তিরমিজি ওয়ালাআ ও হিবা অধ্যায় হাদিস নং ২১২৫ – ২১৩২

১. অনুচ্ছেদ:

আযাদকারী ব্যক্তিই ওয়ালাআর অধিকারী

২১২৫

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ، بَرِيرَةَ فَاشْتَرَطُوا الْوَلاَءَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْطَى الثَّمَنَ أَوْ لِمَنْ وَلِيَ النِّعْمَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বারীরা (রাঃ) কে ক্রয় করার ইচ্ছা করলেন। কিন্তু মালিক পক্ষ নিজেদের জন্য ওয়ালাআর শর্তারোপ করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি মূল্য পরিশোধ করে অথবা যে ব্যক্তি নিয়ামাতের (আযাদকৃতের) মালিক সে-ই ওয়ালাআর অধিকারী।

 

সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (২৫৮৯), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু উমার ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ হাদীস মুতাবিক আলিমগণ আমল করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অনুচ্ছেদঃ

ওয়ালাআ-স্বত্ব বিক্রয় করা বা হিবা করা নিষেধ

২১২৬

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الْوَلاَءِ وَعَنْ هِبَتِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْوَلاَءِ وَعَنْ هِبَتِهِ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ ‏.‏ وَيُرْوَى عَنْ شُعْبَةَ قَالَ لَوَدِدْتُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ دِينَارٍ حِينَ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَذِنَ لِي حَتَّى كُنْتُ أَقُومُ إِلَيْهِ فَأُقَبِّلُ رَأْسَهُ ‏.‏ وَرَوَى يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ وَهَمٌ وَهِمَ فِيهِ يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ وَالصَّحِيحُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ هَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَتَفَرَّدَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ওয়ালাআ-স্বত্ব বিক্রয় করতে অথবা হিবা করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন।

 

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৭৪৭, ২৭৪৮), বুখারী মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। আমরা শুধুমাত্র আবদুল্লাহ ইবনু দীনারের সূত্রে ইবনু উমারের বরাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীসটি জেনেছি। তিনি ওয়ালাআ বিক্রয় বা হিবা করতে বারণ করেছেন। উপরে বর্ণিত হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনু দীনারের সূত্রে শুবা, সুফিয়ান সাওরী ও মালিক ইবনু আনাস (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। শুবা (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসটি যখন আবদুল্লাহ ইবনু দীনার বর্ণনা করেন তখন আমি মনে মনে ইচ্ছা করছিলাম যে, তিনি সম্মতি দিলে আমি উঠে গিয়ে তার মাথায় চুমু খেতাম। এই হাদীসটি উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার নাফি হতে, তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু সুলাইম বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে বিভ্রান্তি আছে। ইয়াহইয়া ইবনু সুলাইম এতে বিভ্রান্তি ঘটিয়েছেন। সহীহ সনদ হলো উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার আবদুল্লাহ ইবনু দীনার হতে, তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে। উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার হতে একাধিক বর্ণনাকারী একইরকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনু দীনার এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অনুচ্ছেদঃ

যে ব্যক্তি নিজের মনিব অথবা বাবাকে পরিত্যাগ করে অন্য কাউকে নিজের মনিব অথবা বাবা বলে দাবি করে ।

২১২৭

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَطَبَنَا عَلِيٌّ فَقَالَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ عِنْدَنَا شَيْئًا نَقْرَؤُهُ إِلاَّ كِتَابَ اللَّهِ وَهَذِهِ الصَّحِيفَةَ صَحِيفَةٌ فِيهَا أَسْنَانُ الإِبِلِ وَأَشْيَاءُ مِنَ الْجِرَاحَاتِ فَقَدْ كَذَبَ وَقَالَ فِيهَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْمَدِينَةُ حَرَامٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى ثَوْرٍ فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلاَ عَدْلٌ وَذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ عَلِيٍّ نَحْوَهُ ‏.‏

قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

ইবরাহীম আত-তাইমী (রাহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আলী (রাঃ) আমাদের সামনে খুতবাহ দেন এবং বলেন, যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, আমাদের নিকট আল্লাহ্ তা‘আলার গ্রন্থ এবং এই পুস্তিকা যার মধ্যে উটের বয়সের বিবরণী ও জখমের ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে তা ব্যতীত আরো কোন গ্রন্থ আছে সে মিথ্যাবাদী। তিনি তার খুৎবায় আরো বলেন, এই গ্রন্থে আরো আছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার হেরেমের সীমানা হচ্ছে আইর পাহাড় হতে সাওর পর্বত পর্যন্ত। যদি কেউ এতে কোন প্রকার বিদ‘আতের প্রচলন ঘটায় অথবা কোন বিদ‘আতীকে আশ্রয় দেয় তাহলে তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতাগণ ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। কিয়ামাত দিবসে তার কোন ফরয বা নাফল ইবাদাতই আল্লাহ তা‘আলা ক্ববূল করবেন না। যে লোক তার বাবাকে পরিত্যাগ করে অন্য কাউকে বাবা বলে দাবি করে (নিজের বংশপরিচয় গোপন করে অন্য বংশের পরিচয় দেয়) অথবা তার মনিবকে ছেড়ে দিয়ে অন্য মনিবের নিকট পালিয়ে যায় তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতাগণ এবং সকল মানুষের অভিশাপ। তার ফরয বা নাফল কোন ইবাদাতই গ্রহণ করা হবে না। মুসলমানদের যিম্মা প্রদান একই সমান ও অখন্ড। তাদের মধ্যকার সবচেয়ে সাধারণ ব্যক্তি (কাউকে) আশ্রয় দান করলে তাও রক্ষা করা হবে।

 

সহীহ ইরওয়া (১০৫৮) নাক্বদুল কাত্তানী (৪২), সহীহ আবূ দাঊদ (১৭৭৩-১৭৭৪), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, কিছু বর্ণনাকারী আমাশ হতে, তিনি ইবরাহীম আত-তাইমী হতে, তিনি হারিস ইবনু সুওয়াইদ হতে, তিনি আলী (রাঃ)-এর হতে এই সূত্রে একইরকম বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। উপরোক্ত হাদীসটি একাধিকভাবে আলী (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অনুচ্ছেদঃ

কেউ তার সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করলে

২১২৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ الْعَطَّارُ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ امْرَأَتِي وَلَدَتْ غُلاَمًا أَسْوَدَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَمَا أَلْوَانُهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حُمْرٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَلْ فِيهَا أَوْرَقُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ إِنَّ فِيهَا لَوُرْقًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنَّى أَتَاهَا ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لَعَلَّ عِرْقًا نَزَعَهَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَذَا لَعَلَّ عِرْقًا نَزَعَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ফাযারা বংশের একজন লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমার স্ত্রী একটি কালো বর্ণের ছেলেসন্তান প্রসব করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তোমার উট আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ সেগুলো কি বর্ণের? সে বলল, লাল। তিনি বললেনঃ সেগুলোর মধ্যে ধূসর বর্ণের উট আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি ধূসর বর্ণের উটও আছে। তিনি বললেনঃ সেগুলোর মধ্যে এই ধরনের রং কোথা হতে এল? সে বলল, হয়তো বংশধারা হতে তা এসেছে (এই বংশে হয়তো এরকম কোন উট ছিল)। তিনি বললেনঃ এটাও হয়তো বংশধারার টান, (তোমার) পূর্বপুরুষের মধ্যে কেউ এরূপ ছিল।

 

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২১০২), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অনুচ্ছেদঃ

চেহারা ও গঠন-প্রকৃতি দেখে বংশ নির্ণয় (কিয়াফা)

২১২৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا مَسْرُورًا تَبْرُقُ أَسَارِيرُ وَجْهِهِ فَقَالَ ‏ “‏ أَلَمْ تَرَىْ أَنَّ مُجَزِّزًا نَظَرَ آنِفًا إِلَى زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فَقَالَ هَذِهِ الأَقْدَامُ بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

 

وَقَدْ رَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَزَادَ، فِيهِ ‏ “‏ أَلَمْ تَرَىْ أَنَّ مُجَزِّزًا مَرَّ عَلَى زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَدْ غَطَّيَا رُءُوسَهُمَا وَبَدَتْ أَقْدَامُهُمَا فَقَالَ إِنَّ هَذِهِ الأَقْدَامَ بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ ‏”‏ ‏.‏ وَهَكَذَا حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدِ احْتَجَّ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِهَذَا الْحَدِيثِ فِي إِقَامَةِ أَمْرِ الْقَافَةِ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উৎফুল্লভাবে তার সামনে আসেন। তাঁর মুখমন্ডলের রেখাগুলো বিদ্যুতের মতো চকচক করছিল। তিনি বললেনঃ তুমি কি দেখনি! এইমাত্র একজন বংশ বিশারদ যাইদ ইবনু হারিসা ও উসামা ইবনু যাইদকে দেখে বলল, এগুলো একটি হতে আর একটি উদগত হয়েছে।

 

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৩৪৯), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ । এ হাদীসটি ইবনু উয়াইনা যুহ্রী হতে, তিনি উরওয়া হতে, তিনি আইশা (রাঃ) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে আরো আছে, “তুমি কি দেখনি! যাইদ ইবনু হারিসা ও উসামা ইবনু যাইদের পাশ দিয়ে একজন বংশবিশারদ অতিক্রম করছিলো। তাদের দুজনের মাথা তখন ঢাকা ছিল কিন্তু তাদের পা খোলা অবস্থায় ছিল। সে বলল, এ পাগুলো একটি হতে অন্যটি উদগত”। এ হাদীসটি সাঈদ ইবনু আবদুর রাহমান এবং আরও অনেকে সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা-যুহ্রী-উরওয়া-আইশা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনাটিও হাসান সহীহ্ একদল বিশেষজ্ঞ আলিমের মতে, কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার জন্য লক্ষণ বা চিহ্নকে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তারা এ হাদীসটি নিজেদের মতের পক্ষে উপস্থাপন করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অনুচ্ছেদঃ

উপঢৌকন আদান-প্রদানে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উৎসাহ প্রদান

২১৩০

حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ مَرْوَانَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تَهَادَوْا فَإِنَّ الْهَدِيَّةَ تُذْهِبُ وَحَرَ الصَّدْرِ وَلاَ تَحْقِرَنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ شِقَّ فِرْسِنِ شَاةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَأَبُو مَعْشَرٍ اسْمُهُ نَجِيحٌ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা একজন অন্যজনকে উপহার দাও। উপহার মনের ময়লা দূর করে। এক প্রতিবেশিনী অপর প্রতিবেশিনীকে বকরীর পায়ের এক টুকরা ক্ষুর হলেও তা উপহার দিতে যেন অবহেলা না করে।

 

য’ঈফ, মিশকাত ৩০২৮ হাদীসের ২য় অংশ এক প্রতিবেশিনী .. শেষ পর্যন্ত সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন: উল্লেখিত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব। একদল বিশেষজ্ঞ ‘আলিম আবূ মা’শারের স্মরণশক্তির সমালোচনা করেছেন। আবূ মা’শারের নাম নাজীহ, বানূ হাশিমের মুক্তদাস।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭. অনুচ্ছেদঃ

দান করার পর তা ফিরিয়ে নেয়া আপত্তিকর

২১৩১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُكْتِبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَثَلُ الَّذِي يُعْطِي الْعَطِيَّةَ ثُمَّ يَرْجِعُ فِيهَا كَالْكَلْبِ أَكَلَ حَتَّى إِذَا شَبِعَ قَاءَ ثُمَّ عَادَ فَرَجَعَ فِي قَيْئِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক দান করার পর তা আবার ফিরিয়ে নেয় সে কুকুর সমতুল্য, যে পেট ভরে খাওয়ার পর বমি করে, আবার ফিরে এসে তা খায়।

 

সহীহ, ইরওয়া (৬/৩৬), বুখারী, সুমলিম সংক্ষিপ্ত ভাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু আব্বাস ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১৩২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنِي طَاوُسٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ يَرْفَعَانِ الْحَدِيثَ قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يُعْطِيَ عَطِيَّةً ثُمَّ يَرْجِعَ فِيهَا إِلاَّ الْوَالِدَ فِيمَا يُعْطِي وَلَدَهُ وَمَثَلُ الَّذِي يُعْطِي الْعَطِيَّةَ ثُمَّ يَرْجِعُ فِيهَا كَمَثَلِ الْكَلْبِ أَكَلَ حَتَّى إِذَا شَبِعَ قَاءَ ثُمَّ عَادَ فِي قَيْئِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يَحِلُّ لِمَنْ وَهَبَ هِبَةً أَنْ يَرْجِعَ فِيهَا إِلاَّ الْوَالِدَ فَلَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِيمَا أَعْطَى وَلَدَهُ ‏.‏ وَاحْتَجَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.

ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উপহার প্রদানের পর তা আবার ফিরিয়ে নেয়া কারো জন্য বৈধ নয়। তবে পিতা তার সন্তানকে দেয়া উপহার ফিরিয়ে নিতে পারে। উপহার প্রদানের বা দানের পর তা পুনরায় যে লোক ফিরিয়ে নেয় সে লোক কুকুর সমতুল্য। যেমন কুকুর পেট ভরে খাওয়ার পর বমি করে এবং তা আবার ভক্ষণ করে।

 

সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। ইমাম শাফিঈ বলেন, যে ব্যক্তি দান করে তার জন্য তার দানকৃত বস্তু পুনরায় ফিরিয়ে নেয়া বৈধ নয়। তবে পিতার জন্য তা বৈধ অর্থাৎ সে তার সন্তনকে কিছু দান করে তা আবার ফিরিয়ে নিতে পারে। এ হাদীসটি ইমাম শাফিঈ তার মতের অনুক’লে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস