১৯. অনুচ্ছেদঃ
‘উসমান ইবনু ‘আফ্ফান (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৬৯৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَلَى حِرَاءَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ وَعُثْمَانُ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ رضى الله عنهم فَتَحَرَّكَتِ الصَّخْرَةُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ اهْدَأْ إِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَبُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيِّ وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেরা পর্বতে ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবূ বকর, ‘উমার, ‘উসমান, ‘আলী, ত্বালহা ও আয্-যুবাইর (রাঃ)। (তাদের পদতলের) পাথরটি নড়াচড়া করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্থির হয়ে থাক। কেননা তোমার উপর একজন নবী কিংবা একজন সিদ্দীক অথবা একজন শহীদ রয়েছেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২/৫৬২), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ‘উসমান, ‘সা’ঈদ ইবনু যাইদ, ইবনু ‘আব্বাস, সাহ্ল ইবনু সা’দ, আনাস ইবনু মালিক ও বুরাইদাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَعِدَ أُحُدًا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَفَ بِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اثْبُتْ أُحُدُ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্র, ‘উমার ও ‘উসমান (রাঃ)-সহ উহূদ পাহাড়ে আরোহণ করেন। তাদেরকে নিয়ে পাহাড় কেঁপে উঠে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (পদাঘাত করে) বললেনঃ হে উহুদ! শান্ত হও। তোমার উপরে একজন নাবী, একজন সিদ্দীক্ব (পরম সত্যবাদী) ও দু’জন শহীদ রয়েছেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৮৭৫), বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، عَنْ شَيْخٍ، مِنْ بَنِي زُهْرَةَ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ لِكُلِّ نَبِيٍّ رَفِيقٌ وَرَفِيقِي – يَعْنِي فِي الْجَنَّةِ عُثْمَانُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَهُوَ مُنْقَطِعٌ .
তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীর একজন করে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছে। জান্নাতে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হবেন উসমান (রাঃ)।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (১০৯)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব। এর সনদসূত্র নয় এবং এটি মুনকাতে হাদীস। তেমন সুদৃঢ় নয় এবং এটি মুনকাতে হাদীস।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، قَالَ لَمَّا حُصِرَ عُثْمَانُ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ فَوْقَ دَارِهِ ثُمَّ قَالَ أُذَكِّرُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ حِرَاءَ حِينَ انْتَفَضَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اثْبُتْ حِرَاءُ فَلَيْسَ عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ أُذَكِّرُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي جَيْشِ الْعُسْرَةِ ” مَنْ يُنْفِقُ نَفَقَةً مُتَقَبَّلَةً ” . وَالنَّاسُ مُجْهَدُونَ مُعْسِرُونَ فَجَهَّزْتُ ذَلِكَ الْجَيْشَ قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ قَالَ أُذَكِّرُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ بِئْرَ رُومَةَ لَمْ يَكُنْ يَشْرَبُ مِنْهَا أَحَدٌ إِلاَّ بِثَمَنٍ فَابْتَعْتُهَا فَجَعَلْتُهَا لِلْغَنِيِّ وَالْفَقِيرِ وَابْنِ السَّبِيلِ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ وَأَشْيَاءُ عَدَّدَهَا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عُثْمَانَ .
আবূ ‘আবদুর রহমান আস্-সুলামী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন ‘উসমান (রাঃ) বিদ্রোহীদের মাধ্যমে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন, সে সময় তিনি তার ঘরের উপরিতলে (ছাদে) উঠলেন, তারপর বললেন, আজ আল্লাহর ক্বসম করে আমি তোমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি, তোমরা কি অবহিত আছ যে, হেরা পর্বত কম্পিত হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেনঃ হে হেরা! শান্ত হয়ে যাও, কেননা তোমার উপর রয়েছেন একজন নবী কিংবা একজন সিদ্দীক্ব কিংবা একজন শহীদ? লোকেরা বলল, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় বললেন, আমি আল্লাহ তা’আলার নামে ক্বসম করে তোমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসরা বাহিনীর (তাবূকের যুদ্ধের) জন্য বলেছিলেনঃ কে এটা পছন্দনীয় বা ক্ববূল হওয়ার যোগ্য (অধিক পরিমাণের) খরচ দিতে তৈরী আছে? সে সময় লোকেরা চরম আর্থিক সংকট ও কঠিন পরিস্থিতির মুকাবিলা করছিল। অতএব সেই বাহিনীর প্রয়োজনীয় ব্যয় আমিই বহন করেছি। লোকেরা বলল, হ্যাঁ। আবার তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা’আলার নামে প্রতিজ্ঞা করে তোমাদেরকে আমি আরও মনে করিয়ে দিতে চাই, তোমরা কি জ্ঞাত আছ যে, রূমা কূপের পানি কেউই ক্রয় করা ব্যতীত পান করতে পারত না? সেই কূপ আমি ক্রয় করে আমি ধনী, দরিদ্র ও মুসাফিরদের জন্য ওয়াক্ফ করে দিয়েছি। লোকেরা বলল, ইয়া আল্লাহ! হ্যাঁ (আমরা জানি)। তিনি তার আরো কিছু (জনহিতকর) সমাজকল্যাণমূলক কথা মনে করিয়ে দেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১০৯)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং উপর্যুক্ত সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا السَّكَنُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، وَيُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ، مَوْلًى لآلِ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ فَرْقَدٍ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَبَّابٍ، قَالَ شَهِدْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَحُثُّ عَلَى جَيْشِ الْعُسْرَةِ فَقَامَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَىَّ مِائَةُ بَعِيرٍ بِأَحْلاَسِهَا وَأَقْتَابِهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ . ثُمَّ حَضَّ عَلَى الْجَيْشِ فَقَامَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَىَّ مِائَتَا بَعِيرٍ بِأَحْلاَسِهَا وَأَقْتَابِهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ . ثُمَّ حَضَّ عَلَى الْجَيْشِ فَقَامَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِلَّهِ عَلَىَّ ثَلاَثُمِائَةِ بَعِيرٍ بِأَحْلاَسِهَا وَأَقْتَابِهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ . فَأَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْزِلُ عَنِ الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَقُولُ “ مَا عَلَى عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ هَذِهِ مَا عَلَى عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ هَذِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ السَّكَنِ بْنِ الْمُغِيرَةِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ .
আবদুর রহমান ইবনু খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনসাধারণকে জাইশুল উসরাত অর্থাৎ তাবুকের সামরিক অভিযানে আর্থিক সহায়তা দেবার জন্য উৎসাহিত করছিলেন, তখন আমি সেখানে হাযির ছিলাম। উসমান (রাঃ) দাড়িঁয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি সুসজ্জিত এক শত উট (গদি-পালানসহ) আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় দান করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার যুদ্ধের (আর্থিক খরচ বহনের উদ্দেশ্যে) লোকদেরকে উৎসাহিত করলেন। উসমান (রাঃ) দাড়িঁয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গদি-পালানসহ আমি দুই শত উট আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় দান করলাম। তিনি আবারও লোকদেরকে যুদ্ধের জন্য উৎসাহিত করেন। উসমান (রাঃ) দাড়িঁয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি গদি-পালানসহ তিন শত উট আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় দান করলাম। রাবী আবদুর রহমান (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিম্বারের উপর হতে এ কথা বলতে বলতে নামতে দেখছি- আজকের পর হতে উসমান যাই করুক তার জন্য তাকে কৈফিয়াত দিতে হবে না। আজকের পর হতে উসমান যাই করুক তার জন্য তাকে কৈফিয়ত দিতে হবে না।
যঈফ, মিশকাত (৬০৬৩)
আবু ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র আস-সাকান ইবনুল মুগীরাহর সূত্রেই হাদীসটি জানতে পেরেছি। এ অনুচ্ছেদে আবদুর রহমান ইবনু সামুরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭০১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ وَاقِعٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ كَثِيرٍ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِأَلْفِ دِينَارٍ – قَالَ الْحَسَنُ بْنُ وَاقِعٍ وَكَانَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ مِنْ كِتَابِي فِي كُمِّهِ حِينَ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَنَثَرَهَا فِي حِجْرِهِ . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُقَلِّبُهَا فِي حِجْرِهِ وَيَقُولُ “ مَا ضَرَّ عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ الْيَوْمِ ” . مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উসমান (রাঃ) এক হাজার দীনারসহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হলেন। বর্ননাকারী আল-হাসান ইবনু ওয়াক্বি’ (রহঃ) বলেন, আমার কিতাবের (পাণ্ডুলিপির) অন্য জায়গায় আছে, তিনি তার জামার হাতার মধ্যে করে সেগুলো নিয়ে আসেন যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবূকের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মুদ্রাগুলো তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোলে ঢেলে দেন। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি সেগুলো তাঁর কোলে ওলট-পালট করতে করতে বলতে শুনলামঃ আজকের পর হতে ‘উসমান যে কার্যকলাপই করুক তা তার কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। তিনি কথাটি দু’বার বললেন।
হাসানঃ মিশকাত (৬০৬৪)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭০২
حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا أُمِرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَيْعَةِ الرِّضْوَانِ كَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ قَالَ فَبَايَعَ النَّاسَ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ عُثْمَانَ فِي حَاجَةِ اللَّهِ وَحَاجَةِ رَسُولِهِ ” . فَضَرَبَ بِإِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الأُخْرَى فَكَانَتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِعُثْمَانَ خَيْرًا مِنْ أَيْدِيهِمْ لأَنْفُسِهِمْ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (লোকদেরকে) স্বতস্ফূর্তভাবে আনুগত্যের শপথ (বাইআতুর রিদওয়ান) করার হুকুম দেন তখন উসমান ইবনু আফ্ফান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মক্কার বাসিন্দাদের নিকট গিয়েছিলেন। আনাস (রাঃ) বলেনঃ লোকেরা আনুগত্যের শপথ করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ উসমান আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রয়োজনীয় কাজে গেছে। তারপর তিনি নিজের এক হাত অপর হাতের উপর রাখেন (উসমানের বাইআতস্বরূপ)। রাবী বলেনঃ উসমান (রাঃ)-এর জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতখানা লোকদের নিজেদের জন্য তাদের হাতের চাইতে বেশি ভাল ছিল।
যঈফ, মিশকাত (৬০৬৫)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ الْمِنْقَرِيِّ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ حَزْنٍ الْقُشَيْرِيِّ قَالَ شَهِدْتُ الدَّارَ حِينَ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانُ فَقَالَ ائْتُونِي بِصَاحِبَيْكُمُ اللَّذَيْنِ أَلَّبَاكُمْ عَلَىَّ . قَالَ فَجِيءَ بِهِمَا فَكَأَنَّهُمَا جَمَلاَنِ أَوْ كَأَنَّهُمَا حِمَارَانِ . قَالَ فَأَشْرَفَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانُ فَقَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلاَمِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَلَيْسَ بِهَا مَاءٌ يُسْتَعْذَبُ غَيْرَ بِئْرِ رُومَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ” مَنْ يَشْتَرِي بِئْرَ رُومَةَ فَيَجْعَلُ دَلْوَهُ مَعَ دِلاَءِ الْمُسْلِمِينَ بِخَيْرٍ لَهُ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ ” . فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ صُلْبِ مَالِي فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ تَمْنَعُونِي أَنْ أَشْرَبَ مِنْهَا حَتَّى أَشْرَبَ مِنْ مَاءِ الْبَحْرِ . قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ . قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلاَمِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ الْمَسْجِدَ ضَاقَ بِأَهْلِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ يَشْتَرِي بُقْعَةَ آلِ فُلاَنٍ فَيَزِيدُهَا فِي الْمَسْجِدِ بِخَيْرٍ لَهُ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ ” . فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ صُلْبِ مَالِي فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ تَمْنَعُونِي أَنْ أُصَلِّيَ فِيهَا رَكْعَتَيْنِ . قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ . قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلاَمِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنِّي جَهَّزْتُ جَيْشَ الْعُسْرَةِ مِنْ مَالِي قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ . ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلاَمِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَلَى ثَبِيرِ مَكَّةَ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَأَنَا فَتَحَرَّكَ الْجَبَلُ حَتَّى تَسَاقَطَتْ حِجَارَتُهُ بِالْحَضِيضِ قَالَ فَرَكَضَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ ” اسْكُنْ ثَبِيرُ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ ” . قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ . قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ شَهِدُوا لِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ أَنِّي شَهِيدٌ ثَلاَثًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُثْمَانَ .
সুমামাহ্ ইবনু হায্ন আল-কুশাইরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন ‘উসমান (রাঃ) (তার) ঘরের ছাদে উঠেন (বিদ্রোহীদের শান্ত করার জন্য) সে সময় আমি সেই গৃহে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের যে দুই সহকর্মী তোমাদেরকে আমার বিপক্ষে উপস্থিত করেছে আমার সম্মুখে তাদেরকে উপস্থিত কর। বর্ননাকারী বলেন, তাদেরকে আনা হল, যেন দু’টি উট অথবা দু’টি গাধা (অর্থাৎ মোটাতাজা)। বর্ননাকারী বলেন, উপর হতে ‘উসমান (রাঃ) তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ ও দ্বীন ইসলামের ক্বসম দিয়ে প্রশ্ন করছি, তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হিজরাত করে) মাদীনায় এলেন এবং রূমার কূপ ছাড়া এখানে অন্য কোথায়ও মিষ্টি পানির বন্দোবস্ত ছিল না? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে লোক রূমার কূপটি ক্রয় করে মুসলিম সর্বস্তরের জন্য ওয়াক্ফ করে দিবে সে জান্নাতে তার তুলনায় বেশি উত্তম প্রতিদান পাবে। তারপর আমি আমার মূল সম্পত্তি দিয়ে তা ক্রয় করি (এবং উৎসর্গ করে দেই)। অথচ আজ আমাকে সেই কূপের পানি পান করতে তোমরা বাধা দিচ্ছ, এমনকি আজ আমি সাগরের (লোনা) পানি পান করছি। লোকেরা বলল, হে আল্লাহ! হ্যাঁ, সত্য। তিনি পুনরায় বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ তা’আলা এবং দ্বীন ইসলামের ক্বসম দিয়ে প্রশ্ন করছি, তোমরা কি জান যে, মাসজিদে নাববী মুসল্লীদের জন্য একেবারে ক্ষুদ্র ছিল? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে লোক অমুক গোত্রের জমিখণ্ড ক্রয় করে মাসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত করবে, তার প্রতিদানে সে জান্নাতের মাঝে এর তুলনায় উত্তম প্রতিদান পাবে। আমি আমার মূল সম্পত্তি দিয়ে তা ক্রয় করে মাসজিদের সাথে সংযুক্ত করেছি আর আজকে তোমরা আমাকে সেখানে দুই রাক’আত নামায আদায় করতে বাধা দিচ্ছ। তারা বলল, হে আল্লাহ! হ্যাঁ (তা সত্য)। তিনি বললেন, তোমরা কি জান যে, আমি আমার মূল সম্পত্তি দিয়ে জাইশে উসরাত (তাবুকের যুদ্ধের সৈন্যদের) যুদ্ধ সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করেছি? লোকেরা বলল, হে আল্লাহ সাক্ষী, হ্যাঁ, সত্য। তারপর তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ ও দ্বীন ইসলামের শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কার সাবীর পর্বতের উপর ছিলেন এবং তাঁর সাথে ছিলেন আবূ বাক্র, ‘উমার ও আমি? পর্বত (আনন্দে) কম্পিত হয়, ফলে তা হতে পাথরও খসে নীচে পড়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাহাড়কে পদাঘাত করে বললেনঃ হে সাবীর! শান্ত ও স্থির হয়ে যাও। কেননা তোমার উপর একজন নাবী, একজন সিদ্দীক্ব (পরম সত্যবাদী) ও দু’জন শহীদ অবস্থানরত রয়েছেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহ! হ্যাঁ, সত্য। বর্ণনাকারী বলেন, ‘উসমান (রাঃ) তাকবীর ধ্বনি দিয়ে বললেন, কা’বার প্রভুর ক্বসম! তোমরা আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছ। আমি নিশ্চিত শহীদ। তিনি এ কথাটি তিনবার বলেন।
হাসানঃ ইরওয়াহ্ (১৫৯৪)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। ‘উসমান (রাঃ) হতে এ হাদীস অন্যসূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، أَنَّ خُطَبَاءَ، قَامَتْ بِالشَّامِ وَفِيهِمْ رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ آخِرُهُمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ مُرَّةُ بْنُ كَعْبٍ فَقَالَ لَوْلاَ حَدِيثٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا قُمْتُ . وَذَكَرَ الْفِتَنَ فَقَرَّبَهَا فَمَرَّ رَجُلٌ مُقَنَّعٌ فِي ثَوْبٍ فَقَالَ هَذَا يَوْمَئِذٍ عَلَى الْهُدَى فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ . قَالَ فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهِ بِوَجْهِهِ فَقُلْتُ هَذَا قَالَ نَعَمْ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ وَكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ .
আবুল আশ’আস আস্-সান’আনী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, [উসমান (রাঃ) শহীদ হলে] সিরিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বক্তা (ঐ বিষয়ে) বক্তব্য রাখেন। তাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কিছু সাহাবীও ছিলেন। তাদের মাঝে হতে সর্বশেষে মুর্রাহ্ ইবনু কা’ব (রাঃ) বক্তৃতা দিতে দাঁড়ান। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক একটি হাদীস না শুনে থাকলে আমি বক্তৃতা দিতে দাঁড়াতাম না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঝগড়া-বিবাদের কথা উল্লেখ করেন এবং শীঘ্রই তা সংঘটিত হবে বলে ইংগিত করেন। বর্ণনাকারী বলেন, সে সময়ে এক ব্যক্তি কাপড় দিয়ে মূখমণ্ডল আবৃত করে সেখান দিয়ে অতিক্রম করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাকে ইঙ্গিত করে) বললেনঃ এ লোকটি ঐ সময় সৎপথে দণ্ডায়মান থাকবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি উঠে তার নিকটে গিয়ে দেখি, তিনি ‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)। তারপর আমি তাকে সহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে প্রশ্ন করলাম, ইনিই কি সেই (সৎপথপ্রাপ্ত) লোক? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১১)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার, ‘আবদুল্লাহ ইবনু হাওয়ালাহ্ ও কা’ব ইবনু উজরাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীসটি বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ يَا عُثْمَانُ إِنَّهُ لَعَلَّ اللَّهَ يُقَمِّصُكَ قَمِيصًا فَإِنْ أَرَادُوكَ عَلَى خَلْعِهِ فَلاَ تَخْلَعْهُ لَهُمْ ” . قَالَ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘উসমান! আল্লাহ তা’আলা হয়ত তোমাকে একটি জামা পরিধান করাবেন (খিলাফত দান করবেন)। তোমার হতে লোকেরা তা খুলে নিতে চাইলে তুমি তাদের দাবিতে তা ত্যাগ করবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১২)। এ হাদীসে দীর্ঘ ঘটনা আছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৬
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ الْبَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا فَقَالَ مَنْ هَؤُلاَءِ قَالُوا قُرَيْشٌ . قَالَ فَمَنْ هَذَا الشَّيْخُ قَالُوا ابْنُ عُمَرَ . فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ فَحَدِّثْنِي أَنْشُدُكَ اللَّهَ بِحُرْمَةِ هَذَا الْبَيْتِ أَتَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ نَعَمْ . قَالَ أَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ . قَالَ أَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ يَوْمَ بَدْرٍ فَلَمْ يَشْهَدْ قَالَ نَعَمْ . قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ . فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ مَا سَأَلْتَ عَنْهُ أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ يَوْمَ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَهُ – أَوْ تَحْتَهُ – ابْنَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَكَ أَجْرُ رَجُلٍ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمُهُ ” . وَأَمَرَهُ أَنْ يَخْلُفَ عَلَيْهَا وَكَانَتْ عَلِيلَةً وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَانَ عُثْمَانَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ إِلَى مَكَّةَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُمْنَى ” هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ ” . وَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ فَقَالَ ” هَذِهِ لِعُثْمَانَ ” . قَالَ لَهُ اذْهَبْ بِهَذَا الآنَ مَعَكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উসমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাওহিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মিসরবাসী বাইতুল্লাহ্র হাজ্জ আদায় করে। সে একদল লোককে বসা দেখে বলে, এরা কারা? লোকেরা বলল, এরা কুরাইশ বংশীয়। সে পুনরায় বলে, এই বয়স্ক (শায়খ) লোকটি কে? লোকেরা বলল, ইবনু ‘উমার (রাঃ)। সে সময় সে তার নিকটে এসে বলল, আপনাকে আমি কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন করব। অতএব আপনি আমাকে (তা) বলুন। আমি এ বাইতুল্লাহ্র মর্যাদার শপথ দিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করছি, আপনি কি অবহিত আছেন যে, ‘উসমান (রাঃ) উহূদ যুদ্ধের দিন (যুদ্ধক্ষেত্র হতে) পলায়ন করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে আবার বলল, আপনি কি জানেন, তিনি (হুদাইবিয়ায় অনুষ্ঠিত) বাই’আতুর রিযওয়ানে অনুপস্থিত ছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে পুনরায়ও বলল, আপনি কি অবহিত আছেন যে, তিনি বদ্রের যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন এবং তাতে উপস্থিত হননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে বলল, আল্লাহু আকবার। তারপর ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাকে বললেন, এবার এসো! যেসব বিষয়ে তুমি প্রশ্ন করেছ তা তোমাকে আমি সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেই। উহূদের দিন তার পলায়নের ঘটনা প্রসঙ্গে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তার ঐ ব্যাপারটি ইতোমধ্যেই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে মাফ করেছেন। তারপর বাদ্রের যুদ্ধে তার অনুপস্থিতির কারণ এই যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মেয়ে (রুকাইয়াহ্) তার সহধর্মিণী ছিলেন (এবং সে সময় তিনি মারাত্নক অসুস্থ ছিলেন)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ যে লোক বদ্রের যুদ্ধে যোগদান করেছে তার সমপরিমাণ সাওয়াব ও গানীমাত তুমি পাবে। আর তিনি রুকাইয়ার দেখাশুনা করার জন্য তাকে মাদীনাতে থাকারই নির্দেশ দিলেন। আর বাই’আতে রিদওয়ানে তার অনুপস্থিতির কারণ এই যে, মাক্কাবাসীদের কাছে ‘উসমান (রাঃ)-এর চাইতে বেশি মর্যাদাবান কোন মুসলিম লোক (হুদাইবিয়ায়) উপস্থিত থাকলে রাসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তার পরিবর্তে) তাকেই প্রেরণ করতেন। তা না থাকাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উসমান (রাঃ)-কেই (মাক্কায়) প্রেরণ করলেন। আর ‘উসমান (রাঃ)-এর মক্কার অভিমূখে রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর বাই’আতুর রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণনাকারী বলেন, (বাই’আত অনুষ্ঠানকালে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতের দিকে ইশারা করে বললেনঃ এটা ‘উসমানের হাত। তারপর তিনি ঐ হাতটি তাঁর অন্য হাতের উপর স্থাপন করে বললেনঃ এটি ‘উসমানের (বাই’আত)। তারপর ইবনু ‘উমার (রাঃ) লোকটিকে বললেন, এবার তুমি এ ব্যাখ্যা সঙ্গে নিয়ে যাও।
সহীহঃ বুখারী (৯৬৯৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا نَقُولُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَىٌّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ يُسْتَغْرَبُ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশাতেই আমরা আবু বাক্র, ‘উমার ও ‘উসমান (রাঃ)-কে গণ্যমান্য লোক বলতাম।
সহীহঃ মিশকাত (৬০৭৬), বুখারী (৩৬৯৭) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব। এ হাদীস ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘উমারের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গরীব গণ্য হয়েছে। উক্ত হাদীস ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে অন্যসূত্রেও বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৮
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا شَاذَانُ الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ سِنَانِ بْنِ هَارُونَ الْبُرْجُمِيِّ، عَنْ كُلَيْبِ بْنِ وَائِلٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِتْنَةً فَقَالَ “ يُقْتَلُ فِيهَا هَذَا مَظْلُومًا ” . لِعُثْمَانَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি ঝগড়ার কথা উল্লেখ করে বলেনঃ সে অর্থাৎ ‘উসমান ইবনু ‘আফ্ফান সেই ঝগড়ায় অন্যায়ভাবে নিহত হবে।
আবু ‘ঈসা বলেন, উক্ত সনদসূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭০৯
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْبَغْدَادِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ زُفَرَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِجَنَازَةِ رَجُلٍ يُصَلِّي عَلَيْهِ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا رَأَيْنَاكَ تَرَكْتَ الصَّلاَةَ عَلَى أَحَدٍ قَبْلَ هَذَا قَالَ “ إِنَّهُ كَانَ يَبْغَضُ عُثْمَانَ فَأَبْغَضَهُ اللَّهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ صَاحِبُ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ جِدًّا وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ صَاحِبُ أَبِي هُرَيْرَةَ هُوَ بَصْرِيٌّ ثِقَةٌ وَيُكْنَى أَبَا الْحَارِثِ وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ الأَلْهَانِيُّ صَاحِبُ أَبِي أُمَامَةَ ثِقَةٌ يُكْنَى أَبَا سُفْيَانَ شَامِيٌّ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ এক লোকের মরদেহ তার জানাযার নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকটে আনা হয়। কিন্তু তিনি তার জানাযার নামায আদায় করলেন না। তাঁকে বলা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা এই লোকের পূর্বে আপনাকে আর কারো জানাযা আদায় করা হতে বিরত থাকতে দেখিনি। তিনি বললেনঃ এ লোকটি উসমানের প্রতি হিংসা পোষণ করত, তাই আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি নারাজ হয়েছেন।
মাওযূ, যঈফা (১৯৬৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। এই মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ হলেন মায়মূন ইবনু মিহরানের শিষ্য এবং তিনি হাদীস শাস্ত্রে অত্যাধিক দুর্বল। আর মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ, যিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর শিষ্য, বসরার অধিবাসী, নির্ভরযোগ্য রাবী এবং তার উপনাম আবুল হারিস। আর মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ আল-আলহানী হলেন আবূ উমামা (রাঃ)-এর শিষ্য, তিনিও নির্ভরযোগ্য রাবী। তিনি সিরিয়ার বাসিন্দা এবং তার আরেক নাম আবূ সুফিয়ান।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৩৭১০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ انْطَلَقْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ حَائِطًا لِلأَنْصَارِ فَقَضَى حَاجَتَهُ فَقَالَ لِي ” يَا أَبَا مُوسَى أَمْلِكْ عَلَىَّ الْبَابَ فَلاَ يَدْخُلَنَّ عَلَىَّ أَحَدٌ إِلاَّ بِإِذْنٍ ” . فَجَاءَ رَجُلٌ يَضْرِبُ الْبَابَ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَسْتَأْذِنُ . قَالَ ” ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ” . فَدَخَلَ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ وَجَاءَ رَجُلٌ آخَرُ فَضَرَبَ الْبَابَ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا فَقَالَ عُمَرُ . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا عُمَرُ يَسْتَأْذِنُ . قَالَ ” افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ” . فَفَتَحْتُ الْبَابَ وَدَخَلَ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ فَجَاءَ رَجُلٌ آخَرُ فَضَرَبَ الْبَابَ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ عُثْمَانُ . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا عُثْمَانُ يَسْتَأْذِنُ . قَالَ ” افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ .
আবু মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। তিনি এক আনসারীর বাগিচায় ঢুকে তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সাড়েন, তারপর আমাকে বললেনঃ হে আবু মূসা! দরজায় যাও, যাতে বিনা অনুমতিতে কেউ আমার নিকট প্রবেশ করতে না পারে। এক লোক এসে দরজায় আঘাত করলে আমি বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি আবু বাক্র। সে সময় আমি গিয়ে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এই যে আবু বাক্র অনুমতিপ্রার্থী। তিনি বললেনঃ তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুখবর দাও। অতএব তিনি প্রবেশ করলেন এবং আমি তাকে জান্নাতের সুখবর জানালাম। তারপর এক লোক এসে দরজায় আঘাত করলে আমি বললাম, আপনি কে? তিনি বলেন, ‘উমার। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এই যে ‘উমার আপনার অনুমতি চায়। তিনি বললেনঃ তাকে দরজা খুলে দাও এবং তাকেও জান্নাতের সুসংবাদ দাও। অতএব আমি দরজা খুলে দিলে তিনি প্রবেশ করেন এবং তাকেও আমি জান্নাতের সুসংবাদ দিলাম। তারপর আরেক লোক এসে দরজায় আঘাত করলে আমি বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, ‘উসমান। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এই যে ‘উসমান অনুমতিপ্রার্থী। তিনি বললেনঃ তাকে দরজা খুলে দাও এবং তার উপর কঠিন বিপদ আসবে এ কথা বলে তাকেও জান্নাতের সুসংবাদ জানাও।
সহীহঃ সহীহ আদাবুল মুফরাদ, বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস আবু ‘উসমান আন-নাহ্দী হতে একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে জাবির ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭১১
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَهْلَةَ، قَالَ قَالَ لِي عُثْمَانُ يَوْمَ الدَّارِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ عَهِدَ إِلَىَّ عَهْدًا فَأَنَا صَابِرٌ عَلَيْهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ .
আবু সাহ্লাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উসমান (রাঃ) নিজগৃহে অবরুদ্ধ থাকাকালে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে একটি ওয়া’দা (উপদেশ) দিয়েছেন। সুতরাং আমি তাতে ধৈর্য ধারণ করব।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১৩)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র ইসমাঈল ইবনু আবু খালিদের সনদে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০. অনুচ্ছেদঃ
‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা।
৩৭১২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَمَضَى فِي السَّرِيَّةِ فَأَصَابَ جَارِيَةً فَأَنْكَرُوا عَلَيْهِ وَتَعَاقَدَ أَرْبَعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِذَا لَقِينَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرْنَاهُ بِمَا صَنَعَ عَلِيٌّ وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ إِذَا رَجَعُوا مِنَ السَّفَرِ بَدَءُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ ثُمَّ انْصَرَفُوا إِلَى رِحَالِهِمْ فَلَمَّا قَدِمَتِ السَّرِيَّةُ سَلَّمُوا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ أَحَدُ الأَرْبَعَةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَمْ تَرَ إِلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ صَنَعَ كَذَا وَكَذَا . فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَامَ الثَّانِي فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ الثَّالِثُ فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ قَامَ الرَّابِعُ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالُوا فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْغَضَبُ يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ فَقَالَ “ مَا تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ مَا تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ مَا تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ إِنَّ عَلِيًّا مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ وَهُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدِي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ .
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সামরিক বাহিনী পাঠানোর সময় ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ)-কে তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করেন। তিনি সেনাদলের একটি খণ্ডাংশের (সারিয়্যা) পরিদর্শনে যান এবং এক যুদ্ধবন্দিনীর সঙ্গে মিলিত হন। কিন্তু তার সাথীরা তার এ কাজ পছন্দ করলেন না। অতএব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চারজন সাহাবী শপথ করে বললেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেখা পাব, তাঁকে তখন ‘আলীর কার্যকলাপ প্রসঙ্গে জানাব। মুসলিমদের নিয়ম ছিল যে, তারা কোন সফর বা অভিযান শেষে ফিরে এসে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে সালাম করতেন, তারপর নিজ নিজ গৃহে ফিরে যেতেন। সুতরাং উক্ত সেনাদল ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সালাম জানায় এবং চার সাহাবীর একজন দাঁড়িয়ে বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! লক্ষ্য করুন, ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব এই এই করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি দাঁড়িয়ে পূর্বোক্ত ব্যক্তির মতো বক্তব্য পেশ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হতেও মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এবার তৃতীয়জন দাঁড়িয়ে পূর্বোক্তজনের একই রকম বক্তব্য পেশ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হতেও মুখ ফিরিয়ে নেন। অবশেষে চতুৰ্থজন দাঁড়িয়ে পূর্বোক্তদের একই রকম বক্তব্য পেশ করেন। এবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার চেহারায় অসন্তুষ্টির ভাব নিয়ে তাদের দিকে মনোনিবেশ করে বললেনঃ ‘আলী প্রসঙ্গে তোমরা কি বলতে চাও? তোমরা ‘আলী প্রসঙ্গে কি বলতে চাও? ‘আলী প্রসঙ্গে কি বলতে চাও? (বংশ, বৈবাহিক সম্পর্ক, অগ্রগণ্যতা, ভালবাসা ইত্যাদি প্রসঙ্গে) ‘আলী আমার হতে এবং আমি ‘আলী (রাঃ) হতে। আমার পরে সে-ই হবে সমস্ত মু’মিনের সঙ্গী ও পৃষ্ঠপোষক।
আবু ‘ঈসা বলেন এহাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র জা’ফার ইবনু সুলাইমানের সনদে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَرِيْحَةَ، أَوْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ شَكَّ شُعْبَةُ – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِيٌّ مَوْلاَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَأَبُو سَرِيحَةَ هُوَ حُذَيْفَةُ بْنُ أَسِيدٍ الْغِفَارِيُّ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবু সারীহাহ্ অথবা যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যার সাখী বা পৃষ্ঠপোষক, ‘আলীও তার সাখী বা পৃষ্ঠপোষক।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৭৫০), রাওযুন্ নায়ীর (১৭১), মিশকাত (৬০৮২)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস শু’বাহ্ আবু ‘আবদুল্লাহ মাইমূন হতে, তিনি যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। আবু সারীহাহ্ হলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী হুযাইফাহ্ ইবনু আসীদ আল-গিফারী (রাঃ)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭১৪
حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَتَّابٍ، سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا الْمُخْتَارُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ رَحِمَ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ زَوَّجَنِي ابْنَتَهُ وَحَمَلَنِي إِلَى دَارِ الْهِجْرَةِ وَأَعْتَقَ بِلاَلاً مِنْ مَالِهِ رَحِمَ اللَّهُ عُمَرَ يَقُولُ الْحَقَّ وَإِنْ كَانَ مُرًّا تَرَكَهُ الْحَقُّ وَمَالَهُ صَدِيقٌ رَحِمَ اللَّهُ عُثْمَانَ تَسْتَحْيِيهِ الْمَلاَئِكَةُ رَحِمَ اللَّهُ عَلِيًّا اللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالْمُخْتَارُ بْنُ نَافِعٍ شَيْخٌ بَصْرِيٌّ كَثِيرُ الْغَرَائِبِ وَأَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدِ بْنِ حَيَّانَ التَّيْمِيُّ كُوفِيٌّ وَهُوَ ثِقَةٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আবূ বাকরের মঙ্গল করুন। তিনি তার মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দিয়েছেন, আমাকে দারুল হিজরাতে (মাদীনাতে) নিয়ে এসেছেন এবং নিজের মাল দিয়ে বিলালকে গোলাম হতে আযাদ করেছেন। আল্লাহ তা’আলা উমারকে দয়া করুন। অপ্রিয় হলেও তিনি হাক (সত্য) কথা বলেন। তার সত্য ভাষণই তাকে সঙ্গহীন করেছেন। আল্লাহ তা’আলা উসমানের প্রতি দয়া করুন। সে এত অধিক লাজুক যে, ফেরেশতারা পর্যন্ত তাকে দেখে লজ্জাবোধ (সম্মান) করেন। আল্লাহ তা’আলা আলীকে দয়া করুন। হে আল্লাহ! সে যেখানেই থাকুক, সত্যকে তার চিরসাথী করুন।
অত্যন্ত দুর্বল, যঈফা (২০৯৪), মিশকাত (৬১২৫)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। মুখতার ইবনু নাফি’ বাসরার শাইখ, অনেক অপরিচিত বিষয় তিনি বর্ণনা করেন, আবূ হাইয়্যান আত্-তাইমীর নাম ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ কূফার অধিবাসী নির্ভরযোগ্য রাবী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭১৫
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، بِالرَّحَبَةِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْحُدَيْبِيَةِ خَرَجَ إِلَيْنَا نَاسٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فِيهِمْ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَأُنَاسٌ مِنْ رُؤَسَاءِ الْمُشْرِكِينَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجَ إِلَيْكَ نَاسٌ مِنْ أَبْنَائِنَا وَإِخْوَانِنَا وَأَرِقَّائِنَا وَلَيْسَ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ وَإِنَّمَا خَرَجُوا فِرَارًا مِنْ أَمْوَالِنَا وَضِيَاعِنَا فَارْدُدْهُمْ إِلَيْنَا . ” فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ سَنُفَقِّهُهُمْ ” . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ لَتَنْتَهُنَّ أَوْ لَيَبْعَثَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ مَنْ يَضْرِبُ رِقَابَكُمْ بِالسَّيْفِ عَلَى الدِّينِ قَدِ امْتَحَنَ اللَّهُ قَلْبَهُ عَلَى الإِيمَانِ ” . قَالُوا مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَالَ عُمَرُ مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” هُوَ خَاصِفُ النَّعْلِ ” . وَكَانَ أَعْطَى عَلِيًّا نَعْلَهُ يَخْصِفُهَا ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا عَلِيٌّ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِبْعِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لَمْ يَكْذِبْ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً . وَأَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ أَثْبَتُ أَهْلِ الْكُوفَةِ .
রিবঈ ইবনু হিরাশ (রাহ:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আলী (রাঃ) কূফার মুক্তাঙ্গনে (আর-রাহবায়) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ হুদাইবিয়ার দিন মুশরিকদের ক’জন লোক আমাদের নিকটে আসে। তাদের মধ্যে সুহাইল ইবনু আমরসহ আরো ক’জন গণ্যমান্য মুশরিক ছিল। তারা বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদের সন্তান-সন্তুতি, ভাই ও ক্রীতদাসসহ কিছু সংখ্যক লোক আপনার নিকট এসে পরেছে। ধর্ম সম্পর্কে তারা মূর্খ এবং তারা আমাদের ভূসম্পত্তি ও ক্ষেত- খামার হতে পালিয়ে এসেছে। অতএব আপনি তাদেরকে আমাদের নিকট ফিরিয়ে দিন। যদিও তাদের ধর্মের বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই, তাই আমরা তাদেরকে বুঝাব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেলেনঃ হে কুরাইশের লোকেরা! তোমরা এরকম কর্মকাণ্ড হতে বিরত হও। অন্যথায় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের বিরদ্ধে এমন লোকদের পাঠাবেন, যারা তোমাদের ঘাড়ে দ্বীনের তরবারি দিয়ে আঘাত করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদের অন্তরগুলোকে ঈমানের ব্যপারে পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তখন মুসলমানরা প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহ্র রাসূ্ল! কে সেই ব্যক্তি? আবূ বাকর (রাঃ)-ও বলেন, ইয়া রাসূ্লুল্লাহ! কে সেই ব্যক্তি? উমার (রাঃ)- ও বলেন,হে আল্লাহ্র রাসূ্ল! কে সেই লোক? তিনি বললেনঃ সে একজন জুতা সেলাইকারী! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে তাঁর জুতাটা সেলাই করতে দিয়েছিলেন। রাবী বলেনঃ আলী (রাঃ) আমাদের দিকে তাকালেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় আমার প্রতি মিথ্যারোপ করল, সে যেন জাহান্নামে তার থাকার জায়গা নির্ধারণ করল।
তবে হাদীসের শেষাংশ সহীহ মুতাওয়াতির, দেখুন হাদীস নং (২৬৪৫) আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব। আমরা শুধু আলী (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। তিরমিযী জারুদ হতে ওয়াকীর সূত্রে বলেনঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ ইসলামের মধ্যে কোন মিথ্যা কথা বলেননি। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আবদুল্লাহ ইবনু আবীল আসওয়াদ হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ মানসূর ইবনুল মু’তামির কূফাবাসীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিশ্বস্ত রাবী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২১. অনুচ্ছেদঃ
মুনাফিক্বরা ‘আলী (রাঃ)-এর প্রতি বিদ্বেষী
৩৭১৬
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ إِسْرَائِيلَ، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ “ أَنْتَ مِنِّي وَأَنَا مِنْكَ ” . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি আমা হতে, আর আমিও তোমা হতে। অর্থাৎ আমরা পরস্পরে অভিন্ন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৩/১৭৮), সহীহ আল-জামি’ (১৪৮৫)। এ হাদীসে একটি ঘটনা আছে।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭১৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ إِنَّا كُنَّا لَنَعْرِفُ الْمُنَافِقِينَ نَحْنُ مَعْشَرَ الأَنْصَارِ بِبُغْضِهِمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هَارُونَ . وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي أَبِي هَارُونَ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আনসার সম্প্রদায় মুনাফিকদের নিশ্চয়ই চিনি। তারা আলী (রাঃ)-এর প্রতি হিংসা পোষণকারী।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র আবূ হারুনের সূত্রেই হাদীসটি জানতে পেরেছি। শুবা (রাহঃ) আবূ হারূন আল-আবদীর সমালোচনা করেছেন। এ হাদীস আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে এ সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে।
আল মুসাবির আল-হিমইয়ারী তার মা এর নিকট থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ আমি উম্মু সালামাহ-এর নিকট গিয়ে তাঁকে বলতে শুনলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ একমাত্র মুনাফিকরাই আলী (রাঃ)- কে ভালবাসে না। আর মু’মিনগণ তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না।
যঈফ,মিশকাত (৬০৯১), এ অনুচ্ছেদে আলী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি এই সূত্রে হাসান গারীব। আবদুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান হতে সুফিয়ান সাওরী হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৩৭১৮
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ ابْنُ بِنْتِ السُّدِّيِّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي بِحُبِّ أَرْبَعَةٍ وَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ يُحِبُّهُمْ ” . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَمِّهِمْ لَنَا . قَالَ ” عَلِيٌّ مِنْهُمْ يَقُولُ ذَلِكَ ثَلاَثًا وَأَبُو ذَرٍّ وَالْمِقْدَادُ وَسَلْمَانُ أَمَرَنِي بِحُبِّهِمْ وَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ يُحِبُّهُمْ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদা (রাহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চার ব্যক্তিকে ভালোবাসাতে আল্লাহ তা’আলা আমাকে হুকুম করেছেন এবং তিনি আমাকে এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনিও তাদের ভালোবাসেন। বলা হল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে তাদের নামগুলো বলুন। তিনি বললেনঃ আলীও তাদের একজন। এ কথা তিনি তিনবার বললেন। (অবশিষ্ট তিনজন হলেন) আবূ যার, মিকদাদ ও সালমান (রাঃ)। তাদেরকে ভালোবাসাতে তিনি আমাকে আদেশ করেছেন এবং তিনি আমাকে এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনিও তাদেরকে ভালোবাসেন।
যঈফ, ইবনু মাজাহ(১৪৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু শারীকের রিওয়ায়াত হিসেবেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭১৯
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْ عَلِيٍّ وَلاَ يُؤَدِّي عَنِّي إِلاَّ أَنَا أَوْ عَلِيٌّ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
হুবশী ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ‘আলী আমার হতে এবং আমি ‘আলী হতে। আমার কোন কাজ থাকলে আমি নিজেই সম্পন্ন করি অথবা আমার পক্ষ হতে তা ‘আলীই সম্পন্ন করে।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ্ (১১৯)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭২০
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحِ بْنِ حَىٍّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ آخَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَصْحَابِهِ فَجَاءَ عَلِيٌّ تَدْمَعُ عَيْنَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ آخَيْتَ بَيْنَ أَصْحَابِكَ وَلَمْ تُؤَاخِ بَيْنِي وَبَيْنَ أَحَدٍ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أَوْفَى .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের মধ্যে ভায়ের সম্পর্ক সৃষ্টি করলেন। তারপর আলী (রাঃ) কান্না ভেজা চোখে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আপনার সাহাবীদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন, অথচ আমাকে কারো সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেননি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ দুনিয়া ও পরকালে তুমি আমারই ভাই।
যঈফ, মিশকাত(৬০৮৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ অনুচ্ছেদে যাইদ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২১
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِيسَى بْنِ عُمَرَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَيْرٌ فَقَالَ “ اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي هَذَا الطَّيْرَ ” . فَجَاءَ عَلِيٌّ فَأَكَلَ مَعَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ السُّدِّيِّ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ . وَعِيسَى بْنُ عُمَرَ هُوَ كُوفِيٌّ وَالسُّدِّيُّ اسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَقَدْ أَدْرَكَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَرَأَى الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ وَثَّقَهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَزَائِدَةُ وَوَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট পাখির ভুনা গোশত হাযির ছিল। তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! তোমার সৃষ্টির মধ্যে তোমার নিকট সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে আমার সাথে এই পাখির গোশত খাওয়ার জন্য হাযির করে দাও। ইত্যবসরে আলী (রাঃ) এসে হাযির হন এবং তাঁর সাথে খাবার খান।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৫)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে আস-সুদ্দীর রিওয়ায়াত হতে এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীস অন্যভাবেও আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। আস-সুদ্দীর নাম ইসমাঈল ইবনু আবদুর রহমান। তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর দেখা পেয়েছেন এবং হুসাইন ইবনু আলী (রাঃ)-কে দেখেছেন। শুবা, সুফিয়ান সাওরী, যাইদাহ্ ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ আলকাত্তান প্রমুখ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২২
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ أَسْلَمَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا عَوْفٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ هِنْدٍ الْجَمَلِيِّ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ كُنْتُ إِذَا سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِي وَإِذَا سَكَتُّ ابْتَدَأَنِي . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু হিন্দ আল-জামালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেনঃ আমি যখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কিছু চেয়েছি তখনই তিনি আমাকে দিয়েছেন এবং যখন নিশ্চুপ থেকেছি তখনও আমাকেই প্রথম দিয়েছেন।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৬)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং আলোচ্য সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৩
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الرُّومِيِّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ وَعَلِيٌّ بَابُهَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مُنْكَرٌ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ شَرِيكٍ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ الصُّنَابِحِيِّ وَلاَ نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ وَاحِدٍ مِنَ الثِّقَاتِ عَنْ شَرِيكٍ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি (জ্ঞানের ভান্ডার) পাঠশালা এবং আলী তার দরজা।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব মুনকার। কিছু রাবী এ হাদীস শারীক হতে বর্ণনা করেছেন এবং তারা এর সনদে ‘আস-সুনবিহী হতে’ উল্লেখ করেননি। অনন্তর আমরা উক্ত হাদীস শারীক হতে কোন নির্ভরযোগ্য রারীর সূত্রে জানতে পারিনি। এ অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَمَّرَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَعْدًا فَقَالَ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَسُبَّ أَبَا تُرَابٍ قَالَ أَمَّا مَا ذَكَرْتُ ثَلاَثًا قَالَهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَنْ أَسُبَّهُ لأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِعَلِيٍّ وَخَلَفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ تُخَلِّفُنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نُبُوَّةَ بَعْدِي ” . وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ خَيْبَرَ ” لأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلاً يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ” . قَالَ فَتَطَاوَلْنَا لَهَا فَقَالَ ” ادْعُ لِي عَلِيًّا ” . فَأَتَاهُ وَبِهِ رَمَدٌ فَبَصَقَ فِي عَيْنِهِ فَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَيْهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ . وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( قلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ ) الآيَةَ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ ” اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلِي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আমির ইবনু সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ্ ইবনু আবী সুফ্ইয়ান (রাঃ) সা’দ (রাঃ)-কে আমীর নিযুক্ত করে বললেন, আবু তুরাবকে গালি দিতে তোমায় বাধা দিল কিসে? সা’দ (রাঃ) বললেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তিনটি কথা মনে রাখব, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সে সময় পর্যন্ত আমি তাকে গালমন্দ করব না। ঐগুলোর একটি কথাও আমার নিকটে লাল রংয়ের উট লাভের তুলনায় বেশি প্রিয়। (এক) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি ‘আলী (রাঃ)-এর লক্ষ্যে একটি কথা বলতে শুনেছি, যে সময় তিনি তাকে মাদীনায় তাঁর জায়গায় নিয়োগ করে কোন এক যুদ্ধাভিযানে যান। সে সময় ‘আলী (রাঃ) তাকে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি আমাকে শিশু ও নারীদের সঙ্গে কি রেখে যাচ্ছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হে ‘আলী! তুমি কি এতে খুশি নও যে, তোমার মর্যাদা আমার নিকট মূসা (‘আঃ)-এর নিকট হারূন (‘আঃ)-এর মতই? কিন্তু (পার্থক্য এই যে,) আমার পরবর্তীতে কোন নবী নেই। (দুই) আমি খাইবারের (যুদ্ধাভিযানের) দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ এমন এক লোকের হাতে আমি (যুদ্ধের) পতাকা অর্পণ করব যে আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলও তাকে মুহাব্বাত করেন। বর্ণনাকারী বলেন, প্রত্যেকে তা লাভের আশায় অপেক্ষা করতে থাকলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা ‘আলীকে আমার নিকটে ডেকে আন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাঁর কাছে এসে হাযির হন, তখন তার চোখ উঠেছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দুই চোখে স্বীয় মুখ নিঃসৃত লালা লাগিয়ে দেন এবং তার হাতে পতাকা অর্পণ করেন। আল্লাহ তা’আলা তাকে বিজয়ী করলেন। (তিন) এ আয়াত যখন অবতীর্ণ হল (অনুবাদ): আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রদেরকে ও তোমাদের পুত্রদেরকে, আমাদের নারীদেরকে ও তোমাদের নারীদেরকে…..”— (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৬১)। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলী, ফাতিমাহ্, হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে ডাকেন (এবং তাদেরকে নিয়ে খোলা ময়দানে গিয়ে) বললেনঃ হে আল্লাহ! এরা সকলে আমার পরিবার-পরিজন।
সহীহঃ মুসলিম (হাঃ ৭/১২০)।
আবু ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَحْوَصُ بْنُ جَوَّابٍ أَبُو الْجَوَّابِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَيْشَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَى أَحَدِهِمَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَعَلَى الآخَرِ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَقَالَ ” إِذَا كَانَ الْقِتَالُ فَعَلِيٌّ ” . قَالَ فَافْتَتَحَ عَلِيٌّ حِصْنًا فَأَخَذَ مِنْهُ جَارِيَةً فَكَتَبَ مَعِي خَالِدٌ كِتَابًا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَشِي بِهِ . قَالَ فَقَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَ الْكِتَابَ فَتَغَيَّرَ لَوْنُهُ ثُمَّ قَالَ ” مَا تَرَى فِي رَجُلٍ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ” . قَالَ قُلْتُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ وَغَضَبِ رَسُولِهِ وَإِنَّمَا أَنَا رَسُولٌ فَسَكَتَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি সামরিক বাহিনী প্রেরণ করলেন এবং একদলের সেনাপতি বানালেন আলী (রাঃ)-কে এবং অপর দলের অধিনায়ক বানালেন খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ (রাঃ)-কে। তিনি আরো বলেনঃ যখন যুদ্ধ শুরু হবে তখন আলী হবে (সমগ্র বাহিনীর) প্রধান সেনাপতি। রাবী বলেন, আলী (রাঃ) একটি দুর্গ জয় করেন এবং সেখান হতে একটি যুদ্ধবন্দিনী নিয়ে নেন। এ প্রসঙ্গে খালিদ (রাঃ) এক চিঠি লিখে আমার মাধ্যমে তা (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট পাঠান যাতে তিনি আলী (রাঃ)-এর দোষ চর্চা করেন। রাবী বলেন, আমি চিঠি নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট হাযির হলাম। তিনি চিঠি পড়ার পর তাঁর (মুখমন্ডলের) রং বিবর্ণ হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেনঃ তুমি এমন লোক প্রসঙ্গে কি ভাবো যে আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলও যাকে ভালোবাসেন? রাবী বলেন, তখন আমি বললাম, আমি আল্লাহ্ তা’আলার অসন্তোষ ও তাঁর রাসূলের অসন্তোষ হতে আল্লাহ তা’আলার আশ্রয় চাই। আমি একজন বার্তাবাহক মাত্র। (এ কথায়) তিনি নীরব হন।
সনদ দূর্বল, ১৬৮৭ নং হাদীসে পূর্বেও বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীস হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَجْلَحِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا يَوْمَ الطَّائِفِ فَانْتَجَاهُ فَقَالَ النَّاسُ لَقَدْ طَالَ نَجْوَاهُ مَعَ ابْنِ عَمِّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا انْتَجَيْتُهُ وَلَكِنَّ اللَّهَ انْتَجَاهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الأَجْلَحِ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ ابْنِ فُضَيْلٍ أَيْضًا عَنِ الأَجْلَحِ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ ” وَلَكِنَّ اللَّهَ انْتَجَاهُ ” . يَقُولُ اللَّهُ أَمَرَنِي أَنْ أَنْتَجِيَ مَعَهُ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তাইফ অভিযানের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে নিকটে ডেকে তার সাথে চুপিচুপি কথাবার্তা বললেন। জনসাধারন বলল, তিনি তাঁর চাচাত ভাইয়ের সাথে দীর্ঘক্ষন চুপিসারে কথাবার্তা বললেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি তার সাথে চুপিসারে কথা বলিনি, বরং আল্লাহ্ তা’আলাই তার সাথে চুপিসারে কথা বলেছেন।
যঈফ,মিশকাত (৬০৮৮), যঈফ (৩০৮৪),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীস হাসান গারীব। আমরা শুধু আল-আজলাহ-এর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীস জেনেছি। ইবনুল ফুযাইল ব্যতীত অন্য রাবীও আল-আজলাহ হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। “আল্লাহ্ তা’আলাই চুপিসারে তার সাথে কথা বলেছেন” বাক্যের মর্মার্থ এই যে, তার সাথে চুপিসারে কথা বলার জন্য আল্লাহ্ তা’আলাই আমাকে হুকুম করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِعَلِيٍّ “ يَا عَلِيُّ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ أَنْ يُجْنِبَ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ غَيْرِي وَغَيْرَكَ ” . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ قُلْتُ لِضِرَارِ بْنِ صُرَدٍ مَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ يَسْتَطْرِقُهُ جُنُبًا غَيْرِي وَغَيْرَكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ سَمِعَ مِنِّي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ هَذَا الْحَدِيثَ وَاسْتَغْرَبَهُ .
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ হে আলী! তুমি ও আমি ছাড়া আর কারো জন্য এ মাসজিদে নাপাক হওয়া বৈধ নয়।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৯) যঈফা (৪৯৭৩), আলী ইবনুল মুনযির বলেন, আমি যিরার ইবনু সুরাদকে প্রশ্ন করলাম, এ হাদীসের মর্মার্থ কি? তিনি বলেন, তুমি ও আমি ছাড়া নাপাক অবস্থায় এ মসজিদের মধ্য দিয়ে হাটাচলা করা অন্য কারো জন্য জায়িজ নয়।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু আলোচিত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (ইমাম বুখারী) এ হাদীস আমার নিকট শুনেছেন এবং তিনি এটিকে গারীব বলে মত দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৮
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَابِسٍ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمُلاَئِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بُعِثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَصَلَّى عَلِيٌّ يَوْمَ الثُّلاَثَاءِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُسْلِمٍ الأَعْوَرِ . وَمُسْلِمٌ الأَعْوَرُ لَيْسَ عِنْدَهُمْ بِذَلِكَ الْقَوِيِّ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ حَبَّةَ عَنْ عَلِيٍّ نَحْوَ هَذَا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাবূওয়াত পেয়েছেন সোমবার এবং আলী (রাঃ) নামায আদায় করেন মঙ্গলবার।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু মুসলিম আল-আওয়ারের সূত্রেই এ হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি। আর মুসলিম আল-আওয়ার হাদীসবিশেষজ্ঞদের মতে তেমন মজবুত রাবী নন। উক্ত হাদীস মুসলিম হতে, তিনি হাব্বাহ হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে এ সূত্রেও একই রকম বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭২৯
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ “ أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ .
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু হিন্দ আল-জামালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেনঃ আমি যখনই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট কিছু চেয়েছি তখনই তিনি আমাকে দিয়েছেন এবং যখন নিশ্চুপ থেকেছি তখনও আমাকেই প্রথম দিয়েছেন।
হাদীসটি ৩৭২২ নং হাদীসেও বর্ণনা করা হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সনদ সূত্রে হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৭৩০
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ “ أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ .
জাবির ইবনু ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার নিকটে মর্যাদায় মুসা (‘আঃ)-এর নিকট হারূনের মর্যাদার মত। তবে আমার পরে কোন নবী নেই।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ অনুচ্ছেদে সা’দ যাইদ ইবনু আরক্বাম, আবূ হুরাইরাহ্ ও উম্মু সালমাহ্ (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩১
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعَلِيٍّ “ أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سَعْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيُسْتَغْرَبُ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ .
সা’দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার কাছে তুমি মর্যাদায় মুসা (‘আঃ)-এর ক্ষেত্রে হারুন স্থানীয়। তবে আমার পরে নবী নেই।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১২১), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস সা’দ (রাঃ)-এর সূত্রে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসকে ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ আল-আনসারীর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব বলা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِسَدِّ الأَبْوَابِ إِلاَّ بَابَ عَلِيٍّ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ عَنْ شُعْبَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে) ‘আলী (রাঃ)-এর দ্বার ছাড়া সকল দ্বার বন্ধ করার হুকুম দিয়েছেন।
সহীহঃ যঈফাহ্ (৪৯৩২, ৪৯৫১) নং হাদীসের অধীনে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র শু’বাহ্ হতে উক্ত সনদে এভাবেই জানতে পেরেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৩
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنِي أَخِي، مُوسَى بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ، جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِ، عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِ حَسَنٍ وَحُسَيْنٍ فَقَالَ “ مَنْ أَحَبَّنِي وَأَحَبَّ هَذَيْنِ وَأَبَاهُمَا وَأُمَّهُمَا كَانَ مَعِي فِي دَرَجَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান ও হুসাইনের হাত ধরে বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসে এবং এ দু’জন ও তাদের পিতা-মাতাকে ভালোবাসে, সে কিয়ামতের দিন আমার সাথে একই মর্যাদায় থাকবে।
যইফ, যইফা (৩১২২), তাখরীজুল মুখতারাহ্ (৩৯২-৩৯৭),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা জাফর ইবনু মুহাম্মাদ হতে শুধুমাত্র এই সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَوَّلُ مَنْ صَلَّى عَلِيٌّ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي بَلْجٍ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ حُمَيْدٍ . وَأَبُو بَلْجٍ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ عَلِيٌّ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الرِّجَالِ أَبُو بَكْرٍ وَأَسْلَمَ عَلِيٌّ وَهُوَ غُلاَمٌ ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ وَأَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ النِّسَاءِ خَدِيجَةُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (ইসলাম গ্রহণ করে) ‘আলী (রাঃ)-ই সর্বপ্রথম নামায আদায় করেন।
সহীহঃ যঈফাহ্ (৪৯৩২) নং হাদীসের অধীনে, মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র শু’বাহ্ হতে, আবূ বাল্জের সনদে বর্ণিত মুহাম্মাদ ইবনু হুমাইদের হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে এটি অবগত হয়েছি। আবূ বাল্জের নাম ইয়াহ্ইয়া ইবনু সুলাইম। বিশেষজ্ঞ ‘আলিমগণ এ বিষয়ে মতভেদ করেছেন যে, কে প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন? কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, আবূ বাক্র সিদ্দীক্ব (রাঃ) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আর কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আলী (রাঃ) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম বলেন, বয়স্ক পুরুষদের মাঝে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন আবূ বাক্র আস সিদ্দীক্ব (রাঃ)। ‘আলী (রাঃ) আট বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। আর মহিলাদের মাঝে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন উম্মুল মু’মিনীন খাদীজাহ্ (রাঃ)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، يَقُولُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ عَلِيٌّ . قَالَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ فَأَنْكَرَهُ وَقَالَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو حَمْزَةَ اسْمُهُ طَلْحَةُ بْنُ زَيْدٍ .
যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সর্বপ্রথম ‘আলী (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ‘আম্র ইবনু মুর্রাহ্ বলেন, আমি এ কথাটি ইবরাহীম নাখঈর কাছে উল্লেখ করলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, সর্বপ্রথম আবূ বাক্র (রাঃ)-ই ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
সহীহঃ যঈফাহ্ (৪১৩৯) নং হাদিসের অধীনে, নাখা’ঈর বর্ণানাটি মাকতু’।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ হামযার নাম ত্বালহা ইবনু ইয়াযীদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৬
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عُثْمَانَ ابْنُ أَخِي، يَحْيَى بْنِ عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو عِيسَى الرَّمْلِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَقَدْ عَهِدَ إِلَىَّ النَّبِيُّ الأُمِّيُّ صلى الله عليه وسلم “ أَنَّهُ لاَ يُحِبُّكَ إِلاَّ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَبْغَضُكَ إِلاَّ مُنَافِقٌ ” . قَالَ عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ أَنَا مِنَ الْقَرْنِ الَّذِينَ دَعَا لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এ ওসীয়াত করেন যে, মু’মিনরাই তোমাকে ভালবাসবে এবং মুনাফিক্বরাই তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে। আদী ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে যুগের জন্য দু’আ করেছেন, আমি সে যুগেরই অন্তর্ভূক্ত।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১৪), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ صُبْحٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي أُمُّ شَرَاحِيلَ، قَالَتْ حَدَّثَتْنِي أُمُّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا فِيهِمْ عَلِيٌّ . قَالَتْ فَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ لاَ تُمِتْنِي حَتَّى تُرِيَنِي عَلِيًّا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
উম্মু আতিয়্যা (রা) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সেনা বাহিনী প্রেরণ করেন, তাদের সঙ্গে আলী (রাঃ)-ও ছিলেন। রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর দুই হাত উপরে তুলে বলতে শুনলামঃ ইয়া আল্লাহ! আলীকে না দেখিয়ে আমাকে মৃত্যু দান করো না।
যঈফ, মিশকাত (৬০৯০),
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু আলোচ্য সুত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২২. অনুচ্ছেদঃ
ত্বালহা ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ دِرْعَانِ فَنَهَضَ إِلَى صَخْرَةٍ فَلَمْ يَسْتَطِعْ فَأَقْعَدَ تَحْتَهُ طَلْحَةَ فَصَعِدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى اسْتَوَى عَلَى الصَّخْرَةِ فَقَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ أَوْجَبَ طَلْحَةُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
যুবাইর ইবনু আও্ওয়াম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহূদের যুদ্ধের দিন দু’টি লৌহবর্ম পরা ছিলেন। (যুদ্ধে আহত হওয়ার পর) তিনি একটি পাথরের উপরের ঊঠার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি (উঠতে) পারলেন না। তিনি ত্বালহা (রাঃ)-কে তাঁর নিচে বসিয়ে তার কাঁধে চড়ে পাথরের উপর উঠে অবস্থান করেন। বর্ণানাকারী বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ত্বালহা (তার জন্য জান্নাত) অনিবার্য করে নিয়েছে।
হাসানঃ ১৬৯২ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭৩৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مُوسَى الطَّلْحِيُّ، مِنْ وَلَدِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ الصَّلْتِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ قَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى شَهِيدٍ يَمْشِي عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الصَّلْتِ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الصَّلْتِ بْنِ دِينَارٍ وَفِي صَالِحِ بْنِ مُوسَى مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِمَا .
জাবির ইবনু ‘আব্দিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ যদি কেউ পৃথিবীর বুকে চলাচলরত কোন শহীদ লোককে দেখে খুশি হতে চায়, তবে সে যেন ত্বালহা ইবনু ‘উবাইদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর প্রতি দৃষ্টি দেয়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১২৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র আস-সাল্ত্ব ইবনু দীনানের সনদে অবগত হয়েছি। কিছু হাদীসবিদ আস-সাল্ত্ব ইবনু দীনার এবং সালিহ ইবনু মূসার সমালোচনা করেছেন এবং উভয়ের স্মৃতিশক্তি দূর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৪০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مُوسَى الطَّلْحِيُّ، مِنْ وَلَدِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ الصَّلْتِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ قَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى شَهِيدٍ يَمْشِي عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الصَّلْتِ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الصَّلْتِ بْنِ دِينَارٍ وَفِي صَالِحِ بْنِ مُوسَى مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِمَا .
মূসা ইবনু ত্বালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর কাছে প্রবেশ করলে তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে কি সুখবর দিব না? আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যারা নিজেদের ওয়া’দা সম্পূর্ণ করেছে ত্বালহা তাদের অন্তর্ভূক্ত।
হাসানঃ এটা ৩২০২ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। কেননা এ হাদীস মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) হতে আমরা শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সূত্রেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭৪১
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ مَنْصُورٍ الْعَنَزِيُّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ الْيَشْكُرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ سَمِعَتْ أُذُنِي، مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ “ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ جَارَاىَ فِي الْجَنَّةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
আলী ইবনু আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমার কান রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখে বলতে শুনেছেঃ তালহা ও যুবাইর দু’জনই জান্নাতে আমার প্রতিবেশী।
যঈফ, মিশকাত (৬১১৪), যঈফা (২৩১১),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে এ হাদিস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭৪২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ مُوسَى، وَعِيسَى، ابْنَىْ طَلْحَةَ عَنْ أَبِيهِمَا، طَلْحَةَ أَنَّ أَصْحَابَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالُوا لأَعْرَابِيٍّ جَاهِلٍ سَلْهُ عَمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ مَنْ هُوَ وَكَانُوا لاَ يَجْتَرِئُونَ عَلَى مَسْأَلَتِهِ يُوَقِّرُونَهُ وَيَهَابُونَهُ فَسَأَلَهُ الأَعْرَابِيُّ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ إِنِّي اطَّلَعْتُ مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ وَعَلَىَّ ثِيَابٌ خُضْرٌ فَلَمَّا رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” أَيْنَ السَّائِلُ عَمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ ” . قَالَ الأَعْرَابِيُّ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ ” هَذَا مِمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي كُرَيْبٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ . وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْحَدِيثِ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ بِهَذَا الْحَدِيثِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يُحَدِّثُ بِهَذَا عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ وَوَضَعَهُ فِي كِتَابِ الْفَوَائِدِ .
ত্বালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ এক মূর্খ বেদুঈনকে বলেন, তুমি আল্লাহ তা’আলার নাবীকে প্রশ্ন কর, তিনি কে যে লোক নিজের ওয়া’দা পূর্ণ করেছেন? সাহাবীগণ তাঁকে কিছু প্রশ্ন করতে দুঃসাহস করতেন না। তারা তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন এবং তাঁর মর্যাদাবোধে তারা আকৃষ্ট ছিলেন। অতএব তাঁকে বেদুঈন প্রশ্ন করলে তিনি তার হতে মুখ ফিরিয়ে নেন। সে পুনরায়ও প্রশ্ন করলে এবারও তিনি তার দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নেন। (ত্বালহা বলেন) তারপর আমি সবুজ পোশাক পরিধান করা অবস্হায় মাসজিদের দরজা দিয়ে উপস্হিত হলাম। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখেই বললেনঃ “কোন লোক তার ওয়া’দা পূরণ করেছে” এই প্রশ্নকারী কোথায়? বেদুঈন বলল, এই যে আমি, হে আল্লাহ্র রাসুল! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে ইশারা করে বললেনঃ যারা নিজেদের ওয়া’দা পূর্ণ করেছে এই লোক তাদের অন্তর্ভূক্ত।
হাসান সহীহঃ এটা ৩২০৩ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র আবূ কুরাইব হতে, ইউনুস ইবনু বুকাইরের সনদেই অবগত হয়েছি। একাধিক শীর্ষস্থানীয় হাদীস বিশেষজ্ঞ এ হাদীস আবূ কুরাইবের সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। এ হাদীস আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল বুখারীকে আবূ কুরাইবের সনদে রিওয়ায়াত করতে শুনেছি এবং তিনি তার কিতাবুল ফাওয়াইদ শীর্ষক গ্রন্থে এ হাদীসটি স্থান দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৩. অনুচ্ছেদঃ
আয্-যুবাইর ইবনুল ‘আও্ওয়াম (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৪৩
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ يَوْمَ قُرَيْظَةَ فَقَالَ “ بِأَبِي وَأُمِّي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয-যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ কুরাইযার যুদ্ধের দিন আমার লক্ষ্যে একত্রে তাঁর বাবা-মার উল্লেখ করে বলেনঃ আমার পিতা-মাতা তোমার জন্য উৎসর্গ হোক।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪. অনুচ্ছেদঃ
আমার সাহায্যকারী আয্-যুবাইর ইবনুল ‘আও্ওয়াম (রাঃ)
৩৭৪৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَارِيًّا وَإِنَّ حَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُقَالُ الْحَوَارِيُّ هُوَ النَّاصِرُ . سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عُمَرَ يَقُولُ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ الْحَوَارِيُّ هُوَ النَّاصِرُ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীরাই হাওয়ারী (নিষ্ঠাবান সাহায্যকারী) ছিলেন। আর আমার হাওয়ারী হল আয-যুবাইর ইবনুল ‘আও্ওয়াম।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১২২)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘হাওয়ারী’ শব্দের অর্থ সাহায্যকারী।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
২৫. অনুচ্ছেদঃ
অনুরুপ প্রসঙ্গ
৩৭৪৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، رضى الله عنه قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَارِيًّا وَإِنَّ حَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ ” . وَزَادَ أَبُو نُعَيْمٍ فِيهِ يَوْمَ الأَحْزَابِ قَالَ ” مَنْ يَأْتِينَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ ” . قَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا . قَالَهَا ثَلاَثًا قَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক নাবীরাই হাওয়ারী (একনিষ্ঠ সাহায্যকারী) ছিল। আর আমার হাওয়ারী হল আয-যুবাইর ইবনুল ‘আও্ওয়াম। আবূ নু’আইমের রিওয়ায়াতে আরও আছেঃ (এ কথা তিনি) আহ্যাবের দিন (খন্দকের যুদ্ধের দিন) বলেন। তিনি বললেনঃ আমাকে কুরাইশদের (কাফিরদের) সংবাদ কে সংগ্রহ করে দিতে পার ? আয্-যুবাইর (রাঃ) বললেন, আমি। উক্ত কথা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনবার বললেন এবং আয-যুবাইর (রাঃ)–ও (তিনবারই) বললেন, আমি।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৪৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ صَخْرِ بْنِ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ أَوْصَى الزُّبَيْرُ إِلَى ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ صَبِيحَةَ الْجَمَلِ فَقَالَ مَا مِنِّي عُضْوٌ إِلاَّ وَقَدْ جُرِحَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . حَتَّى انْتَهَى ذَاكَ إِلَى فَرْجِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ .
হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আয-যুবাইর (রাঃ) উষ্ট্রীয় যুদ্ধের দিন সকালে নিজ পুত্র ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, বৎস! আমার শরীরে এমন কোন অঙ্গ নেই, যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে (জিহাদে) ক্ষত-বিক্ষত হয়নি, এমনকি আমার লজ্জাস্থানও (ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং হাম্মাদ ইবনু যাইদের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬. অনুচ্ছেদঃ
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ আয-যুহ্রী (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৪৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَبُو بَكْرٍ فِي الْجَنَّةِ وَعُمَرُ فِي الْجَنَّةِ وَعُثْمَانُ فِي الْجَنَّةِ وَعَلِيٌّ فِي الْجَنَّةِ وَطَلْحَةُ فِي الْجَنَّةِ وَالزُّبَيْرُ فِي الْجَنَّةِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فِي الْجَنَّةِ وَسَعْدٌ فِي الْجَنَّةِ وَسَعِيدٌ فِي الْجَنَّةِ وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ فِي الْجَنَّةِ ” .
আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবূ বকর জান্নাতী, ‘উমার জান্নাতী, ‘উসমান জান্নাতী, ‘আলী জান্নাতী, ত্বালহা জান্নাতী, যুবাইর জান্নাতী, ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ জান্নাতী, সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস জান্নাতী, সা’ঈদ জান্নাতী এবং আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ জান্নাতী।
সহীহঃ মিশকাত (৬১১), তাখরীজ ত্বাহাভীয়াহ্ (৭২৮)।
আবূ মুস’আব-‘আবদুল ‘আযীয ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি ‘আবদুর রহমান ইবনু হুমাইদ হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে, এই সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। এই সনদে ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই। এ হাদীস ‘আবদুর রহমান ইবনু হুমাইদ-তার পিতা হতে, তিনি সা’ঈদ ইবনু যাঈদ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণিত হয়েছে। এ সনদে বর্ণিত হাদীসটি প্রথমোক্ত হাদীসের চাইতে অনেক বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৪৮
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مِسْمَارٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، حَدَّثَهُ فِي، نَفَرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ عَشَرَةٌ فِي الْجَنَّةِ أَبُو بَكْرٍ فِي الْجَنَّةِ وَعُمَرُ فِي الْجَنَّةِ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَبُو عُبَيْدَةَ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ ” . قَالَ فَعَدَّ هَؤُلاَءِ التِّسْعَةَ وَسَكَتَ عَنِ الْعَاشِرِ فَقَالَ الْقَوْمُ نَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا أَبَا الأَعْوَرِ مَنِ الْعَاشِرُ قَالَ نَشَدْتُمُونِي بِاللَّهِ أَبُو الأَعْوَرِ فِي الْجَنَّةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى أَبُو الأَعْوَرِ هُوَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ هُوَ أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ الأَوَّلِ .
সা’ঈদ ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একদল লোকদের মাঝে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দশজন লোক জান্নাতী। (তারা হলেন) আবূ বকর জান্নাতী, ‘উমার জান্নাতী এবং ‘আলী, ‘উসমান, যুবাইর, ত্বালহা, ‘আবদুর রহমান, আবূ ‘উবাইদাহ্ এবং সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি উক্ত নয়জনকে গণনা করেন এবং দশম লোক প্রসঙ্গে নীরব থাকেন। সে সময় লোকেরা বলল, হে আবুল আও্ওয়ার! আপনাকে আমরা আল্লাহর নামে ক্বসম দিয়ে বলছি, দশম লোক কে? তিনি বলেন, তোমরা আমাকে আল্লাহ্র নামে ক্বসম দিয়ে প্রশ্ন করেছ। আবুল আ’ওয়ার জান্নাতী।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৩৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, আবুল আ’ওয়ার হলেন সা’ঈদ ইবনু যাইদ ইবনু ‘আম্র ইবনু নুফাইল (রাঃ)। মুহাম্মাদ (ইমাম বুখারী)-কে আমি বলতে শুনেছি, এ হাদীসটি পূর্বের হাদীসের চাইতে বেশি বিশুদ্ধ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৪৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ صَخْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ “ إِنَّ أَمْرَكُنَّ مِمَّا يُهِمُّنِي بَعْدِي وَلَنْ يَصْبِرَ عَلَيْكُنَّ إِلاَّ الصَّابِرُونَ ” . قَالَ ثُمَّ تَقُولُ عَائِشَةُ فَسَقَى اللَّهُ أَبَاكَ مِنْ سَلْسَبِيلِ الْجَنَّةِ . تُرِيدُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ وَقَدْ كَانَ وَصَلَ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَالٍ بِيعَتْ بِأَرْبَعِينَ أَلْفًا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাঁর স্ত্রীদের) বলতেনঃ আমার (মৃত্যুর) পরে তোমাদের পরিস্থিত (ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা) যে কি হবে তা সম্পর্কে আমি চিন্তিত (কারণ তোমাদের জন্য কোন উত্তরাধিকার স্বত্ব রেখে যাইনি)। ধৈর্য ধারণকারী ও সহিষ্ণুতা অনুরাগী ব্যাক্তি ছাড়া তোমাদের অধিকারের প্রতি কেউ ভ্রুক্ষেপ করবে না। আবূ সালামাহ্ (রহঃ) বলেন, পরবর্তী সময়ে ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা’আলা যেন তোমার বাবাকে অর্থাৎ ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)-কে জান্নাতের সালসাবীল নামক ঝর্ণার পানি পান করান। কেননা তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদের জন্য যে সম্পদ নিয়োগের মাধ্যমে তার সম্পত্তি তাদের সেবায় নিয়োজিত করেন পরবর্তীকালে তা চল্লিশ হাজার (দিনার মূল্যে) বিক্রয় করা হয়।
হাসানঃ মিশকাত (৬১২১,৬১২২)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭৫০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ الْبَصْرِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا قُرَيْشُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، أَوْصَى بِحَدِيقَةٍ لأُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ بِيعَتْ بِأَرْبَعِمِائَةِ أَلْفٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ সালামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) তার একটি বাগিচা উম্মুহাতুল মু’মিনীনদের জন্য উৎসর্গ করেন তা চার লক্ষ দিরহাম মূল্যে বিক্রয় করা হয়।
সনদ হাসানঃ পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২৭. অনুচ্ছেদঃ
সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৫১
حَدَّثَنَا رَجَاءُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعُذْرِيُّ، – بَصْرِيٌّ – حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” اللَّهُمَّ اسْتَجِبْ لِسَعْدٍ إِذَا دَعَاكَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” اللَّهُمَّ اسْتَجِبْ لِسَعْدٍ إِذَا دَعَاكَ ” . وَهَذَا أَصَحُّ .
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে আল্লাহ! আপনার নিকট সা’দ দু’আ করলে তা গ্রহণ করুন”।
সহীহঃ মিশকাত (৬১১৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীস ইসমাঈল-এর বরাতে কাইস (রহঃ)-এর সনদেও বর্ণিত আছে। তাতে আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “হে আল্লাহ! আপনার নিকট সা’দ দু’আ করলে তা গ্রহণ করুন”। এ রিওয়ায়াতটি অনেক বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৫২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَقْبَلَ سَعْدٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” هَذَا خَالِي فَلْيُرِنِي امْرُؤٌ خَالَهُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُجَالِدٍ . وَكَانَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ مِنْ بَنِي زُهْرَةَ وَكَانَتْ أُمُّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي زُهْرَةَ فَلِذَلِكَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” هَذَا خَالِي ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সা’দ (রাঃ) এসে হাযির হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইনি আমার মামা। কেউ আমাকে দেখাক তো তার মামাকে (যে আমার মামার সমপর্যায়ের হতে পারে)!
সহীহঃ মিশকাত (৬১১৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র মুজালিদের হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে এটা অবগত হয়েছি। সা’দ (রাঃ) ছিলেন বনূ যুহ্রার লোক এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আম্মাও ছিলেন বনূ যুহ্রার সদস্যা। এজন্যই নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইনি আমার মামা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৫৩
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، سَمِعَا سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يَقُولُ قَالَ عَلِيٌّ مَا جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَاهُ وَأُمَّهُ لأَحَدٍ إِلاَّ لِسَعْدٍ قَالَ لَهُ يَوْمَ أُحُدٍ “ ارْمِ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي وَقَالَ لَهُ ارْمِ أَيُّهَا الْغُلاَمُ الْحَزَوَّرُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدٍ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সা’দ (রাঃ) ছাড়া অন্য কারো জন্য নিজের পিতা-মাতাকে একত্র করেননি। তিনি উহুদের যুদ্ধের দিন তাকে বলেনঃ আমার আব্বা-আম্মা তোমার জন্য কোরবান হোক। হে নও জোয়ান! (শত্রুর প্রতি) তীর নিক্ষেপ করো।
‘‘হে নও জোয়ান’’ এ শব্দটি মুনকার ২৮২০ নং হাদীসে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ। বহু রাবী এ হাদীস ইয়াহইয়া ঈবনু সাঈদ হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাঈয়্যাব হতে, তিনি সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৭৫৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ يَوْمَ أُحُدٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উহূদের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার লক্ষ্যে তাঁর বাবা-মাকে একত্রে কুরবান করেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম, (২৮৩০) নং হাদীস পূর্বে উল্লেখ হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ‘আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনুল হাদ হতে ‘আলী(রাঃ)-এর বরাতেও এ হাদীস নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৫৫
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ مَا سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُفَدِّي أَحَدًا بِأَبَوَيْهِ إِلاَّ لِسَعْدٍ فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ أُحُدٍ “ ارْمِ سَعْدٌ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) ছাড়া আর কারো লক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর বাবা-মাকে একসাথে কুরবান করতে শুনিনি। উহূদের যুদ্ধের দিন আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ হে সা’দ! তীর নিক্ষেপ কর। তোমার জন্য আমার পিতা-মাতা উৎসর্গ হোক।
সহীহঃ বুখারি ও মুসলিম, (২৮২৮) নং হাদীসে পূর্বেও উল্লিখিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৫৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَهِرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقْدَمَهُ الْمَدِينَةَ لَيْلَةً قَالَ ” لَيْتَ رَجُلاً صَالِحًا يَحْرُسُنِي اللَّيْلَةَ ” . قَالَتْ فَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ سَمِعْنَا خَشْخَشَةَ السِّلاَحِ فَقَالَ ” مَنْ هَذَا ” . فَقَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا جَاءَ بِكَ ” . فَقَالَ سَعْدٌ وَقَعَ فِي نَفْسِي خَوْفٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ أَحْرُسُهُ . فَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَامَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় আগমন করার পর কেন যেন রাতে নিদ্রা যাপন করতে পারলেন না। তিনি (মনে মনে) বললেনঃ আহা! যদি কোন সৎকর্মপরায়ণ লোক আজকের রাতটুকু আমাকে পাহারা দিত। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা এই চিন্তায় ছিলাম, তখনই অস্ত্রের শব্দ শুনতে পেলাম। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ কে? উত্তর এল, আমি সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি কি কারণে এসেছ? সা’দ (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আমার মনে শংকা জাগ্রত হওয়ায় আমি তাঁকে পাহারা দিতে এসেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্য দু’আ করেন, তারপর ঘুমিয়ে যান।
সহীহঃ সহীহুল আদাবুল মুফরাদ (৬২২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮. অনুচ্ছেদঃ
সা’ঈদ ইবনু যাইদ ইবনু ‘আম্র ইবনু নুফাইল ও আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৫৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ظَالِمٍ الْمَازِنِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، أَنَّهُ قَالَ أَشْهَدُ عَلَى التِّسْعَةِ أَنَّهُمْ فِي الْجَنَّةِ وَلَوْ شَهِدْتُ عَلَى الْعَاشِرِ لَمْ آثَمْ . قِيلَ وَكَيْفَ ذَلِكَ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحِرَاءَ فَقَالَ “ اثْبُتْ حِرَاءُ فَإِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْكَ إِلاَّ نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ ” . قِيلَ وَمَنْ هُمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَسَعْدٌ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ . قِيلَ فَمَنِ الْعَاشِرُ قَالَ أَنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
সা’ঈদ ইবনু যাইদ ইবনু ‘আম্র ইবনু নুফাইল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নয়জন লোক প্রসঙ্গে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তারা জান্নাতী। যদি আমি দশম ব্যাক্তি প্রসঙ্গেও সাক্ষ্য দেই তবে তাতেও আমি পাপী হব না। প্রশ্ন করা হল, তা কীভাবে? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আমরা হেরা পর্বতের উপর অবস্থানরত ছিলাম। (হেরা কেঁপে উঠলে) তিনি বললেনঃ হেরা! শান্ত হও। অবশ্যই তোমার উপরে একজন নবী কিংবা একজন সিদ্দীক্ব (পরম সত্যবাদী) অথবা একজন শহীদ আছেন। বলা হল, তারা কারা? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাক্র, ‘উমার, ‘উসমান, ‘আলী, ত্বালহা, যুবাইর, সা’দ ও ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)। তাকে প্রশ্ন করা হল, দশম লোকটি কে? তিনি বললেন, আমি।
সহীহঃ (৩৭৪৮) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি সা’ঈদ ইবনু যাইদ (রাঃ)-এর বরাতে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আহমাদ ইবনু মানী’-হাজ্জাজ ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি শু’বাহ্ হতে, তিনি আল-হুর ইবনুস সাব্বাহ হতে, তিনি ‘আবদুর রহমান ইবনুল আখনাস হতে, তিনি সা’ঈদ ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে উক্ত মর্মে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ শেষের সনদের হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৫৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُغْضَبًا وَأَنَا عِنْدَهُ فَقَالَ ” مَا أَغْضَبَكَ ” . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَنَا وَلِقُرَيْشٍ إِذَا تَلاَقَوْا بَيْنَهُمْ تَلاَقَوْا بِوُجُوهٍ مُبْشَرَةٍ وَإِذَا لَقُونَا لَقُونَا بِغَيْرِ ذَلِكَ . قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ ثُمَّ قَالَ ” وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يَدْخُلُ قَلْبَ رَجُلٍ الإِيمَانُ حَتَّى يُحِبَّكُمْ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ ” . ثُمَّ قَالَ ” يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ آذَى عَمِّي فَقَدْ آذَانِي فَإِنَّمَا عَمُّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের মাঝে কে তাঁর সবচাইতে বেশি প্রিয় ছিলেন? তিনি বললেন, আবূ বকর (রাঃ)। আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? তিনি বললেন, ‘উমার (রাঃ)। আমি আবারও প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? তিনি বললেন, তারপর আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ্ (রাঃ)। আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? এবার তিনি নিশ্চুপ রইলেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১০২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৫৯
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْعَبَّاسُ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবূ বকর অতি ভালো লোক, ‘উমার অতি উত্তম লোক এবং ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জার্রাহ্ও অতি চমৎকার লোক।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২/৫৩৪), মিশকাত (হাঃ ৬২২৪), ৩৭৯৫ নং হাদীসে আরো পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণনা আসবে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমরা শুধুমাত্র সুহাইলের হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে এটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯. অনুচ্ছেদঃ
আল-‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৬০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ الأَعْمَشَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِعُمَرَ فِي الْعَبَّاسِ “ إِنَّ عَمَّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ ” . وَكَانَ عُمَرُ كَلَّمَهُ فِي صَدَقَتِهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল-‘আব্বাস (রাঃ) প্রসঙ্গে ‘উমার (রাঃ)-কে বলেনঃ কোন লোকের চাচা তার পিতৃ সমতুল্য। আল-‘আব্বাস (রাঃ)-এর যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে ‘উমার (রাঃ) কিছু বলেছিলেন।
সহীহঃ ইরওয়া (৩/৩৪৮-৩৫০)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৬১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْعَبَّاسُ عَمُّ رَسُولِ اللَّهِ وَإِنَّ عَمَّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ أَوْ مِنْ صِنْوِ أَبِيهِ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল-‘আব্বাস হলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা। আর চাচা হল পিতৃ সমতুল্য।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৮০৬), সহীহ আবূ দাঊদ (১৪৩৫), ইরওয়া (৩/৩৪৮-৩৫০)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা শুধু আবুয্ যিনাদের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে উপর্যুক্তভাবে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৬২
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْعَبَّاسِ ” إِذَا كَانَ غَدَاةُ الاِثْنَيْنِ فَأْتِنِي أَنْتَ وَوَلَدُكَ حَتَّى أَدْعُوَ لَهُمْ بِدَعْوَةٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهَا وَوَلَدَكَ ” . فَغَدَا وَغَدَوْنَا مَعَهُ وَأَلْبَسَنَا كِسَاءً ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْعَبَّاسِ وَوَلَدِهِ مَغْفِرَةً ظَاهِرَةً وَبَاطِنَةً لاَ تُغَادِرُ ذَنْبًا اللَّهُمَّ احْفَظْهُ فِي وَلَدِهِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল-‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললেনঃ আগামী সোমবার প্রভাতে আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথে নিয়ে আসবেন। আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য আমি একটি দু’আ করব, যার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা’আলা আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরওে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, প্রভাতে তিনি গেলেন এবং তার সঙ্গে আমরাও গেলাম। তিনি আমাদের শরীরে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, তারপর বললেনঃ “হে আল্লাহ! আল-‘আব্বাস ও তার সন্তানদের বাহির ও ভিতর উভয় দিক এমনভাবে ক্ষমা করে দিন যার পর তাদের আর কোন অপরাধ বাকি না থাকে। হে আল্লাহ! তাকে তার সন্তানদের ব্যাপারে হিফাযাত করুন”।
হাসানঃ মিশকাত (৬১৪৯)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারিব। এ হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩০. অনুচ্ছেদঃ
জা’ফার ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৬৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ رَأَيْتُ جَعْفَرًا يَطِيرُ فِي الْجَنَّةِ مَعَ الْمَلاَئِكَةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ . وَقَدْ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ هُوَ وَالِدُ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি (স্বপ্নে) জা’ফারকে জান্নাতের মধ্যে ফেরেশতাদের সঙ্গে উড়ে বেড়াতে দেখেছি।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১২২৬), মিশকাত (৬১৫৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফারের সনদে জানতে পেরেছি। ইয়াহ্ইয়া ইবনু মুঈন প্রমুখ তাকে যঈফ বলেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার হলেন ‘আলী ইবনুল মাদীনীর বাবা। এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘আব্বাস কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا احْتَذَى النِّعَالَ وَلاَ انْتَعَلَ وَلاَ رَكِبَ الْمَطَايَا وَلاَ رَكِبَ الْكُورَ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْضَلُ مِنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَالْكُورُ الرَّحْلُ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পর জা’ফার (রাঃ)-এর চেয়ে উত্তম কোন লোক জুতা পরিধান করেনি, জন্তুযানে আরোহণ করেনি, উটের হাওদায় উঠেনি।
সনদ সহীহ, মাওকূফ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
আল-কাওর অর্থ- হাওদা।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৩৭৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِجَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ “ أَشْبَهْتَ خَلْقِي وَخُلُقِي ” . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জা’ফার ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি দৈহিক গঠনে ও স্বভাব-চরিত্রে আমার মতো। এ হাদীসে একটি ঘটনা আছে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফ্ইয়ান ইবনু ওয়াকী’ উবাই হতে, তিনি ইসরাঈল হতে …… অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৬৬
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو يَحْيَى التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ أَبُو إِسْحَاقَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنْ كُنْتُ لأَسْأَلُ الرَّجُلَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الآيَاتِ مِنَ الْقُرْآنِ أَنَا أَعْلَمُ بِهَا مِنْهُ مَا أَسْأَلُهُ إِلاَّ لِيُطْعِمَنِي شَيْئًا فَكُنْتُ إِذَا سَأَلْتُ جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ لَمْ يُجِبْنِي حَتَّى يَذْهَبَ بِي إِلَى مَنْزِلِهِ فَيَقُولُ لاِمْرَأَتِهِ يَا أَسْمَاءُ أَطْعِمِينَا شَيْئًا . فَإِذَا أَطْعَمَتْنَا أَجَابَنِي وَكَانَ جَعْفَرٌ يُحِبُّ الْمَسَاكِينَ وَيَجْلِسُ إِلَيْهِمْ وَيُحَدِّثُهُمْ وَيُحَدِّثُونَهُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَكْنِيهِ بِأَبِي الْمَسَاكِينِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو إِسْحَاقَ الْمَخْزُومِيُّ هُوَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْفَضْلِ الْمَدَنِيُّ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَلَهُ غَرَائِبُ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, অন্যের চেয়ে ভালোভাবে কুরআনের তাৎপর্য আমার জানা থাকা সত্ত্বেও আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যে কোনো সাহাবীর নিকট তার তাৎপর্য জানতে চাইতাম এ উদ্দেশে যাতে তিনি আমাকে (তার বাড়ীতে নিয়ে) কিছু খাওয়ান। আমি জাফর ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেই তিনি আমাকে জবাব না দিয়ে তার বাড়ীতে নিয়ে যেতেন, তারপর তার স্ত্রীকে বলতেন, হে আসমা! আমাদেরকে খানা খাওয়াও। তার স্ত্রী আমাদের খানা খাওয়ানোর পর তিনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতেন। জাফর (রাঃ) ছিলেন দরিদ্র্য বৎসল এবং তিনি তাদের সাথে উঠা-বসা করতেন, তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতেন এবং তারাও তাদের সাথে কথাবার্তা বলত। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে আবুল মাসাকীন (গরীবদের পিতা) উপনামে আখ্যায়ীত করেন।
অত্যন্ত দুর্বল, মিশকাত তাহকীক ছাণী (৬১৫২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আবূ ইসহাক আল-মাখযূমী হলেন ইবরাহীম ইবণূল ফা্যল আল-মাদীণী। কোন কোন হাদিসবিশেষজ্ঞ তার স্মৃতিশক্তির সমালোচনা কড়েছেণ। তিনি অনেক গারিব হাদিস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৩৭৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدُ، حَاتِمُ بْنُ سِيَاهٍ الْمَرْوَزِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنَّا نَدْعُو جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رضى الله عنه أَبَا الْمَسَاكِينِ فَكُنَّا إِذَا أَتَيْنَاهُ قَرَّبْنَا إِلَيْهِ مَا حَضَرَ فَأَتَيْنَاهُ يَوْمًا فَلَمْ يَجِدْ عِنْدَهُ شَيْئًا فَأَخْرَجَ جَرَّةً مِنْ عَسَلٍ فَكَسَرَهَا فَجَعَلْنَا نَلْعَقُ مِنْهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ হূরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা জা’ফর ইবনু আবী তালিবকে আবুল মাসাকীণ বলে সম্বোধন করতাম, আমরা যখন তার নিকট আগমন করতাম। উপস্থিত যা থাকতো তাই আমাদের সামনে নিয়ে আসত, একদিন আমরা তার নিকট আগমন করলে তিনি কিছুই পেলেন না, ফলে তিনি একটি মধুর মটকা নিয়ে এলেন এবং তা ভেঙ্গে ফেললেন, তারপর আমরা চেটে চেটে খেতে থাকলাম।
যঈফ, যঈফ ইবণূ মাজাহ(৯০১)।
আবূ ঈসা বলেনঃ আবূ হুরাইরা হতে সালামার সূত্রে বর্ণিত এ হাদিসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩১. অনুচ্ছেদঃ
আল-হাসান ইবনু ‘আলী এবং আল-হুসাইন ইবনু ‘আলী ইবনু আবী ত্বালীব (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৬৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ ” .
আবূ সা’ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল-হাসান ও আল-হুসাইন (রাঃ) প্রত্যেকেই জান্নাতী যুবকদের সরদার।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৭৯৬)
সুফ্ইয়ান ইবনু ওয়াকী’-জারীর ও মুহাম্মাদ ইবনু ফুযাইল হতে, তিনি ইয়াযীদ (রহঃ) হতে এই সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবু ‘ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু আবী নু‘ম হলেন ‘আব্দুর রহমান ইবনু আবী নু’ম আল-বাজালী, কূফার অধিবাসী। তার উপনাম আবুল হাকাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৬৯
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنِي مُسْلِمُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ النَّبَّالُ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ طَرَقْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي بَعْضِ الْحَاجَةِ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُشْتَمِلٌ عَلَى شَيْءٍ لاَ أَدْرِي مَا هُوَ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْ حَاجَتِي قُلْتُ مَا هَذَا الَّذِي أَنْتَ مُشْتَمِلٌ عَلَيْهِ قَالَ فَكَشَفَهُ فَإِذَا حَسَنٌ وَحُسَيْنٌ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ عَلَى وَرِكَيْهِ فَقَالَ “ هَذَانِ ابْنَاىَ وَابْنَا ابْنَتِي اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُمَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক রাতে আমার কোন দরকারে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম। অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন অবস্থায় বাইরে এলেন যে, একটা কিছু তাঁর পিঠে জড়ানো ছিল যা আমি অবগত ছিলাম না। আমি আমার দরকার সেরে অবসর হয়ে প্রশ্ন করলাম, আপনার দেহের সঙ্গে জড়ানো এটা কি? তিনি পরিধেয় বস্ত্র উন্মুক্ত করলে দেখা গেলো তাঁর দুই কোলে হাসান ও হুসাইন (রাঃ)। তিনি বললেন, এরা দু’জন আমার পুত্র এবং আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ্! আমি এদের দু’জনকে মুহাব্বাত করি। সুতরাং তুমি তাদেরকে মুহাব্বাত কর এবং যে ব্যক্তি এদেরকে মুহাব্বাত করবে, তুমি তাদেরকেও মুহাব্বাত কর।
হাসানঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৫৬)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭০
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ انْظُرُوا إِلَى هَذَا يَسْأَلُ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ هُمَا رَيْحَانَتَاىَ مِنَ الدُّنْيَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَمَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا .
আবদুর রহমান ইবনু আবী নু’ম (রহ:) থেকে বর্ণিতঃ
এক ইরাকবাসী মাছির রক্ত কাপড়ে লাগলে তার বিধান প্রসঙ্গে ইবনু ‘উমার (রাঃ)–এর কাছে জানতে চায়। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য কর, সে মাছির রক্ত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করছে। অথচ তারাই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পুত্রকে (নাতি হুসাইন) হত্যা করেছে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ আল-হাসান ও আল-হুসাইন দু’জন এই পৃথিবীতে আমার দু’টি সুগন্ধময় ফুল।
সহীহঃ মিশকাত (৬১৫৫), সহীহ (৫৬৪), বুখারী সংক্ষিপ্তভাবে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। শু’বাহ (রহঃ) এ হাদীস মাহদী ইবনু মাইমূন হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আবী ইয়া‘কূবের সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর বরাতেও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একই রকম হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭১
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، حَدَّثَنَا رَزِينٌ، قَالَ حَدَّثَتْنِي سَلْمَى، قَالَتْ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ وَهِيَ تَبْكِي فَقُلْتُ مَا يُبْكِيكِ قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – تَعْنِي فِي الْمَنَامِ – وَعَلَى رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ التُّرَابُ فَقُلْتُ مَا لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ “ شَهِدْتُ قَتْلَ الْحُسَيْنِ آنِفًا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
সালমা (আল-বাকরিয়া) (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি উম্মূ সালমা (রাঃ)–এর নিকট গিয়েছিলাম, তখন তিনি কাঁদছিলেন। আমি বললাম, কিসে আপনাকে কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, আমি স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি যে, তাঁর মাথায় ও দাড়িতে ধূলা জড়িয়ে আছে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ! আপনার কি হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি এইমাত্র হুসাইনের নিহত হওয়ার জায়গায় হাযির হয়েছি।
যঈফ, মিশকাত (৬১৫৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭২
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ أَهْلِ بَيْتِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ ” الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ ” . وَكَانَ يَقُولُ لِفَاطِمَةَ ” ادْعِي لِي ابْنَىَّ ” . فَيَشُمُّهُمَا وَيَضُمُّهُمَا إِلَيْهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হল, আপনার আহলে বাইত–এর সদস্যগণের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেনঃ আল-হাসান ও আল-হুসাইন। তিনি ফাতেমা (রাঃ)-কে বলতেনঃ আমার দুই সন্তানকে আমার কাছে ডাক। তিনি তাদের ঘ্রাণ নিতেন এবং নিজের বুকের সাথে লাগাতেন।
যঈফ, মিশকাত (৬১৫৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ আনাস (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا الأَشْعَثُ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ “ إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ يُصْلِحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . يَعْنِي الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ .
আবূ বাক্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে নাববীর) মিম্বারে উঠে বললেনঃ আমার এ পুত্র (হাসান) নেতা হবে এবং আল্লাহ্ তা‘আলা তার মাধ্যমে (মুসলমানদের) দু’টি বিবাদমান দলের মাঝে সমঝোতা স্থাপন করাবেন।
সহীহঃ রাওযুন্ নাযীর (৯২৩), ইরওয়া (১৫৯৭), বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। “এই পুত্র” দিয়ে আল-হাসান ইবনু ‘আলি(রাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭৪
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، : بُرَيْدَةَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُنَا إِذْ جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ عَلَيْهِمَا قَمِيصَانِ أَحْمَرَانِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمِنْبَرِ فَحَمَلَهُمَا وَوَضَعَهُمَا بَيْنَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ ” صَدَقَ اللَّهُ : ( إنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلاَدُكُمْ فِتْنَةٌ ) فَنَظَرْتُ إِلَى هَذَيْنِ الصَّبِيَّيْنِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ فَلَمْ أَصْبِرْ حَتَّى قَطَعْتُ حَدِيثِي وَرَفَعْتُهُمَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আমার পিতা বুরাইদাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ হাসান ও হুসাইন (রাঃ) লাল বর্ণের জামা পরিহিত অবস্থায় (শিশু হওয়ার কারণে) আছাড় খেতে খেতে হেঁটে আসেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বার হতে নেমে তাদের দু’জনকে তুলে এনে নিজের সম্মুখে বসান, তারপর বলেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা সত্যই বলেছেন, “তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি তো পরীক্ষা বিশেষ”-(সুরা তাগাবুন ১৫)। আমি তাকিয়ে দেখলাম এই শিশু দু’টি আছাড় খেতে খেতে হেঁটে আসছে। আমি আর সহ্য করতে পারলাম না, এমনকি আমার বক্তৃতা বন্ধ করে তাদেরকে তুলে নিতে বাধ্য হলাম।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৬০০) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র আল-হুসাইন ইবনু ওয়াকিদ-এর বর্ণনার প্রেক্ষিতেই এটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭৫
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ حُسَيْنٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْ حُسَيْنٍ أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا حُسَيْنٌ سِبْطٌ مِنَ الأَسْبَاطِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَإِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ .
ইয়া‘লা ইবনু মুর্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হুসাইন আমার হতে এবং আমি হুসাইন হতে। যে লোক হুসাইনকে মহাব্বত করে, আল্লাহ্ তাকে মুহাব্বাত করেন। নাতিগণের মাঝে একজন হল হুসাইন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (১৪৪)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উসমান ইবনু খুসাইমের সূত্রেই জেনেছি। একাধিক বর্ণনাকারী এটি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উসমান ইবনু খুসাইম হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمْ يَكُنْ مِنْهُمْ أَحَدٌ أَشْبَهَ بِرَسُولِ اللَّهِ مِنَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকদের মাঝে দৈহিক কাঠামোয় রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আল-হাসান ইবনু ‘আলীর তুলনায় বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিল না।
সহীহঃ বুখারী।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يُشْبِهُهُ . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ الزُّبَيْرِ .
আবূ জুহাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি দেখেছি। আল-হাসান ইবনু ‘আলী ছিলেন (দৈহিক কাঠামোয়) তাঁর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। পূর্বে (২৬৭৬) নং হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে আবু বাক্র আস-সিদ্দীক্ব, ইবনু ‘আব্বাস ও ইবনুয যুবাইর (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭৮
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ أَسْلَمَ أَبُو بَكْرٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، قَالَتْ حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ زِيَادٍ فَجِيءَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ فَجَعَلَ يَقُولُ بِقَضِيبٍ لَهُ فِي أَنْفِهِ وَيَقُولُ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا حُسْنًا لَمْ يُذْكَرْ . قَالَ قُلْتُ أَمَا إِنَّهُ كَانَ مِنْ أَشْبَهِهِمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবনু যিয়াদের নিকট হাজির ছিলাম। সে সময় আল-হুসাইন (রাঃ)-এর শির (কারবালা হতে) এনে হাজির করা হল। সে তাঁর নাকে ছড়ি মারতে মারতে (ব্যঙ্গোক্তি করে) বলতে লাগলো, এর ন্যায় সুশ্রী আমি কাউকে তো দেখিনি! বর্ণনাকারী বলেন, সে সময় আমি বললাম, সতর্ক হও! লোকদের মাঝে (দৈহিক কাঠামোয়) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আল-হুসাইন ইবনু ‘আলীর তুলনায় বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিল না।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৭০), বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৭৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ الْحَسَنُ أَشْبَهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ الصَّدْرِ إِلَى الرَّأْسِ وَالْحُسَيْنُ أَشْبَهُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا كَانَ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) বুক হতে মাথা পর্যন্ত অংশের সাথে আল-হাসানের শরীরের সাদৃশ্য ছিল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বুক হতে পা পর্যন্ত নীচের অংশের সাথে আল-হুসাইনের শরীরের সাদৃশ্য ছিল।
যঈফ, মিশকাত (৬১৬১)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮০
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ وَأَصْحَابِهِ نُضِّدَتْ فِي الْمَسْجِدِ فِي الرَّحَبَةِ فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِمْ وَهُمْ يَقُولُونَ قَدْ جَاءَتْ قَدْ جَاءَتْ . فَإِذَا حَيَّةٌ قَدْ جَاءَتْ تَخَلَّلُ الرُّءُوسَ حَتَّى دَخَلَتْ فِي مَنْخَرَىْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَمَكَثَتْ هُنَيْهَةً ثُمَّ خَرَجَتْ فَذَهَبَتْ حَتَّى تَغَيَّبَتْ ثُمَّ قَالُوا قَدْ جَاءَتْ قَدْ جَاءَتْ . فَفَعَلَتْ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উমারাহ ইবনু ‘উমাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ ও তার সাথীদের ছিন্ন মস্তক এনে কূফার আর-রাহ্বা নামক জায়গায় মাসজিদে স্তূপীকৃত করা হলে আমি সেখানে গেলাম। সে সময় লোকেরা এসে গেছে, এসে গেছে বলে চেঁচামিচি করতে লাগলো। দেখা গেলো একটি সাপ এসে ঐসব মাথাসমূহের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছিল। এমনকি সাপটি ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদের নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করে কিচ্ছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করল, তারপর বের হয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলো। লোকেরা আবারও চিৎকার করে বলতে লাগলো, এসে গেছে, এসে গেছে। এরুপে সাপটি দু’বার অথবা তিনবার এসে তার নাকের ছিদ্রে ঢুকে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর বের হয়ে যায়।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ سَأَلَتْنِي أُمِّي مَتَى عَهْدُكَ – تَعْنِي – بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَقُلْتُ مَا لِي بِهِ عَهْدٌ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا . فَنَالَتْ مِنِّي فَقُلْتُ لَهَا دَعِينِي آتِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأُصَلِّيَ مَعَهُ الْمَغْرِبَ وَأَسْأَلُهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لِي وَلَكِ . فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّيْتُ مَعَهُ الْمَغْرِبَ فَصَلَّى حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ ثُمَّ انْفَتَلَ فَتَبِعْتُهُ فَسَمِعَ صَوْتِي فَقَالَ ” مَنْ هَذَا حُذَيْفَةُ ” . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ ” مَا حَاجَتُكَ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ وَلأُمِّكَ ” . قَالَ ” إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ يَنْزِلِ الأَرْضَ قَطُّ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ أَنْ يُسَلِّمَ عَلَىَّ وَيُبَشِّرَنِي بِأَنَّ فَاطِمَةَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার মা আমাকে প্রশ্ন করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট তুমি কখন যাবে? আমি বললাম, আমি এতদিন হতে তাঁর নিকট উপস্থিত পরিত্যাগ করেছি। এতে তিনি আমার উপর নারাজ হন। আমি তাকে বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আমাকে মাগরিবের নামায আদায় করতে ছেড়ে দিন। তাহলে আমি তাঁর কাছে আমার ও আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করব। অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমি হাযির হয়ে তাঁর সাথে মাগরিবের নামায আদায় করলাম। তারপর তিনি নফল নামায আদায় করতে থাকলেন, অবশেষে তিনি এশার নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি বাড়ির দিকে যাত্রা করলেন এবং আমি তাঁর পিছু পিছু গেলাম। তিনি আমার আওয়াজ শুনতে পেলেন এবং প্রশ্ন করলেন, তুমি কে, হুযাইফাহ্? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তোমার কি দরকার, আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাকে এবং তোমার মাকে ক্ষমা করুন। তিনি বললেনঃ একজন ফেরেশতা যিনি আজকের এ রাতের আগে কখনও পৃথিবীতে অবতরণ করেননি। তিনি আমাকে সালাম করার জন্য এবং আমার জন্য এ সুখবর বয়ে আনার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে অনুমতি চেয়েছেনঃ ফাতিমাহ্ জান্নাতের নারীদের নেত্রী এবং হাসান ও হুসাইন জান্নাতের যুবকদের নেতা।
সহীহঃ তা‘লীকুর রাগীব (২০৫, ২০৬), মিশকাত (২১৬২), সহীহাহ্ (২৭৮৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র ইসরাঈলের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতেই জানতে পেরেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَبْصَرَ حَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আবিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান ও হুসাইনকে দেখে বললেনঃ হে আল্লাহ্। আমি এ দু’জনকে মুহাব্বাত করি, সুতরাং তুমিও তাদেরকে মুহাব্বাত কর।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৭৮৯)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَاضِعًا الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ عَلَى عَاتِقِهِ وَهُوَ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ الْفُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ
আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আলীর পুত্র হাসানকে তাঁর কাঁধে তুলে নিয়ে আমি বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ্! একে আমি মুহাব্বাত করি, অতএব তাকে তুমিও মুহাব্বাত কর।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৭৮৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটা ফুযাইল ইবনু মারযূক (রহঃ) বর্ণিত হাদীস অপেক্ষা বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَامِلَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ عَلَى عَاتِقِهِ فَقَالَ رَجُلٌ نِعْمَ الْمَرْكَبُ رَكِبْتَ يَا غُلاَمُ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ وَنِعْمَ الرَّاكِبُ هُوَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَزَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ قَدْ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা আলীর ছেলে হাসানকে স্বীয় কাঁধে বহণ করছিলেন। এক লোক বলেন, হে বালক! কতই না উত্তম বাহনে তুমি আরোহন করেছ! (তার মন্তব্য শুনে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সে কতই না উত্তম আরোহী।
যঈফ, মিশকাত (৬১৬৩),
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু আলোচ্য সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। হাদীসের কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম যাম্আ ইবনু সালিহ্কে তার স্মৃতিশক্তির কারণে যঈফ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৭৮৫
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ كَثِيرٍ النَّوَّاءِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ نَجْبَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ كُلَّ نَبِيٍّ أُعْطِيَ سَبْعَةَ نُجَبَاءَ أَوْ نُقَبَاءَ وَأُعْطِيتُ أَنَا أَرْبَعَةَ عَشَرَ ” . قُلْنَا مَنْ هُمَ قَالَ أَنَا وَابْنَاىَ وَجَعْفَرٌ وَحَمْزَةُ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَبِلاَلٌ وَسَلْمَانُ وَالْمِقْدَادُ وَأَبُو ذَرٍّ وَعَمَّارٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا .
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীকে সাতজন করে প্রতিনিধি দান করা হয়েছে এবং আমাকে দান করা হয়েছে চৌদ্দজন। আমরা বললাম, তারা কারা? তিনি বললেনঃ আমি (আলী), আমার দুই পুত্র (হাসান ও হুসাইন), জাফর, হামযা, আবূ বাক্র, উমার, মুসআব ইবনু উমাইর, বিলাল, সালমান, আল-মিকদাদ, হুযাইফা, আম্মার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬২৪৬)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। এ হাদীস আলী (রাঃ) হতে মাওকূফরুপেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস