অনুচ্ছেদ-১
অসুস্থতার কারণে মুমিনের গুনাহ ক্ষমা হয়
৩০৮৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي رَجُلٌ، مِنْ أَهْلِ الشَّامِ يُقَالُ لَهُ أَبُو مَنْظُورٍ عَنْ عَمِّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمِّي، عَنْ عَامِرٍ الرَّامِ، أَخِي الْخُضْرِ – قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ النُّفَيْلِيُّ هُوَ الْخُضْرُ وَلَكِنْ كَذَا قَالَ – قَالَ إِنِّي لَبِبِلاَدِنَا إِذْ رُفِعَتْ لَنَا رَايَاتٌ وَأَلْوِيَةٌ فَقُلْتُ مَا هَذَا قَالُوا هَذَا لِوَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ تَحْتَ شَجَرَةٍ قَدْ بُسِطَ لَهُ كِسَاءٌ وَهُوَ جَالِسٌ عَلَيْهِ وَقَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِمْ فَذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَسْقَامَ فَقَالَ ” إِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا أَصَابَهُ السَّقَمُ ثُمَّ أَعْفَاهُ اللَّهُ مِنْهُ كَانَ كَفَّارَةً لِمَا مَضَى مِنْ ذُنُوبِهِ وَمَوْعِظَةً لَهُ فِيمَا يَسْتَقْبِلُ وَإِنَّ الْمُنَافِقَ إِذَا مَرِضَ ثُمَّ أُعْفِيَ كَانَ كَالْبَعِيرِ عَقَلَهُ أَهْلُهُ ثُمَّ أَرْسَلُوهُ فَلَمْ يَدْرِ لِمَ عَقَلُوهُ وَلَمْ يَدْرِ لِمَ أَرْسَلُوهُ ” . فَقَالَ رَجُلٌ مِمَّنْ حَوْلَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الأَسْقَامُ وَاللَّهِ مَا مَرِضْتُ قَطُّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” قُمْ عَنَّا فَلَسْتَ مِنَّا ” . فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ إِذْ أَقْبَلَ رَجُلٌ عَلَيْهِ كِسَاءٌ وَفِي يَدِهِ شَىْءٌ قَدِ الْتَفَّ عَلَيْهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمَّا رَأَيْتُكَ أَقْبَلْتُ إِلَيْكَ فَمَرَرْتُ بِغَيْضَةِ شَجَرٍ فَسَمِعْتُ فِيهَا أَصْوَاتَ فِرَاخِ طَائِرٍ فَأَخَذْتُهُنَّ فَوَضَعْتُهُنَّ فِي كِسَائِي فَجَاءَتْ أُمُّهُنَّ فَاسْتَدَارَتْ عَلَى رَأْسِي فَكَشَفْتُ لَهَا عَنْهُنَّ فَوَقَعَتْ عَلَيْهِنَّ مَعَهُنَّ فَلَفَفْتُهُنَّ بِكِسَائِي فَهُنَّ أُولاَءِ مَعِي . قَالَ ” ضَعْهُنَّ عَنْكَ ” . فَوَضَعْتُهُنَّ وَأَبَتْ أُمُّهُنَّ إِلاَّ لُزُومَهُنَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ ” أَتَعْجَبُونَ لِرُحْمِ أُمِّ الأَفْرَاخِ فِرَاخَهَا ” . قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ” فَوَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ لَلَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ أُمِّ الأَفْرَاخِ بِفِرَاخِهَا ارْجِعْ بِهِنَّ حَتَّى تَضَعَهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَخَذْتَهُنَّ وَأُمُّهُنَّ مَعَهُنَّ ” . فَرَجَعَ بِهِنَّ .
আল-খুদর গোত্রের তীরন্দাজ ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নুফাইলী বলেন, শব্দটি ‘খাদরি’ নয়, বরং খুদর, তবে ব্যবহারে তা প্রচলিত হয়ে গেছে। ‘আমির বলেন, আমি আমাদের শহরেই ছিলাম। এমন সময় আমরা কিছু পতাকা উড্ডীন দেখতে পেয়ে লোকদের জিজ্ঞেস করি, এসব কি? তারা বললো, এগুলো রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পতাকা। আমি তাঁর নিকট আসলাম। তখন তিনি একটি গাছের নিচে তাঁর জন্য বিছানো একটি কম্বলের উপর বসা ছিলেন। তাঁর চারপাশে তাঁর সাহাবীগণও বসা ছিলেন। আমি তাদের কাছে বসলাম।
রাসূল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোগ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি বললেনঃ মুমিন ব্যক্তি যখন অসুস্থ হয়, অতঃপর আল্লাহ্ তাঁকে রোগমুক্তি দেন, এটা তার অতীতের গুনাহের জন্য কাফফারা স্বরূপ এবং তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শিক্ষণীয়। পক্ষান্তরে কোন মুনাফিক অসুস্থ হওয়ার পর তাকে তা থেকে মুক্তি দেয়া হলে সে এমন উটের মত যাকে তার মালিক শক্ত করে বেঁধে আবার ছেড়ে দিলো। কিন্তু সে কিছুই বুঝলো না, তার মালিক তাকে কেনই বা শক্ত করে বাঁধলো আর কেনই বা ছেড়ে দিলো। তাঁর আশেপাশে বসা লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! কিসের অসুস্থতা? আল্লাহ্র শপথ! আমি তো কখনও অসুস্থ হইনি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি আমাদের এখান থেকে উঠে যাও, কারণ তুমি আমাদের দলভুক্ত নও।
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তাঁর কাছে বসা। এমতাবস্থায় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি আসলো। তার গায়ে কম্বল জড়ানো এবং তার হাতে কিছু একটা ছিলো। সে বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি আপনাকে দেখতে পেয়েই আপনার কাছে উপস্থিত হলাম। গাছপালার মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করার সময় আমি পাখির বাচ্চার আওয়াজ শুনতে পাই। আমি সেগুলো ধরে আমার কম্বলের মধ্যে রাখি। বাচ্চাগুলোর মা এসে আমার মাথার উপর চক্কর দিতে লাগলো। আমি বাচ্চাগুলোকে তাদের মায়ের জন্য কম্বলের মধ্য থেকে বের করে দিলাম। পাখিটি এসে বাচ্চাগুলোর সাথে মিলিত হলো। আমি সবগুলোকে আমার কম্বল দিয়ে লেপটিয়ে ধরে ফেললাম। এখন সবগুলো পাখি আমার সাথে রয়েছে। তিনি বললেনঃ সেগুলো বের করে রাখো। সুতারাং আমি বের করলাম। কিন্তু মা পাখিটা বাচ্চাদের রেখে যেতে চাইলো না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের বললেনঃ বাচ্চাদের প্রতি মা পাখিটার মায়ায় তোমরা কি আশ্চর্যবোধ করছো না! তারা বললেন, হাঁ হে আল্লাহ্র রাসূল! তিনি বললেনঃ সেই সত্তার শপথ, যিনি আমাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন! বাচ্চাদের প্রতি মা পাখিটার যে মায়া রয়েছে, আল্লাহ্ অবশ্যই তাঁর বান্দাদের প্রতি আরো অধিক মমতাময়ী। তুমি যেখান থেকে বাচ্চাগুলোকে ধরে এনেছ মা-সহ তাদেরকে সেখানে রেখে আসো। সুতারাং সে পাখিগুলো সেখানে রেখে এলো।
দুর্বল : মিশকাত (১৫৭১)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩০৯০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ الْمِصِّيصِيُّ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الْمَلِيحِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدٍ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ السُّلَمِيُّ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، وَكَانَتْ، لَهُ صُحْبَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا سَبَقَتْ لَهُ مِنَ اللَّهِ مَنْزِلَةٌ لَمْ يَبْلُغْهَا بِعَمَلِهِ ابْتَلاَهُ اللَّهُ فِي جَسَدِهِ أَوْ فِي مَالِهِ أَوْ فِي وَلَدِهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ ابْنُ نُفَيْلٍ ” ثُمَّ صَبَّرَهُ عَلَى ذَلِكَ ” . ثُمَّ اتَّفَقَا ” حَتَّى يُبْلِغَهُ الْمَنْزِلَةَ الَّتِي سَبَقَتْ لَهُ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى ” .
মুহাম্মাদ ইবনু খালিদ (রহঃ) হতে তার পিতা ও দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (দাদা) রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহচর্য লাভ করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : কোন ব্যক্তির জন্য বিনাশ্রমে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে মর্যাদার আসন নির্ধারিত হলে আল্লাহ্ তার দেহ, সম্পদ অথবা সন্তানকে বিপদগ্রস্ত করেন। অতঃপর সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে শেষ পর্যন্ত বরকতময় মহান আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত উক্ত মর্যাদার স্তরে উপনীত হয়।
সহীহ : সহীহাহ (২৫৯৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২
কোন ব্যক্তি সৎকাজে অভ্যস্ত হলে পরবর্তীতে অসুস্থতা বা সফরের কারণে তা করতে বাধাগ্রস্ত হলে
৩০৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، وَمُسَدَّدٌ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السَّكْسَكِيِّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ مَرَّةٍ وَلاَ مَرَّتَيْنِ يَقُولُ “ إِذَا كَانَ الْعَبْدُ يَعْمَلُ عَمَلاً صَالِحًا فَشَغَلَهُ عَنْهُ مَرَضٌ أَوْ سَفَرٌ كُتِبَ لَهُ كَصَالِحِ مَا كَانَ يَعْمَلُ وَهُوَ صَحِيحٌ مُقِيمٌ ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একবার দুইবার নয়, বহুবার বলতে শুনেছি : কোন বান্দা নেক কাজ করলে এবং পড়ে রোগ বা সফর তাকে সে কাজ হতে বিরত রাখলে তার আমলনামায় সুস্থ ও আবাসে অবস্থানকালে তার কৃত সৎ আমলের ন্যায় সওয়াব লেখা হবে।
হাসান : ইরওয়া (৫৬০)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩
মহিলা রোগীর সেবা করা
৩০৯২
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أُمِّ الْعَلاَءِ، قَالَتْ عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَرِيضَةٌ فَقَالَ “ أَبْشِرِي يَا أُمَّ الْعَلاَءِ فَإِنَّ مَرَضَ الْمُسْلِمِ يُذْهِبُ اللَّهُ بِهِ خَطَايَاهُ كَمَا تُذْهِبُ النَّارُ خَبَثَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ ” .
উম্মূল ‘আলা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে আসলেন। তিনি বললেনঃ হে ‘আলার মা! সুসংবাদ গ্রহণ করো, আগুন যেভাবে সোনা-রূপার ময়লা দূর করে দেয় তদ্রুপ মহান আল্লাহ্ কোন মুসলিমের রোগের দ্বারা তার গুনাহসমূহ দূর করে দেন।
সহীহ : সহীহাহ (৭১৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৯৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ بَشَّارٍ – عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْخَزَّازِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ أَشَدَّ آيَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَالَ ” أَيَّةُ آيَةٍ يَا عَائِشَةُ ” . قَالَتْ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى { مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ } قَالَ ” أَمَا عَلِمْتِ يَا عَائِشَةُ أَنَّ الْمُؤْمِنَ تُصِيبُهُ النَّكْبَةُ أَوِ الشَّوْكَةُ فَيُكَافَأُ بِأَسْوَإِ عَمَلِهِ وَمَنْ حُوسِبَ عُذِّبَ ” . قَالَتْ أَلَيْسَ اللَّهُ يَقُولُ { فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا } قَالَ ” ذَاكُمُ الْعَرْضُ يَا عَائِشَةُ مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ عُذِّبَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ بَشَّارٍ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম : হে আল্লাহ্র রাসূল! মহান আল্লাহ্র কিতাবের সবচেয়ে কঠোর আয়াতটি আমি অবশ্যই অবহিত আছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : হে ‘আয়িশাহ! সেটি কোন আয়াত? তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ্র বাণী : “কেউ পাপ করলে তার প্রতিফলন সেই পাবে এবং সে আল্লাহ্র বিপক্ষে কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী পাবে না” (সূরাহ আন-নিসা : ১২৩)। তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তুমি কি জানো, কোন মুসলিম যখন বিপদগ্রস্ত বা নির্যাতিত হয়, এতে তার আমলের মন্দ দিকগুলো দূরীভূত হয়ে যায়। যে ব্যক্তির হিসাব নেয়া হবে সে মারা পড়বে বা শাস্তি পাবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্ কি বলেননি, “যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে তার হিসাব সহজে গ্রহণ করা হবে” (সূরা আল-ইনশিক্বাক্ব : ৮)। তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! এর অর্থ আমল পেশ করা। অন্যথায় যার হিসাবে কড়াকড়ি হবে সে তো মারা পড়বে।
সানাদ দুর্বল। কিন্তু […আরবী…] অংশটি সহীহ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪
রোগী দেখতে যাওয়া
৩০৯৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ عَرَفَ فِيهِ الْمَوْتَ قَالَ “ قَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ حُبِّ يَهُودَ ” . قَالَ فَقَدْ أَبْغَضَهُمْ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ فَمَهْ فَلَمَّا مَاتَ أَتَاهُ ابْنُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ قَدْ مَاتَ فَأَعْطِنِي قَمِيصَكَ أُكَفِّنْهُ فِيهِ . فَنَزَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَمِيصَهُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ .
উসামাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (মুনাফিক সর্দার) ‘আবদুল্লাহ ইবনু উবাই মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে যান। তিনি তার কাছে প্রবেশ করে তার চেহারায় মৃত্যুর ছাপ দেখে বললেনঃ আমি তোমাকে ইয়াহুদীদেরকে ভালোবাসতে নিষেধ করতাম। ‘আবদুল্লাহ বললো, তাদের প্রতি আস’আদ ইবনু যুরারাহ বিদ্বেষ পোষণ করে কী পেয়েছে? ‘আবদুল্লাহ ইবনু উবাই মারা গেলে তার ছেলে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহ্র নাবী! ‘আবদুল্লাহ ইবনু উবাই মারা গেছে। তাকে কাফন দেয়ার জন্য আপনার একটা জামা দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর গায়ের চাঁদরটি খুলে তাকে দিলেন।
সানাদ দুর্বল। কিন্তু কামীসের ঘটনা সহীহ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫
অমুসলিম রোগী দেখা
৩০৯৫
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ غُلاَمًا، مِنَ الْيَهُودِ كَانَ مَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ فَقَعَدَ عِنْدَ رَأْسِهِ فَقَالَ لَهُ ” أَسْلِمْ ” . فَنَظَرَ إِلَى أَبِيهِ وَهُوَ عِنْدَ رَأْسِهِ فَقَالَ لَهُ أَبُوهُ أَطِعْ أَبَا الْقَاسِمِ . فَأَسْلَمَ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ ” الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْقَذَهُ بِي مِنَ النَّارِ ”
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ইয়াহুদী যুবক অসুস্থ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে যান। তিনি তার মাথার কাছে বসে বললেনঃ তুমি ইসলাম গ্রহণ করো। সে তার পিতার দিকে তাকালো। সেও তার মাথার কাছেই বসা ছিলো। তার পিতা তাকে বললো, আবুল ক্বাসিমের কথা মেনে নাও। সে ইসলাম গ্রহণ করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখান থেকে উঠে আসার সময় বললেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি তাকে আমার মাধ্যমে দোযখ থেকে মুক্তি দিলেন।
সহীহ : ইরওয়া (১২৭২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬
পায়ে হেঁটে রোগী দেখতে যাওয়া
৩০৯৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي لَيْسَ بِرَاكِبِ بَغْلٍ وَلاَ بِرْذَوْنٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়ে হেঁটে আমাকে দেখতে আসেন। তিনি খচ্চর বা তুর্কী ঘোড়ায় চড়ে আসেননি।
সহীহ : তিরমিযী (৪১২৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭
উযু করে রোগী দেখতে যাওয়ার ফাযীলাত
৩০৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ رَوْحِ بْنِ خُلَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دَلْهَمٍ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ وَعَادَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ مُحْتَسِبًا بُوعِدَ مِنْ جَهَنَّمَ مَسِيرَةَ سَبْعِينَ خَرِيفًا ” . قُلْتُ يَا أَبَا حَمْزَةَ وَمَا الْخَرِيفُ قَالَ الْعَامُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَالَّذِي تَفَرَّدَ بِهِ الْبَصْرِيُّونَ مِنْهُ الْعِيَادَةُ وَهُوَ مُتَوَضِّئٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ উত্তমরূপে উযু করে নেকীর আশায় তার কোন (অসুস্থ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে তাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর খারীফ (সত্তর বছরের) পথ দূরে রাখা হবে। আমি (সাবিত আল-বানানী) আবূ হামযাহকে জিজ্ঞেস করি, খারীফ শব্দের তাৎপর্য কি? তিনি বললেন, বছর। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বাসরাহ্র মুহাদ্দিসগণ শুধু ‘উযু করে রোগী দেখার’ অংশটুকু বর্ণনা করেছেন।
দুর্বল : মিশকাত (১৫৫২), যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৫৫৩৯)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩০৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ مَا مِنْ رَجُلٍ يَعُودُ مَرِيضًا مُمْسِيًا إِلاَّ خَرَجَ مَعَهُ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ حَتَّى يُصْبِحَ وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ أَتَاهُ مُصْبِحًا خَرَجَ مَعَهُ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ فِي الْجَنَّةِ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কেউ বিকাল বেলা কোন রোগীকে দেখতে গেলে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার সাথে রওয়ানা হয় এবং তারা তার জন্য ভোর হওয়া পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে থাকে। উপরন্তু তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান তৈরি করা হয়। আর কোন ব্যক্তি দিনের প্রথমভাগে রোগী দেখতে গেলে তার সাথেও সত্তর হাজার ফেরেশতা রওয়ানা হয় এবং তারা সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। তাকেও জান্নাতে একটি বাগান দেয়া হয়।
সহীহ মাওকুফ : সহীহাহ (১৩৬৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৩০৯৯
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ لَمْ يَذْكُرِ الْخَرِيفَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ مَنْصُورٌ عَنِ الْحَكَمِ أَبِي حَفْصٍ كَمَا رَوَاهُ شُعْبَةُ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আলী (রাঃ) হতে এ সানাদেও উপরের হাদীসটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে বর্ণিত। কিন্তু এতে ‘খারীফ’ শব্দের উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ মারফু
- সরাসরি
৩১০০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ، قَالَ – وَكَانَ نَافِعٌ غُلاَمَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ – قَالَ جَاءَ أَبُو مُوسَى إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ يَعُودُهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَاقَ مَعْنَى حَدِيثِ شُعْبَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أُسْنِدَ هَذَا عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ صَحِيحٍ .
আবূ জাফর ‘আবদুল্লাহ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আল-হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) অসুস্থ হলে তাকে আবূ মূসা (রাঃ) দেখতে আসেন। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের বর্ণনা শু’বাহ (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাদীসের সানাদসুত্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত মারফু করা হয়েছে, তবে এটি যথার্থ নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ মারফু
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮
বারবার রোগী দেখা
৩১০১
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا أُصِيبَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ يَوْمَ الْخَنْدَقِ رَمَاهُ رَجُلٌ فِي الأَكْحَلِ فَضَرَبَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْمَةً فِي الْمَسْجِدِ فَيَعُودُهُ مِنْ قَرِيبٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন এক ব্যক্তির নিক্ষিপ্ত তীরে সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ) আঘাতপ্রাপ্ত হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্য মাসজিদের ভেতর একটি তাঁবু টানালেন। যেন তিনি কাছ থেকে তাকে দেখতে পারেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯
চক্ষু রোগীকে দেখতে যাওয়া
৩১০২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ وَجَعٍ كَانَ بِعَيْنَىَّ .
যায়িদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমার চোখে ব্যাথা হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে আসেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০
মহামারী উপদ্রুত এলাকা ত্যাগ করা
৩১০৩
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تُقْدِمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ ” . يَعْنِي الطَّاعُونَ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : তোমরা কোন অঞ্চলে প্লেগ-মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কথা শুনলে সেখানে যাবে না। আর যদি কোন এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়ে এবং তোমরাও সেখানে অবস্থান করো, তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে এসো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১
রোগী দেখতে গিয়ে রোগীর সুস্থতা চেয়ে দু’আ করা
৩১০৪
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ، أَنَّ أَبَاهَا، قَالَ اشْتَكَيْتُ بِمَكَّةَ فَجَاءَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِي ثُمَّ مَسَحَ صَدْرِي وَبَطْنِي ثُمَّ قَالَ “ اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا وَأَتْمِمْ لَهُ هِجْرَتَهُ ” .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার পিতা বলেছেন, আমি মক্কাতে অসুস্থ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে আসেন। তিনি আমার কপালে হাত রাখলেন এবং বুক ও পেট মলে দিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্! সা’দ কে রোগমুক্ত করে দিন এবং তার হিজরাতকে পূর্ণ করে দিন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১০৫
حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَطْعِمُوا الْجَائِعَ وَعُودُوا الْمَرِيضَ وَفُكُّوا الْعَانِيَ ” . قَالَ سُفْيَانُ وَالْعَانِي الأَسِيرُ .
আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীর সাথে দেখা-সাক্ষাত করো এবং বন্দীকে মুক্ত করো। সুফিয়ান আস-সাওরী (রহঃ) বলেন, ‘আল-‘আনী’ অর্থ বন্দী।
সহীহ : তাখরীজ মুশকিলাতুল ফিক্বর (১১২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২
রোগীকে দেখতে গিয়ে তার জন্য দু’আ করা
৩১০৬
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ أَبُو خَالِدٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ عَادَ مَرِيضًا لَمْ يَحْضُرْ أَجَلُهُ فَقَالَ عِنْدَهُ سَبْعَ مِرَارٍ أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ إِلاَّ عَافَاهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ الْمَرَضِ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি এমন রোগীকে দেখতে গেলো যার অন্তিম সময় আসেনি, সে যেন তার সামনে সাতবার বলে : “আমি মহান আরশের প্রভু মহামহিম আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি যেন তোমাকে রোগমুক্তি দেন,” তাহলে তাকে নিশ্চয়ই রোগমুক্তি দেয়া হবে।
সহীহ : মিশকাত (১৫৫৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১০৭
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حُيَىِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنِ ابْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا جَاءَ الرَّجُلُ يَعُودُ مَرِيضًا فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا أَوْ يَمْشِي لَكَ إِلَى جَنَازَةٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ ابْنُ السَّرْحِ ” إِلَى صَلاَةٍ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ কোন রোগীকে দেখতে গেলে সে যেন বলেঃ “হে আল্লাহ! আপনার বান্দাকে আরোগ্য দিন যাতে সে আপনার উদ্দেশ্যে শত্রুকে আঘাত হানতে পারে এবং আপনার জন্য জানাযায় বা সলাতে শরীক হতে পারে।”
সহীহঃ সহীহাহ (১৫০৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩
মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করা অনুচিত
৩১০৮
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَدْعُوَنَّ أَحَدُكُمْ بِالْمَوْتِ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ وَلَكِنْ لِيَقُلِ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বিপদে পড়ে মৃত্যু কামনা না করে। বরং সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর, তখন আমাকে মৃত্যু দিন”।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১০৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ ” . فَذَكَرَ مِثْلَهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে… হাদীসের বাকী অংশ উপরের হাদীসে অনুরূপ।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪
আকস্মিক মৃত্যু
৩১১০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ سَلَمَةَ، أَوْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ خَالِدٍ السُّلَمِيِّ، – رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ مَرَّةً عَنْ عُبَيْدٍ – قَالَ “ مَوْتُ الْفَجْأَةِ أَخْذَةُ أَسَفٍ ” .
বনু সুলাইমের ‘উবাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অন্যতম সাহাবী ছিলেন। অধস্তন বর্ণনাকারী মুসাদ্দাদ এটি কখনো নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মারফূ‘ হাদিসরূপে আবার কখনো উবাইদ ইবনু খালিদের কাছ থেকে মওকুফ হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আকস্মিক মৃত্যু গযবের দ্বারা গ্রেপ্তারস্বরূপ।
সহীহঃ মিশকাত (১৬১১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫
মহামারীতে মৃত্যুবরণকারীর ফাযীলত
৩১১১
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، عَنْ عَتِيكِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَتِيكٍ، – وَهُوَ جَدُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو أُمِّهِ – أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمَّهُ جَابِرَ بْنَ عَتِيكٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ يَعُودُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ ثَابِتٍ فَوَجَدَهُ قَدْ غُلِبَ فَصَاحَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ فَاسْتَرْجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ” غُلِبْنَا عَلَيْكَ يَا أَبَا الرَّبِيعِ ” . فَصَاحَ النِّسْوَةُ وَبَكَيْنَ فَجَعَلَ ابْنُ عَتِيكٍ يُسْكِتُهُنَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” دَعْهُنَّ فَإِذَا وَجَبَ فَلاَ تَبْكِيَنَّ بَاكِيَةٌ ” . قَالُوا وَمَا الْوُجُوبُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” الْمَوْتُ ” . قَالَتِ ابْنَتُهُ وَاللَّهِ إِنْ كُنْتُ لأَرْجُو أَنْ تَكُونَ شَهِيدًا فَإِنَّكَ كُنْتَ قَدْ قَضَيْتَ جِهَازَكَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَوْقَعَ أَجْرَهُ عَلَى قَدْرِ نِيَّتِهِ وَمَا تَعُدُّونَ الشَّهَادَةَ ” . قَالُوا الْقَتْلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” الشَّهَادَةُ سَبْعٌ سِوَى الْقَتْلِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ وَالْغَرِقُ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ ذَاتِ الْجَنْبِ شَهِيدٌ وَالْمَبْطُونُ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ الْحَرِيقِ شَهِيدٌ وَالَّذِي يَمُوتُ تَحْتَ الْهَدْمِ شَهِيدٌ وَالْمَرْأَةُ تَمُوتُ بِجُمْعٍ شَهِيدٌ ” .
জাবির ইবনু ‘আতীক্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাবিতের (রাঃ) মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে দেখতে যান। তিনি দেখলেন, সে বেহুঁশ অবস্থায় রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে সশব্দে ডাকলেন। কিন্তু তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দিতে পারলেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন” পাঠ করলেন। তিনি বললেনঃ হে আবুর রাবী‘! আমরা তোমার ব্যাপারে পরাজিত। এতে মহিলারা চিৎকার করলো এবং কাঁদতে লাগলো। ইবনু ‘আতীক্ব (রাঃ) তাদেরকে থামাতে চেষ্টা করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাদেরকে ছেড়ে দাও। ওয়াজিব হয়ে গেলে কোন ক্রন্দনকারিণীই কাঁদবে না। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ওয়াজিবের তাৎপর্য কি? তিনি বললেনঃ মৃত্যু। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাবিতের কন্যা বললো, আল্লাহর শপথ! আমি মনে করেছিলাম, (হে আমার পিতা) তুমি শহীদ হবে। কারণ তুমি জিহাদের সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছিলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মহামহিম আল্লাহ নিশ্চয়ই তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিদানের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তোমরা কাকে শহীদ বলে গণ্য করো? তারা বললেন, আল্লাহর পথে (যুদ্ধে) নিহত ব্যক্তিকে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহর পথে যুদ্ধকারী শহীদ, পানিতে ডুবে নিহত ব্যক্তি শহীদ, চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি শহীদ এবং প্রসবকালীন কষ্টে নিহত নারী শহীদ। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আল-জুমউ’ অর্থ গর্ভবতী মহিলা।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮০৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬
রোগীর নখ ও লজ্জাস্থানের চুল কাটা
৩১১২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ، حَلِيفُ بَنِي زُهْرَةَ – وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ أَبِي هُرَيْرَةَ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ ابْتَاعَ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ خُبَيْبًا – وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ قَتَلَ الْحَارِثَ بْنَ عَامِرٍ يَوْمَ بَدْرٍ – فَلَبِثَ خُبَيْبٌ عِنْدَهُمْ أَسِيرًا حَتَّى أَجْمَعُوا لِقَتْلِهِ فَاسْتَعَارَ مِنَ ابْنَةِ الْحَارِثِ مُوسَى يَسْتَحِدُّ بِهَا فَأَعَارَتْهُ فَدَرَجَ بُنَىٌّ لَهَا وَهِيَ غَافِلَةٌ حَتَّى أَتَتْهُ فَوَجَدَتْهُ مُخْلِيًا وَهُوَ عَلَى فَخِذِهِ وَالْمُوسَى بِيَدِهِ فَفَزِعَتْ فَزْعَةً عَرَفَهَا فِيهَا فَقَالَ أَتَخْشَيْنَ أَنْ أَقْتُلَهُ مَا كُنْتُ لأَفْعَلَ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذِهِ الْقِصَّةَ شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عِيَاضٍ أَنَّ ابْنَةَ الْحَارِثِ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهُمْ حِينَ اجْتَمَعُوا – يَعْنِي لِقَتْلِهِ – اسْتَعَارَ مِنْهَا مُوسَى يَسْتَحِدُّ بِهَا فَأَعَارَتْهُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বনুল হারিস ইবনু ‘আমির ইবনু নাওফাল খুবাইব (রাঃ)-কে খরিদ করেছিল। ইনি সেই খুবাইব যিনি বদর যুদ্ধের দিন আল-হারিস ইবনু ‘আমিরকে হত্যা করেছেন। খুবাইব (রাঃ) তাদের কাছে বন্দী ছিলেন। তারা তাকে হত্যা করতে একত্র হলো। তিনি হারিসের কন্যার কাছে ক্ষৌরি হওয়ার জন্য একটি ছুরি চাইলেন। সে তাকে তা এনে দিলো। তার অজান্তেই তার শিশু পুত্রটি খুবাইবের কাছে এসে পড়লো। স্ত্রীলোকটি এসে দেখলো, ছেলেটি তার রানের উপর বসে আছে এবং তার হাতে ঐ ধারাল ছুরিটি রয়েছে। সে খুব ভীত হয়ে পড়লো। তার চেহারা দেখে খুবাইব তা বুঝতে পেরে বললেন, তুমি কি আশংকা করছো আমি একে হত্যা করবো, আমি কখনো এরূপ করবো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭
মৃত্যুর সময় আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ উত্তম
৩১১৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ قَبْلَ مَوْتِهِ بِثَلاَثٍ قَالَ “ لاَ يَمُوتُ أَحَدُكُمْ إِلاَّ وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّهِ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর মৃত্যুর তিন দিন পূর্বে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ না করে মৃত্যু বরণ না করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮
মৃত্যুর সময় মুমূর্ষ রোগীর পরিধেয় বস্ত্র পরিষ্কার থাকা ভাল
৩১১৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ دَعَا بِثِيَابٍ جُدُدٍ فَلَبِسَهَا ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ الْمَيِّتَ يُبْعَثُ فِي ثِيَابِهِ الَّتِي يَمُوتُ فِيهَا ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তিনি নতুন কাপড় নিয়ে ডাকলেন এবং তা পরিধান করে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি যে কাপড় পরিধান করে মারা যাবে, ক্বিয়ামাতের দিন তাকে ঐ কাপড়েই উঠানো হবে।
সহীহঃ সহীহাহ (১৬৭১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৯
মৃত্যুপথযাত্রীর সামনে যে ধরনের কথা বলা উচিত
৩১১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا حَضَرْتُمُ الْمَيِّتَ فَقُولُوا خَيْرًا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ ” . فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَقُولُ قَالَ ” قُولِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَأَعْقِبْنَا عُقْبَى صَالِحَةً ” . قَالَتْ فَأَعْقَبَنِي اللَّهُ تَعَالَى بِهِ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কোন মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির কাছে উপস্থিত হলে উত্তম কথা বলবে। কেননা কথার সাথে ফেরেশতারা আমীন আমীন বলেন। আবূ সালমাহ (রাঃ) মারা গেলে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কী বলবো? তিনি বললেনঃ তুমি বলো, “হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে কল্যাণকর পরিণতি দান করুন।” উম্মু সালমাহ (রাঃ) বলেন, এ দু‘আর বদৌলতে মহান আল্লাহ আমার কল্যাণময় পরিণতি দান করলেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (তার সাথে বিবাহ হয়)।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৪৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২০
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালক্বীন দেয়া সম্পর্কে
৩১১৬
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ أَبِي عَرِيبٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ ” .
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা সর্বশেষ বাক্য হবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১১৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُمَارَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ قَوْلَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মৃত্যুপথ যাত্রীকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” তালক্বীন দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২১
মৃতের চোখ বন্ধ করা
৩১১৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ أَبُو مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، – يَعْنِي الْفَزَارِيَّ – عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَبِي سَلَمَةَ وَقَدْ شَقَّ بَصَرُهُ فَأَغْمَضَهُ فَصَيَّحَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِهِ فَقَالَ ” لاَ تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِلاَّ بِخَيْرٍ فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ ” . ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأَبِي سَلَمَةَ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ رَبَّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ افْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَتَغْمِيضُ الْمَيِّتِ بَعْدَ خُرُوجِ الرُّوحِ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ الْمُقْرِئَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مَيْسَرَةَ رَجُلاً عَابِدًا يَقُولُ غَمَّضْتُ جَعْفَرًا الْمُعَلِّمَ وَكَانَ رَجُلاً عَابِدًا فِي حَالَةِ الْمَوْتِ فَرَأَيْتُهُ فِي مَنَامِي لَيْلَةَ مَاتَ يَقُولُ أَعْظَمُ مَا كَانَ عَلَىَّ تَغْمِيضُكَ لِي قَبْلَ أَنْ أَمُوتَ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবূ সালামাহর (রাঃ) নিকট প্রবেশ করেন। তখনও তার চোখ খোলা থাকায় তিনি তা বন্ধ করে দেন। অতঃপর তার পরিবারের কিছু লোক চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। তিনি বললেনঃ নিজেদের জন্য কল্যাণ কামনা ছাড়া তোমরা অযথা কিছু বলো না। কারণ তোমরা যা বলবে তার সাথে সাথে ফেরেশতারা আমীন বলবেন। পুনরায় তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি আবূ সালামাহকে ক্ষমা করে দাও এবং তাকে হেদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে উচ্চ মর্যাদা দান করো। তার পেছনে যারা রয়ে গেলো, তুমিই তাদের অভিভাবক হও। হে জগতসমূহের প্রতিপালক! তার কবরকে প্রশস্ত করো এবং তা আলোকিত করো।”
আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, রূহ বের হয়ে যাওয়ার পর চোখ বন্ধ করে দিবে। আবূ মাইসারাহ (রহঃ) নামক এক ইবাদতগুজার ব্যক্তি বলেন, আমি ইবাদতপ্রিয় জা’ফার আল-মু’আল্লিমের (রহঃ) মৃত্যুকালে তার চোখ বন্ধ করে দিয়েছি। তার মৃত্যুর রাতে আমি তাকে স্বপ্নে দেখি এবং তিনি বললেন, মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তুমি যে আমার চোখ বন্ধ করে দিয়েছিলে তা ছিল আমার প্রতি তোমার মহাঅনুগ্রহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২২
ইন্না লিল্লাহ পাঠ করা
৩১১৯
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا أَصَابَتْ أَحَدَكُمْ مُصِيبَةٌ فَلْيَقُلْ { إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ } اللَّهُمَّ عِنْدَكَ أَحْتَسِبُ مُصِيبَتِي فَآجِرْنِي فِيهَا وَأَبْدِلْ لِي خَيْرًا مِنْهَا ” .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারো উপর বিপদ আসলে সে যেন বলেঃ “আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা নিশ্চয়ই তাঁর কাছে ফিরে যাবো। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছেই আমার বিপদের কথা পেশ করছি। সুতরাং আমাকে এর উত্তম প্রতিফল দান করুন এবং বিপদকে আমার জন্য কল্যাণকর বস্তুতে পরিবর্তন করে দিন।”
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫৯৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৩
মৃতের শরীর ঢেকে রাখা
৩১২০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سُجِّيَ فِي ثَوْبٍ حِبَرَةٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে একটি ডোরাদার চাঁদর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৪
মৃত্যুপথযাত্রীর নিকট কুরআন পাঠ
৩১২১
دَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَكِّيٍّ الْمَرْوَزِيُّ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، – وَلَيْسَ بِالنَّهْدِيِّ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ اقْرَءُوا { يس } عَلَى مَوْتَاكُمْ ” . وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ الْعَلاَءِ .
মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদের নিকট ‘সূরাহ ইয়াসীন’ পাঠ করো।
দুর্বলঃ মিশকাত (১৬২২), ইরওয়া (৬৮৮)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৫
বিপদের সময় (মাসজিদে) বসা
৩১২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا قُتِلَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ وَجَعْفَرٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ الْحُزْنُ وَذَكَرَ الْقِصَّةَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যায়িদ ইবনু হারিসাহ, জা’ফার ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) যখন শহীদ হন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাসজিদে গিয়ে বসেন। তাঁর চেহারায় চিন্তার ছাপ পরিলক্ষিত হলো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৬
মৃতের জন্য শোক প্রকাশ
৩১২৩
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَبَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – يَعْنِي مَيِّتًا – فَلَمَّا فَرَغْنَا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَانْصَرَفْنَا مَعَهُ فَلَمَّا حَاذَى بَابَهُ وَقَفَ فَإِذَا نَحْنُ بِامْرَأَةٍ مُقْبِلَةٍ – قَالَ أَظُنُّهُ عَرَفَهَا – فَلَمَّا ذَهَبَتْ إِذَا هِيَ فَاطِمَةُ – عَلَيْهَا السَّلاَمُ – فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا أَخْرَجَكِ يَا فَاطِمَةُ مِنْ بَيْتِكِ ” . فَقَالَتْ أَتَيْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَهْلَ هَذَا الْبَيْتِ فَرَحَّمْتُ إِلَيْهِمْ مَيِّتَهُمْ أَوْ عَزَّيْتُهُمْ بِهِ . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” فَلَعَلَّكِ بَلَغْتِ مَعَهُمُ الْكُدَى ” . قَالَتْ مَعَاذَ اللَّهِ وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَذْكُرُ فِيهَا مَا تَذْكُرُ . قَالَ ” لَوْ بَلَغْتِ مَعَهُمُ الْكُدَى ” . فَذَكَرَ تَشْدِيدًا فِي ذَلِكَ فَسَأَلْتُ رَبِيعَةَ عَنِ الْكُدَى فَقَالَ الْقُبُورُ فِيمَا أَحْسِبُ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাথে আমরা একটি লাশ দাফন করলাম। আমরা অবসর হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিরে আসলেন। আমরাও তাঁর সাথে ফিরে এলাম। তিনি ঘরের দরজার নিকট পৌছে থামলেন। আমরা এক মহিলার মুখোমুখি হলাম। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ধারণা করলাম, তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাটিকে চিনতে পেরেছেন। মহিলাটি চলে যাওয়ার সময় দেখা গেলো, তিনি তো ফাত্বিমাহ (রাঃ)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেনঃ হে ফাত্বিমাহ! কোন জিনিস তোমাকে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য করেছে? তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এসেছিলাম এ বাড়ির লোকদের সান্ত্বনা দিতে এবং ধৈর্য ধারণের নসিহত করতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেনঃ খুব সম্ভব তুমি তাদের সাথে কবর পর্যন্ত গিয়েছিলে। তিনি বললেন, আল্লাহর আশ্রয় চাই। নারীদের কবরস্তানে যাওয়ার বিষয়ে আমি আপনার আলোচনা শুনেছি। তিনি বললেনঃ যদি তুমি তাদের সাথে কবরস্তানে যেতে তাহলে আমি তোমাকে এই করতাম। তিনি এ বিষয়ে কঠোর বাণী উচ্চারণ করলেন। আমি (মুফাদ্দাল) রবী’আহকে ‘আল-কুদা’ শব্দের অর্থ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমার ধারণা, এর অর্থ কবর।
দুর্বলঃ নাসায়ী (১৮৮০)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৭
বিপদে ধৈর্যধারণ
৩১২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَتَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى امْرَأَةٍ تَبْكِي عَلَى صَبِيٍّ لَهَا فَقَالَ لَهَا ” اتَّقِي اللَّهَ وَاصْبِرِي ” . فَقَالَتْ وَمَا تُبَالِي أَنْتَ بِمُصِيبَتِي فَقِيلَ لَهَا هَذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . فَأَتَتْهُ فَلَمْ تَجِدْ عَلَى بَابِهِ بَوَّابِينَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَعْرِفْكَ فَقَالَ ” إِنَّمَا الصَّبْرُ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الأُولَى ” . أَوْ ” عِنْدَ أَوَّلِ صَدْمَةٍ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক মহিলার কাছে যান। মহিলাটি তার ছেলের মৃত্যুশোকে কাঁদছিল। তিনি তাকে বললেনঃ আল্লাহ্কে ভয় করো এবং ধৈর্য ধরো। মহিলাটি বললো, তুমি তো আমার মতো বিপদগ্রস্ত হওনি। তাকে বলা হলো, ইনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম। পরে মহিলাটি তাঁর বাড়িতে এলো, কিন্তু দরজায় কোন দারোয়ান দেখলো না। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তখন আপনাকে চিনতে পারিনি। তিনি বললেনঃ প্রকৃত ধৈর্য বিপদের প্রথম দিকেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৮
মৃতের জন্য কান্নাকাটি করা
৩১২৫
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ ابْنَةً لِرَسُولِ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَتْ إِلَيْهِ وَأَنَا مَعَهُ وَسَعْدٌ وَأَحْسِبُ أُبَيًّا أَنَّ ابْنِي أَوْ بِنْتِي قَدْ حُضِرَ فَاشْهَدْنَا . فَأَرْسَلَ يُقْرِئُ السَّلاَمَ فَقَالَ ” قُلْ لِلَّهِ مَا أَخَذَ وَمَا أَعْطَى وَكُلُّ شَىْءٍ عِنْدَهُ إِلَى أَجَلٍ ” . فَأَرْسَلَتْ تُقْسِمُ عَلَيْهِ فَأَتَاهَا فَوُضِعَ الصَّبِيُّ فِي حِجْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَفْسُهُ تَقَعْقَعُ فَفَاضَتْ عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ مَا هَذَا قَالَ ” إِنَّهَا رَحْمَةٌ وَضَعَهَا اللَّهُ فِي قُلُوبِ مَنْ يَشَاءُ وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ ” .
উসামাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কন্যা (যাইনাব (রাঃ)) তাঁর নিকট লোক পাঠালেন। তখন আমি ও সাদ (রাঃ) তাঁর সাথে ছিলাম। সম্ভবত উবাই (রাঃ) আমাদের সাথেই ছিলেন। তিনি বলে পাঠান, আমার একটি শিশু পুত্র বা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) কন্যা মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। আপনি আমাদের এখানে আসুন। তিনি তাকে লোক মারফত সালাম পাঠিয়ে বললেনঃ বলো, আল্লাহ যা গ্রহণ করেন এবং যা দান করেন তা সবই তাঁর। তাঁর কাছে প্রতিটি বস্তুর একটা নির্দিষ্ট সময়কাল আছে। তিনি পুনরায় কসম দিয়ে লোক পাঠালেন। তিনি সেখানে গেলেন। বাচ্চাটি রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোলে রাখা হলো। তখন তার প্রাণ ছটফট করছিল। এ দৃশ্য দেখে রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। সা’দ (রাঃ) তাঁকে বললেন, এ কি? তিনি বললেনঃ এটাই হলো মায়া। আল্লাহ যাদেরকে চান তাদের অন্তরে এটি স্থাপন করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে দয়াবানদের দয়া করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১২৬
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وُلِدَ لِيَ اللَّيْلَةَ غُلاَمٌ فَسَمَّيْتُهُ بِاسْمِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ ” . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ أَنَسٌ لَقَدْ رَأَيْتُهُ يَكِيدُ بِنَفْسِهِ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَمَعَتْ عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ وَلاَ نَقُولُ إِلاَّ مَا يَرْضَى رَبُّنَا إِنَّا بِكَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَمَحْزُونُونَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আজ রাতে আমার ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে। আমি আমার পূর্বপুরুষ ইবরাহীম (আ)-এর নাম অনুসারে তার নাম রেখেছি ইবরাহীম। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি দেখেছি ইবরাহীম রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সামনেই প্রাণ ত্যাগ করলেন। রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই চোখ বেয়ে পানি ঝরছে। তিনি বললেনঃ চোখ অশ্রু ঝরাচ্ছে, অন্তর দুঃখভারাক্রান্ত, তবুও আমরা শুধুমাত্র তাই বলবো যাতে আমাদের প্রতিপালক সস্তুষ্ট হবেন (অর্থাৎ ইন্না লিল্লাহি ওয়া..)। হে ইবরাহীম! তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকার্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৯
বিলাপ করে কান্নাকাটি করা
৩১২৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا عَنِ النِّيَاحَةِ .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে উচ্চস্বরে বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১২৮
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّائِحَةَ وَالْمُسْتَمِعَةَ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিলাপকারিণী ও তা শ্রবণকারিণীকে অভিশম্পাত করেছেন।
সানাদ দুর্বলঃ ইরওয়া (৭৬৯)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩১২৯
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ، وَأَبِي، مُعَاوِيَةَ – الْمَعْنَى – عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ” . فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ وَهِلَ – تَعْنِي ابْنَ عُمَرَ – إِنَّمَا مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَبْرٍ فَقَالَ ” إِنَّ صَاحِبَ هَذَا لَيُعَذَّبُ وَأَهْلُهُ يَبْكُونَ عَلَيْهِ ” . ثُمَّ قَرَأَتْ { وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى } قَالَ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ عَلَى قَبْرِ يَهُودِيٍّ .
ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবারের লোকজনের কান্নাকাটির কারণে শাস্তি দেয়া হয়। এ কথা ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, এ ধরনের কথা ইবনু ‘উমার কোত্থেকে শুনেছে। একদা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ক্ববরের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে বললেনঃ কবরবাসীর পরিবারের লোকজনের কান্নাকাটির কারণে এ ক্ববরের বাসিন্দাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। অতঃপর ‘আয়িশাহ এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ “একের বোঝা অন্যের উপর চাপানো হবে না” (সূরাহ আল-আন’আমঃ ১৬৪, বনী ইসরাঈলঃ ১৫, ফাত্বিরঃ ১৮, যুমারঃ ৩৯ এবং নাজমঃ ৩৮)। হান্নাদ (রহঃ) আবূ মু’আবিয়াহর সূত্রে বলেন, তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ইয়াহুদীর ক্ববরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৩০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي مُوسَى وَهُوَ ثَقِيلٌ فَذَهَبَتِ امْرَأَتُهُ لِتَبْكِي أَوْ تَهُمَّ بِهِ فَقَالَ لَهَا أَبُو مُوسَى أَمَا سَمِعْتِ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ بَلَى . قَالَ فَسَكَتَتْ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو مُوسَى – قَالَ يَزِيدُ – لَقِيتُ الْمَرْأَةَ فَقُلْتُ لَهَا مَا قَوْلُ أَبِي مُوسَى لَكِ أَمَا سَمِعْتِ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ سَكَتِّ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَيْسَ مِنَّا مَنْ حَلَقَ وَمَنْ سَلَقَ وَمَنْ خَرَقَ ” .
যায়িদ ইবনু আওস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ আবূ মূসা (রাঃ)-কে দেখতে যাই, তার স্ত্রী কাঁদতে লাগলেন। আবূ মূসা (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি কি রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ শুনোনি? তিনি বললেন, হাঁ শুনেছি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি কান্না থামিয়ে চুপ হলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ মূসা (রাঃ) যখন মারা যান, তখন ইয়াযীদ বলেন, আমি মহিলার সাথে সাক্ষাত করে তাকে বললাম, আবূ মূসা আপনাকে কী বলেছিলেন? (তিনি বলেছিলেন, তুমি কি রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ শুনোনি- অতঃপর আপনি তখন চুপ হয়েছিলেন। মহিলাটি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ (মৃত্যুশোক প্রকাশে) যে মহিলা মাথা মুড়িয়ে বিলাপ করে কাঁদে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
সহীহ : ইরওয়া (৭৭১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৩১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ، – عَامِلٌ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَلَى الرَّبَذَةِ حَدَّثَنِي أَسِيدُ بْنُ أَبِي أَسِيدٍ، عَنِ امْرَأَةٍ، مِنَ الْمُبَايِعَاتِ قَالَتْ كَانَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَعْرُوفِ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ لاَ نَعْصِيَهُ فِيهِ أَنْ لاَ نَخْمِشَ وَجْهًا وَلاَ نَدْعُوَ وَيْلاً وَلاَ نَشُقَّ جَيْبًا وَأَنْ لاَ نَنْشُرَ شَعْرًا .
আসীদ ইবনু আসীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বাই’আত গ্রহণকারী জনৈক মহিলার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছ থেকে যেসব সৎকাজের বাই’আত গ্রহণ করেছিলেন তাতে এটাও ছিলঃ আমরা তাঁর অবাধ্য হবো না, মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করবো না, বুক চাপড়াবো না, ধ্বংসের আহবান করবো না, কাপড়-চোপড় ফাঁড়বো না এবং চুল এলোমেলো করবো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩০
মৃতের পরিবারের জন্য খাদ্য প্রেরণ
৩১৩২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اصْنَعُوا لآلِ جَعْفَرٍ طَعَامًا فَإِنَّهُ قَدْ أَتَاهُمْ أَمْرٌ شَغَلَهُمْ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমরা জা’ফরের পরিবারের জন্য খাবার তৈরি করো। কারণ তাদের কাছে এমন দুঃসংবাদ এসেছে যা তাদেরকে ব্যস্ত রাখবে।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (১৬১০-১৬১১), মিশকাত (১৭৩৯)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩১
শহীদকে গোসল দিবে কিনা?
৩১৩৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْجُشَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ رُمِيَ رَجُلٌ بِسَهْمٍ فِي صَدْرِهِ أَوْ فِي حَلْقِهِ فَمَاتَ فَأُدْرِجَ فِي ثِيَابِهِ كَمَا هُوَ – قَالَ – وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তির বুকে বা কণ্ঠনালীতে একটি তীর বিদ্ধ হলে তাতেই সে নিহত হলো। অতঃপর তার পরিহিত কাপড়েই তাকে (দাফনে) জড়ানো হলো। আমরা তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথেই ছিলাম।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩১৩৪
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، وَعِيسَى بْنُ يُونُسَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلَى أُحُدٍ أَنْ يُنْزَعَ عَنْهُمُ الْحَدِيدُ وَالْجُلُودُ وَأَنْ يُدْفَنُوا بِدِمَائِهِمْ وَثِيَابِهِمْ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উহুদের শহীদদের ব্যাপারে নির্দেশ দিলেন যে, তাদের শরীর থেকে যুদ্ধাস্ত্র ও চামড়ার বস্ত্র খুলে নিয়ে তাদের রক্তমাখা পরিধেয় বস্ত্রসহ তাদেরকে দাফন করতে হবে।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (১৫১৫), মিশকাত (১৬৪৩), ইরওয়া (৭০৯)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩১৩৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، – وَهَذَا لَفْظُهُ – أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ حَدَّثَهُمْ أَنَّ شُهَدَاءَ أُحُدٍ لَمْ يُغَسَّلُوا وَدُفِنُوا بِدِمَائِهِمْ وَلَمْ يُصَلَّ عَلَيْهِمْ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উহুদ যুদ্ধের শহীদদেরকে গোসল দেয়া হয়নি। তাদেরকে রক্তরঞ্জিত দেহেই দাফন করা হয় এবং তাদের উপর জানাযা পড়া হয়নি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩১৩৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحُبَابِ – ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ، – يَعْنِي الْمَرْوَانِيَّ – عَنْ أُسَامَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، – الْمَعْنَى – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى حَمْزَةَ وَقَدْ مُثِّلَ بِهِ فَقَالَ ” لَوْلاَ أَنْ تَجِدَ صَفِيَّةُ فِي نَفْسِهَا لَتَرَكْتُهُ حَتَّى تَأْكُلَهُ الْعَافِيَةُ حَتَّى يُحْشَرَ مِنْ بُطُونِهَا ” . وَقَلَّتِ الثِّيَابُ وَكَثُرَتِ الْقَتْلَى فَكَانَ الرَّجُلُ وَالرَّجُلاَنِ وَالثَّلاَثَةُ يُكَفَّنُونَ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ – زَادَ قُتَيْبَةُ – ثُمَّ يُدْفَنُونَ فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُ ” أَيُّهُمْ أَكْثَرُهُمْ قُرْآنًا ” . فَيُقَدِّمُهُ إِلَى الْقِبْلَةِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হামযাহ (রাঃ)-এর (লাশের) পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে দেখলেন, তার লাশ বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ সাফিয়্যাহ্ (হামযাহ্র বোন) যদি কষ্ট না পেতো তাহলে আমি তার লাশ পড়ে থাকতে দিতাম এবং পশুপাখিরা তা খেয়ে নিতো এবং ক্বিয়ামাতের দিন তাকে এদের পেট থেকেই উত্থিত করা হতো। এ সময় কাফনের কাপড় কম ছিলো, কিন্তু মৃতদেহ ছিল অনেক। ফলে এক, দুই, এমনকি তিন ব্যক্তিকে একই কাপড়ে জড়িয়ে কাফন দেয়া হয়। কুতাইবাহ্র বর্ণনায় রয়েছেঃ অতঃপর তাদেরকে একই ক্ববরে দাফন করা হয়। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করতেনঃ এদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী ছিল। তিনি তাকে ক্বিবলাহ্র দিকে (ডানে) রাখতেন।
হাসানঃ তিরমিযী (১০২৭)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩১৩৭
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِحَمْزَةَ وَقَدْ مُثِّلَ بِهِ وَلَمْ يُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنَ الشُّهَدَاءِ غَيْرِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হামযাহ (রাঃ) এর লাশের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে দেখলেন, তার মৃতদেহ বিকৃত করা হয়েছে। তিনি হামযাহ (রাঃ) ছাড়া অন্য কোন শহীদের জানাযা পড়েননি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩১৩৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ، أَنَّ اللَّيْثَ، حَدَّثَهُمْ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ قَتْلَى أُحُدٍ وَيَقُولُ ” أَيُّهُمَا أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ ” . فَإِذَا أُشِيرَ لَهُ إِلَى أَحَدِهِمَا قَدَّمَهُ فِي اللَّحْدِ وَقَالَ ” أَنَا شَهِيدٌ عَلَى هَؤُلاَءِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . وَأَمَرَ بِدَفْنِهِمْ بِدِمَائِهِمْ وَلَمْ يُغَسَّلُوا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উহুদ যুদ্ধের শহীদদের দুইজনকে একই ক্ববরে দাফনের নির্দেশ দেন এবং জিজ্ঞেস করতে থাকেনঃ এদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী ছিল। অতঃপর তাদের কারো প্রতি ইঙ্গিত করা হলে তাকেই তিনি প্রথমে ক্ববরে রাখতেন। তিনি বললেনঃ আমি ক্বিয়ামাতের দিন তাদের জন্য সাক্ষী হবো। তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে রক্তমাখা দেহে দাফনের নির্দেশ দেন এবং তাদের গোসল দিলেন না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৫১৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৩৯
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ قَالَ يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ قَتْلَى أُحُدٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ .
লাইস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
লাইস (রহঃ) হতে অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উহুদ যুদ্ধের শহীদদের দুই দুই ব্যক্তিকে একই কাপড়ে একত্রে কাফন দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২
গোসলের সময় মৃত ব্যক্তির লজ্জাস্থান ঢেকে রাখা
৩১৪০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أُخْبِرْتُ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تُبْرِزْ فَخِذَكَ وَلاَ تَنْظُرَنَّ إِلَى فَخِذِ حَىٍّ وَلاَ مَيِّتٍ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমার রান অনাবৃত করবে না এবং জীবিত ও মৃত কারো রানের প্রতি দৃষ্টিপাত করবে না।
খুবই দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (১৪৬০), ইরওয়া (২৬৯)।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৩১৪১
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ لَمَّا أَرَادُوا غَسْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا وَاللَّهِ مَا نَدْرِي أَنُجَرِّدُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ثِيَابِهِ كَمَا نُجَرِّدُ مَوْتَانَا أَمْ نُغَسِّلُهُ وَعَلَيْهِ ثِيَابُهُ فَلَمَّا اخْتَلَفُوا أَلْقَى اللَّهُ عَلَيْهِمُ النَّوْمَ حَتَّى مَا مِنْهُمْ رَجُلٌ إِلاَّ وَذَقْنُهُ فِي صَدْرِهِ ثُمَّ كَلَّمَهُمْ مُكَلِّمٌ مِنْ نَاحِيَةِ الْبَيْتِ لاَ يَدْرُونَ مَنْ هُوَ أَنِ اغْسِلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ ثِيَابُهُ فَقَامُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَغَسَلُوهُ وَعَلَيْهِ قَمِيصُهُ يَصُبُّونَ الْمَاءَ فَوْقَ الْقَمِيصِ وَيُدَلِّكُونَهُ بِالْقَمِيصِ دُونَ أَيْدِيهِمْ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا غَسَّلَهُ إِلاَّ نِسَاؤُهُ .
আব্বাস ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যখন সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে গোসল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তারা বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বুঝে উঠতে পারছি না, আমরা কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বস্ত্র খুলে নিবো যেভাবে সাধারণ লোকের মৃতদেহ থেকে বস্ত্র খুলে নেই, নাকি তাঁর পরিধেয় বস্ত্রসহ তাকে গোসল দিবো? তারা এ নিয়ে মতভেদে লিপ্ত হলে মহান আল্লাহ তাদের উপর ঘুম চাপিয়ে দিলেন। ঘুমের ঘোরে তাদের প্রত্যেকের থুতনী নিজ নিজ বুকের সাথে ঠেকে গেলো। এমতাবস্থায় ঘরের এককোণ থেকে অদৃশ্য আওয়াজ আসলো। ঐ আওয়াজ কে দিলো তা জানা গেলো না। “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কাপড়ে আবৃত অবস্থায়ই গোসল দাও।” একথা শুনে তারা জেগে উঠলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে তাঁর জামা পরিহিত অবস্থায় গোসল দিলেন। তারা জামার উপর পানি ঢাললেন এবং হাতের পরিবর্তে জামা দিয়ে তাঁর শরীর রগরালেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি যদি আগে বুঝতে পারতাম যা পরে বুঝতে পেরেছি তাহলে তাঁর স্ত্রীরাই তার গোসল দিতেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৩
মৃতকে গোসল দেয়ার পদ্ধতি
৩১৪২
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – الْمَعْنَى – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَتِ ابْنَتُهُ فَقَالَ ” اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ – إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكَ – بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي ” . فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ فَأَعْطَانَا حَقْوَهُ فَقَالَ ” أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ ” . قَالَ عَنْ مَالِكٍ يَعْنِي إِزَارَهُ وَلَمْ يَقُلْ مُسَدَّدٌ دَخَلَ عَلَيْنَا .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কন্যা (যাইনাব (রাঃ)) মারা গেলে তিনি আমাদের কাছে এসে বললেনঃ তোমরা তাকে কুল পাতা মেশানো সিদ্ধ পানি দিয়ে তিন, পাঁচ অথবা প্রয়োজনবোধ এর চেয়ে অধিকবার গোসল করাও এবং শেষবারে কাফুর মিশিয়ে নাও। গোসল দেয়া শেষ হলে তোমরা আমাকে খবর দিবে। অতঃপর আমরা গোসল দেয়া শেষ করে তাঁকে খবর দিলাম। তিনি তাঁর ব্যবহৃত একখানা কাপড় দিয়ে আমাদেরকে বললেনঃ এটা তার গায়ে পরিয়ে দাও।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৫৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৪৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، وَأَبُو كَامِلٍ – بِمَعْنَى الإِسْنَادِ – أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ حَفْصَةَ، أُخْتِهِ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ مَشَطْنَاهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা তার (যয়নাব (রাঃ)) চুলগুলো তিন গোছায় ভাগ করেছিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ وَضَفَّرْنَا رَأْسَهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ ثُمَّ أَلْقَيْنَاهَا خَلْفَهَا مُقَدَّمَ رَأْسِهَا وَقَرْنَيْهَا .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা তাঁর (যাইনাবের) মাথার চুল তিন গোছায় ভাগ করলাম। এরপর কপালের (একভাগ) চুল এবং মাথার দু’পাশের (দুইভাগ) চুল তার পিছনের দিকে ফেলে দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، وَحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُنَّ فِي غُسْلِ ابْنَتِهِ “ ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا ” .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কন্যার (যাইনাবের) গোসল সম্পর্কে তাদেরকে বললেনঃ তোমরা তার ডান দিক থেকে এবং উযুর অঙ্গসমূহ থেকে গোসল দেয়া আরম্ভ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৪৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، بِمَعْنَى حَدِيثِ مَالِكٍ زَادَ فِي حَدِيثِ حَفْصَةَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ بِنَحْوِ هَذَا وَزَادَتْ فِيهِ “ أَوْ سَبْعًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنْ رَأَيْتُنَّهُ ” .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ্ (রাঃ) হতে হাফসাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে এও রয়েছেঃ [তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন] অথবা সাতবার বা প্রয়োজনে এর চেয়ে অধিকবার গোসল দিবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৪৭
حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، أَنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ الْغُسْلَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، يَغْسِلُ بِالسِّدْرِ مَرَّتَيْنِ وَالثَّالِثَةَ بِالْمَاءِ وَالْكَافُورِ .
মুহাম্মদ ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি উম্মু ‘আতিয়্যার (রাঃ) নিকট গোসল দেয়ার পদ্ধতি শিখেছেন। মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেন, কুলপাতা মিশানো গরম পানি দিয়ে দুইবার এবং কর্পুর মিশ্রিত পানি দিয়ে একবার গোসল দিতে হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৪
কাফনের বর্ণনা
৩১৪৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ خَطَبَ يَوْمًا فَذَكَرَ رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِهِ قُبِضَ فَكُفِّنَ فِي كَفَنٍ غَيْرِ طَائِلٍ وَقُبِرَ لَيْلاً فَزَجَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْبَرَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهِ إِلاَّ أَنْ يُضْطَرَّ إِنْسَانٌ إِلَى ذَلِكَ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا كَفَّنَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُحْسِنْ كَفَنَهُ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন খুত্ববাহ দেয়ার সময় তাতে তাঁর এক সাহাবীর কথা উল্লেখ করলেন। ঐ সাহাবী মারা গেলে লোকেরা তাকে রাতের বেলায় অপর্যাপ্ত কাপড়ে কাফন দিয়েছিল। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত ব্যক্তিকে রাতের বেলায় কবরস্থ করাকে তিরস্কার করলেন, যেন লোকজন জানাযা শরীক হতে পারে। তবে কেউ বিশেষ কারণে রাতে ক্ববর দিতে চাইলে তা ভিন্ন কথা। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বললেনঃ তোমাদের কেউ তার ভাইকে কাফন পরালে যেন উত্তমরূপে কাফন পরায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৪৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أُدْرِجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَوْبٍ حِبَرَةٍ ثُمَّ أُخِّرَ عَنْهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (তাঁর ইন্তেকালের পর) একটি ডোরাদার ইয়ামানী চাঁদর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। অতঃপর তা পাল্টিয়ে সাদা চাঁদরে ঢেকে দেয়া হয়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৬৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৫০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْكَرِيمِ – حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَقِيلِ بْنِ مَعْقِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبٍ، – يَعْنِي ابْنَ مُنَبِّهٍ – عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا تُوُفِّيَ أَحَدُكُمْ فَوَجَدَ شَيْئًا فَلْيُكَفَّنْ فِي ثَوْبٍ حِبَرَةٍ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ মারা গেলে এবং ‘তার পরিজন সচ্ছল হলে তারা যেন ডোরাদার ইয়ামানী চাদরে কাফন দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৫১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ، قَالَتْ كُفِّنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ يَمَانِيَةٍ بِيضٍ لَيْسَ فِيهَا قَمِيصٌ وَلاَ عِمَامَةٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (তাঁর ইন্তেকালের পর) ইয়ামানের তৈরী তিনটি সাদা কাপড়ে কাফন দেয়া হয়েছিল। কাফনে কোন কামীস ও পাগড়ী ছিলো না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৬৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৫২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ زَادَ مِنْ كُرْسُفٍ . قَالَ فَذُكِرَ لِعَائِشَةَ قَوْلُهُمْ فِي ثَوْبَيْنِ وَبُرْدِ حِبَرَةٍ فَقَالَتْ قَدْ أُتِيَ بِالْبُرْدِ وَلَكِنَّهُمْ رَدُّوهُ وَلَمْ يُكَفِّنُوهُ فِيهِ .
হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (পিতা) ‘আয়িশাহর (রাঃ) কাছ থেকে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। কিন্তু তাতে সুতীর কাপড় উল্লেখ আছে। কেউ ‘আয়িশাহর (রাঃ) নিকট লোকজনের বক্তব্য ‘তাঁর কাফনে দু’টি সাদা কাপড় ও একটি কারুকার্য খচিত ইয়ামানী চাদর ছিল’ উল্লেখ করলে তিনি বলেন, (কাফনের জন্য) ইয়ামানী চাদরটি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সাহাবীগণ তা ফিরিয়ে দেন। তারা তাঁকে ঐ চাঁদরে কাফন দেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৫৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ يَزِيدَ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي زِيَادٍ – عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُفِّنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ نَجْرَانِيَّةٍ الْحُلَّةُ ثَوْبَانِ وَقَمِيصُهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ عُثْمَانُ فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ حُلَّةٍ حَمْرَاءَ وَقَمِيصِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তিনটি কাপড়ে কাফন দেয়া হয়। এগুলো ছিল নাজরানের তৈরী। যার একটি ছিল চাদর, একটি লুঙ্গি এবং অপরটি ছিল মৃত্যশয্যায় তাঁর পরিহিত পোশাক। ‘উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্র বর্ণনায় রয়েছেঃ তাকে তিনটি কাপড়ে কাফন দেয়া হয়েছিল- যার দু’টি চাদর লাল বর্ণের এবং যে জামা পরিহিত অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেল-৩৫
দামী কাফন ব্যবহার অপছন্দনীয়
৩১৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ هَاشِمٍ أَبُو مَالِكٍ الْجَنْبِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ لاَ تَغَالِ لِي فِي كَفَنٍ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ تَغَالَوْا فِي الْكَفَنِ فَإِنَّهُ يُسْلَبُهُ سَلْبًا سَرِيعًا ” .
আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমরা বেশি দামী কাফন ব্যবহার করবে না। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা কাফনের জন্য বেশি দামী কাপড় ব্যবহার করো না। কেননা তা শিঘ্রই নষ্ট হয়ে যাবে।
দুর্বলঃ মিশকাত (১৬৩৯)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩১৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ خَبَّابٍ، قَالَ إِنَّ مُصْعَبَ بْنَ عُمَيْرٍ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ إِلاَّ نَمِرَةٌ كُنَّا إِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رَأْسَهُ خَرَجَ رِجْلاَهُ وَإِذَا غَطَّيْنَا رِجْلَيْهِ خَرَجَ رَأْسُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ غَطُّوا بِهَا رَأْسَهُ وَاجْعَلُوا عَلَى رِجْلَيْهِ شَيْئًا مِنَ الإِذْخِرِ ” .
আবূ ওয়াইল (রহঃ) হতে খাব্বাব (রাঃ) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুস’আব ইবনু ‘উমাইর (রাঃ) উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন।তার কাফনের জন্য একটি কম্বল ছাড়া কিছুই ছিলো না। আমরা তা দিয়ে তার মাথা ঢাকলে তার দু’পা উম্মুক্ত হয়ে যেতো আবার তার দু’পা ঢাকলে তার মাথা উম্মুক্ত হয়ে যেতো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ কম্বল দিয়ে তার মাথা ঢেকে দাও এবং তার দূ’পায়ের উপর ইযখির ঘাস বিছিয়ে দাও।
সহীহঃ তিরমিযী (৪১২৫)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৫৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ أَبِي نَصْرٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ خَيْرُ الْكَفَنِ الْحُلَّةُ وَخَيْرُ الأُضْحِيَةِ الْكَبْشُ الأَقْرَنُ ” .
উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উত্তম কাফন হচ্ছে হুল্লা এবং কুরবানীর জন্য উত্তম পশু হচ্ছে শিংওয়ালা দুম্বা।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (১৪৭৩), মিশকাত (১৬৪১), যঈফ সুনান আত-তিরমিযী (২৬৩/১৫৭০)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৬
মহিলাদের কাফন সম্পর্কে
৩১৫৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي نُوحُ بْنُ حَكِيمٍ الثَّقَفِيُّ، – وَكَانَ قَارِئًا لِلْقُرْآنِ – عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ يُقَالُ لَهُ دَاوُدُ قَدْ وَلَّدَتْهُ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ لَيْلَى بِنْتِ قَانِفٍ الثَّقَفِيَّةِ قَالَتْ كُنْتُ فِيمَنْ غَسَّلَ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ وَفَاتِهَا فَكَانَ أَوَّلُ مَا أَعْطَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحِقَاءَ ثُمَّ الدِّرْعَ ثُمَّ الْخِمَارَ ثُمَّ الْمِلْحَفَةَ ثُمَّ أُدْرِجَتْ بَعْدُ فِي الثَّوْبِ الآخِرِ قَالَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ عِنْدَ الْبَابِ مَعَهُ كَفَنُهَا يُنَاوِلُنَاهَا ثَوْبًا ثَوْبًا .
গাক্বীফ গোত্রের কানিফের কন্যা লায়লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কন্যা উম্মু কুলসুম (রাঃ) মারা গেলে যে মহিলা তাকে গোসল দেয় তার সাথে আমিও ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে (কাফনের জন্য) প্রথমে তহবন্দ, তারপর কামীস, তারপর ওড়না, তারপর চাদর, এবং অন্য একটি কাপড় দিলেন। যা দিয়ে লাশ পেচিয়ে দেয়া হলো। লায়লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাফনের কাপড়সহ দরজার পাশেই বসা ছিলেন। তিনি সেখান থেকে একটি একটি করে কাপড়গুলো আমাদেরকে প্রদান করেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৭
মৃতের জন্য মিশ্কের সুগন্ধি ব্যবহার
৩১৫৮
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْمُسْتَمِرُّ بْنُ الرَّيَّانِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَطْيَبُ طِيبِكُمُ الْمِسْكُ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সুগন্ধির মধ্যে সর্বোত্তম হলো কস্তুরী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৮
দাফন-কাফনে জলদি করা
৩১৫৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مُطَرِّفٍ الرُّؤَاسِيُّ أَبُو سُفْيَانَ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عِيسَى، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ ابْنُ يُونُسَ – عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُثْمَانَ الْبَلَوِيِّ، عَنْ عَزْرَةَ، – وَقَالَ عَبْدُ الرَّحِيمِ عُرْوَةُ بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ – عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحُصَيْنِ بْنِ وَحْوَحٍ، أَنَّ طَلْحَةَ بْنَ الْبَرَاءِ، مَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ فَقَالَ “ إِنِّي لاَ أَرَى طَلْحَةَ إِلاَّ قَدْ حَدَثَ فِيهِ الْمَوْتُ فَآذِنُونِي بِهِ وَعَجِّلُوا فَإِنَّهُ لاَ يَنْبَغِي لِجِيفَةِ مُسْلِمٍ أَنْ تُحْبَسَ بَيْنَ ظَهْرَانَىْ أَهْلِهِ ” .
আল-হুসাইন ইবনু ওয়াহওয়াজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ত্বালহা ইবনুল বারাআ (রাঃ) অসুস্থ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে এসে বললেনঃ আমি দেখতে পাচ্ছি ত্বালহার মৃত্যু আসন্ন। কাজেই তোমরা আমাকে তার খবর জানাবে এবং তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা দ্রুত করবে। কেননা কোন মুসলিমের লাশ তার পরিবারের মধ্যে আটকে রাখা ঠিক নয়।
দুর্বলঃ যঈফাহ (৩২৩২), যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (২০৯৯), মিশকাত (১৬২৫)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৯
মৃতকে গোসলদাতার গোসল করা সম্পর্কে
৩১৬০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنْ أَرْبَعٍ مِنَ الْجَنَابَةِ وَيَوْمَ الْجُمُعَةِ وَمِنَ الْحِجَامَةِ وَغُسْلِ الْمَيِّتِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) হতে ‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি যুবাইর (রাঃ) কে হাদীস শুনিয়েছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চার অবস্থায় গোসল করতেনঃ সহবাসের পর, জুমু’আর দিনে গোসল, শিংগা লাগানোর পর এবং মৃতকে গোসল দেয়ার পর গোসল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩১৬১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ غَسَّلَ الْمَيِّتَ فَلْيَغْتَسِلْ وَمَنْ حَمَلَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি মৃতকে গোসল দেয় সে যেন গোসল করে এবং যে ব্যক্তি লাশ বহন করে সে যেন উযু করে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৬৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৬২
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ إِسْحَاقَ، مَوْلَى زَائِدَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مَنْسُوخٌ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ وَسُئِلَ عَنِ الْغُسْلِ مِنْ غَسْلِ الْمَيِّتِ فَقَالَ يُجْزِيهِ الْوُضُوءُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَدْخَلَ أَبُو صَالِحٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ – يَعْنِي إِسْحَاقَ مَوْلَى زَائِدَةَ – قَالَ وَحَدِيثُ مُصْعَبٍ ضَعِيفٌ فِيهِ خِصَالٌ لَيْسَ الْعَمَلُ عَلَيْهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
উপরের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মৃতকে গোসল দেয়ার পর গোসল করা সম্পর্কিত হাদীস রহিত হয়েছে। আমি আহমাদ ইবনু হাম্বলের নিকট শুনেছি, তাকে মৃতের গোসল দেয়ার পর গোসল করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তার জন্য উযু করাই যথেষ্ট। আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ সালিহ এ হাদীসের সানাদে তার ও আবূ হুরায়রা্র মাঝে ইসহাক্বের নাম ঢুকিয়েছেন। তিনি বলেন, মুস’আবের হাদীসটি দুর্বল। তাতে এমন কিছু আছে, যার উপর আমল করা হয় না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪০
লাশকে চুম্বন করা
৩১৬৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ وَهُوَ مَيِّتٌ حَتَّى رَأَيْتُ الدُّمُوعَ تَسِيلُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘উসমান ইবনু মাযউনের লাশে চুমু খেতে দেখেছি। আমি তাঁর চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে দেখেছি।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪৫৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪১
রাতে দাফন করা
৩১৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – أَوْ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، – قَالَ رَأَى نَاسٌ نَارًا فِي الْمَقْبَرَةِ فَأَتَوْهَا فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَبْرِ وَإِذَا هُوَ يَقُولُ “ نَاوِلُونِي صَاحِبَكُمْ ” . فَإِذَا هُوَ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ يَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالذِّكْرِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাতের বেলায় কবরস্থানে আলো দেখতে পেয়ে লোকেরা সেখানে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ক্ববরের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখলো। তিনি বললেনঃ তোমাদের সাথীকে আমার কাছে দাও। এ লোকটি উচ্চস্বরে যিকির করতো।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪২
মৃতদেহ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নেয়া
৩১৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ نُبَيْحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا حَمَلْنَا الْقَتْلَى يَوْمَ أُحُدٍ لِنَدْفِنَهُمْ فَجَاءَ مُنَادِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَدْفِنُوا الْقَتْلَى فِي مَضَاجِعِهِمْ فَرَدَدْنَاهُمْ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা উহুদের শহীদদের দাফনের জন্য অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘোষক এসে ঘোষণা করলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, শহীদদের লাশ যেন তাদের নিহত হওয়ার স্থানে দাফন করা হয়। সুতরাং আমরা তাদের লাশ (পূর্বের স্থানে) ফিরিয়ে আনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৩
জানাযার সলাতের কাতার সম্পর্কে
৩১৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدٍ الْيَزَنِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ هُبَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيُصَلِّي عَلَيْهِ ثَلاَثَةُ صُفُوفٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلاَّ أَوْجَبَ ” . قَالَ فَكَانَ مَالِكٌ إِذَا اسْتَقَلَّ أَهْلَ الْجَنَازَةِ جَزَّأَهُمْ ثَلاَثَةَ صُفُوفٍ لِلْحَدِيثِ .
মালিক ইবনু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ মারা গেলে এবং মুসলিমদের তিন কাতার লোক তার জানাযা পড়লে (আল্লাহ তার জন্য জান্নাত) ওয়াজিব করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, এ কারনে মালিক (রহঃ) জানাযায় লোক সংখ্যা কম হলে তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করতেন, এ হাদীস মোতাবেক আমলের উদ্দেশ্যে।
দুর্বলঃ কিন্তু মাওকুফ হাসান। মিশকাত (১৬৮৭)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৪
জানাযায় নারীদের অংশগ্রহণ
৩১৬৭
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ نُهِينَا أَنْ نَتَّبِعَ، الْجَنَائِزَ وَلَمْ يُعْزَمْ عَلَيْنَا .
উম্মু ‘আতিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের মহিলাদেরকে জানাযায় অংশগ্রহণে নিষেধ করা হয়, তবে এ বিষয়ে আমাদের উপর কড়াকড়ি করা হয় নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৫
জানাযায় অংশগ্রহণ ও লাশের অনুগমনের ফযীলাত
৩১৬৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَرْوِيهِ قَالَ مَنْ تَبِعَ جَنَازَةً فَصَلَّى عَلَيْهَا فَلَهُ قِيرَاطٌ وَمَنْ تَبِعَهَا حَتَّى يُفْرَغَ مِنْهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ أَصْغَرُهُمَا مِثْلُ أُحُدٍ أَوْ أَحَدُهُمَا مِثْلُ أُحُدٍ .
আবূ হুরাইরাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি লাশের অনুগমন করে এবং তাঁর জানাযা আদায় করে তার জন্য এক ক্বীরাত সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি লাশের অনুগমন করে এবং দাফন শেষ করা পর্যন্ত শরীক থাকে তার জন্য রয়েছে দুই ক্বীরাত সওয়াব। এ দুই ক্বীরাতের ছোট ক্বীরাতটি উহুদ পাহাড়ের সমান অথবা উভয়ের একটি উহুদ পাহাড়ের সমান।
সহীহঃ আল-আহকাম (৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৬৯
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُسَيْنٍ الْهَرَوِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو صَخْرٍ، – وَهُوَ حُمَيْدُ بْنُ زِيَادٍ – أَنَّ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ دَاوُدَ بْنَ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ ابْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِذْ طَلَعَ خَبَّابٌ صَاحِبُ الْمَقْصُورَةِ فَقَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَلاَ تَسْمَعُ مَا يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ خَرَجَ مَعَ جَنَازَةٍ مِنْ بَيْتِهَا وَصَلَّى عَلَيْهَا ” . فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ سُفْيَانَ فَأَرْسَلَ ابْنُ عُمَرَ إِلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ صَدَقَ أَبُو هُرَيْرَةَ .
দাউদ ইবনু ‘আমির ইবনু সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রহঃ) হতে তার পিতার সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
একদা দাউদের পিতা ‘আমির (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) কাছে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় ক্ষুদ্র কুটিরবাসী খাব্বাব (রাঃ) এসে উপস্থিত হয়ে বললেন, হে আবদুল্লাহ ইবনু উমার! আবূ হুরায়রা (রাঃ) কি বলছেন তা কি আপনি শুনেছেন? তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃতের ঘর থেকে রওয়ানা হয়ে তার পিছনে পিছনে যায় এবং তার জানাযা পড়ে…অতঃপর সুফিয়ান হাদিসের অনুরূপ। ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘আয়িশাহর (রাঃ) কাছে লোক পাঠালে তিনি বললেন, আবূ হুরায়রা ঠিকই বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১৭০
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ السَّكُونِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيَقُومُ عَلَى جَنَازَتِهِ أَرْبَعُونَ رَجُلاً لاَ يُشْرِكُونَ بِاللَّهِ شَيْئًا إِلاَّ شُفِّعُوا فِيهِ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কোন মুসলিম মারা গেলে তার জানাযায় যদি এমন চল্লিশ ব্যক্তি অংশ গ্রহন করে যারা কখনও আল্লাহর সাথে শরীক করে নাই তবে তার জন্য তাদের সুপারিশ মঞ্জুর করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস