তিরমিজি ক্রয় বিক্রয় ও ব্যবসা বাণিজ্য অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১২৬৩ – ১৩২১

৩৭. অনুচ্ছেদঃ

কোন মুসলমানের পক্ষে কোন যিম্মীকে শারাব (মদ) বিক্রয় করতে দেওয়া নিষেধ

১২৬৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ أَبِي الْوَدَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ كَانَ عِنْدَنَا خَمْرٌ لِيَتِيمٍ فَلَمَّا نَزَلَتِ الْمَائِدَةُ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْهُ وَقُلْتُ إِنَّهُ لِيَتِيمٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ أَهْرِيقُوهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا ‏.‏ وَقَالَ بِهَذَا بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَكَرِهُوا أَنْ تُتَّخَذَ الْخَمْرُ خَلاًّ وَإِنَّمَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنْ يَكُونَ الْمُسْلِمُ فِي بَيْتِهِ خَمْرٌ حَتَّى يَصِيرَ خَلاًّ ‏.‏ وَرَخَّصَ بَعْضُهُمْ فِي خَلِّ الْخَمْرِ إِذَا وُجِدَ قَدْ صَارَ خَلاًّ ‏.‏ أَبُو الْوَدَّاكِ اسْمُهُ جَبْرُ بْنُ نَوْفٍ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের নিকট এক ইয়াতীম বালকের শারাব ছিল। সূরা মাইদা (৯০-৯১ আয়াত) অবতীর্ণ হলে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে বললাম, এই মদ এক ইয়াতীম বালকের। তিনি বললেনঃ এগুলো ঢেলে ফেলে দাও।

 

সহীহ্‌ মিশকাত তাহকীক ছানী (৩৬৪৮), পরবর্তী (১৩১৬) নং হাদীসটি এই হাদীসের সহায়ক

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীসটি একাধিক সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয় সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস অনুযায়ী একদল আলিম মত দিয়েছেন। শারাবকে সিরকাতে পরিবর্তন করাকে তারা মাকরূহ বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে মাকরূহ মনে করার কারণ হলঃ শারাব থেকে সিরকা তৈরীর উদ্দেশ্যে একজন মুসলমানের ঘরে শারাব থাকাটা আপত্তিকর মনে হয়। আল্লাহ্ তা’আলাই অধিক ভালো জানেন। শারাব যদি সিরকা অবস্থায় পাওয়া যায় তবে একদল আলিমের মতে এই সিরকা ব্যবহার করা জায়িয। আবূল ওয়াদ্দাকের নাম জুব্‌র পিতা নাওফ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮. অনুচ্ছেদঃ

আমানাতদারী রক্ষা করা

১২৬৪

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ، عَنْ شَرِيكٍ، وَقَيْسٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَدِّ الأَمَانَةَ إِلَى مَنِ ائْتَمَنَكَ وَلاَ تَخُنْ مَنْ خَانَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ وَقَالُوا إِذَا كَانَ لِلرَّجُلِ عَلَى آخَرَ شَيْءٌ فَذَهَبَ بِهِ فَوَقَعَ لَهُ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَحْبِسَ عَنْهُ بِقَدْرِ مَا ذَهَبَ لَهُ عَلَيْهِ ‏.‏ وَرَخَّصَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَقَالَ إِنْ كَانَ لَهُ عَلَيْهِ دَرَاهِمُ فَوَقَعَ لَهُ عِنْدَهُ دَنَانِيرُ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَحْبِسَ بِمَكَانِ دَرَاهِمِهِ إِلاَّ أَنْ يَقَعَ عِنْدَهُ لَهُ دَرَاهِمُ فَلَهُ حِينَئِذٍ أَنْ يَحْبِسَ مِنْ دَرَاهِمِهِ بِقَدْرِ مَا لَهُ عَلَيْهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমার নিকট যে লোক কোন কিছু আমানাত রেখেছে তাকে তা ফিরিয়ে দাও। যে লোক তোমার খিয়ানাত করেছে তুমি তার খিয়ানাত (ক্ষতিসাধন) কর না।

 

সহীহ্‌, মিশকাত (২৯৩৪), সহীহা (৪২৩০), রাওযুন নায়ীর (১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গরীব বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী একদল আলিম মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এক লোক নিজের কিছু আমানাত রাখল অন্য লোকের নিকট, কিন্তু সে তা ফিরত দিল না। ঘটনাচক্রে প্রথমোক্ত ব্যক্তির হাতে শেষোক্ত ব্যক্তির কোন মাল এসে পড়লো। এক্ষেত্রে সে লোক যে পরিমাণ সম্পদ প্রথমোক্ত ব্যক্তি হতে আত্মসাৎ করেছিল, সেই সম্পদ হতে প্রথমোক্ত ব্যক্তি তার পাওনা পরিমাণ কেটে রাখতে পারবে না, কিন্তু কিছু তাবিঈ কেটে রাখার সম্মতি দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরীও এই মত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক লোক কিছু দিরহাম রাখল অন্য লোকের নিকট। সে তা আত্মসাৎ করল। ঘটনাচক্রে প্রথমোক্ত ব্যক্তির হাতে শেষোক্ত ব্যক্তির কিছু দীনার এসে পড়ল। এক্ষেত্রে প্রথমোক্ত ব্যক্তি তার দিরহামের পরিবর্তে দীনার রাখতে পারবে না। হ্যাঁ ঐ ব্যক্তির দিরহাম যদি তার হাতে আসে তাহলে সে তার দিরহামের সমপরিমাণ দিরহাম কেটে রাখতে পারবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯. অনুচ্ছেদঃ

আরিয়া অর্থাৎ ধারে নিয়ে আসা জিনিস ফেরত দিতে হবে

১২৬৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏ “‏ الْعَارِيَةُ مُؤَدَّاةٌ وَالزَّعِيمُ غَارِمٌ وَالدَّيْنُ مَقْضِيٌّ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ سَمُرَةَ وَصَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ وَحَدِيثُ أَبِي أُمَامَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি তাঁর বিদায় হাজ্জের বক্তৃতায় বলতে শুনেছিঃ ধার করা বস্তু ফেরত দিতে হবে, যামিনদার পাওনা পরিশোধ করার দায় বহন করবে এবং ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৩৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

সামুরা, সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যা ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। এ হাদীসটি একাধিক সূত্রে আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ عَلَى الْيَدِ مَا أَخَذَتْ حَتَّى تُؤَدِّيَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَتَادَةُ ثُمَّ نَسِيَ الْحَسَنُ فَقَالَ هُوَ أَمِينُكَ لاَ ضَمَانَ عَلَيْهِ ‏.‏ يَعْنِي الْعَارِيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا وَقَالُوا يَضْمَنُ صَاحِبُ الْعَارِيَةِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ لَيْسَ عَلَى صَاحِبِ الْعَارِيَةِ ضَمَانٌ إِلاَّ أَنْ يُخَالِفَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ ‏.‏

সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যা গ্রহণ করেছে তা ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত এর জন্য সে দায়বদ্ধ থাকবে। কাতাদা বলেন, পরবর্তীতে হাসান এ হাদীস ভুলে যান। ফলে তিনি বলেছেন, সে তোমার আমানতদার, তার উপর এর ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হবে না অর্থাৎ তা আরিয়া।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৪০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তাবিঈ এ হাদীস অনুসারে মত দিয়েছেন। অর্থাৎ কর্জ গ্রহণকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শাফিঈ ও আহ্‌মাদের এই মত। অপর একদল সাহাবী ও তাবিঈ বলেছেন, কর্জ গ্রহণকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না, কিন্তু আমানাতদাতার কথার খিলাপ করলে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসী আলিমদের এই মত। ইসহাকও এই মত দিয়েছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৪০. অনুচ্ছেদঃ

মজুতদারি (ইহ্‌তিকার) প্রসঙ্গে

১২৬৭

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ مَعْمَرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَضْلَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَحْتَكِرُ إِلاَّ خَاطِئٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ لِسَعِيدٍ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ إِنَّكَ تَحْتَكِرُ ‏.‏ قَالَ وَمَعْمَرٌ قَدْ كَانَ يَحْتَكِرُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا رُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ كَانَ يَحْتَكِرُ الزَّيْتَ وَالْحِنْطَةَ وَنَحْوَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَأَبِي أُمَامَةَ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ وَحَدِيثُ مَعْمَرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا احْتِكَارَ الطَّعَامِ ‏.‏ وَرَخَّصَ بَعْضُهُمْ فِي الاِحْتِكَارِ فِي غَيْرِ الطَّعَامِ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ لاَ بَأْسَ بِالاِحْتِكَارِ فِي الْقُطْنِ وَالسَّخْتِيَانِ وَنَحْوِ ذَلِكَ ‏.‏

মা’মার ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নাযলাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ “শুধুমাত্র দুর্নীতিপরায়ণ মানুষই মজুতদারি করে থাকে”। আমি (মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম) সাঈদকে বললাম, হে মুহাম্মাদের পিতা! আপনিও তো মজুতদারি করে থাকেন। তিনি বললেন, মজুতদারি তো মা’মারও করতেন।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২১৫৪), মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি তেল, গম ও এই জাতীয় জিনিস মজুত করতেন।

উমার, আলী, আবূ উমামা ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। মা’মার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। এ হাদীস মোতাবিক আলিমগণ আমল করেছেন। খাদ্যদ্রব্যের মজুতদারি করাকে তারা মাকরূহ বলেছেন। খাদ্যদ্রব্য ব্যতীত অন্য কিছুর মজুতদারি করার পক্ষে কিছু সংখ্যক আলিম অনুমতি দিয়েছেন। ইবনুল মুবারাক বলেছেন, তুলা, ছাগলের চামড়া বা ঐ ধরণের অন্য কিছুর মজুতদারি করাতে কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১. অনুচ্ছেদঃ

স্তনে দুধ জমিয়ে পশু বিক্রয় করা প্রসঙ্গে

১২৬৮

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَسْتَقْبِلُوا السُّوقَ وَلاَ تُحَفِّلُوا وَلاَ يُنَفِّقْ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا بَيْعَ الْمُحَفَّلَةِ وَهِيَ الْمُصَرَّاةُ لاَ يَحْلُبُهَا صَاحِبُهَا أَيَّامًا أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ لِيَجْتَمِعَ اللَّبَنُ فِي ضَرْعِهَا فَيَغْتَرَّ بِهَا الْمُشْتَرِي ‏.‏ وَهَذَا ضَرْبٌ مِنَ الْخَدِيعَةِ وَالْغَرَرِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বাজারের বাইরে গিয়ে পণ্যদ্রব্য আনিত বণিকদলের সাথে মিলিত হবে না, পশুর স্তনে দুধ জমিয়ে রাখবে না এবং দাম বৃদ্ধি করে একজন অন্যজনের পণ্য বিক্রয় করে দেওয়ার অপকৌশল অবলম্বন করবে না।

 

হাসান, বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু মাসঊদ ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। এ হাদীস মোতাবিক আলিমগণ আমল করেছেন। তাদের মতে কয়েক দিনের দুধ পশুর স্তনে জমিয়ে স্তন ফুলিয়ে তা বিক্রয় করা মাকরূহ। এতে ক্রেতা ধোঁকার মধ্যে পড়ে যায়। এটাও এক ধরণের প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪২. অনুচ্ছেদঃ

কোন মুসলমানের সম্পদ আত্মসাতের জন্য মিথ্যা শপথ করা

১২৬৯

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ وَهُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لِيَقْتَطِعَ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ فِيَّ وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ ذَلِكَ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ مِنَ الْيَهُودِ أَرْضٌ فَجَحَدَنِي فَقَدَّمْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلَكَ بَيِّنَةٌ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ لاَ ‏.‏ فَقَالَ لِلْيَهُودِيِّ ‏”‏ احْلِفْ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذًا يَحْلِفَ فَيَذْهَبَ بِمَالِي ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى‏:‏ ‏(‏إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً ‏)‏ ‏.‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَأَبِي مُوسَى وَأَبِي أُمَامَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ الأَنْصَارِيِّ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ وَحَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মিথ্যা শপথের মাধ্যমে যদি কোন লোক কোন মুসলমানের ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করে তবে সে এরূপ অবস্থায় আল্লাহ্ তা’আলার সামনে উপস্থিত হবে যে, তিনি তার প্রতি খুবই অসন্তুষ্ট থাকবেন। আশআস ইবনু কাইস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! তিনি এ হাদীসটি আমার সম্পর্কে বলেছেন। আমার ও এক ইয়াহূদীর মধ্যে একটি শরীকানা যমি ছিল। কিন্তু সে আমার অংশ দিতে অস্বীকার করে বসে। আমি তাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আসি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তোমার সাক্ষীপ্রমাণ আছে কি? আমি বললাম, না। তিনি ইয়াহূদীকে বললেনঃ শপথ কর। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ তো শপথ করবেই এবং আমার সম্পদ আত্মসাৎ করবে। আল্লাহ তা’আলা তখন এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “যারা আল্লাহ্‌ তা’আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথসমূহ সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে বিক্রয় করে, আখিরাতে তাদের জন্য কোন অংশ নেই। কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌ তা’আলা না তাদের সাথে কথা বলবেন, না তাদের প্রতি তাকাবেন আর না তাদেরকে পবিত্র করবেন। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” (সূরাঃ আলে-ইমরান – ৭৭)।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৩২৩), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে ওয়াইল ইবনু হুজর, আবূ মূসা, আবূ উমামা ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৩. অনুচ্ছেদঃ

ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পরের মধ্যে মতবিরোধ হলে

১২৭০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا اخْتَلَفَ الْبَيِّعَانِ فَالْقَوْلُ قَوْلُ الْبَائِعِ وَالْمُبْتَاعُ بِالْخِيَارِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ عَوْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ لَمْ يُدْرِكِ ابْنَ مَسْعُودٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا وَهُوَ مُرْسَلٌ أَيْضًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قُلْتُ لأَحْمَدَ إِذَا اخْتَلَفَ الْبَيِّعَانِ وَلَمْ تَكُنْ بَيِّنَةٌ قَالَ الْقَوْلُ مَا قَالَ رَبُّ السِّلْعَةِ أَوْ يَتَرَادَّانِ ‏.‏ قَالَ إِسْحَاقُ كَمَا قَالَ وَكُلُّ مَنْ كَانَ الْقَوْلُ قَوْلَهُ فَعَلَيْهِ الْيَمِينُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ مِنْهُمْ شُرَيْحٌ وَغَيْرُهُ نَحْوُ هَذَا ‏.‏

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্রয়কারী ও ৰিক্রয়কারীদের মধ্যে মত পার্থক্য হলে বিক্রেতার মতই বেশি প্রাধান্য পাবে, তবে ক্রয়কারীর ক্রয় বাতিলের স্বাধীনতা থাকবে।

 

সহীহ্‌, ইরওয়া (১৩২২, ১৩২৪), বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা মুরসাল বলেছেন। ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর সাথে কখনও আওন ইবনু আবদুল্লাহ্‌র সাক্ষাৎ ঘটেনি। ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর এ হাদীসটি কাসিম ইবনু আবদুর রাহমানও ইবনু মাসঊদ হতে, তিনি নাৰী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনাটিও মুরসাল। ইসহাক ইবনু মানসূর বলেন, আমি ইমাম আহ্‌মাদকে প্রশ্ন করলাম, ক্রয়কারী ও বিক্রয়কারী একে অপরের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়লে এবং কোন সাক্ষী না থাকলে কি করতে হবে? তিনি বললেন, বিক্রেতার মতই বেশি প্রাধান্য পাবে অথবা দুজনই ক্রয়-বিক্রয় বাতিল করবে। ইমাম ইসহাক কিছুটা এভাবে বলেছেন, যার মতকে বিনা প্রমাণে গ্রহণ করা হবে তাকে শপথ করাতে হবে। কিছু সংখ্যক তাবিঈও একইরকম কথা বলেছেন। শুরাইহ (রাহঃ) তাদের অন্যতম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪. অনুচ্ছেদঃ

উদ্বৃত্ত পানি বিক্রয় করা

১২৭১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ عَبْدٍ الْمُزَنِيِّ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الْمَاءِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَبُهَيْسَةَ عَنْ أَبِيهَا وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ وَأَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ إِيَاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ كَرِهُوا بَيْعَ الْمَاءِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي بَيْعِ الْمَاءِ ‏.‏ مِنْهُمُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ ‏.‏

ইয়াস ইবনু আবদ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানি বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৪৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির, বুহাইসা (তার পিতার সূত্রে), আবূ হুরাইরা, আইশা, আনাস ও আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইয়াস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী বেশিরভাগ আলিম আমল করার পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন।

পানি বিক্রয়কে তারা মাকরূহ বলেছেন। এই মত দিয়েছেন ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাক। পানি বিক্রয়ের পক্ষে কিছু আলিম অনুমতি প্রদান করেছেন। তাদের মধ্যে হাসান বাসরী অন্যতম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৭২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يُمْنَعُ فَضْلُ الْمَاءِ لِيُمْنَعَ بِهِ الْكَلأُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو الْمِنْهَالِ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُطْعِمٍ كُوفِيٌّ وَهُوَ الَّذِي رَوَى عَنْهُ حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ ‏.‏ وَأَبُو الْمِنْهَالِ سَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ بَصْرِيٌّ صَاحِبُ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ঘাস হতে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে লোকদের কোন প্রকার বাধা দেওয়া নিষেধ।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৪৭৮), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আবূল মিনহালের নাম আবদুর রাহমান, পিতা মুতঈম। তিনি কূফার অধিবাসী ছিলেন এবং তার নিকট হতে হাবীব ইবনু আবূ সাবিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। অপরদিকে আবূল মিনহাল সাইয়্যার ইবনু সালামা বাসরার বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি আবূ বারযা আল-আসলামী (রাঃ)-এর সহচর ছিলেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৫. অনুচ্ছেদঃ

পাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে ষাঁড় প্রদান করে মজুরি নেওয়া উচিত নয়

১২৭৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَأَبُو عَمَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَكَمِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَسْبِ الْفَحْلِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُهُمْ فِي قَبُولِ الْكَرَامَةِ عَلَى ذَلِكَ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে ষাঁড় প্রদান করে মজুরি নিতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন।

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস, বুখারী

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা, আনাস ও আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীসের সমর্থনে একদল আলিম মত দিয়েছেন। পাল দেওয়ার বিনিময়ে পুরস্কার গ্রহণের পক্ষে অন্য একদল আলিম অনুমতি প্রদান করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৭৪

حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حُمَيْدٍ الرُّؤَاسِيِّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ كِلاَبٍ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَسْبِ الْفَحْلِ فَنَهَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نُطْرِقُ الْفَحْلَ فَنُكْرَمُ ‏.‏ فَرَخَّصَ لَهُ فِي الْكَرَامَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حُمَيْدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

পাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে ষাঁড় প্রদান করে মজুরি নেওয়া প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট কিলাব গোত্রের এক লোক প্রশ্ন করলে তিনি তা নিতে বারণ করেন। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা পাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে ষাঁড় দেই এবং আমাদেরকে (দাবি ব্যতীতই) পুরস্কার স্বরূপ কিছু দেওয়া হয়। তিনি তাকে এ ধরণের পুরুস্কার নেওয়ার অনুমতি দেন।

 

সহীহ্‌, মিশকাত তাহকীক ছানী (২৮৬৬), বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গরীব বলেছেন। আমরা এ হাদীসটি শুধু উল্লেখিত সূত্রেই জেনেছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬. অনুচ্ছেদঃ

কুকুরের বিক্রয় মূল্য প্রসঙ্গে

১২৭৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَارِظٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ كَسْبُ الْحَجَّامِ خَبِيثٌ وَمَهْرُ الْبَغِيِّ خَبِيثٌ وَثَمَنُ الْكَلْبِ خَبِيثٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ رَافِعٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا ثَمَنَ الْكَلْبِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي ثَمَنِ كَلْبِ الصَّيْدِ ‏.‏

রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রক্তক্ষরণের মজুরি ঘৃণিত, ব্যভিচারের বিনিময় মূল্য জঘন্য এবং কুকুরের বিক্রয় মূল্যও ঘৃণিত।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস, মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার, আলী, ইবনু মাসঊদ, আবূ মাসঊদ, জাবির, আবূ হুরাইরা, ইবনু আব্বাস, ইবনু উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু জাফার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস মোতাবিক বেশিরভাগ আলিম আমল করেছেন। কুকুরের বিক্রয় মূল্য গ্রহণকে তারা মাকরূহ বলেছেন। এই মত দিয়েছেন ইমাম শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাক। শিকারী কুকুরের বিক্রয় মূল্য গ্রহণের পক্ষে কিছু আলিম অনুমতি প্রদান করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৭৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَمَهْرِ الْبَغِيِّ وَحُلْوَانِ الْكَاهِنِ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ মাসঊদ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুরের বিক্রয় মূল্য, যিনার বিনিময় এবং গণকের উপঢৌকন গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২১৫৯), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি হাসান সহীহ্‌

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭. অনুচ্ছেদঃ

রক্তক্ষরণ কাজের বিনিময়ে মজুরি গ্রহণ করা

১২৭৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ مُحَيِّصَةَ، أَخِي بَنِي حَارِثَةَ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي إِجَارَةِ الْحَجَّامِ فَنَهَاهُ عَنْهَا فَلَمْ يَزَلْ يَسْأَلُهُ وَيَسْتَأْذِنُهُ حَتَّى قَالَ ‏ “‏ اعْلِفْهُ نَاضِحَكَ وَأَطْعِمْهُ رَقِيقَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَأَبِي جُحَيْفَةَ وَجَابِرٍ وَالسَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ مُحَيِّصَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ إِنْ سَأَلَنِي حَجَّامٌ نَهَيْتُهُ وَآخُذُ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

মুহাইয়্যিসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রক্তক্ষরণের মজুরি নেওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি চাইলে তিনি তাকে তা নিতে নিষেধ করেন। তিনি তাঁর নিকট বারবার কাকুতি-মিনতি করতে থাকলেন। অবশেষে তিনি বললেনঃ এই আয় তোমার পানি বহনকারী উট এবং তোমার গোলামের খাবারের জন্য খরচ কর।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২১৬৬), বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

রাফি ইবনু খাদীজ, আবূ জুহাইফা, জাবির ও সাইব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। মুহাইয়্যিসা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী কিছু সংখ্যক আলিম আমল করেছেন। ইমাম আহ্‌মাদ বলেছেন, আমার নিকট রক্তক্ষরণকারী মজুরি নেওয়ার অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি প্রদান করব না এবং নিজের মতের সপক্ষে এই হাদীসটি দলীল হিসাবে উপস্থাপন করব।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮. অনুচ্ছেদঃ

রক্তক্ষরণ কাজের মজুরি নেওয়ার অনুমতি প্রসঙ্গে

১২৭৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ عَنْ كَسْبِ الْحَجَّامِ، فَقَالَ أَنَسٌ احْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَجَمَهُ أَبُو طَيْبَةَ فَأَمَرَ لَهُ بِصَاعَيْنِ مِنْ طَعَامٍ وَكَلَّمَ أَهْلَهُ فَوَضَعُوا عَنْهُ مِنْ خَرَاجِهِ وَقَالَ ‏”‏ إِنَّ أَفْضَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ ‏”‏ إِنَّ مِنْ أَمْثَلِ دَوَائِكُمُ الْحِجَامَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ فِي كَسْبِ الْحَجَّامِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏

হুমাইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রক্তক্ষরণকারীর পারিশ্রমিক প্রসঙ্গে আনাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রক্তক্ষরণ করিয়েছেন। আবূ তাইবা তাঁর রক্তক্ষরণ করেন। তিনি তাকে দুই সা’ পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার হুকুম দেন। তার মালিক পরিবারের সাথে তিনি আলোচনা করলে তারা তার উপর ধার্যকৃত অর্থের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তিনি বলেনঃ তোমরা যেসব চিকিৎসা গ্রহণ কর সে সবের মধ্যে রক্তক্ষরণ উত্তম চিকিৎসা। অথবা তোমাদের ঔষধগুলোর মধ্যে রক্তক্ষরণ উত্তম ঔষধ।

 

সহীহ্‌, মুখতাসার শামাইল (৩০৯), বেচা-কেনার হাদীস, নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

আলী, ইবনু আব্বাস ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। রক্তক্ষরণের মজুরি গ্রহণের পক্ষে একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তাবিঈ সম্মতি দিয়েছেন। ইমাম শাফিঈরও এই মত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯. অনুচ্ছেদঃ

কুকুর ও বিড়ালের বিক্রয় মূল্য নেওয়া মাকরূহ

১২৭৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، قَالاَ أَنْبَأَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَالسِّنَّوْرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ فِي إِسْنَادِهِ اضْطِرَابٌ وَلاَ يَصِحُّ فِي ثَمَنِ السِّنَّوْرِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ وَاضْطَرَبُوا عَلَى الأَعْمَشِ فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ثَمَنَ الْهِرِّ وَرَخَّصَ فِيهِ بَعْضُهُمْ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَرَوَى ابْنُ فُضَيْلٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুকুর ও বিড়ালের বিক্রয় মূল্য নিতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২১৬১), মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসের সনদে গরমিল আছে। বিড়ালের মূল্য সম্পর্কে সহীহ্‌ হাদীস নেই। এই হাদীসটি আ’মাশের কোন কোন শাগরিদ জাবির (রাঃ) হতেও বর্ণনা করেছেন। আ’মাশের স্তরে এসে বর্ণনাকারীগণ গরমিল করেছেন। বিড়ালের বিক্রয় মূল্য নেওয়াকে একদল বিশেষজ্ঞ আলিম মাকরূহ বলেছেন, কিন্তু তা গ্রহণের পক্ষে অন্য দল সম্মতি প্রদান করেছেন। এই শেষোক্ত মত পোষণ করেন ইমাম আহ্‌মাদ ও ইসহাক। হাদীসটি ইবনু ফুযাইল আ’মাশ হতে, তিনি আবূ হাযিম হতে, তিনি আবূ হুরাইরা হতে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অন্যভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৮০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ زَيْدٍ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْلِ الْهِرِّ وَثَمَنِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَعُمَرُ بْنُ زَيْدٍ لاَ نَعْرِفُ كَبِيرَ أَحَدٍ رَوَى عَنْهُ غَيْرَ عَبْدِ الرَّزَّاقِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিড়ালের গোশত খেতে এবং এর বিক্রয় মূল্য নিতে নিষেধ করেছেন।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩২৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আবদুর রাযযাক ব্যতীত অন্য কোন বড় আলিম উমার ইবনু যাইদের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১২৮১

أَخْبَرَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَزِّمِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ، إِلاَّ كَلْبَ الصَّيْدِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ يَصِحُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَأَبُو الْمُهَزِّمِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ سُفْيَانَ وَتَكَلَّمَ فِيهِ شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ وَضَعَّفَهُ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا وَلاَ يَصِحُّ إِسْنَادُهُ أَيْضًا ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, শিকারী কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুরের বিক্রয় মূল্য নিতে নিষেধ করা হয়েছে।

 

হাসান, তা’লীক আলা রাওযাতিন্‌ নাদিয়্যাহ্‌ (২/৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উল্লেখিত সনদসূত্রে সহীহ্‌ নয়। আবূল মুহাযযিমের নাম ইয়াযীদ, পিতা সুফিয়ান। শুবা ইবনুল হাজ্জাজ তার সমালোচনা করেছেন এবং তাকে দুর্বল বলেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে জাবির (রাঃ)-ও উল্লেখিত হাদীসের মত একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই সূত্রটিও সহীহ্‌ নয়।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫১. অনুচ্ছেদঃ

গায়িকা ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ

১২৮২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، أَخْبَرَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ تَبِيعُوا الْقَيْنَاتِ وَلاَ تَشْتَرُوهُنَّ وَلاَ تُعَلِّمُوهُنَّ وَلاَ خَيْرَ فِي تِجَارَةٍ فِيهِنَّ وَثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ فِي مِثْلِ هَذَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي أُمَامَةَ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ وَضَعَّفَهُ وَهُوَ شَامِيٌّ ‏.‏

আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ গায়িকা বিক্রয় কর না, ক্রয়ও কর না এবং তাদেরকে গানের প্রশিক্ষণও দিও না। এদের ব্যবসায়ের মধ্যে কোনরকম কল্যাণ নেই এবং এদের বিনিময় মূল্য হারাম। এই আয়াত এ ধরণের লোকদের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেঃ “মানুষের মধ্যে কিছু এমন ধরণের লোকও আছে, যে মন ভুলানো কথা ক্রয় করে আনে, যেন আল্লাহ্‌ তা’আলার পথ হতে লোকদেরকে তাদের অজান্তেই বিভ্রান্ত করতে পারে এবং আল্লাহ্ তা’আলার পথকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। এই ধরণের লোকদের জন্য আছে কঠিন ও অপমানজনক শাস্তি” (সূরাঃ লুকমান-৬)।

 

যঈফ, সহীহা (২৯২২), তবে আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার ঘটনা বর্ণনা সহীহ্‌

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আমরা শুধু উল্লেখিত সনদ সূত্রেই আবূ উমামা (রাঃ)-এর হাদীসটি জেনেছি। কিছু হাদীস বিশারদ আলী ইবনু ইয়াযীদের সমালোচনা করেছেন এবং তাকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলেছেন। তিনি একজন সিরিয়ার অধিবাসী ছিলেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫২. অনুচ্ছেদঃ

দুই সহোদর ভাই অথবা মা ও সন্তানকে বিক্রয়ের সময় পৃথক করা নিষেধ

১২৮৩

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ الشَّيْبَانِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي حُيَىُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الْوَالِدَةِ وَوَلَدِهَا فَرَّقَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَحِبَّتِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

আবূ আইয়্যূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ মা ও তার সন্তানদের পরস্পর হতে যে ব্যক্তি পৃথক করে ফেলবে, আল্লাহ্ তা’আলা ঐ ব্যক্তি ও তার প্রিয়জনকে পরস্পর হতে কিয়ামাতের দিন পৃথক করে দিবেন।

 

হাসান, মিশকাত (৩৩৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১২৮৪

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ قَزَعَةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ وَهَبَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غُلاَمَيْنِ أَخَوَيْنِ فَبِعْتُ أَحَدَهُمَا فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا عَلِيُّ مَا فَعَلَ غُلاَمُكَ ‏”‏ ‏.‏ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ‏”‏ رُدَّهُ رُدَّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ التَّفْرِيقَ بَيْنَ السَّبْىِ فِي الْبَيْعِ وَيُكْرَهُ أَنْ يُفَرَّقَ بَيْنَ الْوَالِدَةِ وَوَلَدِهَا وَبَيْنَ الْوَالِدِ وَالْوَلَدِ وَبَيْنَ الإِخْوَةِ وَالأَخَوَاتِ فِي الْبَيْعِ ‏.‏ وَرَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي التَّفْرِيقِ بَيْنَ الْمُوَلَّدَاتِ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي أَرْضِ الإِسْلاَمِ ‏.‏ وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ أَنَّهُ فَرَّقَ بَيْنَ وَالِدَةٍ وَوَلَدِهَا فِي الْبَيْعِ فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ إِنِّي قَدِ اسْتَأْذَنْتُهَا بِذَلِكَ فَرَضِيَتْ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দু’জন ক্রীতদাস দান করেন। এরা ছিল আপন ভাই। আমি তাদের একজনকে বেচে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আলী! তোমার আর একটি গোলাম কোথায়? আমি বিষয়টি তাঁকে জানালে তিনি বললেনঃ তাকে ফেরত নিয়ে আস, তাকে ফেরত নিয়ে আস।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (২২৪৯) অন্য শব্দে সংক্ষিপ্তভাবে সহীহ সনদে আবূ দাউদে আছে। (২৪১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তাবিঈ কয়েদীদের বিক্রয় করার সময় (হাদীসে উল্লেখিত সম্পর্ক থাকলে) পরম্পর হতে আলাদা করতে মানা করেছেন। অবশ্য কিছু আলিম ইসলামী রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী কয়েদীদের একে অপরের নিকট হতে আলাদা করে বিক্রয় করার সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম মতই বেশী সহীহ। ইবরাহীম নাখঈ প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি মা ও তার সন্তানকে আলাদা আলাদাভাবে বিক্রয় করেছেন। তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি তার (সন্তানের মায়ের) সম্মতি নিয়ে তা করেছি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩. অনুচ্ছেদঃ

গোলাম কিনে তাকে কাজে নিযুক্ত করার পর দোষ-ত্রুটি ধরা পড়লে

১২৮৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى أَنَّ الْخَرَاجَ بِالضَّمَانِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফায়সালা করেছেনঃ ক্ষতির দায় বহনের শর্তেই উপকারিতা ভোগের অধিকার সৃষ্টি হয়।

 

হাসান, ইবনু মা-জাহ (২২৪২, ২২৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১২৮৬

حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى أَنَّ الْخَرَاجَ بِالضَّمَانِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى اسْتَغْرَبَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ ‏.‏ قُلْتُ تَرَاهُ تَدْلِيسًا قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ الزَّنْجِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ وَرَوَاهُ جَرِيرٌ عَنْ هِشَامٍ أَيْضًا ‏.‏ وَحَدِيثُ جَرِيرٍ يُقَالُ تَدْلِيسٌ دَلَّسَ فِيهِ جَرِيرٌ ‏.‏ لَمْ يَسْمَعْهُ مِنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ‏.‏ وَتَفْسِيرُ الْخَرَاجِ بِالضَّمَانِ هُوَ الرَّجُلُ يَشْتَرِي الْعَبْدَ فَيَسْتَغِلُّهُ ثُمَّ يَجِدُ بِهِ عَيْبًا فَيَرُدُّهُ عَلَى الْبَائِعِ فَالْغَلَّةُ لِلْمُشْتَرِي لأَنَّ الْعَبْدَ لَوْ هَلَكَ هَلَكَ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي ‏.‏ وَنَحْوُ هَذَا مِنَ الْمَسَائِلِ يَكُونُ فِيهِ الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ ‏.‏

قَالَ أَبُو عِيسَى اسْتَغْرَبَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ قُلْتُ تَرَاهُ تَدْلِيسًا قَالَ لَا

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফায়সালা করেছেনঃ ক্ষতির দায় বহনের শর্তেই উপকারিতা ভোগের অধিকার সৃষ্টি হয়।

 

হাসান, দেখুন পূর্বের হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি হিশাম ইবনু উরওয়ার সনদসূত্রে হাসান সহীহ্‌ গারীব। হিশাম ইবনু উরওয়া হতে মুসলিম ইবনু খালিদ এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। জারীরও হিশাম হতে বর্ণনা করেছেন। জারীরের বর্ণনায় তাদলীস আছে। জারীর তাদলীস করেছেন। সরাসরি হিশাম হতে তিনি তা শুনতে পাননি।

“আল-খারাজ বিয-যামান”-এর ব্যাখ্যা হলঃ যেমন এক লোক একটি গোলাম কিনলো । সে তাকে দিয়ে কাজও করাল। তারপর তার নিকট এর দোষ ধরা পড়ল। বিক্রেতাকে গোলামটি ফিরত প্রদান করতে হবে, তবে তাকে দিয়ে কাজ করানোর আয় ক্রয়কারীই ভোগ করবে। কারণ, গোলামটি তার নিকট ফিরতের পূর্বে মৃত্যু বরণ করলে এই আর্থিক ক্ষতি ক্রেতাকেই বহন করতে হত, বিক্রেতার কোন রকম ক্ষতি হত না। এজন্যই তাকে দিয়ে সুবিধা ভোগের অধিকার অর্জিত হয়েছে। অনুরূপ ক্ষেত্রসমূহে “আল-খারাজ বিয যামান” নীতি প্রযোজ্য। আবূ ঈসা বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল এই হাদীসটিকে উমার ইবনু আলীর হাদীস হিসেবে গারীব মনে করেন, আমি বললাম, আপনিকি হাদীসটিকে তাদলীস মনে করেন, তিনি বললেন, না।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪. অনুচ্ছেদঃ

বাগানের ভিতর দিয়ে চলাচলের সময় ফল খাওয়ার অনুমতি

১২৮৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ دَخَلَ حَائِطًا فَلْيَأْكُلْ وَلاَ يَتَّخِذْ خُبْنَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَبَّادِ بْنِ شُرَحْبِيلَ وَرَافِعِ بْنِ عَمْرٍو وَعُمَيْرٍ مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سُلَيْمٍ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاِبْنِ السَّبِيلِ فِي أَكْلِ الثِّمَارِ وَكَرِهَهُ بَعْضُهُمْ إِلاَّ بِالثَّمَنِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (অপরের) বাগানে প্রবেশের পর কোন লোক তা হতে খেতে পারে কিন্তু পুটুলি বেঁধে সাথে করে নিয়ে যেতে পারবে না।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৩০১), দেখুন পরবর্তী হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আব্বাস ইবনু শুরাহ্‌বিল, রাফি ইবনু আমর, আবূ লাহামের মুক্তদাস উমাইর ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে । ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা গারীব বলেছেন । আমরা এটাকে শুধু ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সুলাইমের সনদসূত্রেই জেনেছি । মুসাফিরদেরকে (পথিমধ্যে) বাগানের ফল খাওয়ার পক্ষে একদল আলিম অনুমতি প্রদান করেছেন, আর একদল মূল্য প্রদান না করে ফল খাওয়া মাকরূহ বলেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৮৮

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَافِعِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كُنْتُ أَرْمِي نَخْلَ الأَنْصَارِ فَأَخَذُونِي فَذَهَبُوا بِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ يَا رَافِعُ لِمَ تَرْمِي نَخْلَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْجُوعُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ تَرْمِ وَكُلْ مَا وَقَعَ أَشْبَعَكَ اللَّهُ وَأَرْوَاكَ ‏”‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

রাফি ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি আনসারদের খেজুর গাছে ঢিল ছুঁড়ে বেড়াতাম। তারা আমাকে গ্রেফতার করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে নিয়ে আসলে তিনি বললেনঃ হে রাফি। তুমি তাদের খেজুর গাছে কেন ঢিল ছুঁড়? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! ক্ষুধার কারণে। তিনি বললেনঃ আর ঢিল ছুঁড়বে না, নীচে যা পড়বে তা খাবে। আল্লাহ তা‘আলা তোমার পেট পূর্ণ করে দিন এবং তোমাকে সম্পূর্ণরূপে তৃপ্ত করুন।

 

যঈফ, ইবনু মাজাহ (২২৯৯) এ হাদীসটি হাসান, গারীব সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১২৮৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ الثَّمَرِ الْمُعَلَّقِ فَقَالَ ‏ “‏ مَنْ أَصَابَ مِنْهُ مِنْ ذِي حَاجَةٍ غَيْرَ مُتَّخِذٍ خُبْنَةً فَلاَ شَىْءَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ

আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, গাছের বোঁটায় ঝুলন্ত ফল প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ যদি কোন লোক নিরুপায় হয়ে তা খায় কিন্তু পুটুলি বেঁধে না নিয়ে যায় তবে তার কোন অন্যায় হবে না ।

 

হাসান, ইরওয়া (২৪১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা এ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫. অনুচ্ছেদঃ

বিক্রীত জিনিস হতে অনির্দিষ্ট পরিমাণ বাদ দেওয়া নিষেধ

১২৯০

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، قَالَ أَخْبَرَنِي سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَالْمُخَابَرَةِ وَالثُّنْيَا إِلاَّ أَنْ تُعْلَمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘মুহাকালা’, ‘মুযাবানা’, ‘মুখাবারা’ ও ‘সুন্‌য়া’ ধরণের কেনা-বেচাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন, যদি না (পরিমাণ) অবগত হয়।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা উল্লেখিত সনদসূত্রে হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬. অনুচ্ছেদঃ

খাদ্যশস্য ক্রয় করার পর তা হস্তগত হওয়ার পূর্বে বিক্রয় করা নিষেধ

১২৯১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ مِثْلَهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا بَيْعَ الطَّعَامِ حَتَّى يَقْبِضَهُ الْمُشْتَرِي ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِيمَنِ ابْتَاعَ شَيْئًا مِمَّا لاَ يُكَالُ وَلاَ يُوزَنُ مِمَّا لاَ يُؤْكَلُ وَلاَ يُشْرَبُ أَنْ يَبِيعَهُ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَهُ ‏.‏ وَإِنَّمَا التَّشْدِيدُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الطَّعَامِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক খাদ্যশস্য কিনে তা হস্তগত হওয়ার পূর্বে যেন বিক্রয় না করে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি এই নির্দেশ প্রত্যেক বস্তুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (১৮৬৮,২১৭১) নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির ইবনু উমার ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনু্যায়ী বেশিরভাগ আলিম আমল করেছেন। কোন জিনিস কিনে হস্তগত হওয়ার পূর্বেই তা বিক্রয়কে তারা মাকরূহ্‌ বলেছেন। অন্য একদল আলিম বলেছেন, যদি কোন জিনিস খাদ্যশস্য বা পানীয় দ্রব্য না হয় এবং ওজন-পরিমাপ না করে তা ক্রয়-বিক্রয়ের প্রচলন থাকে তবে এরকম জিনিস কিনে হস্তগত হওয়ার পূর্বে বিক্রয় করা যেতে পারে। তাদের মতে উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা শুধু খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইমাম আহ্‌মাদ ও ইসহাক একথা বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭. অনুচ্ছেদঃ

কোন লোক তার ভাইয়ের বিক্রয়ের উপর যেন বিক্রয়ের প্রস্তাব না দেয়

১২৯২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ يَبِيعُ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَلاَ يَخْطُبُ بَعْضُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ بَعْضٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَسَمُرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ لاَ يَسُومُ الرَّجُلُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ ‏”‏ ‏.‏ وَمَعْنَى الْبَيْعِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ هُوَ السَّوْمُ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন লোক যেন অন্যের বিক্রয়ের প্রস্তাবের উপর নিজের বিক্রয়ের প্রস্তাব না দেয়। একইভাবে তোমাদের মধ্যে কেউ যেন অন্যের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজের বিয়ের প্রস্তাব না দেয়।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (১৮৬৮,২১৭১), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা ও সামুরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ “অন্যের দর-দামের উপর কোন ব্যক্তি যেন নিজের দর-দাম না করে”। একদল আলিমের মতে এ হাদীসে “বাই” বেচা-কেনা অর্থ দরদাম করা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮. অনুচ্ছেদঃ

মদের ব্যবসায় এবং তৎসম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা

১২৯৩

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ لَيْثًا، يُحَدِّثُ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ قَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي اشْتَرَيْتُ خَمْرًا لأَيْتَامٍ فِي حِجْرِي ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ أَهْرِقِ الْخَمْرَ وَاكْسِرِ الدِّنَانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَعَائِشَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي طَلْحَةَ رَوَى الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ السُّدِّيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ كَانَ عِنْدَهُ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ ‏.‏

আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি কিছু মদ কিনেছি আমার অধীনস্ত কয়েকটি ইয়াতীমের জন্য। তিনি বলেনঃ তা ঢেলে ফেলে দাও এবং পাত্রগুলো ভাঙ্গে ফেল।

 

হাসান, মিশকাত তাহকীক ছানী (৩৬৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির, আইশা, আবূ সাঈদ, ইবনু মাসঊদ, ইবনু উমার ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, সাওরী আবূ তালহার এ হাদীসটি সুদ্দী হতে, তিনি ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আব্বাস হতে আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই পরবর্তী সূত্রটি প্রথম সূত্রের চেয়ে অধিক সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯. অনুচ্ছেদঃ

মদ হতে সিরকা বানানো নিষেধ

১২৯৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُتَّخَذُ الْخَمْرُ خَلاًّ قَالَ ‏ “‏ لاَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মদকে সিরকা বানানো বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ না, তা করা যাবে না।

 

সহীহ্‌, মিশকাত, মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৯৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَاصِمٍ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَمْرِ عَشَرَةً عَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَشَارِبَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَآكِلَ ثَمَنِهَا وَالْمُشْتَرِيَ لَهَا وَالْمُشْتَرَاةَ لَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, শারাবের সাথে সম্পৃক্ত দশ শ্রেণীর লোককে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন। এরা হলঃ মদ তৈরিকারী, মদের ফরমায়েশকারী, মদ পানকারী, মদ বহনকারী, যার জন্য মদ বহন করা হয়, মদ পরিবেশনকারী, মদ বিক্রয়কারী, এর মূল্য ভোগকারী, মদ ক্রেতা এবং যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়।

 

হাসান সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৩৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা আনাসের হাদীস হিসেবে গারীব বলেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ হাদীস ইবনু আব্বাস, ইবনু মাসঊদ ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৬০. অনুচ্ছেদঃ

মালিকের বিনা অনুমতিতে তার পশুর দুধ দোহন করা

১২৯৬

حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ عَلَى مَاشِيَةٍ فَإِنْ كَانَ فِيهَا صَاحِبُهَا فَلْيَسْتَأْذِنْهُ فَإِنْ أَذِنَ لَهُ فَلْيَحْتَلِبْ وَلْيَشْرَبْ وَلاَ يَحْمِلْ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهَا أَحَدٌ فَلْيُصَوِّتْ ثَلاَثًا فَإِنْ أَجَابَهُ أَحَدٌ فَلْيَسْتَأْذِنْهُ فَإِنْ لَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ فَلْيَحْتَلِبْ وَلْيَشْرَبْ وَلاَ يَحْمِلْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ سَمَاعُ الْحَسَنِ مِنْ سَمُرَةَ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ فِي رِوَايَةِ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ وَقَالُوا إِنَّمَا يُحَدِّثُ عَنْ صَحِيفَةِ سَمُرَةَ ‏.‏

সামুরা ইবনু জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন লোক কোন পশু পালের নিকট এসে পড়লে সেখানে এর মালিককে পেলে (দুধ দোহনের জন্য) তার অনুমতি চাইবে। সে অনুমতি দিলে দুধ দোহাবে এবং পান করবে। কোন লোক যদি সেখানে উপস্থিত না থাকে তবে তিনবার ডাক দিবে। তার ডাকে কোন লোক সাড়া দিলে তবে তার নিকট অনুমতি চাইবে। তার ডাকে কোন লোক সাড়া না দিলে সে দুধ দোহাবে, তা পান করবে কিন্তু সাথে করে নিয়ে যেতে পারবে না।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৩০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার ও আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী একদল আলিম আমল করেছেন। ইমাম আহ্‌মাদ এবং ইসহাকও একথা বলেছেন। আলী ইবনু মাদীনী বলেন, সামুরা (রাঃ)-এর নিকট হাসান যে শুনেছেন তা সত্য। সামুরা (রাঃ)-এর নিকট হাসান বাসরীর হাদীস শুনার ব্যাপারে একদল হাদীস বিশারদ ভিন্নমত পোষণ করেন। তারা বলেছেন, সামুরা (রাঃ)-এর নিকট হতে হাসান (রহঃ) সরাসরি শুনে বর্ণনা করেননি, বরঞ্চ তার পান্ডুলিপি হতে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১. অনুচ্ছেদঃ

মৃত জীবের চামড়া ও মূর্তি বিক্রয় করা

১২৯৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ وَهُوَ بِمَكَّةَ يَقُولُ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ حَرَّمَ بَيْعَ الْخَمْرِ وَالْمَيْتَةِ وَالْخِنْزِيرِ وَالأَصْنَامِ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ شُحُومَ الْمَيْتَةِ فَإِنَّهُ يُطْلَى بِهَا السُّفُنُ وَيُدْهَنُ بِهَا الْجُلُودُ وَيَسْتَصْبِحُ بِهَا النَّاسُ قَالَ ‏”‏ لاَ هُوَ حَرَامٌ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ ‏”‏ قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَيْهِمُ الشُّحُومَ فَأَجْمَلُوهُ ثُمَّ بَاعُوهُ فَأَكَلُوا ثَمَنَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সেখানে থাকাবস্থায় বলতে শুনেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ ও তার রাসূল শারাব, মৃত জীব, শূকর ও মূর্তির ব্যবসা হারাম করেছেন। তাঁকে বলা হল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! মৃত জীবের চর্বি প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য কি? এটাতো ব্যবহার করা হয় নৌকায় প্রলেপের কাজে ও চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার কাজে এবং লোকেরা এটা দিয়ে প্রদীপ জ্বালায়। তিনি বললেনঃ না, এটা হারাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বললেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা ইয়াহুদীদের ধ্বংস করে দিন! আল্লাহ্‌ তা’আলা চর্বিকে তাদের জন্য হারাম করে দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা তা গলিয়ে বিক্রয় করেছে এবং এর মূল্য ভক্ষণ করেছে।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২১৬৭), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

উমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২. অনুচ্ছেদঃ

হেবা (দান) ফিরিয়ে নেওয়া জঘন্য কাজ

১২৯৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لَيْسَ لَنَا مَثَلُ السَّوْءِ الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ ‏”‏ ‏. قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ أَنْ يُعْطِيَ عَطِيَّةً فَيَرْجِعَ فِيهَا إِلاَّ الْوَالِدَ فِيمَا يُعْطِي وَلَدَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাদের জন্য নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করা শোভনীয় নয়। দান (হেবা) করার পর যে লোক তা আবার ফিরিয়ে নেয় সে এমন এক কুকুরের সমতুল্য যে বমি করার পর তা আবার ভক্ষণ করে।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৩৮৫), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

এ অনুচ্ছেদে ইবনু উমর (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ কোন কিছু দান করে তা আবার ফিরিয়ে নেওয়া কোন ব্যক্তির জন্য হালাল নয়। তবে পিতা নিজ পুত্রকে দান করে তা আবার ফিরিয়ে নিতে পারে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২৯৯

حَدَّثَنَا بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ أَنَّهُ سَمِعَ طَاوُسًا يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ يَرْفَعَانِ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ قَالُوا مَنْ وَهَبَ هِبَةً لِذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِيهَا وَمَنْ وَهَبَ هِبَةً لِغَيْرِ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ فَلَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِيهَا مَا لَمْ يُثَبْ مِنْهَا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ أَنْ يُعْطِيَ عَطِيَّةً فَيَرْجِعَ فِيهَا إِلاَّ الْوَالِدَ فِيمَا يُعْطِي وَلَدَهُ ‏.‏ وَاحْتَجَّ الشَّافِعِيُّ بِحَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ أَنْ يُعْطِيَ عَطِيَّةً فَيَرْجِعَ فِيهَا إِلاَّ الْوَالِدَ فِيمَا يُعْطِي وَلَدَهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদীসটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মারফূ হিসেবে বর্ণিত আছে।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৩৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। এ হাদীস অনুযায়ী একদল সাহাবী ও তাবিঈ আমল করেছেন। তারা বলেছেন, কোন ব্যক্তির পক্ষে নিজের নিকটাত্মীয়কে কিছু দান করে বা উপহার দিয়ে তা ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার নেই। তবে নিকটাত্মীয় ব্যতীত অন্য কাউকে দান করে এবং তার বিনিময়ে কিছু গ্রহণ না করলে উক্ত দান ফিরত নেওয়া যায়। সুফিয়ান সাওরীও একথা বলেছেন। শাফিঈ বলেছেন, পিতা ব্যতীত অন্য কোন লোক দান বা উপহার ফিরিয়ে নিতে পারবে না। তিনি নিজ মতের সপক্ষে উপরে বর্ণিত ইবনু উমারের হাদীস দলীল হিসাবে গ্রহণ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩. অনুচ্ছেদঃ

আরাইয়া এবং এই সম্পর্কিত অনুমতি প্রসঙ্গে

১৩০০

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ إِلاَّ أَنَّهُ قَدْ أَذِنَ لأَهْلِ الْعَرَايَا أَنْ يَبِيعُوهَا بِمِثْلِ خَرْصِهَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ هَكَذَا رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ وَرَوَى أَيُّوبُ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ ‏.‏ وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ رَخَّصَ فِي الْعَرَايَا ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ ‏.‏

যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘মুহাকালা’ ও ‘মুযাবানা’ ধরণের বেচা-কেনাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন, কিন্তু ‘আরাইয়ার’ অনুমতি দিয়েছেন-অনুমানে যে পরিমাণ নির্ধারিত হয় তদানুযায়ী বিক্রয় করতে।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২৬৮, ২২৬৯), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা ও জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। যাইদ (রাঃ) হতে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকও এরকমই বর্ণনা করেছেন।

আইয়্যূব, উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার এবং মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) নাফির সূত্রে, তিনি ইবনু উমারের সূত্রে বর্ণনা করেছেন, ‘মুহাকালা’ ও ‘মুযাবানা’ ধরণের কেনা-বেচাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষিদ্ধ করেছেন। যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে ইবনু উমার (রাঃ) একই সনদে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাইয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের হাদীসের তুলনায় এ হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ্‌।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩০১

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ كَذَا ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

পাঁচ ওয়াসাকের কম পরিমাণের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাইয়া পদ্ধতিতে বিক্রয়ের সম্মতি দিয়েছেন।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ ওয়াসাক বা তার কম পরিমাণের মধ্যে আরাইয়া পদ্ধতিতে বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩০২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ وَقَالُوا إِنَّ الْعَرَايَا مُسْتَثْنَاةٌ مِنْ جُمْلَةِ نَهْىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَقَالُوا لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ ‏.‏ وَمَعْنَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرَادَ التَّوْسِعَةَ عَلَيْهِمْ فِي هَذَا لأَنَّهُمْ شَكَوْا إِلَيْهِ وَقَالُوا لاَ نَجِدُ مَا نَشْتَرِي مِنَ الثَّمَرِ إِلاَّ بِالتَّمْرِ فَرَخَّصَ لَهُمْ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَنْ يَشْتَرُوهَا فَيَأْكُلُوهَا رُطَبًا ‏.‏

যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুমান করে পরিমাণ নির্ধারণ করার পর আরাইয়া পদ্ধতিতে বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেছেন।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস, নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। এ হাদীস অনুযায়ী একদল আলিম আমল করেছেন। তাদের মধ্যে ইমাম শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাকও অন্তর্ভুক্ত আছেন। তারা বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘মুহাকালা’ ও ‘মুযাবানা’ নিষিদ্ধ করেছেন এবং তা হতে আরাইয়াকে বাদ রেখেছেন। তারা দলীল হিসাবে আবূ হুরাইরা ও যাইদ (রাঃ)-এর হাদীসকে গ্রহণ করেছেন। তাদের মতে আরাইয়ার ফল পাঁচ ওয়াসাকের কম পরিমাণের মধ্যে (পরিপক্ক ফলের বিনিময়ে) কেনা জায়িয। কিছু সংখ্যক আলিমের মতে, এই নির্দেশের মর্মার্থ এই যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দরিদ্র লোকদেরকে এ ব্যাপারে কিছুটা সুযোগ দিতে চেয়েছেন। কেননা, তারা তাঁর নিকট আবেদন করে যে, তারা (আরাইয়ার) গাছের কাঁচা ফল কেনার জন্য শুধু পাকা ফলই দিতে পারে সুতরাং তিনি তাজা খেজুর খাওয়ার সুযোগকে বৃদ্ধির জন্য আরাইয়ার পরিমাণ পাঁচ ওয়াসাকের কমের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪. অনুচ্ছেদঃ

শুকনা ফলের পরিবর্তে গাছের কাঁচা ফল বিক্রয় নিষিদ্ধ

১৩০৩

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ، مَوْلَى بَنِي حَارِثَةَ أَنَّ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ، وَسَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، حَدَّثَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الْمُزَابَنَةِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ إِلاَّ لأَصْحَابِ الْعَرَايَا فَإِنَّهُ قَدْ أَذِنَ لَهُمْ وَعَنْ بَيْعِ الْعِنَبِ بِالزَّبِيبِ وَعَنْ كُلِّ ثَمَرٍ بِخَرْصِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

রাফি ইবনু খাদীজ ও সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

শুকনো ফলের পরিবর্তে গাছের কাঁচা ফল (সংগৃহীত) বিক্রয় করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন, কিন্তু আরাইয়া ব্যবসায়ীদের আরাইয়া করার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি একইভাবে তাজা আঙ্গুরের বিনিময়ে শুকনো আঙ্গুর এবং অনুমানে পরিমাণ নির্ধারণ করে ফল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা উল্লেখিত সনদসূত্রে হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫. অনুচ্ছেদঃ

ক্রেতাকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে (নকল ক্রেতা সেজে) দর-দাম করা

১৩০৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ قُتَيْبَةُ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تَنَاجَشُوا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ كَرِهُوا النَّجْشَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَالنَّجْشُ أَنْ يَأْتِيَ الرَّجُلُ الَّذِي يَفْصِلُ السِّلْعَةَ إِلَى صَاحِبِ السِّلْعَةِ فَيَسْتَامُ بِأَكْثَرَ مِمَّا تَسْوَى وَذَلِكَ عِنْدَمَا يَحْضُرُهُ الْمُشْتَرِي يُرِيدُ أَنْ يَغْتَرَّ الْمُشْتَرِي بِهِ وَلَيْسَ مِنْ رَأْيِهِ الشِّرَاءُ إِنَّمَا يُرِيدُ أَنْ يَخْدَعَ الْمُشْتَرِيَ بِمَا يَسْتَامُ وَهَذَا ضَرْبٌ مِنَ الْخَدِيعَةِ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنْ نَجَشَ رَجُلٌ فَالنَّاجِشُ آثِمٌ فِيمَا يَصْنَعُ وَالْبَيْعُ جَائِزٌ لأَنَّ الْبَائِعَ غَيْرُ النَّاجِشِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা পরস্পর ‘নাজাশ’ (ক্রেতাকে ঠকানোর জন্য দ্রব্যের দরদাম) কর না।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২১৭৪), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু উমার ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেছেন। তারা বেচা-কেনার ক্ষেত্রে ‘নাজাশ’ করাকে মাকরূহ বলেছেন। আবূ ঈসা বলেন, নাজাশ বা তানাজুশ-এর অর্থ হলঃ এক লোক বিক্রেতার মালের দেখাশোনা করে এবং সে তার মালের দর-দাম প্রসঙ্গে ওয়াকিফহাল। যখন কোন ক্রেতা বিক্রেতার নিকট এসে মালের দামাদামি করে, তখন সে এসে উপস্থিত হয়। সে নকল ক্রেতার রূপ নিয়ে এসে ক্রেতার চেয়েও বেশি দাম হাঁকে। এখানে ক্রেতাকে ধোঁকায় ফেলে বিক্রেতার মাল বেশি মূল্যে বিক্রয় করাই তার উদ্দেশ্য। ইহা এক প্রকার প্রতারণা। ইমাম শাফিঈ বলেছেন, যে লোক ‘নাজাশ’ করে সে গুনাহ্‌গার হবে কিন্তু আইনগতভাবে বিক্রয়টি হালাল হবে। কেননা, মূল বিক্রেতা প্রতারণা করেনি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৬. অনুচ্ছেদঃ

ওজনে কিছুটা বেশি দেওয়া

১৩০৫

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ جَلَبْتُ أَنَا وَمَخْرَفَةُ الْعَبْدِيُّ، بَزًّا مِنْ هَجَرَ فَجَاءَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَسَاوَمَنَا بِسَرَاوِيلَ وَعِنْدِي وَزَّانٌ يَزِنُ بِالأَجْرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلْوَزَّانِ ‏ “‏ زِنْ وَأَرْجِحْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سُوَيْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَهْلُ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ الرُّجْحَانَ فِي الْوَزْنِ ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سِمَاكٍ فَقَالَ عَنْ أَبِي صَفْوَانَ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.‏

সুয়াইদ ইবনু কাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হাজার নামক জায়গা হতে আমি ও মাখরাফা আল-আবদী (রাঃ) কিছু কাপড় আমদানি করলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট এলেন। তিনি আমাদের নিকট হতে একটি পায়জামা কেনার জন্য দামাদামি করলেন। আমাদের নিকটই একজন কয়াল (পরিমাপক) উপস্থিত ছিল। পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সে ওজন করে দিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (দ্রব্যের মূল্য পরিশোধকালে) কয়ালকে বলেনঃ ওজন কর এবং কিছুটা বেশি দাও।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। সুয়াইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। ওজনের সময় একটু বেশি দেওয়াকে বিশেষজ্ঞ আলিমগণ উত্তম বলেছেন। সিমাকের সূত্রে শুবা উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং সনদে আবূ সাফওয়ানকে সিমাকের পরে যোগ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৭. অনুচ্ছেদঃ

অভাবী ঋণগ্রস্তকে সময় দেওয়া এবং তার সাথে ভদ্রতা বজায় রাখা

১৩০৬

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّازِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ أَنْظَرَ مُعْسِرًا أَوْ وَضَعَ لَهُ أَظَلَّهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تَحْتَ ظِلِّ عَرْشِهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلُّهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الْيَسَرِ وَأَبِي قَتَادَةَ وَحُذَيْفَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَعُبَادَةَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক অভাবী ঋনগ্রস্থকে সুযোগ প্রদান করে অথবা ঋণ মাফ করে দেয়, কিয়ামাতের দিবসে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে নিজের আরশের ছায়ায় আশ্রয় প্রদান করবেন, যেদিন তাঁর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না।

 

সহীহ্‌, তা’লীকুর রাগীব (২/৩৭), বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূল ইয়াসার, আবূ কাতাদা, হুযাইফা, ইবনু মাসঊদ ও উবাদা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা উল্লেখিত সনদসূত্রে হাসান সহীহ্‌ গারীব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩০৭

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ حُوسِبَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَلَمْ يُوجَدْ لَهُ مِنَ الْخَيْرِ شَيْءٌ إِلاَّ أَنَّهُ كَانَ رَجُلاً مُوسِرًا وَكَانَ يُخَالِطُ النَّاسَ وَكَانَ يَأْمُرُ غِلْمَانَهُ أَنْ يَتَجَاوَزُوا عَنِ الْمُعْسِرِ فَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ نَحْنُ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنْهُ تَجَاوَزُوا عَنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو الْيَسَرِ كَعْبُ بْنُ عَمْرٍو ‏.‏

আবূ মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির মধ্যে কোন এক লোকের হিসাব নেওয়া হলে তার কোন কাজ পাওয়া গেল না। সে ছিল ধনীলোক। সে যখন লোকদের সাথে লেন-দেন করত তখন নিজ গোলামদের হুকুম প্রদান করতঃ অভাবী ঋণগ্রস্থদের সাথে সহানুভূতিপূর্ণ আচরন কর। এতে আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ আমি ক্ষমা ও সহানুভূতির ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশী উপযোগী। অতএব, (হে ফেরেশ্তাগণ!) তাকে মুক্তি প্রদান কর।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস, মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আবূল ইয়াসাবের নাম কা’ব, পিতা আমর।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৮. অনুচ্ছেদঃ

ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে স্বচ্ছল ব্যক্তির টালবাহানা করা অন্যায়

১৩০৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَطْلُ الْغَنِيِّ ظُلْمٌ وَإِذَا أُتْبِعَ أَحَدُكُمْ عَلَى مَلِيٍّ فَلْيَتْبَعْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَالشَّرِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ الثَّقَفِيِّ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে সক্ষম ব্যক্তির টালবাহানা করা অন্যায়। তোমাদের কারো পাওনা পরিশোধ করার জন্য ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি কোন সক্ষম ব্যক্তির উপর দায়িত্ব দিলে তা অনুমোদন করা উচিত।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৪০৩), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু উমার ও আশ-শারীদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদ হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩০৯

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَرَوِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَطْلُ الْغَنِيِّ ظُلْمٌ وَإِذَا أُحِلْتَ عَلَى مَلِيءٍ فَاتْبَعْهُ وَلاَ تَبِعْ بَيْعَتَيْنِ فِي بَيْعَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَمَعْنَاهُ أَنَّهُ إِذَا أُحِيلَ أَحَدُكُمْ عَلَى مَلِيٍّ فَلْيَتْبَعْ ‏.‏ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أُحِيلَ الرَّجُلُ عَلَى مَلِيٍّ فَاحْتَالَهُ فَقَدْ بَرِئَ الْمُحِيلُ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَرْجِعَ عَلَى الْمُحِيلِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا تَوِيَ مَالُ هَذَا بِإِفْلاَسِ الْمُحَالِ عَلَيْهِ فَلَهُ أَنْ يَرْجِعَ عَلَى الأَوَّلِ ‏.‏ وَاحْتَجُّوا بِقَوْلِ عُثْمَانَ وَغَيْرِهِ حِينَ قَالُوا لَيْسَ عَلَى مَالِ مُسْلِمٍ تَوًى ‏.‏ قَالَ إِسْحَاقُ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ ‏”‏ لَيْسَ عَلَى مَالِ مُسْلِمٍ تَوًى ‏”‏ ‏.‏ هَذَا إِذَا أُحِيلَ الرَّجُلُ عَلَى آخَرَ وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ مَلِيٌّ فَإِذَا هُوَ مُعْدِمٌ فَلَيْسَ عَلَى مَالِ مُسْلِمٍ تَوًى ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বচ্ছল অবস্থা সম্পন্ন লোকদের (ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে) টালবাহানা করা যুলুম। তোমাকে অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তির উপর সোপর্দ করা হলে তুমি তা আনুমোদন করবে এবং এক বিক্রয় চুক্তির মধ্যে দুই বিক্রয় (শর্ত) অন্তর্ভুক্ত করবে না।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীসের তাৎপর্য হলঃ কোন লোক তার (ঋণ ইত্যাদির) দায় স্বচ্ছল লোকের উপর অর্পণ (হাওয়ালা) করলে সে যেন তা অনুমোদন করে। কিছু আলিম বলেছেন, সক্ষম ব্যক্তির উপর ঋণ অর্পণ করা হলে এবং পাওনাদার তা অনুমোদন করলে ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি দায় মুক্ত হয়ে যাবে। ঋণদানকারী আর তাকে তাগাদা দিতে পারবে না। এই মত দিয়েছেন ইমাম শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাক।

অন্য একদল আলিম বলেছেন, সক্ষম অবস্থাসম্পন্ন লোকের উপর যে লোকের ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল সে যদি দেউলিয়া হয়ে যায়, তবে ঋনদানকারী তার আসল ঋণীকে তাগাদা দেয়ার অধিকারী হবে। তারা নিজেদের দলীল হিসাবে উসমান (রাঃ) ও অন্যান্য সাহাবীর একটি বক্তব্যকে গ্রহন করেছেনঃ “মুসলমানের মাল বিলীন হতে পারে না”।

ইসহাক বলেন, ‘মুসলমানের মাল বিলীন হতে পারে না’ কথার তাৎপর্য এই যে, ঋণগ্রহীতা ঋনদাতাকে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হতে তাকে স্বচ্ছল ভেবে তার ঋণ আদায় করে নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু দেখা গেল যে, সে আসলে দেউলিয়া। এই অবস্থায় মুসলমানের মাল বিনস্ট হতে পারে না (হাওয়ালাকারীকেই তা পরিশোধ করতে হবে)।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯. অনুচ্ছেদঃ

মুনাবাযা ও মুলামাসা প্রসঙ্গে

১৩১০

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الْمُنَابَذَةِ وَالْمُلاَمَسَةِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنْ يَقُولَ إِذَا نَبَذْتُ إِلَيْكَ الشَّىْءَ فَقَدْ وَجَبَ الْبَيْعُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ ‏.‏ وَالْمُلاَمَسَةُ أَنْ يَقُولَ إِذَا لَمَسْتَ الشَّىْءَ فَقَدْ وَجَبَ الْبَيْعُ وَإِنْ كَانَ لاَ يَرَى مِنْهُ شَيْئًا مِثْلَ مَا يَكُونُ فِي الْجِرَابِ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ وَإِنَّمَا كَانَ هَذَا مِنْ بُيُوعِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ فَنَهَى عَنْ ذَلِكَ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুনাবাযা ও মুলামাসা প্রকারের বেচা-কেনাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষিদ্ধ করেছেন।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস, নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ সাঈদ ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীসের তাৎপর্য এই যে, বিক্রেতা বললঃ আমি যখন তোমার দিকে কিছু নিক্ষেপ করব তখন তোমার ও আমার মাঝে বেচা-কেনা বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। একে বলে মুনাবাযা। মুলামাসার অর্থ হলঃ বিক্রেতা ক্রেতাকে বলল, অমুক জিনিসটি তুমি র্স্পষ করলে বেচা-কেনা করাতা বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে, ক্রেতা যদি পণ্যটি না দেখে থাকে তারপরেও, যেমন মোড়কের মধ্যের জিনিস, খাপের মধ্যের তরবারি ইত্যাদি। এটা এক প্রকার বিক্রয় পদ্ধতি যা জাহিলী যুগে করা হতো। এ উভয় প্রকার বিক্রয় পদ্ধতিতে বিক্রয় করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭০. অনুচ্ছেদঃ

খাদ্যশস্য ও ফলের ক্ষেত্রে অগ্রিম বেচা-কেনা (বাই সালাম)

১৩১১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَهُمْ يُسْلِفُونَ فِي الثَّمَرِ فَقَالَ ‏ “‏ مَنْ أَسْلَفَ فَلْيُسْلِفْ فِي كَيْلٍ مَعْلُومٍ وَوَزْنٍ مَعْلُومٍ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَجَازُوا السَّلَفَ فِي الطَّعَامِ وَالثِّيَابِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا يُعْرَفُ حَدُّهُ وَصِفَتُهُ وَاخْتَلَفُوا فِي السَّلَمِ فِي الْحَيَوَانِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ السَّلَمَ فِي الْحَيَوَانِ جَائِزًا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَكَرِهَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ السَّلَمَ فِي الْحَيَوَانِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ أَبُو الْمِنْهَالِ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُطْعِمٍ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সময় মাদীনায় আসেন সে সময় বিভিন্ন ধরণের ফলমূল অগ্রিম বেচা-কেনায় এখানকার লোকজন অভ্যস্ত ছিল। তিনি বললেনঃ যে লোক অগ্রিম বেচা-কেনা করতে চায় সে যেন পরিমাপ, ওজন ও মেয়াদ নির্দিষ্ট করে নেয়।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২৮০), নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু আবী আওফা ও আবদুর রাহমান ইবনু আবযা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী সাহাবী ও তাবীঈগণ আমল করেছেন। তাদের মতে অগ্রিম বেচা-কেনা জায়িয হবে খাদ্যশস্য, কাপড়-চোপড় এবং যেসব বস্তুর পরিমান, বৈশিষ্ট্য, অবস্থা ও ধরণ নির্ধারণ করা যায় এমন পণ্যের ক্ষেত্রে।

পশু অগ্রিম বেচা-কেনা করা যায় কিনা এ ব্যাপারে মতের অমিল আছে। পশুর অগ্রিম বেচা-কেনা করাটা একদল সাহাবী ও তাবিঈর মতে জায়িয। এই মত দিয়েছেন ইমাম শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাক। এটাকে আরেকদল আলিম নাজায়িয বলেছেন। সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসী আলিমগণ এই শেষোক্ত মত গ্রহন করেছেন। আবূল মিনহালের নাম আব্দুর রহমান, পিতা মুতঈম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১. অনুচ্ছেদঃ

শরীকানা সম্পদের কোন অংশীদার তার অংশ বিক্রয়ের ইচ্ছা করলে

১৩১২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَ لَهُ شَرِيكٌ فِي حَائِطٍ فَلاَ يَبِيعُ نَصِيبَهُ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى يَعْرِضَهُ عَلَى شَرِيكِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِمُتَّصِلٍ ‏.‏ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ سُلَيْمَانُ الْيَشْكُرِيُّ يُقَالُ إِنَّهُ مَاتَ فِي حَيَاةِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ يَسْمَعْ مِنْهُ قَتَادَةُ وَلاَ أَبُو بِشْرٍ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ وَلاَ نَعْرِفُ لأَحَدٍ مِنْهُمْ سَمَاعًا مِنْ سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ فَلَعَلَّهُ سَمِعَ مِنْهُ فِي حَيَاةِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ وَإِنَّمَا يُحَدِّثُ قَتَادَةُ عَنْ صَحِيفَةِ سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ وَكَانَ لَهُ كِتَابٌ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْعَطَّارُ عَبْدُ الْقُدُّوسِ قَالَ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ ذَهَبُوا بِصَحِيفَةِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ إِلَى الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ فَأَخَذَهَا أَوْ قَالَ فَرَوَاهَا وَذَهَبُوا بِهَا إِلَى قَتَادَةَ فَرَوَاهَا وَأَتَوْنِي بِهَا فَلَمْ أَرْوِهَا ‏.‏ يَقُولُ رَدَدْتُهَا ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন বাগানের মালিকানায় কোন ব্যক্তির সাথে তার আরো শরীক থাকলে, সে তার অংশ বিক্রয়ের জন্য শরীকদেরকে ক্রয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পূর্বে যেন সেটা অন্যের নিকট বিক্রয় না করে।

 

সহীহ্‌, ইরওয়া (৫/৩৭৩), বেচা-কেনার হাদীস, মুসলিম অনুরূপ

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসের সনদ পরস্পর সংযুক্ত (মুত্তাসিল) নয়। আমি ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছিঃ সুলাইমান ইয়াশকুরী প্রসঙ্গে কথিত আছে যে, জাবির (রাঃ)-এর জিবদ্দশাতেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। আর তার নিকট হতে বিশর ও কাতাদা (রহঃ) কখনও কিছু শুনেননি। বুখারী আরো বলেন, সুলাইমান ইয়াশকুরীর কাছে আমর ইবনু দীনার ব্যতিত আর কেউ শুনেছেন বলে আমার জানা নেই। জাবির (রাঃ)-এর জীবদ্দশায় হয়ত আমর তার নিকট হাদীস শুনেছেন। কাতাদা (রহঃ) সুলাইমান ইয়াশকুরীর পাণ্ডুলিপি হতেই হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি এটা জাবির (রাঃ)-এর নিকট হতে অর্জন করেছিলেন। সুলাইমান আত-তাইমী বলেছেন, তারা হাসান বাসরীর নিকট জাবির (রাঃ)-এর পাণ্ডুলিপিটি নিয়ে গেলেন। তিনি এটাকে গ্রহন করলেন বা তা হতে রিওয়াত করেন। অতঃপর তারা এটাকে কাতাদার নিকট নিয়ে গেলে তিনিও তা হতে রিওয়াত করেন। তারপর এটাকে তারা আমার কেছে নিয়ে এলে আমি তা হতে রিওয়াত করিনি এবং তা ফেরত দেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২. অনুচ্ছেদঃ

মুখাবারা ও মুআওয়ামা

১৩১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَالْمُخَابَرَةِ وَالْمُعَاوَمَةِ وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘মুহাকালা’, ‘মুযাবানা’, ‘মুখাবারা’ ও ‘মুআওয়ামা’ করতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু আরাইয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস, মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।

 

মুহাকালাঃ নিদিষ্ট পরিমাণ গমের বিনিময়ে অনুমান করে ক্ষেতের অপ্রস্তুত শস্য বিক্রয় করা। মুযাবানাঃ নির্দিষ্ট পরিমাণ শুকনা খেজুরের বিনিময়ে গাছের কাঁচা খেজুর অনুমান করে বিক্রয় করা। মুখাবারাঃ ক্ষেতের এক তৃতীয়াংশ বা চতুর্থাংশের বিনিময়ে জমি ভাড়া দেওয়া। মুআওয়ামাঃ কোন নির্দিষ্ট বাগানের ফল দুই তিন বৎসরের জন্য অগ্রীম বিক্রয় করা। অনুবাদক।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৩. অনুচ্ছেদঃ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা

১৩১৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ غَلاَ السِّعْرُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ سَعِّرْ لَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمُسَعِّرُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الرَّزَّاقُ وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ أَلْقَى رَبِّي وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْكُمْ يَطْلُبُنِي بِمَظْلَمَةٍ فِي دَمٍ وَلاَ مَالٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে একবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে লোকেরা বলতে লাগল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমাদের জন্য দ্রব্যমূল্য বেঁধে দিন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলাই মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন, তিনিই নিয়ন্ত্রণকারী, অপ্রশস্তকারী, প্রশস্তকারী ও রিযিক দানকারী। আমি আমার প্রতিপালকের সাথে এমন অবস্থায় মিলিত হতে চাই যে, তোমাদের কোন লোক যেন এ দাবি করতে না পারে (আমার বিরুদ্ধে) যে, তার জান-মালের উপর আমি হস্তক্ষেপ করেছি।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ ঈসা এ হাদীসটিকে হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪. অনুচ্ছেদঃ

ব্যবসায়ের মধ্যে প্রতারণা করা খুবই জঘন্য অপরাধ

১৩১৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى صُبْرَةٍ مِنْ طَعَامٍ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِيهَا فَنَالَتْ أَصَابِعُهُ بَلَلاً فَقَالَ ‏”‏ يَا صَاحِبَ الطَّعَامِ مَا هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَصَابَتْهُ السَّمَاءُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَلاَ جَعَلْتَهُ فَوْقَ الطَّعَامِ حَتَّى يَرَاهُ النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنَّا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي الْحَمْرَاءِ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَبُرَيْدَةَ وَأَبِي بُرْدَةَ بْنِ نِيَارٍ وَحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا الْغِشَّ وَقَالُوا الْغِشُّ حَرَامٌ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কোন একসময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (বাজারে) একটি খাদ্যশস্যের স্তূপ অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। তিনি নিজের হাতকে স্তূপের মধ্যে প্রবেশ করালেন। তিনি তাঁর হাতে ভিজা অনুভব করেন। স্তূপের মালিককে তিনি প্রশ্ন করেনঃ এ কি? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এটা বৃষ্টির পানিতে ভিজে গিয়েছিল। তিনি বললেনঃ ভিজাগুলো স্তূপের উপরে রাখলে না কেন, যাতে লোকেরা দেখতে পেত? অতঃপর তিনি বললেনঃ প্রতারণাকারী ও ধোঁকাবাজকারীদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

ইবনু উমার, আবুল হামরাআ, ইবনু আব্বাস, বুরাইদা, আবূ বুরদা, ইবনু নিয়ার ও হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ মত দিয়েছেন। প্রতারণা ও ধোঁকাবাজিকে তারা খুবই জঘন্য অপরাধ হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং এটাকে হারাম বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫. অনুচ্ছেদঃ

উট অথবা অন্য কোন পশু ধার নেওয়া

১৩১৬

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ اسْتَقْرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِنًّا فَأَعْطَاهُ سِنًّا خَيْرًا مِنْ سِنِّهِ وَقَالَ ‏ “‏ خِيَارُكُمْ أَحَاسِنُكُمْ قَضَاءً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي رَافِعٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ عَنْ سَلَمَةَ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ لَمْ يَرَوْا بِاسْتِقْرَاضِ السِّنِّ بَأْسًا مِنَ الإِبِلِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَكَرِهَ بَعْضُهُمْ ذَلِكَ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একটি উঠতি বয়সের উটকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ধার হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি ফিরত দেওয়ার সময় এর চেয়েও ভাল উট প্রদান করলেন এবং বললেনঃ তোমাদের মধ্যে সেই বেশি উত্তম যে উত্তমভাবে ঋণ পরিশোধ করে।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস, নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ রাফি (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। উক্ত হাদীসটি সালামার সূত্রে শুবা ও সুফিয়ান (রহঃ) বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী একদল বিশেষজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। নির্দিষ্ট বয়সের উট ধার হিসেবে গ্রহণ করাতে তারা কোন সমস্যা মনে করেন না। এই মত দিয়েছেন শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাক। কিন্তু এটাকে অন্য একদল আলিম মাকরূহ মনে করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩১৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، تَقَاضَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَغْلَظَ لَهُ فَهَمَّ بِهِ أَصْحَابُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ دَعُوهُ فَإِنَّ لِصَاحِبِ الْحَقِّ مَقَالاً ‏”‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اشْتَرُوا لَهُ بَعِيرًا فَأَعْطُوهُ إِيَّاهُ ‏”‏ ‏.‏ فَطَلَبُوهُ فَلَمْ يَجِدُوا إِلاَّ سِنًّا أَفْضَلَ مِنْ سِنِّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اشْتَرُوهُ فَأَعْطُوهُ إِيَّاهُ فَإِنَّ خَيْرَكُمْ أَحْسَنُكُمْ قَضَاءً ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নিজের পাওনা আদায়ের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কঠোর তাগাদা দিল। এর ফলে লোকটির উপর সাহাবীগণ রেগে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে উপেক্ষা কর, কেননা, পাওনাদারের অধিকার আছে কথা বলার। তিনি আরো বললেনঃ একটি উট কিনে তোমরা তাকে প্রদান কর। তারা উটের তালাশ করলেন। কিন্তু তার পাওনা উট হতে অধিক ভালটি ছাড়া অন্য কোন উট পেলেননা। তিনি বললেনঃ তাকে সেটাই কিনে দাও। কেননা, তোমাদের মধ্যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধকারী লোকই উত্তম।

 

সহীহ্‌, বেচা-কেনার হাদীস, নাসা-ঈ

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্‌শার মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার হতে, তিনি শুবা হতে, তিনি সালামা ইবনু কুহাইল হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩১৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ اسْتَسْلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَكْرًا فَجَاءَتْهُ إِبِلٌ مِنَ الصَّدَقَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو رَافِعٍ فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقْضِيَ الرَّجُلَ بَكْرَهُ ‏.‏ فَقُلْتُ لاَ أَجِدُ فِي الإِبِلِ إِلاَّ جَمَلاً خِيَارًا رَبَاعِيًّا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَعْطِهِ إِيَّاهُ فَإِنَّ خِيَارَ النَّاسِ أَحْسَنُهُمْ قَضَاءً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আযাদকৃত গোলাম আবূ রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উঠতি বয়সের একটি উট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ধার হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তারপর (বাইতুল মালে) যাকাতের উট আসে। আবূ রাফি (রাঃ) বলেন, ঐ লোকের উঠতি বয়সের উটটি পরিশোধের জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নির্দেশ দিলেন। আমি বললাম, (বাইতুল মালে) ছয় বছর বয়সের উটের চেয়ে ছোট উট পাচ্ছি না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে ঐটিই প্রদান কর। কেননা।, উত্তমভাবে ঋণ পরিশোধকারী ব্যক্তিই লোকদের মধ্যে বেশি উত্তম।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২৮৫), মুসলিম

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩১৯

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّازِيُّ، عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ سَمْحَ الْبَيْعِ سَمْحَ الشِّرَاءِ سَمْحَ الْقَضَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يُونُسَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তাগাদার ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌ তা’আলা নম্রতা পছন্দ করেন।

 

সহীহ্‌, সহীহা (৮৯০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গরীব বলেছেন। উপরোক্ত হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে সাঈদ আল-মাকবুরীর বরাতে ইবনুস এর সূত্রেও বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩২০

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ غَفَرَ اللَّهُ لِرَجُلٍ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانَ سَهْلاً إِذَا بَاعَ سَهْلاً إِذَا اشْتَرَى سَهْلاً إِذَا اقْتَضَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা তোমাদের পূর্বকালের এক লোককে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সে যখন বিক্রয় করত নম্রতা দেখাতো, যখন ক্রয় করত বিনয় প্রদর্শন করতো এবং যখন ঋণের তাগাদা প্রদান করত তখনও নম্রতা ও ভদ্রতা প্রদর্শন করত।

 

সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২০৩), বুখারী অনুরূপ

  •  
  •  
  •  
  •  

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা উল্লেখিত সনদসূত্রে সহীহ্‌ হাসান গারীব বলেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬. অনুচ্ছেদঃ

মাসজিদের ভিতরে ক্রয়-বিক্রয় করা নিষেধ

১৩২১

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَارِمٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمْ مَنْ يَبِيعُ أَوْ يَبْتَاعُ فِي الْمَسْجِدِ فَقُولُوا لاَ أَرْبَحَ اللَّهُ تِجَارَتَكَ وَإِذَا رَأَيْتُمْ مَنْ يَنْشُدُ فِيهِ ضَالَّةً فَقُولُوا لاَ رَدَّ اللَّهُ عَلَيْكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا الْبَيْعَ وَالشِّرَاءَ فِي الْمَسْجِدِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الْبَيْعِ وَالشِّرَاءِ فِي الْمَسْجِدِ ‏.

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মসজিদের ভিতরে তোমরা কোন লোককে বেচা-কেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ্‌ তা’আলা যেন তোমার ব্যবসায়ে কোন লাভ প্রদান না করেন। মাসজিদের মধ্যে তোমরা কোন লোককে হারানো জিনিসের ঘোষণা দিতে দেখলে বলবে, তোমার হারানো জিনিসকে যেন আল্লাহ্ তা’আলা ফিরিয়ে না দেন।

 

সহীহ্‌, মিশকাত (৭৩৩), ইরওয়া (১৪৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ আলিমগণ আমল করার কথা বলেছেন। তাদের মতে মাসজিদের ভিতরে বেচা-কেনা করা নিষেধ। এই মত দিয়েছেন ইমাম আহ্‌মাদ ও ইসহাক (রহঃ)। মাসজিদের ভিতরে বেচা-কেনা করাটা অন্য একদল বিশেষজ্ঞ আলিমের মতে জায়িয।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস