অনুচ্ছেদ-১০৯
সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ
৭০১
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ، أَرْسَلَهُ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ يَسْأَلُهُ مَاذَا سَمِعَ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَارِّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي فَقَالَ أَبُو جُهَيْمٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ” . قَالَ أَبُو النَّضْرِ لاَ أَدْرِي قَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَوْ سَنَةً .
বুসর ইবনু সাঈদ থেকে বর্ণিতঃ
যায়িদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) তাকে আবূ জুহায়িম (রাঃ)- এর নিকট পাঠালেন-সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে গেলে কি (পরিমাণ অন্যায়) হবে এ সম্পর্কে তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে যা শুনেছেন তা জিজ্ঞেস করার জন্য। আবূ জুহায়িম (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত যে, এ কারনে তাকে কত মারাত্মক শাস্তি ভোগ করতে হবে, তাহলে সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন) দাঁড়িয়ে থাকাও অধিকতর উত্তম মনে করত। আবূন নাদর বলেন, আমার স্মরণ নেই যে, তিনি চল্লিশ দিন, মাস, না বছর বলেছেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১০
যে জিনিস সলাতকে নষ্ট করে দেয়
৭০২
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ مُطَهَّرٍ، وَابْنُ، كَثِيرٍ – الْمَعْنَى – أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ الْمُغِيرَةِ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، – قَالَ حَفْصٌ – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالاَ عَنْ سُلَيْمَانَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ ” يَقْطَعُ صَلاَةَ الرَّجُلِ – إِذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ يَدَيْهِ قِيدُ آخِرَةِ الرَّحْلِ الْحِمَارُ وَالْكَلْبُ الأَسْوَدُ وَالْمَرْأَةُ ” . فَقُلْتُ مَا بَالُ الأَسْوَدِ مِنَ الأَحْمَرِ مِنَ الأَصْفَرِ مِنَ الأَبْيَضِ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا سَأَلْتَنِي فَقَالَ ” الْكَلْبُ الأَسْوَدُ شَيْطَانٌ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাত আদায়কারী ব্যক্তির সম্মুখে উটের পিঠের হাওদার পিছনের লাকড়ি পরিমাণ কিছু না থাকলে তার সামনে দিয়ে গাধা, কালো কুকুর অথবা মহিলা অতিক্রম করলে তার সলাত নষ্ট হয়ে যাবে। আমি বললাম, লাল, হলুদ কিংবা সাদা রংয়ের কুকুরের তুলনায় কালো কুকুরের কী এমন বিশেষত্ব? তিনি বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি যেরূপ আমাকে জিজ্জেস করলে আমিও সেরূপ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্জেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেনঃ কালো কুকুর হলো একটা শাইত্বান।
সহীহঃ মুসলিম।
এক নজরে সলাত বিনষ্টের কারণ সমূহঃ
বিভিন্ন হাদীস থেকে জানা যায় কয়েকটি কারণে সলাত বিনষ্ট হয়। যথাঃ
(১) সলাতরত অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খাওয়া বা পান করা।
(২) সলাতের স্বার্থ ব্যতিরেকে অন্য কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বলা।
(৩) ইচ্চাকৃতভাবে বাহুল্য কাজ বা ‘আমালে কাসীর’ করা। যা দেখে মনে হয় যে, সে সলাতের মধ্যে নেই।
(৪) ইচ্ছাকৃত বা বিনা কারণে সলাতের কোন রুকন বা শর্ত পরিচ্যাগ করা।
(৫) সলাতের মধ্যে অধিক হাসা। (দেখুন, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১,২০৩-২০৫, সলাতুর রসূল, ২৭ পৃঃ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭০৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ زَيْدٍ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رَفَعَهُ شُعْبَةُ – قَالَ “ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ الْمَرْأَةُ الْحَائِضُ وَالْكَلْبُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَفَهُ سَعِيدٌ وَهِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ঋতুবর্তী মহিলা ও কুকুর সলাত আদায়কারীর (সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে) সলাত নষ্ট হয়ে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَحْسَبُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى غَيْرِ سُتْرَةٍ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ صَلاَتَهُ الْكَلْبُ وَالْحِمَارُ وَالْخِنْزِيرُ وَالْيَهُودِيُّ وَالْمَجُوسِيُّ وَالْمَرْأَةُ وَيُجْزِئُ عَنْهُ إِذَا مَرُّوا بَيْنَ يَدَيْهِ عَلَى قَذْفَةٍ بِحَجَرٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي نَفْسِي مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ شَىْءٌ كُنْتُ أُذَاكِرُ بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَغَيْرَهُ فَلَمْ أَرَ أَحَدًا جَاءَ بِهِ عَنْ هِشَامٍ وَلاَ يَعْرِفُهُ وَلَمْ أَرَ أَحَدًا يُحَدِّثُ بِهِ عَنْ هِشَامٍ وَأَحْسَبُ الْوَهَمَ مِنَ ابْنِ أَبِي سَمِينَةَ – يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ الْبَصْرِيَّ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ – وَالْمُنْكَرُ فِيهِ ذِكْرُ الْمَجُوسِيِّ وَفِيهِ ” عَلَى قَذْفَةٍ بِحَجَرٍ ” . وَذِكْرُ الْخِنْزِيرِ وَفِيهِ نَكَارَةٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ أَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَأَحْسَبُهُ وَهِمَ لأَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُنَا مِنْ حِفْظِهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সুতরাহ ছাড়া সলাত আদায় করলে তার সামনে দিয়ে কুকুর, গাধা, শূকর, ইয়াহূদী, অগ্নিউপাসক অথবা স্ত্রীলোক অতিক্রম করলে তার সলাত নষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য কঙ্কর নিক্ষেপের দূরত্বের বাইরে দিয়ে যদি অতিক্রম করে, তাহলে তার সলাত হয়ে যাবে।
দুর্বলঃ মিশকাত ৭৮৯।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটির ব্যাপারে আমি কিছু (সন্দেহ) অনুভব করছি। ইবরহীম (রহঃ) প্রমুখের সাথে এ হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করে আমি দেখলাম, হাদীসটি হিশাম থেকে কেউই বর্ণনা করেননি এবং এ ব্যাপারে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। হাদীসটিকে কাউকেই আমি হিশামের সাথে সম্পর্কিত করতে দেখিনি। আমার ধারনা মতে ইবনু আবী সামীনাহ হতে সন্দেহের সূত্রপাত হয়েছে। হাদীসটিতে ‘অগ্নিউপাসক’ ‘কঙ্কর নিক্ষেপের দূরত্ব’ এবং ‘শূকর’-এর উল্লেখ প্রত্যাখ্যাত ও অগ্রহণযোগ্য। ইমামা আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, আমি হাদীসটি কেবলমাত্র মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাইল আল-বাসরী থেকে শুনেছি। আমার ধারনা, তিনি ভুলে পতিত হয়েছেন। কারণ হাদীসটি তিনি তার মুখস্থ থেকে বর্ণনা করেছেন। [৭০৩]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مَوْلًى، لِيَزِيدَ بْنِ نِمْرَانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ نِمْرَانَ، قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً بِتَبُوكَ مُقْعَدًا فَقَالَ مَرَرْتُ بَيْنَ يَدَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا عَلَى حِمَارٍ وَهُوَ يُصَلِّي فَقَالَ “ اللَّهُمَّ اقْطَعْ أَثَرَهُ ” . فَمَا مَشَيْتُ عَلَيْهَا بَعْدُ .
ইয়াযীদ ইবনু নীমরান থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি তাবূতে এক খোঁড়া ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম। সে বলল, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায়কালে আমি গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! তার পদচিহ্ন (চলার শক্তি) মিটিয়ে দাও। এরপর থেকে আমি আর হাঁটতে পারি না। [৭০৪]
[৭০৪] বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (২/২৭৫)। এর সানাদে মাওলা ইয়াযীদ ইবনু নিমরান অজ্ঞাত, তাকে চেনা যায় না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭০৬
حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ يَعْنِي الْمَذْحِجِيَّ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيْوَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ زَادَ فَقَالَ ” قَطَعَ صَلاَتَنَا قَطَعَ اللَّهُ أَثَرَهُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ أَبُو مُسْهِرٍ عَنْ سَعِيدٍ قَالَ فِيهِ ” قَطَعَ صَلاَتَنَا ” .
সাঈদ থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদ ও অর্থে উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে এও রয়েছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে আমাদের সলাত নষ্ট করেছে। আল্লাহ তার পা কেটে দিন।
দুর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সাইদ হতে মুসহিরও উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতেও রয়েছেঃ সে আমার সলাত নষ্ট করেছে। [৭০৫]
[৭০৫] পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭০৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، ح حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ نَزَلَ بِتَبُوكَ وَهُوَ حَاجٌّ فَإِذَا رَجُلٌ مُقْعَدٌ فَسَأَلَهُ عَنْ أَمْرِهِ فَقَالَ لَهُ سَأُحَدِّثُكَ حَدِيثًا فَلاَ تُحَدِّثْ بِهِ مَا سَمِعْتَ أَنِّي حَىٌّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ بِتَبُوكَ إِلَى نَخْلَةٍ فَقَالَ ” هَذِهِ قِبْلَتُنَا ” . ثُمَّ صَلَّى إِلَيْهَا فَأَقْبَلْتُ وَأَنَا غُلاَمٌ أَسْعَى حَتَّى مَرَرْتُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا فَقَالَ ” قَطَعَ صَلاَتَنَا قَطَعَ اللَّهُ أَثَرَهُ ” . فَمَا قُمْتُ عَلَيْهَا إِلَى يَوْمِي هَذَا .
সাঈদ ইবনু গাযওয়ান থেকে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হাজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে গমনকালে তাবূকে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এক খোঁড়া লোক দেখতে পেয়ে তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলেন। লোকটি বলল, আমি আপনার কাছে এ শর্তে একটি কথা বলব যে, আমি যতদিন জীবিত থাকব, ততদিন পর্যন্ত আপনি কাউকে তা বলতে পারবেন না। একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবূকে অবতরণ করে একটি খেজুর গাছের নিকট গিয়ে বলেলনঃ এটাই হচ্ছে আমাদের ক্বিবলাহ্ (সুতরাহ্)। এই বলে তিনি সেদিকে ফিরে সলাত শুরু করলেন। আমি তখন বালক ছিলাম বিধায় (না বুঝতে পেরে) দৌড়ে তাঁর ও সেই গাছের মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেনঃ সে আমাদের সলাত কেটেছে। আল্লাহ! তুমিও তার পদচিহ্ন (চলার শক্তি) মিটিয়ে দাও। অতঃপর সেদিন থেকে আজকের এদিন পর্যন্ত আমি আর (দু’পায়ে ভর করে) দাঁড়াতে পারিনি। [৭০৬]
[৭০৬] বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (২/২৭৫)। আওনুল মা’বুদে রয়েছেঃ আল্লামা শামসুদ্দীন ইবনুল কাইয়্যিম বলেনঃ ইবনু গাযওয়ানের এ হাদীস সম্পর্কে ‘আবদুল হাক্ব বলেন, এর সানাদ দুর্বল। ইবনু কাত্তান বলেছেন, সানাদে সাঈদ অজ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১১
ইমামের সুতরাহ্ মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ট
৭০৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْغَازِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ هَبَطْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ثَنِيَّةِ أَذَاخِرَ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ – يَعْنِي – فَصَلَّى إِلَى جِدَارٍ فَاتَّخَذَهُ قِبْلَةً وَنَحْنُ خَلْفَهُ فَجَاءَتْ بَهْمَةٌ تَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَمَا زَالَ يُدَارِئُهَا حَتَّى لَصِقَ بَطْنُهُ بِالْجِدَارِ وَمَرَّتْ مِنْ وَرَائِهِ . أَوْ كَمَا قَالَ مُسَدَّدٌ .
আমর ইবনু শু’আইব থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ‘সানিয়্যাতু আযাখির’ নামক স্থানে অবতরন করলাম। সলাতের সময় হলে তিনি দেয়ালের দিকে ক্বিবলাহমুখী হয়ে (দেয়ালকে সুতরাহ্ বানিয়ে) সলাত আদায় করলেন। আমরাও তাঁর পেছনে দাঁড়ালাম। ইতোমধ্যে একটি ছাগলছানা এসে তাঁর সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চাইলে তিনি সেটিকে এমনভাবে বাধা দিতে থাকলেন যে, শেষ পর্যন্ত তাঁর পেট দেয়ালের সাথে লেগে গেল। অবশেষে ছানাটি তাঁর পেছন দিয়ে চলে গেল।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৭০৯
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي فَذَهَبَ جَدْىٌ يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَجَعَلَ يَتَّقِيهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত আদায়কালে একটি ছাগলছানা তাঁর সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চাইলে তিনি সেটিকে বাধা দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১২
যে বলে, মুসল্লীর সামনে দিয়ে মহিলাদের যাতায়াতে সলাত ভঙ্গ হয় না।
৭১০
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ بَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ – قَالَ شُعْبَةُ أَحْسَبُهَا قَالَتْ – وَأَنَا حَائِضٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ وَعَطَاءٌ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ وَهِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ وَعِرَاكُ بْنُ مَالِكٍ وَأَبُو الأَسْوَدِ وَتَمِيمُ بْنُ سَلَمَةَ كُلُّهُمْ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَإِبْرَاهِيمُ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَبُو الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ وَالْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَأَبُو سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ لَمْ يَذْكُرُوا “ وَأَنَا حَائِضٌ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (সলাত আদায়কালে) আমি তাঁর ক্বিবলাহ্র মধ্যবর্তী স্থানে ছিলাম। শু’বাহ বলেন, আমার ধারণা, ‘আয়িশাহ (রাঃ) এটাও বলেছিলেন, আমি তখন হায়িয অবস্থায় ছিলাম।
সহীহ, তবে ‘আমি হায়িয অবস্থায় ছিলাম’ এ কথাটি বাদে।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বিভিন্ন সানাদে বর্ণিত হয়েছে। ক্বাসিম ইবনু মুহাম্মাদ ও আবূ সালামাহ্ কর্তৃক ‘আয়িশা (রাঃ) এর সূত্রের বর্ণনায় ‘আমি তখন হায়িয অবস্থায় ছিলাম’ কথাটুকু উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭১১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي صَلاَتَهُ مِنَ اللَّيْلِ وَهِيَ مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ رَاقِدَةً عَلَى الْفِرَاشِ الَّذِي يَرْقُدُ عَلَيْهِ حَتَّى إِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ أَيْقَظَهَا فَأَوْتَرَتْ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাতে সলাত আদায়কালে তিনি তাঁর ও ক্বিবলাহ্র মধ্যবর্তী স্থানে ঐ বিছানায় ঘুমিয়ে থাকতেন, যেখানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমাতেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্র সলাত আদায়ের ইচ্ছা করলে তাকে জাগিয়ে দিতেন, ফলে তিনিও বিত্র সলাত আদায় করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭১২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ بِئْسَمَا عَدَلْتُمُونَا بِالْحِمَارِ وَالْكَلْبِ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَسْجُدَ غَمَزَ رِجْلِي فَضَمَمْتُهَا إِلَىَّ ثُمَّ يَسْجُدُ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, তোমরা (সলাত ভঙ্গের ব্যাপারে) আমাদেরকে গাধা ও কুকুরের পর্যায়ভুক্ত করেছ। অথচ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এরূপ অবস্থায় সলাত আদায় করতে দেখেছি যে, আমি তাঁর সামনে আড়া-আড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। তিনি সাজদাহ্ করতে চাইলে আমার পায়ে চিমটি কাটতেন, এতে আমি আমার পা গুটিয়ে নিতাম। অতঃপর তিনি সাজদাহ্ করতেন।
সহীহঃ বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭১৩
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَكُونُ نَائِمَةً وَرِجْلاَىَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَسْجُدَ ضَرَبَ رِجْلَىَّ فَقَبَضْتُهُمَا فَسَجَدَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাতে সলাত আদায়কালে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার দু’ পা তাঁর সামনে থাকত। তিনি যখন সাজদাহ্ করতে চাইতেন, তখন আমার পায়ে খোঁচা দিতেন। ফলে আমি পা গুটিয়ে নিতাম, অতঃপর তিনি সাজদাহ্ করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭১৪
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ وَهَذَا لَفْظُهُ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ وَأَنَا مُعْتَرِضَةٌ، فِي قِبْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيُصَلِّي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَمَامَهُ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ . زَادَ عُثْمَانُ غَمَزَنِي ثُمَّ اتَّفَقَا فَقَالَ “ تَنَحَّىْ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে ক্বিবলাহ্র দিকে আড়া-আড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। এরূপ অবস্থায়ই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (রাতের নফল) সলাত আদায় করতেন। অতঃপর তিনি বিত্র সলাত আদায়ের ইচ্ছা করলে আমাকে চিমটি কাটতেন আর বলতেনঃ উঠো এবং পাশে দাঁড়াও। বর্ণনাকারী ‘উসমানের বর্ণনায় ‘চিমটি কাটার’ কথাটি আছে।
হাসান সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৩
মুসল্লীর সামনে দিয়ে গাধা অতিক্রম করলে সলাত ভঙ্গ হয় না।
৭১৫
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جِئْتُ عَلَى حِمَارٍ ح وَحَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَقْبَلْتُ رَاكِبًا عَلَى أَتَانٍ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ، قَدْ نَاهَزْتُ الاِحْتِلاَمَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ بِمِنًى فَمَرَرْتُ بَيْنَ يَدَىْ بَعْضِ الصَّفِّ فَنَزَلْتُ فَأَرْسَلْتُ الأَتَانَ تَرْتَعُ وَدَخَلْتُ فِي الصَّفِّ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ أَحَدٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا لَفْظُ الْقَعْنَبِيِّ وَهُوَ أَتَمُّ . قَالَ مَالِكٌ وَأَنَا أَرَى ذَلِكَ وَاسِعًا إِذَا قَامَتِ الصَّلاَةُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বালিগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে একটি মাদী গাধার পেটে সওয়ার হয়ে মিনায় আসলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের সলাত আদায় করাচ্ছিলেন। আমি একটি কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করে গাধীর পিঠ থেকে নামলাম এবং সেটিকে ঘাস খাওয়ার জন্যে ছেড়ে দিয়ে কাতারে শামিল হলাম। এ সময় কেউ আমাকে এ ব্যাপারে নিষেধ করেনি।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন এটা হলো কা’নাবীর বর্ণনা। এটাই পূর্নাঙ্গ। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, ইমামের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে সলাতের ক্ষতি হয়, কিন্তু কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে কোন ক্ষতি নেই।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭১৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنْ أَبِي الصَّهْبَاءِ، قَالَ تَذَاكَرْنَا مَا يَقْطَعُ الصَّلاَةَ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ جِئْتُ أَنَا وَغُلاَمٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى حِمَارٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فَنَزَلَ وَنَزَلْتُ وَتَرَكْنَا الْحِمَارَ أَمَامَ الصَّفِّ فَمَا بَالاَهُ وَجَاءَتْ جَارِيَتَانِ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَدَخَلَتَا بَيْنَ الصَّفِّ فَمَا بَالَى ذَلِكَ .
আবূস সাহবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর নিকট সলাত নষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, একদা আমি এবং বনু ‘আবদুল মুত্তালিবের এক বালক গাধার পিঠে আরোহণ করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। তখন তিনি সলাত আদায় করছিলেন। সে ও আমি গাধার পিঠ থেকে নামলাম এবং আমরা গাধাটিকে কাতারের সামনে ছেড়ে দিলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একে আপত্তিকর মনে করলেন না। এ সময় বনু ‘আবদুল মুত্তালিবের দু’টি বালিকা এসে কাতারের মধ্যে প্রবেশ করল। এতেও তিনি কোন ভ্রুক্ষেপ করলেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭১৭
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَدَاوُدُ بْنُ مِخْرَاقٍ الْفِرْيَابِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِإِسْنَادِهِ قَالَ فَجَاءَتْ جَارِيَتَانِ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ اقْتَتَلَتَا فَأَخَذَهُمَا – قَالَ عُثْمَانُ فَفَرَّعَ بَيْنَهُمَا وَقَالَ دَاوُدُ – فَنَزَعَ إِحْدَاهُمَا مِنَ الأُخْرَى فَمَا بَالَى ذَلِكَ .
মানসূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তখন ‘আবদুল মুত্তালিব গোত্রে দু’টি মেয়ে ঝগড়ারত অবস্থায় আসল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ধরে ফেললেন। ‘উসমান বলেন, তারপর উভয়কে পৃথক করে দিলেন। দাউদ বলেন, তারপর তাদের একজনকে অপরজন হতে আলাদা করে দিলেন কিন্তু তিনি এরূপ করা আপত্তিকর মনে করলেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৪
যে বলে মুসল্লীর সামনে দিয়ে কুকুর অতিক্রম করলে সলাত নষ্ট হয় না
৭১৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ فِي بَادِيَةٍ لَنَا وَمَعَهُ عَبَّاسٌ فَصَلَّى فِي صَحْرَاءَ لَيْسَ بَيْنَ يَدَيْهِ سُتْرَةٌ وَحِمَارَةٌ لَنَا وَكَلْبَةٌ تَعْبَثَانِ بَيْنَ يَدَيْهِ فَمَا بَالَى ذَلِكَ .
আল-ফাদল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আসলেন। আমরা তখন আমাদের বাগানে ছিলাম। তাঁর সাথে ‘আব্বাস (রাঃ)-ও ছিলেন। তিনি বালু ভূমিতে সলাত আদায় করলেন। অথচ তাঁর সামনে কোন সুতরাহ্ ছিল না। আমাদের মাদী গাধা এবং কুকুরটি তাঁর সামনে দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিন্তু তিনি একে আপত্তিকর মনে করলেন না। [৭১৭]
[৭১৭] আহমাদ (১/২১২, হাঃ ১৮১৭)। সানাদে মুহাম্মদ ইবনু ‘উমার ইবনু ‘আলী এবং ফাযল ইবনু ‘আব্বাসের মাঝে ইনকিতা (বিচ্ছিন্নতা) হওয়ায় এর সানাদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৫
যে বলে, সামনে দিয়ে কিছু অতিক্রম করলে সলাত নষ্ট হয় না।
৭১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ أَبِي الْوَدَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ شَىْءٌ وَادْرَءُوا مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ” .
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাতের সামনে দিয়ে কোন কিছু অতিক্রম করলে সলাত ভঙ্গ হয় না। তবে সাধ্যানুযায়ী তোমরা এরূপ করতে বাধা দিবে। কারণ সে তো একটা শাইত্বান। [৭১৮]
[৭১৮] ইবনু ‘আবদুল বার ‘আত-তামহীদ’ (৪/১৯০) আবূ দাউদ সূত্রে। এর সানাদের
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭২০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَدَّاكِ، قَالَ مَرَّ شَابٌّ مِنْ قُرَيْشٍ بَيْنَ يَدَىْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَهُوَ يُصَلِّي فَدَفَعَهُ ثُمَّ عَادَ فَدَفَعَهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ إِنَّ الصَّلاَةَ لاَ يَقْطَعُهَا شَىْءٌ وَلَكِنْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ ادْرَءُوا مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِذَا تَنَازَعَ الْخَبَرَانِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نُظِرَ إِلَى مَا عَمِلَ بِهِ أَصْحَابُهُ مِنْ بَعْدِهِ .
আবূল ওয়াদ্দাক থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সলাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাঁর সামনে দিয়ে এক কুরাইশ যুবক অতিক্রম করলে তিনি তাকে বাধা দিলেন। সে পুনরায় অতিক্রম করতে চাইলে তিনি তাকে আবারো বাধা দিলেন। এরূপ তিনবার হলো। অতঃপর সলাত শেষে তিনি বললেন, বস্তুত সলাতকে কোন কিছুই নষ্ট করতে পারে না। তবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যথাসাধ্য (সলাতের সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে) বাধা দিবে। কারণ সে একটা শাইত্বান।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দু’টি হাদীস পরস্পর বিরোধী হলে তাঁর পরে তাঁর সাহাবীগণ যেরূপ আমল করেছেন তা বিবেচনায় আনতে হবে। [৭১৯]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৬
রাফ’উল ইয়াদাইন (সলাতে দু’হাত উত্তোলন)
৭২১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اسْتَفْتَحَ الصَّلاَةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَبَعْدَ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ – وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ . وَأَكْثَرُ مَا كَانَ يَقُولُ وَبَعْدَ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ – وَلاَ يَرْفَعُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ .
সালিম (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সলাত আরম্ভকালে নিজের দু’ হাত স্বীয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। অনুরূপভাবে রুকু’তে গমনকালে এবং রুকু’ থেকে মাথা উঠানোর পরও তাকে হাত উঠাতে দেখেছি। তবে তিনি দু’সাজদাহ্র মাঝে হাত উঠাতেন না।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى تَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ وَهُمَا كَذَلِكَ فَيَرْكَعُ ثُمَّ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْفَعَ صُلْبَهُ رَفَعَهُمَا حَتَّى تَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي السُّجُودِ وَيَرْفَعُهُمَا فِي كُلِّ تَكْبِيرَةٍ يُكَبِّرُهَا قَبْلَ الرُّكُوعِ حَتَّى تَنْقَضِيَ صَلاَتُهُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতে দাঁড়ানোর সময় স্বীয় দু’হাত কান পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকু’তে গমনকালেও দু’হাত উপরে উঠাতেন। রুকু’ থেকে উঠার সময়ও দু’হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান্ হামিদাহ্”-বলতেন। তবে তিনি সাজদাহ্র সময় হাত উঠাতেন না। প্রত্যেক রুকুর জন্য তাকবীর বলার সময়, দু’হাত উঠাতেন এবং এভাবেই সলাত সম্পন্ন করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭২৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ الْجُشَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ كُنْتُ غُلاَمًا لاَ أَعْقِلُ صَلاَةَ أَبِي قَالَ فَحَدَّثَنِي وَائِلُ بْنُ عَلْقَمَةَ عَنْ أَبِي وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ – قَالَ – ثُمَّ الْتَحَفَ ثُمَّ أَخَذَ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ وَأَدْخَلَ يَدَيْهِ فِي ثَوْبِهِ قَالَ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ أَخْرَجَ يَدَيْهِ ثُمَّ رَفَعَهُمَا وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَ يَدَيْهِ ثُمَّ سَجَدَ وَوَضَعَ وَجْهَهُ بَيْنَ كَفَّيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ أَيْضًا رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى فَرَغَ مِنْ صَلاَتِهِ . قَالَ مُحَمَّدٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ فَقَالَ هِيَ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَهُ مَنْ فَعَلَهُ وَتَرَكَهُ مَنْ تَرَكَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ هَمَّامٌ عَنِ ابْنِ جُحَادَةَ لَمْ يَذْكُرِ الرَّفْعَ مَعَ الرَّفْعِ مِنَ السُّجُودِ .
আবূ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সলাত আদায় করেছি। তিনি তাকবীর বলার সময় স্বীয় দু’হাত উত্তোলন করতেন। অতঃপর স্বীয় হাত কাপড়ে ঢুকিয়ে ডান হাত দ্বারা বাম হাত ধরতেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি রুকু’তে গমনকালে স্বীয় দু’হাত বের করে উপরে উঠাতেন এবং রুকু’ থেকে মাথা উঠানোর সময়ও দু’হাত উপরে উঠাতেন। তারপর সাজদাহ্তে স্বীয় চেহারা দু’ হাতের তালুর মধ্যবর্তী স্থানে রাখতেন। অতঃপর সাজদাহ্ থেকে মাথা উত্তোলনের সময়ও দু’হাত উত্তোলন করতেন। এরূপে তিনি তাঁর সলাত শেষ করতেন। বর্ণনাকারী মুহাম্মদ বলেন, আমি হাসান ইবনু হাসানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত আদায়ের পদ্ধতি এরূপই ছিল। যে লোক এর অনুসরণ করেছে- সে তো করেছে আর যে তা বর্জন করেছে-সে তো তা বর্জন করেছে।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস ইবনু জাহদাহ হতে হাম্মাদ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাতে সাজদাহ্ থেকে মাথা উঠানোর সময় হাত উত্তোলনের কথা উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭২৪
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَبْصَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى كَانَتَا بِحِيَالِ مَنْكِبَيْهِ وَحَاذَى بِإِبْهَامَيْهِ أُذُنَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ .
‘আবদুল জব্বার ইবনু ওয়ায়িল থেকে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর পিতা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সলাতে দাঁড়িয়ে স্বীয় দু’হাত কাঁধ পর্যন্ত এবং বৃদ্ধাঙ্গুলিদ্বয় কর্ণদ্বয় পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবীর বলতে দেখেছেন। [৭২৩]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭২৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلٍ، حَدَّثَنِي أَهْلُ، بَيْتِي عَنْ أَبِي أَنَّهُ، حَدَّثَهُمْ أَنَّهُ، رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ يَدَيْهِ مَعَ التَّكْبِيرَةِ .
‘আবদুল জাব্বার ইবনু ওয়ায়িল থেকে বর্ণিতঃ
আমার পরিবারের লোকজন আমার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (আমার পিতা) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাকবীর বলার সময় দু’হাত উঠাতে দেখেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭২৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يُصَلِّي قَالَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا أُذُنَيْهِ ثُمَّ أَخَذَ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ فَلَمَّا سَجَدَ وَضَعَ رَأْسَهُ بِذَلِكَ الْمَنْزِلِ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَحَدَّ مِرْفَقَهُ الأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ ثِنْتَيْنِ وَحَلَّقَ حَلْقَةً وَرَأَيْتُهُ يَقُولُ هَكَذَا . وَحَلَّقَ بِشْرٌ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ .
ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অবশ্যই তোমাদেরকে রসূলুলাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত আদায়ের পদ্ধতি দেখাব। তিনি বলেন, (তা হচ্ছে এরূপঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিবলাহ্মুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে স্বীয় দু’হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করেন। তারপর ডান হাত দিয়ে স্বীয় বাম হাত ধরেন এবং রুকু’তে গমনকালে স্বীয় দু’হাত তদ্রূপ উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি তাঁর উভয় হাতকে হাঁটুদ্বয়ের উপর রাখেন। রুকু’ হতে মাথা উত্তোলনের সময়ও তিনি উভয় হাত ঐভাবে উত্তোলন করেন। এরপর তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিলেন এবং বাম হাত বাম ঊরুর উপর এবং ডান হাত ডান ঊরুর উপর আলাদাভাবে রাখেন। অতঃপর তিনি তাঁর ডান হাতের কনিষ্ট ও অনামিকা অঙ্গুলিদ্বয় আবদ্ধ রাখেন এবং মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ঈশারা করেন। (বর্ণনাকারী বলেন), আমি তাকে এভাবে বলতে দেখেছি। আর বিশ্র নিজের মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭২৭
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ جِئْتُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي زَمَانٍ فِيهِ بَرْدٌ شَدِيدٌ فَرَأَيْتُ النَّاسَ عَلَيْهِمْ جُلُّ الثِّيَابِ تَحَرَّكُ أَيْدِيهِمْ تَحْتَ الثِّيَابِ .
‘আসিম থেকে বর্ণিতঃ
এ সুত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি ও জোড়া আঁকড়ে ধরেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি কয়েকদিন পর সেখানে গিয়ে দেখলাম, সাহাবীগন প্রচণ্ড শীতের দরুণ শরীর আবৃত করে রেখেছেন। এ সময় তাঁদের হাতগুলো নিজ নিজ কাপড়ের নীচে নড়াচড়া করছিল (রফ‘উল ইয়াদাইনের কারণে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭২৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِينَ افْتَتَحَ الصَّلاَةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حِيَالَ أُذُنَيْهِ – قَالَ – ثُمَّ أَتَيْتُهُمْ فَرَأَيْتُهُمْ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلَى صُدُورِهُمْ فِي افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ وَعَلَيْهِمْ بَرَانِسُ وَأَكْسِيَةٌ .
ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সলাত আরম্ভকালে স্বীয় দু’ হাত নিজের কান পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি কয়েকদিন পর সেখানে গিয়ে দেখলাম, সাহাবীগণ সলাত আরম্ভকালে তাদের হাতগুলো বুক পর্যন্ত উঠাচ্ছেন। এ সময় তাঁদের শরীর কোট ও অন্যান্য কাপড়ে আবৃত ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৭
সলাত শুরু করা সম্পর্কে
৭২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الشِّتَاءِ فَرَأَيْتُ أَصْحَابَهُ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ فِي ثِيَابِهِمْ فِي الصَّلاَةِ .
ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি শীতের সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে দেখলাম যে, তাঁর সাহাবীগণ সলাতরত অবস্থায় তাদের কাপড়ের ভিতর থেকে নিজ হাত উত্তোলন করছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৩০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهَذَا حَدِيثُ أَحْمَدَ قَالَ – أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا فَلِمَ فَوَاللَّهِ مَا كُنْتَ بِأَكْثَرِنَا لَهُ تَبَعًا وَلاَ أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً . قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يُكَبِّرُ حَتَّى يَقِرَّ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ يَعْتَدِلُ فَلاَ يَصُبُّ رَأْسَهُ وَلاَ يُقْنِعُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَقُولُ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ” . ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقُولُ ” اللَّهُ أَكْبَرُ ” . ثُمَّ يَهْوِي إِلَى الأَرْضِ فَيُجَافِي يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا وَيَفْتَحُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يَقُولُ ” اللَّهُ أَكْبَرُ ” . وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَصْنَعُ فِي الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا كَبَّرَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ ثُمَّ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي بَقِيَّةِ صَلاَتِهِ حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ مُتَوَرِّكًا عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ . قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي صلى الله عليه وسلم .
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ হুমায়িদ আস-সাঈদী (রাঃ) কে দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে- যাঁদের মধ্যে আবূ কাতাদাহ (রাঃ) ছিলেন- বলতে শুনেছিঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাত সম্পর্কে আমি আপনাদের চেয়ে অধিক অবগত। তাঁরা বললেন, সেটা আবার কিভাবে? আল্লাহর শপথ! আপনি তো তাঁর অনুসরণ ও সাহচর্যের দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি অগ্রগামী নন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর তারা বললেন, এখন আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতে দাঁড়ানোর সময় নিজের দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে পূর্ণরূপে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। এরপর ক্বিরাআত পড়ে তাকবীর বলে রুকু‘তে গমনকালে স্বীয় দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তারপর রুকু‘তে গিয়ে দু’ হাতের তালু দ্বারা হাটুদ্বয় দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতেন। রুকু‘তে তাঁর মাথা পিঠের সাথে সমান্তরাল থাকতো। এরপর রুকু‘ হতে মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্” বলে তিনি স্বীয় দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তারপর আল্লাহু আকবার বলে তিনি সাজদাহ্য় যেতেন, সাজদাহ্তে বাহুদ্বয় স্বীয় পাঁজরের পাশ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন। তারপর সাজদাহ্ হতে মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে তাতে সোজা হয়ে বসতেন এবং সাজদাহ্কালে স্বীয় পায়ের আঙ্গুলগুলি ফাঁকা করে রাখতেন। এরপর আবার সাজদাহ্য় যেতেন এবং আল্লাহু আকবার বলে সাজদাহ্ হতে মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে তাতে সোজা হয়ে বসতেন, এমনকি প্রতিটি হাড় স্ব স্ব স্থানে ফিরে যেত। এরপর পরের রাক‘আতও অনুরূপভাবে আদায় করতেন। অতঃপর যখন দু’ রাকাত শেষে (তৃতীয় রাক‘আতের জন্য) দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলে দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন, ঠিক যেমনটি করতেন সলাত আরম্ভকালে তাকবীর বলে। অতঃপর এভাবেই তাঁর অবশিষ্ট সলাত আদায় করতেন। অতঃপর শেষ রাক‘আতে স্বীয় বাম পা ডান পাশে বের করে বাম পাশের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তখন তারা সকলেই বললেন, হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবেই সলাত আদায় করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৩১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَبِيبٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو الْعَامِرِيِّ، قَالَ كُنْتُ فِي مَجْلِسٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَذَاكَرُوا صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ فَذَكَرَ بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ فَإِذَا رَكَعَ أَمْكَنَ كَفَّيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ وَفَرَّجَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ ثُمَّ هَصَرَ ظَهْرَهُ غَيْرَ مُقْنِعٍ رَأْسَهُ وَلاَ صَافِحٍ بِخَدِّهِ وَقَالَ فَإِذَا قَعَدَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ قَعَدَ عَلَى بَطْنِ قَدَمِهِ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْيُمْنَى فَإِذَا كَانَ فِي الرَّابِعَةِ أَفْضَى بِوَرِكِهِ الْيُسْرَى إِلَى الأَرْضِ وَأَخْرَجَ قَدَمَيْهِ مِنْ نَاحِيَةٍ وَاحِدَةٍ .
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর আল-‘আমিরী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি সাহাবীগনের মাজলিসে উপস্থিত হই। সেখানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। তখন আবূ হুমায়দ(রাঃ) বলেন….. তারপর বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীসের অংশ বিশেষ বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তিনি রুকুতে স্বীয় হাতের তালু দ্বারা হ্যাঁটু মজবুতভাবে ধরতেন, হাতের অঙ্গুলিগুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন রাখতেন এবং স্বীয় মাথা পিঠের সাথে সমান্তরাল রাখতেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর দু’ রাকাত সলাত শেষে বসার সময় বাম পায়ের উপর বসতেন এবং ডান পায়ের পাতা দাঁড় করে রাখতেন। তারপর চতুর্থ রাক‘আতে বসার সময় স্বীয় দু’ পা ডান দিকে বের করে দিয়ে বাম পাশের পাছার উপর ভর করে বসে যেতেন।
সহীহ, তবে তাঁর (আরবী) কথাটি বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৩২
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، نَحْوَ هَذَا قَالَ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلاَ قَابِضِهِمَا وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِهِ الْقِبْلَةَ .
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আত্বা সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি সাজদাহ্তে নিজের দু’ হাত একেবারে বিছিয়েও দিতেন না আবার তা শরীরের সাথে মিলিয়েও রাখতেন না। তিনি তাঁর পায়ের আঙ্গুলগুলো ক্বিবলাহ্মুখী করে রাখতেন।
সহীহঃ বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৩৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، حَدَّثَنِي زُهَيْرٌ أَبُو خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَحَدِ بَنِي مَالِكٍ عَنْ عَبَّاسٍ، – أَوْ عَيَّاشِ – بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ كَانَ فِي مَجْلِسٍ فِيهِ أَبُوهُ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِي الْمَجْلِسِ أَبُو هُرَيْرَةَ وَأَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ وَأَبُو أُسَيْدٍ بِهَذَا الْخَبَرِ يَزِيدُ أَوْ يَنْقُصُ قَالَ فِيهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ – يَعْنِي مِنَ الرُّكُوعِ – فَقَالَ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ” . وَرَفَعَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُ أَكْبَرُ ” . فَسَجَدَ فَانْتَصَبَ عَلَى كَفَّيْهِ وَرُكْبَتَيْهِ وَصُدُورِ قَدَمَيْهِ وَهُوَ سَاجِدٌ ثُمَّ كَبَّرَ فَجَلَسَ فَتَوَرَّكَ وَنَصَبَ قَدَمَهُ الأُخْرَى ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ ثُمَّ كَبَّرَ فَقَامَ وَلَمْ يَتَوَرَّكْ ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ ثُمَّ جَلَسَ بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ حَتَّى إِذَا هُوَ أَرَادَ أَنْ يَنْهَضَ لِلْقِيَامِ قَامَ بِتَكْبِيرَةٍ ثُمَّ رَكَعَ الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ وَلَمْ يَذْكُرِ التَّوَرُّكَ فِي التَّشَهُّدِ .
‘আব্বাস অথবা ‘আইয়্যাশ ইবনু সাহল আস-সাঈদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি সাহাবীগনের একটি মাজলিসে উপস্থিত হন, যেখানে তাঁর পিতা, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ), আবূ হুমায়িদ আস-সাঈদী এবং আবূ উসায়িদ (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। এ সুত্রে উপরোক্ত হাদীস কিছুটা হ্রাসবৃদ্ধিসহ বর্ণিত হয়েছে। তাতে বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু‘ হতে মাথা উঠিয়ে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হাম্দ’ বলে নিজের দু’ হাত উত্তোলন করতেন। তারপর আল্লাহু আকবার বলে সাজদাহ্য় যেতেন এবং সাজদাহ্তে হাতের তালু, হাঁটু ও পায়ের পাতার উপর ভর করতেন। তারপর তিনি আল্লাহু আকবার বলে (সাজদাহ্ হতে উঠে) বাম পার্শ্বের পাছার উপর ভর করে বসতেন আর অন্য পা সোজা করে রাখতেন। তারপর তাকবীর বলে সাজদাহ্য় যেতেন এবং পুনরায় তাকবীর বলে সাজদাহ্ হতে উঠে বাম পার্শ্বের পাছার উপর না বসে দাঁড়িয়ে যেতেন। অতঃপর (পুরো) হাদীস বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি দু’ রাক‘আত সলাত শেষে বসার পর (তৃতীয় রাক‘আতের জন্য) দাঁড়ানোর ইচ্ছা করলে তাকবীর বলে দাঁড়াতেন এবং (এভাবে) অবশিষ্ট দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। কিন্তু তাতে শেষ বৈঠকে বাম পার্শ্বের পাছার উপর বসার কথা উল্লেখ নেই। [৭৩২]
[৭৩২] দারিমী (অধ্যায়ঃ সলাত, হাঃ ১৩০৭) ফালীহ ইবনু সুলায়মান সুত্রে ‘আব্বাস ইবনু সাহল হতে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৩৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، أَخْبَرَنِي فُلَيْحٌ، حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ اجْتَمَعَ أَبُو حُمَيْدٍ وَأَبُو أُسَيْدٍ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَذَكَرُوا صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ بَعْضَ هَذَا قَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ كَأَنَّهُ قَابِضٌ عَلَيْهِمَا وَوَتَّرَ يَدَيْهِ فَتَجَافَى عَنْ جَنْبَيْهِ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَمْكَنَ أَنْفَهُ وَجَبْهَتَهُ وَنَحَّى يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ حَتَّى رَجَعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ حَتَّى فَرَغَ ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَأَقْبَلَ بِصَدْرِ الْيُمْنَى عَلَى قِبْلَتِهِ وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى وَكَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ لَمْ يَذْكُرِ التَّوَرُّكَ وَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ فُلَيْحٍ وَذَكَرَ الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ نَحْوَ جِلْسَةِ حَدِيثِ فُلَيْحٍ وَعُتْبَةَ .
‘আব্বাস ইবনু সাহল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুমায়িদ, আবূ উসায়িদ, সাহল ইবনু সা‘দ এবং মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) একটি মাজলিসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। তখন আবূ হুমায়দ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত সম্পর্কে আমি আপনাদের চেয়ে অধিক অবগত … অতঃপর তিনি এখানে অংশ বিশেষ বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু‘তে নিজের দু’ হাতে শক্তভাবে হাঁটুদ্বয় ধরে রাখতেন এবং দু’ হাতকে তাঁর পার্শ্বদেশ হতে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি সাজদাহ্তে নাক ও কপাল মাটির সাথে মিলিয়ে রাখতেন এবং দু’ হাতকে তাঁর পার্শ্বদেশ হতে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেন। অতঃপর তিনি এমনভাবে মাথা উঠাতেন যে, শরীরের সমস্ত সংযোগ স্থান স্ব স্ব স্থানে স্থাপিত হত। অতঃপর বসে বাম পা বিছিয়ে দিতেন, ডান পায়ের সম্মুখ ভাগ ক্বিবলামুখী করে রাখতেন, ডান হাতের তালু ডান পায়ের ঊরুর উপর এবং বাম হাতের তালু বাম পায়ের ঊরুর উপর রাখতেন এবং তাঁর (শাহাদাত) আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ‘উত্বাহ ইবনু আবূ হাকীম (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ হতে ‘আব্বাস ইবনু সাহল সুত্রে বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে বাম পার্শ্বের পাছার উপর বসার কথা উল্লেখ করেননি। আর তিনি ফুলাইহর এর অনুরূপ হাদীস উল্লেখ করেন। আর হাসান ইবনুল হুর বসার পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন ফুলাইহ্ ও ‘উত্বাহর বর্ণনার অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৩৫
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي عُتْبَةُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِيسَى، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ وَإِذَا سَجَدَ فَرَّجَ بَيْنَ فَخِذَيْهِ غَيْرَ حَامِلٍ بَطْنَهُ عَلَى شَىْءٍ مِنْ فَخِذَيْهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا فُلَيْحٌ سَمِعْتُ عَبَّاسَ بْنَ سَهْلٍ يُحَدِّثُ فَلَمْ أَحْفَظْهُ فَحَدَّثَنِيهِ أُرَاهُ ذَكَرَ عِيسَى بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ قَالَ حَضَرْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ .
আবূ হুমায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, তিনি সাজদাহ্তে স্বীয় পেট উরু থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেন। [৭৩৪]
দুর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ইবনুল মুবারাক ও অন্যান্য সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে।
[৭৩৪] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সলাত, হাঃ ২৬০, ইমাম তিরমিযী বলেন, আবূ হুমাইদের হাদিসটি হাসান সহীহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সলাত কায়িম, অনুঃ রুকু‘তে গমনকালে রফ‘উল ইয়াদাইন করা, হাঃ ৮৬৩), ইবনু খুযাইমাহ (৫৮৯), সকলে ‘আব্বাস ইবনু সাহল হতে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৩৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَلَمَّا سَجَدَ وَقَعَتَا رُكْبَتَاهُ إِلَى الأَرْضِ قَبْلَ أَنْ تَقَعَ كَفَّاهُ – قَالَ – فَلَمَّا سَجَدَ وَضَعَ جَبْهَتَهُ بَيْنَ كَفَّيْهِ وَجَافَى عَنْ إِبْطَيْهِ . قَالَ حَجَّاجٌ وَقَالَ هَمَّامٌ وَحَدَّثَنَا شَقِيقٌ حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ هَذَا وَفِي حَدِيثِ أَحَدِهِمَا – وَأَكْبَرُ عِلْمِي أَنَّهُ حَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ – وَإِذَا نَهَضَ نَهَضَ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَاعْتَمَدَ عَلَى فَخِذَيْهِ .
‘আবদুল জাব্বার ইবনু ওয়ায়িল তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিজদায় গমনকালে যমীনে স্বীয় হাত রাখার পূর্বে হাঁটু রাখতেন। বর্ণনাকারী আরো বলেন, সাজদাহ্তে তিনি নিজের দু’ হাতের তালুর মধ্যবর্তী স্থানে কপাল রাখতেন এবং দু’ হাত বগল থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন। [৭৩৫]
দুর্বল।
‘আসিম ইবনু কুলাইব তাঁর পিতা হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, যথা সম্ভব মুহাম্মাদ ইবনু জুহাদাহ্র বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি দাঁড়ানোর সময় উরু ও হাঁটুর উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতেন।
[৭৩৫] ৭২৪ নং হাদীসে এর সনাদের উপর আলোচনা গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৩৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ فِطْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ إِبْهَامَيْهِ فِي الصَّلاَةِ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ .
‘আবদুল জাব্বার ইবনু ওয়ায়িল থেকে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাকবীর বলার সময় তাঁর দু’হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কানের নিম্নভাগ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। [৭৩৬]
[৭৩৬] আহমাদ (৪/৩১৬), নাসায়ী (৮৮১), সকলে ফিত্বর ইবনু খুলাইফা সূত্রে ‘আবদুল জাব্বার হতে। আল্লামা মুনযিরী বলেন, হাদীসটি ‘আবদুল জাব্বার তার পিতা হতে শুনেননি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৩৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَبَّرَ لِلصَّلاَةِ جَعَلَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ وَإِذَا رَفَعَ لِلسُّجُودِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ وَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের জন্য তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় নিজের দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। এমনিভাবে রুকু’তে গমনকালে, রুকু‘ হতে সোজা হওয়ার সময় এবং দু’ রাক’আত শেষে (তৃতীয় রাক’আতের জন্য) দাঁড়ানোর সময়ও দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৩৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي هُبَيْرَةَ، عَنْ مَيْمُونٍ الْمَكِّيِّ، أَنَّهُ رَأَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَصَلَّى بِهِمْ يُشِيرُ بِكَفَّيْهِ حِينَ يَقُومُ وَحِينَ يَرْكَعُ وَحِينَ يَسْجُدُ وَحِينَ يَنْهَضُ لِلْقِيَامِ فَيَقُومُ فَيُشِيرُ بِيَدَيْهِ فَانْطَلَقْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ إِنِّي رَأَيْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ صَلَّى صَلاَةً لَمْ أَرَ أَحَدًا يُصَلِّيهَا فَوَصَفْتُ لَهُ هَذِهِ الإِشَارَةَ فَقَالَ إِنْ أَحْبَبْتَ أَنْ تَنْظُرَ إِلَى صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاقْتَدِ بِصَلاَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ .
মায়মূন আল-মাক্কী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি দেখলেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়ির (রাঃ) লোকদের সলাত আদায়কালে দাঁড়ানোর সময়, রুকু’ হতে সোজা হওয়ার সময়, সাজাদাহ্কালে*, এবং (দু’ রাক’আত শেষে তৃতীয় রাক’আতের জন্য) দাঁড়ানোর সময় তাঁর দু’ হাত উঠালেন। অতঃপর আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে তাকে ইবনুয যুবায়িরের সলাত সম্পর্কে বললাম, কাউকে তো এভাবে হাত উঠিয়ে সলাত আদায় করতে দেখিনি। তিনি বললেন, তুমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাতের পদ্ধতি অবলোকন করতে চাইলে ইবনুয যুবায়িরের সলাতের অনুসরণ কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৪০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ كَثِيرٍ، – يَعْنِي السَّعْدِيَّ – قَالَ صَلَّى إِلَى جَنْبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ فِي مَسْجِدِ الْخَيْفِ فَكَانَ إِذَا سَجَدَ السَّجْدَةَ الأُولَى فَرَفَعَ رَأْسَهُ مِنْهَا رَفَعَ يَدَيْهِ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ فَقُلْتُ لِوُهَيْبِ بْنِ خَالِدٍ فَقَالَ لَهُ وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ تَصْنَعُ شَيْئًا لَمْ أَرَ أَحَدًا يَصْنَعُهُ فَقَالَ ابْنُ طَاوُسٍ رَأَيْتُ أَبِي يَصْنَعُهُ وَقَالَ أَبِي رَأَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَصْنَعُهُ وَلاَ أَعْلَمُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُهُ .
নাদ্র ইবনু কাসীর থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘আবদুল্লাহ ইবনু তাউস (রহঃ) খায়িফের মসজিদে আমার পাশে দাঁড়িয়ে সলাত আদায়কালে প্রথম সাজদাহ্য় যাওয়ার পর সাজদাহ্ হতে মাথা উঠানোর সময় চেহারা বরাবর দু’ হাত উত্তোলন করলেন। বিষয়টি আমার কাছে অপ্রীতিকর মনে হওয়ায় আমি এ ব্যাপারে উহায়িব ইবনু খালিদকে জিজ্ঞাসা করি। ফলে উহায়িব (রহঃ) ‘আবদুল্লাহকে বললেন, তুমি এমন একটি কাজ করেছ, যা আমি ইতোপূর্বে আর কাউকে করতে দেখিনি। ‘আবদুল্লাহ ইবনু তাউস (রহঃ) বলেন, আমি আমার পিতাকে এরুপ করতে দেখিছি এবং আমার পিতা বলেছেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে এরুপ করতে দেখিছি। আমি নিশ্চিত অবগত, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতেন। [৭৩৯]
[৭৩৯] নাসায়ী (অধ্যায়ঃ তাত্ববীক, হাঃ ১১৪৫) নাযর ইবনু কাসীর আবূ সাহল আসাদী সূত্রে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৪১
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ وَيَرْفَعُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الصَّحِيحُ قَوْلُ ابْنِ عُمَرَ وَلَيْسَ بِمَرْفُوعٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى بَقِيَّةُ أَوَّلَهُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأَسْنَدَهُ وَرَوَاهُ الثَّقَفِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ أَوْقَفَهُ عَلَى ابْنِ عُمَرَ وَقَالَ فِيهِ وَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ يَرْفَعُهُمَا إِلَى ثَدْيَيْهِ وَهَذَا هُوَ الصَّحِيحُ . قال أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَمَالِكٌ وَأَيُّوبُ وَابْنُ جُرَيْجٍ مَوْقُوفًا وَأَسْنَدَهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَحْدَهُ عَنْ أَيُّوبَ وَلَمْ يَذْكُرْ أَيُّوبُ وَمَالِكٌ الرَّفْعَ إِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ وَذَكَرَهُ اللَّيْثُ فِي حَدِيثِهِ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ فِيهِ قُلْتُ لِنَافِعٍ أَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَجْعَلُ الأُولَى أَرْفَعَهُنَّ قَالَ لاَ سَوَاءً . قُلْتُ أَشِرْ لِي . فَأَشَارَ إِلَى الثَّدْيَيْنِ أَوْ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) সলাতে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলার সময়, রুকু’তে গমনকালে, রুকু’ হতে মাথা উত্তোলনকালে সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ বলে এবং দু’ রাক’আত সলাত আদায়ের পর (তৃতীয় রাক’আতের জন্য) দাঁড়ানোর সময় উভয় হাত উত্তোলন করতেন। তিনি এর বর্ণনা সূত্র রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন (অর্থাৎ এটি মারফূ হাদীস)। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, প্রথম হাদীসের দু’ রাক’আত সলাত শেষে দাঁড়ানোর সময় হাত উত্তোলনের কথাটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে বর্ণিত নয়। আর সাক্বাফী এটি ‘উবাইদুল্লাহ সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর মাওকূফ বর্ণনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাতে উল্লেখ আছেঃ “তিনি দু’ রাক’আত সলাত শেষে দাঁড়ানোর সময় উভয় হাত বক্ষ পর্যন্ত উঠাতেন।” এ বর্ণনাটি সহীহ।
সহীহঃ বুখারী।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, লাইস ইবনু সা’দ, মালিক, আইউব ও ইবনু জুরায়িজ প্রমুখ বর্ণনাকারীগণ এর বর্ণনা সূত্র সহাবী পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন। হাম্মাদই কেবল এককভাবে হাদীসকে মারফূ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী ইবনু জুরায়িজ বলেন, আমি নাফি’কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইবনু ‘উমার (রাঃ) কি অন্য সময়ের চেয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় তাঁর হাত অধিক উঠাতেন? তিনি বলেন, না; বরং তিনি সব সময়ই একইভাবে হাত উঠাতেন। আমি বললাম, আমাকে ইশারায় দেখিয়ে দিন। তিনি তার বুক বা তার চেয়ে একটু নীচে পর্যন্ত ইশারা করে দেখালেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৪২
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ إِذَا ابْتَدَأَ الصَّلاَةَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا دُونَ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ رَفْعَهُمَا دُونَ ذَلِكَ . أَحَدٌ غَيْرَ مَالِكٍ فِيمَا أَعْلَمُ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) সলাত আরম্ভের সময় নিজের দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন এবং রুকু হতে মাথা উঠাবার সময় দু’ হাত একটু কম উপরে উঠাতেন।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমর জানা মতে বর্ণনাকারী মালিক ছাড়া কেউ হাত কম উঠানোর কথা উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৮
দু’ রাক’আত সলাত আদায়ের পর (তৃতীয় রাক’আতের জন্য) উঠার সময় দু’ হাত উত্তোলন
৭৪৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের দু’ রাক’আত আদায় শেষে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে উভয় হাত উঠাতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৪৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، – رضى الله عنه – عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَيَصْنَعُ مِثْلَ ذَلِكَ إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ وَأَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَيَصْنَعُهُ إِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَإِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ وَكَبَّرَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي حَدِيثِ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ حِينَ وَصَفَ صَلاَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا كَبَّرَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ .
‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয সলাতে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে তাঁর দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি ক্বিরাআত শেষে রুকু’তে গমনকালে এবং রুকু’ হতে উঠার সময়ও অনুরূপ করতেন। তবে বসে সলাত আদায়কালে তিনি এরুপ হাত তুলতেন না। তিনি দু’ সাজদাহ্র পর (অর্থাৎ দু’ রাক’আত শেষে) দাঁড়ালে হাত উঠিয়ে তাকবীর বলতেন।
হাসান সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ হুমায়িদ আস-সাঈদী (রাঃ)-এর হাদীসে রয়েছেঃ যখন তিনি সলাতের দু’ রাক’আত আদায় শেষে দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলে তাঁর দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন, যেরুপ তিনি সলাত আরম্ভকালে উঠাতেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৭৪৫
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا كَبَّرَ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ حَتَّى يَبْلُغَ بِهِمَا فُرُوعَ أُذُنَيْهِ .
মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময়, রুকু’তে গমনকালে এবং রুকু’ হতে উঠার সময় দু’ হাত কানের উপরিভাগ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৪৬
حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ الْمَعْنَى – عَنْ عِمْرَانَ، عَنْ لاَحِقٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ لَوْ كُنْتُ قُدَّامَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَرَأَيْتُ إِبْطَيْهِ . زَادَ ابْنُ مُعَاذٍ قَالَ يَقُولُ لاَحِقٌ أَلاَ تَرَى أَنَّهُ فِي الصَّلاَةِ وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَكُونَ قُدَّامَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَزَادَ مُوسَى يَعْنِي إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ .
বাশীর ইবনু নাহীক থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সম্মুখে দাঁড়ালে তাঁর বগল দেখতে পেতাম (অর্থাৎ তিনি হাত এতটা পৃথক রাখতেন)। ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয আরো উল্লেখ করেন যে, বর্ণনাকারী নাহীক বলেন, তুমি কি দেখনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) সলাতের সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে যেতে পারেন না। বর্ণনাকারী মূসা ইবনু মারওয়ান তাঁর হাদীসে আরো উল্লেখ করেন যে, তিনি তাকবীর বলার সময় দু’ হাত উত্তোলন করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৪৭
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمَّا رَكَعَ طَبَّقَ يَدَيْهِ بَيْنَ رُكْبَتَيْهِ قَالَ فَبَلَغَ ذَلِكَ سَعْدًا فَقَالَ صَدَقَ أَخِي قَدْ كُنَّا نَفْعَلُ هَذَا ثُمَّ أُمِرْنَا بِهَذَا يَعْنِي الإِمْسَاكَ عَلَى الرُّكْبَتَيْنِ .
‘আলক্বামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সলাতের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় তাঁর দু’ হাত উঠিয়েছেন এবং রুকুতে দু’ হাত একত্র করে দু’ হাঁটুর মাঝখানে রেখেছেন। এ সংবাদ সা‘দ (রাঃ)-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, আমার ভাই (‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ) সত্যই বলেছেন। পূর্বে আমরা এরূপই করেছি। পরবর্তীতে আমাদেরকে এরূপ (দু’ হাঁটুর মাঝখানে হস্তদ্বয় স্থাপন) করা হতে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৯
রুকু‘র সময় হাত না উঠানোর বর্ণনা
৭৪৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ، – يَعْنِي ابْنَ كُلَيْبٍ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ أَلاَ أُصَلِّي بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ مَرَّةً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مُخْتَصَرٌ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ وَلَيْسَ هُوَ بِصَحِيحٍ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ .
‘আলক্বামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি কি তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত কিরূপ ছিল তা শিক্ষা দেব না? বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি সলাত আদায় করলেন এবং তাতে কেবলমাত্র একবার হাত উত্তোলন করলেন। [৭৪৭]
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি একটি দীর্ঘ হাদীসের সারসংক্ষেপ। উপরোক্ত শব্দে হাদীসটি সহীহ নয়।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সলাত হাঃ ২৫৭, অনুঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবল প্রথমবারই হাত উঠিয়েছেন), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ তাত্ববীক, অনুঃ ঐরূপ না করার অনুমতি প্রসঙ্গে, হাঃ ১০৫৭) উভয়ে ওয়াকী‘ হতে। হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী হাসান বলেছেন এবং ইবনু হাযাম বলেছেন সহীহ। পক্ষান্তরে অন্যান্য ইমামগণ এটিকে দূর্বল আখ্যায়িত করেছেন। যেমন ইমাম বুখারী, ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল, ইমাম নাববী, ইমাম শওকানী (রহঃ) প্রমূখ ইমামগণ হাদীসটিকে দূর্বল বলেছেন। (আল-মাজমু‘আহ ফী আহাদীসিল মাওযু‘আহ, ২০ পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৭৪৯
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، وَخَالِدُ بْنُ عَمْرٍو، وَأَبُو حُذَيْفَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا قَالَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ مَرَّةً وَاحِدَةً .
বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আরম্ভের সময় কেবল একবার কানের কাছাকাছি পর্যন্ত হাত উঠাতেন। এরপর আর হাত উঠাতেন না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَى قَرِيبٍ مِنْ أُذُنَيْهِ ثُمَّ لاَ يَعُودُ .
সুফিয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত হাদীস এ সানাদে বর্ণিত হয়েছে। বর্ননাকারী বলেন, অতঃপর তিনি শুধুমাত্র প্রথমবারই একবার হাত উঠিয়েছেন। কতিপয় বর্ণনাকারী বলেন, তিনি শুধুমাত্র একবার হাত উঠান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৫১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ، نَحْوَ حَدِيثِ شَرِيكٍ لَمْ يَقُلْ ثُمَّ لاَ يَعُودُ . قَالَ سُفْيَانُ قَالَ لَنَا بِالْكُوفَةِ بَعْدُ ثُمَّ لاَ يَعُودُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ هُشَيْمٌ وَخَالِدٌ وَابْنُ إِدْرِيسَ عَنْ يَزِيدَ لَمْ يَذْكُرُوا ثُمَّ لاَ يَعُودُ .
ইয়াযীদ হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
শারীকের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তাতে “তিনি এরপর আর হাত তুলেননি” কথাটির উল্লেখ নেই। সুফিয়ান বলেন, অতঃপর বর্ণনাকারী (ইয়াযীদ) আমাদের নিকট কূফা শহরে “তিনি এরপর আর হাত তুলেননি” কথাটি উল্লেখ করেন। [৭৫০]
দূর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হুশাইম, খালিদ এবং ইবনু ইদরীসও হাদীসটি ইয়াযীদ হতে বর্ণনা করেছেন এবং তারা “তিনি এরপর আর হাত তুলেননি” কথাটি উল্লেখ করেননি।
[৭৫০] হুমাইদী ‘মুসনাদ’ (২/৩১৬) জারীর ইবনু ইয়াযীদ সূত্রে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৫২
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَخِيهِ، عِيسَى عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ يَدَيْهِ حِينَ افْتَتَحَ الصَّلاَةَ ثُمَّ لَمْ يَرْفَعْهُمَا حَتَّى انْصَرَفَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا الْحَدِيثُ لَيْسَ بِصَحِيحٍ .
বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় তাঁর দু’ হাত উঠাতে দেখেছি। অতঃপর সলাত শেষ করা পর্যন্ত তিনি দু’ হাত আর উত্তোলন করেননি। [৭৫১]
দূর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি সহীহ নয়।
[৭৫১] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আল্লামা মুনযিরী বলেন, সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুর রাহমান ইবনু আবূ লায়লাহ দূর্বল। হাফিজ ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার স্মরণশক্তি খুবই মন্দ। ইমাম নাসায়ী বলেন, তিনি শক্তিশালী নন। (দেখুন আওনুল মা‘বুদ)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৫৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَمْعَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ مَدًّا .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আরম্ভকালে দু’ হাত উপরের দিকে প্রসারিত করে উঠাতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২০
সলাতরত অবস্থায় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা
৭৫৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ زُرْعَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ، يَقُولُ صَفُّ الْقَدَمَيْنِ وَوَضْعُ الْيَدِ عَلَى الْيَدِ مِنَ السُّنَّةِ .
‘আবদুর রহমান থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনুয যুবায়ির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, সলাতে দু’ পা সমান রাখা এবং এক হাতের উপর অপর হাত রাখা সুন্নাত। [৭৫৩]
[৭৫৩] এর সানাদে ‘আলা ইবনু সালিহ এবং যুর’আহ ইবনু ‘আবদুর রহমান রয়েছে। হাফিজ ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, মাক্ববুল। ইবনু হাজারও তাকে উল্লেখ করেছেন ‘তাহযীবুত তাহযীব’ গ্রন্থে (৩/২৮১) এবং বলেছেন, আবূ দাউদ তার একটি মাত্র হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ الرَّيَّانِ، عَنْ هُشَيْمِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَبِي زَيْنَبَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي فَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى الْيُمْنَى فَرَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى .
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি ডান হাতের উপর বাম হাত রেখে সলাত আদায় করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দেখতে পেয়ে তাঁর বাম হাতের উপর ডান হাতকে রাখেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৭৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، أَنَّ عَلِيًّا، – رضى الله عنه – قَالَ السُّنَّةُ وَضْعُ الْكَفِّ عَلَى الْكَفِّ فِي الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ .
আবূ জুহাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আলী (রাঃ) বলেছেন, সলাত আদায়কালে বাম হাতের তালুর উপর ডান হাতের তালু নাভির নীচে রাখা সুন্নাত। [৭৫৫]
[৭৫৫] আহমাদ (১/১১০)। হাদীসের সানাদে ‘আবদুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব আল ওয়াসিত্বী দূর্বল। ইবনু সা‘দ, আবূ দাউদ, নাসায়ী ও অন্যান্যরাও তাকে দূর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী ‘আয-যুআফা’ (২১) গ্রন্থে বলেন, আহমাদ বলেছেন, হাদীসটি মুনকার। সানাদে যিয়াদ ইবনু যায়িদ অজ্ঞাত। আর এ হাদীসটি ‘আবদুল্লাহর অতিরিক্ত সংযোজন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، – يَعْنِي ابْنَ أَعْيَنَ – عَنْ أَبِي بَدْرٍ، عَنْ أَبِي طَالُوتَ عَبْدِ السَّلاَمِ، عَنِ ابْنِ جَرِيرٍ الضَّبِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا – رضى الله عنه – يُمْسِكُ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ عَلَى الرُّسْغِ فَوْقَ السُّرَّةِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَوْقَ السُّرَّةِ . وَقَالَ أَبُو مِجْلَزٍ تَحْتَ السُّرَّةِ . وَرُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ .
ইবনু জুরাইজ হতে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)-কে সলাত আদায়কালে নাভির উপরে ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরে রাখতে দেখেছি। [৭৫৬]
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সাঈদ ইবনু জুবাইর সূত্রে ‘নাভির উপরে’ কথাটি বর্ণিত আছে। আর আবূ মিজলায বলেছেন, ‘নাভির নীচে’। আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। কিন্তু সেটি শক্তিশালী নয়।
[৭৫৬] সানাদের ইবনু জারীর যাব্বীর নাম হচ্ছে গাযওয়ান। তিনি এবং তার পিতা জারীর যাব্বী দু’জনেই অজ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৫৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ الْكُوفِيِّ، عَنْ سَيَّارٍ أَبِي الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَخْذُ الأَكُفِّ عَلَى الأَكُفِّ فِي الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَاقَ الْكُوفِيَّ .
আবূ ওয়ায়িল থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেনঃ আমি সলাতের সময় (বাম) হাতের উপর (ডান) হাতকে নাভির নীচে রাখি। [৭৫৭]
দূর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি শুনেছি, ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) সানাদের ‘আবদুর রাহমান ইবনু ইসহাক আল-কূফীকে দূর্বল বর্ণনাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
[৭৫৭] সানাদের ‘আবদুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব কূফীকে ইমাম আহমাদ ও ইবনু হাজার দূর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৫৯
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ، – يَعْنِي ابْنَ حُمَيْدٍ – عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى ثُمَّ يَشُدُّ بَيْنَهُمَا عَلَى صَدْرِهِ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ .
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায়কালে স্বীয় ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে তা নিজের বুকের উপর বাঁধতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২১
যে দু‘আ পড়ে সলাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬০
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَمِّهِ الْمَاجِشُونِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، – رضى الله عنه – قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ كَبَّرَ ثُمَّ قَالَ ” وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ لِي إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ ” . وَإِذَا رَكَعَ قَالَ ” اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي ” . وَإِذَا رَفَعَ قَالَ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ ” . وَإِذَا سَجَدَ قَالَ ” اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فَأَحْسَنَ صُورَتَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ وَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ ” . وَإِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلاَةِ قَالَ ” اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَالْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ” .
‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলার পর নিম্নোক্ত দু‘আ পাঠ করতেনঃ “ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সলাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহয়ায়া ওয়া মামাতী লিল্লাহী রাব্বিল ‘আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লহুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলাহা লী ইল্লা আনতা, আনতা রাব্বি ওয়া আনা ‘আবদুকা। যালামতু নাফসী ওয়া‘তারাফতু বিযামবী ফাগফিরলী যুনূবী জামীআন। লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ওয়াহদিনী লি-আহসানীল আখলাক্ব। লা ইয়াহদিনী লি-আহসানিহা ইল্লা আনতা ওয়াসরিফ ‘আন্নী সাইয়্যিআহা, লা ইয়াসরিফু সাইয়্যিআহা ইল্লা আনতা। লাব্বাইকা ওয়া সা‘দাইকা ওয়াল- খায়রু কুল্লুহূ ফী ইয়াদাইকা, ওয়াশ শাররু লাইসা ইলাইকা আনাবিকা ওয়া ইলাইকা তাবারাকতা ওয়া তা‘আলাইতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।” অতঃপর রুকু‘কালে তিনি এ দু‘আ পাঠ করতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকা রাকা‘তু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু, খাসাআ লাকা সামঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখয়ী ওয়া ‘ইযামী ওয়া ‘আসাবী।” তারপর রুকু‘ হতে মাথা উঠিয়ে তিনি এ দু‘আ পাঠ করতেনঃ “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্, রাব্বানা লাকাল হাম্দ মিলউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মিলউ মা বায়নাহুম ওয়া মিলউ মাশি’তা মিন শাইয়ান বা’দু।” তারপর সাজদাহ্র সময় এ দু‘আ পাঠ করতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাকাহু ওয়া সাওয়ারাহু ফাআহ্সানা সূরাতাহু ওয়া শাক্বা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু ওয়া তাবারাকাল্লাহু আহ্সানুল খালিক্বীন।” তারপর সলাত শেষে সালাম ফিরিয়ে তিনি এ দু‘আ পাঠ করতেনঃ “আল্লাহুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু ওয়ামা আখ্খারতু, ওয়ামা আসসারতু ওয়ামা আলানতু ওয়ামা আসরাফতু ওয়ামা আনতা আ‘লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়াল মুআখখিরু লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।”
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৬১
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَيَصْنَعُ مِثْلَ ذَلِكَ إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَيَصْنَعُهُ إِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَإِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ وَكَبَّرَ وَدَعَا نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي الدُّعَاءِ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ الشَّىْءَ وَلَمْ يَذْكُرْ ” وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ ” . وَزَادَ فِيهِ وَيَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ ” اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ” .
‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয সলাতে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলে দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি ক্বিরাআত পাঠ শেষে রুকু‘তে গমনকালে এবং রুকু‘ হতে উঠার সময়ও অনুরূপ করতেন। তবে তিনি বসা অবস্থায় হাত উত্তোলন করতেন না। তিনি দু’ সাজদাহ্র শেষে (অর্থাৎ দু’ রাক‘আত আদায় শেষে) উঠার সময়ও অনুরূপভাবে হাত উঠাতেন এবং তাকবীর বলে ‘আবদুল আযীয বর্ণিত পূর্বোক্ত হাদীসে উল্লিখিত দু‘আ পাঠ করতেন। তবে এ বর্ণনায় দু‘আ কিছুটা কম-বেশী রয়েছে এবং “ওয়াল খায়রু কুল্লুহু ফী ইয়াদাইকা ওয়াশ শাররু লাইসা ইলাইকা”- বাক্যটির উল্লেখ নেই। বর্ণনাকারী এতে আরো উল্লেখ করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শেষে বললেনঃ “আল্লাহুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু ওয়া আখখারতু ওয়া আসরারতু ওয়া‘আলানতু আনতা ইলাহী লা ইলাহা ইল্লা আনতা।”
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৭৬২
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، قَالَ قَالَ لِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ وَابْنُ أَبِي فَرْوَةَ وَغَيْرُهُمَا مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَإِذَا قُلْتَ أَنْتَ ذَاكَ فَقُلْ ” وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ ” . يَعْنِي قَوْلَهُ ” وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ ” .
শু‘আইব ইবনু আবূ হামযাহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির, ইবনু আবূ ফারওয়াহ এবং মাদীনাহ্র অন্যান্য ফাক্বীহ্গণ আমাকে বলেছেন, উপরোক্ত দু‘আ পাঠকালে তুমি “ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন” এর স্থলে “ওয়া আনা মিনাল-মুসলিমীন” বাক্যটি বলবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৭৬৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، وَثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى الصَّلاَةِ وَقَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ ” أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا ” . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْتُ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ فَقُلْتُهَا . فَقَالَ ” لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَىْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَرْفَعُهَا ” . وَزَادَ حُمَيْدٌ فِيهِ ” وَإِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ فَلْيَمْشِ نَحْوَ مَا كَانَ يَمْشِي فَلْيُصَلِّ مَا أَدْرَكَهُ وَلْيَقْضِ مَا سَبَقَهُ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দ্রুত গতিতে ক্লান্ত অবস্থায় মাসজিদে (সলাতে) উপস্থিত হয়ে বলল, “আল্লাহু আকবার আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ।” অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শেষে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাদের মধ্যকার কে এ দু‘আটি পড়েছে? সে তো মন্দ কিছু বলেনি। তখন লোকটি বলল, আমি হে আল্লাহর রাসূল! আমি ক্লান্ত অবস্থায় মাসজিদে এসে এ দু‘আটি পড়েছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি দেখতে পেলাম, বারজন মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) এজন্য প্রতিযোগীতায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, কে সর্বাগ্রে দু‘আটি আল্লাহর দরবারে নিয়ে যাবেন। বর্ণনাকারী হুমায়িদের বর্ণনায় আরো রয়েছে, তোমাদের কেউ (মাসজিদে) এলে যেন স্বাভাবিক গতিতে আসে। অতঃপর ইমামের সাথে যেটুকু সলাত পাবে আদায় করবে এবং সলাতের ছুটে যাওয়া অংশ (ইমামের সালাম ফিরানোর পর) একাকী আদায় করে নিবে।
সহীহঃ মুসলিমে অতিরিক্ত অংশ বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৬৪
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْعَنَزِيِّ، عَنِ ابْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلاَةً قَالَ عَمْرٌو لاَ أَدْرِي أَىَّ صَلاَةٍ هِيَ فَقَالَ ” اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً ” . ثَلاَثًا ” أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِهِ وَنَفْثِهِ وَهَمْزِهِ ” . قَالَ نَفْثُهُ الشِّعْرُ وَنَفْخُهُ الْكِبْرُ وَهَمْزُهُ الْمُوتَةُ .
ইবনু জুবায়ির ইবনু মুত্বঈম হতে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কোন এক সলাত আদায় করতে দেখেছেন। বর্ণনাকারী ‘আমর বলেন, সেটা কোন সলাত ছিল (ফরয না নফল) তা আমার জানা নেই। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সলাত আদায়কালে) বলেছেন, “আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান, আলহাম দুলিল্লাহি কাসীরান, আলহাম দুলিল্লাহি কাসীরান, ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও ওয়া আসীলা”, (তিনবার) “আ‘উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজীমি মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহি।” বর্ণনাকারী (‘আমর ইবনু মুররাহ) বলেন, নাফখিহী হচ্ছে শাইত্বানের কবিতা, নাফসিহী হচ্ছে শাইত্বানের অহঙ্কার এবং হামযিহি হচ্ছে শাইত্বানের কুমন্ত্রণা। [৭৬৩]
দূর্বলঃ মিশকাত ৮১৭, ইরওয়া ৩৪২।
[৭৬৩] ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সলাত, অনুঃ সলাতে আশ্রয় প্রার্থণা করা, হাঃ ৮০৭), তায়ালিসি (৯৪৭), ইবনু জারুদ (৯৬), আহমাদ (৪/৮৫), ত্বাবারানী ‘কাবীর’ এবং ইবনু হাজম ‘মুহাল্লা’ (৩/২৪৮)। সানাদের ‘আসিম ইবনু ‘আনাযীকে কেউ সিক্বাহ বলেননি। কেবল ইবনু হিব্বান তাকে ‘সিক্বাত’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেখানে তার নাম নিয়ে মতভেদ আছে। সম্ভবতঃ এ কারনে ইমাম বুখারী বলেছেনঃ সহীহ নয়। তবে হাদীসটির এ সানাদ যদিও দূর্বল কিন্তু এর শাওয়াহিদ বর্ণনাবলীর কারনে হাদীসটি সহীহ। (বিস্তারিত দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ৩৪২ নং)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৬৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي التَّطَوُّعِ ذَكَرَ نَحْوَهُ .
নাফি‘ ইবনু জুবায়ির (রহঃ) হতে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নফল সলাত আদায়কালে বলতে শুনেছি ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। [৭৬৪]
[৭৬৪] পূর্বের হাদীসে গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، أَخْبَرَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرَازِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ يَفْتَتِحُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِيَامَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا قَامَ كَبَّرَ عَشْرًا وَحَمِدَ اللَّهَ عَشْرًا وَسَبَّحَ عَشْرًا وَهَلَّلَ عَشْرًا وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا وَقَالَ “ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي ” . وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ .
‘আসিম ইবনু হুমায়িদ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের সলাত কিসের দ্বারা আরম্ভ করতেন সে সম্পর্কে আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তুমি আমাকে এমন একটি প্রশ্ন করেছ যা ইতোপূর্বে কেউ করেনি। অতঃপর তিনি বলেন, তিনি সলাতে দাঁড়িয়ে প্রথমে দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদুলিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং দশবার আস্তাগফিরুল্লাহ বলতেন। তারপর এ দু‘আ পড়তেনঃ “আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী, ওয়া ‘আফিনী’।” এছাড়া তিনি ক্বিয়ামাতের দিনের সংকীর্ণ স্থান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থণা করতেন। [৭৬৫]
হাসান সহীহ।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী খালিদ ইবনু মা‘দান রবী‘আহ হতে ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৭৬৭
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ “ اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ أَنْتَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ ” .
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের সলাত কিসের দ্বারা আরাম্ভ করতেন? তিনি বললেন, তিনি রাতে দন্ডায়মান হয়ে এ দু‘আ দ্বারা সলাত আরাম্ভ করতেনঃ “আল্লাহুম্মা রাব্বা জিবরীলা ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইসরাফিলা ফাত্বিরাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা, ‘আলিমুল গায়বি ওয়াশ শাহাদাতি, আনতা তাহকুমু বাইনা ‘ইবাদিকা ফীমা কানূ ফীহি ইয়াখতালিফূন। ইহ্দিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাক্বক্বি বি-ইযনিকা, ইন্নাকা আনতা তাহদী মান তাশাউ ইলা সিরাত্বিম মুসতাক্বীম।”
হাসানঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৭৬৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُوحٍ، قُرَادٌ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، بِإِسْنَادِهِ بِلاَ إِخْبَارٍ وَمَعْنَاهُ قَالَ كَانَ إِذَا قَامَ بِاللَّيْلِ كَبَّرَ وَيَقُولُ .
‘ইকরামাহ থেকে বর্ণিতঃ
‘ইকরামাহ একই সানাদে ভিন্ন শব্দে ও অর্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে (তাহাজ্জুদ) সলাতে দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করে বলতেন … (হাদীস)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৭৬৯
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ لاَ بَأْسَ بِالدُّعَاءِ فِي الصَّلاَةِ فِي أَوَّلِهِ وَأَوْسَطِهِ وَفِي آخِرِهِ فِي الْفَرِيضَةِ وَغَيْرِهَا .
মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফারয ও নাফল যে কোন সলাতেই সলাতের প্রথমে, মাঝে বা শেষ দিকের যে কোন সময়ে দু‘আ পড়া যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৭৭০
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ” . قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنِ الْمُتَكَلِّمُ بِهَا آنِفًا ” . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلاَثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلَ ” .
রিফা’আহ ইবনু রাফি‘ আয-যুরাকী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে সলাত আদায় করছিলাম। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু‘ হতে মাথা উঠিয়ে সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ বললে এক ব্যক্তি বলে উঠেন-‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ”। সলাত শেষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ দু‘আ পাঠকারী কে? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি দেখলাম, তিরিশেরও অধিক মালিয়িকাহ্ (ফেরেশতা) তা সর্বাগ্রে লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রতিযোগিতা করছে।
সহীহঃ বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৭১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيَّامُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ أَنْتَ الْحَقُّ وَقَوْلُكَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ وَأَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মধ্য রাতে (তাহাজ্জুদ) সলাতে দন্ডায়মান হয়ে বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আনতা নূরুস-সামাওয়াতি ওয়াল-আরদি, ওয়া লাকাল-হামদু আনতা রব্বুস-সামাওয়াতি ওয়াল-আরদি, ওয়া মান ফীহিন্না, আনতাল হাক্কু, ওয়া ক্বাওলুকাল-হাক্কু, ওয়া ওয়া‘দুকাল-হাক্কু, ওয়া লিক্বাউকা হাক্কুন, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান-নারু হাক্কুন, ওয়াস্-সা‘আতু হাক্কুন। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া ‘আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইকা আনাবতু ওয়া বিকা খাসমতু, ওয়া ইলাইকা হাকামতু ফাগফির লী মা ক্বাদ্দামতু ওয়া আখ্খারতু ওয়া আসরারতু ওয়া আ‘লানতু, আনতা ইলাহী, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।” [৭৭০]
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৭২
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَنَا طَاوُسٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي التَّهَجُّدِ يَقُولُ بَعْدَ مَا يَقُولُ “ اللَّهُ أَكْبَرُ ” . ثُمَّ ذَكَرَ مَعْنَاهُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে তাহাজ্জুদ সলাতে আল্লাহু আকবার বলার পর বলতেন…. পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৭৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، نَحْوَهُ قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَمِّ، أَبِيهِ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَطَسَ رِفَاعَةُ لَمْ يَقُلْ قُتَيْبَةُ رِفَاعَةُ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَقَالَ “ مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ ” . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ وَأَتَمَّ مِنْهُ .
মু‘আয ইবনু রিফা‘আহ ইবনু রাফি‘ হতে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পেছনে সলাত আদায় করি। এমন সময় রিফা‘আহ হাঁচি দিয়ে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাসীরান তাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহি মুবারাকান ‘আলাইহি কামা ইউহিব্বু রব্বুনা ওয়া ইয়ারদা।” সলাত শেষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সলাতের মধ্যে এ দু‘আটি কে পাঠ করেছে? অতঃপর অবশিষ্ট হাদীস মালিক বর্ণিত পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৭৭৪
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَطَسَ شَابٌّ مِنَ الأَنْصَارِ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ حَتَّى يَرْضَى رَبُّنَا وَبَعْدَ مَا يَرْضَى مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنِ الْقَائِلُ الْكَلِمَةَ ” . قَالَ فَسَكَتَ الشَّابُّ ثُمَّ قَالَ ” مَنِ الْقَائِلُ الْكَلِمَةَ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا ” . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا قُلْتُهَا لَمْ أُرِدْ بِهَا إِلاَّ خَيْرًا . قَالَ ” مَا تَنَاهَتْ دُونَ عَرْشِ الرَّحْمَنِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমির হতে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পেছনে সলাত আদায়কালে আনসার গোত্রের জনৈক যুবক হাঁচি দিয়ে বলল, “আলহামদু লিল্লাহে হামদান কাসীরান তাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহি হাত্তা ইয়ারদা রব্বুনা ওয়া বা‘দু মা ইয়ারদা মিন আমরিদ্-দুনয়া ওয়াল-আখিরাহ।” সলাত শেষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ কথাগুলো কে বলেছে? যুবকটি এ সময় নিরব থাকল। তিনি পুনরায় বললেন, এ কথাগুলো কে বলেছে? সে তো মন্দ কিছু বলেনি। তখন যুবকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এগুলো আমিই বলেছি এবং আমি ভাল উদ্দেশ্যই বলেছি। তিনি বললেনঃ এ উক্তিগুলো কোথাও অপেক্ষা করেনি, বরং মহীয়ান রহমানের আরশে পৌঁছে গেছে। [৭৭৩]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১২
যারা বলেন, সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা বলে সলাত শুরু করতে হবে
৭৭৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ مُطَهَّرٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيٍّ الرِّفَاعِيِّ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ ثُمَّ يَقُولُ ” سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ” . ثُمَّ يَقُولُ ” لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ” . ثَلاَثًا ثُمَّ يَقُولُ ” اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا ” . ثَلاَثًا ” أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ ” . ثُمَّ يَقْرَأُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا الْحَدِيثُ يَقُولُونَ هُوَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيٍّ عَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلاً الْوَهَمُ مِنْ جَعْفَرٍ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে সলাতের জন্য দন্ডায়মান হলে তাকবীরে তাহরীমা বলার পর এ দু‘আ পড়তেনঃ “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা‘আলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গায়রুকা।” অতঃপর তিনবার “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু” ও তিনবার “আল্লাহু আকবার কাবীরান” বলার পর “আ‘উযু বিল্লাহিস সামি‘ইল-‘আলীমি মিনাশ-শাইত্বানির রজীম মিন হামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফসিহি” বলতেন। তারপর ক্বিরাআত পাঠ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৭৬
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اسْتَفْتَحَ الصَّلاَةَ قَالَ “ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا الْحَدِيثُ لَيْسَ بِالْمَشْهُورِ عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ لَمْ يَرْوِهِ إِلاَّ طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ وَقَدْ رَوَى قِصَّةَ الصَّلاَةِ عَنْ بُدَيْلٍ جَمَاعَةٌ لَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ شَيْئًا مِنْ هَذَا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আরম্ভকালে এ দু‘আ পড়তেনঃ “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা‘আলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গায়রুকা।”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৩
সলাতের শুরুতে চুপ থাকা
৭৭৭
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ قَالَ سَمُرَةُ حَفِظْتُ سَكْتَتَيْنِ فِي الصَّلاَةِ سَكْتَةً إِذَا كَبَّرَ الإِمَامُ حَتَّى يَقْرَأَ وَسَكْتَةً إِذَا فَرَغَ مِنْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ عِنْدَ الرُّكُوعِ قَالَ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ قَالَ فَكَتَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى الْمَدِينَةِ إِلَى أُبَىٍّ فَصَدَّقَ سَمُرَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ حُمَيْدٌ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَسَكْتَةً إِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ .
আল-হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সামুরাহ (রাঃ) বলেন, সলাতে নিশ্চুপ থাকার দুটি স্থান (দু‘ সাকতা) আমি স্মরণ রেখেছি। প্রথম সাকতা হলো ইমামের তাকবীরে তাহরীমা বলা থেকে ক্বিরাআত আরাম্ভ করা পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় সাকতা হলো ইমামের সূরাহ ফাতিহা ও অন্য সূরাহ পড়ার পর রুকু‘তে যাওয়ার পূর্বে। কিন্তু ‘ইমরান ইবনু হুসায়িন (রাঃ) একথা মেনে নিতে অস্বীকার করেন। ফলে তারা এ বিষয়ে জানার জন্য মাদীনাহতে উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর নিকট পত্র লিখে পাঠালে তিনি সামুরাহ (রাঃ)-এর বর্ণনাকে সত্যায়িত করেন। [৭৭৬]
দুর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসে হুমায়িদও অনুরূপভাবে বলেছেন যে, ক্বিরাআত শেষে একটি সাকতা রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَسْكُتُ سَكْتَتَيْنِ إِذَا اسْتَفْتَحَ وَإِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ كُلِّهَا . فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ يُونُسَ .
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতে দু’জায়গায় চুপ থাকতেন। সলাত আরাম্ভকালে (অর্থাৎ তাকবীরে তাহরীমা বলার পর) এবং ক্বিরাআত শেষ করার পর …. অতঃপর ইউনুস সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। [৭৭৭]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৭৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ، وَعِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، تَذَاكَرَا فَحَدَّثَ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ، أَنَّهُ حَفِظَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَكْتَتَيْنِ سَكْتَةً إِذَا كَبَّرَ وَسَكْتَةً إِذَا فَرَغَ مِنْ قِرَاءَةِ { غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ } فَحَفِظَ ذَلِكَ سَمُرَةُ وَأَنْكَرَ عَلَيْهِ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ فَكَتَبَا فِي ذَلِكَ إِلَى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَكَانَ فِي كِتَابِهِ إِلَيْهِمَا أَوْ فِي رَدِّهِ عَلَيْهِمَا أَنَّ سَمُرَةَ قَدْ حَفِظَ .
আল-হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা সামুরাহ ইবনু জুনদুব ও ‘ইমরান ইবনু হুসায়িন (রাঃ) পরস্পরে আলোচনাকালে প্রসঙ্গক্রমে সামুরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সলাতের দু’ স্থানে চুপ থাকা (দু’ সাকতা) সম্পর্কিত জ্ঞান হিফয করেছেন। প্রথম সাকতা হচ্ছে তাকবীরে তাহরীমা বলার পর এবং দ্বিতীয় সাকতা হচ্ছে, “গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায্যলীন” পাঠের পর। সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) বিষয়টি স্মরণ রাখলেও ‘ইমরান ইবনু হুসায়িন (রাঃ) তা অস্বীকার করেন বসেন। ফলে তাঁরা দু’জনেই এ বিষয়ে জানার জন্য উবাই ইবনু কা‘ব-এর নিকট পত্র লিখেন। তিনি তাঁদের পত্রের জবাবে লিখেন যে, সামুরাহ (রাঃ) বিষয়টি যথাযথ স্মরণ রেখেছেন। [৭৭৮]
দুর্বলঃ মিশকাত ৮১৮।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৮০
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، بِهَذَا قَالَ عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ سَكْتَتَانِ حَفِظْتُهُمَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فِيهِ قَالَ سَعِيدٌ قُلْنَا لِقَتَادَةَ مَا هَاتَانِ السَّكْتَتَانِ قَالَ إِذَا دَخَلَ فِي صَلاَتِهِ وَإِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ ثُمَّ قَالَ بَعْدُ وَإِذَا قَالَ { غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ } .
সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সলাতে দু’স্থানে চুপ থাকা সম্পর্কিত জ্ঞান আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে হিফয করেছি। বর্ণনাকারী সাঈদ বলেন, আমরা ক্বাতাদাহ্ (রহঃ)-কে দু’স্থানে চুপ থাকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যখন কেউ সলাত আরাম্ভ করবে এবং যখন ক্বিরাআত শেষ করবে (তখন চুপ থাকবে)। পরে তিনি বলেন, (ক্বিরাআত শেষ করা অর্থ হচ্ছে) যখন কেউ গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায্যলীন বলবে। [৭৭৯]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৮১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عُمَارَةَ، – الْمَعْنَى – عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَبَّرَ فِي الصَّلاَةِ سَكَتَ بَيْنَ التَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ فَقُلْتُ لَهُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَرَأَيْتَ سُكُوتَكَ بَيْنَ التَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ أَخْبِرْنِي مَا تَقُولُ . قَالَ “ اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اللَّهُمَّ أَنْقِنِي مِنْ خَطَايَاىَ كَالثَّوْبِ الأَبْيَضِ مِنَ الدَّنَسِ اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীরে তাহরীমা বলার পর তাকবীর ও কিরাআতের মধ্যবর্তী সময়ে চুপ থাকতেন। ফলে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আপনি তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যবর্তী সময়ে কেন চুপ থাকেন তা আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেন, (এ সময় আমি নিশ্চুপে এ দু‘আ পড়ে থাকি): “আল্লাহুম্মা বাঈদ বাইনী ওয়া বাইনা খত্বা ইয়া ইয়া কামা বা‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লাহুম্মা আনকিনী মিন খত্বা ইয়া ইয়া কাসাওবিল আবয়াযি মিনাদ দানাস। আল্লাহুম্মা মাগসিলনী বিস সালজি ওয়াল মায়ি ওয়াল বারদ।”
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৪
সশব্দে বিসমিল্লাহ না বলা প্রসঙ্গে
৭৮২
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ كَانُوا يَفْتَتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِـ { الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ } .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ), ‘উমার (রাঃ) ও ‘উসমান (রাঃ) “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামিন” হতে ক্বিরাআত আরাম্ভ করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৮৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةَ بِـ { الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ } وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلَكِنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ ” التَّحِيَّاتُ ” . وَكَانَ إِذَا جَلَسَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عَقِبِ الشَّيْطَانِ وَعَنْ فِرْشَةِ السَّبُعِ وَكَانَ يَخْتِمُ الصَّلاَةَ بِالتَّسْلِيمِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শুরু করতেন তাকবীরে তাহরীমার দ্বারা আর ক্বিরাআত শুরু করতেন আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন দ্বারা। তিনি রুকু‘তে স্বীয় মাথা উঁচুও করতেন না আবার নীচুও করতেন না বরং পিঠের সাথে সমান্তরাল করে রাখতেন। তিনি রুকু‘ হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পূর্বে সিজদায় যেতেন না এবং এক সাজদাহর পর সোজা হয়ে বসার পূর্বে দ্বিতীয় সাজদাহ্ করতেন না। তিনি প্রত্যেক দু’ রাক‘আত সলাত শেষে ‘আত্তাহিয়্যাতু’ (তাশাহুদ) পড়তেন। অতঃপর বসার সময় বাম পা বিছিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে রাখতেন। তিনি শাইত্বানের ন্যায় (দু’ গোড়লির উপর পাছা রেখে) বসতে এবং চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় (মাটিতে দু’ হাত বিছিয়ে) সাজদাহ্ করতে নিষেধ করতেন। তিনি সালামের দ্বারা সলাত সমাপ্ত করতেন।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৮৪
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آنِفًا سُورَةٌ ” . فَقَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ { إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ } حَتَّى خَتَمَهَا . قَالَ ” هَلْ تَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي فِي الْجَنَّةِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এইমাত্র আমার উপর একটি সূরাহ অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর তিনি পড়লেনঃ “বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম, ইন্না আ’ত্বায়না কাল-কাওসার….” সূরাটি শেষ পর্যন্ত। তিনি বললেন, তোমরা কি জান! কাওসার কী? তাঁরা বললেন, এ বিষয়ে আল্লাহ এবং তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -ই সর্বাধিক অবগত। তিনি বললেন, তা হচ্ছে একটি নাহর, আমার রব্ব আমাকে জান্নাতে তা দান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।
হাসানঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৭৮৫
حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ نُسَيْرٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الأَعْرَجُ الْمَكِّيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَذَكَرَ الإِفْكَ، قَالَتْ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَالَ ” أَعُوذُ بِالسَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ { إِنَّ الَّذِينَ جَاءُوا بِالإِفْكِ عُصْبَةٌ مِنْكُمْ } ” . الآيَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ جَمَاعَةٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ لَمْ يَذْكُرُوا هَذَا الْكَلاَمَ عَلَى هَذَا الشَّرْحِ وَأَخَافُ أَنْ يَكُونَ أَمْرُ الاِسْتِعَاذَةِ مِنْ كَلاَمِ حُمَيْدٍ .
‘উরওয়াহ হতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইফকের ঘটনা উল্লেখ পূর্বক বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা ছিলেন। (অতঃপর ওয়াহী হওয়া শেষে) তিনি মুখ খুলে বললেন, ‘আউযু বিস্ সামি‘ইল ‘আলীম মিনাশ শাইত্বনির রজীম, “ইন্নাল্লাযীনা জা’উ বিল-ইফকি ‘উসবাতুম মিনকুম…” আয়াতের শেষ পর্যন্ত। অর্থঃ “যারা মিথ্যা অপপ্রচার করেছে তারা তোমাদের মধ্যেরই লোক….।” [৭৮৪]
দুর্বল।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুনকার। কারণ একদল এ হাদীসটি ইমাম যুহরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাদের বর্ণনায় উক্ত আয়াতের সাথে আ‘উযু বিল্লাহ্-এর উল্লেখ নেই। আমরা আশঙ্কা হচ্ছে আ‘উযু বাক্যটি বর্ণনাকারী হুমায়িদের উক্তি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৫
সশব্দে বিসমিল্লাহ পাঠের বর্ণনা
৭৮৬
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَا حَمَلَكُمْ أَنْ عَمَدْتُمْ، إِلَى بَرَاءَةَ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ وَإِلَى الأَنْفَالِ وَهِيَ مِنَ الْمَثَانِي فَجَعَلْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ } قَالَ عُثْمَانُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يَنْزِلُ عَلَيْهِ الآيَاتُ فَيَدْعُو بَعْضَ مَنْ كَانَ يَكْتُبُ لَهُ وَيَقُولُ لَهُ “ ضَعْ هَذِهِ الآيَةَ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا ” . وَتَنْزِلُ عَلَيْهِ الآيَةُ وَالآيَتَانِ فَيَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ وَكَانَتِ الأَنْفَالُ مِنْ أَوَّلِ مَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَتْ بَرَاءَةُ مِنْ آخِرِ مَا نَزَلَ مِنَ الْقُرْآنِ وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا مِنْهَا فَمِنْ هُنَاكَ وَضَعْتُهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ } .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘উসমান(রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কিভাবে সূরাহ বারাআতকে সূরাহ আল-আনফালের অন্তর্ভুক্ত করে আল-কুরআনের সাব‘উল মাসানী (সাতটি দীর্ঘ সূরাহ)-এর মধ্যে গণ্য করেন এবং উভয় সূরার মধ্যস্থলে বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম কেন লিখেন না? অথচ সূরাহ্ বারাআত মিআতাইন (তথা ১০০-এর অধিক আয়াত সম্বলিত সূরাহ্)-এর অন্তর্ভুক্ত (কারণ সূরাহ্ বারাআতে ১২৯টি আয়াত আছে)। পক্ষান্তরে সূরাহ আল-আনফাল মাসানীর অন্তর্ভুক্ত (কারণ তাতে আয়াতের সংখ্যা ১০০-এর কম অর্থাৎ ৭৫ টি)। ‘উসমান (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উপর কোন আয়াত অবতীর্ণ হওয়া মাত্রই তিনি ওয়াহী লিখক সাহাবীদের ডেকে বলতেন: এ আয়াত অমুক সূরাহর অমুক স্থানে সন্নিবেশিত কর যেখানে এই এই বিষয় আলোচিত হয়েছে। তাঁর উপর একটি অথবা দু’টি আয়াত অবতীর্ণ হলেও তিনি ঐরুপ বলতেন। সূরাহ আল-আনফাল হচ্ছে মাদীনাহতে আগমণের পরপরই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উপর অবতীর্ণ সূরাহ সমূহের অন্যতম সূরাহ। আর সূরাহ বারাআত হচ্ছে কুরআন অবতীর্ণের শেষ পর্যায়ে নাযিলকৃত সূরাহ সমূহের অন্যতম। তথাপি সূরাহ আল-আনফালের ঘটনাবলীর সাথে সূরাহ বারাআতে বর্ণিত ঘটনাবলীর সাদৃশ্য আছে। সেজন্য আমার মনে হলো, এটি সূরাহ্ আল-আনফালের অন্তর্ভুক্ত। তাই আমি সূরাহ দুটি একত্রে সাব‘উ-তিওয়াল-এর অন্তর্ভুক্ত করি এবং এ উভয় সূরাহ মধ্যস্থলে বিসমিল্লাহ-হির রহমা-নির রহীম লিখি নাই। [৭৮৫]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৮৭
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – يَعْنِي ابْنَ مُعَاوِيَةَ – أَخْبَرَنَا عَوْفٌ الأَعْرَابِيُّ، عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، بِمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ فَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا أَنَّهَا مِنْهَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ الشَّعْبِيُّ وَأَبُو مَالِكٍ وَقَتَادَةُ وَثَابِتُ بْنُ عُمَارَةَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكْتُبْ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ } حَتَّى نَزَلَتْ سُورَةُ النَّمْلِ هَذَا مَعْنَاهُ .
ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্নিত আছে।তিনি বলেছেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু সূরা্হ আনফালের অন্তর্ভুক্ত কিনা এ ব্যাপারে তিনি পরিস্কারভাবে কিছুই বলেননি। ইমাম দাউদ (রহঃ) বলেন,শা’বী, আবূ মালিক, ক্বাতাদা্হ ও সাবিত ‘ইবনু উমারা্হ বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর সূরা্হ আন-নামল অবতীর্ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি (কোনো সূরাহর শুরুতে) বিসমিল্লাহ লিখেননি।
দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭৮৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، – قَالَ قُتَيْبَةُ فِيهِ – عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَعْرِفُ فَصْلَ السُّورَةِ حَتَّى تُنَزَّلَ عَلَيْهِ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ } . وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ السَّرْحِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর বিসমিল্লাহ-হির রহমানির রহীম অবতীর্ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো সুরা্র শুরুতে দিক চিহ্নিত করতে পারতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৬
কোনো অনিবার্য কারনে সলাত সংক্ষেপ করা
৭৮৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنِّي لأَقُومُ إِلَى الصَّلاَةِ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُطَوِّلَ فِيهَا فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأَتَجَوَّزُ كَرَاهِيَةَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمِّهِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ক্বাতাদা্হ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি কখনো সলাত দীর্ঘায়িত করতে চাই, কিন্তু শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে তার মায়ের কষ্টের কথা চিন্তা করে সলাত সংক্ষেপ করি।
সহীহঃ বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৭
সালাত সংক্ষিপ্ত করা
৭৯০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَهُ مِنْ، جَابِرٍ قَالَ كَانَ مُعَاذٌ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ يَرْجِعُ فَيَؤُمُّنَا – قَالَ مَرَّةً ثُمَّ يَرْجِعُ فَيُصَلِّي بِقَوْمِهِ – فَأَخَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً الصَّلاَةَ – وَقَالَ مَرَّةً الْعِشَاءَ – فَصَلَّى مُعَاذٌ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَ يَؤُمُّ قَوْمَهُ فَقَرَأَ الْبَقَرَةَ فَاعْتَزَلَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَصَلَّى فَقِيلَ نَافَقْتَ يَا فُلاَنُ . فَقَالَ مَا نَافَقْتُ . فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ مُعَاذًا يُصَلِّي مَعَكَ ثُمَّ يَرْجِعُ فَيَؤُمُّنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنَّمَا نَحْنُ أَصْحَابُ نَوَاضِحَ وَنَعْمَلُ بِأَيْدِينَا وَإِنَّهُ جَاءَ يَؤُمُّنَا فَقَرَأَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ . فَقَالَ ” يَا مُعَاذُ أَفَتَّانٌ أَنْتَ أَفَتَّانٌ أَنْتَ اقْرَأْ بِكَذَا اقْرَأْ بِكَذَا ” . قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ بِـ { سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى } { وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى } فَذَكَرْنَا لِعَمْرٍو فَقَالَ أُرَاهُ قَدْ ذَكَرَهُ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু‘আয (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সালাত আদায়ের পর ফিরে এসে আমাদের সালাত ইমামতি করতেন। বর্ননাকারী পুনরায় বলেন, তিনি ফিরে এসে স্বীয় সম্প্রদায়ের লোকদের সালাত ইমামতি করতেন। এক রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইশার সালাত আদায়ে বিলম্ব করেন। সেদিনও মু‘আয (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ‘ইশার সালাত আদায়ের পর স্বীয় সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট গিয়ে তাদের ইমামতি করেন। এবং উক্ত সালাতে তিনি সূরাহ আল-বাক্বারা্হ পাঠ করলে এক ব্যাক্তি জামা’আত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী সালাত আদায় করে নেয়। ফলে বলা হলো, হে অমুক! তুমি কি মুনাফিক্ব হয়ে গেলে নাকি? লোকটি বললোঃ আমি মুনাফিক্ব হই নাই। পরে লোকটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! মু‘আয (রাঃ) আপনার সাথে সালাত আদায় শেষে ফিরে গিয়ে আমাদের সালাতের ইমামতি করেন। আমরা মেহনতি মজদুর লোক এবং নিজেরাই ক্ষেতের কাজ-কর্ম করে থাকি। অথচ মু‘আয (রাঃ) আমাদের সালাত ইমামতিকালে সূরাহ বাক্বারাহ পড়েন (অর্থাৎ দীর্ঘ সূরাহ পাঠ করে থাকেন)। হে কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মু‘আযকে সম্বোধন করে) বললেনঃ হে মু‘আয! তুমি কি ফিতনাহ সৃষ্টিকারী? তুমি কি লোকদের ফিতনাহয় ফেলতে চাও? তুমি সালাত অমুক অমুক (ছোট) সূরাহ পাঠ করবে। আবূয যুবায়ির বলেন, সূরাহ আল-’আলা, ওয়াল লাইলি, ইযা ইয়াগশা এ ধরনের (ছোট) সুরা্ পাঠ করবে। অতঃপর আমরা তা (বর্ননাকারী) ‘আমরের নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেন, আমার ধারনা, তিনি সেটাও উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৯১
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا طَالِبُ بْنُ حَبِيبٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جَابِرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ حَزْمِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّهُ أَتَى مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ وَهُوَ يُصَلِّي بِقَوْمٍ صَلاَةَ الْمَغْرِبِ فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يَا مُعَاذُ لاَ تَكُنْ فَتَّانًا فَإِنَّهُ يُصَلِّي وَرَاءَكَ الْكَبِيرُ وَالضَّعِيفُ وَذُو الْحَاجَةِ وَالْمُسَافِرُ ” .
হাযম ইবনু উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) এর নিকট এমন সময় এলেন যখন তিনি মাগরিব এর সালাতের ইমামতি করছিলেন। বর্ননাকারী এ হাদীসে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু‘আয (রাঃ) কে ডেকে বললেনঃ হে মু‘আয! তুমি ফিতনাহ সৃষ্টিকারী হয়ো না। কেননা তোমার পেছনে বৃদ্ধ, রোগগ্রস্হ, কর্মব্যস্ত, এবং মুসাফির লোকেরা সালাত আদায় করে। [৭৯০]
মুসাফিরের উল্লেখের দ্বারা মুনকার।
[৭৯০] বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৩/১১৭) আবু দাউদের সূত্রে।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৭৯২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِرَجُلٍ ” كَيْفَ تَقُولُ فِي الصَّلاَةِ ” . قَالَ أَتَشَهَّدُ وَأَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ أَمَا إِنِّي لاَ أُحْسِنُ دَنْدَنَتَكَ وَلاَ دَنْدَنَةَ مُعَاذٍ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” حَوْلَهَا نُدَنْدِنُ ” .
আবু সালি্হ (রহঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক সহাবীর থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যাক্তিকে বললেন, তুমি সালাতে কি দু‘আ পাঠ করো? লোকটি বললো, আমি তাশাহহুদ (তথা আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি–) পাঠ করি এবং বলি আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযুবিকা মিনান নার। কিন্তু আমি আপনার ও মু’আযের অস্পস্ট শব্দগুলো বুঝতে পারিনা।
(অর্থাৎ আপনি ও মু‘আয কি দু‘আ পড়েন তা বুঝতে সক্ষম হই না)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমরাও তার আশে পাশে ঘুরে থাকি (অর্থাৎ জান্নাত পার্থনা করি)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৯৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ، عَنْ جَابِرٍ، ذَكَرَ قِصَّةَ مُعَاذٍ قَالَ وَقَالَ – يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِلْفَتَى – ” كَيْفَ تَصْنَعُ يَا ابْنَ أَخِي إِذَا صَلَّيْتَ ” . قَالَ أَقْرَأُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَأَسْأَلُ اللَّهَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِهِ مِنَ النَّارِ وَإِنِّي لاَ أَدْرِي مَا دَنْدَنَتُكَ وَلاَ دَنْدَنَةُ مُعَاذٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي وَمُعَاذٌ حَوْلَ هَاتَيْنِ ” . أَوْ نَحْوَ هَذَا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মু’আয (রাঃ) এর ঘটনা বর্ননা করে বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক যুবককে বললেন, হে ভ্রাতুস্পুত্র! তুমি সালাতে কী পড়? সে বললো ,আমি সুরা্ ফাতিহা পড়ি এবং আল্লাহর কাছে জান্নাতের প্রত্যাশা ও জাহান্নাম হতে আশ্রয় চাই। আমি আপনার ও মু‘আয এর অস্পস্ট শব্দগুলো বুঝিনা। (অর্থাৎ আপনি এবং আমাদের ইমাম মু‘আয সালাত নিরবে কোন কোন শব্দযোগে দু‘আ ও মুনাজাত করেন তা আমি অবহিত নই)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি এবং মু‘আয উভয়েই আশে-পাশেই ঘুরে থাকি (অর্থাৎ আমরাও জান্নাতের প্রত্যাশা এবং জাহান্নাম হতে আশ্রয় প্রত্যাশা করি) অথবা অনুরুপ কিছু বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৯৪
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِيهِمُ الضَّعِيفَ وَالسَّقِيمَ وَالْكَبِيرَ وَإِذَا صَلَّى لِنَفْسِهِ فَلْيُطَوِّلْ مَا شَاءَ ” .
আবু হুরাইরা্হ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সালাত ইমামতিকালে যেন সালাত সংক্ষেপ করে। কেননা, মুক্তাদীদের মধ্যে দুর্বল, রুগ্ন, এবং বৃদ্ধ লোকও থাকে। অবশ্য কেও একাকী সালাত আদায় করলে সে তার ইচ্ছানুযায়ী সালাত দীর্ঘায়িত করতে পারে।
সহীহ: বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৯৫
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِيهِمُ السَّقِيمَ وَالشَّيْخَ الْكَبِيرَ وَذَا الْحَاجَةِ ” .
আবু হুরাইরা্হ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন তোমাদের কেও সালাতে ইমামতি করলে যেনো সালাত সংক্ষেপ করে। কারন মুক্তাদীদের মধ্যে দুর্বল ,বৃদ্ধ ও কর্মব্যস্ত লোকেরাও থাকে।
সহীহ: বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৮
সালাতের জন্য ক্ষতিকর দিক
৭৯৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بَكْرٍ، – يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ – عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَنَمَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَنْصَرِفُ وَمَا كُتِبَ لَهُ إِلاَّ عُشْرُ صَلاَتِهِ تُسْعُهَا ثُمُنُهَا سُبُعُهَا سُدُسُهَا خُمُسُهَا رُبُعُهَا ثُلُثُهَا نِصْفُهَا ” .
আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ এমন লোকও আছে (যারা সালাত আদায় করা সত্ত্বেও সালাতের রুকুন ও শর্তগুলো সঠিকভাবে আদায় না করায় এবং সালাতে পরিপূর্ণ একাগ্রতা ও খুশু-খুযু না থাকায় তারা সালাতের পরিপূর্ন সাওয়াব পায় না)। বরং তারা দশ ভাগের এক ভাগ, নয় ভাগের এক ভাগ, আট ভাগের এক ভাগ, সাত ভাগের এক ভাগ, ছয় ভাগের এক ভাগ, পাঁচ্ ভাগের এক ভাগ, চার ভাগের এক ভাগ, তিন ভাগের এক ভাগ, বা অর্ধাংশ সাওয়াব প্রাপ্ত হয়।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৯
যুহর সালাতের ক্বিরাআত
৭৯৭
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، وَعُمَارَةَ بْنِ مَيْمُونٍ، وَحَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ فِي كُلِّ صَلاَةٍ يُقْرَأُ فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى عَلَيْنَا أَخْفَيْنَا عَلَيْكُمْ .
‘আত্বা ইবনু আবূ রাবাহ থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হূরাইরাহ (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক সালাতেই ক্বিরাআত পড়তে হয়। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেসব সালাতে আমাদেরকে শুনিয়ে ক্বিরাআত পড়েছেন, আমরাও তোমাদেরকে সেসব সালাতে সশব্দে ক্বিরাআত পড়ে শুনাই। পক্ষান্তরে তিনি যেসব সালাতে নিঃশব্দে ক্বিরাআত পড়েছেন, আমারাও তাতে নিঃশব্দে ক্বিরাআত পড়ে থাকি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৯৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ الْحَجَّاجِ، – وَهَذَا لَفْظُهُ – عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، – قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى وَأَبِي سَلَمَةَ ثُمَّ اتَّفَقَا – عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِنَا فَيَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ أَحْيَانًا وَكَانَ يُطَوِّلُ الرَّكْعَةَ الأُولَى مِنَ الظُّهْرِ وَيُقَصِّرُ الثَّانِيَةَ وَكَذَلِكَ فِي الصُّبْحِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ مُسَدَّدٌ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةً .
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যুহর ও ‘আসর সালাতের প্রথম দু’ রাক‘আতে সূরাহ ফাতিহা ও অন্য দু’টি সূরাহ পাঠ করতেন। তিনি কোন কোন সময় আমাদেরকে শুনিয়ে আয়াত পড়তেন। তিনি যুহর সালাতের প্রথম রাকা‘আত কিছুটা দীর্ঘ করতেন এবং ২য় রাকা‘আত সংক্ষেপ করতেন। তিনি ফাজর সালাতও অনুরূপ করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, মুসাদ্দাদ তার বর্ণনাতে সূরাহ ফতিহা ও অন্য সূরাহ পাঠের কথা উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৯৯
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، وَأَبَانُ بْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، بِبَعْضِ هَذَا وَزَادَ فِي الأُخْرَيَيْنِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ . وَزَادَ عَنْ هَمَّامٍ قَالَ وَكَانَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الثَّانِيَةِ وَهَكَذَا فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي صَلاَةِ الْغَدَاةِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ক্বাতাদাহ (রহঃ) তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তাতে এও রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতের শেষ দু’ রাক‘আতে শুধু সূরাহ ফাতিহা পাঠ করতেন। হাম্মামের বর্ণনায় আরও রয়েছেঃ রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্বিতীয় রাক‘আতের তুলনায় প্রথম রাক‘আত কিছুটা দীর্ঘ করতেন। তিনি ফাজর ও ‘আসর ‘সালাতও অনুরূপ করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮০০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ فَظَنَنَّا أَنَّهُ يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنْ يُدْرِكَ النَّاسُ الرَّكْعَةَ الأُولَى .
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমাদের ধারনা, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম রাক‘আত হয়ত এজন্যই দীর্ঘ করতেন যাতে লোকেরা প্রথম রাক‘আত থেকেই জামা‘আতে শরীক হওয়ার সুযোগ পান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮০১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ قُلْنَا لِخَبَّابٍ هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَالَ نَعَمْ . قُلْنَا بِمَ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ ذَاكَ قَالَ بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ .
আবূ মা‘মার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহর ও ‘আসর সালাতে ক্বিরাআত পাঠ করতেন কি না এ বিষয়ে আমরা খাব্বাব (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হ্যা, (পাঠ করতেন)। আমরা তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা তা কিভাবে জানতেন (বা বুঝতেন)? তিনি বলেন, আমরা তাঁর দাড়ি আন্দোলিত হতে দেখে বুঝে ফেলতাম।
সহীহঃ বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮০২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُومُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مِنْ صَلاَةِ الظُّهْرِ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ وَقْعَ قَدَمٍ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ‘আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহর সালাতের প্রথম রাক‘আতে এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন যে, কারো (আগমনের) পদধ্বনি শোনা যেত না। [৮০২]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস