অনুচ্ছেদ-৭১
মিনায় অবতরণ
১৯৫১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الأَعْرَجِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَطَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ بِمِنًى وَنَزَّلَهُمْ مَنَازِلَهُمْ فَقَالَ ” لِيَنْزِلِ الْمُهَاجِرُونَ هَا هُنَا ” . وَأَشَارَ إِلَى مَيْمَنَةِ الْقِبْلَةِ ” وَالأَنْصَارُ هَا هُنَا ” . وَأَشَارَ إِلَى مَيْسَرَةِ الْقِبْلَةِ ” ثُمَّ لْيَنْزِلِ النَّاسُ حَوْلَهُمْ ” .
‘আবদুর রহমান ইবনু মুয়ায (রহঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জনৈক সাহাবীর থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনাতে লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং তাদের অবস্থানস্থল নির্ধারণ করে দিলেন। তিনি ক্বিবলাহ্র ডানদিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ এখানে মুহাজিরগণ অবস্থান করবে এবং ক্বিবলাহ্র বামদিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ এখানে আনসারগণ অবস্থান করবে। আর অন্যান্য লোক তাদের আশেপাশে অবস্থান করবে। [১৯৫১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭২
মিনায় কোন দিন খুত্ববাহ দিতে হবে?
১৯৫২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلَيْنِ، مِنْ بَنِي بَكْرٍ قَالاَ رَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ بَيْنَ أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ وَنَحْنُ عِنْدَ رَاحِلَتِهِ وَهِيَ خُطْبَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّتِي خَطَبَ بِمِنًى .
ইবনু আবূ নাজীহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তাঁর পিতা হতে বনী বাক্রের দুই ব্যক্তি সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তারা বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আইয়্যামে তাশরীকের’ মধ্যের দিন (১২ তারিখ) খুত্ববাহ দিতে দেখেছি। এ সময় আমরা তাঁর সওয়ারীর নিকটেই ছিলাম। মিনাতে এটাই ছিল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পেশকৃত খুত্ববাহ। [১৯৫২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حِصْنٍ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي، سَرَّاءُ بِنْتُ نَبْهَانَ – وَكَانَتْ رَبَّةَ بَيْتٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ – قَالَتْ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الرُّءُوسِ فَقَالَ ” أَىُّ يَوْمٍ هَذَا ” . قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ ” أَلَيْسَ أَوْسَطَ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ قَالَ عَمُّ أَبِي حُرَّةَ الرَّقَاشِيِّ إِنَّهُ خَطَبَ أَوْسَطَ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ .
সাররা বিনতু নাবহান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জাহিলী যুগে প্রতীমা ঘরের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আইয়্যামে তাশরীকের দ্বিতীয় দিন আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেনঃ আজ কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। তিনি বললেনঃ এটা কি আইয়্যামে তাশরীকের দিন নয়?
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, অনুরূপভাবে আবূ হাররাহ আর-রাক্বাশীর চাচাও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আইয়্যামে তাশরীকের মাঝের দিন খুত্ববাহ দিয়েছেন। [১৯৫৩]
[১৯৫৩] ইবনু খুযাইমাহ। সানাদে রবী’আহ বিন আবদুর রহমান মাজহুল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৩
যিনি বলেন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন খুত্ববাহ দিয়েছেন
১৯৫৪
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي الْهِرْمَاسُ بْنُ زِيَادٍ الْبَاهِلِيُّ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ عَلَى نَاقَتِهِ الْعَضْبَاءِ يَوْمَ الأَضْحَى بِمِنًى .
আল-হিরমাস ইবনু যিয়াদ আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কুরবানীর দিন মিনায় তাঁর ‘আল-আদবা’ নামক উষ্ট্রীর উপর চড়ে লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দেখেছি। [১৯৫৪]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯৫৫
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ – الْحَرَّانِيُّ – حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمُ بْنُ عَامِرٍ الْكَلاَعِيُّ، سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ خُطْبَةَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى يَوْمَ النَّحْرِ .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কুরবানীর দিন মিনায় খুত্ববাহ দিতে শুনেছি। [১৯৫৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৭৪
কুরবানীর দিন কখন খুত্ববাহ প্রদান করবে?
১৯৫৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَامِرٍ الْمُزَنِيِّ، حَدَّثَنِي رَافِعُ بْنُ عَمْرٍو الْمُزَنِيُّ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ بِمِنًى حِينَ ارْتَفَعَ الضُّحَى عَلَى بَغْلَةٍ شَهْبَاءَ وَعَلِيٌّ – رضى الله عنه – يُعَبِّرُ عَنْهُ وَالنَّاسُ بَيْنَ قَاعِدٍ وَقَائِمٍ .
রাফি ইবনু ‘আমর আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিনাতে দ্বি-প্রহরে শাহ্বা নামক খচ্চরে উপবিষ্ট হয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দেখেছি। এ সময় ‘আলী (রাঃ) তাঁর ভাষণের পুনরাবৃত্তি করে শুনাচ্ছিলেন। তখন লোকদের কেউ দাঁড়ানো এবং কেউ বসা অবস্থায় ছিল। [১৯৫৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৫
মিনার খুত্ববাহ্য় ইমাম কি আলোচনা করবেন
১৯৫৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ حُمَيْدٍ الأَعْرَجِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاذٍ التَّيْمِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ بِمِنًى فَفُتِحَتْ أَسْمَاعُنَا حَتَّى كُنَّا نَسْمَعُ مَا يَقُولُ وَنَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا فَطَفِقَ يُعَلِّمُهُمْ مَنَاسِكَهُمْ حَتَّى بَلَغَ الْجِمَارَ فَوَضَعَ أُصْبُعَيْهِ السَّبَّابَتَيْنِ فِي أُذُنَيْهِ ثُمَّ قَالَ “ بِحَصَى الْخَذْفِ ” . ثُمَّ أَمَرَ الْمُهَاجِرِينَ فَنَزَلُوا فِي مُقَدَّمِ الْمَسْجِدِ وَأَمَرَ الأَنْصَارَ فَنَزَلُوا مِنْ وَرَاءِ الْمَسْجِدِ ثُمَّ نَزَلَ النَّاسُ بَعْدَ ذَلِكَ .
আবদুর রহমান ইবনু মুয়ায আত-তাইমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনায় আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। এ সময় আমরা ছিলাম উৎকর্ণ, যাতে তার বক্তব্য (ভাল করে) শুনতে পাই। আমরা আমাদের নিজ নিজ অবস্থানেই ছিলাম। তিনি তাদের হাজ্জের যাবতীয় বিধি-বিধান শিখালেন, এমনকি কংকর মারা সম্পর্কেও। তিনি তাঁর উভয় শাহাদাত আঙ্গুল নিজের দু’ কানের মধ্যে রেখে বললেনঃ কংকরগুলো খুবই ক্ষুদ্র হওয়া চাই। তারপর মুহাজিরদেরকে নির্দেশ দিলে তারা মাসজিদের পেছনে গিয়ে অবস্থান করলেন। অত:পর অন্যান্য লোক তাদের অবস্থান গ্রহণ করে। [১৯৫৭]
সহীহ। সংক্ষিপ্তভাবে এটি গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৬
মিনার রাতগুলো মাক্কাহ্য় যাপন করা
১৯৫৮
نَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي حَرِيزٌ، أَوْ أَبُو حَرِيزٍ – الشَّكُّ مِنْ يَحْيَى – أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ فَرُّوخَ، يَسْأَلُ ابْنَ عُمَرَ قَالَ إِنَّا نَتَبَايَعُ بِأَمْوَالِ النَّاسِ فَيَأْتِي أَحَدُنَا مَكَّةَ فَيَبِيتُ عَلَى الْمَالِ فَقَالَ أَمَّا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَاتَ بِمِنًى وَظَلَّ .
‘আবদুর রহমান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, আমরা লোকদের মালপত্র ক্রয় করি এবং তা সংরক্ষণের জন্য আমাদের কেউ মক্কায় গিয়ে রাত যাপন করে। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনাতেই রাত যাপন করতেন এবং দিনেও সেখানেই থাকতেন। [১৯৫৮]
[১৯৫৮] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদে আবূ হারীয় সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন: মাজহুল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯৫৯
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اسْتَأْذَنَ الْعَبَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَبِيتَ بِمَكَّةَ لَيَالِيَ مِنًى مِنْ أَجْلِ سِقَايَتِهِ فَأَذِنَ لَهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল-‘আব্বাস (রাঃ) হাজ্জীদেরকে পানি পান করানোর জন্য মিনায় অবস্থানের রাতগুলোতে মক্কায় অবস্থান করার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাকে অনুমতি দেন। [১৯৫৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৭
মিনাতে সলাত আদায়
১৯৬০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ أَبَا مُعَاوِيَةَ، وَحَفْصَ بْنَ غِيَاثٍ، حَدَّثَاهُ – وَحَدِيثُ أَبِي مُعَاوِيَةَ، أَتَمُّ – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ صَلَّى عُثْمَانُ بِمِنًى أَرْبَعًا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ رَكْعَتَيْنِ وَمَعَ عُمَرَ رَكْعَتَيْنِ زَادَ عَنْ حَفْصٍ وَمَعَ عُثْمَانَ صَدْرًا مِنْ إِمَارَتِهِ ثُمَّ أَتَمَّهَا . زَادَ مِنْ هَا هُنَا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ ثُمَّ تَفَرَّقَتْ بِكُمُ الطُّرُقُ فَلَوَدِدْتُ أَنَّ لِي مِنْ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ رَكْعَتَيْنِ مُتَقَبَّلَتَيْنِ . قَالَ الأَعْمَشُ فَحَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ عَنْ أَشْيَاخِهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ صَلَّى أَرْبَعًا قَالَ فَقِيلَ لَهُ عِبْتَ عَلَى عُثْمَانَ ثُمَّ صَلَّيْتَ أَرْبَعًا قَالَ الْخِلاَفُ شَرٌّ .
আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উসমান (রাঃ) মিনাতে চার রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন (কসর করেননি)। ‘আবদুল্লাহ বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে এবং আবূ বাক্র ও ‘উমারের (রাঃ) সাথে দুই রাক‘আত সলাত আদায় করেছি। হাফস ইবনু গিয়াছের বর্ণনায় রয়েছে : এবং ‘উসমানের (রাঃ) খিলাফাতের শুরুতে তার সাথেও দুই রাক‘আত সলাত আদায় করেছি। অত:পর ‘উসমান (রাঃ) চার রাক‘আত পড়েছেন। অত:পর বর্ণনাকারী আবূ মু‘আবিয়্যাহ হতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে : পরে এ নিয়ে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। আমি নিজের জন্য চার রাক‘আতের চেয়ে দুই রাক‘আত মাক্ববুল সলাতই পছন্দ করি । আ‘মাশ (রহঃ) বলেন, মু‘আবিয়্যাহ ইবনু কুররাহ তাঁর শায়খদের সূত্রে আমাকে বলেছেন, পরে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ‘উসমান (রাঃ) এর সাথে চার রাক‘আতই পড়েছেন। কেউ তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘উসমান (রাঃ) চার রাক‘আত সলাত আদায়ের কারণে আপনি তার সমালোচনা করেছেন। অথচ দেখছি আপনিও চার রাক‘আত আদায় করছেন। তখন তিনি বললেন, মতপার্থক্য করা মন্দ কাজ। [১৯৬০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عُثْمَانَ، إِنَّمَا صَلَّى بِمِنًى أَرْبَعًا لأَنَّهُ أَجْمَعَ عَلَى الإِقَامَةِ بَعْدَ الْحَجِّ .
আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উসমান (রাঃ) মিনাতে চার রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। কারণ তিনি হজ্জের পর সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। [১৯৬১]
[১৯৬১] এর সানাদ মুনকাতি হওয়ার কারণে যঈফ। আল্লামা মুনযিরী বলেন : মুনকাতি। যুহরী উসমানকে পাননি। এজন্য হাফিয ইবনু হাজার ফাতহুল বারী গ্রন্থে এটিকে মুরসাল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯৬২
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِنَّ عُثْمَانَ صَلَّى أَرْبَعًا لأَنَّهُ اتَّخَذَهَا وَطَنًا .
ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উসমান (রাঃ) সলাত চার রাক‘আত পড়েছেন। কারণ তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বাসস্থান বানিয়েছিলেন। [১৯৬২]
[১৯৬২] সানাদে ইবরাহীম ও উসমানের মাঝে ইনকিতা হয়েছে। এছাড়া সানাদের মুগীরাহ হলো ইবনু মুকসিম। তিনি একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন আন শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ لَمَّا اتَّخَذَ عُثْمَانُ الأَمْوَالَ بِالطَّائِفِ وَأَرَادَ أَنْ يُقِيمَ بِهَا صَلَّى أَرْبَعًا قَالَ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ الأَئِمَّةُ بَعْدَهُ .
আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উসমান (রাঃ) যখন তাদের এলাকায় কিছু সম্পদ পেলেন তখন তিনি সেখানে কিছুদিন অবস্থানের ইচ্ছা করলেন। সেজন্যই তিনি সলাতে চার রাক‘আত আদায় করেন। অতঃপর (উমাইয়্যাহ) শাসকগণও সেখানে অনুরূপ করেছেন। [১৯৬৩]
[১৯৬৩] পূর্বেরটির অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৪
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، أَتَمَّ الصَّلاَةَ بِمِنًى مِنْ أَجْلِ الأَعْرَابِ لأَنَّهُمْ كَثُرُوا عَامَئِذٍ فَصَلَّى بِالنَّاسِ أَرْبَعًا لِيُعْلِمَهُمْ أَنَّ الصَّلاَةَ أَرْبَعٌ .
আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ) আরববাসীদের অধিক উপস্থিতির কারণেই মিনাতে পূর্ণ চার রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। যাতে তারা জানতে পারে যে, (আসলে) সলাত চার রাক‘আতই। [১৯৬৪]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৮
মাক্কাহবাসীর জন্য সলাত ক্বাসর করার অনুমতি প্রসঙ্গে
১৯৬৫
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي حَارِثَةُ بْنُ وَهْبٍ الْخُزَاعِيُّ، – وَكَانَتْ أُمُّهُ تَحْتَ عُمَرَ فَوَلَدَتْ لَهُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ – قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى وَالنَّاسُ أَكْثَرُ مَا كَانُوا فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَارِثَةُ مِنْ خُزَاعَةَ وَدَارُهُمْ بِمَكَّةَ .
হারিসাহ ইবনু ওয়াহব আল-খুযাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার মা ছিলেন ‘উমার (রাঃ) এর স্ত্রী। তার গর্ভে উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর জন্ম হয়। তিনি বলেন, আমি রাসূলু্ল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে মিনায় সলাত আদায় করেছি। সে বছর লোকজনের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিক ছিলো। সুতরাং বিদায় হাজ্জের দিন তিনি আমাদেরকে ক্বসর সলাত পড়িয়েছেন। [১৯৬৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৭৯
জামরাতে কংকর মারা
১৯৬৬
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمِي الْجَمْرَةَ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي وَهُوَ رَاكِبٌ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ وَرَجُلٌ مِنْ خَلْفِهِ يَسْتُرُهُ فَسَأَلْتُ عَنِ الرَّجُلِ فَقَالُوا الْفَضْلُ بْنُ الْعَبَّاسِ وَازْدَحَمَ النَّاسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ يَا أَيُّهَا النَّاسُ لاَ يَقْتُلْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا وَإِذَا رَمَيْتُمُ الْجَمْرَةَ فَارْمُوا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ ” .
সুলাইমান ইবনু ‘আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার মাতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সওয়ারী অবস্থায় উপত্যকার কেন্দ্রস্থল থেকে কংকর মারতে দেখেছি। প্রত্যেক কংকর মারার সময় তিনি তাকবীর বলেছেন। এ সময় এক লোক তাঁকে পেছন থেকে আড়াল করে রেখেছিলো। আমি লোকটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে লোকেরা বললো, তিনি আল-ফাদল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)। লোকজনের ভীড় হচ্ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে লোকেরা! তোমরা (বড়) কংকর নিক্ষেপ করে একে অপরকে হত্যা করো। তোমরা জামরায় কংকর নিক্ষেপ করার সময় ছো্ট পাথর কুচি নিক্ষেপ করবে। [১৯৬৬]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو ثَوْرٍ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ وَوَهْبُ بْنُ بَيَانٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ رَاكِبًا وَرَأَيْتُ بَيْنَ أَصَابِعِهِ حَجَرًا فَرَمَى وَرَمَى النَّاسُ .
সুলাইমান ইবনু ‘আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার মাতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জামরাতে আকাবার নিকট বাহনে সওয়ার অবস্থায় দেখেছি এবং দেখেছি তাঁর আঙ্গুলের ফাঁকে কংকর রয়েছে। তিনি নিক্ষেপ করলে লোকেরাও নিক্ষেপ করলো। [১৯৬৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، بِإِسْنَادِهِ فِي مِثْلِ هَذَا الْحَدِيثِ زَادَ وَلَمْ يَقُمْ عِنْدَهَا .
ইয়াযীদ ইবনু আবু যিয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে আরো রয়েছে : তিনি (কংকর মেরে) সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬৯
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عُمَرَ – عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَأْتِي الْجِمَارَ فِي الأَيَّامِ الثَّلاَثَةِ بَعْدَ يَوْمِ النَّحْرِ مَاشِيًا ذَاهِبًا وَرَاجِعًا وَيُخْبِرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি কংকর মারার জন্য (কুরবানীর পরের) তিন দিন জামরাতসমূহে পায়ে হেঁটে আসা-যাওয়া করতেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও এরূপ করতেন। [১৯৬৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمِي عَلَى رَاحِلَتِهِ يَوْمَ النَّحْرِ يَقُولُ “ لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ فَإِنِّي لاَ أَدْرِي لَعَلِّي لاَ أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِي هَذِهِ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর বাহনে সওয়ার অবস্থায় কংকর মারতে দেখেছি। এ সময় তিনি বলছিলেন : তোমরা হাজ্জের নিয়ম-পদ্ধতি শিখে নাও। তিনি আরো বলেনঃ আমি অবহিত নই আমার এই হাজ্জের পর আবার হাজ্জ করার সুযোগ পাবো কি না। [১৯৭০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمِي عَلَى رَاحِلَتِهِ يَوْمَ النَّحْرِ ضُحًى فَأَمَّا بَعْدَ ذَلِكَ فَبَعْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুরবানীর দিন আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দ্বি-প্রহরে তাঁর বাহনে আরোহিত অবস্থায় কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। আর এর পরের দিনগুলোতে তিনি সূর্য ঢলে পড়ার পর কংকর নিক্ষেপ করেছেন। [১৯৭১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ وَبَرَةَ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ مَتَى أَرْمِي الْجِمَارَ قَالَ إِذَا رَمَى إِمَامُكَ فَارْمِ . فَأَعَدْتُ عَلَيْهِ الْمَسْأَلَةَ فَقَالَ كُنَّا نَتَحَيَّنُ زَوَالَ الشَّمْسِ فَإِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ رَمَيْنَا .
ওয়াবারাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জামরায় কখন কংকর নিক্ষেপ করবো তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তোমার ইমাম যখন নিক্ষেপ করেন তখন তুমিও নিক্ষেপ করবে। আমি আমার প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলে তিনি বলেন, সূর্য ঢলা পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করতাম। সুতরাং সূর্য ঢলে পড়লেই আমরা কংকর নিক্ষেপ করতাম। [১৯৭২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ حِينَ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مِنًى فَمَكَثَ بِهَا لَيَالِيَ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ يَرْمِي الْجَمْرَةَ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ كُلَّ جَمْرَةٍ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ وَيَقِفُ عِنْدَ الأُولَى وَالثَّانِيَةِ فَيُطِيلُ الْقِيَامَ وَيَتَضَرَّعُ وَيَرْمِي الثَّالِثَةَ وَلاَ يَقِفُ عِنْدَهَا .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (কুরবানীর দিন) যুহরের সলাত আদায় করে দিনের শেষভাগে ফরয তাওয়াফ সম্পন্ন করেন। এরপর মিনায় আসেন এবং সেখানে তাশরীকের দিন রাতগুলো অতিবাহিত করেন। তিনি সূর্য ঢলার পর জামরায় কংকর মারেন। তিনি প্রত্যেক জামরায় সাতটি কংকর মারেন এবং প্রত্যেক কংকর মারার সময় তাকবীর বলেন। তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় জামরায় দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে বিনয়ের সাথে দু‘আ করেন। অবশ্য তৃতীয় জামরাতে কংকর মারার পর সেখানে অবস্থান করেননি। [১৯৭৩]
সহীহ। তার “যুহরের সলাত আদায় করে” কথাটি বাদে। কেননা এটি মুনকার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৪
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ لَمَّا انْتَهَى إِلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى جَعَلَ الْبَيْتَ عَنْ يَسَارِهِ وَمِنًى عَنْ يَمِينِهِ وَرَمَى الْجَمْرَةَ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ وَقَالَ هَكَذَا رَمَى الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ .
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি জামরাতুল কুবরার নিকটবর্তী হয়ে বায়তুল্লাহকে তার বামদিকে এবং মিনাকে তার ডান দিকে রেখে জামরাতে সাতটি কংকর মারলেন এবং বললেনঃ যাঁর উপর সুরাহ আল-বাক্বারাহ অবতীর্ণ হয়েছে তিনি এভাবেই (কংকর) নিক্ষেপ করেছেন। [১৯৭৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ لِرِعَاءِ الإِبِلِ فِي الْبَيْتُوتَةِ يَرْمُونَ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ يَرْمُونَ الْغَدَ وَمِنْ بَعْدِ الْغَدِ بِيَوْمَيْنِ وَيَرْمُونَ يَوْمَ النَّفْرِ .
আবুল বাদ্দাহ ইবনু ‘আসিম (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটের রাখালদেরকে মিনার বাইরে রাত যাপনের অনুমতি দেন। তারা কেবল কুরবানীর দিন কংকর মারবে এবং পরের দু’দিন ও প্রত্যাবর্তনের দিন (তের তারিখ) কংকর নিক্ষেপ করবে। [১৯৭৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدِ، ابْنَىْ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ لِلرِّعَاءِ أَنْ يَرْمُوا يَوْمًا وَيَدَعُوا يَوْمًا .
আবূল বাদ্দাহ ইবনু ‘আদী (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটের রাখালদেরকে একদিন বাদ দিয়ে একদিন (অর্থাৎ ১১ ও ১২ তারিখ) কংকর মারার বিশেষ অনুমতি দিয়েছেন। [১৯৭৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مِجْلَزٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ شَىْءٍ، مِنْ أَمْرِ الْجِمَارِ فَقَالَ مَا أَدْرِي أَرَمَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسِتٍّ أَوْ بِسَبْعٍ .
আবু মিজলায (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে (জামরাতে) কয়টি কংকর মারতে হবে তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি অবহিত নই যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছয়টি কংকর মেরেছেন নাকি সাতটি। [১৯৭৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا رَمَى أَحَدُكُمْ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَقَدْ حَلَّ لَهُ كُلُّ شَىْءٍ إِلاَّ النِّسَاءَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفٌ الْحَجَّاجُ لَمْ يَرَ الزُّهْرِيَّ وَلَمْ يَسْمَعْ مِنْهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি ‘জামরায় আকাবায়’ কংকর নিক্ষেপ করার পর স্ত্রী সহবাস ছাড়া তার জন্য সবই হালাল হয়ে যায়।
ইমাম আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি যঈফ। কারণ যুহরীর সাথে হাজ্জাজের সাক্ষাৎ হয়নি এবং তার থেকে তিনি হাদীসও শুনেননি। [১৯৭৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৮০
মাথার চুল কামানো এবং ছোট করা সম্পর্কে
১৯৭৯
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” اللَّهُمَّ ارْحَمِ الْمُحَلِّقِينَ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالْمُقَصِّرِينَ . قَالَ ” اللَّهُمَّ ارْحَمِ الْمُحَلِّقِينَ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالْمُقَصِّرِينَ . قَالَ ” وَالْمُقَصِّرِينَ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’আ করলেন : হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি রহমাত বর্ষণ করুন। লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! চুল খাটোকারীদের? তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি রহমাত বর্ষণ করুন। লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! চুল খাটোকারীদের? এবার তিনি বললেনঃ এবং চুল খাটোকারীদের প্রতিও। [১৯৭৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي الإِسْكَنْدَرَانِيَّ – عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَلَقَ رَأْسَهُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জে তাঁর মাথা চুল মুণ্ডন করেছিলেন। [১৯৮০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ بِمِنًى فَدَعَا بِذِبْحٍ فَذُبِحَ ثُمَّ دَعَا بِالْحَلاَّقِ فَأَخَذَ بِشِقِّ رَأْسِهِ الأَيْمَنِ فَحَلَقَهُ فَجَعَلَ يَقْسِمُ بَيْنَ مَنْ يَلِيهِ الشَّعْرَةَ وَالشَّعْرَتَيْنِ ثُمَّ أَخَذَ بِشِقِّ رَأْسِهِ الأَيْسَرِ فَحَلَقَهُ ثُمَّ قَالَ “ هَا هُنَا أَبُو طَلْحَةَ ” . فَدَفَعَهُ إِلَى أَبِي طَلْحَةَ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন জামরাতুল আকাবায় কংকর মেরে মিনায় তাঁর অবস্থান স্থলে ফিরে এসে কুরবানীর পশু আনিয়ে তা যাবাহ করলেন। পরে নাপিত ডাকিয়ে প্রথমে তাঁর মাথার ডান দিকের চুল মুড়ালেন এবং তিনি উপস্থিত লোকদেরকে এক বা দুইগাছি করে চুল বিতরণ করলেন। তারপর মাথার বাম দিকের চুল মুড়ালেন। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এখানে আবু ত্বালহা আছে কি না? অবশিষ্ট চুলগুলো তিনি আবু ত্বালহা (রাঃ)-কে দিলেন। [১৯৮১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮২
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ هِشَامٍ أَبُو نُعَيْمٍ الْحَلَبِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْمَعْنَى، – قَالاَ – حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا قَالَ فِيهِ قَالَ لِلْحَالِقِ “ ابْدَأْ بِشِقِّي الأَيْمَنِ فَاحْلِقْهُ ” .
হিশাম ইবনু হাসসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সানাদে পূর্বের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তাতে আরো আছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাপিতকে বললেনঃ ডানদিক থেকে শুরু করো এবং তা মুণ্ডন করো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৩
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُسْأَلُ يَوْمَ مِنًى فَيَقُولُ ” لاَ حَرَجَ ” . فَسَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنِّي حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ . قَالَ ” اذْبَحْ وَلاَ حَرَجَ ” . قَالَ إِنِّي أَمْسَيْتُ وَلَمْ أَرْمِ . قَالَ ” ارْمِ وَلاَ حَرَجَ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মিনাতে অবস্থানকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (হাজ্জের) বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। তিনি জবাবে বলতে থাকেন : ‘কোন দোষ নেই।’ এক ব্যাক্তি জিজ্ঞেস করলো, আমি কুরবানী করার পূর্বেই মাথা মুড়িয়েছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এখন কুরবানী করো, কোনো দোষ নেই। লোকটি বললো, সন্ধ্যা হয়ে গেছে অথচ এখনো কংকর নিক্ষেপ করিনি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এখন কংকর নিক্ষেপ করো, কোনো দোষ নেই। [১৯৮৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ بَلَغَنِي عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَتْ أَخْبَرَتْنِي أُمُّ عُثْمَانَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ حَلْقٌ إِنَّمَا عَلَى النِّسَاءِ التَّقْصِيرُ ” .
ইবনু ‘আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নারীদের মাথার চুল মুড়ানোর প্রয়োজন নেই। বরং তারা চুল কাটবে। [১৯৮৪]
সহীহ, পরবর্তী হাদীস দ্বারা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو يَعْقُوبَ الْبَغْدَادِيُّ، ثِقَةٌ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، قَالَتْ أَخْبَرَتْنِي أُمُّ عُثْمَانَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ الْحَلْقُ إِنَّمَا عَلَى النِّسَاءِ التَّقْصِيرُ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নারীদের জন্য মাথা কামানোর দরকার নেই, তাদেরকে চুল ছাঁটতে হবে। [১৯৮৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮১
‘উমরাহ্ সম্পর্কে
১৯৮৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ، وَيَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ أَنْ يَحُجَّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র শপথ! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে যিলহাজ্জ মাসে ‘উমরাহ করিয়েছেন এজন্যই যে, যাতে মুশরিকদের কাজের বিরোধীতা হয়। কেননা কুরাইশদের এ গোত্র এবং তাদের অনুসারীরা বলতো : ‘উটের পিঠের ঘা শুকিয়ে পশম গজালে এবং সফর মাস এলে ‘উমরাহ করতে ইচ্ছুকদের ‘উমরাহ করা বৈধ। মুশরিকরা যিলহাজ্জ এবং মুহা্ররম মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত ‘উমরাহ করা হারাম মনে করতো। [১৯৮৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৭
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ وَاللَّهِ مَا أَعْمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِشَةَ فِي ذِي الْحِجَّةِ إِلاَّ لِيَقْطَعَ بِذَلِكَ أَمْرَ أَهْلِ الشِّرْكِ فَإِنَّ هَذَا الْحَىَّ مِنْ قُرَيْشٍ وَمَنْ دَانَ دِينَهُمْ كَانُوا يَقُولُونَ إِذَا عَفَا الْوَبَرْ وَبَرَأَ الدَّبَرْ وَدَخَلَ صَفَرْ فَقَدْ حَلَّتِ الْعُمْرَةُ لِمَنِ اعْتَمَرْ . فَكَانُوا يُحَرِّمُونَ الْعُمْرَةَ حَتَّى يَنْسَلِخَ ذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ .
আবূ বাক্র ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মারওয়ানের যে দূতকে উম্মু মা‘ক্বিলের নিকট প্রেরণ করা হয়, তিনি আমাকে জানিয়েছেন, উম্মু মা‘ক্বিল (রাঃ) বলেছেন, আবূ মা‘ক্বিল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে হাজ্জ গমনের ইচ্ছা করেছিলেন। তিনি ঘরে এলে উম্মু মা‘ক্বিল (রাঃ) বললেন, আমি আবগত হয়েছি, আমার উপরও হাজ্জ ফরয হয়েছে সুতরাং তারা (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ে পদব্রজে রাসূলল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট উপস্থিত হলেন। উম্মু মা‘ক্বিল বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উপর হাজ্জ ফরয হয়েছে। আর আবূ মা‘ক্বিলের নিকট একটি উষ্ট্রী আছে। আবূ মা‘ক্বিল (রাঃ) বললেন, সে সত্যই বলেছে, কিন্তু আমি তো সেটি আল্লাহর পথে যুদ্ধের কাজে সদাক্বাহ করেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি এটা তাকে দিয়ে দাও, সে হাজ্জ করে আসুক। কেননা এটাও আল্লাহর পথ। নির্দেশ মোতাবেক তিনি উষ্ট্রীটি তাকে দিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো বৃদ্ধ মহিলা এবং অসুস্থ। সুতরাং এমন কোনো কাজ আছে কি যা আমার হাজ্জের বিকল্প হবে? তিনি বললেনঃ রমাযান মাসে ‘উমরাহ তোমার হাজ্জের জন্য যথেষ্ট। [১৯৮৭]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৮
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنِي رَسُولُ مَرْوَانَ الَّذِي أَرْسَلَ إِلَى أُمِّ مَعْقِلٍ قَالَتْ كَانَ أَبُو مَعْقِلٍ حَاجًّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا قَدِمَ قَالَتْ أُمُّ مَعْقِلٍ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ عَلَىَّ حَجَّةً فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ حَتَّى دَخَلاَ عَلَيْهِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَلَىَّ حَجَّةً وَإِنَّ لأَبِي مَعْقِلٍ بَكْرًا . قَالَ أَبُو مَعْقِلٍ صَدَقَتْ جَعَلْتُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَعْطِهَا فَلْتَحُجَّ عَلَيْهِ فَإِنَّهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ” . فَأَعْطَاهَا الْبَكْرَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ قَدْ كَبِرْتُ وَسَقِمْتُ فَهَلْ مِنْ عَمَلٍ يُجْزِئُ عَنِّي مِنْ حَجَّتِي قَالَ ” عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تُجْزِئُ حَجَّةً ” .
আবূ বাক্র ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মারওয়ানের যে দূতকে উম্মু মা‘ক্বিলের কাছে প্রেরণ করা হয়েছিলো, তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, উম্মু মা‘ক্বিল (রাঃ) বলেছেনঃ আবূ মা‘ক্বিল রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে হাজ্জ করার ইচ্ছা করেছিলেন। তিনি ঘরে এলে উম্মু মা‘ক্বিল (রাঃ) বলেন, আমার উপরও যে হাজ্জ ফরয হয়েছে তা আমি অবগত হয়েছি। কাজেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই পায়ে হেঁটে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে গেলেন। উম্মু মা‘ক্বিল (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উপর হাজ্জ ফরয হয়েছে। আর আবূ মা‘ক্বিলের নিকট (বাহন উপযোগী) একটি উষ্ট্রী আছে। আবূ মা‘ক্বিল (রাঃ) বললেন, সে সত্য বলেছে, কিন্তু আমি তো সেটি আল্লাহর পথে যুদ্ধের কাজে সদাক্বাহ করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি ওটা (উষ্ট্রীটি) একে দাও, সে হাজ্জ করে আসুক। কারণ এটাও তো আল্লাহর পথ। ফলে তিনি তাকে তা দিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন বৃদ্ধা মহিলা এবং অসুস্থ। কাজেই এমন কোন আমল আছে কি যা করলে আমার হাজ্জের পরিবর্তে যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ রমাযানের একটি ‘উমরাহ তোমার হাজ্জের জন্য যথেষ্ট হবে। [১৯৮৮]
সহীহ, তবে মহিলার এ কথাটি বাদে : আমি একজন বৃদ্ধা মহিলা …।”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عِيسَى بْنِ مَعْقِلِ ابْنِ أُمِّ مَعْقِلٍ الأَسَدِيِّ، – أَسَدُ خُزَيْمَةَ – حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ مَعْقِلٍ، قَالَتْ لَمَّا حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّةَ الْوَدَاعِ وَكَانَ لَنَا جَمَلٌ فَجَعَلَهُ أَبُو مَعْقِلٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَصَابَنَا مَرَضٌ وَهَلَكَ أَبُو مَعْقِلٍ وَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ حَجِّهِ جِئْتُهُ فَقَالَ ” يَا أُمَّ مَعْقِلٍ مَا مَنَعَكِ أَنْ تَخْرُجِي مَعَنَا ” . قَالَتْ لَقَدْ تَهَيَّأْنَا فَهَلَكَ أَبُو مَعْقِلٍ وَكَانَ لَنَا جَمَلٌ هُوَ الَّذِي نَحُجُّ عَلَيْهِ فَأَوْصَى بِهِ أَبُو مَعْقِلٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ . قَالَ ” فَهَلاَّ خَرَجْتِ عَلَيْهِ فَإِنَّ الْحَجَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَمَّا إِذْ فَاتَتْكِ هَذِهِ الْحَجَّةُ مَعَنَا فَاعْتَمِرِي فِي رَمَضَانَ فَإِنَّهَا كَحَجَّةٍ ” . فَكَانَتْ تَقُولُ الْحَجُّ حَجَّةٌ وَالْعُمْرَةُ عُمْرَةٌ وَقَدْ قَالَ هَذَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أَدْرِي أَلِيَ خَاصَّةً .
উম্মু মা‘ক্বিল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বিদায় হাজ্জ গমন করেন তখন আমাদের একটি মাত্র উট ছিলো, সেটাও আবূ মা‘ক্বিল (রাঃ) আল্লাহর পথে (জিহাদে) সদাক্বাহ করেছেন। এদিকে আমরা অসুস্থ হলাম এবং আবূ মা‘ক্বিলও মৃত্যুবরণ করলেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হাজ্জে) চলে গেলেন। তিনি হাজ্জ সম্পন্ন করার পর আমি তাঁর কাছে আসলে তিনি বললেনঃ হে উম্মু মা‘ক্বিল! আমাদের সাথে যেতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছে? তিনি বললেন, আমরা তো প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু আবূ মা‘ক্বিল মারা গেলেন। আমাদের যে উটটি ছিলো, যা দ্বারা আমি হাজ্জ সম্পন্ন করতে চেয়েছিলাম, সেটাকেও আবূ মা‘ক্বিল আল্লাহর পথে দান করার ওয়াসিয়্যাত করেছেন। তিনি বললেন, তুমি সেটা নিয়েই বের হলে না কেন? কারণ ‘হাজ্জ করাও আল্লাহর পথের সদৃশ! তুমি যখন আমাদের সাথে এ হাজ্জ করতে পারলে না সুতরাং রমযান মাসে ‘উমরাহ আদায় করো। কেননা এ সময়ের ‘উমরাহ হাজ্জের সমতুল্য। এরপর থেকে উম্মু মা‘ক্বিল প্রায়ই বলতেন, হাজ্জ হাজ্জই এবং ‘উমরাহ ‘উমরাহই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথা কেবল আমার জন্যই বলেছেন নাকি সবার জন্য তা আমি অবহিত নই। [১৯৮৯]
সহীহ, তার এ কথাটি বাদে : “তিনি প্রায়ই বলতেন …।”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحَجَّ فَقَالَتِ امْرَأَةٌ لِزَوْجِهَا أَحِجَّنِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَمَلِكَ . فَقَالَ مَا عِنْدِي مَا أُحِجُّكِ عَلَيْهِ . قَالَتْ أَحِجَّنِي عَلَى جَمَلِكَ فُلاَنٍ . قَالَ ذَاكَ حَبِيسٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ . فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ امْرَأَتِي تَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ وَإِنَّهَا سَأَلَتْنِي الْحَجَّ مَعَكَ قَالَتْ أَحِجَّنِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقُلْتُ مَا عِنْدِي مَا أُحِجُّكِ عَلَيْهِ . فَقَالَتْ أَحِجَّنِي عَلَى جَمَلِكَ فُلاَنٍ . فَقُلْتُ ذَاكَ حَبِيسٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ . فَقَالَ ” أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَحْجَجْتَهَا عَلَيْهِ كَانَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ” . قَالَ وَإِنَّهَا أَمَرَتْنِي أَنْ أَسْأَلَكَ مَا يَعْدِلُ حَجَّةً مَعَكَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَقْرِئْهَا السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ وَبَرَكَاتِهِ وَأَخْبِرْهَا أَنَّهَا تَعْدِلُ حَجَّةً مَعِي ” . يَعْنِي عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের ইচ্ছা করলেন। তখন জনৈক মহিলা (উম্মু মা‘ক্বিল) তার স্বামীকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আমার হাজ্জে গমনের ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বললেন, তোমাকে হাজ্জে পাঠাবার মতো (বাহন) ব্যবস্থা আমার কাছে নেই। তিনি (উম্মু মা‘ক্বিল) বললেন, অমুক উটটি দ্বারা আমাকে হাজ্জে গমনের ব্যবস্থা করুন। তিনি বললেন, তাতো মহান শক্তিমান আল্লাহ পথে (জিহাদের জন্য) আবদ্ধ। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, আমার স্ত্রী আপনাকে সালাম জানিয়েছে এবং আপনার উপর আল্লাহর রহমাত কামনা করেছে। সে আপনার সাথে হাজ্জে যেতে আমার কাছে অনুমতি চেয়ে বলেছে, আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে হাজ্জে গমনের ব্যবস্থা করে দিন। আমি বলেছি, আমার কাছে তোমাকে হাজ্জে পাঠানোর কোন ব্যবস্থা নেই। সে বললো, অমুক উট দ্বারা আমাকে হাজ্জে গমনের সুযোগ দিন। আমি বললাম, সেটি তো মহান শক্তিমান আল্লাহর পথে (জিহাদের জন্য) আবদ্ধ। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে সেটির দ্বারা হাজ্জে গমনের ব্যবস্থা করে দিলে তাও আল্লাহর পথেই হতো। সে আমাকে আপনার কাছে জিজ্ঞেস করতে বলেছে, আপনার সাথে হাজ্জ করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়ার মত কোন কাজ আছে কিনা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে আমার সালাম জানাবে, তার উপর আল্লাহর রহমাত ও বরকত বর্ষিত হোক। তাকে এ সংবাদও দিবে, রমযান মাসে ‘উমরাহ করা আমার সাথে হাজ্জ করার সমুতুল্য। [১৯৯০]
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৯৯১
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ عُمْرَتَيْنِ عُمْرَةً فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً فِي شَوَّالٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুইবার ‘উমরাহ করছেন। একটি যিলক্বাদ মাসে এবং অপরটি শাওয়াল মাসে। [১৯৯১]
সহীহ : কিন্তু তার কথা : শাওয়াল অর্থাৎ প্রথমটি। অন্যতায় সেটিও যিলক্বাদ মাসে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯২
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ كَمِ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَرَّتَيْنِ . فَقَالَتْ عَائِشَةُ لَقَدْ عَلِمَ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِ اعْتَمَرَ ثَلاَثًا سِوَى الَّتِي قَرَنَهَا بِحَجَّةِ الْوَدَاعِ .
মুজাহিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতবার ‘উমরাহ করেছেন? তিনি বললেন, দুইবার। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জের সাথে যে ‘উমরাহ করেছেন সেটা ছাড়াও তিনবার ‘উমরাহ করেছেন।
[১৯৯২] বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৩
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَالثَّانِيَةَ حِينَ تَوَاطَئُوا عَلَى عُمْرَةٍ مِنْ قَابِلٍ وَالثَّالِثَةَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ وَالرَّابِعَةَ الَّتِي قَرَنَ مَعَ حَجَّتِهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারবার ‘উমরাহ করেছেন। প্রথমবার হুদায়বিয়ার সময়, দ্বিতীয় ‘উমরাহ এর পরবর্তী বছর, যেটির উপর তাদের সাথে সন্ধি হয়েছিল। তৃতীয় ‘উমরাহ আল-জিইররানা হতে এবং চতুর্থ ‘উমরাহ তার হাজ্জের সাথে। [১৯৩৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، وَهُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ إِلاَّ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ – قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَتْقَنْتُ مِنْ هَا هُنَا مِنْ هُدْبَةَ وَسَمِعْتُهُ مِنْ أَبِي الْوَلِيدِ وَلَمْ أَضْبِطْهُ – عُمْرَةً زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ أَوْ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنَ الْجِعْرَانَةِ حَيْثُ قَسَمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مَعَ حَجَّتِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোট চারবার ‘উমরাহ করেছেন। বিদায় হাজ্জের সাথে ‘উমরাহ ছাড়া অবশিষ্ট ‘উমরাহগুলো তিনি যিলক্বাদ মাসে আদায় করেছেন। [১৯৯৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮২
যদি কোন মহিলা ‘উমরাহ্র জন্য ইহরাম বাঁধার পর ঋতুবতী হয় এবং এমতাবস্থায় হাজ্জের সময় উপস্থিত হওয়ায় সে ‘উমরাহ্র ইহরাম ছেড়ে হাজ্জের ইহরাম বাঁধে, তাহলে তাকে তার ‘উমরাহ ক্বাযা করতে হবে কিনা?
১৯৯৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ “ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَرْدِفْ أُخْتَكَ عَائِشَةَ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ فَإِذَا هَبَطْتَ بِهَا مِنَ الأَكَمَةِ فَلْتُحْرِمْ فَإِنَّهَا عُمْرَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ ” .
হাফসাহ বিনতু ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাক্র (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমানকে বলেনঃ হে ‘আবদুর রহমান! তোমার বোন ‘আয়িশাকে তোমার সওয়াবীর পেছনে বসিয়ে নাও এবং আত-তানঈম থেকে তাকে ‘উমরাহ্র জন্য ইহরাম বাঁধাও। আর তুমি তাকে নিয়ে সেখানকার উঁচু টিলা থেকে নেমে সমতল ভূমিতে এলেই সে ইহরাম বাঁধবে, কারণ তা ‘উমরাহ কবুল হওয়ার স্থান। [১৯৯৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُزَاحِمِ بْنِ أَبِي مُزَاحِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي مُزَاحِمٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَسِيدٍ، عَنْ مُحَرِّشٍ الْكَعْبِيِّ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْجِعْرَانَةَ فَجَاءَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَرَكَعَ مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ أَحْرَمَ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى رَاحِلَتِهِ فَاسْتَقْبَلَ بَطْنَ سَرِفَ حَتَّى لَقِيَ طَرِيقَ الْمَدِينَةِ فَأَصْبَحَ بِمَكَّةَ كَبَائِتٍ .
মুহাররিশ আল-কা’বী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল-জি‘ইররানাহ স্থানে পৌঁছে সেখানকার মাসজিদে গিয়ে তথায় আল্লাহ যতটুকু চাইলেন তিনি (রুকু‘) সলাত আদায় করলেন, অতঃপর ইহরাম বাঁধলেন। তারপর সওয়ারীতে চড়ে ‘বাতনে সারিফ’ ভূমিতে এসে মাদীনাহগামী পথে উপনীত হলেন এবং রাত যাপনকারীর মতই তিনি মক্কায় ভোর পর্যন্ত অবস্থান করলেন। [১৯৯৬]
সহীহ, মাসজিদে রুকু‘ কথাটি বাদে। কেননা তা মুনকার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৩
‘উমরাহ আদায়ের পর সেখানে অবস্থান
১৯৯৭
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، وَعَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقَامَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ ثَلاَثًا .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বাযা ‘উমরাহ আদায়ের পর মক্কায় তিন দিন অবস্থান করেছেন। [১৯৯৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৪
হাজ্জে তাওয়াফে ইফাদা (যিয়ারাত)
১৯৯৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَفَاضَ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ صَلَّى الظُّهْرَ بِمِنًى يَعْنِي رَاجِعًا .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন মক্কায় এসে তাওয়াফে যিয়ারত সমাপ্ত করে পুনরায় মিনায় ফিরে এসে সেখানে যুহরের সলাত আদায় করেন। [১৯৯৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯৯
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আমার পালার রাতটি ছিলো কুরবানীর দিন সন্ধ্যায়। সুতরাং সেদিন তিনি আমার কাছে ছিলেন। এ সময় ওয়াহব ইবনু যাম‘আহ এবং তার সাথে আবূ উমায়্যাহ পরিবারের জনৈক ব্যক্তি উভয়েই জামা পরিহিত অবস্থায় আমার নিকট প্রবেশ করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়াহবকে জিজ্ঞেস করলেন : হে আবূ ‘আবদুল্লাহ! তুমি কি তাওয়াফে ইফাদা সম্পন্ন করেছো? সে বললো, না, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রাসূল! তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তোমার জামা খুলে ফেলো। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, তিনি মাথার দিক থেকে তা খুললেন এবং তার সাথীও মাথার দিক থেকে তার জামা খুললো। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এরূপ করার কারণ কি? তিনি বললেনঃ আজকের দিনে তোমাদের জন্য বিধান শিথিল হয়েছে। তোমরা যখন জামারায় কংকর মেরে, কুরবানী সম্পন্ন করে চুল মুড়াবে, তখন একমাত্র স্ত্রীসহবাস ছাড়া এ পর্যন্ত ইহরামের কারণে যা কিছু তোমাদের জন্য হারাম ছিল তা হালাল হবে। আর যদি আজকে বায়তুল্লাহ তাওয়াফের আগে রাত হয়ে যায় তাহলে তাওয়াফ করা পর্যন্ত তোমরা অনুরূপভাবে ইহরাম অবস্থায় থেকে যাবে, যেভাবে ছিলে জামরায় কংকর মারার আগে। [১৯৯৯]
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২০০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَخَّرَ طَوَافَ يَوْمِ النَّحْرِ إِلَى اللَّيْلِ .
আয়িশাহ ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন তাওয়াফকে রাত পর্যন্ত বিলম্বিত করেছেন। [২০০০]
দুর্বল : যঈফ ইবনু মাজাহ (৬৫৪), মিশকাত (২৬৭২), ইরওয়া (১০৭০), যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (১৫৯/৯২৯) এ শব্দে : “তাওয়াফে যিয়ারাহ।”
[২০০০] তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। ইমাম তিরমিযী বলেন: এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২০০১
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَرْمُلْ فِي السَّبْعِ الَّذِي أَفَاضَ فِيهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাওয়াফে যিয়ারাতের সাত চক্করের একটিতেও রমল করেননি। [২০০১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৫
শেষ তাওয়াফ
২০০২
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّاسُ يَنْصَرِفُونَ فِي كُلِّ وَجْهٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা তাওয়াফে যিয়ারাত সম্পন্ন করে মাক্কাহর চতুর্দিক দিয়ে চলে যাচ্ছিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করলেন : তোমাদের কেউ যেন শেষ বারের মত বায়তুল্লাহ তাওয়াফ না করে চলে না যায়। [২০০২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৬
তাওয়াফে যিয়ারাতের পর ঋতুবতী মহিলার মাক্কাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করা
২০০৩
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ فَقِيلَ إِنَّهَا قَدْ حَاضَتْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَعَلَّهَا حَابِسَتُنَا ” . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا قَدْ أَفَاضَتْ . فَقَالَ ” فَلاَ إِذًا ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুয়াই এর কন্যা সাফিয়্যাহ্র (রাঃ) কথা উল্লেখ করেন। তখন বলা হলো, সে ঋতুবর্তী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সম্ভবত সে আমাদের যাত্রা বিলম্বিত করবে। লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি তো তাওয়াফে ইফাদা করেছেন। এবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে সমস্যা নাই। [২০০৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৪
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ أَتَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْمَرْأَةِ، تَطُوفُ بِالْبَيْتِ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ تَحِيضُ قَالَ لِيَكُنْ آخِرُ عَهْدِهَا بِالْبَيْتِ . قَالَ فَقَالَ الْحَارِثُ كَذَلِكَ أَفْتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَرِبْتَ عَنْ يَدَيْكَ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ سَأَلْتَ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِكَيْمَا أُخَالِفَ .
আল-হারিস ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট এসে জনৈক মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি যে, সে কুরবানীর দিন বায়তুল্লাহ তাওয়াফের পর ঋতুবর্তী হয়েছে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তার সর্বশেষ কাজ হওয়া চাই বায়তুল্লাহ তাওয়াফ। বর্ণনাকারী (ওয়ালীদ) বলেন, তখন আল-হারিস (রাঃ) ‘উমার (রাঃ)-কে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও আমাকে এরূপ ফাতাওয়াহ দিয়েছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমার ব্যবহারে আমি দুঃখ পেলাম। তুমি আমাকে (না জানার ভান করে) এমন কথা জিজ্ঞেস করেছো যা তুমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আগেই জিজ্ঞেস করে জ্ঞাত আছো। যাতে আমি তার বিপরীত কিছু বলি।
সহীহ, কিন্তু এটি মানসুখ পূর্বের (২০০৩) হাদীস দ্বারা।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৭
বিদায়ী তাওয়াফ
২০০৫
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَفْلَحَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ أَحْرَمْتُ مِنَ التَّنْعِيمِ بِعُمْرَةٍ فَدَخَلْتُ فَقَضَيْتُ عُمْرَتِي وَانْتَظَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالأَبْطَحِ حَتَّى فَرَغْتُ وَأَمَرَ النَّاسَ بِالرَّحِيلِ . قَالَتْ وَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيْتَ فَطَافَ بِهِ ثُمَّ خَرَجَ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আত-তানঈম হতে ‘উমারাহ্র জন্য ইহরাম বাঁধলাম। এরপর মাক্কাহয় প্রবেশ করে ‘উমরাহ সম্পন্ন করলাম। এ সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আল-আব্তাহ’ নামক স্থানে আমার অপেক্ষায় থাকলেন। পরে তিনি লোকদেরকে (মাদীনাহতে) যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তিনি বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় এসে বায়তুল্লাহ (বিদায়ী) তাওয়াফ করে রওয়ানা হলেন। [২০০৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، – يَعْنِي الْحَنَفِيَّ – حَدَّثَنَا أَفْلَحُ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْتُ مَعَهُ – تَعْنِي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم – فِي النَّفْرِ الآخِرِ فَنَزَلَ الْمُحَصَّبَ – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ بَشَّارٍ قِصَّةَ بَعْثِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ – قَالَتْ ثُمَّ جِئْتُهُ بِسَحَرٍ فَأَذَّنَ فِي أَصْحَابِهِ بِالرَّحِيلِ فَارْتَحَلَ فَمَرَّ بِالْبَيْتِ قَبْلَ صَلاَةِ الصُّبْحِ فَطَافَ بِهِ حِينَ خَرَجَ ثُمَّ انْصَرَفَ مُتَوَجِّهًا إِلَى الْمَدِينَةِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে সর্বশেষ কাফেলায় (যিলহাজ্জের তের তারিখে) মাক্কাহ হতে মাদীনাহর পথে রওয়ানা হই। তিনি মুহাসসাব উপত্যকায় নামলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু বাশ্শার এ হাদীসে তাকে আত-তানঈম প্রেরণের ঘটনা উল্লেখ করেননি। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি ‘উমরাহ (সম্পন্ন করে) শেষ রাতে তাঁর কাছে আসি। তখন তিনি তাঁর সাহবীদেরকে রওয়ানা হবার ঘোষণা দিলেন এবং তিনি নিজেও রওয়ানা হলেন। আর তিনি ফাজ্রের সলাতের পূর্বে যাত্রাকালে বায়তুল্লাহ গিয়ে বিদায়ী তওয়াফ করার পর মাদীনাহর দিকে যাত্রা করলেন। [২০০৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ طَارِقٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ أُمِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا جَازَ مَكَانًا مِنْ دَارِ يَعْلَى – نَسِيَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ – اسْتَقْبَلَ الْبَيْتَ فَدَعَا .
আবদুর রহমান ইবনু ত্বারিক (রহঃ) হতে তার মাতা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘দ্বারে ই‘য়ালা’র নিকটস্থ স্থান দিয়ে অতিক্রমকালে বায়তুল্লাহকে সম্মুখে রেখে দু’আ করেছেন। ‘উবাইদুল্লাহ স্থানটির নাম ভুলে গেছেন। [২০০৭]
[২০০৭] নাসায়ী, আহমাদ। সানাদের আবদুর রহমান বিন ত্বারিক ও তার মা সম্পর্কে হাফিয বলেন: মাক্ববূল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৮৮
মুহাস্সাব উপত্যকায় অবতরণ সম্পর্কে
২০০৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّمَا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُحَصَّبَ لِيَكُونَ أَسْمَحَ لِخُرُوجِهِ وَلَيْسَ بِسُنَّةٍ فَمَنْ شَاءَ نَزَلَهُ وَمَنْ شَاءَ لَمْ يَنْزِلْهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাস্সাবে অবতরণ করেছেন, যেন মাদীনাহ অভিমূখে রওয়ানা হওয়া সহজতর হয়। তবে সেখানে অবতরণ করা সুন্নাত নয়। [২০০৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ الْمَعْنَى، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ أَبُو رَافِعٍ لَمْ يَأْمُرْنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَنْزِلَهُ وَلَكِنْ ضَرَبْتُ قُبَّتَهُ فَنَزَلَهُ . قَالَ مُسَدَّدٌ وَكَانَ عَلَى ثَقَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ عُثْمَانُ يَعْنِي فِي الأَبْطَحِ .
সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ রাফি‘ (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে মুহাস্সাব উপত্যকায় অবতরণ করতে আদেশ করেননি। তবে আমি সেখানে তাঁর জন্য তাঁবু স্থাপন করেছি। তাই তিনি সেখানে অবতরণ করেছেন। মুসাদ্দাদ বলেন, আবূ রাফি‘ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মালপত্র দেখাশুনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। [২০০৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا فِي حَجَّتِهِ قَالَ ” هَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مَنْزِلاً ” . ثُمَّ قَالَ ” نَحْنُ نَازِلُونَ بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ حَيْثُ قَاسَمَتْ قُرَيْشٌ عَلَى الْكُفْرِ ” . يَعْنِي الْمُحَصَّبَ وَذَلِكَ أَنَّ بَنِي كِنَانَةَ حَالَفَتْ قُرَيْشًا عَلَى بَنِي هَاشِمٍ أَنْ لاَ يُنَاكِحُوهُمْ وَلاَ يُبَايِعُوهُمْ وَلاَ يُئْوُوهُمْ . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَالْخَيْفُ الْوَادِي .
উসামহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বিদায় হাজ্জের সময় জিজ্ঞেস করি, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আগামী কাল সকালে কোথায় অবরতণ করবেন? তিনি বললেনঃ ‘আক্বীল কি আমাদের জন্য কোন বাড়ী রেখেছে? এরপর বললেনঃ আগামী কাল আমরা বনী কিনানার খাইফে (মুহাস্সাবে) অবতরণ করবো, যেখানে কুরাইশরা কুফরীর শপথ করেছিলো। অর্থাৎ বনী কিনানার লোকেরা কুরাইশদের সাথে এই মর্মে শপথ করেছিলো যে, বনী হাশিমের সাথে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে না, তাদেরকে কোনো ধরনের আশ্রয় দিবে না এবং তাদের সাথে ক্রয়-বিক্রয় করবে না। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, ‘খায়ফ’ শব্দের অর্থ উপত্যকা। [২০১০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو، – يَعْنِي الأَوْزَاعِيَّ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حِينَ أَرَادَ أَنْ يَنْفِرَ مِنْ مِنًى “ نَحْنُ نَازِلُونَ غَدًا ” . فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ أَوَّلَهُ وَلاَ ذَكَرَ الْخَيْفُ الْوَادِي .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা করলেন, তখন বললেনঃ আমরা আগামী কাল অবতরণ করবো। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বের হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি হাদীসের প্রথমাংশ বর্ণনা করেননি এবং এটাও উল্লেখ করেননি যে, ‘খাইফ’ অর্থ উপত্যকা। [২০১১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১২
حَدَّثَنَا مُوسَى أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَهْجَعُ هَجْعَةً بِالْبَطْحَاءِ ثُمَّ يَدْخُلُ مَكَّةَ وَيَزْعُمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ .
নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘বাত্হাতে’ (মুহাস্সাবে) সামান্য নিদ্রা যেতেন এবং পরে মক্কায় প্রবেশ করতেন। তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করতেন। [২০১২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَأَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِالْبَطْحَاءِ ثُمَّ هَجَعَ هَجْعَةً ثُمَّ دَخَلَ مَكَّةَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাতহায় যুহর, ‘আসর, মাগরিব ও ‘ইশার সলাত আদায় করে সামান্য ঘুমাতেন, তারপর মক্কায় প্রবেশ করেন। নাফি‘ বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও অনুরূপ করতেন। [২০১৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৮৯
যদি কেউ হাজ্জের কোন কাজ আগে-পরে করে
২০১৪
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ قَالَ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِمِنًى يَسْأَلُونَهُ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمْ أَشْعُرْ فَحَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اذْبَحْ وَلاَ حَرَجَ ” . وَجَاءَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَشْعُرْ فَنَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ . قَالَ ” ارْمِ وَلاَ حَرَجَ ” . قَالَ فَمَا سُئِلَ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَىْءٍ قُدِّمَ أَوْ أُخِّرَ إِلاَّ قَالَ ” اصْنَعْ وَلاَ حَرَجَ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হাজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনায় অবস্থান করলেন। সেখানে লোকেরা তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকলো। এক ব্যক্তি এসে বললো, আমার জানা ছিলো না, তাই আমি কুরবানী করার পূর্বেই মাথা কামিয়েছি। তিনি বললেনঃ এখন যাবাহ করো, কোন ক্ষতি নেই। আরেক ব্যক্তি এসে বললো, আমি জানতাম না, তাই কংকর নিক্ষেপের পূর্বেই কুরবানী করেছি। তিনি বললেনঃ এখন কংকর মেরে আসো, এতে কোন অসুবিধা নেই। বর্ণনাকারী বলেন, এ দিন তাঁকে আগে-পিছে করা যে কাজ সম্পর্কেই জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি জবাবে বলেছেনঃ ‘এখন করে নাও কোন দোষ নেই।’ [২০১৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১৫
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَاجًّا فَكَانَ النَّاسُ يَأْتُونَهُ فَمَنْ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَعَيْتُ قَبْلَ أَنْ أَطُوفَ أَوْ قَدَّمْتُ شَيْئًا أَوْ أَخَّرْتُ شَيْئًا . فَكَانَ يَقُولُ “ لاَ حَرَجَ لاَ حَرَجَ إِلاَّ عَلَى رَجُلٍ اقْتَرَضَ عِرْضَ رَجُلٍ مُسْلِمٍ وَهُوَ ظَالِمٌ فَذَلِكَ الَّذِي حَرِجَ وَهَلَكَ ” .
উসামাহ ইবনু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হাজ্জে গেলাম। এ সময় লোকেরা এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাওয়াফ করার পূর্বেই সা‘ঈ করেছি কিংবা কেউ এসে বললো, আমি কিছু কাজ আগে-পরে করে ফেলেছি। জবাবে তিনি বলতে থাকলেন : যাও কোন অসুবিধা নেই, কোন দোষ নেই। তবে কেউ যদি অন্যায়ভাবে কোন মুসলিমের ইজ্জত সম্মান নষ্ট করে, তার সম্পর্কে বলেছেনঃ সে পাপে লিপ্ত হয়েছে, সে ধ্বংস হয়েছে। [২০১৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯০
মাক্কাহতে সলাতের সুতরাহ
২০১৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ، عَنْ بَعْضِ، أَهْلِي عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِمَّا يَلِي بَابَ بَنِي سَهْمٍ وَالنَّاسُ يَمُرُّونَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا سُتْرَةٌ . قَالَ سُفْيَانُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَعْبَةِ سُتْرَةٌ . قَالَ سُفْيَانُ كَانَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنَا عَنْهُ قَالَ أَخْبَرَنَا كَثِيرٌ عَنْ أَبِيهِ قَالَ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لَيْسَ مِنْ أَبِي سَمِعْتُهُ وَلَكِنْ مِنْ بَعْضِ أَهْلِي عَنْ جَدِّي .
কাসীর ইবনু কাসীর ইবনুল মুত্তালিব ইবনু আবূ ওয়াদা‘আহ (রহঃ) হতে তার পরিবার জনৈক ব্যক্তির সূত্রে এবং তিনি তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বনী সাহমের দরজার কাছে সলাত আদায় করতে দেখেছেন। এ সময় লোকেরা তাঁর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করেছে। অথচ উভয়ের মাঝখানে সুতরাহ ছিলো না। সুফিয়ান বলেন, তাঁর এবং কা‘বার মাঝখানে কোন সুতরাহ ছিলো না। [২০১৬]
[২০১৬] আহমাদ। এর সানাদে অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৯১
মাক্কাহ্র পবিত্রতা
২০১৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي كَثِيرٍ – عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا فَتَحَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِمْ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ اللَّهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْفِيلَ وَسَلَّطَ عَلَيْهَا رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ وَإِنَّمَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ ثُمَّ هِيَ حَرَامٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لاَ يُعْضَدُ شَجَرُهَا وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلاَ تَحِلُّ لُقَطَتُهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ ” . فَقَامَ عَبَّاسٌ أَوْ قَالَ قَالَ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ الإِذْخِرَ فَإِنَّهُ لِقُبُورِنَا وَبُيُوتِنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِلاَّ الإِذْخِرَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَنَا فِيهِ ابْنُ الْمُصَفَّى عَنِ الْوَلِيدِ فَقَامَ أَبُو شَاهٍ – رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ – فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُبُوا لِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ ” . قُلْتُ لِلأَوْزَاعِيِّ مَا قَوْلُهُ ” اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ ” . قَالَ هَذِهِ الْخُطْبَةَ الَّتِي سَمِعَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ যখন তাঁর রাসূলকে মক্কায় বিজয়ী করলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন, অতঃপর বললেনঃ মহান আল্লাহ মাক্কাহ থেকে হাতি বাহিনীকে প্রতিহত করেছেন এবং তিনি তাঁর রাসূল ও মুমিন বান্দাদেরকে মক্কার উপর আধিপত্য দিয়েছেন। আমার জন্য দিনের কিছু সময় বৈধ করা হয়েছিল। এরপর ক্বিয়ামাত পর্যন্ত হারাম হয়ে গেছে। সুতরাং এখানকার গাছপালা কাটা যাবে না। এখানের শিকার তাড়ানো যাবে না এবং এখানকার পড়ে থাকা বস্তু তুলে নেয়া যাবে না। তবে ঘোষকের জন্য তা তুলে নেয়া বৈধ। তখন ‘আব্বাস (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ‘ইযখির’ ঘাস কাটার অনুমতি দিন, কেননা এগুলো আমরা আমাদের কবর ও ঘরের চালায় ব্যবহার করে থাকি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ঠিক আছে, ইয্খির ঘাস কাটার অনুমতি দেয়া হলো। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনুল মুসাফফা’ ওয়ালীদ সূত্রে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, এ সময় আবূ শাহ (রাঃ) নামের জনৈক ইয়ামানবাসী দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটা আমাকে লিখে দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আবূ শাহকে লিখে দাও। ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম বলেন, আমি আওযাঈকে জিজ্ঞেস করি, আবূ শাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কি লিখে দিতে বললেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই ভাষণ যা তাঁর কাছ থেকে শুনেছেন। [২০১৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ “ وَلاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا ” .
মাক্কাহর মার্যাদা সম্পর্কে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
মাক্কাহর মার্যাদা সম্পর্কে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে এও বর্ণিত হয়েছে যে : সেখানকার ঘাসও কাটা যাবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَبْنِي لَكَ بِمِنًى بَيْتًا أَوْ بِنَاءً يُظِلُّكَ مِنَ الشَّمْسِ فَقَالَ “ لاَ إِنَّمَا هُوَ مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ إِلَيْهِ ” .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে রাসূল! আমরা কি আপনার জন্য মিনাতে একটি ঘর বা এমন বাসস্থান নির্মাণ করে দিবো না যা আপনাকে সূর্যের তাপ থেকে ছায়া দিবে? তিনি বললেনঃ না, কেননা মিনার পুরো অঞ্চল উট বসাবার জায়গা। যে আগে আসবে সে এখান তার হবে। [২০১৯]
দুর্বল : যঈফ সুনান ইবনু মাজাহ (৬৪৮-৬৪৯), যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (১৫৩-৮৮৮)।
[২০১৯] তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। ইমাম তিরমিযী বলেন : এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সানাদের ইবরাহীম ইবনু মুহাজির হাদীস বর্ণনায় শিথিল, এবং উম্মু ইউসুফ বিন মাহাকা অজ্ঞাত। হাফিয বলেন: তাকে চেনা যায় নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২০২০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى بْنِ ثَوْبَانَ، أَخْبَرَنِي عُمَارَةُ بْنُ ثَوْبَانَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ بَاذَانَ، قَالَ أَتَيْتُ يَعْلَى بْنَ أُمَيَّةَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ احْتِكَارُ الطَّعَامِ فِي الْحَرَمِ إِلْحَادٌ فِيهِ ” .
মূসা ইবনু বাযান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইয়া‘লা ইবনু উমায়্যাহ (রাঃ)-এর কাছে এলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হেরেম এলাকায় খাদ্যশস্য গুদামজাত করে রাখা ধর্মদ্রোহিতার নামান্তর। [২০২০]
দুর্বল : যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (১৮৪), মিশকাত (২৭২৩)।
[২০২০] ইমাম যাহবী মীযানুল ই‘তিদাল গ্রন্থে বলেন: এই হাদীসের সানাদ নিকৃষ্ট। শায়খ আলবানী বলেন: হাদীসের সানাদে মূসা ইবনু বাজান, উমারাহ বিন সাওবান এবং জা‘ফর ইবনু ইয়াহইয়া-এরা সবাই মাজহুল (অজ্ঞাত)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৯২
নাবীয পানীয় সম্পর্কে
২০২১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ لاِبْنِ عَبَّاسٍ مَا بَالُ أَهْلِ هَذَا الْبَيْتِ يَسْقُونَ النَّبِيذَ وَبَنُو عَمِّهِمْ يَسْقُونَ اللَّبَنَ وَالْعَسَلَ وَالسَّوِيقَ أَبُخْلٌ بِهِمْ أَمْ حَاجَةٌ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَا بِنَا مِنْ بُخْلٍ وَلاَ بِنَا مِنْ حَاجَةٍ وَلَكِنْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَاحِلَتِهِ وَخَلْفَهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَرَابٍ فَأُتِيَ بِنَبِيذٍ فَشَرِبَ مِنْهُ وَدَفَعَ فَضْلَهُ إِلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فَشَرِبَ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَحْسَنْتُمْ وَأَجْمَلْتُمْ كَذَلِكَ فَافْعَلُوا ” . فَنَحْنُ هَكَذَا لاَ نُرِيدُ أَنْ نُغَيِّرَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
বাক্র ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললো, এই ঘরের লোকদের কি হলো, এরা হাজ্জীদেরকে শুধু ‘নাবীয’ পান করান কেন? অথচ তাদের চাচাত ভাইয়ের সন্তানরা তো দুধ, মধু ও ছাতুও পান করান। এটা কি তাদের কৃপণতা না দরিদ্রতা? ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, এটা আমাদের কৃপণতা বা দরিদ্রতা কোনটিই নয়। বরং ব্যাপার এই যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাওয়ারীতে চড়ে এবং উসামাহ ইবনু যায়িদকে তাঁর পিছনে বসিয়ে আমাদের কাছে এসে কিছু পানীয় পান করতে চাইলেন। তখন ‘নাবীয’ আনা হলে তিনি তা পান করলেন এবং বাকীটুকু উসামাহ ইবনু যায়িদকে দিলেন। তিনি তা পান করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ তোমরা খুব উত্তম কাজ করেছো। ভবিষ্যতেও এরূপ করতে থাকবে। তাই আমরা এরূপ পান করাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যার প্রশংসা করেছেন আমরা তা পরিবর্তন করতে চাই না। [২০২১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৩
মাক্কাহ্য় অবস্থান করা
২০২২
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، يَسْأَلُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ هَلْ سَمِعْتَ فِي الإِقَامَةِ، بِمَكَّةَ شَيْئًا قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ الْحَضْرَمِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لِلْمُهَاجِرِينَ إِقَامَةٌ بَعْدَ الصَّدَرِ ثَلاَثًا ” .
‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হাজ্জে আগত মুহাজিরদের মাক্কাহ্য় অবস্থান সম্পর্কে আপনি কিছু শুনেছেন কি? তিনি বললেন, আমাকে ইবনুল হাদরামী (রাঃ) বলেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুহাজিরদের লক্ষ্য করে বলতে শুনেছেন : ফার্য তাওয়াফ আদায়ের পর মাক্কাহ্য় তিন দিন অবস্থান করতে পারবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৯৪
কা‘বার অভ্যন্তরে সলাত আদায় করা
২০২৩
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْكَعْبَةَ هُوَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْحَجَبِيُّ وَبِلاَلٌ فَأَغْلَقَهَا عَلَيْهِ فَمَكَثَ فِيهَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَسَأَلْتُ بِلاَلاً حِينَ خَرَجَ مَاذَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ جَعَلَ عَمُودًا عَنْ يَسَارِهِ وَعَمُودَيْنِ عَنْ يَمِينِهِ وَثَلاَثَةَ أَعْمِدَةٍ وَرَاءَهُ – وَكَانَ الْبَيْتُ يَوْمَئِذٍ عَلَى سِتَّةِ أَعْمِدَةٍ – ثُمَّ صَلَّى .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা‘বার ভেতরে প্রবেশ করলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন উসামাহ ইবনু যায়িদ, ‘উসমান ইবনু ত্বালহা আল-হাজাবী ও বিলাল (রাঃ)। তিনি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করলেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, দরজা খুলে বাইরে এলে আমি বিলাল (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভেতরে কি করছেন? তিনি বললেন, তিনি একটি স্তম্ভ তাঁর বামদিকে, দুটি স্তম্ভ ডানদিকে এবং তিনটি স্তম্ভকে পিছনে রেখে সলাত আদায় করছেন। এ সময় বায়তুল্লাহ মোট ছটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত ছিলো। [২০২৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০২৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ الأَذْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ لَمْ يَذْكُرِ السَّوَارِيَ قَالَ ثُمَّ صَلَّى وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ ثَلاَثَةُ أَذْرُعٍ .
ইমাম মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি সাওয়ারীর (স্তম্ভ) কথা উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করেন, এ সময় তাঁর ও সামনের দেয়ালের মধ্যে তিন গজের দূরত্ব ছিলো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০২৫
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ الْقَعْنَبِيِّ . قَالَ وَنَسِيتُ أَنْ أَسْأَلَهُ كَمْ صَلَّى .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে আল-কা‘নাবীর বর্ণিত হাদীসের অর্থের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি এও বলেন যে, আমি বিলাল (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কত রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। [২০২৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০২৬
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ صَفْوَانَ، قَالَ قُلْتُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ كَيْفَ صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ دَخَلَ الْكَعْبَةَ قَالَ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
আবদুর রহমান ইবনু সাফওফান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা‘বার ভেতরে প্রবেশ করে কি করেছিলেন? তিনি বললেন, তিনি দুই রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। [২০২৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০২৭
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ أَبَى أَنْ يَدْخُلَ الْبَيْتَ وَفِيهِ الآلِهَةُ فَأَمَرَ بِهَا فَأُخْرِجَتْ قَالَ فَأَخْرَجَ صُورَةَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَفِي أَيْدِيهِمَا الأَزْلاَمُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمُوا مَا اسْتَقْسَمَا بِهَا قَطُّ ” . قَالَ ثُمَّ دَخَلَ الْبَيْتَ فَكَبَّرَ فِي نَوَاحِيهِ وَفِي زَوَايَاهُ ثُمَّ خَرَجَ وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় আগমন করে কা‘বা ঘরে প্রবেশ করতে অস্বীকার করেন। কেননা এ ঘরে তখন বহু দেবদেবী রাখা ছিল। অতঃপর তাঁর নির্দেশ মোতাবেক সেগুলা অপসারণ করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, ইবরাহীম ও ইসমাইল (আ:)-এর মূর্তিও অপসারণ করা হয়। তাদের মূর্তির হাতে ছিল ভাগ্য পরীক্ষার তীর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। আল্লাহর শপথ! তারা নিশ্চিত জানতো যে, তাঁরা কখনো এ তীরের সাহায্যে ভাগ্য পরীক্ষা করেননি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি কা‘বা ঘরে প্রবেশ করলেন এবং এর কোণে তাকবীর ধ্বনি দিলেন, অতঃপর বাইরে আসলেন। কিন্তু তিনি সেখানে সলাত আদায় করেননি। [২০২৭]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৫
হাতীমে সলাত আদায়
২০২৮
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ أَدْخُلَ الْبَيْتَ فَأُصَلِّيَ فِيهِ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِي فَأَدْخَلَنِي فِي الْحِجْرِ فَقَالَ “ صَلِّي فِي الْحِجْرِ إِذَا أَرَدْتِ دُخُولَ الْبَيْتِ فَإِنَّمَا هُوَ قِطْعَةٌ مِنَ الْبَيْتِ فَإِنَّ قَوْمَكِ اقْتَصَرُوا حِينَ بَنَوُا الْكَعْبَةَ فَأَخْرَجُوهُ مِنَ الْبَيْتِ ” .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বায়তুল্লাহ্র ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে সলাত আদায় করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত ধরে হাতীমের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বললেন, তুমি যেহেতু বায়তুল্লাহর ভেতর সলাত পড়তে চেয়েছ তখন এখানেই সলাত পড়ে নাও। কেননা এটাও বায়তুল্লাহর অংশ। তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন বায়তুল্লাহ পুনঃনির্মান করছিলো, তখন তাদের অর্থের অনটন থাকায় তারা এ অংশটুকু মূল ঘর থেকে বাইরে রেখেছে। [২০২৮]
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৬
কা‘বা ঘরে প্রবেশ
২০২৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا وَهُوَ مَسْرُورٌ ثُمَّ رَجَعَ إِلَىَّ وَهُوَ كَئِيبٌ فَقَالَ “ إِنِّي دَخَلْتُ الْكَعْبَةَ وَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا دَخَلْتُهَا إِنِّي أَخَافُ أَنْ أَكُونَ قَدْ شَقَقْتُ عَلَى أُمَّتِي ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কাছ থেকে বাইরে গেলেন প্রফুল্ল চিত্তে, কিন্তু ফিরে আসলেন বিষণ্ণ মনে। তিনি বললেনঃ আমি কা‘বা ঘরে প্রবেশ করেছিলাম। আমি যা পরে জেনেছি তা যদি পূর্বেই জানতাম তাহলে আমি তাতে প্রবেশ করতাম না। আমার আশংকা হচ্ছে যে, আমি আমার উম্মাতকে কষ্টের মধ্যে ফেলে দিলাম কিনা। [২০২৯]
দুর্বল : যঈফ আল-জামী‘উস সাগীর (২০৮৫), যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (১৫২/৮৮০)।
[২০২৯] তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। ইমাম তিরমিযী বলেন : এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২০৩০
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ الْحَجَبِيِّ، حَدَّثَنِي خَالِي، عَنْ أُمِّي، صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ الأَسْلَمِيَّةَ، تَقُولُ قُلْتُ لِعُثْمَانَ مَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ دَعَاكَ قَالَ “ إِنِّي نَسِيتُ أَنْ آمُرَكَ أَنْ تُخَمِّرَ الْقَرْنَيْنِ فَإِنَّهُ لَيْسَ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ فِي الْبَيْتِ شَىْءٌ يَشْغَلُ الْمُصَلِّيَ ” . قَالَ ابْنُ السَّرْحِ خَالِي مُسَافِعُ بْنُ شَيْبَةَ .
মানসূর আল হাজাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার মামা আমার আম্মা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি (আম্মা) বলেছেন, আমি আসলাম গোত্রীয় জনৈক মহিলাকে বলতে শুনেছি, আমি ‘উসমান ইবনু ত্বালহা আল-হাজাবী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে ডেকে নিয়ে কি বলেছিলেন? তিনি বললেন, আমি আপনাকে জানাতে ভুলে গেছি যে, (ইসমাইলের যাবাহকৃত দুম্বার) শিং দুইটি ঢেকে রাখুন (যা বায়তুল্লাহর দেয়ালে টাঙ্গানো ছিল)। কারণ, বায়তুল্লাহ্য় এমন জিনিস থাকা সমীচীন নয় যা মুসল্লীদের অন্যমনস্ক করে দেয়। ইবনুস সারহ বলেছেন, তার মামার নাম হল মুসাফি’ ইবনু শাইবাহ। [২০৩০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৭
কা‘বা ঘরের মালপত্র প্রসঙ্গে
২০৩১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُحَارِبِيُّ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ وَاصِلٍ الأَحْدَبِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ شَيْبَةَ، – يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ – قَالَ قَعَدَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ – رضى الله عنه – فِي مَقْعَدِكَ الَّذِي أَنْتَ فِيهِ فَقَالَ لاَ أَخْرُجُ حَتَّى أَقْسِمَ مَالَ الْكَعْبَةِ . قَالَ قُلْتُ مَا أَنْتَ بِفَاعِلٍ . قَالَ بَلَى لأَفْعَلَنَّ . قَالَ قُلْتُ مَا أَنْتَ بِفَاعِلٍ . قَالَ لِمَ قُلْتُ لأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ رَأَى مَكَانَهُ وَأَبُو بَكْرٍ – رضى الله عنه – وَهُمَا أَحْوَجُ مِنْكَ إِلَى الْمَالِ فَلَمْ يُخْرِجَاهُ . فَقَامَ فَخَرَجَ .
শাইবাহ ইবনু ‘উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আপনি যে স্থানে বসা আছেন, একদা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব উক্ত স্থানে বসা অবস্থায় বললেন, কা‘বার ভেতরে রক্ষিত সম্পদ বন্টন না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে বের হবো না। শাইবাহ বলেন, আমি বললাম, আপনি এরূপ করতে পারেন না। ‘উমার বলেন, হ্যাঁ, আমি অবশ্যই এরূপ করব। শাইবাহ বলেন, আমি আবার বললাম, আপনি এরূপ করতে পারেন না। ‘উমার (রাঃ) বললেন, কেন? আমি বললাম, কারণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং আবূ বাকর (রাঃ) সম্পদ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। আপনার চেয়ে তাঁদের এ সম্পদের বেশি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাঁরা এ সম্পদে হস্তক্ষেপ করেন নি। একথা শুনে তিনি উঠে বেরিয়ে যান। [৩০৩১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৩২
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِنْسَانٍ الطَّائِفِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ لَمَّا أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ لِيَّةَ حَتَّى إِذَا كُنَّا عِنْدَ السِّدْرَةِ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي طَرَفِ الْقَرْنِ الأَسْوَدِ حَذْوَهَا فَاسْتَقْبَلَ نَخِبًا بِبَصَرِهِ وَقَالَ مَرَّةً وَادِيَهُ وَوَقَفَ حَتَّى اتَّقَفَ النَّاسُ كُلُّهُمْ ثُمَّ قَالَ “ إِنَّ صَيْدَ وَجٍّ وَعِضَاهَهُ حَرَامٌ مُحَرَّمٌ لِلَّهِ ” . وَذَلِكَ قَبْلَ نُزُولِهِ الطَّائِفَ وَحِصَارِهِ لِثَقِيفٍ .
যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে ‘লিয়্যা’ নামক স্থান হতে আস-সিদরাহ নামক জায়গাতে পৌঁছলাম তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কালো পাথরের পাহাড়ের সামনে এসে দাঁড়িয়ে তায়েফের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন। বর্ণনাকারী বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপত্যকায় থামলেন এবং সকল লোকেরা ও থামলো। অতঃপর তিনি বললেনঃ ‘সাইদু ওয়াজ্জ’ ও ‘ইযাহা’ কাঁটাবিশিষ্ট বৃক্ষের এলাকাটি আল্লাহর পক্ষ হতে হারাম। এ ঘটনা তাঁর তায়েফ অভিযান ও বনু সাক্বীফকে অবরোধ করার পূর্বেকার। [৩০৩২]
দুর্বল : যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (১৮৭৫), মিশকাত (২৭৪৯)।
[৩০৩২] আহমাদ। সানাদের মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন : শিথিল (লাইয়্যিন)। আবূ হাতিম বলেন: তিনি শক্তিশালী নন, তার হাদীসে আপত্তি আছে। আবূ ইয়াহইয়া বলেন : তার হাদীসের অনুসরণ করা হয় না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৮
মাদীনাহ্য় আগমন
২০৩৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِي هَذَا وَالْمَسْجِدِ الأَقْصَى ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোথাও সফরের প্রস্তুতি নেয়া যাবে না। মাসজিদুল হারাম, আমার এই মাসজিদ এবং মসজিদুল আক্বসা। [২০৩৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৯
মাদীনাহ্র মর্যাদা
২০৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ مَا كَتَبْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الْقُرْآنَ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ . قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمَدِينَةُ حَرَامٌ مَا بَيْنَ عَائِرٍ إِلَى ثَوْرٍ فَمَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ وَذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ وَمَنْ وَالَى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আল্লাহর কুরআন এবং তাঁর এ সহীফার মধ্যে যা লিখিত আছে তা ব্যতীত অন্য কিছু লিপিবদ্ধ করিনি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনাহ ‘আয়ের’ থেকে ‘সাওর’ পর্যন্ত হারাম এলাকা। এখানে যদি কেউ বিদ‘আত করে কিংবা বিদ‘আতীকে আশ্রয় দেয়, তবে তার উপর আল্লাহ, সকল ফেরেশতা ও মানবকুলের অভিশাপ। তার কোন ফরয বা নাফ্ল ‘ইবাদাত আল্লাহ্র দরবারে কবুল হবে না। তিনি আরো বলেছেনঃ সকল মুসলিমের নিরাপত্তা বিধান সমান গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি একজন সাধারণ ব্যক্তির নিরাপত্তাও। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের প্রদত্ত নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাবে তার উপর আল্লাহ, সকল ফেরেশতা ও মানবকুলের অভিশাপ। তার কোন ফরয বা নাফ্ল ‘ইবাদাত আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। আর যে ব্যক্তি কোন কওমের লোকদের অনুমতি ছাড়াই তাদের নেতা হয় তার উপর আল্লাহ, সকল ফেরেশতা ও মানবকুলের অভিশাপ। তার কোন ফরয বা নাফ্ল ‘ইবাদাত আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। [২০৩৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৩৫
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلاَ تُلْتَقَطُ لُقَطَتُهَا إِلاَّ لِمَنْ أَشَادَ بِهَا وَلاَ يَصْلُحُ لِرَجُلٍ أَنْ يَحْمِلَ فِيهَا السِّلاَحَ لِقِتَالٍ وَلاَ يَصْلُحُ أَنْ يُقْطَعَ مِنْهَا شَجَرَةٌ إِلاَّ أَنْ يَعْلِفَ رَجُلٌ بَعِيرَهُ ” .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আলী (রাঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (মদীনার) সবুজ ঘাস কাটা যাবে না, শিকার তাড়ানো যাবে না এবং পড়ে থাকা বস্তু উঠানো যাবে না। তবে ঘোষক ঘোষণার উদ্দেশ্যে তা তুলতে পারবে। কেউ সেখানে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে কোন হাতিয়ার নিয়ে যেতে পারবে না এবং সেখানকার কোন বৃক্ষও কাটা যাবে না, তবে কেউ তার উটের খাদ্য সংগ্রহ করলে তা ভিন্ন কথা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৩৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ الْحُبَابِ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كِنَانَةَ، مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ حَمَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كُلَّ نَاحِيَةٍ مِنَ الْمَدِينَةِ بَرِيدًا بَرِيدًا لاَ يُخْبَطُ شَجَرُهُ وَلاَ يُعْضَدُ إِلاَّ مَا يُسَاقُ بِهِ الْجَمَلُ .
আদী ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ্র চতুর্দিকে এক এক ‘বারীদ’ সম্মানিত ঘোষণা করেছেন। এখানকার গাছের পাতা পাড়া যাবে না, এবং কাটাও যাবে না। তবে উট যেটুকু খাদ্য হিসেবে বহন করে, তা কাটা যাবে। [২০৩৬]
[২০৩৬] সানাদে আব্দুল্লাহ বিন আবূ সুফিয়ান রয়েছে। হাফিয আত-আক্বরীব গ্রন্থে বলেন : মাক্ববূল। এছাড়া সুলায়মান বিন কিনানাহ অজ্ঞাত ( মাজহুলুল হাল)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২০৩৭
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ – حَدَّثَنِي يَعْلَى بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ رَأَيْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ أَخَذَ رَجُلاً يَصِيدُ فِي حَرَمِ الْمَدِينَةِ الَّذِي حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَبَهُ ثِيَابَهُ فَجَاءَ مَوَالِيهِ فَكَلَّمُوهُ فِيهِ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَرَّمَ هَذَا الْحَرَمَ وَقَالَ “ مَنْ وَجَدَ أَحَدًا يَصِيدُ فِيهِ فَلْيَسْلُبْهُ ثِيَابَهُ ” . فَلاَ أَرُدُّ عَلَيْكُمْ طُعْمَةً أَطْعَمَنِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَكِنْ إِنْ شِئْتُمْ دَفَعْتُ إِلَيْكُمْ ثَمَنَهُ .
সুলাইম ইবনু আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-কে এক ব্যক্তিকে আটক করতে দেখেছি, যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক মাদীনাহ্র হেরেম এলাকার মধ্যে শিকার করছিলো। তিনি তার সাথের মালপত্র কেড়ে নেন। অতঃপর তার মনিব এসে এ বিষয়ে তার সাথে কথা বললে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ এলাকাটি হারাম ঘোষণা করে বলেছেনঃ এ এলাকায় যদি কাউকে শিকার করতে দেখো তাহলে তার সাথের মালপত্র কেড়ে নিবে। সুতরাং আমি এমন দান ফেরত দেবো না, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দিয়েছেন। অবশ্য তুমি চাইলে তার মূল্য তোমাদেরকে দিবো। [২০৩৭]
সহীহ, কিন্তু তার “শিকার করছিলো” কথাটি মুনকার। মাহফূয হলো : “গাছ কাটছিল” যা পরবর্তী (২০৩৮) হাদীসে আসছে। মিশকাত (২৭৪৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৩৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ عَنْ مَوْلًى، لِسَعْدٍ أَنَّ سَعْدًا، وَجَدَ عَبِيدًا مِنْ عَبِيدِ الْمَدِينَةِ يَقْطَعُونَ مِنْ شَجَرِ الْمَدِينَةِ فَأَخَذَ مَتَاعَهُمْ وَقَالَ – يَعْنِي لِمَوَالِيهِمْ – سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى أَنْ يُقْطَعَ مِنْ شَجَرِ الْمَدِينَةِ شَىْءٌ وَقَالَ “ مَنْ قَطَعَ مِنْهُ شَيْئًا فَلِمَنْ أَخَذَهُ سَلَبُهُ ” .
. সা‘দ (রাঃ) এর মুক্তদাস থেকে বর্ণিতঃ
সা‘দ (রাঃ) মাদীনাহ্র কতিপয় গোলামকে মাদীনাহ্র গাছপালা কাটতে দেখে তাদের মালপত্র কেড়ে নিলেন এবং তাদের মনিবদের বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাদীনাহ্র গাছপালা কাটতে নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ কেউ এখানকার কিছু কাটলে তার মালপত্র সেই পাবে যে তা কেড়ে নিবে। [২০৩৮]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৩৯
دَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَفْصٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ الْحَارِثِ الْجُهَنِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يُخْبَطُ وَلاَ يُعْضَدُ حِمَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَكِنْ يُهَشُّ هَشًّا رَفِيقًا ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যেন রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংরক্ষিত এলাকায় গাছের পাতা না পাড়ে এবং কর্তন না করে, তবে কোমলভাবে পাতায় আঘাত করা যাবে। [২০৩৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৪০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنِ ابْنِ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْتِي قُبَاءً مَاشِيًا وَرَاكِبًا زَادَ ابْنُ نُمَيْرٍ وَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো বাহনে চড়ে, আবার কখনো পায়ে হেঁটে কুবা মাসজিদে আসতেন। ইবনু নুমাইয়ের বর্ণনায় রয়েছে : এবং তিনি সেখানে দুই রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। [২০৪০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১০০
ক্ববর যিয়ারত
২০৪১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، عَنْ أَبِي صَخْرٍ، حُمَيْدِ بْنِ زِيَادٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَىَّ إِلاَّ رَدَّ اللَّهُ عَلَىَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ আমার উপর সালাম পেশ করলে আল্লাহ আমার ‘রূহ’ ফিরিয়ে দেন এবং আমি তার সালামের জবাব দেই। [২০৪১]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২০৪২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَرَأْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا وَلاَ تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا وَصَلُّوا عَلَىَّ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে ক্ববরস্থানে পরিণত করো না এবং আমার ক্ববরকে উৎসবের স্থানে পরিণত করো না। তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ করো। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌছানো হবে। [২০৪২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৪৩
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْنٍ الْمَدِينِيُّ، أَخْبَرَنِي دَاوُدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ رَبِيعَةَ، – يَعْنِي ابْنَ الْهُدَيْرِ – قَالَ مَا سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا قَطُّ غَيْرَ حَدِيثٍ وَاحِدٍ . قَالَ قُلْتُ وَمَا هُوَ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرِيدُ قُبُورَ الشُّهَدَاءِ حَتَّى إِذَا أَشْرَفْنَا عَلَى حَرَّةِ وَاقِمٍ فَلَمَّا تَدَلَّيْنَا مِنْهَا وَإِذَا قُبُورٌ بِمَحْنِيَّةٍ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقُبُورُ إِخْوَانِنَا هَذِهِ قَالَ ” قُبُورُ أَصْحَابِنَا ” . فَلَمَّا جِئْنَا قُبُورَ الشُّهَدَاءِ قَالَ ” هَذِهِ قُبُورُ إِخْوَانِنَا ” .
রবী‘আহ ইবনু হুদাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ত্বালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে একটি হাদীস ছাড়া অন্য কোন হাদীস বর্ণনা করতে শুনিনি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, তা কি? তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে শহীদদের কবর যিয়ারতে রওয়ানা হই। শেষ পর্যন্ত আমরা ‘হাররা ওয়াকিমের’ উঁচু টিলায় উঠি। আমরা সেখান থেকে নেমে উপত্যকায় বাঁকে কিছু ক্ববর দেখলাম। ত্বালহা (রাঃ) বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এগুলা কি আমাদের ভাইদের ক্ববর? তিনি বললেনঃ আমাদের সাথীদের ক্ববর? অতঃপর আমরা শহীদের ক্ববরের কাছে এলে তিনি বললেনঃ এগুলা আমাদের ভাইদের ক্ববর। [২০৪৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৪৪
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ الَّتِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَصَلَّى بِهَا فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ ذَلِكَ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুলহুলাইফার বিস্তীর্ণ এলাকায় উট বসিয়ে যাত্রাবিরতি করে সেখানে সলাত আদায় করলেন। নাফি‘ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও অনুরূপ করতেন। [২০৪৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৪৫
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، قَالَ قَالَ مَالِكٌ لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يُجَاوِزَ الْمُعَرَّسَ إِذَا قَفَلَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى يُصَلِّيَ فِيهَا مَا بَدَا لَهُ لأَنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَرَّسَ بِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ الْمَدَنِيَّ قَالَ الْمُعَرَّسُ عَلَى سِتَّةِ أَمْيَالٍ مِنَ الْمَدِينَةِ .
আল-কা‘নাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইমাম মালিক (রহঃ) বলেছেন, যথাসম্ভব কিছু সলাত না পড়ে মাদীনাহ প্রত্যাবর্তনকারী কোন ব্যক্তির জন্য মু‘আররাস নামক স্থান অতিক্রম করা উচিত নয়। কেননা আমার কাছে হাদীস পৌছেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এখানে যাপন করেছেন, সামান্য ঘুমিয়েছেন এবং সলাত আদায় করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব আল-মাদানী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, মু‘আররাস মাদীনাহ থেকে ছয় মাইল দূরে অবস্থিত। [২০৪৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু