আবু দাউদ কর ফাই ও প্রশাসক অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৩০০৬ – ৩০৮৮

অনুচ্ছেদ-২৪

খায়বারের ভূমি সংক্রান্ত হুকুম

৩০০৬

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ – أَحْسِبُهُ – عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَاتَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ فَغَلَبَ عَلَى النَّخْلِ وَالأَرْضِ وَأَلْجَأَهُمْ إِلَى قَصْرِهِمْ فَصَالَحُوهُ عَلَى أَنَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّفْرَاءَ وَالْبَيْضَاءَ وَالْحَلْقَةَ وَلَهُمْ مَا حَمَلَتْ رِكَابُهُمْ عَلَى أَنْ لاَ يَكْتُمُوا وَلاَ يُغَيِّبُوا شَيْئًا فَإِنْ فَعَلُوا فَلاَ ذِمَّةَ لَهُمْ وَلاَ عَهْدَ فَغَيَّبُوا مَسْكًا لِحُيَىِّ بْنِ أَخْطَبَ وَقَدْ كَانَ قُتِلَ قَبْلَ خَيْبَرَ كَانَ احْتَمَلَهُ مَعَهُ يَوْمَ بَنِي النَّضِيرِ حِينَ أُجْلِيَتِ النَّضِيرُ فِيهِ حُلِيُّهُمْ قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِسَعْيَةَ ‏ “‏ أَيْنَ مَسْكُ حُيَىِّ بْنِ أَخْطَبَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَذْهَبَتْهُ الْحُرُوبُ وَالنَّفَقَاتُ ‏.‏ فَوَجَدُوا الْمَسْكَ فَقَتَلَ ابْنَ أَبِي الْحُقَيْقِ وَسَبَى نِسَاءَهُمْ وَذَرَارِيَّهُمْ وَأَرَادَ أَنْ يُجْلِيَهُمْ فَقَالُوا يَا مُحَمَّدُ دَعْنَا نَعْمَلْ فِي هَذِهِ الأَرْضِ وَلَنَا الشَّطْرُ مَا بَدَا لَكَ وَلَكُمُ الشَّطْرُ ‏.‏ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعْطِي كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهِ ثَمَانِينَ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَعِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের জমি ও খেজুর বাগান দখল করেন এবং তাদেরকে তাদের ঘরে অবরোধ করেন। তারা তাঁর সাথে এ শর্তে সন্ধি করলো যে, সোনা, রূপা ও যুদ্ধের সরঞ্জামাদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাবেন। অপরদিকে তাদের প্রত্যেকের উট যতটা সম্পদ বহনে সক্ষম তারা তা নিতে পারবে, কোন কিছু লুকাবে না এবং সরিয়ে রাখবে না। তারা এরূপ করলে তাদের জন্য কোন নিরাপত্তা থাকবে না এবং কোন চুক্তিও কার্যকর হবে না। তারা হুয়াই ইবনু আখতাবের স্বর্ণমুদ্রা বোঝাই করা চামড়ার থলে গোপন রাখলো। সে খায়বার যুদ্ধের আগে নিহত হয়েছিল। যখন বনূ নাযীরকে উচ্ছেদ করা হয় তখন সে এ থলেটিতে তাদের স্বর্ণমুদ্রা ভরে সাথে করে নিয়ে এসেছিল। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাই’আহকে জিজ্ঞেস করলেন : হুয়াই ইবনু আখতাবের স্বর্ণমুদ্রার থলেটা কোথায়? সে বললো, যুদ্ধের সময় তা নষ্ট হয়ে যায় এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে খরচ হয়ে যায়। সাহাবীগণ তা খোঁজ করে পেয়ে গেলেন। তিনি ইবনু আবুল হাকীককে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন এবং তাদের নারী ও সন্তানদের বন্দী করলেন। তিনি তাদেরকে উচ্ছেদের ইচ্ছা করলেন। তারা বললো, হে মুহাম্মাদ! আমাদেরকে ছেড়ে দিন, আমরা এখানকার জমি চাষাবাদ করবো। উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক আমাদের এবং অর্ধেক আপনাদের থাকবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের প্রত্যেককে আশি ওয়াসাক খেজুর এবং বিশ ওয়াসাক বার্লি দিতেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَامَلَ يَهُودَ خَيْبَرَ عَلَى أَنَّا نُخْرِجُهُمْ إِذَا شِئْنَا فَمَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَلْيَلْحَقْ بِهِ فَإِنِّي مُخْرِجٌ يَهُودَ ‏.‏ فَأَخْرَجَهُمْ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা ‘উমার (রাঃ) বলেন, হে লোক সকল! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের ইয়াহুদীদের এ শর্তে সেখানকার কৃষি জমিতে নিয়োগ দেন যে, “আমার যখন ইচ্ছা হবে তাদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করবো।” সুতরাং সেখানের ইয়াহুদীদের যার কাছে যে সম্পদ আছে সে যেন তা হস্তগত করে। কারণ ইয়াহুদীদের বিতাড়িত করবো। অতঃপর তিনি তাদেরকে বিতাড়িত করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩০০৮

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ لَمَّا افْتُتِحَتْ خَيْبَرُ سَأَلَتْ يَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقِرَّهُمْ عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا عَلَى النِّصْفِ مِمَّا خَرَجَ مِنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أُقِرُّكُمْ فِيهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا ‏”‏ ‏.‏ فَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ التَّمْرُ يُقْسَمُ عَلَى السُّهْمَانِ مِنْ نِصْفِ خَيْبَرَ وَيَأْخُذُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخُمُسَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَطْعَمَ كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ مِنَ الْخُمُسِ مِائَةَ وَسْقٍ تَمْرًا وَعِشْرِينَ وَسْقًا شَعِيرًا فَلَمَّا أَرَادَ عُمَرُ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ أَرْسَلَ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُنَّ مَنْ أَحَبَّ مِنْكُنَّ أَنْ أَقْسِمَ لَهَا نَخْلاً بِخَرْصِهَا مِائَةَ وَسْقٍ فَيَكُونَ لَهَا أَصْلُهَا وَأَرْضُهَا وَمَاؤُهَا وَمِنَ الزَّرْعِ مَزْرَعَةُ خَرْصٍ عِشْرِينَ وَسْقًا فَعَلْنَا وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ نَعْزِلَ الَّذِي لَهَا فِي الْخُمُسِ كَمَا هُوَ فَعَلْنَا ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলনে, খায়বার এলাকা বিজিত হলে ইয়াহুদীরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আবেদন করে যে, তাদেরকে যেন সেখানে বসবাস করতে দেয়া হয়। তারা জমিতে কাজ করে উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক তারা গ্রহণ করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এ শর্তে আমি তোমাদেরকে যতদিন ইচ্ছা বসবাসের অনুমতি দিলাম। তারা এ শর্তে সেখানে বসবাস করলো। খায়বারে উৎপন্ন খেজুরের অর্ধেক কয়েক ভাগে ভাগ করতো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক-পঞ্চমাংশ নিতেন এবং স্বীয় স্ত্রীদের প্রত্যেককে এক-পঞ্চমাংশ থেকে একশ ওয়াসাক খেজুর এবং বিশ ওয়াসাক বার্লি দিতেন। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) তাঁর খিলাফতকালে ইয়াহুদীদের বহিষ্কারের ইচ্ছা করলেন, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রীদের বলে পাঠালেন: “আপনাদের মধ্যে যিনি চাইবেন আমি অনুমানের ভিত্তিতে একশো ওয়াসাক খেজুর হওয়ার পরিমাণ গাছ তাকে ছেড়ে দিবো। এ অবস্থায় বাগানের ও গাছের তত্ত্বাবধান এবং পানি সেচের ব্যবস্থা তাকেই করতে হবে। অনুরূপভাবে কৃষি উৎপাদনের জমি ছেড়ে দিতে পারি। এ ক্ষেত্রেও জমির তত্ত্বাবধান ও সেচের ব্যবস্থা তাকেই করতে হবে। তাদের কেউ ইচ্ছা করলে, পূর্ব থেকে যেভাবে এক-পঞ্চমাংশ হতে আমরা বণ্টন করে আসছি, সেভাবেও নিতে পারেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৯

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا خَيْبَرَ فَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً فَجَمَعَ السَّبْىَ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার যুদ্ধ করলেন। আমরা শক্তিবলে তা দখল করার পর বন্দীদের একত্র করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১০

حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنِي سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ نِصْفَيْنِ نِصْفًا لِنَوَائِبِهِ وَحَاجَتِهِ وَنِصْفًا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ قَسَمَهَا بَيْنَهُمْ عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا ‏.‏

সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার এলাকা দু’ভাগ করলেন। তিনি অর্ধেকটা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও নিজ প্রয়োজন পূরণে রাখলেন এবং বাকি অর্ধেক মুসলিমদের মধ্যে বণ্টন করলেন। তিনি তাঁদের মধ্যে এটা আঠারোটি অংশে ভাগ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩০১১

حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ آدَمَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ أَبِي شِهَابٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ نَفَرًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ فَكَانَ النِّصْفُ سِهَامَ الْمُسْلِمِينَ وَسَهْمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَزَلَ النِّصْفَ لِلْمُسْلِمِينَ لِمَا يَنُوبُهُ مِنَ الأُمُورِ وَالنَّوَائِبِ ‏.‏

বাশীর ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে খায়বার অঞ্চল ফাই হিসেবে প্রদান করলে তিনি তা ছত্রিশ ভাগে বিভক্ত করেন। এর প্রতিটি অংশ আবার একশো ভাগে বিভক্ত ছিল। এর অর্ধেকটা তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাখলেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি আল-ওয়াতীহ্‌, আল-কুতাইবাহ এবং এতদুভয়ের সংলগ্ন এলাকাগুলো রেখে দেন। অবশিষ্ট অর্ধেক তিনি মুসলিম সৈন্যদের মাঝে বণ্টন করেন। এ ভাগে ছিল আশ-শাক্ক, আন-নাতা‘আহ এবং উভয়ের সংলগ্ন অঞ্চল। এ দুই অর্ধাংশের পার্শ্ববর্তী অংশ ছিল রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১২

حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ رِجَالٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا ظَهَرَ عَلَى خَيْبَرَ قَسَمَهَا عَلَى سِتَّةٍ وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمَعَ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةَ سَهْمٍ فَكَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلِلْمُسْلِمِينَ النِّصْفُ مِنْ ذَلِكَ وَعَزَلَ النِّصْفَ الْبَاقِيَ لِمَنْ نَزَلَ بِهِ مِنَ الْوُفُودِ وَالأُمُورِ وَنَوَائِبِ النَّاسِ ‏.‏

বাশীর ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একদল সাহাবীকে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেন। তিনি বলেন, মুসলিমদের এবং রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্য ছিল (খায়বার সম্পত্তির) অর্ধাংশ। অবশিষ্ট অর্ধেক তিনি মুসলিমদের বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণের জন্য পৃথক করে রাখেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، – يَعْنِي سُلَيْمَانَ – عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ لَمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ قَسَمَهَا عَلَى سِتَّةٍ وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمَعَ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةَ سَهْمٍ فَعَزَلَ نِصْفَهَا لِنَوَائِبِهِ وَمَا يَنْزِلُ بِهِ الْوَطِيحَةَ وَالْكُتَيْبَةَ وَمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا وَعَزَلَ النِّصْفَ الآخَرَ فَقَسَمَهُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ الشَّقَّ وَالنَّطَاةَ وَمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا وَكَانَ سَهْمُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا ‏.‏

আনসার সম্প্রদায়ের মুক্তদাস বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কতিপয় সাহাবী হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার বিজয়ের পর সেখানে প্রাপ্ত সম্পদ ছত্রিশটি ভাগে বিভক্ত করেন। এর প্রত্যেক ভাগকে আবার একশো ভাগে বিভক্ত করেন। মোট সম্পদের অর্ধাংশ ছিল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মুসলিমদের জন্য। অবশিষ্ট অর্ধাংশ তিনি প্রতিনিধিদের আপ্যায়ন, বিভিন্ন কাজের ব্যবস্থাপনা ও জনসাধারণের প্রয়োজন পূরণের জন্য পৃথক করে রাখেন।

 

সহীহ : পূর্বেরটি দ্বারা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ قَسَمَهَا سِتَّةً وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمْعًا فَعَزَلَ لِلْمُسْلِمِينَ الشَّطْرَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا يَجْمَعُ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةً النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَهُمْ لَهُ سَهْمٌ كَسَهْمِ أَحَدِهِمْ وَعَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا وَهُوَ الشَّطْرُ لِنَوَائِبِهِ وَمَا يَنْزِلُ بِهِ مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ فَكَانَ ذَلِكَ الْوَطِيحَ وَالْكُتَيْبَةَ وَالسُّلاَلِمَ وَتَوَابِعَهَا فَلَمَّا صَارَتِ الأَمْوَالُ بِيَدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالْمُسْلِمِينَ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ عُمَّالٌ يَكْفُونَهُمْ عَمَلَهَا فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْيَهُودَ فَعَامَلَهُمْ ‏.‏

বাশীর ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খায়বার অঞ্চলের সম্পদ ফাই হিসেবে দান করলেন, তিনি ঐ সম্পদকে ছত্রিশ অংশে ভাগ করলেন। এর প্রতিটি ভাগ আবার একশো ভাগে বিভক্ত ছিল। সাহাবীদের সাথে তাঁদের প্রত্যেকের ভাগের সমান একটি ভাগ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও পান। অবশিষ্ট আঠারো ভাগ তিনি নিজের প্রয়োজন পূরণ ও মুসলিমদের বিপদ মোকাবিলার জন্য আলাদা করে রাখেন। এ অংশে ছিল আল-ওয়াতীহ্‌, আল-কুতাইবাহ, আস- সালালিম ও এসবের সংলগ্ন এলাকা। এ সম্পদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মুসলিমদের হস্তগত হওয়ার সময় তাঁদের এমন কোন কাজের লোক ছিলো না যারা এসব জমি চাষাবাদ করতে সক্ষম। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্থানীয় ইয়াহুদীদের ডেকে এনে তাদেরকে (ভাগচাষে) জমির কাজে নিয়োগ দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُجَمِّعُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ مُجَمِّعِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَعْقُوبَ بْنَ مُجَمِّعٍ، يَذْكُرُ لِي عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمِّهِ، مُجَمِّعِ بْنِ جَارِيَةَ الأَنْصَارِيِّ – وَكَانَ أَحَدَ الْقُرَّاءِ الَّذِينَ قَرَءُوا الْقُرْآنَ – قَالَ قُسِمَتْ خَيْبَرُ عَلَى أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا وَكَانَ الْجَيْشُ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ فِيهِمْ ثَلاَثُمِائَةِ فَارِسٍ فَأَعْطَى الْفَارِسَ سَهْمَيْنِ وَأَعْطَى الرَّاجِلَ سَهْمًا ‏.‏

মুজাম্মি’ ইবনু জারিয়াহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি কুরআনের ক্বারীদের অন্যতম ছিলেন। তিনি বলেন, খায়বারে প্রাপ্ত গনীমাত হুদায়বিয়ার সন্ধিতে উপস্থিত মুসলিমদের মাঝে বণ্টন করা হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাপ্ত সম্পদের অর্ধাংশ আঠার অংশে বিভক্ত করেন। সৈন্যসংখ্যা ছিল পনেরশো’, এর মধ্যে অশ্বারোহী তিনশো। তিনি অশ্বারোহীদের প্রত্যেককে দুই ভাগ এবং পদাতিকদের প্রত্যেককে এক ভাগ করে গনীমতের মাল প্রদান করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৬

حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ آدَمَ – حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَبَعْضِ، وَلَدِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قَالُوا بَقِيَتْ بَقِيَّةٌ مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ تَحَصَّنُوا فَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَحْقِنَ دِمَاءَهُمْ وَيُسَيِّرَهُمْ فَفَعَلَ فَسَمِعَ بِذَلِكَ أَهْلُ فَدَكَ فَنَزَلُوا عَلَى مِثْلِ ذَلِكَ فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً لأَنَّهُ لَمْ يُوجِفْ عَلَيْهَا بِخَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ ‏.‏

আয-যুহরী, ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বাকর (রাঃ) ও মুহাম্মদ ইবনু মাসালামাহর কতিপয় সন্তান সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, খায়বার বিজিত হলে কিছু লোক দুর্গে অবরুদ্ধ থাকে। তারা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে নিরাপত্তা ও অন্যত্র চলে যাওয়ার অনুমতি চাইলো। তিনি তাঁদের আবেদন গ্রহণ করলেন। ফাদাকের লোকেরা এটা জানতে পেরে তারাও অনুরূপ প্রস্তাব করলো। এ এলাকাটি বিশেষ করে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্য নির্দিষ্ট ছিল। কেননা এ এলাকা জয় করতে ঘোড়া দৌড়াতে হয়নি এবং উটও হ্যাঁকাতে হয় নি।

 

সানাদ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم افْتَتَحَ بَعْضَ خَيْبَرَ عَنْوَةً ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ أَخْبَرَكُمُ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ خَيْبَرَ كَانَ بَعْضُهَا عَنْوَةً وَبَعْضُهَا صُلْحًا وَالْكُتَيْبَةُ أَكْثَرُهَا عَنْوَةً وَفِيهَا صُلْحٌ ‏.‏ قُلْتُ لِمَالِكٍ وَمَا الْكُتَيْبَةُ قَالَ أَرْضُ خَيْبَرَ وَهِيَ أَرْبَعُونَ أَلْفَ عَذْقٍ ‏.‏

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের কোন অঞ্চল যুদ্ধের মাধ্যমে আর কোনো এলাকা সন্ধির মাধ্যমে দখল করেন। আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আল-হারিস ইবনু মিসকীনের সামনে (কিছু) পাঠ করা হয়। তখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ইবনু ওয়াহ্‌ব তোমাদেরকে অবহিত করেছেন যে, ইবনু শিহাব হতে মালিক আমাকে বলেছেন, খায়বারের কিছু এলাকা শক্তি প্রয়োগে এবং কিছু এলাকা সন্ধির মাধ্যমে দখল করা হয়। আমি (ইবনু ওয়াহব) মালিককে জিজ্ঞেস করি, ‘আল-কুতাইবাহ’ বলতে কি বুঝায়? তিনি বললেন, খায়বারের জমি। এখানে চল্লিশ হাজার খেজুর গাছ ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৮

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم افْتَتَحَ خَيْبَرَ عَنْوَةً بَعْدَ الْقِتَالِ وَنَزَلَ مَنْ نَزَلَ مِنْ أَهْلِهَا عَلَى الْجَلاَءِ بَعْدَ الْقِتَالِ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধের পর শক্তি প্রয়োগে খায়বার অঞ্চল জয় করেন এবং যুদ্ধ শেষে সেখানকার অধিবাসীদের অবরুদ্ধ দুর্গ থেকে এ শর্তে বের হতে দেয়া হয় যে, তারা এখান থেকে বিতাড়িত হয়ে অন্যত্র চলে যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৯

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ خَمَّسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ ثُمَّ قَسَّمَ سَائِرَهَا عَلَى مَنْ شَهِدَهَا وَمَنْ غَابَ عَنْهَا مِنْ أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ ‏.‏

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের ধন-সম্পদ থেকে এক-পঞ্চমাংশ পৃথক করেন। অত:পর অবশিষ্ট মালামাল সেখানে উপস্থিত যোদ্ধাদের মাঝে এবং হুদায়বিয়ার ঐ সব লোকদের মধ্যে বণ্টন করলেন যারা (খায়বারে) অনুপস্থিত ছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ لَوْلاَ آخِرُ الْمُسْلِمِينَ مَا فَتَحْتُ قَرْيَةً إِلاَّ قَسَمْتُهَا كَمَا قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ ‏.‏

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যদি পরবর্তীকালের মুসলিমদের বিষয় খেয়াল না করতাম তাহলে আমি যে কোন জনপদই জয় করতাম, আর তা ঐভাবে বণ্টন করতাম যেভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার এলাকায় বণ্টন করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫

মাক্কাহ (বিজয়) সম্পর্কিত তথ্য

৩০২১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ جَاءَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِأَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبٍ فَأَسْلَمَ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ يُحِبُّ هَذَا الْفَخْرَ فَلَوْ جَعَلْتَ لَهُ شَيْئًا ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মাক্কা বিজয়ের দিন ‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) আবূ সুফিয়ান ইবনু হারবকে সাথে নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট আসেন। মাররুয-যাহরান নামক জায়গাতে পৌঁছে আবূ সুফিয়ান ইসলাম কবুল করলেন। ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুফিয়ান এমন ব্যক্তি, যে নেতৃত্বের গৌরব পছন্দ করে। যদি আপনি তাঁর জন্য কিছু করতেন! তিনি বললেন, হ্যাঁ, আজকে আবূ সুফিয়ানের বাড়িতে কেউ আশ্রয় নিলে সে নিরাপত্তা পাবে এবং যে ব্যক্তি নিজের ঘরের দরজা বন্ধ রাখবে সেও নিরাপদ থাকবে।

 

হাসান : মুসলিম – শেষের বাক্যটি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ بَعْضِ، أَهْلِهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ الظَّهْرَانِ قَالَ الْعَبَّاسُ قُلْتُ وَاللَّهِ لَئِنْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ عَنْوَةً قَبْلَ أَنْ يَأْتُوهُ فَيَسْتَأْمِنُوهُ إِنَّهُ لَهَلاَكُ قُرَيْشٍ فَجَلَسْتُ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَعَلِّي أَجِدُ ذَا حَاجَةٍ يَأْتِي أَهْلَ مَكَّةَ فَيُخْبِرُهُمْ بِمَكَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيَخْرُجُوا إِلَيْهِ فَيَسْتَأْمِنُوهُ فَإِنِّي لأَسِيرُ إِذْ سَمِعْتُ كَلاَمَ أَبِي سُفْيَانَ وَبُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ فَقُلْتُ يَا أَبَا حَنْظَلَةَ فَعَرَفَ صَوْتِي فَقَالَ أَبُو الْفَضْلِ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ مَا لَكَ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي قُلْتُ هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ ‏.‏ قَالَ فَمَا الْحِيلَةُ قَالَ فَرَكِبَ خَلْفِي وَرَجَعَ صَاحِبُهُ فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَوْتُ بِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَسْلَمَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ يُحِبُّ هَذَا الْفَخْرَ فَاجْعَلْ لَهُ شَيْئًا ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ دَارَهُ فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَهُوَ آمِنٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَتَفَرَّقَ النَّاسُ إِلَى دُورِهِمْ وَإِلَى الْمَسْجِدِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (মাক্কাহ বিজয়ের সময়) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মাররুয-যাহরান নামক স্থানে অবস্থান করেছিলেন তখন ‘আব্বাস (রাঃ) মনে মনে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি! তারা এসে আশ্রয় চাওয়ার আগেই যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জোরপূর্বক মক্কায় ঢুকেন তাহলে তা কুরাইশদের জন্য ধ্বংসের কারণ হবে। আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খচ্চরের পিঠে বসে মনে মনে বললাম, আমি যদি যাওয়ার মতো লোক পেতাম, আর ঐ লোক মক্কাবাসীদের নিকট গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অবস্থানস্থল সম্পর্কে অবহিত করতো এবং তাঁর কাছে এসে তারা নিরাপত্তা চাইতো। এ চিন্তা করতে করতে আমি সওয়ারী নিয়ে এগুচ্ছিলাম। হঠাৎ আমি আবূ সুফিয়ান ও বুদাইল ইবনু ওয়ারাকার কথোপকথন শুনতে পাই। আমি বললাম, হে আবূ হানযালাহ। সে আমার কণ্ঠস্বর চিনতে পেরে বললো, আবুল ফাদল নাকি? আমি বললাম, হ্যাঁ। সে বললো, আমার পিতামাতা তোমার জন্য কোরবান হোক। কি ব্যাপার? আমি বললাম, এই তো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাথের সৈন্যবাহিনী। সে বললো, বাঁচার জন্য কি কৌশল অবলম্বন করা যায়? ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আবূ সুফিয়ান আমার পিছনে সওয়ার হলো এবং তার সাথী ফিরে গেলো। অতঃপর ভোর বেলায় উপস্থিত হলাম। সে ইসলাম কবুল করলো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুফিয়ান এমন লোক যে নেতৃত্বের গৌরব পছন্দ করে, তাঁর জন্য কিছু করুন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। যে ব্যাক্তি আবূ সুফিয়ানের ঘরে আশ্রয় নিবে সে নিরাপদ; যে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করবে সেও নিরাপদ। বর্ণনাকারী বলেন, লোকজন নিজেদের ঘর ও মাসজিদুল হারামে আশ্রয় নিলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْكَرِيمِ – حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَقِيلِ بْنِ مَعْقِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا هَلْ غَنِمُوا يَوْمَ الْفَتْحِ شَيْئًا قَالَ لاَ ‏.‏

ওয়াহ্‌ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তারা মাক্কাহ বিজয়ের দিন কোন গণিমত লাভ করেছিলেন কি? তিনি বললেন, না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৪

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ مِسْكِينٍ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا دَخَلَ مَكَّةَ سَرَّحَ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ وَأَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ وَخَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ عَلَى الْخَيْلِ وَقَالَ ‏”‏ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ اهْتِفْ بِالأَنْصَارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ اسْلُكُوا هَذَا الطَّرِيقَ فَلاَ يُشْرِفَنَّ لَكُمْ أَحَدٌ إِلاَّ أَنَمْتُمُوهُ ‏.‏ فَنَادَى مُنَادٍ لاَ قُرَيْشَ بَعْدَ الْيَوْمِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ دَخَلَ دَارًا فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ أَلْقَى السِّلاَحَ فَهُوَ آمِنٌ ‏”‏ ‏.‏ وَعَمَدَ صَنَادِيدُ قُرَيْشٍ فَدَخَلُوا الْكَعْبَةَ فَغَصَّ بِهِمْ وَطَافَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ ثُمَّ أَخَذَ بِجَنْبَتَىِ الْبَابِ فَخَرَجُوا فَبَايَعُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الإِسْلاَمِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ سَأَلَهُ رَجُلٌ قَالَ مَكَّةَ عَنْوَةً هِيَ قَالَ أَيْشٍ يَضُرُّكَ مَا كَانَتْ قَالَ فَصُلْحٌ قَالَ لاَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মাক্কাহয় প্রবেশ করলেন, তিনি যুবাইর ইবনুল ‘আওয়াম, আবূ ‘উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ ও খালিদ ইবনুল ওয়ালীদকে ঘোড়ায় চড়ে (পরিস্থিতি লক্ষ্য রাখতে) প্রেরণ করেন। তিনি বললেনঃ হে আবূ হুরায়রা! আনসারদের আমার নিকট ডেকে বলুন, এই এই পথ ধরে অগ্রসর হতে। যেই তোমাদের সামনে পড়বে তাকে হত্যা করবে। একজকন ঘোষক ঘোষণা করলেন, আজকের পরে কুরাইশরা অবশিষ্ট থাকবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যে ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ। যে অস্ত্র সমর্পণ করবে সেও নিরাপদ। কুরাইশ নেতারা (নিরাপত্তার জন্য) কা’বা ঘরে ঢুকলো। এতে কা’বা ঘর ভরে গেলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বা ঘর তাওয়াফ করলেন এবং মাকামে ইবরাহীমে সালাত আদায় করে দরজার চৌকাঠ ধরে দাঁড়ালেন। তারা বের হয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে ইসলামের উপর বাই‘আত গ্রহণ করলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৬

তায়িফ (বিজয়) সম্পর্কিত তথ্য

৩০২৫

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْكَرِيمِ – حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ عَقِيلِ بْنِ مُنَبِّهٍ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبٍ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا عَنْ شَأْنِ، ثَقِيفٍ إِذْ بَايَعَتْ قَالَ اشْتَرَطَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ صَدَقَةَ عَلَيْهَا وَلاَ جِهَادَ وَأَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ يَقُولُ ‏ “‏ سَيَتَصَدَّقُونَ وَيُجَاهِدُونَ إِذَا أَسْلَمُوا ‏”‏ ‏.‏

ওয়াহ্‌ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করি, বনূ সাক্বীফ যখন বাই‘আত গ্রহণ করলো, তখন তারা কি কি শর্ত আরোপ করেছিলো? তিনি বললেন, তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ শর্তের উপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে বাই’আত নিলো যে, তারা যাকাত দিবে না এবং জিহাদে যোগদান করবে না। এরপর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন: তারা যখন ইসলাম গ্রহণ করবে তখন যাকাত দিবে, জিহাদেও যোগদান করবে।

 

সহীহ : সহীহাহ (১৮৮৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ سُوَيْدٍ، – يَعْنِي ابْنَ مَنْجُوفٍ – حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، أَنَّ وَفْدَ، ثَقِيفٍ لَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْزَلَهُمُ الْمَسْجِدَ لِيَكُونَ أَرَقَّ لِقُلُوبِهِمْ فَاشْتَرَطُوا عَلَيْهِ أَنْ لاَ يُحْشَرُوا وَلاَ يُعْشَرُوا وَلاَ يُجَبُّوا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَكُمْ أَنْ لاَ تُحْشَرُوا وَلاَ تُعْشَرُوا وَلاَ خَيْرَ فِي دِينٍ لَيْسَ فِيهِ رُكُوعٌ ‏”‏ ‏.‏

উসমান ইবনু আবুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট বনূ সাক্বীফের প্রতিনিধি দল এলে তিনি তাদেরকে মাসজিদে অবস্থান করালেন, যেন তাদের মন নরম হয়। তারা তাঁর প্রতি শর্ত আরোপ করলো যে, তাদেরকে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা যাবে না, তাদের কাছ থেকে ‘উশর আদায় করা যাবে না এবং তাদেরকে সালাত আদায়ে বাধ্য করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃএ মুহূর্তে তোমাদের জন্য যুদ্ধে যোগদান ও ‘উশর দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। তবে যে দ্বীনের মধ্যে রুকূ’ (সালাত) নেই তাতে কল্যাণ নাই।

 

দুর্বল : যইফাহ (৪৩১৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৭

ইয়ামানের ভূমি সম্পর্কিত হুকুম

৩০২৭

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ شَهْرٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لِي هَمْدَانُ هَلْ أَنْتَ آتٍ هَذَا الرَّجُلَ وَمُرْتَادٌ لَنَا فَإِنْ رَضِيتَ لَنَا شَيْئًا قَبِلْنَاهُ وَإِنْ كَرِهْتَ شَيْئًا كَرِهْنَاهُ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَجِئْتُ حَتَّى قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَضِيتُ أَمْرَهُ وَأَسْلَمَ قَوْمِي وَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْكِتَابَ إِلَى عُمَيْرٍ ذِي مَرَّانَ قَالَ وَبَعَثَ مَالِكَ بْنَ مِرَارَةَ الرَّهَاوِيَّ إِلَى الْيَمَنِ جَمِيعًا فَأَسْلَمَ عَكٌّ ذُو خَيْوَانَ ‏.‏ قَالَ فَقِيلَ لِعَكٍّ انْطَلِقْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخُذْ مِنْهُ الأَمَانَ عَلَى قَرْيَتِكَ وَمَالِكَ فَقَدِمَ وَكَتَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ لِعَكٍّ ذِي خَيْوَانَ إِنْ كَانَ صَادِقًا فِي أَرْضِهِ وَمَالِهِ وَرَقِيقِهِ فَلَهُ الأَمَانُ وَذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ وَكَتَبَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ ‏.‏

আমির ইবনু শাহর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রওয়ানা হলেন। তখন হামদান গোত্রের লোকেরা আমাকে বললো, তুমি এ ব্যক্তির (রাসূলের) কাছে আমাদের প্রতিনিধি হয়ে যাবে কি? তুমি তাঁর সাথে যেসব বিষয়ে সমঝোতায় আসবে আমরা তাতে রাজি হবো। আর তুমি যা অপছন্দ করবে আমরাও তা অপছন্দ করবো। আমি বললাম, হ্যাঁ যাবো। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁর ফায়সালা মেনে নেই এবং আমার গোত্রের লোকেরা ইসলাম কবুল করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমাইর যি-মাররানের (রাঃ) নিকট একটি পত্র লিখালেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি মালিক ইবনু মুরারাহ আর-রাহাবীকে সমগ্র ইয়ামানবাসীর কাছে (দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্যে) পাঠালেন। অতঃপর আককু যু-খাইওয়ান ইসলাম কবুল করে। বর্ণনাকারী বলেন, আক্‌কু-কে বলা হলো, তুমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট গিয়ে তাঁর কাছ থেকে তোমার গ্রাম ও সম্পদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করো। সুতরাং সে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলে তিনি তাঁর জন্য নিরাপত্তা লিখালেন। পত্রটি এরূপ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পক্ষ হতে ‘আককু যি-খাইওয়ানের প্রতি। যদি সে (মুসলিম হওয়ার ব্যাপারে) সত্যবাদী হলে তার গ্রাম, সম্পদ ও তার দাস-দাসীর যিম্মাদারীর দায়িত্ব আল্লাহ ও মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর। খালিদ ইবনু সাঈদ ইবনুল ‘আস (রাঃ) এ চিঠির ফরমান লিখেছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، سَعِيدٍ – يَعْنِي ابْنَ أَبْيَضَ – عَنْ جَدِّهِ، أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ أَنَّهُ كَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّدَقَةِ حِينَ وَفَدَ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ يَا أَخَا سَبَإٍ لاَ بُدَّ مِنْ صَدَقَةٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا زَرْعُنَا الْقُطْنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَدْ تَبَدَّدَتْ سَبَأٌ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلاَّ قَلِيلٌ بِمَأْرِبٍ ‏.‏ فَصَالَحَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى سَبْعِينَ حُلَّةِ بَزٍّ مِنْ قِيمَةِ وَفَاءِ بَزِّ الْمَعَافِرِ كُلَّ سَنَةٍ عَمَّنْ بَقِيَ مِنْ سَبَإٍ بِمَأْرِبَ فَلَمْ يَزَالُوا يُؤَدُّونَهَا حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّ الْعُمَّالَ انْتَقَضُوا عَلَيْهِمْ بَعْدَ قَبْضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا صَالَحَ أَبْيَضُ بْنُ حَمَّالٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْحُلَلِ السَّبْعِينَ فَرَدَّ ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى مَا وَضَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى مَاتَ أَبُو بَكْرٍ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه انْتَقَضَ ذَلِكَ وَصَارَتْ عَلَى الصَّدَقَةِ ‏.‏

আবইয়াদ ইবনু হাম্মাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট এসে তাঁর সঙ্গে যাকাত সম্পর্কে আলাপ করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে সাবার অধিবাসীগণ! যাকাত অবশ্যই দিতে হবে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তুলা আমাদের কৃষি উৎপাদন। আর ‘সাবার’ অধিবাসীরা তো উজাড় হয়ে গেছে। তাদের কেউ অবশিষ্ট নেই, শুধু মা’রিব শহরে মুষ্টিমেয় লোক রয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্তর জোড়া মু’আফিরী কাপড়ের মূল্যের বিনিময়ে তাদের সাথে সন্ধি করলেন। যা বাজ্জিল মা’আফিরের লোকেরা প্রতি বছর নিয়মিত আদায় করবে। সাবায় অবশিষ্ট এ লোকেরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যু পর্যন্ত এ কর প্রদান করে আসছিল। রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তেকালের পর কর্মচারীরা তাঁর সাথে আবইয়াদ ইবনু হাম্মালের সত্তর জোড়া কাপড় প্রদানের চুক্তি ভঙ্গ করে। আবূ বাকর (রাঃ) এটা জানতে পেরে পূর্বের চুক্তিই পুনর্বহাল রাখার হুকুম দেন। বাকরের (রাঃ) মৃত্যুর পর শেষ পর্যন্ত সন্ধিচুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং তারা অপরাপর মুসলিমের মত সদাক্বাহ আদায় চালু রাখে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৮

আরব উপদ্বীপ থেকে ইয়াহুদীদের উচ্ছেদের বর্ণনা

৩০২৯

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْصَى بِثَلاَثَةٍ فَقَالَ ‏ “‏ أَخْرِجُوا الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَأَجِيزُوا الْوَفْدَ بِنَحْوٍ مِمَّا كُنْتُ أُجِيزُهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَسَكَتَ عَنِ الثَّالِثَةِ أَوْ قَالَ فَأُنْسِيتُهَا ‏.‏ وَقَالَ الْحُمَيْدِيُّ عَنْ سُفْيَانَ قَالَ سُلَيْمَانُ لاَ أَدْرِي أَذَكَرَ سَعِيدٌ الثَّالِثَةَ فَنَسِيتُهَا أَوْ سَكَتَ عَنْهَا

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনটি বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ আরব উপদ্বীপ থেকে মুশরিকদের বিতাড়িত করবে। আমি যেভাবে রাষ্ট্রদূতদেরর সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করেছি তোমরাও অনুরূপ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তৃতীয় বিষয়টি সম্পর্কে নীরব থাকেন। অথবা তিনি বলেছেন, আমি তা ভুলে গেছি।

 

সহীহঃ সহীহাহ (১১৩৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩০

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لأُخْرِجَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ فَلاَ أَتْرُكُ فِيهَا إِلاَّ مُسْلِمًا ‏”‏ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ আমি অবশ্যই আরব উপদ্বীপ থেকে ইয়াহুদী-খৃস্টানদের বিতাড়িত করবো। এখানে মুসলিমদের ছাড়া আর কাউকে আমি থাকতে দিবো না।

 

সহীহঃ সহীহাহ (১৩৩৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ وَالأَوَّلُ أَتَمُّ ‏.‏

‘উমার (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন … উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে পূর্বের হাদীসটি পূর্ণাঙ্গ।

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৩০৩২

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَابُوسَ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَكُونُ قِبْلَتَانِ فِي بَلَدٍ وَاحِدٍ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একই রাষ্ট্রে দু’টি ক্বিবলাহ থাকতে পারে না।

 

দুর্বলঃ তিরমীযি (৩৩৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْوَاحِدِ – قَالَ قَالَ سَعِيدٌ – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ – جَزِيرَةُ الْعَرَبِ مَا بَيْنَ الْوَادِي إِلَى أَقْصَى الْيَمَنِ إِلَى تُخُومِ الْعِرَاقِ إِلَى الْبَحْرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ أَخْبَرَكَ أَشْهَبُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ قَالَ مَالِكٌ عُمَرُ أَجْلَى أَهْلَ نَجْرَانَ وَلَمْ يُجْلَوْا مِنْ تَيْمَاءَ لأَنَّهَا لَيْسَتْ مِنْ بِلاَدِ الْعَرَبِ فَأَمَّا الْوَادِي فَإِنِّي أَرَى إِنَّمَا لَمْ يُجْلَ مَنْ فِيهَا مِنَ الْيَهُودِ أَنَّهُمْ لَمْ يَرَوْهَا مِنْ أَرْضِ الْعَرَبِ ‏.‏

উমার ইবনু ‘আবদুল ওয়াহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাইদ ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) বলেছেন, আরব উপদ্বীপের সীমা হচ্ছেঃ একদিকে ওয়াদিল কুরা হতে ইয়ামানের সীমান্ত পর্যন্ত এবং অপরদিকে ইরাকের সীমান্ত হতে আরব সাগরের তীর পর্যন্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৩০৩৪

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ مَالِكٌ قَدْ أَجْلَى عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ يَهُودَ نَجْرَانَ وَفَدَكَ ‏.

আবূ দাউদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা হারিস ইবনু মিসকীনের সম্মুখে হাদিস পাঠ করা হয়। তখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আশহাব ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয বলেন, মালিক বলেছেন, ‘উমার (রাঃ) নাজরানবাসীদের বহিষ্কার করেছেন কিন্তু তাইমার অধিবাসীদের বহিষ্কার করেননি। কারণ এটি আরব উপদ্বীপের অংশ নয়। আমার জানা মতে, ওয়াদিল কুরার ইয়াহুদীদের নির্বাসন দেয়া হয়নি। কারণ তাদের এ এলাকাটিকে আরব উপদ্বীপের অংশ মনে করা হয়নি।

 

সহীহ মাক্বতু’।

 

মালিক (রহঃ) বলেন, ‘উমার (রাঃ) নাজরান ও ফাদাক এলাকার ইয়াহুদীদের বিতাড়িত করেছিলেন।

 

দুর্বল মাওকুফ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৯

সন্ধির মাধ্যমে এবং জবর দখলকৃত জমি সৈনিকদের মাঝে বণ্টন স্থগিত রাখা

৩০৩৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنَعَتِ الْعِرَاقُ قَفِيزَهَا وَدِرْهَمَهَا وَمَنَعَتِ الشَّامُ مُدْيَهَا وَدِينَارَهَا وَمَنَعَتْ مِصْرُ إِرْدَبَّهَا وَدِينَارَهَا ثُمَّ عُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَهَا زُهَيْرٌ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ شَهِدَ عَلَى ذَلِكَ لَحْمُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَدَمُهُ ‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (অচিরেই) ইরাকবাসীরা নিজেদের পরিমাপ পদ্ধতি ও দিরহাম ব্যবহার করা হতে বিরত হবে। সিরিয়ার অধিবাসীরাও তাদের পরিমাপ পদ্ধতি ও দীনার ব্যবহার করা হতে বিরত হবে। মিসরবাসীরাও তাদের পরিমাপ পদ্ধতি ও দীনার ব্যবহার করা হতে বিরত হবে। অতঃপর তোমরা যেখানে থেকে শুরু করেছো সেখানেই প্রত্যাবর্তন করবে। অধস্তন বর্ণনাকারী যুহাইর এ কথা তিনবার উচ্চারণ করেন যে, এ হাদীসের উপর আবু হুরায়রার রক্ত-মাংস সাক্ষী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا بِهِ أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَيُّمَا قَرْيَةٍ أَتَيْتُمُوهَا وَأَقَمْتُمْ فِيهَا فَسَهْمُكُمْ فِيهَا وَأَيُّمَا قَرْيَةٍ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ خُمُسَهَا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ ثُمَّ هِيَ لَكُمْ ‏”‏ ‏.

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কোন জনবসতিতে উপস্থিত হয়ে সেখানে অবস্থান করলে তার অংশ তোমরা পাবে। কোন জনপদের লোকেরা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করলে (তা তোমাদের দখলে এলে) সেখান থেকে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের জন্য এক-পঞ্চমাংশ পৃথক করার পর অবশিষ্ট সম্পদ তোমাদের থাকবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩০

জিয্‌য়া আদায় সম্পর্কে

৩০৩৭

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى أُكَيْدِرِ دُومَةَ فَأُخِذَ فَأَتَوْهُ بِهِ فَحَقَنَ لَهُ دَمَهُ وَصَالَحَهُ عَلَى الْجِزْيَةِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক ও ‘উসমান ইবনু আবূ সুলাইমান (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খালিদ ইবনুল ওয়ালীদকে দূমাতুল জান্দালের শাসক উকাইদির ইবনু ‘আবদুল মালিকের বিরুদ্ধে অভিযানে পাঠালেন। সাহাবীরা তাকে গ্রেফতার করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে আসেন। তিনি তাঁর মৃত্যুদন্ড মওকুফ করলেন এবং জিয্য়া দেয়ার শর্তে তার সাথে সন্ধিতে আবদ্ধ হলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا وَجَّهَهُ إِلَى الْيَمَنِ أَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنْ كُلِّ حَالِمٍ – يَعْنِي مُحْتَلِمًا – دِينَارًا أَوْ عِدْلَهُ مِنَ الْمَعَافِرِيِّ ثِيَابٌ تَكُونُ بِالْيَمَنِ ‏.

মু’আয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইয়ামানে প্রেরণের সময় নির্দেশ দেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি থেকে এক দীনার করে জিয্‌য়া নিবে কিংবা সমমূল্যের ইয়ামানে উৎপাদিত মু’আফিরী কাপড় গ্রহণ করবে।

 

সহীহ। এটি যাকাত অধ্যায়ের প্রথম দিকে গত হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৯

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ مُعَاذٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.‏

মু’আয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মু’আয (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছ থেকে এ সানাদেও উপরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

 

আমি এটি সহীহ এবং যইফেও পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৩০৪০

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هَانِئٍ أَبُو نُعَيْمٍ النَّخَعِيُّ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ حُدَيْرٍ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ لَئِنْ بَقِيتُ لِنَصَارَى بَنِي تَغْلِبَ لأَقْتُلَنَّ الْمُقَاتِلَةَ وَلأَسْبِيَنَّ الذُّرِّيَّةَ فَإِنِّي كَتَبْتُ الْكِتَابَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَنْ لاَ يُنَصِّرُوا أَبْنَاءَهُمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ بَلَغَنِي عَنْ أَحْمَدَ أَنَّهُ كَانَ يُنْكِرُ هَذَا الْحَدِيثَ إِنْكَارًا شَدِيدًا وَهُوَ عِنْدَ بَعْضِ النَّاسِ شِبْهُ الْمَتْرُوكِ وَأَنْكَرُوا هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هَانِئٍ قَالَ أَبُو عَلِيٍّ وَلَمْ يَقْرَأْهُ أَبُو دَاوُدَ فِي الْعَرْضَةِ الثَّانِيَةِ ‏.‏

যিয়াদ ইবনু হুদাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি বেঁচে থাকলে খৃস্টান বনূ তাগলিবের যুদ্ধবাজ লোকদের অবশ্যই হত্যা করবো এবং তাদের সন্তানদের বন্দী করবো। কারণ আমি তাদের ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মধ্যে এ মর্মে চুক্তিপত্র লিখেছিলাম যেঃ “তারা তাদের সন্তানদের খৃস্টান বানাবে না।”

আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুনকার (প্রত্যাখ্যাত)। আমি জানতে পেরেছি, ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) হাদীসটি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যাত করেছেন। কারো মতে এটা মাতরূক হাদীসের পর্যায়ে। অধস্তন বর্ণনাকারী ‘আবদুর রহমান ইবনু হানীর কারণে লোকেরা একে মুনকার হাদীস মনে করতেন। আবূ ‘আলী বলেন, আবূ দাউদ (রহঃ) যখন সংকলন দ্বিতীয়বার শুনান, তখন তিনি এতে উল্লেখিত হাদীসটি পাঠ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪১

حَدَّثَنَا مُصَرِّفُ بْنُ عَمْرٍو الْيَامِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، – يَعْنِي ابْنَ بُكَيْرٍ – حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ صَالَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْلَ نَجْرَانَ عَلَى أَلْفَىْ حُلَّةٍ النِّصْفُ فِي صَفَرٍ وَالْبَقِيَّةُ فِي رَجَبٍ يُؤَدُّونَهَا إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَعَارِيَةِ ثَلاَثِينَ دِرْعًا وَثَلاَثِينَ فَرَسًا وَثَلاَثِينَ بَعِيرًا وَثَلاَثِينَ مِنْ كُلِّ صِنْفٍ مِنْ أَصْنَافِ السِّلاَحِ يَغْزُونَ بِهَا وَالْمُسْلِمُونَ ضَامِنُونَ لَهَا حَتَّى يَرُدُّوهَا عَلَيْهِمْ إِنْ كَانَ بِالْيَمَنِ كَيْدٌ أَوْ غَدْرَةٌ عَلَى أَنْ لاَ تُهْدَمَ لَهُمْ بَيْعَةٌ وَلاَ يُخْرَجُ لَهُمْ قَسٌّ وَلاَ يُفْتَنُوا عَنْ دِينِهِمْ مَا لَمْ يُحْدِثُوا حَدَثًا أَوْ يَأْكُلُوا الرِّبَا ‏.‏ قَالَ إِسْمَاعِيلُ فَقَدْ أَكَلُوا الرِّبَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِذَا نَقَضُوا بَعْضَ مَا اشْتَرَطَ عَلَيْهِمْ فَقَدْ أَحْدَثُوا ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজরানের খৃস্টানদের সাথে বছরে দুই হাজার জোড়া কাপড় দেয়ার শর্তে সন্ধি করেন। তারা অর্ধেক কাপড় সফর মাসে এবং অবশিষ্ট অর্ধেক রজব মাসে মুসলিমদের নিকট পরিশোধ করবে এবং তারা তিরিশটি লৌহবর্ম, তিরিশটি ঘোড়া, তিরিশটি উট এবং প্রত্যেক প্রকারের তিরিশটি করে যুদ্ধাস্ত্র তাদেরকে জিহাদের জন্য ধার হিসেবে প্রদান করবে। কেউ যদি ইয়ামানে বিশ্বাসঘাতকা করে কিংবা বিদ্রোহ করে তাহলে তা দমনের জন্য এ অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধের পর মুসলিমরা এগুলো তাদেরকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। এ ধার দেয়ার বিনিময়ে তাদের গীর্জাসমূহ ধ্বংস করা হবে না, তাদের পুরোহিতদের বিতাড়িত করা হবে না এবং তাদের ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করা হবে না। চুক্তির এ শর্তগুলো ততক্ষণই বলবৎ থাকবে যতক্ষণ তারা বিরূপ পরিস্থিত সৃষ্টি না করবে এবং সুদের ব্যবসায় না জড়াবে। বর্ণনাকারী ইসমাঈল বলেন, নাজরানবাসীরা সুদের ব্যবসায় জড়িয়ে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩১

আগুন-পূজারীদের কাছ থেকে জিয্‌য়া আদায়

৩০৪২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ أَهْلَ فَارِسَ لَمَّا مَاتَ نَبِيُّهُمْ كَتَبَ لَهُمْ إِبْلِيسُ الْمَجُوسِيَّةَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন পারস্যের অধিবাসীদের নবী মারা যান তখন ইবলিস তাদেরকে অগ্নিপূজায় লিপ্ত করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান মাওকুফ

  •  সরাসরি

৩০৪৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ بَجَالَةَ، يُحَدِّثُ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ وَأَبَا الشَّعْثَاءِ قَالَ كُنْتُ كَاتِبًا لِجَزْءِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَمِّ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ إِذْ جَاءَنَا كِتَابُ عُمَرَ قَبْلَ مَوْتِهِ بِسَنَةٍ اقْتُلُوا كُلَّ سَاحِرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَ كُلِّ ذِي مَحْرَمٍ مِنَ الْمَجُوسِ وَانْهَوْهُمْ عَنِ الزَّمْزَمَةِ فَقَتَلْنَا فِي يَوْمٍ ثَلاَثَةَ سَوَاحِرَ وَفَرَّقْنَا بَيْنَ كُلِّ رَجُلٍ مِنَ الْمَجُوسِ وَحَرِيمِهِ فِي كِتَابِ اللَّهِ وَصَنَعَ طَعَامًا كَثِيرًا فَدَعَاهُمْ فَعَرَضَ السَّيْفَ عَلَى فَخِذِهِ فَأَكَلُوا وَلَمْ يُزَمْزِمُوا وَأَلْقَوْا وِقْرَ بَغْلٍ أَوْ بَغْلَيْنِ مِنَ الْوَرِقِ وَلَمْ يَكُنْ عُمَرُ أَخَذَ الْجِزْيَةَ مِنَ الْمَجُوسِ حَتَّى شَهِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا مِنْ مَجُوسِ هَجَرَ ‏.‏

বাজালা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ছিলাম আহনাফ ইবনু ক্বায়িসের চাচা জাযই ইবনু মু’আবিয়াহর সচিব। ‘উমারের (রাঃ) মৃত্যুর এক বছর পূর্বে তার লেখা একটি পত্র আমাদের কাছে আসে। পত্রের বিষয়বস্তু এরূপঃ ‘‘প্রত্যেক যাদুকরকে হত্যা করবে, প্রত্যেক মুহরিম অগ্নিপূজারী স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ ছিন্ন করবে এবং তাদেরকে যামযামা থেকে বিরত রাখবে।’’ অতঃপর আমরা একদিনে তিনজন জাদুকর হত্যা করি এবং আল্লাহর কিতাবে বিধিবদ্ধ প্রতিটি অগ্নিপূজারী পুরুষ ও তার মুহরিম স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করি।

বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (জাযই) অনেক খাবার তৈরি করে অগ্নিপূজারীদের ডাকলেন। তিনি তার রানের উপর তরবারি রাখলেন। তারা খাবার খেলো কিন্তু গুনগুন শব্দ করল না। তারা একটি কিংবা দুটি খচ্চর বোঝাই রূপা দিলো। কিন্তু ‘উমার (রাঃ) কখনো অগ্নিপূজারীদের কাছ থেকে জিয্‌য়া নেননি। অতঃপর ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) যখন সাক্ষী দেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘হাজার’ এলাকার অগ্নিপূজারীদের কাছ থেকে জিয্‌য়া গ্রহণ করেছেন তখন তিনি তা গ্রহণ করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ قُشَيْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ بَجَالَةَ بْنِ عَبْدَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَسْبَذِيِّينَ مِنْ أَهْلِ الْبَحْرَيْنِ – وَهُمْ مَجُوسُ أَهْلِ هَجَرَ – إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَكَثَ عِنْدَهُ ثُمَّ خَرَجَ فَسَأَلْتُهُ مَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ فِيكُمْ قَالَ شَرٌّ ‏.‏ قُلْتُ مَهْ قَالَ الإِسْلاَمُ أَوِ الْقَتْلُ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ قَبِلَ مِنْهُمُ الْجِزْيَةَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأَخَذَ النَّاسُ بِقَوْلِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَتَرَكُوا مَا سَمِعْتُ أَنَا مِنَ الأَسْبَذِيِّ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে যখন বাহরাইনের অধিবাসীদের পক্ষ হতে রাজবংশের একটি লোক আসলো। যারা ছিলো হাজার এলাকার অগ্নিপূজারী সম্প্রদায়। সে কিছুক্ষণ তাঁর নিকট অবস্থান করে বেড়িয়ে গেলো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল তোমাদের জন্য কি ফায়সালা দিলেন? তখন সে বললো, মন্দ ফায়সালা দিয়েছেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের কাছ থেকে জিয্‌য়া গ্রহণ করেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, লোকেরা ‘আবদুর রহমানের (রাঃ) বক্তব্যকে গ্রহণ করলো এবং আসবাযীর কাছে আমি যা শুনেছিলাম তা বর্জন করলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩২

জিয্‌য়া আদায়ে কঠোরতা অবলম্বন সম্পর্কে

৩০৪৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ هِشَامَ بْنَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، وَجَدَ رَجُلاً وَهُوَ عَلَى حِمْصَ يُشَمِّسُ نَاسًا مِنَ النَّبَطِ فِي أَدَاءِ الْجِزْيَةِ فَقَالَ مَا هَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يُعَذِّبُ الَّذِينَ يُعَذِّبُونَ النَّاسَ فِي الدُّنْيَا ‏”‏ ‏.‏

উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা হিশাম ইবনু হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) দেখেন, হিমসের শাসক কতিপয় কিবতীর কাছ থেকে জিয্‌য়া আদায় করতে তাদেরকে রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। তিনি বললেন, এ কী ব্যাপার? আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যারা দুনিয়াতে মানুষকে অহেতুক শাস্তি দিবে, ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ্‌ তাদেরকে শাস্তি দিবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৩

যিম্মীদের ব্যবসায়ের লাভ থেকে এক-দশমাংশ (‘উশর) আদায় সম্পর্কে

৩০৪৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ حَرْبِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي أُمِّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَلَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ عُشُورٌ ‏”‏ ‏.‏

হারব ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার নানার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (নানা) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উশর ধার্য হবে ইয়াহুদী ও নাসারাদের (ব্যবসায়িক পণ্যের) উপর। মুসলিমের উপর হবে না।

 

দুর্বলঃ মিশকাত (৪০৩৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ حَرْبِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ ‏”‏ خَرَاجٌ ‏”‏ ‏.‏ مَكَانَ ‏”‏ الْعُشُورُ ‏”‏ ‏.‏

হারব ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারব ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) তার সানাদ পরম্পরায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তাতে উশরের স্থলে খারাজ শব্দ উল্লেখ আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল মুরসাল

  •  সরাসরি

৩০৪৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ عَنْ خَالِهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُعَشِّرُ قَوْمِي قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى ‏”‏ ‏.‏

আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বাক্‌র ইবনু ওয়াইল গোত্রের জনৈক ব্যক্তি হতে শুনেছেন যিনি তার মামা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি বলি, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি কি আমার গোত্রের লোকদের নিকট থেকে উশর আদায় করবো? তিনি বললেনঃ উশর ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের উপর ধার্য করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ حَرْبِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَيْرٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ جَدِّهِ، – رَجُلٍ مِنْ بَنِي تَغْلِبَ – قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْلَمْتُ وَعَلَّمَنِي الإِسْلاَمَ وَعَلَّمَنِي كَيْفَ آخُذُ الصَّدَقَةَ مِنْ قَوْمِي مِمَّنْ أَسْلَمَ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كُلُّ مَا عَلَّمْتَنِي قَدْ حَفِظْتُهُ إِلاَّ الصَّدَقَةَ أَفَأُعَشِّرُهُمْ قَالَ ‏ “‏ لاَ إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى النَّصَارَى وَالْيَهُودِ ‏”‏ ‏.‏

বনূ সাক্বীফের হারব ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘উমাইর (রহঃ) হতে তার নানার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (নানা) বনূ তাগলিবের লোক ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে ইসলাম কবুল করি এবং তিনি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দিলেন। আমার গোত্রের যারা ইসলাম গ্রহণ করবে তাদের কাছ থেকে কিভাবে যাকাত আদায় করবো তাও তিনি আমাকে শিখালেন। আমি তাঁর কাছে পুনরায় এসে বলি, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনি আমাকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন তার সবই মনে রেখেছি। তবে আমি সদাক্বাহর বিধান মনে রাখতে পারিনি। আমি কি তাদের কাছ থেকে উশর নিবো? তিনি বললেনঃ না, উশর ধার্য হবে ইয়াহুদী-খৃস্টানদের উপর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ شُعْبَةَ، حَدَّثَنَا أَرْطَاةُ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالَ سَمِعْتُ حَكِيمَ بْنَ عُمَيْرٍ أَبَا الأَحْوَصِ، يُحَدِّثُ عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ السُّلَمِيِّ، قَالَ نَزَلْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ وَمَعَهُ مَنْ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ وَكَانَ صَاحِبُ خَيْبَرَ رَجُلاً مَارِدًا مُنْكَرًا فَأَقْبَلَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَلَكُمْ أَنْ تَذْبَحُوا حُمُرَنَا وَتَأْكُلُوا ثَمَرَنَا وَتَضْرِبُوا نِسَاءَنَا فَغَضِبَ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏”‏ يَا ابْنَ عَوْفٍ ارْكَبْ فَرَسَكَ ثُمَّ نَادِ أَلاَ إِنَّ الْجَنَّةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لِمُؤْمِنٍ وَأَنِ اجْتَمِعُوا لِلصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَاجْتَمَعُوا ثُمَّ صَلَّى بِهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَامَ فَقَالَ ‏”‏ أَيَحْسَبُ أَحَدُكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ قَدْ يَظُنُّ أَنَّ اللَّهَ لَمْ يُحَرِّمْ شَيْئًا إِلاَّ مَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ أَلاَ وَإِنِّي وَاللَّهِ قَدْ وَعَظْتُ وَأَمَرْتُ وَنَهَيْتُ عَنْ أَشْيَاءَ إِنَّهَا لَمِثْلُ الْقُرْآنِ أَوْ أَكْثَرُ وَأَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يُحِلَّ لَكُمْ أَنْ تَدْخُلُوا بُيُوتَ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلاَّ بِإِذْنٍ وَلاَ ضَرْبَ نِسَائِهِمْ وَلاَ أَكْلَ ثِمَارِهِمْ إِذَا أَعْطَوْكُمُ الَّذِي عَلَيْهِمْ ‏”‏ ‏.

বনূ সুলাইমের ইবনু সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে খায়বারে অবতরণ করলাম। তখন তাঁর সাথে সাহাবীও ছিলেন। খায়বার অঞ্চলের নেতা ছিলো দুষ্টস্বভাবের বিদ্রোহী ব্যক্তি। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে এসে বললো, হে মুহাম্মাদ! আমাদের গাধাগুলোকে যাবাহ করা, আমাদের ফল খাওয়া এবং আমাদের নারীদের নির্যাতন করা কি তোমাদের জন্য বৈধ? একথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত হলেন। তিনি ইবনু ‘আওফকে বললেনঃ তুমি ঘোড়ায় চড়ে ঘোষণা করো : “মুমিন ব্যক্তি ছাড়া কারো জন্য জান্নাত হালাল নয়; তোমরা সলাতের জন্য একত্র হও।” বর্ণনাকারী বলেন, সাহাবীগণ একত্র হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করলেন; তারপর দাঁড়িয়ে বললেনঃ তোমাদের কেউ কি তার আসনে হেলান দিয়ে বসে এরূপ মত ব্যক্ত করবে যে, আল্লাহ্‌র এই কুরআনে যা আছে তা ব্যতীত আর কিছুই হারাম করেননি। সাবধান! আল্লাহ্‌র শপথ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কোন কোন বিষয়ে উপদেশ দিয়েছি। আমি তোমাদেরকে যা করার নির্দেশ দিয়েছি এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছি তা কুরআনেরই অনুরূপ বা তার অতিরিক্ত। আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য আহলে কিতাবদের ঘরে তাদের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা, তাদের নারীদের নির্যাতন করা এবং তাদের উপর ধার্যকৃত জিয্‌য়া তোমাদের প্রদান করলে তাদের ফল খাওয়া হালাল করেননি।

 

দূর্বল : মিশকাত (১৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ ثَقِيفٍ عَنْ رَجُلٍ، مِنْ جُهَيْنَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَعَلَّكُمْ تُقَاتِلُونَ قَوْمًا فَتَظْهَرُونَ عَلَيْهِمْ فَيَتَّقُونَكُمْ بِأَمْوَالِهِمْ دُونَ أَنْفُسِهِمْ وَأَبْنَائِهِمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سَعِيدٌ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ فَيُصَالِحُونَكُمْ عَلَى صُلْحٍ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ اتَّفَقَا ‏”‏ فَلاَ تُصِيبُوا مِنْهُمْ شَيْئًا فَوْقَ ذَلِكَ فَإِنَّهُ لاَ يَصْلُحُ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

জুহাইনাহ গোত্রের এক ব্যক্তির থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সম্ভবত তোমরা এমন এক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের উপর বিজয়ী হবে যারা নিজেদের জীবন ও সন্তান রক্ষার্থে তোমাদেরকে তাদের সম্পদ দিয়ে দিবে। সাঈদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তারা তোমাদের সাথে সন্ধি করবে। তোমরা তাদের কাছ থেকে ধার্যকৃত মালের অধিক গ্রহণ করবে না। কারণ তোমাদের জন্য এরূপ সমীচীন নয়।

 

দূর্বল : যঈফাহ্ (২৯৪৭), যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৪৬৮০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫২

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أَبُو صَخْرٍ الْمَدِينِيُّ، أَنَّ صَفْوَانَ بْنَ سُلَيْمٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ عِدَّةٍ، مِنْ أَبْنَاءِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ آبَائِهِمْ دِنْيَةً عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَلاَ مَنْ ظَلَمَ مُعَاهِدًا أَوِ انْتَقَصَهُ أَوْ كَلَّفَهُ فَوْقَ طَاقَتِهِ أَوْ أَخَذَ مِنْهُ شَيْئًا بِغَيْرِ طِيبِ نَفْسٍ فَأَنَا حَجِيجُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীদের কিছু সন্তান তাদের পিতা সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

যারা ছিলেন পরস্পর ঘনিষ্ঠ। তিনি বলেনঃ সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তির উপর যুলুম করবে বা তার প্রাপ্য কম দিবে কিংবা তাকে তার সামর্থ্যের বাইরে কিছু করতে বাধ্য করবে অথবা তার সন্তুষ্টিমূলক সম্মতি ছাড়া তার কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করবে, ক্বিয়ামাতের দিন আমি তার বিপক্ষে বাদী হব।

 

সহীহ : গায়াতুল মারাম (৪৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ–৩৪

যদি বছরের কোন সময়ে যিম্মী ইসলাম গ্রহন করে তাহলে সে কি জিয্‌য়া দিবে?

৩০৫৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ قَابُوسَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِ جِزْيَةٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিমের উপর জিয্‌য়া ধার্য হবে না।

 

দূর্বল : ইরওয়া (১২৫৭), যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৪৮৯৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ سُئِلَ سُفْيَانُ عَنْ تَفْسِيرِ، هَذَا فَقَالَ إِذَا أَسْلَمَ فَلاَ جِزْيَةَ عَلَيْهِ ‏.‏

সুফিয়ান সাওরী (রহঃ)- থেকে বর্ণিতঃ

সুফিয়ান সাওরী (রহঃ)-কে উপরোক্ত কথার ব্যাখ্যা জিঞ্জেস করা হলে তিনি বলেন, সে ইসলাম কবুল করলে তার উপর জিয্য়া ধার্য হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৫

শাসক কর্তৃক মুশরিকদের উপঢৌকন গ্রহণ

৩০৫৫

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ – عَنْ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ الْهَوْزَنِيُّ، قَالَ لَقِيتُ بِلاَلاً مُؤَذِّنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَلَبَ فَقُلْتُ يَا بِلاَلُ حَدِّثْنِي كَيْفَ كَانَتْ نَفَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا كَانَ لَهُ شَىْءٌ كُنْتُ أَنَا الَّذِي أَلِي ذَلِكَ مِنْهُ مُنْذُ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ وَكَانَ إِذَا أَتَاهُ الإِنْسَانُ مُسْلِمًا فَرَآهُ عَارِيًا يَأْمُرُنِي فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَقْرِضُ فَأَشْتَرِي لَهُ الْبُرْدَةَ فَأَكْسُوهُ وَأُطْعِمُهُ حَتَّى اعْتَرَضَنِي رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ يَا بِلاَلُ إِنَّ عِنْدِي سَعَةً فَلاَ تَسْتَقْرِضْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ مِنِّي فَفَعَلْتُ فَلَمَّا أَنْ كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ تَوَضَّأْتُ ثُمَّ قُمْتُ لأُؤَذِّنَ بِالصَّلاَةِ فَإِذَا الْمُشْرِكُ قَدْ أَقْبَلَ فِي عِصَابَةٍ مِنَ التُّجَّارِ فَلَمَّا أَنْ رَآنِي قَالَ يَا حَبَشِيُّ ‏.‏ قُلْتُ يَا لَبَّاهُ ‏.‏ فَتَجَهَّمَنِي وَقَالَ لِي قَوْلاً غَلِيظًا وَقَالَ لِي أَتَدْرِي كَمْ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الشَّهْرِ قَالَ قُلْتُ قَرِيبٌ ‏.‏ قَالَ إِنَّمَا بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ أَرْبَعٌ فَآخُذُكَ بِالَّذِي عَلَيْكَ فَأَرُدُّكَ تَرْعَى الْغَنَمَ كَمَا كُنْتَ قَبْلَ ذَلِكَ فَأَخَذَ فِي نَفْسِي مَا يَأْخُذُ فِي أَنْفُسِ النَّاسِ حَتَّى إِذَا صَلَّيْتُ الْعَتَمَةَ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَأَذِنَ لِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي إِنَّ الْمُشْرِكَ الَّذِي كُنْتُ أَتَدَيَّنُ مِنْهُ قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا وَلَيْسَ عِنْدَكَ مَا تَقْضِي عَنِّي وَلاَ عِنْدِي وَهُوَ فَاضِحِي فَأْذَنْ لِي أَنْ آبِقَ إِلَى بَعْضِ هَؤُلاَءِ الأَحْيَاءِ الَّذِينَ قَدْ أَسْلَمُوا حَتَّى يَرْزُقَ اللَّهُ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم مَا يَقْضِي عَنِّي فَخَرَجْتُ حَتَّى إِذَا أَتَيْتُ مَنْزِلِي فَجَعَلْتُ سَيْفِي وَجِرَابِي وَنَعْلِي وَمِجَنِّي عِنْدَ رَأْسِي حَتَّى إِذَا انْشَقَّ عَمُودُ الصُّبْحِ الأَوَّلِ أَرَدْتُ أَنْ أَنْطَلِقَ فَإِذَا إِنْسَانٌ يَسْعَى يَدْعُو يَا بِلاَلُ أَجِبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَتَيْتُهُ فَإِذَا أَرْبَعُ رَكَائِبَ مُنَاخَاتٍ عَلَيْهِنَّ أَحْمَالُهُنَّ فَاسْتَأْذَنْتُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَبْشِرْ فَقَدْ جَاءَكَ اللَّهُ بِقَضَائِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَلَمْ تَرَ الرَّكَائِبَ الْمُنَاخَاتِ الأَرْبَعَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ بَلَى ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ لَكَ رِقَابَهُنَّ وَمَا عَلَيْهِنَّ فَإِنَّ عَلَيْهِنَّ كِسْوَةً وَطَعَامًا أَهْدَاهُنَّ إِلَىَّ عَظِيمُ فَدَكَ فَاقْبِضْهُنَّ وَاقْضِ دَيْنَكَ ‏”‏ ‏.‏ فَفَعَلْتُ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ فِي الْمَسْجِدِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏”‏ مَا فَعَلَ مَا قِبَلَكَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ قَدْ قَضَى اللَّهُ كُلَّ شَىْءٍ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَبْقَ شَىْءٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَضَلَ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ ‏”‏ انْظُرْ أَنْ تُرِيحَنِي مِنْهُ فَإِنِّي لَسْتُ بِدَاخِلٍ عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَهْلِي حَتَّى تُرِيحَنِي مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَتَمَةَ دَعَانِي فَقَالَ ‏”‏ مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ هُوَ مَعِي لَمْ يَأْتِنَا أَحَدٌ ‏.‏ فَبَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ وَقَصَّ الْحَدِيثَ حَتَّى إِذَا صَلَّى الْعَتَمَةَ – يَعْنِي مِنَ الْغَدِ – دَعَانِي قَالَ ‏”‏ مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ قَدْ أَرَاحَكَ اللَّهُ مِنْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَكَبَّرَ وَحَمِدَ اللَّهَ شَفَقًا مِنْ أَنْ يُدْرِكَهُ الْمَوْتُ وَعِنْدَهُ ذَلِكَ ثُمَّ اتَّبَعْتُهُ حَتَّى إِذَا جَاءَ أَزْوَاجَهُ فَسَلَّمَ عَلَى امْرَأَةٍ امْرَأَةٍ حَتَّى أَتَى مَبِيتَهُ فَهَذَا الَّذِي سَأَلْتَنِي عَنْهُ ‏.‏

আবদুল্লাহ আল-হাওযানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা হালব শহরে আমার সাথে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয়াযযিন বিলালের (রাঃ) সাক্ষাত হলো। আমি বললাম, হে বিলাল! রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিবারে ভরণ-পোষণের খরচ কিভাবে ব্যবস্থা হতো তা আমাকে বলুন। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ্ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (রাসূল করে) পাঠানোর পর থেকে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত আমি তাঁর পরিবারের যাবতীয় বিষয়ের দায়িত্বে ছিলাম। তাঁর কাছে কোন বস্ত্রহীন মুসলিম এলে তিনি আমাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতেন এবং আমি ধার করতে বের হতাম। আমি তার জন্য কাপড় কিনে এনে তাকে পরিয়ে দিতাম এবং আহার করাতাম। এমতাবস্থায় মুশরিক সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি এসে আমাকে বললো, হে বিলাল! আমার অনেক সম্পদ রয়েছে। তুমি অন্য কারো কাছে ধার না করে আমার কাছ থেকে ধার নাও। সুতরাং আমি তাই করলাম। এ অবস্থায় আমি একদিন উযু করে সলাতের আযান দিতে উঠি। এ সময় মুশরিক লোকটি একদল ব্যবসায়ীর সাথে এসে উপস্থিত হলো। সে আমাকে দেখামাত্র বললো, হে হাবশী। আমি বললাম, উপস্থিত আছি। সে আমাকে কটুক্তি করাতে আমার মনে খুব বাঁধলো। সে আমাকে আরো বললো, তুমি কি জানো, মাসের কত দিন বাকী আছে? আমি বললাম, প্রায় শেষ। সে বললো, তোমার ও তার (ঋণ পরিশোধের সময়ের) মধ্যে চার দিনের ব্যবধান। কাজেই আমি তোমাকে ঋণের পরিবর্তে ধরে নিয়ে যাবো এবং মেষপালের রাখাল বানিয়ে তোমাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিবো।

 

তার এরূপ কথা শুনে আমি মর্মাহত হলাম যেমন অন্যান্য লোকদের হয়ে থাকে। আমি যখন ইশার সলাত আদায় করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পরিজনের কাছে ফিরে আসলেন। আমি তাঁর সাথে দেখা করার অনুমতি চাইলে তিনি তা অনুমতি দিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি যে মুশরিক ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নিয়েছিলাম সে আমাকে এ কথা বলেছে। আমার এ ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য আপনারও নেই, আমারও নেই। সে আমাকে অপদস্থ করবে। কাজেই ইতিপূর্বে ইসলাম গ্রহন করেছে এরূপ কোন মুসলিম জনপদে পলায়ন করার অনুমতি আমাকে দিন। আমি ততোদিন আত্মগোপন থাকার অনুমতি চাই যতদিন না মহান আল্লাহ্‌ তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে এমন সম্পদের ব্যবস্থা করে দেন যা দিয়ে আমার ঋণ পরিশোধ হবে। একথা বলে আমি আমার ঘরে চলে এসে আমার তরবারি, মোজা, জুতা ও ঢাল গুছিয়ে আমার মাথার কাছে রাখি। ইচ্ছা ছিল, ভোরের আভা ফুটা মাত্রই বেরিয়ে পড়বো। হঠাৎ এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে আমাকে বললো, হে বিলাল! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাকে স্মরণ করেছেন। আমি রওয়ানা হয়ে তাঁর কাছে এসে উপস্থিত হয়ে দেখি, চারটি উট পিঠে বোঝাই সম্পদ নিয়ে বসে আছে। আমি অনুমতি চাইলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ সুসংবাদ গ্রহণ করো! মহান আল্লাহ্‌ তোমার ঋণ পরিশোধের জন্য এগুলো পাঠিয়েছেন। পুনরায় তিনি বললেনঃ তুমি কি দেখছো না চারটি মাল বোঝাই উট বসে আছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ এই উট এবং এদের পিঠে বোঝাই সমস্ত সম্পদ তোমার জন্য। এগুলোর পিঠ বোঝাই বস্ত্র ও খাদ্যদ্রব্য ফাদাকের শাসক আমার জন্য পাঠিয়েছে। এগুলো নিয়ে তোমার ঋণ পরিশোধ করো। আমি তাই করলাম।

 

অতঃপর বিলাল (রাঃ) বললেন, আমি মাসজিদে গিয়ে দেখি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে বসে আছেন। আমি তাঁকে সালাম দিলে তিনি বললেনঃ তুমি যে সম্পদ পেয়েছো তা কি করেছো, ঋণ পরিশোধ হয়েছে কি? আমি বললাম, মহান আল্লাহ্‌ রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমস্ত ঋণ পরিশোধের তৌফিক দিয়েছেন। এখন আর অবশিষ্ট নেই। তিনি বললেনঃ কিছু সম্পদ অবশিষ্ট আছে কি? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ অবশিষ্ট সম্পদ তাড়াতাড়ি খরচ করো। তুমি আমাকে এ অবশিষ্ট সম্পদ হতে রেহাই না দেয়া পর্যন্ত আমি আমার পরিবারের কারো নিকট যাবো না।

 

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইশার সলাত আদায়ের পর আমাকে ডেকে বললেনঃ তোমাকে দেয়া মালের অবস্থা কি? আমি বললাম, সেগুলো আমার কাছেই আছে। আমার কাছে কেউ আসেননি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে রাত কাটালেন। বর্ণনাকারী হাদীসের বাকী অংশ বর্ণনা করলেন। এমনকি পরবর্তী দিনের ‘ইশার সলাত আদায় করে তিনি আমাকে ডাকলেন। তিনি বললেনঃ তোমার কাছে অবশিষ্ট মালের অবস্থা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আল্লাহ্‌ আপনাকে তা থেকে চিন্তামুক্ত করেছেন। তিনি তাকবীর দিলেন এবং আল্লাহ্‌র প্রশংসা করলেন। তিনি আশঙ্কা করছিলেন, ঐ সম্পদ তাঁর কাছে থেকে যাওয়া অবস্থায় হয়তো তাঁর মৃত্যু হবে। অতঃপর আমি তাঁকে অনুসরণ করি, তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে এসে এক এক করে তাদের প্রত্যেককে সালাম দিলেন, এভাবে তিনি তাঁর শয়নকক্ষে ঢুকলেন। এ সেই ঘটনা যা তুমি (‘আবদুল্লাহ আল-হাওযানী) আমাকে জিজ্ঞেস করছো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৬

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، بِمَعْنَى إِسْنَادِ أَبِي تَوْبَةَ وَحَدِيثِهِ قَالَ عِنْدَ قَوْلِهِ ‏ “‏ مَا يَقْضِي عَنِّي ‏”‏ ‏.‏ فَسَكَتَ عَنِّي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاغْتَمَزْتُهَا ‏.‏

মু’আবিয়াহ (রহঃ) হতে আবূ তাওবাহর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনূরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে রয়েছে : বিলাল বললেন, ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য আপনারও নাই আমারও নাই। আমার এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব রইলেন। এ অবস্থাটা আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে।

 

সানাদ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৭

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ، قَالَ أَهْدَيْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَاقَةً فَقَالَ ‏”‏ أَسْلَمْتَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ لاَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنِّي نُهِيتُ عَنْ زَبْدِ الْمُشْرِكِينَ ‏”‏ ‏.‏

ইয়াদ ইবনু হিমার থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি উষ্ট্রী উপঢৌকন দিলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি ইসলাম গ্রহণ করেছো কি? আমি বললাম, না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমাকে মুশরিকদের উপঢৌকন গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

 

হাসান সহীহ : তিরমিযী (১৬৪১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৬

কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া

৩০৫৮

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقْطَعَهُ أَرْضًا بِحَضْرَمَوْتَ ‏.‏

ওয়াইল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে হাদরামাওত এলাকায় একখন্ড জমি জায়গীর হিসাবে দিয়েছিলেন।

 

সহীহ : তিরমিযী (১৪১২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৯

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا جَامِعُ بْنُ مَطَرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ ‏.‏

‘আলক্বামাহ ইবনু ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আলক্বামাহ ইবনু ওয়াইল (রহঃ) নিজ সানাদে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৩০৬০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ فِطْرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، قَالَ خَطَّ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَارًا بِالْمَدِينَةِ بِقَوْسٍ وَقَالَ ‏ “‏ أَزِيدُكَ أَزِيدُكَ ‏”‏ ‏.‏

আমর ইবনু হুরাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদিনায় আমাকে ঘর বানানোর জন্য একখন্ড জমি দান করেন এবং তীরের ফলা দিয়ে এর সীমা নির্ধারণ করেন। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে আরো দিবো, আরো দিবো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ غَيْرِ، وَاحِدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْطَعَ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ وَهِيَ مِنْ نَاحِيَةِ الْفُرْعِ فَتِلْكَ الْمَعَادِنُ لاَ يُؤْخَذُ مِنْهَا إِلاَّ الزَّكَاةُ إِلَى الْيَوْمِ ‏.‏

রবী’আহ ইবনু আবূ ‘আবদুর রহমান (রহঃ) একাধিক সাহাবী সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুযানীকে আল-ফুর’ এর পার্শ্ববর্তী জায়গায় অবস্থিত ক্বাবালিয়া খনিটি বন্দোবস্ত করে দেন। ঐ খনি থেকে যাকাত ব্যতীত অন্য কিছু ধার্য করা হয়নি।

 

দূর্বল : ইরওয়া (৮৩০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬২

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ، وَغَيْرُهُ، قَالَ الْعَبَّاسُ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُوَيْسٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقْطَعَ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ جَلْسِيَّهَا وَغَوْرِيَّهَا – وَقَالَ غَيْرُ الْعَبَّاسِ جَلْسَهَا وَغَوْرَهَا – وَحَيْثُ يَصْلُحُ الزَّرْعُ مِنْ قُدْسٍ وَلَمْ يُعْطِهِ حَقَّ مُسْلِمٍ وَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَعْطَى مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ أَعْطَاهُ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ جَلْسِيَّهَا وَغَوْرِيَّهَا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ غَيْرُ الْعَبَّاسِ ‏”‏ جَلْسَهَا وَغَوْرَهَا ‏”‏ ‏.‏ ‏”‏ وَحَيْثُ يَصْلُحُ الزَّرْعُ مِنْ قُدْسٍ وَلَمْ يُعْطِهِ حَقَّ مُسْلِمٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو أُوَيْسٍ وَحَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ مَوْلَى بَنِي الدِّيلِ بْنِ بَكْرِ بْنِ كِنَانَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ ‏.‏

কাসীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আওফ আল-মুযানী (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাইনাহ গোত্রের বিলাল ইবনুল হারিসকে ক্বাবালিয়ার উচ্চ ও নিম্ন ভূমির খনিসমূহ দান করেন। তিনি তাকে কুদস পাহাড়ের কৃষিভূমিও জায়গীর হিসেবে দান করেন। ‘আব্বাস ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারী ‘জালসিয়া’ ও ‘গাওরিয়া’ শব্দের স্থলে পর্যায়ক্রমে ‘জালসা’ ও ‘গাওরা’ শব্দের উল্লেখ করেছেন। তিনি কোন মুসলিমের মালিকানাধীন জমি তাকে দান করেননি অথবা এ জমির উপর কোন মুসলিমের মালিকানা ছিলো না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে একটি ফরমানও লিখে দিয়েছিলেন : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, আল্লাহ্‌র রাসূল মুহাম্মাদ মুযাইনা গোত্রের বিলাল ইবনুল হারিসকে ক্বাবালিয়ার উচ্চ ও নিম্নভূমির খনিসমূহ এবং কুদস পাহাড় সংলগ্ন কৃষিভূমি দান করেছেন। তিনি কোন মুসলিমের হক তাকে দান করেননি। অন্যান্য বর্ণনাকারী জালসিয়া ও গাওরিয়ার পরিবর্তে জালসা ও গাওরা শব্দ বর্ণনা করেছেন।

 

হাসান : ইরওয়া (৩/৩১৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النَّضْرِ، قَالَ سَمِعْتُ الْحُنَيْنِيَّ، قَالَ قَرَأْتُهُ غَيْرَ مَرَّةٍ يَعْنِي كِتَابَ قَطِيعَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدَّثَنَا غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا أَبُو أُوَيْسٍ حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقْطَعَ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ جَلْسِيَّهَا وَغَوْرِيَّهَا – قَالَ ابْنُ النَّضْرِ وَجَرْسَهَا وَذَاتَ النُّصُبِ ثُمَّ اتَّفَقَا – وَحَيْثُ يَصْلُحُ الزَّرْعُ مِنْ قُدْسٍ ‏.‏ وَلَمْ يُعْطِ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ حَقَّ مُسْلِمٍ وَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هَذَا مَا أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ أَعْطَاهُ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ جَلْسَهَا وَغَوْرَهَا وَحَيْثُ يَصْلُحُ الزَّرْعُ مِنْ قُدْسٍ وَلَمْ يُعْطِهِ حَقَّ مُسْلِمٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو أُوَيْسٍ حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ زَادَ ابْنُ النَّضْرِ وَكَتَبَ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ ‏.‏

কাসীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযাইনাহ গোত্রের বিলাল ইবনুল হারিসকে ক্বাবালিয়ার উচ্চ ও নিম্ন ভূমির খনিসমূহ দান করেছিলেন। ইবনুন নাদর (রহঃ) বলেন, ক্বাবালিয়ার পার্শ্ববর্তী ভূমি এবং যাতুন-নুসুর এলাকাও দান করেন। অতঃপর উভয় বর্ণনাকারী বর্ণনা করেন যে, এবং কুদস পাহাড়ের কৃষিভূমিও। তিনি বিলাল ইবনুল হারিসকে কোন মুসলিমের হক দান করেননি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ফরমান লিখে দেন : বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুযানীকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বাবালিয়ার উচ্চ ও নিম্ন ভূমির খনিসমূহ এবং এর সংলগ্ন কুদস পাহাড়ের কৃষিভূমি দান করেছেন। এতে আর কোন মুসলমানের হক রইলো না। তবে ইবনুন নাযরের বর্ণনায় রয়েছে : নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর দানের ফরমানটি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) লিখেছিলেন।

 

হাসান। পূর্বেরটি দেখুন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ – أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ قَيْسٍ الْمَأْرِبِيَّ، حَدَّثَهُمْ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ شُرَاحِيلَ، عَنْ سُمَىِّ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ شُمَيْرٍ، – قَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ ابْنِ عَبْدِ الْمَدَانِ – عَنْ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْطَعَهُ الْمِلْحَ – قَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ الَّذِي بِمَأْرِبَ – فَقَطَعَهُ لَهُ فَلَمَّا أَنْ وَلَّى قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمَجْلِسِ أَتَدْرِي مَا قَطَعْتَ لَهُ إِنَّمَا قَطَعْتَ لَهُ الْمَاءَ الْعِدَّ ‏.‏ قَالَ فَانْتَزَعَ مِنْهُ قَالَ وَسَأَلَهُ عَمَّا يُحْمَى مِنَ الأَرَاكِ قَالَ ‏”‏ مَا لَمْ تَنَلْهُ خِفَافٌ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ ‏”‏ أَخْفَافُ الإِبِلِ ‏”‏ ‏.‏

আব্ইয়াদ ইবনু হাম্মাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একটি প্রতিনিধি নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে আসলেন এবং তাঁর কাছে ‘লবন কূপটি’ দান হিসাবে চাইলেন। ইবনুল মুতাওয়াক্‌কিল বলেন, এটা মা’রিব নামক স্থানে অবস্থিত ছিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে তা দিলেন। আব্ইয়াদ ফিরে যাওয়ার সময় বৈঠকে উপস্থিত এক ব্যক্তি বললো, আপনি কি জানেন তাকে কোন জমি দান করেছেন? আপনি তাকে ঝরণার অফুরন্ত পানি দিয়েছেন। লোকটি বললো, অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাছ থেকে ঐ জমি ফিরিয়ে নেন। তিনি বলেন, আব্ইয়াদ তাঁকে এ জিজ্ঞেস করেন, আরাক গাছে বেড়া দিবে কিনা। তিনি বললেনঃ যাতে সেখানে ক্ষুরের পদচারণা না হয়। ইবনুল মুতাওয়াক্‌কিল বলেন, ক্ষুর বলতে বুঝানো হয়েছে উটের পায়ের ক্ষুর।

 

হাসান, পূর্বেরটি দ্বারা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৫

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَخْزُومِيُّ ‏ “‏ مَا لَمْ تَنَلْهُ أَخْفَافُ الإِبِلِ ‏”‏ يَعْنِي أَنَّ الإِبِلَ تَأْكُلُ مُنْتَهَى رُءُوسِهَا وَيُحْمَى مَا فَوْقَهُ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আল-মাখযূমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উটের পদচারণা হবে না’ অর্থাৎ উট গাছের উপরিভাগ খেয়ে থাকে। সুতরাং তা রক্ষার জন্য উপরেই বেড়া দিতে হবে।

 

খুবই দূর্বল মাক্বতু’ : মিশকাত (৩০০০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৩০৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ حِمَى الأَرَاكِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ حِمَى فِي الأَرَاكِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَرَاكَةً فِي حِظَارِي ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏”‏ لاَ حِمَى فِي الأَرَاكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجٌ يَعْنِي بِحِظَارِي الأَرْضَ الَّتِي فِيهَا الزَّرْعُ الْمُحَاطُ عَلَيْهَا ‏.‏

আব্ইয়াদ ইবনু হাম্মাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে তিনি আরাক গাছ সমৃদ্ধ জমি সংরক্ষনার্থে তাকে তা দেয়ার জন্য আবেদন করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আরাক গাছে বেড়া দেয়া যায় না। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তা যদি আমার জমির প্রাচীরের মধ্যে থাকে? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আরাক গাছ সমৃদ্ধ ভূমি বেড়া দিয়ে রক্ষা করা যায় না। বর্ণনাকারী ফারাজ বলেন, ‘হিদার’ হলো চারদিকে ঘেরা কৃষি জমি।

 

হাসান, পূর্বেরটি দ্বারা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৭

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبُو حَفْصٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، قَالَ عُمَرُ – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ – قَالَ حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، صَخْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا ثَقِيفًا فَلَمَّا أَنْ سَمِعَ ذَلِكَ صَخْرٌ رَكِبَ فِي خَيْلٍ يُمِدُّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِ انْصَرَفَ وَلَمْ يَفْتَحْ فَجَعَلَ صَخْرٌ يَوْمَئِذٍ عَهْدَ اللَّهِ وَذِمَّتَهُ أَنْ لاَ يُفَارِقَ هَذَا الْقَصْرَ حَتَّى يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُفَارِقْهُمْ حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَتَبَ إِلَيْهِ صَخْرٌ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ ثَقِيفًا قَدْ نَزَلَتْ عَلَى حُكْمِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَأَنَا مُقْبِلٌ إِلَيْهِمْ وَهُمْ فِي خَيْلٍ ‏.‏ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالصَّلاَةِ جَامِعَةً فَدَعَا لأَحْمَسَ عَشْرَ دَعَوَاتٍ ‏”‏ اللَّهُمَّ بَارِكْ لأَحْمَسَ فِي خَيْلِهَا وَرِجَالِهَا ‏”‏ ‏.‏ وَأَتَاهُ الْقَوْمُ فَتَكَلَّمَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ صَخْرًا أَخَذَ عَمَّتِي وَدَخَلَتْ فِيمَا دَخَلَ فِيهِ الْمُسْلِمُونَ ‏.‏ فَدَعَاهُ فَقَالَ ‏”‏ يَا صَخْرُ إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ فَادْفَعْ إِلَى الْمُغِيرَةِ عَمَّتَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ وَسَأَلَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِبَنِي سُلَيْمٍ قَدْ هَرَبُوا عَنِ الإِسْلاَمِ وَتَرَكُوا ذَلِكَ الْمَاءَ ‏.‏ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَنْزِلْنِيهِ أَنَا وَقَوْمِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَهُ وَأَسْلَمَ – يَعْنِي السُّلَمِيِّينَ – فَأَتَوْا صَخْرًا فَسَأَلُوهُ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِمُ الْمَاءَ فَأَبَى فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَسْلَمْنَا وَأَتَيْنَا صَخْرًا لِيَدْفَعَ إِلَيْنَا مَاءَنَا فَأَبَى عَلَيْنَا ‏.‏ فَأَتَاهُ فَقَالَ ‏”‏ يَا صَخْرُ إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا أَمْوَالَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ فَادْفَعْ إِلَى الْقَوْمِ مَاءَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ ‏.‏ فَرَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَغَيَّرُ عِنْدَ ذَلِكَ حُمْرَةً حَيَاءً مِنْ أَخْذِهِ الْجَارِيَةَ وَأَخْذِهِ الْمَاءَ ‏.‏

‘উসমান ইবনু আবূ হাযিম (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা সাখরের (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ সাক্বীফের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলেন। সাখর (রাঃ) এটা জানতে পেরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহায্যের জন্য কয়েকজন ঘোড়সওয়ার নিয়ে রওয়ানা হলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিনা বিজয়ে ফিরে আসতে দেখলেন। তখন সাখর (রাঃ) আল্লাহর নামে শপথ করে নিজে দায়িত্ব নিলেন যে, তারা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশের সামনে মাথা নত করে দুর্গ থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত তিনি তা অবরোধ করে রাখবেন। ব্যাপার তাই হলো। অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ মেনে দুর্গ থেকে বেরিয়ে এলো। তখন সাখর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ মর্মে চিঠি লিখলেনঃ আল্লাহর প্রশংসা ও গুনগান করার পর, হে আল্লাহর রাসূল! বনূ সাক্বীফ আপনার নির্দেশ অনুযায়ী আত্নসমর্পণ করেছে। আমি তাদের কাছে যাচ্ছি। তারা ঘোড়সওয়ার অবস্থায় বের হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সংবাদ জানতে পেরে জামা’আতে সলাত আদায়ের জন্য তৈরী হতে নির্দেশ দিলেন। তিনি আহ্মাস গোত্রের জন্য দশবার দু’আ করলেন। তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আহ্মাস গোত্রের ঘোড়া ও জনশক্তিতে বরকত দান করুন’। অতঃপর লোকেরা তাঁর কাছে আসলো। তাদের পক্ষ হতে মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) তাঁর সাথে কথা বললেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর নবী! সাখর (রাঃ) আমার ফুফুকে ধরে এনেছে। অথচ তিনি ইসলাম কবুল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে বললেনঃ হে সাখর! কোন গোত্রের লোক ইসলাম কবুল করলে তারা তাদের জীবনে ও সম্পদের নিরাপত্তা লাভ করে। মুগীরাহ্র ফুফুকে তার নিকট ফিরিয়ে দাও। তিনি (সাখর) তাকে মুগীরাহ্র নিকট ফিরিয়ে দিলেন।

সাথর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে বনূ সুলাইমের পানির কূপটি চাইলেন। তারা ইসলাম গ্রহণ করার ভয়ে এই কূপ ছেড়ে পালিয়েছিল। সাখর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর নাবী! আমাকে ও আমার গোত্রকে এ কূপের নিকটে বসবাসের অনুমতি দিন। তিনি বললেনঃ ঠিক আছে। তিনি তাদেরকে সেখানে বসবাসের অনুমতি দিলেন।

ইতিমধ্যে বনূ সুলাইমের লোকেরা ইসলাম কবুল করলো। তারা সাখরের নিকট এসে তাদের কূপ ফেরত চাইলে তিনি তা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করলেন। অবশেষে তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বললো, হে আল্লাহর নবী! আমরা ইসলাম কবুলের পর সাখরের কাছে এসে আমাদের কূপটি ফেরত চাইলে তিনি তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে এনে বললেনঃ হে সাখর! কোন সম্প্রদায় ইসলাম গ্রহণ করলে তারা নিজেদের জান-মালের নিরাপত্তা পায়। সুতরাং তাদের পানির কূপটি তাদেরকে ফিরিয়ে দাও। তিনি বললেন, হে আল্লাহর নাবী! ঠিক আছে। এ সময় আমি লক্ষ্য করলাম, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চেহারা মুবারক লজ্জায় লাল হয়ে গেল। কেননা সাখরের কাছ থেকে বাঁদী ও কূপ ফেরত নেয়া হয়েছিল।

 

সানাদ দূর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৮

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي سَبْرَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الرَّبِيعِ الْجُهَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ فِي مَوْضِعِ الْمَسْجِدِ تَحْتَ دَوْمَةٍ فَأَقَامَ ثَلاَثًا ثُمَّ خَرَجَ إِلَى تَبُوكَ وَإِنَّ جُهَيْنَةَ لَحِقُوهُ بِالرَّحْبَةِ فَقَالَ لَهُمْ ‏”‏ مَنْ أَهْلُ ذِي الْمَرْوَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا بَنُو رِفَاعَةَ مِنْ جُهَيْنَةَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ قَدْ أَقْطَعْتُهَا لِبَنِي رِفَاعَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَاقْتَسَمُوهَا فَمِنْهُمْ مَنْ بَاعَ وَمِنْهُمْ مَنْ أَمْسَكَ فَعَمِلَ ثُمَّ سَأَلْتُ أَبَاهُ عَبْدَ الْعَزِيزِ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَحَدَّثَنِي بِبَعْضِهِ وَلَمْ يُحَدِّثْنِي بِهِ كُلِّهِ ‏.

সাবুরাহ ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয ইবনুর রবী’ আল-জুহানী (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি প্রকাণ্ড গাছের নীচে মাসজিদের স্থানে নামলেন। তিনি সেখানে তিন দিন অবস্থান করলেন। অতঃপর তিনি তাবূকের দিকে রওয়ানা হলেন। জুহাইনাহ গোত্রের লোকেরা এক প্রশস্ত ভূমিতে এসে তাঁর সাথে মিলিত হলে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেনঃ এখানে কারা বসবাস করে? তারা বললো, জুহাইনাহ গোত্রের উপগোত্র বনূ রিফা’আহ। তিনি বললেনঃ আমি এ জমি বনূ রিফা’আহকে প্রদান করলাম। তারা এ জমি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিলো। তাদের মধ্যে কেউ নিজ অংশ বিক্রি করে দিল এবং কেউ বিক্রি করলো না। তারা জমিতে কৃষিকাজ করলো। ইবনু ওয়াহ্ব (রহঃ) বলেন, আমি সাবুরাহ্র পিতা ‘আবদুল ‘আযীযকে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমার নিকট এর কিছু অংশ বর্ণনা করেন, কিন্তু সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেননি।

 

সানাদ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৯

حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ آدَمَ – حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْطَعَ الزُّبَيْرَ نَخْلاً ‏.‏

আসমা বিনতু আবূ বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবাইরকে এক খণ্ড খেজুর বাগান জায়গীর হিসেবে দান করেছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩০৭০

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَّانَ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتَاىَ، صَفِيَّةُ وَدُحَيْبَةُ ابْنَتَا عُلَيْبَةَ وَكَانَتَا رَبِيبَتَىْ قَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ وَكَانَتْ جَدَّةَ أَبِيهِمَا أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُمَا قَالَتْ، قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ تَقَدَّمَ صَاحِبِي – تَعْنِي حُرَيْثَ بْنَ حَسَّانَ وَافِدَ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ – فَبَايَعَهُ عَلَى الإِسْلاَمِ عَلَيْهِ وَعَلَى قَوْمِهِ ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُبْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ بَنِي تَمِيمٍ بِالدَّهْنَاءِ أَنْ لاَ يُجَاوِزَهَا إِلَيْنَا مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلاَّ مُسَافِرٌ أَوْ مُجَاوِرٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اكْتُبْ لَهُ يَا غُلاَمُ بِالدَّهْنَاءِ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا رَأَيْتُهُ قَدْ أَمَرَ لَهُ بِهَا شُخِصَ بِي وَهِيَ وَطَنِي وَدَارِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَمْ يَسْأَلْكَ السَّوِيَّةَ مِنَ الأَرْضِ إِذْ سَأَلَكَ إِنَّمَا هِيَ هَذِهِ الدَّهْنَاءُ عِنْدَكَ مُقَيَّدُ الْجَمَلِ وَمَرْعَى الْغَنَمِ وَنِسَاءُ بَنِي تَمِيمٍ وَأَبْنَاؤُهَا وَرَاءَ ذَلِكَ فَقَالَ ‏”‏ أَمْسِكْ يَا غُلاَمُ صَدَقَتِ الْمِسْكِينَةُ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ يَسَعُهُمَا الْمَاءُ وَالشَّجَرُ وَيَتَعَاوَنَانِ عَلَى الْفُتَّانِ ‏”‏ ‏.‏

উলাইবার দুই কন্যা সফিয়্যাহ ও দুহাইবাহ (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে মাখরামাহ্র কন্যা ক্বাইলাহ (রাঃ) এর তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হন। তিনি তাদের পিতার দাদী ছিলেন। তিনি তাদের উভয়কে এ হাদীস সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে গেলাম। আমার সঙ্গী বাক্র ইবনু ওয়াইল গোত্রের প্রতিনিধি হুরাইস ইবনু হাসসান অগ্রসর হয়ে নিজের ও তার গোষ্ঠীর পক্ষ হতে তাঁর নিকট ইসলাম কবুলের বাই’আত গ্রহণ করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ও বনূ তামীম গোত্রের মধ্যে আদ-দাহনাকে সীমান্ত হিসাবে চিহ্নিত করে দিন। তাদের কেউ এ স্থানটি অতিক্রম করে আমাদের এদিকে আসবে, তবে মুসাফিরের কথা ভিন্ন। তিনি বললেনঃ হে যুবক! তাকে আদ-দাহনা সম্পর্কে লিখে দাও। ক্বাইলাহ (রাঃ) বলেন, আমি যখন দেখলাম যে, তিনি তাকে ঐ স্থানটি লিখে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তখন আমার চিন্তা হলো। কেননা আদ-দাহনা আমার জন্মভূমি। এখানেই আমার ঘরবাড়ী। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে আপনার কাছে সঠিক সীমানা ইনসাফ সহকারে বলেনি। এই আদ-দাহনা হচ্ছে উট বাঁধার এবং বকরী চরাবার চরণভূমি। বনূ তামীম গোত্রের নারী ও শিশুরা এর পিছনেই বসবাস করে। একথা শুনে তিনি বললেনঃ হে যুবক! (লিখা) থামাও। এ মহিলা সত্যিই বলেছে। মুসলিম পরস্পর ভাই ভাই। একজনের পানি এবং গাছের দ্বারা অন্যজন উপকৃত হবে এবং বিপদে পরস্পরের সাহায্য করবে।

 

সানাদ দূর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ جَنُوبٍ بِنْتُ نُمَيْلَةَ، عَنْ أُمِّهَا، سُوَيْدَةَ بِنْتِ جَابِرٍ عَنْ أُمِّهَا، عَقِيلَةَ بِنْتِ أَسْمَرَ بْنِ مُضَرِّسٍ عَنْ أَبِيهَا، أَسْمَرَ بْنِ مُضَرِّسٍ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَبَايَعْتُهُ فَقَالَ ‏ “‏ مَنْ سَبَقَ إِلَى مَاءٍ لَمْ يَسْبِقْهُ إِلَيْهِ مُسْلِمٌ فَهُوَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجَ النَّاسُ يَتَعَادَوْنَ يَتَخَاطُّونَ ‏.‏

আসমার ইবনু মুদাররিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বাই’আত নিলাম। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি কোন পানির উৎসের নিকট সর্বপ্রথম পৌঁছবে, যার নিকট তার পূর্বে কোন মুসলিম পৌঁছেনি, তা তার জন্য। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা বের হলো এবং নিশান লাগাতে থাকলো।

 

দুর্বলঃ ইরওয়া (১৫৫৩), যঈফ আর-জামি’উস সাগীর (৫৬২২), মিশকাত (৩০০২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقْطَعَ الزُّبَيْرَ حُضْرَ فَرَسِهِ فَأَجْرَى فَرَسَهُ حَتَّى قَامَ ثُمَّ رَمَى بِسَوْطِهِ فَقَالَ ‏ “‏ أَعْطُوهُ مِنْ حَيْثُ بَلَغَ السَّوْطُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবাইর (রাঃ)-কে তার ঘোড়ার এক দৌড় পরিমাণ জমিন জায়গীর হিসেবে দিলেন। তিনি তার ঘোড়া ছুটালেন, অতঃপর তা থেমে গেলে সেখানে তার চাবুক নিক্ষেপ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে তার চাবুক পৌঁছার স্থান পর্যন্ত প্রদান করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৭

অনাবাদী জমি আবাদ করা সম্পর্কে

৩০৭৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيْتَةً فَهِيَ لَهُ وَلَيْسَ لِعِرْقٍ ظَالِمٍ حَقٌّ ‏”‏ ‏.‏

সাঈদ ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কেউ কোন পতিত জমি আবাদ করলে সেটা তারই। অন্যায়ভাবে দখলকারীর পরিশ্রমের কোন মূল্য নাই।

 

সহীহঃ তিরমিযী (১৪০৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৪

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ – عَنْ يَحْيَى بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيْتَةً فَهِيَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَذَكَرَ مِثْلَهُ قَالَ فَلَقَدْ خَبَّرَنِي الَّذِي حَدَّثَنِي هَذَا الْحَدِيثَ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَرَسَ أَحَدُهُمَا نَخْلاً فِي أَرْضِ الآخَرِ فَقَضَى لِصَاحِبِ الأَرْضِ بِأَرْضِهِ وَأَمَرَ صَاحِبَ النَّخْلِ أَنْ يُخْرِجَ نَخْلَهُ مِنْهَا ‏.‏ قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُهَا وَإِنَّهَا لَتُضْرَبُ أُصُولُهَا بِالْفُئُوسِ وَإِنَّهَا لَنَخْلٌ عُمٌّ حَتَّى أُخْرِجَتْ مِنْهَا ‏.‏

ইয়াহইয়া ইবনু ‘উরওয়াহ (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন অনাবাদী জমি আবাদকারীই হবে ঐ জমির মালিক। এটি উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। অতঃপর ‘উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, যিনি আমাকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি আমাকে আরো জানিয়েছেন যে, দুই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে তাদের বিবাদের মীমাংসার জন্য আসলো। তাদের একজন অপরজনের জমিতে একটি খেজুর গাছ লাগিয়েছিল। তিনি জমির মালিকের পক্ষে জমি তারই বলে রায় দিলেন এবং খেজুর গাছের মালিককে জমি থেকে গাছ তুলে নেয়ার নির্দেশ দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি দেখলাম, গাছটির গোড়ায় অবিরত কোদাল পড়ছে। গাছটি খুব লম্বা ছিল। অতঃপর গাছটি সেখান থেকে তুলে ফেলা হয়।

 

হাসানঃ ইরওয়া (৫/৩৫৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ عِنْدَ قَوْلِهِ مَكَانَ الَّذِي حَدَّثَنِي هَذَا فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَكْثَرُ ظَنِّي أَنَّهُ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ فَأَنَا رَأَيْتُ الرَّجُلَ يَضْرِبُ فِي أُصُولِ النَّخْلِ ‏.‏

ইবনু ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ইসহাক্ব (রহঃ) তার নিজস্ব সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তাতে রয়েছেঃ ‘উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীদের মধ্যকার এক ব্যক্তি বলেছেন। আমার ধারণা সম্ভবত তিনি হলেন আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)। তিনি বলেছেন, আমি দেখলাম, লোকটি খেজুর গাছের গোড়া কেটে ফেলছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الآمُلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى أَنَّ الأَرْضَ أَرْضُ اللَّهِ وَالْعِبَادَ عِبَادُ اللَّهِ وَمَنْ أَحْيَا مَوَاتًا فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ جَاءَنَا بِهَذَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الَّذِينَ جَاءُوا بِالصَّلَوَاتِ عَنْهُ ‏.‏

‘উরওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফয়সালা করেছেনঃ জমিন আল্লাহর, বান্দাও আল্লাহর। যে ব্যক্তি পতিত জমি আবাদ করবে সে-ই এর অগ্রাধিকারী প্রাপক। এ হাদীস আমাদের কাছে তারা বর্ণনা করেছেন যারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছ থেকে আমাদের জন্য সলাতের হাদীস বর্ণনা করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحَاطَ حَائِطًا عَلَى أَرْضٍ فَهِيَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ (মালিকানাহীন) জমির চারপাশে দেয়াল বাঁধলে সেটা তারই প্রাপ্য।

 

দুর্বলঃ ইরওয়া (৫/৩৫৫, ১৫২০), মিশকাত (২৯৯৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، قَالَ هِشَامٌ الْعِرْقُ الظَّالِمُ أَنْ يَغْرِسَ الرَّجُلُ فِي أَرْضِ غَيْرِهِ فَيَسْتَحِقَّهَا بِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ مَالِكٌ وَالْعِرْقُ الظَّالِمُ كُلُّ مَا أُخِذَ وَاحْتُفِرَ وَغُرِسَ بِغَيْرِ حَقٍّ ‏.

মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম (রহঃ) বলেন, ঐ ব্যক্তি অন্যায়ভাবে দখলকারী যে নিজের অবৈধ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যের জমিতে গাছ লাগায়। মালিক (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে পতিত জমি থেকে কিছু নিবে, তাতে গর্ত খনন করবে কিংবা রোপণ করবে সে অত্যাচারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৩০৭৯

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنِ الْعَبَّاسِ السَّاعِدِيِّ، – يَعْنِي ابْنَ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ – عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَبُوكَ فَلَمَّا أَتَى وَادِيَ الْقُرَى إِذَا امْرَأَةٌ فِي حَدِيقَةٍ لَهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ ‏”‏ اخْرُصُوا ‏”‏ ‏.‏ فَخَرَصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشَرَةَ أَوْسُقٍ فَقَالَ لِلْمَرْأَةِ ‏”‏ أَحْصِي مَا يَخْرُجُ مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَيْنَا تَبُوكَ فَأَهْدَى مَلِكُ أَيْلَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَغْلَةً بَيْضَاءَ وَكَسَاهُ بُرْدَةً وَكَتَبَ لَهُ – يَعْنِي – بِبَحْرِهِ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا أَتَيْنَا وَادِيَ الْقُرَى قَالَ لِلْمَرْأَةِ ‏”‏ كَمْ كَانَ فِي حَدِيقَتِكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ عَشَرَةَ أَوْسُقٍ خَرْصَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنِّي مُتَعَجِّلٌ إِلَى الْمَدِينَةِ فَمَنْ أَرَادَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَعَجَّلَ مَعِي فَلْيَتَعَجَّلْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুমাইদ আস-সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে তাবূকের যুদ্ধে যোগদান করেছি। তিনি ওয়াদিল কুরায় পৌঁছলে এক মহিলাকে তার বাগানের মধ্যে দেখতে পান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের বললেনঃ এ বাগানের ফলের পরিমাণ কতটুকু? অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই দশ ওয়াসাক অনুমান করলেন। তিনি মহিলাটিকে বললেনঃ তোমার বাগানের ফলের পরিমাণ ওজন করে দেখবে। অতঃপর আমরা তাবূকে পৌঁছলাম। তখন ‘ঈলা’ নামক স্থানের রাজা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি সাদা খচ্চর উপহার পাঠালেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাজাকে একটি চাঁদর দিলেন এবং জিয্‌য়ার বিনিময়ে তার এলাকায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে ফরমান লিখে পাঠালেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা ওয়াদিল কুরায় প্রত্যাবর্তন করলে তিনি মহিলাটিকে বললেনঃ তোমার বাগানে কি পরিমাণ ফল এসেছে? সে বললো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দশ ওয়াসাক অনুমান করেছেন তাই। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি খুব দ্রুত মদিনায় পৌঁছতে চাই। তোমাদের মধ্যে যে আমার সাথে দ্রুত যেতে চায় সে যেন তাড়াতাড়ি করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮০

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ كُلْثُومٍ، عَنْ زَيْنَبَ، أَنَّهَا كَانَتْ تَفْلِي رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ امْرَأَةُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَنِسَاءٌ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ وَهُنَّ يَشْتَكِينَ مَنَازِلَهُنَّ أَنَّهَا تَضِيقُ عَلَيْهِنَّ وَيُخْرَجْنَ مِنْهَا فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُوَرَّثَ دُورَ الْمُهَاجِرِينَ النِّسَاءُ فَمَاتَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ فَوَرِثَتْهُ امْرَأَتُهُ دَارًا بِالْمَدِينَةِ ‏.‏

যাইনাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথার উঁকুন তারাশ করছিলেন। এ সময় তাঁর কাছে ‘উসমান ইবনু ‘আফফানের (রাঃ) স্ত্রী এবং কতিপয় মুহাজির মহিলা উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কাছে তারা তাদের বাসস্থানের সংকীর্ণতার অভিযোগ পেশ করেন। তাদেরকে ঘর থেকে বহিস্কার করা হতো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিলেনঃ মুহাজিরদের (মৃত্যুর পর) তাদের স্ত্রীরা তাদের বাসস্থানের উত্তরাধিকারী হবে। সুতরাং ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) মারা গেলে তার স্ত্রী তার মাদীনাহ্‌র বাসস্থানের ওয়ারিস হন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৮

খাজনা ধার্যকৃত (খারাজী) জমি কেনা

৩০৮১

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بَكَّارِ بْنِ بِلاَلٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، – يَعْنِي ابْنَ سُمَيْعٍ – حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُعَاذٍ، أَنَّهُ قَالَ مَنْ عَقَدَ الْجِزْيَةَ فِي عُنُقِهِ فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

মু‘আয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জিয্য়ার জমি ক্রয় করেছে, সে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুসৃত পথ থেকে দূরে সরে গেলো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮২

حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ أَبِي الشَّعْثَاءِ، حَدَّثَنِي سِنَانُ بْنُ قَيْسٍ، حَدَّثَنِي شَبِيبُ بْنُ نُعَيْمٍ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ خُمَيْرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَخَذَ أَرْضًا بِجِزْيَتِهَا فَقَدِ اسْتَقَالَ هِجْرَتَهُ وَمَنْ نَزَعَ صَغَارَ كَافِرٍ مِنْ عُنُقِهِ فَجَعَلَهُ فِي عُنُقِهِ فَقَدْ وَلَّى الإِسْلاَمَ ظَهْرَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَسَمِعَ مِنِّي خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ لِي أَشَبِيبٌ حَدَّثَكَ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَإِذَا قَدِمْتَ فَسَلْهُ فَلْيَكْتُبْ إِلَىَّ بِالْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ فَكَتَبَهُ لَهُ فَلَمَّا قَدِمْتُ سَأَلَنِي خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ الْقِرْطَاسَ فَأَعْطَيْتُهُ فَلَمَّا قَرَأَهُ تَرَكَ مَا فِي يَدَيْهِ مِنَ الأَرَضِينَ حِينَ سَمِعَ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا يَزِيدُ بْنُ خُمَيْرٍ الْيَزَنِيُّ لَيْسَ هُوَ صَاحِبَ شُعْبَةَ ‏.‏

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জিয্‌য়া দেয়ার শর্তে জমি ক্রয় করলো সে নিজের হিজরাতের শর্ত বাতিল করলো। আর যে ব্যক্তি কোন কাফিরের অমর্যাদা করে তার গরদান থেকে নিজ গরদানে তুলে নিলো, সে যেন ইসলাম থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলো। অধস্তন বর্ননাকারী সিনান (রহঃ) বলেন, এ হাদীস খালিদ ইবনু মা‘দান আমার কাছ থেকে শুনে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, শাবীব কি তোমার কাছে এ হাদীস বর্ণনা করেছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি পুনরায় তার কাছে গেলে তাকে বলবে, তিনি যেন আমাকে এ হাদীসটি লিখে দেন। সিনান বলেন, শাবীব তাকে এ হাদীসটি লিখে দেন। অতঃপর আমি খালিদের কাছে এলে তিনি আমার কাছে লিখিত কাগজটি চান। আমি তাকে তা দিলাম। তিনি তা পড়ে নিজ মালিকানাধীন সমস্ত জিয্য়ার জমি ছেড়ে দেন, এ হাদীস শুনার পর। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ ইয়াযীদ ইবনু খুমাইর আল-ইয়াযান্নী শু‘বাহর ছাত্র নন।

 

সানাদ দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৫৩৬৩), মিশকাত (৩৫৪৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৯

ইমাম অথবা কোন ব্যক্তি কর্তৃক চারণভূমি সংরক্ষন করা

৩০৮৩

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ حِمَى إِلاَّ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَبَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَمَى النَّقِيعَ ‏.‏

আস-সা‘ব ইবনু জাসসামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ছাড়া চারণভূমি সংরক্ষণ করার অধিকার অন্য কারো নাই। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, আমি জানতে পারলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আন-নাকী’ নামক স্থানের চারণভূমি সংরক্ষণ করেছেন।

 

সহীহঃ আত-তা‘লীকু ‘আলা রাওযাতিন নাদিয়্যাহ (২/১৪০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮৪

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَمَى النَّقِيعَ وَقَالَ ‏ “‏ لاَ حِمَى إِلاَّ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে আস-সা‘ব ইবনু জাসসামাহ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আন-নাকী‘ নামক চারণভূমি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি বলেছেনঃ চারণভূমি সংরক্ষণ করার অধিকার মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নাই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪০

গুপ্তধন ও তার বিধান

৩০৮৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ، يُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ فِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ ‏”‏ ‏.‏

সা’ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব ও আবূ সালামাহ (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে এ হাদীস বলতে শুনেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ গুপ্তধনে এক-পঞ্চমাংশ ধার্য হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ الرِّكَازُ الْكَنْزُ الْعَادِيُّ

আল-হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রিকায অর্থ ইসলাম-পূর্ব যুগে ভূগর্ভে প্রোথিত সম্পদ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৩০৮৭

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنَا الزَّمْعِيُّ، عَنْ عَمَّتِهِ، قُرَيْبَةَ بِنْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ أُمِّهَا، كَرِيمَةَ بِنْتِ الْمِقْدَادِ عَنْ ضُبَاعَةَ بِنْتِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهَا قَالَتْ، ذَهَبَ الْمِقْدَادُ لِحَاجَتِهِ بِبَقِيعِ الْخَبْخَبَةِ فَإِذَا جُرَذٌ يُخْرِجُ مِنْ جُحْرٍ دِينَارًا ثُمَّ لَمْ يَزَلْ يُخْرِجُ دِينَارًا دِينَارًا حَتَّى أَخْرَجَ سَبْعَةَ عَشَرَ دِينَارًا ثُمَّ أَخْرَجَ خِرْقَةً حَمْرَاءَ – يَعْنِي فِيهَا دِينَارٌ – فَكَانَتْ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ دِينَارًا فَذَهَبَ بِهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ وَقَالَ لَهُ خُذْ صَدَقَتَهَا ‏.‏ فَقَالَ لَهُ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَلْ هَوَيْتَ إِلَى الْجُحْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِيهَا ‏”‏ ‏.‏

আল-মিক্বদাদ (রাঃ) কন্যা কারীমাহ (রহঃ) হতে যুবাইর ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব ইবনু হিশামের কন্যা দাবাআহ্র (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাকে এ হাদীস জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আল–মিক্বদাদ (রাঃ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে নাকীউল খাবখাবাহ নামক স্থানে যান। তিনি হঠাৎ দেখতে পান, একটি ইঁদুর গর্ত থেকে একটি একটি করে দীনার বের করছে। এরপর ইঁদুরটি একাধারে সতেরটি দীনার বের করলো, অতঃপর একটি লাল রঙ্গের পুটুলি বের করে আনলো। তাতেও একটি দীনার ছিল। এতে সর্বমোট দীনার হলো আঠারটি। মিক্বদাদ এগুলো নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে ঘটনাটি জানালেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলেন, আপনি এর যাকাত নিন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি নিজে এগুলো গর্ত থেকে বের করেছ? তিনি বললেন, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ এ সম্পদে আল্লাহ্ তোমাকে বরকত দান করুন।

 

দুর্বল : ইবনু মাজাহ (২৫০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪১

কাফিরদের ধনভর্তি পুরাতন ক্ববর খোঁড়া

৩০৮৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ بُجَيْرِ بْنِ أَبِي بُجَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ حِينَ خَرَجْنَا مَعَهُ إِلَى الطَّائِفِ فَمَرَرْنَا بِقَبْرٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هَذَا قَبْرُ أَبِي رِغَالٍ وَكَانَ بِهَذَا الْحَرَمِ يَدْفَعُ عَنْهُ فَلَمَّا خَرَجَ أَصَابَتْهُ النِّقْمَةُ الَّتِي أَصَابَتْ قَوْمَهُ بِهَذَا الْمَكَانِ فَدُفِنَ فِيهِ وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّهُ دُفِنَ مَعَهُ غُصْنٌ مِنْ ذَهَبٍ إِنْ أَنْتُمْ نَبَشْتُمْ عَنْهُ أَصَبْتُمُوهُ مَعَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَابْتَدَرَهُ النَّاسُ فَاسْتَخْرَجُوا الْغُصْنَ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে তায়িফের দিকে রওয়ানা হই। আমরা একটি ক্ববরের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কবরটি আবূ রিগালের (সামূদ জাতির লোক)। সে গযব থেকে বাঁচার জন্য হেরেম শরীফের অভ্যন্তরে অবস্থান করতো। অতঃপর সেখান থেকে বের হয়ে এখানে পৌছলে সে উক্ত গযবে পতিত হয়, যাতে তার জাতির লোকেরা ধ্বংস হয়ে যায়। তাকে এ স্থানে দাফন করা হয়েছে। আর এর নিদর্শন হচ্ছে, তার সাথে লাঠি সদৃশ একটি স্বর্ণের লাঠিও দাফন করা আছে। তোমরা তার ক্ববর খুঁড়ে দেখলে সেটা তার সাথেই পাবে। লোকেরা দ্রুত তার ক্ববর খুঁড়ে স্বর্ণের লাঠিটি বের করলো।

 

দুর্বল : যঈফাহ (৪৭৩৬), যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৬০৮২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস