অনুচ্ছেদ-১১১
নতুন চাঁদ দেখে যে দু‘আ পড়তে হয়
৫০৯২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلاَلَ قَالَ ” هِلاَلُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ هِلاَلُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ هِلاَلُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ آمَنْتُ بِالَّذِي خَلَقَكَ ” . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ . ثُمَّ يَقُولُ ” الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي ذَهَبَ بِشَهْرِ كَذَا وَجَاءَ بِشَهْرِ كَذَا ” .
ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-নতুন চাঁদ দেখে বলতেনঃ “কল্যাণ ও হেদায়াতের চাঁদ, কল্যাণ ও হেদায়াতের চাঁদ, কল্যাণ ও হেদায়াতের চাঁদ। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন আমি তাঁর উপর ঈমান আনলাম”-একথা তিনবার বলতেন, অতঃপর বলতেনঃ আল্লাহর প্রশংসা যিনি অমুক মাস শেষ করলেন এবং এ মাস এনে দিলেন। [৫০৯০]
[৫০৯০] ‘আবদুর রাযযাক। এর সানাদ মুনকাতি ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৯৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ حُبَابٍ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلاَلَ صَرَفَ وَجْهَهُ عَنْهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَيْسَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ مُسْنَدٌ صَحِيحٌ .
ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-নতুন চাঁদ দেখে তাঁর মুখমন্ডল (চাঁদ) হতে অন্যত্র ঘুরাতেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, চাঁদের উদয় সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন বিশুদ্ধ হাদীস নেই।
[৫০৯১] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১২
ঘর হতে বের হওয়ার সময় যা বলবে
৫০৯৪
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ مَا خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْتِي قَطُّ إِلاَّ رَفَعَ طَرْفَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَىَّ ” .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই আমার ঘর হতে বের হতেন, তখন আকাশের দিকে মাথা তুলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পথভ্রষ্ট হওয়া বা পথভ্রষ্ট করা, গুনাহ করা বা গুনাহের দিকে ধাবিত করা, উৎপীড়ন করা বা উৎপীড়িত হওয়া, অজ্ঞতা প্রকাশ করা বা অজ্ঞতা প্রকাশের পাত্র হওয়া হতে আশ্রয় চাইছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৯৫
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْخَثْعَمِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْتِهِ فَقَالَ بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ” . قَالَ ” يُقَالُ حِينَئِذٍ هُدِيتَ وَكُفِيتَ وَوُقِيتَ فَتَتَنَحَّى لَهُ الشَّيَاطِينُ فَيَقُولُ لَهُ شَيْطَانٌ آخَرُ كَيْفَ لَكَ بِرَجُلٍ قَدْ هُدِيَ وَكُفِيَ وَوُقِيَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি তার ঘর হতে বের হওয়ার সময় বলবেঃ “বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহ, ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”-তখন তাকে বলা হয়, তুমি হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছো, রক্ষা পেয়েছো ও নিরাপত্তা লাভ করেছো। সুতরাং শয়তানরা তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং অন্য এক শয়তান বলে, তুমি ঐ ব্যক্তিকে কি করতে পারবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে!
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৩
কেউ নিজ ঘরে প্রবেশকালে কি বলবে?
৫০৯৬
حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، – قَالَ ابْنُ عَوْفٍ وَرَأَيْتُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ – قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ، عَنْ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا وَلَجَ الرَّجُلُ فِي بَيْتِهِ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِjنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا ثُمَّ لْيُسَلِّمْ عَلَى أَهْلِهِ ” .
আবূ মালিক আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন কেউ নিজ ঘরে প্রবেশ করবে তখন সে যেন বলে: (অর্থ) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আগমন ও প্রস্থানের কল্যাণ চাই। আপনার নামে আমি প্রবেশ করি ও বের হই এবং আমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করি”। অতঃপর সে যেন তার পরিবারের লোকদের সালাম দেয়।
[৫০৯৪] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৪
প্রবলবেগে বায়ু প্রবাহের সময় যা বলবে
৫০৯৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، وَسَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ شَبِيبٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” الرِّيحُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ ” . قَالَ سَلَمَةُ فَرَوْحُ اللَّهِ تَأْتِي بِالرَّحْمَةِ وَتَأْتِي بِالْعَذَابِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَلاَ تَسُبُّوهَا وَسَلُوا اللَّهَ خَيْرَهَا وَاسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ شَرِّهَا ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: বায়ু আল্লাহর অন্যতম রহমাত। তা কখনো শান্তি বয়ে আনে আবার কখনো আযাব নিয়ে আসে। সুতরাং বাতাস প্রবাহিত হতে দেখলে তোমরা তাকে গালাগালি দিবে না, বরং আল্লাহর নিকট এর কল্যাণ চাইবে এবং তার খারাবী হতে আল্লাহর নিকট মুক্তি প্রার্থনা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৯৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا النَّضْرِ، حَدَّثَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَطُّ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا حَتَّى أَرَى مِنْهُ لَهَوَاتِهِ إِنَّمَا كَانَ يَتَبَسَّمُ وَكَانَ إِذَا رَأَى غَيْمًا أَوْ رِيحًا عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الْغَيْمَ فَرِحُوا رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ فِيهِ الْمَطَرُ وَأَرَاكَ إِذَا رَأَيْتَهُ عُرِفَتْ فِي وَجْهِكَ الْكَرَاهِيَةُ فَقَالَ “ يَا عَائِشَةُ مَا يُؤَمِّنُنِي أَنْ يَكُونَ فِيهِ عَذَابٌ قَدْ عُذِّبَ قَوْمٌ بِالرِّيحِ وَقَدْ رَأَى قَوْمٌ الْعَذَابَ فَقَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا ” .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কোন দিন এরূপ মুখ খুলে হাসতে দেখিনি যাতে তাঁর আলজিভ্ দেখা যায়, বরং তিনি সর্বদাই মুচকি হাসতেন। আর তিনি যখন আকাশে মেঘ বা প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে দেখতেন তখন তাঁর চেহারায় এর ভীতি পরিলক্ষিত হতো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মানুষ সাধারণত আকাশে মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়। আর আপনি যখন মেঘ দেখেন তখন আপনার চেহারায় আমার নিকট আপনার অসন্তুষ্টির ভাব ধরা পড়ে; এর কারণ কী? তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তা শাস্তি বয়ে আনছে কিনা এর নিরাপত্তা আমাকে কে দিবে? এক কওমকে বায়ুর মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে (যেমন আদ ও হূদ) আরেক কওম মেঘ দেখে বলেছিল, “এটা তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে” (সূরাহ আহ্কাফ: ২৪)। [৫০৯৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৯
حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى نَاشِئًا فِي أُفُقِ السَّمَاءِ تَرَكَ الْعَمَلَ وَإِنْ كَانَ فِي صَلاَةٍ ثُمَّ يَقُولُ ” اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا ” . فَإِنْ مُطِرَ قَالَ ” اللَّهُمَّ صَيِّبًا هَنِيئًا ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকাশের প্রান্তে মেঘ উঠতে দেখলে যাবতীয় (নাফল) ‘ইবাদত ছেড়ে দিতেন, এমনকি তিনি সলাতে থাকলেও। অতঃপর তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর খারাবী থেকে আশ্রয় চাইছি”। যদি বর্ষা হতো তাহলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! বরকতপূর্ণ ও সুমিষ্ট পানি দান করো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৫
বৃষ্টি প্রসঙ্গে
৫১০০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُسَدَّدٌ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَصَابَنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَطَرٌ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَسَرَ ثَوْبَهُ عَنْهُ حَتَّى أَصَابَهُ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ صَنَعْتَ هَذَا قَالَ “ لأَنَّهُ حَدِيثُ عَهْدٍ بِرَبِّهِ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে ছিলাম। আমাদের উপর বৃষ্টি আরম্ভ হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে পড়লেন এবং শরীর থেকে জামা খুলে ফেললেন, যাতে তাঁর শরীরে বৃষ্টি পৌঁছে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এটা করলেন কেনো? তিনি বললেনঃ এ বৃষ্টি তার রবের পক্ষ হতে বর্ষিত হচ্ছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৬
মোরগ ও চতুস্পদ প্রাণী সম্বন্ধে
৫১০১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَسُبُّوا الدِّيكَ فَإِنَّهُ يُوقِظُ لِلصَّلاَةِ ” .
যায়িদ ইবনু খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা মোরগকে গালি দিও না। কারণ সে সলাতের জন্য জাগায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১০২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا سَمِعْتُمْ صِيَاحَ الدِّيَكَةِ فَسَلُوا اللَّهَ تَعَالَى مِنْ فَضْلِهِ فَإِنَّهَا رَأَتْ مَلَكًا وَإِذَا سَمِعْتُمْ نَهِيقَ الْحِمَارِ فَتَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهَا رَأَتْ شَيْطَانًا ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনতে পাবে তখন আল্লাহর নিকট তাঁর অনুগ্রহ চাইবে, কেননা মোরগ একজন ফেরেশতাকে দেখেছে। আর যখন তোমরা গাধার চিৎকার শুনবে তখন শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে। কেননা সে একটা শয়তানকে দেখেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১০৩
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا سَمِعْتُمْ نُبَاحَ الْكِلاَبِ وَنَهِيقَ الْحُمُرِ بِاللَّيْلِ فَتَعَوَّذُوا بِاللَّهِ فَإِنَّهُنَّ يَرَيْنَ مَا لاَ تَرَوْنَ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা রাতে কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ ও গাধার ডাক শুনতে পেলে “আউযুবিল্লাহ” বলবে। কেননা তারা (কুকুর ও গাধা) যা দেখতে পায় তোমরা তা দেখতে পাও না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১০৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عُمَرَ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَغَيْرِهِ، قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ” أَقِلُّوا الْخُرُوجَ بَعْدَ هَدْأَةِ الرِّجْلِ فَإِنَّ لِلَّهِ تَعَالَى دَوَابَّ يَبُثُّهُنَّ فِي الأَرْضِ ” . قَالَ ابْنُ مَرْوَانَ ” فِي تِلْكَ السَّاعَةِ ” . وَقَالَ ” فَإِنَّ لِلَّهِ خَلْقًا ” . ثُمَّ ذَكَرَ نُبَاحَ الْكَلْبِ وَالْحَمِيرَ نَحْوَهُ وَزَادَ فِي حَدِيثِهِ قَالَ ابْنُ الْهَادِ وَحَدَّثَنِي شُرَحْبِيلُ الْحَاجِبُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ও ‘আলী ইবনু ‘উমার ইবনু হুসাইন ইবনু ‘আলী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: লোক চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তোমরা বাইরে কম যাবে। কেননা মহান আল্লাহর এমন কিছু জীবজন্তু আছে, যাদেরকে এ সময়ে তিনি বিক্ষিপ্তভাবে যমীনে ছেড়ে দেন। তাতে আরো আছে: কারণ আল্লাহ্র কিছু সৃষ্টি আছে। অতঃপর তিনি গাধা ও কুকুরের শব্দের অনুরুপ উল্লেখ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৭
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার কানে আযান দেয়া
৫১০৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَذَّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ – حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ – بِالصَّلاَةِ .
উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাত্বিমাহ (রাঃ) যখন ‘আলী (রাঃ)-এর পুত্র হাসান (রাঃ)-কে প্রসব করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কানে সলাতের আযানের ন্যায় আযান দিয়েছিলেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫১০৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيَدْعُو لَهُمْ بِالْبَرَكَةِ – زَادَ يُوسُفُ – وَيُحَنِّكُهُمْ وَلَمْ يَذْكُرْ بِالْبَرَكَةِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাচ্চাদেরকে আনা হলে তিনি তাদের জন্য বরকতের দু‘আ করতেন। ইউসুফের বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেজুর চিবিয়ে তাদের মুখে দিতেন। এতে ‘বরকতের জন্য’ কথাটি উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ حُمَيْدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هَلْ رُئِيَ – أَوْ كَلِمَةً غَيْرَهَا – فِيكُمُ الْمُغَرِّبُونَ ” . قُلْتُ وَمَا الْمُغَرِّبُونَ قَالَ ” الَّذِينَ يَشْتَرِكُ فِيهِمُ الْجِنُّ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে প্রশ্ন করলেন : তোমাদের মধ্যে মুগাররিবূন দেখা গেছে কি? আমি বললাম মুগাররিবূন কারা? তিনি বললেন যাদের মধ্যে জিনের একটি অংশ আছে।
[৫১০৫] সানাদের উম্মু হুমাইদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ তার অবস্থা জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৮
কেউ কারোর (অনিষ্ট) হতে আশ্রয় প্রার্থনা।
৫১০৮
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْجُشَمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، – قَالَ نَصْرٌ ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ – عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَهِيكٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنِ اسْتَعَاذَ بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ وَمَنْ سَأَلَكُمْ بِوَجْهِ اللَّهِ فَأَعْطُوهُ ” . قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ ” مَنْ سَأَلَكُمْ بِاللَّهِ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহর নামে আশ্রয় চায় তোমরা তাকে আশ্রয় দাও। আর যে তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে কিছু চায় তোমরা তাকে তা দান করো।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫১০৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَسَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – الْمَعْنَى – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنِ اسْتَعَاذَكُمْ بِاللَّهِ فَأَعِيذُوهُ وَمَنْ سَأَلَكُمْ بِاللَّهِ فَأَعْطُوهُ ” . وَقَالَ سَهْلٌ وَعُثْمَانُ ” وَمَنْ دَعَاكُمْ فَأَجِيبُوهُ ” . ثُمَّ اتَّفَقُوا ” وَمَنْ آتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ ” . قَالَ مُسَدَّدٌ وَعُثْمَانُ ” فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا اللَّهَ لَهُ حَتَّى تَعْلَمُوا أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে আশ্রয় চাইলে তোমরা তাকে আশ্রয় দিবে। কেউ আল্লাহর নামে তোমাদের নিকট কিছু চাইলে তোমরা তাকে দাও। বর্ণনাকারী সাহল ও ‘উসমান আরো বলেন, যে তোমাদেরকে দাওয়াত দেয় তোমরা তাতে সাড়া দাও। অতঃপর বর্ণনাকারীগণ বলেন, আর যে ব্যক্তি তোমাদের প্রতি উত্তম আচরণ করবে তোমরা তার প্রতিদান দাও। যদি তাকে দেয়ার মতো কিছু না পাও তবে তার জন্য দু’আ করতে থাকো-যখন বুঝতে পারো তোমরা তার প্রতিদান দিয়েছো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৯
প্ররোচনা প্রতিহত করা সম্পর্কে
৫১১০
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ عَمَّارٍ – قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ مَا شَىْءٌ أَجِدُهُ فِي صَدْرِي قَالَ مَا هُوَ قُلْتُ وَاللَّهِ مَا أَتَكَلَّمُ بِهِ . قَالَ فَقَالَ لِي أَشَىْءٌ مِنْ شَكٍّ قَالَ وَضَحِكَ . قَالَ مَا نَجَا مِنْ ذَلِكَ أَحَدٌ – قَالَ – حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { فَإِنْ كُنْتَ فِي شَكٍّ مِمَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ فَاسْأَلِ الَّذِينَ يَقْرَءُونَ الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكَ } الآيَةَ قَالَ فَقَالَ لِي إِذَا وَجَدْتَ فِي نَفْسِكَ شَيْئًا فَقُلْ { هُوَ الأَوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ }
আবূ যুমাইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ যুমাইল (রহঃ) বলেন একদা আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কে বললাম, আমি আমার অন্তরে যেসব বিষয় অনুভব করি এগুলো কি? তিনি বললেন, তা কি? আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি সে বিষয়ে মুখ খুলবো না। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমাকে বললেন, সন্দেহমূলক কিছু? বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি হাসলেন এবং বললেন, এর থেকে কেউই রেহাই পায়নি, এমনকি মহান আল্লাহ নাযিল করেন:
“আমি আপনার উপর যা নাযিল করেছি এ ব্যাপারে আপনি যদি সন্দেহে থাকেন, তাহলে যারা কিতাব পড়ে তাদেরকে প্রশ্ন করুন….” (সূরাহ ইউনুস: ৯৪)
বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, যখন তুমি মনের মধ্যে এ ধরণের কিছু উদ্রেক হতে দেখবে, তখন তুমি পাঠ করবে:
“তিনিই আদি তিনিই অনন্ত, তিনিই প্রকাশ্য, তিনি গুপ্ত এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক অবহিত” (সূরাহ হাদীদ: ৩) [৫১০৮]
[৫১০৮] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫১১১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَهُ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا الشَّىْءَ نُعْظِمُ أَنْ نَتَكَلَّمَ بِهِ أَوِ الْكَلاَمَ بِهِ مَا نُحِبُّ أَنَّ لَنَا وَأَنَّا تَكَلَّمْنَا بِهِ . قَالَ ” أَوَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট তাঁর কতিপয় সাহাবী (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আমাদের অন্তরে এমন কিছু অনুভব করি যা ব্যক্ত করাকে বা যা মুখে বলাকে আমরা গুরুতর মনে করি। আমরা এ ধরণের কথা মনে আসা অথবা পরস্পর সমালোচনা করাকে পছন্দ করি না। তিনি বললেনঃ তোমরা কি এরূপ অনুভব করো? তারা বললেন, হ্যাঁ তিনি বললেনঃ এটা স্পষ্ট ঈমানের লক্ষণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১১২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، قُدَامَةَ بْنِ أَعْيَنَ قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَحَدَنَا يَجِدُ فِي نَفْسِهِ – يُعَرِّضُ بِالشَّىْءِ – لأَنْ يَكُونَ حُمَمَةً أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ فَقَالَ ” اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ كَيْدَهُ إِلَى الْوَسْوَسَةِ ” . قَالَ ابْنُ قُدَامَةَ ” رَدَّ أَمْرَهُ ” . مَكَانَ ” رَدَّ كَيْدَهُ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো মনের মধ্যে এমন কিছু উদয় হয় যা মুখে ব্যক্ত করার চেয়ে সে জ্বলে-পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়াকে উত্তম মনে করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি শয়তানের এ ধোঁকাকে কল্পনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুছেদ ১২০
যে দাস নিজ মনিবের পরিবর্তে অন্যের পরিচয় দেয়।
৫১১৩
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ، وَوَعَاهُ، قَلْبِي مِنْ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَنَّهُ قَالَ “ مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ غَيْرُ أَبِيهِ فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ ” . قَالَ فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرَةَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي مِنْ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم . قَالَ عَاصِمٌ فَقُلْتُ يَا أَبَا عُثْمَانَ لَقَدْ شَهِدَ عِنْدَكَ رَجُلاَنِ أَيُّمَا رَجُلَيْنِ . فَقَالَ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَأَوَّلُ مَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ فِي الإِسْلاَمِ يَعْنِي سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ وَالآخَرُ قَدِمَ مِنَ الطَّائِفِ فِي بِضْعَةٍ وَعِشْرِينَ رَجُلاً عَلَى أَقْدَامِهِمْ فَذَكَرَ فَضْلاً . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ قَالَ قَالَ النُّفَيْلِيُّ حَيْثُ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَاللَّهِ إِنَّهُ عِنْدِي أَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ يَعْنِي قَوْلَهُ حَدَّثَنَا وَحَدَّثَنِي قَالَ أَبُو عَلِيٍّ وَسَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَحْمَدَ يَقُولُ لَيْسَ لِحَدِيثِ أَهْلِ الْكُوفَةِ نُورٌ – قَالَ – وَمَا رَأَيْتُ مِثْلَ أَهْلِ الْبَصْرَةِ كَانُوا تَعَلَّمُوهُ مِنْ شُعْبَةَ .
সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি এ হাদীসটি আমার নিজ কানে শুনেছি স্বয়ং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট হতে এবং আমার অন্তর তা হিফাযাত করেছে। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি স্বীয় পিতাকে ভিন্ন বংশের দলে দাবি করলো অথচ সে জানে যে, তার পিতা কে, তার জন্য জান্নাত হারাম। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি আবূ বাক্রাহ (রাঃ) এর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তার নিকট উত্থাপন করলে তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ হাদীস আমার কান শুনেছে এবং আমার স্মৃতিশক্তি তা হিফাযাত করেছে। ‘আসিম (রহঃ) বলেন, আমি বললাম হে আবূ উসমান! আপনার নিকট দু’জন লোক সাক্ষ্য দিয়েছে, তারা কে? তিনি বলেন, তাদের একজন হলেন, সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ) যিনি সর্বপ্রথম আল্লাহর পথে দ্বীন ইসলামের তীর ছুঁড়েছেন। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন যিনি বিশের অধিক লোকের একটি দলের সঙ্গে তায়েফ থেকে হেটে এসেছেন। তিনি তার ফযীলতও বর্ণনা করলেন।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আন-নুফাইলী (রহঃ) এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, আল্লাহর কসম! এটি আমার নিকট মধুর চেয়েও মিষ্টি অর্থাৎ এর সানাদ। আবূ ‘আলী বলেন, আমি আবূ দাঊদকে বলতে শুনেছি, আমি আহমাদ(রহঃ) কে বলতে শুনেছি, কূফাবাসীর হাদীসে নূর নেই। আমি বাসরাহ্বাসীর অনুরূপ দেখিনি, তারা হাদীসটি শু’বাহ (রহঃ) হতে শিখেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১১৪
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ تَوَلَّى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজ মনিব গোত্রের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন গোত্রে পালিয়ে যায় তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতাকূল ও সকল মানুষের পক্ষ হতে লা’নাত। ক্বিয়ামাতের দিন তার কোন ফরয ও নফল অথবা তাওবাহ ও ফিদইয়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১১৫
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، – وَنَحْنُ بِبَيْرُوتَ – عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوِ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি তার পিতার বংশ পরিচয় বাদ দিয়ে অন্য বংশের হওয়ার দাবি করে অথবা নিজেকে প্রকৃত অভিভাবক পরিবারকে বাদ দিয়ে অন্যের পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করে তার উপর আল্লাহর পক্ষ হতে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত অবিরাম অভিশাপ বর্ষিত হতে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২১
বংশের গৌরব
৫১১৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَرْوَانَ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعَافَى، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، – وَهَذَا حَدِيثُهُ – عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَفَخْرَهَا بِالآبَاءِ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ أَنْتُمْ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ لَيَدَعَنَّ رِجَالٌ فَخْرَهُمْ بِأَقْوَامٍ إِنَّمَا هُمْ فَحْمٌ مِنْ فَحْمِ جَهَنَّمَ أَوْ لَيَكُونُنَّ أَهْوَنَ عَلَى اللَّهِ مِنَ الْجِعْلاَنِ الَّتِي تَدْفَعُ بِأَنْفِهَا النَّتْنَ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ তোমাদের জাহিলী যুগের মিথ্যা অহংকার ও পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে গর্ব করার প্রথাকে বিলুপ্ত করেছেন। মু’মিন হলো আল্লাহভীরু আর পাপী হলো দুর্ভাগা। তোমরা সকলে আদম সন্তান আর আদম (আঃ) মাটির তৈরী। লোকদের উচিৎ বিশেষ গোত্রের ভুক্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে অহংকার না করা। এখন তো তারা জাহান্নামের কয়লায় পরিণত হয়েছে। অন্যথায় তোমরা মহান আল্লাহর নিকট ময়লার সেই কীটের চেয়েও জঘন্য গণ্য হবে যে তার নাক দিয়ে ময়লা ঠেলে নিয়ে যায়।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২২
দলপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্ব
৫১১৭
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَنْ نَصَرَ قَوْمَهُ عَلَى غَيْرِ الْحَقِّ فَهُوَ كَالْبَعِيرِ الَّذِي رُدِّيَ فَهُوَ يُنْزَعُ بِذَنَبِهِ .
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি তার কওমের লোকদেরকে অন্যায়ভাবে সাহায্য করে, সে ঐ উটের মত, যেটিকে গর্তে পড়ার পর তার লেজ ধরে টানা হচ্ছে। [৫১১৫]
সহীহ মাওকূফ ও মারফু।
[৫১১৫] তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৫১১৮
حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ انْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গেলাম, তখন তিনি একটি চামড়ার তাঁবুতে ছিলেন … অতঃপর বাকী অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১১৯
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ بِشْرٍ الدِّمَشْقِيُّ، عَنْ بِنْتِ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، أَنَّهَا سَمِعَتْ أَبَاهَا، يَقُولُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْعَصَبِيَّةُ قَالَ “ أَنْ تُعِينَ قَوْمَكَ عَلَى الظُّلْمِ ” .
ওয়াসিলাহ ইবনু আক্বকা’ (রাঃ)-র কন্যা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতাকে বলতে শুনেছেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আসাবিয়্যাত (পক্ষপাতিত্ব) কি? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার কওমকে অত্যাচার করার জন্য সহযোগিতা করলে। [৫১১৭]
দুর্বল : গায়াতুল মারাম হা/৩০৫।
[৫১১৭] ইবনু মাজাহ, আহমাদ, বুখারীর আদাবুল মুফরাদ। সানাদে সালমাহ বিন বিশর রয়েছে। হাফিজ বলেনঃ মাক্ববুল। একই অবস্থা তার মেয়ে ওয়াসিলাহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১২০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يُحَدِّثُ عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ الْمُدْلِجِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ خَيْرُكُمُ الْمُدَافِعُ عَنْ عَشِيرَتِهِ مَا لَمْ يَأْثَمْ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ ضَعِيفٌ .
সুরাক্বাহ ইবনু মালিক ইবনু জু’শাম আল-মুদলিজী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সময় বলেনঃ যে ব্যক্তি পাপাচারে লিপ্ত না হয়ে তার গোত্রের উপর নির্যাতন হওয়া প্রতিরোধ করে সে-ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আইয়ূব ইবনু সুয়াইদ দুর্বল বর্ণনাকারী। [৫১১৮]
দুর্বল : মিশকাত হা/ ৪৯০৬
[৫১১৮] সানাদে আইয়ূব বিন সুওয়াইদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১২১
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَكِّيِّ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي لَبِيبَةَ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَيْسَ مِنَّا مَنْ دَعَا إِلَى عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ قَاتَلَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ مَاتَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ ” .
জুবাইর ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন। যে ব্যক্তি আসাবিয়্যাতের দিকে ডাকে বা গোত্রের দোহাই দিয়ে আহবান করে লোকদেরকে সমবেত করে সে আমার দলভুক্ত নয়। আর ঐ ব্যক্তিও আমার দলভুক্ত নয় যে আসাবিয়্যাতের ভিত্তিতে যুদ্ধ করে এবং সেও নয় যে আসাবিয়্যাতের উপর মারা যায়। [৫১১৯]
দুর্বল : মিশকাত হা/৪৯০৭, গায়াতুল মারাম হা/ ৩০৪।
[৫১১৯] ইবনু ‘আদীর কামীল। এর সানাদ মুনকাতি। আব্দুল্লাহ বিন আবূ সালমাহ ও জুবাইর ইবনু মুত্বঈম এর মাঝে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ مِخْرَاقٍ، عَنْ أَبِي كِنَانَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ ابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেনঃ গোত্রের ভাগনে তাদের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي عُقْبَةَ، – وَكَانَ مَوْلًى مِنْ أَهْلِ فَارِسَ – قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُحُدًا فَضَرَبْتُ رَجُلاً مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَقُلْتُ خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلاَمُ الْفَارِسِيُّ فَالْتَفَتَ إِلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ فَهَلاَّ قُلْتَ خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلاَمُ الأَنْصَارِيُّ ” .
আবূ উক্ববাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(তিনি ছিলেন পারস্যবাসীর আযাদকৃত গোলাম)। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সঙ্গে উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এক মুশরিক ব্যক্তির উপর আঘাত হেনে আমি বললাম, আমার কাছ থেকে এটা নাও। আমি পারস্যদেশীয় যুবক। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিয়ামাতের আমার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বললেনঃ তুমি কেন একথা বললে না যে, আমার পক্ষ হতে এটা গ্রহণ করো, আমি আনসারী যুবক।
[৫১২১] ইবনু মাজাহ,আহমাদ। সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন আন শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৩
কেউ কারোর ভালো কিছু দেখে তাকে ভালবাসলে
৫১২৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ ثَوْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، – وَقَدْ كَانَ أَدْرَكَهُ – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ أَخَاهُ فَلْيُخْبِرْهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ ” .
আল-মিক্বদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইকে ভালোবাসে, তার উচিৎ তাকে তাঁর ভালোবাসা সম্পর্কে অবহিত করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৫
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْمُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، كَانَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لأُحِبُّ هَذَا . فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” أَعْلَمْتَهُ ” . قَالَ لاَ قَالَ ” أَعْلِمْهُ ” . قَالَ فَلَحِقَهُ فَقَالَ إِنِّي أُحِبُّكَ فِي اللَّهِ . فَقَالَ أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত ছিলো। এ সময় অন্য এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো। লোকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অবশ্যই এ ব্যক্তিকে ভালোবাসি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি কি তাকে তোমার ভালোবাসার কথা জানিয়েছো? সে বললো, না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে জানিয়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং সে ঐ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। সে বললো, যাঁর উদ্দেশ্যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন তিনিও আপনাকে ভালোবাসুন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫১২৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَعْمَلَ كَعَمَلِهِمْ . قَالَ ” أَنْتَ يَا أَبَا ذَرٍّ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ” . قَالَ فَإِنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ . قَالَ ” فَإِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ” . قَالَ فَأَعَادَهَا أَبُو ذَرٍّ فَأَعَادَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি যদি কোন সম্প্রদায়কে ভালোবাসে কিন্তু তারা যে ধরণের আমল করে সে অনুরূপ আমল করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেনঃ হে আবূ যার! তুমি যাদেরকে ভালোবাসো তাদের দলভুক্ত হবে। তিনি বললেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি যাদেকে ভালোবাসো তাদের সাথী হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ যার (রাঃ) একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও একই উত্তর দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৭
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرِحُوا بِشَىْءٍ لَمْ أَرَهُمْ فَرِحُوا بِشَىْءٍ أَشَدَّ مِنْهُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ يُحِبُّ الرَّجُلَ عَلَى الْعَمَلِ مِنَ الْخَيْرِ يَعْمَلُ بِهِ وَلاَ يَعْمَلُ بِمِثْلِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদেরকে একটি ব্যাপারে এতোটা আনন্দিত দেখতে পেলাম যে, অন্য কোন ব্যাপারেই এরূপ আনন্দিত হতে দেখিনি। তা হলো, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে তার সৎকাজের জন্য ভালোবাসে, কিন্তু সে তার মতো সৎকাজ করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রত্যেক ব্যক্তিই যাকে ভালোবাসে সে তার সাথী হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৪
পরামর্শ করা
৫১২৮
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمُسْتَشَارُ مُؤْتَمَنٌ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরামর্শদাতা একজন আমানতদার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৫
কল্যাণের দিকে পথ দেখানো
৫১২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُبْدِعَ بِي فَاحْمِلْنِي . قَالَ ” لاَ أَجِدُ مَا أَحْمِلُكَ عَلَيْهِ وَلَكِنِ ائْتِ فُلاَنًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَحْمِلَكَ ” . فَأَتَاهُ فَحَمَلَهُ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ ” .
আবূ মাসা‘উদ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকটে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কোন বাহন নেই। তাই আমার জন্য একটি বাহনের ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বললেনঃআমার নিকট তোমাকে বাহন হিসেবে দেয়ার মতো কোন ব্যবস্থা নেই। তবে তুমি অমুকের নিকট যাও, সে হয়তো তোমার সাওয়ারীর ব্যবস্থা করতে পারবে। অতএব সে তার নিকট গেলে লোকটি তার বাহনের ব্যবস্থা করে দিলো। ঐ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ ব্যাপারে জানালে তিনি বললেনঃসে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের পথ দেখায়, সে উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সওয়াব পায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৬
অসৎ বাসনা
৫১৩০
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ حُبُّكَ الشَّىْءَ يُعْمِي وَيُصِمُّ ” .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কোন বস্তুর প্রতি তোমার ভালোবাসা তোমাকে অন্ধ ও বধির করে দিতে পারে। [৫১২৮]
দুর্বল : যঈফাহ হা/১৮৬৮।
[৫১২৮] আহমাদ। সানাদে আবূ বকর ইবনু আবূ মারইয়াম দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৭
সুপারিশ করা
৫১৩১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اشْفَعُوا إِلَىَّ لِتُؤْجَرُوا وَلْيَقْضِ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ مَا شَاءَ ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নিকট সুপারিশ করো, তাহলে তোমরা সাওয়াব লাভ করতে পারবে। আর নাবীর সিদ্ধান্ত তাই হয় যা আল্লাহর ইচ্ছা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَخِيهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، اشْفَعُوا تُؤْجَرُوا فَإِنِّي لأُرِيدُ الأَمْرَ فَأُؤَخِّرُهُ كَيْمَا تَشْفَعُوا فَتُؤْجَرُوا فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ اشْفَعُوا تُؤْجَرُوا ” .
মু‘আবিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
। তোমরা সুপারিশ করো, তাহলে সওয়াব লাভ করতে পারবে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “ তোমরা সুপারিশ করো, সাওয়াব পাবে।” কারণ আমি (মু‘আবিয়াহ) কোন সিদ্ধান্ত নিতে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিলম্ব করি যাতে তোমরা সুপারিশ করে সওয়াব লাভ করতে পারো। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সুপারিশ করে সওয়াব অর্জন করো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। [৫১৩১]
[৫১৩১] এটি গত হয়েছে হা/৫১৩২।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৮
চিঠিপত্রে প্রথমে নিজের নাম লেখা সম্পর্কে
৫১৩৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، – قَالَ أَحْمَدُ قَالَ مَرَّةً يَعْنِي هُشَيْمًا – عَنْ بَعْضِ وَلَدِ الْعَلاَءِ أَنَّ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ كَانَ عَامِلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْبَحْرَيْنِ فَكَانَ إِذَا كَتَبَ إِلَيْهِ بَدَأَ بِنَفْسِهِ .
আল-‘আলা (রা.)-এর কোন সন্তান থেকে বর্ণিতঃ
আল-‘আলা (রাঃ) বাহরাইনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক নিযুক্ত গভর্ণর ছিলেন। তিনি যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট চিঠিপত্র লিখতেন তখন তাতে প্রথমে নিজের নাম লিখতেন। [৫১৩২]
[৫১৩২] আহমাদ । সানাদে ‘আলা এর কতিপয় সন্তান মাজহুল ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ الْعَلاَءِ، عَنِ الْعَلاَءِ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَضْرَمِيِّ – أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَبَدَأَ بِاسْمِهِ .
আল-‘আলা ইবনুল হাদরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট চিঠি লিখেছিলেন এবং তাতে প্রথমে নিজের নাম লিখেছিলেন। [৫১৩৩]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৯
যিম্মীর নিকট পত্র লিখার নিয়ম
৫১৩৬
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَتَبَ إِلَى هِرَقْلَ ” مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ سَلاَمٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى ” . قَالَ ابْنُ يَحْيَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ أَخْبَرَهُ قَالَ فَدَخَلْنَا عَلَى هِرَقْلَ فَأَجْلَسَنَا بَيْنَ يَدَيْهِ ثُمَّ دَعَا بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا فِيهِ ” بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ سَلاَمٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى أَمَّا بَعْدُ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোম সম্রাট হিরাকালের নিকটে চিঠি লিখেছিলেন: “আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর পক্ষ হতে রোমের সম্রাট হিরাকলের নিকট। যে ব্যক্তি হেদায়াতের অনুসারী তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইবনু ইয়াহ্য়াহ (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, আবূ সুফিয়ান (রাঃ) তাকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা হিরাকলের দরবারে উপস্থিত হলে তিনি আমাদেরকে তার সামনে বসালেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চিঠি নিয়ে ডাকলেন। তাতে লেখা রয়েছে : বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম; আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর পক্ষ হতে মহান রোম সম্রাট হিরাক্ল–এর প্রতি। যিনি হেদায়েতের অনুসারী তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক; অতঃপর।
আবূ সুফিয়ানের হাদীস সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩০
পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা
৫১৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَجْزِي وَلَدٌ وَالِدَهُ إِلاَّ أَنْ يَجِدَهُ مَمْلُوكًا فَيَشْتَرِيَهُ فَيُعْتِقَهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন সন্তান তার পিতার হক আদায় করতে সক্ষম নয়, তবে ক্রীতদাস পিতাকে ক্রয় করে আযাদ করে দিলে (সামান্য হক আদায় হয়)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي خَالِي الْحَارِثُ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَتْ تَحْتِي امْرَأَةٌ وَكُنْتُ أُحِبُّهَا وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُهَا فَقَالَ لِي طَلِّقْهَا فَأَبَيْتُ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ طَلِّقْهَا ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার এক স্ত্রী ছিলো এবং তাকে আমি ভালোবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা (‘উমার) তাকে অপছন্দ করতেন। তিনি আমাকে তাকে তালাক দিতে আদেশ করলে আমি তাতে অসম্মতি জানালাম। ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এসে এ ব্যাপারে তাঁকে জানালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতাকে তালাক দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبَرُّ قَالَ ” أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أَبَاكَ ثُمَّ الأَقْرَبَ فَالأَقْرَبَ ” . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ يَسْأَلُ رَجُلٌ مَوْلاَهُ مِنْ فَضْلٍ هُوَ عِنْدَهُ فَيَمْنَعُهُ إِيَّاهُ إِلاَّ دُعِيَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَضْلُهُ الَّذِي مَنَعَهُ شُجَاعًا أَقْرَعَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الأَقْرَعُ الَّذِي ذَهَبَ شَعْرُ رَأْسِهِ مِنَ السُّمِّ .
বাহয ইবনু হাকীম (রাঃ) হতে তার পিতা এবং তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হকদার কে? তিনি বললেন, তোমার মা, তারপর তোমার মা, তারপর তোমার মা, অতঃপর তোমার বাবা, এরপর পর্যায়ক্রমে আত্মীয়তার নৈকট্য অনুসারে হবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ কোন গোলাম তার মালিকের নিকট তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে চাইলে এবং সে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্বিয়ামতের দিন ঐ অতিরিক্ত সম্পদ তার জন্য একটি মাথায় টাক পড়া বিষধর সাপে রূপান্তরিত করা হবে। [৫১৩৭]
[৫১৩৭] তিরমিযী ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫১৪০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ مُرَّةَ، حَدَّثَنَا كُلَيْبُ بْنُ مَنْفَعَةَ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبَرُّ قَالَ “ أُمَّكَ وَأَبَاكَ وَأُخْتَكَ وَأَخَاكَ وَمَوْلاَكَ الَّذِي يَلِي ذَاكَ حَقٌّ وَاجِبٌ وَرَحِمٌ مَوْصُولَةٌ ” .
কুলাইব ইবনু মান্ফা’আহ (রহ.) তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কার সঙ্গে অধিক উত্তম ব্যবহার করবো। তিনি বললেনঃতোমার মা, বোন, ভাই এবং তোমার মুক্তদাস, যা তোমার আবশ্যকীয় কর্তব্য এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক যা বজায় রাখতে হয়। [৫১৩৮]
দুর্বল : ইরওয়া হা/৮৩৭
[৫১৩৮] বুখারীর আদাবুল মুফরাদ ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৪১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ، وَقَالَ، أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ أَنْ يَلْعَنَ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ ” . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يَلْعَنُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ قَالَ ” يَلْعَنُ أَبَا الرَّجُلِ فَيَلْعَنُ أَبَاهُ وَيَلْعَنُ أُمَّهُ فَيَلْعَنُ أُمَّهُ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে মারাত্বক গুনাহ হলো, কোন ব্যক্তির তার পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল ! মানুষ কিভাবে স্বীয় পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করতে পারে? তিনি বললেনঃএই ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির পিতাকে অভিশাপ দেয়, প্রতিউত্তরে সেও তার পিতাকে অভিশাপ দেয়। আবার এই ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির মাকে অভিশাপ দেয়, প্রতিউত্তরে সেও তার মাকে অভিশাপ দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪২
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، – الْمَعْنَى – قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَسِيدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عُبَيْدٍ، مَوْلَى بَنِي سَاعِدَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ، مَالِكِ بْنِ رَبِيعَةَ السَّاعِدِيِّ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ بَقِيَ مِنْ بِرِّ أَبَوَىَّ شَىْءٌ أَبَرُّهُمَا بِهِ بَعْدَ مَوْتِهِمَا قَالَ “ نَعَمِ الصَّلاَةُ عَلَيْهِمَا وَالاِسْتِغْفَارُ لَهُمَا وَإِنْفَاذُ عَهْدِهِمَا مِنْ بَعْدِهِمَا وَصِلَةُ الرَّحِمِ الَّتِي لاَ تُوصَلُ إِلاَّ بِهِمَا وَإِكْرَامُ صَدِيقِهِمَا ” .
আবূ উসাইদ মালিক ইবনু রবী‘আহ আস-সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এ সময় বনী সালিমার এক লোক তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও কি তাদের প্রতি হক রয়েছে যা আমি পালন করবো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদের জন্য দু’আ ও ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের ওয়াদা পূরণ করা, তাদের উভয়ের মাধ্যমে যে আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে তা রক্ষা করা এবং তাদের বন্ধুদের সম্মান করা।[৫১৪০]
দুর্বল : মিশকাত হা/৪৯৩৬।
[৫১৪০] ইবনু মাজাহ, আহমাদ, ইবনু হিব্বান । সানাদের ‘আলী ইবনু ‘উবাইদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল । ইমাম যাহাবী বলেনঃ তাকে চেনা যায়নি ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَبَرَّ الْبِرِّ صِلَةُ الْمَرْءِ أَهْلَ وُدِّ أَبِيهِ بَعْدَ أَنْ يُوَلِّيَ ” .
ইবনু ‘উমার(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বাধিক পুণ্যের কাজ হলো, কোন ব্যক্তির তার পিতার ইন্তিকালের পর (অবর্তমানে) তার বন্ধুদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৪
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ بْنِ ثَوْبَانَ، أَخْبَرَنَا عُمَارَةُ بْنُ ثَوْبَانَ، أَنَّ أَبَا الطُّفَيْلِ، أَخْبَرَهُ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْسِمُ لَحْمًا بِالْجِعِرَّانَةِ – قَالَ أَبُو الطُّفَيْلِ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ غُلاَمٌ أَحْمِلُ عَظْمَ الْجَزُورِ – إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ حَتَّى دَنَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَبَسَطَ لَهَا رِدَاءَهُ فَجَلَسَتْ عَلَيْهِ فَقُلْتُ مَنْ هِيَ فَقَالُوا هَذِهِ أُمُّهُ الَّتِي أَرْضَعَتْهُ .
আবুত তুফাইল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল-জি’ইর্রানা নামক স্থানে গোশত বণ্টন করতে দেখেছি। আবুত তুফাইল (রাঃ) বলেন, তখন আমি যুবক ছিলাম এবং উটের হাড় বহন করছিলাম। এ সময় এক মহিলা আসলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় চাদর বিছিয়ে দিলেন। তিনি তার উপর বসলেন। আমি বললাম, ইনি কে? সাহাবীগণ বললেন, ইনি হলেন তাঁর দুধমাতা। [৫১৪২]
[৫১৪২] হাকিম । সানাদের জা’ফার ইবনু ইয়াহইয়া সম্পর্কে ইবনুল মাদীনী বলেনঃ মাজহুল । ইমাম যাহাবী বলেনঃ তার চাচা ‘উমরাহ বিন সাওবান শিথিল (লাইয়িন) ।হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ ‘উমরাহ মাসতূর ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ السَّائِبِ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ جَالِسًا يَوْمًا فَأَقْبَلَ أَبُوهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ فَوَضَعَ لَهُ بَعْضَ ثَوْبِهِ فَقَعَدَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَقْبَلَتْ أُمُّهُ فَوَضَعَ لَهَا شِقَّ ثَوْبِهِ مِنْ جَانِبِهِ الآخَرِ فَجَلَسَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ أَقْبَلَ أَخُوهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ فَقَامَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَجْلَسَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ .
উমার ইবনুস সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জানতে পেরেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা ছিলেন। এমন সময় তাঁর দুধপিতা এলে তিনি তাঁর জন্য তাঁর কাপড়ের একাংশ বিছিয়ে দিলেন এবং তিনি তাঁর উপর বসলেন। এরপর তাঁর দুধমাতা আসলে তিনি তাঁর জন্যও অন্য পাশে তাঁর টুকরা কাপড় বিছিয়ে দিলেন এবং তাতে তিনি বসলেন। তারপর আসলেন তাঁর দুধভাই। তখন রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জন্য উঠে দাঁড়ান এবং তাকে তাঁর সামনে বসান। [৫১৪৩]
[৫১৪৩] সানাদে বর্ণনাকারী ‘উমার ইবনু সায়িব এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাঝে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩১
ইয়াতীমদের প্রতিপালনের ফাযীলাত
৫১৪৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنِ ابْنِ حُدَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ كَانَتْ لَهُ أُنْثَى فَلَمْ يَئِدْهَا وَلَمْ يُهِنْهَا وَلَمْ يُؤْثِرْ وَلَدَهُ عَلَيْهَا – قَالَ يَعْنِي الذُّكُورَ – أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ ” . وَلَمْ يَذْكُرْ عُثْمَانُ يَعْنِي الذُّكُورَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সে যদি তাকে জীবন্ত কবর না দেয় এবং তাকে অবজ্ঞা না করে এবং তার পুত্র সন্তানকে তার উপর প্রাধান্য না দেয় তাহলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। বর্ণনাকারী ‘উসমান ‘পুত্র সন্তান’ কথাটি উল্লেখ করেননি।[৫১৪৪]
দুর্বল : মিশকাত হা/৪৯৭৯।
[৫১৪৪] আহমাদ। সানাদে ইবনু জুবাইর রয়েছে। হাফিয বলেনঃ মাসতূর, তার নাম জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ – عَنْ سَعِيدٍ الأَعْشَى، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُكْمِلٍ الزُّهْرِيُّ – عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بَشِيرٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ عَالَ ثَلاَثَ بَنَاتٍ فَأَدَّبَهُنَّ وَزَوَّجَهُنَّ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِنَّ فَلَهُ الْجَنَّةُ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করলো, তাদেরকে আদব শিক্ষা দিলো, বিয়ে দিলো এবং তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করলো, তার জন্য জান্নাত রয়েছে। [৫১৪৫]
[৫১৪৫] তিরমিযী, আহমাদ । সানাদের আইয়ূব ইবনু বাশীর সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাজহুল
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৮
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ بِمَعْنَاهُ قَالَ “ ثَلاَثُ أَخَوَاتٍ أَوْ ثَلاَثُ بَنَاتٍ أَوْ بِنْتَانِ أَوْ أُخْتَانِ ” .
সুহাইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুহাইল (রহঃ) সূত্রে এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘তিনটি বোন অথবা তিনটি কন্যা অথবা দু’টি কন্যা অথবা দু’টি বোন’ হলেও ।[৫১৪৬]
দুর্বল।
[৫১৪৬] এর পুর্বেরটি দেখুন ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا النَّهَّاسُ بْنُ قَهْمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَنَا وَامْرَأَةٌ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ كَهَاتَيْنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . وَأَوْمَأَ يَزِيدُ بِالْوُسْطَى وَالسَّبَّابَةِ ” امْرَأَةٌ آمَتْ مِنْ زَوْجِهَا ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ حَبَسَتْ نَفْسَهَا عَلَى يَتَامَاهَا حَتَّى بَانُوا أَوْ مَاتُوا ” .
আওফ ইবনু মালিক আল্-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ক্বিয়ামাতের দিন আমি এবং কালো গালবিশিষ্ট মহিলা এভাবে থাকবো। বর্ণনাকারী ইয়াযীদ মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে দেখান। অর্থাৎ যে বংশীয়া, সুন্দরী বিধবা মহিলা তার ইয়াতিম বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করার জন্য মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে (পুনর্বিবাহ থেকে) বিরত রেখেছে। [৫১৪৭]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১১২২।
[৫১৪৭] আহমাদ, বুখারীর আদাবুল মুফরাদ সানাদের নাহহাস সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ দুর্বল ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩২
ইয়াতীমের লালন-পালনকারীর মর্যাদা
৫১৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَازِمٍ – قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ سَهْلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ كَهَاتَيْنِ فِي الْجَنَّةِ ” . وَقَرَنَ بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ الْوُسْطَى وَالَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ .
সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি ও ইয়াতীমদের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকবো। এ বলে তিনি তার মধ্যমা ও তর্জনী (আঙ্গুল) একত্র করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অণুচ্ছেদ-১৩৩
প্রতিবেশীর হক
৫১৫১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى قُلْتُ لَيُوَرِّثَنَّهُ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেনঃ জিব্রীল (আঃ) আমাকে নিয়মিত প্রতিবেশী সম্পর্কে উপদেশ দিতে থাকলেন। এমনকি আমি ভাবলাম, অচিরেই তিনি প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানাবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَشِيرٍ أَبِي إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ ذَبَحَ شَاةً فَقَالَ أَهْدَيْتُمْ لِجَارِي الْيَهُودِيِّ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একটি বকরি যাবাহ করলেন, তিনি বললেন, তোমরা কি আমার প্রতিবেশি ইয়াহুদীকে উপঢৌকন দিয়েছ? কেননা আমি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ জিবরাঈল (আঃ) অবিরত আমাকে প্রতিবেশীর হক সম্বন্ধে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। এমনকি আমার ধারনা হল, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৩
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَشْكُو جَارَهُ فَقَالَ ” اذْهَبْ فَاصْبِرْ ” . فَأَتَاهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَقَالَ ” اذْهَبْ فَاطْرَحْ مَتَاعَكَ فِي الطَّرِيقِ ” . فَطَرَحَ مَتَاعَهُ فِي الطَّرِيقِ فَجَعَلَ النَّاسُ يَسْأَلُونَهُ فَيُخْبِرُهُمْ خَبَرَهُ فَجَعَلَ النَّاسُ يَلْعَنُونَهُ فَعَلَ اللَّهُ بِهِ وَفَعَلَ وَفَعَلَ فَجَاءَ إِلَيْهِ جَارُهُ فَقَالَ لَهُ ارْجِعْ لاَ تَرَى مِنِّي شَيْئًا تَكْرَهُهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তিনি বললেন, যাও ধৈর্য ধরো। অতঃপর সে দুই বা তিনবার এভাবে এসে অভিযোগ করলে তিনি বললেনঃ তুমি গিয়ে তোমার জিনিষপত্র রাস্তায় ফেলে রাখো। অতঃপর সে তার জিনিষপত্র রাস্তায় ফেলে রাখলে লোকেরা তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে লাগলো এবং সে তাদেরকে তার প্রতিবেশীর খবর জানাতে থাকলো। লোকেরা তাকে অভিশাপ দিতে লাগলো, আল্লাহ তোমার এরূপ এরূপ করুন। তার প্রতিবেশী তার নিকট এসে তাকে বললো, তুমি ফিরে যাও। ভবিষ্যতে তুমি আমার পক্ষ হতে এরূপ কিছুর পুনরাবৃত্তি দেখবে না।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫১৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُؤْذِ جَارَهُ – وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে তার উচিৎ তার মেহমানের সম্মান করা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে তার উচিৎ প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়া। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ عُبَيْدٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي جَارَيْنِ بِأَيِّهِمَا أَبْدَأُ قَالَ “ بِأَدْنَاهُمَا بَابًا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ شُعْبَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ طَلْحَةُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার দুই প্রতিবেশী পরিবার। তাদের মধ্যে কোন পরিবারকে আমি আগে (হাদিয়া) পাঠাবো? তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাদের মধ্যে যে তোমার দরজার অতি নিকটে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩৪
দাস দাসীর হক
৫১৫৬
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أُمِّ مُوسَى، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ كَانَ آخِرُ كَلاَمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الصَّلاَةَ الصَّلاَةَ اتَّقُوا اللَّهَ فِيمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শেষ উপদেশ ছিলঃ সলাত, সলাত এবং দাস-দাসীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৭
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ وَعَلَيْهِ بُرْدٌ غَلِيظٌ وَعَلَى غُلاَمِهِ مِثْلُهُ قَالَ فَقَالَ الْقَوْمُ يَا أَبَا ذَرٍّ لَوْ كُنْتَ أَخَذْتَ الَّذِي عَلَى غُلاَمِكَ فَجَعَلْتَهُ مَعَ هَذَا فَكَانَتْ حُلَّةً وَكَسَوْتَ غُلاَمَكَ ثَوْبًا غَيْرَهُ . قَالَ فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ إِنِّي كُنْتُ سَابَبْتُ رَجُلاً وَكَانَتْ أُمُّهُ أَعْجَمِيَّةً فَعَيَّرْتُهُ بِأُمِّهِ فَشَكَانِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ ” . قَالَ ” إِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ فَضَّلَكُمُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ فَمَنْ لَمْ يُلاَئِمْكُمْ فَبِيعُوهُ وَلاَ تُعَذِّبُوا خَلْقَ اللَّهِ ” .
আল-মা’রূর ইবনু সুয়াইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আর-রাবাযাহ নামক স্হানে আবূ যার (রাঃ) কে দেখতে পেলাম। তখন তিনি একটি চাদর পরিহিত ছিলেন এবং তার দাসও অনুরূপ চাদর পরিহিত ছিল। আল-মা’রুর (রাঃ) বলেন, লোকেরা বললো, হে আবূ যার ! আপনি যদি আপনার দাস যে কাপড় পরেছে তা নিয়ে নিতেন তাহলে আপনার জোড়া পুরা হতো আর আপনার দাসকে অন্য পোশাক পরাতেন তাহলে ভাল হতো। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ যার (রাঃ) বললেন, আমি এক লোককে, (যার মা অনারব ছিলো) গালি দিয়েছিলাম এবং মন্দ ব্যবহার করেছিলাম। এতে সে আমার বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি বললেনঃ হে আবূ যার! তুমি এমন ব্যক্তি যে, তোমার মধ্যে জাহিলিয়াত রয়েছে। তিনি আরো বললেনঃ এরা তোমাদের ভাই; আল্লাহ তাদের উপর তোমাদেরকে মর্যাদা দিয়েছেন। এদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল না লাগে তাকে বিক্রি করে দাও। তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে শাস্তি দিও না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى أَبِي ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ فَإِذَا عَلَيْهِ بُرْدٌ وَعَلَى غُلاَمِهِ مِثْلُهُ فَقُلْنَا يَا أَبَا ذَرٍّ لَوْ أَخَذْتَ بُرْدَ غُلاَمِكَ إِلَى بُرْدِكَ فَكَانَتْ حُلَّةً وَكَسَوْتَهُ ثَوْبًا غَيْرَهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِخْوَانُكُمْ جَعَلَهُمُ اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ فَمَنْ كَانَ أَخُوهُ تَحْتَ يَدَيْهِ فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ وَلْيَكْسُهُ مِمَّا يَلْبَسُ وَلاَ يُكَلِّفْهُ مَا يَغْلِبُهُ فَإِنْ كَلَّفَهُ مَا يَغْلِبُهُ فَلْيُعِنْهُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ عَنِ الأَعْمَشِ نَحْوَهُ .
আল-মা’রূর ইবনু সুয়াইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা আর-রাবাযাহ নামক স্হানে আবূ যার (রাঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। এ সময় তিনি ও তার দাস একই ধরনের চাদর পরিহিত ছিলেন। আমরা বললাম, আপনি যদি আপনার দাসের চাদরটি নিয়ে নিতেন তাহলে আপনার জোড়া পুরা হতো। আর তাকে অন্য পোশাক পরাতেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের ভাইয়েরা, আল্লাহ এদেরকে তোমাদের অধীন করেছেন। সুতরাং যার অধীনে তার ভাই রয়েছে তার উচিৎ সে নিজে যা খায় তাকেও তাই খেতে দেয়া, নিজে যা পরিধান করে তাকেও তাই পরতে দেয়া এবং তার অসাধ্য কোন কাজ তার উপর না চাপানো। আর যদি এমন কোন কষ্টসাধ্য কাজের ভার তাকে দেয়া হয় তাহলে সে যেন তাকে সাহায্য করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ أَضْرِبُ غُلاَمًا لِي فَسَمِعْتُ مِنْ خَلْفِي صَوْتًا ” اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ ” . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى مَرَّتَيْنِ ” لَلَّهُ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَيْهِ ” . فَالْتَفَتُّ فَإِذَا هُوَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ . قَالَ ” أَمَا إِنَّكَ لَوْ لَمْ تَفْعَلْ لَلَفَعَتْكَ النَّارُ أَوْ ” لَمَسَّتْكَ النَّارُ ” .
আবূ মাস’ঊদ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমার এক ক্রীতদাসকে প্রহার করছিলাম। এ সময় আমার পিছন হতে একটি শব্দ শুনতে পেলাম, হে আবূ মা’সঊদ! জেনে রাখো, আল্লাহ তোমার উপর এর চেয়ে বেশী ক্ষমতাবান যতটুকু তুমি তার উপর ক্ষমতাবান। আমি পিছন হতে তার এরূপ ডাক দু’বার শুনতে পেলাম। আমি পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসুল! সে আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য স্বাধীন (আমি তাকে মুক্ত করে দিলাম)। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি যদি তাকে মুক্ত না করে দিতে তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে গ্রাস করতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬০
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ نَحْوَهُ قَالَ كُنْتُ أَضْرِبُ غُلاَمًا لِي أَسْوَدَ بِالسَّوْطِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الْعِتْقِ .
আল-আ’মাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল-আ’মাশ (রাঃ) সূত্রে এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার এক গোলামকে চাবুক দিয়ে প্রহার করেছিলাম। এতে ‘দাসত্বমুক্ত’ করার কথা উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ لاَءَمَكُمْ مِنْ مَمْلُوكِيكُمْ فَأَطْعِمُوهُ مِمَّا تَأْكُلُونَ وَاكْسُوهُ مِمَّا تَكْتَسُونَ وَمَنْ لَمْ يُلاَئِمْكُمْ مِنْهُمْ فَبِيعُوهُ وَلاَ تُعَذِّبُوا خَلْقَ اللَّهِ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দাস-দাসীর মধ্যে যারা তোমাদেরকে খুশি করে তাদেরকে তোমরা যা খাও তা-ই খেতে দাও এবং তোমরা যা পরিধান করো তাই পরতে দাও। আর যেসব দাস তোমাদের খুশি করে না তাদেরকে বিক্রি করো। তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিজীবকে শাস্তি দিও না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬২
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ بَعْضِ بَنِي رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ، وَكَانَ، مِمَّنْ شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ حُسْنُ الْمَلَكَةِ نَمَاءٌ وَسُوءُ الْخُلُقِ شُؤْمٌ ” .
রাফি’ ইবনু মাকীস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধিতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (দাস-দাসী বা চাকর–চাকরানীর সাথে) উত্তম ব্যবহার প্রাচূর্য বয়ে আনে এবং মন্দ আচরণ দুর্ভাগ্য টেনে আনে।[৫১৬০]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৭৯৬।
[৫১৬০] আহমাদ । সানাদে কতিপয় বনী রাফে’ রয়েছে । যাদের নাম উল্লেখ হয়নি ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৩
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ زُفَرَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ، عَنْ عَمِّهِ الْحَارِثِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ، وَكَانَ، رَافِعٌ مِنْ جُهَيْنَةَ قَدْ شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ حُسْنُ الْمَلَكَةِ نَمَاءٌ وَسُوءُ الْخُلُقِ شُؤْمٌ ” .
আল-হারিস ইবনু রাফি’ ইবনু মাকীস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাফি’ (রাঃ) ছিলেন জুহাইনাহ গোত্রভুক্ত, তিনি রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে হুদায়বিয়াতে উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ উত্তম ব্যবহার সৌভাগ্য বয়ে আনে, আর মন্দ ব্যবহার দুর্ভাগ্য বয়ে আনে।[৫১৬১]
[৫১৬১] এর পূর্বেরটি দেখুন। এর দুটি দোষ রয়েছেঃ এক, সানাদের ‘উসমান বিন যুফার জাহালাত । দুই, সানাদ মুযতারিব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، – وَهَذَا حَدِيثُ الْهَمْدَانِيِّ وَهُوَ أَتَمُّ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ جُلَيْدٍ الْحَجْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمْ نَعْفُو عَنِ الْخَادِمِ فَصَمَتَ ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ الْكَلاَمَ فَصَمَتَ فَلَمَّا كَانَ فِي الثَّالِثَةِ قَالَ “ اعْفُوا عَنْهُ فِي كُلِّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কাজের লোককে প্রতিদিন কতবার মাফ করবো? তিনি চুপ থাকলেন। লোকটি আবার একই প্রশ্ন করলে এবারও তিনি চুপ থাকলেন। তৃতীয় বার প্রশ্ন করলে তিনি বললেনঃ প্রতিদিন সত্তর বার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৫
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا عِيسَى، حَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، – يَعْنِي ابْنَ غَزْوَانَ – عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو الْقَاسِمِ، نَبِيُّ التَّوْبَةِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ قَذَفَ مَمْلُوكَهُ وَهُوَ بَرِيءٌ مِمَّا قَالَ جُلِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَدًّا ” . قَالَ مُؤَمَّلٌ حَدَّثَنَا عِيسَى عَنِ الْفُضَيْلِ يَعْنِي ابْنَ غَزْوَانَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাওবার নবী আবূল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার নির্দোষ গোলামের উপর মিথ্যা অপবাদ দিবে, ক্বিয়ামাতের দিন তাকে বেত্রাঘাত করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ كُنَّا نُزُولاً فِي دَارِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ وَفِينَا شَيْخٌ فِيهِ حِدَّةٌ وَمَعَهُ جَارِيَةٌ فَلَطَمَ وَجْهَهَا فَمَا رَأَيْتُ سُوَيْدًا أَشَدَّ غَضَبًا مِنْهُ ذَاكَ الْيَوْمَ قَالَ عَجَزَ عَلَيْكَ إِلاَّ حُرُّ وَجْهِهَا لَقَدْ رَأَيْتُنَا سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ وَلَدِ مُقَرِّنٍ وَمَا لَنَا إِلاَّ خَادِمٌ فَلَطَمَ أَصْغَرُنَا وَجْهَهَا فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعِتْقِهَا .
হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা সুয়াইদ ইবনু মুক্বাররিন (রাঃ) এর বাড়ীতে থাকতাম। আমাদের সঙ্গে একজন মেজাজী বৃদ্ধ ছিলেন এবং তার সঙ্গে একটি দাসী ছিল। তিনি তার চেহারায় চড় মারলেন। এ কারণে, সুয়াইদ (রাঃ) এতোটা উত্তেজিত হয়েছিলেন যে, আমরা তাকে এমন উত্তেজিত হতে আর দেখিনি। তিনি বললেন, একে আযাদ করা ব্যতীত তোমার জন্য অন্য কোন পথ নেই। তুমি দেখছো যে, আমাদের মুক্বাররিনের সাতটি সন্তান। আমাদের মাত্র একজন খাদেম ছিল। আমাদের কনিষ্ঠজন তার মুখে চড় মেরেছিল বিধায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে তাকে আযাদ করার নির্দেশ দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، قَالَ لَطَمْتُ مَوْلًى لَنَا فَدَعَاهُ أَبِي وَدَعَانِي فَقَالَ اقْتَصَّ مِنْهُ فَإِنَّا مَعْشَرَ بَنِي مُقَرِّنٍ كُنَّا سَبْعَةً عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَيْسَ لَنَا إِلاَّ خَادِمٌ . فَلَطَمَهَا رَجُلٌ مِنَّا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَعْتِقُوهَا ” . قَالُوا إِنَّهُ لَيْسَ لَنَا خَادِمٌ غَيْرَهَا . قَالَ ” فَلْتَخْدُمْهُمْ حَتَّى يَسْتَغْنُوا فَإِذَا اسْتَغْنَوْا فَلْيُعْتِقُوهَا ” .
মু’আবিয়াহ ইবনু সুয়াইদ ইবনু মুক্বাররিন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমাদের এক দাসকে চড় মারলাম। আমার পিতা তাকে ও আমাকে ডেকে বললেন, তুমি তার থেকে প্রতিশোধ নাও। আমার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে মুক্বাররিন গোত্রের সাত ভাই ছিলাম। আমাদের মাত্র একটি খাদেম ছিল। আমাদের মধ্যকার একজন তাকে চড় মারলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একে মুক্ত করে দাও। তারা বললো, এছাড়া আমাদের কোন খাদেম নেই। তিনি বললেনঃ এরা স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত সে তাদের সেবা করবে। তারা স্বাবলম্বী হলে তাকে যেন মুক্ত করে দেয়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، ذَكْوَانَ عَنْ زَاذَانَ، قَالَ أَتَيْتُ ابْنَ عُمَرَ وَقَدْ أَعْتَقَ مَمْلُوكًا لَهُ فَأَخَذَ مِنَ الأَرْضِ عُودًا أَوْ شَيْئًا فَقَالَ مَا لِي فِيهِ مِنَ الأَجْرِ مَا يَسْوَى هَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ لَطَمَ مَمْلُوكَهُ أَوْ ضَرَبَهُ فَكَفَّارَتُهُ أَنْ يُعْتِقَهُ ” .
যাজান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ইবনু ‘উমারের (রাঃ) নিকট গেলাম। তিনি তার দাসকে মুক্ত করে দিলেন। অতঃপর তিনি মাটি হতে এক টুকরো কাঠ বা অন্য কিছু উঠিয়ে বললেন, একে মুক্ত করায় আমার এর সমানও নেকি নেই। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি তার ক্রীতদাসকে চড় মারবে বা মারধর করবে, এর কাফফারাহ হলো তাকে মুক্ত করে দেয়া।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩৫
কর্তব্যপরায়ণ দাস সম্পর্কে
৫১৬৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا نَصَحَ لِسَيِّدِهِ وَأَحْسَنَ عِبَادَةَ اللَّهِ فَلَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে দাস যথাযথভাবে তার মালিকের প্রতি কর্তব্য আদায় করে এবং সুন্দরভাবে আল্লাহর ‘ইবাদতও করে সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩৬
যে কোন ক্রীতদাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়
৫১৭০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ رُزَيْقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ خَبَّبَ زَوْجَةَ امْرِئٍ أَوْ مَمْلُوكَهُ فَلَيْسَ مِنَّا ” .
আবূ হুরাইয়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্যের স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা ক্রীতদাসকে তাঁর মনিবের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩৭
অনুমতি চাওয়া সম্পর্কে
৫১৭১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، اطَّلَعَ مِنْ بَعْضِ حُجَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِشْقَصٍ أَوْ مَشَاقِصَ – قَالَ – فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْتِلُهُ لِيَطْعُنَهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক হুজরাতে উঁকি মারলো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক বা একাধিক তীর-ফলক নিয়ে তার দিকে দাঁড়ালেন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকটির চোখ ফুঁড়ে দেয়ার জন্য যেভাবে তাকে খুঁজছিলেন সে দৃশ্য এখনো যেন আমার চোখের সামনে ভাসছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنِ اطَّلَعَ فِي دَارِ قَوْمٍ بِغَيْرِ إِذْنِهِمْ فَفَقَأُوا عَيْنَهُ فَقَدْ هَدَرَتْ عَيْنُهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন: কোন ব্যক্তি যদি কোন গোত্রের ঘরে তাদের অনুমতি ছাড়া উঁকি মারে এবং তারা তার চোখ ফুঁড়ে দেয় তাহলে এর কোন ক্ষতিপূরণ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৩
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ كَثِيرٍ، عَنْ وَلِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا دَخَلَ الْبَصَرُ فَلاَ إِذْنَ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চোখ প্রবেশ করলে এরপর অনুমতি নেয়ার দরকার থাকলো কই। [৫১৭১]
দুর্বল: যঈকাহ হা/২৫৮৬
[৫১৭১] আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৪
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ هُزَيْلٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ – قَالَ عُثْمَانُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ – فَوَقَفَ عَلَى بَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَأْذِنُ فَقَامَ عَلَى الْبَابِ – قَالَ عُثْمَانُ مُسْتَقْبِلَ الْبَابِ – فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ هَكَذَا عَنْكَ أَوْ هَكَذَا فَإِنَّمَا الاِسْتِئْذَانُ مِنَ النَّظَرِ ” .
হুযাইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা এক ব্যক্তি অর্থাৎ সা’দ (রাঃ) এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরের দরজা বরাবর মুখ করে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ দরজার ডান অথবা বাম দিকে সরে দাঁড়াও। কেননা চোখের দৃষ্টির কারণেই অনুমতি নেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৫
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ سَعْدٍ، نَحْوَهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। [৫১৭৩]
[৫১৭৩] বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩৮
অনুমতি চাওয়ার নিয়ম
৫১৭৬
حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، أَخْبَرَهُ عَنْ كَلَدَةَ بْنِ حَنْبَلٍ، أَنَّ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ، بَعَثَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِلَبَنٍ وَجِدَايَةٍ وَضَغَابِيسَ – وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِأَعْلَى مَكَّةَ – فَدَخَلْتُ وَلَمْ أُسَلِّمْ فَقَالَ “ ارْجِعْ فَقُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ ” . وَذَاكَ بَعْدَ مَا أَسْلَمَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ . قَالَ عَمْرٌو وَأَخْبَرَنِي ابْنُ صَفْوَانَ بِهَذَا أَجْمَعَ عَنْ كَلَدَةَ بْنِ حَنْبَلٍ وَلَمْ يَقُلْ سَمِعْتُهُ مِنْهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ أُمَيَّةُ بْنُ صَفْوَانَ وَلَمْ يَقُلْ سَمِعْتُهُ مِنْ كَلَدَةَ بْنِ حَنْبَلٍ وَقَالَ يَحْيَى أَيْضًا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ كَلَدَةَ بْنَ الْحَنْبَلِ أَخْبَرَهُ .
কালাদাহ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যাহ (রাঃ) তাকে কিছু দুধ, একটি হরিণ ছানা ও কিছু শসাসহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কার উঁচু স্থানে অবস্থান করছিলেন। আমি সালাম না দিয়েই তাঁর নিকট প্রবেশ করলে তিনি বললেনঃ তুমি ফিরে যাও এবং আসসালামু ‘আলাইকুম বলো। ঘটনাটি ঘটেছিলো সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যাহ (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের পর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا رَجُلٌ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيْتٍ فَقَالَ أَلِجُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِخَادِمِهِ “ اخْرُجْ إِلَى هَذَا فَعَلِّمْهُ الاِسْتِئْذَانَ فَقُلْ لَهُ قُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ ” . فَسَمِعَهُ الرَّجُلُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ فَأَذِنَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ .
রিবঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বনী ‘আমিরের এক লোক আমাকে বলেন, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘরে অবস্থানকালে তাঁর নিকট অনুমতি চেয়ে বলেছিলেন, আমি কি আসবো? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার খাদেম কে বললেন, তুমি বের হয়ে তার নিকট গিয়ে তাকে অনুমতি নেয়ার নিয়ম শিখিয়ে দাও। তুমি তাকে বলো, আস্সালামু ‘আলাইকুম, আমি কি ভিতরে আসতে পারি? লোকটি এ কথা শুনে বললো, আসসালামু ‘আলাইকুম, আমি কি ভিতরে আসতে পারি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন এবং সে ভেতরে প্রবেশ করলো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৮
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ حُدِّثْتُ أَنَّ رَجُلاً مِنْ بَنِي عَامِرٍ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ رِبْعِيٍّ وَلَمْ يَقُلْ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ .
রিবঈ ইবনু হিরাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, বনী ‘আমিরের এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলো …… অতঃপর পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এভাবেই মুসাদ্দাদ আবূ আওয়ানাহ হতে মানসূর (রহঃ) সূত্রে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে ‘আমির গোত্রের এক ব্যক্তির সূত্রে’-কথাটি নেই। [৫১৭৬]
[৫১৭৬] আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫১৭৯
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ فَسَمِعْتُهُ فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ
বনী ‘আমিরর এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ
সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অনুমতি চাইলো…… অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁর কাছ থেকে শুনে বললাম, ‘আস্সালামু ‘আলাইকুম, আসতে পারি কি?’ [৫১৭৭]
[৫১৭৭] আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩৯
অনুমতি নিতে কতবার সালাম দিবে?
৫১৮০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا فِي مَجْلِسٍ مِنْ مَجَالِسِ الأَنْصَارِ فَجَاءَ أَبُو مُوسَى فَزِعًا فَقُلْنَا لَهُ مَا أَفْزَعَكَ قَالَ أَمَرَنِي عُمَرُ أَنْ آتِيَهُ فَأَتَيْتُهُ فَاسْتَأْذَنْتُ ثَلاَثًا فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي فَرَجَعْتُ فَقَالَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَأْتِيَنِي قُلْتُ قَدْ جِئْتُ فَاسْتَأْذَنْتُ ثَلاَثًا فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا اسْتَأْذَنَ أَحَدُكُمْ ثَلاَثًا فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ فَلْيَرْجِعْ ” . قَالَ لَتَأْتِيَنِّي عَلَى هَذَا بِالْبَيِّنَةِ قَالَ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ لاَ يَقُومُ مَعَكَ إِلاَّ أَصْغَرُ الْقَوْمِ . قَالَ فَقَامَ أَبُو سَعِيدٍ مَعَهُ فَشَهِدَ لَهُ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনসারগণের এক সমাবেশে বসা ছিলাম। এ সময় আবূ মূসা (রাঃ) ভীত অবস্থায় উপস্থিত হলেন। আমরা তাকে বললাম, আপনার ভীত হওয়ার কারণ কি? তিনি বললেন, ‘উমার (রাঃ) আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমি তার নিকট এসে তিনবার অনুমতি চেয়েও অনুমতি না পেয়ে ফিরে গেলাম। তিনি (‘উমার) আমাকে প্রশ্ন করলেন, (ভেতরে প্রবেশ করতে) তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছে? আমি বললাম, আমি এসে তিনবার অনুমতি চেয়েছি কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি তিনবার অনুমতি চেয়েও অনুমতি না পায় তবে সে ফিরে যাবে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমাকে অবশ্যই আমাকে এর সাক্ষী পেশ করতে হবে। বর্ণনাকারী বললেন, অতঃপর আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, আপনার সঙ্গে সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে দলের সর্বকনিষ্ঠ লোকটিই উঠবে। বর্ণনাকারী বলেন, অতপঃর আবূ সাঈদ (রাঃ) তার সঙ্গে গিয়ে তার পক্ষে সাক্ষী দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُ أَتَى عُمَرَ فَاسْتَأْذَنَ ثَلاَثًا فَقَالَ يَسْتَأْذِنُ أَبُو مُوسَى يَسْتَأْذِنُ الأَشْعَرِيُّ يَسْتَأْذِنُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ فَرَجَعَ فَبَعَثَ إِلَيْهِ عُمَرُ مَا رَدَّكَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يَسْتَأْذِنُ أَحَدُكُمْ ثَلاَثًا فَإِنْ أُذِنَ لَهُ وَإِلاَّ فَلْيَرْجِعْ ” . قَالَ ائْتِنِي بِبَيِّنَةٍ عَلَى هَذَا . فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ هَذَا أُبَىٌّ فَقَالَ أُبَىٌّ يَا عُمَرُ لاَ تَكُنْ عَذَابًا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ عُمَرُ لاَ أَكُونُ عَذَابًا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘উমার (রাঃ) এর নিকট এসে তিনবার এভাবে অনুমতি চাইলেনঃ আবূ মূসা অনুমতি চাচ্ছে; আল-আশ’আরী অনুমতি চাচ্ছে এবং ‘আবদুল্লাহ ইবনু ক্বাইস অনুমতি চাচ্ছে। কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি না দেয়ায় আবূ মূসা (রাঃ) ফিরে যেতে লাগলেন। ‘উমার (রাঃ) তাকে ডেকে এনে প্রশ্ন করলেন, কিসে আপনাকে ফিরে যেতে বাধ্য করলো? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ অনুমতি চাইবে তিনবার। যদি তাকে অনুমতি দেয়া হয় তো ভালো, অন্যথায় ফিরে যাবে। ‘উমার (রাঃ) বললেন এর স্বপক্ষে আমাকে প্রমাণ দিন। অতএব তিনি গিয়ে সাক্ষী নিয়ে এসে বললেন, এই উবাই। উবাই (রাঃ) বললেন, হে ‘উমার! রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীগণকে শাস্তিদাতা হবেন না। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি কখনো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণকে শাস্তি দিবো না।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫১৮২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، أَنَّ أَبَا مُوسَى، اسْتَأْذَنَ عَلَى عُمَرَ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ . قَالَ فِيهِ فَانْطَلَقَ بِأَبِي سَعِيدٍ فَشَهِدَ لَهُ فَقَالَ أَخَفِيَ عَلَىَّ هَذَا مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَلْهَانِي السَّفْقُ بِالأَسْوَاقِ وَلَكِنْ سَلِّمْ مَا شِئْتَ وَلاَ تَسْتَأْذِنْ .
উবাইদ ইবনু উমাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ মূসা (রাঃ) ‘উমার (রাঃ) –এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলেন……অতঃপর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ কিস্সা। তবে বর্ণনাকারী আরো বলেনঃ তিনি আবূ সাঈদ (রাঃ)–কে নিয়ে এলেন এবং তিনি তার পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত এ হাদীস আমার অজানা রয়ে গেলো! বাজারের বেচাকেনাই আমাকে এ ব্যাপারে অনবহিত রেখেছে। এখন আপনার ইচ্ছেমত আমাকে সালাম দিন এবং অনুমতির দরকার নেই।
সহীহ। তবে এ কথাটি বাদেঃ “এখন আপনি ইচ্ছেমত আমাকে ……”।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৩
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقَاهِرِ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ لأَبِي مُوسَى إِنِّي لَمْ أَتَّهِمْكَ وَلَكِنَّ الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَدِيدٌ .
আবূ বুরদাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণনাকারী বলেন, ‘উমার (রাঃ) আবূ মূসা (রাঃ)-কে বললেন, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে অপবাদ দিচ্ছি না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে হাদীস বর্ণনা করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ غَيْرِ، وَاحِدٍ، مِنْ عُلَمَائِهِمْ فِي هَذَا فَقَالَ عُمَرُ لأَبِي مُوسَى أَمَا إِنِّي لَمْ أَتَّهِمْكَ وَلَكِنْ خَشِيتُ أَنْ يَتَقَوَّلَ النَّاسُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
রাবী’আহ ইবনু আবূ ‘আবদুর (রহঃ) এবং তাদের একাধিক ‘আলিম থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার (রাঃ) আবূ মূসা (রাঃ)-কে বলেন, জেনে রাখুন! আমি আপনাকে অপবাদ দিচ্ছি না। কিন্তু আমি ভয় করছি যে, মানুষ হয়ত দায়িত্বহীনভাবে রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীস বর্ণনা করবে। [৫১৮২]
[৫১৮২] এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৫
حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَبُو مَرْوَانَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، – الْمَعْنَى – قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ زَارَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَنْزِلِنَا فَقَالَ ” السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ” . فَرَدَّ سَعْدٌ رَدًّا خَفِيًّا . قَالَ قَيْسٌ فَقُلْتُ أَلاَ تَأْذَنُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ ذَرْهُ يُكْثِرْ عَلَيْنَا مِنَ السَّلاَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ” . فَرَدَّ سَعْدٌ رَدًّا خَفِيًّا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ” . ثُمَّ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاتَّبَعَهُ سَعْدٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَسْمَعُ تَسْلِيمَكَ وَأَرُدُّ عَلَيْكَ رَدًّا خَفِيًّا لِتُكْثِرَ عَلَيْنَا مِنَ السَّلاَمِ . قَالَ فَانْصَرَفَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ لَهُ سَعْدٌ بِغِسْلٍ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ نَاوَلَهُ مِلْحَفَةً مَصْبُوغَةً بِزَعْفَرَانٍ أَوْ وَرْسٍ فَاشْتَمَلَ بِهَا ثُمَّ رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ ” اللَّهُمَّ اجْعَلْ صَلَوَاتِكَ وَرَحْمَتَكَ عَلَى آلِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ ” . قَالَ ثُمَّ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الطَّعَامِ فَلَمَّا أَرَادَ الاِنْصِرَافَ قَرَّبَ لَهُ سَعْدٌ حِمَارًا قَدْ وَطَّأَ عَلَيْهِ بِقَطِيفَةٍ فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَعْدٌ يَا قَيْسُ اصْحَبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ قَيْسٌ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” ارْكَبْ ” . فَأَبَيْتُ ثُمَّ قَالَ ” إِمَّا أَنْ تَرْكَبَ وَإِمَّا أَنْ تَنْصَرِفَ ” . قَالَ فَانْصَرَفْتُ . قَالَ هِشَامٌ أَبُو مَرْوَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ وَابْنُ سَمَاعَةَ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرَا قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ .
ক্বাইস ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আমাদের বাড়িতে আসলেন। তিনি বললেন, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহ্মাতুল্লাহ। বর্ণনাকারী বলেন, সা’দ (রাঃ) আস্তে সালামের উত্তর দিলেন। ক্বাইস (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রবেশের অনুমতি দিবেন না? তিনি বললেন, থামো, তাঁকে বেশী বেশী আমাদেরকে সালাম দিতে দাও। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সা’দ (রাঃ) এবারেও আস্তে সালামের জবাব দিলেন। পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। অতঃপর তিনি ফিরে যেতে থাকলেন। সা’দ (রাঃ) তাঁর পিছনে পিছনে গিয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয়ই আমি আপনার সালাম শুনতে পারছিলাম এবিং চুপে চুপে সালামের জবাব দিচ্ছিলাম, যাতে আপনি বেশী বেশী সালাম দেন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সঙ্গে ফিরে আসলেন এবং সা’দ (রাঃ) তাঁর গোসলের জন্য পানি এনে দিতে নির্দেশ দিলেন, অতঃপর তিনি গোসল করলেন। এরপর তাঁকে জাফরান বা ওয়ার্স দ্বারা রঞ্জিত একটি চাদর দিলেন। তিনি তা পরিধান করলেন। অতঃপর দু’হাত তুলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! তুমি সা’দ ইবনু ‘উবাদাহ্র পরিবার-পরিজনের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খাবার দেয়া হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রওয়ানা করার জন্য প্রস্তুত হলেন, তখন সা’দ (রাঃ) পিঠে মখমলের চাদর বা গদি বিছানো একটি সুসজ্জিত গাধা এনে তার নিকটবর্তী করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে আরোহণ করলেন। সা’দ (রাঃ) বললেন, হে ক্বাইস! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যাও। ক্বাইস (রাঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ আরোহণ করো। কিন্তু আমি সম্মত হলাম না। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আরোহণ করো নতুবা ফিরে যাও। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ফিরে এলাম। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ওয়াহিদ ও ইবনু সাম’আহ (রাঃ) আল-আওয়াঈর (রহঃ) হাদীসটি মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তারা উভয়ে ক্বাইস ইবনু সা’দ (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি। [৫১৮৩]
[৫১৮৩] আহমাদ। সানাদের মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুর রহমান হাদীসটি ক্বাইস হতে শুনেন নি। সুতরাং এটা মুনতাকি। হাফিয বলেনঃ সঠিক কথা হলো উভয়ের মাঝে আরেকজন ব্যক্তি রয়েছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৬
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، – فِي آخَرِينَ – قَالُوا حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَى بَابَ قَوْمٍ لَمْ يَسْتَقْبِلِ الْبَابَ مِنْ تِلْقَاءِ وَجْهِهِ وَلَكِنْ مِنْ رُكْنِهِ الأَيْمَنِ أَوِ الأَيْسَرِ وَيَقُولُ “ السَّلاَمُ عَلَيْكُمُ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ ” . وَذَلِكَ أَنَّ الدُّورَ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا يَوْمَئِذٍ سُتُورٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু বুস্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন কওমের দরবারে এলে সরাসরি দরজায় মুখ করে দাঁড়াতেন না, বরং দরজার বাম বা ডান পাশে সরে দাঁড়িয়ে বলতেনঃ ‘ আস্সালামু ‘আলাইকুম, আস্সালামু ‘আলাইকুম ’। কারণ সে যুগে দরজায় পর্দা টানানো থাকতো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪০
কেউ প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার জন্য দরজা খটখট করলে
৫১৮৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ ذَهَبَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي دَيْنِ أَبِيهِ فَدَقَقْتُ الْبَابَ فَقَالَ ” مَنْ هَذَا ” . قُلْتُ أَنَا . قَالَ ” أَنَا أَنَا ” . كَأَنَّهُ كَرِهَهُ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি তার পিতার রেখে যাওয়া ঋণ সম্পর্কে আলোচনার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট যান। আমি (জাবির) দরজা খটখট করলে তিনি বললেনঃকে? আমি বললাম, আমি। তিনি বললেনঃআমি! আমি! মনে হলো, তিনি এরূপ বলা অপছন্দ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، – يَعْنِي الْمَقَابِرِيَّ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى دَخَلْتُ حَائِطًا فَقَالَ لِي ” أَمْسِكِ الْبَابَ ” . فَضُرِبَ الْبَابُ فَقُلْتُ ” مَنْ هَذَا ” . وَسَاقَ الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي حَدِيثَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيَّ قَالَ فِيهِ فَدَقَّ الْبَابَ .
নাফি‘ ইবনু ‘আবদুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে বের হয়ে এক বাগানে প্রবেশ করলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ দরজা বন্ধ করে রাখো। পরে দরজায় আঘাত করা হলে আমি বললাম, কে? অতঃপর বাকি অংশ আবূ মূসা (রাঃ) বর্ণিত হাসীসের অনুরূপ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ আবূ মূসা আল-আশ‘আরীর (রাঃ) হাদীস। তাতে রয়েছেঃ সে দরজা খটখট করলো।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪১
কাউকে আহবান করা কি তার জন্য অনুমতি ধর্তব্য ?
৫১৮৯
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حَبِيبٍ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ رَسُولُ الرَّجُلِ إِلَى الرَّجُلِ إِذْنُهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন: কোন ব্যক্তিকে ডেকে আনার জন্য কোন লোক পাঠালে তা তার অনুমতি হিসেবে ধর্তব্য।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯০
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ فَجَاءَ مَعَ الرَّسُولِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَهُ إِذْنٌ ” . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ اللُّؤْلُؤِيُّ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ يَقُولُ قَتَادَةُ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي رَافِعٍ شَيْئًا .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি পানাহারের জন্য আমন্ত্রিত হয় এবং সে আমন্ত্রনকারীর প্রতিনিধির সঙ্গে আসে, তবে তার জন্য এটাই অনুমতি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস