়ঃ

মসজিদে থুথু ফেলা মাকরূহ

৭৬১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ أَبُو مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي، سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى نُخَامَةً فِي جِدَارِ الْمَسْجِدِ فَتَنَاوَلَ حَصَاةً فَحَكَّهَا ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ إِذَا تَنَخَّمَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَتَنَخَّمَنَّ قِبَلَ وَجْهِهِ وَلاَ عَنْ يَمِينِهِ وَلْيَبْزُقْ عَنْ شِمَالِهِ أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ الْيُسْرَى ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ ও আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের দেয়ালে থুথু বা কফ দেখতে পেলেন তিনি একটি কাঁকর তুলে নিয়ে তা দিয়ে থুথু (কফ) মুছে ফেলেন, অতঃপর বলেন, তোমাদের কেউ থুথু ফেলতে চাইলে সে যেন তা তার সামনের দিকে এবং তার ডান দিকে না ফেলে, বরং তার বাম দিকে বা তার বাম পায়ের নিচে ফেলে। [৭৫৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫৯] বুখারী ৪০৯, ৪১১, ৪১৪, ৪১৬; মুসলিম ৫৪৮-৫০, নাসায়ী ৩০৯, ৭২৫; আবূ দাঊদ ৪৭৭, ৪৮০; আহমাদ ৭৩৫৭, ৭৪৭৮, ৭৫৫৪, ২৭৪৫৩, ৮০৯৮, ৯১০২, ৯৭৪৬, ১০৫০৮, ১০৬৪২, ১০৬৮০, ১০৮০১, ১১১৫৬, ১১২৩০, ১১৪২৭, ১১৪৬৯; দারিমী ১৩৯৮, মাজাহ ১০২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৭৪, ইরওয়াহ ১৮৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، حَدَّثَنَا عَائِذُ بْنُ حَبِيبٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى نُخَامَةً فِي قِبْلَةِ الْمَسْجِدِ فَغَضِبَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَحَكَّتْهَا وَجَعَلَتْ مَكَانَهَا خَلُوقًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا أَحْسَنَ هَذَا ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের কেবলার দিকে থুথু দেখতে পেয়ে খুবই রাগান্বিত হন, এমনকি তাঁর চেহারা রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। এক আনসারী মহিলা এসে তা মুছে ফেলে এবং সেই স্থানে সুগন্ধি লাগিয়ে দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এটা কত উত্তম। [৭৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬০] বুখারী ৪০৫, নাসায়ী ৭২৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৩০৫০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نُخَامَةً فِي قِبْلَةِ الْمَسْجِدِ وَهُوَ يُصَلِّي بَيْنَ يَدَىِ النَّاسِ فَحَتَّهَا ثُمَّ قَالَ حِينَ انْصَرَفَ مِنَ الصَّلاَةِ ‏ “‏ إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا كَانَ فِي الصَّلاَةِ كَانَ اللَّهُ قِبَلَ وَجْهِهِ فَلاَ يَتَنَخَّمَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ وَجْهِهِ فِي الصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের কিবলার দিকে থুথু দেখতে পান। তখন তিনি লোকেদের নিয়ে সালাত পড়ছিলেন তিনি তা মুছে ফেলেন। অতঃপর সালাত শেষে তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ সালাতে রত থাকে, তখন আল্লাহ তার সামনে থাকেন, অতএব তোমাদের কেউ যেন সালাতরত অবস্থায় তার সামনের দিকে থুথু না ফেলে। [৭৬১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬১] বুখারী ৪০৬, ৭৫৩, ১২১৩, ৬১১১; মুসলিম ৫৪৭, নাসায়ী ৭২৪, আবূ দাঊদ ৭৭৯, আহমাদ ৪৪৯৫, ৪৬৭০, ৪৮২৬, ৪৮৬২, ৪৮৯০, ৫১৩০, ৫৩১৩, ৫৩৮৫, ৫৭১১, ৬২২৯, ৬২৭০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৫৬, দারিমী ১৩৯৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৪৯৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَكَّ بُزَاقًا فِي قِبْلَةِ الْمَسْجِدِ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের কিবলার দিকে (নিক্ষিপ্ত) থুথু মুছে ফেলেন। [৭৬২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬২] বুখারী ৪০৭, মুসলিম ৫৪৯, আহমাদ ২৪৬৩০, ২৫৪০৬; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১. অধ্যায়ঃ

মসজিদে হারানো জিনিস খুঁজে বেড়ানো নিষেধ।

৭৬৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ رَجُلٌ مَنْ دَعَا إِلَى الْجَمَلِ الأَحْمَرِ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ وَجَدْتَهُ إِنَّمَا بُنِيَتِ الْمَسَاجِدُ لِمَا بُنِيَتْ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

বুরায়দাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত পড়লেন। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, কে লাল উটের খোঁজ দিতে পারে (আমার লাল উটটি হারিয়ে গেছে)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি যেন তা না পাও। মসজিদ যে উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছে তা সেই উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হবে। [৭৬৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬৩] আহমাদ ৫৬৯, ২২৫৩৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ১৯০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنْ إِنْشَادِ الضَّالَّةِ فِي الْمَسْجِدِ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে হারানো জিনিস খোঁজার ঘোষণা দিতে নিষেধ করেছেন। [৭৬৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬৪] তিরমিযী ৩২২, আবূ দাঊদ ১০৭৯, আহমাদ ৬৬৩৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৭

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَسَدِيِّ أَبِي الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ سَمِعَ رَجُلاً يَنْشُدُ ضَالَّةً فِي الْمَسْجِدِ فَلْيَقُلْ لاَ رَدَّ اللَّهُ عَلَيْكَ فَإِنَّ الْمَسَاجِدَ لَمْ تُبْنَ لِهَذَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে মসজিদে হারানো জিনিস খোঁজার ঘোষণা দিতে শুনলে সে যেন বলে, আল্লাহ তোমাকে যেন তা ফিরিয়ে না দেন, কারণ এজন্য মসজিদ নির্মাণ করা হয়নি। [৭৬৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬৫] মুসলিম ৫৬৮, তিরমিযী ১৩২১, আবূ দাঊদ ৪৭৩, আহমাদ ৮৩৮২, ৯১৬১; দারিমী ১৪০১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৪৯২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অধ্যায়ঃ

উট ও বকরীর খোঁয়াড়ে সালাত পড়া।

৭৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنْ لَمْ تَجِدُوا إِلاَّ مَرَابِضَ الْغَنَمِ وَأَعْطَانَ الإِبِلِ فَصَلُّوا فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ وَلاَ تُصَلُّوا فِي أَعْطَانِ الإِبِلِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা বকরী বা উটের খোঁয়াড় ব্যতীত সালাত পড়ার জায়গা না পেলে, বকরীর খোঁয়াড়ে সালাত আদায় করতে পারো কিন্তু উটের খোঁয়াড়ে পড়বে না। [৭৬৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬৬] তিরমিযী ৩৪৮, দারিমী ১৩৯১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৭৩৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ الْمُزَنِيِّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صَلُّوا فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ وَلاَ تُصَلُّوا فِي أَعْطَانِ الإِبِلِ فَإِنَّهَا خُلِقَتْ مِنَ الشَّيَاطِينِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা বকরীর খোঁয়াড়ে সালাত আদায় করতে পারো, কিন্তু উটের খোঁয়াড়ে সালাত পড়ো না। কেননা তা শয়তানের থেকে সৃষ্ট। [৭৬৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬৭] নাসায়ী ৭৩৫, আহমাদ ২৭৮৫২, ১৬৩৫৭, ২০০১৮, ২০০৩৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ رَبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ يُصَلَّى فِي أَعْطَانِ الإِبِلِ وَيُصَلَّى فِي مُرَاحِ الْغَنَمِ ‏”‏ ‏.‏

সাবরা বিন মা’বাদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ উটের খোঁয়াড়ে সালাত পড়া যাবে না, তবে বকরীর খোঁয়াড়ে সালাত পড়া যাবে। [৭৬৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬৮] আহমাদ ১৪৯১৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৩. অধ্যায়ঃ

মসজিদে প্রবেশের দুআ’

৭৭১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ، ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَقُولُ ‏”‏ بِسْمِ اللَّهِ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي وَافْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ ‏”‏ ‏.‏ وَإِذَا خَرَجَ قَالَ ‏”‏ بِسْمِ اللَّهِ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي وَافْتَحْ لِي أَبْوَابَ فَضْلِكَ ‏”‏ ‏.‏

ফাতিমাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে প্রবেশকালে বলতেনঃ “আল্লাহর নামে (প্রবেশ) এবং আল্লাহর রসূলকে সালাম। হে আল্লাহ ! আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন”। তিনি (মসজিদ থেকে) বের হওয়ার সময় বলতেনঃ “আল্লাহর নামে (প্রস্থান) এবং সালাম আল্লাহর রসূলকে। হে আল্লাহ! আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন।” [৭৬৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬৯] তিরমিযী ৩১৪, আহমাদ ২৫৮৭৭-৭৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭২

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيُسَلِّمْ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثُمَّ لْيَقُلِ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ ‏.‏ وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুমায়দ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের যে কেউ মসজিদে প্রবেশকালে যেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর প্রতি সালাম পেশ করে, তারপর যেন বলেঃ “হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন” এবং বের হওয়ার সময় যেন বলেঃ “হে আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করি”। [৭৭০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭০] মুসলিম ৭১৩, নাসায়ী ৭২৯, আবূ দাঊদ ৪৬৫, আহমাদ ১৫৬২৭, ২৩০৯৬; দারিমী ১৩৯৪, ২৬৯১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৪৮৪। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল ওয়াহহাব বিন দাহহাক সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার নিকট আশ্চর্য হাদিস শ্রবন করা যায়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তার হাদিসে অনেক মিথ্যা পাওয়া যায়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। মুহাম্মাদ বিন আওফ বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেছেন। ২. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيُسَلِّمْ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ وَإِذَا خَرَجَ فَلْيُسَلِّمْ عَلَى النَّبِيِّ وَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের যে কেউ মসজিদে প্রবেশকালে যেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি সালাম পেশ করে, অতঃপর বলেঃ “হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন” এবং বের হওয়ার সময়ও যেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালাম পেশ করে, অতঃপর বলেঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে রক্ষা করুন। ”

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪. অধ্যায়ঃ

পদব্রজে সালাত আদায় করতে যাওয়া।

৭৭৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ لاَ يَنْهَزُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً حَتَّى يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ فَإِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ كَانَ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ উত্তমরূপে উদূ করার পর কেবল সালাত পড়ার উদ্দেশেই মসজিদে আসে, আল্লাহ তার প্রতি কদমের বিনিময়ে তার একটি ধাপ মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং তার একটি গুনাহ মুছে দেন যাবত না সে মসজিদে প্রবেশ করে। মসজিদে প্রবেশ করার পর সে যতক্ষণ সালাতের জন্য সেখানে অবস্থান করে, ততক্ষণ সালাতরত হিসাবেই গণ্য হয়। [৭৭২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭২] বুখারী ১৭৬, ৪৭৭; তিরমিযী ৬০৩, নাসায়ী ৭০৫, আবূ দাঊদ ৫৫৯, আহমাদ ৭৩৮২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৬৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ تَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا تَمْشُونَ وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সালাতের ইকামাত শুরু হলে তোমরা তার জন্য দ্রুত বেগে আসবে না, বরং ধীরে সুস্থে হেঁটে আসবে। এরপর সালাতের যতটুকু পাও তা পড়ো এবং যতটুকু ছুটে যায় তা পূর্ণ করো। [৭৭৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭৩] বুখারী ৬৩৬, ৯০৮; মুসলিম ৬০১-৪, তিরমিযী ৩২৭, নাসায়ী ৮৬১, আবূ দাঊদ ৫৭২-৭৩, আহমাদ ৭১৮৯, ৭২০৯, ৭২১১, ৭৬০৬, ২৭৪৪৫, ৮৭৪০, ৮৭৮৪, ৮৭৯৪, ৯২৩০, ৯৫২৫, ৯৬১৪, ৯৭৫৩, ৯৯৬৭, ১০৪৬৬, ১০৫১২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৫২, দারিমী ১২৮২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৮০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يُكَفِّرُ اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَزِيدُ بِهِ فِي الْحَسَنَاتِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عِنْدَ الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَى إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ আমি কি তোমাদের এমন জিনিসের কথা বলে দিবো না, যার দ্বারা আল্লাহ তা’আলা তোমাদের গুনাহরাশি ক্ষমা করবেন এবং নেকীর পরিধিও বাড়ীয়ে দিবেন? তারা বলেন, হাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বলেন, কষ্টের সময় পূর্ণরূপে উদূ করা, মসজিদসমূহের দিকে বেশি বেশি কদম রাখা এবং এক সালাতের পর অপর সালাতের অপেক্ষায় থাকা। [৭৭৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭৪] আহমাদ ১০৬১১ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৭৭৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْهَجَرِيِّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللَّهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَإِنَّ اللَّهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سُنَنَ الْهُدَى وَلَعَمْرِي لَوْ أَنَّ كُلَّكُمْ صَلَّى فِي بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلاَّ مُنَافِقٌ مَعْلُومُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ رَأَيْتُ الرَّجُلَ يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يَدْخُلَ فِي الصَّفِّ وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُورَ فَيَعْمِدُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيُصَلِّي فِيهِ فَمَا يَخْطُو خَطْوَةً إِلاَّ رَفَعَ اللَّهُ لَهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏.‏

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি আগামীতে (কিয়ামাতে) মুসলিম হিসেবে আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাত করে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন এই পাঁচ ওয়াক্‌ত সালাতের প্রতি যত্নবান হয়, যেখানে তার জন্য আযান দেয়া হয়। কেননা এটাই হল হেদায়াতের উত্তম পন্থা। আর আল্লাহ তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য হেদায়াতের পন্থা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমার জীবনের শপথ! তোমাদের সকলে যদি নিজ নিজ বাড়িতে সালাত পড়ো, তবে তোমরা অবশ্যই তোমাদের নবীর সুন্নাত ত্যাগ করলে। আর তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত ত্যাগ করলে অবশ্যই পথভ্রষ্ট হয়ে গেলে। অবশ্যই আমরা প্রকাশ্য মুনাফিক ব্যাতীত অপর কাউকে সালাতের জামাআত ত্যাগ করতে দেখতাম না। আমি এমন ব্যাক্তিকেও দেখেছি, যিনি দু’ব্যাক্তির কাঁধে ভর করে জামাআতের কাতারে শারীক হতেন। যে ব্যাক্তি উত্তমরূপে ওযু করে মসজিদে উপস্থিত হয়ে সালাত পড়ে, তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে আল্লাহ তার এক ধাপ মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার একটি গুনাহ মুছে দেন। [৭৭৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭৫] মুসলিম ৬৫৪, আবূ দাঊদ ৫৫০, আহমাদ ৩৫৫৪, দারিমী ১২৭৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৮৮, সহীহ আবূ দাউদ ৫৫৯। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম আল হাজারী সম্পর্কে আল আযদী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। ইবনু মাঈন, আবু যুরআহ আর-রাযী ও মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْمُوَفَّقِ أَبُو الْجَهْمِ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ إِلَى الصَّلاَةِ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِحَقِّ السَّائِلِينَ عَلَيْكَ وَأَسْأَلُكَ بِحَقِّ مَمْشَاىَ هَذَا فَإِنِّي لَمْ أَخْرُجْ أَشَرًا وَلاَ بَطَرًا وَلاَ رِيَاءً وَلاَ سُمْعَةً وَخَرَجْتُ اتِّقَاءَ سُخْطِكَ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِكَ فَأَسْأَلُكَ أَنْ تُعِيذَنِي مِنَ النَّارِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ – أَقْبَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِوَجْهِهِ وَاسْتَغْفَرَ لَهُ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাতের উদ্দেশ্যে তার ঘর থেকে বের হয়ে যেতে যেতে বলেঃ “হে আল্লাহ! তোমার নিকট প্রার্থনাকারীদের যে অধিকার আছে তার উসীলায় তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, এই পদব্রজের অধিকারের উসীলায় তোমার নিকট প্রার্থনা করছি। কেননা গৌরব, অহংকার, প্রদর্শনেচ্ছা প্রসিদ্ধি লাভ ইত্যাদির জন্য আমি মোটেই বের হইনি। আমি বের হয়েছি তোমার অসন্তোষের ভয়ে এবং তোমার সন্তুষ্টির অন্বেষায়। অতএব আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি যে, তুমি আগুন থেকে আমাকে বাঁচাবে এবং আমার গুনাহসমুহ ক্ষমা করবে। কারন তুমি ছাড়া গুনাহ মাফ করার কেউ নেই, আল্লাহ তার প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। [৭৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭৬] আহমাদ ১০৮৭২ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৫৭১ যঈফ, যঈফ তারগীব ২০১ যঈফ-৯৯৬ মুনকার, যঈফা ২৪। উক্ত হাদিসের রাবী ফাদল বিন মুয়াফফাক আবুল জাহম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. আতিয়্যাহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু তিনি দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার উপর নির্ভর করা যায় না।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৯

حَدَّثَنَا رَاشِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَافِعٍ عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الْمَشَّاءُونَ إِلَى الْمَسَاجِدِ فِي الظُّلَمِ أُولَئِكَ الْخَوَّاضُونَ فِي رَحْمَةِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতের অন্ধকারে মসজিদসমুহে যাতায়াতকারীদেরকে কিয়ামাতের দিনের পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দেওয়া হোক। [৭৭৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭৭] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৯৩৬ যঈফ, মিশকাত ৭২১, ৭২২; সহীহ, আবূ দাউদ ৫৭০। উক্ত হাদিসের রাবী আবু রাফি’ ইসমাইল বিন রাফি’ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও মুনকার।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮০

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحَلَبِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الشِّيرَازِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّمِيمِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لِيَبْشَرِ الْمَشَّاءُونَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِنُورٍ تَامٍّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

সাহল বিন সা’দ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতের অন্ধকারে মসজিদসমুহে যাতায়াতকারীদেরকে কিয়ামাতের দিনের পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দেওয়া হোক। [৭৭৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭৮] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৭২১, ৭২২; সহীহ আবূ দাউদ ৫৭০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮১

حَدَّثَنَا مَجْزَأَةُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدٍ، مَوْلَى ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الصَّائِغُ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ بَشِّرِ الْمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতের অন্ধকারে মসজিদসমুহে যাতায়াতকারীদেরকে কিয়ামাতের দিনের পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও। [৭৭৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সুলায়মান বিন দাউদ আস সায়িগ সম্পর্কে আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ কেউ করবে না। হাকিম বলেন, তিনি অপরিচিত। এ হাদিসটির ৮৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে তিরমিযি ১ টি, আবু দাউদ ১ টি, ইবনু মাজাহ ২ টি, ইবনু খুযায়মাহ ২ টি, মু’জামুল আওসাত ৫ টি ও বাকীগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অধ্যায়ঃ

মসজিদ থেকে দূরে আরো দূরে বসবাসকারীর জন্য মহা পুরস্কার রয়েছে।

৭৮২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الأَبْعَدُ فَالأَبْعَدُ مِنَ الْمَسْجِدِ أَعْظَمُ أَجْرًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মসজিদ থেকে দূরে আরও দূরে বসবাসকারীর জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার। [৭৮০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮০] আবূ দাঊদ ৫৫৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৬৫। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন মিহরান সম্পর্কে আল আযদী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ بَيْتُهُ أَقْصَى بَيْتٍ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ الصَّلاَةُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قَالَ فَتَوَجَّعْتُ لَهُ فَقُلْتُ يَا فُلاَنُ لَوْ أَنَّكَ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا يَقِيكَ الرَّمَضَ وَيَرْفَعُكَ مِنَ الْوَقَعِ وَيَقِيكَ هَوَامَّ الأَرْضِ ‏.‏ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ بَيْتِي بِطُنُبِ بَيْتِ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قَالَ فَحَمَلْتُ بِهِ حِمْلاً حَتَّى أَتَيْتُ بَيْتَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَدَعَاهُ فَسَأَلَهُ فَذَكَرَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ وَذَكَرَ أَنَّهُ يَرْجُو فِي أَثَرِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ لَكَ مَا احْتَسَبْتَ ‏”‏ ‏.‏

উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক আনসারী ব্যক্তির বাড়ি ছিল মাদীনাহর শেষ প্রান্তে। সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সালাতে উপস্থিত হতে কখনো ভুল করতো না। রাবী বলেন, তার জন্য আমার মনে কষ্ট অনুভব করলাম। তাই আমি বললাম, হে অমুক! একটি গাধা কিনে নিলে তা তোমাকে গরম থেকে, পথের কষ্ট–কাঠিন্য থেকে এবং মাটির কীট-পতঙ্গ থেকে রেহাই দিত। লোকটি বলল, আল্লাহ্‌র শপথ! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরের লাগোয়া আমার ঘর হোক, এটাও আমার পছন্দনীয় নয়। রাবী বলেন, আমি তার কষ্টে ব্যথিত হলাম, অবশেষে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করলাম। তিনি তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একই কথা ব্যক্ত করে। সে আরো উল্লেখ করে যে, সে তার পদক্ষেপসমূহের নেকী আশা করে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি যেরূপ আশা করছো তদ্রূপই পাবে। [৭৮১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮১] মুসলিম ৬৬১-২, আবূ দাঊদ ৫৫৭, আহমাদ ২০৭০৭, ২০৭০৯; দারিমী ১২৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৬৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৪

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَرَادَتْ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَتَحَوَّلُوا، مِنْ دِيَارِهِمْ إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ فَكَرِهَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُعْرُوا الْمَدِينَةَ فَقَالَ ‏ “‏ يَا بَنِي سَلِمَةَ أَلاَ تَحْتَسِبُونَ آثَارَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَقَامُوا ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বনূ সালিমার লোকেরা তাদের বাড়িঘর মসজিদে নববীর নিকটে স্থানান্তরিত করার ইচ্ছা করলো। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহর প্রান্ত এলাকা জনশূন্য হওয়া অপছন্দ করলেন। তাই তিনি বলেন, হে বনূ সালিমা! তোমরা কি তোমাদের পদক্ষেপের নেকী আশা করো না? অতএব তারা স্বস্থানেই থেকে গেল। [৭৮২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮২] বুখারী ৬৫৬, আহমাদ ১১৬২২, ১২৪৬৫, ১৩৩৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৬৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَتِ الأَنْصَارُ بَعِيدَةً مَنَازِلُهُمْ مِنَ الْمَسْجِدِ فَأَرَادُوا أَنْ يَقْتَرِبُوا فَنَزَلَتْ ‏{وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ}‏ قَالَ فَثَبَتُوا ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনসারদের বসতি মসজিদে নববী থেকে দূরে ছিল। তারা মসজিদের কাছাকাছি স্থানান্তরিত করতে চাইলে এ আয়াত নাযিল হয় (অনুবাদ) : “আমি লিখে রাখি যা তারা অগ্রে পাঠায় এবং যা তারা পিছনে রেখে যায়” (সূরাহ ইয়াসীনঃ ১২)। রাবী বলেন, তখন তারা তাদের অবস্থানে বহাল থাকেন। [৭৮৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অধ্যায়ঃ

জামাআতে সালাত পড়ার ফাদীলাত।

৭৮৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي جَمَاعَةٍ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ وَصَلاَتِهِ فِي سُوقِهِ بِضْعًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), বলেছেন, কোন ব্যক্তির জামাআতে সালাত তার ঘরে বা বাজারে পড়া সালাত অপেক্ষা বিশ গুণের অধিক মর্যাদাপূর্ণ। [৭৮৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮৪] বুখারী ৪৭৭, ৬৪৭, ৬৪৯, ২১১৯, ৪৭১৭; মুসলিম ৬৪১-৫, তিরমিযী ২১৬, নাসায়ী ৪৮৬, ৮৩৮; আবূ দাঊদ ৫৫৯, আহমাদ ৭৩৮২, ৭৫৩০, ৭৫৫৭, ৮১৪৯, ৮৯০৫, ৯৫৫১, ৯৭৬২, ৯৭৯৯, ৯৯২৬, ১০১২৬, ১০৪১৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৯১, দারিমী ১২৭৬, মাজাহ ৭৮৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৬৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ فَضْلُ الْجَمَاعَةِ عَلَى صَلاَةِ أَحَدِكُمْ وَحْدَهُ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ جُزْءًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জামাআতের ফাদীলাত তোমাদের কারো একাকী সালাত পড়ার তুলনায় পঁচিশ গুণ বেশি। [৭৮৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮৫] বুখারী ৪৭৭, ৬৪৭, ৬৪৯, ২১১৯, ৪৭১৭; মুসলিম ৬৪১-৫, তিরমিযী ২১৬, নাসায়ী ৪৮৬, ৮৩৮; আবূ দাঊদ ৫৫৯, আহমাদ ৭৩৮২, ৭৫৩০, ৭৫৫৭, ৮১৪৯, ৮৯০৫, ৯৫৫১, ৯৭৬২, ৯৭৯৯, ৯৯২৬, ১০১২৬, ১০৪১৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৯১, দারিমী ১২৭৬, মাজাহ ৭৮৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৮

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي جَمَاعَةٍ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তির জামাআতের সালাত তার বাড়িতে পরা সালাত অপেক্ষা পঁচিশ গুণ বেশি মর্যাদাপূর্ণ। [৭৮৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮৬] বুখারী ৬৪৬, আবূ দাঊদ ৫৬০, আহমাদ ১১১২৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৬৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُمَرَ، رُسْتَهْ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي جَمَاعَةٍ تَفْضُلُ عَلَى صَلاَةِ الرَّجُلِ وَحْدَهُ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তির জামাআতের সালাত তার একাকী পড়া সালাত অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশি মর্যাদাপূর্ণ। [৭৮৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮৭] বুখারী ৬৪৫, মুসলিম ৬৫০/১-২, তিরমিযী ২১৫, নাসায়ী ৮৩৭, আহমাদ ৪৬৫৬, ৫৩১০, ৫৭৪৫, ৫৮৮৫, ৬৪১৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৯০, দারিমী ১২৭৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَصِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي جَمَاعَةٍ تَزِيدُ عَلَى صَلاَةِ الرَّجُلِ وَحْدَهُ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ أَوْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً ‏”‏ ‏.‏

উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তির জামাআতে সালাত তার একাকী পড়া সালাত অপেক্ষা চব্বিশ কিংবা পঁচিশ গুণ বেশি মর্যাদাপূর্ণ। [৭৮৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) কথাটি ছাড়া সহীহ। সহীহ আবূ দাঊদ।

  •  
  •  
  •  
  •  

أَرْبَعًا وَعِشْرِينَকথাটি ছাড়া সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

১৭. অধ্যায়ঃ

সালাতের জামাআত ত্যাগ করার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি।

৭৯১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি সালাত কায়েমের নির্দেশ দেই এবং এক ব্যক্তিকে লোকেদের নিয়ে সালাত আদায় করতে আদেশ করি। অতঃপর আমি লাকড়িসহ একদল লোককে নিয়ে বেরিয়ে যাই সেইসব লোকের নিকট যারা জাআমাতে উপস্থিত হয়নি, অতঃপর তাদেরসহ তাদের বসতি আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করে দেই। [৭৮৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮৯] বুখারী ৬৪৪, ৬৫৭, ২৪২০, ৭২২৪; মুসলিম ৬৫১-৩, তিরমিযী ২১৭, নাসায়ী ৮৪৮, আবূ দাঊদ ৫৪৮-৪৯, আহমাদ ৭২৮৪, ৭৮৫৬, ২৭৩৬৬, ২৭৪৭৫, ৮৫৭৮, ৮৬৭৩, ৮৬৮৩, ৯১১৯, ৯১৯২, ৯৭৫০, ৯৮৬০, ১০৪২৩, ১০৪৮৯, ১০৪৫২, ১০৫৭৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৯২, দারিমী ১২১২, ১২৭৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৪৮৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، عَنِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ، قَالَ قُلْتُ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِنِّي كَبِيرٌ ضَرِيرٌ شَاسِعُ الدَّارِ وَلَيْسَ لِي قَائِدٌ يُلاَوِمُنِي فَهَلْ تَجِدُ لِي مِنْ رُخْصَةٍ قَالَ ‏”‏ هَلْ تَسْمَعُ النِّدَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا أَجِدُ لَكَ رُخْصَةً ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উম্মু মাকতূম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), কে বললাম, আমি বৃদ্ধ ও অন্ধ, আমার বসতিও দূরে এবং আমার সাহায্যকারী কোন পরিচালকও নেই। সুতরাং আপনি কি (আমাকে জামাআতে হাযির না হওয়ার ব্যাপারে) অবকাশ (অনুমতি) দিবেন? তিনি বলেন, তুমি কি আযান শুনতে পাও? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেন, আমি তোমার জন্য অবকাশ পাচ্ছি না। [৭৯০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯০] নাসায়ী ৮৫১, আবূ দাঊদ ৫৫২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৬১, ৫৬২, ইরওয়াহ ২৪৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْوَاسِطِيُّ، أَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يَأْتِهِ فَلاَ صَلاَةَ لَهُ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আযান শুনল এবং তার কোন ওযর না থাকা সত্ত্বেও জামাআতে উপস্থিত হলো না, তার সালাত নাই। [৭৯১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯১] আবূ দাঊদ ৫৫১ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৩৭, সহীহ আবূ দাউদ ৫৬০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ مِينَاءَ، أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، وَابْنُ، عُمَرَ أَنَّهُمَا سَمِعَا النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ عَلَى أَعْوَادِهِ ‏ “‏ لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ وَدْعِهِمُ الْجَمَاعَاتِ أَوْ لَيَخْتِمَنَّ اللَّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ ثُمَّ لَيَكُونُنَّ مِنَ الْغَافِلِينَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস ও ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর কাঠের মিম্বারের উপর থেকে বলতে শুনেছেনঃ লোকেরা অবশ্যই যেন জামাআত ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ অবশ্যই তাদের অন্তরে সীলমোহর মেরে দিবেন, অতঃপর তারা বিস্মৃতদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে। [৭৯২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯২] মুসলিম ৮৬৫, নাসায়ী ১৩৭০, আহমাদ ২১৩৩, ২২৯০, ৩০৮৯, ৫৫৩৫; দারিমী ১৫৭০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৯৬৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৫

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْهُذَلِيُّ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزِّبْرِقَانِ بْنِ عَمْرٍو الضَّمْرِيِّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَيَنْتَهِيَنَّ رِجَالٌ عَنْ تَرْكِ الْجَمَاعَةِ أَوْ لأُحَرِّقَنَّ بُيُوتَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লোকজনকে অবশ্যই জামাআত ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে, অন্যথায় আমি তাদের ঘরবাড়ি ভস্মীভূত করে দিবো। [৭৯৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯৩] আহমাদ ২১২৮৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮. অধ্যায়ঃ

ইশা ও ফজরের সালাত জামাআতে পড়ার ফাদীলাত।

৭৯৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ طَلْحَةَ، حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي صَلاَةِ الْعِشَاءِ وَصَلاَةِ الْفَجْرِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যদি লোকেরা ইশা ও ফজরের সালাতের যে কত ফাদীলাত তা জানতো, তাহলে অবশ্যই তারা এই দু’সালাতে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও উপস্থিত হত। [৭৯৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯৪] আহমাদ ২৩৯৮৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَنْبَأَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ أَثْقَلَ الصَّلاَةِ عَلَى الْمُنَافِقِينَ صَلاَةُ الْعِشَاءِ وَصَلاَةُ الْفَجْرِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকদের সবচেয়ে ভারবহ (কষ্টকর) হচ্ছে ইশা এবং ফজরের সালাত। তারা যদি এই দু’সালাতের ফাদীলাত সম্পর্কে অবহিত থাকতো, তাহলে অবশ্যই তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে হাযির হতো। [৭৯৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯৫] বুখারী ৬১৫, ৬৫৪, ৬৫৭, ৭২১, ২৬৮৯; মুসলিম ৪৩৭, ৬৫১; নাসায়ী ৫৪০, ৬৭১; আহমাদ ৭১৮৫, ৭৬৮০, ৭৯৬২, ৮৬৫৫, ৯২০২, ৯৭৫০, ১০৪৯৬, ২৭৩৩০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৫১, ২৯৫; দারিমী ১২৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৮৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى فِي مَسْجِدٍ جَمَاعَةً أَرْبَعِينَ لَيْلَةً لاَ تَفُوتُهُ الرَّكْعَةُ الأُولَى مِنْ صَلاَةِ الْعِشَاءِ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِهَا عِتْقًا مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ যে ব্যাক্তি মসজিদে এসে জামাআতের সাথে চল্লিশ রাত তাকবীরে ঊলাসহ ইশার সালাত পড়বে, তার বিনিময়ে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে তার মুক্তির সনদ লিখে দেন। [৭৯৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ ইশার প্রথম তাকবীর ছুটবে না-একথা ছাড়া হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯৬] এশার প্রথম তাকবীর ছুটবে না- কথাটি ছাড়া হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৬৫২, যঈফাহ ৩৬৪। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪/১৯. অধ্যায়ঃ

মসজিদসমূহে যাতায়াত বাধ্যতামূলক করে নেয়া এবং সালাতের জন্য অপেক্ষারত থাকা।

৭৯৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ كَانَ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ وَالْمَلاَئِكَةُ يُصَلُّونَ عَلَى أَحَدِكُمْ مَادَامَ فِي مَجْلِسِهِ الَّذِي صَلَّى فِيهِ يَقُولُونَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ اللَّهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ مَا لَمْ يُؤْذِ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে এবং যতক্ষণ সালাত তাকে আটক রাখে, ততক্ষণ সে সালাতের মধ্যে থাকে। তোমাদের কেউ যে মজলিসে সালাত পড়েছে তাতে যতক্ষণ সে অবস্থান করে ততক্ষণ ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকেন। তারা বলেন, “হে আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ্! তাকে অনুগ্রহ করুন। হে আল্লাহ্! তার তওবা কবূল করুন।” যতক্ষণ না তার উদূ ছুটে যায়, যতক্ষণ না সে কাউকে কষ্ট দেয় (ততক্ষণ এ দুআ চলতে থাকে)। [৭৯৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯৭] তিরমিযী ৩৩০, ৪৯১; নাসায়ী ১৪৩০, আবূ দাঊদ ১০৪৬, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৪৪২, সহীহ আবূ দাউদ ৪৮৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَا تَوَطَّنَ رَجُلٌ مُسْلِمٌ الْمَسَاجِدَ لِلصَّلاَةِ وَالذِّكْرِ إِلاَّ تَبَشْبَشَ اللَّهُ لَهُ كَمَا يَتَبَشْبَشُ أَهْلُ الْغَائِبِ بِغَائِبِهِمْ إِذَا قَدِمَ عَلَيْهِمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন মুসলিম ব্যক্তি যতক্ষণ মসজিদে সালাত ও যিকিরে রত থাকে ততক্ষণ আল্লাহ তাঁর প্রতি এতটা আনন্দিত হন, প্রবাসী ব্যক্তি তাঁর পরিবারে ফিরে এলে তারা তাকে পেয়ে যেরূপ আনন্দিত হয়। [৭৯৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯৮] আহমাদ ৮০০৪, ৮১৫০, ৮২৮২, ৯৫৩১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৩২৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْمَغْرِبَ فَرَجَعَ مَنْ رَجَعَ وَعَقَّبَ مَنْ عَقَّبَ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُسْرِعًا قَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ و قَدْ حَسَرَ عَنْ رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ أَبْشِرُوا هَذَا رَبُّكُمْ قَدْ فَتَحَ بَابًا مِنْ أَبْوَابِ السَّمَاءِ يُبَاهِي بِكُمُ الْمَلاَئِكَةَ يَقُولُ انْظُرُوا إِلَى عِبَادِي قَدْ قَضَوْا فَرِيضَةً وَهُمْ يَنْتَظِرُونَ أُخْرَى ‏”‏ ‏.‏

আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্ললাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মাগরিবের সালাত পড়লাম। তারপর যার চলে যাওয়ার চলে গেলেন এবং যার থেকে যাওয়ার থেকে গেলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্ললাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) এত দ্রুতবেগে এলেন যে, তাঁর দীর্ঘ নিঃশ্বাস বের হতে লাগলো। তিনি তাঁর দু’ হাঁটুর উপর ভর করে বসে বলেন, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো। তোমাদের প্রতিপালক আসমানের একটি দরজা খুলে দিয়েছেন এবং ফেরেশতাদের নিকট তোমারদের সম্পর্কে গর্ব করে বলছেনঃ তোমরা আমার বান্দাদের দিকে তাকিয়ে দেখো, তারা এক ফার্‌দ আদায়ের পর পরবর্তী ফার্‌দ আদায়ের অপেক্ষা করছে। [৭৯৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯৯] আহমাদ ৬৭১১-১২, ৬৯০৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৪৪৫, সহীহাহ ৬৬১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০২

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ يَعْتَادُ الْمَسَاجِدَ فَاشْهَدُوا لَهُ بِالإِيمَانِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ}‏ الآيَةَ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা কোন ব্যক্তিকে মসজিদে যাতায়াত করতে দেখলে তার ঈমানের পক্ষে সাক্ষ্য দিও। মহান আল্লাহ বলেন, “তারাই তো আল্লাহর মসজিদসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ করে যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে…”(সূরাহ তাওবাঃ ১৮)। [৮০০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮০০] তিরমিযী ২৬১৭, ৩০৯৩; আহমাদ ২৭৩০৮, ২৭৩২৫; দারিমী ১২২৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫০৯ যঈফ, যঈফ তারগীব ২০৩ যঈফ, রিয়াদুস সলিহীন ১০৬৭ যঈফ, মিশকাত ৭২৩। উক্ত হাদিসের রাবী রিশদীন বিন সা’দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তার থেকে হাদিস লিপিবদ্ধ করেন নি। আমর ইবনুল ফাল্লাস ও আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী মুনকারুল হাদিস ও তার মাঝে অমনোযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস