অনুচ্ছেদ-৩৫
সূরা সাবা
৩২২২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحَكَمِ النَّخَعِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو سَبْرَةَ النَّخَعِيُّ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ مُسَيْكٍ الْمُرَادِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ أُقَاتِلُ مَنْ أَدْبَرَ مِنْ قَوْمِي بِمَنْ أَقْبَلَ مِنْهُمْ فَأَذِنَ لِي فِي قِتَالِهِمْ وَأَمَّرَنِي فَلَمَّا خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهِ سَأَلَ عَنِّي مَا فَعَلَ الْغُطَيْفِيُّ فَأُخْبِرَ أَنِّي قَدْ سِرْتُ قَالَ فَأَرْسَلَ فِي أَثَرِي فَرَدَّنِي فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ ” ادْعُ الْقَوْمَ فَمَنْ أَسْلَمَ مِنْهُمْ فَاقْبَلْ مِنْهُ وَمَنْ لَمْ يُسْلِمْ فَلاَ تَعْجَلْ حَتَّى أُحْدِثَ إِلَيْكَ ” . قَالَ وَأُنْزِلَ فِي سَبَإٍ مَا أُنْزِلَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا سَبَأٌ أَرْضٌ أَوِ امْرَأَةٌ قَالَ ” لَيْسَ بِأَرْضٍ وَلاَ امْرَأَةٍ وَلَكِنَّهُ رَجُلٌ وَلَدَ عَشَرَةً مِنَ الْعَرَبِ فَتَيَامَنَ مِنْهُمْ سِتَّةٌ وَتَشَاءَمَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ فَأَمَّا الَّذِينَ تَشَاءَمُوا فَلَخْمٌ وَجُذَامٌ وَغَسَّانُ وَعَامِلَةٌ وَأَمَّا الَّذِينَ تَيَامَنُوا فَالأَزْدُ وَالأَشْعَرِيُّونَ وَحِمْيَرُ وَمَذْحِجٌ وَأَنْمَارُ وَكِنْدَةُ ” . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا أَنْمَارُ قَالَ ” الَّذِينَ مِنْهُمْ خَثْعَمُ وَبَجِيلَةُ ” . وَرُوِيَ هَذَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
ফারওয়াহ্ ইবনু মুসাইক আল-মুরাদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার গোত্রের যেসব ব্যক্তি অগ্রসর হয়েছে (ইসলাম গ্রহণ করেছে) তাদেরকে নিয়ে আমি কি আমার গোত্রের পিছে পড়া ব্যক্তিদের (ইসলাম প্রত্যাখ্যানকারীদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমাকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনুমতি দিলেন এবং আমাকেই আমীর নিযুক্ত করলেন। আমি তাঁর নিকট হতে বিদায় নিয়ে আসার পর তিনি আমার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেনঃ গুতাইফী কোথায়? তাঁকে জানানো হল যে, আমি চলে গেছি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমার পিছে পিছে এক লোক পাঠিয়ে আমাকে আবার ফিরিয়ে আনলেন। আমি যখন ফিরে আসি তখন তিনি তাঁর সাহাবা পরিবেষ্টিত অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার গোত্রের লোকদের প্রথমে ইসলামের দা’ওয়াত দিবে। তাদের মধ্যে কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে তা তুমি অনুমোদন করবে। আর যে লোক ইসলাম গ্রহণ করবে না, আমার পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করার বিষয়ে ধৈর্যহারা হবে না।
রাবী বলেন, তারপর সাবা প্রসঙ্গে যা অবতীর্ণ হওয়ার ছিল তা নাযিল হল। এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সাবা কি? কোন এলাকার নাম না কোন স্ত্রীলোকের নাম? তিনি বললেনঃ কোন এলাকারও নাম নয় বা কোন স্ত্রীলোকেরও নাম নয়, বরং একজন পুরুষ ব্যক্তির নাম। তার ঔরসে আরবের দশজন লোক জন্মগ্রহণ করে। তাদের ছয়জন ইয়ামানে (দক্ষিণ দিকে) এবং চারজন সিরিয়ায় (বাঁ দিকে) বসতি স্থাপন করে। বাঁ দিকের ব্যক্তিদের নাম হলঃ লাখম, জুযাম, গাসসান ও আমিলা (গোত্র)। আর ডান দিকে গড়ে উঠা বংশের নাম হলঃ আয্দ, আশ‘আরী, হিমইয়ার, কিনদাহ্, মাযহিজ ও আনমার। এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আনমার কওমের ব্যক্তি কারা? তিনি বললেনঃ খাস‘আম ও বাজীলাহ্ বংশের লোকেরা এদের দলে।
হাদীসটি ইবনু ‘আব্বাসের বরাতেও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩২২৩
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا قَضَى اللَّهُ فِي السَّمَاءِ أَمْرًا ضَرَبَتِ الْمَلاَئِكَةُ بِأَجْنِحَتِهَا خُضْعَانًا لِقَوْلِهِ كَأَنَّهَا سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ قَالَ وَالشَّيَاطِينُ بَعْضُهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যখন আসমানে কোন নির্দেশ ঘোষণা করেন, তখন ফেরেশতারা এই আদেশের উপর আনুগত্য প্রদর্শনার্থে ভয় ও বিনম্রতার সাথে নিজেদের পাখায় শব্দ করেন। মনে হয় যেন পাখাগুলো শিকলের মতো মসৃণ পাথরের উপর আঘাত করছে। তাদের মন হতে ভয়ের ভাব কেটে গেলে তারা একে অপরকে প্রশ্ন করেনঃ “তোমাদের প্রতিপালক কি বললেন? তারা বলেন, তিনি সঠিক বলেছেন। তিনি তো অতীব মহান ও শ্রেষ্ঠ” – (সূরা সাবা ২৩)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শাইতানেরা তখন একে অপরের কাছে সমবেত হয় (ঊর্ধ্ব জগতের কথা শুনার জন্য)।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৯৪), বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২২৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِذْ رُمِيَ بِنَجْمٍ فَاسْتَنَارَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ لِمِثْلِ هَذَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا رَأَيْتُمُوهُ ” . قَالُوا كُنَّا نَقُولُ يَمُوتُ عَظِيمٌ أَوْ يُولَدُ عَظِيمٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” فَإِنَّهُ لاَ يُرْمَى بِهِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّ رَبَّنَا عَزَّ وَجَلَّ إِذَا قَضَى أَمْرًا سَبَّحَ لَهُ حَمَلَةُ الْعَرْشِ ثُمَّ سَبَّحَ أَهْلُ السَّمَاءِ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ حَتَّى يَبْلُغَ التَّسْبِيحُ إِلَى هَذِهِ السَّمَاءِ ثُمَّ سَأَلَ أَهْلُ السَّمَاءِ السَّادِسَةِ أَهْلَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالَ فَيُخْبِرُونَهُمْ ثُمَّ يَسْتَخْبِرُ أَهْلُ كُلِّ سَمَاءٍ حَتَّى يَبْلُغَ الْخَبَرُ أَهْلَ السَّمَاءِ الدُّنْيَا وَتَخْتَطِفُ الشَّيَاطِينُ السَّمْعَ فَيُرْمَوْنَ فَيَقْذِفُونَهَا إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ فَمَا جَاءُوا بِهِ عَلَى وَجْهِهِ فَهُوَ حَقٌّ وَلَكِنَّهُمْ يُحَرِّفُونَ وَيَزِيدُونَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এক দল সাহাবীর সঙ্গে বসা ছিলেন। এমন সময় একটি উল্কা পতিত হল এবং আলোকিত হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এরূপ উলকাপাত হতে দেখলে তোমরা জাহিলী যুগে কি বলতে? তারা বলল, আমরা বলতাম, কোন মহান লোকের মৃত্যু হবে অথবা কোন মহান লোকের জন্ম হবে (এটা তারই আলামাত)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন লোকের মৃত্যু অথবা জন্মগ্রহণের আলামাত হিসেবে এটা পতিত হয় না, বরং মহা বারাকাতময় ও মহিমান্বিত নামের অধিকারী আমাদের প্রতিপালক যখন কোন আদেশ জারী করেন তখন আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করেন। তারপর তাদের নিকটতম আসমানের অধিবাসীরা তাসবীহ পড়তে থাকে, তারপর তাদের নিকটতম আসমানের অধিবাসীরা তাসবীহ পড়তে থাকে। এভাবে তাসবীহ ও মহিমা ঘোষণার ধারা এই নিম্নবর্তী আসমানে এসে পৌঁছে যায়। তারপর ষষ্ঠ আসমানের অধিবাসীরা সপ্তম আসমানের অধিবাসীদের প্রশ্ন করেন, তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তারা তাদেরকে ব্যাপারটি জানান। এভাবে প্রত্যেক আসমানের অধিবাসীরা তাদের উপরের আসমানের অধিবাসীদের একইভাবে প্রশ্ন করেন। এভাবে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে এ খবর পৌঁছে যায়। শাইতানেরা এ তথ্য শুনবার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। তখন এদের উপর উলকা ছুঁড়ে মারা হয়। এরা কিছু তথ্য এদের সহগামীদের নিকট পাচার করে। এরা যা সংগ্রহ করে তা তো সত্য, কিন্তু তারা এতে কিছু পরিবর্তন ও কিছু বৃদ্ধি ঘটায়।
সহীহঃ মুসলিম (৭/৩৬-৩৭)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। ইমাম যুহরী (রহঃ) এ হাদীস ‘আলী ইবনু হুসাইনের সূত্রে ইবনু ‘আব্বাস হতে তিনি একদল আনসার সাহাবীর সনদে বর্ণনা করেছেন। তারা বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম… হাদীসের শেষ অবধি। এটি আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন আল-হুসাইন ইবনু হুরাইস-ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম হতে, তিনি আওযা‘ঈ হতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৬
সূরা আল-মালায়িকাহ্ (আল-ফাত্বির)
৩২২৫
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَيْزَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلاً، مِنْ ثَقِيفٍ يُحَدِّثُ عَنْ رَجُلٍ، مِنْ كِنَانَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِ : (ثمَّ أَوْرَثْنَا الْكِتَابَ الَّذِينَ اصْطَفَيْنَا مِنْ عِبَادِنَا فَمِنْهُمْ ظَالِمٌ لِنَفْسِهِ وَمِنْهُمْ مُقْتَصِدٌ وَمِنْهُمْ سَابِقٌ بِالْخَيْرَاتِ ) قَالَ ” هَؤُلاَءِ كُلُّهُمْ بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ وَكُلُّهُمْ فِي الْجَنَّةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ (অনুবাদ) “তারপর আমাদের বান্দাদের ভিতর হতে বাছাই করা ব্যক্তিদেরকে আমরা এ কিতাবের উত্তরাধিকারী বানিয়েছি। তাদের কেউ নিজেদের উপরই যুল্মকারী হয়েছে, কেউ মধ্যম পন্থা অবলম্বন করেছে এবং কেউ আল্লাহ তা‘আলার অনুমতিক্রমে নেক কাজসমুহে অগ্রগামী হয়েছে” – (সূরা ফাত্বির ৩২)। এ প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এ আয়াতে বর্ণিত তিন শ্রেণীর ব্যক্তিরা একই মর্যাদা সম্পন্ন (মু’মিন) এবং এরা সকলেই জান্নাতবাসী।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব হাসান। আমরা এ হাদিসটি শুধুমাত্র (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত সনদেই জেনেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৭
সূরা ইয়াসীন
৩২২৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَزِيرٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَتْ بَنُو سَلِمَةَ فِي نَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ فَأَرَادُوا النُّقْلَةَ إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : (إنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ ) فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ آثَارَكُمْ تُكْتَبُ ” . فَلَمْ يَنْتَقِلُوا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ وَأَبُو سُفْيَانَ هُوَ طَرِيفٌ السَّعْدِيُّ .
আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বানূ সালিমাহ্ বংশের বসতি মাদীনার এক পাশে ছিল। তারা সেখান হতে তাদের বসতি তুলে মাসজিদে নাবাবীর নিকট চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এই কারণে এ আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ)ঃ “আমরা নিশ্চয়ই মৃতকে জীবিত করি এবং তারা যা আগে পাঠায় আর যা পিছনে রেখে যায় আমরা তা লিখে রাখি” – (সূরা ইয়াসীন ১২)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের পদচিহ্ন লেখা হবে। অতএব তোমরা বসতি স্থানান্তর করো না।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৭৮৫)
আবূ ‘ঈসা বলেন, সাওরী (রহঃ)-এর বর্ণনা হিসেবে এ হাদিসটি হাসান গারীব। আবূ সুফ্ইয়ানের নাম ত্বরীফ আস-সা‘দী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২২৭
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” أَتَدْرِي يَا أَبَا ذَرٍّ أَيْنَ تَذْهَبُ هَذِهِ ” . قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” فَإِنَّهَا تَذْهَبُ فَتَسْتَأْذِنُ فِي السُّجُودِ فَيُؤْذَنُ لَهَا وَكَأَنَّهَا قَدْ قِيلَ لَهَا اطْلَعِي مِنْ حَيْثُ جِئْتِ فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا ” . قَالَ ثُمَّ قَرَأَ : (وذلكَ مُسْتَقَرٌّ لَهَا ) قَالَ وَذَلِكَ قِرَاءَةُ عَبْدِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সূর্য ডুবার সময় আমি মাসজিদে ঢুকলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন (মাসজিদে) বসা ছিলেন। তিনি বললেনঃ হে আবূ যার! তুমি কি জান, এটা (সূর্য) কোথায় যায়? বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এটা গিয়ে সাজদাহ্র অনুমতি প্রার্থনা করে। তাকে সাজদাহ্র অনুমতি দেয়া হয়। এমন এক দিন আসবে যখন তাকে বলা হবে, তুমি যেখানে এসেছ সেখান হতে উদিত হও। অতএব তা অস্ত যাওয়ার স্থান হতে উদিত হবে। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি পড়েনঃ “এটাই তার একমাত্র আশ্রয়স্থল” – (সূরা ইয়াসীন ৩৮)। বর্ণনাকারী বলেন, এটা ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদের ক্বিরাআত।
সহীহঃ বুখারী, এটি (২১৮৬) নং হাদীসের পুনরাবৃত্তি।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৮
সূরা আস-সাফ্ফাত
৩২২৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ بِشْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا مِنْ دَاعٍ دَعَا إِلَى شَيْءٍ إِلاَّ كَانَ مَوْقُوفًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَزِمًا لَهُ لاَ يُفَارِقُهُ وَإِنْ دَعَا رَجُلٌ رَجُلاً ” . ثُمَّ قَرَأَ قَوْلَ اللَّهِ : ( وقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ * مَا لَكُمْ لاَ تَنَاصَرُونَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন লোককে কোন মতবাদের দিকে ডেকেছে, তাকে কিয়ামাতের দিন থামানো হবে, সে মাত্র এক ব্যক্তিকে সেদিকে ডেকে থাকলেও। তাকে তার আহ্বানের পরিণতি ভোগ না করিয়ে রেহাই দেয়া হবে না। তারপর তিনি আল্লাহ্ তা’আলার কিতাবের এই আয়াত পাঠ করেনঃ “এই লোকদের একটু থামাও, এদের নিকট কিছু প্রশ্ন করার আছে। তোমাদের কি হল, তোমারা এখন পরস্পরের সাহায্যে এগিয়ে আস না কেন?” (সূরাঃ আস-সাফ্ফাত- ২৪-২৫)
যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (১/৫০), যিলালুল জুন্নাহ্(১১২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২২৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى : ( وأَرْسَلْنَاهُ إِلَى مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ ) قَالَ ” عِشْرُونَ أَلْفًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “আমরা তাকে (ইউনুস) এক লাখ বা ততোধিক লোকের নিকটে পাঠালাম”( সূরাঃ আস-সাফ্ফাত- ১৪৭) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেনঃ (এক লাখ) বিশ হাজার।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِ اللَّهِ : ( وجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمُ الْبَاقِينَ ) قَالَ ” حَامٌ وَسَامٌ وَيَافِثُ ” . كَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى يُقَالُ يَافِتُ وَيَافِثُ بِالتَّاءِ وَالثَّاءِ وَيُقَالُ يَفِثُ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ بَشِيرٍ .
সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “আমরা তার (নূহের) বংশধরদের বাঁচিয়ে রাখলাম বংশপরম্পরায়” (সূরাঃ আস-সাফ্ফাত- ৭৭) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ এরা হল হাম, সাম ও ইয়াফিস।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেনঃ ‘তা’ অথবা ‘সা’ অক্ষর সহযোগে ইয়াফিত-ও বলা হয় এবং ইয়াফিস-ও বলা হয়, ইয়াফুসও বলা হয়। এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র সাঈদ ইবনু বাশীরের সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৩১
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ سَامٌ أَبُو الْعَرَبِ وَحَامٌ أَبُو الْحَبَشِ وَيَافِثُ أَبُو الرُّومِ ” .
সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আরবদের আদি পিতা সাম, হাবশীদের (আবিসিনীয়াদের) আদি পিতা হাম এবং রূমীয়দের (বাইজানটাইনদের) আদি পিতা ইয়াফিস।
যঈফ, যঈফা (৩৬৮৩)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৯
সূরা সা-দ
৩২৩২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ عَبْدٌ هُوَ ابْنُ عَبَّادٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرِضَ أَبُو طَالِبٍ فَجَاءَتْهُ قُرَيْشٌ وَجَاءَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَ أَبِي طَالِبٍ مَجْلِسُ رَجُلٍ فَقَامَ أَبُو جَهْلٍ كَىْ يَمْنَعَهُ وَشَكَوْهُ إِلَى أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي مَا تُرِيدُ مِنْ قَوْمِكَ قَالَ ” إِنِّي أُرِيدُ مِنْهُمْ كَلِمَةً وَاحِدَةً تَدِينُ لَهُمْ بِهَا الْعَرَبُ وَتُؤَدِّي إِلَيْهِمُ الْعَجَمُ الْجِزْيَةَ ” . قَالَ كَلِمَةً وَاحِدَةً قَالَ ” كَلِمَةً وَاحِدَةً ” . قَالَ ” يَا عَمِّ قُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ” . فَقَالُوا: إِلَهًا وَاحِدًا؟ ( ما سَمِعْنَا بِهَذَا فِي الْمِلَّةِ الآخِرَةِ إِنْ هَذَا إِلاَّ اخْتِلاَقٌ ) قَالَ فَنَزَلَ فِيهِمُ الْقُرْآنُ : (ص* وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ * بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي عِزَّةٍ وَشِقَاقٍ ) إِلَى قَوْلِهِ : (ما سَمِعْنَا بِهَذَا فِي الْمِلَّةِ الآخِرَةِ إِنْ هَذَا إِلاَّ اخْتِلاَقٌ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আবূ তালিব রোগাক্রান্ত হলে কুরাইশরা তার নিকটে আসে এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও আসেন। আবূ তালিবের নিকট এক ব্যক্তির বসার মত স্থান ছিল। আবূ জাহল তাকে মানা করতে উঠে। রাবী বলেনঃ এসব লোক আবূ তালিবের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে। আবূ তালিব বলেন, হে ভাতিজা! তুমি তোমার জাতির নিকটে কি চাও? তিনি বললেনঃ আমি তাদের কাছে একটি বাক্য মেনে নেয়ার ইচ্ছা করছি। তারা এটা মেনে নিলে আরবরা তাদের মতানুবর্তী হবে এবং অনারবরা তাদেরকে জিযিয়া দিবে। আবূ তালিব বললেন, একটি বাক্য? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, একটি বাক্য। তিনি আবার বললেনঃ হে চাচা! আপনারা বলুন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। তারা বলল, শুধু মাত্র একজন মা’বূদ? “এধরণের কথা তো আমরা নিকট অতীতের জাতিসমূহের নিকটে শুনিনি? এটা একটা অলীক উক্তিমাত্র” (সূরা: সা’দ—৭)। রাবী বলেনঃ তাদের প্রসঙ্গে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয় : “সা’দ। উপদেশে পূর্ণ কুরআনের শপথ! বরং এই সত্য প্রত্যাখানকারী লোকেরাই চরম অহংকার ও হঠকারিতায় ডুবে আছে। এদের পূর্বে আমরা এমন কত জাতিকেই না ধ্বংস করেছি। তখন তারা চিৎকার করে উঠেছে। কিন্তু তখন আর মুক্তি পাওয়ার উপায় ছিল না। ……….এমন কথা তো আমরা নিকট অতীতের জাতিসমূহের নিকটে শুনিনি! এটা একটা অলীক কথামাত্র” (সূরা: সা’দ – ১-৭)।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেন ; এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ সুফইয়ান আ’মাশের সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৩৩
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَتَانِي اللَّيْلَةَ رَبِّي تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ قَالَ أَحْسَبُهُ قَالَ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ هَلْ تَدْرِي فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قَالَ قُلْتُ لاَ . قَالَ فَوَضَعَ يَدَهُ بَيْنَ كَتِفَىَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَهَا بَيْنَ ثَدْيَىَّ أَوْ قَالَ فِي نَحْرِي فَعَلِمْتُ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ قَالَ يَا مُحَمَّدُ هَلْ تَدْرِي فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ فِي الْكَفَّارَاتِ . وَالْكَفَّارَاتُ الْمُكْثُ فِي الْمَسَاجِدِ بَعْدَ الصَّلَوَاتِ وَالْمَشْىُ عَلَى الأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِي الْمَكَارِهِ وَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ عَاشَ بِخَيْرٍ وَمَاتَ بِخَيْرٍ وَكَانَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِذَا صَلَّيْتَ فَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَإِذَا أَرَدْتَ بِعِبَادِكَ فِتْنَةً فَاقْبِضْنِي إِلَيْكَ غَيْرَ مَفْتُونٍ قَالَ وَالدَّرَجَاتُ إِفْشَاءُ السَّلاَمِ وَإِطْعَامُ الطَّعَامِ وَالصَّلاَةُ بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আজ রাতে আমার মহান ও বারাকাতময় প্রভু সবচেয়ে সুন্দর চেহারায় আমার নিকট এসেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মতে তিনি বলেছেনঃ ঘুমের মধ্যে স্বপ্নযোগে। তারপর তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি কি জান, এ সময় উচ্চতর জগতের অধিবাসীরা কি নিয়ে বিবাদ করছে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি বললাম, না। তিনি তাঁর হাত আমার দুই কাঁধের মধ্যখানে রাখলেন। এমনকি আমি আমার দুই স্তনের বা বুকের মাঝে এর শীতলতা অনুভব করলাম। আসমান-যামীনে যা কিছু আছে আমি তা অবগত হলাম। তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি কি জান, এ সময় উচ্চতর জগতের অধিবাসীরা কি নিয়ে বিবাদ করছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ, কাফফারাত নিয়ে বিবাদ করছে। কাফফারাত অর্থ “নামাযের পর মাসজিদে বসে থাকা, নামাযের জামা‘আতে উপস্থিতির জন্য হেঁটে যাওয়া এবং কষ্ঠকর সময়েও সুষ্ঠুভাবে উযু করা”। যে লোক এসব কাজ করবে সে কল্যাণের মধ্যে বেঁচে থাকবে, কল্যাণের সাথে মরবে এবং তার জন্ম দিনের মত গুনাহ হতে পবিত্র হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা আরো বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি যখন সালাত আদায় করবে তখন এই দু’আ পড়বেঃ
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আসাআলুকা ফি’লাল খাইরাতি ওয়া তারকাল মুনকারাতি ওয়া হুব্বাল মাসাকীনি ওয়া ইযা আরাদতা বি-‘ইবাদিকা ফিতনাতান ফাক্বিযনী ইলাইকা গাইরা মাফতূনিন!”
(হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ভাল কাজ করার, খারাপ কাজ ত্যাগ করার এবং গ’রীব-নিঃস্বদের ভালবাসার মনোষ্কামনা চাই। তুমি যখন তোমার বান্দাদের কঠিন পরীক্ষায় নিক্ষেপ করার ইচ্ছা কর, তখন আমাকে এ ফিতনায় জড়িয়ে পড়ার আগেই তোমার নিকট উঠিয়ে নাও)।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ দারাজাত ও মর্যাদার স্তর বলতে বুঝায়ঃ সালামের প্রচার প্রসার ঘটানো, মানুষকে খাওয়ানো এবং রাতের অন্ধকারে মানুষ যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে তখন (তাহাজ্জুদ) নামায আদায় করা।
সহীহঃ আয্ যিলা-ল (৩৮৮), তা’লীকুর রাগীব (১/৯৮, ১২৬/১)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, বর্ণনাকারীগণ আবূ ক্বিলাবাহ্ ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর মধ্যখানে আরোও একজন বর্ণনাকারীর উল্লেখ করেছেন। ক্বাতাদাহ্ এ হাদীস আবূ ক্বিলাবাহ্ হতে, তিনি খালিদ ইবনুল লাজলাজ হতে, তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে, এই সনদে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ اللَّجْلاَجِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَتَانِي رَبِّي فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَبِّي وَسَعْدَيْكَ قَالَ فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قُلْتُ رَبِّي لاَ أَدْرِي فَوَضَعَ يَدَهُ بَيْنَ كَتِفَىَّ فَوَجَدْتُ بَرْدَهَا بَيْنَ ثَدْيَىَّ فَعَلِمْتُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ قَالَ يَا مُحَمَّدُ . فَقُلْتُ لَبَّيْكَ رَبِّ وَسَعْدَيْكَ قَالَ فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قُلْتُ فِي الدَّرَجَاتِ وَالْكَفَّارَاتِ وَفِي نَقْلِ الأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ وَإِسْبَاغِ الْوُضُوءِ فِي الْمَكْرُوهَاتِ وَانْتِظَارِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ وَمَنْ يُحَافِظْ عَلَيْهِنَّ عَاشَ بِخَيْرٍ وَمَاتَ بِخَيْرٍ وَكَانَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِشٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার প্রতিপালক প্রভু সর্বোত্তম চেহারায় আমার নিকট আসলেন। তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! আমি বললাম, হে আমার রব! আমি উপস্থিত, আমি হাযির। তিনি প্রশ্ন করেনঃ ঊর্ধ জগতের অধিবাসীরা কি নিয়ে বিবাদ করছে? আমি উত্তর দিলাম, প্রভু! আমি জানি না। তিনি তাঁর হাত আমার দুই কাঁধের মধ্যখানে রাখলেন। এমনকি আমি এর শীতলতা আমার উভয় স্তনের মধ্যখানে (বুকে) অনুভব করলাম। পূর্ব-পশ্চিমের মাঝে যা কিছু আছে তা আমি জেনে নিলাম। অতঃপর তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমি বললাম, হে আমার রব! আমি আপনার সামনে উপস্থিত আছি। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, ঊর্ধলোকের অধিবাসীরা কি নিয়ে বিতর্ক করছে? আমি জবাব দিলাম, মর্যাদা বৃদ্ধি, কাফ্ফারাত লাভ, পদব্রজে জামা‘আতে যোগদান, কষ্টকর অবস্থায়ও উত্তমরূপে উযূ করা এবং এক ওয়াক্তের নামায আদায় করার পর পরের ওয়াক্তের নামাযের অপেক্ষায় থাকা ইত্যাদি বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে (একে অপরকে অতিক্রম করার চেষ্টা করছে)। যে লোক এগুলোর হিফাযাত করবে সে কল্যাণের মধ্যে বেঁচে থাকবে, কল্যাণময় মৃত্যুবরণ করবে এবং তার জননী তাকে প্রসব করার সময়ের মত গুনাহ মুক্ত হয়ে যাবে।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান এবং উল্লেখিত সনদসূত্রে গারীব। মু‘আয ইবনু জাবাল ও ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আয়িশ –এর বরাতেও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীস মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনেক দীর্ঘাকারে বর্ণিত রয়েছে। তাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লাম। ফলে আমার গভীর ঘুম এসে গেল। ঘুমের ভিতর আমি আমার প্রতিপালককে সুন্দরতম চেহারায় দেখতে পেলাম। তিনি প্রশ্ন করলেন, ঊর্ধজগতের অধিবাসীরা কি বিষয়ে বিবাদ করছে… শেষ পর্যন্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৩৫
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِطُولِهِ وَقَالَ ” إِنِّي نَعَسْتُ فَاسْتَثْقَلْتُ نَوْمًا فَرَأَيْتُ رَبِّي فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ فَقَالَ فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى ” . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ أَبُو هَانِئٍ الْيَشْكُرِيُّ حَدَّثَنَا جَهْضَمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلاَّمِ عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِشٍ الْحَضْرَمِيِّ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ مَالِكِ بْنِ يُخَامِرَ السَّكْسَكِيِّ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رضى الله عنه قَالَ احْتُبِسَ عَنَّا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ عَنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ حَتَّى كِدْنَا نَتَرَاءَى عَيْنَ الشَّمْسِ فَخَرَجَ سَرِيعًا فَثُوِّبَ بِالصَّلاَةِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَجَوَّزَ فِي صَلاَتِهِ فَلَمَّا سَلَّمَ دَعَا بِصَوْتِهِ قَالَ لَنَا ” عَلَى مَصَافِّكُمْ كَمَا أَنْتُمْ ” . ثُمَّ انْفَتَلَ إِلَيْنَا ثُمَّ قَالَ ” أَمَا إِنِّي سَأُحَدِّثُكُمْ مَا حَبَسَنِي عَنْكُمُ الْغَدَاةَ إِنِّي قُمْتُ مِنَ اللَّيْلِ فَتَوَضَّأْتُ وَصَلَّيْتُ مَا قُدِّرَ لِي فَنَعَسْتُ فِي صَلاَتِي حَتَّى اسْتَثْقَلْتُ فَإِذَا أَنَا بِرَبِّي تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَبِّ . قَالَ فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قُلْتُ لاَ أَدْرِي . قَالَهَا ثَلاَثًا قَالَ فَرَأَيْتُهُ وَضَعَ كَفَّهُ بَيْنَ كَتِفَىَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ أَنَامِلِهِ بَيْنَ ثَدْيَىَّ فَتَجَلَّى لِي كُلُّ شَيْءٍ وَعَرَفْتُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَبِّ قَالَ فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قُلْتُ فِي الْكَفَّارَاتِ قَالَ مَا هُنَّ قُلْتُ مَشْىُ الأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ وَالْجُلُوسُ فِي الْمَسَاجِدِ بَعْدَ الصَّلَوَاتِ وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِي الْمَكْرُوهَاتِ . قَالَ فِيمَ قُلْتُ إِطْعَامُ الطَّعَامِ وَلِينُ الْكَلاَمِ وَالصَّلاَةُ بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ . قَالَ سَلْ . قُلْتُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةَ قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُ إِلَى حُبِّكَ ” . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّهَا حَقٌّ فَادْرُسُوهَا ثُمَّ تَعَلَّمُوهَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَالَ هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ . قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ اللَّجْلاَجِ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَائِشٍ الْحَضْرَمِيُّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَهَذَا غَيْرُ مَحْفُوظٍ . هَكَذَا ذَكَرَ الْوَلِيدُ فِي حَدِيثِهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِشٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ هَذَا الْحَدِيثَ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِشٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَهَذَا أَصَحُّ . وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَائِشٍ لَمْ يَسْمَعْ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন প্রত্যুষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করতে আসতে বাধাপ্রাপ্ত হন। এমনকি আমরা সূর্য উদিত হয়ে যাওয়ার আশংকা করলাম। তিনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে এলে সালাতের জন্য ইক্বামাত দেয়া হল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংক্ষেপে সালাত আদায় করলেন। তিনি সালাম ফিরানোর পর উচ্চৈঃস্বরে আমাদেরকে ডেকে বললেনঃ তোমরা যেভাবে সারিবদ্ধ অবস্থায় আছ সেভাবেই থাক। তারপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বসলেন অতঃপর বললেনঃ সকালে তোমাদের নিকট আসতে আমাকে কিসে বাধাগ্রস্ত করেছে তা এখনই তোমাদেরকে বলছি। আমি রাত্রে উঠে উযূ করলাম এবং সামর্থ্যমত নামায পড়লাম। নামাযের মধ্যে আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পরলাম। অতঃপর আমি ঘুমিয়ে পরলাম, এমন সময় আমি আমার বারাকাতময় প্রভুকে খুব সুন্দর অবস্থায় (স্বপ্নে) দেখতে পেলাম। তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমি বললামঃ প্রভু! আমি উপস্থিত। তিনি বললেন, ঊর্ধজগতের অধিবাসীগণ (শীর্ষস্থানীয় ফেরেশতাগণ) কি ব্যাপারে বিতর্ক করছে? আমি বললামঃ প্রভু! আমি জানি না। আল্লাহ তা‘আলা এ কথা তিনবার বললেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি তাঁকে দেখলাম যে, তিনি তাঁর হাতের তালু আমার দুই কাঁধের মাঝখানে রাখলেন। আমি আমার বক্ষস্থলে তাঁর হাতের আঙ্গুলের শীতলতা অনুভব করলাম। ফলে প্রতিটি জিনিস আমার নিকট আলোকোদ্ভাসিত হয়ে উঠল এবং আমি তা জানতে পারলাম। আল্লাহ তা‘আলা বললেন, হে মুহাম্মদ! আমি বললামঃ প্রভু! আমি আপনার নিকট হাযির। তিনি বললেন, ঊর্ধজগতের বাসিন্দাগণ কি ব্যাপারে বিতর্ক করছে? আমি বললামঃ কাফফারাত প্রসঙ্গে (তারা বিতর্ক করছে)। তিনি বলেন, সেগুলো কি? আমি বললামঃ হেঁটে সালাতের জামা‘আতসমূহে হাযির হওয়া, নামাযের পর মাসজিদে বসে থাকা এবং কষ্টকর অবস্থায়ও উত্তমরূপে উযূ করা। তিনি বললেন, তারপর কি ব্যাপারে (তারা বিতর্ক করছে)? আমি বললামঃ খাদ্যপ্রার্থীকে আহার্য দান, নম্রতার সাথে কথা বলা এবং রাতে মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে সেই সময় সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে। আল্লাহ তা‘আলা বললেন, তুমি কিছু চাও, বলঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ভাল ও কল্যাণকর কাজ সম্পাদনের, মন্দ কাজসমূহ বর্জনের, দরিদ্রজনদের ভালবাসার তাওফীক চাই, তুমি আমায় ক্ষমা কর ও দয়া কর। তুমি যখন কোন গোত্রকে বিপদে ফেলার ইচ্ছা কর তখন তুমি আমাকে বিপদমুক্ত রেখে তোমার কাছে তুলে নিও। আমি প্রার্থনা করি তোমার ভালবাসা, যে তোমায় ভালবাসে তার ভালবাসা এবং এমন কাজের ভালবাসা যা তোমার ভালবাসার নিকটবর্তী করে দেয়।” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্বপ্নটি অবশ্যই সত্য। অতএব তা পড়, তারপর তা শিখে নাও।
সহীহঃ মুখতাসার আল উলুব্বি (১১৯/৮০), আয্-যিলা-ল (৩৮৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে এ হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, এ হাদীস হাসান সহীহ। তিনি আরো বললেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ ইবনু জাবির হতে ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম বর্ণিত হাদীসের তুলনায় উক্ত হাদীস অনেক বেশী সহীহ। খালিদ ইবনুল লাজলাজ-‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আয়িশ আল-হাযরামী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি…। এ হাদিসটি সংরক্ষিত নয়। ওয়ালীদ তার হাদীসে একই রকম উল্লেখ করেছেন-‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আয়িশ (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি। বিশর ইবনু বাক্র এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ ইবনু জাবির এই সনদে ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আয়িশ (রাঃ)-এর বরাতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে। এটি অনেক বেশী সহীহ। ‘আবদূর রহমান ইবনু ‘আয়িশ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কিছু শুনেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪০
পরিচ্ছেদ নাই।
অনুচ্ছেদ-৪১
সূরা আয্-যুমার
৩২৩৬
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ : (ثمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُونَ ) قَالَ الزُّبَيْرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُكَرَّرُ عَلَيْنَا الْخُصُومَةُ بَعْدَ الَّذِي كَانَ بَيْنَنَا فِي الدُّنْيَا قَالَ ” نَعَمْ ” . فَقَالَ إِنَّ الأَمْرَ إِذًا لَشَدِيدٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল (অনুবাদ)ঃ “তারপর ক্বিয়ামাতের দিন নিশ্চয় তোমরা নিজেদের প্রভুর সামনে পরস্পর বাক-বিতণ্ডায় জড়িত হবে” – (সূরা যুমারঃ ৩১), তখন যুবাইর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! পার্থিব জীবনে আমাদের মধ্যে যে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে তার মীমাংসা হওয়ার পর কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। যুবাইর (রাঃ) বললেন, তাহলে বিষয়টি তো খুবই কঠিন।
হাসানঃ সহীহাহ (৩৪০)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩২৩৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ : (يا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لاَ تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ) وَلاَ يُبَالِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ثَابِتٍ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ . قَالَ وَشَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ يَرْوِي عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةِ وَأُمُّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةُ هِيَ أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ .
আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ আয়াত পাঠ করতে শুনেছি : “হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, আল্লাহ তা’আলার রাহমাত হতে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন”। (সূরা: আয-যুমার -৫৩)। তিনি ( এ ব্যাপারে ) কারো ভয় করেন না।
আবূ ঈসা বলেন : এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা হাওশাবের সূত্রে শুধুমাত্র সাবিত হতেই এ হাদীসটি জানতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, শাহর ইবনু হাওশাব উম্মু সালমা আনসারিয়া হতে হাদীস বর্ণনা করেন। উম্মু সালামা আনসারিয়ার নাম আসমা বিনতু ইয়াযীদ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৩৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، وَسُلَيْمَانُ الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَ يَهُودِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ عَلَى إِصْبَعٍ وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالْجِبَالَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالْخَلاَئِقَ عَلَى إِصْبَعٍ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ . قَالَ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ قَالَ : (ومَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ ) . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , জনৈক ইয়াহুদী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ ! আল্লাহ তা’আলা আসমানসমূহ এক আঙ্গুলে, পাহাড়গুলা এক আঙ্গুলে , যামীনসমূহ এক আঙ্গুলে এবং অপরাপর সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলে ধারন করে বলবেনঃ আমিই রাজাধিরাজ। বর্ণনাকারী বলেন, তার এ কথায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন, এমনকি তাঁর সামনের মাড়ির দাঁতগুলা প্রকাশ হয়ে পড়ল। তিনি বলেনঃ “ এই লোকেরা আল্লাহ তা’আলার যথোপযুক্ত কদর করল না। ক্বিয়ামাতের দিন গোটা পৃথিবী তাঁর মুঠোর মধ্যে আবদ্ধ থাকবে এবং আকাশমণ্ডলী তাঁর ডান হাতে ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে “—(সূরা যুমার ৬৭)।
সহীহঃ আয যিলা-ল (৫৪১, ৫৪৪), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৩৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَعَجُّبًا وَتَصْدِيقًا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ইয়াহুদীর কথায়) আশ্চর্য হয়ে এবং এর সমর্থন করে হেসে দিলেন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৪০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، حَدَّثَنَا أَبُو كُدَيْنَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ يَهُودِيٌّ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” يَا يَهُودِيُّ حَدِّثْنَا ” . فَقَالَ كَيْفَ تَقُولُ يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِذَا وَضَعَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ عَلَى ذِهْ وَالأَرَضِينَ عَلَى ذِهْ وَالْمَاءَ عَلَى ذِهْ وَالْجِبَالَ عَلَى ذِهْ وَسَائِرَ الْخَلْقِ عَلَى ذِهْ . وَأَشَارَ أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ بِخِنْصَرِهِ أَوَّلاً ثُمَّ تَابَعَ حَتَّى بَلَغَ الإِبْهَامَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (وما قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَأَبُو كُدَيْنَةَ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ الْمُهَلَّبِ قَالَ رَأَيْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ شُجَاعٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّلْتِ .
ইবনু আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ এক ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)র নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হে ইয়াহুদী! কিছু শুনাও। সে বলল, হে আবুল কাসিম! যখন আল্লাহ তা’আলা আকাশসমূহ এক আঙ্গুলে, যমিনসমূহ এক আঙ্গুলে, পানি এক আঙ্গুলে, পাহাড়গুলো এক আঙ্গুলে এবং আর সকল সৃষ্টি এক আঙ্গুলে ধারণ করবেন এ প্রসঙ্গে আপনি কি বলেন? রাবী আবূ জাফর মুহাম্মাদ ইবনুস সালত তার হাত মুষ্টিবদ্ধ করে কনিষ্ঠা হতে বৃদ্ধা আঙ্গুলী পর্যন্ত ইঙ্গিত করে দেখালেন। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন : “এই লোকেরা আল্লাহর প্রতি যতটুকু মর্যাদা দেয়া উচিত, তারা তাঁকে তা দেয়নি”। (সূরা আয-যুমার –৬৭)।
যইফ, প্রাগুক্ত
আবূ ঈসা বলেন : এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। এটা শুধু উল্লেখিত সনদসূত্রেই আমরা জেনেছি। আবূ কুদাইনার নাম ইয়াহইয়া ইবনুল মুহাল্লাব। মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল এ হাদীস হাসান ইবনু শুজার সূত্রে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনুস সালতের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৪১
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَتَدْرِي مَا سَعَةُ جَهَنَّمَ قُلْتُ لاَ . قَالَ أَجَلْ وَاللَّهِ مَا تَدْرِي . حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّهَا سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِهِ : (والأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ ) قَالَتْ قُلْتُ فَأَيْنَ النَّاسُ يَوْمَئِذٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ ” . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) (আমাকে) প্রশ্ন করেন, তুমি কি জান জাহান্নাম কত প্রশস্ত? আমি বললাম, না। তিনি বলেন, হাঁ! আল্লাহর শপথ! তুমি জান না। “‘আয়িশাহ (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে , তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিম্নের আয়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন (অনুবাদ)ঃ “ক্বিয়ামাতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর কব্জার ভিতর থাকবে এবং আকাশমণ্ডলী তাঁর ডান হাতে গুটানো থাকবে” (সূরা যুমার ৬৭)। ‘‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! সেদিন লোকেরা কোথায় থাকবে? তিনি বললেনঃ জাহান্নামের উপরকার পুলসিরাতের উপর।
এ হাদীসে একটি ঘটনা আছে। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, উল্লেখিত সনদসুত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৪২
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ : (والأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ ) فَأَيْنَ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَئِذٍ قَالَ ” عَلَى الصِّرَاطِ يَا عَائِشَةُ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! “ক্বিয়ামাতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্টিতে এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে তাঁর ডান হাতে ভাঁজ করা অবস্থায়”– (সূরা যুমার ৬৭), সেদিন মুমিনগণ কোথায় থাকবে? তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! পুলসিরাতের উপর।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৪৩
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” كَيْفَ أَنْعَمُ وَقَدِ الْتَقَمَ صَاحِبُ الْقَرْنِ الْقَرْنَ وَحَنَى جَبْهَتَهُ وَأَصْغَى سَمْعَهُ يَنْتَظِرُ أَنْ يُؤْمَرَ أَنْ يَنْفُخَ فَيَنْفُخَ ” . قَالَ الْمُسْلِمُونَ فَكَيْفَ نَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” قُولُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ تَوَكَّلْنَا عَلَى اللَّهِ رَبِّنَا ” . وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَاهُ الأَعْمَشُ أَيْضًا عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
আবু সা’ঈদ আল–খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শিঙ্গা ফুঁৎকারকারী মুখে শিঙ্গা নিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে কান খাঁড়া করে অপেক্ষায় আছেন, শিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার আদেশ পাওয়া মাত্র তিনি ফুঁ দিবেন, এ অবস্হায় আমি কিভাবে নিশ্চিন্তে আরামে বসে থাকতে পারি? মুসলিমরা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কিভাবে দু’আ করব? তিনি বললেনঃ “হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল, তাওয়াককালনা আলাল্লাহি রাব্বিনা” আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই আমাদের অতি উত্তম অভিভাবক, আমরা আমাদের রব আল্লাহ তা’আলার উপর নির্ভর করি। সুফইয়ান তার বর্ণনায় কখনো, “তাওয়াককালনা আলাল্লাহ” এর পরিবর্তে “আলাল্লাহি তাওয়াককালনা” বর্ণনা করেছেন।
সহীহঃ সহীহাহ (১০৭৮, ১০৭৯)
আবু ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। আ’মাশ হাদীসটী ‘আতিয়ার সুত্রে আবু সা’ঈদ হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৪৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَسْلَمَ الْعِجْلِيِّ، عَنْ بِشْرِ بْنِ شَغَافٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الصُّورُ قَالَ “ قَرْنٌ يُنْفَخُ فِيهِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! ‘সূর’ কি? তিনি বললেনঃ একটি শিং, তাতে ফুঁ দেয়া হবে।
সহীহঃ সহীহাহ (১০৮০)।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমরা শুধু সুলাইমান আত-তাইমী কতৃক হাদীসটি সম্পর্কে জেনেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ يَهُودِيٌّ بِسُوقِ الْمَدِينَةِ لاَ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْبَشَرِ . قَالَ فَرَفَعَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَدَهُ فَصَكَّ بِهَا وَجْهَهُ قَالَ تَقُولُ هَذَا وَفِينَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ( ونُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ إِلاَّ مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ ) فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ رَفَعَ رَأْسَهُ فَإِذَا مُوسَى آخِذٌ بِقَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ فَلاَ أَدْرِي أَرَفَعَ رَأْسَهُ قَبْلِي أَوْ كَانَ مِمَّنِ اسْتَثْنَى اللَّهُ وَمَنْ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى فَقَدْ كَذَبَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ইয়াহুদী মাদীনার বাজারে উচ্চৈঃস্বরে বললঃ না! সেই সৃষ্টিকর্তার শপথ, যিনি মুসাকে মানবজাতির উপর মর্যাদা দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এক আনসার লোক এ কথা শুনার সাথে সাথে হাত তুলে ইয়াহুদীর মুখে থাপ্পর মেরে দেয়। সে বলল, তুমি এ কথা বলছ, অথচ আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মধ্যে বর্তমান আছেন? (উভয়ে মহানবীর নিকট উপস্থিত হলে) রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “আর শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। তখন আসমান-জমীনের সকলে মূর্ছিত হয়ে পরবে, আল্লাহ তা’আলা যাকে জ্যান্ত রাখতে চান সে ছাড়া। তারপর আবার শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। সহসা তারা দন্ডায়মান হয়ে তাকাতে থাকবে” (সূরা যুমার ৬৮)। আমিই সবার আগে মাথা তুলে দেখতে পাবো যে, মুসা (আঃ) আরশের পায়াসমুহের একটি ধরে আছেন। আমি জানি না, তিনি কি আমার আগে মাথা তুলেছেন, না তিনি ঐ সব লোকের দলে যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা (জ্ঞানশূন্য হওয়া হতে) মুক্ত রেখেছেন। যে লোক বলে যে, আমি ইউনুস ইবনু মাত্তা (আঃ) এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ সে মিথ্যা বলে।
হাসান সহীহঃ তাখরীজুত তাহবিয়াহ (১৬২), বুখারী অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩২৪৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، أَنَّ الأَغَرَّ أَبَا مُسْلِمٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يُنَادِي مُنَادٍ إِنَّ لَكُمْ أَنْ تَحْيَوْا فَلاَ تَمُوتُوا أَبَدًا وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَصِحُّوا فَلاَ تَسْقَمُوا أَبَدًا وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَشِبُّوا فَلاَ تَهْرَمُوا أَبَدًا وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَنْعَمُوا فَلاَ تَبْأَسُوا أَبَدًا ” . فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى : (تِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى ابْنُ الْمُبَارَكِ وَغَيْرُهُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الثَّوْرِيِّ وَلَمْ يَرْفَعُوهُ .
আবু সা’ঈদ ও আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দিবে, এখন হতে তোমরা জীবিত থাকবে, আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভিতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না। এটাই আল্লাহ তা’আলার নিম্নোক্ত বাণীর তাৎপর্যঃ “তোমরা পার্থিব জীবনে যেসব কাজ করেছ তার বিনিময়ে এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী হলে” –(সূরা যুখরুফ ৭২)।
সহীহঃ মুসলিম (৮/১৪৮)
আবু ‘ঈসা বলেন, ইবনুল মুবারাক প্রমুখ সুফিয়ান সাওরীর সুত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু মারফু’রুপে নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪২
সূরা আল-মু’মিন (গাফির)
৩২৪৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالأَعْمَشِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ يُسَيْعٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ ” . ثُمَّ قَرَأَ : ( وقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ ) قَالَ أَبُو عِيسَى . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ দু’আ টাই হল ‘ইবাদাত। তারপর তিনি পাঠ করেন (অনুবাদ)ঃ “তোমাদের রব বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকারবশতঃ আমার ‘ইবাদাত হতে বিমুখ হয়, নিশ্চিত তারা অচিরেই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে যাবে” – (সূরা মু’মিন ৬০)
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৮২৮)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৩
৪৩ সূরা হা-মীম আস-সাজদাহ
৩২৪৮
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ اخْتَصَمَ عِنْدَ الْبَيْتِ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ قُرَشِيَّانِ وَثَقَفِيٌّ أَوْ ثَقَفِيَّانِ وَقُرَشِيٌّ قَلِيلاً فِقْهُ قُلُوبِهِمْ كَثِيرًا شَحْمُ بُطُونِهِمْ فَقَالَ أَحَدُهُمْ أَتَرَوْنَ أَنَّ اللَّهَ يَسْمَعُ مَا نَقُولُ فَقَالَ الآخَرُ يَسْمَعُ إِذَا جَهَرْنَا وَلاَ يَسْمَعُ إِذَا أَخْفَيْنَا . وَقَالَ الآخَرُ إِنْ كَانَ يَسْمَعُ إِذَا جَهَرْنَا فَإِنَّهُ يَسْمَعُ إِذَا أَخْفَيْنَا . فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( ومَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিন লোক ক্বা’বা ঘরের নিকট বিবাদ করে। তাদের দু’জন ছিল কুরাইশ বংশীয় এবং একজন সাক্বীফ বংশীয় অথবা দু’জন সাক্বীফ বংশীয় এবং একজন কুরাইশ বংশীয়। তাদের অন্তরে বুদ্ধি ছিল খুব অল্পই কিন্তু তাদের পেট ছিল মেদবহুল। তাদের একজন বলল, তোমাদের কি মনে হয়, আমরা যা বলি তা আল্লাহ্ তা’আলা শুনেন? দ্বিতীয় লোক বলল, আমরা জোরে বললে শুনেন, আস্তে বললে শোনে না, তৃতীয়জন বলল, আমরা জোরে কিছু বললে যদি তিনি তা শুনেন তাহলে আস্তে বা গোপনে বললেও তা শুনেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’আলা অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “তোমাদের কান, চোখও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না এই বিশ্বাসে তোমরা কিছুই গোপন করতে না। উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ্ তা’আলা জানেন না” – (সূরা হা-মীম আস-সাজদাহঃ ২২)।
সহীহঃ বুখারী (৪৮১৬, ৪৮১৭, ৭৫২১), মুসলিম (৮/১২০-১২১)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৪৯
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ كُنْتُ مُسْتَتِرًا بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَجَاءَ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ كَثِيرٌ شَحْمُ بُطُونِهِمْ قَلِيلٌ فِقْهُ قُلُوبِهِمْ قُرَشِيٌّ وَخَتَنَاهُ ثَقَفِيَّانِ أَوْ ثَقَفِيٌّ وَخَتَنَاهُ قُرَشِيَّانِ فَتَكَلَّمُوا بِكَلاَمٍ لَمْ أَفْهَمْهُ فَقَالَ أَحَدُهُمْ أَتُرَوْنَ أَنَّ اللَّهَ يَسْمَعُ كَلاَمَنَا هَذَا فَقَالَ الآخَرُ إِنَّا إِذَا رَفَعْنَا أَصْوَاتَنَا سَمِعَهُ وَإِذَا لَمْ نَرْفَعْ أَصْوَاتَنَا لَمْ يَسْمَعْهُ فَقَالَ الآخَرُ إِنْ سَمِعَ مِنْهُ شَيْئًا سَمِعَهُ كُلَّهُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( ومَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ ) إِلَى قَوْلِهِ : (أَصْبَحْتُمْ مِنَ الْخَاسِرِينَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবদূর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেছেনঃ আমি ক্বা’বার পর্দার আড়ালে লুকিয়েছিলাম। তখন তিনজন লোক সেখানে আসে। তাদের পেট ছিল মেদবহুল এবং অন্তর ছিল কম বুদ্ধিসম্পন্ন। তাদের একজন ছিল কুরাইশ বংশীয় এবং অপর দু’জন ছিল তার জামাতা, সাক্বীফ বংশীয় কিংবা একজন ছিল সাক্বীফ বংশীয় এবং অপর দু’জন ছিল তার জামাতা, কুরাইশ বংশীয়। তারা এমন কথাবার্তা বলতে লাগলো যা আমি বুঝিনি। তারপর তাদের একজন বলল, তোমরা কি মনে কর, আমাদের এসব আলাপ আল্লাহ্ তা’আলা শুনেন? দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, আমরা প্রকাশ্যে (জোরে) কিছু বললে তিনি তা শুনেন এবং উচ্চৈঃস্বরে না বললে শুনেন না। তৃতীয়জন বলল, তিনি যদি কোন কথা শুনেন তাহলে সব কথাই শুনেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলাম। তখন আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ)ঃ “তোমাদের কান, চোখ ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না এই বিশ্বাসে তোমরা কিছুই গোপন করতে না। উপরন্তু তোমরা মনে কর যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ্ তা’আলা জানেন না। তোমাদের রবের ব্যাপারে তোমাদের এ ধারণাই তোমাদের ধংস এনেছে। ফলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ” – (সূরা হা-মিম আস-সাজদাহ ২২-২৩)।
সহীহঃ মুসলিম (৮/১২১)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মাহমুদ ইবনু গাইলান-ওয়াকী হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি আ’মাশ হতে, তিনি ‘উমারাহ ইবনু ‘উমাইর হতে, তিনি ওয়াহব-ইবনু রাবী’আহ হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৫০
حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلاَّسُ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي حَزْمٍ الْقُطَعِيُّ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ : (إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا ) قَالَ ” قَدْ قَالَ النَّاسُ ثُمَّ كَفَرَ أَكْثَرُهُمْ فَمَنْ مَاتَ عَلَيْهَا فَهُوَ مِمَّنِ اسْتَقَامَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ يَقُولُ رَوَى عَفَّانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ حَدِيثًا وَيُرْوَى فِي هَذِهِ الآيَةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رضى الله عنهما مَعْنَى اسْتَقَامُوا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন : “যারা বলে, আমাদের রব আল্লাহ, তারপর তাতেই অবিচল থাকে” (সূরা :হা-মীম আস-সাজদাহ – ৩০)। তিনি বলেনঃ অনেক লোক এ কথা বলার পর কাফির হয়ে যায়। অতএব যে ব্যক্তি উল্লেখিত কথার উপর মারা যায় সে-ই অবিচলদের অন্তর্ভূক্ত।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেন : এ হাদীসিট হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। আমি আবূ যুরআকে বলতে শুনেছি যে, আফফান (রহঃ) আমর ইবনু আলীর সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ আয়াত প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাকর ও উমার (রাঃ) হতে “ইসতাকামূ” (অবিচল থাকে)-এর তাত্পর্য বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৪
সূরা আশ-শূরা (হা-মীম-‘আইন সীন ক্বাফ)
৩২৫১
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ طَاوُسًا، قَالَ سُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ : (قل لاَ أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلاَّ الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى ) فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ قُرْبَى آلِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَعَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ بَطْنٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلاَّ كَانَ لَهُ فِيهِمْ قَرَابَةٌ فَقَالَ إِلاَّ أَنْ تَصِلُوا مَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ مِنَ الْقَرَابَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে এ আয়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হল (অনুবাদ)ঃ “বলুন, আমি এর (দা’ওয়াতের) বিনিময়ে তোমাদের নিকট হতে স্বজনদের সৌহার্দ্য ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান চাই না” –(সূরা শূরা ২৩) এ প্রসঙ্গে সা’ঈদ ইবনু যুবাইর (রহঃ) বলেন, ‘কুরবা’ (আত্মীয়) অর্থ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের লোক ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তুমি কি জান না কুরাইশ বংশের যত শাখা-প্রশাখা আছে, তাদের সকলের সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল? তাই তিনি বলেছেন, তবে আমার ও তোমাদের মাঝে যে সম্পর্ক আছে তার কারণে আমার সাথে ভাল ব্যবহার কর।
সহীহঃ বুখারী (৪৮১৮)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আরো কয়েকটি সনদসূত্রে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৫২
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَازِعِ، حَدَّثَنِي شَيْخٌ، مِنْ بَنِي مُرَّةَ قَالَ قَدِمْتُ الْكُوفَةَ فَأُخْبِرْتُ عَنْ بِلاَلِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، فَقُلْتُ إِنَّ فِيهِ لَمُعْتَبَرًا فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ مَحْبُوسٌ فِي دَارِهِ الَّتِي قَدْ كَانَ بَنَى قَالَ وَإِذَا كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ قَدْ تَغَيَّرَ مِنَ الْعَذَابِ وَالضَّرْبِ وَإِذَا هُوَ فِي قُشَاشٍ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ يَا بِلاَلُ لَقَدْ رَأَيْتُكَ وَأَنْتَ تَمُرُّ بِنَا تُمْسِكُ بِأَنْفِكَ مِنْ غَيْرِ غُبَارٍ وَأَنْتَ فِي حَالِكَ هَذَا الْيَوْمَ فَقَالَ مِمَّنْ أَنْتَ فَقُلْتُ مِنْ بَنِي مُرَّةَ بْنِ عَبَّادٍ . فَقَالَ أَلاَ أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا عَسَى اللَّهُ أَنْ يَنْفَعَكَ بِهِ قُلْتُ هَاتِ . قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَبُو بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ أَبِي مُوسَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” لاَ يُصِيبُ عَبْدًا نَكْبَةٌ فَمَا فَوْقَهَا أَوْ دُونَهَا إِلاَّ بِذَنْبٍ وَمَا يَعْفُو اللَّهُ عَنْهُ أَكْثَرُ ” . قَالَ وَقَرَأََ : (وما أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
মুররা গোত্রের কোন এক লোক থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একদা আমি কূফায় পৌঁছে বিলাল ইবনু আবু বুরদা প্রসঙ্গে অবহিত হলাম। আমি বললাম, তাঁর এ শোকাভূত অবস্থাতে অবশ্যই কোন শিক্ষণীয় বিষয় আছে। তারপর আমি তাঁর নিকটে আসলাম এবং তিনি ছিলেন তাঁর নিজ তৈরী ঘরে বন্দি। তাঁর সমস্ত মালসামান মারপিট ও নির্যাতনের ফলে পরিবর্তিত (উলোট-পালোট) হয়ে আছে। তাঁর পরনের পোশাক ছিল ছিন্নভিন্ন। আমি বললাম, ‘আলহামদু লিল্লাহ’, হে বিলাল! আমি তোমাকে দেখেছি যে, তুমি আমাদের সামনে দিয়ে ধুলোবালি না থাকা সত্ত্বেও নাক চেপে চলে যেতে। আর আজ তোমার এ অসহায় অবস্থা! সে বলল, আপনি কোন গোত্রের লোক? আমি বললাম মুররা ইবনু আব্বাদ গোত্রের। এবার তিনি বললেন, আমি কি আপনার নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করব না, যার দ্বারা আশা করা যায় আল্লাহ তা’আলা আপনাকে উপকৃত করবেন? আমি বললাম, হ্যাঁ শুনাও সে হাদীস। তিনি বললেন, আবূ বুরদা তাঁর পিতা আবূ মূসা (রাঃ)-এর সূত্রে এ হাদীস আমার নিকটে বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন বান্দার উপর ছোট-বড় যে কোন মুসিবতই আসে তা তার পাপের জন্যই আসে। আর আল্লাহ তা’আলা অনেক পাপই মাফ করে দেন। তিনি বললেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত পাঠ করেনঃ “আর যেসব বিপদ-আপদ তোমাদের উপর আপতিত হয়, তা তো তোমাদের স্বহস্তার্জিত কর্মেরই কারণে এবং অনেক পাপ তো তিনি ক্ষমা করে দেন।”(সূরাঃ আশ-শূরা–৩০)
সনদ দুর্বল, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সনদসূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৫
সূরা আয-যুখরুফ
৩২৫৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، وَيَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا ضَلَّ قَوْمٌ بَعْدَ هُدًى كَانُوا عَلَيْهِ إِلاَّ أُوتُوا الْجَدَلَ ” . ثُمَّ تَلاَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الآيَةَ : (ما ضَرَبُوهُ لَكَ إِلاَّ جَدَلاً بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ حَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ . وَحَجَّاجٌ ثِقَةٌ مُقَارِبُ الْحَدِيثِ وَأَبُو غَالِبٍ اسْمُهُ حَزَوَّرُ .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন সম্প্রদায় হিদায়াতের রাস্তা পেয়ে আবার পথ ভোলা হয়ে থাকলে তা শুধু তাদের বিবাদ ও বাক-বিতণ্ডায় জড়িত হওয়ার কারণেই হয়েছে। তারপর তিনি এ আয়াত পাথ করেন (অনুবাদ)ঃ “এরা শুধু বাকবিতণ্ডার উদ্দেশেই আপনাকে এ কথা বলে। বস্তুত এরা তো এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়” – (সূরা যুখরুফ ৫৮)।
হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (৪৮)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আমরা শুধু হাজ্জাজ ইবনু দীনারের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। তিনি সিক্বাহ বর্ণনাকারী ও মধ্যম ধরনের হাদীস বিশারদ। আবূ গালিবের নাম হাযাওয়ার।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৬
সূরা আদ’দুখান
৩২৫৪
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْجُدِّيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَمَنْصُورٍ، سَمِعَا أَبَا الضُّحَى، يُحَدِّثُ عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنَّ قَاصًّا يَقُصُّ يَقُولُ إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنَ الأَرْضِ الدُّخَانُ فَيَأْخُذُ بِمَسَامِعِ الْكُفَّارِ وَيَأْخُذُ الْمُؤْمِنَ كَهَيْئَةِ الزُّكَامِ قَالَ فَغَضِبَ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ ثُمَّ قَالَ إِذَا سُئِلَ أَحَدُكُمْ عَمَّا يَعْلَمُ فَلْيَقُلْ بِهِ قَالَ مَنْصُورٌ فَلْيُخْبِرْ بِهِ وَإِذَا سُئِلَ عَمَّا لاَ يَعْلَمُ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ مِنْ عِلْمِ الرَّجُلِ إِذَا سُئِلَ عَمَّا لاَ يَعْلَمُ أَنْ يَقُولَ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِنَبِيِّهِ : (قلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ ) ” . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا رَأَى قُرَيْشًا اسْتَعْصَوْا عَلَيْهِ قَالَ ” اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَيْهِمْ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ ” . فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ فَأَحْصَتْ كُلَّ شَيْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْجُلُودَ وَالْمَيْتَةَ وَقَالَ أَحَدُهُمَا الْعِظَامَ قَالَ وَجَعَلَ يَخْرُجُ مِنَ الأَرْضِ كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ قَالَ فَأَتَاهُ أَبُو سُفْيَانَ قَالَ إِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللَّهَ لَهُمْ . قَالَ فَهَذَا لِقَوْلِهِ : ( يوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ ) . قَالَ مَنْصُورٌ هَذَا لِقَوْلِهِ ( رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ ) فَهَلْ يُكْشَفُ عَذَابُ الآخِرَةِ قَالَ مَضَى الْبَطْشَةُ وَاللِّزَامُ الدُّخَانُ وَقَالَ أَحَدُهُمَا الْقَمَرُ وَقَالَ الآخَرُ الرُّومُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَاللِّزَامُ يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
মাসরূক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, কোন এক বক্তা বলেছে যে, যামীন হতে একটি ধোঁয়া বের হবে। তা কাফিরদের কান বধির করে দিবে এবং মু’মিনদের সর্দিতে আক্রান্ত করবে। মাসরূক্ব (রহঃ) বলেন, এতে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) রাগান্বিত হন। তিনি হেলান দিয়ে বসা ছিলেন, এবার সোজা হয়ে বসলেন, তারপর বললেন, তোমাদের কাউকে তার জ্ঞাত (বিষয়) সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সে যেন তার উত্তর দেয় বা সেই প্রসঙ্গে অবহিত করে। আর তাকে তা না জানা বিষয় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সে যেন বলে, আল্লাহ্ তা’আলাই ভাল জানেন। কেননা এটাও লোকের জ্ঞানের কথা যে, তাকে এমন কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলো যা সে জানে না, সে বলবে আল্লাহ্ তা’আলাই ভাল জানেন। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা তার নাবীকে বলেছেনঃ “আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট এর জন্য (হিদায়াতের বিনিময়ে) কোন পরিশ্রমিক চাই না এবং আমি কৃত্রিমতা প্রদর্শনকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই” – (সূরা দুখান ৮৬)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন দেখতে পেলেন যে, কুরাইশরা তাঁর অবাধ্যতা ও বিরোধিতায় চরম পরাকাষ্ঠা দেখাচ্ছে তখন তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ্! ইউসুফ (আঃ)-এর সময়কার সাত বছরের দুর্ভিক্ষের মত এদেরকেও সাত বছর দুর্ভিক্ষে নিক্ষেপ করে আমাকে সাহায্য করুন। তারপর তাদের উপরে দুর্ভিক্ষ ও অনাবৃষ্টি নেমে এলো এবং সবকিছু নিঃশেষ হয়ে গেল। এমনকি তারা চামড়া, হাড় ও মৃত জীব ভক্ষণ করতে লাগল। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, এ সময় মাটি হতে ধোঁয়ার মত এক পদার্থ বের হতে লাগল। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবূ সুফইয়ান রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলেন, আপনার জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং তাদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার দরবারে দু’আ করুন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, এটাই আল্লাহ্ তা’আলার এই বাণীর “যেদিন স্পষ্টই ধোয়াচ্ছন্ন হবে এবং তা মানবজাতিকে গ্রাস করে ফেলবে, এটা হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” তাতপর্য – (সুরা দুখান ১০-১১)। মানসুর (রহঃ) বলেন, এটাই নিম্নোক্ত আয়াতের তাৎপর্যঃ “হে আমাদের রব! আমাদের উপর হতে শাস্তি দূরীভূত কর নিশ্চয় আমরা মু’মিন”- (সূরা দুখান ১২)। আখিরাতের শাস্তি দূরীভূত করা হবে কি? ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, ধরপাকড়, কঠিন বিপদ ও ধোঁয়া সবই অতিবাহিত হয়েছে। আ’মাশ ও মানসুরের মধ্যে একজন বলেন, চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা অতিক্রান্ত হয়েছে এবং অপরজন বলেন, রোম বিজয়ের ঘটনা (অতিবাহিত হয়েছে)।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
আবূ ‘ঈসা (রহঃ) বলেন, লিযাম বলতে সেই হত্যা বুঝানো হয়েছে যা বদরের দিন সংঘটিত হয়েছে । এই হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৫৫
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا مِنْ مُؤْمِنٍ إِلاَّ وَلَهُ بَابَانِ بَابٌ يَصْعَدُ مِنْهُ عَمَلُهُ وَبَابٌ يَنْزِلُ مِنْهُ رِزْقُهُ فَإِذَا مَاتَ بَكَيَا عَلَيْهِ فَذَلِكَ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ ( فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنْظَرِينَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ وَيَزِيدُ بْنُ أَبَانَ الرَّقَاشِيُّ يُضَعَّفَانِ فِي الْحَدِيثِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক মু’মিনের জন্যই ঊর্ধ্ব জগতে দু’টি দরজা আছে। একটি দরজা দিয়ে তার আমল উপরে উঠে যায় এবং অপরটি দিয়ে তার রিযিক নেমে আসে। তারপর সে যখন মারা যায় তখন দরজা দু’টি তাঁর জন্য কাঁদে। এই পর্যায়ে আল্লাহ বলেনঃ “আসমান-যমিনে কেউ তাদের জন্য কাঁদেনি এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হয়নি” ( সূরাঃ আদ-দুখান-২৯)।
যঈফ, যঈফা (৪৪৯১)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সনদেই এই হাদীস মারফূ হিসাবে জেনেছি। মূসা ইবনু উবাইদা ও ইয়াযীদ ইবনু আবান আর-রাকাশী হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৭
সূরা আল-আহক্বাফ
৩২৫৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى مَخِيلَةً أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ فَإِذَا مَطَرَتْ سُرِّيَ عَنْهُ . قَالَتْ فَقُلْتُ لَهُ . فَقَالَ ” وَمَا أَدْرِي لَعَلَّهُ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى : (فلمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا ) ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখতেন তখন (অস্থির হয়ে) একবার সামনে যেতেন আবার পেছনে যেতেন। তারপর বৃষ্টি বর্ষিত হলে তাঁর অস্থিরতা দূর হত। তিনি (‘আয়িশাহ) বলেন, আমি তাকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ আমি জানি না, এটা সেই আযাব কিনা যে প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেনঃ “তারপর তারা যখন তাদের উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল তখন বলতে লাগল, এ তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দান করবে”- (সূরা আহক্বাফ ২৪)
সহীহঃ সহীহাহ (২৭৫৭) বুখারী, মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৫৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ مَسْعُودٍ رضى الله عنه هَلْ صَحِبَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْجِنِّ مِنْكُمْ أَحَدٌ قَالَ مَا صَحِبَهُ مِنَّا أَحَدٌ وَلَكِنْ قَدِ افْتَقَدْنَاهُ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَهُوَ بِمَكَّةَ فَقُلْنَا اغْتِيلَ أَوِ اسْتُطِيرَ مَا فُعِلَ بِهِ فَبِتْنَا بِشَرِّ لَيْلَةٍ بَاتَ بِهَا قَوْمٌ حَتَّى إِذَا أَصْبَحْنَا أَوْ كَانَ فِي وَجْهِ الصُّبْحِ إِذَا نَحْنُ بِهِ يَجِيءُ مِنْ قِبَلِ حِرَاءَ قَالَ فَذَكَرُوا لَهُ الَّذِي كَانُوا فِيهِ فَقَالَ ” أَتَانِي دَاعِيَ الْجِنِّ فَأَتَيْتُهُمْ فَقَرَأْتُ عَلَيْهِمْ ” . فَانْطَلَقَ فَأَرَانَا آثَارَهُمْ وَآثَارَ نِيرَانِهِمْ . قَالَ الشَّعْبِيُّ وَسَأَلُوهُ الزَّادَ وَكَانُوا مِنْ جِنِّ الْجَزِيرَةِ فَقَالَ ” كُلُّ عَظْمٍ لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ يَقَعُ فِي أَيْدِيكُمْ أَوْفَرَ مَا كَانَ لَحْمًا وَكُلُّ بَعْرَةٍ أَوْ رَوْثَةٍ عَلَفٌ لِدَوَابِّكُمْ ” . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” فَلاَ تَسْتَنْجُوا بِهِمَا فَإِنَّهُمَا زَادُ إِخْوَانِكُمْ مِنَ الْجِنِّ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলক্বামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ইবনু মাস’উদ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, জিনের রাতে আপনাদের কেউ কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথী ছিলেন? তিনি বললেন, আমাদের কেউ তাঁর সঙ্গে ছিল না। তবে তিনি মক্কাতে থাকার সময় এক রাতে আমাদের হতে হারিয়ে গেলেন। আমরা বলাবলি করলাম, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে অথবা অপহরণ করা হয়েছে, এরকম কিছু করা হয়েছে। আমরা খুবই অশান্তিতে রাত কাটালাম। তারপর খুব ভোরে হঠাৎ দেখলাম তিনি হেরা পর্বতের দিক হতে আসছেন। রাবী বলেনঃ তাঁর নিকটে সকলে বিগত রাতের অস্থিরতার কথা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ আমার নিকট জিনদের এক প্রতিনিধি এসেছিল। আমি তাদের কাছে গিয়ে কুরআন পাঠ করেছি। তারপর তিনি এগিয়ে গিয়ে তাদের বিভিন্ন প্রমাণ ও আগুনের চিহ্ন দেখান। শা’বী (রহঃ) বলেনঃ জিনেরা তার নিকটে তাদের খাবার চাইল। তারা ছিল কোন এক উপদ্বীপের অধিবাসী। তিনি তাদের বলেন, যে সব হাড়ে আল্লাহ্ তা’আলার নাম নেয়া হয়েছে সেগুলো তোমাদের হাতে আসার সাথে সাথে গোশত পূর্ণ হয়ে যাবে, যেমন পূর্বে তা গোশতে পূর্ণ ছিল। আর সব রকমের বিষ্ঠা ও গোবর তোমাদের পশুর খাদ্য। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাদেরকে) বললেনঃ তোমরা এগুলো ঢিলা হিসেবে ব্যবহার করবে না। কেননা এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাদ্য।
যে হাড়ে “আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে” এবং “তোমাদের পশুর খাদ্য” এই শব্দ ব্যতীত হাদীসটি সহীহ। যঈফাহ (১০৩৮)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৮
সূরা মুহাম্মাদ
৩২৫৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه : (واسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ) فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْمِ سَبْعِينَ مَرَّةً ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . – وَيُرْوَى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَيْضًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ ” . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ ” . وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
“তোমার দোষের জন্য এবং ঈমানদার নারী-পুরুষদের জন্য তুমি ক্ষমা চাও” – (সূরা মুহাম্মাদ ১৯)। উক্ত আয়াত প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট প্রতিদিন সত্তরবার ক্ষমা প্রার্থনা করি।
সহীহঃ বুখারী (৬৩০৭), তাতে আছে সত্তর বারেরও বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করি
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অপর একটি হাদীসে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ ……….. আমি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট দৈনিক এক শতবার ক্ষমা প্রার্থনা করি”। একাধিক সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছেঃ “নিশ্চয় আমি দৈনিক এক শতবার আল্লাহ্ তা’আলার কাছে ক্ষমা চাই”। এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু ‘আম্র-আবূ সালামাহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৬০
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا شَيْخٌ، مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ تَلاَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا هَذِهِ الآيَة : (وإِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ ثُمَّ لاَ يَكُونُوا أَمْثَالَكُمْ ) قَالُوا وَمَنْ يُسْتَبْدَلُ بِنَا قَالَ فَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مَنْكِبِ سَلْمَانَ ثُمَّ قَالَ ” هَذَا وَقَوْمُهُ هَذَا وَقَوْمُهُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ فِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ . وَقَدْ رَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ أَيْضًا هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) “যদি তোমরা বিমুখ হও, তাহলে তিনি অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলবর্তী করবেন। তারপর তারা তোমাদের মত হবে না” – (সূরা মুহাম্মাদ ৩৮)। উপস্থিত সাহাবীগণ প্রশ্ন করেন, কোন লোকদেরকে আমাদের স্থলবর্তী করা হবে? বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালমান (রাঃ) –এর কাঁধে ঝাঁকুনি দিয়ে বলেনঃ এ লোক ও তার জাতি, এ লোক ও তার জাতি।
সহীহঃ সহীহাহ ২য় সংস্করণ (১০১৭)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এর সনদসূত্র প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফারও হাদীস ‘আলা ইবনু ‘আব্দুর রহমান হতে বর্ণনা করেছেন ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৬১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ نَجِيحٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ ذَكَرَ اللَّهُ إِنْ تَوَلَّيْنَا اسْتُبْدِلُوا بِنَا ثُمَّ لَمْ يَكُونُوا أَمْثَالَنَا قَالَ وَكَانَ سَلْمَانُ بِجَنْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخِذَ سَلْمَانَ قَالَ “ هَذَا وَأَصْحَابُهُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ الإِيمَانُ مَنُوطًا بِالثُّرَيَّا لَتَنَاوَلَهُ رِجَالٌ مِنْ فَارِسَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ نَجِيحٍ هُوَ وَالِدُ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ وَقَدْ رَوَى عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ الْكَثِيرَ . وَحَدَّثَنَا عَلِيٌّ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কয়েকজন সাহাবী প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ তা’আলা যে বলেছেন, যদি আমরা বিমুখ হই তবে আমাদের বাদে অন্যদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে, তারপর তারা আমাদের ন্যায় হবে না, সেসব ব্যক্তি কারা? বর্ণনাকারী বলেন, সালমান ফারসী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটেই ছিলেন। সালমান (রাঃ) এর উরুতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃদু আঘাত করে বলেন, ইনি ও তার সাথীরা। সেই সত্তার ক্বসম, যার হাতে আমার প্রাণ! ঈমান যদি সুরাইয়াহ নক্ষত্রের সাথেও ঝুলন্ত থাকত, তবুও পারস্যের কিছু ব্যক্তি তা নিয়ে আসত।
সহীহঃ প্রাগুপ্ত, বুখারী ও মুসলিমে হাদীসের শেষ অংশ বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার ইবনু নাজীহ হলেন ‘আলী ইবনু মাদীনীর পিতা। ‘আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফারের সূত্রে অনেক কিছু বর্ণনা করেছেন। আমার নিকট এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ‘আলী (রহঃ)-ইসমাঈল ইবনু জা’ফার ইবনু নাজীহ সূত্রে ‘আবদুল্লাহ ইবনু জ্জা’ফার হতে। বিশর ইবনু মি’আয ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার হতে, তিনি আলা-‘আলা হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন তবে তাতে ‘মানুতান শব্দের পরিবর্তে’ মু’আল্লাকান শব্দ আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৯
সূরা আল-ফাতহ
৩২৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رضى الله عنه يَقُولُ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَكَلَّمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَكَتَ ثُمَّ كَلَّمْتُهُ فَسَكَتَ ثُمَّ كَلَّمْتُهُ فَسَكَتَ فَحَرَّكْتُ رَاحِلَتِي فَتَنَحَّيْتُ وَقُلْتُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ نَزَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لاَ يُكَلِّمُكَ مَا أَخْلَقَكَ أَنْ يَنْزِلَ فِيكَ قُرْآنٌ قَالَ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي قَالَ فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” يَا ابْنَ الْخَطَّابِ لَقَدْ أُنْزِلَ عَلَىَّ هَذِهِ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِهَا مَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ : (إنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا ) ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مَالِكٍ مُرْسَلاً .
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কিছু বললে তিনি নির্বাক থাকেন। আমি আমার কথার পুনরাবৃত্তি করলে তিনি এবারও নীরব রইলেন। আমি আমার কথা পুনর্ব্যক্ত করলে তিনি এবারও নীরব থাকেন। অতএব আমি আমার জন্তুজান হাঁকিয়ে একপাশে চলে গেলাম এবং মনে মনে বললেম, হে খাত্তাবের পুত্র! তোমার মা তোমাকে হারাক। তুমি তিন তিনবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করে বিরক্ত করলে, অথচ একবারও তিনি কথা বলেননি। এখন তোমার প্রসঙ্গে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি বলেন, মুহূর্তকাল অতিবাহিত না হতেই আমি শুনতে পেলাম, কে যেন চিৎকার করে আমাকে ডাকছে। অতএব আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলাম। তিনি বললেনঃ হে ইবনুল খাত্তাব! আজ রাতে আমার উপর এমন একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, যার পরিবর্তে সারা জগতের সকল কিছু আমাকে দেয়া হলেও আমি তা পছন্দ করব না। সেই সূরাটি হল (অনুবাদ) “নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়” – (সূরা ফাতহ ১)
সনদ সহীহ, বুখারী (৪৮৩৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। কোন কোন বর্ণনাকারী হাদিসটি মালিক হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৬৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه قَالَ أُنْزِلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَ : (ليغْفِرَ لَكَ اللَّهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ ) مَرْجِعَهُ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آيَةٌ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا عَلَى الأَرْضِ ثُمَّ قَرَأَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِمْ فَقَالُوا هَنِيئًا مَرِيئًا يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَدْ بَيَّنَ اللَّهُ لَكَ مَاذَا يُفْعَلُ بِكَ فَمَاذَا يُفْعَلُ بِنَا فَنَزَلَتْ عَلَيْهِ : ( ليُدْخِلَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الأَنْهَارُ ) حَتَّى بَلَغَ : (فوزًا عَظِيمًا ) قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَفِيهِ عَنْ مُجَمِّعِ بْنِ جَارِيَةَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুদাইবিয়া হতে প্রত্যাবর্তনের সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর উপর আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যেন আল্লাহ্ তা’আলা তোমার অতীত ও ভবিষ্যৎ ভুলসমূহ মাফ করেন” – (সূরা আল ফাতহ, ২), তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার উপর এমন একটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে যা আমার নিকটে দুনিয়ার সবকিছু হতে প্রিয়। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীগণের সামনে আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুবারাকবাদ! এটি আপনার জন্য অভিনন্দন। আপনার সাথে কেমন আচরণ করা হবে, তাতো আল্লাহ্ তা’আলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সাথে কেমন ব্যবহার করা হবে? তখন তার উপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “তা এজন্য যে, তিনি ঈমানদার পুরুষ ও মহিলাদের জান্নাতে দাখিল করাবেন, যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ। সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে এবং তিনি তাদের পাপসমূহ মার্জনা করবেন। এটাই আল্লাহ্ তা’আলার সমীপে মহা সাফল্য।” (সূরা আল-ফাতহ ২)
সনদ সহীহ, বুখারী (৪৭১২) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুবারাকবাদ …. এই অংশটুকু মুরসাল, মুসলিম (৫/১৭৬) আনাস হতে ঐ অতিরিক্ত অংশ ব্যতীত, তা শাজ।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদের মুজাম্মি’ ইবনু জারিয়াহ (রাযিঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩২৬৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ ثَمَانِينَ، هَبَطُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ مِنْ جَبَلِ التَّنْعِيمِ عِنْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ وَهُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يَقْتُلُوهُ فَأُخِذُوا أَخْذًا فَأَعْتَقَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( هُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُمْ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আশিজন কাফির ফাজরের সময় ‘তান’ঈম পাহাড় হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণকে হত্যা করার উদ্দেশে নেমে আসে। তারা সকলেই গ্রেপ্তার হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ছেড়ে দিলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “তিনি সেই সত্তা যিনি (মক্কা উপত্যকায় তাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর) তাদের হাত তোমাদের হতে এবং তোমাদের হাত তাদের হতে নিবারিত করেছেন। তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ্ তা’আলা তা দেখেন” –(সূরা ফাতহ ২৪)
সহীহঃ সহীহ আবু দাঊদ (২৪০৮), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৬৫
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ قَزْعَةَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ ثُوَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَ : ( وألْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوَى ) قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ بْنِ قَزْعَةَ قَالَ وَسَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَلَمْ يَعْرِفْهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
উবাই ইবনু ক্বা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্ তা’আলার বাণী (অনুবাদ) “তিনি তাদেরকে তাক্বওয়ার বাক্যে সুদৃঢ় করলেন” – (সূরা ফাতহ ২৬) প্রসঙ্গে বলেনঃ এ বাক্যের অর্থ হল, কালিমা “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ”।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু হাসান ইবনু কাযা’আর সনদে এ হাদীস মারফু’রূপে জেনেছি। এ হাদীস প্রসঙ্গে আমি আবূ যুর’আকে প্রশ্ন করলে তিনি উপর্যুক্ত সুত্র ব্যতীত এটিকে মারফু’রূপে রিওয়ায়াত হওয়া প্রসঙ্গে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫০
সূরা আল-হুজুরাত
৩২৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُؤَمِّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ بْنِ جَمِيلٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَعْمِلْهُ عَلَى قَوْمِهِ . فَقَالَ عُمَرُ لاَ تَسْتَعْمِلْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَتَكَلَّمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ مَا أَرَدْتَ إِلاَّ خِلاَفِي . فَقَالَ عُمَرُ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ ) فَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا تَكَلَّمَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُسْمِعْ كَلاَمَهُ حَتَّى يَسْتَفْهِمَهُ . قَالَ وَمَا ذَكَرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ جَدَّهُ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ مُرْسَلٌ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ .
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল-আক্বরা ইবনু হাবিস রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলে আবূ বাকর (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাঁকে তার গোত্রের কর্মকর্তা নিয়োগ করুন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাকে কর্মচারীর পদে নিয়োগ করবেন না। তারা পরস্পরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মুখে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হন এবং তাদের কন্ঠস্বর চরমে পৌঁছে। আবূ বাকর (রাঃ) ‘উমার (রাঃ)–কে বললেন, আমার বিরোধিতা করাই আপনার একমাত্র লক্ষ্য। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমার লক্ষ্য আপনার বিরোধিতা করা নয়। বর্ণনাকারী বলেন, এ আয়াতটি তখন অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “হে ঈমানদারগণ! নাবীর কণ্ঠস্বরের উপর তোমরা নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না” –(সূরা হুজুরাত ২)। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর হতে ‘উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কথা বললে তার কথা শুনা যেত না, এমনকি তা বুঝার জন্য আবার ব্যাখ্যা চাওয়ার প্রয়োজন হত।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৮৪৫, ৪৮৪৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, ইবনুয যুবাইর তার নানা আবু বাকর (রাযি)-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি কিছু বর্ণনাকারী ইবনু আ’বী মুলাইকাহর সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ০-এর উল্লেখ করেননি ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، فِي قَوْلِهِ : ( إنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ أَكْثَرُهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ ) قَالَ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ حَمْدِي زَيْنٌ وَإِنَّ ذَمِّي شَيْنٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” ذَاكَ اللَّهُ تَعَالَى ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
“যারা আপনাকে উচ্চস্বরে ঘরের বাইরে হতে ডাকে, তাদের বেশির ভাগই নির্বোধ”-(সুরা ফাতহ)। বর্ণনাকারী বলেন, জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার প্রসঙ্গে প্রশংসা হল সৌন্দর্য এবং আমার প্রসঙ্গে নিন্দা হল অপমান। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ মর্যাদা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তা’আলার।
আবূ ঈসা বুলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৬৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي جَبِيرَةَ بْنِ الضَّحَّاكِ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ مِنَّا يَكُونُ لَهُ الاِسْمَيْنِ وَالثَّلاَثَةَ فَيُدْعَى بِبَعْضِهَا فَعَسَى أَنْ يَكْرَهَ قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( وَلاَ تَنَابَزُوا بِالأَلْقَابِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . أَبُو جَبِيرَةَ هُوَ أَخُو ثَابِتِ بْنِ الضَّحَّاكِ بْنِ خَلِيفَةَ أَنْصَارِيٌّ وَأَبُو زَيْدٍ سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ صَاحِبُ الْهَرَوِيِّ بَصْرِيٌّ ثِقَةٌ .
আবূ জুবাইরাহ ইবনুয যাহহাক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কারো কারো দু’তিনটি নাম থাকতো। কোন কোন নামে সম্বোধন করা তাদের কাছে মন্দ লাগত। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ)ঃ “তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে সম্বোধন করো না ……”-( সুরা ফাতহ)।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৭৪১)
আবূ ‘ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। আবূ জুবাইরাহ ইবনুয যাহহাক (রাঃ) হলেন সাবিত ইবনুয যাহহাক আল-আনসারী (রাঃ) এর সহোদর ভাই। আল-হারাভীর সংগী আবূ যাইদের নাম সা’ঈদ ইবনুর রাবী বাসরার অধিবাসি নির্ভরযোগ্য রাবী। আবূ সালামাহ ইয়াহইয়া ইবনু’ খালাফ-বিশর ইবনুল মুফাযযাল হতে, তিনি দাউদ ইবনু আবূ হিন্দ হতে, তিনি শা’বী হতে, তিনি আবূ জুবাইরাহ ইবনুয যাহহাক (রাঃ) হতে উপরের হাদিসের একই রকম বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৬৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ الْمُسْتَمِرِّ بْنِ الرَّيَّانِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ قَرَأَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ : ( واعْلَمُوا أَنَّ فِيكُمْ، رَسُولَ اللَّهِ لَوْ يُطِيعُكُمْ فِي كَثِيرٍ مِنَ الأَمْرِ لَعَنِتُّمْ ) قَالَ هَذَا نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم يُوحَى إِلَيْهِ وَخِيَارُ أَئِمَّتِكُمْ لَوْ أَطَاعَهُمْ فِي كَثِيرٍ مِنَ الأَمْرِ لَعَنِتُوا فَكَيْفَ بِكُمُ الْيَوْمَ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ سَأَلْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ عَنِ الْمُسْتَمِرِّ بْنِ الرَّيَّانِ فَقَالَ ثِقَةٌ .
আবূ নাযরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ সা’ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) : “তোমরা জেনে রাখ যে, আল্লাহর রাসুল তোমাদের মাঝে আছেন। তিনি অনেক বিষয়ে তোমাদের কথা শুনলে তোমরাই ব্যথিত হতে, কিন্তু তোমাদের কাছে আল্লাহ তা’আলা ঈমানকে প্রিয় করেছেন এবং তাঁকে তোমাদের হৃদয়গ্রাহী করেছেন……… ” –(সূরা ফাতহ ৭)। তারপর তিনি বলেন, ইনিই তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর কাছে ওহী পাঠানো হয় এবং তিনি হচ্ছেন তোমাদের সবচেয়ে উত্তম নেতা। রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বহু বিষয়ে তাদের কথা শুনলে তারাই সমস্যায় পড়ে যেতেন। অতএব যদি আজকাল তোমাদের কথা শুনা হয় তাহলে কি পরিস্থিতি হবে!
হাদীসটির সানাদ সহীহ।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ আল-কাত্তানের কাছে মুসতামির ইবনু রাইয়্যানের অবস্থা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে, তিনি নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৭০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَقَالَ ” يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَتَعَاظُمَهَا بِآبَائِهَا فَالنَّاسُ رَجُلاَنِ رَجُلٌ بَرٌّ تَقِيٌّ كَرِيمٌ عَلَى اللَّهِ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ هَيِّنٌ عَلَى اللَّهِ وَالنَّاسُ بَنُو آدَمَ وَخَلَقَ اللَّهُ آدَمَ مِنْ تُرَابٍ ” . قَالَ اللَّهُ : ( يا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ يُضَعَّفُ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ هُوَ وَالِدُ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং বলেনঃ হে জনমন্ডলী! তোমাদের হতে আল্লাহ তা’আলা জাহিলিয়াত যুগের দম্ভ ও অহংকার এবং পূর্বপুরুষের গৌরবগাথা বাতিল করেছেন। এখন মানুষ দুই অংশে বিভক্তঃ এক দল মানুষ নেককার, পরহেজগার, আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রিয় ও সম্মানিত এবং অন্য দল পাপিষ্ঠ, দুর্ভাগা, আল্লাহ তা’আলার নিকট অত্যন্ত নিকৃষ্ট, নিচু ও ঘৃণিত। সকল মানুষই আদমের সন্তান। আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)- কে মাটি দিয়ে তৈরী করেছেন। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “হে লোক সকল! তোমাদেরকে আমি একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে তৈরী করেছি, তারপর বিভিন্ন বংশ ও গোত্রে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি, তোমরা যাতে একে অন্যকে চিনতে পার। যে লোক তোমাদের মাঝে বেশি পরহেজগার সেই আল্লাহ তা’আলার নিকট বেশি মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহ তা’আলা সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞাত, সব খবর রাখেন”-(সুরা ফাতহ ১৩)।
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ২৭০০)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি গারীব। এ হাদিসটি আমরা শুধুমাত্র আবদুল্লাহ ইবনু দীনার হতে, তিনি ইবনু উমার(রাঃ) হতে, এ সনদেই জেনেছি। আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর হাদীস শাস্ত্রে অত্যন্ত দুর্বল। তাঁকে ইয়াহইয়া ইবনু মা’ঈন প্রমুখ দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর হলেন আলী ইবনু মাদীনীর বাবা।এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরাহ ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস উল্লেখিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৭১
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ الأَعْرَجُ الْبَغْدَادِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَلاَّمِ بْنِ أَبِي مُطِيعٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْحَسَبُ الْمَالُ وَالْكَرَمُ التَّقْوَى ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سَمُرَةَ . لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ سَلاَّمِ بْنِ أَبِي مُطِيعٍ وَهُوَ ثِقَةٌ .
সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ধন-সম্পদ হল আভিজাত্যের প্রতীক এবং পরহেজগারী হল সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক।
সহীহঃ ইরওয়াহ (হাঃ ১৮৭০)।
আবূ ইসা বলেন, এ হাদিসটি সামুরাহ (রাঃ)-এর উদ্ধৃত হিসেবে হাসান, সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমা(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাল্লাম ইবনু আবী মুত্বী –এর সনদে জেনেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫১
সূরা ক্বাফ
৩২৭২
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَزَالُ جَهَنَّمُ تَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ حَتَّى يَضَعَ فِيهَا رَبُّ الْعِزَّةِ قَدَمَهُ فَتَقُولُ قَطْ قَطْ وَعِزَّتِكَ وَيُزْوَى بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “অবিরত জাহান্নাম বলতে থাকবে, আরো আছে কি?” (সূরা ক্বাফ ৩০)। অবশেষে জাহান্নামের উপর মহামহিম আল্লাহ তা’আলা তাঁর পা রাখবেন। তখন সে বলবে যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে, আপনার ইজ্জতের ক্বসম। তারপর তাঁর এক ভাগ অপর ভাগের সংগে কুঞ্চিত হয়ে যাবে।
সহীহঃ জিলালুল জান্নাত (হাঃ ৫৩১, ৫৩৪), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ এবং উপর্যক্ত সূত্রে গারীব। এ অধ্যায়ে আবূ হুরাইরাহ(রাযীঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫২
সূরা আয-যারিয়াত
৩২৭৩
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سَلاَّمٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ رَبِيعَةَ قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذُكِرْتُ عِنْدَهُ وَافِدَ عَادٍ فَقُلْتُ أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِثْلَ وَافِدِ عَادٍ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَمَا وَافِدُ عَادٍ ” . قَالَ فَقُلْتُ عَلَى الْخَبِيرِ سَقَطْتَ إِنَّ عَادًا لَمَّا أُقْحِطَتْ بَعَثَتْ قَيْلاً فَنَزَلَ عَلَى بَكْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَسَقَاهُ الْخَمْرَ وَغَنَّتْهُ الْجَرَادَتَانِ ثُمَّ خَرَجَ يُرِيدُ جِبَالَ مَهْرَةَ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي لَمْ آتِكَ لِمَرِيضٍ فَأُدَاوِيَهِ وَلاَ لأَسِيرٍ فَأُفَادِيَهُ فَاسْقِ عَبْدَكَ مَا كُنْتَ مُسْقِيَهُ وَاسْقِ مَعَهُ بَكْرَ بْنَ مُعَاوِيَةَ . يَشْكُرْ لَهُ الْخَمْرَ الَّذِي سَقَاهُ فَرُفِعَ لَهُ سَحَابَاتٌ فَقِيلَ لَهُ اخْتَرْ إِحْدَاهُنَّ فَاخْتَارَ السَّوْدَاءَ مِنْهُنَّ فَقِيلَ لَهُ خُذْهَا رَمَادًا رَمْدَدًا لاَ تَذَرُ مِنْ عَادٍ أَحَدًا وَذُكِرَ أَنَّهُ لَمْ يُرْسَلْ عَلَيْهِمْ مِنَ الرِّيحِ إِلاَّ قَدْرُ هَذِهِ الْحَلْقَةِ يَعْنِي حَلْقَةَ الْخَاتَمِ . ثُمَّ قَرَأَ : (إذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ * مَا تَذَرُ مِنْ شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلاَّ جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سَلاَّمٍ أَبِي الْمُنْذِرِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ حَسَّانَ وَيُقَالُ لَهُ الْحَارِثُ بْنُ يَزِيدَ .
আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাবী’আহ গোত্রের এক লোক বলেন, আমি মাদীনায় পৌঁছে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তার নিকট আমি আদ জাতির দূত প্রসঙ্গে বললাম, আমি আদ জাতির দূতের মত হওয়া হতে আল্লাহ তা’আলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন করেনঃ আদ জাতির দূতের কি হয়েছিল? আমি বললাম, আপনি ওয়াকিফহাল ব্যক্তিরই সাক্ষাৎ পেয়েছেন। আদ জাতি দুর্ভিক্ষে পতিত হলে তারা ক্বায়ল নামক এক লোককে প্রেরণ করে এবং সে (মক্কার কাছাকাছি) বাকর ইবনু মু’আবিয়াহর বাড়িতে উপস্থিত হয়। বাকর তাকে মদ পান করায় এবং তার সম্মূখে দু’টি গায়িকা বাদী গান পরিবেশন করে। তারপর সে মাহারা (গোত্রের) অঞ্চলের পর্বতমালায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। সে এ বলে প্রার্থনা করেঃ হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি কোন অসুখ হতে নিরাময় পাওয়ার জন্য আসিনি এবং কোন বন্দিকে মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করার জন্যও আসিনি। অতএব আপনার এ বান্দাকে আপনি যত পারেন বৃষ্টিতে সিক্ত করুন এবং এর সংগে বাকর ইবনু মু’আবিয়াহকেও সিক্ত করুন। বাকর তাকে যে মদ পান করায়, সে তার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছিল। অতএব তার জন্য মেঘমালা উত্থিত হল এবং তাকে বলা হল, তুমি এগুলোর মাঝে যে কোন একটি মেঘখন্ড বেছে নাও। সে মেঘমালার মাঝ হতে একখন্ড কালো মেঘ বেছে নিল। তাকে বলা হল, ক্ববুল কর, এটা জ্বলে পুড়ে ছাইয়ের ন্যায় করে ফেলবে, যা আদ জাতির কাউকে পরিত্রাণ দিবে না। উল্লেখ্য যে, একটি আংটির বৃত্তের পরিমাণ বাতাসের ঝাপটা তাদের উপর পাঠানো হয়েছিল মাত্র। তারপর এ আয়াতটি তিনি পাঠ করেন (অনুবাদ)ঃ “তাদের উপর যখন আমি বিধ্বংসী বায়ু পাঠিয়ে ছিলাম তা যখন যা কিছুর উপর বয়ে গিয়েছিল সমস্ত কিছু চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল”-(সূরা যারিয়াত ৪১-৪২)
হাসানঃ জঈফ হাদীস সিরিজ (হাঃ ১২২৮)-এর অংশ।
আবূ ঈসা বলেন, একাধিক বর্ণনাকারি এ হাদিসটি আবুল মুনযির সাল্লাম (রহঃ)- এর সূত্রে তিনি আসিম ইবনু আবী নাজুদ হতে, তিনি আবূ ওয়ায়িল হতে, তিনি হারিস ইবনু হাসসান হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই আল-হারিসকে ইবনু ইয়াজিদও বলা হয়।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩২৭৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ سُلَيْمَانَ النَّحْوِيُّ أَبُو الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَزِيدَ الْبَكْرِيِّ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا هُوَ غَاصٌّ بِالنَّاسِ وَإِذَا رَايَاتٌ سُودٌ تَخْفُقُ وَإِذَا بِلاَلٌ مُتَقَلِّدٌ السَّيْفَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ قَالُوا يُرِيدُ أَنْ يَبْعَثَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَجْهًا فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ نَحْوًا مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِمَعْنَاهُ . قَالَ وَيُقَالُ لَهُ الْحَارِثُ بْنُ حَسَّانَ أَيْضًا .
আল-হারিস ইবনু ইয়াযিদ আল-বাকরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদীনায় পৌছে আমি মাসজিদে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম যে, তা লোকে পরিপূর্ণ। আর কালো পতাকাগুলো আওয়াজ সৃষ্টি করে উড়ছে এবং বিলাল (রাঃ) তার গলায় তরবারি ঝুলিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মুখে উপস্থিত। আমি প্রশ্ন করলাম, এতো লোকজন জড়ো হওয়ার কারণ কি? তারা বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমর ইবনুল আস (রাঃ) কে জিহাদের লক্ষে কোথাও পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। তারপর বর্ণনাকারী সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাহর হাদীসের ন্যায় দীর্ঘ হাদীস রিওয়ায়াত করেন।
হাসানঃ দেখুন পূর্বের হাদিস।
আবূ ঈসা বলেন, আল হারিস ইবনু ইয়াযীদ আল-বাকরীকে আল-হারিস ইবনু ইবনু হাসসানও বলা হয়।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৩
সূরা আত-তূর
৩২৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ رِشْدِينَ بْنِ كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِدْبَارُ النُّجُومِ الرَّكْعَتَانِ قَبْلَ الْفَجْرِ وَإِدْبَارُ السُّجُودِ الرَّكْعَتَانِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ عَنْ رِشْدِينَ بْنِ كُرَيْبٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ مُحَمَّدٍ وَرِشْدِينَ ابْنَىْ كُرَيْبٍ أَيُّهُمَا أَوْثَقُ قَالَ مَا أَقْرَبَهُمَا وَمُحَمَّدٌ عِنْدِي أَرْجَحُ . قَالَ وَسَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ هَذَا فَقَالَ مَا أَقْرَبَهُمَا عِنْدِي وَرِشْدِينُ بْنُ كُرَيْبٍ أَرْجَحُهُمَا عِنْدِي . قَالَ وَالْقَوْلُ عِنْدِي مَا قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ وَرِشْدِينُ أَرْجَحُ مِنْ مُحَمَّدٍ وَأَقْدَمُ وَقَدْ أَدْرَكَ رِشْدِينُ ابْنَ عَبَّاسٍ وَرَآهُ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “নক্ষত্রের অস্তগমন” (সূরাঃ আত-তূর-৪০) অর্থ ফজরের ফরয নামাযের আগেকার দুই রাক‘আত এবং “নামাযের পর” (সূরাঃ ক্বাফ-৪০) অর্থ মাগরিবের ফরযের পর দুই রাক‘আত সুন্নাত নামায।
যঈফ, যঈফা (২১৭৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু মুহাম্মাদ ইবনু ফুযাইল হতে রিশদীন ইবনু কুরাইব (রহঃ) সূত্রে এ হাদীস মারফূ হিসেবে জেনেছি। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলের নিকট মুহাম্মাদ ও রিশদীন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম যে, তাদের মধ্যে কে বেশি নির্ভরযোগ্য? তিনি বলেনঃ তারা দু’জনই সমান, তবে আমার নিকট মুহাম্মাদ শ্রেষ্ঠ। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমানের নিকট আমি একথাটি জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ তারা উভয়ে সমান, তবে আমার মতে রিশদীন উল্লেখযোগ্য। রিশদীন ইবনু আব্বাসের সাক্ষাৎ পেয়েছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৪
সূরা আন-নাজম
৩২৭৬
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى قَالَ ” انْتَهَى إِلَيْهَا مَا يَعْرُجُ مِنَ الأَرْضِ وَمَا يَنْزِلُ مِنْ فَوْقَ . قَالَ فَأَعْطَاهُ اللَّهُ عِنْدَهَا ثَلاَثًا لَمْ يُعْطِهِنَّ نَبِيًّا كَانَ قَبْلَهُ فُرِضَتْ عَلَيْهِ الصَّلاَةُ خَمْسًا وَأُعْطِيَ خَوَاتِمَ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَغُفِرَ لأُمَّتِهِ الْمُقْحِمَاتُ مَا لَمْ يُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا ” . قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ : ( إذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى ) قَالَ السِّدْرَةُ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ . قَالَ سُفْيَانُ فَرَاشٌ مِنْ ذَهَبٍ وَأَشَارَ سُفْيَانُ بِيَدِهِ فَأَرْعَدَهَا وَقَالَ غَيْرُ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ إِلَيْهَا يَنْتَهِي عِلْمُ الْخَلْقِ لاَ عِلْمَ لَهُمْ بِمَا فَوْقَ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মি’রাজের রাতে) যখন সিদরাতুল মুন্তাহায় পৌছালেন। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, সিদরাতুল মুন্তাহা হল একটি কেন্দ্র যেই পর্যন্ত পৃথিবীর যা কিছু উপরে চলে যায় এবং যেখান হতে নিচের দিকে কোন কিছু অবতরণ হয়ে আসে। এখানে আল্লাহ তা’আলা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এমন তিনটি জিনিস উপহার দেন যা তিনি ইতোপূর্বে কোন নাবীকেই দেননি। পাঁচ ওয়াক্ত নামায তাঁর উপর ফরজ করা হয়, সুরা আল-বাকারার শেষের কয়টি আয়াত তাঁকে দেয়া হয় এবং তাঁর উম্মতের কাবীরাহ গুনাহসমূহ (তওবার মাধ্যমে) ক্ষমা করা হয়, যদি তারা আল্লাহ তা’আলার সংগে কোন কিছু অংশীদার না করে থাকে। তারপর এ আয়াতটি ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) পাঠ করেন (অনুবাদ)ঃ “যখন কুলগাছটি যা দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ার তা দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল”-(সুরা নাজম ১৬)। তিনি বলেন, ৬ষ্ঠ আকাশে সিদরাতুল মুন্তাহা অবস্থিত। সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, এটি সোনার পাখিসমূহ দ্বারা আচ্ছাদিত, এই বলে তিনি তার হাতের ইশারায় তাদের উড়ন্ত অবস্থা বুঝালেন। মালিক ইবনু মিগওয়াল ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ বলেন, সিদরাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত পৌছালে সৃষ্টির জ্ঞান শেষ হয়ে যায়, এর ঊর্ধ্বজগৎ সম্পর্কে সৃষ্টির কোন জ্ঞান নেই।
সহিহ মুসলিম (হাঃ ১/১০৯)
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৭৭
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَأَلْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ عَنْ قَوْلِهِ : (فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى ) فَقَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى جِبْرِيلَ وَلَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আশ-শায়বানি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি যির ইবনু হুবাইশ (রাঃ)-এর নিকট আল্লাহ তা’আলার বাণী “তারপর তাদের মাঝে দুই ধনুক অথবা তারও কম পার্থক্য থাকল”- (সুরা নাজম ৯) প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম। তিনি বলেন, ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিবরীল (আঃ) কে দেখেছেন এবং ছয়শ ডানা ছিল।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ গারীব হাদীস
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৭৮
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ لَقِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَعْبًا بِعَرَفَةَ فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، فَكَبَّرَ حَتَّى جَاوَبَتْهُ الْجِبَالُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّا بَنُو هَاشِمٍ . فَقَالَ كَعْبٌ إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ رُؤْيَتَهُ وَكَلاَمَهُ بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَمُوسَى فَكَلَّمَ مُوسَى مَرَّتَيْنِ وَرَآهُ مُحَمَّدٌ مَرَّتَيْنِ . قَالَ مَسْرُوقٌ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ فَقَالَتْ لَقَدْ تَكَلَّمْتَ بِشَيْءٍ قَفَّ لَهُ شَعْرِي قُلْتُ رُوَيْدًا ثُمَّ قَرَأْتُ : (لقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى ) قَالَتْ أَيْنَ يُذْهَبُ بِكَ إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ مَنْ أَخْبَرَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ أَوْ كَتَمَ شَيْئًا مِمَّا أُمِرَ بِهِ أَوْ يَعْلَمُ الْخَمْسَ الَّتِي قَالَ اللَّهُ تَعَالَى : ( إنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ ) فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ وَلَكِنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ لَمْ يَرَهُ فِي صُورَتِهِ إِلاَّ مَرَّتَيْنِ مَرَّةً عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَمَرَّةً فِي جِيَادٍ لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ قَدْ سَدَّ الأُفُقَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ دَاوُدَ أَقْصَرُ مِنْ حَدِيثِ مُجَالِدٍ .
আশ-শাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আরাফাতের ময়দানে কা’ব (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে একটি কথা (আল্লাহ তা‘আলার দেখা প্রসঙ্গে) জিজ্ঞেস করেন। এতে তিনি এত উচ্চ স্বরে তাকবীর ধ্বনি দিলেন যে, পাহাড় পর্যন্ত উচ্চ গম্ভীর আওয়াজ করে উঠল (প্রতিশব্দ ভেসে এলো)। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ আমরা হাশিম গোত্রীয়। কা’ব (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দীদার (দর্শন) ও কালাম (সরাসরি সংলাপ) মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে বাটোয়ারা করেছেন। সুতরাং মূসা (আঃ) আল্লাহ তা‘আলার সাথে দু’বার কথা বলেছেন এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’বার তাঁর দেখা পেয়েছেন। মাসরূক (রহঃ) বলেনঃ এ কথা শুনে আমি আইশা (রাঃ)-এর নিকটে গিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলাম, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি আল্লাহ তা‘আলাকে দেখেছেন? তিনি বললেনঃ তুমি এমন একটি বিষয়ে কথা বললে যার ফলে আমার শরীরের লোম পর্যন্ত খাড়া হয়ে গেছে। আমি বললাম, একটু অপেক্ষা করুন। তারপর আমি এ আয়াত তিলাওয়াত করলামঃ “তিনি তো স্বীয় রবের মহান নিদর্শনসমূহ দর্শন করেছেন। (সূরাঃ আন-নাজ্ম-১৮)। তিনি বললেনঃ তোমার বুদ্ধি তোমাকে কোথায় নিয়ে গেছে! তিনি হলেন জিবরাঈল (যাকে তিনি দেখেছেন)। যে ব্যক্তি তোমাকে বলেছে যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রবকে দেখেছেন বা এমন কোন বিষয় তিনি লুকায়িত করেছেন যার (প্রচারের) হুকুম তাঁকে দেয়া হয়েছে অথবা সেই পাঁচটি বিষয়ে তাঁর জ্ঞান আছে, যে প্রসঙ্গে আলাহ তা‘আলা বলেনঃ “কিয়ামাতের জ্ঞান শুধু আল্লাহ তা‘আলার নিকট আছে, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন…. “ (সূরাঃ লুকমান-৩৪), তাহলে সে একটি সাংঘাতিক অসত্য রটনা করেছে। বরং তিনি জিবরাঈল (আঃ)-কে তার আসল চেহারায় দু’বার দেখেছেনঃ একবার সিদরাতুল মুন্তাহার সামনে, আর একবার জিয়াদ নামক জায়গায় (মক্কার একটি জায়গা)। তাঁর ছয় শত ডানা আকাশের দিগন্ত ঢেকে ফেলেছিল।
সনদ দুর্বল, হাদীসটি কা’ব ইবনু আব্বাসের ঘটনা ব্যতীত নাসাঈ সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, দাঊদ ইবনু আবূ হিন্দ (রহঃ) শাবী হতে তিনি মাসরূক হতে তিনি আইশা (রাঃ) হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। দাঊদের রিওয়ায়াত মুজালিদের রিওয়ায়াতের তুলনায় সংক্ষিপ্ততর।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نَبْهَانَ بْنِ صَفْوَانَ الْبَصْرِيُّ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ . قُلْتُ أَلَيْسَ اللَّهُ يَقُولُ : ( لا تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ ) قَالَ وَيْحَكَ ذَاكَ إِذَا تَجَلَّى بِنُورِهِ الَّذِي هُوَ نُورُهُ وَقَدْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইকরিমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রবকে দেখেছেন। আমি বললাম, আল্লাহ কি বলেননি যে, “চোখের দৃষ্টি তাঁকে পরিবেষ্টন করতে পারে না, কিন্তু তিনি পরিবেষ্টন করেন সকল দৃষ্টি” (সূরাঃ আল-আনআম-১০৩)? তিনি বললেনঃ তোমার জন্য আফসোস! তা তো সেই অবস্থায় যখন তিনি তাঁর সত্তাগত নূরে আলোকিত হবেন। আর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রভুকে দু’বার দেখেছেন।
যঈফ, যিলালুল জুন্নাহ্ (১৯০/৪৩৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৮০
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِ اللَّهِ ( ولَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً * أُخْرَى عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى ) ( فأوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى ) (فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى ) . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ رَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তা’আলার বাণীঃ “তিনি নিশ্চয়ই তাকে নিকটবর্তী কুল গাছের কাছে প্রত্যক্ষ করেছেন”-(সূরা নাজম ১৩-১৪)। “আল্লাহ তা’আলা তখন তাঁর বান্দার জন্য যা ওয়াহী করার তা ওয়াহী করলেন” -(সূরা নাজম ১০) এবং “ফলে তাদের মধ্যে দুই ধনুক পরিমাণ বা তারও কম পার্থক্য রইল” -(সূরা নাজম ৯)। আয়াতসমূহ প্রসঙ্গে ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে প্রত্যক্ষ করেছেন।
হাসান সহীহঃ আযযিলাল (হাঃ ১৯১, ৪৩৯), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান হাদীস।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩২৮১
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَابْنُ أَبِي رِزْمَةَ، وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ( ما كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى ) قَالَ رَآهُ بِقَلْبِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
“তিনি যা দেখেছেন, তার মন তা অস্বীকার করতে পারেনি ”- (সূরা নাজম ১১) তিনি এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা’আলাকে তার অন্তরের চোখ দ্বারা প্রত্যক্ষ করেছেন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৮২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي ذَرٍّ لَوْ أَدْرَكْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ . فَقَالَ عَمَّا كُنْتَ تَسْأَلُهُ قُلْتُ كُنْتُ أَسْأَلُهُ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ فَقَالَ قَدْ سَأَلْتُهُ فَقَالَ “ نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ যার (রাঃ)-কে বললাম, যদি আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেখা পেতাম তাহলে একটি বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করতাম। তিনি বললেন, তুমি তাঁকে কি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে? আমি বললাম, আমি প্রশ্ন করতাম যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রবকে দেখেছেন কি? আবূ যার (রাঃ) বললেন, আমি তাঁকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছি। তিনি বলেছেন যে, তিনি (আল্লাহ তা’আলা) হলেন নূর, তাকে আমি কিভাবে দেখতে পারি!
সহীহঃ প্রাগুক্ত (১৯২-৪৪১), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৮৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، وَابْنُ أَبِي رِزْمَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ (ما كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى ) قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جِبْرِيلَ فِي حُلَّةٍ مِنْ رَفْرَفٍ قَدْ مَلأَ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
“তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছেন, তার মন তা অস্বীকার করেনি”- (সুরা নাজমঃ১১); এ আয়াতটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিবরীল (আঃ) কে রেশমী কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন। তিনি আকাশ ও মাটির মধ্যে অবস্থিত জায়গা পূর্ণ করে রেখেছিলেন।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৮৫৮) সংক্ষেপিত
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৮৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو عُثْمَانَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : (الَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ إِلاَّ اللَّمَمَ ) قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِنْ تَغْفِرِ اللَّهُمَّ تَغْفِرْ جَمَّا وَأَىُّ عَبْدٍ لَكَ لاَ أَلَمَّا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তারা ছোটখাট অন্যায় করলেও গুরুতর পাপ ও খারাপ কাজ হতে বিরত থাকে” – (সুরা নাজম ৩২) এ আয়াতটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! যদি আপনি মাফই করেন তাহলে সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন, আর আপনার এমন কোন বান্দা কি আছে যে অন্যায় করেনি।
সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হাঃ ২৩৪৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমা(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাকারিয়া ইবনু ইসহাক্বের সনদে অবহিত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৫
সূরা আল-ক্বামার
৩২৮৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى فَانْشَقَّ الْقَمَرُ فِلْقَتَيْنِ فِلْقَةٌ مِنْ وَرَاءِ الْجَبَلِ وَفِلْقَةٌ دُونَهُ فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اشْهَدُوا ” . يَعْنِي : (اقتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ ) قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে মিনায় অবস্থানরত ছিলাম। সে সময় হঠাৎ চাঁদ বিদীর্ণ হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। এর একটি অংশ পাহাড়ের পিছন দিকে এবং অন্য অংশ পাহাড়ের সম্মুখে পড়ে গেল। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেনঃ তোমরা প্রত্যক্ষ কর এবং সাক্ষী থাকঃ “ক্বিয়ামাত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে ”-(সূরা ক্বামার ১)
সহিহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৮৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَأَلَ أَهْلُ مَكَّةَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم آيَةً فَانْشَقَّ الْقَمَرُ بِمَكَّةَ مَرَّتَيْنِ فَنَزَلَت : (اقتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ ) إِلَى قَوْلِهِ : (سحْرٌ مُسْتَمِرٌّ ) يَقُولُ ذَاهِبٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন মাক্কাবাসীরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একটি নিদর্শন পেশ করার দাবি করল, সে সময় মক্কাতে চাঁদটি দুইবার বিদীর্ণ হয়। এ সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ)ঃ “ক্বিয়ামাত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে। তারা কোন মু’জিযা (নিদর্শন) প্রত্যক্ষ করলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাচরিত যাদু”-(সূরা ক্বামার ১-২) যা এ মুহূর্তে শেষ হয়ে যাবে।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৩৬৩৭, ৪৮৬৭, ৪৮৬৮), মুসলিম(হাঃ ৮/১৩৩); তবে এতে “নাযালাত” (অতঃপর নাযিল হল) শব্দের উল্লেখ নেই। বুখারীর বর্ণনায় “মাররাতাইন” (দুইবার) –এর স্থলে “ফিরক্বাতাইন” (দুই টুকরা) শব্দের উল্লেখ আছে। “মাররাতাইন” (দুইবার) শব্দ মুসলিমের বর্ণনায় আছে।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৮৭
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ انْشَقَّ الْقَمَرُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ اشْهَدُوا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে চাঁদ বিদীর্ণ হয়। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৮৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ انْفَلَقَ الْقَمَرُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اشْهَدُوا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে চাঁদ বিদীর্ণ হল। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক।
সহীহঃ মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৮৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ انْشَقَّ الْقَمَرُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى صَارَ فِرْقَتَيْنِ عَلَى هَذَا الْجَبَلِ وَعَلَى هَذَا الْجَبَلِ فَقَالُوا سَحَرَنَا مُحَمَّدٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَئِنْ كَانَ سَحَرَنَا مَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْحَرَ النَّاسَ كُلَّهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ نَحْوَهُ .
জুবাইর ইবনু মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে চাঁদ বিদীর্ণ হল এবং দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেলে, এক অংশ এই পাহাড়ের উপর এবং অপর অংশ ঐ পাহাড়ের উপর পড়ে গেল। তারা (মাক্কাবাসী কাফিররা) বলল, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে যাদু করেছেন। কেউ কেউ বলল, তিনি আমাদের যাদু করে থাকলে সব মানুষকে যাদু করতে পারবেন না।
হাদীসটি সনদ সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, কোন কোন বর্ণনাকারী এ হাদীস হুসাইন হতে, তিনি জুবাইর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু জুবাইর ইবনু মুত’ইম হতে। তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা জুবাইর ইবনু মুত’ইম (রাঃ) হতে, এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৯০
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَبُو بَكْرٍ بُنْدَارٌ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ مُشْرِكُو قُرَيْشٍ يُخَاصِمُونَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَدَرِ فَنَزَلَتْْ : ( يومَ يُسْحَبُونَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ * إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন কুরাইশ মুশরিকরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ নিকট আসে। তারা ভাগ্য প্রসঙ্গে বাদানুবাদ করছিল। সে সময় এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ)ঃ “যেদিন তাদেরকে উপুড় করে জাহান্নামের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে (আর বলা হবে), জাহান্নামের যন্ত্রণার স্বাদ গ্রহন কর। প্রতিটি জিনিস আমরা নির্ধারিত পরিমানে সৃষ্টি করেছি”- (সূরা ক্বামার ৪৮-৪৯)।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৮৩), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৬
সূরা আর-রহমান
৩২৯১
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ وَاقِدٍ أَبُو مُسْلِمٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، رضى الله عنه قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَرَأَ عَلَيْهِمْ سُورَةَ الرَّحْمَنِ مِنْ أَوَّلِهَا إِلَى آخِرِهَا فَسَكَتُوا فَقَالَ “ لَقَدْ قَرَأْتُهَا عَلَى الْجِنِّ لَيْلَةَ الْجِنِّ فَكَانُوا أَحْسَنَ مَرْدُودًا مِنْكُمْ كُنْتُ كُلَّمَا أَتَيْتُ عَلَى قَوْلِهِِ : ( فبأَىِّ آلاَءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ) قَالُوا لاَ بِشَيْءٍ مِنْ نِعَمِكَ رَبَّنَا نُكَذِّبُ فَلَكَ الْحَمْدُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ . قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ كَأَنَّ زُهَيْرَ بْنَ مُحَمَّدٍ الَّذِي وَقَعَ بِالشَّامِ لَيْسَ هُوَ الَّذِي يُرْوَى عَنْهُ بِالْعِرَاقِ كَأَنَّهُ رَجُلٌ آخَرُ قَلَبُوا اسْمَهُ يَعْنِي لِمَا يَرْوُونَ عَنْهُ مِنَ الْمَنَاكِيرِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيَّ يَقُولُ أَهْلُ الشَّامِ يَرْوُونَ عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ مَنَاكِيرَ وَأَهْلُ الْعِرَاقِ يَرْوُونَ عَنْهُ أَحَادِيثَ مُقَارِبَةً .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের উদ্দেশে বের হলেন। তিনি তাদের সম্মুখে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সূরা আর-রহমান পাঠ করলেন কিন্তু তারা নিশ্চুপ রইলেন। তিনি বলেনঃ এ সূরাটি আমি জিনদের সঙ্গে সাক্ষাতের রাতে তাদের সম্মুখে পাঠ করেছি। তোমাদের তুলনায় তারা ভাল উত্তর দিয়েছে। যখনই আমি তিলাওয়াত করেছি, “তোমরা জিন ও মানুষ নিজেদের প্রভুর কোন নিয়ামাতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে” তখনই তারা বলেছে, “হে আমাদের রব! আমরা আপনার কোন নি’আমাতই অস্বীকার করছি না, আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা”।
হাসানঃ সহীহাহ (হাঃ২১৫০)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম হতে, যুহাইর ইবনু মুহাম্মাদ-এর সূত্রে জেনেছি। আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) বলেন, যে যুহাইর ইবনু মুহাম্মাদ সিরিয়া চলে গেছেন তিনি সে লোক নন যার মাধ্যমে ইরাকবাসী হাদীস রিওয়ায়াত করেন। মনে হয় তিনি স্বতন্ত্র লোক, লোকজন তার নামে বিভ্রাট করেছে, তার হতে লোকেরা মুনকার হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে বলতে শুনেছি, সিরিয়াবাসী যুহাইর ইবনু মুহাম্মাদ হতে মুনকার হাদীস রিওয়ায়াত করেন এবং ইরাকবাসী তার মাধ্যমে সহীহ হাদীসের পর্যায়ের হাদীস রিওয়ায়াত করেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৭
সূরা আল-ওয়াক্বি’আহ
৩২৯২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” يَقُولُ اللَّهُ أَعْدَدْتُ لِعِبَادِيَ الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ : ( وما تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ) وَفِي الْجَنَّةِ شَجَرَةٌ يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لاَ يَقْطَعُهَا وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ : ( وظِلٍّ مَمْدُودٍ ) وَمَوْضِعُ سَوْطٍ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ : ( فمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ مَتَاعُ الْغُرُورِ ) ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার নেক বান্দাদের জন্য আমি এমন কিছু তৈরি করে রেখেছি যা কোন চোখ কখনও প্রত্যক্ষ করেনি, কোন কান কখনও (তার বর্ণনা) শ্রবণ করেনি এবং মানুষের মন তার ধারণাও করতে পারে না। এ আয়াতটি তোমরা ইচ্ছা করলে পাঠ করতে পার (অনুবাদ)ঃ “তাদের জন্য নয়নমুগ্ধকর কি জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ তা সবারই অজানা ”-(সূরা সাজদাহ ১৭)। আর জান্নাতে এরূপ একটি গাছ আছে যার ছায়াতলে কোন আরোহী এক শত বছর চলতে থাকবে কিন্তু তা পার হতে পারবে না। তোমরা চাইলে পাঠ করতে পারঃ “আর সম্প্রসারিত ছায়া”- (সূরা ওয়াকি’আহ ৩০)। জান্নাতের এক চাবুক পরিমান জায়গা পৃথিবী ও তার মাঝখানে সব কিছুর চাইতে উত্তম। তোমরা চাইলে পাঠ করতে পারঃ “জাহান্নাম হতে যাকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ছাড়া আর কিছুই নয়”- (সূরা ‘ইমরান ১৮৫)
হাসান সহীহঃ সহীহ হাদীস সিরিজ (হাঃ ১৯৭৮), বুখারী “ইকরাঊ” (তোমরা পাঠ কর) শব্দ ব্যতীত বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩২৯৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَشَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لاَ يَقْطَعُهَا وَإِنْ شِئْتُمْ فَاقْرَءُوا : ( وَظِلٍّ مَمْدُودٍ * وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ ) ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতে এমন একটি গাছ রয়েছে কোন আরোহী যার ছায়াতলে শত বছর ধরে চলতে থাকলেও তা অতিক্রম করতে পারবে না। তোমরা চাইলে পাঠ করতে পারঃ “সম্প্রসারিত ছায়া ও প্রবাহিত পানি” – (সূরা ওয়াক্বি’আহ ৩০-৩১)।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৮৮১)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস উদ্ধৃত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ : ( وفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ ) قَالَ ” ارْتِفَاعُهَا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَمَسِيرَةُ مَا بَيْنَهُمَا خَمْسُمِائَةِ عَامٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِشْدِينَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَارْتِفَاعُهَا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ . قَالَ ارْتِفَاعُ الْفُرُشِ الْمَرْفُوعَةِ فِي الدَّرَجَاتِ وَالدَّرَجَاتُ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ .
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বাণী “ উঁচু উঁচু বিছানা” (সূরাঃ আল- ওয়াক্বিয়াহ- ৩৪) প্রসঙ্গে বলেনঃ এই বিছানার উচ্চতা আসমান-যমীনের মাঝের উচ্চতার সমান এবং এতদুভয়ের মাঝের দূরত্ব পাঁচ শত বছর চলার রাস্তার সমান।
যঈফ, তা’লীকুর রাগীব(৪/২৬২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু রিশদ্বীনের রিওয়ায়াত হিসেবে–এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৯৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ : (أتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ ) قَالَ شُكْرُكُمْ تَقُولُونَ مُطِرْنَا بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا وَبِنَجْمِ كَذَا وَكَذَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর এ বাণী : “ আর তোমরা মিথ্যা বলাকে তোমাদের উপজীব্য করে নিয়েছ” (সূরাঃ আল- ওয়াক্বিয়াহ-৮২) প্রসঙ্গে বলেনঃ তোমাদের কৃতজ্ঞতা হল এই যে , তোমরা বলে থাক : অমুক অমুক তারকার উসীলায় আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেন : এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমারা শুধুমাত্র ইসরাঈলের সূত্রেই এ হাদীসটি মারফূরূপে জেনেছি। সুফিয়ান এ হাদীস আবদুল আলা হতে উপরোক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন , কিন্তু মারফূ হিসেবে নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৯৬
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلمَّ : (إنا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً ) قَالَ ” إِنَّ مِنَ الْمُنْشَآتِ اللاَّئِي كُنَّ فِي الدُّنْيَا عَجَائِزَ عُمْشًا رُمْصًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ وَمُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ وَيَزِيدُ بْنُ أَبَانَ الرَّقَاشِيُّ يُضَعَّفَانِ فِي الْحَدِيثِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বাণী, “আমি তাদের বিশেষভাবে সৃষ্টি করেছি “ (সূরাঃ আল- ওয়াক্বিয়াহ-৩৫) প্রসঙ্গে বলেনঃ যে সব নারী পৃথিবীতে বৃদ্ধা, ছানি পড়া চোখ বা দুর্বল দৃষ্টিসম্পন্ন তারা (জান্নাতে) বাড়ন্ত বয়সের তরুণীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেন : এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমারা শুধু মূসা ইবনু উবাইদার রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীস মারফু হিসেবে জেনেছি। মূসা ইবনু উবাইদা ও ইয়াযীদ ইবনু আবান আর-রাকাশী উভয়ে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলে সমালোচিত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩২৯৭
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ شِبْتَ . قَالَ “ شَيَّبَتْنِي هُودٌ وَالْوَاقِعَةُ وَالْمُرْسَلاَتُ وَ عمَّ يَتَسَاءَلُونَ وَإذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ نَحْوَ هَذَا . وَرُوِيَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي مَيْسَرَةَ شَيْءٌ مِنْ هَذَا مُرْسَلاً .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো বৃদ্ধ হয়ে গেলেন। তিনি জবাবে বলেনঃ সূরা হূদ, ওয়াক্বি’আহ্, ওয়াল মুরসালাত, আম্মা ইয়াতাসাআলুন ও ওয়াইযাশ-শামসু কুব্বিরাত আমাকে বৃদ্ধ করে দিয়েছে।
সহীহঃ সহীহ হাদীস সিরিজ (হাঃ ৯৫৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধু ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে উপর্যুক্ত সূত্রে অবগত হয়েছি। এ হাদীস ‘আলী ইবনু সালিহ (রহঃ) আবূ ইসহাক্ব হতে, তিনি আবূ জুহাইফাহ্ (রাঃ) হতে এই সূত্রে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। এ হাদীসের অংশবিশেষ আবূ ইসহাক্ব হতে, তিনি আবূ মাইসারাহ্ হতে এই সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণিত আছে। আর আবূ বাক্র ইবনু ‘আইয়্যাশ আবূ ইসহাক্ব হতে, তিনি ইকরিমাহ্ হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে শাইবানের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ সনদে ইবনু ‘আব্বাস-এর উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৮
সূরা আল-হাদীদ
৩২৯৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالُوا حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَأَصْحَابُهُ إِذْ أَتَى عَلَيْهِمْ سَحَابٌ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هَلْ تَدْرُونَ مَا هَذَا ” . فَقَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” هَذَا الْعَنَانُ هَذِهِ رَوَايَا الأَرْضِ يَسُوقُهُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْكُرُونَهُ وَلاَ يَدْعُونَهُ ” . ثُمَّ قَالَ ” هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَكُمْ ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” فَإِنَّهَا الرَّقِيعُ سَقْفٌ مَحْفُوظٌ وَمَوْجٌ مَكْفُوفٌ ” . ثُمَّ قَالَ ” هَلْ تَدْرُونَ كَمْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ” . ثُمَّ قَالَ ” هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَ ذَلِكَ ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” فَإِنَّ فَوْقَ ذَلِكَ سَمَاءَيْنِ وَمَا بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ عَامٍ ” . حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ مَا بَيْنَ كُلِّ سَمَاءَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ . ثُمَّ قَالَ ” هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَ ذَلِكَ ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” فَإِنَّ فَوْقَ ذَلِكَ الْعَرْشَ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّمَاءَيْنِ ” . ثُمَّ قَالَ ” هَلْ تَدْرُونَ مَا الَّذِي تَحْتَكُمْ ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” فَإِنَّهَا الأَرْضُ ” . ثُمَّ قَالَ ” هَلْ تَدْرُونَ مَا الَّذِي تَحْتَ ذَلِكَ ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” فَإِنَّ تَحْتَهَا الأَرْضَ الأُخْرَى بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ” . حَتَّى عَدَّ سَبْعَ أَرَضِينَ بَيْنَ كُلِّ أَرْضَيْنِ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ثُمَّ قَالَ ” وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّكُمْ دَلَّيْتُمْ رَجُلاً بِحَبْلٍ إِلَى الأَرْضِ السُّفْلَى لَهَبَطَ عَلَى اللَّهِ ” . ثُمَّ قَرَأََ ( هو الأَوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَيُرْوَى عَنْ أَيُّوبَ وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ وَعَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ قَالُوا لَمْ يَسْمَعِ الْحَسَنُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَفَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالُوا إِنَّمَا هَبَطَ عَلَى عِلْمِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ وَسُلْطَانِهِ . عِلْمُ اللَّهِ وَقُدْرَتُهُ وَسُلْطَانُهُ فِي كُلِّ مَكَانٍ وَهُوَ عَلَى الْعَرْشِ كَمَا وَصَفَ فِي كِتَابِهِ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ এক সাথে বসা ছিলেন। হঠাৎ তাদের উপর মেঘরাশি প্রকাশিত হল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের প্রশ্ন করেন : তোমরা জান এটা কি? তারা বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এটা হল যমিনের পানিবাহী উট। আল্লাহ তা’আলা একে এমন জাতির দিকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন যারা তাঁর কৃতজ্ঞতাও আদায় করে না এবং তাঁর কাছে মুনাজাতও করে না। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন : তোমাদের উপরে কি আছে তা জান? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ এটা হল সুউচ্চ আকাশ , সুরক্ষিত ছাদ এবং আটকানো তরঙ্গ। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন : তোমাদের এবং এর মাঝে কতটুকু ব্যবধান তা তোমাদের জানা আছে কি? তারা বললেন, আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের ও এর মাঝে পাঁচ শত বছরের পথের ব্যবধান। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন : এর উপরে কি আছে তা তোমরা জান কি? তাঁরা বললেন , আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এর উপরে দুইটি আকাশ আছে যার মাঝে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব, এমনকি তিনি সাতটি আকাশ গণনা করেন এবং বলেনঃ প্রতি দু’টি আকাশের মাঝে পার্থক্য আকাশ ও যমিনের ব্যবধানের সমপরিমাণ। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন : এর উপরে কি আছে তা কি তোমরা জান? তাঁরা বললেন আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এগুলোর উপরে আছে ( আল্লাহর ) আরশ। আরশ ও আকাশের মাঝের পার্থক্য দুই আকাশের মধ্যকার দূরত্বের সমান। তিনি আবার বললেনঃ তোমরা কি জান তোমাদের নিচে কি আছে? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ উহা হল যমিন , তারপর আবার বললেন, তোমরা কি জান এর নিচে কি আছে? তাঁরা বললেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এর নিচে আরো এক ধাপ যমিন আছে এবং এতদুভয়ের মধ্যে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব। তারপর সাত স্তর যমিন গুণে বলেনঃ প্রতি দুই স্তরের মাঝে পাঁচ শত বছরের দূরত্ব বর্তমান। তিনি আবার বললেনঃ সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন! তোমরা যদি একটি রশি নিম্নতম যমিনের দিকে ছেড়ে দাও তাহলে তা আল্লাহ তা’আলা পর্যন্ত গিয়ে পৌছবে। তারপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন : “ তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ তিনিই প্রকাশ্য এবং তিনিই গুপ্ত। তিনিই সর্ববিষয়ে সর্বশেষ পরিজ্ঞাত “ ( সূরাঃ আল-হাদীদ-৩)।
যইফ , যিলালুল জুন্নাহ্, (৫৭৮)
আবূ ঈসা বলেন : উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আইউব, ইউনুস ইবনু উবাইদ ও আলী ইবনু যাইদ হতে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা বলেছেন, আল-হাসান আল-বাসরী (রহঃ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে সরাসরি কিছু শুনেননি। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম উক্ত হাদীসের ( আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে ) ব্যাখ্যায় বলেন : উক্ত রশি আল্লাহ তা’আলার জ্ঞান, তাঁর নিদর্শনাবলী ও তাঁর সার্বভৌম ক্ষমতা সর্বত্র বিস্তৃত। তিনি তাঁর আরশে উপবিষ্ট , যেমন তিনি তাঁর পাক কালামে বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫৯
সূরা আল-মুজাদালাহ্
৩২৯৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ رَجُلاً قَدْ أُوتِيتُ مِنْ جِمَاعِ النِّسَاءِ مَا لَمْ يُؤْتَ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ رَمَضَانُ تَظَاهَرْتُ مِنَ امْرَأَتِي حَتَّى يَنْسَلِخَ رَمَضَانُ فَرَقًا مِنْ أَنْ أُصِيبَ مِنْهَا فِي لَيْلَتِي فَأَتَتَابَعَ فِي ذَلِكَ إِلَى أَنْ يُدْرِكَنِي النَّهَارُ وَأَنَا لاَ أَقْدِرُ أَنْ أَنْزِعَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَوَثَبْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ عَلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ خَبَرِي فَقُلْتُ انْطَلِقُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُخْبِرُهُ بِأَمْرِي . فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نَفْعَلُ نَتَخَوَّفُ أَنْ يَنْزِلَ فِينَا قُرْآنٌ أَوْ يَقُولَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقَالَةً يَبْقَى عَلَيْنَا عَارُهَا وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ فَاصْنَعْ مَا بَدَا لَكَ . قَالَ فَخَرَجْتُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرِي . فَقَالَ ” أَنْتَ بِذَاكَ ” . قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ . قَالَ ” أَنْتَ بِذَاكَ ” . قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ . قَالَ ” أَنْتَ بِذَاكَ ” . قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا ذَا فَأَمْضِ فِيَّ حُكْمَ اللَّهِ فَإِنِّي صَابِرٌ لِذَلِكَ . قَالَ ” أَعْتِقْ رَقَبَةً ” . قَالَ فَضَرَبْتُ صَفْحَةَ عُنُقِي بِيَدِي فَقُلْتُ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ غَيْرَهَا . قَالَ ” صُمْ شَهْرَيْنِ ” . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهَلْ أَصَابَنِي مَا أَصَابَنِي إِلاَّ فِي الصِّيَامِ . قَالَ ” فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا ” . قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا هَذِهِ وَحْشَى مَا لَنَا عَشَاءٌ . قَالَ ” اذْهَبْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَقُلْ لَهُ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ عَنْكَ مِنْهَا وَسْقًا سِتِّينَ مِسْكِينًا ثُمَّ اسْتَعِنْ بِسَائِرِهِ عَلَيْكَ وَعَلَى عِيَالِكَ ” . قَالَ فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّعَةَ وَالْبَرَكَةَ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ فَادْفَعُوهَا إِلَىَّ فَدَفَعُوهَا إِلَىَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَالَ مُحَمَّدٌ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ لَمْ يَسْمَعْ عِنْدِي مِنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ . قَالَ وَيُقَالُ سَلَمَةُ بْنُ صَخْرٍ وَسَلْمَانُ بْنُ صَخْرٍ . وَفِي الْبَابِ عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ ثَعْلَبَةَ وَهِيَ امْرَأَةُ أَوْسِ بْنِ الصَّامِتِ .
সালামাহ্ ইবনু সাখ্র আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এমন এক পুরুষ, যাকে এত যৌনশক্তি দেয়া হয়েছে যা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। রমাযান মাস এলে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করি, যাতে রমাযান মাসটা অতিক্রম হয়ে যায় এবং রাতে সহবাসের আশংকা হতে বেঁচে থাকতে পারি। একই ধারাবাহিকতায় আমার দিনগুলো (সঙ্গমহীন) অতিক্রম হবে এবং তাকে আমি ত্যাগও করতে পারি না। এ পরিপ্রেক্ষিতে একদিন সে রাতের বেলা আমার সেবা করছিল, হঠাৎ তার কোন জিনিস আমার সম্মুখে উন্মুক্ত হয়ে গেলে আমি তার উপর ঝাপিয়ে পড়ি (সঙ্গম করি)। সকালে উপনিত হয়ে আমি আমার গোত্রের লোকের কাছে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আমার বিষয়টি জানাই। আমি বললাম, আমাকে নিয়ে তোমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে চলো এবং আমার বিষয়টি তাঁকে জানাই। তারা বলল, না আল্লাহ্র ক্বসম! আমরা তা করতে অপারগ। আমাদের মনে হচ্ছে যে, আমাদের প্রসঙ্গে কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ হবে কিংবা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের প্রসঙ্গে এরূপ মন্তব্য করবেন আমাদের আমাদের জন্য যা লজ্জার বিষয় হয়ে থাকবে। বরং তুমি একাই যাও এবং যা তোমার উপযুক্ত মনে হয় তাই কর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রওয়ানা হয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে আমার বিষয়টি জানালাম। তিনি বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ! আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। তিনি আবার বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ! আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। তিনি বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ! আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। আমি উপস্থিত। অতএব আল্লাহ্র বিধান আমার উপর কার্যকর করুন, আমি ধৈর্য ধারণ করব। তিনি বললেনঃ একটি দাসী মুক্ত কর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আমার ঘাড়ের উপরাংশে আমার হাত দিয়ে আঘাত করে বললাম, না সেই সত্তার ক্বসম, আপনাকে যিনি সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! তাকে ছাড়া আমি আর কিছুর মালিক নই। তিনি বললেনঃ তাহলে ধারাবাহিকভাবে দুই মাস রোযা রাখ। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! যে বিপদ আমার উপর এসেছে তা তো এ রোযার কারণেই। তিনি বললেনঃ তাহলে ষাটজন দরিদ্রকে আহার করাও। আমি বললাম, সেই সত্তার ক্বসম, আপনাকে সত্যসহ যিনি পাঠিয়েছেন! আজ রাতে আমরাই অভুক্ত ছিলাম, আমাদের কাছে রাতের খাবার ছিল না। তিনি বললেনঃ যে লোক যুরাইক্ব গোত্রের যাকাত আদায় করে, তার কাছে তুমি যাও এবং তাকে বল, তাহলে তোমাকে সে কিছু দিবে। তার এক ওয়াসাক এর মাধ্যমে তুমি ষাটজন মিসকীনকে আহার করাবে এবং বাকি যা থাকে তা তুমি ও তোমার পরিজনের জন্য খরচ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আমি আমার গোত্রের কাছে প্রত্যাবর্তন করলাম এবং তাদেরকে বললাম, তোমাদের কাছে আমি পেয়েছি সংকীর্ণতা ও কুপরামর্শ, আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেয়েছি প্রশস্ততা ও প্রাচুর্য। তিনি তোমাদের যাকাত আমাকে দান করার আদেশ দিয়েছেন। অতএব তা আমার কাছে তোমরা অর্পন কর। অতএব তারা আমার কাছে তা অর্পণ করে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২০৬২)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ বলেন, আমার মতে সুলাইমান ইবনু ইয়াসার সালামাহ্ ইবনু সাখ্র-এর কোন বর্ণনা শুনেননি। তিনি আরো বলেন, তার নাম সালামাহ্ ইবনু সাখ্র, তবে সালমান ইবনু সাখ্র নামেও পরিচিত। এ অনুচ্ছেদে সা’লাবাহ্ (রাঃ)-এর কন্যা ও আওস ইবনুস সামিত (রাঃ)-এর সহধর্মিণী খাওলাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩০০
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلْقَمَةَ الأَنْمَارِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ : (يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ) . قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” مَا تَرَى دِينَارًا ” . قُلْتُ لاَ يُطِيقُونَهُ . قَالَ ” فَنِصْفُ دِينَارٍ ” . قُلْتُ لاَ يُطِيقُونَهُ . قَالَ ” فَكَمْ ” . قُلْتُ شَعِيرَةٌ . قَالَ ” إِنَّكَ لَزَهِيدٌ ” . قَالَ فَنَزَلَتْ : (أأَشْفَقْتُمْ أَنْ تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَاتٍ ) الآيَةَ . قَالَ فَبِي خَفَّفَ اللَّهُ عَنْ هَذِهِ الأُمَّةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ شَعِيرَةٌ يَعْنِي وَزْنَ شَعِيرَةٍ مِنْ ذَهَبٍ وَأَبُو الْجَعْدِ اسْمُهُ رَافِعٌ .
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল : “ হে ঈমানদারগণ! তোমরা রাসূলের সাথে চুপি চুপি কথা বলার ইচ্ছা করলে তার পূর্বে সদাকা দেবে” (সূরা : আল-মুজাদালাহ-১২) , তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ এক দীনার নির্ধারণের ব্যাপারে তোমার কি মত? আমি বললাম , লোকদের সামর্থ্যে কুলাবে না। তিনি বললেনঃ তাহলে অর্ধ দীনার? আমি বললাম , তাও তাদের সামর্থ্যে কুলাবে না। তিনি বললেনঃ তাহলে কত নির্ধারণ করা যায়? আমি বললাম , এক বার্লির দানা পরিমাণ (সোনা)। তিনি বললেনঃ তুমি খুব কম নির্ধারণকারী। রাবী বলেন , তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : “ তোমরা কি চুপে চুপে কথা বলার পূর্বে সদাকা প্রদানকে কষ্টকর মনে কর?” (সূরা : আল-মুজাদালাহ-১৩) আলী (রাঃ) বলেন , আমার কারণে আল্লাহ তা’আলা এই উম্মতের জন্য বিধানটি হালকা (বাতিল) করেন।
সনদ দুর্বল
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৩০১
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ يَهُودِيًّا، أَتَى عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ فَقَالَ السَّامُ عَلَيْكُمْ فَرَدَّ عَلَيْهِ الْقَوْمُ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هَلْ تَدْرُونَ مَا قَالَ هَذَا ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ سَلَّمَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ ” لاَ وَلَكِنَّهُ قَالَ كَذَا وَكَذَا رُدُّوهُ عَلَىَّ ” . فَرَدُّوهُ قَالَ ” قُلْتَ السَّامُ عَلَيْكُمْ ” . قَالَ نَعَمْ . قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ ” إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَقُولُوا عَلَيْكَ ” . قَالَ ” عَلَيْكَ مَا قُلْتَ ” . قَالَ : (وإِذَا جَاءُوكَ حَيَّوْكَ بِمَا لَمْ يُحَيِّكَ بِهِ اللَّهُ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ইয়াহূদী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণের কাছে এসে বলল, “আস-সামু আলাইকুম” (তোমাদের মরণ হোক)। লোকেরা তার উত্তর দিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে কী বলেছে তোমরা কি তা বুঝতে পেরেছ? তারা বলেন, আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন। হে আল্লাহ্র নাবী! সে সালাম দিয়েছে। তিনি বললেনঃ না, অথচ সে এই এই কথা বলেছে। আমার কাছে তাকে তোমরা ফিরিয়ে নিয়ে আস। অতঃপর তারা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসলে তিনি বললেনঃ তুমি কি বলেছ আস-সামু আলাইকুম? সে বলল, হ্যাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে সময় বললেনঃ তোমাদেরকে আহলে কিতাবের কেউ সালাম করলে তোমরা বলবে, “আলাইকা মা কুলতা” (যা তুমি বলেছ তোমার উপর তা-ই বর্ষিত হোক)। তারপর এ আয়াত তিনি পাঠ করেন(অনুবাদ)-ঃ “যখন এরা তোমার কাছে আসে তখন তোমাকে এরূপ কথা দ্বারা অভিবাদন করে যার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা তোমাকে অভিবাদন করেননি”-(সুরা মুজাদালাহ্ ৮)।
সহীহঃ ইরওয়া (হাঃ ৫/১১৭), মুসলিম আয়াতের উল্লেখ ব্যতীত।
আবূ ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস