তিরমিজি হজ্জ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৮০৯ – ৮৮৮

১. অনুচ্ছেদঃ

মক্কা মুকাররমার মর্যাদা প্রসঙ্গে

৮০৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْعَدَوِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلاً قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَاىَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ أَنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ وَلاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ فِيهَا دَمًا أَوْ يَعْضِدَ بِهَا شَجَرَةً فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ بِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا فَقُولُوا لَهُ إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَأْذَنْ لَكَ وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي فِيهِ سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالأَمْسِ وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ ‏”‏ ‏.‏

فَقِيلَ لأَبِي شُرَيْحٍ مَا قَالَ لَكَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ قَالَ أَنَا أَعْلَمُ مِنْكَ بِذَلِكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ إِنَّ الْحَرَمَ لاَ يُعِيذُ عَاصِيًا وَلاَ فَارًّا بِدَمٍ وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُرْوَى وَلاَ فَارًّا بِخِزْيَةٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي شُرَيْحٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيُّ اسْمُهُ خُوَيْلِدُ بْنُ عَمْرٍو وَهُوَ الْعَدَوِيُّ وَهُوَ الْكَعْبِيُّ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏”‏ وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ ‏”‏ يَعْنِي الْجِنَايَةَ يَقُولُ مَنْ جَنَى جِنَايَةً أَوْ أَصَابَ دَمًا ثُمَّ لَجَأَ إِلَى الْحَرَمِ فَإِنَّهُ يُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ ‏.‏

আবূ শুরাইহ্ আল-আদাওবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন মদীনার গভর্নর আমার ইবনু সাঈদ (আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইরের বিরুদ্ধে) মক্কাতে সৈন্যবাহিনী পাঠাচ্ছিলেন তখন তিনি (আবূ শুরাইহ্) তাকে বললেনঃ হে আমীর ! আপনি আমাকে অনুমতি দিন একটি হাদীস বর্ণনা করার। মক্কা বিজয়ের পরদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই হাদীসটি বলেছিলেন। তখন তা আমার কর্ণদ্বয় শুনেছিলো, আমার হৃদয় তা সংরক্ষণ করেছিল এবং আমার চক্ষুদ্বয় তা প্রত্যক্ষ করেছিল। তিনি আল্লাহ্‌ তা’আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন, তারপর বললেনঃ মক্কাকে আল্লাহ্‌ তা’আলা “হারাম” ঘোষণা করেছেন, তাকে কোন মানুষ “হারাম” করেনি। অতএব, আল্লাহ্‌ তা’আলা ও আখিরাতের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে এখানে সে লোকের জন্য রক্তপাত করা বা এখানকার কোন বৃক্ষ কাটা বৈধ নয়। যদি কোন লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক এখানে (মক্কা বিজয়কালে) যুদ্ধ করার অজুহাত তুলে এখানে কোন রকম যুদ্ধাভিযান চালানোর সুযোগ খোঁজ করে তাহলে তোমরা সে লোককে বলে দিবে, আল্লাহ্‌ তা’আলা বিশেষভাবে অনুমতি দিয়েছেন কেবল তাঁর রাসূলকেই, এর অনুমতি তোমাকে দেননি। শুধু দিনের কিছু সময়ের জন্য তিনি আমাকেও এর অনুমতি দিয়েছেন। যেমনি গতকাল তা হারাম ছিল তেমনিভাবে আজও সেটা হারাম। তোমাদের উপস্থিত লোক যেন (একথা) অনুপস্থিত লোকের কাছ পৌঁছে দেয়।

 

-সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ শুরাইহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, তখন আমর ইবনু সাঈদ আপনাকে কি বলেছিল? তিনি বললেন, সে বলেছিল, হে আবূ শুরাইহ! আমি এই হাদীস প্রসঙ্গে আপনার চেয়ে বেশি অবগত। কোন পাপী, পলাতক খুনী ও পলাতক অপরাধীকে হারাম শারীফ আশ্রয় দেয় না।

আবূ ঈসা বলেন, ওয়ালা ফাররান ‘বিখারবাতিন’ -এর স্থল ‘ওয়ালা ফাররান’-ও বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ শুরাইহ বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবূ শুরাইহ্ আল-খুযাঈর মূল নাম খুওয়াইলিদ ইবনু আমর আল-আদাওবী আল-কা’বী। ওয়ালা ফাররান ‘বিখারবাতিন’–এর অর্থ ‘অপরাধী’। বাক্যটির অর্থ হল, কোন লোক কোন ফৌজদারী অপরাধ করে অথবা খুন করে হারাম শরীফে আশ্রয় নিলে সে লোকের উপর হাদ্দ (নির্ধারিত শাস্তি) কার্যকর হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অনুচ্ছেদঃ

হজ্জ ও উমরা আদায়ের সাওয়াব প্রসঙ্গে

৮১০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُبْشِيٍّ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ‏.‏

আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা হজ্জ ও উমরা পরপর একত্রে আদায় করো। কেননা, এ হজ্জ ও উমরা দারিদ্র্য ও গুনাহ্ দূর করে দেয়, লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা যেমনভাবে হাপরের আগুনে দূর হয়। একটি ক্ববূল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়।

 

-হাসান সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৮৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার, আমির ইবনু রাবীআ, আবূ হুরাইরা, আবদুল্লাহ্ ইবনু হুবশী, উম্মু সালামা ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ গারীব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৮১১

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ حَجَّ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو حَازِمٍ كُوفِيٌّ وَهُوَ الأَشْجَعِيُّ وَاسْمُهُ سَلْمَانُ مَوْلَى عَزَّةَ الأَشْجَعِيَّةِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক যদি হজ্জ করে এবং তাতে কোনো রকম অশ্লীল ও অন্যায় আচরণ না করে তাহলে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

 

-সহীহ্, হাজ্জাতুন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (পৃঃ ৫), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। আবূ হাযিম আল- কূফীই হলেন আল-আশজাঈ, তাঁর নাম সালমান। তিনি আযযা আল-আশজাঈয়ার আযাদকৃত গোলাম ছিলেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অনুচ্ছেদঃ

হাজ্জ পরিত্যাগ করা প্রসঙ্গে কঠোর হুঁশিয়ারি

৮১২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى رَبِيعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ الْبَاهِلِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلاَ عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ فِي كِتَابِهِ ‏:‏ ‏(‏وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏)‏ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَفِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ ‏.‏ وَهِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مَجْهُولٌ وَالْحَارِثُ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার ঘর পর্যন্ত পৌছার মত সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হাজ্জ না করে তবে সে ইয়াহুদী হয়ে মারা যাক বা নাসারা হয়ে মারা যাক তাতে (আল্লাহ তা’আলার) কোন ভাবনা নেই। কারণ আল্লাহ তা’আলা তার কিতাবে বলেনঃ “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাবার সামর্থ্য আছে, আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশে ঐ ঘরের হাজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য”। (সূরাঃ আল-ইমরান – ৯৭)।

 

যঈফ, মিশকাত (২৫২১), তা’লীকুর রাগীব (২/১৩৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি গারীব। এ সূত্র ব্যতীত এটি প্রসঙ্গে আমরা কিছু জানিনা। এটির সনদ প্রসঙ্গে সমালোচনা আছে। হিলাল ইবনু আবদুল্লাহ অপরিচিত লোক এবং হারিসকে হাদিস শাস্ত্রে দুর্বল বলা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অনুচ্ছেদঃ

পাথেয় ও বাহন থাকলে হাজ্জ ফরজ হয়

৮১৩

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ ‏ “‏ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً وَجَبَ عَلَيْهِ الْحَجُّ ‏.‏ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ هُوَ الْخُوزِيُّ الْمَكِّيُّ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসুল! কিসে হাজ্জ ওয়াজিব হয়? তিনি বললেন : সম্বল ও বাহন (থাকলে)।

 

খুবই দুর্বল, ইবনু মাজাহ(২৮৯৬)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, হাদিসটি হাসান। আলিমগণ এই হাদিসের আলোকে বলেন, কোন বাক্তি সম্বল ও বাহন সংগ্রহে সক্ষম হলেই তার উপর হাজ্জ ফরজ হয়। ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ আল-খুওযী আল-মক্কীর স্মৃতিশক্তি প্রশ্নবিদ্ধ।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৫. অনুচ্ছেদঃ

কতবার হাজ্জ করা ফরজ?

৮১৪

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ وَرْدَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏(‏ وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏)‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفِي كُلِّ عَامٍ فَسَكَتَ ‏.‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفِي كُلِّ عَامٍ قَالَ ‏”‏ لاَ وَلَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَاسْمُ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ فَيْرُوزَ ‏.‏

আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হলঃ ‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে গমনের ক্ষমতা আছে আল্লাহ্‌ তা’আলার স্মরণে ঐ ঘরের হাজ্জ করা তার অপরিহার্যভাবে করণীয়,’ তখন সাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহ্‌র রাসূল! প্রতি বছরই কি?’ তিনি নীরব হয়ে রইলেন। তারা আবার বললেন, ‘হে আল্লাহ্‌র রাসূল! প্রতি বছরই কি?’ তিনি বললেন : ‘না, আমি যদি বলতাম হ্যাঁ, তবে তোমাদের উপর তা(প্রতি বছর) ফরয হয়ে যেত।’ তারপর আল্লাহ্‌ তা’আলা অবতীর্ণ করেন : ‘হে মুমিনগণ ! তোমরা এমন বিষয়ে প্রশ্ন করনা যা জাহির হলে তোমরা দুঃখিত হবে।’(সূরা মাঈদা-১০১)

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৮৮৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরাইরা(রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণীত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আলী বর্ণীত হাদীসটি হাসান গারীব।আবুল বাখতারীর নাম সাঈদ ইবনু আবূ ইমরান। ইনি হলেন সাঈদ ইবনু ফাইরোয।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতবার হজ্জ করেছেন?

৮১৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَجَّ ثَلاَثَ حِجَجٍ حَجَّتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ وَحَجَّةً بَعْدَ مَا هَاجَرَ وَمَعَهَا عُمْرَةٌ فَسَاقَ ثَلاَثًا وَسِتِّينَ بَدَنَةً وَجَاءَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ بِبَقِيَّتِهَا فِيهَا جَمَلٌ لأَبِي جَهْلٍ فِي أَنْفِهِ بُرَةٌ مِنْ فِضَّةٍ فَنَحَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَطُبِخَتْ وَشَرِبَ مِنْ مَرَقِهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ حُبَابٍ ‏.‏ وَرَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ فِي كُتُبِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا فَلَمْ يَعْرِفْهُ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ عَنْ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَأَيْتُهُ لاَ يَعُدُّ هَذَا الْحَدِيثَ مَحْفُوظًا ‏.‏ وَقَالَ إِنَّمَا يُرْوَى عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلاً ‏.‏

 

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ وَاعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةٌ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةٌ مَعَ حَجَّتِهِ وَعُمْرَةُ الْجِعِرَّانَةِ إِذْ قَسَّمَ غَنِيمَةَ حُنَيْنٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَحَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ هُوَ أَبُو حَبِيبٍ الْبَصْرِيُّ هُوَ جَلِيلٌ ثِقَةٌ وَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জ করেছেন তিনবারঃ দু’বার হিজরাতের আগে এবং এক বার হিজরাতের পর। তিনি এই (শেষোক্ত) হজ্জের সাথে উমরাও করেছেন। তিনি তেষট্টিটি কুরবানীর উট এনেছিলেন এবং ইয়ামান হতে আলী (রাঃ) অবশিষ্ট (৩৭টি) উটগুলি এনেছিলেন। আবূ জাহালের একটি উটও ছিল এই উটগুলির মধ্যে। একটি রূপার শিকল এর নাসারন্ধ্রে (নাকের ছিদ্রে) পরানো ছিলো। তিনি এটাকেও যবেহ করেছিলেন। প্রতিটি কুরবানীর উট হতে এক টুকরো করে গোশত আনার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিলেন। এগুলো রান্না করা হলে তিনি এর শুরুয়া (ঝোল) পান করেন।

 

সহীহ, হাজ্জাতুন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (৬৭-৮৩), মুসলিম, হিজরাতের পূর্বে ২ হজ্জ এবং আবূ জাহল এই বাক্যাংশ ছাড়া।

 

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন। শুধুমাত্র যাইদ ইবনু বাবের সূত্রেই আমরা এ হাদীসটি জানতে পেরেছি। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রাহমানের পুস্তকে — তিনি এটি আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ যিয়াদ হতে বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস সম্বন্ধে আমি মুহাম্মদ আল-বুখারীকে প্রশ্ন করলাম। কিন্তু এই হাদীস উপরোক্ত সনদে বর্ণিত আছে বলে তিনি জানতে পারেননি। আমি দেখেছি এই হাদীসটিকে তিনি সংরক্ষিত বলে গণ্য করতেন না। তিনি বলেন, এটি সাওরী-আবূ ইসহাক-মুজাহিদের সনদে মুরসালভাবে বর্ণিত আছে।

 

—————————

 

৮১৫/২. কাতাদা (রহঃ) বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) -কে আমি বললাম,রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতবার হজ্জ করেছেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার হজ্জ এবং চারবার উমরা করেছেন। যিলকাদ মাসে একটি উমরা, হুদাইবিয়ার উমরা, হজ্জের সাথে একটি এবং হুনাইন যুদ্ধের গানীমাত বন্টনকালে জি’রানা হতে একটি উমরা।

 

-সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

 

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। হাব্বান ইবনু হিলাল (আবূ হাবীব আল-বাসরী) একজন মর্যাদাসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। তাঁকে ইয়াহহিয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বলে মন্তব্য করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতবার উমরা করছেন?

৮১৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الثَّانِيَةِ مِنْ قَابِلٍ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةَ الثَّالِثَةِ مِنَ الْجِعِرَّانَةِ وَالرَّابِعَةِ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ.‏

قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

وَرَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারবার উমরা করেছেনঃ হুদাইবিয়ার উমরা, দ্বিতীয় উমরা এর পরের বছর, যিলকাদ মাসে কাযা উমরা হিসাবে ছিলো এটি, জি’রানা নামক জায়গা হতে হচ্ছে তৃতীয় উমরা এবং তাঁর হজ্জের সাথে আদায় করেন চতুর্থ উমারা

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০০৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। এই হাদীসটি ইবনু উআইনা আমর ইবনু দীনার-ইকরিমার সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারবার উমরা করছেন। তিনি এই সনদে ইবনু আব্বাস (রাঃ) -এর উল্লেখ করেননি। উক্ত সনদটি নিম্নরূপঃ

সাঈদ ইবনু আব্দুর রহমান আল-মাখযুমী সুফিয়ান ইবনু উআইনা হতে, তিনি আমর ইবনু দীনার হতে, তিবি ইকরিমা হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অনুচ্ছেদঃ

কোন জায়গা হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম বেঁধেছেন?

৮১৭

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْحَجَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ فَاجْتَمَعُوا فَلَمَّا أَتَى الْبَيْدَاءَ أَحْرَمَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জ করতে মনস্থ করলেন তখন লোকদের মাঝে ঘোষণা দিলেন। তারা একত্র হল। অতঃপর তিনি যখন বাইদা নামক জায়গায় পৌঁছুলেন তখন ইহরাম বাঁধলেন।

 

-সহীহ, হাজ্জাতুন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (৪৫/২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু উমার, আনাস ও মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ الْبَيْدَاءُ الَّتِي يَكْذِبُونَ فِيهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهِ مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ مِنْ عِنْدِ الشَّجَرَةِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তারা বাইদা নামক জায়গাকে কেন্দ্র করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জড়িয়ে (ইহরাম প্রসঙ্গে) মিথ্যারোপ করেছে। আল্লাহ্‌র শপথ ! মসজিদের নিকটেই একটি গাছের পাশে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরামের তাকবীর ধ্বনি করেছিলেন।

 

-সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখন ইহরাম বাঁধেন?

৮১৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَهَلَّ فِي دُبُرِ الصَّلاَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ غَيْرَ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي يَسْتَحِبُّهُ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنْ يُحْرِمَ الرَّجُلُ فِي دُبُرِ الصَّلاَةِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযের পর ইহরাম এর তাকবীর উচ্চারণ করেছেন।

 

য’ঈফ, য’ঈফ আবূ দাঊদ ৩১২।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন : এ হাদীসটি হাসান গারীব। আব্দুস সালাম ইবনু হারব ব্যতীত আর কেউ এটি বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।(ইহরামের) নামাযের পর ইহরাম বাঁধা ‘আলিমগণ মুস্তাহাব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অনুচ্ছেদঃ

ইফরাদ হাজ্জ

৮২০

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، قِرَاءَةً عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ وَأَفْرَدَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ ‏.‏

حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَ الثَّوْرِيُّ إِنْ أَفْرَدْتَ الْحَجَّ فَحَسَنٌ وَإِنْ قَرَنْتَ فَحَسَنٌ وَإِنْ تَمَتَّعْتَ فَحَسَنٌ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ مِثْلَهُ ‏.‏ وَقَالَ أَحَبُّ إِلَيْنَا الإِفْرَادُ ثُمَّ التَّمَتُّعُ ثُمَّ الْقِرَانُ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণীত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হাজ্জ করেছেন।

 

শাজ, ইবনু মাজাহ ২৯৬৪, বুখারী ও মুসলিম)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে জাবির ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণীত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। একদল ‘আলিম এ হাদীস মুতাবিক ‘আমাল করার কথা বলেছেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণীত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হাজ্জ করেছেন এবং আবূ বাকর, ‘উমার ও ‘উসমান (রাঃ)-ও ইফরাদ হাজ্জ করেছেন। (সনদ সহীহ, কিন্তু তা শাজ, দেখুন পরবর্তী হাদীস বিশেষ করে ৮২৩ নং হাদীস।)

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

১১. অনুচ্ছেদঃ

হজ্জ ও উমরা দুটি একসাথে আদায় করা

৮২১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا ‏.‏ وَاخْتَارُوهُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আমি উমরা ও হজ্জ উভয়ের একত্রে ইহরাম বেঁধে লাব্বায়িক বলতে শুনেছি।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯৬৮, ২৯৬৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী কতিপয় আলিম আমল করেছেন। এই মতকে পছন্দ করেছেন কূফাবাসী ফাকীহগণ ও অপরাপর আলিম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অনুচ্ছেদঃ

তামাত্তু’ হাজ্জ

৮২২

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَأَوَّلُ مَنْ نَهَى عَنْهَا مُعَاوِيَةُ ‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাকর, উমার ও উসমান (রাঃ) তামাত্তু হাজ্জ করেছেন। মুআবিয়া (রাঃ)-ই সর্বপ্রথম তা করতে নিষেধ করেন।

 

সনদ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَهُمَا، يَذْكُرَانِ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ لاَ يَصْنَعُ ذَلِكَ إِلاَّ مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ سَعْدٌ بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أَخِي ‏.‏ فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَدْ نَهَى عَنْ ذَلِكَ ‏.‏ فَقَالَ سَعْدٌ قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হারিস ইবনু নাওফাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি হাজ্জের সাথে উমরা একত্রে করে তামাত্তু হাজ্জ প্রসঙ্গে সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস ও যাহহাক ইবনু কাইস (রাঃ)- কে আলোচনা করতে শুনেছেন। যাহহাক ইবনু কাইস (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌ তা’আলার নির্দেশ প্রসঙ্গে জ্ঞানহীন ব্যক্তি ছাড়া কেউ এটা করতে পারেনা। সা’দ (রাঃ) বললেন, হে ভাতিজা! তুমি বড় অপ্রীতিকর কথা বললে। যাহহাক বললেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তো এটা করতে মানা করেছেন। সা’দ (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা করেছেন এবং আমরাও তাঁর সাথে তা করেছি।

 

সনদ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইমাম তিরমিযী বলেন, এই হাদীসটি সহিহ।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৩. অনুচ্ছেদঃ

তালবিয়া পাঠ করা

৮২৫

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ تَلْبِيَةَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم كَانَتْ ‏ “‏ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنْ زَادَ فِي التَّلْبِيَةِ شَيْئًا مِنْ تَعْظِيمِ اللَّهِ فَلاَ بَأْسَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَأَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ يَقْتَصِرَ عَلَى تَلْبِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنَّمَا قُلْنَا لاَ بَأْسَ بِزِيَادَةِ تَعْظِيمِ اللَّهِ فِيهَا لِمَا جَاءَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَهُوَ حَفِظَ التَّلْبِيَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ زَادَ ابْنُ عُمَرَ فِي تَلْبِيَتِهِ مِنْ قِبَلِهِ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিম্নরূপ তালবিয়া পাঠ করতেনঃ “আমি হাযির, হে আল্লাহ্‌ ! আমি হাযির; তোমার কোন শরীক নেই, আমি হাযির; সকল প্রশংসা ও সকল নিয়ামাত তোমারই, সমস্ত বিশ্বের রাজত্ব তোমারই; তোমার কোন শরীক নেই।“

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯১৮), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু মাসঊদ, জাবির, আইশা, ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি আরও বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্। এই হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী ও অপরাপর আলিম আমল করার কথা বলেছেন। এই অভিমত সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) -এর। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, কোন লোক যদি আল্লাহ্‌ তা’আলার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ নিজের পক্ষ হতে তালবিয়াতে বাড়িয়ে নেয় তবে ইনশাআল্লাহ্ এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমার নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পাঠকৃত তালবিয়াতে সন্তুষ্ট থাকাই বেশী প্রিয়।

ইমাম শাফিঈ বলেন, “তালবিয়ার মধ্যে আল্লাহ্‌ তা’আলার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ যুক্ত করাতে কোন সমস্যা নেই” ইবনু উমার (রাঃ) -এর এই রিওয়ায়াতটি হল আমার এই কথার দলীল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে তিনি তালবিয়ার শব্দ সংরক্ষণ করেছেন। এরপরও তিনি এতে নিজের পক্ষ হতে বাড়িয়েছেন (নিম্নের হাদীস)।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ أَهَلَّ فَانْطَلَقَ يُهِلُّ فَيَقُولُ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَقُولُ هَذِهِ تَلْبِيَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَكَانَ يَزِيدُ مِنْ عِنْدِهِ فِي أَثَرِ تَلْبِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইহরাম বাঁধার সময় উচ্চস্বরে বলতেনঃ “লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাত লাকা ওয়াল মুলকা, লা-শারীকা লাকা” বর্ণনাকারী বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর তালবিয়া। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর তালবিয়ার সাথে নিজের পক্ষ হতে তিনি এটুকু অংশ বাড়িয়ে পাঠ করতেনঃ লাব্বাইকা, লাব্বাইকা ও সা’দাইকা ওয়াল খাইরু ফী ইয়াদাইকা, লাব্বাইকা ওয়ার রাগবা-উ ইলাইকা ওয়াল আমালু।

‘আমি হাযির, আমি হাযির, আমি ভাগ্যবান, সকল প্রকার কল্যাণ তোমারই হাতে, আমি হাযির, সকল প্রকার আশা-আকাংক্ষা তোমার প্রতিই, আমলও তোমার (সন্তুষ্টির) জন্যই”।

 

-সহীহ, প্রাগুক্ত, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪. অনুচ্ছেদঃ

তালবিয়া ও কুরবানীর ফযিলত

৮২৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ أَىُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ قَالَ ‏ “‏ الْعَجُّ وَالثَّجُّ ‏”‏ ‏.‏

আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে প্রশ্ন করা হল, কোন প্রকার হজ্জ সবচেয়ে উত্তম? তিনি বলেনঃ চিৎকার করা (উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ) ও রক্ত প্রবাহিত করা (কুরবানী দেওয়া)।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯২৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৮

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُلَبِّي إِلاَّ لَبَّى مَنْ عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ مِنْ حَجَرٍ أَوْ شَجَرٍ أَوْ مَدَرٍ حَتَّى تَنْقَطِعَ الأَرْضُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ ‏.‏ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ عَنْ أَبِيهِ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ الطَّحَّانُ ضِرَارُ بْنُ صُرَدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَأَخْطَأَ فِيهِ ضِرَارٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ مَنْ قَالَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ عَنْ أَبِيهِ فَقَدْ أَخْطَأَ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ وَذَكَرْتُ لَهُ حَدِيثَ ضِرَارِ بْنِ صُرَدٍ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ فَقَالَ هُوَ خَطَأٌ ‏.‏ فَقُلْتُ قَدْ رَوَاهُ غَيْرُهُ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ أَيْضًا مِثْلَ رِوَايَتِهِ ‏.‏ فَقَالَ لاَ شَىْءَ إِنَّمَا رَوَوْهُ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ‏.‏ وَرَأَيْتُهُ يُضَعِّفُ ضِرَارَ بْنَ صُرَدٍ ‏.‏ وَالْعَجُّ هُوَ رَفْعُ الصَّوْتِ بِالتَّلْبِيَةِ ‏.‏ وَالثَّجُّ هُوَ نَحْرُ الْبُدْنِ ‏.‏

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন মুসলিম তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডান ও বামে পাথর, বৃক্ষরাজি, মাটি সবকিছুই তার সাথে তালবিয়া পাঠ করে। এমনকি পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে ও প্রান্ত পর্যন্ত (তালবিয়া পাঠকারীদের দ্বারা) পূর্ণ হয়ে যায়।

 

-সহীহ, মিশকাত (২৫৫০)।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশের হাদীসের ন্যায় উবাইদা ইবনু হুমাইদের বরাতে সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) -এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে। ইবনু উমার ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা আবূ বাকরের হাদীসটিকে গারীব বলেছেন। তিনি বলেন, ইবনু আবূ ফুদাইক-দাহহাক ইবনু উসমানের সূত্র ব্যতীত এটি বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। আর আব্দুর রাহমান ইবনু ইয়ারবূর নিকট হতে মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির কোন হাদীস শুনেননি। বরং অন্য একটি হাদীস তিনি সাঈদ ইবনু আব্দুর রাহমান ইবনু ইয়ারবূর মাধ্যমে তাঁর পিতার সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। আবূ নুআইম আত-তাহহান-যিরার ইবনু সুরাদ এই হাদীসটিকে ইবনু আবূ ফুদাইক-যাহহাক ইবনু উসমান হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির হতে, তিনি সাঈদ ইবনু আব্দুর রাহমান ইবনু ইয়ারবূ হতে, তিনি তার পিতার সূত্রে- আবূ বাকর (রাঃ) -এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু যিরার তাঁর বর্ণনায় ভূল করেছেন।

আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) বলেছেন, বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির-ইবনু আব্দুর রাহমান ইবনু ইয়ারবূ হতে, তিনি তার পিতা হতে যিনি হাদীসটির সূত্র এইভাবে উল্লেখ করেছেন তিনি ভুল করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, আমি যিরার ইবনু সুরাদ-ইবনু আবূ ফুদাইকের সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি মুহাম্মাদ আল-বুখারীর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেন, এটি ভুল। আমি বললাম, ইবনু আবূ ফুদাইক হতে যিরার ছাড়াও অন্যান্য বর্ণনাকারী এরকমই বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, এগুলো কিছু নয়। এরা ইবনু আবূ ফুদাইক হতে বর্ণনা করেছেন অথচ এতে সাঈদ ইবনু আব্দুর রাহমানের নাম উল্লেখ করেননি। যিরার ইবনু সুরাদকে ইমাম বুখারী দুর্বল বর্ণনাকারী সাব্যস্ত করেছেন।

‘আল-আজ্জ’ অর্থ উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা এবং ‘আস-সাজ্জ” অর্থ পশু কুরবানী করা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অনুচ্ছেদঃ

উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ

৮২৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ بْنِ خَلاَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَمَرَنِي أَنْ آمُرَ أَصْحَابِي أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالإِهْلاَلِ وَالتَّلْبِيَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ خَلاَّدٍ عَنْ أَبِيهِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَلاَ يَصِحُّ وَالصَّحِيحُ هُوَ عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ وَهُوَ خَلاَّدُ بْنُ السَّائِبِ بْنِ خَلاَّدِ بْنِ سُوَيْدٍ الأَنْصَارِيُّ عَنْ أَبِيهِ.

খাল্লাদ ইবনুল সাইব (রাঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জিবরাঈল (আ) আমার নিকট এসে বলেন যে, আমার সাহাবীদেরকে যেন আমি উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠের নির্দেশ প্রদান করি।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯২২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

যাইদ ইবনু খালিদ, আবূ হুরাইরা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। খাল্লাদ হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই হাদীসটিকে কেউ কেউ খাল্লাদ ইবনু সাইব হতে, তিনি যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটি সহীহ্ নয়। খাল্লাদ ইবনুস সাইব তার পিতার সূত্রে এই বর্ণনাটি সঠিক।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অনুচ্ছেদঃ

ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল করা

৮৩০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَعْقُوبَ الْمَدَنِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَجَرَّدَ لإِهْلاَلِهِ وَاغْتَسَلَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدِ اسْتَحَبَّ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ الاِغْتِسَالَ عِنْدَ الإِحْرَامِ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ ‏.‏

যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে তিনি ইহরামের উদ্দেশ্যে (সেলাই করা) পোশাক খুলতে ও গোসল করতে দেখেছেন।

 

-সহীহ, তা’লীকাতুল জিয়াদ, মিশকাত তাহকীক ছানী, আল হাজ্জুল কাবীর (২৫৪৭)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল করাকে একদল আলিম মুস্তাহাব বলেছেন। এই মত ইমাম শাফিঈর।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭. অনুচ্ছেদঃ

বিভিন্ন এলাকার লোকদের ইহরাম বাঁধার জায়গা (মীকাত)

৮৩১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ مِنْ أَيْنَ نُهِلُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ ‏ “‏ يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَأَهْلُ الشَّامِ مِنَ الْجُحْفَةِ وَأَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَيَقُولُونَ وَأَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! কোথা হতে আমরা ইহরাম বাঁধব? তিনি বললেনঃ যুল-হুলাইফা হতে মদানীবাসীগণ, জুহফা হতে সিরিয়াবাসীগণ, কারন হতে নাজদবাসীগণ এবং ইয়ালামলাম হতে ইয়ামানবাসীগণ ইহরাম বাঁধবে।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯১৪), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু আব্বাস, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করতে বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩২

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَّتَ لأَهْلِ الْمَشْرِقِ الْعَقِيقَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ هُوَ أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্ব এলাকার লোকদের জন্য আকীক নামক জায়গাকে মীকাত হিসেবে স্থির করেছেন।

 

মুনকার; ইরওয়া (১০০২), যঈফ আবূ দাঊদ(৩০৬), সহীহ হল যাতু ইরক।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ ইবনু আলী ইনি হলেন আবূ জাফর।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

১৮. অনুচ্ছেদঃ

যে ধরনের পোশাক পরা ইহরামধারী লোকের জন্য বৈধ নয়

৮৩৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَاذَا تَأْمُرُنَا أَنْ نَلْبَسَ مِنَ الثِّيَابِ فِي الْحَرَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَلْبَسُوا الْقُمُصَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ الْخِفَافَ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ أَحَدٌ لَيْسَتْ لَهُ نَعْلاَنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ وَلاَ تَلْبَسُوا شَيْئًا مِنَ الثِّيَابِ مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ وَلاَ الْوَرْسُ وَلاَ تَنْتَقِبِ الْمَرْأَةُ الْحَرَامُ وَلاَ تَلْبَسِ الْقُفَّازَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল ! আমাদেরকে ইহরাম অবস্থায় আপনি কি ধরণের পোশাক পরার নির্দেশ দেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জামা, পাজামা, টুপি, পাগড়ী ও মোজা পরবে না। তবে কোন লোকের জুতা না থাকলে সে চামড়ার মোজা পরবে যা পায়ের গোছার নিচে থাকে। যাফরান ও ওয়ারাস রং-এ রঙ করা কোন পোশাক তোমরা পরবে না। ইহরামধারী মহিলারা মুখ ঢাকবে না এবং হাতে দস্তানা (হাত মোজা) পরবে না।

 

-সহীহ্, ইরওয়া, সহীহ্ আবূ দাঊদ (১৬০০- ১৩০৬), আল হাজ্জুল কাবীর, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করার কথা বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯. অনুচ্ছেদঃ

ইহরামধারী ব্যক্তি লুঙ্গি ও জুতা জোগাড় করতে না পারলে পাজামা ও মোজা পরতে পারে

৮৩৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ الْمُحْرِمُ إِذَا لَمْ يَجِدِ الإِزَارَ فَلْيَلْبَسِ السَّرَاوِيلَ وَإِذَا لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرٍو، نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَجَابِرٍ، ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا إِذَا لَمْ يَجِدِ الْمُحْرِمُ الإِزَارَ لَبِسَ السَّرَاوِيلَ وَإِذَا لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ لَبِسَ الْخُفَّيْنِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَلَى حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ ইহরামধারী ব্যক্তি লুঙ্গি যোগাড় করতে না পারলে সে পাজামই পরবে এবং জুতা জোগাড় করতে না পারলে মোজা পরবে।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯৩১), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু উমার ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী একদল আলিম আমল করার কথা বলেছেন। তারা বলেন, ইহরামধারী ব্যক্তি (সেলাইবিহীন) লুঙ্গি জোগাড় করতে না পারলে পাজামাই পরবে এবং জুতা জোগাড় করতে না পারলে মোজা পরবে। এটা আহমাদ (রহঃ)-এর মন্তব্য। ইবনু উমার (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী অপর একদল আলিম বলেন, জুতা না পেলে সে মোজার উপরিভাগ পায়ের গোড়ালি নিম্নভাগ বরাবর কেটে পড়তে পারবে। এই মত সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ এ মালিক (রহঃ)-এর।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০. অনুচ্ছেদঃ

ইহরামধারী ব্যক্তির পরনে জামা বা জুব্বা থাকলে

৮৩৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، قَالَ رَأَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَعْرَابِيًّا قَدْ أَحْرَمَ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ فَأَمَرَهُ أَنْ يَنْزِعَهَا ‏.‏

ইয়ালা ইবনু উমাইয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক বেদুঈনকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় জুব্বা পরিহিত দেখলেন। তিনি তাকে তা খুলার নির্দেশ দিলেন।

 

সহীহ্, সহীহ আবূ দাঊদ (১৫৯৬, ১৫৯৯), বুখারী, মুসলিম পূর্ণরূপে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩৬

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَاهُ قَتَادَةُ وَالْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ ‏.‏ وَالصَّحِيحُ مَا رَوَى عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ وَابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

ইবনু আবী উমার থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আবী উমার সুফিয়ান হতে, তিনি আমর ইবনু দীনার হতে, তিনি আতা হতে, তিনি সাফওয়ান ইবনু ইয়ালা হতে এই সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বক্তব্য সম্বলিত হাদীস ইয়ালা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা এই শেষোক্ত সূত্রে বর্ণিত হাদীসটিকে অধিক সহীহ্ বলেছেন। এ হাদীসের পটভূমিতে একটি ঘটনাও আছে। আতা-ইয়ালা ইবনু উমাইয়্যা (রাঃ) -এর সূত্রে কাতাদা-হাজ্জাজ ইবনু আরতাত প্রমুখ এইরূপই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আমার ইবনু দীনার ও ইবনু জুরাইজ-আতা হতে, তিনি সাফওয়ান ইবনু ইয়ালা হতে তিনি তার পিতা ইয়ালা (রাঃ) -এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে যা বর্ণনা করেছেন তাই সঠিক।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

২১. অনুচ্ছেদঃ

ইহরামধারী ব্যক্তি যে প্রাণী হত্যা করতে পারে

৮৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَمْسُ فَوَاسِقَ يُقْتَلْنَ فِي الْحَرَمِ الْفَأْرَةُ وَالْعَقْرَبُ وَالْغُرَابُ وَالْحُدَيَّا وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হারাম শারীফের ভিতরেও পাঁচটি অনিষ্টকারী প্রাণীকে মারা যায়ঃ ইঁদুর, বিচ্ছু, কাক, চিল ও হিংস্র কুকুর।

 

– সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০৮৭), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু মাসউদ, ইবনু উমার, আবূ হুরাইরা, আবূ সাঈদ ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ السَّبُعَ الْعَادِيَ وَالْكَلْبَ الْعَقُورَ وَالْفَأْرَةَ وَالْعَقْرَبَ وَالْحِدَأَةَ وَالْغُرَابَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالُوا الْمُحْرِمُ يَقْتُلُ السَّبُعَ الْعَادِيَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ كُلُّ سَبُعٍ عَدَا عَلَى النَّاسِ أَوْ عَلَى دَوَابِّهِمْ فَلِلْمُحْرِمِ قَتْلُهُ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইহরামধারী ব্যক্তি আক্রমণকারী হিংস্র জীব, হিংস্র কুকুর, ইঁদুর, বিছা, চিল ও কাক হত্যা করতে পারে।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ(৩০৮৯),

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান। আলিমগণ এই হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তাঁরা বলেন, ইহরামধারী ব্যাক্তি আক্রমণকারী হিংস্র জীব হত্যা করতে পারে। সুফিয়ান সাওরী ও শাফিঈ এই অভিমত দিয়েছেন। ইমাম শাফিঈ(রহঃ) আরও বলেন, যে কোন হিংস্র জীব, যদি তা মানুষ বা তার পশুর উপর আক্রমন করে তবে সেটিকে ইহরামধারী ব্যাক্তি হত্যা করতে পারবে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২২. অনুচ্ছেদঃ

ইহরামধারী ব্যক্তির রক্তক্ষরণ করানো

৮৩৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، وَعَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الْحِجَامَةِ لِلْمُحْرِمِ وَقَالُوا لاَ يَحْلِقُ شَعَرًا ‏.‏ وَقَالَ مَالِكٌ لاَ يَحْتَجِمُ الْمُحْرِمُ إِلاَّ مِنْ ضَرُورَةٍ ‏.‏ وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالشَّافِعِيُّ لاَ بَأْسَ أَنْ يَحْتَجِمَ الْمُحْرِمُ وَلاَ يَنْزِعُ شَعَرًا ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইহরাম পরিহিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তক্ষরণ করিয়েছেন।

 

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৬৮২), বুখারী

  •  
  •  
  •  
  •  

আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু বুহাইনা ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। ইহরাম অবস্থায় রক্তক্ষরণ করানোর ব্যাপারে একদল আলিম অনুমতি প্রদান করেছেন। তারা বলেন, এ অবস্থায় চুল ফেলা যাবে না। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, ইহরাম পরিহিত অবস্থায় প্রয়োজন ব্যতীত রক্তক্ষরণ করানো যাবে না। সুফিয়ান সাওরী ও শাফিঈ (রহঃ) বলেন, ইহরাম পরিহিত ব্যক্তির রক্তক্ষরণ করানোতে কোন সমস্যা নেই, তবে চুল কাটা যাবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩. অনুচ্ছেদঃ

ইহরামধারী লোকের বিয়ে করানো মাকরূহ

৮৪০

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ أَرَادَ ابْنُ مَعْمَرٍ أَنْ يُنْكِحَ، ابْنَهُ فَبَعَثَنِي إِلَى أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَوْسِمِ بِمَكَّةَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ إِنَّ أَخَاكَ يُرِيدُ أَنْ يُنْكِحَ ابْنَهُ فَأَحَبَّ أَنْ يُشْهِدَكَ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ لاَ أُرَاهُ إِلاَّ أَعْرَابِيًّا جَافِيًا إِنَّ الْمُحْرِمَ لاَ يَنْكِحُ وَلاَ يُنْكِحُ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ثُمَّ حَدَّثَ عَنْ عُثْمَانَ مِثْلَهُ يَرْفَعُهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي رَافِعٍ وَمَيْمُونَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُثْمَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَابْنُ عُمَرَ وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَرَوْنَ أَنْ يَتَزَوَّجَ الْمُحْرِمُ قَالُوا فَإِنْ نَكَحَ فَنِكَاحُهُ بَاطِلٌ ‏.‏

নুবাইহ ইবনু ওয়াহব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু মামার তার (ইহরামধারী) ছেলেকে বিয়ে করাতে মনস্থ করলেন। তাই তিনি আমাকে আমীরুল হজ্জ আবান ইবনু উসমানের নিকট পাঠালেন। তাঁর নিকট এসে আমি বললাম, আপনার ভাই তাঁর ছেলেকে বিয়ে করাতে চান। এই বিষয়ে তিনি আপনাকে সাক্ষী রাখতে চান। তিনি বললেন, আমি দেখছি সে তো এক মূৰ্খ বেদুঈন! ইহরামধারী ব্যক্তি না নিজে বিয়ে করতে পারে আর না অন্যকে বিয়ে করাতে পারে, অথবা এরকমই বলেছেন। নুবাইহ বলেন, এরপর তিনি হাদীসটিকে উসমান (রাঃ)-এর মারফতে মারফূভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৬৬), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ রাফি ও মাইমূনা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর একদল সাহাবী আমল করার কথা ব্যক্ত করেছেন। উমার ইবনুল খাত্তাব, আলী ইবনু আবূ তালিব ও ইবনু উমার (রাঃ) তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কিছুসংখ্যক তাবিঈ ফিকহবিদের বক্তব্যও তাই। ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর মতও তাই অর্থাৎ ইহরাম পরিহিত অবস্থায় কোন লোক বিয়ে করতে পারে না। তারা বলেন, ইহরাম অবস্থায় কোন লোক বিয়ে করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৪১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَيْمُونَةَ وَهُوَ حَلاَلٌ وَبَنَى بِهَا وَهُوَ حَلاَلٌ وَكُنْتُ أَنَا الرَّسُولَ فِيمَا بَيْنَهُمَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا أَسْنَدَهُ غَيْرَ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ عَنْ رَبِيعَةَ ‏.‏ وَرَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ رَبِيعَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ مَيْمُونَةَ وَهُوَ حَلاَلٌ ‏.‏ رَوَاهُ مَالِكٌ مُرْسَلاً ‏.‏ قَالَ وَرَوَاهُ أَيْضًا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ عَنْ رَبِيعَةَ مُرْسَلاً ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرُوِيَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ عَنْ مَيْمُونَةَ قَالَتْ تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ حَلاَلٌ ‏.‏ وَيَزِيدُ بْنُ الأَصَمِّ هُوَ ابْنُ أُخْتِ مَيْمُونَةَ ‏.‏

আবূ রাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের ইহরামমুক্ত অবস্থায় মায়মূনা (রাঃ)-কে বিয়ে করেন এবং ইহরামমুক্ত অবস্থায়ই তাঁর সাথে বিবাহরজনী যাপন করেন। আমি ছিলাম তাদের মধ্যকার দূত (ঘটক)।

 

যঈফ, ইরওয়া(১৮৪৯), হাদীসের প্রথম অংশ সহীহ যাহা ৮৮৭ নং হাদীসের অংশ।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান। হাম্মাদ ইবনু যাইদ-মাতার আল-ওয়াররাক হতে তিনি রাবীয়া (রহঃ)-এর সূত্র ব্যতীত অন্য কেউ এটিকে মুসনাদ হিসেবে রিওয়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)-রাবীয়া হতে তিনি সুলাইমান ইবনু ইয়াসারের সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাইমুনা (রাঃ)-কে হালাল (ইহরামমুক্ত) অবস্থায় বিয়ে করেছেন। মালিক এই রিওয়াত ‘মুরসাল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটিকে সুলাইমান ইবনু বিলালও রাবীয়া হতে এটি মুরসালরুপে বর্ণনা করেছেন।

 

আবূ ঈসা বলেনঃ ইয়াযীদ ইবনু আসাম্ম হতে মাইমূনাহ (রাঃ)-এর সূত্রে বর্নীত আছে যে,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হালাল অবস্থায় আমাকে বিয়ে করেছেন। আবূ ‘ঈসা বলেন : ইয়াযীদ ইবনু আসাম্ম (রহঃ) মাইমুনাহ (রাঃ)-এর বোনের ছেলে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৪. অনুচ্ছেদঃ

ইহরাম পরিহিত অবস্থায় বিয়ের অনুমতি প্রসঙ্গে

৮৪২

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ مَيْمُونَةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের ইহরাম অবস্থায় মাইমুনাহ (রাঃ) কে বিয়ে করেন।

 

শাজ, ইবনু মাজাহ ১৯৬৫, বুখারী ও মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। একদল আলিম এ হাদীস অনুসারে ‘আমালের (ইহরাম অবস্থায় বিয়ে করা বৈধ হওয়ার) অভিমত গ্রহণ করেছেন। সুফইয়ান সাওরী ও কূফাবাসী ‘আলিমদের অভিমতও অনুরূপ।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

৮৪৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ مَيْمُونَةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের ইহরাম অবস্থায় মাইমূনাহ (রাঃ)-কে বিয়ে করেছেন।

 

(শাজ, দেখুন পূর্বের হাদীস)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

৮৪৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الشَّعْثَاءِ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ مَيْمُونَةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو الشَّعْثَاءِ اسْمُهُ جَابِرُ بْنُ زَيْدٍ ‏.‏ وَاخْتَلَفُوا فِي تَزْوِيجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَيْمُونَةَ لأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَهَا فِي طَرِيقِ مَكَّةَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ تَزَوَّجَهَا حَلاَلاً وَظَهَرَ أَمْرُ تَزْوِيجِهَا وَهُوَ مُحْرِمٌ ثُمَّ بَنَى بِهَا وَهُوَ حَلاَلٌ بِسَرِفَ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ وَمَاتَتْ مَيْمُونَةُ بِسَرِفَ حَيْثُ بَنَى بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَدُفِنَتْ بِسَرِفَ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের ইহ্‌রাম অবস্থায় মাইমূনা (রাঃ)-কে বিয়ে করেছেন।

 

শাজ, দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। রাবী আবুশ্‌ শা‘সা-এর নাম জাবির ইবনু যাইদ। মাইমূনা (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের ইহ্‌রাম অবস্থায় না ইহ্‌রামমুক্ত অবস্থায় বিয়ে করেছেন, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আলিমগণের মাঝে মতদ্বৈততার কারণ এটা যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)তাঁকে মক্কার পথে বিয়ে করেছিলেন। তাই কেউ কেউ বলেন, তিনি মাইমূনা (রাঃ)-কে নিজের ইহ্‌রামমুক্ত অবস্থায়ই বিয়ে করেছেন। কিন্তু এই বিয়ের বিষয়টি তাঁর ইহ্‌রাম বাঁধার পরে প্রকাশিত হয়। এরপর মক্কার পথে ‘সারিফ’ নামক জায়গায় তিনি ইহ্‌রামমুক্ত অবস্থায় তাঁর সাথে বিবাহরজনী যাপন করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মাইমূনা (রাঃ)-এর যেখানে বিবাহরজনী হয়েছিল পরবর্তীতে সেই ‘সারিফ’ নামক জায়গাতেই তিনি (মাইমুনা) মারা যান এবং সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

৮৪৫

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ أَبَا فَزَارَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَهَا وَهُوَ حَلاَلٌ وَبَنَى بِهَا حَلاَلاً وَمَاتَتْ بِسَرِفَ وَدَفَنَّاهَا فِي الظُّلَّةِ الَّتِي بَنَى بِهَا فِيهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ مُرْسَلاً أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ مَيْمُونَةَ وَهُوَ حَلاَلٌ ‏.‏

মাইমূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাকে বিয়ে করেন তিনি তখন ইহরামমুক্ত অবস্থায় ছিলেন এবং একই অবস্থায় তিনি তার সাথে বাসর যাপন করেন। পরবর্তী কালে মাইমূনা (রাঃ) সারিফেই মারা যান এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে যে ঝুপড়িতে (কুঁড়ে ঘরে) বাসর যাপন করেন আমরা তাকে সেই স্থানেই দাফন করি।

 

– সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৬৪), মুসলিম সংক্ষিপ্তভাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন। ইয়াযীদ ইবনু আসান্ম হতে একাধিক বর্ণনাকারী এই হাদীসটি মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন যে, হালাল অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাইমূনা (রাঃ)-কে বিয়ে করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫. অনুচ্ছেদঃ

ইহরামধারী ব্যক্তির শিকারের গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে

৮৪৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صَيْدُ الْبَرِّ لَكُمْ حَلاَلٌ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ مَا لَمْ تَصِيدُوهُ أَوْ يُصَدْ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ وَطَلْحَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ مُفَسَّرٌ ‏.‏ وَالْمُطَّلِبُ لاَ نَعْرِفُ لَهُ سَمَاعًا مِنْ جَابِرٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ بِأَكْلِ الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ بَأْسًا إِذَا لَمْ يَصْطَدْهُ أَوْ لَمْ يُصْطَدْ مِنْ أَجْلِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا أَحْسَنُ حَدِيثٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَفْسَرُ وَالَعَمَلُ عَلَى هَذَا وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইহ্‌রাম অবস্থায়ও স্থলভাগের শিকারকৃত প্রাণীর গোশ্‌ত তোমাদের জন্য বৈধ, যদি না তোমরা নিজেরা তা শিকার করে থাক বা তোমাদের উদ্দেশে তা শিকার করা হয়।

 

যঈফ, মিশকাত, তাহক্বীক্ব ছানী (২৭০০),

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে আবূ ক্বাতাদা ও তালহা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি একটি বিস্তারিত বর্ণনা। মুত্তালিব জাবির (রাঃ)-এর হাদীস শুনেছেন কি-না তা আমাদের জানা নেই। একদল ‘আলিমের মতে যদি মুহরিম ব্যক্তি নিজে শিকার না করে বা তার উদ্দেশে শিকার না করা হয় তবে তার জন্য এর গোশ্‌ত খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, এ অনুচ্ছেদে যতগুলো হাদীস বর্ণিত আছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে উত্তম এবং খুব বেশী যুক্তিসম্মত। এ হাদীস অনুযায়ী ‘আমল করতে হবে। ইমাম আহ্‌মাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এরও উক্ত অভিমত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৮৪৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ نَافِعٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ تَخَلَّفَ مَعَ أَصْحَابٍ لَهُ مُحْرِمِينَ وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ فَرَأَى حِمَارًا وَحْشِيًّا فَاسْتَوَى عَلَى فَرَسِهِ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُنَاوِلُوهُ سَوْطَهُ فَأَبَوْا فَسَأَلَهُمْ رُمْحَهُ فَأَبَوْا عَلَيْهِ فَأَخَذَهُ ثُمَّ شَدَّ عَلَى الْحِمَارِ فَقَتَلَهُ فَأَكَلَ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَى بَعْضُهُمْ فَأَدْرَكُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا هِيَ طُعْمَةٌ أَطْعَمَكُمُوهَا اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে (সফরে) ছিলেন। তিনি এক পর্যায়ে তার কিছু সঙ্গীসহ মক্কার কোন এক পথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পিছনে পড়ে গেলেন। তার সঙ্গীরা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু তিনি নিজে মুহরিম ছিলেন না। তিনি একটি বন্য গাধা দেখলেন। তিনি সেই মুহূর্তে তার ঘোড়ায় উঠে বসলেন এবং তার চাবুকটি সঙ্গীদেরকে দিতে বললেন। কিন্তু তা দিতে তারা অস্বীকার করলেন। তিনি তার বর্শাটি চাইলে তাও দিতে তারা অস্বীকৃতি জানালেন। এরপর তিনি নিজেই সেটাকে উঠিয়ে নেন এবং গাধাটিকে আক্রমণ করে মেরে ফেলেন। কিছু সাহাবী তার গোশত খেলেন এবং সেটা খেতে কেউ কেউ অস্বীকার করলেন। ইতোমধ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে তারা মিলিত হয়ে তাকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বললেনঃ এটি এমন খাবার যা আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে খাইয়েছেন।

 

সহীহ, ইরওয়া (১০২৮), সহীহ আবূ দাউদ (১৬২৩), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৪৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، فِي حِمَارِ الْوَحْشِ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي النَّضْرِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ هَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَيْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূন নাযরের হাদীসের মতই আবূ কাতাদা (রাঃ) -এর সূত্রে হাদীস বর্ণিত আছে। তবে এই রিওয়ায়াতে আরো আছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের নিকট এর গোশত অবশিষ্ট আছে কি?

 

-সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬. অনুচ্ছেদঃ

মুহরিমের জন্য শিকারের গোশত খাওয়া মাকরূহ

৮৪৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الصَّعْبَ بْنَ جَثَّامَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِ بِالأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ فَأَهْدَى لَهُ حِمَارًا وَحْشِيًّا فَرَدَّهُ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا فِي وَجْهِهِ مِنَ الْكَرَاهِيَةِ قَالَ ‏ “‏ إِنَّهُ لَيْسَ بِنَا رَدٌّ عَلَيْكَ وَلَكِنَّا حُرُمٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ وَكَرِهُوا أَكْلَ الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا وَجْهُ هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَنَا إِنَّمَا رَدَّهُ عَلَيْهِ لَمَّا ظَنَّ أَنَّهُ صِيدَ مِنْ أَجْلِهِ وَتَرَكَهُ عَلَى التَّنَزُّهِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ وَقَالَ أَهْدَى لَهُ لَحْمَ حِمَارِ وَحْشٍ ‏.‏ وَهُوَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ ‏.‏

উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাকে অবহিত করেছেন এবং সা’ব ইবনু জাসসামা (রাঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) -কে অবহিত করেছেন যে, আবওয়া বা ওয়াদদান নামক জায়গাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি একটা বন্য গাধা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে উপহার দিলেন। কিন্তু তাঁকে তিনি তা ফেরত দিলেন। তাঁর চেহারাতে মালিন্যের ভাব দেখতে পেয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমার এই উপহার ফিরিয়ে দিতাম না। কিন্তু আমরা যে এখন ইহরাম অবস্থায় আছি।

 

-সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী এবং অপরাপর আলিমগণ মুহরিমের জন্য শিকারের গোশত খাওয়া মাকরূহ বলেছেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক ফেরতদানের তাৎপর্য এই যে, তিনি অনুমান করেছিলেন যে, হয়ত তার উদ্দেশ্যেই এটিকে শিকার করা হয়েছে। তাই এটা হতে বাচতেই তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ইমাম যুহরী (রহঃ)-এর কিছু শাগরিদ তার হতে বর্ণনা করেন যে, বন্য গাধার গোশত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে উপহার দেয়া হয়। কিন্তু এই রিওয়ায়াতটি সংরক্ষিত নয়।

আলী ও যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭. অনুচ্ছেদঃ

মুহ্‌রিমের জন্য সমুদ্রের শিকার বৈধ

৮৫০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَزِّمِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ فَاسْتَقْبَلَنَا رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ فَجَعَلْنَا نَضْرِبُهُ بِسِيَاطِنَا وَعِصِيِّنَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كُلُوهُ فَإِنَّهُ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الْمُهَزِّمِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَأَبُو الْمُهَزِّمِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ سُفْيَانَ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ شُعْبَةُ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَصِيدَ الْجَرَادَ وَيَأْكُلَهُ وَرَأَى بَعْضُهُمْ عَلَيْهِ صَدَقَةً إِذَا اصْطَادَهُ وَأَكَلَهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ্‌ করতে বের হলাম। আমাদের সামনে এক ঝাঁক পঙ্গপাল এসে পড়ল। আমরা আমাদের চাবুক ও ছড়ি দিয়ে এগুলো মারতে শুরু করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এটা তোমরা খেতে পার। কারণ এটা জলজ শিকারের অন্তর্ভুক্ত।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩২২২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আবুল মুহায্‌যিম ব্যতীত এটিকে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে আর কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আবুল মুহায্‌যিমের নাম ইয়াযীদ ইবনু সুফিয়ান। শুবা তার সমালোচনা করেছেন। একদল ‘আলিম মুহ্‌রিমের জন্য পঙ্গপাল শিকার করা এবং তা খাওয়ার সম্মতি দিয়েছেন। অন্য একদল ‘আলিম বলেছেন, তা শিকার করলে বা খেলে মুহ্‌রিমের উপর সাদাকা (দম) নির্ধারিত হবে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

২৮. অনুচ্ছেদঃ

মুহুরিমের জন্য ভুল্লোক শিকার করা

৮৫১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَمَّارٍ، قَالَ قُلْتُ لِجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الضَّبُعُ أَصَيْدٌ هِيَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ آكُلُهَا قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ أَقَالَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَرَوَى جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عُمَرَ ‏.‏ وَحَدِيثُ ابْنِ جُرَيْجٍ أَصَحُّ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الْمُحْرِمِ إِذَا أَصَابَ ضَبُعًا أَنَّ عَلَيْهِ الْجَزَاءَ ‏.‏

ইবনু আবূ আম্মার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে আমি বললাম, ভুল্লোক কি শিকার (করার মত প্রাণী)। তিনি বলেন, হ্যা। আমি বললাম, সেটা কি খেতে পারবো? তিনি বলেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি এ কথা বলেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ।

 

– সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০৮৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি জারীর ইবনু হাযিম (রহঃ) রিওয়ায়ত করেছেন এবং তিনি সনদের উল্লেখ করেছেন এভাবে “জাবির হতে তিনি উমার হতে”। কিন্তু ইবনু জুরাইজ (রহঃ)-এর বর্ণনাটি বেশি সহীহ। এই মত ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর। একদল আলিম মুহুরিমের ক্ষেত্রে বলেন, সে যদি ভুল্লোক শিকার করে তাহলে তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯. অনুচ্ছেদঃ

মক্কায় যাওয়ার উদ্দেশে গোসল করা

৮৫২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ صَالِحٍ الطَّلْحِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اغْتَسَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِدُخُولِهِ مَكَّةَ بِفَخٍّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَيْرُ مَحْفُوظٍ ‏.‏ وَالصَّحِيحُ مَا رَوَى نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَغْتَسِلُ لِدُخُولِ مَكَّةَ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ يُسْتَحَبُّ الاِغْتِسَالُ لِدُخُولِ مَكَّةَ ‏.‏ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُهُمَا وَلاَ نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা শরীফে যাওয়ার উদ্দেশে ফাখ নামক জায়গাতে গোসল করেন।

 

সনদ খুবই দুর্বল। ফাখ শব্দ উল্লেখ না করে বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সহীহ আবূ দাঊদ (১২২৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সুরক্ষিত নয়। মক্কা মুকাররমায় যাওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গোসল করতেন মর্মে বর্ণিত ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে নাফি‘-এর হাদীসটি বেশী সহীহ্‌। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) মক্কায় যাওয়ার জন্য গোসল করা মুস্তাহাব বলেছেন। রাবী আবদুর রহমান ইবনু যাইদ ইবনু আসলাম হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। আহ্‌মাদ ইবনু হাম্বল, আলী ইবনুল মাদীনী প্রমুখ তাকে যঈফ বলেছেন। তার সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে এ হাদীসটি মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে কি-না তা আমাদের জানা নেই।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৩০. অনুচ্ছেদঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উচ্চভূমি দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করতেন এবং নিম্নভূমি দিয়ে বের হতেন

৮৫৩

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَكَّةَ دَخَلَ مِنْ أَعْلاَهَا وَخَرَجَ مِنْ أَسْفَلِهَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَاَلَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আগমন করলেন তখন এর উচ্চভূমি দিয়ে আসলেন এবং বের হলেন নিম্নভূমি দিয়ে।

 

– সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (১৬৩৩) বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আইশা (রাঃ)-এর হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১. অনুচ্ছেদঃ

দিনের বেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মক্কায় আগমন

৮৫৪

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْعُمَرِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ نَهَارًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিনের বেলা মক্কা নগরীতে আগমন করেন।

 

– সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (১৬২৯), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২. অনুচ্ছেদঃ

বাইতুল্লাহ্‌ শরীফ দেখে হাত তোলা মাকরূহ

৮৫৫

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي قَزَعَةَ الْبَاهِلِيِّ، عَنِ الْمُهَاجِرِ الْمَكِّيِّ، قَالَ سُئِلَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَيَرْفَعُ الرَّجُلُ يَدَيْهِ إِذَا رَأَى الْبَيْتَ فَقَالَ حَجَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَفَكُنَّا نَفْعَلُهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى رَفْعُ الْيَدَيْنِ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْبَيْتِ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي قَزَعَةَ ‏.‏ وَأَبُو قَزَعَةَ اسْمُهُ سُوَيْدُ بْنُ حُجَيْرٍ ‏.‏

মুহাজির আল-মাক্কী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হলঃ কোন ব্যক্তি বাইতুল্লাহ্‌ শরীফ দেখে তার উভয় হাত তুলবে কি-না। তিনি বললেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে হাজ্জ করেছি, কিন্তু তখন কি আমরা তা করেছি?

 

যঈফ, যঈফ আবূ দাঊদ (৩২৬), মিশকাত তাহকীক ছানী (২৫৭৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, বাইতুল্লাহ্‌ দেখে হাত তোলা বিষয়ের এই হাদীসটি শুবা হতে আবূ কাযাআর সূত্রেই আমরা জেনেছি। আবূ কাযাআর নাম সুওয়াইদ ইবনু হুজাইর।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩. অনুচ্ছেদঃ

তাওয়াফ আদায়ের নিয়ম-কানুন

৮৫৬

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَاسْتَلَمَ الْحَجَرَ ثُمَّ مَضَى عَلَى يَمِينِهِ فَرَمَلَ ثَلاَثًا وَمَشَى أَرْبَعًا ثُمَّ أَتَى الْمَقَامَ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَالْمَقَامُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ ثُمَّ أَتَى الْحَجَرَ بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّفَا أَظُنُّهُ قَالََّ ‏:‏‏(‏ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মক্কায় পৌছার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করেন এবং হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন, তারপর ডান দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তিন বার তাওয়াফ করলেন দ্রুত পদক্ষেপে, আর স্বাভাবিক গতিতে তাওয়াফ করলেন চার বার। এরপর মাকামে ইবরাহীমে আসলেন এবং পাঠ করলেনঃ “মাকামে ইবরাহীমকে তোমরা নামাযের জায়গা হিসাবে গ্রহণ কর”(সূরাঃ বাকারা- ১২৫)। তিনি এখানে তাঁর ও বাইতুল্লাহর মাঝে মাকামে ইবরাহীমকে রেখে দুই রাক’আত নামায আদায় করলেন, এরপর হাজরে আসওয়াদের নিকট এসে তা চুম্বন করলেন। এরপর তিনি বের হয়ে গেলেন সাফা পাহাড়ের দিকে (সাঈর উদ্দেশ্যে)। (বর্ণনাকারী বলেন) আমার ধারণা তিনি তখন পাঠ করলেনঃ “নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া (পাহাড়দুটি) আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত”(সূরাঃ বাকারা-১৫৮)।

 

– সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০৭৪), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪. অনুচ্ছেদঃ

হাজরে আসওয়াদ হতে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত দ্রুত প্ৰদক্ষিণ করা

৮৫৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَمَلَ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ ثَلاَثًا وَمَشَى أَرْبَعًا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ إِذَا تَرَكَ الرَّمَلَ عَمْدًا فَقَدْ أَسَاءَ وَلاَ شَىْءَ عَلَيْهِ وَإِذَا لَمْ يَرْمُلْ فِي الأَشْوَاطِ الثَّلاَثَةِ لَمْ يَرْمُلْ فِيمَا بَقِيَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لَيْسَ عَلَى أَهْلِ مَكَّةَ رَمَلٌ وَلاَ عَلَى مَنْ أَحْرَمَ مِنْهَا ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হাজরে আসওয়াদ হতে শুরু করে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন বার দ্রুত পদক্ষেপে তাওয়াফ করেন এবং ধীর পদক্ষেপে চারবার তাওয়াফ করেন।

 

— সহীহ, প্রাগুক্ত।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আলিমগণ এই হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, কোন লোক নিজ ইচ্ছায় দ্রুত পদে তাওয়াফ (রমল) ছেড়ে দিলে তার এই কাজটি মন্দ বলে বিবেচিত হবে, কিন্তু এইজন্য তার উপর কিছু ধার্য হবে না। প্রথম তিন চক্করে রমল না করলে বাকী চক্করসমূহে আর তা করবে না। একদল আলিম বলেছেন, মক্কাবাসী এবং যারা মক্কা হতে ইহরাম বাঁধেন তাদের জন্য রমল (দ্রুত পদে তাওয়াফ) নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫. অনুচ্ছেদঃ

শুধু হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী চুম্বন করা

৮৫৮

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، وَمَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَمُعَاوِيَةُ لاَ يَمُرُّ بِرُكْنٍ إِلاَّ اسْتَلَمَهُ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ يَسْتَلِمُ إِلاَّ الْحَجَرَ الأَسْوَدَ وَالرُّكْنَ الْيَمَانِيَ ‏.‏ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لَيْسَ شَيْءٌ مِنَ الْبَيْتِ مَهْجُورًا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يَسْتَلِمَ إِلاَّ الْحَجَرَ الأَسْوَدَ وَالرُّكْنَ الْيَمَانِيَ ‏.‏

আবুত তুফাইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তাওয়াফের সময় মুআবিয়া (রাঃ) যে রুকনের পাশ দিয়েই যেতেন সেটিই চুম্বন করতেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাকে বললেন, শুধুমাত্র রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুম্বন করতেন। মুআবিয়া (রাঃ) বলেন, বাইতুল্লাহর কিছুই উপেক্ষণীয় নয়।

 

-সহীহ, আলহাজ্জুল কাবীর, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী বেশিরভাগ আলিম আমল করার কথা বলেছেন অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত আর কিছু চুম্বন করবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬. অনুচ্ছেদঃ

ইযতিবা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাওয়াফ করেছেন

৮৫৯

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنِ ابْنِ يَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم طَافَ بِالْبَيْتِ مُضْطَبِعًا وَعَلَيْهِ بُرْدٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثُ الثَّوْرِيِّ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ وَهُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَعَبْدُ الْحَمِيدِ هُوَ ابْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ ‏.‏ عَنِ ابْنِ يَعْلَى عَنْ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ ‏.‏

ইয়ালা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একটি চাদরের মধ্যভাগ ডান বগলের নীচে দিয়ে এবং তার দুই প্রান্ত বাম কাঁধের উপর দিয়ে জড়ানো (ইযতিবা) অবস্থায় (বাহু খোলা রেখে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহ্ তাওয়াফ করেছেন।

 

-হাসান, ইবনু মা-জাহ (২৯৫৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এটি ইবনু জুরাইজ হতে বর্ণিত সাওরীর হাদীস। এটিকে আমরা শুধুমাত্র তার হাদীস হিসেবেই জেনেছি। এই হাদীসটি হাসান সহীহ। আবদুল হামীদ হলেন ইবনু জুবাইরা ইবনু শাইবা এবং ইয়ালা (রাঃ) হলেন ইয়ালা ইবনু উমাইয়্যা।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭. অনুচ্ছেদঃ

হাজরে আসওয়াদে চুম্বন দেওয়া

৮৬০

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ إِنِّي أُقَبِّلُكَ وَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُكَ لَمْ أُقَبِّلْكَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবিস ইবনু রবীআ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে আমি হাজরে আসওয়াদে চুমা দিতে দেখেছি এবং তিনি তখন বলছিলেনঃ আমি তোমাকে চুমা দিচ্ছি অথচ আমি জানি তুমি শুধুই একটি পাথর। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যদি তোমাকে চুমা দিতে না দেখতাম তাহলে আমি তোমাকে চুমা দিতাম না।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯৪৩), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ বাকর ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَرَبِيٍّ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ عَنِ اسْتِلاَمِ الْحَجَرِ، فَقَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَلِمُهُ وَيُقَبِّلُهُ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ أَرَأَيْتَ إِنْ غُلِبْتُ عَلَيْهِ أَرَأَيْتَ إِنْ زُوحِمْتُ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ اجْعَلْ أَرَأَيْتَ بِالْيَمَنِ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَلِمُهُ وَيُقَبِّلُهُ ‏.‏ قَالَ وَهَذَا هُوَ الزُّبَيْرُ بْنُ عَرَبِيٍّ رَوَى عَنْهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ وَالزُّبَيْرُ بْنُ عَرَبِيٍّ كُوفِيٌّ يُكْنَى أَبَا سَلَمَةَ سَمِعَ مِنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَوَى عَنْهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ تَقْبِيلَ الْحَجَرِ فَإِنْ لَمْ يُمْكِنْهُ وَلَمْ يَصِلْ إِلَيْهِ اسْتَلَمَهُ بِيَدِهِ وَقَبَّلَ يَدَهُ وَإِنْ لَمْ يَصِلْ إِلَيْهِ اسْتَقْبَلَهُ إِذَا حَاذَى بِهِ وَكَبَّرَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏

যুবাইর ইবনু আরাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি ইবনু উমারকে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। জবাবে তিনি বললেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তা স্পর্শ ও চুম্বন করতে দেখেছি। লোকটি বললোঃ আপনি কি মনে করেন? আমি যদি পরাভূত হই, আপনি কি মনে করেন? আমি যদি ভিড়ে আটকে পরি, তিনি বললেন, তোমার ঐ কি মনে কর (কথাটি) ইয়ামানে রেখে আস (লোকটি ইয়ামানী ছিল তাই একথা বললেন) আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উহা স্পর্শ করতে ও চুম্বন দিতে দেখেছি।

 

-সহীহ (আল-হাজ্জুলকাবীর) বুখারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

বর্ণনাকারী এই যুবাইর ইবনু আরাবী হতে হাম্মাদ ইবনু যাইদ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর যুবাইর ইবনু আদী কুফাবাসী যার উপনাম আবূ সালামা তিনি আনাস ইবনু মালিক এবং আরও অনেক সাহাবী হতে হাদীস শুনেছেন। তার নিকট হতে সুফিয়ান সাওরী এবং আরও অনেক হাদীস বিশারদ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। হাদীসটি আরও একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।

এই হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করার কথা বলেছেন। হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করাকে তারা মুস্তাহাব বলেছেন। তবে এর নিকটে আসা সম্ভব না হলে তাতে হাত দিয়ে স্পর্শ করে হাতে চুম্বন করবে। এতটুকু নিকটে আসাও সম্ভব না হলে এর বরাবর এসে দাড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলবে। এটি ইমাম শাফিঈ (রহঃ)-এর অভিমত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮. অনুচ্ছেদঃ

মারওয়ার আগে সাফা হতে সাঈ শুরু করতে হবে

৮৬২

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَأَتَى الْمَقَامَ فَقَرَأَ ‏:‏‏(‏ وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ فَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ ثُمَّ أَتَى الْحَجَرَ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَبَدَأَ بِالصَّفَا وَقَرَأَ ‏:‏ ‏(‏إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ يَبْدَأُ بِالصَّفَا قَبْلَ الْمَرْوَةِ فَإِنْ بَدَأَ بِالْمَرْوَةِ قَبْلَ الصَّفَا لَمْ يُجْزِهِ وَبَدَأَ بِالصَّفَا ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِيمَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى رَجَعَ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِنْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ فَإِنْ ذَكَرَ وَهُوَ قَرِيبٌ مِنْهَا رَجَعَ فَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَإِنْ لَمْ يَذْكُرْ حَتَّى أَتَى بِلاَدَهُ أَجْزَأَهُ وَعَلَيْهِ دَمٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنْ تَرَكَ الطَّوَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى رَجَعَ إِلَى بِلاَدِهِ فَإِنَّهُ لاَ يُجْزِيهِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏ قَالَ الطَّوَافُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَاجِبٌ لاَ يَجُوزُ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় আসার পর বাইতুল্লাহ্ শরীফে সাত (শাওতে) তাওয়াফ করলেন। তারপর মাকামে ইবরাহীমে এসে পাঠ করলেনঃ ইবরাহীমের দাড়াবার জায়গাকে তোমরা নামাযের জায়গা হিসেবে গ্রহণ কর” (সূরাঃ বাকারা- ১২৫)। তারপর মাকামে ইবরাহীমের পিছনে তিনি দুরাক’আত নামায আদায় করলেন, তারপর হাজরে আসওয়াদের নিকটে এসে তা চুমা দিলেন, তারপর বললেনঃ যে দিক হতে আল্লাহ্ তা’আলা শুরু করেছেন সে দিক হতে (দৌড়ানো) আমরাও শুরু করব। সাফা পর্বত হতে তিনি সাঈ শুরু করলেন এবং পাঠ করলেনঃ “সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্ তা’আলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত”(সূরাঃ বাকারা- ১৫৮)।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৩৭৪), মুসলিমে এরূপ বর্ণনা আছে –“আমি শুরু করব”।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আলিমগণের মতে এই হাদীস অনুযায়ী আমল করতে হবে। মারওয়ার আগে সাফা হতে সাঈ শুরু করতে হবে। সাফার আগে মারওয়া হতে সাঈ শুরু করলে তা সঠিক হবে না, বরং শুরু করতে হবে সাফা হতেই। সাফা ও মারওয়ার সাঈ না করে যদি কোন লোক শুধু বাইতুল্লাহ্ তাওয়াফ করে চলে আসে তবে এ প্রসঙ্গে আলিমগণের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। কিছু সংখ্যক আলিম বলেন, যদি কোন লোক সাফা ও মারওয়ার সাঈ না করে মক্কা হতে বেরিয়ে যায় এবং মক্কার নিকটেই থাকা অবস্থায় যদি সে কথা তার মনে পড়ে তবে সে ফিরে আসবে এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ পুরো করবে। আর যদি দেশে ফিরার পর তার মনে পড়ে তাহলে তার হজ্জ হয়ে যাবে কিন্তু তাকে একটি দম (কুরবানী) দিতে হবে। এটা সুফিয়ান সাওরীর অভিমত।

কোন কোন আলিম বলেছেন, কোন লোক যদি সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ না করে দেশে ফিরে আসে তাহলে তার হজ্জ আদায় হবে না। এটা ইমাম শাফিঈ (রহঃ)-এর অভিমত। তিনি বলেন, সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করা ওয়াজিব, তা ব্যতীত হজ্জ হবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯. অনুচ্ছেদঃ

সাফা ও মারওয়া পাহাড় দুটির মধ্যে সাঈ করা

৮৬৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّمَا سَعَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِيُرِيَ الْمُشْرِكِينَ قُوَّتَهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي يَسْتَحِبُّهُ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنْ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ‏.‏ فَإِنْ لَمْ يَسْعَ وَمَشَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رَأَوْهُ جَائِزًا ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুশরিকদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মধ্যে সাঈ করেছেন (দৌড়িয়েছেন)।

 

-সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

আইশা, ইবনু উমার ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করাকে (দৌড়ে চলাকে) আলিমগণ মুস্তাহাব বলেছেন। সাঈ না করে সাফা ও মারওয়ার মাঝে যদি কোন লোক শুধু হেঁটে প্রদক্ষিণ করে তবে তাও জায়িয।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬৪

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ جُمْهَانَ، قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَمْشِي فِي السَّعْىِ فَقُلْتُ لَهُ أَتَمْشِي فِي السَّعْىِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَالَ لَئِنْ سَعَيْتُ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْعَى وَلَئِنْ مَشَيْتُ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْشِي وَأَنَا شَيْخٌ كَبِيرٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ نَحْوُهُ ‏.‏

কাসীর ইবনু জুমহান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাফা ও মারওয়ার মাঝে দৌড়ে চলার স্থানে ইবনু উমার (রাঃ)-কে আস্তে চলতে দেখে আমি বললাম, সাফা ও মারওয়ার মাঝে দৌড়ে চলার স্থানে আপনি আস্তে চলছেন যে? তিনি বলেন, আমি যদি দ্রুত চলি তবে দ্রুত চলতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কেও দেখেছি। আর যদি আস্তে চলি তবে আস্তে চলতেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি, আর আমি তো এখন একজন বৃদ্ধ লোক।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯৮৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। একই রকম হাদীস ইবনু উমার (রাঃ) হতে সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ)-ও বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪০. অনুচ্ছেদঃ

আরোহী অবস্থায় তাওয়াফ করা

৮৬৫

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ طَافَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَاحِلَتِهِ فَإِذَا انْتَهَى إِلَى الرُّكْنِ أَشَارَ إِلَيْهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي الطُّفَيْلِ وَأُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يَطُوفَ الرَّجُلُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رَاكِبًا إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের বাহনে সাওয়ার হয়ে (বাইতুল্লাহ) তাওয়াফ করেছেন। তিনি হাজরে আসওয়াদের নিকটে পৌঁছে এর প্রতি ইশারা করেছেন।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯৪৮), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির, আবূত তুফায়িল ও উন্মু সালামা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। কোন কারণ ছাড়া আরোহী অবস্থায় বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করাকে একদল আলিম মাকরূহ বলেছেন। এই অভিমত ইমাম শাফিঈরও।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১. অনুচ্ছেদঃ

তাওয়াফের ফাষীলাত

৮৬৬

يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ خَمْسِينَ مَرَّةً خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ سَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ إِنَّمَا يُرْوَى هَذَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلُهُ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক পঞ্চাশ বার বাইতুল্লাহ্‌ তাওয়াফ করবে সে তার মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনের মত পাপ মুক্ত হয়ে যাবে।

 

যঈফ, যঈফা (৫১০২)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই অনুচ্ছেদে আনাস ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি গারীব। আমি মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে এই হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে তাঁর উক্তি হিসেবে বর্ণিত হয়ে থাকে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬৭

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ قَالَ كَانُوا يَعُدُّونَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَفْضَلَ مِنْ أَبِيهِ ‏.‏ وَلِعَبْدِ اللَّهِ أَخٌ يُقَالُ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ أَيْضًا ‏.‏

আইয়ূব সাখতিয়ানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু সাঈদ ইবনু জুবাইরকে মুহাদ্দিসগণ তার পিতা সাঈদ ইবনু জুবাইর হতেও উত্তম গণ্য করতেন। তার এক ভাই ছিল, যার নাম আবদুল মালিক ইবনু সাঈদ ইবনু জুবাইর। তার নিকট হতেও মুহাদ্দিসগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

 

-সনদ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪২. অনুচ্ছেদঃ

আসর ও ফজরের পরেও তাওয়াফের ক্ষেত্রে তাওয়াফের নামায আছে

৮৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهْ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ لاَ تَمْنَعُوا أَحَدًا طَافَ بِهَذَا الْبَيْتِ وَصَلَّى أَيَّةَ سَاعَةٍ شَاءَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي ذَرٍّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهْ أَيْضًا ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَبَعْدَ الصُّبْحِ بِمَكَّةَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ بَأْسَ بِالصَّلاَةِ وَالطَّوَافِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَبَعْدَ الصُّبْحِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا طَافَ بَعْدَ الْعَصْرِ لَمْ يُصَلِّ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَكَذَلِكَ إِنْ طَافَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ لَمْ يُصَلِّ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ‏.‏ وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ عُمَرَ أَنَّهُ طَافَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ فَلَمْ يُصَلِّ وَخَرَجَ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى نَزَلَ بِذِي طُوًى فَصَلَّى بَعْدَ مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ‏.‏

জুবাইর ইবনু মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আবদ মানাফের বংশধরগণ! তোমরা কোন লোককে রাত ও দিনের যে কোন সময় ইচ্ছা বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে এবং নামায আদায় করতে বাধা দিও না।

 

-সহীহ, সহীহ ইবনু মা-জাহ (১২৫৪)।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু আব্বাস ও আবূ যার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জুবাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু আবূ নাজীহও এই হাদীস আবদুল্লাহ ইবনু বাবা হতে বর্ণনা করেছেন। ইমামদের মধ্যে মক্কা শারীফে আসর ও ফজরের নামাযের পর অন্য কোন নামায আদায় করার বৈধতা প্রসঙ্গে মতের অমিল আছে। কিছু সংখ্যক আলিম আসর ও ফজরের পরে নামায ও তাওয়াফে কোন সমস্যা না থাকার কথা বলেছেন। এই অভিমত ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকেরও। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই হাদীসকে তারা প্রমাণ হিসাবে হাযির করেন। আরেক দল আলিম বলেন, আসরের পর যদি কোন লোক তাওয়াফ করে তাহলে সে লোক সূর্য না ডোবা পর্যন্ত তাওয়াফের নামায আদায় করবে না। এমনিভাবে ফজরের পর কোন লোক যদি তাওয়াফ করে তাহলে সে লোক সূর্য না উঠা পর্যন্ত তাওয়াফের নামায আদায় করবে না। তারা নিজেদের মতের অনুকূলে উমার (রাঃ)-এর হাদীস পেশ করেছেন। ফজরের নামাযের পড় তিনি তাওয়াফ করলেন, কিন্তু (তাওয়াফের) নামায আদায় করলেন না। সূর্য উঠার পর তিনি ঐ নামায যীতুয়া নামক জায়গাতে পৌছে আদায় করেন। এই মত সুফিয়ান সাওরী ও মালিকেরও।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৩. অনুচ্ছেদঃ

তাওয়াফের দুই রাক’আত নামাযের কিরা’আত

৮৬৯

أَخْبَرَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدَنِيُّ، قِرَاءَةً عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ فِي رَكْعَتَىِ الطَّوَافِ بِسُورَتَىِ الإِخْلاَصِْ ‏:‏ ‏(‏ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ‏)‏ وَ ‏(‏ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাওয়াফের দুই রাকাআত নামায আদায়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইখলাসের দুইটি সূরা তিলাওয়াত করেনঃ সূরা কাফিরূন এবং সূরা ইখলাস।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০৭৪), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭০

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ يَسْتَحِبُّ أَنْ يَقْرَأَ، فِي رَكْعَتَىِ الطَّوَافِ بِـ ‏(‏ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ‏)‏ وَ ‏(‏ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عِمْرَانَ وَحَدِيثُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ فِي هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عِمْرَانَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

জাফর ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তাওয়াফের দু’রাক’আত নামাযে তিনি (মুহাম্মাদ আল-বাকির) সূরা কাফিরূন ও সূরা ইখলাস তিলাওয়াত করতে পছন্দ করতেন।

 

-সনদ সহীহ, মাকতু’।

  •  
  •  
  •  
  •  

আব্দুল আজীজ ইবনু ইমরানের হাদীসের তুলনায় এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা বেশি সহীহ বলেছেন। কেননা বর্ণনাকারী আবদুল আযীয ইবনু ইমরান হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল।

হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু

  •  সরাসরি

৪৪. অনুচ্ছেদঃ

উলঙ্গ অবস্থায় তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ

৮৭১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أُثَيْعٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَلِيًّا بِأَىِّ شَيْءٍ بُعِثْتَ قَالَ بِأَرْبَعٍ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ وَلاَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَلاَ يَجْتَمِعُ الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَهْدٌ فَعَهْدُهُ إِلَى مُدَّتِهِ وَمَنْ لاَ مُدَّةَ لَهُ فَأَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

যাইদ ইবনু উসাই (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আলী (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, কি বিষয় সহকারে আপনাকে (নবম হিজরীতে মক্কায়) পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, চারটি বিষয় (ঘোষণা করার জন্য)। মুসলিম ছাড়া আর কোন লোক জান্নাতে যাবে না; কোন লোক উলঙ্গ অবস্থায় বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে পারবে না; এইখানে (কা’বা শারীফে) মুসলিম ও মুশরিকগণ এই বছরের পর একত্র হতে পারবে না এবং যে সব লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুক্তি আছে সে সব লোকের চুক্তি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, কিন্তু যে সব লোকের চুক্তিতে কোন মেয়াদের উল্লেখ নেই সে সব লোকের চুক্তির মেয়াদ (আজ হতে) চার মাস পর্যন্ত।

 

-সহীহ, ইরওয়া (১১০১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭২

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، نَحْوَهُ وَقَالاَ زَيْدُ بْنُ يُثَيْعٍ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَشُعْبَةُ وَهِمَ فِيهِ فَقَالَ زَيْدُ بْنُ أُثَيْلٍ ‏.‏

ইবনু আবূ উমার থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আবূ উমার ও নাসর ইবনু আলী তারা উভয়ে সুফিয়ান হতে, তিনি আবূ ইসহাকের বরাতে পূর্বোক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। তবে যাইদ ইবনু উসাইর স্থলে তারা উভয়ে ইয়ুসাই উল্লেখ করেছেন, এটাই বেশি সহীহ।

 

-সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই ক্ষেত্রে শুবার ভুল আছে। বর্ণনাকারীর নামটি তিনি যাইদ ইবনু উসাইল বলে উল্লেখ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫. অনুচ্ছেদঃ

কাবা শরীফের অভ্যন্তরে যাওয়া

৮৭৩

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِي وَهُوَ قَرِيرُ الْعَيْنِ طَيِّبُ النَّفْسِ فَرَجَعَ إِلَىَّ وَهُوَ حَزِينٌ فَقُلْتُ لَهُ فَقَالَ ‏ “‏ إِنِّي دَخَلْتُ الْكَعْبَةَ وَوَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ فَعَلْتُ إِنِّي أَخَافُ أَنْ أَكُونَ أَتْعَبْتُ أُمَّتِي مِنْ بَعْدِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট হতে অচঞ্চল চোখে ও প্রফুল্ল মনে চলে গেলেন কিন্তু (কিছুক্ষণ পর) ফিরে আসলেন চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায়। আমি তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি কাবার ভেতরে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মন বলছিল আমি যদি এরূপ না করতাম (তবে সেটাই ভাল ছিল)। আমার ভয় হচ্ছে আমার পরে আমার উম্মাতদেরকে যন্ত্রণায় ফেললাম কি-না।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩০৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬. অনুচ্ছেদঃ

কা’বার অভ্যন্তরে নামায আদায় করা

৮৭৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمْ يُصَلِّ وَلَكِنَّهُ كَبَّرَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَالْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ وَعُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ وَشَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بِلاَلٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ بِالصَّلاَةِ فِي الْكَعْبَةِ بَأْسًا ‏.‏ وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ لاَ بَأْسَ بِالصَّلاَةِ النَّافِلَةِ فِي الْكَعْبَةِ ‏.‏ وَكَرِهَ أَنْ تُصَلَّى الْمَكْتُوبَةُ فِي الْكَعْبَةِ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ بَأْسَ أَنْ تُصَلَّى الْمَكْتُوبَةُ وَالتَّطَوُّعُ فِي الْكَعْبَةِ لأَنَّ حُكْمَ النَّافِلَةِ وَالْمَكْتُوبَةِ فِي الطَّهَارَةِ وَالْقِبْلَةِ سَوَاءٌ ‏.‏

বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কা’বার অভ্যন্তরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামায আদায় করেছেন।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০৬৩), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, তিনি নামায আদায় করেননি, বরং তাকবীর ধ্বনি করেছেন।

উসামা ইবনু যাইদ, ফাযল ইবনু আব্বাস, উসমান ইবনু তালহা ও শাইবা ইবনু উসমান (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। বিলাল (রাঃ) বর্ণিত এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী বেশিরভাগ আলিম মত দিয়েছেন। কা’বার অভ্যন্তরে নামায আদায় করাতে কোন সমস্যা আছে বলে তারা মনে করেন না; ইমাম মালিক বলেন, নফল নামায কাবার অভ্যন্তরে আদায় করাতে কোন সমস্যা নেই; তবে ফরয নামায আদায় করা মাকরূহ। ইমাম শাফিঈ বলেন, যে কোন নামায কা’বার অভ্যন্তরে আদায় করায় সমস্যা নেই তা ফরয হোক বা নফল হোক। কেননা, কিবলামূখী হওয়া, পবিত্রতা অর্জন করা ইত্যাদি প্রসঙ্গে ফরয ও নফলের বিধান একই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭. অনুচ্ছেদঃ

(নির্মাণকল্পে) কা’বা ঘর ভাঙ্গা প্রসঙ্গে

৮৭৫

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ، قَالَ لَهُ حَدِّثْنِي بِمَا، كَانَتْ تُفْضِي إِلَيْكَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ يَعْنِي عَائِشَةَ فَقَالَ حَدَّثَتْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا ‏ “‏ لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِالْجَاهِلِيَّةِ لَهَدَمْتُ الْكَعْبَةَ وَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا مَلَكَ ابْنُ الزُّبَيْرِ هَدَمَهَا وَجَعَلَ لَهَا بَابَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

, ইবনু যুবাইর (রাঃ) তাকে বললেন, তোমাকে উন্মুল মু’মিনীন আইশা (রাঃ) যে হাদীস বলেছেন, তা আমার নিকটে বর্ণনা কর। আসওয়াদ বলেন, তিনি আমাকে বলেছেন যে, তাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেনঃ যদি তোমার সম্প্রদায় জাহিলী যুগের এত নিকটে এবং ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে নবদীক্ষিত না হত তাহলে আমি কা’বা ঘরকে ভেঙ্গে (পুনঃনির্মাণ করে) এর দুটো দরজা বানাতাম।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৮৭৫)।

  •  
  •  
  •  
  •  

বর্ণনাকারী বলেন, পরে যখন ইবনুয যুবাইর (রাঃ) ক্ষমতাধিকারী হন তখন এটিকে ভেঙ্গে (পুনঃনির্মাণ করেন এবং) এর দুইটি দরজা তৈরী করেন।

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮. অনুচ্ছেদঃ

হাতীমে নামায আদায় করা

৮৭৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ أَدْخُلَ، الْبَيْتَ فَأُصَلِّيَ فِيهِ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِي فَأَدْخَلَنِي الْحِجْرَ فَقَالَ ‏ “‏ صَلِّي فِي الْحِجْرِ إِنْ أَرَدْتِ دُخُولَ الْبَيْتِ فَإِنَّمَا هُوَ قِطْعَةٌ مِنَ الْبَيْتِ وَلَكِنَّ قَوْمَكِ اسْتَقْصَرُوهُ حِينَ بَنَوُا الْكَعْبَةَ فَأَخْرَجُوهُ مِنَ الْبَيْتِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَعَلْقَمَةُ بْنُ أَبِي عَلْقَمَةَ هُوَ عَلْقَمَةُ بْنُ بِلاَلٍ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কাবা ঘরের অভ্যন্তরে ঢুকে সেখানে আমি নামায আদায়ের ইচ্ছা করতাম। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত ধরে হিজর (হাতীম)-এ প্রবেশ করিয়ে আমাকে বললেনঃ যদি তুমি বাইতুল্লায় চাও তাহলে এই হিজরেই নামায আদায় করে নাও। কেননা, এ বাইতুল্লাহর অংশ। কিন্তু তোমার সম্প্রদায় কা’বা ঘর ছোট করে নির্মাণ করে এবং (অর্থাভাবে) এই স্থানটিকে কা’বার বাইরে রেখে দেয়।

 

-হাসান সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (১৭৬৯), সহীহাহ (৪৩)।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। বর্ণনাকারী আলকামার পিতার নাম বিলাল।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৪৯. অনুচ্ছেদঃ

হাজরে আসওয়াদ, রুকন ও মাকামে ইবরাহীমের ফযিলত

৮৭৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نَزَلَ الْحَجَرُ الأَسْوَدُ مِنَ الْجَنَّةِ وَهُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ فَسَوَّدَتْهُ خَطَايَا بَنِي آدَمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাত হতে হাজরে আসওয়াদ অবতীর্ণ হয়েছিল দুধ হতেও বেশি সাদা অবস্থায়। কিন্তু এটিকে আদম সন্তানের গুনাহ এমন কালো করে দিয়েছে।

 

-সহীহ, মিশকাত (২৫৭৭), তা’লীকুর রাগীব (২/১২৩), আল-হাজ্জুল কাবীর।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ رَجَاءٍ أَبِي يَحْيَى، قَالَ سَمِعْتُ مُسَافِعًا الْحَاجِبَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ الرُّكْنَ وَالْمَقَامَ يَاقُوتَتَانِ مِنْ يَاقُوتِ الْجَنَّةِ طَمَسَ اللَّهُ نُورَهُمَا وَلَوْ لَمْ يَطْمِسْ نُورَهُمَا لأَضَاءَتَا مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا يُرْوَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو مَوْقُوفًا قَوْلُهُ ‏.‏ وَفِيهِ عَنْ أَنَسٍ أَيْضًا وَهُوَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীম জান্নাতের ইয়াকূত (দীপ্তিশীল মূল্যবান মণি) হতে দুটো ইয়াকূত। আল্লাহ্ তা’আলা এই দুটির আলোকপ্রতা নিম্প্রভ করে দিয়েছেন। এ দুটির প্রভা যদি তিনি নিস্তেজ করে না দিতেন তাহলে তা পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে যা কিছু আছে সব আলোকিত করে দিত।

 

-সহীহ, মিশকাত (২৫৭৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আমির (রাঃ)-এর এই বক্তব্য মাওকুফভাবে বর্ণিত আছে। আনাস (রাঃ) হতেও এই বিষয়ে হাদীস বর্ণিত আছে, তবে তা গারীব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫০. অনুচ্ছেদঃ

মিনায় গমন এবং সেখানে অবস্থান

৮৭৯

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الأَجْلَحِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ ثُمَّ غَدَا إِلَى عَرَفَاتٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ قَدْ تَكَلَّمُوا فِيهِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনায় যুহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের নামায আদায় করলেন, তারপর ভোরে যাত্রা শুরু করেন আরাফাতের দিকে।

 

-সহীহ, হাজ্জাতুন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (৫৫/৬৯), মুসলিম, জাবির হতে।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, হাদীস বিশারদগণ বর্ণনাকারী ইসমাঈল ইবনু মুসলিমের স্মরণশক্তির সমালোচনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৮০

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الأَجْلَحِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِمِنًى الظُّهْرَ وَالْفَجْرَ ثُمَّ غَدَا إِلَى عَرَفَاتٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعِ الْحَكَمُ مِنْ مِقْسَمٍ إِلاَّ خَمْسَةَ أَشْيَاءَ ‏.‏ وَعَدَّهَا وَلَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ فِيمَا عَدَّ شُعْبَةُ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনায় যুহর ও ফজরের নামায (অর্থাৎ যুহর হতে পরবর্তী ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্তের নামায) আদায় করলেন। তারপর ভোরেই আরাফাতের দিকে যাত্রা শুরু করেন।

 

-সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর ও আনাস (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, মিকসাম-ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত খাদীস সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী ইয়াহইয়ার সনদে শুবা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, হাকাম মিকসাম হতে মাত্র পাঁচটি হাদীস শুনেছেন। এরপর এই পাঁচটি হাদীস তিনি বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন, কিন্তু এগুলোর মধ্যে উক্ত হাদীসটি ছিল না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫১. অনুচ্ছেদঃ

যে ব্যক্তি মিনার যে জায়গাতে আগে পৌঁছবে সেটিই হবে তার অবস্থানস্থল

৮৮১

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، مُسَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَبْنِي لَكَ بَيْتًا يُظِلُّكَ بِمِنًى قَالَ ‏ “‏ لاَ مِنًى مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা মিনায় আপনার জন্য কি একটা ঘর বানিয়ে দিব যা আপনাকে ছায়া দিবে? তিনি বললেনঃ না। যে ব্যক্তি মিনায় যে জায়গাতে আগে পৌঁছবে সেটিই হবে তার অবস্থানস্থল।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩০০৬), আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫২. অনুচ্ছেদঃ

মিনায় নামায কসর করা

৮৮২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى آمَنَ مَا كَانَ النَّاسُ وَأَكْثَرَهُ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ حَارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ وَمَعَ عُمَرَ وَمَعَ عُثْمَانَ رَكْعَتَيْنِ صَدْرًا مِنْ إِمَارَتِهِ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَقْصِيرِ الصَّلاَةِ بِمِنًى لأَهْلِ مَكَّةَ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لَيْسَ لأَهْلِ مَكَّةَ أَنْ يَقْصُرُوا الصَّلاَةَ بِمِنًى إِلاَّ مَنْ كَانَ بِمِنًى مُسَافِرًا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ جُرَيْجٍ وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ بَأْسَ لأَهْلِ مَكَّةَ أَنْ يَقْصُرُوا الصَّلاَةَ بِمِنًى ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الأَوْزَاعِيِّ وَمَالِكٍ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ ‏.‏

হারিসা ইবনু ওয়াহব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পূর্ণ নিরাপত্তা বজায় থাকা অবস্থায় আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সর্বাধিক সংখ্যক লোকসহ মিনায় (চার রাক’আত ফরযের স্থলে) দুই রাক’আত নামায আদায় করেছি।

 

-সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (১৭১৪), বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু মাসউদ, ইবনু উমার ও আনাস (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি মিনাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে দুই রাকাআত নামায আদায় করেছি এবং এখানে আবূ বাকর, উমার ও উসমান (রাঃ)-এর খিলাফাতের প্রথম দিকেও দুই রাকাআত নামায আদায় করেছি।

মক্কাবাসীদের জন্য মিনায় নামায কসর করা প্রসঙ্গে ইমামদের মধ্যে মতের অমিল আছে। একদল আলিম বলেন, মিনায় মুসাফির ছাড়া অন্য কোন মক্কাবাসী সেখানে নামায কসর করবে না। এই মত দিয়েছেন ইবনু জুরাইজ, সুফিয়ান সাওরী, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)। কিছু আলিম বলেছেন, মক্কাবাসীর জন্য মিনায় নামায কসর করায় কোন সমস্যা নেই। এই অভিমত আওযাঈ, মালিক, সুফিয়ান ইবনু উআইনা ও আবদুর রাহমান ইবনুল মাহদী (রহঃ)-এর।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩. অনুচ্ছেদঃ

আরাফাতে অবস্থান এবং সেখানে দু’আ করা

৮৮৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شَيْبَانَ، قَالَ أَتَانَا ابْنُ مِرْبَعٍ الأَنْصَارِيُّ وَنَحْنُ وُقُوفٌ بِالْمَوْقِفِ مَكَانًا يُبَاعِدُهُ عَمْرٌو – فَقَالَ إِنِّي رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْكُمْ يَقُولُ ‏ “‏ كُونُوا عَلَى مَشَاعِرِكُمْ فَإِنَّكُمْ عَلَى إِرْثٍ مِنْ إِرْثِ إِبْرَاهِيمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَالشَّرِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ الثَّقَفِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مِرْبَعٍ الأَنْصَارِيِّ حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ ‏.‏ وَابْنُ مِرْبَعٍ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ مِرْبَعٍ الأَنْصَارِيُّ وَإِنَّمَا يُعْرَفُ لَهُ هَذَا الْحَدِيثُ الْوَاحِدُ ‏.‏

ইয়াযীদ ইবনু শাইবান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু মিরবা আনসারী (রাঃ) আমাদের নিকটে আসলেন। আরাফাতের এমন এক জায়গায় আমরা অবস্থান করছিলাম যাকে আমর (রাঃ) (ইমামের স্থান হতে) বহু দূর বলে মনে করছিলেন। ইবনু মিরবা আনসারী (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতিনিধি হিসাবে আমি তোমাদের নিকটে এসেছি। তিনি বলেছেনঃ হজ্জের নির্ধারিত স্থানসমূহে তোমরা অবস্থান কর। কারণ, তোমরা ইবরাহীম (আঃ)-এর ওয়ারিসী প্রাপ্ত হয়েছ।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০১১)।

  •  
  •  
  •  
  •  

আলী, আইশা, জুবাইর ইবনু মুতইম ও শারদ ইবনু সুওয়াইদ সাকাফী (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আমরা হাদীসটি প্রসঙ্গে শুধু ইবনু উআইনা হতে-আমর ইবনু দীনারের সূত্রেই জানতে পারি। ইবনু মিরবার নাম ইয়াযীদ আনসারী। এই একটি হাদীসই তার সূত্রে বর্ণিত আছে বলে জানা যায়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৮৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطُّفَاوِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ قُرَيْشٌ وَمَنْ كَانَ عَلَى دِينِهَا وَهُمُ الْحُمْسُ يَقِفُونَ بِالْمُزْدَلِفَةِ يَقُولُونَ نَحْنُ قَطِينُ اللَّهِ ‏.‏ وَكَانَ مَنْ سِوَاهُمْ يَقِفُونَ بِعَرَفَةَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ أَهْلَ مَكَّةَ كَانُوا لاَ يَخْرُجُونَ مِنَ الْحَرَمِ وَعَرَفَةُ خَارِجٌ مِنَ الْحَرَمِ وَأَهْلُ مَكَّةَ كَانُوا يَقِفُونَ بِالْمُزْدَلِفَةِ وَيَقُولُونَ نَحْنُ قَطِينُ اللَّهِ يَعْنِي سُكَّانَ اللَّهِ وَمَنْ سِوَى أَهْلِ مَكَّةَ كَانُوا يَقِفُونَ بِعَرَفَاتٍ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى‏:‏ ‏(‏ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ ‏)‏ ‏.‏ وَالْحُمْسُ هُمْ أَهْلُ الْحَرَمِ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুরাইশ এবং তাদের ধর্মের যারা অনুসারী ছিল তাদেরকে হুম্স বলা হত। তারা মুযদালিফায় অবস্থান করত এবং বলত, আমরা আল্লাহর ঘরের অধিবাসী। তারা ব্যতীত অন্য লোকেরা আরাফাতে অবস্থান করত। আল্লাহ্ তাআলা এই বিষয়ে আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “অতঃপর যেখান হতে লোকেরা প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সেখান হতে প্রত্যাবর্তন কর” (সূরাঃ বাকারা-১৯৯)।

 

-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০১৮),বুখারী, মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। হাদীসটির তাৎপর্য এই যে, মক্কাবাসীরা (হজ্জের সময়) হারাম শারীফের বাইরে বের হত না। হারাম শারীফের বাইরে আরাফাতের ময়দান অবস্থিত। তাই তারা মুযদালিফায় অবস্থান করত এবং আল্লাহ্‌র ঘরের অধিবাসী বলে (গর্ববোধের) নিজদেরকে পরিচয় দিত। আরাফাতে তারা ব্যতীত অন্যান্য লোক থাকত। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ্ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “অতঃপর লোকেরা যেখান হতে প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সেখান হতে প্রত্যাবর্তন কর”। “হুমস” হল হারামবাসী।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪. অনুচ্ছেদঃ

সম্পূর্ণ আরাফাতই অবস্থান স্থল

৮৮৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه قَالَ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَرَفَةَ فَقَالَ ‏”‏ هَذِهِ عَرَفَةُ وَهَذَا هُوَ الْمَوْقِفُ وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَفَاضَ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ وَجَعَلَ يُشِيرُ بِيَدِهِ عَلَى هَيْئَتِهِ وَالنَّاسُ يَضْرِبُونَ يَمِينًا وَشِمَالاً يَلْتَفِتُ إِلَيْهِمْ وَيَقُولُ ‏”‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيْكُمُ السَّكِينَةَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَتَى جَمْعًا فَصَلَّى بِهِمُ الصَّلاَتَيْنِ جَمِيعًا فَلَمَّا أَصْبَحَ أَتَى قُزَحَ فَوَقَفَ عَلَيْهِ وَقَالَ ‏”‏ هَذَا قُزَحُ وَهُوَ الْمَوْقِفُ وَجَمْعٌ كُلُّهَا مَوْقِفٌ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَفَاضَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى وَادِي مُحَسِّرٍ فَقَرَعَ نَاقَتَهُ فَخَبَّتْ حَتَّى جَاوَزَ الْوَادِيَ فَوَقَفَ وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ ثُمَّ أَتَى الْجَمْرَةَ فَرَمَاهَا ثُمَّ أَتَى الْمَنْحَرَ فَقَالَ ‏”‏ هَذَا الْمَنْحَرُ وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ ‏”‏ ‏.‏ وَاسْتَفْتَتْهُ جَارِيَةٌ شَابَّةٌ مِنْ خَثْعَمٍ فَقَالَتْ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ قَدْ أَدْرَكَتْهُ فَرِيضَةُ اللَّهِ فِي الْحَجِّ أَفَيُجْزِئُ أَنْ أَحُجَّ عَنْهُ قَالَ ‏”‏ حُجِّي عَنْ أَبِيكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَلَوَى عُنُقَ الْفَضْلِ فَقَالَ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ لَوَيْتَ عُنُقَ ابْنِ عَمِّكَ قَالَ ‏”‏ رَأَيْتُ شَابًّا وَشَابَّةً فَلَمْ آمَنِ الشَّيْطَانَ عَلَيْهِمَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَفَضْتُ قَبْلَ أَنْ أَحْلِقَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ احْلِقْ أَوْ قَصِّرْ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَجَاءَ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْمِ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَتَى الْبَيْتَ فَطَافَ بِهِ ثُمَّ أَتَى زَمْزَمَ فَقَالَ ‏”‏ يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَوْلاَ أَنْ يَغْلِبَكُمُ النَّاسُ عَنْهُ لَنَزَعْتُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشٍ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الثَّوْرِيِّ مِثْلَ هَذَا ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ رَأَوْا أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِعَرَفَةَ فِي وَقْتِ الظُّهْرِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ فِي رَحْلِهِ وَلَمْ يَشْهَدِ الصَّلاَةَ مَعَ الإِمَامِ إِنْ شَاءَ جَمَعَ هُوَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ مِثْلَ مَا صَنَعَ الإِمَامُ ‏.‏ قَالَ وَزَيْدُ بْنُ عَلِيٍّ هُوَ ابْنُ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏.‏

আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতে অবস্থান গ্রহণ করলেন, তারপর বললেনঃ এটাই আরাফাতের ময়দান, এটাই অবস্থান স্থল। আর গোটা আরাফাতই অবস্থান স্থল। এরপর সূর্য ডুবে গেলে তিনি সেখান হতে ফিরে আসলেন এবং তার বাহনের পিছনে উসামা ইবনু যাইদকে বসালেন। স্বীয় অবস্থান হতে তিনি হাত দিয়ে ইশারা করছিলেন। লোকজন তাদের উটগুলো ডানে বামে হাকাচ্ছিল। তাদের দিকে তিনি তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেনঃ হে লোক সকল! তোমরা শান্তভাবে পথ চল। লোকদেরকে নিয়ে মুযদালিফায় পৌঁছে তিনি দুই ওয়াক্তের (মাগরিব ও এশা) নামায একসাথে আদায় করলেন। ভোরে ‘কুযাহ’ নামক জায়গাতে এসে তিনি অবস্থান করলেন এবং বললেনঃ এটা হলো কুযাহ; এটাও অবস্থান স্থল, আর সম্পূর্ণ মুযদালিফাই অবস্থানের জায়গা। এরপর তিনি ওয়াদী মুহাসসারে আসলেন। তাঁর উটটিকে তিনি বেত মারলেন, ফলে তা দ্রুত উপত্যকাটি অতিক্রম করল। তারপর তিনি থামলেন এবং তাঁর পিছনে ফাযলকে বসালেন এরপর তিনি জামরায় আসলেন এবং এখানে কংকর নিক্ষেপ করলেন। তিনি কুরবানীর জায়গায় পৌছে বললেনঃ এটা কুরবানী করার জায়গা। আর সম্পূর্ণ মিনাই কুরবানী করার জায়গা। এরকম সময় তাকে খাসআম গোত্রের এক যুবতী ফাতাওয়া জিজ্ঞাসা করল, আমার বাবা খুবই বয়স্ক ব্যক্তি। আল্লাহ তা’আলার নির্ধারিত হজ্জ তার উপর ফরয হয়েছে। তার পক্ষ হতে আমি হজ্জ আদায় করলে সেটা কি তার জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ তোমার বাবার পক্ষ হতে হজ্জ আদায় কর। আলী (রাঃ) বলেন, তিনি এমন সময় ফাযলের ঘাড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন। আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার চাচাতো ভাইয়ের ঘাড় কেন ঘুরিয়ে দিলেন। তিনি বললেনঃ আমি লক্ষ্য করলাম এরা দুইজন যুবক-যুবতী। সুতরাং তাদেরকে আমি শাইতান হতে নিরাপদ মনে করিনি। এরপর এক লোক এসে তাকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যে মাথা মুণ্ডনের পূর্বেই তাওয়াফ (ইফাযা) করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ মাথা মুণ্ডন করে ফেলো, কোন সমস্যা নেই, অথবা বললেন, চুল ছেটে ফেলো, কোন সমস্যা নেই। বর্ণনাকারী বলেন, আরেক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কংকর মারার পূর্বেই কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কংকর মেরে নাও, কোন সমস্যা নেই। আলী (রাঃ) বলেন, তারপর বাইতুল্লাহু পৌছে তিনি তাওয়াফ করলেন, তারপর যমযম কূপের নিকটে এসে বললেনঃ হে আবদুল মুত্তালিব বংশের লোকেরা! জনতা তোমাদের উপর প্রবল হয়ে উঠবে এই ভয় যদি না হত তবে আমি (তোমাদের সঙ্গে) অবশ্যই পানি টেনে তুলতাম।

 

-হাসান, হিযাবুল মারআ, আল-হাজ্জুল কাবীর (২৮)।

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে, এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আলী (রাঃ)-এর এই হাদীসটি আমাদের নিকটে আবদুর রাহমান ইবনুল হারিস ইবনু আইয়্যাশের সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে বর্ণিত আছে বলে জানা নেই। সাওরী হতে একাধিক বর্ণনাকারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আরাফাতে যুহরের ওয়াক্তে যুহর ও আসর একসাথে আদায় করতে বলেছেন। কিছু আলিম বলেন, নিজের অবস্থান স্থলেই কোন লোক নামায আদায় করলে এবং ইমামের সঙ্গে নামাযে হাযির না হয়ে নিজ অবস্থান স্থলে নামায আদায় করলে সে চাইলে ইমামের মত দুই নামায একসাথে আদায় করতে পারে। বর্ণনাকারী যাইদ ইবনু আলী হলেন ইমাম হুসাইন (রাঃ)-এর পৌত্র।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫. অনুচ্ছেদঃ

আরাফাতের ময়দান হতে প্রত্যাবর্তন

৮৮৬

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَبِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، وَأَبُو نُعَيْمٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَوْضَعَ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ ‏.‏ وَزَادَ فِيهِ بِشْرٌ وَأَفَاضَ مِنْ جَمْعٍ وَعَلَيْهِ السَّكِينَةُ وَأَمَرَهُمْ بِالسَّكِينَةِ ‏.‏ وَزَادَ فِيهِ أَبُو نُعَيْمٍ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرْمُوا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ وَقَالَ ‏ “‏ لَعَلِّي لاَ أَرَاكُمْ بَعْدَ عَامِي هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়াদী মুহাসসারে তার উট দ্রুত হাঁকিয়ে যান। এই হাদীসে বিশর আরো উল্লেখ করেন যে, তিনি শান্তভাবে মুযদালিফা হতে ফিরে আসেন এবং লোকদেরকেও শান্তভাব অবলম্বনের হুকুম দেন। আবূ নুআইম আরো বর্ণনা করেনঃ তিনি নুড়ি পাথর (জামরায়) ছুঁড়ে মারার হুকুম দেন এবং বলেনঃ এই বছরের পর হয়ত আমি আর তোমাদের দেখা পাব না।

 

– সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (১৬৯৯, ১৭১৯), মুসলিম।

  •  
  •  
  •  
  •  

উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬. অনুচ্ছেদঃ

মাগরিব ও এশা একসাথে মুযদালিফাতে আদায় করা

৮৮৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، صَلَّى بِجَمْعٍ فَجَمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِإِقَامَةٍ وَقَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَ مِثْلَ هَذَا فِي هَذَا الْمَكَانِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুযদালিফাতে ইবনু উমার (রাঃ) নামায আদায় করলেন। সেখানে তিনি এক ইকামাতে দুই নামায (মাগরিব ও এশা) একসাথে আদায় করলেন এবং বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এই স্থানে আমি এরকমই করতে দেখেছি।

 

– সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (১৬৮২, ১৬৯০), নাসা-ঈ, মুসলিমের শব্দ ইকামাতুন ওয়াহিদাতুন ঐ বর্ণনাটি শাজ, বুখারীর শব্দ প্রত্যেক নামাযের জন্যই ইকামাত, এ বর্ণনাটি সংরক্ষিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৮৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ يَحْيَى وَالصَّوَابُ حَدِيثُ سُفْيَانَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي أَيُّوبَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ فِي رِوَايَةِ سُفْيَانَ أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ وَحَدِيثُ سُفْيَانَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى إِسْرَائِيلُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَىْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ وَحَدِيثُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ أَيْضًا رَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ ‏.‏ وَأَمَّا أَبُو إِسْحَاقَ فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَىْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لأَنَّهُ لاَ تُصَلَّى صَلاَةُ الْمَغْرِبِ دُونَ جَمْعٍ فَإِذَا أَتَى جَمْعًا وَهُوَ الْمُزْدَلِفَةُ جَمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ وَلَمْ يَتَطَوَّعْ فِيمَا بَيْنَهُمَا وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَذَهَبَ إِلَيْهِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَإِنْ شَاءَ صَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ تَعَشَّى وَوَضَعَ ثِيَابَهُ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعِشَاءَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِالْمُزْدَلِفَةِ بِأَذَانٍ وَإِقَامَتَيْنِ يُؤَذِّنُ لِصَلاَةِ الْمَغْرِبِ وَيُقِيمُ وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ ثُمَّ يُقِيمُ وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏

قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى إِسْرَائِيلُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَيْ مَالِكٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَحَدِيثُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ أَيْضًا رَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَأَمَّا أَبُو إِسْحَقَ فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَيْ مَالِكٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ.

মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদ হতে, তিনি আবূ ইসহাক হতে, তিনি সাঈদ ইবনু জুবাইর হতে, তিনি ইবনু উমার হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

 

-সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস।

  •  
  •  
  •  
  •  

মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার বলেন, ইয়াহইয়া সুফিয়ানের বর্ণনাটিকে সঠিক বলেছেন। আলী, আবূ আইয়্যুব, আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ, জাবির ও উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীস সম্বন্ধে সুফিয়ানের রিওয়ায়াতটি ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদের রিওয়ায়াত অপেক্ষা বেশি সহীহ। সুফিয়ানের রিওয়ায়াতটি হাসান সহীহ।

এই হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ বলেন, মাগরিবের নামায মুযদালিফার বাইরে আদায় করা যাবে না। মুযদালিফায় পৌছার পর দুই নামায (মাগরিব-এশা) এক ইকামাতে একইসাথে আদায় করবে, এর মধ্যে নফল নামায আদায় করবে না। কিছু আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন। এই অভিমত সুফিয়ান সাওরীর। তিনি বলেন, ইচ্ছা করলে মাগরিব আদায় করে রাতের খাবার খেয়ে, পোশাক-পরিচ্ছদ ছেড়ে তারপর ইকামাত দিয়ে এশার নামায আদায় করা যায়। আবার কিছু আলিম বলেন, মুযদালিফায় মাগরিব ও এশা একসাথে এক আযান ও দুই ইকামাতে আদায় করবে। মাগরিবের আযান দেওয়ার পর ইকামাত দিবে এবং মাগরিবের নামায আদায় করবে, আবার ইকামাত দিয়ে এশার নামায আদায় করবে। এই মত ইমাম শাফিঈর। আবূ ঈসা বলেনঃ আবূ ইসহাক-মালিক পুত্রদ্বয় আবদুল্লাহ ও খালিদ সূত্রে-ইবনু উমার (রাঃ) হতে এই হাদীসটিকে ইসরাঈল বর্ণনা করেছেন। ইবনু উমার (রাঃ) হতে সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। সাঈদ ইবনু জুবাইর হতে সালামা ইবনু কুহাইলও এটিকে বর্ণনা করেছেন। মালিকের পুত্রদ্বয় আবদুল্লাহ ও খালিদ-ইবনু উমার (রাঃ) হতে এটিকে আবূ ইসহাক বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস