আবু দাউদ সালাত (নামাজ) অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৬০১ – ৭০০
অনুচ্ছেদ-৬৯
বসা অবস্থায় ইমামতি করা
৬০১
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكِبَ فَرَسًا فَصُرِعَ عَنْهُ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ فَصَلَّى صَلاَةً مِنَ الصَّلَوَاتِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ “ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ায় সওয়ার হন এবং ঘোড়ার পিঠ থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তিনি ডান পাঁজরে ব্যাথা পান। ফলে তিনি কোন এক ওয়াক্তের সলাত বসে আদায় করেন। আমরাও তাঁর পেছনে বসে সলাত আদায় করলাম। সলাত শেষে তিনি বললেনঃ ইমাম এজন্যই নিয়োগ করা হয়, যেন তার অনুসরণ করা হয়। ইমাম দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলে তোমরাও তখন দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে। ইমাম রুকু’ করলে তখন তোমরা ও রুকু’ করবে। ইমাম মাথা উঠালে তোমরাও তখন মাথা উঠাবে। আর ইমাম “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বললে তোমরা বলবে, “রব্বানা লাকাল হামদ”। আর ইমাম বসে সলাত আদায় করলে তোমরা সকলেই বসে সলাত আদায় করবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَسًا بِالْمَدِينَةِ فَصَرَعَهُ عَلَى جِذْمِ نَخْلَةٍ فَانْفَكَّتْ قَدَمُهُ فَأَتَيْنَاهُ نَعُودُهُ فَوَجَدْنَاهُ فِي مَشْرَبَةٍ لِعَائِشَةَ يُسَبِّحُ جَالِسًا قَالَ فَقُمْنَا خَلْفَهُ فَسَكَتَ عَنَّا ثُمَّ أَتَيْنَاهُ مَرَّةً أُخْرَى نَعُودُهُ فَصَلَّى الْمَكْتُوبَةَ جَالِسًا فَقُمْنَا خَلْفَهُ فَأَشَارَ إِلَيْنَا فَقَعَدْنَا . قَالَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ “ إِذَا صَلَّى الإِمَامُ جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا وَإِذَا صَلَّى الإِمَامُ قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَلاَ تَفْعَلُوا كَمَا يَفْعَلُ أَهْلُ فَارِسَ بِعُظَمَائِهَا ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় একটি ঘোড়ায় সওয়ার হলে সেটি তাকে একটি খেজুর গাছের গোড়ার উপর ফেলে দেয়। এতে তিনি পায়ে আঘাত পান। আমরা তাঁর সাথে দেখা করতে এসে ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর ঘরে তাকে বসে সলাত আদায়রত পাই। বর্ণনাকারী বলেন, আমরাও তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে যাই। কিন্তু তখন তিনি চুপ থাকলেন। আমরা পুনরায় তাঁর সাথে দেখা করতে এসে দেখি, তিনি বসা অবস্থায় ফারয সলাত আদায় করছেন। আমরাও তাঁর পেছনে (সলাত আদায়ে) দাঁড়ালাম। তিনি আমাদের প্রতি ইশারা করলে আমরা বসে পড়লাম। অতঃপর সলাত শেষে তিনি বললেনঃ ইমাম বসে সলাত আদায় করলে তোমরাও বসা অবস্থায় সলাত আদায় করবে। আর ইমাম দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলে, তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে। পারস্যবাসীরা তাদের নেতাদের সামনে যেরূপ করে দাঁড়িয়ে থাকে তোমরা ঐরূপ করো না।
সহীহঃ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৩
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – الْمَعْنَى – عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَلاَ تُكَبِّرُوا حَتَّى يُكَبِّرَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَلاَ تَرْكَعُوا حَتَّى يَرْكَعَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ” . قَالَ مُسْلِمٌ ” وَلَكَ الْحَمْدُ ” . ” وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَلاَ تَسْجُدُوا حَتَّى يَسْجُدَ وَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعُونَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ ” اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ” . أَفْهَمَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا عَنْ سُلَيْمَانَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমাম এজন্যই নিয়োগ করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। কাজেই ইমাম তাকবীর বললে তখন তোমরাও তাকবীর বলবে। ইমাম তাকবীর না বলা পর্যন্ত তোমরা তাকবীর বলবে না। ইমাম রুকু’ করলে তোমরাও রুকু’ করবে। ইমাম রুকু’ না করা পর্যন্ত তোমরা রুকু’ করবেনা। ইমাম “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বললে তোমরা বলবে, “আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ”। মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছেঃ “ওয়া লাকাল হামদ”। ইমাম সাজদাহ করলে তোমরাও সাজদাহ করবে। ইমাম সাজদাহ না করা পর্যন্ত তোমরা সাজদাহ করবে না। ইমাম দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলে তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে। আর বসে আদায় করলে তোমরাও বসে আদায় করবে।
সহীহ
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন আমার সহকর্মীরা আমাকে সুলাইমানের সূত্রে “আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ” – এর বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ الْمَصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ ” . بِهَذَا الْخَبَرِ زَادَ ” وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذِهِ الزِّيَادَةُ ” وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا ” . لَيْسَتْ بِمَحْفُوظَةٍ الْوَهَمُ عِنْدَنَا مِنْ أَبِي خَالِدٍ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমাম এজন্যই নিয়োগ করা হয়, যেন অন্যেরা তার অনুসরন করে। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তাতে আরো রয়েছেঃ ইমাম যখন ক্বিরআত পাঠ করবে তখন তোমরা চুপ থাকবে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, “ইমাম যখন ক্বিরআত পাঠ করবে তখন তোমরা চুপ থাকবে।”- এ অতিরিক্ত অংশটুকু সুরক্ষিত (মাহফূয) নয়- এটা আবূ খালিদের ধারণা মাত্র।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৫
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِهِ وَهُوَ جَالِسٌ فَصَلَّى وَرَاءَهُ قَوْمٌ قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ “ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরে বসা অবস্থায় সলাত আদায়কালে লোকেরা তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করছিল। তিনি তাদেরকে বসার জন্য ইশারা করলেন। অতঃপর সলাত শেষে বললেন, ইমাম তো এজন্যই নিয়োগ করা হয়, যেন অন্যেরা তার অনুসরন করে। কাজেই ইমাম রুকু’ করলে তোমরাও রুকু’ করবে। ইমাম মাথা ঊঠালে তোমরাও মাথা উঠাবে। আর ইমাম বসে সলাত আদায় করলে তোমরাও বসে সলাত আদায় করবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ، – الْمَعْنَى – أَنَّ اللَّيْثَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اشْتَكَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ وَهُوَ قَاعِدٌ وَأَبُو بَكْرٍ يُكَبِّرُ لِيُسْمِعَ النَّاسَ تَكْبِيرَهُ ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোগাক্রান্ত অবস্থায় বসে সলাত আদায়কালে আমরাও তাঁর পেছনে সলাত আদায় করি। সে সময় আবূ বাকর (রাঃ) লোকদের শোনাবার জন্য উচ্চস্বরে তাঁর তাকবীর বলছিলেন। অতঃপর (পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ) হাদীস বর্ণনা করেন।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৭
حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا زَيْدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحُبَابِ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي حُصَيْنٌ، مِنْ وَلَدِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ، أَنَّهُ كَانَ يَؤُمُّهُمْ – قَالَ – فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ إِمَامَنَا مَرِيضٌ . فَقَالَ “ إِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هذا الْحَدِيثُ لَيْسَ بِمُتَّصِلٍ .
উসায়িদ ইবনু হুদায়ির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি লোকদের ইমামতি করতেন। একদা তিনি অসুস্থ হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে আসেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের ইমাম তো অসুস্থ। তিনি বললেনঃ ইমাম বসে সলাত আদায় করলে, তোমরাও বসে আদায় করবে।
সহীহ
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুত্তাসিল নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭০
দু ব্যক্তির একজন তার সঙ্গীর ইমামতি করলে তারা কিরূপে দাঁড়াবে?
৬০৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ فَأَتَوْهُ بِسَمْنٍ وَتَمْرٍ فَقَالَ “ رُدُّوا هَذَا فِي وِعَائِهِ وَهَذَا فِي سِقَائِهِ فَإِنِّي صَائِمٌ ” . ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ تَطَوُّعًا فَقَامَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ وَأُمُّ حَرَامٍ خَلْفَنَا . قَالَ ثَابِتٌ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَالَ أَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ عَلَى بِسَاطٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু হারাম (রাঃ) এর নিকট আসলেন। তারা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে ঘি ও খেজুর পেশ করলেন। তিনি বললেন, খেজুরের পাত্রে খেজুর আর ঘিয়ের মশকে ঘি রেখে দাও। কেননা আমি সওমরত আছি। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে আমাদেরকে নিয়ে দু’রাকা’আত নাফল সলাত আদায় করলেন। তখন উম্মু সুলাইম ও উম্মু হারাম (রাঃ) আমাদের পেছনে দাঁড়ালেন। বর্ণনাকারী সাবিত বলেন, আমার এটাই মনে পড়ছে যে, আনাস (রাঃ) বলেছেন, তিনি আমাকে তাঁর ডান দিকে একই বিছানায় দাঁড় করালেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৯
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُخْتَارِ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّهُ وَامْرَأَةً مِنْهُمْ فَجَعَلَهُ عَنْ يَمِينِهِ وَالْمَرْأَةَ خَلْفَ ذَلِكَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন তাঁর ও তাদের মধ্যকার একজন মহিলার ইমামতি করলেন। তিনি তাকে তাঁর ডান পাশে এবং ঐ মহিলাকে পেছনে দাঁড় করালেন।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ فِي بَيْتِ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ فَأَطْلَقَ الْقِرْبَةَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ أَوْكَأَ الْقِرْبَةَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ فَقُمْتُ فَتَوَضَّأْتُ كَمَا تَوَضَّأَ ثُمَّ جِئْتُ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَنِي بِيَمِينِهِ فَأَدَارَنِي مِنْ وَرَائِهِ فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মূনাহ (রাঃ) এর ঘরে রাত কাটালাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা উঠে মশকের মুখ খুলে উযু করলেন। তারপর সেটির মুখ বন্ধ করে সলাতে দাঁড়ালেন। আমিও তখন উঠে তাঁর অনুরূপ উযু করে তাঁর বাম পাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার ডান পাশ (বা ডান হাত) ধরে তাঁর পেছন দিক দিয়ে আমাকে ঘুরিয়ে এনে তাঁর ডান পাশে দাঁড় করালেন। এ সময় আমিও তার সাথে সলাত আদায় করলাম।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَأَخَذَ بِرَأْسِي أَوْ بِذُؤَابَتِي فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এ ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার মাথা অথবা মাথার চুল ধরে তাঁর ডান পাশে এনে আমাকে দাঁড় করেন।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। নাফল সলাত জামা’আতে আদায় করা জায়িয।
২। দু জনে জামা’আত হয়।
৩। দুজনের জামা’আতে মুক্তাদী ইমামের ডানদিকে দাঁড়াবে।
৪। সলাতরত অবস্থায় ‘আমালে ইয়াসির বা হালকা কাজ করা জায়িয।
৫। কেউ ইমামতির নিয়্যাত না করলেও তার সাথে সলাত আদায়ে শামিল হওয়া জায়িয আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭১
তিনজন মুক্তাদী হলে তারা কিভাবে দাঁড়াবে?
৬১২
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَدَّتَهُ، مُلَيْكَةَ دَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِطَعَامٍ صَنَعَتْهُ فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ “ قُومُوا فَلأُصَلِّيَ لَكُمْ ” . قَالَ أَنَسٌ فَقُمْتُ إِلَى حَصِيرٍ لَنَا قَدِ اسْوَدَّ مِنْ طُولِ مَا لُبِسَ فَنَضَحْتُهُ بِمَاءٍ فَقَامَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَفَفْتُ أَنَا وَالْيَتِيمُ وَرَاءَهُ وَالْعَجُوزُ مِنْ وَرَائِنَا فَصَلَّى لَنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ صلى الله عليه وسلم .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাঁর নানী মুলায়কাহ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য তৈরি করা খাদ্য খাওয়ার জন্য তাকে দা’ওয়াত করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আহার করার পর বললেনঃ তোমরা দাঁড়াও। আমি তোমাদের নিয়ে সলাত আদায় করব। আনাস বলেন, আমি উঠলাম এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারে কালো হয়ে যাওয়া আমাদের মাদুরটির উপর পানি ঢেলে তা পরিষ্কার করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেটির উপর দাঁড়ালেন। আমি ও ইয়াতীম (ছোট ভাই) তাঁর পেছনে দাঁড়ালাম। আর বৃদ্ধা নানী আমাদের পেছনে দাঁড়ালেন। তিনি আমাদের নিয়ে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করে চলে গেলেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ عَنْتَرَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ اسْتَأْذَنَ عَلْقَمَةُ وَالأَسْوَدُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ وَقَدْ كُنَّا أَطَلْنَا الْقُعُودَ عَلَى بَابِهِ فَخَرَجَتِ الْجَارِيَةُ فَاسْتَأْذَنَتْ لَهُمَا فَأَذِنَ لَهُمَا ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى بَيْنِي وَبَيْنَهُ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَ .
‘আব্দুর রহমান ইবনুল আসওয়াদ (রাঃ) থেকে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলক্বামাহ ও আল-আসওয়াদ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। আমরা দীর্ঘক্ষণ তার দরজায় বসে থাকার পর জনৈক দাসী বের হয়ে আসল। অতঃপর সে (পুনরায় ঘরে ঢুকে ‘আবদুল্লাহর নিকট) তাদের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাদের প্রবেশের অনুমতি দিলেন। অতঃপর তিনি ‘আলক্বামাহ এবং আল-আসওয়াদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি এরূপই করতে দেখেছি।
সহীহঃ মুসলিমে এর কেবল মারফু বর্ণনাটি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭২
সালাম ফিরানোর পর মুক্তাদীদের দিকে ইমামের ঘুরে বসা
৬১৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ إِذَا انْصَرَفَ انْحَرَفَ .
জাবির ইবনু ইয়াযীদ ইবনুল আসওয়াদ থেকে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পেছনে সলাত আদায় করেছি। তিনি সলাত শেষে (আমাদের দিকে) ফিরে বসতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ الْبَرَاءِ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْبَبْنَا أَنْ نَكُونَ عَنْ يَمِينِهِ فَيُقْبِلُ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ صلى الله عليه وسلم .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পেছনে সলাত আদায়কালে তাঁর ডান দিকে থাকতে পছন্দ করতাম। যাতে (সলাত শেষে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে মুখ করে বসেন।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৩
ইমামের নিজ জায়গাতে নাফল সলাত আদায় করা
৬১৬
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يُصَلِّي الإِمَامُ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي صَلَّى فِيهِ حَتَّى يَتَحَوَّلَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ لَمْ يُدْرِكِ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ .
মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমাম ফারয সলাত আদায়ের স্থান হতে সরে অন্যত্র সলাত আদায় করবে না। [৬১৬]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আত্বা আল-খুরাসানী (রাঃ) মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রহঃ) এর সাক্ষাত পাননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৪
সলাতে শেষ রাক‘আতে সাজদাহর পর ইমামের উযু ছুটে গেলে
৬১৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ، وَبَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا قَضَى الإِمَامُ الصَّلاَةَ وَقَعَدَ فَأَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يَتَكَلَّمَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُهُ وَمَنْ كَانَ خَلْفَهُ مِمَّنْ أَتَمَّ الصَّلاَةَ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাতের শেষ পর্যায়ে (শেষ বৈঠকে) বসে কোনরূপ কথা বলার (সালাম ফিরানোর) পূর্বেই যদি ইমামের উযু নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ইমামের সলাত পূর্ণ হয়ে যাবে এবং তার পেছনে সলাত আদায়কারীদেরও সলাত পূর্ণ হয়ে যাবে। [৬১৭]
[৬১৭] তিরমিযি (অধ্যয়ঃ সলাত, অনুঃ তাশাহুদে উযু নষ্ট হলে, হাঃ ৪০৮, ইমাম তিরমিযী বলেন, সানাদটি এভাবে মজবুত নয়, এর সানাদে ইযতিরাব হয়েছে), এবং দারাকুতনী (১/৩৯৭) ‘আবদুর রহমান সূত্রে, ইমাম দারাকুতনী বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ দুর্বল। তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। হাদীস বিশারদগণ তাকে দুর্বল বলেছেন, যাঁদের মধ্যে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান ও ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বালও রয়েছেন। ইমাম খাত্তাবী বলেন, এই হাদীসটি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৬১৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ ” .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ত্বাহারাত (পবিত্রতা) হচ্ছে সলাতের চাবি, তাকবীর হচ্ছে সলাতের তাহরীম, আর হারাম হচ্ছে সলাতের তাহলীল।
হাসান সহীহঃ এটি পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৬১ নং এ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৫
মুক্তাদীকে ইমামের অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে
৬১৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تُبَادِرُونِي بِرُكُوعٍ وَلاَ بِسُجُودٍ فَإِنَّهُ مَهْمَا أَسْبِقْكُمْ بِهِ إِذَا رَكَعْتُ تُدْرِكُونِي بِهِ إِذَا رَفَعْتُ إِنِّي قَدْ بَدَّنْتُ ” .
মু‘আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পূর্বে তোমরা রুকু‘ ও সাজদাহ্ করবে না। আমি যখন তোমাদের পূর্বে রুকু‘তে যাব এবং তোমাদের পূর্বে (রুকু‘ হতে) মাথা তুলব, তখন তোমরা আমার অনুসরণ করবে। কেননা আমি তো এখন কিছুটা ভারী (স্থুল) হয়ে গিয়েছি।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৬২০
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الْخَطْمِيَّ، يَخْطُبُ النَّاسَ قَالَ حَدَّثَنَا الْبَرَاءُ، – وَهُوَ غَيْرُ كَذُوبٍ – أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا رَفَعُوا رُءُوسَهُمْ مِنَ الرُّكُوعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامُوا قِيَامًا فَإِذَا رَأَوْهُ قَدْ سَجَدَ سَجَدُوا .
আবূ ইসহাক্ব থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ)-কে খুতবাহ দানকালে বলতে শুনলাম, আমাদের নিকট অতীব সত্যবাদী আল-বারাআ (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাঁরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে রুকু‘ থেকে মাথা তুলে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সাজদাহ্ করতে দেখলে তাঁরাও সাজদাহয় যেতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২১
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَهَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبَانَ بْنِ تَغْلِبَ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا الْكُوفِيُّونَ، أَبَانُ وَغَيْرُهُ – عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كُنَّا نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلاَ يَحْنُو أَحَدٌ مِنَّا ظَهْرَهُ حَتَّى يَرَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ .
আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করতাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে যতক্ষণ না রুকু‘তে দেখতাম পেতাম, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কেউ রুকু‘তে যেতে পিঠ ঝুঁকাতো না।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২২
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، – يَعْنِي الْفَزَارِيَّ – عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ، أَنَّهُمْ كَانُوا يُصَلُّونَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا رَكَعَ رَكَعُوا وَإِذَا قَالَ “ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ” . لَمْ نَزَلْ قِيَامًا حَتَّى يَرَوْهُ قَدْ وَضَعَ جَبْهَتَهُ بِالأَرْضِ ثُمَّ يَتَّبِعُونَهُ صلى الله عليه وسلم .
মুহারিব ইবনু দিসার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদকে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনলাম, তিনি বলেছেন, আমাদের নিকট আল-বারাআ (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তাঁরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করতেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রুকু‘ করতেন, তখন তারাও রুকু‘ করতেন। তিনি যখন “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলতেন, তখন তাঁরা দাঁড়িয়ে থেকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর প্রতি লক্ষ্য রাখতেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন (সাজদায়) জমিনে কপাল রাখতেন, তখন তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অনুসরণ করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৬
যে ব্যক্তি ইমামের পূর্বে মাথা উঠায় বা নামায় তার ব্যাপারে হুঁশিয়ারী
৬২৩
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَمَا يَخْشَى – أَوْ أَلاَ يَخْشَى – أَحَدُكُمْ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ وَالإِمَامُ سَاجِدٌ أَنْ يُحَوِّلَ اللَّهُ رَأْسَهُ رَأْسَ حِمَارٍ أَوْ صُورَتَهُ صُورَةَ حِمَارٍ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কি ভয় হয় না, ইমাম সাজদাহতে থাকাবস্থায় কেউ মাথা উঠালে আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মাথা অথবা তার আকৃতিকে গাধার আকৃতিতে রূপান্তরিত করে দিতে পারেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ইমাম খাত্তাবী (রহঃ) বলেন, ঐরূপ আচরণকারীদের হুকুম নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি ঐরূপ করবে তার সলাত হবে না।” আহলি ‘ইলমগণ বলেনঃ সে মন্দ কাজ করল, তবে তার সলাত জায়িয হয়ে যাবে। অবশ্য বহু আহলি ‘ইলম তাকে পুনরায় সাজদাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কতিপয় আহলি ‘ইলম বলেছেনঃ সাজদাহ থেকে ইমামের মাথা উত্তোলনের পরও সে যেটুকু সময় ছেড়ে দিয়েছিল সেটুকু সময় পর্যন্ত সাজদাহয় অবস্থান করবে। মূলতঃ সলাতে ইমামের আগে কিছু করা যে কত বড় অন্যায় উপরোক্ত আলোচনায় তাই সুস্পষ্ট। এছাড়া হাদীসে বর্ণিত শাস্তি সম্পর্কে কোন কোন বিদ্বান বলেছেনঃ উক্ত ব্যক্তিকে মূর্খ আখ্যায়িত করার জন্য গাধার সাদৃশ্য করাকে উপমা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ইমামের অনুসরণ ও সলাতের ফারযিয়্যাত সম্পর্কে সে অজ্ঞই রয়ে গেল, যা জানা কিনা তার জন্য ওয়াজিব ছিল। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৭
ইমামের পূর্বে চলে যাওয়া
৬২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ بُغَيْلٍ الْمُرْهِبِيُّ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَضَّهُمْ عَلَى الصَّلاَةِ وَنَهَاهُمْ أَنْ يَنْصَرِفُوا قَبْلَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে সলাত আদায়ে উৎসাহিত করেছেন এবং সলাতের পর তাঁর চলে যাওয়ার পূর্বে তাদের চলে যেতে নিষেধ করেছেন।
সহীহঃ মুসলিমের উৎসাহিত করণের কথাটি বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৮
সলাত বৈধ হওয়ার জন্য যতটুকু কাপড় জরুরী
৬২৫
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ الصَّلاَةِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ أَوَلِكُلِّكُمْ ثَوْبَانِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এক কাপড়ে সলাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের প্রত্যেকের কি দু’টি করে কাপড় আছে?
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يُصَلِّ أَحَدُكُمْ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ لَيْسَ عَلَى مَنْكِبَيْهِ مِنْهُ شَىْءٌ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন কাঁধ খোলা রেখে এক কাপড়ে সলাত আদায় না করে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – الْمَعْنَى – عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فِي ثَوْبٍ فَلْيُخَالِفْ بِطَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقَيْهِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ এক কাপড়ে সলাত আদায় করলে সে যেন কাপড়ের ডান পাশকে বাম কাঁধের উপর এবং বাম পাশকে ডান কাঁধের উপর ঝুলিয়ে রাখে।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُلْتَحِفًا مُخَالِفًا بَيْنَ طَرَفَيْهِ عَلَى مَنْكِبَيْهِ .
‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে একটি কাপড়ে সলাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি কাপড়টি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে উভয় কাঁধের উপর বিপরীতমুখী করে ঝুলিয়ে রাখতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَدِمْنَا عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا تَرَى فِي الصَّلاَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ قَالَ فَأَطْلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِزَارَهُ طَارَقَ بِهِ رِدَاءَهُ فَاشْتَمَلَ بِهِمَا ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى بِنَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَنْ قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ “ أَوَكُلُّكُمْ يَجِدُ ثَوْبَيْنِ ” .
ক্বায়িস ইবনু ত্বালক হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলাম। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর নাবী! একটি কাপড়ে সলাত আদায়ের ব্যাপারে আপনার মতামত কী? বর্ণনাকারী বলেন, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ইযারের উপর চাদর ছেড়ে দিয়ে উভয়টিকে একত্র করে গায়ে জড়িয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সলাত আদায় করালেন। সলাত শেষে তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের দু’টি করে কাপড় আছে কি?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৯
যে ব্যক্তি তার ঘাড়ের পেছনে কাপড় বেঁধে সলাত আদায় করে
৬৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ الرِّجَالَ عَاقِدِي أُزُرِهِمْ فِي أَعْنَاقِهِمْ مِنْ ضِيقِ الأُزُرِ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ كَأَمْثَالِ الصِّبْيَانِ فَقَالَ قَائِلٌ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ لاَ تَرْفَعْنَ رُءُوسَكُنَّ حَتَّى يَرْفَعَ الرِّجَالُ .
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পেছনে লোকদেরকে সংকীর্ণ ইযারের কারণে তা বালকদের ন্যায় ঘাড়ে বেঁধে সলাত আদায় করতে দেখেছি। এমতাবস্থায় একজন বলল, হে সমবেত নারী সমাজ! পুরুষরা মাথা না তোলা পর্যন্ত তোমরা মাথা তুল না।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮০
কোন সলাত আদায়কারীর কাপড়ের অংশ বিশেষ অন্যের গায়ে থাকা
৬৩১
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ بَعْضُهُ عَلَىَّ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি কাপড়ে সলাত আদায় করলেন। সেটির কিছু অংশ আমার গায়ে ছিল।
সহীহঃ মুসলিম। এটি গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮১
যে ব্যক্তি একটি জামা পরিধান করে সলাত আদায় করে
৬৩২
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ أَصِيدُ أَفَأُصَلِّي فِي الْقَمِيصِ الْوَاحِدِ قَالَ “ نَعَمْ وَازْرُرْهُ وَلَوْ بِشَوْكَةٍ ” .
সালামাহ ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি শিকার করে থাকি। আমি কি একটি জামা পরে সলাত আদায় করতে পারি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তবে একটি কাঁটা হলেও তা বেধেঁ নাও (যেন লজ্জাস্থান দেখা না যায়)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৬৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي حَوْمَلٍ الْعَامِرِيِّ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ وَالصَّوَابُ أَبُو حَرْمَلٍ عَنْ – مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَمَّنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِي قَمِيصٍ لَيْسَ عَلَيْهِ رِدَاءٌ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي قَمِيصٍ .
মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুর রহমান আবূ বাকর হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) গায়ে কোন চাদর না জড়িয়েই একটি মাত্র জামা পরে আমাদের ইমামতি করলেন। অতঃপর সলাত শেষে তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে একটি জামা পরে সলাত আদায় করতে দেখেছি। [৬৩৩]
[৬৩৩] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদের আবূ হাওমালকে হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে অজ্ঞাত বলেছেন। আল্লামা মুনযিরী বলেনঃ ‘আবদুর রহমান ইবনু রহমান আবূ বাকর হচ্ছে আল-মুলায়কী। তাই তার হাদীস দ্বারা দলীল দেয়া যাবে না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮২
কাপড় সংকীর্ণ হলে তা লুঙ্গি হিসাবে পরিধান করবে
৬৩৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ الْفَضْلِ السِّجِسْتَانِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ – حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُجَاهِدٍ أَبُو حَزْرَةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ أَتَيْنَا جَابِرًا – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ – قَالَ سِرْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ فَقَامَ يُصَلِّي وَكَانَتْ عَلَىَّ بُرْدَةٌ ذَهَبْتُ أُخَالِفُ بَيْنَ طَرَفَيْهَا فَلَمْ تَبْلُغْ لِي وَكَانَتْ لَهَا ذَبَاذِبُ فَنَكَسْتُهَا ثُمَّ خَالَفْتُ بَيْنَ طَرَفَيْهَا ثُمَّ تَوَاقَصْتُ عَلَيْهَا لاَ تَسْقُطُ ثُمَّ جِئْتُ حَتَّى قُمْتُ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ بِيَدِي فَأَدَارَنِي حَتَّى أَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ فَجَاءَ ابْنُ صَخْرٍ حَتَّى قَامَ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَنَا بِيَدَيْهِ جَمِيعًا حَتَّى أَقَامَنَا خَلْفَهُ قَالَ وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمُقُنِي وَأَنَا لاَ أَشْعُرُ ثُمَّ فَطِنْتُ بِهِ فَأَشَارَ إِلَىَّ أَنْ أَتَّزِرَ بِهَا فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يَا جَابِرُ ” . قَالَ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ ” إِذَا كَانَ وَاسِعًا فَخَالِفْ بَيْنَ طَرَفَيْهِ وَإِذَا كَانَ ضَيِّقًا فَاشْدُدْهُ عَلَى حِقْوِكَ ” .
‘উবাদাহ ইবনুল ওয়ালীদ ইবনু ‘উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে একটি যুদ্ধে যাই। তিনি সলাত আদায় করতে দাঁড়ালেন। তখন আমার গায়ে একটি চাদর ছিল। আমি সেটির দু’ প্রান্ত দু’ কাঁধের উপর রাখার চেষ্টা করছিলাম। (চাদরটি ছোট হওয়ায়) সেটি দিয়ে আমার শরীর (বা কাঁধ) ঢাকা যাচ্ছিল না। অবশ্য চাদরটিতে আঁচল লাগানো ছিল। আমি তা উল্টে নিয়ে দু’ বিপরীত দিকে দু’ কাঁধের উপর তার দু’ মাথা ফেলে দিলাম। তারপর আমি কিছুটা ঝুঁকে গিয়ে তা চিবুক দিয়ে চেপে ধরলাম, যেন পড়ে না যায়। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাম পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি আমার হাত ধরে আমাকে ঘুরিয়ে এনে তাঁর ডান পাশে দাঁড় করালেন। পরে ইবনু শাখরা এসে তাঁর পাশে দাঁড়ালো। তিনি তাঁর দু’হাতে আমাদের উভয় হাত ধরে তাঁর পেছনে দাঁড় করিয়ে দিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার প্রতি লক্ষ্য করছিলেন। অথচ আমি বুঝতেই পারিনি, অবশ্য পরে বুঝেছি। তিনি ইশারায় আমাকে বললেনঃ ওটাকে ‘তহবন্দ’ বানিয়ে নাও। সলাত আদায় শেষে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে জাবির! আমি বললামঃ আমি উপস্থিত, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, চাদর প্রশস্ত হলে সেটির দু’ মাথা বিপরীতভাবে দু’ কাঁধের উপর দিবে। পক্ষান্তরে চাদর ছোট হলে সেটি কোমরে বেঁধে নিবে।
সহীহঃ মুসলিম, বুখারী সংক্ষেপে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৫
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ قَالَ عُمَرُ رضى الله عنه “ إِذَا كَانَ لأَحَدِكُمْ ثَوْبَانِ فَلْيُصَلِّ فِيهِمَا فَإِنْ لَمْ يَكُنْ إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ فَلْيَتَّزِرْ بِهِ وَلاَ يَشْتَمِلِ اشْتِمَالَ الْيَهُودِ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন অথবা ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, তোমাদের নিকট কারো দু’টি কাপড় থাকলে সে যেন ঐগুলো পরেই সলাত আদায় করে। আর একটি মাত্র কাপড় থাকলে সে যেন তা কোমরে বেঁধে নেয় এবং ইয়াহূদীদের ন্যায় দু’ কাঁধে ঝুলিয়ে না রাখে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الذُّهْلِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، يَحْيَى بْنُ وَاضِحٍ حَدَّثَنَا أَبُو الْمُنِيبِ، عُبَيْدُ اللَّهِ الْعَتَكِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُصَلَّى فِي لِحَافٍ لاَ يَتَوَشَّحُ بِهِ وَالآخَرُ أَنْ يُصَلَّى فِي سَرَاوِيلَ وَلَيْسَ عَلَيْكَ رِدَاءٌ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরায়দাহ (রাঃ) থেকে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন একটি মাত্র চাদরে সলাত আদায় করতে, যা দেহ আবৃত করে না। তিনি আরো নিষেধ করেছেন, গায়ে চাদর না জড়িয়ে কেবল পাজামা পরে সলাত আদায় করতে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৩
সলাতের মধ্যে কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া
৬৩৭
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ أَسْبَلَ إِزَارَهُ فِي صَلاَتِهِ خُيَلاَءَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي حِلٍّ وَلاَ حَرَامٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا جَمَاعَةٌ عَنْ عَاصِمٍ مَوْقُوفًا عَلَى ابْنِ مَسْعُودٍ مِنْهُمْ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ وَأَبُو الأَحْوَصِ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ .
ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ সলাতের মধ্যে স্বীয় বস্ত্র (পাজামা/লুঙ্গি/প্যান্ট ইত্যাদি পায়ের গিরার নিচে) ঝুলিয়ে রাখে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হালাল করবেন না এবং জাহান্নামও হারাম করবেন না।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, একদল বর্ণনাকারী (যেমন হাম্মাদ ইবনু সালামাহ, হাম্মাদ ইবনু যায়িদ, আবূল আহওয়াস, আবূ মু‘আবিয়াহ প্রমুখ) ‘আসিম সূত্রে ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর বক্তব্যরূপে মাওকুফভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يُصَلِّي مُسْبِلاً إِزَارَهُ إِذْ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اذْهَبْ فَتَوَضَّأْ ” . فَذَهَبَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ جَاءَ ثُمَّ قَالَ ” اذْهَبْ فَتَوَضَّأْ ” . فَذَهَبَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ أَمَرْتَهُ أَنَّ يَتَوَضَّأَ فَقَالَ ” إِنَّهُ كَانَ يُصَلِّي وَهُوَ مُسْبِلٌ إِزَارَهُ وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لاَ يَقْبَلُ صَلاَةَ رَجُلٍ مُسْبِلٍ إِزَارَهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি স্বীয় লুঙ্গি (পায়ের গিরার নিচে) ঝুলিয়ে সলাত আদায় করছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ যাও, উযু করে আস। সে উযু করে এলে তিনি আবার বললেনঃ যাও, উযু করে আস। সে পুনরায় উযু করে আসল। একজন বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তাকে (উযু থাকাবস্থায় পুনরায়) উযু করতে কেন বললেন? তিনি বললেন, সে তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে সলাত আদায় করছিল। মহান আল্লাহ (পায়ের গিরার নিচে) লুঙ্গি ঝুলিয়ে সলাত আদায়কারীর সলাত ক্ববুল করেন না। [৬৩৮]
[৬৩৮] আহমাদ (৪/৬৭)। এর সানাদে আবূ জা’ফার ও ইয়াহইয়া ইবনু কাসীর আনসারী অজ্ঞাত। যেমন ইবনু কাত্তান বলেছেন। আর হাফিয বলেছেন, হাদীস বর্ণনায় শিথিল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৪
মহিলারা কয়টি কাপড় পরে সলাত আদায় করবে
৬৩৯
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ قُنْفُذٍ، عَنْ أُمِّهِ، أَنَّهَا سَأَلَتْ أُمَّ سَلَمَةَ مَاذَا تُصَلِّي فِيهِ الْمَرْأَةُ مِنَ الثِّيَابِ فَقَالَتْ تُصَلِّي فِي الْخِمَارِ وَالدِّرْعِ السَّابِغِ الَّذِي يُغَيِّبُ ظُهُورَ قَدَمَيْهَا .
মুহাম্মাদ ইবনু যায়িদ ইবনু কুনফুয হতে তার মাতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তার মাতা উম্মু সালামাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, মহিলারা কয়টি কাপড় পরে সলাত আদায় করবে? তিনি বললেন, একটি ওড়না এবং একটি জামা পরেই সলাত আদায় করতে পারবে। তবে জামাটি এরূপ লম্বা হবে যা দিয়ে পায়ের উপরিভাগ ঢেকে যাবে। [৬৩৯]
[৬৩৯] মালিক (অধ্যায়ঃ জামা‘আতে সলাত, অনুঃ মেয়েদের জন্য জামা ও ওড়না পরিধান করে সলাত আদায়ের অনুমতি)। ইবনু ‘আবদুল বার ‘আল ইসতিজকার’ গ্রন্থে বলেন, মুয়াত্তা গ্রন্থে বর্ণিত হাদীসটি মাওকুফ। একে মারফূ বানিয়েছেন ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু সীনার, মুহাম্মাদ ইবনু যায়িদ হতে তার মাতার সূত্রে ইবনু সালামাহ থেকে। শায়খ আলবানী বলেন, যঈফ মাওকুফ। ইমাম যায়লা’য়ী একে ‘নাসবুর রায়াহ’ গ্রন্থে (১/৩০০) উল্লেখ করে বলেন, ইমাম দারাকুতনীকে জিজ্ঞেস করা হল এ হাদীস সম্পর্কে ‘আল ইলাল’ গ্রন্থে, তিনি বললেন, এটি বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবনু যায়িদ ইবনুল মুহাজির তার মাতার সূত্রে উম্মু সালামাহ থেকে। তার সূত্রে এটি মারফূ হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল মাওকুফ
- সরাসরি
৬৪০
حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَتُصَلِّي الْمَرْأَةُ فِي دِرْعٍ وَخِمَارٍ لَيْسَ عَلَيْهَا إِزَارٌ قَالَ “ إِذَا كَانَ الدِّرْعُ سَابِغًا يُغَطِّي ظُهُورَ قَدَمَيْهَا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَبَكْرُ بْنُ مُضَرَ وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ وَابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أُمِّهِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ لَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَصَرُوا بِهِ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ رضى الله عنها .
মুহাম্মাদ ইবনু যায়িদ উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলেন, মহিলারা ইযার ছাড়া কেবল একটি জামা ও একটি ওড়না পরে সলাত আদায় করতে পারবে কি? তিনি বললেনঃ জামাটি যদি এরূপ লম্বা হয়, যা দিয়ে পায়ের পাতা ঢেকে যায় (তাহলে সেটা পরে সলাত আদায় করতে পারবে)।
দুর্বল : মিশকাত ৭৬৩
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি মালিক ইবনু আনাস, বাক্র ইবনু মুদার, হাফ্স ইবনু গিয়াস, ইসমাঈল ইবনু জা‘ফর, ইবনু আবূ যি’ব ও আবূ ইসহাক্ব- মুহাম্মদ ইবনু যায়িদ হতে তার মাতা থেকে উম্মু সালামাহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাদের কেউই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নাম উল্লেখ করেননি। [৬৪০]
[৬৪০] হাকিম (১/২৫০) এবং তিনি বলেন, এটি বুখারীর শর্তে সহীহ। ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। ইমাম যায়লায়ী একে ‘নাসবুর রায়াহ’ গ্রন্থে (১/২৯৯, ৩০১) বর্ণনা করেছেন এবং ইবনুল জাওযী এর তাহক্বীকে বলেছেন, এই হাদীসের সমালোচনা আছে। তা হচ্ছে, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনারকে ইয়াহইয়া দুর্বল বলেছেন। আর আবূ হাতিম রাযী বলেছেন, তার দ্বারা দলীল দেয়া যাবে না এবং বাহ্যিকভাবেই তিনি এ হাদীসটিকে মারফূ করে ভুল করেছেন। ‘আত-তানক্বীহ’ গ্রন্থকার বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার থেকে বুখারী বর্ণনা করেছেন এবং কেউ কেউ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। কিন্তু তিনি এ হাদীসকে মারফূ করতে গিয়ে ভুল করেছেন। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, তিনি সত্যবাদী, কিন্তু ভুল করতেন।
মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, একদল একে উম্মু সালামাহ্র মাওকূফ বর্ণনা বলে উল্লেখ করেছেন। আর এটাই সঠিক, অর্থাৎ মাওকূফ। কিন্তু সানাদটি মারফূ ও মাওকূফ কোনভাবেই সহীহ নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৫
ওড়না ছাড়া মহিলাদের সলাত আদায় করা
৬৪১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ سَعِيدٌ – يَعْنِي ابْنَ أَبِي عَرُوبَةَ – عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা ওড়না ছাড়া সলাত আদায় করলে আল্লাহ তার সলাত ক্ববূল করেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، نَزَلَتْ عَلَى صَفِيَّةَ أُمِّ طَلْحَةَ الطَّلَحَاتِ فَرَأَتْ بَنَاتٍ لَهَا فَقَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ وَفِي حُجْرَتِي جَارِيَةٌ فَأَلْقَى لِي حِقْوَهُ وَقَالَ “ شُقِّيهِ بِشَقَّتَيْنِ فَأَعْطِي هَذِهِ نِصْفًا وَالْفَتَاةَ الَّتِي عِنْدَ أُمِّ سَلَمَةَ نِصْفًا فَإِنِّي لاَ أُرَاهَا إِلاَّ قَدْ حَاضَتْ أَوْ لاَ أُرَاهُمَا إِلاَّ قَدْ حَاضَتَا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ هِشَامٌ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ .
মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশা (রাঃ) ত্বালহার মা সাফিয়্যাহ্র নিকট যান। সেখানে তিনি সাফিয়্যাহ্র মেয়েদের দেখতে পেয়ে বললেনঃ একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ঘরে প্রবেশ করেন। তখন আমার ঘরে একটি বালিকা ছিল। তিনি আমাকে তার একখানা লুঙ্গি দিয়ে বললেনঃ এটিকে দু’ টুকরা করে এক টুকরা এই বালিকাকে এবং আরেক টুকরা উম্মু সালামাহ্র নিকট যে বালিকা রয়েছে তাকে দাও। কারণ আমি তাকে অথবা তাদের উভয়কে প্রাপ্তবয়স্কা মনে করি।
দুর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে হিশাম এরূপই বর্ণনা করেছেন। [৬৪২]
[৬৪২] আহমাদ (৬/৯৬, ২৩৮), বায়হাক্বী (৬/৫৭) মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন সূত্রে। মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন হাদীসটি ‘আয়িশাহ থেকে শুনেননি, যেমন ‘তাহযীবুত তাহযীব’ গ্রন্থে (৯/১৯২) রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৬
সলাতরত অবস্থায় কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া
৬৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ عَطَاءٍ، – قَالَ إِبْرَاهِيمُ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ السَّدْلِ فِي الصَّلاَةِ وَأَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ فَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عِسْلٌ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ السَّدْلِ فِي الصَّلاَةِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের সময় কাপড় উপর থেকে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিতে ও মুখ ঢেকে রাখতে নিষেধ করেছেন।
হাসান।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘ইস্ল ‘আত্বা (রহঃ) হতে আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের সময় কাপড় ঝুলিয়ে দিতে নিষেধ করেছেন।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৬৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ الطَّبَّاعِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَكْثَرُ مَا رَأَيْتُ عَطَاءً يُصَلِّي سَادِلاً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا يُضَعِّفُ ذَلِكَ الْحَدِيثَ .
ইবনু জুরায়িজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আত্বা (রহঃ)-কে অধিকাংশ সময় কাপড় ঝুলিয়ে সলাত আদায় করতে দেখেছি। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আত্বা (রহঃ)-এর এরূপ আচরণ আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর হাদীসকে দুর্বল করে দেয়। [644]
[644] আবূ দাউদ (১/১২৬)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৭
মহিলাদের পরিধেয় বস্ত্রের (অংশ বিশেষের) উপর সলাত আদায়
৬৪৫
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَشْعَثُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي ابْنَ سِيرِينَ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يُصَلِّي فِي شُعُرِنَا أَوْ لُحُفِنَا . قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ شَكَّ أَبِي .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পরিধেয় কাপড় বা লেপের উপর সলাত আদায় করতেন না।
সহীহঃ এটি পূর্বেই উক্ত হয়েছে ৩৬৭
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৮
চুলের ঝুটি বেঁধে পুরুষের সলাত আদায় করা
৬৪৬
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ رَأَى أَبَا رَافِعٍ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ وَهُوَ يُصَلِّي قَائِمًا وَقَدْ غَرَزَ ضُفُرَهُ فِي قَفَاهُ فَحَلَّهَا أَبُو رَافِعٍ فَالْتَفَتَ حَسَنٌ إِلَيْهِ مُغْضَبًا فَقَالَ أَبُو رَافِعٍ أَقْبِلْ عَلَى صَلاَتِكَ وَلاَ تَغْضَبْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ ذَلِكَ كِفْلُ الشَّيْطَانِ ” . يَعْنِي مَقْعَدَ الشَّيْطَانِ يَعْنِي مَغْرِزَ ضُفُرِهِ .
সাঈদ ইবনু আবূ সাঈদ আল-মাক্ববূরী থেকে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মুক্ত দাস আবূ রাফি‘কে হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ)-এর পাশ দিয়ে যেতে দেখলেন। তখন তিনি (হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ)) গর্দানের পেছনে চুলের ঝুটি বেঁধে সলাত আদায় করছিলেন। আবূ রাফি‘ (রাঃ) বাঁধন খুলে দিলে হাসান (রাঃ) তার প্রতি রাগের দৃষ্টিতে তাকালেন। আবূ রাফি‘ বলেন, আগে সলাত আদায় শেষ করুন, রাগ করবেন না। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি : এটা (চুলের ঝুটি) হচ্ছে শাইত্বানের ঘাঁটিবিশেষ, অর্থাৎ শাইত্বানের আড্ডাখানা।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৬৪৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ أَنَّ كُرَيْبًا مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَأَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ يُصَلِّي وَرَأْسُهُ مَعْقُوصٌ مِنْ وَرَائِهِ فَقَامَ وَرَاءَهُ فَجَعَلَ يَحُلُّهُ وَأَقَرَّ لَهُ الآخَرُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ مَا لَكَ وَرَأْسِي قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّمَا مَثَلُ هَذَا مَثَلُ الَّذِي يُصَلِّي وَهُوَ مَكْتُوفٌ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু হারিসকে মাথার চুল পেছন দিক থেকে বাঁধা অবস্থায় সলাত আদায় করতে দেখলেন। ফলে তিনি তার পেছনে দাঁড়িয়ে তা খুলতে লাগলে তিনি চুপ করে থাকলেন। সলাত শেষে তিনি ইবনু ‘আব্বাসকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনি আমার মাথা স্পর্শ করলেন কেন? তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ এভাবে পেছনে চুলের ঝুটি বেঁধে সলাত আদায়কারীর উপমা হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে তার হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় সলাত আদায় করে।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৯
জুতা পরে সলাত আদায়
৬৪৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ ابْنِ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي يَوْمَ الْفَتْحِ وَوَضَعَ نَعْلَيْهِ عَنْ يَسَارِهِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনুস সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখেছি মাক্কাহ বিজয়ের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জুতাজোড়া তাঁর বাম পাশে রেখে সলাত আদায় করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪৯
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَأَبُو عَاصِمٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ سُفْيَانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُسَيَّبِ الْعَابِدِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ بِمَكَّةَ فَاسْتَفْتَحَ سُورَةَ الْمُؤْمِنِينَ حَتَّى إِذَا جَاءَ ذِكْرُ مُوسَى وَهَارُونَ – أَوْ ذِكْرُ مُوسَى وَعِيسَى ابْنُ عَبَّادٍ يَشُكُّ أَوِ اخْتَلَفُوا – أَخَذَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُعْلَةٌ فَحَذَفَ فَرَكَعَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ السَّائِبِ حَاضِرٌ لِذَلِكَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনুস সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ বিজয়ের দিন আমাদের ফাজ্রের সলাত আদায় করালেন। সলাতে তিনি সূরাহ আল-মু’মিনূন হতে তিলাওয়াত শুরু করলেন। তিনি যখন মূসা (আঃ) ও হারূন (আঃ) অথবা মূসা (আঃ) ও ঈসা (আঃ)-এর কাহিনী পর্যন্ত পৌছলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাশি আরম্ভ হয়। তিনি ক্বিরাআত ছেড়ে দিয়ে রুকু‘ করলেন। সে সময় ‘আবদুল্লাহ ইবনুস সায়িব সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সহীহঃ মুসলিম, বুখারী মু‘আল্লাক্বভাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫০
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي نَعَامَةَ السَّعْدِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِأَصْحَابِهِ إِذْ خَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عَنْ يَسَارِهِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْقَوْمُ أَلْقَوْا نِعَالَهُمْ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ ” مَا حَمَلَكُمْ عَلَى إِلْقَائِكُمْ نِعَالَكُمْ ” . قَالُوا رَأَيْنَاكَ أَلْقَيْتَ نَعْلَيْكَ فَأَلْقَيْنَا نِعَالَنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ جِبْرِيلَ صلى الله عليه وسلم أَتَانِي فَأَخْبَرَنِي أَنَّ فِيهِمَا قَذَرًا ” . وَقَالَ ” إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَلْيَنْظُرْ فَإِنْ رَأَى فِي نَعْلَيْهِ قَذَرًا أَوْ أَذًى فَلْيَمْسَحْهُ وَلْيُصَلِّ فِيهِمَا ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহাবীদের নিয়ে সলাত আদায়কালে তাঁর জুতাজোড়া খুলে তাঁর বাম পাশে রেখে দিলেন। এ দৃশ্য দেখে লোকেরাও তাদের জুতা খুলে রাখল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শেষে বললেনঃ তোমরা তোমাদের জুতা খুললে কেন? তারা বলল, আপনাকে আপনার জুতাজোড়া খুলে রাখতে দেখে আমরাও আমাদের জুতা খুলে রেখেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসে আমাকে জানালেন, আপনার জুতাজোড়ায় অপবিত্র বস্তু লেগে আছে। তিনি আরো বললেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন তার জুতাজোড়া দেখে নেয়। তাতে অপবিত্র বস্তু দেখতে পেলে যেন জমিনে তা ঘষে নিয়ে পরিধান করে সলাত আদায় করে।
হাদীস থেকে শিক্ষা :
১। জুতা পরে সলাত আদায় শারী‘আত সম্মত।
২। জুতায় লেগে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করলেই তা পাক হয়ে যায়।
৩। ‘আমালে ইয়াসির বা হালকা কাজে সলাত নষ্ট হয় না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫১
حَدَّثَنَا مُوسَى، – يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ – حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنِي بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا قَالَ ” فِيهِمَا خَبَثًا ” . قَالَ فِي الْمَوْضِعَيْنِ ” خَبَثًا ” .
বাকর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত আছে। তাতে (‘কাযার’ শব্দের পরিবর্তে) দু’ জায়গাতে ‘খুবসুন’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ مَيْمُونٍ الرَّمْلِيِّ، عَنْ يَعْلَى بْنِ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَالِفُوا الْيَهُودَ فَإِنَّهُمْ لاَ يُصَلُّونَ فِي نِعَالِهِمْ وَلاَ خِفَافِهِمْ ” .
ই‘য়ালা ইবনু শাদ্দাদ ইবনু আওস থেকে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ইয়াহূদীদের বিপরীত কর। তারা জুতা ও মোজা পরে সলাত আদায় করে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৩
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي حَافِيًا وَمُنْتَعِلاً .
‘আমর ইবনু শু‘আইব (রাঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে কখনো খালি পায়ে আবার কখনো জুতা পরে সলাত আদায় করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯০
মুসল্লি তার জুতা খুলে কোথায় রাখবে?
৬৫৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ رُسْتُمَ أَبُو عَامِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلاَ يَضَعْ نَعْلَيْهِ عَنْ يَمِينِهِ وَلاَ عَنْ يَسَارِهِ فَتَكُونَ عَنْ يَمِينِ غَيْرِهِ إِلاَّ أَنْ لاَ يَكُونَ عَنْ يَسَارِهِ أَحَدٌ وَلْيَضَعْهُمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন সলাত আদায়কালে জুতা খুলে তার ডান পাশে ও বাম পাশে না রাখে। কারণ তা অন্যের ডান পাশে হবে। অবশ্য বাম পাশে কেউ না থাকলে (রাখতে পারবে)। তবে জুতাজোড়া উভয় পায়ের মধ্যখানে রাখাই শ্রেয়।
হাদীস থেকে শিক্ষা :
১। অপর ভাইয়ের অসুবিধা হয় এমন কাজ পরিহার করা বা এড়িয়ে চলা উচিত।
২। সাধারণতঃ আদব হচ্ছে, কষ্টদায়ক কোন জিনিস মানুষের ডান দিকে না রাখা।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৬৫৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، وَشُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَخَلَعَ نَعْلَيْهِ فَلاَ يُؤْذِ بِهِمَا أَحَدًا لِيَجْعَلْهُمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَوْ لِيُصَلِّ فِيهِمَا ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সলাত আদায়কালে জুতা খুলে যেন এমন জায়গায় না রাখে যাতে অন্যের কষ্ট হয়। বরং জুতাজোড়া যেন দু’ পায়ের মাঝখানে রেখে দেয় অথবা তা পরেই সলাত আদায় করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯১
ছোট চাটাইয়ের উপর সলাত আদায় করা
৬৫৬
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، حَدَّثَتْنِي مَيْمُونَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا حِذَاءَهُ وَأَنَا حَائِضٌ وَرُبَّمَا أَصَابَنِي ثَوْبُهُ إِذَا سَجَدَ وَكَانَ يُصَلِّي عَلَى الْخُمْرَةِ .
মায়মূনাহ বিনতুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করতেন, তখন আমি হায়িয অবস্থায় তাঁর পাশে অবস্থান করতাম। তাঁর সাজদাহ্কালে কখনো তাঁর কাপড় আমার গায়ে লেগে যেত। তিনি (খেজুর পাতার ছোট) চাটাইয়ের উপরও সলাত আদায় করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯২
চাটাইয়ের উপর সলাত আদায় করা
৬৫৭
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ ضَخْمٌ – وَكَانَ ضَخْمًا – لاَ أَسْتَطِيعُ أَنْ أُصَلِّيَ مَعَكَ – وَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا وَدَعَاهُ إِلَى بَيْتِهِ – فَصَلِّ حَتَّى أَرَاكَ كَيْفَ تُصَلِّي فَأَقْتَدِيَ بِكَ . فَنَضَحُوا لَهُ طَرَفَ حَصِيرٍ كَانَ لَهُمْ فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ . قَالَ فُلاَنُ بْنُ الْجَارُودِ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَكَانَ يُصَلِّي الضُّحَى قَالَ لَمْ أَرَهُ صَلَّى إِلاَّ يَوْمَئِذٍ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক আনসারী বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি স্থুলদেহী। সেজন্য আপনার সাথে (জামা’আতে) সলাত আদায়ে আমি সক্ষম নই। একদা ঐ লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য খানা তৈয়ার করে তাকে তার বাড়িতে যেতে আহবান করল এবং বলল, হে আল্লাহর রসূল! এখানে সলাত আদায় করুন। যেন আমি জেনে নিতে পারি, আপনি কিভাবে সলাত আদায় করেন। অতঃপর আমি সেভাবেই আপনার অনুসরণ করব। অতঃপর লোকেরা তাঁর জন্য একটি বড় চাটাইয়ের একাংশ ধৌত করার পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে দাঁড়িয়ে দু’রাক’আত সলাত আদায় করলেন। ইবনুল জারূদ (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি চাশ্তের সলাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, আমি তাকে ঐদিন ছাড়া আর কোনদিন ঐ (সময়) সলাত আদায় করতে দেখিনি।
সহীহঃ বুখারীতে (………) তার কথাটি বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৮
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ سَعِيدٍ الذَّرَّاعُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَزُورُ أُمَّ سُلَيْمٍ فَتُدْرِكُهُ الصَّلاَةُ أَحْيَانًا فَيُصَلِّي عَلَى بِسَاطٍ لَنَا وَهُوَ حَصِيرٌ نَنْضَحُهُ بِالْمَاءِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাঝেমধ্যে উম্মু সুলাইম (রাঃ)-কে দেখতে যেতেন। সেখানে কখনো সলাতের সময় হয়ে গেলে তিনি আমাদের (খেজুর পাতার তৈরী) মাদুরের উপর সলাত আদায় করে নিতেন। উম্মু সুলাইম (রাঃ) সেটিকে পানি দিয়ে ধুয়ে দিতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫৯
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – بِمَعْنَى الإِسْنَادِ وَالْحَدِيثِ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عَلَى الْحَصِيرِ وَالْفَرْوَةِ الْمَدْبُوغَةِ .
মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (খেজুর পাতার তৈরী) চাটাই ও প্রক্রিয়াজাত চামড়ার উপর সলাত আদায় করতেন। [৬৫৯]
৬৫৯ আহমাদ (৪/২৫৪), ইবনু খুযাইমাহ(১০০৬), হাকিম (১/২৫৯)। ইমাম হাকিম বলেন, এ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। তবে তাঁরা এটি (……) উল্লেখ করে বর্ণনা করেননি। ইমাম মুসলিম আবূ সাঈদ হতে চাটাইয়ের উপর সলাত আদায়ের বর্ণনা এনেছেন। ইমাম যাহাবী তাঁর সাথে একমত পোষণ করে বলেন, মুসলিমের শর্ত মোতাবেক। এবং বায়হাক্বী (২/৪২০), সকলে ইউনুস ইবনুল হারিস সূত্রে। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন, দুর্বল। আর হাকিম এবং তার অনুসরণে যাহাবী কতৃর্ক সানাদকে বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক বলাটা তাদের ধারনা মাত্র। সানাদের ইউনূস দুর্বল। তিনি সহীহাইনের রিজালাভুক্ত নন। অতএব চিন্তা করুন। আওনুল মা’বুদে রয়েছেঃ আল্লামা মুনযিরী বলেন, সানাদে আবূ আওন হচ্ছে মুহাম্মদ ইবনু উবাইদুল্লাহ সাক্বাফী। আবূ হাতিম বলেন, তিনি অজ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৩
কোন ব্যক্তি তার (পরিহিত) কাপড়ে সাজদাহ্ করলে
৬৬০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ – حَدَّثَنَا غَالِبٌ الْقَطَّانُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنَّا نُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شِدَّةِ الْحَرِّ فَإِذَا لَمْ يَسْتَطِعْ أَحَدُنَا أَنْ يُمَكِّنَ وَجْهَهُ مِنَ الأَرْضِ بَسَطَ ثَوْبَهُ فَسَجَدَ عَلَيْهِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা প্রচন্ড গরমকালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করতাম। তখন আমাদের কেউ গরমের কারণে জমিনে সাজদাহ্ করতে না পারলে পরিধেয় বস্ত্রের উপর সাজদাহ্ করত।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ মুসল্লীর জন্য স্বীয় কপালের নীচে কাপড় রেখে তার উপর সাজদাহ্ করা জায়িয।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৪
কাতার সোজা করা
৬৬১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشَ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، فِي الصُّفُوفِ الْمُقَدَّمَةِ فَحَدَّثَنَا عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرْفَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَلاَ تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهِمْ جَلَّ وَعَزَّ ” . قُلْنَا وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهِمْ قَالَ ” يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الْمُقَدَّمَةَ وَيَتَرَاصُّونَ فِي الصَّفِّ ” .
জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) যেরূপ তাদের প্রতিপালকের নিকট কাতারবদ্ধ হয়ে থাকে তোমরা কি সেরূপ কাতারবদ্ধ হবে না? আমরা বললাম, মালায়িকাহ্ তাদের প্রতিপালকের নিকট কিরূপে কাতারবদ্ধ হয়? তিনি বললেন, সর্বাগ্রে তারা প্রথম কাতার পূর্ণ করে, তারপর পর্যায়ক্রমে পরবর্তী কাতারগুলো এবং তারা কাতারে পরস্পর মিলে মিলে দাঁড়ায়।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي الْقَاسِمِ الْجَدَلِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى النَّاسِ بِوَجْهِهِ فَقَالَ ” أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ” . ثَلاَثًا ” وَاللَّهِ لَتُقِيمُنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ ” . قَالَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَرُكْبَتَهُ بِرُكْبَةِ صَاحِبِهِ وَكَعْبَهُ بِكَعْبِهِ .
আবূল ক্বাসিম আল-জাদালী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমবেত লোকদের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনবার বললেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারসমুহ সোজা কর। আল্লাহর শপথ! অবশ্যই তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করে দাঁড়াও। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে মতানৈক্য সৃষ্টি করে দিবেন। বর্ণনাকারী নু’মান (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি এক লোককে দেখলাম, সে তার সঙ্গীর কাঁধের সাথে নিজের কাঁধ, তার হাঁটুর সাথে নিজের হাঁটু এবং তার গোড়ালির সাথে নিজের গোড়ালি মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম, কাতারসমূহ সোজা করার নির্দেশ বাক্য যোগে। আর কাঁধের সাথে কাঁধ মিলানোর বাক্যটি বুখারী তা’লীক্বভাবে বর্ণনা করেছেন আনাস সূত্রে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُسَوِّينَا فِي الصُّفُوفِ كَمَا يُقَوَّمُ الْقِدْحُ حَتَّى إِذَا ظَنَّ أَنْ قَدْ أَخَذْنَا ذَلِكَ عَنْهُ وَفَقِهْنَا أَقْبَلَ ذَاتَ يَوْمٍ بِوَجْهِهِ إِذَا رَجُلٌ مُنْتَبِذٌ بِصَدْرِهِ فَقَالَ “ لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ ” .
সিমাক ইবনু হারব থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে কাতারবদ্ধ করতেন এমন সোজা করে যেরূপ তীরের ফলা সোজা করা হয়। এমনকি তিনি যখন বুঝতে পারলেন, আমরা এ সম্পর্কে তাঁর তা’লীম আত্মস্থ করেছি ও বুঝেছি, তখন একদা তিনি (আমাদের দিকে) ঘুরে দেখতে পেলেন, একজনের বুক সামনের দিকে এগিয়ে আছে। তিনি বললেনঃ তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করবে, অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের চেহারায় বৈপরিত্য সৃষ্টি করে দিবেন।
সহীহঃ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬৪
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، وَأَبُو عَاصِمِ بْنِ جَوَّاسٍ الْحَنَفِيُّ عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ طَلْحَةَ الْيَامِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْسَجَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَخَلَّلُ الصَّفَّ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلَى نَاحِيَةٍ يَمْسَحُ صُدُورَنَا وَمَنَاكِبَنَا وَيَقُولُ ” لاَ تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ ” . وَكَانَ يَقُولُ ” إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصُّفُوفِ الأُوَلِ ” .
আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাতারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে গিয়ে আমাদের বুক ও কাঁধ সোজা করে দিতেন, আর বলতেনঃ তোমরা কাতারে বাঁকা হয়ে দাঁড়িও না। অন্যথায় তোমাদের অন্তরে বৈপরিত্য সৃষ্টি হবে। তিনি আরো বলতেনঃ নিশ্চয় প্রথম কাতারসমূহের প্রতি মহান আল্লাহ রহমাত বর্ষণ করেন এবং তাঁর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগন) দু’আ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬৫
حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَغِيرَةَ – عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَوِّي صُفُوفَنَا إِذَا قُمْنَا لِلصَّلاَةِ فَإِذَا اسْتَوَيْنَا كَبَّرَ .
সিমাক থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমরা সলাতের জন্য দাঁড়ালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাতারসমূহ সোজা করে দিতেন। অতঃপর আমরা সমান্তরালভাবে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি তাকবীর বলতেন।
সহীহঃ অনুরূপ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬৬
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْغَافِقِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، – وَحَدِيثُ ابْنِ وَهْبٍ أَتَمُّ – عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، – قَالَ قُتَيْبَةُ عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، عَنْ أَبِي شَجَرَةَ، لَمْ يَذْكُرِ ابْنَ عُمَرَ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” أَقِيمُوا الصُّفُوفَ وَحَاذُوا بَيْنَ الْمَنَاكِبِ وَسُدُّوا الْخَلَلَ وَلِينُوا بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ ” . لَمْ يَقُلْ عِيسَى ” بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ ” . ” وَلاَ تَذَرُوا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللَّهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللَّهُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو شَجَرَةَ كَثِيرُ بْنُ مُرَّةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَمَعْنَى ” وَلِينُوا بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ ” . إِذَا جَاءَ رَجُلٌ إِلَى الصَّفِّ فَذَهَبَ يَدْخُلُ فِيهِ فَيَنْبَغِي أَنْ يُلَيِّنَ لَهُ كُلُّ رَجُلٍ مَنْكِبَيْهِ حَتَّى يَدْخُلَ فِي الصَّفِّ .
ইবনু উমার ও আবূ শাজারাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করে নাও, পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াও এবং উভয়ের মাঝখানে ফাঁক বন্ধ কর আর তোমাদের ভাইদের হাতে নরম হয়ে যাও। বর্ণনাকারী ঈসার বর্ণনায়, “তোমাদের ভাইয়ের হাতে” শব্দগুলো নেই। (তিনি আরো বলেন,) শাইত্বানের জন্য কাতারের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রেখে দিও না। যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহও তাকে তারঁ রহমাত দ্বারা মিলাবেন। আর যে ব্যক্তি কাতার ভঙ্গ করবে, আল্লাহও তাকে তাঁর রহমাত হতে কর্তন করবেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ শাজারার নাম হচ্ছে কাসীর ইবনু মুর্রাহ। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেনঃ “তোমাদের ভাইদের হাতে নরম হয়ে যাও” এর অর্থ হচ্ছে, কোন ব্যক্তি এসে কাতারে প্রবেশ করতে চাইলে প্রত্যেক ব্যক্তিই তার জন্য নিজ নিজ কাঁধ নরম করে দেবে, যেন সে সহজে কাতারে শামিল হতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬৭
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ رُصُّوا صُفُوفَكُمْ وَقَارِبُوا بَيْنَهَا وَحَاذُوا بِالأَعْنَاقِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَرَى الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ مِنْ خَلَلِ الصَّفِّ كَأَنَّهَا الْحَذَفُ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন তোমরা (সালাতের) কাতারসমূহে মিলে মিশে দাঁড়াবে। এক কাতারকে অপর কাতারের নিকট রাখবে। পরস্পর কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! আমি চাক্ষুস দেখতে পাচ্ছি, কাতারের খালি (ফাঁকা) জায়গাতে শাইত্বান যেন একটি বকরীর বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬৮
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ سَوُّوا صُفُوفَكُمْ فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصَّفِّ مِنْ تَمَامِ الصَّلاَةِ ” .
আনাস ইবনু মলিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কাতারসমূহ সোজা করবে। কারণ কাতারসমূহ সোজা করার দ্বারাই সলাত পূর্ণতা পায়।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৬৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ السَّائِبِ، صَاحِبِ الْمَقْصُورَةِ قَالَ صَلَّيْتُ إِلَى جَنْبِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ يَوْمًا فَقَالَ هَلْ تَدْرِي لِمَ صُنِعَ هَذَا الْعُودُ فَقُلْتُ لاَ وَاللَّهِ . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ يَدَهُ عَلَيْهِ فَيَقُولُ “ اسْتَوُوا وَعَدِّلُوا صُفُوفَكُمْ ” .
প্রাসাদের মালিক মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম ইবনুস সায়িব থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একাদা আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এর পাশে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলাম। তিনি বললেন, তুমি কি জান (মসজিদে নাবাবীতে) এ কাষ্ঠ খণ্ডটি কেন তৈরী করা হয়েছে? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি জানি না। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর তাঁর হাত রেখে বলতেন তোমরা সোজা হয়ে যাও এবং তোমাদের কাতারসূমহ বরাবর করে নাও। [৬৬৯]
দুর্বল
[৬৬৯] আহমাদ (৩/১৫৪), বায়হাক্বী (২/২২) উভয় মুস’আব ইবনু সাবিত সূত্রে, তাবরীযী ‘মিশকাতূল মাসাবীহ’ (১০৯৮)। এর সানাদ দুর্বল। সানাদের মুস’আব ইবনু সাবিত সম্পর্কে হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় শিথিল। আর মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম ইবনুস সায়িব অজ্ঞাত ব্যাক্তি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৬৭০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ أَخَذَهُ بِيَمِينِهِ ثُمَّ الْتَفَتَ فَقَالَ ” اعْتَدِلُوا سَوُّوا صُفُوفَكُمْ ” . ثُمَّ أَخَذَهُ بِيَسَارِهِ فَقَالَ ” اعْتَدِلُوا سَوُّوا صُفُوفَكُمْ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এরূপ সূত্রের উক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে আরো রয়েছেঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতে দাঁড়ানোর সময় ঐ কাষ্ঠ খণ্ডটি তাঁর ডান হাতে নিয়ে বলতেনঃ তোমরা সোজা হয়ে যাও, তোমাদের কাতারসমূহ বরাবর করে নাও। তারপর সেটি বাম হাতে নিয়ে বলতেন তোমরা সোজা হয়ে যাও, তোমাদের কাতারসমূহ বরাবর করে নাও।[৬৭০]
দুর্বলঃ মিশকাত ১০৯
[৬৭০] পূর্বেরটি দেখুন। সানাদে একজন দুর্বল ও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৬৭১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي ابْنَ عَطَاءٍ – عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَتِمُّوا الصَّفَّ الْمُقَدَّمَ ثُمَّ الَّذِي يَلِيهِ فَمَا كَانَ مِنْ نَقْصٍ فَلْيَكُنْ فِي الصَّفِّ الْمُؤَخَّرِ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সর্বাগ্রে প্রথম কাতার পূর্ণ করবে, তারপর তার পরবর্তী কাতার পূর্ণ করবে। এরপর কোন অসম্পূর্ণতা থাকলে তা যেন শেষ কাতারে হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৭২
حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ يَحْيَى بْنِ ثَوْبَانَ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمِّي، عُمَارَةُ بْنُ ثَوْبَانَ عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خِيَارُكُمْ أَلْيَنُكُمْ مَنَاكِبَ فِي الصَّلاَةِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ جَعْفَرُ بْنُ يَحْيَى مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যকার উৎকৃষ্ট হচ্ছে ঐসব লোক, যারা সালাতের মধ্যে নিজেদের কাঁধ বেশি নরম করে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৫
খুঁটি সমূহের মাঝখানে কাতার বাঁধা
৬৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ مَحْمُودٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَدُفِعْنَا إِلَى السَّوَارِي فَتَقَدَّمْنَا وَتَأَخَّرْنَا فَقَالَ أَنَسٌ كُنَّا نَتَّقِي هَذَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আব্দুল হামীদ ইবনু মাহমূদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এর সাথে জুমু’আর সলাত আদায় করি। লোকজন বেশি হওয়ায় আমরা খুঁটি সমূহের মাঝখানে যেতে বাধ্য হই। এতে করে আমরা আগে পিছে হয়ে যাই। আনাস (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে আমরা এভাবে (দু খুঁটির মাঝখানে) দাঁড়ানো হতে বিরত থাকার চেষ্টা করতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৬
কাতারে ইমামের কাছাকাছি দাঁড়ানো উত্তম ও দূরে দাঁড়ানো অপছন্দনীয়
৬৭৪
حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لِيَلِنِي مِنْكُمْ أُولُو الأَحْلاَمِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ” .
আবূ মাসউদ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যেকার প্রবীন ও জ্ঞানী লোকেরা যেন আমার কাছাকাছি দাঁড়ায়। তারপর পর্যায়ক্রমে দাঁড়াবে যারা ঐ গুনে তাদের কাছাকাছি, তারপর দাঁড়াবে যারা তাদের কাছাকাছি তারা।
সহীহঃ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৭৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ . وَزَادَ “ وَلاَ تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ وَإِيَّاكُمْ وَهَيْشَاتِ الأَسْوَاقِ ” .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তাতে আরো রয়েছেঃ “তোমরা আগ-পিছ হয়ে দাঁড়াবে না। তাহলে তোমাদের অন্তরে বৈপরিত্য সৃষ্টি হবে। সাবধান! তোমরা মসজিদে বাজারের ন্যায় শোরগোল করবে না।”
সহীহঃ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৭৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى مَيَامِنِ الصُّفُوفِ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন নিশ্চয় কাতারের ডান দিকের (মুসল্লিদের) উপর আল্লাহর রহমত বর্ষণ করেন এবং মালায়িকাহ (ফেরেশতাগন) দু’আ করেন। [৬৭৬]
হাসান : এ শব্দেঃ (………) “যারা কাতারবদ্ধ হয়ে সলাত আদায় করে”।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৭
কাতারে বালকদের দাঁড়ানোর স্থান
৬৭৭
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ شَاذَانَ، حَدَّثَنَا عَيَّاشٌ الرَّقَّامُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا بُدَيْلٌ، حَدَّثَنَا شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، قَالَ قَالَ أَبُو مَالِكٍ الأَشْعَرِيُّ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ بِصَلاَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَصَفَّ الرِّجَالَ وَصَفَّ خَلْفَهُمُ الْغِلْمَانَ ثُمَّ صَلَّى بِهِمْ فَذَكَرَ صَلاَتَهُ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا صَلاَةُ قَالَ عَبْدُ الأَعْلَى لاَ أَحْسَبُهُ إِلاَّ قَالَ “ صَلاَةُ أُمَّتِي ” .
‘আবদুর রহমান ইবনু গানম থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ মালিক আল আশ’আরী (রাঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত সম্পর্কে বর্ণনা করব না? এরপর তিনি সালাতে দাঁড়ালেন। প্রথমে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের কাতারবদ্ধ করালেন, তারপর তাদের পিছনের কাতারে বালকদের দাঁড় করালেন। অতঃপর তিনি তাদের সাথে সলাত আদায় করলেন। এরপর বর্ণনাকারী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সালাতের বর্ণনা দেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এভাবেই সলাত আদায় করতে হয়। বর্ণনাকারী ‘আবদুল আ’লা বলেন, আমার ধারণা আমার শায়খ কুররাহ ইবনু খালিদ বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার উম্মাত এভাবেই সলাত আদায় করবে। [৬৭৭]
দুর্বলঃ মিশকাত-১১১৫।
[৬৭৭] আহমাদ (৫/৩৪১)। সানাদের শাহর ইবনু হাওশাব সম্পর্কে হাফিয “আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, সত্যবাদী, তবে মুরসাল ও সংশয় প্রচুর।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৮
মহিলাদের কাতার এবং তারা পিছনের কাতারে দাঁড়াবে, প্রথম কাতারে নয়
৬৭৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا وَشَرُّهَا آخِرُهَا وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا وَشَرُّهَا أَوَّلُهَا ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুরুষদের সর্বোত্তম কাতার হচ্ছে প্রথমটি আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে শেষেরটি। পক্ষান্তরে মহিলাদের সর্বোত্তম কাতার হচ্ছে শেষেরটি আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে প্রথমটি।
সহীহঃ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৭৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُونَ عَنِ الصَّفِّ الأَوَّلِ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمُ اللَّهُ فِي النَّارِ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একদল লোক সর্বদা প্রথম কাতার থেকে পিছনের দিকে সরতে থাকবে। ফলে আল্লাহও তাদেরকে জাহান্নামের পিছন দিকে রাখবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৮০
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى فِي أَصْحَابِهِ تَأَخُّرًا فَقَالَ لَهُمْ “ تَقَدَّمُوا فَائْتَمُّوا بِي وَلْيَأْتَمَّ بِكُمْ مَنْ بَعْدَكُمْ وَلاَ يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُونَ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহাবীদেরকে প্রথম কাতারে দাঁড়াতে বিলম্ব করতে দেখে বললেন সামনে আস এবং আমার অনুকরণ কর। আর তোমাদের পরের লোকেরাও তোমাদের অনুসরণ করবে। একদল লোক সর্বদাই (প্রথম কাতার থেকে) পিছনের দিকে সরতে থাকবে। ফলে মহান আল্লাহ ও তাদের পিছনে ফেলে রাখবেন।
সহীহঃ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৯
কাতারে ইমামের দাঁড়ানোর স্থান
৬৮১
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ بَشِيرِ بْنِ خَلاَّدٍ، عَنْ أُمِّهِ، أَنَّهَا دَخَلَتْ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ فَسَمِعَتْهُ يَقُولُ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ وَسِّطُوا الإِمَامَ وَسُدُّوا الْخَلَلَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ইমামকে কাতারের মাঝখান বরাবর দাঁড় করাও এবং (কাতারের মধ্যকার) ফাঁকা বন্ধ করে দাও। [৬৮১]
দুর্বলঃ কিন্ত হাদীসের দ্বিতীয় অংশটি সহীহ। দেখুন হাদীস নং ৬৬৬, ৬২০।
[৬৮১] বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’(৩/১০৪) আবূ দাউদ সূত্রে এর সানাদে জা’ফার ইবনু মুসাফির রয়েছে। হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, তিনি সত্যবাদী, তবে প্রায়ই ভুল করতেন। এবং সানাদের ইয়াহইয়া ইবনু বাশীর লুপ্ত(মাসতূর), এবং তার মাতা হচ্ছে উম্মাতুল ওয়াহিদ বিনতু ইয়ামীন। হাফিয বলেন, তাকে বাক্বীয়্যাহ ইবনু মুযাল্লাদ নামকরণ করা হয় তার মুসনাদে, কিন্ত সুনান আবূ দাউদের বর্ণনায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তিনি অজ্ঞাত মহিলা।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০০
যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে
৬৮২
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ وَابِصَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ – قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ – الصَّلاَةَ .
ওয়াবিসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যাক্তিকে কাতারের পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করতে দেখে তাকে পুনরায় সলাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০১
যে ব্যক্তি কাতারে না পৌঁছেই রুকু’ করে
৬৮৩
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ زِيَادٍ الأَعْلَمِ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، أَنَّ أَبَا بَكْرَةَ، حَدَّثَ أَنَّهُ، دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَنَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَاكِعٌ – قَالَ – فَرَكَعْتُ دُونَ الصَّفِّ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلاَ تَعُدْ ” .
হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বাকরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, একদা আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু’তে থাকাবস্থায় তিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি কাতারে না পৌঁছেই রুকু করে নিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাকে) বললেন আল্লাহ (ইবাদাত ও নেকীর প্রতি) তোমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিন, তবে পুনরায় এরূপ করো না।
সহীহঃ বুখারী
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৮৪
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا زِيَادٌ الأَعْلَمُ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ أَبَا بَكْرَةَ، جَاءَ وَرَسُولُ اللَّهِ رَاكِعٌ فَرَكَعَ دُونَ الصَّفِّ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّفِّ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ ” أَيُّكُمُ الَّذِي رَكَعَ دُونَ الصَّفِّ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّفِّ ” . فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ أَنَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلاَ تَعُدْ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ زِيَادٌ الأَعْلَمُ زِيَادُ بْنُ فُلاَنِ بْنِ قُرَّةَ وَهُوَ ابْنُ خَالَةِ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ .
হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আবূ বাকরাহ (রাঃ) (মসজিদে) এসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রুকু’তে পেলেন। তিনি কাতারে না পৌঁছেই রুকু করলেন, তারপর কাতারে শামিল হওয়ার জন্য অগ্রসর হলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শেষ করে বললেন তোমাদের মধ্যকার কে কাতারে পৌঁছার পূর্বেই রুকু করেছে এবং পরে কাতারে শামিল হওয়ার জন্য অগ্রসর হয়েছে? আবূ বাকরাহ (রাঃ) বললেন, আমি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তোমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিন। তবে পুনরায় এরূপ করো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০২
মুসল্লী কিরূপ সুতরাহ স্থাপন করবে
৬৮৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا جَعَلْتَ بَيْنَ يَدَيْكَ مِثْلَ مُؤَخَّرَةِ الرَّحْلِ فَلاَ يَضُرُّكَ مَنْ مَرَّ بَيْنَ يَدَيْكَ ” .
ত্বালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি (খোলা ময়দানে সলাত আদায়কালে) তোমার সামনে উটের পিঠের হাওদার পিছন দিকের কাষ্ঠ খণ্ড বা অনুরূপ কোন কিছু স্থাপন করলে তোমরা সামনে দিয়ে কারো চলাচলে (সালাতের) কোন ক্ষতি হবে না।
সহীহঃ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৮৬
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ آخِرَةُ الرَّحْلِ ذِرَاعٌ فَمَا فَوْقَهُ .
আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাওদার পশ্চৎভাগের কাষ্ঠ খণ্ড এক হাত বা তার চেয়ে কিছু বেশি (লম্বা) হয়ে থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৬৮৭
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ يَوْمَ الْعِيدِ أَمَرَ بِالْحَرْبَةِ فَتُوضَعَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا وَالنَّاسُ وَرَاءَهُ وَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السَّفَرِ فَمِنْ ثَمَّ اتَّخَذَهَا الأُمَرَاءُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন বের হওয়ার সময় সঙ্গে বর্শা নেয়ার নির্দেশ দিতেন। সেটি তাঁর সামনে স্থাপন করা হত এবং তিনি সেদিকে ফিরে সলাত আদায় করতেন। আর লোকজন তাঁর পেছনে থাকত। তিনি সফর অবস্থায়ও এরূপ করতেন। এ জন্যই তখন থেকে শাসকরা হাতে বর্শা রেখে থাকেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৮৮
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ بِالْبَطْحَاءِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ يَمُرُّ خَلْفَ الْعَنَزَةِ الْمَرْأَةُ وَالْحِمَارُ .
আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল-বাত্বহা নামক স্থানে সলাত আদায় করলেন। তখন তাঁর সামনে একটি বর্শা স্থাপিত ছিল। তিনি যুহরের দু’ রাক’আত ও ‘আসরের দু’ রাক’আত সলাত আদায় করলেন। এ সময় বর্শার অপর পাশ দিয়ে নারী ও গাধা চলাচল করছিল।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৩
ছড়ি না পাওয়া গেলে রেখা টেনে দিবে
৬৮৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرِو بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حُرَيْثٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَدَّهُ، حُرَيْثًا يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَجْعَلْ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ شَيْئًا فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيَنْصِبْ عَصًا فَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ عَصًا فَلْيَخْطُطْ خَطًّا ثُمَّ لاَ يَضُرُّهُ مَا مَرَّ أَمَامَهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ (খোলা জায়গাতে) সলাত আদায় করলে যেন (সুতরাহ্ হিসেবে) তার সামনে কিছু স্থাপন করে। কিছু না পাওয়া গেলে যেন একটি লাঠি স্থাপন করে নেয়। সাথে কোন লাঠি না থাকলে (মাটিতে) যেন একটি দাগ টেনে নেয়। তারপর সামনে দিয়ে কিছু চলাচল করলে সলাতের কোন ক্ষতি হবে না। [৬৮৯]
দুর্বলঃ মিশকাত ৭৮১
[৬৮৯] ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সলাত, অনুঃ মুসল্লী কি দিয়ে সুতরাহ্ করবে, হাঃ ৯৪৩), আহমাদ (২/২৪৯), ইবনু খুযাইমাহ (৮১১,৮১২), সকলে আবূ ‘আমর সূত্রে। ইযতিরাব ও সানাদস্থ বর্ণনাকারীর অবস্থা অজ্ঞাত হওয়ার কারনে এর সানাদ দুর্বল। তিনি হলেন আবূ মুহাম্মাদ ‘আমর ইবনু হুরাইস। শায়খ আহমাদ শাকির বলেন, এ সূত্রে হাদীসটির অন্যান্য সানাদও রয়েছে। যার কতিপয় সামঞ্জস্যপূর্ন অথবা বিরোধী। আর প্রত্যেকটিই ইযতিরাব ও জাহালাতের প্রমান বহন করে..। অতঃপর তিনি বলেন, ‘উলামায়ি ইসত্বিলাহ এ হাদীসকে মুযতারিব সানাদে বর্ণিত হাদীসের উপমা হিসেবে পেশ করে থাকেন।
মিশকাতের তাকক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ এতে কঠিন ইযতিরাব ও দু’জন অজ্ঞাত লোক রয়েছে। সেজন্য একদল ইমাম একে দুর্বল বলেছেন। যাঁদের মধ্যে ইমাম আহমাদ অন্যতম।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৬৯০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، – يَعْنِي ابْنَ الْمَدِينِيِّ – عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ جَدِّهِ، حُرَيْثٍ – رَجُلٍ مِنْ بَنِي عُذْرَةَ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي الْقَاسِمِ، صلى الله عليه وسلم قَالَ فَذَكَرَ حَدِيثَ الْخَطِّ . قَالَ سُفْيَانُ لَمْ نَجِدْ شَيْئًا نَشُدُّ بِهِ هَذَا الْحَدِيثَ وَلَمْ يَجِئْ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ قُلْتُ لِسُفْيَانَ إِنَّهُمْ يَخْتَلِفُونُ فِيهِ فَتَفَكَّرَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ مَا أَحْفَظُ إِلاَّ أَبَا مُحَمَّدِ بْنَ عَمْرٍو قَالَ سُفْيَانُ قَدِمَ هَا هُنَا رَجُلٌ بَعْدَ مَا مَاتَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ فَطَلَبَ هَذَا الشَّيْخَ أَبَا مُحَمَّدٍ حَتَّى وَجَدَهُ فَسَأَلَهُ عَنْهُ فَخَلَطَ عَلَيْهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ سُئِلَ عَنْ وَصْفِ الْخَطِّ غَيْرَ مَرَّةٍ فَقَالَ هَكَذَا عَرْضًا مِثْلَ الْهِلاَلِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ مُسَدَّدًا قَالَ قَالَ ابْنُ دَاوُدَ الْخَطُّ بِالطُّولِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ وَصَفَ الْخَطَّ غَيْرَ مَرَّةٍ فَقَالَ هَكَذَا – يَعْنِي – بِالْعَرْضِ حَوْرًا دَوْرًا مِثْلَ الْهِلاَلِ يَعْنِي مُنْعَطِفًا .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন.. বর্ণনাকারী অতঃপর দাগ টানা সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করেন। আবূ সুফিয়ান বলেন, এ হাদীসটিকে মজবুত প্রমান করার মত কিছুই পেলাম না। হাদীসটি কেবল উক্ত সানাদেই বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি সুফিয়ানকে বললাম, লোকেরা এতে মত পার্থক্য করেছে। তিনি কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, আমার কেবল আবূ মহাম্মাদ ইবনু ‘আমরের কথাই মনে পড়ছে। সুফিয়ান বলেন, ইসমাঈল ইবনু উমায়্যাহর মৃত্যুর পর এক ব্যক্তি এখানে (কুফায়) এসে এ শায়খ আবূ মুহাম্মাদের অনুসন্ধান করে তাকে পেয়ে যান। তিনি তাকে এ মাটিতে দাগ টানা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি সঠিক উত্তর দিয়ে ব্যর্থ হন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি একাধিকবার আহমাদ ইবনু হাম্বাল থেকে মাটিতে দাগ দেয়া সম্পর্কে শুনেছি যে, দাগটি প্রস্থে নবচন্দ্রের ন্যায় (মোটা) হবে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি মুসাদ্দাদকে বলতে শুনেছিঃ ইবনু দাউদ বলেছেন, দাগ লম্বালম্বিভাবে টানতে হবে। [৬৯০]
[৬৯০] এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৬৯১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ رَأَيْتُ شَرِيكًا صَلَّى بِنَا فِي جَنَازَةٍ الْعَصْرَ فَوَضَعَ قَلَنْسُوَتَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ – يَعْنِي – فِي فَرِيضَةٍ حَضَرَتْ .
সুফিয়ান ইবনু ‘উয়াউনাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি শারীক (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি এক জানাযার সলাত আদায় করতে এসে আমাদের সাথে ‘আসরের সলাত আদায় করলেন। তিনি (উক্ত ফরয সালাতে সুতরাহ্ হিসেবে) নিজের টুপি (খুলে) সামনে রাখলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৪
জন্তুযান সামনে রেখে সলাত আদায় করা
৬৯২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَوَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، – قَالَ عُثْمَانُ – حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي إِلَى بَعِيرِهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটের দিকে ফিরে সলাত আদায় করতেন।
সহীহঃ মুসলিম, অনুরূপ বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৫
কেউ খুঁটি বা অনুরূপ কিছু সামনে রেখে সলাতে দাঁড়ালে তা কোথায় রাখবে?
৬৯৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ الْوَلِيدُ بْنُ كَامِلٍ، عَنِ الْمُهَلَّبِ بْنِ حُجْرٍ الْبَهْرَانِيِّ، عَنْ ضُبَاعَةَ بِنْتِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهَا، قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي إِلَى عُودٍ وَلاَ عَمُودٍ وَلاَ شَجَرَةٍ إِلاَّ جَعَلَهُ عَلَى حَاجِبِهِ الأَيْمَنِ أَوِ الأَيْسَرِ وَلاَ يَصْمُدُ لَهُ صَمْدًا .
দুবা’আহ বিনতু মিক্বদাদ ইবনুল আসওয়াদ হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (মিক্বদাদ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখেছি, তিনি (সুতরাহ্ হিসেবে) কোন লাকড়ি, স্তম্ভ বা গাছের দিকে ফিরে সলাত আদায় করলে ওগুলোকে নিজের ডান অথবা বাম পাশে রাখতেন, দু’চোখের ঠিক মাঝ বরাবর রাখতেন না। [৬৯৩]
দুর্বলঃ মিশকাত ৭৮৩।
[৬৯৩] আহমাদ (৬/৪)। এর সানাদে আবূ ‘উবাইদাহ ওয়ালীদ ইবনু কামিল রয়েছে। ইবনু হিব্বান তাকে সিক্বাহ বলেছেন। হাফিয বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় শিথিল। ইমাম বুখারী বলেন, তার নিকট আশ্চর্যকর বস্তু আছে। আল্লামা মুনযিরী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা আছে। এছাড়া সানাদে মুহাল্লাব ইবনু হুজ্র অজ্ঞাত এবং যুবা’আহ বিনতু মিক্বদাদকে চেনা যায়নি। অনুরূপ রয়েছে, ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে। ইবনু কাত্তান বলেন, সানাদে উক্ত তিনজন বর্ণনাকারীই অজ্ঞাত। ‘আবদুল হাক্ব বলেন, এর সানাদ মজবুত নয়।
মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ সানাদটি দুর্বল। সানাদে একজন দুর্বল ও একজন অজ্ঞাত লোক রয়েছে। অতঃপর এর সানাদ ও মাতান মুযতারিব (উলটপালট)। একদল একে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৬
আলাপে রত ও ঘুমন্ত ব্যক্তিদের সামনে রেখে সলাত আদায় করা
৬৯৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، قَالَ قُلْتُ لَهُ – يَعْنِي لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ – حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تُصَلُّوا خَلْفَ النَّائِمِ وَلاَ الْمُتَحَدِّثِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ঘুমন্ত ও বাক্যালাপকারী লোকদের সামনে রেখে সলাত আদায় করো না।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৭
সুতরাহর কাছাকাছি দাঁড়ানো
৬৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَحَامِدُ بْنُ يَحْيَى، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى سُتْرَةٍ فَلْيَدْنُ مِنْهَا لاَ يَقْطَعُ الشَّيْطَانُ عَلَيْهِ صَلاَتَهُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ وَاقِدُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ صَفْوَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَهْلٍ عَنْ أَبِيهِ أَوْ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَهْلٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَعْضُهُمْ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَاخْتُلِفَ فِي إِسْنَادِهِ .
সাহল ইবনু আবূ হাসমাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তার নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সুত্রাহ স্থাপন করে সলাত আদায় করলে যেন সুত্রার কাছাকাছি দাঁড়ায়। যাতে করে শাইত্বান তার সলাত ভঙ্গ করতে না পারে।
সহীহ
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি বর্ণনা করেছেন অয়াক্বিদ ইবনু মুহাম্মাদ সাফওয়ান হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু সাহল হতে তার পিতার সূত্রে অথবা মুহাম্মাদ ইবনু সাহল হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে। কোন কোন বর্ণনাকারী বলেছেন, নাফি’ ইবনু জুবাইর সাহল ইবনু সা’দ হতে। এর সানাদ বর্ণনায় মত পার্থক্য করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৯৬
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، وَالنُّفَيْلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ وَكَانَ بَيْنَ مُقَامِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ مَمَرُّ عَنْزٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْخَبَرُ لِلنُّفَيْلِيِّ .
সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দাঁড়ানোর স্থান ও তাঁর ক্বিবলাহ্র মধ্যবর্তী স্থানে একটি বকরী চলাচলের পরিমাণ জয়গা ফাঁকা থাকত।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৮
মুসল্লীর সামনে দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে তাকে বাধা দেয়া
৬৯৭
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلاَ يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ وَلْيَدْرَأْهُ مَا اسْتَطَاعَ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সলাত আদায়কালে তার সামনে দিয়ে কাউকে যেতে দিবে না এবং সাধ্যমত যেন তাকে বাধা দেয়া হয়। সে বাধা উপেক্ষা করলে তার সাথে যুদ্ধ করবে। কারণ সে হচ্ছে একটা শাইত্বান।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيُصَلِّ إِلَى سُتْرَةٍ وَلْيَدْنُ مِنْهَا ” . ثُمَّ سَاقَ مَعْنَاهُ .
‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সলাত আদায় করলে যেন সুত্রার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৬৯৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي سُرَيْجٍ الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، أَخْبَرَنَا مَسَرَّةُ بْنُ مَعْبَدٍ اللَّخْمِيُّ، – لَقِيتُهُ بِالْكُوفَةِ – قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدٍ، حَاجِبُ سُلَيْمَانَ قَالَ رَأَيْتُ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ اللَّيْثِيَّ قَائِمًا يُصَلِّي فَذَهَبْتُ أَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَرَدَّنِي ثُمَّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ لاَ يَحُولَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ قِبْلَتِهِ أَحَدٌ فَلْيَفْعَلْ ” .
সুলাইমান ইবনু মালিকের দ্বাররক্ষী আবূ ‘উবায়িদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আত্বা ইবনু ইয়াযীদ আল-লাইসীকে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করতে দেখি। অতঃপর আমি তার সামনে দিয়ে যেতে উদ্যত হলে তিনি আমাকে বাধা দিয়ে বললেন, আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যকার কেউ তার ও ক্বিবলাহ্র মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে চলাচলে কাউকে বিরত রাখতে সক্ষম হলে সে যেন তাই করে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৭০০
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ – عَنْ حُمَيْدٍ، – يَعْنِي ابْنَ هِلاَلٍ – قَالَ قَالَ أَبُو صَالِحٍ أُحَدِّثُكَ عَمَّا رَأَيْتُ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ وَسَمِعْتُهُ مِنْهُ، دَخَلَ أَبُو سَعِيدٍ عَلَى مَرْوَانَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَىْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْفَعْ فِي نَحْرِهِ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ يَمُرُّ الرَّجُلُ يَتَبَخْتَرُ بَيْنَ يَدَىَّ وَأَنَا أُصَلِّي فَأَمْنَعُهُ وَيَمُرُّ الضَّعِيفُ فَلاَ أَمْنَعُهُ .
হুমায়িদ ইবনু হিলাল থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ সালিহ (রহঃ) বলেছেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ)-কে যা করতে দেখেছি ও বলতে শুনেছি তোমার নিকট তাই বর্ণনা করব। একদা আবূ সাঈদ আল-খূদরী (রাঃ) মারওয়ানের নিকট গিয়ে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ কোন কিছুকে সুতরাহ্ বানিয়ে সলাত আদায়কালে কেউ তা লঙ্ঘন করে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চাইলে সে যেন তার বক্ষে হাত মেরে তাকে বাধা দেয়। যদি সে না মানে, তাহলে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কারণ সে হচ্ছে একটা শাইত্বান।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস