আবু দাউদ সাওম (রোজা) অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২৩১৩ – ২৪০১

অনুচ্ছেদ-১

সওম ফারয হওয়ার সূচনা

২৩১৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شَبُّويَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏{‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ ‏}‏ فَكَانَ النَّاسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّوُا الْعَتَمَةَ حَرُمَ عَلَيْهِمُ الطَّعَامُ وَالشَّرَابُ وَالنِّسَاءُ وَصَامُوا إِلَى الْقَابِلَةِ فَاخْتَانَ رَجُلٌ نَفْسَهُ فَجَامَعَ امْرَأَتَهُ وَقَدْ صَلَّى الْعِشَاءَ وَلَمْ يُفْطِرْ فَأَرَادَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَجْعَلَ ذَلِكَ يُسْرًا لِمَنْ بَقِيَ وَرُخْصَةً وَمَنْفَعَةً فَقَالَ سُبْحَانَهُ ‏{‏ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَخْتَانُونَ أَنْفُسَكُمْ ‏}‏ ‏.‏ وَكَانَ هَذَا مِمَّا نَفَعَ اللَّهُ بِهِ النَّاسَ وَرَخَّصَ لَهُمْ وَيَسَّرَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আল্লাহর বাণী) “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম পালন ফারয করা হয়েছে যেমন ফারয করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৩)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময় (ইসলামের প্রথম যুগে) লোকেরা যখন এশার সলাত আদায় করতো তখন থেকে তাদের উপর খানাপিনা ও স্ত্রী-সহবাস হারাম হয়ে যেতো এবং তারা পরবর্তী রাত পর্যন্ত সওম পালন করতো। কিন্তু এক ব্যক্তি নফসের উপর খিয়ানত করে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলে, অথচ সে এশার সলাত আদায় করেছে কিন্তু তখনও সে পূর্বের সওমের ইফতার করেনি। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ যেসব সাহাবী এ অন্যায়ে লিপ্ত হয়নি তাদের প্রতি সহনশীল ও কল্যাণ প্রদর্শনের ইচ্ছা করলেন এবং বললেনঃ “আল্লাহ জানেন, তোমরা নিজেদের নফসের সাথে খিয়ানাত করেছিলে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৭)। এর দ্বারা আল্লাহ মানুষের উপকার করেছেন এবং এটা তাদের জন্য সহজ ও ঐচ্ছিক করে দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৩১৪

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ الْجَهْضَمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ إِذَا صَامَ فَنَامَ لَمْ يَأْكُلْ إِلَى مِثْلِهَا وَإِنَّ صِرْمَةَ بْنَ قَيْسٍ الأَنْصَارِيَّ أَتَى امْرَأَتَهُ وَكَانَ صَائِمًا فَقَالَ عِنْدَكِ شَىْءٌ قَالَتْ لاَ لَعَلِّي أَذْهَبُ فَأَطْلُبُ لَكَ شَيْئًا ‏.‏ فَذَهَبَتْ وَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ فَجَاءَتْ فَقَالَتْ خَيْبَةً لَكَ ‏.‏ فَلَمْ يَنْتَصِفِ النَّهَارُ حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ وَكَانَ يَعْمَلُ يَوْمَهُ فِي أَرْضِهِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ ‏{‏ أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ‏}‏ قَرَأَ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ مِنَ الْفَجْرِ ‏}‏ ‏.‏

আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা যখন সওম পালন করতো তখন তাদের কেউ যদি কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়তো তাহলে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে কিছুই খেতে পারতো না। সিরমা ইবনু ক্বায়িস আল-আনসারী (রাঃ) সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীকে এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে কিছু আছে কি? স্ত্রী বললেন, না, তবে আমি খুঁজে দেখি আপনার জন্য কিছু যোগার করতে পারি কিনা। স্ত্রী খাবারের সন্ধানে গেলে স্বামী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো। স্ত্রী ফিরে এসে এ অবস্থা দেখে বললেন, তোমার জন্য বঞ্চনা। (ক্ষুধার কারণে) পরদিন দুপুর না হতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ দিন তিনি নিজ ভূমিতে কাজকর্ম করছিলেন। বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উল্লেখ করা হলে আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ “রমাযানের রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো” তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়াতটির ‘ভোর পর্যন্ত’ তিলাওয়াত করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২

“যারা সওম পালনে সক্ষম তারা ফিদ্ইয়া দিবে” এই বিধান রহিত

২৩১৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ – عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى سَلَمَةَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‏}‏ كَانَ مَنْ أَرَادَ مِنَّا أَنْ يُفْطِرَ وَيَفْتَدِيَ فَعَلَ حَتَّى نَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي بَعْدَهَا فَنَسَخَتْهَا ‏.‏

সালামাহ ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ)–এর আযাদকৄত গোলাম ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (আল্লাহর বাণী) “যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর আমাদের কারোর ইচ্ছে হলে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতে চাইলে তাই করতো। অতঃপর পরবর্তী আয়াত (২: ১৮৫ ) দ্বারা উপরের প্রথম বিধানটি মানসূখ হয়ে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩১৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏{‏ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‏}‏ فَكَانَ مَنْ شَاءَ مِنْهُمْ أَنْ يَفْتَدِيَ بِطَعَامِ مِسْكِينٍ افْتَدَى وَتَمَّ لَهُ صَوْمُهُ فَقَالَ ‏{‏ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ ‏}‏ وَقَالَ ‏{‏ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ‏}‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

“যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর যে লোক প্রতিদিন খাওয়াতে সক্ষম ছিলো সে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতো, এভাবে তার সিয়াম পূর্ণ হতো। অতঃপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “আর যে ব্যক্তি অধিক সদাক্বাহ করবে তা তার জন্য উত্তম। আর যদি তোমরা সওম পালন করো তবে তা অধিক উত্তম”। আল্লাহ আরো বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে যারা এ মাসে উপনীত হবে তারা সওম পালন করবে। কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করবে”।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩

যিনি বলেন, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীর জন্য উক্ত বিধান বহাল আছে

২৩১৭

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ عِكْرِمَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ أُثْبِتَتْ لِلْحُبْلَى وَالْمُرْضِعِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

গর্ভবতী ও দুগ্ধ প্রদানকারিণী মহিলার জন্যে ফিদ্ইয়া প্রদানের বিধান বহাল রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩১৮

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏{‏ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ‏}‏ قَالَ كَانَتْ رُخْصَةً لِلشَّيْخِ الْكَبِيرِ وَالْمَرْأَةِ الْكَبِيرَةِ وَهُمَا يُطِيقَانِ الصِّيَامَ أَنْ يُفْطِرَا وَيُطْعِمَا مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا وَالْحُبْلَى وَالْمُرْضِعُ إِذَا خَافَتَا – قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي عَلَى أَوْلاَدِهِمَا – أَفْطَرَتَا وَأَطْعَمَتَا ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর বাণীঃ “যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪)। তিনি বলেন এ আয়াতে অতিবৃদ্ধ ও বৃদ্ধার জন্য সওম ভঙ্গের বিধান রয়েছে। এরা উভয়ে যখন সওম পালনের শক্তি হারিয়ে ফেলেছে, এমতাবস্থায় সওম না রেখে প্রত্যেক দিন একজন মিসকীনকে খাবার দিবে। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করলে তাদের জন্যও সওম ভঙ্গের অনুমতি আছে। [২৩১৮]

 

শাযঃ ইরওয়া (৯১২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩১৮ বায়হাক্বী।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪

মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়

২৩১৯

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَمْرٍو، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ – عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ الشَّهْرُ هَكَذَا وَ هَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَخَنَسَ سُلَيْمَانُ أُصْبَعَهُ فِي الثَّالِثَةِ يَعْنِي تِسْعًا وَعِشْرِينَ وَثَلاَثِينَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমরা ‘উম্মী জাতি, লিখতে জানি না, হিসাব করতেও জানি না। তবে মাস এতো দিনে, এতো দিনে এবং এতো দিনে হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, সুলায়মান তৃতীয় বারে আঙ্গুল গুটিয়ে নেন। অর্থাৎ মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনে এবং কখনো ত্রিশ দিনে হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩২০

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَلاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ ثَلاَثِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا كَانَ شَعْبَانُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ نُظِرَ لَهُ فَإِنْ رُؤِيَ فَذَاكَ وَإِنْ لَمْ يُرَ وَلَمْ يَحُلْ دُونَ مَنْظَرِهِ سَحَابٌ وَلاَ قَتَرَةٌ أَصْبَحَ مُفْطِرًا فَإِنْ حَالَ دُونَ مَنْظَرِهِ سَحَابٌ أَوْ قَتَرَةٌ أَصْبَحَ صَائِمًا ‏.‏ قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُفْطِرُ مَعَ النَّاسِ وَلاَ يَأْخُذُ بِهَذَا الْحِسَابِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনে হয়। সুতরাং চাঁদ না দেখে তোমরা সওম পালন করবেনা এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম পালন বন্ধও করবে না। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে তোমরা মাস ত্রিশদিন পুরা করবে। নাফি‘ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) শা‘বানের ঊনত্রিশ দিনে পৌঁছুলে আকাশের দিকে তাকাতেন, যদি চাঁদ দেখতে পেতেন তাহলে সওম রাখতেন। কিন্তু যদি না দেখতে পেতেন অথচ আকাশ মেঘ বা কুয়াশামুক্ত রয়েছে, তাহলে সওম রাখতেন না। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অথবা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতো তাহলে তিনি পরদিন সওম রাখতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) সেদিন সওম সমাপ্ত করতেন যেদিন লোকেরা ইফতার করতো (মাস শেষ করতো)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩২১

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنِي أَيُّوبُ، قَالَ كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ بَلَغَنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَادَ وَإِنَّ أَحْسَنَ مَا يُقَدَّرُ لَهُ إِذَا رَأَيْنَا هِلاَلَ شَعْبَانَ لِكَذَا وَكَذَا فَالصَّوْمُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لِكَذَا وَكَذَا إِلاَّ أَنْ تَرَوُا الْهِلاَلَ قَبْلَ ذَلِكَ ‏.‏

আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) বাসরাহ্ অধিবাসীদের কাছে লিখে পাঠালেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে যেভাবে হাদীস বর্ণনা করেছেন তা হুবহু অমুক অমুক তারিখে আমাদের নিকট পৌঁছেছে। তবে গণনার উত্তম পন্থা হলো, যখন আমরা শা‘বানের চাঁদ দেখবো তখন ইনশাআল্লাহ সওম রাখাবো। তবে যদি এক দিন পূর্বেই (ঊনত্রিশে শা‘বানের পর) চাঁদ দেখা যায় তাহলে সেই হিসেবে সওম রাখবো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

২৩২২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عِيسَى بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ لَمَا صُمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تِسْعًا وَعِشْرِينَ أَكْثَرُ مِمَّا صُمْنَا مَعَهُ ثَلاَثِينَ ‏.‏

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ত্রিশ দিন সওম পালনের তুলনায় বেশিরভাগই ঊনত্রিশ দিন সওম পালন করেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩২৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ شَهْرَا عِيدٍ لاَ يَنْقُصَانِ رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদূর রহমান ইবনু আবূ বাকরাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুই ঈদের মাস সাধারণত ঊনত্রিশ দিনে হয় না। তা হলো রমাযান এবং যিলহাজ্জ মাস।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫

লোকেরা চাঁদ দেখতে ভুল করলে

২৩২৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – فِي حَدِيثِ أَيُّوبَ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ذَكَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِيهِ قَالَ ‏ “‏ وَفِطْرُكُمْ يَوْمَ تُفْطِرُونَ وَأَضْحَاكُمْ يَوْمَ تُضَحُّونَ وَكُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ مَنْحَرٌ وَكُلُّ جَمْعٍ مَوْقِفٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যেদিন তোমরা সওম সমাপ্ত করবে সেদিন তোমাদের ঈদের দিন। আর যেদিন তোমরা কুরবানী করবে সেদিন তোমাদের ঈদুল আযহার দিন। ‘আরাফাহর পুরোটাই অবস্থানের জায়গা। ‘মিনার’ পুরাটাই কুরবানীর স্থান, মাক্কাহর প্রতিটি অলিগলিই কুরবানীর স্থান এবং গোটা ‘মুযদালিফার’ এলাকাই অবস্থানস্থল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬

শা‘বান মাস মেঘাচ্ছন্ন থাকলে

২৩২৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – تَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَحَفَّظُ مِنْ شَعْبَانَ مَا لاَ يَتَحَفَّظُ مِنْ غَيْرِهِ ثُمَّ يَصُومُ لِرُؤْيَةِ رَمَضَانَ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْهِ عَدَّ ثَلاَثِينَ يَوْمًا ثُمَّ صَامَ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ক্বায়িস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ) –কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা‘বান মাসের হিসাব এতো গুরুত্ব সহকারে রাখতেন যে, অন্য কোন মাসের হিসাব ততোটা গুরুত্ব দিয়ে রাখতেন না। অতঃপর তিনি রমাযানের চাঁদ দেখেই সওম পালন করতেন। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তিনি শা‘বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করতেন। এরপর সওম রাখতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩২৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الضَّبِّيُّ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تُقَدِّمُوا الشَّهْرَ حَتَّى تَرَوُا الْهِلاَلَ أَوْ تُكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثُمَّ صُومُوا حَتَّى تَرَوُا الْهِلاَلَ أَوْ تُكْمِلُوا الْعِدَّةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ سُفْيَانُ وَغَيْرُهُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ رِبْعِيٍّ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُسَمِّ حُذَيْفَةَ ‏.‏

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখে কিংবা শা‘বানের ত্রিশ দিন পূর্ণ না করে (রমাযানকে) এগিয়ে আনবে না। আর (শাওয়াল মাসের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত অথবা রমাযানের ত্রিশ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সওম পালন করতে থাকবে। কতিপয় এ হাদীস বর্ণনায় হুযাইফাহ (রাঃ) এর নাম উল্লেখ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭

যিনি বলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে রমাযানের ত্রিশটি সওম পূর্ণ করো

২৩২৭

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تُقَدِّمُوا الشَّهْرَ بِصِيَامِ يَوْمٍ وَلاَ يَوْمَيْنِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ شَىْءٌ يَصُومُهُ أَحَدُكُمْ وَلاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ ثُمَّ صُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ حَالَ دُونَهُ غَمَامَةٌ فَأَتِمُّوا الْعِدَّةَ ثَلاَثِينَ ثُمَّ أَفْطِرُوا وَ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ وَشُعْبَةُ وَالْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ سِمَاكٍ بِمَعْنَاهُ لَمْ يَقُولُوا ‏”‏ ثُمَّ أَفْطِرُوا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ حَاتِمُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ وَأَبُو صَغِيرَةَ زَوْجُ أُمِّهِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রমাযান মাস আগমনের একদিন অথবা দু’দিন পূর্বে সওম পালন করবে না। তবে কেউ যদি (প্রতি মাসে) ঐ তারিখে সওম পালনে অভ্যস্ত হয়, সে রাখতে পারে। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখে সওম পালন করবে না এবং শাওয়ালের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম অব্যাহত রাখবে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় তবে সওম ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে, অতঃপর সওম ভঙ্গ করবে। আর মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাতিম ইবনু আবূ সাগীর, শু‘বাহ ও হাসান ইবনু সালিহ ‘সিমাক’ হতে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাঁরা “সওম ভঙ্গ করবে” এ কথাটি বর্ণনা করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৮

রমাযান মাস আসার পূর্বে সওম পালন

২৩২৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، وَسَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِرَجُلٍ ‏”‏ هَلْ صُمْتَ مِنْ سَرَرِ شَعْبَانَ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمًا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَحَدُهُمَا ‏”‏ يَوْمَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি শা‘বানের শেষ দিকে সওম রেখেছো? সে বললো, না। তিনি বললেনঃ যখন তুমি সওম রাখোনি, তখন (রমাযানের শেষে) একদিন বা দুই দিন সওম রাখবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩২৯

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْعَلاَءِ الزُّبَيْدِيُّ، مِنْ كِتَابِهِ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِي الأَزْهَرِ الْمُغِيرَةِ بْنِ فَرْوَةَ، قَالَ قَامَ مُعَاوِيَةُ فِي النَّاسِ بِدَيْرِ مِسْحَلٍ الَّذِي عَلَى بَابِ حِمْصَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْهِلاَلَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا وَأَنَا مُتَقَدِّمٌ بِالصِّيَامِ فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَفْعَلَهُ فَلْيَفْعَلْهُ ‏.‏ قَالَ فَقَامَ إِلَيْهِ مَالِكُ بْنُ هُبَيْرَةَ السَّبَئِيُّ فَقَالَ يَا مُعَاوِيَةُ أَشَىْءٌ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمْ شَىْءٌ مِنْ رَأْيِكَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ صُومُوا الشَّهْرَ وَسِرَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবুল আযহার আল-মুগীরাহ ইবনু ফারওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা মু‘আবিয়াহ (রাঃ) হিমস শহরের প্রবেশ দ্বারে অবস্থিত মুসতাহিল বাজারে লোকদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে বললেন, হে জনগণ! আমরা অমুক দিন, অমুক দিন চাঁদ দেখেছি। সুতরাং আমরা সওম আরম্ভ করতে যাচ্ছি। আর যে ব্যক্তি ভালো মনে করে সে যেন এরূপ করে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন মালিক ইবনু হুবাইরাহ আস-সাবঈ দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হে মু‘আবিয়াহ! আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ বিষয়ে কিছু শুনেছেন, নাকি আপনার ব্যক্তিগত অভিমত? মু‘আবিয়াহ (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা শা‘বান মাসে সওম পালন করো এবং বিশেষভাবে এর শেষদিকে। [২৩২৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩২৯ বায়হাক্বী। সানাদের আবূল আযহার মুগীরাহ বিন ফারওয়াহ এর জাহলাত রয়েছে। তার সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ ‘‘মাক্ববুল’।’ ইবনু হিব্বান ছাড়া আর কেউ তাকে সিক্বাহ বলেননি। ইবনু হাযম মুহাল্লা গ্রন্থে বলেনঃ তিনি গাইরে মাশহুর।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৩০

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، – فِي هَذَا الْحَدِيثِ – قَالَ قَالَ الْوَلِيدُ سَمِعْتُ أَبَا عَمْرٍو – يَعْنِي الأَوْزَاعِيَّ – يَقُولُ سِرُّهُ أَوَّلُهُ ‏.‏

আবুল ওয়ালীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আবূ ‘আমর আল-আওযাঈকে বলতে শুনেছি, ‘সাররাহ’ অর্থ মাসের প্রথমভাগ। [২৩৩০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩৩০] বায়হাক্বী।

হাদিসের মানঃ শায মাকতু

  •  সরাসরি

২৩৩১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، قَالَ كَانَ سَعِيدٌ – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ – يَقُولُ سِرُّهُ أَوَّلُهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ سِرُّهُ وَسَطُهُ وَقَالُوا آخِرُهُ ‏.‏

আবূ মুসহির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাঈদ ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) বলতেন, ‘সাররাহ’ অর্থ শা‘বানের প্রথম ভাগ। [২৩৩১]

 

শায।

 

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, কারো মতে, মাসের মধ্যভাগ, কারো মতে, শেষ ভাগ।

 

সহীহঃ মাসের শেষভাগ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩৩১] বায়হাক্বী।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৯

যখন কোন শহরে অন্যান্য শহরের এক রাত আগে চাঁদ দেখা যায়

২৩৩২

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ ابْنَةَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا فَاسْتُهِلَّ رَمَضَانُ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْنَا الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ قُلْتُ رَأَيْتُهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ‏.‏ قَالَ أَنْتَ رَأَيْتَهُ قُلْتُ نَعَمْ وَرَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ ‏.‏ قَالَ لَكِنَّا رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُهُ حَتَّى نُكْمِلَ الثَّلاَثِينَ أَوْ نَرَاهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَفَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ قَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)- এর আযাদকৃত গোলাম কুরাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উম্মুল ফাদল বিনতুল হারিস তাকে মু‘আবিয়াহ (রাঃ) -এর নিকট সিরিয়াতে কোন দরকারে পাঠালেন। কুরাইব বলেন, আমি সিরিয়া এসে তার কাজটি পুরা করি। এমতাবস্থায় রমাযানের চাঁদও উদিত হলো। আমরা সেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখি। রমাযানের শেষদিকে আমি মদিনায় ফিরে এলে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বিভিন্ন আলোচনার পর চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কখন চাঁদ দেখেছো? আমি বললাম, আমি বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখেছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি স্বচক্ষে চাঁদ দেখেছো? আমি বললাম, হ্যাঁ, লোকেরাও দেখেছে এবং সওম রেখেছে এবং মু‘আবিয়াহ (রাঃ) -ও সওম রেখেছেন। তিনি বললেন, আমরা চাঁদ দেখেছি শুক্রবার সন্ধ্যায়। সুতরাং আমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়া অথবা (শাওয়ালের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম পালন অব্যাহত রাখবো। তখন আমি বললাম, মু‘আবিয়াহর চাঁদ দেখা ও তাঁর সওম পালন কি আপনার সওম পালন ও ভঙ্গের জন্য যথেষ্ট নয়? তিনি উত্তর দিলেন, না, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এরূপই নির্দেশ দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৩৩

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الأَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِفِي رَجُلٍ كَانَ بِمِصْرٍ مِنَ الأَمْصَارِ فَصَامَ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَشَهِدَ رَجُلاَنِ أَنَّهُمَا رَأَيَا الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الأَحَدِ فَقَالَ لاَ يَقْضِي ذَلِكَ الْيَوْمَ الرَّجُلُ وَلاَ أَهْلُ مِصْرِهِ إِلاَّ أَنْ يَعْلَمُوا أَنَّ أَهْلَ مِصْرٍ مِنْ أَمْصَارِ الْمُسْلِمِينَ قَدْ صَامُوا يَوْمَ الأَحَدِ فَيَقْضُونَهُ ‏.‏

আল-হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল-হাসান (রহঃ) কোন এক শহরের অধিবাসী সম্পর্কে বর্ণিত। লোকটি সোমবার সওম পালন করে এবং দুই ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, তারা রবিবার দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছে। তিনি বললেন, ঐ লোক এবং তার অধিবাসীকে সওম ক্বাযা করতে হবে না যতক্ষণ না তারা জানতে পারে যে, ঐ জনপদের লোকেরা রবিবার সওম পালন করেছে। তাহলে তারা সওম ক্বাযা করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ – ১০

সন্দেহের দিন সওম পালন মাকরূহ

২৩৩৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ صِلَةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَمَّارٍ فِي الْيَوْمِ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَأُتِيَ بِشَاةٍ فَتَنَحَّى بَعْضُ الْقَوْمِ فَقَالَ عَمَّارٌ مَنْ صَامَ هَذَا الْيَوْمَ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

সিলাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক সন্দেহজনক দিনে আম্মারের (রাঃ) নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন একটি ভূনা বকরী সেখানে উপস্থিত করা হলে কিছু লোক এক দিকে সরে গেলো (খাওয়া থেকে বিরত থাকলো)। তখন আম্মার (রাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি সন্দেহজনক দিনে সওম পালন করেছে, সে আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নাফরমানী করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ – ১১

যে ব্যক্তি শা‘বানকে রমাযানের সাথে যুক্ত করে

২৩৩৫

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقَدَّمُوا صَوْمَ رَمَضَانَ بِيَوْمٍ وَلاَ يَوْمَيْنِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ صَوْمًا يَصُومُهُ رَجُلٌ فَلْيَصُمْ ذَلِكَ الصَّوْمَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা রমাযানের একদিন অথবা দু’দিন পূর্বে সওম রাখবে না। অবশ্য কেউ প্রতি মাসে ঐ তারিখে সওম পালনে অভ্যস্ত হলে সে রাখতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৩৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ تَوْبَةَ الْعَنْبَرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَصُومُ مِنَ السَّنَةِ شَهْرًا تَامًّا إِلاَّ شَعْبَانَ يَصِلُهُ بِرَمَضَانَ ‏.‏

উম্মে সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা‘বান মাস ছাড়া বছরের পূর্ণ একটি মাস কখনো সওম রাখতেন না। তিনি সওম অব্যাহত রেখে শা‘বানকে রমাযানের সাথে মিলাতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ – ১২

শা‘বানের শেষ দিকে সওম পালন মাকরূহ

২৩৩৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَدِمَ عَبَّادُ بْنُ كَثِيرٍ الْمَدِينَةَ فَمَالَ إِلَى مَجْلِسِ الْعَلاَءِ فَأَخَذَ بِيَدِهِ فَأَقَامَهُ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا انْتَصَفَ شَعْبَانُ فَلاَ تَصُومُوا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الْعَلاَءُ اللَّهُمَّ إِنَّ أَبِي حَدَّثَنِي عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ وَشِبْلُ بْنُ الْعَلاَءِ وَأَبُو عُمَيْسٍ وَزُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنِ الْعَلاَءِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لاَ يُحَدِّثُ بِهِ قُلْتُ لأَحْمَدَ لِمَ قَالَ لأَنَّهُ كَانَ عِنْدَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصِلُ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ وَقَالَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خِلاَفَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَيْسَ هَذَا عِنْدِي خِلاَفَهُ وَلَمْ يَجِئْ بِهِ غَيْرُ الْعَلاَءِ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏

আবদুল ‘আযীয ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আব্বাদ ইবনু কাসীর (রহঃ) মদিনায় আগমন করে আল-আ‘লা (রহঃ) -এর মাজলিস এ উপস্হিত হলেন। তিনি তার হাত ধরে তাকে দাঁড় করালেন, অতঃপর বললেন, হে আল্লাহ ! এ লোকটি তার পিতার সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর থেকে বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শা‘বান মাসের অর্ধেক অতিবাহিত হলে তোমরা (নাফল) সওম রাখবে না। আল-আ‘লা বলেন, আল্লাহ সাক্ষী, আমার পিতা আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে উক্ত হাদীস আমার নিকট বর্ননা করেছেন।

 

সহীহ।

 

ইমাম আবু দাউদ (রঃ) বলেন, আস-সাওরী, শিবল ইবনুল আলা, উমাইস ও যুহাইর ইবনু মুহাম্মাদ (রঃ) আল-আলা (রঃ) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ‘আবদুর রহমান (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন না। আমি ইমাম আহমাদ (রঃ)-কে জিজ্ঞেস করি, তা কেন? তিনি বলেন, তার কাছে হাদীস রয়েছে যে, নাৰী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের পালনের দ্বারা শা’বানকে রমাযানের সাথে মিলাতেন। কিন্তু আল-আ’লা (রঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এর বিপরীত বর্ণনা করেছেন। ইমাম দাউদ (রঃ) বলেন, আমার মতে, দুই হাদীসের মধ্যে বিরোধ নাই। আল-আ’লা ছাড়া অন্য কেউ এটি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৩

শাওয়ালের চাদঁ দেখার বিষয়ে দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রদান

২৩৩৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ أَبُو يَحْيَى الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ الْحَارِثِ الْجَدَلِيُّ، – مِنْ جَدِيلَةِ قَيْسٍ أَنَّ أَمِيرَ مَكَّةَ خَطَبَ ثُمَّ قَالَ عَهِدَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَنْسُكَ لِلرُّؤْيَةِ فَإِنْ لَمْ نَرَهُ وَشَهِدَ شَاهِدَا عَدْلٍ نَسَكْنَا بِشَهَادَتِهِمَا فَسَأَلْتُ الْحُسَيْنَ بْنَ الْحَارِثِ مَنْ أَمِيرُ مَكَّةَ قَالَ لاَ أَدْرِي ‏.‏ ثُمَّ لَقِيَنِي بَعْدُ فَقَالَ هُوَ الْحَارِثُ بْنُ حَاطِبٍ أَخُو مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ ثُمَّ قَالَ الأَمِيرُ إِنَّ فِيكُمْ مَنْ هُوَ أَعْلَمُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ مِنِّي وَشَهِدَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى رَجُلٍ قَالَ الْحُسَيْنُ فَقُلْتُ لِشَيْخٍ إِلَى جَنْبِي مَنْ هَذَا الَّذِي أَوْمَأَ إِلَيْهِ الأَمِيرُ قَالَ هَذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ‏.‏ وَصَدَقَ كَانَ أَعْلَمَ بِاللَّهِ مِنْهُ فَقَالَ بِذَلِكَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

হুসাইন ইবনুল হারিস আল-জাদালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা মাক্কাহয় আমীর ভাষণ প্রদানের সময় বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে চাঁদ দেখে হাজ্জের অনুষ্ঠান আদায়ের উপদেশ দিয়েছেন। যদি চাঁদ না দেখি তাহলে দু’জন নিষ্ঠাবান ব্যক্তির সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যেন আমাদের হাজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালন করি। আবূ মালিক (রহঃ) বলেন, আমি হুসাইন ইবনুল হারিস (রহঃ) -কে জিজ্ঞেস করি, মাক্কাহর আমীর কে? তিনি বলেন, আমার জানা নেই। পরবর্তীতে তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হলে তিনি বলেন, মাক্কাহর আমীর হলেন মুহাম্মাদ ইবনু হাতিবের ভাই হারিস ইবনু হাতিব। অতঃপর উক্ত আমীর বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন একজন আছেন যিনি আমার চাইতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্বন্ধে অধিক জ্ঞাত। আর তিনিই এ কথাটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন। একথা বলে তিনি এক লোকের দিকে ইঙ্গিত করলেন। হুসাইন (রহঃ) বলেন, আমার পাশে বসা এক বৃদ্ধ লোককে আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমীরের ইঙ্গিতকৃত এই লোকটি কে? তিনি বললেন, ইনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)। তিনি যে বলেছেন, উনি (ইবনু ‘উমার) আমার চেয়ে অনেক জ্ঞাত, তাও সঠিক। এরপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে উক্ত নির্দেশ দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৩৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْمُقْرِئُ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ فَقَدِمَ أَعْرَابِيَّانِ فَشَهِدَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّهِ لأَهَلاَّ الْهِلاَلَ أَمْسِ عَشِيَّةً فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ أَنْ يُفْطِرُوا زَادَ خَلَفٌ فِي حَدِيثِهِ وَأَنْ يَغْدُوا إِلَى مُصَلاَّهُمْ ‏.‏

রিব‘ঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযানের শেষদিন সম্পর্কে লোকদের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দিলো, এমতাবস্হায় দু’জন বেদুঈন এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে আল্লাহর নামে শপথ করে সাক্ষ্য দিলেন যে, তারা উভয়ে গতকাল সন্ধ্যার চাঁদ দেখেছেন। সুতরাং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের সওম ভঙ্গ করার নির্দেশ দিলেন। খালফ (রহঃ) তার হাদীসে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে সকালে তাদের ঈদগাহে গমনের নির্দেশ দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৪

রমযানের চাঁদ দেখার বিষয়ে এক জনের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য

২৩৪০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ الرَّيَّانِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي ثَوْرٍ ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ، – يَعْنِي الْجُعْفِيَّ – عَنْ زَائِدَةَ، – الْمَعْنَى – عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ الْهِلاَلَ – قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ يَعْنِي رَمَضَانَ – فَقَالَ ‏”‏ أَتَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ يَا بِلاَلُ أَذِّنْ فِي النَّاسِ فَلْيَصُومُوا غَدًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আমি রমযানের চাঁদ দেখেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলা্হ নেই? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ হে বিলাল! ঘোষণা করে দাও, লোকেরা যেন কাল সওম পালন করে। [২৩৪০]

 

দুর্বলঃ মিশকাত (১৯৭৮), যঈফ সুনান তিরমিযী (১০৮ /৬৯৪), যঈফ সুনান নাসায়ী (১২১ /২১১২), যঈফ সুনান ইবনু মাজা্হ (৩৬৪), ইরওয়া (৯০৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৪০ তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, ইবনু খুযাইমাহ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ ‘ইবনু ‘আব্বাসের হাদিসের মতপার্থক্য রয়েছে।’ হাদিসের সানাদে সিমাক রয়েছে। ‘ইকরিমা সূত্রে তার বর্ণনা মুযতারিব। যেমন আত-তাক্ববীর গ্রন্থে রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৪১

حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّهُمْ شَكُّوا فِي هِلاَلِ رَمَضَانَ مَرَّةً فَأَرَادُوا أَنْ لاَ يَقُومُوا وَلاَ يَصُومُوا فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ مِنَ الْحَرَّةِ فَشَهِدَ أَنَّهُ رَأَى الْهِلاَلَ فَأُتِيَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ أَتَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ وَشَهِدَ أَنَّهُ رَأَى الْهِلاَلَ فَأَمَرَ بِلاَلاً فَنَادَى فِي النَّاسِ أَنْ يَقُومُوا وَأَنْ يَصُومُوا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرِ الْقِيَامَ أَحَدٌ إِلاَّ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ‏.‏

‘ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা সাহাবীগন রমযানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হলে তারা তারাবীহ না পড়া ও সওম না রাখার ইচ্ছা করেন। এমন সময় হাররাহ এলাকা থেকে এক বেদুঈন এসে সাক্ষ্য দিলো যে, সে চাঁদ দেখেছে। তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট উপস্হিত করা হলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলা্হ নেই, এবং আমি আল্লাহর রাসূল? সে বললো, হ্যাঁ, এবং সে সাক্ষ্য দিলো যে, সে চাঁদ দেখেছে। অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ) -কে নির্দেশ দিলেনঃ লোকদের মধ্যে ঘোষণা করে দাও যে, তারা যেন ক্বিয়াম করে এবং সওম রাখে। ইমাম আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি এক জামা‘আত সিমাকের মাধ্যমে ‘ইকরিমাহ (রহঃ) সূত্রে মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন, তিনি একে মারফু করেছেন। তবে হাম্মাদ (রহঃ) ছাড়া কেউই ক্বিয়াম তথা তারাবীহ সলাতের কথা উল্লেখ করেননি। [২৩৪১]

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৪১ বায়হাক্বী। এর পূর্বেরটি দেখুন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৪২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السَّمَرْقَنْدِيُّ، – وَأَنَا لِحَدِيثِهِ، أَتْقَنُ – قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – هُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ تَرَاءَى النَّاسُ الْهِلاَلَ فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي رَأَيْتُهُ فَصَامَهُ وَأَمَرَ النَّاسَ بِصِيَامِهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন লোকেরা রমযানের চাঁদ অন্বেষণ করছিল। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানালাম যে, আমি চাঁদ দেখেছি। অতঃপর তিনি নিজেও সওম রাখলেন এবং লোকদেরকেও রমযানের সওম পালনের আদেশ দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৫

সাহারী খাওয়ার গুরুত্ব

২৩৪৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ فَصْلَ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ ‏”‏ ‏.‏

‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাদের ও আহলে কিতাবের সওমের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সাহারী খাওয়া।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৬

যারা সাহারীকে ভোরের নাস্তা আখ্যায়িত করেন

২৩৪৪

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ الْخَيَّاطُ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ سَيْفٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي رُهْمٍ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ دَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى السَّحُورِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَ ‏ “‏ هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ الْمُبَارَكِ ‏”‏ ‏.‏

আল-‘ইরবাদ ইবনু সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রমাযানের সাহারীর সময় ডাকলেন এবং বললেনঃ বরকতময় সকালের খাবারের দিকে এসো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৪৫

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ أَبُو الْمُطَرِّفِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ نِعْمَ سَحُورُ الْمُؤْمِنِ التَّمْرُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরা্হ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ঈমানদার ব্যক্তির জন্য খেজুর দিয়ে সাহারী খাওয়া কতোই না উত্তম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৭

সা্হরীর সময়

২৩৪৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَوَادَةَ الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ، يَخْطُبُ وَهُوَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَمْنَعَنَّ مِنْ سَحُورِكُمْ أَذَانُ بِلاَلٍ وَلاَ بَيَاضُ الأُفُقِ الَّذِي هَكَذَا حَتَّى يَسْتَطِيرَ ‏”‏ ‏.‏

সামুরা্হ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা সামুরা্হ ইবনু জুনদুব (রাঃ) খুত্ববাহ প্রদানের সময় বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিলালের আযান যেন তোমাদেরকে পানাহার থেকে বিরত না রাখে, আর না (পূর্ব) আকাশের শুভ্র আলো যতক্ষন না পূর্ব দিগন্তে বিস্তৃত হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৪৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ التَّيْمِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ أَذَانُ بِلاَلٍ مِنْ سَحُورِهِ فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ – أَوْ قَالَ يُنَادِي – لِيَرْجِعَ قَائِمُكُمْ وَيَنْتَبِهَ نَائِمُكُمْ وَلَيْسَ الْفَجْرُ أَنْ يَقُولَ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مُسَدَّدٌ وَجَمَعَ يَحْيَى كَفَّيْهِ حَتَّى يَقُولَ هَكَذَا وَمَدَّ يَحْيَى بِأُصْبَعَيْهِ السَّبَّابَتَيْنِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিলালের আযান যেনো তোমাদেরকে সা্হরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কেননা সে আযান দেয় (বা আহবান জানায়) রাতের সলাত আদায়কারীদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য, আর যারা ঘুমিয়েছিলো তাদেরকে জাগ্রত করতে। আর এরুপ না হওয়া পর্যন্ত ফাজর হয় না। ইয়াহইয়া (রহঃ) হাতের তালুকে একত্র করে বলেন, এরূপ, ইয়াহহিয়া তর্জনীদ্বয়কে প্রসারিত করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৪৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كُلُوا وَاشْرَبُوا وَلاَ يَهِيدَنَّكُمُ السَّاطِعُ الْمُصْعِدُ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَعْتَرِضَ لَكُمُ الأَحْمَرُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْيَمَامَةِ ‏.‏

ক্বায়িস ইবনু ত্বালক্ব (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ খাও এবং পান করো। উর্ধাকাশে ভোরের যে লম্বা রেখা ফুটে উঠে, তা যেন তোমাদেরকে (সাহরী খাওয়া থেকে) বিরত না রাখে। সুতরাং আকাশের দিগন্তে লাল রঙ্গের ফর্সা উঠা পর্যন্ত তোমরা খাও এবং পান করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৩৪৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، – الْمَعْنَى – عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ ‏}‏ ‏.‏ قَالَ أَخَذْتُ عِقَالاً أَبْيَضَ وَعِقَالاً أَسْوَدَ فَوَضَعْتُهُمَا تَحْتَ وِسَادَتِي فَنَظَرْتُ فَلَمْ أَتَبَيَّنْ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَحِكَ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ وِسَادَكَ لَعَرِيضٌ طَوِيلٌ إِنَّمَا هُوَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عُثْمَانُ ‏”‏ إِنَّمَا هُوَ سَوَادُ اللَّيْلِ وَبَيَاضُ النَّهَارِ ‏”‏ ‏.‏

‘আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ‘তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ না রাতের কালো সুতা থেকে ভোরের সাদা সুতা (রেখা) স্পষ্টরুপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত হয়’ (সুরাহ আল- বাক্বারাহঃ ১৮৭)। তখন আমি একটি কালো ও একটি সাদা রংয়ের সুতা নিয়ে আমার বালিশের নীচে রাখি। এরপর আমি তা দেখতে থাকি কিন্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পেলাম না। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে গিয়ে বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি হেসে উঠলেন এবং বললেন, বালিশ তো দৈর্ঘ্য প্রস্থকারী। বরং এটা হচ্ছে রাত ও দিন। ‘উসমানের বর্ণনায় রয়েছেঃ তা তো রাতের অন্ধকার ও দিনের শুভ্রতা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৮

খাবার পাত্র হাতে থাকাবস্হায় ফাজরের আযান শুনলে

২৩৫০

حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمُ النِّدَاءَ وَالإِنَاءُ عَلَى يَدِهِ فَلاَ يَضَعْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ ফাজরের আযান শুনতে পায় অথচ খাবারের পাত্র তার হাতে থাকে, সে যেন তা রেখে না দেয় যতক্ষন না তার প্রয়োজন পূরণ হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-১৯

সওম পালনকারীর ইফতারের সময়

২৩৫১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ هِشَامٍ، – الْمَعْنَى – قَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا جَاءَ اللَّيْلُ مِنْ هَا هُنَا وَذَهَبَ النَّهَارُ مِنْ هَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏ زَادَ مُسَدَّدٌ ‏”‏ وَغَابَتِ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ ‏”‏ ‏.‏

‘আসিম ইবনু ‘উমার (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন এদিক (পূর্বদিকে) থেকে রাত আসে এবং এদিক (পশ্চিম দিক) থেকে দিন তিরোহিত হয় অর্থাৎ সূর্য অস্তমিত যায়, তখন সওম পালনকারীর ইফতারের সময়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولُ سِرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَائِمٌ فَلَمَّا غَرَبَتِ الشَّمْسُ قَالَ ‏”‏ يَا بِلاَلُ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ أَمْسَيْتَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَلَيْكَ نَهَارًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا ‏”‏ ‏.‏ فَنَزَلَ فَجَدَحَ فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِذَا رَأَيْتُمُ اللَّيْلَ قَدْ أَقْبَلَ مِنْ هَا هُنَا فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ ‏”‏ ‏.‏ وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ قِبَلَ الْمَشْرِقِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু আবু ‘আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সফরে গেলাম। তখন তিনি সওম পালনরত ছিলেন। সূর্য ডুবে গেলে তিনি বললেন, হে বিলাল! সওয়ারী থেকে নেমে আমাদের জন্য ছাতু তৈরি করে আনো। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সন্ধ্যা হতে দিন। তিনি বলেনঃ সওয়ারী থেকে নেমে আমাদের জন্য ছাতু তৈরি করে আনো। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এখনও তো দিন বাকী আছে। তিনি আবারও বললেনঃ নামো এবং আমাদের জন্য ছাতু বানাও। অতঃপর তিনি নেমে ছাতু তৈরি করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা পান করে বললেনঃ যখন তোমরা এদিক (পূর্বদিক) থেকে রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে দেখবে তখনই সওম পালনকারী ইফতার করবে। তিনি তাঁর আঙ্গুল দিয়ে পূর্বদিক ইঙ্গিত করে দেখালেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২০

অবিলম্বে ইফতার করা মুস্তাহাব

২৩৫৩

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ الدِّينُ ظَاهِرًا مَا عَجَّلَ النَّاسُ الْفِطْرَ لأَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى يُؤَخِّرُونَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দ্বীন বিজয়ী থাকবে যতদিন লোকেরা অবিলম্বে ইফতার করবে। কেননা ইহুদী ও খৃস্টানরা বিলম্বে ইফতার করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ – رضى الله عنها – أَنَا وَمَسْرُوقٌ فَقُلْنَا يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ رَجُلاَنِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلاَةَ وَالآخَرُ يُؤَخِّرُ الإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ الصَّلاَةَ قَالَتْ أَيُّهُمَا يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلاَةَ قُلْنَا عَبْدُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَتْ كَذَلِكَ كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবু ‘আত্বিয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি ও মাসরূক (রহঃ) ‘আয়িশাহ (রাঃ) -এর নিকট গিয়ে বলি, হে উম্মুল মু’মিনীন! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দুইজন সাহাবীর একজন সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি (মাগরিবের) সলাত আদায় করে নেন। আর দ্বিতীয়জন বিলম্বে ইফতার করেন এবং সলাতও বিলম্বে আদায় করেন। তিনি বললেন, তাদের মধ্যে কে ইফতার অনতিবিলম্বে করেন এবং সলাত তারাতারি আদায় করেন? আমরা বললাম, তিনি হচ্ছেন ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ)। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২১

ইফতারের খাদ্য

২৩৫৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنِ الرَّبَابِ، عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ، عَمِّهَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ صَائِمًا فَلْيُفْطِرْ عَلَى التَّمْرِ فَإِنْ لَمْ يَجِدِ التَّمْرَ فَعَلَى الْمَاءِ فَإِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ ‏”‏ ‏.‏

সালমান ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সওম রাখলে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি পবিত্রকারী। [২৩৫৫]

 

দূর্বলঃ যঈফ সুনান আত-তিরমিযী ( ১০১ /৬৬১, ১১০/৬৯৯), যঈফ সুনান মাজাহ (৩৭৪), ইরওয়া (৯২২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৫৫ তিরমিযী, দারিমী, আহমাদ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ ‘এই হাদীসটি হাসান।’ হাদীসের সানাদে রাবাব রয়েছে। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্হে বলেনঃ মাক্ববুল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ عَلَى رُطَبَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَعَلَى تَمَرَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাগরিবের) সলাতের পূর্বে কয়েকটি পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, পাকা খেজুর না পেলে খোরমা দিয়ে, তাও না পেলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে (ইফতার করতেন)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২২

ইফতারের সময় দু‘আ পাঠ

২৩৫৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى أَبُو مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ، أَخْبَرَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – يَعْنِي ابْنَ سَالِمٍ – الْمُقَفَّعُ – قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقْبِضُ عَلَى لِحْيَتِهِ فَيَقْطَعُ مَا زَادَ عَلَى الْكَفِّ وَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَفْطَرَ قَالَ ‏ “‏ ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

মাওয়ান ইবনু সালিম আল-মুকাফফা‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ) -কে তার দাড়ি মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে মুষ্টির বাড়তি অংশ কেটে ফেলতে দেখেছি। আর তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফতারের সময় বলতেনঃ ‘পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ প্রতিদানও নির্ধারিত হয়েছে’।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ زُهْرَةَ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَفْطَرَ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ ‏”‏ ‏.‏

মুয়ায ইবনু যুহরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট হাদীস পৌঁছেছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফতারের সময় বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া ‘আলা রিযক্বিক্বা আফতারতু”। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার উদ্দেশ্যেই সওম পালন করেছি এবং আপনার দেয়া রিযিক দ্বারাই ইফতার করেছি। [২৩৫৮]

 

দুর্বলঃ মিশকাত (১৯৯৪), ইরওয়া (৪/৩৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৫৮ বায়হাক্বী। এর সানাদ মুরসাল। এছাড়া সানাদে জাহালাত রয়েছে। মু‘আয বিন যুহরা সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৩

সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করলে

২৩৫৯

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ أَفْطَرْنَا يَوْمًا فِي رَمَضَانَ فِي غَيْمٍ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ طَلَعَتِ الشَّمْسُ قَالَ أَبُو أُسَامَةَ قُلْتُ لِهِشَامٍ أُمِرُوا بِالْقَضَاءِ قَالَ وَبُدٌّ مِنْ ذَلِكَ

আসমা’ বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময় রমযানে এক মেঘাচ্ছন্ন দিনে ইফতার করার পর সূর্য প্রকাশ হয়ে পড়লো। আবূ উসামাহ (রহঃ) বলেন, আমি হিশামকে বললাম, তাদেরকে কি তা কাযা করার নির্দেশ করা হয়েছিলো? তিনি বললেন, তা অবশ্যই করণীয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৪

সাওমে বিসাল বা বিরতিহীন রোযা রাখা

২৩৬০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ نَهَى عَنِ الْوِصَالِ، قَالُوا فَإِنَّكَ تُوَاصِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ إِنِّي أُطْعَمُ وَأُسْقَى ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিরতিহীন সওম পালন করতে নিষেধ করেছেন। লোকেরা বললো, আপনি তো সাওমে বিসাল রাখেন। তিনি বললেনঃ আমার অবস্থা তোমাদের মতো নয়। কেননা আমাকে পানাহার করানো হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ بَكْرَ بْنَ مُضَرَ، حَدَّثَهُمْ عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ لاَ تُوَاصِلُوا فَأَيُّكُمْ أَرَادَ أَنْ يُوَاصِلَ فَلْيُوَاصِلْ حَتَّى السَّحَرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا فَإِنَّكَ تُوَاصِلُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنِّي لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ إِنَّ لِي مُطْعِمًا يُطْعِمُنِي وَسَاقِيًا يَسْقِينِي ‏”‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা বিরতিহীন সওম পালন করো না। অবশ্য কেউ ‘সাওমে বিসাল’ করতে চাইলে সাহারী পর্যন্ত করতে পারে। সাহাবীরা বললেন, আপনি তো ক্রমাগত সওম পালন করেন? তিনি বলেনঃ আমার অবস্থা তোমাদের মতো নয়। আমার খাদ্যদাতা ও পানীয়দাতা আছেন। তিনি আমাকে পানাহার করান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫

সওম পালনকারীর জন্য গীবাত করা

২৩৬২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ فَهِمْتُ إِسْنَادَهُ مِنَ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ وَأَفْهَمَنِي الْحَدِيثَ رَجُلٌ إِلَى جَنْبِهِ أُرَاهُ ابْنَ أَخِيهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি সওম পালন করেও মিথ্যা বলা ও অপকর্ম ত্যাগ না করে, তাহলে তার পানাহার বর্জন করাতে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الصِّيَامُ جُنَّةٌ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ صَائِمًا فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَجْهَلْ فَإِنِ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ إِنِّي صَائِمٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ সওম পালন করলে সে যেন পাপাচারে লিপ্ত না হয় এবং মূর্খের ন্যায় আচরণ না করে। কেউ তার সাথে ঝগড়া করলে বা তাকে গালমন্দ করলে সে যেন বলে, আমি সায়িম (রোযাদার), আমি সায়িম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৬

সওম পালনকারীর মিসওয়াক করা

২৩৬৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَاكُ وَهُوَ صَائِمٌ ‏.‏ زَادَ مُسَدَّدٌ مَا لاَ أَعُدُّ وَلاَ أُحْصِي ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আমির ইবনু রাবীআ‘ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সওম পালন অবস্থায় এতো বেশি মিসওয়াক করতে দেখেছি যে, তা সংখ্যায় নির্ণয় করা মুশকিল। [২৩৬৪]

 

দুর্বলঃ মিশকাত (৯০০২), ইরওয়া ,(৮৬) যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (১১৬/৭২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৬৪ তিরমিযী, আহমাদ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ ‘আমির বিন রবী‘আহর হাদীসটি হাসান।’ হাদীসের সানাদে রয়েছে ‘আসিম বিন ‘উবাইদুল্লাহ। হাফিয বলেনঃ তিনি যঈফ। ইমাম বায়হাক্বী বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। তাকে ইবনু মাঈন, ইমাম বুখারী ও জাহলী প্রমূখ ইমামগণ যঈফ বলেছেন। এছাড়া সানাদের ‘উবাইদুল্লাহ বিন ‘আমির সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৭

পিপাসার কারণে সওম পালনকারীর শরীরে পানি ঢালা এবং বারবার নাকে পানি দেয়া

২৩৬৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ النَّاسَ فِي سَفَرِهِ عَامَ الْفَتْحِ بِالْفِطْرِ وَقَالَ ‏ “‏ تَقَوَّوْا لِعَدُوِّكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَصَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ الَّذِي حَدَّثَنِي لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْعَرْجِ يَصُبُّ عَلَى رَأْسِهِ الْمَاءَ وَهُوَ صَائِمٌ مِنَ الْعَطَشِ أَوْ مِنَ الْحَرِّ ‏.

আবূ বাকর ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন এক সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাক্কাহ বিজয়ের বছরে এক সফরে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে লোকদের প্রতি সওম ভঙ্গের নির্দেশ দিতে দেখেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুশমনের মোকাবিলায় তোমরা শক্তি সঞ্চয় করো। অবশ্য রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে সওম রেখেছেন। আবূ বাকর (রহঃ) বলেন, হাদীস বর্ণনাকারী বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে ‘আল-‘আরজ’ নামক স্থানে পিপাসার কারণে বা গরমের ফলে সওমরত অবস্থায় তাঁর মাথায় পানি ঢালতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ بَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا ‏”‏ ‏.‏

লাক্বীত্ব ইবনু সাবরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি উত্তমরূপে নাকে পানি দিয়ে তা পরিষ্কার করো- যদি তুমি সওম পালনের অবস্থায় না থাকো।

 

সহীহ। এটি পূর্বের ১৪২ নং হাদীসের অংশ বিশেষ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৮

সওম পালনকারীর শিংগা লাগানো

২৩৬৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، – جَمِيعًا – عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، – يَعْنِي الرَّحَبِيَّ – عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ شَيْبَانُ أَخْبَرَنِي أَبُو قِلاَبَةَ أَنَّ أَبَا أَسْمَاءَ الرَّحَبِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তমোক্ষণকারী এবং যার রক্তমোক্ষণ করানো হয়েছে তাদের বলেনঃ উভয়ের সওম নষ্ট হয়েছে। শাইবান (রহঃ) বলেন, আবূ ক্বিলাবাহ বলেছেন, আবূ আসমা আর-রাহবী তাকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) তা নবী থেকে শুনেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو قِلاَبَةَ الْجَرْمِيُّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ شَدَّادَ بْنَ أَوْسٍ بَيْنَمَا هُوَ يَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

একদা শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে চলছিলেন… অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬৯

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى عَلَى رَجُلٍ بِالْبَقِيعِ وَهُوَ يَحْتَجِمُ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِي لِثَمَانَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ فَقَالَ ‏ “‏ أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى خَالِدٌ الْحَذَّاءُ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ بِإِسْنَادِ أَيُّوبَ مِثْلَهُ ‏.‏

শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযানের আঠার দিন অতিবাহিত হবার পর আমার হাত ধরে জান্নাতুল বাকী‘তে এক ব্যক্তির নিকট আসলেন, যে শিংগা লাগাচ্ছিল। তিনি বললেনঃ রক্তমোক্ষণকারী ও যার রক্তমোক্ষণ করা হয়েছে তাদের উভয়ের সওম নষ্ট হয়ে গেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৭০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مَكْحُولٌ، أَنَّ شَيْخًا، مِنَ الْحَىِّ – قَالَ عُثْمَانُ فِي حَدِيثِهِ مُصَدَّقٌ – أَخْبَرَهُ أَنَّ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ ‏”‏ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রক্তমোক্ষণকারী ও যে রক্তমোক্ষণ করায় তাদের উভয়ের সওম নষ্ট হয়ে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৭১

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا الْعَلاَءُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ ابْنُ ثَوْبَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَكْحُولٍ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ ‏.‏

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রক্তমোক্ষণকারী ও যে রক্তমোক্ষণ করায় তাদের উভয়ের সওম নষ্ট হয়ে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৯

সওম পালনকারীর শিংগা লাগানোর অনুমতি আছে

২৩৭২

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ أَيُّوبَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ ‏.‏ وَجَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ وَهِشَامُ بْنُ حَسَّانَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, উহাইব ইবনু খালিদ (রহঃ) এ হাদীস আইউব (রহঃ) থেকে তার সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবার জা‘ফার ইবনু রবী‘আহ (রহঃ) ও হিশাম ইবনু হাসসান (রহঃ) ইকরিমা-ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৭৩

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ مُحْرِمٌ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম ও ইহরাম অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। [২৩৭৩]

 

দুর্বলঃ যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (১২৪/৭৭৯), ইরওয়া (৯৩২), যঈফ সুনান ইবনু মাজাহ (৩৭১), তাকরীজ হাক্বীক্বাতুস সিয়াম (পৃঃ ৬৭-৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৭৩ তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। কিন্তু সানাদে ইয়াযীদ বিন আবূ যিয়াদ রয়েছে। হাফিয বলেনঃ ‘তিনি যঈফ।’ তার স্মরণশক্তি মন্দ এবং তিনি হাদীসের মাতানে ইযতিরাব করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৭৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، حَدَّثَنِي رَجُلٌ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْحِجَامَةِ وَالْمُوَاصَلَةِ وَلَمْ يُحَرِّمْهُمَا إِبْقَاءً عَلَى أَصْحَابِهِ فَقِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ تُوَاصِلُ إِلَى السَّحَرِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ إِنِّي أُوَاصِلُ إِلَى السَّحَرِ وَرَبِّي يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِي ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ লায়লাহ (রহঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তমোক্ষণ করানো এবং সাওমে বিসাল পালন করতে নিষেধ করেছেন। তবে তিনি এ দুটো কাজ সাহাবীদের প্রতি অনুগ্রহ করে হারাম করেননি। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো ভোর রাত পর্যন্ত ক্রমাগত সওম পালন করেন! তিনি বললেনঃ আমি অবশ্যই ভোর রাত পর্যন্ত সওমে বিসাল করি। কেননা আমার প্রতিপালক আমাকে পানাহার করান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৭৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ – عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ مَا كُنَّا نَدَعُ الْحِجَامَةَ لِلصَّائِمِ إِلاَّ كَرَاهِيَةَ الْجَهْدِ ‏.‏

সাবিত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) বলেছেন, সওম পালনকারী রক্তমোক্ষণ করালে দুর্বল হয়ে যাবে বিধায় আমরা তা পরিত্যাগ করতাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩০

রমাযান মাসে দিনের বেলাঃ সওম পালনকারীর স্বপ্নদোষ হলে

২৩৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِهِ عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يُفْطِرُ مَنْ قَاءَ وَلاَ مَنِ احْتَلَمَ وَلاَ مَنِ احْتَجَمَ ‏”‏ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কারো বমি হলে, স্বপ্নদোষ হলে এবং রক্তমোক্ষণ করালে সে সওম ভঙ্গ করবে না। [২৩৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৭৬ বায়হাক্বী। এর সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি রয়েছে। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ বলেনঃ তাকে চেনা যায়নি। আল্লামা মুনযিরী বলেনঃ এই হাদীসটি প্রমাণিত (সাবিত) নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুছেদ-৩১

সওম পালনকারী নিদ্রার সময় সুরমা লাগানো

২৩৭৭

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ النُّعْمَانِ بْنِ مَعْبَدِ بْنِ هَوْذَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَمَرَ بِالإِثْمِدِ الْمُرَوَّحِ عِنْدَ النَّوْمِ وَقَالَ ‏ “‏ لِيَتَّقِهِ الصَّائِمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ لِي يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ هُوَ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ يَعْنِي حَدِيثَ الْكَحْلِ ‏.‏

‘আব্দুর রহমান ইবনুন নু‘মান ইবনু মা‘বাদ ইবনু হাওযা (রহঃ) হতে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকেদেরকে ঘুমের সময় সুগন্ধিযুক্ত ইসমিদ সুরমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়া বলেছেনঃ সওম পালনকারী তা বর্জন করবে।

 

ইমাম আবু দাঊদ বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবনু মাঈন আমাকে বলেছেন, সুরমা ব্যবহার এর হাদীসটি মুনকার। [২৩৭৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৭৭ আহমাদ। সানাদে নু’মান অজ্ঞাত (মাজহুল)। যেমন আত-তাক্বরিব ও আল-মীযান গ্রন্থে রয়েছে। ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন বলেনঃ হাদিসটি মুনকার।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৭৮

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي مُعَاذٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ كَانَ يَكْتَحِلُ وَهُوَ صَائِمٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি সওম অবস্থায় সুরমা লাগাতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান মাওকুফ

  •  সরাসরি

২৩৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُخَرِّمِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِنَا يَكْرَهُ الْكَحْلَ لِلصَّائِمِ وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ يُرَخِّصُ أَنْ يَكْتَحِلَ الصَّائِمُ بِالصَّبِرِ ‏.‏

আল-আ‘মাশ (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমাদের কোন সাথীকে সওম পালনকারীর জন্য সুরমা ব্যবহার করাকে অপছন্দনীয় বলতে দেখিনি। ইবরাহিম নাখঈ (রহঃ) সওম পালনকারীর জন্য ‘সিবর’ সুরমা ব্যবহার এর অনুমতি দিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩২

সওম পালনকারী ইচ্ছকৃত বমি করলে

২৩৮০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ ذَرَعَهُ قَىْءٌ وَهُوَ صَائِمٌ فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَإِنِ اسْتَقَاءَ فَلْيَقْضِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ أَيْضًا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ هِشَامٍ مِثْلَهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন সওম পালনকারীর অনিচ্ছাকৃত বমি হলে তাকে তা ক্বাযা করতে হবে না। তবে কেউ সেচ্ছায় বমি করলে তাকে অবশ্যই সওম ক্বাযা করতে হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) হতে হিশাম (রহঃ) সূত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮১

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ، عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَعِيشَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ، أَنَّ أَبَا الدَّرْدَاءِ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاءَ فَأَفْطَرَ فَلَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَقُلْتُ إِنَّ أَبَا الدَّرْدَاءِ حَدَّثَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاءَ فَأَفْطَرَ ‏.‏ قَالَ صَدَقَ وَأَنَا صَبَبْتُ لَهُ وَضُوءَهُ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

মা‘দান ইবনু ত্বালহাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ দারদা (রাঃ) তাকে বর্ণনা করেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বমি করার পর সওম করেন। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুক্তদাস সাওবানের সঙ্গে দামিশকের জামে মাসজিদ এ সাক্ষাত করে বলি, আবূ দারদা (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বমি করার কারনে ইফতার করেছেন। তিনি বলেন, তিনি সত্য বলেছেন। ঐ সময় আমি তাঁকে অযুর পানি ঢেলে দিয়েছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৩

সওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা

২৩৮২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، وَعَلْقَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ وَيُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ وَلَكِنَّهُ كَانَ أَمْلَكَ لإِرْبِهِ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম অবস্থায় (তাকে) চুমু দিতেন এবং একত্রে অবস্থান করতেন। তিনি প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রনে অধিক সক্ষম ছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮৩

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ فِي شَهْرِ الصَّوْمِ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামযান মাসে (স্ত্রীদেরকে) চুমু দিতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ الْقُرَشِيَّ – عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُنِي وَهُوَ صَائِمٌ وَأَنَا صَائِمَةٌ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমরত অবস্থা আমাকে চুমা দিতেন। তখন আমিও সওমরত ছিলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ هَشِشْتُ فَقَبَّلْتُ وَأَنَا صَائِمٌ، فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَنَعْتُ الْيَوْمَ أَمْرًا عَظِيمًا قَبَّلْتُ وَأَنَا صَائِمٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَرَأَيْتَ لَوْ مَضْمَضْتَ مِنَ الْمَاءِ وَأَنْتَ صَائِمٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ فِي حَدِيثِهِ قُلْتُ لاَ بَأْسَ بِهِ ‏.‏ ثُمَّ اتَّفَقَا قَالَ ‏”‏ فَمَهْ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খত্তাব (রাঃ) বলেন, একদা আমি কামোদ্দিপ্ত হয়ে সওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমা দিলাম। এরপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আজ এক গুরুতর কাজ করে ফেলেছি, আমি সওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দিয়েছি। তিনি বললেন, তুমি পানি দিয়া কুলি করলে কি হতো? ঈসা ইবনু হাম্মাদের বর্ণনায় রয়েছেঃ আমি (‘উমার) বললাম, তাতে কোন ক্ষতি হতো না। আমি বলিঃ তাতে অসুবিধা নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৪

সওম পালনকারী নিজের থুথু গিললে

২৩৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ أَوْسٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ مِصْدَعٍ أَبِي يَحْيَى، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُقَبِّلُهَا وَهُوَ صَائِمٌ وَيَمُصُّ لِسَانَهَا ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম পালন অবস্থায় তাকে চুমু দিতেন এবং তাঁর জিহ্বাও চুষতেন। ইবনুল আ‘রাবী বলেন, আমি ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) থেকে জানতে পেরেছি, তিনি বলেছেন, এ হাদীসের সানাদ যথাথ নয়। [২৩৮৬]

 

দুর্বলঃ মিশকাত (২০০৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৮৬ আহমাদ, ইবনু খুযাইমাহ। সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু দীনারের এর স্মরণশক্তি মন্দ। তার ব্যাপারে কাদরিয়া হওয়ার আরোপ রয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে তার স্মরণশক্তি পরিবর্তন হয়ে গিয়াছিল। এছাড়া সা‘দ বিন আওস। তার সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ সত্যবাদী, তবে তার ভুল প্রচুর।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৫

(রোযাদার) যুবকের জন্য (চুম্বন) মাকরূহ

২৩৮৭

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، – يَعْنِي الزُّبَيْرِيَّ – أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُبَاشَرَةِ لِلصَّائِمِ فَرَخَّصَ لَهُ وَأَتَاهُ آخَرُ فَسَأَلَهُ فَنَهَاهُ ‏.‏ فَإِذَا الَّذِي رَخَّصَ لَهُ شَيْخٌ وَالَّذِي نَهَاهُ شَابٌّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট সওম অবস্থায় স্ত্রীর সাথে অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি এসে অনুরূপ জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে নিষেধ করে দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি যাকে অনুমতি দিয়েছেন সে ছিল বৃ্দ্ধ এবং যাকে নিষেধ করেছেন সে ছিল যুবক।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৬

যে ব্যাক্তি রমাযান মাসে নাপাক অবস্থায় ভোর করে

২৩৮৮

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ الأَذْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمَا قَالَتَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ الأَذْرَمِيُّ فِي حَدِيثِهِ فِي رَمَضَانَ مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلاَمٍ ثُمَّ يَصُومُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَمَا أَقَلَّ مَنْ يَقُولُ هَذِهِ الْكَلِمَةَ – يَعْنِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ – وَإِنَّمَا الْحَدِيثُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا وَهُوَ صَائِمٌ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ ও উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসে নাপাক অবস্থায় ভোরে উপনীত হতেন। বর্ণনাকারী ‘আব্দুল্লাহ আল-আযরামী তার হাদিসে বলেন, তিনি রমযানের রাতে স্বপ্ন দোষের কারনে নয় বরং সহবাসজনিত নাপাক অবস্থায় সওম পালন করতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، – يَعْنِي الْقَعْنَبِيَّ – عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، مَوْلَى عَائِشَةَ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَجُلاً قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى الْبَابِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُصْبِحُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَأَنَا أُصْبِحُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ فَأَغْتَسِلُ وَأَصُومُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ لَسْتَ مِثْلَنَا قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏”‏ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمَكُمْ بِمَا أَتَّبِعُ ‏”‏ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা এক ব্যক্তি দরজায় দাঁড়ানো অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি নাপাক অবস্থায় ভোর করেছি এবং আমি সওম পালনের ইচ্ছা রাখি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমিও (কখনো) নাপাক অবস্থায় ভোর করি এবং সওম পালনের ইচ্ছা রাখি। তাই আমি গোসল করে সওম পালন করি। লোকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদের মত নন। আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসন্তুষ্ট হয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি আশা করি যে, নিশ্চয় আমি আল্লাহকে তোমাদের সকলের চেয়ে অধিক ভয় করবো এবং যা আমি অনুসরণ করবো তার মাধ্যমে তোমাদের চেয়ে অধিক প্রিয় হবো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৭

কেউ রমযানের সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীসহবাস করলে তার কাফফারাহ

২৩৯০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – قَالَ مُسَدَّدٌ – حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلَكْتُ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ مَا شَأْنُكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَلْ تَجِدُ مَا تُعْتِقُ رَقَبَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اجْلِسْ ‏”‏ ‏.‏ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ فَقَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ بِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَفْقَرَ مِنَّا فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ ثَنَايَاهُ قَالَ ‏”‏ فَأَطْعِمْهُ إِيَّاهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ مُسَدَّدٌ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ أَنْيَابُهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়েছি। তিনি বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? সে বললো, আমি সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কাছে আযাদ করার মত কোন গোলাম আছে কি? সে বললো, না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি একাটানা দুই মাস সওম পালন করতে পারবে? সে বললো, না। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানোর সামর্থ্য আছে কি? সে বললো, না। তখন তিনি তাকে বললেনঃ তুমি বসো। এমন সময় একটি ঝুড়িভর্তি খেজুর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট নিয়ে এলে তিনি তাকে বললেনঃ এগুলো সদাক্বাহ করে দাও। লোকটি বললো, হে আল্লহর রাসূল! মাদীনাহর দুই পার্শ্বে আমাদের চাইতে অভাবী পরিবার আর নেই। বর্ণনাকারী বলেন, এতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমনভাবে হাসলেন যে, তাঁর সামনের দাঁতগুলো প্রকাশ হয়ে পড়ে। তিনি বললেনঃ তাহলে এগুলো তোমার পরিবারের লোকদের খাওয়াও। মুসাদ্দাসের বর্ণনায় রয়েছে তাঁর দাঁতগুলো প্রকাশ পেলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯১

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ ‏.‏ زَادَ الزُّهْرِيُّ وَإِنَّمَا كَانَ هَذَا رُخْصَةً لَهُ خَاصَّةً فَلَوْ أَنَّ رَجُلاً فَعَلَ ذَلِكَ الْيَوْمَ لَمْ يَكُنْ لَهُ بُدٌّ مِنَ التَّكْفِيرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَالأَوْزَاعِيُّ وَمَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ وَعِرَاكُ بْنُ مَالِكٍ عَلَى مَعْنَى ابْنِ عُيَيْنَةَ ‏.‏ زَادَ الأَوْزَاعِيُّ وَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ ‏.‏

আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদিসের অনরূপ বর্ণিত। তবে আয-যুহরী আরো বর্ণনা করেন যে, নিজের কাফফারাহ নিজেই ভোগ করা বা তার উপর কাফফারাহ ধার্য না করা কেবল ঐ ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য ছিল। তাই বর্তমানে কোন ব্যক্তি অনরূপ করলে তাকে অবশ্যই কাফফারাহ দিতে হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, লাইস ইবনু সা‘দ, আল-আওযাঈ, মানসূর ইবনুল মু‘তামির ও ‘ইরাক ইবনু মালিক (রহঃ) ইবনু উয়াইনাহ্ বর্ণিত হাদিসের অর্থানুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে আল-আওযাঈর বর্ণনায় রয়েছেঃ “এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে”।

 

সহীহ। আর যুহরীর উক্তি মূলের বিপরীত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعْتِقَ رَقَبَةً أَوْ يَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ أَوْ يُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏.‏ قَالَ لاَ أَجِدُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اجْلِسْ ‏”‏ ‏.‏ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ فَقَالَ ‏”‏ خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَحَدٌ أَحْوَجَ مِنِّي ‏.‏ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ وَقَالَ لَهُ ‏”‏ كُلْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَلَى لَفْظِ مَالِكٍ أَنَّ رَجُلاً أَفْطَرَ وَقَالَ فِيهِ ‏”‏ أَوْ تُعْتِقَ رَقَبَةً أَوْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ أَوْ تُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রমাযানের সওম ভঙ্গ করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে একটি গোলাম আযাদ করার অথবা একটানা দুই মাস সওম পালন অথবা ষাটজন মিসকীনকে আহার করানোর নির্দেশ দেন। ফলে লোকটি বলে, আমি এর কোনটিই করতে সক্ষম নই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি বসো। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একটি ঝুড়িভর্তি খেজুর এলে তিনি তাকে বলেনঃ এগুলো নিয়ে গিয়ে সদাক্বাহ করে দাও। লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার চেয়ে অধিক গরীব লোক নেই। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমনভাবে হাসলেন যে, তার মাড়ির দাঁত প্রকাশ হয়ে পড়ে। তিনি লোকটিকে বললেনঃ তাহলে এগুলো তুমি খাও। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইবনু জুরাইজ হতে আয-যুহরীর মাধ্যমে মালিকের শব্দে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি সওম ভঙ্গ করে। তিনি তাতে বলেছেনঃ ‘অথবা একটি গোলাম আযাদ করো অথবা দুই মাস সওম রাখো কিংবা ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও’।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৩

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ فَأُتِيَ بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ قَدْرُ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَقَالَ فِيهِ ‏ “‏ كُلْهُ أَنْتَ وَأَهْلُ بَيْتِكَ وَصُمْ يَوْمًا وَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রমাযান মাসের সওম ভঙ্গ করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এলো। অতঃপর পূর্বের হাদিসের অনুরূপ। বর্ণনাকারী বলেন, পরে একটি ঝুড়িভর্তি খেজুর আসলো, যাতে পনের সা‘ খেজুর ছিলো। তিনি আরো বলেছেনঃ তুমি এবং তোমার পরিবার এগুলো খাও এবং একদিন সওম পালন করো আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৪

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ، حَدَّثَهُ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبَّادَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ أَتَى رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ احْتَرَقْتُ ‏.‏ فَسَأَلَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا شَأْنُهُ قَالَ أَصَبْتُ أَهْلِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَصَدَّقْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ مَا لِي شَىْءٌ وَلاَ أَقْدِرُ عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اجْلِسْ ‏”‏ ‏.‏ فَجَلَسَ فَبَيْنَمَا هُوَ عَلَى ذَلِكَ أَقْبَلَ رَجُلٌ يَسُوقُ حِمَارًا عَلَيْهِ طَعَامٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَيْنَ الْمُحْتَرِقُ آنِفًا ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَصَدَّقْ بِهَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَلَى غَيْرِنَا فَوَاللَّهِ إِنَّا لَجِيَاعٌ مَا لَنَا شَىْءٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ كُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রমাযান মাসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট মাসজিদে এ আগমন করলো। সে বললও, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জাহান্নামের যোগ্য হয়েছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তার কি ব্যাপার? লোকটি বললো, আমি স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করেছি। তিনি বললেনঃ সাদাক্বাহ করো। সে বললো, আল্লাহর শপথ! আমার কাছে কিছুই নেই, আর আমি সাদাক্বাহ করতে সক্ষম নই। তিনি বললেনঃ বসো। লোকটি বসলো। অতঃপর তার বসা অবস্থায়ই এক লোক গাধার পিঠে করে খাদ্যের বোঝা নিয়ে উপস্থিত হলো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ জাহান্নামের যোগ্য ব্যক্তিটি কোথায়? লোকটি দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এগুলো সাদাক্বাহ করে দাও। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের চেয়ে গরীব লোকদেরকে? আল্লাহর শপথ! আমরা সবচেয়ে গরীব। আমাদের কিছুই নেই। তিনি বললেনঃ তবে এগুলো তোমারাই খাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَأُتِيَ بِعَرَقٍ فِيهِ عِشْرُونَ صَاعًا ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এই সানাদে ঘটনাটি বর্ণিত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর বিশ সা‘ (খেজুর) ভর্তি একটি ঝুড়ি এলো। [২৩৯৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩৯৫] ইবনু খুযাইমাহ, বায়হাক্বী। সানাদে ইবনু হারিস যঈফ হওয়ার পাশাপাশি দুইজন সিক্বাহ রাবীর বিরধীতাও করেছেন।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৮

ইচ্ছাকৃতভাবে সওম ভঙ্গের পরিণতি

২৩৯৬

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ مُطَوِّسٍ، عَنْ أَبِيهِ، – قَالَ ابْنُ كَثِيرٍ عَنْ أَبِي الْمُطَوِّسِ، عَنْ أَبِيهِ، – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ رَخَّصَهَا اللَّهُ لَهُ لَمْ يَقْضِ عَنْهُ صِيَامُ الدَّهْرِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানে আল্লাহের দেয়া অনুমতি ছাড়া সওম ভঙ্গ করলো সে সারা বছরেও তা পূরণ করতে সক্ষম নয়। [২৩৯৬]

 

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৫৪৬২), মিশকাত (২০১৩), যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (১১৫/৭২৬), যঈফ সুনান ইবনু মাজাহ (৩৬৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৯৬ তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ, দারিমী। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ আমি কেবল এ সূত্রই হাদীসটি আবহিত হয়েছি। হাফিয ইবনু হাজার ফাথহুল বারী গ্রন্থে এটিকে যঈফ বলেছেন। তিনি বলেনঃ এর তিনটি দোষ রয়েছে। ইযতিরাব, আবূ ত্বাউসের অবস্থা অজ্ঞাত হওয়া, এবং আবূ হুরাইরাহ থেকে তার পিতার হাদীস শ্রবণের বিষয়ে সন্দেহ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي حَبِيبٌ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنِ ابْنِ الْمُطَوِّسِ، – قَالَ فَلَقِيتُ ابْنَ الْمُطَوِّسِ فَحَدَّثَنِي – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ كَثِيرٍ وَسُلَيْمَانَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَاخْتُلِفَ عَلَى سُفْيَانَ وَشُعْبَةَ عَنْهُمَا ابْنُ الْمُطَوِّسِ وَأَبُو الْمُطَوِّسِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অতঃপর ইবনু কাসীর ও সুলাইমান বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। ইমাম আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, সুফিয়ান ও শু‘বাহ (রহঃ) ইবনুল মুতাব্বিস ও আবুল মুতাব্বিসের নাম নিয়ে মতভেদ করেছেন। [২৯৩৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

২৩৯৭ তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ আমরা কেবল এ সূত্রেই হাদীসটি অবহিত হয়েছি। দারিমী, আহমদ। এর সানাদ পূর্বেরটি অনুরূপ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৯

যে ব্যাক্তি ভুলবশত আহার করে

২৩৯৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَحَبِيبٌ، وَهِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَكَلْتُ وَشَرِبْتُ نَاسِيًا وَأَنَا صَائِمٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ أَطْعَمَكَ اللَّهُ وَسَقَاكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে একটি লোক এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি সওম অবস্থায় ভুলবশত পানাহার করেছি। তিনি বলেনঃ আল্লাহই তোমাকে পানাহার করিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪০

রমযানের ক্বাযা সওম আদায়ে বিলম্ব করা

২৩৯৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – تَقُولُ إِنْ كَانَ لَيَكُونُ عَلَىَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَهُ حَتَّى يَأْتِيَ شَعْبَانُ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যদি আমার উপর রমযানের ক্বাযা সওম থাকতো, তাহলে শা‘বান মাস আসার আগে আমি তা আদায় করতে সক্ষম হতাম না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪১

কোন ব্যক্তি ক্বাযা সওম রেখে মারা গেলে

২৪০০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا فِي النَّذْرِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের উপর ক্বাযা সওম রেখে মারা যায় তার পক্ষ হতে তার উওরাধিকারীরা তা আদায় করবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এই বিধান মানতের সওমের জন্য প্রযোজ্য। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) -এর অভিমত এটাই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِذَا مَرِضَ الرَّجُلُ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ مَاتَ وَلَمْ يَصُمْ أُطْعِمَ عَنْهُ وَلَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَإِنْ كَانَ عَلَيْهِ نَذْرٌ قَضَى عَنْهُ وَلِيُّهُ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি রমাযান মাসে অসুস্থ হয়ে রমাযান মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত সুস্থ না হয় এবং এ অবস্থায়ই মারা যায় তাহলে তার পক্ষ হতে মিসকীনকে আহার করাতে হবে। আর তার উপর মানতের সওম থকলে তার পক্ষ হতে অভিভাবক তার ক্বাযা আদায় করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস