অনুচ্ছেদ-৪৭
পুরুষদের লাল রং-এর পোশাক পরিধানের অবকাশ প্রসঙ্গে
২৮১১
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنِ الأَشْعَثِ، وَهُوَ ابْنُ سَوَّارٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي لَيْلَةٍ إِضْحِيَانٍ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِلَى الْقَمَرِ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ فَإِذَا هُوَ عِنْدِي أَحْسَنُ مِنَ الْقَمَرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الأَشْعَثِ .
জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ এক জোছনা রাতে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাকিয়ে দেখলাম। তাঁর পরনে ছিল একজোড়া লাল রং-এর পোশাক। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে এবং চাঁদের দিকে তাকাতে লাগলাম। তিনিই আমার কাছে চাঁদের চাইতে অধিক সুন্দর মনে হল।
যঈফ, মুখতাসার শামায়িল (৮)। উহাকে সহীহ বলা ভুল।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র আশআসের রিওয়ায়াত হিসাবে এ হাদিস জেনেছি। শুবা ও সুফিয়ান সাওরী তাঁরা উভয়েই আবূ ইসহাক হতে বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ)- এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরনে একজোড়া লাল পোশাক দেখেছি”। সহীহ, পূর্বে ১৭২৪ নং হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
মাহমূদ ইবনু গাইলান-ওয়াকী হতে তিনি সুফিয়ান হতে তিনি আবূ ইসহাক হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু জাফার হতে তিনি শুবা হতে তিনি আবূ ইসহাক হতে উপরোক্ত হাদিস বর্ণনা কারেছেন। এ হাদিসে আরো অধিক কথা আছে। আমি মুহাম্মাদকে প্রশ্ন করলাম, আবূ ইসহাক-আল-বারাআ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি বেশি সহীহ না জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ)- এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি? তিনি উভয় হাদিস সহীহ বলে মত দিয়েছেন। এ অনুচ্ছেদে বারাআ ও আবূ জুহাইফা (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৮
সবুজ পোশাক প্রসঙ্গে
২৮১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ إِيَادِ بْنِ لَقِيطٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي رِمْثَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ بُرْدَانِ أَخْضَرَانِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ إِيَادٍ . وَأَبُو رِمْثَةَ التَّيْمِيُّ يُقَالُ اسْمُهُ حَبِيبُ بْنُ حَيَّانَ وَيُقَالُ اسْمُهُ رِفَاعَةُ بْنُ يَثْرِبِيٍّ .
আবূ রিমসা (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দু’টি সবুজ চাদর পরিহিত অবস্থায় দেখেছি।
সহীহঃ মুখতাসার শামা-য়িল (৩৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র ‘উবাইদুল্লাহ্ ইবনু ইয়াদের সূত্রেই জেনেছি। আবূ রিমসা আত্-তাইমীর নাম হাবীব ইবনু হাইয়্যান, মতান্তরে রিফাআ ইবনু ইয়াসরিবী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৯
কালো পোশাক প্রসঙ্গে
২৮১৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مِنْ شَعَرٍ أَسْوَدَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন সকালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কালো পশমী চাদর পরিহিত অবস্থায় বের হলেন।
সহীহঃ মুখতাসার শামা-য়িল (৫৬), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫০
হলুদ রংয়ের পোশাক প্রসঙ্গে
২৮১৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ الصَّفَّارُ أَبُو عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَّانَ، أَنَّهُ حَدَّثَتْهُ جَدَّتَاهُ، صَفِيَّةُ بِنْتُ عُلَيْبَةَ وَدُحَيْبَةُ بِنْتُ عُلَيْبَةَ حَدَّثَتَاهُ عَنْ قَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ، وَكَانَتَا، رَبِيبَتَيْهَا وَقَيْلَةُ جَدَّةُ أَبِيهِمَا أُمُّ أُمِّهِ أَنَّهَا قَالَتْ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتِ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ حَتَّى جَاءَ رَجُلٌ وَقَدِ ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ” . وَعَلَيْهِ تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم – أَسْمَالُ مُلَيَّتَيْنِ كَانَتَا بِزَعْفَرَانٍ وَقَدْ نَفَضَتَا وَمَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عُسَيْبُ نَخْلَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ قَيْلَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَّانَ
ক্বাইলা বিনতু মাখ্রামাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট হাযির হলাম। তারপর তিনি লম্বা হাদীস বর্ণনা করেন। সূর্য প্রখর হয়ে উঠার পর জনৈক ব্যাক্তি এসে বলল, আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়ালাইকাস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পরণে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া জাফরানী রং-এর দু’টি পুরনো কাপড় ছিল এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিল একটি খেজুরের ডাল।
হাসানঃ মুখতাসার শামা-য়িল, তাহকীক সানী (৫৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনু হাসসানের রিওয়ায়াত হিসেবে জেনেছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫১
যাফরানী রং এবং যাফরান মিশ্রিত সুগন্ধি ব্যবহার পুরুষের জন্য মাকরূহ
২৮১৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ التَّزَعْفُرِ لِلرِّجَالِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষদেরকে জাফরানী রং ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
সহীহঃ বুখারী (৫৮৪৬), মুসলিম (৬/১৫৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি শু’বাহ্-ইসমাঈল ইবনু উলাইয়্যা হতে, তিনি ‘আব্দুল আযীয ইবনু সুহাইব হতে, তিনি আনাস (রা:) হতে এই সূত্রে বর্ণিত আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাফরানী রং ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনু আব্দুর রাহমান-আদাম হতে, তিনি শু’বাহ্(রহ:) হতে এরকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ‘ঈসা বলেন, “পুরুষের জন্য জাফরান লাগানো নিষেধ” এ কথার অর্থ হল জাফরানী রং-এর সুগন্ধি লাগানো তাদের জন্য নিষেধ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮১৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَفْصِ بْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَبْصَرَ رَجُلاً مُتَخَلِّقًا قَالَ “ اذْهَبْ فَاغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ لاَ تَعُدْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدِ اخْتَلَفَ بَعْضُهُمْ فِي هَذَا الإِسْنَادِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مَنْ سَمِعَ مِنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ قَدِيمًا فَسَمَاعُهُ صَحِيحٌ وَسَمَاعُ شُعْبَةَ وَسُفْيَانَ مِنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ صَحِيحٌ إِلاَّ حَدِيثَيْنِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ زَاذَانَ قَالَ شُعْبَةُ سَمِعْتُهُمَا مِنْهُ بِأَخَرَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى يُقَالُ إِنَّ عَطَاءَ بْنَ السَّائِبِ كَانَ فِي آخِرِ أَمْرِهِ قَدْ سَاءَ حِفْظُهُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارٍ وَأَبِي مُوسَى وَأَنَسٍ وَأَبُو حَفْصٍ هُوَ أَبُو حَفْصِ بْنُ عُمَرَ .
ইয়ালা ইবনু মুররা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে খালুক (যাফরান মিশানো সুগন্ধি) ব্যবহার করেছে। তিনি বললেনঃ যাও, এটা ধুয়ে ফেল আবার ধুয়ে ফেল, পুনরায় তা লাগিও না।
সনদ দূর্বল, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। এ হাদিসের সনদে আতা ইবনুস সাইব (রহঃ) হতে বর্ণনার ব্যপারে কিছু হাদিস বিশারদ মতের অমিল করেছেন। আলী (রহঃ) বলেনঃ ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ বলেছেন, যারা পূর্বে আতা ইবনুস সাইব এর নিকট হাদিস শুনেছেন তাদের উক্ত শ্রবণ যথার্থ। আতা ইবনুস সাইব যাযান সূত্রে বর্ণিত দু’টি হাদিস ব্যতীত তার বরাতে শুবা ও সুফিয়ানের হাদিস শ্রবণের বিষয়টি সঠিক। শুবা বলেনঃ আতা হতে যাযান সূত্রে বর্ণিত হাদিসদুটো আমি আতার অন্তিম বয়সে শুনেছি। কথিত আছে যে, শেষ বয়সে আতার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এ আনুচ্ছেদে আম্মার, আবূ মূসা ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে। রাবী আবূ হাফস হলেন ইবনু উমার।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫২
রেশমী কাপড় পরা (পুরুষের জন্য) নিষিদ্ধ
২৮১৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي مَوْلَى، أَسْمَاءَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ، يَذْكُرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ لَبِسَ الْحَرِيرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الآخِرَةِ ” . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَحُذَيْفَةَ وَأَنَسٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ وَقَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي كِتَابِ اللِّبَاسِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُمَرَ . وَمَوْلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ وَيُكْنَى أَبَا عُمَرَ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ)-কে উল্লেখ করতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়াতে যে লোক রেশমী কাপড় পরবে, সে আখিরাতে তা পরতে পারবে না।
সহীহঃ গায়তাতুল মারাম (৭৮), বুখারী ও মুসলিম
‘আলী, হুযাইফাহ, আনাস (রাযীঃ) প্রমুখ সাহাবীদের মতে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে যা আমি কিতাবুল লিবাসে উল্লেখ করেছি (১৭২০ নং হাদীসের অধীনে দ্রঃ) আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান স হীহ । আবূ ‘আমর (রাঃ) হতে এটি ভিন্ন সূত্রেও ব র্ণিত আছে । আবূ ‘আমর- এর নাম ;আব্দুল্লাহ এবং উপনাম আবূ ‘আমর । আতা ইবনু আবী রাবাহ ও ‘আমর ইবনু দীনার (রাঃ) তাঁর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৩
(কুবা পরিধান করা)
২৮১৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَسَمَ أَقْبِيَةً وَلَمْ يُعْطِ مَخْرَمَةَ شَيْئًا فَقَالَ مَخْرَمَةُ يَا بُنَىَّ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ قَالَ ادْخُلْ فَادْعُهُ لِي فَدَعَوْتُهُ لَهُ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ قِبَاءٌ مِنْهَا فَقَالَ ” خَبَأْتُ لَكَ هَذَا ” . قَالَ فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ ” رَضِيَ مَخْرَمَةُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ .
মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন এক সময় রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েকটি কুবা বন্টন করলেন, কিন্তু মাখরামাকে এর কোন অংশই দিলেন না। তখন মাখরামাহ বললেন, ‘হে পুত্র! চল আমরা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট যাই। তিনি (মিসওয়ার) বলেন, আমি তার সাথে চললাম। (ঐখানে পৌছে) তিনি বললেন, ভিতরে যাও এবং আমার জন্য তাঁর নিকট আবেদন কর। আমি তাঁর নিকট গিয়ে তার জন্য আবেদন করলাম। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুবা গুলো হতে একটি কুবা হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসলেন। এবং বললেনঃ তোমার জন্য এগুলো লুকিয়ে রেখেছিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ মাখরামাহ এবার খুশি হয়েছো।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ । ইবনু আবূ মুলাইকার নাম ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘ঊবাইদুল্লাহ ইবনু আলী মুলাইকাহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৪
আল্লাহ তায়ালা বান্দার উপর তাঁর নিয়ামাতের চিহ্ন দেখতে ভালবাসেন
২৮১৯
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ يُحِبَّ أَنْ يُرَى أَثَرُ نِعْمَتِهِ عَلَى عَبْدِهِ ” . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ عَنْ أَبِيهِ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর বাবা ও তাঁর দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর দাদা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা তাঁর দেয়া নি‘মাতের নিদর্শন তাঁর বান্দার উপর দেখতে ভালবাসেন (অর্থাৎ যাকে যে রকম নি‘মাত প্রদান করা হয়েছে সেনুযায়ী পোশাক-পরিচ্ছেদ ব্যবহার করা আল্লাহ পছন্দ করেন)।
হাসান সহীহঃ গাইয়াতুল মারাম (৭৫)
আবুল আহওয়াস তার বাবা হতে, ‘ইমরান ইবনু হুসাইন ও ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৫
কালো রংয়ের চামড়ার মোজা পরা
২৮২০
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ دَلْهَمِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ حُجَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّجَاشِيَّ، أَهْدَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خُفَّيْنِ أَسْوَدَيْنِ سَاذَجَيْنِ فَلَبِسَهُمَا ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَيْهِمَا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ دَلْهَمٍ وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنْ دَلْهَمٍ .
বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(বাদশাহ) নাজাশী নকশাবিহীন দু’টি কালো রংয়ের চামড়ার মোজা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে উপহার দিয়েছিলেন। তিনি তা পরিহিত অবস্হায় উযু করলেন এবং তাঁর উপর মাসিহ করলেন।
সহীহ ইবনু মা-জাহঃ (৫৪৪৯)
আবূ ঈ’সা বলেন, এ হাদিসটি হাসান । আমরা দালহামের বর্ণনা মতে এটি জেনেছি । মুহাম্মদ ইবনু রাবী‘আও এ হাদিসটি দালহামের সূত্রে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৬
পাকা চুল উপড়িয়ে ফেলা নিষেধ
২৮২১
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ نَتْفِ الشَّيْبِ وَقَالَ “ إِنَّهُ نُورُ الْمُسْلِمِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ قَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ وَغَيْرِ وَاحِدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ
‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর বাবা ও তাঁর দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পাকা চুল উপড়িয়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরো বলেনঃ এটি মুসলিমের নূর।
সহীহঃ মিশকাত ৪৪৫৮, সহীহাহ ১২৪৩
আবূ ঈ’সা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এ হাদীস ‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর বাবা ও তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণিত ‘আব্দুর রাহমান ইবনুল হারিস এবং আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৭
পরামর্শদাতা হল আমানতদার
২৮২২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمُسْتَشَارُ مُؤْتَمَنٌ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ شَيْبَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّحْوِيِّ وَشَيْبَانُ هُوَ صَاحِبُ كِتَابٍ وَهُوَ صَحِيحُ الْحَدِيثِ وَيُكْنَى أَبَا مُعَاوِيَةَ . حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ الْعَطَّارُ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ إِنِّي لأُحَدِّثُ الْحَدِيثَ فَمَا أَدَعُ مِنْهُ حَرْفًا .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তির নিকট পরামর্শ চাওয়া হ্য় সে একজন আমানাতদার।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৭৪৫)।
আবূ ঈ’সা বলেন, এ হাদিসটি হাসান । এ হাদিসটি শায়বান ইবনু ‘আব্দুর রাহমান আন-নাহবীর সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন । শাইবান একজন গ্রন্হপ্রণেতা, তার হাদীস সহীহ এবং তার উপনাম আবূ মু’আবিয়াহ । আব্দুল জাব্বার ইবনু আলা-আল-আত্তার-সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাহ হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, মালিক ইবনু উমাইর বলেছেন, আমি হাদীশ বর্ণনা করার সময় তা হতে একটি অক্ষরও কম করি না ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮২৩
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنْ جَدَّتِهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمُسْتَشَارُ مُؤْتَمَنٌ ” . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أُمِّ سَلَمَةَ
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরামর্শদাতা হল আমানতদার। (সুতরাং তার আমানত রক্ষা করা দায়িত্ব অর্থাৎ কল্যানময় সৎ পরামর্শ প্রদান করা উচিত)।
পূর্বের হাদীস সহায়তায় সহীহ
ইবনু মাস’উদ, ইবনু হুরাইরাহ্ ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ঈ’সা বলেন এ হাদিসটি উম্মু সালামাত (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে গারীব ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৮
কুলক্ষণ সম্পর্কে
২৮২৪
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، وَحَمْزَةَ، ابْنَىْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِمَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الشُّؤْمُ فِي ثَلاَثَةٍ فِي الْمَرْأَةِ وَالْمَسْكَنِ وَالدَّابَّةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَبَعْضُ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ لاَ يَذْكُرُونَ فِيهِ عَنْ حَمْزَةَ إِنَّمَا يَقُولُونَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ فَقَالَ عَنْ سَالِمٍ وَحَمْزَةَ ابْنَىْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِمَا وَهَكَذَا رَوَى لَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ وَحَمْزَةَ ابْنَىْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِمَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (কুলক্ষণ সম্পর্কে কিছু থাকলে) এ তিনটিতে থাকতোঃ ১. নারী ২. ঘর ও ৩. জন্তু।
“কোন বস্তুতে কুলক্ষণ থাকলে” অংশসহ হদীসটি সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। ঐ অংশ ব্যাতীত হাদীসটি শাযঃ সহীহাহ (৪৪৩, ৭৯৯, ১৮৯৭)
আবূ ‘ঈসা বলেন, ও হাদিসটি হাসান সহীহ । ইমাম বুখারীর কিছু শিষ্য অত্র হাদীসের সনদে বর্ণনাকারী হামযার উল্লেখ করেননি । তারা এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ সালিম-তার বাবা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একইভাবে ইবনে আবি ‘ঊমারও এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন সুফিইয়ান ইবনু উয়াইনাহ হতে, তারা যুহরী হতে তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর পুত্রদ্বয় সালিম ও হামযা-তাদের বাবা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ।
সাঈদ ইবনু ‘আবদুর রহমান সুফিইয়ান হতে তিনি যুহরী হতে তিনি সালিম (রাঃ) হতে তার বাআব্র সুত্রে উপরে বর্ণিত হাদীসের সামর্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন । এ সুত্রে সাঈদ ইবনু ‘আবদূর রাহমান হামযা হতে এভাবে উল্লেখ করেননি । সা’ঈদের রিওয়ায়াত আধিকতর সহীহ । কেনান ‘আলী ইবনুল মাদীনী ও হুমাইদী (রাঃ) সুফইয়ানের সুত্রে বর্ণনা করেছেন । যুহরী আমাদের নিকট এ হাদীস শুধুমাত্র সালিম-ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সুত্রেই বর্ণনা করেছেন । মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) এ হাদিসটি যুহরীর সুত্রে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর পুত্রদ্বয় সালিম ও হামযা হতে –তাদের বাবার সুত্রে । এ অনুচ্ছেদে সাহল ইবনু সা’দ, আয়িশাহ ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত রয়েছে । অধিকন্তু নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আরও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ “কোন কিছুতে কুলক্ষণ বলতে থাকলে নারী, জন্তু ও ঘরের মধ্যেই থাকতো” ।
তাছাড়া হাকীম ইবনু মু’আবিয়া (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতেশুনেছিঃ কুলক্ষম বলতে কিছু নেই । তবে কখনো কখনো ঘর, নারী ও ঘোড়ার মধ্যে শুভ লক্ষণ (বারাকাহ) দেখা যায় । সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৯৩০)
‘আলী ইবনে হুজর-ই’সমাইল ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি সুলাইমান ইবনু সুলাইম হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু জাবির আত-তাঈ হতে, তিনি মু’আবিয়া ইবনু হাকীম হতে, তিনি তার চাচা হাসান ইবনু মু’আবিয়া (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৯
তৃতীয় ব্যাক্তিকে বাদ দিয়ে দু’জনে কানাকানি (গোপন আলাপ) করবে না
২৮২৫
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا كُنْتُمْ ثَلاَثَةً فَلاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ صَاحِبِهِمَا ” . وَقَالَ سُفْيَانُ فِي حَدِيثِهِ ” لاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ الثَّالِثِ فَإِنَّ ذَلِكَ يُحْزِنُهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . – وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” لاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ وَاحِدٍ فَإِنَّ ذَلِكَ يُؤْذِي الْمُؤْمِنَ وَاللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَكْرَهُ أَذَى الْمُؤْمِنِ ” . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা তিনজন একত্রে থাকবে তখন দু’জনে তাদের সাথীকে বাদ দিয়ে কানাকানি (গোপন আলাপ) করবে না। সুফইয়ানের বর্ণনায় আছেঃ দু’জনে তৃতীয়জনকে বাদ দিয়েগোপন আলাপ না করে, কেননা ইহা তাকে চিন্তিত করে।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৭৭৫), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ আরেক বর্ণনায় আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “একজনকে বাদ দিয়ে দু’জনে কানাকানি করবে না । কেননা ইহা মু’মিনের কষ্ট দেয় । আর আল্লাহ তা’য়ালা তো মুমিনকে কষ্ট দেয়া অপছন্দ করেন” । ইবনু ‘উমার, আবূ হুরাইরাহ্ ও ইবনু আব্বাস (রহঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬০
ওয়া’দাহ আঙ্গীকার
২৮২৬
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبْيَضَ قَدْ شَابَ وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يُشْبِهُهُ وَأَمَرَ لَنَا بِثَلاَثَةَ عَشَرَ قَلُوصًا فَذَهَبْنَا نَقْبِضُهَا فَأَتَانَا مَوْتُهُ فَلَمْ يُعْطُونَا شَيْئًا فَلَمَّا قَامَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ مَنْ كَانَتْ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِدَةٌ فَلْيَجِئْ . فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَأَخْبَرْتُهُ فَأَمَرَ لَنَا بِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ هَذَا الْحَدِيثَ بِإِسْنَادٍ لَهُ عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ نَحْوَ هَذَا . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يُشْبِهُهُ وَلَمْ يَزِيدُوا عَلَى هَذَا
আবূ জুহাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে রক্তিমাভ সাদা দেখলাম এবং তাঁর কিছু চুল সাদা হয়ে গিয়েছিল। আর হাসান ইবনু ‘আলী ছিলেন ঠিক তারই প্রকৃতির। তিনি (রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ))-এর তেরটি উঠতি বয়সের উটনি আমাদেরকে দেওয়ার জন্য আদেশ করলেন। কাজেই সেগুলো সংগ্রহের উদেশ্যে তাঁর নিকট রওয়ানা হলাম। এমন সময় আমাদের নিকট তাঁর মৃত্যুর সংবাদ এল। সেহেতু লোকেরা একটি উটনিও আমাদের দিলনা। তারপর আবু বকর (রাঃ) খিলাফাতে অধিষ্ঠিত হয়ে বললেন, যে ব্যাক্তির রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ওয়া’দাহ আছে সে যেন উপস্হিত হয়। কাজেই আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে সব কথা খুলে বললাম। তিনি আমাদেরকে উটনিগুলো দেয়ার আদেশ কার্যকর করলেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
আবূ ‘ঈসা বলেন এ হাদিসটি হাসান । মারওয়ান ইবনু মু’আবিয়াহও নিজস্ব সনদে আবু জুহাইফাহ (রাঃ) হতে উক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন । একাধিক বর্ণনাকারী ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখেছি, হাসান ইবনু ‘আলী ছিলেন ঠিক তাঁরই সদৃশ । এই বর্ণনায় এর বেশি নেই ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جُحَيْفَةَ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يُشْبِهُهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ نَحْوَ هَذَا . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ . وَأَبُو جُحَيْفَةَ اسْمُهُ وَهْبٌ السُّوَائِيُّ .
আবূ জুহাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখেছি এবং হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) ছিলেন তাঁর মতোই (অবয়ব সম্পন্ন)।
আবূ ঈসা বলেন, একাধিক বর্ণনাকারী ইসমাইল ইবনু আবূ খালিদের সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন । জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ জুহাইফাহ (রাঃ)-এর নাম ওয়াহাব আস-সুওয়াঈ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬১
আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক -এ কথা বলা
২৮২৮
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ مَا سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَمَعَ أَبَوَيْهِ لأَحَدٍ غَيْرَ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কস (রাঃ) ব্যাতিত আর কারো জন্য তাঁর বাবা-মাকে একত্র করতে শুনিনি। (অর্থাৎ এমন বলতে শুনিনি যে, আমার বাবা-মা তোমার জন্য কুরবান হোক)।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৩০), বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮২৯
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، سَمِعَا سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولُ قَالَ عَلِيٌّ مَا جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَاهُ وَأُمَّهُ لأَحَدٍ إِلاَّ لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ لَهُ يَوْمَ أُحُدٍ ” ارْمِ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي ” . وَقَالَ لَهُ ” ارْمِ أَيُّهَا الْغُلاَمُ الْحَزَوَّرُ ” . وَفِي الْبَابِ عَنِ الزُّبَيْرِ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কস (রাঃ) ছাড়া আর কারো জন্য তাঁর বাবা-মাকে একত্র করে বলেননি যে, আমার বাবা-মা তোমার জন্য কুরবান হোক। উহুদ যুদ্ধের দিন তিনি তাকে (সা’দকে) বলেছেনঃ চালাও তীর, আমার বাবা-মা তোমার জন্য কুরবান হোক। হে নওজোয়ান যুবক! তীর ছুড়ো।
“হে তরুন যুবক” এর উল্লেখ মুনকার, নাসাঈ। বুখারী ও মুসলিম এ অতিরিক্ত অংশ ব্যতীত বর্ণনা করেছেন।
এ অনুচ্ছেদে জুবাইর ও জাবির (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ । উক্ত হাদীস আলী (রাঃ) হতে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত আছে । একাধিক বর্ণনাকারী এ হাদিসটি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ হতে তিনি সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব হতে তিনি সা’দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, উহুদের মাইদানে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার জন্য তাঁর বাবা-মাকে একত্র করেছেন (অর্থাৎ-তিনি বলেছেনঃ আমার বাবা-মা তোমার জন্য কুরবান হোক তুমি নিক্ষেপ কর) ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
২৮৩০
وَقَدْ رَوَى غَيْرُ، وَاحِدٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ “ ارْمِ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي ” . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ يَوْمَ أُحُدٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَكِلاَ الْحَدِيثَيْنِ صَحِيحٌ .
সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উহুদের দিন আমার জন্য রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাবা-মাকে একত্র করে বলেছেনঃ তোমার জন্য আমার বাবা-মা কুরবান হোক।
সহীহঃ বুখারী (৩৭২৫), মুসলিম আনুরুপ
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ । উভয়ই হাদিসই সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬২
“হে আমার পুত্র” বলে কাউকে সম্বোধন করা
২৮৩১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، شَيْخٌ لَهُ عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ “ يَا بُنَىَّ ” . وَفِي الْبَابِ عَنِ الْمُغِيرَةِ وَعُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَنَسٍ . وَأَبُو عُثْمَانَ هَذَا شَيْخٌ ثِقَةٌ وَهُوَ الْجَعْدُ بْنُ عُثْمَانَ وَيُقَالُ ابْنُ دِينَارٍ وَهُوَ بَصْرِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে “হে আমার পুত্র” বলে সম্বোধন করেছেন।
সহীহঃ সহীহাহ (২৯৫৭), মুসলিম
মুগীরাহ ও উমার ইবনু আলী সালামাহ (রাঃ) হতে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ এবং উক্ত সূত্রে গরীব এছাড়া অন্য সূত্রেও আনাস (রাঃ) হতে এ হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে । বর্ণনাকারী আবূ ‘উসমান হলেন হাদীসের নির্ভরযোগ্য শাইখ । তার নাম আল-জাদ ইবনু ‘উসমান । তাকে ইবনু দীনারও বলা হয় । তিনি বাসরার অধিবাসী । ইউনুস ইবনু ‘উবাইদ, শু’বাহ এবং একাধিক ইমাম তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬৩
দ্রুত সদ্যজাত শিশুর নাম রাখা
২৮৩২
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِتَسْمِيَةِ الْمَوْلُودِ يَوْمَ سَابِعِهِ وَوَضْعِ الأَذَى عَنْهُ وَالْعَقِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিশুর জন্মের সপ্তম দিনে তার নাম রাখতে, মাথা মুন্ডন করতে এবং আকীকা করতে আদেশ করেছেন।
হাসানঃ ইরওয়াহ (৪/৩৯৯-৪০০), তাহকীক সানী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬৪
(আল্লাহ তা’য়ালার নিকট) পছন্দীয় নাম
২৮৩৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْوَرَّاقُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْمَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّقِّيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ صَالِحٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আবদুল্লাহ ও ‘আবদূর রাহমান নাম আল্লাহ তা’য়ালার নিকট বেশি পছন্দনীয়।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ(৩৭২৮), মুসলিম
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান এবং উপ্রোক্ত সূত্রে গারীব ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৩৪
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَحَبَّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ ” . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবশ্যই আল্লাহ তা’য়ালার নিকট অধিক পছন্দীয় নাম হলো ‘আবদুল্লাহ ও ‘আবদূর রাহমান।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদিস
এ হাদিসটি এ সূত্রে গারীব ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬৫
(আল্লাহ তা’য়ালার নিকট) অপছন্দীয় নাম
২৮৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لأَنْهَيَنَّ أَنْ يُسَمَّى رَافِعٌ وَبَرَكَةُ وَيَسَارٌ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . هَكَذَا رَوَاهُ أَبُو أَحْمَدَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عُمَرَ وَرَوَاهُ غَيْرُهُ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَأَبُو أَحْمَدَ ثِقَةٌ حَافِظٌ وَالْمَشْهُورُ عِنْدَ النَّاسِ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ عُمَرَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই আমি নিষেধ করছি রাফি’ , বারাকাত ও ইয়াসার নাম রাখতে।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৮২৯), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব । এ হাদিসটি আবূ আহমাদ-সুফইয়ান হতে, তিনি আবূ আবুয যুবায়র হতে, তিনি জাবির হতে, তিনি ‘উমার (রাঃ) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন । আন্যান্য বর্ণনাকারীগণ সুফইয়ান হতে, তিনি আবূ সুফইয়ান হতে, তিনি জাবির (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন । আবূ আহমাদ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী এবং হাদিসের হাফিয । কিন্তু জাবির (রাঃ) – নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে, এই সূত্রেই লোকদের নিকট হাদিসটি প্রসিদ্ধ । তাতে ‘উমার (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৩৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ عُمَيْلَةَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تُسَمِّي غُلاَمَكَ رَبَاحٌ وَلاَ أَفْلَحُ وَلاَ يَسَارٌ وَلاَ نَجِيحٌ يُقَالُ أَثَمَّ هُوَ فَيُقَالُ لاَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সন্তানদের নাম রাবাহ, আফলাহ, ইয়াসার ও নাজীহ রেখোনা। কেউ প্রশ্ন করবে, ঐখানে ওমুক আছে কি? বলা হবেঃ না।
সহীহঃ ইবনু ম-জাহ (৩৬৩০), মুসলিম
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَيْمُونٍ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَخْنَعُ اسْمٍ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ تَسَمَّى بِمَلِكِ الأَمْلاَكِ ” . قَالَ سُفْيَانُ شَاهَانْ شَاهْ وَأَخْنَعُ يَعْنِي أَقْبَحَ . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে সেই ব্যক্তির নাম আল্লাহ তা‘আলার নিকট সবচাইতে নিকৃষ্ট নাম হবে, যে (দুনিয়ায়) ‘রাজাধিরাজ’ (মালিকুল আমলাক) নাম ধারন করে।
সহীহ : সহীহাহ্ (৯১৪), বুখারী ও মুসলিম।
সুফ্ইয়ান বলেন, এর অর্থ হল শাহানশাহ । আখনাউ অর্থ আকবাহু (সর্বাধিক অবাঞ্ছিত) । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬৬
নাম পরিবর্তন করা
২৮৩৮
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، وَأَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم غَيَّرَ اسْمَ عَاصِيَةَ وَقَالَ “ أَنْتِ جَمِيلَةُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَإِنَّمَا أَسْنَدَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عُمَرَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ وَعَائِشَةَ وَالْحَكَمِ بْنِ سَعْدٍ وَمُسْلِمٍ وَأُسَامَةَ بْنِ أَخْدَرِيٍّ وَشُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ عَنْ أَبِيهِ وَخَيْثَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ .
ইবনু ‘উমার (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসিয়া (রাঃ)-এর নাম পরিবর্তন করে বলেনঃ তুমি জামীলাহ্।
সহীহ : ইবনু মা-জাহ (৩৭৩৩), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব । এ হাদীসটি ‘উবাইদুল্লাহ নাফি‘ হতে, তিনি ইবনু ‘উমার (রা:) হতে, এই সূত্রে ইয়াহ্ইয়া ইবুন সা‘ঈদ আল-কাত্তান মারফূরূপে বর্ণনা করেছেন । এটিকে কোন কোন বর্ণনাকারী ‘উবাইদুল্লাহ-নাফি‘ হতে, তিনি ‘উমার (রা:) হতে এই সূত্রে মুরসাল হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন । ‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আওফ, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুতী’, ‘আয়িশাহ্, হাকাম ইবনু সা‘ঈদ, মুসলিম, উসামাহ্ ইবনু আখদারী, শুরাইহ ইবনু হানী-তার পিতা হতে এবং খাইসামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রাহমান-তার বাবা হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُغَيِّرُ الاِسْمَ الْقَبِيحَ .
আয়িশাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকৃষ্ট নামসমূহ পরিবর্তন করে (ভালো নাম রেখে) দিতেন।
সহীহ : সহীহাহ্ (২০৭, ২০৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, আবূ বাক্র ইবনু নাফি‘ বলেছেন, এই হাদীসের সনদের ক্ষেত্রে ‘উমার ইবনু ‘আলী কখনো বলেন, হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্-তার বাবা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মুরসাল হিসেবে । তাতে তিনি আয়িশাহ্ (রা:)-এর উল্লেখ করেননি ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬৭
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নামসমূহ
২৮৪০
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ لِي أَسْمَاءً أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَنَا أَحْمَدُ وَأَنَا الْمَاحِي الَّذِي يَمْحُو اللَّهُ بِيَ الْكُفْرَ وَأَنَا الْحَاشِرُ الَّذِي يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمِي وَأَنَا الْعَاقِبُ الَّذِي لَيْسَ بَعْدِي نَبِيٌّ ” . وَفِي الْبَابِ عَنْ حُذَيْفَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জুবাইর ইবনু মুত‘ইম (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার কতগুলো নাম আছে। আমি মুহাম্মাদ (প্রশংসিত), আমি আহ্মাদ (সর্বাধিক প্রশংসাকারী), আমি মাহী (বিলীনকারী)। আল্লাহ তা‘আলা আমার দ্বারা কুফরী বিলীন করেন। আর আমি হাশির (সমবেতকারী), আমার পদাংক অনুসরণে মানুষকে হাশর করা হবে। আমি আক্বিব (চূড়ান্ত পরিণতি বা সবার পশ্চাতে আগমনকারী)। আমার পরে কোন নবী নেই।
সহীহ : মুখ্তাসার শামা-য়িল (৩১৫), রাওযুন নাযীর (১/৩৪০)।
হযাইফাহ্ (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬৮
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নাম ও ডাকনাম একত্রে মিলিয়ে কারো নাম রাখা মাকরূহ।
২৮৪১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَجْمَعَ أَحَدٌ بَيْنَ اسْمِهِ وَكُنْيَتِهِ وَيُسَمَّى مُحَمَّدًا أَبَا الْقَاسِمِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ كَرِهَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يَجْمَعَ الرَّجُلُ بَيْنَ اسْمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكُنْيَتِهِ وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ بَعْضُهُمْ .
رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلاً، فِي السُّوقِ يُنَادِي يَا أَبَا الْقَاسِمِ فَالْتَفَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَمْ أَعْنِكَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي ” . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا . وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا يَدُلُّ عَلَى كَرَاهِيَةِ أَنْ يُكْنَى أَبَا الْقَاسِمِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নাম ও ডাকনাম মিলিয়ে ‘মুহাম্মাদ আবুল কাসিম’ এভাবে নাম রাখতে নিষেধ করেছেন।
হাসান সহীহ : মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৪৭৬৯), সহীহাহ্ (২৯৪৬)।
জাবির (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । কিছু আলিম এটা মাকরূহ মনে করেন । কিন্তু কিছু সংখ্যক আলিম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নাম ও ডাকনাম একত্রে মিলিয়ে নাম রেখেছেন ।
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, কোন একদিন তিনি বাজারে জনৈক ব্যক্তিকে “হে আবুল কাসিম” বলে ডাক দিতে শুনলেন । সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকালে লোকটি বলল, আমি আপনাকে ডাকিনি । তখন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : তোমরা আমার ডাকনামে নাম রেখো না ।
আল-হাসান ইবনু ‘আলী আল-খাল্লাল-ইয়াযীদ ইবনু হারূন হতে, তিনি হুমাইদ হতে, তিনি আনাস (রা:) হতে এই সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন । আর এ হাদীসে প্রমাণিত হয় যে, আবুল কাসিম ডাক নাম রাখা মাকরূহ ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৮৪২
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا سَمَّيْتُمْ بِاسْمِي فَلاَ تَكْتَنُوا بِي ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জাবির (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখলে এক সঙ্গে আমার ডাকনামও রেখো না।
সহীহ : ইবনু মা-জাহ (৩৭৩৬), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং এই সূত্রে গারীব ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا فِطْرُ بْنُ خَلِيفَةَ، حَدَّثَنِي مُنْذِرٌ، وَهُوَ الثَّوْرِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ وُلِدَ لِي بَعْدَكَ أُسَمِّيهِ مُحَمَّدًا وَأُكْنِيهِ بِكُنْيَتِكَ قَالَ “ نَعَمْ ” . قَالَ فَكَانَتْ رُخْصَةً لِي . هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
আলী ইবনু আবী তালিব (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হে রাসূলুল্লাহ! আপনার পরে যদি আমার কোন ছেলে হয়, তাহলে তার নাম মুহাম্মাদ এবং আপনার ডাকনামে তার ডাকনাম রাখতে পারি কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি (‘আলী) বলেন, এর দ্বারা আমাকে অনুমতি দেয়া হল।
সহীহ : মুখতাসার তুফাতুল ওয়াদূদ, মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (৪৭৭২)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬৯
কিছু কবিতা প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ
২৮৪৪
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي غَنِيَّةَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حِكْمَةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ إِنَّمَا رَفَعَهُ أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ عَنِ ابْنِ أَبِي غَنِيَّةَ . وَرَوَى غَيْرُهُ عَنِ ابْنِ أَبِي غَنِيَّةَ هَذَا الْحَدِيثَ مَوْقُوفًا . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ وَبُرَيْدَةَ وَكَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ .
আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই কোন কোন কবিতায় হিকমাত ও প্রজ্ঞা আছে।
হাসান সহীহ : বুখারী ও মুসলিম উবাই ইবনু কা‘ব হতে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপরোক্ত সূত্রে গারীব । এ হাদীসটি ইবনু আবূ গানিয়্যার সূত্রে আবী সাইদ আল-আশাজ্জ মারফু‘ হিসেবে বর্ণনা করেছেন । অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ হাদীসটি ইবনু আবী গানিয়্যাহ্ হতে মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন । উক্ত হাদীস অন্যসূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রা:)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে । উবাই ইবনু কা‘ব, ইবনু ‘আব্বাস, ‘আয়িশাহ্, বুরাইদাহ্, কাসীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৮৪৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حُكْمًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে কোন কোন কবিতায় প্রজ্ঞাপূর্ণ কথাও আছে।
হাসান সহীহ : ইবনু মা-জাহ (৩৭৫৬)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭০
কবিতা আবৃত্তি প্রসঙ্গে
২৮৪৬
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ لِحَسَّانَ مِنْبَرًا فِي الْمَسْجِدِ يَقُومُ عَلَيْهِ قَائِمًا يُفَاخِرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – أَوْ قَالَ يُنَافِحُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – وَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ يُؤَيِّدُ حَسَّانَ بِرُوحِ الْقُدُسِ مَا يُفَاخِرُ أَوْ يُنَافِحُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” .
আয়িশাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (কবি) হাসসানের জন্য মসজিদে একটা মিম্বার রেখে দিতেন। তিনি তাতে দাঁড়িয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর গৌরবগাঁথা আবৃত্তি করতেন অথবা তিনি (‘আয়িশাহ্) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পক্ষ থেকে (কাফিরদের কটূক্তির) জবাব দিতেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন : আল্লাহ তা‘আলা রূহুল কুদুস জিবরীল এর মাধ্যমে হাস্সানকে সহযোগিতা করেন যতক্ষণ তিনি গৌরবগাঁথা আবৃত্তি করেন অথবা রাসূলের পক্ষ থেকে (কাফিরদের তিরস্কারের) জবাব দেন।
হাসান : সহীহাহ্ (১৬৫৭)
ইসমাঈল ইবনু মুসা ও ‘আলী ইবনু হুজুর তারা উভয়ে ইবনু আবী যিনাদ হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি উরওয়া হতে, তিনি ‘আয়িশাহ্ (রা:) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন । আবূ হুরাইরাহ্ ও আল-বারাআ (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব । এটি ইবনু আবুয যিনাদের হাদীস ।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২৮৪৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ يَمْشِي وَهُوَ يَقُولُ خَلُّوا بَنِي الْكُفَّارِ عَنْ سَبِيلِهِ الْيَوْمَ نَضْرِبْكُمْ عَلَى تَنْزِيلِهِ ضَرْبًا يُزِيلُ الْهَامَ عَنْ مَقِيلِهِ وَيُذْهِلُ الْخَلِيلَ عَنْ خَلِيلِهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ يَا ابْنَ رَوَاحَةَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي حَرَمِ اللَّهِ تَقُولُ الشِّعْرَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ خَلِّ عَنْهُ يَا عُمَرُ فَلَهِيَ أَسْرَعُ فِيهِمْ مِنْ نَضْحِ النَّبْلِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ نَحْوَ هَذَا وَرُوِيَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ وَكَعْبُ بْنُ مَالِكٍ بَيْنَ يَدَيْهِ وَهَذَا أَصَحُّ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْحَدِيثِ لأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ قُتِلَ يَوْمَ مُؤْتَةَ وَإِنَّمَا كَانَتْ عُمْرَةُ الْقَضَاءِ بَعْدَ ذَلِكَ .
আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কাযা উমরা আদায়ের উদ্দেশ্যে মাক্কায় প্রবেশ করলেন, তখন কবি ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) তাঁর সামনে সামনে এ কবিতা বলে হেঁটে যাচ্ছিলেন :
হে বানী কুফ্ফার! ছেড়ে দে তাঁর চলার পথ। আজ মারবো তোদের কুরআনের ভাষায় মারার মতো। কল্লা উড়ে যাবে তোদের গর্দান হতে, বন্ধু হতে বন্ধু হবে পৃথক তাতে”।
‘উমার (রাঃ) তাকে বললেন, হে ইবনু রাওয়াহা! তুমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে আল্লাহ তা‘আলার হেরেমের মধ্যে কবিতা বলছ? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হে ‘উমার! তাকে বলতে দাও। কেননা এই কবিতা তীরের চাইতেও দ্রুতগতিতে গিয়ে তাদেরকে (কাফিরদের) আহতকারী।
সহীহ : মুখতাসার শামা-য়িল (২১০)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, উক্ত সূত্রে গারীব । এ হাদীসটি মা‘মার-যুহরী হতে, তিনি আনাস (রা:) হতে এই সূত্রে ‘আবদুর রাযযাকও একই রকম বর্ণনা করেছেন । এ হাদীসটি ব্যতীতও অপর হাদীসে বর্ণিত আছে : নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাযা ‘উমরাহ্ আদায়ের উদ্দেশ্যে মাক্কায় প্রবেশ করলেন এবং কা‘ব ইবনু মালিক (রা:) তাঁর সামনে কবিতা আবৃত্তি করছিলেন” । এ বর্ণনাটি কিছু মুহাদ্দিসগণের নিকট অনেক বেশী সহীহ । কেননা ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রা:) মুতার যুদ্ধে শহীদ হন । আর এ ‘উমরাতুল কাযার ঘটনা ছিল সে যুদ্ধের অনেক পরে ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৪৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ قِيلَ لَهَا هَلْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَمَثَّلُ بِشَيْءٍ مِنَ الشِّعْرِ قَالَتْ كَانَ يَتَمَثَّلُ بِشِعْرِ ابْنِ رَوَاحَةَ وَيَتَمَثَّلُ وَيَقُولُ “ وَيَأْتِيكَ بِالأَخْبَارِ مَنْ لَمْ تُزَوِّدِ ” . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
শুরাইহ্ (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি উপমা দেয়ার জন্য কবিতা আবৃত্তি করতেন? তিনি বললেন, তিনি ইবনু রাওয়াহার এ কবিতা আবৃত্তি করে উপমা দিতেন। “যাকে তুমি দাওনি তোশা, খবর আনবে সে নিশ্চয়ই।”
সহীহ : সহীহাহ্ (২০৫৭)
ইবনু ‘আব্বাস (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৪৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَشْعَرُ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَتْ بِهَا الْعَرَبُ كَلِمَةُ لَبِيدٍ أَلاَ كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلاَ اللَّهَ بَاطِلُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُهُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরব কবিদের মধ্যে সর্বোত্তম ও সত্য কথা বলেছেন লাবীদ। তা হল এই “শুনে রেখ আল্লাহ ব্যতীত সব কিছুই বাতিল”।
হাদীসে বর্ণিত ”আশআর” এর পরিবর্তে “আসদাক” শব্দে হাদীসটি সহীহ, মুখতাসার শামায়িল (২০৭), ফিকহুস্ সীরাহ (২৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেন : হাদীসটি হাসান সহীহ । সাওরী ও অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ হাদীসটি আবদুল মালিক ইবনু ‘উমাইর-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
২৮৫০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ جَالَسْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ مَرَّةٍ فَكَانَ أَصْحَابُهُ يَتَنَاشَدُونَ الشِّعْرَ وَيَتَذَاكَرُونَ أَشْيَاءَ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ وَهُوَ سَاكِتٌ فَرُبَّمَا تَبَسَّمَ مَعَهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ زُهَيْرٌ عَنْ سِمَاكٍ أَيْضًا .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে শতাধিক বৈঠকে ছিলাম। সে সব বৈঠকে তাঁর সাহাবীগণ কবিতা আবৃত্তি করতেন এবং জাহিলিয়াত যুগের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেন। তিনি সেগুলো চুপ করে শুনতেন এবং কখনো কখনো মুচকি হাসতেন।
সহীহ : মুখতাসার শামা-য়িল (২১১)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । এ হাদীসটি সিমাকের সূত্রে যুহাইরও বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭১
তোমাদের কারো পেট কবিতার চাইতে বমি দ্বারা ভর্তি করাই উত্তম
২৮৫১
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عِيسَى الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَمِّي، يَحْيَى بْنُ عِيسَى الرَّمْلِيُّ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا يَرِيهُ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا ” . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَأَبِي سَعِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো পেট কবিতার চাইতে বমিতে পূর্ণ থাকাই উত্তম যা উহাকে (পেটকে) খারাপ করে ফেলে।
সহীহ : প্রাগুক্ত।
সা‘দ, আবূ সা‘ঈদ, ইবনু ‘উমার ও আবুদ্ দারদা (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৫২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো পেট (খারাপ ও চরিত্র বিধ্বংসী) কবিতার চাইতে বমি দ্বারা পূর্ণ থাকাই উত্তম।
সহীহ : ইবনু মা-জাহ (৩৭৫৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭২
বাকপটুতা ও বাগ্মিতা
২৮৫৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنْ بِشْرِ بْنِ عَاصِمٍ، سَمِعَهُ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ يُبْغِضُ الْبَلِيغَ مِنَ الرِّجَالِ الَّذِي يَتَخَلَّلُ بِلِسَانِهِ كَمَا تَتَخَلَّلُ الْبَقَرَةُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সেসব বাকপটু-বাগ্মী লোকদেরকে আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই ঘৃণা করেন, যারা গরুর জাবর কাটার ন্যায় কথা বলে।
সহীহ : সহীহাহ্ (৮৭৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং এই সূত্রে গারীব । সা‘দ (রা:) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৫৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَنَامَ الرَّجُلُ عَلَى سَطْحٍ لَيْسَ بِمَحْجُورٍ عَلَيْهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَعَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عُمَرَ الأَيْلِيُّ يُضَعَّفُ .
জাবির (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেয়ালবিহীন ছাদে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন।
সহীহ : সহীহাহ্ (৮২৬)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব । আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির হতে জাবির (রা:)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে জেনেছি । ‘আবদুল জাব্বার ইবনু ‘উমার আল-আইলীকে দুর্বল বর্ণনাকারী বলা হয়েছে ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৫৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَخَوَّلُنَا بِالْمَوْعِظَةِ فِي الأَيَّامِ مَخَافَةَ السَّآمَةِ عَلَيْنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সপ্তাহের দিনসমূহে আমাদেরকে ওয়াজ-নাসীহাতের ব্যাপারে আমাদের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন, যাতে আমরা বিরক্ত হয়ে না যাই।
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার-ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ হতে, তিনি সুফ্ইয়ান হতে, তিনি আল-আ’মাশ হতে, তিনি শাকীক ইবনু সালামাহ্ হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রা:) হতে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৩
(নিয়মিত ‘আমাল অল্প হলেও পছন্দনীয়)
২৮৫৬
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، قَالَ سُئِلَتْ عَائِشَةُ وَأُمُّ سَلَمَةَ أَىُّ الْعَمَلِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتَا مَا دِيمَ عَلَيْهِ وَإِنْ قَلَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ সালিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ্ ও উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট কোন্ ধরনের ‘আমাল বেশী পছন্দনীয় ছিল? তারা বললেন। যে ‘আমাল নিয়মিত করা হয়, যদিও তা অল্প হয়।
সহীহ : বুখারী (১১৩২), মুসলিম (২/১৬৭) অনুরূপ, ওয়াইন কাল্লা শব্দ ব্যতীত।
হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমে ‘আয়িশাহ্ (রা:) হতে পূর্ণভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত আছে।
সহীহ : আবু দাঊদ (১২৩৮)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ সূত্রে গারীব । হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ তার বাবা হতে, তিনি ‘আয়িশাহ্ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে ধরনের ‘আমাল বেশী পছন্দ করতেন, যা নিয়মিত করা হয় ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৪
পাত্র ঢেকে রাখা ও বাতি নিভিয়ে দেয়া
২৮৫৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ شِنْظِيرٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَمِّرُوا الآنِيَةَ وَأَوْكُوا الأَسْقِيَةَ وَأَجِيفُوا الأَبْوَابَ وَأَطْفِئُوا الْمَصَابِيحَ فَإِنَّ الْفُوَيْسِقَةَ رُبَّمَا جَرَّتِ الْفَتِيلَةَ فَأَحْرَقَتْ أَهْلَ الْبَيْتِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা খাবারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, মশক বা পানির পাত্রগুলোর মুখ বন্ধ করে দিও, দরজাগুলো বন্ধ করে দিও এবং (শোয়ার সময়) বাতিগুলো নিভিয়ে দিও। কেননা অনেক সময় ছোট্ট ইদুরগুলো বাতির সালতে টেনে নিয়ে যায় এবং ঘরের সবাইকে জ্বালিয়ে দেয়।
সহীহ: মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি জাবির (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ত্র হতে একাধিকভাবে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৫
উটকে তার প্রাপ্য দাও
২৮৫৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا سَافَرْتُمْ فِي الْخِصْبِ فَأَعْطُوا الإِبِلَ حَظَّهَا مِنَ الأَرْضِ وَإِذَا سَافَرْتُمْ فِي السَّنَةِ فَبَادِرُوا بِنِقْيِهَا وَإِذَا عَرَّسْتُمْ فَاجْتَنِبُوا الطَّرِيقَ فَإِنَّهَا طُرُقُ الدَّوَابِّ وَمَأْوَى الْهَوَامِّ بِاللَّيْلِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَنَسٍ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা উর্বর তৃণভূমি দিয়ে ভ্রমণ কর তখন তোমরা যমীন হতে উটকে তার প্রাপ্য দিবে, (চরে ফিরে খাবার সুযোগ দিও) এবং শুষ্ক ও উষর ভূমি দিয়ে ভ্রমণ করলে খুব দ্রুত গতিতে পথ অতিক্রম কর, যাতে জন্তুযানের শক্তি বজায় থাকে। আর তোমরা কোন মনযিলে (গন্তব্যে) শেষরাতে যাত্রাবিরতি করলে পথ থেকে সরে বিশ্রাম নিবে। কারণ এ পথ হল পশুর এবং রাতে বিচরণশীল কীট-পতঙ্গের আশ্রয়স্থল।
সহীহ : সহীহাহ (১৩৫৭), মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হারূন ইবনু ইসহাক বাবা হতে, তিনি আয়িশাহ (রাঃ) হতে এই সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
সহীহ: বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। আনাস ও জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৬
বান্দার জন্য আল্লাহ তা’আলার দেয়া উপমা
২৮৫৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ اللَّهَ ضَرَبَ مَثَلاً صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا عَلَى كَنَفَىِ الصِّرَاطِ دَارَانِ لَهُمَا أَبْوَابٌ مُفَتَّحَةٌ عَلَى الأَبْوَابِ سُتُورٌ وَدَاعٍ يَدْعُو عَلَى رَأْسِ الصِّرَاطِ وَدَاعٍ يَدْعُو فَوْقَهُ: (وَاللَّهُ يَدْعُو إِلَى دَارِ السَّلاَمِ وَيَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ) وَالأَبْوَابُ الَّتِي عَلَى كَنَفَىِ الصِّرَاطِ حُدُودُ اللَّهِ فَلاَ يَقَعُ أَحَدٌ فِي حُدُودِ اللَّهِ حَتَّى يُكْشَفَ السِّتْرُ وَالَّذِي يَدْعُو مِنْ فَوْقِهِ وَاعِظُ رَبِّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ سَمِعْتُ زَكَرِيَّا بْنَ عَدِيٍّ يَقُولُ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ خُذُوا عَنْ بَقِيَّةَ مَا حَدَّثَكُمْ عَنِ الثِّقَاتِ وَلاَ تَأْخُذُوا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ مَا حَدَّثَكُمْ عَنِ الثِّقَاتِ وَلاَ غَيْرِ الثِّقَاتِ .
আন-নাওয়াস ইবনু সাম’আন আল-কিলাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা এভাবে সোজা পথের একটি উদাহরণ দিয়েছেন-রাস্তার দু’ধারে দুটি প্রাচীর। প্রাচীর দুটিতে আছে অনেকগুলো খোলা দরজা। এগুলোতে পর্দা ঝুলানো রয়েছে। একজন আহবানকারী রাস্তার মাথায় দাড়িয়ে আহবান করছেন। অন্য এক আহবানকারী পথের উপর থেকে ডাকছেন। “আর আল্লাহ তা’আলা শান্তিময় আবাসের দিকে ডাকছেন। তিনি যাকে ইচ্ছা সোজা পথের হিদায়াত দান করেন”— (সূরা ইউনুস ২৫)। রাস্তার দু’পাশে দরজাগুলো হল আল্লাহ তা’আলার নির্ধারিত সীমাসমূহ। সুতরাং কোন ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার নির্ধারিত সীমালঙ্ঘন করলে তাতে (দরজার) পর্দা সরে যায়। আর উপর থেকে যে আহবায়ক আহবান করছেন তিনি হলেন আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে উপদেশদাতা !
সহীহ: মিশকাত (১৯১ ও ১৯২)।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমি আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রাহমানকে বলতে শুনেছি, আমি যাকারিয়া ইবনু আদীকে বলতে শুনেছি, আবু ইসহাক আল-ফাযারী বলেছেন, বর্ণনাকারী বাকিয়্যা বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীগণের সূত্রে যেসব হাদীস বর্ণনা করেছেন তা তোমরা গ্রহণ করো এবং ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ বিশ্বস্ত ও অবিশ্বস্ত যে কোন বর্ণনাকারীর সূত্রেই হাদীস বর্ণনা করুন তা গ্রহণ করো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيَّ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَقَالَ “ إِنِّي رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ جِبْرِيلَ عِنْدَ رَأْسِي وَمِيكَائِيلَ عِنْدَ رِجْلَىَّ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ اضْرِبْ لَهُ مَثَلاً . فَقَالَ اسْمَعْ سَمِعَتْ أُذُنُكَ وَاعْقِلْ عَقَلَ قَلْبُكَ إِنَّمَا مَثَلُكَ وَمَثَلُ أُمَّتِكَ كَمَثَلِ مَلِكٍ اتَّخَذَ دَارًا ثُمَّ بَنَى فِيهَا بَيْتًا ثُمَّ جَعَلَ فِيهَا مَائِدَةً ثُمَّ بَعَثَ رَسُولاً يَدْعُو النَّاسَ إِلَى طَعَامِهِ فَمِنْهُمْ مَنْ أَجَابَ الرَّسُولَ وَمِنْهُمْ مَنْ تَرَكَهُ فَاللَّهُ هُوَ الْمَلِكُ وَالدَّارُ الإِسْلاَمُ وَالْبَيْتُ الْجَنَّةُ وَأَنْتَ يَا مُحَمَّدُ رَسُولٌ فَمَنْ أَجَابَكَ دَخَلَ الإِسْلاَمَ وَمَنْ دَخَلَ الإِسْلاَمَ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ دَخَلَ الْجَنَّةَ أَكَلَ مَا فِيهَا ” . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِإِسْنَادٍ أَصَحَّ مِنْ هَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ . سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِلاَلٍ لَمْ يُدْرِكْ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে আমাদের নিকটে এসে বলেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম, জিবরাঈল (আঃ) যেন আমার মাথার দিকে এবং মীকাঈল (আঃ) আমার পাদুটির দিকে আছেন। তাঁদের একজন তাঁর সঙ্গীকে বলছেন, তাঁর কোন উদাহরন দিন। তিনি বলেনঃ তাহলে শুনুন। আপনার কান যেন শুনে এবং আপানার অন্তর যেন হৃদয়ঙ্গম করে। আপনার ও আপনার উম্মাতের তুলনা এই যে, কোন বাদশাহ একটি রাজমহল তৈরী করলেন এবং তাতে একটি ঘর তৈরি করলেন, তারপর তাতে রকমারি খানা ভর্তি খাঞ্চা রাখলেন। তারপর তিনি একজন আহ্বানকারীকে পাঠালেন লোকদেরকে খাবারের জন্য দাওয়াত দিতে। একদল লোক তার ডাকে সাড়া দিল এবং অন্য দল তা পরিত্যাগ করল। আল্লাহ্ তা’আলা হলেন সেই বাদশাহ, মহলটি হল ইসলাম, ঘরটি হল জান্নাত। আর হে মুহাম্মাদ! আপনি সেই আহ্বানকারী। যে ব্যক্তি আপনার ডাকে সাড়া দিল সে ইসলামে প্রবেশ করল, আর যে ইসলামে প্রবেশ করল সে জান্নাতে গেল। যে জান্নতে যাবে সে তাতে যা আছে তা খাবে।
সনদ দুর্বল। উপরোক্ত হাদীস রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অন্যভাবে আরো সহীহ সনদসূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি মুরসাল। সাঈদ ইবনু আবূ হিলাল জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) এর দেখা পাননি। এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৮৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَخَذَ بِيَدِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ حَتَّى خَرَجَ بِهِ إِلَى بَطْحَاءِ مَكَّةَ فَأَجْلَسَهُ ثُمَّ خَطَّ عَلَيْهِ خَطًّا ثُمَّ قَالَ ” لاَ تَبْرَحَنَّ خَطَّكَ فَإِنَّهُ سَيَنْتَهِي إِلَيْكَ رِجَالٌ فَلاَ تُكَلِّمْهُمْ فَإِنَّهُمْ لاَ يُكَلِّمُونَكَ ” . قَالَ ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَيْثُ أَرَادَ فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ فِي خَطِّي إِذْ أَتَانِي رِجَالٌ كَأَنَّهُمُ الزُّطُّ أَشْعَارُهُمْ وَأَجْسَامُهُمْ لاَ أَرَى عَوْرَةً وَلاَ أَرَى قِشْرًا وَيَنْتَهُونَ إِلَىَّ لاَ يُجَاوِزُونَ الْخَطَّ ثُمَّ يَصْدُرُونَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ لَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ جَاءَنِي وَأَنَا جَالِسٌ فَقَالَ ” لَقَدْ أَرَانِي مُنْذُ اللَّيْلَةَ ” . ثُمَّ دَخَلَ عَلَىَّ فِي خَطِّي فَتَوَسَّدَ فَخِذِي فَرَقَدَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَقَدَ نَفَخَ فَبَيْنَا أَنَا قَاعِدٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَوَسِّدٌ فَخِذِي إِذَا أَنَا بِرِجَالٍ عَلَيْهِمْ ثِيَابٌ بِيضٌ اللَّهُ أَعْلَمُ مَا بِهِمْ مِنَ الْجَمَالِ فَانْتَهَوْا إِلَىَّ فَجَلَسَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَائِفَةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ قَالُوا بَيْنَهُمْ مَا رَأَيْنَا عَبْدًا قَطُّ أُوتِيَ مِثْلَ مَا أُوتِيَ هَذَا النَّبِيُّ إِنَّ عَيْنَيْهِ تَنَامَانِ وَقَلْبُهُ يَقْظَانُ اضْرِبُوا لَهُ مَثَلاً مَثَلُ سَيِّدٍ بَنَى قَصْرًا ثُمَّ جَعَلَ مَأْدُبَةً فَدَعَا النَّاسَ إِلَى طَعَامِهِ وَشَرَابِهِ فَمَنْ أَجَابَهُ أَكَلَ مِنْ طَعَامِهِ وَشَرِبَ مِنْ شَرَابِهِ وَمَنْ لَمْ يُجِبْهُ عَاقَبَهُ أَوْ قَالَ عَذَّبَهُ – ثُمَّ ارْتَفَعُوا وَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ فَقَالَ ” سَمِعْتَ مَا قَالَ هَؤُلاَءِ وَهَلْ تَدْرِي مَنْ هَؤُلاَءِ ” . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” هُمُ الْمَلاَئِكَةُ أَفَتَدْرِي مَا الْمَثَلُ الَّذِي ضَرَبُوا ” . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” الْمَثَلُ الَّذِي ضَرَبُوا الرَّحْمَنُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى بَنَى الْجَنَّةَ وَدَعَا إِلَيْهَا عِبَادَهُ فَمَنْ أَجَابَهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يُجِبْهُ عَاقَبَهُ أَوْ عَذَّبَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو تَمِيمَةَ هُوَ الْهُجَيْمِيُّ وَاسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلٍّ وَسُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْهُ مُعْتَمِرٌ وَهُوَ سُلَيْمَانُ بْنُ طَرْخَانَ وَلَمْ يَكُنْ تَيْمِيًّا وَإِنَّمَا كَانَ يَنْزِلُ بَنِي تَيْمٍ فَنُسِبَ إِلَيْهِمْ . قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مَا رَأَيْتُ أَخْوَفَ لِلَّهِ تَعَالَى مِنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ .
ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক রাতে এশার নামায আদায় করে বের হলেন। তারপর আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদকে হাত ধরে মক্কার কংকরময় স্থান বাতহায় নিয়ে গেলেন এবং সেখানে তাকে বসালেন। তিনি তার চতুর্দিকে একটি বৃত্তরেখা টানলেন এবং বললেনঃ তুমি এ রেখা হতে সরবে না। কয়েকজন লোক তোমার সামনে পর্যন্ত আসবে। তুমি তাদের সাথে কোন কথা বলবে না। তারাও তোমার সাথে কথা বলবে না। এই বলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেদিকে ইচ্ছা চলে গেলেন। আমি আমার বৃত্তের মধ্যে বসা। হঠাৎ কয়েকজন লোক আসল। তাদের চুল ও শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হল যেন তারা জাঠ সম্প্রদায়ের। তাদের উলঙ্গও দেখা যাচ্ছিল না আবার পোশাক পরিহিতও মনে হচ্ছিল না। তারা আমার নিকটই এগিয়ে এলো কিন্তু বৃত্তরেখা অতিক্রম করল না। তারপর তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খোজে বেরিয়ে গেল। শেষ রাত পর্যন্ত তারা আর ফিরে এলো না। আমি তখনও বসা, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে এসে বললেনঃ আমি আজ সন্ধ্যারাত থেকেই ঘুমাতে পারিনি। তিনি বৃত্তের মধ্যে প্রবেশ করলেন এবং আমার উরুর উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমানোর সময় তার নাক ডাকতো। আমি বসে থাকলাম আর তিনি আমার উরুতে মাথা রেখে ঘুমিয়ে রইলেন। হঠাৎ আমি সাদা পোশাক পরিহিত কয়েকজন লোককে দেখতে পেলাম। তাদেরকে কত যে সুন্দর দেখা যাচ্ছিল সেটা আল্লাহ তা’আলাই ভাল জানেন। তারা আমার নিকট এলো এবং তাদের মাঝে একদল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথার নিকট আরেক দল তার পদদ্বয়ের নিকট বসে পড়লো। তারপর তারা পরস্পর বলাবলি করল, এ নবী -কে যা দেয়া হয়েছে আর কাউকে এমন দিতে দেখিনি। তার চোখ দু’টো ঘুমিয়ে থাকলেও তার অন্তর জাগ্রত থাকে। তোমরা তার একটা উপমা বর্ণনা কর। (উদাহরণ) এক নেতা একটি প্রাসাদ নির্মাণ করলেন, তারপর মেহমানদারির আয়োজন করে লোকদেরকে পানাহারের জন্য দা’ওয়াত করলেন। যে সব ব্যক্তি তার দাওয়াত গ্রহণ করল তারা মেহমানীর খাবার ও পানীয় গ্রহণ করল, আর যে সব ব্যক্তি দা’ওয়াত গ্রহণ করেনি তিনি তাদেরকে শাস্তি দিলেন। এই বলে তারা উঠে চলে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জেগে উঠলেন। তিনি বললেনঃ এরা যা বলেছে তুমি কি তা শুনেছ? তুমি কি জানো, এরা কারা? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই বেশি জানেন। তিনি বললেনঃ এরা হল ফেরেশতা। এরা যে উপমা বর্ণনা করল তা কি জান? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ তারা যে উপমা দিল, তার অর্থ হল : আল্লাহ তা’আলা জান্নাত বানালেন এবং তার বান্দাদেরকে সেদিকে আহবান করলেন। যে সব ব্যক্তি তার ডাকে সাড়া দিয়েছে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে সব ব্যক্তি সাড়া দেয়নি তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা শাস্তি দিবেন।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ সূত্রে । আবু তামীমা হুজাইমী গোত্রের লোক। তার নাম তারীফ ইবনু মুজালিদ। আবু উসমান আন-নাহদীর নাম ‘আবদুর রাহমান ইবনু মাল্ল (মুল্ল, মিল্ল)। সুলাইমান আত-তাইনী হলেন তারখানের ছেলে। মু’তামারও তার নিকট হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সুলাইমান তাইমী গোত্রের লোক নন কিন্তু তিনি তাইম গোত্রে অবস্থান করতেন বলে তাদের সাথে যুক্ত করে তাকে তাইমী বলা হয়। আলী বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ বলেছেন, আমি সুলাইমান আত-তাইনীর চাইতে আল্লাহ তা’আলাকে বেশি ভয় করতে আর কাউকে দেখিনি।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৭
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও অপরাপর নাবীগণের উপমা
২৮৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، بَصْرِيٌّ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ الأَنْبِيَاءِ قَبْلِي كَرَجُلٍ بَنَى دَارًا فَأَكْمَلَهَا وَأَحْسَنَهَا إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَدْخُلُونَهَا وَيَتَعَجَّبُونَ مِنْهَا وَيَقُولُونَ لَوْلاَ مَوْضِعُ اللَّبِنَةِ ” . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহঃ বলেছেনঃ আমার ও অপরাপর সকল নাবীর উপমা এই যে, যেমন এক ব্যক্তি একটি ঘর নির্মাণ করলেন। তিনি এটিকে পূর্ণাঙ্গ ও অত্যন্ত মনোরম করলেন। কিন্তু একটি ইটের জায়গা খালি (ফাকা) থেকে গেল। লোকজন এ বাড়ীতে প্রবেশ করে এবং (কারুকার্য ও সৌন্দর্য) দেখে বিক্ষিত হয় আর বলে, যদি এ একটি ইটের জায়গা খালি না থাকত।
সহীহ: ফিকহুস সীরাহ (১৪১), বুখারী ও মুসলিম।
আবু হুরাইরাহ্ ও উবাই ইবনু কাব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং উক্ত সূত্রে গারীব। (অন্যান্য বর্ণনাতে উক্ত হাদীসের শেষে আরো আছে : আমিই হলাম সেই ইট, আমার দ্বারা নবুওয়াতরূপ প্রাসাদের নির্মাণকার্য সমাপ্ত করা হয়েছে। অতএব আমার পরে আর কোন নাবী নেই। অনুবাদক
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৮
নামায, রোযা ও দান-খাইরাতের উপমা
২৮৬৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلاَّمٍ، أَنَّ أَبَا سَلاَّمٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ الْحَارِثَ الأَشْعَرِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ أَنْ يَعْمَلَ بِهَا وَيَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهَا وَإِنَّهُ كَادَ أَنْ يُبْطِئَ بِهَا فَقَالَ عِيسَى إِنَّ اللَّهَ أَمَرَكَ بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ لِتَعْمَلَ بِهَا وَتَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهَا فَإِمَّا أَنْ تَأْمُرَهُمْ وَإِمَّا أَنَا آمُرُهُمْ . فَقَالَ يَحْيَى أَخْشَى إِنْ سَبَقْتَنِي بِهَا أَنْ يُخْسَفَ بِي أَوْ أُعَذَّبَ فَجَمَعَ النَّاسَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَامْتَلأَ الْمَسْجِدُ وَقَعَدُوا عَلَى الشُّرَفِ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ أَنْ أَعْمَلَ بِهِنَّ وَآمُرَكُمْ أَنْ تَعْمَلُوا بِهِنَّ أَوَّلُهُنَّ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَإِنَّ مَثَلَ مَنْ أَشْرَكَ بِاللَّهِ كَمَثَلِ رَجُلٍ اشْتَرَى عَبْدًا مِنْ خَالِصِ مَالِهِ بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ فَقَالَ هَذِهِ دَارِي وَهَذَا عَمَلِي فَاعْمَلْ وَأَدِّ إِلَىَّ فَكَانَ يَعْمَلُ وَيُؤَدِّي إِلَى غَيْرِ سَيِّدِهِ فَأَيُّكُمْ يَرْضَى أَنْ يَكُونَ عَبْدُهُ كَذَلِكَ وَإِنَّ اللَّهَ أَمَرَكُمْ بِالصَّلاَةِ فَإِذَا صَلَّيْتُمْ فَلاَ تَلْتَفِتُوا فَإِنَّ اللَّهَ يَنْصِبُ وَجْهَهُ لِوَجْهِ عَبْدِهِ فِي صَلاَتِهِ مَا لَمْ يَلْتَفِتْ وَآمُرُكُمْ بِالصِّيَامِ فَإِنَّ مَثَلَ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ فِي عِصَابَةٍ مَعَهُ صُرَّةٌ فِيهَا مِسْكٌ فَكُلُّهُمْ يَعْجَبُ أَوْ يُعْجِبُهُ رِيحُهَا وَإِنَّ رِيحَ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ وَآمُرُكُمْ بِالصَّدَقَةِ فَإِنَّ مَثَلَ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَسَرَهُ الْعَدُوُّ فَأَوْثَقُوا يَدَهُ إِلَى عُنُقِهِ وَقَدَّمُوهُ لِيَضْرِبُوا عُنُقَهُ فَقَالَ أَنَا أَفْدِيهِ مِنْكُمْ بِالْقَلِيلِ وَالْكَثِيرِ . فَفَدَى نَفْسَهُ مِنْهُمْ وَآمُرُكُمْ أَنْ تَذْكُرُوا اللَّهَ فَإِنَّ مَثَلَ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ خَرَجَ الْعَدُوُّ فِي أَثَرِهِ سِرَاعًا حَتَّى إِذَا أَتَى عَلَى حِصْنٍ حَصِينٍ فَأَحْرَزَ نَفْسَهُ مِنْهُمْ كَذَلِكَ الْعَبْدُ لاَ يُحْرِزُ نَفْسَهُ مِنَ الشَّيْطَانِ إِلاَّ بِذِكْرِ اللَّهِ ” . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” وَأَنَا آمُرُكُمْ بِخَمْسٍ اللَّهُ أَمَرَنِي بِهِنَّ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ وَالْجِهَادُ وَالْهِجْرَةُ وَالْجَمَاعَةُ فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ قِيدَ شِبْرٍ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الإِسْلاَمِ مِنْ عُنُقِهِ إِلاَّ أَنْ يَرْجِعَ وَمَنِ ادَّعَى دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ فَإِنَّهُ مِنْ جُثَا جَهَنَّمَ ” . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنْ صَلَّى وَصَامَ قَالَ ” وَإِنْ صَلَّى وَصَامَ فَادْعُوا بِدَعْوَى اللَّهِ الَّذِي سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ الْمُؤْمِنِينَ عِبَادَ اللَّهِ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَارِثُ الأَشْعَرِيُّ لَهُ صُحْبَةٌ وَلَهُ غَيْرُ هَذَا الْحَدِيثِ .
আল-হারিস আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইয়াহইয়া ইবনু যাকারিয়া (আঃ)-কে পাঁচটি বিষয়ের আদেশ করলেন যেন তিনি নিজেও তদনুযায়ী আমাল করেন এবং বানী ইসরাঈলকেও তা ‘আমাল করার আদেশ করেন। তিনি এ নির্দেশগুলো লোকদেরকে জানাতে বিলম্ব করলে ঈসা (আঃ) তাকে বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা আপনাকে পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন যেন আপনি সে মুতাবিক ‘আমাল করেন এবং বানী ইসরাঈলকেও তা আমাল করার আদেশ করেন। এখন আপনি তাদেরকে এগুলো করতে নির্দেশ দিন, তা না হলে আমিই তাদেরকে সেগুলো করতে নির্দেশ দিব। ইয়াহইয়া (আঃ) বললেনঃ আপনি এ বিষয়ে যদি আমার অগ্রবর্তী হয়ে যান তবে আমার ভয় হচ্ছে যে, আমাকে ভূগর্ভে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে কিংবা আযাব নেমে আসবে।
সুতরাং তিনি লোকদেরকে বাইতুল মাকদিসে একত্র করলেন। সব লোক সমবেত হওয়াতে মসজিদ ভরে গেল, এমনকি তারা ঝুলন্ত বারান্দায় গিয়েও বসল। তারপর ইয়াহইয়া (আঃ) তাদেরকে বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমাকে পাচটি বিষয়ের নির্দেশ প্রদান করেছেন, যেন আমি সে মুতাবিক ‘আমাল করি এবং তোমাদেরকেও আমাল করার আদেশ করি। এগুলোর প্রথম নির্দেশটি হল : তোমরা আল্লাহ তা’আলার ইবাদাত করবে এবং তার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার স্থাপন করবে না। যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে অংশীদার স্থাপন করে তার উদাহরণ হল এমন এক ব্যক্তি যে তার খালিস সম্পদ অর্থাৎ- সোনা অথবা রুপার বিনিময়ে একটি দাস কিনল। সে তাকে (বাড়ী এনে) বলল, এটা আমার বাড়ী আর এগুলো আমার কাজ। তুমি কাজ করবে এবং আমাকে আমার প্রাপ্য দিবে। তারপর সেই দাস কাজ করত ঠিকই কিন্তু মালিকের প্রাপ্য দিয়ে দিত অন্যকে। তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে স্বীয় দাসের এমন আচরণে সন্তুষ্ট থাকতে পারে? আর আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে নামায আদায়ের জন্য আদেশ করেছেন। তোমরা নামায আদায়কালে এদিক সেদিক তাকাবে না। কেননা আল্লাহ তা’আলা তার চেহারা নামায়ীর চেহারার দিকে নিবিষ্ট করে রাখেন বান্দা নামাযের মধ্যে এদিক সেদিক না তাকানো পর্যন্ত। আর আমি তোমাদের রোযার নির্দেশ দিচ্ছি। এর উদাহরণ হল সেই ব্যক্তি যে কন্তুর ভর্তি একটি থলেসহ একদল মানুষের সাথে আছে। কস্তুরীর সুগন্ধ দলের সবার নিকট খুবই ভালো লাগে। আর রোযাদারের মুখের সুগন্ধ আল্লাহ তা’আলার নিকট কন্তুরীর সুগন্ধের চাইতেও অধিক প্রিয়। আমি তোমাদের দান-খাইরাতের আদেশ দিচ্ছি। এর উদাহরণ হল সেই ব্যক্তির ন্যায় যাকে শক্ররা বন্দী করে তার ঘাড়ের সাথে হাত বেঁধে ফেলেছে এবং তাকে হত্যার জন্য বদ্ধভূমিতে নিয়ে যাচ্ছে। তখন সে বলল, আমি আমার প্রাণের বিনিময়ে আমার সমস্ত সম্পদ তোমাদেরকে দিচ্ছি। তারপর সে নিজেকে মালের বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিল (দান-খাইরাতের মাধ্যমেও বান্দা নিজেকে বিপদমুক্ত করে নেয়)। আমি তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি যেন তোমরা আল্লাহ তা’আলার যিকর কর। যিকরের উদাহরণ হল সেই ব্যক্তির ন্যায় যার দুশমনেরা তার পিছু ধাওয়া করছে। অবশেষে সে একটি সুরক্ষিত দুর্গে প্রবেশ করে শক্র হতে নিজের প্রাণ রক্ষা করল। তদ্রুপ কোন বান্দা আল্লাহ তা’আলার যিকির ব্যতীত নিজেকে শাইতানের হাত থেকে মুক্ত করতে পারে না। (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমিও তোমাদেরকে পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি যেগুলো প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা আমাকে আদেশ করেছেন। কথা শুনবে, আনুগত্য করবে, জিহাদ করবে, হিজরাত করবে এবং জামা’আতবদ্ধ হয়ে থাকবে। যে লোক জামাআত হতে এক বিঘত পরিমাণ বিচ্ছিন্ন হল সে ইসলামের বন্ধন তার ঘাড় হতে ফেলে দিল, যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। আর যে লোক জাহিলিয়াত আমলের রীতি-নীতির দিকে আহবান করে সে জাহান্নামীদের দলভুক্ত। জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল ! সে নামায আদায় করলেও, রোযা রাখলেও তিনি বললেনঃ হ্যা, সে নামায-রোযা করলেও। সুতরাং তোমরা সেই আল্লাহ তা’আলার ডাকেই নিজেদেরকে ডাকবে যিনি তোমাদেরকে মুসলিম, মু’মিন ও আল্লাহ তা’আলার বান্দা নাম রেখেছেন।
সহীহ: মিশকাত (৩৬৯৪), তা’লীকুর রাগীব (১/১৮৯-১৯০), সহীহুল জামি’ (১৭২৪)
আৰু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আল-বুখারী বলেন, আল-হারিস আল-আশ’আরী (রাঃ) রাসূলুল্লাহঃ-এর সাহচর্য লাভ করেছেন। এটি ব্যতীত তার বর্ণিত আরো হাদীস আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلاَّمٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، عَنِ الْحَارِثِ الأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو سَلاَّمٍ الْحَبَشِيُّ اسْمُهُ مَمْطُورٌ وَقَدْ رَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ .
মুহাম্মাদ ইববু বাশশার-আবু দাউদ আত-তাইয়ালিসী থেকে বর্ণিতঃ
মুহাম্মাদ ইববু বাশশার-আবু দাউদ আত-তাইয়ালিসী হতে, তিনি আবান ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু আবু কাসীর হতে,আল-আশ’আরী (রাঃ) হতে, তিনি নবী ত্র হতে এই সূত্রে একই মর্মে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আবু সাল্লাম আল-হাবশী’র নাম মামতুর। আলী ইবনুল মুবারাক-ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর-এর সূত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭৯
যে মুসলিম কুরআন পাঠ করে আর যে করে না তাদের উপমা
২৮৬৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الأُتْرُجَّةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا طَيِّبٌ وَمَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ التَّمْرَةِ لاَ رِيحَ لَهَا وَطَعْمُهَا حُلْوٌ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الرَّيْحَانَةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الْحَنْظَلَةِ رِيحُهَا مُرٌّ وَطَعْمُهَا مُرٌّ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ أَيْضًا .
আৰু মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মু’মিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার উদাহরণ হল কাগজী লেবুর মতো যার গন্ধও সুবাসিত, স্বাদও ভালো। আর যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে না তার উদাহরণ হল খেজুরের মতো যার কোন গন্ধ নেই, তবে স্বাদ খুব মিষ্টি। আর কুরআন তিলাওয়াতকারী মুনাফিক হল রাইহানা ফুলের মতো যার গন্ধ ভালো কিন্তু স্বাদ অত্যন্ত তিক্ত। কুরআন তিলাওয়াত করে না এমন মুনাফিক হল মাকাল ফলের মতো যার গন্ধও তিক্ত স্বাদও তিক্ত।
সহীহ: নাকদুল কাত্তানী (৪৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন : এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি শুবাহও কাতাদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬৬
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَمَثَلِ الزَّرْعِ لاَ تَزَالُ الرِّيَاحُ تُفِيئُهُ وَلاَ يَزَالُ الْمُؤْمِنُ يُصِيبُهُ بَلاَءٌ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ كَمَثَلِ الشَّجَرَةِ الأَرْزِ لاَ تَهْتَزُّ حَتَّى تُسْتَحْصَدَ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুমিনের উদাহরণ হল ক্ষেতের শস্যের মতো যাকে বাতাস সর্বদা আন্দোলিত করতে থাকে। মু’মিন সদাসর্বদাই বিপদগ্ৰস্ত হতে থাকবে। মুনাফিক হল বট গাছের মতো যা বাতাসে না হেললেও (ঝড়ে) সমূলে উৎপাটিত হয়।
সহীহ: তাখরাজুল ঈমান ইবনু আবী শাইবা (৮৬), সহীহাহ (২৮৮৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ مِنَ الشَّجَرِ شَجَرَةً لاَ يَسْقُطُ وَرَقُهَا وَهِيَ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ حَدِّثُونِي مَا هِيَ ” . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَوَقَعَ النَّاسُ فِي شَجَرِ الْبَوَادِي وَوَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” هِيَ النَّخْلَةُ ” . فَاسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَقُولَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَحَدَّثْتُ عُمَرَ بِالَّذِي وَقَعَ فِي نَفْسِي . فَقَالَ لأَنْ تَكُونَ قُلْتَهَا أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي كَذَا وَكَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه .
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ গাছসমূহের মধ্যে এমন একটি গাছ আছে যার পাতা কখনো ঝরে না। সেটিই মুমিনের উদাহরণ। তোমরা আমাকে বল, সেটা কোন গাছ? আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, সকলেই ধারণা করতে লাগল পাহাড়ী অথবা জংলী গাছ হবে কিন্তু আমার মনে হল সেটা নিশ্চই খেজুর গাছ। অবশেষে রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সেটা খেজুর গাছ। অথচ আমি সেটা বলতে লজ্জা পাচ্ছিলাম (বয়সে ছোট হবার কারণে তা বলিনি)। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি উমর (রাঃ)-এর নিকট আমার মনের ধারণা প্রকাশ করলাম। তিনি বললেন, তুমি যদি সেই কথাটা বলে দিতে তাহলে সেটা আমার নিকট এত এত সম্পদের চাইতেও অধিক প্রিয় হতো।
সহীহ: বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮০
পাচ ওয়াক্ত নামাযের উপমা
২৮৬৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ ” . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ . قَالَ ” فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا ” . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কি মনে কর, যদি তোমাদের মধ্যে কারো বাড়ীর আঙ্গিনায় একটি ঝর্ণা থাকে আর সে প্রতিদিন পাচবার তাতে গোসল করে তাহলে তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? তারা বলল, না, কোন ময়লাই থাকবে না। তিনি বললেনঃ পাচ ওয়াক্ত নামাযও ঠিক সে রকমই। আল্লাহ তা’আলা এগুলোর সাহায্যে গুনাহসমূহ বিলীন করে দেন।
সহীহ: ইরওয়াহ (১৫), বুখারী ও মুসলিম।
জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস কুতাইবাহ-বাকর ইবনু মুযার আল-কুরাশী হতে, তিনি ইবনুল হাদ (রহঃ) হতে এ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮১
এই উম্মাতের সূচনা ও সমাপ্তি দু’টোই উত্তম
২৮৬৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ يَحْيَى الأَبَحُّ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَثَلُ أُمَّتِي مَثَلُ الْمَطَرِ لاَ يُدْرَى أَوَّلُهُ خَيْرٌ أَمْ آخِرُهُ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَابْنِ عُمَرَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ أَنَّهُ كَانَ يُثَبِّتُ حَمَّادَ بْنَ يَحْيَى الأَبَحَّ وَكَانَ يَقُولُ هُوَ مِنْ شُيُوخِنَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাত সেই বৃষ্টির মতো যার প্রথম ভাগ না শেষ ভাগ বেশী ভালো তা জানা যায় না।
হাসান সহীহ: মিশকাত (৬২৭৭), সহীহাহ (২২৮৬)।
আম্মার, আবদুল্লাহ ইবনু আম্র ও ইবনু উমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গরীব। আবদুর রাহমান ইবনু মাহদী হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি হাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া আল-আবাহকে বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী বলে মতামত দিয়েছেন। তিনি বলতেন, ইনি হলেন আমাদের অন্যতম শাইখ (শিক্ষক)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮২
মানুষ এবং তার আয়ু ও কামনা-বাসনার উপমা
২৮৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” هَلْ تَدْرُونَ مَا هَذِهِ وَمَا هَذِهِ ” . وَرَمَى بِحَصَاتَيْنِ . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” هَذَاكَ الأَمَلُ وَهَذَاكَ الأَجَلُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি নুড়ি পাথর ছুড়ে দিয়ে বললেন, এটা এবং ওটা কিসের মত তোমরা জান কি? সাহাবীগন বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই ভাল জানেন। তিনি বলেলনঃ এটা হল মানুষের কামনা-বাসনা এবং এটা হল তার হায়াৎ।
যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (৪/১৩৩), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং এই সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৮৭১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّمَا أَجَلُكُمْ فِيمَا خَلاَ مِنَ الأُمَمِ كَمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغَارِبِ الشَّمْسِ وَإِنَّمَا مَثَلُكُمْ وَمَثَلُ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى كَرَجُلٍ اسْتَعْمَلَ عُمَّالاً فَقَالَ مَنْ يَعْمَلُ لِي إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ فَعَمِلَتِ الْيَهُودُ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ فَقَالَ مَنْ يَعْمَلُ لِي مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ إِلَى الْعَصْرِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ فَعَمِلَتِ النَّصَارَى عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ ثُمَّ أَنْتُمْ تَعْمَلُونَ مِنْ صَلاَةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغَارِبِ الشَّمْسِ عَلَى قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ فَغَضِبَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى وَقَالُوا نَحْنُ أَكْثَرُ عَمَلاً وَأَقَلُّ عَطَاءً . قَالَ هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ حَقِّكُمْ شَيْئًا قَالُوا لاَ . قَالَ فَإِنَّهُ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পূর্ববর্তী উম্মাতগণের তুলনায় তোমাদের আয়ুষ্কাল হল আসরের নামায হতে সূর্যস্ত পর্যন্ত সময়। তোমাদের ও ইয়াহুদী-খ্ৰীষ্টানদের দৃষ্টান্ত এই যে, এক লোক কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করতে চাইল। সে বলল, এমন কে আছে যে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমার কাজ করে দিবে এক কীরাতের বিনিময়েঃ অতএব ইয়াহুদীরা দুপুর পর্যন্ত এক কীরাতের বিনিময়ে কাজ করল। লোকটি আবার বলল, এমন কে আছে যে দুপুর হতে আসর এবার নাসারাগণ এক কীরাতের বিনিময়ে কাজ করল। তারপর তোমরা দুই কীরাতের বিনিময়ে কাজ করলে।এতে ইয়াহুদী-খ্ৰীষ্টানগণ রাগান্বিত হয়ে বলল, আমরা বেশি কাজ করা সত্বেও পারিশ্রমিক কম পেলাম। তিনি (আল্লাহ তা’আলা) বলেন, আমি কি তোমাদের উপর যুলুম করে তোমাদের হক নষ্ট করেছি? তারা বলল, না। তিনি বলেন, এটা আমার অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা আমি তাকেই তা দান করি।
সহীহ: মুখতাসারুল বুখারী (৩১২), বুখারী। আৰু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّمَا النَّاسُ كَإِبِلٍ مِائَةٍ لاَ يَجِدُ الرَّجُلُ فِيهَا رَاحِلَةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের উপমা হল যেমন- একশত উট যার মধ্যে কোন ব্যক্তি একটি সওয়ারীযোগ্য বাহনও পায় না (অর্থাৎ শতকরা একজনও সত্যিকার মানুষ পাওয়া দুষ্কর)।
সহীহ: ইবনু মা-জাহ (৩৯৯০), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَقَالَ لاَ تَجِدُ فِيهَا رَاحِلَةً أَوْ قَالَ لاَ تَجِدُ فِيهَا إِلاَّ رَاحِلَةً .
ইবনু উমার (র:) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: মানুষের দৃষ্টান্ত হল এক শত উট, যার মধ্যে তুমি একটু উটও সোয়ারীর উপযুক্ত পাবে না। অথবা তিনি বলেছেন: তুমি এগুলোর মধ্যে একটি ছাড়া আরোহণযোগ্য কোন উট পাবে না।
সহীহ: দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ أُمَّتِي كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا فَجَعَلَتِ الدَّوَابُّ وَالْفَرَاشُ يَقَعْنَ فِيهَا وَأَنَا آخُذُ بِحُجَزِكُمْ وَأَنْتُمْ تَقَحَّمُونَ فِيهَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার ও আমার উম্মাতের উদাহরণ হল এমন এক লোক, যে আগুন প্রজ্জলিত করল। তারপর তাতে কীট-পতঙ্গ এসে ঝাপিয়ে পড়তে লাগল। আর আমি তোমাদের কোমর ধরে (আগুনে পতিত হওয়া থেকে) বাধা দিচ্ছি, কিন্তু তোমরা তাতে ঝাপিয়ে পড়ছে।
সহীহ: যঈফা (৩০৮২) নং হাদীসের অধীনে, বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস