অনুচ্ছেদ-৭৯
পরোক্ষ মিথ্যাচার
৪৯৭১
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيُّ، – إِمَامُ مَسْجِدِ حِمْصٍ – حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ ضُبَارَةَ بْنِ مَالِكٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدٍ الْحَضْرَمِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ كَبُرَتْ خِيَانَةً أَنْ تُحَدِّثَ أَخَاكَ حَدِيثًا هُوَ لَكَ بِهِ مُصَدِّقٌ وَأَنْتَ لَهُ بِهِ كَاذِبٌ ” .
সুফিয়ান ইবনু আসীদ আল-হাদরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, সবচেয়ে বড় বিশ্বাঘাতকতা হলো তুমি তোমার কোন ভাইকে কোন কথা বলেছো এবং সে তোমার কথা সত্য বলে বিশ্বাস করে নিয়েছে, অথচ তুমি যা বলেছো তা ছিলো মিথ্যা। ৪৯৬৯
দুর্বল : যঈফাহ হা/১২৫১।
৪৯৬৯ বুখারী আদাবুল মুফরাদ, বায়হাক্বী। সানাদে যুবারাহ বিন মালিক রয়েছে। তিনি অজ্ঞাত। যেমন বলেছেন যাহাবী মীযান গ্রন্থে এবং হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮০
কোন ব্যক্তির “যা‘আমূ” শব্দ ব্যবহার করা সম্পর্কে
৪৯৭২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ لأَبِي عَبْدِ اللَّهِ أَوْ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ لأَبِي مَسْعُودٍ مَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي ” زَعَمُوا ” . قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” بِئْسَ مَطِيَّةُ الرَّجُلِ زَعَمُوا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ هَذَا حُذَيْفَةُ .
আবূ ক্বিলাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আবূ মাস‘উদ (রাঃ) আবূ ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে অথবা আবূ ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) আবূ মাস‘উদ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে “যা‘আমূ” শব্দ সম্পর্কে কী বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ “যা‘আমূ” শব্দটি কোন ব্যক্তির নিকৃষ্ট ভারবাহী পশুর ন্যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮১
বক্তব্যে ‘আম্মা বা’দ শব্দের ব্যবহার
৪৯৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَهُمْ فَقَالَ “ أَمَّا بَعْدُ ” .
যায়িদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং শুরুতে বললেন, আম্ম বা‘দ (অতঃপর)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮২
আঙ্গুরকে কারম বলা এবং বাকসংযত হওয়া
৪৯৭৪
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمُ الْكَرْمَ فَإِنَّ الْكَرْمَ الرَّجُلُ الْمُسْلِمُ وَلَكِنْ قُولُوا حَدَائِقَ الأَعْنَابِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন (আঙ্গুরকে) কারাম না বলে। কারণ মুসলিমই হলো কারাম (সম্ভ্রান্ত)। কিন্তু তোমরা ‘হাদাইকুল আ‘নাব’ (আঙ্গুরের বাগান) বলবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৩
দাস/সেবক তার মালিককে ‘আমার রব’ বলবে না
৪৯৭৫
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَحَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ عَبْدِي وَأَمَتِي وَلاَ يَقُولَنَّ الْمَمْلُوكُ رَبِّي وَرَبَّتِي وَلْيَقُلِ الْمَالِكُ فَتَاىَ وَفَتَاتِي وَلْيَقُلِ الْمَمْلُوكُ سَيِّدِي وَسَيِّدَتِي فَإِنَّكُمُ الْمَمْلُوكُونَ وَالرَّبُّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ”
আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন ‘আমার দাস ও আমার দাসী’ না বলে এবং অধীনস্থরাও যেন ‘আমার রব, আমার রাব্বাতী’ না বলে। বরং মনিব তার দাসকে বলবে, ফাতায়া ও ফাতাতী (আমার যুবক ও আমার যুবতী)। আর অধীনস্থ লোকেরাও বলবে, আমার সাইয়িদ আমার সাইয়িদাহ (আমার নেতা ও আমার নেত্রী)। কেননা তোমরা সবাই গোলাম। মহান আল্লাহই হলেন একমাত্র রব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৭৬
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِي هَذَا الْخَبَرِ وَلَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ وَلْيَقُلْ سَيِّدِي وَمَوْلاَىَ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস ভিন্ন সানাদে বর্ণিত। বর্ণনাকারী এতে নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উল্লেখ করেননি। এতে রয়েছে : সে যেন বলে, আমার নেতা, আমার নেত্রী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৭৭
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَقُولُوا لِلْمُنَافِقِ سَيِّدٌ فَإِنَّهُ إِنْ يَكُ سَيِّدًا فَقَدْ أَسْخَطْتُمْ رَبَّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মুনাফিককে নেতা বলবে না। কেননা সে যদি নেতা হয় তাহলে তোমরা তোমাদের মহামহিম আল্লাহকে রাগান্বিত করলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৪
আমার আত্মা কলুষিত হয়ে গেছে এরূপ না বলা
৪৯৭৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ خَبُثَتْ نَفْسِي وَلْيَقُلْ لَقِسَتْ نَفْسِي ” .
সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন না বলে “আমার আত্মা কলুষিত’ হয়ে গেছে। বরং বলবেঃ আমার আত্মা অস্থির হয়ে পড়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৭৯
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ جَاشَتْ نَفْسِي وَلَكِنْ لِيَقُلْ لَقِسَتْ نَفْسِي ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন না বলে, আমার আত্মা বিক্ষুব্ধ হয়ে গেছে। বরং বলবেঃ আমার আত্মা বিতৃষ্ণ হয়ে গেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৮০
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَقُولُوا مَا شَاءَ اللَّهُ وَشَاءَ فُلاَنٌ وَلَكِنْ قُولُوا مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ شَاءَ فُلاَنٌ ” .
থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বলো না যে, আল্লাহ যা চান এবং অমুক লোক যা চায়। সুতরাং তোমরা বলো আল্লাহ যা চান, অতঃপর অমুকে যা চায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৫
( এই অনুচ্ছেদে কোন শিরোনাম নেই )
৪৯৮১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ، عَنْ تَمِيمٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّ خَطِيبًا، خَطَبَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ وَمَنْ يَعْصِهِمَا . فَقَالَ ” قُمْ ” . أَوْ قَالَ ” اذْهَبْ فَبِئْسَ الْخَطِيبُ أَنْتَ ” .
আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক বক্তা নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপস্থিতিতে বক্তৃতা করতে গিয়ে বললোঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের অনুসরণ করলো সে সঠিক পথ পেলো আর যে তাদের আদেশ অমান্য করলো-এ পর্যন্ত বলার পর তিনি (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ওঠো। অথবা তিনি বললেন, চলে যাও। কারণ তুমি কতই না খারাপ বক্তা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৮২
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ – عَنْ خَالِدٍ، – يَعْنِي الْحَذَّاءَ – عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ رَجُلٍ، قَالَ كُنْتُ رَدِيفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَثَرَتْ دَابَّتُهُ فَقُلْتُ تَعِسَ الشَّيْطَانُ . فَقَالَ “ لاَ تَقُلْ تَعِسَ الشَّيْطَانُ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ تَعَاظَمَ حَتَّى يَكُونَ مِثْلَ الْبَيْتِ وَيَقُولَ بِقُوَّتِي وَلَكِنْ قُلْ بِسْمِ اللَّهِ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ تَصَاغَرَ حَتَّى يَكُونَ مِثْلَ الذُّبَابِ ” .
আবুল মালীহ (রহঃ) হতে এক ব্যক্তির থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জন্তুযানে নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পিছনে বসা ছিলাম। হঠাৎ তার সাওয়ারী হোঁচট খেলে আমি বললাম, শয়তান ধ্বংস হয়েছে। তিনি বললেন, একথা বলো যে, না শয়তান ধ্বংস হয়েছে। কেননা তুমি একথা বললে সে অহংকারে ঘরের মতো বড় আকৃতির হয়ে যাবে এবং সে বলবে, আমার ক্ষমতায় হয়েছে। অতএব বলো, আল্লাহর নামে। যখন তুমি আল্লাহ নামে বলবে শয়তান হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে মাছির মত হয়ে যাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৮৩
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا سَمِعْتَ ” . وَقَالَ مُوسَى ” إِذَا قَالَ الرَّجُلُ هَلَكَ النَّاسُ فَهُوَ أَهْلَكُهُمْ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَالِكٌ إِذَا قَالَ ذَلِكَ تَحَزُّنًا لِمَا يَرَى فِي النَّاسِ – يَعْنِي فِي أَمْرِ دِينِهِمْ – فَلاَ أَرَى بِهِ بَأْسًا وَإِذَا قَالَ ذَلِكَ عُجْبًا بِنَفْسِهِ وَتَصَاغُرًا لِلنَّاسِ فَهُوَ الْمَكْرُوهُ الَّذِي نُهِيَ عَنْهُ .
আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তুমি কোন ব্যক্তিকে বলতে শুনবে, সকল লোক ধ্বংস হয়েছে, তখন সে-ই তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ধ্বংসের কবলে পড়বে। অথবা সে যেন তাদেরকে ধ্বংস করলো। বর্ণনাকারী মূসা (রাঃ) শুনেছিলেন পরিবর্তে বলেছেন উল্লেখ করেছেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলেছেন, যে যদি ধর্মীয় বিষয়ে মানুষের অবনতি লক্ষ্য করে দুঃখে একথা বলে তাহলে আমার মতে তা দূষণীয় নয়। কিন্তু সে আত্মগর্বী হয়ে এবং লোকজনকে তুচ্ছজ্ঞান করে একথা বললে তা হবে জঘন্য আচরণ, যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৬
আতামার সলাত
৪৯৮৪
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَغْلِبَنَّكُمُ الأَعْرَابُ عَلَى اسْمِ صَلاَتِكُمْ أَلاَ وَإِنَّهَا الْعِشَاءُ وَلَكِنَّهُمْ يُعْتِمُونَ بِالإِبِلِ ” .
আবূ সালামহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ বেদুঈনরা যেন সলাতের ওয়াক্তের নামকরণের ক্ষেত্রে তোমাদেরকে পরাভূত করতে না পারে। জেনে রাখো, সেটি হলো ইশার সলাত। কিন্তু তারা রাতের অন্ধকার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে উটের দুধ দোহন করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৮৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مِسْعَرُ بْنُ كِدَامٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ – قَالَ مِسْعَرٌ أُرَاهُ مِنْ خُزَاعَةَ – لَيْتَنِي صَلَّيْتُ فَاسْتَرَحْتُ فَكَأَنَّهُمْ عَابُوا عَلَيْهِ ذَلِكَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ يَا بِلاَلُ أَقِمِ الصَّلاَةَ أَرِحْنَا بِهَا ” .
সালিম ইবনু আবুল জা’দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলেন, মিস‘আর বলেছেন, আমার ধারণা, সে ব্যক্তি খুযাআ গোত্রীয়, যদি আমি সলাত পড়তাম তাহলে প্রশান্তি পেতাম। উপস্থিত লোকজন নারাজ হলো। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ হে বিলাল। সলাত ক্বায়িম করো। আমরা এর মাধ্যমে স্বস্তি লাভ করতে পারবো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَأَبِي، إِلَى صِهْرٍ لَنَا مِنَ الأَنْصَارِ نَعُودُهُ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَقَالَ لِبَعْضِ أَهْلِهِ يَا جَارِيَةُ ائْتُونِي بِوَضُوءٍ لَعَلِّي أُصَلِّي فَأَسْتَرِيحَ – قَالَ – فَأَنْكَرْنَا ذَلِكَ عَلَيْهِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ قُمْ يَا بِلاَلُ أَقِمْ فَأَرِحْنَا بِالصَّلاَةِ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে আমি ও আমার পিতা আনসার গোত্রীয় আমার শ্বশুরবাড়ি গেলাম। তখন সলাতের ওয়াক্ত হলে তিনি তার পরিবারের একজনকে ডেকে বললেন, এই যে মেয়ে। উযূর জন্যে পানি আনো, যাতে আমি সলাত পড়ে প্রশান্তি লাভ করতে পারি। বর্ণনাকারী বলেন, তার একথায় আমরা নারাজ হলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ হে বিলাল। আযান দাও, আমরা সলাতের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করবো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৮৭
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها، قَالَتْ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْسُبُ أَحَدًا إِلاَّ إِلَى الدِّينِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দ্বীনের সাথে সম্পৃক্ত করা ছাড়া অন্যভাবে কারো পরিচয় দিতে শুনিনি।৪৯৮৫
৪৯৮৫ আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদের যায়িদ বিন আসলাম হাদীসটি ‘আয়িশাহ হতে শুনেননি। সুতরাং সানাদ মুনকাতি। এছাড়া সানাদে হিশাম ইবনু সাঈদ সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি তেমন শক্তিশালী নন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৭
পরিচিতির ব্যাপারে বিকল্প ব্যবস্থা অনুমোদিত
৪৯৮৮
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ فَزَعٌ بِالْمَدِينَةِ فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَسًا لأَبِي طَلْحَةَ فَقَالَ ” مَا رَأَيْنَا شَيْئًا ” . أَوْ ” مَا رَأَيْنَا مِنْ فَزَعٍ وَإِنْ وَجَدْنَاهُ لَبَحْرًا ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা মদিনায় লোকেরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লো। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ ত্বালহার (রাঃ) এর ঘোড়ায় চড়ে অনুসন্ধান করে এসে বললেনঃ আমি তো ভীতিজনক কোন কিছুই দেখলাম না। আমি ঘোড়াটিকে সমুদ্রের ন্যায় (দ্রুতগতির) পেয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৮
মিথ্যাচার সম্পর্কে কঠোরতা
৪৯৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا وَعَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا ” .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মিথ্যাচার বর্জন করো। কেননা মিথ্যা পাপাচারের দিকে ধাবিত করে এবং পাপাচার জাহান্নামে নিয়ে যায়। কোন ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা বলতে থাকলে এবং মিথ্যাচারকে স্বভাবে পরিণত করলে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তার নাম মিথ্যুক হিসেবেই লেখা হয়। আর তোমরা অবশ্যই সততা অবলম্বন করবে। কেননা সততা নেক কাজের দিকে পথ দেখায় এবং নেক কাজ জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। আর কোন ব্যক্তি সর্বদা সততা বজায় রাখলে এবং সততাকে নিজের স্বভাবে পরিণত করলে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকটে তার নাম পরম সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৯০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ ” .
বাহয ইবনু হাকীম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা তার পিতার সূত্রে আমাকে হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ মানুষকে হাসানোর জন্য যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪৯৯১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ مَوَالِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ الْعَدَوِيِّ حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ أَنَّهُ قَالَ دَعَتْنِي أُمِّي يَوْمًا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ فِي بَيْتِنَا فَقَالَتْ هَا تَعَالَ أُعْطِيكَ . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَمَا أَرَدْتِ أَنْ تُعْطِيهِ ” . قَالَتْ أُعْطِيهِ تَمْرًا . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَمَا إِنَّكِ لَوْ لَمْ تُعْطِيهِ شَيْئًا كُتِبَتْ عَلَيْكِ كِذْبَةٌ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ঘরে বসা অবস্থায় আমার মা আমাকে ডেকে বললেন, এই যে, এসো! তোমাকে দিবো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রশ্ন করলেনঃ তাকে কি দেয়ার ইচ্ছা করেছো? তিনি বললেন, খেজুর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ যদি তুমি তাকে কিছু না দিতে তাহলে এ কারণে তোমার আমলনামায় একটি মিথ্যার পাপ লিপিবদ্ধ হতো।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪৯৯২
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، – قَالَ ابْنُ حُسَيْنٍ فِي حَدِيثِهِ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يَذْكُرْ حَفْصٌ أَبَا هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يُسْنِدْهُ إِلاَّ هَذَا الشَّيْخُ يَعْنِي عَلِيَّ بْنَ حَفْصٍ الْمَدَائِنِيَّ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে কোন কথা শোনামাত্রই (যাচাই না করে) বলে বেড়ায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৯
সুধারণা পোষণ
৪৯৯৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ مُهَنَّا أَبِي شِبْلٍ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ أَفْهَمْهُ مِنْهُ جَيِّدًا – عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ وَاسِعٍ، عَنْ شُتَيْرٍ، – قَالَ نَصْرٌ : ابْنِ نَهَّارٍ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – قَالَ نَصْرٌ – عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ حُسْنُ الظَّنِّ مِنْ حُسْنِ الْعِبَادَةِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ مُهَنَّا ثِقَةٌ بَصْرِيٌّ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উত্তম ধারণা পোষণ উত্তম ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।৪৯৯১
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৩১৫০
৪৯৯১ আহমাদ, ইবনু হিব্বান।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৯৯৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ وَقُمْتُ فَانْقَلَبْتُ فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي – وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ – فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ” . قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ فَخَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا ” . أَوْ قَالَ ” شَرًّا ” .
উম্মুল মু’মিমীন সাফিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই’তিকাফ অবস্থায় ছিলেন। এক রাতে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে তাঁর নিকট গেলাম। কথাবার্তা শেষ করে আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালে তিনিও আমাকে এগিয়ে দিতে দাঁড়ালেন। তার (সাফিয়া (রাঃ)) বসবাসের স্থান ছিল উসামা ইবনু যায়িদ (রাঃ)-এর ঘর (সংলগ্ন)।এ সময় আনসার গোত্রের দুই ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখে দ্রুত চলে যাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা থামো! ইনি (আমার স্ত্রী) সাফিয়্যাহ বিনতু হুয়াই। তারা দু’জনে বললেন, “সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ শয়তান মানুষের মধ্যে রক্তের মত চলাচল করে। তাই আমার ভয় হচ্ছিল যে, সে তোমাদের দু’জনের মনে মন্দ কিছু নিক্ষেপ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯০
ওয়াদা পালন
৪৯৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي النُّعْمَانِ، عَنْ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا وَعَدَ الرَّجُلُ أَخَاهُ – وَمِنْ نِيَّتِهِ أَنْ يَفِيَ لَهُ – فَلَمْ يَفِ وَلَمْ يَجِئْ لِلْمِيعَادِ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ ” .
যায়িদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের সাথে ওয়াদা পূর্ণ করার নিয়্যাতে অঙ্গীকার করে এবং কোন কারণে উক্ত অঙ্গীকার পূরণ করতে না পারে এবং ওয়াদা পূরণের নির্দিষ্ট সময়ও না আসে তাহলে তার পাপ হবে না।৪৯৯৩
৪৯৯৩ তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই হাদীসটি গরীব। এর সানাদ মজবুত নয়। সানাদে আবূ নু’মান ও আবূ ওয়াক্কাস উভয়ে অজ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৯৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ بُدَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْحَمْسَاءِ، قَالَ بَايَعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِبَيْعٍ قَبْلَ أَنْ يُبْعَثَ وَبَقِيَتْ لَهُ بَقِيَّةٌ فَوَعَدْتُهُ أَنْ آتِيَهُ بِهَا فِي مَكَانِهِ فَنَسِيتُ ثُمَّ ذَكَرْتُ بَعْدَ ثَلاَثٍ فَجِئْتُ فَإِذَا هُوَ فِي مَكَانِهِ فَقَالَ “ يَا فَتَى لَقَدْ شَقَقْتَ عَلَىَّ أَنَا هَا هُنَا مُنْذُ ثَلاَثٍ أَنْتَظِرُكَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى هَذَا عِنْدَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا بَلَغَنِي عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ بَلَغَنِي أَنَّ بِشْرَ بْنَ السَّرِيِّ رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু আবূ হাম্সাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়্যাত লাভের আগের ঘটনা। আমি তাঁর নিকট হতে একটা জিনিস কিনে কিছু দাম বাকি রেখে এই বলে চলে গেলাম যে, আমি অবশিষ্ট মূল্য নিয়ে এখানে এসে পৌছিয়ে দিব। পরে আমি অঙ্গীকার ভুলে গেলাম। তিনদিন পর আমার এ ওয়াদার কথা মনে পড়লো। আমি অবশিষ্ট মূল্য নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলাম, তিনি সেখানেই আছেন। তিনি বললেন, ওহে যুবক! তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছ। আমি তিনদিন যাবত এখানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।৪৯৯৪
৪৯৯৪ বায়হাক্বী। ইবনুল জাওযী বলেনঃ বর্ণনাটি সহীহ নয়। সানাদে রয়েছে আবদুল কারীম। আইয়ূব সাখতায়ানী তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি কিছুই না। হাফিয বলেনঃ যঈফ। ইমাম নাসায়ী ও দারাকুতনী বলেনঃ মাতরূক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯১
না পেয়েও তৃপ্তির ভান করা
৪৯৯৭
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي جَارَةً – تَعْنِي ضَرَّةً – هَلْ عَلَىَّ جُنَاحٌ إِنْ تَشَبَّعْتُ لَهَا بِمَا لَمْ يُعْطِ زَوْجِي قَالَ “ الْمُتَشَبِّعُ بِمَا لَمْ يُعْطَ كَلاَبِسِ ثَوْبَىْ زُورٍ ” .
আসমা বিনতু আবূ বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা এক মহিলা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার একজন সতীন আছে। আমি কি তাকে এরূপ বলতে পারি যে, আমার স্বামী আমাকে এই বস্তু দিয়েছে, অথচ বাস্তবে তা দেয়নি? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না পেয়ে পাওয়ার ভানকারী মিথ্যাচারের দু’টি পোশাক পরিধানকারীর মতই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯২
রসিকতা সম্পর্কে
৪৯৯৮
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ احْمِلْنِي . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّا حَامِلُوكَ عَلَى وَلَدِ نَاقَةٍ ” . قَالَ وَمَا أَصْنَعُ بِوَلَدِ النَّاقَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” وَهَلْ تَلِدُ الإِبِلَ إِلاَّ النُّوقُ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে একটি আরোহীর ব্যবস্থা করে দিন। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাকে আরোহণের জন্য একটি উষ্ট্রীর বাচ্চা দিবো। লোকটি বললো, উষ্ট্রীর বাচ্চা দিয়ে আমি কি করবো? নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উটকে তো উষ্ট্রীই জন্ম দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৯৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْعَيْزَارِ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ اسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَ صَوْتَ عَائِشَةَ عَالِيًا فَلَمَّا دَخَلَ تَنَاوَلَهَا لِيَلْطِمَهَا وَقَالَ لاَ أَرَاكِ تَرْفَعِينَ صَوْتَكِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَحْجُزُهُ وَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مُغْضَبًا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حِينَ خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ ” كَيْفَ رَأَيْتِنِي أَنْقَذْتُكِ مِنَ الرَّجُلِ ” . قَالَ فَمَكَثَ أَبُو بَكْرٍ أَيَّامًا ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَهُمَا قَدِ اصْطَلَحَا فَقَالَ لَهُمَا أَدْخِلاَنِي فِي سِلْمِكُمَا كَمَا أَدْخَلْتُمَانِي فِي حَرْبِكُمَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” قَدْ فَعَلْنَا قَدْ فَعَلْنَا ” .
নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি ‘আয়িশার (রাঃ) উচ্চ কন্ঠস্বর শুনতে পেলেন। আবূ বকর (রাঃ) ভেতরে ঢুকে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে দুর্বল করার জন্য চড় মারতে প্রস্তুত হলেন এবং বললেন, আমি কি লক্ষ্য করিনি যে, তুমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে উচ্চস্বরে কথা বলছো? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ)-কে বারণ করলেন। আবূ বকর রাগান্বিত অবস্থায় বেরিয়ে গেলেন। আবূ বকর (রাঃ) চলে যাওয়ার পর নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে (কৌতুকের ছলে) বললেন, দেখলে তো আমি তোমাকে কিভাবে ঐ লোকটার হাত হতে বাঁচালাম! বর্ণনাকারী বলেন, এরপর কয়েক দিন আবূ বকর (রাঃ) তাঁর নিকট আসলেন না। অতঃপর একদিন এসে ভেতরে আসার অনুমতি চাইলেন এবং ভিতরে ঢুকে উভয়কে সন্তুষ্ট অবস্থায় দেখতে পেয়ে বললেন, আমাকেও তোমাদের শান্তির অংশীদার বানাও যেমনটি তোমরা আমাকে অংশীদার বানিয়েছিলে তোমাদের কলহে। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমরা তাই করলাম।৪৯৯৭
৪৯৯৭ আহমাদ
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০০০
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَلاَءِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَهُوَ فِي قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ فَسَلَّمْتُ فَرَدَّ وَقَالَ ” ادْخُلْ ” . فَقُلْتُ أَكُلِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” كُلُّكَ ” . فَدَخَلْتُ .
আওফ ইবনু মালিক আল-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাবূক যুদ্ধের সময় আমি রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট গেলাম। তখন তিনি চামড়ার তৈরী তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিলে তিনি সালামের জবাব দিয়ে ভেতরে ঢুকতে বললেন। আমি (কৌতুকের ছলে) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পুরো শরীরসহ? তিনি বললেন, হাঁ, পুরো শরীরসহ এসো। অতঃপর আমি ঢুকলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০০১
حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ، قَالَ إِنَّمَا قَالَ أَدْخُلُ كُلِّي . مِنْ صِغَرِ الْقُبَّةِ .
‘উসমান ইবনু আবুল আতিকাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁবুর পরিধি সংকীর্ণ হওয়ায় ‘আওফ (রাঃ) কৌতুক করে বলেছিলেন, আমার পুরো শরীরসহ প্রবেশ করবো? [৪৯৯৯]
[৪৯৯৯] বায়হাক্বী। মুনযিরী বলেন, সানাদের ‘উসমান বিন আবুল আতিকাহ সমালোচিত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল মাকতু
- সরাসরি
৫০০২
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يَا ذَا الأُذُنَيْنِ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (কৌতুক করে) আমাকে বললেন, ওহে দুই কানওয়ালা!
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৩
কেউ ঠাট্টাচ্ছলে কিছু গ্রহণ করলে
৫০০৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لاَ يَأْخُذَنَّ أَحَدُكُمْ مَتَاعَ أَخِيهِ لاَعِبًا وَلاَ جَادًّا ” . وَقَالَ سُلَيْمَانُ ” لَعِبًا وَلاَ جِدًّا ” . ” وَمَنْ أَخَذَ عَصَا أَخِيهِ فَلْيَرُدَّهَا ” . لَمْ يَقُلِ ابْنُ بَشَّارٍ ابْنِ يَزِيدَ وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
‘আবদুল্লাহ ইবনুস সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) তার পিতা হতে তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন তার ভাইয়ের কোন জিনিস না নেয়, খেলাচ্ছলেই হোক কিংবা বাস্তবিকই হোক। আর কেউ তার কোন ভাইয়ের লাঠি নিয়ে থাকলে তা যেন ফিরিয়ে দেয়। [৫০০১]
[৫০০১] বুখারীর আদাবুল মুফরাদ, তিরমিযী।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫০০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا أَصْحَابُ، مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ كَانُوا يَسِيرُونَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَانْطَلَقَ بَعْضُهُمْ إِلَى حَبْلٍ مَعَهُ فَأَخَذَهُ فَفَزِعَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُرَوِّعَ مُسْلِمًا ” .
আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, একদা তারা নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সফরে ছিলেন। তাদের এক ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়লে তাদের মধ্যকার কেউ গিয়ে (মজার ছলে) তার সঙ্গের রশি নিয়ে আসলো। তাতে সে ভয় পেয়ে গেলো। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো বৈধ নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৪
বাকপটুতা সম্পর্কে
৫০০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ الْبَاهِلِيُّ، – وَكَانَ يَنْزِلُ الْعَوَقَةَ – حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ ابْنُ عَمْرٍو – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُبْغِضُ الْبَلِيغَ مِنَ الرِّجَالِ الَّذِي يَتَخَلَّلُ بِلِسَانِهِ تَخَلُّلَ الْبَاقِرَةِ بِلِسَانِهَا ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ সেসব লোককে ঘৃণা করে যারা বাকপটুত্ব প্রদর্শনের জন্য জিহবাকে দাঁতের সঙ্গে লাগিয়ে বিকট শব্দ করে, গরু তার জিহবা নেড়ে যেমন করে থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০০৬
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ تَعَلَّمَ صَرْفَ الْكَلاَمِ لِيَسْبِيَ بِهِ قُلُوبَ الرِّجَالِ أَوِ النَّاسِ لَمْ يَقْبَلِ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের অন্তরকে আকৃষ্ট করার জন্য চিত্তাকর্ষক কথাবার্তা শিখে, আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন তার কোন তাওবাহ ও ফিদইয়া (অথবা ফরয ও নফল ইবাদত) গ্রহণ করবেন না।৫০০৪
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৮০২
৫০০৪ মিশকাত। এর সানাদ মুনকাতি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০০৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ قَدِمَ رَجُلاَنِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَخَطَبَا فَعَجِبَ النَّاسُ – يَعْنِي لِبَيَانِهِمَا – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ لَسِحْرًا ” . أَوْ ” إِنَّ بَعْضَ الْبَيَانِ لَسِحْرٌ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা প্রাচ্য হতে দু’ব্যক্তি এসে বক্তৃতা করলো এবং উভয়ের বক্তৃতা শুনে লোকেরা বিস্মিত হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন কোন বক্তৃতায় যাদুর প্রভাব আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০০৮
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْبَهْرَانِيُّ، أَنَّهُ قَرَأَ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ وَحَدَّثَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ابْنُهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو ظَبْيَةَ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ قَالَ يَوْمًا وَقَامَ رَجُلٌ فَأَكْثَرَ الْقَوْلَ فَقَالَ عَمْرٌو لَوْ قَصَدَ فِي قَوْلِهِ لَكَانَ خَيْرًا لَهُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لَقَدْ رَأَيْتُ أَوْ أُمِرْتُ أَنْ أَتَجَوَّزَ فِي الْقَوْلِ فَإِنَّ الْجَوَازَ هُوَ خَيْرٌ ” .
‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) একদিন বলেন, এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সুদীর্ঘ বক্তৃতা দিল। ‘আমর (রাঃ) বললেন, যদি সে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতো তবে তার জন্য ভালো হতো। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আমার নিকট উপযুক্ত মনে হয়েছে অথবা আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে ভাষণ সংক্ষিপ্ত করতে। কেননা সংক্ষিপ্ত আলোচনা উত্তম। [৫০০৬]
[৫০০৬] বায়হাক্বী। সানাদে মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল তার পিতার সূত্রে বর্ণনায় সমালোচিত।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৫
কবিতা
৫০০৯
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا ” . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ بَلَغَنِي عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ أَنَّهُ قَالَ وَجْهُهُ أَنْ يَمْتَلِئَ قَلْبُهُ حَتَّى يَشْغَلَهُ عَنِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللَّهِ فَإِذَا كَانَ الْقُرْآنُ وَالْعِلْمُ الْغَالِبُ فَلَيْسَ جَوْفُ هَذَا عِنْدَنَا مُمْتَلِئًا مِنَ الشِّعْرِ وَإِنَّ مِنَ الْبَيَانِ لَسِحْرًا . قَالَ كَأَنَّ الْمَعْنَى أَنْ يَبْلُغَ مِنْ بَيَانِهِ أَنْ يَمْدَحَ الإِنْسَانَ فَيَصْدُقَ فِيهِ حَتَّى يَصْرِفَ الْقُلُوبَ إِلَى قَوْلِهِ ثُمَّ يَذُمَّهُ فَيَصْدُقَ فِيهِ حَتَّى يَصْرِفَ الْقُلُوبَ إِلَى قَوْلِهِ الآخَرِ فَكَأَنَّهُ سَحَرَ السَّامِعِينَ بِذَلِكَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবিতা দিয়ে পেট ভরার চেয়ে তোমাদের জন্য পুঁজ দিয়ে পেট ভর্তি করা উত্তম। আবূ ‘আলী (রাঃ) বলেন, আবূ ‘উবাইদ সম্পর্কে আমি জানতে পেরেছি যে, তিনি এ হাদীসের তাৎপর্য সম্পর্কে বলেন, কবিতায় তার কলব ভর্তি হয়ে যাওয়ায় সে কুরআন তিলাওয়াত এবং আল্লাহর যিকির হতে বঞ্চিত হবে। কিন্তু কুরআন ও ইলম চর্চার প্রাধান্য থাকলে আমরা বলবো না যে, তার পেট কবিতায় ভরা। কোন কোন ভাষণে অবশ্যই যাদুর প্রভাব রয়েছে অর্থাৎ সে কোন মানুষের প্রশংসায় সীমালঙ্ঘন করবে এবং এতো উত্তেজক বক্তব্য রাখবে যে, মানুষের মন তার ভাষণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। আবার সে তার কুৎসা করলে এমনভাবে করবে যে, মানুষ তা বিশ্বাস করবে। ফলে তাদের অন্তর তার ভাষণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। মনে হবে, সে যেন তার ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের উপর যাদু করেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০১০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حِكْمَةً ” .
উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন কোন কবিতা প্রজ্ঞাপূর্ণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০১১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ يَتَكَلَّمُ بِكَلاَمٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا وَإِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক বেদুঈন এসে কথা বলা শুরু করলে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন কোন আলোচনা যাদুর মত হৃদয়গ্রাহী; আর কোন কোন কবিতা হিকমাতপূর্ণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو جَعْفَرٍ النَّحْوِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَابِتٍ، قَالَ حَدَّثَنِي صَخْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا وَإِنَّ مِنَ الْعِلْمِ جَهْلاً وَإِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا وَإِنَّ مِنَ الْقَوْلِ عِيَالاً ” . فَقَالَ صَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ صَدَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّا قَوْلُهُ ” إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا ” . فَالرَّجُلُ يَكُونُ عَلَيْهِ الْحَقُّ وَهُوَ أَلْحَنُ بِالْحُجَجِ مِنْ صَاحِبِ الْحَقِّ فَيَسْحَرُ الْقَوْمَ بِبَيَانِهِ فَيَذْهَبُ بِالْحَقِّ وَأَمَّا قَوْلُهُ ” إِنَّ مِنَ الْعِلْمِ جَهْلاً ” . فَيَتَكَلَّفُ الْعَالِمُ إِلَى عِلْمِهِ مَا لاَ يَعْلَمُ فَيُجَهِّلُهُ ذَلِكَ وَأَمَّا قَوْلُهُ ” إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا ” . فَهِيَ هَذِهِ الْمَوَاعِظُ وَالأَمْثَالُ الَّتِي يَتَّعِظُ بِهَا النَّاسُ وَأَمَّا قَوْلُهُ ” إِنَّ مِنَ الْقَوْلِ عِيَالاً ” . فَعَرْضُكَ كَلاَمَكَ وَحَدِيثَكَ عَلَى مَنْ لَيْسَ مِنْ شَأْنِهِ وَلاَ يُرِيدُهُ .
সাখর ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কোন কোন বর্ণনা যাদুর মত হৃদয়গ্রাহী হয়, কোন কোন ইলম অজ্ঞতাপূর্ণ হয়, কোন কোন কবিতা হিকমাতপূর্ণ হয় এবং কোন কোন কথা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সা‘সাআহ ইবনু সুহান বলেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঠিক বলেছেন। প্রথমত, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী “কোন কোন বর্ণনা যাদুর মত হৃদয়গ্রাহী হয়”- প্রায় দেখা যায়, কোন ব্যক্তির নিকট অপরের হক থাকে কিন্তু সে হকদারের সঙ্গে এমন সুন্দরভাবে যুক্তিপূর্ণ কথা বলে যাতে পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করতে হয় না। আর ‘ইলম অজ্ঞতা হয়ে থাকে’, এর অর্থ হলো, ‘আলিম ব্যক্তি না জেনেও জানার ভান করে, ফলে এটাই অজ্ঞতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর কবিতাকে হিকমাত বলার কারণ হচ্ছে, কোন কোন কবিতায় এমন নসিহতপূর্ণ থাকে যা মানুষ গ্রহণ করে থাকে। আর কোন কোন কথা বোঝাস্বরূপ হওয়ার অর্থ হলো, অনুপযুক্ত ব্যক্তির কাছে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা, যা সে তা শুনতে চায় না। [৫০১০]
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৮০৪।
[৫০১০] ইবনু ‘আবদুল বার ‘আত-তামহীদ’। হাফিয ইরাক্বী বলেনঃ এর সানাদে অজ্ঞাত বর্ণনাকারী আছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০১৩
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، قَالَ مَرَّ عُمَرُ بِحَسَّانَ وَهُوَ يُنْشِدُ فِي الْمَسْجِدِ فَلَحَظَ إِلَيْهِ فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أُنْشِدُ وَفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ .
সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা হাসসান (রাঃ) মাসজিদে কবিতা পাঠ করছিলেন এবং ‘উমার (রাঃ) তখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) তার দিকে বক্র দৃষ্টিতে তাকালেন। তিনি বললেন, আমি মাসজিদে তখনও কবিতা পড়েছি যখন সেখানে তোমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিটি হাজির ছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০১৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِمَعْنَاهُ زَادَ فَخَشِيَ أَنْ يَرْمِيَهُ، بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَجَازَهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তবে এতে রয়েছেঃ ‘উমার (রাঃ) আশঙ্কা করলেন, তিনি যদি হাসসান (রাঃ) কে বারণ করেন তবে তিনি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ থাকাকে দলীল বানাবেন। তাই তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। [৫০১২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمِصِّيصِيُّ، لُوَيْنٌ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ، وَهِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ لِحَسَّانَ مِنْبَرًا فِي الْمَسْجِدِ فَيَقُومُ عَلَيْهِ يَهْجُو مَنْ قَالَ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ رُوحَ الْقُدُسِ مَعَ حَسَّانَ مَا نَافَحَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসসান (রাঃ) এর জন্য মাসজিদে একটি মিম্বার স্থাপন করতেন। তিনি তাতে দাঁড়িয়ে কাফিরদের মধ্যে যারা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)শানে অবাঞ্চিত কথা বলতো তিনি কবিতায় তার প্রতিবাদ করতেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হাসসান (রাঃ) যতোক্ষণ রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)পক্ষ হতে প্রতিবাদ করতে থাকে ততক্ষণ জিবরাঈল (আঃ) তার সঙ্গে থাকেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫০১৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ { وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ } فَنَسَخَ مِنْ ذَلِكَ وَاسْتَثْنَى فَقَالَ { إِلاَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا } .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, “পথভ্রষ্ট লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে।” (সূরাহ শু’আরাঃ২২৪)। এ আয়াতটি আল্লাহ রহিত করেছেন এবং ব্যতিক্রম করেছেন। অতঃপর তিনি বলেছেনঃ “কিন্তু তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ রাখে।” (সূরাহ শু’আরাঃ ২২৭)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৬
স্বপ্ন সম্পর্কে
৫০১৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ زُفَرَ بْنِ صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا انْصَرَفَ مِنَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ يَقُولُ ” هَلْ رَأَى أَحَدٌ مِنْكُمُ اللَّيْلَةَ رُؤْيَا وَيَقُولُ ” إِنَّهُ لَيْسَ يَبْقَى بَعْدِي مِنَ النُّبُوَّةِ إِلاَّ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ফজরের সলাত শেষে (লোকদের দিকে) মুখ করে বলতেনঃ আজ রাতে তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছে কি? অতঃপর তিনি বলতেন, আমার পরে কেবল সত্য স্বপ্ন ছাড়া নবুওয়্যাতের ধারা অবশিষ্ট থাকবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ” .
উবাইদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির স্বপ্ন নবুওয়্যাতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
[বুখারি, মুসলিম]
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫০১৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ أَنْ تَكْذِبَ وَأَصْدَقُهُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُهُمْ حَدِيثًا وَالرُّؤْيَا ثَلاَثٌ فَالرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَالرُّؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ بِهِ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ ” . قَالَ ” وَأُحِبُّ الْقَيْدَ وَأَكْرَهُ الْغُلَّ وَالْقَيْدُ ثَبَاتٌ فِي الدِّينِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ ” إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ ” . يَعْنِي إِذَا اقْتَرَبَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ يَعْنِي يَسْتَوِيَانِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সময় যখন কাছাকাছি হবে তখন মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা হবে না এবং যে যতো সত্যবাদী হবে তার স্বপ্নও ততো সত্য হবে। স্বপ্ন তিন প্রকার, (ক) উত্তম স্বপ্ন যা আল্লাহর পক্ষ হতে সুসংবাদ, (খ) ভীতিপ্রদ স্বপ্ন যা শয়তানের পক্ষ হতে হয়ে থাকে, (গ) যা মানুষ চিন্তা-ভাবনা ও ধারণা অনুপাতে দেখে থাকে। যে ব্যক্তি কোন খারাপ স্বপ্ন দেখবে, তার উচিত ঘুম থেকে জেগে সলাত আদায় করা এবং ঐ স্বপ্ন সম্বন্ধে কারো সঙ্গে আলাপ না করা। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি স্বপ্নে পায়ে শিকল লাগানো দেখতে পাওয়াকে পছন্দ করি তবে গলায় শিকল লাগানো দেখাকে অপছন্দ করি। স্বপ্নে শিকল দেখার তাৎপর্য হলো, দ্বীনের উপর অবিচল থাকা। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, “সময় যখন কাছাকাছি হবে” অর্থাৎ যখন রাত ও দিনের দৈর্ঘ্য সমান হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০২০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ عُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” الرُّؤْيَا عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ تُعَبَّرْ فَإِذَا عُبِّرَتْ وَقَعَتْ ” . قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ ” وَلاَ يَقُصُّهَا إِلاَّ عَلَى وَادٍّ أَوْ ذِي رَأْىٍ ” .
আবূ রাযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করার পূর্ব পর্যন্ত তা একটি পাখির পায়ের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকে। অতঃপর ব্যাখ্যা করা হলে তা কার্যকর হয়। বর্ণনাকারী বলে, আমার ধারণা, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ “বন্ধু ও জ্ঞানী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে স্বপ্নের কথা বলবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০২১
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ زُهَيْرًا، يَقُولُ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ الرُّؤْيَا مِنَ اللَّهِ وَالْحُلْمُ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَنْفُثْ عَنْ يَسَارِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ لْيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ” .
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ হতে এবং খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ হতে হয়ে থাকে। তোমাদের কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে তার উচিৎ তার বাম দিকে তিনবার থুথু মারা। অতঃপর ঐ স্বপ্নের খারাবী হতে আশ্রয় চাওয়া। তাহলে ঐ স্বপ্নে তার কোন ক্ষতি হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০২২
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ إِذَا رَأَى أَحَدُكُمُ الرُّؤْيَا يَكْرَهُهَا فَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ وَلْيَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ ثَلاَثًا وَيَتَحَوَّلْ عَنْ جَنْبِهِ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে সে যেন তার বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করে, মহান আল্লাহর নিকট শয়তান হতে তিনবার আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে ঘুমায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০২৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَسَيَرَانِي فِي الْيَقَظَةِ ” . أَوْ ” لَكَأَنَّمَا رَآنِي فِي الْيَقَظَةِ وَلاَ يَتَمَثَّلُ الشَّيْطَانُ بِي ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখলো সে অতি শীঘ্রই জাগ্রত অবস্থায় আমাকে দেখতে পাবে অথবা সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায়ই দেখলো। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০২৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ صَوَّرَ صُورَةً عَذَّبَهُ اللَّهُ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يَنْفُخَ فِيهَا وَلَيْسَ بِنَافِخٍ وَمَنْ تَحَلَّمَ كُلِّفَ أَنْ يَعْقِدَ شَعِيرَةً وَمَنِ اسْتَمَعَ إِلَى حَدِيثِ قَوْمٍ يَفِرُّونَ بِهِ مِنْهُ صُبَّ فِي أُذُنِهِ الآنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন প্রাণীর ছবি আঁকবে ক্বিয়ামাতের দিন সে তাতে প্রাণ সঞ্চার না করা পর্যন্ত তার শাস্তি হতে থাকবে। অথচ তার পক্ষে তাতে প্রাণ দেয়া অসম্ভব। আর যে ব্যক্তি মিথ্যা স্বপ্ন বলবে তাকে যবের দানায় গিঠ দিতে বলা হবে। আর যে ব্যক্তি এমন কওমের কথা কান লাগিয়ে শুনবে যারা তার থেকে ঐ কথা গোপন রাখতে চায়, ক্বিয়ামাতের দিন তার কানে উত্তপ্ত সিসা ঢালা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০২৫
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ رَأَيْتُ اللَّيْلَةَ كَأَنَّا فِي دَارِ عُقْبَةَ بْنِ رَافِعٍ وَأُتِينَا بِرُطَبٍ مِنْ رُطَبِ ابْنِ طَابٍ فَأَوَّلْتُ أَنَّ الرِّفْعَةَ لَنَا فِي الدُّنْيَا وَالْعَاقِبَةَ فِي الآخِرَةِ وَأَنَّ دِينَنَا قَدْ طَابَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি রাতে স্বপ্নে দেখেছি, আমরা যেন ‘উক্ববাহ ইবনু রাফি’র (রাঃ) ঘরে বসে আছি এবং আমাদের সামনে “রুত্বাবে ইবনু ত্বাব” নামক টাটকা খেজুর পরিবেশন করা হয়েছে। আমি এর ব্যাখ্যা এভাবে করেছি যে, দুনিয়াতে আমাদের বিপুল উন্নতি ও মর্যাদা লাভ হবে এবং আখিরাতেও কল্যাণ লাভ হবে, আর আমাদের দ্বীনও উত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৭
হাই তোলা
৫০২৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيُمْسِكْ عَلَى فِيهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তির হাই আসলে সে যেন তাঁর মুখ বন্ধ করে দেয়। কেননা শয়তান ভিতরে ঢুকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০২৭
حَدَّثَنَا ابْنُ الْعَلاَءِ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سُهَيْلٍ، نَحْوَهُ قَالَ “ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَكْظِمْ مَا اسْتَطَاعَ ” .
সুহাইল (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
সুহাইল (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সলাতরত অবস্থায় হাই উঠলে যথাসাধ্য তা বন্ধ রাখবে। [৫০২৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০২৮
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ وَلاَ يَقُلْ هَاهْ هَاهْ فَإِنَّمَا ذَلِكُمْ مِنَ الشَّيْطَانِ يَضْحَكُ مِنْهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই অপছন্দ করেন। সুতরাং যখনই তোমাদের কারো হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য তা প্রতিরোধ করে এবং হাহ্ হাহ্ ইত্যাদি শব্দ না করে। কারণ হাই তোলা শয়তানের কাজ, এতে শয়তান হাসে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৮
হাঁচি দেয়া প্রসঙ্গে
৫০২৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَطَسَ وَضَعَ يَدَهُ أَوْ ثَوْبَهُ عَلَى فِيهِ وَخَفَضَ أَوْ غَضَّ بِهَا صَوْتَهُ . شَكَّ يَحْيَى .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন হাঁচি আসতো তখন তিনি হাত বা কাপড় দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতেন এবং হাঁচির শব্দ নীচু করতেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫০৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، وَخُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَمْسٌ تَجِبُ لِلْمُسْلِمِ عَلَى أَخِيهِ رَدُّ السَّلاَمِ وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَازَةِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর তার মুসলিম ভাইদের পাচঁটি অবশ্য করণীয় রয়েছে। সালামের জবাব দেয়া, হাঁচি শুনে জবাব দেয়া, দাওয়াত কবুল করা, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া এবং জানাযা ও দাফনে অংশগ্রহণ করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৯
হাঁচির জবাব দেয়া
৫০৩১
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ . فَقَالَ سَالِمٌ وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ . ثُمَّ قَالَ بَعْدُ لَعَلَّكَ وَجَدْتَ مِمَّا قُلْتُ لَكَ قَالَ لَوَدِدْتُ أَنَّكَ لَمْ تَذْكُرْ أُمِّي بِخَيْرٍ وَلاَ بِشَرٍّ قَالَ إِنَّمَا قُلْتُ لَكَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ ” . ثُمَّ قَالَ ” إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ ” . قَالَ فَذَكَرَ بَعْضَ الْمَحَامِدِ ” وَلْيَقُلْ لَهُ مَنْ عِنْدَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَلْيَرُدَّ – يَعْنِي عَلَيْهِمْ – يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ ” .
হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি সালিম ইবনু ‘উবাইদ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন কওমের এক লোক হাঁচি দিয়ে বললো, ‘আসসালামু ‘আলাইকুম। সালিম (রাঃ) বললেন, তোমার এবং তোমার মাতার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। সালিম (রাঃ) বললেন, মনে হয় তুমি আমার উত্তরে বিব্রতবোধ করছো। লোকটি বললো, ভালো-মন্দ কোন প্রসঙ্গে আপনি আমার মায়ের উল্লেখ করবেন তা আমি আশা করি না। সালিম (রাঃ) বললেন, আমি তো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মতই বলেছি। একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে বললো, আসসালামু ‘আলাইকুম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘ওয়া ‘আলাইকা ওয়া ‘আলা উম্মিকা’। তারপর বললেনঃ তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে তার উচিৎ “আল্হামদুলিল্লাহ” বলা। অতঃপর তিনি কিছু হামদ উল্লেখ করলেন, এবং তার নিকট যারা থাকবে তাদের উচিৎ “ইয়ারহামুকাল্লাহ” (আল্লাহ তোমাকে দয়া করুন) বলা; এবং হাঁচি দানকারীর উচিৎ উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে ‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম’ (আল্লাহ আপনাদেরকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করুন) বলা। [৫০২৯]
[৫০২৯] তিরমিযী, নাসায়ীর আমালুল ইয়াওমি, ইবনু হিব্বানের মাওয়ারিদ, আহমা, হাকিম। হাকিম বলেনঃ সানাদের হিলাল ইবনু ইয়াসাফ সালিম বিন উবাইদাকে পাননি এবং তাকে দেখেননি। বরং উভয়ের মাঝে একজন অজ্ঞাত লোক রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৩২
حَدَّثَنَا تَمِيمُ بْنُ الْمُنْتَصِرِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، – يَعْنِي ابْنَ يُوسُفَ – عَنْ أَبِي بِشْرٍ، وَرْقَاءَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَرْفَجَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ الأَشْجَعِيِّ، بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
সালিম ইবনু ‘উবাইদ আল-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। [৫০৩০]
[৫০৩০] আহমাদ। সানাদে খালিদ বিন আরফাজাহ অজ্ঞাত। আবূ হাতিম রাযী বলেনঃ আমি তাকে চিনি না।
তাহক্বিক আলবানীঃ আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫০৩৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَلْيَقُلْ أَخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَيَقُولُ هُوَ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কেউ হাঁচি দেয় তাহলে সে বলবেঃ ‘আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’ (সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)। আর তার ভাই অথবা সাথী বলবেঃ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ”। আর হাঁচিদাতা বলবেঃ ‘ইয়াহ্দীকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু সালাকুম’ (আল্লাহ তোমাদের সঠিক পথ দেখান এবং তোমাদের সংশোধন করুন)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০০
হাঁচির জবাব কতবার দিবে?
৫০৩৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ شَمِّتْ أَخَاكَ ثَلاَثًا فَمَا زَادَ فَهُوَ زُكَامٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমার ভাইয়ের হাঁচির উত্তর তিনবার দিবে। এরপরও হাঁচি দিতে থাকলে তবে তার মস্তিষ্কে ঠান্ডা লেগেছে (তাই আর জবাব দিতে হবে না)। [৫০৩২]
হাসান মাওকূফ ও মারফু।
[৫০৩২] বুখারীর আদাবুল মুফরাদ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৫০৩৫
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَقَالَ لاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ أَنَّهُ رَفَعَ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ مُوسَى بْنِ قَيْسٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। [৫০৩৩]
[৫০৩৩] ইবনুস সুন্নী।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫০৩৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أُمِّهِ، حُمَيْدَةَ أَوْ عُبَيْدَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ الزُّرَقِيِّ عَنْ أَبِيهَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ تُشَمِّتُ الْعَاطِسَ ثَلاَثًا فَإِنْ شِئْتَ أَنْ تُشَمِّتَهُ فَشَمِّتْهُ وَإِنْ شِئْتَ فَكُفَّ ” .
উবাইদ ইবনু রিফা’আহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হাঁচিদাতার উত্তর তিনবার দাও। এরপরও যদি সে হাঁচি দিতে থাকে তবে তোমার ইচ্ছা উত্তর দিতেও পারো আবার নাও দিতে পারো।
[৫০৩৪] তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ ‘এই হাদীসটি গরীব এবং সানাদ মাজহুল।’ এছাড়াও বর্ণনাটি মুরসাল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৩৭
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، عَطَسَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ ” يَرْحَمُكَ اللَّهُ ” . ثُمَّ عَطَسَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” الرَّجُلُ مَزْكُومٌ ” .
সালামাহ ইবনুল আকওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসে হাঁচি দিলে তিনি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বললেন। লোকটি আবার হাঁচি দিলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ লোকটির ঠান্ডা লেগেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০১
যিম্মীর হাঁচির জবাব কিভাবে দিবে?
৫০৩৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ الدَّيْلَمِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَتِ الْيَهُودُ تَعَاطَسُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجَاءَ أَنْ يَقُولَ لَهَا يَرْحَمُكُمُ اللَّهُ فَكَانَ يَقُولُ “ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ” .
আবূ বুরদাহ (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে এই আশায় ইচ্ছাকৃতভাবেই হাঁচি দিতো যে, তিনি তাদের হাঁচির জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহু’ বলবেন। কিন্তু তিনি বলতেনঃ ‘ইয়াহ্দিকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’। [৫০৩৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০২
যে ব্যক্তি হাঁচি দেয়ার পর আলহাম্দু লিল্লাহ বলে না
৫০৩৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ عَطَسَ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا وَتَرَكَ الآخَرَ قَالَ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَجُلاَنِ عَطَسَا فَشَمَّتَّ أَحَدَهُمَا – قَالَ أَحْمَدُ أَوْ فَشَمَّتَّ أَحَدَهُمَا – وَتَرَكْتَ الآخَرَ . فَقَالَ “ إِنَّ هَذَا حَمِدَ اللَّهَ وَإِنَّ هَذَا لَمْ يَحْمَدِ اللَّهَ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দুই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে হাঁচি দিলে তিনি এক ব্যক্তির হাঁচির উত্তর দিলেন এবং অপর ব্যক্তির হাঁচির উত্তর হতে বিরত থাকলেন। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সামনে তো দুই ব্যক্তি হাঁচি দিয়েছে। আপনি একজনেরটা উত্তর দিলেন, আর অন্যজনেরটা উত্তর দানে বিরত থাকলেন? তিনি বললেনঃ এই ব্যক্তি মহান আল্লাহর প্রশংসা করেছে আর এ ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৩
উপুড় হয়ে শোয়া
৫০৪০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَحَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَعِيشَ بْنِ طِخْفَةَ بْنِ قَيْسٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ كَانَ أَبِي مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” انْطَلِقُوا بِنَا إِلَى بَيْتِ عَائِشَةَ ” . فَانْطَلَقْنَا فَقَالَ ” يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا ” . فَجَاءَتْ بِحَشِيشَةٍ فَأَكَلْنَا ثُمَّ قَالَ ” يَا عَائِشَةُ أَطْعِمِينَا ” . فَجَاءَتْ بِحَيْسَةٍ مِثْلِ الْقَطَاةِ فَأَكَلْنَا ثُمَّ قَالَ ” يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا ” . فَجَاءَتْ بِعُسٍّ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْنَا ثُمَّ قَالَ ” يَا عَائِشَةُ اسْقِينَا ” . فَجَاءَتْ بِقَدَحٍ صَغِيرٍ فَشَرِبْنَا ثُمَّ قَالَ ” إِنْ شِئْتُمْ بِتُّمْ وَإِنْ شِئْتُمُ انْطَلَقْتُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ ” . قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا مُضْطَجِعٌ فِي الْمَسْجِدِ مِنَ السَّحَرِ عَلَى بَطْنِي إِذَا رَجُلٌ يُحَرِّكُنِي بِرِجْلِهِ فَقَالَ ” إِنَّ هَذِهِ ضِجْعَةٌ يُبْغِضُهَا اللَّهُ ” . قَالَ فَنَظَرْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
ইয়াঈশ ইবনু তিখফাহ ইবনু ক্বাইস আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা আসহাবে সুফ্ফার সদস্য ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর ঘরে যেতে বললেন। আমরা সেখানে গেলে তিনি বললেন, হে ‘আয়িশাহ! আমাদের আহারের ব্যবস্থা করো। তিনি হাশীশা পরিবেশন করলেন এবং আমরা খেলাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেলেনঃ হে ‘আয়িশাহ! আমাদেরকে আরো খাবার দাও। এবার তিনি কবুতরের মত সামান্য হায়সা নিয়ে আসলেন এবং আমরা খেয়ে নিলাম। তারপর তিনি বললেন, হে ‘আয়িশাহ! আমাদেরকে পান করাও। অতঃপর তিনি এক গামলা দুধ আনলেন এবং আমরা পান করলাম। পুনরায় তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট পানীয় চাইলে তিনি ছোট এক পেয়ালা পরিবেশন করলেন এবং আমরা তা পান করলাম। এবার তিনি বললেনঃ ইচ্ছা করলে তোমরা এখানে ঘুমাতে পারো নতুবা মসজীদে চলে যাও। আমার পিতা বলেন, আমার বুকের ব্যথার কারণে আমি মসজীদে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলাম। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি আমাকে তাঁর পা দিয়ে নাড়া দিয়ে বললেন, এভাবে শোয়া আল্লাহ ঘৃণা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি চোখ তুলে দেখলাম যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। [৫০৩৮]
যঈফ মুযতারিব।
[৫০৩৮] ইবনু মাজাহ, নাসায়ীর সুনানুল কুবরা, আহমাদ। সানাদের ত্বাখফাকে চেনা যায়নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল মুযতারিব
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১০৪
দেয়ালবিহীন ছাদে ঘুমানো সম্পর্কে
৫০৪১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ نُوحٍ – عَنْ عُمَرَ بْنِ جَابِرٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ وَعْلَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلِيٍّ، – يَعْنِي ابْنَ شَيْبَانَ – عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ بَاتَ عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَيْسَ لَهُ حِجَارٌ فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ ” .
‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়া’লা ইবনু শাইবান (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি দেয়ালবিহীন ছাদে রাত কাটালে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে না। [৫০৩৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৫
পবিত্র অবস্থায় ঘুমানো সম্পর্কে
৫০৪২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي ظَبْيَةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَبِيتُ عَلَى ذِكْرٍ طَاهِرًا فَيَتَعَارُّ مِنَ اللَّيْلِ فَيَسْأَلُ اللَّهَ خَيْرًا مِنَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ ” . قَالَ ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ قَدِمَ عَلَيْنَا أَبُو ظَبْيَةَ فَحَدَّثَنَا بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ثَابِتٌ قَالَ فُلاَنٌ لَقَدْ جَهَدْتُ أَنْ أَقُولَهَا حِينَ أَنْبَعِثُ فَمَا قَدَرْتُ عَلَيْهَا .
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মুসলিম ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ও মহান আল্লাহকে স্মরণ করে রাত কাটায় (ঘুমায়) এবং রাতে জেগে আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের দু’আ করে, আল্লাহ তাকে তা দান করেন। সাবিত আল-বুনানী (রাঃ) বলেন, আবূ যাব্ইয়ান (রাঃ) আমাদের এখানে এসে আমাদের নিকট মু’আয ইবনু জাবাল সূত্রে (রাঃ)- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ হাদীস বর্ণনা করেন। সাবিত (রাঃ) বলেন, অমুক ব্যক্তি বলেছেন, আমি ঘুম থেকে জেগে তা পড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৪৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَقَضَى حَاجَتَهُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ نَامَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي بَالَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে ঘুম হতে জেগে তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে উভয় হাত ও মুখ ধুয়ে পুনরায় ঘুমালেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ তিনি পেশাব করেছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৬
কোন দিকে মুখ করে ঘুমাবে?
৫০৪৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ بَعْضِ، آلِ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَ كَانَ فِرَاشُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوًا مِمَّا يُوضَعُ الإِنْسَانُ فِي قَبْرِهِ وَكَانَ الْمَسْجِدُ عِنْدَ رَأْسِهِ .
উম্মু সালামাহ্র (রাঃ) কোন আত্মীয় সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাধারণত মৃত ব্যক্তিকে কবরে যেভাবে রাখা হয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিছানা সেই পদ্ধতিতে বিছানো ছিল এবং তাঁর মাথার দিকে মসজিদ ছিল। [৫০৪২]
দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৭১৭।
[৫০৪২] সানাদে নাম উল্লেখহীন অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৭
ঘুমের সময় যা বলতে হয়
৫০৪৫
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ سَوَاءٍ، عَنْ حَفْصَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْقُدَ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى تَحْتَ خَدِّهِ ثُمَّ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ ” . ثَلاَثَ مِرَارٍ .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন শয়ন করতেন তখন তাঁর ডান হাত গালের নীচে রেখে তিনবার বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা ক্বিনী ‘আযাবাকা ইয়াওমা তাব’আসু ইবাদাকা” (অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি যেদিন আপনার বান্দাদেরকে কবর হতে উঠাবেন, সেদিন আমাকে আপনার ‘আযাব হতে রক্ষা করবেন)। [৫০৪৩]
সহীহ। তবে “তিনবার” কথাটি বাদে।
[৫০৪৩] আহমাদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৪৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ مَنْصُورًا، يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ وَقُلِ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَهْبَةً وَرَغْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَى مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ ” . قَالَ ” فَإِنْ مِتَّ مِتَّ عَلَى الْفِطْرَةِ وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَقُولُ ” . قَالَ الْبَرَاءُ فَقُلْتُ أَسْتَذْكِرُهُنَّ فَقُلْتُ وَبِرَسُولِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ . قَالَ ” لاَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ ” .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ যখন রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিবে তখন সলাতের উযুর ন্যায় উযু করে ডান কাতে শুয়ে বলবেঃ “হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ করলাম ও আপনার অনুগত হলাম, আমার কাজ আপনার উপর ন্যস্ত করলাম, আমার পিঠ আপনার নিকট সোপর্দ করলাম এবং আপনার সাহায্যের প্রতি আমি ভরসা করলাম আপনার প্রতি আগ্রহে ও ভয়ে। আপনি ছাড়া অন্য কোথাও মুক্তি ও নিরাপত্তার স্থান নেই। আমি আপনার সেই কিতাবে বিশ্বাস করি যা আপনি আপনার প্রেরিত নাবীর উপর অবতীর্ণ করেছেন।” অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অতঃপর (ঐ রাতে) যদি তোমার মৃত্যু হয় তাহলে তুমি ইসলামের উপরেই মারা গেলে। এটাই হবে তোমার সর্বশেষ কথা। আল-বারাআ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম। এটি আওরাতে গিয়ে আমার মুখে ‘ওয়া বিরাসূলিকাল্লাযী আরসালতা’ এসে গেলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না, বরং “ওয়া বিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৪৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ فِطْرِ بْنِ خَلِيفَةَ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ عُبَيْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ وَأَنْتَ طَاهِرٌ فَتَوَسَّدْ يَمِينَكَ ” . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ যখন তুমি পবিত্র হয়ে বিছানায় বিশ্রাম নিবে তখন তোমার ডান হাত মাথার নিচে রাখবে। অতঃপর উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْغَزَّالُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَمَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا قَالَ سُفْيَانُ قَالَ أَحَدُهُمَا ” إِذَا أَتَيْتَ فِرَاشَكَ طَاهِرًا ” . وَقَالَ الآخَرُ ” تَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ ” . وَسَاقَ مَعْنَى مُعْتَمِرٍ .
আল-বারাআ (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
সুফিয়ান (রাঃ) বলেন, একজন বর্ণনাকারী বলেন, ‘তুমি পবিত্র হয়ে যখন তোমার বিছানায় আসো’। অপর বর্ণনাকারী বলেন, ‘তুমি তোমার সলাতের উযুর মত উযু করো’। এভাবে হাদীসের বাকি বর্ণনা মু’তামির বর্ণিত হাদীসের অর্থানুরূপ। [৫০৪৬]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৪৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا نَامَ قَالَ ” اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَحْيَا وَأَمُوتُ ” . وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ ” الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ ” .
হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমানোর সময় বলতেনঃ “ আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আহ্ইয়া ওয়া আমূতু ” (অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নামে মরি ও বাঁচি)। আবার তিনি যখন জাগতেন তখন বলতেনঃ“ আল্হামদু লিল্লাহিল্লাযী আহ্ইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন-নুশূর) (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে মৃত্যুর পর পুনারায় জীবিত করবেন)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا أَوَى أَحَدُكُمْ إِلَى فِرَاشِهِ فَلْيَنْفُضْ فِرَاشَهُ بِدَاخِلَةِ إِزَارِهِ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ لْيَضْطَجِعْ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ لْيَقُلْ بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ তার বিছানায় বিশ্রাম নেয়, সে যেন তার পরিধেয় বস্ত্রের (লুঙ্গির) ভেতরের দিক দিয়ে বিছানা ঝেঁড়ে নেয়। কেননা সে জানে না তার চলে যাওয়ার পর বিছানায় কি এসেছে। অতঃপর সে যেন তার ডান কাতে শুয়ে বলেঃ হে রব! আপনার নামে আমার দেহ রাখলাম এবং আপনার নামে তা উঠাবো। যদি আপনি আমার আত্মাকে রেখে দেন তবে তার প্রতি দয়া করবেন, আর যদি ফিরিয়ে দেন, তবে তার নিরাপত্তা দিবেন, যেভাবে আপনি আপনার নেক বান্দাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫১
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، ح وَحَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، نَحْوَهُ عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ ” اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرْضِ وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى مُنَزِّلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ ” . زَادَ وَهْبٌ فِي حَدِيثِهِ ” اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিছানায় বিশ্রাম নেয়ার সময় বলতেনঃ হে আল্লাহ! আসমান-যমীনের তথা প্রত্যেক বস্তুর রব; শস্যবীজ অঙ্কুরিতকারী, তাওরাত, ইনজিল ও কুরআন অবতীর্ণকারী। হে রব! আমি আপনার নিকট আপনার অধীনস্থ ও আয়াত্তাধীন সকল অনিষ্টকারীর অনিষ্ট হতে মুক্তি চাই। আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছুই ছিল না, আপনি অনন্ত, আপনার পরে কেউ থাকবে না, আপনি প্রকাশ্য এবং আপনার উপরে কিছু নেই। আপনিই গোপন, আপনি ছাড়া কিছুই নেই। বর্ণনাকারী ওয়াহ্ব (রহঃ) তার হাদীসের আরো উল্লেখ করেন, আপনি আমার ঋণ পরিশোধ করে দিন এবং অভাব থেকে মুক্তি দিন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫২
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا الأَحْوَصُ، – يَعْنِي ابْنَ جَوَّابٍ – حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، وَأَبِي، مَيْسَرَةَ عَنْ عَلِيٍّ، رَحِمَهُ اللَّهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ عِنْدَ مَضْجَعِهِ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيمِ وَكَلِمَاتِكَ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ اللَّهُمَّ أَنْتَ تَكْشِفُ الْمَغْرَمَ وَالْمَأْثَمَ اللَّهُمَّ لاَ يُهْزَمُ جُنْدُكَ وَلاَ يُخْلَفُ وَعْدُكَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বিছানায় শোয়ার সময় বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার মহান সত্ত্বা ও পূর্ণ কালেমার মুক্তি কামনা করছি, যা আপনার অধীনে রয়েছে তার অকল্যাণ হতে। হে আল্লাহ! আপনিই ঋণ ও পাপের বোঝা দূরীভূত করলেন। হে আল্লাহ! আপনার সৈন্যবাহিনী বা আপনার দলকে কখনো পরাভূত করা যায় না এবং আপনার ওয়াদার কখনো ভঙ্গ হয় না। সম্পদশালীর সম্পদ তাকে আপনার হাত হতে রক্ষা করতে পারবে না। আপনার পবিত্রতা আপনার প্রশংসার সঙ্গে।” [৫০৫০]
দুর্বল : মিশকাত হা/২৪০৩।
[৫০৫০] নাসায়ীর ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ত্বাবারানী। সানাদে হারিস আল-আ‘ওয়ার দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৫৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ قَالَ “ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَآوَانَا فَكَمْ مِمَّنْ لاَ كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُئْوِيَ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বিছানায় বিশ্রাম নেয়ার সময় বলতেনঃ প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা সেই মহান রবের জন্য যিনি আমাদেরকে খাওয়ালেন, পান করালেন, আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করলেন এবং আমাদের মুক্তি দিলেন, অথচ এমন বহু লোক আছে যাদের না আছে প্রয়োজন পূর্ণকারী আর না আছে আশ্রয়দাতা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫৪
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ التِّنِّيسِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي الأَزْهَرِ الأَنْمَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ “ بِسْمِ اللَّهِ وَضَعْتُ جَنْبِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَأَخْسِئْ شَيْطَانِي وَفُكَّ رِهَانِي وَاجْعَلْنِي فِي النَّدِيِّ الأَعْلَى ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ أَبُو هَمَّامٍ الأَهْوَازِيُّ عَنْ ثَوْرٍ قَالَ أَبُو زُهَيْرٍ الأَنْمَارِيُّ .
আবুল আযহার আল-আনমারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে শোয়ার সময় বলতেনঃ আল্লাহর নামে আমার দেহ রাখলাম। হে আল্লাহ! আমার গুনাহ ক্ষমা করুন, আমার থেকে শয়তানকে তাড়িয়ে দিন, আমার ঘাড়কে মুক্ত করুন এবং আমাকে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্নদের কাতারে স্থান দিন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫৫
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِنَوْفَلٍ ” اقْرَأْ { قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ } ثُمَّ نَمْ عَلَى خَاتِمَتِهَا فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ ” .
ফারওয়াহ ইবনু নাওফাল (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাওফাল (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি “কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন” সূরাটি পড়ে ঘুমাবে। কেননা তা শিরক হতে মুক্তকারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، – يَعْنِيَانِ ابْنَ فَضَالَةَ – عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا وَقَرَأَ فِيهِمَا { قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ } وَ { قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ } وَ { قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ } ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাতে শোয়ার জন্য তাঁর বিছানায় এসে দুই হাত একত্র করে ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’, ‘কুল আ’ঊযুবিরব্বিল ফালাক্ব’ ও ‘কুল আ’ঊযুবি রব্বিন্ নাস’ সূরাহ তিনটি পড়ে (হাতে) ফুঁক দিতেন, অতঃপর সেই হাত দু’টো দিয়ে যতদূর সম্ভব তাঁর শরীর মাসেহ করতেন এবং মাথা হতে মাসেহ শুরু করতেন, তারপর মুখমণ্ডল, শরীরের সম্মুখভাগ, অতঃপর শরীরের যেখানে যেখানে হাত পৌঁছানো সম্ভব। তিনি এরূপ তিনবার করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫৭
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَّرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنِ ابْنِ أَبِي بِلاَلٍ، عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ الْمُسَبِّحَاتِ قَبْلَ أَنْ يَرْقُدَ وَقَالَ “ إِنَّ فِيهِنَّ آيَةً أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ آيَةٍ ” .
ইরবাদ ইবনু সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শোয়ার পূর্বে যেসব সূরার শুরুতে ‘সাব্বাহা’ বা ‘ইউসাব্বিহু’ আছে সেগুলো পড়তেন। তিনি বলেছেন, এ সূরাহগুলোর মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে যা হাজার আয়াতের চেয়েও উত্তম। [৫০৫৫]
দুর্বল।
[৫০৫৫] তিরমিযী, নাসায়ী সুনানুল কুবরা, আহমাদ। সানাদে বাক্বিয়্যাহ বিন ওয়ালীদ একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৫৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ “ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَفَانِي وَآوَانِي وَأَطْعَمَنِي وَسَقَانِي وَالَّذِي مَنَّ عَلَىَّ فَأَفْضَلَ وَالَّذِي أَعْطَانِي فَأَجْزَلَ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ اللَّهُمَّ رَبَّ كُلِّ شَىْءٍ وَمَلِيكَهُ وَإِلَهَ كُلِّ شَىْءٍ أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে শোয়ার জন্য যেতেন তখন বলতেনঃ সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার প্রয়োজন পুরা করলেন, আমাকে মুক্তি দিলেন, আমাকে পানাহার করালেন, যিনি আমার প্রতি অসীম দয়াবান এবং আমাকে দান করলেন। সুতরাং সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা। হে আল্লাহ! প্রত্যেক বস্তুর রব ও অধিকারী এবং প্রত্যেক জিনিসের ইলাহ্! আমি আপনার নিকট জাহান্নামের শাস্তি হতে আশ্রয় চাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫৯
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعًا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ تَعَالَى فِيهِ إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِ تِرَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ قَعَدَ مَقْعَدًا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِ تِرَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করলো না, সে ক্বিয়ামাতের দিন বঞ্চিত হবে। আর যে ব্যক্তি কোন আসনে বসলো অথচ সেখানে সে মহিমান্বিত আল্লাহকে স্মরণ করলো না, ক্বিয়ামাতের দিন সে বঞ্চিত হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৮
রাতে ঘুম থেকে সজাগ হলে যা বলতে হয়
৫০৬০
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ قَالَ الأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ حِينَ يَسْتَيْقِظُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ دَعَا رَبِّ اغْفِرْ لِي ” . قَالَ الْوَلِيدُ أَوْ قَالَ ” دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ قَامَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ ” .
উবাইদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে ঘুম হতে জেগে বলেঃ “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরিক নেই, সার্বভৌমত্ব, প্রভুত্ব, রাজত্ব ও প্রশংসা সবই তাঁর, তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী; সকল প্রশংসা ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য, আল্লাহর সাহায্য ও ক্ষমতা ছাড়া কারো কোন উপায় নেই”; অতঃপর এ দু’আ করেঃ “হে আমার রব আমাকে মাফ করুন; “বর্ণনাকারী ওয়ালীদ বলেনঃ দু’আ করে। অর্থাৎ তার বর্ণনায় “রব্বিগফিরলী” উল্লেখ নেই এবং এ দু’আ কবুল করা হয়। অতঃপর সে যদি উঠে উযূ করে সলাত আদায় করে তাহলে তার সলাত কবুল করা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৬১
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ – قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اسْتَيْقَظَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ “ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنْبِي وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ اللَّهُمَّ زِدْنِي عِلْمًا وَلاَ تُزِغْ قَلْبِي بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنِي وَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে সজাগ হলে বলতেনঃ হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার গুনাহের জন্য ক্ষমা ও রহমত কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমার ইলম বাড়িয়ে দিন এবং হিদায়াত দানের পর আমার অন্তরকে বাঁকা করবেন না এবং আমার জন্য আপনার পক্ষ থেকে রহমত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহাদানকারী। [৫০৫৯]
দুর্বলঃ মিশকাত হা/১২১৪।
[৫০৫৯] হাকিম, ইবনু হিব্বান আল-মাওয়ারিদ। হাকিম ও যাহাবী একে সহীহ বলেছেন। কিন্তু সানাদের ‘আবদুল্লাহ বিন ওয়ালীদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ হাদীস বর্ণনায় শিথিল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৯
ঘুমানোর সময় তাসবীহ পাঠ সম্পর্কে
৫০৬২
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، – الْمَعْنَى – عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، – قَالَ مُسَدَّدٌ – قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ شَكَتْ فَاطِمَةُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى فَأُتِيَ بِسَبْىٍ فَأَتَتْهُ تَسْأَلُهُ فَلَمْ تَرَهُ فَأَخْبَرَتْ بِذَلِكَ عَائِشَةَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ فَأَتَانَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا لِنَقُومَ فَقَالَ ” عَلَى مَكَانِكُمَا ” . فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي فَقَالَ ” أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا فَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে ফাত্বিমাহ (রাঃ)-এর হাতে ফোসকা পড়ে যাওয়ায় তিনি একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অভিযোগ করেন। কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী থেকে ফাত্বিমাহ (রাঃ) একটি খাদেম চাওয়ার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন, কিন্তু তাঁর দেখা না পেয়ে তিনি এ বিষয়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জানিয়ে চলে গেলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে আসলে তিনি তাঁকে বিষয়টি জানালেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন সময় আমাদের নিকট উপস্থিত হলেন যখন আমরা ঘুমাতে যাচ্ছিলাম। তাঁর আগমনে আমরা বিছানা থেকে উঠতে উদ্যত হলে তিনি বললেনঃ তোমরা স্বস্থানে থাকো। তিনি এসে আমাদের দু’জনের মাঝখানে বসলেন। এমনকি আমি তাঁর পায়ের শীতল পরশ আমার বুকে অনুভব করছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের দু’জনকে এমন একটি উত্তম পথ দেখাবোনা যা তোমাদের পার্থিব জিনিসের চেয়ে উত্তম হবে? তা হলো তোমরা শোয়ার সময় তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ ও চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে। আর এটা তোমাদের উভয়ের জন্য একটি খাদেমের চেয়ে অধিক উত্তম হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৬৩
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ الْيَشْكُرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْوَرْدِ بْنِ ثُمَامَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ لاِبْنِ أَعْبَدَ أَلاَ أُحَدِّثُكَ عَنِّي وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ أَحَبَّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ وَكَانَتْ عِنْدِي فَجَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ بِيَدِهَا وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا وَقَمَّتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا وَأَوْقَدَتِ الْقِدْرَ حَتَّى دَكِنَتْ ثِيَابُهَا وَأَصَابَهَا مِنْ ذَلِكَ ضُرٌّ فَسَمِعْنَا أَنَّ رَقِيقًا أُتِيَ بِهِمْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا يَكْفِيكِ . فَأَتَتْهُ فَوَجَدَتْ عِنْدَهُ حُدَّاثًا فَاسْتَحْيَتْ فَرَجَعَتْ فَغَدَا عَلَيْنَا وَنَحْنُ فِي لِفَاعِنَا فَجَلَسَ عِنْدَ رَأْسِهَا فَأَدْخَلَتْ رَأْسَهَا فِي اللِّفَاعِ حَيَاءً مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ “ مَا كَانَ حَاجَتُكِ أَمْسِ إِلَى آلِ مُحَمَّدٍ ” . فَسَكَتَتْ مَرَّتَيْنِ فَقُلْتُ أَنَا وَاللَّهِ أُحَدِّثُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذِهِ جَرَّتْ عِنْدِي بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ فِي يَدِهَا وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا وَكَسَحَتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا وَأَوْقَدَتِ الْقِدْرَ حَتَّى دَكِنَتْ ثِيَابُهَا وَبَلَغَنَا أَنَّهُ قَدْ أَتَاكَ رَقِيقٌ أَوْ خَدَمٌ فَقُلْتُ لَهَا سَلِيهِ خَادِمًا . فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ الْحَكَمِ وَأَتَمَّ .
আবুল ওয়ারদ ইবনু সুমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘আলী (রাঃ) ইবনু আ’বাদকে বলেন, আমি আমার স্ত্রী ও রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কন্যা ফাত্বিমাহ্র ঘটনা কি তোমাকে বর্ণনা করবো না? তিনি ছিলেন তাঁর নিকট তাঁর পরিবারের সর্বাধিক প্রিয় এবং আমি তাকে বিয়ে করেছি। যাতা ঘুরাতে ঘুরাতে তার হাতে এবং পানির মশক বহন করায় তার কাঁধে দাগ পড়ে যায়; ঘর ঝাড়ু দেয়ায় ও রান্নাঘর পরিষ্কার করায় তার কাপড়ে ময়লা লেগে যায়; এতে ফাত্বিমাহ্র খুব কষ্ট হয়। আমরা শুনতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট যুদ্ধবন্দী এসেছে। তাই আমি তাকে বললাম, তুমি যদি তোমার পিতার নিকট গিয়ে একটি খাদেম চেয়ে আনতে তাহলে তোমার জন্য যথেষ্ট উপকার হতো। তারপর তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যান, সেখানে কতক লোক তাঁর সাথে আলোচনারত থাকায় তিনি লজ্জায় না বলে ফিরে আসেন। পরের দিন ভোরে তিনি আমদের ঘরে আসলেন, এসময় আমরা লেপের ভিতরে ছিলাম। তিনি ফাত্বিমাহ্র মাথার নিকট বসলেন। ফাত্বিমাহ্ লজ্জায় মাথা লেপের ভিতরে লুকালো। তিনি প্রশ্ন করলেন : গতকাল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারে তোমার কি দরকার ছিল? এভাবে তিনি দু’বার প্রশ্ন করলেও তিনি চুপ থাকেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ কসম! আমি বলছি। সে আমার এখানে যাঁতা ঘুরানোর কারণে তার হাতে দাগ পড়েছে, পানির মশক টানতে টানতে তার কাঁধে দাগ পড়েছে, ঘর ঝাড়ু দেয়া ও রান্না করায় তার কাপড়গুলো কালো হয়ে গেছে। আমি খবর পেয়েছিলাম যে, আপনার নিকট যুদ্ধবন্দী এসেছে। আমি আপনার নিকট একজন খাদেম চাওয়ার জন্য তাকে বলেছিলাম। অতঃপর হাকাম বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। [৫০৬১]
[৫০৬১] এটি গত হয়েছে হা/২৯৮৮ ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৬৪
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنْ شَبَثِ بْنِ رِبْعِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فِيهِ قَالَ عَلِيٌّ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ لَيْلَةَ صِفِّينَ فَإِنِّي ذَكَرْتُهَا مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَقُلْتُهَا .
‘আলী (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণনাকারী বলেন, ‘আলী (রাঃ) বললেন, আমি সিফফীন যুদ্ধের রাত ব্যতীত এ তাসবীহগুলোর পড়া কখনো ছাড়িনি: যখন হতে আমি তা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট শুনেছি। অবশ্য ঐ রাতের শেষ প্রহরে আমার তা স্মরণ হলে আমি তাসবীহগুলো আদায় করেছি। [৫০৬২]
[৫০৬২] নাসায়ী ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ । সানাদ মুনকাতি । ইমাম বুখারী বলেন: মুহাম্মাদ ইবনু কা‘ব হাদীসটি শাবাস হতে শুনেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৬৫
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لاَ يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ وَيَحْمَدُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَذَلِكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ ” . فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ قَالَ ” يَأْتِي أَحَدَكُمْ – يَعْنِي الشَّيْطَانَ – فِي مَنَامِهِ فَيُنَوِّمُهُ قَبْلَ أَنْ يَقُولَهُ وَيَأْتِيهِ فِي صَلاَتِهِ فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةً قَبْلَ أَنْ يَقُولَهَا ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’টি বিষয় বা দু’টি অভ্যাসের প্রতি যে মুসলিম খেয়াল রাখবে সে নিশ্চয়ই জান্নাতে যাবে। অভ্যাস দু’টি সহজ কিন্তু তা আমলকারীর সংখ্যা কম। তা হলো (১) প্রত্যেক সলাতের পর দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আল্হামদু লিল্লাহ ও দশবার আল্লাহু আকবার বলবে। মুখে (পাঁচ ওয়াক্তে) এর সংখ্যা একশ পঞ্চাশ, কিন্তু মীযানে তা একহাজার পাঁচশ। (২) যখন শয্যায় যাবে চৌত্রিশ বার আল্লাহু আকবার, তেত্রিশ বার আল্হামদু লিল্লাহ ও তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ বলবে। তা মুখে একশ কিন্তু মীযানে একহাজার। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তা হাতের আঙ্গুলে গণনা করতে দেখেছি। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! অভ্যাস দু’টি সহজ হওয়া সত্ত্বেও এর আমলকারীর সংখ্যা কম কেন? তিনি বললেনঃ তোমরা বিছানায় ঘুমাতে গেলে শয়তান তোমাদের কোন লোককে তা বলার আগেই ঘুম পাড়িয়ে দেয়। আর সলাতের মধ্যে শয়তান এসে তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং সে ঐগুলো বলার আগেই প্রয়োজনের দিকে চলে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৬৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عُقْبَةَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ حَسَنٍ الضَّمْرِيِّ، أَنَّ ابْنَ أُمِّ الْحَكَمِ، أَوْ ضُبَاعَةَ ابْنَتَىِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ عَنْ إِحْدَاهُمَا، أَنَّهَا قَالَتْ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْيًا فَذَهَبْتُ أَنَا وَأُخْتِي وَفَاطِمَةُ بِنْتُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَحْنُ فِيهِ وَسَأَلْنَاهُ أَنْ يَأْمُرَ لَنَا بِشَىْءٍ مِنَ السَّبْىِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ سَبَقَكُنَّ يَتَامَى بَدْرٍ ” . ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ التَّسْبِيحِ قَالَ عَلَى أَثَرِ كُلِّ صَلاَةٍ لَمْ يَذْكُرِ النَّوْمَ .
উম্মুল হাকাম বা দুবা‘আহ বিনতু যূবাইর (রাঃ) উভয়ের একজন অপরজন থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু যুদ্ধবন্দী পেলেন। আমি, আমার বোন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা ফাত্বিমাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়ে আমাদেরকে বন্দি থেকে (খাদেম) দেয়ার নির্দেশ দিতে আবেদন করলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের আগে বদরের যুদ্ধে শহীদদের ইয়াতীম সন্তানরা অগ্রগামী হয়ে গেছে। অতঃপর বর্ণনাকারী তাসবীহ পাঠের কথা উল্লেখ করেন। বর্ণনাকারী বলেন, প্রত্যেক সলাতের পর, কিন্তু তিনি ঘুমের কথা উল্লেখ করেননি। [৫০৬৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১০
সকালে ঘুম থেকে উঠে যা বলতে হয়
৫০৬৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ، رضى الله عنه قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِكَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ إِذَا أَصْبَحْتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُ . قَالَ ” قُلِ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ رَبَّ كُلِّ شَىْءٍ وَمَلِيكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَشَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ ” . قَالَ ” قُلْهَا إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বাক্র সিদ্দীক (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে এমন কিছু কালেমা শিখিয়ে দিন যা আমি সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলবো। তিনি বলেনঃ তুমি বলো, “হে আল্লাহ্! আপনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর রব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। আমার মনের কু-প্রবৃত্তি, শয়তানের খারাবী ও তার শির্কী হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাইছি।” তিনি বলেনঃ হে আবূ বাক্র! তুমি এ কথাগুলো ভোরে, সন্ধ্যায় ও শোয়ার সময় বলবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৬৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ ” اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ ” . وَإِذَا أَمْسَى قَالَ ” اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোরে উপনীত হয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ্! আপনার অনুগ্রহে আমরা ভোরে উপনীত হই, সন্ধ্যায় উপনীত হই এবং বাঁচি ও মরি। আর আপনার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন”। আর তিনি যখন সন্ধ্যায় উপনীত হতেন তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহ্! আপনারই সাহায্যে আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হই এবং সকালে উপনীত হই, আপনার নামেই আমরা বাঁচি ও মরি এবং আপনারই দিকে আমাদের আমাদের প্রত্যাবর্তন”।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৬৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ الْغَازِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ مَكْحُولٍ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ أَوْ يُمْسِي اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ أَعْتَقَ اللَّهُ رُبْعَهُ مِنَ النَّارِ فَمَنْ قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَعْتَقَ اللَّهُ نِصْفَهُ وَمَنْ قَالَهَا ثَلاَثًا أَعْتَقَ اللَّهُ ثَلاَثَةَ أَرْبَاعِهِ فَإِنْ قَالَهَا أَرْبَعًا أَعْتَقَهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলবেঃ “হে আল্লাহ্! আমি সকালে উপনীত হয়েছি এবং সাক্ষী রাখি আপনাকে ও আপনার আরশ বহনকারীদের, আপনার ফেরেশতাদেরকে, আপনার সমস্ত সৃষ্টিকে, নিশ্চয়ই আপনি একমাত্র আল্লাহ্, আপনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার বান্দা ও রাসূল”-আল্লাহ তার এক-চতুর্থাংশ দেহ জাহান্নামের শাস্তি হতে মুক্তি দিবেন। আর যে ব্যক্তি তা দুইবার বলবে, আল্লাহ তার শরীরের অর্ধেক জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দিবেন। আর যে ব্যক্তি তা তিনবার বলবে আল্লাহ তার শরীরের তিন-চতুর্থাংশ এবং চারবার বললে তার সমস্ত শরীর জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দিবেন। [৫০৬৭]
[৫০৬৭] সানাদে ‘আবদুর রহমান বিন ‘আবদুল মাজীদ রয়েছে। হাফিয বলেনঃ মাজহুল। ইমাম যাহাবী বলেনঃ তাকে চেনা যায়নি। এছাড়া মাকহুল দামেস্কী হাদীসটি আনাস হতে শুনার ব্যপারে মতভেদ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৭০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ ثَعْلَبَةَ الطَّائِيُّ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ أَوْ حِينَ يُمْسِي اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ بِنِعْمَتِكَ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ . فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ أَوْ مِنْ لَيْلَتِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ” .
বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলেঃ “হে আল্লাহ্! আপনি আমার রব, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমাকে আপনি সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনারই বান্দা। আমি যথাসাধ্য আপনার সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতির উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবো। আমি আমার নিকৃষ্ট আমল থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই, আপনার যে অসংখ্য নেয়ামত ভোগ করছি এজন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আমি আমার কৃত অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। বস্তুত আপনি ছাড়া অপরাধ ক্ষমা করার কেউ নেই” – এ দু’আ পড়ার পর সে যদি ঐ দিন বা রাতে মারা যায় তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৭১
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ بْنِ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ إِذَا أَمْسَى ” أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ ” . زَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ وَأَمَّا زُبَيْدٌ كَانَ يَقُولُ كَانَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُوَيْدٍ يَقُولُ ” لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَمِنْ سُوءِ الْكِبْرِ أَوِ الْكُفْرِ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرِ ” . وَإِذَا أَصْبَحَ قَالَ ذَلِكَ أَيْضًا ” أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ قَالَ ” مِنْ سُوءِ الْكِبْرِ ” . وَلَمْ يَذْكُرْ سُوءَ الْكُفْرِ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলতেনঃ অর্থ “আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি এবং রাজ্য আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় প্রবেশ করেছে, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই”। জারীর (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে : “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই জন্য সাম্রাজ্য, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। হে আমার রব! আমি আপনার নিকট এ রাতের কল্যাণ চাইছি এবং রাতের পরবর্তী কল্যাণও কামনা করছি। আর এ রাতের সকল প্রকার অমঙ্গল হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তারপরে যা আছে তার অমঙ্গল হতেও মুক্তি চাচ্ছি। হে আমার রব! আমি আপনার নিকট অলসতা, গর্ব-অহংকারের অনিষ্ট ও কুফরীর অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাইছি। হে রব! আমি আপনার নিকট জাহান্নামের শাস্তি ও কবরের শাস্তি হতে আশ্রয় চাইছি”। আর তিনি ভোরে উপনীত হয়েও এরুপ বলতেনঃ আমরা ভোরে উপনীত হলাম এবং আল্লাহ্র বাদশাহী সকাল বেলাও আছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, শু’বাহ হাদীসটি সালামাহ ইবনু কুহাইল হতে ইবরাহীম ইবনু সুয়াইদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বার্ধক্যের অনিষ্ট হতে’ এবং তিনি ‘কুফরীর অনিষ্ট হতে’ উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৭২
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، عَنْ سَابِقِ بْنِ نَاجِيَةَ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، أَنَّهُ كَانَ فِي مَسْجِدِ حِمْصٍ فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَقَالُوا هَذَا خَدَمَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ إِلَيْهِ فَقَالَ حَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَتَدَاوَلْهُ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ الرِّجَالُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً إِلاَّ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ ” .
আবূ সাল্লাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি হিমসের মাসজিদে ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে অতিক্রম করলে লোকেরা বললো, ইনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খেদমত করেছিলেন। অতএব আবূ সাল্লাম (রহঃ) তার নিকট গিয়ে বললেন, আপনি আমাকে একটি হাদীস বলুন যা আপনি অন্য কারো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখে শুনেছেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলেঃ ‘আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রাসূল হিসেবে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছি’, এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তাকে খুশি করবেন। [৫০৭০]
[৫০৭০] আহমাদ, হাকিম।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৭৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، وَإِسْمَاعِيلُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَنْبَسَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَنَّامٍ الْبَيَاضِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ . فَقَدْ أَدَّى شُكْرَ يَوْمِهِ وَمَنْ قَالَ مِثْلَ ذَلِكَ حِينَ يُمْسِي فَقَدْ أَدَّى شُكْرَ لَيْلَتِهِ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু গান্নাম আল-বায়াদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হয়ে বলেনঃ “হে আল্লাহ্! সকালে আমার প্রতি যে নেয়ামত পৌঁছেছে তা একমাত্র আপনার পক্ষ থেকেই পৌঁছলো, আপনি একক, আপনার কোন শরীক নেই, সমস্ত প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য’-সে তার ঐ দিনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে এরূপ বললো সে তার ঐ রাতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলো। [৫০৭১]
[৫০৭১] নাসায়ী ‘আমালুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ। সানাদের ‘আবদুল্লাহ বিন ‘উতবাহ সম্পর্কে যাহাবী বলেন: তাকে চেনা যায়নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৭৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – الْمَعْنَى – حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ مُسْلِمٍ الْفَزَارِيُّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَعُ هَؤُلاَءِ الدَّعَوَاتِ حِينَ يُمْسِي وَحِينَ يُصْبِحُ ” اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَاىَ وَأَهْلِي وَمَالِي اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَتِي ” . وَقَالَ عُثْمَانُ ” عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِي وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي الْخَسْفَ .
জুবাইর ইবনু আবূ সুলাইমান, ইবনু জুবাইর ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে এ দু’আগুলো পড়া ছেড়ে দিতেন না “হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং আমার দীন, দুনিয়া, পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ্! আপনি আমার দোষত্রুটিগুলো ঢেকে রাখুন এবং ভীতিপ্রদ বিষয়সমূহ হতে আমাকে নিরাপদ রাখুন। হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে হিফাযাত করুন আমার সম্মুখ হতে, আমার পিছন দিক হতে, আমার ডান দিক হতে, আমার বাম দিক হতে এবং আমার উপর দিক হতে। হে আল্লাহ্! আমি আপনার মর্যাদার ওয়াসিলায় মাটিতে ধ্বসে যাওয়া হতে আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি।” [৫০৭২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৭৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ سَالِمًا الْفَرَّاءَ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الْحَمِيدِ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أُمَّهُ حَدَّثَتْهُ وَكَانَتْ، تَخْدِمُ بَعْضَ بَنَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ بِنْتَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم حَدَّثَتْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُعَلِّمُهَا فَيَقُولُ “ قُولِي حِينَ تُصْبِحِينَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ لاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مَا شَاءَ اللَّهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَىْءٍ عِلْمًا فَإِنَّهُ مَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُمْسِي حُفِظَ حَتَّى يُصْبِحَ ” .
বনু হাশিমের আযাদকৃত গোলাম ‘আবদুল হামীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার মা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যাদের কারো একজনের খেদমত করতেন, মা তাকে বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা তার নিকট বর্ণনা করেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে বলতেনঃ তুমি সকালে উঠে বলবেঃ “আল্লাহ্র পবিত্রতা তাঁর প্রশংসার সঙ্গে; কারো কোন শক্তি নেই আল্লাহ্র শক্তি ব্যতিত; আল্লাহ যা চান তাই হয়, যা চান না তা হয় না। আমি জানি, আল্লাহ সমস্ত কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আর আল্লাহ্ সকল বস্তুকে জ্ঞানের আওতায় ঘিরে রেখেছেন।” অতঃপর যে ব্যক্তি সকালে উঠে তা বলবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে। আর যে সন্ধ্যায় বলবে সে ভোর উপনীত হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে। [৫০৭৩]
দুর্বল : মিশকাত হা/২৩৯৩।
[৫০৭৩] সানাদের উম্মু ‘আব্দুল হামীদ সম্পর্কে মুনযিরী বলেনঃ আমি তাকে চিনি না। হাফীয আত-তাক্ববীর গ্রন্থে বলেনঃ মাক্ববুল। অর্থাৎ তার অবস্থা অজ্ঞাত (মাঝহুলুল হাল)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৭৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ بَشِيرٍ النَّجَّارِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْبَيْلَمَانِيِّ، – قَالَ الرَّبِيعُ ابْنُ الْبَيْلَمَانِيِّ – عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ { فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ * وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ } إِلَى { وَكَذَلِكَ تُخْرَجُونَ } أَدْرَكَ مَا فَاتَهُ فِي يَوْمِهِ ذَلِكَ وَمَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُمْسِي أَدْرَكَ مَا فَاتَهُ فِي لَيْلَتِهِ ” . قَالَ الرَّبِيعُ عَنِ اللَّيْثِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে উঠে (এই আয়াত) বলবেঃ “সুতরাং তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করো যখন সন্ধ্যায় উপনীত হও এবং যখন সকালে উপনীত হও, আর আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে সকল প্রশংসা তাঁরই… তোমাদেরকে উত্থিত করা হবে” (সূরাহ রূমঃ ১৭-১৯) পর্যন্ত। তার ঐ দিনে যেসব (কল্যাণ) ছুটে গেলে, সে তা লাভ করবে। আর যে তা সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে পড়বে সে লাভ করবে ঐ রাতে যেসব (কল্যাণ) তার হাতছাড়া হয়েছে। [৫০৭৪]
খুবই দুর্বল : মিশকাত হা / ২৩৯৪।
[৫০৭৪] সানাদের সাঈদ ইবনু বাশীর সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাজহুল। এছাড়া সানাদের মুহাম্মাদ বিন ‘আবদুর রহমান দুর্বল।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৫০৭৭
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، وَوُهَيْبٌ، نَحْوَهُ عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَائِشٍ، – وَقَالَ حَمَّادٌ عَنْ أَبِي عَيَّاشٍ، – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ كَانَ لَهُ عِدْلُ رَقَبَةٍ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَكُتِبَ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَحُطَّ عَنْهُ عَشْرُ سَيِّئَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَكَانَ فِي حِرْزٍ مِنَ الشَّيْطَانِ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ قَالَهَا إِذَا أَمْسَى كَانَ لَهُ مِثْلُ ذَلِكَ حَتَّى يُصْبِحَ ” . قَالَ فِي حَدِيثِ حَمَّادٍ فَرَأَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَرَى النَّائِمُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا عَيَّاشٍ يُحَدِّثُ عَنْكَ بِكَذَا وَكَذَا قَالَ ” صَدَقَ أَبُو عَيَّاشٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ وَمُوسَى الزَّمْعِيُّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ عَائِشٍ .
আবূ আয়্যাশ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হয়ে বলেঃ “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান”- এটা তার জন্য ইসমাঈল (আঃ) বংশীয় একটি গোলাম আযাদ করার সমান হবে, তার জন্য দশটি পুণ্য লেখা হবে ও দশটি পাপ মোচন করা হবে এবং তার দশটি মর্যাদা বুলন্দ করা হবে এবং শয়তান হতে নিরাপদ থাকবে যতক্ষণ না সন্ধ্যা হয়। আর যদি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে তা বলে, তাহলে ভোর পর্যন্ত অনুরূপ ফাযীলাত পাবে। বর্ণনাকারী হাম্মাদের (রহঃ) বর্ণনায় রয়েছেঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে স্বপ্নে দেখে প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আবূ আয়্যাশ (রাঃ) আপনার নামে এই এই বলেছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আবূ আয়্যাশ সত্যিই বলেছে। [৫০৭৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৭৮
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ مُسْلِمٍ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا أَصَابَ فِي يَوْمِهِ ذَلِكَ مِنْ ذَنْبٍ وَإِنْ قَالَهَا حِينَ يُمْسِي غُفِرَ لَهُ مَا أَصَابَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হয়ে বলেঃ “হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আমি সকালে উপনীত হয়েছি, আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি এবং সাক্ষী রাখছি আপনার আরশ বহনকারীগণকে, আপনার ফেরেশতাগণকে এবং আপনার সৃষ্টিকুলকে যে, আপনি একমাত্র আল্লাহ্, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আপনি একক, আপনার কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার বান্দা ও রাসূল”- তাহলে তার ঐ দিনের কৃত সমস্ত গুনাহ ক্ষমা হবে। আর সে যদি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে ঐ বাক্যসমূহ বলে তাহলে ঐ রাতে কৃত তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা হবে। [৫০৭৬]
[৫০৭৬] তিরমিযী, নাসায়ীর ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ। ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদীসটি গরীব। হাদীসের সানাদে রয়েছে বাক্বিয়্যাহ। তিনি একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া সানাদের মুসলিম ইবনু যিয়াদ সম্পর্কে ইবনু কাত্তান বলেনঃ মাজহুল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৭৯
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو النَّضْرِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْفِلَسْطِينِيُّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، مُسْلِمِ بْنِ الْحَارِثِ التَّمِيمِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهِ فَقَالَ “ إِذَا انْصَرَفْتَ مِنْ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ فَقُلِ اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ . سَبْعَ مَرَّاتٍ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ ثُمَّ مِتَّ فِي لَيْلَتِكَ كُتِبَ لَكَ جِوَارٌ مِنْهَا وَإِذَا صَلَّيْتَ الصُّبْحَ فَقُلْ كَذَلِكَ فَإِنَّكَ إِنْ مِتَّ فِي يَوْمِكَ كُتِبَ لَكَ جِوَارٌ مِنْهَا ” . أَخْبَرَنِي أَبُو سَعِيدٍ عَنِ الْحَارِثِ أَنَّهُ قَالَ أَسَرَّهَا إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَحْنُ نَخُصُّ بِهَا إِخْوَانَنَا .
আল-হারিস ইবনু মুসলিম আত্-তামীমী (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে চুপে চুপে বলেন, যখন তুমি মাগরিবের সলাত হতে অবসর হয়ে সাতবার বলবেঃ (আল্লাহুম্মা আযিরনী মিনান্-নার) “হে আল্লাহ্! আমাকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করো। তুমি তা বলার পর ঐ রাতে মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লেখা হবে। আর যখন তুমি ফাজ্রের সলাত শেষ করবে তখনও অনুরূপ বলবে, অতঃপর তুমি যদি ঐ দিন মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লেখা হবে।” মুহাম্মাদ ইবনু শু’আইব (রহঃ) বলেন, আবূ সাঈদ (রহঃ) আমাকে আল-হারিস (রাঃ) সূত্রে জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তা চুপে চুপে বলেছেন, যাতে আমি আমার ভাইদের নিকট তা বিশেষভাবে প্রচার করি। [৫০৭৭]
[৫০৭৭] আহমাদ, ইবনু হিব্বান।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৮০
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، وَمُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ الْكِنَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ مُسْلِمٍ التَّمِيمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَحْوَهُ إِلَى قَوْلِهِ ” جِوَارٌ مِنْهَا ” . إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ فِيهِمَا ” قَبْلَ أَنْ تُكَلِّمَ أَحَدًا ” . قَالَ عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ فِيهِ إِنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ وَقَالَ عَلِيٌّ وَابْنُ الْمُصَفَّى بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَلَمَّا بَلَغْنَا الْمُغَارَ اسْتَحْثَثْتُ فَرَسِي فَسَبَقْتُ أَصْحَابِي وَتَلَقَّانِي الْحَىُّ بِالرَّنِينِ فَقُلْتُ لَهُمْ قُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ تُحْرَزُوا فَقَالُوهَا فَلاَمَنِي أَصْحَابِي وَقَالُوا حَرَمْتَنَا الْغَنِيمَةَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرُوهُ بِالَّذِي صَنَعْتُ فَدَعَانِي فَحَسَّنَ لِي مَا صَنَعْتُ وَقَالَ ” أَمَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ كَتَبَ لَكَ مِنْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ كَذَا وَكَذَا ” . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَأَنَا نَسِيتُ الثَّوَابَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَمَا إِنِّي سَأَكْتُبُ لَكَ بِالْوَصَاةِ بَعْدِي ” . قَالَ فَفَعَلَ وَخَتَمَ عَلَيْهِ فَدَفَعَهُ إِلَىَّ وَقَالَ لِي ثُمَّ ذَكَرَ مَعْنَاهُمْ وَقَالَ ابْنُ الْمُصَفَّى قَالَ سَمِعْتُ الْحَارِثَ بْنَ مُسْلِمِ بْنِ الْحَارِثِ التَّمِيمِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ .
মুসলিম ইবনুল হারিস ইবনু মুসলিম আত্-তামীমী (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “জাহান্নাম হতে নিরাপত্তা” পর্যন্ত পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে রয়েছেঃ “কারো সঙ্গে তোমার কথা বলার পূর্বে”। এতে ‘আলী ইবনু সাহল বলেন, তার পিতা তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর ‘আলী ও ইবনুল মুসাফ্ফা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে একটি ক্ষুদ্র অভিযানে প্রেরণ করলেন। আমরা আক্রমণের স্থানে পৌছলে আমি আমার ঘোড়াকে উত্তেজিত করে আমার সঙ্গীদেরকে পিছনে ফেলে সামনে অগ্রসর হই। তখন সেখানকার লোকেরা হৈ চৈ করে আমার সঙ্গে দেখা করলো। আমি বললাম, তোমরা বলোঃ লা ইলাহা ইল্লালাহু, তাহলে নিরাপত্তা লাভ করবে। অতএব তারা কালেমা পড়লো। এতে আমার সঙ্গীরা আমাকে তিরস্কার করে বললো, তুমি আমাদেরকে গনীমাত থেকে বঞ্চিত করেছো। তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ফিরে এসে আমি যা করেছি তা তাঁকে জানালো। তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে আমার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানালেন এবং বললেনঃ জেনে রাখো! তোমার এ কাজের জন্যই মহান আল্লাহ্ তাদের প্রত্যেক ব্যক্তির বিনিময়ে তোমার জন্য এই এই নেকী নির্ধারণ করেছেন। বর্ণনাকারী ‘আব্দুর রহমান বলেন, এর বিনিময়ে যে সওয়াবের কথা তিনি বলেছেন তা আমি ভুলে গেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জেনে রাখো! আমি তোমার জন্য একটি ওয়াসিতনামা লিখে দিবো। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাই করেছিলেন এবং তাতে তাঁর সীলমোহর লাগিয়ে দিয়েছিলেন এবং আমাকে হস্তান্তর করেছিলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী তাদের বর্ণিত হাদীসের অর্থের অনুরূপ হাদীস আমাকে বর্ণনা করেছেন। ইবনুল মুসাফ্ফা (রহঃ) বলেন, আমি আল-হারিস ইবনু মুসলিম ইবনুল হারিস আত-তামীমী (রহঃ)-কে তার পিতার সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। [৫০৭৮]
[৫০৭৮] এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৮১
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ مُسْلِمٍ الدِّمَشْقِيُّ، – وَكَانَ مِنْ ثِقَاتِ الْمُسْلِمِينَ مِنَ الْمُتَعَبِّدِينَ – قَالَ حَدَّثَنَا مُدْرِكُ بْنُ سَعْدٍ – قَالَ يَزِيدُ شَيْخٌ ثِقَةٌ – عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رضى الله عنه قَالَ مَنْ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ سَبْعَ مَرَّاتٍ كَفَاهُ اللَّهُ مَا أَهَمَّهُ صَادِقًا كَانَ بِهَا أَوْ كَاذِبًا .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে সাতবার বলেঃ “আল্লাহ্ আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমি তাঁর উপর ভরসা করি এবং তিনি মহান আরশের রব’- আল্লাহ্ তার জন্য যথেষ্ট হবেন যা তাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তার বিরুদ্ধে, চাই যেন সত্যিকারভাবে অথবা কৃত্রিমভাবে বলুক না কেন। [৫০৭৯]
বানোয়াট : যঈফাহ হা / ৫২৮৬।
[৫০৭৯] এটি বানোয়াট।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৫০৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَبِي أَسِيدٍ الْبَرَّادِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةِ مَطَرٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُصَلِّيَ لَنَا فَأَدْرَكْنَاهُ فَقَالَ ” أَصَلَّيْتُمْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا فَقَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ” قُلْ ” . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَقُولُ قَالَ ” { قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ } وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَحِينَ تُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ ” .
মু’আয ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু খুবাইব (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক বর্ষণমুখর খুবই অন্ধকার কালো রাতে আমাদের সলাত পড়াবার জন্য আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে খুঁজছিলাম। আমরা তাঁকে পেয়ে গেলাম। তিনি বললেনঃ বলো। আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি বললেন, বলো। আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেনঃ বলো। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কি বলবো? তিনি বললেনঃ তুমি সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার সূরাহ কুল হুয়াল্লাহু (সূরা ইখলাস), সূরাহ নাস ও ফালাক্ব পড়বে; এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে। [৫০৮০]
[৫০৮০] তিরমিযী, নাসায়ী।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫০৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، – قَالَ ابْنُ عَوْفٍ وَرَأَيْتُهُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ – قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ، عَنْ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ حَدِّثْنَا بِكَلِمَةٍ، نَقُولُهَا إِذَا أَصْبَحْنَا وَأَمْسَيْنَا وَاضْطَجَعْنَا فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَقُولُوا : اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ رَبُّ كُلِّ شَىْءٍ وَالْمَلاَئِكَةُ يَشْهَدُونَ أَنَّكَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ فَإِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ أَنْفُسِنَا وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ وَشِرْكِهِ وَأَنْ نَقْتَرِفَ سُوءًا عَلَى أَنْفُسِنَا أَوْ نَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ .
আবূ মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদেরকে এমন কিছু বলুন যা আমরা সকাল-সন্ধ্যায় ও শোয়ার সময় পড়বো। তিনি তাদেরকে আদেশ দিলেন তারা যেন বলেঃ “হে আল্লাহ্, আকাশ-যমীনের সৃষ্টিকারী, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞাতা! আপনি প্রত্যেক বস্তুর রব। ফেরেশতারা সাক্ষ্য দিচ্ছে, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। অতএব আমরা আমাদের কু-প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে এবং অভিশপ্ত শয়তানের অনিষ্ট ও শির্ক হতে আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি এবং আমাদের অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়া বা কোন মুসলিমকে অপরাধের দিকে ধাবিত করা হতে আশ্রয় চাইছি”।[৫০৮১]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৫৬০৬।
[৫০৮১] আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৮৪
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَبِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا أَصْبَحَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذَا الْيَوْمِ فَتْحَهُ وَنَصْرَهُ وَنُورَهُ وَبَرَكَتَهُ وَهُدَاهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ ثُمَّ إِذَا أَمْسَى فَلْيَقُلْ مِثْلَ ذَلِكَ ” .
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সনদে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ ভোরে উপনীত হলে যেন বলেঃ “আমরা ভোরে উপনীত হলাম এবং জগতসমূহের রব আল্লাহ্র রাজ্যও ভোরে উপনীত হলো। হে আল্লাহ্! আমি আজকের দিনের কল্যাণ, বিজয়, সাহায্য, আলো, বরকত ও হিদায়াত কামনা করছি। আর আজকের দিনের অমঙ্গল ও তার পরের অমঙ্গল হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাইছি”। যখন সন্ধ্যায় উপনীত হবে তখনও তাই বলবে।[৫০৮২]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৫৬০৬।
[৫০৮২] এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫০৮৫
حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ جُعْثُمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الأَزْهَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَرَازِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي شَرِيقٌ الْهَوْزَنِيُّ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ رضى الله عنها فَسَأَلْتُهَا بِمَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ إِذَا هَبَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا هَبَّ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ عَشْرًا وَحَمِدَ عَشْرًا وَقَالَ ” سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ ” . عَشْرًا وَقَالَ ” سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ ” . عَشْرًا وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا وَهَلَّلَ عَشْرًا ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ ضِيقِ الدُّنْيَا وَضِيقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” . عَشْرًا ثُمَّ يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ .
শারীক আল-হাওযানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আমি ‘আয়িশাহ্র (রাঃ) নিকট গিয়ে বলি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে জেগে সর্বপ্রথম কোন দু’আ পড়ার মাধ্যমে শুরু করতেন? তিনি বললেন, তুমি আমাকে এমন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছো, তোমার পূর্বে কেউই এ ব্যাপারে আমার নিকট জানতে চায়নি। তিনি যখন রাতে জাগতেন তখন দশবার আল্লাহ্ আকবার ও দশবার আল্হামদুলিল্লাহ বলতেন। আর সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি দশবার ও সুবহানাল মালিকুল কুদ্দুস দশবার এবং আস্তাগফিরুল্লাহ ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দশবার বলতেন। অতঃপর তিনি বলতেনঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় অভাব, সংকীর্ণতা ও বিপদগ্রস্ততা হতে আশ্রয় চাইছি। এরপর তিনি সলাত শুরু করতেন।[৫০৮৩]
[৫০৮৩] নাসায়ী, ইবনু মাজাহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫০৮৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ فِي سَفَرٍ فَأَسْحَرَ يَقُولُ “ سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللَّهِ وَنِعْمَتِهِ وَحُسْنِ بَلاَئِهِ عَلَيْنَا اللَّهُمَّ صَاحِبْنَا فَأَفْضِلْ عَلَيْنَا ” . عَائِذًا بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সফর করতেন তখন ভোর রাতে উপনীত হয়ে বলতেনঃ শ্রবণকারী শ্রবণ করুন, আল্লাহ্র প্রশংসা করছি আমাদের প্রতি তাঁর নেয়ামতসমূহ ও আশির্বাদসহ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করো। আর আমরা আল্লাহ্র নিকট জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি চাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৮৭
حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، قَالَ كَانَ أَبُو ذَرٍّ يَقُولُ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ اللَّهُمَّ مَا حَلَفْتُ مِنْ حَلِفٍ أَوْ قُلْتُ مِنْ قَوْلٍ أَوْ نَذَرْتُ مِنْ نَذْرٍ فَمَشِيئَتُكَ بَيْنَ يَدَىْ ذَلِكَ كُلِّهِ مَا شِئْتَ كَانَ وَمَا لَمْ تَشَأْ لَمْ يَكُنِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَتَجَاوَزْ لِي عَنْهُ اللَّهُمَّ فَمَنْ صَلَّيْتَ عَلَيْهِ فَعَلَيْهِ صَلاَتِي وَمَنْ لَعَنْتَ فَعَلَيْهِ لَعْنَتِي كَانَ فِي اسْتِثْنَاءٍ يَوْمَهُ ذَلِكَ أَوْ قَالَ ذَلِكَ الْيَوْمَ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে উঠে বলবে: “হে আল্লাহ! আমি যে কসমই করি, যে কথাই বলি, আর যে মান্নতই মানি, এসব কার্যকর হওয়ার জন্য রয়েছে তোমার ইচ্ছা। তুমি যা চাও তাই হয়, তুমি যা চাও না তা হয় না। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার এগুলো আগ্রাহ্য করো। হে আল্লাহ! যার প্রতি তুমি দয়া করো তার প্রতি আমারও দু‘আ। তুমি যাকে অভিশাপ দাও তার প্রতি আমারও অভিশাপ”-এসব অকল্যাণ হতে ঐ দিনের জন্য তাকে মুক্তি দেয়া হয়।[৫০৮৫]
তাহক্বিক আলবানীঃ সনদ যঈফ মাওকুফ।
[৫০৮৫] বায়হাক্বী। এর সানাদ মুনকাতি । ক্বাসিম ইবনু ‘আবদুর রহমান হাদীসটি আবূ যার হতে শুনেননি । যেমন রয়েছে তাহযীব গ্রন্থে ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল মাওকুফ
- সরাসরি
৫০৮৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَوْدُودٍ، عَمَّنْ سَمِعَ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُثْمَانَ، – يَعْنِي ابْنَ عَفَّانَ – يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ لَمْ تُصِبْهُ فَجْأَةُ بَلاَءٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ لَمْ تُصِبْهُ فَجْأَةُ بَلاَءٍ حَتَّى يُمْسِيَ ” . قَالَ فَأَصَابَ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ الْفَالِجُ فَجَعَلَ الرَّجُلُ الَّذِي سَمِعَ مِنْهُ الْحَدِيثَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ مَا لَكَ تَنْظُرُ إِلَىَّ فَوَاللَّهِ مَا كَذَبْتُ عَلَى عُثْمَانَ وَلاَ كَذَبَ عُثْمَانُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَكِنَّ الْيَوْمَ الَّذِي أَصَابَنِي فِيهِ مَا أَصَابَنِي غَضِبْتُ فَنَسِيتُ أَنْ أَقُولَهَا .
আবান ইবনু ‘উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি এবং তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন: যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে: “আল্লাহর নামে যাঁর নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোন বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।” সকাল হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি কোন হঠাৎ বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর কোন হঠাৎ বিপদ আসবে না। আবান (রাঃ) পক্ষাঘাতগ্রস্থ হলে যে লোকটি তার থেকে হাদীস শুনেছিল, তার দিকে তাকাচ্ছিল। তখন আবান তাকে বললেন, তোমার কি হয়েছে! তুমি আমার দিকে তাকাচ্ছো কেনো? বিশ্বাস করো, আল্লাহর কসম! আমি ‘উসমান (রাঃ)-এর প্রতি মিথ্যা আরোপ করিনি আর ‘উসমান (রাঃ)-ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেননি। তবে যেদিন আমি পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়েছি সেদিন আমি রাগের বশে তা বলতে ভুলে গিয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৮৯
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو مَوْدُودٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عُثْمَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ لَمْ يَذْكُرْ قِصَّةَ الْفَالِجِ .
‘উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী এতে পক্ষাঘাতের ঘটনা উল্লেখ করেননি। [৫০৮৭]
[৫০৮৭] আহমাদ ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫০৯০
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْجَلِيلِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لأَبِيهِ يَا أَبَةِ إِنِّي أَسْمَعُكَ تَدْعُو كُلَّ غَدَاةٍ اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ تُعِيدُهَا ثَلاَثًا حِينَ تُصْبِحُ وَثَلاَثًا حِينَ تُمْسِي . فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو بِهِنَّ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ . قَالَ عَبَّاسٌ فِيهِ وَتَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ تُعِيدُهَا ثَلاَثًا حِينَ تُصْبِحُ وَثَلاَثًا حِينَ تُمْسِي فَتَدْعُو بِهِنَّ فَأُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ دَعَوَاتُ الْمَكْرُوبِ اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ” . وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ عَلَى صَاحِبِهِ .
‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি: “হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই।” তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দু‘আ করতে শুনেছি। সেজন্য আমিও তাঁর নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। ‘আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ! আপনার নিকট কুফরী ও দরিদ্রতা হতে আশ্রয় চাইছি। হে আল্লাহ! আমি কবরের আযাব হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাইছি, আপনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই।” তিনি এ দু‘আ সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিনবার করে বলতেন। তাই আমিও তাঁর নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: বিপদগ্রস্থ ব্যক্তির দু‘আ হলো : “হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমত প্রার্থী। কাজেই আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নিজের নিকট সোপর্দ করবেন না এবং আমার সবকিছু সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করে দিন। আর আপনিই একমাত্র ইলাহ।” [৫০৮৮]
[৫০৮৮] বুখারীর আদাবুল মুফরাদ ।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫০৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ مِائَةَ مَرَّةٍ وَإِذَا أَمْسَى كَذَلِكَ لَمْ يُوَافِ أَحَدٌ مِنَ الْخَلاَئِقِ بِمِثْلِ مَا وَافَى ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে একশো বার বলবেঃ “সুবাহানাল্লাহিল ‘আযীম ওয়া বিহামদিহি” এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলে, তাহলে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মত মর্যাদা ও সওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস