আবু দাউদ শিষ্টাচার অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৪৮৭১ – ৪৯৭০

অনুচ্ছেদ-৩৮

চোগলখোর

৪৮৭১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৯

দ্বিমুখী চরিত্রের লোক সম্পর্কে

৪৮৭২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مِنْ شَرِّ النَّاسِ ذُو الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ হলো দ্বিমুখী চরিত্রের লোক। তারা এক দলের নিকট এক চেহারা নিয়ে এবং অপর দলের নিকট অন্য চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الرُّكَيْنِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَنْظَلَةَ، عَنْ عَمَّارٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَ لَهُ وَجْهَانِ فِي الدُّنْيَا كَانَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِسَانَانِ مِنْ نَارٍ ‏”‏ ‏.‏

আম্মার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়াতে দ্বিমুখী স্বভাবের লোকের ক্বিয়ামতের দিন আগুনের দু’টি জিহ্বা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪০

গীবত সম্পর্কে

৪৮৭৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْغِيبَةُ قَالَ ‏”‏ ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ ‏”‏ ‏.‏ قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ ‏”‏ إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدْ بَهَتَّهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে প্রশ্ন করা হলো, গীবত কী? তিনি বললেন, তোমরা ভাইয়ের ব্যাপারে তোমার এমন কিছু বলা যা শুনলে সে অসন্তুষ্ট হয়। পুনরায় প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে বর্তমান থাকে? তিনি বললেন, তুমি যা বলো তা যদি তার মধ্যে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর তুমি যা বলো তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৭৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي حُذَيْفَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَسْبُكَ مِنْ صَفِيَّةَ كَذَا وَكَذَا قَالَ غَيْرُ مُسَدَّدٍ تَعْنِي قَصِيرَةً ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ لَقَدْ قُلْتِ كَلِمَةً لَوْ مُزِجَتْ بِمَاءِ الْبَحْرِ لَمَزَجَتْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ وَحَكَيْتُ لَهُ إِنْسَانًا فَقَالَ ‏”‏ مَا أُحِبُّ أَنِّي حَكَيْتُ إِنْسَانًا وَأَنَّ لِي كَذَا وَكَذَا ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বললাম, সাফিয়্যাহ (রাঃ)-এর ব্যাপারে আপনার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে এরূপ অর্থাৎ তিনি খাটো। তিনি বললেনঃ তুমি এমন একটি কথা বলেছো, যা সমুদ্রে মিশিয়ে দিলে তাতে সমুদ্রের রং পাল্টে যাবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নকল করলাম। তিনি বললেন, আমাকে এতো এতো সম্পদ দেয়া হলেও আমি কারো অনুকরণ পছন্দ করবো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي حُسَيْنٍ، حَدَّثَنَا نَوْفَلُ بْنُ مُسَاحِقٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ مِنْ أَرْبَى الرِّبَا الاِسْتِطَالَةَ فِي عِرْضِ الْمُسْلِمِ بِغَيْرِ حَقٍّ ‏”‏ ‏.

সাঈদ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অন্যায়ভাবে কোন মুসলিমের মানসম্মানে হস্তক্ষেপ করা ব্যাপকতর সুদের অন্তর্ভুক্ত (মহাপাপ)। [আহমাদ]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৭৭

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ اسْتِطَالَةَ الْمَرْءِ فِي عِرْضِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ بِغَيْرِ حَقٍّ وَمِنَ الْكَبَائِرِ السَّبَّتَانِ بِالسَّبَّةِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অন্যায়ভাবে কোন মুসলিমের মানসম্মানে আঘাত হানা কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত এবং একবার গালি দেওয়ার পরিবর্তে দুইবার গালি দেয়াও কবীরাহ গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।৪৮৭৫

  •  
  •  
  •  
  •  

৪৮৭৫ আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৭৮

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، وَأَبُو الْمُغِيرَةِ، قَالاَ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي رَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَمَّا عُرِجَ بِي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وُجُوهَهُمْ وَصُدُورَهُمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِ وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بَقِيَّةَ لَيْسَ فِيهِ أَنَسٌ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মি’রাজের রাতে আমি এমন এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম যাদের নখগুলো তামার তৈরী এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আঁচড় মারছে। আমি বললাম, হে জিবরীল ! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা সেসব লোক যারা মানুষের গোশত খেতো (গীবত করতো) এবং তাদের মানসম্মানে আঘাত হানতো ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৭৯

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ أَبِي عِيسَى السَّيْلَحِينِيُّ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، كَمَا قَالَ ابْنُ الْمُصَفَّى ‏.‏

আবুল মুগীরাহ (রহঃ) সূত্রে ইবনুল মুসাফ্‌ফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবুল মুগীরাহ (রহঃ) সূত্রে ইবনুল মুসাফ্‌ফা (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত। [৪৮৭৭]

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৮৭৭] এর পূর্বেরটি দেখুন ।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৪৮৮০

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ فِي بَيْتِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে সেসব লোক যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি ! তোমরা মুসলিমদের গীবত করবে না ও দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৮৮১

حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ وَقَّاصِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَكَلَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ أَكْلَةً فَإِنَّ اللَّهَ يُطْعِمُهُ مِثْلَهَا مِنْ جَهَنَّمَ وَمَنْ كُسِيَ ثَوْبًا بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَكْسُوهُ مِثْلَهُ مِنْ جَهَنَّمَ وَمَنْ قَامَ بِرَجُلٍ مَقَامَ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَقُومُ بِهِ مَقَامَ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

আল-মুসতাওরিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের গীবত করে এক লোকমা ভক্ষণ করবে আল্লাহ তাকে এজন্য জাহান্নাম হতে সমপরিমাণ ভক্ষণ করাবেন। আর যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের দোষত্রুটি বর্ণনার পোশাক পরবে আল্লাহ তাকে অনুরূপ জাহান্নামের পোশাক পরাবেন। আর যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তির (কুৎসা) রটিয়ে খ্যাতি ও প্রদর্শনীর স্তরে পৌঁছবে, মহান আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তাকে ঐ খ্যাতি ও প্রদর্শনীর জায়গাতেই (জাহান্নামে) স্থান দিবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৮২

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حَرَامٌ مَالُهُ وَعِرْضُهُ وَدَمُهُ حَسْبُ امْرِئٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজন মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের সম্পদ, সম্মান ও জীবনের হস্তক্ষেপ করা হারাম। কোন ব্যক্তির নিকৃষ্ট প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪১

যে ব্যক্তি তাঁর ভাইয়ের সম্মান রক্ষার্থে তাঁর পক্ষ নেয়

৪৮৮৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ بْنِ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يَحْيَى الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا مِنْ مُنَافِقٍ ‏”‏ ‏.‏ أُرَاهُ قَالَ ‏”‏ بَعَثَ اللَّهُ مَلَكًا يَحْمِي لَحْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ وَمَنْ رَمَى مُسْلِمًا بِشَىْءٍ يُرِيدُ شَيْنَهُ بِهِ حَبَسَهُ اللَّهُ عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ ‏”‏ ‏.‏

সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস আল্‌-জুহানী (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে মুনাফিক হতে রক্ষা করবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার শরীর জাহান্নাম হতে রক্ষার জন্য একজন ফেরেশতা প্রেরণ করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে অপমান করার উদ্দেশ্যে তাকে দোষারোপ করবে তাকে মহান আল্লাহ জাহান্নামের সেতুর উপর প্রতিরোধ ব্যবস্থা করবেন যতক্ষণ না তার কৃতকর্মের ক্ষতিপূরণ হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৮৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ إِسْمَاعِيلَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبَا، طَلْحَةَ بْنَ سَهْلٍ الأَنْصَارِيَّ يَقُولاَنِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا مِنِ امْرِئٍ يَخْذُلُ امْرَأً مُسْلِمًا فِي مَوْضِعٍ تُنْتَهَكُ فِيهِ حُرْمَتُهُ وَيُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ إِلاَّ خَذَلَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ فِيهِ نُصْرَتَهُ وَمَا مِنِ امْرِئٍ يَنْصُرُ مُسْلِمًا فِي مَوْضِعٍ يُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ وَيُنْتَهَكُ فِيهِ مِنْ حُرْمَتِهِ إِلاَّ نَصَرَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ نُصْرَتَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى وَحَدَّثَنِيهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعُقْبَةُ بْنُ شَدَّادٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ هَذَا هُوَ ابْنُ زَيْدٍ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ بَشِيرٍ مَوْلَى بَنِي مَغَالَةَ وَقَدْ قِيلَ عُتْبَةُ بْنُ شَدَّادٍ مَوْضِعَ عُقْبَةَ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ ও আবূ ত্বালহা ইবনু সাহল আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে ত্যাগ করে , আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করা হতে বিমূখ থাকবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য কামনা করে। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য প্রত্যাশা করে। [৪৮৮২]

 

দুর্বল : মিশকাত হা/৪৯৮৮৩।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৮৮২] আহমাদ ,ত্বাবারানী । সানাদে ইয়াহইয়া ইবনু সুলাইম এবং ইসমাঈল বাশীর উভয়ে অজ্ঞাত ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪২

যে ব্যক্তির দোষ চর্চা গীবত নয়

৪৮৮৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، مِنْ كِتَابِهِ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجُشَمِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا جُنْدُبٌ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَأَنَاخَ رَاحِلَتَهُ ثُمَّ عَقَلَهَا ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى رَاحِلَتَهُ فَأَطْلَقَهَا ثُمَّ رَكِبَ ثُمَّ نَادَى اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تُشْرِكْ فِي رَحْمَتِنَا أَحَدًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَتَقُولُونَ هُوَ أَضَلُّ أَمْ بَعِيرُهُ أَلَمْ تَسْمَعُوا إِلَى مَا قَالَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى ‏.

জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা এক বেদুঈন আসলো এবং তার উট বসিয়ে তা রশি দিয়ে বেঁধে মাসজিদে প্রবেশ করলো এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে সলাত আদায় করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরালে সে তার উটের নিকট এসে তার বাঁধন খুলে তাতে আরোহণ করলো, অতঃপর উচ্চ আওয়াজে বললো, হে আল্লাহ ! আমাকে ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দয়া করুন এবং আমাদের দয়ার সঙ্গে কাউকে শরীক করবেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বলো দেখি, সে বেশি মূর্খ নাকি তার উট? সে কি বলেছে তোমরা কি তা শুনোনি? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ, শুনেছি। [৪৮৮৩]

 

“ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বলো দেখি, সে বেশি মূর্খ না তার উট? …।” এ অংশটি বাদে বর্ণনাটি সহীহ।

অথবা দুর্বল, এ অংশে অতিরিক্ত যোগে : “ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বলো দেখি, সে বেশি মূর্খ না তার উট? …।”

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৮৮৩] আহমাদ। বর্ণনাকারী জুরাইরীর শাইখ অজ্ঞাত ।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৩

কেউ কাউকে অপবাদ দিলে সে তার জন্য বৈধ

৪৮৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ أَيَعْجَزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكُونَ، مِثْلَ أَبِي ضَيْغَمٍ – أَوْ ضَمْضَمٍ شَكَّ ابْنُ عُبَيْدٍ – كَانَ إِذَا أَصْبَحَ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي قَدْ تَصَدَّقْتُ بِعِرْضِي عَلَى عِبَادِكَ ‏.‏

ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ কি আবূ দায়গাম বা আবূ দামদাম-এর অনুরূপ হতে অপারগ? তিনি প্রত্যেক দিনের শুরুতে বলতেন : হে আল্লাহ ! আমি আমার মান-সম্মানকে তোমাদের বান্দাদের জন্য সদাক্বাহ করলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৪৮৮৭

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَجْلاَنَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَيَعْجَزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكُونَ مِثْلَ أَبِي ضَمْضَمٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَنْ أَبُو ضَمْضَمٍ قَالَ ‏”‏ رَجُلٌ فِيمَنْ كَانَ مِنْ قَبْلِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ بِمَعْنَاهُ قَالَ ‏”‏ عِرْضِي لِمَنْ شَتَمَنِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَمِّيِّ عَنْ ثَابِتٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ حَمَّادٍ أَصَحُّ ‏.‏

আবদুর রহমান ইবনু ‘আজলান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কি আবূ দামদামের অনুরূপ হতে অক্ষম? লোকেরা প্রশ্ন করলো, আবূ দামদাম কে? তিনি বলেন, তোমাদের আগেকার জাতির এক ব্যক্তি… পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ। সে বললো, যে ব্যক্তি আমাকে মন্দ করে তার জন্য আমার মান-ইজ্জত উৎসর্গিত।৪৮৮৫

 

যঈফঃ ইরওয়া হা/২৩৬৬।

  •  
  •  
  •  
  •  

৪৮৮৫ আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদে তাবেঈ ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আজলান এর অবস্থা অজ্ঞাত। যেমন হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৪

ছিদ্রান্বেষণ নিষেধ

৪৮৮৮

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّمْلِيُّ، وَابْنُ، عَوْفٍ – وَهَذَا لَفْظُهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّكَ إِنِ اتَّبَعْتَ عَوْرَاتِ النَّاسِ أَفْسَدْتَهُمْ أَوْ كِدْتَ أَنْ تُفْسِدَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَلِمَةٌ سَمِعَهَا مُعَاوِيَةُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفَعَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِهَا ‏.‏

মু‘আবিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ তুমি যদি মানুষের গোপন দোষ তালাশ করো তাহলে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বা ক্ষতির সীমানায় পৌঁছে দিবে। অতঃপর আবূ দারদা (রাঃ) বললেন, একথা মু‘আবিয়াহ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)হতে শুনেছেন, মহান আল্লাহ তাকে এর মাধ্যমে লাভবান করুন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৮৯

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا ضَمْضَمُ بْنُ زُرْعَةَ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، وَكَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، وَعَمْرِو بْنِ الأَسْوَدِ، وَالْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، وَأَبِي، أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الأَمِيرَ إِذَا ابْتَغَى الرِّيبَةَ فِي النَّاسِ أَفْسَدَهُمْ ‏”‏ ‏.

জুবাইর ইবনু নুফাইর, কাসীর ইবনু মুররাহ, ‘আমর ইবনুল আসওয়াদ, আল-মিক্বদাম ইবনু মা’দীকারিব ও আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শাসক জনগণকে অপরাধী সন্দেহ করলে তাদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে ফেলবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৯০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ أُتِيَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَقِيلَ هَذَا فُلاَنٌ تَقْطُرُ لِحْيَتُهُ خَمْرًا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّا قَدْ نُهِينَا عَنِ التَّجَسُّسِ وَلَكِنْ إِنْ يَظْهَرْ لَنَا شَىْءٌ نَأْخُذْ بِهِ ‏.

যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাস‘ঊদের (রাঃ) নিকট এনে বলা হলো, এ সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোন অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এজন্য আমরা তাকে ধরবো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৫

মুসলিমদের দোষ গোপন রাখা

৪৮৯১

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَشِيطٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ رَأَى عَوْرَةً فَسَتَرَهَا كَانَ كَمَنْ أَحْيَا مَوْءُودَةً ‏”‏ ‏.‏

উক্ববাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি (অন্য কারোর) গোপনীয় দোষ দেখতে পেয়েও তা গোপন করলো সে যেন জীবন্ত কবরস্থ কন্যাকে জীবন দিলো।৪৮৮৯

 

দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১২৬৫।

  •  
  •  
  •  
  •  

৪৮৮৯বুখারীর আদাবুল মুফরাদ, তায়ালিসি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৯২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَشِيطٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الْهَيْثَمِ، يَذْكُرُ أَنَّهُ سَمِعَ دُخَيْنًا، كَاتِبَ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ كَانَ لَنَا جِيرَانٌ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ فَنَهَيْتُهُمْ فَلَمْ يَنْتَهُوا فَقُلْتُ لِعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ إِنَّ جِيرَانَنَا هَؤُلاَءِ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ وَإِنِّي نَهَيْتُهُمْ فَلَمْ يَنْتَهُوا فَأَنَا دَاعٍ لَهُمُ الشُّرَطَ ‏.‏ فَقَالَ دَعْهُمْ ‏.‏ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى عُقْبَةَ مَرَّةً أُخْرَى فَقُلْتُ إِنَّ جِيرَانَنَا قَدْ أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا عَنْ شُرْبِ الْخَمْرِ وَأَنَا دَاعٍ لَهُمُ الشُّرَطَ ‏.‏ قَالَ وَيْحَكَ دَعْهُمْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ مُسْلِمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ لَيْثٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ لاَ تَفْعَلْ وَلَكِنْ عِظْهُمْ وَتَهَدَّدْهُمْ ‏.‏

কা‘ব ইবনু ‘আলক্বামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবুল হাইসাম (রহঃ) কে উল্লেখ করতে শুনেছেন যে, তিনি ‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমিরের (রাঃ) সচিব দুখাইনাকে বলতে শুনেছেন, আমাদের এক প্রতিবেশী পরিবার মদপান করতো। আমি তাদেরকে বারণ করার পরও তারা বিরত হয়নি। আমি ‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) কে বললাম, আমাদের এক প্রতিবেশী পরিবার মদপান করে। আমি তাদেরকে নিষেধ করেছি কিন্তু তারা বিরত হয়নি। তাই আমি এখন পুলিশ আনতে যাচ্ছি। তিনি বললেন, তাদেরকে ছেড়ে দাও। আমি পুনরায় ‘উক্ববাহ (রাঃ) এর নিকট গিয়ে অভিযোগ করলাম, আমাদের সেই প্রতিবেশীরা মদপান পরিহারে অস্বীকার করেছে। আমি পুলিশ আনতে যাচ্ছি। তিনি এবার বললেন, তোমার জন্য দুঃখ! তাদেরকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। কারণ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছি… অতঃপর মুসলিম ইবনু ইবরাহীম বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, লাইস বলেন, বরং তাদেরকে উপদেশ দাও এবং ধমকাও। ৪৮৯০

  •  
  •  
  •  
  •  

৪৮৯০ আহমাদ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৬

ভ্রাতৃত্ব

৪৮৯৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُهُ مَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ فَإِنَّ اللَّهَ فِي حَاجَتِهِ وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ بِهَا كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.

সালিম (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। কাজেই সে তার উপর নির্যাতন করবে না এবং তাকে অসহায় অবস্থায়ও ছেড়ে যাবে না। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন মিটাবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন মিটাবেন। একইভাবে যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিনে তার বিপদ দূর করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৭

যারা পরস্পরকে গালি দেয়

৪৮৯৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمُسْتَبَّانِ مَا قَالاَ فَعَلَى الْبَادِي مِنْهُمَا مَا لَمْ يَعْتَدِ الْمَظْلُومُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরস্পর তিরস্কারকারীর মধ্যে যে প্রথমে আরম্ভ করে উভয়ের দোষ তার উপর বর্তাবে, যতক্ষণ না অপরজন সীমালঙ্ঘন করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৮

বিনয় ও নম্রতা

৪৮৯৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَىَّ أَنْ تَوَاضَعُوا حَتَّى لاَ يَبْغِيَ أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ وَلاَ يَفْخَرَ أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ ‏”‏ ‏.‏

ইয়াদ ইবনু হিমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আমার নিকট (এ মর্মে) ওয়াহী পাঠিয়েছেন যে, তোমরা বিনয়ী হও, যতক্ষণ না একে অপরের উপর যুলুম করে এবং অহংকার করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪৯

প্রতিশোধ গ্রহণ

৪৮৯৬

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ الْمُحَرَّرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَمَعَهُ أَصْحَابُهُ وَقَعَ رَجُلٌ بِأَبِي بَكْرٍ فَآذَاهُ فَصَمَتَ عنه أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ آذَاهُ الثَّانِيَةَ فَصَمَتَ عَنْهُ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ آذَاهُ الثَّالِثَةَ فَانْتَصَرَ مِنْهُ أَبُو بَكْرٍ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ انْتَصَرَ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَوَجَدْتَ عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نَزَلَ مَلَكٌ مِنَ السَّمَاءِ يُكَذِّبُهُ بِمَا قَالَ لَكَ فَلَمَّا انْتَصَرْتَ وَقَعَ الشَّيْطَانُ فَلَمْ أَكُنْ لأَجْلِسَ إِذْ وَقَعَ الشَّيْطَانُ ‏”‏ ‏.

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদেরকে নিয়ে বসা ছিলেন। এ সময় এক লোক আবূ বাকর (রাঃ) কে গালি দিলো এবং কষ্ট দিলো, কিন্তু আবূ বাকর (রাঃ) কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে রইলেন। অতঃপর পুনরায় সে আবূ বাকর (রাঃ) কে গালি দিলো এবং কষ্ট দিলো, কিন্তু তিনি কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে রইলেন। তৃতীয়বার সে আবূ বাকর (রাঃ) কে গালি এবং কষ্ট দিলে এবার তিনি তার প্রতিশোধ নিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) যখন প্রতিশোধ নিলেন তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে দাঁড়ালেন। আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমার উপর রাগ করেছেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আসমান হতে একজন ফেরেশতা নেমে ছিলেন এবং তোমার পক্ষ হয়ে জবাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু যখন তুমি তার প্রতিশোধ নিলে তখন শয়তান এখানে উপস্থিত হয়েছে। শয়তান এখানে উপস্থিত হওয়ায় আমি আর বসতে পারি না। [৪৮৯৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৮৯৪] আহমাদ, ত্বাবারনী।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৯৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، كَانَ يَسُبُّ أَبَا بَكْرٍ وَسَاقَ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، كَمَا قَالَ سُفْيَانُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি আবূ বাকর (রাঃ) কে গালি দিচ্ছিল… অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮৯৮

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ – قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ كُنْتُ أَسْأَلُ عَنْ الاِنْتِصَارِ، ‏{‏ وَلَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُولَئِكَ مَا عَلَيْهِمْ مِنْ سَبِيلٍ ‏}‏ فَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ عَنْ أُمِّ مُحَمَّدٍ امْرَأَةِ أَبِيهِ قَالَ ابْنُ عَوْنٍ وَزَعَمُوا أَنَّهَا كَانَتْ تَدْخُلُ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ قَالَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَنَا زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَجَعَلَ يَصْنَعُ شَيْئًا بِيَدِهِ فَقُلْتُ بِيَدِهِ حَتَّى فَطَنْتُهُ لَهَا فَأَمْسَكَ وَأَقْبَلَتْ زَيْنَبُ تَقْحَمُ لِعَائِشَةَ رضى الله عنها فَنَهَاهَا فَأَبَتْ أَنْ تَنْتَهِيَ فَقَالَ لِعَائِشَةَ ‏”‏ سُبِّيهَا ‏”‏ فَسَبَّتْهَا فَغَلَبَتْهَا فَانْطَلَقَتْ زَيْنَبُ إِلَى عَلِيٍّ رضى الله عنه فَقَالَتْ إِنَّ عَائِشَةَ رضى الله عنها وَقَعَتْ بِكُمْ وَفَعَلَتْ ‏.‏ فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ فَقَالَ لَهَا ‏”‏ إِنَّهَا حِبَّةُ أَبِيكِ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَانْصَرَفَتْ فَقَالَتْ لَهُمْ إِنِّي قُلْتُ لَهُ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ لِي كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ وَجَاءَ عَلِيٌّ رضى الله عنه إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَهُ فِي ذَلِكَ ‏.

ইবনু ‘আওন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি প্রতিশোধ গ্রহণ ও আল্লাহর বাণী সম্পর্কে প্রশ্ন করতাম, “তবে নির্যাতিত হওয়ার পর যারা প্রতিশোধ নেয় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না” (সূরাহ শূরাঃ ৪১)। ‘আলী ইবনু যায়িদ ইবনু জুদ’আন তার বিমাতা উম্মু মুহাম্মাদ সূত্রে আমার নিকট বর্ণনা করেন, ইবনু ‘আওন বলেন, তাদের বর্ণনানুযায়ী তার বিমাতা উম্মুল মু‘মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর নিকট যাতায়াত করতেন। মুহাম্মাদ বলেন, উম্মুল মু‘মিনীন বলেছেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট আসলেন, তখন আমার নিকট যাইনাব বিনতু জাহশ (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাত দিয়ে কিছু করতে (আমাকে স্পর্শ করতে) চাইলেন। আমি হাতের ইশারায় যাইনাবের উপস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে জানালাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেমে গেলেন। এরপর যাইনাব (রাঃ) অগ্রসর হয়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে গালি দিতে লাগলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে গালি দিতে বারণ করলেন কিন্তু তিনি বিরত হলেন না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে বললেন, তুমিও তাকে গালি দাও। তারপর ‘আয়িশাহ (রাঃ)-ও তাকে গালি দিলেন এবং তাকে পরাভূত করলেন। অতঃপর যাইনাব (রাঃ) ‘আলী (রাঃ) এর নিকট গিয়ে অভিযোগ করলেন যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) তোমাদের গালি দিয়েছে এবং এ কাজ করেছে। অতঃপর ফাত্বিমাহ ফিরে গিয়ে তাদেরকে বললেন, আমি তাঁকে (আব্বাকে) এই এই কথা বলেছি এবং এর উত্তরে তিনি এই এই কথা বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর ‘আলী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। [৪৮৯৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৮৯৬] আহমাদ। সানাদে ‘আলী ইবনু যায়িদ দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫০

মৃত ব্যক্তিকে গালি দেয়া নিষেধ

৪৮৯৯

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا مَاتَ صَاحِبُكُمْ فَدَعُوهُ لاَ تَقَعُوا فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন সঙ্গী মারা গেলে তাঁকে ছেড়ে দাও এবং তার সম্পর্কে কটুক্তি করো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯০০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَنَسٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اذْكُرُوا مَحَاسِنَ مَوْتَاكُمْ وَكُفُّوا عَنْ مَسَاوِيهِمْ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের ভাল দিকগুলো আলোচনা করো এবং তাদের দোষচর্চা পরিহার করো। [৪৮৯৮]

 

দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১৬৭৮।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৮৯৮] তিরমিযী, ইবনু হিব্বানের মাওয়ারিদ, বায়হাক্বী। সানাদে ‘ইমরান ইবনু আনাস সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ দুর্বল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫১

বিদ্রোহ নিষিদ্ধ

৪৯০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمُ بْنُ جَوْسٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ كَانَ رَجُلاَنِ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ مُتَآخِيَيْنِ فَكَانَ أَحَدُهُمَا يُذْنِبُ وَالآخَرُ مُجْتَهِدٌ فِي الْعِبَادَةِ فَكَانَ لاَ يَزَالُ الْمُجْتَهِدُ يَرَى الآخَرَ عَلَى الذَّنْبِ فَيَقُولُ أَقْصِرْ ‏.‏ فَوَجَدَهُ يَوْمًا عَلَى ذَنْبٍ فَقَالَ لَهُ أَقْصِرْ فَقَالَ خَلِّنِي وَرَبِّي أَبُعِثْتَ عَلَىَّ رَقِيبًا فَقَالَ وَاللَّهِ لاَ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ أَوْ لاَ يُدْخِلُكَ اللَّهُ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَقُبِضَ أَرْوَاحُهُمَا فَاجْتَمَعَا عِنْدَ رَبِّ الْعَالَمِينَ فَقَالَ لِهَذَا الْمُجْتَهِدِ أَكُنْتَ بِي عَالِمًا أَوْ كُنْتَ عَلَى مَا فِي يَدِي قَادِرًا وَقَالَ لِلْمُذْنِبِ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ بِرَحْمَتِي وَقَالَ لِلآخَرِ اذْهَبُوا بِهِ إِلَى النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ أَوْبَقَتْ دُنْيَاهُ وَآخِرَتَهُ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ বনী ইসরাইলের মধ্যে দু’ব্যক্তি ছিলো। তাদের একজন পাপ কাজ করতো এবং অন্যজন সর্বদা ‘ইবাদতে লিপ্ত থাকতো। যখনই ‘ইবাদতে রত ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে দেখতো তখনই তাকে খারাপ কাজ পরিহার করতে বলতো। একদিন সে তাকে পাপ কাজে লিপ্ত দেখে বললো, তুমি এমন কাজ হতে বিরত থাকো। সে বললো, আমাকে আমার রবের উপর ছেড়ে দাও। তোমাকে কি আমার উপর পাহারাদার করে পাঠানো হয়েছে? সে বললো, আল্লাহর কসম! আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন না অথবা তোমাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। অতঃপর দু’জনকেই মৃত্যু দিয়ে আল্লাহর নিকট উপস্থিত করা হলে তিনি ‘ইবাদতগুজারী ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কি আমার সম্পর্কে জানতে? অথবা তুমি কি আমার হাতে যা আছে তার উপর ক্ষমতাবান ছিলে? এবং পাপীকে বললেন, তুমি চলে যাও এবং আমার রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করো। আর অপর ব্যক্তির ব্যাপারে তিনি বললেন, তোমরা একে জাহান্নামে নিয়ে যাও। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, সেই মহান সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার জীবন! সে এমন উক্তি করেছে যার ফলে তার দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই বরবাদ হয়ে গেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯০২

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عُيَيْنَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا مِنْ ذَنْبٍ أَجْدَرُ أَنْ يُعَجِّلَ اللَّهُ تَعَالَى لِصَاحِبِهِ الْعُقُوبَةَ فِي الدُّنْيَا – مَعَ مَا يَدَّخِرُ لَهُ فِي الآخِرَةِ – مِثْلُ الْبَغْىِ وَقَطِيعَةِ الرَّحِمِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বিদ্রোহী ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর মত অন্য কাউকে দুনিয়াতে অতি দ্রুত আযাব দেয়ার পরও আখিরাতের আযাবও তার জন্য জমা করে রাখেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫২

হিংসা-বিদ্বেষ

৪৯০৩

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ صَالِحٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، – يَعْنِي عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ عَمْرٍو – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي أَسِيدٍ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ فَإِنَّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ الْعُشْبَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই হিংসা পরিহার করবে। কারণ আগুন যেভাবে কাঠকে বা ঘাসকে খেয়ে ফেলে, তেমনি হিংসাও মানুষের নেক আমলকে খেয়ে ফেলে। [৪৯০১]

 

দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১৯০২।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৯০১] বুখারীর ‘আত-তারীক’, ‘আযদ ইবনু হুমাইদ আল-মুনতাখাব মিনাল মুসনাদ, ইবনু ‘আবদুল বার আত-তামহীদ। ইমাম বুখারী বলেনঃ বর্ণনাটি সহীহ নয়। সানাদে ইবরাহীমের দাদা অজ্ঞাত। কেননা তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯০৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الْعَمْيَاءِ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي أُمَامَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ هُوَ وَأَبُوهُ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ بِالْمَدِينَةِ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَإِذَا هُوَ يُصَلِّي صَلاَةً خَفِيفَةً دَقِيقَةً كَأَنَّهَا صَلاَةُ مُسَافِرٍ أَوْ قَرِيبًا مِنْهَا فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ أَبِي يَرْحَمُكَ اللَّهُ أَرَأَيْتَ هَذِهِ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ أَوْ شَىْءٌ تَنَفَّلْتَهُ قَالَ إِنَّهَا الْمَكْتُوبَةُ وَإِنَّهَا لَصَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أَخْطَأْتُ إِلاَّ شَيْئًا سَهَوْتُ عَنْهُ – فَقَالَ – إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ ‏”‏ لاَ تُشَدِّدُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ فَيُشَدَّدَ عَلَيْكُمْ فَإِنَّ قَوْمًا شَدَّدُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ فَشَدَّدَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ فَتِلْكَ بَقَايَاهُمْ فِي الصَّوَامِعِ وَالدِّيَارِ ‏{‏ رَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ ‏}‏ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ غَدَا مِنَ الْغَدِ فَقَالَ أَلاَ تَرْكَبُ لِتَنْظُرَ وَلِتَعْتَبِرَ قَالَ نَعَمْ فَرَكِبُوا جَمِيعًا فَإِذَا هُمْ بِدِيَارٍ بَادَ أَهْلُهَا وَانْقَضَوْا وَفَنَوْا خَاوِيَةً عَلَى عُرُوشِهَا فَقَالَ ‏”‏ أَتَعْرِفُ هَذِهِ الدِّيَارَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ مَا أَعْرَفَنِي بِهَا وَبِأَهْلِهَا هَذِهِ دِيَارُ قَوْمٍ أَهْلَكَهُمُ الْبَغْىُ وَالْحَسَدُ إِنَّ الْحَسَدَ يُطْفِئُ نُورَ الْحَسَنَاتِ وَالْبَغْىُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ وَالْعَيْنُ تَزْنِي وَالْكَفُّ وَالْقَدَمُ وَالْجَسَدُ وَاللِّسَانُ وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ ‏.‏

সাহল ইবনু আবূ উমামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ও তার পিতা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীযের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি খুবই সংক্ষেপে সলাত আদায় করলেন, যেন তা মুসাফিরের সলাত বা প্রায় অনুরূপ। তিনি সালাম ফিরানোর পর আমার পিতা প্রশ্ন করলেন, আল্লাহ আপনার প্রতি সদয় হোন! আমাকে বলুন, এটা কি ফরয সলাত না নফল সলাত? তিনি বলেন, এটা ফরয সলাত এবং তা অবশ্যই রসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত। আমি ভুল করিনি, তবে তার যতটুকু বিস্মৃত হয়েছি। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলতেনঃ তোমরা নিজেদের উপর কঠিন করো না; ফলে তোমাদের উপর কঠোরতা চাপিয়ে দেয়া হবে। অতীতে এক সম্প্রদায় নিজেদের জন্য কঠোরতা অবলম্বন করেছিল, ফলে আল্লাহও তাদের উপর কঠোর বিধান চাপিয়ে দেন। অতঃপর তাদের শেষ উত্তরসূরি দৃষ্টিগোচর হয় মাঠে ও নির্জন ঘরে। “কিন্তু সন্ন্যাসবাদ, তারা নিজেরাই তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অবলম্বন করেছিল। আমি তাদেরকে এ বিধান দেইনি” (সূরাহ হাদীদঃ ২৭)। পরবর্তী দিন সকালে তিনি গিয়ে বললেন,উপদেশ গ্রহণ করতে পারো? অতএব তারা সদলবলে সফর করলেন এবং একটি এলাকায় পৌঁছালেন যার অধিবাসীরা ধবংসপ্রাপ্ত হয়েছে, অতীতের মধ্যে বিলীন হয়েছে এবং বাসস্থানের ছাদসহ ধবংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি এ জনপদ চিনতে পেরেছো? তিনি বলেন, এ হলো সেই জাতির জনপদ যাদের স্বৈরাচারীতা ও হিংসা-বিদ্বেষ তাদের ধবংস করেছে। নিশ্চয়ই হিংসা নেক কাজের নূরকে নিভিয়ে দেয় এবং স্বৈরাচার তাকে সত্যে বা মিথ্যায় পরিণত করে। চোখ যেনা করে এবং হাত-পা, শরীর, জবান ও লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবায়িত করে অথবা ত্যাগ করে। [৪৯০২]

 

দুর্বলঃ যঈফাহ হা/৩৪৬৮।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৯০২] সানাদের সাঈদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৩

অভিশাপ দেয়া সম্পর্কে

৪৯০৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ رَبَاحٍ، قَالَ سَمِعْتُ نِمْرَانَ، يَذْكُرُ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، قَالَتْ سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا لَعَنَ شَيْئًا صَعِدَتِ اللَّعْنَةُ إِلَى السَّمَاءِ فَتُغْلَقُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ دُونَهَا ثُمَّ تَهِبْطُ إِلَى الأَرْضِ فَتُغْلَقُ أَبْوَابُهَا دُونَهَا ثُمَّ تَأْخُذُ يَمِينًا وَشِمَالاً فَإِذَا لَمْ تَجِدْ مَسَاغًا رَجَعَتْ إِلَى الَّذِي لُعِنَ فَإِنْ كَانَ لِذَلِكَ أَهْلاً وَإِلاَّ رَجَعَتْ إِلَى قَائِلِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ هُوَ رَبَاحُ بْنُ الْوَلِيدِ سَمِعَ مِنْهُ وَذَكَرَ أَنَّ يَحْيَى بْنَ حَسَّانَ وَهِمَ فِيهِ ‏.‏

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন বান্দা কোন বস্তুকে অভিশাপ দেয় তখন ঐ অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে উঠার পথকে বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন তা পুনরায় দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওয়ানা হয়, কিন্তু দুনিয়াতে আসার পথও বন্ধ করে দেয়ায় সে ডানে বামে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোন পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ করা হয়েছে তার নিকট ফিরে আসে। তখন সেই বস্ত যদি ঐ অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার উপর ঐ অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর উপরই তা পতিত হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯০৬

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَلاَعَنُوا بِلَعْنَةِ اللَّهِ وَلاَ بِغَضَبِ اللَّهِ وَلاَ بِالنَّارِ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা আল্লাহর অভিশাপ, আল্লাহর গযব বা জাহান্নাম দ্বারা অভিশাপ দিও না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯০৭

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، وَزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ أُمَّ الدَّرْدَاءِ، قَالَتْ سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَكُونُ اللَّعَّانُونَ شُفَعَاءَ وَلاَ شُهَدَاءَ ‏”‏ ‏.

আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ অভিশম্পাতকারীরা (কিয়ামতে) সুপারিশকারী হতে পারবে না এবং সাক্ষীদাতাও হতে পারবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯০৮

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، ح وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، – قَالَ زَيْدٌ – عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلاً، لَعَنَ الرِّيحَ – وَقَالَ مُسْلِمٌ إِنَّ رَجُلاً نَازَعَتْهُ الرِّيحُ رِدَاءَهُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَعَنَهَا – فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَلْعَنْهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ وَإِنَّهُ مَنْ لَعَنَ شَيْئًا لَيْسَ لَهُ بِأَهْلٍ رَجَعَتِ اللَّعْنَةُ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি বাতাসকে অভিশাপ দিলো। মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে এক ব্যক্তির চাদর বাতাসে ওলটপালট হয়ে গেলে সে বাতাসকে অভিশাপ দিলো। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি বাতাসকে লানত করো না, কেননা সে নির্দেশপ্রাপ্ত। যা অভিশাপযোগ্য নয় কেউ তাকে অভিশাপ দিলে তা অভিশাপকারীর ওপরই পতিত হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৪

যে ব্যক্তি অত্যাচারীকে বদদু’আ করে

৪৯০৯

حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ سُرِقَ لَهَا شَىْءٌ فَجَعَلَتْ تَدْعُو عَلَيْهِ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تُسَبِّخِي عَنْهُ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তার কিছু জিনিস চুরি হওয়ায় তিনি চোরকে লানত দিতে থাকলেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি চোরের আযাব কম করো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৫

কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে

৪৯১০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَبَاغَضُوا وَلاَ تَحَاسَدُوا وَلاَ تَدَابَرُوا وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা পরস্পরকে ঘৃণা করো না, পরস্পর হিংসা করো না, একে অপরের গোয়েন্দাগিরি করো না, বরং আল্লাহ্‌র বান্দারা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও। যে কোন মুসলিমের জন্য তার কোন ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা জায়িয নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯১১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ يَلْتَقِيَانِ فَيُعْرِضُ هَذَا وَيُعْرِضُ هَذَا وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلاَمِ ‏”‏ ‏.

আবু আইয়ুব আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; কোন মুসলিমের জন্য তার কোন ভাইয়ের সঙ্গে (ঝগড়া করে) তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা বৈধ নয়। দু’জন পথিমধ্যে মুখোমুখি হলে একজন এদিকে এবং অপরজন অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এ দু’জনের মধ্যে যে প্রথমে সালাম দেয় সে-ই উত্তম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯১২

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلاَلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلاَثٍ فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلاَثٌ فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الأَجْرِ وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالإِثْمِ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ أَحْمَدُ ‏”‏ وَخَرَجَ الْمُسَلِّمُ مِنَ الْهِجْرَةِ ‏”‏ ‏.

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোন ইমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ের দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সওয়াব পাবে। তার দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহ্‌মাদ (রহঃ) – এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।৪৯১০

 

দুর্বলঃ গায়াতুল মারাম হা/৪০৫, ইরওয়া হা/২০২৯।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُنِيبِ، – يَعْنِي الْمَدَنِيَّ – قَالَ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَكُونُ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ مُسْلِمًا فَوْقَ ثَلاَثَةٍ فَإِذَا لَقِيَهُ سَلَّمَ عَلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ كُلُّ ذَلِكَ لاَ يَرُدُّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِإِثْمِهِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের তিন দিনের অধিক সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা উচিত নয়। অতঃপর সে তার দেখা পেয়ে তাকে তিনবার সালাম দিলে সে যদি একবারও উত্তর না দেয় তবে সে তার গুনাহসহ প্রত্যাবর্তন করলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَمَنْ هَجَرَ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَمَاتَ دَخَلَ النَّارَ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের তিন দিনের অধিক সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা হালাল নয়। অতঃপর যে ব্যক্তি তিন দিনের বেশি সময় সম্পর্ক ছিন্ন থাকা অবস্থায় মারা গেলো, সে জাহান্নামে প্রবেশ করলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯১৫

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ أَبِي خِرَاشٍ السُّلَمِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ هَجَرَ أَخَاهُ سَنَةً فَهُوَ كَسَفْكِ دَمِهِ ‏”‏ ‏.

আবু খিরাশ আস্‌-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ যে তার ভাইয়ের সাথে এক বছর সম্পর্ক ছিন্ন রাখলো সে যেন তাকে হত্যা করলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯১৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تُفْتَحُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ كُلَّ يَوْمِ اثْنَيْنِ وَخَمِيسٍ فَيُغْفَرُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمَيْنِ لِكُلِّ عَبْدٍ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا إِلاَّ مَنْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءُ فَيُقَالُ أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَجَرَ بَعْضَ نِسَائِهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا وَابْنُ عُمَرَ هَجَرَ ابْنًا لَهُ إِلَى أَنْ مَاتَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِذَا كَانَتِ الْهِجْرَةُ لِلَّهِ فَلَيْسَ مِنْ هَذَا بِشَىْءٍ وَإِنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ غَطَّى وَجْهَهُ عَنْ رَجُلٍ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খোলা হয়। অতঃপর ঐদিন আল্লাহ্‌র সাথে শির্‌ককারী ও দুই ভাইয়ে শত্রুতা পোষণকারীরা ছাড়া সকলকেই ক্ষমা করা হয়। বলা হয়, তোমরা এ দু’জনকে শত্রুতা ত্যাগ করার সুযোগ দাও। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চল্লিশ দিন যাবত তাঁর কোন এক স্ত্রীর হতে বিচ্ছিন্ন ছিলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমৃত্যু তাঁর এক পুত্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, সম্পর্কচ্ছেদ মহান আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকলে তাতে গুনাহ নেই। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) এক ব্যক্তি হয়ে তার চেহারা আড়াল করে রেখেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৬

সন্দেহ করা সম্পর্কে

৪৯১৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ وَلاَ تَحَسَّسُوا وَلاَ تَجَسَّسُوا ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবধান! তোমরা সন্দেহ করা হতে মুক্ত থাকো। কারণ সন্দেহ করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় মিথ্যাচার। পরস্পরের বিরুদ্ধে তথ্য তালাশ করো না এবং গোয়েন্দাগিরি করো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৭

আন্তরিকতা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে

৪৯১৮

حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمُؤْمِنُ مِرْآةُ الْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنُ أَخُو الْمُؤْمِنِ يَكُفُّ عَلَيْهِ ضَيْعَتَهُ وَيَحُوطُهُ مِنْ وَرَائِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক মু’মিন অপর মু’মিনের জন্য আয়নাস্বরূপ এবং এক মু’মিন অপর মু’মিনের ভাই। তারা একে অপরের ক্ষতি করা হতে রক্ষা করে এবং তার অনুপস্থিতিতে তাকে রক্ষা করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৮

পরষ্পরের মধ্যে মিমাংসা করা সম্পর্কে

৪৯১৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَفْضَلَ مِنْ دَرَجَةِ الصِّيَامِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّدَقَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِصْلاَحُ ذَاتِ الْبَيْنِ وَفَسَادُ ذَاتِ الْبَيْنِ الْحَالِقَةُ ‏”‏ ‏.‏

আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি কি তোমাদের সিয়াম, সালাত, সদাকাহ্‌র চেয়েও ফযিলত পূর্ণ কাজের কথা বলবো না? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তিনি বললেনঃ পরস্পরের মধ্যে মীমাংসা করা। আর পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া বাধানো ধ্বংসের কারণ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯২০

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شَبُّويَةَ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لَمْ يَكْذِبْ مَنْ نَمَى بَيْنَ اثْنَيْنِ لِيُصْلِحَ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَمُسَدَّدٌ ‏”‏ لَيْسَ بِالْكَاذِبِ مَنْ أَصْلَحَ بَيْنَ النَّاسِ فَقَالَ خَيْرًا أَوْ نَمَى خَيْرًا ‏”‏ ‏.‏

হুমাইদ ইবনু ‘আব্দুর রহমান (রহঃ) হতে তার মায়ের থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সে মিথ্যাবাদী নয় যে দু’জনের মধ্যে মীমাংসার জন্য কিছু কথা বাড়িয়ে বলে। আহ্‌মাদ ও মুসানাদ (রহঃ)– এর বর্ণনায় রয়েছেঃ যে ব্যক্তি লোকদের মধ্যে মীমাংসার জন্য কিছু উত্তম কথা বলে এবং কিছু বাড়িয়ে বলে, সে মিথ্যুক নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯২১

حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْجِيزِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، عَنْ نَافِعٍ، – يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ – عَنِ ابْنِ الْهَادِ، أَنَّ عَبْدَ الْوَهَّابِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عُقْبَةَ، قَالَتْ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرَخِّصُ فِي شَىْءٍ مِنَ الْكَذِبِ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ أَعُدُّهُ كَاذِبًا الرَّجُلُ يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ يَقُولُ الْقَوْلَ وَلاَ يُرِيدُ بِهِ إِلاَّ الإِصْلاَحَ وَالرَّجُلُ يَقُولُ فِي الْحَرْبِ وَالرَّجُلُ يُحَدِّثُ امْرَأَتَهُ وَالْمَرْأَةُ تُحَدِّثُ زَوْجَهَا ‏”‏ ‏.‏

. উম্মু কুলসুম বিনতু ‘উকবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, শুধু তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোথাও মিথ্যা বলার অনুমতি দিতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে আমি শুনিনি। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ যে ব্যক্তি সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যেসব কথা বলে থাকে সে কারণে তাকে আমি মিথ্যাবাদী মনে করি না। অনুরূপভাবে যুদ্ধের সময় কৌশল হিসেবে যেসব কথা বলা হয় এবং স্বামী স্ত্রীকে যা বলে এবং স্ত্রী স্বামীকে যা বলে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৫৯

গান গাওয়া নিষেধ হওয়া সম্পর্কে

৪৯২২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، عَنْ خَالِدِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ بْنِ عَفْرَاءَ، قَالَتْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ عَلَىَّ صَبِيحَةَ بُنِيَ بِي فَجَلَسَ عَلَى فِرَاشِي كَمَجْلِسِكَ مِنِّي فَجَعَلَتْ جُوَيْرِيَاتٌ يَضْرِبْنَ بِدُفٍّ لَهُنَّ وَيَنْدُبْنَ مَنْ قُتِلَ مِنْ آبَائِي يَوْمَ بَدْرٍ إِلَى أَنْ قَالَتْ إِحْدَاهُنَّ وَفِينَا نَبِيُّ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ دَعِي هَذِهِ وَقُولِي الَّذِي كُنْتِ تَقُولِينَ ‏”‏ ‏.‏

মু’আব্বিয্‌ ইবনু ‘আফরা (রাঃ) এর কন্যা রুবাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার বাসর রাতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আমার বিছানায় এমনভাবে বসলেন, যেমনটি তুমি (খালিদ) বসে আছো। অতঃপর কয়েকটি বালিকা তাদের দফ বাজিয়ে বদর যুদ্ধে শহীদ আমার পিতা ও চাচার সুনাম করছিলো। এক পর্যায়ে একটি বালিকা বললো, “আমাদের মাঝে এমন একজন নবী রয়েছেন, যিনি জানেন আগামীকাল কি হবে”। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা বর্জন করো, বরং আগে যা বলছিলে তাই বলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯২৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ لَعِبَتِ الْحَبَشَةُ لِقُدُومِهِ فَرَحًا بِذَلِكَ لَعِبُوا بِحِرَابِهِمْ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদিনাহ্‌য় আসলেন তখন আবিসিনীয়রা তাঁর আগমন উল্লাসে বল্লম খেলা প্রদর্শন করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬০

সঙ্গীত ও বাঁশি বাজানো নিন্দনীয়

৪৯২৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْغُدَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ سَمِعَ ابْنُ عُمَرَ، مِزْمَارًا – قَالَ – فَوَضَعَ أُصْبُعَيْهِ عَلَى أُذُنَيْهِ وَنَأَى عَنِ الطَّرِيقِ وَقَالَ لِي يَا نَافِعُ هَلْ تَسْمَعُ شَيْئًا قَالَ فَقُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ فَرَفَعَ أُصْبُعَيْهِ مِنْ أُذُنَيْهِ وَقَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَ مِثْلَ هَذَا فَصَنَعَ مِثْلَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عَلِيٍّ اللُّؤْلُؤِيُّ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ يَقُولُ هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ ‏.

নাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ইবনু’ উমার (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনতে পেয়ে উভয় কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গিয়ে আমাকে বললেন, হে নাফি’ তুমি কি কিছু শুনতে পাচ্ছো? বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, না। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি কান থেকে হাত তুলে বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি এ ধরনের শব্দ শুনে এরূপ করেছিলেন। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুনকার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯২৫

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُطْعِمُ بْنُ الْمِقْدَامِ، قَالَ حَدَّثَنَا نَافِعٌ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ ابْنِ عُمَرَ إِذْ مَرَّ بِرَاعٍ يَزْمُرُ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أُدْخِلَ بَيْنَ مُطْعِمٍ وَنَافِعٍ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى ‏.‏

নাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বাহনে ইবনু ‘উমারের (রাঃ) পিছনে ছিলাম। তিনি এক রাখালকে অতিক্রম করলেন যে বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছিল … অতঃপর পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৯২৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْمَلِيحِ، عَنْ مَيْمُونٍ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ ابْنِ عُمَرَ فَسَمِعَ صَوْتَ، زَامِرٍ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا أَنْكَرُهَا ‏.‏

নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা ইবনু’ উমার (রাঃ) সঙ্গে ছিলাম। তিনি বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ শুনতে পেলেন … অতঃপর পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, এটি অধিকতর মুনকার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯২৭

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ مِسْكِينٍ، عَنْ شَيْخٍ، شَهِدَ أَبَا وَائِلٍ فِي وَلِيمَةٍ فَجَعَلُوا يَلْعَبُونَ يَتَلَعَّبُونَ يُغَنُّونَ فَحَلَّ أَبُو وَائِلٍ حَبْوَتَهُ وَقَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الْغِنَاءُ يُنْبِتُ النِّفَاقَ فِي الْقَلْبِ ‏”‏ ‏.‏

সাল্লাম ইবনু মিসকীন (রহঃ) এক শাইখের সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

যিনি আবূ ওয়াইল(রহঃ)-এর সঙ্গে এক বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।তখন লোকেরা খেলাধূলা ও আনন্দ আর সঙ্গীতে মত্ত হল।আবূ ওয়াইল (রহঃ) হাত দিয়ে নিজ হাঁটুদ্বয় পেঁচিয়ে ধরে বললেন, আমি ‘আবদুল্লাহ(রাঃ)-কে বলতে শুনেছি,আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই সঙ্গীত অন্তরে কপটতা সৃষ্টি করে।

 

দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৮১০,যঈফাহ হা/২৪৩০।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬১

হিজড়া সম্পর্কে বিধান

৪৯২৮

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّ أَبَا أُسَامَةَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ مُفَضَّلِ بْنِ يُونُسَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ أَبِي يَسَارٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِمُخَنَّثٍ قَدْ خَضَبَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ بِالْحِنَّاءِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا بَالُ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَتَشَبَّهُ بِالنِّسَاءِ ‏.‏ فَأُمِرَ بِهِ فَنُفِيَ إِلَى النَّقِيعِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَقْتُلُهُ فَقَالَ ‏”‏ إِنِّي نُهِيتُ عَنْ قَتْلِ الْمُصَلِّينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو أُسَامَةَ وَالنَّقِيعُ نَاحِيَةٌ عَنِ الْمَدِينَةِ وَلَيْسَ بِالْبَقِيعِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন একদিন এক হিজড়াকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আনা হলো। তার হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙ্গানো ছিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এর এ অবস্থা কেনো? বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সে নারীর বেশ ধরেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে আন-নকী নামক স্থানে নির্বাসন দেয়ার নির্দেশ দিলেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাকে হত্যা করবো না? তিনি বললেন, সলাত আদায়কারীদের হত্যা করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আবূ-উসামাহ বলেন, আন-নাফী’ হলো মাদীনাহ্‌ এর প্রান্তবর্তী একটি জনপদ, এটা বাকী’ নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯২৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، – يَعْنِي ابْنَ عُرْوَةَ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا مُخَنَّثٌ وَهُوَ يَقُولُ لِعَبْدِ اللَّهِ أَخِيهَا إِنْ يَفْتَحِ اللَّهُ الطَّائِفَ غَدًا دَلَلْتُكَ عَلَى امْرَأَةٍ تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْمَرْأَةُ كَانَ لَهَا أَرْبَعُ عُكَنٍ فِي بَطْنِهَا ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম),তখন তার নিকট এক হিজড়া উপস্থিত ছিলো। সে তার ভাই ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলছিলো, আল্লাহ্‌ আগামীতে তায়েফ বিজয় দান করলে আমি অবশ্যই এমন এক মহিলাকে দেখাবো, যে চার ভাঁজে সামনে আসে এবং আট ভাঁজে পিছনে যায়।তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা এদেরকে তোমাদের ঘর থেকে তাড়িয়ে দাও। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ঐ নারীর পেটে চার ভাঁজ ছিলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৩০

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ الْمُخَنَّثِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالْمُتَرَجِّلاَتِ مِنَ النِّسَاءِ وَقَالَ ‏ “‏ أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ وَأَخْرِجُوا فُلاَنًا وَفُلاَنًا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الْمُخَنَّثِينَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ দিয়েছেন পুরুষ ও নারী হিজড়াকে যারা পুরুষ সাজে।তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে হতে বের করে দাও এবং অমুক অমুক হিজড়াকেও বের করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬২

পুতুল দ্বারা খেলা করা

৪৯৩১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ فَرُبَّمَا دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدِي الْجَوَارِي فَإِذَا دَخَلَ خَرَجْنَ وَإِذَا خَرَجَ دَخَلْنَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি অন্যান্য বালিকাদের সঙ্গে নিয়ে পুতুল খেলা করতাম। কখনো রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ অবস্থায় আমার ঘরে আসতেন। তিনি প্রবেশ করলে বালিকারা বেরিয়ে যেতো এবং তিনি চলে গেলে তারা পুনরায় প্রবেশ করতো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৩২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَوْ خَيْبَرَ وَفِي سَهْوَتِهَا سِتْرٌ فَهَبَّتْ رِيحٌ فَكَشَفَتْ نَاحِيَةَ السِّتْرِ عَنْ بَنَاتٍ لِعَائِشَةَ لُعَبٍ فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ بَنَاتِي ‏.‏ وَرَأَى بَيْنَهُنَّ فَرَسًا لَهُ جَنَاحَانِ مِنْ رِقَاعٍ فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذَا الَّذِي أَرَى وَسْطَهُنَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَرَسٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَمَا هَذَا الَّذِي عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ جَنَاحَانِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَرَسٌ لَهُ جَنَاحَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ أَمَا سَمِعْتَ أَنَّ لِسُلَيْمَانَ خَيْلاً لَهَا أَجْنِحَةٌ قَالَتْ فَضَحِكَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবূক অথবা খায়বারের যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তন করলেন। ঘরের তাকের উপর পর্দা ঝুলানো ছিল। বায়ু প্রবাহের ফলে তার এক পাশ সরে যায় যাতে তার খেলার পুতুলগুলো দৃশ্যমান হয়ে পড়ে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুতুলগুলো দেখে বললেন, হে ‘আয়িশাহ! এগুলো কি? উত্তরে তিনি বললেন, এগুলো আমার মেয়ে। আর তিনি এগুলোর মধ্যে কাপড়ের তৈরী দুই ডানাবিশিষ্ট একটি ঘোড়াও দেখতে পেলেন। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ এগুলোর মধ্যে ওটা কি দেখতে পাচ্ছি? তিনি বললেন, ঘোড়া। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তার উপর আবার ওটা কি? তিনি বললেন, দু’টো পাখা। তিনি বললেন, এ আবার কেমন ঘোড়া, যার পাখা আছে! আমি বললাম, আপনি কি শুনেননি যে, সুলাইমান (আ)-এর ঘোড়ার কয়েকটি পাখা ছিল! ‘আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন, যাতে আমি তাঁর সামনের সারির দাঁত দেখতে পেলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৩

দোলনা সম্বন্ধে

৪৯৩৩

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَنِي وَأَنَا بِنْتُ سَبْعِ سِنِينَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ أَتَيْنَ نِسْوَةٌ – وَقَالَ بِشْرٌ فَأَتَتْنِي أُمُّ رُومَانَ – وَأَنَا عَلَى أُرْجُوحَةٍ فَذَهَبْنَ بِي وَهَيَّأْنَنِي وَصَنَعْنَنِي فَأُتِيَ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَنَى بِي وَأَنَا ابْنَةُ تِسْعٍ فَوَقَفَتْ بِي عَلَى الْبَابِ فَقُلْتُ هِيهْ هِيهْ – قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَىْ تَنَفَّسَتْ – فَأُدْخِلْتُ بَيْتًا فَإِذَا فِيهِ نِسْوَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقُلْنَ عَلَى الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ ‏.‏ دَخَلَ حَدِيثُ أَحَدِهِمَا فِي الآخَرِ ‏.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার ছয় বা সাত বছর বয়সে (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)) আমাকে বিয়ে করেন। আমরা মদিনায় আগমন করলে একদল মহিলা আসলেন। বর্ণনাকারী বিশরের বর্ণনায় রয়েছেঃ আমার নিকট (আমার মা) উম্মু রূমান (রাঃ) আসলেন, তখন আমি দোলনায় দোল খাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন, আমাকে প্রস্তুত করলেন এবং পোশাক পরিয়ে সাজালেন। অতঃপর আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেশ করা হলো। তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করলেন, তখন আমার বয়স নয় বছর। মা আমাকে ঘরের দরজায় দাড় করালেন এবং আমি উচ্চহাসি দিলাম। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ আমার মাসিক ঋতু হয়েছে। আমাকে একটি ঘরে প্রবেশ করানো হলো। তাতে আনসার গোত্রের একদল মহিলা উপস্থিত ছিলেন। তারা আমার জন্য কল্যাণ ও বরকত কামনা করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৩৪

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، مِثْلَهُ قَالَ عَلَى خَيْرِ طَائِرٍ فَسَلَّمَتْنِي إِلَيْهِنَّ فَغَسَلْنَ رَأْسِي وَأَصْلَحْنَنِي فَلَمْ يَرُعْنِي إِلاَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضُحًى فَأَسْلَمْنَنِي إِلَيْهِ ‏.‏

আবূ উসামাহ (রহঃ) হতে থেকে বর্ণিতঃ

. আবূ উসামাহ (রহঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। এতে রয়েছেঃ তারা আমার সৌভাগ্য কামনা করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আনসার মহিলাদের নিকট সোর্পদ করলেন। তারা আমার মাথা ধৌত করলেন এবং আমাকে পরিপাটি করলেন। পূর্বাহ্নে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত কেউই আমার নিকট আসেনি। অতএব তারা আমাকে তাঁর নিকট সোর্পদ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৩৫

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها، قَالَتْ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ جَاءَنِي نِسْوَةٌ وَأَنَا أَلْعَبُ عَلَى أُرْجُوحَةٍ وَأَنَا مُجَمَّمَةٌ فَذَهَبْنَ بِي فَهَيَّأْنَنِي وَصَنَّعْنَنِي ثُمَّ أَتَيْنَ بِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَنَى بِي وَأَنَا ابْنَةُ تِسْعِ سِنِينَ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা মদিনায় আসলাম তখন মহিলারা আমার নিকট এলো, এ সময় আমি দোলনায় খেলছিলাম। আমার মাথায় ঘন কালো ও লম্বা চুল ছিলো। তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে এলো। তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করেন। তখন আমার বয়স ছিলো নয় বছর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৩৬

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، بِإِسْنَادِهِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَتْ وَأَنَا عَلَى الأُرْجُوحَةِ، وَمَعِي، صَوَاحِبَاتِي فَأَدْخَلْنَنِي بَيْتًا فَإِذَا نِسْوَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقُلْنَ عَلَى الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ ‏.‏

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ (রহঃ) তার সানাদে এ বর্ণনা করেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি আমার বান্ধবীকে নিয়ে দোলনায় ছিলাম। অতঃপর আমাকে এক ঘরে প্রবেশ করানো হলো, সেখানে আনসারদের মহিলারা উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর তারা আমাকে কল্যাণ ও বরকতের শুভেচ্ছা জানালেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৩৭

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – عَنْ يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ – قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَنَزَلْنَا فِي بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ – قَالَتْ – فَوَاللَّهِ إِنِّي لَعَلَى أُرْجُوحَةٍ بَيْنَ عَذْقَيْنِ فَجَاءَتْنِي أُمِّي فَأَنْزَلَتْنِي وَلِي جُمَيْمَةٌ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏

ইয়াহ্‌য়া ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু হাতিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমরা মদিনায় আগমন করে হারিস ইবনুল খায়রায গোত্রে আসি। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমি দু’টি খেজুর গাছের মধ্যে দোলনায় উপর ছিলাম, আমার মাথার ঘন ও লম্বা চুল ছিল। তারপর আমার মা এসে আমাকে নামালেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৪

পাশা খেলা নিষেধ

৪৯৩৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পাশা খেললো সে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৩৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيرِ فَكَأَنَّمَا غَمَسَ يَدَهُ فِي لَحْمِ خِنْزِيرٍ وَدَمِهِ ‏”‏ ‏.‏

সুলাইমান ইবনু বুরাইদাহ(রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পাশা খেললো সে যেন শূকরের মাংস ও রক্তের মধ্যে হাত ডুবালো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৫

কবুতর নিয়ে খেলা করা সম্পর্কে

৪৯৪০

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يَتْبَعُ حَمَامَةً فَقَالَ ‏ “‏ شَيْطَانٌ يَتْبَعُ شَيْطَانَةً ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূসলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে একটি কবুতরের পিছু ধাওয়া করতে দেখে বললেনঃ এক শয়তান আরেক শয়তানীর অনুসরণ করছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৬

করুনা সম্পর্কে

৪৯৪১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُسَدَّدٌ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي قَابُوسَ، مَوْلًى لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الرَّاحِمُونَ يَرْحَمُهُمُ الرَّحْمَنُ ارْحَمُوا أَهْلَ الأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ لَمْ يَقُلْ مُسَدَّدٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَقَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দয়াশীলদের উপর করুণাময় আল্লাহ্‌ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদেরকে দয়া করবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৪২

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنَا ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ مَنْصُورٌ – قَالَ ابْنُ كَثِيرٍ فِي حَدِيثِهِ وَقَرَأْتُهُ عَلَيْهِ وَقُلْتُ أَقُولُ حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ فَقَالَ إِذَا قَرَأْتَهُ عَلَىَّ فَقَدْ حَدَّثْتُكَ بِهِ ثُمَّ اتَّفَقَا – عَنْ أَبِي عُثْمَانَ مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ الصَّادِقَ الْمَصْدُوقَ صلى الله عليه وسلم صَاحِبَ هَذِهِ الْحُجْرَةِ يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تُنْزَعُ الرَّحْمَةُ إِلاَّ مِنْ شَقِيٍّ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃত এই হুজরার মালিক আবুল ক্বাসিম (রহঃ) কে বলতে শুনেছিঃ হতভাগা ছাড়া অন্য কারো থেকে দয়ামায়া উঠিয়ে নেয়া হয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৪৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنِ ابْنِ عَامِرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، يَرْوِيهِ – قَالَ ابْنُ السَّرْحِ – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيَعْرِفْ حَقَّ كَبِيرِنَا فَلَيْسَ مِنَّا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দেরকে সম্মান করে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৭

নসীহত সম্পর্কে

৪৯৪৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لِمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ لِلَّهِ وَكِتَابِهِ وَرَسُولِهِ وَأَئِمَّةِ الْمُؤْمِنِينَ وَعَامَّتِهِمْ وَأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

তামীম আদ্‌-দারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও সুপরামর্শ; দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও সুপরামর্শ; দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও সুপরামর্শ; সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল!কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল, মু’মিন বা মুসলিম নেতাগণ এবং সর্ব সাধারণের জন্য।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৪৫

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَأَنْ أَنْصَحَ لِكُلِّ مُسْلِمٍ – قَالَ – وَكَانَ إِذَا بَاعَ الشَّىْءَ أَوِ اشْتَرَاهُ قَالَ ‏ “‏ أَمَا إِنَّ الَّذِي أَخَذْنَا مِنْكَ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِمَّا أَعْطَيْنَاكَ فَاخْتَرْ ‏”‏ ‏.‏

জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, শ্রবণ, অনুসরণ ও প্রত্যেক মুসলিমের কল্যাণ কামনার জন্য বাই‘আত গ্রহণ করেছি। বর্ণনাকারী বলেন, জারীর (রাঃ) কোন কিছু বিক্রি করলে বা কিনলে বলতেন, আমি যা আপনার কাছ হতে কিনেছি তা আমার নিকট আপনাকে যা দিয়েছি তার চেয়ে অধিক পছন্দনীয়। সুতরাং আপনার স্বাধীনতা থাকলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৮

মুসলিমকে সাহায্য করা

৪৯৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، وَعُثْمَانُ، ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ – الْمَعْنَى قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، قَالَ عُثْمَانُ وَجَرِيرٌ الرَّازِيُّ ح وَحَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، – وَقَالَ وَاصِلٌ قَالَ حُدِّثْتُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، ثُمَّ اتَّفَقُوا – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ – وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ عَلَى مُسْلِمٍ سَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ عُثْمَانُ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ ‏”‏ وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে দুনিয়ার বিপদসমূহের মধ্যকার কোন বিপদ হতে রক্ষা করবে, এর প্রতিদানে আল্লাহ্‌ ক্বিয়ামাতের দিনের বিপদসমূহের কোন বিপদ হতে তাকে রক্ষা করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন গরীব লোকের সঙ্গে (পাওনা আদায়ে) নম্র ব্যবহার করবে, আল্লাহ্‌ তার সঙ্গে দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় স্থানে নম্র ব্যবহার করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন করে রাখবে আল্লাহ্‌ও তার দোষত্রুটি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানে গোপন রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহ্‌ও ততক্ষণ তাঁর বান্দার সাহায্য করেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উসমান (রহঃ), আবূ মু‘আবিয়াহ (রহঃ) সূত্রে “যে ব্যক্তি গরীব ব্যক্তির সঙ্গে নম্র ব্যবহার করবে …” এ কথাটুকু উল্লেখ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ ‏”‏ ‏.‏

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক ভাল কাজই একটি সদাক্বাহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৬৯

নাম পরির্বতন করা

৪৯৪৮

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زَكَرِيَّاءَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ ابْنُ أَبِي زَكَرِيَّاءَ لَمْ يُدْرِكْ أَبَا الدَّرْدَاءِ ‏.

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন তোমাদেরকে, তোমাদের ও তোমাদের পিতাদের নাম ধরে ডাকা হবে। তাই তোমরা তোমাদের সুন্দর নামকরণ করো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী ইবনু আবূ যাকরিয়া (রহঃ) আবূ দারদার (রাঃ) সাক্ষাৎ পাননি।৪৯৪৬

 

দুর্বল: মিশকাত হা/৪৭৬৮, যঈফাহ হা/৫৪৬০।

  •  
  •  
  •  
  •  

৪৯৪৬দারিমী, আহমাদ। এর সানাদে বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৪৯

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ زِيَادٍ، سَبَلاَنُ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো ‘আব্দুল্লাহ এবং ‘আব্দুর রহমান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৫০

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعِيدٍ الطَّالْقَانِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَقِيلُ بْنُ شَبِيبٍ، عَنْ أَبِي وَهْبٍ الْجُشَمِيِّ، وَكَانَتْ، لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَسَمَّوْا بِأَسْمَاءِ الأَنْبِيَاءِ وَأَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَصْدَقُهَا حَارِثٌ وَهَمَّامٌ وَأَقْبَحُهَا حَرْبٌ وَمُرَّةُ ‏”‏ ‏.

আবূ ওয়াহব আল্-জিশামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নবী-রাসূলগণের নামে নামকরণ করো। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো ‘আব্দুল্লাহ ও ‘আব্দুর রহমান। নামের মাঝে হারিস ও হাম্মাম হলো বিশ্বস্ত নাম এবং হারব ও মুররাহ হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট নাম।

 

সহীহ, তার এ কথাটি বাদে: “তোমরা নবী-রাসূলগণের নামে নামকরণ করো”।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৫১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ ذَهَبْتُ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ وُلِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي عَبَاءَةٍ يَهْنَأُ بَعِيرًا لَهُ قَالَ ‏”‏ هَلْ مَعَكَ تَمْرٌ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ – قَالَ – فَنَاوَلْتُهُ تَمَرَاتٍ فَأَلْقَاهُنَّ فِي فِيهِ فَلاَكَهُنَّ ثُمَّ فَغَرَ فَاهُ فَأَوْجَرَهُنَّ إِيَّاهُ فَجَعَلَ الصَّبِيُّ يَتَلَمَّظُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ حِبُّ الأَنْصَارِ التَّمْرُ ‏”‏ ‏.‏ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ ত্বালহার (রাঃ) পুত্র ‘আব্দুল্লাহকে তাঁর জন্মগ্রহণের পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে যাই। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি উলের আলখাল্লা পরা ছিলেন এবং তাঁর উটের গায়ে তৈল মালিশ করছিলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, তোমার সঙ্গে কি খেজুর আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি তাঁকে কয়েকটি খেজুর দিলাম। তিনি ঐ খেজুরগুলো তাঁর মুখে দিয়ে চিবালেন এং তাঁর মুখ হতে শিশুর মুখ খুলে তাতে দিলেন। তখন শিশুটি তাঁর মুখ নাড়তে শুরু করে এবং খাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআনসারদের পছন্দনীয় খাদ্য হলো খেজুর এবং শিশুটির নাম রাখলেন ‘আব্দুল্লাহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭০

মন্দ নাম পরিবর্তন করা

৪৯৫২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيَّرَ اسْمَ عَاصِيَةَ وَقَالَ ‏ “‏ أَنْتِ جَمِيلَةُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমার (রাঃ) এর কন্যা আসিয়ার নাম পরিবর্তন করে বলেন, তোমার নাম হলো জামীলাহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৫৩

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، سَأَلَتْهُ مَا سَمَّيْتَ ابْنَتَكَ قَالَ سَمَّيْتُهَا بَرَّةَ فَقَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ هَذَا الاِسْمِ سُمِّيتُ بَرَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمُ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ مَا نُسَمِّيهَا قَالَ ‏”‏ سَمُّوهَا زَيْنَبَ ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মদ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যাইনাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করেন, তোমার মেয়ের কি নাম রেখেছো? তিনি বললেন, আমি, তার নাম রেখেছি বাররা (পুণ্যবতী)। অত:পর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ধরনের নাম রাখতে বারণ করেছেন। আমার নামও বাররা রাখা হয়েছিলো। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “তোমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ দাবি করো না। কেননা আল্লাহই ভাল জানেন, তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান”। অত:পর তিনি বললেন, আমি এর কি নাম রাখবো? নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এর নাম রাখো যাইনাব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৯৫৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ – قَالَ حَدَّثَنِي بَشِيرُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ عَمِّهِ، أُسَامَةَ بْنِ أَخْدَرِيٍّ أَنَّ رَجُلاً، يُقَالُ لَهُ أَصْرَمُ كَانَ فِي النَّفَرِ الَّذِينَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا اسْمُكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَا أَصْرَمُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ بَلْ أَنْتَ زُرْعَةُ ‏”‏ ‏.

উসামাহ ইবনু আখদারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক লোকের নাম ছিল আসরাম (কর্কশ)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করলেন, তোমার নাম কি? তিনি বললেন, আমি আসরাম। তিনি বললেনঃনা, এ নাম ঠিক নয়, বরং তুমি যুর’আহ (শস্যদানা)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৫৫

حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ يَزِيدَ، – يَعْنِي ابْنَ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، شُرَيْحٍ عَنْ أَبِيهِ، هَانِئٍ أَنَّهُ لَمَّا وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ قَوْمِهِ سَمِعَهُمْ يَكْنُونَهُ بِأَبِي الْحَكَمِ فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَكَمُ وَإِلَيْهِ الْحُكْمُ فَلِمَ تُكْنَى أَبَا الْحَكَمِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّ قَوْمِي إِذَا اخْتَلَفُوا فِي شَىْءٍ أَتَوْنِي فَحَكَمْتُ بَيْنَهُمْ فَرَضِيَ كِلاَ الْفَرِيقَيْنِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا أَحْسَنَ هَذَا فَمَا لَكَ مِنَ الْوَلَدِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لِي شُرَيْحٌ وَمُسْلِمٌ وَعَبْدُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَمَنْ أَكْبَرُهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ شُرَيْحٌ قَالَ ‏”‏ فَأَنْتَ أَبُو شُرَيْحٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ شُرَيْحٌ هَذَا هُوَ الَّذِي كَسَرَ السِّلْسِلَةَ وَهُوَ مِمَّنْ دَخَلَ تُسْتَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَبَلَغَنِي أَنَّ شُرَيْحًا كَسَرَ بَابَ تُسْتَرَ وَذَلِكَ أَنَّهُ دَخَلَ مِنْ سِرْبٍ ‏.

হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি যখন তার গোত্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার গোত্রের লোকদেরকে তাকে আবূল হাকাম উপনামে ডাকতে শুনে তাকে ডেকে বললেন, আল্লাহই হলেন হাকাম এবং তাঁর নিকটই ন্যায়বিচার ও নির্দেশ। তোমার উপনাম কি করে আবূল হাকাম হলো? তিনি বললেন, আমার গোত্রের লোকজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে তারা মীমাংসার জন্য আমার নিকট আসে। আমি যে সিদ্ধান্ত দেই তাতে তারা উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটাতো খুবই উত্তম কাজ! তোমার কি কোন সন্তান আছে? হানী (রাঃ) বললেন, শুরাইহ, মুসলিম ও আব্দুল্লাহ নামে আমার তিনটি ছেলে আছে। তিনি বললেন, এদের মধ্যে বড় কে? আমি বললাম, শুরাইহ। তিনি বললেন, তাহলে তুমি আবূ শুরাইহ। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইনি হলেন সেই শুরাইহ (রাঃ) যিনি শিকল ভেঙ্গেছিলেন এবং তুসতার (দুর্গে) প্রবেশ করেছিলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, শুরাইহ (রাঃ) তুসতার দুর্গের প্রবেশ পথ ভেঙ্গে ফেলেন এবং একটি সুড়ঙ্গ পথে তাতে প্রবেশ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৫৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ‏”‏ مَا اسْمُكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حَزْنٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنْتَ سَهْلٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ السَّهْلُ يُوطَأُ وَيُمْتَهَنُ ‏.‏ قَالَ سَعِيدٌ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُصِيبُنَا بَعْدَهُ حُزُونَةٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَغَيَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اسْمَ الْعَاصِ وَعَزِيزٍ وَعَتَلَةَ وَشَيْطَانٍ وَالْحَكَمِ وَغُرَابٍ وَحُبَابٍ وَشِهَابٍ فَسَمَّاهُ هِشَامًا وَسَمَّى حَرْبًا سَلْمًا وَسَمَّى الْمُضْطَجِعَ الْمُنْبَعِثَ وَأَرْضًا تُسَمَّى عَفِرَةَ سَمَّاهَا خَضِرَةَ وَشِعْبَ الضَّلاَلَةِ سَمَّاهُ شِعْبَ الْهُدَى وَبَنُو الزِّنْيَةِ سَمَّاهُمْ بَنِي الرِّشْدَةِ وَسَمَّى بَنِي مُغْوِيَةَ بَنِي رِشْدَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ تَرَكْتُ أَسَانِيدَهَا لِلاِخْتِصَارِ ‏.

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ) হতে তার পিতা এবং তার দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার নাম কি? তিনি বললেন, হাযন (কর্কশ)। তিনি (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমার নাম সাহল (সহজ)। তিনি বললেন, না, কারণ সহজ-সরলকে পদদলিত করা হয়, অপমান করা হয়। বর্ণনাকারী সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমি ধারণা করলাম যে, অচিরেই আমাদের উপর বিপদ বা কঠোরতা নেমে আসতে পারে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আস (অবাধ্য), আযীয (পরাক্রমশালী), আতলাহ (কর্কশ), শয়তান, হাকাম (বিচারক), গুরাব (কাক) হুবাব (সাপ) ও শিহাব (উল্কা) নামকে পরিবর্তন করে রেখেছেন হিশাম (বিধ্বস্তকারী)। তিনি হারব (যুদ্ধ) এর পরিবর্তে সালাম (শান্তি) মুনবাইস (শয়নকারী) কে মুদতাদি (জাগরিত), আফিরাহ (অনুর্বর) নামক এলাকাকে খাদিরাহ (সবুজ), আদ-দালালাহ (বিপথ) উপত্যকাকে আল-হুদা (হিদায়াতের পথ), বনূ যানিয়াহ (জারজ সন্তান) এর নাম বনূর-রিশদাহ (নির্মল সন্তান) এবং বনু মুগবিয়াহ (বিপথগামী নারীর সন্তান) এর বনূ রিশদা (হিদায়াতপ্রাপ্ত নারীর সন্তান) নামকরণ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৫৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا مُجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ لَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ مَنْ أَنْتَ قُلْتُ مَسْرُوقُ بْنُ الأَجْدَعِ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الأَجْدَعُ شَيْطَانٌ ‏”‏ ‏.‏

মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি বললেন, তুমি কে? আমি বললাম, মাসরূক ইবনুল আজদা’। উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: আল-আজদা হলো একটি শয়তান। [৪৯৫৫]

 

দুর্বল: মিশকাত হা/৪৭৬৭।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৯৫৫] ইবনু মাজাহ, আহমাদ, হাকিম। সানাদে মুজালিদ বিন সাঈদ শক্তিশালী নন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৫৮

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ رَبِيعِ بْنِ عُمَيْلَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تُسَمِّيَنَّ غُلاَمَكَ يَسَارًا وَلاَ رَبَاحًا وَلاَ نَجِيحًا وَلاَ أَفْلَحَ فَإِنَّكَ تَقُولُ أَثَمَّ هُوَ فَيَقُولُ لاَ إِنَّمَا هُنَّ أَرْبَعٌ فَلاَ تَزِيدَنَّ عَلَىَّ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি তোমার সন্তানের নাম উয়াসার (সম্পদ), রাবাহ (মুনাফা), নাজীহ (সফল) বা আফলাহা (কৃতকার্য) রাখবে না। কারণ তুমি যখন প্রশ্ন করবে, সে কি এখানে আছে, জবাবদাতা বলবে, না। সামুরাহ (রাঃ) বলেন, চারটি নাম উল্লেখ করা হলো। আমার নিকট এর অতিরিক্ত প্রশ্ন করো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৫৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ الرُّكَيْنَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُسَمِّيَ رَقِيقَنَا أَرْبَعَةَ أَسْمَاءٍ أَفْلَحَ وَيَسَارًا وَنَافِعًا وَرَبَاحًا ‏.‏

সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দাসদের নামকরণের ক্ষেত্রে চারটি নাম রাখতে বারণ করেছেন: আফলাহ, ইয়াসার, নাফি’ ও রাবাহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৬০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ أَنْهَى أُمَّتِي أَنْ يُسَمُّوا نَافِعًا وَأَفْلَحَ وَبَرَكَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ الأَعْمَشُ وَلاَ أَدْرِي ذَكَرَ نَافِعًا أَمْ لاَ ‏”‏ فَإِنَّ الرَّجُلَ يَقُولُ إِذَا جَاءَ أَثَمَّ بَرَكَةٌ فَيَقُولُونَ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ لَمْ يَذْكُرْ بَرَكَةَ ‏.‏

জাবির থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইনশাআল্লাহ যদি আমি জীবিত থাকি তবে আমার উম্মাতকে নাফি, আফলাহ, বারকাত এরূপ নামকরণ করতে বারণ করবো। আমাশ (রহঃ) বলেন, আমি অবহিত নই যে, তিনি নাফি নামটি উল্লেখ করেছেন কিনা। কারণ কোন লোক এসে যখন প্রশ্ন করে, বরকত এখানে আছে কি? লোকে বলে, না। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ যুবাইর (রহঃ) জাবির (রাঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন, তবে তাতে বারাকাত নাম উল্লেখ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৬১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ أَخْنَعُ اسْمٍ عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ تَسَمَّى مَلِكَ الأَمْلاَكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ بِإِسْنَادِهِ قَالَ ‏”‏ أَخْنَى اسْمٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ক্বিয়ামাতের দিন মহান আল্লাহর নিকট ঐ ব্যক্তির নামই সবচেয়ে নিকৃষ্ট হবে যার নাম রাখা হয় মালিকুল আমলাক (রাজাধিরাজ)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭১

উপনাম সম্পর্কে

৪৯৬২

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو جُبَيْرَةَ بْنُ الضَّحَّاكِ، قَالَ فِينَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي بَنِي سَلِمَةَ ‏{‏ وَلاَ تَنَابَزُوا بِالأَلْقَابِ بِئْسَ الاِسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الإِيمَانِ ‏}‏ قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَيْسَ مِنَّا رَجُلٌ إِلاَّ وَلَهُ اسْمَانِ أَوْ ثَلاَثَةٌ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ يَا فُلاَنُ ‏”‏ ‏.‏ فَيَقُولُونَ مَهْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَغْضَبُ مِنْ هَذَا الاِسْمِ فَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ وَلاَ تَنَابَزُوا بِالأَلْقَابِ ‏}‏ ‏.‏

আবূ জুরাইরা ইবনুদ দাহহাক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের বনী সালিমাহ সম্পর্কে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়: “তোমরা একে অপরকে মন্দ উপাধিতে ডেকো না। কারণ ঈমানের পর মন্দ নামে ডাকা পাপাচারের অন্তর্ভুক্ত” (সূরাহ আল হুজরাত: ১১) বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আমাদের মাঝে আগমন করেন তখন আমাদের প্রত্যেকেরই দুই-তিনটা করে নাম ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “হে অমুক” এভাবে ডাকলে তারা বলতেন, হে আল্লাহর রাসূল! থামুন, সে ব্যক্তি এ নামে ডাকলে অসন্তুষ্ট হবে। অতঃপর এ আয়াত নাযিল হলো: “তোমরা একে অন্যকে মন্দ উপাধিতে ডেকো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭২

আবূ ঈসা উপনাম রাখা

৪৯৬৩

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رضى الله عنه ضَرَبَ ابْنًا لَهُ تَكَنَّى أَبَا عِيسَى وَأَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ تَكَنَّى بِأَبِي عِيسَى فَقَالَ لَهُ عُمَرُ أَمَا يَكْفِيكَ أَنْ تُكَنَّى بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَنَّانِي فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ وَإِنَّا فِي جَلْجَلَتِنَا فَلَمْ يَزَلْ يُكْنَى بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ حَتَّى هَلَكَ ‏.‏

যায়িদ ইবনু আসলাম (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উমার (রাঃ) তার এক ছেলে আবূ ঈসা উপনাম করায় তাকে প্রহার করেন। মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ)-এর উপনাম ছিল আবূ ঈসা। উমার (রাঃ) তাকে বললেন, তোমার উপনাম পাল্টে আবূ আব্দুল্লাহ রাখলে কি যথেষ্ট নয়? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এ উপনাম দিয়েছেন। উমার (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পূর্বাপরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। আর আমরা তো উদ্বিগ্ন আছি। এরপর হতে মৃত্যু পর্যন্ত তার পদবী আবূ ‘আব্দুল্লাহ ছিল। [৪৯৬১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৯৬১] বায়হাক্বী।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৩

অন্যের পুত্রকে ‘হে আমার পত্র’ বলা সম্পর্কে

৪৯৬৪

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا ح، وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، – وَسَمَّاهُ ابْنُ مَحْبُوبٍ الْجَعْدَ – عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ‏ “‏ يَا بُنَىَّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ يُثْنِي عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَحْبُوبٍ وَيَقُولُ كَثِيرُ الْحَدِيثِ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ‘হে আমার পুত্র’ বলে সম্বোধন করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৪

কারো আবুল ক্বাসিম উপনাম রাখা সম্পর্কে

৪৯৬৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَبُو صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَكَذَلِكَ رِوَايَةُ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ وَسَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ جَابِرٍ وَسُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرٍ نَحْوَهُمْ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখো কিন্তু আমার উপনামে উপনাম রেখো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৫

কারো একই সঙ্গে নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাম ও উপনাম গ্রহণ ঠিক নয়

৪৯৬৬

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ تَسَمَّى بِاسْمِي فَلاَ يَكْتَنِي بِكُنْيَتِي وَمَنْ تَكَنَّى بِكُنْيَتِي فَلاَ يَتَسَمَّى بِاسْمِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى بِهَذَا الْمَعْنَى ابْنُ عَجْلاَنَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مُخْتَلِفًا عَلَى الرِّوَايَتَيْنِ وَكَذَلِكَ رِوَايَةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ اخْتُلِفَ فِيهِ رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ جُرَيْجٍ عَلَى مَا قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ وَرَوَاهُ مَعْقِلُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ عَلَى مَا قَالَ ابْنُ سِيرِينَ وَاخْتُلِفَ فِيهِ عَلَى مُوسَى بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَيْضًا عَلَى الْقَوْلَيْنِ اخْتَلَفَ فِيهِ حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ وَابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার নামানুসারে তার নাম রাখবে সে যেন আমার উপনামে তার উপনাম না রাখে। আর যে ব্যক্তি আমার উপনামে উপনাম গ্রহণ করবে সে যেন আমার নামে তার নাম না রাখে।

  •  
  •  
  •  
  •  

৪৯৬৪ তিরমিযী, আহমাদ।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৬

নাম ও উপনাম উভয়টি একত্রে গ্রহণের অনুমুতি প্রসঙ্গে

৪৯৬৭

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ فِطْرٍ، عَنْ مُنْذِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ رَحِمَهُ اللَّهُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ وُلِدَ لِي مِنْ بَعْدِكَ وَلَدٌ أُسَمِّيهِ بِاسْمِكَ وَأُكْنِيهِ بِكُنْيَتِكَ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ قَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। আপনার ইন্তিকালের পরে আমার যদি কোন পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাহলে আমি কি তার নাম ও উপনাম আপনার নাম ও উপনামে রাখবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী আবূ বাকর (রহঃ)-এর বর্ণনায় ‘আমি বললাম’ কথাটি নেই, রয়েছে আলী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯৬৮

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِمْرَانَ الْحَجَبِيُّ، عَنْ جَدَّتِهِ، صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ وَلَدْتُ غُلاَمًا فَسَمَّيْتُهُ مُحَمَّدًا وَكَنَّيْتُهُ أَبَا الْقَاسِمِ فَذُكِرَ لِي أَنَّكَ تَكْرَهُ ذَلِكَ فَقَالَ ‏”‏ مَا الَّذِي أَحَلَّ اسْمِي وَحَرَّمَ كُنْيَتِي ‏”‏ ‏.‏ أَوْ ‏”‏ مَا الَّذِي حَرَّمَ كُنْيَتِي وَأَحَلَّ اسْمِي ‏”‏ ‏.

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আমি একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছি এবং তার নাম রেখেছি মুহাম্মাদ আর উপনাম রেখেছি আবূল ক্বালিম। আমাকে বলা হয়েছে, আপনি এরূপ পছন্দ করেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন জিনিস আমার নামে নাম রাখাকে হালাল করবে এবং উপনামকে হারাম করবে অথবা কোন জিনিস আমার উপনামে উপনাম দেয়াকে হালাল করে এবং আমার নামে নাম রাখাকে হারাম করবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

৪৯৬৬ আহমাদ, বায়হাক্বী, ত্বাবারানী। সানাদের মুহাম্মাদ বিন ইমরান সম্পর্কে হাফিয বলেন : মাসতূর। ইমাম যাহাবী বলেন: তার মুনকার হাদীস রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৭

সন্তানহীন ব্যক্তির উপনাম

৪৯৬৯

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُ عَلَيْنَا وَلِي أَخٌ صَغِيرٌ يُكْنَى أَبَا عُمَيْرٍ وَكَانَ لَهُ نُغَرٌ يَلْعَبُ بِهِ فَمَاتَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَرَآهُ حَزِينًا فَقَالَ ‏”‏ مَا شَأْنُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا مَاتَ نُغَرُهُ فَقَالَ ‏”‏ يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসতেন। আর আমার একটি ছোট ভাই ছিল তার উপনাম ছিল আবূ উমাইর এবং তার একটি ছোট পাখি (নুগার) ছিল। একে নিয়ে সে খেলতো। নুগার মারা গেলে একদিন নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট এসে তাকে মর্মাহত দেখে বললেনঃ তার কি হয়েছে? তারা বললেন, তার নুগার (পাখিটি) মারা গেছে। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওহে আবু উমাইর। কি হয়েছে তোমার নুগাইর?

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৭৮

নারীদের উপনাম গ্রহণ

৪৯৭০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ كُلُّ صَوَاحِبِي لَهُنَّ كُنًى ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ فَاكْتَنِي بِابْنِكِ عَبْدِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي ابْنَ أُخْتِهَا قَالَ مُسَدَّدٌ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ فَكَانَتْ تُكَنَّى بِأُمِّ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَكَذَا قَالَ قُرَّانُ بْنُ تَمَّامٍ وَمَعْمَرٌ جَمِيعًا عَنْ هِشَامٍ نَحْوَهُ وَرَوَاهُ أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ حَمْزَةَ وَكَذَلِكَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَمَسْلَمَةُ بْنُ قَعْنَبٍ عَنْ هِشَامٍ كَمَا قَالَ أَبُو أُسَامَةَ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আমার প্রত্যেক বান্ধবীর ডাকনাম আছে। আপনি আমার একটি ডাকনাম ঠিক করে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার (বোনের) ছেলে ‘আবদুল্লাহর নামানুসারে উপনাম গ্রহণ করো। মুসাদ্দাদ (রহঃ) বলেন, যুবাইর (রাঃ)-র পুত্র আবদুল্লাহ। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি উম্মু ‘আবদুল্লাহ উপনাম গ্রহণ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস