নাসায়ী সালাত আরম্ভ করা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৯৮১ – ১০৮০
পরিচ্ছেদ
কিয়াম এবং কিরাআত সংক্ষিপ্ত করা
৯৮১
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا الْعَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنُ أَسْلَمَ قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ: «صَلَّيْتُمْ؟» قُلْنَا: نَعَمْ. قَالَ: «يَا جَارِيَةُ هَلُمِّي لِي وَضُوءًا، مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ إِمَامٍ أَشْبَهَ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِمَامِكُمْ هَذَا» قَالَ زَيْدٌ: وَكَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ، وَيُخَفِّفُ الْقِيَامَ وَالْقُعُودَ
—
[حكم الألباني] صحيح لغيره
যায়িদ ইব্ন আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ)-এর নিকট পৌঁছালাম। তিনি বললেন, তোমরা সালাত আদায় করেছ কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে বালিকা! আমার জন্য উযূর পানি আন। আমি অন্য কোন ইমামের পেছনে সালাত আদায় করিনি, যার সালাত তোমাদের এই ইমাম (উমর ইব্ন আবদুল আযীয)-এর চেয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশপূর্ণ। যায়দ বলেন, ‘উমর ইব্ন আবদুল আযীয (রহঃ) রুকূ এবং সিজদা পূর্ণ আদায় করতেন। আর দাঁড়ানো এবং বসায় অপেক্ষাকৃত কম দেরী করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৯৮২
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ الضَّحَّاكِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ أَشْبَهَ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فُلَانٍ – قَالَ سُلَيْمَانَ – كَانَ يُطِيلُ الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ، وَيُخَفِّفُ الْأُخْرَيَيْنِ، وَيُخَفِّفُ الْعَصْرَ، وَيَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصَّلِ، وَيَقْرَأُ فِي الْعِشَاء بِوَسَطِ الْمُفَصَّلِ، وَيَقْرَأُ فِي الصُّبْحِ بِطُوَلِ الْمُفَصَّلِ»
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের সাথে অমুকের চেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ সালাত আর কারও পেছনে আদায় করিনি। সুলাইমান (রাঃ) বলেন -তিনি জোহরের প্রথম দু’রাকআত লম্বা করতেন, শেষের দু’রাকআত সংক্ষিপ্ত করতেন। আর আসরের সালাত সংক্ষিপ্ত করতেন। আর মাগরিবের সালাত কিসারে মুফাস্সাল দ্বারা আদায় করতেন। আর ইশার সালাত আওসাতে মুফাস্সাল দ্বারা আদায় করতেন। আর ভোরের সালাত অর্থাৎ ফজর তিওয়ালে মুফাস্সাল দ্বারা আদায় করতেন।১
[১. সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত তিওয়ালে মুফাস্সাল, সূরা বরূজ থেকে সূরা বায়্যিনা পর্যন্ত আওসাতে মুফাস্সাল এবং সূরা বায়্যিনা থেকে কুরআনের শেষ সূরা পর্যন্ত কিসারে মুফাস্সাল হিসাবে গণ্য হয়।]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাগরিবের সালাতে কিসারে মুফাস্সাল পড়া
৯৮৩
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ الضَّحَّاكِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ أَشْبَهَ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فُلَانٍ – فَصَلَّيْنَا وَرَاءَ ذَلِكَ الْإِنْسَانِ وَكَانَ يُطِيلُ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ، وَيُخَفِّفُ فِي الْأُخْرَيَيْنِ، وَيُخَفِّفُ فِي الْعَصْرِ، وَيَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصَّلِ، وَيَقْرَأُ فِي الْعِشَاء بِالشَّمْسِ وَضُحَاهَا وَأَشْبَاهِهَا، وَيَقْرَأُ فِي الصُّبْحِ بِسُورَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এমন কোন ব্যক্তির পেছনে সালাত আদায় করিনি যার সালাত অমুক ব্যক্তির চেয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের সাথে সঠিক সামাঞ্জস্যপূর্ণ। অতএব, আমরা ঐ ব্যক্তির পেছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি জোহরের প্রথম দু’রাকআত লম্বা করতেন, পরের দু’রাকআত সংক্ষিপ্ত করে আদায় করতেন। আসরের সালাতও সংক্ষিপ্ত করে আদায় করতেন। আর মাগরিবে কিসারে মুফাস্সাল পড়তেন। আর ইশার সালাত আদায় করতেন ‘ওয়াশ্ শামসি ওয়াদ্দুহাহা’ এবং এর মত সূরা দ্বারা। আর ফজরের সালাত আদায় করতেন দু’টি লম্বা সূরা দ্বারা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাগরিবে (…আরবী) পড়া
৯৮৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَارِبِ بْنُ دِثَارٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: مَرَّ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ بِنَاضِحَيْنِ عَلَى مُعَاذٍ وَهُوَ يُصَلِّي الْمَغْرِبَ، فَافْتَتَحَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ فَصَلَّى الرَّجُلُ، ثُمَّ ذَهَبَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «أَفَتَّانٌ يَا مُعَاذٍ؟ أَفَتَّانٌ يَا مُعَاذُ؟ أَلَّا قَرَأْتَ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا وَنَحْوِهِمَا»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক আনসারী ব্যক্তি দু’টি উট নিয়ে মু‘আয (রাঃ)-এর নিকট গেলেন।তখন তিনি মাগরিব সালাত আদায় করছিলেন। তিনি সূরা বাকারা আরম্ভ করলেন। ঐ ব্যক্তি পৃথকভাবে সালাত আদায় করে চলে গেল। একথা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন, হে মু‘আয! তুমি কি (লোকদের) ফিতনা ও কষ্টে ফেলতে চাও? হে মু‘আয! তুমি কি (লোকদের) ফিতনা ও কষ্টে ফেলতে চাও? তুমি কেন সাব্বিহিস্মা রাব্বিকা অথবা ওয়াশ্শামসি ওয়াদুহাহা’ অথবা এ জাতীয় সূরা পাঠ করলে না?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাগরিবে সূরা মুরসালাত পাঠ করা
৯৮৫
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ قَالَتْ: «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ الْمَغْرِبَ فَقَرَأَ الْمُرْسَلَاتِ» مَا صَلَّى بَعْدَهَا صَلَاةً حَتَّى قُبِضَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উম্মুল ফযল বিন্ত হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে তাঁর গৃহে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। তিনি তাতে সূরা ওয়াল মুরসালাত পড়লেন। এরপর তিনি লোকদের নিয়ে তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে আর কোন সালাত আদায় করেন নি।১
[১. রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাধারণত মাগরিবের সালাত ছোট সূরা পাঠ করতেন। কিন্তু এ সালাতে বড় বড় সূরা পাঠ করা করাও যে বৈধ তা ব্যক্ত করার জন্য তিনি ভাল কোন সময় বড় সূরাও পাঠ করতেন।]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯৮৬
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُمِّهِ أَنَّهَا «سَمِعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِالْمُرْسَلَاتِ»
—
[حكم الألباني] سكت عنه الشيخ
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাগরিব সালাতে সূরা ‘ওয়াল মুরসালাত’ পাঠ করতে শুনেছেন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাগরিবে সূরা তূর পাঠ করা
৯৮৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِالطُّورِ»
জুবায়র ইব্ন মুতয়িম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাগরিবের সালাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সূরা তূর পড়তে শুনেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাগরিবের সারাতে সূরা হা-মীম দুখান পাঠ করা
৯৮৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، وَذَكَرَ آخَرَ قَالَا: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ حَدَّثَهُ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرُ حَدَّثَهُ، أَنَّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنَ مَسْعُودٍ حَدَّثَهُ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ بِحم الدُّخَانِ»
—
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
আবদুল্লাহ ইব্ন উতবা ইব্ন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিব সালাতে সূরা হা-মীম দুখান পাঠ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাগরিবে ‘আলিফ-লাম-মীম-সোয়াদ’ পাঠ করা
৯৮৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ يُحَدِّثُ، عَنْ زَيْدِ بْنَ ثَابِتٍ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ: يَا أَبَا عَبْدِ الْمَلِكِ أَتَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ، وَإِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَحْلُوفَةٌ «لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِيهَا بِأَطْوَلِ الطُّولَيَيْنِ المص»
যায়দ ইব্ন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মারওয়ানকে বললেন, হে আবু আবদুল মালিক! আপনি কি মাগরিবের সালাতে (… আরবী) এবং ‘ইন্না আ‘তাইনা’ পড়ে থাকেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি তিনি দীর্ঘ সূরার মধ্যে বড় সূরা ‘আলিফ লাম মীম সোয়াদ’ পড়েছেন।১
[১. দীর্ঘ সূরাদ্বয় দ্বারা সূরা আন‘আম ও আ‘রাফ বুঝানো হয়েছে। আর আলিফ-লাম-মীম সোয়াদ দ্বারা সূরা আরাফকে নির্দেশ করা হয়েছে।]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯৯০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ مَرْوَانَ بْنُ الْحَكَمِ أَخْبَرَهُ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ: مَا لِي أَرَاكَ تَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ السُّوَرِ؟ «وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِيهَا بِأَطْوَلِ الطُّولَيَيْنِ». قُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ مَا أَطْوَلُ الطُّولَيَيْنِ؟ قَالَ: «الْأَعْرَافُ»
মারওয়ান ইব্ন হাকাম থেকে বর্ণিতঃ
যায়িদ ইব্ন সাবিত (রাঃ) বললেন, আমার কি হলো আমি দেখছি আপনি মাগরিবের সালাতে ছোট ছোট সূরা পড়লেন। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি তিনি তাতে দু’টি দীর্ঘ সূরার মধ্য থেকে যে সূরা অধিক দীর্ঘ তা পাঠ করতেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ঐ দীর্ঘ সূরা কি? তিনি বললেন, তা হলো সূরা আরাফ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯৯১
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، وَأَبُو حَيْوَةَ، عَنْ ابْنِ أَبِي حَمْزَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ بِسُورَةِ الْأَعْرَافِ فَرَّقَهَا فِي رَكْعَتَيْنِ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের সালাতে সূরা আ‘রাফ পাঠ করতেন। আর তিনি তা দু’রাকাআতে ভাগ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাগরিবের পর দু’রাকআতে কিরাআত
৯৯২
أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو الْجَوَّابِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنُ مُهَاجِرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «رَمَقْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِشْرِينَ مَرَّةً، يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ، وَقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি বিশ বার লক্ষ্য করেছি যে, তিনি মাগরিবের পর দু’রাকআতে এবং ফজরের পূর্বের (সুন্নত) দু’রাকআতে, কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন এবং কুল হুয়াল্লাহু আহাদ পাঠ করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ পড়ার ফযীলত
৯৯৩
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنُ أَبِي هِلَالٍ، أَنَّ أَبَا الرِّجَالِ مُحَمَّدَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ، عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ رَجُلًا عَلَى سَرِيَّةٍ، فَكَانَ يَقْرَأُ لِأَصْحَابِهِ فِي صَلَاتِهِمْ فَيَخْتِمُ بِقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ، فَلَمَّا رَجَعُوا ذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «سَلُوهُ، لِأَيِّ شَيْءٍ فَعَلَ ذَلِكَ؟» فَسَأَلُوهُ فَقَالَ: لِأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَنَا أُحِبُّ أَنَّ أَقْرَأَ بِهَا. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَخْبِرُوهُ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُحِبُّهُ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এক ব্যক্তিকে যুদ্ধের নেতা করে পাঠালেন। তিনি তাঁর সাথীদের নিয়ে সালাতে কুরআন পাঠ করতেন আর তিনি ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ দ্বারা শেষ করতেন। সঙ্গী লোকের ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ ঘটনা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, তোমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা কর, সে কেন এরূপ করেছে? তারা তাঁকে প্রশ্ন করলে, তিনি বললেন, কেননা তা মহামহিমান্বিত দয়াময়ের গুণ। তাই আমি তা পড়া পছন্দ করি। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা তাঁকে সংবাদ দাও যে, আল্লাহ তা’আলা তাঁকে ভালবাসেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯৯৪
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ، مَوْلَى آلِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: أَقْبَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ {قُلْ هُوَ اللَّهِ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ، لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ} [الإخلاص: 2]، فَقَالَ رَسُولِ اللَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَجَبَتْ». فَسَأَلْتُهُ مَاذَا يَا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: «الْجَنَّةُ»
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আসলাম। তিনি শুনলেন যে, এক ব্যক্তি পড়ছে (বল, তিনিই আল্লাহ্, একক ও অদ্বিতীয় তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।) তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, অবধারিত হয়ে গিয়েছে। আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম, ইয়া রসূলুল্লাহ্! কী অবধারিত হয়ে গিয়েছে? তিনি বললেন, জান্নাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯৯৫
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَجُلًا سَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ قُلْ هُوَ اللَّهِ أَحَدٌ يُرَدِّدُهَا، فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ»
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ পড়তে শুনল, সে তা বারবার পড়ছিল। সকাল বেলা সে ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেন, আল্লাহ্র শপথ! তা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য (সওয়াবের দিক থেকে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯৯৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلَالِ بْنُ يِسَافٍ، عَنْ رَبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ امْرَأَةٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ثُلُثُ الْقُرْآنِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: مَا أَعْرِفُ إِسْنَادًا أَطْوَلَ مِنْ هَذَا
আবু আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক তৃতীয়াংশ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ইশার সালাতে ‘সাব্বিহিস্মা রাব্বিকাল আ’লা’ পাঠ করা
৯৯৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُحَارِبِ بْنُ دِثَارٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَامَ مُعَاذٌ فَصَلَّى الْعِشَاء الْآخِرَةَ فَطَوَّلَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفَتَّانٌ يَا مُعَاذٌ؟ أَفَتَّانٌ يَا مُعَاذُ؟ أَيْنَ كُنْتَ عَنْ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَالضُّحَى، وَإِذَا السَّمَاءُ انْفَطَرَتْ؟»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআয (রাঃ) দাঁড়িয়ে ইশার সালাত আদায় করলেন এবং তা দীর্ঘায়িত করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে মুআয; তুমি কি (লোকদের) ফিৎনা ও বিপদে ফেলবে? তুমি কি (লোকদের) ফিৎনা ও কষ্টে ফেলবে তুমি সাব্বিহিসমা রাব্বিকা, ওয়াদ্দুহা এবং ইযাস্সামা উনফাতারাত’ পাঠ কর না কেন?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ইশার সালাতে ওয়াশ্শামসি ওয়াদ্দুহা পাঠ করা
৯৯৮
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: صَلَّى مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ لِأَصْحَابِهِ الْعِشَاء، فَطَوَّلَ عَلَيْهِمْ فَانْصَرَفَ رَجُلٌ مِنَّا فَأُخْبِرَ مُعَاذُ عَنْهُ، فَقَالَ: إِنَّهُ مُنَافِقٌ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ الرَّجُلَ دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَ مُعَاذٌ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتُرِيدُ أَنْ تَكُونَ فَتَّانًا يَا مُعَاذٌ؟ إِذَا أَمَمْتَ النَّاسَ فَاقْرَأْ بِالشَّمْسِ وَضُحَاهَا وَسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى وَاقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআয ইব্ন জাবাল (রাঃ) তাঁর সাথীদের নিয়ে ইশার সালাত আদায় করছিলেন। তিনি সালাতে দীর্ঘ করলে আমাদের মধ্যে এক ব্যক্তি চলে গেল। মু’আয (রাঃ)-কে এ সংবাদ দেয়া হলে তিনি বললেন, সে ব্যক্তি মুনাফিক। ঐ ব্যক্তির নিকট এ সংবাদ পৌছলে সে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেল এবং মু’আয (রাঃ) যা বলেছিলেন তা তাঁকে অবহিত করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, হে মু’আয! তুমি কি (লোকদের মধ্যে) ফিৎনা সৃষ্ঠি করতে চাও? যখন তুমি লোকের ইমামতি করবে তখন ‘ওয়াশ্শামসি ওয়াদুহাহা; সাব্বিহিস্মা রাব্বিকাল আ’লা, ওয়াল লাইলি ইযা ইয়াগ্শা এবং ইকরা বিসমি রাব্বিকা পাঠ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯৯৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ: أَنْبَأَنَا الْحُسَيْنُ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلَاةِ الْعِشَاء الْآخِرَةِ بِالشَّمْسِ وَضُحَاهَا، وَأَشْبَاهِهَا مِنَ السُّوَرِ»
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সালাতে ‘ওয়াশ্শামসি ওয়াদুহাহা বা এ জাতীয় অন্যান্য সূরা পাঠ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ইশার সালাতে সূরা ‘তীন’ পাঠ করা
১০০০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَتَمَةَ، فَقَرَأَ فِيهَا بِالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ»
বারা ইব্ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ইশার সালাত আদায় করেছি। তিনি তাতে ওয়াত্তীনি ওয়ায্ যায়তুন পড়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ইশার প্রথম রাক’আতে সূরা ‘তীন’ পাঠ করা
১০০১
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ الْبَرَاءِ بْنُ عَازِبٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَقَرَأَ فِي الْعِشَاء فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى بِالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ»
বারা ইব্ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সফরে ছিলেন। তিনি ইশার প্রথম রাক’আতে ওয়াত্তীনি ওয়ায্ যায়তুন পড়লেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
প্রথম দু’রাকআত লম্বা করা
১০০২
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَوْنٍ قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنُ سَمُرَةَ يَقُولُ: قَالَ عُمَرُ لِسَعْدٍ قَدْ شَكَاكَ النَّاسُ فِي كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى فِي الصَّلَاةِ، فَقَالَ سَعْدٌ: «أَتَّئِدُ فِي الْأُولَيَيْنِ، وَأَحْذِفُ فِي الْأُخْرَيَيْنِ، وَمَا آلُو مَا اقْتَدَيْتُ بِهِ مِنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» قَالَ: ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ
জাবির ইব্ন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমর (রাঃ) সা’দ (রা)-কে বললেন, লোক প্রত্যেক কাজে তোমার বিপক্ষে অভিযোগ করে। এমনকি সালাত সম্পর্কেও। তখন সাদ বললেন, আমি প্রথম দু’রাকআত লম্বা করি আর শেষের দু’রাকআত সংক্ষিপ্ত করি। আর আমি যে সকল সালাত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ইকতিদা করে আদায় করেছি সে সকল সালাতে তাঁর অনুকরণ করতে ত্রুটি করি না। তিনি বললেন, তোমার প্রতি আমার ধারণাও তাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০০৩
أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ عُلَيَّةَ أَبُو الْحَسَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ دَاوُدَ الطَّائِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: وَقَعَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فِي سَعْدٍ عِنْدَ عُمَرَ فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا يُحْسِنُ الصَّلَاةَ. فَقَالَ: «أَمَّا أَنَا فَأُصَلِّي بِهِمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا أَخْرِمُ عَنْهَا أَرْكُدُ فِي الْأُولَيَيْنِ، وَأَحْذِفُ فِي الْأُخْرَيَيْنِ». قَالَ: ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ
জাবির ইব্ন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কূফার কিছু লোক উমর (রাঃ)-এর নিকট সা’দ (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনল, তারা বলল, আল্লাহ্র শপথ ! তিনি সালাত উত্তমরূপে আদায় করেন না, তিনি (সাদ) বললেন, আমি তো তাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের ন্যায় সালাত আদায় করে থাকি। তা থেকে কোন রকম কম করি না। আমি প্রথম দু’রাকআত লম্বা করি আর শেষের দু’রাকআত সংক্ষিপ্ত করি। তিনি (উমর) বললেন, তোমার প্রতি আমার ধারণা তাই। আর আমি যে সকল সালাত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ইকতিদা করে আদায় করেছি সে সকল সালাতে তাঁর অনুকরণ করতে ত্রুটি করি না। তিনি বললেন, তোমার প্রতি আমার ধারণাও তাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
এক রাক’আতে দুই সূরা পাঠ করা
১০০৪
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَنْبَأَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: ” إِنِّي لَأَعْرِفُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ يَقْرَأُ بِهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عِشْرِينَ سُورَةً فِي عَشْرِ رَكَعَاتٍ ” ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِ عَلْقَمَةَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَيْنَا عَلْقَمَةَ فَسَأَلْنَاهُ فَأَخْبَرَنَا بِهِنَّ
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ যেসব সূরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ করতেন আমি সেসব সূরার সাথে পরিচিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশ রাক’আতে অনুরূপ বিশটি সূরা পাঠ করতেন। তারপর তিনি আলকামার হাত ধরে ভিতরে প্রবেশ করলেন। পরে আলকামা আমাদের নিকট বেরিয়ে এলেন। আমরা তাঁকে প্রশ্ন করলাম, তিনি আমাদের সে সকল সূরার সংবাদ দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০০৫
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنُ مُرَّةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يَقُولُ: قَالَ رَجُلٌ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ: قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ. قَالَ: «هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ، لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ، فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلَ سُورَتَيْنِ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ»
আমর ইব্ন মুররা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবু ওয়ায়িলকে বলতে শুনেছি, আবদুল্লাহর নিকট এক ব্যক্তি বলল, আমি এক রাক’আতে মুফাস্সাল পড়েছি। তিনি বললেন, কবিতার ন্যায় তাড়াতাড়ি পড়া? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ যে সুরাগুলো মিলিয়ে পাঠ করতেন তা আমি জানি। তারপর তিনি মুফাস্সালের বিশটি সূরার উল্লেখ করলেন এক রাক’আতে দু’ দু’ সূরা করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০০৬
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ يَحْيَى بْنُ وَثَّابٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدُ اللَّهِ وَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنِّي قَرَأْتُ اللَّيْلَةَ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ. فَقَالَ: «هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ، لَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ النَّظَائِرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلَ مِنْ آلِ حم»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি এ রাত্রে এক রাক’আতে মুফাস্সাল পাঠ করেছি। তিনি বললেন, তাড়াতাড়ি কবিতা আবৃত্তির মত? কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ মুফাস্সালের বিশটি সূরা পাঠ করতেন, যেগুলোর আরম্ভ হয়েছে (আরবী) দিয়ে।
মুফাস্সাল সূরা নিরূপণে মতভেদ রয়েছে। প্রসিদ্ধ মতটি এর আগে উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
এক সূরার কিয়দংশ পাঠ করা
১০০৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ حَدِيثًا رَفَعَهُ إِلَى ابْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنُ السَّائِبِ، قَالَ: «حَضَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَصَلَّى فِي قُبُلِ الْكَعْبَةِ، فَخَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عَنْ يَسَارِهِ، فَافْتَتَحَ بِسُورَةِ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَمَّا جَاءَ ذِكْرُ مُوسَى أَوْ عِيسَى عَلَيْهِمَا السَّلَامُ أَخَذَتْهُ سَعْلَةٌ فَرَكَعَ»
আবদুল্লাহ ইব্ন সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি কা’বার সম্মুখে সালাত আদায় করলেন। তিনি তাঁর পাদুকাদ্বয় খুলে তাঁর বাম পাশে রাখলেন, তারপর তিনি সূরা মুমিনূন আরম্ভ করলেন। যখন তিনি মূসা বা ঈসা (আঃ)-এর ঘটনায় পৌছলেন, তাঁর কান্নার কারণে কাশির উদ্রেক হলে তিনি রুকূ করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
আযাবের আয়াতে পৌছলে পাঠকের আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাওয়া
১০০৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعْدِ بْنُ عُبَيْدَةَ، عَنْ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الْأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّهُ صَلَّى إِلَى جَنْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً فَقَرَأَ، فَكَانَ إِذَا مَرَّ بِآيَةِ عَذَابٍ وَقَفَ وَتَعَوَّذَ، وَإِذَا مَرَّ بِآيَةِ رَحْمَةٍ وَقَفَ فَدَعَا، وَكَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ» وَفِي سُجُودِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى»
হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এক রাত্রিতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেছেন। তিনি কিরাআত পড়তে পড়তে যখন আযাবের আয়াতে পৌঁছতেন, তখন থেমে যেতেন এবং দোয়া করতেন। আর তিনি রুকূতে বলতেন, সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম, আর সিজদায় বলতেন, সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রহমতের আয়াতে পৌছে পাঠকের দোয়া করা
১০০৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ حَفْصِ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، وَالْأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الْأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ الْبَقَرَةَ، وَآلَ عِمْرَانَ، وَالنِّسَاءَ فِي رَكْعَةٍ لَا يَمُرُّ بِآيَةِ رَحْمَةٍ إِلَّا سَأَلَ، وَلَا بِآيَةِ عَذَابٍ إِلَّا اسْتَجَارَ»
হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাক’আতে সূরা বাকারা, আল-ইমরান এবং নিসা পাঠ করতেন। তিনি যখনই রহমতের আয়াতে পৌঁছতেন প্রার্থনা করতেন। আর আযাবের আয়াতে পৌছলে আশ্রয় ভিক্ষা করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
বারবার এক আয়াত পাঠ করা
১০১০
أَخْبَرَنَا نُوحُ بْنُ حَبِيبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ قَالَ: حَدَّثَنَا قُدَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَتْنِي جَسْرَةُ بِنْتُ دَجَاجَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ يَقُولُ: ” قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا أَصْبَحَ بِآيَةٍ، وَالْآيَةُ {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ، وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] “
আবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোর পর্যন্ত একটি আয়াত দিয়েই সালাত আদায় করলেন। আর সে আয়াতখানা হলোঃ (… আরবী)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মহান আল্লাহ্র বাণী- (…আরবী) -এর ব্যাখ্যা
১০১১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ قَالَا: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي وَحْشِيَّةَ وَهُوَ ابْنُ إِيَاسٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: ” {وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ بِهَا} [الإسراء: 110] قَالَ: نَزَلَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُخْتَفٍ بِمَكَّةَ، فَكَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ ” وَقَالَ ابْنُ مَنِيعٍ: يَجْهَرُ بِالْقُرْآنِ، وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا سَمِعُوا صَوْتَهُ سَبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ، فَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ} [الإسراء: 110]: أَيْ بِقِرَاءَتِكَ فَيَسْمَعَ الْمُشْرِكُونَ فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ {وَلَا تُخَافِتْ بِهَا} [الإسراء: 110]: عَنْ أَصْحَابِكَ فَلَا يَسْمَعُوا {وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلًا} [الإسراء: 110]
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(…আরবী) আয়াত সম্বন্ধে তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হয় তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় চুপে চুপে কুরআন পড়তেন। কিন্ত যখন তাঁর সাথীদের নিয়ে সালাত আদায় করতেন, তখন তাঁর আওয়াজ বুলন্দ করতেন। ইব্ন মানী বলেন, তখন তিনি উচ্চৈঃ স্বরে কুরআন পড়তেন। আর মুশরিকরা যখন তাঁর শব্দ শুনত তখন তারা কুরআনকে, কুরআন অবতরণকারীকে এবং যিনি এ কুরআন নিয়ে এসেছেন তাঁকে গালি দিত। তখন আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, আপনার সালাতকে অর্থাৎ সালাতের কিরআতকে উচ্চ করবেন না। কেননা, মুশরিকরা তা শুনে কুরআনকে গালি দিবে। আর আপনার সাথীদের থেকে তা চুপে চুপেও পড়বেন না। তাহলে তারা শুনতে পাবে না, এতদুভয়ের মধ্য পন্থা অবলম্বন করুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০১২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنُ إِيَاسٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: ” كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ، وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا سَمِعُوا صَوْتَهُ سَبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ جَاءَ بِهِ، فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْفِضُ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ مَا كَانَ يَسْمَعُهُ أَصْحَابُهُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ} [الإسراء: 110] بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلًا
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উচ্চস্বরে কুরআন পাঠ করতেন। আর মুশরিকরা যখন তাঁর আওয়াজ শ্রবণ করত তখন কুরআনকে এবং যিনি তা আনয়ন করেছেন তাঁকে গালি দিত। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিম্নস্বরে কুরআন পড়তে আরম্ভ করলেন যা সাহাবায়ে কিরাম শুনতে পেতেন না। তখন আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন, ‘আপনি আপনার সালাত উচ্চৈঃস্বরে পড়বেন না, আবার একেবারে নীরবেও পড়বেন না, বরং এতদুভয়ের মধ্যপন্থা অবলম্বন করুন’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
উচ্চস্বরে কুরআন পাঠ করা
১০১৩
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، عَنْ وَكِيعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ، عَنْ يَحْيَى بْنُ جَعْدَةَ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ قَالَتْ: «كُنْتُ أَسْمَعُ قِرَاءَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عَلَى عَرِيشِي»
উম্মি হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরআন পাঠ শ্রবণ করতাম আমার ঘরের উপর থেকে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কিরাআতে স্বর লম্বা করা
১০১৪
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسًا: كَيْفَ كَانَتْ قِرَاءَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: «كَانَ يَمُدُّ صَوْتَهُ مَدًّا»
কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরআন পাঠ কিরূপ ছিল? তিনি বললেন, তিনি তাঁর স্বর লম্বা করে পড়তেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
সুললিত কন্ঠে কুরআন পাঠ করা
১০১৫
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْسَجَةَ، عَنْ الْبَرَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ»
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা সুন্দর স্বরে কুরআন পাঠ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০১৬
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي طَلْحَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْسَجَةَ، عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ»، قَالَ ابْنُ عَوْسَجَةَ: كُنْتُ نَسِيتُ هَذِهِ: «زَيِّنُوا الْقُرْآنَ» حَتَّى ذَكَّرَنِيهِ الضَّحَّاكُ بْنُ مُزَاحِمٍ
বারা ইব্ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা সুন্দর স্বরে কুরআন পাঠ করবে। ইব্ন আওসাজাহ বলেন, আমি “কুরআন পাঠ সুন্দর কর” এ কথাটি ভুলে গিয়েছিলাম। দাহহাক ইব্ন মযাহিম আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০১৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زُنْبُورٍ الْمَكِّيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَيْءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ حَسَنِ الصَّوْتِ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ يَجْهَرُ بِهِ»
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ আল্লাহ তা’য়ালা কোন জিনিসকে (এমন মহব্বত ও গুরুত্বের সাথে) শোনেন না যেমন তিনি কুরআন শোনেন ঐ নবীর মুখে যিনি সুললিত কন্ঠের অধিকারী ও সুললিত কন্ঠে উচ্চঃস্বরে আল্লাহর কালাম পাঠ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০১৮
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا أَذِنَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِشَيْءٍ يَعْنِي أَذَنَهُ لِنَبِيٍّ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ»
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ আল্লাহ তা’য়ালা কোন জিনিসকে ঐরূপ শোনেন না যেরূপ তিনি কুরআন শোনেন, সুললিত কন্ঠের অধিকারী নবীর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখে যিনি সুললিত কন্ঠে কুরআন পাঠ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০১৯
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ أَخْبَرَهُ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعَ قِرَاءَةَ أَبِي مُوسَى، فَقَالَ: «لَقَدْ أُوتِيَ مِزْمَارًا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ»
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু মূসার কুরআন পাঠ শ্রবণ করে বললেন, তাঁকে দাঊদ (আঃ)-এর সুললিত কন্ঠস্বর দান করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০২০
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِرَاءَةَ أَبِي مُوسَى، فَقَالَ: «لَقَدْ أُوتِيَ هَذَا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু মূসা (রাঃ)-এর কুরআন পাঠ শ্রবণ করে বললেন, তাঁকে দাঊদ (আঃ)-এর সুন্দর স্বর দান করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০২১
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِرَاءَةَ أَبِي مُوسَى فَقَالَ: «لَقَدْ أُوتِيَ هَذَا مِزْمَارًا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু মূসা (রাঃ)-এর কুরআন পাঠ শ্রবণ করে বললেন, একে দাঊদ (আঃ)-এর সুন্দর স্বর দান করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০২২
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مَمْلَكٍ، أَنَّهُ سَأَلَ أُمَّ سَلَمَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَلَاتِهِ، قَالَتْ: «مَا لَكُمْ وَصَلَاتَهُ، ثُمَّ نَعَتَتْ قِرَاءَتَهُ فَإِذَا هِيَ تَنْعَتُ قِرَاءَةً مُفَسَّرَةً حَرْفًا حَرْفًا»
ইয়া’লা ইব্ন মামলাক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি উম্মে সালামা (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরআন পাঠ এবং তাঁর সালাত সম্বন্ধে জিজ্ঞসা করলেন। তিনি বললেন, তোমাদের তাঁর সালাতের সাথে কি সম্বন্ধ ? তারপর তিনি তাঁর কুরআন পাঠের বর্ণনা দিলেনঃ তা ছিল এমন কুরআন পাঠ যার শব্দ শব্দ স্পষ্ট ও পরিস্কারভাবে বোঝা যেত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূর জন্য তাকবীর বলা
১০২৩
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حِينَ اسْتَخْلَفَهُ مَرْوَانُ عَلَى الْمَدِينَةِ ” كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ، فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الثِّنْتَيْنِ، بَعْدَ التَّشَهُّدِ يَفْعَلُ مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى يَقْضِيَ صَلَاتَهُ، فَإِذَا قَضَى صَلَاتَهُ وَسَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ “
আবু সালামা ইব্ন আবদুর রহমান থেকে বর্ণিতঃ
যখন মারওয়ান আবু হুরায়রা (রা)-কে মদীনায় প্রতিনিধি করে পাঠালেন, তখন তিনি ফরয সালাতে দাঁড়াবার সময় তাকবীর বলতেন। এরপর যখন রুকূ করতেন তাকবীর বলতেন, অতঃপর রুকূ থেকে যখন তাঁর মাথা তুলতেন তখন বলতেন, (আরবি)। আবার যখন সিজদার জন্য নিচু হতেন তখন তাকবীর বললেন। অতঃপর যখন তাশাহহুদ পড়ে দ্বিতীয় রাক’আত শেষ করে উঠতেন তখন তাকবীর বলতেন, এভাবে তিনি সালাত শেষ করতেন। যখন তিনি সালাত শেষ করে সালাম ফিরাতেন তখন মসজিদের লোকদের প্রতি মুখ করতেন এবং বলতেন, আল্লাহর শপথ! তোমাদের চেয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের সঙ্গে আমার সালাত অধিক সামঞ্জস্যশীল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূর জন্য কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠানো
১০২৪
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ اللَّيْثِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا كَبَّرَ، وَإِذَا رَكَعَ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ حَتَّى بَلَغَتَا فُرُوعَ أُذُنَيْهِ»
মালিক ইব্ন হুয়ায়রিছ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি, তিনি যখন তাকবীর বলতেন, আর যখন রুকূ করতেন এবং রুকূ থেকে মাথা তুলতেন তখন স্বীয় উভয় হাত উঠাতেন যা তাঁর কানের নিম্ন ভাগ (লতি) পর্যন্ত পৌছত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূর জন্য উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো
১০২৫
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا رَكَعَ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ»
আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- দেখেছি যখন সালাত আরম্ভ করতেন স্বীয় উভয় হাত তুলতেন কাঁধ পর্যন্ত। এ রকম হাত তুলতেন যখন তিনি রুকূ করতেন এবং রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তা পরিত্যাগ করা
১০২৬
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فَقَامَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ أَوَّلَ مَرَّةٍ ثُمَّ لَمْ يُعِدْ»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি তোমাদের রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাত সম্বন্ধে সংবাদ দেব না? রাবী বলেন, এরপর তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে প্রথমবার তাঁর উভয় হাত উঠালেন। তারপর আর উঠালেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ’তে পিঠ সোজা রাখা
১০২৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُجْزِئُ صَلَاةٌ لَا يُقِيمُ الرَّجُلُ فِيهَا صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ»
আবু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যাক্তি রুকূ এবং সিজদায় তার পিঠ সোজা রাখে না তার সালাত পূর্ণ হয় না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূতে সর্বাঙ্গ যথাযথভাবে রাখা
১০২৮
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اعْتَدِلُوا فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ، وَلَا يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ كَالْكَلْبِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা রুকূ এবং সিজদা ঠিকঠাকভাবে করো। আর তোমাদের কেউ যেন কুকুরের ন্যায় উভয় হাত (জমিনে) না বিছিয়ে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তৎবীক -হাতের আঙ্গুল মিলিয়ে রাখা
১০২৯
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ يُحَدِّثُ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالْأَسْوَدِ، أَنَّهُمَا كَانَا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ فِي بَيْتِهِ فَقَالَ: أَصَلَّى هَؤُلَاءِ؟ قُلْنَا: نَعَمْ، فَأَمَّهُمَا وَقَامَ بَيْنَهُمَا بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ، قَالَ: «إِذَا كُنْتُمْ ثَلَاثَةً فَاصْنَعُوا هَكَذَا، وَإِذَا كُنْتُمْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَلْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ وَلْيَفْرِشْ كَفَّيْهِ عَلَى فَخْذَيْهِ، فَكَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى اخْتِلَافِ أَصَابِعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
আলকামা এবং আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সাথে তাঁর ঘরে ছিলেন। তিনি বললেন, তারা কি সালাত আদায় করেছে? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি তাঁদের ইমামতি করলেন। আর তাঁদের দু’জনের মধ্যে দাঁড়ালেন, আযান ও ইকামত ব্যতীত। তিনি বললেন, তোমরা যখন তিনজন হবে তখন এরূপ করবে, আর যখন এর চেয়ে বেশি লোক হবে তখন তোমাদের মধ্যে একজন ইমাম হবে এবং উভয় হাত রানের উপর বিছিয়ে রাখবে। আমি যেন এখনও দেখছি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতের আঙ্গুলের মধ্যস্থিত ফাঁক।
তৎবীক-এর অর্থ হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে রুকূ এবং তাশাহহুদে দু’ হাঁটুর মধ্যে রাখা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৩০
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الرُّبَاطِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَمْرٌو وَهُوَ ابْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ الْأَسْوَدِ، وَعَلْقَمَةَ، قَالَا: صَلَّيْنَا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فِي بَيْتِهِ فَقَامَ بَيْنَنَا، فَوَضَعْنَا أَيْدِيَنَا عَلَى رُكَبِنَا فَنَزَعَهَا فَخَالَفَ بَيْنَ أَصَابِعِنَا، وَقَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ»
আসওয়াদ এবং আলকামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে বলেন, আমরা আবদুল্লাহ ইব্ন মাসঊদ (রা)- এর ঘরে তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম। তিনি আমাদের মধ্যে দাঁড়ালেন। আমরা আমাদের হাত রানের উপর রাখলাম। তিনি তা টেনে নিলেন এবং আমাদের অঙ্গুলীসমূহের মধ্যে ফাঁক করে দিলেন এবং বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপ করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৩১
أَخْبَرَنَا نُوحُ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ فَقَامَ فَكَبَّرَ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ طَبَّقَ يَدَيْهِ بَيْنَ رُكْبَتَيْهِ وَرَكَعَ»، فَبَلَغَ ذَلِكَ سَعْدًا، فَقَالَ: صَدَقَ أَخِي قَدْ كُنَّا نَفْعَلُ هَذَا ثُمَّ أُمِرْنَا بِهَذَا يَعْنِي: الْإِمْسَاكَ بِالرُّكَبِ
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সালাত শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীর বললেন, যখন তিনি রুকু করতে ইচ্ছা করলেন, উভয় হাত হাঁটুদ্বয়ের মধ্যস্থলে রাখলেন, এবং রুকূ করলেন। এ সংবাদ সা’দ (রাঃ)-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন, আমার ভাই সত্যই বলেছেন। আমরা এরূপ করতাম। তারপর আমরা এরূপ করতে আদিষ্ট হয়েছি অর্থাৎ হাঁটু ধরে রাখতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তা রহিত হওয়া
১০৩২
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: صَلَّيْتُ إِلَى جَنْبِ أَبِي وَجَعَلْتُ يَدَيَّ بَيْنَ رُكْبَتَيَّ، فَقَالَ لِيَ: اضْرِبْ بِكَفَّيْكَ عَلَى رُكْبَتَيْكَ، قَالَ: ثُمَّ فَعَلْتُ ذَلِكَ مَرَّةً أُخْرَى، فَضَرَبَ يَدِي، وَقَالَ: «إِنَّا قَدْ نُهِينَا عَنْ هَذَا وَأُمِرْنَا أَنْ نَضْرِبَ بِالْأَكُفِّ عَلَى الرُّكَبِ»
মুস’আব ইব্ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার পাশে সালাত আদায় করলাম, আর আমি আমার উভয় হাত হাঁটুদ্বয়ের মধ্যস্থলে রাখলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার উভয় হাতের তালু তোমার হাঁটুদ্বয়ের উপর রাখ। তিনি বলেন, তারপর আমি তা পুনরায় করলাম। এরপর তিনি আমার হাত ধরে বললেন, আমাদের এরূপ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং আমরা আদিষ্ট হয়েছি হাঁটুর উপর হাত রাখতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৩৩
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: رَكَعْتُ فَطَبَّقْتُ، فَقَالَ أَبِي: ” إِنَّ هَذَا شَيْءٌ كُنَّا نَفْعَلُهُ ثُمَّ ارْتَفَعْنَا إِلَى الرُّكَبِ
মুস’আব ইব্ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রুকূ করলাম এবং তাতে তৎবীক করলাম। আমার পিতা বললেন, আমরা পূর্বে এরূপ করতাম। তারপর আমরা আদিষ্ট হয়েছি হাঁটুতে হাত রাখতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৩৩
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: رَكَعْتُ فَطَبَّقْتُ، فَقَالَ أَبِي: ” إِنَّ هَذَا شَيْءٌ كُنَّا نَفْعَلُهُ ثُمَّ ارْتَفَعْنَا إِلَى الرُّكَبِ
মুস’আব ইব্ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রুকূ করলাম এবং তাতে তৎবীক করলাম। আমার পিতা বললেন, আমরা পূর্বে এরূপ করতাম। তারপর আমরা আদিষ্ট হয়েছি হাঁটুতে হাত রাখতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূতে হাঁটু জড়িয়ে ধরা
১০৩৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عُمَرَ قَالَ: «سُنَّتْ لَكُمُ الرُّكَبُ، فَأَمْسِكُوا بِالرُّكَبِ»
উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাঁটু জড়িয়ে ধরা তোমাদের জন্য সুন্নত করা হয়েছে। অতএব, তোমরা হাঁটু জড়িয়ে ধরবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৩৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ قَالَ: قَالَ عُمَرُ: «إِنَّمَا السُّنَّةُ الْأَخْذُ بِالرُّكَبِ»
আবু আবদুর রহমান সালামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমর (রাঃ) বলেছেনঃ সুন্নত হলো হাঁটু জড়িয়ে ধরা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূতে হাতের তালু রাখার স্থান
১০৩৬
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ فِي حَدِيثِهِ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَالِمٍ، قَالَ: أَتَيْنَا أَبَا مَسْعُودٍ فَقُلْنَا لَهُ: حَدِّثْنَا عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ بَيْنَ أَيْدِينَا وَكَبَّرَ، فَلَمَّا رَكَعَ وَضَعَ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ، وَجَعَلَ أَصَابِعَهُ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ، وَجَافَى بِمِرْفَقَيْهِ حَتَّى اسْتَوَى كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ»، فَقَامَ حَتَّى اسْتَوَى كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ
—
[حكم الألباني] صحيح إلا جملة الأصابع
সালিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আবু মাসঊদের নিকট আসলাম। তাঁকে বললাম, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাত সম্বন্ধে বর্ণনা করুন। তখন তিনি আমাদের সামনে দাঁড়ালেন এবং তাকবীর বললেন, যখন তিনি রুকূ করলেন তখন তাঁর উভয় হাতের তালু হাঁটুদ্বয়ের উপর স্থাপন করলেন। আর তাঁর আঙ্গুলগুলো তার নিচে রাখলেন এবং তাঁর উভয় কনুই পার্শ্বদেশ থেকে দূরে রাখলেন। যাতে তাঁর সকল অঙ্গ সোজা হয়ে গেল। তারপর বললেন, ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ তখন দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন তাঁর সকল অঙ্গ সোজা হয়ে গেল।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূতে হাতের আঙ্গুল রাখার স্থান
১০৩৭
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّهَاوِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: أَلَا أُصَلِّي لَكُمْ كَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي؟ فَقُلْنَا: بَلَى، فَقَامَ فَلَمَّا رَكَعَ وَضَعَ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ، وَجَعَلَ أَصَابِعَهُ مِنْ وَرَاءِ رُكْبَتَيْهِ، وَجَافَى إِبْطَيْهِ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ حَتَّى اسْتَوَى كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ، ثُمَّ سَجَدَ فَجَافَى إِبْطَيْهِ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ، ثُمَّ قَعَدَ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ، ثُمَّ سَجَدَ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ، ثُمَّ صَنَعَ كَذَلِكَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ قَالَ: «هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَهَكَذَا كَانَ يُصَلِّي بِنَا»
—
[حكم الألباني] صحيح إلا جملة الأصابع
উকবা ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের জন্য ঐরূপ সালাত আদায় করব না যেরূপ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি সালাত আদায় করতে? আমরা বললাম, হ্যাঁ, তখন তিনি দাঁড়ালেন। যখন তিনি রুকূ করলেন তখন তাঁর হাতদ্বয়ের তালু তাঁর উভয় হাঁটুর উপর রাখলেন। আর আঙ্গুলসমূহ রাখলেন তাঁর হাঁটুর নিচের দিকে। আর তাঁর বগল (পার্শ্বদেশ থেকে) পৃথক রাখলেন। তখন তাঁর সকল অঙ্গ সোজা হয়ে গেল। তারপর তিনি তাঁর মাথা উঠালেন এবং দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন তাঁর সকল অঙ্গ সোজা হয়ে গেল। তারপর সিজদা করলেন এবং তাঁর বগল (পার্শ্বদেশ থেকে) পৃথক রাখলেন এবং তাঁর সকল অঙ্গ সোজা হয়ে গেল। তারপর বসলেন এবং সকল অঙ্গ সোজা হয়ে গেল, এরপর আবার সিজদা করলেন এবং সকল অঙ্গ সোজা হয়ে গেল। এরূপে চার রাকাআত আদায় করলেন। তারপর বললেন, এরূপই আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সালাত আদায় করতে দেখেছি। আর তিনি এরূপেই আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করতেন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূতে বগল পৃথক করে রাখা
১০৩৮
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَالِمٍ الْبَرَّادِ، قَالَ: قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ: أَلَا أُرِيكُمْ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي؟ قُلْنَا: بَلَى فَقَامَ فَكَبَّرَ، فَلَمَّا رَكَعَ جَافَى بَيْنَ إِبْطَيْهِ، حَتَّى لَمَّا اسْتَقَرَّ كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ رَفَعَ رَأْسَهُ فَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ هَكَذَا، وَقَالَ: «هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي»
—
[حكم الألباني] صحيح لغيره
সালিম বাররাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ মাসঊদ (রাঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদের দেখাব না- রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে সালাত আদায় করতেন? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীর বললেন, যখন তিনি রুকূ করলেন, তাঁর উভয় বগল পৃথক করে রাখলেন। যখন তাঁর সকল অঙ্গ সোজা হয়ে গেল, তিনি তাঁর মাথা উঠালেন, এভাবে তিনি চার রাক’আত আদায় করলেন। তারপর বললেন, এভাবে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সালাত আদায় করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূতে সর্বাঙ্গ যথাযথভাবে রাখা
১০৩৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَكَعَ اعْتَدَلَ، فَلَمْ يَنْصِبْ رَأْسَهُ، وَلَمْ يُقْنِعْهُ، وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ»
আবু হুমায়দ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রুকূ করতেন, তখন তিনি সোজা হয়ে যেতেন। তিনি তাঁর মাথা তুলতেন না। আর তাঁর উভয় হাত হাঁটুর উপর রাখতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ’তে কিরাআত পড়ার নিষেধাজ্ঞা
১০৪০
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «نَهَانِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْقَسِّيِّ وَالْحَرِيرِ، وَخَاتَمِ الذَّهَبِ، وَأَنْ أَقْرَأَ وَأَنَا رَاكِعٌ»، وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى: «وَأَنْ أَقْرَأَ رَاكِعًا»
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন, রেশম মিশ্রিত কাপড়, রেশমি কাপড় এবং সোনার আংটি থেকে, আর রুকূ অবস্থায় কিরাআত থেকে। অন্য সময় বলেছেন, রুকূ অবস্থায় কিরাআত থেকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৪১
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «نَهَانِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ، وَعَنِ الْقِرَاءَةِ رَاكِعًا، وَعَنِ الْقَسِّيِّ وَالْمُعَصْفَرِ»
—
[حكم الألباني] حسن صحيح الإسناد
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি, রুকূ অবস্থায় কিরাআত, রেশম মিশ্রিত কাপড় এবং কুসুম রংয়ের কাপড় থেকে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১০৪২
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ دَاوُدَ الْمُنْكَدِرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا أَقُولُ نَهَاكُمْ عَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ، وَعَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ، وَعَنْ لُبْسِ الْمُفْدَمِ، وَالْمُعَصْفَرِ وَعَنِ الْقِرَاءَةِ فِي الرُّكُوعِ»
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন, আর আমি বলি না যে, তোমাদের নিষেধ করেছেন- সোনার আংটি, রেশম মিশ্রিত কাপড়, গাড় লাল রংয়ের কাপড় এবং কুসুম রং-এর কাপড় থেকে নিষেধ করেছেন এবং রুকূ অবস্থায় কিরাআত থেকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৪৩
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ زُغْبَةُ، عَنْ اللَّيْثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ حَدَّثَهُ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ: «نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ، وَعَنْ لَبُوسِ الْقَسِّيِّ، وَالْمُعَصْفَرِ، وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَأَنَا رَاكِعٌ»
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি, রেশম মিশ্রিত কাপড়, কুসুম রং -এর কাপড়, রুকু অবস্থায় কিরাআত থেকে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৪৪
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَالْمُعَصْفَرِ، وَعَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ، وَعَنِ الْقِرَاءَةِ فِي الرُّكُوعِ»
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রেশম মিশ্রিত কাপড়, কুসুম রং- এর কাপড়, সোনার আংটি পরিধান করতে এবং রুকূতে কিরাআত থেকে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকুতে প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা বর্ণনা করা
১০৪৫
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُحَيْمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَشَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السِّتَارَةَ وَالنَّاسُ صُفُوفٌ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ مِنْ مُبَشِّرَاتِ النُّبُوَّةِ إِلَّا الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ يَرَاهَا الْمُسْلِمُ أَوْ تُرَى لَهُ»
ثُمَّ قَالَ: «أَلَا إِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا، فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ، وَأَمَّا السُّجُودُ فَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ قَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্দা উন্মোচন করলেন, তখন লোক আবু বকর (রাঃ)- এর পেছনে কাতারে দাঁড়ানো ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে লোক সকল! নবুয়তের সুসংবাদ আর অবশিষ্ট থাকবে না, নেক সপ্ন ব্যতিত যা মুসলমান দেখবে এবং তাঁকে দেখানো হবে। এরপর তিনি বললেন, তোমরা শুনে রেখ ! আমাকে নিষেধ করা হয়েছে রুকু অবস্থায় কিরাআত থেকে এবং সিজদা অবস্থায়। রুকুতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা বর্ণনা কর। আর সিজদায় তোমরা দোয়া করতে চেষ্টা কর। তোমাদের জন্য দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্ত সময় এটাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ’র দোয়া
১০৪৬
َخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الْأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَكَعَ فَقَالَ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ»، وَفِي سُجُودِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى»
হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সালাত আদায় করেছি। তিনি রুকু করতে গিয়ে বললেন, ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম’ আর সিজদা করতে গিয়ে বললেন, ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ’র অন্য প্রকার দোয়া
১০৪৭
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، وَيَزِيدُ، قَالَا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ: «سُبْحَانَكَ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিকাংশ সময় রুকূ এবং সিজদায় বলতেনঃ (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
এর অন্য প্রকার দোয়া
১০৪৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَنْبَأَنِي قَتَادَةُ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: «سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রুকূতে বলতেনঃ (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূর অন্য প্রকার দোয়া
১০৪৯
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ يَعْنِي النَّسَائِيَّ، قَالَ: حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ يَعْنِي ابْنَ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ قَيْسٍ الْكِنْدِيِّ وَهُوَ عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ حُمَيْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: قُمْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً، فَلَمَّا رَكَعَ مَكَثَ قَدْرَ سُورَةِ الْبَقَرَةِ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ»
ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এক রাতে রাসূলুল্লাহ এর সঙ্গে সালাতে দাঁড়ালাম, যখন তিনি রুকূ করলেন, সূরা বাকারা পড়া পরিমাণ সময় তিনি রুকূতে থেকে বলেছিলেন —-(আরবী)
তাহাজ্জুদ অথবা কুসুফ অর্থাৎ সূর্যগ্রহণের সালাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
এর অন্য প্রকার দোয়া
১০৫০
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمِّي الْمَاجِشُونُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَكَعَ قَالَ: «اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَعِظَامِي وَمُخِّي وَعَصَبِي»
আলী ইবন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রুকূ করতেন তখন বলতেনঃ (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
অন্য প্রকার দোয়া
১০৫১
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَيْوَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَكَعَ قَالَ: «اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، أَنْتَ رَبِّي، خَشَعَ سَمْعِي وَبَصَرِي، وَدَمِي وَلَحْمِي، وَعَظْمِي وَعَصَبِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالِمِينَ»
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত যে, তিনি যখন রুকূ করতেন তখন বলতেন – (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৫২
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ حِمْيَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَذَكَرَ آخَرَ قَبْلَهُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَامَ يُصَلِّي تَطَوُّعًا يَقُولُ إِذَا رَكَعَ: «اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ أَنْتَ رَبِّي، خَشَعَ سَمْعِي وَبَصَرِي، وَلَحْمِي وَدَمِي، وَمُخِّي وَعَصَبِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ»
মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নফল সালাত আদায় করতে দাঁড়াতেন তখন রুকূ করে বলতেন (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূতে কিছু না পড়ার অনুমতি
১০৫৩
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، وَكَانَ بَدْرِيًّا، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ رَجُلٌ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمُقُهُ وَلَا يَشْعُرُ، ثُمَّ انْصَرَفَ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ، ثُمَّ قَالَ: «ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ»، قَالَ: لَا أَدْرِي فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ قَالَ: وَالَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ لَقَدْ جَهِدْتُ فَعَلِّمْنِي وَأَرِنِي، قَالَ: «إِذَا أَرَدْتَ الصَّلَاةَ فَتَوَضَّأْ فَأَحْسِنِ الْوُضُوءَ، ثُمَّ قُمْ فَاسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، ثُمَّ كَبِّرْ، ثُمَّ اقْرَأْ، ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَاعِدًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، فَإِذَا صَنَعْتَ ذَلِكَ فَقَدْ قَضَيْتَ صَلَاتَكَ وَمَا انْتَقَصْتَ مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّمَا تَنْقُصُهُ مِنْ صَلَاتِكَ»
—
[حكم الألباني] حسن صحيح
রিফা’আ ইবনে রাফি বদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সঙ্গে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল এবং সালাত আদায় করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে দেখছিলেন। কিন্তু সে তা টের পায়নি। সে সালাত শেষ করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁকে সালাম করলে তিনি তাঁর সালামের জওয়াব দিয়ে বললেন, ‘যাও পুনরায় সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি।’ তিনি (রাবী) বলেন, আমার স্মরণ নেই, দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বারে সে ব্যক্তি বলল, ঐ সত্তার শপথ ! যিনি আপনার উপর কিতাব নাজিল করেছেন। আমি তো খুব চেষ্টা করলাম। অতএব, আমাকে শিখিয়ে দিন এবং দেখিয়ে দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি সালাত আদায় করতে ইচ্ছা করবে তখন উত্তমরূপে ওযু করবে। তারপর দাঁড়িয়ে কিবলার দিকে মুখ করবে। তারপর তাকবীর বলবে, এরপর কুরআন পড়বে, তারপর রুকূ করবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর মাথা তুলে সোজা দাঁড়িয়ে যাবে। এরপর সিজদা করবে স্থিরভাবে, তারপর মাথা তুলে স্থিরভাবে বসে পড়বে। আবার সিজদা করবে স্থিরভাবে। যখন তুমি এরূপ করলে তখন তুমি তোমার সালাত পূর্ণ করলে। তা থেকে যতটুকু কম করলে, ততটুকু তোমার সালাত থেকে কম করলে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ পূর্ণ করার আদেশ
১০৫৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يُحَدِّثُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتِمُّوا الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ إِذَا رَكَعْتُمْ وَسَجَدْتُمْ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যখন রুকূ করবে এবং সিজদা করবে তখন রুকূ ও সিজদা পূর্ণরূপে আদায় করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ থেকে উঠার সময় হাত উঠানো
১০৫৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سُلَيْمٍ الْعَنْبَرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَيْتُهُ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ، وَإِذَا رَكَعَ، وَإِذَا قَالَ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» هَكَذَا، وَأَشَارَ قَيْسٌ إِلَى نَحْوِ الْأُذُنَيْنِ
ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পেছনে সালাত আদায় করেছি। আমি তাঁকে দেখেছি তিনি হাত উঠাতেন যখন সালাত আরম্ভ করতেন আর যখন রুকূ করতেন এবং যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ বলতেন, এরূপে। (এ বলে হাদীসের অন্যতম রাবী) কায়স ইঙ্গিত করলেন উভয় কানের দিকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ থেকে ওঠার সময় কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠানো
১০৫৬
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّهُ «رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا رَكَعَ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا فُرُوعَ أُذُنَيْهِ»
মালিক ইবনে হুয়ারিছ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে উভয় হাত উঠাতে দেখেছেন। যখন তিনি রুকূ করলেন আর রুকূ থেকে মাথা উঠালেন এসময় হাতদ্বয় কানের লতি পর্যন্ত পৌঁছত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ থেকে ওঠার সময় কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো
১০৫৭
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا دَخَلَ فِي الصَّلَاةِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ، فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَإِذَا قَالَ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ»، قَالَ: «رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ»، وَكَانَ لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সালাত আরম্ভ করতেন তখন কাঁধ পর্যন্ত তাঁর উভয় হাত উঠাতেন। আর যখন তিনি রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন। যখন তিনি ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতেন, তখন ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলতেন। আর তিনি দু’সিজদার মধ্যে হাত উঠাতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তা পরিত্যাগের অনুমতি
১০৫৮
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ: «أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً»
আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সালাতের ন্যায় সালাত আদায় করবো না? এরপর তিনি সালাত আদায় করলেন, তখন তিনি একবারের অধিক হাত উঠান নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ থেকে মাথা ওঠাবার সময় ইমাম কি বলবেন ?
১০৫৯
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا كَبَّرَ لِلرُّكُوعِ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا كَذَلِكَ أَيْضًا، وَقَالَ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ»، وَكَانَ لَا يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السُّجُودِ
ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সালাত আদায় আরম্ভ করতেন, তখন তাঁর হাতদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। আর যখন রুকূর জন্য তাকবীর বলতেন এবং রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, তখন হাতদ্বয় এরূপ উঠাতেন এবং বলতেন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। আর তিনি সিজদায় এরূপ করতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৬০
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ، قَالَ: «اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ»
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, তখন বলতেন (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মুকতাদী যা বলবে
১০৬১
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَقَطَ مِنْ فَرَسٍ عَلَى شِقِّهِ الْأَيْمَنِ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ يَعُودُونَهُ، فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ: ” إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ “
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়া থেকে ডান কাতে পড়ে গেলেন। তখন লোক তাঁকে দেখার জন্য আসলেন। এমতাবস্থায় সালাতের সময় উপস্থিত হল। তিনি সালাত শেষ করে বললেন, ইমাম তো হন এজন্য তাঁর ইকতিদা করা হবে। যখন সে রুকূ করবে তখন তোমরাও রুকূ করবে। আর যখন সে উঠবে তখন তোমরাও উঠবে। আর যখন ইমাম ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৬২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ قَالَ: كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ»، قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَهُ: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ الْمُتَكَلِّمُ آنِفًا؟» فَقَالَ الرَّجُلُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلَاثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلًا»
রিফা’আ ইবনে রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর পেছনে সালাত আদায় করছিলাম। তিনি যখন রুকূ থেকে মাথা ওঠালেন, তখন বললেন, ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’। তাঁর পেছনে এক ব্যাক্তি বলে উঠল। (আরবী) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত শেষ করে বললেন, এখন এ কথা কে বলল? সে ব্যাক্তি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি ত্রিশের ঊর্ধ্বে ফেরেশতাকে দেখেছি তা নিয়ে তাড়াহুরা করছে, কে তা সর্বাগ্রে লিখবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মুকতাদির ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলা
১০৬৩
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَيٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِذَا قَالَ الْإِمَامُ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ فَإِنَّ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ “
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন ইমাম ‘ সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলেন, তখন তোমরা ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলবে। কেননা, যার কথা ফেরেশতার কথার মত হবে তাঁর পূর্বকৃত পাপ মার্জনা করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৬৪
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مُوسَى قَالَ: إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَنَا وَبَيَّنَ لَنَا سُنَّتَنَا وَعَلَّمَنَا صَلَاتَنَا، فَقَالَ: ” إِذَا صَلَّيْتُمْ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ، ثُمَّ لِيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ، فَإِذَا كَبَّرَ الْإِمَامُ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7]، فَقُولُوا: آمِينَ، يُجِبْكُمُ اللَّهُ، وَإِذَا كَبَّرَ وَرَكَعَ، فَكَبِّرُوا وَارْكَعُوا، فَإِنَّ الْإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ “، قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” فَتِلْكَ بِتِلْكَ، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ يَسْمَعِ اللَّهُ لَكُمْ، فَإِنَّ اللَّهَ قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَإِذَا كَبَّرَ وَسَجَدَ، فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا، فَإِنَّ الْإِمَامَ يَسْجُدُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ “، قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَتِلْكَ بِتِلْكَ، فَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ مِنْ أَوَّلِ قَوْلِ أَحَدِكُمُ التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ، سَلَامٌ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، سَلَامٌ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، سَبْعُ كَلِمَاتٍ وَهِيَ تَحِيَّةُ الصَّلَاةِ»
—
[حكم الألباني] صحيح م دون قوله سبع
আবু মুসা আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে ওয়াজ করলেন এবং আমাদেরকে আমাদের কর্মপদ্ধতি শিক্ষা দিলেন, সালাত শিক্ষা দিলেন। তিনি বললেন, যখন তোমরা সালাত আদায় করবে, তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করবে। তারপর তোমাদের একজন ইমামতি করবে। যখন ইমাম তাকবীর বলবে তখন তোমরাও তাকবীর বলবে। আর যখন (আরবী) “গাইরিল মাগদূবি আ‘লাইহিম ওয়াদ্দোয়াল্লীন” বলবে তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে। তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তা কবুল করবেন। আর যখন ইমাম তাকবীর বলে রুকূ করবে তখন তোমরাও তাকবীর বলে রুকূ করবে। আর ইমাম রুকূ করবে তোমাদের পূর্বে আর রুকূ থেকে উঠবে তোমাদের পূর্বে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেন, এটা তার পরিপূরক হবে। আর যখন ইমাম বলবে, ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ্’। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কথা শুনবেন। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীর ভাষায় বলেন, যে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করে আল্লাহ তা শ্রবণ করেন। অতঃপর ইমাম যখন তাকবীর বলে সিজদায় যাবে তোমরা তখন তাকবীর বলে সিজদায় যাবে। কেননা, ইমাম তোমাদের পূর্বে সিজদা করে আর তোমাদের পূর্বে মাথা উঠায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন, এটা তার পরিপূরক। আর যখন বৈঠকের নিকটবর্তী হবে তখন তোমাদের প্রথম কথা হবে (আরবি) এ সাতটি বাক্য হচ্ছে সালাতের পরিপূরক।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূ থেকে মাথা ওঠানো ও সিজদা করা এর মাঝে কি পরিমান সময় নেয়া হত তার বর্ণনা
১০৬৫
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رُكُوعُهُ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَسُجُودُهُ وَمَا بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ قَرِيبًا مِنَ السَّوَاءِ»
বারা ইব্ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রুকূ, রুকূ থেকে মাথা ওঠানো এবং সিজদা ও সিজদার মাঝে বসার সময় প্রায় এক সমান হত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
এ দাঁড়ানো অবস্থায় যা বলতেন
১০৬৬
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَالَ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ»، قَالَ: «اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ، وَمِلْءَ الْأَرْضِ، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতেন, তখন তিনি বলতেন, (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৬৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مِينَاسٍ الْعَدَنِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَرَادَ السُّجُودَ بَعْدَ الرَّكْعَةِ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূর পর যখন সিজদা করতে ইচ্ছা করতেন তখন বলেতেন (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৬৮
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ هِشَامٍ أَبُو أُمَيَّةَ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَخْلَدٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَزَعَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ حِينَ يَقُولُ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ»: «رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ خَيْرُ، مَا قَالَ الْعَبْدُ وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ، لَا مَانِعَ لَمَا أَعْطَيْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ»
আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতেন, তখন বলেতেন- (আরবী)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৬৯
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَبْسٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَسَمِعَهُ حِينَ كَبَّرَ قَالَ: «اللَّهُ أَكْبَرُ ذَا الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ»، وَكَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ»، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ: «لِرَبِّيَ الْحَمْدُ، لِرَبِّيَ الْحَمْدُ»، وَفِي سُجُودِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى»، وَبَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ: «رَبِّي اغْفِرْ لِي، رَبِّي اغْفِرْ لِي»، وَكَانَ قِيَامُهُ وَرُكُوعُهُ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَسُجُودُهُ وَمَا بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ قَرِيبًا مِنَ السَّوَاءِ
হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একরাতে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেন। তিনি যখন তাকবীর বললেন, তখন তাঁকে বলতে শুনলেন (আরবী)। আর তিনি রুকূতে বলতেন (আরবী)। আর যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখন বলতেন, (আরবী)। আর তিনি সিজদায় গিয়ে বলতেন, (আরবী)। আর দু’ সিজদার মধ্যে বলতেন, (আরবী)। আর তাঁর কিয়াম আর রুকূ। রুকূ থেকে যখন মাথা উঠাতেন সে সময়, আর তাঁর সিজদা আর দু’ সিজদার মধ্যবর্তী সময় প্রায় সমান সমান হতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রুকূর পর কুনুত
১০৭০
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ يَدْعُو عَلَى رِعْلٍ وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ»
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একমাস পর্যন্ত রুকূ করার পর কুনূত পাঠ করেছেন, যাতে তিনি বদদোয়া করেছেন রিল যাকওয়ান এবং উসাইয়্যা গোত্রের প্রতি যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ফজরের সালাতে কুনূত
১০৭১
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ ابْنِ سِيرِينَ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ سُئِلَ: «هَلْ قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ؟» قَالَ: نَعَمْ، فَقِيلَ لَهُ: قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَهُ؟ قَالَ: بَعْدَ الرُّكُوعِ
ইব্ন সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস ইব্ন মালিককে প্রশ্ন করা হলো, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি ফজরের সালাতে কুনূত পাঠ করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তাঁকে বলা হলো, তা কি রুকূর পূর্বে না পরে? তিনি বললেন, রুকূর পর।
[১] ইসলাম ও মুসলমানদের বিপদের সময় এ দোয়া সকল সালাতে পড়ার বিধান রয়েছে। বিরে মাউনার মর্মান্তিক শোকাবহ দুর্ঘটনার পর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এক মাস যাবত সকল সালাতে রুকূর পর এ দোয়া পড়েছিলেন
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৭২
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ: حَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الصُّبْحِ فَلَمَّا قَالَ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ قَامَ هُنَيْهَةً»
ইব্ন সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যাঁরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করেছেন তাদের কেউ আমার কাছে রেওয়ায়েত করেছেন যে, যখন তিনি দ্বিতীয় রাকাআতে (আরবী) বললেন, তখন কিছুক্ষন দাঁড়ালেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৭৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَفِظْنَاهُ مِنَ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمَّا رَفَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ، قَالَ: «اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ بِمَكَّةَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের সালাতের দ্বিতীয় রাকাআতে মাথা উঠালেন। তখন বললেন, ইয়া আল্লাহ! ওলীদ ইব্ন ওলীদ এবং সালামা ইব্ন হিশাম, আইয়াশ ইব্ন আবু রাবী‘আ এবং মক্কার দূর্বল মুসলমানদেরকে নাজাত দাও। আর তুমি মুদার গোত্রের উপর তোমার কঠিন আযাব অবতীর্ণ কর। তাদের বছরগুলোকে ইউসুফ (আঃ)-এর বছরগুলোর ন্যায় করে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৭৪
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ ابْنِ أَبِي حَمْزَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يُحَدِّثُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْعُو فِي الصَّلَاةِ حِينَ يَقُولُ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ»، ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ: «اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ، وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ كَسِنِي يُوسُفَ»، ثُمَّ يَقُولُ: «اللَّهُ أَكْبَرُ»، فَيَسْجُدُ، وَضَاحِيَةُ مُضَرَ يَوْمَئِذٍ مُخَالِفُونَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতে যখন সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন তখন দোয়া করতেন। তারপর সিজদার পূর্বে তিনি দাঁড়িয়ে বলতেন, ইয়া আল্লাহ! ওলীদ ইব্ন ওলীদ, সালামা ইব্ন হিশাম, আইয়াশ ইব্ন আবু রবী‘আ এবং অসহায় মু’মিনদের নাজাত দাও। ইয়া আল্লাহ! মুদার গোত্রের উপর তোমার শাস্তি কঠিন কর। আর তাদের বছরগুলোকে তাদের জন্য ইউসুফ (আঃ)-এর বছরগুলোর ন্যায় করে দাও। তারপর তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ বলে সিজদা করতেন। আর মুদার গোত্রের উপজাতীয়রা তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিরোধী ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জোহরের সালাতে কুনূত
১০৭৫
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سَلْمٍ الْبَلْخِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَأُقَرِّبَنَّ لَكُمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ ” يَقْنُتُ فِي الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ مِنْ صَلَاةِ الظُّهْرِ، وَصَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ، وَصَلَاةِ الصُّبْحِ، بَعْدَ مَا يَقُولُ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَيَدْعُو لِلْمُؤْمِنِينَ وَيَلْعَنُ الْكَفَرَةَ “
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতকে নিকটবর্তী করে দেব।১ রাবী বলেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) কুনূত পাঠ করতেন জোহর, ইশা এবং ফজরের সালাতের শেষ রাকাআতে ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলার পর। তিনি মুমিনদের জন্য দোয়া করতেন এবং কাফিরদের অভিসম্পাত করতেন।
[১] এর দ্বারা কার্যমুলক বর্ণনার সাহায্যে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতকে সাহাবীগণের উপলব্ধির নিইকটবর্তী করে দেওয়া বুঝানো হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মাগরিবের সালাতে কুনূত
১০৭৬
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، وَشُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، ح وأَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، وَسُفْيَانَ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْنُتُ فِي الصُّبْحِ وَالْمَغْرِبِ»، وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
বারা ইব্ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুনূত পাঠ করতেন ফজর এবং মাগরিবের সালাতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কুনূতে অভিসম্পাত করা
১০৭৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَهِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَنَتَ شَهْرًا ـ قَالَ شُعْبَةُ: لَعَنَ رِجَالًا، وَقَالَ هِشَامٌ: يَدْعُو عَلَى أَحْيَاءٍ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ، ثُمَّ تَرَكَهُ بَعْدَ الرُّكُوعِ، هَذَا قَوْلُ هِشَامٍ ـ وَقَالَ شُعْبَةُ: عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَنَتَ شَهْرًا يَلْعَنُ رِعْلًا، وَذَكْوَانَ، وَلِحْيَانَ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একমাস পর্যন্ত কুনূত পাঠ করেন। এতে তিনি কয়েকজন লোক কিংবা আরবের কতিপয় গোত্রকে অভিসম্পাত করেন। আর তিনি এ কুনূত রুকূর পর পাঠ করেন। এরপর তা ত্যাগ করেন। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এক মাস যাবত কুনূত পাঠ করেন যাতে তিনি রিল, যাকওয়ান ও লিহয়ান গোত্রের উপর অভিসম্পাত করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কুনূতে মুনাফিকদের উপর অভিসম্পাত
১০৭৮
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ مِنَ الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ قَالَ: «اللَّهُمَّ الْعَنْ فُلَانًا وَفُلَانًا» يَدْعُو عَلَى أُنَاسٍ مِنَ الْمُنَافِقِينَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ} [آل عمران: 128]
আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ফজরের সালাতে শেষ রাকাআতের রুকূ থেকে মাথা ওঠালেন তখন তিনি তাঁকে ইয়া আল্লাহ! অমুক অমুক ব্যক্তির উপর অভিসম্পাত কর বলে কতিপয় মুনাফিকের উপর বদদোয়া করতে শুনেছেন। এসময় আল্লাহ, তা‘আলা নাযিল করেন (আরবী) “তিনি তাদের ওপর ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদের শাস্তি দেবেন- এই বিষয়ে তোমার করণীয় কিছুই নেই; কারন তারা জালিম” (৩: ১২৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কুনূত পাঠ না করা
১০৭৯
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَنَتَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى حَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ ثُمَّ تَرَكَهُ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুনূত পড়েছেন একমাস, যাতে তিনি আরবের গোত্রসমূহ থেকে কোন গোত্রের উপর বদদোয়া করছিলেন। এরপর তা পরিত্যাগ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০৮০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ خَلَفٍ وَهُوَ ابْنُ خَلِيفَةَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَقْنُتْ، وَصَلَّيْتُ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ فَلَمْ يَقْنُتْ، وَصَلَّيْتُ خَلْفَ عُمَرَ فَلَمْ يَقْنُتْ، وَصَلَّيْتُ خَلْفَ عُثْمَانَ فَلَمْ يَقْنُتْ، وَصَلَّيْتُ خَلْفَ عَلِيٍّ فَلَمْ يَقْنُتْ»، ثُمَّ قَالَ: يَا بُنَيَّ إِنَّهَا بِدْعَةٌ
মালিক ইব্ন আশজায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি। তিনি কুনূত পড়েন নি। আর আবু বকর (রাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি, তিনিও কুনূত পড়েন নি। আর উমর (রা)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি। তিনিও কুনূত পড়েন নি। উসমান (রা)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি, তিনিও কুনূত পড়েন নি। আর আলী (রা)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি, তিনিও কুনূত পড়েন নি।২ তারপর বললেন, হে বৎস! এটা বিদ‘আত (নতুন আবিস্কৃত)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস