৬৪. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা
৩৮৯১
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَكَانَ، ثِقَةً عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ قِيلَ لاِبْنِ عَبَّاسٍ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ مَاتَتْ فُلاَنَةُ لِبَعْضِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَجَدَ فَقِيلَ لَهُ أَتَسْجُدُ هَذِهِ السَّاعَةَ فَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا رَأَيْتُمْ آيَةً فَاسْجُدُوا ” . فَأَىُّ آيَةٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَهَابِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইকরিমাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে ফাজ্র নামাযের পর বলা হল যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অমুক স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাজদাহ্য় পড়ে গেলেন। তাকে বলা হল, আপনি এ সময় সাজদাহ্ করলেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেননিঃ তোমরা যখন কোন নিদর্শন দেখ, সে সময় সাজদাহ্ কর? অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদের দুনিয়া হতে বিদায়ের চেয়ে বড় নিদর্শন আর কি আছে?
হাসানঃ সহীহ আবু দাউদ (১০৮১), মিশকাত (১৪৯১)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদসূত্রে হাদীসটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا كِنَانَةُ، قَالَ حَدَّثَتْنَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ بَلَغَنِي عَنْ حَفْصَةَ وَعَائِشَةَ كَلاَمٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ “ أَلاَ قُلْتِ فَكَيْفَ تَكُونَانِ خَيْرًا مِنِّي وَزَوْجِي مُحَمَّدٌ وَأَبِي هَارُونُ وَعَمِّي مُوسَى ” . وَكَانَ الَّذِي بَلَغَهَا أَنَّهُمْ قَالُوا نَحْنُ أَكْرَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا . وَقَالُوا نَحْنُ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَنَاتُ عَمِّهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ صَفِيَّةَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هَاشِمٍ الْكُوفِيِّ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَلِكَ الْقَوِيِّ .
সাফিয়্যা বিনতু হুয়াই (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এলেন, হাফসা ও আইশা (রাঃ) হতে আমার সম্পর্কে কিছু কথা আমার নিকট পৌঁছুল। ঐ বিষয়টি আমি তাঁর নিকট উল্লেখ করলাম, তিনি বললেনঃ তুমি একথা কেন বললেনা যে, তোমরা আমার চেয়ে কিভাবে উত্তম হতে পার? বাস্তব অবস্থা হল, আমার স্বামী মুহাম্মাদ, পিতা হারুন আর চাচা হল মূসা আলাইহিস সালাম সাফিয়্যার নিকট পৌঁছেছিল তা এই যে, তারা বলেছিল আমরা তাঁর চেয়ে সম্মানিত, কেননা আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী আবার তাঁর চাচাত বোন।
সনদ দুর্বল, দেখুন আর রাদ্দু আলাল হাবাশী, হাদীস নং ৩৩৮৫, পৃঃ (৩৫-৩৮), এ অনুচ্ছেদে আনার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র হাশিম আল কূফীর সুত্রেই সুফিয়্যা (রাঃ)-এর হাদীসটি জেনেছি। এর সনদ সুত্র মজবুত নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ ابْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبِ بْنِ زَمْعَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا فَاطِمَةَ عَامَ الْفَتْحِ فَنَاجَاهَا فَبَكَتْ ثُمَّ حَدَّثَهَا فَضَحِكَتْ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا عَنْ بُكَائِهَا وَضَحِكِهَا . قَالَتْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَمُوتُ فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلاَّ مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ فَضَحِكْتُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
উন্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মাক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমাহ্কে ডেকে তার সাথে গোপনে কিছু কথা বললেন। এতে ফাতিমাহ্ কেঁদে ফেললেন। তারপর তিনি কিছু কথা বললে ফাতিমাহ্ হাসলেন। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, আমি ফাতিমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইনতিকালের পরে তার হাসি-কান্নার কারণ জানতে চাই। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জানান যে, খুব তাড়াতাড়ি তিনি মৃত্যুবরণ করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে জানান যে, মারইয়াম বিনতু ‘ইমরান ছাড়া জান্নাতের নারীদের নেত্রী হব, তাই আমি হেসেছি।
সহীহঃ ৩৮৭৩ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপর্যুক্ত সনদে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ بَلَغَ صَفِيَّةَ أَنَّ حَفْصَةَ، قَالَتْ بِنْتُ يَهُودِيٍّ . فَبَكَتْ فَدَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ تَبْكِي فَقَالَ ” مَا يُبْكِيكِ ” . فَقَالَتْ قَالَتْ لِي حَفْصَةُ إِنِّي بِنْتُ يَهُودِيٍّ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّكِ لاَبْنَةُ نَبِيٍّ وَإِنَّ عَمَّكِ لَنَبِيٌّ وَإِنَّكِ لَتَحْتَ نَبِيٍّ فَفِيمَ تَفْخَرُ عَلَيْكِ ” . ثُمَّ قَالَ ” اتَّقِي اللَّهَ يَا حَفْصَةُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাফিয়্যাহ্ (রাঃ)-এর কানে পৌঁছে যে, হাফসাহ্ (রাঃ) তাকে ইয়াহূদীর মেয়ে বলে ঠাট্টা করেছেন। তাই তিনি কাঁদছিলেন। তার ক্ৰন্দনরত অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি বললেনঃ তোমাকে কিসে কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, হাফসাহ্ আমাকে ইয়াহূদীর মেয়ে বলে তিরস্কার করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ অবশ্যই তুমি একজন নাবীর কন্যা, তোমার চাচা অবশ্যই একজন নবী এবং তুমি একজন নাবীর সহধর্মিণী। অতএব কিভাবে হাফসাহ্ তোমার উপরে অহংকার করতে পারে? তারপর তিনি বললেনঃ হে হাফসাহ্! আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৩)।
আবু ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لأَهْلِي وَإِذَا مَاتَ صَاحِبُكُمْ فَدَعُوهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ مَا أَقَلَّ مَنْ رَوَاهُ عَنِ الثَّوْرِيِّ . وَرُوِيَ هَذَا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে সে-ই ভাল যে তার পরিবারের নিকট ভাল। আর আমি আমার পরিবারের নিকট তোমাদের চাইতে উত্তম। আর তোমাদের কোন সঙ্গী মৃত্যুবরণ করলে তার সমালোচনা পরিত্যাগ করো।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৮৫)।
আবু ‘ঈসা বলেন, সাওরীর হাদীস হিসেবে এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। খুব কম সংখ্যক লোকই এটি সাওরী হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্-তার পিতা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে মুরসালরূপেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ يُبَلِّغُنِي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِي شَيْئًا فَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَخْرُجَ إِلَيْهِمْ وَأَنَا سَلِيمُ الصَّدْرِ ” . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَالٍ فَقَسَمَهُ فَانْتَهَيْتُ إِلَى رَجُلَيْنِ جَالِسَيْنِ وَهُمَا يَقُولاَنِ وَاللَّهِ مَا أَرَادَ مُحَمَّدٌ بِقِسْمَتِهِ الَّتِي قَسَمَهَا وَجْهَ اللَّهِ وَلاَ الدَّارَ الآخِرَةَ . فَتَثَبَّتُّ حِينَ سَمِعْتُهُمَا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخْبَرْتُهُ فَاحْمَرَّ وَجْهُهُ وَقَالَ ” دَعْنِي عَنْكَ فَقَدْ أُوذِيَ مُوسَى بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ زِيدَ فِي هَذَا الإِسْنَادِ رَجُلٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাস্উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সাহাবীগনের কেউ যেন তাদের অপরজনের কোন খারাপ কথা আমার নিকট না পৌছায়। যেহেতু আমি তাদের সাথে পরিষ্কার ও উদার মন নিয়েই দেখা করতে ভালবাসি। আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে কিছু সম্পদ আসলে তিনি (জনতার মধ্যে) তা বিতরণ করেন। আমি একই সাথে বসে থাকা দুই ব্যক্তির নিকট গেলাম, তারা বলছিল, আল্লাহ্র শপথ! মুহাম্মাদ এই যে বিলি-বণ্টন করলেন তা আল্লাহ্ তা’আলার তুষ্টি লাভের ইচ্ছাই তাঁর ছিল না এবং পরকালের বাসস্থান (জান্নাত) অর্জনেরও নয়। কথাটি শুনে আমি মনে রাখলাম এবং ফিরে এসে তাঁকে জানালাম। এতে তাঁর মুখমণ্ডল রক্তিম বর্ণ ধারণ করলো এবং তিনি বললেনঃ তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। মূসা (আঃ)-কে এর চেয়েও বেশি যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ধরেছেন।
আবূ ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সুত্রে এ হাদীসটি গারীব। এর সনদে এক ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، وَالْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يُبَلِّغُنِي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ شَيْئًا ” . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْ هَذَا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাইল থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ-উবাইদুল্লাহ ইবনু মূসা হতে, তিনি হুসাইন ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি ইসরাইল হতে, তিনি সুদ্দী হতে, তিনি ওয়ালীদ ইবনু আবূ হিশাম হতে, তিনি যাইদ ইবনু যাইদা হতে, তিনি ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ কেউ যেন তাদের অপরজনের খারাপ কথা আমার নিকট না পৌছায়।
যঈফ, মিশকাত (৪৮৫২)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৬৫. অনুচ্ছেদঃ
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৯৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ ” . فَقَرَأَ عَلَيْهِ : ( لمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا ) وَفِيهَا ” إِنَّ ذَاتَ الدِّينِ عِنْدَ اللَّهِ الْحَنِيفِيَّةُ الْمُسْلِمَةُ لاَ الْيَهُودِيَّةُ وَلاَ النَّصْرَانِيَّةُ وَلاَ الْمَجُوسِيَّةُ مَنْ يَعْمَلْ خَيْرًا فَلَنْ يُكْفَرَهُ ” . وَقَرَأَ عَلَيْهِ ” لَوْ أَنَّ لاِبْنِ آدَمَ وَادِيًا مِنْ مَالٍ لاَبْتَغَى إِلَيْهِ ثَانِيًا وَلَوْ كَانَ لَهُ ثَانِيًا لاَبْتَغَى إِلَيْهِ ثَالِثًا وَلاَ يَمْلأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ تَابَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ ” . وَقَدْ رَوَاهُ قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ ” .
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আমাকে হুকুম করেছেন যে, আমি যেন তোমাকে কুরআন পাঠ করে শুনাই। তিনি তাকে “লাম ইয়াকুনিল্লাযীনা কাফারূ” সূরাটি পাঠ করে শুনান। তাতে তিনি এও পাঠ করেন যে, আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণের একনিষ্ঠ ভাবধারাপূর্ণ দীনই গ্রহণযোগ্য, ইয়াহূদীবাদ, খৃষ্টবাদ বা মাজূসীবাদ (অগ্নি উপাসনা) নয়। কেউ সৎকর্ম করলে তা কখনো প্রত্যাখান করা হবে না (প্রতিদান দেয়া হবে)। তারপর তিনি তাকে আরো তিলাওয়াত করে শুনানঃ কোন আদম সন্তান এক উপত্যকাপূর্ণ সম্পদের অধিকারী হয়ে গেলে সে তাঁর কাছে দ্বিতীয় উপত্যকা ভর্তি সম্পদের আকাঙ্ক্ষা করবে। তার দ্বিতীয় উপত্যকা ভর্তি সম্পদ হয়ে গেলে সে তাঁর নিকট তৃতীয় উপত্যকা ভর্তি সম্পদ লাভের আকাঙ্ক্ষা করবে। ইবনু আদমের উদর মাটি ব্যতীত অন্য কিছু দিয়ে ভর্তি হবে না। কেউ তাওবাহ্ করলে আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবাহ্ ক্ববূল করেন।
হাসানঃ তাখরীজুল মুশকিলাহ্ (১৪), সহীহাহ্ (২৯০৮) । লাও আন্না ……… শেষ পর্যন্ত সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। অন্যসূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু আবযা (রহঃ) তার বাবা হতে, তিনি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-কে বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আমাকে হুকুম দিয়েছেন যেন আমি তোমাকে কুরআন পাঠ করে শুনাই।” কাত্বাদাহ্ (রহঃ) আনাস (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই (রাঃ)-কে বললেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আমি তোমাকে কুরআন তিলাওয়াত করে শুনাই”।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৬৬. অনুচ্ছেদঃ
আনসারগণের ও কুরাইশদের মর্যাদা
৩৮৯৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَوْلاَ الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الأَنْصَارِ ” .
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি দ্বীন ইসলামে হিজরাত না থাকত তাহলে আমি আনসারদের একজনই হতাম।
হাসান সহীহঃ সহীহাহ্ (১৭৬৮), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৯০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الأَنْصَارِ “ لاَ يُحِبُّهُمْ إِلاَّ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَبْغَضُهُمْ إِلاَّ مُنَافِقٌ مَنْ أَحَبَّهُمْ فَأَحَبَّهُ اللَّهُ وَمَنْ أَبْغَضَهُمْ فَأَبْغَضَهُ اللَّهُ ” . فَقُلْتُ لَهُ أَأَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنَ الْبَرَاءِ فَقَالَ إِيَّاىَ حَدَّثَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন অথবা তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের প্রসঙ্গে বলেছেনঃ মু’মিন মাত্রই তাদেরকে ভালবাসে এবং মুনাফিক্ব মাত্রই তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। যে লোক তাদেরকে ভালবাসে, আল্লাহ তা‘আলাও তাদের ভালবাসেন। আর যে লোক তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, আল্লাহও তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন। শু‘বাহ্ (রহঃ) বলেন, আমি আদী ইবনু সাবিতকে প্রশ্ন করলাম, আপনি হাদীসটি সরাসরি আল-বারাআ (রাঃ) হতে শুনেছেন কি? তিনি বললেন, তিনিই তো আমার কাছে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৬৩), বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। তিনি আরো বলেন, একই সনদে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেনঃ যদি আনসরাগণ কোন গিরিসংকটে বা গিরিখাদে প্রবেশ করে তবে অবশ্য আমিও আনসারদের সাথেই থাকব।
হাসান সহীহঃ প্রাগুক্ত।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاسًا مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ ” هَلُمَّ هَلْ فِيكُمْ أَحَدٌ مِنْ غَيْرِكُمْ ” . قَالُوا لاَ إِلاَّ ابْنَ أُخْتٍ لَنَا . فَقَالَ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ ابْنَ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ ” . ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ قُرَيْشًا حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِجَاهِلِيَّةٍ وَمُصِيبَةٍ وَإِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أَجْبُرَهُمْ وَأَتَأَلَّفَهُمْ أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَرْجِعَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا وَتَرْجِعُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى بُيُوتِكُمْ ” . قَالُوا بَلَى . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا وَسَلَكَتِ الأَنْصَارُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ أَوْ شِعْبَهُمْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের কিছু সংখ্যক লোককে একত্রিত করে বললেনঃ তোমাদের মাঝে আনসারদের ব্যতীত অপর কেউ আছে কি? তারা বললেন, না, তবে আমাদের এক ভাগ্নে আছে। তিনি বললেনঃ সম্প্রদায়ের ভাগ্নে তাদের অন্তর্ভূক্ত। তারপর তিনি বললেনঃ সবেমাত্র কুরাইশরা জাহিলিয়াত ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছে এবং তারা বিপদে পতিত। তাই তাদের ভগ্নহৃদয়ে আমি কিছুটা সহানুভূতির ছোয়া লাগাতে চাই এবং তাদের মনজয় করতে চাই (কিছু অতিরিক্ত সম্পদ দিয়ে) । তোমরা কি খুশি নও যে, লোকেরা দুনিয়া (মাল) নিয়ে বাড়ি ফিরবে আর তোমরা আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরবে? তারা বললেন, হ্যাঁ। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যদি লোকেরা কোন গিরিপথ বা গিরিখাদ পার করে এবং আনসাররা যদি অন্য কোন গিরিসংকট বা গিরিখাদে চলে, তবে আমি আনসারদের গিরিসংকট বা গিরিখাদেই একসঙ্গে চলব।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৭৭৬), রাওযুন্ নাযীর (৯৬১), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ يُعَزِّيهِ فِيمَنْ أُصِيبَ مِنْ أَهْلِهِ وَبَنِي عَمِّهِ يَوْمَ الْحَرَّةِ فَكَتَبَ إِلَيْهِ إِنِّي أُبَشِّرُكَ بِبُشْرَى مِنَ اللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَلِذَرَارِيِّ الأَنْصَارِ وَلِذَرَارِيِّ ذَرَارِيِّهِمْ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল-হাররার দিন আনাস (রাঃ)-এর পরিবার ও তার চাচার পরিবার যে নির্যাতনের শিকার হয় তাকে শোক প্রকাশ করে তিনি (যাইদ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর কাছে একখানা লোকবার্তা লিখে প্রেরণ করেন। তিনি তাকে লিখেন, আপনাকে আমি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে একটি সুখবর দিচ্ছি। নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ্! তুমি আনসারদেরকে ক্ষমা করে দাও, তাদের সন্তানদেরও এবং তাদের সন্তানদের সন্তানদেরকও”।
সহীহঃ বুখারী (৪৯০৬), মুসলিম মারফূ’ অংশ বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) হাদীসটি নায্র ইবনু আনাস হতে, তিনি যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৩
حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَعَبْدُ الصَّمَدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتٍ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اقْرَأْ قَوْمَكَ السَّلاَمَ فَإِنَّهُمْ مَا عَلِمْتُ أَعِفَّةٌ صُبُرٌ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবু তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তুমি তোমার জাতির লোকদেরকে আমার সালাম পৌছাও। আমার জানামতে তারা সংযমী ও ধৈর্যশীল।
যঈফ, মিশকাত (৬২৪২), হাদীসটির ২য় অংশ সহীহ
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৪
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَلاَ إِنَّ عَيْبَتِي الَّتِي آوِي إِلَيْهَا أَهْلُ بَيْتِي وَإِنَّ كَرِشِي الأَنْصَارُ فَاعْفُوا عَنْ مُسِيئِهِمْ وَاقْبَلُوا مِنْ مُحْسِنِهِمْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ .
আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হুঁশিয়ার! আমার আহলে বাইত হল আমার আশ্ৰয়স্থল, যেখানে আমি ফিরে আসি। আর আমার গোপনীয়তার রক্ষক হল আনসারগণ। সুতরাং তোমরা তাদের ভুল-ভ্রান্তি মাফ কর এবং তাদের শিষ্টাচার গ্রহণ কর।
“আহলে বাইত” উল্লিখিত অংশটুকু মুনকার, মিশকাত (৬২৪০)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৯০৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ يُرِدْ هَوَانَ قُرَيْشٍ أَهَانَهُ اللَّهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
মুহাম্মাদ ইবনু সা‘দ (রহঃ) হতে তাঁর বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কেউ কুরাইশদেরকে অপদস্ত করার ইচ্ছা করবে, আল্লাহ তাকে অপদগ্রস্ত করবেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১১৭৮) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ সনদ সূত্রে হাদীসটি গারীব। ‘আব্দ ইবনু হুমাইদ-ইয়া‘কূব ইবনু ইবরাহীম ইবনু সা’দ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি সালিহ ইবনু কাইসান হতে, তিনি ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে উক্ত সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، وَالْمُؤَمَّلُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَبْغَضُ الأَنْصَارَ أَحَدٌ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে এরূপ কোন লোক কখনো আনসারদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে পারে না।
সহীহঃ সহীহাহ্ (হাঃ ১২৩৪), মুসলিম আবূ হুরাইরা্হ্ ও আবূ সা‘ঈদ হতে বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الأَنْصَارُ كَرِشِي وَعَيْبَتِي وَإِنَّ النَّاسَ سَيَكْثُرُونَ وَيَقِلُّونَ فَاقْبَلُوا مِنْ مُحْسِنِهِمْ وَتَجَاوَزُوا عَنْ مُسِيئِهِمْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারগণ আমার গোপনীয়তার রক্ষক ও আমানতদার। শীঘ্রই জনসংখ্যা বেড়ে যাবে কিন্তু আনসারদের সংখ্যা কমে যাবে। অতেএব তোমরা তাদের সদাচার গ্রহণ কর এবং তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিত্যাগ কর।
সহীহঃ বুখারী (৩৮০১), মুসলিম (৭/১৭৪) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ طَارِقِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اللَّهُمَّ أَذَقْتَ أَوَّلَ قُرَيْشٍ نَكَالاً فَأَذِقْ آخِرَهُمْ نَوَالاً ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ! প্রথমে আপনি কুরাইশদেরকে শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন; অতএব পরে তাদেরকে দান ও অনুগ্রহের স্বাদ আস্বাদন করান”।
হাসান সহীহঃ যঈফাহ্ (৩৯৮) নং হাদীসের অধীনে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। ‘আবদুল ওয়াহ্হাব আল-ওয়াররাক-ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ আল-উমাবী হতে, তিনি আ‘মাশ (রহঃ) হতে এই সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৯০৯
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ جَعْفَرٍ الأَحْمَرِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَلأَبْنَاءِ الأَنْصَارِ وَلأَبْنَاءِ أَبْنَاءِ الأَنْصَارِ وَلِنِسَاءِ الأَنْصَارِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি আনসারদের মাফ করে দাও, আনসারদের সন্তানদেরকেও, আনসারদের সন্তানদের সন্তানদেরকেও এবং আনসারদের নারীদেরকেও”।
সহীহঃ মুসলিম (৭/১৭৩-১৭৪) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৭. অনুচ্ছেদঃ
আনসারদের কোন ঘর শ্রেষ্ঠ?
৩৯১০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ دُورِ الأَنْصَارِ أَوْ بِخَيْرِ الأَنْصَارِ ” . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ ” بَنُو النَّجَّارِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو عَبْدِ الأَشْهَلِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو سَاعِدَةَ ” . ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ فَقَبَضَ أَصَابِعَهُ ثُمَّ بَسَطَهُنَّ كَالرَّامِي بِيَدَيْهِ قَالَ ” وَفِي دُورِ الأَنْصَارِ كُلِّهَا خَيْرٌ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا أَيْضًا عَنْ أَنَسٍ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ السَّاعِدِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কি আনসারদের ঘরগুলোর মাঝে শ্রেষ্ঠ ঘর অথবা আনসারদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি প্রসঙ্গে জানাব না? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্র রাসূল! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আনসারদের মাঝে শ্রেষ্ঠ হল বানু নাজ্জার , তারপর তাদের নিকটতর যারা অর্থাৎ ‘আবদুল আশহাল, তারপর তাদের নিকটতম যারা অর্থাৎ বানুল হারিস ইবনুল খাযরাজ, তারপর তাদের কাছের যারা অর্থাৎ বানু সা’ইদাহ্। এরপর তিনি দুই হাতে ইশারা করে তাদের আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করলেন, তারপর হাত দু’খানা এমনভাবে প্রসারিত করলেন যেমন কেউ তার হাত দিয়ে কিছু নিক্ষেপ করলো। অতঃপর তিনি বললেন, আনসারদের সব ঘরই উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আর এ হাদীস আনাস (রাঃ) হতে, আবূ উসাইদ আস-সাঈদী (রাঃ)–এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদেও বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَيْرُ دُورِ الأَنْصَارِ دُورُ بَنِي النَّجَّارِ ثُمَّ دُورُ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ ثُمَّ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ بَنِي سَاعِدَةَ وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ ” . فَقَالَ سَعْدٌ مَا أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ قَدْ فَضَّلَ عَلَيْنَا . فَقِيلَ قَدْ فَضَّلَكُمْ عَلَى كَثِيرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ اسْمُهُ مَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ . وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ উসাইদ আস-সা’ঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারদের ঘরগুলোর মাঝে ভাল হল বানু নাজ্জারের ঘরগুলো, তারপর বানু ‘আবদুল আশহালের ঘরগুলোর, তারপর ইবনুল হারিস ইবনুল খাযরাজ, তারপর বানু সা’ইদাহ্। আনসারদের প্রত্যেক পরিবারের মাঝেই মঙ্গল রয়েছে। সা’দ (রাঃ) বলেন, আমি দেখছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের গোত্রের উপর অন্যান্য আনসার পরিবারকে মর্যাদা দিয়েছেন। সে সময় তাকে বলা হল, তিনি তোমাদেরকে তো অনেকের উপরই মর্যাদা দিয়েছেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ উসাইদ আস-সা’ঈদী (রাঃ)-এর নাম মালিক ইবনু রাবী’আহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)–এর বরাতেও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে। মা’মার যুহরী হতে তিনি আবূ সালামাহ্ হতে, তিনি ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উত্বাহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১২
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَيْرُ دِيَارِ الأَنْصَارِ بَنُو النَّجَّارِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জাবির ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারদের ঘরগুলোর মাঝে বানু নাজ্জারই সবচাইতে ভাল।
সহীহঃ পূর্বের হাদীসের সহায়তায়।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি এই সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৩
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ خَيْرُ الأَنْصَارِ بَنُو عَبْدِ الأَشْهَلِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারদের মাঝে বানু ‘আবদুল আশহালই ভাল।
এই হাদীসের পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৮. অনুচ্ছেদঃ
মাদীনা মুনাও্ওয়ারার মর্যাদা
৩৯১৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كُنَّا بِحَرَّةِ السُّقْيَا الَّتِي كَانَتْ لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” ائْتُونِي بِوَضُوءٍ ” . فَتَوَضَّأَ ثُمَّ قَامَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ عَبْدَكَ وَخَلِيلَكَ وَدَعَا لأَهْلِ مَكَّةَ بِالْبَرَكَةِ وَأَنَا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ أَدْعُوكَ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ أَنْ تُبَارِكَ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ وَصَاعِهِمْ مِثْلَىْ مَا بَارَكْتَ لأَهْلِ مَكَّةَ مَعَ الْبَرَكَةِ بَرَكَتَيْنِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হলাম। অবশেষে যখন আমরা সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর বসতি এলাকা ‘হার্রাতুস-সুক্ইয়া’-তে পৌঁছলাম, সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার জন্য উযূর পানি নিয়ে এসো। তিনি উযূ করলেন, তারপর ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে বললেনঃ “হে আল্লাহ্! ইবরাহীম (‘আঃ) তোমার বান্দা ও অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন। মাক্কাবাসীদের জন্য তিনি বারাকাতের দু’আ করেছেন। আর আমিও তোমরা বান্দা ও রাসূল। আমি মাদীনাবাসীদের জন্য তোমার নিকট দু’আ করছি যে, তুমি মাক্কাবাসীদের জন্য যে পরিমাণ বারাকাত দান করেছ, মাদীনাবাসীদের মুদ্দ ও সা’-এ তার দ্বিগুন বারাকাত দান কর এবং এক বারাকাতের সঙ্গে দু’টি বারাকাত দান কর।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (২/১৪৪)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্, ‘আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُبَاتَةَ، يُونُسُ بْنُ يَحْيَى بْنِ نُبَاتَةَ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ وَرْدَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ رضى الله عنهما قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা প্রত্যেকে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ঘর ও আমার মিম্বারের মাঝের জায়গা জান্নাতের বাগিচাগুলোর মধ্যকার একটি বাগিচা।
হাসান সহীহঃ যিলালুল জান্নাত (৭৩১), রাওযুন্ নাযীর (১১১৫), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে ‘আলী (রাঃ) বর্ণিত হাদীস হিসেবে এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)–এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৯১৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَامِلٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ الزَّاهِدُ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ঘর ও আমার মিম্বারের মাঝের জায়গা জান্নাতের বাগিচাগুলোর মধ্যকার একটি বাগিচা।
হাসান সহীহঃ যিলালুল জান্নাত (৭৩১), রাওযুন্ নাযীর (১১১৫), বুখারী ও মুসলিম।
একই সনদসূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার এই মাসজিদে এক রাকা’আত নামায মাসজিদুল হারাম ছাড়া আর অন্য কোন মাসজিদে এক রাকা’আত নামায অপেক্ষা ভাল।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪০৪, ১৪০৫), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)–এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৯১৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَمُوتَ بِالْمَدِينَةِ فَلْيَمُتْ بِهَا فَإِنِّي أَشْفَعُ لِمَنْ يَمُوتُ بِهَا ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ মাদীনাতে মৃত্যুবরণ করতে সক্ষম হলে সে যেন সেখানেই মৃত্যুবরণ করে। কারণ যে ব্যক্তি সেখানে মৃত্যুবরণ করবে আমি তার জন্য সুপারিশ করব।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩১১২)।
এ অনুচ্ছেদে সুবাই’আহ্ বিনতুল হারিস আল-আসলামিয়্যাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, উক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং আইয়ুব আস-সাখতিয়ানীর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما أَنَّ مَوْلاَةً، لَهُ أَتَتْهُ فَقَالَتِ اشْتَدَّ عَلَىَّ الزَّمَانُ وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَخْرُجَ إِلَى الْعِرَاقِ . قَالَ فَهَلاَّ إِلَى الشَّأْمِ أَرْضِ الْمَنْشَرِ اصْبِرِي لَكَاعِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ صَبَرَ عَلَى شِدَّتِهَا وَلأْوَائِهَا كُنْتُ لَهُ شَهِيدًا أَوْ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَسُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ وَسُبَيْعَةَ الأَسْلَمِيَّةِ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার এক মুক্ত দাসী এসে তাঁকে বললেন, আমার জন্য দিনাতিপাত কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আমি ইরাকের দিকে যেতে চাই। তিনি বললেন, তবে তুমি সিরিয়ার দিকে যাবার মনস্থ করলে না কেন? সেটা টো হাশরের মাঠ। তিনি আরও বললেন, আরে নির্বোধ? ধৈর্যধারণ কর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ যে লোক মাদীনার কষ্ট–কাঠিন্য ও দুর্ভিক্ষে ধৈর্যধারণ করে, ক্বিয়ামাতের দিন আমি তার জন্য সাক্ষী হব এবং সুপারিশকারী হব।
সহীহঃ তাখরিজু ফিক্হিস্ সীরাহ্ (১৮৪), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ, সুফ্ইয়ান ইবনু আবী যুহাইর ও সুবাই’আহ্ আল-আসলামিয়্যাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, ‘উবাইদুল্লাহ্র বর্ণিত হাদীস হিসেবে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৯
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ أَخْبَرَنَا أَبِي جُنَادَةُ بْنُ سَلْمٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ آخِرُ قَرْيَةٍ مِنْ قُرَى الإِسْلاَمِ خَرَابًا الْمَدِينَةُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جُنَادَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ . قَالَ تَعَجَّبَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামী শহরগুলোর মধ্যে সবশেষে জনমানবশূন্য হবে মদীনা।
যঈফ, যঈফা (১৩০০)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গরীব। আমরা শুধু জুনাদা হতে হিশামের সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসেবে এটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯২০
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الإِسْلاَمِ فَأَصَابَهُ وَعَكٌ بِالْمَدِينَةِ فَجَاءَ الأَعْرَابِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي . فَأَبَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ الأَعْرَابِيُّ ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ أَقِلْنِي بَيْعَتِي . فَأَبَى فَخَرَجَ الأَعْرَابِيُّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّمَا الْمَدِينَةُ كَالْكِيرِ تَنْفِي خَبَثَهَا وَتُنَصِّعُ طَيِّبَهَا ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ইসলামের উপর বাই’আত হয়। মাদীনার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেই বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলে, আমার বাই’আত প্রত্যাহার করুন। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন। অতএব সে চলে গেল। বেদুঈন পুনরায় এসে বলল, আমার বাই’আত প্রত্যাহার করুন। এবারও তিনি অস্বীকার করেন। ফলে বেদুঈন চলে গেল। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ মাদীনা হল কামাড়ের হাপড়ের মত, যা তার ময়লা দূর করে এবং পবিত্রতাকে খাঁটি করে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (২১৭), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২১
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَوْ رَأَيْتُ الظِّبَاءَ تَرْتَعُ بِالْمَدِينَةِ مَا ذَعَرْتُهَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا حَرَامٌ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ وَجَابِرٍ . قَالَ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাদীনায় আমি যদি হরিণকে চরে বেড়াতে দেখি, তবে সেটাকে ভয় দেখাব না। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনার দুই কংকরময় এলাকার মধ্যবর্তী জায়গা হারাম।
সহীহঃ বুখারী (১৮৭৩), মুসলিম (৪/১১৬)।
এ অনুচ্ছেদে সা’দ ‘আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ, আনাস, আবূ আইউব, যাইদ ইবনু সাবিত, রাফি’ ইবনু খাদীজ, জাবির ও সাহ্ল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَلَعَ لَهُ أُحُدٌ فَقَالَ “ هَذَا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ وَإِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উহূদ পাহাড় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বললেনঃ এ পাহাড় আমাদেরকে মুহাব্বাত করে এবং আমরাও তাকে মুহাব্বাত করি। হে আল্লাহ্! ইব্রাহীম (‘আঃ) নিশ্চয়ই মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন, আর আমি দুই কংকরময় এলাকার মধ্যবর্তী জায়গাটিকে হারাম ঘোষণা করলাম।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৩
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِيسَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَىَّ أَىَّ هَؤُلاَءِ الثَّلاَثَةِ نَزَلْتَ فَهِيَ دَارُ هِجْرَتِكَ الْمَدِينَةَ أَوِ الْبَحْرَيْنِ أَوْ قِنَّسْرِينَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو عَامِرٍ .
জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আমার নিকটে ওয়াহী পাঠান যে, এ তিনটি জায়গার যেটিতেই তুমি যাবে, সেটিই হবে তোমার হিজরাতের জায়গাঃ মাদীনা অথবা বাহরাইন অথবা কিন্নাসরীন।
মাওযু, আর-রাদ্দু আলাল কাত্তানী, হাদীস নং (১)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু ফাযল ইবনু মূসার রিওয়ায়াত হিসেবে এটি জেনেছি। আবু আমির এ হাদীস বর্ণনায় একাকী।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৪
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَصْبِرُ عَلَى لأْوَاءِ الْمَدِينَةِ وَشِدَّتِهَا أَحَدٌ إِلاَّ كُنْتُ لَهُ شَهِيدًا أَوْ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَسُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ وَسُبَيْعَةَ الأَسْلَمِيَّةِ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَصَالِحُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ أَخُو سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ মাদীনায় দুর্ভিক্ষ ও কষ্ট-কাঠিন্য সহ্য করলে ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য আমি অবশ্যই সাক্ষী অথবা সুপারিশকারী হব।
সহীহঃ তাখরীজু ফিক্হিস্ সীরাহ্ (১৮৪), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ, সুফ্ইয়ান ইবনু আবী যুহাইর ও সুবাই’আহ্ আল-আসলামিয়্যাহ্ (রাঃ) কর্তৃক হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব। সালিহ ইবনু আবী সালিহ হলেন সুহাইল ইবনু আবী সালিহের ভাই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৯. অনুচ্ছেদঃ
মাক্কা মুআজ্জামার মর্যাদা
৩৯২৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ حَمْرَاءَ الزُّهْرِيِّ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاقِفًا عَلَى الْحَزْوَرَةِ فَقَالَ “ وَاللَّهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللَّهِ وَأَحَبُّ أَرْضِ اللَّهِ إِلَى اللَّهِ وَلَوْلاَ أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خَرَجْتُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ نَحْوَهُ . وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَحَدِيثُ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ حَمْرَاءَ عِنْدِي أَصَحُّ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আদী ইবনু হাম্রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি মাক্কার একটি ক্ষুদ্র টিলার উপর দণ্ডায়মানরত দেখলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র ক্বসম! তুমি নিশ্চয় আল্লাহ্ তা’আলার সকল ভূমির মাঝে সর্বোত্তম এবং আল্লাহ্ তা’আলার নিকট তুমিই সবচেয়ে প্রিয়ভূমি। আমাকে যদি তোমর বুক হতে (জোরপূর্বক) বিতাড়িত না করা হত তবে আমি কখনও (তোমায় ছেড়ে) চলে যেতাম না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩১০৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। এ হাদীস ইউনুস যুহ্রী হতে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ‘আম্র (রহঃ) আবূ সালামাহ্ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে এটি রিওয়ায়াত করেছেন। আমার মতে আবূ সালামার বরাতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আদী ইবনু হামরার সনদে যুহরী হতে বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশী সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَأَبُو الطُّفَيْلِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَكَّةَ “ مَا أَطْيَبَكِ مِنْ بَلَدٍ وَأَحَبَّكِ إِلَىَّ وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمِي أَخْرَجُونِي مِنْكِ مَا سَكَنْتُ غَيْرَكِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা ভূমিকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ কতই না পবিত্র ও উত্তম শহর তুমি এবং আমার নিকট কতই না প্রিয়। আমার স্বজাতি যদি তোমার হতে আমাকে বিতাড়িত না করত তবে আমি তোমাকে ব্যতীত অন্য কোথাও বসবাস করতাম না।
সহীহঃ মিশকাত (হাঃ ২৭২৪)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭০. অনুচ্ছেদঃ
আরবদেশের মর্যাদা
৩৯২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” يَا سَلْمَانُ لاَ تَبْغَضْنِي فَتُفَارِقَ دِينَكَ ” . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَبْغَضُكَ وَبِكَ هَدَانَا اللَّهُ قَالَ ” تَبْغَضُ الْعَرَبَ فَتَبْغَضُنِي ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَدْرٍ شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ أَبُو ظَبْيَانَ لَمْ يُدْرِكْ سَلْمَانَ مَاتَ سَلْمَانُ قَبْلَ عَلِيٍّ .
সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে সালমান! আমার প্রতি হিংসা করো না, তাহলে তুমি তোমার দীনকে টুকরো করে ফেলবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার প্রতি কি করে হিংসা পোষণ করতে পারি, অথচ আল্লাহ তা’আলা আপনার মাধ্যমেই আমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আরবের প্রতি হিংসা পোষণ করাই হচ্ছে আমার প্রতি হিংসা পোষণ।
যঈফ, যঈফা (২০২০), মিশকাত (৫৯৮৯)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারব। আমরা শুধু আবু বদর শুজা ইবনুল ওয়ালীদের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। আমি মুহাম্মাদ ইসমাঈলকে বলতে শুনেছি আবু যাবইয়ান সালমানের সাক্ষাৎ পান নাই।
সালমান (রাঃ) আলী (রাঃ)-এর পূর্বেই ইন্তিকাল করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عُمَرَ الأَحْمَسِيِّ، عَنْ مُخَارِقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ غَشَّ الْعَرَبَ لَمْ يَدْخُلْ فِي شَفَاعَتِي وَلَمْ تَنَلْهُ مَوَدَّتِي ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حُصَيْنِ بْنِ عُمَرَ الأَحْمَسِيِّ عَنْ مُخَارِقٍ . وَلَيْسَ حُصَيْنٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ بِذَاكَ الْقَوِيِّ .
উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আরবদের সাথে ঠকবাজী করবে সে আমার শাফাআতের সীমায় প্রবেশ করবে না এবং সে আমার ভালোবাসাও অর্জন করতে পারবে না।
মাওযু, যঈফা (৫৪৫), মিশকাত (৫৯৯০)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু হুসাইন-ইবনু উমার আল-আহমাসী হতে মুখারিক সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। হুসাইন মুহাদিসগণের মতে তেমন মজবুত রাবী নন।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي رَزِينٍ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ كَانَتْ أُمُّ الْحَرِيرِ إِذَا مَاتَ أَحَدٌ مِنَ الْعَرَبِ اشْتَدَّ عَلَيْهَا فَقِيلَ لَهَا إِنَّا نَرَاكِ إِذَا مَاتَ رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ اشْتَدَّ عَلَيْكِ . قَالَتْ سَمِعْتُ مَوْلاَىَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مِنَ اقْتِرَابِ السَّاعَةِ هَلاَكُ الْعَرَبِ ” . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي رَزِينٍ وَمَوْلاَهَا طَلْحَةُ بْنُ مَالِكٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ .
মুহাম্মাদ ইবনু আবু রাযীন (রহঃ) হতে তার মা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন ঃ উন্মুল হারীরের অবস্থা এই ছিল যে, আরবের কোন লোক ইন্তিকাল করলে তিনি তাতে গভীরভাবে শোকাভিভূত হতেন। তাকে বলা হল, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আরবের কোন লোক ইন্তিকাল করলে আপনি তাতে গভীরভাবে শোকাভিভূত হন। তিনি বললেন, আমি আমার মনিবকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরবের লোকদের মৃত্যু হচ্ছে কিয়ামাত কাছাকাছি হওয়ার লক্ষণ।
যঈফ, যঈফা (৪৫১৫)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারিব। আমরা শুধু সুলাইমান ইবনু হারবের রিওয়ায়াত হিসেবে এটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ حَدَّثَتْنِي أُمُّ شَرِيكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” لَيَفِرَّنَّ النَّاسُ مِنَ الدَّجَّالِ حَتَّى يَلْحَقُوا بِالْجِبَالِ ” . قَالَتْ أُمُّ شَرِيكٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيْنَ الْعَرَبُ يَوْمَئِذٍ قَالَ ” هُمْ قَلِيلٌ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
জাবির ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি উম্মু শারীক (রাঃ)–কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লোকেরা দাজ্জালের ভয়ে পলায়ন করবে, অবশেষে তারা পাহাড়-পর্বতে গিয়ে আশ্রয় নিবে। উম্মু শারীক প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ্র রাসুল! সে সময় আরবরা কোথায় থাকবে? তিনি বলেন, সে সময় তারা সংখ্যায় অতি নগণ্য হবে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (৩০৭৯), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩১
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، – بَصْرِيٌّ – حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ سَامٌ أَبُو الْعَرَبِ وَيَافِثُ أَبُو الرُّومِ وَحَامٌ أَبُو الْحَبَشِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَيُقَالُ يَافِثُ وَيَافِتُ وَيَفِثُ .
সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সাম হল আরবদের আদিপিতা, ইয়াফিস হল রূমীদের (তুর্কীদের) আদিপিতা এবং হাম হল আবিসিনীয়দের আদিপিতা।
যঈফ, যঈফা (৩৬৩৮)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। ইয়াফিস, ইয়াফিত ও ইয়াফাস ইত্যাদি উচ্চারণও আছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৭১. অনুচ্ছেদঃ
আজমীদের (অনারবদের) মর্যাদা
৩৯৩২
أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ ذُكِرَتِ الأَعَاجِمُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ لأَنَا بِهِمْ أَوْ بِبَعْضِهِمْ أَوْثَقُ مِنِّي بِكُمْ أَوْ بِبَعْضِكُمْ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ . وَصَالِحُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ هَذَا يُقَالُ لَهُ صَالِحُ بْنُ مِهْرَانَ مَوْلَى عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে অনারবদের উল্লেখ করা হল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তাদেরকে অথবা তাদের কিছুকে তোমাদের চেয়ে অথবা তোমাদের কিছুর চেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করি।
যঈফ, মিশকাত (৬২৪৫)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারব। আমরা শুধু আবু বকর ইবনু আইয়াশের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। সালিহ হলেন মিহরানের পুত্র, আমর ইবনু হুরাইসের আযাদ গোলাম।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ الدِّيلِيُّ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أُنْزِلَتْ سُورَةُ الْجُمُعَةِ فَتَلاَهَا فَلَمَّا بَلَغَ : ( وآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ ) قَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ لَمْ يَلْحَقُوا بِنَا فَلَمْ يُكَلِّمْهُ . قَالَ وَسَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ فِينَا . قَالَ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى سَلْمَانَ فَقَالَ ” وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ الإِيمَانُ بِالثُّرَيَّا لَتَنَاوَلَهُ رِجَالٌ مِنْ هَؤُلاَءِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَأَبُو الْغَيْثِ اسْمُهُ سَالِمٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ مَدَنِيٌّ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট আমরা উপস্থিত ছিলাম। সে সময় সূরা আল-জুমু’আহ্ অবতীর্ণ হয় এবং তিনি তা পাঠ করেন। তিনি ‘ওয়া আখারীনা মিনহুম লাম্মা ইয়াল্হাকু বিহিমি” (এবং তাদের অন্যেরা যারা এখনও তাদের সঙ্গে একত্রিত হয়নি) পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ্র রাসুল! এসব লোক কারা, এখনো যারা আমাদের সঙ্গে একত্রিত হয়নি? তিনি তাকে কিছুই বললেন না। আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বলেন, সালমান আল-ফারিসী (রাঃ) আমাদের মধ্যে হাযির ছিলেন। আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের হাতখানা সালমান (রাঃ)-এর উপর রেখে বললেন, সেই সত্তার ক্বসম যাঁর হাতে আমার জীবন! সুরাইয়্যাহ্ তারকায় ঈমান থাকলেও এদের (অনারবদের) কিছু লোক তা নিয়ে আসবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। এটা ৩৩১০ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। হাদীসটি একাধিক সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে। আবূল গাইস এর নাম সালিম, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুত্বী’ এর মুক্তদাস মাদীনার অধিবাসী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭২. অনুচ্ছেদঃ
ইয়ামানের মর্যাদা
৩৯৩৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْقَطَوَانِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَظَرَ قِبَلَ الْيَمَنِ فَقَالَ “ اللَّهُمَّ أَقْبِلْ بِقُلُوبِهِمْ وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَمُدِّنَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ .
যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামান দেশের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ “হে আল্লাহ্! তাদের মন (আমাদের দিকে) ফিরিয়ে দিন এবং আমাদের সা ও মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন”।
হাসান সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬২৬৩), ইরওয়া (৪/১৭৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। আমরা শুধুমাত্র ‘ইমরান আল-কাত্তানের সনদেই হাদীসটি জানতে পেরেছি।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৯৩৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَتَاكُمْ أَهْلُ الْيَمَنِ هُمْ أَضْعَفُ قُلُوبًا وَأَرَقُّ أَفْئِدَةً الإِيمَانُ يَمَانٍ وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ ” . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي مَسْعُودٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের নিকট ইয়ামানবাসী এসেছে। তারা খুব নরম মন ও কোমল হৃদয়ের লোক। ঈমান ইয়ামান হতে এসেছে এবং প্রজ্ঞাও ইয়ামান হতে এসেছে।
সহীহঃ রাওযুন্ নাযীর (১০৩৪), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘আব্বাস ও ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَرْيَمَ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمُلْكُ فِي قُرَيْشٍ وَالْقَضَاءُ فِي الأَنْصَارِ وَالأَذَانُ فِي الْحَبَشَةِ وَالأَمَانَةُ فِي الأَزْدِ ” . يَعْنِي الْيَمَنَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাজত্ব কুরাইশদের মাঝে, বিচার–বিধান আনসারদের মধ্যে, (সুমধুর সুরে) আযান হাবশীদের মাঝে এবং আমানতদারী আয্দ অর্থাৎ ইয়ামানবাসীদের মাঝে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (১০৮৩)।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার–‘আব্দুর রহমান ইবনু মাহ্দী হতে, তিনি মু’আবিয়াহ্ ইবনু সালিহ হতে, তিনি আবূ মারইয়াম আল-আনসারী হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে এই সনদে উপর্যুক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন, তবে মারফুরুপে নয়। এ হাদীস যাইদ ইবনু হুবাবের বর্ণিত হাদীসটির তুলনায় অনেক বেশী সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنِي عَمِّي، صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الْكَبِيرِ بْنِ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ حَدَّثَنِي عَمِّي عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الأَزْدُ أُسْدُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ يُرِيدُ النَّاسُ أَنْ يَضَعُوهُمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلاَّ أَنْ يَرْفَعَهُمْ وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَقُولُ الرَّجُلُ يَا لَيْتَ أَبِي كَانَ أَزْدِيًّا يَا لَيْتَ أُمِّي كَانَتْ أَزْدِيَّةً ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ أَنَسٍ مَوْقُوفٌ وَهُوَ عِنْدَنَا أَصَحُّ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল আযদ (ইয়ামানীরা) হল দুনিয়ার বুকে আল্লাহর সহায়তাকারী। লোকেরা তাদেরকে দাবিয়ে রাখতে চাইবে। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা তা হতে দিবেন না, বরং তিনি তাদেরকে সমুন্নত করবেন। মানুষের সামনে অবশ্যই এমন এক যামানা আসবে, যখন কোন ব্যক্তি বলবে, হায় যদি আমার পিতা ইয়ামানী (আযদী) হতেন? হায়, যদি আমার মাতা ইয়ামানী (আযদী) গোত্রীয় হতেন?
যঈফ, যঈফা (২৪৬৭)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই হাদীসটি প্রসঙ্গে জেনেছি। আনাস (রাঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে হাদীসটি মাওকুফ হিসেবেও বর্ণিত আছে। আমাদের মতে মাওকুফ বর্ণনাটিই অনেক বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَطَّارُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنِي غَيْلاَنُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنْ لَمْ نَكُنْ مِنَ الأَزْدِ فَلَسْنَا مِنَ النَّاسِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
গাইলান ইবনু জারীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, আমরা আয্দ গোত্রভুক্ত না হলে উত্তম মানুষই হতাম না।
সনদ সহীহঃ মাওকুফ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ زَنْجُويَهْ، – بَغْدَادِيٌّ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ مِينَاءٍ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ أَحْسِبُهُ مِنْ قَيْسٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَنْ حِمْيَرًا . فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ جَاءَهُ مِنَ الشَّقِّ الآخَرِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ رَحِمَ اللَّهُ حِمْيَرًا أَفْوَاهُهُمْ سَلاَمٌ وَأَيْدِيهِمْ طَعَامٌ وَهُمْ أَهْلُ أَمْنٍ وَإِيمَانٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ . وَيُرْوَى عَنْ مِينَاءٍ هَذَا أَحَادِيثُ مَنَاكِيرُ .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে হাযির থাকা অবস্থায় তার নিকতে এক লোক আসে। আমার ধারণা লোকটি কাইস গোত্রীয়। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! হিমৃইয়ার গোত্রকে অভিসম্পাত করুন। তিনি তার হতে অন্য দিকে মুখ সরিয়ে নেন। সে অপর পাশ দিয়ে এলে তিনি এবারও তার হতে মুখ সরিয়ে নেন। আবার সে অপর পাশ দিয়ে এলে তিনি এবারও তার হতে মুখ সরিয়ে নেন। লোকটি অপর পাশ দিয়ে এলে এবারও তিনি তার হতে মুখ সরিয়ে নেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হিমূইয়ার গোত্রের প্রতি আল্লাহ তা’আলা দয়া করুন, তাদের মুখে সালাম (শান্তি), তাদের হাতে খাদ্যসম্ভার এবং তারা নিরাপত্তা ও ঈমানের ধারক।
মাওষু, যঈফা (৩৪৯)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারব। আমরা শুধু আবদুর রাযযাকের সূত্রে উপরোক্তভাবে এ হাদীস জেনেছি। আর মীনাআর কাছ হতে বেশিরভাগ মুনকার হাদীস বর্ণিত হয়ে থাকে।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৭৩. অনুচ্ছেদঃ
গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ্ ও মুযাইনাহ্ গোত্রসমূহ প্রসঙ্গে
৩৯৪০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الأَنْصَارُ وَمُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ وَغِفَارُ وَأَشْجَعُ وَمَنْ كَانَ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ مَوَالِيَّ لَيْسَ لَهُمْ مَوْلًى دُونَ اللَّهِ وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ مَوْلاَهُمْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ আইউব আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আনসারগণ ও মুযাইনাহ্, জুহাইনাহ্, আশজা’, গিফার গোত্রগুলো ও বানু ‘আবদুদ দার–এর লোকেরা আমার সঙ্গী ও সাহায্যকারী। আল্লাহ ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী সঙ্গী নেই। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই তাদের সাহায্যকারী সঙ্গী বা সাথী।
সহীহঃ মুসলিম (৭/১৭৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَغِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَعُصَيَّةُ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আসলাম গোত্রকে আল্লাহ হিফাযাতে রাখুন। গিফার গোত্রকে আল্লাহ তা’আলা মাফ করুন। আর উসাইয়্যাহ্ গোত্র আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যাচরণ করেছে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৪. অনুচ্ছেদঃ
বানু সাক্বীফ ও বানু হানীফাহ্ গোত্র দু’টি প্রসঙ্গে
৩৯৪২
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْرَقَتْنَا نِبَالُ ثَقِيفٍ فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ . قَالَ “ اللَّهُمَّ اهْدِ ثَقِيفًا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সাকীফ সম্প্রদায়ের তীরগুলো আমাদেরকে ছিন্নভিন্ন করেছে। সুতরাং আপনি তাদের বদদু’আ করুন! তিনি বললেন ঃ হে আল্লাহ! সাকীফ সম্প্রদায়কে হিদায়াত দান করুন।
যঈফ, মিশকাত (৫৯৮৬)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৩
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقَاهِرِ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ مَاتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَكْرَهُ ثَلاَثَةَ أَحْيَاءٍ ثَقِيفًا وَبَنِي حَنِيفَةَ وَبَنِي أُمَيَّةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনটি গোত্রের প্রতি মন্দ মনোভাব রেখে মারা যানঃ বানু সাকীফ, বানু হানীফা ও বানু উমাইয়্যা।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব। আমরা শুধু আলোচ্য সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُصْمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাক্বীফ গোত্রে এক চরম মিথ্যাবাদী ও এক নরঘাতকের সৃষ্টি হবে।
সহীহঃ মুসলিম (২১২৩) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
‘আব্দুর রহমান ইবনু ওয়াক্বিদ আবূ মুসলিম শারীক (রহঃ)-এর সনদে উপরের হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু উস্ম–এর উপনাম আবূ ‘উলওয়ান, তিনি কুফার অধিবাসী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র শারীকের সনদে অবগত হয়েছি। শারীক (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আসিম। ইসরাঈলও এই শাইখ হতে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘ইস্মাহ্। এ অনুচ্ছেদে আসমা বিনতু আবী বাক্র (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنِي أَيُّوبُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، أَهْدَى لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَكْرَةً فَعَوَّضَهُ مِنْهَا سِتَّ بَكَرَاتٍ فَتَسَخَّطَهَا فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ “ إِنَّ فُلاَنًا أَهْدَى إِلَىَّ نَاقَةً فَعَوَّضْتُهُ مِنْهَا سِتَّ بَكَرَاتٍ فَظَلَّ سَاخِطًا وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ لاَ أَقْبَلَ هَدِيَّةً إِلاَّ مِنْ قُرَشِيٍّ أَوْ أَنْصَارِيٍّ أَوْ ثَقَفِيٍّ أَوْ دَوْسِيٍّ ” . قَالَ وَفِي الْحَدِيثِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ يَرْوِي عَنْ أَيُّوبَ أَبِي الْعَلاَءِ وَهُوَ أَيُّوبُ بْنُ مِسْكِينٍ وَيُقَالُ ابْنُ أَبِي مِسْكِينٍ وَلَعَلَّ هَذَا الْحَدِيثَ الَّذِي رَوَاهُ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ وَهُوَ أَيُّوبُ أَبُو الْعَلاَءِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এক বেদুঈন একটি জোয়ান উষ্ট্রী উপহার দেয়। তিনি তার বিনিময়ে তাকে ছয়টি উষ্ট্রী দেন। কিন্তু লোকটি তারপরও অখুশি থাকে। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতে পারলে তিনি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও গুণগান করার পর বলেনঃ অমুক লোক আমাকে একটি উষ্ট্রী উপঢৌকন দিলে আমি এর বিনিময়ে তাকে ছয়টি উষ্ট্রী প্রদান করি। তারপরও সে অখুশি। অতএব আমি প্রতিজ্ঞা করলাম যে, আমি কুরাইশী অথবা আনসারী অথবা সাক্বাফী অথবা দাওসীদের ছাড়া আর কারো নিকট হতে উপঢৌকন কবুল করব না।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৩০২২), সহিহাহ্ (১৬৮৪)।
এ হাদীসে আরো বেশী বক্তব্য আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি একাধিক সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। ইয়াযীদ ইবনু হারুন (রহঃ) আইউব-আবূল আলা হতে বর্ণনা করেন। তিনি হলেন আইউব ইবনু মিসকীন। তিনি ইবনু আবী মিসকীন বলেও পরিচিত। সম্ভবতঃ এই হাদীস যা আইউব হতে, সা’ঈদ আল-মাকবুরীর সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি হলেন আইউব আবূল আ’লা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَهْدَى رَجُلٌ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَاقَةً مِنْ إِبِلِهِ الَّتِي كَانُوا أَصَابُوا بِالْغَابَةِ فَعَوَّضَهُ مِنْهَا بَعْضَ الْعِوَضِ فَتَسَخَّطَهُ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ يَقُولُ “ إِنَّ رِجَالاً مِنَ الْعَرَبِ يُهْدِي أَحَدُهُمُ الْهَدِيَّةَ فَأُعَوِّضُهُ مِنْهَا بِقَدْرِ مَا عِنْدِي ثُمَّ يَتَسَخَّطُهُ فَيَظَلُّ يَتَسَخَّطُ فِيهِ عَلَىَّ وَايْمُ اللَّهِ لاَ أَقْبَلُ بَعْدَ مَقَامِي هَذَا مِنْ رَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ هَدِيَّةً إِلاَّ مِنْ قُرَشِيٍّ أَوْ أَنْصَارِيٍّ أَوْ ثَقَفِيٍّ أَوْ دَوْسِيٍّ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ عَنْ أَيُّوبَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাযারা গোত্রের এক ব্যক্তি গাবা নামক জায়গায় প্রাপ্ত তার উটপাল হতে একটি উষ্ট্রী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উপঢৌকন দেন। তিনি এর বিনিময়ে তাকে কিছু দান করেন। কিন্তু তাতে সে সন্তুষ্ট হয়নি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি মিম্বারের উপর বলতে শুনেছিঃ আরবের কোন এক লোক আমাকে কিছু উপহার দিলে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে কিছু দান করি। কিন্তু সে তাতে অখুশি প্রকাশ করে। এমনকি এ ব্যপারে সে আমার উপর অখুশিই হয়ে যায়। আল্লাহ্র ক্বসম! এরপর হতে আমি আর কুরাইশী কিংবা আনসারী অথবা সাক্বাফী অথবা দাওসী লোক ছাড়া আরবের আর কোন লোকের উপহার গ্রহণ করব না।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এটা ইয়াযীদ ইবনু হারুনের বর্ণিত হাদীসের চাইতে অনেক বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৭
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَلاَذٍ، يُحَدِّثُ عَنْ نُمَيْرِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مَسْرُوحٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ الأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” نِعْمَ الْحَىُّ الأَسْدُ وَالأَشْعَرُونَ لاَ يَفِرُّونَ فِي الْقِتَالِ وَلاَ يَغُلُّونَ هُمْ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ ” . قَالَ فَحَدَّثْتُ بِذَلِكَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ لَيْسَ هَكَذَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ ” هُمْ مِنِّي وَإِلَىَّ ” . فَقُلْتُ لَيْسَ هَكَذَا حَدَّثَنِي أَبِي وَلَكِنَّهُ حَدَّثَنِي قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” هُمْ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ ” . قَالَ فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِحَدِيثِ أَبِيكَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ . وَيُقَالُ الأَسْدُ هُمُ الأَزْدُ .
আমির ইবনু আবু আমির আল-আশআরী (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আসাদ গোত্র ও আশআরী গোত্র কত ভাল। তারা যুদ্ধের মাঠ হতে পালায় না এবং গানীমাতের মাল আত্মসাৎ করে না। কাজেই তারা আমার হতে এবং আমি তাদের হতে। আমির (রহঃ) বলেন, আমি উক্ত হাদীস মুআবিয়া (রাঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, এইরূপ নয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে বলেননি, বরং বলেছেনঃ তারা আমার হতে এবং আমারই। আমির (রহঃ) বলেন, আমার পিতা আমাকে এরকম বলেননি, বরং তিনি আমাকে বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি ঃ তারা আমার হতে এবং আমি তাদের হতে। মুআবিয়া (রাঃ) বলেন, তুমি তোমার পিতার বর্ণিত হাদীস বেশি জান।
যঈফ, যঈফা (৪৬৯২)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু ওয়াহুব ইবনু জারীরের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। কথিত আছে যে, আসাদ সম্প্রদায় ও আৰ্যদ সম্প্রদায় একই।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَغِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَأَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ وَبُرَيْدَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আসলাম গোত্রকে আল্লাহ তা’আলা হিফাযাতে রাখুন, গিফার গোত্রকে আল্লাহ মাফ করুন।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ১০০৬, ৩৫১৩, ৩৫১৪), মুসলিম (হাঃ ৭/১৭৭, ১৭৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে আবূ যার, আবূ বারযা আল-আসলামী, বুরাইদা ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، نَحْوَ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَزَادَ فِيهِ “ وَعُصَيَّةُ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার, মুওয়াম্মাল থেকে বর্ণিতঃ
তিনি সুফ্ইয়ান হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার হতে, শু’বার হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। আর তাতে অতিরিক্ত আছে “উসাইয়্যাহ্ আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হয়েছে”।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَغِفَارُ وَأَسْلَمُ وَمُزَيْنَةُ وَمَنْ كَانَ مِنْ جُهَيْنَةَ أَوْ قَالَ جُهَيْنَةُ وَمَنْ كَانَ مِنْ مُزَيْنَةَ خَيْرٌ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ أَسَدٍ وَطَيِّئٍ وَغَطَفَانَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সেই সত্তার ক্বসম, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন! গিফার, আসলাম ও মুযাইনাহ্ গোত্র এবং যারা জুহাইনাহ্ গোত্রীয় এবং মুযাইনাহ্ গোত্রীয়, তারা ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলার কাছে অবশ্যই আসাদ, তাঈ ও গাতাফান গোত্রের তুলনায় ভাল বিবেচিত হবে।
সহীহঃ সহিহাহ্ (৩২১২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ جَاءَ نَفَرٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” أَبْشِرُوا يَا بَنِي تَمِيمٍ ” . قَالُوا بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا . قَالَ فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَاءَ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ ” اقْبَلُوا الْبُشْرَى إِذْ لَمْ تَقْبَلْهَا بَنُو تَمِيمٍ ” . قَالُوا قَدْ قَبِلْنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তামীম গোত্রের প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাজলিসে হাযির হলে তিনি বলেনঃ হে বানূ তামীম! সুখবর গ্রহণ কর। তারা বলল, আপনি আমাদের সুখবর দিয়েছেন, তাই আমাদেরকে কিছু দান করুন। বর্ণনাকারী বলেন, এতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে যায়। তারপর ইয়ামান দেশীয় এক প্রতিনিধিদল আগমন করলে তিনি বলেন, তোমরা সুখবর কবূল কর, যা তামীম গোত্র গ্রহণ করেনি। তারা বলল, অবশ্যই আমরা তা গ্রহণ করলাম।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৩২১২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” أَسْلَمُ وَغِفَارُ وَمُزَيْنَةُ خَيْرٌ مِنْ تَمِيمٍ وَأَسَدٍ وَغَطَفَانَ وَبَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ ” . يَمُدُّ بِهَا صَوْتَهُ فَقَالَ الْقَوْمُ قَدْ خَابُوا وَخَسِرُوا . قَالَ ” فَهُمْ خَيْرٌ مِنْهُمْ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাক্রাহ্ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আসলাম, গিফার ও মুযাইনাহ্ গোত্রসমূহ তামীম, আসাদ, গাতাকান ও ‘আমির ইবনু সা’সা’আহ্ গোত্রসমূহ হতে ভাল। তিনি উচ্চস্বরে কথাটি বললেন। লোকেরা বলেনঃ ঐ গোত্রের লোকগুলো তো ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হল। তিনি বলেনঃ ঐ গোত্রগুলোর ব্যক্তিগুলো এসব গোত্রের লোকদের চেয়ে অধিক ভাল।
সহীহঃ বুখারী (৩৫১৬), ও মুসলিম (৭/১৭৯-১৮০)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৫. অনুচ্ছেদঃ
শাম ও ইয়ামানের মর্যাদা।
৩৯৫৩
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ ابْنُ بِنْتِ أَزْهَرَ السَّمَّانِ، حَدَّثَنِي جَدِّي، أَزْهَرُ السَّمَّانُ عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَأْمِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي يَمَنِنَا ” . قَالُوا وَفِي نَجْدِنَا . قَالَ ” اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَأْمِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي يَمَنِنَا ” . قَالُوا وَفِي نَجْدِنَا . قَالَ ” هُنَاكَ الزَّلاَزِلُ وَالْفِتَنُ وَبِهَا أَوْ قَالَ مِنْهَا يَخْرُجُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আল্লাহ্! আমাদের শামদেশে বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ্! আমাদের ইয়ামানদেশে বারাকাত দান করুন। লোকেরা বলল, আমাদের নাজদের জন্যও (দু’আ করুন)। তিনি পুনরায় বলেনঃ হে আল্লাহ্! আমাদের সিরিয়ায় বারাকাত দান করুন, আমাদের ইয়ামানদেশে বারাকাত দান করুন। এবারও লোকেরা বলল, আমাদের নাজদের জন্যও (দু’আ করুন)। তিনি বললেনঃ সেখানে ভূমিকম্প, বিশৃঙ্খলা বা বিপর্যয় রয়েছে অথবা তিনি বলেছেনঃ সেখান হতেই শাইতানের শিং আবির্ভাব হবে।
সহীহঃ তাখরীজু ফাযায়িলিশ শাম (৮), সহিহাহ্ (২২৪৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং ইবনু ‘আওনের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। হাদীসটি সালিম ইবনু ‘আবদিল্লাহ ইবনু ‘উমার – তার বাবা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِمَاسَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نُؤَلِّفُ الْقُرْآنَ مِنَ الرِّقَاعِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” طُوبَى لِلشَّأْمِ ” . فَقُلْنَا لأَىٍّ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” لأَنَّ مَلاَئِكَةَ الرَّحْمَنِ بَاسِطَةٌ أَجْنِحَتَهَا عَلَيْهَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ .
যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে চামড়ার উপর হতে কুরআন সংকলন করেছিলাম। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সিরিয়ার জন্য মঙ্গল। আমরা বললাম, তা কেন হে আল্লাহ্র রাসূল! তিনি বললেনঃ কেননা দয়াময় রহমানের ফেরেশতাগণ তার উপর নিজেদের ডানা বিস্তার করে রেখেছেন।
সহীহঃ ফাযায়িলিশ শাম (১), মিশকাত (৬৬২৪), সহিহাহ্ (৫০২)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র ইয়াহ্ইয়া ইবনু আইউবের সনদে হাদীসটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ يَفْتَخِرُونَ بِآبَائِهِمُ الَّذِينَ مَاتُوا إِنَّمَا هُمْ فَحْمُ جَهَنَّمَ أَوْ لَيَكُونَنَّ أَهْوَنَ عَلَى اللَّهِ مِنَ الْجُعَلِ الَّذِي يُدَهْدِهُ الْخِرَاءَ بِأَنْفِهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ إِنَّمَا هُوَ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ النَّاسُ كُلُّهُمْ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ خُلِقَ مِنْ تُرَابٍ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সমস্ত সম্প্রদায় তাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ে গর্ব করে, তারা যেন অবশ্যই তা হতে বিরত থাকে। কেননা তারা জাহান্নামের কয়লায় পরিণত হয়েছে। নতুবা তারা আল্লাহ তা’আলার দরবারে গোবরে পোকার তুলনায় বেশি অপমানিত হবে, যা নিজের নাক দিয়ে গোবরের ঘুঁটা তৈরী করে। তোমাদের হতে আল্লাহ তা’আলা জাহিলী যুগের গরব-অহংকার ও পূর্বপুরুষদের নিয়ে আত্মগর্ব প্রকাশ দূরীভূত করেছেন। এখন সে মু’মিন-মুত্তাক্বী অথবা পাপাত্মা–দুরাচার। সমস্ত মানুষ আদম (‘আঃ)–এর সন্তান। আর আদম (‘আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি হতে।
হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব (৪/২১, ৩৩, ৩৪), গাইয়াতুল মারাম (৩১২)।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৯৫৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مُوسَى بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ الْفَرْوِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ قَدْ أَذْهَبَ اللَّهُ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَفَخْرَهَا بِالآبَاءِ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ وَالنَّاسُ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ ” . قَالَ وَهَذَا أَصَحُّ عِنْدَنَا مِنَ الْحَدِيثِ الأَوَّلِ . وَسَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ قَدْ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ وَيَرْوِي عَنْ أَبِيهِ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه . وَقَدْ رَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي عَامِرٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা জাহিলী যুগের গর্ব-অহংকার ও পূর্বপুরুষদের নিয়ে আভিজাত্যের অহংকার তোমাদের হতে অপসারণ করেছেন। এখন কোন লোক হয় খোদাভীরু মু’মিন কিংবা বদ-নাসীব পাপী। মানুষ আদমের সন্তান, আর আদম (‘আঃ) মাটি হতে সৃষ্টি।
হাসানঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমার দৃষ্টিতে এ হাদীসটি প্রথমোক্ত হাদীসের চেয়ে বেশী সহীহ। সা’ঈদ আল-মাক্ববুরী (রহঃ) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে হাদীস শুনেছেন। তিনি তার পিতার সনদে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। এ হাদীস সুফ্ইয়ান সাওরী প্রমুখ হিশাম ইবনু সা’দ হতে, তিনি সা’ঈদ আল-মাক্ববুরী হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে আবূ আমির হতে হিশামের সনদে বর্ণিত হাদীসের একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস