ইবনে মাজাহ ভূমিকা ৩য় ভাগ হাদিস নং ১৭৭ – ২৬৬

৩৪. অধ্যায়ঃ

জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে

১৭৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى وَوَكِيعٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لاَ تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لاَ تُغْلَبُوا عَلَى صَلاَةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ ‏{وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ}‏ ‏.‏

জারীর বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বসা ছিলাম। তিনি পূর্ণিমার রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, অচিরেই তোমরা তোমাদের প্রভুকে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা এই চাঁদ দেখতে পাচ্ছো। তাঁকে দেখতে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না। ফাজ্‌র ও আসরের সলাতে তোমরা পরাভূত না হয়ে সামর্থ্যবান হলে তাই করো (সলাত কাযা করো না)। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ): “এবং তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে”-(সূরাহ কাফ ৫০ : ৩৯)। [১৭৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭৫] বুখারী ৫৫৪, ৪৮৫১, ৭৪৩৪, ৭৪৩৫, ৭৫৩৬; মুসলিম ৬৩৩, তিরমিযী ২৫৫১, আবূ দাঊদ ৩৭২৯, আহমাদ ১৮৭০৮, ১৮৭২৩, ১৮৭২৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى الرَّمْلِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَكَذَلِكَ لاَ تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পূর্ণিমার রাতের চাঁদ দেখতে তোমাদের কি কোন অসুবিধা হয়? তারা বলেন, না। তিনি বলেন, তদ্রূপ কিয়ামাতের দিন তোমাদের প্রভুর দর্শন লাভে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না। [১৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭৬] বুখারী ৮০৬, ৬৫৭৪, ৭৪৩৮, মুসলিম ১৮২, ২৯৬৮, তিরমিযী ২৫৪৯, ২৫৫৪, ২৫৫৭, আবূ দাঊদ ৪৭৩০, আহমাদ ৭৬৬০, ১০৫২৩, দারিমী ২৮০১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন ঈসা সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَرَى رَبَّنَا قَالَ ‏”‏ تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ فِي غَيْرِ سَحَابٍ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَتَضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فِي غَيْرِ سَحَابٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّكُمْ لاَ تَضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ إِلاَّ كَمَا تَضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِمَا ‏”‏ ‏.‏

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমারা কি আমাদের রবকে দেখতে পাবো? তিনি বলেন, তোমরা কি ঠিক দুপুরে মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখতে বাধাগ্রস্ত হও? আমরা বললাম, না। তিনি আবার বললেন, পূর্ণিমার রাতে মেঘমুক্ত আকাশে তোমাদের চাঁদ দেখতে কি অসুবিধা হয়? তারা বলেন, না। তিনি বলেন, ঐ দু’টি দেখতে তোমাদের যেমন কষ্ট হয় না, তদ্রূপ তাঁর দর্শন লাভেও তোমাদের কোন কষ্ট হবে না। [১৭৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭৭] আহমাদ ১০৭৩৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكُلُّنَا يَرَى اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ قَالَ ‏”‏ يَا أَبَا رَزِينٍ أَلَيْسَ كُلُّكُمْ يَرَى الْقَمَرَ مُخْلِيًا بِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاللَّهُ أَعْظَمُ وَذَلِكَ آيَتُهُ فِي خَلْقِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবু রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমরা কি কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌কে দেখতে পাবো এবং তাঁর সৃষ্টির মাঝে এর নিদর্শন কী? তিনি বললেন, হে আবু রযীন! তোমাদের প্রত্যেকে কি চাঁদকে পৃথকভাবে দেখতে পায় না? তিনি বলেন, আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেন, আল্লাহ্‌ অতীব মহান এবং এটাই হলো তাঁর সৃষ্টির মাঝে (তাঁর) নিদর্শন। [১৭৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭৮] আবূ দাঊদ ৭৪৩১, আহমাদ ১৫৭৫৩, ১৫৭৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ৪৫৯, ৪৬৩।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৮১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ ضَحِكَ رَبُّنَا مِنْ قُنُوطِ عِبَادِهِ وَقُرْبِ غِيَرِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَ يَضْحَكُ الرَّبُّ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ لَنْ نَعْدِمَ مِنْ رَبٍّ يَضْحَكُ خَيْرًا ‏.‏

আবু রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন আল্লাহ্‌র বান্দারা (সামান্য বিপদেই) হতাশ হয় এবং (বিপদ কেটে উঠার জন্য) আল্লাহ্‌ ভিন্ন অপরের নৈকট্য অন্বেষী হয়, তখন আমাদের প্রভু তার এ আচরণে হাসেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! মহান প্রভু কি হাসেন? তিনি বলেন, হাঁ। আমি বললাম, আমরা কখনো পুণ্যের কাজ ত্যাগ করবো না, যাতে আমাদের প্রভু হাসেন। [১৭৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭৯] আহমাদ ১৫৭৫৪, ১৫৭৬৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৩৫৮৫ যঈফ জিদ্দান, যিলালিল জান্নাহ ৫৫৪ যঈফ, সহীহা ৬/২৮১০ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ওয়াকী বিন হুদুস সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি। ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৮২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ كَانَ رَبُّنَا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ خَلْقَهُ قَالَ ‏ “‏ كَانَ فِي عَمَاءٍ مَا تَحْتَهُ هَوَاءٌ وَمَا فَوْقَهُ هَوَاءٌ ثُمَّ خَلَقَ الْعَرْشَ عَلَى الْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

আবু রাযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের প্রতিপালক তাঁর সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করার পূর্বে কোথায় ছিলেন? তিনি বলেন, মেঘমালার মধ্যে, যার নিচেও বায়ু ছিল না এবং উপরেও বায়ু পানি ছিল না। অতঃপর পানির উপর তিনি তাঁর আরশ সৃষ্টি করেন। [১৮০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮০] তিরমিযী ৩১০৯, আহমাদ ১৫৭৫৫, ১৫৭৬৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: তিরমিযী ৩১০৯ যঈফ, মিশকাত ৫৭২৫ যঈফ, যিললুল জান্নাহ ৬১২। উক্ত হাদিসের রাবী ওয়াকী বিন হুদুস সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইবনুল কাত্তান বলেন তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় নি। ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৩

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ الْمَازِنِيِّ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ إِذْ عَرَضَ لَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا ابْنَ عُمَرَ كَيْفَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَذْكُرُ فِي النَّجْوَى قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ يُدْنَى الْمُؤْمِنُ مِنْ رَبِّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يَضَعَ عَلَيْهِ كَنَفَهُ ثُمَّ يُقَرِّرُهُ بِذُنُوبِهِ فَيَقُولُ هَلْ تَعْرِفُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ أَعْرِفُ ‏.‏ حَتَّى إِذَا بَلَغَ مِنْهُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَبْلُغَ قَالَ إِنِّي سَتَرْتُهَا عَلَيْكَ فِي الدُّنْيَا وَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ الْيَوْمَ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ يُعْطَى صَحِيفَةَ حَسَنَاتِهِ أَوْ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ ‏.‏ قَالَ وَأَمَّا الْكَافِرُ أَوِ الْمُنَافِقُ فَيُنَادَى عَلَى رُءُوسِ الأَشْهَادِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ خَالِدٌ فِي ‏”‏ الأَشْهَادِ ‏”‏ ‏.‏ شَىْءٌ مِنِ انْقِطَاعٍ ‏.‏ ‏{هَؤُلاَءِ الَّذِينَ كَذَبُوا عَلَى رَبِّهِمْ أَلاَ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ}‏ ‏.‏

সফওয়ান বিন মুহ্রিয আল-মাযিনী থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমরা আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে বলেন, হে ইবনু উমার! আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একান্তে কথা বলা সম্পর্কে কিভাবে বলতে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : কিয়ামাতের দিন ঈমানদার ব্যক্তিকে তার প্রতিপালক প্রভুর খুব নিকটবর্তী করা হবে, এমনকি তিনি তার থেকে পর্দা সরিয়ে নিবেন, অতঃপর তার থেকে তার গুণাহসমূহের স্বীকারোক্তি আদায় করবেন। তিনি বলবেন : তুমি কি চিনতে পেরেছ? সে বলবে, হে প্রভু! হ্যাঁ, আমি চিনতে পেরেছি, এমনকি আল্লাহ্‌র মর্জিমাফিক সে স্বীকার করতে থাকবে। তিনি বলবেন, আমি তোমার এ গুণাহসমূহ দুনিয়াতে লুকিয়ে রেখেছি এবং আজ তোমার সেই গুণাহ ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর তার ডানহাতে তার সৎকাজের হিসাব সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রদান করা হবে। অপরদিকে কাফের ও মুনাফিকদের উপস্থিত সকলের সামনে ডাক দিয়ে বলা হবে, “এরাই তাদের প্রতিপালক প্রভুর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। সাবধান! জালিমদের প্রতি আল্লাহ্‌র অভিসম্পাত” – (সূরাহ হূদ ১১:১৮)। [১৮১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮১] বুখারী ২৪৪১, মুসলিম ২৭৬৮, আহমাদ ৫৪১৩, ৫৭৯১।

তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الْعَبَّادَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ الرَّقَاشِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ بَيْنَا أَهْلُ الْجَنَّةِ فِي نَعِيمِهِمْ إِذْ سَطَعَ لَهُمْ نُورٌ فَرَفَعُوا رُءُوسَهُمْ فَإِذَا الرَّبُّ قَدْ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ مِنْ فَوْقِهِمْ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ ‏.‏ قَالَ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ ‏{سَلاَمٌ قَوْلاً مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ}‏ قَالَ فَيَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَلاَ يَلْتَفِتُونَ إِلَى شَىْءٍ مِنَ النَّعِيمِ مَا دَامُوا يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ حَتَّى يَحْتَجِبَ عَنْهُمْ وَيَبْقَى نُورُهُ وَبَرَكَتُهُ عَلَيْهِمْ فِي دِيَارِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জান্নাতবাসীরা তাদের ভোগ-বিলাসে মশগুল থাকবে, এমতাবস্থায় তাদের সামনে একটি নূরের আলোকচ্ছটা বিচ্ছুরিত হবে। তারা তাদের মাথা তুলে দেখতে পাবে যে, তাদের মহান প্রভু তাদের উপর দিক থেকে উদ্ভাসিত হয়েছেন। তিনি বলবেন, হে জান্নাতবাসীগণ! আস্‌সালাম আলাইকুম (তোমাদের উপর অনন্ত শান্তি বর্যিত হোক)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এটাই হলো আল্লাহ্‌র বাণীর প্রমাণ (অনুবাদ) : “সালাম (অনন্ত শান্তি) পরম দয়ালু প্রভুর পক্ষ থেকে সম্ভাষণ”-(সূরাহ ইয়াসিন ৩৬ : ৫৮)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ্‌ তাআলা তাদের প্রতি তাকাবেন এবং তারাও তাঁর প্রতি অপলক নেত্রে তাকাবে। জান্নাতীরা যতক্ষণ আল্লাহ্‌র দীদারে মশগুল থাকবে ততক্ষণ তারা অন্য কোন ভোগ-বিলাসের প্রতি ফিরেও তাকাবে না। অবশেষে তিনি তার দৃষ্টি থেকে অন্তর্হিত হবেন এবং তাঁর নূর ও বারাকাত তাদের জন্য তাদের আবাসে অবারিত থাকবে। [১৮২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮২] দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ২৩৬৩ যঈফ, মিশকাত ৫৬৬৪ যঈফ, যঈফ তারগীব তারহীব মুনকার; তাখরীজুত তহাবীয়াহ ১৮২। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু আসিম আল আব্বাদানী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তাকে চিনি না। ২. ফাদলুর রুক্কাশী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস ও তার হাদিসে সন্দেহ আছে। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি পরিত্যাজ্য

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ عَنْ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ شَيْئًا قَدَّمَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ عَنْ أَيْسَرَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ شَيْئًا قَدَّمَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ أَمَامَهُ فَتَسْتَقْبِلُهُ النَّارُ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَّقِيَ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَلْيَفْعَلْ ‏”‏ ‏.‏

আদী বিন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সাথেই তার মহান প্রভু কথা বলবেন এবং তার ও প্রভুর মধ্যখানে কোন দোভাষী থাকবে না। সে তার ডান দিকে তাকালে তার কৃতকর্ম ব্যতীত কিছুই দেখবে না। সে তার বাম দিকে তাকালে তার কৃতকর্ম ব্যতীত কিছুই দেখবে না। সে তার সামনের দিকে তাকালে জাহান্নাম তাকে অভ্যর্থনা জানাবে। অতএব কারো জাহান্নামের আগুন থেকে আত্নরক্ষা করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন এক টুকরা খেজুর দান করে হলেও তাই করে। [১৮৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৩] বুখারী ১৪১৩, ১৪১৭, ৩৫৯৫, ৬০২৩, ৬৫২৯, ৬৫৬৩, ৭৪৪৩, ৭৫১২; মুসলিম ১০১৬/১,২,৩,৪; নাসায়ী ২৫৫২-৫৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ্ বিন কায়স আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দু’টি জান্নাত এবং তার পাত্রসমূহ ও অন্যান্য সব কিছুই হবে রূপার তৈরি। আরও দু’টি জান্নাত এবং তার পাত্রসমূহ ও অন্যান্য সব কিছুই হবে সোনার তৈরি। আদন নামক জান্নাতে জান্নাতীগণ ও তাদের বারাকাতময় মহান প্রভুর দীদার লাভের মাঝখানে তাঁর চেহারার উপর তাঁর গৌরবের চাদর ব্যতীত আর কোন প্রতিবন্ধক থাকবে না। [১৮৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৪] বুখারী ৪৮৭৮, মুসলিম ১৮০, তিরমিযী ২৫২৮, আহমাদ ১৯১৮৩, ১৯২৩২; দারিমী ২৮২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ تَلاَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ هَذِهِ الآيَةَ ‏{لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ}‏ وَقَالَ ‏”‏ إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ نَادَى مُنَادٍ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ إِنَّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ مَوْعِدًا يُرِيدُ أَنْ يُنْجِزَكُمُوهُ ‏.‏ فَيَقُولُونَ وَمَا هُوَ أَلَمْ يُثَقِّلِ اللَّهُ مَوَازِينَنَا وَيُبَيِّضْ وُجُوهَنَا وَيُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَيُنْجِنَا مِنَ النَّارِ قَالَ فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ فَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا أَعْطَاهُمُ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ وَلاَ أَقَرَّ لأَعْيُنِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

সুহায়ব (বিন সিনান) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) : “যারা কল্যাণকর কাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ ও আরো অধিক” – (সূরাহ য়ূনুস ১০ : ২৬)। অতঃপর তিনি বলেন, জান্নাতীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করার পর এক ঘোষণাকারী ডেকে বলবে : জান্নাতবাসীগণ! নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌ তাআলার একটি প্রতিশ্রুতি রয়েছে যা তিনি এখন পূর্ণ করবেন। তারা বলবে, তা কী? আল্লাহ্‌ তাআলা কি আমাদের (সৎ কর্মের) পাল্লা ভারী করেননি, আমাদের চেহারাগুলো আলোকিত করেননি, আমাদেরকে জান্নাতে দাখিল করেননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তখন আল্লাহ্‌ তাআলা আবরণ উন্মুক্ত করবেন এবং তারা তাঁর দিকে তাকাবে। আল্লাহ্‌র শপথ! আল্লাহ্‌ তাদেরকে তাঁর দীদারের চাইতে অধিক প্রিয় ও অধিক নয়নপ্রীতিকর আর কিছু দান করেননি। [১৮৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৫] মুসলিম ১৮১, তিরমিযী ২৫৫২, ৩১০৫; আহমাদ ১৮৪৫৬, ১৮৪৬২, ২৩৭০৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَسِعَ سَمْعُهُ الأَصْوَاتَ، لَقَدْ جَاءَتِ الْمُجَادِلَةُ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ تَشْكُو زَوْجَهَا وَمَا أَسْمَعُ مَا تَقُولُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏{قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا}‏ ‏.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য যিনি সব রকমের ডাক শুনেন। এক মহিলা তার অভিযোগ নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসে। তখন আমি ঘরের এক কোণে অবস্থানরত ছিলাম। সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, কিন্তু আমি তার বক্তব্য শুনতে পাইনি। তখন আল্লাহ্‌ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) : “আল্লাহ্‌ অবশ্যই সেই নারীর কথা শুনেছেন, যে তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সাথে বাদানুবাদ করছে … ” -(সূরাহ মুজাদালা ৫৮ : ১)। [১৮৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৬] নাসায়ী ৩৪৬০ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ৬২৫, ইরওয়াহ ৭/১৭৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ بِيَدِهِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الْخَلْقَ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের প্রতিপালক সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টির পূর্বেই তাঁর হাতে তাঁর নিজের ব্যাপারে লিপিবদ্ধ করেন : আমার দয়া আমার ক্রোধের উপর অগ্রবর্তী হয়েছে। [১৮৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৭] বুখারী ৩১৯৪, মুসলিম ২৭৫১/১,২; তিরমিযী ৩৫৪৩, আহমাদ ৭৪৪৮, ৭৪৭৬, ২৭৩৪৩, ৮৪৮৫, ৮৭৩৫, ৮৯১৪, ৯৩১৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৬২৯।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৯০

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ الْحَرَامِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ يَوْمَ أُحُدٍ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏”‏ يَا جَابِرُ أَلاَ أُخْبِرُكَ مَا قَالَ اللَّهُ لأَبِيكَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ يَحْيَى فِي حَدِيثِهِ فَقَالَ ‏”‏ يَا جَابِرُ مَالِي أَرَاكَ مُنْكَسِرًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتُشْهِدَ أَبِي وَتَرَكَ عِيَالاً وَدَيْنًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَلاَ أُبَشِّرُكَ بِمَا لَقِيَ اللَّهُ بِهِ أَبَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا كَلَّمَ اللَّهُ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ وَكَلَّمَ أَبَاكَ كِفَاحًا ‏.‏ فَقَالَ يَا عَبْدِي تَمَنَّ عَلَىَّ أُعْطِكَ ‏.‏ قَالَ يَا رَبِّ تُحْيِينِي فَأُقْتَلُ فِيكَ ثَانِيَةً ‏.‏ فَقَالَ الرَّبُّ سُبْحَانَهُ إِنَّهُ سَبَقَ مِنِّي أَنَّهُمْ إِلَيْهَا لاَ يَرْجِعُونَ ‏.‏ قَالَ يَا رَبِّ فَأَبْلِغْ مَنْ وَرَائِي ‏.‏ قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ}‏ ‏”‏ ‏.‏

তালহাহহ্ বিন খিরাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি জাবির বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি: উহূদের যুদ্ধের দিন আবদুল্লাহ্ বিন আম্‌র বিন হারাম (রাঃ) শহীদ হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বলেন, হে জাবির! আল্লাহ্‌ তাআলা তোমার পিতা সম্পর্কে যা বলেছেন, আমি কি তোমাকে তা অবহিত করবো না? ইয়াহইয়া (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে : রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে জাবির! আমার কী হলো, আমি তোমাকে ভগ্ন হৃদয় দেখছি কেন? জাবির (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার পিতা শহীদ হয়েছেন এবং তিনি অনেক সন্তান ও ঋণের বোঝা রেখে গেছেন। তিনি বলেন, আমি কি তোমাকে সুসংবাদ দিবো না যে, আল্লাহ্‌ তাআলা তোমার পিতার সাথে কিভাবে সাক্ষাৎ করেছেন? তিনি বলেন, অবশ্যই, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বলেন, আল্লাহ্‌ তাআলা কখনো অন্তরাল ছাড়া কারো সাথে কথা বলেননি, কিন্তু তোমার পিতার সাথে অন্তরাল ছাড়াই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, কে আমার বান্দা! আমার কাছে কামনা করো, আমি তোমাকে দান করবো। তোমার পিতা বললো, হে প্রভু! আমাকে জীবন দান করুন, যাতে আমি আপনার রাস্তায় পুনরায় শহীদ হতে পারি। মহান ও পবিত্র প্রতিপালক আল্লাহ্‌ বলেন, আমি তো আগেই লিপিবদ্ধ করে দিয়েছি যে, লোকেরা (মৃত্যুর পর) (পৃথিবীতে) ফিরে যাবে না। তোমার পিতা বললো, হে প্রভু! তাহলে আমার পশ্চাতবর্তীদের কাছে (আমার সৌভাগ্যের) এ খবর পৌঁছে দিন। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ্‌ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ): “যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদের কখনো মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তারা তাদের প্রভুর নিকট থেকে জীবিকাপ্রাপ্ত”-(সূরাহ আল ইমরান: ৩ :১৬৯)। [১৮৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৮] বুখারী ৭৪৪৪, তিরমিযী ৩০১০, দারিমী ২৮২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ৬০২। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন ইবরাহীম সম্পর্কে ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থন করলেও ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يَضْحَكُ إِلَى رَجُلَيْنِ يَقْتُلُ أَحَدُهُمَا الآخَرَ كِلاَهُمَا دَخَلَ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُ هَذَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُسْتَشْهَدُ ثُمَّ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَى قَاتِلِهِ فَيُسْلِمُ فَيُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُسْتَشْهَدُ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাআলা দু’ ব্যক্তিকে দেখে হাসবেন, যাদের একজন অপরজনকে হত্যা করার পর দু’জনই জান্নাতবাসী হবে। তাদের একজন আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হবে। অতঃপর আল্লাহ্‌ তাআলা হত্যাকারীর তাওবাহ কবূল করবেন, ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হবে। [১৮৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮৯] বুখারী ২৮২৬, মুসলিম ১৮৯০/১,২; নাসায়ী ৩১৬৫-৬৬, আহমাদ ৭২৮২, ২৭৪৪৬, ৯৬৫৭, ১০২৫৮, মুওয়াত্ত্বা মালিক ১০০০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১০৭৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯২

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يَقْبِضُ اللَّهُ الأَرْضَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَطْوِي السَّمَاءَ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্‌ তাআলা কিয়ামাতের দিন যমীন ও আসমানকে গুটিয়ে তাঁর ডান হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে বলবেন : আমিই রাজাধিরাজ, পৃথিবীর রাজা-বাদশারা (আজ) কোথায়? [১৯০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯০] বুখারী ৪৮১২, ৭৩৮২, ৭৪১৩; মুসলিম ২৭৮৭, আহমাদ ৮৬৪৬, দারিমী ২৭৯৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিলাল ৫৪৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمِيرَةَ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ كُنْتُ بِالْبَطْحَاءِ فِي عِصَابَةٍ وَفِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَرَّتْ بِهِ سَحَابَةٌ فَنَظَرَ إِلَيْهَا فَقَالَ ‏”‏ مَا تُسَمُّونَ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا السَّحَابُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالْمُزْنُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُزْنُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالْعَنَانُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ قَالُوا وَالْعَنَانُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ كَمْ تَرَوْنَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ السَّمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ نَدْرِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا إِمَّا وَاحِدًا أَوِ اثْنَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا وَسَبْعِينَ سَنَةً وَالسَّمَاءُ فَوْقَهَا كَذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ ‏”‏ ثُمَّ فَوْقَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَعْلاَهُ وَأَسْفَلِهِ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ أَظْلاَفِهِنَّ وَرُكَبِهِنَّ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ عَلَى ظُهُورِهِنَّ الْعَرْشُ بَيْنَ أَعْلاَهُ وَأَسْفَلِهِ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ اللَّهُ فَوْقَ ذَلِكَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ‏”‏ ‏.

আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বাতহা নামক স্থানে একদল লোকের সাথে ছিলাম এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও তাদের সাথে ছিলেন। তখন একখণ্ড মেঘ তাকে অতিক্রম করে। তিনি মেঘখণ্ডের দিকে তাকিয়ে বলেন, তোমরা এটাকে কী নামে অভিহিত করো? তারা বলেন, মেঘ। তিনি বলেন, এবং মুয্‌ন। তারা বলেন, মুয্‌নও বটে। তিনি বলেন, আনানও। আবু বাক্‌র (রাঃ) বলেন, তারা সবাই বললেন, আনানও বটে। তিনি বলেন, তোমাদের ও আস’মানের মাঝে তোমরা কত দূরত্ব মনে করো? তারা বলেন, আমরা অবগত নই। তিনি বলেন, তোমাদের ও আসমা’নের মাঝে ৭১ বা ৭২ বা ৭৩ বছরের দূরত্ব রয়েছে। এক আসমান থেকে তার ঊর্ধ্বের আস’মানের দূরত্বও তদ্রূপ। এভাবে তিনি সাত আস’মানের সংখ্যা গণনা করেন। অতঃপর সপ্তম আকাশের উপর একটি সমুদ্র আছে যার শীর্ষভাগ ও নিম্নভাগের মধ্যকার ব্যবধান (গভীরতা) দু’ আস’মানের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তার উপর রয়েছেন আটজন ফেরেশ্‌তা, যাদের পায়ের পাতা ও হাঁটুর মধ্যকার ব্যবধান দু’ আসমা’নের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তাদের পিঠের উপরে আল্লাহ্‌র আরশ অবস্থিত, যার উপর ও নিচের ব্যবধান (উচ্চতা) দু’ আসমা’নের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তার উপরে রয়েছেন বরকতময় মহান আল্লাহ্। [১৯১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯১] তিরমিযী ৩৩২০, আবূ দাঊদ ৪৭২৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ৪৭২৩ যঈফ, মিশকাত ৫৭২৬ যঈফ, যঈফা ১২৪৭, যিলালুল জান্নাহ ৫৭৭। উক্ত হাদিসের রাবী ওয়ালীদ বিন আবু সাওর আল হামদানী সম্পর্কে ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন ও মুনকারুল হাদিস। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান ও সাকিহ জাযারাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতীম আর-রাযী বলেন, তার থেকে যাচাই করে হাদিস লিখা যায়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৪

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَضَى اللَّهُ أَمْرًا فِي السَّمَاءِ ضَرَبَتِ الْمَلاَئِكَةُ أَجْنِحَتَهَا خِضْعَانًا لِقَوْلِهِ كَأَنَّهُ سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ قَالَ فَيَسْمَعُهَا مُسْتَرِقُو السَّمْعِ بَعْضُهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ فَيَسْمَعُ الْكَلِمَةَ فَيُلْقِيهَا إِلَى مَنْ تَحْتَهُ فَرُبَّمَا أَدْرَكَهُ الشِّهَابُ قَبْلَ أَنْ يُلْقِيَهَا إِلَى الَّذِي تَحْتَهُ فَيُلْقِيهَا عَلَى لِسَانِ الْكَاهِنِ أَوِ السَّاحِرِ فَرُبَّمَا لَمْ يُدْرَكْ حَتَّى يُلْقِيَهَا فَيَكْذِبُ مَعَهَا مِائَةَ كَذْبَةٍ فَتَصْدُقُ تِلْكَ الْكَلِمَةُ الَّتِي سُمِعَتْ مِنَ السَّمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ্‌ তাআলা আসমা’নে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা জারী করলে মালায়িকাহ বিনয়াবনত হয়ে তাদের পাখাসমূহ দোলাতে থাকেন। ফলে তা থেকে মসৃণ পাথরের উপর জিঞ্জিরের আঘাতের আওয়াজের অনুরূপ আওয়াজ হতে থাকে। “অতঃপর তাদের অন্তরের ভীতিকর অবস্থা দূরীভূত হলে তারা পরস্পর জিজ্ঞেস করেন, তোমাদের রব কী বলেছেন? তারা বলেন, তিনি সত্যই বলেছেন। তিনি সমুচ্চ মহান” – (সূরাহ সাবা ৩৪ : ২৩)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তাদের পারস্পারিক আলোচনা শয়তান ওৎ পেতে শোনে এবং ভূপৃষ্ঠে অবস্থানকারী তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের কাছে তা পৌঁছে দেয়। কখনো তা নিম্নে অবস্থানকারীদের কাছে পৌঁছানোর পূর্বে তাদের প্রতি উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপ করা হয়। শ্রুত কথা তারা পৃথিবীতে এসে গণক বা যাদুকরের মুখে ঢেলে দেয়। আবার কখনো তারা কিছুই শুনতে পায় না, বরং (নিজেদের পক্ষ থেকে) তা গণক ও যাদুকরের মুখে তাদের কথার সাথে শত মিথ্যা যোগ করে ঢেলে দেয়। তাই কেবল সত্য সেটিই হয় যা তারা আসমান থেকে শোনে। [১৯২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯২] বুখারী ৪৭০১, ৪৮০০, ৭৪৮১; তিরমিযী ৩২২৩, আবূ দাঊদ ৩৯৮৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৩/২৮৩। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ يَخْفِضُ الْقِسْطَ وَيَرْفَعُهُ يُرْفَعُ إِلَيْهِ عَمَلُ اللَّيْلِ قَبْلَ عَمَلِ النَّهَارِ وَعَمَلُ النَّهَارِ قَبْلَ عَمَلِ اللَّيْلِ حِجَابُهُ النُّورُ لَوْ كَشَفَهُ لأَحْرَقَتْ سُبُحَاتُ وَجْهِهِ مَا انْتَهَى إِلَيْهِ بَصَرُهُ مِنْ خَلْقِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচটি বিষয় নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়ালেন। তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ঘুমান না এবং ঘুমানো তাঁর জন্য সঙ্গতও নয়। তিনি মীযান (তুলাদণ্ড) নীচু করেন এবং উঁচু করেন। রাতের কর্মকাণ্ড দিনের কর্মকাণ্ডের পূর্বেই এবং দিনের কর্মকাণ্ড রাতের কর্মকাণ্ডের পূর্বেই তাঁর নিকট পৌঁছানো হয়। তাঁর পর্দা হচ্ছে নূর (জ্যোতি)। তিনি তাঁর পর্দা তুলে নিলে তাঁর চেহারার জ্যোতি বা মহিমা তাঁর সৃষ্টির দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত সব কিছু ভস্মীভূত করে দিত। [১৯৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯৩] মুসলিম ১৭৯/১,২; আহমাদ ১৯০৩৬, ১৯০৯০, ১৯১৩৫; ইবনু মাজাহ ১৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিলাল ৬১৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ يَخْفِضُ الْقِسْطَ وَيَرْفَعُهُ حِجَابُهُ النُّورُ لَوْ كَشَفَهَا لأَحْرَقَتْ سُبُحَاتُ وَجْهِهِ كُلَّ شَىْءٍ أَدْرَكَهُ بَصَرُهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ أَبُو عُبَيْدَةَ ‏{أَنْ بُورِكَ مَنْ فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ}‏ ‏.‏

আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ঘুমান না এবং ঘুমানো তাঁর জন্য শোভাও পায় না। তিনি দাঁড়িপাল্লা উঠা-নামা করান। তাঁর পর্দা হলো নূর। তিনি তাঁর পর্দা তুলে নিলে তাঁর চেহারার জ্যোতি (বা মহিমা) মানুষের দৃষ্টিসীমার সব কিছুকে জ্বালিয়ে দিত। অধস্তন রাবী আবু উবায়দাহ (রহঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেন : “ধন্য তারা যারা আছে এ আলোর মাঝে এবং যারা আছে তার চারপাশে। জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্‌ পবিত্র ও মহিমান্বিত” (সূরাহ নামল : ৮) [১৯৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯৪] মুসলিম ১৭৯/১,২; আহমাদ ১৯০৩৬, ১৯০৯০, ১৯১৩৫; ইবনু মাজাহ ১৯৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আল-মাসউদী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন তিনি সিকাহ তবে মৃত্যুর পূর্বে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ يَمِينُ اللَّهِ مَلأَى لاَ يَغِيضُهَا شَىْءٌ سَحَّاءُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الْمِيزَانُ يَرْفَعُ الْقِسْطَ وَيَخْفِضُهُ قَالَ أَرَأَيْتَ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَإِنَّهُ لَمْ يَنْقُصْ مِمَّا فِي يَدَيْهِ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ্‌র ডান হাত পরিপূর্ণ, কোন কিছুই তার পূর্ণতাকে হ্রাস করতে পারে না। তিনি রাত-দিন অবধারিত দান করেন। তাঁর অপর হাতে রয়েছে তুলাদন্ড। তিনি তুলাদন্ড উঠানামা করান। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি কি দেখো না যে, আল্লাহ্‌ আসমান-যমীন সৃষ্টির সূচনা থেকে অবাধে খরচ করছেন, তারপরও তাতে তাঁর হাতে যা আছে তার সামান্যও কমেনি। [১৯৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯৫] বুখারী ৪৬৮৪, মুসলিম ৯৯৩, তিরমিযী ৩০৪৫, আহমাদ ৭২৫৬, ২৭৩৫৭, ১০১২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিলাল ৭৮০। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৮

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ ‏ “‏ يَأْخُذُ الْجَبَّارُ سَمَوَاتِهِ وَأَرْضَهُ بِيَدِهِ – وَقَبَضَ بِيَدِهِ فَجَعَلَ يَقْبِضُهَا وَيَبْسُطُهَا – ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْجَبَّارُ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَيَتَمَيَّلُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى الْمِنْبَرِ يَتَحَرَّكُ مِنْ أَسْفَلِ شَىْءٍ مِنْهُ حَتَّى إِنِّي أَقُولُ أَسَاقِطٌ هُوَ بِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ

আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ (কিয়ামাতের দিন) আসমান ও যমীনসমূহকে ধরে তাঁর হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে নিবেন। তিনি তাঁর হাত সংকুচিত করবেন এবং সম্প্রসারিত করবেন, অতঃপর বলবেনঃ “আমি মহাপ্রতাপশালী। দাম্ভিকরা কোথায়?” রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডানদিক ও বামদিকে ঝুঁকতে থাকলেন, এমনকি আমি দেখলাম যে, মিম্বারটি নিচে থেকে আন্দোলিত হচ্ছে। আমি ভাবলাম, মিম্বারটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমেত উল্টে পড়ে যাবে না তো! [১৯৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯৬] বুখারী ৭৪১৩, মুসলিম ২৭৮৮/১,২; আবূ দাঊদ ৪৭৩২, দারিমী ২৭৯৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিলাল ৫৪৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৯

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ بُسْرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَنِي النَّوَّاسُ بْنُ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ مَا مِنْ قَلْبٍ إِلاَّ بَيْنَ إِصْبَعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ الرَّحْمَنِ إِنْ شَاءَ أَقَامَهُ وَإِنْ شَاءَ أَزَاغَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ يَا مُثَبِّتَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قُلُوبَنَا عَلَى دِينِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالْمِيزَانُ بِيَدِ الرَّحْمَنِ يَرْفَعُ أَقْوَامًا وَيَخْفِضُ آخَرِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

আন-নাওওয়াস বিন সামআন আল-কিলাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ প্রতিটি অন্তঃকরণ দয়াময় আল্লাহ্‌র দু’ আঙ্গুলের মাঝখানে অবস্থিত। তিনি চাইলে তা সোজা পথে প্রতিষ্ঠিত রাখেন এবং তিনি চাইলে তা বক্র পথে চালিত করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ ”হে অন্তরসমূহের স্থিরতাদানকারী! আমাদের অন্তরসমূহকে আপনার দ্বীনের উপর স্থির রাখুন।” তিনি আরো বলেন, তুলাদন্ডও দয়াময় আল্লাহ্‌র হাতে। তিনি কিয়ামত পর্যন্ত কোন সম্প্রদায়কে উন্নত করবেন এবং কোন সম্প্রদায়কে অবনত করবেন। [১৯৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯৭] আহমাদ ১৭১৭৮ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২০৯১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ أَبِي الْوَدَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ لَيَضْحَكُ إِلَى ثَلاَثَةٍ لِلصَّفِّ فِي الصَّلاَةِ وَلِلرَّجُلِ يُصَلِّي فِي جَوْفِ اللَّيْلِ وَلِلرَّجُلِ يُقَاتِلُ – أُرَاهُ قَالَ – خَلْفَ الْكَتِيبَةِ ‏”‏ ‏.‏

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তিনটি বিষয়ে হাসেন (আনন্দিত হন)ঃ সলাতের কাতারের জন্য, যে ব্যক্তি গভীর রাতে সলাতরত থাকে এবং যে ব্যক্তি সৈন্যবাহিনীকে পিছু হটতে দেখেও জিহাদরত থাকে।’ [১৯৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯৮] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ৩১০৩। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আব্দুল্লাহ বিন ইসমাঈল সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আবু হাতীম আর-রাযী ও ইমাম যাহাবী বলেন তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ২. মুজালিদ (বিন সাঈদ বিন উমায়র) সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল তেমন সমস্যা নেই। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عُثْمَانَ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ الثَّقَفِيَّ – عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَعْرِضُ نَفْسَهُ عَلَى النَّاسِ فِي الْمَوْسِمِ فَيَقُولُ ‏ “‏ أَلاَ رَجَلٌ يَحْمِلُنِي إِلَى قَوْمِهِ فَإِنَّ قُرَيْشًا قَدْ مَنَعُونِي أَنْ أُبَلِّغَ كَلاَمَ رَبِّي ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের মৌসুমে নিজেকে লোকদের সামনে পেশ করতেন এবং বলতেনঃ কুরায়শরা আমাকে আমার প্রভুর কালাম প্রচারে বাধা দিচ্ছে। তোমাদের মাঝে এমন কে আছে যে আমাকে তার গোত্রের কাছে নিরাপদে নিয়ে যাবে? [১৯৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯৯] তিরমিযী ২৯২৫, আবূ দাঊদ ৪৭৩৪, আহমাদ ১৪৭৭০, দারিমী ৩৩৫৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৯৪৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَزِيرُ بْنُ صَبِيحٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ حَلْبَسٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى ‏{كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ}‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مِنْ شَأْنِهِ أَنْ يَغْفِرَ ذَنْبًا وَيُفَرِّجَ كَرْبًا وَيَرْفَعَ قَوْمًا وَيَخْفِضَ آخَرِينَ ‏”‏ ‏.‏

আবুদ-দারদা’ (ঊওয়াইমির বিন মালিক) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্‌র বানীঃ “তিনি প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ কাজে রত”-(সুরাহ আর-রহমান ৫৫ : ২৯) সম্পর্কে বলেন, আল্লাহ্‌র কাজের মধ্যে তিনি গুনাহ ক্ষমা করেন, বিপদাপদ দূর করেন, এক দলকে উন্নীত করেন এবং অপর দলকে অবনমিত করেন। [২০০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০০] হাসান। তাখরীজ আলবানী: যিলাল ৩০১। উক্ত হাদিসের রাবী আল ওয়াযীর বিন সাবীহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র তিনি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। দুহাইয়ম বলেন কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি কোন উৎকৃষ্ট নীতি বা নিন্দনীয় নীতির প্রচলন করে।

২০৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً فَعُمِلَ بِهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهَا وَمِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا لاَ يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ سَنَّ سُنَّةً سَيِّئَةً فَعُمِلَ بِهَا كَانَ عَلَيْهِ وِزْرُهَا وَوِزْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِهِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

জারীর বিন আব্দুল্লাহ বিন জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন উত্তম পন্থার প্রচলন করলো এবং লোকে তদানুযায়ী কাজ করলো, তার জন্য তার নিজের পুরস্কার রয়েছে, উপরন্তু যারা তদানুযায়ী কাজ করেছে তাদের সমপরিমাণ পুরস্কারও সে পাবে, এতে তাদের পুরস্কার মোটেও হ্রাস পাবে না। আর যে ব্যক্তি কোন মন্দ প্রথার প্রচলন করলো এবং লোকেরা তদানুযায়ী কাজ করলো, তার জন্য তার নিজের পাপ তো আছেই, উপরন্তু যারা তদানুযায়ী কাজ করেছে, তাদের সমপরিমাণ পাপও সে পাবে, এতে তাদের পাপ থেকে মোটেও হ্রাস পাবে না। [২০১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০১] মুসলিম ১০১৭, তিরমিযী ২৬৭৫, নাসায়ী ২৫৫৪, আহমাদ ১৮৬৭৫, ১৮৬৯৩, ১৮৭০১; দারিমী ৫১২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَحَثَّ عَلَيْهِ فَقَالَ رَجُلٌ عِنْدِي كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ فَمَا بَقِيَ فِي الْمَجْلِسِ رَجُلٌ إِلاَّ تَصَدَّقَ عَلَيْهِ بِمَا قَلَّ أَوْ كَثُرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنِ اسْتَنَّ خَيْرًا فَاسْتُنَّ بِهِ كَانَ لَهُ أَجْرُهُ كَامِلاً وَمِنْ أُجُورِ مَنِ اسْتَنَّ بِهِ وَلاَ يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنِ اسْتَنَّ سُنَّةً سَيِّئَةً فَاسْتُنَّ بِهِ فَعَلَيْهِ وِزْرُهُ كَامِلاً وَمِنْ أَوْزَارِ الَّذِينَ اسْتَنَّ بِهِ وَلاَ يَنْقُصُ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি (সাহায্যের জন্য) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলে তিনি তাকে সাহায্য করার জন্য (লোকেদের) উৎসাহিত করলেন। এক ব্যক্তি বললো, আমার পক্ষ থেকে এই এই পরিমাণ। রাবী বলেন, উক্ত মজলিসে এমন কেউ অবশিষ্ট রইল না, যে কম বেশি কিছু ঐ ব্যক্তিকে দান করেনি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যক্তি কোন উত্তম পন্থার প্রচলন করলে এবং তদানুযায়ী কাজ করা হলে সে তার পূর্ণ প্রতিদান পাবে এবং যারা সেই পন্থা অনুসরণ করে তাদের সমপরিমাণ পুরস্কারও ঐ ব্যক্তি পাবে, এতে তাদের প্রতিদানে কোন ঘাটতি হবে না। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি কোন মন্দ পন্থার প্রচলন করলে এবং তদানুযায়ী কাজ করা হলে পূর্ণ পাপের বোঝা তার উপর বর্তাবে এবং যারা উক্ত পন্থার অনুসরণ করবে তাদের সমপরিমাণ পাপও ঐ ব্যক্তির উপর বর্তাবে, এতে তাদের পাপের বোঝা মোটেও হালকা হবে না। [২০২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০২] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালাকুর রগীর ১/৪৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ أَيُّمَا دَاعٍ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ فَاتُّبِعَ فَإِنَّ لَهُ مِثْلَ أَوْزَارِ مَنِ اتَّبَعَهُ وَلاَ يَنْقُصُ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا وَأَيُّمَا دَاعٍ دَعَا إِلَى هُدًى فَاتُّبِعَ فَإِنَّ لَهُ مِثْلَ أُجُورِ مَنِ اتَّبَعَهُ وَلاَ يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে কোন আহবানকারী ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করলে তার অনুসরণকারীদের সমপরিমাণ পাপ তার উপর বর্তাবে এবং তাতে তার অনুসরণকারীদের পাপের বোঝা মোটেও হালকা হবে না। আবার যে কোন ব্যক্তি সৎপথের দিকে আহবান করলে সে তার অনুসরণকারীদের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে এবং এতে তাদের সাওয়াব মোটেই হ্রাসপ্রাপ্ত হবে না। [২০৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০৩] তিরমিযী ৩২২৮, দারিমী ৫১৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

২০৬

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنِ اتَّبَعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ فَعَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنِ اتَّبَعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি হিদায়াতের দিকে ডাকে, সে তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে এবং তাতে তার অনুসারীদের পুরস্কারে কোনরূপ ঘাটতি হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করে, তার জন্য তার অনুসারীদের সমপরিমাণ গুনাহ হয় এবং এতে তার অনুসারীদের পাপের বোঝা কিছুমাত্র কমবে না। [২০৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০৪] মুসলিম ২৬৭৪, তিরমিযী ২৬৭৪, আবূ দাঊদ ৪৬০৯, দারিমী ৫১৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৮৬৫। উক্ত হাদিসের রাবী আলা বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ তার খারাফি সম্পর্কে কারো থেকে কোন কিছু শুনিনি। ইমাম তিরমিযি বলেন, হাদিস বিশারদদের নিকট তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদি বলেন, আমি কোন সমস্যা দেখি না। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كَانَ لَهُ أَجْرُهَا وَمِثْلُ أُجُورِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ سَنَّ سُنَّةً سَيِّئَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كَانَ عَلَيْهِ وِزْرُهُ وَمِثْلُ أَوْزَارِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আবু জুহাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি কোন ভাল প্রথার প্রচলন করলে এবং তার পরে তদনুসারে কাজ করলে তার জন্য এ কাজের পুরস্কার রয়েছে, অধিকন্তু তার অনুসারীদের সমপরিমাণ পুরস্কারও রয়েছে। অবশ্য তাতে তাদের পুরস্কারে কোন ঘাটতি হবে না। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি কোন মন্দ প্রথার প্রচলন করলে এবং তার পরে তদানুযায়ী কাজ করা হলে তার জন্য এ কাজের গুনাহ রয়েছে এবং যারা তদনুসারে কাজ করবে, তাদের গুনাহের সমপরিমাণ তার উপর বর্তাবে, এতে তাদের গুনাহের পরিমাণ কিছুই কমবে না। [২০৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২০৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى شَىْءٍ إِلاَّ وُقِفَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَزِمًا لِدَعْوَتِهِ مَا دَعَا إِلَيْهِ وَإِنْ دَعَا رَجُلٌ رَجُلاً ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি কোন জিনিসের (মতবাদের) দিকে আহবান করলে কিয়ামাতের দিন তাকে সেই আহবানসহ দাঁড় করানো হবে, সে মাত্র এক ব্যক্তিকে আহবান করে থাকলেও। [২০৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০৬] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: তারগীব ৪৩ যঈফ, তালাকুল রগীব ১/৫০, যিলালুল জান্নাহ ১১২। উক্ত হাদিসের রাবী লায়স সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেব। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু হাতিম এবং আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি কোন বিলুপ্ত সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করে তার বিনিময় যা পাবে

২০৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحْيَا سُنَّةً مِنْ سُنَّتِي فَعَمِلَ بِهَا النَّاسُ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا لاَ يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنِ ابْتَدَعَ بِدْعَةً فَعُمِلَ بِهَا كَانَ عَلَيْهِ أَوْزَارُ مَنْ عَمِلَ بِهَا لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَوْزَارِ مَنْ عَمِلَ بِهَا شَيْئًا ‏”‏ ‏

আম্‌র বিন আওফ আয-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আমার একটি (মৃত) সুন্নাত জীবিত করলো এবং লোকেরা তদানুযায়ী আমাল করলো, সেও আমালকারীদের সমপরিমাণ পুরস্কার পাবে এবং তাতে আমালকারীদের পুরস্কার আদৌ হ্রাস পাবে না। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি বিদ‘আতের প্রচলন করলে এবং তদানুযায়ী আমাল করা হলে তার উপর আমালকারীদের সমপরিমাণ পাপ বর্তাবে এবং তাতে আমালকারীদের পাপের বোঝা আদৌ হালকা হবে না। [২০৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০৭] তিরমিযী ২৬৭৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, সাওরীর হাদিস বর্ণনায় পরিবর্তন করেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে সিকাহ বললেও আহমাদ বিন সালিহ আল-মিসরী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি

  •  সরাসরি

২১০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ أَحْيَا سُنَّةً مِنْ سُنَّتِي قَدْ أُمِيتَتْ بَعْدِي فَإِنَّ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلَ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنَ النَّاسِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِ النَّاسِ شَيْئًا وَمَنِ ابْتَدَعَ بِدْعَةً لاَ يَرْضَاهَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ فَإِنَّ عَلَيْهِ مِثْلَ إِثْمِ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنَ النَّاسِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ آثَامِ النَّاسِ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏

আমর বিন আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আমার (মৃত্যুর) পরে বিলুপ্ত হওয়া আমার কোন সুন্নাত জীবিত করলো, সে তদানুযায়ী আমালকারীদের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে এবং তাতে আমালকারীদের সামান্যও হ্রাস পাবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এমন কোন বিদ‘আতের প্রচলন করলো, যার প্রতি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূল সন্তুষ্ট নন, তার উপর বিদ‘আত অনুসরণকারীদের সমপরিমাণ গুনাহ বর্তাবে এবং তাতে অনুসরণকারীদের পাপের পরিমান কিছুই হ্রাস পাবে না। [২০৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০৮] তিরমিযী ২৬৭৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৯৬৫ যঈফ, ৫৩৫৯ যঈফ জিদ্দান, তিরমিযী ২৬৭৭ যঈফ, মিশকাত ১৬৮ যঈফ, তারগীব ৩ ,৪২ যঈফ জিদ্দান, যিলালুল জান্নাহ ৪২ মিশকাত ১৬৮। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসমাঈল বিন আবু উওয়ারস সম্পর্কে ইমাম নাসাঈ ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনার ব্যপারে অমনোযোগী। ২. ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন অথবা মিথ্যার একটি রুকন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের অন্যতম সদস্য।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৩৭. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি কুরআন মাজীদ শিক্ষা করে এবং তা শিক্ষা দেয় তার সম্মান

২১১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَسُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ شُعْبَةُ ‏”‏ خَيْرُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ سُفْيَانُ ‏”‏ أَفْضَلُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ ‏”‏ ‏.‏

উসমান বিন আফ্‌ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে তা শিক্ষা দেয়, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম ও অধিক মর্যাদাবান। [২০৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০৯] বুখারী ৫০২৭-২৮, তিরমিযী ২৯০৭-৮, আবূ দাঊদ ১৪৫২, আহমাদ ৪০৭, ৪১৪, ৫০২; দারিমী ৩৩৩৮, ইবনু মাজাহ ২১২, সহীহাহ্ ১১৭৩, সহীহ আবূ দাউদ ১৩০৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَفْضَلُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ ‏”‏ ‏.‏

উসমান বিন আফ্‌ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং তা অপরকে শিক্ষা দেয়, সেই তোমাদের মধ্যে অধিক মর্যাদাবান। [২১০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১০] বুখারী ৫০২৭-২৮, তিরমিযী ২৯০৭-৮, আবূ দাঊদ ১৪৫২, আহমাদ ৪০৭, ৪১৪, ৫০২; দারিমী ৩৩৩৮, ইবনু মাজাহ ২১১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৩

حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ نَبْهَانَ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ خِيَارُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَأَخَذَ بِيَدِي فَأَقْعَدَنِي مَقْعَدِي هَذَا أُقْرِئُ ‏.‏

সা‘দ বিন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং তা অপরকে শিক্ষা দেয়, সেই তোমাদের মধ্যে উত্তম। রাবী বলেন, তিনি আমার হাত ধরে আমাকে এই স্থানে বসালেন এবং বললেন, ইনি সর্বাপেক্ষা বড় কারী। [২১১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১১] দারিমী ৩৩৩৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হারিস বিন নাবহান সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস লিখা হয় না। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইমাম নাসাই বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখানযোগ্য। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الأُتْرُجَّةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَرِيحُهَا طَيِّبٌ وَمَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ التَّمْرَةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَلاَ رِيحَ لَهَا وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الرَّيْحَانَةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الْحَنْظَلَةِ طَعْمُهَا مُرٌّ وَلاَ رِيحَ لَهَا ‏”‏ ‏.‏

আবু মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কুরআন তিলাওয়াতকারী মু’মিন ব্যক্তি কমলালেবু তুল্য, যা খেতে সুস্বাদু ও সুগন্ধিযুক্ত। যে মু’মিন ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে না, সে খেজুর তুল্য, যা খেতে সুস্বাদু কিন্তু সুগন্ধিবিহীন। কুরআন তিলাওয়াতকারী মুনাফিক ব্যক্তি সুগন্ধি গুল্মের সাথে তুলনীয়; যা খুব সুগন্ধিযুক্ত কিন্তু খেতে তিক্ত। যে মুনাফিক ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে না, সে মাকাল ফল তুল্য, যা খেতেও বিস্বাদ এবং যার কোন সুগন্ধিও নেই। [২১২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১২] বুখারী ৫০২০, ৫০৫৯, ৫৪২৭, ৭৫৬০; মুসলিম ৭৯৭, তিরমিযী ২৮৬৫, নাসায়ী ৫০৩৮, আবূ দাঊদ ৪৮২৯, আহমাদ ১৯০৫৫, ২৯১৭৭, ১৯১৬৫; দারিমী ৩৩৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৫

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بُدَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِنَّ لِلَّهِ أَهْلِينَ مِنَ النَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هُمْ قَالَ ‏”‏ هُمْ أَهْلُ الْقُرْآنِ أَهْلُ اللَّهِ وَخَاصَّتُهُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কতক লোক আল্লাহ্‌র পরিজন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তারা কারা? তিনি বলেন, কুরআন তিলাওয়াতকারীগণ আল্লাহ্‌র পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা। [২১৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১৩] আহমাদ ১১৮৭০, ১৩১৩০; দারিমী ৩৩২৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ১৫৮২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৬

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي عُمَرَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَحَفِظَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلُّهُمْ قَدِ اسْتَوْجَبُوا النَّارَ ‏”‏ ‏.‏

আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে এবং তা কন্ঠস্থ করে, আল্লাহ্‌ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তাকে তার পরিবারের এমন দশজন লোকের জন্য সুপারিশ করার অনুমতি দিবেন যাদের সকলের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গেছে। [২১৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১৪] তিরমিযী ২৯০৫, আহমাদ ১২৭১। তাহক্বীক্ব আলবানী: খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২১৪১, তালীকুল রগীব ২/২১০। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু উমার সম্পর্কে ওয়াকী ইবনুল জাররাহ সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন তিনি মিথ্যুক। আলী ইবনুল মাদীনী তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বুখারী তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২. কাসীর বিন যাযান সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন আমি তাকে চিনি না। আবু হাতিম ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। আল আযদী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইমাম যাহাবী বলেন তার থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

২১৭

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَوْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ وَاقْرَءُوهُ وَارْقُدُوا فَإِنَّ مَثَلَ الْقُرْآنِ وَمَنْ تَعَلَّمَهُ فَقَامَ بِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ مَحْشُوٍّ مِسْكًا يَفُوحُ رِيحُهُ كُلَّ مَكَانٍ وَمَثَلُ مَنْ تَعَلَّمَهُ فَرَقَدَ وَهُوَ فِي جَوْفِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ أُوكِيَ عَلَى مِسْكٍ ‏”‏ ‏.‏

থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা কুরআন শিক্ষা করো, তা তিলাওয়াত করো এবং তা নিয়ে রাত জাগো। কেননা কুরআন এবং যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করে তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে, সে হলো (মুখ খোলা) মৃগনাভিপূর্ণ থলেবৎ, যার সুবাস চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করে তা পেটে ভর্তি করে ঘুমিয়ে রাত কাটায়, সে হলো মুখ বাঁধা মৃগনাভিপূর্ণ থলের মত। [২১৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১৫] তিরমিযী ২৮৭৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুল রগীব ২/২০৬, তালাক, সহীহ ইবনু মুযাইমাহ ১৫০৯, মিশকাত ২১৪৩। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল হামীদ বিন জা’ফার সম্পর্কে ইমাম নাসাই বলেন, কোন সমস্যা নেই। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে সিকাহ বললেও ইবনু হিব্বান বলেন তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২১৮

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ أَبِي الطُّفَيْلِ، أَنَّ نَافِعَ بْنَ عَبْدِ الْحَارِثِ، لَقِيَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بِعُسْفَانَ – وَكَانَ عُمَرُ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى مَكَّةَ – فَقَالَ عُمَرُ مَنِ اسْتَخْلَفْتَ عَلَى أَهْلِ الْوَادِي قَالَ اسْتَخْلَفْتُ عَلَيْهِمُ ابْنَ أَبْزَى ‏.‏ قَالَ وَمَنِ ابْنُ أَبْزَى قَالَ رَجُلٌ مِنْ مَوَالِينَا ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فَاسْتَخْلَفْتَ عَلَيْهِمْ مَوْلًى قَالَ إِنَّهُ قَارِئٌ لِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى عَالِمٌ بِالْفَرَائِضِ قَاضٍ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ أَمَا إِنَّ نَبِيَّكُمْ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يَرْفَعُ بِهَذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِهِ آخَرِينَ ‏”‏ ‏.‏

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাফি’ বিন আবদুল হারিস, তিনি উস্‌ফান নামক স্থানে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। উমার (রাঃ) তাকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন। উমার (রাঃ) বলেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে প্রশাসক নিয়োগ করেছ? তিনি বলেন, আমি বিন আবযা (রাঃ)-কে তাদের প্রশাসক নিয়োগ করেছি। উমার (রাঃ) বলেন, বিন আবযা কে? তিনি বলেন, সে আমাদের একজন মুক্তদাস। উমার (রাঃ) বলেন, তুমি একজন মুক্তদাসকে কেন জনগণের প্রশাসক নিয়োগ করলে? তিনি বলেন, সে তো মহান আল্লাহ্‌র কিতাবের বিশেষজ্ঞ আলিম, ফারায়িয সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং উত্তম ফয়সালাকারী। উমার (রাঃ) বলেন, শোন! তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাআলা এই কিতাবের দ্বারা কতক লোককে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন এবং কতককে অবনমিত করেন। [২১৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১৬] মুসলিম ৮১৭, আহমাদ ২৩৩, দারিমী ৩৩৬৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২২৩৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৯

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ غَالِبٍ الْعَبَّادَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ الْبَحْرَانِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ يَا أَبَا ذَرٍّ لأَنْ تَغْدُوَ فَتَعَلَّمَ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ تُصَلِّيَ مِائَةَ رَكْعَةٍ وَلأَنْ تَغْدُوَ فَتَعَلَّمَ بَابًا مِنَ الْعِلْمِ عُمِلَ بِهِ أَوْ لَمْ يُعْمَلْ خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ تُصَلِّيَ أَلْفَ رَكْعَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেনঃ হে আবু যার! সকালবেলা কুরআনের একটি আয়াত শিক্ষা করা তোমার জন্য একশত রাকআত (নফল) সলাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। সকালবেলা জ্ঞানের কিছু অংশ শিক্ষা করা তোমার জন্য এক হাজার রাকআত সলাত আদায়ের চেয়ে উত্তম, তদানুযায়ী কাজ করা হোক বা না হোক। [২১৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১৭] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬৩৭৩ যঈফ, তারগীব ৫৪, ৮৬৯ যঈফ, তালাকুল রগীব (১/৫৬) (২/২১১)। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবদুল্লাহ বিন গালিব আল-আব্বাদনী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল নয়। ২. আবদুল্লাহ বিন যিয়াদ আল-বহরানী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, সে কে? এ সম্পর্কে কুছুই জানা যায় নি। ৩. আলী বিন যায়দ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু যে বিষয়ে নিরবতা রয়েছে, সেগুলোয় তিনি অতিরিক্ত করেছেন। আল আজালী বলেন কোন সমস্যা নেই। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। বুসায়রী তাকে দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮. অধ্যায়ঃ

আলিমদের মর্যাদা এবং জ্ঞানার্জনে উৎসাহিত করা ।

২২০

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা যার কল্যাণ সাধন করতে চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। [২১৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১১৯৪, ১১৯৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২১

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ جَنَاحٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ الْخَيْرُ عَادَةٌ وَالشَّرُّ لَجَاجَةٌ وَمَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ ‏”‏ ‏.‏

মুআবিয়াহ বিন আবু সুফ্‌য়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘কল্যান’ হলো সুস্বভাব এবং ‘মন্দ’ হলো প্রবৃত্তির তাড়না থেকে উদ্ভূত। আল্লাহ্‌ যার কল্যাণ সাধন করতে চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। [২১৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১৯] বুখারী ৭১, ৩১১৬, ৭৩১২; মুসলিম ১০৩৭, আহমাদ ১৬৩৯২, ১৬৪০০, ১৬৪১৮, ১৬৪৩২, ১৬৪৩৮, ১৬৪৫১, ১৬৭৬৭, ২৭৫৮০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৬৬৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৬৫১৩।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২২২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ جَنَاحٍ أَبُو سَعْدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ فَقِيهٌ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, একজন ফকীহ (শারীআতের বিধানে অভিজ্ঞ ব্যক্তি) শয়তানের জন্য এক হাজার ইবাদাতকারীর চেয়ে অধিক শক্ত। [২২০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২০] তিরমিযী ২৬৮১ তাহক্বীক্ব আলবানী: মউযূ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৩৯৮৭ মাওযু, মিশকাত ২১৭ মাওযু, তারগীব ৬৬ যঈফ জিদ্দান, মিশকাত, ২১৭, তালীকুতা, রগীয় ১/৬১, তামামুল মিন্নাহ, ১১৫। উক্ত হাদিসের রাবী রাওহ বিন জানাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী নয় এবং তার থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম নাসাই বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী নয়। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-উকাইলি তাকে দুর্বল করেছেন। আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তার হাদিস বাছাইকৃত নয়।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

২২৩

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ جَمِيلٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ أَبِي الدَّرْدَاءِ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ أَتَيْتُكَ مِنَ الْمَدِينَةِ مَدِينَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِحَدِيثٍ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحَدِّثُ بِهِ عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قَالَ فَمَا جَاءَ بِكَ تِجَارَةٌ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ وَلاَ جَاءَ بِكَ غَيْرُهُ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ وَإِنَّ طَالِبَ الْعِلْمِ يَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ حَتَّى الْحِيتَانِ فِي الْمَاءِ وَإِنَّ فَضْلَ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ إِنَّ الْعُلَمَاءَ هُمْ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ إِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا إِنَّمَا وَرَّثُوا الْعِلْمَ فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ ‏”‏ ‏.‏

কাসীর বিন কায়স (দঈফ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি দামিশকের মাসজিদে আবুদ দারদা’ (রাঃ)-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তার নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আবুদ-দারদা’! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শহর মাদীনাহ থেকে আপনার নিকট একটি হাদীস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি যে, আপনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে তা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তুমি কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আসোনি তো? সে বললো, না। তিনি বলেন, অন্য কোন উদ্দেশ্যেও তুমি আসোনি? সে বললো, না। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের কোন পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ্‌ তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি পথ সুগম করে দেন। ফেরেশ্‌তাগন জ্ঞান অন্বেষীর সন্তুষ্টির জন্য তাদের পাখাসমুহ অবনমিত করেন। আর জ্ঞান অন্বেষীর জন্য আসমান ও যমীনবাসী আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানির মধ্যের মাছও। নিশ্চয় ইবাদাতকারীর উপর আলিমের মর্যাদা তারকারাজির উপর চাঁদের মর্যাদার সমতুল্য। আলিমগণ নবীগণের ওয়ারিস। আর নবীগণ দীনার ও দিরহাম (নগদ অর্থ) ওয়ারিসী স্বত্ব হিসাবে রেখে যাননি, বরং তাঁরা ওয়ারিসী স্বত্বরূপে রেখে গেছেন ইলম (জ্ঞান)। যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করলো, সে যেন একটি পূর্ণ অংশ লাভ করলো। [২২১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২১] তিরমিযী ২৬৮২ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ১/৩৩/৬৮। উক্ত হাদিসের রাবী দাউদ বিন জামীল সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন এবং অন্যত্র মাজহুল বা অপরিচিত বলেছেন। আল-আবাদী তাকে দুর্বল ও অপরিচিত বলেছেন। ২. কাসীর বিন কায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সমর্থন করলেও ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। দুহায়ম তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেন নি। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২৪

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ شِنْظِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ وَوَاضِعُ الْعِلْمِ عِنْدَ غَيْرِ أَهْلِهِ كَمُقَلِّدِ الْخَنَازِيرِ الْجَوْهَرَ وَاللُّؤْلُؤَ وَالذَّهَبَ ‏”‏ ‏.

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয। অপাত্রে জ্ঞান দানকারী শুকরের গলায় মণিমুক্তা ও সোনার হার পরানো ব্যক্তির সমতুল্য। [২২২]

 

তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) কথাটি ছাড়া সহীহ, কেননা উক্ত কথাগুলো খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২২] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: وَوَاضِعُ الْعِلْمِ عِنْدَ غَيْرِ أَهْلِهِ كَمُقَلِّدِ الْخَنَازِيرِ الْجَوْهَرَ وَاللُّؤْلُؤَ وَالذَّهَبَ কথাটি ছাড়া হাদীসটি সহীহ, কেননা উক্ত কথাগুলো খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২১৮, তালীকুল রগীব ১/৫৪ যঈফাহ ৪১৬; সহীহ- মুশকিলাতুল ফিকার ৮৬, ফিকহুস, সীরাহ ৭। উক্ত হাদিসের রাবী হাফয বিন সুলায়মান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার হাদিস দুর্বল। ইমাম বুখারী তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। উক্ত হাদিসের মাতান প্রসিদ্ধ কিন্তু সানাদ দুর্বল। এ হাদিসটি একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে যার সবগুলোই দুর্বল।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২২৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ وَمَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ وَمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلاَّ حَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَنَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ وَمَنْ أَبْطَأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের পার্থিব বিপদসমূহ থেকে একটি বিপদ দূর করলো, আল্লাহ্‌ কিয়ামাতের দিন তার পারলৌকিক বিপদসমূহ থেকে একটি বিপদ দূর করবেন। কোন ব্যক্তি অপর মুসলিমের দোষ গোপন রাখলে, আল্লাহ্‌ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কষ্ট-কাঠিন্য সহজ করে দেয়, আল্লাহ্‌ দুনিয়া ও আখিরাতে তার কষ্ট সহজ করে দিবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য-সহযোগিতায় রত থাকে, আল্লাহ্‌ ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তায় রত থাকেন। কোন ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোন পথ অবলম্বন করলে, আল্লাহ্‌ এই উসীলায় তার জন্য জান্নাতের একটি পথ সুগম করে দেন। যখন কোন লোকসমষ্টি আল্লাহ্‌র ঘরসমূহের মধ্যকার কোন ঘরে সমবেত হয়ে আল্লাহ্‌র কিতাব তিলাওয়াত করে এবং পরস্পর তা শিক্ষা করে, তখন মালায়িকাহ তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখেন, তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়, দয়া ও অনুগ্রহ তাদের আবৃত করে নেয় এবং আল্লাহ্‌ তাঁর নিকটে অবস্থানকারীদের (মালায়িকাহ্‌র) সাথে তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন। (পৃথিবীতে) যার সৎকর্ম কম হবে (আখিরাতে) তার বংশমর্যাদা কোন উপকারে আসবে না। [২২৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২৩] মুসলিম ২৬৯৯, তিরমিযী ১৪২৫, ১৯৩০, ২৬৪৬, ২৯৪৫; আবূ দাঊদ ১৪৫৫, ৩৬৪৩, ৪৯৪৬; আহমাদ ৭৩৭৯, ৭৮৮২, ৮১১৭, ১০১১৮, ১০২৯৮; দারিমী ৩৪৪, সহীহ্ তারগীব ১/৩১/৬৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكَ قُلْتُ أُنْبِطُ الْعِلْمَ ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنْ خَارِجٍ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ إِلاَّ وَضَعَتْ لَهُ الْمَلاَئِكَةُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا بِمَا يَصْنَعُ ‏”‏ ‏.‏

যির বিন হুবায়শ থেকে বর্ণিতঃ

আমি সাফওয়ান বিন আসসাল আল-মুরাদী (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বলেন, তোমাকে কিসে নিয়ে এসেছে? আমি বললাম, জ্ঞানার্জনের জন্য। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তিই জ্ঞানার্জনের জন্য তার ঘর থেকে রওনা হয়, তার এই মহৎ উদ্যোগের জন্য মালায়িকাহ তাদের পাখা বিস্তার করেন। [২২৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২৪] আহমাদ ১৭৬২৩, ১৭৬২৮, ১৭৬৩৪; দারিমী ৩৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আসিম বিন আবুন নাজুদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে অধিক ভুল করেন। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ صَخْرٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ جَاءَ مَسْجِدِي هَذَا لَمْ يَأْتِهِ إِلاَّ لِخَيْرٍ يَتَعَلَّمُهُ أَوْ يُعَلِّمُهُ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَنْ جَاءَ لِغَيْرِ ذَلِكَ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يَنْظُرُ إِلَى مَتَاعِ غَيْرِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আমার এই মাসজিদে কোন উত্তম বিষয় শিক্ষা দানের জন্য বা শিক্ষা লাভের জন্য আসে, সে আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদরত ব্যক্তির মর্যাদাসম্পন্ন স্থানীয়। আর যে ব্যক্তি ভিন্নতর উদ্দেশ্যে আসে, সে অপরের সম্পদের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপকারীর তুল্য। [২২৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২৫] আহমাদ ৯১৩৮ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৮৩। উক্ত হাদিসের রাবী হুমায়দ বিন সখর সম্পর্কে দারাকুতনী সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, তিনি একাধিক হাদিসের ব্যাপারে ইনকার করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২৮

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي عَاتِكَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْعِلْمِ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ وَقَبْضُهُ أَنْ يُرْفَعَ ‏”‏ ‏.‏ وَجَمَعَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ الْوُسْطَى وَالَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ هَكَذَا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ الْعَالِمُ وَالْمُتَعَلِّمُ شَرِيكَانِ فِي الأَجْرِ وَلاَ خَيْرَ فِي سَائِرِ النَّاسِ ‏”‏ ‏.‏

আবু উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এই জ্ঞান জব্দ করে নেয়ার পূর্বেই তোমরা তা ধারণ করো। তা জব্দ করার অর্থ তুলে নেয়া। অতঃপর তিনি তাঁর শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুল একত্র করে বললেন, এভাবে। অতঃপর তিনি বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিদানে সমান অংশীদার। অবশিষ্ট লোকের মধ্যে কোন সৌন্দর্য ও কল্যাণ নেই। [২২৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২৬] দারিমী ২৪০ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৩৭৯২ যঈফ, তারগীব ৫৯ যঈফ, তালীকুল রগীব ১/৫৯, ইরওয়াহ ২/১৪৩, মিশকাত ২৭৮। উক্ত হাদিসের রাবী ১. উসমান বিন আতিকাহ সম্পর্কে দুহায়ম বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ২. আলী বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস ও দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২২৯

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ الزِّبْرِقَانِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ خُنَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ يَوْمٍ مِنْ بَعْضِ حُجَرِهِ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَإِذَا هُوَ بِحَلْقَتَيْنِ إِحْدَاهُمَا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَدْعُونَ اللَّهَ وَالأُخْرَى يَتَعَلَّمُونَ وَيُعَلِّمُونَ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ كُلٌّ عَلَى خَيْرٍ هَؤُلاَءِ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَدْعُونَ اللَّهَ فَإِنْ شَاءَ أَعْطَاهُمْ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَهُمْ وَهَؤُلاَءِ يَتَعَلَّمُونَ وَيُعَلِّمُونَ وَإِنَّمَا بُعِثْتُ مُعَلِّمًا ‏”‏ ‏.‏ فَجَلَسَ مَعَهُمْ ‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক হুজরা থেকে বের হয়ে এসে মাসজিদে প্রবেশ করেন। তখন সেখানে দু’টি সমাবেশ চলছিল। একটি সমাবেশে লোকজন কুরআন তিলাওয়াত ও আল্লাহ্‌র যিকরে মশগুল ছিল এবং অপর সমাবেশে লোকজন শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষাদানে রত ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সকলেই কল্যাণকর তৎপরতায় রত আছে। এই সমাবেশের লোকজন কুরআন তিলাওয়াত করছে এবং আল্লাহ্‌র নিকট দুআ’ করছে। তিনি চাইলে তাদের দান করতেও পারেন আবার চাইলে নাও দিতে পারেন। অন্যদিকে এই সমাবেশের লোকেরা শিক্ষাগ্রহণ এবং শিক্ষাদানে রত আছে। আর আমি শিক্ষক হিসাবেই প্রেরিত হয়েছি। অতঃপর তিনি এদের সমাবেশে বসলেন। [২২৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২৭] দারিমী ৩৪৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ১১। উক্ত হাদিসের রাবী দাউদ বিন যিবরিকান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার কথাবার্তা ভাল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ২. আব্দুর রহমান বিব যিয়াদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার থেকে হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করি নি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯. অধ্যায়ঃ

জ্ঞানের প্রচারক

২৩০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ أَبِي هُبَيْرَةَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَبَلَّغَهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ غَيْرِ فَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ فِيهِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ ‏”‏ ثَلاَثٌ لاَ يُغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِخْلاَصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَالنُّصْحُ لأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَلُزُومُ جَمَاعَتِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

যায়দ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার বক্তব্য শুনেছে, অতঃপর তার প্রচার করেছে, আল্লাহ্‌ তাকে হাস্যোজ্জ্বল ও সতেজ করুন। এমন কতক জ্ঞানের বাহক আছে যারা নিজেরাই জ্ঞানী নয়। আবার এমন কতক জ্ঞানের বাহক আছে, তারা যাদের নিকট তা বয়ে নিয়ে যায় তারা এই বাহকদের চেয়ে অধিক সমঝদার। আলী বিন মুহাম্মাদ (রহঃ)-এর বর্ণনায় আরো আছেঃ তিনটি বিষয়ে কোন মুসলিম ব্যক্তির অন্তর যেন প্রতারিত না হয়ঃ নিষ্ঠার সাথে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা, মুসলিম নেতৃবৃন্দকে সদুপদেশ দেয়া এবং তাদের (নেক কাজের) সাথে সম্পৃক্ত থাকা। [২২৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২৮] তিরমিযী ২৬৫৬, আবূ দাঊদ ৩৬৬০, আহমাদ ২১০৮০, দারিমী ২২৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৪০৩। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ ইবনুল ফুদাইল সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। আবু যুরআহ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। লায়স বিন আবু সুলায়ম সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাওদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু যুরআহ ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالْخَيْفِ مِنْ مِنًى فَقَالَ ‏ “‏ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَبَلَّغَهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ غَيْرِ فَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى ح وَحَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِنَحْوِهِ ‏.‏

জুবায়র বিন মুতঈম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনার আল-খায়ফ নামক উচ্চ ভুমিতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আল্লাহ্‌ এমন ব্যক্তিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করুন যে আমার বক্তব্য শোনার পর তা প্রচার করলো (বা অপরের নিকট পৌঁছে দিল)। জ্ঞানের অনেক বাহক নিজেরাই জ্ঞানী নয়। জ্ঞানের এমন বাহকও আছে যে, তারা যাদের নিকট তা বয়ে নিয়ে যায় তারা তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞানী। [২২৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২৯] আহমাদ ১৬২৯৬, ১৬৩১২; দারিমী ২১৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুস সালাম (বিন আবুল জুনুব) সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, মাতরুকুল হাদিস। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু হিব্বান তাকে দুর্বল উল্লেখ করেছেন। দারাকুতনী বলেন, মুনকারুল হাদিস। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَبَلَّغَهُ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَحْفَظُ مِنْ سَامِعٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আমার নিকট হতে একটি হাদীস শুনে তা অন্যদের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়, আল্লাহ্‌ তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেন। কখনো শ্রোতার চেয়ে প্রচারক অধিকতর স্মৃতিধর হয়ে থাকে। [২৩০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩০] তিরমিযী ২৬৫৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩২৩০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، – أَمْلاَهُ عَلَيْنَا – حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ رَجُلٍ، آخَرَ هُوَ أَفْضَلُ فِي نَفْسِي مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ النَّحْرِ فَقَالَ ‏ “‏ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَإِنَّهُ رُبَّ مُبَلَّغٍ يُبَلَّغُهُ أَوْعَى لَهُ مِنْ سَامِعٍ ‏”‏ ‏.‏

আবু বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন তাঁর ভাষণে বলেন, উপস্থিত ব্যক্তিরা যেন অনুপস্থিতদের নিকট (আমার বাণী) পৌঁছে দেয়। এমনও হতে পারে যে, যাদের নিকট জ্ঞানের কথা পৌঁছানো হয় তারা শ্রোতাদের চাইতে অধিক স্মৃতিধর। [২৩১]

 

তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) শব্দটি ব্যতীত সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩১] বুখারী ৫৫৫০, মুসলিম ১৬৭৯, আহমাদ ১৯৮৮৩, ১৯৮৯৪, ১৯৯০৬, ১৯৯৮৫; দারিমী ১৯১৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: فَإِنَّهُ শব্দটি ব্যাতিত সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫/২৭৮/১৪৫৮।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

২৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنْبَأَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَلاَ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ ‏”‏ ‏.‏

মুআবিযাহ আল-কুশাইরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শোন! উপস্থিতরা যেন অনুপস্থিতদের নিকট (আমার কথা) পৌঁছিয়ে দেয়। [২৩২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩২] আহমাদ ১৯৫৩৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، حَدَّثَنِي قُدَامَةُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحُصَيْنِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ يَسَارٍ، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لِيُبَلِّغْ شَاهِدُكُمْ غَائِبَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের উপস্থিতরা যেন তোমাদের অনুপস্থিতদের নিকট (আমার বানী) পৌঁছে দেয়। [২৩৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩৩] আবূ দাঊদ ১২৭৮, আহমাদ ৫৭৭৭। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল হায়সান আত-তামীমী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম দারাকুতনী বলেন তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيُّ، عَنْ مُعَانِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ بُخْتٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ نَضَّرَ اللَّهُ عَبْدًا سَمِعَ مَقَالَتِي فَوَعَاهَا ثُمَّ بَلَّغَهَا عَنِّي فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ غَيْرِ فَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্‌ সেই বান্দাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করুন যে আমার বক্তব্য শুনে তা স্মৃতিতে ধারণ করেছে, অতঃপর আমার পক্ষ থেকে তা (অন্যদের নিকট) প্রচার করেছে। কতক জ্ঞানের বাহক নিজেরাই জ্ঞানী নয় এবং কতক জ্ঞানের বাহক যাদের নিকট তা পৌঁছে দেয় তারা তাদের চেয়ে অধিক সমঝদার হতে পারে। [২৩৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩৪] আহমাদ ১২৯৩৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আদ-দিমাশকী সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, মুনকারুল হাদিস ও তার নিকট হাদিস সংরক্ষিত নয়। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি মিথ্যুক। হাকিম বলেন তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেছেন। ২. মু’আয বিন রিফআহ সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন আউফ ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪০. অধ্যায়ঃ

কল্যাণের চাবিকাঠি যেসব লোক

২৩৭

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ مِنَ النَّاسِ مَفَاتِيحَ لِلْخَيْرِ مَغَالِيقَ لِلشَّرِّ وَإِنَّ مِنَ النَّاسِ مَفَاتِيحَ لِلشَّرِّ مَغَالِيقَ لِلْخَيْرِ فَطُوبَى لِمَنْ جَعَلَ اللَّهُ مَفَاتِيحَ الْخَيْرِ عَلَى يَدَيْهِ وَوَيْلٌ لِمَنْ جَعَلَ اللَّهُ مَفَاتِيحَ الشَّرِّ عَلَى يَدَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় কতক লোক আছে, যারা কল্যাণের চাবিকাঠি এবং অকল্যাণের দ্বার রুদ্ধকারী। পক্ষান্তরে এমন কতক লোকও আছে যারা অকল্যাণের দ্বার উন্মোচনকারী এবং কল্যাণের পথ রুদ্ধকারী। সেই লোকের জন্য সুসংবাদ যার দু’ হাতে আল্লাহ্‌ কল্যাণের চাবি রেখেছেন এবং সেই লোকের জন্য ধ্বংস যার দু’ হাতে আল্লাহ্‌ অকল্যাণের চাবি রেখেছেন। [২৩৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩৫] হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৩৩২। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আবু হুমায়দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণিত হয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। হাদিসটির ২৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ইবনু মাজাহ ২ টি, ইবনু আবু আসিম এর আস সুন্নাহ কিতাবে ৩ টি, শুআবুল ঈমানে ২ ও বাকিগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ أَبُو جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ هَذَا الْخَيْرَ خَزَائِنُ وَلِتِلْكَ الْخَزَائِنِ مَفَاتِيحُ فَطُوبَى لِعَبْدٍ جَعَلَهُ اللَّهُ مِفْتَاحًا لِلْخَيْرِ مِغْلاَقًا لِلشَّرِّ وَوَيْلٌ لِعَبْدٍ جَعَلَهُ اللَّهُ مِفْتَاحًا لِلشَّرِّ مِغْلاَقًا لِلْخَيْرِ ‏”‏ ‏.‏

সাহল বিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, নিশ্চয় এই কল্যাণ কোষাগারস্বরূপ এবং এই কোষাগারের রয়েছে কিছু সংখ্যক চাবি। সুসংবাদ সেই বান্দার জন্য যাকে আল্লাহ্‌ কল্যাণের দ্বার উন্মোচনকারী ও অকল্যাণের পথ রুদ্ধকারী বানিয়েছেন। ধ্বংস সেই ব্যক্তির জন্য যাকে আল্লাহ্‌ অকল্যাণের দ্বার উন্মোচনকারী এবং কল্যাণের পথ রুদ্ধকারী বানিয়েছেন। [২৩৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩৬] খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৬৬, যিলালু জান্নাহ ২৮৮, ২৮৯। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহামান বিন যায়দ বিন আসলাম সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে কোন হাদিস গ্রহনযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী ও মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৪১. অধ্যায়ঃ

লোকজনকে উত্তম বিষয় শিক্ষাদাতার সাওয়াব।

২৩৯

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّهُ لَيَسْتَغْفِرُ لِلْعَالِمِ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ حَتَّى الْحِيتَانِ فِي الْبَحْرِ ‏”‏ ‏.‏

আবুদ-দারদা’ (উয়াইমির বিন মালিক) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় আসমান ও যমীনের অধিবাসীগণ জ্ঞানীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি সমুদ্রের মাছরা পর্যন্ত। [২৩৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩৭] আহমাদ ২১২০৮ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হাফয বিন আমর সম্পর্কে ইমাম যাহাবী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি অপরিচিত। ২. উসমান বিন আতা সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আমর বিন ফাল্লাস বলেন তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আলজাযুজানী বলেন, হাদিস বর্ণনায় তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনুল জুনায়দ বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ عَلَّمَ عِلْمًا فَلَهُ أَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الْعَامِلِ ‏”‏ ‏.‏

মুআয বিন আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি জ্ঞানের কথা শিক্ষা দেয়, সে তদনুসারে কর্ম সম্পাদনকারীর সমান পুরস্কার পাবে, এতে কর্ম সম্পাদনকারীর পুরস্কারে কোনরূপ ঘাটতি হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي كَرِيمَةَ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ خَيْرُ مَا يُخَلِّفُ الرَّجُلُ مِنْ بَعْدِهِ ثَلاَثٌ وَلَدٌ صَالِحٌ يَدْعُو لَهُ وَصَدَقَةٌ تَجْرِي يَبْلُغُهُ أَجْرُهَا وَعِلْمٌ يُعْمَلُ بِهِ مِنْ بَعْدِهِ ‏”‏ ‏.

قَالَ أَبُو الْحَسَنِ وَحَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ الرَّهَاوِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، – يَعْنِي أَبَاهُ – حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আবু কাতাদাহ হারিস বিন রিবঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মানুষ তার (মৃত্যুর) পরে যা কিছু রেখে যায়, তার মধ্যে তিনটি জিনিস কল্যাণকরঃ সৎকর্মপরায়ণ সন্তান, যে তার জন্য দুআ’ করে, সদাকায়ে জারিয়া যার সাওয়াব তার কাছে পৌঁছে এবং এমন জ্ঞান যা তার মৃত্যুর পরও কাজে লাগানো যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَهْبِ بْنِ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مَرْزُوقُ بْنُ أَبِي الْهُذَيْلِ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ مِمَّا يَلْحَقُ الْمُؤْمِنَ مِنْ عَمَلِهِ وَحَسَنَاتِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ عِلْمًا عَلَّمَهُ وَنَشَرَهُ وَوَلَدًا صَالِحًا تَرَكَهُ وَمُصْحَفًا وَرَّثَهُ أَوْ مَسْجِدًا بَنَاهُ أَوْ بَيْتًا لاِبْنِ السَّبِيلِ بَنَاهُ أَوْ نَهْرًا أَجْرَاهُ أَوْ صَدَقَةً أَخْرَجَهَا مِنْ مَالِهِ فِي صِحَّتِهِ وَحَيَاتِهِ يَلْحَقُهُ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঈমানদার ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার যেসব কাজ ও তার যেসব পুণ্য তার সাথে যুক্ত হয় তা হলোঃ যে জ্ঞান সে অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে এবং তার প্রচার করেছে, তার রেখে যাওয়া সৎকর্মপরায়ণ সন্তান, কুরআন যা সে ওয়ারিসী সূত্রে রেখে গেছে অথবা মাসজিদ যা সে নির্মাণ করিয়েছে অথবা পথিক-মুসাফিরদের জন্য যে সরাইখানা নির্মাণ করেছে অথবা পানির নহর যা সে খনন করেছে অথবা তার জীবদ্দশায় ও সুস্থাবস্থায় তার মাল থেকে যে দান-খয়রাত করেছে তা তার মৃত্যুর পরও তার সাথে (তার আমলনামায়) যুক্ত হবে। [২৪০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪০] মুসলিম ১৬৩১, তিরমিযী ১৩৭৬, নাসায়ী ৩৬৫১, আবূ দাঊদ ২৮৮০, আহমাদ ৮৬২৭, দারিমী ৫৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬/২৯। উক্ত হাদিসের রাবী মারযুক বিন আবু হুযায়ল সম্পর্কে ইমাম বুখারী তাকে তা’রিফ ও তানকির বলেছেন। ইবনু আবু খায়সামাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। আল উকায়লী তাকে দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ أَنْ يَتَعَلَّمَ الْمَرْءُ الْمُسْلِمُ عِلْمًا ثُمَّ يُعَلِّمَهُ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন মুসলিমের ইল্‌ম শিক্ষা করা, অতঃপর তা তার মুসলিম ভাইকে শিক্ষা দেয়া সর্বোত্তম দানরূপে গণ্য। [২৪১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪১] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ১০১৬ যঈফ, যঈফ তারগীব ৫৭, তালীকুররগীব ১/৫৭, ইরওয়াহ ৬/২৯। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ সম্পর্কে মাসলামাহ বিন বিন কাসিম তাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ২. ইসহাক বিন ইবরাহীম সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। আবু বকর আল বাগিন্দী বলেন, তার থেকে একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণিত রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪২. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি তার পেছনে পেছনে অন্যের চলাকে অপছন্দ করে।

২৪৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَا رُئِيَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْكُلُ مُتَّكِئًا قَطُّ وَلاَ يَطَأُ عَقِبَيْهِ رَجُلاَنِ ‏.‏

قَالَ أَبُو الْحَسَنِ وَحَدَّثَنَا خَازِمُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَجَّاجِ السَّامِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ أَبُو الْحَسَنِ وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَصْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، صَاحِبُ الْقَفِيزِ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কখনো গদিতে হেলান দিয়ে আহার করতে দেখা যায়নি এবং দু’জন লোকও তাঁর পেছনে চলতো না। [২৪২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪২] আবূ দাঊদ ৩৭৭০ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১২৩৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا مُعَانُ بْنُ رِفَاعَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ نَحْوَ بَقِيعِ الْغَرْقَدِ وَكَانَ النَّاسُ يَمْشُونَ خَلْفَهُ فَلَمَّا سَمِعَ صَوْتَ النِّعَالِ وَقَرَ ذَلِكَ فِي نَفْسِهِ فَجَلَسَ حَتَّى قَدَّمَهُمْ أَمَامَهُ لِئَلاَّ يَقَعَ فِي نَفْسِهِ شَىْءٌ مِنَ الْكِبْرِ ‏.‏

আবু উমামাহ (সাদী বিন ঈজলান) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক প্রচন্ড গরমের দিনে ‘বাকীউল গারকাদ’ নামক স্থানের দিকে বের হলেন। লোকেরা তাঁর পেছনে হেঁটে যাচ্ছিল। তিনি জুতার আওয়াজ শুনতে পেলে বিষয়টি তাঁর মনে অপ্রিয় লাগলো। তিনি বসে পড়লেন, যাতে লোকেরা তাঁর আগে চলে যায়, যাতে তাঁর অন্তরে বিন্দুমাত্র অহমিকা জাগ্রত না হয়। [২৪৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৩] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ তারগীব ১২১, ১৬৭৩; তালীকুর রগীব ১/৮৭ ও ৩/২৯৪। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুআন বিন রিফাআহ সম্পর্কে আলী বিন মাদীনী তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন আওফ ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ২. আলী বিন ইয়াযিদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস ও দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ نُبَيْحٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا مَشَى مَشَى أَصْحَابُهُ أَمَامَهُ وَتَرَكُوا ظَهْرَهُ لِلْمَلاَئِكَةِ ‏.

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন হাঁটতেন তখন তাঁর সাহাবীগণ তাঁর আগে আগে চলতেন এবং তাঁর পেছনের দিকে মালায়িকার জন্য ছেড়ে দিতেন। [২৪৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৪] আহমাদ ১৩৮২৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৩৪৭, ১৫৫৭, ২০৮৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৩. অধ্যায়ঃ

জ্ঞানার্জনকারীদের নাসীহাত করা

২৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ رَاشِدٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عَبْدَةَ، عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ سَيَأْتِيكُمْ أَقْوَامٌ يَطْلُبُونَ الْعِلْمَ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ فَقُولُوا لَهُمْ مَرْحَبًا مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَاقْنُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ لِلْحَكَمِ مَا اقْنُوهُمْ قَالَ عَلِّمُوهُمْ ‏.‏

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অচিরেই তোমাদের নিকট ইলম শিক্ষার জন্য দলে দলে লোক আসবে। তোমরা তাদের দেখলেই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপদেশের সুসংবাদ জানাবে এবং তাদের তালকীন দিবে (জ্ঞানদান করবে)। আমি হাকাম (রহঃ)-কে বললাম, আমরা তাদের কী তালকীন দিব? তিনি বলেন, তাদের ইলম শিক্ষা দিবে। [২৪৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৫] তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৮০। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হাকাম বিন আবদাহ সম্পর্কে আল আযাদী তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. আবু হারুন আল আবদী সম্পর্কে শু’বাহ ইবনু হাজ্জাজ তাকে দুর্বল বলেছেন। হাম্মাদ বিন যায়দ তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং মিথ্যুক। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম বলেন, তিনি দুর্বল।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ، حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى الْحَسَنِ نَعُودُهُ حَتَّى مَلأْنَا الْبَيْتَ فَقَبَضَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ نَعُودُهُ حَتَّى مَلأْنَا الْبَيْتَ فَقَبَضَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَتَّى مَلأْنَا الْبَيْتَ وَهُوَ مُضْطَجِعٌ لِجَنْبِهِ فَلَمَّا رَآنَا قَبَضَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ إِنَّهُ سَيَأْتِيكُمْ أَقْوَامٌ مِنْ بَعْدِي يَطْلُبُونَ الْعِلْمَ فَرَحِّبُوا بِهِمْ وَحَيُّوهُمْ وَعَلِّمُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَدْرَكْنَا وَاللَّهِ أَقْوَامًا مَا رَحَّبُوا بِنَا وَلاَ حَيَّوْنَا وَلاَ عَلَّمُونَا إِلاَّ بَعْدَ أَنْ كُنَّا نَذْهَبُ إِلَيْهِمْ فَيَجْفُونَا ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(ইসমাইল) বলেন, আমরা অসুস্থ হাসান (রহঃ) কে দেখতে গেলাম, এমনকি আমাদের উপস্থিতিতে ঘর ভর্তি হয়ে গেল। তিনি তার পদদ্বয় গুটিয়ে নিলেন, অতঃপর বললেন, আমরা অসুস্থ আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে দেখতে গেলাম। এমনকি আমাদের উপস্থিতিতে ঘর ভর্তি হয়ে গেল। তখন তিনি তার পদদ্বয় গুটিয়ে নিলেন, অতঃপর বললেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট প্রবেশ করলাম এবং আমাদের উপস্থিতিতে ঘর ভর্তি হয়ে গেল। তিনি তখন কাত হয়ে শায়িত ছিলেন। তিনি আমাদের দেখে তাঁর পদদ্বয় গুটিয়ে নিলেন, অতঃপর বলেন, অচিরেই আমার পরে তোমাদের নিকট দলে দলে লোক আসবে জ্ঞানার্জনের জন্য। তোমরা তাদের স্বাগত জানাবে, তাদের সালাম দিবে এবং ইল্‌ম শিক্ষা দিবে। অধস্তন রাবী হাসান (রহঃ) বলেন, আমরা তাদের সাক্ষাৎ পেয়েছি। আল্লাহ্‌র শপথ! আমরা তাদের নিকট গেলে তারা আমাদের স্বাগত জানায়নি, আমাদের সালাম দেয়নি, আমাদের ইলম শিক্ষা দেয়নি, বরং আমরা তাদের কাছে পৌঁছলে তারা আমাদের উপর যুলম করেছে। [২৪৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৬] মউযূ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ৩৩৪৯। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুআল্লা বিন হিলাল সম্পর্কে সুফইয়ান আস-সাওরী তার ব্যাপারে মিথ্যার অভিযোগ করেছেন। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান, তিনি পরিষ্কার মিথ্যুক। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য ও তিনি মিথ্যুক। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং মিথ্যুক। ইমাম বুখারী বলেন, তাকে সকলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২. ইসমাইল (বিন মুসলিম) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় না। আমর ইবনুল ফাল্লাস বলেন, তিনি সত্যবাদী হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَنْقَزِيُّ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا ‏ “‏ إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا ‏”‏ ‏.‏

আবু হারূন আল-আবদী (মাতরূক বা প্রত্যাখ্যানযোগ্য) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা আবু সাঈদ আল খুদরী (রাঃ)-এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওসিয়াত অনুযায়ী স্বাগতম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেন, লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর আনাচে-কানাচে থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীন শিক্ষার জন্য আসবে। তারা তোমাদের নিকট আসলে তোমরা তাদের ভালো কাজের উপদেশ দিবে। [২৪৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৭] তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২১৫। উক্ত হাদিসের রাবী আবু হারুন আল আবদী সম্পর্কে শু’বাহ ইবনু হাজ্জাজ তাকে দুর্বল বলেছেন। হাম্মাদ বিন যায়দ তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং তিনি মিথ্যুক। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম বলেন, তিনি দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪. অধ্যায়ঃ

জ্ঞান দ্বারা উপকৃত হওয়া এবং তদানুযায়ী আমাল করা

২৫০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ مِنْ دُعَاءِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ دُعَاءٍ لاَ يُسْمَعُ وَمَنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি দুআ’ এই যে, “হে আল্লাহ্‌! আমি সেই জ্ঞান থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই যা কোন উপকারে আসে না, এমন দুআ’ থেকে যা শোনা হয় না, সেই অন্তর থেকে যা ভীত হয় না এবং সেই দেহ থেকে যা তৃপ্ত হয় না।” [২৪৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৮] নাসায়ী ৫৫৩৬-৩৭, আবূ দাঊদ ১৫৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল-আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী বিন মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي وَزِدْنِي عِلْمًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ্‌! তুমি যে জ্ঞান আমাকে শিখিয়েছো তার দ্বারা আমাকে উপকৃত করো, আমাকে এমন জ্ঞান দান করো যা আমার উপকারে আসে, আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দাও এবং সর্বাবস্থায় সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য।” [২৪৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাম্‌দ ছাড়া সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪৯] তিরমিযী ৩৫৯৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: হামদ ছাড়া সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩৪৯৩। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন উবায়দা সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হুজ্জাহ নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَسُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ أَبِي طُوَالَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللَّهِ لاَ يَتَعَلَّمُهُ إِلاَّ لِيُصِيبَ بِهِ عَرَضًا مِنَ الدُّنْيَا لَمْ يَجِدْ عَرْفَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي رِيحَهَا ‏.‏

 

قَالَ أَبُو الْحَسَنِ أَنْبَأَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে জ্ঞান দ্বারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয়, যদি কেউ সেই জ্ঞান পার্থিব স্বার্থ সিদ্ধির জন্য শিক্ষা করে, তবে সে কিয়ামাতের দিন জান্নাতের সুবাসও পাবে না। [২৫০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫০] আবূ দাঊদ ৩৬৬৪, আহমাদ ৮২৫২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ফুদায়লাহ বিন সুলায়মান সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু আদী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় সমস্যা নেই। আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৩

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا أَبُو كَرِبٍ الأَزْدِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ لِيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ أَوْ لِيُبَاهِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ أَوْ لِيَصْرِفَ وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْهِ فَهُوَ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি নির্বোধের সাথে ঝগড়া করার জন্য অথবা আলিমদের উপর বাহাদুরি প্রকাশের জন্য অথবা তার প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জ্ঞানার্জন করে, সে জাহান্নামী। [২৫১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫১] তিরমিযী ২৬৫৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, দুর্বল। ২. আবু কুরায়ব আল-আমদী সম্পর্কে আবু হাতিম ও ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ لِتُبَاهُوا بِهِ الْعُلَمَاءَ وَلاَ لِتُمَارُوا بِهِ السُّفَهَاءَ وَلاَ تَخَيَّرُوا بِهِ الْمَجَالِسَ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَالنَّارُ النَّارُ ‏”‏ ‏.

জাবির বিন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা আলিমদের উপর বাহাদুরি প্রকাশের জন্য, নির্বোধদের সাথে ঝগড়া করার জন্য এবং জনসভার উপর বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা করো না। যে ব্যক্তি এরূপ করবে, তার জন্য রয়েছে আগুন আর আগুন। [২৫২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫২] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ১০২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ أُنَاسًا مِنْ أُمَّتِي سَيَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ وَيَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَقُولُونَ نَأْتِي الأُمَرَاءَ فَنُصِيبُ مِنْ دُنْيَاهُمْ وَنَعْتَزِلُهُمْ بِدِينِنَا ‏.‏ وَلاَ يَكُونُ ذَلِكَ كَمَا لاَ يُجْتَنَى مِنَ الْقَتَادِ إِلاَّ الشَّوْكُ كَذَلِكَ لاَ يُجْتَنَى مِنْ قُرْبِهِمْ إِلاَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ كَأَنَّهُ يَعْنِي الْخَطَايَا ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার উম্মাতের কতক লোক ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করবে, তারা কুরআন পড়বে এবং বলবে, আমরা শাসকদের নিকট যাবো তাদের নিকট থেকে পার্থিব স্বার্থ প্রাপ্ত হবো এবং আমাদের দ্বীন থেকে তাদের সরিয়ে রাখবো। এরূপ কখনো হতে পারে না। যেমন কাঁটাদার গাছ থেকে ফল আহরণের সময় হাতে কাঁটা ফুটবেই, তদ্রূপ তারা তাদের কাছে গিয়ে গুনাহ থেকে বাঁচতে পারে না। মুহাম্মাদ ইবনুস সাব্বাহ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ গুনাহ ব্যতীত তারা কিছুই লাভ করতে পারে না। [২৫৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫৩] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৬২ যঈফ, যঈফা ৩/১২৫০ যঈফ, তালীফুর গীব ১/৬৯। উক্ত হাদিসের রাবী উবায়দুল্লাহ বিন আবু বুরদাহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তার সম্পর্কে কিছুই জানা যায় নি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ سَيْفٍ، عَنْ أَبِي مُعَاذٍ الْبَصْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ أَبِي مُعَاذٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ جُبِّ الْحُزْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا جُبُّ الْحُزْنِ قَالَ ‏”‏ وَادٍ فِي جَهَنَّمَ يَتَعَوَّذُ مِنْهُ جَهَنَّمُ كُلَّ يَوْمٍ أَرْبَعَمِائَةِ مَرَّةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَدْخُلُهُ قَالَ ‏”‏ أُعِدَّ لِلْقُرَّاءِ الْمُرَائِينَ بِأَعْمَالِهِمْ وَإِنَّ مِنْ أَبْغَضِ الْقُرَّاءِ إِلَى اللَّهِ الَّذِينَ يَزُورُونَ الأُمَرَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ الْمُحَارِبِيُّ الْجَوَرَةَ ‏.‏

 

قَالَ أَبُو الْحَسَنِ حَدَّثَنَا حَازِمُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ نُمَيْرٍ قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ النَّصْرِيِّ وَكَانَ ثِقَةً ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ نَحْوَهُ بِإِسْنَادِهِ ‏.‏

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ سَيْفٍ، عَنْ أَبِي مُعَاذٍ، ‏.‏ قَالَ مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ عَمَّارٌ لاَ أَدْرِي مُحَمَّدٌ أَوْ أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা ‘জুব্বুল হুযন’ থেকে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! ‘জুব্বুল হুযন’ কী? তিনি বলেন, জাহান্নামের একটি উপত্যকা, যা থেকে বাঁচার জন্য জাহান্নাম দৈনিক চার শতবার আশ্রয় প্রার্থনা করে। তারা বলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তাতে কারা প্রবেশ করবে? তিনি বলেন, যারা প্রদর্শনেচ্ছার বশবর্তী হয়ে কাজ করে সেসব কুরআন পাঠকের জন্য তা তৈরি করা হয়েছে। যে সকল কুরআন পাঠক (বিশেষজ্ঞ) শাসক গোষ্ঠীর সাথে দেখা-সাক্ষাত করে তারা আল্লাহ্‌র কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ক্বারী। মুহারিবী (রহঃ) বলেন, এর দ্বারা যালিম ও অত্যাচারী শাসকদের বুঝানো হয়েছে। [২৫৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫৪] তিরমিযী ২৩৮৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: তিরমিযী ৪/২৩৮৩, মিশকাত ২৭৫, যঈফ তারগীব ১৬, ২১৪১; যঈফা ১১/৫১৫৫ যঈফ জিদ্দান, মলাকুর রগীব ১/৩৩, যঈফাহ ৫০২৩। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আম্মার বিন সায়ফ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও আবু যুরআহ ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। ২. আবু মুআয সম্পর্কে আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং মুনকারুল হাদিস। ইমাম বুখারী বলেন, তাকে সকলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, মুনকারুল হাদিস। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ النَّصْرِيِّ، عَنْ نَهْشَلٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ لَوْ أَنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ، صَانُوا الْعِلْمَ وَوَضَعُوهُ عِنْدَ أَهْلِهِ لَسَادُوا بِهِ أَهْلَ زَمَانِهِمْ وَلَكِنَّهُمْ بَذَلُوهُ لأَهْلِ الدُّنْيَا لِيَنَالُوا بِهِ مِنْ دُنْيَاهُمْ فَهَانُوا عَلَيْهِمْ سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ جَعَلَ الْهُمُومَ هَمًّا وَاحِدًا هَمَّ آخِرَتِهِ كَفَاهُ اللَّهُ هَمَّ دُنْيَاهُ وَمَنْ تَشَعَّبَتْ بِهِ الْهُمُومُ فِي أَحْوَالِ الدُّنْيَا لَمْ يُبَالِ اللَّهُ فِي أَىِّ أَوْدِيَتِهَا هَلَكَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আলিমরা যদি জ্ঞানার্জনের পর তা সংরক্ষণ করে এবং তা যোগ্য আলিমদের সামনে রেখে দেয়, তাহলে অবশ্যই তারা নিজ যুগের জনগণের নেতৃত্ব দিবে। কিন্তু তারা তা দুনিয়াদারদের নিকট পেশ করেছে পার্থিব স্বার্থ লাভের জন্য। ফলে তারা তাদের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে। আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি তার সমস্ত চিন্তাকে একই চিন্তায় অর্থাৎ আখিরাতের চিন্তায় কেন্দ্রীভূত করেছে, আল্লাহ্‌ তার দুনিয়ার চিন্তার জন্য যথেষ্ট। অপর দিকে যে ব্যক্তি যাবতীয় পার্থিব চিন্তায় নিমগ্ন থাকবে সে যে কোন উন্মুক্ত মাঠে ধংস হোক, তাতে আল্লাহ্‌র কিছু আসে যায় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাসান। তাখরীজ আলবানী:

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৮

حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، وَأَبُو بَدْرٍ عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ الْهُنَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ الْهُنَائِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ خَالِدِ بْنِ دُرَيْكٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ لِغَيْرِ اللَّهِ أَوْ أَرَادَ بِهِ غَيْرَ اللَّهِ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্যের (সন্তুষ্টি লাভের) জন্য জ্ঞানার্জন করে অথবা জ্ঞানার্জনের দ্বারা আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কিছু লাভের ইচ্ছা করে, সে যেন জাহান্নামে তার বাসস্থান বানিয়ে নিল। [২৫৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫৬] তিরমিযী ২৬৫৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৬৮৭ যঈফ, যঈফাহ ৫০১৭।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৫৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَاصِمٍ الْعَبَّادَانِيُّ، حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَشْعَثَ بْنَ سَوَّارٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ لِتُبَاهُوا بِهِ الْعُلَمَاءَ أَوْ لِتُمَارُوا بِهِ السُّفَهَاءَ أَوْ لِتَصْرِفُوا وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْكُمْ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَهُوَ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা আলিমগণের উপর বাহাদুরি জাহির করার জন্য অথবা নির্বোধদের সাথে ঝগড়া করার জন্য অথবা সাধারণ মানুষের মনোযোগ তোমাদের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য জ্ঞানার্জন করো না। যে তা করবে সে জাহান্নামী।

  •  
  •  
  •  
  •  

নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী বাশীর বিন মায়মুন সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী ও আমর ইবনুল ফাল্লাস বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদিস ও তার ব্যাপারে হাদিস বানিয়ে বর্ণনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। ২. আশআস বিন সাওওয়ার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। উসমান বিন আবু শায়বা বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নায়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম যাহাবী বলেন, সালিহুল হাদিস।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَنْبَأَنَا وَهْبُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الأَسَدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ تَعَلَّمَ الْعِلْمَ لِيُبَاهِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ وَيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ وَيَصْرِفَ بِهِ وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْهِ أَدْخَلَهُ اللَّهُ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আলিমদের উপর বাহাদুরি জাহির করার জন্য, নির্বোধদের সাথে ঝগড়া করার জন্য এবং নিজের দিকে সাধারণ মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট করার জন্য জ্ঞানার্জন করে, আল্লাহ্‌ তাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন। [২৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫৮] আহমাদ ৮২৫২ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন সাঈদ (বিন আবু সাঈদ) আল মাকবুরী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তার মাজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যাবাদিতা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু মাঈন বলেন তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু যুরআহ তাকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন। আমর ইবনুল ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫. অধ্যায়ঃ

জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়ে যে ব্যক্তি তা গোপন করে

২৬১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا عِمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَا مِنْ رَجُلٍ يَحْفَظُ عِلْمًا فَيَكْتُمُهُ إِلاَّ أُتِيَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُلْجَمًا بِلِجَامٍ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

قَالَ أَبُو الْحَسَنِ – أَىِ الْقَطَّانُ – وَحَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عِمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو الْحَسَنِ أَيْضًا وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عِمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যক্তি (দ্বীনের) জ্ঞানের কথা শিক্ষা করার পর তা গোপন করে রাখলে, কিয়ামাতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরানো অবস্থায় উপস্থিত করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইমারাহ ইবনু যাযান সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ الأَعْرَجِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ وَاللَّهِ لَوْلاَ آيَتَانِ فِي كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى مَا حَدَّثْتُ عَنْهُ – يَعْنِي عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ – شَيْئًا أَبَدًا لَوْلاَ قَوْلُ اللَّهِ ‏{إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنَ الْكِتَابِ}‏ إِلَى آخِرِ الآيَتَيْنِ ‏.‏

আবদুর রহমান বিন হুরমুয আল-আ’রাজ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আল্লাহ্‌র শপথ! যদি মহান আল্লাহ্‌র কিতাবে (কুরআন মাজীদ) দু’টি আয়াত না থাকতো, তাহলে আমি কখনো নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করতাম না। যদি আল্লাহ্‌র এই বাণী না থাকতো (অর্থ): “আল্লাহ্‌ যে কিতাব নাযিল করেছেন যারা তা গোপন রাখে এবং বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে, তারা নিজেদের পেটে আগুন ছাড়া আর কিছুই ভরে না। কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। এরাই সৎপথের বিনিময়ে ভ্রান্ত পথ এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করেছে। আগুন সহ্য করতে এরা কতই না ধৈর্যশীল।” (সূরা বাকারাঃ ১৭৪-১৭৫)। [২৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৬০] বুখারী ১১৮, ২৩৫০; আহমাদ ৭২৩৩, ৭৬৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ أَبِي السَّرِيِّ الْعَسْقَلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا لَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَمَنْ كَتَمَ حَدِيثًا فَقَدْ كَتَمَ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এই উম্মাতের পরবর্তীকালের লোকেরা যখন তাদের পূর্ববর্তীকালের লোকেদের অভিশাপ দিবে, তখন কেউ একটি হাদীস গোপন করলে, সে যেন আল্লাহ্‌ কর্তৃক নাযিলকৃত কিতাবকেই গোপন করলো। [২৬১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৬১] খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬৮৭ যঈফ জিদ্দান, যঈফ তারগীব ৯৬, যঈফা ৪/১৫০৭; যঈফাহ ১৫০৭ তালীকুল রগীব ১/৭৪। উক্ত হাদিসের রাবী হুসায়ন বিন আবু সারিয়্যী আল আসকালানী সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে তিনি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

২৬৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ سُلَيْمٍ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ فَكَتَمَهُ أُلْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি (তার জানা) জ্ঞানের কথা জিজ্ঞাসিত হয়ে সে তা গোপন করলে কিয়ামাতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরানো হবে। [২৬২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৬২] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২২৩-২২৪। উক্ত হাদিসের রাবী ১. উমার বিন সুলায়ম সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। আল উকায়লী বলেন, তিনি প্রসিদ্ধ নয়। ২. ইউসুফ বিন ইবরাহীম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, মুনকারুল হাদিস ও তার থেকে আশ্চর্য ধরনের হাদিস শুনা যায়। ইবনু হিব্বান বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা বৈধ হবে না। আল উকায়লী তাকে দুর্বল আখ্যায়িত করেছেন। আবু আহমাদ আল হাকিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ حِبَّانَ بْنِ وَاقِدٍ الثَّقَفِيُّ أَبُو إِسْحَاقَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَابٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ كَتَمَ عِلْمًا مِمَّا يَنْفَعُ اللَّهُ بِهِ فِي أَمْرِ النَّاسِ فِي الدِّينِ أَلْجَمَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি দ্বীনের এমন জ্ঞান গোপন করে, যার দ্বারা আল্লাহ্‌ মানুষের কাজে, দ্বীনের কাজে উপকৃত করে থাকেন, আল্লাহ্‌ তাকে কিয়ামাতের দিন আগুনের লাগাম পরাবেন। [২৬৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৬৩] খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৮১৪ যঈফ, যঈফ তারগীব ৯৬, যঈফা ৪/১৫০৭। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন দাব সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল এবং মিথ্যুক।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

২৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَفْصِ بْنِ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِبْرَاهِيمَ، إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْكَرَابِيسِيُّ عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ يَعْلَمُهُ فَكَتَمَهُ أُلْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার জানা জ্ঞানের কথা জিজ্ঞাসিত হয়ে তা গোপন করলে, কিয়ামাতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরানো হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু ইবরাহীম ইসমাইল বিন ইবরাহীম আল কারাবিসী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী ও ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস