অনুচ্ছেদ-৩১৮
রমযান মাসের ক্বিয়াম
১৩৭১
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، – قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ ثُمَّ يَقُولُ ” مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ” . فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلاَفَةِ أَبِي بَكْرٍ – رضى الله عنه – وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ رضى الله عنه . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ عُقَيْلٌ وَيُونُسُ وَأَبُو أُوَيْسٍ ” مَنْ قَامَ رَمَضَانَ ” . وَرَوَى عُقَيْلٌ ” مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَقَامَهُ ” .
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযান মাসের ক্বিয়ামে খুবই উৎসাহী ছিলেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে লোকদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দিতেন না। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযানের রাতে সলাতে দাঁড়ায়, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল পর্যন্ত এর বিধান এরূপই থাকলো। অতঃপর আবূ বাকর (রাঃ) এর পূর্ণ খিলাফাত ও ‘উমার (রাঃ) এর খিলাফাতের প্রথম দিকেও এ নিয়ম চালূ থাকে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। কিন্তু বুখারীতে “রসূলুল্লাহর ইন্তিকাল পর্যন্ত…” অংশটুকু যুহরীর বক্তব্য হিসেবে এসেছে।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ‘উক্বাইল, ইউনুস ও আবূ উওয়ায়স। তবে তাতে রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি রমযানের সওম পালন ও ক্বিয়াম করে’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৭২
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এ হাদীস নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুত্রে বর্ণনা করেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযানে সওম পালন করে তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ক্বিয়াম করে তারও পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করা হয়।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৭৩
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ فَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ “ قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْكُمْ ” . وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে (তারাবীহ) সলাত আদায় করলে লোকেরাও তাঁর সাথে সলাত আদায় করলো। পরবর্তী রাতেও তিনি সলাত আদায় করেন এবং তাতে অনেক লোকের সমাগম হয়। অতঃপর পরবর্তী (তৃতীয়) রাতেও লোকজন সমবেত হলো, কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেরিয়ে তাদের কাছে এলেন না। অতঃপর ভোর হলে তিনি বললেনঃ তোমরা কি করেছো আমি তা দেখেছি। তবে তোমাদের উপর ফারয করে দেয়া হতে পারে, এ আশংকায় আমি তোমাদের কছে আসিনি। এটি রমযান মাসের ঘটনা।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৭৪
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يُصَلُّونَ فِي الْمَسْجِدِ فِي رَمَضَانَ أَوْزَاعًا فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَرَبْتُ لَهُ حَصِيرًا فَصَلَّى عَلَيْهِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَتْ فِيهِ قَالَ – تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم – “ أَيُّهَا النَّاسُ أَمَا وَاللَّهِ مَا بِتُّ لَيْلَتِي هَذِهِ بِحَمْدِ اللَّهِ غَافِلاً وَلاَ خَفِيَ عَلَىَّ مَكَانُكُمْ ” .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা রমযান মাসে মাসজিদে বিচ্ছিন্নভাবে সলাত আদায় করতো। আমার প্রতি রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ মোতাবেক আমি তাঁর জন্য একটা মাদুর বিছিয়ে দিলে তিনি তার উপর সলাত আদায় করলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে লোক সকল! আল্লাহর শপথ! আল্লাহর প্রশংসা, আমার রাতটি আমি গাফিলভাবে অতিবাহিত করি নাই এবং তোমাদের অবস্থাও আমার নিকট গোপন থাকেনি। [১৩৭৪]
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৩৭৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ فَلَمَّا كَانَتِ السَّادِسَةُ لَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا قِيَامَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ . قَالَ فَقَالَ “ إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَلَّى مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ حُسِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ ” . قَالَ فَلَمَّا كَانَتِ الرَّابِعَةُ لَمْ يَقُمْ فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ جَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ وَالنَّاسَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ . قَالَ قُلْتُ مَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا بَقِيَّةَ الشَّهْرِ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রমযান মাসের সওম পালন করতাম। তিনি এ মাসে (প্রথম দিকের অধিকাংশ দিনই) আমাদেরকে নিয়ে (তারাবীহ) সলাত আদায় করেননি। অতঃপর রমযানের সাত দিন বাকী থাকতে তিনি আমদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করলেন রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। তিনি পরবর্তী রাতে আমাদেরকে নিয়ে (মাসজিদে) সলাত আদায় করলেন না। অতঃপর পঞ্চম রাতে তিনি আমাদেরকে নিয়ে সলাতে দাঁড়িয়ে অর্ধেক রাত অতিবাহিত করেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! যদি আপনি এ পুরো রাতটি আমাদেরকে নিয়ে সলাতে দাঁড়িয়ে থাকতেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেনঃ কোন ব্যক্তি ইমামের সাথে (‘ঈশার) সলাত আদায় করে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে পুরো রাতের সলাত আদায়কারী হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি বলেন, অতঃপর পরবর্তী চতুর্থ রাতে তিনি (মাসজিদে) সলাত আদায় করেননি। যখন তৃতীয় রাত এলো তিনি তার পরিবার-পরিজন, স্ত্রী ও অন্য লোকদের একত্র করলেন এবং আমাদেরকে নিয়ে এত দীর্ঘক্ষণ সলাত আদায় করলেন যে, আমরা ‘ফালাহ’ ছুটে যাওয়ার আশংকা করলাম। জুবাইর ইবনু নুফাইর বলেন, আমি জিজ্ঞসা করলাম, ‘ফালাহ’ কি? তিনি বললেন, সাহারী খাওয়া। অতঃপর তিনি এ মাসের অবশিষ্ট রাতে আমাদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করতে দাঁড়াননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৭৬
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَدَاوُدُ بْنُ أُمَيَّةَ، أَنَّ سُفْيَانَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، – وَقَالَ دَاوُدُ عَنِ ابْنِ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ، – عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ أَحْيَا اللَّيْلَ وَشَدَّ الْمِئْزَرَ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَبُو يَعْفُورٍ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রমাযানের শেষ দশক এলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সারা রাতই জাগ্রত থাকতেন, (‘ইবাদতের উদ্দেশে) শক্তভাবে কোমড় বাঁধতেন এবং পরিবারের লোকদের জাগাতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৭৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا أُنَاسٌ فِي رَمَضَانَ يُصَلُّونَ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ ” مَا هَؤُلاَءِ ” . فَقِيلَ هَؤُلاَءِ نَاسٌ لَيْسَ مَعَهُمْ قُرْآنٌ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ يُصَلِّي وَهُمْ يُصَلُّونَ بِصَلاَتِهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” أَصَابُوا وَنِعْمَ مَا صَنَعُوا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ بِالْقَوِيِّ مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ ضَعِيفٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রমযান মাসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেরিয়ে দেখলেন যে, মাসজিদের একপাশে কতিপয় লোক সলাত আদায় করছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ এরা কারা? বলা হলো, এরা কুরআন মুখস্ত না জানার কারণে উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) এর ইমামতিতে (তারাবীহ) সলাত আদায় করছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এরা ঠিকই করছে এবং চমৎকার কাজই করছে! [১৩৭৭]
দুর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস শক্তিশালী নয়। মুসলিম ইবনু খালিদ (রহঃ) দুর্বল বর্ণনাকারী।
[১৩৭৭] বায়হাক্বী ‘সুনান’ (২/১৯৫) মুসলিম ইবনু খালিদ হতে। সানাদের মুসলিম ইবনু খালিদকে ইমাম আবূ দাউদ দুর্বল বলেছেন। অনুরূপ বলেছেন হাফিয ‘আত-ত্বাকরীব’ গ্রন্থে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩১৯
ক্বদরের রাত সম্পর্কে
১৩৭৮
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ قُلْتُ لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ أَخْبِرْنِي عَنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ، يَا أَبَا الْمُنْذِرِ فَإِنَّ صَاحِبَنَا سُئِلَ عَنْهَا . فَقَالَ مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْهَا . فَقَالَ رَحِمَ اللَّهُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ – زَادَ مُسَدَّدٌ وَلَكِنْ كَرِهَ أَنْ يَتَّكِلُوا أَوْ أَحَبَّ أَنْ لاَ يَتَّكِلُوا ثُمَّ اتَّفَقَا – وَاللَّهِ إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ لاَ يَسْتَثْنِي . قُلْتُ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ أَنَّى عَلِمْتَ ذَلِكَ قَالَ بِالآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ لِزِرٍّ مَا الآيَةُ قَالَ تُصْبِحُ الشَّمْسُ صَبِيحَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ مِثْلَ الطَّسْتِ لَيْسَ لَهَا شُعَاعٌ حَتَّى تَرْتَفِعَ .
যির ইবনু হুবাইশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কাব (রাঃ)-কে বললাম, হে আবুল মুনযির! আমাকে লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে বলুন। কেননা আমাদের সাথী (ইবনু মাসউদ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘কেউ সারা বছর ক্বিয়ামুল লাইল করলে সে তা পেয়ে যাবে। এ কথা শুনে উবাই বললেন, আল্লাহ আবূ ‘আবদুর রহমানের প্রতি দয়া করুন। আল্লাহর শপথ! তিনি তো জানেন, ক্বদর রাত রমযান মাসেই রয়েছে। [১৩৭৮]
বর্ণনাকারী মুসাদ্দাদ আরো বলেন, তিনি (ইবনু মাসউদ) এজন্যই তা প্রকাশে অপছন্দ করেছেন, যেন লোকেরা কোন নির্দ্দিষ্ট একটি রাতের উপর নির্ভর না করে। অতঃপর উভয় বর্ণনাকারীর বর্ণনা একই রকম। আল্লাহর শপথ! তা হচ্ছে রমাযানের সাতাশ তারিখ। আমি বললাম, হে আবুল মুনযির! আপনি তা কিভাবে জানলেন? তিনি বললেন, আমাদের নিকট রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বর্ণনাকৃত নিদর্শন দ্বারা। ‘আসিম (রাঃ) বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কি নিদর্শন? তিনি বললেন, ঐ রাতের ভোরের সূর্য উপরে না উঠা পর্যন্ত নিস্প্রভ থাকবে, যেন একটি থালার মত।
হাসান সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৩৭৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيِّ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ فِي مَجْلِسِ بَنِي سَلِمَةَ وَأَنَا أَصْغَرُهُمْ، فَقَالُوا مَنْ يَسْأَلُ لَنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَذَلِكَ صَبِيحَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ مِنْ رَمَضَانَ . فَخَرَجْتُ فَوَافَيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْمَغْرِبِ ثُمَّ قُمْتُ بِبَابِ بَيْتِهِ فَمَرَّ بِي فَقَالَ ” ادْخُلْ ” . فَدَخَلْتُ فَأُتِيَ بِعَشَائِهِ فَرَآنِي أَكُفُّ عَنْهُ مِنْ قِلَّتِهِ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ ” نَاوِلْنِي نَعْلِي ” . فَقَامَ وَقُمْتُ مَعَهُ فَقَالَ ” كَأَنَّ لَكَ حَاجَةً ” . قُلْتُ أَجَلْ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ رَهْطٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ يَسْأَلُونَكَ عَنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ فَقَالَ ” كَمِ اللَّيْلَةُ ” . فَقُلْتُ اثْنَتَانِ وَعِشْرُونَ قَالَ ” هِيَ اللَّيْلَةُ ” . ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ ” أَوِ الْقَابِلَةُ ” . يُرِيدُ لَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ .
দামরাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উনাইস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি বনু সালামাহ্র মাজলিসে উপস্থিত হই এবং সেখানে আমিই ছিলাম বয়সে ছোট। তারা বললেন, আমাদের মাঝে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ক্বদর রাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার মত কেউ আছে কি? ঘটনাটি রমাযানের একুশ তারিখ সকাল বেলার। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি এ উদ্দেশে বের হই এবং মাগরিবের সলাতে রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাক্ষাত লাভ করি। আমি তাঁর ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। তিনি আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে ভিতরে প্রবেশ করতে বললে আমি প্রবেশ করি। এ সময় তাঁর রাতের খাবার আনা হলো। খাবার কম থাকায় আমি সামান্য খেয়েছি। তিনি খাওয়া শেষ করে বললেনঃ আমার জুতা দাও। এরপর তিনি উঠলে আমিও তাঁর সাথে উঠি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কোনো প্রয়োজন আছে কি? আমি বললাম, হাঁ, বনু সালামাহ্র লোকেরা আপনার নিকট ‘লাইলাতুল ক্বদর’ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করার জন্যে আমাকে পাঠিয়েছেন। তিনি বললেনঃ আজ কত তারিখ? আমি বললাম, বাইশ। তিনি বললেনঃ তা আজ রাতেই। তিনি তেইশ তারিখের রাতের দিকে ইংগিত করেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৩৮০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي بَادِيَةً أَكُونُ فِيهَا وَأَنَا أُصَلِّي فِيهَا بِحَمْدِ اللَّهِ فَمُرْنِي بِلَيْلَةٍ أَنْزِلُهَا إِلَى هَذَا الْمَسْجِدِ . فَقَالَ “ انْزِلْ لَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ ” . فَقُلْتُ لاِبْنِهِ كَيْفَ كَانَ أَبُوكَ يَصْنَعُ قَالَ كَانَ يَدْخُلُ الْمَسْجِدَ إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ فَلاَ يَخْرُجُ مِنْهُ لِحَاجَةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ الصُّبْحَ فَإِذَا صَلَّى الصُّبْحَ وَجَدَ دَابَّتَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ فَجَلَسَ عَلَيْهَا فَلَحِقَ بِبَادِيَتِهِ .
ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু উনাইস আল-জুহানী (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার একটি খামার রয়েছে, আমি ওখানেই অবস্থান করি এবং আল্লাহর প্রশংসা যে, আমি ওখানেই সলাত আদায় করি। কাজেই আমাকে এমন একটি রাতের নির্দেশ দিন, যে রাতে আমি এ মাসজিদে (‘ইবাদতের উদ্দেশ্যে) অবস্থান করবো। তিনি বললেনঃ তেইশ তারিখের রাতে অবস্থান করো।
বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনু ইবরাহীম বলেন, আমি তার ছেলেকে জিজ্ঞেস করি, তোমার পিতা কেমন করতেন? তিনি বলেন, তিনি আসরের সলাত আদায় করে মসজিদে প্রবেশ করে ফজরের সলাত পর্যন্ত অবস্থান করতেন, কোন প্রয়োজনেই তিনি সেখান থেকে বের হতেন না। অতঃপর ফজরের সলাত আদায়ের পর মাসজিদের দ্বারে রক্ষিত তাঁর সওয়ারীর উপর চরে নিজের খামারে যেতেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৩৮১
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فِي تَاسِعَةٍ تَبْقَى وَفِي سَابِعَةٍ تَبْقَى وَفِي خَامِسَةٍ تَبْقَى ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা রমাযানের শেষ দশকে ‘লাইলাতুল ক্বদর’ অন্বেষণ করো। রমাযানের নয় দিন বাকী থাকতে, সাত দিন বাকী থাকতে এবং পাঁচদিন বাকী থাকতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২০
যারা বলেন, লাইলাতুল ক্বদর একুশ তারিখের রাতে
১৩৮২
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوْسَطَ مِنْ رَمَضَانَ فَاعْتَكَفَ عَامًا حَتَّى إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَهِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي يَخْرُجُ فِيهَا مِنَ اعْتِكَافِهِ قَالَ “ مَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَعْتَكِفِ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ وَقَدْ رَأَيْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ مِنْ صَبِيحَتِهَا فِي مَاءٍ وَطِينٍ فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَالْتَمِسُوهَا فِي كُلِّ وِتْرٍ ” . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَمُطِرَتِ السَّمَاءُ مِنْ تِلْكَ اللَّيْلَةِ وَكَانَ الْمَسْجِدُ عَلَى عَرِيشٍ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَأَبْصَرَتْ عَيْنَاىَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَى جَبْهَتِهِ وَأَنْفِهِ أَثَرُ الْمَاءِ وَالطِّينِ مِنْ صَبِيحَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযানের মধ্যম দশকে ই’তিকাফ করতেন। একবছর তিনি এভাবে ইতিকাফ করাকালে একুশ তারিখে তিনি ই’তিকাফ হতে বেরিয়ে বললেনঃ যে ব্যক্তি (মধ্যম দশকে) আমার সাথে ই’তিকাফে শরীক হয়েছে, সে যেন শেষ দশ দিনও ই’তিকাফ করে। আমি লাইলাতুল ক্বদর প্রত্যক্ষ করেছি কিন্তু আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি নিজেকে ক্বদরের রাতের সকালে পানি ও কাদায় সাজদাহ্ করতে দেখেছি। কাজেই তোমরা শেষ দশকে এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তা অন্বেষণ করো। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, ঐ রাতে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হলো, তখনকার মাসজিদ খেজুর পাতার চালনীর হওয়াতে ছাদ থেকে পানি পড়ছিলো। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, একুশ তারিখ সকালে আমার চোখ দিয়ে আমি রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কপালে ও নাকে কাদামাটি লেগে থাকতে দেখেছি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ” . قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا سَعِيدٍ إِنَّكُمْ أَعْلَمُ بِالْعَدَدِ مِنَّا . قَالَ أَجَلْ . قُلْتُ مَا التَّاسِعَةُ وَالسَّابِعَةُ وَالْخَامِسَةُ قَالَ إِذَا مَضَتْ وَاحِدَةٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا التَّاسِعَةُ وَإِذَا مَضَى ثَلاَثٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا السَّابِعَةُ وَإِذَا مَضَى خَمْسٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا الْخَامِسَةُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لاَ أَدْرِي أَخَفِيَ عَلَىَّ مِنْهُ شَىْءٌ أَمْ لاَ .
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রমাযানের শেষ দশকে লাইলাতুল ক্বদর অন্বেষণ করো এবং তা অন্বেষণ করো নয়, সাত এবং পাঁচের মধ্যে।
আবূ নাদরাহ বলেন, আমি বললাম, হে আবূ সাঈদ! গণনার ব্যাপারে আপনারা আমাদের চেয়ে অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, তাতো বটেই! আমি জিজ্ঞেস করলাম, নয়, সাত এবং পাঁচ কি? তিনি বললেন, নয় হচ্ছে রমাযানের একুশ তারিখের রাত, সাত হলো তেইশের রাত এবং পাঁচ হলো পঁচিশ তারিখের রাত।
সহীহঃ মুসলিম।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের কোন অংশ আমার নিকট অস্পষ্ট কিনা আমি তা অবহিত নই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২১
যিনি বর্ণনা করেন ক্বদরের রাত সতের তারিখে
১৩৮৪
حَدَّثَنَا حَكِيمُ بْنُ سَيْفٍ الرَّقِّيُّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – عَنْ زَيْدٍ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي أُنَيْسَةَ – عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اطْلُبُوهَا لَيْلَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ مِنْ رَمَضَانَ وَلَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَلَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ ” . ثُمَّ سَكَتَ .
ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলেছেনঃ তোমরা লাইলাতুল ক্বদর অন্বেষণ করো রমাযানের সতের, একুশ ও তেইশ তারিখের রাতে। অতঃপর তিনি চুপ থাকলেন। [১৩৮৪]
[১৩৮৪] বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৪/৩১০) আবূ দাউদের সূত্রে এবং সানাদে সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২২
যিনি বর্ণনা করেন, (ক্বদরের রাত রমাযানের) শেষ সপ্তাহে
১৩৮৫
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা লাইলাতুল ক্বদর রমাযানের শেষ সাত দিনে অন্বেষণ করো।১৩৮৫
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২৩
যিনি বালেন, সাতাশের রাত শবে ক্বদর
১৩৮৬
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ مُطَرِّفًا، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ قَالَ “ لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ” .
মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে বলেছেনঃ লাইলাতুল ক্বদর সাতাইশের রাতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২৪
যিনি বলেন, রমাযানের যে কোন রাতে শবে ক্বদর অনুষ্ঠিত হয়
১৩৮৭
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ زَنْجُويَهْ النَّسَائِيُّ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَسْمَعُ عَنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ فَقَالَ “ هِيَ فِي كُلِّ رَمَضَانَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ سُفْيَانُ وَشُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ مَوْقُوفًا عَلَى ابْنِ عُمَرَ لَمْ يَرْفَعَاهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘লাইলাতুল ক্বদর’ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হলে তা আমি শুনি। তিনি বলেছেনঃ তা পুরো রমাযানেই নিহিত আছে। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, সুফয়ান ও শু’বাহ এ হাদীসটি আবূ ইসহাক্ব হতে ইবনু ‘উমারের নিজস্ব বক্তব্য রূপে বর্ণনা করেছেন, তাঁরা এর সানাদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছাননি। [১৩৮৭]
দুর্বলঃ সহীহ্ হচ্ছে মাওকূফ।
১৩৮৭] বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৪/৩০৭)। এর সানাদ দুর্বল।
ক্বদর রাত বিষয়ক (১৩৭৮-১৩৮৭ নং) হাদীসসমূহ হতে শিক্ষা :
১। ক্বদরের রাত রমযান মাসেই নিহিত।
২। এটি খুবই ফাযীলাতপূর্ণ রাত।
৩। এ রাত রমাযানের শেষ দশকের বিজোড় রাত সমূহে নিহিত।
৪। প্রতি বছর ক্বদর রাত একই তারিখে অনুষ্ঠিত হয় না। বরং তা পরিবর্তন হয়। কাজেই বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে কোনটিকে নির্দিষ্ট না করে রমাযানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এগুলোর প্রতিটি রাতেই ক্বদর অনুসন্ধান করতে হবে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২৫
কুরআন কত দিনে খতম করতে হয়
১৩৮৮
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ” اقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي شَهْرٍ ” . قَالَ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً . قَالَ ” اقْرَأْ فِي عِشْرِينَ ” . قَالَ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً . قَالَ ” اقْرَأْ فِي خَمْسَ عَشْرَةَ ” . قَالَ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً . قَالَ ” اقْرَأْ فِي عَشْرٍ ” . قَالَ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً . قَالَ ” اقْرَأْ فِي سَبْعٍ وَلاَ تَزِيدَنَّ عَلَى ذَلِكَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ مُسْلِمٍ أَتَمُّ .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেনঃ তুমি কুরআন এক মাসে খতম করবে। তিনি বললেন, আমি এর চাইতে অধিক সামর্থ্ রাখি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে বিশ দিনে খতম করবে। তিনি বললেন, আমি এর চাইতে বেশি সামর্থ্ রাখি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে পনের দিনে খতম করবে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়েও অধিক শক্তি রাখি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে দশ দিনে খতম করবে। তিনি বললেন, আমি আরো সামর্থ রাখি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে সাত দিনে, কিন্তু এর চেয়ে অধিক করবে না।
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, মুসলিমের বর্ণনাটি পরিপূর্ণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৮৯
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” صُمْ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَاقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي شَهْرٍ ” . فَنَاقَصَنِي وَنَاقَصْتُهُ فَقَالَ ” صُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا ” . قَالَ عَطَاءٌ وَاخْتَلَفْنَا عَنْ أَبِي فَقَالَ بَعْضُنَا سَبْعَةَ أَيَّامٍ وَقَالَ بَعْضُنَا خَمْسًا .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেনঃ তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন করবে এবং কুরআন এক মাসে খতম করবে। তারপর তিনি কুরআন খতমের সময় কমাতে থাকলে আমিও কমাতে থাকি। অতঃপর তিনি বললেনঃ তুমি একদিন সওম পালন করবে এবং একদিন বিরতি দিবে।
সহীহ।
‘আত্বা বলেন, আমরা আমার পিতার বর্ণনাতে মতভেদ করি, কেউ সাত দিন এবং কেউ পাঁচ দিনের কথা বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৯০
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كَمْ أَقْرَأُ الْقُرْآنَ قَالَ ” فِي شَهْرٍ ” . قَالَ إِنِّي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ – يُرَدِّدُ الْكَلاَمَ أَبُو مُوسَى – وَتَنَاقَصَهُ حَتَّى قَالَ ” اقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ ” . قَالَ إِنِّي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ . قَالَ ” لاَ يَفْقَهُ مَنْ قَرَأَهُ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثٍ ” .
আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি কয়দিনে কুরআন খতম করবো? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এক মাসে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়ে অধিক শক্তি রাখি। আবু মূসার বর্ণনায় রয়েছে অতঃপর আলোচনার মাধ্যমে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে অবশেষে বললেন, সাত দিনে খতম করবে। তিনি বললেন, আমি এর চেয়েও বেশি শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি তিন দিনের কমে কুরআন খতম করে, সে কুরআনকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারেনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَفْصٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَطَّانُ، خَالُ عِيسَى بْنِ شَاذَانَ أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا الْحَرِيشُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي شَهْرٍ ” . قَالَ إِنَّ بِي قُوَّةً . قَالَ ” اقْرَأْهُ فِي ثَلاَثٍ ” . قَالَ أَبُو عَلِيٍّ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَحْمَدَ – يَعْنِي ابْنَ حَنْبَلٍ – يَقُولُ عِيسَى بْنُ شَاذَانَ كَيِّسٌ .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তুমি কুরআন এক মাসে খতম করবে। তিনি বলেন, আমার এর চেয়ে অধিক শক্তি আছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে তিন দিনে খতম করবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২৬
কুরআন নির্ধারিত অংশে ভাগ করে তিলাওয়াত করা
১৩৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، قَالَ سَأَلَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ فَقَالَ لِي فِي كَمْ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَقُلْتُ مَا أُحَزِّبُهُ . فَقَالَ لِي نَافِعٌ لاَ تَقُلْ مَا أُحَزِّبُهُ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ قَرَأْتُ جُزْءًا مِنَ الْقُرْآنِ ” . قَالَ حَسِبْتُ أَنَّهُ ذَكَرَهُ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ .
ইবনুল হাদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাফি‘ ইবুন জুবাইর মুত্ব‘ইম (রহঃ) আমাকে জিজ্ঞেস করে বললেন, আপনি কুরআন মাজীদ কতটুকু পাঠ করেন? আমি বললাম, আমি কুরআন নির্দিষ্ট অংশে ভাগ করে পড়ি না। নাফি‘ (রহঃ) আমাকে বললেন, নির্দিষ্ট অংশে ভাগ করে পড়ি না- এরূপ বলো না। কেননা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আমি কুরআনের একাংশ পাঠ করেছি’। তিনি (ইবনুল হাদ্) বলেন, আমার ধারণা, এ হাদীস তিনি মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৯৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَخْبَرَنَا قُرَّانُ بْنُ تَمَّامٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو خَالِدٍ، – وَهَذَا لَفْظُهُ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ جَدِّهِ، – قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ فِي حَدِيثِهِ أَوْسُ بْنُ حُذَيْفَةَ – قَالَ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ – قَالَ – فَنَزَلَتِ الأَحْلاَفُ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَنْزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَنِي مَالِكٍ فِي قُبَّةٍ لَهُ . قَالَ مُسَدَّدٌ وَكَانَ فِي الْوَفْدِ الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ثَقِيفٍ قَالَ كَانَ كُلَّ لَيْلَةٍ يَأْتِينَا بَعْدَ الْعِشَاءِ يُحَدِّثُنَا . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ قَائِمًا عَلَى رِجْلَيْهِ حَتَّى يُرَاوِحَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ وَأَكْثَرُ مَا يُحَدِّثُنَا مَا لَقِيَ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ قُرَيْشٍ ثُمَّ يَقُولُ لاَ سَوَاءً كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ مُسْتَذَلِّينَ – قَالَ مُسَدَّدٌ بِمَكَّةَ – فَلَمَّا خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ كَانَتْ سِجَالُ الْحَرْبِ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ نُدَالُ عَلَيْهِمْ وَيُدَالُونَ عَلَيْنَا فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةً أَبْطَأَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي كَانَ يَأْتِينَا فِيهِ فَقُلْنَا لَقَدْ أَبْطَأْتَ عَنَّا اللَّيْلَةَ . قَالَ إِنَّهُ طَرَأَ عَلَىَّ جُزْئِي مِنَ الْقُرْآنِ فَكَرِهْتُ أَنْ أَجِيءَ حَتَّى أُتِمَّهُ . قَالَ أَوْسٌ سَأَلْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يُحَزِّبُونَ الْقُرْآنَ قَالُوا ثَلاَثٌ وَخَمْسٌ وَسَبْعٌ وَتِسْعٌ وَإِحْدَى عَشْرَةَ وَثَلاَثَ عَشْرَةَ وَحِزْبُ الْمُفَصَّلِ وَحْدَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ أَتَمُّ .
আওস ইবনু হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা বনু সাক্বীফ গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল সহ আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে যাই। তিনি বলেন, মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহর সাথে চুক্তিবদ্ধ লোকেরা তার মেহমান হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনু মালিককে তাঁর এক তাঁবুতে স্থান দিলেন। মুসাদ্দাদের বর্ণনায় রয়েছে : বনু সাক্বীফের যে প্রতিনিধি দল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে এসেছিল তাদের মধ্যে আওস ইবনু হুযাইফাহ্ও ছিলেন। তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক রাতে ‘ইশার সলাতের পর আমাদের কাছে এসে আমাদের সাথে কথাবার্তা বলতেন। আবু সাঈদের বর্ণনায় আছে : তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ানো অবস্থায় কথাবার্তা বলতেন এবং (দীর্ঘক্ষণ) দাঁড়ানোর কারণে কখনো এক পায়ের উপর দাঁড়াতেন এবং কখনো আরেক পায়ের উপর। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিকাংশ সময় আমাদেরকে তাঁর কুরাইশ সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে তাঁর উপর চালানো নির্যাতনের কথা শুনাতেন এবং বলতেন : আমরা ও তারা সমপর্যায়ের ছিলাম না, বরং মক্কায় আমরা ছিলাম অসহায় ও দূর্বল। অতঃপর আমরা মদিনায় চলে আসার পর যুদ্ধের পাল্লা কখনো আমাদের ও কখনো তাদের মধ্যে পরিবর্তিত হতে থাকে। কখনো আমরা তাদের উপর বিজয়ী হতাম আবার কখনো তারা আমাদের উপর বিজয়ী হতো। এক রাতে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে তাঁর আসার নির্দিষ্ট সময় থেকে অনেক দেরীতে আসলেন। আমরা বললাম, আপনি তো আজ রাতে আমাদের কাছে আসতে অনেক দেরী করেছেন। তিনি বললেনঃ কুরআনের যে নির্ধারিত অংশ আমি নিয়মিত তিলাওয়াত করি, তা শেষ না করে এখানে আসা আমি পছন্দ করিনি। আওস (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাথীদের জিজ্ঞেস করি, প্রতিদিন আপনারা কিভাবে কুরআনকে ভাগ করে পড়েন? তারা বললেন, তিন সূরাহ, পাঁচ সূরাহ্, সাত সূরাহ্, নয় সূরাহ, এগার সূরাহ, তের সূরাহ এবং এককভাবে মুফাস্সাল সূরাহ্ সমূহ (অর্থাৎ সাত দিনে কুরআন খতম করি)। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, আবু সাঈদের হাদীস পরিপূর্ণ। [১৩৯৩]
[১৩৯৩] ইবনু মাজাহ্ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ কতদিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব, হাঃ ১৩৪৫), আহমাদ (৪/৯) ‘উসমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আওস হতে। ‘উসমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আওস সম্পর্কে হাফিয বলেন : মাক্ববুল। যা জাহালাতের একটি স্তর বিশেষ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৩৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَفْقَهُ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثٍ ” .
আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তিন দিনের কম সময়ে কুরআন খতম করেছে, সে কিছুই হৃদয়ঙ্গম করতে পারেনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৯৫
حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ حَبِيبٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي كَمْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ قَالَ ” فِي أَرْبَعِينَ يَوْمًا ” . ثُمَّ قَالَ ” فِي شَهْرٍ ” . ثُمَّ قَالَ ” فِي عِشْرِينَ ” . ثُمَّ قَالَ ” فِي خَمْسَ عَشْرَةَ ” . ثُمَّ قَالَ ” فِي عَشْرٍ ” . ثُمَّ قَالَ ” فِي سَبْعٍ ” . لَمْ يَنْزِلْ مِنْ سَبْعٍ .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কুরআন খতমের সময়সীমা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ চল্লিশ দিনে। অতঃপর বলেনঃ এক মাসে, অতঃপর বলেনঃ বিশ দিনে, অতঃপর বলেনঃ পনের দিনে, অতঃপর বলেনঃ দশ দিনে, সর্বশেষে বলেন, সাত দিনে। আর তিনি সাত দিনের কম উল্লেখ করেননি।
সহীহ্ : তবে “সাত দিনের কমে” কথাটি শায। পূর্বের (১৩৯১ নং) হাদীসের এ কথাটির কারণে : “তাহলে তিন দিনে খতম করবে।”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৯৬
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالأَسْوَدِ، قَالاَ أَتَى ابْنَ مَسْعُودٍ رَجُلٌ فَقَالَ إِنِّي أَقْرَأُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ . فَقَالَ أَهَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ وَنَثْرًا كَنَثْرِ الدَّقَلِ لَكِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ النَّظَائِرَ السُّورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ الرَّحْمَنَ وَالنَّجْمَ فِي رَكْعَةٍ وَاقْتَرَبَتْ وَالْحَاقَّةَ فِي رَكْعَةٍ وَالطُّورَ وَالذَّارِيَاتِ فِي رَكْعَةٍ وَإِذَا وَقَعَتْ وَن فِي رَكْعَةٍ وَسَأَلَ سَائِلٌ وَالنَّازِعَاتِ فِي رَكْعَةٍ وَوَيْلٌ لِلْمُطَفِّفِينَ وَعَبَسَ فِي رَكْعَةٍ وَالْمُدَّثِّرَ وَالْمُزَّمِّلَ فِي رَكْعَةٍ وَهَلْ أَتَى وَلاَ أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فِي رَكْعَةٍ . وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ وَالْمُرْسَلاَتِ فِي رَكْعَةٍ وَالدُّخَانَ وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ فِي رَكْعَةٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا تَأْلِيفُ ابْنِ مَسْعُودٍ رَحِمَهُ اللَّهُ .
‘আলক্বামাহ ও আল-আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা উভয়ে বলেন, এক ব্যক্তি ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর নিকটে এসে বললো, আমি মুফাস্সাল সূরাহগুলো (সূরাহ হুজরাত থেকে সূরাহ নাস পর্যন্ত) এক রাক‘আতেই পাঠ করে থাকি। তিনি বললেন, এটা তো (খুবই দ্রুত তিলাওয়াত) কবিতা পাঠের অনুরূপ কিংবা গাছ থেকে শুকনো পাতা ঝরে পড়ার মতই। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমান দৈর্ঘ্যের দু‘টি সূরাহ একত্রে এক রাক‘আতে তিলাওয়াত করতেন। যেমন, সূরাহ আন-নাজ্ম ও আর-রাহমান এক রাক‘আতে এবং ওয়াকতারাবাত ও আল-হাক্কাহ আরেক রাক‘আতে। সূরাহ আত-তূর ও ওয়ায্-যারিয়াত এক রাক‘আতে এবং সূরাহ ইযা ওয়াক্ব‘আত ও সূরাহ নূন অপর রাক‘আতে। সাআলা সায়িলুন ও ওয়ান-নাযিআতি এক রাক‘আতে, ওয়াইলুল্লিল মুতাফ্ফিফিন ও ‘আবাসা আরেক রাক‘আতে। আল-মুদ্দাসির ও আল-মুয্যাম্মিল এক রাক‘আতে এবং হাল আতা ও লা উক্বসিমু বি-ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ্ অপর রাক‘আতে, ‘আম্মা ইয়াতাসাআলুন ও ওয়াল-মুরসিলাত এক রাক‘আতে এবং আদ্-দুখান ও ইযাশ-শামসু কুব্বিরাত অপর রাক‘আতে। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, কুরআনের সূরাহগুলোর এ তারতীব ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর।
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৯৭
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ سَأَلْتُ أَبَا مَسْعُودٍ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَرَأَ الآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ ” .
আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আবূ মাসঊদ (রাঃ) বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন, এমন সময় আমি তাকে কুরআন পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে সূরাহ বাক্বারাহর শেষ আয়াত দু‘টি পাঠ করবে, সেটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৯৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا سَوِيَّةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ حُجَيْرَةَ، يُخْبِرُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَامَ بِعَشْرِ آيَاتٍ لَمْ يُكْتَبْ مِنَ الْغَافِلِينَ وَمَنْ قَامَ بِمِائَةِ آيَةٍ كُتِبَ مِنَ الْقَانِتِينَ وَمَنْ قَامَ بِأَلْفِ آيَةٍ كُتِبَ مِنَ الْمُقَنْطَرِينَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ ابْنُ حُجَيْرَةَ الأَصْغَرُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُجَيْرَةَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতের সলাতে দশটি আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার নাম গাফিলদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হবে না। আর যে ব্যক্তি (রাতের) সলাতে এক শত আয়াত পাঠ করবে, তার নাম অনুগত বান্দাদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হবে। যে ব্যক্তি সলাতে দাঁড়িয়ে এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে অফুরন্ত পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩৯৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيُّ، عَنْ عِيسَى بْنِ هِلاَلٍ الصَّدَفِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ أَتَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَقْرِئْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ ” اقْرَأْ ثَلاَثًا مِنْ ذَوَاتِ الرَّاءِ ” . فَقَالَ كَبِرَتْ سِنِّي وَاشْتَدَّ قَلْبِي وَغَلُظَ لِسَانِي . قَالَ ” فَاقْرَأْ ثَلاَثًا مِنْ ذَوَاتِ حم ” . فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ . فَقَالَ ” اقْرَأْ ثَلاَثًا مِنَ الْمُسَبِّحَاتِ ” . فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقْرِئْنِي سُورَةً جَامِعَةً . فَأَقْرَأَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم { إِذَا زُلْزِلَتِ الأَرْضُ } حَتَّى فَرَغَ مِنْهَا . فَقَالَ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ أَزِيدُ عَلَيْهَا أَبَدًا ثُمَّ أَدْبَرَ الرَّجُلُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” أَفْلَحَ الرُّوَيْجِلُ ” . مَرَّتَيْنِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে কুরআন পড়া শিখান। তিনি বললেন, ‘আলিফ-লাম-রা’ বিশিষ্ট তিনটি সূরাহ পাঠ করো। সে বললো, আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি, আমার অন্তর শক্ত হয়ে গেছে এবং আমার জিহ্বা ভারী হয়ে গেছে। তিনি বললেনঃ তাহলে ‘হা-মীম’ বিশিষ্ট তিনটি সূরাহ পাঠ করো। সে পূর্বের ন্যায় উক্তি করলো। অতঃপর তিনি বললেনঃ এমন তিনটি সূরাহ পাঠ করো যেগুলোর শুরুতে ‘সাব্বাহা’ বা ‘ইউসাব্বিহু’ আছে। সে এবারও অনুরুপ উক্তি করে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন একটি সূরাহ শিক্ষা দিন যা সর্বদিক হতে পরিপূর্ণ। সুতরাং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে সূরাহ “ইযা যুলযিলাতিল আরদু যিলযালাহা” শেষ পর্যন্ত পাঠ করালেন। লোকটি বললো, ঐ সত্ত্বার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন! আমি এর অতিরিক্ত করবো না। অতঃপর লোকটি চলে গেলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ লোকটি সফলকাম হয়েছে, লোকটি কামিয়াব হয়েছে। [১৩৯৯]
[১৩৯৯] আহমাদ (হাঃ ৬৫৭৫) শায়খ আহমাদ শাকির বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ, নাসায়ী ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলা’ (হাঃ ৭১৬), হাকিম (২/৫৩২) ইমাম হাকিম বলেন : বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। ইমাম যাহাবী বলেন : বরং কেবল সহীহ। আলবানী বলেন : দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২৭
আয়াতের সংখ্যা সম্পর্কে
১৪০০
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” سُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً تَشْفَعُ لِصَاحِبِهَا حَتَّى يُغْفَرَ لَهُ { تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ } ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুরআনে তিরিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সূরাহ রয়েছে। সূরাহটি তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে, শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। সূরাহটি হচ্ছে ‘তাবারকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুল্ক’। [১৪০০]
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস