ইবনে মাজাহ বিবাহ অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১৯২৬ – ২০১৫
৯/৩০. অধ্যায়ঃ
আযল প্রসঙ্গ।
১৯২৬
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْعَزْلِ فَقَالَ أَوَ تَفْعَلُونَ لَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا فَإِنَّهُ لَيْسَ مِنْ نَسَمَةٍ قَضَى اللهُ لَهَا أَنْ تَكُونَ إِلَّا هِيَ كَائِنَةٌ
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ তোমরা কি তা করো? তা না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কেননা যে প্রাণের উদ্ভব হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ্ সিদ্ধান্ত করে রেখেছেন তা হবেই। [১৯২৬]
[১৯২৬] সহীহুল বুখারী ২২২৯, ২৫৪২, ৪১৩৮, ৫২১০, ৬৬০৩, ৭৪০৯, মুসলিম ১৪৩৮, তিরমিযী ১১৩৮, নাসায়ী ৩৩২৭, আবূ দাউদ ২১৭০, ২১৭১, ২১৭২, আহমাদ ১০৬৯৪, ১০৭৮৮, ১০৮২০, ১১০৪৬, ১১০৬৬, ১১১১০, ১১১৫১, ১১১৭২, ১১২০৮, ১১২৫১, ১১২৯১, ১১৩৩৫, ১১৩৬৯, ১১৪২৯, ১১৪৭৪, মুয়াত্তা মালেক ১২৬২, দারেমী ২২২৩, ২২২৪, ইরওয়াহ ৯৯৯, সহীহ আবী দাউদ ১৮৮৬, ১৮৮৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল-উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২৭
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ كُنَّا نَعْزِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالْقُرْآنُ يَنْزِلُ
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জীবদ্দশায় এবং কুরআন নাযিল হওয়া অব্যাহত থাকা অবস্থায় আযল করতাম। [১৯২৭]
[১৯২৭] সহীহুল বুখারী ৫২০৯, মুসলিম ১৪৪০, তিরমিযী ১১৩৬, ১১৩৭, আহমাদ ১৩৯০৬, আদবুয যিফাফ ৫১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২৮
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلَّالُ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَرَّرِ بْنِ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ «نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعْزَلَ عَنْ الْحُرَّةِ إِلَّا بِإِذْنِهَا».
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বাধীন স্ত্রীর বেলায় তার সম্মতি ছাড়া আযল করতে নিষেধ করেছেন। [১৯২৮]
[১৯২৮] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ২০০৭। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৯/৩১. অধ্যায়ঃ
কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না।
১৯২৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَلَا عَلَى خَالَتِهَا
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন মহিলাকে তার ফুফু বা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না। [১৯২৯]
[১৯২৯] সহীহুল বুখারী ৫১০৯, ৫১১১, মুসলিম ১৪০৮, তিরমিযী ১১২৬, নাসায়ী ৩২৮৮, ৩২৮৯, ৩২৯০, ৩২৯১, ৩২৯২, ৩২৯৩, ৩২৯৪, ৩২৯৫, ৩২৯৬, আবূ দাউদ ২০৬৫, ২০৬৬, আহমাদ ৭০৯৩, ৭৪১৩, ৮৮৭৬, ৮৯৫০, ৯১৮৪, ৯২১৬, ৯৩০৩, ৯৫২৪, ৯৬৩৫, ৯৬৮০, ৯৭৮৯, ৯৯৭৩, ১০২২৭, ১০৩১১, ১০৩৩৪, ১০৪৬৩, মুয়াত্তা মালেক ১১২৯, দারেমী ২১৭৮, ২১৭৯, ইরওয়াহ ৬/২৮৬, সহীহ আবী দাউদ ১৮০২, ১৮০৩, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ৭, রওদুন নাদীর ১১৭১, ১১৭৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩০
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ نِكَاحَيْنِ أَنْ يَجْمَعَ الرَّجُلُ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا وَبَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দু’ধরনের বিবাহ নিষিদ্ধ করতে শুনেছিঃ কোন স্ত্রীলোক ও তার খালাকে অথবা কোন স্ত্রীলোক ও তার ফুফুকে কোন ব্যক্তির বিবাহাধীনে একত্র করা (নিষিদ্ধ)। [১৯৩০]
[১৯৩০] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৬/২৯১। রাওদুন নাদীর ১১৭১, ১১৭৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩১
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تُنْكَحُ الْمَرْأَةِ عَلَى عَمَّتِهَا وَلَا عَلَى خَالَتِهَا
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না। [১৯৩১]
[১৯৩১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী ১. জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্ (আল্লাহ্ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৯১, ৪/৪৮৯ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু বকর আন-নাহশালী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি কুফার একজন সিকাহ রাবী তবে তিনি মুরজিয়াহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে মুরজিয়াহ মতাবলম্বী। ইমাম যাহাবী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি সিকাহ। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি মুরজিয়াহ মতাবলম্বী, তিনি দুর্বলদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭২৬৭, ৩৩/১৫৬ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস ও আবু বকর আন-নাহশালী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৭২৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৭ টি জাল, ৬১ টি অধিক দুর্বল, ৪২ টি দুর্বল, ১৬৪ টি হাসান, ৪৫০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৫১০৮, ৫১০৯, মুসলিম ১৪০৮, ১৪০৯, তিরমিযি ১১২৫, ১১২৬, আবু দাউদ ২০৬৫, ২০৬৬, ২০৬৭, দারিমী ২১৭৮, ২১৭৯, আহমাদ ৫৭৮, ১৮৮১, ৩৫২০, ৬৬৪৩, ৬৭৩১, ৭০৯৩, ৭৪১৩, ৮৮৮০, ৮৯৫০, ১০৩১২, ১০৩৩৪, ১০৩৩৯, ১০৫০৫ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৩২. অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলো, অতঃপর সে অন্য স্বামী গ্রহণ করলো। সেও তাকে সহবাসের পূর্বে তালাক দিলো। এ অবস্থায় সে কি তার প্রথম স্বামীর সাথে পুনর্বিবাহে আবদ্ধ হতে পারে?
১৯৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ امْرَأَةَ رِفَاعَةَ الْقُرَظِيِّ جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي كُنْتُ عِنْدَ رِفَاعَةَ فَطَلَّقَنِي فَبَتَّ طَلَاقِي فَتَزَوَّجْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الزَّبِيرِ وَإِنَّ مَا مَعَهُ مِثْلُ هُدْبَةِ الثَّوْبِ فَتَبَسَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَتُرِيدِينَ أَنْ تَرْجِعِي إِلَى رِفَاعَةَ لَا حَتَّى تَذُوقِي عُسَيْلَتَهُ وَيَذُوقَ عُسَيْلَتَكِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রিফাআহ আল-কুরাযী (রাঃ) -এর স্ত্রী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, আমি রিফাআর বিবাহাধীন ছিলাম। সে আমাকে তিন তালাক দিলে পর আমি আবদুর রহমান ইবনুয যুবায়র (রাঃ)-কে বিবাহ করি। কিন্তু তার সাথে কাপড়ের পোটলাবৎ বস্তু ছাড়া কিছু নাই। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হেসে বললেনঃ তুমি কি রিফাআর নিকট ফিরে যেতে চাও? তা হবে না, যতক্ষণ না তুমি তার মধু পান করো এবং সে তোমার মধু পান করে। [১৯৩২]
[১৯৩২] সহীহুল বুখারী ২৬৩৯, ৫২৬০, ৫২৬৫, ৫৩১৭, ৫৭৯২, ৫৮২৫, ৬০৮৪, মুসলিম ১৪৩৩, তিরমিযী ১১১৮, নাসায়ী ৩২৮৩, ৩৪০৭, ৩৪০৮, ৩৪০৯, ৩৪১১, ৩৪১২, আবূ দাউদ ২৩০৯, আহমাদ ২৩৫৩৮, ২৩৫৭৮, ২৫০৭৭, ২৫৩৬৪, ২৫৩৮৯, মুয়াত্তা মালেক ১১২৭, দারেমী ২২৬৭, ২২৬৮, ইরওয়াহ ১৮৮৭,তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ رَزِينٍ يُحَدِّثُ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّجُلِ تَكُونُ لَهُ الْمَرْأَةُ فَيُطَلِّقُهَا فَيَتَزَوَّجُهَا رَجُلٌ فَيُطَلِّقُهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا أَتَرْجِعُ إِلَى الْأَوَّلِ قَالَ لَا حَتَّى يَذُوقَ الْعُسَيْلَةَ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর অপর এক ব্যক্তি বিবাহ করে। সে তার সহবাসের পূর্বে পুনরায় তাকে তালাক দেয়। উক্ত স্ত্রীলোকটি কি প্রথম স্বামীর সাথে পুনর্বিবাহে আবদ্ধ হতে পারবে? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ না, যতক্ষণ না সে তার মধু পান করে (তার সাথে সহবাস করে)। [১৯৩৩]
[১৯৩৩] নাসায়ী ৩৪১৪, বায়হাকী ৭/৪৫৯, আল হাকিম ফিল মুসতাদরাক ৩/২২৬, ইরওয়াহ ৬/২৯৯, ২৯৮১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সালিম বিন রাযীন সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মজহুল বা অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২১৪৫, ১০/১৪০ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু সালিম বিন রাযীন এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৯৭ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১ টি জাল, ৫৬ টি অধিক দুর্বল, ২২৬ টি দুর্বল, ১৪০ টি হাসান, ১০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ২৬৩৯, ৫২৬০, ৫২৬১, ৫২৬৫, ৫৩১৭, ৫৭৯২, ৫৮২৫, ৬০৮৪, মুসলিম ১৪৩৩, ১৪৩৪, তিরমিযি ১১১৮, আবু দাউদ ২৩০৯, দারিমী ২২৬৭, ২২৬৮, আহমাদ ১৮৪০, ৪৭৬২, ৫২৫৫, ৫৫৪৬, ১৩৬১০, ২৩৫৩৭, দারাকুতনী ৩৯০০, ৩৯২৩, ৩৯২৪, ৩৯২৭, ৩৯২৮, ৩৯৩১, ৩৯৩২ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৩৩. অধ্যায়ঃ
হালালকারী এবং যার জন্য হালাল করা হয়।
১৯৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَنْ زَمْعَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمُحَلِّلَ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাহ্লীলকারী এবং যার জন্য তাহ্লীল করা হয় তাদের উভয়কে অভিসম্পাত করেছেন। [১৯৩৪]
[১৯৩৪] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ১৮৯৭, মিশকাত ৩২৯৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী যামআহ বিন সালিহ সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সহিহ হাদিসের বিপরীত বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০০৩, ৯/৩৮৬ নং পৃষ্ঠা) ২. সালামাহ বিন ওয়াহহাম সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আল-জুরজানী বলেন, আমি আশা করি যামআহ ছাড়া তার বর্ণনায় কোন অসুবিধা নেই। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য নয় তবে তা দলীল যোগ্য হবে না। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, যামআহ বিন সালিহ কর্তৃক বর্ণিত হাদিস ছাড়া তিনি সত্যবাদী অন্যথায় তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৪৭৪, ১১/৩৮২ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু যামআহ বিন সালিহ ও সালামাহ বিন ওয়াহহাম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ২০ টি অধিক দুর্বল, ১৫ টি দুর্বল, ১৬ টি হাসান, ২ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, তিরমিযি ১১১৯, ১১২০, আবু দাউদ ২০৭৬, দারিমী ২২৫৮, আহমাদ ৪২৯৬, ৮০৮৮, দারাকুতনী ৩৫৭৬, শারহুস সুন্নাহ ২২৯৩ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ الْبَخْتَرِيِّ الْوَاسِطِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ وَمُجالِدٌ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمُحَلِّلَ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাহ্লীলকারী এবং যার জন্য তাহ্লীল করা হয়, তাদের (উভয়কে) অভিসম্পাত করেছেন। [১৯৩৫]
[১৯৩৫] তিরমিযী ১১১৯, আবূ দাউদ ২০৭৬, আহমাদ ৬৩৬, ৬৬২, ৬৭৩, ৭২৩, ৮৪৬, ৯৮৩, ১২৯১, ১৩৬৮, বায়হাকী ৫/৬১, হাকিম ফিল মুসতাদরাক ১/৪৫৪, ইরওয়াহ ৬/৩০৮, ৩০৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। ১. মুজালীদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিব সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৮০, ২৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা) ২. হারিস (বিন আবদুল্লাহ) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল-মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহনযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।(তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১০২৪, ৫/২৩৯ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মুজালীদ ও হারিস (বিন আবদুল্লাহ) এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২০ টি অধিক দুর্বল, ১৫ টি দুর্বল, ১৬ টি হাসান, ২ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১১১৯, ১১২০, আবু দাউদ ২০৭৬, দারিমী ২২৫৮, আহমাদ ৪২৯৬, ৮০৮৮, দারাকুতনী ৩৫৭৬, শারহুস সুন্নাহ ২২৯৩ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ سَمِعْتُ اللَّيْثَ بْنَ سَعْدٍ يَقُولُ قَالَ لِي أَبُو مُصْعَبٍ مِشْرَحُ بْنُ هَاعَانَ قَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِالتَّيْسِ الْمُسْتَعَارِ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ هُوَ الْمُحَلِّلُ لَعَنَ اللهُ الْمُحَلِّلَ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ
উকবাহ বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি কি তোমাদের ভাড়াটে পাঁঠা সম্পর্কে অবহিত করবো না? তারা বললেন, হাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বলেনঃ সে হলো তাহ্লীলকারী। আল্লাহ তাহ্লীলকারী এবং যার জন্য তাহ্লীল করা হয় তাদের উভয়কে অভিসম্পাত করেছেন। [১৯৩৬]
[১৯৩৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৬/৩০৯-৩১০। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৯/৩৪. অধ্যায়ঃ
বংশীয় সম্পর্কের দরুন যারা হারাম হয়, দুধপানজনিত কারণেও তারা হারাম হয়।
১৯৩৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنْ النَّسَبِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বংশীয় সম্পর্কের দরুন যারা হারাম হয়, দুধপানজনিত কারণেও তারা হারাম হয়। [১৯৩৭]
[১৯৩৭] সহীহুল বুখারী ২৬৪৬, ৩১০৫, ৫০৯৯, মুসলিম ১৪৪৪, ১৪৪৫, তিরমিযী ১১৪৭, নাসায়ী ৩৩০০, ৩৩০১, ৩৩০২, ৩৩০৩, ৩৩১৩, আবূ দাউদ ২০৫৫, আহমাদ ২৩৬৫০, ২৩৭২২, ২৩৮৫০, ২৩৯১০, ২৪১৯১, ২৪৯২৫, মুয়াত্তা মালেক ১২৭৭, ১২৭৮, ১২৯১, দারেমী ২২৪৭, ২২৪৯, ইরওয়াহ ৬/২৮৩, সহীহ আবী দাউদ ১৭৯৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৮
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلَّادٍ قَالَا حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُرِيدَ عَلَى بِنْتِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِي مِنْ الرَّضَاعَةِ وَإِنَّهُ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنْ النَّسَبِ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে হামযা বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) -এর মেয়ের বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি বলেনঃ সে তো আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা। বংশীয় সম্পর্কের দরুন যাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হারাম, দুধপান জনিত সম্পর্কের দরুণও অনুরূপ মহিলাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হারাম। [১৯৩৮]
[১৯৩৮] সহীহুল বুখারী ২৬৪৫, মুসলিম ১৪৪৭, নাসায়ী ৩৩০৫, ৩৩০৬, আহমাদ ২৪৮৬, ইরওয়াহ ৬/২৮৪, রওদুন নাদীর ১১৯২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৯
– حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّهَا قَالَتْ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْكِحْ أُخْتِي عَزَّةَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتُحِبِّينَ ذَلِكِ قَالَتْ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ فَلَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ وَأَحَقُّ مَنْ شَرِكَنِي فِي خَيْرٍ أُخْتِي قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَحِلُّ لِي قَالَتْ فَإِنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَنْكِحَ دُرَّةَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ فَقَالَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّهَا لَوْ لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حَجْرِي مَا حَلَّتْ لِي إِنَّهَا لَابْنَةُ أَخِي مِنْ الرَّضَاعَةِ أَرْضَعَتْنِي وَأَبَاهَا ثُوَيْبَةُ فَلَا تَعْرِضْنَ عَلَيَّ أَخَوَاتِكُنَّ وَلَا بَنَاتِكُنَّ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ.
উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলেন, আপনি আমার বোন আয্যাকে বিবাহ করুন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি কি পছন্দ করো? তিনি বলেলেন, হাঁ হে আল্লাহর রসূল! আর আমি তো আপনার জন্যে একক নই। কল্যাণ লাভে আমার শরীক হওয়ার ব্যাপারে আমার বোন আমার নিকট অধিক অগ্রগণ্য। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সে আমার জন্য হালাল নয়। তিনি বলেন, আমরা তো পরস্পর আলোচনা করছিলাম যে, আপনি আবূ সালামাহ (রাঃ) -এর কন্যা দুররাকে বিবাহ করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেনঃ উম্মু সালামাহর কন্যা? উম্মু হাবীবা (রাঃ) বলেন, হাঁ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সে যদি আমার প্রতিপালনাধীন আমার স্ত্রীর পূর্ব-স্বামীর কন্যা নাও হতো, তবুও সে আমার জন্যে হালাল হতো না। কারণ সে আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা। সুয়াইবা (রাঃ) আমাকে এবং তাঁর পিতাকে দুধ পান করিয়েছে। অতএব তোমরা তোমাদের বোনদের ও মেয়েদের আমার সাথে বিবাহ দেয়ার প্রস্তাব করো না।
[উপরোক্ত হাদীসে মোট দুইটি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
৩/১৯৩৯ (১) . উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) , নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। [১৯৩৯]
[১৯৩৯] সহীহুল বুখারী ৫১০১, ৫১০৬, ৫১০৭, ৫১২৪, ৫৩৭২, মুসলিম ১৪৪৯, নাসায়ী ৩২৮৪, ৩২৮৫, ৩২৮৬, ৩২৮৭, আবূ দাউদ ২০৫৬, আহমাদ ২৫৯৫৪, ২৬৮৬৬, সহীহ আবী দাউদ ১৭৯৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৩৫. অধ্যায়ঃ
এক ঢোক অথবা দু’ ঢোক দুধপানে হুরমত সাব্যস্ত হয় না।
১৯৪০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ حَدَّثَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا تُحَرِّمُ الرَّضْعَةُ وَلَا الرَّضْعَتَانِ أَوْ الْمَصَّةُ وَالْمَصَّتَانِ
উম্মুল ফাদল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এক ঢোক অথবা দু’ ঢোক দুধপান (দুধপানজনিত বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন) হারাম করে না। [১৯৪০]
[১৯৪০] মুসলিম ১৪৫১, নাসায়ী ৩৩০৮, আহমাদ ২৬৩৩২, ২৬৩৩৯, দারেমী ২২৫২, ইরওয়াহ ২১৪৯, সহীহ আবী দাউদ ১৮০১, সহীহাহ ৩২৫৯, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خِدَاشٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا تُحَرِّمُ الْمَصَّةُ وَالْمَصَّتَانِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এক ঢোক বা দু’ ঢোক দুধপানে (দুধপানজনিত) বৈবাহিক নিষিদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হয় না। [১৯৪১]
[১৯৪১] মুসলিম ১৪৫০, তিরমিযী ১১৫০, নাসায়ী ৩৩১০, ৩৩১১, আবূ দাউদ ২০৬৩, আহমাদ ২৩৫০৬, ২৫২৮৪, ২৫৫৬৮, দারেমী ২২৫১, ইরওয়াহ ২১৪৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪২
– حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ فِيمَا أَنْزَلَ اللهُ مِنْ الْقُرْآنِ ثُمَّ سَقَطَ لَا يُحَرِّمُ إِلَّا عَشْرُ رَضَعَاتٍ أَوْ خَمْسٌ مَعْلُومَاتٌ.
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, প্রথমদিকে কুরআনে এই বিধান ছিলো, যা পরে রহিত হয়ে যায়; দশ ঢোক বা পাঁচ ঢোক দুধ পানের কমে নিষিদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হয় না। [১৯৪২]
[১৯৪২] সহীহুল বুখারী ১৪৫২, ইবনু মাজাহ ১৯৪৪, নাসায়ী ৩৩০৭, ২০৬২, মুয়াত্তা মালেক ১২৯৩, দারেমী ২২৫৩, ইরওয়াহ ২১৪৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৩৬. অধ্যায়ঃ
বয়স্ক লোকে দুধ পান করলে।
১৯৪৩
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ جَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَرَى فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ الْكَرَاهِيَةَ مِنْ دُخُولِ سَالِمٍ عَلَيَّ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَرْضِعِيهِ قَالَتْ كَيْفَ أُرْضِعُهُ وَهُوَ رَجُلٌ كَبِيرٌ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ رَجُلٌ كَبِيرٌ فَفَعَلَتْ فَأَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ مَا رَأَيْتُ فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ شَيْئًا أَكْرَهُهُ بَعْدُ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাহ্লাহ বিনতু সুহায়ল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, ইয়া রসূলুল্লাহ! আমার নিকট সালেমের যাতায়াতের কারণে আমি (আমার স্বামী) আবূ হুযাইফাহর চেহারায় অসন্তুষ্টির ভাব লক্ষ্য করি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। সে বললো, আমি তাকে কিভাবে দুধ পান করাবো, সে যে বয়স্ক পুরুষ? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হেসে বলেন, আমিও অবশ্য জানি যে, সে বয়স্ক পুরুষ। সে তাই করলো, দুধ পান করানোর পর আবূ হুযাইফাহর চেহারায় আমি কোন অপছন্দের ভাব লক্ষ্য করিনি। (রাবী বলেন) , তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। [১৯৪৩]
[১৯৪৩] সহীহুল বুখারী ৪০০০, ৫০৮৮, মুসলিম ১৪৫৩, নাসায়ী ৩২২৩, ৩২৩৪, ৩৩১৯, ৩৩২০, ৩৩২১, ৩৩২২, ৩৩২৩, আবূ দাউদ ২০৬১, আহমাদ ২৫১২১, মুয়াত্তা মালেক ১২৮৮, দারেমী ২২৫৭, ইরওয়াহ ৬/২৬৪, রওদুন নাদীর ৩৫৪, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪৪
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ و عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَدْ نَزَلَتْ آيَةُ الرَّجْمِ وَرَضَاعَةُ الْكَبِيرِ عَشْرًا وَلَقَدْ كَانَ فِي صَحِيفَةٍ تَحْتَ سَرِيرِي فَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَتَشَاغَلْنَا بِمَوْتِهِ دَخَلَ دَاجِنٌ فَأَكَلَهَا.
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে। [১৯৪৪]
[১৯৪৪] মাজাহ ১৯৪৪ সহীহুল বুখারী ১৪৫২, নাসায়ী ৩৩০৭, ২০৬২, মুয়াত্তা মালেক ১২৯৩, দারেমী ২২৫৩, তা’লীক ইবনু মাজাহ। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৯/৩৭. অধ্যায়ঃ
দুধপানের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরের দুধপান সম্পর্কে।
১৯৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا رَجُلٌ فَقَالَ مَنْ هَذَا قَالَتْ هَذَا أَخِي قَالَ انْظُرُوا مَنْ تُدْخِلْنَ عَلَيْكُنَّ فَإِنَّ الرَّضَاعَةَ مِنْ الْمَجَاعَةِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ঘরে প্রবেশ করেন, তখন তার নিকট এক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলো। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ এ ব্যক্তি কে? আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমার ভাই। তিনি বলেনঃ তোমরা লক্ষ্য রাখবে যে, কাকে তোমরা অন্দর মহলে প্রবেশ করাচ্ছো। কেননা সেই দুধপানই ধর্তব্য যা ক্ষুধা নিবারণ করে (অর্থাৎ দুগ্ধপোষ্য শিশুর দুধপানই ধর্তব্য)। [১৯৪৫]
[১৯৪৫] সহীহুল বুখারী ২৬৪৭, ৫১০২, মুসলিম ১৪৫৫, নাসায়ী ৩৩১২, আবূ দাউদ ২০৫৮, দারেমী ২২৫৬, সহীহ আবী দাউদ ১৭৯২, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪৬
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ «لَا رَضَاعَ إِلَّا مَا فَتَقَ الْأَمْعَاءَ».
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, দুধপান সেটাই গ্রহণযোগ্য (যা খাদ্যনালী ভেদ করে) পাকস্থলী পূর্ণ করে (অর্থাৎ শিশুর দুধপানই ধর্তব্য)। [১৯৪৬]
[১৯৪৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ২১৫০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ وَعُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ عَنْ أُمِّهِ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلَّهُنَّ خَالَفْنَ عَائِشَةَ وَأَبَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِنَّ أَحَدٌ بِمِثْلِ رَضَاعَةِ سَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَقُلْنَ وَمَا يُدْرِينَا لَعَلَّ ذَلِكَ كَانَتْ رُخْصَةً لِسَالِمٍ وَحْدَهُ.
যায়নাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সকল স্ত্রী আয়িশা (রাঃ) -এর সাথে এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন এবং তার মত প্রত্যাখান করেন যে, সালেমের মত বয়স্ক পুরুষ দুধপান করলে তাতে দুধপানজনিত নিষিদ্ধতা প্রতিষ্টিত হবে এবং সে তাদের নিকট প্রবেশ করতে পারবে (তাদের মতে তা কর্যকর হবে না)। তারা আরও বলেন, এটা হয়তো কেবল সালেমের একার জন্য প্রযোজ্য (খাস) ছিলো। [১৯৪৭]
[১৯৪৭] মুসলিম ১৪৫৪, নাসায়ী ৩৩২৫, আহমাদ ২৬১২০, ইরওয়াহ ২১৫১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৩৮. অধ্যায়ঃ
পুরুষের দুধ ।
১৯৪৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَتَانِي عَمِّي مِنْ الرَّضَاعَةِ أَفْلَحُ بْنُ أَبِي قُعَيْسٍ يَسْتَأْذِنُ عَلَيَّ بَعْدَ مَا ضُرِبَ الْحِجَابُ فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ لَهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّهُ عَمُّكِ فَأْذَنِي لَهُ فَقُلْتُ إِنَّمَا أَرْضَعَتْنِي الْمَرْأَةُ وَلَمْ يُرْضِعْنِي الرَّجُلُ قَالَ تَرِبَتْ يَدَاكِ أَوْ يَمِينُكِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার দুধ সম্পর্কীয় চাচা আফ্লাহ বিন আবূ কুআয়স পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার পর ভেতর বাড়িতে আমার কাছে আসতে অনুমতি চাইলেন। কিন্তু আমি তাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। ইত্যবসরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এসে বলেনঃ সে তোমার চাচা তাকে আসতে অনুমতি দাও। আমি বললাম, আমাকে তো স্ত্রীলোকটি দুধপান করিয়েছে, পুরুষ লোকটি তো দুধপান করায়নি! তিনি বলেনঃ তোমার উভয় হাত বা তোমার ডান হাত ধুলি ধুসরিত হোক। [১৯৪৮]
[১৯৪৮] মাজাহ ১৯৪৯ সহীহুল বুখারী ২৬৪৪, ২৬৪৬, ৪৭৯৬, ৫০৯৯, ৫১০৩, ৫২৩৯, ৬১৫৬, মুসলিম ১৪৪৪, ১৪৪৫, তিরমিযী ১১৪৮, নাসায়ী ৩৩০১, ৩৩১৩, ৩৩১৪, ৩৩১৫, ৩৩১৬, ৩৩১৭, ৩৩১৮, আবূ দাউদ ২০৫৭, আহমাদ ২৩৫৩৪, ২৩৫৬৫, ২৩৫৮২, আহমাদ ২৪৯১৫, ২৫০৯২, ২৫১২৩, ২৫২৯৫, ২৫৮০২, মুয়াত্তা মালেক ১২৭৭, ১২৭৮, ১২৭৯, দারেমী ২২৪৮, ইরওয়াহ ১৮৯৩, সহীহ আবী দাউদ ১৭৯৬, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪৯
– حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ جَاءَ عَمِّي مِنْ الرَّضَاعَةِ يَسْتَأْذِنُ عَلَيَّ فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلْيَلِجْ عَلَيْكِ عَمُّكِ فَقُلْتُ إِنَّمَا أَرْضَعَتْنِي الْمَرْأَةُ وَلَمْ يُرْضِعْنِي الرَّجُلُ قَالَ إِنَّهُ عَمُّكِ فَلْيَلِجْ عَلَيْكِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার দুধ সম্পর্কীয় চাচা আমার ভেতর বাড়িতে আসার অনুমতি চাইলেন, কিন্তু আমি তাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমার চাচাকে তোমার নিকট আসার অনুমতি দাও। আমি বললাম, আমাকে তো স্ত্রীলোকটি দুধপান করিয়েছে, পুরুষ লোকটি তো দুধপান করায়নি! তিনি আবার বললেনঃ তাকে তোমার নিকট আসার অনুমতি দাও। [১৯৪৯]
[১৯৪৯] মাজাহ ১৯৪৯ সহীহুল বুখারী ২৬৪৪, ২৬৪৬, ৪৭৯৬, ৫০৯৯, ৫১০৩, ৫২৩৯, ৬১৫৬, মুসলিম ১৪৪৪, ১৪৪৫, তিরমিযী ১১৪৮, নাসায়ী ৩৩০১, ৩৩১৩, ৩৩১৪, ৩৩১৫, ৩৩১৬, ৩৩১৭, ৩৩১৮, আবূ দাউদ ২০৫৭, আহমাদ ২৩৫৩৪, ২৩৫৬৫, ২৩৫৮২, আহমাদ ২৪৯১৫, ২৫০৯২, ২৫১২৩, ২৫২৯৫, ২৫৮০২, মুয়াত্তা মালেক ১২৭৭, ১২৭৮, ১২৭৯, দারেমী ২২৪৮, রওয ৭৫৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৩৯. অধ্যায়ঃ
কারো বিবাহ বন্ধনে দু’ (সহোদর) বোন থাকা অবস্থায় সে ইসলাম গ্রহণ করলে।
১৯৫০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ عَنْ أَبِي وَهْبٍ الْجَيْشَانِيِّ عَنْ أَبِي خِرَاشٍ الرُّعَيْنِيِّ عَنْ الدَّيْلَمِيِّ قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدِي أُخْتَانِ تَزَوَّجْتُهُمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَال إِذَا رَجَعْتَ فَطَلِّقْ إِحْدَاهُمَا
আদ-দায়লামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আমার নিকট দু’ (সহোদর) বোন ছিলো, যাদেরকে আমি জাহিলী যুগে একত্রে বিবাহ করেছিলাম। তিনি বলেনঃ তুমি ফিরে গিয়ে তাদের একজনকে তালাক দিয়ে পৃথক করে দাও। [১৯৫০]
[১৯৫০] তিরমিযী ১১২৯, আবূ দাউদ ২২৪৩, বায়হাকী ৭/১২৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল জুরজানী বলেন, তার সানাদ মা মাতান কোনটিরই কেউ অনুসরণ করেননি। আবু বকর আল বুরকানী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মাতরুক বা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু বকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু ইয়ালা আল খালীলী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৭, ২/৪৪৬ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু খিরাশ আর-রুকায়নী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে জানা যায় না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৩৪০, ৩৩/২৭৮ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি হাসান কিন্তু ইসহাক বিন আবদুল্লাহ ও আবু খিরাশ আর-রুকায়নী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৮৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১ টি জাল, ১৬ টি অধিক দুর্বল, ১৮ টি দুর্বল, ৩৭ টি হাসান, ১৩ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১১২৯, ১১৩০, আবু দাউদ ২২৪৩, আহমাদ ১৭৫৭৯, ১৭৫৮০, দারাকুতনী ৩৬৫৩, ৩৬৫৪, ৩৬৫৬, ৩৬৫৭, ৩৬৫৮, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১২৬২৭ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯৫১
حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي وَهْبٍ الْجَيْشَانِيِّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ الضَّحَّاكَ بْنَ فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَسْلَمْتُ وَتَحْتِي أُخْتَانِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِي طَلِّقْ أَيَّتَهُمَا شِئْتَ
ফায়রূয আদ-দায়লামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং আমার বিবাহে দু’ (সহোদর) বোন রয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেনঃ তোমার ইচ্ছেমত এদের একজনকে তালাক দিয়ে পৃথক করে দাও। [১৯৫১]
[১৯৫১] তিরমিযী ১১২৯, ১১৩০, আবূ দাউদ ২২৪৩, ইরওয়াহ ৬/৩৩৪-৩৩৫, সহীহ আবী দাউদ ১৯৪০। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৯/৪০. অধ্যায়ঃ
চারের অধিক সংখ্যক স্ত্রী থাকা অবস্থায় কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে ।
১৯৫২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ حُمَيْضَةَ بِنْتِ الشَّمَرْدَلِ عَنْ قَيْسِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ أَسْلَمْتُ وَعِنْدِي ثَمَانِ نِسْوَةٍ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ اخْتَرْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا
কায়স ইবনুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করলাম এবং তখন আমার আটজন স্ত্রী ছিল। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাঁকে জানালাম। তিনি বলেনঃ তাদের মধ্যে তোমার পছন্দমত চারজনকে রেখে দাও। [১৯৫২]
[১৯৫২] আবূ দাউদ ২২৪১, ইরওয়াহ ১৮৮৫, সহীহ আবী, দাউদ ১৯৩৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ব্যাক্তি আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪০৬, ২৫/৬২২ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৯৫৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ أَسْلَمَ غَيْلَانُ بْنُ سَلَمَةَ وَتَحْتَهُ عَشْرُ نِسْوَةٍ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خُذْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, গায়লান বিন সালামাহ যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন তার দশজন স্ত্রী ছিলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেনঃ তুমি তাদের মধ্যে চারজনকে রাখো। [১৯৫৩]
[১৯৫৩] তিরমিযী ১১২৮, আহমাদ ৪৫৯৫, ৪৬১৭, ৫০০৭, ৫৫৩৩, মুয়াত্তা মালেক ১৪৪৩, ইরওয়াহ ১৮৮৩, মিশকাত ৩১৭১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৪১. অধ্যায়ঃ
বিবাহের শর্তাবলী পূরণ করতে হবে ।
১৯৫৪
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللهِ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ «إِنَّ أَحَقَّ الشَّرْطِ أَنْ يُوفَى بِهِ مَا اسْتَحْلَلْتُمْ بِهِ الْفُرُوجَ».
উকবা বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে শর্ত পূরণ করা অধিক সংগত তা হলো, যার বিনিময়ে তোমরা (নারীর) লজ্জাস্থান হালাল করেছো। [১৯৫৪]
[১৯৫৪] সহীহুল বুখারী ২৭২১, ৫১৫১, মুসলিম ১৪১৮, তিরমিযী ১১২৭, নাসায়ী ৩২৮১, ৩২৮২, আবূ দাউদ ২১৩৯, আহমাদ ১৬৫৫১, ১৬৯১১, দারেমী ২২০৩, ইরওয়াহ ১৮৯২, সহীহ আবী দাউদ ১৮৫৬, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল হামিদ বিন জা’ফার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন, তার শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সুফইয়ান আস-সাওরী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭০৯, ১৬/৪১৬ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫৫
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا كَانَ مِنْ صَدَاقٍ أَوْ حِبَاءٍ أَوْ هِبَةٍ قَبْلَ عِصْمَةِ النِّكَاحِ فَهُوَ لَهَا وَمَا كَانَ بَعْدَ عِصْمَةِ النِّكَاحِ فَهُوَ لِمَنْ أُعْطِيَهُ أَوْ حُبِيَ وَأَحَقُّ مَا يُكْرَمُ الرَّجُلُ بِهِ ابْنَتُهُ أَوْ أُخْتُهُ
আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের পূর্বে যে উপঢৌকন, হাদিয়া (উপহার) ইত্যাদি দেয়া হয় তা নারীর প্রাপ্য এবং বিবাহের পর দেয় বস্তুসমূহ সেই পাবে, যাকে তা দান করা হয় বা যার জন্য তা আনা হয়। কোন ব্যক্তির সর্বাধিক অনুগ্রহ পাওয়ার অধিকারী হলো তার বোন অথবা তার কন্যা। [১৯৫৫]
[১৯৫৫] নাসায়ী ৩৩৫৩, আবূ দাউদ ২১২৯, আহমাদ ৬৬৭০, আল-হাকিম ফিল মুসতাদরাক ৪/৩৬, যঈফাহ ১০০৭। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হুজ্জাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ রাবীর সদৃস। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৯/৪২. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি নিজের দাসীকে আযাদ করার পর বিবাহ করে ।
১৯৫৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ صَالِحِ بْنِ صَالِحِ بْنِ حَيٍّ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم «مَنْ كَانَتْ لَهُ جَارِيَةٌ فَأَدَّبَهَا فَأَحْسَنَ أَدَبَهَا وَعَلَّمَهَا فَأَحْسَنَ تَعْلِيمَهَا ثُمَّ أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا فَلَهُ أَجْرَانِ وَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ آمَنَ بِنَبِيِّهِ وَآمَنَ بِمُحَمَّدٍ فَلَهُ أَجْرَانِ وَأَيُّمَا عَبْدٍ مَمْلُوكٍ أَدَّى حَقَّ اللهِ عَلَيْهِ وَحَقَّ مَوَالِيهِ فَلَهُ أَجْرَانِ
قَالَ صَالِحٌ قَالَ الشَّعْبِيُّ قَدْ أَعْطَيْتُكَهَا بِغَيْرِ شَيْءٍ إِنْ كَانَ الرَّاكِبُ لَيَرْكَبُ فِيمَا دُونَهَا إِلَى الْمَدِينَةِ
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার একটি দাসী আছে, সে তাকে উত্তমরূপে আদব-কায়দা শেখায় এবং শিক্ষা-দীক্ষা দান করে, অতঃপর আযাদ করে বিবাহ করে, তার জন্য রয়েছে দু’টি পুরস্কার। আর আহলে কিতাবের কোন ব্যক্তি তার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর ঈমান আনার পর মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উপর ঈমান আনলে, তার জন্যও রয়েছে দু’টি পুরস্কার। তদ্রুপ কোন ক্রীতদাস তার উপর ধার্য আল্লাহর হক ও তার মনিবের হক আদায় করলে, তার জন্যও রয়েছে দু’টি পুরস্কার। অধস্তন রাবী সালেহ (রঃ) বলেন, শাবী (রঃ) বলেছেন, আমি কোন বিনিময় ছাড়াই তোমাকে এ হাদীসটি জানিয়ে দিলাম। অথচ এর চেয়ে ক্ষুদ্র একটি হাদীসের জন্য অনেকেই মাদীনাহ পর্যন্ত সফর করতো। [১৯৫৬]
[১৯৫৬] সহীহুল বুখারী ৯৭, ২৫৪৪, ২৫৪৭, ২৫৫১, ৩০১১, ৩৪৪৬, ৫০৮৩, মুসলিম ১৫৪, তিরমিযী ১১১৬, নাসায়ী ৩৩৪৪, ৩৩৪৫, আবূ দাউদ ২০৫৩, আহমাদ ১৯০৩৮, ১৯১০৫, ১৯১৩৭, ১৯২১৩, দারেমী ২২৪৪, সহীহ আবী দাউদ ১৭৯২, ইরওয়াহ ১৮২৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ صَارَتْ صَفِيَّةُ لِدِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ ثُمَّ صَارَتْ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدُ فَتَزَوَّجَهَا وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا قَالَ حَمَّادٌ فَقَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ لِثَابِتٍ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ أَنْتَ سَأَلْتَ أَنَسًا مَا أَمْهَرَهَا قَالَ أَمْهَرَهَا نَفْسَهَا
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাফিয়্যা (রাঃ) প্রথমে দিহ্য়া আল-কালবী (রাঃ) -এর ভাগে পড়েছিলেন। পরে তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অধীনে আসেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বিবাহ করেন এবং তাকে দাসত্বমুক্ত করাকে তার মাহর গণ্য করেন। অধস্তন রাবী হাম্মাদ বলেন, আবদুল আযীয (রাঃ) ছাবিত (রাঃ)-কে বললেন, হে আবূ মুহাম্মাদ! আপনি কি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাঃ)-কে কী মাহর দিয়েছিলেন? আনাস (রাঃ) বলেন, তার দাসত্ব মুক্তিই ছিল তার মাহর। [১৯৫৭]
[১৯৫৭] সহীহুল বুখারী ৩৭১, ৯৪৭, ২২২৮, ২২৩৫, ২৮৯৩, ৪২০০, ৪২০১, ৪২১১, ৪২১২, ৪২১৩, ৫০৮৫, ৫০৮৬, ৫১৫৯, ৫১৬৯, ৬৩৬৩,৫৩৮৭ মুসলিম ১৩৬৫, তিরমিযী ১১১৫, নাসায়ী ৩৩৪২, ৩৩৪৩, ৩৩৮০, ৩৩৮১, ৩৩৮২, আবূ দাউদ ২০৫৪, ২৯৯৫, ২৯৯৬, ২৯৯৮, আহমাদ ১১৫৪১, ১১৫৮১, ১২২০৫, ১২২৭৬, ১২৩৩২, ১২৪৫৫, ১২৬৮৬, ১৩০৯৪, ১৩১৩৩, ১৩১৬৩, ১৩৫৭০, ১৩৬৮৯, দারেমী ২০৪২, ২২৪৩, ইরওয়াহ্ ১৮২৫, সহীহ, আবী দাউদ ১৭৯৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫৮
حَدَّثَنَا حُبَيْشُ بْنُ مُبَشِّرٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا وَتَزَوَّجَهَا
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাঃ)-কে আযাদ করেন এবং তাঁর দাসত্বমুক্তকে তার মাহর নির্ধারণ করে তাকে বিবাহ করেন। [১৯৫৮]
[১৯৫৮] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৪৩. অধ্যায়ঃ
মনিবের অনুমতি ব্যতীত গোলামের বিবাহ করা ।
১৯৫৯
حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ مَرْوَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ كَانَ عَاهِرًا
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, গোলাম তাঁর মনিবের অনুমতি ছাড়া বিবাহ করলে সে ব্যভিচারী। [১৯৫৯]
[১৯৫৯] মাজাহ ১৯৬০, দারেমী ২২৩৩, ২২৩৪, ইরওয়াহ ১৯৩৩, ইরওয়া ১৯৩৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯৬০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى وَصَالِحُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ مَالِكُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا مَنْدَلٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّمَا عَبْدٍ تَزَوَّجَ بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَهُوَ زَانٍ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে গোলামই তাঁর মনিবদের অনুমতি ছাড়া বিবাহ করে, সে যেনাকারী। [১৯৬০]
[১৯৬০] ইবনু মাজাহ ১৯৫৯, দারেমী ২২৩৩, ২২৩৪, ইরওয়াহ ৬/৩৫৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মানদাল বিন আলী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬১৭৬, ২৮/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি হাসান কিন্তু মানদাল বিন আলী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১০ টি অধিক দুর্বল, ২১ টি দুর্বল, ১৯ টি হাসান, ১২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১১১১, ১১১২, আবু দাউদ ২০৭৮, ২০৭৯, দারিমী ২২৩৩, ২২৩৪, আহমাদ ১৩৮০০, ১৪৬১৩, ১৪৬৭৩, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১২৯৭৯, মু’জামুল আওসাত ৪৭৯৭ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৯/৪৪. অধ্যায়ঃ
মুতআ বিবাহ নিষিদ্ধ ।
১৯৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ وَالْحَسَنِ ابْنَيْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِمَا عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ يَوْمَ خَيْبَرَ وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْإِنْسِيَّةِ
আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার এলাকা বিজয়ের দিন মহিলাদের সাথে মুতআ (বিবাহ) করতে এবং গৃহপালিত গাধার গোসত খেতে নিষেধ করেছেন। [১৯৬১]
[১৯৬১] সহীহুল বুখারী ৪২১৬, ৫৫২৩, মুসলিম ১৪০৭, তিরমিযী ১১২১, ১৭৯৪, নাসায়ী ৩৩৬৫, ৩৩৬৬, ৩৩৬৭, ৪৩৩৪, ৪৩৩৫, আহমাদ ৫৯৩, ৮১৪, ১২০৭, মুয়াত্তা মালেক ১১৫১, দারেমী ১৯৯০, ২১৯৭, ইরওয়াহ ৬/৩১৭, রওদুন নাদীর ৭০৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ عَنْ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ الْعُزْبَةَ قَدْ اشْتَدَّتْ عَلَيْنَا قَالَ فَاسْتَمْتِعُوا مِنْ هَذِهِ النِّسَاءِ فَأَتَيْنَاهُنَّ فَأَبَيْنَ أَنْ يَنْكِحْنَنَا إِلَّا أَنْ نَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُنَّ أَجَلًا فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اجْعَلُوا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُنَّ أَجَلًا فَخَرَجْتُ أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي مَعَهُ بُرْدٌ وَمَعِي بُرْدٌ وَبُرْدُهُ أَجْوَدُ مِنْ بُرْدِي وَأَنَا أَشَبُّ مِنْهُ فَأَتَيْنَا عَلَى امْرَأَةٍ فَقَالَتْ بُرْدٌ كَبُرْدٍ فَتَزَوَّجْتُهَا فَمَكَثْتُ عِنْدَهَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ ثُمَّ غَدَوْتُ وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْبَابِ وَهُوَ يَقُولُ أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ كُنْتُ أَذِنْتُ لَكُمْ فِي الِاسْتِمْتَاعِ أَلَا وَإِنَّ اللهَ قَدْ حَرَّمَهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ مِنْهُنَّ شَيْءٌ فَلْيُخْلِ سَبِيلَهَا وَلَا تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا
সাবরাহ বিন মা’বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীহীন অবস্থায় থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেনঃ তাহলে তোমরা এসব মহিলার সাথে মুতআ করো (সাময়িকভাবে উপকৃত হও)। অতএব আমরা তাদের সান্নিধ্যে পৌঁছলাম, কিন্তু তারা আমাদের এবং তাদের মাঝে নির্দিষ্ট মেয়াদ নির্ধারণ ব্যতিত আমাদের সঙ্গে বিবাহ বসতে অস্বীকার করলো। সাহাবীগণ বিষয়টি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেনঃ তাহলে তোমাদের ও তাদের মাঝে মেয়াদ নির্দিষ্ট করে নাও। অতএব আমি ও আমার এক চাচাত ভাই (এই উদ্দেশে) বের হলাম। তাঁর সাথে ছিল একটি চাদর এবং আমার সাথেও ছিল একটি চাদর। তার চাদরটি ছিল আমার চাদর থেকে বেশি সুন্দর। আর আমি ছিলাম তার চাইতে অধিক যুবক। আমরা দু’জন এক নারীর নিকট আসলাম। সে বললো, চাদর দু’টি তো একই মানের। অতঃপর আমি তাকে বিবাহ করলাম এবং তার কাছেই ঐ রাত কাটালাম। ভোরে আমি ফিরে এলাম, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বা ঘরের দরজা ও রুকনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলছিলেনঃ হে লোক সকল! আমি তোমাদের মুতআ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলাম। এখন তোমরা শুনে নাও যে, আল্লাহ্ কিয়ামাত পর্যন্ত এই প্রকার বিবাহ হারাম করেছেন। অতএব তোমাদের কারো কাছে এ ধরণের কোন নারী থাকলে সে যেন তাকে ছেড়ে দেয় এবং তোমরা তাদেরকে যা কিছু দিয়েছো তা থেকে কিছুই ফেরত নিও না। [১৯৬২]
তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) শব্দ ছাড়া সহীহ, তবে সঠিক হলোঃ (আরবি)।
[১৯৬২] মুসলিম ১৪০৬, নাসায়ী ৩৩৬৮, আবূ দাউদ ২০৭২, ২০৭৩, আহমাদ ১৪৯১৩, ১৪৯২১, দারেমী ২১৯৫, ২১৯৬, ইরওয়াহ ১৯০১, ১৯০২, সহীহাহ ৩৮১, সহীহ আবী দাউদ ১৮০৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ, কিন্তু বিদায় হাজ্জের কথাটি শায, মাক্কাহ বিজয়ে কথাটি সংরক্ষিত। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযিয বিন উমার সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাফস উমার বিন শাহীন ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু মুসহির আল গাসসানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস ভুল সন্দেহ করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবুল আলা বিন মুসহির বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৬৪, ১৮/১৭৩ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১৯৬৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ الْعَسْقَلَانِيُّ حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ عَنْ أَبَانَ بْنِ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَفْصٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ لَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَذِنَ لَنَا فِي الْمُتْعَةِ ثَلَاثًا ثُمَّ حَرَّمَهَا وَاللهِ لَا أَعْلَمُ أَحَدًا يَتَمَتَّعُ وَهُوَ مُحْصَنٌ إِلَّا رَجَمْتُهُ بِالْحِجَارَةِ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَنِي بِأَرْبَعَةٍ يَشْهَدُونَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ أَحَلَّهَا بَعْدَ إِذْ حَرَّمَهَا
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর লোকেদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে মাত্র তিন দিন মুতআ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলেন। এরপর তিনি তা হারাম ঘোষণা করেন। আল্লাহ্র শপথ! আমি যদি কোন বিবাহিত পুরুষের ব্যাপারে জানতে পারি যে সে মুতআ বিবাহ করে তবে আমি প্রস্তরাঘাতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিবো। তবে সে যদি আমার সামনে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে পারে, যারা সাক্ষ্য দিবে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুতআ বিবাহ হারাম ঘোষণার পর তা আবার হালাল করেছেন। [১৯৬৩]
[১৯৬৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তা’লীক ইবনু মাজাহ্। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আবান বিন আবু হাযিম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শুয়াব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিসের ব্যাপারে সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪০, ২/১৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৯/৪৫. অধ্যায়ঃ
ইহরাম অবস্থায় কোন ব্যক্তির বিবাহ করা ।
১৯৬৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ حَدَّثَنَا أَبُو فَزَارَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْأَصَمِّ حَدَّثَتْنِي مَيْمُونَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَهَا وَهُوَ حَلَالٌ قَالَ وَكَانَتْ خَالَتِي وَخَالَةَ ابْنِ عَبَّاسٍ
মায়মূনাহ বিনতুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে হালাল (ইহরামমুক্ত) অবস্থায় বিবাহ করেন। রাবী ইয়াযীদ বিন আসাম্ম বলেন, মায়মূনাহ (রাঃ) ছিলেন আমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) -এর খালা। [১৯৬৪]
[১৯৬৪] মুসলিম ১৪১১, তিরমিযী ৮৪৫, আবূ দাউদ ১৮৪৩, আহমাদ ২৬২৮৮, ২৬৩০১, দারেমী ১৮২৪, হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ২/৫৯, রওদুন নাদীর ৪৬৭, সহীহ আবী দাউদ ১৬১৬, ইরওয়াহ ৪/২২৭-২২৮, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلَّادٍ الْبَاهِلِيِّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنْ أَبِيّ صلى الله عليه وسلم نَكَحَ وَهُوَ مُحْرِمٍ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করেন। [১৯৬৫]
[১৯৬৫] সহীহুল বুখারী ১৮৩৭, ৪২৫৯, ৫১১৪, মুসলিম ১৪১০, তিরমিযী ৮৪২, ৮৪৩, ৮৪৪, নাসায়ী ২৮৩৭, ২৮৩৮, ২৮৩৯, ২৮৪০, ২৮৪১, ৩২৭১, ৩২৭২, ৩২৭৩, ৩২৭৪, আবূ দাউদ ১৮৪৪, আহমাদ ২৩৮৯, ২৪৩৩, ২৪৮৮, ২৫৫৬, ২৫৭৬, ২৫৮৪, ২৯৭২, ৩০৪৪, ৩০৬৫, ৩০৯৯, ৩২২৩, ৩২৭২, ৩৩০৯, ৩৩৯০, ৩৪০২, দারেমী ১৮২২, ইরওয়াহ ৪/২২৭-২২৮, সহীহ আবী দাউদ ১৬১৭-১৬১৮, তাহকীক আলবানীঃ শায।
হাদিসের মানঃ শায
- সরাসরি
১৯৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ نَبِيهِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمُحْرِمُ لَا يَنْكِحُ وَلَا يُنْكِحُ وَلَا يَخْطُبُ
উসমান বিন আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইহরাম অবস্থায় কোন ব্যক্তি নিজে বিবাহ করবে না, অন্যকেও বিবাহ করাবে না এবং বিবাহের প্রস্তাবও দিবে না। [১৯৬৬]
[১৯৬৬] মুসলিম ১৪০৯, তিরমিযী ৮৪০, নাসায়ী ২৮৪২, ২৮৪৩, ২৮৪৪, ৩২৭৫, ৩২৭৬, আবূ দাউদ ১৮৪১, আহমাদ ৪০৩, ৪৬৪, ৪৬৮, ৪৯৪, ৪৯৮, ৫৩৫, মুয়াত্তা মালেক ৭৮০, দারেমী ১৮২৩, ২১৯৮, ইরওয়াহ ১০৩৭, সহীহ আবী দাউদ ১৬১৪-১৬১৫, রওদুন নাদীর ৪৬৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৪৬. অধ্যায়ঃ
বিবাহের বর ও কনের সমতা (কুফু) ।
১৯৬৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابُورَ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْصَارِيُّ أَخُو فُلَيْحٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ ابْنِ وَثِيمَةَ النَّصْرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ خُلُقَهُ وَدِينَهُ فَزَوِّجُوهُ إِلَّا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের নিকট এমন কোন ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এলের চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট,তার সাথে (তোমাদের মেয়েদের) বিবাহ দাও। তোমরা যদি তা না করো, তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। [১৯৬৭]
[১৯৬৭] তিরমিযী ১০৮৪, ইরওয়াহ ১৮৬৮, সহীহাহ ১০২২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল হামিদ বিন সুলায়মান আল-আনসারী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, যারা হাদিস বর্ণনায় ভুল ও সানাদের পরিবর্তন করে তিনি তাদেরে অন্তর্ভুক্ত। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী ও সালিহ বিন মুহাম্মাদ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭১৭, ১৬/৪৩৪ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি হাসান কিন্তু আবদুল হামিদ বিন সুলায়মান আল-আনসারী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১১ টি দুর্বল, ৮ টি হাসান, ১৩ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১০৮৪, ১০৮৫, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১০৩২৫, মু’জামুল আওসাত ৪৪৬, ৭০৭৪ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عِمْرَانَ الْجَعْفَرِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবেচনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো। [১৯৬৮]
[১৯৬৮] সহীহাহ ১০৬৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী হারিস বিন ইমরান আল-জা’ফারী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার রেওায়াতে তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১০৩৫, ৫/২৬ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি হাসান কিন্তু হারিস বিন ইমরান আল-জা’ফারী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১ টি দুর্বল, ৫ টি হাসান হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ দারাকুতনী ৩৭৪৬, আল-ফাওয়ায়িদ ১৫২৭, কিতাবুল ইয়াল ১৩০। ১৩১ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৯/৪৭. অধ্যায়ঃ
স্ত্রীদের সাথে সম আচরণ এবং পালা বণ্টন।
১৯৬৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ يَمِيلُ مَعَ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَحَدُ شِقَّيْهِ سَاقِطٌ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার দু’জন স্ত্রী আছে, আর সে তাদের একজনের চেয়ে অপরজনের প্রতি বেশী ঝুঁকে পড়ে, সে কিয়ামাতের দিন তার (দেহের) এক পার্শ্ব পতিত অবস্থায় উপস্থিত হবে। [১৯৬৯]
[১৯৬৯] তিরমিযী ১১৪১, নাসায়ী ৩৯৪২, আবূ দাউদ ২১৩৩, আহমাদ ৮৩৬৩, ৯৭৪০, দারেমী ২২০৬, ইরওয়াহ ২০১৭, মিশকাত ৩২৩৬, গয়াতুল মারাম ২২৯, সহীহাহ ২০৭৭, সহীহ আবী দাউদ ১৮৫১, আত-তা’লীকুর রাগীব ৩/৭৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- ব্যাখ্যা
- সরাসরি
১৯৭০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَافَرَ أَقْرَعَ بَيْنَ نِسَائِهِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে রওয়ানা হলে তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে (কে তাঁর সাথে যাবেন তা নির্ধারণের জন্য) লটারির ব্যবস্থা করতেন। [১৯৭০]
[১৯৭০] সহীহুল বুখারী ২৫৯৪, ৪১৪১, ৫২১১, মুসলিম ২৪৪৫, ২৭৭০, আবূ দাউদ ২১৩৮, আহমাদ ২৪৩১৩, ২৪৩৩৮, ২৫০৯৫, ২৫৭৮২, দারেমী ২২০৮, ২৪২৩, সহীহ আবী দাউদ ১৮৫৫, গায়াতুল মারাম ১৬০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন ইয়ামান সম্পর্কে আবু বকর বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি হাদিস খুব দ্রুত মুখস্ত করতে পারেন আবার খুব দ্রুত ভুলে যান। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি একাধিক হাদিসে ভুল করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হুজ্জাহ নয়, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তার স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা ও তার হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুলের কারণে তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি একজন সত্যবাদী ও আবিদ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৫৩, ৩২/৫৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّه صلى الله عليه وسلم يَقْسِمُ بَيْنَ نِسَائِهِ فَيَعْدِلُ ثُمَّ يَقُولُ اللّٰهُمَّ هَذَا فِعْلِي فِيمَا أَمْلِكُ فَلَا تَلُمْنِي فِيمَا تَمْلِكُ وَلَا أَمْلِكُ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপন স্ত্রীদের মধ্যে ইনসাফের সাথে (সব কিছু) সমানভাবে বণ্টন করতেন, অতঃপর বলতেনঃ হে আল্লাহ! এ হলো আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমার কাজ। যে বিষয়ে তোমার ক্ষমতা আছে, আমার সামর্থ্য নাই, সে বিষয়ে আমাকে তিরস্কার করো না। [১৯৭১]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ তবে প্রথম অংশটি হাসান।
[১৯৭১] তিরমিযী ১১৪০, নাসায়ী ৩৯৪৩, আবূ দাউদ ২১৩৪, আহমাদ ২৪৫৮৭, দারেমী ২২০৭, ইরওয়াহ ৭/৮৩,৮৪৮৬, যঈফ আবী দাউদ ৩৭০। কিন্তু প্রথম দিক হাসান, ইরওয়াহ ২০১৮, তাহকীক আলবানীঃ যইফ কিন্তু প্রথম দিক হাসান।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৯/৪৮. অধ্যায়ঃ
যে মহিলা তার পালার দিনটি তার সতীনকে দান করে।
১৯৭২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ ح و حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ جَمِيعًا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَمَّا كَبِرَتْ سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ وَهَبَتْ يَوْمَهَا لِعَائِشَةَ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم «يَقْسِمُ لِعَائِشَةَ بِيَوْمِ سَوْدَةَ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাওদা বিনতু যামআহ (রাঃ) বার্ধক্যগ্রস্ত হয়ে পড়লে তিনি তার নির্ধারিত পালার দিনটি আয়িশা (রাঃ)-কে হেবা করেন। অতএব রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাওদা (রাঃ) -এর দিনটি আয়িশা (রাঃ) এর ভাগে ফেলতেন। [১৯৭২]
[১৯৭২] সহীহুল বুখারী ৫২১২, মুসলিম ১৪৬৩, আবূ দাউদ ২১৩৮, আহমাদ ২৩৮৭৪, ২৩৯৫৬, ২৪৩৩৮, ইরওয়াহ ২০২০, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ سُمَيَّةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ عَلَى صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ فِي شَيْءٍ فَقَالَتْ صَفِيَّةُ يَا عَائِشَةُ هَلْ لَكِ أَنْ تُرْضِي رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِّي وَلَكِ يَوْمِي قَالَتْ نَعَمْ فَأَخَذَتْ خِمَارًا لَهَا مَصْبُوغًا بِزَعْفَرَانٍ فَرَشَّتْهُ بِالْمَاءِ لِيَفُوحَ رِيحُهُ ثُمَّ قَعَدَتْ إِلَى جَنْبِ رَسُولُ اللَّه صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا عَائِشَةُ إِلَيْكِ عَنِّي إِنَّهُ لَيْسَ يَوْمَكِ فَقَالَتْ ذَلِكَ فَضْلُ اللهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ فَأَخْبَرَتْهُ بِالْأَمْرِ فَرَضِيَ عَنْهَا
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন কারণে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা বিনতু হুয়াই (রাঃ) এর উপর অসন্তুষ্ট হলে তিনি (সাফিয়্যা) বলেন, হে আয়িশা! তুমি কি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমার প্রতি সন্তুষ্ট করে দিবে? আমি আমার পালার দিনটি তোমাকে দিবো। আয়িশা (রাঃ) বলেন, হ্যাঁ। এরপর তিনি যাফরান রংয়ে রঞ্জিত তার একটি ওড়না নিলেন এবং তাতে পানি ছিটিয়ে দিলেন, যাতে এর ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পাশে বসলে তিনি বলেনঃ হে আয়িশা! তুমি আমার নিকট থেকে সরে যাও। এটা তোমার পালার দিন নয়। আয়িশা (রাঃ) বলেন, এটি হচ্ছে আল্লাহর অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছা তিনি দান করেন। তিনি তাঁকে ব্যাপারটি খুলে বলেন। তাতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাঃ) এর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান। [১৯৭৩]
[১৯৭৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৭/৮৫। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৪
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {وَالصُّلْحُ خَيْرٌ} فِي رَجُلٍ كَانَتْ تَحْتَهُ امْرَأَةٌ قَدْ طَالَتْ صُحْبَتُهَا وَوَلَدَتْ مِنْهُ أَوْلَادًا فَأَرَادَ أَنْ يَسْتَبْدِلَ بِهَا فَرَاضَتْهُ عَلَى أَنْ تُقِيمَ عِنْدَهُ وَلَا يَقْسِمَ لَهَا.
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, “আপোষ-নিষ্পত্তিই উত্তম” (৪:১২৮) ) আয়াত এমন এক ব্যাক্তি সম্পর্কে নাযিল হয়, যার বিবাহধীনে এক মহিলা দীর্ঘদিন যাবত ছিল এবং সে তার স্বামীর ঔরসে কয়েকটি সন্তানও প্রসব করেছিল। স্বামী তাঁকে তালাক দিয়ে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করতে চাইলে মহিলাটি এ শর্তে স্বামীকে সম্মত করলো যে, সে তার বিবাহ বন্ধনে থাকবে এবং তাকে কোন পালার দিন দিবে না। [১৯৭৪]
[১৯৭৪] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আবী দাউদ ১৮৫২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৯/৪৯. অধ্যায়ঃ
বিবাহ দেয়ার জন্য সুপারিশ করা।
১৯৭৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ أَبِي رُهْمٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَفْضَلِ الشَّفَاعَةِ أَنْ يُشَفَّعَ بَيْنَ الِاثْنَيْنِ فِي النِّكَاحِ
আবূ রুহ্ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’জনের মধ্যে বিবাহ বন্ধনের সুপারিশই হলো সর্বোত্তম সুপারিশ। [১৯৭৫]
[১৯৭৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/৩০৫, যঈফাহ ৩২০৩। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুআবিয়াহ বিন ইয়াহইয়া সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আবু হাতিম আর-রাযী, আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবুল কাসিম আল-বাগাবী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০৬৯, ২৮/২২৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ الْعَبَّاسِ بْنِ ذُرَيْحٍ عَنْ الْبَهِيِّ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ عَثَرَ أُسَامَةُ بِعَتَبَةِ الْبَابِ فَشُجَّ فِي وَجْهِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمِيطِي عَنْهُ الْأَذَى فَتَقَذَّرْتُهُ فَجَعَلَ يَمُصُّ عَنْهُ الدَّمَ وَيَمُجُّهُ عَنْ وَجْهِهِ ثُمَّ قَالَ لَوْ كَانَ أُسَامَةُ جَارِيَةً لَحَلَّيْتُهُ وَكَسَوْتُهُ حَتَّى أُنَفِّقَهُ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উসামাহ (রাঃ) পা পিছলে ঘরের দরজার চৌকাঠে পড়ে গেলে তার মুখমণ্ডল আহত হয়। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাকে) বলেনঃ তার চেহারা থেকে রক্ত পরিস্কার করে দাও। আমি তা অপছন্দ করলে তিনি নিজেই তার মুখমণ্ডল থেকে রক্ত মুছে পরিস্কার করে দিলেন, অতঃপর বলেনঃ উসামাহ মেয়ে হলে আমি অবশ্যই তাঁকে অলঙ্কার ও পোশাকে এতটা সজ্জিত করতাম যেমন বিবাহে পর্যাপ্ত খরচ করা হয়। [১৯৭৬]
[১৯৭৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১০১৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ আল-বাহী সম্পর্কে ইবনু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৭৭, ১৬/৩৪১ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৫০. অধ্যায়ঃ
স্ত্রীদের সাথে উত্তম আচরণ করা।
১৯৭৭
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى بْنِ ثَوْبَانَ عَنْ عَمِّهِ عُمَارَةَ بْنِ ثَوْبَانَ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لِأَهْلِي
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজের পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি তোমাদের চেয়ে আমার পরিবারের কাছে অধিক উত্তম। [১৯৭৭]
[১৯৭৭] সহীহাহ ২৮৫। আত-তালীকুর রাগীব ৩/৭২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উমারাহ বিন সাওবান সম্পর্কে আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার কিছু অবস্থা অজ্ঞাত। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। আবদুল হাক বিন আব্দুর রহমান বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৭৭, ২১/২৩১ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু উমারাহ বিন সাওবান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৭ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ৩৮৯৫, দারিমী ২২৬০, মু’জামুল আওসাত ৪৪২০, ৬১৪৫, আল-ফাওয়ায়িদ ৩০৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ
আব্দুল্লাহ বিন আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম লোক তারাই, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [১৯৭৮]
[১৯৭৮] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহিহাহ ২৮৫, আদাবুয যিফাফ ১৬২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজুনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হুজ্জাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ রাবীর সদৃশ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَابَقَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَسَبَقْتُهُ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে দৌড় প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হলে তাঁকে অতিক্রম করে যাই। [১৯৭৯]
[১৯৭৯] আবূ দাউদ ২৫৭৮, আহমাদ ২৩৫৯৮, ২৪৪৬০, ২৫৭২০, ২৫৭৪৫. ২৫৮৬৬, ইরওয়াহ ১৫০২, সহীহাহ ১৩১, আদাবুয যিফাফ ১৭১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮০
حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أُمِّ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَهُوَ عَرُوسٌ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ جِئْنَ نِسَاءُ الْأَنْصَارِ فَأَخْبَرْنَ عَنْهَا قَالَتْ فَتَنَكَّرْتُ وَتَنَقَّبْتُ فَذَهَبْتُ فَنَظَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَيْنِي فَعَرَفَنِي قَالَتْ فَالْتَفَتَ فَأَسْرَعْتُ الْمَشْيَ فَأَدْرَكَنِي فَاحْتَضَنَنِي فَقَالَ كَيْفَ رَأَيْتِ قَالَتْ قُلْتُ أَرْسِلْ يَهُودِيَّةٌ وَسْطَ يَهُودِيَّاتٍ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাঃ)-কে বিবাহ করে মদিনায় নিয়ে এলে আনসারী মহিলাগণ এসে তার ব্যাপারে (আমাকে) অবহিত করে। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বেশভূষা পরিবর্তন করে এবং মুখমণ্ডল আবৃত করে তাকে দেখতে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমাকে চিনে ফেলেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে লক্ষ্য করলে আমি দ্রুত সরে যেতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু তিনি আমাকে ধরে ফেলে কোলে তুলে নেন এবং বলেনঃ কেমন দেখলে? আমি বললাম,আমাকে ছেড়ে দিন, ইয়াহূদী নারীদের মধ্যকার এক ইয়াহূদিনী। [১৯৮০]
[১৯৮০] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তা’লীক ইবনু মাজাহ্। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুবারাক বিন ফাদালাহ সম্পর্কে আবু বাকার আল-বাযযার বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন দোষ নেই। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক তাদলীস করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৬৬, ২৭/১৮০ নং পৃষ্ঠা) ২. আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৭০, ২০/৪৩৪ নং পৃষ্ঠা) ৩. উম্মু মুহাম্মাদ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন, তার হাদিস হাসান। ইমাম যাহাবী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯৮১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ زَكَرِيَّا عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ الْبَهِيِّ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا عَلِمْتُ حَتَّى دَخَلَتْ عَلَيَّ زَيْنَبُ بِغَيْرِ إِذْنٍ وَهِيَ غَضْبَى ثُمَّ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ أَحَسْبُكَ إِذَا قَلَبَتْ بُنَيَّةُ أَبِي بَكْرٍ ذُرَيْعَتَيْهَا ثُمَّ أَقَبَلَتْ عَلَيَّ فَأَعْرَضْتُ عَنْهَا حَتَّى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم دُونَكِ فَانْتَصِرِي فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهَا حَتَّى رَأَيْتُهَا وَقَدْ يَبِسَ رِيقُهَا فِي فِيهَا مَا تَرُدُّ عَلَيَّ شَيْئًا فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَتَهَلَّلُ وَجْهُهُ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার অজ্ঞাতে হঠাৎ যায়নব (রাঃ) অনুমতি ছাড়াই রাগান্বিত অবস্থায় আমার ঘরে আসলেন, অতঃপর বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আবূ বকর (রাঃ) -এর এই ছোট্ট মেয়েটি যখন আপনার সামনে তার দু’হাত নাড়াচাড়া করে, তখন তাই কি আপনার জন্য যথেষ্ট? অতঃপর যায়নাব (রাঃ) আমার দিকে ফিরলে আমি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম। অবশেষে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ লও এবং তাঁর থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করো। অতএব আমি তাঁর মুখোমুখী হয়ে তাঁকে জব্দ করলাম, এমনকি আমি দেখলাম যে,তার মুখ শুকিয়ে গেছে। তিনি আমার কোন কথা প্রতিউত্তর করতে পারলেন না। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখলাম, তাঁর চেহারা ঝলমল করছে। [১৯৮১]
[১৯৮১] আহমাদ ২৪০৯৯, সহীহাহ ১৮৬২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ আল-বাহী সম্পর্কে ইবনু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৭৭, ১৬/৩৪১ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮২
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَبِيبٍ الْقَاضِي قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ وَأَنَا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ يُسَرِّبُ إِلَيَّ صَوَاحِبَاتِي يُلَاعِبْنَنِي
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে পুতুল নিয়ে খেলা করতাম। তিনি আমার বান্ধবীদেরকে আমার সাথে খেলা করার জন্য আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন। [১৯৮২]
[১৯৮২] সহীহুল বুখারী ৬১৩০, মুসলিম ২৪৪০, আবূ দাউদ ৪৯৬১, আহমাদ ২৩৭৭৭, ২৪৮০৬, ২৫৪৩০, ২৫৪৩৭, আল আদাব ১০৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উমার বিন হাবীব আল-কাদী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে আমরা একটি হরফও লিখিনি। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২১১, ২১/২৯০ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু উমার বিন হাবীব আল-কাদী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১২ টি অধিক দুর্বল, ২৩ টি দুর্বল, ১১ টি হাসান, ১৫ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৬১৩০, মুসলিম ২৪৪৩, আবু দাউদ ৪৯৩১, আহমাদ ২৩৭৭৬, ২৪৮০৫, ২৫৪২৯, ২৫৪৩৬, শারহুস সুন্নাহ ২২৫৭, ২৩৩৬, ২৩৩৭, আল-ইয়াল ৫৫৫, ৫৫৬, ৫৫৯ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৫১. অধ্যায়ঃ
স্ত্রীদের প্রহার করা নিকৃষ্ট কাজ।
১৯৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ خَطَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ ذَكَرَ النِّسَاءَ فَوَعَظَهُمْ فِيهِنَّ ثُمَّ قَالَ إِلَامَ يَجْلِدُ أَحَدُكُمْ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْأَمَةِ وَلَعَلَّهُ أَنْ يُضَاجِعَهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ
আবদুল্লাহ বিন যামআহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণ দিলেন, অতঃপর মহিলাদের উল্লেখ করে তাদের ব্যাপারে লোকজনকে উপদেশ দিলেন। তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ কেন তার স্ত্রীকে দাসীর মত বেত্রাঘাত করে? অথচ দিনের শেষেই সে আবার তাঁর শয্যাসংগী হয়! [১৯৮৩]
[১৯৮৩] সহীহুল বুখারী ৪৯৪২, ৫২০৪, মুসলিম ২৮৫৫, তিরমিযী ৩৩৪৩, আহমাদ ১৫৭৮৮, দারেমী ২২২০, গায়াতুল মারাম ২৫২, মুখতাসার শামাইল ২৯৯, ইরওয়াহ ২০৩১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا ضَرَبَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَادِمًا لَهُ وَلَا امْرَأَةً وَلَا ضَرَبَ بِيَدِهِ شَيْئًا
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও তাঁর কোন খাদেমকে অথবা তাঁর কোন স্ত্রীকে মারপিট করেননি এবং নিজ হাতে অপর কাউকেও প্রহার করেননি। [১৯৮৪]
[১৯৮৪] সহীহুল বুখারী ৩৫৬০, ৬১২৬, ৬৭৮৬, ৬৮৫৩, মুসলিম ২৩২৮, আবূ দাউদ ৪৭৮৫, ৪৭৮৬, আহমাদ ২৩৫১৪, ২৪৩০৯, ২৪৪৬৪, ২৫৪২৫, ২৭৬৫৮, মুয়াত্তা মালেক ১৬৭১, দারেমী ২২১৮, গয়াতুল মারাম ২৫২, মুখতাসার শামাইল ২৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ إِيَاسِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَا تَضْرِبُنَّ إِمَاءَ اللهِ فَجَاءَ عُمَرُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ ذَئِرَ النِّسَاءُ عَلَى أَزْوَاجِهِنَّ فَأْمُرْ بِضَرْبِهِنَّ فَضُرِبْنَ فَطَافَ بِآلِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم طَائِفُ نِسَاءٍ كَثِيرٍ فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ لَقَدْ طَافَ اللَّيْلَةَ بِآلِ مُحَمَّدٍ سَبْعُونَ امْرَأَةً كُلُّ امْرَأَةٍ تَشْتَكِي زَوْجَهَا فَلَا تَجِدُونَ أُولَئِكَ خِيَارَكُمْ
আবদুল্লাহ বিন আবু যূবাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ্র দাসীদের প্রহার করো না। অতঃপর উমার (রাঃ) নবী (রাঃ) -এর কাছে এসে বলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! নারীরা তো তাদের স্বামীদের অবাধ্যাচরণ করছে। তাই তাদেরকে মারার অনুমতি দিলেন এবং তারা প্রহিত হলো। পরে অনেক নারী রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাড়িতে সমবেত হলো। সকাল বেলা তিনি বলেনঃ আজ রাতে মুহাম্মদের পরিবারের সত্তুরজন মহিলা এসে তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তোমরা মারপিটকারীদেরকে তোমাদের মধ্যে উত্তম হিসাবে পাবে না। [১৯৮৫]
[১৯৮৫] আবূ দাউদ ২১৪৬, দারেমী ২২১৯, গায়াতুল মারাম ২৫১, সহীহ আবী দাউদ ১৮৬৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৯৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى والْحَسَنُ بْنُ مُدْرِكٍ الطَّحَّانُ قَالَا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْأَوْدِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُسْلِيِّ عَنْ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ ضِفْتُ عُمَرَ لَيْلَةً فَلَمَّا كَانَ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ قَامَ إِلَى امْرَأَتِهِ يَضْرِبُهَا فَحَجَزْتُ بَيْنَهُمَا فَلَمَّا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ قَالَ لِي يَا أَشْعَثُ احْفَظْ عَنِّي شَيْئًا سَمِعْتُهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا يُسْأَلُ الرَّجُلُ فِيمَ يَضْرِبُ امْرَأَتَهُ وَلَا تَنَمْ إِلَّا عَلَى وِتْرٍ وَنَسِيتُ الثَّالِثَةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خِدَاشٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ.
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(আশ‘আস) বলেন, আমি এক রাতে উমার (রাঃ) -এর বাড়িতে মেহমান হলাম। মধ্যরাতে উমার (রাঃ) তাঁর স্ত্রীকে প্রহার করতে উঠলেন। আমি তাদের দু’জনের মাঝে প্রতিবন্ধক হলাম। অতঃপর উমার (রাঃ) শয্যা গ্রহণ করে আমাকে বলেন, হে আশ‘আস! তুমি আমার থেকে একটা বিষয় মনে রাখবে যা আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট শুনেছি। স্বামী তার স্ত্রীকে প্রহার করলে এ ব্যাপারে জওয়াবদিহি করতে হবে না, বিতর সালাত না পড়ে ঘুমাবে না। রাবী বলেন, আমি তৃতীয় কথাটি ভুলে গেছি। [১৯৮৬]
[১৯৮৬] আবূ দাউদ ২১৪৭, ইরওয়াহ ২০-৩৪, যঈফাহ ৩৭৭৬, যইফ আল-জামি’ ৬২১৮। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান আল মুলসী সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুল। ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪০৩, ১৮/৩০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৯/৫২. অধ্যায়ঃ
পরচুলা সংযোগকারিণী ও উল্কি অংকনকারিণী ।
১৯৮৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ لَعَنَ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই নারীকে অভিসম্পাত করেছেন, যে কৃত্রিম চুল সংযোজন করে এবং যে তা করায় এবং যে দেহে উল্কি অংকন করে এবং যে তা করায়। [১৯৮৭]
[১৯৮৭] সহীহুল বুখারী ৫৯৩৭, ৫৯৪০, ৫৯৪২, ৫৯৪৭, মুসলিম ২১২৪, তিরমিযী ২৭৫৯, ১৭৮৩, নাসায়ী ৫০৯৫, ৫২৫১, আবূ দাউদ ৪১৬৮, আহমাদ ৪৭১০, গায়াতুল মারাম ৬৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ فَاطِمَةَ عَنْ أَسْمَاءَ قَالَتْ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ ابْنَتِي عُرَيِّسٌ وَقَدْ أَصَابَتْهَا الْحَصْبَةُ فَتَمَرَّقَ شَعْرُهَا فَأَصِلُ لَهَا فِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ اللهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ
আসমা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, আমার মেয়ের সদ্য বিবাহ হয়েছে, কিন্তু রোগের কারণে তার মাথার চুল ঝরে গেছে। আমি কি তার মাথায় কৃত্রিম চুল জোড়া দিবো? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে নারী পরচুলা সংযোজন করে এবং যে সংযোজন করায়, আল্লাহ্ তাদের উভয়কে অভিসম্পাত করেন। [১৯৮৮]
[১৯৮৮] সহীহুল বুখারী ৫৯৩৫, ৫৯৩৬, ৫৯৪১, মুসলিম ২১২২, নাসায়ী ৫০৯৪, ৫২৫০, আহমাদ ২৪২৮২, ২৬৩৭৮, ২৬৩৯১, ২৬৪৩৯, গায়াতুল মারাম ৯৮-৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ حَفْصُ بْنُ عَمْرٍو وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُمَرَ قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ لِخَلْقِ اللهِ فَبَلَغَ ذَلِكَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي أَسَدٍ يُقَالُ لَهَا أُمُّ يَعْقُوبَ فَجَاءَتْ إِلَيْهِ فَقَالَتْ بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ قُلْتَ كَيْتَ وَكَيْتَ قَالَ وَمَا لِي لَا أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي كِتَابِ اللهِ قَالَتْ إِنِّي لَأَقْرَأُ مَا بَيْنَ لَوْحَيْهِ فَمَا وَجَدْتُهُ قَالَ إِنْ كُنْتِ قَرَأْتِهِ فَقَدْ وَجَدْتِهِ أَمَا قَرَأْتِ {وَمَا آتَاكُمْ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا} قَالَتْ بَلَى قَالَ فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ نَهَى عَنْهُ قَالَتْ فَإِنِّي لَأَظُنُّ أَهْلَكَ يَفْعَلُونَ قَالَ اذْهَبِي فَانْظُرِي فَذَهَبَتْ فَنَظَرَتْ فَلَمْ تَرَ مِنْ حَاجَتِهَا شَيْئًا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ شَيْئًا قَالَ عَبْدُ اللهِ لَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولِينَ مَا جَامَعَتْنَا
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই সব নারীকে অভিসম্পাত করেছেন, যারা অন্যের দেহে আঁকে এবং যারা নিজেদের দেহে উল্কি অংকন করায়, যারা ভ্রুর চুল উপড়ে ফেলে এবং যারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, তারা আল্লাহ্র সৃষ্টিতে পরিবর্তন করে। আসাদ গোত্রের উম্মু ইয়া’কূব নাম্নী মহিলার কাছে এ হাদিস পৌঁছলে, তিনি আবদুল্লাহ্ (রাঃ) -এর কাছে এসে বলেন, আমি অবগত হয়েছি যে, আপনি এমন এমন কথা বলেছেন। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি তাদেরকে কেন অভিসম্পাত করবো না যাদেরকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন এবং বিষয়টি আল্লাহ্র কিতাবে উক্ত আছে! মহিলা বলেন, আমি সম্পূর্ণ কুরআ’ন পডেছি, কিন্তু কোথাও তো তা পাইনি। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, তুমি খেয়াল করে তা পড়লে, অবশ্যই পেতে। তুমি কি এ আয়াত পড়োনি (অনুবাদ) : “রসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ করো এবং যা থেকে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে তোমরা বিরত থাকো” (সূরা হাশরঃ ৭)? মহিলা বললেন, হাঁ। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। মহিলা বলেন, আমার মনে হয় আপনার পরিবার (স্ত্রী) এরূপ করে থাকে। তিনি বলেন, তাহলে তুমি গিয়ে লক্ষ্য করে দেখো। অতএব সে গিয়ে লক্ষ্য করলো, কিন্তু তার কোন লক্ষণই দেখতে পেলো না। শেষে সে বললো, আমি এমন কিছু দেখতে পাইনি। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, তোমার কথা ঠিক হলে সে আমাদের সাথে একত্রে থাকতে পারতো না। [১৯৮৯]
[১৯৮৯] সহীহুল বুখারী ৪৮৮৬, ৪৮৮৭, ৫৯৩১, ৫৯৩৯, ৫৯৪৩, ৫৯৪৮, মুসলিম ২১২৫, তিরমিযী ২৭৮২, নাসায়ী ৩৪১৬, ৫০৯৯, ৫১০২, ৫১০৭, ৫১০৮, ৫১০৯, ৫২৫২, ৫২৫৩, ৫২৫৪, ৫২৫৫, আবূ দাউদ ৪১৬৯, আহমাদ ৩৮৭১, ৩৯৩৫, ৪০৭৯, ৪১১৮, ৪২১৮, ৪২৭১, ৪৩৩১, ৪৩৮৯, ৪৪২০, ২৬৪৭, গায়তুল মারাম ৯৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৫৩. অধ্যায়ঃ
যে সময় স্ত্রীদের সাথে বাসর যাপন করা উত্তম।
১৯৯০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ ح و حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ تَزَوَّجَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي شَوَّالٍ وَبَنَى بِي فِي شَوَّالٍ فَأَيُّ نِسَائِهِ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَسْتَحِبُّ أَنْ تُدْخِلَ نِسَاءَهَا فِي شَوَّالٍ
আ’য়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেন এবং শাওয়াল মাসে আমার সাথে বাসর যাপন করেন। আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কোন স্ত্রী তাঁর কাছে আমার চেয়ে অধিক প্রিয় ছিল! আ’য়িশাহ্ (রাঃ) নব বিবাহিতার সাথে তার স্বামীর শাওয়াল মাসেই বাসর যাপন পছন্দ করতেন। [১৯৯০]
[১৯৯০] মুসলিম ১৪২৩, তিরমিযী ১০৯৩, নাসায়ী ৩২৩৬, আহমাদ ২৩৭৫১, ২৫১৮৮, দারেমী ২২১১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ أُمَّ سَلَمَةَ فِي شَوَّالٍ وَجَمَعَهَا إِلَيْهِ فِي شَوَّالٍ
হারিস বিন হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু সালামাহ (রাঃ)-কে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেন এবং শাওয়াল মাসেই তাকে তাঁর সহবাসে একত্র করেন। আবূ বকর বিন আবদির রহমান বর্ণনায় মুরসাল। [১৯৯১]
তাহকীক আলবানীঃ মুরসাল।
[১৯৯১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যঈফাহ ৪৩৫০, তা’লীক ইবনু মাজাহ্। তাহকীক আলবানীঃ মুরসাল। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ মুরসাল
- সরাসরি
৯/৫৪. অধ্যায়ঃ
স্ত্রীকে কিছু দেয়ার পূর্বে তার সাথে নির্জনে মিলন।
১৯৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ مَنْصُورٍ ظَنَّهُ عَنْ طَلْحَةَ عَنْ خَيْثَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا أَنْ تُدْخِلَ عَلَى رَجُلٍ امْرَأَتَهُ قَبْلَ أَنْ يُعْطِيَهَا شَيْئًا
আ’য়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক কনেকে স্বামীর কিছু (মাহ্র, উপহার ইত্যাদি) দেয়ার পূর্বেই তার সাথে বাসর যাপনের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দেন। [১৯৯২]
[১৯৯২] আবূ দাউদ ২১২৮, যঈফ আবী দাউদ ৩৬৬। রওদুন নাদীর ৭৬১। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী হায়সাম বিন জামীল সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি হাফিয নয়, আমি আশা করি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেন না। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আবু হাফস উমার বিন শাহীন বলেন, তিনি সিকাহ। আবু নুআয়ম আল-আসবাহানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৬৪১, ৩০/৩৬৫ নং পৃষ্ঠা) ২. শারীক সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান বলেন, তিনি হাদিস তাদলীস করার দিক থেকে প্রসিদ্ধ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল ও সন্দেহ করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৭৩৬, ১২/৪৬২ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৯/৫৫. অধ্যায়ঃ
শুভ ও অশুভ আলামাত।
১৯৯৩
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُلَيْمٍ الْكَلْبِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ جَابِرٍ عَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَنْ عَمِّهِ مِخْمَرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَا شُؤْمَ وَقَدْ يَكُونُ الْيُمْنُ فِي ثَلَاثَةٍ فِي الْمَرْأَةِ وَالْفَرَسِ وَالدَّارِ
মিখ্মার বিন মুআবিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: অশুভ আলামাত বলতে কিছু নেই। অবশ্য তিনটি জিনিসে শুভ আলামাত আছেঃ স্ত্রীলোক, ঘোড়া ও বাড়ি। [১৯৯৩]
[১৯৯৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ১০/২৬৫, সহীহাহ ১৯৩০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنْ كَانَ فَفِي الْفَرَسِ وَالْمَرْأَةِ وَالْمَسْكَنِ يَعْنِي الشُّؤْمَ
সাহ্ল বিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অশুভ আলামাত বলতে কিছু থাকলে তা ঘোড়া, স্ত্রীলোক ও ঘরেই থাকতো। [১৯৯৪]
[১৯৯৪] সহীহুল বুখারী ২৮৫৯, মুসলিম ২২২৬, আহমাদ ২২৩২৯, ২২৩৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১৮১৬, সহীহাহ ৪/২৫০, ৪৫১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ أَبُو سَلَمَةَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الشُّؤْمُ فِي ثَلَاثٍ فِي الْفَرَسِ وَالْمَرْأَةِ وَالدَّارِ
قَالَ الزُّهْرِيُّ فَحَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ أَنَّ جَدَّتَهُ زَيْنَبَ حَدَّثَتْهُ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّهَا كَانَتْ تَعُدُّ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ وَتَزِيدُ مَعَهُنَّ السَّيْفَ.
আবদুল্লাহ্ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অশুভ আলামাত তিন জিনিসের মধ্যে থাকতে পারে, ঘোড়া, স্ত্রীলোক ও ঘর। যুহ্রী (রঃ) বলেন, আবূ উবায়দাহ বিন আবদুল্লাহ্ বিন যামআহ আমাকে বলেছেন যে, তার দাদী যায়নাব (রাঃ) উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এই তিনটির সাথে তরবারিও যোগ করতেন, উম্মু সালামাহ’র কথা ব্যতীত, তাদের শব্দ হলো- অশুভ আলামাত যে বস্তুর মধ্যে তাহল… অতঃপর তরবারী ব্যতীত তিনটি উল্লেখ করেন। [১৯৯৫]
[১৯৯৫] সহীহুল বুখারী ২৮৫৮, ৫০৯৩, ৫০৯৪, ৫৭৫৩, ৫৭৭২, মুসলিম ২২২৫, তিরমিযী ২৮২৪, ৪০০১, নাসায়ী ৩৫৬৮, ৩৫৬৯, আবূ দাউদ ৩৯২২, আহমাদ ৬৩৬৯, মুয়াত্তা মালেক ১৮১৭, সহীহাহ ৭৯৯, ১৮৯৭। তাহকীক আলবানীঃ শায। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন ইসহাক সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কাদিরিয়্যা মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, তিনি কাদিরিয়্যা মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৫৫, ১৬/৫১৯ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ শায
- সরাসরি
৯/৫৬. অধ্যায়ঃ
আত্মমর্যাদাবোধ।
১৯৯৬
– حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ شَيْبَانَ أَبِي مُعَاوِيَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَهْمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ الْغَيْرَةِ مَا يُحِبُّ اللهُ وَمِنْهَا مَا يَكْرَهُ اللهُ فَأَمَّا مَا يُحِبُّ فَالْغَيْرَةُ فِي الرِّيبَةِ وَأَمَّا مَا يَكْرَهُ فَالْغَيْرَةُ فِي غَيْرِ رِيبَةٍ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ আত্মমর্যাদাবোধ পছন্দ করেন এবং অপছন্দও করেন। যা থেকে বিপর্যয় সৃষ্টির আশংকা থাকে তা ত্যাগ করার আত্মমর্যাদাবোধ আল্লাহ্ পছন্দ করেন এবং যাতে বিপর্যয় সৃষ্টির আশংকা নেই তা ত্যাগের আত্মমর্যাদাবোধ আল্লাহ্ অপছন্দ করেন। [১৯৯৬]
[১৯৯৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/৪০২, ইরওয়াহ ১৯৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৭
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى امْرَأَةٍ قَطُّ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ مِمَّا رَأَيْتُ مِنْ ذِكْرِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَهَا وَلَقَدْ أَمَرَهُ رَبُّهُ أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ يَعْنِي مِنْ ذَهَبٍ قَالَهُ ابْن مَاجَةَ.
আ’য়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি খাদিজা (রাঃ) -এর ক্ষেত্রে যে আত্মমর্যাদাবোধ উপলব্ধি করতাম, তদ্রূপ অপর কোন নারীর ক্ষেত্রে অনুভব করতাম না। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রায়ই তার কথা উল্লেখ করতে দেখেছি। আল্লাহ্ তাআলা তার রসূলকে খাদীজা (রাঃ) -এর জন্য জান্নাতে স্বর্ণ নির্মিত একটি প্রাসাদের সুসংবাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইবনু মাজাহ (রঃ) তা বলেছেন (অর্থাৎ কাসাব-এর অর্থ সোনা বলেছেন)। [১৯৯৭]
[১৯৯৭] সহীহুল বুখারী ৩৮১৬, মুসলিম ২৪৩৪, ২৪৩৫, তিরমিযী ২০১৭, ৩৮৭৫, ৩৮৭৬, আহমাদ ২৩৭৮৯, ২৫১৩০, ২৫৮৪৭, বায়হাকী ৭/৪১২ সহীহাহ ১৫৫৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৮
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُونِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَلَا آذَنُ لَهُمْ ثُمَّ لَا آذَنُ لَهُمْ ثُمَّ لَا آذَنُ لَهُمْ إِلَّا أَنْ يُرِيدَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّمَا هِيَ بَضْعَةٌ مِنِّي يَرِيبُنِي مَا رَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا
মিসওয়ার বিন মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ বনূ হিশাম ইবনুল মুগীরাহ তাদের কন্যাকে আলী বিন আবূ তালিবের নিকট বিবাহ দিতে আমার নিকট অনুমতি চেয়েছে। আমি তাদেরকে অনুমতি দিবো না, আমি তাদেরকে অনুমতি দিবো না, আমি অনুমতি দিবো না, আমি তাদেরকে অনুমতি দিবো না। তবে আলী বিন আবূ তালিব আমার কন্যাকে তালাক দিলে তা করতে পারে। কেননা ফাতিমা অবশ্যি আমার দেহের একটি টুকরা। যা তার মনঃকষ্টের কারণ হয় তা আমারও মনঃকষ্টের কারণ হয় এবং যা তাকে কষ্ট দেয় তা আমাকেও কষ্ট দেয়। [১৯৯৮]
[১৯৯৮] মাজাহ ১৯৯৯, সহীহুল বুখারী ৩১১০, ৩৭১৪, ৩৭২৯, ৩৭৬৭, ৫২৩০, ৫২৭৮, মুসলিম ২৪৪৯, তিরমিযী ৩৮৬৭, ২০৬৯, ২০৭১, আহমাদ ১৮৪২৮, ১৮৪৩২, ১৮৪৪৭, ১৮৪৫১, ইরওয়াহ ২৬৭৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ وَعِنْدَهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا سَمِعَتْ بِذَلِكَ فَاطِمَةُ أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ قَوْمَكَ يَتَحَدَّثُونَ أَنَّكَ لَا تَغْضَبُ لِبَنَاتِكَ وَهَذَا عَلِيٌّ نَاكِحًا ابْنَةَ أَبِي جَهْلٍ قَالَ الْمِسْوَرُ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْتُهُ حِينَ تَشَهَّدَ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنِّي قَدْ أَنْكَحْتُ أَبَا الْعَاصِ بْنَ الرَّبِيعِ فَحَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَإِنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ بَضْعَةٌ مِنِّي وَأَنَا أَكْرَهُ أَنْ تَفْتِنُوهَا وَإِنَّهَا وَاللهِ لَا تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللهِ عِنْدَ رَجُلٍ وَاحِدٍ أَبَدًا قَالَ فَنَزَلَ عَلِيٌّ عَنْ الْخِطْبَةِ
মিসওয়ার বিন মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) আবূ জাহলের কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কন্যা ফাতিমাহ (রাঃ) তাঁর বিবাহাধীন ছিলেন। ফাতিমাহ (রাঃ) তা শুনতে পেয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বলেন, আপনার সম্প্রদায়ের লোক বলাবলি করছে যে, আপনি আপনার কন্যাদের ব্যাপারে কোন কথায় রাগান্বিত হন না। এই আলী আবূ জাহলের কন্যাকে বিবাহ করতে যাচ্ছে। মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ালেন, আমি তাঁকে কালিমা শাহাদাত পাঠ করার পর বলতে শুনলামঃ আমি আবূল আস ইবনুল রাবী’ এর নিকট আমার এক কন্যার (যায়নব) বিবাহ দিয়েছিলাম। সে আমাকে যে কথা দিয়েছিল তা রক্ষা করেছে। নিশ্চয় ফাতিমাহ বিনতু মুহাম্মাদ আমার দেহের একটি অংশ। তোমরা তাকে গুনাহে নিক্ষেপ করবে তা আমি পছন্দ করি না। আল্লাহ্র শপথ! আল্লাহ্র রসূলের কন্যা এবং আল্লাহ্র দুশমনের কন্যা এক ব্যক্তির অধীন কখনো একত্র হতে পারে না। [১৯৯৯]
[১৯৯৯] ইবনু মাজাহ ১৯৯৮, সহীহুল বুখারী ৩১১০, ৩৭১৪, ৩৭২৯, ৩৭৬৭, ৫২৩০, ৫২৭৮, মুসলিম ২৪৪৯, তিরমিযী ৩৮৬৭, ২০৬৯, ২০৭১, আহমাদ ১৮৪২৮, ১৮৪৩২, ১৮৪৪৭, ১৮৪৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৫৭. অধ্যায়ঃ
যে মহিলা নিজেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য হেবা করে।
২০০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا كَانَتْ تَقُولُ أَمَا تَسْتَحِي الْمَرْأَةُ أَنْ تَهَبَ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَنْزَلَ اللهُ {تُرْجِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَنْ تَشَاءُ} قَالَتْ فَقُلْتُ إِنَّ رَبَّكَ لَيُسَارِعُ فِي هَوَاكَ
আ’য়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলতেন, যে নারী নিজেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য পেশ করে তার কি লজ্জা হয় না? অবশেষে এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থানুবাদ) : “তুমি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট থেকে দূরে রাখতে পারো এবং যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট স্থান দিতে পারো” (সূরা আহযাবঃ ৫১)। আ’য়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, আপনার প্রভু তো আপনার ইচ্ছা পূরণে আপনার চেয়েও অগ্রগামী। [২০০০]
[২০০০] সহীহুল বুখারী ৪৭৮৮, ৫১১৩, মুসলিম ১৪৬৪, নাসায়ী ৩১৯৯, আহমাদ ২৪৫০৫, ২৪৭২৩, ২৪৭১৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০১
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَا حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَعِنْدَهُ ابْنَةٌ لَهُ فَقَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ هَلْ لَكَ فِيَّ حَاجَةٌ فَقَالَتْ ابْنَتُهُ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(সাবিত) বলেন, আমরা আনাস বিন মা’লিক (রাঃ) -এর সাথে উপবিষ্ট ছিলাম। তার সাথে তার এক কন্যাও ছিলো। আনাস (রাঃ) বলেন, এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে নিজেকে তাঁর জন্য পেশ করে। সে বলে, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনার কি আমাকে প্রয়োজন আছে? (এ হাদীস শুনে) আনাস (রাঃ) -এর মেয়ে বললো, মহিলাটি কত নির্লজ্জ! আনাস (রাঃ) বলেন, সে তোমার চেয়ে অনেক উত্তম। সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর প্রতি অনুরক্ত হওয়ার কারণেই নিজেকে তাঁর জন্য পেশ করেছে। [২০০১]
[২০০১] সহীহুল বুখারী ৫১২০, ৬১২৩, নাসায়ী ৩২৪৯, ৩২৫০, আহমাদ ১৩৪২৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৯/৫৮. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি তার সন্তান সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে।
২০০২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ امْرَأَتِي وَلَدَتْ غُلَامًا أَسْوَدَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَمَا أَلْوَانُهَا قَالَ حُمْرٌ قَالَ هَلْ فِيهَا مِنْ أَوْرَقَ قَالَ إِنَّ فِيهَا لَوُرْقًا قَالَ فَأَنَّى أَتَاهَا ذَلِكَ قَالَ عَسَى عِرْقٌ نَزَعَهَا قَالَ وَهَذَا لَعَلَّ عِرْقًا نَزَعَهُ وَاللَّفْظُ لِابْنِ الصَّبَّاحِ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাযা’রাহ গোত্রের এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার স্ত্রী কৃষ্ণ বর্ণের একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমার কি উট আছে? সে বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ এগুলো কী বর্ণের? সে বললো, লাল। তিনি বলেন এগুলোর মধ্যে ছাই বর্ণের উট আছে কি? সে বললো, হাঁ, এর মধ্যে অবশ্যই ছাই রং-এর উটও আছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এগুলো কোথা থেকে এলো? সে বললো, সম্ভবত এটি তার পূর্বপুরুষের কারো রং ধারণ করেছে। তিনি বলেনঃ এখানেও হয়ত পূর্বপুরুষের কালো রং ধারণ করে থাকবে। [২০০২]
[২০০২] সহীহুল বুখারী ৫৩০৫, ৬৮৪৭, ৭৩১৪, মুসলিম ১৫০০, নাসায়ী ৩৪৭৮, ৩৪৭৯, ৩৪৮০, আবূ দাউদ ২২৬০, আহমাদ ৭১৪৯, ৭২২৩, ৭৭০২, ৯০৪৩, সহীহ আবী দাউদ ১৯৫৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৩
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ كُلَيْبٍ اللَّيْثِيُّ أَبُو غَسَّانَ عَنْ جُوَيْرِيَةَ بْنِ أَسْمَاءَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ امْرَأَتِي وَلَدَتْ عَلَى فِرَاشِي غُلَامًا أَسْوَدَ وَإِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ لَمْ يَكُنْ فِينَا أَسْوَدُ قَطُّ قَالَ هَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَمَا أَلْوَانُهَا قَالَ حُمْرٌ قَالَ هَلْ فِيهَا أَسْوَدُ قَالَ لَا قَالَ فِيهَا أَوْرَقُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَأَنَّى كَانَ ذَلِكَ قَالَ عَسَى أَنْ يَكُونَ نَزَعَهُ عِرْقٌ قَالَ فَلَعَلَّ ابْنَكَ هَذَا نَزَعَهُ عِرْقٌ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক গ্রাম্য বেদুইন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার স্ত্রী আমার ঘরে একটি কালো রং-এর পুত্র সন্তান প্রসব করেছে, অথচ আমাদের পরিবারে কালো রং-এর কেউ কখনো ছিলো না। তিনি বলেনঃ তোমার কি উট আছে? সে বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ এগুলোর রং কী? সে বললো, লাল। তিনি বলেনঃ এগুলোর মধ্যে কি কালো বর্ণের উট আছে? সে বললো, না। তিনি বললেনঃ ছাই বর্ণের আছে কি? সে বললো, হাঁ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন এটা কিরূপে হলো? সে বললো, হয়ত পূর্বপুরুষের রক্ত ধারায় এমনটি হয়ে থাকবে। তিনি বলেনঃ হয়তো তোমার পুত্রের বেলায়ও এমনটি হয়ে থাকবে। [২০০৩]
[২০০৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উবাদাহ বিন কুলায়ব আল-লায়সী আবু গাসসান সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, জুয়ায়য়ারিয়া বিন আসমা কর্তৃক বর্ণিত হাদিস এর অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম বুখারী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৪৮, ১৪/২৬৬ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৯/৫৯. অধ্যায়ঃ
সন্তান বিছানার মালিকের এবং ব্যভিচারির জন্য পাথর।
২০০৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنَّ عَبْدَ بْنَ زَمْعَةَ وَسَعْدًا اخْتَصَمَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي ابْنِ أَمَةِ زَمْعَةَ فَقَالَ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللهِ أَوْصَانِي أَخِي إِذَا قَدِمْتُ مَكَّةَ أَنْ أَنْظُرَ إِلَى ابْنِ أَمَةِ زَمْعَةَ فَأَقْبِضَهُ وَقَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ أَخِي وَابْنُ أَمَةِ أَبِي وُلِدَ عَلَى فِرَاشِ أَبِي فَرَأَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَبَهَهُ بِعُتْبَةَ فَقَالَ «هُوَ لَكَ يَا عَبْدَ بْنَ زَمْعَةَ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَاحْتَجِبِي عَنْهُ يَا سَوْدَةُ».
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু যামআহ ও সা’দ (রাঃ) যামআহ’র দাসী-পুত্রকে কেন্দ্র করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট বিবাদে লিপ্ত হন। সা’দ (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার ভাই আমাকে বলেছেন যে, আমি মাক্কাহ্য় গেলে আমি যেন যাম্আর দাসী-পুত্রকে খুঁজে বের করি। আর আব্দ বিন যামআহ বললো, সে আমার ভাই, আমার পিতার দাসী-পুত্র, সে আমার পিতার শয্যায় জন্মগ্রহণ করে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছেলেটিকে উতবার সাথে (গঠনাকৃতিতে) সাদৃশ্যপূর্ণ লক্ষ্য করেন। তিনি বলেনঃ হে আব্দ বিন যামআহ! এটি তোমারই প্রাপ্য। সন্তান বিছানার মালিকের (স্বামীর) এবং ব্যভিচারির জন্য রয়েছে পাথর। আর হে সাওদা! তুমি তার থেকে পর্দা করবে। [২০০৪]
[২০০৪] বুখারী ২০৫৩, ২২১৮, ২৪২১, ২৫৩৩, ২৭৪৫, ৪৩০৩, ৬৭৪৯, ৬৭৬৫, ৬৮১৭, ৭১৮২, মুসলিম ১৪৫৭, নাসায়ী ৩৪৮৪, ৩৪৮৭, আবূ দাউদ ২২৭৩, আহমাদ ২৩৫৬৬, ২৪৪৫৪, ২৫৩৬৬, ২৫৪৭০, মুয়াত্তা মালেক ১৪৪৯, দারেমী ২২৩৬, ২২৩৭, সহীহ আবী দাউদ ১৯৬৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالْوَلَدِ لِلْفِرَاشِ
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফয়সালা দিয়েছেন যে, সন্তান বৈধ শয্যাধারীর (স্বামীর)। [২০০৫]
[২০০৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/১৬৯, তাখরীজুল মুখতারাহ ২২৩-২২৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সন্তান বৈধ শয্যাধারীর (স্বামীর) এবং ব্যভিচারির জন্য রয়েছে পাথর। [২০০৬]
[২০০৬] সহীহুল বুখারী ৬৭৫০, ৬৮১৮, মুসলিম ১৪৫৮, তিরমিযী ১১৫৭, নাসায়ী ৩৪৮২, ৩৪৮৩, আহমাদ ৭২২১, ৭৭০৫, ৮৭৭৭, ৯০৪৭, ৯৬৯২, ৯৭৯৭, দারেমী ২২৩৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ حَدَّثَنَا شُرَحْبِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ الْبَاهِلِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ
আবু উমামা আল বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: সন্তান বৈধ শয্যাধারীর (স্বামীর) এবং ব্যভীচারীর জন্য রয়েছে পাথর। [২০০৭]
[২০০৭] আহমাদ ২১৭৯১, বায়হাকী ৭/৩২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা) ২. শুরাহবীল বিন মুসলিম আবু মুহাম্মাদ আল-ফাতায়ানী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। মুহাম্মাদ বিম আবদুল্লাহ বিন নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭২১, ১২/৪৩০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৬০. অধ্যায়ঃ
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন অপরজনের আগে ইসলাম গ্রহণ করলে ।
২০০৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ جُمَيْعٍ حَدَّثَنَا سِمَاكٌ عَنْ عِكرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْلَمَتْ فَتَزَوَّجَهَا رَجُلٌ قَالَ فَجَاءَ زَوْجُهَا الْأَوَّلُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي قَدْ كُنْتُ أَسْلَمْتُ مَعَهَا وَعَلِمَتْ بِإِسْلَامِي قَالَ فَانْتَزَعَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ زَوْجِهَا الْآخَرِ وَرَدَّهَا إِلَى زَوْجِهَا الْأَوَّلِ
ইকরিমা ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করার পর এক ব্যক্তি তাকে বিবাহ করলো। রাবী বলেন, তখন পূর্ব স্বামী এসে বললো, “হে আল্লাহর রসূল! আমি তো তার সাথেই ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং সে আমার ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে জানে। রাবী বলেন; রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাটিকে তার দ্বিতীয় স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে তার প্রথম স্বামীকে ফেরত দেন। [২০০৮]
[২০০৮] আবূ দাউদ ২২৩৯, বায়হাকী ৭/৩২২, ইরওয়াহ ১৯১৮। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১.হাফস বিন জুমায় সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন, তিনি যখন এককভাবে কোন হাদিস বর্ণনা করেন তখন তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৩৮৬, ৭/৬ নং পৃষ্ঠা) ২. সিমাক বিন হারব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭৯, ১২/১১৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২০০৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلَّادٍ وَيَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ قَالَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَدَّ ابْنَتَهُ عَلَى أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ بَعْدَ سَنَتَيْنِ بِنِكَاحِهَا الْأَوَّلِ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কন্যাকে প্রথম বিবাহের সুবাদে প্রথম দু’বছর পর আবুল আস ইবনুর রবী’ (রাঃ) -এর নিকট ফেরত পাঠান। [২০০৯]
[২০০৯] তিরমিযী ১১৪৩, আবূ দাউদ ২২৪০, ইরওয়াহ ২৯২১, সহীহ আবী দাউদ ১৯৩৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১০
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَدَّ ابْنَتَهُ زَيْنَبَ عَلَى أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ بِنِكَاحٍ جَدِيدٍ
আব্দুল্লাহ বিন আমর্ ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কন্যা যায়নাব (রাঃ) কে নতুন বিবাহের মাধ্যমে আবুল আস ইবনুর রবী (রাঃ) এর নিকট ফেরত পাঠান। [২০১০]
[২০১০] তিরমিযী ১১৪২, ইরওয়াহ ১৯২২। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৯/৬১. অধ্যায়ঃ
দুগ্ধপোষ্য সন্তানের মাতার সাথে সহবাস।
২০১১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ الْقُرَشِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ جُدَامَةَ بِنْتِ وَهْبٍ الْأَسَدِيَّةِ أَنَّهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ قَدْ أَرَدْتُ أَنْ أَنْهَى عَنْ الْغِيَالِ فَإِذَا فَارِسُ وَالرُّومُ يُغِيلُونَ فَلَا يَقْتُلُونَ أَوْلَادَهُمْ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ وَسُئِلَ
জুদামাহ বিনতে ওয়াহাব আল আসাদিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনিয়াছি: আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, দুগ্ধদানের মুদ্দতে মহিলাদের সাথে সহবাস করতে নিষেধ করাবো। কিন্তু আমি দেখলাম যে, পারস্য ও রোমের অধিবাসীরা এমনটি করে, অথচ তাদের সন্তানদের কোন ক্ষতি হয়না। রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি: এটি হচ্ছে গোপন হত্যার একটি পদ্ধতি। [২০১১]
[২০১১] মুসলিম ১৪৪২, তিরমিযী ২০৭৬, ২০৭৭, নাসায়ী ৩৩২৬, আবূ দাউদ ৩৮৮২, আহমাদ ২৬৪৯৪, ২৬৯০১, মুয়াত্তা মালেক ১২৯২, ২২১৭, আদাবুয যিফাফ ৫৪, গায়াতুল মারাম ২৪১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন আয়্যুব সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি তার মুখস্ত হাদিস থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন, কিন্তু তার কিতাবে লিখিত হাদিস থেকে বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আবু বকর আল-ইসমাইলী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবু মুহাম্মাদ বিন হাযম বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৭৯২, ৩১/২৩৩ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُهَاجِرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ الْمُهَاجِرَ بْنَ أَبِي مُسْلِمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ وَكَانَتْ مَوْلَاتَهُ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ سِرًّا فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ الْغَيْلَ لَيُدْرِكُ الْفَارِسَ عَلَى ظَهْرِ فَرَسِهِ حَتَّى يَصْرَعَهُ
আসমা বিনতু ইয়াযীদ ইবনুস সাকান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা গোপনে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করোনা। সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! দুধপানের মেয়াদে স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে আরোহীকে ঘোড়া তার পিঠ থেকে ভূলুন্ঠিত করে। [২০১২]
[২০১২] আবূ দাউদ ৩৮৮১, আহমাদ ২৭০১৫, ২৭০৩৮, ২৭০৪৩, গায়াতুল মারাম ২৪২, আত-তা’লীকু আলাত-তানকীল ২/২৫৯, মিশকাত তাহকীকুল সানী ৩১৯৬। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৯/৬২. অধ্যায়ঃ
যে স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দেয়।
২০১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةٌ مَعَهَا صَبِيَّانِ لَهَا قَدْ حَمَلَتْ أَحَدَهُمَا وَهِيَ تَقُودُ الْآخَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَامِلَاتٌ وَالِدَاتٌ رَحِيمَاتٌ لَوْلَا مَا يَأْتِينَ إِلَى أَزْوَاجِهِنَّ دَخَلَ مُصَلِّيَاتُهُنَّ الْجَنَّةَ
আবু উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা তার দুটি সন্তানসহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসে। সে একটি সন্তানকে কোলে এবং অপরটিকে হাতে ধরে নিয়ে আসে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: গর্ভধারিনী (বহনকারিণী) , সন্তান জন্মদানকারীণী এবং মমতাময়ী বা তারা তাদের স্বামীদের কষ্ট না দিলে তাদের মধ্যে যারা সলাতী তারা জান্নাতে যাবে। [২০১৩]
[২০১৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রওযুল নাযীর ৯০৫। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুআম্মাল (বিন ইসমাইল) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইসহাক বিন রাহওয়ায় বলেন, তিনি সিকাহ। মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করে। আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস অধিক ভুল ও সন্দেহ করেন। ইবনু কানি’ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৩১৯, ২৯/১৭৬ নং পৃষ্ঠা) তাছাড়া উক্ত হাদিসের সানাদে সালিম বিন আবুল জা’দ ও আবু উমামাহ (রাঃ) এর মাঝে ইনকিতা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২০১৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تُؤْذِي امْرَأَةٌ زَوْجَهَا إِلَّا قَالَتْ زَوْجَتُهُ مِنْ الْحُورِ الْعِينِ لَا تُؤْذِيهِ قَاتَلَكِ اللهُ فَإِنَّمَا هُوَ عِنْدَكِ دَخِيلٌ أَوْشَكَ أَنْ يُفَارِقَكِ إِلَيْنَا
মুআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দেয় তখন জান্নাতে তার আয়তালোচনা হুর স্ত্রীগণ বলতে থাকেঃ ওহে! আল্লাহ তোমার সর্বনাশ করুন। তুমি তাকে কষ্ট দিওনা। সে তো তোমার নিকট অল্পদিনের মেহমান অচিরেই সে তোমাকে ত্যাগ করে আমাদের নিকট চলে আসবে। [২০১৪]
[২০১৪] তিরমিযী ১১৭৪, সহীহা ১৭৩, আদাবুল যিফাফ ১৭৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল ওয়াহহাব ইবনুদ দাহহাক সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি জাল (বানিয়ে) হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু নুআয়ম আল-আসবাহানী বলেন, তিনি একাধিক জাল হাদিস বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬০১, ১৮/৪৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিস্ত সহিহ কিন্তু আবদুল ওয়াহহাব ইবনুদ দাহহাক ও ইসমাঈল বিন আয়্যাশ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৭ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৮ টি অধিক দুর্বল, ৬ টি দুর্বল, ২ টি হাসান, ১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১১৭৪, আহমাদ ২১৫৯৫ ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯/৬৩. অধ্যায়ঃ
হারাম বস্তু হালাল বস্তুকে হারাম করতে পারে না।
২০১৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُعَلَّى بْنِ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَرْوِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا يُحَرِّمُ الْحَرَامُ الْحَلَالَ
নাফি ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হারাম বস্তু হালাল বস্তুকে হারাম করে না। [২০১৫]
[২০১৫] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যঈফাহ ৩৮৫-৩৮৮। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন উমার সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও আলী ইবনুল মাদীনী বলেন তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৪০, ১৫/৩২৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস