আবু দাউদ জিহাদ অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ২৭০১ – ২৭৮৭
অনুচ্ছেদ—১৩৭
শত্রু দেশের খাদ্য হালাল হওয়া সম্পর্কে
২৭০১
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ الزُّبَيْرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ جَيْشًا، غَنِمُوا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا وَعَسَلاً فَلَمْ يُؤْخَذْ مِنْهُمُ الْخُمُسُ .
ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদল সৈনিক রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে গনীমাত হিসাবে কিছু খাদ্যশস্য ও মধু পায়। কিন্তু তার এক –পঞ্চমাংশ নেয়া হয়নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭০২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَالْقَعْنَبِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ حُمَيْدٍ، – يَعْنِي ابْنَ هِلاَلٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ دُلِّيَ جِرَابٌ مِنْ شَحْمٍ يَوْمَ خَيْبَرَ – قَالَ – فَأَتَيْتُهُ فَالْتَزَمْتُهُ – قَالَ – ثُمَّ قُلْتُ لاَ أُعْطِي مِنْ هَذَا أَحَدًا الْيَوْمَ شَيْئًا – قَالَ – فَالْتَفَتُّ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَبَسَّمُ إِلَىَّ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খায়বার যুদ্ধের দিন চর্বিভর্তি একটি ব্যাগ পরে থাকতে দেখে আমি তা উঠিয়ে নিয়ে বললাম, এ চর্বি থেকে কাউকে একটুও দিবো না। বর্ণনাকারী বলেন, দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখি, রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩৮
শত্রু এলাকায় খাদ্য ঘাটতি হলেও তা লুটপাট করা নিষেধ
২৭০৩
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ – عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي لُبَيْدٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ بِكَابُلَ فَأَصَابَ النَّاسُ غَنِيمَةً فَانْتَهَبُوهَا فَقَامَ خَطِيبًا فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنِ النُّهْبَى . فَرَدُّوا مَا أَخَذُوا فَقَسَمَهُ بَيْنَهُمْ .
আবূ লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা এক অভিযানে কাবুল নামক জায়গায় ‘আবদুর রাহমান ইবনু মাসুরাহর (রাঃ) সঙ্গী হই। গনীমাত সংগ্রহণের সুযোগ এলে লোকেরা তা লুণ্ঠন করে নেয়। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে “গনীমাত বণ্টনের পূর্বে তা থেকে কিছু নিতে নিষেধ করতে শুনেছি”। সুতরাং লোকেরা যা নিয়েছিল তা ফেরত দিলো। পরে তিনি সেগুলোকে তাদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مُجَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ قُلْتُ هَلْ كُنْتُمْ تُخَمِّسُونَ – يَعْنِي الطَّعَامَ – فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَصَبْنَا طَعَامًا يَوْمَ خَيْبَرَ فَكَانَ الرَّجُلُ يَجِيءُ فَيَأْخُذُ مِنْهُ مِقْدَارَ مَا يَكْفِيهِ ثُمَّ يَنْصَرِفُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে কি আপনারা খাদ্যদ্রব্য থেকেও এক-পঞ্চমাংশ বের করতেন? এক সাহাবী বললেন, খায়বারের যুদ্ধের দিন আমরা খাদ্যদ্রব্য পাই। লোকজন এসে তাদের প্রয়োজন মত খাদ্যদ্রব্য উঠিয়ে নিয়ে চলে যেতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭০৫
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمٍ، – يَعْنِي ابْنَ كُلَيْبٍ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الأَنْصَارِ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَصَابَ النَّاسَ حَاجَةٌ شَدِيدَةٌ وَجَهْدٌ وَأَصَابُوا غَنَمًا فَانْتَهَبُوهَا فَإِنَّ قُدُورَنَا لَتَغْلِي إِذْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْشِي عَلَى قَوْسِهِ فَأَكْفَأَ قُدُورَنَا بِقَوْسِهِ ثُمَّ جَعَلَ يُرَمِّلُ اللَّحْمَ بِالتُّرَابِ ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ النُّهْبَةَ لَيْسَتْ بِأَحَلَّ مِنَ الْمَيْتَةِ ” . أَوْ ” إِنَّ الْمَيْتَةَ لَيْسَتْ بِأَحَلَّ مِنَ النُّهْبَةِ ” . الشَّكُّ مِنْ هَنَّادٍ .
‘আসিম ইবনু কুলাইব (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একজন আনসারীর নিকট হতে বর্ণনা করেন যে, আনসার লোকটি বললেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে এক সফরে বের হই। লোকেরা ভীষণ খাদ্যকস্টের শিকার হলো। ইতোমধ্যে কিছু সংখ্যক বকরী তাদের হস্তগত হয়। কিন্তু বণ্টনের পূর্বেই তারা সেগুলো লুণ্ঠন করে নেয়। আমাদের হাঁড়িগুলাতে গোশত টগবগ করে ফুটছিল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ধনুকে ভর দিয়ে এখানে উপস্থিত হলেন এবং ধুনুক দিয়ে গোশতের হাঁড়ি উল্টিয়ে ফেলে দিয়ে তা বালির সাথে মিশিয়ে দিলেন। তিনি বললেনঃ এই লুটের মাল মৃত জন্তুর চাইতে কিছু কম নয় অথবা বলেছেনঃ মৃত জন্তু এই লুটের মালের চেয়ে কিছু কম নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ—১৩৯
শত্রু দেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে আসা
২৭০৬
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ ابْنَ حَرْشَفٍ الأَزْدِيَّ، حَدَّثَهُ عَنِ الْقَاسِمِ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ كُنَّا نَأْكُلُ الْجَزْرَ فِي الْغَزْوِ وَلاَ نَقْسِمُهُ حَتَّى إِنْ كُنَّا لَنَرْجِعُ إِلَى رِحَالِنَا وَأَخْرِجَتُنَا مِنْهُ مُمْلاَةٌ .
‘আবদুর রহমানের (রহঃ) আযাদকৃত গোলাম আল-ক্বাসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক সাহাবী হতে বর্ণনা করেন, আমরা যুদ্ধের সময় (গনীমাতের) উট যবাহ করে খেতাম, বণ্টন করতাম না। এমনকি আমরা যখন দেশে ফিরে যেতাম তখন আমাদের থলি গোশতে ভরা থাকতো।
দুর্বল, মিশকাত (৪০২২)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪০
শত্রুদেশে লোকদের উদ্ধৃত্ত খাদ্য বিক্রি করা
২৭০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الْعَزِيزِ، – شَيْخٌ مِنْ أَهْلِ الأُرْدُنِّ – عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، قَالَ رَابَطْنَا مَدِينَةَ قِنَّسْرِينَ مَعَ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ فَلَمَّا فَتَحَهَا أَصَابَ فِيهَا غَنَمًا وَبَقَرًا فَقَسَمَ فِينَا طَائِفَةً مِنْهَا وَجَعَلَ بَقِيَّتَهَا فِي الْمَغْنَمِ فَلَقِيتُ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ مُعَاذٌ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ فَأَصَبْنَا فِيهَا غَنَمًا فَقَسَمَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَائِفَةً وَجَعَلَ بَقِيَّتَهَا فِي الْمَغْنَمِ .
‘আবদুর রহমান ইবনু গানাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা শুরাহবীল ইবনুস সিমতের (রাঃ) নেতৃত্বে কিন্নাসরীন শহর অবরোধ করি। তা বিজিতি হলে সেখানে মেষ ও গরু গনীমাত হিসাবে লাভ হলো। তিনি এর একটি অংশ আমাদের মধ্যে বন্টন করে বাকী অংশ গনীমাতের খাতে রেখে দিলেন। পরে আমি মু’আয ইবনু জাবালের সাথে দেখা করে তার সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করি। তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে খায়বারের যুদ্ধে যোগদান করেছিলাম। সেখানে আমরা কিছু মেষ পেলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার একটা অংশ আমাদের মাঝে বন্টন করেন এবং বাকী অংশ গনীমাতের খাতে রেখে দেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪১
গনীমাতের বস্তু দ্বারা কোন ব্যক্তির উপকার লাভ করা
২৭০৮
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – الْمَعْنَى – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَنَا لِحَدِيثِهِ، أَتْقَنُ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي مَرْزُوقٍ، مَوْلَى تُجَيْبٍ عَنْ حَنَشٍ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ رُوَيْفِعِ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يَرْكَبْ دَابَّةً مِنْ فَىْءِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى إِذَا أَعْجَفَهَا رَدَّهَا فِيهِ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يَلْبَسْ ثَوْبًا مِنْ فَىْءِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى إِذَا أَخْلَقَهُ رَدَّهُ فِيهِ ” .
রুয়াইফি’ ইবনু সাবিত আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের উপর ঈমান রাখে সে যেন মুসলিমদের ‘ফাই’লব্ধ পশুর পিঠে সওয়ার না হয়। সে সওয়ারী হিসাবে ব্যবহার করে তাকে দুর্বল করে গনীমাতে ফেরত দেয় (এরূপ করা উচিত নয়)। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন মুসলিমদের গনীমাতের পোশাক না পরে, এমনকি সে তা পুরাতন করে গনীমাতে ফেরত দেয় (এটা ঠিক নয়)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪২
যুদ্ধের সময় শত্রুর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি
২৭০৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ يُوسُفَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيَّ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَرَرْتُ فَإِذَا أَبُو جَهْلٍ صَرِيعٌ قَدْ ضُرِبَتْ رِجْلُهُ فَقُلْتُ يَا عَدُوَّ اللَّهِ يَا أَبَا جَهْلٍ قَدْ أَخْزَى اللَّهُ الأَخِرَ . قَالَ وَلاَ أَهَابُهُ عِنْدَ ذَلِكَ . فَقَالَ أَبْعَدُ مِنْ رَجُلٍ قَتَلَهُ قَوْمُهُ فَضَرَبْتُهُ بِسَيْفٍ غَيْرِ طَائِلٍ فَلَمْ يُغْنِ شَيْئًا حَتَّى سَقَطَ سَيْفُهُ مِنْ يَدِهِ فَضَرَبْتُهُ بِهِ حَتَّى بَرَدَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি (বদর) যুদ্ধের ময়দানে আবূ জাহলকে মাটিতে ধরাশায়ী দেখতে পেয়ে তার পায়ে আঘাত করে বললাম, হে আল্লাহর দুশমন! হে জাহল! অবশেষে আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করলেন। তিনি (রাঃ) বলেন, আমি এ সময় তাকে একটুও ভয় করিনি। সে বললো, আশ্চর্যের বিষয়, এক ব্যক্তিকে তার কওমের লোকেরাই হত্যা করলো। আমি তাকে তরবারি দিয়ে আঘাত হানলাম, কিন্তু কাজ হলো না। তবে তার হাত থেকে তার তরবারিটা পড়ে গেল। আমি তা তুলে নিয়ে তাকে পুনরায় আঘাত হানলে সে ঠান্ডা হয়ে যায় (মৃত্যু বরণ করে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৩
গনীমাতের মাল আত্নসাতের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী
২৭১০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، وَبِشْرَ بْنَ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَاهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تُوُفِّيَ يَوْمَ خَيْبَرَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ ” . فَتَغَيَّرَتْ وُجُوهُ النَّاسِ لِذَلِكَ فَقَالَ ” إِنَّ صَاحِبَكُمْ غَلَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ” . فَفَتَّشْنَا مَتَاعَهُ فَوَجَدْنَا خَرَزًا مِنْ خَرَزِ يَهُودَ لاَ يُسَاوِي دِرْهَمَيْنِ .
যায়িদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীদের একজন খায়বার যুদ্ধের দিন মারা যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে খবর দেয়া হলে তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযা পড়ে নাও। তাঁর এ কথা শুনে লোকদের চেহারা (ভয়ে) পরিবর্তন হলো। তিনি বললেনঃ তোমাদের সাথী আল্লাহর পথে (গনীমাতের মাল) চুরি করেছে। আমরা তাঁর জিনিসপত্র অনুসন্ধান করে ইয়াহুদীদের ব্যবহৃত একটি পুঁতির মালা পাই, যার মূল্য দুই দিরহামও নয়।
দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৩৪৮১), যঈফ সুনান ইবনু মাজাহ (৬২৫/২৮৪৮), ইরওয়া (৭২৬), মিশকাত (৪০১১)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৭১১
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، مَوْلَى ابْنِ مُطِيعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ خَيْبَرَ فَلَمْ يَغْنَمْ ذَهَبًا وَلاَ وَرِقًا إِلاَّ الثِّيَابَ وَالْمَتَاعَ وَالأَمْوَالَ – قَالَ – فَوَجَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ وَادِي الْقُرَى وَقَدْ أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدٌ أَسْوَدُ يُقَالُ لَهُ مِدْعَمٌ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِوَادِي الْقُرَى فَبَيْنَا مِدْعَمٌ يَحُطُّ رَحْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ سَهْمٌ فَقَتَلَهُ فَقَالَ النَّاسُ هَنِيئًا لَهُ الْجَنَّةُ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” كَلاَّ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ الشَّمْلَةَ الَّتِي أَخَذَهَا يَوْمَ خَيْبَرَ مِنَ الْمَغَانِمِ لَمْ تُصِبْهَا الْمَقَاسِمُ لَتَشْتَعِلُ عَلَيْهِ نَارًا ” . فَلَمَّا سَمِعُوا ذَلِكَ جَاءَ رَجُلٌ بِشِرَاكٍ أَوْ شِرَاكَيْنِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” شِرَاكٌ مِنْ نَارٍ ” . أَوْ قَالَ ” شِرَاكَانِ مِنْ نَارٍ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে আমরা খায়বারের যুদ্ধে বের হলাম। তাতে গনীমাত হিসেবে কাপড়-চোপড়, মালপত্র ইত্যাদি ছাড়া সোনা-রূপা পাইনি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়াদিল-কুরার দিকে রওয়ানা হলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মিদ’আম নামের একটি কালো গোলাম উপহার দেয়া হয়েছিল। অবশেষে তারা ওয়াদিল কুরায় পৌঁছলে মিদ’আম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উটের পালান খুলছিল। হঠাৎ একটি তীর এসে তার উপর পতিত হলে সে মারা যায়। লোকেরা বললোঃ তার জন্য কল্যাণ হয়েছে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কখনও নয়। ঐ সত্ত্বার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ। খায়বারের যুদ্ধের দিন বন্টনের পূর্বে সে গনীমাতের যে চাদর চুরি করেছিল তা আগুন হয়ে তাকে দগ্ধ করছে। অতঃপর তারা যখন এ কথা শুনলো, এক ব্যক্তি একটি বা দু’টি চামড়ার লম্বা টুকরা নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে হাজির হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ চামড়ার টুকরাটি আগুনের, অথবা তিনি বললেনঃ চামড়ার এই টুকরা দু’টি আগুনের ফিতা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৪
গনীমাতের সামান্য জিনিস আত্নসাৎ করলে ইমাম তাকে ছেড়ে দিবে এবং তার মালপত্র জ্বালাবে না
২৭১২
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَوْذَبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَامِرٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْوَاحِدِ – عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَصَابَ غَنِيمَةً أَمَرَ بِلاَلاً فَنَادَى فِي النَّاسِ فَيَجِيئُونَ بِغَنَائِمِهِمْ فَيُخَمِّسُهُ وَيُقَسِّمُهُ فَجَاءَ رَجُلٌ بَعْدَ ذَلِكَ بِزِمَامٍ مِنْ شَعَرٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا فِيمَا كُنَّا أَصَبْنَاهُ مِنَ الْغَنِيمَةِ . فَقَالَ ” أَسَمِعْتَ بِلاَلاً يُنَادِي ” . ثَلاَثًا . قَالَ نَعَمْ . قَالَ ” فَمَا مَنَعَكَ أَنْ تَجِيءَ بِهِ ” . فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ ” كُنْ أَنْتَ تَجِيءُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَلَنْ أَقْبَلَهُ عَنْكَ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গনীমাতের মাল জমা করার জন্য বিলাল (রাঃ)-কে ঘোষণা করার নির্দেশ দিতেন। তিনি ঘোষণা দিলে লোকেরা তাদের গনীমাত নিয়ে এসে জমা করতো। তিনি তা থেকে এক-পঞ্চমাংশ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট মালবন্টন করে দিতেন। একদা এক ব্যক্তি গনীমাত বন্টনের পর পশমের একটি দড়ি নিয়ে উপস্থিত হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এই দড়িটা আমাদের গনীমাতের অংশ। তিনি বললেনঃ বিলাল যে তিনবার ঘোষণা দিল তা কি তুমি শুনতে পেয়েছিলে? লোকটি বলল, হাঁ। তিনি বললেনঃ তাহলে কিসে তোমাকে এটা নিয়ে উপস্থিত হতে বাঁধা দিলো? সে কিছু ওজর পেশ করলে তিনি বললেনঃ তুমি এভাবেই থাকো, তুমি ক্বিয়ামাতের দিন এটাসহ উপস্থিত হবে। আমি তোমার থেকে এটা গ্রহণ করবো না।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৫
গনীমাতের মাল আত্মসাৎকারীর শাস্তি
২৭১৩
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، – قَالَ النُّفَيْلِيُّ الأَنْدَرَاوَرْدِيُّ – عَنْ صَالِحِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَائِدَةَ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَصَالِحٌ هَذَا أَبُو وَاقِدٍ – قَالَ دَخَلْتُ مَعَ مَسْلَمَةَ أَرْضَ الرُّومِ فَأُتِيَ بِرَجُلٍ قَدْ غَلَّ فَسَأَلَ سَالِمًا عَنْهُ فَقَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا وَجَدْتُمُ الرَّجُلَ قَدْ غَلَّ فَأَحْرِقُوا مَتَاعَهُ وَاضْرِبُوهُ ” . قَالَ فَوَجَدْنَا فِي مَتَاعِهِ مُصْحَفًا فَسَأَلَ سَالِمًا عَنْهُ فَقَالَ بِعْهُ وَتَصَدَّقْ بِثَمَنِهِ .
সালিহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু যায়িদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ দাঊদ ও সালিহ বলেন, ইনি হলেন আবূ ওয়াক্বিদ। তিনি বলেন, আমি মাসলামাহর (রাঃ) সাথে রূম এলাকায় প্রবেশ করি। গনীমাত আত্মসাৎকারী এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়। এ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য মাসলামাহ (রাঃ) সালিম (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন। সালিম বলেন, আমি আমার পিতা ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে তার পিতা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কোন গনীমাত আত্নসাৎকারীকে পেলে তার মালপত্র পুড়িয়ে ফেলবে এবং তাকে প্রহার করবে। আবূ ওয়াক্বিদ বলেন, আমরা ধৃত ব্যক্তির জিনিসপত্রে একটি মাসহাফ (কুরআন) পাই। মাসলামাহ (রাঃ) ঐ ব্যক্তির বিষয়ে সালিমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, মাসহাফ বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দান করুন।
দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৭১৭), যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (২৪৫/১৫০২), মিশকাত (৩৬৩৩)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৭১৪
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى الأَنْطَاكِيُّ قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ الْوَلِيدِ بْنِ هِشَامٍ وَمَعَنَا سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَغَلَّ رَجُلٌ مَتَاعًا فَأَمَرَ الْوَلِيدُ بِمَتَاعِهِ فَأُحْرِقَ وَطِيفَ بِهِ وَلَمْ يُعْطِهِ سَهْمَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا أَصَحُّ الْحَدِيثَيْنِ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ هِشَامٍ حَرَّقَ رَحْلَ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ – وَكَانَ قَدْ غَلَّ – وَضَرَبَهُ .
সালিহ ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা ওয়ালীদ ইবনু হিশামের নেতৃত্বে যুদ্ধে যোগদান করি। আমাদের সাথে সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ উবনু ‘উমার (রহঃ) এবং ‘উমার ইবনু আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-ও ছিলেন। আমাদের মধ্যকার এক লোক গনীমাতের মাল চুরি করলে ওয়ালীদ তার জিনিসপত্র পুড়ে ফেলার নির্দেশ দিলে তা পুড়ে ফেলা হয়, তাকে পথে পথে ঘুরানো হয় এবং গনীমাত থেকে বঞ্চিত করা হয়। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, দুই হাদীসের মধ্যে শেষোক্ত হাদীসটি অধিক সহীহ। কেননা একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন যে, ওয়ালীদ ইবনু হিশাম যিয়াদ ইবনু সা’দের জিনিসপত্র পুড়িয়ে ফেলেন এবং তাকে প্রহার করেন। কারণ সে গনীমাতের মাল আত্নসাৎ করেছিল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল মাকতু
- সরাসরি
২৭১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ حَرَّقُوا مَتَاعَ الْغَالِّ وَضَرَبُوهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَ فِيهِ عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ عَنِ الْوَلِيدِ – وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْهُ – وَمَنَعُوهُ سَهْمَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدَّثَنَا بِهِ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ قَوْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ الْحَوْطِيُّ مَنَعَ سَهْمَهُ .
আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাকর্ (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ) গনীমাত আত্নসাৎকারীর মালপত্র পুড়িয়ে ফেলেন এবং তাকে দৈহিক শাস্তি প্রদান করেন।
দুর্বলঃ মিশকাত (৪০১৩)।
বর্ননাকারী ‘আবদুল ওয়াহ্হাবের বর্ণনায় ‘গনীমাত আত্নসাৎকারীকে তার প্রাপ্য বঞ্চিত করার কথা উল্লেখ নেই’।
দুর্বল মাক্বতু।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৬
গনীমাত আত্নসাৎকারীর অপরাধ গোপন রাখা নিষেধ
২৭১৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى أَبُو دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ أَمَّا بَعْدُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ كَتَمَ غَالاًّ فَإِنَّهُ مِثْلُهُ ” .
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ কেউ গনীমাত আত্নসাৎকারীর কথা গোপন রাখলে সেও তার সমান অপরাধী।
দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৫৮১২), মিশকাত (৪০১৪)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৭
নিহত কাফিরের মালপত্র হত্যাকারী পাবে
২৭১৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي عَامِ حُنَيْنٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ جَوْلَةٌ – قَالَ – فَرَأَيْتُ رَجُلاً مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَدْ عَلاَ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ – قَالَ – فَاسْتَدَرْتُ لَهُ حَتَّى أَتَيْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ فَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ فَأَقْبَلَ عَلَىَّ فَضَمَّنِي ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيحَ الْمَوْتِ ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَأَرْسَلَنِي فَلَحِقْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقُلْتُ مَا بَالُ النَّاسِ قَالَ أَمْرُ اللَّهِ . ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ رَجَعُوا وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ” مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ ” . قَالَ فَقُمْتُ ثُمَّ قُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ الثَّانِيَةَ ” مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ ” قَالَ فَقُمْتُ ثُمَّ قُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ الثَّالِثَةَ فَقُمْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا لَكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ ” . قَالَ فَاقْتَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ صَدَقَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَسَلَبُ ذَلِكَ الْقَتِيلِ عِنْدِي فَأَرْضِهِ مِنْهُ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ لاَهَا اللَّهِ إِذًا يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسْدِ اللَّهِ يُقَاتِلُ عَنِ اللَّهِ وَعَنْ رَسُولِهِ فَيُعْطِيكَ سَلَبَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” صَدَقَ فَأَعْطِهِ إِيَّاهُ ” . فَقَالَ أَبُو قَتَادَةَ فَأَعْطَانِيهِ فَبِعْتُ الدِّرْعَ فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِي بَنِي سَلِمَةَ فَإِنَّهُ لأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الإِسْلاَمِ .
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে হুনাইনের যুদ্ধে রওয়ানা হলাম। আমরা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে মুসলিমদের মধ্যে পরাজয়ের লক্ষণ দেখি। আমি দেখি, এক মুশরিক এক মুসলিমকে পরাজিত করছে। আমি ঘুরে গিয়ে পেছন থেকে তার গর্দানে তরবারির আঘাত করলে সে আমার দিকে ফিরে আমাকে এমন জোরে চেপে ধরলো যে, আমি যেন মরেই যাব। কিন্তু একটু পরেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো এবং আমকে ছেড়ে দেয়। অতঃপর আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) সাথে মিলিত হই। আমি তাকে বলি, লোকদের কি হলো! তিনি বললেন, আল্লাহর হুকুম এটাই ছিল। লোকেরা আবার ফিরে এলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা অবস্থায় বললেনঃ কেউ কোন কাফিরকে প্রমাণ সাপেক্ষে হত্যা করলে নিহত ব্যক্তির পরিত্যক্ত জিনিসপত্র হত্যাকারী পাবে। আমি দাঁড়িয়ে বললাম, কেউ কি আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে? অতঃপর আমি বসে পড়ি। তিনি তৃতীয়বারও একথা বললেন। আমাকে দাঁড়াতে দেখে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ ক্বাতাদাহ! তোমার কী হলো? আমি তাঁকে ঘটনা খুলে বলি। দলের মধ্যকার এক লোক বললো, হে আল্লাহর রাসূল! সে সত্যই বলেছে। তবে নিহত ব্যক্তির পরিত্যক্ত জিনিসপত্র আমার নিকট আছে। তাঁকে রাজি করিয়ে জিনিসগুলো আমাকে দিন। এ কথা শুনে আবূ বাকর্ সিদ্দীক্ব (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! কখনও নয়। আল্লাহর এক সিংহ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ হয়ে লড়াই করেছে। কাজেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাকে তা কিভাবে দিবেন! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আবূ বাকর্ ঠিকই বলেছেন। নিহতের পরিত্যক্ত জিনিস আবূ ক্বাতাদাহকে ফিরিয়ে দাও। আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, সে আমাকে তা ফিরিয়ে দিলো। আমি লৌহ বর্মটি বিক্রি করে বনী সালামাহ গোত্রের মহল্লায় বাগান খরিদ করি। ইসলাম কবুলের পর এটাই আমার প্রথম অর্জিত সম্পদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭১৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ – يَعْنِي يَوْمَ حُنَيْنٍ – “ مَنْ قَتَلَ كَافِرًا فَلَهُ سَلَبُهُ ” . فَقَتَلَ أَبُو طَلْحَةَ يَوْمَئِذٍ عِشْرِينَ رَجُلاً وَأَخَذَ أَسْلاَبَهُمْ وَلَقِيَ أَبُو طَلْحَةَ أُمَّ سُلَيْمٍ وَمَعَهَا خِنْجَرٌ فَقَالَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا هَذَا مَعَكِ قَالَتْ أَرَدْتُ وَاللَّهِ إِنْ دَنَا مِنِّي بَعْضُهُمْ أَبْعَجُ بِهِ بَطْنَهُ . فَأَخْبَرَ بِذَلِكَ أَبُو طَلْحَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَرَدْنَا بِهَذَا الْخِنْجَرَ وَكَانَ سِلاَحَ الْعَجَمِ يَوْمَئِذٍ الْخِنْجَرُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুনাইনের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা দিলেনঃ কেউ কোন কাফিরকে হত্যা করলে সেই হবে নিহতের মালপত্রের অধিকারী। সেদিন আবূ ত্বালহা বিশ জনকে হত্যা করে তাদের মালপত্রেরে অধিকারী হন। আবূ ত্বালহা (রাঃ) উম্মু সুলাইমের (রাঃ) এর সাথে মিলিত হন। তখন উম্মু সুলাইমের হাতে একটি বড় খঞ্জর ছিল। তিনি বললেন, হে উম্মু সুলাইম! তোমার নিকট এটা কী? তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! যদি তাদের কেউ আমার কাছে আসে, এটা দিয়ে আমি তার পেট চিরে ফেলবো। আবূ ত্বালহা (রাঃ) ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানালেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান। তিনি আরো বলেন, ঐ সময়ে খঞ্জরটি ছিল অনারবদের যুদ্ধাস্ত্র।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৮
ইমাম ইচ্ছা করলে নিহতের পরিত্যক্ত মাল হত্যাকারীকে নাও দিতে পারেন, নিহতের ঘোড়া ও হাতিয়ার তার মালেরই অন্তর্ভূক্ত
২৭১৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ فَرَافَقَنِي مَدَدِيٌّ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُ سَيْفِهِ فَنَحَرَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ جَزُورًا فَسَأَلَهُ الْمَدَدِيُّ طَائِفَةً مِنْ جِلْدِهِ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ فَاتَّخَذَهُ كَهَيْئَةِ الدَّرَقِ وَمَضَيْنَا فَلَقِينَا جُمُوعَ الرُّومِ وَفِيهِمْ رَجُلٌ عَلَى فَرَسٍ لَهُ أَشْقَرَ عَلَيْهِ سَرْجٌ مُذْهَبٌ وَسِلاَحٌ مُذْهَبٌ فَجَعَلَ الرُّومِيُّ يُغْرِي بِالْمُسْلِمِينَ فَقَعَدَ لَهُ الْمَدَدِيُّ خَلْفَ صَخْرَةٍ فَمَرَّ بِهِ الرُّومِيُّ فَعَرْقَبَ فَرَسَهُ فَخَرَّ وَعَلاَهُ فَقَتَلَهُ وَحَازَ فَرَسَهُ وَسِلاَحَهُ فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِلْمُسْلِمِينَ بَعَثَ إِلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَأَخَذَ مِنَ السَّلَبِ قَالَ عَوْفٌ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا خَالِدُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي اسْتَكْثَرْتُهُ . قُلْتُ لَتَرُدَّنَّهُ عَلَيْهِ أَوْ لأُعَرِّفَنَّكَهَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَبَى أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهِ قَالَ عَوْفٌ فَاجْتَمَعْنَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ قِصَّةَ الْمَدَدِيِّ وَمَا فَعَلَ خَالِدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” يَا خَالِدُ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ ” قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَكْثَرْتُهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” يَا خَالِدُ رُدَّ عَلَيْهِ مَا أَخَذْتَ مِنْهُ ” . قَالَ عَوْفٌ فَقُلْتُ لَهُ دُونَكَ يَا خَالِدُ أَلَمْ أَفِ لَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَمَا ذَلِكَ ” فَأَخْبَرْتُهُ قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” يَا خَالِدُ لاَ تَرُدَّ عَلَيْهِ هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُونَ لِي أُمَرَائِي لَكُمْ صِفْوَةُ أَمْرِهِمْ وَعَلَيْهِمْ كَدَرُهُ ” .
‘আওফ ইবনু মালিক আল-আশজা’ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যায়িদ ইবনু হারিসের (রাঃ) সাথে মুতার যুদ্ধে বের হই। এ সময় ইয়ামানের মাদাদ গোত্রীয় এক সাহায্যকারী ব্যক্তি আমার সঙ্গী হলো। তার কাছে একটি তরবারি ছাড়া আর কিছু ছিলো না। মুসলিমদের এক ব্যক্তি একটি উট যাবাহ করলে মাদাদী লোকটি তার কাছে চামড়ার অংশ বিশেষ চাইলো। সে তাকে কিছু চামড়া দিলে সে তা নিয়ে ঢালের মত তৈরি করলো। আমরা রোমীয় সৈন্যদের মুখোমুখী হলাম। তাদের এক ব্যক্তি একটি লাল রঙের ঘোড়ার উপর সাওয়ার ছিল। সেটি সোনার কারুকার্য খচিত এবং তার অস্ত্রও ছিল স্বর্ণে মোড়ানো। রোমীয় সৈন্যটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে যুদ্ধ করছিল। ইয়ামানী মাদাদ গোত্রীয় লোকটি একটি পাথরের আড়ালে ঐ লোকটির অপেক্ষায় ওঁৎ পেতে বসেছিল। রোমক সৈন্যটি যখন তার কাছ দিয়ে যচ্ছিল, সে তার ঘোড়াকে আঘাত করে ঘোড়ার পা কেটে ফেলায় লোকটি ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যায়, ফলে ইয়ামানী তার উপর চেপে বসে তাকে হত্যা করে তার ঘোড়া ও অস্ত্র নিয়ে আসলো। মহান আল্লাহ যখন মুসলিমদের বিজয় দিলেন, খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) লোক পাঠিয়ে তার কাছ থেকে মালপত্র নিয়ে নিলেন। ‘আওফ (রাঃ) বলেন, আমি এসে বললাম, হে খালিদ! তুমি কি জানো না, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিহতের মালপত্র হত্যাকারীকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হাঁ। কিন্তু আমার ধারণা, এক্ষেত্রে এটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমি বললাম, তার মাল অবশ্যই তাকে ফেরত দাও। অন্যথায় তোমার এ কাজের কথা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অবহিত করবো। তিনি লোকটিকে তার প্রাপ্য ফেরত দিতে অসম্মতি জানান। ‘আওফ (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট সমবেত হই, ইয়ামানীর ঘটনাটি তাঁকে জানাই এবং খালিদের আচরণের কথাও অবহিত করি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে খালিদ! কিসে তোমাকে এ কাজে উদ্ভুদ্ধ করেছে? তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছে তার জন্য মালপত্র অত্যধিক মনে হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ খালিদ! তার প্রাপ্য থেকে তুমি যা নিয়েছ তা তাকে ফেরত দাও। ‘আওফ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে খালিদ! এখন হলো তো, তোমাকে যা বলেছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ কি কথা! ‘আওফ (রাঃ) বললেনঃ আমি তাঁকে আমাদের পরস্পরের বিতর্কের কথা বললাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এতে অসন্তুষ্ট হয়ে বললেনঃ হে খালিদ! তার মাল ফিরিয়ে দিও না। তোমরা কি আমার নিযুক্ত নেতাদের পরিত্যাগ করবে? তারা ভালো করলে তা থেকে তোমরা উপকৃত হবে, আর খারাপ করলে সেটা তাদের উপর চাপিয়ে দিবে?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭২০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ سَأَلْتُ ثَوْرًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَحَدَّثَنِي عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، نَحْوَهُ .
আওফ ইবনু মালিক আল-আশজা’ঈ (রাঃ) এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাদীসের বিষয়বস্তুর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আমি এটি সহীহ ও যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৯
নিহত কাফিরের পরিত্যক্ত জিনিসে খুমুস নাই
২৭২১
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ وَلَمْ يُخَمِّسِ السَّلَبَ .
আওফ ইবনু মালিক আল-আশজা’ঈ ও খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিহত কাফিরের পরিত্যক্ত জিনিসপত্র হত্যাকারীকে দেয়ার হুকুম করেন এবং তিনি নিহতের মালে এক-পঞ্চমাংশ ধার্য করননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫০
কেউ মুমুর্ষু কাফিরকে হত্যা করবে সে তার পরিত্যক্ত মাল থেকে উপহার হিসেবে কিছু পাবে
২৭২২
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبَّادٍ الأَزْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ نَفَّلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ سَيْفَ أَبِي جَهْلٍ كَانَ قَتَلَهُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদর যুদ্ধের দিন আমাকে আবূ জাহলের তরবারিটি অতিরিক্ত হিসেবে দেন। (কেননা) তাকে তিনি হত্যা করেছিলেন।
দূর্বলঃ মিশকাত (৪০০৪)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫১
কেউ গনিমাতের মাল বন্টিত হওয়ার পর উপস্থিত হলে এর অংশ পাবে না
২৭২৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عَنْبَسَةَ بْنَ سَعِيدٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَانَ بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ عَلَى سَرِيَّةٍ مِنَ الْمَدِينَةِ قِبَلَ نَجْدٍ فَقَدِمَ أَبَانُ بْنُ سَعِيدٍ وَأَصْحَابُهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِخَيْبَرَ بَعْدَ أَنْ فَتَحَهَا وَإِنَّ حُزُمَ خَيْلِهِمْ لِيفٌ فَقَالَ أَبَانُ اقْسِمْ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ لاَ تَقْسِمْ لَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ أَبَانُ أَنْتَ بِهَا يَا وَبْرُ تَحَدَّرُ عَلَيْنَا مِنْ رَأْسِ ضَالٍ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ اجْلِسْ يَا أَبَانُ ” . وَلَمْ يَقْسِمْ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
সাঈদ ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবান ইবনু সাঈদ ইবনুল ‘আস (রাঃ)-কে মাদীনাহ থেকে নাজদ এলাকায় একটি অভিযানে প্রেরণ করেন। অভিযান শেষে আবান ইবনু সাঈদ (রাঃ) ও তার সাথীরা খায়বার বিজয়ের পর সেখানে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মিলিত হলেন। তাদের ঘোড়ার জিনপোষ ছিল ছাল-বাকল দ্বারা তৈরী। আবান বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকেও গনীমতের ভাগ দিবেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এদেরকে গনীমতের অংশ দিবেন না। আবান বললেন, হে খরগোশ (জংলী বিড়াল)! তুমি এই কথা বলছো! তুমি তো এইমাত্র ‘দাল’ পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আমাদের কাছে এসেছো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবান! বসো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে গনীমাতের ভাগ দেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭২৪
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى الْبَلْخِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، وَسَأَلَهُ، إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ فَحَدَّثَنَاهُ الزُّهْرِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَنْبَسَةَ بْنَ سَعِيدٍ الْقُرَشِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِخَيْبَرَ حِينَ افْتَتَحَهَا فَسَأَلْتُهُ أَنْ يُسْهِمَ لِي فَتَكَلَّمَ بَعْضُ وُلْدِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ فَقَالَ لاَ تُسْهِمْ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ فَقُلْتُ هَذَا قَاتِلُ ابْنِ قَوْقَلٍ فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ يَا عَجَبًا لِوَبْرٍ قَدْ تَدَلَّى عَلَيْنَا مِنْ قَدُومِ ضَالٍ يُعَيِّرُنِي بِقَتْلِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ أَكْرَمَهُ اللَّهُ عَلَى يَدَىَّ وَلَمْ يُهِنِّي عَلَى يَدَيْهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَؤُلاَءِ كَانُوا نَحْوَ عَشَرَةٍ فَقُتِلَ مِنْهُمْ سِتَّةٌ وَرَجَعَ مَنْ بَقِيَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যখন মাদীনাহ্ থেকে আসি তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার বিজয়ের পর সেখানে অবস্থান করছিলাম। আমাকে গনীমাতের ভাগ দেয়ার জন্য আমি তার কাছে আবেদন করি। সাঈদ ইবনুল ‘আসের (রাঃ) এক পুত্র বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! তাঁকে ভাগ দিবেন না। আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, ইনিই তো ইবনু কাওকালের হত্যাকারী। এ কথা শুনে সাঈদ ইবনুল ‘আস (রাঃ) বললেন, ‘দাল’ পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসা খরগোশটির কথায় অবাক হতে হয়। সে আমাদের একজন মুসলিমের হত্যার অপবাদ দিচ্ছে। যাকে আল্লাহ আমাদের হাতে সম্মানিত করেছেন, তার হাতে আমাদের অপমানিত করেননি। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, তারা ছিল প্রায় দশজন। তন্মমধ্যে ছয়জন নিহত হয় এবং বাকীরা ফিরে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَدِمْنَا فَوَافَقْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ فَأَسْهَمَ لَنَا أَوْ قَالَ فَأَعْطَانَا مِنْهَا وَمَا قَسَمَ لأَحَدٍ غَابَ عَنْ فَتْحِ خَيْبَرَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ لِمَنْ شَهِدَ مَعَهُ إِلاَّ أَصْحَابَ سَفِينَتِنَا جَعْفَرٌ وَأَصْحَابُهُ فَأَسْهَمَ لَهُمْ مَعَهُمْ .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা হাবশা ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে সাক্ষাৎ করি। তিনি খায়বার বিজয়ী হয়ে কেবল প্রত্যাবর্তন করেছেন। তিনি আমাদেরকে খায়বারে প্রাপ্ত গনীমত থেকে ভাগ দিলেন অথবা দান করলেন। খায়বার বিজয়ে যারা অনুপস্থিত ছিল তিনি তাদের কাউকে গনীমতের অংশ দেননি, দিয়েছেন শুধু অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের। কিন্তু (অভিযানে যোগদান না করা সত্ত্বেও) আমাদের জাহাজের যাত্রী জা’ফর (রাঃ) এবং তার সাথীদের তিনি গনীমাতের অংশ দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭২৬
حَدَّثَنَا مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَبُو صَالِحٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ كُلَيْبِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ هَانِئِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ – يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ – فَقَالَ “ إِنَّ عُثْمَانَ انْطَلَقَ فِي حَاجَةِ اللَّهِ وَحَاجَةِ رَسُولِ اللَّهِ وَإِنِّي أُبَايِعُ لَهُ ” . فَضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَهْمٍ وَلَمْ يَضْرِبْ لأَحَدٍ غَابَ غَيْرُهُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদর যুদ্ধের দিন দাঁড়িয়ে বললেনঃ ‘উসমান (রাঃ) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রয়োজনেই গিয়েছে। আমি তার পক্ষ হতে বাই’আত গ্রহণ করছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে গনীমতের ভাগ দিলেন। ‘উসমান ছাড়া অনুপস্থিত অন্য কাউকে তিনি গনীমতের ভাগ দেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫২
নারী ও কৃতদাসকে গনীমাতের অংশ প্রদান
২৭২৭
حَدَّثَنَا مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ كَذَا، وَكَذَا، وَذَكَرَ، أَشْيَاءَ وَعَنِ الْمَمْلُوكِ، أَلَهُ فِي الْفَىْءِ شَىْءٌ وَعَنِ النِّسَاءِ، هَلْ كُنَّ يَخْرُجْنَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهَلْ لَهُنَّ نَصِيبٌ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَوْلاَ أَنْ يَأْتِيَ أُحْمُوقَةً مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِ أَمَّا الْمَمْلُوكُ فَكَانَ يُحْذَى وَأَمَّا النِّسَاءُ فَقَدْ كُنَّ يُدَاوِينَ الْجَرْحَى وَيَسْقِينَ الْمَاءَ .
ইয়াযীদ ইবনু হুরমুয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা (খারিজী নেতা) নাজদাহ কিছু বিষয় উল্লেখ করে ইবনু ‘আব্বাসের (রাঃ) নিকট চিঠি লিখলো। তাতে এও ছিল যে, ক্রীতদাস কি ‘ফাই’-এর অংশ পাবে? নারীরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে যুদ্ধে যেতো কিনা এবং তাদেরকে কি গনীমাতের অংশ দেয়া হতো কিনা? ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, সে আহাম্মকী করে বসবে (এরূপ আশঙ্কা না হলে) আমি তার চিঠির উত্তর দিতাম না। অতঃপর তিনি চিঠির উত্তরে লিখলেন, গোলামকে গনীমাতের অংশ দেয়া হতো, নারীরা আহতদের সেবা করতো এবং সৈনিকদের জন্য পানি সরবরাহ করতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭২৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ، – يَعْنِي الْوَهْبِيَّ – حَدَّثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، وَالزُّهْرِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ الْحَرُورِيُّ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنِ النِّسَاءِ، هَلْ كُنَّ يَشْهَدْنَ الْحَرْبَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهَلْ كَانَ يُضْرَبُ لَهُنَّ بِسَهْمٍ قَالَ فَأَنَا كَتَبْتُ كِتَابَ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَى نَجْدَةَ قَدْ كُنَّ يَحْضُرْنَ الْحَرْبَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَّا أَنْ يُضْرَبَ لَهُنَّ بِسَهْمٍ فَلاَ وَقَدْ كَانَ يُرْضَخُ لَهُنَّ .
ইয়াযীদ ইবনু হুরমুয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হারূরার খারিজী নেতা নাজদাহ কয়েকটি প্রশ্ন করে ইবনু ‘আব্বাসের (রাঃ) নিকট চিঠি লিখলো। (তা হলো) নারীরা কি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে যুদ্ধে যোগদান করতো কিনা? উত্তরে জানালাম, নারীরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে যুদ্ধক্ষেত্রে আসতো। তবে তিনি তাদের জন্য গনীমাতের অংশ নির্ধারণ করতেন না, অবশ্য উপঢৌকন হিসেবে কিছু দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭২৯
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، وَغَيْرُهُ، أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، قَالَ حَدَّثَنَا رَافِعُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ زِيَادٍ، حَدَّثَنِي حَشْرَجُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ أَبِيهِ، أَنَّهَا خَرَجَتْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ سَادِسَ سِتِّ نِسْوَةٍ فَبَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ إِلَيْنَا فَجِئْنَا فَرَأَيْنَا فِيهِ الْغَضَبَ فَقَالَ ” مَعَ مَنْ خَرَجْتُنَّ وَبِإِذْنِ مَنْ خَرَجْتُنَّ ” . فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجْنَا نَغْزِلُ الشَّعَرَ وَنُعِينُ بِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَعَنَا دَوَاءُ الْجَرْحَى وَنُنَاوِلُ السِّهَامَ وَنَسْقِي السَّوِيقَ فَقَالَ ” قُمْنَ ” حَتَّى إِذَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ أَسْهَمَ لَنَا كَمَا أَسْهَمَ لِلرِّجَالِ . قَالَ فَقُلْتُ لَهَا يَا جَدَّةُ وَمَا كَانَ ذَلِكَ قَالَتْ تَمْرًا .
হাশরাজ ইবনু যিয়াদ (রহঃ) তার পিতার মা অর্থাৎ তার দাদীর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (দাদী) পাঁচজন মহিলাসহ রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে খায়বারের যুদ্ধে যোগদানের উদ্দেশে রওয়ানা হন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতে পেয়ে আমাদেরকে ডেকে পাঠান। আমরা এসে তাঁর চেহারায় অসন্তুষ্টির ছাপ লক্ষ্য করি। তিনি বললেনঃ তোমরা কার সাথে এবং কার হুকুমে রওয়ানা হয়েছো? আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এজন্য বেরিয়েছি যে, আমরা দড়ি পাকাবো এবং তা দিয়ে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করবো, আহতদের চিকিৎসার জন্য আমাদের কাছে ঔষধপত্র রয়েছে, আমরা সৈন্যদের তীর-ধনুক এগিয়ে দিবো এবং তাদেরকে ছাতু তৈরি করে দিবো। তিনি বললেনঃ ঠিক আছে, চলো। আল্লাহ তাঁর রাসূলকে খায়বারের যুদ্ধে বিজয় দান করলেন। তিনি পুরুষদের ন্যায় আমাদেরকেও গনীমাতের ভাগ দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, হে দাদী! ভাগে কি ছিল? তিনি বললেন, খেজুর।
দুর্বলঃ ইরওয়া (১২৩৮)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৭৩০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَيْرٌ، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ قَالَ شَهِدْتُ خَيْبَرَ مَعَ سَادَتِي فَكَلَّمُوا فِيَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ بِي فَقُلِّدْتُ سَيْفًا فَإِذَا أَنَا أَجُرُّهُ فَأُخْبِرَ أَنِّي مَمْلُوكٌ فَأَمَرَ لِي بِشَىْءٍ مِنْ خُرْثِيِّ الْمَتَاعِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ مَعْنَاهُ أَنَّهُ لَمْ يُسْهِمْ لَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ كَانَ حَرَّمَ اللَّحْمَ عَلَى نَفْسِهِ فَسُمِّيَ آبِي اللَّحْمِ .
আবূল লাহমের আযাদকৃত গোলাম ‘উমাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার মনিবের সাথে খায়বারের যুদ্ধে গমন করি। তারা আমার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে আলাপ করলে তাঁর নির্দেশ মোতাবেক আমার কোমরে তরবারি ঝুলানো হলো। তা আমি যমীনে হেঁচড়িয়ে চলতাম। তিনি পরে অবহিত হলেন যে, আমি মুক্তদাস। তিনি আমাকে কিছু জিনিসপত্র দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এর অর্থ হলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে গনীমাতের অংশ দেননি। আবূ দাঊদ (রহঃ) আরো বলেন, আবূ ‘উবাইদ (রহঃ) বলেছেন, তিনি তার জন্য গোশত ভক্ষণ নিষিদ্ধ করেন। সেজন্য তার নাম আবূল লাহম (গোশতের পিতা)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৩১
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنْتُ أَمِيحُ أَصْحَابِي الْمَاءَ يَوْمَ بَدْرٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধের দিন আমি আমার সাথীদের জন্য পানি সরবরাহ করেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৩
মুশরিকদের জন্য গনীমাতের অংশ আছে কিনা?
২৭৩২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الْفُضَيْلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ يَحْيَى أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الْمُشْرِكِينَ لَحِقَ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِيُقَاتِلَ مَعَهُ فَقَالَ ” ارْجِعْ ” . ثُمَّ اتَّفَقَا فَقَالَ ” إِنَّا لاَ نَسْتَعِينُ بِمُشْرِكٍ ” .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক মুশরিকদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর সাথে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের ইচ্ছে করলে তিনি বললেনঃ তুমি ফিরে যাও। আমরা মুশরিকদের সাহায্য চাই না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৪
গনীমাতের মালে ঘোড়ার (দুই) অংশ
২৭৩৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْهَمَ لِرَجُلٍ وَلِفَرَسِهِ ثَلاَثَةَ أَسْهُمٍ سَهْمًا لَهُ وَسَهْمَيْنِ لِفَرَسِهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সৈনিক ও তার ঘোড়ার জন্য তিন ভাগ গনীমাত নির্ধারণ করেন। এক ভাগ সৈনিকের এবং দুই ভাগ ঘোড়ার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৩৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي الْمَسْعُودِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَةَ نَفَرٍ وَمَعَنَا فَرَسٌ فَأَعْطَى كُلَّ إِنْسَانٍ مِنَّا سَهْمًا وَأَعْطَى لِلْفَرَسِ سَهْمَيْنِ .
আবূ ‘আমরাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (পিতা) বলেন, আমরা চার ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে এলাম। আমাদের সাথে একটি ঘোড়াও ছিল। তিনি আমাদের প্রত্যেককে গনীমাত থেকে এক ভাগ করে দিলেন, আর ঘোড়ার জন্য দুই ভাগ দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৩৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ آلِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ أَبِي عَمْرَةَ، بِمَعْنَاهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ ثَلاَثَةَ نَفَرٍ . زَادَ فَكَانَ لِلْفَارِسِ ثَلاَثَةُ أَسْهُمٍ .
আবূ ‘আমরাহ (রহঃ) এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ‘আমরাহ (রহঃ) এ সূত্রে বর্ণিত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি এ বর্ণনায় তিনজনের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, ঘোড় সওয়ারীর জন্য ছিল তিন ভাগ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৫
পদাতিকের জন্য এক অংশ
২৭৩৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُجَمِّعُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ مُجَمِّعِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَعْقُوبَ بْنَ مُجَمِّعٍ، يَذْكُرُ عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمِّهِ، مُجَمِّعِ بْنِ جَارِيَةَ الأَنْصَارِيِّ وَكَانَ أَحَدَ الْقُرَّاءِ الَّذِينَ قَرَءُوا الْقُرْآنَ قَالَ شَهِدْنَا الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا انْصَرَفْنَا عَنْهَا إِذَا النَّاسُ يَهُزُّونَ الأَبَاعِرَ فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْضٍ مَا لِلنَّاسِ قَالُوا أُوحِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَخَرَجْنَا مَعَ النَّاسِ نُوجِفُ فَوَجَدْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَاقِفًا عَلَى رَاحِلَتِهِ عِنْدَ كُرَاعِ الْغَمِيمِ فَلَمَّا اجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ قَرَأَ عَلَيْهِمْ { إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا } فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَتْحٌ هُوَ قَالَ ” نَعَمْ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّهُ لَفَتْحٌ ” . فَقُسِّمَتْ خَيْبَرُ عَلَى أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ فَقَسَّمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا وَكَانَ الْجَيْشُ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ فِيهِمْ ثَلاَثُمِائَةِ فَارِسٍ فَأَعْطَى الْفَارِسَ سَهْمَيْنِ وَأَعْطَى الرَّاجِلَ سَهْمًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ أَبِي مُعَاوِيَةَ أَصَحُّ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ وَأَرَى الْوَهَمَ فِي حَدِيثِ مُجَمِّعٍ أَنَّهُ قَالَ ثَلاَثُمِائَةِ فَارِسٍ وَكَانُوا مِائَتَىْ فَارِسٍ .
মুজাম্মি’ ইবনু জারিয়াহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন অন্যতম ক্বারী। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে হুদায়বিয়াতে ছিলাম। আমরা সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করলে লোকেরা তাদের উটগুলোকে এক স্থানে সমবেত হওয়ার জন্য দ্রুত হাঁকাতে লাগলো। লোকেরা পরস্পর বলাবলি করলো, দ্রুত হাঁকানোর কারণ কি? পরে তারা জানতে পারলো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। অন্যান্য লোকের সাথে আমরাও জলদি করে ছুটলাম। আমরা ‘কুরাউল গামীম’ নামক স্থানে পৌঁছে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর সওয়ারীতে বসা দেখতে পেলাম। লোকেরা তাঁর কাছে সমবেত হলে তিনি তাদেরকে “ইন্না ফাতাহনা লাকা ফাতহাম মুবীনা” নামক সূরাহ পড়ে শুনালেন। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি বিজয়? তিনি বললেনঃ হাঁ, ঐ সত্তার শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! এটাই বিজয়। যারা হুদায়বিয়ায় যোগদান করেছে তাদের মাঝে খায়বারের গনীমাত বন্টন করা হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাপ্ত গনীমাত আঠার ভাগে বিভক্ত করেন। যোদ্ধা ছিল পনের শত এবং এর মধ্যে অশ্বারোহী ছিল তিনশো। তিনি অশ্বারোহীদের দুই ভাগ এবং পদাতিকদের এক ভাগ করে গনীমাত প্রদান করলেন। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আবূ মু’আবিয়হ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসটি অধিক সহীহ। এ হাদীসের উপরই আমল করা হয়। আমার মতে মুজাম্মি’র (রাঃ) হাদীসে ভুল আছে। কারণ তিনি বলেছেন, অশ্বারোহী ছিল তিনশো, অথচ অশ্বারোহী ছিল দুইশো।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৬
গনীমাত থেকে কাউকে পুরস্কার দেয়া
২৭৩৭
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ ” مَنْ فَعَلَ كَذَا وَكَذَا فَلَهُ مِنَ النَّفْلِ كَذَا وَكَذَا ” قَالَ فَتَقَدَّمَ الْفِتْيَانُ وَلَزِمَ الْمَشْيَخَةُ الرَّايَاتِ فَلَمْ يَبْرَحُوهَا فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ قَالَتِ الْمَشْيَخَةُ كُنَّا رِدْءًا لَكُمْ لَوِ انْهَزَمْتُمْ لَفِئْتُمْ إِلَيْنَا فَلاَ تَذْهَبُوا بِالْمَغْنَمِ وَنَبْقَى فَأَبَى الْفِتْيَانُ وَقَالُوا جَعَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ { يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأَنْفَالِ قُلِ الأَنْفَالُ لِلَّهِ } إِلَى قَوْلِهِ { كَمَا أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنْ بَيْتِكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لَكَارِهُونَ } يَقُولُ فَكَانَ ذَلِكَ خَيْرًا لَهُمْ فَكَذَلِكَ أَيْضًا فَأَطِيعُونِي فَإِنِّي أَعْلَمُ بِعَاقِبَةِ هَذَا مِنْكُمْ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি এই এই কাজ করতে পারবে তাকে গনীমাত থেকে এই এই (পুরস্কার) দেয়া হবে। এ কথা শুনে যুবকরা সম্মুখে এগিয়ে গেলো এবং বয়স্করা পতাকার কাছে অটলভাবে দাঁড়িয়ে রইলেন। আল্লাহ তাদেরকে বিজয়ী করলে বয়স্করা বললেন, আমরা তোমাদের সাহায্যকারী পৃষ্ঠপোষক। তোমরা পরাজিত হলে আমাদের কাছেই ফিরে আসতে। সুতরাং আমাদেরকে বাদ দিয়ে তোমরা একাই গনীমাত নিতে পারো না। কিন্তু যুবকরা এ প্রস্তাব না মেনে বললো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসব আমাদেরকে দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “তারা আপনাকে গনীমাতের মাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলুন, এ গনীমাতের মাল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। যখন আপনার রব্ব আপনাকে সত্য সহকারে আপনার ঘর থেকে বের করে আনলেন এবং একদল ঈমানদারের নিকট তা ছিল খুবই দুঃসহ” (সূরাহ আল-আনফালঃ ১-৫)। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এটাই উভয় দলের জন্য কল্যাণকর হলো। সুতরাং তোমরা আমার অনুসরণ করো। কেননা আমি এর পরিণতি সম্পর্কে তোমাদের চেয়ে অধিক জানি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৩৮
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَوْمَ بَدْرٍ “ مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً فَلَهُ كَذَا وَكَذَا وَمَنْ أَسَرَ أَسِيرًا فَلَهُ كَذَا وَكَذَا ” ثُمَّ سَاقَ نَحْوَهُ وَحَدِيثُ خَالِدٍ أَتَمُّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদরের যুদ্ধের দিন ঘোষণা করলেনঃ কেউ কোন শত্রুকে হত্যা করলে তার জন্য এই এই (পুরস্কার)। আর কেউ কোন শত্রুকে বন্দী করলে তার জন্যও এই এই (পুরস্কার)। এরপর পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। খালিদের হাদীসটি পূর্ণাঙ্গ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৩৯
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بَكَّارِ بْنِ بِلاَلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي دَاوُدُ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِإِسْنَادِهِ قَالَ فَقَسَّمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالسَّوَاءِ . وَحَدِيثُ خَالِدٍ أَتَمُّ .
দাউদ (রহঃ) এ হাদীস তার সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গনীমাতের মাল সবাইকে সমান ভাগে বন্টন করে দিলেন। খালিদের বর্ণিত হাদীস (পূর্বেরটি) ইয়াহইয়া ইবনু আবূ যায়িদাহর এ হাদীসের চেয়ে পূর্ণাঙ্গ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
২৭৪০
حَدَّثَنِي هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جِئْتُ إِلَى النَّبِي صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ بِسَيْفٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ شَفَى صَدْرِي الْيَوْمَ مِنَ الْعَدُوِّ فَهَبْ لِي هَذَا السَّيْفَ . قَالَ ” إِنَّ هَذَا السَّيْفَ لَيْسَ لِي وَلاَ لَكَ ” فَذَهَبْتُ وَأَنَا أَقُولُ يُعْطَاهُ الْيَوْمَ مَنْ لَمْ يُبْلِ بَلاَئِي . فَبَيْنَا أَنَا إِذْ جَاءَنِي الرَّسُولُ فَقَالَ أَجِبْ . فَظَنَنْتُ أَنَّهُ نَزَلَ فِيَّ شَىْءٌ بِكَلاَمِي فَجِئْتُ فَقَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّكَ سَأَلْتَنِي هَذَا السَّيْفَ وَلَيْسَ هُوَ لِي وَلاَ لَكَ وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ جَعَلَهُ لِي فَهُوَ لَكَ ثُمَّ قَرَأَ { يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأَنْفَالِ قُلِ الأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ } إِلَى آخِرِ الآيَةِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قِرَاءَةُ ابْنِ مَسْعُودٍ يَسْأَلُونَكَ النَّفْلَ .
সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বদর যুদ্ধ শেষে একটি তরবারি নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে গিয়ে বলি, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয়ই আল্লাহ আজকের দিন শত্রু নিধনের ব্যাপারে আমার অন্তরকে নিরাময় দিয়েছেন। সুতরাং এই তরবারি আমাকে দিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ এটা আমারও নয় তোমারও নয়। তখন আমি এই বলতে বলতে ফিরে যাই যে, আজকের এ তরবারি এমন লোককে দেয়া হবে, যুদ্ধের ময়দানে যে আমার মত পরীক্ষার সম্মুখীন হয়নি। এমন সময় রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দূত আমার কাছে এসে বললো, চলো। আমি ভাবলাম, আমার ঐ কথার কারণে আমার বিরুদ্ধে কিছু অবতীর্ণ হয়েছে। আমি আসলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তুমি আমার কাছে এ তরবারিটা চেয়েছিলে, তখন এর মালিকানা আমারও ছিল না, তোমারও ছিল না। এখন আল্লাহ আমাকে এটা দান করেছেন। কাজেই এটা এখন তোমার। অতঃপর তিনি এ আয়াত পড়লেনঃ “তারা আপনাকে গনীমাতের মাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলুন, গনীমাতের মাল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের…” আয়াতের শেষ পর্যন্ত (সূরাহ আল-আনফালঃ ১)। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর ক্বিরাআত হলোঃ ‘ইয়াসআলূনাকান-নাফলা’।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৭
মুজাহিদ বাহিনীর গনীমাত থেকে ক্ষুদ্র সামরিক বাহীনীকে পুরস্কার প্রদান
২৭৪১
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَنْطَاكِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا مُبَشِّرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، أَنَّ الْحَكَمَ بْنَ نَافِعٍ، حَدَّثَهُمْ – الْمَعْنَى، – كُلُّهُمْ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي جَيْشٍ قِبَلَ نَجْدٍ وَانْبَعَثَتْ سَرِيَّةٌ مِنَ الْجَيْشِ فَكَانَ سُهْمَانُ الْجَيْشِ اثْنَىْ عَشَرَ بَعِيرًا اثْنَىْ عَشَرَ بَعِيرًا وَنَفَّلَ أَهْلَ السَّرِيَّةِ بَعِيرًا بَعِيرًا فَكَانَتْ سُهْمَانُهُمْ ثَلاَثَةَ عَشَرَ ثَلاَثَةَ عَشَرَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এক মুজাহিদ বাহিনীর সাথে ‘নাজাদ’ এলাকায় প্রেরণ করেন এবং সেনাবাহিনীর একটি অংশকে অভিযানে পাঠান। সেনাবাহিনীর সকল সৈন্য ভাগে বারোটি করে গনীমাতের উট পেলো এবং অভিযানে প্রেরিত সৈন্যদেরকে তিনি একটি করে উট অতিরিক্ত দিলেন। ফলে তাদের প্রত্যেকের ভাগে তেরটি করে উট পড়ে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৪২
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ قَالَ الْوَلِيدُ – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – حَدَّثْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قُلْتُ وَكَذَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ لاَ تَعْدِلْ مَنْ سَمَّيْتَ بِمَالِكٍ هَكَذَا أَوْ نَحْوَهُ يَعْنِي مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ .
ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনুল মুবারকের নিকট উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করি। আমি বলি, আমাদের কাছে ইবনু আবূ ফারওয়াহ নাফি’ হতে হাদীসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন। ইবনুল মুবারক বললেন, তুমি যার যার নাম উল্লেখ করেছ তারা কোন দিক দিয়েই মালিক ইবনু আনাসের সমক্ষ নন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৪৩
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ الْكِلاَبِيَّ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً إِلَى نَجْدٍ فَخَرَجْتُ مَعَهَا فَأَصَبْنَا نَعَمًا كَثِيرًا فَنَفَّلَنَا أَمِيرُنَا بَعِيرًا بَعِيرًا لِكُلِّ إِنْسَانٍ ثُمَّ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَسَّمَ بَيْنَنَا غَنِيمَتَنَا فَأَصَابَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا اثْنَىْ عَشَرَ بَعِيرًا بَعْدَ الْخُمُسِ وَمَا حَاسَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالَّذِي أَعْطَانَا صَاحِبُنَا وَلاَ عَابَ عَلَيْهِ بَعْدَ مَا صَنَعَ فَكَانَ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنَّا ثَلاَثَةَ عَشَرَ بَعِيرًا بِنَفْلِهِ .
নাফি’ (রহঃ) হতে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজাদ এলাকায় একটি বাহিনী পাঠালে তাদের সাথে আমিও হই। সেখানে আমরা প্রচুর পরিমাণ গনীমাত লাভ করি। আমাদের সেনাপতি আমাদের প্রত্যেককে একটি উট পুরস্কার দিলেন। অতঃপর আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে ফিরে এলে তিনি আমাদের মাঝে গনীমাতের মাল বন্টন করেন। এক-পঞ্চমাংশ বাদ দেয়ার পর আমাদের প্রত্যেকে বারোটি করে উট গনীমাতের পায়। আমাদের সেনাপতি যে উটগুলো পূর্বে আমাদেরকে দিয়েছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা হিসাবে আনেননি। তিনি এ কাজের জন্য সেনাপতির কোন দোষও ধরেননি। ফলে আমাদের প্রত্যেকের ভাগে তার দেয়া অতিরিক্ত একটি সহ মোট তেরোটি করে উট পড়লো।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৭৪৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، – الْمَعْنَى – عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ سَرِيَّةً فِيهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قِبَلَ نَجْدٍ فَغَنِمُوا إِبِلاً كَثِيرَةً فَكَانَتْ سُهْمَانُهُمُ اثْنَىْ عَشَرَ بَعِيرًا وَنُفِّلُوا بَعِيرًا بَعِيرًا . زَادَ ابْنُ مَوْهَبٍ فَلَمْ يُغَيِّرْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজাদ এলাকায় একটি অভিযান পাঠান, তাতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও ছিলেন। তারা তাতে প্রচুর পরিমাণে গনীমাতের মাল লাভ করেন। এতে তাদের প্রত্যেককে বারোটি করে উট দেয়া হলো।
বর্ণনাকারী ইবনু মাওহাবের বর্ণনায় রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উল্লেখিত বন্টন কোন পরিবর্তন করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৪৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَبَلَغَتْ سُهْمَانُنَا اثْنَىْ عَشَرَ بَعِيرًا وَنَفَّلَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعِيرًا بَعِيرًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ بُرْدُ بْنُ سِنَانٍ عَنْ نَافِعٍ مِثْلَ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَرَوَاهُ أَيُّوبُ عَنْ نَافِعٍ مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ وَنُفِّلْنَا بَعِيرًا بَعِيرًا . لَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠালেন। আমরা প্রত্যেকেই ভাগে বারোটি করে উট পেলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত একটি করে উট দিলেন। আরেক বর্ণনায় অতিরিক্ত একটি করে উট দেয়ার কথা রয়েছে। তবে তাতে এ কথা নেই যে, তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৪৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، ح وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، قَالَ حَدَّثَنِي حُجَيْنٌ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ كَانَ يُنَفِّلُ بَعْضَ مَنْ يَبْعَثُ مِنَ السَّرَايَا لأَنْفُسِهِمْ خَاصَّةً النَّفْلَ سِوَى قَسْمِ عَامَّةِ الْجَيْشِ وَالْخُمُسُ فِي ذَلِكَ وَاجِبٌ كُلُّهُ .
‘আবদূল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পক্ষ হতে বিশেষ অভিযানে প্রেরিত সেনাদের গনীমাত থেকে অতিরিক্ত দিতেন। যা সাধারণভাবে সব বাহিনীকে দেয়া হতো না। অবশ্য সমস্ত গনীমাত থেকে এক-পঞ্চমাংশ নেয়া হতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৪৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا حُيَىٌّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمَ بَدْرٍ فِي ثَلاَثِمِائَةٍ وَخَمْسَةَ عَشَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ حُفَاةٌ فَاحْمِلْهُمُ اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ عُرَاةٌ فَاكْسُهُمُ اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ جِيَاعٌ فَأَشْبِعْهُمْ ” . فَفَتَحَ اللَّهُ لَهُ يَوْمَ بَدْرٍ فَانْقَلَبُوا حِينَ انْقَلَبُوا وَمَا مِنْهُمْ رَجُلٌ إِلاَّ وَقَدْ رَجَعَ بِجَمَلٍ أَوْ جَمَلَيْنِ وَاكْتَسَوْا وَشَبِعُوا .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনশো পনের জন নিয়ে বদরের প্রান্তরে রওয়ানা হলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “হে আল্লাহ! এরা পদাতিক বাহিনী, এদেরকে বাহন দান করুন। হে আল্লাহ! এরা বস্ত্রহীন, এদেরকে পরিধেয় বস্ত্র দান করুন। হে আল্লাহ! এরা অন্নহীন, এদেরকে খাদ্য দিয়ে পরিতৃপ্ত করুন।” অতঃপর আল্লাহ তাঁকে বদরে বিজয়ী করলেন। সাহাবীরা যখন সেখান থেকে ফিরে আসেন তখন তাদের প্রত্যেকেই একটি বা দুইটি উট নিয়ে, পোশাকে সজ্জিত হয়ে এবং পরিতৃপ্ত হয়ে ফিরলেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৮
যিনি বলেন, অতিরিক্ত দেয়ার আগেই এক-পঞ্চমাংশ পৃথক করবে
২৭৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ الشَّامِيِّ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ جَارِيَةَ التَّمِيمِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنَفِّلُ الثُّلُثَ بَعْدَ الْخُمُسِ .
হাবীব ইবনু মাসলামাহ আল-ফিহরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গনীমাতের এক-পঞ্চমাংশ বের করার পর অবশিষ্ট মালের এক-তৃতীয়াংশ অতিরিক্ত হিসেবে প্রদান করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৪৯
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ الْجُشَمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنِ ابْنِ جَارِيَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُنَفِّلُ الرُّبُعَ بَعْدَ الْخُمُسِ وَالثُّلُثَ بَعْدَ الْخُمُسِ إِذَا قَفَلَ .
হাবীব ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক-পঞ্চমাংশ বের করার পর অবশিষ্ট মালের এক-চতুর্থাংশ অতিরিক্ত হিসেবে দান করতেন এবং যুদ্ধ হতে ফেরার পর এক-পঞ্চমাংশ পৃথক রেখে তাদেরকে অবশিষ্ট মালের এক-তৃতীয়াংশ অতিরিক্ত দান করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৫০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بَشِيرِ بْنِ ذَكْوَانَ، وَمَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيَّانِ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَهْبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ مَكْحُولاً، يَقُولُ كُنْتُ عَبْدًا بِمِصْرَ لاِمْرَأَةٍ مِنْ بَنِي هُذَيْلٍ فَأَعْتَقَتْنِي فَمَا خَرَجْتُ مِنْ مِصْرَ وَبِهَا عِلْمٌ إِلاَّ حَوَيْتُ عَلَيْهِ فِيمَا أُرَى ثُمَّ أَتَيْتُ الْحِجَازَ فَمَا خَرَجْتُ مِنْهَا وَبِهَا عِلْمٌ إِلاَّ حَوَيْتُ عَلَيْهِ فِيمَا أُرَى ثُمَّ أَتَيْتُ الْعِرَاقَ فَمَا خَرَجْتُ مِنْهَا وَبِهَا عِلْمٌ إِلاَّ حَوَيْتُ عَلَيْهِ فِيمَا أُرَى ثُمَّ أَتَيْتُ الشَّامَ فَغَرْبَلْتُهَا كُلُّ ذَلِكَ أَسْأَلُ عَنِ النَّفْلِ فَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا يُخْبِرُنِي فِيهِ بِشَىْءٍ حَتَّى أَتَيْتُ شَيْخًا يُقَالُ لَهُ زِيَادُ بْنُ جَارِيَةَ التَّمِيمِيُّ فَقُلْتُ لَهُ هَلْ سَمِعْتَ فِي النَّفْلِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ سَمِعْتُ حَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيَّ يَقُولُ شَهِدْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ الرُّبُعَ فِي الْبَدْأَةِ وَالثُّلُثَ فِي الرَّجْعَةِ .
মাকহুল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মিসরে হুযাইল গোত্রের এক মহিলার গোলাম ছিলাম। অতঃপর তিনি আমাকে আযাদ করেন। আমার জানা মতে মিসরে সামগ্রিক জ্ঞান অর্জন না করা পর্যন্ত আমি সেখান থেকে বের হইনি। অতঃপর আমি হিজাযে আগমন করে সেখান থেকে সেখানকার কেন্দ্রগুলো থেকে জ্ঞান অর্জন করি। অতঃপর ইরাকে আসি এবং সেখানকার কেন্দ্রগুলো থেকে জ্ঞানার্জন করে সেখান থেকে বের হই। অতঃপর আমি সিরিয়ায় পৌছে এর বিভিন্ন এলাকা ভ্রমণ করি এবং গনীমাত সম্পর্কে জিজ্ঞস করি। কিন্তু এ সম্পর্কে আমাকে অবহিত করার মত কাউকে পাইনি। অবশেষে আমি যিয়াদ ইবনু জারিয়াহ আত-তামীমী নামক এক বৃদ্ধের সাক্ষাৎ পেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি, আপনি গনীমাত সম্পর্কে কিছু শুনেছেন কি? তিনি বললেন, হাঁ। আমি হাবীব ইবনু মাসলামাহ আল-ফিহরী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম।
তিনি প্রথমে গনীমাত থেকে (এক-পঞ্চমাংশ বের করার পর বাকী মালের) এক-চতুর্থাংশ অতিরিক্ত দিতেন এবং যুদ্ধশেষে ফেরার পথে এক-তৃতীয়াংশ অতিরিক্ত দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৯
ক্ষুদ্র সামরিক অভিযান শেষে মূল বাহিনীতে প্রত্যাবর্তন
২৭৫১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، – هُوَ مُحَمَّدٌ – بِبَعْضِ هَذَا ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي هُشَيْمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمُسْلِمُونَ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ يَسْعَى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ وَيُجِيرُ عَلَيْهِمْ أَقْصَاهُمْ وَهُمْ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ يَرُدُّ مُشِدُّهُمْ عَلَى مُضْعِفِهِمْ وَمُتَسَرِّعُهُمْ عَلَى قَاعِدِهِمْ لاَ يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلاَ ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ ” . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ إِسْحَاقَ الْقَوَدَ وَالتَّكَافُؤَ .
‘আমর ইবরু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সকল মুসলিমের রক্ত সমান। একজন সাধারণ মুসলিমও যে কোন ব্যক্তিকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিলে তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা সকলের কর্তব্যে পরিণত হয়। অনুরুপভাবে দূরবর্তী স্থানের মুসলিমরাও তাদের পক্ষে এ ধরনের আশ্রয় দিতে পারে। প্রত্যেক মুসলিম তার প্রতিপক্ষ শত্রুর বিরুদ্ধে অন্য মুসলিমকে সাহায্য করবে। যার শক্তিশালী ও দ্রুত পতিসম্পন্ন সওয়ারী আছে, সে দুর্বল ও ধীর গতিসম্পন্ন সওয়ারীর অধিকারী ব্যক্তির সাথে থেকে চলবে। সেনাবাহিনীর কোন বিশেষ অংশ গনীমাতের মাল অর্জন করলে তা সকলের মধ্যে বন্টিত হবে। কোন কাফিরকে হত্যার অপরাধে কোন মুমিনকে হত্যা করা যাবে না। চুক্তিবদ্ধ কোন কাফিরকে চুক্তির মেয়াদের মধ্যে হত্যা করা যাবে না। বর্ণনাকারী ইসহাক্ব তার বর্ণনায় “আলমুসলিমূনা তাতাকাফা দিমাউহুম” এবং “ওয়ালা ইউক্বতালু মুমিনুন বি কাফিরিন” বাক্য দুটি উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৭৫২
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَغَارَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُيَيْنَةَ عَلَى إِبِلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَتَلَ رَاعِيَهَا وَخَرَجَ يَطْرُدُهَا هُوَ وَأُنَاسٌ مَعَهُ فِي خَيْلٍ فَجَعَلْتُ وَجْهِي قِبَلَ الْمَدِينَةِ ثُمَّ نَادَيْتُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ يَا صَبَاحَاهُ . ثُمَّ اتَّبَعْتُ الْقَوْمَ فَجَعَلْتُ أَرْمِي وَأَعْقِرُهُمْ فَإِذَا رَجَعَ إِلَىَّ فَارِسٌ جَلَسْتُ فِي أَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى مَا خَلَقَ اللَّهُ شَيْئًا مِنْ ظَهْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ جَعَلْتُهُ وَرَاءَ ظَهْرِي وَحَتَّى أَلْقَوْا أَكْثَرَ مِنْ ثَلاَثِينَ رُمْحًا وَثَلاَثِينَ بُرْدَةً يَسْتَخِفُّونَ مِنْهَا ثُمَّ أَتَاهُمْ عُيَيْنَةُ مَدَدًا فَقَالَ لِيَقُمْ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْكُمْ . فَقَامَ إِلَىَّ أَرْبَعَةٌ مِنْهُمْ فَصَعِدُوا الْجَبَلَ فَلَمَّا أَسْمَعْتُهُمْ قُلْتُ أَتَعْرِفُونِي قَالُوا وَمَنْ أَنْتَ قُلْتُ أَنَا ابْنُ الأَكْوَعِ وَالَّذِي كَرَّمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم لاَ يَطْلُبُنِي رَجُلٌ مِنْكُمْ فَيُدْرِكُنِي وَلاَ أَطْلُبُهُ فَيَفُوتُنِي . فَمَا بَرِحْتُ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى فَوَارِسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَخَلَّلُونَ الشَّجَرَ أَوَّلُهُمُ الأَخْرَمُ الأَسَدِيُّ فَيَلْحَقُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُيَيْنَةَ وَيَعْطِفُ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ الأَخْرَمُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ وَطَعَنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَتَلَهُ فَتَحَوَّلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَلَى فَرَسِ الأَخْرَمِ فَيَلْحَقُ أَبُو قَتَادَةَ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ بِأَبِي قَتَادَةَ وَقَتَلَهُ أَبُو قَتَادَةَ فَتَحَوَّلَ أَبُو قَتَادَةَ عَلَى فَرَسِ الأَخْرَمِ ثُمَّ جِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي جَلَّيْتُهُمْ عَنْهُ ذُو قَرَدٍ فَإِذَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي خَمْسِمِائَةٍ فَأَعْطَانِي سَهْمَ الْفَارِسِ وَالرَّاجِلِ .
ইয়াস ইবনু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (সালামাহ) বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘উয়াইনাহ রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উট লুন্ঠন করলো এবং তাঁর রাখালকে মেরে ফেললো। অতঃপর সে ও তার অশ্বারোহী সাথীরা উটগুলোকে হাঁকিয়ে নিয়ে যেতে থাকলো। আমি (সালামাহ) মাদীনার দিকে মুখ ফিরিয়ে (সাহায্যের জন্য) তিনবার ডাক দিলাম, হুশিয়ার! (ডাকাত দল এসেছে)। অতঃপর আমি তাদের পিছু ধাওয়া করে তীর ছুঁড়ে তাদেরকে আহত করতে লাগলাম। তাদের কোন অশ্বারোহী আমার দিকে ফিরলে আমি গাছের আড়ালে লুকাতাম। এভাবে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উটগুলোকে (উদ্ধার করে) আমার পিছনে ফেললাম। তারা বোঝা হালকা করে দ্রুত পালানোর জন্য তিরিশের অধিক বর্শা এবং তিরিশের অধিক চাদর বাহনের পিঠ থেকে ফেলে দেয়। তাদের সাহায্য করতে ‘উয়াইনাহ এগিয়ে এসে বললো, তার (সালামাহর) মোকাবিলার জনঃ কয়েকজন অগ্রসর হও। অতঃপর আমার মোকাবিলার জন্য তাদের চার জন সামনে অগ্রসর হয়ে পাহাড়ে উঠলো। আমার অবস্থান যখন তাদের থেকে এতটুকু দূরে ছিলো যে, তারা আমার ডাক শুনতে পাবে, তখন আমি বললাম, তোমরা কি আমাকে চেনো! তারা বললো, তুমি কে? আমি বললাম, আমি আকওয়া‘র পুত্র। সেই সত্ত্বার শপথ, যিনি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চেহারাকে সম্মানিত করেছেন! তোমাদের কেউ আমাকে ধরতে চাইলে, সে কখনোই আমাকে ধরতে পরবেনা। পক্ষান্তরে আমি কাউকে ধরতে পারলে তার রক্ষা নাই। এমন সময় আমি দেখতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অশ্বারোহী বাহিনী গাছপালার ভিতর দিয়ে এগিয়ে আসছে। আখরাম আল-আসাদী (রাঃ) ছিলেন তাদের সবার আগে। আখরাম আল-আসাদী (রাঃ) ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘উযাইনাহর দিকে অগ্রসর হলেন, সেও তাকে দেখতে পেলো। উভয়ের মধ্যে আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ চললো। আখরাম (রাঃ) তার ঘোড়াকে আঘাত করে হত্যা করলেন। ‘আবদুর রহমান (বল্লমের আঘাতে) আখরামকে শহীদ করে আখরামের ঘোড়ায় আরোহণ করলো। এবার আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) ‘আবদুর রহমানের মোকাবিলায় এগিয়ে এলেন। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলো। সে আবূ ক্বাতাদাহর (রাঃ) ঘোড়াকে হত্যা করলো। আর আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) তাকে হত্যা করলেন। অতঃপর তিনি আখরামের ঘোড়ার সওয়ার হলেন। এরপর আমি (সালামাহ) রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে আসি। এ সময় তিনি যু ক্বারাদ নামক কূপের নিকটে অবস্থান করছিলেন। এখান থেকেই আমি লুটেরাদের ধাওয়া করেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে পাঁচশো লোক ছিলো। তিনি আমাকে (বীরত্বের জন্য) একজন অশ্বারোহীর ভাগ দিলেন এবং পদাতিকের ভাগও দিলেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬০
সোনা-রূপা ও গনীমাতের প্রাথমিক মাল থেকে অতিরিক্ত প্রদান
২৭৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ الْجَرْمِيِّ، قَالَ أَصَبْتُ بِأَرْضِ الرُّومِ جَرَّةً حَمْرَاءَ فِيهَا دَنَانِيرُ فِي إِمْرَةِ مُعَاوِيَةَ وَعَلَيْنَا رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ يُقَالُ لَهُ مَعْنُ بْنُ يَزِيدَ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَسَمَهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَعْطَانِي مِنْهَا مِثْلَ مَا أَعْطَى رَجُلاً مِنْهُمْ ثُمَّ قَالَ لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ نَفْلَ إِلاَّ بَعْدَ الْخُمُسِ ” . لأَعْطَيْتُكَ . ثُمَّ أَخَذَ يَعْرِضُ عَلَىَّ مِنْ نَصِيبِهِ فَأَبَيْتُ .
আবূল জুওয়াইরিয়াহ আল-জারমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মু‘আবিয়াহর (রাঃ) শাসনামলে রোম এলাকায় স্বর্ণমুদ্রা ভর্তি লাল রঙের একটি কলস পাই। এ সময়ে আমাদের অধিনায়ক ছিলেন বনী সুলাইম গোত্রের মা‘ন ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) নামক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এক সাহাবী। আমি কলসটি নিয়ে তার কাছে আসলে তিনি সৈনিকদের মধ্যে দীনারগুলি ভাগ করে দিলেন। তিনি অন্যদের মত আমাকেও এক ভাগ দিলেন। তিনি বললেন, আমি যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একথা বলতে না শুনতামঃ “এক-পঞ্চমাংশ নির্ধারণ করার পরই অতিরিক্ত দেয়া যায়।”, তাহলে আমি তোমাকে অতিরিক্ত দিতাম। অতঃপর তিনি তার অংশ থেকে আমাকে কিছু দিতে চাইলে আমি নিতে অসম্মতি জানাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৫৪
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ .
আসিম ইবনু কুলাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত হাদীস ‘আসিম ইবনু কুলাইব (রহঃ) হতে একই সানাদে একই অর্থে বর্ণিত হয়েছে। আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬১
ফাই থেকে ইমাম নিজের জন্য কিছু রাখবে
২৭৫৫
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ الأَسْوَدَ، قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ عَبَسَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى بَعِيرٍ مِنَ الْمَغْنَمِ فَلَمَّا سَلَّمَ أَخَذَ وَبَرَةً مِنْ جَنْبِ الْبَعِيرِ ثُمَّ قَالَ “ وَلاَ يَحِلُّ لِي مِنْ غَنَائِمِكُمْ مِثْلُ هَذَا إِلاَّ الْخُمُسَ وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ فِيكُمْ ” .
‘আমর ইবনু ‘আবাসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সুতরাহ স্বরূপ) গনীমাতের একটি উটকে সামনে রেখে আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করলেন। সালাম ফিরিয়ে তিনি উটের পার্শ্বদেশের একটি পশম নিয়ে বললেনঃ এক-পঞ্চমাংশ ছাড়া তোমাদের গনীমাত থেকে আমার জন্য এতটুকু বৈধ নয়। আর এই এক-পঞ্চমাংশ তোমাদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬২
ওয়াদা পূরণ করা
২৭৫৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ الْغَادِرَ يُنْصَبُ لَهُ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ هَذِهِ غَدْرَةُ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি পতাকা স্থাপন করা হবে। বলা হবে, এটা অমুকের পু্ত্র অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৩
ইমামের সম্পাদিত চুক্তি মেনে চলা
২৭৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّمَا الإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ بِهِ ” .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নেতা ঢালস্বরুপ, তার নির্দেশে যুদ্ধ করা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৫৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، أَنَّ أَبَا رَافِعٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ بَعَثَتْنِي قُرَيْشٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُلْقِيَ فِي قَلْبِيَ الإِسْلاَمُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي وَاللَّهِ لاَ أَرْجِعُ إِلَيْهِمْ أَبَدًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنِّي لاَ أَخِيسُ بِالْعَهْدِ وَلاَ أَحْبِسُ الْبُرُدَ وَلَكِنِ ارْجِعْ فَإِنْ كَانَ فِي نَفْسِكَ الَّذِي فِي نَفْسِكَ الآنَ فَارْجِعْ ” . قَالَ فَذَهَبْتُ ثُمَّ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْلَمْتُ . قَالَ بُكَيْرٌ وَأَخْبَرَنِي أَنَّ أَبَا رَافِعٍ كَانَ قِبْطِيًّا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا كَانَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَلاَ يَصْلُحُ .
আবু রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুরাইশ নেতারা আমাকে রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে পাঠালেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখা মাত্র আমার অন্তরে ইসলাম গ্রহনের প্রেরণা জাগলো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আমি কখনোই তাদের কাছে ফিরে যাবো না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি ওয়াদা ভঙ্গ করবো না এবং দূতকেও আটকে রাখবো না। বরং তুমি ফিরে যাও, তোমার অন্তরে এখন যা আছে, পরেও যদি তা থাকে তাহলে তুমি ফিরে এসো। আবূ রাফি’ (রাঃ) বলেন, সুতরাং আমি চলে যাই এবং পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে ফিরে এসে ইসলাম গ্রহন করি। বুকাইর (রঃ) বলেন, আমাকে হাসান ইবনু আলী জানিয়েছেন, আবূ রাফি’ ছিলেন কিবতী গোলাম। আবূ দাঊদ (রঃ) বলেন, এ নিয়ম ঐ যুগের প্রেক্ষাপটে ছিল। এ যুগে কোন দূত ইসলাম গ্রহন করে আশ্রয় চাইলে তাকে আশ্রয় দিবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৪
মুসলিম নেতা ও শত্রুপক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর তিনি শত্রুদেশ ভ্রমন করতে পারবেন
২৭৫৯
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الْفَيْضِ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، – رَجُلٍ مِنْ حِمْيَرَ – قَالَ كَانَ بَيْنَ مُعَاوِيَةَ وَبَيْنَ الرُّومِ عَهْدٌ وَكَانَ يَسِيرُ نَحْوَ بِلاَدِهِمْ حَتَّى إِذَا انْقَضَى الْعَهْدُ غَزَاهُمْ فَجَاءَ رَجُلٌ عَلَى فَرَسٍ أَوْ بِرْذَوْنٍ وَهُوَ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَفَاءٌ لاَ غَدْرٌ فَنَظَرُوا فَإِذَا عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ قَوْمٍ عَهْدٌ فَلاَ يَشُدُّ عُقْدَةً وَلاَ يَحُلُّهَا حَتَّى يَنْقَضِيَ أَمَدُهَا أَوْ يَنْبِذَ إِلَيْهِمْ عَلَى سَوَاءٍ ” . فَرَجَعَ مُعَاوِيَةُ .
হিময়ার গোত্রের সুলাইম ইবনু ‘আমির (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ (রাঃ) ও রোমকদের মধ্যে (নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যুদ্ধ বিরতির) চুক্তি হয়। মু’আবিয়াহ (রাঃ) তাদের জনপদে সফর করছিলেন এবং চুক্তির মেয়াদ শেষ হতেই তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। তখন এক ব্যাক্তি আরবী বা তুর্কী ঘোড়ায় চড়ে উপস্থিত হয়ে বলেন, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; ওয়াদা রক্ষা করতে হবে, ভঙ্গ করা চলবে না। লোকেরা দেখলো, লোকটি ‘আমর ইবনু ‘আসবাহ (রাঃ)। অতঃপর মু’আবিয়াহ (রাঃ)তাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি ‘আমর (রাঃ)- কে (কিসের ওয়াদা ভঙ্গ হচ্ছে তা) জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যদি কারো সাথে কোন কওমের চুক্তি থাকে, তাহলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে তা নবায়ন করে শক্তিশালী করা যাবে না, এবং ভঙ্গ করাও যাবে না। যখন চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে তখন ঘোষনা দিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করবে। অতঃপর মু’আবিয়াহ (রাঃ) (যুদ্ধ না করে) ফিরে আসেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ ১৬৫
চুক্তি পুর্ণ করা এবং এর মর্যাদা রক্ষা করা
২৭৬০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُيَيْنَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَتَلَ مُعَاهِدًا فِي غَيْرِ كُنْهِهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ ” .
আবু বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যাক্তি আকারণে কোন চুক্তিবদ্ধ ব্যাক্তিকে হত্যা করবে, তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৬
দূত সম্পর্কে
২৭৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ كَانَ مُسَيْلِمَةُ كَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَقَدْ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ شَيْخٍ مِنْ أَشْجَعَ يُقَالُ لَهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُعَيْمِ بْنِ مَسْعُودٍ الأَشْجَعِيِّ عَنْ أَبِيهِ نُعَيْمٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَهُمَا حِينَ قَرَآ كِتَابَ مُسَيْلِمَةَ ” مَا تَقُولاَنِ أَنْتُمَا ” قَالاَ نَقُولُ كَمَا قَالَ . قَالَ ” أَمَا وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنَّ الرُّسُلَ لاَ تُقْتَلُ لَضَرَبْتُ أَعْنَاقَكُمَا ” .
নু’আইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুসাইলামা (ভন্ডনবী) চিঠি লিখেন। অতঃপর চিঠি পড়া হলে তার উভয় দূতকে লক্ষ্য করে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: এ লোক সম্পর্কে তোমরা কি বলো? তারা বললো, আমরা তা-ই বলি যা সে বলে (অর্থাৎ তার নবুওয়াতের দাবী মানি)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআল্লাহর শপথ! দূত হত্যা করা নিষিদ্ধ না হলে আমি তোমাদের উভয়ের গর্দান উড়িয়ে দিতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، أَنَّهُ أَتَى عَبْدَ اللَّهِ فَقَالَ مَا بَيْنِي وَبَيْنَ أَحَدٍ مِنَ الْعَرَبِ حِنَةٌ وَإِنِّي مَرَرْتُ بِمَسْجِدٍ لِبَنِي حَنِيفَةَ فَإِذَا هُمْ يُؤْمِنُونَ بِمُسَيْلِمَةَ . فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ فَجِيءَ بِهِمْ فَاسْتَتَابَهُمْ غَيْرَ ابْنِ النَّوَّاحَةِ قَالَ لَهُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لَوْلاَ أَنَّكَ رَسُولٌ لَضَرَبْتُ عُنُقَكَ ” . فَأَنْتَ الْيَوْمَ لَسْتَ بِرَسُولٍ فَأَمَرَ قَرَظَةَ بْنَ كَعْبٍ فَضَرَبَ عُنُقَهُ فِي السُّوقِ ثُمَّ قَالَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى ابْنِ النَّوَّاحَةِ قَتِيلاً بِالسُّوقِ .
হারিসাহ ইবনু মুদারবির (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদের (রাঃ) কাছে এসে বললেন, আরববাসীর কারো সাথেই আমার কোন শত্রুতা নাই। কিন্তু আমি বনূ হানীফার মাসজ়িদে যাওয়ার সময় দেখলাম, এ গোত্রের লোকেরা (ভন্ডনবী) মুসাইলামার প্রতি ঈমান এনেছে। তখন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাদেরকে ডেকে আনতে লোক পাঠালেন। সে তাদেরকে নিয়ে আসলে ইবনুন নাওয়াহা ব্যতীত সকলকে তিনি তাওবাহ করতে বললেন। তিনি তাদের বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : তুমি দূত না হলে আমি তোমার গর্দান বিচ্ছিন্ন করে দিতাম। (‘আবদুল্লাহ রা. বলেন) তুমি তো আজ দূত নও। অতঃপর তিনি তাকে হত্যা করতে ক্বারাযাহ ইবনু কা’বকে নির্দেশ দেন। তিনি তাকে বাজারে নিয়ে গিয়ে (জনসম্মুখে) হত্যা করলেন। অতঃপর তিনি (‘আবদুল্লাহ অথবা ক্বারাযাহ) বললেন, যে ব্যাক্তি ইবনুন নাওয়াহাকে দেখতে চায়, সে যেন বাজারে এসে তার লাশ দেখে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৭
নারীর দেয়া নিরাপত্তা সম্পর্কে
২৭৬৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عِيَاضُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهَا أَجَارَتْ رَجُلاً مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ “ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ وَأَمَّنَّا مَنْ أَمَّنْتِ ” .
উম্মু হানী (রাঃ) বিনতু আবূ ত্বালিব থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মাক্কাহ বিজয়ের দিন মুশরিকদের এক লোককে আশ্রয় দেন। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে তাঁকে বিষয়টি অবহিত করায় তিনি বললেনঃতুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছো আমরাও তাকে আশ্রয় দিলাম এবং তুমি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছো, আমরাও তাকে নিরাপত্তা দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৬৪
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كَانَتِ الْمَرْأَةُ لَتُجِيرُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ فَيَجُوزُ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মহিলারা মুসলিমদের প্রতিপক্ষ কাউকে আশ্রয় দিলে তা বৈধ হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৮
শত্রুপক্ষের সাথে সন্ধি করা
২৭৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ ثَوْرٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشَرَةَ مِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْىَ وَأَشْعَرَهُ وَأَحْرَمَ بِالْعُمْرَةِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ وَسَارَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ بِالثَّنِيَّةِ الَّتِي يُهْبَطُ عَلَيْهِمْ مِنْهَا بَرَكَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ فَقَالَ النَّاسُ حَلْ حَلْ خَلأَتِ الْقَصْوَاءُ . مَرَّتَيْنِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” مَا خَلأَتْ وَمَا ذَلِكَ لَهَا بِخُلُقٍ وَلَكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ ” . ثُمَّ قَالَ ” وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يَسْأَلُونِي الْيَوْمَ خُطَّةً يُعَظِّمُونَ بِهَا حُرُمَاتِ اللَّهِ إِلاَّ أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا ” . ثُمَّ زَجَرَهَا فَوَثَبَتْ فَعَدَلَ عَنْهُمْ حَتَّى نَزَلَ بِأَقْصَى الْحُدَيْبِيَةِ عَلَى ثَمَدٍ قَلِيلِ الْمَاءِ فَجَاءَهُ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيُّ ثُمَّ أَتَاهُ – يَعْنِي عُرْوَةَ بْنَ مَسْعُودٍ – فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَكُلَّمَا كَلَّمَهُ أَخَذَ بِلِحْيَتِهِ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَائِمٌ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ السَّيْفُ وَعَلَيْهِ الْمِغْفَرُ فَضَرَبَ يَدَهُ بِنَعْلِ السَّيْفِ وَقَالَ أَخِّرْ يَدَكَ عَنْ لِحْيَتِهِ . فَرَفَعَ عُرْوَةُ رَأْسَهُ فَقَالَ مَنْ هَذَا قَالُوا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ . فَقَالَ أَىْ غُدَرُ أَوَلَسْتُ أَسْعَى فِي غَدْرَتِكَ وَكَانَ الْمُغِيرَةُ صَحِبَ قَوْمًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَتَلَهُمْ وَأَخَذَ أَمْوَالَهُمْ ثُمَّ جَاءَ فَأَسْلَمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَمَّا الإِسْلاَمُ فَقَدْ قَبِلْنَا وَأَمَّا الْمَالُ فَإِنَّهُ مَالُ غَدْرٍ لاَ حَاجَةَ لَنَا فِيهِ ” . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” اكْتُبْ هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ” . وَقَصَّ الْخَبَرَ فَقَالَ سُهَيْلٌ وَعَلَى أَنَّهُ لاَ يَأْتِيكَ مِنَّا رَجُلٌ وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ إِلاَّ رَدَدْتَهُ إِلَيْنَا . فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ ” قُومُوا فَانْحَرُوا ثُمَّ احْلِقُوا ” . ثُمَّ جَاءَ نِسْوَةٌ مُؤْمِنَاتٌ مُهَاجِرَاتٌ الآيَةَ فَنَهَاهُمُ اللَّهُ أَنْ يَرُدُّوهُنَّ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرُدُّوا الصَّدَاقَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَجَاءَهُ أَبُو بَصِيرٍ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ – يَعْنِي فَأَرْسَلُوا فِي طَلَبِهِ – فَدَفَعَهُ إِلَى الرَّجُلَيْنِ فَخَرَجَا بِهِ حَتَّى إِذَا بَلَغَا ذَا الْحُلَيْفَةِ نَزَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْ تَمْرٍ لَهُمْ فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ لأَحَدِ الرَّجُلَيْنِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرَى سَيْفَكَ هَذَا يَا فُلاَنُ جَيِّدًا . فَاسْتَلَّهُ الآخَرُ فَقَالَ أَجَلْ قَدْ جَرَّبْتُ بِهِ فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْهِ فَأَمْكَنَهُ مِنْهُ فَضَرَبَهُ حَتَّى بَرَدَ وَفَرَّ الآخَرُ حَتَّى أَتَى الْمَدِينَةَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ يَعْدُو فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” لَقَدْ رَأَى هَذَا ذُعْرًا ” . فَقَالَ قَدْ قُتِلَ وَاللَّهِ صَاحِبِي وَإِنِّي لَمَقْتُولٌ فَجَاءَ أَبُو بَصِيرٍ فَقَالَ قَدْ أَوْفَى اللَّهُ ذِمَّتَكَ فَقَدْ رَدَدْتَنِي إِلَيْهِمْ ثُمَّ نَجَّانِي اللَّهُ مِنْهُمْ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” وَيْلَ أُمِّهِ مِسْعَرَ حَرْبٍ لَوْ كَانَ لَهُ أَحَدٌ ” . فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ عَرَفَ أَنَّهُ سَيَرُدُّهُ إِلَيْهِمْ فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى سِيفَ الْبَحْرِ وَيَنْفَلِتُ أَبُو جَنْدَلٍ فَلَحِقَ بِأَبِي بَصِيرٍ حَتَّى اجْتَمَعَتْ مِنْهُمْ عِصَابَةٌ .
আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুদায়বিয়ার বছরে এক হাজারের বেশি সাহাবী নিয়ে বের হলেন। অতঃপর যুল-হুলাইফাহ নামক স্থানে পৌছে তিনি উটের গলায় কুরবানীর প্রতীক (ক্বিলাদাহ) বাঁধেন, পশুর কুঁজের পশম কাটেন এবং ‘উমরাহ্র ইহরাম বাঁধলেন। এরা চলতে চলতে সানিয়্যাহ নামক স্থানে পৌঁছালে তাঁর ‘কাসওয়া’ নামের উষ্ট্রীঁ তাঁকে নিয়ে বসে যায়। এখান থেকেই মাক্কাহ্র প্রবেশ পথ। লোকেরা এটাকে উঠাবার জন্য হাল হাল শব্দ করলো। কিন্তু ‘কাসওয়া’ উঠলো না। তারা এভাবে দু’বার চেষ্টা করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘কাসওয়া’ তো ক্লান্ত হয়নি এবং তার এরুপ বসার অভ্যাসও নেই, বরং হাতীর গতিরোধকারী (মহান আল্লাহই) এর গতিরোধ করেছেন।
অতঃপর তিনি বললেনঃঐ সত্ত্বার শপথ! যাঁর হাতে আমার জীবন! আল্লাহর ঘরের মর্যাদা রক্ষার জন্য কুরাইশরা আমার কাছে যা কিছুই দাবি করবে আমি তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দিবো। তিনি উষ্ট্রীঁকে উঠাতে গেলে তা উঠে দাঁড়ালো। তিনি রাস্তা পরিবর্বতন করে হুদায়বিয়ার পৌঁছালেন। তিনি একটি কূপের কাছে নামলেন। তাতে সামান্য পানি ছিল। তাঁর কাছে বুদাইল ইবনু ওয়ারাকা আল-খুযাঈ আসলো। পরে ‘উরওয়াহ ইবনু মাসঊদ আসলো। ‘উরওয়াহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আলাপ শুরু করলো। সে নাবীর সাথে কথা বলার সময় তাঁর দাড়ি স্পর্শ করতো। মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছেই তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার মাথায় শিরস্ত্রাণ ছিল। তিনি ‘উরওয়াহ্র হাতে তরবারির খাপ দিয়া আঘাত করে বললেন, তাঁর দাড়ি থেকে হাত দূরে রাখো। ‘উরওয়াহ মাখা তুলে বললো, লোকটি কে? লোকেরা বললো, তিনি মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ)। সে বললো, হে বিশ্বাসঘাতক! আমি কি তোমার বিশ্বাসঘাতকতার মূল্য আদায় করিনি? জাহিলি যুগে (ইসলাম কবুলের আগে) তিনি একদল লোকের সাথে যাওয়ার সময় পথে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালপত্র ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে তিনি মদিনায় এসে ইসলাম কবুল করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআমরা তোমার ইসলাম গ্রহন মেনে নিলাম, কিন্তু তোমার এসব তো লুন্ঠন করা মাল। আমাদের এসব মালের কোন দরকার নাই। এরপর বর্ণনাকারী হাদীসের বাকি অংশ বর্ণনা করেন।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলীকে বললেনঃমুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বিষয়ে সন্ধি করেছেন তুমি তা লিখো। অতঃপর বর্ণনাকারী পুরো ঘটনা বললেন। সুহাইল বললো, আমাদের কেউ তোমার ধর্ম গ্রহন করে তোমার কাছে চলে এলে তাকে অবশ্যই আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
যখন সন্ধিপত্র লিখা শেষ হলো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে বললেন, ওঠো, কুরবানী করো এবং মাথা মুড়াও। অতঃপর কতিপয় মহিলা মুসলিম হয়ে হিজরত করে আসলো, আল্লাহ তাদের ফিরিয়ে দিতে মুসলিমদেরকে নিষেধ করলেন এবং তাদেরকে মুহরানা বাবদ যা দেয়া হয়েছিল তা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিলেন। সন্ধিচুক্তি সম্পাদানের পর তিনি মদিনায় প্রত্যাবর্তন করলেন। এ সময় আবূ বাসীর (রাঃ) নামক কুরাইশদের এক ব্যাক্তি ইসলাম গ্রহণ করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে চলে আসলেন। কুরাইশরা তাকে ফেরত নিতে দু’জন লোক পাঠালো। তিনি দুই ব্যাক্তির কাছে তাকে অর্পণ করলেন। তারা তাকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেলো। অতঃপর তার যুল-হুলাইফাহ নামক স্থানে পৌঁছে সওয়ারী থেকে নেমে খেজুর খেতে লাগলেন। তখন আবূ বাসীর (রাঃ) তাদের একজনকে বললেন, হে অমুক! আল্লাহর শপথ! তোমার তরবারিটি আমার কাছে বেশ সুন্দর লাগছে। সে খাপ থেকে তরবারি বের করে বললো, হাঁ, আমি একে পরীক্ষা করেছি। আবূ বাসির বললেন, আমাকে দাও না, একটু দেখি। তিনি তার কাছ থেকে তরবারিখানা হাতে নিয়েই তাকে আঘাত করেন, ফলে সে ঠান্ডা (নিহত) হয়ে যায়। দ্বিতীয়জন পালিয়ে মদিনায় এসে ভীত অবস্থায় মাসজিদে প্রবেশ করে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ লোকটি ভয় পেয়েছে। সে বললো, আল্লাহর শপথ! আমার সঙ্গী নিহত হয়েছে, আমিও নিহত হলাম।
আবূ বাসীর (রাঃ) ফিরে এসে বললেন, আল্লাহর আপনার যিম্মাদারী পূর্ণ করে দিয়েছেন। আপনি আমাকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ আমাকে তাদের থেকে মুক্তি দিয়েছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আবূ বাসীরের মায়ের জন্য দুঃখ, সে তো যুদ্ধের আগুন জ্বালালো। যদি তার কোন সাহায্যকারী থাকতো! এ কথা শুনে আবূ বাসীর বুঝতে পারলেন, তাকে পুনরায় তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে। তাই তিনি পালিয়ে সাইফুল বাহার নামক স্থানে চলে আসেন। অতঃপর আবূ জান্দাল (রাঃ)-ও মাক্কাহ্ থেকে পালিয়ে আবূ বাশিরের সাথে মিলিত হলেন। (ইসলাম গ্রহন করে) কুরাইশদের একদল লোক এভাবেই এখানে এসে একত্র হন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُمُ اصْطَلَحُوا عَلَى وَضْعِ الْحَرْبِ عَشْرَ سِنِينَ يَأْمَنُ فِيهِنَّ النَّاسُ وَعَلَى أَنَّ بَيْنَنَا عَيْبَةً مَكْفُوفَةً وَأَنَّهُ لاَ إِسْلاَلَ وَلاَ إِغْلاَلَ .
আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) ও মারওয়ান ইবনুল হাকাম থেকে বর্ণিতঃ
কুরাইশরা দশ বছর পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখার সন্ধি করলো। এ সময়ে লোকজন নিরাপদে থাকবে; আমাদের পরস্পরের মাঝে কোন কুটিলতা থাকবেনা; গোপন ষড়যন্ত্র করবে না এবং কোন পক্ষই বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২৭৬৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، قَالَ مَالَ مَكْحُولٌ وَابْنُ أَبِي زَكَرِيَّاءَ إِلَى خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ وَمِلْتُ مَعَهُمَا فَحَدَّثَنَا عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، قَالَ قَالَ جُبَيْرٌ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى ذِي مِخْبَرٍ – رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم – فَأَتَيْنَاهُ فَسَأَلَهُ جُبَيْرٌ عَنِ الْهُدْنَةِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ سَتُصَالِحُونَ الرُّومَ صُلْحًا آمِنًا وَتَغْزُونَ أَنْتُمْ وَهُمْ عَدُوًّا مِنْ وَرَائِكُمْ ” .
হাসসান ইবনু ‘আত্বিয়্যাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাকহুল ও ইবনু আবূ যাকারিয়্যাহ (রহঃ) খালিদ ইবনু মা’দান (রহঃ)-এর কাছে গেলে তাদের সাথে আমিও গেলাম। তিনি জুবাইর ইবনু নুফাইর (রহঃ) হতে আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, জুবাইর (রাঃ) বলেন, আমাদের সঙ্গে যি-মিখবাবের (রাঃ) কাছে চলো। তিনি ছিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীদের অন্যতম একজন। আমরা তার কাছে গেলে জুবাইর (রাঃ) তাকে সন্ধি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ অচিরেই তোমরা রোমকদের সাথে সম্মিলিতভাবে তোমাদের দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৯
শত্রুর কাছে উপস্থিত হয়ে তাদের দলভুক্ত হওয়ার ভান করে তাকে হত্যা করা
২৭৬৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ لِكَعْبِ بْنِ الأَشْرَفِ فَإِنَّهُ قَدْ آذَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ ” . فَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَقَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَهُ قَالَ ” نَعَمْ ” . قَالَ فَأْذَنْ لِي أَنْ أَقُولَ شَيْئًا . قَالَ ” نَعَمْ قُلْ ” . فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَدْ سَأَلَنَا الصَّدَقَةَ وَقَدْ عَنَّانَا قَالَ وَأَيْضًا لَتَمَلُّنَّهُ . قَالَ اتَّبَعْنَاهُ فَنَحْنُ نَكْرَهُ أَنْ نَدَعَهُ حَتَّى نَنْظُرَ إِلَى أَىِّ شَىْءٍ يَصِيرُ أَمْرُهُ وَقَدْ أَرَدْنَا أَنْ تُسْلِفَنَا وَسْقًا أَوْ وَسْقَيْنِ . قَالَ كَعْبٌ أَىَّ شَىْءٍ تَرْهَنُونِي قَالَ وَمَا تُرِيدُ مِنَّا قَالَ نِسَاءَكُمْ قَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ أَنْتَ أَجْمَلُ الْعَرَبِ نَرْهَنُكَ نِسَاءَنَا فَيَكُونُ ذَلِكَ عَارًا عَلَيْنَا . قَالَ فَتَرْهَنُونِي أَوْلاَدَكُمْ . قَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ يُسَبُّ ابْنُ أَحَدِنَا فَيُقَالُ رُهِنْتَ بِوَسْقٍ أَوْ وَسْقَيْنِ . قَالُوا نَرْهَنُكَ اللأْمَةَ يُرِيدُ السِّلاَحَ قَالَ نَعَمْ . فَلَمَّا أَتَاهُ نَادَاهُ فَخَرَجَ إِلَيْهِ وَهُوَ مُتَطَيِّبٌ يَنْضَخُ رَأْسُهُ فَلَمَّا أَنْ جَلَسَ إِلَيْهِ وَقَدْ كَانَ جَاءَ مَعَهُ بِنَفَرٍ ثَلاَثَةٍ أَوْ أَرْبَعَةٍ فَذَكَرُوا لَهُ قَالَ عِنْدِي فُلاَنَةُ وَهِيَ أَعْطَرُ نِسَاءِ النَّاسِ . قَالَ تَأْذَنُ لِي فَأَشُمُّ قَالَ نَعَمْ . فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِي رَأْسِهِ فَشَمَّهُ قَالَ أَعُودُ قَالَ نَعَمْ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِي رَأْسِهِ فَلَمَّا اسْتَمْكَنَ مِنْهُ قَالَ دُونَكُمْ . فَضَرَبُوهُ حَتَّى قَتَلُوهُ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কা’ব ইবনু আশরাফকে হত্যা করার কেউ আছো কি? সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছে। তখন মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আছি। আপনি কি চান যে, আমি তাকে হত্যা করি? তিনি বললেনঃ হাঁ। মুহাম্মাদ ইবনু মাসালামাহ (রাঃ) বলেন, তাহলে আমাকে সেখানে গিয়ে (আপনার ব্যাপারে) কিছু বলার অনুমতি দিন। তিনি বললেনঃ আচ্ছা। তিনি কা’ব ইবনু আশরাফের কাছে গিয়ে বলতে লাগলেন, এই ব্যক্তি (মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম]) আমাদের নিকট বারবার সদাক্বাহ চেয়ে আমাদেরকে বিরক্ত করছে। কিন্তু আমরা তাঁর আনুগত্য স্বীকার করায় কিছু করতেও পারছি না। কা’ব বললো, জ্বালাতনের কি দেখছো (সবেতো শুরু)! সে তোমাদের অতিষ্ঠ করে তুলবে। তিনি বললেন, আমরা কেবল তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করেছি, তাই তাঁর কাজের পরিণতি না দেখা পর্যন্ত তাঁকে এখনই পরিত্যাগ করা সমীচীন মনে করছি না।
এখন আমি তোমার কাছে এজন্যই এসেছি যে, তুমি আমাদেরকে এক বা দুই ওয়াসাক (খাদ্য) ধার দিবে। সে বললো, এর বদলে আমার কাছে কি বন্ধক রাখবে? তিনি বললেন, তুমি আমাদের কাছে কি চাও? সে বললো, তোমাদের স্ত্রীদের। তারা বললেন, সুবহানাল্লাহ! তুমি আরবের সুন্দরতম ব্যক্তি হয়ে এরূপ বলছো? তোমার নিকট আমাদের মহিলাদের বন্ধক রাখলে তা আমাদের জন্য লজ্জার কারণ হবে। সে বললো, তাহলে তোমাদের সন্তানদেরকে আমার কাছে বন্ধক রাখো। তারা বললেন, সুবহানাল্লাহ! আমাদের সন্তানেরা বড়ো হলে লোকেরা তাদের তিরস্কার করে বলবে, এক বা দুই ওয়াসাকের বিনিময়ে তাদেরকে বন্ধক রাখা হয়েছিল। তারা বললেন, আমরা তোমার কাছে যুদ্ধাস্ত্র বন্ধক রাখতে চাই। কা’ব বললো, ঠিক আছে, তা-ই রাখো। (এরপর মাসলামাহ চলে গেলেন এবং পরে রাতের বেলায়) এসে কা’বকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। কা’ব সুগন্ধিমাখা ছিল, তার মাথার সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ছিল। তিনি কা’বের কাছে বসলেন। তাঁর সাথে আরো তিন-চারজন লোক ছিল। তারা কা’বের সুগন্ধির ব্যাপারে কা’বকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, আমার কাছে অমুক রমণী রয়েছে, সে অন্যান্য রমণীর চেয়ে অধিক সুগন্ধি মেখে থাকে। তিনি বললেন, তোমার চুল থেকে একটু ঘ্রাণ নেয়ার অনুমতি দাও। সে বললো, আচ্ছা। তিনি তার মাথায় হাত ঢুকালেন এবং মাথার ঘ্রাণ নিলেন। তিনি বললেন, আর একবার, সে বললো, ঠিক আছে। তখন মাসলামাহ তার মাথায় হাত ঢুকিয়ে মাথার চুল শক্তভাবে ধরে সাথীদের বললেন, এবার মারো। তখন তারা তাকে আঘাত করে হত্যা করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُزَابَةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، – يَعْنِي ابْنَ مَنْصُورٍ – حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الإِيمَانُ قَيَّدَ الْفَتْكَ لاَ يَفْتِكُ مُؤْمِنٌ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ঈমানের দাবী হলো, কাউকে ধোঁকা দিয়ে হত্যা না করা। কাজেই কোন মুমিন গুপ্তহত্যা করবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭০
সফরে উচ্চ স্থানে উঠার সময় তাকবীর বলা
২৭৭০
حَدَّثَنِي الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَفَلَ مِنْ غَزْوٍ أَوْ حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ يُكَبِّرُ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ مِنَ الأَرْضِ ثَلاَثَ تَكْبِيرَاتٍ وَيَقُولُ “ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ سَاجِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ ” .
‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধ, হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ করে ফেরার সময় কোন উঁচু স্থানে উঠার সময় তিনবার ‘আল্লাহু আকবর’ করতেন এবং বলতেনঃ “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নাই, মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব তাঁরই; তাঁর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আমারা তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তনকারী, তাঁর কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী, তাঁরই ‘ইবাদাতকারী’ আমরা আমাদের রব্বের উদ্দেশেই সাজদাহকারী’ তাঁরই প্রশংসাকারী। আল্লাহ তাঁর ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই শত্রুদেরকে পরাজিত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭১
নিষেধের পর প্রত্যাবর্তনের অনুমতি প্রসঙ্গে
২৭৭১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ { لاَ يَسْتَأْذِنُكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ } الآيَةَ نَسَخَتْهَا الَّتِي فِي النُّورِ { إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ } إِلَى قَوْلِهِ { غَفُورٌ رَحِيمٌ } .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মহান আল্লাহর বাণী, “যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান এনেছে, তারা আপনার কাছে তাদের জান ও মাল নিয়ে জিহাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইবে না….” (সূরাহ আত-তাওবাহঃ ৪৪-৪৫) পর্যন্ত। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, এ আয়াতের নির্দেশ সূরাহ আন-নূরের এ আয়াত দ্বারা রহিত হয়েছেঃ “প্রকৃত মুমিন তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে………নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু” (সূরাহ আন-নূরঃ ৬২)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭২
সুসংবাদ প্রদানের জন্য কাউকে পাঠানো
২৭৭২
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَلاَ تُرِيحُنِي مِنْ ذِي الْخَلَصَةِ ” . فَأَتَاهَا فَحَرَّقَهَا ثُمَّ بَعَثَ رَجُلاً مِنْ أَحْمَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُبَشِّرُهُ يُكْنَى أَبَا أَرْطَاةَ .
জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তুমি আমাকে ‘যুল-খালাসা’ সম্পর্কে নিশ্চিত করছো না কেন? অতঃপর জারীর সেখানে গিয়ে তা জ্বালিয়ে দিলেন এবং আবূ আরত্বাত (রাঃ) নামক আহমাস গোত্রের এক লোককে পাঠিয়ে নাবীকে (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুসংবাদ জানান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৩
সুসংবাদ দাতাকে উপহার দেয়া
২৭৭৩
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ بَدَأَ بِالْمَسْجِدِ فَرَكَعَ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ جَلَسَ لِلنَّاسِ . وَقَصَّ ابْنُ السَّرْحِ الْحَدِيثَ قَالَ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُسْلِمِينَ عَنْ كَلاَمِنَا أَيُّهَا الثَّلاَثَةُ حَتَّى إِذَا طَالَ عَلَىَّ تَسَوَّرْتُ جِدَارَ حَائِطِ أَبِي قَتَادَةَ وَهُوَ ابْنُ عَمِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا رَدَّ عَلَىَّ السَّلاَمَ ثُمَّ صَلَّيْتُ الصُّبْحَ صَبَاحَ خَمْسِينَ لَيْلَةً عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِنَا فَسَمِعْتُ صَارِخًا يَا كَعْبُ بْنَ مَالِكٍ أَبْشِرْ . فَلَمَّا جَاءَنِي الَّذِي سَمِعْتُ صَوْتَهُ يُبَشِّرُنِي نَزَعْتُ لَهُ ثَوْبَىَّ فَكَسَوْتُهُمَا إِيَّاهُ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى إِذَا دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فَقَامَ إِلَىَّ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ يُهَرْوِلُ حَتَّى صَافَحَنِي وَهَنَّأَنِي .
কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর থেকে ফিরে এসে প্রথমে মাসজিদে ঢুকতেন। তারপর দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করে লোকদের নিয়ে বসতেন। অতঃপর বর্ণনাকারী ইবনুস সারহ পুরো হাদীসটি বর্ণনা করেন।
কা’ব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের তিনজনের সাথে কথাবার্তা বলতে সবাইকে নিষেধ করলেন। এভাবে অনেক দিন অতিবাহিত হলো। একদিন আমি আমার চাচাতো ভাই আবূ ক্বাতাদাহর (রাঃ) বাগানের দেয়াল টপকে সেখানে ঢুকে তাকে সালাম করি। আল্লাহর শপথ! তিনি আমার সালামের উত্তর দেননি। অতঃপর পঞ্চাশ দিনের দিন সকালে আমি ঘরের ছাদের উপর ফাজরের সলাত আদায় করলাম। এমন সময় শব্দ শুনতে পেলাম, এক ব্যক্তি চিৎকার দিয়ে বলছে, হে কা‘ব ইবনু মালিক! তোমার জন্য সুসংবাদ। অতঃপর ঐ সুসংবাদদাতা আমার কাছে আসলে আমি আমার দুইখানা কাপড় খুলে তাকে পরিয়ে দিলাম। আমি উঠে সরাসরি মাসজিদে নাববীতে গিয়ে উপস্থিত হয়ে দেখি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে আছেন। তখন ত্বালহা ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ (রাঃ) দ্রুত আমার দিকে এসে আমার সাথে মুসাফাহা করলেন এবং আমাকে মোবারকবাদ জানালেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৪
কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সাজদাহ
২৭৭৪
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، بَكَّارِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخْبَرَنِي أَبِي عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا جَاءَهُ أَمْرُ سُرُورٍ أَوْ بُشِّرَ بِهِ خَرَّ سَاجِدًا شَاكِرًا لِلَّهِ .
আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে কোন খুশির খবর আসলে অথবা তিনি কোন সুসংবাদ পেলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়াস্বরুপ সাজদাহয় পড়ে যেতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৭৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ، عَنِ ابْنِ عُثْمَانَقَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ يَحْيَى بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عُثْمَانَ عَنِ الأَشْعَثِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ نُرِيدُ الْمَدِينَةَ فَلَمَّا كُنَّا قَرِيبًا مِنْ عَزْوَرَا نَزَلَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَدَعَا اللَّهَ سَاعَةً ثُمَّ خَرَّ سَاجِدًا فَمَكَثَ طَوِيلاً ثُمَّ قَامَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ فَدَعَا اللَّهَ سَاعَةً ثُمَّ خَرَّ سَاجِدًا فَمَكَثَ طَوِيلاً ثُمَّ قَامَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ سَاعَةً ثُمَّ خَرَّ سَاجِدًا ذَكَرَهُ أَحْمَدُ ثَلاَثًا قَالَ “ إِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي وَشَفَعْتُ لأُمَّتِي فَأَعْطَانِي ثُلُثَ أُمَّتِي فَخَرَرْتُ سَاجِدًا شُكْرًا لِرَبِّي ثُمَّ رَفَعْتُ رَأْسِي فَسَأَلْتُ رَبِّي لأُمَّتِي فَأَعْطَانِي ثُلُثَ أُمَّتِي فَخَرَرْتُ سَاجِدًا لِرَبِّي شُكْرًا ثُمَّ رَفَعْتُ رَأْسِي فَسَأَلْتُ رَبِّي لأُمَّتِي فَأَعْطَانِي الثُّلُثَ الآخَرَ فَخَرَرْتُ سَاجِدًا لِرَبِّي ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَشْعَثُ بْنُ إِسْحَاقَ أَسْقَطَهُ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حِينَ حَدَّثَنَا بِهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنْهُ مُوسَى بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ .
‘আমির ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (সা’দ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে মাক্কাহ থেকে মাদীনাহর দিকে রওয়ানা হলাম। অতঃপর আমরা ‘আযওয়ারা’ নামক স্থানের নিকটে পৌঁছালে তিনি বাহন থেকে নেমে আল্লাহর নিকট হাত তুলে কিছুক্ষণ দু’আ করে সাজদাহয় লুটিয়ে পড়েন। তিনি অনেকক্ষণ সাজদাহয় থাকলেন। অতঃপর সাজদাহ থেকে উঠে পুনরায় মহান আল্লাহর কাছে হাত তুলে কিছুক্ষণ দু’আ করে আবার সাজদাহ করলেন এবং অনেকক্ষণ সাজদাহয় থাকলেন। আবার উঠে দু’হাত তুলে দু’আ করলেন এবং সাজদাহয় করলেন। বর্ণনাকারী আহমাদ বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরুপ তিনবার করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি আমার রব্বের নিকট আবেদন করেছি এবং আমার উম্মাতের জন্য সুপারিশ করেছি। আমাকে এক-তৃতীয়াংশ উম্মাতের জন্য শাফা’আতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাই কৃতজ্ঞতা সরূপ আমি সাজদাহতে লুটিয়ে পড়েছি। আবার মাথা তুলে আমার রব্বের নিকট উম্মাতের জন্য আবেদন করেছি। তিনি আমাকে আমার উম্মাতের আরো এক-তৃতীয়াংশের জন্য শাফ’আত করার অনুমতি দিলেন। আমি পুনরায় সাজদাহয় অবনত হয় প্রভুকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি পুনরায় মাথা তুলে আমার মহান রব্বের নিকট উম্মাতের জন্য দু’আ করি। তিনি আমাকে আরো এক-তৃতীয়াংশ উম্মাতের জন্য শাফা’আত করার অনুমতি দেন। আমি আমার প্রভুকে সাজদাহ করে শুকরিয়া জানাই। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস বর্ণনার সময় আহমাদ ইবনু সালিহ আমাদের কাছে আশ’আস ইবনু ইসহাক্বের নাম উল্লেখ না করেই মূসা ইবনু সাহল থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন।
দুর্বলঃ যঈফ আল-জামু’উস সাগীর (২০৮৯), ইরওয়া (৪৭৪)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৫
রাতের বেলা সফর থেকে ফেরা
২৭৭৬
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَكْرَهُ أَنْ يَأْتِيَ الرَّجُلُ أَهْلَهُ طُرُوقًا .
জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ব্যক্তির সফর থেকে গভীর রাতে নিজ পরিবারের কাছে প্রত্যাবর্তন করা অপছন্দ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৭৭
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ أَحْسَنَ مَا دَخَلَ الرَّجُلُ عَلَى أَهْلِهِ إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ أَوَّلَ اللَّيْلِ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মানুষের জন্য উত্তম হচ্ছে রাতের প্রথম অংশেই সফর থেকে ফিরে এসে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়া।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৭৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَلَمَّا ذَهَبْنَا لِنَدْخُلَ قَالَ “ أَمْهِلُوا حَتَّى نَدْخُلَ لَيْلاً لِكَىْ تَمْتَشِطَ الشَّعِثَةُ وَتَسْتَحِدَّ الْمُغِيبَةُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ الزُّهْرِيُّ الطُّرُوقُ بَعْدَ الْعِشَاءِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَبَعْدَ الْمَغْرِبِ لاَ بَأْسَ بِهِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে কোন এক সফর থেকে ফিরে যখন শহরে ঢূকছিলাম, তখন তিনি বললেনঃ থামো! আমরা রাত হলে প্রবেশ করবো। যেন স্ত্রীরা পরিচ্ছন্ন হয়ে চিরুনী করে এবং নিম্নাঙ্গের পশম কেটে পরিষ্কার করতে পারে। আবূ দাঊদ বলেন, যুহরী বলেছেন, ‘ইশার সলাতের পর আসলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য। আবূ দাঊদ (রঃ) বলেন, মাগরিবের পর আসাতে কোন দোষ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৬
আগন্তুকদের স্বাগত জানানো
২৭৭৯
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ تَلَقَّاهُ النَّاسُ فَلَقِيتُهُ مَعَ الصِّبْيَانِ عَلَى ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ .
আস-সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবূকের যুদ্ধ হতে মাদীনাহয় ফিরে এলে জনগণ তাঁর সাথে সাক্ষাতের জন্য এগিয়ে আসে। আমি বালকদের সঙ্গে নিয়ে ‘আল-বিদা’ উপত্যকায় গিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৭
যুদ্ধে যেতে অক্ষম হলে সংগৃহীত সরঞ্জাম অন্য মুজাহিদকে দেয়া উত্তম
২৭৮০
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ فَتًى، مِنْ أَسْلَمَ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ الْجِهَادَ وَلَيْسَ لِي مَالٌ أَتَجَهَّزُ بِهِ . قَالَ “ اذْهَبْ إِلَى فُلاَنٍ الأَنْصَارِيِّ فَإِنَّهُ كَانَ قَدْ تَجَهَّزَ فَمَرِضَ فَقُلْ لَهُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَقُلْ لَهُ ادْفَعْ إِلَىَّ مَا تَجَهَّزْتَ بِهِ ” . فَأَتَاهُ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ يَا فُلاَنَةُ ادْفَعِي لَهُ مَا جَهَّزْتِنِي بِهِ وَلاَ تَحْبِسِي مِنْهُ شَيْئًا فَوَاللَّهِ لاَ تَحْبِسِينَ مِنْهُ شَيْئًا فَيُبَارِكَ اللَّهُ فِيهِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আসলাম গোত্রের এক যুবক বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জিহাদের ইচ্ছা করেছি, কিন্তু এর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমার নেই। তিনি বললেনঃ অমুক আনসারীর নিকট যাও। সে জিহাদে অংশগ্রহণের রসদপত্র ব্যবস্থা করেছে কিন্তু এখন অসুস্থ। তুমি তাকে গিয়ে বলবে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। তুমি তাকে আরো বলবে, জিহাদের জন্য আপনি যে রসদপত্র সংগ্রহ করেছেন তা আমাকে দিন। যুবকটি তার নিকট গিয়ে বিষয়টি জানালো। আনসারী লোকটি তার স্ত্রীকে ডেকে বললেন, হে অমুক! আমার জন্য যে রসদপত্র তুমি সংগ্রহ করেছো তা এ যুবককে দিয়ে দাও, এর কোন কিছুই রেখে দিবে না। আল্লাহ শপথ! তুমি এর থেকে সামান্য বস্তুও রাখবে না, তবেই আল্লাহ এতে বরকত দিবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদে-১৭৮
সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের পর সলাত আদায় করা
২৭৮১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ، وَعَمِّهِ، عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِمَا، كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَقْدِمُ مِنْ سَفَرٍ إِلاَّ نَهَارًا . قَالَ الْحَسَنُ فِي الضُّحَى فَإِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ أَتَى الْمَسْجِدَ فَرَكَعَ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ جَلَسَ فِيهِ .
কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিনের বেলায় সফর থেকে ফিরতেন। হাসান বাসরী (রঃ) বলেন, পূর্বাহ্নে ফিরতেন। কা‘ব (রাঃ) বলেন, তিনি সফর থেকে ফিরে প্রথমে মাসজিদে এসে দুই রাকা‘আত আদায় করার পর সেখানে বসতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ الطُّوسِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَقْبَلَ مِنْ حَجَّتِهِ دَخَلَ الْمَدِينَةَ فَأَنَاخَ عَلَى بَابِ مَسْجِدِهِ ثُمَّ دَخَلَهُ فَرَكَعَ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَيْتِهِ . قَالَ نَافِعٌ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ كَذَلِكَ يَصْنَعُ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জ শেষে প্রত্যাবর্তন করে মাদীনাহয় প্রবেশ করলেন। উষ্ট্রীকে মাসজিদের দরজায় বসিয়ে তিনি তাঁর মাসজিদে ঢুকে দুই রাকা‘আত সলাত আদায় করলেন, অতঃপর নিজ বাড়িতে গেলেন। নাফি’ (রঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ)–ও অনুরূপ করতেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৯
বন্টনকারীর মজুরী
২৭৮৩
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ التِّنِّيسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنَا الزَّمْعِيُّ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِيَّاكُمْ وَالْقُسَامَةَ ” . قَالَ فَقُلْنَا وَمَا الْقُسَامَةُ قَالَ ” الشَّىْءُ يَكُونُ بَيْنَ النَّاسِ فَيَجِيءُ فَيَنْتَقِصُ مِنْهُ ” .
আবূ সাইদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন কিছু বন্টনের পারিশ্রমিক গ্রহণ থেকে বিরত থাকো। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা এর তাৎপর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ একটি নির্দিষ্ট জিনিসে বিভিন্ন লোকের অধিকার থাকতে পারে। (অথচ বন্টনকারী বেশি পাওয়ার জন্য কারচুপি করে)। ফলে অন্যরা ভাগে কম পায়।
দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (২২০৭)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৭৮৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ شَرِيكٍ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي نَمِرٍ – عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . قَالَ “ الرَّجُلُ يَكُونُ عَلَى الْفِئَامِ مِنَ النَّاسِ فَيَأْخُذُ مِنْ حَظِّ هَذَا وَحَظِّ هَذَا ” .
‘আত্বা ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ এমনও লোক রয়েছে, যারা জনসাধারণের বন্টনকারী নিযুক্ত হয়ে এ ভাগ থেকে কিছু এবং ঐ ভাগ থেকে কিছু আত্মসাৎ করে থাকে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮০
জিহাদে গিয়ে ব্যবসা করা
২৭৮৫
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ – عَنْ زَيْدٍ، – يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ – أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَلْمَانَ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُ قَالَ لَمَّا فَتَحْنَا خَيْبَرَ أَخْرَجُوا غَنَائِمَهُمْ مِنَ الْمَتَاعِ وَالسَّبْىِ فَجَعَلَ النَّاسُ يَتَبَايَعُونَ غَنَائِمَهُمْ فَجَاءَ رَجُلٌ حِينَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ رَبِحْتُ رِبْحًا مَا رَبِحَ الْيَوْمَ مِثْلَهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ هَذَا الْوَادِي قَالَ ” وَيْحَكَ وَمَا رَبِحْتَ ” . قَالَ مَا زِلْتُ أَبِيعُ وَأَبْتَاعُ حَتَّى رَبِحْتُ ثَلاَثَمِائَةِ أُوقِيَّةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَنَا أُنَبِّئُكَ بِخَيْرِ رَجُلٍ رَبِحَ ” . قَالَ مَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الصَّلاَةِ ” .
‘উবাইদুল্লাহ ইবনু সুলাইমান (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন এক সাহাবী তাকে বলেছেন, আমরা খায়বার বিজয় করলে মুজাহিদরা গনীমাত থেকে নিজ নিজ ভাগের বন্দী ও মালপত্র গ্রহণ করলো। লোকজন তাদের গনীমাতের মাল পরস্পর ক্রয়-বিক্রয় করতে লাগলো। এক ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আজকে আমি এতই লাভ করেছি যে, এই প্রান্তরে কেউই অনুরূপ লাভ করতে পারেনি। তিনি বললেনঃ হায়! তুমি কি লাভ করেছো? সে বললো, আমি ক্রয়-বিক্রয় করে ‘তিনশো উকিয়াহ’ লাভ করেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি কি তোমাকে এমন ব্যক্তির কথা জানাবো, যে তোমার চাইতে উত্তম লাভ করেছে? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল রাসূল! কে সেই লোক? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি ফারয সালাতের পর অতিরিক্ত দুই রাকা‘আত (নাফল) সলাত আদায় করেছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮১
যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে শত্রু এলাকায় গমন
২৭৮৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ ذِي الْجَوْشَنِ، – رَجُلٍ مِنَ الضِّبَابِ – قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ أَنْ فَرَغَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ بِابْنِ فَرَسٍ لِي يُقَالُ لَهَا الْقَرْحَاءُ فَقُلْتُ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي قَدْ جِئْتُكَ بِابْنِ الْقَرْحَاءِ لِتَتَّخِذَهُ قَالَ ” لاَ حَاجَةَ لِي فِيهِ وَإِنْ شِئْتَ أَنْ أُقِيضَكَ بِهِ الْمُخْتَارَةَ مِنْ دُرُوعِ بَدْرٍ فَعَلْتُ ” . قُلْتُ مَا كُنْتُ أُقِيضُهُ الْيَوْمَ بِغُرَّةٍ . قَالَ ” فَلاَ حَاجَةَ لِي فِيهِ ” .
দিবাব গোত্রের যুল-জাওসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদরের যুদ্ধ থেকে অবসর হওয়ার পর আমি ইবনুল কারহা নামক একটি ঘোড়ার বাচ্চা নিয়ে তাঁর কাছে আসি। আমি বললাম, হে মুহাম্মদ! আমি আপনাকে দেয়ার জন্য কারহার বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি। তিনি বললেনঃ এটি আমার দরকার নাই। তবে তুমি এর বিনিময়ে বদর যুদ্ধে প্রাপ্ত কোন একটি বর্ম নাও তাহলে তোমার ঘোড়ার বাচ্চাটি নিতে পারি। আমি বললাম, আজ আমি এর বিনিময়ে একটি ঘোড়াও নিতে রাজি নই। তিনি বললেনঃ তাহলে এটি আমার দরকার নাই।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮২
মুশরিকদের এলাকায় অবস্থান সম্পর্কে
২৭৮৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَمَّا بَعْدُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ جَامَعَ الْمُشْرِكَ وَسَكَنَ مَعَهُ فَإِنَّهُ مِثْلُهُ ” .
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কেউ কোন মুশরিকের সাহচর্যে থাকলে এবং তাদের সাথে বসবাস করলে সে তাদেরই মত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস