তিরমিজি সদ্ব্যবহার ও পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১৯৭১ – ২০৩৫

৪৬. অনুচ্ছেদঃ

সত্য ও মিথ্যা প্রসঙ্গে

১৯৭১

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَصْدُقُ وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَمَا يَزَالُ الْعَبْدُ يَكْذِبُ وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَعُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই সত্যের পথ অবলম্বন করবে। কেননা, সততাই মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে যায়। আর কল্যাণ জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। কোন মানুষ প্রতিনিয়ত সত্য কথা বলতে থাকলে এবং সত্যের প্রতি মনোযোগী থাকলে শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহ্‌ তা‘আলার দরবারে পরম সত্যবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। তোমরা মিথ্যাকে অবশ্যই পরিহার করবে। কেননা, মিথ্যা (মানুষকে) পাপের পথ দেখায়, আর পাপ জাহান্নামের পথে নিয়ে যায়। কোন বান্দাহ প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলতে থাকলে এবং মিথ্যার প্রতি ঝুঁকে থাকলে শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহ্‌ সে আল্লাহ্‌ তা‘আলার দরবারে চরম মিথ্যাবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।

 

সহীহ, বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ বাক্‌র সিদ্দীক, উমার, আবদুল্লাহ ইবনুশ শিখখীর ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৭২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ الرَّحِيمِ بْنِ هَارُونَ الْغَسَّانِيِّ حَدَّثَكُمْ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا كَذَبَ الْعَبْدُ تَبَاعَدَ عَنْهُ الْمَلَكُ مِيلاً مِنْ نَتْنِ مَا جَاءَ بِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى فَأَقَرَّ بِهِ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ هَارُونَ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ هَارُونَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন বান্দা যখন মিথ্যা কথা বলে তখন তার মিথ্যা কথনের দুর্গন্ধের কারণে ফেরেশতা এক মাইল (বা দৃষ্টি সীমার বাইরে) দূরে সরে যায়।

 

খুবই দুর্বল, যইফা (১৮২৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইয়াহ্‌ইয়া বলেনঃ আবদুর রহীম ইবনু হারূন কি তার স্বীকারোক্তি করেছেন? ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মূসা বলেন, হ্যাঁ। আবূ ঈসা বলেছেন, এ হাদীসটি হাসান, উত্তম, গারীব। শুধু উল্লেখিত সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। এটি আবদুর রহীম ইবনু হারূনের একক রিওয়ায়াত।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

১৯৭৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا كَانَ خُلُقٌ أَبْغَضَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْكَذِبِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُحَدِّثُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْكِذْبَةِ فَمَا يَزَالُ فِي نَفْسِهِ حَتَّى يَعْلَمَ أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ مِنْهَا تَوْبَةً ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মিথ্যা হতে অধিক ঘৃণিত চরিত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আর কিছুই ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে কেউ মিথ্যা বললে তা অবিরত তার মনে থাকত, যে পর্যন্ত না তিনি জানতে পারতেন যে, মিথ্যাবাদী তাঁর মিথ্যা কথন হতে তাওবাহ করেছে।

 

সনদ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭. অনুচ্ছেদঃ

নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা ও অশ্লীল আচরণ প্রসঙ্গে

১৯৭৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَيْءٍ إِلاَّ شَانَهُ وَمَا كَانَ الْحَيَاءُ فِي شَيْءٍ إِلاَّ زَانَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা কোন বস্তুর শুধুমাত্র কদর্যতাই বাড়িয়ে দেয়। আর লজ্জা কোন জিনিসের সৌন্দর্য তাই বাড়িয়ে দেয়।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৪১৮৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আবদুর রাযযাকের সূত্রেই জেনেছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৭৫

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خِيَارُكُمْ أَحَاسِنُكُمْ أَخْلاَقًا ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বোত্তম চরিত্রবান ব্যক্তিই তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। (বর্ণনাকারী বলেন,) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অশ্লীলভাষীও ছিলেন না এবং অশ্লীলতার ভানও করতেন না।

 

সহীহ্‌, বুখারী ও মুসলিম, দেখুন সহীহাহ্‌ (৭৯১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮. অনুচ্ছেঃ

অভিশাপ বা বদ-দু’আ

১৯৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَلاَعَنُوا بِلَعْنَةِ اللَّهِ وَلاَ بِغَضَبِهِ وَلاَ بِالنَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

সামুরা ইবনু জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা পরস্পর পরস্পরকে আল্লাহ্‌ তা‘আলার অভিসম্পাত, তাঁর গযব ও জাহান্নামের বদ-দু’আ করো না।

 

সহীহ, সহীহাহ্‌ (৮৯৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু আব্বাস, আবূ হুরাইরা, ইবনু উমার ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৭৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الْفَاحِشِ وَلاَ الْبَذِيءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিস্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না।

সহীহ, সহীহাহ (৩২০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে অন্যসূত্রেও এ হাদীসটি বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৭৮

حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنْ رَجُلاً، لَعَنَ الرِّيحَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ لاَ تَلْعَنِ الرِّيحَ فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ وَإِنَّهُ مَنْ لَعَنَ شَيْئًا لَيْسَ لَهُ بِأَهْلٍ رَجَعَتِ اللَّعْنَةُ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْلَمُ أَحَدًا أَسْنَدَهُ غَيْرَ بِشْرِ بْنِ عُمَرَ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে একজন লোক বাতাসকে অভিসম্পাত করে। তিনি বললেনঃ বাতাসকে অভিশাপ প্রদান করো না, কারণ, সে তো হুকুমের গোলাম। কোন ব্যক্তি অপাত্রে অভিশাপ প্রদান করলে তা অভিশাপকারীর উপর ফিরে আসে।

 

সহীহ, সহীহাহ (৫২৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব। এ হাদিসটি মুসনাদভাবে বিশ্‌র ইবনু উমার ব্যতীত আর কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯. অনুচ্ছেদঃ

বংশধারার প্রসঙ্গে জ্ঞানদান

১৯৭৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عِيسَى الثَّقَفِيِّ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى الْمُنْبَعِثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ تَعَلَّمُوا مِنْ أَنْسَابِكُمْ مَا تَصِلُونَ بِهِ أَرْحَامَكُمْ فَإِنَّ صِلَةَ الرَّحِمِ مَحَبَّةٌ فِي الأَهْلِ مَثْرَاةٌ فِي الْمَالِ مَنْسَأَةٌ فِي الأَثَرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏”‏ مَنْسَأَةٌ فِي الأَثَرِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي زِيَادَةً فِي الْعُمُرِ ‏.‏

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নিজেদের বংশধারার ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন কর, যাতে করে তোমাদের বংশীয় আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতে পার। কেননা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় থাকলে নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালবাসা তৈরী হয় এবং ধন-সম্পদ ও আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়।

 

সহীহ, সহীহাহ্‌ (২৭৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উল্লেখিত সনদসূত্রে গারীব। “মানসাআতুন ফিল আসার”-এর অর্থ ‘আয়ুষ্কাল’ বৃদ্ধি পাওয়া।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫০. অনুচ্ছেদঃ

এক ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে অপর ভাইয়ের দু’আ

১৯৮০

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا دَعْوَةٌ أَسْرَعَ إِجَابَةً مِنْ دَعْوَةِ غَائِبٍ لِغَائِبٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَالإِفْرِيقِيُّ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ هُوَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيُّ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য অপর অনুপস্থিত ব্যক্তির দু‘আর চেয়ে বেশী দ্রুত আর কোন দু‘আ ক্ববূল হয় না।

 

যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ (২/২৬৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উল্লেখিত সনদসূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ আল-ইফরীকী হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল। আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদের ডাকনাম আবূ আবদুর রহমান আল-হুবুলী।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫১. অনুচ্ছেদঃ

গালিগালাজ প্রসঙ্গে

১৯৮১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمُسْتَبَّانِ مَا قَالاَ فَعَلَى الْبَادِي مِنْهُمَا مَا لَمْ يَعْتَدِ الْمَظْلُومُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুইজন লোক একে অপরকে গালি দেয়ার অপরাধ প্রথমে গালি প্রদানকারীর উপর এসে পড়ে, যতক্ষন পর্যন্ত নির্যাতিত ব্যক্তি (দ্বিতীয় ব্যক্তি) সীমালংঘন না করে।

 

সহীহ, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

সা’দ, ইবনু মাসঊদ ও আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ’’।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৮২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَسُبُّوا الأَمْوَاتَ فَتُؤْذُوا الأَحْيَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدِ اخْتَلَفَ أَصْحَابُ سُفْيَانَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَرَوَى بَعْضُهُمْ مِثْلَ رِوَايَةِ الْحَفَرِيِّ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً يُحَدِّثُ عِنْدَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

যিয়াদ ইবনু ইলাকা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিদেরকে তোমরা গালি দিও না, (যদি দাও) তাহলে জীবিতদেরই কষ্ট দিলে।

 

সহীহ, রাওয (৩৫৭) , তা’লীকুর রাগীব (৪/১৩৫) , সহীহাহ’’ (২৩৭৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি বর্ণনায় সুফিয়ানের শাগরিদগণ দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের কেউ কেউ আল-হাফারীর রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন অনেকে বলেছেন, সুফিয়ান-যিয়াদ ইবনু ইলাকা হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে মুগীরা ইবনু শুবার নিকট (রাঃ) -রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে একইরকম হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২. অনুচ্ছেদঃ

মুসলমানদের গালি দেয়া

১৯৮৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زُبَيْدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ زُبَيْدٌ قُلْتُ لأَبِي وَائِلٍ أَأَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসিকী ও নাফারমানীমূলক কাজ এবং তাকে মেরে ফেলা বা তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করা কুফরীমূলক কাজ।

 

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৬৯) , বুখারী ও মূসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

অধঃস্তন বর্ণনাকারী যুবাইদ বলেন, আবূ ওয়াইলকে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি এ হাদীসটি কি আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর নিকট সরাসরি শুনেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩. অনুচ্ছেদঃ

উত্তম কথা বলা প্রসঙ্গে

১৯৮৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ غُرَفًا تُرَى ظُهُورُهَا مِنْ بُطُونِهَا وَبُطُونُهَا مِنْ ظُهُورِهَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ لِمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ لِمَنْ أَطَابَ الْكَلاَمَ وَأَطْعَمَ الطَّعَامَ وَأَدَامَ الصِّيَامَ وَصَلَّى لِلَّهِ بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ فِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ هَذَا مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَهُوَ كُوفِيٌّ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ الْقُرَشِيُّ مَدَنِيٌّ وَهُوَ أَثْبَتُ مِنْ هَذَا وَكِلاَهُمَا كَانَا فِي عَصْرٍ وَاحِدٍ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতের মধ্যে একটি বালাখানা (প্রাসাদ) আছে। এর ভিতর হতে বাইরের এবং বাহির হতে ভিতরের দৃশ্য দেখা যায়। এক বিদুঈন (গ্রাম্যলোক) দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! এই বালাখানা কোন ব্যক্তির জন্য? তিনি বললেনঃ যে লোক মানুষের সাথে উত্তমভাবে কথা বলে, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেয়, সর্বদা রোযা পালন করে এবং মানুষ যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকে তখন আল্লাহ্‌ তা‘আলার উদ্দেশ্যে নামায আদায় করে তার জন্য।

হাসান, মিশকাত (২৩৩৫) , তা’লীকুর রাগীব (২/৪৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব। আমরা এ হাদিস প্রসঙ্গে শুধুমাত্র আবদূর রাহমান ইবনু ইসহাকের সূত্রেই জেনেছি। এই আবদূর রাহমানের স্মরণশক্তি সম্পর্কে কোন কোন হাদীস বিশারদ সমালোচনা করেছেন। তিনি কূফার বাসিন্দা। আর আবদূর রাহমান ইবনু ইসহাক আল-কুরাশী একজন মাদীনার অধিবাসী। তিনি পূর্বোক্তজনের চাইতে বেশি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য। তারা উভয়ে ছিলেন সমসাময়িক।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪. অনুচ্ছেদঃ

সৎকর্মশীল গোলামের মর্যাদা

১৯৮৫

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ نِعِمَّا لأَحَدِهِمْ أَنْ يُطِيعَ رَبَّهُ وَيُؤَدِّيَ حَقَّ سَيِّدِهِ ‏”‏ يَعْنِي الْمَمْلُوكَ ‏.‏ وَقَالَ كَعْبٌ صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সেই লোক কতইনা উত্তম যে নিজের প্রভুরও আনুগত্য করে এবং নিজের মনিবের হকও আদায় করে অর্থাৎ গোলাম।

 

সহীহ, তা’লীকুর রাগীব (৩/১৫৯) , বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

কা’ব (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌ ও তার রাসূল সত্যিই বলেছেন। এ অনুচ্ছেদে আবূ মূসা ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৮৬

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ زَاذَانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ثَلاَثَةٌ عَلَى كُثْبَانِ الْمِسْكِ أُرَاهُ قَالَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَبْدٌ أَدَّى حَقَّ اللَّهِ وَحَقَّ مَوَالِيهِ وَرَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ بِهِ رَاضُونَ وَرَجُلٌ يُنَادِي بِالصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ وَأَبُو الْيَقْظَانِ اسْمُهُ عُثْمَانُ بْنُ قَيْسٍ وَيُقَالُ ابْنُ عُمَيْرٍ وَهُوَ أَشْهَرُ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি কিয়ামাতের দিন কস্তরীর টিলার উপর থাকবে। (এক) যে ক্রীতদাস আল্লাহ্‌ তা‘আলার হাকও আদায় করে এবং মনিবের হাকও আদায় করে, (দুই) যে ইমামের উপর তার মুসল্লিগণ সন্তুষ্ট এবং (তিন) যে ব্যক্তি দিনে ও রাতে পাঁচবার নামাযের জন্য আহ্বান জানায়।

 

যঈফ, মিশকাত (৬৬৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। সুফিয়ান হতে আবুল ইয়াকজান-এর সূত্রেই শুধু আমরা এ হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি। আবূল ইয়াকজানের নাম উসমান ইবনু কাইস, মতান্তরে ইবনু উমাইর এবং এটাই প্রসিদ্ধ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫. অনুচ্ছেদঃ

মানুষের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা

১৯৮৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

قَالَ مَحْمُودٌ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ مَحْمُودٌ وَالصَّحِيحُ حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ তুমি যেখানেই থাক আল্লাহ্‌ তা‘আলাকে ভয় কর, মন্দ কাজের পরপরই ভাল কাজ কর, তাতে মন্দ দূরীভূত হয়ে যাবে এবং মানুষের সাথে উত্তম আচরণ কর।

হাসান, মিশকাত (৫০৮৩) , রাওযুন নাযীর (৮৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। মাহমুদ ইবনু গাইলান-আবূ আহমদ হতে, তিনি আবূ নুআইম হতে, তিনি সুাফিয়ান হতে, তিনি হাবীব (রহঃ) হতে এই সূত্রে একইরকম বর্ণনা করেছেন। মাহমূদ-ওয়াকী হতে, তিনি সুফিয়ান হতে, তিনি হাবীব ইবনু আবি সাবিত হতে, তিনি মাইমুন ইবনু আবী শাবীব হতে, তিনি মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একইরকম বর্ণনা করেছেন। মাহ্‌মূদ বলেন আবূ যার (রাঃ)-এর হাদীসটি সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬. অনুচ্ছেদঃ

কু-ধারণা পোষণ

১৯৮৮

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ عَبْدَ بْنَ حُمَيْدٍ يَذْكُرُ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِ سُفْيَانَ قَالَ قَالَ سُفْيَانُ الظَّنُّ ظَنَّانِ فَظَنٌّ إِثْمٌ وَظَنٌّ لَيْسَ بِإِثْمٍ فَأَمَّا الظَّنُّ الَّذِي هُوَ إِثْمٌ فَالَّذِي يَظُنُّ ظَنًّا وَيَتَكَلَّمُ بِهِ وَأَمَّا الظَّنُّ الَّذِي لَيْسَ بِإِثْمٍ فَالَّذِي يَظُنُّ وَلاَ يَتَكَلَّمُ بِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মন্দ ধারণা পোষণ করা হতে তোমরা দূরে থাক। কেননা, মন্দ ধারণা হলো সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা।

 

সহীহ, গাইয়াতুল মারাম (৪১৭) , বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। সুফিয়ান বলেন ধারণা-অনুমান দুই প্রকারে বিভক্ত এক প্রকার ধারনা পাপের অন্তর্ভুক্ত এবং অন্য প্রকার ধারণা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত নয়। অন্তরে কাল্পনিক ধারণা পোষণ করে মুখে তা প্রকাশ করা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। যদি মনে মনে ধারণা পোষণ করা হয় এবং তা মুখে প্রকাশ না করা হয় তাহলে তা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭. অনুচ্ছেদঃ

কৌতুক করা

১৯৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَضَّاحِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُخَالِطُنَا حَتَّى إِنْ كَانَ لَيَقُولُ لأَخٍ لِي صَغِيرٍ ‏ “‏ يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، نَحْوَهُ ‏.‏ وَأَبُو التَّيَّاحِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ حُمَيْدٍ الضُّبَعِيُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের (ছোটদের) সাথে মিশতেন। এমনকি আমার ছোট ভাইটিকে তিনি কৌতুক করে বলতেনঃ হে আবূ উমাইর! কি করেছে নুগাইর (ছোট পোষা পাখি)।

 

সহীহ, বুখারী ও মুসলিম। ৩৩৩ নং হাদিস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে

  •  
  •  
  •  
  •  

হান্নাদ-ওয়াকী হতে, তিনি শুবা হতে, তিনি আবুত তাইয়্যাহ হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে এইরকম বর্ণনা করেছেন। আবুত তাইয়্যাহ্‌-এর নাম ইয়াযীদ, পিতা হুমাইদ আয-যুবাই। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৯০

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ تُدَاعِبُنَا ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي لاَ أَقُولُ إِلاَّ حَقًّا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صحيح‏.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আপনিতো আমাদের সাথে কৌতুকও করে থাকেন। তিনি বললেনঃ আমি শুধু সত্য কথাই বলে থাকি (এমনকি কৌতুকেও)।

 

সহীহ, সহীহাহ্‌ (১৭২৬) , মুখতাসার শামা-ইল (২০২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৯১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، اسْتَحْمَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ إِنِّي حَامِلُكَ عَلَى وَلَدِ النَّاقَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَصْنَعُ بِوَلَدِ النَّاقَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَهَلْ تَلِدُ الإِبِلَ إِلاَّ النُّوقُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একজন লোক আরোহণযোগ্য একটি বাহন চাইল। তিনি বললেনঃ একটি উষ্ট্রীর বাচ্চায় আমি তোমাকে আরোহণ করাব। সে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমি উষ্ট্রীয় বাচ্চা দিয়ে কি করব? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উষ্ট্রী ব্যতীত আর কোন কিছু কি উট প্রসব করে?

 

সহীহ্‌, মিশকাত (৪৮৮৬) , মুখতাসার শামা-ইল (২০৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৯২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ‏ “‏ يَا ذَا الأُذُنَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مَحْمُودٌ قَالَ أَبُو أُسَامَةَ يَعْنِي مَازَحَهُ ‏.‏ وَهَذَا الْحَدِيثُ حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

।নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে “হে দুই কান বিশিষ্ট” বলে সম্বোধন করেন।

 

সহীহ, মুখতাসার শামা-ইল (২০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ উসামা বলেন, তিনি কৌতুক হিসাবে তা বলতেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ্ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮. অনুচ্ছেদঃ

ঝগড়া-বিবাদ প্রসঙ্গে

১৯৯৩

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ وَرْدَانَ اللَّيْثِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَهُوَ بَاطِلٌ بُنِيَ لَهُ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ وَمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَهُوَ مُحِقٌّ بُنِيَ لَهُ فِي وَسَطِهَا وَمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ بُنِيَ لَهُ فِي أَعْلاَهَا ‏”‏ ‏.‏ وَهَذَا الْحَدِيثُ حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سَلَمَةَ بْنِ وَرْدَانَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বাতিল ও জঘন্য মিথ্যা বলা ছেড়ে দিল, তার জন্য জান্নাতের মধ্যে এক পাশে প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। যে ব্যক্তি ন্যায়ানুগ হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া-বিবাদ ছেড়ে দিল, তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। যে ব্যক্তি নিজের চরিত্র উন্নত করে তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ জায়গাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়।

 

এই শব্দে হাদীসটি যঈফ, ইবনু মাজাহ (৫১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৯৪

حَدَّثَنَا فَضَالَةُ بْنُ الْفَضْلِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كَفَى بِكَ إِثْمًا أَنْ لاَ تَزَالَ مُخَاصِمًا ‏”‏ ‏.‏ وَهَذَا الْحَدِيثُ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঝগড়াটে হওয়াই তোমার পাপিষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।

 

যঈফ, যঈফা (৪০৯৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেছেন, এ হাদীসটি গারীব। শুধু উপরোক্ত সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৯৫

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنِ اللَّيْثِ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تُمَارِ أَخَاكَ وَلاَ تُمَازِحْهُ وَلاَ تَعِدْهُ مَوْعِدَةً فَتُخْلِفَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَعَبْدُ الْمَلِكِ عِنْدِي هُوَ ابْنُ أَبِي بَشِيرٍ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমার ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করো না, তাকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করো না এবং তার সাথে এরূপ ওয়াদা করো না যা তুমি পরে ভেঙ্গে ফেলবে।

 

যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৪৮৯২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ উল্লেখিত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আমার মতে আব্দুল মালিক হলেন ইবনু বাশীর।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯. অনু্চ্ছেদঃ

কোমল ধরনের আচরণ

১৯৯৬

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتَأْذَنَ رَجُلٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا عِنْدَهُ فَقَالَ ‏”‏ بِئْسَ ابْنُ الْعَشِيرَةِ أَوْ أَخُو الْعَشِيرَةِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَذِنَ لَهُ فَأَلاَنَ لَهُ الْقَوْلَ فَلَمَّا خَرَجَ قُلْتُ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قُلْتَ لَهُ مَا قُلْتَ ثُمَّ أَلَنْتَ لَهُ الْقَوْلَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ يَا عَائِشَةُ إِنَّ مِنْ شَرِّ النَّاسِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ أَوْ وَدَعَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ فُحْشِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে দেখা করার জন্য একজন লোক অনুমতি চাইলো। আমি সে সময় তাঁর সামনে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বললেনঃ গোত্রের মধ্যে এই লোকটি অথবা গোত্রের এই ভাই কতই না মন্দ! তারপর তিনি তাকে ভিতরে প্রবেশের সম্মতি প্রদান করলেন এবং তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বললেন। লোকটি চলে যাওয়ার পর আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আপনি প্রথম অবস্থায় তার ব্যাপারে এইে এই কথা বললেন, তারপর তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বললেন! তিনি বললেন, হে আইশা! মানুষের মধ্যে সেই ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যার অশালীন আচরণ হতে মুক্তির জন্য জনগণ তাকে পরিত্যাগ করে।

 

সহীহ, সহীহাহ (১০৪৯) , মুখতাসা শামা-ইল (৩০১) , বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০. অনুচ্ছেদঃ

বন্ধুত্ব ও বিদ্বেষ উভয় ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা

১৯৯৭

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أُرَاهُ رَفَعَهُ قَالَ ‏ “‏ أَحْبِبْ حَبِيبَكَ هَوْنًا مَا عَسَى أَنْ يَكُونَ بَغِيضَكَ يَوْمًا مَا وَأَبْغِضْ بَغِيضَكَ هَوْنًا مَا عَسَى أَنْ يَكُونَ حَبِيبَكَ يَوْمًا مَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَيُّوبَ بِإِسْنَادٍ غَيْرِ هَذَا رَوَاهُ الْحَسَنُ بْنُ أَبِي جَعْفَرٍ وَهُوَ حَدِيثٌ ضَعِيفٌ أَيْضًا بِإِسْنَادٍ لَهُ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالصَّحِيحُ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفٌ قَوْلُهُ ‏.‏

. আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন বলেন) আমার অনুমান যে, তিনি এটা মারফূভাবে বর্ণনা করেছেন (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী স্বরূপ বর্ণনা করেছেন)। তিনি বলেছেনঃ নিজের বন্ধুর সাথে ভালবাসার আধিক্য প্রদর্শন করবে না। হয়ত সে একদিন তোমার শত্রু হয়ে যাবে। তোমার শত্রুর সাথেও শত্রুতার চরম সীমা প্রদর্শন করবে না। হয়ত সে একদিন তোমার বন্ধু হয়ে যাবে।

 

সহীহ, গাইয়াতুল মারাম (৪৭২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা তা উল্লেখিত সনদসূত্রে এভাবেই জেনেছি। এ হাদীসটি আইয়্যূব (রহঃ) হতে ভিন্ন সনদেও বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান ইবনু আবূ জাফর আলী (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটি দুর্বল। সহীহ্‌ হলো আলী (রাঃ) হতে মাওকূফ বর্ণনাটি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১. অনুচ্ছেদঃ

অহংকার প্রসঙ্গে

১৯৯৮

حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ كِبْرٍ وَلاَ يَدْخُلُ النَّارَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ إِيمَانٍ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সরিষার দানা সমপরিমাণ অহংকারও (সামান্যতম) যার অন্তরে আছে সে জান্নাতে যেতে পারবে না। আর সরিষার দানা সমপরিমান ঈমানও যার অন্তরে আছে সে জাহান্নামে যাবে না।

 

সহীহ, তাখরীজ ইসলাহুল মাসা-জিদ (১১৫) , মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা, ইবনু আব্বাস, সালামা ইবনুল আকওয়া ও আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯৯৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبَانَ بْنِ تَغْلِبَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ وَلاَ يَدْخُلُ النَّارَ يَعْنِي مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ إِيمَانٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ إِنَّهُ يُعْجِبُنِي أَنْ يَكُونَ ثَوْبِي حَسَنًا وَنَعْلِي حَسَنَةً ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْجَمَالَ وَلَكِنَّ الْكِبْرَ مَنْ بَطَرَ الْحَقَّ وَغَمَصَ النَّاسَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي تَفْسِيرِ هَذَا الْحَدِيثِ ‏”‏ لاَ يَدْخُلُ النَّارَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ إِيمَانٍ ‏”‏ ‏.‏ إِنَّمَا مَعْنَاهُ لاَ يُخَلَّدُ فِي النَّارِ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ إِيمَانٍ ‏”‏ ‏.‏ وَقَدْ فَسَّرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ هَذِهِ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ‏)‏ ‏.‏ فَقَالَ مَنْ تُخَلِّدُ فِي النَّارِ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ.

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকারও আছে সে জান্নাতে যেতে পারবে না। আর যে ব্যক্তির অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমানও আছে সে জাহান্নামে যাবে না। তখন একজন বলল, আমার নিকট এটা তো খুবই পছন্দনীয় যে, আমার জামা-কাপড় সুন্দর হোক এবং আমার জুতা জোড়াও সুন্দর হোক। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌ তা‘আলা অবশ্যই সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। কোন ব্যক্তির সদর্পে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করাই হলো অহংকার।

 

সহীহ, সহীহাহ্‌ (১৬২৬) , মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

“যে ব্যক্তির অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমানও আছে সে ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না” শীর্ষক হাদীসের ব্যখ্যায় একদল মুহাদ্দিস বলেন, সে জাহান্নামে স্থায়ী হবে না (আযাবের পর মুক্তি পাবে)। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ “যার অন্তরে অনুপরিমাণ ঈমানও আছে তাকে জাহান্নাম হতে বের করা হবে”। “হে আমাদের প্রভু! তুমি যে ব্যক্তিকে জাহান্নামে দাখিল করাবে তাকে তুমি অপমান করলে” শীর্ষক আয়াতের ব্যাখ্যায় একদল তাবিঈ বলেন, যে ব্যক্তিকে তুমি চিরস্থায়ী জাহান্নামী করলে তাকে তুমি চরম অপমানিত করলে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০০০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَزَالُ الرَّجُلُ يَذْهَبُ بِنَفْسِهِ حَتَّى يُكْتَبَ فِي الْجَبَّارِينَ فَيُصِيبُهُ مَا أَصَابَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

সালামা ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি নিজেকে বড় বলে ভাবতে ভাবতে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যায় শেষ পর্যন্ত সে অহংকারীদের তালিকাভুক্ত হয়ে যায়। ফলে অহংকারীদের যে পরিণতি হয় তারও তাই হয়।

 

যঈফ, যঈফা (১৯১৪)। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২০০১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عِيسَى الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ تَقُولُونَ لِي فِيَّ التِّيهُ وَقَدْ رَكِبْتُ الْحِمَارَ وَلَبِسْتُ الشَّمْلَةَ وَقَدْ حَلَبْتُ الشَّاةَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ فَعَلَ هَذَا فَلَيْسَ فِيهِ مِنَ الْكِبْرِ شَيْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

নাফি ইবনু জুবাইর ইবনু মুতঈম (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (যুবাইর) বলেন, তোমরা বলে থাক আমার মধ্যে অহংকার রয়েছে। অথচ আমি গাধায় আরোহণ করি, চাদর পরিধান এবং ছাগলের দুধ দোহন করি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে এ কাজগুলো করে তার মধ্যে সামান্যতম অহংকারও নেই।

 

সনদ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২. অনুচ্ছেদঃ

সচ্চরিত্র ও সদাচার

২০০২

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مَمْلَكٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا شَيْءٌ أَثْقَلُ فِي مِيزَانِ الْمُؤْمِنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ خُلُقٍ حَسَنٍ وَإِنَّ اللَّهَ لَيَبْغَضُ الْفَاحِشَ الْبَذِيءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَأُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে মু’মিনের দাঁড়িপাল্লায় সচ্চরিত্র ও সদাচারের চেয়ে বেশি ওজনের আর কোন জিনিস হবে না। কেননা, আল্লাহ্‌ তা‘আলা অশ্লীল ও কটুভাষীকে ঘৃণা করেন।

 

সহীহ, সহীহাহ্‌ (৮৭৬) , রাওযুন নাযীর (৯৪১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আইশা, আবূ হুরাইরা, আনাস ও উসামা ইবনু শারীক (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০০৩

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ بْنُ اللَّيْثِ الْكُوفِيُّ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنْ شَيْءٍ يُوضَعُ فِي الْمِيزَانِ أَثْقَلُ مِنْ حُسْنِ الْخُلُقِ وَإِنَّ صَاحِبَ حُسْنِ الْخُلُقِ لَيَبْلُغُ بِهِ دَرَجَةَ صَاحِبِ الصَّوْمِ وَالصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ সচ্চরিত্র ও সদাচারই দাঁড়িপাল্লায় মধ্যে সবচাইতে ভারী হবে। সচ্চরিত্রবান ও সদাচারি ব্যক্তি তার সদাচার ও চারিত্রিক মাধুর্য দ্বারা অবশ্যই রোযাদার ও নামাযীর পর্যায়ে পৌছে যায়।

 

সহীহ, প্রাগুক্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, উল্লেখিত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০০৪

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الْجَنَّةَ فَقَالَ ‏”‏ تَقْوَى اللَّهِ وَحُسْنُ الْخُلُقِ ‏”‏ ‏.‏ وَسُئِلَ عَنْ أَكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ النَّارَ فَقَالَ ‏”‏ الْفَمُ وَالْفَرْجُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ هُوَ ابْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَوْدِيُّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন কর্মটি সবচাইতে বেশি পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌ভীতি, সদাচার ও উত্তম চরিত্র। আবার তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচাইতে বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। তিনি বললেনঃ মুখ ও লজ্জাস্থান।

 

সনদ, হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ গারীব। আবদুল্লাহ ইবনু ইদরীস হলেন ইবনু ইয়াযীদ ইবনু আবদুর রাহমান আল-আওদী।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২০০৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، أَنَّهُ وَصَفَ حُسْنَ الْخُلُقِ فَقَالَ هُوَ بَسْطُ الْوَجْهِ وَبَذْلُ الْمَعْرُوفِ وَكَفُّ الأَذَى ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সদাচার ও উত্তম চরিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক (রহঃ) বলেন, তা হলো হাস্যোজ্জ্বল চেহারা, উত্তম জিনিস দান করা এবং কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকা।

 

সনদ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩. অনুচ্ছেদঃ

ইহ্‌সান (অনুগ্রহ) এবং ক্ষমা ও উদারতা প্রদর্শন

২০০৬

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ أَمُرُّ بِهِ فَلاَ يَقْرِينِي وَلاَ يُضَيِّفُنِي فَيَمُرُّ بِي أَفَأَجْزِيهِ قَالَ ‏”‏ لاَ أَقْرِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَرَآنِي رَثَّ الثِّيَابِ فَقَالَ ‏”‏ هَلْ لَكَ مِنْ مَالٍ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ مِنْ كُلِّ الْمَالِ قَدْ أَعْطَانِي اللَّهُ مِنَ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَلْيُرَ عَلَيْكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو الأَحْوَصِ اسْمُهُ عَوْفُ بْنُ مَالِكِ بْنِ نَضْلَةَ الْجُشَمِيُّ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏”‏ أَقْرِهِ ‏”‏ أَضِفْهُ وَالْقِرَى هُوَ الضِّيَافَةُ ‏.‏

আবুল আহ্‌ওয়াস (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমি কোন লোককে অতিক্রম করি, সে আমাকে পানাহার করায় না, মেহমানদারীও করে না। যদি ঐ লোকটি আমাকে অতিক্রম করে, আমি কি একইভাবে তার প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারি? তিনি বললেনঃ না, তুমি তার মেহমানদারী কর। (বর্ণনাকারী বলেন) আমাকে খুবই পুরাতন পোশাক পরে থাকতে দেখে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার ধন-দৌলত আছে কি? আমি বললাম, আল্লাহ্‌ তা‘আলা আমাকে উট, ছাগল-ভেড়া প্রভৃতি সকল প্রকার সম্পদই দিয়েছেন। তিনি বললেঃ তা তোমার শরীরে পরিলক্ষিত হওয়া উচিত।

 

সহীহ, গাইয়াতুল মারাম (৭৫) , সহীহাহ্‌ (১৩২০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আইশা, জাবির ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। আবুল আহ্‌ওয়াসের নাম আওফ, পিতা মালিক ইবনু নাযলা আল-জুশামী। “ইক্‌রিহি্‌” অর্থ তাকে আতিথ্য প্রদর্শন কর। “আল-কিরা” অর্থ “আতিথেয়তা”।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০০৭

حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَكُونُوا إِمَّعَةً تَقُولُونَ إِنْ أَحْسَنَ النَّاسُ أَحْسَنَّا وَإِنْ ظَلَمُوا ظَلَمْنَا وَلَكِنْ وَطِّنُوا أَنْفُسَكُمْ إِنْ أَحْسَنَ النَّاسُ أَنْ تُحْسِنُوا وَإِنْ أَسَاءُوا فَلاَ تَظْلِمُوا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমার অনুকরণপ্রিয় হয়ো না যে, তোমরা এরূপ বলবেঃ লোকরা যদি আমাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে তাহলে আমরাও ভাল ব্যবহার করব। যদি তারা আমাদের সাথে যুলুম করে তাহলে আমরাও যুলুম করব। বরং তোমরা নিজেদের অন্তরে এ কথা বদ্ধমূল করে নাও যে, লোকেরা তোমাদের সাথে ভাল ব্যবহার করলে তোমরাও ভাল ব্যবহার করবে। তারা তোমাদের সাথে অন্যায় ব্যবহার করলেও তোমরা যুলুমের পথ বেছে নিবে না।

 

যঈফ, নাকদুল কাত্তানী (২৬) মিশকাত (৫১২৯),

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেছেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। শুধু উল্লেখিত সদনসূত্রেই আমরা এটা জেনেছি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪. অনুচ্ছেদঃ

ভাইদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা

২০০৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ أَبِي كَبْشَةَ الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ السَّدُوسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو سِنَانٍ الْقَسْمَلِيُّ، هُوَ الشَّامِيُّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سَوْدَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ عَادَ مَرِيضًا أَوْ زَارَ أَخًا لَهُ فِي اللَّهِ نَادَاهُ مُنَادٍ أَنْ طِبْتَ وَطَابَ مَمْشَاكَ وَتَبَوَّأْتَ مِنَ الْجَنَّةِ مَنْزِلاً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَأَبُو سِنَانٍ اسْمُهُ عِيسَى بْنُ سِنَانٍ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْ هَذَا ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা্হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহ্‌ তা‘আলার সন্তুষ্টি হাসিলের আশায় কোন অসুস্থ লোককে দেখতে যায় অথবা নিজের ভাইয়ের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে যায়, একজন ঘোষক (ফেরেশতা) তাকে ডেকে বলতে থাকেনঃ কল্যাণময় তোমার জীবন, কল্যাণময় তোমার এই পথ চলাও। তুমি তো জান্নাতের মধ্যে একটি বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলে।

 

হাসান, মিশকাত (৫০১৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ সিনানের নাম ঈসা ইবনু সিনান। হাম্মাদ ইবনু সালামা-সাবিত হতে, তিনি আবূ রাফি হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এইরকম কিছু বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫. অনুচ্ছেদঃ

লজ্জা ও সম্ভ্রমবোধ

২০০৯

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَبْدُ الرَّحِيمِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْحَيَاءُ مِنَ الإِيمَانِ وَالإِيمَانُ فِي الْجَنَّةِ وَالْبَذَاءُ مِنَ الْجَفَاءِ وَالْجَفَاءُ فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي بَكْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লজ্জা-সম্ভ্রম হচ্ছে ঈমানের অঙ্গ, আর ঈমানের (ঈমানদারের) জায়গা জান্নাতে। নির্লজ্জতা ও অসভ্যতা হচ্ছে দুর্ব্যবহারের অঙ্গ, আর দুর্ব্যবহারের (দুর্ব্যবহারকারীর) জায়গা জাহান্নামে।

 

সহীহ, সহীহাহ্ (৪৯৫) , রাওযুস নাযীর (৭৪৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু উমার, আবূ বাক্‌রা, আবূ উমামা ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৬. অনুচ্ছেদঃ

ধীর-স্থিরতা ও তাড়াহুড়া

২০১০

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ الْمُزَنِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ السَّمْتُ الْحَسَنُ وَالتُّؤَدَةُ وَالاِقْتِصَادُ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَاصِمٍ وَالصَّحِيحُ حَدِيثُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উত্তম আচরণ, দৃঢ়তা-স্থিরতা ও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে নাবুওয়াতের চব্বিশ ভাগের একভাগ।

 

হাসান, রাওযুন নাযীর (৩৮৪) , তা’লীকুর রাগীব (৩/৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। কুতাইবা-নূহ ইবনু কাইস হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু ইমরান হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে (উপরের হাদীসের) একইরকম বর্ণনা করেছেন। এই সূত্রটিতে আসিমের উল্লেখ নেই। কিন্তু নাসর ইবনু আলীর হাদীসটিই সহীহ্।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২০১১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأَشَجِّ عَبْدِ الْقَيْسِ ‏ “‏ إِنَّ فِيكَ خَصْلَتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ الْحِلْمُ وَالأَنَاةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ الأَشَجِّ الْعَصَرِيِّ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল কাইস বংশের প্রতিনিধি দলের নেতা আশাজ্জকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের মধ্যে এরুপ দুটি গুন রয়েছে যা আল্লাহ্‌ তা‘আলা অধিক পছন্দ করেনঃ সহিষ্ণুতা ও স্থিরতা।

 

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৪১৮৮) , মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আশাজ্জ আল-আসারী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০১২

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمُهَيْمِنِ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الأَنَاةُ مِنَ اللَّهِ وَالْعَجَلَةُ مِنَ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ فِي عَبْدِ الْمُهَيْمِنِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ وَضَعَّفَهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَالأَشَجُّ بْنُ عَبْدِ الْقَيْسِ اسْمُهُ الْمُنْذِرُ بْنُ عَائِذٍ ‏.‏

সাহল ইবনু সা’দ আস-সায়িদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ধৈর্য ও স্থিরতা আল্লাহ্‌ তা‘আলার পক্ষ হতে, আর তাড়াহুড়া শাইতানের পক্ষ হতে।

 

যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫০৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। একদল হাদীস বিশারদ আবদুল মুহাইমিনের সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। আল-আশাজ্জ-এর নাম আল-মুনযির, পিতা আয়িয।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬৭. অনুচ্ছেদঃ

নম্রতা প্রসঙ্গে

২০১৩

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مَمْلَكٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أُعْطِيَ حَظَّهُ مِنَ الرِّفْقِ فَقَدْ أُعْطِيَ حَظَّهُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَنْ حُرِمَ حَظَّهُ مِنَ الرِّفْقِ فَقَدْ حُرِمَ حَظَّهُ مِنَ الْخَيْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে নমনীয়তার অংশ দেয়া হয়েছে তাকে কল্যাণের অংশ দেয়া হয়েছে। নমনীয়তার অংশ হতে যে ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাকে কল্যাণের অংশ হতে বঞ্চিত করা হয়েছে।

 

সহীহ, সহীহাহ্ (৫১৫, ৮৭৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আইশা, জারীর ইবনু আবদুল্লাহ ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৮. অনুচ্ছেদঃ

অত্যাচারিতের বদ-দু’আ

২০১৪

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ ‏ “‏ اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو مَعْبَدٍ اسْمُهُ نَافِذٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুআয (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণের সময় বলেনঃ অত্যাচারিতের বদ-দু’আকে ভয় কর। কেননা, তার বদ-দু’আ এবং আল্লাহ্ তা‘আলার মাঝখানে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।

 

সহীহ্, সহীহ আবূ দাঊদ (১৪১২) , বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আনাস, আবূ হুরাইরা, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ মা‘বাদের নাম না-ফিয।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চরিত্র বৈশিষ্ট্য

২০১৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ خَدَمْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَشْرَ سِنِينَ فَمَا قَالَ لِي أُفٍّ قَطُّ وَمَا قَالَ لِشَيْءٍ صَنَعْتُهُ لِمَ صَنَعْتَهُ وَلاَ لِشَيْءٍ تَرَكْتُهُ لِمَ تَرَكْتَهُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ خُلُقًا وَلاَ مَسِسْتُ خَزًّا قَطُّ وَلاَ حَرِيرًا وَلاَ شَيْئًا كَانَ أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ شَمَمْتُ مِسْكًا قَطُّ وَلاَ عِطْرًا كَانَ أَطْيَبَ مِنْ عَرَقِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَالْبَرَاءِ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমি দশবছর যাবতকাল ধরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সেবা-যত্ন করেছি। তিনি আমার প্রতি কখনো ‘উহ্’ শব্দটিও উচ্চারণ করেননি (অসন্তোষ প্রকাশ করেননি)। তিনি আমার কোন কাজে কখনো অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেননি যে, এটা তুমি করলে কেন অথবা কোন কাজ ছুটে যাওয়ার কারণেও তিনি বলেননি যে, এটা তুমি কেন করলে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন সবচাইতে উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষ। আমি রেশম এবং পশম মিশিয়ে বানানো কাপড়ও নিজ হাতে ছুয়ে দেখেছি এবং খাঁটি রেশমী কাপড়ও ছুয়েছি কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতের চেয়ে অধিক নরম ও মসৃন কোন কিছু স্পর্শ করিনি। আমি মৃগনাভির গন্ধও গ্রহণ করেছি এবং আতরের গন্ধও গ্রহণ করেছি কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শরীরের ঘামের চেয়ে অধিক সুগন্ধ কোন কিছুতেই পাইনি।

 

সহীহ, মুখতাসার শামা-ইল (২৯৬) , বূখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আইশা ও বারাআ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০১৬

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيَّ، يَقُولُ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ خُلُقِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا وَلاَ صَخَّابًا فِي الأَسْوَاقِ وَلاَ يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ بْنُ عَبْدٍ وَيُقَالُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدٍ ‏.‏

আবূ আবদুল্লাহ আল-জাদালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চরিত্র-মাধুর্য সম্বন্ধে আইশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো অশ্লীল ও কটুভাষী ছিলেন না, অশ্লীল ব্যবহারও করেননি। তিনি কখনো বাজারে গিয়ে হট্টগোল করতেন না এবং অন্যায়ের দ্বারা অন্যায়ের প্রতিশোধ নেননি। বরং তিনি উদার মন নিয়ে ক্ষমা করে দিতেন।

 

সহীহ, মুখতাসার শামা-ইল (২৯৮) , মিশকাত (৫৮২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবূ আবদুল্লাহ আল-জাদালীর নাম আবদ ইবনু আবদ, মতান্তরে আবদুর রাহমান ইবনু আব্‌দ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭০. অনুচ্ছেদঃ

উত্তমভাবে ওয়াদা পালন

২০১৭

حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ وَمَا بِي أَنْ أَكُونَ أَدْرَكْتُهَا وَمَا ذَاكَ إِلاَّ لِكَثْرَةِ ذِكْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَهَا وَإِنْ كَانَ لَيَذْبَحُ الشَّاةَ فَيَتَتَبَّعُ بِهَا صَدَائِقَ خَدِيجَةَ فَيُهْدِيهَا لَهُنَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার খাদীজা (রাঃ)-এর উপর যতটুকু ঈর্ষা হয়েছিল, এতটুকু পরিমাণ ঈর্ষা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আর কোন স্ত্রীর উপর হয়নি। অথচ আমি তাঁকে পাইনি। আমার ঈর্ষার কারণ ছিল, তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেশি বেশি স্মরণ করতেন। তিনি কখনো ছাগল যবেহ করলে খাদীজা (রাঃ)-এর বান্ধবীদের খুঁজে খুঁজে তার গোশত্ উপহার স্বরূপ প্রদান করতেন।

 

সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ্

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১. অনুচ্ছেদঃ

উন্নত চারিত্রিক গুণ

২০১৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ خِرَاشٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَىَّ وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَحَاسِنَكُمْ أَخْلاَقًا وَإِنَّ أَبْغَضَكُمْ إِلَىَّ وَأَبْعَدَكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الثَّرْثَارُونَ وَالْمُتَشَدِّقُونَ وَالْمُتَفَيْهِقُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ عَلِمْنَا الثَّرْثَارُونَ وَالْمُتَشَدِّقُونَ فَمَا الْمُتَفَيْهِقُونَ قَالَ ‏”‏ الْمُتَكَبِّرُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْمُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏ وَالثَّرْثَارُ هُوَ الْكَثِيرُ الْكَلاَمِ وَالْمُتَشَدِّقُ الَّذِي يَتَطَاوَلُ عَلَى النَّاسِ فِي الْكَلاَمِ وَيَبْذُو عَلَيْهِمْ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সর্বোত্তম তোমাদের মধ্যে সে-ই আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় এবং কিয়ামাত দিবসেও আমার খুবই নিকটে থাকবে। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার নিকট সবচেয়ে বেশি ঘৃণ্য সে ব্যক্তি কিয়ামাত দিবসে আমার নিকট হতে অনেক দূরে থাকবে তারা হলোঃ বাচাল, ধৃষ্ট-নির্লজ্জ এবং অহংকারে মত্ত ব্যক্তিরা। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! বাচাল ও ধৃষ্ট-দাম্ভিকদের তো আমরা জানি কিন্তু মুতাফাইহিকূন কারা? তিনি বললেনঃ অহংকারীরা।

 

সহীহ, সহীহাহ্ (৭৯১।

  •  
  •  
  •  
  •  

অবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান ও উপরোক্ত সূত্রে গারীব। একদল বর্ণনাকারী তাদের বর্ণনায় আবদু রব্বিহি ইবনু সাঈদের নাম উল্লেখ করেননি। তারা সরাসরি মুবারাক ইবনু ফাযালার মাধ্যমে মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির হতে জাবির (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। এই সূত্রটিই অনেক বেশি সহীহ্। ‘আস-সারসার’ যে লোক বেশি কথা বলে (বাচাল)। ‘আল-মুতাশাদ্দিক’ মানুষের সামনে যে লোক লম্বা লম্বা কথা বলে বেড়ায়, ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অশালীন উক্তি করে, নির্লজ্জ ও দাম্ভিকতাপূর্ণ কথা বল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২. অনুচ্ছেদঃ

অভিশাপ ও তিরস্কার করা।

২০১৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ يَكُونُ الْمُؤْمِنُ لَعَّانًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يَنْبَغِي لِلْمُؤْمِنِ أَنْ يَكُونَ لَعَّانًا ‏”‏ ‏.‏ وَهَذَا الْحَدِيثُ مُفَسِّرٌ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তি কখনো অভিশাপকারী হতে পারে না।

 

সহীহ, মিশকাত তাহকীক সানী (৪৮৪৮) , জিলালুল জান্নাত (১০১৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটিকে অন্য একদল বর্ণনাকারী উল্লেখিত সনদসূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ “মু’মিনের জন্য অভিশাপকারী হওয়া শোভনীয় নয়” এ হাদীসটি পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩. অনুচ্ছেদঃ

অধিক ক্রোধ বা উত্তেজনা

২০২০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ عَلِّمْنِي شَيْئًا وَلاَ تُكْثِرْ عَلَىَّ لَعَلِّي أَعِيهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ تَغْضَبْ ‏”‏ ‏.‏ فَرَدَّدَ ذَلِكَ مِرَارًا كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ ‏”‏ لاَ تَغْضَبْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَسُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَأَبُو حَصِينٍ اسْمُهُ عُثْمَانُ بْنُ عَاصِمٍ الأَسَدِيُّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একজন লোক এসে বলল, আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন, তবে আমাকে বেশি বলবেন না, যাতে আমি তা মুখস্থ করতে পারি। তিনি বললেনঃ ক্রোধ প্রকাশ করো না, উত্তেজিত হয়ো না। লোকটি তার কথার পুনরাবৃত্তি করলে প্রতিবারই তিনি বললেনঃ ক্রোধ প্রকাশ করো না, উত্তেজিত হয়ো না।

 

সহীহ, বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবূ সাঈদ ও সুলাইমান ইবনু সারদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ এবং উল্লেখিত সনদসূত্রে গারীব। আবূ হাসীনের নাম উসমান, পিতা আসিম আল-আসাদী।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪. অনুচ্ছেদঃ

ক্রোধ নিয়ন্ত্রন প্রসঙ্গে

২০২১

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو مَرْحُومٍ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يُنَفِّذَهُ دَعَاهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ حَتَّى يُخَيِّرَهُ فِي أَىِّ الْحُورِ شَاءَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

সাহ্‌ল ইবনু মুআয ইবনু আনাস আল-জুহানী (রাঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক তার ক্রোধকে বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা রেখেও তা নিয়ন্ত্রণ করে-আল্লাহ্‌ তা‘আলা কিয়ামাত দিবসে তাকে সমগ্র সৃষ্টির সামনে ডেকে এনে জান্নাতের যে কোন হুর নিজের ইচ্ছামতো বেছে নেয়ার অধিকার দিবেন।

 

সহীহ, সহীহাহ্ (১৭৫০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫. অনুচ্ছেদঃ

বড়দের সম্মান করা

২০২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ بَيَانٍ الْعُقَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الرَّحَّالِ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا أَكْرَمَ شَابٌّ شَيْخًا لِسِنِّهِ إِلاَّ قَيَّضَ اللَّهُ لَهُ مَنْ يُكْرِمُهُ عِنْدَ سِنِّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هَذَا الشَّيْخِ يَزِيدَ بْنِ بَيَانٍ وَأَبُو الرِّجَالِ الأَنْصَارِيُّ آخَرُ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে যুবক প্রবীণ ব্যক্তিকে সম্মান করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য এক ব্যক্তিকে নিযুক্ত করবেন যে তাকে তার প্রবীণ বয়সে সম্মান করবে।

 

যঈফ, যঈফা (৩০৪), মিশকাত (৪৯৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেছেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র এই শাইখ অর্থাৎ ইয়াযীদ ইবনু বাইয়ানের সূত্রেই এই হাদীস জেনেছি। সনদে আবুর রিজাল আনসারী নামক আরও একজন রাবী আছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬. অনুচ্ছেদঃ

পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারীদের প্রসঙ্গে

২০২৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ تُفَتَّحُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَيُغْفَرُ فِيهِمَا لِمَنْ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا إِلاَّ الْمُهْتَجِرَيْنِ يُقَالُ رُدُّوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَيُرْوَى فِي بَعْضِ الْحَدِيثِ ‏”‏ ذَرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏”‏ الْمُهْتَجِرَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الْمُتَصَارِمَيْنِ ‏.‏ – وَهَذَا مِثْلُ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতের দরজাগুলো সোমবার ও বৃহস্পতিবার খুলে দেয়া হয়। যেসব পাপী আল্লাহ্‌ তা‘আলার সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করেনি তাদেরকে মাফ করে দেয়া হয়। কিন্তু পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারীর ব্যাপারে (আল্লাহ্‌ তা‘আলা বলেন) : এদেরকে ফিরিয়ে দাও যে পর্যন্ত না এরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা স্থাপন করে।

 

সহীহ, ইরওয়া (৩/১০৫) , গাইয়াতুল মারাম (৪১২) , মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। কোন কোন হাদীসে এভাবে বর্ণিত হয়েছেঃ “এদের উভয়ের বিষয়টি মুলতবি রাখ যে পযন্ত না নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক সংশোধন করে নেয়।” “আল-মুহ্তাজিরাইনি” বলতে এমন দুইজনকে বুঝানো হয়েছে, যারা পরস্পর সম্পর্ক ছিন্ন করে একজন অন্যজনের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে। এটি ঐ হাদীসের মতো যাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “কোন মুসলমান ব্যক্তির পক্ষে তিনদিনের বেশি সময় তার ভাইকে ছেড়ে থাকা বৈধ নয়”।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭. অনুচ্ছেদঃ

ধৈর্য ধারণ করা

২০২৪

حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ نَاسًا، مِنَ الأَنْصَارِ سَأَلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَاهُمْ ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللَّهُ وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ وَمَا أُعْطِيَ أَحَدٌ شَيْئًا هُوَ خَيْرٌ وَأَوْسَعُ مِنَ الصَّبْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مَالِكٍ هَذَا الْحَدِيثُ ‏”‏ فَلَنْ أَذْخَرَهُ عَنْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَالْمَعْنَى فِيهِ وَاحِدٌ يَقُولُ لَنْ أَحْبِسَهُ عَنْكُمْ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনসারদের কয়েকজন লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে যৎসামান্য সাহায্য প্রার্থনা করল। তাদেরকে তিনি তা দিলেন। তারা আরো চাইলে তিনি তাদেরকে তা দিলেন। তারপর তিনি বললেনঃ আমার নিকট যে সম্পদই আছে তোমাদের তা না দিয়ে কখনো জমা করে রাখি না। যে স্বনির্ভর হতে চায় আল্লাহ্‌ তা‘আলা তাকে স্বনির্ভর করেন। যে (অপরের নিকট চাওয়া হতে) সংযমী হতে চায় আল্লাহ্‌ তা‘আলা তাকে সংযমী করেন। যে ধৈর্যশীল হতে চায়, আল্লাহ্‌ তা‘আলা তাকে ধৈর্যের তাওফীক দেন। ধৈর্যের চেয়ে বেশি কল্যাণকর প্রাচর্যপুর্ণ কোন সম্পদ কাউকে দেয়া হয়নি।

 

সহীহ, তা’লীকুর রাগীব (২/১১) . সহীহ আবূ দাউদ (১৪৫১) , বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। ইমাম মালিকের বর্ণনায় আছে “ফালান আযখারাহু আনকুম”, অর্থ একই (তোমাদেরকে না দিয়ে আমি তা জমা করে রাখি না)।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮. অনুচ্ছেদঃ

দ্বিমুখীপনা প্রসঙ্গে

২০২৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ مِنْ شَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ذَا الْوَجْهَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَعَمَّارٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে দ্বিমুখী স্বভাবের মানুষেরা আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট বলে গন্য হবে।

সহীহ, সহীহুল জামি’ (২২২৬) , সহীহুল আদাবিল মুফরাদ (৯৮৭) , বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আম্মার ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯. অনুচ্ছেদঃ

চোগলখোর (পরোক্ষে নিন্দাকারী) প্রসঙ্গে

২০২৬

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ هَذَا يُبَلِّغُ الأُمَرَاءَ الْحَدِيثَ عَنِ النَّاسِ ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَالْقَتَّاتُ النَّمَّامُ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

হাম্মাম ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ)-কে একজন লোক অতিক্রম করে যাচ্ছিল। তাকে বলা হলো, এই লোক জনসাধারণের কথা প্রশাসকদের কানে পৌঁছিয়ে দেয়। (একথা শুনে) হুযাইফা (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ চোগলখোর জান্নাতে যেতে পারবে না।

 

সহীহ, সহীহাহ্ (১০৩৪) , গাইয়াতুল মারাম (৪৩৩) , বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

সুফিয়ান বলেন, “আল-কাত্তাত” অর্থ চোগলখোর। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহিহ

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০. অনুচ্ছেদঃ

অল্প কথা বলা

২০২৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ أَبِي غَسَّانَ، مُحَمَّدِ بْنِ مُطَرِّفٍ عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْحَيَاءُ وَالْعِيُّ شُعْبَتَانِ مِنَ الإِيمَانِ وَالْبَذَاءُ وَالْبَيَانُ شُعْبَتَانِ مِنَ النِّفَاقِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي غَسَّانَ مُحَمَّدِ بْنِ مُطَرِّفٍ ‏.‏ قَالَ وَالْعِيُّ قِلَّةُ الْكَلاَمِ وَالْبَذَاءُ هُوَ الْفُحْشُ فِي الْكَلاَمِ وَالْبَيَانُ هُوَ كَثْرَةُ الْكَلاَمِ مِثْلُ هَؤُلاَءِ الْخُطَبَاءِ الَّذِينَ يَخْطُبُونَ فَيُوَسِّعُونَ فِي الْكَلاَمِ وَيَتَفَصَّحُونَ فِيهِ مِنْ مَدْحِ النَّاسِ فِيمَا لاَ يُرْضِي اللَّهَ ‏.‏

আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লজ্জা-সম্ভ্রম ও অল্প কথা বলা ঈমানের দুইটি শাখা। অশ্লীলতা ও বাকপটুতা (বাচালতা) নিফাকের (মুনাফিকীর) দুইটি শাখা।

 

সহীহ, ঈমান ইবনে আবী শাইবা (১১৮) , মিশকাত তাহকীক ছানী (৪৭৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এটিকে আবূ গাসান মুহাম্মাদ ইবনু মুতারিরকের হাদীস হিসাবে জেনেছি। বর্ণনাকারী বলেন, ‘আল-আয়্যু’ অর্থ স্বল্পবাক ‘আল-বাযা-য়ু’ অর্থ অশ্লীল ও নির্লজ্জবাক ‘আল-বায়ান’ অর্থ বাকপটু, বাক্যবাগীশ। যেমন পেশাধারী বক্তারা লম্বা লম্বা বক্তৃতা দিয়ে বেড়ায়, কথার বন্যা ছুটিয়ে দেয় এবং বাকপটুতার আশ্রয় নিয়ে মানুষের এমন সব প্রশংসা করতে থাকে, যা আল্লাহ্‌ তা‘আলা মোটেই পছন্দ করেন না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১. অনু্চ্ছেদঃ

বক্তৃতা-ভাষণেও রয়েছে যাদুকরী প্রভাব

২০২৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، قَدِمَا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَطَبَا فَعَجِبَ النَّاسُ مِنْ كَلاَمِهِمَا فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا ‏”‏ أَوْ ‏”‏ إِنَّ بَعْضَ الْبَيَانِ سِحْرٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমলে দুইজন লোক এসে উপস্থিত হয়। তারা দুজনে এরকম জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিল যে, জনগণ আশ্চর্য্ হয়ে গেল। তখন আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন কোন বক্তৃতায় যাদু রয়েছে অথবা কোন কোন ভাষণে রয়েছে যাদুকরী প্রভাব।

 

সহীহ্ঃ বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আম্মার, ইবনু মাসউদ ও আবদুল্লাহ ইবনুশ শিখখীর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২. অনু্চ্ছেদঃ

বিনয় ও নম্রতা প্রসঙ্গে

২০২৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللَّهُ رَجُلاً بِعَفْوٍ إِلاَّ عِزًّا وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلَّهِ إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي كَبْشَةَ الأَنْمَارِيِّ وَاسْمُهُ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাকাত বা দানের কারনে কখনো সম্পদের কমতি হয় না। অবশ্যই ক্ষমা ও উদারতার দ্বারা আল্লাহ্‌ তা‘আলা মান-সম্মান বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ্‌ তা‘আলার সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে যে লোক বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করে আল্লাহ্‌ তা‘আলা তাকে অতি মর্যাদা সম্পন্ন করেন।

 

সহীহ, ইরওয়া (২২০০) , সহীহাহ (২৩২৮) , মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবদুর রাহমান ইবনু আওফ, ইবনু আব্বাস ও আবূ কাবশা আমর ইবনু সা’দ আল-আনসা-রী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩. অনু্চ্ছেদঃ

যুলুম-অত্যাচার প্রসঙ্গে

২০৩০

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَائِشَةَ وَأَبِي مُوسَى وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে যুলুম-অত্যাচার অন্ধকারের মতো আবির্ভূত হবে।

 

সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবদুল্লাহ্‌ ইবনু আমর, আইশা, আবূ মূসা, আবূ হুরাইরা ও জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমারের হাদীস হিসাবে এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৪. অনু্চ্ছেদঃ

নিয়ামাতের মধ্যে ত্রুটি সন্ধান করা অনুচিত

২০৩১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا عَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا قَطُّ كَانَ إِذَا اشْتَهَاهُ أَكَلَهُ وَإِلاَّ تَرَكَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو حَازِمٍ هُوَ الأَشْجَعِيُّ الْكُوفِيُّ وَاسْمُهُ سَلْمَانُ مَوْلَى عَزَّةَ الأَشْجَعِيَّةِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন খাদ্যের উপর কখনো দোষারোপ করতেন না। রুচি হলে খেতেন আর না হয় পরিত্যাগ করতেন।

 

সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। আবূ হাযিম হলেন আল-আশজাঈ আল-কূফী, তার নাম সালমান, আয্‌যা আল-আশজাইয়ার মুক্তদাস।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৫. অনু্চ্ছেদঃ

মু’মিন লোকেকে সম্মান প্রদর্শন করা

২০৩২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ، وَالْجَارُودُ بْنُ مُعَاذٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ أَوْفَى بْنِ دَلْهَمٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَنَادَى بِصَوْتٍ رَفِيعٍ فَقَالَ ‏ “‏ يَا مَعْشَرَ مَنْ قَدْ أَسْلَمَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يُفْضِ الإِيمَانُ إِلَى قَلْبِهِ لاَ تُؤْذُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تُعَيِّرُوهُمْ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنْ تَتَبَّعَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ تَتَبَّعَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ تَتَبَّعَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ وَلَوْ فِي جَوْفِ رَحْلِهِ ‏”‏ قَالَ وَنَظَرَ ابْنُ عُمَرَ يَوْمًا إِلَى الْبَيْتِ أَوْ إِلَى الْكَعْبَةِ فَقَالَ مَا أَعْظَمَكِ وَأَعْظَمَ حُرْمَتَكِ وَالْمُؤْمِنُ أَعْظَمُ حُرْمَةً عِنْدَ اللَّهِ مِنْكِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ ‏.‏ وَرَوَى إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ السَّمَرْقَنْدِيُّ عَنْ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ نَحْوَهُ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেনঃ হে ঐ জামা’আত, যারা মুখে ইসলাম ক্ববূল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হযনি! তোমরা মুসলমানদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবেনা এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হবে না। কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ্ তা‘আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ্‌ তা‘আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও।

বর্ণনাকারী (নাফি) বলেন, একদিন ইবনু উমার (রাঃ) বাইতুল্লাহ বা কা’বার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি কতই না ব্যাপক ও বিরাট! তুমি কতইনা সম্মানি তা কিন্তু তোমার চেয়েও মু’মিনের সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ্‌ তা‘আলার নিকটে অনেক বেশি।

 

হাসান, মিশকাত (৫০৪৪) , তা’লীকুর রাগীব (৩/২৭৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধু হুসাইন ইবনু ওয়াকিদের সূত্রেই জেনেছি। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আস-সামারকান্দী-হুসাইন ইবনু ওয়াকিদ হতে একইরকম বর্ণনা করেছেন। আবূ বারযা আল-আসলামী (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হতে একইরকম বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬. অনুচ্ছেদঃ

অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে

২০৩৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ حَلِيمَ إِلاَّ ذُو عَثْرَةٍ وَلاَ حَكِيمَ إِلاَّ ذُو تَجْرِبَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই সহনশীল ও ধৈর্যশীল হয় এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান হওয়া যায় না।

 

যঈফ, মিশকাত (৫০৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উল্লেখিত সনদসূত্রেই এ হাদীসটি জেনেছি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭. অনু্চ্ছেদঃ

কিছু না পেয়ে পাওয়ার ভান করা

২০৩৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ أُعْطِيَ عَطَاءً فَوَجَدَ فَلْيَجْزِ بِهِ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُثْنِ فَإِنَّ مَنْ أَثْنَى فَقَدْ شَكَرَ وَمَنْ كَتَمَ فَقَدْ كَفَرَ وَمَنْ تَحَلَّى بِمَا لَمْ يُعْطَهُ كَانَ كَلاَبِسِ ثَوْبَىْ زُورٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَعَائِشَةَ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏”‏ وَمَنْ كَتَمَ فَقَدْ كَفَرَ ‏”‏ ‏.‏ يَقُولُ قَدْ كَفَرَ تِلْكَ النِّعْمَةَ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাউকে কিছু দান করা হলে পরে তার (দান গ্রহীতার) সংগতি হলে সে যেন এর প্রতিদান দেয়। সংগতি না হলে সে যেন তার প্রশংসা করে। কেননা, যে লোক প্রশংসা করল সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। আর যে তা গোপন রাখল সে অকৃতজ্ঞ হলো। যে লোক এমন কিছু পাওয়ার ভান করল যা তাকে দান করা হয়নি, সে যেন ধোঁকাবাজি ও প্রতারণার দুটি পোশাক পরল।

 

হাসান, সহীহাহ (২৬১৭) , তা’লীকুর রাগীব (২/৫৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আসমা বিনতু আবী বাক্‌র ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। “মান কাতামা ফাকাদ কাফারা”-এর অর্থ “যে অনুগ্রহ গোপন করল সে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল”।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩৫

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ، بِمَكَّةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا الأَحْوَصُ بْنُ جَوَّابٍ، عَنْ سُعَيْرِ بْنِ الْخِمْسِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ فَقَالَ لِفَاعِلِهِ جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا فَقَدْ أَبْلَغَ فِي الثَّنَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ جَيِّدٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا فَلَمْ يَعْرِفْهُ ‏.‏

 

حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ حَازِمٍ الْبَلْخِيُّ قَالَ سَمِعْتُ الْمَكِّيَّ بْنَ إِبْرَاهِيمَ يَقُولُ كُنَّا عِنْدَ ابْنِ جُرَيْجٍ الْمَكِّيِّ فَجَاءَ سَائِلٌ فَسَأَلَهُ فَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ لِخَازِنِهِ أَعْطِهِ دِينَارًا ‏.‏ فَقَالَ مَا عِنْدِي إِلاَّ دِينَارٌ إِنْ أَعْطَيْتُهُ لَجُعْتَ وَعِيَالَكَ ‏.‏ قَالَ فَغَضِبَ وَقَالَ أَعْطِهِ ‏.‏ قَالَ الْمَكِّيُّ فَنَحْنُ عِنْدَ ابْنِ جُرَيْجٍ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ بِكِتَابٍ وَصُرَّةٍ وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْهِ بَعْضُ إِخْوَانِهِ وَفِي الْكِتَابِ إِنِّي قَدْ بَعَثْتُ خَمْسِينَ دِينَارًا ‏.‏ قَالَ فَحَلَّ ابْنُ جُرَيْجٍ الصُّرَّةَ فَعَدَّهَا فَإِذَا هِيَ أَحَدٌ وَخَمْسُونَ دِينَارًا ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ لِخَازِنِهِ قَدْ أَعْطَيْتَ وَاحِدًا فَرَدَّهُ اللَّهُ عَلَيْكَ وَزَادَكَ خَمْسِينَ دِينَارًا ‏.‏

উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাউকে অনুগ্রহ করা হলে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে, “তোমাকে আল্লাহ্‌ তা‘আলা কল্যাণকর প্রতিদান দিন” তবে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল।

 

সহীহ মিশকাত (৩০২৪) , তা’লীকুর রাগীব (২/৫৫) , রাওযুন নাযীর (৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান, জায়্যিদ (উত্তম) গারীব। এটিকে শুধূমাত্র উক্ত সনদে উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ)-এর হাদীস বলে আমরা জানি। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ হাদীস আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও বর্ণিত হয়েছে। আমি মুহাম্মদ (বুখারীকে) কে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি এটি জানেন না বলেছেন।

আব্দুর রহিব ইবনু হাযিম আল বালখী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মাক্কী ইবনু ইবরাহীমকে বলতে শুনেছি, আমরা ইবনু জুরাইজ আল-মাক্কীর নিকট উপস্থিত ছিলাম এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে তার নিকট কিছু চাইল। ইবনু জুরাইজ তার অর্থ সচিবকে বললেন তাকে একটি দীনর দিন। সে বলল, আমার নিকট একটি দীনার ব্যতীত আর কিছু নেই। এটি তাকে দান করলে আমার আপনার পরিবারের সবাইকে উপোস করতে হবে। এ কথা শুনে তিনি রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ তাকে সেটা দাও। মাক্কী বলেন, আমরা ইবনু জুরাইজের নিকট থাকাবস্থায়ই এক ব্যক্তি একটি চিঠি এবং একটি থলে নিয়ে উপস্থিত হলেন। যাহা তার কোন ভাই তার নিকট পাঠিয়েছেন। চিঠিতে লিখাছিল আমি পঞ্চাশটি দীনার পাঠাইলাম। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু জুরাইজ থলেটি খুলে দীনার গননা করলেন। তাতে তিনি (৫১) একান্নটি দীনার পেলেন। এতে ইবনু জুরাইজ তার অর্থ সচীবকে বললেনঃ তুমি একদীনার দান করেছ, আল্লাহ্‌ সেটা তোমাকে ফেরত দিয়েছেন তার সাথে অতিরিক্ত আরো পঞ্চাশটি দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস