পরিচ্ছেদ
জানাযা তাড়াতাড়ি পড়া
১৯০৮
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِهْرَانَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” إِذَا وُضِعَ الرَّجُلُ الصَّالِحُ عَلَى سَرِيرِهِ، قَالَ: قَدِّمُونِي قَدِّمُونِي، وَإِذَا وُضِعَ الرَّجُلُ ـ يَعْنِي السُّوءَ ـ عَلَى سَرِيرِهِ، قَالَ: يَا وَيْلِي أَيْنَ تَذْهَبُونَ بِي “
আবদূর রহমান ইব্ন মিহরান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি যে, যখন কোন নেককার ব্যক্তিকে খাটিয়ায় রাখা হয়, সে বলে, “আমাকে শীঘ্র পাঠাও, আমাকে শীঘ্র পাঠাও” আর যখন কোন বদকার ব্যক্তিকে খাটিয়ায় রাখা হয় তখন সে বলে, “হায়! তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯০৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِذَا وُضِعَتِ الْجَنَازَةُ فَاحْتَمَلَهَا الرِّجَالُ عَلَى أَعْنَاقِهِمْ، فَإِنْ كَانَتْ صَالِحَةً قَالَتْ: قَدِّمُونِي قَدِّمُونِي، وَإِنْ كَانَتْ غَيْرَ صَالِحَةٍ، قَالَتْ: يَا وَيْلَهَا إِلَى أَيْنَ تَذْهَبُونَ بِهَا، يَسْمَعُ صَوْتَهَا كُلُّ شَيْءٍ إِلَّا الْإِنْسَانَ، وَلَوْ سَمِعَهَا الْإِنْسَانُ لَصَعِقَ “
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) -কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন কোন মৃত ব্যক্তিকে খাটিয়ায় রাখা হয় আর লোকজন তাকে কাঁধে বহন করে, যদি সে নেককার হয়, তবে সে বলতে থাকে, “আমাকে শীঘ্র পাঠাও, আমাকে শীঘ্র পাঠাও” আর যদি বদকার হয় তবে বলতে থাকে, “হায়! তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?” তার আওয়াজ মানুষ ব্যতীত অন্য সবাই শুনতে পায়। যদি মানুষ তা শুনতে পেত তবে অবশ্যই বেহুঁশ হয়ে পড়ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯১০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ، فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ تُقَدِّمُونَهَا إِلَيْهِ، وَإِنْ تَكُ غَيْرَ ذَلِكَ فَشَرٌّ تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা জানাযা তাড়তাড়ি পড়ে নেবে। যদি সে নেককার হয় তবে তা তার জন্য কল্যাণকর। তোমরা তাকে তাড়াতাড়ি তার কল্যাণের দিকে পাঠিয়ে দাও। আর যদি বদকার হয় তবে একজন বদকারকে স্বীয় স্কন্ধ থেকে নামিয়ে রাখ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯১১
خْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ فَإِنْ كَانَتْ صَالِحَةً قَدَّمْتُمُوهَا إِلَى الْخَيْرِ، وَإِنْ كَانَتْ غَيْرَ ذَلِكَ كَانَتْ شَرًّا تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি, তোমরা জানাযা তাড়তাড়ি পড়ে ফেলবে। যদি সে নেককার হয় তবে তোমরা তাকে স্বীয় কল্যাণের দিকে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দিলে আর যদি বদকার হয় তবে একজন বদকারকে স্বীয় স্কন্ধ থেকে নামিয়ে রাখবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯১২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عُيَيْنَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يُونُسَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: شَهِدْتُ جَنَازَةَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ وَخَرَجَ زِيَادٌ يَمْشِي بَيْنَ يَدَيِ السَّرِيرِ، فَجَعَلَ رِجَالٌ مِنْ أَهْلِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَمَوَالِيهِمْ يَسْتَقْبِلُونَ السَّرِيرَ وَيَمْشُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ، وَيَقُولُونَ: رُوَيْدًا رُوَيْدًا بَارَكَ اللَّهُ فِيكُمْ، فَكَانُوا يَدِبُّونَ دَبِيبًا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِبَعْضِ طَرِيقِ الْمِرْبَدِ لَحِقَنَا أَبُو بَكْرَةَ عَلَى بَغْلَةٍ، فَلَمَّا رَأَى الَّذِي يَصْنَعُونَ حَمَلَ عَلَيْهِمْ بِبَغْلَتِهِ، وَأَهْوَى إِلَيْهِمْ بِالسَّوْطِ، وَقَالَ: خَلُّوا، فَوَالَّذِي أَكْرَمَ وَجْهَ أَبِي الْقَاسِمِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ «رَأَيْتُنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّا لَنَكَادُ نَرْمُلُ بِهَا رَمَلًا»، فَانْبَسَطَ الْقَوْمُ
আব্দুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আব্দুর রহমান ইব্ন সামুরা (রাঃ)-এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। যিয়াদ (রাঃ) খাটিয়ার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন আব্দুর রহমান (রাঃ)-এর কিছু পরিবার-পরিজনের লোক এবং গোলামগণ জানাযার খাটিয়া কে সম্মুখে রেখে হেঁটে যাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, “তোমরা ধীরে ধীরে চলো, আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের বরকত দিন।‘ তারা ধীরে ধীরে চলছিল। যখন আমরা মিরবাদ নামক জায়গায় রাস্তায় পৌছলাম আবূ বাকরা (রাঃ) খচ্চরের উপর আরোহনাবস্থায় আমাদের সাথে মিলিত হলেন, তাদের কার্যকলাপ দেখে খচ্চরে আরোহনাবস্থায় তাদের দিকে ধাবিত হলেন এবং তাদের দিকে চাবুক নিয়ে ঝুঁকলেন এবং বললেন, তোমরা এই সমস্ত ছাড়, ওই সত্তার শপথ! যিনি আবূল কাশেম (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্মানিত করেছেন, আমার স্মরণ আছে, আমি একদা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। আমরা জানাযা নিয়ে খুব দ্রুত যাচ্ছিলাম। একথা শুনে লোকজন খুশি হয়ে গেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯১৩
خْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، عَنْ إِسْمَعِيلَ، وَهُشَيْمٌ، عَنْ عُيَيْنَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّا لَنَكَادُ نَرْمُلُ بِهَا رَمَلًا» وَاللَّفْظُ حَدِيثُ هُشَيْمٍ “
আবূ বাক্রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার স্মরণ আছে, আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম, আমরা জানাযা নিয়ে খুব দ্রুত যাচ্ছিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯১৪
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ دُرُسْتَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْمَعِيلَ، عَنْ يَحْيَى، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا مَرَّتْ بِكُمْ جَنَازَةٌ فَقُومُوا، فَمَنْ تَبِعَهَا فَلَا يَقْعُدْ حَتَّى تُوضَعَ»
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমার কাছ দিয়ে কোন জানাযা নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তোমরা দাঁড়িয়ে যাবে। আর যারা জানাযার সাথে যাবে তারা জানাযা রাখার পূর্বে বসবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযার জন্য দাঁড়াবার আদেশ
১৯১৫
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا رَأَى أَحَدُكُمُ الْجَنَازَةَ فَلَمْ يَكُنْ مَاشِيًا مَعَهَا، فَلْيَقُمْ حَتَّى تُخَلِّفَهُ أَوْ تُوضَعَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تُخَلِّفَهُ»
আমির ইব্ন রাবী’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন জানাযা দেখে তখন যদি সে তাদের সাথে না যায় তবে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, যতহ্মণ না সে জানাযার পিছনে পড়ে কিংবা পিছনে পড়ার পূর্বে জানাযা রাখা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯১৬
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ الْعَدَوِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ فَقُومُوا حَتَّى تُخَلِّفَكُمْ أَوْ تُوضَعَ»
আমির ইব্ন রাবী’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ তোমরা যখন জানাযা দেখবে তখন তোমরা তার পিছনে না পড়া পর্যন্ত কিংবা তা না রাখা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯১৭
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ هِشَامٍ، ح وأَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ فَقُومُوا، فَمَنْ تَبِعَهَا فَلَا يَقْعُدْ حَتَّى تُوضَعَ»
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা জানাযা দেখবে, দাঁড়িয়ে যাবে। আর যে তার অনুগমন করবে সে যেন তা রাখার পূর্বে না বসে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯১৮
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي سَعِيدٍ، قَالَا: «مَا رَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهِدَ جَنَازَةً قَطُّ فَجَلَسَ حَتَّى تُوضَعَ»
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে কোন জানাযায় উপস্থিত হয়ে কখনো তা রাখার পূর্বে বসতে দেখিনি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯১৯
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا، عَنْ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: قَالَ أَبُو سَعِيدٍ، ح وأَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، قَالَ: سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرُّوا عَلَيْهِ بِجَنَازَةٍ فَقَامَ» وَقَالَ عَمْرٌو: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتْ بِهِ جَنَازَةٌ فَقَامَ»
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছ দিয়ে লোকজন জানাযা নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন, আর আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট দিয়ে জানাযা নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২০
أَخْبَرَنِي أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَزَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عَمِّهِ يَزِيدَ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّهُمْ «كَانُوا جُلُوسًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَلَعَتْ جَنَازَةٌ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَامَ مَنْ مَعَهُ فَلَمْ يَزَالُوا قِيَامًا حَتَّى نَفَذَتْ»
ইয়াযীদ ইব্ন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে উপবিষ্ট ছিলেন, এমন সময় একটি জানাযা দেখা দিল তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে গেলেন আর তাঁর সাথে যারা ছিলেন তারাও দাঁড়িয়ে গেলেন। ঐ জানাযা চলে না যাওয়া পর্যন্ত তারা দাঁড়িয়ে রইলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মুশরিকদের মৃত দেহের জন্য দাঁড়ানো
১৯২১
خْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: كَانَ سَهْلُ ابْنُ حُنَيْفٍ، وَقَيْسُ بْنُ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ بِالْقَادِسِيَّةِ، فَمُرَّ عَلَيْهِمَا بِجَنَازَةٍ، فَقَامَا، فَقِيلَ لَهُمَا: إِنَّهَا مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ، فَقَالَا: مُرَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَنَازَةٍ فَقَامَ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ يَهُودِيٌّ، فَقَالَ: «أَلَيْسَتْ نَفْسًا؟»
ইসমাঈল ইব্ন মাসঊদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সহল ইব্ন হুনায়ফ ও কায়স ইব্ন সা’দ ইব্ন উবাদাহ্ (রাঃ) কাদিসিয়ায় ছিলেন। তাঁদের নিকট দিয়ে একটি জানাযা যাওয়ার সময় তাঁরা দাঁড়িয়ে গেলেন, এখন তাঁদেরকে বলা হলো, “এতো যিম্মীর (আশ্রিত বিধর্মী) লাশ” , তখন তারা বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছ দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দাঁড়িয়ে গেলে তাঁকে বলা হল, “সে তো ইয়াহুদী”, তিনি বললেন, সে কি মানুষ নয়?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২২
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ هِشَامٍ، ح وأَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: مَرَّتْ بِنَا جَنَازَةٌ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقُمْنَا مَعَهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا هِيَ جَنَازَةُ يَهُودِيَّةٍ، فَقَالَ: «إِنَّ لِلْمَوْتِ فَزَعًا، فَإِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ، فَقُومُوا» اللَّفْظُ لِخَالِدٍ “
জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কাছ দিয়ে একটি জানাযা যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন আমি বললাম, “ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! এতো এক ইয়াহুদী মহিলার জানাযা”। তিনি বললেন, “ প্রত্যেক মৃত্যুতেই ভীতি আছে। অতএব যখন তোমরা জানাযা দেখবে তখন দাঁড়িয়ে যাবে”।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
না দাঁড়ানোর অনুমতি
১৯২৩
خْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ عَلِيٍّ فَمَرَّتْ بِهِ جَنَازَةٌ فَقَامُوا لَهَا، فَقَالَ عَلِيٌّ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: أَمْرُ أَبِي مُوسَى، فَقَالَ: «إِنَّمَا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجَنَازَةِ يَهُودِيَّةٍ وَلَمْ يَعُدْ بَعْدَ ذَلِكَ»
আবূ মা’মার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা একদা আলী (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছ দিয়ে একটি জানাযা গেলে তাঁরা (আলী (রাঃ) এর কাছে উপবিষ্ট লোকজন) দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন আলী (রাঃ) বললেন, “এ কি?” তাঁরা বললেন, আবূ মুসা (রাঃ) এর নির্দেশ। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ইয়াহুদী মহিলার জানাযার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর আর তা করেন নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২৪
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، أَنَّ جَنَازَةً مَرَّتْ بِالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَامَ الْحَسَنُ وَلَمْ يَقُمْ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَقَالَ الْحَسَنُ: «أَلَيْسَ قَدْ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجَنَازَةِ يَهُودِيٍّ؟» قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: نَعَمْ، ثُمَّ جَلَسَ
মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাসান ইব্ন আলী এবং ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট দিয়ে একটি জানাযা গেলে হাসান (রাঃ) দাঁড়িয়ে গেলেন কিন্তু ইব্ন আব্বাস (রাঃ) দাঁড়ালেন না। তখন হাসান (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি ইয়াহুদীর জানাযার জন্য দাঁড়ান নি? ইব্ন আব্বাস বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি দাঁড়ান নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২৫
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَنْصُورٌ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ: مُرَّ بِجَنَازَةٍ عَلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَامَ الْحَسَنُ، وَلَمْ يَقُمِ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَقَالَ الْحَسَنُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: «أَمَا قَامَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟» قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «قَامَ لَهَا ثُمَّ قَعَدَ»
ইব্ন সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাসান ইব্ন আলী এবং ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন হাসান (রাঃ) দাঁড়িয়ে গেলেন কিন্তু ইব্ন আব্বাস (রাঃ) দাঁড়ালেন না। তখন হাসান (রাঃ) ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি এর জন্য দাঁড়ান নি? ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বললেন, এর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন কিন্তু পরে তিনি বসে পড়েন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২৬
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، مَرَّتْ بِهِمَا جَنَازَةٌ فَقَامَ أَحَدُهُمَا، وَقَعَدَ الْآخَرُ، فَقَالَ الَّذِي قَامَ: «أَمَا وَاللَّهِ، لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَامَ»، قَالَ لَهُ الَّذِي جَلَسَ: «لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَلَسَ»
আবূ মিজলায (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁদের নিকট দিয়ে একটি জানাযা যাওয়ার সময় তাঁদের একজন দাঁড়ালেন অন্যজন বসে রইলেন। তখন যিনি দাঁড়িয়েছিলেন তিনি বললেন, তুমি তো নিশ্চয় জানো যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে দাঁড়িয়েছিলেন? যিনি বসেছিলেন তিনি বললেন, আমি জানি যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা ছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২৭
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَارُونَ الْبَلْخِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ كَانَ جَالِسًا فَمُرَّ عَلَيْهِ بِجَنَازَةٍ، فَقَامَ النَّاسُ حَتَّى جَاوَزَتِ الْجَنَازَةُ، فَقَالَ الْحَسَنُ: «إِنَّمَا مُرَّ بِجَنَازَةِ يَهُودِيٍّ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى طَرِيقِهَا جَالِسًا، فَكَرِهَ أَنْ تَعْلُوَ رَأْسَهُ جَنَازَةُ يَهُودِيٍّ، فَقَامَ»
জাফরের পিতা মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, হাসান ইব্ন আলী (রাঃ) বসা ছিলেন, তখন তাঁর কাছ দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই জানাযা চলে না যাওয়া পর্যন্ত লোকজন দন্ডায়মান ছিল। তখন হাসান (রাঃ) বললেন, একজন ইয়াহুদীর জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তথায় উপবিষ্ট ছিলেন। ইয়াহুদীর জানাযা তাঁর মাথার উপর দিয়ে যাবে তা তিনি অপছন্দ করার কারণে দাঁড়িয়েছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯২৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا يَقُولُ: «قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجَنَازَةِ يَهُودِيٍّ مَرَّتْ بِهِ حَتَّى تَوَارَتْ»
وأَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَيْضًا، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ: «قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ لِجَنَازَةِ يَهُودِيٍّ حَتَّى تَوَارَتْ»
আবূ যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়ে এক ইয়াহুদীর জানাযা যাচ্ছিল তখন তিনি তা অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আবূ যুবাইর (রহঃ) ….. আমাদেরকে সংবাদ এ দিয়েছেন যে, তিনি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগন এক ইয়াহুদীর জানাযার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন তা অদৃশ্য হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
১৯২৯
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا النَّضْرُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ جَنَازَةً مَرَّتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ، فَقِيلَ: إِنَّهَا جَنَازَةُ يَهُودِيٍّ، فَقَالَ: «إِنَّمَا قُمْنَا لِلْمَلَائِكَةِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছ দিয়ে একটি জানাযা যাওয়ার সময় তিনি দাঁড়িয়ে গেলে তাঁকে বলা হল যে, এটাতো এক ইয়াহুদীর জানাযা। তিনি বললেন, আমরা তো ফেরেশতাদের সম্মানার্থে দাঁড়িয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত্যুতে মুমিনের নিষ্কৃতি প্রাপ্তি
১৯৩০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرَّ عَلَيْهِ بِجَنَازَةٍ فَقَالَ: «مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ»، فَقَالُوا: مَا الْمُسْتَرِيحُ وَمَا الْمُسْتَرَاحُ مِنْهُ؟ قَالَ: «الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا وَأَذَاهَا، وَالْعَبْدُ الْفَاجِرُ يَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلَادُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ»
আবূ কাতাদা ইব্ন রিবয়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বললেন, হয়তো বা এ ব্যক্তি নিষ্কৃতি পাচ্ছে বা তার থেকে লোকজন নিষ্কৃতি পাচ্ছে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন যে, কেই বা নিজে নিষ্কৃতি পায় আর কার থেকেই বা লোকজন নিষ্কৃতি পায়? তিনি বললেন, যে মুমিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে এখন সে দুনিয়ার দুঃখ কষ্ট থেকে নিষ্কৃতি পায় আর গুনাহগারের মৃত্যু হলে তার মৃত্যুতে অন্যান্য লোকজন, জনপদ, বৃক্ষরাজি এবং প্রাণীকুল তার থেকে নিষ্কৃতি পায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কাফির থেকে নিষ্কৃতি
১৯৩১
خْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَهْبِ بْنِ أَبِي كَرِيمَةَ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَهُوَ الْحَرَّانِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنِي زَيْدٌ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ طَلَعَتْ جَنَازَةٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ، الْمُؤْمِنُ يَمُوتُ فَيَسْتَرِيحُ مِنْ أَوْصَابِ الدُّنْيَا وَنَصَبِهَا وَأَذَاهَا، وَالْفَاجِرُ يَمُوتُ فَيَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلَادُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ»
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বসা ছিলাম। এমতাবস্থায় একটি জানাযা দেখা গেল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হয়তো বা সে নিষ্কৃতি পাচ্ছে বা তার থেকে মুমিনগণ নিষ্কৃতি পাচ্ছে। মুমিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে তখন সে তার দুঃখ কষ্ট ও বালা-মুসীবত থেকে নিষ্কৃতি পায় আর গুনাহগার মৃত্যুবরন করলে তাঁর থেকে অন্যান্য লোকজন, জনপদ, বৃক্ষরাজি এবং প্রাণীকুল নিষ্কৃতি পায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তির প্রশংসা করা
১৯৩২
أَخْبَرَنِي زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: مُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا خَيْرًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَجَبَتْ»، وَمُرَّ بِجَنَازَةٍ أُخْرَى فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا شَرًّا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَجَبَتْ»، فَقَالَ عُمَرُ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي، مُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا خَيْرًا، فَقُلْتَ: وَجَبَتْ، وَمُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا شَرًّا، فَقُلْتَ: وَجَبَتْ، فَقَالَ: «مَنْ أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ، وَمَنْ أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرًّا وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ، أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الْأَرْضِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একটি জানাযা যেতে লাগলে তার উত্তম প্রশংসা করা হল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তার জন্য জান্নাত নির্ধারিত হয়ে গেল। আর একটি জানাযা যাচ্ছিল, যার পাপের আলোচনা করা হচ্ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তার জন্য দোযখ সাব্যস্ত হয়ে গেল। তখন উমর (রাঃ) বললেন, আপনার উপর আমার মাতা-পিতা উৎসর্গীত হোক; একটি জানাযা যাচ্ছিল যার ভাল প্রশংসা করা হল, আর আপনি বললেন যে, তার জন্য জান্নাত সাব্যস্ত হয়ে গেল। অন্য আর একটি জানাযা যাচ্ছিল যার পাপের আলোচনা করা হচ্ছিল আর আপনি বললেন যে, তার জন্য দোযখ সাব্যস্ত হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা যার ভাল প্রশংসা কর তাঁর জন্য জান্নাত সাব্যস্ত হয়ে যায় আর তোমরা যার পাপের আলোচনা কর তার জন্য দোযখ সাব্যস্ত হয়ে যায়। কারন তোমরা জমীনে আল্লাহ্র সাক্ষী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ عَامِرٍ، وَجَدَّهُ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَامِرَ بْنَ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَرُّوا بِجَنَازَةٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا خَيْرًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَجَبَتْ»، ثُمَّ مَرُّوا بِجَنَازَةٍ أُخْرَى فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا شَرًّا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَجَبَتْ»، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَوْلُكَ الْأُولَى وَالْأُخْرَى وَجَبَتْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَلَائِكَةُ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي السَّمَاءِ، وَأَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الْأَرْضِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকজন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একটি জানাযা নিয়ে যাচ্ছিল এবং তাঁর ভাল প্রশংসা করছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাঁর জন্য জান্নাত সাব্যস্ত হয়ে গেল। অতঃপর অন্য একটি জানাযা নিয়ে যাচ্ছিল যার পাপের আলোচনা করছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তার জন্য দোযখ সাব্যস্ত হয়ে গেল। তারা বললো, প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যক্তির ব্যাপারে আপনার একই মন্তব্য “সাব্যস্ত হয়ে গেল?” নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ফেরেশতাগন আসমানে আল্লাহ্ তা’আলার সাক্ষী আর তোমরা যমীনে আল্লাহ্ তা’আলার সাক্ষী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৪
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي الْفُرَاتِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ الدِّيْلِيِّ، قَالَ: أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَجَلَسْتُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَمُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَى صَاحِبِهَا خَيْرًا، فَقَالَ عُمَرُ: وَجَبَتْ، ثُمَّ مُرَّ بِأُخْرَى فَأُثْنِيَ عَلَى صَاحِبِهَا خَيْرًا، فَقَالَ عُمَرُ: وَجَبَتْ، ثُمَّ مُرَّ بِالثَّالِثِ فَأُثْنِيَ عَلَى صَاحِبِهَا شَرًّا فَقَالَ عُمَرُ: وَجَبَتْ، فَقُلْتُ وَمَا وَجَبَتْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: قُلْتُ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا مُسْلِمٍ شَهِدَ لَهُ أَرْبَعَةٌ قَالُوا خَيْرًا أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ»، قُلْنَا: أَوْ ثَلَاثَةٌ؟ قَالَ: «أَوْ ثَلَاثَةٌ»، قُلْنَا: أَوِ اثْنَانِ، قَالَ: «أَوِ اثْنَانِ»
আবূল আসওয়াদ দোয়ালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার মদীনা শরীফে এসে উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ)-এর পাশে বসেছিলাম। এমন সময়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্চিল আর তার সাথীরা তার সম্পর্কে ভাল প্রশংসা করছিল। তখন উমর (রাঃ) বললেন যে, তার জন্য (জান্নাত) সাব্যস্ত হয়ে গেল। তৃতীয়বার আরো একটি জানাযা নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল আর তার সম্পর্কে তার সাথীরা মন্দ আলোচনা করছিল। তখন উমর (রাঃ) বললেন যে, তার জন্য (দোযখ) সাব্যস্ত হয়ে গেল। আমি বললাম, কি সাব্যস্ত হয়ে গেছে ইয়া আমীরাল মু’মিনীন? তিনি বললেন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে রকম বলেছেন, আমি সে রকমই বলেছি যে, যে কোন মুসলমান সম্পর্কে চারজন মানুষ ভাল বলে সাক্ষ্য দেয়, আল্লাহ্ তা’আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমরা বললাম, যদি তিনজন সাক্ষ্য দেয়? তিনি বললেন, তিনজন মানুষ সাক্ষ্য দিলেও। আমরা বললাম, যদি দুইজন মানুষ সাক্ষ্য দেয়? তিনি বললেন, দুইজন মানুষ সাক্ষ্য দিলেও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভাল ব্যতীত মন্তব্য না করা
১৯৩৫
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَالِكٌ بِسُوءٍ فَقَالَ: «لَا تَذْكُرُوا هَلْكَاكُمْ إِلَّا بِخَيْرٍ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে এক মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মন্দ মন্তব্য করা হলে তিনি বললেন, তোমরা মৃত ব্যক্তিদের সম্পর্কে ভাল মন্তব্য ছাড়া মন্তব্য করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তিদের মন্দ বলার নিষেধাজ্ঞা
১৯৩৬
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ بِشْرٍ وَهُوَ ابْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَسُبُّوا الْأَمْوَاتَ فَإِنَّهُمْ قَدْ أَفْضَوْا إِلَى مَا قَدَّمُوا»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা (মুসলমান) মৃত ব্যক্তিদের মন্দ বলবে না। কেননা তারা স্বীয় কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلَاثَةٌ: أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ، فَيَرْجِعُ اثْنَانِ أَهْلُهُ وَمَالُهُ، وَيَبْقَى وَاحِدٌ عَمَلُهُ “
আব্দুল্লাহ ইব্ন আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি জন্তু মৃত ব্যক্তির পিছু পিছু যায়। তার পরিবার-পরিজন, তার ধন-সম্পত্তি এবং তার কৃতকর্ম। অতঃপর দুইটি বস্তু ফিরে আসে তার পরিবার-পরিজন এবং তার ধন-সম্পত্তি আর অন্য বস্তুটি তার সাথেই থেকে যায় আর তা হল তার কৃতকর্ম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩৮
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لِلْمُؤْمِنِ عَلَى الْمُؤْمِنِ سِتُّ خِصَالٍ: يَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ، وَيَشْهَدُهُ إِذَا مَاتَ، وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ، وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ، وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ، وَيَنْصَحُ لَهُ إِذَا غَابَ أَوْ شَهِدَ “
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির উপর অন্য মুমিন ভাইয়ের ছয়টি অধিকার রয়েছেঃ (১) যখন অসুস্থ হবে তার সেবা শুশ্রষা করবে; (২) তার জানাযায় উপস্থিত হবে যখন সে মারা যাবে; (৩) তার আতিথ্য গ্রহন করবে যখন সে দাওয়াত করবে; (৪) যখন তার সাথে সাক্ষাৎ হবে তাকে সালাম করবে; (৫) যখন সে হাঁচি দেবে তখন তার উত্তরে (আরবী) বলবে; (৬) তার কল্যাণ কামনা করবে সে অনুপস্থিত থাকুক বা উপস্থিত থাকুক।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযার পিছু পিছু যাওয়ার নির্দেশ
১৯৩৯
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مَنْصُورٍ الْبَلْخِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، ح وَأَنْبَأَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ فِي حَدِيثِهِ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سُوَيْدٍ ـ قَالَ هَنَّادٌ ـ: قَالَ الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ: ـ وَقَالَ سُلَيْمَانُ ـ: عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: ” أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَبْعٍ، وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ: أَمَرَنَا بِعِيَادَةِ الْمَرِيضِ، وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ، وَإِبْرَارِ الْقَسَمِ، وَنُصْرَةِ الْمَظْلُومِ، وَإِفْشَاءِ السَّلَامِ، وَإِجَابَةِ الدَّاعِي، وَاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ، وَنَهَانَا عَنْ خَوَاتِيمِ الذَّهَبِ، وَعَنْ آنِيَةِ الْفِضَّةِ، وَعَنِ الْمَيَاثِرِ، وَالْقَسِّيَّةِ، وَالْإِسْتَبْرَقِ، وَالْحَرِيرِ، وَالدِّيبَاجِ “
বারা ইব্ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাতটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি কাজ থেকে বারণ করেছেন, অসুস্থের হাঁচি দাতার উত্তরে (আরবী) বলার, শপথ পূরণে সহায়তার, অত্যাচারিতের সাহায্য করার, সালাম বিস্তারের, আমন্ত্রণকারীর আমন্ত্রন গ্রহণ করার এবং জানাযার পিছু পিছু গমন করার তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আর তিনি স্বর্ণের আংটি পরিধান, রৌপ্য পাত্র ব্যবহার, রেশম নির্মিত গদী ব্যবহার, কসি (এক প্রকার মিসরীয় কাপড়) নির্মিত কাপড় পরিধান, রেশমী মোটা কাপড় ব্যবহার এবং রেশম ও দীবাজ (এক প্রকার রেশমী পোষাক) ব্যবহার থেকে আমাদের নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযার অনুগমণকারীদের ফযীলত
১৯৪০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ بُرْدٍ، أَخِي يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَبِعَ جَنَازَةً حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا كَانَ لَهُ مِنَ الْأَجْرِ قِيرَاطٌ، وَمَنْ مَشَى مَعَ الْجَنَازَةِ حَتَّى تُدْفَنَ كَانَ لَهُ مِنَ الْأَجْرِ قِيرَاطَانِ، وَالْقِيرَاطُ مِثْلُ أُحُدٍ»
মুসাইয়াব ইব্ন রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বারা ইব্ন আযিব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি জানাযার সালাত আদায় করা পর্যন্ত জানাযার অনুগমন করে তার জন্য এক কীরাত সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত জানাযার অনুগামী হয় তার জন্য দুই কীরাত সওয়াব রয়েছে। এক কীরাত উহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغَفَّلِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَبِعَ جِنَازَةً حَتَّى يُفْرَغَ مِنْهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ، فَإِنْ رَجَعَ قَبْلَ أَنْ يُفْرَغَ مِنْهَا فَلَهُ قِيرَاطٌ»
আব্দুল্লাহ ইব্ন মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত জানাযার অনুগামী হয় তার জন্য দুই কীরাত সওয়াব রয়েছে। আর যদি দাফনের পূর্বেই ফিরে তবে তার জন্য রয়েছে এক কীরাত সওয়াব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযায় আরোহীর অবস্থান
১৯৪২
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ وَاصِلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَأَخُوهُ الْمُغِيرَةُ جَمِيعًا، عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الرَّاكِبُ خَلْفَ الْجَنَازَةِ، وَالْمَاشِي حَيْثُ شَاءَ مِنْهَا، وَالطِّفْلُ يُصَلَّى عَلَيْهِ»
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আরোহী জানাযার পিছনে চলবে। পদব্রজে চলাকারী জানাযার যেখান দিয়া ইচ্ছা সেখান দিয়ে চলতে পারে। নবজাত শিশুর (ক্রন্দন করার পর মারা গেলে) জানাযা আদায় করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযার পদব্রজে চলাকারী ব্যক্তির চলার স্থান
১৯৪৩
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ بَكَّارٍ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ عَمِّهِ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ حَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الرَّاكِبُ خَلْفَ الْجَنَازَةِ، وَالْمَاشِي حَيْثُ شَاءَ مِنْهَا، وَالطِّفْلُ يُصَلَّى عَلَيْهِ»
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সওয়ারী জানাযার পিছনে চলবে আর পদব্রজ চলাকারী ব্যক্তি যেথায় দিয়ে ইচ্ছা সেখান দিয়ে চলবে। আর নবজাত শিশুর (ক্রন্দন করার পর মারা গেলে) জানাযা আদায় করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪৪
خْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَقُتَيْبَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ «رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يَمْشُونَ أَمَامَ الْجَنَازَةِ»
—
[حكم الألباني] سكت عنه الشيخ
আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর এবং উমর (রাঃ)-কে জানাযার আগে আগে পায়ে হেঁটে চলতে দেখেছেন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১৯৪৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، وَمَنْصُورٌ، وَزِيَادٌ، وَبَكْرٌ هُوَ ابْنُ وَائِلٍ كُلُّهُمْ ذَكَرُوا، أَنَّهُمْ سَمِعُوا مِنَ الزُّهْرِيِّ يُحَدِّثُ، أَنَّ سَالِمًا أَخْبَرَهُ، أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ «رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَعُثْمَانَ يَمْشُونَ بَيْنَ يَدَيِ الْجَنَازَةِ»، بَكْرٌ وَحْدَهُ لَمْ يَذْكُرْ عُثْمَانَ، قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا خَطَأٌ وَالصَّوَابُ مُرْسَلٌ»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বকর, উমর এবং উসমান (রাঃ)-কে জানাযার আগে আগে পায়ে হেঁটে চলতে দেখেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তির জানাযার সালাত আদায় করার নির্দেশ
১৯৪৬
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَعَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَخَاكُمْ قَدْ مَاتَ فَقُومُوا فَصَلُّوا عَلَيْهِ»
ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমাদের এক ভাই (নাজ্জাশী) মৃত্যুবরণ করেছে, তোমরা প্রস্তুত হও এবং তার উপর জানাযার সালাত আদায় কর।১
[১] এই হাদীস দ্বারা ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে জানাযার সালাত জায়েয কিন্তু আবূ হানিফা (রহঃ)-এর জায়েয নহে, ইহা শুধু রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্যই নির্দিষ্ট ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
শিশুদের জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৪৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَمَّتِهِ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ خَالَتِهَا أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ قَالَتْ: أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِصَبِيٍّ مِنْ صِبْيَانِ الْأَنْصَارِ، فَصَلَّى عَلَيْهِ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: طُوبَى لِهَذَا عُصْفُورٌ مِنْ عَصَافِيرِ الْجَنَّةِ، لَمْ يَعْمَلْ سُوءًا وَلَمْ يُدْرِكْهُ، قَالَ: «أَوَ غَيْرُ ذَلِكَ يَا عَائِشَةُ، خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الْجَنَّةَ وَخَلَقَ لَهَا أَهْلًا، وَخَلَقَهُمْ فِي أَصْلَابِ آبَائِهِمْ، وَخَلَقَ النَّارَ وَخَلَقَ لَهَا أَهْلًا، وَخَلَقَهُمْ فِي أَصْلَابِ آبَائِهِمْ»
উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে একটি আনসারী বালকের মৃতদেহ আনা হলে তিনি তার উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, জান্নাতের চড়ুই পাখীদের মধ্য হতে এ চড়ুই পাখীটি কতই ভাগ্যবান! সে কোন পাপ কাজ করেনি এবং পাপ তাকে স্পর্শ করেনি। তিনি বললেন, এর অন্যথাও হতে পারে হে আয়েশা (রাঃ)। আল্লাহ্ তা’আলা জান্নাত সৃষ্টি করেছেন এবং তার বাসিন্দা সৃষ্টি করেছেন। আর তাদের সৃষ্টি করেছেন স্বীয় পিতার ঔরসে এবং জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন আর তার বাসিন্দাও সৃষ্টি করেছেন। তাদের সৃষ্টি করেছেন স্বীয় পিতার ঔরসে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
শিশুদের জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৪৮
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: سَمِعْتُ زِيَادَ بْنَ جُبَيْرٍ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّهُ ذَكَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الرَّاكِبُ خَلْفَ الْجَنَازَةِ، وَالْمَاشِي حَيْثُ شَاءَ مِنْهَا، وَالطِّفْلُ يُصَلَّى عَلَيْهِ»
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আরোহীরা জানাযার পিছু পিছু চলবে আর পদব্রজে চলাকারী জানাযার যে দিক দিয়ে ইচ্ছে সে দিক দিয়ে চলবে। (ক্রন্দন করার পর মারা গেলে) নবজাতকের জানাযার সালাত আদায় করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মুশরিকদের সন্তান
১৯৪৯
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَوْلَادِ الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ: «اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুশরিকদের সন্তানদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলে বলেছিলেন, আল্লাহ্ তা’আলাই তাদের ভবিষ্যৎ কর্ম সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسٍ هُوَ ابْنُ سَعْدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ أَوْلَادِ الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ: «اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুশরিকদের সন্তানদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলে বলেছিলেন, আল্লাহ্ তা’আলাই তাদের ভবিষ্যৎ কর্ম সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَوْلَادِ الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ: «خَلَقَهُمُ اللَّهُ حِينَ خَلَقَهُمْ وَهُوَ يَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুশরিকদের সন্তানদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলে বলেছিলেন, যখন আল্লাহ্ তা’আলা তাদের সৃষ্টি করেন তখন তিনি তাদের ভবিষ্যৎ কর্ম সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫২
أَخْبَرَنِي مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَرَارِيِّ الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ: «اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুশরিকদের সন্তানদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে বলেছিলেন, আল্লাহ্ তা’আলাই তাদের ভবিষ্যৎ কর্ম সম্পর্কে অধিক পরিজ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
শহীদের জানাযার সালাত
১৯৫৩
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ، أَنَّ ابْنَ أَبِي عَمَّارٍ أَخْبَرَهُ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَعْرَابِ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَآمَنَ بِهِ وَاتَّبَعَهُ، ثُمَّ قَالَ: أُهَاجِرُ مَعَكَ، فَأَوْصَى بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضَ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَتْ غَزْوَةٌ غَنِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْيًا، فَقَسَمَ وَقَسَمَ لَهُ، فَأَعْطَى أَصْحَابَهُ مَا قَسَمَ لَهُ، وَكَانَ يَرْعَى ظَهْرَهُمْ، فَلَمَّا جَاءَ دَفَعُوهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: مَا هَذَا؟، قَالُوا: قِسْمٌ قَسَمَهُ لَكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخَذَهُ فَجَاءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالَ: «قَسَمْتُهُ لَكَ»، قَالَ: مَا عَلَى هَذَا اتَّبَعْتُكَ، وَلَكِنِّي اتَّبَعْتُكَ عَلَى أَنْ أُرْمَى إِلَى هَاهُنَا، وَأَشَارَ إِلَى حَلْقِهِ بِسَهْمٍ، فَأَمُوتَ فَأَدْخُلَ الْجَنَّةَ فَقَالَ: «إِنْ تَصْدُقِ اللَّهَ يَصْدُقْكَ»، فَلَبِثُوا قَلِيلًا ثُمَّ نَهَضُوا فِي قِتَالِ الْعَدُوِّ، فَأُتِيَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحْمَلُ قَدْ أَصَابَهُ سَهْمٌ حَيْثُ أَشَارَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَهُوَ هُوَ؟» قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: «صَدَقَ اللَّهَ فَصَدَقَهُ»، ثُمَّ كَفَّنَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جُبَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَدَّمَهُ فَصَلَّى عَلَيْهِ، فَكَانَ فِيمَا ظَهَرَ مِنْ صَلَاتِهِ: «اللَّهُمَّ هَذَا عَبْدُكَ خَرَجَ مُهَاجِرًا فِي سَبِيلِكَ فَقُتِلَ شَهِيدًا أَنَا شَهِيدٌ عَلَى ذَلِكَ»
শাদ্দাদ ইব্ন হাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একজন গ্রাম্য ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে তাঁর উপর ঈমান আনলো এবং তাঁর অনুসরণ করল। অতঃপর বললো যে, আমি আপনার সাথে হিজরতকারী অবস্থায় অবস্থান করব। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সম্পর্কে কোন সাহাবীকে ওসিয়্যত করলেন। এক যুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গনীমত স্বরূপ কিছু বন্দী হস্তগত হল। তিনি সেগুলো বণ্টন করে দিলেন এবং ঐ গ্রাম্য সাহাবীকেও দিলেন। তার অংশ একজন সাহাবীকে দিলেন। তিনি অন্যান্য সাহাবীদের উট চরাতেন। যখন তিনি আসলেন সেগুলো তাকে দেওয়া হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এগুলো কি? তারা বলেন, তোমার অংশ যা তোমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিয়েছেন। তিনি সেগুলো নিলেন এবং সেগুলো নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বললেন, এগুলো কি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এগুলো আমি তোমার জন্য বণ্টন করেছি। তখন তিনি বললেন, এ জন্য আমি আপনার অনুসরণ করিনি বরং এ জন্য আমি আপনার অনুসরণ করেছি, যেন এখানে আমি তীর গ্রহণ করতে পারি এবং সে স্বীয় গলদেশের প্রতি ইঙ্গিত করল এবং শহীদ হতে পারি ও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। তিনি বললেন, যদি তুমি আল্লাহ্ তা’আলাকে বিশ্বাস কর। তবে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার সে আশা সত্য করে দেখাবেন। অল্প কিছুক্ষণ পরেই তিনি শত্রু নিধনের জন্য দৌড়িয়ে গেলেন। অতঃপর তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে আনা হলে দেখা গেল ঠিক ঐ স্থানেই তীর বিদ্ধ ছিল যে দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ কি সেই ব্যক্তিই? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সে আল্লাহ্ তা’আলাকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছিল, আল্লাহ্ তা’আলাও তাকে সত্য সাব্যস্ত করে দেখিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে স্বীয় জুব্বা দ্বারা কাফন দিলেন এবং তাঁকে সম্মুখে রেখে তাঁর জানাযার সালাত আদায় করলেন। তাঁর জানাযা সালাতে যা প্রকাশ পেয়েছিল তা হল, “হে আল্লাহ। এ ব্যক্তি তোমার বান্দা সে তোমার রাস্তায় মুহাজির অবস্থায় বের হয়েছিল। এখন সে শাহাদাত প্রাপ্ত হয়েছে আমি তার জন্য সাক্ষী হয়ে রইলাম।”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫৪
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يَوْمًا فَصَلَّى عَلَى أَهْلِ أُحُدٍ صَلَاتَهُ عَلَى الْمَيِّتِ، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ: «إِنِّي فَرَطٌ لَكُمْ وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ»
উকবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন বের হয়ে উহুদের শহীদের উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন যেরূপ মৃতদের উপর আদায় করা হয়। পড়ে মিম্বরে ফিরে এসে বললেন, ‘তোমাদের আমি অগ্রগামী দল স্বরূপ পাঠাচ্ছি। আর আমি তোমাদের জন্য সাক্ষী হয়ে রইলাম।‘
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
তাদের উপর জানাযার সালাত আদায় না করা
১৯৫৫
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ قَتْلَى أُحُدٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، ثُمَّ يَقُولُ: «أَيُّهُمَا أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ؟» فَإِذَا أُشِيرَ إِلَى أَحَدِهِمَا قَدَّمَهُ فِي اللَّحْدِ، قَالَ: «أَنَا شَهِيدٌ عَلَى هَؤُلَاءِ» وَأَمَرَ بِدَفْنِهِمْ فِي دِمَائِهِمْ، وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِمْ، وَلَمْ يُغَسَّلُوا
জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদের শহীদের মধ্যে হতে দু’জনকে এক কাপড়ে একত্রিত করতেন অতঃপর জিজ্ঞাসা করতেন যে, কে কুরআন শরীফে সম্পর্কে অধিক পরিজ্ঞাত? যখন তাদের কোন একজনের দিকে ইশারা করা হত তখন তাকে কবরে অগ্রে শায়িত করে দিতেন এবং বলতেন যে, আমি এদের জন্য সাক্ষী হয়ে রইলাম। আর শহীদের স্বীয় রক্ত মাখা শরীরে তাদের উপর জানাযার সালাত আদায় না করেই বিনা গোসলে দাফন করার নির্দেশ দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রজমকৃত (পাথর নিক্ষেপিত) ব্যক্তিরদের উপর জানাযার সালাত আদায় না করা
১৯৫৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَنُوحُ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ اعْتَرَفَ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ اعْتَرَفَ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَبِكَ جُنُونٌ؟»، قَالَ: لَا، قَالَ: «أَحْصَنْتَ؟» قَالَ: نَعَمْ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرُجِمَ، فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ، فَرَّ فَأُدْرِكَ فَرُجِمَ فَمَاتَ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرًا»، وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ
জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে যিনার স্বীকারোক্তি করল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন, সে আবারো স্বীকারোক্তি করল, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবারো তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন, সে আবারো স্বীকারোক্তি করল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবারো তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে সে নিজের উপর চার বার সাক্ষ্য দান করল। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞাসা করলেন যে, তুমি কি অপ্রকৃতস্ত? সে বললো, না। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি বিবাহিত? সে বললো, হ্যাঁ, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে পাথর মারার নির্দেশ দিলেন। যখন পাথর মারা শুরু হল সে অধৈর্য হয়ে দৌড় দিল তখন তাকে ধরে এনে পুনরায় পাথর মারা হল, যাতে সে মারা গেল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করলেন কিন্তু তার উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রজমকৃত (পাথর নিক্ষেপিত) ব্যক্তিরদের উপর জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৫৭
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ امْرَأَةً مِنْ جُهَيْنَةَ أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: إِنِّي زَنَيْتُ، وَهِيَ حُبْلَى، فَدَفَعَهَا إِلَى وَلِيِّهَا فَقَالَ: «أَحْسِنْ إِلَيْهَا، فَإِذَا وَضَعَتْ فَأْتِنِي بِهَا»، فَلَمَّا وَضَعَتْ جَاءَ بِهَا، فَأَمَرَ بِهَا فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا، ثُمَّ رَجَمَهَا، ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: أَتُصَلِّي عَلَيْهَا وَقَدْ زَنَتْ، فَقَالَ: «لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ قُسِمَتْ بَيْنَ سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَوَسِعَتْهُمْ، وَهَلْ وَجَدْتَ تَوْبَةً أَفْضَلَ مِنْ أَنْ جَادَتْ بِنَفْسِهَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»
ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ জুহায়না গোত্রের এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বললো যে, আমি যিনা করেছি আর সে গর্ভবতী ছিল। তিনি তাকে স্বীয় আত্মীয়-স্বজনের নিকট সোপর্দ করে দিলেন এবং বললেনঃ এর সাথে সদ্ব্যবহার কর, আর যখন সে প্রসব করবে, তখন তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। প্রসবের পর তাকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে নিয়ে আসা হলে তিনি তাকে পাথর মারার নির্দেশ দিলেন। তার উপর কাপড় জড়ানো হল, পরে পাথর মারা হল। অতঃপর তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করলেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি তার উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন অথচ সে যিনা করেছে। তিনি বললেন, সে এমন তওবা করেছে যে, তা যদি সত্তরজন মদীনাবাসীকে বণ্টন করে দেওয়া হত তবে তা তাদের জন্য পর্যাপ্ত হয়ে যেত তুমি কি এরচেয়ে উত্তম তওবা দেখেছ, যে নিজকে আল্লাহ্ তা’আলার জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছে?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ওসিয়্যতে অন্যায়কারীর উপর জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৫৮
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ وَهُوَ ابْنُ زَاذَانَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ سِتَّةً مَمْلُوكِينَ لَهُ عِنْدَ مَوْتِهِ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرَهُمْ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَغَضِبَ مِنْ ذَلِكَ وَقَالَ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ لَا أُصَلِّيَ عَلَيْهِ»، ثُمَّ دَعَا مَمْلُوكِيهِ فَجَزَّأَهُمْ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ، ثُمَّ أَقْرَعَ بَيْنَهُمْ، فَأَعْتَقَ اثْنَيْنِ وَأَرَقَّ أَرْبَعَةً
ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, এক ব্যক্তি তার মৃত্যুর সময় নিজের ছয়টি গোলাম মুক্ত করে দিয়েছিল। সেগুলো ছাড়া তার অন্য কোন সম্পত্তি ছিল না। এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে পৌছলে এ কারণে তিনি রাগান্বিত হয়ে গেলেন এবং বললেন, আমি ইচ্ছা করেছিলাম, তার জানাযার সালাত আদায় করব না। অতঃপর তিনি তার গোলামদের ডাকলেন এবং তিনটি ভাগ করে তাদের মধ্যে লটারী দিলেন এবং দুইজনকে মুক্ত করে দিয়ে বাকী চারজনকে গোলাম অবস্থায় রেখে দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
খিয়ানতকারীর উপর জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৫৯
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: مَاتَ رَجُلٌ بِخَيْبَرَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ إِنَّهُ غَلَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ»، فَفَتَّشْنَا مَتَاعَهُ فَوَجَدْنَا فِيهِ خَرَزًا مِنْ خَرَزِ يَهُودَ مَا يُسَاوِي دِرْهَمَيْنِ
যায়দ ইব্ন খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খায়বারে এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, (গণীমতের মধ্যে) তোমাদের যে সাথী আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় খিয়ানত করেছে তার উপর তোমরা জানাযার সালাত আদায় কর। আমরা তার মাল-সামান তল্লাশী চালিয়ে ইয়াহুদীদের মূল্যবান পাথর থেকে একটি পাথর পেলাম, যার মূল্য দুই দিরহাম সমতুল্য ছিল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির উপর জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৬০
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي قَتَادَةَ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِرَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ فَإِنَّ عَلَيْهِ دَيْنًا»، قَالَ: أَبُو قَتَادَةَ هُوَ عَلَيَّ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِالْوَفَاءِ»، قَالَ: بِالْوَفَاءِ، فَصَلَّى عَلَيْهِ
আবূ কাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে একজন আনসারী ব্যক্তির মৃত দেহ আনা হল জানাযার সালাত আদায় করার জন্য। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা নিজেরাই স্বীয় সাথীর উপর জানাযার সালাত আদায় কর, যেহেতু সে ঋণগ্রস্ত। আবূ কাতাদা (রহঃ) বললেন, সে ঋণ আমার উপর (সে ঋণ আদায়ের দায়িত্ব আমার) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা আদায় করার অঙ্গীকার চাইলেন। আদায় করার অঙ্গীকার করা হলে তিনি জানাযার সালাত আদায় করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬১
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَلَمَةُ يَعْنِي ابْنَ الْأَكْوَعِ قَالَ: أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَنَازَةٍ، فَقَالُوا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، صَلِّ عَلَيْهَا، قَالَ: «هَلْ تَرَكَ عَلَيْهِ دَيْنًا؟»، قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: «هَلْ تَرَكَ مِنْ شَيْءٍ؟» قَالُوا: لَا، قَالَ: «صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ» قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ: أَبُو قَتَادَةَ: صَلِّ عَلَيْهِ وَعَلَيَّ دَيْنُهُ، فَصَلَّى عَلَيْهِ
সালামা ইব্ন আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে একজনের মৃত দেহ আনা হলে সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্র নবী! আপনি এর উপর জানাযার সালাত আদায় করুন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, সে কি ঋণগ্রস্ত? সাহাবীগণ বললেন, হাঁ। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন যে, সে কি কোন সম্পত্তি রেখে গেছে? সাহাবীগণ বললেন ‘না’। তিনি বললেন, তোমরা নিজেরাই স্বীয় সাথীর উপর জানাযার সালাত আদায় কর। একজন আনসারী সাহাবী বললেন, যাকে আবূ কাতাদাহ (রাঃ) বলা হয়, “আপনি তাঁর উপর জানাযার সালাত আদায় করুন যেহেতু তার ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার উপর। অতঃপর রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬২
أَخْبَرَنَا نُوحُ بْنُ حَبِيبٍ الْقُوْمَسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُصَلِّي عَلَى رَجُلٍ عَلَيْهِ دَيْنٌ، فَأُتِيَ بِمَيْتٍ، فَسَأَلَ: «أَعَلَيْهِ دَيْنٌ؟» قَالُوا: نَعَمْ، عَلَيْهِ دِينَارَانِ، قَالَ: «صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ»، قَالَ أَبُو قَتَادَةَ: هُمَا عَلَيَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَصَلَّى عَلَيْهِ، فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَنَا أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ، مَنْ تَرَكَ دَيْنًا فَعَلَيَّ، وَمَنْ تَرَكَ مَالًا فَلِوَرَثَتِهِ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির উপর জানাযার সালাত আদায় করতেন না। এক ব্যক্তির মৃতদেহ আনা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, এর উপর কোন ঋণ আছে? সাহাবীগণ বললেন, হাঁ, তার উপর দুই দীনার ঋণ রয়েছে। তিনি বললেন, তোমরা নিজেরাই স্বীয় সাথীর উপর জানাযার সালাত আদায় কর। আবূ কাতাদাহ (রাঃ) বললেন, সে দিরহাম আমার উপর হে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (উহা পরিশোধের দায়িত্ব আমার)। অতঃপর তিনি তার উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন। যখন আল্লাহ্ তা’আলা স্বীয় রাসূল(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মক্কা বিজয় দান করলেন, তখন তিনি বললেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের নিকট তার নিজ অপেক্ষা ঘনিষ্ঠতর। যে ব্যক্তি ঋণ রেখে যায় তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যক্তি ধন-সম্পদ রেখে যায় তা তার ওয়ারিসদের।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৩
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا تُوُفِّيَ الْمُؤْمِنُ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ سَأَلَ: «هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِهِ مِنْ قَضَاءٍ؟» فَإِنْ قَالُوا: نَعَمْ صَلَّى عَلَيْهِ، وَإِنْ قَالُوا: لَا، قَالَ: «صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ»، فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَنَا أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، فَمَنْ تُوُفِّيَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ فَعَلَيَّ قَضَاؤُهُ، وَمَنْ تَرَكَ مَالًا فَهُوَ لِوَرَثَتِهِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন কোন ঋণগ্রস্ত মুমিন ব্যক্তি মারা যেত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞাসা করতেন, তার কি কোন ত্যাজ্য সম্পত্তি আছে? যদি সাহাবীগণ হাঁ বলতেন, তাহলে তার উপর জানাযার সালাত আদায় করতেন। আর যদি তারা না বলতেন, তাহলে তিনি বলতেন যে, তোমরা নিজেরাই স্বীয় সাথীর উপর জানাযার সালাত আদায় কর। যখন আল্লাহ্ তা’আলা স্বীয় রাসূলকে মক্কা বিজয় দান করলেন তখন তিনি বললেন, আমি মুমিনের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা ঘনিষ্ঠতর। যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা যায় তার ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার আর যে ব্যক্তি ধন-সম্পদ রেখে যায় তা তার ওয়ারিসদের।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
আত্মহত্যাকারীর উপর জানাযার সালাত আদায় না করা
১৯৬৪
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ زُهَيْرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ ابْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ رَجُلًا قَتَلَ نَفْسَهُ بِمَشَاقِصَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا أَنَا فَلَا أُصَلِّي عَلَيْهِ»
জাবির ইব্ন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে ফেললো তীরের ফলা দ্বারা। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেন, আমি কিন্তু তার উপর জানাযার সালাত আদায় করব না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ ذَكْوَانَ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ تَرَدَّى مِنْ جَبَلٍ، فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَهُوَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ يَتَرَدَّى خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا، وَمَنْ تَحَسَّى سُمًّا فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَسُمُّهُ فِي يَدِهِ يَتَحَسَّاهُ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا، وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِحَدِيدَةٍ ـ ثُمَّ انْقَطَعَ عَلَيَّ شَيْءٌ خَالِدٌ يَقُولُ ـ كَانَتْ حَدِيدَتُهُ فِي يَدِهِ يَجَأُ بِهَا فِي بَطْنِهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে সে ব্যক্তি দোযখের আগুনে সদা সর্বদা পাহাড় থেকে পড়তে থাকবে। আর যে ব্যক্তি বিষ পান করে আত্মহত্যা করে সে ব্যক্তি দোযখের আগুনে সদা সর্বদা স্বীয় হস্তে বিষ পান করতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি লৌহ দ্বারা আত্মহত্যা করে তার হস্তে একটি লৌহ থাকবে যা দ্বারা দোযখের আগুনে সদা সর্বদা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মুনাফিকদের উপর জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৬৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: لَمَّا مَاتَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ دُعِيَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَبْتُ إِلَيْهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُصَلِّي عَلَى ابْنِ أُبَيٍّ وَقَدْ؟ قَالَ: يَوْمَ كَذَا وَكَذَا كَذَا وَكَذَا أُعَدِّدُ عَلَيْهِ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: «أَخِّرْ عَنِّي يَا عُمَرُ»، فَلَمَّا أَكْثَرْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: «إِنِّي قَدْ خُيِّرْتُ فَاخْتَرْتُ، فَلَوْ عَلِمْتُ أَنِّي لَوْ زِدْتُ عَلَى السَّبْعِينَ غُفِرَ لَهُ لَزِدْتُ عَلَيْهَا»، فَصَلَّى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ انْصَرَفَ، فَلَمْ يَمْكُثْ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى نَزَلَتِ الْآيَتَانِ مِنْ بَرَاءَةَ {وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ إِنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَاتُوا وَهُمْ فَاسِقُونَ} [التوبة: 84]، فَعَجِبْتُ بَعْدُ مِنْ جُرْأَتِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ
উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন আব্দুল্লাহ ইব্ন উবাইর মৃত্যু হল রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তার উপর জানাযার সালাত আদায় করার জন্য ডাকা হল। যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাওয়ার জন্য দাঁড়ালেন তখন আমি তাঁর দিকে দ্রুত গিয়ে বললামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি ইব্ন উবাইর উপর জানাযার সালাত আদায় করবেন? অথচ সে অমুক, অমুক দিন এরূপ বলেছিল। আমি গুণে গুণে বললাম, তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হাসলেন এবং বললেন, হে উমর (রাঃ) আমা হতে সরে যাও, আমি যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর পীড়াপীড়ি করতে লাগলাম তখন তিনি বললেন, আমাকে এখতিয়ার দেওয়া হলে আমি ইস্তিগফারকেই গ্রহণ করেছি। যদি আমি জানতাম যে, আমি সত্তর বারের বেশি ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করা হবে তাহলে আমি সত্তরবারের বেশীই ক্ষমা চাইতাম। অতঃপর তিনি তার উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন, তারপর ফিরে গেলেন। কিছুক্ষণ পরেই সূরা বারাআতের দুইটি আয়াত অবতীর্ণ হল, وّلاَ تُصَلِّ عَلى اَحَدٍ مِّنهُم مَّا تَ ابَداً وَّ لاَ تَقُم علَيَّ قَبرِهِ اِنَّهُم كَفَرُوا باِالَّهِ ورَسُو لِهِ و ماَ تُوا أُهُوَ فَسِقُونّ “তাদের কেহ মারা গেলে আপনি কখনো তার উপর জানাযার সালাত আদায় করবেন না এবং তার কবরের পাশেও দাঁড়াবেন না। তারা আল্লাহ্ তা’আলার এবং তদীয় রাসূলের নাফরমানী করেছে এবং তারা নাফরমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। আমি পরে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আমার সেদিনের সাহসিকতায় আশ্চর্যান্বিত হয়ে গিয়েছিলাম। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মসজিদে জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৬৭
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ حَمْزَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى سُهَيْلِ ابْنِ بَيْضَاءَ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুহায়ল ইব্ন বায়দা (রাঃ)-এর উপর মসজিদেই জানাযার সালাত আদায় করেছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৮
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ حَمْزَةَ، أَنَّ عَبَّادَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى سُهَيْلِ ابْنِ بَيْضَاءَ إِلَّا فِي جَوْفِ الْمَسْجِدِ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুহাইল ইব্ন বায়দা (রাঃ)-এর উপর মসজিদের অভ্যন্তরেই জানাযার সালাত আদায় করেছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
রাত্রে জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৬৯
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّهُ قَالَ: اشْتَكَتِ امْرَأَةٌ بِالْعَوالِي مِسْكِينَةٌ، فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُهُمْ عَنْهَا، وَقَالَ: «إِنْ مَاتَتْ فَلَا تَدْفِنُوهَا حَتَّى أُصَلِّيَ عَلَيْهَا»، فَتُوُفِّيَتْ، فَجَاءُوا بِهَا إِلَى الْمَدِينَةِ بَعْدَ الْعَتَمَةِ، فَوَجَدُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَامَ، فَكَرِهُوا أَنْ يُوقِظُوهُ، فَصَلَّوْا عَلَيْهَا وَدَفَنُوهَا بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءُوا فَسَأَلَهُمْ عَنْهَا، فَقَالُوا: قَدْ دُفِنَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَقَدْ جِئْنَاكَ فَوَجَدْنَاكَ نَائِمًا فَكَرِهْنَا أَنْ نُوقِظَكَ، قَالَ: «فَانْطَلِقُوا»، فَانْطَلَقَ يَمْشِي وَمَشَوْا مَعَهُ حَتَّى أَرَوْهُ قَبْرَهَا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَفُّوا وَرَاءَهُ، فَصَلَّى عَلَيْهَا وَكَبَّرَ أَرْبَعًا
আবূ উমামা সাহ্ল ইব্ন হুনায়ফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একজন গ্রাম্য দরিদ্র মহিলা রোগাক্রান্ত হলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবাদের তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন এবং বলতেন যে, সে যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার উপর আমার জানাযার সালাত আদায় করা ব্যতীত তাকে কবরস্থ করবে না। কিছুদিন পর তার মৃত্যু হলে সাহাবীগণ তাকে নিয়ে ইশার পর মদীনায় আসলেন। এসে তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিদ্রিতাবস্থায় পেয়ে জাগানো অপছন্দনীয় মনে করে তার উপর জানাযার সালাত আদায় করে বকীয় গরকদ নামক কবরস্থানে তাকে কবরস্থ করে ফেললেন। যখন সকাল হল এবং সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলেন, তখন তিনি তাদের উক্ত মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেলন। তারা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ ! আমরা তো তাকে কবরস্থ করে ফেলেছি। আমরা আপনার কাছে এসেছিলাম কিন্তু আপনাকে নিদ্রিত অবস্থায় পেয়ে জাগানো অশোভনীয় মনে করেছিলাম। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা সকলে চলো। অতঃপর তিনি পদব্রজে চলতে শুরু করলেন। সাহাবীগণও তাঁর সাথে চলতে শুরু করলেন। কবরস্থানে এসে তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তার কবর দেখালেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে গেলেন, সাহাবীগণও তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাটির উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন ও চারটি তাকবীর বললেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযার সালাতে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ানো
১৯৭০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَخَاكُمُ النَّجَاشِيَّ قَدْ مَاتَ، فَقُومُوا فَصَلُّوا عَلَيْهِ»، فَقَامَ فَصَفَّ بِنَا كَمَا يُصَفُّ عَلَى الْجَنَازَةِ وَصَلَّى عَلَيْهِ
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেনঃ তোমাদের ভাই নাজাশী মৃত্যুবরণ করেছেন, তোমরা দাঁড়াও এবং তাঁর উপর জানাযার সালাত আদায় কর। তিনি নিজে দাঁড়ালেন এবং আমাদের কাতারবন্দী করালেন যেভাবে আমরা জানাযার সালাতে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াই। অতঃপর তিনি তাঁর উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭১
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَى لِلنَّاسِ النَّجَاشِيَّ الْيَوْمَ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، ثُمَّ خَرَجَ بِهِمْ إِلَى الْمُصَلَّى، فَصَفَّ بِهِمْ فَصَلَّى عَلَيْهِ وَكَبَّرَ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, নাজাশী যে দিন মৃত্যুবরণ করেছিলেন সেদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীগণকে তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর ঈদগাহে তাঁদের নিয়ে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তাঁর উপর জানাযার সালাত আদায় করেছিলেন ও চারটি তাকবীর বলেছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «نَعَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّجَاشِيَّ لِأَصْحَابِهِ بِالْمَدِينَةِ، فَصَفُّوا خَلْفَهُ، فَصَلَّى عَلَيْهِ، وَكَبَّرَ أَرْبَعًا» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «ابْنُ الْمُسَيَّبِ إِنِّي لَمْ أَفْهَمْهُ كَمَا أَرَدْتَ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনাতে স্বীয় সাহাবীদের নাজাশীর মৃত্যু সংবাদ দিলেন। সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে কাতার বন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তিনি তাঁর উপর জানাযার সালাত আদায় করলেন ও চারটি তাকবীর বললেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৩
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَخَاكُمْ قَدْ مَاتَ، فَقُومُوا فَصَلُّوا عَلَيْهِ»، فَصَفَفْنَا عَلَيْهِ صَفَّيْنِ
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের ভাই মৃত্যুবরণ করেছেন। অতএব তোমরা দাঁড়াও এবং তাঁর উপর জানাযার সালাত আদায় কর। (জানাযার সালাতে) আমরা দুইটি কাতার বেঁধে দাঁড়িয়েছিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৪
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سَمِعْتُ شُعْبَةَ، يَقُولُ: ـ السَّاعَةَ يَخْرُجُ السَّاعَةَ يَخْرُجُ ـ حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «كُنْتُ فِي الصَّفِّ الثَّانِي يَوْمَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النَّجَاشِيِّ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে দিন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজাশীর উপর জানাযার সালাত আদায় করেছিলেন সেদিন আমি দ্বিতীয় কাতারে ছিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৫
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَخَاكُمُ النَّجَاشِيَّ قَدْ مَاتَ، فَقُومُوا فَصَلُّوا عَلَيْهِ»، قَالَ: فَقُمْنَا فَصَفَفْنَا عَلَيْهِ كَمَا يُصَفُّ عَلَى الْمَيِّتِ، وَصَلَّيْنَا عَلَيْهِ كَمَا يُصَلَّى عَلَى الْمَيِّتِ
ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেন যে, তোমাদের ভাই নাজাশী মৃত্যুবরণ করেছেন। অতএব তোমরা দাঁড়াও এবং তাঁর উপর জানাযার সালাত আদায় কর। রাবী বলেন, অতঃপর আমরা দাঁড়িয়ে গেলাম এবং কাতারবন্দী হয়ে গেলাম, যে রকম মৃতের সামনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ানো হয় এবং তার উপর জানাযার সালাত আদায় করলাম, যে রকম মৃতের সামনে আদায় করা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযার সালাত দাঁড়িয়ে আদায় করা
১৯৭৬
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أُمِّ كَعْبٍ مَاتَتْ فِي نِفَاسِهَا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّلَاةِ فِي وَسَطِهَا»
সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে উম্মে কা’ব-এর জানাযার সালাত আদায় করেছিলাম যিনি নিফাস অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাযার সালাতে তাঁর ঠিক মাঝখানে বরাবর দাঁড়িয়েছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মহিলা ও শিশুর জানযার সালাত একত্রিত করা
১৯৭৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عَمَّارٍ قَالَ: «حَضَرَتْ جَنَازَةُ صَبِيٍّ وَامْرَأَةٍ، فَقُدِّمَ الصَّبِيُّ مِمَّا يَلِي الْقَوْمَ، وَوُضِعَتِ الْمَرْأَةُ وَرَاءَهُ، فَصَلَّى عَلَيْهِمَا»، وَفِي الْقَوْمِ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَأَبُو قَتَادَةَ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ فَسَأَلْتُهُمْ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالُوا: «السُّنَّةُ»
আম্মার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার শিশু ও মহিলার জানাযা একত্রিত হলে শিশুর জানাযা লোকজনের সম্মুখভাবে রাখা হল এবং মহিলার জানাযা শিশুটির পেছনে রাখা হল আর এবং তাদের উভয়ের উপরে জানাযার সালাত আদায় করা হল। উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আবূ সাঈদ খুদ্রি, ইব্ন আব্বাস, আবূ কাতাদা এবং আবূ হুরায়রা (রাঃ) প্রমুখ ছিলেন। এ সম্পর্কে তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা বললেন যে, এটাই সুন্নাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
পুরুষ এবং মহিলার জানাযার সালাত একত্রিত করা
১৯৭৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: سَمِعْتُ نَافِعًا يَزْعُمُ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ صَلَّى عَلَى تِسْعِ جَنَائِزَ جَمِيعًا «فَجَعَلَ الرِّجَالَ يَلُونَ الْإِمَامَ، وَالنِّسَاءَ يَلِينَ الْقِبْلَةَ، فَصَفَّهُنَّ صَفًّا وَاحِدًا، وَوُضِعَتْ جَنَازَةُ أُمِّ كُلْثُومِ بِنْتِ عَلِيٍّ امْرَأَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَابْنٍ لَهَا يُقَالُ لَهُ زَيْدٌ وُضِعَا جَمِيعًا وَالْإِمَامُ يَوْمَئِذٍ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ، وَفِي النَّاسِ ابْنُ عُمَرَ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَأَبُو قَتَادَةَ، فَوُضِعَ الْغُلَامُ مِمَّا يَلِي الْإِمَامَ»، فَقَالَ رَجُلٌ: فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ، فَنَظَرْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي سَعِيدٍ، وَأَبِي قَتَادَةَ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: «هِيَ السُّنَّةُ»
ইব্ন জুরাইজ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাফেকে বলতে শুনেছি, তাঁর ধারণামতে ইব্ন উমর (রাঃ) একত্রে নয়জনের জানাযার সালাত আদায় করেছিলেন, পুরুষদের জানযা ইমামের সম্মুখে আর মহিলাদের জানাযা কিবলার দিকে রেখেছিলেন, সমস্ত জানাযা এক কাতারে রাখা হয়েছিল। উম্মে কুলছুম বিন্ত আলী, উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ)-এর স্ত্রী এবং তার এক ছেলে যাকে যায়দ বলা হত তাদের জানাযা একত্রে রাখা হয়েছিল। সে দিন ইমাম ছিলেন সাঈদ ইব্ন আস (রাঃ) আর উপস্থিত লোকদের মধ্যে ছিলেন ইব্ন উমর, আবূ হুরায়রা, আবূ সাঈদ এবং আবূ কাতাদা (রাঃ) প্রমুখ। ইমামের সম্মুখে পুরুষদের রাখা হয়েছিল। রাবী বলেন, এক ব্যক্তি বলল, (পুরুষদের জানাযা ইমামের সম্মুখে রাখা) আমি বিশ্বাস করতে পারলাম না। রাবী বলেন যে, আমি ইব্ন আব্বাস আবূ হুরায়রা, আবূ সাঈদ এবং আবূ কাতাদা (রাঃ)-এর দিকে তাকালাম এবং বললাম, এ ব্যাপারে আপনাদের অভিমত কি? তাঁরা বললেন, এটাই সুন্নাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৯
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، وَالْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، ح وأَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُكْتِبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى عَلَى أُمِّ فُلَانٍ مَاتَتْ فِي نِفَاسِهَا، فَقَامَ فِي وَسَطِهَا»
সামুরা ইব্ন জুন্দুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অমুকের মাতার উপর জানাযার সালাত আদায় করেছিলেন যিনি নিফাসের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তাঁর জানাযার ঠিক মাঝখানে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযায় তাকবীরের সংখ্যা
১৯৮০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَى لِلنَّاسِ النَّجَاشِيَّ، وَخَرَجَ بِهِمْ فَصَفَّ بِهِمْ، وَكَبَّرَ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদের নাজাশীর মৃত্যু সংবাদ দিলেন এবং তাঁদের নিয়ে বের হয়ে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং চারটি তাকবীর বললেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮১
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ قَالَ: مَرِضَتِ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعَوَالِي، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ شَيْءٍ عِيَادَةً لِلْمَرِيضِ، فَقَالَ: «إِذَا مَاتَتْ فَآذِنُونِي»، فَمَاتَتْ لَيْلًا، فَدَفَنُوهَا وَلَمْ يُعْلِمُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَصْبَحَ سَأَلَ عَنْهَا، فَقَالُوا: كَرِهْنَا أَنْ نُوقِظَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَأَتَى قَبْرَهَا، فَصَلَّى عَلَيْهَا وَكَبَّرَ أَرْبَعًا
আবূ উমামা ইব্ন সাহ্ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একজন গ্রাম্য মহিলা রোগাক্রান্ত হয়ে গেল। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অত্যাধিক পছন্দনীয় কাজ ছিল রোগীর শুশ্রুষা করা, তাই তিনি বললেন, এই মহিলা যখন মৃত্যুবরণ করবে আমাকে সংবাদ দেবে। সে মহিলা রাত্রে মৃত্যুবরণ করল এবং সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অবগত না করেই তাকে কবরস্থ করলেন। যখন সকাল হল রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। সাহাবীগণ বললেন, আমরা আপনাকে ঘুম হতে জাগানো অশোভনীয় মনে করেছিলাম হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! অতঃপর তিনি তার কবরের নিকট আসলেন এবং তার জানাযার সালাত আদায় করলেন ও চারটি তাকবীর বললেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮২
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَكَبَّرَ عَلَيْهَا خَمْسًا، وَقَالَ: «كَبَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
ইব্ন আবী লায়লা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, যায়দ ইব্ন আরকাম (রাঃ) একবার জানাযার সালাত আদায় কালে পাঁচটি তাকবীর বললেন। এবং বললেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরকমই তাকবীর বলেছিলেন।[১]
[১] ইসলামের প্রথম যুগে তাকবীরের সংখ্যায় মতভেদ ছিল, পরবর্তীতে সর্বসম্মতিক্রমে চার তাকবীর নির্ধারিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
দোয়া
১৯৮৩
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَاعْفُ عَنْهُ وَعَافِهِ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ، وَقِهِ عَذَابَ الْقَبْرِ، وَعَذَابَ النَّارِ»، قَالَ عَوْفٌ: فَتَمَنَّيْتُ أَنْ لَوْ كُنْتُ الْمَيِّتَ لِدُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِذَلِكَ الْمَيِّتِ
‘আউফ ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একবার জানাযার সালাতে বলতে শুনেছি اَلَّهُمَّ ا غفِرلَهُ وَارحَمهُ وَاعفُ عَنهُ وَعَافِهِ وَاَكرِم نُزُ لَهُ وَوَسِّعَ مُدخَلَهُ وَاغسِلهُ بِمآَ ءِ وتَّلجٍ وَّبَرَ دٍ وَّ نَقِّهِ مِنَ ا لخَطاَ ياَ كَمَآ يُنّقِّي التَّو بُ ا لاَبيَضُ مِنَ الدَّنَسِ واَبدِلهُ دَا راً خَيراً مِّنّ اهَلِهِ و زَو جاً خَيراً مِّنّ زَوجِهِ و قِهِ عَذَا بَ القَبرِ و عَذابَ النَّاار আউফ (রাঃ) বলেন, আমি আকাংক্ষা করেছিলাম যে, যদি সেই মৃত ব্যক্তিটি আমি হতাম যেই মৃত ব্যক্তির জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দোয়া করেছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৪
خْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ عُبَيْدٍ الْكَلَاعِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي عَلَى مَيِّتٍ فَسَمِعْتُ فِي دُعَائِهِ وَهُوَ يَقُولُ: ” اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَنَجِّهِ مِنَ النَّارِ ـ أَوْ قَالَ ـ: وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ “
আউফ ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানাযার সালাত আদায় করার সময় দোয়া পড়তে শুনেছি। তিনি দোয়াতে বলছিলেন- اللَّهُمَّ ا غفِرلَهُ وَارحَمهُ وَاعفُ عَنهُ وَعَافِهِ وَاَكرِم نُزُ لَهُ وَوَسِّعَ مُدخَلَهُ وَاغسِلهُ بِمآَ ءِ وتَّلجٍ وَّبَرَ دٍ وَّ نَقِّهِ مِنَ ا لخَطاَ ياَ كَمَآ يُنّقِّي التَّو بُ ا لاَبيَضُ مِنَ الدَّنَسِ واَبدِلهُ دَا راً خَيراً مِّنّ اهَلِهِ و زَو جاً خَيراً مِّنّ زَوجِهِ و قِهِ عَذَا بَ القَبرِ و عَذابَ النَّاار রাবী বলেন, অথবা তিনি বলেছিলেন اَعِذهُ مِن ا عَذَ ا ب القَبرِ
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ مَيْمُونٍ يُحَدِّثُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رُبَيِّعَةَ السُّلَمِيِّ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ خَالِدٍ السُّلَمِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ، فَقُتِلَ أَحَدُهُمَا وَمَاتَ الْآخَرُ بَعْدَهُ، فَصَلَّيْنَا عَلَيْهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا قُلْتُمْ؟» قَالُوا: دَعَوْنَا لَهُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، اللَّهُمَّ أَلْحِقْهُ بِصَاحِبِهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَأَيْنَ صَلَاتُهُ بَعْدَ صَلَاتِهِ؟ وَأَيْنَ عَمَلُهُ بَعْدَ عَمَلِهِ؟ فَلَمَا بَيْنَهُمَا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ» قَالَ عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ: أَعْجَبَنِي لِأَنَّهُ أَسْنَدَ لِي
উবায়দ ইব্ন খালিদ সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই ব্যক্তির মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করে দিয়েছিলেন। তাদের একজন নিহত হল। অন্যজন পরে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করলে আমরা তার জানাযার সালাত আদায় করলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা কি পড়েছিলে? সাহাবীগণ বললেন, আমরা তার জন্য দোয়া করেছিলাম اللَّهُمَّ اغفِر لَهُ اللَّهُمَّ ا رحَمهُ اللَّهُمَّ اَلحِقهُ بِصَا حِبِهِ
তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, নিহত ব্যক্তির সালাতের উপর মৃত ব্যক্তির মর্যাদা কোথায়? এবং নিহত ব্যক্তির কৃতকর্মের উপর মৃত ব্যক্তির কৃতকর্মের মর্যাদা কোথায়? এতদুভয়ের ব্যবধান তো আসমান এবং যমীনের মধ্যকার ব্যবধানের ন্যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৬
خْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي إِبْرَاهِيمَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيه، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي الصَّلَاةِ عَلَى الْمَيِّتِ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا، وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا»
আবূ ইবরাহীম আনসারী (রাঃ)-এর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মৃতের জানাযায় বলতে শুনেছেনঃ اللَّهُمَّ اغفِر لِحَيِّناَ ومَيِّتِنَا وَشاَ هِدِناَ وَغَآ إِبِناَ وَذَ كَرِ ناَ وَاُنثاَناَ وَصَغِيرِناَ وَكَبِيِرِناَ
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৭
خْبَرَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ وَهُوَ ابْنُ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَلَى جَنَازَةٍ، فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ، وَسُورَةٍ وَجَهَرَ حَتَّى أَسْمَعَنَا، فَلَمَّا فَرَغَ أَخَذْتُ بِيَدِهِ، فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: «سُنَّةٌ وَحَقٌّ»
তালহা ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর পেছনে জানাযার সালাত আদায় করেছিলাম। তাতে তিনি সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা তিলাওয়াত করেছিলেন এবং এতটুকু উচ্চ স্বরে তিলাওয়াত করেছিলেন যে, আমরা তা শুনতে পেয়েছিলাম। যখন তিনি অবসর হলেন আমি তাঁর হস্ত ধারণ পূর্বক জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এটা সুন্নাত এবং সঠিক।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَلَى جَنَازَةٍ فَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَخَذْتُ بِيَدِهِ، فَسَأَلْتُهُ فَقُلْتُ: تَقْرَأُ، قَالَ: «نَعَمْ، إِنَّهُ حَقٌّ وَسُنَّةٌ»
তালহা ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর পেছনে জানাযার সালাত আদায় করেছিলাম। আমি তাঁকে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত শুনতে পেলাম। যখন তিনি অবসর হলেন আমি তাঁর হস্ত ধারণ পূর্বক জিজ্ঞাসা করলামঃ আপনি জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ! এটা তো সুন্নাত এবং সঠিক।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّهُ قَالَ: «السُّنَّةُ فِي الصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَازَةِ أَنْ يَقْرَأَ فِي التَّكْبِيرَةِ الْأُولَى بِأُمِّ الْقُرْآنِ مُخَافَتَةً، ثُمَّ يُكَبِّرَ ثَلَاثًا، وَالتَّسْلِيمُ عِنْدَ الْآخِرَةِ»
আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জানাযার সালাতে সুন্নাত হল প্রথম তাকবীর চুপে চুপে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করবে। অতঃপর আরো তিনটি তাকবীর বলবে; শেষ তাকবীরে সালাম ফিরাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوَيْدٍ الدِّمَشْقِيِّ الْفِهْرِيِّ، عَنْ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ الدِّمَشْقِيِّ بِنَحْوِ ذَلِكَ
কুতায়বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যাহ্হাক ইব্ন কায়স দিমাশকী (রহঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে মৃত ব্যক্তির উপর একশত জন ব্যক্তি জানাযার সালাত আদায় করে তার ফযীলত
১৯৯১
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ سَلَّامِ بْنِ أَبِي مُطِيعٍ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، رَضِيعِ عَائِشَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ مَيِّتٍ يُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ أَنْ يَكُونُوا مِائَةً يَشْفَعُونَ إِلَّا شُفِّعُوا فِيهِ»، قَالَ سَلَّامٌ: فَحَدَّثْتُ بِهِ شُعَيْبَ بْنَ الْحَبْحَابِ فَقَالَ: حَدَّثَنِي بِهِ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এমন কোন মৃত ব্যক্তি নেই যার উপর এমন একদল মুসলমান জানাযার সালাত আদায় করে যাদের সংখ্যা একশত পৌছে যায় এবং যারা তার সম্পর্কে করে তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। হাদীসের অন্যতম রাবী সাল্লাম ইব্ন আবূ মূতী বলেন, পরবর্তীতে আমি এই হাদীস শুআয়ব ইব্ন হাবহাব-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে আমার কাছে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯২
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، رَضِيعٍ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَمُوتُ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَيُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ النَّاسِ فَيَبْلُغُوا أَنْ يَكُونُوا مِائَةً، فَيَشْفَعُوا إِلَّا شُفِّعُوا فِيهِ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুসলমানদের মধ্যে এমন কোন মৃত ব্যক্তি নেই যার উপর এমন একদল মানুষ জানাযার সালাত আদায় করে যাদের সংখ্যা একশতে পৌঁছে যায় আর যারা তার সম্পর্কে সুপারিশ করে তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৩
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ أَبُو الْخَطَّابِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكَّارٍ الْحَكَمُ بْنُ فَرُّوخَ، قَالَ: صَلَّى بِنَا أَبُو الْمَلِيحِ عَلَى جَنَازَةٍ فَظَنَنَّا أَنَّهُ قَدْ كَبَّرَ، فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ، فَقَالَ: أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَلْتَحْسُنْ شَفَاعَتُكُمْ، قَالَ أَبُو الْمَلِيحِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ ابْنُ سَلِيطٍ، عَنْ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ وَهِيَ مَيْمُونَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: أَخْبَرَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ مَيِّتٍ يُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ النَّاسِ إِلَّا شُفِّعُوا فِيهِ»، فَسَأَلْتُ أَبَا الْمَلِيحِ عَنِ الْأُمَّةِ: فَقَالَ: أَرْبَعُونَ
আবূ বাক্কার হাকাম ইব্ন ফাররুখ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে আবূল মালীহ (রহঃ) এক মৃত ব্যক্তির জানাযার সালাত আদায় করছিলেন। আমরা ধারণা করলাম যে তিনি হয়ত তাকবীর বলে ফেলেছেন। ইত্যবসরে তিনি আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, তোমরা কাতারবন্দী হয়ে দাড়িয়ে যাও এবং উত্তমরুপে সুপারিশ কর।
আবূল মালিহ (রহঃ) বলেন যে, আমার কাছে আব্দুল্লাহ ইব্ন সালীত (রহঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহধর্মিণী উম্মুল মুমিনিন মায়মুনা (রাঃ) থেকে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবহিত করেছেন যে, এমন কোন মৃত ব্যক্তি নাই যার ওপর একদল মানুষ জানাযার সালাত আদায় করে, তার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ গ্রহন করা হয় না। রাবী বলেন, আমি আবূল মালিহ কে দলে লোকের সংখ্যা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, চল্লিশজন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির ওপর জানাযা সালাত আদায় করে তার সওয়াব
১৯৯৪
أَخْبَرَنَا نُوحُ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَلَهُ قِيرَاطٌ، وَمَنِ انْتَظَرَهَا حَتَّى تُوضَعَ فِي اللَّحْدِ فَلَهُ قِيرَاطَانِ، وَالْقِيرَاطَانِ مِثْلُ الْجَبَلَيْنِ الْعَظِيمَيْنِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির ওপর জানাযার সালাত আদায় করে তার জন্য এক কীরাত সওয়াব। আর যে ব্যক্তি লাশ কবরস্থ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তার জন্য দুই কীরাত সওয়াব, দুই কীরাত সওয়াব এর পরিমাণ হল দুইটি বিরাট কীরাত পাহাড়ের সমপরিমাণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ شَهِدَ جَنَازَةً حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا فَلَهُ قِيرَاطٌ، وَمَنْ شَهِدَ حَتَّى تُدْفَنَ فَلَهُ قِيرَاطَانِ»، قِيلَ: وَمَا الْقِيرَاطَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «مِثْلُ الْجَبَلَيْنِ الْعَظِيمَيْنِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির জানাযায় উপস্থিত হয়ে তার জানাযার সালাত আদায় করে তার জন্য এক কীরত সওয়াব। আর যে ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির জানাযায় শরীক হয়ে লাশ দাফন করা পর্যন্ত থাকে তার জন্য দুই কীরাত সওয়াব। প্রশ্ন করা হলঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! দুই কীরাতের পরিমাণ কতটুকু? তিনি বললেন, দুইটি বিরাট পাহাড়ের সমতুল্য।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ تَبِعَ جَنَازَةَ رَجُلٍ مُسْلِمٍ احْتِسَابًا فَصَلَّى عَلَيْهَا وَدَفَنَهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ رَجَعَ قَبْلَ أَنْ تُدْفَنَ فَإِنَّهُ يَرْجِعُ بِقِيرَاطٍ مِنَ الْأَجْرِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, যে ব্যক্তি পুণ্যের আশায় কোন মুসলিম ব্যক্তির জানাযায় অনুগমন করে এবং তার জানাযার সালাত আদায় করে এবং তাকে কবরস্থ করে তার জন্য দুই কীরাত সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি তার জানাযার সালাত আদায় করে অতঃপর ফিরে যায় কবরস্থ করার পূর্বেই সে ব্যক্তি এক কীরাত সওয়াব নিয়ে ফিরে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৭
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ قَزَعَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا دَاوُدُ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَبِعَ جَنَازَةً فَصَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ انْصَرَفَ فَلَهُ قِيرَاطٌ مِنَ الْأَجْرِ، وَمَنْ تَبِعَهَا فَصَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ قَعَدَ حَتَّى يُفْرَغَ مِنْ دَفْنِهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ مِنَ الْأَجْرِ، كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا أَعْظَمُ مِنْ أُحُدٍ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির অনুগমন করে এবং তার জানাযার সালাত আদায় করে ফিরে যায় তার জন্য রয়েছে এক কীরাত সওয়াব। আর যে ব্যক্তি তার অনুগমন করে এবং তার জানাযার সালাত আদায় করে অতঃপর অপেক্ষমাণ থাকে তাকে কবরস্থ করা পর্যন্ত তার জন্য রয়েছে দুই কীরাত সওয়াব। প্রত্যেক কীরাত সওয়াব উহুদ পাহাড়ের চেয়েও বৃহৎ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযা রাখার পূর্বে বসে পড়া
১৯৯৮
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ هِشَامٍ، وَالْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ، فَقُومُوا وَمَنْ تَبِعَهَا فَلَا يَقْعُدَنَّ حَتَّى تُوضَعَ»
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমরা কোন জানাযা দেখবে দাঁড়িয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি তার অনুগমন করবে সে জানাযা না রাখা পর্যন্ত বসবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযার জন্য দাঁড়ানো
১৯৯৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ وَاقِدٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ مَسْعُودِ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ ذُكِرَ الْقِيَامُ عَلَى الْجَنَازَةِ حَتَّى تُوضَعَ، فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: «قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَعَدَ»
আলী ইব্ন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর কাছে জানাযা না রাখা পর্যন্ত তাঁর জন্য দাঁড়ানোর ব্যপারে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়েছিলেন, অতঃপর বসে গিয়েছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০০
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ مَسْعُودِ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فَقُمْنَا وَرَأَيْنَاهُ قَعَدَ فَقَعَدْنَا»
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখলাম তিনি দাঁড়ালেন আমরাও দাঁড়ালাম আমরা তাকে দেখলাম যে, তিনি বসে গেলেন আমরাও বসে গেলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০১
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زَاذَانَ، عَنْ الْبَرَاءِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَنَازَةٍ، فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى الْقَبْرِ وَلَمْ يُلْحَدْ، فَجَلَسَ وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ كَأَنَّ عَلَى رُءُوسِنَا الطَّيْرَ»
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে একটি জানাযায় বের হলাম, যখন কবরস্থান পর্যন্ত পৌঁছলাম তখনও দাফন শেষ হয়নি। তিনি বসে গেলেন তো আমরাও তাঁর পাশে বসে গেলাম, যেন আমাদের মাথার উপর পাখি রয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
শহীদকে স্বীয় রক্তসহ দাফন করা
২০০২
أَخْبَرَنَا هَنَّادٌ، عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَتْلَى أُحُدٍ: «زَمِّلُوهُمْ بِدِمَائِهِمْ، فَإِنَّهُ لَيْسَ كَلْمٌ يُكْلَمُ فِي اللَّهِ إِلَّا يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَدْمَى، لَوْنُهُ لَوْنُ الدَّمِ، وَرِيحُهُ رِيحُ الْمِسْكِ»
আব্দুল্লাহ ইব্ন ছা’লাবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদের শহীদদের সম্পর্কে বলেছিলেন, তাদেরকে স্বীয় রক্তসহ ঢেকে দাও। কেননা যে কোন ক্ষত যা আল্লাহ্র রাস্তায় হয় কিয়ামতের দিন সেখান থেকে রক্ত প্রবাহিত হবে রং হবে রক্তের কিন্তু তাঁর সুগন্ধি হবে মিশ্কের সুগন্ধির ন্যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৩
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ رَجُلٍ، يُقَالُ لَهُ: عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَيَّةَ، قَالَ: أُصِيبَ رَجُلَانِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَ الطَّائِفِ فَحُمِلَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «فَأَمَرَ أَنْ يُدْفَنَا حَيْثُ أُصِيبَا»، وَكَانَ ابْنُ مُعَيَّةَ وُلِدَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উবায়দুল্লাহ ইব্ন মুআইয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তায়েফের দিন দুইজন মুসলমান আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাদের রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে নিয়ে আসা হল। তিনি তাদের সেই আঘাতের ক্ষত অবস্থায় দাফন করার নির্দেশ দিলেন। ইব্ন মুআইয়া (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২০০৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ نُبَيْحٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِقَتْلَى أُحُدٍ أَنْ يُرَدُّوا إِلَى مَصَارِعِهِمْ»، وَكَانُوا قَدْ نُقِلُوا إِلَى الْمَدِينَةِ
জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদের শহীদদের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তাদের যেন স্বীয় শাহাদাতের স্থানে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তাদের মদিনায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ نُبَيْحٍ الْعَنَزِىِّ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «ادْفِنُوا الْقَتْلَى فِي مَصَارِعِهِمْ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা শহীদদের তাদের নিজ নিজ শাহাদাতের স্থানেই দাফন কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মুশরিকদের দাফন করা
২০০৬
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَقَ، عَنْ نَاجِيَةَ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ عَمَّكَ الشَّيْخَ الضَّالَّ مَاتَ فَمَنْ يُوَارِيهِ؟ قَالَ: «اذْهَبْ فَوَارِ أَبَاكَ، وَلَا تُحْدِثَنَّ حَدَثًا حَتَّى تَأْتِيَنِي»، فَوَارَيْتُهُ ثُمَّ جِئْتُ، فَأَمَرَنِي فَاغْتَسَلْتُ، وَدَعَا لِي، وَذَكَرَ دُعَاءً لَمْ أَحْفَظْهُ
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললাম, আপনার বৃদ্ধ পথভ্রষ্ট চাচা মৃত্যুবরণ করেছেন, এখন তাকে কে দাফন করবে? তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তোমার পিতাকে ঢেকে রাখো এবং তুমি আমার কাছে না আসা পর্যন্ত অন্য কিছু করবে না। অতঃপর আমি তাকে ঢেকে দিলাম। এরপর তাঁর কাছে আসলাম। তিনি আমাকে নির্দেশ দেওয়ায় আমি গোসল করলাম এবং তিনি আমার জন্য দোয়া করলেন। রাবী বলেন, আলী (রাঃ) কিছু দোয়া উল্লেখ করেছিলেন যা আমি স্মরণ রাখতে পারিনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
লাহদ এবং শাক্ক
২০০৭
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ قَالَ: «أَلْحِدُوا لِي لَحْدًا، وَانْصِبُوا عَلَيَّ نَصْبًا كَمَا فُعِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমরা আমার জন্য লাহদ কবর খনন করবে এবং আমার কবরের উপরে কিছু গেড়ে দেবে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কবরের উপর যে রকম গেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৮
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ سَعْدًا لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَالَ: «أَلْحِدُوا لِي لَحْدًا، وَانْصِبُوا عَلَيَّ نَصْبًا، كَمَا فُعِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
আমির ইব্ন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা’দ (রাঃ) এর মৃত্যুর সময় যখন উপস্থিত হল তখন তিনি বললেন, তোমরা আমার জন্য লাহদ কবর খনন করবে এবং আমার কবরের উপরে কিছু গেড়ে দিবে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরের উপরে যে রকম গেড়ে দেয়া হয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৯
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَذْرَمِيُّ، عَنْ حَكَّامِ بْنِ سَلْمٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّحْدُ لَنَا، وَالشَّقُّ لِغَيْرِنَا»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লাহদ কবর আমাদের জন্য আর শাক্ক কবর অন্যদের জন্য। ১
[১] কবর দু’প্রকারঃ লাহদ ও শাক্ক। প্রথমত, কবর খনন করার পর পশ্চিম পার্শ্বে কবর পরিমাণ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একতলা ঘরের ন্যায় গর্ত করাকে লাহদ কবর বলে। মাটি শক্ত হলে লাহদ কবর করা সুন্নাত। যদি মাটি নরম হয় এবং ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকে তবে কবর খনন শেষ করে লাশকে ডান কাত করে সমস্ত শরীর কেবলামুখী করে রাখা হয়। এরুপ কবরকে শাক্ক কবর বলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কবরের মুস্তাহাব গভীরতা
২০১০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْحَفْرُ عَلَيْنَا لِكُلِّ إِنْسَانٍ شَدِيدٌ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْفِرُوا وَأَعْمِقُوا وَأَحْسِنُوا، وَادْفِنُوا الِاثْنَيْنِ وَالثَّلَاثَةَ فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ»، قَالُوا: فَمَنْ نُقَدِّمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «قَدِّمُوا أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا»، قَالَ: فَكَانَ أَبِي ثَالِثَ ثَلَاثَةٍ فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ
হিশাম ইব্ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন। আমরা উহুদের দিন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে অভিযোগ করে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের পক্ষে প্রত্যেক মানুষের জন্য কবর খনন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা কবর খনন কর এবং কবরকে গভীর কর আর মৃতদের উত্তমরূপে দাফন কর এবং দুইজন, তিনজনকে এক এক কবরে দাফন কর। সাহাবীগণ বললেন। ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কাকে প্রথমে রাখব? তিনি বললেন, যে কুরআন বেশী জানে তাকে প্রথমে রাখ। রাবী বলেন, এভাবে আমার পিতা একই কবরের তিনজনের অন্যতম ছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস