তিরমিজি রাসূলুল্লাহ (সা) ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৩৬০৫ – ৩৬৯৫
১. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মর্যাদা
৩৬০৫
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ أَسْلَمَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِبْرَاهِيمَ إِسْمَاعِيلَ وَاصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ بَنِي كِنَانَةَ وَاصْطَفَى مِنْ بَنِي كِنَانَةَ قُرَيْشًا وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ওয়াসিলাহ্ ইবনুল আসক্বা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইব্রাহীম (‘আঃ)-এর সন্তানদের মধ্য হতে ইসমাঈল (‘আঃ)-কে বেছে নিয়েছেন এবং ইসমাঈল-এর বংশে কিনানাহ্ গোত্রকে বংশ বেছে নিয়েছেন, কিনানাহ্ গোত্র হতে কুরাইশ বংশকে বেছে নিয়েছেন, কুরাইশ বংশ থেকে হাশিম উপগোত্রকে বেছে নিয়েছেন এবং বানী হাশিম হতে আমাকে বেছে নিয়েছেন।
ইবরাহীম (‘আঃ)-এর সন্তানদের মধ্যে হতে ইসমাঈল (‘আঃ)-কে বেছে নিয়েছেন” অংশটুকু ব্যতীত হাদীসটি সহীহ। সহীহাহ্ (৩০২) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৬০৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي وَاثِلَةُ بْنُ الأَسْقَعِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى كِنَانَةَ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَاصْطَفَى قُرَيْشًا مِنْ كِنَانَةَ وَاصْطَفَى هَاشِمًا مِنْ قُرَيْشٍ وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ওয়াসিলাহ্ ইবনুল আস্ক্বা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইসমাঈল (‘আঃ)এর বংশধর হতে কিনানাহ্ গোত্রকে বাছাই করেছেন, কিনানাহ্ গোত্র হতে কুরাইশকে বাছাই করেছেন, আবার কুরাইশদের মধ্য হতে হাশিমকে বাছাই করেছেন এবং বনূ হাশিম হতে আমাকে বাছাই করেছেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৩০২), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬০৭
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قُرَيْشًا جَلَسُوا فَتَذَاكَرُوا أَحْسَابَهُمْ بَيْنَهُمْ فَجَعَلُوا مَثَلَكَ كَمَثَلِ نَخْلَةٍ فِي كَبْوَةٍ مِنَ الأَرْضِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِهِمْ مِنْ خَيْرِ فِرَقِهِمْ وَخَيْرِ الْفَرِيقَيْنِ ثُمَّ تَخَيَّرَ الْقَبَائِلَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِ قَبِيلَةٍ ثُمَّ تَخَيَّرَ الْبُيُوتَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِ بُيُوتِهِمْ فَأَنَا خَيْرُهُمْ نَفْسًا وَخَيْرُهُمْ بَيْتًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ هُوَ ابْنُ نَوْفَلٍ .
আল-আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কুরাইশগণ এক সাথে বসে একে অপরে তাদের বংশমর্যাদা প্রসঙ্গে আলোচনা করে এবং মাটিতে আবর্জনার স্তুপের উপরকার খেজুর গাছের সাথে আপনাকে তুলনা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা সকল জীব সৃষ্টি করেছেন এবং আমাকে তাদের সব চাইতে ভাল গোত্রে সৃষ্টি করেছেন এবং দুই দলকে তিনি বেছে নেন (ইসহাক ও ইসমাঈল বংশ), তারপর গোত্র ও বংশগুলোকে তিনি বাছাই করেন এবং আমাকে সবচাইতে ভাল বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরসমূহ বাছাই করেছেন এবং আমাকে সেই ঘরগুলোর মধ্যে সবচাইতে ভাল ঘরে সৃষ্টি করেছেন। অতএব আমি ব্যক্তিসত্তায় তাদের সবচাইতে উত্তম বংশ-খান্দানেও সবার চাইতে উত্তম।
যঈফ, নাকদুল কাত্তানী (৩১-৩২), যঈফা (৩০৭৩)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস হলেন ইবনু নাওফাল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬০৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ، قَالَ جَاءَ الْعَبَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَأَنَّهُ سَمِعَ شَيْئًا فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ ” مَنْ أَنَا ” . قَالُوا أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ عَلَيْكَ السَّلاَمُ . قَالَ ” أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ ثُمَّ جَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ فِرْقَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبِيلَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا وَخَيْرِهِمْ نَفْسًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرُوِيَ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ نَحْوُ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ .
আল-মুত্তালিব ইবনু আবু ওয়াদাআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল-আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকটে এলেন। মনে হয় তিনি কিছু (কুরাইশদের মন্তব্য) শুনে এসেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিয়ারে উঠে দাড়িয়ে বললেনঃ আমি কে? সাহাবীগণ বললেন, আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তিনি বললেনঃ আমি মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল মুত্তালিব। আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের মধ্যে সবচাইতে ভাল লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তারপর তিনি তার সৃষ্টিকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যকার উত্তম দল হতে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তাদেরকে কিছু গোত্রে ভাগ করেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যকার ভাল গোত্র হতে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তাদেরকে কিছু পরিবারে ভাগ করেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যকার সবচাইতে ভাল পরিবারে ও ভাল ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন।
যঈফ, যঈফা (৩০৭৩)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬০৯
حَدَّثَنَا أَبُو هَمَّامٍ الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ قَالَ “ وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ مَيْسَرَةَ الْفَجْرِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনার নবূওয়াত কখন অবধারিত হয়েছে? তিনি বললেনঃ যখন আদম (‘আঃ) তাঁর শরীর ও রুহের মধ্যে ছিল।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৮৫৬), মিশকাত (৫৭৫৮) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। উপর্যুক্ত সনদেই আমরা শুধুমাত্র হাদীসটি অবগত হয়েছি। মাইসারাহ্ আল-ফাজ্র হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬১০
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنَا أَوَّلُ النَّاسِ خُرُوجًا إِذَا بُعِثُوا وَأَنَا خَطِيبُهُمْ إِذَا وَفَدُوا وَأَنَا مُبَشِّرُهُمْ إِذَا أَيِسُوا لِوَاءُ الْحَمْدِ يَوْمَئِذٍ بِيَدِي وَأَنَا أَكْرَمُ وَلَدِ آدَمَ عَلَى رَبِّي وَلاَ فَخْرَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে দিন লোকদেরকে উঠানো হবে (কবর হতে কিয়ামাতের মাঠে) সেদিন আমিই সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশকারী হব। যখন সকল মানুষ আল্লাহ্ তা’আলার আদালতে একত্র হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য উত্থাপন করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশাগ্রস্ত হবে তখন আমিই তাদের সুখবর প্রদানকারী হব। সে দিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। আমার প্রতিপালকের নিকট আদম-সন্তানদের মধ্যে আমিই সবচাইতে সম্মানিত, এতে গর্বের কিছু নেই।
যঈফ, মিশকাত (৫৭৬৫)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গরীব সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬১১
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ يَزِيدَ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ فَأُكْسَى الْحُلَّةَ مِنْ حُلَلِ الْجَنَّةِ ثُمَّ أَقُومُ عَنْ يَمِينِ الْعَرْشِ لَيْسَ أَحَدٌ مِنَ الْخَلاَئِقِ يَقُومُ ذَلِكَ الْمَقَامَ غَيْرِي ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যার জন্য যমিন ফাক করা হবে (সবার আগে আমিই কবর হতে উঠবো)। তারপর আমাকে জান্নাতের (একজোড়া) পোশাক পরানো হবে। তারপর আমি আরশের ডান পাশে গিয়ে দাড়াব। আমি ছাড়া সৃষ্টিকুলের কেউই সেই জায়গায় দাড়াতে পারবে না।
যঈফ, মিশকাত (৫৭৬৬)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গরীব সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬১২
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ لَيْثٍ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمٍ حَدَّثَنِي كَعْبٌ، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” سَلُوا اللَّهَ لِيَ الْوَسِيلَةَ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْوَسِيلَةُ قَالَ ” أَعْلَى دَرَجَةٍ فِي الْجَنَّةِ لاَ يَنَالُهَا إِلاَّ رَجُلٌ وَاحِدٌ أَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ . وَكَعْبٌ لَيْسَ هُوَ بِمَعْرُوفٍ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَى عَنْهُ غَيْرَ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার জন্য তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে ওয়াসীলাহ্ কামনা কর। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! ওয়াসীলাহ্ কি? তিনি বললেনঃ জান্নাতের সবচাইতে উঁচু স্তর। শুধুমাত্র এক লোকই তা অর্জন করবে। আশা করি আমিই হব সেই ব্যক্তি।
সহীহঃ মিশকাত (৫৭৬৭), মুসলিম (২/৪) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব এবং এর সনদ খুব একটা মাজবুত নয়। কা’ব সুপরিচিত ব্যক্তি নন। লাইস ইবনু আবী সুলাইম ছাড়া আর কেউ তার হতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَثَلِي فِي النَّبِيِّينَ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا فَأَحْسَنَهَا وَأَكْمَلَهَا وَأَجْمَلَهَا وَتَرَكَ مِنْهَا مَوْضِعَ لَبِنَةٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِالْبِنَاءِ وَيَعْجَبُونَ مِنْهُ وَيَقُولُونَ لَوْ تَمَّ مَوْضِعُ تِلْكَ اللَّبِنَةِ وَأَنَا فِي النَّبِيِّينَ مَوْضِعُ تِلْكَ اللَّبِنَةِ ” .
উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (পূর্ববর্তী) নাবীগণের মাঝে আমার উপমা সেই লোকের মত যে একটি সুরম্য, সম্পূর্ণ ও সুশোভিত প্রাসাদ নির্মাণ করল, কিন্তু একটি ইটের জায়গা অসম্পূর্ণ রেখে দিল। জনগণ প্রাসাদটি প্রদক্ষিণ করত এবং তাতে অবাক হয়ে বলত, যদি তার নির্মাণকারী ঐ ইটের জায়গাটি পূর্ণ করত! অতএব আমি নাবীগণের মাঝে সেই ইটের জায়গার সমতুল্য।
সহীহঃ তাখরীজু ফিক্সিহ সীরাহ্ (১৪১), বুখারী ও মুসলিম জাবিরও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
একই সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ ক্বিয়ামতের দিন আমিই হব নাবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপাত্র এবং তাদের সুপারিশকারী, এতে কোন গর্ব নেই।
হাসানঃ মিশকাত (৫৭৬৮) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৬১৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، أَخْبَرَنَا كَعْبُ بْنُ عَلْقَمَةَ، سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا لِيَ الْوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الْجَنَّةِ لاَ تَنْبَغِي إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ وَمَنْ سَأَلَ لِيَ الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ عَلَيْهِ الشَّفَاعَةُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ مُحَمَّدٌ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ هَذَا قُرَشِيٌّ مِصْرِيٌّ مَدَنِيٌّ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ شَامِيٌّ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা মু’আযযিনের আযান যখন শুনবে সে সময় তোমরা তার মতো বলবে, তারপর আমার উপর দরূদ পড়বে। কেননা যে লোক আমার প্রতি একবার দরূদ পড়ে আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি এর বিনিময়ে দশবার দয়া বর্ষণ করেন। তারপর আমার জন্য তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকটে ওয়াসীলাহ্ প্রার্থণা কর। কেননা ওয়াসীলাহ্ হল জান্নাতের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ জায়গা যা আল্লাহ তা’আলার বান্দাদের মাঝে শুধুমাত্র একজনই অর্জন করবে। আশা করি আমিই হব সেই বান্দা। আমার জন্য যে লোক উসীলা প্রার্থণা করল তার জন্য (আমার) সুপারিশ অবধারিত হল।
সহীহঃ ইরওয়া (২৪২), তা’লীক্ব ‘আলা বিদাইয়াতিস্ সূল (২০/৫২), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইমাম মুহাম্মদ [বুখারী (রহঃ)] বলেন, এই ‘আব্দুর রহমান ইবনু জুবাইর হলেন কুরাশী ও মিসররিয্ মাদীনাবাসী এবং ‘আব্দুর রহমান ইবনু জুবাইর ইবনু নুফাইর হলেন সিরিয়ার অধিবাসী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬১৫
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَبِيَدِي لِوَاءُ الْحَمْدِ وَلاَ فَخْرَ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ يَوْمَئِذٍ آدَمُ فَمَنْ سِوَاهُ إِلاَّ تَحْتَ لِوَائِي وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ وَلاَ فَخْرَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ সা’ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন আমি আদম-সন্তানদের ইমাম (নেতা) হব, এতে অহংকার নেই। হামদের (আল্লাহ তা’আলার প্রশংসার) পতাকা আমার হাতেই থাকবে, এতেও গর্ব নেই। সে দিন আল্লাহ তা’আলার নবী আদম (‘আঃ) এবং নাবীগণের সকলেই আমার পতাকার নীচে থাকবেন। সর্বপ্রথম আমার জন্য মাটিকে বিদীর্ণ করা হবে, এতে কোন অহংকার নেই।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৪৩০৮) এর কিছু অংশ মুসলিমেও আছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসে একটি ঘটনা আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এই সানাদে বর্ণিত আছে যে, আবূ নাজরাহ্ ইবনু ‘আব্বাস হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬১৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَلَسَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْتَظِرُونَهُ قَالَ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْهُمْ سَمِعَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ فَسَمِعَ حَدِيثَهُمْ فَقَالَ بَعْضُهُمْ عَجَبًا إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ اتَّخَذَ مِنْ خَلْقِهِ خَلِيلاً اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلاً . وَقَالَ آخَرُ مَاذَا بِأَعْجَبَ مِنْ كَلاَمِ مُوسَى كَلَّمَهُ تَكْلِيمًا وَقَالَ آخَرُ فَعِيسَى كَلِمَةُ اللَّهِ وَرُوحُهُ . وَقَالَ آخَرُ آدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ فَسَلَّمَ وَقَالَ “ قَدْ سَمِعْتُ كَلاَمَكُمْ وَعَجَبَكُمْ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلُ اللَّهِ وَهُوَ كَذَلِكَ وَمُوسَى نَجِيُّ اللَّهِ وَهُوَ كَذَلِكَ وَعِيسَى رُوحُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ وَهُوَ كَذَلِكَ وَآدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ وَهُوَ كَذَلِكَ أَلاَ وَأَنَا حَبِيبُ اللَّهِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا حَامِلُ لِوَاءِ الْحَمْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُحَرِّكُ حِلَقَ الْجَنَّةِ فَيَفْتَحُ اللَّهُ لِيَ فَيُدْخِلُنِيهَا وَمَعِي فُقَرَاءُ الْمُؤْمِنِينَ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَكْرَمُ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ وَلاَ فَخْرَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) কিছু সাহাবী তাঁর প্রতীক্ষায় বসে ছিলেন। রাবী বলেন, তিনি বের হয়ে তাদের নিকট এসে তাদের কথাবার্তা শুনলেন। তাদের কেউ বললেন, বিস্ময়ের বিষয়। আল্লাহ তা’আলা তার সৃষ্টিকুলের মধ্য হতে (একজনকে) নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়েছেন। তিনি ইবরাহীম (আঃ)-কে নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়েছেন। আরেকজন বললেন, এর চেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হলঃ মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে তাঁর সরাসরি কথাবার্তা। আরেকজন বললেন, ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর কালিমা (“কুন” (হও) দ্বারা সৃষ্ট) এবং তাঁর দেয়া রূহ। আরেকজন বললেন, আদম আলাইহিস সালাম-কে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিকটে বের হয়ে তাদেরকে সালাম করে বললেনঃ আমি তোমাদের কথাবার্তা ও তোমাদের বিস্ময়ের ব্যাপারটা শুনেছি। নিশ্চয় ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সত্যিই তিনি তাই। মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার সাথে বাক্যালাপকারী, সত্যিই তিনি তাই। ঈসা আলাইহিস সালাম তার রূহ ও কালিমা, সত্যিই তিনি তাই। আর আদম আলাইহিস সালাম-কে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেছেন, সত্যিই তিনিও তাই। কিন্তু আমি আল্লাহ্ তা’আলার হাবীব (প্রিয় বন্ধু), তাতে কোন গর্ব নেই। কিয়ামাত দিবসে আমিই হব প্রশংসার পতাকা বহনকারী তাতে কোন গর্ব নেই। কিয়ামাতের দিন আমিই সর্বপ্রথম শাফাআতকারী এবং সর্ব প্রথমে আমার শাফাআতই ক্ববূল হবে, তাতেও কোন গর্ব নেই। সর্ব প্রথমে আমিই জান্নাতের (দরজার) কড়া নাড়ব। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা আমার জন্য তার দরজা খুলে দিবেন, আমাকেই সর্বপ্রথম জান্নাতে পাঠাবেন এবং আমার সাথে থাকবে গরীব মু’মিনগণও, এতেও গর্বের কিছু নেই। আমি আগে ও পরের সকল লোকের মধ্যে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্মানিত, এতেও গর্বের কিছু নেই।
যঈফ, মিশকাত (৫৭৬২)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬১৭
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنِي أَبُو مَوْدُودٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الضَّحَّاكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ مَكْتُوبٌ فِي التَّوْرَاةِ صِفَةُ مُحَمَّدٍ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ يُدْفَنُ مَعَهُ . قَالَ فَقَالَ أَبُو مَوْدُودٍ وَقَدْ بَقِيَ فِي الْبَيْتِ مَوْضِعُ قَبْرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . هَكَذَا قَالَ عُثْمَانُ بْنُ الضَّحَّاكِ وَالْمَعْرُوفُ الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ الْمَدَنِيُّ .
মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ ইবনি আব্দিল্লাহ ইবনি সালাম তার পিতা হতে তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
(তার দাদা) বলেছেন তাওরাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ঈসা আলাইহিস সালাম-এর গুনাবলী লিখা আছে এবং তাকে (ঈসা আলাইহিস সালাম-কে) তার সাথে দাফন করা হবে। আবু মাওদুদ বলেন (আইশা (রাঃ) ঘরে কবরের জন্য জায়গা অবশিষ্ট আছে।
যঈফ, মিশকাত (৫৭৭২)
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গরীব। রাবী আবু মাওদূদ উসমান ইবনু আয-যাহ্হাক এরূপ বলেছেন। অবশ্য তিনি আযযাহহাক ইবনু উসমান আল-মাদীনী হিসেবেই পরিচিত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬১৮
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي دَخَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ وَمَا نَفَضْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَيْدِي وَإِنَّا لَفِي دَفْنِهِ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দিন হিজরত করে মাদীনায় প্রবেশ করেন সেদিন সেখানকার প্রতিটি জিনিস জ্যোতির্ময় হয়ে যায়। তারপর যে দিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন সেদিন আবার সেখানকার প্রত্যেকটি বস্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। তাঁর দাফনকার্য আমরা সমাপ্ত করে হাত থেকে ধূলা না ঝাড়তেই আমাদের মনে পরিবর্তন এসে গেল (ঈমানের জোর কমে গেল) ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৬৩১) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) জন্ম হওয়া প্রসঙ্গে
৩৬১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ وُلِدْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفِيلِ . وَسَأَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ قُبَاثَ بْنَ أَشْيَمَ أَخَا بَنِي يَعْمُرَ بْنِ لَيْثٍ أَأَنْتَ أَكْبَرُ أَمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكْبَرُ مِنِّي وَأَنَا أَقْدَمُ مِنْهُ فِي الْمِيلاَدِ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفِيلِ وَرَفَعَتْ بِي أُمِّي عَلَى الْمَوْضِعِ قَالَ وَرَأَيْتُ خَذْقَ الْفِيلِ أَخْضَرَ مُحِيلاً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ .
কাইস ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হস্তী বছরে (আবরাহার বাহিনী ধ্বংসের বছর) জন্মগ্রহণ করি। তিনি বলেন, ইয়াসার ইবনু লাইস গোত্রীয় কুবাস ইবনু আশইয়ামকে উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) প্রশ্ন করেন, আপনি বড় নাকি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার চাইতে অনেক বড়, তবে আমি তাঁর আগে জন্মগ্রহণ করি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতীর বছর জন্ম গ্রহণ করেছেন। আমার মা আমাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেলেন যেখানে গিয়ে আমি পাখিগুলোর (হাতিগুলোর) মলের রং সবুজে বদল হয়ে যেতে দেখেছি।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩. অনুচ্ছেদঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের আবির্ভাব
৩৬২০
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ أَبُو الْعَبَّاسِ الأَعْرَجُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ أَبُو نُوحٍ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجَ أَبُو طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ وَخَرَجَ مَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي أَشْيَاخٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَشْرَفُوا عَلَى الرَّاهِبِ هَبَطُوا فَحَلُّوا رِحَالَهُمْ فَخَرَجَ إِلَيْهِمُ الرَّاهِبُ وَكَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ يَمُرُّونَ بِهِ فَلاَ يَخْرُجُ إِلَيْهِمْ وَلاَ يَلْتَفِتُ . قَالَ فَهُمْ يَحُلُّونَ رِحَالَهُمْ فَجَعَلَ يَتَخَلَّلُهُمُ الرَّاهِبُ حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هَذَا سَيِّدُ الْعَالَمِينَ هَذَا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ يَبْعَثُهُ اللَّهُ رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ . فَقَالَ لَهُ أَشْيَاخٌ مِنْ قُرَيْشٍ مَا عِلْمُكَ فَقَالَ إِنَّكُمْ حِينَ أَشْرَفْتُمْ مِنَ الْعَقَبَةِ لَمْ يَبْقَ شَجَرٌ وَلاَ حَجَرٌ إِلاَّ خَرَّ سَاجِدًا وَلاَ يَسْجُدَانِ إِلاَّ لِنَبِيٍّ وَإِنِّي أَعْرِفُهُ بِخَاتَمِ النُّبُوَّةِ أَسْفَلَ مِنْ غُضْرُوفِ كَتِفِهِ مِثْلَ التُّفَّاحَةِ . ثُمَّ رَجَعَ فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا فَلَمَّا أَتَاهُمْ بِهِ وَكَانَ هُوَ فِي رِعْيَةِ الإِبِلِ قَالَ أَرْسِلُوا إِلَيْهِ فَأَقْبَلَ وَعَلَيْهِ غَمَامَةٌ تُظِلُّهُ فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْقَوْمِ وَجَدَهُمْ قَدْ سَبَقُوهُ إِلَى فَىْءِ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا جَلَسَ مَالَ فَىْءُ الشَّجَرَةِ عَلَيْهِ فَقَالَ انْظُرُوا إِلَى فَىْءِ الشَّجَرَةِ مَالَ عَلَيْهِ . قَالَ فَبَيْنَمَا هُوَ قَائِمٌ عَلَيْهِمْ وَهُوَ يُنَاشِدُهُمْ أَنْ لاَ يَذْهَبُوا بِهِ إِلَى الرُّومِ فَإِنَّ الرُّومَ إِذَا رَأَوْهُ عَرَفُوهُ بِالصِّفَةِ فَيَقْتُلُونَهُ فَالْتَفَتَ فَإِذَا بِسَبْعَةٍ قَدْ أَقْبَلُوا مِنَ الرُّومِ فَاسْتَقْبَلَهُمْ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكُمْ قَالُوا جِئْنَا أَنَّ هَذَا النَّبِيَّ خَارِجٌ فِي هَذَا الشَّهْرِ فَلَمْ يَبْقَ طَرِيقٌ إِلاَّ بُعِثَ إِلَيْهِ بِأُنَاسٍ وَإِنَّا قَدْ أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ بُعِثْنَا إِلَى طَرِيقِكَ هَذَا فَقَالَ هَلْ خَلْفَكُمْ أَحَدٌ هُوَ خَيْرٌ مِنْكُمْ قَالُوا إِنَّمَا أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ بِطَرِيقِكَ هَذَا . قَالَ أَفَرَأَيْتُمْ أَمْرًا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَقْضِيَهُ هَلْ يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ رَدَّهُ قَالُوا لاَ . قَالَ فَبَايَعُوهُ وَأَقَامُوا مَعَهُ قَالَ أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ أَيُّكُمْ وَلِيُّهُ قَالُوا أَبُو طَالِبٍ فَلَمْ يَزَلْ يُنَاشِدُهُ حَتَّى رَدَّهُ أَبُو طَالِبٍ وَبَعَثَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ بِلاَلاً وَزَوَّدَهُ الرَّاهِبُ مِنَ الْكَعْكِ وَالزَّيْتِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ মূসা আল–আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ মূসা আল–আশ’আরী (রাঃ) বলেনঃ কিছু প্রবীণ কুরাইশসহ আবূ তালিব (ব্যবসার উদ্দেশ্যে) সিরিয়ার দিকে রওয়ানা হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে রওয়ানা হন। তারা (বুহাইরাহ্) পাদ্রীর নিকট পৌঁছে তাদের নিজেদের সওয়ারী থেকে মালপত্র নামাতে থাকে, তখন উক্ত পাদ্রী (গীর্জা থেকে বেরিয়ে) তাদের নিকটে এলেন। অথচ এ কাফিলা এর আগে অনেকবার এখান দিয়ে চলাচল করেছে কিন্তু তিনি কখনও তাদের নিকট (গীর্জা) বেরিয়ে আসেননি বা তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করেননি। রাবী বলেন, লোকেরা তাদের বাহন থেকে সামানপত্র নামাতে ব্যস্ত থাকাবস্থায় উক্ত পাদ্রী তাদের ভেতরে ঢোকেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাত ধরে বলেন, ইনি “সাইয়্যিদুল ‘আলামীন” (বিশ্ববাসীর নেতা), ইনি রাসূল রাব্বিল ‘আলামীন (বিশ্ববাসীর প্রতিপালকের রাসূল) এবং আল্লাহ তা’আলা তাঁকে রহমাতুল্লিল ‘আলামীন করে (বিশ্ববাসীর জন্য করুণা স্বরূপ) পাঠাবেন। তখন কুরাইশদের বৃদ্ধ লোকেরা তাকে প্রশ্ন করে, কে আপনাকে জানিয়েছে? তিনি বলেন, যখন তোমরা এ উপত্যকা হতে নামছিলে, (তখন আমি লক্ষ্য করেছি যে,) প্রতিটি গাছ ও পাথর সিজদায় লুটিয়ে পড়ছে। এই দু’টি নবী ব্যতীত অন্য কোন সৃষ্টিকে সাজদাহ্ করে না। এতদভিন্ন তাঁর ঘারের নীচে আপেল সদৃশ গোলাকার মোহরে নবুওয়াতের সাহায্যে আমি তাঁকে চিনেছি। পাদ্রী তার খানকায় ফিরে গিয়ে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন। তিনি খাদ্যদ্রব্যসহ যখন তাদের নিকটে এলেন তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটের পাল চরাতে গিয়েছিলেন। পাদ্রী বলেন, তোমরা তাকে ডেকে আনার ব্যবস্থা কর। অতএব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে এলেন, তখন একখন্ড মেঘ তাঁর উপর ছায়া বিস্তার করেছিল এবং কাফিলার লোকেরা যারা তাঁর পূর্বেই এসেছিল তাদেরকে তিনি গাছে ছায়ায় বসা অবস্থায় পেলেন। তিনি বসলে গাছের ছায়া তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ে। পাদ্রী বলেন, তোমরা গাছের ছায়ার দিকে লক্ষ্য কর, ছায়াটি তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। রাবী বলেন, ইত্যবসরে পাদ্রী তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে তাদেরকে শপথ দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা তাঁকে নিয়ে রোম সাম্রাজ্যে যেও না। কেননা রূমীয়রা যদি তাঁকে দেখে তাহলে তাঁকে চিহ্নগুলোর দ্বারা সনাক্ত করে ফেলবে এবং তাঁকে মেরে ফেলবে। এমতাবস্থায় পাদ্রী লক্ষ্য করেন যে, রূমের সাতজন লোক তাদের দিকে আসছে। পাদ্রী তাদের দিকে অগ্রসর হয়ে প্রশ্ন করেন, তোমরা কেন এসেছ? তারা বলে, এ মাসে আখিরী যামানার নবীর আগমন ঘটবে। তাই চলাচলের প্রতিটি রাস্তায় লোক পাঠানো হয়েছে, তাই আমাদেরকে আপনাদের পথে পাঠানো হয়েছে। পাদ্রী রোমীয় নাগরিকদের প্রশ্ন করেন, তোমাদের পেছনে তোমাদের চেয়েও ভাল কোন ব্যক্তি আছে কি (কোন পাদ্রী তোমাদেরক এই নাবীর সংবাদ দিয়েছে কি)? তারা বলল, আপনার এ রাস্তায়ই আমাদেরকে ঐ নাবীর আসার খবর দেয়া হয়েছে। পাদ্রী বলেন, তোমাদের কি মত, আল্লাহ তা’আলা যদি কোন কাজ করার ইচ্ছা করেন তবে কোন মানুষের পক্ষে তা প্রতিহত করা কি সম্ভব? তারা বলল, না (অর্থাৎ শেষ যামানার নাবীর আগমন ঘটবেই, কোন মানুষ তা ঠেকাতে পারবে না) । রাবী বলেন, তারপর তারা তাঁর নিকট আনুগত্যের শপথ করে এবং তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করে। তারপর পাদ্রী (কুরাইশ কাফিলাকে) আল্লাহ্র নামে শপথ করে প্রশ্ন করেন, তোমাদের মধ্যে কে তাঁর অভিভাবক? লোকেরা বলল, আবূ তালিব। পাদ্রী আবূ তালিবকে অবিরতভাবে আল্লাহ তা’আলার নামে শপথ করে তাঁকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আবূ তালিব নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে (মক্কায়) ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং আবূ বাক্র (রাঃ) বিলাল (রাঃ) কে তাঁর সাথে দেন। আর পাদ্রী তাঁকে পাথেয় হিসেবে কিছু রুটি ও যাইতূনের তৈল দেন।
সহীহ ফিক্হুস সীরাহ, দিফা ‘আনিল হাদীসিন নাবাবী (৬২-৭২), মিশকাত (৫৯১৮), তবে বিলালের উল্লেখটুকু মুনকার বলে কথিত।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সনদসূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৪. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নবুওয়াত লাভ এবং নবুওয়াত লাভকালে তাঁর বয়স কত ছিল?
৩৬২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعِينَ فَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرًا وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর চল্লিশ বছর বয়সে ওয়াহী অবতীর্ণ হয়। অতঃপর তিনি মাক্কায় তের বছর ও মাদীনায় দশ বছর বসবাস করেন এবং যখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন সে সময় তাঁর বয়স ছিল তেষট্টি বছর।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৩১৭), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ وَهَكَذَا حَدَّثَنَا هُوَ يَعْنِي ابْنَ بَشَّارٍ وَرَوَى عَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ مِثْلَ ذَلِكَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল পঁয়ষট্টি বছর।
শাজ, প্রাগুক্ত
আবূ ঈসা বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার আমাদের নিকট এরূপই বর্ণনা করেছেন এবং মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী)-ও তার হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ শায
- সরাসরি
৩৬২৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ الْمُتَرَدِّدِ وَلاَ بِالأَبْيَضِ الأَمْهَقِ وَلاَ بِالآدَمِ وَلَيْسَ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلاَ بِالسَّبِطِ بَعَثَهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُونَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিক লম্বাও ছিলেন না এবং অতি বেঁটেও ছিলেন না। তিনি অতিরিক্ত সাদাও ছিলেন না, আবার বেশী তামাটে বর্ণও ছিলেন না। তাঁর মাথার চুল একেবারে ঘন কুকড়ানো ছিল না এবং একেবারে খাড়াও ছিল না। আল্লাহ তা’আলা চল্লিশ বছর বয়সে তাঁকে নবূওয়াত দান করেন। তাপর তিনি মাক্কায় দশ বছর ও মাদীনায় দশ বছর বসবাস করেন। আল্লাহ তা’আলা ষাট বছরের মাথায় তাঁকে মৃত্যু দান করেন। সে সময় তাঁর মাথা ও দাড়ির বিশটি চুলও সাদা হয়নি।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১) ১৭৫৪ নং হাদীসে এর প্রথমাংশ বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের নিদর্শনাবলী এবং যে বিশেষ গুণে আল্লাহ তা’আলা তাঁকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন
৩৬২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ أَنْبَأَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُعَاذٍ الضَّبِّيُّ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ بِمَكَّةَ حَجَرًا كَانَ يُسَلِّمُ عَلَىَّ لَيَالِيَ بُعِثْتُ إِنِّي لأَعْرِفُهُ الآنَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই মাক্কায় একখানা পাথর আছে যা আমার নবূয়াত অর্জনের রাতগুলোতে আমাকে সালাম করত। আমি এখনও অবশ্যই পাথরখানাকে চিহ্নিত করতে পারি।
সহীহঃ মুসলিম (৭/৮৫) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَتَدَاوَلُ مِنْ قَصْعَةٍ مِنْ غُدْوَةٍ حَتَّى اللَّيْلِ يَقُومُ عَشَرَةٌ وَيَقْعُدُ عَشَرَةٌ . قُلْنَا فَمَا كَانَتْ تُمَدُّ قَالَ مِنْ أَىِّ شَيْءٍ تَعْجَبُ مَا كَانَتْ تُمَدُّ إِلاَّ مِنْ هَا هُنَا وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى السَّمَاءِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو الْعَلاَءِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ .
সামুরাহ্ ইবনু জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি একটি পাত্র হতে আহার করতাম। দশজন আহার করে চলে যেত এবং আবার দশজন খেতে বসত। আবুল ‘আলা বলেন, আমরা (সামুরাকে) প্রশ্ন করলাম, আপনাদের এ সহযোগিতা কোথা হতে আসত? সামুরাহ্ (রাঃ) বললেন, কিসে তুমি আশ্চর্য প্রকাশ করছ। এই দিক দিয়েই সহযোগিতা আসত। এই বলে তিনি আকাশের দিকে হাতের মাধ্যমে ইশারা করেন।
সহীহঃ মিশকাত (৫৯২৮) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবুল ‘আলার নাম ইয়াযীদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনুশ শিখখীর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬২৬
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ فَخَرَجْنَا فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا فَمَا اسْتَقْبَلَهُ جَبَلٌ وَلاَ شَجَرٌ إِلاَّ وَهُوَ يَقُولُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ وَقَالُوا عَنْ عَبَّادٍ أَبِي يَزِيدَ مِنْهُمْ فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ .
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মক্কার কোন এক প্রান্তের উদ্দেশ্যে বের হলাম। তিনি যে কোন পাহাড় বা বৃক্ষের নিকট দিয়ে যেতেন তারা তাঁকে “আস-সালামু আলাইকুম ইয়া রাসূলুল্লাহ” বলে অভিবাদন জানাত।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫৯১৯)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। একাধিক রাবী এ হাদীস ওয়ালীদ ইবনু আবূ সাওর-আব্বাদ ইবনু আবূ ইয়াযীদ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৬. অনুচ্ছেদঃ
(মহানাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) যে খুঁটিতে ঠেস দিয়ে খুতবাহ্ দিতেন)
৩৬২৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ إِلَى لِزْقِ جِذْعٍ وَاتَّخَذُوا لَهُ مِنْبَرًا فَخَطَبَ عَلَيْهِ فَحَنَّ الْجِذْعُ حَنِينَ النَّاقَةِ فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَمَسَّهُ فَسَكَنَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىٍّ وَجَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَحَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে নাববীতে) একটি খেজুর গাছের কান্ডের সাথে ঠেস দিয়ে খুত্বাহ্ দিতেন। তারপর তাঁর জন্য লোকেরা একখানা মিম্বার স্থাপন করলে তিনি মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে খুত্বাহ্ দান করেন। সে সময় খুঁটিটি উষ্ট্রীর মতো কাঁদতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বার হতে অবতরণ করে তাকে স্পর্শ করলে তা কান্না বন্ধ করে (শান্ত হয়) ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৪১৫) ।
এ অনুচ্ছেদে উবাই ইবনু কা’ব, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ, ইবনু ‘উমার, সাহল ইবনু সা’দ, ইবনু ‘আব্বাস ও উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, আনাস (রাঃ)-এর এ হাদীস হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬২৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بِمَ أَعْرِفُ أَنَّكَ نَبِيٌّ قَالَ ” إِنْ دَعَوْتُ هَذَا الْعِذْقَ مِنْ هَذِهِ النَّخْلَةِ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ” . فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ يَنْزِلُ مِنَ النَّخْلَةِ حَتَّى سَقَطَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ” ارْجِعْ ” . فَعَادَ فَأَسْلَمَ الأَعْرَابِيُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এক বেদুঈন এসে বলল, আমি কিভাবে অবগত হব যে, আপনি নাবী? তিনি বললেনঃ ঐ খেজুর গাছের একটি কাঁদিকে আমি ডাকলে (তা যদি নেমে আসে) তাহলে তুমি কি সাক্ষ্য দিবে যে, আমি আল্লাহ তা’আলার রাসূল?রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহাকে ডাকলেন, সে সময় কাঁদি খেজুর গাছ থেকে নেমে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মুখে এসে গেল। তারপর তিনি বললেনঃ এবার প্রত্যাবর্তন কর এবং তা স্বস্থানে ফিরে গেল। সে সময় বেদুঈনটি ইসলাম গ্রহণ করলো।
“বেদুঈন ইসলাম গ্রহণ করল” অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৫৯২৬), সহীহাহ্ (৩৩১৫)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا عِلْبَاءُ بْنُ أَحْمَرَ، حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدِ بْنُ أَخْطَبَ، قَالَ مَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى وَجْهِي وَدَعَا لِي قَالَ عَزْرَةُ إِنَّهُ عَاشَ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ إِلاَّ شَعَرَاتٌ بِيضٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو زَيْدٍ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ أَخْطَبَ .
আবূ যাইদ ইবনু আখত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাতখানা আমার চেহারায় মর্দন করেন এবং আমার জন্য দু’আ করেন। বর্ণনাকারী ‘আযরাহ (রহঃ) বলেন, ঐ লোকটি (দু’আর বারাকাতে) একশত বিশ বছর জীবিত ছিলেন অথচ তার মাথার মাত্র কয়েকটি চুল সাদা হয়েছিল।
সহীহঃ তা’লীক্বাতুল হাস্সান (৭১২৮) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ যাইদের নাম ‘আম্র ইবনু আখতাব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৩০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ عَرَضْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ لأُمِّ سُلَيْمٍ لَقَدْ سَمِعْتُ صَوْتَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – يَعْنِي ضَعِيفًا – أَعْرِفُ فِيهِ الْجُوعَ فَهَلْ عِنْدَكِ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَتْ نَعَمْ . فَأَخْرَجَتْ أَقْرَاصًا مِنْ شَعِيرٍ ثُمَّ أَخْرَجَتْ خِمَارًا لَهَا فَلَفَّتِ الْخُبْزَ بِبَعْضِهِ ثُمَّ دَسَّتْهُ فِي يَدِي وَرَدَّتْنِي بِبَعْضِهِ ثُمَّ أَرْسَلَتْنِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَذَهَبْتُ بِهِ إِلَيْهِ فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ وَمَعَهُ النَّاسُ قَالَ فَقُمْتُ عَلَيْهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَرْسَلَكَ أَبُو طَلْحَةَ ” . فَقُلْتُ نَعَمْ . قَالَ ” بِطَعَامٍ ” . فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَنْ مَعَهُ ” قُومُوا ” . قَالَ فَانْطَلَقُوا فَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ حَتَّى جِئْتُ أَبَا طَلْحَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ قَدْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ مَعَهُ وَلَيْسَ عِنْدَنَا مَا نُطْعِمُهُمْ . قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ فَانْطَلَقَ أَبُو طَلْحَةَ حَتَّى لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو طَلْحَةَ مَعَهُ حَتَّى دَخَلاَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هَلُمِّي يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا عِنْدَكِ ” . فَأَتَتْ بِذَلِكَ الْخُبْزِ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَفُتَّ وَعَصَرَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ عُكَّةً لَهَا فَآدَمَتْهُ ثُمَّ قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ ثُمَّ قَالَ ” ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ ” . فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ” ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ ” . فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا فَأَكَلَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَشَبِعُوا وَالْقَوْمُ سَبْعُونَ أَوْ ثَمَانُونَ رَجُلاً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ ত্বালহা আনসারী (রাঃ) তাঁর সহধর্মিণী উম্মু সুলাইম (রাঃ)-কে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুর্বল কন্ঠস্বর শুনে আমি বুঝতে পারলাম, তিনি অতি ক্ষুধার্ত। তোমার নিকটে কি (খাবার) কিছু আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ আছে। উম্মু সুলাইম (রাঃ) কয়েকখানা যবের রুটি বের করলেন, তারপর নিজের একটি ওড়না বের করে তার একাংশে রুটি বাঁধলেন এবং তা আমার হাতে লুকিয়ে দেন এবং আমাকে ওড়নার অপরাংশ দেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমাকে পাঠান। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি ঐসব নিয়ে তাঁর লক্ষ্যে রাওয়ানা হলাম এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাসজিদে বসা অবস্থায় পেলাম। সে সময় তাঁর সঙ্গে আরো লোক ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাদের সম্মুখে গিয়ে দাঁড়ালাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করলেনঃ তোমাকে আবূ ত্বালহা পাঠিয়েছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আহারের দা’ওয়াত? বর্ণনাকারী বলেন, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথীদের বললেনঃ তোমরা উঠে দাঁড়াও। আনাস (রাঃ) বলেন, তারা প্রত্যেকে রওয়ানা হলেন। আর আমি তাঁদের সামনে সামনে চললাম এবং আবূ ত্বালহা (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে বিষয়টি অবহিত করলাম। আবূ ত্বালহা (রাঃ) বললেন, হে উম্মু সুলাইম! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো লোকজন নিয়ে এসে পড়েছেন, কিন্তু তাদের সকলকে আহার করানোর মত খাবার তো আমাদের নিকটে নেই। উম্মু সুলাইম (রাঃ) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তা ভাল করেই জানেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আবূ ত্বালহা (রাঃ) এগিয়ে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে দেখা করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ ত্বালহা (রাঃ) একসাথে বাড়ির অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে উম্মু সুলাইম! তোমার নিকট খাবার জিনিস যা কিছু আছে তা এখানে নিয়ে এসো। উম্মু সুলাইম (রাঃ) ঐ রুটিগুলো নিয়ে এলেন। রুটিগুলোকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) টুকরা টুকরা করার হুকুম দিলে তা টুকরা টুকরা করা হল। একটি চামড়ার পাত্র হতে উম্মু সুলাইম (রাঃ) তাতে ঘি ঢেলে দিয়ে তা তরকারীবৎ তৈরী করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছানুযায়ী তাতে কিছু দু’আ-কালাম পাঠ করলেন এবং বললেনঃ দশজন করে আসতে বল। সুতরাং দশজনকে আহবান করা হল, তারা পেট ভরে আহার করে বের হয়ে গেলে তিনি পুনরায় বললেনঃ আরো দশজনকে আসতে বল। আবার দশজনকে আহবান করা হল। তারা পেট ভরে আহার করে বের হয়ে গেলে তিনি পুনরায় বললেনঃ আরো দশজনকে আসতে বল। সুতরাং আবার দশজনকে আহবান করা হল। এভাবে দলের প্রত্যেকে পেট ভরে আহার করলেন। দলে সর্বমোট সত্তর কিংবা আশিজন লোক ছিলেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৩১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَانَتْ صَلاَةُ الْعَصْرِ وَالْتَمَسَ النَّاسُ الْوَضُوءَ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِوَضُوءٍ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ فِي ذَلِكَ الإِنَاءِ وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَوَضَّئُوا مِنْهُ . قَالَ فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ النَّاسُ حَتَّى تَوَضَّئُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَزِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ وَحَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি লক্ষ্য করলাম, আসরের নামাযের ওয়াক্তও হয়ে গেছে এবং লোকেরা উযূর পানি খোঁজ করছে কিন্তু তারা তা পায়নি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উযূর পানি আনা হল। তিনি নিজের হাত পানির পাত্রে রাখলেন এবং তা হতে লোকদেরকে উযূ করার হুকুম দিলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি লক্ষ্য করলাম তাঁর আঙ্গুলের নীচ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। তারা সকলে উযূ করলেন, এমনকি তাদের শেষ লোকটি পর্যন্ত।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘ইমরান ইবনু হুসাইন, ইবনু মাস’ঊদ জাবির ও যিয়াদ ইবনুল হারিস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, আনাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৩২
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ أَوَّلُ مَا ابْتُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ النُّبُوَّةِ حِينَ أَرَادَ اللَّهُ كَرَامَتَهُ وَرَحْمَةَ الْعِبَادِ بِهِ أَنْ لاَ يَرَى شَيْئًا إِلاَّ جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ فَمَكَثَ عَلَى ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثَ وَحُبِّبَ إِلَيْهِ الْخَلْوَةُ فَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَخْلُوَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের আবির্ভাব এভাবে হল যে, আল্লাহ তা’আলা যখন তাঁর বান্দাদের সম্মানিত ও তাদের প্রতি দয়া করতে চাইলেন, সে সময় এই পরিস্থিতি হল যে, যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা ভোরের আলোর ন্যায় স্পষ্ট হয়ে উদ্ভাসিত হত। তারপর আল্লাহ তা’আলা যত দিন চাইলেন তাঁর এই অবস্থা অব্যাহত থাকে। এ সময় তাঁর কাছে নির্জনতা এত পছন্দনীয় ছিল যার চাইতে অন্য কিছুই তাঁর কাছে বেশী পছন্দনীয় ছিল না।
হাসান সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম এর চেয়ে আরো পূর্ণাঙ্গভাবে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৬৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّكُمْ تَعُدُّونَ الآيَاتِ عَذَابًا وَإِنَّا كُنَّا نَعُدُّهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَرَكَةً لَقَدْ كُنَّا نَأْكُلُ الطَّعَامَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَسْمَعُ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ . قَالَ وَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِإِنَاءٍ فَوَضَعَ يَدَهُ فِيهِ فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ حَىَّ عَلَى الْوَضُوءِ الْمُبَارَكِ وَالْبَرَكَةِ مِنَ السَّمَاءِ ” . حَتَّى تَوَضَّأْنَا كُلُّنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহ তা’আলার রাহমাতের নিদর্শনগুলোকে (অতি প্রাকৃতিক বিষয়াবলীকে) শাস্তি মনে কর, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমলে আমরা এগুলোকে বারাকাত মনে করতাম। অবশ্যই আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে খাবার খেতাম এবং খাদ্যের তাসবীহ পাঠ শুনতে পেতাম। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মুখে একটি পানির পাত্র আনা হলে তিনি তার মাঝে নিজের হাত রাখলেন এবং তাঁর আঙ্গুলগুলো দিয়ে পানি উপচে বের হতে থাকে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা অতি মুবারাক ও আকাশের কল্যাণকর পানি দিয়ে উযূ করতে এদিকে এসো। এমনকি সেই পানিতে আমরা সবাই উযূ করলাম।
সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭. অনুচ্ছেদঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর কিরূপে ওয়াহী অবতীর্ণ হত
৩৬৩৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْىُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَحْيَانًا يَأْتِينِي فِي مِثْلِ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّ عَلَىَّ وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِي الْمَلَكُ رَجُلاً فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ ” . قَالَتْ عَائِشَةُ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْزِلُ عَلَيْهِ الْوَحْىُ فِي الْيَوْمِ الشَّدِيدِ الْبَرْدِ فَيَفْصِمُ عَنْهُ وَإِنَّ جَبِينَهُ لَيَتَفَصَّدُ عَرَقًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল–হারিস ইবনু হিশাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করেন, আপনার কাছে ওয়াহী কিরূপে আসে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কখনও ঘন্টাধ্বনির মতো তা আমার কাছে আসে এবং এটাই আমার জন্য সবচেয়ে কষ্টসাধ্য ওয়াহী। আবার কখনও ফেরেশতা মানুষের রূপ ধারণ করে আমার কাছে এসে আমার সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি যা বলেন, আমি তা সঙ্গে সঙ্গেই আয়ত্ত করি। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি অতিরিক্ত শীতের দিনেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হতে দেখেছি। তা বন্ধ হওয়ার পরও তাঁর কপাল হতে ঘাম গড়িয়ে পড়ত।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮. অনুচ্ছেদ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেহের গঠন
৩৬৩৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَهُ شَعْرٌ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ بَعِيدٌ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ لَمْ يَكُنْ بِالْقَصِيرِ وَلاَ بِالطَّوِيلِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লাল রং-এর পোশাক পরা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তুলনায় বেশি সুদর্শন আমি আর কোন বাবরি চুলওয়ালা লোক দেখিনি। তার বাবরি কেশ তাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে পর্যন্ত ঝুলন্ত ছিল। তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী জায়গা ছিল দীর্ঘ। তিনি না খর্বাকৃতির ছিলেন আর না দীর্ঘাকৃতির।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। পূর্বে ১৭২৫ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৩৬
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ الْبَرَاءَ أَكَانَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ السَّيْفِ قَالَ لاَ مِثْلَ الْقَمَرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক আল-বারাআ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমণ্ডল কি তলোয়ারের মতো (চকচকে) ছিল? তিনি বলেন, না, বরং চাঁদের মতো উজ্জ্বল ছিল।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৯), বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেন: হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالطَّوِيلِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ شَثْنَ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ ضَخْمَ الرَّأْسِ ضَخْمَ الْكَرَادِيسِ طَوِيلَ الْمَسْرُبَةِ إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ تَكَفُّؤًا كَأَنَّمَا انْحَطَّ مِنْ صَبَبٍ لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) না অতি লম্বা ছিলেন আর না (অতি) বেঁটে ছিলেন। তাঁর দু’হাত ও দু’পা ছিল মাংসল, মাথা ছিল আকারে বৃহৎ এবং হাড়ের গ্রন্থিসমূহ ছিল স্থূল ও শক্তিশালী। তাঁর বুক হতে নাভি অবধি প্রলম্বিত ফুরফুরে পশমের একটি রেখা ছিল। চলার সময় তিনি সম্মুখের দিকে ঝুঁকে হাঁটতেন, যেন তিনি ঢালবিশিষ্ট জায়গা দিয়ে হেঁটে চলছেন। আমি তাঁর পূর্বে কিংবা তাঁর পরে আর কাউকে তাঁর মতো দেখিনি।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৪০)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফ্ইয়ান ইবনু ওয়াকী‘-তার বাবা ওয়াকী‘ হতে, তিনি আল মাস‘ঊদী হতে এই সনদসূত্রে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ أَبِي حَلِيمَةَ مِنْ قَصْرِ الأَحْنَفِ وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالُوا حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى غُفْرَةَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، مِنْ وَلَدِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ كَانَ عَلِيٌّ رضى الله عنه إِذَا وَصَفَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَمْ يَكُنْ بِالطَّوِيلِ الْمُمَغَّطِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ الْمُتَرَدِّدِ وَكَانَ رَبْعَةً مِنَ الْقَوْمِ وَلَمْ يَكُنْ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلاَ بِالسَّبِطِ كَانَ جَعْدًا رَجِلاً وَلَمْ يَكُنْ بِالْمُطَهَّمِ وَلاَ بِالْمُكَلْثَمِ وَكَانَ فِي الْوَجْهِ تَدْوِيرٌ أَبْيَضُ مُشْرَبٌ أَدْعَجُ الْعَيْنَيْنِ أَهْدَبُ الأَشْفَارِ جَلِيلُ الْمُشَاشِ وَالْكَتِدِ أَجْرَدُ ذُو مَسْرُبَةٍ شَثْنُ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ إِذَا مَشَى تَقَلَّعَ كَأَنَّمَا يَمْشِي فِي صَبَبٍ وَإِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ مَعًا بَيْنَ كَتِفَيْهِ خَاتَمُ النُّبُوَّةِ وَهُوَ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ أَجْوَدُ النَّاسِ كَفًّا وَأَشْرَحُهُمْ صَدْرًا وَأَصْدَقُ النَّاسِ لَهْجَةً وَأَلْيَنُهُمْ عَرِيكَةً وَأَكْرَمُهُمْ عِشْرَةً مَنْ رَآهُ بَدِيهَةً هَابَهُ وَمَنْ خَالَطَهُ مَعْرِفَةً أَحَبَّهُ يَقُولُ نَاعِتُهُ لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ سَمِعْتُ الأَصْمَعِيَّ يَقُولُ فِي تَفْسِيرِهِ صِفَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْمُمَغَّطِ الذَّاهِبُ طُولاً . وَسَمِعْتُ أَعْرَابِيًّا يَقُولُ تَمَغَّطَ فِي نَشَّابَةٍ أَىْ مَدَّهَا مَدًّا شَدِيدًا . وَأَمَّا الْمُتَرَدِّدُ فَالدَّاخِلُ بَعْضُهُ فِي بَعْضٍ قِصَرًا وَأَمَّا الْقَطَطُ فَالشَّدِيدُ الْجُعُودَةِ وَالرَّجِلُ الَّذِي فِي شَعَرِهِ حُجُونَةٌ قَلِيلاً وَأَمَّا الْمُطَهَّمُ فَالْبَادِنُ الْكَثِيرُ اللَّحْمِ وَأَمَّا الْمُكَلْثَمُ فَالْمُدَوَّرُ الْوَجْهِ . وَأَمَّا الْمُشْرَبُ فَهُوَ الَّذِي فِي بَيَاضِهِ حُمْرَةٌ وَالأَدْعَجُ الشَّدِيدُ سَوَادِ الْعَيْنِ وَالأَهْدَبُ الطَّوِيلُ الأَشْفَارِ وَالْكَتِدُ مُجْتَمَعُ الْكَتِفَيْنِ وَهُوَ الْكَاهِلُ وَالْمَسْرُبَةُ هُوَ الشَّعْرُ الدَّقِيقُ الَّذِي هُوَ كَأَنَّهُ قَضِيبٌ مِنَ الصَّدْرِ إِلَى السُّرَّةِ . وَالشَّثْنُ الْغَلِيظُ الأَصَابِعِ مِنَ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ وَالتَّقَلُّعُ أَنْ يَمْشِيَ بِقُوَّةٍ وَالصَّبَبُ الْحُدُورُ يَقُولُ انْحَدَرْنَا فِي صَبُوبٍ وَصَبَبٍ وَقَوْلُهُ جَلِيلُ الْمُشَاشِ يُرِيدُ رُءُوسَ الْمَنَاكِبِ وَالْعَشِيرَةُ الصُّحْبَةُ وَالْعَشِيرُ الصَّاحِبُ وَالْبَدِيهَةُ الْمُفَاجَأَةُ يُقَالَ بَدَهْتُهُ بِأَمْرٍ أَىْ فَجَأْتُهُ .
আলী (রাঃ)-এর নাতি ইব্রাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়্যা (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বৈশিষ্ট বর্ণনা করতে গিয়ে বলতেনঃ তিনি বেশি লম্বা ছিলেন না এবং অত্যন্ত বেঁটেও ছিলেন না, বরং লোকদের মাঝে মধ্যম আকৃতির ছিলেন। তাঁর মাথার চুল খুব বেশি কোঁকড়ানোও ছিল না এবং একেবারে সোজাও ছিল না, বরং কিছুটা ঢেউ খেলানো ছিল। তিনি স্থুলকায় ছিলেন না, তাঁর মুখাবয়ব সম্পূর্ণ গোলাকার ছিল না, বরং কিছুটা গোলাকার ছিল। তিনি ছিলেন সাদা-লাল মিশ্রিত গৌরবর্ণের এবং লম্বা ভ্রুযুক্ত কালো চোখের অধিকারী। তাঁর হাড়ের গ্রন্থিগুলো ছিল মজবুত, বাহু ছিল মাংসল। তাঁর দেহে অতিরিক্ত লোম ছিল না, বুক হতে নাভি পর্যন্ত হালকা লোমের একটি রেখা ছিল। তাঁর হাতের তালু ও পায়ের পাতা ছিল গোশতে পুরু। তিনি দৃঢ় পদক্ষেপে চলতেন, যেন তিনি ঢালবিশিষ্ট স্থান হতে (নীচ সমতলে) নামছেন। তিনি কারো দিকে ফিরে তাকালে গোটা দেহ ঘুরিয়ে তাকাতেন। তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ছিল নাবূওয়াতের মোহর। তিনি ছিলেন খাতামুন নাবিয়্যীন (নবীগণের মোহর বা তাদের আগমন ধারার পরিসমাপ্তিকারী)। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারী ও দানশীল, বাক্যালাপে সত্যবাদী, কোমল হৃদয়ের অধিকারী এবং বন্ধু-বান্ধব ও সহোচরদের সাথে সম্মানের সাথে বসবাসকারী (অথবা সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত বংশোদ্ভূত)। যে কেউ তাঁকে প্রথম বারের মত দেখেই সে প্রভাবান্বিত হত। যে ব্যাক্তি তাঁর সাথে মিশত এবং তাঁর প্রসঙ্গে জানতো সে তাঁর প্রতি বন্ধু ভাবাপন্ন হয়ে যেত। তাঁর বর্ণনা প্রদাঙ্কারী বলতে বাধ্য হত, তাঁর আগে বা পরে আমি আর কাউকে তাঁর এরকম (সৌন্দর্যময়) দেখিনি।
যঈফ, মুখতাসার শামায়িল, মিশকাত (৫৭৯১)।
আবূ ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসের সনদসূত্র মুত্তাসিল (অবিছিন্ন) নয়। আবূ জাফর বলেন, আমি আল-আসমাঈকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বৈশিষ্ট্য ও গঠনাকৃতি সম্পর্কিত বর্ণনার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলতে শুনেছি : “মুম্মাগিত” অর্থ অতিরিক্ত লম্বা। আল-আসমাঈ আরো বলেন, আমি এক বিদুঈনকে কথা প্রসঙ্গে বলতে শুনেছি, “তামাগ্গাতা ফী নুশশাবাতিন” (সে তার তীর খুব টেনেছে)। “মুতারাদ্দিদ” অর্থ স্থুলতার কারণে বেঁটে দেহের একাংশ অপরাংশের মধ্যে প্রবিষ্ট মনে হওয়া। “কাতাত” অর্থ কুঞ্চিত ও কোঁকড়ানো। “রাজিল” যে ব্যাক্তির মাথার চুল কোঁকড়ানো সে। “মুতাহ্হাম” অর্থ স্থুল দেহ, মাংসল দেহ। “মুকালসাম” গোলগাল চেহারা। “মুশরাব” এমন রং যা সাদা-লালে (দুধে আলতায়) মিশ্রিত, গৌর, এটা সবচেয়ে সুন্দর বর্ণ। “আদআজ” অর্থ চোখ ঘোর কালো। “আহ্দাব” যার ভ্রু লম্বা। “কাতাদ” দুই কাঁধের সঙ্গমস্থল, একে ‘কাহিল’ও বলা হয়। “মাসরুবাত” বুকের পশমের সরল রেখা যা বুক হতে নভী পর্যন্ত প্রলম্বিত। “আশ-শাছ্ন” অর্থ যার হাত ও পায়ের আঙ্গুলিসমূহ এবং হাত ও পায়ের পাতা মাংসবহুল। “আত-তাকাল্লাউ” অর্থ দৃঢ় পদক্ষেপ পথ অতিক্রম। “সাবাব” অর্থ (উপর হতে নীচে) ঢালু স্থান দিয়ে নেমে আসা। যেমন আমরা বলি, আমরা উপর হতে নীচে নামছি। “জালীলুল মুশাশ” বড় গ্রন্থিযুক্ত অর্থাৎ বাহুর অগ্রভাগ, ঊর্ধ্ববাহু। “ইশরাত” অর্থ সাহচর্য, “আশীরু” অর্থ সঙ্গী-সহচর, “বাদীহাতু” অর্থ দৈবাৎ, হঠাৎ। যেমন আরবরা বলে, বাদাহ্তুহু বিআমরিন’ অর্থাৎ আমি তাকে হঠাৎ কোন বিষয়ে ভীত-বিহব্বল করে দিয়েছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৯. অনুচ্ছেদ:
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথার ধরন
৩৬৩৯
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْرُدُ سَرْدَكُمْ هَذَا وَلَكِنَّهُ كَانَ يَتَكَلَّمُ بِكَلاَمٍ بَيْنَهُ فَصْلٌ يَحْفَظُهُ مَنْ جَلَسَ إِلَيْهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ عَنِ الزُّهْرِيِّ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের মতো দ্রুত গতিতে কথা বলতেন না, বরং তিনি ধীরে সুস্থে প্রতিটি শব্দ পৃথকভাবে উচ্চারণ করে কথা বলতেন, ফলে তার কাছে বসা লোক খুব সহজেই তা আয়ত্ত করে নিতে পারত।
হাসানঃ আল-মুখতাসার (১৯১), মিশকাত (৫৮২৮), বুখারী ও মুসলিম। “তিনি দ্রুত কথা বলতেন না” এই অংশটুকু বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র যুহ্রীর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে অবগত হয়েছি। উক্ত হাদীস ইউনুস ইবনু ইয়াযীদও যুহরী হতে রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৬৪০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعِيدُ الْكَلِمَةَ ثَلاَثًا لِتُعْقَلَ عَنْهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُثَنَّى .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেকটি বাক্য তিন তিনবার পুনরাবৃত্তি করতেন, যাতে তার কথা বুঝতে পারা যায়।
হাসান সহীহঃ ২৭২৩ নং হাদীস পূর্বেও অনুরূপ উল্লেখ হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র ‘আবদুল্লাহ ইবনুল মুসান্নার বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে জানতে পেরেছি।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১০. অনুচ্ছেদ:
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুচকি হাসি প্রসঙ্গে
৩৬৪১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ، قَالَ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ تَبَسُّمًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু জায্য়ি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে বেশী মুচকি হাসি দিতে আমি আর কাউকে দেখিনি।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১৯৪), মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৫৮২৯)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব হতে, ‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু জায্য়ির বরাতে উপরিউক্ত হাদীসের মতোই বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৪২
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ، مِثْلُ هَذَا . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْخَلاَّلُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ السَّيْلَحَانِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ، قَالَ مَا كَانَ ضَحِكُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ تَبَسُّمًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু জায্য়ি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধুমাত্র মুচকি হাসিই দিতেন।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১৯৫), মিশকাত অনুরূপ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা লাইস ইবনু সা‘দের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
১১. অনুচ্ছেদঃ
মোহরে নবূওয়াত
৩৬৪৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الْجَعْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ ذَهَبَتْ بِي خَالَتِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَ أُخْتِي وَجِعٌ فَمَسَحَ بِرَأْسِي وَدَعَا لِي بِالْبَرَكَةِ وَتَوَضَّأَ فَشَرِبْتُ مِنْ وَضُوئِهِ فَقُمْتُ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَنَظَرْتُ إِلَى الْخَاتَمِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ فَإِذَا هُوَ مِثْلُ زِرِّ الْحَجَلَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى الزِّرُّ يُقَالُ بَيْضٌ لَهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ سَلْمَانَ وَقُرَّةَ بْنِ إِيَاسٍ الْمُزَنِيِّ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَأَبِي رِمْثَةَ وَبُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ وَعَمْرِو بْنِ أَخْطَبَ وَأَبِي سَعِيدٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আস্-সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমার খালা আমাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার এ বোনপুত্র রোগাক্রান্ত। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার মাথায় হাত বুলালেন, আমার জন্য বারাকাত ও কল্যাণের দু‘আ করলেন এবং তিনি উযূ করলে আমি তাঁর উযূর বাকি পানিটুকু পান করলাম। তারপর আমি তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালে, তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী জায়গায় মোহরে নবুওয়াত প্রত্যক্ষ করি। তা ছিল তিতির পাখির ডিমের মতো।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১৪), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন: যির বলা হয় তিতির পাখির ডিমকে।
এ অনুচ্ছেদে সালমান, কুররা ইবনু ইয়াস আল-মুযানী, জাবির ইবনু সামুরাহ্, আবূ রিমসাহ্, বুরাইদা আল-আসলামী, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস, ‘আম্র ইবনু আখত্বাব ও আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, উক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৪৪
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ خَاتَمُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – يَعْنِي الَّذِي بَيْنَ كَتِفَيْهِ غُدَّةً حَمْرَاءَ مِثْلَ بَيْضَةِ الْحَمَامَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুই কাঁধের মাঝামাঝি স্থানে কবুতরের ডিমের ন্যায় লাল মাংসপিণ্ড আকারে মোহরে নবূওয়াত ছিল।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১৫), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২. অনুচ্ছেদ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখ, চোখ ও পায়ের আকৃতি
৩৬৪৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ، هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ فِي سَاقَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُمُوشَةٌ وَكَانَ لاَ يَضْحَكُ إِلاَّ تَبَسُّمًا وَكُنْتُ إِذَا نَظَرْتُ إِلَيْهِ قُلْتُ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ وَلَيْسَ بِأَكْحَلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পায়ের জঙ্ঘাদ্বয় ছিল হাল্কা-পাতলা। তিনি মুচকি হাসিই দিতেন। আমি তাঁর দিকে তাকালে মনে হত তিনি উভয় চোখে সুরমা লাগিয়েছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চোখে সুরমা লাগানো থাকত না।
যঈফ, প্রাগুক্ত
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান, এই সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৪৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ضَلِيعَ الْفَمِ أَشْكَلَ الْعَيْنَيْنِ مَنْهُوسَ الْعَقِبِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখ ছিল বেশ দীর্ঘ, চোখ দু’টি ছিল লাল এবং পায়ের জঙ্ঘা ছিল শীর্ণকায়।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৭), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৪৭
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَلِيعَ الْفَمِ أَشْكَلَ الْعَيْنَيْنِ مَنْهُوشَ الْعَقِبِ . قَالَ شُعْبَةُ قُلْتُ لِسِمَاكٍ مَا ضَلِيعُ الْفَمِ قَالَ وَاسِعُ الْفَمِ . قُلْتُ مَا أَشْكَلُ الْعَيْنِ قَالَ طَوِيلُ شَقِّ الْعَيْنِ . قَالَ قُلْتُ مَا مَنْهُوشُ الْعَقِبِ قَالَ قَلِيلُ اللَّحْمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন দীর্ঘ মুখের অধিকারী, তাঁর চোখ দু’টি ছিল লাল জঙ্ঘা ছিল শীর্ণকায়। শু‘বাহ্ (রহঃ) বলেন, আমি সিমাক (রহঃ)-কে বললাম, “যালীউল ফাম” অর্থ কি? তিনি বললেন, দীর্ঘ মুখ। আমি পুনরায় বললাম, “আশকালুল আয়নাইন” অর্থ কি? তিনি বললেন, লম্বা লাল রেখাযুক্ত দু’টি চোখ। আমি পুনরায় বললাম, “মানহূসুল আক্বিব” অর্থ কি? তিনি বলেন, শীর্ণকায়।
সহীহঃ প্রাগুক্ত (৭), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৪৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَأَنَّ الشَّمْسَ تَجْرِي فِي وَجْهِهِ وَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَسْرَعَ فِي مَشْيِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَأَنَّمَا الأَرْضُ تُطْوَى لَهُ إِنَّا لَنُجْهِدُ أَنْفُسَنَا وَإِنَّهُ لَغَيْرُ مُكْتَرِثٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাইতে বেশি সুন্দর কোন জিনিষ দেখিনি। যেন সূর্য তাঁর চেহারায় (মুখমণ্ডলে) বিচরণ করছে। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ দ্রুত চলতেও আর কোন ব্যাক্তিকে দেখিনি। যেন তাঁর জন্য যমিনকে গুটানো হত। তাঁর সাথে পথ চলতে আমাদের প্রাণান্তকর অবস্থা হত, আর তিনি অনায়াসে চলে যেতেন।
যঈফ, প্রাগুক্ত।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৪৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ عُرِضَ عَلَىَّ الأَنْبِيَاءُ فَإِذَا مُوسَى ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ وَرَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ فَإِذَا أَقْرَبُ النَّاسِ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا صَاحِبُكُمْ نَفْسَهُ وَرَأَيْتُ جِبْرِيلَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا دِحْيَةُ ” . هُوَ ابْنُ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (মি‘রাজের রাতে) আমার সম্মুখে নাবীগণকে হাযির করা হয়। সে সময় মূসা (‘আঃ)-কে আমি দেখলাম, তিনি যেন শানুআহ্ গোত্রের একজন পুরুষ। আমি ‘’ঈসা ইবনু মারইয়াম (‘আঃ)-কেও লক্ষ্য করেছি, আমার দেখা লোকদের মাঝে তিনি ‘উরওয়াহ্ ইবনু মাস‘ঊদ-এর মত। আমি ইবরাহীম (‘আঃ)-কেও লক্ষ্য করেছি, আমার দেখা লোকের মাঝে তিনি তোমাদের বন্ধুর অর্থাৎ আমার মতো। জিবরাঈল (‘আঃ)-কেও আমি লক্ষ্য করেছি, তিনি আমার দেখা লোকেদের মাঝে দিহ্য়া ইবনু খালীফাহ্ আল-ক্বালবীর মতো।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১১০০), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর সময়কালীন বয়স
৩৬৫০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، حَدَّثَنِي عَمَّارٌ، مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পঁয়ষট্টি বছর বয়সে মারা যান (জন্ম ও মৃত্যুর বছর দু’টিকে আলাদা দু’টি বছর ধরে)।
শাজ, (৩৪৫৬) নং হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ শায
- সরাসরি
৩৬৫১
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، حَدَّثَنَا عَمَّارٌ، مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنُ الإِسْنَادِ صَحِيحٌ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পঁয়ষট্টি বছর বয়সে মারা যান।
শাজ, দেখুন পূর্বের হাদীস
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ শায
- সরাসরি
৩৬৫২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَكَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ – يَعْنِي يُوحَى إِلَيْهِ وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَدَغْفَلِ بْنِ حَنْظَلَةَ وَلاَ يَصِحُّ لِدَغْفَلٍ سَمَاعٌ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ رُؤْيَةٌ . وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবূওয়াত লাভের পর মক্কায় তের বছর বসবাস করেন এবং তেষট্টি বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। ৩৬২১ নং হাদীসে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্, আনাস ইবনু মালিক ও দাগফাল ইবনু হানযালাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। তবে দাগফালের প্রত্যক্ষভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখা ও তাঁর নিকট হতে হাদীস শোনার কথাটি যথার্থ নয়। আবূ ‘ঈসা বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান এবং ‘আম্র ইবনু দীনারের বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৫৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُهُ يَخْطُبُ، يَقُولُ مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَأَنَا ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-বাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মু‘আবিয়াহ্ ইবনু আবী সুফ্ইয়ান (রাঃ)-কে খুত্বাহ্ দানকালে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তেষট্টি বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এবং আবূ বাক্র ও ‘উমার (রাঃ)-ও। আর এখন আমার বয়সও তেষট্টি বছর।
সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৩১৮), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৫৪
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ الْعَنْبَرِيُّ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أُخْبِرْتُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَقَالَ الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ، فِي حَدِيثِهِ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَاتَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَ هَذَا .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তেষট্টি বছর বয়সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুবরণ করেন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত (৩১৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। যুহরীর ভাইয়ের ছেলে-যুহরী হতে, তিনি ‘উরওয়াহ্ হতে, তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে এই সনদে উপর্যুক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৪. অনুচ্ছেদঃ
আবূ বাক্র সিদ্দীক্ব (রাঃ)-এর গুণাবলী
৩৬৫৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَبْرَأُ إِلَى كُلِّ خَلِيلٍ مِنْ خِلِّهِ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ خَلِيلاً وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ الزُّبَيْرِ وَابْنِ عَبَّاسٍ .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি প্রত্যেক বন্ধুর বন্ধুত্ব হতে অব্যাহতি গ্রহন করছি। আমি যদি কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহন করতাম তাহলে আবূ কুহাফার ছেলে আবূ বাক্র সিদ্দীককেই বন্ধু বানাতাম। তোমাদের এই সাথী আল্লাহ তা‘আলার অন্তরঙ্গ বন্ধু।
সহীহঃ যঈফাহ্ ৩০৩৪ নং হাদীসের অধীনে, মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে আবূ সা‘ঈদ, আবূ হুরাইরাহ্, ইবনুয্ যুবাইর ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৫৬
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ سَيِّدُنَا وَخَيْرُنَا وَأَحَبُّنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বাক্র (রাঃ) আমাদের নেতা, আমাদের মাঝে সবচাইতে উত্তম, আমাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশী পছন্দনীয় ব্যক্তি।
হাসানঃ মিশকাত (৬০১৮), বুখারী (৩৭৫৪) নং হাদীসে এর প্রথমাংশ উল্লেখ আছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৬৫৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَىُّ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ قَالَتْ أَبُو بَكْرٍ . قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَتْ عُمَرُ . قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَتْ ثُمَّ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ . قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَ فَسَكَتَتْ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের মাঝে তাঁর কাছে কে সর্বাধিক প্রিয় ছিলেন। তিনি বললেন, আবু বাকর (রাঃ) । আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? তিনি বললেন, ‘উমর (রাঃ)। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কে? তিনি বললেন, আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনুল জাররাহ। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কে?শাক্বীক্ব (রহঃ) বলেন, এবার তিনি চুপ থাকলেন।
সহীহঃ মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৫৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ، وَالأَعْمَشِ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ صُهْبَانَ، وَابْنِ أَبِي لَيْلَى، وَكَثِيرٍ النَّوَّاءِ، كُلِّهِمْ عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَهْلَ الدَّرَجَاتِ الْعُلَى لَيَرَاهُمْ مَنْ تَحْتَهُمْ كَمَا تَرَوْنَ النَّجْمَ الطَّالِعَ فِي أُفُقِ السَّمَاءِ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ مِنْهُمْ وَأَنْعَمَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
আবু সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (জান্নাতে) সর্বোচ্চ সম্মাননায় আসীন লোকদেরকে অবশ্যই তাদের নীচের মর্যাদার লোকেরা দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আসমানের দিগন্তে উদিত তারকা দেখতে পাও। আবূ বাক্র ও ‘উমার তাদেরই দলভুক্ত, বরং আরো বেশি রহমত ও মর্যাদার অধিকারী।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৬) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস আতিয়্যাহ্ হতে আবু সা’ঈদ (রাঃ)-এর বরাতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫. অনুচ্ছেদঃ
(এক বান্দা পার্থিব জীবনের উপর আল্লাহ তা’আলার সান্নিধ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন)
৩৬৫৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي الْمُعَلَّى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ ” إِنَّ رَجُلاً خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ أَنْ يَعِيشَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَعِيشَ وَيَأْكُلَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَأْكُلَ وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ ” . قَالَ فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَلاَ تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا الشَّيْخِ إِذْ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً صَالِحًا خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ . قَالَ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَهُمْ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ بَلْ نَفْدِيكَ بِآبَائِنَا وَأَمْوَالِنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ أَمَنَّ إِلَيْنَا فِي صُحْبَتِهِ وَذَاتِ يَدِهِ مِنِ ابْنِ أَبِي قُحَافَةَ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ خَلِيلاً وَلَكِنْ وُدٌّ وَإِخَاءُ إِيمَانٍ وُدٌّ وَإِخَاءُ إِيمَانٍ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ بِإِسْنَادٍ غَيْرِ هَذَا . وَمَعْنَى قَوْلِهِ أَمَنَّ إِلَيْنَا يَعْنِي أَمَنَّ عَلَيْنَا .
আবুল মুআল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুতবা (ভাষণ) দেবার সময় বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর এক বান্দাকে এই ইখতিয়ার দেন যে, সে যতদিন ইচ্ছা দুনিয়ার নিয়ামাতরাজি যথেচ্ছা ভোগ করবে অথবা আল্লাহ্ তা’আলার সাথে মিলিত হবে। ঐ বান্দা আল্লাহ্ তা’আলার সাথে মিলিত হওয়াকেই ইখতিয়ার করেছে। রাবী বলেন, (এ কথা শুনে) আবূ বাক্র (রাঃ) কেঁদে ফেলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগন বলেন, তোমরা কি এ বৃদ্ধের কাণ্ড দেখে অবাক হবে না যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আল্লাহ্ তা’আলার এক পুন্যবান বান্দা প্রসঙ্গে আলোচনা করলেন, তাকে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও আল্লাহ্ তা’আলার সান্নিধ্য অর্জন, এ দু’টির যে কোন একটি গ্রহনের ইখতিয়ার দিয়েছেন তখন সে বান্দা তাঁর রবের সান্নিধ্য অর্জনকেই ইখতিয়ার করেছেন (এতে কান্নার কি আছে)। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন, তার তাৎপর্য বুঝার ব্যাপারে আবূ বাক্র (রাঃ)-ই ছিলেন তাদের মধ্যে বেশি জ্ঞানী। আবূ বাক্র (রাঃ) বলেন, বরং আমরা আমাদের পিতা-মাতা ও আমাদের ধন-সম্পদ আপনার জন্য উৎসর্গ করব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ লোকদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে নিজের সাহচর্য ও নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ইবনু আবূ কুহাফার চাইতে অধিক আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছে। যদি আমি আল্লাহ্ তা’আলা ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তবে ইবনু আবূ কুহাফাকেই অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম। কিন্তু বড় বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব হচ্ছে ঈমানের (বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব)। এ কথা তিনি দুই অথবা তিনবার বলেন। তোমরা জেনে রাখ! তোমাদের সাথী (মহানাবী) আল্লাহ্ তা’আলার একনিষ্ঠ বন্ধু।
এ অনুচ্ছেদে আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ ” إِنَّ عَبْدًا خَيَّرَهُ اللَّهُ بَيْنَ أَنْ يُؤْتِيَهُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا مَا شَاءَ وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ فَاخْتَارَ مَا عِنْدَهُ ” . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَدَيْنَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِآبَائِنَا وَأُمَّهَاتِنَا . قَالَ فَعَجِبْنَا فَقَالَ النَّاسُ انْظُرُوا إِلَى هَذَا الشَّيْخِ يُخْبِرُ رَسُولُ اللَّهِ عَنْ عَبْدٍ خَيَّرَهُ اللَّهُ بَيْنَ أَنْ يُؤْتِيَهُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا مَا شَاءَ وَبَيْنَ مَا عِنْدَ اللَّهِ وَهُوَ يَقُولُ فَدَيْنَاكَ بِآبَائِنَا وَأُمَّهَاتِنَا . قَالَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ هُوَ الْمُخَيَّرَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ أَعْلَمَنَا بِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ مِنْ أَمَنِّ النَّاسِ عَلَىَّ فِي صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبُو بَكْرٍ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلاً وَلَكِنْ أُخُوَّةُ الإِسْلاَمِ لاَ تَبْقَيَنَّ فِي الْمَسْجِدِ خَوْخَةٌ إِلاَّ خَوْخَةُ أَبِي بَكْرٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু সা’ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে নাববীর) মিম্বারে বসে বললেনঃ আল্লাহ তাঁর এক বান্দাকে দুনিয়ার ভোগবিলাস ও আল্লাহ তা’আলার কাছে রক্ষিত ভোগবিলাস এ দুইয়ের মাঝে যে কোন একটি গ্রহণ করার এখতিয়ার দান করলে ঐ বান্দা আল্লাহ তা’আলার কাছে রক্ষিত ভোগবিলাসকে এখতিয়ার করেছেন। তখন আবূ বাক্র (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনার জন্য আমাদের বাবা-মা উৎসর্গিত হোক। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা (তার কথায়) বিস্মিত হলাম এবং লোকেরা বলল, এই বৃদ্ধ লোকের প্রতি খেয়াল কর, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক বান্দা প্রসঙ্গে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তাকে আল্লাহ তা’আলা এখতিয়ার দিয়েছেন যে, তিনি ইচ্ছা করলে আল্লাহ তা’আলা তাকে দুনিয়ার ভোগ সামগ্ৰীও দান করতে পারেন কিংবা তিনি ইচ্ছা করলে আল্লাহ তা’আলার নিকট তাকে রক্ষিত ভোগসামগ্ৰীও দান করতে পারেন। অথচ এই লোক বলছেন, আপনার জন্য আমাদের বাবা-মাকে উৎসর্গ করলাম! সেই এখতিয়ারপ্রাপ্ত বান্দা হলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) । আর আবু বাক্র (রাঃ) আমাদের মাঝে, তাঁর প্রসঙ্গে সবচেয়ে অধিক জ্ঞানী। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ লোকদের মাঝে স্বীয় মাল ও সাহচর্য দিয়ে আমার প্রতি সবচাইতে উপকার (কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ) করেছেন আবু বাক্র। আমি যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে একনিষ্ঠ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তবে আবু বাক্রকেই একনিষ্ঠ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম। কিন্তু ইসলামী ভ্রাতৃত্বই যথেষ্ট। মাসজিদে আবু বাক্রের দ্বার (বা জানালা) ছাড়া আর কোন দ্বার (বা জানালা) বাকি থাকবে না।
সহীহঃ বুখারী (৩৬৫৪), মুসলিম (৭/১০৮) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مَحْبُوبُ بْنُ مُحْرِزٍ الْقَوَارِيرِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ يَزِيدَ الأَوْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا لأَحَدٍ عِنْدَنَا يَدٌ إِلاَّ وَقَدْ كَافَيْنَاهُ مَا خَلاَ أَبَا بَكْرٍ فَإِنَّ لَهُ عِنْدَنَا يَدًا يُكَافِئُهُ اللَّهُ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَا نَفَعَنِي مَالُ أَحَدٍ قَطُّ مَا نَفَعَنِي مَالُ أَبِي بَكْرٍ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلاً أَلاَ وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবু বাক্র ছাড়া আর কারো যে কোন ধরনের দয়া আমার উপর ছিল আমি তার প্রতিদান দিয়েছি। আমার উপর তার যে দয়া রয়েছে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে তার প্রতিদান দিবেন। আর আমাকে কারো সম্পদ এতটা উপকৃত করেনি, যতটা আবু বাক্রের সম্পদ আমাকে উপকৃত করেছে। আমি যদি কাউকে অন্তরঙ্গভাবে গ্রহণ করতাম, তাহলে আবু বাক্রকেই একনিষ্ঠ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম। অবগত হও! তোমাদের এই সাখী আল্লাহ তা’আলার অন্তরঙ্গ বন্ধু।
যঈফঃ তবে “কারো সম্পদ আমাকে এতটা উপকার করেনি…” শেষ পর্যন্ত সহীহঃ তাখরীজু মুশকিলাতিল ফাক্বর (১৩) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৬. অনুচ্ছেদঃ
আবু বাক্র ও ‘উমার (রাঃ)-এর গুণাবলী ।
৩৬৬২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، هُوَ ابْنُ حِرَاشٍ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ” .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার পরে আবু বাক্র ও ‘উমারের অনুসরণ করবে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৭) ।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস সুফ্ইয়ান সাওরী-‘আবদুল মালিক ইবনু ‘উমাইর হতে, তিনি রিব’ঈর আযাদকৃত গোলাম হতে তিনি, রিব্’ঈ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। আহ্মাদ ইবনু মানী’ প্রমুখ-সুফ্ইয়ান ইবনু ‘উয়াইনাহ্ হতে, তিনি ‘আবদুল মালিক ইবনু ‘উমাইর (রহঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসে সুফ্ইয়ান ইবনু ‘উয়াইনাহ নিজ শাইখের নাম গোপন (তাদলীস) করেছেন। অতএব কখনও তিনি বর্ণনা করেছেন যাইদা-মালিক ইবনু উমাইর হতে, আবার কখনো যাইদার নাম উল্লেখ করেননি। ইব্রাহীম ইবনু সা’দ এ হাদীস সুফ্ইয়ান সাওরী হতে, তিনি ‘আবদুল মালিক ইবনু ‘উমাইর হতে, তিনি রিব্’ঈর মুক্তিপ্রাপ্ত দাস হতে, তিনি রিব্’ঈ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসটি সালিম আল-আন্ ‘উমী রিব্’ঈ হতে, তিনি হুযাইফাহ্ হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي الْعَلاَءِ الْمُرَادِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ هَرِمٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، رضى الله عنه قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ إِنِّي لاَ أَدْرِي مَا بَقَائِي فِيكُمْ فَاقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي ” . وَأَشَارَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আমরা অবস্থান করছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে আমি আর কত দিন বেঁচে থাকব তা আমার জানা নেই। অতএব তোমরা আমার অবর্তমানে দু’জন লোকের অনুসরণ করবে- এ কথা বলে তিনি আবু বাক্র ও ‘উমর (রাঃ)-এর দিকে ইশারা করলেন।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ “ هَذَانِ سَيِّدَا كُهُولِ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ إِلاَّ النَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বাক্র ও ‘উমার (রাঃ) প্রসঙ্গে বলেছেনঃ এরা দু’জন নাবী-রাসূলগণ ছাড়া পূর্বাপর জন্নাতের সকল বয়স্কদের নেতা হবেন।
সহীহঃ দেখুন পরবর্তী হাদীস।
আবু ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُوَقَّرِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ طَلَعَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ هَذَانِ سَيِّدَا كُهُولِ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ إِلاَّ النَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ يَا عَلِيُّ لاَ تُخْبِرْهُمَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالْوَلِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُوَقَّرِيُّ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ وَلَمْ يَسْمَعْ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ مِنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَلِيٍّ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। সে সময় আবু বাক্র ও ‘উমর (রাঃ) আবির্ভূত হন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এরা দু’জন জান্নাতে নাবী-রাসূলগণ ছাড়া পূর্বাপর (সৰ্বকালের) পূর্ণ বয়স্কদের নেতা হবেন। হে ‘আলী! এটা তাদেরকে জানাবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৯৫) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, উক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আল-ওয়ালীদ ইবনু মুহাম্মাদ আল-মুয়াক্কিরী হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। ‘আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) ‘আলী (রাঃ) হতে কিছু শুনেননি। এ হাদীস অবশ্য ‘আলী (রাঃ) হতে অন্য সনদেও বর্ণিত হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে আনাস ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৬
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ ذَكَرَ دَاوُدُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ سَيِّدَا كُهُولِ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ مَا خَلاَ النَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ لاَ تُخْبِرْهُمَا يَا عَلِيُّ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবু বাক্র ও ‘উমার নাবী-রাসূলগণ ছাড়া পূর্বাপর সমস্ত বয়স্ক জান্নাতবাসীর নেতা হবেন। হে ‘আলী! তাদের দু’জনকে জানাইও না।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَلَسْتُ أَحَقَّ النَّاسِ بِهَا أَلَسْتُ أَوَّلَ مَنْ أَسْلَمَ أَلَسْتُ صَاحِبَ كَذَا أَلَسْتُ صَاحِبَ كَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আবু সা’ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু বাক্র (রাঃ) বলেছেন, আমি সেই লোক নই কি যে সর্বাগ্রে ইসলাম কবুল করেছে? আমি কি এমন কাজের অধিকারী নই?
সহীহঃ আল-আহাদীসুল মুখতারাহ (১৯-২০) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস কতিপয় বর্ণনাকারী শু’বাহ্ হতে, তিনি জুরাইরী হতে, তিনি আবূ নায্রাহ্-এর সনদে উদ্ধৃতি করেছেন এবং তিনি বলেন, আবু বাক্র (রাঃ) বলেছেন। এটাই বেশি সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-‘আবদুর রহমান ইবনু মাহ্দী হতে, তিনি শু’বাহ্ হতে, তিনি জুরাইরী হতে, তিনি আবু নায্রাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি বলেন, আবু বাক্র (রাঃ) বলেছেন….উক্ত মর্মে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে তিনি আবু সা’ঈদ (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি। এটাই অধিক সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْرُجُ عَلَى أَصْحَابِهِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ وَهُمْ جُلُوسٌ فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَلاَ يَرْفَعُ إِلَيْهِ أَحَدٌ مِنْهُمْ بَصَرَهُ إِلاَّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَإِنَّهُمَا كَانَا يَنْظُرَانِ إِلَيْهِ وَيَنْظُرُ إِلَيْهِمَا وَيَتَبَسَّمَانِ إِلَيْهِ وَيَتَبَسَّمُ إِلَيْهِمَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحَكَمِ بْنِ عَطِيَّةَ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُهُمْ فِي الْحَكَمِ بْنِ عَطِيَّةَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মুহাজির ও আনসার সাহাবীদের আবূ বাক্র ও উমারসহ বসা অবস্থায় তাদের নিকট আসতেন। কিন্তু আবূ বাক্র ও উমার (রাঃ) ব্যতীত অন্য কেউই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে চোখ তুলে তাকাতেন না। অথচ তাঁরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে তাকাতেন এবং তিনিও তাদের উভয়ের দিকে তাকাতেন। তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেন এবং তিনিও তাদের উভয়ের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেন।
যঈফ, মিশকাত (৬০৫৩)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধু হাকাম ইবনু আতিয়্যার সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। কোন কোন হাদীস বিশারদ হাকাম ইবনু আতিয়্যার সমালোচনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৬৯
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ ذَاتَ يَوْمٍ وَدَخَلَ الْمَسْجِدَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِهِ وَالآخَرُ عَنْ شِمَالِهِ وَهُوَ آخِذٌ بِأَيْدِيهِمَا وَقَالَ “ هَكَذَا نُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . وَسَعِيدُ بْنُ مَسْلَمَةَ لَيْسَ عِنْدَهُمْ بِالْقَوِيِّ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্র ও উমার (রাঃ)-এর হাত ধরা অবস্থায় বেরিয়ে এসে মাসজিদে ঢুকেন। তাদের একজন ছিলেন তাঁর ডান পাশে এবং অপরজন ছিলেন তাঁর বাম পাশে। তিনি বলেনঃ কিয়ামাতের দিন আমরা এভাবে (হাত ধরা অবস্থায়) উঠবো।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৯৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। সাঈদ ইবনু মাসলামা হাদীস বিশেষজ্ঞদের মতে তেমন মজবুত রাবী নন। এ হাদিসটি নাফি হতে ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রেও ভিন্নরূপে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭০
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنِي كَثِيرٌ أَبُو إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأَبِي بَكْرٍ “ أَنْتَ صَاحِبِي عَلَى الْحَوْضِ وَصَاحِبِي فِي الْغَارِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্র (রাঃ)-কে বলেনঃ আপনি হাওযে (কাওসারে) আমার সাথী এবং (হিযরাতকালেও ছাওর পর্বত) গুহায় আপনিই (ছিলেন) আমার সাথী।
যঈফ, মিশকাত (৬০১৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ فَقَالَ “ هَذَانِ السَّمْعُ وَالْبَصَرُ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَهَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْطَبٍ لَمْ يُدْرِكِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .
আবদুল্লাহ ইবনু হান্ত্ত্বাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বাক্র ও ‘উমার (রাঃ)-কে প্রত্যক্ষ করে বলেনঃ এদের উভয়ের কান ও চোখ একই।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৮১৪) ।
এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি মুরসাল। কেননা ‘আবদুল্লাহ ইবনু হানত্বাব (রহঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেখা পাননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭২
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنَا مَعْنٌ، هُوَ ابْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ” . فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ فَأْمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ . قَالَتْ فَقَالَ ” مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ” . قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ فَأْمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ” . فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ مَا كُنْتُ لأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عَبَّاسٍ وَسَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আবু বাক্রকে হুকুম দাও তিনি যেন লোকদের নামায আদায় করান। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আবু বাক্র আপনার স্থানে দাঁড়ালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার কারণে লোকদেরকে কিরাআত শুনাতে পারবেন না। অতএব আপনি ‘উমার (রাঃ)-কে হুকুম দিন তিনি যেন লোকদের নামায আদায় করান। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, তিনি পুনরায় বললেনঃ আবু বাক্রকে নির্দেশ দাও তিনি যেন লোকদের নামায আদায় করান। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, এবার আমি হাফ্সাহ্ (রাঃ)-কে বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলুন, আবু বাক্র (রাঃ) তাঁর স্থানে দাঁড়ালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার কারণে লোকদেরকে (তার কিরাআত) শুনাতে পারবেন না। অতএব আপনি ‘উমার (রাঃ)-কে বলুন তিনি যেন লোকদের নামায আদায় করান। হাফসাহ্ (রাঃ) তাই করলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমারই তো ইউসুফ (‘আঃ)-এর জন্য সমস্যা সৃষ্টিকারী সঙ্গী (যার ফলে তিনি জেলে যেতে বাধ্য হন)। আবু বাক্রকেই লোকদের নামায আদায় করানোর হুকুম দাও। সে সময় হাফসাহ্ (রাঃ) ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, কখনো আমি তোমার নিকট হতে মঙ্গল পাইনি।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১২৩২), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ, আবু মূসা, ইবনু ‘আব্বাস, সালিম ইবনু ‘উবাইদ ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৩
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ مَيْمُونٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَنْبَغِي لِقَوْمٍ فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَؤُمَّهُمْ غَيْرُهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন জাতির মধ্যে আবূ বাক্র হাযির থাকতে তাদের ইমামতি করা অন্য কারো জন্য কাম্য নয়।
অত্যন্ত দুর্বল, যঈফা (৪৮২০)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৩৬৭৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ نُودِيَ فِي الْجَنَّةِ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا خَيْرٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلاَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ ” . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي مَا عَلَى مَنْ دُعِيَ مِنْ هَذِهِ الأَبْوَابِ مِنْ ضَرُورَةٍ فَهَلْ يُدْعَى أَحَدٌ مِنْ تِلْكَ الأَبْوَابِ كُلِّهَا قَالَ ” نَعَمْ وَأَرْجُو أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক একই মালের এক জোড়া আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় খরচ করে তাকে জান্নাতে ডাকা হবে, হে আল্লাহ তা’আলার বান্দা! এটাই উত্তম জায়গা। সুতরাং যে লোক নামাযী, তাকে নামাযের দ্বার হতে আহবান করা হবে। যে লোক মুজাহিদ তাকে জিহাদের দ্বার হতে আহবান করা হবে। যে লোক দানশীল তাকে দান-খাইরাতের দ্বার হতে আহবান করা হবে। যে লোক রোযাদার তাকে রোযার বিশেষ দ্বার (রাইয়্যান) হতে আহবান করা হবে। সে সময় আবু বাক্র (রাঃ) বললেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক! কোন লোককে সকল দরজা হতে ডাকার তো দরকার নেই। তা সত্ত্বেও কোন লোককে কি এসবগুলো দরজা হতে আহবান করা হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, এবং আমি আশা করি আপনিও তাদের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
সহীহঃ সহীহাহ্ (২৮৭৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৫
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَزَّازُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَتَصَدَّقَ فَوَافَقَ ذَلِكَ عِنْدِي مَالاً فَقُلْتُ الْيَوْمَ أَسْبِقُ أَبَا بَكْرٍ إِنْ سَبَقْتُهُ يَوْمًا قَالَ فَجِئْتُ بِنِصْفِ مَالِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا أَبْقَيْتَ لأَهْلِكَ ” . قُلْتُ مِثْلَهُ وَأَتَى أَبُو بَكْرٍ بِكُلِّ مَا عِنْدَهُ فَقَالَ ” يَا أَبَا بَكْرٍ مَا أَبْقَيْتَ لأَهْلِكَ ” . قَالَ أَبْقَيْتُ لَهُمُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ قُلْتُ وَاللَّهِ لاَ أَسْبِقُهُ إِلَى شَيْءٍ أَبَدًا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
যাইদ ইবনু আসলাম (রহঃ) কর্তৃক তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাবূকের যুদ্ধের প্রাক্কালে) আমাদেরকে দান-খাইরাত করার হুকুম করেন। সৌভাগ্যক্রমে ঐ সময় আমার সম্পদও ছিল। আমি (মনে মনে) বললাম, যদি আমি কোন দিন আবু বাক্র (রাঃ)-কে ডিঙ্গাতে পারি তাহলে আজই সেই সুযোগ। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমি আমার অর্ধেক সম্পদ নিয়ে এলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার পরিবার-পরিজনদের জন্য তুমি কি বাকি রেখে এসেছ? আমি বললাম, এর সমপরিমাণ। আর আবু বাক্র (রাঃ) তার সমস্ত মাল নিয়ে আসলেন। তিনি বললেনঃ হে আবু বাক্র! তোমার পরিবার-পরিজনদের জন্য তুমি কি বাকি রেখে এসেছ? তিনি বললেন, তাদের জন্য আল্লাহ ও তার রাসূলকেই রেখে এসেছি। আমি (মনে মনে) বললাম, কখনও আমি কোন প্রসঙ্গে আবু বাক্র (রাঃ)-কে ডিঙ্গাতে পারব না।
হাসানঃ মিশকাত (৬০২১) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৭. অনুচ্ছেদঃ
আবু বাক্র (রাঃ)-এর খলীফাহ্ হওয়ার ইঙ্গিত
৩৬৭৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَكَلَّمَتْهُ فِي شَيْءٍ وَأَمَرَهَا بِأَمْرٍ فَقَالَتْ أَرَأَيْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ لَمْ أَجِدْكَ قَالَ “ فَإِنْ لَمْ تَجِدِينِي فَأْتِ أَبَا بَكْرٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
জুবাইর ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁর সঙ্গে কোন প্রসঙ্গে কথা বলল। তিনি তাকে কিছু করার ব্যাপারে হুকুম দেন। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আচ্ছা আমি (আবার এসে) আপনাকে যদি না পাই?তিনি বললেনঃ যদি তুমি আমাকে না পাও তবে আবু বাক্রের কাছে এসো।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। এই সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” بَيْنَا رَجُلٌ رَاكِبٌ بَقَرَةً إِذْ قَالَتْ لَمْ أُخْلَقْ لِهَذَا إِنَّمَا خُلِقْتُ لِلْحَرْثِ ” . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” آمَنْتُ بِذَلِكَ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ ” . قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَمَا هُمَا فِي الْقَوْمِ يَوْمَئِذٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একদিন এক লোক একটি গরুর পিঠে আরোহিত থাকা অবস্থায় গরুটি বলল, আমাকে এজন্য সৃষ্টি করা হয়নি, আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে কৃষিকাজের জন্য। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি, আবু বাক্র ও ‘উমার (রাঃ) -এই বিষয়টির উপর দৃঢ় আস্থা স্থাপন করলাম। আবু সালামাহ্ (রহঃ) বলেন, তারা দু’জন সেদিন জনতার মাঝে হাযির ছিলেন না।
সহীহঃ ইরওয়াহ্ (২৪৭), বুখারী ও মুসলিম।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার হতে, তিনি শু’বাহ (রহঃ) হতে উপর্যুক্ত সনদে একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاشِدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِسَدِّ الأَبْوَابِ إِلاَّ بَابَ أَبِي بَكْرٍ . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বাক্রের দ্বার ছাড়া আর সমস্ত দ্বার বন্ধ করে দেয়ার হুকুম দেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম, দেখুন হাদীস নং ৩৬৬০।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে গারীব। এ অনুচ্ছেদে আবু সা’ঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৭৯
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، إِسْحَاقَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ أَنْتَ عَتِيقُ اللَّهِ مِنَ النَّارِ ” . فَيَوْمَئِذٍ سُمِّيَ عَتِيقًا . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَعْنٍ وَقَالَ عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আবু বাক্র (রাঃ) প্রবেশ করলে তিনি বললেনঃ আপনি জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তিপ্রাপ্ত আল্লাহর বান্দা (আত্বীকুল্লাহ) । সেদিন হতে তিনি আত্বীক নামে ভূষিত হন।
সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হাঃ ৬০২২)
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস কিছু বর্ণনাকারী মা’আন হতে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি মূসা ইবনু ত্বালহা হতে, তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে এই সনদের উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮০
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا تَلِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الْجَحَّافِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ لَهُ وَزِيرَانِ مِنْ أَهْلِ السَّمَاءِ وَوَزِيرَانِ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ فَأَمَّا وَزِيرَاىَ مِنْ أَهْلِ السَّمَاءِ فَجِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ وَأَمَّا وَزِيرَاىَ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ فَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو الْجَحَّافِ اسْمُهُ دَاوُدُ بْنُ أَبِي عَوْفٍ . وَيُرْوَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ . حَدَّثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ وَكَانَ مَرْضِيًّا وَتَلِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ يُكْنَى أَبَا إِدْرِيسَ وَهُوَ شِيعِيٌّ .
আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীরই আকাশবাসীদের মধ্য হতে দু’জন উযীর এবং যমিনবাসীদের মধ্য হতে দু’জন উযীর ছিল। আকাশবাসীদের মধ্য হতে আমার দু’জন উযীর হলেন জিবরাঈল ও মীকাঈল আলাইহিস সালাম এবং যমিনবাসীদের মধ্য হতে আমার দু’জন উযীর হলেন আৰু বাকর ও উমার।
যঈফ, মিশকাত (৬০৫৬)
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারিব। আর আবুল জাহ্হাফের নাম দাউদ ইবনু আৰু আওফ। সুফিয়ান সাওরী (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আবুল জাহ্হাফ আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং তিনি ছিলেন প্রিয় লোক। তালীদ ইবনু সুলাইমানের ডাক নাম আবু ইদরীস, তিনি শীয়া মতালম্বী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৮. অনুচ্ছেদঃ
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর মর্যাদা
৩৬৮১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا خَارِجَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ اللَّهُمَّ أَعِزَّ الإِسْلاَمَ بِأَحَبِّ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ إِلَيْكَ بِأَبِي جَهْلٍ أَوْ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ” . قَالَ وَكَانَ أَحَبَّهُمَا إِلَيْهِ عُمَرُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “হে আল্লাহ! আবু জাহ্ল কিংবা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব- এই দু’জনের মাঝে তোমার নিকট যে বেশি প্রিয়, তার মাধ্যমে তুমি ইসলামকে মজবুত কর ও মর্যাদা দান কর”। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, ঐ দু’জনের মাঝে ‘উমার (রাঃ)-ই আল্লাহ তা’আলার প্রিয় হিসেবে আবির্ভূত হন।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬০৩৬) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا خَارِجَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، هُوَ الأَنْصَارِيُّ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ جَعَلَ الْحَقَّ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ وَقَلْبِهِ ” . وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ مَا نَزَلَ بِالنَّاسِ أَمْرٌ قَطُّ فَقَالُوا فِيهِ وَقَالَ فِيهِ عُمَرُ أَوْ قَالَ ابْنُ الْخَطَّابِ فِيهِ شَكَّ خَارِجَةُ إِلاَّ نَزَلَ فِيهِ الْقُرْآنُ عَلَى نَحْوِ مَا قَالَ عُمَرُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ وَأَبِي ذَرٍّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَخَارِجَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ هُوَ ابْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَهُوَ ثِقَةٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা উমার (রাঃ)-এর মুখে ও হৃদয়ে সত্যকে স্থাপন করেছেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, জনগণের সম্মুখে কখনো কোন প্রসঙ্গ আবির্ভূত হলে লোকজনও তা সম্পর্কে মন্তব্য ব্যক্ত করত এবং ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-ও অভিমত ব্যক্ত করতেন। দেখা যেত, ‘উমার (রাঃ)-এর অভিমত এর সমর্থনে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১০৮) ।
এ অনুচ্ছেদে আল-ফাযল ইবনু ‘আব্বাস, আবু যার ও আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, উপর্যুক্ত সূত্রে গারীব। খারিজাহ্ ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-আনসারী হলেন ইবনু সুলাইমান ইবনু যাইদ ইবনু সাবিত। তিনি একজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ النَّضْرِ أَبِي عُمَرَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ اللَّهُمَّ أَعِزَّ الإِسْلاَمَ بِأَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ أَوْ بِعُمَرَ ” . قَالَ فَأَصْبَحَ فَغَدَا عُمَرُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَسْلَمَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُهُمْ فِي النَّضْرِ أَبِي عُمَرَ وَهُوَ يَرْوِي مَنَاكِيرَ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “হে আল্লাহ! আবু জাহল ইবনু হিশাম অথবা উমার ইবনুল খাত্তাবের মারফত ইসলামকে শক্তিশালী কর”। রাবী বলেনঃ পরের দিন সকালে উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হয়ে ইসলাম ক্ববূল করেন।
অত্যন্ত দুর্বল, মিশকাত (৬০৩৬)
আৰু ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব। কিছু মুহাদিস আন-নাযর আবু উমারের সমালোচনা করেছেন। তিনি মুনকার হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৩৬৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ الْوَاسِطِيُّ أَبُو مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ابْنُ أَخِي، مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ عُمَرُ لأَبِي بَكْرٍ يَا خَيْرَ النَّاسِ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَمَا إِنَّكَ إِنْ قُلْتَ ذَاكَ فَلَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ عَلَى رَجُلٍ خَيْرٍ مِنْ عُمَرَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উমার (রাঃ) আবু বাকর (রাঃ)-কে বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরেই হে সর্বোত্তম মানুষ। আবূ বাকর (রাঃ) বলেন, আপনি আমার প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন! অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অবশ্যই বলতে শুনেছিঃ উমারের চাইতে অধিক ভালো কোন লোকের উপর দিয়ে সূর্য উঠেনি।
মাওযু যঈফা (১৩৫৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু আলোচ্য সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীসের সনদসূত্র তেমন মজবুত নয়। এ অনুচ্ছেদে আবুদ দারদা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ مَا أَظُنُّ رَجُلاً يَنْتَقِصُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ يُحِبُّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন থেকে বর্ণিতঃ
আমি মনে করি না যে, এমন কোন ব্যক্তি আছেন যিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসেন অথচ আবু বাক্র ও ‘উমার (রাঃ)-এর মর্যাদা খাটো করে দেখেন।
সনদ সহীহ মাকতু’ ।
আবু ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৩৬৮৬
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَوْ كَانَ بَعْدِي نَبِيٌّ لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ .
উক্ববাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পরবর্তীতে কেউ নবী হলে অবশ্যই ‘উমার ইবনুল খাত্তাবই নবী হত।
হাসানঃ সহীহাহ্ (৩২৭) ।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র মিশরাহ ইবনু ‘আ-হান বর্ণিত হাদীস হিসেবে এটি অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” رَأَيْتُ كَأَنِّي أُتِيتُ بِقَدَحٍ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْتُ مِنْهُ فَأَعْطَيْتُ فَضْلِي عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ” . قَالُوا فَمَا أَوَّلْتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” الْعِلْمَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যেন আমার কাছে এক পেয়ালা দুধ আনা হয়েছে, তা হতে আমি পান করলাম এবং বাকি অংশটুকু ‘উমার ইবনুল খাত্তাবকে দিলাম। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এর কি ব্যাখ্যা করেন? তিনি বললেনঃ “জ্ঞান”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। ২২৮৪ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ فَإِذَا أَنَا بِقَصْرٍ مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ قَالُوا لِشَابٍّ مِنْ قُرَيْشٍ فَظَنَنْتُ أَنِّي أَنَا هُوَ فَقُلْتُ وَمَنْ هُوَ فَقَالُوا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মি’রাজের রাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করে তাতে একখানা সোনার বালাখানা প্রত্যক্ষ করলাম। আমি প্রশ্ন করলাম, এ বালাখানা কার? ফেরেশতারা বললেন, কুরাইশের এক যুবকের। আমি ধারণা করলাম, আমিই সেই যুবক। আমি প্রশ্ন করলামঃ কে সেই যুবক? ফেরেশতারা বললেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৪০৫, ১৪২৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৮৯
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي بُرَيْدَةُ، قَالَ أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا بِلاَلاً فَقَالَ ” يَا بِلاَلُ بِمَ سَبَقْتَنِي إِلَى الْجَنَّةِ مَا دَخَلْتُ الْجَنَّةَ قَطُّ إِلاَّ سَمِعْتُ خَشْخَشَتَكَ أَمَامِي دَخَلْتُ الْبَارِحَةَ الْجَنَّةَ فَسَمِعْتُ خَشْخَشَتَكَ أَمَامِي فَأَتَيْتُ عَلَى قَصْرٍ مُرَبَّعٍ مُشَرَّفٍ مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ فَقَالُوا لِرَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ فَقُلْتُ أَنَا عَرَبِيٌّ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ قَالُوا لِرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ قُلْتُ أَنَا قُرَشِيٌّ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ قَالُوا لِرَجُلٍ مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ قُلْتُ أَنَا مُحَمَّدٌ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ قَالُوا لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ” . فَقَالَ بِلاَلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَذَّنْتُ قَطُّ إِلاَّ صَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ وَمَا أَصَابَنِي حَدَثٌ قَطُّ إِلاَّ تَوَضَّأْتُ عِنْدَهَا وَرَأَيْتُ أَنَّ لِلَّهِ عَلَىَّ رَكْعَتَيْنِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” بِهِمَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَمُعَاذٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” رَأَيْتُ فِي الْجَنَّةِ قَصْرًا مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ لِمَنْ هَذَا فَقِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنِّي دَخَلْتُ الْبَارِحَةَ الْجَنَّةَ يَعْنِي رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنِّي دَخَلْتُ الْجَنَّةَ هَكَذَا رُوِيَ فِي بَعْضِ الْحَدِيثِ . وَيُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ رُؤْيَا الأَنْبِيَاءِ وَحْىٌ .
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক দিন ভোরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ)-কে ডেকে বললেনঃ হে বিলাল! তুমি জান্নাতে কি কারণে আমার আগে আগে থাকছ? যখনই আমি জান্নাতে প্রবেশ করেছি সে সময়ই আমার আগে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। গত রাতেও আমি জান্নাতে প্রবেশ করেছি এবং আমার আগে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। আমি স্বর্ণনির্মিত একটি বর্গাকার সুউচ্চ প্রাসাদের নিকট এসে বললামঃ এ প্রাসাদটি কার? ফেরেশতারা বললেন, এটা আরবের এক ব্যক্তির। আমি বললাম, আমি একজন আরব। সুতরাং এ প্রাসাদটি কার? তারা বললেন, কুরাইশ বংশের এক লোকের। আমি বললামঃ আমি কুরাইশ বংশীয়, অতএব এ প্রাসাদটি কার? তারা বললেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উম্মাতের এক ব্যক্তির। আমি বললাম, আমিই মুহাম্মাদ, সুতরাং এ প্রাসাদটি কার? তারা বললেন, ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের। তারপর বিলাল (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কখনো আমি আযান দিলেই দুই রাক’আত নামায আদায় করি এবং কখনো আমার উযূ ছুটে গেলেই আমি উযূ করি এবং মনে করি আল্লাহ তা’আলার নামে দুই রাক’আত নামায আদায় করা আমার কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ দু’টি কারণেই (তোমার এ মর্যাদা)।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (১/৯৯)।
এ অনুচ্ছেদে জাবির, মু’আয ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) কর্তৃকও হাদীস বর্ণিত আছে যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতের মাঝে আমি সোনার তৈরী একখানা প্রাসাদ দেখে বললাম, এ প্রাসাদটি কার? বলা হল, ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ “গত রাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করেছি”, এর অর্থ “আমি স্বপ্নে দেখেছি যেন আমি জান্নাতে প্রবেশ করেছি”। কোন কোন হাদীসে এ রকমই বর্ণিত আছে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, নাবীদের স্বপ্নও ওয়াহী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯০
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ بُرَيْدَةَ، يَقُولُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ جَاءَتْ جَارِيَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ نَذَرْتُ إِنْ رَدَّكَ اللَّهُ سَالِمًا أَنْ أَضْرِبَ بَيْنَ يَدَيْكَ بِالدُّفِّ وَأَتَغَنَّى . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنْ كُنْتِ نَذَرْتِ فَاضْرِبِي وَإِلاَّ فَلاَ ” . فَجَعَلَتْ تَضْرِبُ فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ عَلِيٌّ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ عُثْمَانُ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ عُمَرُ فَأَلْقَتِ الدُّفَّ تَحْتَ اسْتِهَا ثُمَّ قَعَدَتْ عَلَيْهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ الشَّيْطَانَ لَيَخَافُ مِنْكَ يَا عُمَرُ إِنِّي كُنْتُ جَالِسًا وَهِيَ تَضْرِبُ فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ عَلِيٌّ وَهِيَ تَضْرِبُ ثُمَّ دَخَلَ عُثْمَانُ وَهِيَ تَضْرِبُ فَلَمَّا دَخَلْتَ أَنْتَ يَا عُمَرُ أَلْقَتِ الدُّفَّ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَائِشَةَ .
বুরাইদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক যুদ্ধাভিযানে যান। তিনি ফিরে এলে এক কৃষ্ণবর্ণা মেয়ে এসে বলে, হে আল্লাহর রাসূল! আমি মানত করেছিলাম যে, আপনাকে আল্লাহ তা’আলা হিফাযাতে (সুস্থাবস্থায়) ফিরিয়ে আনলে আপনার সম্মুখে আমি দফ বাজাব এবং গান করব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি সত্যিই যদি মানত করে থাক তবে দফ বাজাও, তা না হলে বাজিও না। সে দফ (এক মুখ খোলা ঢোল) বাজাতে লাগল। এই অবস্থায় সেখানে আবূ বাক্র (রাঃ) এলেন এবং সে দফ বাজাতে থাকে, তারপর ‘আলী (রাঃ) এলেন এবং সে ওটা বাজাতে থাকে। তারপর ‘উসমান (রাঃ) এলেন, সে সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। তারপর ‘উমার (রাঃ) এসে প্রবেশ করলে সে দফটি তার নিতম্বের নীচে রেখে তার উপর অবস্থান করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘উমার! তোমাকে দেখলে শাইতানও ভয় পায়। আমি উপবিষ্ট ছিলাম আর ঐ মেয়েটি দফ বাজাচ্ছিল। পরে আবূ বাক্র এসে প্রবেশ করলে সে সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। এরপর ‘আলী প্রবেশ করলে সে সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। এরপর ‘উসমান এসে প্রবেশ করলে তখনও সে তা বাজাতে থাকে। অবশেষে তুমি এসে যখন প্রবেশ করলে, হে ‘উমার! সে সময় সে দফটি ফেলে দিল।
সহীহঃ নাক্বদুল কিত্তানী (৪৭-৪৮), সহিহাহ্ (২২৬১)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং বুরাইদাহ্র বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। এ অনুচ্ছেদে ‘উমার, সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯১
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ صَبَّاحٍ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فَسَمِعْنَا لَغَطًا وَصَوْتَ صِبْيَانٍ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا حَبَشِيَّةٌ تُزْفِنُ وَالصِّبْيَانُ حَوْلَهَا فَقَالَ ” يَا عَائِشَةُ تَعَالَىْ فَانْظُرِي ” . فَجِئْتُ فَوَضَعْتُ لَحْيَىَّ عَلَى مَنْكِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلْتُ أَنْظُرَ إِلَيْهَا مَا بَيْنَ الْمَنْكِبِ إِلَى رَأْسِهِ فَقَالَ لِي ” أَمَا شَبِعْتِ أَمَا شَبِعْتِ ” . قَالَتْ فَجَعَلْتُ أَقُولُ لاَ لأَنْظُرَ مَنْزِلَتِي عِنْدَهُ إِذْ طَلَعَ عُمَرُ قَالَ فَارْفَضَّ النَّاسُ عَنْهَا قَالَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي لأَنْظُرُ إِلَى شَيَاطِينِ الإِنْسِ وَالْجِنِّ قَدْ فَرُّوا مِنْ عُمَرَ ” . قَالَتْ فَرَجَعْتُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা ছিলেন। সে সময় আমরা একটা সোরগোল ও শিশুদের হৈচৈ শুনতে পেলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে গিয়ে দেখলেন, এক হাবশী নারী নেচেকুদে খেলা দেখাচ্ছে আর শিশুরা তার চারিদিকে ভীড় জমিয়েছে। তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্! এসো এবং প্রত্যক্ষ কর। অতএব আমি গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাঁধের উপর আমার চিবুক রেখে তার খেলা প্রত্যক্ষ করতে লাগলাম। আমার চিবুক ছিল তাঁর মাথা ও কাঁধের মধ্যবর্তী জায়গায়। (কিছুক্ষণ পর) আমাকে তিনি বললেনঃ তুমি কি তৃপ্ত হওনি, তোমার কি তৃপ্তি পূর্ণ হয়নি? তিনি বলেন, আমি না, না বলতে থাকলাম। আমার লক্ষ্য ছিল, আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতটুকু খাতির করেন তা পর্যবেক্ষণ করা। ইত্যবসরে ‘উমার (রাঃ) আবির্ভূত হন এবং মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত লোক তার কাছ হতে সটকে পড়ে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি দেখলাম জিন ও মানববেশধারী শাইতানগুলো ‘উমারকে দেখেই সরে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তারপর আমি ফিরে এলাম।
সহীহঃ মিশকাত (৬০৩৯) ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯২
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ ثُمَّ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرُ ثُمَّ آتِي أَهْلَ الْبَقِيعِ فَيُحْشَرُونَ مَعِي ثُمَّ أَنْتَظِرُ أَهْلَ مَكَّةَ حَتَّى أُحْشَرَ بَيْنَ الْحَرَمَيْنِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ لَيْسَ بِالْحَافِظِ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার জন্যই প্রথমে (কবর) বিদীর্ণ করা হবে, তারপর আবু বকরের, তারপর উমারের জন্য। তারপর আমি আল-বাকী’র কবরবাসীদের নিকট আসব এবং তাদেরকে আমার সাথে হাশরের মাঠে সমবেত করা হবে। তারপর আমি মক্কাবাসীদের জন্য প্রতীক্ষা করব। পরিশেষে হারামাইন শরীফাইন (মক্কা ও মদীনা)-এর মধ্যবর্তী স্থানে আমাকে উঠানো হবে।
যঈফ, যঈফা (২৯৪৯)
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। (আমার মতে) আসিম ইবনু উমার ‘হাফেজে হাদীস’ নন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ قَدْ كَانَ يَكُونُ فِي الأُمَمِ مُحَدَّثُونَ فَإِنْ يَكُ فِي أُمَّتِي أَحَدٌ فَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ حَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِ سُفْيَانَ قَالَ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ مُحَدَّثُونَ يَعْنِي مُفَهَّمُونَ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবেক উম্মাতদের মাঝে ‘মুহাদ্দাস’ (তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও সূক্ষদর্শী লোক) আবির্ভাব হতেন। আমার উম্মাতদের মাঝে কেউ মুহাদ্দাস হলে তা ‘উমার ইবনুল খাত্তাবই।
হাসান সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। ইবনু ‘উয়াইনার অপর এক শাগরিদ সুফ্ইয়ান ইবনু উয়াইনার সনদে আমার কাছে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন, মুহাদ্দাসুন অর্থ ‘মুফাহ্হামূন’ (আল্লাহ যাদেরকে ইসলামের পূর্ণ জ্ঞান দান করেন)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৬৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْقُدُّوسِ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يَطْلُعُ عَلَيْكُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ” . فَاطَّلَعَ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ قَالَ ” يَطْلُعُ عَلَيْكُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ” . فَاطَّلَعَ عُمَرُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَجَابِرٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের সামনে জান্নাতীদের একজন আবির্ভূত হবেন। ইত্যবসরে আবু বাকর (রাঃ) আবির্ভূত হন। তিনি আবার বলেনঃ তোমাদের সামনে জান্নাতীদের একজন আবির্ভূত হবেন। ইত্যবসরে উমর (রাঃ) আবির্ভূত হন।
যঈফ, মিশকাত (৬০৮৫)
এ অনুচ্ছেদে আবু মূসা ও জাবির (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৬৯৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” بَيْنَمَا رَجُلٌ يَرْعَى غَنَمًا لَهُ إِذْ جَاءَ ذِئْبٌ فَأَخَذَ شَاةً فَجَاءَ صَاحِبُهَا فَانْتَزَعَهَا مِنْهُ فَقَالَ الذِّئْبُ كَيْفَ تَصْنَعُ بِهَا يَوْمَ السَّبُعِ يَوْمَ لاَ رَاعِيَ لَهَا غَيْرِي ” . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” فَآمَنْتُ بِذَلِكَ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ ” . قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَمَا هُمَا فِي الْقَوْمِ يَوْمَئِذٍ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একদিন এক লোক তার মেষ (বকরী) পাল চরাচ্ছিল। হঠাৎ একটি নেকড়ে বাঘ এসে একটি বকরী ধরে ফেলে। তার মালিক এসে নেকড়ের কাছ থেকে বকরীটি ছিনিয়ে নিল। নেকড়ে বলল, হিংস্র জন্তুর দিনে (যেদিন মানুষ মারা যাবে এবং হিংস্র জন্তুরা বাকি থাকবে) তুমি কি করবে, যেদিন আমি ছাড়া এদের কোন রাখাল থাকবে না? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি নিজে এবং আবূ বকর ও ‘উমার এতে (নেকড়ের মন্তব্যে) বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আবূ সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, সেই মজলিসে ঐ দিন তারা দু’জন হাযির ছিলেন না।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। এটি ৩৬৭৭ নং হাদীসের পূর্ণাঙ্গরূপ।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার হতে, তিনি শু’বাহ্ হতে, তিনি সা’দ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস