আবু দাউদ দাসত্বমুক্তি অধ্যায় হাদিস নং ৩৯২৬ – ৩৯৬৮
অনুচ্ছেদ–১
চুক্তিবদ্ধ গোলাম কৃত শর্তের কিছু পরিশোধের পর অপারগ হলে বা মারা গেলে
৩৯২৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو عُتْبَةَ، إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْمُكَاتَبُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ مُكَاتَبَتِهِ دِرْهَمٌ ” .
‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ‘মুকতাব’ গোলাম আযাদ হওয়ার জন্য যে পরিমাণ মুদ্রা দেয়ার শর্ত আরোপ করে, তা হতে এক দিরহাম অবশিষ্ট থাকলেও সে গোলামই থেকে যাবে। [৩৯২৬]
[৩৯২৬] বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَيُّمَا عَبْدٍ كَاتَبَ عَلَى مِائَةِ أُوقِيَّةٍ فَأَدَّاهَا إِلاَّ عَشْرَةَ أَوَاقٍ فَهُوَ عَبْدٌ وَأَيُّمَا عَبْدٍ كَاتَبَ عَلَى مِائَةِ دِينَارٍ فَأَدَّاهَا إِلاَّ عَشْرَةَ دَنَانِيرَ فَهُوَ عَبْدٌ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَيْسَ هُوَ عَبَّاسٌ الْجُرَيْرِيُّ قَالُوا هُوَ وَهَمٌ وَلَكِنَّهُ هُوَ شَيْخٌ آخَرُ .
‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে গোলাম তার মনিবকে একশো ‘ঊকিয়া’ দিয়ে আযাদ হওয়ার চুক্তি করে নব্বই ঊকিয়া দিয়েছে সে গোলামই রয়ে গেলো। আর যে গোলাম একশো দীনার চুক্তি করে নব্বই দীনার আদায় করেছে, সেও গোলাম রয়ে গেলো। [৩৯২৭]
[৩৯২৭] তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই হাদীসটি গরীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ نَبْهَانَ، مُكَاتَبِ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ، تَقُولُ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنْ كَانَ لإِحْدَاكُنَّ مُكَاتَبٌ فَكَانَ عِنْدَهُ مَا يُؤَدِّي فَلْتَحْتَجِبْ مِنْهُ ”
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেছেনঃ তোমাদের কারো যদি মুকাতাব গোলাম থাকে এবং সে চুক্তিতে আরোপিত মূল্য প্রদানের যোগ্যতা রাখে, তবে তোমরা তার থেকে পর্দা করো। [৩৯২৮]
[৩৯২৮] তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ ‘এই হাদীসটি হাসান সহীহ।’ কিন্তু সানাদের নাহবান সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২
মুকাতাব (চুক্তিবদ্ধ গোলাম)-এর চুক্তি ভঙ্গ হলে তাকে বিক্রি করা
৩৯২৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَخْبَرَتْهُ أَنَّ بَرِيرَةَ جَاءَتْ عَائِشَةَ تَسْتَعِينُهَا فِي كِتَابَتِهَا وَلَمْ تَكُنْ قَضَتْ مِنْ كِتَابَتِهَا شَيْئًا فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ ارْجِعِي إِلَى أَهْلِكِ فَإِنْ أَحَبُّوا أَنْ أَقْضِيَ عَنْكِ كِتَابَتَكِ وَيَكُونَ وَلاَؤُكِ لِي فَعَلْتُ . فَذَكَرَتْ ذَلِكَ بَرِيرَةُ لأَهْلِهَا فَأَبَوْا وَقَالُوا إِنْ شَاءَتْ أَنْ تَحْتَسِبَ عَلَيْكِ فَلْتَفْعَلْ وَيَكُونَ لَنَا وَلاَؤُكِ . فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” ابْتَاعِي فَأَعْتِقِي فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ ” . ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” مَا بَالُ أُنَاسٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَنِ اشْتَرَطَ شَرْطًا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَلَيْسَ لَهُ وَإِنْ شَرَطَهُ مِائَةَ مَرَّةٍ شَرْطُ اللَّهِ أَحَقُّ وَأَوْثَقُ ” .
‘উরওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশাহ (রাঃ) তাকে বলেন, একদা বারীরাহ নাম্নী নামক এক মুকাতাবা দাসী চুক্তিকৃত মূল্য পরিশোধে সাহায্য চাইতে তাঁর নিকট এলো। সে তখন পর্যন্ত চুক্তিপত্রের কিছুই শোধ করেনি। ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাকে বলেন, তুমি মনিব পরিবারে গিয়ে বলো, তারা চাইলে আমি তোমার চুক্তির সমস্ত মূল্যই পরিশোধ করবো এবং আমি তোমার উত্তরাধিকারী হবো। বারীরাহ তাই করলো। কিন্তু মনিব পরিবার রাজি না হয়ে বললো, তিনি ইচ্ছা করলে নেকীর আশায় তোমার এ উপকার করতে পারেন; কিন্তু আমরাই তোমার উত্তরাধিকারী থাকবো। একথা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বলা হলে তিনি তাকে বললেনঃ তুমি ওকে কিনে মুক্ত করে দাও। বস্তুত যে আযাদ করে, উত্তরাধিকার স্বত্ব তারই প্রাপ্য। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে বললেনঃ লোকেদের কি হলো? এরা এমন শর্ত আরোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। আর আল্লাহর কিতাবে নেই এরূপ শর্ত একশো বার করলেও সে তার হকদার নয়। আল্লাহর শর্তই সত্য ও সবচেয়ে মজবুত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩০
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ جَاءَتْ بَرِيرَةُ لِتَسْتَعِينَ فِي كِتَابَتِهَا فَقَالَتْ إِنِّي كَاتَبْتُ أَهْلِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُوقِيَّةٌ فَأَعِينِينِي . فَقَالَتْ إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَعُدَّهَا عَدَّةً وَاحِدَةً وَأُعْتِقَكِ وَيَكُونَ وَلاَؤُكِ لِي فَعَلْتُ . فَذَهَبَتْ إِلَى أَهْلِهَا وَسَاقَ الْحَدِيثَ نَحْوَ الزُّهْرِيِّ زَادَ فِي كَلاَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي آخِرِهِ “ مَا بَالُ رِجَالٍ يَقُولُ أَحَدُهُمْ أَعْتِقْ يَا فُلاَنُ وَالْوَلاَءُ لِي إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ ”
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বারীরাহ তার চুক্তি মোতাবেক মূল্য পরিশোধে সাহায্য চাইতে এসে বললো, আমি আমার মনিব পরিবারের সাথে প্রতি বছর এক ঊকিয়া করে নয় ঊকিয়া দেয়ার চুক্তিতে দলীল করেছি। কাজেই আপনি আমাকে সাহায্য করুন। তিনি বলেন, তোমার মনিব পরিবার সম্মত হলে চুক্তির পুরো মূল্য একসঙ্গে আদায় করে তোমাকে মুক্ত করবো। আর আমি হবো তোমার উত্তরাধিকারী। এ প্রস্তাব নিয়ে বাঁদী তার মনিবের নিকট গেলো। অতঃপর যুহরীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তবে যুহরীর বর্ণনার শেষ দিকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ কথাটুকু রয়েছেঃ মানুষের কী হলো যে, তাদের কেউ বলে, হে অমুক! তুমি আযাদ করে দাও, কিন্ত উত্তরাধিকার স্বত্ব আমার। অথচ নিঃসন্দেহে উত্তরাধিকার স্বত্ব আযাদকারীর জন্যই নির্ধারিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩১
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الأَصْبَغِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ وَقَعَتْ جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ الْمُصْطَلِقِ فِي سَهْمِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ أَوِ ابْنِ عَمٍّ لَهُ فَكَاتَبَتْ عَلَى نَفْسِهَا وَكَانَتِ امْرَأَةً مَلاَّحَةً تَأْخُذُهَا الْعَيْنُ – قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها – فَجَاءَتْ تَسْأَلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي كِتَابَتِهَا فَلَمَّا قَامَتْ عَلَى الْبَابِ فَرَأَيْتُهَا كَرِهْتُ مَكَانَهَا وَعَرَفْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَيَرَى مِنْهَا مِثْلَ الَّذِي رَأَيْتُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ وَإِنَّمَا كَانَ مِنْ أَمْرِي مَا لاَ يَخْفَى عَلَيْكَ وَإِنِّي وَقَعْتُ فِي سَهْمِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ وَإِنِّي كَاتَبْتُ عَلَى نَفْسِي فَجِئْتُكَ أَسْأَلُكَ فِي كِتَابَتِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” فَهَلْ لَكِ إِلَى مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ ” . قَالَتْ وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” أُؤَدِّي عَنْكِ كِتَابَتَكِ وَأَتَزَوَّجُكِ ” . قَالَتْ قَدْ فَعَلْتُ قَالَتْ فَتَسَامَعَ – تَعْنِي النَّاسَ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ تَزَوَّجَ جُوَيْرِيَةَ فَأَرْسَلُوا مَا فِي أَيْدِيهِمْ مِنَ السَّبْىِ فَأَعْتَقُوهُمْ وَقَالُوا أَصْهَارُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا رَأَيْنَا امْرَأَةً كَانَتْ أَعْظَمَ بَرَكَةً عَلَى قَوْمِهَا مِنْهَا أُعْتِقَ فِي سَبَبِهَا مِائَةُ أَهْلِ بَيْتٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حُجَّةٌ فِي أَنَّ الْوَلِيَّ هُوَ يُزَوِّجُ نَفْسَهُ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বনী মুস্তালিক যুদ্ধে ‘জুয়ায়রিয়াহ বিনতুল হারিস ইবনুল মুস্তালিক’ বন্দিনী হয়ে সাবিত ইবনু ক্বায়িস ইবনু শাম্মাস (রাঃ) বা তার চাচাত ভাইয়ের ভাগে পড়েন। অতঃপর তিনি নিজেকে আযাদ করার চুক্তি করেন। তিনি খুবই সুন্দরী নারী ছিলেন, নজর কাড়া রূপ ছিল তার। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তিনি চুক্তির অর্থ চাইতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলেন। তিনি দরজায় এসে দাঁড়াতেই আমি তাকে দেখে অসন্তুষ্ট হলাম। আমি ভাবলাম, যে রূপ-লাবন্যে তাকে দেখেছি, শিঘ্রই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও তাকে এভাবে দেখবেন। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জুয়ায়রিয়াহ বিনতুল হারিস, আমার সামাজিক অবস্থান অবশ্যই আপনার নিকট স্পষ্ট। আমি সাবিত ইবনু ক্বায়িস ইবনু শাম্মাসের ভাগে পড়েছি। আমি মুক্ত হওয়ার চুক্তিপত্র করেছি, চুক্তির নির্ধারিত অর্থ আদায়ে সাহায্য চাইতে আপনার কাছে এসেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাবে তুমি রাজি আছো কি? তিনি বললেন, কী প্রস্তাব, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আমি চুক্তির সমস্ত পাওনা শোধ করে তোমাকে বিয়ে করতে চাই। তিনি বললেন, হাঁ, আমি আপনার প্রস্তাবে রাজি আছি। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুয়ায়রিয়াহকে বিয়ে করেছেন, একথা সবার মাঝে জানাজানি হয়ে গেলো। তারা তাদের আওতাধীন সমস্ত বন্দীকে আযাদ করে ছাড়তে লাগলেন আর বলতে লাগলেন, এরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শ্বশুর বংশের লোক। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নিজের গোত্রের কল্যাণের জন্য তার চাইতে বরকতময়ী মহিলা আমি আর কাউকে দেখিনি। শুধু তার মাধ্যমে বনী মুস্তালিকের একশো পরিবার আযাদ হয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলিম শাসক সরাসরি বিয়ে করতে পারেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩
শর্তসাপেক্ষে দাসত্বমুক্তি
৩৯৩২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ كُنْتُ مَمْلُوكًا لأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ أُعْتِقُكَ وَأَشْتَرِطُ عَلَيْكَ أَنْ تَخْدُمَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا عِشْتَ . فَقُلْتُ إِنْ لَمْ تَشْتَرِطِي عَلَىَّ مَا فَارَقْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا عِشْتُ فَأَعْتَقَتْنِي وَاشْتَرَطَتْ عَلَىَّ .
সাফীনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ্র (রাঃ) কৃতদাস ছিলাম। তিনি বললেন, আমি তোমাকে আযাদ করবো এ শর্তে যে, যতো দিন তুমি জীবিত থাকবে, রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেদমত করবে। আমি বললাম, আপনি যদি এ শর্ত আরোপ নাও করতেন, তবুও আমি আমার জীবদ্দশা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গ ত্যাগ করতাম না। অতঃপর তিনি আমাকে উক্ত শর্তে আযাদ করলেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪
কেউ শরীকানা গোলামের নিজ অংশ মুক্ত করলে
৩৯৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، – الْمَعْنَى – أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، – قَالَ أَبُو الْوَلِيدِ – عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَعْتَقَ شِقْصًا لَهُ مِنْ غُلاَمٍ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ لَيْسَ لِلَّهِ شَرِيكٌ ” . زَادَ ابْنُ كَثِيرٍ فِي حَدِيثِهِ فَأَجَازَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عِتْقَهُ .
আবুল ওয়ালীদ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি যৌথ মালিকানাধীন কৃতদাসে তার অংশ মুক্ত করলো। অতঃপর এ সংবাদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পৌছলে তিনি বলেনঃ আল্লাহর কোন শরীক নেই। ইবনু কাসীরের (রহঃ) বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে মুক্ত করার অনুমতি দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، أَعْتَقَ شِقْصًا لَهُ مِنْ غُلاَمٍ فَأَجَازَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عِتْقَهُ وَغَرَّمَهُ بَقِيَّةَ ثَمَنِهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত কৃতদাসের তার অংশ আযাদ করে দিলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাসত্বমুক্তির অনুমতি দিয়ে তাকে তার অবশিষ্ট অংশের মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা করতে বললেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ سُوَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ أَعْتَقَ مَمْلُوكًا بَيْنَهُ وَبَيْنَ آخَرَ فَعَلَيْهِ خَلاَصُهُ ” . وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ سُوَيْدٍ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথ মালিকানাধীন দাস হতে তার অংশ আযাদ করে দেয়, তার কর্তব্য হলো তাকে পূর্ণভাবে আযাদের ব্যবস্থা করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৬
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ سُوَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ أَعْتَقَ نَصِيبًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ عَتَقَ مِنْ مَالِهِ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ ” . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ الْمُثَنَّى النَّضْرَ بْنَ أَنَسٍ وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ سُوَيْدٍ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ) হতে তার নিজ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যৌথ মালিকানাধীন দাস থেকে যে ব্যক্তি তার নিজের অংশ আযাদ করবে, সে যদি সম্পদশালী হলে তার সম্পদ খরচ করে বাকী অংশও যেন আযাদ করে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫
গোলামকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে কাজ করানো
৩৯৩৭
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، – يَعْنِي الْعَطَّارَ – حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَعْتَقَ شَقِيصًا فِي مَمْلُوكِهِ فَعَلَيْهِ أَنْ يُعْتِقَهُ كُلَّهُ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ وَإِلاَّ اسْتُسْعِيَ الْعَبْدُ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত কৃতদাসের নিজের অংশ আযাদ করে সে মালদার হলে সম্পূর্ণ আযাদ করার ব্যবস্থা করা উচিত। সম্পদশালী না হলে কঠিন পরিশ্রমে না ফেলে দাসকে দিয়ে কাজ করাতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৮
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، – وَهَذَا لَفْظُهُ – عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ أَعْتَقَ شِقْصًا لَهُ – أَوْ شَقِيصًا لَهُ – فِي مَمْلُوكٍ فَخَلاَصُهُ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ قُوِّمَ الْعَبْدُ قِيمَةَ عَدْلٍ ثُمَّ اسْتُسْعِيَ لِصَاحِبِهِ فِي قِيمَتِهِ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي حَدِيثِهِمَا جَمِيعًا ” فَاسْتُسْعِيَ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ ” . وَهَذَا لَفْظُ عَلِيٍّ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত কৃতদাসের নিজের অংশ আযাদ করে, সে সম্পদশালী হলে তার কর্তব্য হলো তাকে পূর্ণভাবে আযাদ করার ব্যবস্থা করা। আর সে সম্পদশালী না হলে গোলামটির সঠিক মূল্য নিরূপণ করার পর গোলামের দ্বারা সাধ্য মোতাবেক কাজ করাবে। অতঃপর তার পারিশ্রমিকের অর্থ দ্বারা মূল্য আদায় করবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, উভয় বর্ণনাকারীর বক্তব্য হলো : ‘তাকে দিয়ে সহজসাধ্য পরিশ্রম করাবে’।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، لَمْ يَذْكُرِ السِّعَايَةَ وَرَوَاهُ جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ وَمُوسَى بْنُ خَلَفٍ جَمِيعًا عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ وَمَعْنَاهُ وَذَكَرَا فِيهِ السِّعَايَةَ .
সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সাঈদ (রহঃ) হতে তার সানাদে অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, কোন বর্ণনায় শব্দটি উল্লেখ আছে এবং কোন বর্ণনায় নেই। [৩৯৩৯]
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬
যারা বলেন, গোলামকে কাজে লাগানো যাবে না
৩৯৪০
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ أُقِيمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَأُعْتِقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلاَّ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ ” . .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত কৃতদাসের নিজের অংশ মুক্ত করলে তার সঠিক মূল্য নিরূপণ করতে হবে। অতঃপর সে অন্য শরীকদের অংশও পরিশোধ করবে এবং এর বিনিময়ে গোলামটি আযাদ হবে। অন্যথায় তাকে যতটুকু আযাদ করা হয়েছে সে ততটুকুই আযাদ হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪১
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ وَكَانَ نَافِعٌ رُبَّمَا قَالَ “ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ ” . وَرُبَّمَا لَمْ يَقُلْهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। বর্ণনাকারী বলেন, নাফি’ কখনো অর্থাৎ “যা আযাদ করলো তা করলোই” এরূপ বলেছেন, আবার কখনো তা বলেননি। [৩৯৪১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪২
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ أَيُّوبُ فَلاَ أَدْرِي هُوَ فِي الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ شَىْءٌ قَالَهُ نَافِعٌ وَإِلاَّ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত। আইয়ূব (রহঃ) বলেন, আমি অবহিত নই, হাদীসের “যা আযাদ করলো তা করলোই” কথাটুকু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাকি নাফি’ (রহঃ)-এর নিজস্ব বক্তব্য। [৩৯৪২]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৩
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا مِنْ مَمْلُوكٍ لَهُ فَعَلَيْهِ عِتْقُهُ كُلُّهُ إِنْ كَانَ لَهُ مَا يَبْلُغُ ثَمَنَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ عَتَقَ نَصِيبُهُ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শরীকানা গোলামের নিজের অংশ আযাদ করে দেয়, তার নিকট যদি এ গোলামের সম্পূর্ণ মূল্য পরিমাণ মাল থাকে, তবে তার উচিত তাকে পূর্ণভাবে আযাদ করা। আর যদি এ পরিমাণ সম্পদ না থাকে, তবে সে তার অংশ পরিমাণই আযাদ হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৪
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُوسَى .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে ইবরাহীম ইবনু মূসা বর্ণিত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত। [৩৯৪৪]
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৯৪৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى مَالِكٍ وَلَمْ يَذْكُرْ ” وَإِلاَّ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ ” . انْتَهَى حَدِيثُهُ إِلَى ” وَأُعْتِقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ ” . عَلَى مَعْنَاهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে মালিক বর্ণিত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত। তবে এতে “সে তার অংশ পরিমাণই আযাদ হবে” কথাটুকু উল্লেখ নেই। তার বর্ণিত হাদীস […আরবী…] একথায় গিয়ে সমাপ্ত হয়েছে। [৩৯৪৫]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৬
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ عَتَقَ مِنْهُ مَا بَقِيَ فِي مَالِهِ إِذَا كَانَ لَهُ مَا يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কেউ শরীকানা গোলামের নিজের অংশ আযাদ করলে তার নিকট এ গোলামের পুরো মূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার উচিত, অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে তাকে আযাদ করার ব্যবস্থা করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا كَانَ الْعَبْدُ بَيْنَ اثْنَيْنِ فَأَعْتَقَ أَحَدُهُمَا نَصِيبَهُ فَإِنْ كَانَ مُوسِرًا يُقَوَّمُ عَلَيْهِ قِيمَةً لاَ وَكْسَ وَلاَ شَطَطَ ثُمَّ يُعْتَقُ ” .
সালিম (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
সালিম (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত এবং এ সূত্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌছে। তিনি বলেনঃ দুই মনিবের মালিকানাধীন একটি কৃতদাসকে এক মনিব তার অংশ আযাদ করলো। আযাদকারী মনিব যদি সম্পদশালী হয়, তবে তার উচিত হলো গোলামটির যথার্থ মূল্য না কমিয়ে না বাড়িয়ে ধার্য করে তাকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ الْعَنْبَرِيِّ، عَنِ ابْنِ التَّلِبِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَعْتَقَ نَصِيبًا لَهُ مِنْ مَمْلُوكٍ فَلَمْ يُضَمِّنْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَحْمَدُ إِنَّمَا هُوَ بِالتَّاءِ – يَعْنِي التَّلِبَّ – وَكَانَ شُعْبَةُ أَلْثَغَ لَمْ يُبَيِّنِ التَّاءَ مِنَ الثَّاءِ .
ইবনুত তালিব্বা (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি শরীকানা গোলামের নিজের অংশ মুক্ত করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অবশিষ্ট অংশ মুক্ত করতে বাধ্য করেননি। [৩৯৪৮]
[৩৯৪৮] নাসায়ী, বায়হাক্বী। সানাদের ইবনুত তালিব্বি সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাসতুর। ইবনু হাযম বলেনঃ মাজহুল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭
কেউ রক্ত সম্পর্কীয় মুহাররাম গোলামের মালিক হলে
৩৯৪৯
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ مُوسَى فِي مَوْضِعٍ آخَرَ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ فِيمَا يَحْسِبُ حَمَّادٌ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ مَلَكَ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ فَهُوَ حُرٌّ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ قَتَادَةَ وَعَاصِمٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يُحَدِّثْ ذَلِكَ الْحَدِيثَ إِلاَّ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَقَدْ شَكَّ فِيهِ .
সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কারো মালিকানায় কোন নিকটাত্মীয় ‘মুহাররাম’ দাস হয়ে আসলে সে আযাদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، – رضى الله عنه – قَالَ مَنْ مَلَكَ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ فَهُوَ حُرٌّ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, কারো মালিকানায় যদি নিকটাত্মীয় মুহাররাম ব্যক্তি গোলাম থাকে তবে সে সরাসরি আযাদ। [৩৯৫০]
[৩৯৫০] বায়হাক্বী । এর সানাদ মুরসাল। ক্বাতাদাহ হাদীসটি ‘উমার থেকে শুনেননি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল মাকতু
- সরাসরি
৩৯৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ مَنْ مَلَكَ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ فَهُوَ حُرٌّ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাসান (রহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি নিকট আত্মীয়ের মনিব হলে, সে সরাসরি মুক্ত। [৩৯৫১]
[৩৯৫১] নাসায়ী
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৩৯৫২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، وَالْحَسَنِ، مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَعِيدٌ أَحْفَظُ مِنْ حَمَّادٍ .
ক্বাতাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির ইবনু যায়িদ এবং হাসানের সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন হাম্মাদের তুলনায় সাঈদ (রহঃ) অধিক স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন। [৩৯৫২]
[৩৯৫২] নাসায়ী
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮
উম্মু ওয়ালাদ আযাদ হওয়া
৩৯৫৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ خَطَّابِ بْنِ صَالِحٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِيِّ عَنْ أُمِّهِ، عَنْ سَلاَمَةَ بِنْتِ مَعْقِلٍ، – امْرَأَةٍ مِنْ خَارِجَةِ قَيْسِ عَيْلاَنَ – قَالَتْ قَدِمَ بِي عَمِّي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَبَاعَنِي مِنَ الْحُبَابِ بْنِ عَمْرٍو أَخِي أَبِي الْيَسَرِ بْنِ عَمْرٍو فَوَلَدْتُ لَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْحُبَابِ ثُمَّ هَلَكَ فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ الآنَ وَاللَّهِ تُبَاعِينَ فِي دَيْنِهِ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ مِنْ خَارِجَةِ قَيْسِ عَيْلاَنَ قَدِمَ بِي عَمِّي الْمَدِينَةَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَبَاعَنِي مِنَ الْحُبَابِ بْنِ عَمْرٍو أَخِي أَبِي الْيَسَرِ بْنِ عَمْرٍو فَوَلَدْتُ لَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْحُبَابِ فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ الآنَ وَاللَّهِ تُبَاعِينَ فِي دَيْنِهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ وَلِيُّ الْحُبَابِ ” . قِيلَ أَخُوهُ أَبُو الْيَسَرِ بْنُ عَمْرٍو فَبَعَثَ إِلَيْهِ فَقَالَ ” أَعْتِقُوهَا فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِرَقِيقٍ قَدِمَ عَلَىَّ فَأْتُونِي أُعَوِّضْكُمْ مِنْهَا ” . قَالَتْ فَأَعْتَقُونِي وَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَقِيقٌ فَعَوَّضَهُمْ مِنِّي غُلاَمًا .
খারিজাহ ক্বায়িস ‘আইলান গোত্রের সালামাহ বিনতু মা’ক্বিল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জাহিলী যুগে আমার চাচা আমাকে মদীনায় এনে আবুল ইয়াসার ইবনু ‘আমরের ভাই হুবাব ইবনু ‘আমরের নিকট বিক্রি করেন। অতঃপর আমি হুবারের পুত্র ‘আবদুর রহমানকে প্রসব করি। পরবর্তীতে হুবার মারা গেলে তার স্ত্রী বলেন, আল্লাহর কসম! এখন তুমি তার ঋণের জন্য বিক্রি হবে। একথা শুনে আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট এসে বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমি খারিজাহ ক্বায়িস ‘আইলান গোত্রের মহিলা। জাহিলী যুগে আমার চাচা আমাকে নিয়ে মাদীনাহ্তে আসেন এবং আবুল ইয়াসার ইবনু ‘আমরের ভাই হুবার ইবনু ‘আমরের নিকট আমাকে বিক্রি করেন। অতঃপর আমার গর্ভে ‘আবদুর রহমান ইবনু হুবার জন্মগ্রহণ করে। তার স্ত্রী বলেন, আল্লাহর কসম! এখন তুমি তার ঋণের জন্য বিক্রি হবে। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হুবারের অভিভাবক কে? বলা হয়, তার ভাই আবুল ইয়াসার ইবনু ‘আমর। অতঃপর তিনি তার নিকট বলে পাঠালেন, মেয়েটিকে তোমরা মুক্ত করে দাও। আর যখনই শুনবে, আমার নিকট কোন গোলাম এসেছে, তখনই তোমরা আসবে এবং আমি এর বিনিময়ে তাকে তোমাদেরকে প্রদান করবো। মহিলাটি বলেন, তারা আমাকে মুক্ত করে দিলো। পরে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট একটি গোলাম এলে তিনি তাকে আমার বিনিময়ে তাদের দিয়ে দিলেন। [৩৯৫৩]
[৩৯৫৩] আহমাদ। সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫৪
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بِعْنَا أُمَّهَاتِ الأَوْلاَدِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ نَهَانَا فَانْتَهَيْنَا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বাক্রের যুগে উম্মু ওয়ালাদ বাঁদীদেরকে বিক্রি করেছি। পরবর্তীতে ‘উমারের (রাঃ) যুগে তিনি আমাদের বারণ করায় আমরা বিরত হই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯
মুদাব্বার গোলাম বিক্রি করা
৩৯৫৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَعْتَقَ غُلاَمًا لَهُ عَنْ دُبُرٍ مِنْهُ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَبِيعَ بِسَبْعِمِائَةٍ أَوْ بِتِسْعِمِائَةٍ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক তার কৃতদাসকে এরূপ শর্ত দিয়ে রাখলো যে, সে মারা গেলে সে আযাদ। অথচ গোলাম ব্যতীত তার কোন সম্পদ ছিলো না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এ গোলাম বিক্রি করার আদেশ দিলেন। অতঃপর তাকে সাতশো অথবা নয়শো আরবী মুদ্রায় বিক্রি করা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫৬
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، بِهَذَا زَادَ وَقَالَ – يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم – “ أَنْتَ أَحَقُّ بِثَمَنِهِ وَاللَّهُ أَغْنَى عَنْهُ ” .
‘আত্বা ইবনু আবূ রাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আমার নিকট উল্লেখিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে রয়েছেঃ তিনি অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমিই মুদাব্বার গোলামের মূল্যের পাওনাদার, আর আল্লাহ তা হতে মুখাপেক্ষীহীন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ أَبُو مَذْكُورٍ أَعْتَقَ غُلاَمًا لَهُ يُقَالُ لَهُ يَعْقُوبُ عَنْ دُبُرٍ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ فَدَعَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” مَنْ يَشْتَرِيهِ ” . فَاشْتَرَاهُ نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ النَّحَّامِ بِثَمَانِمِائَةِ دِرْهَمٍ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ” إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فَقِيرًا فَلْيَبْدَأْ بِنَفْسِهِ فَإِنْ كَانَ فِيهَا فَضْلٌ فَعَلَى عِيَالِهِ فَإِنْ كَانَ فِيهَا فَضْلٌ فَعَلَى ذِي قَرَابَتِهِ ” . أَوْ قَالَ ” عَلَى ذِي رَحِمِهِ فَإِنْ كَانَ فَضْلاً فَهَا هُنَا وَهَا هُنَا ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ মাযকূর নামক জনৈক আনসারীর ইয়াকূব নামে একটি কৃতদাস ছিল। সে ঘোষণা করে যে, সে মনিব মারা গেলে কৃতদাস আযাদ। অথচ এ কৃতদাস ছাড়া তার অন্য কোন সম্পদ ছিলো না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে আনলেন এবং সাহাবীদের বলেনঃ কে একে কিনবে। নু’আইম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু নাহ্হাম গোলামটিকে আটশো দিরহামে কিনে নিলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অর্থ আনসারীকে দিয়ে বলেনঃ তোমাদের মাঝে কেউ দরিদ্র থাকলে সে প্রথমে নিজের জন্য ব্যয় করবে। তারপর প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকলে তা নিকট আত্মীয়দের জন্য ব্যয় করবে, এরপরও অবশিষ্ঠ থাকলে আল্লাহর পথে নেককাজে ব্যয় করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০
যিনি সম্পদের এক–তৃতীয়াংশের কমে গোলাম আযাদ করেন
৩৯৫৮
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَعْتَقَ سِتَّةَ أَعْبُدٍ عِنْدَ مَوْتِهِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ قَوْلاً شَدِيدًا ثُمَّ دَعَاهُمْ فَجَزَّأَهُمْ ثَلاَثَةَ أَجْزَاءٍ فَأَقْرَعَ بَيْنَهُمْ فَأَعْتَقَ اثْنَيْنِ وَأَرَقَّ أَرْبَعَةً .
‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন মুমূর্ষু ব্যক্তি তার ছয়টি গোলামকে আযাদ করে দিলো। এগুলো ছাড়া তার অন্য কোন সম্পদ ছিলো না। এ খবর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পৌছলে তিনি সেই ব্যক্তিকে কঠোর ভাষায় ধমকালেন। অতঃপর গোলামদের ডেকে এনে তিন ভাগে ভাগ করে তাদের মাঝে লটারী দিলেন। লটারীর ভিত্তিতে দু’জনকে আযাদ করে দিলেন এবং চারজনকে গোলাম হিসেবে রেখে দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫৯
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُخْتَارِ – حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَلَمْ يَقُلْ فَقَالَ لَهُ قَوْلاً شَدِيدًا .
আবূ ক্বিবলাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ক্বিবলাহ (রহঃ) সূত্রে সানাদসহ উপরোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত। তবে তিনি “তাকে কঠোর ভাষায় ধমকালেন” এ বাক্য উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৬০
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – هُوَ الطَّحَّانُ – عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي زَيْدٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ بِمَعْنَاهُ وَقَالَ – يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم – “ لَوْ شَهِدْتُهُ قَبْلَ أَنْ يُدْفَنَ لَمْ يُدْفَنْ فِي مَقَابِرِ الْمُسْلِمِينَ ” .
আবূ যায়িদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক আনসারী সম্পর্কিত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি যদি তার দাফনের পূর্বে উপস্থিত হতাম, তাহলে তাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা হতো না। [৩৯৬০]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৬১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَتِيقٍ، وَأَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَعْتَقَ سِتَّةَ أَعْبُدٍ عِنْدَ مَوْتِهِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَقْرَعَ بَيْنَهُمْ فَأَعْتَقَ اثْنَيْنِ وَأَرَقَّ أَرْبَعَةً .
‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুমূর্ষ অবস্থায় এক ব্যক্তি তার ছয়টি কৃতদাসকে আযাদ করে দিলো। অথচ এগুলো ছাড়া তার অন্য কোন সম্পদ ছিলো না। এ সংবাদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পৌঁছলে তিনি তাদের মাঝে লটারী করে দু’জনকে আযাদ করেন এবং চারজনকে দাস হিসেবে রেখে দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১
কেউ সম্পদশালী গোলাম আযাদ করলে
৩৯৬২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ فَمَالُ الْعَبْدِ لَهُ إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطَهُ السَّيِّدُ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ সম্পদশালী দাস আযাদ করলে, সে তার সম্পদ পাবে, যদি না মনিব এমন শর্ত করে যে, সম্পদ তারই থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২
জারজ সন্তান মুক্ত করা
৩৯৬৩
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ وَلَدُ الزِّنَا شَرُّ الثَّلاَثَةِ ” . وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ لأَنْ أُمَتِّعَ بِسَوْطٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَعْتِقَ وَلَدَ زِنْيَةٍ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জারজ সন্তান তিনটি মন্দের অন্যতম। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর পথে চাবুক দ্বারা উপকৃত হওয়া আমার নিকট জারজ সন্তান আযাদ করার চে্য়ে বেশি প্রিয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩
গোলাম আযাদ করার সওয়াব সম্পর্কে
৩৯৬৪
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنِ الْغَرِيفِ بْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ أَتَيْنَا وَاثِلَةَ بْنَ الأَسْقَعِ فَقُلْنَا لَهُ حَدِّثْنَا حَدِيثًا، لَيْسَ فِيهِ زِيَادَةٌ وَلاَ نُقْصَانٌ فَغَضِبَ وَقَالَ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَقْرَأُ وَمُصْحَفُهُ مُعَلَّقٌ فِي بَيْتِهِ فَيَزِيدُ وَيَنْقُصُ . قُلْنَا إِنَّمَا أَرَدْنَا حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَاحِبٍ لَنَا أَوْجَبَ – يَعْنِي – النَّارَ بِالْقَتْلِ فَقَالَ “ أَعْتِقُوا عَنْهُ يُعْتِقِ اللَّهُ بِكُلِّ عُضْوٍ مِنْهُ عُضْوًا مِنْهُ مِنَ النَّارِ ” .
আল-গারীফ ইবনুদ দায়লামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা ওয়াসিলাহ ইবনুল আসকা’র (রাঃ) নিকট এসে তাকে বলি, আমাদের নিকট এমন একটি হাদীস বর্ণনা করুন, যাতে না বাড়তি কিছু আছে, না কমতি কিছু। একথা শুনে তিনি অসন্তষ্ট হয়ে বললেন, নিশ্চয়ই তোমাদের মাঝে এমন ব্যক্তি আছে, যে ঘরে তার কিতাব (আল-কুরআন) হতে বাড়িয়ে-কমিয়ে পাঠ করে? আমরা বললাম, আমরা তো এরূপ হাদীসের আশা করেছি, যা আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছেন। তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে আমাদের এক মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে বললাম, হত্যার দায়ে যার উপর জাহান্নামের আগুন অবধারিত হয়েছে। তিনি বলেনঃ তার পক্ষ হতে তোমরা দাস মুক্ত করো, আল্লাহ দাসের প্রতিটি অঙ্গের পরিবর্তে মৃত ব্যক্তির প্রতিটি অঙ্গকে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দিবেন।
[৩৯৬৪] আহমাদ, বায়হাক্বী। সানাদের গীফ ইবনু দায়রামীকে ইবনু হিব্বান ছাড়া কেউ সিক্বাহ বলেননি। ইবনু হাযম বলেনঃ তিনি মাজহুল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪
কোন ধরনের গোলাম আযাদ করা অধিক উত্তম
৩৯৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، عَنْ أَبِي نَجِيحٍ السُّلَمِيِّ، قَالَ حَاصَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَصْرِ الطَّائِفِ – قَالَ مُعَاذٌ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ بِقَصْرِ الطَّائِفِ بِحِصْنِ الطَّائِفِ كُلُّ ذَلِكَ – فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” مَنْ بَلَغَ بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَلَهُ دَرَجَةٌ ” . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” أَيُّمَا رَجُلٍ مُسْلِمٍ أَعْتَقَ رَجُلاً مُسْلِمًا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ جَاعِلٌ وِقَاءَ كُلِّ عَظْمٍ مِنْ عِظَامِهِ عَظْمًا مِنْ عِظَامِ مُحَرَّرِهِ مِنَ النَّارِ وَأَيُّمَا امْرَأَةٍ أَعْتَقَتِ امْرَأَةً مُسْلِمَةً فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ وِقَاءَ كُلِّ عَظْمٍ مِنْ عِظَامِهَا عَظْمًا مِنْ عِظَامِ مُحَرَّرِهَا مِنَ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
আবূ নাজীহ আস-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে তায়েফ দুর্গ অবরোধ করেছি। মু’আয (রহঃ) বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, তায়েফ প্রাসাদ বা তায়েফ দুর্গ। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করেছে, তার জন্য একটি মর্তবা রয়েছে। এ হাদীস এভাবে অগ্রসর হয়েছে। আর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে কোন মুসলিম পুরুষ তার মুসলিম দাসকে মুক্ত করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন এ কৃতদাসের প্রতিটি হাড়ের বিনিময়ে মুক্তিদাতার প্রতিটি হাড়কে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন। আর যে কোন মুসলিম নারী তার মুসলিম কৃতদাসীকে মুক্ত করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ দাসীর প্রতিটি হাড়ের বিনিময়ে ক্বিয়ামাতের দিন মুক্তিদাত্রীর প্রতিটি হাড়কে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৬৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي سُلَيْمُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ، أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ حَدِّثْنَا حَدِيثًا، سَمِعْتَهُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ أَعْتَقَ رَقَبَةً مُؤْمِنَةً كَانَتْ فِدَاءَهُ مِنَ النَّارِ ” .
শুরাহ্বীল ইবনুস সিম্ত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি ‘আমর ইবনু আবাসাহ (রাঃ)-কে বলেন, আপনি আমাদের নিকট এমন একটি হাদীস বর্ণনা করুন, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কৃতদাসীকে মুক্ত করবে, সে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি পাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৬৭
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ، أَنَّهُ قَالَ لِكَعْبِ بْنِ مُرَّةَ أَوْ مُرَّةَ بْنِ كَعْبٍ حَدِّثْنَا حَدِيثًا، سَمِعْتَهُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَى مُعَاذٍ إِلَى قَوْلِهِ ” وَأَيُّمَا امْرِئٍ أَعْتَقَ مُسْلِمًا وَأَيُّمَا امْرَأَةٍ أَعْتَقَتِ امْرَأَةً مُسْلِمَةً ” . زَادَ ” وَأَيُّمَا رَجُلٍ أَعْتَقَ امْرَأَتَيْنِ مُسْلِمَتَيْنِ إِلاَّ كَانَتَا فِكَاكَهُ مِنَ النَّارِ يُجْزَى مَكَانَ كُلِّ عَظْمَيْنِ مِنْهُمَا عَظْمٌ مِنْ عِظَامِهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَالِمٌ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ شُرَحْبِيلَ مَاتَ شُرَحْبِيلُ بِصِفِّينَ .
শুরাহ্বীল ইবনুস সিম্ত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি কা’ব ইবনু মুররাহ বা মুররাহ ইবনু কা’ব (রাঃ)-কে বলেন, আপনি আমাদের নিকট এমন একটি হাদীস বর্ণনা করুন, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছেন। অতঃপর তিনি মু’আয বর্ণিত হাদীসের সমার্থক হাদীস এ পর্যন্ত বর্ণনা করেনঃ যে কোন ব্যাক্তি তার মুসলিম কৃতদাসকে মুক্ত করবে এবং যে কোন মহিলা তার মুসলিম দাসীকে মুক্ত করবে। বর্ণনাকারীর অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ যে কোন পুরুষ দু’জন মুসলিম দাসীকে মুক্ত করবে, এগুলো তাকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করবে। এ দু’জন দাসীর দু’টি হাড়ের পরিবর্তে মুক্তিদাতার একটি হাড়কে মুক্তি দেয়া হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, সাজিম (রহঃ) শুরাহ্বীল (রহঃ) হতে হাদীস শুনেননি। শুরাহ্বীল (রহঃ) সিফ্ফীন যুদ্ধে মারা গেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫
সুস্থ অবস্থায় গোলাম আযাদ করার মর্যাদা
৩৯৬৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي حَبِيبَةَ الطَّائِيِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَثَلُ الَّذِي يُعْتِقُ عِنْدَ الْمَوْتِ كَمَثَلِ الَّذِي يُهْدِي إِذَا شَبِعَ ” .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুমূর্ষু অবস্থায় গোলাম আযাদকারীর দৃষ্টান্ত হলো, যে ব্যাক্তি পরিতৃপ্ত হওয়ার পর অন্যকে উপহার দেয়। [৩৯৬৮]
[৩৯৬৮] তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান সহীহ। নাসায়ী, আহমাদ, দারিমী। সানাদের আবূ হাবীবাহ ত্বায়ী সম্পর্কে হাফয বলেনঃ মাক্ববূল। ইবনু হিব্বান তাকে সিক্বাতে উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস