পরিচ্ছেদ
মুহরিমের মাথা এবং চেহারা ঢাকার নিষেধাজ্ঞা
২৮৫৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَلَفٌ يَعْنِي ابْنَ خَلِيفَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلًا كَانَ حَاجًّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ لَفَظَهُ بَعِيرُهُ فَمَاتَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُغَسَّلُ، وَيُكَفَّنُ فِي ثَوْبَيْنِ، وَلَا يُغَطَّى رَأْسُهُ، وَوَجْهُهُ، فَإِنَّهُ يَقُومُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُلَبِّيًا»
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হজ্জের সফরে ছিল। তার উট তাকে ফেলে দিলে সে ইনতিকাল করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে গোসল দেয়া হবে এবং দুই কাপড়ে কাফন দেয়া হবে, আর তার চেহারা ও মাথা ঢাকা যাবে না। কেননা, সে কিয়ামতের দিন তলবিয়া পড়তে পড়তে উঠবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত মুহরিমের মাথা ঢাকা নিষেধ
২৮৫৮
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَقَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ: أَقْبَلَ رَجُلٌ حَرَامًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَرَّ مِنْ فَوْقِ بَعِيرِهِ، فَوُقِصَ وَقْصًا فَمَاتَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اغْسِلُوهُ بِمَاءٍ، وَسِدْرٍ، وَأَلْبِسُوهُ ثَوْبَيْهِ، وَلَا تُخَمِّرُوا رَأْسَهُ، فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُلَبِّي»
ইবন জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমর ইবন দীনার আমাকে অবহিত করেছেন যে, সাঈদ ইবন জুবায়র তাকে অবহিত করেছেন, ইবন আব্বাস (রাঃ) তাকে (ইবন জুবায়র (রহঃ)) অবহিত করেছেনঃ এক মুহরিম ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আগমন করছিল। সে তার উটের উপর থেকে পড়ে আঘাত পেয়ে মারা গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে কুল পাতার পানিতে গোসল দাও এবং তার কাপড় দুইখানা দিয়ে তাকে কাফন দাও; আর তার মাথা ঢেকো না। কেননা সে কিয়ামতের দিন তালবিয়া পড়তে পড়তে আসবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে শত্রু কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়
২৮৫৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا كَلَّمَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، لَمَّا نَزَلَ الْجَيْشُ بَابْنِ الزُّبَيْرِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ، فَقَالَا: لَا يَضُرُّكَ أَنْ لَا تَحُجَّ الْعَامَ، إِنَّا نَخَافُ أَنْ يُحَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْبَيْتِ، قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ دُونَ الْبَيْتِ، فَنَحَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَدْيَهُ، وَحَلَقَ رَأْسَهُ»، وَأُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً إِنْ شَاءَ اللَّهُ، أَنْطَلِقُ فَإِنْ خُلِّيَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْبَيْتِ طُفْتُ، وَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَعَلْتُ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَعَهُ، ثُمَّ سَارَ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ: فَإِنَّمَا شَأْنُهُمَا وَاحِدٌ، أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجَّةً مَعَ عُمْرَتِي، فَلَمْ يَحْلِلْ مِنْهُمَا حَتَّى أَحَلَّ يَوْمَ النَّحْرِ وَأَهْدَى
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ এবং সালিম ইবন আবদুল্লাহ তাকে অবহিত করেছেন যে, যখন আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রাঃ) (শত্রু) সেনা কর্তৃক আক্রান্ত হলেন। এটি তার শহীদ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। তারা আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) এর সাথে এই মর্মে আলাপ করলেন যে, এ বছর হজ্জ না করলে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। আমরা আশংকা করি যে, আপনার এবং বায়তুল্লাহর মধ্যে (শত্রু) প্রতিবন্ধক হবে। তিনি বললেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বের হলাম। তখন কাফির কুরায়শরা বায়তুল্লাহর নিকট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাদী যবাই করলেন, মাথা মুণ্ডন করলেন। তিনি (ইবন উমর (রাঃ)) বললেন যে, আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি ইনশা আল্লাহ উমরার নিয়্যত করলাম। আমি চলতে থাকব যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, তাহলে তাওয়াফ করবো। আর যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, তাহলে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে যখন ছিলাম তখন তিনি যা করেছেন, আমিও এখন তা করবো। তারপর তিনি কিছুক্ষন চললেন এবং বললেনঃ উভয়ের অর্থাৎ (হজ্জ ও উমরার) অবস্থা একই। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি আমার উমরার সাথে হজ্জকে ওয়াজিব (নিয়্যত) করে নিয়েছি। তিনি এ দুটি থেকে হালাল হলেন না। এমন কি কুরবানীর দিন হালাল হলেন এবং কুরবানী করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬০
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ وَهُوَ ابْنُ حَبِيبٍ، عَنْ الْحَجَّاجِ الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ الْحَجَّاجِ بْنِ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ عَرِجَ أَوْ كُسِرَ فَقَدْ حَلَّ وَعَلَيْهِ حَجَّةٌ أُخْرَى» فَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَأَبَا هُرَيْرَةَ، عَنْ ذَلِكَ فَقَالَا: صَدَقَ
হাজ্জাজ ইবন আমর আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি খোঁড়া হয়ে গেল, অথবা তার পা ভেঙ্গে গেল, সে হালাল হয়ে গেল। (তার জন্য হালাল হবার বৈধতা সৃষ্টি হল।) তবে তাকে আর একটি হজ্জ করতে হবে। আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) এবং আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বললেনঃ তিনি সত্যই বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬১
أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ الصَّوَّافِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ الْحَجَّاجِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ كُسِرَ أَوْ عَرِجَ فَقَدْ حَلَّ وَعَلَيْهِ حَجَّةٌ أُخْرَى» وَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَأَبَا هُرَيْرَةَ، فَقَالَا: صَدَقَ، وَقَالَ شُعَيْبٌ، فِي حَدِيثِهِ: «وَعَلَيْهِ الْحَجُّ مِنْ قَابِلٍ»
হাজ্জাজ ইবন আমর থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যে খোঁড়া হয়েছে, অথবা যার পা ভেঙ্গেছে, সে হালাল হয়ে গেল এবং তার উপর অন্য এক হজ্জ ফরয হবে। আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) এবং আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বললেনঃ তিনি সত্যই বলেছেন। আর শু’আয়ব (রাঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করেছেনঃ তাঁর উপর পরবর্তী বছর হজ্জ ওয়াজিব হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মক্কায় প্রবেশ করা
২৮৬২
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْزِلُ بِذِي طُوًى يَبِيتُ بِهِ حَتَّى يُصَلِّيَ صَلَاةَ الصُّبْحِ حِينَ يَقْدَمُ إِلَى مَكَّةَ، وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ، عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ، لَيْسَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي بُنِيَ، ثَمَّ وَلَكِنْ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ خَشِنَةٍ غَلِيظَةٍ»
মূসা ইবন উকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) তাঁর নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আগমন করতেন, তখন যী-তূয়া স্থানে অবতরণ করতেন এবং সেখানে রাত যাপন করে ফজরের সালাত আদায় করতেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সালাত আদায়ের স্থানটি ছিল শক্ত মাটির উঁচু ঢিলার ওপর। সেথায় যে মসজিদ নির্মান করা হয়েছিল এ স্থানটি সেই মসজিদে ছিল না; বরং এর নীচে উঁচু অমসৃন শক্ত ঢিলার উপর ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রাতে মক্কায় প্রবেশ করা
২৮৬৩
أَخْبَرَنِي عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ شُعَيْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُزَاحِمُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُحَرِّشٍ الْكَعْبِيِّ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَرَجَ لَيْلًا مِنَ الْجِعِرَّانَةِ حِينَ مَشَى مُعْتَمِرًا، فَأَصْبَحَ بِالْجِعِرَّانَةِ كَبَائِتٍ حَتَّى إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ، خَرَجَ عَنِ الْجِعِرَّانَةِ فِي بَطْنِ سَرِفَ، حَتَّى جَامَعَ الطَّرِيقَ طَرِيقَ الْمَدِينَةِ، مِنْ سَرِفَ»
মুহাররিশ কা’বী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে উমরার নিয়্যত জি’ইররানা থেকে হেঁটে বের হলেন, জি’ইররানাতেই তাঁর ভোর হলো, যেন তিনি সেখানেই রাত যাপন করেছেন। সূর্য (পশ্চিমে) ঢলার পর তিনি জি’ইররানা থেকে সারিফ উপত্যকার দিকে গমন করলেন, এমনকি তিনি সারিফ থেকে মদীনার রাস্তার মঙ্গমস্থলে গেলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬৪
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ مُزَاحِمٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أُسَيْدٍ، عَنْ مُحَرِّشٍ الْكَعْبِيِّ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنَ الْجِعِرَّانَةِ لَيْلًا، كَأَنَّهُ سَبِيكَةُ فِضَّةٍ، فَاعْتَمَرَ، ثُمَّ أَصْبَحَ بِهَا كَبَائِتٍ»
মুহাররিশ কা’বী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জি’ইররানা থেকে রাতে বের হলেন, তখন তাঁকে স্বচ্ছ রূপার (পাত) মত মনে হচ্ছিল। তারপর তিনি উমরা আদায় করলেন, তারপর সেখানেই ভোর হলো, যেন তিনি সেখানেই রাত যাপন করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কোন স্থান থেকে মক্কায় প্রবেশ করবে
২৮৬৫
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ مِنَ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا الَّتِي بِالْبَطْحَاءِ، وَخَرَجَ مِنَ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى»
ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছানিয়াতুল উলইয়া নামক স্থান দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন, যা বাতহার নিকট অবস্থিত। আর তিনি ছানিয়্যাতুস সুফলা নামক স্থান দিয়ে বের হন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
পতাকা নিয়ে মক্কায় প্রবেশ
২৮৬৬
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ، وَلِوَاؤُهُ أَبْيَضُ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তার পতাকা ছিল সাদা রংয়ের।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ইহরাম ব্যতীত মক্কায় প্রবেশ
২৮৬৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ الْمِغْفَرُ، فَقِيلَ ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَقَالَ: «اقْتُلُوهُ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তাঁর মাথার শিরস্ত্রাণ ছিল। তখন তাঁকে বলা হলো: ইবন খাতাল কা’বার গিলাফ ধরে আছে। তিনি বললেন: তাকে হত্যা কর।[১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬৮
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ فَضَالَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মক্কা বিজয়ের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে প্রবেশ করেন, তখন তাঁর মাথায় শিরস্ত্রাণ ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ الْمَكِّيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ، وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ»
জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন ইহরাম ব্যতীত মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন। আর তার মাথায় কালো বর্ণের পাগড়ি ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মক্কায় প্রবেশের সময়
২৮৭০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَبَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ لِصُبْحِ رَابِعَةٍ وَهُمْ يُلَبُّونَ بِالْحَجِّ، «فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْ يَحِلُّوا»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ যিলহাজ্জ মাসের ৪ তারিখ ভোরে মক্কায় পদার্পণ করেন। তখন তাঁরা হজ্জের তালবিয়া পাঠ করছিলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদেরকে হালাল হতে (ইহরাম ভঙ্গ করতে) আদেশ দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ كَثِيرٍ أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَرْبَعٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ وَقَدْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، فَصَلَّى الصُّبْحَ بِالْبَطْحَاءِ، وَقَالَ: «مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَفْعَلْ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় যিলহাজ্জ মাসের ৪ তারিখ রাত গত হওয়ার পর প্রবেশ করেন এবং তখন তিনি হজ্জের ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। তিনি বাতহা নামক স্থানে ফজরের সালাত আদায় করে বলেন: যার একে উমরায় পরিণত করার ইচ্ছা হয় সে তা করতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭২
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: عَطَاءٌ: قَالَ جَابِرٌ: «قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিলহাজ্জ মাসের চতুর্থ তারিখের রাত অতিক্রান্ত হওয়ার পর ভোরে মক্কায় পদার্পণ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হারামে কবিতা পাঠ করা ও ইমামের সামনে দিয়ে হাঁটা-চলা করা
২৮৭৩
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ خُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ يَمْشِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ:
[البحر الرجز]
خَلُّوا بَنِي الْكُفَّارِ عَنْ سَبِيلِهِ … الْيَوْمَ نَضْرِبْكُمْ عَلَى تَنْزِيلِهِ
ضَرْبًا يُزِيلُ الْهَامَ عَنْ مَقِيلِهِ … وَيُذْهِلُ الْخَلِيلَ عَنْ خَلِيلِهِ
فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: يَا ابْنَ رَوَاحَةَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِي حَرَمِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، تَقُولُ الشِّعْرَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَلِّ عَنْهُ، فَلَهُوَ أَسْرَعُ فِيهِمْ مِنْ نَضْحِ النَّبْلِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমরাতুল কাযায় মক্কায় প্রবেশ করেন, আর তখন আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রাঃ) এই কবিতা পাঠ করতে করতে তাঁর সামনে হাঁটছিলেন: (আরবি)
অর্থ: হে কাফির সম্প্রদায়! তাঁর রাস্তা ছেড়ে দাও। (তাঁর প্রবেশে বাধা দিলে) আজ আমরা তোমাদেরকে আঘাত করবে তাঁর (অথবা কুরআনের) অবতরণ সূত্রে। এমন আঘাত, যা মাথা স্থানচ্যুত করে দেবে এবং বন্ধুকে বন্ধুর কথা ভুলিয়ে দেবে।
তখন তাঁকে উমর (রাঃ) বললেন: হে ইবন রাওয়াহা! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে মহান মহিয়ান আল্লাহর হারাম শরীফে তুমি কবিতা আবৃত্তি করছো? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তাকে করতে দাও। তার (এই কবিতা) কাফিরদের অন্তরে তীর নিক্ষেপের চেয়ে দ্রুত ক্রিয়া বিস্তারকারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মক্কার মর্যাদা ও পবিত্রতা
২৮৭৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ: «هَذَا الْبَلَدُ حَرَّمَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ، فَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا يُعْضَدُ شَوْكُهُ وَلَا يُنَفَّرُ صَيْدُهُ، وَلَا يَلْتَقِطُ لُقَطَتَهُ، إِلَّا مَنْ عَرَّفَهَا، وَلَا يُخْتَلَى خَلَاهُ» قَالَ: الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلَّا الْإِذْخِرَ فَذَكَرَ كَلِمَةً مَعْنَاهَا إِلَّا الْإِذْخِرَ
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন বলেন: এই শহর, একে আল্লাহ তা’আলা পৃথিবী ও নভোমন্ডল সৃষ্টির দিনেই সম্মানিত (ও ‘নিষিদ্ধ’ অঞ্চল) করেছেন। অতএব তাআল্লহর সম্মান দ্বারাই কিয়ামতের দিন পর্যন্ত সম্মানিত, তার কাটাঁও তোলা যাবে না, সেখানে শিকার করা যাবে না, আর সেখানে কোন দ্রব্য পতিত থাকলে কোউ তা উঠাবে না, অবশ্য তার কথা স্বতন্ত্র, যে সে দ্রব্যের কথা প্রচার করবে। আর তার ঘাস কাটা যাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ। ইযখির নামক ঘাস ব্যতীত? তারপর তিনি এমন শব্দ উল্লেখ করলেন, যার অর্থ ইযখির ব্যতীত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মক্কায় যুদ্ধবিগ্রহ হারাম
২৮৭৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُفَضَّلٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ: «إِنَّ هَذَا الْبَلَدَ حَرَامٌ، حَرَّمَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، لَمْ يَحِلَّ فِيهِ الْقِتَالُ، لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَأُحِلَّ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، فَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন বললেন: নিশ্চয় এই শহর পবিত্র (সম্মানিত)। আল্লাহ তা’আলা একে পবিত্র করেছেন। আমার পূর্বে তাতে যুদ্ধ বিগ্রহ করা কারো জন্য বৈধ ছিল না। আমার জন্য দিনের কিয়দংশে তা বৈধ করা হয়েছে। অতএব তা আল্লাহ তা’আলার পবিত্রকরণে পবিত্র ও সম্মানিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭৬
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ، أَنَّهُ قَالَ: لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الْأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلًا، قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي، وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَايَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ حَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: ” إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ، وَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، أَنْ يَسْفِكَ بِهَا دَمًا، وَلَا يَعْضُدَ بِهَا شَجَرًا، فَإِنْ تَرَخَّصَ أَحَدٌ لِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا فَقُولُوا لَهُ: إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ، وَلَمْ يَأْذَنْ لَكُمْ، وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي فِيهَا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالْأَمْسِ، وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ “
আবূ শুরায়হ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (মদীনার শাসনকর্তা) আমর ইবন সাঈদ (রহঃ) -কে বলেছিলেন, যখন ‘আমর মক্কার দিকে (ইবন যুবায়র (রাঃ) এর বিরুদ্ধে) সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিলেন: হে আমীর! শুনুন, আমি আপনার নিকট এমন একটি হাদীস বর্ণনা করবো, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন (তাঁর ভাষনে) বলেছিলেন: যা আমার দুই কান শ্রবণ করেছে, যা আমার অন্তর সংরক্ষণ করেছে, আর যখন তিনি তা বলেছিলেন তখন আমার দুই চোখ তা দেখেছে। তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনা ও গুনগান করেন, তারপর বলেন: মক্কাকে আল্লাহই সম্মান (পবিত্রতা) দান করেছেন, তাকে কোন লোক সম্মানিত (পবিত্র) করেনি, আর এমন কোন মুসলমানের জন্য সেখানে রক্তপাত বৈধ নয়, যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে। সেখানের কোন বৃক্ষ কর্তন করবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সেখানে যুদ্ধ করার দরুন যদি কেউ বৈধতা দাবী করে, তবে তাকে বলবে, আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূলকে অনুমতি প্রদান করেছিলেন; তাদেরকে অনুমতি দান করেননি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমাকে দিনের অল্প সময়ের জন্য অনুমতি প্রদান করেছিলেন। তারপর তার সম্মান (পবিত্রতা) আজ ফিরে এসেছে, যেমন গতকাল তা সম্মানিত ছিল। অতএব, উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তিকে এ সংবাদ পৌঁছে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হারাম শরীফের মর্যাদা ও পবিত্রতা
২৮৭৭
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرٌ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سُحَيْمٌ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَغْزُو هَذَا الْبَيْتَ جَيْشٌ فَيُخْسَفُ بِهِمْ بِالْبَيْدَاءِ»
—
[حكم الألباني] حسن صحيح
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুহায়ম (রাঃ) আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: একটি সৈন্যদল এই কা’বা শরীফে যুদ্ধ করতে আসবে, তদেরকে বায়দা নামক স্থানে ধসিয়ে দেয়া হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৮৭৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي طَلْحَةُ بْنُ مُصَرِّفٍ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَنْتَهِي الْبُعُوثُ عَنْ غَزْوِ هَذَا الْبَيْتِ، حَتَّى يُخْسَفَ بِجَيْشٍ مِنْهُمْ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন; বিভিন্ন সেনাবাহিনী এই কা’বা ঘরের যুদ্ধ থেকে বিরত থাকবে না; যতক্ষণ না তাদের একদলকে যমীনে ধসিয়ে দেয়া হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭৯
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ الْمِصِّيصِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَابِقٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ، عَنْ الدَّالَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَخِيهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُبْعَثُ جُنْدٌ إِلَى هَذَا الْحَرَمِ فَإِذَا كَانُوا بِبَيْدَاءَ مِنَ الْأَرْضِ، خُسِفَ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ، وَلَمْ يَنْجُ أَوْسَطُهُمْ» قُلْتُ: أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِيهِمْ مُؤْمِنُونَ، قَالَ: «تَكُونُ لَهُمْ قُبُورًا»
—
[حكم الألباني] منكر
হাফসা বিনত উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: এই হারামের দিকে একটি সেনাদল পাঠানো হবে। যখন তারা বায়দা নামক স্থানে (অথবা একটি উন্মুক্ত প্রান্তরে) পৌঁছবে, তখন তাদের প্রথমাংশ এবং শেষাংশকে ধসিয়ে দেয়া হবে, আর তাদের মধ্যাংশও পরিত্রাণ পাবে না। আমি বললাম: যদি তাদের মধ্যে মু’মিনরা থাকে, (তবে তাদের কি অবস্থা হবে?) তিনি বললেন: তা (ঐ ভুখণ্ড) তাদের জন্য কবর হবে।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
২৮৮০
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، سَمِعَ جَدَّهُ، يَقُولُ: حَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ، أَنَّهُ قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيَؤُمَّنَّ هَذَا الْبَيْتَ جَيْشٌ يَغْزُونَهُ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَيْدَاءَ مِنَ الْأَرْضِ، خُسِفَ بِأَوْسَطِهِمْ، فَيُنَادِي أَوَّلُهُمْ وَآخِرُهُمْ، فَيُخْسَفُ بِهِمْ جَمِيعًا، وَلَا يَنْجُو إِلَّا الشَّرِيدُ الَّذِي يُخْبِرُ عَنْهُمْ» فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: أَشْهَدُ عَلَيْكَ أَنَّكَ مَا كَذَبْتَ عَلَى جَدِّكَ، وَأَشْهَدُ عَلَى جَدِّكَ أَنَّهُ مَا كَذَبَ عَلَى حَفْصَةَ، وَأَشْهَدُ عَلَى حَفْصَةَ أَنَّهَا لَمْ تَكْذِبْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উমাইয়া ইবন সাফওয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তার দাদা আবদুল্লাহ ইবন সাফওয়ানকে বলতে শুনেছি যে, হাফসা (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: একটি সেনাদল এই কা’বা ঘরের স্থানে যুদ্ধ করার অভিপ্রায়ে আসবে, তারা যখন বায়দা নামক স্থানে (উন্মুক্ত প্রান্তরে) পৌঁছবে, তখন তাদের মধ্যবর্তী দলকে ধসিয়ে দেয়া হবে। তারপা তাদেরকে অগ্রবর্তী দল ও পেছনের দল ডাকাডাকি করবে। এরপর এদের সকলকে ধসিয়ে দেয়া হবে। তাদের মধ্যে থেকে কেউই পরিত্রাণ পাবে না। ঐ বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি ব্যতীত, যে তাদের সম্পর্কে সংবাদ দেবে। তখন এক ব্যক্তি বললেন: আমি তোমার সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি তোমার দাদার নামে মিথ্যা বলনি আর আমি তোমার দাদা সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি হাফসার নামে মিথ্যা বলেন নি। আর হাফসা (রাঃ) সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নামে মিথ্যা বলেন নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হারামে যে সকর প্রাণী মারা যায়
২৮৮১
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” خَمْسُ فَوَاسِقَ يُقْتَلْنَ فِي الْحِلِّ وَالْحَرَمِ: الْغُرَابُ، وَالْحِدَأَةُ، وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ، وَالْعَقْرَبُ، وَالْفَأْرَةُ “
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন : পাঁচ প্রকার ‘দৃষ্ট’ (কষ্টদায়ক জন্তু) -কে ‘হিল্ল’[১] (হারাম বহির্ভূত অঞ্চল) এবং হারামে হত্যা করা যাবে, কাক, চিল, দংশনকারী কুকুর ও বিচ্ছু এবং ইঁদুর।
[১] কা’বা শরীফের চারদিকে (কম বেশী) একটি পরিসীমা আল্লাহ তা’আলা ঘোষিত ‘হারাম’ যা পবিত্র ও সম্মানিত (খাসভূমি) অঞ্চল। এর বাইরের সমস্ত স্থান ‘হিল্ল’ (স্বাভাবিক বৈধ) অঞ্চল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হারাম শরীফে সাপ মারা
২৮৮২
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يُحَدِّثُ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” خَمْسُ فَوَاسِقَ يُقْتَلْنَ فِي الْحِلِّ وَالْحَرَمِ: الْحَيَّةُ، وَالْكَلْبُ، الْعَقُورُ، وَالْغُرَابُ الْأَبْقَعُ، وَالْحِدَأَةُ، وَالْفَأْرَةُ “
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: পাঁচ প্রকার অনিষ্টকারী প্রাণী হিল্ল ও হারাম (উভয় স্থানে) হত্যা করা যাবে। (তা হলো) সাপ, দংশনকারী কুকুর, চিল, ধূসর বর্ণের কাক ও ইদুঁর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৩
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَيْفِ مِنْ مِنًى، حَتَّى نَزَلَتْ {وَالْمُرْسَلَاتِ عُرْفًا} [المرسلات: 1] فَخَرَجَتْ حَيَّةٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اقْتُلُوهَا، فَابْتَدَرْنَاهَا، فَدَخَلَتْ فِي جُحْرِهَا»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মিনার ‘খাদ’ (গুহায় আবস্থান) করছিলাম। এমন সময় সূরা ‘ ওয়াল মুরসালাত’ নাযিল হলো। ইত্যবসরে একটি সাপ বের হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তাকে হত্যা কর। আমরা তাকে হত্যা করার জন্য তাড়াতাড়ি সেদিকে গেলাম। এমন সময় সে তার গর্তে ঢুকে গেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৪
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ عَرَفَةَ، الَّتِي قَبْلَ يَوْمِ عَرَفَةَ فَإِذَا حِسُّ الْحَيَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اقْتُلُوهَا» فَدَخَلَتْ شَقَّ جُحْرٍ، فَأَدْخَلْنَا عُودًا، فَقَلَعْنَا بَعْضَ الْجُحْرِ، فَأَخَذْنَا سَعَفَةً، فَأَضْرَمْنَا فِيهَا نَارًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَقَاهَا اللَّهُ شَرَّكُمْ، وَوَقَاكُمْ شَرَّهَا»
—
[حكم الألباني] صحيح لغيره
আবু উবায়দাহ (রাঃ) এর পিতা জাররাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: আরাফার দিনের পূর্ববর্তী রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। এমন সময় একটি সাপের উপস্থিতি টের পাওয়া গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তাকে মেরে ফেল। ইত্যবসরে তা একটি গর্তের ছিদ্রে প্রবেশ করলো। আমরা এক খণ্ড কাঠ ঢুকিয়ে সেই গর্তের কিছু অংশ উপড়ে ফেললাম এবং একটি খেজুর গাছের ডালে আগুন ধরিয়ে তাতে ঢুকিয়ে দিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আল্লাহ তা’আলা তোমাদের অনিষ্ট থেকে তাকে রক্ষা করেছেন এবং তোমাদেরকেও তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
টিকটিকি মারা
২৮৮৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أُمِّ شَرِيكٍ، قَالَتْ: «أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِقَتْلِ الْأَوْزَاغِ»
উম্মু শরীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে টিকটিকি হত্যা করতে আদেশ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৬
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ بَيَانٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، وَيُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْوَزَغُ الْفُوَيْسِقُ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ টিকটিকি দুষ্ট (অনিষ্টকারী) প্রাণী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
বিচ্ছু মারা
২৮৮৭
أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ الرَّقِّيُّ الْقَطَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ: ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبَانُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” خَمْسٌ مِنَ الدَّوَابِّ كُلُّهُنَّ فَاسِقٌ يُقْتَلْنَ فِي الْحِلِّ وَالْحَرَمِ: الْكَلْبُ الْعَقُورُ، وَالْغُرَابُ، وَالْحِدَأَةُ، وَالْعَقْرَبُ، وَالْفَأْرَةُ “
আয়েশা(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পৃথিবীর উপর বিচরণকারীর মধ্যে পাঁচটি সবই অনিষ্টকর। হিল্ল ও হারামের বাইরে (সর্বত্র) তাদের হত্যা করা যাবে। (সেগুলো হল:) দংশনকারী কুকুর, কাক, চিল, বিচ্ছু এবং ইঁদুর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হারামে ইঁদুর মারা
২৮৮৮
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” خَمْسٌ مِنَ الدَّوَابِّ كُلُّهَا فَاسِقٌ يُقْتَلْنَ فِي الْحَرَمِ: الْغُرَابُ، وَالْحِدَأَةُ، وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ، وَالْفَأْرَةُ، وَالْعَقْرَبُ “
উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিচরণকারী প্রাণীদের মধ্যে পাঁচটি সবই অনিষ্টকর। হারামে তাদেরকে হত্যা করা যাবে। (সেগুলো হলঃ) কাক, চিল, দংশনকারী ইঁদুর ও বিচ্ছু।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৯
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ: قَالَتْ حَفْصَةُ – زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” خَمْسٌ مِنَ الدَّوَابِّ لَا حَرَجَ عَلَى مَنْ قَتَلَهُنَّ: الْعَقْرَبُ، وَالْغُرَابُ، وَالْحِدَأَةُ، وَالْفَأْرَةُ، وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ “
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী হাফসা (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যমীনে বিচরণকারী প্রাণীগুলোর মধ্যে পাঁচটি এমন আছে যাদের হত্যাকারীর কোন পাপ নেই। (তা হলোঃ) বিচ্ছু, কাক, চিল, ইঁদুর ও দংশনকারী কুকুর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হারামে চিল মারা
২৮৯০
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” خَمْسُ فَوَاسِقَ يُقْتَلْنَ فِي الْحِلِّ وَالْحَرَمِ: الْحِدَأَةُ، وَالْغُرَابُ، وَالْفَأْرَةُ، وَالْعَقْرَبُ، وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ ” قَالَ: عَبْدُ الرَّزَّاقِ وَذَكَرَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا أَنَّ مَعْمَرًا كَانَ يَذْكُرُهُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অনিষ্টকারী পাঁচ প্রকার জন্তু হিল্ল (হারামের বাইরে) ও হারামে (উভয় স্থানেই) তাদেরকে হত্যা করা যাবেঃ চিল, কাক, ইঁদুর, বিচ্ছু, দংশনকারী কুকুর।
আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কেউ কেউ বলেছেন যে, মাআমার তা যুহরী হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি সালিম (রহঃ) হতে, তিনি তাঁর পিতা হতে এবং উরওয়া (রহঃ) হতে, উরওয়া (রহঃ) আয়েশা (রাঃ) এবং তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হারামে কাক মারা
২৮৯১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ وَهُوَ ابْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” خَمْسُ فَوَاسِقَ يُقْتَلْنَ فِي الْحَرَمِ: الْعَقْرَبُ، وَالْفَأْرَةُ، وَالْغُرَابُ، وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ، وَالْحِدَأَةُ “
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচ প্রকার অনিষ্টকারী প্রাণী হারামে হত্যা করা যাবে। বিচ্ছু, কাক, ইঁদুর, দংশনকারী কুকুর এবং চিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হারামের শিকারকে ভয় দেখানো (হতচকিত করা) নিষেধ
২৮৯২
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «هَذِهِ مَكَّةُ، حَرَّمَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ، لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَلَا لِأَحَدٍ بَعْدِي، وَإِنَّمَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، وَهِيَ سَاعَتِي هَذِهِ حَرَامٌ بِحَرَامِ، اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، لَا يُخْتَلَى خَلَاهَا، وَلَا يُعْضَدُ شَجَرُهَا، وَلَا يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلَا تَحِلُّ لُقَطَتُهَا إِلَّا لِمُنْشِدٍ» فَقَامَ الْعَبَّاسُ وَكَانَ رَجُلًا مُجَرِّبًا، فَقَالَ: إِلَّا الْإِذْخِرَ فَإِنَّهُ لِبُيُوتِنَا وَقُبُورِنَا، فَقَالَ: «إِلَّا الْإِذْخِرَ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: এই মক্কা নগরী মহান মহিয়ান আল্লাহ তা’আলা তাকে ‘হারাম’ করেছেন, যমীন ও আকাশ সৃষ্টির দিন থেকে। আমার পূর্বে তা কারো জন্য হালাল ছিল না। আর আমার পরেও হালাল হবে না। দিনের কিছু সময় তা আমার জন্য হালাল করা হয়েছিল। আর তা আমার এ সময় থেকে আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক হারাম করা দ্বারা কিয়ামত পর্যন্ত হারাম থাকবে। সেখানকার ঘাস কাটা যাবে না, তার গাছ কাটা যাবে না, তার শিকারকে সন্ত্রস্ত করা যাবে না। আর সেখানে পতিত কোন বস্তু কারও জন্য উঠানো হালাল হবে না। ঐ ব্যক্তি ব্যতীত, যে (তার লোকের মধ্যে) প্রচার করে। তখন আব্বাস (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং তিনি ছিলেন অভিজ্ঞ ও সাহসী লোক। তিনি বললেনঃ ইযখির নামক ঘাস ব্যতীত? কেননা, তা আমাদের ঘর দুয়ারের জন্য এবং কবরের জন্য। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইযখির ব্যতীত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হজ্জকে ও হাজীকে সম্বর্ধনা জানানো
২৮৯৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ زَنْجُويَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ وَابْنُ رَوَاحَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ يَقُولُ:
[البحر الرجز]
خَلُّوا بَنِي الْكُفَّارِ عَنْ سَبِيلِهِ … الْيَوْمَ نَضْرِبْكُمْ عَلَى تَأْوِيلِهِ
ضَرَبًا يُزِيلُ الْهَامَ عَنْ مَقِيلِهِ … وَيُذْهِلُ الْخَلِيلَ عَنْ خَلِيلِهِ
قَالَ عُمَرُ: يَا ابْنَ رَوَاحَةَ فِي حَرَمِ اللَّهِ، وَبَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَقُولُ هَذَا الشِّعْرَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَلِّ عَنْهُ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَكَلَامُهُ أَشَدُّ عَلَيْهِمْ مِنْ وَقْعِ النَّبْلِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমরাতুল কাযা’ আদায় করার জন্য মক্কায় প্রবেশ করলে ইবন রাওয়াহা তাঁর সামনে (কবিতা) বলতে লাগলেনঃ
(আরবী)
অর্থঃ হে কাফির সম্প্রদায়! তাঁর রাস্তা ছেড়ে দাও। (তাঁর প্রবেশে বাধা দিলে) আমরা তার (কুরআনের) বিশ্লেষণে তোমাদেরকে আঘাত করব। এমন আঘাত, যা মাথাকে তার অবস্থান (ঘাড়) থেকে স্থানচ্যুত করে দেবে এবং বন্ধুকে বন্ধুর কথা ভুলিয়ে দেবে।
তখন উমর (রাঃ) বললেনঃ হে ইবন রাওয়াহা! রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে হারাম শরীফে তুমি কবিতা আবৃত্তি করছ? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে করতে দাও। ঐ মহান সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তার কথা (কবিতা) গুলো তাদের জন্য বর্শার আঘাত অপেক্ষা অধিক ক্রিয়া সম্পন্ন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯৪
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ، اسْتَقْبَلَهُ أُغَيْلِمَةُ بَنِي هَاشِمٍ قَالَ: «فَحَمَلَ وَاحِدًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَآخَرَ خَلْفَهُ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আগমন করেন, তখন বনী হাশিমের বালকেরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ তিনি তাদের একজনকে সামনে এবং অন্যজনকে পেছনে তুলে নিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
বায়তুল্লাহ দর্শনকালে দুই হাত উত্তোলন না করা
২৮৯৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا قَزَعَةَ الْبَاهِلِيَّ، يُحَدِّثُ، عَنْ الْمُهَاجِرِ الْمَكِّيِّ، قَالَ: سُئِلَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الرَّجُلِ يَرَى الْبَيْتَ أَيَرْفَعُ يَدَيْهِ، قَالَ: «مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَحَدًا يَفْعَلُ هَذَا إِلَّا الْيَهُودَ، حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ نَكُنْ نَفْعَلُهُ»
মুহাজির মক্কী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) -কে জিজ্ঞাসা করা হলঃ কোন লোক বায়তুল্লাহ দর্শন করলে সেকি তার দু’হাত উত্তোলন করবে? তিনি বললেনঃ আমার মনে হয় না যে, ইয়াহূদী ব্যতীত কেউ এরূপ করে। আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে হজ্জ করেছি, কিন্তু আমরা তা করি নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
বায়তুল্লাহ দর্শনকালে দু’আ করা
২৮৯৬
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ طَارِقِ بْنِ عَلْقَمَةَ، أَخْبَرَهُ عَنْ أُمِّهِ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ إِذَا جَاءَ مَكَانًا فِي دَارِ يَعْلَى اسْتَقْبَلَ، الْقِبْلَةَ وَدَعَا»
উবায়দুল্লাহ ইবন আবূ ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুর রহমান ইবন তারিক ইবন আলকামা (রহঃ) তাঁকে তার মাতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ইয়া’লা (রাঃ)-এর বাড়ির কোন স্থানে আগমন করতেন, তখন কিবলার দিকে মুখ করে দু’আ করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাসজিদুল হারামে সালাত আদায় করার ফজীলত
২৮৯৭
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ نَافِعًا، يَقُولُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «صَلَاةٌ فِي مَسْجِدِي أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلَاةٍ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ إِلَّا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ» قَالَ: أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: ” لَا أَعْلَمُ أَحَدًا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ غَيْرَ مُوسَى الْجُهَنِيِّ وَخَالَفَهُ ابْنُ جُرَيْجٍ وَغَيْرُهُ
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ আমার মসজিদে সালাত আদায় করা আন্য মসজিদের এক হাজার সালাত হতে উত্তম, মাসজিদুল হারাম ব্যতীত। আবু আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ মুসা জুহানী (রহঃ) ব্যতীত অন্য কেউ নাফি’ (রহঃ) সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে এই হাদিস রিওয়ায়ত করেছেন বলে আমার জানা নেই। ইবন জুরায়জ (রহঃ) ও অন্যান্য বর্ণনাকারীরা এ রিওয়ায়ত ভিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯৮
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: إِسْحَقُ، أَنْبَأَنَا وَقَالَ مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: سَمِعْتُ نَافِعًا، يَقُولُ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدِ بْنِ عَبَّاسٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ مَيْمُونَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «صَلَاةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا، أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلَاةٍ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ، إِلَّا الْمَسْجِدَ الْكَعْبَةَ»
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী মায়মুনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ আমার মসজিদে সালাত আদায় করা অন্যান্য মসজিদের সালাত থেকে এক হাজার গুণ উত্তম, কা’বার মসজিদ ব্যতীত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯৯
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ الْأَغَرَّ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَحَدَّثَ الْأَغَرُّ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «صَلَاةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا، أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلَاةٍ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ، إِلَّا الْكَعْبَةَ»
সা’দ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আবূ সালামা(রাঃ) বলেছেনঃ আমি এই হাদিস সম্পর্কে আমর (রাঃ) -কে জিজ্ঞাস করেছি, তিনি বলেছেন যে, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি যে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার এ মসজিদে সালাত আদায় করা কা’বা শরীফের মসজিদ ব্যতীত অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এক হাজার গুণ বেশী মর্যাদা রাখে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কা’বা ঘরের (পুনঃ) নির্মাণ
২৯০০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَخْبَرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَمْ تَرَيْ أَنَّ قَوْمَكِ حِينَ بَنَوْا الْكَعْبَةَ اقْتَصَرُوا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ» فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا تَرُدُّهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ؟ قَالَ: «لَوْلَا حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ» قَالَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَئِنْ كَانَتْ عَائِشَةُ سَمِعَتْ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا أُرَى تَرْكَ اسْتِلَامِ الرُّكْنَيْنِ اللَّذَيْنِ يَلِيَانِ الْحِجْرَ إِلَّا أَنَّ الْبَيْتَ لَمْ يُتَمَّمْ عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তুমি কি জান না যে, তোমার সম্প্রদায় যখন কা’বার (পুনঃ) নির্মাণ করেছিল তারা তখন ইবরাহীম (আ)-এর মূল ভিত্তি (নির্মাণ) হতে তাকে ছোট করে নির্মাণ করেছিল। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি কি তাকে ইবরাহীমী ভিত্তি মুতাবিক পুনঃস্থাপন করবেন না? তিনি বললেনঃ (তা করতাম) যদি তোমার সম্প্রদায় কুফরি অবস্থার নিকটবর্তী না হতো। এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বললেনঃ যেহেতু আয়েশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে তা শুনেছেন, সুতরাং আমি মনে করি, তিনি হাজরে আসওয়াদের সাথে সংযুক্ত দুই রুকনকে (কোন) চুম্বন করা ছেড়ে দেন নি। কারণ বায়তুল্লাহ-এর নির্মাণ ইবরাহীম (আ)-এর ভিত্তির উপর সম্পন্ন হয় নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০১
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدَةُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالَا: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا حَدَاثَةُ عَهْدِ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ، لَنَقَضْتُ الْبَيْتَ فَبَنَيْتُهُ عَلَى أَسَاسِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَجَعَلْتُ لَهُ خَلْفًا فَإِنَّ قُرَيْشًا لَمَّا بَنَتِ الْبَيْتَ اسْتَقْصَرَتْ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যদি তোমার সম্প্রদায়ের সময় কুফরের নিকটবর্তী (নওমুসলিম) না হতো তা হলে আমি কা’বা-এর বর্তমান নির্মাণ কাঠামো ভেঙ্গে ইবরাহীম (আ)-এর ভিত্তির উপর পুনঃনির্মাণ করতাম এবং এর পিছন দিকে একটি দরজা রাখতাম। কুরায়শরা যখন কা’বা নির্মাণ করেছে তখন তাকে ছোট করে নির্মাণ করেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০২
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ الْأَسْوَدِ، أَنَّ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا أَنَّ قَوْمِي – وَفِي حَدِيثِ مُحَمَّدٍ قَوْمَكِ – حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ لَهَدَمْتُ الْكَعْبَةَ، وَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ» فَلَمَّا مَلَكَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، جَعَلَ لَهَا بَابَيْنِ
উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ ‘যদি আমার সম্প্রদায়’ আর রাবী মুহাম্মদের বর্ণনায় রয়েছে “তোমার সম্প্রদায়” জাহিলী যুগের নিকটবর্তী না হতো, তা হলে আমি কা’বা-এর নির্মাণ কাঠামো ভেঙ্গে তাতে দু’টি দরজা করতাম। পরবর্তীকালে ইবন যুবায়র (রাঃ) ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলে তিনি তাতে দু’টি দরজা স্থাপন করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৩
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا: ” يَا عَائِشَةُ لَوْلَا أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ، لَأَمَرْتُ بِالْبَيْتِ، فَهُدِمَ فَأَدْخَلْتُ فِيهِ مَا أُخْرِجَ مِنْهُ، وَأَلْزَقْتُهُ بِالْأَرْضِ، وَجَعَلْتُ لَهُ بَابَيْنِ: بَابًا شَرْقِيًّا، وَبَابًا غَرْبِيًّا، فَإِنَّهُمْ قَدْ عَجَزُوا عَنْ بِنَائِهِ، فَبَلَغْتُ بِهِ أَسَاسَ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ: فَذَلِكَ الَّذِي حَمَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى هَدْمِهِ ” قَالَ: يَزِيدُ وَقَدْ شَهِدْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ حِينَ هَدَمَهُ وَبَنَاهُ، وَأَدْخَلَ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ وَقَدْ رَأَيْتُ أَسَاسَ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ حِجَارَةً كَأَسْنِمَةِ الْإِبِلِ مُتَلَاحِكَةً
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেছেনঃ হে আয়েশা! যদি তোমার সম্প্রদায় জাহিলী যুগের নিকটবর্তী না হতো, তা হলে বায়তুল্লাহ (কা’বা) সম্পর্কে আমি আদেশ করতাম এবং তা (সাবেক নির্মাণ কাঠামো) ভেঙ্গে দেওয়া হতো এবং তা হতে যা বাদ দেয়া হয়েছে, আমি তা পুনঃস্থাপন করতাম এবং তাকে ভূমির সাথে মিলাতাম (মেঝে নিচু করতাম)। আর তার দুটি দরজা করতাম; একটি পূর্ব দিকের দরজা আর অপরটি পশ্চিম দিকের দরজা। তারা এর সঠিক নির্মাণে অসমর্থ হয়েছে। আমি তাকে ইবরাহীম (আ)-এর নির্মাণ কাঠামোর উপর বসাতাম। রাবী বলেন, এ কারণটিই ইবন যুবায়র (রাঃ) -কে তার সাবেক কাঠামো ভেঙ্গে পুনঃনির্মাণ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ইয়াযীদ (রহঃ) বলেন, ইবন যুবায়র (রাঃ) যখন তা ভেঙ্গে পুনঃনির্মাণ করেন এবং তাতে হাজরে আসওয়াদ ঢুকালেন তখন আমি তথায় উপস্থিত ছিলাম। আমি ইবরাহীমী ভিতের পাথর দেখেছি উটের কুঁজের মত পরস্পর মিলিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৪
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُخَرِّبُ الْكَعْبَةَ ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنَ الْحَبَشَةِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ পায়ে ছোট ছোট গোছা বিশিষ্ট দু’জন হাবশী লোক কা’বা ধ্বংস করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কা’বা ঘরে প্রবেশ করা
২৯০৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى الْكَعْبَةِ وَقَدْ دَخَلَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِلَالٌ، وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، وَأَجَافَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْبَابَ فَمَكَثُوا فِيهَا مَلِيًّا، ثُمَّ فَتَحَ الْبَابَ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَكِبْتُ الدَّرَجَةَ، وَدَخَلْتُ الْبَيْتَ فَقُلْتُ: أَيْنَ صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالُوا: «هَا هُنَا» وَنَسِيتُ أَنْ أَسْأَلَهُمْ كَمْ صَلَّى فِي الْبَيْتِ
আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি কা’বা শরীফের নিকট পৌঁছালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), বিলাল এবং উসামা ইবন জায়িদ (রাঃ) কা’বা ঘরে প্রবেশ করলেন। (তাঁদের প্রবেশের পর) উসমান ইবন তালহা দরজা বন্ধ করে দিলেন। তাঁরা কিছুক্ষণ সেখানে অতিবাহিত করলেন। তারপর দরজা খোলা হলো এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হলেন, আর আমি সিঁড়িতে চড়ে কা’বা ঘরে প্রবেশ করলাম এবং জিজ্ঞাসা করলামঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোথায় সালাত আদায় করলেন? তারা বললেনঃ এ স্থানে। আমি তাঁদেরকে একথা জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গিয়েছিলাম যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয় রাক’আত সালাত আদায় করেছিলেন?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৬
َخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَيْتَ وَمَعَهُ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ وَبِلَالٌ فَأَجَافُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ، فَمَكَثَ فِيهِ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ خَرَجَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: كَانَ أَوَّلُ مَنْ لَقِيتُ بِلَالًا قُلْتُ: أَيْنَ صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: «مَا بَيْنَ الْأُسْطُوَانَتَيْنِ»
ইবন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বায় প্রবেশ করলেন আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফযল ইবন আব্বাস, উসামা ইবন জায়িদ, উসমান ইবন তালহা এবং বিলাল (রাঃ)। তাঁরা প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তারপর তাতে অবস্থান করলেন যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা ছিল। এরপর বের হলেন। ইবন উমার (রাঃ) বলেনঃ আমি সর্বপ্রথম যার সাক্ষাত পেলাম, তিনি ছিলেন বিলাল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন স্থানে সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেনঃ এই দুই স্তম্ভের মধ্যস্থলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কা’বার ভিতর সালাতের স্থান
২৯০৭
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا السَّائِبُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ: دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَعْبَةَ وَدَنَا خُرُوجُهُ وَوَجَدْتُ شَيْئًا، فَذَهَبْتُ، وَجِئْتُ سَرِيعًا، فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَارِجًا، فَسَأَلْتُ بِلَالًا أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكَعْبَةِ؟ قَالَ: «نَعَمْ، رَكْعَتَيْنِ بَيْنَ السَّارِيَتَيْنِ»
ইবন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বা ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তার বের হওয়ার সময় নিকটবর্তী হলে আমি সংবাদ পেয়ে তথায় তাড়াতাড়ি গমন করলাম। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এমন অবস্থায় পেলাম যে, তিনি তখন কা’বা ঘর থেকে বের হচ্ছেন। আমি বিলালকে জিজ্ঞাসা করলামঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কা’বায় সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তিনি দু’রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন, দুই স্তম্ভের মধ্যস্থলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৮
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يَقُولُ: أُتِيَ ابْنُ عُمَرَ فِي مَنْزِلِهِ فَقِيلَ هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ دَخَلَ الْكَعْبَةَ فَأَقْبَلْتُ، فَأَجِدُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ خَرَجَ وَأَجِدُ بِلَالًا عَلَى الْبَابِ قَائِمًا فَقُلْتُ: يَا بِلَالُ أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكَعْبَةِ؟ قَالَ: «نَعَمْ» قُلْتُ: أَيْنَ؟ قَالَ: «مَا بَيْنَ هَاتَيْنِ الْأُسْطُوَانَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي وَجْهِ الْكَعْبَةِ»
সাইফ ইবন সুলাইমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি মুজাহিদ (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, ইবন উমার (রাঃ)-এর অবস্থান ক্ষেত্রে এসে তাঁকে বলা হলো যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বায় প্রবেশ করেছেন। ইবন উমার (রাঃ) বলেন, আমি এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে পেলাম, তিনি তখন বের হয়ে গিয়েছেন। আর আমি বিলালকে দরজায় দাঁড়ানো অবস্থায় পেলাম। আমি বললামঃ হে বিলাল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কা’বায় সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললামঃ কোথায়? তিনি বললেনঃ এই দুই স্তম্ভের মধ্যস্থলে তিনি দুই রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। তারপর তিনি বের হয়ে কাবার সামনে দুই রাক’আত সালাত আদায় করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৯
أَخْبَرَنَا حَاجِبُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَنْبِجِيُّ، عَنْ ابْنِ أَبِي رَوَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ: دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَعْبَةَ، فَسَبَّحَ فِي نَوَاحِيهَا، وَكَبَّرَ، وَلَمْ يُصَلِّ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: «هَذِهِ الْقِبْلَةُ»
—
[حكم الألباني] منكر بذكر المقام
উসামা ইবন জায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বায় প্রবেশ করেছেন এবং এর চারপাশে তাসবীহ পাঠ করেছেন এবং তাকবীর বলেছেন, তিনি সালাত আদায় করেননি।১ তারপর বের হয়ে মাকামে ইবরাহীমের পিছনে দুই রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। এরপর বলেছেনঃ এ-ই কিবলা।
[১] সম্ভবতঃ কোন এক সফরের (মক্কা বিজয়ের) ঘটনা হবে; যখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বা অভ্যন্তরে সালাত আদায় করেননি। অন্য সফরে (বিদায় হাজ্জে) সালাত আদায় করেছেন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হিজর বা (হাতীম)
২৯১০
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: ابْنُ الزُّبَيْرِ، سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا أَنَّ النَّاسَ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِكُفْرٍ، وَلَيْسَ عِنْدِي مِنَ النَّفَقَةِ مَا يُقَوِّي عَلَى بِنَائِهِ، لَكُنْتُ أَدْخَلْتُ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ خَمْسَةَ أَذْرُعٍ، وَجَعَلْتُ لَهُ بَابًا يَدْخُلُ النَّاسُ مِنْهُ، وَبَابًا يَخْرُجُونَ مِنْهُ»
ইবন জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ‘আইশা (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ যদি কুফরের সাথে মানুষের যুগ নিকটবর্তী না হতো, আর আমার কাছে এমন সম্পদও নেই যা আমাকে শক্তি যোগায়, (আর তা যদি থাকতো,) তাহলে আমি হিজরের২ আরও পাঁচ হাত এতে মিলাতাম এবং এর একটি দরজা রাখতাম, যা দিয়ে লোক প্রবেশ করতো। আর একটি দরজা রাখতাম, যা দিয়ে লোক বের হতো।
[২] ‘হিজর’ শব্দের অর্থ ‘পরিত্যক্ত’। কা’বা শরীফের উত্তরাংশে পাঁচ/ ছয় হাত পরিমাণ স্থান যা কুরাইশরা কা’বা নির্মাণের সময়ে তাদের (বৈধ) অর্থাভাবের কারণে নির্মাণ করতে পারেনি বিধায় তা দেয়াল ও ছাদবিহীনরূপে উন্মুক্ত রয়েছে। মূলতঃ এ স্থানটুকুও কা’বা শরীফের অংশ। সুতরাং এ স্থানে প্রবেশ করলে ও সালাত আদায় করলে তা কা’বা শরীফে প্রবেশ করা ও সালাত আদায় করা বিবেচিত হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الرِّبَاطِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَمَّتِهِ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ قَالَتْ: حَدَّثَتْنَا عَائِشَةُ، قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا أَدْخُلُ الْبَيْتَ؟ قَالَ: «ادْخُلِي الْحِجْرَ فَإِنَّهُ مِنَ الْبَيْتِ»
আব্দুল হামীদ ইবন যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ফুফু সাফিয়্যা বিনত শাইবা (রাঃ) সূত্রে বলেছেন, আমআদের কাছে আয়েশা (রাঃ) বলেছেন যে, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি কা’বায় প্রবেশ করবো না? তিনি ইরশাদ করলেনঃ তুমি হিজরে প্রবেশ কর। কেননা, তা কা’বারই অংশ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হিজরে সালাত আদায় করা
২৯১২
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ أَدْخُلَ الْبَيْتَ، فَأُصَلِّيَ فِيهِ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِي، فَأَدْخَلَنِي الْحِجْرَ فَقَالَ: «إِذَا أَرَدْتِ دُخُولَ الْبَيْتِ فَصَلِّي هَا هُنَا، فَإِنَّمَا هُوَ قِطْعَةٌ مِنَ الْبَيْتِ، وَلَكِنَّ قَوْمَكِ اقْتَصَرُوا حَيْثُ بَنَوْهُ»
—
[حكم الألباني] حسن صحيح
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমার বাসনা হতো কা’বায় প্রবেশ করে তাতে সালাত আদায় করতে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত ধরে আমাকে হিজরে প্রবেশ করিয়ে বললেনঃ যখন তুমি কা’বায় প্রবেশ করতে ইচ্ছা করবে, তখন এখানে সালাত আদায় করবে; কেননা এটি কা’বারই এক অংশ। কিন্তু তোমার গোত্র যখন একে নির্মাণ করে, তখন তাকে সংক্ষিপ্ত করে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কা’বার চারপাশে তাকবীর বলা
২৯১৩
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرٍو، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ: «لَمْ يُصَلِّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكَعْبَةِ، وَلَكِنَّهُ كَبَّرَ فِي نَوَاحِيهِ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মক্কা বিজয়কালে) কা’বায় সালাত আদায় করেননি, বরং তিনি (কা’বার ভিতরে) চারপাশে তাকবীর বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কা’বা শরীফের ভিতর জিকির এবং দু’আ করা
২৯১৪
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ دَخَلَ هُوَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَيْتَ فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَجَافَ الْبَابَ وَالْبَيْتُ إِذْ ذَاكَ عَلَى سِتَّةِ أَعْمِدَةٍ، فَمَضَى حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَ الْأُسْطُوَانَتَيْنِ اللَّتَيْنِ تَلِيَانِ بَابَ الْكَعْبَةِ، جَلَسَ، فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَسَأَلَهُ وَاسْتَغْفَرَهُ، ثُمَّ قَامَ حَتَّى أَتَى مَا اسْتَقْبَلَ مِنْ دُبُرِ الْكَعْبَةِ فَوَضَعَ، وَجْهَهُ، وَخَدَّهُ عَلَيْهِ، وَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَسَأَلَهُ، وَاسْتَغْفَرَهُ، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى كُلِّ رُكْنٍ مِنْ أَرْكَانِ الْكَعْبَةِ فَاسْتَقْبَلَهُ بِالتَّكْبِيرِ، وَالتَّهْلِيلِ، وَالتَّسْبِيحِ، وَالثَّنَاءِ عَلَى اللَّهِ، وَالْمَسْأَلَةِ، وَالِاسْتِغْفَارِ، ثُمَّ خَرَجَ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ مُسْتَقْبِلَ وَجْهِ الْكَعْبَةِ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ: «هَذِهِ الْقِبْلَةُ، هَذِهِ الْقِبْلَةُ»
উসামা ইবন জায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বা গৃহে প্রবেশ করলেন। বিলাল (রাঃ) -কে আদেশ করলে তিনি দরজা বন্ধ করে দিলেন। সে সময় কা’বা ঘর ছয়টি স্তম্ভের উপর ছিল। তিনি যেতে যেতে যখন কা’বা ঘরের দরজা সংলগ্ন দুই স্তম্ভের মধ্যে পোঁছালেন, তখন বসে আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করলেন। তাঁর নিকট প্রার্থনা করলেন এবং ক্ষমা চাইলেন। এরপর কা’বার পিছনের দিকে এসে সামনে মুখ করে দাঁড়ালেন, সেখানে ললাট ও গাল রাখলেন এবং আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করলেন এবং মুনাজাত ও ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। তারপর কা’বার কোণসমূহের প্রতি কোণের কাছে গেলেন এবং সে সবের সামনে তাকবীর, তাহলীল, তাসবিহ এবং সানা পাঠ করলেন। এরপর তিনি বের হয়ে কাবার দিকে মুখ করে দুই রাক’আত সালাত আদায় করলেন। এরপর মুখ ঘুরিয়ে বললেনঃ এ-ই কিবলা, এ-ই কিবলা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কা’বার ভেতরে পেছনের দিকের সম্মুখবর্তী মুখমণ্ডল ও বুক মিলানো
২৯১৫
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَيْتَ، فَجَلَسَ، فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَكَبَّرَ، وَهَلَّلَ، ثُمَّ مَالَ إِلَى مَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْبَيْتِ فَوَضَعَ صَدْرَهُ عَلَيْهِ، وَخَدَّهُ، وَيَدَيْهِ، ثُمَّ كَبَّرَ، وَهَلَّلَ، وَدَعَا، فَعَلَ ذَلِكَ بِالْأَرْكَانِ كُلِّهَا، ثُمَّ خَرَجَ فَأَقْبَلَ عَلَى الْقِبْلَةِ وَهُوَ عَلَى الْبَابِ، فَقَالَ: «هَذِهِ الْقِبْلَةُ، هَذِهِ الْقِبْلَةُ»
উসামা ইবন জায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে কা’বায় প্রবেশ করলাম। তিনি বসে পরলেন, আল্লাহর হামদ আদায় করলেন,তাঁ র প্রশংসা করলেন, তাকবীর বললেন এবং “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বললেন। তারপর কা’বার সামনের দিকে গেলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ও বক্ষস্থল এর উপর রাখলেন এবং উভয় হাত এর উপর রেখে তাকবীর ও তাহলীল পাঠ করে দু’আ করলেন। তিনি কা’বার প্রত্যেক কোণে এরূপ করলেন। এরপর বের হলেন এবং কিবলামুখী হয়ে দরজায় এসে বললেনঃ এ-ই কিবলা, এ-ই কিবলা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কা’বায় সালাতের স্থান
২৯১৬
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أُسَامَةَ، قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْبَيْتِ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي قُبُلِ الْكَعْبَةِ، ثُمَّ قَالَ: «هَذِهِ الْقِبْلَةُ»
উসামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বা হতে বের হলেন এবং কা’বার সামনে দুই রাক’আত সালাত আদায় করলেন। এরপর বললেনঃ এ-ই কিবলা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১৭
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ خُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ النَّسَائِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الْبَيْتَ فَدَعَا فِي نَوَاحِيهِ كُلِّهَا، وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ حَتَّى خَرَجَ مِنْهُ، فَلَمَّا خَرَجَ، رَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فِي قُبُلِ الْكَعْبَةِ»
আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি যে, উসামা ইবন জায়িদ (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বায় প্রবেশ করলেন এবং এর চারদিকে দু’আ করলেন এবং এর ভিতরে সালাত আদায় না করে বের হলেন। যখন তিনি বাইরে আসলেন, তখন কা‘বার সামনে দুই রাক’আত সালাত আদায় করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১৮
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنِي السَّائِبُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ يَقُودُ ابْنَ عَبَّاسٍ وَيُقِيمُهُ عِنْدَ الشُّقَّةِ الثَّالِثَةِ مِمَّا يَلِي الرُّكْنَ الَّذِي يَلِي الْحَجَرَ مِمَّا يَلِي الْبَابَ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَمَا أُنْبِئْتَ ” أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي هَاهُنَا فَيَقُولُ: نَعَمْ، فَيَتَقَدَّمُ فَيُصَلِّي “
মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন সাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে নিয়ে হাজরে আসওয়াদের সাথে মিলিত স্তম্ভের পাশের তৃতীয় অংশে, যে স্থানটি দরজার নিকটবর্তী সেখানে দাঁড় করালেন। তখন ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ তোমাকে কি অবহিত করা হয়নি যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই স্থানে সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তারপর তিনি এগিয়ে গিয়ে সেখানে সালাত আদায় করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
বাইতুল্লাহয় তাওয়াফ করার ফজীলতের আলোচনা
২৯১৯
أَنْبَأَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا أَرَاكَ تَسْتَلِمُ إِلَّا هَذَيْنِ الرُّكْنَيْنِ؟ قَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” إِنَّ مَسْحَهُمَا: يَحُطَّانِ الْخَطِيئَةَ ” وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «مَنْ طَافَ سَبْعًا، فَهُوَ كَعِدْلِ رَقَبَةٍ»
আব্দুল্লাহ ইবন উবাইদ ইবন উমাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি ইবন উমর (রাঃ) কে বললঃ হে আবু আব্দুর রাহমান! আমি আপনাকে এই দুই রুকনে (ইয়ামানী) ব্যতীত অন্য কোন কোণে চুম্বন করতে দেখিনা। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ এদের স্পর্শ করা গুনাহ দূর করে দেয় এবং তাঁকে এও বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি সাতবার তাওয়াফ করে, সে একটি গোলাম আজাদ করার সমতুল্য (সাওয়াব পাবে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তাওয়াফ করার সময় কথা বলা
২৯২০
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ الْأَحْوَلُ، أَنَّ طَاوُسًا، أَخْبَرَهُ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ بِإِنْسَانٍ، يَقُودُهُ إِنْسَانٌ بِخِزَامَةٍ فِي أَنْفِهِ، «فَقَطَعَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ، ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يَقُودَهُ بِيَدِهِ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কাবার তাওয়াফ করার সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এমন একজন লোকের নিকট দিয়ে গমন করছিলেন, যাকে অন্য একজন লোক তার নাকের ভিতরে ঢুকানো রশি ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতে তা কেটে ফেললেন, তারপর সেই ব্যক্তিকে হাত ধরে টেনে নিতে আদেশ করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ الْأَحْوَلُ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجُلٍ يَقُودُهُ رَجُلٌ بِشَيْءٍ ذَكَرَهُ فِي نَذْرٍ، فَتَنَاوَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَطَعَهُ، قَالَ: «إِنَّهُ نَذْرٌ»
—
[حكم الألباني] صحيح خ دون قوله إنه نذر
ইবন ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন এক ব্যক্তির কাছ দিয়ে যান, যাকে অন্য একজন লোক কোন কিছুর (রশির) সাহায্যে টানছিল, যা সে মানত করেছিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা নিয়ে কেটে ফেললেন এবং বললেনঃ এটাই মানত।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তাওয়াফে কথা বলার বৈধতা
২৯২২
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، ح وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ رَجُلٍ، أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ صَلَاةٌ، فَأَقِلُّوا مِنَ الْكَلَامِ» اللَّفْظُ لِيُوسُفَ خَالَفَهُ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এমন এক ব্যক্তির সূত্রে বর্ণনা করেন যে, যিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাক্ষাত লাভ করেছেন, তিনি বলেনঃ বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করাও সালাতের ন্যায়। অতএব কথা কমই বলবে। হানজালা ইবন আবু সুফইয়ান (রহঃ)-এর বর্ণনায় ‘আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমার (রাঃ)-এর উল্লেখ করেছেন। (যেখানে অপর রাবী হাসান ইবন মুসলিম-এর নাম উল্লেখ করেননি)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: «أَقِلُّوا الْكَلَامَ فِي الطَّوَافِ، فَإِنَّمَا أَنْتُمْ فِي الصَّلَاةِ»
—
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলেছেনঃ তোমরা তাওয়াফে কথা কম বলবে।কেননা তোমরা সালাতে রয়েছ।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
সব সময় তাওয়াফ করার বৈধতা
২৯২৪
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، لَا تَمْنَعُنَّ أَحَدًا طَافَ بِهَذَا الْبَيْتِ، وَصَلَّى أَيَّ سَاعَةٍ شَاءَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ»
জুবাইর ইবন মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে বনূ আবদ মানাফ! দিন ও রাতের যে কোন সময় এই ঘরের তাওয়াফ করতে এবং সালাত আদায় করতে কাউকে নিষেধ করবেনা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুগ্ন ব্যক্তি কিরূপে তাওয়াফ করবে?
২৯২৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: شَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنِّي أَشْتَكِي، فَقَالَ: «طُوفِي مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ، وَأَنْتِ رَاكِبَةٌ» فَطُفْتُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي إِلَى جَنْبِ الْبَيْتِ يَقْرَأُ «بِالطُّورِ وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ»
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুযোগ করলামঃ আমি অসুস্থ। তিনি বললেন; তুমি লোকের পেছনে সওয়ার অবস্থায় তাওয়াফ করবে। তারপর আমি তাওয়াফ করলাম আর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন কা’বার পাশে সালাত আদায় করছিলেন। সালাতে তিনি (আরবী) সুরা তূর পাঠ করছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
নারীদের সাথে পুরুষদের তাওয়াফ
২৯২৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا طُفْتُ طَوَافَ الْخُرُوجِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَطُوفِي عَلَى بَعِيرِكِ مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ» عُرْوَةُ لَمْ يَسْمَعْهُ مِنْ أُمِّ سَلَمَةَ
—
[حكم الألباني] صحيح لغيره
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি বিদায় তাওয়াফ করিনি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যখন সালাত আরম্ভ হবে তখন তুমি তোমার উটের উপর থেকে লোকের পেছনে তাওয়াফ করবে। এ হাদীস উরওয়া (রাঃ) উম্মূ সালামা (রাঃ) থেকে শুনেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
২৯২৭
أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَدِمَتْ مَكَّةَ وَهِيَ مَرِيضَةٌ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «طُوفِي مِنْ وَرَاءِ الْمُصَلِّينَ وَأَنْتِ رَاكِبَةٌ» قَالَتْ: فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ يَقْرَأُ «وَالطُّورِ»
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মক্কায় আগমন করলেন, তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। তিনি তা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট বললে- তিনি বললেনঃ তুমি মুসল্লিদের পেছনে সওয়ার অবস্থায় তাওয়াফ করবে। তিনি বললেনঃ আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বার নিকট সুরা (‘তূর’) পড়ছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
সওয়ারির উপর থেকে বাইতুল্লাহয় তাওয়াফ
২৯২৮
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ وَهُوَ ابْنُ إِسْحَقَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ حَوْلَ الْكَعْبَةِ عَلَى بَعِيرٍ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنِهِ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জে কা’বার চারপাশে উটের উপর আরোহণ অবস্থায় তাওয়াফ করেন। এ সময় তিনি তাঁর হাতের লাঠি দ্বারা রোকন (হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করিয়ে তা) চুম্বন করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
‘ইফরাদ’ হজ্জ পালনকারীর তাওয়াফ
২৯২৯
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ وَهُوَ ابْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَيَانٌ، أَنَّ وَبَرَةَ، حَدَّثَهُ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَسَأَلَهُ رَجُلٌ أَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَقَدْ أَحْرَمْتُ بِالْحَجِّ؟ قَالَ: «وَمَا يَمْنَعُكَ؟» قَالَ: رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ يَنْهَى عَنْ ذَلِكَ وَأَنْتَ أَعْجَبُ إِلَيْنَا مِنْهُ، قَالَ: «رَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَحْرَمَ بِالْحَجِّ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ»
জুহাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ বয়ান আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, ওয়াবরাহ (রহঃ) তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আমি আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, তাঁকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, আমি হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছি। এখন আমি কি তাওয়াফ করবো? তিনি বললেনঃ কি তোমাকে বাঁধা প্রদান করেছে? তিনি বললেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে তা নিষেধ করতে দেখেছি। আর আপনি আমাদের নিকট তাঁর চাইতে অধিক গ্রহণযোগ্য। তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে হাজ্জের ইহরাম করে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করতে এবং সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সাঈ করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
উমরার ইহরামকারীর তাওয়াফ করা
২৯৩০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، وَسَأَلْنَاهُ عَنْ رَجُلٍ قَدِمَ مُعْتَمِرًا، فَطَافَ بِالْبَيْتِ، وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا، وَالْمَرْوَةِ، أَيَأْتِي أَهْلَهُ؟ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَطَافَ سَبْعًا، وَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، وَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ»
আমর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবন উমর (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি। আমরা তাঁকে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে প্রশ্ন করছিলাম, যে উমরা করতে এসে কা’বার তাওয়াফ করে, কিন্তু সাফা ও মারওয়ার সাঈ করেনি। সে কি তার পরিবারের কাছে গমন (সহবাস) করবে? তিনি বললেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় আগমন করেন, তখন তিনি সাতবার তাওয়াফ করেন এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দুই রাক’আত সালাত আদায় করেন এবং সাফা ও মারওয়া সাঈ করেন। “আর তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে”।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে ব্যক্তি হাজ্জ ও উমরার ইহরাম করেছে অথচ কুরবানীর পশু সাথে আনেনি তার করণীয়
২৯৩১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْأَزْهَرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَرَجْنَا مَعَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَا الْحُلَيْفَةِ، صَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ، أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا، فَأَهْلَلْنَا مَعَهُ، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ، وَطُفْنَا، أَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَحِلُّوا، فَهَابَ الْقَوْمُ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا أَنَّ مَعِي الْهَدْيَ، لَأَحْلَلْتُ» فَحَلَّ الْقَوْمُ حَتَّى حَلُّوا إِلَى النِّسَاءِ، وَلَمْ يَحِلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يُقَصِّرْ إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হাজ্জের উদ্দেশ্যে) বের হলেন আর তাঁর সঙ্গে আমরাও বের হলাম। তিনি জুলহুলাইফায় পৌঁছার পর জুহরের সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি তাঁর সওয়ারীতে আরোহণ করেন। যখন তিনি বাইদায় নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন তিনি হাজ্জ ও উমরা উভয়ের তালবিয়া পড়লেন। তাঁর সঙ্গে আমরাও তালবিয়া পড়লাম। আর যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় পদার্পণ করেন, আর আমরা তাওয়াফ করলাম, তখন তিনি লোকদের হালাল হতে আদেশ করলেন। এতে তারা সন্ত্রস্ত হলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের বললেনঃ যদি আমার সাথে হাদী (কুরবানীর জন্তু) না থাকতো, তা হলে আমিও হালাল হতাম। এরপর লোকেরা হালাল হয়ে গেলেন, এমনকি তাঁরা স্ত্রীদের সঙ্গে সঙ্গত হলেন আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ইহরাম থেকে) হালাল হলেন না এবং তিনি কুরবানীর দিন পর্যন্ত চুলও কাটান নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
‘কিরান’ হজ্জ পালনকারীর তাওয়াফ
২৯৩২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَرَنَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، فَطَافَ طَوَافًا وَاحِدًا، وَقَالَ: «هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ»
ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হাজ্জ ও উমরার একত্রে নিয়ত করলেন এবং উভয়ের জন্য এক তাওয়াফ করলেন। তারপর বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এরূপই করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩৩
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، وَأَيُّوبُ بْنُ مُوسَى، وَإِسْمَعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَلَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ، أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، فَسَارَ قَلِيلًا، فَخَشِيَ أَنْ يُصَدَّ عَنِ الْبَيْتِ فَقَالَ: «إِنْ صُدِدْتُ، صَنَعْتُ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»، قَالَ: «وَاللَّهِ مَا سَبِيلُ الْحَجِّ إِلَّا سَبِيلُ الْعُمْرَةِ، أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ مَعَ عُمْرَتِي حَجًّا» فَسَارَ حَتَّى أَتَى قُدَيْدًا فَاشْتَرَى مِنْهَا هَدْيًا، ثُمَّ قَدِمَ مَكَّةَ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَقَالَ: «هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ»
নাফী’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বের হলেন, যখন জুলহুলায়ফায় আগমন করলেন, তখন উমরার তালবিয়া পড়লেন। তিনি কিছুক্ষণ চললেন। এরপর তিনি আশংকা করলেন, কেউ হয়ত তাকে বাইতুল্লাহয় পৌঁছতে বাঁধা দিতে পারে। তখন তিনি বললেনঃ যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই, তাহলে আমি তাই করবো, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করেছেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! (পথে বাধাপ্রাপ্ত হলে যা করণীয় সে ব্যাপারে) উমরা ও হজ্জের একই নিয়ম, আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি উমরার সাথে হাজ্জের ও ইহরাম (নিয়্যত) করেছি। এরপর তিনি সামনে অগ্রসর হলেন এবং কুদায়দ নামক স্থানে পৌঁছলেন এবং সেখান থেকে কুরবানীর জন্তু খরিদ করলেন। তারপর মক্কায় আগমন করলেন এবং সাতবার বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করেন এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ করলেন এবং বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এরূপ করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩৪
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، أَخْبَرَنِي هَانِئُ بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «طَافَ، طَوَافًا وَاحِدًا»
জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার (সাত চক্কর) তাওয়াফ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হাজরে আসওয়াদ (কাল পাথর) প্রসংগে।
২৯৩৫
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْحَجَرُ الْأَسْوَدُ مِنَ الْجَنَّةِ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে (আগত)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা
২৯৩৬
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، أَنَّ عُمَرَ، قَبَّلَ الْحَجَرَ، وَالْتَزَمَهُ، وَقَالَ: «رَأَيْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَ، حَفِيًّا»
সুওয়ায়দ ইবন গাফলাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমর (রাঃ) হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করলেন এবং তাঁকে জড়িয়ে ধরে বললেন, আমি আবুল কাসেম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তোমার প্রতি অতিশয় আকৃষ্ট ও অতিশয় সন্মান প্রদর্শন করতে দেখেছি (চুমা দিয়ে এবং স্পর্শ করে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হাজরে আসওয়াদের চুম্বন করা।
২৯৩৭
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، وَجَرِيرٌ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ جَاءَ إِلَى الْحَجَرِ فَقَالَ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ، وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ، مَا قَبَّلْتُكَ» ثُمَّ دَنَا مِنْهُ، فَقَبَّلَهُ
আবিস ইবন রবী’আ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উমর (রাঃ) -কে দেখেছি, তিনি হাজরে আসওয়াদের কাছে এসে বললেন, আমি নিশ্চিতরূপে জানি তুমি একখন্ড পাথর, যদি আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তোমাকে চম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না। তারপর তিনি এর নিকটবর্তী হয়ে তাকে চুম্বন করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কিরূপে চুম্বন করবে?
২৯৩৮
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ حَنْظَلَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ طَاوُسًا يَمُرُّ بِالرُّكْنِ، فَإِنْ وَجَدَ عَلَيْهِ زِحَامًا مَرَّ، وَلَمْ يُزَاحِمْ، وَإِنْ رَآهُ خَالِيًا، قَبَّلَهُ ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ: رَأَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ” رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّكَ حَجَرٌ، لَا تَنْفَعُ وَلَا تَضُرُّ، ” وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبَّلَكَ، مَا قَبَّلْتُكَ، ثُمَّ قَالَ: عُمَرُ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ»
—
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد منكر بهذا السياق
হানযালা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি তাউসকে দেখেছি, তিনি রোকনের (হাজরে আসওয়াদের) কাছ দিয়ে যেতেন, যদি উক্ত স্থানে লোকের ভিড় লক্ষ করতেন, তবে চলে যেতেন, ঠেলাঠেলি করতেন না। আর যদি ভিড়শূন্য পেতেন, তখন তাকে চুম্বন করতেন- তিনবার। তারপর বলতেন, আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে এরূপ করতে দেখেছি। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলতেন, আমি উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) -কে এরূপ করতে দেখেছি। তিনি (উমর (রাঃ)) বলতেন, তুমি একখন্ড পাথর মাত্র, তুমি কারও উপকার করতেও পারনা, কোন ক্ষতি করতেও পার না। যদি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না। তারপর উমর (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এরূপ করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
(কা’বা শরীফে) প্রথম এসেই কিরূপে তাওয়াফ করবে এবং হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতে তার কোন দিক থেকে আরম্ভ করবে?
২৯৩৯
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ وَاصِلِ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: ” لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَاسْتَلَمَ الْحَجَرَ، ثُمَّ مَضَى عَلَى يَمِينِهِ، فَرَمَلَ ثَلَاثًا، وَمَشَى أَرْبَعًا، ثُمَّ أَتَى الْمَقَامَ فَقَالَ: {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: 125] فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، وَالْمَقَامُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ ثُمَّ أَتَى الْبَيْتَ بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ، فَاسْتَلَمَ الْحَجَرَ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّفَا “
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় শুভাগমন করলেন, তখন তিনি প্রথমে মসজিদে (হারামে) প্রবেশ করে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করলেন। এরপর এর ডান দিকে গেলেন এবং তিনবার রমল করলেন এবং চারবার স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তাওয়াফ করলেন। পরে মাকামে ইবরাহীমে গমন করে বললেন, “তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহন কর।” (২:১২৫) এরপর তিনি দুই রাক’আত সালাত আদায় করলেন। এ সময় মাকামে ইবরাহীম তাঁর ও বায়তুল্লাহর মধ্যস্থলে ছিল। তারপর তিনি দুই রাক’আত সালাত আদায়ের পর বায়তুল্লাহয় গিয়ে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করেন, তারপর তিনি সাফার দিকে গমন করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কতবার সাঈ করবে?
২৯৪০
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، «كَانَ يَرْمُلُ الثَّلَاثَ، وَيَمْشِي الْأَرْبَعَ، وَيَزْعُمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ»
নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) তিনবার রমল করতেন এবং চারবার হাঁটতেন, আর তিনি বলতেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
স্বাভাবিকভাবে কতবার হেঁটে তাওয়াফ করবে?
২৯৪১
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا طَافَ فِي الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ أَوَّلَ مَا يَقْدَمُ، فَإِنَّهُ يَسْعَى ثَلَاثَةَ أَطْوَافٍ، وَيَمْشِي أَرْبَعًا، ثُمَّ يُصَلِّي سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ يَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ»
ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জ ও উমরায় প্রথমে এসে যে তাওয়াফ করতেন, তাতে তিনি তিনবার সাঈ (রামাল) করতেন, আর চারবার হাঁটতেন। তারপর দুই রাকাআত সালাত আদায় করতেন। এরপর সাফা ও মারওয়া তাওয়াফ (সাঈ) করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
সাতবারের মধ্যে তিনবার শরীর দুলিয়ে চলা (রমল করা)
২৯৪২
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرٍو، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يَقْدَمُ مَكَّةَ، يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ الْأَسْوَدَ، أَوَّلَ مَا يَطُوفُ يَخُبُّ ثَلَاثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ السَّبْعِ»
—
[حكم الألباني] سكت عنه الشيخ
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় যান। তখন তিনি প্রথমে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন, এবং সাতবার তাওয়াফের মধ্যে প্রথম তিনবার হালকা দৌড়ে চলেন (রমল করেন)।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হজ্জ এবং উমরার ‘রমল’ করা বা শরীর দুলিয়ে (দ্রুত চলা)
২৯৪৩
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، ابْنَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ قَالَا: حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ فَرْقَدٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يَخُبُّ فِي طَوَافِهِ حِينَ يَقْدَمُ فِي حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ ثَلَاثًا، وَيَمْشِي أَرْبَعًا، قَالَ: «وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ ذَلِكَ»
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লহ্ ইবন উমর (রাঃ) (মক্কায়) হজ্জ বা উমরায় আগমন করলে, তাঁর তাওয়াফে তিনবার রমল করতেন এবং চারবার সাধারনভাবে চলতেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
হাজরে আসওয়াদ হতে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রমল করা
২৯৪৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَلَ مِنَ الْحِجْرِ إِلَى الْحِجْرِ حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِ ثَلَاثَةَ أَطْوَافٍ»
জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে হাজরে আসওয়াদ হতে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রমল করতে দেখেছি, এমনকি এভাবে তিনি তিন তাওয়াফ পূর্ণ করেন।১
[১] রমল বা শরীর দুলিয়ে (মার্চ করার ন্যায়) দ্রুত চলার বিধান কা’বা শরীফের সম্মুখভাগের জন্য -হাজরে আসওয়াদ হতে ‘হিজর’ বা হাতীমের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত। পরবর্তী হাদীস দ্রষ্টব্য।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে কারণে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহতে সাঈ (‘রমল’) করেন।
২৯৪৫
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ ابْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ مَكَّةَ قَالَ الْمُشْرِكُونَ: وَهَنَتْهُمْ حُمَّى يَثْرِبَ، وَلَقُوا مِنْهَا شَرًّا، فَأَطْلَعَ اللَّهُ نَبِيَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى ذَلِكَ «فَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَرْمُلُوا، وَأَنْ يَمْشُوا مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ» وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ مِنْ نَاحِيَةِ الْحِجْرِ فَقَالُوا: لَهَؤُلَاءِ أَجْلَدُ مِنْ كَذَا
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ যখন মক্কায় আগমন করেন, তখন মুশরিকরা বলতে লাগলো, মদীনার জ্বর তাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছে, আর সেখানে তাদের অনেক মন্দের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নবীকে এ সংবাদ পৌছালে তিনি সাহাবীগণকে রমল করতে আদেশ করেছেন এবং দুই রুকনে (ইয়ামানী)র মধ্যস্থলে স্বাভাবিকভাবে চলতে বলেন। মুশরিকরা তখন হিজর-এর দিকে ছিল। তারা বলতে লাগলেন, এরা তো অমুক হতে শক্তিশালী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৬
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ ابْنَ عُمَرَ، عَنِ اسْتِلَامِ الْحَجَرِ؟، فَقَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُهُ، وَيُقَبِّلُهُ» فَقَالَ الرَّجُلُ: أَرَأَيْتَ إِنْ زُحِمْتُ عَلَيْهِ أَوْ غُلِبْتُ عَلَيْهِ؟ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «اجْعَلْ أَرَأَيْتَ بِالْيَمَنِ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُهُ، وَيُقَبِّلُهُ»
যুবায়র ইবন আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবন উমর (রাঃ) -কে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তা চুম্বন করতে দেখেছি এবং স্পর্শ করতে দেখেছি। সে লোকটি বললো, “বলুন, তো যদি’ আমি অত্যাধিক ভিড়ের দরুন বা লোকের মধ্যে সে পর্যন্ত পৌছতে সক্ষম না হলে কি করবো? তখন ইবন উমর (রাঃ) বলেন, তোমরা বল আপনি এসব ইয়ামানে রেখে আসবেন (সুতরাং এখানে ‘যদি’-র কোন অবকাশ নেই)। আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তা স্পর্শ করতে এবং চুম্বন করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
প্রত্যেক তাওয়াফে দুই রুকন স্পর্শ করা
২৯৪৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ابْنِ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ الْيَمَانِيَ، وَالْحَجَرَ فِي كُلِّ طَوَافٍ»
ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক তাওয়াফেই রুকনে ইয়ামানী এবং হাজরে আসওয়াদ ব্যতীত অন্য কিছু স্পর্শ করতেন না।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৮
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ لَا يَسْتَلِمُ إِلَّا الْحَجَرَ وَالرُّكْنَ الْيَمَانِيَ»
ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজরে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত অন্য কিছু স্পর্শ করতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
দুই ইয়ামানী রুকন স্পর্শ করা
২৯৪৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَمْسَحُ مِنَ الْبَيْتِ، إِلَّا الرُّكْنَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ»
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বায়তুল্লাহর দুই রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত অন্য কিছু স্পর্শ করতে দেখিনি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
অন্য দুই রুকনকে১ স্পর্শ না করা
২৯৫০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَابْنُ جُرَيْجٍ، وَمَالِكٌ، عَنْ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ رَأَيْتُكَ لَا تَسْتَلِمُ مِنَ الْأَرْكَانِ إِلَّا هَذَيْنِ الرُّكْنَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ، قَالَ: «لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُ إِلَّا هَذَيْنِ الرُّكْنَيْنِ» مُخْتَصَرٌ
উবায়দ ইবন জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবন উমর (রাঃ) -কে বললাম, আমি দেখেছি, আপনি দুই রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত অন্য কোন রুকনকে স্পর্শ করেন না। তিনি বললেন, “আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে উক্ত দু’ রুকন ব্যতীত অন্য কিছুকে স্পর্শ করতে দেখেনি। (সংক্ষিপ্ত)
[১] রুকন অর্থ পার্শ্ব- দুই প্রাচীরের সংযোগ স্থল বা কোনকে রুকন বলা হয়। কা’বা ঘরে চারটি রুকন রয়েছে। (১) রুকন-ই (হাজরে) আসওয়াদ (২) রুকন-ই ইয়ামানী (৩) রুকন-ই শামী ও (৪) রুকন-ই ইরাকী। রুকন-ই আসওয়াদকে স্পর্শ করা হয় ও চুম্বন করা হয়। দ্বিতীয় রুকনে স্পর্শ করা হয় চুমা দেওয়া হয় না, তৃতীয় ও চতুর্থ রুকনকে স্পর্শও করা হয় না চুমাও দেওয়া হয় না। উল্লেখ্য যে, প্রথম ও দ্বিতীয় রুকনকে একত্রে ইয়ামানী রুকন, তৃতীয় ও চতুর্থকে একত্রে শামী রুকন বলা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرٍو، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُ مِنْ أَرْكَانِ الْبَيْتِ، إِلَّا الرُّكْنَ الْأَسْوَدَ، وَالَّذِي يَلِيهِ مِنْ نَحْوِ دُورِ الْجُمَحِيِّينَ»
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজরে আসওয়াদ এবং এর নিকটবর্তী রুকন, যা জুমাহীদের মহল্লার দিকে অবস্থিত; তাছাড়া বায়তুল্লাহর অন্য কোন রুকন স্পর্শ করতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫২
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ «مَا تَرَكْتُ اسْتِلَامَ هَذَيْنِ الرُّكْنَيْنِ مُنْذُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُهُمَا الْيَمَانِيَ، وَالْحَجَرَ فِي شِدَّةٍ، وَلَا رَخَاءٍ»
নাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেছেন, আমি যখন থেকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদকে স্পর্শ করতে দেখেছি, তখন হতে আমি অনুকূল ও প্রতিকূল যে কোন অবস্থায় উক্ত রুকনদ্বয় স্পর্শ করা ছেড়ে দেইনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৩
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «مَا تَرَكْتُ اسْتِلَامَ الْحَجَرِ فِي رَخَاءٍ، وَلَا شِدَّةٍ، مُنْذُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُهُ»
ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন থেকে আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে হাজরে আসওয়াদকে স্পর্শ (চুম্বন) করতে দেখেছি, তখন হতে আমি তাকে স্পর্শ (ও চুম্বন) করা ছাড়িনি, অনুকূল ও প্রতিকূল যে কোন অবস্থায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকন (হাজরে আসওয়াদকে) লাঠি দ্বারা স্পর্শ করা।
২৯৫৪
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، طَافَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، عَلَى بَعِيرٍ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنٍ»
আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে উটের উপর সওয়ার হয়ে তাওয়াফ করেন এবং হাজরে আসওয়াদ লাঠি দ্বারা স্পর্শ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৫
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَإِذَا انْتَهَى إِلَى الرُّكْنِ أَشَارَ إِلَيْهِ»
আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীর উপর থেকে বাইতুল্লাহ্র তাওয়াফ করেছেন, যখন তিনি হাজরে আসওয়াদের নিকট পৌঁছতেন, তখন তার দিকে (লাঠি দিয়ে) ইঙ্গিত করতেন।
(আরবী)
মহান মহিয়ান আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “প্রত্যেক সালাতের সময় তোমাদের সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে” (৭:৩১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকনের (হাজরে আসওয়াদের) প্রতি ইঙ্গিত করা
২৯৫৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ مُسْلِمًا الْبَطِينَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: ” كَانَتِ الْمَرْأَةُ تَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَهِيَ عُرْيَانَةٌ تَقُولُ:
[البحر الرجز]
الْيَوْمَ يَبْدُو بَعْضُهُ أَوْ كُلُّهُ … وَمَا بَدَا مِنْهُ فَلَا أُحِلُّهُ
قَالَ: فَنَزَلَتْ {يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ} [الأعراف: 31] “
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন : মহিলারা উলঙ্গ অবস্থায় কা’বার তাওয়াফ করতো এবং তারা বলতো:
“আজ তার (লজ্জাস্থানের) সব কিংবা অংশ বিশেষ খোলা থাকবে (তাওয়াফের প্রয়োজনে)। এর যা উন্মুক্ত থাকবে তা আমি কারো জন্য ‘হালাল’ (বৈধ) করছি না।” তিনি বলেনঃ তখন আল্লাহ্র বাণী অবতীর্ণ হলেন: “হে আদম সন্তানগণ! তোমরা প্রত্যেক সালাতের সময় সুন্দর পরিচ্ছেদ পরিধান করবে।” (৭ : ৩১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৭
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَهُ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُ «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ بَعَثَهُ فِي الْحَجَّةِ الَّتِي أَمَّرَهُ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فِي رَهْطٍ يُؤَذِّنُ فِي النَّاسِ، أَلَا لَا يَحُجَّنَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের পূর্বে যে হজ্জে রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ) কে হজ্জের আমীরররূপে পাঠিয়েছিলেন, সে হজ্জে আবূ বকর (রাঃ) -কে একটি দলে পাঠিয়েছিলেন, যেন তিনি লোকের মধ্যে একথা প্রচার করেন যে, শুন, এ বছরের পর কোন মুশ্রিক হজ্জ করতে পারবে না। আর কোন উলঙ্গ ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ الْمُغِيرَةِ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ الْمُحَرَّرِ بْنِ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: ” جِئْتُ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حِينَ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ بِبَرَاءَةَ، قَالَ: مَا كُنْتُمْ تُنَادُونَ؟ قَالَ: «كُنَّا نُنَادِي إِنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ، إِلَّا نَفْسٌ مُؤْمِنَةٌ، وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ، فَأَجَلُهُ أَوْ أَمَدُهُ إِلَى أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ، فَإِذَا مَضَتِ الْأَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ، فَإِنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَرَسُولُهُ، وَلَا يَحُجُّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، فَكُنْتُ أُنَادِي حَتَّى صَحِلَ صَوْتِي»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: আমি আলী ইব্ন আবূ তালিব (রাঃ)-এর সঙ্গে গিয়েছিলাম। যখন রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে মক্কাবাসীদের কাছে দায় মুক্তির (বারাআত) ঘোষণা প্রচারের জন্য পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেন: আপনারা কিসের ঘোষণা দেন? তাঁরা বলেন: আমরা এ কথা ঘোষণা দেই যে, মু’মিন ব্যক্তি ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না, আর কোন উলঙ্গ ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করবে না, আর রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও যাদের মধ্যে চুক্তি রয়েছে এর সময় বা তাঁর মেয়াদ চার মাস পর্যন্ত (বহাল থাকবে)। যখন চার মাস অতিবাহিত হবে, তখন আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল মুশরিকদের ব্যাপারে দায়মুক্ত থাকবেন। আর এ বছরের পর কোন মুশরিক হজ্জ করবে না। আমি এই ঘোষণা দিচ্ছিলাম। এমনকি (ঘোষণা প্রচার করতে করতে) আমার আওয়াজ বসে (অস্পষ্ট হয়ে) যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তাওয়াফের পর দু’রাক’আত সালাত কোথায় আদায় করবে?
২৯৫৯
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ، قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ فَرَغَ مِنْ سُبُعِهِ، جَاءَ حَاشِيَةَ الْمَطَافِ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، وَلَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الطَّوَّافِينَ أَحَدٌ»
মুত্তালিব ইব্ন আবূ ওয়াদা’আহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাওয়াফের সাত চক্কর সমাপ্ত করলেন, তখন তিনি তাওয়াফ করার স্থানের এক পাশে গমন করলেন এবং সেখানে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন। তখন তাঁর মধ্যে এবং তাওয়াফকারীদের মধ্যে কেউ ছিল না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৯৬০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ: يَعْنِي ابْنَ عُمَرَ ” قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، وَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، وَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَقَالَ: {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ} [الأحزاب: 21] “
আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত থেকে বর্ণিতঃ
ইব্ন উমর (রাঃ) বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় এলেন এবং সাতবার কা’বার তাওয়াফ করলেন, এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন এবং সাফা ও মারওয়ায় সাঈ করলেন। আর বললেন : তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ্র মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তাওয়াফ শেষে দু’রাক’আত সালাত আদায়ের পরের বক্তব্য
২৯৬১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: ” طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، رَمَلَ مِنْهَا ثَلَاثًا، وَمَشَى أَرْبَعًا، ثُمَّ قَامَ عِنْدَ الْمَقَامِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَرَأَ، {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: 125] وَرَفَعَ صَوْتَهُ يُسْمِعُ النَّاسَ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَاسْتَلَمَ، ثُمَّ ذَهَبَ فَقَالَ: نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ، فَبَدَأَ بِالصَّفَا، فَرَقِيَ عَلَيْهَا، حَتَّى بَدَا لَهُ الْبَيْتُ، فَقَالَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، فَكَبَّرَ اللَّهَ وَحَمِدَهُ، ثُمَّ دَعَا بِمَا قُدِّرَ لَهُ، ثُمَّ نَزَلَ مَاشِيًا، حَتَّى تَصَوَّبَتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْمَسِيلِ، فَسَعَى حَتَّى صَعِدَتْ قَدَمَاهُ، ثُمَّ مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ، فَصَعِدَ فِيهَا، ثُمَّ بَدَا لَهُ الْبَيْتُ، فَقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، قَالَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ: ثُمَّ ذَكَرَ اللَّهَ، وَسَبَّحَهُ، وَحَمِدَهُ، ثُمَّ دَعَا عَلَيْهَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ فَعَلَ هَذَا حَتَّى فَرَغَ مِنَ الطَّوَافِ “
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাতবার বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করেন, তার মধ্যে তিনি তিনবার রমল করেন, আর চারবার সাধারনভাবে হেঁটে চলেন। তারপর মাকামে ইবরাহীমের নিকট দাঁড়িয়ে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন এবং তিনি তিলাওয়াত করেন : (আরবী) (অর্থ: “তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান হিসেবে গ্রহণ কর।”) লোকদের শুনাবার জন্য তিনি উচ্চস্বরে এরূপ পাঠ করেন। তারপর তিনি ফিরে এসে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন। এরপর (সাফা-এর দিকে) গেলেন এবং বললেন : আল্লাহ যা হতে আরম্ভ করেছেন আমরাও তা থেকে আরম্ভ করবো। এরপর তিনি সাফা হতে আরম্ভ করেন এবং এর উপর আরোহণ করেন। এ সময় কা’বা তাঁর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তিনবার বলেন : (আরবী) (অর্থ: “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, নেই তাঁর কোন শরীক, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান, তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।)
এরপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বলেন এবং আল্লাহ্র প্রশংসা করেন এবং যা তাঁর জন্য নির্ধারিত ছিল সে সব দু’আ করেন। এরপর তিনি পায়ে হেঁটে নেমে আসেন। এমন কি তাঁর দুই পা নিম্ন সমতলে স্থির হলো। তারপর তিনি দ্রুত হেঁটে চলেন, যাতে তাঁর দুই পা উপরে উঠতে লাগল। পরে তিনি স্বাভাবিকভাবে হেঁটে মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছে তাতে আরোহণ করেন। এবারও বায়তুল্লাহ্ তাঁর দৃষ্টিগোচর হলো, তিনি তিনবার বলেন : (আরবী) দু’আর পর তিনি আল্লাহকে স্মরণ করলেন এবং হামদ ও সানা আদায় করলেন। এখানেও তিনি আল্লাহ্ যা নির্ধারিত করেছেন সেভাবে দু’আ করেন। এভাবে তিনি তাওয়াফ সমাপ্ত করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬২
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، طَافَ سَبْعًا رَمَلَ ثَلَاثًا، وَمَشَى أَرْبَعًا، ثُمَّ قَرَأَ: {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: 125]، فَصَلَّى سَجْدَتَيْنِ، وَجَعَلَ الْمَقَامَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَعْبَةِ، ثُمَّ اسْتَلَمَ الرُّكْنَ، ثُمَّ خَرَجَ، فَقَالَ: «إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ، فَابْدَءُوا بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাতবার তাওয়াফ করেন, তিনবার রমল করেন এবং চারবার স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তাওয়াফ করেন। এরপর তিনি পড়েন : (আরবী) (অর্থ : “তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান হিসেবে গ্রহণ কর।” (২:১২৫)) পরে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। এ সময় তিনি মাকামে ইবরাহীমকে তাঁর ও কা’বার মধ্যে রাখেন। পরে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন। তা হতে বের হয়ে বললেন : (আরবী) “নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্র নিদর্শনসমুহের মধ্যে অন্যতম।” তোমরা আরম্ভ কর ঐ স্থান থেকে যার কথা আল্লাহ্ প্রথমে উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তাওয়াফের পর দু’ রাক’আত সালাতের কিরাআত
২৯৬৩
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ الْوَلِيدِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ” أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا انْتَهَى إِلَى مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ قَرَأَ: {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: 125] فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، فَقَرَأَ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ، وَقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ، وَقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ثُمَّ عَادَ إِلَى الرُّكْنِ فَاسْتَلَمَهُ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّفَا “
জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাকামে ইবরাহীমে পৌঁছে তিলাওয়াত করলেন : (আরবী) তারপর দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। তিনি সূরা ফাতিহা সূরা কাফিরুন ও সূরা ইখলাস পাঠ করেন। পরে আবার হাজরে আসওয়াদের কাছে এসে তাঁকে চুম্বন করেন। তারপর সাফা (পাহাড়ে)-র দিকে যান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যমযমের পানি পান করা
২৯৬৪
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَاصِمٌ، وَمُغِيرَةُ، ح وَأَنْبَأَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَاصِمٌ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، شَرِبَ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ وَهُوَ قَائِمٌ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে যমযমের পানি পান করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
দাঁড়িয়ে যমযমের পানি পান করা
২৯৬৫
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ زَمْزَمَ، فَشَرِبَهُ وَهُوَ قَائِمٌ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন : আমি রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে যমযমের পানি পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় তা পান করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে দরজা দিয়ে (লোকেরা) বের হয়, সেই দরজা দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাফার দিকে বের হওয়া
২৯৬৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ، طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، ثُمَّ صَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّفَا مِنَ الْبَابِ الَّذِي يُخْرَجُ مِنْهُ، فَطَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ» قَالَ: شُعْبَةُ، وَأَخْبَرَنِي أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: سُنَّةٌ
আমর ইব্ন দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন : আমি ইব্ন উমর (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি : রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় আগমন করার পর সাতবার কা’বা তাওয়াফ করেন। পরে মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দাঁড়িয়ে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। তারপর যে দরজা দিয়ে লোক বের হয়, সে দরজা দিয়েই তিনি সাফার দিকে বের হন এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ করেন। শু’বা (রাঃ) বলেন : আইউব (রহঃ) আমর ইব্ন দীনার (রহঃ) সুত্রে আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, ইব্ন উমর (রাঃ) একে সুন্নত (বিধিবদ্ধ নিয়ম) বলে আখ্যায়িত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
সাফা ও মারওয়া প্রসঙ্গে
২৯৬৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: ” قَرَأْتُ عَلَى عَائِشَةَ {فَلَا جُنَاحَ} [البقرة: 158] عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا قُلْتُ: مَا أُبَالِي، أَنْ لَا أَطُوفَ بَيْنَهُمَا ” فَقَالَتْ: بِئْسَ مَا قُلْتَ: ” إِنَّمَا كَانَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ لَا يَطُوفُونَ بَيْنَهُمَا، فَلَمَّا كَانَ الْإِسْلَامُ وَنَزَلَ الْقُرْآنُ {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} [البقرة: 158] الْآيَةَ فَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَطُفْنَا مَعَهُ فَكَانَتْ سُنَّةً “
উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট (আরবী) (অর্থ: তাই যে কেউ কা’বা গৃহের (হজ্জ কিংবা উমরা করে) এ দুটির (সাফা-মারওয়ার) মধ্যে যাতায়াত (সাঈ) করাতে তাঁর কোন পাপ নেই। (২ : ১৫৮) এ আয়াত পাঠ করে বললাম: এ দুটির মধ্যে সাঈ না করাকে আমি মন্দ মনে করি না। তিনি বলেন : তুমি যা বললে তা মন্দ কথা, জাহিলী যুগে লোকেরা এই দু’ পাহাড়ের সাঈ করতো না। যখন ইসলামের যুগ এলো এবং কুরআন নাযিল হলো : (আরবী) “নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্র অন্যতম নিদর্শন” (২ : ১৫৮)। তখন রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাঈ করলেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সাঈ করলাম। তাই ইহা সুন্নত (বিধিবদ্ধ বিধান)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৮
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ، عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ {فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا} [البقرة: 158] فَوَاللَّهِ مَا عَلَى أَحَدٍ جُنَاحٌ أَنْ لَا يَطُوفَ بِالصَفَا وَالْمَرْوَةِ، قَالَتْ عَائِشَةُ: بِئْسَمَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِي إِنَّ هَذِهِ الْآيَةَ لَوْ كَانَتْ كَمَا أَوَّلْتَهَا، كَانَتْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَطَّوَّفَ بِهِمَا، وَلَكِنَّهَا نَزَلَتْ فِي الْأَنْصَارِ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمُوا، كَانُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي كَانُوا يَعْبُدُونَ عِنْدَ الْمُشَلَّلِ، وَكَانَ مَنْ أَهَلَّ لَهَا يَتَحَرَّجُ أَنْ يَطُوفَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَلَمَّا سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ؟ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ} [البقرة: 158] اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ثُمَّ قَدْ سَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الطَّوَافَ بَيْنَهُمَا، فَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَتْرُكَ الطَّوَافَ بِهِمَا “
উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আয়েশা (রাঃ) –কে (আরবী) এ আয়াত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম এবং বললাম : আল্লাহ্র শপথ সাফা ও মারওয়ায় সা’ঈ না করলে কারো অন্যায় হবে না। আয়েশা (রাঃ) বললেন : তুমি যা ব্যাখ্যা করলে, তা ভাল নয়, হে ভাগ্নে! তুমি এই আয়াতের মর্ম যা বুঝেছ; যদি তা-ই হতো তাহলে তো বলা হত এর সাঈ না করলে কোন অন্যায় হবে না কিন্তু এই আয়াত নাযিল হয়েছে আনসারদের ইসলাম গ্রহণের (পূর্ববর্তী অবস্থা) সম্বন্ধে। (ইসলাম গ্রহণের) পূর্বে যারা ‘মুশাল্লাল’ (স্থান)-এর নিকট অবস্থিত ‘মানাতে তাগিয়া’ (একটি মূর্তি)-এর ইবাদত করতো। তারা এখানে ইহ্রাম বাঁধত এবং যারা এখানে ইহ্রাম বাঁধত তাঁরা সাফা ও মারওয়ার সা’ঈ করতো না। যখন তাঁরা রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিল, তখন মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করেন : (আরবী)১ তারপর রাসুলুল্লাহ্ পর্বতদ্বয়ের সা’ঈ করাকে শরীআতের আহকামভুক্ত করেন। তাই কেউ পর্বতদ্বয়ের সা’ঈ বাদ দিতে পারবে না।
[১] অর্থ: সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার ‘শি‘আর’ (বিশেষ) প্রতীক সমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যারা বায়তুল্লাহর হ্জ্জ করবে তাদের জন্য এ দু’টিতে সা’ঈ (প্রদক্ষিণ) করলে কোন অপরাধ হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ وَهُوَ يُرِيدُ الصَّفَا، وَهُوَ يَقُولُ: «نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন : আমি শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সাফায় গমনের ইচ্ছায় মসজিদ (অর্থাৎ তাওয়াফের স্থান) থেকে বের হলেন, তখন তিনি বললেন : আমরা সেখান থেকে আরম্ভ করব যেখান থেকে আল্লাহ্ তা’আলা আরম্ভ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭০
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا جَابِرٌ، قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ إِلَى الصَّفَا وَقَالَ: ” نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ، ثُمَّ قَرَأَ: {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} [البقرة: 158] “
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফার দিকে বের হয়ে বললেন : আল্লাহ তা’আলা যে স্থান থেকে আরম্ভ করেছেন, আমরাও সে স্থান থেকে আরম্ভ করবো। তারপর তিনি পাঠ করেন :
(আরবী)
(অর্থ : সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্ তা’আলার ‘শি’আর’ (বিশেষ) প্রতীক সমুহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যারা বায়তুল্লাহ্র হজ্জ করবে তাদের জন্য এ দুটিতে সা’ঈ করলে কোন অপরাধ হবে না।)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস