আবু দাউদ সুন্নাহ অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৪৬৯১ – ৪৭৭২

অনুচ্ছেদ-১৭

তাক্বদীর সম্পর্কে

৪৬৯১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي بِمِنًى، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْقَدَرِيَّةُ مَجُوسُ هَذِهِ الأُمَّةِ إِنْ مَرِضُوا فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَإِنْ مَاتُوا فَلاَ تَشْهَدُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাদরিয়াগণ হচ্ছে এ উম্মাতের অগ্নিপূজক। সুতরাং তারা রোগাক্রান্ত হলে তোমরা তাদেরকে দেখতে যাবে না এবং তারা মারা গেলে তাদের জানাযায় উপস্থিত হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৯২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُمَرَ، مَوْلَى غُفْرَةَ عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الأَنْصَارِ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لِكُلِّ أُمَّةٍ مَجُوسٌ وَمَجُوسُ هَذِهِ الأُمَّةِ الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ قَدَرَ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ فَلاَ تَشْهَدُوا جَنَازَتَهُ وَمَنْ مَرِضَ مِنْهُمْ فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَهُمْ شِيعَةُ الدَّجَّالِ وَحَقٌّ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُلْحِقَهُمْ بِالدَّجَّالِ ‏”‏ ‏.‏

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক উম্মাতে অগ্নিপূজক রয়েছে। এ উম্মাতের অগ্নিপূজক হলো যারা বলে, তাক্বদীর বলতে কিছু নেই। তাদের মধ্যকার কেউ মারা গেলে তোমরা তার জানাযায় উপস্থিত হবে না এবং তাদের কেউ অসুস্থ হলে তোমরা তাদেরকে দেখতে যাবে না। তারা হচ্ছে দাজ্জালের অনুসারী এবং আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে দাজ্জালের সঙ্গে মিলিত করবেন। [৪৬৯১]

 

দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৫৭১৪।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৬৯১] আহমাদ, ত্বাবরানী। সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি রয়েছে। এছাড়া সানাদে ‘আমর মাওলা গুফরা দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৯৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، وَيَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، حَدَّثَاهُمْ قَالاَ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَسَامَةُ بْنُ زُهَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الأَرْضِ فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الأَرْضِ جَاءَ مِنْهُمُ الأَحْمَرُ وَالأَبْيَضُ وَالأَسْوَدُ وَبَيْنَ ذَلِكَ وَالسَّهْلُ وَالْحَزْنُ وَالْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى ‏”‏ وَبَيْنَ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ يَزِيدَ ‏.

আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ আদম (আঃ)-কে একমুঠো মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা তিনি সমগ্র পৃথিবী থেকে নিয়েছিলেন। তাই আদম সন্তান মাটির বিভিন্ন বর্ণ ও প্রকৃতি অনুসারে হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ লোহিত, কেউবা সাদা, কেউ কালো এবং কেউবা এসবের মধ্যবর্তী বর্ণের হয়েছে। এরূপে কেউ কোমল, কেউ কঠোর এবং কেউ অসৎ এবং কেউ সৎ হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৯৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ مَنْصُورَ بْنَ الْمُعْتَمِرِ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَبِيبٍ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِالْمِخْصَرَةِ فِي الأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏”‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ إِلاَّ قَدْ كَتَبَ اللَّهُ مَكَانَهَا مِنَ النَّارِ أَوْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ قَدْ كُتِبَتْ شَقِيَّةً أَوْ سَعِيدَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَفَلاَ نَمْكُثُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى السَّعَادَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشِّقْوَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى الشِّقْوَةِ قَالَ ‏”‏ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ أَمَّا أَهْلُ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلسَّعَادَةِ وَأَمَّا أَهْلُ الشِّقْوَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلشِّقْوَةِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ ‏”‏ ‏{‏ فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى * وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى * فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى * وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى * وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى * ‏.‏ فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى ‏}‏ ‏”‏ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা বাকী’ আল-গারকাদে এক জানাযায় ছিলাম। সেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে বসলেন এবং তাঁর সঙ্গের লাঠি দিয়ে মাটির উপর আঁচড় দিতে লাগলেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, এমন কোন নিঃশ্বাসধারী নেই যার জাহান্নামে বা জান্নাতে নেককার ও বদকার হিসেবে ঠিকানা লিখে রাখা হয়নি। ‘আলী (রাঃ) বলেন, উপস্থিত জনতার মধ্য হতে একজন উঠে বললো, হে আল্লাহর নাবী! তাহলে আমরা কি আমাদের ঐ লেখার উপর নির্ভর করে আমল ছেড়ে দিবো না? তারপর যার নাম সৌভাগ্যবান হিসেবে লেখা আছে সে ভালো কাজেই অগ্রসর হবে, আর আমাদের মধ্যে যার নাম হতভাগা ও পাপিষ্ঠ হিসেবে লেখা আছে সে পাপ কাজেই অগ্রসর হবে। নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা আমল করতে থাকো। কেননা প্রত্যেকের জন্য সেটাই সহজ করা হয়েছে যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। যে ভাগ্যবান সৎকর্ম তার জন্য সহজ হয়, আর যে পাপিষ্ঠ তার জন্য পাপ কাজ সহজ হয়। অতঃপর আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “সুতরাং দান করলে, মুত্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে, আমি তার জন্য সুগম করে দিবো সহজ পথ। আর কেউ কৃপণতা করলে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে, আর যা উত্তম তা বর্জন করলে আমি তার জন্য সুগম করে দিবো কঠোর পরিণতির পথ” (সূরাহ আল-লাইলঃ ৫-১০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৯৫

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلاَءِ فِي الْقَدَرِ ‏.‏ فَوَفَّقَ اللَّهُ لَنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ دَاخِلاً فِي الْمَسْجِدِ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَفَقَّرُونَ الْعِلْمَ يَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَالأَمْرُ أُنُفٌ ‏.‏ فَقَالَ إِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ وَهُمْ بُرَآءُ مِنِّي وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ثُمَّ قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعْرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ نَعْرِفُهُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الإِسْلاَمِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِحْسَانِ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَاتِهَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا عُمَرُ هَلْ تَدْرِي مَنِ السَّائِلُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়া’মার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বাসরাহ্‌তে সর্বপ্রথম তাক্বদীর সম্বন্ধে বিতর্ক সৃষ্টি করে মা’বাদ আল্‌-জুহানী। আমি ও হুমাইদ ইবনু ‘আবদুর রহমান আল্‌-হিমাইয়ারী হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ করতে গেলাম। আমরা বললাম, যদি আমারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন সাহাবীর সাক্ষাৎ পাই তাহলে আমরা এসব লোক ত্বাকদীর সম্পর্কে যা বলে সে সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করবো। অতঃপর আল্লাহ্‌ আমাদেরকে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সাক্ষাৎ লাভে সাহায্য করলেন, যিনি মাসজিদে প্রবেশ করেছিলেন। আমি ও আমার সাথী তাকে ঘিরে বসলাম। আমি চিন্তা করলাম যে, আমার সাথী কথা বলার দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত করবেন। আমি বললাম, হে ‘আবদুর রহমানের পিতা! আমাদের এখানে কিছু সংখ্যক লোকের আত্নপ্রকাশ ঘটেছে যারা কুরআন পড়ে, জ্ঞানচর্চা ও বিতর্কও করে এবং মত পোষণ করে যে, তাক্বদীর বলতে কিছু নেই এবং প্রতিটি বিষয় পূর্ব সিদ্ধান্ত ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটছে। তিনি বললেন, তুমি ঐসব লোকের সাক্ষাত পেলে তাদেরকে সংবাদ দিবে যে, আমি তাদের সাথে সম্পর্কহীন আর তারাও আমার হতে বিচ্ছিন্ন। বিশেষ করে ‘আবদুল্লাহ কসম করে বলেন, “তাদের কারো যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকে এবং তা দান করে দেয়, তবুও তাক্বদীরের উপর ঈমান আনার পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ তাদের এ দান কবুল করবেন না।”

অতঃপর তিনি বলেন, ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তখন ধবধবে সাদা কাপড় পরিহিত ও মিশমিশে কালো চুলধারী এক ব্যক্তি আমাদের নিকট আসলেন। তার মধ্যে ভ্রমণের কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছিলো না, আবার আমাদের মধ্যকার কেউ তাকে চিনতেও পারছে না। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বসলেন। অতঃপর তাঁর (নাবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) দুই হাঁটুর সঙ্গে নিজের দুই হাঁটু মিশিয়ে এবং নিজের দু’হাত তাঁর উরুর উপর রেখে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ইসলাম হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রাসূল, সলাত ক্বায়িম করবে, যাকাত দিবে, রমযানের সিয়াম পালন করবে এবং বাইতুল্লাহ্‌র হাজ্জ করবে যদি সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে। তিনি বললেন, ঠিক বলেছেন। তিনি (‘উমার) বলেন, তার আচরণ আমরা বিস্মিত হলাম কারণ, তিনি প্রশ্ন করছেন আবার নিজেই তার সমর্থন করছেন। পুনরায় তিনি বলেন, আমাকে বলুন ঈমান কি? তিনি বললেন, আপনি আল্লাহর উপর, ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহে, তাঁর রাসূলগণ, পরকাল ও তাক্বদীরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস করবেন। তিনি বললেন, হাঁ, ঠিক বলেছেন। এবার আমাকে বলুন ইহসান কি? তিনি বললেন, “আল্লাহর ‘ইবাদত এরূপ নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন। আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে নাও পান তবুও মনে করবেন যে, তিনি আপনাকে দেখছেন। অতঃপর তিনি বললেন, ক্বিয়ামাত কবে হবে তা আমাকে বলুন। তিনি বললেনঃ এ বিষয়ে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে অধিক জানেন না। তিনি এবার বললেন, তাহলে ক্বিয়ামাতের নিদর্শনসমূহ বলুন। তিনি বললেন, দাসী আপন মনিবকে জন্ম দিবে এবং নাঙ্গা পা ওয়ালা বস্ত্রহীন দেহ গরীব মেষ চালকদেরকে দালানকোঠা নিয়ে গর্ব করতে দেখবে। তিনি (‘উমার) বলেন, অতঃপর লোকটি চলে গেলেন এবং এরপর আমি তিন দিন কাটালাম। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, হে ‘উমার! তুমি কি জানো, প্রশ্নকারী কে? আমি বললাম, আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বলেন, তিনি হচ্ছেন জিবরীল (আঃ), তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন শিখানোর জন্য তোমাদের নিকট এসেছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৯৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، وَحُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ لَقِينَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَذَكَرْنَا لَهُ الْقَدَرَ وَمَا يَقُولُونَ فِيهِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ زَادَ قَالَ وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ مُزَيْنَةَ أَوْ جُهَيْنَةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِيمَا نَعْمَلُ أَفِي شَىْءٍ قَدْ خَلاَ أَوْ مَضَى أَوْ شَىْءٍ يُسْتَأْنَفُ الآنَ قَالَ ‏”‏ فِي شَىْءٍ قَدْ خَلاَ وَمَضَى ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ أَوْ بَعْضُ الْقَوْمِ فَفِيمَ الْعَمَلُ قَالَ ‏”‏ إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنَّ أَهْلَ النَّارِ يُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ইয়া’মুর ও হুমাইদ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে বলেন, একদা আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে তাক্বদীর ও এ বিষয়ে সমালোচনাকারীদের বক্তব্যও তুলে ধরি। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এতে আরো রয়েছেঃ তিনি বলেন, মুযাইনাহ বা জুহাইনাহ গোত্রের এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যা করি তা কি পূর্ব নির্ধারিত অনুযায়ী করি, না স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটে থাকে? তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমাদের আমল পূর্ব-নির্ধারিত। তখন লোকটি বা উপস্থিত লোকদের কেউ বললো, তাহলে আমাদের আমলের মূল্য কি? তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জান্নাতীদের জন্য জান্নাতের উপযোগী আমল করা সহজ করে দেয়া হয় এবং জাহান্নামীদের জন্য জাহান্নামের উপযোগী আমল করা সহজ করে দেয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৯৭

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ يَعْمَرَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ قَالَ فَمَا الإِسْلاَمُ قَالَ ‏ “‏ إِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَحَجُّ الْبَيْتِ وَصَوْمُ شَهْرِ رَمَضَانَ وَالاِغْتِسَالُ مِنَ الْجَنَابَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ عَلْقَمَةُ مُرْجِئٌ ‏.

ইবনু ইয়া’মুর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ইয়া’মুর (রাঃ) সূত্রে এ হাদিস কম-বেশি বক্তব্যসহ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বললেন, ইসলাম কি? তিনি (রাঃ) বললেন, সলাত কায়িম করা, যাকাত দেয়া, বায়তুল্লাহর হাজ্জ করা, রমযান মাসের সওম রাখা এবং জানাবাতের গোসল করা। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আলক্বামাহ ইবনু মারসাদ হলেন মুরজিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৯৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ قَالاَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْلِسُ بَيْنَ ظَهْرَىْ أَصْحَابِهِ فَيَجِيءُ الْغَرِيبُ فَلاَ يَدْرِي أَيُّهُمْ هُوَ حَتَّى يَسْأَلَ فَطَلَبْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَجْعَلَ لَهُ مَجْلِسًا يَعْرِفُهُ الْغَرِيبُ إِذَا أَتَاهُ – قَالَ – فَبَنَيْنَا لَهُ دُكَّانًا مِنْ طِينٍ فَجَلَسَ عَلَيْهِ وَكُنَّا نَجْلِسُ بِجَنْبَتَيْهِ وَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا الْخَبَرِ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ فَذَكَرَ هَيْئَتَهُ حَتَّى سَلَّمَ مِنْ طَرْفِ السِّمَاطِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ ‏.‏ قَالَ فَرَدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ যার ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে সাধারণত সাহাবীদের মধ্যেই বসতেন। ফলে কোন অপরিচিত ব্যক্তি আসলে প্রশ্ন না করা পর্যন্ত বলতে পারতেন না যে, কোন ব্যক্তিটি নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। অতএব আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আবেদন করলাম যে, আমরা তাঁর জন্য একটা বিশেষ স্থান নির্দিষ্ট করবো যেন আগন্তুকরা দেখেই তাঁকে চিনতে পারে। বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং আমরা তাঁর জন্য মাটি দিয়ে একটি বসার স্থান বানালাম এবং তিনি তার উপর বসলেন আর আমরা তাঁর নিকটে বসলাম। অতঃপর বর্ণনাকারী অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে উপস্থিত হলো। বর্ণনাকারী তার দৈহিক গঠনেরও বর্ণনা দিলেন। সে উপস্থিত জনতার এক প্রান্ত হতে সালাম দিলো। সে বললো, হে মুহাম্মাদ! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সালামের জবাব দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬৯৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَالِدٍ الْحِمْصِيِّ، عَنِ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ فَقُلْتُ لَهُ وَقَعَ فِي نَفْسِي شَىْءٌ مِنَ الْقَدَرِ فَحَدِّثْنِي بِشَىْءٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُذْهِبَهُ مِنْ قَلْبِي ‏.‏ فَقَالَ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ عَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ كَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ وَلَوْ أَنْفَقْتَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ وَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ وَلَوْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا لَدَخَلْتَ النَّارَ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ – قَالَ – ثُمَّ أَتَيْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ – قَالَ – ثُمَّ أَتَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَحَدَّثَنِي عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

আবূ ‘আবদুল্লাহ ইবনুল দায়লামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) -এর নিকট এসে তাকে বললাম, তাক্বদীর সম্পর্কে আমার মনে একটা দ্বিধার উদ্রেক হয়েছে। তাই আপনি আমাকে এমন কিছু বলুন যার বিনিময়ে আশা করি মহান আল্লাহ আমার মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করবেন। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ তাঁর আসমান ও পৃথিবীবাসী সকলকে শাস্তি দিতে পারেন। তারপরও তিনি তাদের প্রতি অন্যায়কারী সাব্যস্ত হবেন না। পক্ষান্তরে, তিনি যদি তাদের সকলকে দয়া করেন তাহলে তাঁর এ দয়া তাদের জন্য তাদের নেক আমল হতে উত্তম হবে। সুতরাং যদি তুমি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে দান করো আর তাক্বদীরে বিশ্বাস না রাখো, তবে তা গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না তুমি পুনরায় তাক্বদীরে বিশ্বাস করবে এবং উপলব্ধি করবে যে, যা তোমার ঘটেছে তা ভুলেও তোমাকে এড়িয়ে যাওয়ার ছিল না। পক্ষান্তরে, যা এগিয়ে গেছে তা কখনো ভুলেও তোমার বেলায় ঘটবার ছিল না। আর এ বিশ্বাস ছাড়া তুমি মারা গেলে জাহান্নামে যাবে। ইবনুদ দায়লামী বলেন, অতঃপর আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) -এর নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উদ্বৃতি দিয়ে একই কথা বলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০০

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ الْهُذَلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ رَبَاحٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ أَبِي حَفْصَةَ، قَالَ قَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ لاِبْنِهِ يَا بُنَىَّ إِنَّكَ لَنْ تَجِدَ طَعْمَ حَقِيقَةِ الإِيمَانِ حَتَّى تَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَمَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ فَقَالَ لَهُ اكْتُبْ ‏.‏ قَالَ رَبِّ وَمَاذَا أَكْتُبُ قَالَ اكْتُبْ مَقَادِيرَ كُلِّ شَىْءٍ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ‏”‏ ‏.‏ يَا بُنَىَّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ مَنْ مَاتَ عَلَى غَيْرِ هَذَا فَلَيْسَ مِنِّي ‏”‏ ‏.

আবূ হাফসাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ‘উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) তার ছেলেকে বললেন, হে আমার প্রিয় পুত্র! তুমি ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত ঈমানের স্বাদ পাবে না যতক্ষণ না তুমি জানতে পারবে “যা তোমার উপর ঘটেছে তা ভুলেও এড়িয়ে যাওয়ার ছিল না। পক্ষান্তরে, যা এড়িয়ে গেছে তা তোমার উপর ভুলেও ঘটবার ছিল না। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম যে বস্তু সৃষ্টি করেছেন তা হচ্ছে কলম। অতঃপর তিনি তাকে বললেন, লিখো! কলম বললো, হে রব! কি লিখবো? তিনি বললেন, ক্বিয়ামাত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক বস্তুর তাক্বদীর লিখো। হে আমার প্রিয় পুত্র! আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এরূপ বিশ্বাস ছাড়া মারা যায় সে আমার (উম্মাতের) নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، – الْمَعْنَى – قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ طَاوُسًا، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ ‏.‏ فَقَالَ آدَمُ أَنْتَ مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلاَمِهِ وَخَطَّ لَكَ التَّوْرَاةَ بِيَدِهِ تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ) পরস্পর বিতর্কে প্রবৃত্ত হলেন। মূসা (আঃ) বললেন, হে আদম! আপনি আমাদের পিতা, আপনি আমাদেরকে জান্নাত হতে বঞ্চিত ও বিতাড়িত করেছেন। আদম (আঃ) বললেন, তুমি তো সেই মূসা, আল্লাহ তোমাকে তাঁর কালামের জন্য মনোনীত করেছেন এবং নিজ হাতে তোমার জন্য তাওরাত লিখে দিয়েছেন। তুমি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছো যা আমি করবো বলে আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বে তিনি সিদ্ধান্ত করে রেখেছেন। অতএব, এ বিতর্কে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর বিজয়ী হলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ مُوسَى قَالَ يَا رَبِّ أَرِنَا آدَمَ الَّذِي أَخْرَجَنَا وَنَفْسَهُ مِنَ الْجَنَّةِ فَأَرَاهُ اللَّهُ آدَمَ فَقَالَ أَنْتَ أَبُونَا آدَمُ فَقَالَ لَهُ آدَمُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَنْتَ الَّذِي نَفَخَ اللَّهُ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَعَلَّمَكَ الأَسْمَاءَ كُلَّهَا وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَمَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ أَخْرَجْتَنَا وَنَفْسَكَ مِنَ الْجَنَّةِ فَقَالَ لَهُ آدَمُ وَمَنْ أَنْتَ قَالَ أَنَا مُوسَى ‏.‏ قَالَ أَنْتَ نَبِيُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ الَّذِي كَلَّمَكَ اللَّهُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ لَمْ يَجْعَلْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ رَسُولاً مِنْ خَلْقِهِ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَفَمَا وَجَدْتَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي كِتَابِ اللَّهِ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَفِيمَ تَلُومُنِي فِي شَىْءٍ سَبَقَ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى فِيهِ الْقَضَاءُ قَبْلِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ ‏”‏ فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মূসা (আঃ) বললেন, হে রব! যে আদম (আঃ) আমাদেরকে ও তাঁর নিজেকে জান্নাত হতে বিতাড়িত করেছেন, তাঁকে আমি দেখতে চাই। অতঃপর মহান আল্লাহ তাঁকে আদম (আঃ)-কে দেখালেন। তিনি বললেন, আপনিই আমাদের পিতা আদম (আঃ)? আদম (আঃ) তাঁকে বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি বললেন, আপনি সেই মহান ব্যক্তি যাঁর মধ্যে মহান আল্লাহ তাঁর পক্ষ হতে রূহ সঞ্চার করেছেন এবং আপনাকে সকল কিছুর নাম শিখিয়েছেন, আর ফেরেশতাদেরকে হুকুম দিলে তারা আপনাকে সাজদাহ্ করেছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় বললেন, আমাদেরকে ও আপনার নিজেকে জান্নাত হতে বহিষ্কার করার জন্য আপনাকে কোন বস্তু উদ্বুদ্ধ করেছিল? এবার আদম (আঃ) বললেন, তুমি কে? তিনি বললেন, আমি মূসা (আঃ)। তিনি বললেন, তুমি বনী ইসরাঈলের এমন একজন নবী যাঁর সাথে আল্লাহ পর্দার অন্তরাল হতে সরাসরি কথা বলেছেন এবং তোমার ও তাঁর মাঝে সৃষ্টি জগতের কাউকে বার্তাবাহক হিসেবে গ্রহণ করেননি। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি কি আল্লাহর কিতাবে দেখতে পাওনি যে, সেটি নির্ধারিত ছিল আমাকে সৃষ্টি করার পূর্বেই? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, যে বিষয়ে মহান আল্লাহর সিদ্ধান্ত আমার পূর্ব হতেই লিপিবদ্ধ সে ব্যাপারে আমাকে কেন অভিযুক্ত করছো? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সুতরাং এ বিতর্কে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর জয়ী হলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، أَنَّ عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، أَخْبَرَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ، ‏{‏ وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ‏}‏ قَالَ قَرَأَ الْقَعْنَبِيُّ الآيَةَ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ النَّارَ ‏”‏ ‏.

মুসলিম ইবনু ইয়াসার আল্‌-জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) -কে এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলোঃ “যখন তোমার রব আদম সন্তানের পিঠ হতে তাদের সমস্ত সন্তানদেরকে বের করলেন…” (সূরাহ আল-আ’রাফঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, আল্‌-কা’নাবী এ আয়াত পড়েছিলেন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর স্বীয় ডান হাতে তাঁর পিঠ বুলিয়ে তা থেকে তাঁর একদল সন্তান বের করে বললেন, আমি এদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জান্নাতবাসীর উপযোগী কাজই করবে। অতঃপর আবার তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে একদল সন্তান বের করিয়ে বললেন, এদেরকে আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জাহান্নামীদের উপযোগী কাজই করবে। একথা শুনে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমলের কি মূল্য রইলো? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মহান আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তার দ্বারা জান্নাতীদের কাজই করিয়ে নেন। শেষে সে জান্নাতীদের কাজ করেই মারা যায়। আর আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। অবশেষে সে জাহান্নামীদের কাজ করে মারা যায়। অতঃপর এজন্য তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।

 

সহীহ, পিঠ বুলানো কথাটি বাদে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ جُعْثُمَ الْقُرَشِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ مَالِكٍ أَتَمُّ ‏.‏

নু’আইম ইবনু রবী’আহ (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। অতঃপর অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তবে ইমাম মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীস অধিক পূর্ণাঙ্গ। [৪৭০৩]

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭০৩] তিরমিযী।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৪৭০৫

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَقَبَةَ بْنِ مَصْقَلَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْغُلاَمُ الَّذِي قَتَلَهُ الْخَضِرُ طُبِعَ كَافِرًا وَلَوْ عَاشَ لأَرْهَقَ أَبَوَيْهِ طُغْيَانًا وَكُفْرًا ‏”‏ ‏.

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ছেলেটিকে খাদির (খিযির) হত্যা করেছিলেন, তাকে কাফির হিসেবেই সীলমোহর করা হয়েছিল। সে বেঁচে থাকলে তার পিতা-মাতাকে সীমালঙ্ঘন ও কুফরীর দ্বারা বিব্রত করতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০৬

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي قَوْلِهِ ‏{‏ وَأَمَّا الْغُلاَمُ فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ ‏}‏ ‏”‏ وَكَانَ طُبِعَ يَوْمَ طُبِعَ كَافِرًا ‏”‏ ‏.‏

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে বলতে শুনেছিঃ “আর কিশোরটি, যার মাতা-পিতা ছিল মু’মিন” (সূরাহ কাহ্‌ফঃ ৮০), যেদিন মোহর মারা হয়েছিল সেদিন তাকে কাফির হিসেবেই সীলমোহর মারা হয়েছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ أَبْصَرَ الْخَضِرُ غُلاَمًا يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ فَتَنَاوَلَ رَأْسَهُ فَقَلَعَهُ فَقَالَ مُوسَى ‏{‏ أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً ‏}‏ ‏”‏ ‏.‏ الآيَةَ ‏.‏

উবাই ইবনু কা’ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ খালিদ (খিযির) একটি কিশোরকে বালকদের সঙ্গে খেলাধূলারত দেখতে পেলেন। অতঃপর তিনি তার মাথা ধরে কাবু করে তাকে হত্যা করলেন। তখন মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি এক নিষ্পাপ জীবন হত্যা করলেন…” (সূরা কাহ্‌ফঃ ৭৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০৮

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ – عَنِ الأَعْمَشِ قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ ‏ “‏ إِنَّ خَلْقَ أَحَدِكُمْ يُجْمَعُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يُبْعَثُ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ فَيُكْتَبُ رِزْقُهُ وَأَجَلُهُ وَعَمَلُهُ ثُمَّ يُكْتَبُ شَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ الرُّوحُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ أَوْ قِيدُ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ أَوْ قِيدُ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট বর্ণনা করেনঃ তিনি তো ছিলেন সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃত। তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি চল্লিশ দিন তার মায়ের গর্ভে শুক্ররূপে থাকে, অতঃপর চল্লিশ দিন রক্তপিন্ডরূপে বিরাজ করে; তারপর চল্লিশ দিনে মাংসপিন্ডরূপ ধারণ করে। অতঃপর মহান আল্লাহ তার নিকট একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন এবং তাকে চারটি বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়। তখন সে তার রিযিক, মৃত্যু, আমল এবং সে নেককার নাকি বদকার তাও লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর তার মধ্যে রূহ প্রবেশ করানো হয়। বস্তুত, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ জান্নাতের উপযোগী কাজ করতে থাকে। এমনকি তার ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক হাত বা এক হাত পরিমাণ দূরত্ব থাকে, এমন সময় তার সামনে তার তাক্বদীরের লেখা অগ্রবর্তী হয়, তখন সে জাহান্নামীদের কাজ করে, ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। আবার তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের কাজ করতে থাকে, এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে মাত্র এক হাত বা এক হাত পরিমাণ দূরত্ব থাকে। এমন সময় তার সামনে সে লেখা অগ্রবর্তী হয় এবং সে জান্নাতীদের আমল করে, ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭০৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، قَالَ حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعُلِمَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَفِيمَ يَعْمَلُ الْعَامِلُونَ قَالَ ‏”‏ كُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‏”‏ ‏.

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! কে জান্নাতবাসী আর কে জাহান্নামবাসী তা কি জানা গেছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। প্রশ্নকারী বললো, তাহলে কিসের জন্য আমলকারীরা আমল করবে? তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, প্রত্যেকের জন্য তাই সহজতর যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭১০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ شَرِيكٍ الْهُذَلِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَيْمُونٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تُجَالِسُوا أَهْلَ الْقَدَرِ وَلاَ تُفَاتِحُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা তাক্বদীরে বিশ্বাস করে না তোমরা তাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করো না এবং তোমাদেরকে সম্বোধন করার আগে তাদেরকে সম্বোধন করো না। [৪৭০৯]

 

দুর্বলঃ মিশকাত হা/১০৮।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭০৯] আহমাদ, হাকিম।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৮

মুশরিকদের শিশু সন্তান সম্পর্কে

৪৭১১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ أَوْلاَدِ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুশরিকদের (নাবালেগ) শিশু সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ আল্লাহই অধিক জ্ঞাত, তারা (বেঁচে থাকলে) কিরূপ আমল করতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭১২

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَرْوَانَ الرَّقِّيُّ، وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمَذْحِجِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، – الْمَعْنَى – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَرَارِيُّ الْمُؤْمِنِينَ فَقَالَ ‏”‏ هُمْ مِنْ آبَائِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِلاَ عَمَلٍ قَالَ ‏”‏ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَذَرَارِيُّ الْمُشْرِكِينَ قَالَ ‏”‏ مِنْ آبَائِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ بِلاَ عَمَلٍ قَالَ ‏”‏ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মু’মিনদের শিশু সন্তানদের কি হবে? তিনি বললেন, তারা তাদের পিতাদের অন্তর্ভূক্ত হবে। অতঃপর বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোন নেক আমল ছাড়াই? তিনি বললেন, আল্লাহই অধিক জ্ঞাত, তারা কি আমল করতো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মুশরিকদের সন্তানদের কি হবে? তিনি বললেন, তারাও তাদের পিতাদের অন্তর্গত হবে। আমি বললাম, কোন আমল ছাড়াই? তিনি বললেন, আল্লাহই অধিক জ্ঞাত, তারা (বেঁচে থাকলে) কিরূপ আমল করতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِصَبِيٍّ مِنَ الأَنْصَارِ يُصَلِّي عَلَيْهِ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ طُوبَى لِهَذَا لَمْ يَعْمَلْ شَرًّا وَلَمْ يَدْرِ بِهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ أَوَغَيْرَ ذَلِكَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْجَنَّةَ وَخَلَقَ لَهَا أَهْلاً وَخَلَقَهَا لَهُمْ وَهُمْ فِي أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ وَخَلَقَ النَّارَ وَخَلَقَ لَهَا أَهْلاً وَخَلَقَهَا لَهُمْ وَهُمْ فِي أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জানাযার সালাতের জন্য এক আনসারী বালকের লাশ আনা হলো। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এর কি সৌভাগ্য সে কোন গুনাহ করেনি এবং তার বয়সও পায়নি। তিনি বললেন, হে ‘আয়িশাহ! এর বিপরীত কি হতে পারে না? মহান আল্লাহ জান্নাত ও তার অধিবাসীদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তা যখন তাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তখন তারা তাদের পিতাদের মেরুদন্ডে ছিল। আবার তিনি জাহান্নাম ও তার জন্য একদল ভুক্তভোগী সৃষ্টি করেছেন এবং তা তাদের জন্য যখন তিনি সৃষ্টি করেছেন তখন তারা তাদের পিতাদের মেরুদন্ডে ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭১৪

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ وَيُنَصِّرَانِهِ كَمَا تَنَاتَجُ الإِبِلُ مِنْ بَهِيمَةٍ جَمْعَاءَ هَلْ تُحِسُّ مِنْ جَدْعَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَرَأَيْتَ مَنْ يَمُوتُ وَهُوَ صَغِيرٌ قَالَ ‏”‏ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি সন্তানই ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতামাতা তাদেরকে ইয়াহুদী বা খৃস্টান বানায়। যেভাবে উট পূর্ণাঙ্গ পশুই জন্ম দেয়, তাতে তোমরা কোন কান কাটা দেখো কি? সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! অপ্রাপ্ত বয়সে মারা যায় এমন শিশু সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বলেন, আল্লাহই ভালো জানেন, তারা কিরূপ আমল করতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭১৫

قَالَ أَبُو دَاوُدَ قُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا أَسْمَعُ، أَخْبَرَكَ يُوسُفُ بْنُ عَمْرٍو، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَالِكًا، قِيلَ لَهُ إِنَّ أَهْلَ الأَهْوَاءِ يَحْتَجُّونَ عَلَيْنَا بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ مَالِكٌ احْتَجَّ عَلَيْهِمْ بِآخِرِهِ ‏.‏ قَالُوا أَرَأَيْتَ مَنْ يَمُوتُ وَهُوَ صَغِيرٌ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ওয়াহ্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইমাম মালিক (রহঃ) -এর নিকট বলতে শুনেছি প্রবৃত্তির পূজারীরা আমাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করে থাকে। তারা বলে যে, নাবালেগ অবস্থায় মারা গেছে এমন সন্তান সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তিনি বলেনঃ তারা কিরূপ আমল করতো তা আল্লাহ্ই ভালো জানেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৪৭১৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ سَمِعْتُ حَمَّادَ بْنَ سَلَمَةَ، يُفَسِّرُ حَدِيثَ ‏”‏ كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا عِنْدَنَا حَيْثُ أَخَذَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْعَهْدَ فِي أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ حَيْثُ قَالَ ‏{‏ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى ‏}‏ ‏.‏

হাজ্জাজ ইবনুল মিনহাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি হাম্মাদ ইবনু সালাম (রাঃ) -কে “প্রত্যেক সন্তান ফিতরাতের (সত্য ধর্মের) উপর জন্মগ্রহণ করে”-এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলতে শুনেছিঃ এটা আমাদের নিকট সেই ওয়াদা যা পিতার মেরুদন্ডে অবস্থানকালে আল্লাহ তাদের কাছ থেকে ওয়াদা গ্রহণকালে বলেছিলেনঃ আমি কি তোমাদের রব নই? তারা বলেছিল, হ্যাঁ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৪৭১৭

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْوَائِدَةُ وَالْمَوْءُودَةُ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا قَالَ أَبِي فَحَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ أَنَّ عَامِرًا حَدَّثَهُ بِذَلِكَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেনঃ যে মহিলা তার কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবরস্হ করেছে এবং যে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করা হয়েছে তারা উভয়ে জাহান্নামী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭১৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ أَبِي قَالَ ‏”‏ أَبُوكَ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا قَفَّى قَالَ ‏”‏ إِنَّ أَبِي وَأَبَاكَ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা এক ব্যাক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা কোথায়? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা জাহান্নামে। অতঃপর যখন সে পিঠ ফিরিয়ে চলে যেতে লাগলো তখন তিনি বললেন, তোমার পিতা ও আমার পিতা জাহান্নামে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭১৯

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنِ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শয়তান আদম সন্তানের শিরা-উপশিরায় রক্তের ন্যায় প্রবাহিত হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭২০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ شَرِيكٍ الْهُذَلِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تُجَالِسُوا أَهْلَ الْقَدَرِ وَلاَ تُفَاتِحُوهُمُ الْحَدِيثَ ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা তাক্বদীরে বিশ্বাস করে না তোমরা তাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করবে না এবং তোমাদেরকে সন্মোধন করার আগে তাদেরকে সম্বোধন করবে না। [৪৭১৯]

 

দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭১৯] এটি গত হয়েছে হা/৪৭১০।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯

জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায় সম্পর্কে

৪৭২১

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَزَالُ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يُقَالَ هَذَا خَلَقَ اللَّهُ الْخَلْقَ فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلْيَقُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষ পরস্পর প্রশ্ন করতে থাকে, এমনকি শেষ পর্যন্ত বলে ফেলে যে, আল্লাহ তো সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? যখনই কেউ এরূপ কিছু অনুভব করবে তখন সে যেন বলে, আমি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ – قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ – قَالَ حَدَّثَنِي عُتْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، مَوْلَى بَنِي تَيْمٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فَذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ ‏”‏ فَإِذَا قَالُوا ذَلِكَ فَقُولُوا ‏{‏ اللَّهُ أَحَدٌ * اللَّهُ الصَّمَدُ * لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ * وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ ‏}‏ ثُمَّ لْيَتْفُلْ عَنْ يَسَارِهِ ثَلاَثًا وَلْيَسْتَعِذْ مِنَ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। অতঃপর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তিনি বলেন, যখন তারা এরূপ কথা বলবে তখন তোমরা বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অভাবমুক্ত, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনি কারো সন্তান নন। আর কেউই তাঁর সঙ্গে তুলনাযোগ্য নয়। অতঃপর যেন বামদিকে তিনবার থুথু ফেলে এবং শয়তানের (কুমন্ত্রণা) থেকে আশ্রয় চায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمِيرَةَ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ كُنْتُ فِي الْبَطْحَاءِ فِي عِصَابَةٍ فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّتْ بِهِمْ سَحَابَةٌ فَنَظَرَ إِلَيْهَا فَقَالَ ‏”‏ مَا تُسَمُّونَ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا السَّحَابَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالْمُزْنَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُزْنَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالْعَنَانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْعَنَانَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ أُتْقِنِ الْعَنَانَ جَيِّدًا قَالَ ‏”‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ نَدْرِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَهُمَا إِمَّا وَاحِدَةٌ أَوِ اثْنَتَانِ أَوْ ثَلاَثٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً ثُمَّ السَّمَاءُ فَوْقَهَا كَذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ ‏”‏ ثُمَّ فَوْقَ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ أَظْلاَفِهِمْ وَرُكَبِهِمْ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ عَلَى ظُهُورِهِمُ الْعَرْشُ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَوْقَ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল মুত্তালিবে পুত্র ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একদল লোকের সঙ্গে আল্‌-বাতহা উপত্যকায় ছিলাম, সেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছিলেন। তাদের মাথার উপর দিয়ে একখন্ড মেঘ উড়ে গেলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেটির দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমরা একে কি বলো? সাহাবীগণ বললেন, মেঘ (সাহাব)। তিনি বললেন, ‘আল্‌-মুয্‌ন’? তারা বললেন, এবং মুয্‌নও (সাদা মেঘ)। তিনি বললেন, আল ‘আল্‌-আনান’? তারা বললেন, আল্‌-আনানও। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আনান’ শব্দটি আমি ভালোভাবে মুখস্ত করতে পারিনি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা কি জানো, আসমান ও যমীনের মাঝে কতটুকু দূরত্ব? তারা বললেন, না। তিনি বললেন, উভয়ের মধ্যকার দূরত্বের পরিমাণ হলো একাত্তর বা বায়াত্তর বা তিয়াত্তর বছরের সমান। তারপর এর মতই দুরত্বে প্রথম আসমান, এভাবে পরপর সাতটি আসমানের দূরত্ব নির্দেশ করলেন। অতঃপর সপ্তম আসমানের উপরে একটি সমুদ্র রয়েছে যার উপর ও নীচের মধ্যকার গভীরতা আসমান ও যমীনের মধ্যকার দূরত্বের সমান। এর উপরে আটটি পাহাড়িঁ ছাগল রয়েছে যার ক্ষুর ও হাঁটুর মধ্যকার দূরত্ব আসমান ও যমীনের মধ্যকার দুরত্বের সমান। তারপর এদের পিঠের উপরে রয়েছে মহান আরশ যার উপর ও নীচের মধ্যকার দূরত্বও আসমান ও যমীনের মধ্যকার দুরত্বের সমান। অতঃপর আর উপর রয়েছেন বরকতময় মহান আল্লাহ। [৪৭২২]

 

দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭২২] ইবনু মাজাহ, আহমাদ। আহমাদ শাকির বলেনঃ এর সানাদ খুবই দুর্বল। সানাদে রয়েছে ইয়াহইয়া ইবনুল ’আলা। হাফিয বলেনঃ তার ওপর হাদীস জাল করার আরোপ আছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭২৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي سُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ سِمَاكٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ ‏.‏

সিমাক (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৪৭২৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ الطَّوِيلِ ‏.

সিমাক (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে উপর্রোক্ত দীর্ঘ হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৪৭২৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الرِّبَاطِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، – قَالَ أَحْمَدُ كَتَبْنَاهُ مِنْ نُسْخَتِهِ وَهَذَا لَفْظُهُ – قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ يُحَدِّثُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ جُهِدَتِ الأَنْفُسُ وَضَاعَتِ الْعِيَالُ وَنُهِكَتِ الأَمْوَالُ وَهَلَكَتِ الأَنْعَامُ فَاسْتَسْقِ اللَّهَ لَنَا فَإِنَّا نَسْتَشْفِعُ بِكَ عَلَى اللَّهِ وَنَسْتَشْفِعُ بِاللَّهِ عَلَيْكَ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَيْحَكَ أَتَدْرِي مَا تَقُولُ ‏”‏ وَسَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا زَالَ يُسَبِّحُ حَتَّى عُرِفَ ذَلِكَ فِي وُجُوهِ أَصْحَابِهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ وَيْحَكَ إِنَّهُ لاَ يُسْتَشْفَعُ بِاللَّهِ عَلَى أَحَدٍ مِنْ خَلْقِهِ شَأْنُ اللَّهِ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ وَيْحَكَ أَتَدْرِي مَا اللَّهُ إِنَّ عَرْشَهُ عَلَى سَمَوَاتِهِ لَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ بِأَصَابِعِهِ مِثْلَ الْقُبَّةِ عَلَيْهِ ‏”‏ وَإِنَّهُ لَيَئِطُّ بِهِ أَطِيطَ الرَّحْلِ بِالرَّاكِبِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ بَشَّارٍ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ فَوْقَ عَرْشِهِ وَعَرْشُهُ فَوْقَ سَمَوَاتِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ عَبْدُ الأَعْلَى وَابْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ بَشَّارٍ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ وَجُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَالْحَدِيثُ بِإِسْنَادِ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ هُوَ الصَّحِيحُ وَافَقَهُ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَرَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ كَمَا قَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا وَكَانَ سَمَاعُ عَبْدِ الأَعْلَى وَابْنِ الْمُثَنَّى وَابْنِ بَشَّارٍ مِنْ نُسْخَةٍ وَاحِدَةٍ فِيمَا بَلَغَنِي ‏.

জুবাইর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু জুবাইর ইবনু মুত্বঈম তার পিতা হতে তার দাদা সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল! লোকজন খুবই কষ্ট করছে, পরিবার-পরিজন, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, ধন-সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে এবং জীবজন্তু মরে যাচ্ছে। সুতরাং, আপনি আমাদের জন্য মহান আল্লাহ্‌র নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করুন। কেননা, আমরা আপনার সুপারিশ নিয়ে আল্লাহ্‌র নিকট যাই এবং আল্লাহ্‌র সুপারিশ নিয়ে আপনার নিকট আসি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়! তুমি কি জানো! তুমি কি বলছো? অতঃপর তিনি তাসবীহ পড়তে থাকলেন, এমনকি তাঁর সাহাবীদের মধ্যেও এর (অসন্তুষ্টির) চিহ্ন পরিলক্ষিত হলো। তিনি আবার বললেন, তোমার জন্য দুঃখ হয়! আল্লাহ্‌র সুপারিশ নিয়ে তাঁর কোনো সৃষ্টির নিকট যাওয়া যায় না। আল্লাহ্‌র মর্যাদা এর চেয়ে অনেক ঊর্ধে, অনেক মহান। তোমার জন্য দুঃখ হয়! তুমি কি জানো আল্লাহ কে? তাঁর আরশ আসমানের উপর এভাবে আছে। তিনি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বললেন, তাঁর উপর রয়েছে গম্বুজ সদৃশ ছাদ। তা সত্ত্বেও তা (আরশ) তাঁকে নিয়ে গোঙ্গানীর মত শব্দ করে, যেমনটি করে আরোহীর কারণে জিনপোষ। ইবনু বাশ্শার তার হাদীসে বলেন, মহান আল্লাহ তাঁর আরশের উপরে এবং তার আরশ আসমানসমূহের উপরে। অতঃপর হাদীসটি এভাবেই বর্ণিত হয়েছে। [৪৭২৫]

 

দূর্বলঃ মিশকাত হা/৫৭২৭।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭২৫] ইবনু আবূ ‘আসিম ‘আস-সুন্নাহ’ এবং ইবনু খুযাইমাহ আত-তাওহীদ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭২৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أُذِنَ لِي أَنْ أُحَدِّثَ عَنْ مَلَكٍ مِنْ مَلاَئِكَةِ اللَّهِ مِنْ حَمَلَةِ الْعَرْشِ إِنَّ مَا بَيْنَ شَحْمَةِ أُذُنِهِ إِلَى عَاتِقِهِ مَسِيرَةُ سَبْعِمِائَةِ عَامٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ্‌র যে সকল ফেরেশতা আরশ বহন করেন তাদের একজনের সঙ্গে আলাপ করার জন্য আমাকে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তার কানের লতি হতে কাঁধ পর্যন্ত স্থানের দূরত্ব হলো সাতশো বছরের দূরত্বের সমান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭২৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ النَّسَائِيُّ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ، – يَعْنِي ابْنَ عِمْرَانَ – حَدَّثَنِي أَبُو يُونُسَ، سُلَيْمُ بْنُ جُبَيْرٍ مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقْرَأُ هَذِهِ الآيَةَ ‏{‏ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا ‏}‏ إِلَى قَوْلِهِ تَعَالَى ‏{‏ سَمِيعًا بَصِيرًا ‏}‏ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ إِبْهَامَهُ عَلَى أُذُنِهِ وَالَّتِي تَلِيهَا عَلَى عَيْنِهِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ‏.‏ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا وَيَضَعُ إِصْبَعَيْهِ قَالَ ابْنُ يُونُسَ قَالَ الْمُقْرِئُ يَعْنِي ‏{‏ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ ‏}‏ يَعْنِي أَنَّ لِلَّهِ سَمْعًا وَبَصَرًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا رَدٌّ عَلَى الْجَهْمِيَّةِ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর মুক্তদাস আবূ ইউনুস সুলাইম ইবনু জুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) -কে এ আয়াতটি পড়তে শুনেছিঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আমানতসমূহ তার প্রাপকের নিকট পৌঁছিয়ে দিতে আদেশ করছেন,… আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা” (সূরাহ আন-নিসাঃ ৫৮) পর্যন্ত। আবূ হুরায়রা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর বৃদ্ধা আঙ্গুলকে কানে এবং তর্জনীকে দুই চোখের উপর রাখতে দেখেছি। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আয়াতটি) পড়তে দেখেছি এবং তাঁর আঙ্গুল দুটি রাখতে দেখেছি। ইবনু ইউনুস বলেন, আল-মুকরী বলেছেন, অর্থাৎ “আল্লাহ নিশ্চয়ই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা” -এর অর্থ হলো আল্লাহ্‌র শ্রবণশক্তি ও দর্শনশক্তি আছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এতে জাহমিয়াদের মতবাদ বাতিল হয়ে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০

আল্লাহ্‌র দর্শন লাভ

৪৭২৯

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَوَكِيعٌ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جُلُوسًا فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْلَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا لاَ تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لاَ تُغْلَبُوا عَلَى صَلاَةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ ‏{‏ فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا ‏}‏

জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসা ছিলাম। তিনি চৌদ্দ তারিখের রাতে পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, অচিরেই তোমরা তোমাদের রবকে দেখতে পাবে যেমন তোমরা এ চাঁদকে দেখছো, আর একে দেখতে তোমাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না। যদি তোমরা সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের পূর্বে সলাত আদায়ে পরাভূত না হও তাহলে তা আদায় করে নাও। অতঃপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করো”।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৩০

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ نَاسٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ ‏”‏ هَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ لَيْسَتْ فِي سَحَابَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْسَ فِي سَحَابَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ إِلاَّ كَمَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ أَحَدِهِمَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহকে দেখতে পাবো? তিনি বললেন, মেঘহীন দুপুরে তোমাদের কি সূর্য দেখতে কষ্ট হয়? সাহাবীগন বললেন, না। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, মেঘহীন নির্মল আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তারা বললেন, না। তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সেই, মহান সত্ত্বার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা এর একটি (চাঁদ বা সূর্য) যেভাবে নির্বিঘ্নে দেখতে পাও সেভাবে তাঁকেও তোমরা দেখবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৩১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، – الْمَعْنَى – عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعٍ، – قَالَ مُوسَى – ابْنُ عُدُسٍ عَنْ أَبِي رَزِينٍ، – قَالَ مُوسَى الْعُقَيْلِيُّ – قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكُلُّنَا يَرَى رَبَّهُ قَالَ ابْنُ مُعَاذٍ مُخْلِيًا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ قَالَ ‏”‏ يَا أَبَا رَزِينٍ أَلَيْسَ كُلُّكُمْ يَرَى الْقَمَرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ مُعَاذٍ ‏”‏ لَيْلَةَ الْبَدْرِ مُخْلِيًا بِهِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ اتَّفَقَا قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاللَّهُ أَعْظَمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ مُعَاذٍ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّمَا هُوَ خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ فَاللَّهُ أَجَلُّ وَأَعْظَمُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ রাযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমাদের প্রত্যেকেই কি ক্বিয়ামাতের দিন তার রবকে দেখতে পাবে? তাঁর সৃষ্টির মাঝে এর কোন নিদর্শন আছে কি? তিনি বললেন, হে আবূ রাযীন! তোমাদের প্রত্যেকে কি পূর্ণিমা রাতের চাঁদ দেখে না (অর্থাৎ চৌদ্দ তারিখে নির্মল আকাশে)? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে আল্লাহ তো মহান। ইবনু মু‘আস বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তা (চাঁদ) তো আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যকার একটি সৃষ্টি। আর আল্লাহ তো মহিমান্বিত ও সুমহান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১

জাহ্‌মিয়্যাহ মতবাদ প্রত্যাখ্যাত

৪৭৩২

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ أَبَا أُسَامَةَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ، قَالَ قَالَ سَالِمٌ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَطْوِي اللَّهُ السَّمَوَاتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثُمَّ يَأْخُذُهُنَّ بِيَدِهِ الْيُمْنَى ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُونَ ثُمَّ يَطْوِي الأَرَضِينَ ثُمَّ يَأْخُذُهُنَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ ‏”‏ بِيَدِهِ الأُخْرَى ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُونَ ‏”‏ ‏.

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন আসমানসমূহকে গুটিয়ে তাঁর ডান হাতে নিয়ে বলবেন, আমিই সর্বময়কর্তা ও মালিক, স্বৈরাচারীরা ও অহংকারীরা কোথায়? অতঃপর পৃথিবীসমূহকে গুটিয়ে অপর হাতে নিয়ে বলবেন, আমিই মালিক স্বৈরাচারীরা ও অহংকারীরা কোথায়?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৩৩

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَنْزِلُ رَبُّنَا كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرِ فَيَقُولُ مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাতের এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের মহান রব দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে এসে বলতে থাকেনঃ ওহে কে আছো আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দিবো, কে আছো আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দিবো, কে আছো আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২

আল-কুরআন সম্পর্কে

৪৭৩৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْرِضُ نَفْسَهُ عَلَى النَّاسِ فِي الْمَوْقِفِ فَقَالَ ‏ “‏ أَلاَ رَجُلٌ يَحْمِلُنِي إِلَى قَوْمِهِ فَإِنَّ قُرَيْشًا قَدْ مَنَعُونِي أَنْ أُبَلِّغَ كَلاَمَ رَبِّي ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মানুষ একত্রিত হওয়ার স্থানে (আরাফাহ ময়দানে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের সামনে নিজেকে পেশ করে বলতেনঃ এমন কোন ব্যক্তি আছে কি যে আমাকে তার গোত্রের কাছে নিয়ে যাবে? কেননা কুরাইশ গোত্রের লোকেরা আমাকে আমার রবের বাণী পৌঁছিয়ে দিতে বাধার সৃষ্টি করছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৩৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَعَلْقَمَةُ بْنُ وَقَّاصٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ حَدِيثِ، عَائِشَةَ وَكُلٌّ حَدَّثَنِي طَائِفَةً، مِنَ الْحَدِيثِ قَالَتْ وَلَشَأْنِي فِي نَفْسِي كَانَ أَحْقَرَ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ اللَّهُ فِيَّ بِأَمْرٍ يُتْلَى ‏.‏

আমির ইবনু শাহর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাজ্‌জাশীর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তার এক ছেলে ইনজীলের একটি আয়াত পড়লে আমি হাসলাম। তিনি বললেন, তুমি কি মহান আল্লাহর বাণী শুনে হাসছো!

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৩৬

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَعَلْقَمَةُ بْنُ وَقَّاصٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ حَدِيثِ، عَائِشَةَ وَكُلٌّ حَدَّثَنِي طَائِفَةً، مِنَ الْحَدِيثِ قَالَتْ وَلَشَأْنِي فِي نَفْسِي كَانَ أَحْقَرَ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ اللَّهُ فِيَّ بِأَمْرٍ يُتْلَى ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাকে ‘উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব, ‘আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস ও ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর হাদীস সম্পর্কে জানিয়েছে যে, তিনি বলেছেন, আমি নিজেকে এই পর্যায়ের মনে করতাম না যে, মহান আল্লাহ আমার সম্পর্কে এমন কথা বলবেন যা তিলাওয়াত করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৩৭

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ‏:‏ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعَوِّذُ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ ‏:‏ ‏”‏ أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ يَقُولُ ‏:‏ ‏”‏ كَانَ أَبُوكُمْ يُعَوِّذُ بِهِمَا إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ ‏:‏ هَذَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْقُرْآنَ لَيْسَ بِمَخْلُوقٍ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-এর জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এভাবে : “আমি তোমাদের দু’জনের জন্য আল্লাহ্‌র পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী হতে এবং সকল প্রকার বদনজর হতে মুক্তি চাইছি”। অতঃপর তিনি বলতেন, তোমাদের পিতা (ইবরাহীম আঃ)-ও ইসমাঈল এবং ইসহাক্ব (আঃ) উভয়ের জন্য এ দু’আ পড়ে আশ্রয় চাইতেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এতে প্রমাণিত হয় যে, আল-কুরআন মাখলুক নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৩৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي سُرَيْجٍ الرَّازِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏”‏ إِذَا تَكَلَّمَ اللَّهُ بِالْوَحْىِ سَمِعَ أَهْلُ السَّمَاءِ لِلسَّمَاءِ صَلْصَلَةً كَجَرِّ السِّلْسِلَةِ عَلَى الصَّفَا فَيُصْعَقُونَ، فَلاَ يَزَالُونَ كَذَلِكَ حَتَّى يَأْتِيَهُمْ جِبْرِيلُ حَتَّى إِذَا جَاءَهُمْ جِبْرِيلُ فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ فَيَقُولُونَ ‏:‏ يَا جِبْرِيلُ مَاذَا قَالَ رَبُّكَ فَيَقُولُ ‏:‏ الْحَقَّ فَيَقُولُونَ ‏:‏ الْحَقَّ الْحَقَّ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন মহান আল্লাহ্‌ ওয়াহী প্রেরণের কথা বলেন, তখন এক আকাশের অধিবাসীগণ অন্য আকাশ হতে সাফা পর্বতের উপর দিয়ে শিকল টানার শব্দের মতই শব্দ শুনতে পায়। আর আওয়াজ শুনে তারা বেহুঁশ হয়ে যায় এবং জিবরীল (আঃ) তাদের নিকট উপস্থিত হলে তাদের অন্তর হতে ভয় বিদূরিত হয়ে তারা হুঁশ ফিরে পায়। অতঃপর তারা বলে, হে জিবরীল! আপনার রব কী বলেছেন? তিনি বলেন, যা সত্য তাই বলেছেন। তখন তারা বলে, সত্যই বলেছেন, সত্যই বলেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩

শাফা‘আত সম্পর্কে

৪৭৩৯

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا بِسْطَامُ بْنُ حُرَيْثٍ، عَنْ أَشْعَثَ الْحُدَّانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ شَفَاعَتِي لأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার উম্মাতের কবীরাহ গুনাহগারদের জন্য আমার শাফা‘আত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৪০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ ذَكْوَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنَ النَّارِ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَيُسَمَّوْنَ الْجَهَنَّمِيِّينَ ‏”‏ ‏.‏

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার উম্মাতের একটি গোত্র আমার শাফা‘আত পেয়ে জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভ করে বেরিয়ে আসবে, অতঃপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর তাদেরকে জাহান্নামের অধিবাসী নামেই আখ্যায়িত করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৪১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏ “‏ إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يَأْكُلُونَ فِيهَا وَيَشْرَبُونَ ‏”‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : জান্নাতের অধিবাসীরা সেখানে পানাহার করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪

পুনরুত্থান ও শিঙ্গায় ফুৎকারের বর্ণনা

৪৭৪২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا أَسْلَمُ، عَنْ بِشْرِ بْنِ شَغَافٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ الصُّورُ قَرْنٌ يُنْفَخُ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সূর একটি শিং-এর ন্যায়, তাতে ফুঁ দেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৪৩

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ كُلَّ ابْنِ آدَمَ تَأْكُلُ الأَرْضُ إِلاَّ عَجْبَ الذَّنَبِ، مِنْهُ خُلِقَ وَفِيهِ يُرَكَّبُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি আদম সন্তানকে মাটি খেয়ে ফেলবে, শুধু মেরুদন্ডের নীচের হাড়টুকু বাকী থাকবে। এ হতেই তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এ হতেই তাকে পুনর্গঠন করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫

জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি সম্পর্কে

৪৭৪৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏”‏ لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ الْجَنَّةَ قَالَ لِجِبْرِيلَ ‏:‏ اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا ‏.‏ فَذَهَبَ فَنَظَرَ إِلَيْهَا ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ ‏:‏ أَىْ رَبِّ وَعِزَّتِكَ لاَ يَسْمَعُ بِهَا أَحَدٌ إِلاَّ دَخَلَهَا ثُمَّ حَفَّهَا بِالْمَكَارِهِ ثُمَّ قَالَ ‏:‏ يَا جِبْرِيلُ اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَذَهَبَ فَنَظَرَ إِلَيْهَا ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ ‏:‏ أَىْ رَبِّ وَعِزَّتِكَ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ لاَ يَدْخُلَهَا أَحَدٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ فَلَمَّا خَلَقَ اللَّهُ النَّارَ قَالَ ‏:‏ يَا جِبْرِيلُ اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا ‏.‏ فَذَهَبَ فَنَظَرَ إِلَيْهَا ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ ‏:‏ أَىْ رَبِّ وَعِزَّتِكَ لاَ يَسْمَعُ بِهَا أَحَدٌ فَيَدْخُلُهَا فَحَفَّهَا بِالشَّهَوَاتِ ثُمَّ قَالَ ‏:‏ يَا جِبْرِيلُ اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا ‏.‏ فَذَهَبَ فَنَظَرَ إِلَيْهَا ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ ‏:‏ أَىْ رَبِّ وَعِزَّتِكَ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ لاَ يَبْقَى أَحَدٌ إِلاَّ دَخَلَهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ্‌ জান্নাত তৈরি করে জিবরীল (আঃ)-কে আদেশ দিলেন, তুমি গিয়ে তা দেখে এসো। অতএব তিনি সেখানে গিয়ে তা দেখে এসে বললেন, হে রব! আপনার ইজ্জতের কসম! এটি সম্পর্কে যে-ই শুনবে সে তাতে প্রবেশ না করে ছাড়বে না। তারপর তিনি (আল্লাহ্‌) তাকে কষ্টসাধ্য বিষয়সমূহ দ্বারা বেষ্টিত করে পুনরায় বললেন, হে জিবরীল! এবার আবার গিয়ে তা দেখে আসো। অতএব তিনি আবার গিয়ে দেখে এসে বললেন, হে রব, আপনার মর্যাদার কসম! আমার অত্যন্ত ভয় হচ্ছে যে, কেউই তাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তিনি (রাঃ) বললেন, অতঃপর মহান আল্লাহ্‌ জাহান্নাম তৈরি করে বললেন, হে জিবরীল! তুমি গিয়ে তা দেখে এসো। অতএব তিনি তা দেখে এসে বললেন, হে আমার রব! আপনার ইজ্জতের কসম! কেউই তাতে প্রবেশ করতে চাইবে না। তারপর আল্লাহ্‌ একে লোভ-লালসা, কামনা-বাসনা ইত্যাদি আকর্ষণে আচ্ছাদিত করে পুনরায় জিবরীল (আঃ)-কে বললেন, যাও তা দেখে এসো! তিনি সেখানে গিয়ে তা দেখে এসে বললেন, হে রব! আপনার মর্যাদার কসম! আমার ভয় হচ্ছে যে, কেউই অবশিষ্ট থাকবে না, সকলেই তাতে প্রবেশ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৬

হাওযে কাওসার সম্পর্কে

৪৭৪৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏ “‏ إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا مَا بَيْنَ نَاحِيَتَيْهِ كَمَا بَيْنَ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই তোমাদের সামনে যে হাওয্‌ রয়েছে তার বিস্তৃতি জারবাহ ও আয্‌রুহ-এর মধ্যবর্তী স্থানের দূরত্বের সমান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৪৬

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ ‏:‏ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ ‏:‏ ‏ “‏ مَا أَنْتُمْ جُزْءٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ جُزْءٍ مِمَّنْ يَرِدُ عَلَىَّ الْحَوْضَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ قَالَ ‏:‏ سَبْعَمِائَةٍ أَوْ ثَمَانَمِائَةٍ ‏.‏

যায়িদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সফরকালে এক জায়গায় যাত্রাবিরতি করলে তিনি বলেনঃ হাওযে কাওসারে যেসব লোক আমার নিকট উপস্থিত হবে, তাদের তুলনায় তোমরা তাদের এক লাখ ভাগের এক ভাগ মাত্র। তিনি (বর্ণনাকারী আবূ হামযাহ) বললেন, আমি (যায়িদ ইবনু আরক্বামকে) বললাম, আপনারা সেখানে তখন কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, সাতশো অথবা আটশো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৪৭

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ ‏:‏ أَغْفَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِغْفَاءَةً فَرَفَعَ رَأْسَهُ مُتَبَسِّمًا، فَإِمَّا قَالَ لَهُمْ وَإِمَّا قَالُوا لَهُ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ ضَحِكْتَ فَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ إِنَّهُ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آنِفًا سُورَةٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَرَأَ ‏‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ {إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ} ‏‏ حَتَّى خَتَمَهَا فَلَمَّا قَرَأَهَا قَالَ ‏:‏ ‏”‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ‏:‏ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فِي الْجَنَّةِ، وَعَلَيْهِ خَيْرٌ كَثِيرٌ عَلَيْهِ حَوْضٌ تَرِدُ عَلَيْهِ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ آنِيَتُهُ عَدَدُ الْكَوَاكِبِ ‏”‏ ‏.‏

আল-মুখতার ইবনু ফুলফুল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তন্দ্রাচ্ছন্ন হলেন। অতঃপর মুচকি হেসে মাথা তুলে তিনি তাদেরকে অথবা তাঁকে তারা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনি কেন হাসলেন? তিনি বললেন, এইমাত্র আমার উপর একটি সূরাহ্‌ নাযিল হয়েছে। অতঃপর তিনি পড়লেন, পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে। “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে আল-কাওসার দান করেছি”। এভাবে তিনি সূরাটি পাঠ শেষ করে বললেন, তোমরা কি জানো কাওসার কী? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেন, তা এমন একটি পানির ঝর্ণা যা আমার রব জান্নাতে সৃষ্টি করে রেখেছেন। তাতে অসংখ্য কল্যাণ বিদ্যমান। তাতে হাওযে কাওসারও রয়েছে। আমার উম্মাতগণ ক্বিয়ামাতের দিন সেখানে উপস্থিত হবে। এর পানপাত্রের সংখ্যা হবে (আকাশের) তারকার সমপরিমাণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৪৮

حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ ‏:‏ لَمَّا عُرِجَ بِنَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْجَنَّةِ – أَوْ كَمَا قَالَ – عُرِضَ لَهُ نَهْرٌ حَافَتَاهُ الْيَاقُوتُ الْمُجَيَّبُ أَوْ قَالَ الْمُجَوَّفُ، فَضَرَبَ الْمَلَكُ الَّذِي مَعَهُ يَدَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِسْكًا فَقَالَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم لِلْمَلَكِ الَّذِي مَعَهُ ‏:‏ ‏ “‏ مَا هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ هَذَا الْكَوْثَرُ الَّذِي أَعْطَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মি’রাজের রাতে নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জান্নাতে পরিভ্রমণ করানো হয়। এ সময় তাঁর সামনে একটি নহর উপস্থিত করা হয় যার উভয় তীর খাঁটি নীলকান্ত মণি দ্বারা সুশোভিত ছিল। যে ফেরেশতা তাঁর সাথে ছিলেন, তার হাতে আঘাত করলে কস্তুরী বেরিয়ে আসে। অতঃপর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সফরসঙ্গী ফেরেশতাকে প্রশ্ন করলেন, এটা কি? তিনি বললেন, এ হলো সেই কাওসার যা মহামহিমান্বিত আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৪৯

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ أَبُو طَالُوتَ، قَالَ شَهِدْتُ أَبَا بَرْزَةَ دَخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَحَدَّثَنِي فُلاَنٌ، سَمَّاهُ مُسْلِمٌ وَكَانَ فِي السِّمَاطِ فَلَمَّا رَآهُ عُبَيْدُ اللَّهِ قَالَ ‏:‏ إِنَّ مُحَمَّدِيَّكُمْ هَذَا الدَّحْدَاحُ، فَفَهِمَهَا الشَّيْخُ فَقَالَ مَا كُنْتُ أَحْسِبُ أَنِّي أَبْقَى فِي قَوْمٍ يُعَيِّرُونِي بِصُحْبَةِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ إِنَّ صُحْبَةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم لَكَ زَيْنٌ غَيْرُ شَيْنٍ ثُمَّ قَالَ ‏:‏ إِنَّمَا بُعِثْتُ إِلَيْكَ لأَسْأَلَكَ عَنِ الْحَوْضِ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ فِيهِ شَيْئًا فَقَالَ أَبُو بَرْزَةَ ‏:‏ نَعَمْ لاَ مَرَّةً وَلاَ ثِنْتَيْنِ وَلاَ ثَلاَثًا وَلاَ أَرْبَعًا وَلاَ خَمْسًا، فَمَنْ كَذَّبَ بِهِ فَلاَ سَقَاهُ اللَّهُ مِنْهُ ثُمَّ خَرَجَ مُغْضَبًا ‏.‏

‘আবদুস সালাম ইবনু আবূ হাযিম আবূ তালূত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আবূ বারযাহ (রাঃ) -কে দেখেছি, তিনি ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন। সেখানে লোকজনের সাথে উপস্থিত মুসলিম নামীয় এক ব্যক্তি আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করে বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ তাঁকে দেখে বললো, তোমাদের এই বেঁটে ও মাংসল মুহাম্মাদী। শায়খ (আবূ বারযাহ) কথাটি বুঝতে পারলেন। তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহচর্য লাভকারী আমার মতো ব্যক্তি এসব লোকের মাঝে অবস্থান করা উচিৎ নয় যারা আমাকে (তাঁর সাহাবী হওয়ায়) দোষারোপ করে। ‘উবাইদুল্লাহ তাকে বললো, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহচর্য লাভ তো আপনার জন্য গৌরবের বিষয়, দোষের বিষয় নয়। পুনরায় সে বললো, আমি আপনার নিকট হাওযে কাওসার সম্পর্কে প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছি। আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ বিষয়ে কিছু বলতে শুনেছেন? আবূ বারযাহ (রাঃ) বলেন, হ্যাঁ, একবার নয়, দু’বার নয়, তিনবার নয়, চারবার নয়, পাঁচবার নয় (অনেকবার শুনেছি)। যে ব্যক্তি তা মিথ্যা জানবে তাকে আল্লাহ তা হতে পান করাবেন না। অতঃপর তিনি রাগান্বিত অবস্থায় চলে গেলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৭

কবরের জিজ্ঞাসাবাদ এবং শাস্তি প্রসঙ্গে

৪৭৫০

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏”‏ إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا سُئِلَ فِي الْقَبْرِ فَشَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ ‏}‏ ‏.‏

আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই মুসলিম ব্যক্তিকে যখন কবরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তখন সে এ সাক্ষ্য দেয়, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল। এ হচ্ছে আল্লাহ্‌র এ কালামের অর্থঃ “যারা শাশ্বত বাণীর উপর ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন……” (সূরাহ ইবরাহীমঃ ২৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৫১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ الْخَفَّافُ أَبُو نَصْرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ ‏:‏ إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ نَخْلاً لِبَنِي النَّجَّارِ فَسَمِعَ صَوْتًا فَفَزِعَ فَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ مَنْ أَصْحَابُ هَذِهِ الْقُبُورِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ نَاسٌ مَاتُوا فِي الْجَاهِلِيَّةِ ‏.‏ فَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَمِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ‏:‏ وَمِمَّ ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ إِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ أَتَاهُ مَلَكٌ فَيَقُولُ لَهُ ‏:‏ مَا كُنْتَ تَعْبُدُ فَإِنِ اللَّهُ هَدَاهُ قَالَ ‏:‏ كُنْتُ أَعْبُدُ اللَّهَ ‏.‏ فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ ‏:‏ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ فَمَا يُسْأَلُ عَنْ شَىْءٍ غَيْرَهَا فَيُنْطَلَقُ بِهِ إِلَى بَيْتٍ كَانَ لَهُ فِي النَّارِ، فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ هَذَا بَيْتُكَ كَانَ لَكَ فِي النَّارِ وَلَكِنَّ اللَّهَ عَصَمَكَ وَرَحِمَكَ فَأَبْدَلَكَ بِهِ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ فَيَقُولُ ‏:‏ دَعُونِي حَتَّى أَذْهَبَ فَأُبَشِّرَ أَهْلِي ‏.‏ فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ اسْكُنْ ‏.‏ وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ أَتَاهُ مَلَكٌ فَيَنْتَهِرُهُ فَيَقُولُ لَهُ ‏:‏ مَا كُنْتَ تَعْبُدُ فَيَقُولُ ‏:‏ لاَ أَدْرِي ‏.‏ فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ لاَ دَرَيْتَ وَلاَ تَلَيْتَ ‏.‏ فَيُقَالُ لَهُ ‏:‏ فَمَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ ‏:‏ كُنْتُ أَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ ‏.‏ فَيَضْرِبُهُ بِمِطْرَاقٍ مِنْ حَدِيدٍ بَيْنَ أُذُنَيْهِ فَيَصِيحُ صَيْحَةً يَسْمَعُهَا الْخَلْقُ غَيْرَ الثَّقَلَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনী নাজ্জার গোত্রের একটি খেজুর বাগানে প্রবেশ করে একটা শব্দ শুনে শঙ্কিত হয়ে প্রশ্ন করলেন, এ কবরগুলো কাদের? তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এরা সেসব লোক যারা জাহিলী যুগে মারা গেছে। তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট জাহান্নামের আযাব হতে ও দাজ্জাল সৃষ্ট বিপর্যয় হতে আশ্রয় চাও। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তা কেন? তিনি বললেন, যখন কোন মু’মিন ব্যক্তিকে তার কবরে রাখা হয় তখন তার নিকট একজন ফেরেশতা এসে তাকে বলে, তুমি কার ‘ইবাদত করতে? যদি আল্লাহ তাকে পথ দেখান তাহলে সে বলে, আমি আল্লাহর ‘ইবাদত করতাম। অতঃপর তাকে প্রশ্ন করা হয়, তুমি এ ব্যক্তি ((মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) সম্বন্ধে কি বলতে? সে বলে, তিনি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল! এরপর তাকে অন্য প্রশ্ন না করে তাকে নিয়ে এমন একটি ঘরে যাওয়া হয় যা তার জন্য জাহান্নামে (তৈরি করা) ছিল। অতঃপর তাকে বলা হয়, এটা তোমার ঘর যা জাহান্নামে তোমার জন্য ছিল। কিন্তু আল্লাহ তোমাকে এ হতে রক্ষা করেছেন এবং দয়া করে এর পরিবর্তে তোমার জন্য জান্নাতে একটি ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। তখন সে বলে, আমাকে একটু ছেড়ে দিন, আমি আমার পরিবার-পরিজনকে এ সুসংবাদটি দিয়ে আসি। তাকে বলা হবে, তুমি এখানেই বসবাস করো। পক্ষান্তরে, যখন কোন কাফির ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয় তখন তার নিকট একজন ফেরেশতা এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে বলে, তুমি কার ‘ইবাদত করতে? সে বলে, আমি জানি না। অতঃপর তাকে বলা হয়, তুমি জানতে চাওনি এবং অনুসরণও করোনি। অতঃপর প্রশ্ন করা হয়, এ ব্যক্তি ((মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) সম্বন্ধে তুমি কি বলতে? সে বলবে, অন্যান্য লোক যা বলতো আমিও তাই বলতাম। তখন তার দুই কানের মধ্যস্থলে লোহার হাতুড়ী দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয়। এতে সে এমন জোরে চিৎকার করে যে, মানুষ ও জিন জাতি ছাড়া অন্য সকল সৃষ্টিজীব তা শুনতে পায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৫২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، بِمِثْلِ هَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ وَتَوَلَّى عَنْهُ أَصْحَابُهُ إِنَّهُ لَيَسْمَعُ قَرْعَ نِعَالِهِمْ، فَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيَقُولاَنِ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ قَرِيبًا مِنْ حَدِيثِ الأَوَّلِ قَالَ فِيهِ ‏:‏ ‏”‏ وَأَمَّا الْكَافِرُ وَالْمُنَافِقُ فَيَقُولاَنِ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ ‏:‏ ‏”‏ الْمُنَافِقُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ يَسْمَعُهَا مَنْ يَلِيهِ غَيْرَ الثَّقَلَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল ওয়াহ্হাব (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন কোন লোককে কবরে রেখে তার সঙ্গীরা এতটুকু দূরে চলে যায় যেখান হতে সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায় তখন তার নিকট দু’জন ফেরেশতা এসে বলে… অতঃপর প্রথমোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে কাফিরের সঙ্গে মুনাফিকের কথাও রয়েছে এবং বলা হয়েছেঃ আর কাফির ও মুনাফিককে প্রশ্ন করা হবে। তিনি বলেন, মানুষ ও জিন ছাড়া যারা কবরের নিকট থাকে সকলেই চিৎকার শুনতে পায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৫৩

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، – وَهَذَا لَفْظُ هَنَّادٍ – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمِنْهَالِ، عَنْ زَاذَانَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ ‏:‏ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي جَنَازَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ، فَانْتَهَيْنَا إِلَى الْقَبْرِ وَلَمَّا يُلْحَدْ، فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِنَا الطَّيْرُ، وَفِي يَدِهِ عُودٌ يَنْكُتُ بِهِ فِي الأَرْضِ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ‏”‏ ‏.‏ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا – زَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ هَا هُنَا – وَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ خَفْقَ نِعَالِهِمْ إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ حِينَ يُقَالُ لَهُ ‏:‏ يَا هَذَا مَنْ رَبُّكَ وَمَا دِينُكَ وَمَنْ نَبِيُّكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَنَّادٌ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ وَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولاَنِ لَهُ ‏:‏ مَنْ رَبُّكَ فَيَقُولُ ‏:‏ رَبِّيَ اللَّهُ ‏.‏ فَيَقُولاَنِ لَهُ ‏:‏ مَا دِينُكَ فَيَقُولُ ‏:‏ دِينِي الإِسْلاَمُ ‏.‏ فَيَقُولاَنِ لَهُ ‏:‏ مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بُعِثَ فِيكُمْ قَالَ فَيَقُولُ ‏:‏ هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَيَقُولاَنِ ‏:‏ وَمَا يُدْرِيكَ فَيَقُولُ ‏:‏ قَرَأْتُ كِتَابَ اللَّهِ فَآمَنْتُ بِهِ وَصَدَّقْتُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ ‏:‏ ‏”‏ فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا ‏}‏ ‏”‏ ‏.‏ الآيَةَ ‏.‏ ثُمَّ اتَّفَقَا قَالَ ‏:‏ ‏”‏ فَيُنَادِي مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ ‏:‏ أَنْ قَدْ صَدَقَ عَبْدِي فَأَفْرِشُوهُ مِنَ الْجَنَّةِ، وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى الْجَنَّةِ وَأَلْبِسُوهُ مِنَ الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ فَيَأْتِيهِ مِنْ رَوْحِهَا وَطِيبِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ وَيُفْتَحُ لَهُ فِيهَا مَدَّ بَصَرِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ وَإِنَّ الْكَافِرَ ‏”‏ ‏.‏ فَذَكَرَ مَوْتَهُ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ وَتُعَادُ رُوحُهُ فِي جَسَدِهِ وَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولاَنِ ‏:‏ مَنْ رَبُّكَ فَيَقُولُ ‏:‏ هَاهْ هَاهْ هَاهْ لاَ أَدْرِي ‏.‏ فَيَقُولاَنِ لَهُ ‏:‏ مَا دِينُكَ فَيَقُولُ ‏:‏ هَاهْ هَاهْ لاَ أَدْرِي ‏.‏ فَيَقُولاَنِ ‏:‏ مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بُعِثَ فِيكُمْ فَيَقُولُ ‏:‏ هَاهْ هَاهْ لاَ أَدْرِي ‏.‏ فَيُنَادِي مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ ‏:‏ أَنْ كَذَبَ فَأَفْرِشُوهُ مِنَ النَّارِ وَأَلْبِسُوهُ مِنَ النَّارِ، وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ فَيَأْتِيهِ مِنْ حَرِّهَا وَسَمُومِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ وَيُضَيَّقُ عَلَيْهِ قَبْرُهُ حَتَّى تَخْتَلِفَ فِيهِ أَضْلاَعُهُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ ثُمَّ يُقَيَّضُ لَهُ أَعْمَى أَبْكَمُ مَعَهُ مِرْزَبَّةٌ مِنْ حَدِيدٍ، لَوْ ضُرِبَ بِهَا جَبَلٌ لَصَارَ تُرَابًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ فَيَضْرِبُهُ بِهَا ضَرْبَةً يَسْمَعُهَا مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ إِلاَّ الثَّقَلَيْنِ فَيَصِيرُ تُرَابًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ ثُمَّ تُعَادُ فِيهِ الرُّوحُ ‏”‏ ‏.‏

আল-বারাআ ইবনু ‘আবিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আনসার গোত্রের এক ব্যক্তির জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য রওয়ানা হয়ে কবরের নিকট গেলাম। কিন্তু তখনও কবর খনন শেষ হয়নি। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসলেন এবং আমরাও তাঁর চারিদিকে নীরবে তাঁকে ঘিরে বসে পড়লাম, যেন আমাদের মাথার উপর পাখি বসে আছে। তখন তাঁর হাতে ছিল একখানা লাঠি, তা দিয়ে তিনি মাটিতে আঁচড় কাটছিলেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে দুই বা তিনবার বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট কবরের আযাব হতে আশ্রয় চাও। বর্ণনাকারী জারীর তার আরো উল্লেখ করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মৃত ব্যক্তি তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায় যখন তারা ফিরে যেতে থাকে, আর তখনই তাকে বলা হয়, হে অমুক! তোমার রব কে? তোমার দ্বীন কি এবং তোমার নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে? হান্নাদ (রহঃ) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অতঃপর তার নিকট দু’জন ফেরেশতা এসে তাকে বসিয়ে উভয়ে প্রশ্ন করে, তোমার রব কে? তখন সে বলে, আমার রব আল্লাহ। তাঁরা উভয়ে তাকে প্রশ্ন করে, তোমার দ্বীন কি? সে বলে, আমার দ্বীন হলো ইসলাম। তারা প্রশ্ন করে, এ লোকটি তোমাদের মধ্যে প্রেরিত হয়েছিলেন, তিনি কে? তিনি বলেন, সে বলে, তিনি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তারপর তারা উভয়ে আবার বলে, তুমি কি করে জানতে পারলে? সে বলে, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি এবং তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং সত্য বলে স্বীকার করেছি। জারীর বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ এটাই হলো আল্লাহর এ বাণীর অর্থঃ “যারা এ শাশ্বত বাণীতে ঈমান এনেছে তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন” (সূরাহ ইবরাহীমঃ ২৭)। এরপর বর্ণনাকারী জারীর ও হান্নাদ উভয়ে একইরূপ বর্ণনা করেন। নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতঃপর আকাশ হতে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন, আমার বান্দা যথাযথ বলেছে। সুতরাং, তার জন্য জান্নাতের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও এবং তাকে জান্নাতের পোষাক পরিয়ে দাও। এছাড়া তার জন্য জান্নাতের দিকে একটা দরজা খুলে দাও। তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সুতরাং, তার দিকে জান্নাতের স্নিগ্ধকর হাওয়া ও তার সুগন্ধি বইতে থাকে। তিনি আরো বলেন, ঐ দরজা তার দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত প্রশস্ত করা হয়।

অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাফিরদের মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, তার রূহকে তার শরীরে ফিরিয়ে আনা হয় এবং দু’জন ফেরেশতা এসে তাকে বসিয়ে প্রশ্ন করে, তোমার রব কে? সে উত্তর দেয়, হায়! আমি কিছুই জানি না। তারপর তারা প্রশ্ন করেন, তোমার দ্বীন কি? সে বলে, হায়! আমি কিছুই জানি না। তারা প্রশ্ন করে, এ লোকটি তোমাদের মধ্যে প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে? সে বলে, হায়! আমি তো জানি না। তখন আকাশের দিক হতে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করেন, সে মিথ্যা বলেছে। সুতরাং, তার জন্য জাহান্নামের একটি বিছানা এনে বিছিয়ে দাও এবং তাকে জাহান্নামের পোষাক পরিয়ে দাও, আর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটা দরজা খুলে দাও। তিনি বলেন, অতঃপর তার দিকে জাহান্নামের উত্তপ্ত বাতাস আসতে থাকে। এছাড়া তার জন্য তার কবরকে সংকীর্ণ করে দেয়া হয়, ফলে তার এক দিকের পাঁজর অপর দিকের পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যায়। বর্ণনাকারী জারীর বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অতঃপর তার জন্য এক অন্ধ ও বধির ফেরেশতাকে নিযুক্ত করা হয়, যার সঙ্গে একটি লোহার হাতুড়ী থাকবে, যদি এ দ্বারা পাহাড়কে আঘাত করা হয় তাহলে তা ধূলায় পরিণত হয়ে যাবে। নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তারপর সে তাকে হাতুড়ী দিয়ে সজোরে আঘাত করতে থাকে, এতে সে বিকট শব্দে চিৎকার করতে থাকে যা মানুষ ও জিন ছাড়া পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত সকল সৃষ্টি জীবই শুনতে পায়। আঘাতের ফলে সে মাটিতে মিশে যায়। তিনি বলেন, অতঃপর (শাস্তি অব্যাহত রাখার জন্য) পুনরায় তাতে রুহ ফেরত দেয়া হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৫৪

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا الْمِنْهَالُ، عَنْ أَبِي عُمَرَ، ‏:‏ زَاذَانَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আল-বারাআ (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরপ বর্ণিত। [৪৭৫৩]

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭৫৩] এর পূর্বেরটি দেখুন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৮

মীযান প্রসঙ্গ

৪৭৫৫

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَحُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، ‏:‏ أَنَّهَا ذَكَرَتِ النَّارَ فَبَكَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏”‏ مَا يُبْكِيكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ ذَكَرْتُ النَّارَ فَبَكَيْتُ، فَهَلْ تَذْكُرُونَ أَهْلِيكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏”‏ أَمَّا فِي ثَلاَثَةِ مَوَاطِنَ فَلاَ يَذْكُرُ أَحَدٌ أَحَدًا ‏:‏ عِنْدَ الْمِيزَانِ حَتَّى يَعْلَمَ أَيَخِفُّ مِيزَانُهُ أَوْ يَثْقُلُ، وَعِنْدَ الْكِتَابِ حِينَ يُقَالُ ‏{‏ هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ ‏}‏ حَتَّى يَعْلَمَ أَيْنَ يَقَعُ كِتَابُهُ أَفِي يَمِينِهِ أَمْ فِي شِمَالِهِ أَمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ، وَعِنْدَ الصِّرَاطِ إِذَا وُضِعَ بَيْنَ ظَهْرَىْ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَعْقُوبُ ‏:‏ عَنْ يُونُسَ وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِهِ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কাঁদলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বললেন, জাহান্নামের কথা স্মরণ হওয়ায় কাঁদছি। আপনি কি ক্বিয়ামাতের দিন আপনার পরিবারের কথা মনে রাখবেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ অবশ্য তিনটি স্থান যেখানে কেউ কারো কথা স্মরণ রাখবে না। মীযানের নিকট, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জানতে পারবে তার আমলের পরিমাণ কম হবে নাকি বেশী; আমলনামা প্রাপ্তির স্থান, যখন বলা হবে, “তোমার আমলনামা পাঠ করো” (সূরাহ আল-হাক্কাহঃ ১৯); কেননা তখন সবাই পেরেশান থাকবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে পাচ্ছে নাকি বাম হাতে পাচ্ছে নাকি পিছন দিক হতে পাচ্ছে; আর পুলসিরাতের নিকট, যখন তা জাহান্নামের উপর প্রতিষ্ঠিত করা হবে। [৪৭৫৪]

 

দুর্বলঃ মিশকাত হা/৫৫৬০।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭৫৪] আহমাদ। বর্ণনাকারী হাসান হাদীসটি ‘আয়িশাহ হতে শুনেননি। কাজেই তা মুরসাল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৯

দাজ্জালের বর্ণনা

৪৭৫৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏”‏ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلاَّ وَقَدْ أَنْذَرَ الدَّجَّالَ قَوْمَهُ، وَإِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ ‏”‏ ‏.‏ فَوَصَفَهُ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ مَنْ قَدْ رَآنِي وَسَمِعَ كَلاَمِي ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ قُلُوبُنَا يَوْمَئِذٍ أَمِثْلُهَا الْيَوْمَ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ أَوْ خَيْرٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ ‘উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, নূহ (আঃ)-এর পর যারাই নবী হিসেবে এসেছেন তাদের প্রত্যেকেই তাঁর কওমকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। আর আমিও তোমাদেরকে তার ব্যাপারে সাবধান করছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বর্ণনা দিয়ে বললেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার কথা শুনেছে হয়তো সেও তার সাক্ষাত পেতে পারে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! বর্তমানে আমাদের যেরকম মানসিকতা আছে তখনও কি এরকম থাকবে? তিনি বললেন, হয়ত আরো ভাল থাকবে। [৪৭৫৫]

 

দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭৫৫] তিরমিযী, আহমাদ। সানাদ মুনকাতি। ‘আবদুল্লাহ বিন সুরাকবাহ হাদীসটি ‘উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ হতে শুনেননি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৫৭

حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ ‏:‏ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، فَذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ ‏:‏ ‏ “‏ إِنِّي لأُنْذِرُكُمُوهُ، وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ قَدْ أَنْذَرَهُ قَوْمَهُ، لَقَدْ أَنْذَرَهُ نُوحٌ قَوْمَهُ، وَلَكِنِّي سَأَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلاً لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ ‏:‏ إِنَّهُ أَعْوَرُ وَإِنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ ‏”‏ ‏.

সালিম (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনসম্মুখে মহান আল্লাহর যথাযথ প্রশংসার পরে দাজ্জালের বর্নণা প্রসঙ্গে বলেনঃ প্রত্যেক নাবীই স্বীয় সম্প্রদায়কে দাজ্জাল সম্বন্ধে সতর্ক করেছেন। নূহ (আঃ)-ও তাঁর কওমকে এ সম্পর্কে সাবধান করেছেন। কিন্তু আমি দাজ্জাল সম্পর্কে তোমাদেরকে এমন কথা বলবো যা অন্য কোন নবী তাঁর কওমকে বলেননি। তা হলো, সে হবে কানা; আর নিশ্চয়ই আল্লাহ কানা নন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩০

খারিজীদের সম্পর্কে

৪৭৫৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ وَمَنْدَلٌ عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِي جَهْمٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ وَهْبَانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏ “‏ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الإِسْلاَمِ مِنْ عُنُقِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (মুসলিম) জামা‘আত থেকে বিচ্ছিস্ন হয়ে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে গেলো, সে ইসলামের রজ্জু তাঁর গর্দান হতে খুলে ফেললো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৫৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ طَرِيفٍ، عَنْ أَبِي الْجَهْمِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ وَهْبَانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏”‏ كَيْفَ أَنْتُمْ وَأَئِمَّةٌ مِنْ بَعْدِي يَسْتَأْثِرُونَ بِهَذَا الْفَىْءِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ ‏:‏ إِذًا وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ أَضَعُ سَيْفِي عَلَى عَاتِقِي، ثُمَّ أَضْرِبُ بِهِ حَتَّى أَلْقَاكَ أَوْ أَلْحَقَكَ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ أَوَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ تَصْبِرُ حَتَّى تَلْقَانِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পরে শাসকগণ এসব ফাই নিজেদের জন্য আত্মসাৎ করলে তাদের ব্যাপারে তোমাদের করণীয় কি হবে? আমি বললাম, সেই মহান আল্লাহর কসম, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন! আমি আমার তরবারি আমার কাঁধে রাখবো এবং তা দিয়ে আপনার সঙ্গে সাক্ষাত করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবো। তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়ে ভাল পথ বলে দিবো না? তা হচ্ছে, আমার সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্ব পর্যন্ত তুমি ধৈর্য ধরবে। [৪৭৫৮]

 

দুর্বলঃ মিশকাত হা/৩৭১০।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭৫৮] আহমাদ। সানাদে খালিদ ইবনু ওহার সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাজহুল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْمُعَلَّى بْنِ زِيَادٍ، وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ ضَبَّةَ بْنِ مِحْصَنٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏”‏ سَتَكُونُ عَلَيْكُمْ أَئِمَّةٌ تَعْرِفُونَ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُونَ فَمَنْ أَنْكَرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ هِشَامٌ ‏:‏ ‏”‏ بِلِسَانِهِ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ كَرِهَ بِقَلْبِهِ فَقَدْ سَلِمَ وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نَقْتُلُهُمْ قَالَ ابْنُ دَاوُدَ ‏:‏ ‏”‏ أَفَلاَ نُقَاتِلُهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ لاَ مَا صَلَّوْا ‏”‏ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অচিরেই তোমাদের জন্য এমন নতুন নেতা নিযুক্ত হবে যাদের কিছু কার্যকলাপ তোমাদের পছন্দ হবে এবং কিছু কার্যকলাপ অপছন্দ হবে। তখন যে ব্যক্তি তার মুখ দিয়ে অস্বীকার করবে সে দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি তার অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে সে মুক্ত থাকবে। কিন্তু যে ব্যক্তি সন্তুষ্ট মনে তা অনুকরণ করবে সে তার দ্বীনকে ধবংস করবে। অতঃপর বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমরা কি তাদের হত্যা করবো না? ইবনু দাঊদ বলেন, আমরা কি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবো না? তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না, যতক্ষণ তারা সলাত আদায় করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬১

حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ ضَبَّةَ بْنِ مِحْصَنٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَتَادَةُ ‏:‏ يَعْنِي مَنْ أَنْكَرَ بِقَلْبِهِ، وَمَنْ كَرِهَ بِقَلْبِهِ ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি তা ঘৃণা করলো সে দায়িত্বমুক্ত হলো। যে ব্যক্তি তা অপছন্দ করলো সে মুক্ত হলো। ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে ঘৃণা করলো এবং যে ব্যক্তি তার অন্তর দিয়ে অপছন্দ করলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عَلاَقَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏ “‏ سَتَكُونُ فِي أُمَّتِي هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ وَهَنَاتٌ، فَمَنْ أَرَادَ أَنْ يُفَرِّقَ أَمْرَ الْمُسْلِمِينَ وَهُمْ جَمِيعٌ فَاضْرِبُوهُ بِالسَّيْفِ كَائِنًا مَنْ كَانَ ‏”‏ ‏.‏

আরফাজাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ অচিরেই আমার উম্মাতের মধ্যে বিচিত্রমুখী দুর্নীতি ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হবে। মুসলিমগণ ঐক্যবদ্ধ থাকা অবস্থায় যে ব্যক্তি তাদের কাজে বাধা দিবে সে যে-ই হোক, তোমরা তাকে তরবারি দিয়ে হত্যা করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩১

খারিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা

৪৭৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، ‏:‏ أَنَّ عَلِيًّا، ذَكَرَ أَهْلَ النَّهْرَوَانِ فَقَالَ ‏:‏ فِيهِمْ رَجُلٌ مُودَنُ الْيَدِ أَوْ مُخْدَجُ الْيَدِ، أَوْ مَثْدُونُ الْيَدِ لَوْلاَ أَنْ تَبْطَرُوا لَنَبَّأْتُكُمْ مَا وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ يَقْتُلُونَهُمْ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ قُلْتُ ‏:‏ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْهُ قَالَ ‏:‏ إِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ ‏.‏

উবাইদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা ‘আলী (রাঃ) নাহরাওয়ানের অধিবাসীদের সম্পর্কে বলেন, তাদের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ বা খাটো হাতবিশিষ্ট এক ব্যক্তি রয়েছে, যদি তোমরা আনন্দে আত্মহারা না হও তাহলে আমি তোমাদেরকে মহান আল্লাহর সেই অঙ্গীকার সম্বন্ধে জানাবো যা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখ নিঃসৃত ভাষায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারীদের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ‘উবাইদাহ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনি কি একথা তাঁর কাছে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, কা‘বার রবের কসম!

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ ‏:‏ بَعَثَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذُهَيْبَةٍ فِي تُرْبَتِهَا، فَقَسَّمَهَا بَيْنَ أَرْبَعَةٍ بَيْنَ ‏:‏ الأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ ثُمَّ الْمُجَاشِعِيِّ، وَبَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيِّ وَبَيْنَ زَيْدِ الْخَيْلِ الطَّائِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي نَبْهَانَ وَبَيْنَ عَلْقَمَةَ بْنِ عُلاَثَةَ الْعَامِرِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي كِلاَبٍ قَالَ فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ وَقَالَتْ ‏:‏ يُعْطِي صَنَادِيدَ أَهْلِ نَجْدٍ وَيَدَعُنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ إِنَّمَا أَتَأَلَّفُهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ نَاتِئُ الْجَبِينِ كَثُّ اللِّحْيَةِ مَحْلُوقٌ قَالَ ‏:‏ اتَّقِ اللَّهَ يَا مُحَمَّدُ ‏.‏ فَقَالَ ‏:‏ ‏”‏ مَنْ يُطِعِ اللَّهَ إِذَا عَصَيْتُهُ أَيَأْمَنُنِي اللَّهُ عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَلاَ تَأْمَنُونِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَسَأَلَ رَجُلٌ قَتْلَهُ أَحْسِبُهُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ – قَالَ – فَمَنَعَهُ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَلَمَّا وَلَّى قَالَ ‏:‏ ‏”‏ إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا أَوْ فِي عَقِبِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يَقْتُلُونَ أَهْلَ الإِسْلاَمِ وَيَدَعُونَ أَهْلَ الأَوْثَانِ لَئِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُمْ قَتَلْتُهُمْ قَتْلَ عَادٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কিছু অপরিশোধিত স্বর্ণ পাঠালে তিনি তার চারজন ব্যক্তি, যথা আকরা ‘ইবনু হাবিস আল-হানযলী আল-মুজাশিঈ, ‘উয়াইনাহ ইবনু বাদর আল-ফাযারী, যায়িদ আল-খাইল আত-তাঈ, অতঃপর নাবহান গোত্রের এক ব্যক্তি, এছাড়া ‘আলক্বামাহ ইবনু উলাসাহ আল-‘আমিরী এবং বনী কিলাবের এক ব্যক্তির মধ্যে ভাগ করে দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এতে কুরাইশ ও আনসারগণ অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, নাজদের অধিবাসীদের নেতৃস্থানীয় লোকদেরকে দেয়া হয়েছে এবং আমাদেরকে দেয়া হলো না। তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তাদেরকে (ইসলামের) অনুরাগী করার জন্য দিয়েছি। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর কোটরাগত চোখ, উদ্যত চিবুক, ঘন দাড়ি ও নেড়া মাথাবিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে বললো, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ্‌কে ভয় করো। তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমিই যদি অবাধ্য হই তাহলে কে আর আল্লাহর আনুগত্য করবে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশ্বস্ত লোক হিসেবে নিয়োগ করেছেন; আর তোমরা আমাকে বিশ্বাস করছো না! আবূ সাঈস আল-খুদরী (রাঃ) বলেন, অতঃপর এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন, আমার মতে, তিনি খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)। তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বারণ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি চলে গেলে তিনি (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তার বংশধর হতে এমন এক গোত্রের আবির্ভাব হবে, যারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তীর যে গতিতে শিকারের দিকে ছুটে যায় তারাও ঠিক সেইভাবে ইসলাম হতে বেরিয়ে যাবে, তারা ইসলামের অনুসারীদেরকে হত্যা করবে এবং পৌত্তলিকদেরকে নিরাপদ রাখবে। যদি আমি তাদের সময় পর্যন্ত জীবিত থাকি তাহলে তাদেরকে হত্যা করবো যেভাবে হত্যা করা হয়েছে ‘আদ জাতিকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬৫

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، وَمُبَشِّرٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيَّ عَنْ أَبِي عَمْرٍو، قَالَ – يَعْنِي الْوَلِيدَ – حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنِي قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏”‏ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي اخْتِلاَفٌ وَفُرْقَةٌ، قَوْمٌ يُحْسِنُونَ الْقِيلَ وَيُسِيئُونَ الْفِعْلَ وَيَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ لاَ يَرْجِعُونَ حَتَّى يَرْتَدَّ عَلَى فُوقِهِ هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ طُوبَى لِمَنْ قَتَلَهُمْ وَقَتَلُوهُ، يَدْعُونَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَلَيْسُوا مِنْهُ فِي شَىْءٍ، مَنْ قَاتَلَهُمْ كَانَ أَوْلَى بِاللَّهِ مِنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا سِيمَاهُمْ قَالَ ‏:‏ ‏”‏ التَّحْلِيقُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অচিরেই আমার উম্মাতের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হবে। তারা উত্তম কথা বলবে, আর নিকৃষ্ট কাজ করবে। তারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু তা তাদের গলার হাড় অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন হতে এমনভাবে খারিজ হবে যেমন তীর ধনুক হতে ছুটে যায়, তারা আর ফিরে আসবে না। তারা সৃষ্টি জগতে নিকৃষ্টতম। ঐ ব্যক্তি ভাগ্যবান যে তাদেরকে হত্যা করলো এবং তারা তাকে হত্যা করলো। তারা আল্লাহর কিতাবের দিকে ডাকে কিন্তু নিজেরা তার অনুসরণ করে না। যে ব্যক্তি তাদেরকে হত্যা করবে সে-ই হবে আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের আলামত কি? তিনি বললেন, ন্যাড়া মাথাওয়ালা গোষ্ঠী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ سِيمَاهُمُ التَّحْلِيقُ وَالتَّسْبِيدُ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ فَأَنِيمُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ ‏:‏ التَّسْبِيدُ اسْتِئْصَالُ الشَّعْرِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, তাদের আলামত হচ্ছে, তারা মাথা মুড়ানো ও টাকপড়া হবে। অতঃপর তোমরা তাদেরকে দেখলে হত্যা করবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আত-তাসবীদ অর্থ হলো চুল উপড়ে ফেলা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ ‏:‏ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا فَلأَنْ أَخِرَّ مِنَ السَّمَاءِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَكْذِبَ عَلَيْهِ وَإِذَا حَدَّثْتُكُمْ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ فَإِنَّمَا الْحَرْبُ خُدْعَةٌ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏ “‏ يَأْتِي فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ حُدَثَاءُ الأَسْنَانِ سُفَهَاءُ الأَحْلاَمِ، يَقُولُونَ مِنْ قَوْلِ خَيْرِ الْبَرِيَّةِ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، لاَ يُجَاوِزُ إِيمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ، فَأَيْنَمَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ، فَإِنَّ قَتْلَهُمْ أَجْرٌ لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.

সুওয়াইদ ইবনু গাফালা্হ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেন, যখন আমি তোমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করি, তখন তাঁর উপর মিথ্যা আরোপ করার চেয়ে আমার আকাশ থেকে পড়ে যাওয়া অধিক পছন্দনীয়। আর যখন আমি আমার ও তোমাদের মধ্যকার বিষয়ে আলাপ করি তখন “যুদ্ধ হলো কৌশল”। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ শেষ যুগে এমন লোকদের আত্নপ্রকাশ ঘটবে যারা হবে বয়সে নবীন এবং প্রতিজ্ঞাহীন বোকা। তারা সমগ্র সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বোত্তম কথা বলবে, তীর যেভাবে ধনুক হতে বেরিয়ে যায় তারাও সেভাবে দ্বীন হতে বেরিয়ে যাবে। তাদের ঈমান কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তোমরা যেখানেই এই ধরনের লোকের দেখা পাবে সেখানেই তাদেরকে হত্যা করবে। কারণ, যারা এদেরকে হত্যা করবে ক্বিয়ামতের দিন তারা সওয়াব লাভ করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬৮

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ الْجُهَنِيُّ، ‏:‏ أَنَّهُ كَانَ فِي الْجَيْشِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ الَّذِينَ سَارُوا إِلَى الْخَوَارِجِ فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏:‏ أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏ “‏ يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِي يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَيْسَتْ قِرَاءَتُكُمْ إِلَى قِرَاءَتِهِمْ شَيْئًا وَلاَ صَلاَتُكُمْ إِلَى صَلاَتِهِمْ شَيْئًا وَلاَ صِيَامُكُمْ إِلَى صِيَامِهِمْ شَيْئًا، يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَحْسَبُونَ أَنَّهُ لَهُمْ وَهُوَ عَلَيْهِمْ، لاَ تُجَاوِزُ صَلاَتُهُمْ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، لَوْ يَعْلَمُ الْجَيْشُ الَّذِينَ يُصِيبُونَهُمْ مَا قُضِيَ لَهُمْ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم لَنَكَلُوا عَلَى الْعَمَلِ، وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّ فِيهِمْ رَجُلاً لَهُ عَضُدٌ وَلَيْسَتْ لَهُ ذِرَاعٌ، عَلَى عَضُدِهِ مِثْلُ حَلَمَةِ الثَّدْىِ عَلَيْهِ شَعَرَاتٌ بِيضٌ ‏”‏ ‏.‏ أَفَتَذْهَبُونَ إِلَى مُعَاوِيَةَ وَأَهْلِ الشَّامِ وَتَتْرُكُونَ هَؤُلاَءِ يَخْلُفُونَكُمْ فِي ذَرَارِيِّكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَكُونُوا هَؤُلاَءِ الْقَوْمَ، فَإِنَّهُمْ قَدْ سَفَكُوا الدَّمَ الْحَرَامَ، وَأَغَارُوا فِي سَرْحِ النَّاسِ فَسِيرُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ ‏:‏ فَنَزَّلَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ مَنْزِلاً مَنْزِلاً حَتَّى مَرَّ بِنَا عَلَى قَنْطَرَةٍ قَالَ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا وَعَلَى الْخَوَارِجِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ الرَّاسِبِيُّ فَقَالَ لَهُمْ ‏:‏ أَلْقُوا الرِّمَاحَ وَسُلُّوا السُّيُوفَ مِنْ جُفُونِهَا، فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يُنَاشِدُوكُمْ كَمَا نَاشَدُوكُمْ يَوْمَ حَرُورَاءَ قَالَ ‏:‏ فَوَحَّشُوا بِرِمَاحِهِمْ وَاسْتَلُّوا السُّيُوفَ وَشَجَرَهُمُ النَّاسُ بِرِمَاحِهِمْ – قَالَ – وَقَتَلُوا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضِهِمْ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ وَمَا أُصِيبَ مِنَ النَّاسِ يَوْمَئِذٍ إِلاَّ رَجُلاَنِ فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏:‏ الْتَمِسُوا فِيهِمُ الْمُخْدَجَ فَلَمْ يَجِدُوا قَالَ ‏:‏ فَقَامَ عَلِيٌّ رضى الله عنه بِنَفْسِهِ حَتَّى أَتَى نَاسًا قَدْ قُتِلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ فَقَالَ ‏:‏ أَخْرِجُوهُمْ فَوَجَدُوهُ مِمَّا يَلِي الأَرْضَ فَكَبَّرَ وَقَالَ ‏:‏ صَدَقَ اللَّهُ وَبَلَّغَ رَسُولُهُ ‏.‏ فَقَامَ إِلَيْهِ عَبِيدَةُ السَّلْمَانِيُّ فَقَالَ ‏:‏ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَقَدْ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏:‏ إِي وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ حَتَّى اسْتَحْلَفَهُ ثَلاَثًا وَهُوَ يَحْلِفُ ‏.

সালামাহ ইবনু কুহাইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যায়িদ ইবনু ওয়াহ্‌ব আল্‌-জুহানী (রহঃ) জানিয়েছেন যে, তিনি ‘আলী (রাঃ) -এর সঙ্গে সেই সৈন্যদলের সঙ্গে ছিলেন যারা খারিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন। ‘আলী (রাঃ) বলেন, হে জনতা! আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মাতের মধ্য হতে এমন একটি গোত্রের আত্নপ্রকাশ ঘটবে যাদের কুরআন পাঠের সামনে তোমাদের তিলওয়াত কিছুই নয়, তোমাদের সলাত তাদের সলাতের তুলনায় কিছুই নয় এবং তোমাদের সিয়াম তাদের সিয়ামের তুলনায় কিছুই নয়। তারা কুরআন পড়বে নেকী লাভের আশায়, কিন্তু পরিণতি হবে তার বিপরীত। তাদের সলাত তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তীর যেভাবে ধনুক হতে বেরিয়ে যায়, তারাও ঠিক সেভাবে ইসলাম হতে দূরে সরে যাবে। যেসব সৈন্য তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তারা যদি সেই সওয়াবের কথা জানতে পারে যা তাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ মুখে তাদের জন্য বলেছেন, তাহলে তারা অন্যান্য আমল করা ছেড়ে দিবে এবং এরই উপর নির্ভর করে বসে থাকবে। এই দলের নিদর্শন হলো, তাদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি থাকবে যার বাহু থাকবে কিন্তু হাত থাকবে না এবং তার বাহুর উপর স্তনের বোঁটার ন্যায় একটি বোঁটা থাকবে এবং তার উপর সাদা লোম থাকবে। তোমরা কি তোমাদের ছেলেমেয়ে ও ধন-সম্পদ এদের আয়ত্তে রেখে মু’আরিযাহ ও সিরিয়াবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যেতে চাও? আল্লাহর কসম! আমার ধারণা যে, এরাই সেই গোত্রের। কেননা, এরা হারামভাবে রক্ত প্রবাহিত করছে এবং চারণভূমি হতে মানুষের পশু লুট করছে। অতএব, তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে বের হও।

সালামাহ ইবনু কুহাইল (রহঃ) বলেন, আমার কাছে যায়িদ ইবনু ওয়াহ্‌ব খারিজীদের নিকট গমনের ঘটনা পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করে বলেন, অবশেষে আমরা একটি পুল অতিক্রম করে যখন দুই দল মুখোমুখি হলাম, আর খারিজীদের সেনাপ্রধান ছিলো ‘আবদুল্লাহ ইবনু ওয়াহ্‌ব আর-রাসিবী। সে তাদেরকে বললো, তোমরা বল্লম ছুঁড়ো এবং খাপ থেকে তরবারি বের করো। এমন যেনো না হয় যে, তারা তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়ে বলবে যেমন হারুরার দিবসে তারা ওয়াদা দিয়েছিলো। তিনি বলেন, অতঃপর তারা বল্লম নিক্ষেপ করতে লাগলো ও খাপ থেকে তরবারি বের করলো এবং মুসলিমরা বল্লম ছুঁড়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করলো এবং একের পর এক তারা নিহত হতে থাকলো। তিনি বলেন, ঐদিন ‘আলী (রাঃ)-এর পক্ষের দুই ব্যক্তি শহীদ হলো। ‘আলী (রাঃ) বলেন, তোমরা নিহতদের মধ্যে ছোট হাতবিশিষ্ট ব্যক্তিকে খোজঁ করো ; কিন্তু তারা তাকে পেলো না। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর ‘আলী (রাঃ) নিজে উঠে পরস্পরের উপর পরে থাকা লাশের নিকট এসে বললেন, এদেরকে বের করো। তারা তাকে ভুলুন্ঠিত অবস্হায় পেয়ে গেলে তিনি আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করে বললেন, আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং তাঁর রাসূলও। এরপর ‘উবাইদাহ আস্‌-সালমানী তার নিকট দাঁড়িয়ে বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! সেই আল্লাহর কসম যিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই! আপনি কি একথা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ, সেই আল্লাহর কসম! যিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। ‘উবাইদাহ তিনবার কসম করে তার নিকট প্রশ্ন করলে তিনিও তিনবার কসম করে একই জবাব দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৬৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ جَمِيلِ بْنِ مُرَّةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَضِيءِ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏:‏ اطْلُبُوا الْمُخْدَجَ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَاسْتَخْرَجُوهُ مِنْ تَحْتِ الْقَتْلَى فِي طِينٍ، قَالَ أَبُو الْوَضِيءِ ‏:‏ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ حَبَشِيٌّ عَلَيْهِ قُرَيْطَقٌ لَهُ إِحْدَى يَدَيْنِ مِثْلُ ثَدْىِ الْمَرْأَةِ عَلَيْهَا شُعَيْرَاتٌ مِثْلُ شُعَيْرَاتِ الَّتِي تَكُونُ عَلَى ذَنَبِ الْيَرْبُوعِ ‏.‏

আবুল ওয়াদী’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ‘আলী (রাঃ) বললেন, তোমরা মুখদাজকে (ছোট হাতবিশিষ্ট ব্যক্তিকে) খুঁজে বের করো। অতঃপর পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। এরপর তারা তাকে ভূলুন্ঠিত লাশগুলোর নীচ হতে খুজে বের করলো। আবুল ওয়াদী’ আরো বলেন, তাকে দেখে আমার মনে হলো সে যেন হাবসী লোক, তার পরিধানে জুব্বা ছিলো। আর এক হাতের উপর মেয়েলোকের স্তনের বোঁটার মত একটি বোঁটা ছিলো এবং তাতে ইয়ারবু’র লেজের লোমের ন্যায় লোম ছিলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৭০

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ ‏:‏ إِنْ كَانَ ذَلِكَ الْمُخْدَجَ لَمَعَنَا يَوْمَئِذٍ فِي الْمَسْجِدِ نُجَالِسُهُ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَكَانَ فَقِيرًا وَرَأَيْتُهُ مَعَ الْمَسَاكِينِ يَشْهَدُ طَعَامَ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ مَعَ النَّاسِ وَقَدْ كَسَوْتُهُ بُرْنُسًا لِي ‏.‏ قَالَ أَبُو مَرْيَمَ ‏:‏ وَكَانَ الْمُخْدَجُ يُسَمَّى نَافِعًا ذَا الثُّدَيَّةِ، وَكَانَ فِي يَدِهِ مِثْلُ ثَدْىِ الْمَرْأَةِ عَلَى رَأْسِهِ حَلَمَةٌ مِثْلُ حَلَمَةِ الثَّدْىِ عَلَيْهِ شُعَيْرَاتٌ مِثْلُ سِبَالَةِ السِّنَّوْرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ ‏:‏ وَهُوَ عِنْدَ النَّاسِ اسْمُهُ حَرْقُوسُ ‏.‏

আবু মারইয়াম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ঐ (মুখদাজ) খোঁড়া হাতবিশিষ্ট সে সময় আমাদের সঙ্গে মাসজিদে দিনরাত উঠা-বসা করতো। এবং সে ছিলো ফকির। আমি তাকে লোকদের সঙ্গে ‘আলী (রাঃ) -এর আহারে অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। আমি তাকে আমার একটি আলখাল্লা দান করেছিলাম। আবূ মারইয়াম (রহঃ) বলেন, মুখদাজকে নাফি’ বোঁটাধারী নামে ডাকা হতো। আর তার হাতে নারীর স্তনের বোঁটার মত একটি বোঁটা ছিলো এবং বিড়ালের লোমের ন্যায় লোম ছিলো। [৪৭৬৯]

 

সানাদ দূর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭৬৯] আবু দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদে আবূ মারইয়াম হাফিয বলেনঃ মাজহুল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩২

চোরের মোকাবিলা করা

৪৭৭১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمِّي، إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ مَنْ أُرِيدَ مَالُهُ بِغَيْرِ حَقٍّ فَقَاتَلَ فَقُتِلَ فَهُوَ شَهِيدٌ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কারো সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উপক্রম হলে এবং সে তা প্রতিরোধ করতে গিয়ে হত্যা হলে সে শহীদ বলে গণ্য হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭৭২

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، – يَعْنِي أَبَا أَيُّوبَ الْهَاشِمِيَّ – عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ مَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ، وَمَنْ قُتِلَ دُونَ أَهْلِهِ أَوْ دُونَ دَمِهِ أَوْ دُونَ دِينِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ ‏”‏ ‏.

সাঈদ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হলে সে শহীদ। একইভাবে কেউ তার পরিবার-পরিজন ও জীবন অথবা ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হলে সেও শহীদ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস