আবু দাউদ অপরাধ ও তার শাস্তি অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৪৪১৯ – ৪৪৯৩

অনুচ্ছেদ—২৪

মাইয ইবনু মালিককে রজম করার ঘটনা

৪৪১৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ نُعَيْمِ بْنِ هَزَّالٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي ‏.‏ فَأَصَابَ جَارِيَةً مِنَ الْحَىِّ فَقَالَ لَهُ أَبِي ائْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبِرْهُ بِمَا صَنَعْتَ لَعَلَّهُ يَسْتَغْفِرُ لَكَ وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِذَلِكَ رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ لَهُ مَخْرَجًا فَأَتَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمْ عَلَىَّ كِتَابَ اللَّهِ ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَعَادَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمْ عَلَىَّ كِتَابَ اللَّهِ ‏.‏ حَتَّى قَالَهَا أَرْبَعَ مِرَارٍ ‏.‏ قَالَ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّكَ قَدْ قُلْتَهَا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَبِمَنْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بِفُلاَنَةَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَلْ ضَاجَعْتَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَلْ بَاشَرْتَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَلْ جَامَعْتَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فَأُخْرِجَ بِهِ إِلَى الْحَرَّةِ ‏.‏ فَلَمَّا رُجِمَ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ جَزِعَ فَخَرَجَ يَشْتَدُّ فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ وَقَدْ عَجَزَ أَصْحَابُهُ فَنَزَعَ لَهُ بِوَظِيفِ بَعِيرٍ فَرَمَاهُ بِهِ فَقَتَلَهُ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏”‏ هَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ لَعَلَّهُ أَنْ يَتُوبَ فَيَتُوبَ اللَّهُ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏

ইয়াযীদ ইবনু সু’আইম ইবনু হায্‌যাল (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাঈয ইবনু মালিক ইয়াতীম ছিলো। সে আমার পিতার তত্ত্বাবধানে ছিলো। সে এক গোত্রের জনৈক বাঁদীর সঙ্গে সঙ্গম করে। আমার পিতা তাকে বললেন, তুমি রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট যাও এবং তাকে তোমার কৃতকর্মের ব্যাপারে জানাও। তিনি হয়তো তোমার জন্য ক্ষমা চাইবেন। বস্তুত এর দ্বারা তিনি তার অপরাধ হতে মুক্তির সন্ধানই চেয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর সে তার নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো যেনা করেছি; সুতরাং আমার উপর আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি বাস্তবায়িত করুন। তিনি তার হতে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে পুনরায় বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো যেনা করেছি; আমার উপর আল্লাহর কিতাব বাস্তবায়িত করুন। তিনি তার হতে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে আবারো বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো যেনা করেছি; আমার উপর আল্লাহর কিতাব বাস্তবায়িত করুন। একথা সে চারবার বলার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতুমি তো চারবার একথা বললে, তা কার সঙ্গে? সে বললো, অমুক নারীর সঙ্গে। তিনি প্রশ্ন করলেন: তুমি কি তার সঙ্গে শুয়েছো? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন: তুমি কি তার শরীরে শরীর মিশিয়েছো? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় প্রশ্ন করলেন: তুমি কি তার সঙ্গে সঙ্গম করেছো? সে বললো, হ্যাঁ! বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাকে আল-হাররা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হলো। যখন তাকে পাথর মারা শুরু হলো, সে আঘাতের চোটে আতংকিত হলো এবং দ্রুত দৌড়াতে লাগলো। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু উনাইস (রাঃ) এমতাবস্হায় তার সাক্ষাৎ পেলেন যে, তাকে পাথর মারার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিগণ তাকে ধরতে আপরগ হলো। তিনি উটের সামনের পায়ের হাড় তুলে তার দিকে নিক্ষেপ করেন এবং তাতে সে নিহত হয়। অতঃপর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে এ ঘটনা ব্যক্ত করেন। তিনি বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন? সে হয়ত তাওবাহ করতো। আর আল্লাহ তার তাওবাহ কবুল করতেন।

 

সহীহ। এ কথাটি বাদে (আরবী)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২০

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ ذَكَرْتُ لِعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قِصَّةَ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ لِي حَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ذَلِكَ، مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ ‏”‏ ‏.‏ مَنْ شِئْتُمْ مِنْ رِجَالِ أَسْلَمَ مِمَّنْ لاَ أَتَّهِمُ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ أَعْرِفْ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ فَجِئْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقُلْتُ إِنَّ رِجَالاً مِنْ أَسْلَمَ يُحَدِّثُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُمْ حِينَ ذَكَرُوا لَهُ جَزَعَ مَاعِزٍ مِنَ الْحِجَارَةِ حِينَ أَصَابَتْهُ ‏”‏ أَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ ‏”‏ ‏.‏ وَمَا أَعْرِفُ الْحَدِيثَ قَالَ يَا ابْنَ أَخِي أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِهَذَا الْحَدِيثِ كُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَ الرَّجُلَ إِنَّا لَمَّا خَرَجْنَا بِهِ فَرَجَمْنَاهُ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ صَرَخَ بِنَا يَا قَوْمِ رُدُّونِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ قَوْمِي قَتَلُونِي وَغَرُّونِي مِنْ نَفْسِي وَأَخْبَرُونِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ قَاتِلِي فَلَمْ نَنْزِعْ عَنْهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ فَلَمَّا رَجَعْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخْبَرْنَاهُ قَالَ ‏”‏ فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ وَجِئْتُمُونِي بِهِ ‏”‏ ‏.‏ لِيَسْتَثْبِتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ فَأَمَّا لِتَرْكِ حَدٍّ فَلاَ قَالَ فَعَرَفْتُ وَجْهَ الْحَدِيثِ ‏.

মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাঈয ইবনু মালিকের ঘটনা ‘আসিম ইবনু ‘উমার ইবনু ক্বাতাদাহ্‌র নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, আসান ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ‘আলি ইবনু আবূ ত্বালিব আমাকে বলেছেন, এরা আসলাম গোত্রের কতক লোক যাদেরকে আমি দোষারোপ করি না এবং যাদের নিকট হতে তুমি আমার নিকট রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী: ‘তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেনো “বর্ণনা করছো। আমি এ হাদীস হৃদয়ংগম করতে পারিনি। অতএব আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) এর নিকট এসে বললাম, আসলাম গোত্রের কতক লোক বর্ণনা করেছে যে, পাথর নিক্ষেপের মারাত্নক চোট পেয়ে মাঈযের হতবুদ্ধি হয়ে যাওয়ার ঘটনা রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আলোচনা করাতে তিনি বলেন: ‘তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেনো?’ অথচ আমি তো এ হাদীস সম্পর্কে জানিনা। জাবির বললেন, হে ভাতিজা! এ হাদীস সম্পর্কিত ঘটনা আমি অধিক জ্ঞাত। কেননা আমিও লোকটিকে পাথর মারার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। আমরা যখন তাকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে পাথর মারা শুরু করলাম তখন পাথর নিক্ষেপের মারাত্নক চোট পেয়ে সে আমাদের নিকট চিৎকার করে বলতে লাগলো, হে লোক সকল! তোমরা আমাকে রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট ফিরিয়ে নিয়ে চলো। আমার আপনজনেরাই আমাকে হত্যার জন্য দায়ী। তারা আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা আমাকে বলেছে যে রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে হত্যা করবেন না। তথাপি আমরা তাকে হত্যা না করে ছাড়িনি। অতঃপর আমরা যখন ফিরে এসে রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসব কথা বললাম, তখন তিনি বললেনঃতোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন এবং আমার নিকট নিয়ে এলে না কেন? যাতে রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার অনুতাপ কবুল করতেন। কিন্তু তিনি হাদ্দ পরিত্যাগ করার জন্য একথা বলেননি। বর্ণনাকারী বলেন, এবার আমি এ হাদীসের মর্ম বুঝতে পারলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২১

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي الْحَذَّاءَ – عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّهُ زَنَى ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَأَعَادَ عَلَيْهِ مِرَارًا فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَسَأَلَ قَوْمَهُ ‏”‏ أَمَجْنُونٌ هُوَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَعَلْتَ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فَانْطُلِقَ بِهِ فَرُجِمَ وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা মাঈদ ইবনু মালিক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো যে সে যেনা করেছে। একথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হতে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে কয়েকবার একথা বললো, আর তিনি প্রতিবার মুখ ফিরিয়ে নিলেন। অতঃপর তিনি তার গোত্রের লোকদের প্রশ্ন করলেন: সে কি পাগল? তারা বললো, তার তো কোনো সমস্যা নেই। তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন: তুমি কি তার সঙ্গে এটা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। অতএব তিনি তাকে পাথর মেরে হত্যা করার আদেশ দিলেন। অতঃপর তাকে নিয়ে যাওয়া হলো এবং পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হলো। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জানাযার সলাত পরেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ حِينَ جِيءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً قَصِيرًا أَعْضَلَ لَيْسَ عَلَيْهِ رِدَاءٌ فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ أَنَّهُ قَدْ زَنَى ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَلَعَلَّكَ قَبَّلْتَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ وَاللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى الآخِرُ ‏.‏ قَالَ فَرَجَمَهُ ثُمَّ خَطَبَ فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ كُلَّمَا نَفَرْنَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ خَلَفَ أَحَدُهُمْ لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ يَمْنَحُ إِحْدَاهُنَّ الْكُثْبَةَ أَمَا إِنَّ اللَّهَ إِنْ يُمَكِّنِّي مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ إِلاَّ نَكَلْتُهُ عَنْهُنَّ ‏”‏ ‏.

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাঈয ইবনু মালিককে দেখেছি। যখন তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হাযির করা হয়। সে ছিলো বেঁটে, মাংসল ও বলিষ্ঠ গড়নের লোক। তার দেহে কোনো চাদর ছিলো না। সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দিয়ে বলে যে, সে যেনা করেছে। রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সম্ভবত তুমি তাকে চুমা দিয়েছো। সে বললো, না আল্লাহর কসম! এ দুর্ভাগা নিশ্চয়ই যেনা করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন: জেনে রাখো আমরা যখনই আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে যাই, আর এদিকে যদি তাদের কেউ পিছনে গিয়ে পাঠা ছাগলের ন্যায় ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কোনো নারীকে যৎকিঞ্চিৎ বীর্য দান করে। জেনে রাখো, আল্লাহ যদি আমাকে তাদের কারো উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দেন, তবে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে নারীদের থেকে প্রতিহত করবো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَالأَوَّلُ أَتَمُّ قَالَ فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ ‏.‏ قَالَ سِمَاكٌ فَحَدَّثْتُ بِهِ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ فَقَالَ إِنَّهُ رَدَّهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ‏.‏

সিমাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) কে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তবে পূর্বোক্ত বর্ণনাটি পূর্ণাঙ্গ। তিনি বলেন, সে দু’বার এ কথা বলেছে। সিমাক বলেন, আমি মাঈদ ইবনু জুরাইরের নিকট এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি বলেন, সে বরং চারবার একথা বলেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ أَبِي عَقِيلٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – قَالَ قَالَ شُعْبَةُ فَسَأَلْتُ سِمَاكًا عَنِ الْكُثْبَةِ فَقَالَ اللَّبَنُ الْقَلِيلُ ‏.‏

শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি সিমাককে ‘কুসবাহ’ এর অর্থ বললাম। তিনি বললেন, অল্প দুধ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২৫

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ ‏”‏ أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي قَالَ ‏”‏ بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ بَنِي فُلاَنٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাঈয ইবনু মালিককে ডেকে বললেনঃতোমার সম্বন্ধে যে সংবাদ আমার কানে পৌঁছেছে তা কি সত্য? সে বললো, আমার সম্বন্ধে আপনার নিকট কিরুপ সংবাদ পৌঁছেছে? তিনি বললেনঃতুমি নাকি অমুক গোত্রের জনৈক বাদীর সঙ্গে যেনা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। অতঃপর সে চারবার একথার স্বীকারোক্তি করে। সুতরাং তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার আদেশ দেন। অতঃপর তাকে পাথর মারা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২৬

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا مَرَّتَيْنِ فَطَرَدَهُ ثُمَّ جَاءَ فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا مَرَّتَيْنِ فَقَالَ ‏ “‏ شَهِدْتَ عَلَى نَفْسِكَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা মাঈয ইবনু মালিক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে যেনা করেছে বলে দু’বার সাক্ষ্য দেয়। তিনি তাকে তাড়িয়ে দিলে সে আবারো এসে দু’বার যেনার স্বীকারোক্তি করে। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তুমি নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দিয়েছো। তোমরা একে নিয়ে যাও এবং ‘রজম’ করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২৭

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنِي يَعْلَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ سَمِعْتُ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ ‏”‏ لَعَلَّكَ قَبَّلْتَ أَوْ غَمَزْتَ أَوْ نَظَرْتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَنِكْتَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَعِنْدَ ذَلِكَ أَمَرَ بِرَجْمِهِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مُوسَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهَذَا لَفْظُ وَهْبٍ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাঈয ইবনু মালিককে বললেনঃ তুমি সম্ভবত চুমু খেয়েছো অথবা হাতে স্পর্শ করেছো অথবা তাকিয়েছো। সে বললো, না। তিনি বললেনঃ তবে কি তুমি যেনা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, সে একথা বলতেই তিনি তাকে পাথর মেরে হত্যা করার আদেশ দেন। বর্ণনাকারী মূসা (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেননি, বরং এটি ওয়াহ্‌বের বর্ণনা।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২৮

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الصَّامِتِ ابْنَ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ جَاءَ الأَسْلَمِيُّ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ أَصَابَ امْرَأَةً حَرَامًا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ فِي الْخَامِسَةِ فَقَالَ ‏”‏ أَنِكْتَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ حَتَّى غَابَ ذَلِكَ مِنْكَ فِي ذَلِكَ مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ كَمَا يَغِيبُ الْمِرْوَدُ فِي الْمُكْحُلَةِ وَالرِّشَاءُ فِي الْبِئْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَلْ تَدْرِي مَا الزِّنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ أَتَيْتُ مِنْهَا حَرَامًا مَا يَأْتِي الرَّجُلُ مِنِ امْرَأَتِهِ حَلاَلاً ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَمَا تُرِيدُ بِهَذَا الْقَوْلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَسَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِهِ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ انْظُرْ إِلَى هَذَا الَّذِي سَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَلَمْ تَدَعْهُ نَفْسُهُ حَتَّى رُجِمَ رَجْمَ الْكَلْبِ ‏.‏ فَسَكَتَ عَنْهُمَا ثُمَّ سَارَ سَاعَةً حَتَّى مَرَّ بِجِيفَةِ حِمَارٍ شَائِلٍ بِرِجْلِهِ فَقَالَ ‏”‏ أَيْنَ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالاَ نَحْنُ ذَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ انْزِلاَ فَكُلاَ مِنْ جِيفَةِ هَذَا الْحِمَارِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالاَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَنْ يَأْكُلُ مِنْ هَذَا قَالَ ‏”‏ فَمَا نِلْتُمَا مِنْ عِرْضِ أَخِيكُمَا آنِفًا أَشَدُّ مِنْ أَكْلٍ مِنْهُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهُ الآنَ لَفِي أَنْهَارِ الْجَنَّةِ يَنْقَمِسُ فِيهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আসলাম গোত্রীয় এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দেয় যে, সে জনৈকা নারীর সঙ্গে হারাম কাজ করেছে। প্রতিবারই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পঞ্চমবার সে একথা বললে তিনি তার দিকে ফিরে প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি তার সঙ্গে যেনা করেছ সে বললো, হ্যাঁ। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার লজ্জাস্থান কি তার লজ্জাস্থানে ঢুকেছে? সে বললো, হাঁ। তিনি বললেনঃ যেরূপ সুরমা শলাকা সুরমাদানীতে ঢুকে যায় এবং রশি যেরূপ কূপের মধ্যে ঢুকে পড়ে? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি জান, যেনা কি? সে বললো, হ্যাঁ, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে বৈধভাবে যে সহবাস করে, আমি ঐ নারীর সঙ্গে অবৈধভাবে তা করেছি। তিনি বললেনঃ তোমার একথা বলার উদ্দেশ্য কী? সে বললো, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন, এটাই আমার উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি আদেশ দিলেন তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হলো। অতঃপর আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুনতে পান যে, তাঁর দু’জন সাহাবী একে অপরকে বলছেন লোকটিকে দেখো, আল্লাহ যার অপরাধ গোপন রাখলেন, অথচ নিজেকেই সে রক্ষা করতে পারলো না, অতঃপর কুকুরের মত তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হলো। তিনি তাদের একথা শুনে চুপ থকলেন এবং কিছু সময় চলার পর একটি গাধার লাশের নিকট এলেন যার পা উপরের দিকে উঠেছিল। তিনি বললেনঃ অমুক অমুক কোথায়? তারা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এখানে। তিনি বললেনঃ তোমরা দু’জন নেমে গিয়ে এ গাধার গোশত খাও। তারা বললো, হে আল্লাহর নাবী! এটা কি কেউ খেতে পারে? তিনি বললেনঃ তোমরা এখন তোমাদের এক ভাইয়ের মর্যাদা নিয়ে যেরূপ মন্তব্য করেছ, তা এর গোশত খাওয়ার চাইতেও গুরুতর। সেই সত্ত্বার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই সে এখন জান্নাতের ঝর্ণাসমূহে আনন্দে ডুব দিচ্ছে। [৪৪২৭]

 

দুর্বলঃ ইরওয়া হা/২৩৫৪, যঈফাহ হা/২৯৫৭।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪২৭] আবূ ইয়ালা, রায়হাক্বী, ইবনু হিব্বান। সানাদে ‘আবদুর রহমান ইবনু সামিত রয়েছে। হাফিয বলেনঃ তিনি মাজহুল (অজ্ঞাত)।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪২৯

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِنَحْوِهِ زَادَ وَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ رُبِطَ إِلَى شَجَرَةٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ وَقَفَ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে অনূরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে আরো রয়েছেঃ হাসান ইবনু ‘আলী বলেন, বর্ণনাকারীগণ বিভিন্ন শব্দে হাদীসটি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন, লোকজন মাঈযকে গাছের সঙ্গে বেঁধেছিল আবার কেউ বলেছেন, তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। [৪৪২৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪২৮] এর পূর্বের হাদীস দেখুন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَسْلَمَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ اعْتَرَفَ فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَبِكَ جُنُونٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَحْصَنْتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَ فِي الْمُصَلَّى فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ فَرَّ فَأُدْرِكَ فَرُجِمَ حَتَّى مَاتَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْرًا وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে যেনার কথা স্বীকার করলে তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে আবারো সাক্ষ্য দিলো। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এরূপ সে চারবার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলো। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রশ্ন করেনঃ তোমার পাগলামী রোগ আছে নাকি? সে বললো, না। তিনি পুনরায় প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি বিবাহিত? সে বললো, হাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে পাথর মারার আদেশ দিলেন। ঈদগাহে তাকে পাথর মারা হয়। পাথরের আঘাত যখন তাকে সন্ত্রস্ত করে তুললো সে পালাতে লাগলো। অতঃপর তাকে ধরে এনে পাথর মেরে হত্যা করা হলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সম্পর্কে উত্তম কথা বললেন, তবে তার জানাযা পড়েননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩১

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، – وَهَذَا لَفْظُهُ – عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَمَّا أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ خَرَجْنَا بِهِ إِلَى الْبَقِيعِ فَوَاللَّهِ مَا أَوْثَقْنَاهُ وَلاَ حَفَرْنَا لَهُ وَلَكِنَّهُ قَامَ لَنَا ‏.‏ – قَالَ أَبُو كَامِلٍ قَالَ – فَرَمَيْنَاهُ بِالْعِظَامِ وَالْمَدَرِ وَالْخَزَفِ فَاشْتَدَّ وَاشْتَدَدْنَا خَلْفَهُ حَتَّى أَتَى عُرْضَ الْحَرَّةِ فَانْتَصَبَ لَنَا فَرَمَيْنَاهُ بِجَلاَمِيدِ الْحَرَّةِ حَتَّى سَكَتَ – قَالَ – فَمَا اسْتَغْفَرَ لَهُ وَلاَ سَبَّهُ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাঈয ইবনু মালিককে পাথর মারার আদেশ করলে আমরা তাকে নিয়ে আল-বাকী’ নামক স্থানে যাই। আল্লাহর কসম! আমরা তাকে বাঁধিওনি এবং তার জন্য গর্তও খনন করিনি; কিন্তু তবু সে দাঁড়িয়ে থাকে। আবূ কামিল বললেন, আবূ সাঈদ বলেছেন, অতঃপর আমরা তার শরীরে হাড়, মাটির ঢিলা ও কংকর নিক্ষেপ করতে লাগলাম। সে দৌড়াতে লাগলো, আমরাও তার পিছনে দৌড়াতে লাগলাম। অবশেষে সে সেই প্রস্তরময় প্রান্তরের এক প্রান্তে গিয়ে আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে গেলো। আমরা তাকে পাথর নিক্ষেপ করলাম। অবশেষে সে চুপ হয়ে গেলো (মৃত্যবরণ করলো)। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করেননি, তাকে গালিও দেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩২

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَيْسَ بِتَمَامِهِ قَالَ ذَهَبُوا يَسُبُّونَهُ فَنَهَاهُمْ قَالَ ذَهَبُوا يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ فَنَهَاهُمْ قَالَ ‏ “‏ هُوَ رَجُلٌ أَصَابَ ذَنْبًا حَسِيبُهُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.

আবূ নাদরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হলো। অতঃপর অনুরূপ সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন তবে অপূর্ণাঙ্গভাবে। তিনি বলেন, উপস্থিত জনতা লোকটিকে গালি দিতে শুরু করলে তিনি তাদের নিষেধ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তারা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলে তিনি তাদের নিষেধ করে বললেনঃ লোকটি গুনাহ করেছে, আল্লাহই তার হিসাব গ্রহনের জন্য যথেষ্ট। [৪৪৩১]

 

যঈফ মুরসালঃ ইরওয়া (৭/২৫৫-২৫৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৩১] এর পূর্বেরটি দেখুন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল মুরসাল

  •  সরাসরি

৪৪৩৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَنْكَهَ مَاعِزًا ‏.‏

ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাঈযের মুখের গন্ধ শুঁকলেন, (নেশাগ্রস্ত কিনা জানার জন্য)। [৪৪৩২]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ الأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ نَتَحَدَّثُ أَنَّ الْغَامِدِيَّةَ وَمَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ لَوْ رَجَعَا بَعْدَ اعْتِرَافِهِمَا أَوْ قَالَ لَوْ لَمْ يَرْجِعَا بَعْدَ اعْتِرَافِهِمَا لَمْ يَطْلُبْهُمَا وَإِنَّمَا رَجَمَهُمَا عِنْدَ الرَّابِعَةِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ পরস্পর আলোচনা করতাম যে, ‘গামিদ’ গোত্রের ঐ নারী এবং মাঈয ইবনু মালিক যদি তাদের স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করতো অথবা তিনি বলেন, তারা স্বীকারোক্তির পর যদি তার পুনরাবৃত্তি না করতো, তবে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের তলব করতেন না। তিনি তাদেরকে পাথর মেরেছেন চারবার স্বীকারোক্তির পর। [৪৪৩৩]

 

দুর্বলঃ ইরওয়া হা/২৩৫৯।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৩৩] আবূ দাঊদ এটি একক ভাবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া নাসায়ীর সুনানুল কুবরা। সানাদের বাশীর ইবনু মুহাজির হতে যদিও মুসলিম বর্ণনা এনেছেন কিন্তু তার সম্পর্কের হাফিয বলেনঃ হাদীস বর্ণনায় শিথিল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩৫

حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ صُبَيْحٍ، قَالَ عَبْدَةُ أَخْبَرَنَا حَرَمِيُّ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُلاَثَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّ خَالِدَ بْنَ اللَّجْلاَجِ، حَدَّثَهُ أَنَّ اللَّجْلاَجَ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، كَانَ قَاعِدًا يَعْتَمِلُ فِي السُّوقِ فَمَرَّتِ امْرَأَةٌ تَحْمِلُ صَبِيًّا فَثَارَ النَّاسُ مَعَهَا وَثُرْتُ فِيمَنْ ثَارَ فَانْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ ‏”‏ مَنْ أَبُو هَذَا مَعَكِ ‏”‏ ‏.‏ فَسَكَتَتْ فَقَالَ شَابٌّ حَذْوَهَا أَنَا أَبُوهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَأَقْبَلَ عَلَيْهَا فَقَالَ ‏”‏ مَنْ أَبُو هَذَا مَعَكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ الْفَتَى أَنَا أَبُوهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى بَعْضِ مَنْ حَوْلَهُ يَسْأَلُهُمْ عَنْهُ فَقَالُوا مَا عَلِمْنَا إِلاَّ خَيْرًا ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَحْصَنْتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْنَا بِهِ فَحَفَرْنَا لَهُ حَتَّى أَمْكَنَّا ثُمَّ رَمَيْنَاهُ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى هَدَأَ فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْأَلُ عَنِ الْمَرْجُومِ فَانْطَلَقْنَا بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا هَذَا جَاءَ يَسْأَلُ عَنِ الْخَبِيثِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَهُوَ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ ‏”‏ ‏.‏ فَإِذَا هُوَ أَبُوهُ فَأَعَنَّاهُ عَلَى غُسْلِهِ وَتَكْفِينِهِ وَدَفْنِهِ وَمَا أَدْرِي قَالَ وَالصَّلاَةِ عَلَيْهِ أَمْ لاَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثُ عَبْدَةَ وَهُوَ أَتَمُّ ‏.‏

খালিদ ইবনুল লাজলাজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বাজারে বসে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় এক মহিলা একটি শিশুসহ এ পথ দিয়ে যাচ্ছিল। কিছু লোকেরা তার সঙ্গে ভীড় করছিল এবং আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পৌঁছালে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার সঙ্গের এ শিশুর পিতা কে? সে চুপ থাকলো। তার পাশে দাঁড়ানো এক যুবক বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমিই এ শিশুটির পিতা। তিনি মহিলার দিকে মুখ করে বললেনঃ তোমার সঙ্গের এ শিশুটির পিতা কে? যুবকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এর পিতা। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার চারপাশের লোকজনের নিকট তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বললো, তাকে আমরা ভালো লোক বলেই জানি। অতঃপর নবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকেই প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি বিবাহিত? সে বললো, হাঁ। অতঃপর তাঁর হুকুমে লোকটিকে পাথর মারা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, তার জন্য গর্ত খনন করে তাকে তাতে রাখলাম এবং রজম করলাম। ফলে সে মারা গেলো। একজন লোক এসে পাথর নিক্ষেপে নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগলো। আমরা তাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হয়ে বললাম, এ লোকটি এসে অপবিত্র ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে তো মহান আল্লাহর নিকট মৃগনাভীর চেয়েও অধিক সুগন্ধযুক্ত। পরে দেখা গেল যে, আগন্তুক লোকটি নিহত ব্যক্তির পিতা। অতঃপর আমরা তাকে এর গোসল, কাফন ও দাফন করতে সাহায্য করি। খালিদ বলেন, তার জানাযার সলাত পড়া হয়েছিল কিনা এ সম্পর্কে আমি জানি না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩৬

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، جَمِيعًا قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – قَالَ هِشَامٌ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشُّعَيْثِيُّ – عَنْ مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيِّ، عَنْ خَالِدِ بْنِ اللَّجْلاَجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِبَعْضِ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.

খালিদ ইবনুল লাজলাজ (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

খালিদ ইবনুল লাজলাজ (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপরোক্ত হাদীসের অংশবিশেষ বর্ণিত। [৪৪৩৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৩৫] আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া নাসায়ীর সুনানুল কুবরা।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩৭

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَجُلاً أَتَاهُ فَأَقَرَّ عِنْدَهُ أَنَّهُ زَنَى بِامْرَأَةٍ سَمَّاهَا لَهُ فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَرْأَةِ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَأَنْكَرَتْ أَنْ تَكُونَ زَنَتْ فَجَلَدَهُ الْحَدَّ وَتَرَكَهَا ‏.‏

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে স্বীকারোক্তি করলো যে, সে এক নারীর সঙ্গে যেনা করেছে। সে তাঁর নিকট সেই নারীর নামও বলেছে। অতএব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই নারীর নিকট লোক পাঠিয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে তা অস্বীকার করে। অতএব তিনি পুরুষ লোকটির উপর বেত্রাঘাতের হাদ্দ কার্য করেন এবং নারীকে রেহাই দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، – الْمَعْنَى – قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، زَنَى بِامْرَأَةٍ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَجُلِدَ الْحَدَّ ثُمَّ أُخْبِرَ أَنَّهُ مُحْصَنٌ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ مَوْقُوفًا عَلَى جَابِرٍ ‏.‏ وَرَوَاهُ أَبُو عَاصِمٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِنَحْوِ ابْنِ وَهْبٍ لَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ رَجُلاً زَنَى فَلَمْ يَعْلَمْ بِإِحْصَانِهِ فَجُلِدَ ثُمَّ عَلِمَ بِإِحْصَانِهِ فَرُجِمَ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক ব্যক্তি এক মহিলার সঙ্গে যেনা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশে তাকে বেত্রাঘাত করা হয়। অতঃপর তাঁকে অভিহিত করা হয় যে, সে বিবাহিত; কাজেই তিনি নির্দেশ দিলে তাকে পাথর মারা হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু বাক্‌র আল-বুরসানী এ হাদীস ইবনু জুরাইজ হতে জাবির (রাঃ) সূত্রে মাওকুফভাবে বর্ণনা করেছেন। আবূ ‘আসিম এ হাদীস ইবনু জুরাইজ সূত্রে ইবনু ওয়াহরের মতই বর্ণনা করেছেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উল্লেখ করেননি। বর্ণনাকারী বলেন, এক ব্যক্তি যেনা করলো, কিন্তু সে বিবাহিত কিনা তা জানা গেলো না। অতএব তাকে বেত্রাঘাত করা হয়। পরে তার বৈবাহিক অবস্থা জানা গেলে তাকে রজম করা হয়। [৪৪৩৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৩৭] আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া নাসায়ীর সুনানুল কুবরা, বায়হাক্বী।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৩৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ أَبُو يَحْيَى الْبَزَّازُ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، زَنَى بِامْرَأَةٍ فَلَمْ يَعْلَمْ بِإِحْصَانِهِ فَجُلِدَ ثُمَّ عَلِمَ بِإِحْصَانِهِ فَرُجِمَ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক জনৈকা স্ত্রীলোকের সঙ্গে ব্যভিচার করে। পুরুষটি বিবাহিত কিনা তা জানা যায়নি। সুতরাং তাকে বেত্রাঘাত করা হয়। অতঃপর তার বৈবাহিক অবস্থা জানা গেলে তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়। [৪৪৩৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৩৮] নাসায়ীর সুনানুল কুবরা, রায়হাক্বী।

হাদিসের মানঃ দুর্বল মাওকুফ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৫

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুহাইনাহ গোত্রের যে মহিলাকে পাথর মারার আদেশ দিয়েছিলেন

৪৪৪০

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ هِشَامًا الدَّسْتَوَائِيَّ، وَأَبَانَ بْنَ يَزِيدَ، حَدَّثَاهُمُ – الْمَعْنَى، – عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ امْرَأَةً، – قَالَ فِي حَدِيثِ أَبَانَ مِنْ جُهَيْنَةَ – أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّهَا زَنَتْ وَهِيَ حُبْلَى ‏.‏ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلِيًّا لَهَا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَحْسِنْ إِلَيْهَا فَإِذَا وَضَعَتْ فَجِئْ بِهَا ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا أَنْ وَضَعَتْ جَاءَ بِهَا فَأَمَرَ بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ ثُمَّ أَمَرَهُمْ فَصَلَّوْا عَلَيْهَا فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ تُصَلِّي عَلَيْهَا وَقَدْ زَنَتْ قَالَ ‏”‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ قُسِّمَتْ بَيْنَ سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَوَسِعَتْهُمْ وَهَلْ وَجَدْتَ أَفْضَلَ مِنْ أَنْ جَادَتْ بِنَفْسِهَا ‏”‏ ‏.‏ لَمْ يَقُلْ عَنْ أَبَانَ فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ‏.

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা জুহাইনাহ গোত্রের জনৈকা মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, সে যেনা করেছে এবং অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার অভিভাবককে ডেকে এনে বলেনঃ এর সঙ্গে উত্তম আচরণ করো। আর যখন সে সন্তান প্রসব করবে, তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো। অতঃপর সে সন্তান প্রসব করলে অভিভাবক তাকে নিয়ে এলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশে তাকে কাপড় দিয়ে বেঁধে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়। অতঃপর তিনি সাহাবীদের আদেশ দিলেন তার জানাযার সলাত পড়তে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তার জানাযার সলাত পড়বেন? সে তো যেনা করেছে! তিনি বললেনঃ যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম! সে এরূপ তাওবাহ করেছে, যা মাদীনাহ্‌বাসীদের সত্তরজনের মধ্যে বন্টন করে দিলেও তাদের জন্য তা যথেষ্ট হবে। তুমি তার চাইতে উত্তম কোন ব্যাক্তিকে পাবে যে তার নিজের সত্ত্বাকে উৎসর্গ করে দিল। আবান সূত্রে বর্ণিত হাদীসে কাপড় দিয়ে বাঁধার কথাটুকু নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৪১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَزِيرِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قَالَ فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ‏.‏ يَعْنِي فَشُدَّتْ ‏.

আওযাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তাকে তার কাপড় শক্তভাবে পরানো হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৪২

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ امْرَأَةً، – يَعْنِي مِنْ غَامِدَ – أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ فَجَرْتُ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ ارْجِعِي ‏”‏ ‏.‏ فَرَجَعَتْ فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ أَتَتْهُ فَقَالَتْ لَعَلَّكَ أَنْ تَرُدَّنِي كَمَا رَدَدْتَ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ فَوَاللَّهِ إِنِّي لَحُبْلَى ‏.‏ فَقَالَ لَهَا ‏”‏ ارْجِعِي ‏”‏ ‏.‏ فَرَجَعَتْ فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ أَتَتْهُ فَقَالَ لَهَا ‏”‏ ارْجِعِي حَتَّى تَلِدِي ‏”‏ ‏.‏ فَرَجَعَتْ فَلَمَّا وَلَدَتْ أَتَتْهُ بِالصَّبِيِّ فَقَالَتْ هَذَا قَدْ وَلَدْتُهُ ‏.‏ فَقَالَ لَهَا ‏”‏ ارْجِعِي فَأَرْضِعِيهِ حَتَّى تَفْطِمِيهِ ‏”‏ ‏.‏ فَجَاءَتْ بِهِ وَقَدْ فَطَمَتْهُ وَفِي يَدِهِ شَىْءٌ يَأْكُلُهُ فَأَمَرَ بِالصَّبِيِّ فَدُفِعَ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَمَرَ بِهَا فَحُفِرَ لَهَا وَأَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ وَكَانَ خَالِدٌ فِيمَنْ يَرْجُمُهَا فَرَجَمَهَا بِحَجَرٍ فَوَقَعَتْ قَطْرَةٌ مِنْ دَمِهَا عَلَى وَجْنَتِهِ فَسَبَّهَا فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَهْلاً يَا خَالِدُ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا صَاحِبُ مَكْسٍ لَغُفِرَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَأَمَرَ بِهَا فَصُلِّيَ عَلَيْهَا فَدُفِنَتْ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

গামিদ গোত্রের এক নারী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, আমি ব্যভিচার করেছি, তিনি বললেনঃ ফিরে যাও। সে ফিরে চলে গেলো। পরদিন সকালে সে আবার তাঁর নিকট এসে বললো, আপনি যেরূপ মাঈয ইবনু মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, সম্ভবত আমাকেও সেরূপ ফিরিয়ে দিতে চান। আল্লাহর কসম! আমি নিশ্চয়ই গর্ভবতী। তিনি এবারো তাকে ফিরে যেতে বললে সে চলে গেলো। পরদিন সে পুনরায় আসতেই তিনি বললেনঃ তুমি ফিরে যাও যতক্ষণ না সন্তান প্রসব করো। সে ফিরে গেলো। যখন সে পুত্র সন্তান প্রসব করলো, সে সেই শিশুটিকে কোলে করে নিয়ে এসে বললো, আমি এই শিশুটিকে প্রসব করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি ফিরে যাও এবং দুধ ছাড়ানো পর্যন্ত তাকে দুধ পান করাতে থাকো। অবশেষে দুধ ছাড়ানো হলে শিশুটিকে নিয়ে সে হাযির হলো। শিশুটি খাদ্য হাতে নিয়ে খাচ্ছিল। তিনি একজন মুসলিমকে তার ছেলেটিকে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন। অতঃপর তার জন্য গর্ত খনন করতে আদেশ দিলে তা খনন করা হলো এবং পাথর মেরে হত্যার আদেশ দিলে তাকে এভাবে হত্যা করা হলো। তাকে পাথর মারার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে খালিদ (রাঃ)-ও ছিলেন। তিনি তাকে পাথর মারলে এক ফোটা রক্ত ছিটে এসে তাঁর গালে পড়তেই তিনি তাকে গালি দেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হে খালিদ! অনুগ্রহ করো। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তার কসম! সে এরূপ তাওবাহ করেছে যে, কোন যালিম কর আদায়কারীও যদি সেরূপ তাওবাহ করতো, তাহলে অবশ্যই তাকে মাফ করা হতো। অতঃপর তাঁর আদেশে তার জানাযার সলাত পড়া হয় এবং তাকে দাফন করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৪৩

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ زَكَرِيَّا أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ سَمِعْتُ شَيْخًا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجَمَ امْرَأَةً فَحُفِرَ لَهَا إِلَى الثَّنْدُوَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَفْهَمَنِي رَجُلٌ عَنْ عُثْمَانَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ الْغَسَّانِيُّ جُهَيْنَةُ وَغَامِدٌ وَبَارِقٌ وَاحِدٌ ‏.‏

ইবনু আবূ বাক্‌রাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈকা মহিলাকে রজম করেন। তার জন্য বুক পর্যন্ত গর্ত খনন করা হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এক লোক ‘উসমান সূত্রে বর্ণনা করে এ হাদীস আমাকে বুঝিয়ে দেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, গাস্‌সানী বলেছেন, জুহাইনা গামিদ ও বারিক একই গোত্র। [৪৪৪২]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৪৪

قَالَ أَبُو دَاوُدَ حُدِّثْتُ عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ سُلَيْمٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ زَادَ ثُمَّ رَمَاهَا بِحَصَاةٍ مِثْلَ الْحُمُّصَةِ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ ارْمُوا وَاتَّقُوا الْوَجْهَ ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا طَفِئَتْ أَخْرَجَهَا فَصَلَّى عَلَيْهَا وَقَالَ فِي التَّوْبَةِ نَحْوَ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ ‏.‏

যাকারিয়া ইবনু সুলাইমান থেকে বর্ণিতঃ

যাকারিয়া ইবনু সুলাইমান সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তাতে আরো আছেঃ অতঃপর তাকে চানাবুটের মত ক্ষুদ্র কংকর নিক্ষেপ করেছেন। তিনি বলেনঃ তার মুখমন্ডল বাদ দিয়ে পাথর নিক্ষেপ করো। সে যখন মারা গেলো, তাকে গর্ত হতে বের করলেন এবং তার জানাযা পড়লেন। তার তাওবাহ সম্পর্কে বুরাইদাহ বর্ণিত হাদীসের মতই বলেছেন। [৪৪৪৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৪৩] সানাদ দুর্বল। সানাদে আবূ দাঊদ এবং ‘আবদুস সামাদ এর মাঝে ইনকিতা হয়েছে (বর্ণনাকারী বাদ পড়েছে)।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৪৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَحَدُهُمَا يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ ‏.‏ وَقَالَ الآخَرُ وَكَانَ أَفْقَهَهُمَا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَائْذَنْ لِي أَنْ أَتَكَلَّمَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَكَلَّمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا – وَالْعَسِيفُ الأَجِيرُ – فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّمَا عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَبِجَارِيَةٍ لِي ثُمَّ إِنِّي سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّمَا عَلَى ابْنِي جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَإِنَّمَا الرَّجْمُ عَلَى امْرَأَتِهِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ أَمَّا غَنَمُكَ وَجَارِيَتُكَ فَرَدٌّ إِلَيْكَ ‏”‏ ‏.‏ وَجَلَدَ ابْنَهُ مِائَةً وَغَرَّبَهُ عَامًا وَأَمَرَ أُنَيْسًا الأَسْلَمِيَّ أَنْ يَأْتِيَ امْرَأَةَ الآخَرِ فَإِنِ اعْتَرَفَتْ رَجَمَهَا فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উতবাহ ইবনু মাস’ঊদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা এবং যায়িদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, দুই বিবাদমান ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো। তাদের একজন বললো, হে আল্লাহর রাসূল! কুরআন অনুসারে আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিন। দ্বিতীয়জন বললো, সে ছিল তাদের দু’জনের মধ্যে অধিক বুদ্ধিমান, হ্যাঁ ঠিক আছে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করে দিন, আর আমাকে কিছু বলার অনুমতি দিন। তিনি বললেনঃ বলো। সে বললো, আমার ছেলে এই লোকটির শ্রমিক ছিল। সে তার স্ত্রীর সঙ্গে যেনা করেছে। কতক লোক আমাকে জানিয়েছে, আমার ছেলের দন্ড হলো পাথর নিক্ষেপে হত্যা। সুতরাং আমি তার পক্ষ হতে একশো বকরী ও আমার একটি দাসী জরিমানা দেই। পুনরায় আমি এ ব্যপারে জ্ঞানীদের প্রশ্ন করলে তারা আমাকে বলেন যে, আমার ছেলের শাস্তি হলো একশো বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন, আর এই লোকটির স্ত্রীর শাস্তি হলো পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা। এ ঘটনা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জেনে রাখো, যে পবিত্র সত্ত্বার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! আমি অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফায়সালা করবো। তোমার বকরী ও দাসী তুমি ফিরে পাবে। অতঃপর তিনি তার ছেলেকে একশো বেত্রাঘাত করে এবং এক বছরের নির্বাসন দেন এবং উনাইস আল-আসলামীকে আদেশ দেন অপর লোকটির স্ত্রীর নিকট যেতে এবং সে যদি স্বীকারোক্তি করে তাহলে তাকে রজম করতে। অতএব সে স্বীকারোক্তি করলে তিনি তাকে রজম করলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ—২৬

দুই ইয়াহুদীকে রজম করার ঘটনা

৪৪৪৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّ الْيَهُودَ جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرُوا لَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنْهُمْ وَامْرَأَةً زَنَيَا فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ فِي شَأْنِ الزِّنَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا نَفْضَحُهُمْ وَيُجْلَدُونَ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ كَذَبْتُمْ إِنَّ فِيهَا الرَّجْمَ ‏.‏ فَأَتَوْا بِالتَّوْرَاةِ فَنَشَرُوهَا فَجَعَلَ أَحَدُهُمْ يَدَهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ ثُمَّ جَعَلَ يَقْرَأُ مَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ارْفَعْ يَدَكَ ‏.‏ فَرَفَعَهَا فَإِذَا فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ فَقَالُوا صَدَقَ يَا مُحَمَّدُ فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَا ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَحْنِي عَلَى الْمَرْأَةِ يَقِيهَا الْحِجَارَةَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ইয়াহুদীরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, তাদের একজোড়া নারী-পুরুষ যেনা করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বলেনঃ তাওরাতে তোমরা যেনা সম্বন্ধে কি হুকুম পেয়েছো? তারা বললো, আমরা তো অপমান করি এবং তাদেরকে বেত্রাঘাত করা হয়। একথা শুনে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বলেন, তোমরা মিথ্যা বলেছো। নিশ্চয়ই তাতে রজম করার হুকুম বিদ্যমান। অতঃপর তারা তাওরাত কিতাব নিয়ে আসে এবং তা খোলে। তাদের একজন তার একটি হাত রজমের আয়াতের উপর রেখে দিয়ে এর পূর্বাপর পড়তে থাকে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) তাকে হাত উঠিয়ে নিতে আদেশ দেন। সে হাত উঠিয়ে নিতেই দেখা গেলো যে, তাতে রজমের আয়াত রয়েছে। তারা বললো, হে মুহাম্মাদ! তিনি সত্যিই বলেছেন, নিশ্চয়ই তাতে রজমের আয়াত আছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশে দু’জনকেই রজম করা হলো। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমি দেখলাম, পুরুষটি ঐ নারীকে পাথরের আঘাত থেকে রক্ষার জন্য তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৪৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ مَرُّوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَهُودِيٍّ قَدْ حُمِّمَ وَجْهُهُ وَهُوَ يُطَافُ بِهِ فَنَاشَدَهُمْ مَا حَدُّ الزَّانِي فِي كِتَابِهِمْ قَالَ فَأَحَالُوهُ عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ فَنَشَدَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا حَدُّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجْمُ وَلَكِنْ ظَهَرَ الزِّنَا فِي أَشْرَافِنَا فَكَرِهْنَا أَنْ يُتْرَكَ الشَّرِيفُ وَيُقَامَ عَلَى مَنْ دُونَهُ فَوَضَعْنَا هَذَا عَنَّا ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا مَا أَمَاتُوا مِنْ كِتَابِكَ ‏”‏ ‏.‏

আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা কালিমা মাখা মুখ বিশিষ্ট এক ইয়াহুদীকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাকে জনসমক্ষে ঘুরানো হচ্ছিল। তিনি তাদের কসম দিয়ে বলেন, তাদের কিতাবে যেনাকারীর হাদ্দ কী? বর্ণনাকারী বলেন, তারা তাঁকে তাদের মধ্যকার একজনকে দেখিয়ে দিলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রশ্ন করেনঃ তোমাদের কিতাবে যেনাকারীর হাদ্দ ঘটলে তাদের শাস্তি হতে রেহাই দেয়া এবং অন্যদের শাস্তি দেয়া আমরা পছন্দ করলাম না। অতএব আমরা উপরোক্ত শাস্তি বাতিল করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিলে অপরাধীকে রজম করা হয়। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! তারা তোমার কিতাবের যে অংশের মৃত্যু ঘটিয়েছিল আমিই প্রথম তা পুনর্জীবিত করলাম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৪৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ مُرَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَهُودِيٍّ مُحَمَّمٍ مَجْلُودٍ فَدَعَاهُمْ فَقَالَ ‏”‏ هَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا نَعَمْ ‏.‏ فَدَعَا رَجُلاً مِنْ عُلَمَائِهِمْ قَالَ لَهُ ‏”‏ نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى هَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ اللَّهُمَّ لاَ وَلَوْلاَ أَنَّكَ نَشَدْتَنِي بِهَذَا لَمْ أُخْبِرْكَ نَجِدُ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِنَا الرَّجْمَ وَلَكِنَّهُ كَثُرَ فِي أَشْرَافِنَا فَكُنَّا إِذَا أَخَذْنَا الرَّجُلَ الشَّرِيفَ تَرَكْنَاهُ وَإِذَا أَخَذْنَا الرَّجُلَ الضَّعِيفَ أَقَمْنَا عَلَيْهِ الْحَدَّ فَقُلْنَا تَعَالَوْا فَنَجْتَمِعَ عَلَى شَىْءٍ نُقِيمُهُ عَلَى الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ فَاجْتَمَعْنَا عَلَى التَّحْمِيمِ وَالْجَلْدِ وَتَرَكْنَا الرَّجْمَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا أَمْرَكَ إِذْ أَمَاتُوهُ ‏”‏ ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لاَ يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ ‏}‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا فَخُذُوهُ وَإِنْ لَمْ تُؤْتَوْهُ فَاحْذَرُوا ‏}‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ ‏}‏ فِي الْيَهُودِ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ ‏}‏ فِي الْيَهُودِ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ ‏}‏ قَالَ هِيَ فِي الْكُفَّارِ كُلُّهَا يَعْنِي هَذِهِ الآيَةَ ‏.‏

আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বেত্রাঘাতকৃত জনৈক ইয়াহুদীর মুখমন্ডল কালিমালিপ্ত করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি তাদের ডেকে প্রশ্ন করলেনঃ তোমরা কি যেনাকারীর এরূপ শাস্তির হুকুম পেয়েছ? তারা বললো, হ্যাঁ। অতএব তিনি তাদের একজন ‘আলিমকে ডেকে বললেনঃ তোমাকে সেই আল্লাহর কসম করে বলছি যিনি মূসা (আ)-এর উপর তাওরাত কিতাব নাযিল করেছেন! তোমাদের কিতাবে যেনাকারীদের এরূপ শাস্তির কথা উল্লেখ পেয়েছ কি? সে বললো, হে আল্লাহ! না। আপনি যদি এ বিষয়ে আমাকে আল্লাহর কসম না দিতেন, তাহলে আমি অবশ্যই আপনাকে বলতাম না। আমরা আমাদের কিতাবে যেনাকারীর শাস্তি রজমের উল্লেখ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের অভিজাত সমাজে যেনার বিস্তার ঘটলে আমরা কোন মর্যাদাসম্পন্ন লোককে এ অপরাধে ধরতে পারলেও ছেড়ে দিতাম; তবে দুর্বলদের কাউকে পেলে তার উপর শাস্তি বাস্তবায়িত করতাম। অতঃপর আমরা সকলকে আহবান করে বললাম, চলুন, আমরা যেনার শাস্তির ব্যাপারে সকলে ঐকমত্যে পৌঁছে এমন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হই, যাতে সকল শ্রেণীর লোকদের উপর তা বাস্তবায়িত করা যায়। অতঃপর আমরা এর শাস্তিস্বরূপ মুখমন্ডল কালিমালিপ্ত করে অপমান করা এবং বেত্রাঘাত করাতে একমত হই এবং ‘রজম’ পরিত্যাগ করি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! আমিই প্রথম ব্যক্তি যে তোমার নির্দেশকে পুনর্জীবন দান করেছি, তারা একে প্রাণহীন করার পর। অতঃপর তাঁর নির্দেশে অপরাধীকে রজম করা হয়। অতঃপর মহান আল্লাহ ইয়াহুদীদের সম্পর্কে এ আয়াতগুলো নাযিল করেনঃ “হে রাসূল! তোমাকে যেন দুঃখ না দেয় যারা কুফরীর দিকে দ্রুত ধাবিত হয়…. তারা বলে, তোমাদেরকে এরূপ বিধান দেয়া হলে তোমরা তা গ্রহণ করো অন্যথায় তোমরা বর্জন করো… আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না, তারাই কাফির [ইয়াহুদীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে]…. আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না তারাই যালিম [ইয়াহুদীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে]…. আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না তারাই পাপাচারী” (সূরাহ আল-মায়িদাঃ ৪১-৪৭)। তিনি বলেন, এ আয়াতগুলো কাফির অবাধ্যদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৪৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَتَى نَفَرٌ مِنْ يَهُودَ فَدَعَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْقُفِّ فَأَتَاهُمْ فِي بَيْتِ الْمِدْرَاسِ فَقَالُوا يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ رَجُلاً مِنَّا زَنَى بِامْرَأَةٍ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ فَوَضَعُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وِسَادَةً فَجَلَسَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ ائْتُونِي بِالتَّوْرَاةِ ‏”‏ ‏.‏ فَأُتِيَ بِهَا فَنَزَعَ الْوِسَادَةَ مِنْ تَحْتِهِ فَوَضَعَ التَّوْرَاةَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ ‏”‏ آمَنْتُ بِكِ وَبِمَنْ أَنْزَلَكِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ ائْتُونِي بِأَعْلَمِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَأُتِيَ بِفَتًى شَابٍّ ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الرَّجْمِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা একদল ইয়াহুদী এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘কুফ্‌’ নামক উপত্যকায় যেতে আবেদন জানালো। তিনি তাদের এক পাঠাগারে উপস্থিত হলেন। তারা বললো, হে আবূল ক্বাসিম! আমাদের এক ব্যক্তি জনৈকা মহিলার সঙ্গে যেনা করেছে। সুতরাং আপনি এদের সম্পর্কে ফায়সালা দিন। তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য একটি বালিশ পেতে দিলো। তিনি তাতে বসে তাদের বললেনঃ তোমরা একখানি তাওরাত নিয়ে এসো। তাওরাত নিয়ে আসা হলে তিনি তাঁর নীচের বিছানো বালিশ টেনে নিয়ে তার উপর তাওরাত রাখলেন এবং বললেনঃ আমি তোমার প্রতি এবং তোমায় যিনি নাযিল করেছেন তার প্রতি ঈমান এনেছি। অতঃপর তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যকার অধিক জ্ঞানী ব্যক্তিকে নিয়ে এসো। অতএব এক যুবককে আনা হলো। অতঃপর তিনি (ইবনু ‘উমার) নাফি’ হতে মালিক সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ ‘রজম’ সম্পর্কিত ঘটনা বর্ণনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৫০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا رَجُلٌ، مِنْ مُزَيْنَةَ ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ سَمِعْتُ رَجُلاً، مِنْ مُزَيْنَةَ مِمَّنْ يَتَّبِعُ الْعِلْمَ وَيَعِيهِ – ثُمَّ اتَّفَقَا – وَنَحْنُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فَحَدَّثَنَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ – وَهَذَا حَدِيثُ مَعْمَرٍ وَهُوَ أَتَمُّ – قَالَ زَنَى رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ وَامْرَأَةٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ اذْهَبُوا بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ فَإِنَّهُ نَبِيٌّ بُعِثَ بِالتَّخْفِيفِ فَإِنْ أَفْتَانَا بِفُتْيَا دُونَ الرَّجْمِ قَبِلْنَاهَا وَاحْتَجَجْنَا بِهَا عِنْدَ اللَّهِ قُلْنَا فُتْيَا نَبِيٍّ مِنْ أَنْبِيَائِكَ – قَالَ – فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي أَصْحَابِهِ فَقَالُوا يَا أَبَا الْقَاسِمِ مَا تَرَى فِي رَجُلٍ وَامْرَأَةٍ زَنَيَا فَلَمْ يُكَلِّمْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى أَتَى بَيْتَ مِدْرَاسِهِمْ فَقَامَ عَلَى الْبَابِ فَقَالَ ‏”‏ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أُحْصِنَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يُحَمَّمُ وَيُجَبَّهُ وَيُجْلَدُ – وَالتَّجْبِيَةُ أَنْ يُحْمَلَ الزَّانِيَانِ عَلَى حِمَارٍ وَتُقَابَلَ أَقْفِيَتُهُمَا وَيُطَافَ بِهِمَا – قَالَ وَسَكَتَ شَابٌّ مِنْهُمْ فَلَمَّا رَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَكَتَ أَلَظَّ بِهِ النِّشْدَةَ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِذْ نَشَدْتَنَا فَإِنَّا نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ الرَّجْمَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَمَا أَوَّلُ مَا ارْتَخَصْتُمْ أَمْرَ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زَنَى ذُو قَرَابَةٍ مَعَ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِنَا فَأَخَّرَ عَنْهُ الرَّجْمَ ثُمَّ زَنَى رَجُلٌ فِي أُسْرَةٍ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ رَجْمَهُ فَحَالَ قَوْمُهُ دُونَهُ وَقَالُوا لاَ يُرْجَمُ صَاحِبُنَا حَتَّى تَجِيءَ بِصَاحِبِكَ فَتَرْجُمَهُ فَاصْطَلَحُوا عَلَى هَذِهِ الْعُقُوبَةِ بَيْنَهُمْ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَإِنِّي أَحْكُمُ بِمَا فِي التَّوْرَاةِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَبَلَغَنَا أَنَّ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِيهِمْ ‏{‏ إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا ‏}‏ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি মুযাইনাহ গোত্রের এমন এক ব্যাক্তিকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি যিনি ছিলেন জ্ঞানপিপাসু ও সংরক্ষণকারী। একদা আমরা সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ)-এর নিকট ছিলাম। তিনি আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে। এটা মা’মার বর্ণিত হাদীস এবং এটি সর্বাধিক পূর্ণাঙ্গ। তিনি বলেন, ইয়াহুদীদের মধ্যকার একজোড়া নারী পুরুষ যেনা করলো। তারা পরস্পরকে বললো, চলো আমরা এই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যাই। তাঁকে তো সহজতর বিধানসহ পাঠানো হয়েছে। তিনি যদি আমাদের এ ব্যাপারে রজম করার পরিবর্তে লঘু শাস্তির বিধান দেন, তাহলে আমরা তা গ্রহণ করবো এবং আল্লাহর নিকট এর মাধ্যমে বাহানা দাঁড় করাবো এবং বলবো, হে আল্লাহ! এটা তো আপনার এক নবী প্রদত্ত ফায়সালা। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসে। এ সময় তিনি সাহাবীদের সঙ্গে মাসজিদে বসা ছিলেন। তারা বললো, হে আবূল ক্বাসিম! যেনা কারী নারী ও পুরুষের সম্পর্কে আপনার কি অভিমত? তিনি তাদের পাঠাগারে আসার পূর্ব পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথাও বলেননি। অতঃপর পাঠাগারের দরজায় দাঁড়িয়ে তিনি বললেনঃ তোমাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে বলেছি যিনি মূসা (আ)-এর প্রতি তাওরাত কিতাব নাযিল করেছেন! বিবাহিত লোক যেনা করলে তার কী হুকুম তাওরাতে পাচ্ছো? তারা বললো, চুন-কালিতে মুখমন্ডল রাঙিয়ে তাজ্‌বীহ করা হয় এবং বেত্রাঘাত করা হয়। তাজ্‌বীহ অর্থ হলো, যেনার অপরাধীদ্বয়কে গাধার পিঠে উঠিয়ে উভয়ের পিঠ পরস্পর মিশিয়ে এলাকা জুড়ে চক্কর দেয়া। বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় এক যুবককে চুপ করে থাকতে দেখে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে কসম দিয়ে অনুরোধ করলে সে বললো, আল্লাহর কসম! আপনি যেহেতু আমাদের কসম দিলেন, আমরা তো তাওরাতে রজমের বিধান পাচ্ছি। অতঃপর নবী তাদের প্রশ্ন করলেনঃ তাহলে তোমরা আল্লাহর বিধানকে এতো হালকা ভাবলে কেন? সে বললো, আমাদের কোন এক রাজার জনৈক নিকটাত্মীয় যেনার অপরাধী সাব্যস্ত হয়; তিনি তাকে রজমের অব্যাহতি দিলেন। অতঃপর সাধারণ পরিবারের জনৈক ব্যাক্তি যেনা করার অপরাধে দোষী সব্যস্ত হওয়াতে তিনি তাকে রজম করার ইচ্ছা করেন; কিন্তু দোষী লোকটির পক্ষের লোকেরা তাতে বাধা দিলো। তারা বললো, আপনার আত্মীয়টিকে এনে রজম না করা পর্যন্ত আমাদের এ ব্যাক্তিকে রজম করা যাবে না। অতঃপর তারা এ শাস্তির উপর ফায়সালা করে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন আমি নিশ্চয়ই তাওরাতে বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করবো। অতঃপর তাঁর নির্দেশে তাদেরকে রজম করা হলো। যুহরী (রহঃ) বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, নিম্নোক্ত আয়াত ইয়াহুদীদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃ “নিশ্চয়ই আমি তাওরাত নাযিল করেছি, যাতে হিদায়াত ও আলো বিদ্যমান ছিলো। আল্লাহর অনুগত নাবীগণ এর মাধ্যমে ইয়াহুদীদেরকে বিধান দিতো” (সুরাহ আল-মায়েদাহঃ ৪৪)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও অনুগত নাবীদের অন্তর্ভুক্ত। [৪৪৪৯]

 

দুর্বলঃ ইরওয়া হা/১২৫৩।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৪৯] এটি গত হয়েছে ৩৬২৪।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৫১

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الأَصْبَغِ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، مِنْ مُزَيْنَةَ يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ زَنَى رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ مِنَ الْيَهُودِ وَقَدْ أُحْصِنَا حِينَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَقَدْ كَانَ الرَّجْمُ مَكْتُوبًا عَلَيْهِمْ فِي التَّوْرَاةِ فَتَرَكُوهُ وَأَخَذُوا بِالتَّجْبِيَةِ يُضْرَبُ مِائَةً بِحَبْلٍ مَطْلِيٍّ بِقَارٍ وَيُحْمَلُ عَلَى حِمَارٍ وَجْهُهُ مِمَّا يَلِي دُبُرَ الْحِمَارِ فَاجْتَمَعَ أَحْبَارٌ مِنْ أَحْبَارِهِمْ فَبَعَثُوا قَوْمًا آخَرِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا سَلُوهُ عَنْ حَدِّ الزَّانِي ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ فِيهِ قَالَ وَلَمْ يَكُونُوا مِنْ أَهْلِ دِينِهِ فَيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ فَخُيِّرَ فِي ذَلِكَ قَالَ ‏{‏ فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ ‏}‏ ‏.‏

আয-যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মুযাইনাহ গোত্রের জনৈক ব্যাক্তিকে সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ) সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেন, একজোড়া বিবাহিত ইয়াহুদী নারী-পুরুষ যেনা করে। এ সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরাত করে মদিনায় আসেন। যেনার শাস্তির ব্যাপারে তাওরাত কিতাবে রজমের বিধান বিদ্যমান ছিল, কিন্তু ইয়াহূদীরা তা পরিত্যাগ করে ‘তাজবীহ’ নামক শাস্তি চালু করে। তাজ্‌বীহ হলো, পাকানো রশি দিয়ে একশোবার প্রহার করা এবং মুখমন্ডলে চুন-কালি মেখে গাধার উপর এমনভাবে বসিয়ে দেয়া যে, অপরাধীর মুখ গাধার পেছন দিকে থাকে। এমনিভাবে তাকে এলাকা জুড়ে চক্কর দেয়া। অতঃপর তাদের ‘আলিমদের একটি দল একত্র হলো এবং অপর একটি দলকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পাঠিয়ে দিলো এবং তাদের বলে দিলো যে, তাঁকে গিয়ে যেনার শাস্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করবে। এভাবে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসে আরো আছেঃ যারা তাঁর ধর্মের অনুসারী নয়, তিনি তাদের মাঝেও ফায়সালা করতেন। অতঃপর এ ব্যাপারে তাঁকে স্বাধীনতা দিয়ে আল্লাহ বলেনঃ “তাঁরা যদি আপনার নিকট আসে, তবে আপনি তাদের বিচার মিমাংসা করুন অথবা তাদের উপেক্ষা করুন” (সূরা আল-মায়েদাঃ ৪২)। [৪৪৫০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৫০] আবূ দাঊদ এটি একক ভাবে বর্ণনা করেছেন। এর সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্‌ আন্‌ শব্দে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যাক্তি রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৫২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ مُجَالِدٌ أَخْبَرَنَا عَنْ عَامِرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَتِ الْيَهُودُ بِرَجُلٍ وَامْرَأَةٍ مِنْهُمْ زَنَيَا فَقَالَ ائْتُونِي بِأَعْلَمِ رَجُلَيْنِ مِنْكُمْ فَأَتَوْهُ بِابْنَىْ صُورِيَا فَنَشَدَهُمَا ‏”‏ كَيْفَ تَجِدَانِ أَمْرَ هَذَيْنِ فِي التَّوْرَاةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالاَ نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ إِذَا شَهِدَ أَرْبَعَةٌ أَنَّهُمْ رَأَوْا ذَكَرَهُ فِي فَرْجِهَا مِثْلَ الْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ رُجِمَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تَرْجُمُوهُمَا ‏”‏ ‏.‏ قَالاَ ذَهَبَ سُلْطَانُنَا فَكَرِهْنَا الْقَتْلَ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالشُّهُودِ فَجَاءُوا بِأَرْبَعَةٍ فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ رَأَوْا ذَكَرَهُ فِي فَرْجِهَا مِثْلَ الْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرَجْمِهِمَا ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদল ইয়াহুদী তাদের মধ্যকার যেনার অপরাধী পুরুষ-নারীকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হলো। তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যকার সবচাইতে বিজ্ঞ দু’জন লোক নিয়ে এসো। অতএব তারা ‘সূরিয়ার’ দুই পুত্রকে তাঁর নিকট হাযির করলো। তিনি তাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে প্রশ্ন করেনঃ তোমরা এদের ব্যাপারে তাওরাতে কিরূপ বিধান দেখতে পাও? তারা বললো, আমরা তাওরাতে দেখতে পাই, চারজন সাক্ষী যদি সাক্ষ্য দেয় যে, তারা পুরুষটির গুপ্তাঙ্গ স্ত্রীলোকটির গুপ্তাঙ্গে এরুপভাবে ঢুকানো অবস্থায় দেখেছে, যেরূপ সুরমা শলাকা সুরমাদানীতে ঢুকানো হয়, তাহলে তাদের উভয়কে রজম করা হবে। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তাহলে কোন জিনিসটা তোমাদেরকে তাদেরকে রজম করতে বাধা দিচ্ছে? তারা উভয়ে বললো, আমাদের শাসন ক্ষমতা লোপ পেয়েছে। সুতরাং হত্যা করাকে আমরা অনুমোদন করি না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাক্ষীদের নিয়ে আসতে ডাকলেন। তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে এলো। তারা সাক্ষ্য দিলো যে, সুরমা শলাকা যেরূপে সুরমাদানীর ভেতরে ঢুকে যায়, ঠিক সেরূপেই তারা পুরুষটির গুপ্তাঙ্গ স্ত্রীলোকটির গুপ্তাঙ্গের মধ্যে ঢুকানো অবস্থায় দেখেছে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের রজম করার নির্দেশ দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৫৩

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، وَالشَّعْبِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ لَمْ يَذْكُرْ فَدَعَا بِالشُّهُودِ فَشَهِدُوا ‏.

ইবরহীম ও আশ-শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তবে এতে “তিনি সাক্ষীদের হাযির করতে বললেন। অতএব তারা এসে সাক্ষ্য দিলো’ – এ কথাটির উল্লেখ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৫৪

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنِ ابْنِ شُبْرُمَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، بِنَحْوٍ مِنْهُ ‏.‏

আশ-শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আশ-শা’বী (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। [৪৪৫৩]

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৫৩] এর পূর্বেরটি দেখুন।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৪৪৫৫

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَسَنٍ الْمِصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الزُّبَيْرِ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ رَجَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مِنَ الْيَهُودِ وَامْرَأَةً زَنَيَا ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একজোড়া ইয়াহুদী নারী-পুরুষ যেনা করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের রজম করার নির্দেশ দেন। [৪৪৫৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৭

যে ব্যাক্তি মাহ্‌রাম নারীর সঙ্গে যেনা করে

৪৪৫৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ، عَنْ أَبِي الْجَهْمِ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ بَيْنَا أَنَا أَطُوفُ، عَلَى إِبِلٍ لِي ضَلَّتْ إِذْ أَقْبَلَ رَكْبٌ أَوْ فَوَارِسُ مَعَهُمْ لِوَاءٌ فَجَعَلَ الأَعْرَابُ يُطِيفُونَ بِي لِمَنْزِلَتِي مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ أَتَوْا قُبَّةً فَاسْتَخْرَجُوا مِنْهَا رَجُلاً فَضَرَبُوا عُنُقَهُ فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَذَكَرُوا أَنَّهُ أَعْرَسَ بِامْرَأَةِ أَبِيهِ ‏.‏

আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি আমার একটি হারানো উট খোঁজ করতে বেরিয়েছি, এমন সময় একদল আরোহী অথবা অশ্বারোহী আমার সামনে এসে উপস্থিত হয়। তাদের নিকট একটি পতাকা ছিল। এই বেদুঈনরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রিয়পাত্র হিসেবে আমার চারদিকে ঘুরতে থাকে। যখন তারা একটি গম্বুজ সদৃশ স্থাপনার নিকট এসে এর ভিতর হতে একটি লোককে বের করে হত্যা করে তখন আমি তাদেরকে তার সম্পর্কে বললাম। তারা বললো, লোকটি তার পিতার স্ত্রীকে (সৎ মাকে) সঙ্গম করেছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৫৭

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ قُسَيْطٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْبَرَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَقِيتُ عَمِّي وَمَعَهُ رَايَةٌ فَقُلْتُ لَهُ أَيْنَ تُرِيدُ قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى رَجُلٍ نَكَحَ امْرَأَةَ أَبِيهِ فَأَمَرَنِي أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ وَآخُذَ مَالَهُ ‏.‏

ইয়াযীদ ইবনুল বারাআ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার চাচার সঙ্গে সাক্ষাত করি। তখন তার সঙ্গে একটি ঝান্ডা ছিল। আমি তাকে বলি, কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এক ব্যাক্তির নিকট পাঠিয়েছেন, যে তার পিতার স্ত্রীকে (সৎ মাকে) বিয়ে করেছে। তিনি আমাকে আদেশ দিয়েছেন তাকে হত্যা করতে এবং তার সম্পদ নিয়ে আসতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৮

যে ব্যাক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সঙ্গে যেনা করে

৪৪৫৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، أَنَّ رَجُلاً، يُقَالُ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُنَيْنٍ وَقَعَ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ فَرُفِعَ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَهُوَ أَمِيرٌ عَلَى الْكُوفَةِ فَقَالَ لأَقْضِيَنَّ فِيكَ بِقَضِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ كَانَتْ أَحَلَّتْهَا لَكَ جَلَدْتُكَ مِائَةً وَإِنْ لَمْ تَكُنْ أَحَلَّتْهَا لَكَ رَجَمْتُكَ بِالْحِجَارَةِ ‏.‏ فَوَجَدُوهُ قَدْ أَحَلَّتْهَا لَهُ فَجَلَدَهُ مِائَةً ‏.‏ قَالَ قَتَادَةُ كَتَبْتُ إِلَى حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ فَكَتَبَ إِلَىَّ بِهَذَا ‏.‏

হাবীব ইবনু সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আব্দুর রহমান ইবনু হুনাইন নামে জনৈক ব্যাক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সঙ্গে সঙ্গম করে। বিষয়টি কুফার গভর্ণর নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ)-এর নিকট পেশ করা হলে তিনি বলেন, আমি অবশ্যই তোমার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ফায়সালার মতই ফায়সালা করবো। তোমার স্ত্রী যদি এ বাদীকে তোমার জন্য বৈধ করে দিয়ে থাকে, তবে আমি তোমাকে একশো বেত্রাঘাত করবো, আর যদি তোমার জন্য বৈধ না করে থাকে, তাহলে তোমাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করবো। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, তার স্ত্রী বাঁদীকে তার জন্য বৈধ করে দিয়েছে। কাজেই তিনি তাকে একশো বেত্রাঘাত করেন। ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেন, আমি হাবীব ইবনু সালিমের নিকট চিঠি লিখলে তিনি এ হাদীসটি লিখে পাঠান। [৪৪৫৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৫৭] তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ সানাদে উলটপালট হয়েছে। আমি ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি, ক্বাতাদাহ হাদীসটি হাবীব ইবনু সালিম হতে শুনেননি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৫৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّجُلِ يَأْتِي جَارِيَةَ امْرَأَتِهِ قَالَ ‏ “‏ إِنْ كَانَتْ أَحَلَّتْهَا لَهُ جُلِدَ مِائَةً وَإِنْ لَمْ تَكُنْ أَحَلَّتْهَا لَهُ رَجَمْتُهُ ‏”‏ ‏.

নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সঙ্গে সঙ্গম করলে, তার স্ত্রী যদি তাকে তার জন্য বৈধ করে দিয়ে থাকে তবে একশো বেত্রাঘাত করা হবে; আর যদি বৈধ করে না দিয়ে থাকে, তবে আমি তাকে রজম করবো। [৪৪৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৫৮] এর সানাদে দুর্বল। এর পূর্বের হাদীস দেখুন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৬০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى فِي رَجُلٍ وَقَعَ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ إِنْ كَانَ اسْتَكْرَهَهَا فَهِيَ حُرَّةٌ وَعَلَيْهِ لِسَيِّدَتِهَا مِثْلُهَا فَإِنْ كَانَتْ طَاوَعَتْهُ فَهِيَ لَهُ وَعَلَيْهِ لِسَيِّدَتِهَا مِثْلُهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ وَمَنْصُورُ بْنُ زَاذَانَ وَسَلاَّمٌ عَنِ الْحَسَنِ هَذَا الْحَدِيثَ بِمَعْنَاهُ لَمْ يَذْكُرْ يُونُسُ وَمَنْصُورٌ قَبِيصَةَ ‏.‏

সালামাহ ইবনুল মুহাব্বিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক ব্যাক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সঙ্গে সঙ্গম করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ব্যাপারে ফায়সালা দিলেন, সে যদি তার সঙ্গে জোরপূর্বক একাজ করে থাকে, তাহলে দাসী আযাদ এবং তার কর্তব্য হলো, তার মতো একটি দাসী তার মনিবকে (স্ত্রীকে) দেয়া। আর যদি আপসে তা হয়ে থাকে, তাহলে সে তার মালিকানায় চলে যাবে এবং দাসীর মনিবকে তার মত একটি দাসী প্রদান করা স্বামীর কর্তব্য হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইউনুস ইবনু ‘উবাইদ, ‘আমর ইবনু দীনার, মানসূর ইবনু যাযান ও সাল্লাম (রহঃ) আল-হাসান সূত্রে এ হাদীস পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণনা করেন। ইউনূস ও মানসূর (রহঃ) কাবীসাহ্‌র (রাঃ) উল্লেখ করেননি। [৪৪৫৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৫৯] নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ। এর সানাদে কাবীসাহ বিন হুরাইস রয়েছে। ইমাম বুখারী বলেনঃ তার হাদীসে আপত্তি আছে। ইবনু কাত্তান বলেনঃ সে মাজহুল। ইমাম নাসায়ী বলেনঃ তার হাদীস সহীহ নয়।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৬১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ الدِّرْهَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ وَإِنْ كَانَتْ طَاوَعَتْهُ فَهِيَ حُرَّةٌ وَمِثْلُهَا مِنْ مَالِهِ لِسَيِّدَتِهَا ‏.‏

সালাম ইবনুল মুহাব্বিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সালাম ইবনুল মুহাব্বিক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে এ হাদীসে তিনি বলেনঃ দাসী যদি একাজে সম্মতি দিয়ে থাকে, তবে সেও তার মতো আরো একটি দাসী নিজ মাল দ্বারা ক্রয় করে দাসীর মনিবকে প্রদান করবে। [৪৪৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৬০] নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ। হাদীসের সানাদে হাসান ও সামাহ বির মুহাব্বাক এর মাঝে ইনকিতা হয়েছে। এছাড়া হাসান একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্‌ আন্‌ শব্দে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-২৯

কেউ কওমে লূতের অনুরূপ অপকর্ম করলে

৪৪৬২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو مِثْلَهُ وَرَوَاهُ عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَفَعَهُ وَرَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَفَعَهُ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কাউকে যদি লুত গোত্রের মতই কুকর্মে লিপ্ত দেখতে পাও তাহলে কর্তা ও যার সঙ্গে করা হয়েছে তাদের উভয়কে হত্যা করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৪৬৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ رَاهَوَيْهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ خُثَيْمٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، وَمُجَاهِدًا، يُحَدِّثَانِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي الْبِكْرِ يُوجَدُ عَلَى اللُّوطِيَّةِ قَالَ يُرْجَمُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ عَاصِمٍ يُضَعِّفُ حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, অবিবাহিতদের লাওয়াতাতে (পায়ুকামে) লিপ্ত পাওয়া গেলে রজম করা হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আসিম (রহঃ) বর্ণিত হাদীস আমর ইবনু আবূ ‘আমরের হাদীসকে দুর্বল প্রমানিত করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩০

যে ব্যাক্তি পশুর সঙ্গে সঙ্গম করে

৪৪৬৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَتَى بَهِيمَةً فَاقْتُلُوهُ وَاقْتُلُوهَا مَعَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لَهُ مَا شَأْنُ الْبَهِيمَةِ قَالَ مَا أُرَاهُ إِلاَّ قَالَ ذَلِكَ أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُؤْكَلَ لَحْمُهَا وَقَدْ عُمِلَ بِهَا ذَلِكَ الْعَمَلُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَيْسَ هَذَا بِالْقَوِيِّ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি পশুর সঙ্গে সঙ্গম করলে তাকে এবং পশুটিকেও তার সঙ্গে হত্যা করো। তিনি (ইকরিমা) বলেন, আমি তাকে (ইবনু আব্বাসকে) বললাম, পশুটির অন্যায় কি? তিনি বলেন, আমার মতে যে পশুর সঙ্গে সঙ্গম করা হয়েছে নিশ্চয়ই তিনি তার গোশত খাওয়া অপছন্দ করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটি তেমন শক্তিশালী হাদীস নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৪৬৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، أَنَّ شَرِيكًا، وَأَبَا الأَحْوَصِ، وَأَبَا، بَكْرِ بْنَ عَيَّاشٍ حَدَّثُوهُمْ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَيْسَ عَلَى الَّذِي يَأْتِي الْبَهِيمَةَ حَدٌّ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ عَطَاءٌ وَقَالَ الْحَكَمُ أَرَى أَنْ يُجْلَدَ وَلاَ يَبْلُغَ بِهِ الْحَدَّ ‏.‏ وَقَالَ الْحَسَنُ هُوَ بِمَنْزِلَةِ الزَّانِي ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ عَاصِمٍ يُضَعِّفُ حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পশুর সঙ্গে সঙ্গমকারী হাদ্দের আওতাভুক্ত নয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আত্বা-ও এরূপই বলেছেন। হাকাম বলেন, আমি মনে করি তাকে বেত্রাঘাত করা উচিত; কিন্তু তা হাদ্দের সীমা (১০০ বেত্রাঘাত) পর্যন্ত পৌছা উচিৎ নয়। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, সে যেনাকারীর সমতুল্য। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আসিম কর্তৃক বর্ণিত হাদীস ‘আমা ইবনু আবূ ‘আমর কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে দুর্বল প্রামাণিত করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩১

যদি পুরুষ যেনার কথা স্বীকার করে এবং নারী তা অস্বীকার করে

৪৪৬৬

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَجُلاً أَتَاهُ فَأَقَرَّ عِنْدَهُ أَنَّهُ زَنَى بِامْرَأَةٍ سَمَّاهَا لَهُ فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَرْأَةِ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَأَنْكَرَتْ أَنْ تَكُونَ زَنَتْ فَجَلَدَهُ الْحَدَّ وَتَرَكَهَا ‏.‏

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে বর্ণনা করেনঃ জনৈক ব্যাক্তি তাঁর নিকট এসে স্বীকারোক্তি করলো যে, সে এক স্ত্রীলোকের সঙ্গে যেনা করেছে এবং সে তার নামও বলেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট লোক পাঠিয়ে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সে যেনার কথা অস্বীকার করলো। কাজেই তিনি পুরুষটিকে বেত্রাঘাতের শাস্তি দিলেন এবং স্ত্রীলোকটিকে মুক্তি দিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৬৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ هَارُونَ الْبُرْدِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ فَيَّاضٍ الأَبْنَاوِيِّ، عَنْ خَلاَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ بَكْرِ بْنِ لَيْثٍ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَقَرَّ أَنَّهُ زَنَى بِامْرَأَةٍ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَجَلَدَهُ مِائَةً وَكَانَ بِكْرًا ثُمَّ سَأَلَهُ الْبَيِّنَةَ عَلَى الْمَرْأَةِ فَقَالَتْ كَذَبَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَجَلَدَهُ حَدَّ الْفِرْيَةِ ثَمَانِينَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বাক্‌র ইবনু লাইস গোত্রের জনৈক ব্যাক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে চারবার স্বীকারোক্তি করলো যে, সে জনৈকা স্ত্রীলোকের সঙ্গে যেনা করেছে। সে অবিবাহিত ছিল বিধায় তিনি তাকে একশো বেত্রাঘাত করেন। এরপর তিনি স্ত্রীলোকটির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষী আনার জন্য তাকে আদেশ দেন। স্ত্রীলোকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! সে মিথ্যা বলেছে। সুতরাং তিনি পুরুষটিকে যেনার মিথ্যা অপবাদ আরোপের অপরাধে আরো আশিটি বেত্রাঘাত করেন। [৪৪৬৬]

 

মুনকারঃ মিসকাত হা/৩৫৭৮।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৬৬] নাসায়ীর সুনানুল কুবরা। সানাদে ক্বাসিম ইবনু ফাইয়াদ অজ্ঞাত। যেমন আত-তাক্বরীব গ্রন্থে রয়েছে।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩২

যে ব্যাক্তি কোন মহিলার সাথে সঙ্গম ছাড়া অন্য সবকিছু করে এবং কর্তৃপক্ষের নিকট ধরা পড়ার পূর্বেই তাওবাহ করে নেয়

৪৪৬৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالأَسْوَدِ، قَالاَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي عَالَجْتُ امْرَأَةً مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ فَأَصَبْتُ مِنْهَا مَا دُونَ أَنْ أَمَسَّهَا فَأَنَا هَذَا فَأَقِمْ عَلَىَّ مَا شِئْتَ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ قَدْ سَتَرَ اللَّهُ عَلَيْكَ لَوْ سَتَرْتَ عَلَى نَفْسِكَ ‏.‏ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا فَانْطَلَقَ الرَّجُلُ فَأَتْبَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً فَدَعَاهُ فَتَلاَ عَلَيْهِ ‏{‏ وَأَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ ‏}‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَهُ خَاصَّةً أَمْ لِلنَّاسِ كَافَّةً فَقَالَ ‏”‏ بَلْ لِلنَّاسِ كَافَّةً ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক ব্যাক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, আমি মাদীনাহ্‌র উপকন্ঠে জনৈকা নারীর সঙ্গে সঙ্গম ছাড়া সবকিছুই করেছি। এখন আমি এখানে উপস্থিত। আপনি যা ইচ্ছা আমাকে শাস্তি দিন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তোমার এ অপরাধ গোপন রেখেছিলেন, তুমিও যদি তা তোমার নিকট গোপন রাখতে! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কথার কোন উত্তর দেননি। কাজেই লোকটি ফিরে গেলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পিছনে একজন লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনলেন এবং এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ “দিনের দু’প্রান্তে ও রাতের প্রথমাংশে তুমি সালাত ক্বায়িম করো, নিশ্চয় সৎকাজসমূহ গুনাহসমূহকে মুছে দেয়। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য এটা এক নসীহত” (সূরাহ হূদঃ ১১৪)। উপস্থিত লোকদের মধ্য হতে এক লোক বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এ আয়াত কি শুধু তার জন্য নির্দিষ্ট, নাকি সবার জন্য? তিনি বললেনঃ বরং তা সকল মানুষের জন্য। [৪৪৬৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৬৭] মুসলিম, তিরমিযী, নাসায়ী সুনানুল কুবরা, আহমাদ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৩

অবিবাহিত দাসী যেনা করলে

৪৪৬৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ الأَمَةِ إِذَا زَنَتْ وَلَمْ تُحْصَنْ قَالَ ‏ “‏ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَبِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ لاَ أَدْرِي فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ وَالضَّفِيرُ الْحَبْلُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ ও যায়িদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি অবিবাহিত দাসী সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলো যে, সে যেনা করেছে। তিনি বলেনঃ সে যেনা করলে বেত্রাঘাত করো, আবার যেনা করলে আবারো বেত্রাঘাত করো, পুনরায় যেনা করলে আবারো বেত্রাঘাত করো। অতঃপর আবারো যেনা করলে একটি রশির বিনিময়ে হলেও তাকে বিক্রি করে দাও। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, আমি অবহিত নই যে, তিনি তিনবার নাকি চারবার (বিক্রির কথা) বলেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৭০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَحُدَّهَا وَلاَ يُعَيِّرْهَا ثَلاَثَ مِرَارٍ فَإِنْ عَادَتْ فِي الرَّابِعَةِ فَلْيَجْلِدْهَا وَلْيَبِعْهَا بِضَفِيرٍ أَوْ بِحَبْلٍ مِنْ شَعْرٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কারো দাসী যেনা করলে সে তাকে যেন শাস্তি দেয়, তিরস্কার করেই ছেড়ে দিবে না। এরূপ তিনবার করবে। চতুর্থবার যদি সে যেনা করে, তাহলে তাকে বেত্রাঘাত করবে এবং একটি রশি বা পশমের তৈরী রশির বিনিময়ে হলেও তাকে বিক্রি করে দিবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৭১

حَدَّثَنَا ابْنُ نُفَيْلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ‏”‏ فَلْيَضْرِبْهَا كِتَابُ اللَّهِ وَلاَ يُثَرِّبْ عَلَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ فِي الرَّابِعَةِ ‏”‏ فَإِنْ عَادَتْ فَلْيَضْرِبْهَا كِتَابُ اللَّهِ ثُمَّ لْيَبِعْهَا وَلَوْ بِحَبْلٍ مِنْ شَعْرٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রতিবার তাকে আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি প্রদান করবে, কেবল তিরস্কার করেই ছেড়ে দিবে না। চতুর্থবার যদি সে এরূপ করে, তাহলে তাকে আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি দেয়ার পর একটি পশমের রশির বিনিময়ে হলেও বিক্রি করে দাও।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৪

রোগীর উপর হাদ্দ কার্যকর সম্পর্কে

৪৪৭২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ بَعْضُ، أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّهُ اشْتَكَى رَجُلٌ مِنْهُمْ حَتَّى أُضْنِيَ فَعَادَ جِلْدَةً عَلَى عَظْمٍ فَدَخَلَتْ عَلَيْهِ جَارِيَةٌ لِبَعْضِهِمْ فَهَشَّ لَهَا فَوَقَعَ عَلَيْهَا فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ رِجَالُ قَوْمِهِ يَعُودُونَهُ أَخْبَرَهُمْ بِذَلِكَ وَقَالَ اسْتَفْتُوا لِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي قَدْ وَقَعْتُ عَلَى جَارِيَةٍ دَخَلَتْ عَلَىَّ ‏.‏ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالُوا مَا رَأَيْنَا بِأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ مِنَ الضُّرِّ مِثْلَ الَّذِي هُوَ بِهِ لَوْ حَمَلْنَاهُ إِلَيْكَ لَتَفَسَّخَتْ عِظَامُهُ مَا هُوَ إِلاَّ جِلْدٌ عَلَى عَظْمٍ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْخُذُوا لَهُ مِائَةَ شِمْرَاخٍ فَيَضْرِبُوهُ بِهَا ضَرْبَةً وَاحِدَةً ‏.‏

আবূ উমামাহ ইবনু সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কতক আনসারী সাহাবীর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তাদের একজন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাড্ডিসার হয়ে যায়। এমতাবস্থায় তাদের কারো এক দাসী তার নিকট এলে সে শিহরিত হয়ে তার সঙ্গে সঙ্গম করে। তার গোত্রের লোকজন তাকে দেখতে এলে, সে তাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করে এবং বলে, তোমরা আমার ব্যাপারে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে এ বিষয়ে ফাতাওয়া চাইবে যে, আমার নিকট আগত দাসীর সঙ্গে আমি যেনা করেছি। তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে এ ঘটনা জানালো এবং বললো, রোগে শুকিয়ে তার মতো হাড্ডিসার হতে আমরা কোন লোককে দেখিনি। তাকে যদি আপনার নিকট বহন করে আনি তবে তার হাড়গোড় আলাদা হয়ে যাবে। তার হাড়ে চামড়া ছাড়া আর কিছুই নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে আদেশ দিলেনঃ তারা যেন একশো পাতা বিশিষ্ট একটি ডাল নিয়ে তদ্বারা তাকে একবার প্রহার করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৭৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي جَمِيلَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ فَجَرَتْ جَارِيَةٌ لآلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ يَا عَلِيُّ انْطَلِقْ فَأَقِمْ عَلَيْهَا الْحَدَّ ‏”‏ ‏.‏ فَانْطَلَقْتُ فَإِذَا بِهَا دَمٌ يَسِيلُ لَمْ يَنْقَطِعْ فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ ‏”‏ يَا عَلِيُّ أَفَرَغْتَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ أَتَيْتُهَا وَدَمُهَا يَسِيلُ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ دَعْهَا حَتَّى يَنْقَطِعَ دَمُهَا ثُمَّ أَقِمْ عَلَيْهَا الْحَدَّ وَأَقِيمُوا الْحُدُودَ عَلَى مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَبُو الأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى فَقَالَ فِيهِ ‏”‏ لاَ تَضْرِبْهَا حَتَّى تَضَعَ ‏”‏ ‏.‏ وَالأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের এক দাসী ব্যভিচার করলো। তখন তিনি ‘আলী (রাঃ)-কে ডেকে বললেনঃ হে আলী! তুমি তাকে নিয়ে যাও এবং তার উপর হাদ্দ কার্যকর করো। আমি (‘আলী) তার নিকট গিয়ে দেখি, বিরামহীনভাবে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কাজেই আমি তাঁর কাছে ফিরে আসলাম। তিনি বললেনঃ হে ‘আলী! তুমি কি কাজ সেরে এসেছ? আমি বললাম, আমি তার নিকট গিয়ে দেখি, তার অবিরাম রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি বললেনঃ রক্ত বন্ধ হওয়া পর্যন্ত তাকে রেখে দাও, অতঃপর তার উপর হাদ্দ কার্যকর করো। আর তোমাদের ডান হাতের মালিকানায় যারা আছে (দাস-দাসী) তাদের উপর হদ্দ ক্বায়িম করো। শু’বাহ (রহঃ) ‘আব্দুল ‘আলা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ প্রসব করার পূর্ব পর্যন্ত তাকে প্রহার করো না। তবে প্রথম বর্ণনাটি অধিক সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৫

যেনার মিথ্যা অপবাদ দাতার শাস্তি

৪৪৭৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، وَمَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْمِسْمَعِيُّ، – وَهَذَا حَدِيثُهُ – أَنَّ ابْنَ أَبِي عَدِيٍّ، حَدَّثَهُمْ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ لَمَّا نَزَلَ عُذْرِي قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ فَذَكَرَ ذَاكَ وَتَلاَ – تَعْنِي الْقُرْآنَ – فَلَمَّا نَزَلَ مِنَ الْمِنْبَرِ أَمَرَ بِالرَّجُلَيْنِ وَالْمَرْأَةِ فَضُرِبُوا حَدَّهُمْ ‏.‏

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার সমর্থনে যখন আয়াত অবতীর্ণ হলো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে দাঁড়িয়ে বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি মিম্বার থেকে নেমে এসে দু’জন পুরুষ ও একজন নারী সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তাদের উপর হাদ্দ কার্যকর করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৭৫

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ لَمْ يَذْكُرْ عَائِشَةَ قَالَ فَأَمَرَ بِرَجُلَيْنِ وَامْرَأَةٍ مِمَّنْ تَكَلَّمَ بِالْفَاحِشَةِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ وَمِسْطَحِ بْنِ أُثَاثَةَ ‏.‏ قَالَ النُّفَيْلِيُّ وَيَقُولُونَ الْمَرْأَةُ حَمْنَةُ بِنْتُ جَحْشٍ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব (রহঃ) সূত্রেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তবে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেনঃ যারা অশ্লীল কথা রটিয়েছিল, তিনি তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও একজন নারী সম্পর্কে আদেশ দেন। পুরুষ দু’জন হলোঃ হাসসান ইবনু সাবিত ও মিসত্বাহ ইবনু উসাসাহ। নুফাইলী বলেন, তারা বলতেনঃ মহিলাটি হলো হামনা বিনতু জাহ্‌শ। [৪৪৭৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৭৪] এর পূর্বেরটি দেখুন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৬

মাদক সেবনের শাস্তি

৪৪৭৬

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، – وَهَذَا حَدِيثُهُ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقِتْ فِي الْخَمْرِ حَدًّا ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ شَرِبَ رَجُلٌ فَسَكِرَ فَلُقِيَ يَمِيلُ فِي الْفَجِّ فَانْطُلِقَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا حَاذَى بِدَارِ الْعَبَّاسِ انْفَلَتَ فَدَخَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ فَالْتَزَمَهُ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَضَحِكَ وَقَالَ ‏ “‏ أَفَعَلَهَا ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَأْمُرْ فِيهِ بِشَىْءٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ حَدِيثُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ هَذَا ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদক গ্রহণের শাস্তি স্বরূপ হাদ্দ নির্দিষ্ট করেননি। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যাক্তি মদ পান করে মাতাল হয়। এ সময় তাকে রাস্তায় দুলতে দেখে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে আসা হয়। সে ‘আব্বাস (রাঃ)-এর ঘর বরাবর এলে জ্ঞান ফিরে পায় এবং ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে (শাস্তির ভয়ে) তাকে জড়িয়ে ধরে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ ঘটনা বর্ণনা করা হলে তিনি হেসে বললেনঃ সে কি তাই করেছে? তিনি তার ব্যাপারে কোন আদেশ দেননি। [৪৪৭৫]

 

দুর্বলঃ মিশকাত হা/৩৬২২।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৭৫] আহমাদ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৭৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِرَجُلٍ قَدْ شَرِبَ فَقَالَ ‏”‏ اضْرِبُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَمِنَّا الضَّارِبُ بِيَدِهِ وَالضَّارِبُ بِنَعْلِهِ وَالضَّارِبُ بِثَوْبِهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ أَخْزَاكَ اللَّهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَقُولُوا هَكَذَا لاَ تُعِينُوا عَلَيْهِ الشَّيْطَانَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জনৈক মাতাল ব্যাক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আনা হলে তিনি বলেনঃ তোমরা একে প্রহার করো। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমাদের মাঝ হতে কেউ তাকে হাত দিয়ে মেরেছে, কেউবা জুতাপেটা করেছে আর কেউবা কাপড় দিয়ে মেরেছে। অতঃপর সে চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকজনের কেউ বললো, আল্লাহ তোমাকে অপদস্থ করেছেন। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা এভাবে বলো না, তার বিরুদ্ধে শয়তানকে সহযোগিতা করো না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৭৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ أَبِي نَاجِيَةَ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَحَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، وَابْنُ، لَهِيعَةَ عَنِ ابْنِ الْهَادِ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ بَعْدَ الضَّرْبِ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ ‏”‏ بَكِّتُوهُ ‏”‏ ‏.‏ فَأَقْبَلُوا عَلَيْهِ يَقُولُونَ مَا اتَّقَيْتَ اللَّهَ مَا خَشِيتَ اللَّهَ وَمَا اسْتَحَيْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَرْسَلُوهُ وَقَالَ فِي آخِرِهِ ‏”‏ وَلَكِنْ قُولُوا اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ ‏”‏ ‏.‏ وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ الْكَلِمَةَ وَنَحْوَهَا ‏.‏

ইবনুল হাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনুল হাদ (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, তাকে প্রহারের পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের বললেনঃ তোমরা তাকে মৌখিক ধমক দিয়ে নসীহত করো। সুতরাং তারা তার নিকট এসে বললেন, তুমি আল্লাহকে ভয় করোনি, তুমি আল্লাহকে ভয় করোনি এবং তুমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে লজ্জিত হওনি। অতঃপর তারা তাকে ছেড়ে দিলেন। হাদীসের শেষাংশে তিনি বলেনঃ বরং তোমরা বলো, হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দাও, হে আল্লাহ! তার উপর করুণা বর্ষণ করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৭৯

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، – الْمَعْنَى – عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَلَدَ فِي الْخَمْرِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه أَرْبَعِينَ فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ دَعَا النَّاسَ فَقَالَ لَهُمْ إِنَّ النَّاسَ قَدْ دَنَوْا مِنَ الرِّيفِ – وَقَالَ مُسَدَّدٌ مِنَ الْقُرَى وَالرِّيفِ – فَمَا تَرَوْنَ فِي حَدِّ الْخَمْرِ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ نَرَى أَنْ تَجْعَلَهُ كَأَخَفِّ الْحُدُودِ ‏.‏ فَجَلَدَ فِيهِ ثَمَانِينَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ جَلَدَ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ أَرْبَعِينَ ‏.‏ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ضَرَبَ بِجَرِيدَتَيْنِ نَحْوَ الأَرْبَعِينَ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদক গ্রহনের অপরাধে (এ ব্যাক্তিকে) খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে আঘাত করেন। আর আবূ বকর (রাঃ) চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেন। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) যখন খলীফা হন, তিনি লোকদের ডেকে বললেন, অনেক লোক পানির উৎসসমূহে ও গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। কাজেই এখন আপনারা মাদক গ্রহনের হাদ্দ প্রসঙ্গে কি বলেন? তখন ‘আব্দুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) বলেন, আমরা হাদ্দের আওতায় লঘু শাস্তি দেয়ার মত দিচ্ছি। সুতরাং তিনি এর শাস্তি হিসেবে আশিটি বেত্রাঘাত নির্ধারিত করেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইবনু আবূ আরূবাহ ক্বাতাদাহ্‌র সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদ্যপায়ীদের খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে চল্লিশ ঘা প্রহার করেছেন। শু’বাহ (রাঃ) ক্বাতাদাহ্‌ হতে আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করে বলেন, তিনি দু’টি খেজুরের ডাল দিয়ে প্রায় চল্লিশ ঘা প্রহার করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৮০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الدَّانَاجُ، حَدَّثَنِي حُضَيْنُ بْنُ الْمُنْذِرِ الرَّقَاشِيُّ، – هُوَ أَبُو سَاسَانَ – قَالَ شَهِدْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَأُتِيَ بِالْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ فَشَهِدَ عَلَيْهِ حُمْرَانُ وَرَجُلٌ آخَرُ فَشَهِدَ أَحَدُهُمَا أَنَّهُ رَآهُ شَرِبَهَا – يَعْنِي الْخَمْرَ – وَشَهِدَ الآخَرُ أَنَّهُ رَآهُ يَتَقَيَّأُهَا فَقَالَ عُثْمَانُ إِنَّهُ لَمْ يَتَقَيَّأْهَا حَتَّى شَرِبَهَا ‏.‏ فَقَالَ لِعَلِيٍّ رضى الله عنه أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ ‏.‏ فَقَالَ عَلِيٌّ لِلْحَسَنِ أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ ‏.‏ فَقَالَ الْحَسَنُ وَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا ‏.‏ فَقَالَ عَلِيٌّ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ ‏.‏ قَالَ فَأَخَذَ السَّوْطَ فَجَلَدَهُ وَعَلِيٌّ يَعُدُّ فَلَمَّا بَلَغَ أَرْبَعِينَ قَالَ حَسْبُكَ جَلَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ – أَحْسِبُهُ قَالَ – وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ وَعُمَرُ ثَمَانِينَ وَكُلٌّ سُنَّةٌ وَهَذَا أَحَبُّ إِلَىَّ ‏.‏

হুসাইন ইবনুল মুনযির আর-রাক্বাশী ওরফে আবূ সাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমি ‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন ওয়ালীদ ইবনু ‘উক্ববাহ্‌কে ধরে আনা হলো। হুমরান এবং অপর এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলো। তাদের একজন সাক্ষ্য দিলো যে, সে তাকে মদ খেতে দেখেছে। অপর ব্যক্তি সাক্ষ্য দিলো যে, সে তাকে মদ বমি করে ফেলতে দেখেছে। ‘উসমান (রাঃ) বললেন, মদ পান না করলে তা বমি করতে পারে না। তাই তিনি ‘আলী (রাঃ)-কে তার উপর শাস্তি বাস্তবায়িত করতে নির্দেশ দিলেন। ‘আলী (রাঃ) হাসান (রাঃ)-কে বললেন, তুমি তাকে শাস্তি দাও। হাসান (রাঃ) বললেন, যিনি খিলাফাতের সুবিধা ভোগ করছেন তিনি ভার বহন করবেন। অতঃপর ‘আলী (রাঃ) ‘আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফারকে বললেন, তুমি তার উপর হাদ্দ কার্যকর করো। অতএব তিনি একটি চাবুক নিয়ে তাকে প্রহার করতে শুরু করলেন। আর ‘আলী (রাঃ) তা গনণা করতে থাকলেন। যখন তিনি চল্লিশে পৌঁছলেন, ‘আলী (রাঃ) বললেন, থামো, যথেষ্ট হয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেছেন। আমি মনে করি, আবূ বাক্‌রও চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেছেন, কিন্তু ‘উমার আশিটি বেত্রাঘাত করেছেন। এর প্রতিটিই সুন্নাত। তবে আমি চল্লিশটি পছন্দ করি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৮১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنِ الدَّانَاجِ، عَنْ حُضَيْنِ بْنِ الْمُنْذِرِ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ جَلَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَمْرِ وَأَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ وَكَمَّلَهَا عُمَرُ ثَمَانِينَ وَكُلٌّ سُنَّةٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ الأَصْمَعِيُّ وَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا وَلِّ شَدِيدَهَا مَنْ تَوَلَّى هَيِّنَهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا كَانَ سَيِّدَ قَوْمِهِ حُضَيْنُ بْنُ الْمُنْذِرِ أَبُو سَاسَانَ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) মদপানের অপরাধে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেছেন, আর ‘উমার (রাঃ) তা আশিতে পূর্ণ করেছেন। এর প্রতিটিই সুন্নাত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আল-আসমাঈ “এর শীতলতা উপভোগকারী এর উত্তাপ সহ্য করবে” বাগধারার ব্যাখ্যায় বলেন, যিনি খিলাফাতের সুবিধা ভোগ করেছেন তাকেই এর ভার বহন করতে হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আবূ সাসান হুসাইন ইবনু মুনযির ছিলেন তার গোত্রের সর্দার।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৭

মাদক সেবনের পুনরাবৃত্তি করলে

৪৪৮২

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، ذَكْوَانَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا شَرِبُوا الْخَمْرَ فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِنْ شَرِبُوا فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِنْ شَرِبُوا فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِنْ شَرِبُوا فَاقْتُلُوهُمْ ‏”‏ ‏.

মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লোকেরা মদ পান করলে, তাদের বেত্রাঘাত করো। পুনরায় পান করলে বেত্রাঘাত করো। আবারো পান করলে বেত্রাঘাত করো, পুনরায় পান করলে বেত্রাঘাত করো, আবারো পান করলে তাদের হত্যা করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৪৮৩

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بِهَذَا الْمَعْنَى قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ فِي الْخَامِسَةِ ‏ “‏ إِنْ شَرِبَهَا فَاقْتُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا فِي حَدِيثِ أَبِي غُطَيْفٍ فِي الْخَامِسَةِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,….উপরের হাদীসের সমার্থবোধক। এতে রয়েছেঃ আমার ধারণা, তিনি পঞ্চমবারে বলেছেনঃ আবারো যদি সে মদ পান করে তবে তাকে হত্যা করো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আবূ গুতাইফ বর্ণিত হাদীসেরও পঞ্চমবারের কথা উল্লেখ আছে। [৪৪৮২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৮২] আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদে হুমাইদ ইয়াযীদ রয়েছে। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ মাজহুলুল হাল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৮৪

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ ثُمَّ إِنْ سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ ثُمَّ إِنْ سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ فَإِنْ عَادَ الرَّابِعَةَ فَاقْتُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا حَدِيثُ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا شَرِبَ الْخَمْرَ فَاجْلِدُوهُ فَإِنْ عَادَ الرَّابِعَةَ فَاقْتُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا حَدِيثُ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنْ شَرِبُوا الرَّابِعَةَ فَاقْتُلُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَكَذَا حَدِيثُ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَذَا حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالشَّرِيدِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِي حَدِيثِ الْجَدَلِيِّ عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ فَإِنْ عَادَ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ فَاقْتُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ মাতাল হলে তাকে বেত্রাঘাত করো। আবার মাতাল হলে তাকে বেত্রাঘাত করো, আবারো মাতাল হলে বেত্রাঘাত করো, চতুর্থবারও যদি এর পুনরাবৃত্তি হয়, তবে হত্যা করো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্‌ও পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও আবূ হুরায়রা্‌ সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এরূপ বর্ণনা করেছেনঃ কেউ মদ পান করলে তাকে বেত্রাঘাত করো। চতুর্থবারও যদি এরূপ করে তবে তাকে হত্যা করো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অনুরূপভাবে সুহাইল পর্যায়ক্রমে আবূ সালিহ ও আবূ হুরায়রা সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এরূপ বর্ণনা করেছেনঃ চতুর্থবার যদি তারা মদ পান করে তাহলে তাদের হত্যা করো। একইভাবে ইবনু আবূ নু’আইম ইবনু ‘উমারের সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) এবং আশ-শারীদ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করছেন। তবে আল-জাদলী মু’আবিয়াহ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ সে তৃতীয়বার বা চতুর্থবার মদ পান করলে তাকে হত্যা করো।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৪৮৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنَا عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فَاجْلِدُوهُ فَإِنْ عَادَ فَاجْلِدُوهُ فَإِنْ عَادَ فَاجْلِدُوهُ فَإِنْ عَادَ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ فَاقْتُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏ فَأُتِيَ بِرَجُلٍ قَدْ شَرِبَ فَجَلَدَهُ ثُمَّ أُتِيَ بِهِ فَجَلَدَهُ ثُمَّ أُتِيَ بِهِ فَجَلَدَهُ ثُمَّ أُتِيَ بِهِ فَجَلَدَهُ وَرَفَعَ الْقَتْلَ فَكَانَتْ رُخْصَةً ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ حَدَّثَ الزُّهْرِيُّ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَعِنْدَهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ وَمُخَوَّلُ بْنُ رَاشِدٍ فَقَالَ لَهُمَا كُونَا وَافِدَىْ أَهْلِ الْعِرَاقِ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الشَّرِيدُ بْنُ سُوَيْدٍ وَشُرَحْبِيلُ بْنُ أَوْسٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَأَبُو غُطَيْفٍ الْكِنْدِيُّ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

ক্বাবীসাহ ইবনু যুওয়াইব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যাক্তি মদ পান করে তাকে বেত্রাঘাত করো। আবারো পান করলে বেত্রাঘাত করো। আবারো করলে তাকে বেত্রাঘাত করো। তৃতীয় কিংবা চতুর্থবার যদি সে এরুপ করে তবে তাকে হত্যা করো। অতঃপর মদ পানের অপরাধে জনৈক ব্যাক্তিকে ধরে আনা হলে তিনি তাকে বেত্রাঘাত করেন। পুনরায় তাকে এ অপরাধে নিয়ে আসা হলে তিনি তাকে বেত্রাঘাত করেন। অতঃপর একই অপরাধে তাকে নিয়ে আসা হলে তিনি বেত্রাঘাত করেন আর হত্যা পরিহার করেন। তা ছিল অবকাশ। সুফিয়ান বলেন, যুহরী (রহঃ) মানসূর ইবনুল মু’তামির ও মুখাওয়াল ইবনু রাশিদের উপস্থিতিতে এ হাদীস বর্ণনা করে বলেন, তোমরা দু’জন প্রতিনিধি হিসেবে ইরাকবাসীদের নিকট গিয়ে এ হাদীস বর্ণনা করো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আশ-শারীদ ইবনু সুওয়াইদ, শুরাহ্‌বীল ইবনু আওস, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার, আবূ গুতাইফ আল-কিন্দী এবং আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। [৪৪৮৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৮৪] বায়হাক্বী।

হাদিসের মানঃ দুর্বল মুরসাল

  •  সরাসরি

৪৪৮৬

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ لاَ أَدِي – أَوْ مَا كُنْتُ لأَدِيَ – مَنْ أَقَمْتُ عَلَيْهِ حَدًّا إِلاَّ شَارِبَ الْخَمْرِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَسُنَّ فِيهِ شَيْئًا إِنَّمَا هُوَ شَىْءٌ قُلْنَاهُ نَحْنُ ‏.‏

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি কারো উপর হাদ্দ কার্যকর করলে এবং তাতে সে মারা গেলে আমি তার ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করবো না, মদ পানের অপরাধী ব্যতীত। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট নিয়ম দেননি। এর যা কিছু শাস্তি প্রচলিত আছে তা আমরা নিজেরা নির্ধারণ করেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৮৭

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ الْمِصْرِيُّ ابْنُ أَخِي، رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ، قَالَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الآنَ وَهُوَ فِي الرِّحَالِ يَلْتَمِسُ رَحْلَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أُتِيَ بِرَجُلٍ قَدْ شَرِبَ الْخَمْرَ فَقَالَ لِلنَّاسِ ‏ “‏ اضْرِبُوهُ ‏”‏ ‏.‏ فَمِنْهُمْ مَنْ ضَرَبَهُ بِالنِّعَالِ وَمِنْهُمْ مَنْ ضَرَبَهُ بِالْعَصَا وَمِنْهُمْ مَنْ ضَرَبَهُ بِالْمِيتَخَةِ – قَالَ ابْنُ وَهْبٍ الْجَرِيدَةُ الرَّطْبَةُ – ثُمَّ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تُرَابًا مِنَ الأَرْضِ فَرَمَى بِهِ فِي وَجْهِهِ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু আযহার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যেন এখনো দেখছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সৈন্যশিবিরের মধ্যে খালিদ ইবনুল ওয়ালীদের শিবির খুঁজছেন। এমতাবস্থায় জনৈক মদ্যপায়ীকে ধরে আনা হলো। তিনি লোকদের বললেনঃ তোমরা একে প্রহার করো। অতএব তাদের কেউ জুতা দিয়ে, কেউবা লাঠি দিয়ে আর কেউবা ‘মিতাখাহ’ দিয়ে তাকে প্রহার করলো। ইবনু ওয়াহ্‌ব বলেন, ‘মিতাখাহ’ অর্থ খেজুরের কাঁচা ডাল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যমীন থেকে কিছু মাটি নিয়ে তার মুখমন্ডলে ছুঁড়ে মারলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৪৮৮

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، قَالَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِ خَالِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ عَنْ عُقَيْلٍ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَزْهَرِ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِشَارِبٍ وَهُوَ بِحُنَيْنٍ فَحَثَى فِي وَجْهِهِ التُّرَابَ ثُمَّ أَمَرَ أَصْحَابَهُ فَضَرَبُوهُ بِنِعَالِهِمْ وَمَا كَانَ فِي أَيْدِيهِمْ حَتَّى قَالَ لَهُمُ ‏ “‏ ارْفَعُوا ‏”‏ ‏.‏ فَرَفَعُوا فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَلَدَ أَبُو بَكْرٍ فِي الْخَمْرِ أَرْبَعِينَ ثُمَّ جَلَدَ عُمَرُ أَرْبَعِينَ صَدْرًا مِنْ إِمَارَتِهِ ثُمَّ جَلَدَ ثَمَانِينَ فِي آخِرِ خِلاَفَتِهِ ثُمَّ جَلَدَ عُثْمَانُ الْحَدَّيْنِ كِلَيْهِمَا ثَمَانِينَ وَأَرْبَعِينَ ثُمَّ أَثْبَتَ مُعَاوِيَةُ الْحَدَّ ثَمَانِينَ ‏.‏

‘আবদুর রহমান ইবনু আযহার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুনাইনে অবস্থানকালে জনৈক মাতালকে তাঁর নিকট আনা হলো। তিনি তার মুখমন্ডলে মাটি ছুঁড়ে মারলেন এবং তাকে প্রহার করতে সাহাবীদের নির্দেশ দিলেন। তারা তাদের জুতা ও হাতে যা ছিল তা দিয়ে তাকে প্রহার করতে লাগলেন, যতক্ষণ না তিনি তাদের বললেন, থামো। অতঃপর তারা প্রহার বন্ধ করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তেকালের পর আবূ বকর (রাঃ) মদ পানের জন্য চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেন। অতঃপর ‘উমারও তার খিলাফাতের প্রথম পর্যায়ে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেন এবং পরবর্তী পর্যায়ে আশিটি বেত্রাঘাত করেন। অতঃপর ‘উসমান (রাঃ) আশি এবং চল্লিশ দু ধরনের শাস্তিই প্রয়োগ করেন। অতঃপর মু’আবিয়াহ (রাঃ) মদ পানের শাস্তি আশি বেত্রাঘাত নির্ধারণ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৮৯

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَدَاةَ الْفَتْحِ وَأَنَا غُلاَمٌ شَابٌّ يَتَخَلَّلُ النَّاسَ يَسْأَلُ عَنْ مَنْزِلِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَأُتِيَ بِشَارِبٍ فَأَمَرَهُمْ فَضَرَبُوهُ بِمَا فِي أَيْدِيهِمْ فَمِنْهُمْ مَنْ ضَرَبَهُ بِالسَّوْطِ وَمِنْهُمْ مَنْ ضَرَبَهُ بِعَصًا وَمِنْهُمْ مَنْ ضَرَبَهُ بِنَعْلِهِ وَحَثَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم التُّرَابَ فَلَمَّا كَانَ أَبُو بَكْرٍ أُتِيَ بِشَارِبٍ فَسَأَلَهُمْ عَنْ ضَرْبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الَّذِي ضَرَبَهُ فَحَزَرُوهُ أَرْبَعِينَ فَضَرَبَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ كَتَبَ إِلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ إِنَّ النَّاسَ قَدِ انْهَمَكُوا فِي الشُّرْبِ وَتَحَاقَرُوا الْحَدَّ وَالْعُقُوبَةَ ‏.‏ قَالَ هُمْ عِنْدَكَ فَسَلْهُمْ ‏.‏ وَعِنْدَهُ الْمُهَاجِرُونَ الأَوَّلُونَ فَسَأَلَهُمْ فَأَجْمَعُوا عَلَى أَنْ يَضْرِبَ ثَمَانِينَ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ عَلِيٌّ إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا شَرِبَ افْتَرَى فَأَرَى أَنْ يَجْعَلَهُ كَحَدِّ الْفِرْيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَدْخَلَ عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ بَيْنَ الزُّهْرِيِّ وَبَيْنَ ابْنِ الأَزْهَرِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَزْهَرِ عَنْ أَبِيهِ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু আযহার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাক্কাহ বিজয়ের দিন সকালবেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জনতার ভীড়ের মধ্যে পদব্রজে খালিদ ইবনুল ওয়ালীদের (রাঃ) শিবিরের সন্ধান করতে দেখি। আমি তখন উঠতি বয়সের যুবক। তাঁর নিকট এক মদ্যপায়ীকে উপস্থিত করা হলে তাঁর নির্দেশে লোকজন তাকে তাদের হাতের নিকট সহজলভ্য জিনিস দ্বারা প্রহার করে। তাদের কেউ চাবুক দ্বারা, কেউ লাঠি দ্বারা এবং কেউবা নিজেদের জুতা দ্বারা তাকে প্রহার করে। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার প্রতি ধূলা নিক্ষেপ করেন। আবূ বকর (রাঃ)-এর সময় এক মদপায়ীকে উপস্থিত করা হলে তিনি লোকজনকে প্রশ্ন করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত ব্যাক্তিকে কয়টি বেত্রাঘাত করেছেন? তারা চল্লিশবার বেত্রাঘাতের কথা উল্লেখ করে। অতএব আবূ বকর (রাঃ) চল্লিশটি বেত্রাঘাত করেন। ‘উমার (রাঃ) খলীফাহ হলে খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) তাকে লিখে পাঠান যে, লোকজন মাদক গ্রহণের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করছে এবং হাদ্দ ও শাস্তির ভয়কে পরোয়া করছে না। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আপনার নিকট যারা আছে তাদের প্রশ্ন করুন। তার সংগে ছিলেন সর্বাগ্রে ইসলাম গ্রহণকারী মুহাজিরগণ। তিনি তাদের নিকট প্রশ্ন করলে তারা আশিটি বেত্রাঘাত সম্পর্কে ঐকমত্য হন। বর্ণনাকারী বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেন, কোন ব্যাক্তি মাদক গ্রহণ করলে সে মিথ্যা কথা বলে। অতএব আমি মনে করি, তাকে মিথ্যা বলার শাস্তির মতই শাস্তি দেয়া উচিৎ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৮

মাসজিদে হাদ্দ কার্যকর করা

৪৪৯০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ، – يَعْنِي ابْنَ خَالِدٍ – حَدَّثَنَا الشُّعَيْثِيُّ، عَنْ زُفَرَ بْنِ وَثِيمَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُسْتَقَادَ فِي الْمَسْجِدِ وَأَنْ تُنْشَدَ فِيهِ الأَشْعَارُ وَأَنْ تُقَامَ فِيهِ الْحُدُودُ ‏.‏

হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদের ভিতরে কিসাস গ্রহণ করতে, কবিতা আবৃত্তি করতে এবং হাদ্দ কার্যকর করতে নিষেধ করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৩৯

বিচারকের সুবিবেচনামূলক শাস্তি সম্পর্কে

৪৪৯১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُجْلَدُ فَوْقَ عَشْرِ جَلَدَاتٍ إِلاَّ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বুরদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ আল্লাহর নির্ধারিত হাদ্দ ছাড়া কাউকে দশ বেত্রাঘাতের অধিক শাস্তি দেয়া যাবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪৯২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ بُكَيْرَ بْنَ الأَشَجِّ، حَدَّثَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جَابِرٍ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا بُرْدَةَ الأَنْصَارِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ ‏.

আল বুরদাহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ …অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস। [৪৪৯১]

 

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪৯১] এটি পূর্বের হাদীসে গত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

অনুচ্ছেদ-৪০

হাদ্দের ক্ষেত্রে চেহারায় আঘাত না করা

৪৪৯৩

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُمَرَ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي سَلَمَةَ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا ضَرَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَّقِ الْوَجْهَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ প্রহার করার সময় যেন মুখমন্ডল থেকে বিরত থাকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস