আবু দাউদ ইজারা (ভাড়া ও শ্রম বিক্রয়) অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৩৫০২ – ৩৫৭০
অনুচ্ছেদ-৬৯
‘উরবান (বায়না) প্রসঙ্গ
৩৫০২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الْعُرْبَانِ . قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ – فِيمَا نَرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ – أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ يَتَكَارَى الدَّابَّةَ ثُمَّ يَقُولُ أُعْطِيكَ دِينَارًا عَلَى أَنِّي إِنْ تَرَكْتُ السِّلْعَةَ أَوِ الْكِرَاءَ فَمَا أَعْطَيْتُكَ لَكَ .
আমর ইবনু শু‘আইব তার পিতা হতে তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উরবান পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, আল্লাহই অধিক জ্ঞাত, আমার মতে এ ধরনের পদ্ধতি নিম্নরূপঃ কেউ একটি গোলাম কিনলো অথবা পশু ভাড়া করলো, তারপর বললো, আমি তোমাকে এই শর্তে একটি দীনার (বায়না) দিলাম যে, যদি আমি গোলাম ক্রয় না করি অথবা পশু ভাড়া না নেই তাহলে এই দীনার তোমার।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২১৯২), মিশকাত (২৮৬৪), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৬০৬০)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭০
কোন ব্যক্তির এমন বস্তু বিক্রয় করা যা নিজের কাছে নেই
৩৫০৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَأْتِينِي الرَّجُلُ فَيُرِيدُ مِنِّي الْبَيْعَ لَيْسَ عِنْدِي أَفَأَبْتَاعُهُ لَهُ مِنَ السُّوقِ فَقَالَ “ لاَ تَبِعْ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ ”
হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি আমার নিকট এসে এমন জিনিস কিনতে চায় যা আমার কাছে নেই। আমি কি বাজার থেকে তার জন্য ঐ জিনিস কিনে আনবো? তিনি বলেনঃ তোমার কাছে যা নেই তা বিক্রি করো না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৮৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫০৪
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِيهِ، حَتَّى ذَكَرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَحِلُّ سَلَفٌ وَبَيْعٌ وَلاَ شَرْطَانِ فِي بَيْعٍ وَلاَ رِبْحُ مَا لَمْ تَضْمَنْ وَلاَ بَيْعُ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ ” .
আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিক্রয়ের সাথে ঋণের শর্ত যোগ করা, একই লেনদেনে দুই রকম শর্ত নির্ধারণ করা, যিম্মাদারী ছাড়া কোন বস্তু থেকে মুনাফা গ্রহন করা এবং যা তোমার কাছে নেই তা বিক্রি করা জায়িয নয়।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৮৮)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭১
ক্রয়-বিক্রয়ে শর্তারোপ
৩৫০৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنْ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنَا عَامِرٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بِعْتُهُ – يَعْنِي بَعِيرَهُ – مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَرَطْتُ حُمْلاَنَهُ إِلَى أَهْلِي قَالَ فِي آخِرِهِ “ تُرَانِي إِنَّمَا مَاكَسْتُكَ لأَذْهَبَ بِجَمَلِكَ خُذْ جَمَلَكَ وَثَمَنَهُ فَهُمَا لَكَ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমার উট বিক্রি করি এই শর্তে যে, আমি তাতে আরোহণ করে বাড়ি পৌঁছবো। অতঃপর বর্ণনাকারী অবশিষ্ট ঘটনা বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি মনে করছো, আমি তোমার উটটি কিনতে বিলম্ব করছি, এজন্য যে, তোমার কাছ থেকে তা (কম দামে) নিবো। যাও! তুমি তোমার উট এবং সাথে এর মূল্যও নিয়ে যাও। তুমি দুটোই নাও।
সহীহঃ আহাদীসূল বুয়ূ‘।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭২
গোলাম ক্রয়-বিক্রয়
৩৫০৬
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ عُهْدَةُ الرَّقِيقِ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ ”
উক্ববাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বিক্রয়ের পর দাস অথবা দাসীর মধ্যে দোষ পরিলক্ষিত হলে বিক্রেতা তিন দিন পর্যন্ত দায়ী থাকবে।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২২৪৪, ২২৪৫), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৩৮৩২)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫০৭
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ زَادَ إِنْ وَجَدَ دَاءً فِي الثَّلاَثِ اللَّيَالِي رُدَّ بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ وَإِنْ وَجَدَ دَاءً بَعْدَ الثَّلاَثِ كُلِّفَ الْبَيِّنَةَ أَنَّهُ اشْتَرَاهُ وَبِهِ هَذَا الدَّاءُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا التَّفْسِيرُ مِنْ كَلاَمِ قَتَادَةَ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ) তার সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
একই অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বর্ণনা করেন, ক্রেতা তিন দিনের মধ্যে কোন দোষ দেখতে পেলে বিনা প্রমাণে ফেরত দিতে পারবে। আর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ত্রুটি দেখতে পেলে ক্রেতাকে প্রমাণ দিতে হবে যে, তার ক্রয়ের সময়ই এই দোষ বিদ্যমান ছিল। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটা ক্বাতাদাহ্র নিজস্ব ব্যাখ্যা।
দুর্বলঃ এর পূর্বেরটি দেখুন। আর ক্বাতাদাহ পর্যন্ত এর সানাদ সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৩
কৃতদাস ক্রয় করে কাজে নিয়োগের পর তার মধ্যে ত্রুটি পাওয়া গেলে
৩৫০৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ ”
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুনাফা ঝুঁকির অনুগামী।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (২২৪২)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৫০৯
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ أُنَاسٍ شَرِكَةٌ فِي عَبْدٍ فَاقْتَوَيْتُهُ وَبَعْضُنَا غَائِبٌ فَأَغَلَّ عَلَىَّ غَلَّةً فَخَاصَمَنِي فِي نَصِيبِهِ إِلَى بَعْضِ الْقُضَاةِ فَأَمَرَنِي أَنْ أَرُدَّ الْغَلَّةَ فَأَتَيْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ فَحَدَّثْتُهُ فَأَتَاهُ عُرْوَةُ فَحَدَّثَهُ عَنْ عَائِشَةَ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا – عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ ” .
মাখলাদ ইবনু কুফাক আল-গিফারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং কতিপয় লোকের যৌথ মালিকানায় একটি গোলাম ছিলো। কতিপয় অংশীদারের অনুপস্থিতিতে আমি তাকে কাজে নিয়োগ করলে সে আমার জন্য কিছু উপার্জন করে আনলো। আমার এক অংশীদার এই আয়ে তার অংশ দাবি করে কোন এক বিচারকের কাছে মোকদ্দমা দায়ের করলো। বিচারক আমাকে অংশীদারের অংশ ফেরত দিতে নির্দেশ দিলেন। আমি ‘উরওয়াহ ইবনু যুবাইরের কাছে এসে বিষয়টি জানালাম। ‘উরওয়াহ বিচারকের কাছে এসে তাকে ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ফায়সালা শুনালেনঃ মুনাফা ঝুঁকির সাথে সম্পৃক্ত।
হাসান: এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৫১০
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ الزَّنْجِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَجُلاً، ابْتَاعَ غُلاَمًا فَأَقَامَ عِنْدَهُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يُقِيمَ ثُمَّ وَجَدَ بِهِ عَيْبًا فَخَاصَمَهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّهُ عَلَيْهِ فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدِ اسْتَغَلَّ غُلاَمِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا إِسْنَادٌ لَيْسَ بِذَاكَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি একটি ক্রীতদাস কিনলো। আল্লাহ যতদিন চাইলেন গোলামটি তার কাছেই থাকলো। অতঃপর সে তার মধ্যে দোষ দেখতে পেলো। তখন লোকটি বিক্রেতার বিরুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে অভিযোগ পেশ করলো। তিনি গোলামটি বিক্রেতাকে ফেরত দিলেন। বিক্রেতা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার গোলাম এতো দিনে যা উপার্জন করেছে (তার কি হবে)? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মুনাফা ঝুঁকির সাথে সম্পৃক্ত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীসের সানাদ তেমন নির্ভরযোগ্য নয়।
হাসানঃ এর পূর্বেরটি দ্বারা।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৪
পণ্যে বিদ্যমান থাকাবস্থায় ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে মতভেদ হলে
৩৫১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِي عُمَيْسٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ قَيْسِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الأَشْعَثِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ اشْتَرَى الأَشْعَثُ رَقِيقًا مِنْ رَقِيقِ الْخُمُسِ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بِعِشْرِينَ أَلْفًا فَأَرْسَلَ عَبْدُ اللَّهِ إِلَيْهِ فِي ثَمَنِهِمْ فَقَالَ إِنَّمَا أَخَذْتُهُمْ بِعَشْرَةِ آلاَفٍ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَاخْتَرْ رَجُلاً يَكُونُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ . قَالَ الأَشْعَثُ أَنْتَ بَيْنِي وَبَيْنَ نَفْسِكَ . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا اخْتَلَفَ الْبَيِّعَانِ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا بَيِّنَةٌ فَهُوَ مَا يَقُولُ رَبُّ السِّلْعَةِ أَوْ يَتَتَارَكَانِ ”
‘‘আবদুর রহমান ইবনু ক্বায়িস ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল আশ‘আস (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (ক্বায়িস) বলেন, আশ‘আস (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) এর কাছ থেকে বিশ হাজার দিরহামে কয়েকটি গোলাম কিনলেন। এগুলো তিনি পেয়েছিলেন গনীমাতের এক-পঞ্চমাংশ থেকে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) তার কাছে দাম চেয়ে পাঠালেন। তিনি বললেন, আমি দশ হাজার দিরহামে কিনেছি। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, তুমি এমন কোন ব্যক্তিকে বেছে নাও, যিনি আমার ও তোমার মাঝে মধ্যস্থতা করবেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে মতভেদ হলে যদি এ ব্যাপারে কারো কাছে কোন প্রমাণ না থাকে তাহলে পণ্যের মালিকের কথা গ্রহণযোগ্য হবে কিংবা উভয়েই চুক্তি বাতিল করবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫১২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي لَيْلَى، أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ، بَاعَ مِنَ الأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ رَقِيقًا فَذَكَرَ مَعْنَاهُ وَالْكَلاَمُ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ .
আল-ক্বাসিম ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) আশ‘আস ইবনু ক্বায়িস (রাঃ) এর কাছে কিছু গোলাম বিক্রি করেন। অতঃপর হাদীসের বাকী অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে কিছু কম-বেশী আছে।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৫
শুফ‘আহ
৩৫১৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الشُّفْعَةُ فِي كُلِّ شِرْكٍ رَبْعَةٍ أَوْ حَائِطٍ لاَ يَصْلُحُ أَنْ يَبِيعَ حَتَّى يُؤْذِنَ شَرِيكَهُ فَإِنْ بَاعَ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ حَتَّى يُؤْذِنَهُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক শরীকানা সম্পদে শুফ‘আর অধিকার আছে। চাই তা বাড়ি হোক কিংবা বাগান। অন্যান্য শরীকদের না জানিয়ে তা বিক্রি করা উচিত নয়। কেউ যদি শরীককে না জানিয়ে বিক্রি করে তাহলে অপর শরীকদার শুফ‘আর অধিকারী হবে। অবশ্য সে বিক্রিতে সম্মতি দিলে ভিন্ন কথা।
সহীহঃ নাসায়ী (৪৬৪৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫১৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّمَا جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الشُّفْعَةَ فِي كُلِّ مَالٍ لَمْ يُقْسَمْ فَإِذَا وَقَعَتِ الْحُدُودُ وَصُرِفَتِ الطُّرُقُ فَلاَ شُفْعَةَ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন সম্পত্তিতে শুফ‘আর ব্যবস্থা রেখেছেন যা এখনও বণ্টন করা হয়নি। সীমানা চিহ্নিত হয়ে গেলে এবং পৃথক রাস্তা করা হয় আর শুফ‘আর অধিকার থাকে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৯৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَوْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَوْ عَنْهُمَا جَمِيعًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا قُسِّمَتِ الأَرْضُ وَحُدَّتْ فَلاَ شُفْعَةَ فِيهَا ”
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন জমীন ভাগ করা হয়ে যায় এবং সীমানা নির্ধারণ হয়ে যায় তখন আর শুফ‘আর অধিকার থাকে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৯৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫১৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، سَمِعَ عَمْرَو بْنَ الشَّرِيدِ، سَمِعَ أَبَا رَافِعٍ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ الْجَارُ أَحَقُّ بِسَقَبِهِ ” .
আবূ রাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ প্রতিবেশী তার নৈকট্যের কারণে শুফ‘আর অধিক হকদার।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫১৭
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ جَارُ الدَّارِ أَحَقُّ بِدَارِ الْجَارِ أَوِ الأَرْضِ ” .
মাসুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঘরের নিকটবর্তী প্রতিবেশী তার প্রতিবেশীর ঘর ও জমি কেনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
সহীহঃ তিরমিযী (১৩৯৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫১৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْجَارُ أَحَقُّ بِشُفْعَةِ جَارِهِ يُنْتَظَرُ بِهَا وَإِنْ كَانَ غَائِبًا إِذَا كَانَ طَرِيقُهُمَا وَاحِدًا ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিবেশী তার প্রতিবেশীর শুফ‘আর বেশি হক্বদার। সে অনুপস্থিত থাকলে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে যদি তাদের উভয়ের যাতায়াতের পথ এক হয়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৬
দেউলিয়া সাব্যস্ত ব্যক্তির নিকট নিজের মাল অক্ষত অবস্থায় পেলে
৩৫১৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، – الْمَعْنَى – عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَيُّمَا رَجُلٍ أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ الرَّجُلُ مَتَاعَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যদি কেউ দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে যে ব্যক্তি তার কাছে নিজের মাল অক্ষত অবস্থায় পাবে সে-ই ঐ মালের অধিক হক্বদার হবে অন্যান্য পাওনাদারদের তুলনায়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৫৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫২০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَيُّمَا رَجُلٍ بَاعَ مَتَاعًا فَأَفْلَسَ الَّذِي ابْتَاعَهُ وَلَمْ يَقْبِضِ الَّذِي بَاعَهُ مِنْ ثَمَنِهِ شَيْئًا فَوَجَدَ مَتَاعَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ وَإِنْ مَاتَ الْمُشْتَرِي فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ ” .
আবূ বাকর ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশাম (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি মাল বিক্রি করার পর যদি ক্রেতা দেউলিয়া হয়ে যায় এবং বিক্রেতা তার কাছ থেকে এর মূল্য আদায় করতে না পারে তাহলে সে তার বিক্রিত পণ্য ক্রেতার নিকট অক্ষত অবস্থায় পেলে সে-ই হবে ঐ মালের অধিক হক্বদার। ক্রেতা মারা গেলে বিক্রেতা অন্যান্য পাওনাদারের মতই একজন পাওনাদার গণ্য হবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৫৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫২১
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ وَهْبٍ – أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ مَالِكٍ زَادَ “ وَإِنْ قَضَى مِنْ ثَمَنِهَا شَيْئًا فَهُوَ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ فِيهَا ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ক্রেতা পণ্যের মূল্য কিছু পরিশোধ করে থাকে তাহলে বিক্রেতা তার অবশিষ্ট পাওনার ক্ষেত্রে অন্যান্য পাওনাদারের মতই একজন পাওনাদার গণ্য হবে। কোন ব্যক্তি যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যে, তার কাছে বিক্রেতার মাল অক্ষত রয়েছে। তাহলে বিক্রেতা তার কাছ থেকে কিছুটা মূল্য পেয়ে থাকুক বা না থাকুক, উভয় অবস্থায় সে অন্যান্য পাওনাদারের মতই গণ্য হবে।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، – يَعْنِي الْخَبَائِرِيَّ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عَيَّاشٍ – عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو الْهُذَيْلِ الْحِمْصِيُّ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ قَالَ “ فَإِنْ كَانَ قَضَاهُ مِنْ ثَمَنِهَا شَيْئًا فَمَا بَقِيَ فَهُوَ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ وَأَيُّمَا امْرِئٍ هَلَكَ وَعِنْدَهُ مَتَاعُ امْرِئٍ بِعَيْنِهِ اقْتَضَى مِنْهُ شَيْئًا أَوْ لَمْ يَقْتَضِ فَهُوَ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ مَالِكٍ أَصَحُّ .
আবূ বকর ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনুল ইবনু হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অতঃপর মালিক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। এতে আরো আছেঃ সে মূল্যের কিছু অংশ পরিশোধ করে থাকলে বিক্রেতা অপরাপর পাওনাদারের মতই একজন পাওনাদার গণ্য হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, মালিক বর্ণিত হাদীসটি অধিকতর সহীহ।
সহীহঃ ইরওয়া (৫/২৬৯-২৭০)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، هُوَ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَبِي الْمُعْتَمِرِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ خَلْدَةَ، قَالَ أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ فِي صَاحِبٍ لَنَا أَفْلَسَ فَقَالَ لأَقْضِيَنَّ فِيكُمْ بِقَضَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَفْلَسَ أَوْ مَاتَ فَوَجَدَ رَجُلٌ مَتَاعَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ ” .
উমার ইবনু খালদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা আমাদের এক দেউলিয়া সাথীর মোকদ্দমা নিয়ে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি তোমাদের অবশ্যই রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ ফায়সালা প্রদান করবো। তা হলোঃ কেউ দেউলিয়া হয়ে গেলে অথবা মারা গেলে পাওনাদার যদি তার মাল ঐ ব্যক্তির কাছে অক্ষত অবস্থায় পায় তাহলে মালিকই ঐ মালের অধিক হক্বদার।
দুর্বলঃ ইবনু মাজাহ (২৩৬০), ইরওয়া (১৪৪২), মিশকাত (২৯১৪), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৫৪৬৩)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৭
যে ব্যক্তি অক্ষম পশুকে সবল করে
৩৫২৪
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، – قَالَ عَنْ أَبَانَ، أَنَّ عَامِرًا الشَّعْبِيَّ، – حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ وَجَدَ دَابَّةً قَدْ عَجَزَ عَنْهَا أَهْلُهَا أَنْ يَعْلِفُوهَا فَسَيَّبُوهَا فَأَخَذَهَا فَأَحْيَاهَا فَهِيَ لَهُ ” . قَالَ فِي حَدِيثِ أَبَانَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَقُلْتُ عَمَّنْ قَالَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا حَدِيثُ حَمَّادٍ وَهُوَ أَبْيَنُ وَأَتَمُّ .
আবান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমির আশ-শা‘বী (রহঃ) তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে পশুকে মালিক খাওয়াতে অক্ষম হয়ে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিলো। এখন যে ব্যক্তি পশুটি কুড়িয়ে নিয়ে সেবা-যত্ন করে সুস্থ-সবল করে তুলবে সেই হবে পশুটির মালিক। আবানের হাদীসে রয়েছেঃ ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) ‘আমির আশ-শা‘বী (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এ হাদীস কার থেকে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একাধিক সাহাবীর কাছ থেকে শুনেছি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি হাম্মাদ বর্ণিত হাদীস এবং এটি অধিক স্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ।
হাসানঃ ইরওয়া (১৫৬২)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৫২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ حَمَّادٍ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ مَنْ تَرَكَ دَابَّةً بِمُهْلِكٍ فَأَحْيَاهَا رَجُلٌ فَهِيَ لِمَنْ أَحْيَاهَا ” .
আশ-শা‘বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি তার কোন পশুকে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার অবস্থায় পরিত্যাগ করলে যে ব্যক্তি এটাকে তুলে নিয়ে সেবা-যত্নের মাধ্যমে সুস্থ-সবল করে তুলবে সে-ই হবে এর মালিক।
হাসানঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৮
বন্ধক সম্পর্কে
৩৫২৬
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَبَنُ الدَّرِّ يُحْلَبُ بِنَفَقَتِهِ إِذَا كَانَ مَرْهُونًا وَالظَّهْرُ يُرْكَبُ بِنَفَقَتِهِ إِذَا كَانَ مَرْهُونًا وَعَلَى الَّذِي يَرْكَبُ وَيَحْلِبُ النَّفَقَةُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ عِنْدَنَا صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দুগ্ধবতী পশু বন্ধক রাখা হলে তাকে খাদ্য খাওয়ানোর বিনিময়ে তার দুধ দোহন করা যাবে। আরোহণের পশু বন্ধক রাখা হলে তাকে ঘাস খাওয়ানোর বিনিময়ে তাতে আরোহণ করা যাবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমাদের মতে হাদীসটি সহীহ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৪৪০)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫২৭
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ وَلاَ شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ تُخْبِرُنَا مَنْ هُمْ . قَالَ ” هُمْ قَوْمٌ تَحَابُّوا بِرُوحِ اللَّهِ عَلَى غَيْرِ أَرْحَامٍ بَيْنَهُمْ وَلاَ أَمْوَالٍ يَتَعَاطَوْنَهَا فَوَاللَّهِ إِنَّ وُجُوهَهُمْ لَنُورٌ وَإِنَّهُمْ عَلَى نُورٍ لاَ يَخَافُونَ إِذَا خَافَ النَّاسُ وَلاَ يَحْزَنُونَ إِذَا حَزِنَ النَّاسُ ” . وَقَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ { أَلاَ إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ } .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা নবী নন এবং শহীদও নয়। ক্বিয়ামাতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে তাদের মর্যাদার কারণে নাবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হবেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের অবহিত করুন, তারা কারা? তিনি বলেন, তারা ঐসব লোক যারা আল্লাহর মহানুভবতায় পরস্পরকে ভালবাসে, অথচ তারা পরস্পর আত্মীয়ও নয় এবং পরস্পরকে সম্পদও দেয়নি। আল্লাহর শপথ! তাদের মুখমণ্ডল যেন নূর এবং তারা নূরের আসনে উপবেশন করবে। তারা ভীত হবে না, যখন মানুষ ভীত থাকবে। তারা দুশ্চিন্তায় পড়বে না, যখন মানুষ দুশ্চিন্তায় থাকবে। তিনি এ আয়াত তিলওয়াত করলেনঃ “জেনে রাখো! আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হবে না” (সূরাহ ইউনুসঃ ৬২)
সহীহঃ তা‘লীকুর রাগীব (৪/৪৭-৪৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৯
পিতা সন্তানের সম্পদ ভোগ করতে পারে
৩৫২৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَمَّتِهِ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ رضى الله عنها فِي حِجْرِي يَتِيمٌ أَفَآكُلُ مِنْ مَالِهِ فَقَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ مِنْ أَطْيَبِ مَا أَكَلَ الرَّجُلُ مِنْ كَسْبِهِ وَوَلَدُهُ مِنْ كَسْبِهِ ” .
উমারাহ ইবনু উমাইর (রহঃ) তার ফুফুর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার প্রতিপালনে একটি ইয়াতীম রয়েছে। আমি কি তার মাল থেকে খেতে পারি? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির নিজ হাতের উপার্জিত খাদ্য সর্বোত্তম খাদ্য। তার সন্তানও তার উপার্জন বিশেষ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২১৩৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫২৯
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” وَلَدُ الرَّجُلِ مِنْ كَسْبِهِ مِنْ أَطْيَبِ كَسْبِهِ فَكُلُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ زَادَ فِيهِ ” إِذَا احْتَجْتُمْ ” . وَهُوَ مُنْكَرٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির সন্তান তার উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত বরং তার সর্বোত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা তাদের সম্পদ থেকে ভোগ করতে পারো।
হাসান সহীহ।
ইমাম আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ ইবনু আবু সুলায়মানের বর্ণনায় রয়েছেঃ তোমরা মুখাপেক্ষী হয়ে পড়লে খাবে। এ কথাটুকু প্রত্যাখ্যাত।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৫৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالاً وَوَلَدًا وَإِنَّ وَالِدِي يَجْتَاحُ مَالِي . قَالَ “ أَنْتَ وَمَالُكَ لِوَالِدِكَ إِنَّ أَوْلاَدَكُمْ مِنْ أَطْيَبِ كَسْبِكُمْ فَكُلُوا مِنْ كَسْبِ أَوْلاَدِكُمْ ” .
‘আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সম্পদও আছে সন্তানও আছে। আমার পিতা আমার সম্পদের মুখাপেক্ষী। তিনি বলেনঃ তুমি এবং তোমার সম্পদ উভয়ই তোমার পিতার। তোমাদের সন্তান তোমাদের জন্য সর্বোত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা তোমাদের সন্তানদের উপার্জন খাবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৮০
কেউ নিজের (হারানো) বস্তু অন্যের নিকট অবিকল পেলে
৩৫৩১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ السَّائِبِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ وَجَدَ عَيْنَ مَالِهِ عِنْدَ رَجُلٍ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ وَيَتَّبِعُ الْبَيِّعُ مَنْ بَاعَهُ ” .
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্য কারো কাছে নিজের মাল অক্ষত অবস্থায় পেয়েছে সে তার অধিক হক্বদার। ক্রেতা তো মালের বিক্রেতাকেই ধরবে।
দুর্বলঃ নাসায়ী (৪৬৮১), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৫৮৭০), মিশকাত (২৯৪৯)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮১
নিজের আয়ত্তধীন মাল থেকে নিজের প্রাপ্য গ্রহন
৩৫৩২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ هِنْدًا أُمَّ مُعَاوِيَةَ، جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ وَإِنَّهُ لاَ يُعْطِينِي مَا يَكْفِينِي وَبَنِيَّ فَهَلْ عَلَىَّ جُنَاحٌ أَنْ آخُذَ مِنْ مَالِهِ شَيْئًا قَالَ “ خُذِي مَا يَكْفِيكِ وَبَنِيكِ بِالْمَعْرُوفِ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা মু‘আবিয়াহ (রহঃ) এর মা হিন্দা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, আবূ সুফিয়ান একজন কৃপণ লোক। তিনি আমার ও আমার সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য প্রয়োজন পরিমাণ খরচ দেন না। আমি তার মাল থেকে খরচের জন্য কিছু নিলে অন্যায় হবে কি? তিনি বললেন, তোমরা ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয় এরূপ পরিমাণ মাল ন্যায়সঙ্গতভাবে নিতে পারো।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২২৯৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৩৩
حَدَّثَنَا خُشَيْشُ بْنُ أَصْرَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ هِنْدٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ مُمْسِكٌ فَهَلْ عَلَىَّ مِنْ حَرَجٍ أَنْ أُنْفِقَ عَلَى عِيَالِهِ مِنْ مَالِهِ بِغَيْرِ إِذْنِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ لاَ حَرَجَ عَلَيْكِ أَنْ تُنْفِقِي عَلَيْهِمْ بِالْمَعْرُوفِ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা হিন্দা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুফিয়ান একজন কৃপণ লোক। আমি যদি তার বিনা অনুমতিতে তার মাল থেকে তার সন্তানদের জন্য খরচ করি তাহলে আমার অন্যায় হবে কি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাদের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে খরচ করলে অন্যায় হবে না।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، – يَعْنِي الطَّوِيلَ – عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ الْمَكِّيِّ، قَالَ كُنْتُ أَكْتُبُ لِفُلاَنٍ نَفَقَةَ أَيْتَامٍ كَانَ وَلِيَّهُمْ فَغَالَطُوهُ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ فَأَدَّاهَا إِلَيْهِمْ فَأَدْرَكْتُ لَهُمْ مِنْ مَالِهِمْ مِثْلَيْهَا . قَالَ قُلْتُ أَقْبِضُ الأَلْفَ الَّذِي ذَهَبُوا بِهِ مِنْكَ قَالَ لاَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ أَدِّ الأَمَانَةَ إِلَى مَنِ ائْتَمَنَكَ وَلاَ تَخُنْ مَنْ خَانَكَ ” .
ইউসুফ ইবনু মাহাক আল-মাক্কি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তির প্রতিপালনে কিছু ইয়াতীম ছিল। সে তাদের ভরণপোষণের খরচ বহন করতো। আমি এর হিসাব লিখে রাখতাম। একদা ইয়াতিমরা তাকে এক হাজার দিরহামের ভুল হিসাব দিলে সে তাদের তা প্রদান করলো। কিন্তু পরে আমি হিসাব করে ঐ পরিমাণ মাল ইয়াতীমদের মালের মধ্যে পেলাম। আমি বললাম, তারা তোমার কাছ থেকে ভুল হিসাব দিয়ে যে এক হাজার দিরহাম নিয়েছে তা ফেরত নাও। সে বলল, না আমার পিতা আমাকে বলেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি তোমার কাছে কিছু আমানত রেখেছে তাকে তা ফেরত দাও। আর যে ব্যক্তি তোমার সাথে খিয়ানাত করেছে তুমি তার সাথে খিয়ানাত করো না।
সহীহঃ তিরমিযী (১২৮৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَأَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ، عَنْ شَرِيكٍ، – قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ وَقَيْسٍ – عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَدِّ الأَمَانَةَ إِلَى مَنِ ائْتَمَنَكَ وَلاَ تَخُنْ مَنْ خَانَكَ ” .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সাথে খিয়ানাত করেছে তুমি তার সাথে খিয়ানাত করো না।
হাসান সহীহঃ তিরমিযী (১২৮৭)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৮২
হাদিয়া গ্রহণ
৩৫৩৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، وَعَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مُطَرِّفٍ الرُّؤَاسِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عِيسَى، – وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ – عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ وَيُثِيبُ عَلَيْهَا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপহার গ্রহণ করতেন এবং তিনি এর পরিবর্তে অন্যকেও (উপহার) দিতেন।
সহীহঃ তিরমিযী (২০৩৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ – حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ وَايْمُ اللَّهِ لاَ أَقْبَلُ بَعْدَ يَوْمِي هَذَا مِنْ أَحَدٍ هَدِيَّةً إِلاَّ أَنْ يَكُونَ مُهَاجِرًا قُرَشِيًّا أَوْ أَنْصَارِيًّا أَوْ دَوْسِيًّا أَوْ ثَقَفِيًّا ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আজকের দিনের পর থেকে আমি কুরাইশ মুহাজির, আনসার এবং দাওস অথবা সাক্বীফ গোত্রের লোক ছাড়া অন্য কারো উপঢৌকন নিবো না।
সহীহঃ তিরমিযী (৪২২৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৩
দান করে তা পুনরায় ফেরত নেয়া
৩৫৩৮
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، وَهَمَّامٌ، وَشُعْبَةُ، قَالُوا حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ ” . قَالَ هَمَّامٌ وَقَالَ قَتَادَةُ وَلاَ نَعْلَمُ الْقَىْءَ إِلاَّ حَرَامًا .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি দান করার পর ফেরত নেয়, তার উদাহরণ হচ্ছেঃ যে ব্যক্তি বমি করে তা পুনরায় ভক্ষণ করে। হাম্মাম (রহঃ) বলেন, ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেছেন, আমরা বমিকে হারাম মনে করি।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৩৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُعْطِيَ عَطِيَّةً أَوْ يَهَبَ هِبَةً فَيَرْجِعَ فِيهَا إِلاَّ الْوَالِدَ فِيمَا يُعْطِي وَلَدَهُ وَمَثَلُ الَّذِي يُعْطِي الْعَطِيَّةَ ثُمَّ يَرْجِعُ فِيهَا كَمَثَلِ الْكَلْبِ يَأْكُلُ فَإِذَا شَبِعَ قَاءَ ثُمَّ عَادَ فِي قَيْئِهِ ” .
ইবনু ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তির জন্যই (কাউকে কিছু) দেয়ার বা দান করার পর তা ফেরত নেয়া হালাল নয়। তবে পিতা পুত্রকে কিছু দান করার পর তা ফেরত নিতে পারবে। যে ব্যক্তি দান করার পর তা ফেরত নেয়, সে এমন কুকুরের মত, যে পেট ভরে খাওয়ার পর বমি করে পুনরায় তা খায়।
সহিহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৭৭), সংক্ষেপে দেখুন ইরওয়া (৬/৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৪০
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ شُعَيْبٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَثَلُ الَّذِي يَسْتَرِدُّ مَا وَهَبَ كَمَثَلِ الْكَلْبِ يَقِيءُ فَيَأْكُلُ قَيْئَهُ فَإِذَا اسْتَرَدَّ الْوَاهِبُ فَلْيُوَقَّفْ فَلْيُعَرَّفْ بِمَا اسْتَرَدَّ ثُمَّ لِيُدْفَعْ إِلَيْهِ مَا وَهَبَ ” .
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি নিজের দান করা বস্তু ফেরত নেয় সে এমন কুকুরের মত, যে বমি করে পুনরায় তা ভক্ষণ করে। দাতা দানকৃত বস্তু ফেরত চাইলে গ্রহীতা খতিয়ে দেখবে এবং জেনে নিবে, সে কি জন্য তার দানকৃত বস্তু ফেরত চাইছে। কারণ জানা গেলে তা ফেরত দিবে।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৭৮) অনুরূপ সক্ষেপে, দেখুন মিশকাতুল মাসাবীহ (৩০২০)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৪
প্রয়োজন পূরণ করে দেয়ার জন্য হাদিয়া গ্রহণ
৩৫৪১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ شَفَعَ لأَخِيهِ بِشَفَاعَةٍ فَأَهْدَى لَهُ هَدِيَّةً عَلَيْهَا فَقَبِلَهَا فَقَدْ أَتَى بَابًا عَظِيمًا مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا ” .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের জন্য কোন বিষয়ে সুপারিশ করার কারণে যদি সে তাকে কিছু উপহার দেয় এবং সে তা গ্রহণ করে তাহলে সে সুদের একটি বড় দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো।
হাসানঃ মিশকাত (৩৭৫৭)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৫
যদি কোন ব্যক্তি নিজ সন্তানদের মধ্যে কাউকে বেশি দেয়
৩৫৪২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ، وَأَخْبَرَنَا مُغِيرَةُ، وَأَخْبَرَنَا دَاوُدُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، وَأَنْبَأَنَا مُجَالِدٌ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ أَنْحَلَنِي أَبِي نُحْلاً – قَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ مِنْ بَيْنِ الْقَوْمِ نِحْلَةً غُلاَمًا لَهُ – قَالَ فَقَالَتْ لَهُ أُمِّي عَمْرَةُ بِنْتُ رَوَاحَةَ إِيتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَشْهِدْهُ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَشْهَدَهُ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي النُّعْمَانَ نُحْلاً وَإِنَّ عَمْرَةَ سَأَلَتْنِي أَنْ أُشْهِدَكَ عَلَى ذَلِكَ قَالَ فَقَالَ ” أَلَكَ وَلَدٌ سِوَاهُ ” . قَالَ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ ” فَكُلَّهُمْ أَعْطَيْتَ مِثْلَ مَا أَعْطَيْتَ النُّعْمَانَ ” . قَالَ لاَ قَالَ فَقَالَ بَعْضُ هَؤُلاَءِ الْمُحَدِّثِينَ ” هَذَا جَوْرٌ ” . وَقَالَ بَعْضُهُمْ ” هَذَا تَلْجِئَةٌ فَأَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي ” . قَالَ مُغِيرَةُ فِي حَدِيثِهِ ” أَلَيْسَ يَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا لَكَ فِي الْبِرِّ وَاللُّطْفِ سَوَاءً ” . قَالَ نَعَمْ . قَالَ ” فَأَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي ” . وَذَكَرَ مُجَالِدٌ فِي حَدِيثِهِ ” إِنَّ لَهُمْ عَلَيْكَ مِنَ الْحَقِّ أَنْ تَعْدِلَ بَيْنَهُمْ كَمَا أَنَّ لَكَ عَلَيْهِمْ مِنَ الْحَقِّ أَنْ يَبَرُّوكَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ قَالَ بَعْضُهُمْ ” أَكُلَّ بَنِيكَ ” . وَقَالَ بَعْضُهُمْ ” وَلَدِكَ ” . وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ فِيهِ ” أَلَكَ بَنُونَ سِوَاهُ ” . وَقَالَ أَبُو الضُّحَى عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ” أَلَكَ وَلَدٌ غَيْرُهُ ” .
নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে অতিরিক্ত কিছু দিলেন। এ হাদীসের অন্যতম বর্ণনাকারী ইসমাঈল ইবনু সালিমের বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি তাকে একটি গোলাম দান করেন। বর্ণনাকারী (নু‘মান) বলেন, আমার মা ‘আমরাহ বিনতু রাওয়াহা (রাঃ) আমার পিতাকে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট গিয়ে তাঁকে এ বিষয়ে সাক্ষী রাখুন। তিনি (পিতা) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালেন। তিনি বললেন, আমি আমার ছেলে নু‘মানকে কিছু উপহার দিয়েছি। এ ব্যাপারে আপনাকে সাক্ষী রাখার জন্য ‘আমরাহ আমাকে অনুরোধ করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, সে ছাড়াও তোমার আরো সন্তান আছে কি? তিনি বললেন, হাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি তোমার প্রত্যেক সন্তানকে অনুরূপ দিয়েছো, যেমন নু‘মানকে দিয়েছো? তিনি বললেন, না। কতিপয় মুহাদ্দিসের বর্ণনায় রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “এটা অন্যায় কাজ”। আর কতিপয় মুহাদ্দিস বলেন, নবী বলেছেনঃ “এতো নীতি বিরোধী কাজ”। সুতরাং আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সাক্ষী রাখো। মুগীরাহ (রহঃ) তার বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করেন, “তোমার সব সন্তানই সমান সৌভাগ্যবান হোক, এতে কি তুমি খুশি হবে না? তিনি বললেন, হাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে এর সাক্ষী রাখো”। মুজালিদ তার বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “তোমার উপর তাদের হক্ব রয়েছে যে, তুমি তাদের সাথে সমান ব্যবহার করবে এবং তাদের প্রতি ইনসাফ করবে। যেমন অধিকার রয়েছে তাদের উপর তোমার; তারা সবাই তোমার সাথে সদ্ব্যবহার করুক”।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, যুহ্রীর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, কতিপয় বর্ণনাকারী “তোমরা সন্তান” শব্দ বর্ণনা করেছেন। ইবনু খালিদ (রহঃ) বলেন, শা‘বীর বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ “সে ছাড়া তোমার আরো সন্তান আছে কি?”। আবুদ্ দুহা (রহঃ) নু‘মান ইবনু বাশীর সূত্রে হাদীসে বলেন, (সে ব্যতীত তোমার কি আরো সন্তান আছে?”
সহীহঃ তবে মুজালিদের অতিরিক্ত সংযোজন ““…… (আরবি)”” অংশটুকু বাদে। গায়াতুল মারাম (২৭৩,২৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৪৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنِي النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، قَالَ أَعْطَاهُ أَبُوهُ غُلاَمًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا هَذَا الْغُلاَمُ ” . قَالَ غُلاَمِي أَعْطَانِيهِ أَبِي . قَالَ ” فَكُلَّ إِخْوَتِكَ أَعْطَى كَمَا أَعْطَاكَ ” . قَالَ لاَ . قَالَ ” فَارْدُدْهُ ” .
নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তার পিতা তাকে একটি গোলাম দান করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নু‘মানকে জিজ্ঞেস করলেনঃ এটি কার গোলাম? তিনি বললেন, আমার গোলাম, আমার পিতা আমাকে দান করেছেন। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ সে তোমার মতো তোমার অন্য ভাইদেরকেও কি দিয়েছে? নু‘মান বললেন, না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি এটি ফেরত দাও।
সহীহঃ ইরওয়া (৬/৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৪৪
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حَاجِبِ بْنِ الْمُفَضَّلِ بْنِ الْمُهَلَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اعْدِلُوا بَيْنَ أَوْلاَدِكُمْ اعْدِلُوا بَيْنَ أَبْنَائِكُمْ ” .
নু‘মান ইবনু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সন্তানদের সাথে সমান আচরণ করো; তোমাদের সন্তানদের সাথে ইনসাফ করো।
সহীহঃ গায়াতুল মারাম (২৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৪৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَتِ امْرَأَةُ بَشِيرٍ انْحَلِ ابْنِي غُلاَمَكَ وَأَشْهِدْ لِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ ابْنَةَ فُلاَنٍ سَأَلَتْنِي أَنْ أَنْحَلَ ابْنَهَا غُلاَمًا وَقَالَتْ لِي أَشْهِدْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ ” لَهُ إِخْوَةٌ ” . فَقَالَ نَعَمْ . قَالَ ” فَكُلَّهُمْ أَعْطَيْتَ مِثْلَ مَا أَعْطَيْتَهُ ” . قَالَ لاَ . قَالَ ” فَلَيْسَ يَصْلُحُ هَذَا وَإِنِّي لاَ أَشْهَدُ إِلاَّ عَلَى حَقٍّ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা বাশীর (রাঃ) এর স্ত্রী তাকে বলেন, আপনার গোলামটি আমার ছেলেকে দিয়ে দিন এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাক্ষী রাখুন।। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে এসে বললেন, অমুকের কণ্যা (আমার স্ত্রী) আপনার কাছে আবেদন করেছে, আমি যেন তার ছেলেকে আমার গোলামটি দান করি। সে আমাকে এটাও বলেছে যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাক্ষী রাখুন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার আরো ভাই আছে কি? বাশীর বললেন, হাঁ। তিনি বললেনঃ তাকে যেরূপ দান করেছো অন্যদেরও কি সেরূপ দিয়েছো? তিনি বললেন, না। তিনি বললেনঃ এটা উচিত নয়। আমি সত্য ব্যতীত অন্য কিছুর সাক্ষী হই না।
সহীহঃ ইরওয়া (৬/৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৬
স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীর দান
৩৫৪৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، وَحَبِيبٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَجُوزُ لاِمْرَأَةٍ أَمْرٌ فِي مَالِهَا إِذَا مَلَكَ زَوْجُهَا عِصْمَتَهَا ” .
আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বামী যদি স্ত্রীর সতীত্বের হিফাযাতকারী হয় তাহলে কোন স্ত্রীর পক্ষে (স্বামীর বিনা অনুমতিতে) তার মাল থেকে ব্যয় করা জায়িয নয়।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৮৮)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৫৪৭
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَجُوزُ لاِمْرَأَةٍ عَطِيَّةٌ إِلاَّ بِإِذْنِ زَوْجِهَا ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বামীর বিনা অনুমতিতে কোন স্ত্রীর পক্ষে (তার মাল থেকে) কিছু দান করা জায়িয নয়।
হাসান সহীহ: এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৮৭
জীবনস্বত্ব
৩৫৪৮
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْعُمْرَى جَائِزَةٌ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সারা জীবনের জন্য কাউকে কিছু দান করা জায়িয।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৪৯
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
সামুরাহ (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত হাদীসের অনূরূপ বর্ণিত।
সহীহ পূর্বেরটি দ্বারা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫০
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ “ الْعُمْرَى لِمَنْ وُهِبَتْ لَهُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ সারা জীবনের জন্য প্রদত্ত বস্তু তারই প্রাপ্য যাকে তা দেয়া হয়।
সহীহ: নাসায়ী (৩৭৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫১
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، أَخْبَرَنِي الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ أُعْمِرَ عُمْرَى فَهِيَ لَهُ وَلِعَقِبِهِ يَرِثُهَا مَنْ يَرِثُهُ مِنْ عَقِبِهِ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যাকে সারা জীবনের জন্য কিছু দেয়া হয় তার মালিক সে-ই। তার অবর্তমানে যারা তার উত্তরাধিকারী হয় তারা এর উত্তরাধিকারী হবে।
সহীহ: নাসায়ী (৩৭৪০-৩৭৪১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَعُرْوَةَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَكَذَا رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ جَابِرٍ .
জাবির (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাদীসের অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৮
জীবনস্বত্ব দেয়ার সময় যদি কেউ বলে, তার ওয়ারিসগণও পাবে
৩৫৫৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، – يَعْنِي ابْنَ أَنَسٍ – عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَيُّمَا رَجُلٍ أُعْمِرَ عُمْرَى لَهُ وَلِعَقِبِهِ فَإِنَّهَا لِلَّذِي يُعْطَاهَا لاَ تَرْجِعُ إِلَى الَّذِي أَعْطَاهَا لأَنَّهُ أَعْطَى عَطَاءً وَقَعَتْ فِيهِ الْمَوَارِيثُ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি সারা জীবনের জন্য কাউকে কিছু দান করে বলে, তাকে এবং তার উত্তরাধিকারীকে জীবনস্বত্ব দেয়া হলো। তাহলে এই জীবনস্বত্ব মালিক সে এবং তার ওয়ারিসরা হবে, যা কখনো গ্রহীতার কাছ থেকে দাতার নিকট ফিরে আসবে না। কারণ সে এমনভাবে দান করেছে, যাতে উত্তরাধিকারস্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সহীহ: নাসায়ী (৩৭৪৫)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫৪
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عُقَيْلٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَاخْتُلِفَ، عَلَى الأَوْزَاعِيِّ فِي لَفْظِهِ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَرَوَاهُ، فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ مِثْلَ حَدِيثِ مَالِكٍ .
ইবনু শিহাব থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু শিহাব তার সানাদ পরম্পরায় উপরের হাদীসে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৫৫৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّمَا الْعُمْرَى الَّتِي أَجَازَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقُولَ هِيَ لَكَ وَلِعَقِبِكَ . فَأَمَّا إِذَا قَالَ هِيَ لَكَ مَا عِشْتَ . فَإِنَّهَا تَرْجِعُ إِلَى صَاحِبِهَا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেরূপ জীবনস্বত্ব দানের অনুমতি দিয়েছেন তা হলো, দাতা এরূপ বলবেঃ এটা তোমার জন্য এবং তোমার ওয়ারিসদের জন্য। কিন্তু সে যদি তা না বলে এটা বলেঃ “যতদিন তুমি বেঁচে থাকবে ততদিন এটা তোমার জন্য”, এ অবস্থায় (গ্রহীতার মৃত্যুর পর) ঐ দান দাতার নিকট ফেরত আসবে।
সহীহ : ইরওয়া (১৬১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تُرْقِبُوا وَلاَ تُعْمِرُوا فَمَنْ أُرْقِبَ شَيْئًا أَوْ أُعُمِرَهُ فَهُوَ لِوَرَثَتِهِ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা পুনরায় ফেরত পাবার আশায় এরূপ (বলে) দান করবে না যে, যদি আমি আগে মরে যাই তবে এটা তোমার; আর যদি তুমি আগে মরে যাও তবে এটা আমার। অথবা যতদিন তুমি বেঁচে থাকবে এটা তোমার। যাকে রুক্ববা অথবা জীবনস্বত্ব দান করা হয় সেটা তার উত্তরাধিকারীদের জন্য হয়ে যায়।
সহীহ: নাসায়ী (৩৭৩১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫৭
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي ثَابِتٍ – عَنْ حُمَيْدٍ الأَعْرَجِ، عَنْ طَارِقٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي امْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ أَعْطَاهَا ابْنُهَا حَدِيقَةً مِنْ نَخْلٍ فَمَاتَتْ فَقَالَ ابْنُهَا إِنَّمَا أَعْطَيْتُهَا حَيَاتَهَا . وَلَهُ إِخْوَةٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هِيَ لَهَا حَيَاتَهَا وَمَوْتَهَا ” . قَالَ كُنْتُ تَصَدَّقْتُ بِهَا عَلَيْهَا . قَالَ ” ذَلِكَ أَبْعَدُ لَكَ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক আনসারী মহিলাকে তার পুত্র কর্তৃক দান করা একটি খেজুর বাগান সম্পর্কে ফায়সালা দিয়েছিলেন। অতঃপর মহিলাটি মারা গেলে তার ছেলে বললো, আমি তাকে তার জীবিত থাকাকালীন সময়ের জন্যই দান করেছিলাম। ছেলেটির আরো কয়েকটি ভাই ছিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জীবিত ও মৃত্যু উভয় অবস্থায়ই বাগানটি তার হয়ে গেছে। ছেলেটি বললো, বাগানটি আমি তাকে সদাক্বাহ স্বরূপ দিয়েছিলাম। তিনি বললেনঃ তাহলে তো এটা তোমার থেকে দূরে সরে গেছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৯
রুকবা
৩৫৫৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ صلى الله عليه وسلم “ الْعُمْرَى جَائِزَةٌ لأَهْلِهَا وَالرُّقْبَى جَائِزَةٌ لأَهْلِهَا ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাকে জীবনস্বত্ব দেয়া হয় সেটা তারই হয়ে যায়। রুকবা যাকে দেয়া সে-ই হয় এর স্বত্বাধিকারী।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২৩৮৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَعْقِلٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ حُجْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَعْمَرَ شَيْئًا فَهُوَ لِمُعْمَرِهِ مَحْيَاهُ وَمَمَاتَهُ وَلاَ تُرْقِبُوا فَمَنْ أَرْقَبَ شَيئًا فَهُوَ سَبِيلُهُ ” .
যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কেউ কাউকে জীবনস্বত্বরূপে কিছু দান করে তাহলে যাকে তা দান করা হয়েছে সেই হবে জীবনে মরণে এর স্বত্বাধিকারী। তোমরা রুক্ববা করো না। কেউ রুক্ববা করলে তা গ্রহীতার মালিকানায় চলে যায়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৫৬০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ الْعُمْرَى أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ هُوَ لَكَ مَا عِشْتَ فَإِذَا قَالَ ذَلِكَ فَهُوَ لَهُ وَلِوَرَثَتِهِ وَالرُّقْبَى هُوَ أَنْ يَقُولَ الإِنْسَانُ هُوَ لِلآخِرِ مِنِّي وَمِنْكَ .
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জীবনস্বত্ব হলোঃ কোনো ব্যক্তি কাউকে বললো, যতদিন তুমি বেঁচে থাকবে এটা তোমার। দাতা এরূপ বললে এটা গ্রহীতার হয়ে যাবে এবং তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিসরা এর স্বত্বাধিকারী হবে। আর রুক্ববা হলোঃ কোন ব্যক্তির এরূপ বলা, যদি আমি আগে মারা যাই তবে এটা তোমার, আর যদি তুমি আগে মারা যাও তবে এটা আমার।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯০
ধারকৃত বস্তু নষ্ট হলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়া
৩৫৬১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ عَلَى الْيَدِ مَا أَخَذَتْ حَتَّى تُؤَدِّيَ ” . ثُمَّ إِنَّ الْحَسَنَ نَسِيَ فَقَالَ هُوَ أَمِينُكَ لاَ ضَمَانَ عَلَيْهِ .
সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হাত দিয়ে গৃহীত জিনিস (ধার) গ্রহণকারী তা ফেরত না দেয়া পর্যন্ত তার যামিন থাকবে। বর্ণনাকারী হাসান (রহঃ) পরবর্তীকালে এ হাদীসটি ভুলে যান। অতঃপর বলেন, ধার গ্রহীতা আমানতদার। সুতরাং তাকে কোন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না।
দুর্বল: ইবনু মাজাহ (২৪০০), ইরওয়া (১৫১৬), যঈফ তিরমিযী (২১৭/১২৮৯), যঈফ আল-জামি‘উস সাগীর (৩৭৩৭), মিশকাত (২৯৫০)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫৬২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَسَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعَارَ مِنْهُ أَدْرَاعًا يَوْمَ حُنَيْنٍ فَقَالَ أَغَصْبٌ يَا مُحَمَّدُ فَقَالَ “ لاَ بَلْ عَارِيَةٌ مَضْمُونَةٌ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذِهِ رِوَايَةُ يَزِيدَ بِبَغْدَادَ وَفِي رِوَايَتِهِ بِوَاسِطَ تَغَيُّرٌ عَلَى غَيْرِ هَذَا .
সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুনাইনের যুদ্ধের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার লৌহবর্মসমূহ ধার হিসেবে গ্রহণ করলে সাফওয়ান বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি জোরপূর্বক নিলেন? তিনি বললেনঃ না, বরং ধার হিসেবে, এর কোন ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
সহীহ: সহীহাহ (৬৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ أُنَاسٍ، مِنْ آلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يَا صَفْوَانُ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ سِلاَحٍ ” . قَالَ عَارِيَةً أَمْ غَصْبًا قَالَ ” لاَ بَلْ عَارِيَةً ” . فَأَعَارَهُ مَا بَيْنَ الثَّلاَثِينَ إِلَى الأَرْبَعِينَ دِرْعًا وَغَزَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُنَيْنًا فَلَمَّا هُزِمَ الْمُشْرِكُونَ جُمِعَتْ دُرُوعُ صَفْوَانَ فَفَقَدَ مِنْهَا أَدْرَاعًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِصَفْوَانَ ” إِنَّا قَدْ فَقَدْنَا مِنْ أَدْرَاعِكَ أَدْرَاعًا فَهَلْ نَغْرَمُ لَكَ ” . قَالَ لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لأَنَّ فِي قَلْبِي الْيَوْمَ مَا لَمْ يَكُنْ يَوْمَئِذٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَانَ أَعَارَهُ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ ثُمَّ أَسْلَمَ .
আবদুল্লাহ ইবনু সাফওয়ান এর পরিবারের কিছু ব্যক্তি সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে সাফওয়ান! তোমার নিকট যুদ্ধাস্ত্র আছে কি? সে বললো, ধার চাচ্ছেন না জোরপূর্বক নিবেন? তিনি বললেনঃ না, বরং ধার হিসেবে। সাফওয়ান তাঁকে তিরিশ থেকে চল্লিশটি লৌহবর্ম ধার দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুনাইনের যুদ্ধে এগুলো ব্যবহার করলেন। মুশরিকরা পরাজিত হলে সাফওয়ানের লৌহবর্মগুলো একত্র করে দেখা গেলো, কয়েকটি বর্ম হারিয়ে গেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফওয়ানকে বললেনঃ আমরা তোমার কয়েকটি বর্ম হারিয়ে ফেলেছি। আমরা তোমাকে এর ক্ষতিপূরণ দিবো কি? সে বললো, না, হে আল্লাহর রাসূল! কারণ তখন আমার মনের অবস্থা যেমন ছিলো আজ তেমন নেই। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, তিনি ইসলাম কবুলের আগে এগুলো ধার দিয়েছিলেন, পরে ইসলাম কবুল করেন।
সহীহ: সহীহাহ (৬৩১)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৬৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ نَاسٍ، مِنْ آلِ صَفْوَانَ قَالَ اسْتَعَارَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مَعْنَاهُ .
সাফওয়ানের পরিবারের লোকদের সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তারা বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ধার হিসেবে … অতঃপর উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৫৬৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ الْحَوْطِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلاَ وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ وَلاَ تُنْفِقُ الْمَرْأَةُ شَيْئًا مِنْ بَيْتِهَا إِلاَّ بِإِذْنِ زَوْجِهَا ” . فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الطَّعَامَ قَالَ ” ذَاكَ أَفْضَلُ أَمْوَالِنَا ” . ثُمَّ قَالَ ” الْعَارِيَةُ مُؤَدَّاةٌ وَالْمِنْحَةُ مَرْدُودَةٌ وَالدَّيْنُ مَقْضِيٌّ وَالزَّعِيمُ غَارِمٌ ” .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ প্রত্যেক হক্বদারকে তার হক্ব প্রদান করেছেন। কাজেই উত্তরাধিকারীদের জন্য কোন ওয়াসিয়াত নেই। স্বামীর বিনা অনুমতিতে কোন স্ত্রী তার ঘরের কিছু খরচ করবে না। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! খাদ্যদ্রব্যও নয়? তিনি বলেন: এটা তো আমাদের সর্বোত্তম সম্পদ। অতঃপর তিনি বললেনঃ ধারকৃত বস্তু ফেরত দিতে হবে; দুগ্ধবতী পশুর দুধ পান শেষ হলে তা ফেরত দিতে হবে; ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং জামিনদার দায়বদ্ধ থাকবে।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (২৩৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৬৬
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُسْتَمِرِّ الْعُصْفُرِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا أَتَتْكَ رُسُلِي فَأَعْطِهِمْ ثَلاَثِينَ دِرْعًا وَثَلاَثِينَ بَعِيرًا ” . قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَارِيَةً مَضْمُونَةً أَوْ عَارِيَةً مُؤَدَّاةً قَالَ ” بَلْ مُؤَدَّاةً ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَبَّانُ خَالُ هِلاَلِ الرَّأْىِ .
সাফওয়ান ইবনু ইয়া‘লা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ যখন আমার বার্তাবাহকরা তোমার নিকট আসবে, তাদেরকে তিরিশটি লৌহবর্ম ও তিরিশটি উট প্রদান করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি ক্ষতিপূরণ শর্তে ধার দেয়া নাকি ফেরত দেয়ার শর্তে ধার? তিনি বলেনঃ বরং ফেরত দেয়ার শর্তে।
সহীহ: সহীহাহ (৬৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–৯১
কারো কোন জিনিস নষ্ট করলে তার অনুরূপ ক্ষতিপূরণ দিবে
৩৫৬৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَ بَعْضِ نِسَائِهِ فَأَرْسَلَتْ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ مَعَ خَادِمِهَا بِقَصْعَةٍ فِيهَا طَعَامٌ قَالَ فَضَرَبَتْ بِيَدِهَا فَكَسَرَتِ الْقَصْعَةَ – قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى – فَأَخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْكِسْرَتَيْنِ فَضَمَّ إِحْدَاهُمَا إِلَى الأُخْرَى فَجَعَلَ يَجْمَعُ فِيهَا الطَّعَامَ وَيَقُولُ ” غَارَتْ أُمُّكُمْ ” . زَادَ ابْنُ الْمُثَنَّى ” كُلُوا ” . فَأَكَلُوا حَتَّى جَاءَتْ قَصْعَتُهَا الَّتِي فِي بَيْتِهَا ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى لَفْظِ حَدِيثِ مُسَدَّدٍ وَقَالَ ” كُلُوا ” . وَحَبَسَ الرَّسُولَ وَالْقَصْعَةَ حَتَّى فَرَغُوا فَدَفَعَ الْقَصْعَةَ الصَّحِيحَةَ إِلَى الرَّسُولِ وَحَبَسَ الْمَكْسُورَةَ فِي بَيْتِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় উম্মাহাতুল মু’মিনীন রাসূলের জনৈক স্ত্রী তার খাদেমকে দিয়ে এক পেয়ালা খাবার পাঠালেন। বর্ণনাকারী বলেন, [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যার ঘরে ছিলেন] সেই স্ত্রী (রাগান্বিত হয়ে) পেয়ালাটি হাতের দ্বারা আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলেন। ইবনুল মুসান্না বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাঙ্গা টুকরা দুটো উঠিয়ে নিয়ে একটিকে অপরটির সাথে জোড়া দিলেন এবং পড়ে যাওয়া খাবারগুলো উঠাতে লাগলেন এবং বললেনঃ তোমাদের মায়ের আত্মমর্যাদাবোধ জেগেছে (রাগ হয়েছে)। ইবনুল মুসান্নার বর্ণনায় রয়েছেঃ তোমরা এগুলা খাও। সুতরাং সবাই তা আহার করলো। এমন সময় স্ত্রী তার ঘর থেকে একটি পেয়ালা আনলেন। মুসাদ্দাদ বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা খাও। তাদের খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি খাদেমসহ পেয়ালাটি আটকিয়ে রাখলেন। অতঃপর অক্ষত পেয়ালাটি তিনি খাদেমের হাতে তুলে দিলেন আর ভাঙ্গা পেয়ালাটি তাঁর ঘরে রেখে দিলেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৩৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৬৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي فُلَيْتٌ الْعَامِرِيُّ، عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دِجَاجَةَ، قَالَتْ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها مَا رَأَيْتُ صَانِعًا طَعَامًا مِثْلَ صَفِيَّةَ صَنَعَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا فَبَعَثَتْ بِهِ فَأَخَذَنِي أَفْكَلٌ فَكَسَرْتُ الإِنَاءَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَفَّارَةُ مَا صَنَعْتُ قَالَ “ إِنَاءٌ مِثْلُ إِنَاءٍ وَطَعَامٌ مِثْلُ طَعَامٍ ” .
জাসরাহ বিনতু দাজাজাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, সাফিয়্যাহ্র মতো সুস্বাদু খাবার রান্না করতে কাউকে আমি দেখিনি। তিনি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্য খাবার তৈরি করে পাঠালেন। এতে রাগান্বিত হয়ে আমি খাবারের পাত্রটি ভেঙ্গে ফেলি। অতঃপর আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কৃতকর্মের কাফফারাহ কি? তিনি বলেনঃ অনুরূপ একটি পাত্র ও খাবারের বিনিময়ে অনুরূপ খাবার।
দুর্বলঃ নাসায়ী (৩৯৫৭)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯২
যদি গবাদি পশু কারো ফসল নষ্ট করে দেয়
৩৫৬৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حَرَامِ بْنِ مُحَيِّصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ نَاقَةً، لِلْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ دَخَلَتْ حَائِطَ رَجُلٍ فَأَفْسَدَتْهُ عَلَيْهِمْ فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَهْلِ الأَمْوَالِ حِفْظَهَا بِالنَّهَارِ وَعَلَى أَهْلِ الْمَوَاشِي حِفْظَهَا بِاللَّيْلِ .
হারাম ইবনু মুহ্যাইয়্যাসা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
একদা আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) এর উস্ট্রী জনৈক ব্যক্তির বাগানে ঢুকে এর ফসল নষ্ট করে দেয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফায়সালা দিলেনঃ দিনের বেলায় বাগানের মালিক বাগানের হিফাযাত করবে এবং রাতের বেলায় পশুর মালিক পশুর হিফাযাত করবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৩২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৭০
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حَرَامِ بْنِ مُحَيِّصَةَ الأَنْصَارِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ كَانَتْ لَهُ نَاقَةٌ ضَارِيَةٌ فَدَخَلَتْ حَائِطًا فَأَفْسَدَتْ فِيهِ فَكُلِّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا فَقَضَى أَنَّ حِفْظَ الْحَوَائِطِ بِالنَّهَارِ عَلَى أَهْلِهَا وَأَنَّ حِفْظَ الْمَاشِيَةِ بِاللَّيْلِ عَلَى أَهْلِهَا وَأَنَّ عَلَى أَهْلِ الْمَاشِيَةِ مَا أَصَابَتْ مَاشِيَتُهُمْ بِاللَّيْلِ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তার একটি মোটাতাজা উস্ট্রী ছিলো। যা একটি বাগানে প্রবেশ করে এর ক্ষতিসাধন করে। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলে দিলেনঃ বাগানের মালিক দিনের বেলা বাগানের হিফাযাত করবে। আর পশুর মালিক রাতের বেলা পশুর হিফাযাত করবে। সুতরাং রাতের বেলা পশু কোন ক্ষতিসাধন করলে তার ক্ষতিপূরণ দিবে পশুর মালিক।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩৩২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস