তিরমিজি দুনিয়াবী ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২৩০৪ – ২৩৬৪

১. অনুচ্ছেদঃ

সুস্বাস্থ্য ও অবসর সময় দুইটি মূল্যবান ঐশ্বর্য

২৩০৪

حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَسُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ صَالِحٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ، سُوَيْدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ وَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ فَرَفَعُوهُ وَأَوْقَفَهُ بَعْضُهُمْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এরূপ দুটি নিয়ামাত আছে যে ব্যাপারে বেশিরভাগ লোক ধোঁকায় নিপতিত : সুস্বাস্থ্য ও অবসর সময়।

সহীহ্‌ ; বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সাঈদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু সাঈদ ইবনু আবী হিন্দ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতই হাদীস বর্ণনা করেছেন। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। এই হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনু সাঈদ ইবনু আবী হিন্দ-এর সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী রিওয়ায়াত করেছেন। এ হাদীসটি তার সূত্রে কেউ মারফূভাবে এবং কেউ মাওকূফভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অনুচ্ছেদঃ

নিষিদ্ধ জিনিস ত্যাগকারী অধিক ইবাদাতকারী

২৩০৫

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي طَارِقٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ يَأْخُذُ عَنِّي هَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ فَيَعْمَلُ بِهِنَّ أَوْ يُعَلِّمُ مَنْ يَعْمَلُ بِهِنَّ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَخَذَ بِيَدِي فَعَدَّ خَمْسًا وَقَالَ ‏”‏ اتَّقِ الْمَحَارِمَ تَكُنْ أَعْبَدَ النَّاسِ وَارْضَ بِمَا قَسَمَ اللَّهُ لَكَ تَكُنْ أَغْنَى النَّاسِ وَأَحْسِنْ إِلَى جَارِكَ تَكُنْ مُؤْمِنًا وَأَحِبَّ لِلنَّاسِ مَا تُحِبُّ لِنَفْسِكَ تَكُنْ مُسْلِمًا وَلاَ تُكْثِرِ الضَّحِكَ فَإِنَّ كَثْرَةَ الضَّحِكِ تُمِيتُ الْقَلْبَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ ‏.‏ وَالْحَسَنُ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ شَيْئًا هَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَيُّوبَ وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ وَعَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ قَالُوا لَمْ يَسْمَعِ الْحَسَنُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَرَوَى أَبُو عُبَيْدَةَ النَّاجِيُّ عَنِ الْحَسَنِ هَذَا الْحَدِيثَ قَوْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমন কে আছে যে আমার নিকট হতে এ কথাগুলো গ্রহণ করবে এবং সে মুতাবিক নিজেও আমল করবে অথবা এমন কাউকে শিক্ষা দিবে যে অনুরূপ আমল করবে? আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি আছি। অত:পর তিনি আমার হাত ধরলেন এবং গুনে গুনে এ পাঁচটি কথা বললেনঃ তুমি হারাম সমূহ হতে বিরত থাকলে লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় আবিদ বলে গণ্য হবে; তোমার ভাগ্যে আল্লাহ্‌ তা’আলা যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তাতে খুশি থাকলে লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা স্বনির্ভর বলে গণ্য হবে; প্রতিবেশীর সাথে ভদ্র আচরণ করলে প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে; যা নিজের জন্য পছন্দ কর তা-ই অন্যের জন্যও পছন্দ করতে পারলে প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে এবং অধিক হাসা থেকে বিরত থাক। কেননা অতিরিক্ত হাস্য-কৌতুক হৃদয়কে মৃতবৎ করে দেয়।

-হাসান, সহিহাহ (৯৩০), তাখরিজুল মুশকিলাহ (১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এটি শুধুমাত্র জাফর ইবনু সুলাইমানের সূত্রেই জেনেছি। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে হাসান বাসরী (রাহঃ) কিছুই শুনেননি। আইয়্যূব, ইউনুস ইবনু উবাইদ ও আলী ইবনু যাইদ (রাহঃ) হতেও একইরকম বর্ণিত আছে। তারাও বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে হাসান বাসরী (রাহঃ) কিছুই শুনেননি। আবূ উবাইদা আন-নাজী (রাহঃ) এ হাদীসটি হাসানের সূত্রে বর্ণনা করলেও তাতে তিনি “আবূ হুরাইরা (রাঃ) – রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে” এরূপ উল্লেখ করেননি।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অনুচ্ছেদঃ

সৎকাজের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়া

২৩০৬

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدَنِيُّ، عَنْ مُحَرَّرِ بْنِ هَارُونَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ بَادِرُوا بِالأَعْمَالِ سَبْعًا هَلْ تَنْظُرُونَ إِلاَّ فَقْرًا مُنْسِيًا أَوْ غِنًى مُطْغِيًا أَوْ مَرَضًا مُفْسِدًا أَوْ هَرَمًا مُفَنِّدًا أَوْ مَوْتًا مُجْهِزًا أَوِ الدَّجَّالَ فَشَرُّ غَائِبٍ يُنْتَظَرُ أَوِ السَّاعَةَ فَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَرَّرِ بْنِ هَارُونَ وَقَدْ رَوَى بِشْرُ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُهُ عَنْ مُحَرَّرِ بْنِ هَارُونَ هَذَا ‏.‏ وَقَدْ رَوَى مَعْمَرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَمَّنْ سَمِعَ سَعِيدًا الْمَقْبُرِيَّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ وَقَالَ تَنْتَظِرُونَ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা কার্য সম্পাদনে সাতটি বিষয়ের অগ্রগামী হও। তোমরা কি এমন দারিদ্র্যের অপেক্ষায় আছ যা আল্লাহ্‌ তা‘আলাকে ভুলিয়ে দেয় অথবা এরূপ ধনবান হওয়ার যা আল্লাহ্‌ তা‘আলার অবাধ্যাচারে লিপ্ত করে অথবা এমন রোগের যা স্বাস্থ্যকে ধ্বংস করে দেয় অথবা নির্বোধে পরিণতকারী বার্ধক্যের অথবা এমন মৃত্যুর যা হঠাৎ করেই এসে যায় অথবা অপেক্ষা করছো দাজ্জালের অপেক্ষমাণ অদৃশ্য অমঙ্গলের অথবা কিয়ামাতের? আর কিয়ামাত তো আরো বিভিষিকাময়, আরো তিক্ত।

যঈফ, যঈফা (১৬৬৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। মুহ্‌রিয ইবনু হারূনের বরাত ব্যতীত আ’রাজ হতে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসাবে আমরা এটি প্রসঙ্গে জানতে পারিনি। বিশর ইবনু উমার প্রমুখ এই হাদীস মুহ্‌রিয ইবনু হারূনের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। মা’মার এই হাদীসটি এমন ব্যক্তির সূত্রে বর্ণনা করেছেন যিনি সাঈদ আল-মাকবুরীর নিকট শুনেছেন। তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। এখানে ইউনতাযারু এর পরিবর্তে তানতাযিরুনা শব্দ উল্লেখ করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অনুচ্ছেদঃ

মৃত্যুর কথা স্মরণ প্রসঙ্গে

২৩০৭

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الْمَوْتَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বেশি পরিমাণে জীবনের স্বাদ হরণকারীর অর্থাৎ মৃত্যুর স্মরণ কর।

হাসান, সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪২৫৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনু্চ্ছেদে হাদীস বর্ণিত রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৫. অনুচ্ছেদঃ

কবরের শাস্তিকে ভয় করা

২৩০৮

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَحِيرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ هَانِئًا، مَوْلَى عُثْمَانَ قَالَ كَانَ عُثْمَانُ إِذَا وَقَفَ عَلَى قَبْرٍ بَكَى حَتَّى يَبُلَّ لِحْيَتَهُ فَقِيلَ لَهُ تُذْكَرُ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ فَلاَ تَبْكِي وَتَبْكِي مِنْ هَذَا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ الْقَبْرَ أَوَّلُ مَنَازِلِ الآخِرَةِ فَإِنْ نَجَا مِنْهُ فَمَا بَعْدَهُ أَيْسَرُ مِنْهُ وَإِنْ لَمْ يَنْجُ مِنْهُ فَمَا بَعْدَهُ أَشَدُّ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا رَأَيْتُ مَنْظَرًا قَطُّ إِلاَّ وَالْقَبْرُ أَفْظَعُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ يُوسُفَ ‏.‏

উসমান (রাঃ)-এর মুক্তদাস হানী থেকে বর্ণিতঃ

উসমান (রাঃ) কোন কবরের পাশে দাঁড়িয়ে এত কাঁদতেন যে, তার দাড়ি ভিজে যেত। তাকে প্রশ্ন করা হলো, জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা করা হলে তো আপনি কাঁদেন না, অথচ এই কবর দর্শনে এত বেশি কাঁদেন কেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আখিরাতের মানযিলসমূহের (প্রাসাদ) মধ্যে কবর হলো প্রথম মানযিল। এখান হতে কেউ মুক্তি পেয়ে গেলে তবে তার জন্য পরবর্তী মানযিলগুলোতে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। আর সে এখান হতে মুক্তি না পেলে তবে তার জন্য পরবর্তী মানযিলগুলো আরো বেশি কঠিন হবে। তিনি (উসমান) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ আমি কবরের দৃশ্যের চাইতে অধিক ভয়ংকর দৃশ্য আর কখনো দেখিনি।

হাসান , ইবনু মা-জাহ (৪২৬৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসের ব্যাপারে শুধুমাত্র হিশাম ইবনু ইউসুফের রিওয়ায়াত হতেই জেনেছি।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অনুচ্ছেদঃ

আল্লাহ্‌র সাক্ষাৎ পছন্দকারীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আল্লাহ্‌ও পছন্দ করেন

২৩০৯

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يُحَدِّثُ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ وَأَنَسٍ وَأَبِي مُوسَى ‏.‏ قَالَ حَدِيثُ عُبَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করাকে যে লোক পছন্দ করে, তার সাথে সাক্ষাৎ করতে আল্লাহ্‌ তা’আলাও পছন্দ করেন। আর আল্লাহ্‌ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করতে যে লোক অপছন্দ করে, আল্লাহ্‌ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ করতে অপছন্দ করেন।

সহীহ্‌ , বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা, আইশা, আবূ মূসা ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জাতিকে সতর্ক করেছেন

২৩১০

حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْعَثِ، أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ الْعِجْلِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطُّفَاوِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ ‏)‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا صَفِيَّةُ بِنْتَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَا فَاطِمَةُ بِنْتَ مُحَمَّدٍ يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنِّي لاَ أَمْلِكُ لَكُمْ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا سَلُونِي مِنْ مَالِي مَا شِئْتُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ هَكَذَا رَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ نَحْوَ هَذَا وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলো : “আপনি আপনার নিকটাত্মীয়দের ভয় প্রদর্শন করুন” (২৬ : ২১৪), তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে সাফিয়্যা বিনতু আবদিল মুত্তালিব, হে ফাতিমা বিনতু মুহাম্মাদ, হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধর! আল্লাহ্‌ তা’আলার (পাকড়াও) হতে তোমাদেরকে বাঁচানোর ক্ষমতা আমার নেই। আমার ধন-সম্পদ হতে তোমরা যতটুকু খুশি চাইতে পার (কিতাবুল তাফসীরে পুনরুক্ত)।

সহীহ্‌ , মুসলিম (১/১৩৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা, আবূ মূসা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আইশা (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি হাসান গারীব। কিছু বর্ণনাকারী হিশাম ইবনু উরওয়া হতে এরকমই বর্ণনা করেছেন। হিশাম ইবনু উরওয়া-তার পিতা উরওয়া (রাহঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কোন কোন বর্ণনাকারী মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন তাতে আইশার উল্লেখ করেননি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অনুচ্ছেদঃ

আল্লাহ্‌র ভয়ে কান্নাকাটির ফাযীলাত

২৩১১

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَلِجُ النَّارَ رَجُلٌ بَكَى مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ حَتَّى يَعُودَ اللَّبَنُ فِي الضَّرْعِ وَلاَ يَجْتَمِعُ غُبَارٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هُوَ مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ وَهُوَ مَدَنِيٌّ ثِقَةٌ رَوَى عَنْهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলার ভয়ে ক্রন্দনকারী ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যেরূপ দোহনকৃত দুধ আবার স্তনে ফিরিয়ে নেয়া যায় না। আর আল্লাহ্‌ তা’আলার পথের (জিহাদের) ধুলা ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনো একত্র হবে না।

সহীহ্‌ , মিশকাত (৩৮২৮), তা’লীকুর রাগীব (২/১৬৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবূ রাইহানা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রাহমান (রাহঃ) তালহা-পরিবারের মুক্তদাস, তিনি নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী এবং মাদীনার অধিবাসী। শুবা ও সুফিয়ান সাওরী তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী : আমি যা জানি, তোমরা তা জানতে পারলে খুব কমই হাসতে

২৩১২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنِّي أَرَى مَا لاَ تَرَوْنَ وَأَسْمَعُ مَا لاَ تَسْمَعُونَ أَطَّتِ السَّمَاءُ وَحُقَّ لَهَا أَنْ تَئِطَّ مَا فِيهَا مَوْضِعُ أَرْبَعِ أَصَابِعَ إِلاَّ وَمَلَكٌ وَاضِعٌ جَبْهَتَهُ سَاجِدًا لِلَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا وَمَا تَلَذَّذْتُمْ بِالنِّسَاءِ عَلَى الْفُرُشِ وَلَخَرَجْتُمْ إِلَى الصُّعُدَاتِ تَجْأَرُونَ إِلَى اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ لَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ شَجَرَةً تُعْضَدُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَيُرْوَى مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ أَنَّ أَبَا ذَرٍّ قَالَ لَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ شَجَرَةً تُعْضَدُ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি (অদৃশ্য জগতের) যা দেখি তোমরা তা দেখ না, আর আমি যা শুনতে পাই তোমরা তা শুনতে পাও না। আসমান তো চড়চড় শব্দ করছে, আর সে এই শব্দ করার যোগ্য। তাতে এমন চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গাও নেই যেখানে কোন ফেরেশতা আল্লাহ্‌ তা’আলার জন্যে অবনত মস্তকে সাজদায় পড়ে না আছে। আল্লাহ্‌র শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা খুব কমই হাসতে, বেশি কাঁদতে এবং বিছানায় স্ত্রীদের উপভোগ করতে না, বাড়ী-ঘর ছেড়ে পথে-প্রান্তরে বেরিয়ে পড়তে, আল্লাহ্‌ তা’আলার সামনে কাকুতি-মিনতি করতে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মন চায় আমি যদি একটি বৃক্ষ হতাম আর তা কেটে ফেলা হতো। “আমার মন চায়….” অংশ ব্যতীত হাদীসটি হাসান,

ইবনু মা-জাহ (৪১৯০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা, আইশা, ইবনু আব্বাস ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। অপর একটি সূত্রে বর্ণিত আছে যে, আবূ যার (রাঃ) বলেন, আমার আকাঙক্ষা যে, “আমি যদি একটি গাছ হতাম যা কেটে ফেলা হতো”। আবূ যার (রাঃ) হতে এ হাদীসটি মাওকূফ হিসাবেও বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৩১৩

حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلاَّسُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا ‏”‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে, তাহলে খুব অল্পই হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।

সহীহ্‌ , ফিকহুস সীরাহ্‌ (৪৭৯), বুখারী, মুসলিম আনাস (রাঃ) হতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা, আইশা, ইবনু আব্বাস ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অনুচ্ছেদঃ

কেউ যদি লোকদের হাসানোর উদ্দেশ্যে কোন কথা বলে

২৩১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ لاَ يَرَى بِهَا بَأْسًا يَهْوِي بِهَا سَبْعِينَ خَرِيفًا فِي النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক এমন কথাও বলে যে প্রসঙ্গে সে মনে করে যে, তাতে কোন অসুবিধা নেই, এইজন্য সে সত্তর বছর জাহান্নামে অবস্থান করবে।

হাসান সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৩৯৭০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৩১৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ بِالْحَدِيثِ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ فَيَكْذِبُ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

বাহ্‌য ইবনু হাকীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তার দাদা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি : সেই লোক ধ্বংস হোক যে মানুষদের হাসানোর উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে। সে নিপাত যাক, সে নিপাত যাক।

হাসান , গাইয়াতুল মারাম (৩৭৬), মিশকাত, তাহকীক ছানী (৪৮৩৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১১. অনুচ্ছেদঃ

অনর্থক কথা বলা

২৩১৬

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَاَ عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ تُوُفِّيَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ يَعْنِي رَجُلٌ أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَوَلاَ تَدْرِي فَلَعَلَّهُ تَكَلَّمَ فِيمَا لاَ يَعْنِيهِ أَوْ بَخِلَ بِمَا لاَ يَنْقُصُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক সাহাবী মারা গেলে এক ব্যক্তি বলল, জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তো জান না, হয়ত সে বেহুদা কথা বলেছে অথবা যা দান করলে তার কোন ক্ষতি হত না তাতেও সে কৃপণতা করেছে?

যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (৪/১১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩১৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَمَاعَةَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قُرَّةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مِنْ حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لاَ يَعْنِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অনর্থক আচরণ ত্যাগ করা।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৩৯৭৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র আবূ সালামা হতে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে এটি জেনেছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩১৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ مِنْ حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ تَرْكَهُ مَا لاَ يَعْنِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ مُرْسَلاً وَهَذَا عِنْدَنَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَعَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ ‏.‏

আলী (যাইনুল আবিদীন) ইবনুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অর্থহীন কথা বা কাজ ত্যাগ করা।

পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ্‌।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, উক্ত হাদীস যুহরীর একাধিক শিষ্য যুহরী হতে, তিনি আলী ইবনুল হুসাইন হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে মালিকের রিওয়ায়াতের অনুরূপ মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মতে এটিই আবূ সালামা-আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রের চাইতে অনেক বেশি সহীহ্‌। আলী ইবনুল হুসাইন (রাঃ) আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)-এর দেখা পাননি (তার যুগ পাননি)।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অনুচ্ছেদঃ

স্বল্পভাষী হওয়া

২৩১৯

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ سَمِعْتُ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ، صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو نَحْوَ هَذَا قَالُوا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ ‏.‏ وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِيهِ عَنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ جَدِّهِ ‏.‏

বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুযানী (রাঃ) নামীয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কখনো আল্লাহ্‌ তা’আলার সন্তুষ্টির কথা বলে, যার সম্পর্কে সে ধারণাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌছবে, অথচ আল্লাহ্‌ তা’আলা তার এ কথার কারণে তাঁর সাথে মিলিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তার জন্য স্বীয় সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কখনো আল্লাহ্‌ তা’আলার অসন্তুষ্টির কথা বলে, যার সম্পর্কে সে চিন্তাও করে না যে, তা কোন পর্যন্ত গিয়ে পৌছবে। অথচ এ কথার কারণে আল্লাহ্‌ তা’আলা তার সাথে মিলিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৩৯৬৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। মুহাম্মাদ ইবনু আমরের সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তারা মুহাম্মাদ ইবনু আমর-তার বাবা-তার দাদা-বিলাল ইবনুল হারিস (রাহঃ)-এর সূত্রের উল্লেখ করেছেন। এ হাদীসটি মালিক (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবনু আমর-তার বাবা-বিলাল ইবনুল হারিস (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তার দাদার কথা তাতে উল্লেখ করেননি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩. অনুচ্ছেদঃ

আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট পৃথিবীর মূল্যহীনতা ও তুচ্ছতা

২৩২০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَوْ كَانَتِ الدُّنْيَا تَعْدِلُ عِنْدَ اللَّهِ جَنَاحَ بَعُوضَةٍ مَا سَقَى كَافِرًا مِنْهَا شَرْبَةَ مَاءٍ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট যদি এই পৃথিবীর মূল্য মশার একটি পাখার সমানো হত তাহলে তিনি কোন কাফিরকে এখানকার পানির এক ঢোকও পান করাতেন না।

সহীহ্‌ , সহীহাহ্‌ (৯৪০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি সহীহ্‌ এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩২১

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ الرَّكْبِ الَّذِينَ وَقَفُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّخْلَةِ الْمَيِّتَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَتَرَوْنَ هَذِهِ هَانَتْ عَلَى أَهْلِهَا حِينَ أَلْقَوْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا مِنْ هَوَانِهَا أَلْقَوْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَالدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ عَلَى أَهْلِهَا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْمُسْتَوْرِدِ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

মুসতাওরিদ ইবনু শাদ্দাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আরোহীদলের সাথে ছিলাম, যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে একটি মৃত ছাগল ছানার পাশে এসে দাঁড়ান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি মনে কর, তার মনিবের নিকট এটা নিকৃষ্ট ও মূল্যহীন হওয়ায় সে তা নিক্ষেপ করেছে? তারা বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এটা মূল্যহীন হওয়ার কারণে তারা ফেলে দিয়েছে। তিনি বললেনঃ তার মনিবের নিকট এটা যতটুকু মূল্যহীন, আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট পৃথিবীটা এর চেয়েও অধিক মূল্যহীন ও নিকৃষ্ট।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১১১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, জাবির ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। মুস্‌তাওরিদ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪. অনুচ্ছেদঃ

দুনিয়া অভিশপ্ত

২৩২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْمُكْتِبُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ قُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ ضَمْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ أَلاَ إِنَّ الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلاَّ ذِكْرَ اللَّهِ وَمَا وَالاَهُ وَعَالِمًا أَوْ مُتَعَلِّمًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : দুনিয়া ও তার মাঝের সকলকিছুই অভিশপ্ত, কিন্তু আল্লাহ্‌ তা’আলার যিকির ও তার সাথে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য আমল, আলিম ও ইলম অন্বেষণকারী এর ব্যতিক্রম।

হাসান , ইবনু মা-জাহ (৪১১২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অনুচ্ছেদঃ

একই বিষয়

২৩২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُسْتَوْرِدًا، أَخَا بَنِي فِهْرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا الدُّنْيَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ مِثْلُ مَا يَجْعَلُ أَحَدُكُمْ إِصْبَعَهُ فِي الْيَمِّ فَلْيَنْظُرْ بِمَاذَا يَرْجِعُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ يُكْنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ وَوَالِدُ قَيْسٍ أَبُو حَازِمٍ اسْمُهُ عَبْدُ بْنُ عَوْفٍ وَهُوَ مِنَ الصَّحَابَةِ ‏.‏

বানূ ফিহ্‌রের মুসতাওরিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া আখিরাতের তুলনায় এতটুকু, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রের পানিতে তার একটি আঙ্গুল ডুবিয়ে তুলে আনল। সে দেখুক তার আঙ্গুল কতটুকু পানি নিয়ে ফিরেছে।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১০৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদের উপনাম আবূ আবদুল্লাহ। কাইসের পিতা আবূ হাযিম, তার নাম আব্‌দ ইবনু আওফ, তিনি সাহাবী।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অনুচ্ছেদঃ

দুনিয়া মু’মিনদের জন্য কারাগার এবং কাফিরদের জন্য জান্নাত

২৩২৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া (পার্থিব জীবন) মু’মিনদের জন্য কারাগারস্বরূপ এবং কাফিরদের জন্য জান্নাতস্বরূপ।

সহীহ্‌ , মুসলিম (৮/২১০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭. অনুচ্ছেদঃ

দুনিয়ার দৃষ্টান্ত চারজন লোকের অনুরূপ

২৩২৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ خَبَّابٍ، عَنْ سَعِيدٍ الطَّائِيِّ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو كَبْشَةَ الأَنْمَارِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً فَصَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللَّهُ عِزًّا وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ قَالَ ‏”‏ إِنَّمَا الدُّنْيَا لأَرْبَعَةِ نَفَرٍ عَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَفْضَلِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلاَ يَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَخْبَثِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللَّهُ مَالاً وَلاَ عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ কাবশা আল-আনমারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন : আমি তিনটি বিষয়ে শপথ করছি এবং সেগুলোর ব্যাপারে তোমাদেরকে বলছি। তোমরা এগুলো মনে রাখবে। তিনি বলেন, দান-খাইরাত করলে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোন বান্দার উপর যুলুম করা হলে এবং সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ্‌ তা’আলা অবশ্যই তার সম্মান বাড়িয়ে দেন। কোন বান্দাহ ভিক্ষার দরজা খুললে অবশ্যই আল্লাহ্‌ তা’আলাও তার অভাবের দরজা খুলে দেন অথবা তিনি অনুরূপ কথা বলেছেন। আমি তোমাদেরকে একটি কথা বলছি, তোমরা তা মুখস্থ রাখবে। তারপর তিনি বলেনঃ চার প্রকার মানুষের জন্য এই পৃথিবী। আল্লাহ্‌ তা’আলা যে বান্দাহকে ধন-সম্পদ ও ইল্‌ম (জ্ঞান) দিয়েছেন, আর সে এই ক্ষেত্রে তার প্রভুকে ভয় করে, এর সাহায্যে আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করে এবং এতে আল্লাহ্‌ তা’আলারও হক আছে বলে সে জানে, সেই বান্দার মর্যাদা সর্বোচ্চ। আরেক বান্দাহ, যাকে আল্লাহ্‌ তা’আলা ইল্‌ম দিয়েছেন কিন্তু ধন-সম্পদ দেননি সে সৎ নিয়্যাতের (সংকল্পের) অধিকারী। সে বলে, আমার ধন-সম্পদ থাকলে আমি অমুক অমুক ভালো কাজ করতাম। এই ধরনের লোকের মর্যাদা তার নিয়্যাত মুতাবিক নির্ধারিত হবে। এ দুজনেরই সাওয়াব সমান সমান হবে। আরেক বান্দাহ, আল্লাহ্‌ তা’আলা তাকে ধন-সম্পদ প্রদান করেছেন কিন্তু ইল্‌ম দান করেননি। আর সে ইল্‌মহীন (জ্ঞানহীন) হওয়ার কারণে তার সম্পদ স্বীয় প্রবৃত্তির চাহিদা মতো ব্যয় করে। সে ব্যক্তি এ বিষয়ে তার রবকেও ভয় করে না এবং আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহারও করে না। আর এতে যে আল্লাহ্‌ তা’আলার হক রয়েছে তাও সে জানে না। এই লোক সর্বাধিক নিকৃষ্ট স্তরের লোক। অপর এক বান্দাহ, যাকে আল্লাহ্‌ তা’আলা ধন-সম্পদও দান করেননি, ইল্‌মও দান করেননি। সে বলে, আমার যদি ধন-সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুক অমুক ব্যক্তির ন্যায় (প্রবৃত্তির বাসনামতো) কাজ করতাম। তার নিয়্যাত মুতাবিক তার স্থান নির্ধারিত হবে। অতএব, এদের দুজনের পাপ হবে সমান সমান।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪২২৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮. অনুচ্ছেদঃ

দুনিয়ার চিন্তা ও পার্থিব মোহ

২৩২৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَشِيرٍ أَبِي إِسْمَاعِيلَ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ نَزَلَتْ بِهِ فَاقَةٌ فَأَنْزَلَهَا بِالنَّاسِ لَمْ تُسَدَّ فَاقَتُهُ وَمَنْ نَزَلَتْ بِهِ فَاقَةٌ فَأَنْزَلَهَا بِاللَّهِ فَيُوشِكُ اللَّهُ لَهُ بِرِزْقٍ عَاجِلٍ أَوْ آجِلٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি অভাব-অনটনে পড়ে তা মানুষের নিকট উপস্থাপন করে তাহলে তার অভাব-অনটন দূর হবে না। আর যে ব্যক্তি অভাব-অনটনে পড়ে তা আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট উপস্থাপন করে তবে অবশ্যই আল্লাহ্‌ তা’আলা তাকে দ্রুত অথবা বিলম্বে রিযিক দান করেন।

তাকে দ্রুত মৃত্যু দেন অথবা দ্রুত ধনশালী করেন এই অর্থে হাদীসটি সহীহ্‌ , সহীহ্‌ আবূ দাঊদ (১৪৫২), সহীহাহ্‌ (২৭৮৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯. অনুচ্ছেদঃ

একজন খাদিম ও একটি পরিবহনই যথেষ্ট

২৩২৭

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ جَاءَ مُعَاوِيَةُ إِلَى أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ وَهُوَ مَرِيضٌ يَعُودُهُ فَقَالَ يَا خَالُ مَا يُبْكِيكَ أَوَجَعٌ يُشْئِزُكَ أَمْ حِرْصٌ عَلَى الدُّنْيَا قَالَ كُلٌّ لاَ وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَهِدَ إِلَىَّ عَهْدًا لَمْ آخُذْ بِهِ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا يَكْفِيكَ مِنْ جَمْعِ الْمَالِ خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ وَأَجِدُنِي الْيَوْمَ قَدْ جَمَعْتُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى زَائِدَةُ وَعَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ سَهْمٍ قَالَ دَخَلَ مُعَاوِيَةُ عَلَى أَبِي هَاشِمٍ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন একদিন রোগাক্রান্ত আবূ হাশিম ইবনু উতবাকে মু’আবিয়া (রাঃ) দেখতে আসেন। তাকে তিনি প্রশ্ন করেন, হে মামা! আপনি কেন কাঁদছেন? রোগযাতনা আপনাকে অস্থির করে তুলেছে, নাকি দুনিয়ার লোভ? তিনি বললেন, এ দুটির কোনটিই নয়। (বরং আমার কান্নার কারণ এই যে,) আমার কাছ থেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি ওয়াদা নিয়েছিলেন, কিন্তু আমি তা বাস্তবায়িত করতে পারিনি। তিনি বলেছিলেন, সম্পদের ক্ষেত্রে একটি খাদিম ও আল্লাহ্ তা’আলার পথে (যুদ্ধ করার) একটি জন্তুযান, এতটুকুই তোমার জন্য যথেষ্ট। অথচ আমি এখন দেখতে পাচ্ছি যে, আমি অনেক সম্পদ জমা করে ফেলেছি।

যাইদা ও উবাইদাহ্‌ ইবনু হুমাইদ এই হাদীসটি মানসূর হতে, তিনি আবূ ওয়াইল হতে, তিনি সামুরা ইবনু সাহম (রাহঃ)-এর সূত্রে একইরকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে বুরাইদা আল-আসলামী (রাঃ) হতেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণিত আছে।

হাসান , ইবনু মা-জাহ (৪১০৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২০. অনুচ্ছেদঃ

সম্পদ দুনিয়ামুখী করে

২৩২৮

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ سَعْدِ بْنِ الأَخْرَمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَتَّخِذُوا الضَّيْعَةَ فَتَرْغَبُوا فِي الدُّنْيَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (অযাচিত) পার্থিব সম্পদ গ্রহণ করো না। কেননা, এর দ্বারা তোমরা দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে।

সহীহ্‌ , সহীহাহ্‌ (১২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১. অনুচ্ছেদঃ

ঈমানদারের দীর্ঘায়ু

২৩২৯

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ خَيْرُ النَّاسِ قَالَ ‏ “‏ مَنْ طَالَ عُمُرُهُ وَحَسُنَ عَمَلُهُ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু বুস্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন এক গ্রাম্য লোক প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে? তিনি বললেনঃ যে দীর্ঘ জীবন লাভ করেছে এবং তার কর্মকান্ড সুন্দর হয়েছে।

সহীহ্‌ , সহীহাহ্ (১৮৩৬), মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫২৮৫), আর রাওয (৯২৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা ও জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং এই সনদে গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২. অনুচ্ছেদঃ

দীর্ঘ জীবন ও সুন্দর আমলের অধিকারী ব্যক্তি সর্বোত্তম

২৩৩০

حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ النَّاسِ خَيْرٌ قَالَ ‏”‏ مَنْ طَالَ عُمُرُهُ وَحَسُنَ عَمَلُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَىُّ النَّاسِ شَرٌّ قَالَ ‏”‏ مَنْ طَالَ عُمُرُهُ وَسَاءَ عَمَلُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! উত্তম ব্যক্তি কে? তিনি বললেনঃ যে দীর্ঘ জীবন পেয়েছে এবং তার আমল সুন্দর হয়েছে। সে আবার প্রশ্ন করল, মানুষের মধ্যে কে নিকৃষ্ট? তিনি বললেনঃ যে দীর্ঘ জীবন পেয়েছে এবং তার আমল খারাপ হয়েছে।

পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ্‌।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩. অনুচ্ছেদঃ

এ উম্মাতের গড় আয়ু ষাট ও সত্তরের মাঝামাঝি হবে

২৩৩১

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ كَامِلٍ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ عُمُرُ أُمَّتِي مِنْ سِتِّينَ سَنَةً إِلَى سَبْعِينَ سَنَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের (গড়) আয়ু ষাট হতে সত্তর বছর হবে।

আমার উম্মাতের বয়স ষাট ও সত্তরের মাঝামাঝি এই অর্থে হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ ৩৩১৩ নং পরবর্তীতে বর্ণনা আসবে। ইবনু মা-জাহ (৪২৩৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং আবূ সালিহ্‌-আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে গারীব। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে একাধিক সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৪. অনুচ্ছেদঃ

যামানা নিকটবর্তী হয়ে যাবে এবং আশা-আকাঙক্ষা হ্রাস পাবে

২৩৩২

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَقَارَبَ الزَّمَانُ فَتَكُونُ السَّنَةُ كَالشَّهْرِ وَالشَّهْرُ كَالْجُمُعَةِ وَتَكُونُ الْجُمُعَةُ كَالْيَوْمِ وَيَكُونُ الْيَوْمُ كَالسَّاعَةِ وَتَكُونُ السَّاعَةُ كَالضَّرْمَةِ بِالنَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَسَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ هُوَ أَخُو يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যামানা পরস্পর নিকটবর্তী (সংকীর্ণ) না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হবে না। তখন একবছর হবে একমাসের মতো, একমাস হবে এক সপ্তাহের মতো, এক সপ্তাহ হবে একদিনের মতো, একদিন হবে এক ঘন্টার মত এবং এক ঘন্টা হবে প্রজ্বলিত আগুনের একটি স্ফুলিংগের মতো।

সহীহ্‌ , মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫৪৪৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি এই সূত্রে গারীব। সা’দ ইবনু সাঈদ হলেন ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সাঈদের ভাই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫. অনুচ্ছেদঃ

পার্থিব আশা-আকাঙ্ক্ষা কম করা

২৩৩৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنْكَبِي فَقَالَ ‏”‏ كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ أَوْ عَابِرُ سَبِيلٍ وَعُدَّ نَفْسَكَ فِي أَهْلِ الْقُبُورِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لِي ابْنُ عُمَرَ إِذَا أَصْبَحْتَ فَلاَ تُحَدِّثْ نَفْسَكَ بِالْمَسَاءِ وَإِذَا أَمْسَيْتَ فَلاَ تُحَدِّثْ نَفْسَكَ بِالصَّبَاحِ وَخُذْ مِنْ صِحَّتِكَ قَبْلَ سَقَمِكَ وَمِنْ حَيَاتِكَ قَبْلَ مَوْتِكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي يَا عَبْدَ اللَّهِ مَا اسْمُكَ غَدًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الأَعْمَشُ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার শরীর স্পর্শ করে বললেনঃ পৃথিবীতে এমনভাবে দিনযাপন কর, যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী মুসাফির। তুমি নিজেকে কবরবাসীদের অন্তর্ভূক্ত মনে কর। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) আমাকে বললেনঃ তুমি সকালে উপনীত হয়ে বিকালের জন্য নিজেকে অস্তিত্ববান মনে করো না এবং বিকালে উপনীত হয়ে সকালের জন্য নিজেকে অস্তিত্ববান মনে করো না। অসুস্থ হওয়ার পূর্বে তোমার সুস্থতার এবং মৃত্যুর পূর্বে তোমার জীবনের সুযোগকে কাজে লাগাও। কেননা, হে আল্লাহ্‌র বান্দা! তুমি তো জান না, আগামীকাল তুমি কি নামে অভিহিত হবে।

সহীহ্‌ , সহীহাহ্‌ (১১৫৭), বুখারী।

“তুমি নিজেকে কবরবাসী মনে কর এবং তুমি তো জাননা” এই অংশ ব্যতীত।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আমাশ-মুজাহিদ হতে, তিনি ইবনু উমার (রাঃ)-এর সূত্রে এই হাদীসটি একইরকম বর্ণনা করেছেন। আহ্‌মাদ ইবনু আবদা আয-যাব্বী-বাসরী-হাম্মাদ ইবনু যাইদ হতে, তিনি লাইস হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতো বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৩৪

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَذَا ابْنُ آدَمَ وَهَذَا أَجَلُهُ ‏”‏ ‏.‏ وَوَضَعَ يَدَهُ عِنْدَ قَفَاهُ ثُمَّ بَسَطَهَا فَقَالَ ‏”‏ وَثَمَّ أَمَلُهُ وَثَمَّ أَمَلُهُ وَثَمَّ أَمَلُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত ঘাড়ের পিছনে স্থাপন করলেন, তারপর তা প্রসারিত করে বললেনঃ এই হলো আদম সন্তান, আর এটা হলো তার আয়ু। তিনি তারপর তিনবার বললেনঃ আর এই হলো তার আশা-আকাঙ্ক্ষা।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪২৩২), বুখারী অনুরূপ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৩৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي السَّفَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ مَرَّ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نُعَالِجُ خُصًّا لَنَا فَقَالَ ‏”‏ مَا هَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا قَدْ وَهَى فَنَحْنُ نُصْلِحُهُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا أُرَى الأَمْرَ إِلاَّ أَعْجَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو السَّفَرِ اسْمُهُ سَعِيدُ بْنُ يُحْمِدَ وَيُقَالُ ابْنُ أَحْمَدَ الثَّوْرِيُّ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা তখন আমাদের একটি কুঁড়েঘর মেরামত করছিলাম। তিনি প্রশ্ন করলেন, এটা কি করছ? আমরা বললাম, এটা নড়বড়ে হয়ে গেছে, তা ঠিকঠাক করছি। তিনি বললেনঃ আমি তো দেখতে পাচ্ছি সেই ব্যাপারটি (মৃত্যু) এর চেয়েও দ্রুত এসে যাচ্ছে।

সহীহ্‌ , মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫২৭৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। আবুস সাফারের নাম সাঈদ ইবনু ইউহমিদ, তিনি ইবনু আহ্‌মাদ আস-সাওরী বলেও কথিত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬. অনুচ্ছেদঃ

এই উম্মাতের লোক ধন-সম্পদের পরীক্ষায় নিপতিত হবে

২৩৩৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرِ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عِيَاضٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ لِكُلِّ أُمَّةٍ فِتْنَةً وَفِتْنَةُ أُمَّتِي الْمَالُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ ‏.‏

কা’ব ইবনু ইয়ায (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : প্রত্যেক উম্মাতের জন্য কোন না কোন ফিত্‌না রয়েছে। আর আমার উম্মাতের ফিত্‌না হলো ধন-সম্পদ।

সহীহ্‌ , সহীহাহ্‌ (৫৯৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র মু’আবিয়া ইবনু সালিহ (রাহঃ)-এর সূত্রে জেনেছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭. অনুচ্ছেদঃ

কারো নিকট দুই উপত্যকা পরিমাণ সম্পদ থাকলেও সে তৃতীয়টি কামনা করবে

২৩৩৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَوْ كَانَ لاِبْنِ آدَمَ وَادِيًا مِنْ ذَهَبٍ لأَحَبَّ أَنْ يَكُونَ لَهُ ثَانِيًا وَلاَ يَمْلأُ فَاهُ إِلاَّ التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ تَابَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ الزُّبَيْرِ وَأَبِي وَاقِدٍ وَجَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন আদম-সন্তানের অধীনে যদি দুই উপত্যকা ভর্তি স্বর্ণ থাকে তবুও সে তৃতীয় একটি স্বর্ণভর্তি উপত্যকা অর্জনের ইচ্ছা করবে। মাটি ব্যতীত অন্য কিছুই তার মুখ ভর্তি করতে পারবে না। যে লোক ত্বাওবাহ করে আল্লাহ্‌ তা’আলা তার ত্বাওবাহ ক্ববূল করেন।

সহীহ্‌ , তাখরীজ মুশকিলাতুল ফাকরি (১৪), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

উবাই ইবনু কা’ব, আবূ সাঈদ, আইশা, ইবনুয যুবাইর, আবূ ওয়াকিদ, জাবির, ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ এবং এই সূত্রে গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮. অনুচ্ছেদঃ

দুটি বস্তুর কামনায় বৃদ্ধের অন্তরও যুবকে পরিণত হয়

২৩৩৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ قَلْبُ الشَّيْخِ شَابٌّ عَلَى حُبِّ اثْنَتَيْنِ طُولُ الْحَيَاةِ وَكَثْرَةُ الْمَالِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুটি বস্তুর কামনায় বৃদ্ধের অন্তরও যুবক থাকে : দীর্ঘ জীবন ও সম্পদের প্রাচুর্য।

হাসান সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪২৩৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৩৩৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَهْرَمُ ابْنُ آدَمَ وَيَشِبُّ مِنْهُ اثْنَتَانِ الْحِرْصُ عَلَى الْعُمُرِ وَالْحِرْصُ عَلَى الْمَالِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আদম সন্তান বৃদ্ধ হয়ে যায়; কিন্তু দুটি ব্যাপারে যুবকই থাকে : বেঁচে থাকার লোভ এবং সম্পদের মোহ।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯. অনুচ্ছেদঃ

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি

২৩৪০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ حَلْبَسٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا لَيْسَتْ بِتَحْرِيمِ الْحَلاَلِ وَلاَ إِضَاعَةِ الْمَالِ وَلَكِنَّ الزَّهَادَةَ فِي الدُّنْيَا أَنْ لاَ تَكُونَ بِمَا فِي يَدَيْكَ أَوْثَقَ مِمَّا فِي يَدَىِ اللَّهِ وَأَنْ تَكُونَ فِي ثَوَابِ الْمُصِيبَةِ إِذَا أَنْتَ أُصِبْتَ بِهَا أَرْغَبَ فِيهَا لَوْ أَنَّهَا أُبْقِيَتْ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَأَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ اسْمُهُ عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَعَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: হালাল বস্তুকে হারাম করে নেয়া এবং ধন-সম্পদ ধ্বংস করার নাম দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি (যুহ্‌দ) নয়, বরং দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি হল: আল্লাহ্‌ তা‘আলার নিকটে যা আছে তার চাইতে তোমার হাতে যা আছে তার উপর বেশী নির্ভরশীল না হওয়া এবং তুমি কোন বিপদে পড়লে তার বিনিময়ে সাওয়াবের আশার তুলনায় বিপদে না পড়াটা তোমার নিকট অধিকতর কাঙ্ক্ষিত না হওয়া।

খুবই দুর্বল, ইবনু মাজাহ (৪১০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সনদেই হাদীসটি জেনেছি। আবূ ইদরীস আল-খাওলানীর নাম আয়িযুল্লাহ, পিতা আব্দুল্লাহ। আমর ইবনু ওয়াকিদ একজন প্রত্যাখ্যাত রাবী।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৩০. অনুচ্ছেদঃ

বাসস্থান, বস্ত্র, খাদ্য ও পানীয়ের অধিকার

২৩৪১

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا حُرَيْثُ بْنُ السَّائِبِ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُولُ حَدَّثَنِي حُمْرَانُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَيْسَ لاِبْنِ آدَمَ حَقٌّ فِي سِوَى هَذِهِ الْخِصَالِ بَيْتٌ يَسْكُنُهُ وَثَوْبٌ يُوَارِي عَوْرَتَهُ وَجِلْفُ الْخُبْزِ وَالْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ حَدِيثُ الْحُرَيْثِ بْنِ السَّائِبِ ‏.‏ وَسَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ سُلَيْمَانَ بْنَ سَلْمٍ الْبَلْخِيَّ يَقُولُ قَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ جِلْفُ الْخُبْزِ يَعْنِي لَيْسَ مَعَهُ إِدَامٌ ‏.‏

উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: মানুষের জন্য এই কয়টি বস্তু ছাড়া আর কোন অধিকার নেই: তার বসবাসের জন্য একটি ঘর ও লজ্জা নিবারণের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় এবং এক টুকরা রুটি ও পানি।

যঈফ, যঈফা (১০৬৩), না কদুল কাত্তানী (পৃঃ ২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি হল আল-হুরাইস ইবনুস সায়িবের রিওয়ায়াত। (তিনি আরও বলেন) আমি আবূ দাঊদ সুলাইমান ইবনু সালম আল-বালখীকে বলতে শুনেছি, আন-নাযর ইবনু শুমাইল বলেন, ‘জিলফুল খুব্‌য’ এমন রুটি যার সাথে তরকারী নেই।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩১. অনুচ্ছেদঃ

দান-খাইরাত ও ভোগ-ব্যবহারকৃত সম্পদ

২৩৪২

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ ‏:‏ ‏(‏أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ ‏)‏ قَالَ ‏”‏ يَقُولُ ابْنُ آدَمَ مَالِي مَالِي وَهَلْ لَكَ مِنْ مَالِكَ إِلاَّ مَا تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ أَوْ أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

মুতাররিফ (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলেন। তখন তিনি বলছিলেন : “সম্পদের প্রাচুর্যের মোহ তোমাদেরকে (আল্লাহ্‌ তা’আলা হতে) উদাসীন করে ফেলেছে” (সুরা : তাকাসুর-১)। তিনি আরো বললেনঃ মানুষ বলে, আমার মাল, আমার সম্পদ। কিন্তু তুমি দান-খাইরাত করে যা (আল্লাহ্ তা’আলার খাতায়) জমা রেখেছ, খেয়ে যা শেষ করেছ এবং পরিধান করে যা পুরানো করেছ এগুলো ব্যতীত তোমার সম্পদ বলতে আর কিছু নেই।

সহীহ্‌ , মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২. অনুচ্ছেদঃ

গ্রহীতার হাত হতে দাতার হাত উত্তম

২৩৪৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، – هُوَ الْيَمَامِيُّ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ إِنْ تَبْذُلِ الْفَضْلَ خَيْرٌ لَكَ وَإِنْ تُمْسِكْهُ شَرٌّ لَكَ وَلاَ تُلاَمُ عَلَى كَفَافٍ وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَشَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُكْنَى أَبَا عَمَّارٍ ‏.‏

আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আদম সন্তান! তোমার প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ যদি তুমি (সৎকাজে) খরচ করে ফেল তাহলে তা তোমার জন্য কল্যাণকর। কিন্তু তুমি যদি তা গচ্ছিত রাখ তাহলে তা তোমার জন্য অকল্যাণকর। তোমার প্রয়োজন পরিমান সম্পদ জমা রাখলে তাতে কোন দোষারোপ করা হবে না। আর তোমার পোষ্যদের হতেই (দান-খাইরাত) আরম্ভ কর। নীচের হাত হতে উপরের হাত উত্তম।

সহীহ্‌ , ইরওয়া (৩/৩১৮), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। শাদ্দাদ ইবনু আবদুল্লাহ্র উপনাম আবূ আম্মার।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩. অনুচ্ছেদঃ

আল্লাহ্ তা’আলার উপর পুরোপরি নির্ভরশীল হওয়া

২৩৪৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَوْ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَوَكَّلُونَ عَلَى اللَّهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرُزِقْتُمْ كَمَا تُرْزَقُ الطَّيْرُ تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَأَبُو تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَالِكٍ ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যদি প্রকৃতভাবেই আল্লাহ্ তা’আলার উপর নির্ভরশীল হতে তাহলে পাখিদের যেভাবে রিযিক দেয়া হয় সেভাবে তোমাদেরকেও রিযিক দেয়া হতো। এরা সকালবেলা খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যা বেলায় ভরা পেটে ফিরে আসে।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১৬৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। আমরা এই হাদীসটি শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই জেনেছি। আবূ তামীম আল-জাইশানীর নাম আবদুল্লাহ ইবনু মালিক।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ أَخَوَانِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ أَحَدُهُمَا يَأْتِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَالآخَرُ يَحْتَرِفُ فَشَكَا الْمُحْتَرِفُ أَخَاهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ لَعَلَّكَ تُرْزَقُ بِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে দুই ভাই ছিল। তাদের একজন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরবারে উপস্থিত থাকত এবং অন্যজন আয়-উপার্জনে লিপ্ত থাকত। কোন একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সেই উপার্জনকারী ভাই তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করল। তিনি তাকে বললেনঃ হয়তো তার ওয়াসীলায় তুমি রিযিকপ্রাপ্ত হচ্ছ।

সহীহ্‌ , মিশকাত (৫৩০৮), সহীহাহ্ (২৭৬৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪. অনুচ্ছেদঃ

যে ব্যক্তি সপরিবারে নিরাপদে ভোরে উপনীত হয়

২৩৪৬

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَالِكٍ وَمَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ الْبَغْدَادِيُّ قَالَا حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي شُمَيْلَةَ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِحْصَنٍ الْخَطْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَصْبَحَ مِنْكُمْ آمِنًا فِي سِرْبِهِ مُعَافًى فِي جَسَدِهِ عِنْدَهُ قُوتُ يَوْمِهِ فَكَأَنَّمَا حِيزَتْ لَهُ الدُّنْيَا قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَحِيزَتْ جُمِعَتْ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ نَحْوَهُ وَفِي الْبَاب عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ

উবাইদুল্লাহ ইবনু মিহসান আল-খিত্মী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে লোক পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদে সকালে উপনীত হয়, সুস্থ শরীরে দিনাতিপাত করে এবং তার নিকট সারা দিনের খোরাকী থাকে তবে তার জন্য যেন গোটা দুনিয়াটাই একত্র করা হলো।

হাসান , ইবনু মা-জাহ (৪১৪১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র মারওয়ান ইবনু মু’আবিয়ার সূত্রেই জেনেছি। ‘হীযাত’ অর্থ ‘একত্র করা হলো’। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল-হুমাইদী হতে, তিনি মারওয়ান ইবনু মু’আবিয়া হতে উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবুদ দারদা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫. অনুচ্ছেদঃ

প্রয়োজনের ন্যূনতম পরিমাণে সন্তুষ্ট থাকা এবং ধৈর্য ধারণ করা

২৩৪৭

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ أَغْبَطَ أَوْلِيَائِي عِنْدِي لَمُؤْمِنٌ خَفِيفُ الْحَاذِ ذُو حَظٍّ مِنَ الصَّلاَةِ أَحْسَنَ عِبَادَةَ رَبِّهِ وَأَطَاعَهُ فِي السِّرِّ وَكَانَ غَامِضًا فِي النَّاسِ لاَ يُشَارُ إِلَيْهِ بِالأَصَابِعِ وَكَانَ رِزْقُهُ كَفَافًا فَصَبَرَ عَلَى ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ نَفَضَ بِيَدِهِ فَقَالَ ‏”‏ عُجِّلَتْ مَنِيَّتُهُ قَلَّتْ بَوَاكِيهِ قَلَّ تُرَاثُهُ ‏”‏ ‏.‏

وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ عَرَضَ عَلَىَّ رَبِّي لِيَجْعَلَ لِي بَطْحَاءَ مَكَّةَ ذَهَبًا قُلْتُ لاَ يَا رَبِّ وَلَكِنْ أَشْبَعُ يَوْمًا وَأَجُوعُ يَوْمًا أَوْ قَالَ ثَلاَثًا أَوْ نَحْوَ هَذَا فَإِذَا جُعْتُ تَضَرَّعْتُ إِلَيْكَ وَذَكَرْتُكَ وَإِذَا شَبِعْتُ شَكَرْتُكَ وَحَمِدْتُكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ ‏.‏ وَالْقَاسِمُ هَذَا هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ شَامِيٌّ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ ضَعِيفُ الْحَدِيثِ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ الْمَلِكِ ‏.‏

আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ঈর্ষনীয় হল সেই মু’মিন ব্যক্তি যার অবস্থা খুবই হালকা (স্বল্প সম্পদ এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যাও কম) এবং যে নামাযে মনোযোগী, সুচারুরূপে তার প্রভুর ইবাদাত করে, একান্ত নিভৃতেও তাঁর অনুগত থাকে, মানুষের মাঝে অখ্যাত, তার দিকে অংগুলি সংকেত করা হয় না, আর ন্যূনতম প্রয়োজন মাফিক তার রিযিক এবং তাতেই ধৈর্য ধারণকারী। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দুই হাতের ইংগিতে বলেনঃ শীঘ্রই তার মৃত্যু হয়, তার জন্য ক্রন্দনকারীর সংখ্যাও কম, তার রেখে যাওয়া সম্পদও খুব সামান্য।

যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫১৮৯),

একই সনদসূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার রব আমার নিকট মক্কার বাতহা অর্থাৎ কংকরময় এলাকা আমার জন্য স্বর্ণে পরিণত করার প্রস্তাব করেন। আমি বললাম, হে আমার রব! প্রয়োজন নেই, বরং আমি একদিন তৃপ্তির সাথে খাবো আর একদিন ক্ষুধার্ত থাকব। একই কথা তিনি তিনবার বা তদ্রূপ বললেন। যখন ক্ষুধার্ত থাকব তখন বিনীতভাবে তোমার নিকটে প্রার্থনা করব ও তোমাকেই মনে করব এবং যখন তৃপ্তির সাথে খাবো তখন তোমার শুকরিয়া আদায় করব ও তোমার প্রশংসা করব।

যইফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫১৯০), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ অনুচ্ছেদে ফাযালা ইবনু উবাইদ হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আল-কাসিম (রাঃ) তিনি আবদুর রহমানের পুত্র এবং উপনাম আবূ আবদির রহমান, মতান্তরে আবূ আবদিল মালিক। তিনি আবদুর রহমান ইবনু খালিদ ইবনে ইয়াযিদ ইবনে মু’আবিয়ার মুক্তদাস। তিনি সিরিয়ার অধিবাসী এবং বিশ্বস্ত রাবী। আর ‘আলী ইবনু ইয়াযীদ হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল এবং তার উপনাম আবূ আবদিল মালিক।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৪৮

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ قَدْ أَفْلَحَ مَنْ أَسْلَمَ وَكَانَ رِزْقُهُ كَفَافًا وَقَنَّعَهُ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক ইসলাম ক্ববূল করেছে, এবং তার নিকট নূন্যতম রিযিক রয়েছে এবং তাকে আল্লাহ্‌ তা’আলা অল্পে তুষ্ট থাকার তাওফীক দিয়েছেন, সে-ই সফলকাম হলো।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১৩৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৪৯

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ، أَنَّ أَبَا عَلِيٍّ، عَمْرَو بْنَ مَالِكٍ الْجَنْبِيَّ أَخْبَرَهُ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ طُوبَى لِمَنْ هُدِيَ إِلَى الإِسْلاَمِ وَكَانَ عَيْشُهُ كَفَافًا وَقَنِعَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَأَبُو هَانِئٍ اسْمُهُ حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ফাযালা ইবনু উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন : সেই ব্যক্তি কতই না সৌভাগ্যবান যাকে ইসলামের পথে হিদায়াত দান করা হয়েছে এবং তার জীবিকা ন্যূনতম প্রয়োজন মাফিক এবং সে তাতেই খুশি।

সহীহ্‌ , তা’লীকুর রাগীব (২/১১), সহীহাহ্ (১৫০৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হানীর নাম হুমাইদ ইবনু হানী। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭. অনুচ্ছেদঃ

ধনীদের পূর্বে দরিদ্র মুহাজিরগণ জান্নাতে প্রবেশ করবেন

২৩৫১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ بِخَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দরিদ্র মুহাজিরগণ তাদের সম্পদশালীদের চেয়ে পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১২৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫২

حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ وَاصِلٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَابِدُ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ النُّعْمَانِ اللَّيْثِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا وَأَمِتْنِي مِسْكِينًا وَاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ إِنَّهُمْ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ بِأَرْبَعِينَ خَرِيفًا يَا عَائِشَةُ لاَ تَرُدِّي الْمِسْكِينَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ يَا عَائِشَةُ أَحِبِّي الْمَسَاكِينَ وَقَرِّبِيهِمْ فَإِنَّ اللَّهَ يُقَرِّبُكِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (দু’আ করে) বলেনঃ হে আল্লাহ্‌! তুমি আমাকে দরিদ্র অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখ, দরিদ্র থাকাবস্থায় মৃত্যু দিও এবং কিয়ামাত দিবসে দরিদ্রদের দলভুক্ত করে হাশর করো। (একথা শুনে) আইশা (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কেন এরূপ বলছেন? তিনি বললেনঃ হে আইশা! তারা তো তাদের সম্পদশালীদের চেয়ে চল্লিশ বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। হে আইশা! তুমি যাঞ্চাকারী দরিদ্রকে ফিরিয়ে দিও না। যদি দেয়ার মতো কিছু তোমার নিকট না থাকে, তাহলে একটি খেজুরের টুকরা হলেও তাকে দিও। হে আইশা! তুমি দরিদ্রদের ভালোবাসবে এবং তাদেরকে তোমার সান্নিধ্যে রাখবে। তাহলে কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌ তা’আলা তোমাকে তাঁর সান্নিধ্যে রাখবেন।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১২৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَدْخُلُ الْفُقَرَاءُ الْجَنَّةَ قَبْلَ الأَغْنِيَاءِ بِخَمْسِمِائَةِ عَامٍ نِصْفِ يَوْمٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দরিদ্রগণ সম্পদশালীদের চেয়ে পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাতে যাবে। আর তা হলো (আখিরাতের) অর্ধদিনের সমান।

হাসান সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১২২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৩৫৪

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَدْخُلُ فُقَرَاءُ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ بِنِصْفِ يَوْمٍ وَهُوَ خَمْسُمِائَةِ عَامٍ ‏”‏ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দরিদ্র মুসলমানগণ জান্নাতে যাবে সম্পদশালীদের চেয়ে অর্ধদিন পূর্বে। এই অর্ধদিন হলো পাঁচ শত বছরের সমান।

হাসান সহীহ্‌ , দেখুন হাদীস নং ২৩৫৩।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি সহীহ্।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

২৩৫৫

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ جَابِرٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَدْخُلُ فُقَرَاءُ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ بِأَرْبَعِينَ خَرِيفًا ‏”‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দরিদ্র মুসলমানগণ তাদের সম্পদশালীদের চেয়ে চল্লিশ বছর পূর্বে জান্নাতে যাবে।

দরিদ্র মুহাজিরগণ এই শব্দে হাদীসটি সহীহ্‌ , মুসলিম (৮/২২০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা

২৩৫৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَدَعَتْ لِي بِطَعَامٍ وَقَالَتْ مَا أَشْبَعُ مِنْ طَعَامٍ فَأَشَاءُ أَنْ أَبْكِيَ إِلاَّ بَكَيْتُ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لِمَ قَالَتْ أَذْكُرُ الْحَالَ الَّتِي فَارَقَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الدُّنْيَا وَاللَّهِ مَا شَبِعَ مِنْ خُبْزٍ وَلَحْمٍ مَرَّتَيْنِ فِي يَوْمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ কোন এক সময় আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকটে গেলাম। তিনি আমার জন্য খাবার আনালেন। পরে তিনি বললেনঃ আমি যখনি পেট পুরে খাবার খাই তখনি আমি কাঁদতে চাইলে কাঁদতে পারি। আমি প্রশ্ন করলাম, তা কেন? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে অবস্থায় দুনিয়া হতে বিদায় নিয়েছেন সে কথা মনে পড়ে। আল্লাহ্‌ তা’আলার শপথ! তিনি কোন দিনই দু’বার গোশত ও রুটি দ্বারা পেট ভরে খেতে পাননি।

যঈফ, তা’লীকুর রাগীব ৪/১০৯, মুখতাসার শামায়িল ১২৮

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫৭

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا شَبِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خُبْزِ شَعِيرٍ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ حَتَّى قُبِضَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এক নাগাড়ে দুইদিন যবের রুটি পেট ভরে খেতে পাননি।

সহীহ্‌ , মুখতাসার শামা-ইল (১২৩), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫৮

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا شَبِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَهْلُهُ ثَلاَثًا تِبَاعًا مِنْ خُبْزِ الْبُرِّ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর পরিবার এই দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কখনো এক নাগাড়ে তিনদিন পেট ভরে গমের রুটি খেতে পাননি।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৩৩৪৩), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি সহীহ্‌ হাসান এবং উক্ত সূত্রে গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৫৯

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا حَرِيزُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، يَقُولُ مَا كَانَ يَفْضُلُ عَنْ أَهْلِ، بَيْتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خُبْزُ الشَّعِيرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَيَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ هَذَا كُوفِيٌّ وَأَبُو بُكَيْرٍ وَالِدُ يَحْيَى رَوَى لَهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَيَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ مِصْرِيٌّ صَاحِبُ اللَّيْثِ ‏.‏

সুলাইম ইবনু আমির (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ উমামা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরে কখনো যবের রুটিও অতিরিক্ত হতো না।

সহীহ্‌ , মুখতাসার শামাইল (১২৪), তা’লীকুর রাগীব (৪/১১০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ এবং উক্ত সূত্রে গারীব। এই ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আবূ বুকাইর হলেন কূফাবাসী এবং আবূ বুকাইর তার পিতা। তার সূত্রে সুফিয়ান সাওরী হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু বুকাইর হলেন মিসরবাসী এবং তিনি লাইস ইবনু সা’দের ছাত্র।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَبِيتُ اللَّيَالِيَ الْمُتَتَابِعَةَ طَاوِيًا وَأَهْلُهُ لاَ يَجِدُونَ عَشَاءً وَكَانَ أَكْثَرُ خُبْزِهِمْ خُبْزَ الشَّعِيرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর পরিবার-পরিজন একাধারে কয়েক রাত ক্ষুধার্ত অবস্থায় কাটিয়ে দিতেন। তাদের জন্য রাতের খাবার জুটত না। আর বেশিরভাগ সময় যবের রুটিই ছিল তাদের খাদ্য।

হাসান , ইবনু মা-জাহ (২৩৪৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬১

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اللَّهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই দু’আ করেন : হে আল্লাহ্‌! মুহাম্মাদের পরিবারের জন্য শুধুমাত্র জীবন ধারণোপযোগী (পরিমাণ) রিযিকের ব্যবস্থা করুন।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৪১৩৬), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَدَّخِرُ شَيْئًا لِغَدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগামী দিনের জন্য কোন কিছু সঞ্চয় করে রাখতেন না।

সহীহ্‌ , মুখতাসার শাখাইল (৩০৪), তা’লীকুর রাগীব (২/৪২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীসটি জাফর ইবনু সুলাইমান হতে সাবিতের সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ‘মুরসাল’ হিসাবেও বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَا أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى خِوَانٍ وَلاَ أَكَلَ خُبْزًا مُرَقَّقًا حَتَّى مَاتَ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কখনো টেবিলে খাবার খাননি এবং কখনো পাতলা রুটিও খাননি।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৩২৯২, ৩২৯৩), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌ এবং সাঈদ ইবনু আবূ আরূবার রিওয়ায়াত হিসাবে গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৬৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّهُ قِيلَ لَهُ أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّقِيَّ يَعْنِي الْحُوَّارَى فَقَالَ سَهْلٌ مَا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّقِيَّ حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ ‏.‏ فَقِيلَ لَهُ هَلْ كَانَتْ لَكُمْ مَنَاخِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا كَانَتْ لَنَا مَنَاخِلُ ‏.‏ قِيلَ فَكَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ بِالشَّعِيرِ قَالَ كُنَّا نَنْفُخُهُ فَيَطِيرُ مِنْهُ مَا طَارَ ثُمَّ نُثَرِّيهِ فَنَعْجِنُهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ ‏.‏

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাকে প্রশ্ন করা হলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো ময়দার রুটি খেয়েছেন কি? সাহ্‌ল (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্‌ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ (মৃত্যু) হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কখনো ময়দা দেখেননি। তাকে আবার প্রশ্ন করা হলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে আপনাদের নিকট কি কোন চালুনি ছিল? তিনি বললেন, আমাদের কোন চালুনি ছিল না। আবার প্রশ্ন করা হলো, তাহলে যব নিয়ে আপনারা কি করতেন? তিনি বললেন, আমরা তাতে ফুঁ দিতাম, ফলে যা উড়ে যাওয়ার তা উড়ে যেত, তারপর তাতে পানি ঢেলে খামির তৈরি করতাম।

সহীহ্‌ , ইবনু মা-জাহ (৩৩৩৫), বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। এ হাদীসটি আবূ হাযিম (রাহঃ)-এর সূত্রে মালিক ইবনু আনাস (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস