৪৩. অনুচ্ছেদঃ
বৃষ্টি প্রার্থনার নামায (সালাতুল ইসতিসকা)
৫৫৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ بِالنَّاسِ يَسْتَسْقِي فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ جَهَرَ بِالْقِرَاءَةِ فِيهِمَا وَحَوَّلَ رِدَاءَهُ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَاسْتَسْقَى وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَآبِي اللَّحْمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَلَى هَذَا الْعَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَعَمُّ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ الْمَازِنِيُّ .
আব্বাদ ইবনু তামীম (রাঃ) হতে তাঁর চাচা থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের নিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য বের হলেন। তাদেরকে নিয়ে তিনি দুই রাক’আত নামায আদায় করলেন। এতে তিনি সশব্দে কিরা’আত পাঠ করলেন। তিনি তাঁর চাদর উল্টিয়ে দিলেন, দুই হাত উপরে তুললেন এবং কিবলামুখী হয়ে দু’আ করলেন।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (১২৬৭), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘আব্বাস, আবূ হুরাইরা, আনাস ও আবুল লাহাম (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদের হাদীসটি হাসান সহীহ্। ‘আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম মত দিয়েছেন। আব্বাদ ইবনু তামীমের চাচার নাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু ‘আসিম আল-মাযিনী (রাঃ)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৫৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ عَنْ آبِي اللَّحْمِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ يَسْتَسْقِي وَهُوَ مُقْنِعٌ بِكَفَّيْهِ يَدْعُو . قَالَ أَبُو عِيسَى كَذَا قَالَ قُتَيْبَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ آبِي اللَّحْمِ وَلاَ نَعْرِفُ لَهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ الْوَاحِدَ وَعُمَيْرٌ مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ قَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ وَلَهُ صُحْبَةٌ .
আবুল লাহ্ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে আহজারুয-যাইত নামক জায়গায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতে দেখলেন। তিনি দুই হাত তুলে দু’আ করলেন।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১০৬৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আমরা আবুল লাহ্মের সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই একটি মাত্র হাদীসই জেনেছি। তবে তাঁর মুক্তদাস উমাইর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং তিনি নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সান্নিধ্য লাভ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৫৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كِنَانَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَرْسَلَنِي الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَسْأَلُهُ عَنِ اسْتِسْقَاءِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مُتَبَذِّلاً مُتَوَاضِعًا مُتَضَرِّعًا حَتَّى أَتَى الْمُصَلَّى فَلَمْ يَخْطُبْ خُطْبَتَكُمْ هَذِهِ وَلَكِنْ لَمْ يَزَلْ فِي الدُّعَاءِ وَالتَّضَرُّعِ وَالتَّكْبِيرِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَمَا كَانَ يُصَلِّي فِي الْعِيدِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হিশাম ইবনু ইসহাক (রহঃ) হতে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (ইসহাক) বলেন, মাদীনার গভর্নর ওয়ালীদ ইবনু ‘উক্ববা (রাঃ) আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘বৃষ্টি প্রার্থনা’ প্রসঙ্গে জানার জন্য ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) -এর নিকটে পাঠালেন। আমি তাঁর নিকট এলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাধারণ পোশাক পরে বিনয় ও নম্রতা সহকারে বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য বের হয়ে ‘ঈদের মাঠে আসেন। তিনি তোমাদের এ খুতবা দেওয়ার মত খুতবা দেননি। বরং তিনি অবিরত দু’আ-আরাধনা ও তাকবীর বলতে থাকেন। তিনি ‘ঈদের নামাযের মত দুই রাক‘আত নামাযও আদায় করলেন।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (১২৬৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৫৯
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كِنَانَةَ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَزَادَ فِيهِ مُتَخَشِّعًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ قَالَ يُصَلِّي صَلاَةَ الاِسْتِسْقَاءِ نَحْوَ صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ يُكَبِّرُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى سَبْعًا وَفِي الثَّانِيَةِ خَمْسًا وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرُوِيَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ أَنَّهُ قَالَ لاَ يُكَبِّرُ فِي صَلاَةِ الاِسْتِسْقَاءِ كَمَا يُكَبِّرُ فِي صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ . وَقَالَ النُّعْمَانُ أَبُو حَنِيفَةَ لاَ تُصَلَّى صَلاَةُ الاِسْتِسْقَاءِ وَلاَ آمُرُهُمْ بِتَحْوِيلِ الرِّدَاءِ وَلَكِنْ يَدْعُونَ وَيَرْجِعُونَ بِجُمْلَتِهِمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى خَالَفَ السُّنَّةَ .
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
অপর একটি সূত্রে ও একই রকম হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে ‘মুতাখাশশিআন’ (ভীত-সন্ত্রস্ত) শব্দটিও উল্লেখ আছে এবং এ শেষোক্ত সূত্রে বর্ণিত হাদীসটিও হাসান সহীহ্।
এ হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম শাফিঈ বলেন, বৃষ্টি প্রার্থনার নামায দুই ‘ঈদের নামাযের নিয়মেই আদায় করতে হবে। প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর বলতে হবে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, ‘ঈদের নামাযের মত বৃষ্টি প্রার্থনার নামাযে (অতিরিক্ত) তাকবীর বলবে না। আবূ হানিফা নু‘মান বলেন, বৃষ্টি প্রার্থনার নামায নেই। আমি চাদর পরিবর্তনের আদেশও দেই না। বরং তার স্বাভাবিকভাবেই দু‘আ করবে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ তিনি সুন্নাতের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৪৪. অনুচ্ছেদঃ
সূর্যগ্রহণের নামায (সালাতুল কুসূফ)
৫৬০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ فَقَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَالأُخْرَى مِثْلُهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَالْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَبِي مَسْعُودٍ وَأَبِي بَكْرَةَ وَسَمُرَةَ وَأَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَابْنِ عُمَرَ وَقَبِيصَةَ الْهِلاَلِيِّ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . قَالَ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُسِرَّ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا بِالنَّهَارِ . وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَجْهَرَ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا كَنَحْوِ صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ وَالْجُمُعَةِ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ الْجَهْرَ فِيهَا . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يَجْهَرُ فِيهَا . وَقَدْ صَحَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كِلْتَا الرِّوَايَتَيْنِ صَحَّ عَنْهُ أَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . وَصَحَّ عَنْهُ أَيْضًا أَنَّهُ صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . وَهَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ جَائِزٌ عَلَى قَدْرِ الْكُسُوفِ إِنْ تَطَاوَلَ الْكُسُوفُ فَصَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ فَهُوَ جَائِزٌ وَإِنْ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ وَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ فَهُوَ جَائِزٌ . وَيَرَوْنَ أَصْحَابُنَا أَنْ تُصَلَّى صَلاَةُ الْكُسُوفَ فِي جَمَاعَةٍ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যগ্রহণকালে নামায আদায় করলেন। তিনি কিরা‘আত পাঠ করলেন, তারপর রুকূ করলেন, আবার কিরা‘আত পাঠ করলেন, তারপর রুকূ করলেন, আবার কিরা‘আত পাঠ করলেন, তারপর রুকূ করলেন, তারপর দুটি সাজদাহ্ করলেন। দ্বিতীয় রাক‘আতও তিনি এভাবেই আদায় করলেন।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাউদ- (১০৭২), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আলী, ‘আয়িশাহ্, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর, নুমান ইবনু বাশীর, মুগীরা ইবনু শু‘বা, আবূ মাসঊদ, আবূ বাকরা, সামুরা, ইবনু মাসঊদ, আসমা বিনতু আবূ বাক্র, ইবনু ‘উমার, কাবীসা, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ, আবূ মূসা, ‘আবদুর রহমান ইবনু সামূরা ও উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘আব্বাসের হাদীসটি হাসান সহীহ্।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে এও বর্ণিত আছে, “নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চার রুকূতে চার রাক‘আত সূর্যগ্রহণের নামায আদায় করেছেন।” ইমাম শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম কথা বলেছেন। সূর্যগ্রহণের নামাযের কিরা‘আত প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। একদল বলেছেন, দিনের বেলা অপরিস্ফুট স্বরে কিরা‘আত পাঠ করবে। অপর দল বলেছেন, দুই ‘ঈদ ও জুমু‘আর নামাযের মত এ নামাযেও স্পষ্ট স্বরে কিরা‘আত পাঠ করবে। ইমাম মালিক, আহমাদ এবং ইসহাক উচ্চস্বরে কিরা‘আত পাঠের সমর্থক। ইমাম শাফিঈ বলেন, কিরা‘আত স্বরবে পড়বে না। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উভয় মতই বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত হয়েছে। যেমন, ‘তিনি চার রুকু‘তে দুই রাক‘আত নামায আদায় করেছেন।”
অপর বর্ণনায় আছে- “তিনি ছয় রুকু‘তে দুই রাক‘আত নামায আদায় করেছেন।”
বিশেষজ্ঞদের মতে এর প্রতিটি পদ্ধতিই জায়িয। এটা সূর্যগ্রহণের সময়সীমার উপর নির্ভর করবে। গ্রহণ দীর্ঘায়িত হলে চার ছয় রুকু‘তে দুই রাক‘আত আদায় করাও জায়িয। আবার চার রুকু‘তে ও দীর্ঘ কিরা‘আতে দুই রাক‘আত আদায় করাও জায়িয। আমাদের সঙ্গীরা সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের নামায জামা‘আতে আদায় করার পক্ষে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ وَهِيَ دُونَ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ صَلاَةَ الْكُسُوفِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . قَالَ الشَّافِعِيُّ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ سِرًّا إِنْ كَانَ بِالنَّهَارِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا كَمَا هُوَ وَقَرَأَ أَيْضًا بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ” . ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ تَامَّتَيْنِ وَيُقِيمُ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ نَحْوًا مِمَّا أَقَامَ فِي رُكُوعِهِ ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا ثُمَّ قَرَأَ نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَالَ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ” . ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ وَسَلَّمَ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূল্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুযে সূর্যগ্রহণ হল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের নিয়ে (জামা‘আতে) নামায আদায় করলেন। তিনি অধিক সময় ধরে কিরা‘আত পাঠ করলেন, তারপর রুকূ করলেন এবং দীর্ঘসময় রুকূতে থাকলেন, তারপর মাথা তুললেন (রুকূ’ হতে উঠলেন)। তিনি আবার দীর্ঘ কিরা‘আত পাঠ করলেন কিন্তু প্রথমবারের চেয়ে কম লম্বা করলেন, তারপর রুকূতে গেলেন এবং দীর্ঘ সময় রুকূতে থাকলেন, কিন্তু আগের চেয়ে সংক্ষেপে করলেন। তারপর তিনি রুকূ থেকে মাথা তুলে সাজদাহ্তে গেলেন। তিনি দ্বিতীয় রাক‘আতও উল্লেখিত পদ্ধতিতে আদায় করলেন।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১০৭১), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, সূর্যগ্রহণের নামায চার রুকূ ও চার সিজদায় আদায় করবে। শাফিঈ আরো বলেছেন, প্রথম রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর সূরা আল-বাকারার মতো যে কোন লম্বা সূরা পাঠ করবে। দিনে হলে নীরবে কিরা‘আত পাঠ করবে। তারপর রুকূতে গিয়ে কিরা‘আত পাঠের পরিমাণ সময় রুকূতে থাকবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে মাথা তুলে দাঁড়াবে এবং সূরা ফাতিহার পর সূরা আলে-ইমরানের মতো লম্বা সূরা পাঠ করবে। তারপর রুকূতে গিয়ে কিরা‘আত পাঠের পরিমাণ সময় রুকূতে থাকবে। তারপর ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে মাথা তুলবে। তারপর দুটি পূর্ণাঙ্গ সাজদাহ্ করবে এবং প্রত্যেক সাজদাহ্তে রুকূর পরিমাণ সময় থাকবে। অতঃপর দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহার পর সূরা আন-নিসার মতো লম্বা সূরা পাঠ করবে, তারপর কিরা‘আতের মতো লম্বা রুকূ করবে। তারপর আল্লাহু আকবার’ বলে মাথা তুলে দাঁড়াবে। তারপর সূরা মায়িদার মতো লম্বা সূরা পাঠ করবে, রুকূও কিরা‘আতের মতো লম্বা করবে। অতঃপর মাথা তুলবে এবং ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’ বলবে। অতঃপর দুটি সাজদাহ্ করে, তাশাহ্হুদ পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে নামায সমাপ্ত করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৫. অনুচ্ছেদঃ
সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের নামাযের কিরা‘আতের ধরণ
৫৬২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ عِبَادٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي كُسُوفٍ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ .
সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সূর্যগ্রহণের নামায আদায় করালেন। কিন্তু আমরা তাঁর (কির’আত পাঠের) কোন আওয়াজ শুনতে পাইনি।
যঈফ,ইবনু মাজাহ (১২৬৪)।
এ অনুচ্ছেদে আইশা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ সামুরার হাদীসটি হাসান, সহীহ। একদল আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করার কথা বলেছেন। ইমাম শাফিঈর এটাই মত (নিঃশব্দে কিরা’আত পাঠ করবে)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ صَدَقَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى صَلاَةَ الْكُسُوفِ وَجَهَرَ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَاهُ أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ نَحْوَهُ . وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের নামায আদায় করলেন এবং তাতে সুস্পষ্ট আওয়াজে কিরা‘আত পাঠ করলেন।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১০৭৪), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবূ ইসহাক আল-ফাযারী হতে সুফিয়ান ইবনু হুসাইনের সূত্রেও একইভাবে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম মালিক, আহমাদ ও ইসহাক সুস্পষ্ট স্বরে কিরা‘আত পাঠের সমর্থক।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৬. অনুচ্ছেদঃ
শংকাকালীন নামায (সালাতুল খাওফ)
৫৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى صَلاَةَ الْخَوْفِ بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةً وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى مُوَاجِهَةُ الْعَدُوِّ ثُمَّ انْصَرَفُوا فَقَامُوا فِي مَقَامِ أُولَئِكَ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً أُخْرَى ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ فَقَامَ هَؤُلاَءِ فَقَضَوْا رَكْعَتَهُمْ وَقَامَ هَؤُلاَءِ فَقَضَوْا رَكْعَتَهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَ هَذَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَحُذَيْفَةَ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَسَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ وَأَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ وَاسْمُهُ زَيْدُ بْنُ صَامِتٍ وَأَبِي بَكْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ ذَهَبَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ إِلَى حَدِيثِ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَلاَةُ الْخَوْفِ عَلَى أَوْجُهٍ وَمَا أَعْلَمُ فِي هَذَا الْبَابِ إِلاَّ حَدِيثًا صَحِيحًا وَأَخْتَارُ حَدِيثَ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ . وَهَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ ثَبَتَتِ الرِّوَايَاتُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ . وَرَأَى أَنَّ كُلَّ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ فَهُوَ جَائِزٌ وَهَذَا عَلَى قَدْرِ الْخَوْفِ . قَالَ إِسْحَاقُ وَلَسْنَا نَخْتَارُ حَدِيثَ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَلَى غَيْرِهِ مِنَ الرِّوَايَاتِ .
সালিম (রহঃ) থেকে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই দলের মধ্য থেকে এক দলের সাথে এক রাক‘আত নামায আদায় করলেন। এ সময় অপর দল শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকলো। তারপর প্রথম দল এক রাক‘আত আদায় করে দ্বিতীয দলের জায়গায় অপেক্ষায় থাকল। দ্বিতীয় দল আসলে তিনি তাদের সাথে দ্বিতীয় রাক‘আত নামায আদায় করে সালাম ফিরান। তারা উঠে নিজেদের বাকী রাক‘আত পূর্ণ করলো। তারপর তারা আবার অপেক্ষায় থাকলো এবং প্রথম দল এসে তাদের বাকি রাক‘আত পূর্ণ করলো।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১১৩২), ইরওয়া- (৩/৫০), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি সহীহ্।
মূসা ইবনু উক্ববার সূত্রেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে জাবির, হুযাইফা, যাইদ ইবনু সাবিত, ইবনু ‘আব্বাস, আবূ হুরাইরা, ইবনু মাসঊদ, সাহল ইবনু আবূ হাসমা, আবূ ‘আইয়াশ আয-যুরাকী ও আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
ইমাম মালিক বিপদকালীন নামাযের ব্যাপারে সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) -এর হাদীসের অবলম্বন করেছেন। ইমাম শাফিঈও তাঁর অনুসরণ করেছেন। ইমাম আহমাদ বলেছেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে বিপদকালীন নামাযের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি বর্ণিত আছে। আমি এগুলোর মধ্যে শুধু সাহল ইবনু আবূ হাসমার হাদীসকেই সহীহ্ মনে করি। অনুরূপভাবে ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেছেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে বিপদকালীন নামাযের বেশ কয়েকটি পদ্ধতিই বর্ণিত আছে। এগুলোর যে কোন পদ্ধতিতেই নামায আদায় করা যায়। এটা বিপদকালীন অবস্থার উপর নির্ভর করবে। তিনি আরো বলেছেন, আমি অন্যান্য বর্ণনার উপর সাহলের বর্ণনাকে প্রাধান্য দেই না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُ قَالَ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ قَالَ يَقُومُ الإِمَامُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ وَتَقُومُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ مِنْ قِبَلِ الْعَدُوِّ وَوُجُوهُمْ إِلَى الْعَدُوِّ فَيَرْكَعُ بِهِمْ رَكْعَةً وَيَرْكَعُونَ لأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً وَيَسْجُدُونَ لأَنْفُسِهِمْ سَجْدَتَيْنِ فِي مَكَانِهِمْ ثُمَّ يَذْهَبُونَ إِلَى مَقَامِ أُولَئِكَ وَيَجِيءُ أُولَئِكَ فَيَرْكَعُ بِهِمْ رَكْعَةً وَيَسْجُدُ بِهِمْ سَجْدَتَيْنِ فَهِيَ لَهُ ثِنْتَانِ وَلَهُمْ وَاحِدَةٌ ثُمَّ يَرْكَعُونَ رَكْعَةً وَيَسْجُدُونَ سَجْدَتَيْنِ .
সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বিপদকালীন নামায সম্পর্কে বলেন, ইমাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে। একদল তার সাথ দাঁড়াবে এবং অপর দল শত্রুকে বাধা দান করবে। তাদের অবস্থান শত্রুর দিকে থাকবে। ইমাম প্রথম দলের সাথে এক রাক‘আত আদায় করবে, তারপর মুক্তাদীরা এক রুকূ ও দুই সাজদাহ্ করবে (আরো এক রাক‘আত আদায় করবে)। অতঃপর তারা গিয়ে প্রতিরক্ষা বুহ্য রচনা করবে এবং দ্বিতীয় দল আসলে ইমাম তাদের সাথে আর এক রাক‘আত নামায আদায় করবে। তাদের সাথে দুটি সাজদাহ্ করবে, এতে তার দুই রাক‘আত পূর্ণ হবে এবং তাদের হবে এক রাক‘আত। অতঃপর তারা আরো এক রাক‘আত আদায় করবে এবং দুটি সাজদাহ্ করবে।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (১২৫৯), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৬
قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ سَأَلْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَحَدَّثَنِي عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ . وَقَالَ لِي يَحْيَى اكْتُبْهُ إِلَى جَنْبِهِ وَلَسْتُ أَحْفَظُ الْحَدِيثَ وَلَكِنَّهُ مِثْلُ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . لَمْ يَرْفَعْهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَهَكَذَا رَوَى أَصْحَابُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ مَوْقُوفًا وَرَفَعَهُ شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ .
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ অন্য সূত্রে এ হাদীসটি সাহল ইবনু হাসমার হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন। তিনি আমাকে আরো বলেন, এ হাদীসটি ঐ হাদীসটির পাশাপাশিই লিখে নাও। হাদীসটি আমার মনে না থাকলেও এটা ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ আল-আনাসারীর হাদীসের মতই ছিল।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান সহীহ্ । ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-আনাসারী এ হাদীসটি কাসিম ইবনু মুহাম্মাদের সূত্রে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেননি। আনসারীর সাথীরা এ হাদীসটি মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু শু‘বা এটিকে ‘আবদুর রহমান ইবনুল কাসিম ইবনু মুহাম্মাদের সূত্রে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫৬৭
وَرَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَمَّنْ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَرُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةً رَكْعَةً فَكَانَتْ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَانِ وَلَهُمْ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى أَبُو عَيَّاشٍ الزُّرَقِيُّ اسْمُهُ زَيْدُ بْنُ صَامِتٍ .
ইমাম মালিক থেকে বর্ণিতঃ
ইমাম মালিক তাঁর সনদ পরম্পরায় এ হাদীসের মতো হাদীস এমন একজন সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন যিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সালাতুল খাওফ (শংকাকালীন নামায) আদায় করেছেন।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ বর্ণনাটিও হাসান সহীহ্। ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এ হাদীস অনুযায়ী সালাতুল খাওফ আদায় করার কথা বলেছেন। আরো কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত আছে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক এক দলের সাথে এক এক রাক’আত নামায আদায় করেছেন। এভাবে তাঁর দুই রাক’আত পূর্ণ হয়েছে এবং মুক্তাদীদের এক রাক’আত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৪৭. অনুচ্ছেদঃ
কুরআনের সিজদাসমুহ
৫৬৮
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عُمَرَ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ سَجَدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى عَشْرَةَ سَجْدَةً مِنْهَا الَّتِي فِي النَّجْمِ .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে (কুরাআনে) এগারটি সিজদা করেছি যার মধ্যে সূরা নাজমের সিজদাটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
যঈফ, ইবনু মাজাহ(১০৫৫)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৬৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عُمَرَ، وَهُوَ ابْنُ حَيَّانَ الدِّمَشْقِيُّ قَالَ سَمِعْتُ مُخْبِرًا، يُخْبِرُ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِلَفْظِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ وَكِيعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي الدَّرْدَاءِ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ عَنْ عُمَرَ الدِّمَشْقِيِّ .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ দারদা (রাঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে………পূর্বোক্ত হাদীসের মতো।
যঈফ, প্রাগুক্ত।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি পূর্ব বর্ণিত আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াহাবের হাদীস হতে বেশী সহীহ। তিনি আরও বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আলী, ইবনু আব্বাস, আবূ হুরাইরাহ, ইবনু মাসঊদ, যাইদ ইবনু সাবিত এবং আমর ইবনু আস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি আরও বলেনঃ আবূ দারদার এ হাদিসটি গারীব। এটি আমরা কেবল উমার ইবনু হায়্যান আদ-দিমাশকীর বরাতে সাঈদ ইবনু আবূ হিলাল হতেই জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮. অনুচ্ছেদঃ
মহিলাদের মসজিদে যাতায়াত
৫৭০
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ ابْنِ عُمَرَ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ ايذَنُوا لِلنِّسَاءِ بِاللَّيْلِ إِلَى الْمَسَاجِدِ ” . فَقَالَ ابْنُهُ وَاللَّهِ لاَ نَأْذَنُ لَهُنَّ يَتَّخِذْنَهُ دَغَلاً . فَقَالَ فَعَلَ اللَّهُ بِكَ وَفَعَلَ أَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَقُولُ لاَ نَأْذَنُ لَهُنَّ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক সময় আমরা ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর কাছে হাজির ছিলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মহিলাদেরকে রাতের বেলা মসজিদে যাওয়ার সম্মতি দাও। তাঁর (ইবনু উমারের) ছেলে বললো, আল্লাহ তা’আলার কসম! তাদেরকে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি কখনো দিব না। কেননা তারা এটাকে মওকা হিসেবে গ্রহন করবে। ইবনু ‘উমার বললেন, আল্লাহ তোমার অমঙ্গল করেছেন এবং করবেন! আমি বলছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন (অনুমতি দিতে), আর তুমি বলছো, অনুমতি দিব না।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাউদ- (৫৭৭), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদের স্ত্রী যাইনাব ও যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে ও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু উমারের হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯. অনুচ্ছেদঃ
মসজিদে থুথু ফেলা মাকরূহ
৫৭১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُحَارِبِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا كُنْتَ فِي الصَّلاَةِ فَلاَ تَبْزُقْ عَنْ يَمِينِكَ وَلَكِنْ خَلْفَكَ أَوْ تِلْقَاءَ شِمَالِكَ أَوْ تَحْتَ قَدَمِكَ الْيُسْرَى ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ طَارِقٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لَمْ يَكْذِبْ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ فِي الإِسْلاَمِ كَذْبَةً . قَالَ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ أَثْبَتُ أَهْلِ الْكُوفَةِ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ .
তারিক ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-মুহারিবী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি নামায আদায়কালে তোমার ডান দিকে থুথু ফেল না, বরং তোমার পিছনে অথবা বাঁ দিকে অথবা বাঁ পায়ের নীচে থুথু ফেল।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (১০২১)।
এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ, ইবনু উমার, আনাস ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ তারিকের হাদীসটি হাসান সহীহ্। আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করার কথা বলেছেন। ওয়াকী (রহঃ) বলেন, রিবঈ ইবনু হিরাশ (খিরাশ) ইসলামে কখনও মিথ্যা বলেননি। ‘আবদুর রহমান ইবনু মাহদী বলেন, কুফায় সবচেয়ে বিশ্বস্ত হলেন, মানসূর ইবনুল মু’তামির।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْبُزَاقُ فِي الْمَسْجِدِ خَطِيئَةٌ وَكَفَّارَتُهَا دَفْنُهَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মসজিদে থুথু ফেলা গুনাহের কাজ। এর জরিমানা হলো তা মাটিতে পুঁতে ফেলা।
-সহীহ্। রওজ- (৪৮), সহীহ্ আবূ দাউদ- (৪৯৪), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০. অনুচ্ছেদঃ
সূরা ইনশিকাক ও সূরা ইকরার সাজদাহ্ প্রসঙ্গে
৫৭৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَطَاءِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَجَدْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي (اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ ) وَ (إِذََا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ )
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ‘ইক্বরা বিসমি রব্বিকা’ ও ‘ইযাস সামাউন শাক্কাত’ সূরা দুটিতে সাজদাহ্ করেছি।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (১০৫৮), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، هُوَ ابْنُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَرَوْنَ السُّجُودَ فِي(إِذََا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ ) وَ (اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ ) . وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَرْبَعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ بَعْضُهُمْ عَنْ بَعْضٍ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অপর একটি সূত্রে আবূ হুরাইরার নিকট হতেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসের সনদে চারজন তাবিঈ রয়েছেন তারা পরস্পরের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন। বেশিরভাগ বিদ্বান এ হাদীসের উপর আমল করেছেন তাদের মতে উল্লেখিত সূরা দুটিতে সাজদাহ্ আছে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫১. অনুচ্ছেদঃ
সূরা আন্-নাজমের সাজদাহ্
৫৭৫
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَزَّازُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا – يَعْنِي النَّجْمَ – وَالْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ وَالْجِنُّ وَالإِنْسُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَرَوْنَ السُّجُودَ فِي سُورَةِ النَّجْمِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ لَيْسَ فِي الْمُفَصَّلِ سَجْدَةٌ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ وَبِهِ يَقُولُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা নাজম-এ সাজদাহ্ করেছেন। মুসলিম, মুশরিক, জ্বিন ও মানুষ সবাই তাঁর সাথে সাজদাহ্ করেছেন।
-সহীহ্। বুখারী, কিস্সাতুল গারানীক-(১৮, ২৫, ৩১ পৃঃ), বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। একদল বিদ্বানের মতে সূরা নাজম-এ সাজদাহ্ রয়েছে। একদল সাহাবা ও তাবিঈনের মতে মুফাসসাল সূরাসমূহে কোন সাজদাহ্ নেই। মালিক ইবনু আনাস এই মতের সমর্থক। কিন্তু প্রথম দলের মতই বেশি সহীহ্। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ ও আহমাদ প্রথম মতের সমর্থক। (অর্থাৎ মুফাসসাল সূরায় সাজদাহ্ আছে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২. অনুচ্ছেদঃ
যে ব্যক্তি সূরা নাজমে সাজদাহ্ করে না
৫৭৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّجْمَ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَتَأَوَّلَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ إِنَّمَا تَرَكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السُّجُودَ لأَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ حِينَ قَرَأَ فَلَمْ يَسْجُدْ لَمْ يَسْجُدِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . وَقَالُوا السَّجْدَةُ وَاجِبَةٌ عَلَى مَنْ سَمِعَهَا فَلَمْ يُرَخِّصُوا فِي تَرْكِهَا . وَقَالُوا إِنْ سَمِعَ الرَّجُلُ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ فَإِذَا تَوَضَّأَ سَجَدَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِنَّمَا السَّجْدَةُ عَلَى مَنْ أَرَادَ أَنْ يَسْجُدَ فِيهَا وَالْتَمَسَ فَضْلَهَا وَرَخَّصُوا فِي تَرْكِهَا إِنْ أَرَادَ ذَلِكَ . وَاحْتَجُّوا بِالْحَدِيثِ الْمَرْفُوعِ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَيْثُ قَالَ قَرَأْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم النَّجْمَ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا . فَقَالُوا لَوْ كَانَتِ السَّجْدَةُ وَاجِبَةً لَمْ يَتْرُكِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَيْدًا حَتَّى كَانَ يَسْجُدُ وَيَسْجُدُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ عُمَرَ أَنَّهُ قَرَأَ سَجْدَةً عَلَى الْمِنْبَرِ فَنَزَلَ فَسَجَدَ ثُمَّ قَرَأَهَا فِي الْجُمُعَةِ الثَّانِيَةِ فَتَهَيَّأَ النَّاسُ لِلسُّجُودِ فَقَالَ إِنَّهَا لَمْ تُكْتَبْ عَلَيْنَا إِلاَّ أَنْ نَشَاءَ . فَلَمْ يَسْجُدْ وَلَمْ يَسْجُدُوا . فَذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ .
যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে সূরা নাজম পাঠ করে শুনালাম, কিন্তু তিনি সাজদাহ্ করেননি।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১২৬৬), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ যাইদ ইবনু সাবিতের হাদীসটি হাসান সহীহ্। কিছু আলিম উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, যেহেতু যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) সাজদাহ্ করেননি তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও সাজদাহ্ করেননি। তাদের মতে তিলাওয়াতকারী সিজদা না করলে শ্রোতার উপর সাজদাহ্ করা ওয়াজিব হয় না। কতক বলেন, শ্রবণকারীর উপরও সাজদাহ্ করা ওয়াজিব, এটা ছেড়ে দেয়ার কোন অনুমতি নেই। যদি ওযূহীন অবস্থায় শুনে তবে ওযূ করার পর সাজদাহ্ করবে। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ একথা বলেছেন। ইসহাকও একই রকম মত দিয়েছেন। অপর একদল বিদ্বান বলেছেন, যে ব্যক্তি সাজদাহ্ করতে চায় এবং তার ফাযীলাত (সাওয়াব) লাভের ইচ্ছে করে শুধুমাত্র সেই সাজদাহ্ করবে। সাজদাহ্ ছেড়ে দেয়ারও অনুমতি আছে। অর্থাৎ সে ইচ্ছা করলে সাজদাহ্ নাও করতে পারে। তাঁর উপরে উল্লেখিত যাইদ (রাঃ) -এর মারফূ হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেন, যদি সাজদাহ্ করা ওয়াজিব হতো তবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাইদ (রাঃ) -কে সাজদাহ্ করতে বাধ্য করতেন এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেও সাজদাহ্ করতেন।
তাঁরা উমার (রাঃ) -এর হাদীসও নিজেদের দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
“তিনি মিম্বারের উপর (জুমু‘আর খুতবায়) সাজদাহ্র আয়াত পাঠ করলেন, তারপর মিম্বার থেকে নেমে সাজদাহ্ করলেন। উল্লেখিত সাজদাহ্র আয়াতটি তিনি (উমার) পরবর্তী জুমু‘আর দিনও (খুতবার মধ্যে) পাঠ করলেন। লোকেরা সাজদাহ্ দেওয়ার প্রস্তুতি নিল। তিনি বললেন, সাজদাহ্ করা আমাদের জন্য আবশ্যক নয়, হ্যাঁ, যে চায় (সে করতে পারে)। উমার (রাঃ) -ও সাজদাহ্ করলেন না এবং লোকেরাও সাজদাহ্ করলো না।” (বুখারীতেও এ হাদীস উল্লেখিত হয়েছে)। একদল আলিম এই মত অবলম্বন করেছেন। ইমাম শাফিঈ এবং আহমাদও এ মত সমর্থন করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩. অনুচ্ছেদঃ
সূরা সা’দ -এর সাজদাহ্
৫৭৭
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ فِي ص . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَلَيْسَتْ مِنْ عَزَائِمِ السُّجُودِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي ذَلِكَ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنْ يَسْجُدَ فِيهَا . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّهَا تَوْبَةُ نَبِيٍّ وَلَمْ يَرَوُا السُّجُودَ فِيهَا .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসল্লামকে সূরা ‘সা’দ’ -এ সাজদাহ্ করতে দেখেছি। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ এটা ওয়াজিব সাজদাহ্র অন্তর্ভুক্ত নয়।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১২৭০)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। উল্লেখিত সাজদাহ্ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। একদল সাজদাহ্ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এই মতের পক্ষপাতি। অপর দল বলেছেন, এটাতো একজন নাবীর (দাঊদ আলাইহিস্ সালামের) তাওবাহ্র সাজদাহ্ ছিল। অতএব এ সূরায় কোন সাজদাহ্ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪. অনুচ্ছেদঃ
সূরা হাজ্জের সাজদাহ্
৫৭৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فُضِّلَتْ سُورَةُ الْحَجِّ بِأَنَّ فِيهَا سَجْدَتَيْنِ قَالَ “ نَعَمْ وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْهُمَا فَلاَ يَقْرَأْهُمَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ الْقَوِيِّ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا فَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَابْنِ عُمَرَ أَنَّهُمَا قَالاَ فُضِّلَتْ سُورَةُ الْحَجِّ بِأَنَّ فِيهَا سَجْدَتَيْنِ . وَبِهِ يَقُولُ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَرَأَى بَعْضُهُمْ فِيهَا سَجْدَةً وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكٍ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ .
উকবা ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! সূরা হাজ্জকে অত্যন্ত অধিক মর্যাদা দেয়া হয়েছে। কেননা এর মধ্যে দুটি সাজদাহ্ রয়েছে। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। যে ব্যক্তি এই সাজদাহ্ দুটো না করে সে যেন এই দুটো (সাজদাহ্র আয়াত) পাঠ না করে।
-হাসান। সহীহ আবূ দাঊদ- (১২৬৫), মিশকাত- (১০৩০)
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটির সনদ খুব একটা শক্তিশালী নয়। সূরা হাজ্জের সাজদাহ্র ব্যাপারে ‘আলিমদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। ‘উমার ইবনুল খাত্তাব ও ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, সূরা হাজ্জকে সম্মানিত করা হয়েছে। কারণ এতে দুটো সাজদাহ্ রয়েছে। ইবনুল মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম কথা বলেছেন। অপর এক দল বলেছেন, সূরা হাজ্জে একটি মাত্র সাজদাহ্। সুফিয়ান সাওরী, মালিক ও কুফাবাসীগণ এই মত গ্রহণ করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫৫. অনুচ্ছেদঃ
তিলাওয়াতের সিজদায় পাঠের দু’আ
৫৭৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ خُنَيْسٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، قَالَ قَالَ لِي ابْنُ جُرَيْجٍ يَا حَسَنُ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَأَيْتُنِي اللَّيْلَةَ وَأَنَا نَائِمٌ كَأَنِّي أُصَلِّي خَلْفَ شَجَرَةٍ فَسَجَدْتُ فَسَجَدَتِ الشَّجَرَةُ لِسُجُودِي فَسَمِعْتُهَا وَهِيَ تَقُولُ اللَّهُمَّ اكْتُبْ لِي بِهَا عِنْدَكَ أَجْرًا وَضَعْ عَنِّي بِهَا وِزْرًا وَاجْعَلْهَا لِي عِنْدَكَ ذُخْرًا وَتَقَبَّلْهَا مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَهَا مِنْ عَبْدِكَ دَاوُدَ . قَالَ الْحَسَنُ قَالَ لِي ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ لِي جَدُّكَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَرَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَجْدَةً ثُمَّ سَجَدَ . قَالَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَسَمِعْتُهُ وَهُوَ يَقُولُ مِثْلَ مَا أَخْبَرَهُ الرَّجُلُ عَنْ قَوْلِ الشَّجَرَةِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি আজ রাতে নিজেকে স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি ঘুমিয়ে আছি, আমি যেন একটি গাছের পিছনে নামায আদায় করছি। আমি তিলাওয়াতের সাজদাহ্ করলাম এবং গাছটিও আমার সাজদাহ্র সাথে সাথে সাজদাহ্ করলো। আমি গাছটিকে বলতে শুনলাম- “হে আল্লাহ! এই সাজদাহ্র বিনিময়ে তোমার কাছে আমার জন্য সাওয়াব নির্ধারণ করে রাখ, এর বিনিময়ে আমার একটি গুনাহ দূর কর, এটাকে তোমার কাছে আমার জন্য সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখ এবং এটা আমার নিকট হতে গ্রহণ করে নাও, যেভাবে তুমি তোমার বান্দা দাঊদ (আঃ) -এর নিকট গ্রহণ করেছিলে।” ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাজদাহ্র আয়াত পাঠ করলেন এবং সাজদাহ্ করলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আবার বললেন, আমি তাঁকে তখন সেই গাছের দু’আটির মতো পাঠ করতে শুনলাম, যে সম্পর্কে ইতিপূর্বে লোকটি তাঁকে জানিয়েছিল।
-হাসান। ইবনু মাজাহ- (১০৫৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। উপরোক্ত সূত্রেই কেবল আমরা হাদীসটি জেনেছি। এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫৮০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ بِاللَّيْلِ “ سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা তিলাওয়াতের সাজদাহতে এই দু‘আ পাঠ করতেনঃ “আমার চেহারা সেই মহান সত্তার জন্য সাজদাহ্ করলো যিনি নিজ শক্তি ও সামর্থ্যে একে সৃষ্টি করেছেন এবং এতে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দান করেছেন।”
-সহীহ। সহীহ আবূ দাঊদ- (১২৭৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬. অনুচ্ছেদঃ
কারো রাতের নিয়মিত তিলাওয়াত ছুটে গেলে সে তা দিনে পূর্ণ করে নিবে
৫৮১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ، وَعُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَخْبَرَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ نَامَ عَنْ حِزْبِهِ أَوْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ فَقَرَأَهُ مَا بَيْنَ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَصَلاَةِ الظُّهْرِ كُتِبَ لَهُ كَأَنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيْلِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَأَبُو صَفْوَانَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْمَكِّيُّ وَرَوَى عَنْهُ الْحُمَيْدِيُّ وَكِبَارُ النَّاسِ .
আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদুল ক্বারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের নিয়মিত ও নির্দিষ্ট পরিমাণ (কুরআন) তিলাওয়াত অথবা তার অংশবিশেষ বাকী রেখে ঘুমিয়ে গেল এবং ফজর ও যুহরের মাঝামাঝি সময়ে তা পাঠ করে নিল, সে যেন তা রাতেই পাঠ করে নিয়েছে বলে গণ্য হবে।
-সহীহ। ইবনু মাজাহ- (১৩৪৩), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবূ সাফওয়ানের নাম ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনু সাঈদ, হুমাইদীসহ স্বনামধন্য ইমামগণ তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭. অনুচ্ছেদঃ
ইমামের আগে রুকূ-সাজদাহ্ হতে মাথা উত্তোলনকারীর প্রতি কঠোর হুশিয়ারী
৫৮২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، وَهُوَ أَبُو الْحَارِثِ الْبَصْرِيُّ ثِقَةٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم ” أَمَا يَخْشَى الَّذِي يَرْفَعُ رَأْسَهُ قَبْلَ الإِمَامِ أَنْ يُحَوِّلَ اللَّهُ رَأْسَهُ رَأْسَ حِمَارٍ ” . قَالَ قُتَيْبَةُ قَالَ حَمَّادٌ قَالَ لِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ وَإِنَّمَا قَالَ ” أَمَا يَخْشَى ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَمُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ هُوَ بَصْرِيٌّ ثِقَةٌ وَيُكْنَى أَبَا الْحَارِثِ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমামের আগে (রুকূ-সাজদাহ্ থেকে) মাথা উত্তোলনকারীর কি ভয় নেই যে, আল্লাহ্ তা’আলা তার মাথাকে গাধার মাথায় রূপান্তরিত করে দিবেন?
-সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৯৬১), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) ‘আমা ইয়াখশা’ (সে কি ভয় করে না) শব্দ বলেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮. অনুচ্ছেদঃ
ফরয নামায আদায় করার পর আবার লোকদের ইমামতি করা
৫৮৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، كَانَ يُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَغْرِبَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى قَوْمِهِ فَيَؤُمُّهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَصْحَابِنَا الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا إِذَا أَمَّ الرَّجُلُ الْقَوْمَ فِي الْمَكْتُوبَةِ وَقَدْ كَانَ صَلاَّهَا قَبْلَ ذَلِكَ أَنَّ صَلاَةَ مَنِ ائْتَمَّ بِهِ جَائِزَةٌ . وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ جَابِرٍ فِي قِصَّةِ مُعَاذٍ وَهُوَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ جَابِرٍ . وَرُوِيَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَالْقَوْمُ فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ وَهُوَ يَحْسَبُ أَنَّهَا صَلاَةُ الظُّهْرِ فَائْتَمَّ بِهِمْ قَالَ صَلاَتُهُ جَائِزَةٌ . وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِذَا ائْتَمَّ قَوْمٌ بِإِمَامٍ وَهُوَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهَا الظُّهْرُ فَصَلَّى بِهِمْ وَاقْتَدَوْا بِهِ فَإِنَّ صَلاَةَ الْمُقْتَدِي فَاسِدَةٌ إِذِ اخْتَلَفَ نِيَّةُ الإِمَامِ وَنِيَّةُ الْمَأْمُومِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মাগরিবের নামায আদায় করতেন, তারপর নিজের গোত্রে গিয়ে তাদের ইমামতি করতেন।
-সহীহ। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (৭৫৬), বুখারী ও মুসলিম আরো পূর্ণরূপে।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। আমাদের সঙ্গী ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তাঁরা বলেছেন, কোন ব্যক্তি ফরয নামায আদায় করার পর আবার ইমাম হয়ে সে যদি ঐ নামায আদায় করায় তবে তার পিছনে ইকতিদাকারীদের নামায আাদয় হয়ে যাবে। তাঁরা উপরের হাদীস নিজেদের দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এটা একটা সহীহ হাদীস। আর এটা বেশ কয়েকটি সূত্রে জাবির (রাঃ) -হতে বর্ণিত হয়েছে।
“আবূ দারদা (রাঃ) -কে প্রশ্ন করা হলো, এক ব্যক্তি মসজিদে গেল, লোকেরা তখন ‘আসরের নামায আদায় করছিল। সে ধারণা করলো তারা যুহরের নামায আাদায় করছে। সে জামা‘আতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে নামায আদায় করলো (তার নামাযের হুকুম কি)। তিনি বলেন, তার নামায জায়িয হয়েছে।”
কুফাবাসীদের একদল বলেছেন, একদল লোক ইমামের পিছনে এসে ইকতিদা করলো। সে তখন ‘আসরের নামায আদায় করছিল। তারা মনে করলো, সে (ইমাম) যুহরের নামায আাদায় করছে। সে তাদের নামায আদায় করালো এবং তারাও তার পিছনে ইকতিদা করলো। এ অবস্থায় তাদের নামায ফাসিদ (নষ্ট) হয়ে যাবে। কেননা ইমাম ও মুক্তাদীদের নিয়্যাতের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি হয়ে গেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯. অনুচ্ছেদঃ
গরম অথবা ঠাণ্ডার কারণে কাপড়ের উপর সাজদাহ করার অনুমতি আছে
৫৮৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي غَالِبٌ الْقَطَّانُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالظَّهَائِرِ سَجَدْنَا عَلَى ثِيَابِنَا اتِّقَاءَ الْحَرِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ . وَقَدْ رَوَى وَكِيعٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা গরমের দিনে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে নামায আদায়কালে গরম থেকে বাঁচার জন্য কাপড়ের উপর সাজদাহ করতাম।
-সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১০৩৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু আবদুল্লাহ ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। উল্লেখিত হাদীসটি ওয়াকী’ (রহঃ) খালিদ ইবনু ‘আবদুর রহমানের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০. অনুচ্ছেদঃ
ফজরের নামায আদায়ের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত মসজিদে বসে থাকা মুস্তাহাব
৫৮৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الْفَجْرَ قَعَدَ فِي مُصَلاَّهُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায আদায়ের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত নিজের নামাযের জায়গায় বসে থাকতেন।
-সহীহ। সহীহ আবু দাঊদ- (১১৭১), মুসলিম।
আবু ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو ظِلاَلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ ” . قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ أَبِي ظِلاَلٍ فَقَالَ هُوَ مُقَارِبُ الْحَدِيثِ . قَالَ مُحَمَّدٌ وَاسْمُهُ هِلاَلٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামা’আতে আদায় করে, তারপর সূর্য উঠা পর্যন্ত বসে বসে আল্লাহ তা’আলার যিকর করে, তারপর দুই রাক’আত নামায আদায় করে- তার জন্য একটি হাজ্জ ও একটি উমরার সাওয়াব রয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ণ, পূর্ণ, পূর্ণ (হাজ্জ ও উমরার সাওয়াব)।
-হাসান। তা’লীকুর রাগীব- (১/১৬৪, ১৬৫), মিশকাত- (৯৭১)
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। তিনি আরো বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে আবূ যিলাল সম্পর্কে প্রশ্ন করায় তিনি বললেন, তিনি হাদীস বর্ণনার উপযুক্ত। তার নাম হিলাল।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৬১. অনুচ্ছেদঃ
নামাযে এদিক-সেদিক তাকানো
৫৮৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَلْحَظُ فِي الصَّلاَةِ يَمِينًا وَشِمَالاً وَلاَ يَلْوِي عُنُقَهُ خَلْفَ ظَهْرِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ خَالَفَ وَكِيعٌ الْفَضْلَ بْنَ مُوسَى فِي رِوَايَتِهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযরত অবস্থায় ডানে-বাঁয়ে তাকাতেন কিন্তু পিছনের দিকে ঘাড় ফেরাতেন না।
-সহীহ্। মিশকাত- (৯৯৮)
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি গারীব, ওয়াকী’ (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় আল-ফাযল ইবনু মূসার বর্ণনার সাথে মতপার্থক্য করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ عِكْرِمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَلْحَظُ فِي الصَّلاَةِ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَعَائِشَةَ .
ইকরামার কিছু সঙ্গী থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযে এদিক-সেদিক চোখ ঘুরাতেন উপরের হাদীসের মতো।
-সহীহ্। দেখুন পূর্বোক্ত হাদীস।
এ অনুচ্ছেদে আনাস ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، مُسْلِمُ بْنُ حَاتِمٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يَا بُنَىَّ إِيَّاكَ وَالاِلْتِفَاتَ فِي الصَّلاَةِ فَإِنَّ الاِلْتِفَاتَ فِي الصَّلاَةِ هَلَكَةٌ فَإِنْ كَانَ لاَ بُدَّ فَفِي التَّطَوُّعِ لاَ فِي الْفَرِيضَةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে প্রিয় বৎস সাবধান! নামাযের মধ্যে কখনো এদিক-সেদিক দেখবে না। কেননা নামাযরত অবস্থায় এদিক-সেদিক তাকানো সর্বনাশ ডেকে আনে। যদি তাকানোর খুবই দরকার হয় তবে নফল নামাযে তাকাও, ফরয নামাযে নয়।
যঈফ, তালিকাতুল জিয়াদ, তা’লিকুর রাগীব- (১৯৯১), মিশকাত- (৯৯৭) , আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫৯০
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الاِلْتِفَاتِ فِي الصَّلاَةِ قَالَ “ هُوَ اخْتِلاَسٌ يَخْتَلِسُهُ الشَّيْطَانُ مِنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে নামাযরত অবস্থায় এদিক-সেদিক তাকানো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ এটা শাইতানের ছোঁ মারা, শাইতান সুযোগ বুঝে ছোঁ মেরে কোন ব্যক্তির নামায থেকে কিছু অংশ নিয়ে যায়।
-সহীহ্। ইরওয়া- (৩৭০), বুখারী।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২. অনুচ্ছেদঃ
কোন ব্যক্তি ইমামকে সাজদাহতে পেলে সে তখন কি করবে?
৫৯১
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُونُسَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هُبَيْرَةَ بْنِ يَرِيمَ، عَنْ عَلِيٍّ، وَعَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالاَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الصَّلاَةَ وَالإِمَامُ عَلَى حَالٍ فَلْيَصْنَعْ كَمَا يَصْنَعُ الإِمَامُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْلَمُ أَحَدًا أَسْنَدَهُ إِلاَّ مَا رُوِيَ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . قَالُوا إِذَا جَاءَ الرَّجُلُ وَالإِمَامُ سَاجِدٌ فَلْيَسْجُدْ وَلاَ تُجْزِئُهُ تِلْكَ الرَّكْعَةُ إِذَا فَاتَهُ الرُّكُوعُ مَعَ الإِمَامِ وَاخْتَارَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ أَنْ يَسْجُدَ مَعَ الإِمَامِ وَذَكَرَ عَنْ بَعْضِهِمْ فَقَالَ لَعَلَّهُ لاَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فِي تِلْكَ السَّجْدَةِ حَتَّى يُغْفَرَ لَهُ .
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ নামায আদায় করতে এসে ইমামকে কোন এক অবস্থায় পেল। ইমাম যেরূপ করে সেও যেন অনুরূপ করে (তাকে যে অবস্থায় পাবে সেই অবস্থায় তার সাথে নামাযে শারীক হয়ে যাবে)।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (৫২২), আস-সাহীহাহ্- (১১৮৮)
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এটি গারীব হাদীস। উল্লেখিত সূত্রটি ছাড়া আর কোন সূত্রে এ হাদীসটি কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। বিদ্বানগণ এ হাদীস অনুসারে আমল করেছেন। কোন ব্যক্তি মসজিদে এসে ইমামকে সাজদাহরত অবস্থায় পেলে সেও তার সাথে সাজদাহ্য় শারীক হবে। যদি ইমামকে রুকূতে না পায় তবে সেই রাক‘আত পেল না। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক ইমামের সাথে সাজদাহ্য় শারীক হওয়া পছন্দ করেছেন। কোন কোন বিদ্বান প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে, তাঁরা বলেছেন, আশা করা যায় এ সাজদাহ্ হতে মাথা তোলার আগেই তাকে মাফ করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩. অনুচ্ছেদঃ
নামায শুরু হওয়ার সময় দাঁড়িয়ে ইমামের অপেক্ষা করা মাকরূহ
৫৯২
دَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ تَقُومُوا حَتَّى تَرَوْنِي خَرَجْتُ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَحَدِيثُ أَنَسٍ غَيْرُ مَحْفُوظٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي قَتَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنْ يَنْتَظِرَ النَّاسُ الإِمَامَ وَهُمْ قِيَامٌ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَ الإِمَامُ فِي الْمَسْجِدِ فَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَإِنَّمَا يَقُومُونَ إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ . وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ .
আব্দুল্লাহ ইবনু কাতাদা (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (আবূ কাতাদা) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নামাযের জন্য ইক্বামাত দেয়া হলে আমাকে (কামরা হতে) বের হতে না দেখা পর্যন্ত তোমরা দাঁড়াবে না।
¬
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (৫৫০), আর রাউজুন নাযীর- (১৮৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ কাতাদার হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। কিন্তু তাঁর হাদীসটি সুরক্ষিত নয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল সাহাবা ও অন্যরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ইমামের জন্য বিলম্ব করা মাকরূহ বলেছেন। অপর দল বলেছেন, ইমাম মসজিদে হাযির থাকলে এবং নামাযের ইক্বামাতও দেয়া হলে মুয়াজ্জিন “কাদ কামাতিস সালাত কাদ কামাসিত সালাত” বললে উঠে দাঁড়াবে। ইবনুল মুবারাক একথা বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪. অনুচ্ছেদঃ
‘আর পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা ও রাসূলের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করবে
৫৯৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ مَعَهُ فَلَمَّا جَلَسْتُ بَدَأْتُ بِالثَّنَاءِ عَلَى اللَّهِ ثُمَّ الصَّلاَةِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ دَعَوْتُ لِنَفْسِي فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ سَلْ تُعْطَهْ سَلْ تُعْطَهْ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ رَوَاهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ مُخْتَصَرًا .
আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নামায আদায় করছিলাম এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আবূ বকর এবং উমার (রাঃ) -ও উপস্থিত ছিলেন। আমি (শেষ বৈঠকে) বসলাম, প্রথমে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করলাম, তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালাম নিবেদন করলাম, তারপর নিজের জন্য দু‘আ করলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি প্রার্থনা করতে থাক তোমাকে দেয়া হবে, তুমি প্রার্থনা করতে থাক তোমাকে দেয়া হবে।
-হাসান সহীহ্। সিফাতুস সালাত, তাখরীজুল মুখতারাহ- (২৫৫), মিশকাত- (৯৩১)।
এ অনুচ্ছেদে ফাযালা ইবনু উবাইদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদের হাদীসটি হাসান সহীহ্। আহমাদ ইবনু হাম্বাল হাদীসটি ইয়াহ্ইয়া ইবনু আদমের সূত্রে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৬৫. অনুচ্ছেদঃ
মসজিদ সুগন্ধময় করে রাখা
৫৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْمُؤَدِّبُ الْبَغْدَادِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ صَالِحٍ الزُّبَيْرِيُّ، هُوَ مِنْ وَلَدِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبِنَاءِ الْمَسَاجِدِ فِي الدُّورِ وَأَنْ تُنَظَّفَ وَتُطَيَّبَ .
আইশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুবাসিত করতে হুকুম দিয়েছেন।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (৭৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، وَوَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ الأَوَّلِ .
হিশাম ইবনু ‘উরাওয়া (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
হিশাম ইবনু ‘উরাওয়া (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন…… উপরের হাদীসের মতোই।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই বর্ণনা সূত্র পূর্ববর্তী সূত্রের চেয়ে বেশি সহীহ্।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫৯৬
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ سُفْيَانُ قَوْلُهُ “ بِبِنَاءِ الْمَسَاجِدِ فِي الدُّورِ ” . يَعْنِي الْقَبَائِلَ .
হিশাম ইবনু ‘উরাওয়া (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
হিশাম ইবনু ‘উরাওয়া (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন…… উপরের হাদীসের মতোই।
সুফিয়ান সাওরী বলেছেন, পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণের অর্থ প্রতি বংশ ও লোকালয়ে মসজিদ তৈরী করা।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৬৬. অনুচ্ছেদঃ
দিন ও রাতের (নফল) নামায দুই দুই রাক‘আত করে
৫৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَلِيٍّ الأَزْدِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” صَلاَةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى ” . قَالَ أَبُو عِيسَى اخْتَلَفَ أَصْحَابُ شُعْبَةَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ فَرَفَعَهُ بَعْضُهُمْ وَأَوْقَفَهُ بَعْضُهُمْ . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا . وَالصَّحِيحُ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى ” . وَرَوَى الثِّقَاتُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ صَلاَةَ النَّهَارِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَبِالنَّهَارِ أَرْبَعًا . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي ذَلِكَ فَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنَّ صَلاَةَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَرَأَوْا صَلاَةَ التَّطَوُّعِ بِالنَّهَارِ أَرْبَعًا مِثْلَ الأَرْبَعِ قَبْلَ الظُّهْرِ وَغَيْرِهَا مِنْ صَلاَةِ التَّطَوُّعِ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রাত ও দিনের (নফল) নামায দুই রাক‘আত দুই রাক‘আত।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (১৩২২)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ শু‘বার সঙ্গীরা ইবনু ‘উমার (রাঃ) -এর হাদীসটি বর্ণনায় মত পার্থক্য করেছেন। তাদের কয়েকজন এটাকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, আবার কয়েকজন মাওকূফ হিসেবে। নাফি (রহঃ) ইবনু ‘উমারের সূত্রে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। সহীহ্ বর্ণনা হলো, ইবনু উমার (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে বর্ণনা করেছেন, “রাতের নামায দুই দুই রাক’আত”। নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) রাবীগণ ইবনু ‘উমারের সূত্রে, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে যে বর্ণনা করেছেন তাতে দিনের নামাযের উল্লেখ করেননি। ইবনু ‘উমার (রাঃ) প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাতের নামায দুই রাক‘আত করে এবং দিনের নামায চার রাক‘আত করে আদায় করতেন।
এ প্রসঙ্গে বিদ্বানদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। ইমাম শাফিঈ ও আহমাদ রাত ও দিনের (ফরয ছাড়া অন্যান্য) নামায এক সালামে দুই দুই রাক‘আত (করে আদায় করতে হবে) বলে মত দিয়েছেন। অপর একদল বলেছেন, রাতের নামায দুই দুই রাক‘আত। তাদের মতে দিনের নফল ও অন্যান্য নামায চার রাক‘আত করে, যেমন যুহরের পূর্বে চার রাক‘আত আদায় করা হয়। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক ও ইসহাক এ মতেই মত দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৭. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিনের নামায কিরূপ ছিল?
৫৯৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، قَالَ سَأَلْنَا عَلِيًّا عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ النَّهَارِ فَقَالَ إِنَّكُمْ لاَ تُطِيقُونَ ذَاكَ . فَقُلْنَا مَنْ أَطَاقَ ذَاكَ مِنَّا . فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مِنْ هَا هُنَا كَهَيْئَتِهَا مِنْ هَا هُنَا عِنْدَ الْعَصْرِ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَإِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مِنْ هَا هُنَا كَهَيْئَتِهَا مِنْ هَا هُنَا عِنْدَ الظُّهْرِ صَلَّى أَرْبَعًا وَصَلَّى أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَقَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَعًا يَفْصِلُ بَيْنَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ بِالتَّسْلِيمِ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ الْمُقَرَّبِينَ وَالنَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ .
আসিম ইবনু যামরা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা আলী (রাঃ) -কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিনের বেলার নামায প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, তোমরা সে রকম নামায আদায় করতে সক্ষম হবে না। আমরা বললাম, আমাদের মধ্যে কে সে রকম আদায় করতে সক্ষম হবে? তিনি বললেন, যখন সূর্য এদিকে (পূর্বাকাশে) এরূপ হতো যেমন আসরের সময় হয়ে থাকে, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই রাক‘আত (সালাতুল ইশরাক) নামায আদায় করতেন। আবার যখন সূর্য এদিকে (পূর্বাকাশে) এরূপ হতো, যেমন যুহরের ওয়াক্তের সময় (পশ্চিমাকাশে) হয় তখন তিনি চার রাক‘আত (সালাতুদ যুহা) নামায আদায় করতেন।
তিনি যুহরের পূর্বে চার রাক‘আত এবং পরে দুই রাক‘আত এবং ‘আসরের পূর্বে চার রাক‘আত নামায আদায় করতেন। তিনি নৈকট্য লাভকারী ফেরেশতা, নাবী-রাসূল এবং তাঁদের অনুসারী মু‘মিন মুসলমানদের প্রতি সালাম পাঠানোর মাধ্যমে প্রতি দুই রাক‘আতের মাঝখানে অন্তরাল সৃষ্টি করতেন। (অর্থাৎ দুই দুই রাক‘আত করে আদায় করতেন)।
-হাসান। ইবনু মাজাহ- (১১৬১)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫৯৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي تَطَوُّعِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي النَّهَارِ هَذَا . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ كَانَ يُضَعِّفُ هَذَا الْحَدِيثَ . وَإِنَّمَا ضَعَّفَهُ عِنْدَنَا وَاللَّهُ أَعْلَمُ لأَنَّهُ لاَ يُرْوَى مِثْلُ هَذَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ عَلِيٍّ . وَعَاصِمُ بْنُ ضَمْرَةَ هُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ قَالَ سُفْيَانُ كُنَّا نَعْرِفُ فَضْلَ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَلَى حَدِيثِ الْحَارِثِ .
আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অপর একটি সূত্রেও আসিম (রাঃ) হতে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
এটি হাসান হাদীস।
ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিনের বেলার নফল নামায সম্পর্কে এ হাদীসটি সর্বাধিক সহীহ্। ইবনুল মুবারাক এ হাদীসটিকে ‘যঈফ বলতেন। আমার মতে তাঁর এ হাদীসটিকে ‘যঈফ বলার কারণ এই যে, আল্লাহ তা‘আলাই বেশি ভাল জানেন, কেবল উল্লেখিত সূত্রেই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হাদীস বিশারদদের মতে ‘আসিম ইবনু যামরা নির্ভরযোগ্য রাবী। সুফিয়ান সাওরী বলেন, আমাদের কাছে হারিসের হাদীসের তুলনায় ‘আসিমের হাদীস বেশি উত্তম।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৬৮. অনুচ্ছেদঃ
মহিলাদের দোপাট্টা, চাদর ইত্যাদিতে নামায আদায় করা মাকরূহ
৬০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَشْعَثَ، وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يُصَلِّي فِي لُحُفِ نِسَائِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رُخْصَةٌ فِي ذَلِكَ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বিবিদের ওড়না, চাদর ইত্যাদিতে নামায আদায় করতেন না।
-সহীহ্। আবূ দাঊদ- (৩৯১)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ ব্যাপারে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে সম্মতির কথাও উল্লেখ আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৯. অনুচ্ছেদঃ
নফল নামাযরত অবস্থায় হাঁটা এবং কোন কাজ করা
৬০১
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ بُرْدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جِئْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي الْبَيْتِ وَالْبَابُ عَلَيْهِ مُغْلَقٌ فَمَشَى حَتَّى فَتَحَ لِي ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَكَانِهِ . وَوَصَفَتِ الْبَابَ فِي الْقِبْلَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি (যখন) আসলাম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তখন) নামায আদায় করছিলেন। এ সময় ভিতর হতে ঘরের দরজা আটকানো ছিল। তিনি (নামাযরত অবস্থায়) হেঁটে এসে আমার জন্য দরজা খুলে দিলেন। তারপর তিনি নিজের জায়গায় ফিরে আসলেন। দরজাটি কিবলার দিকে ছিল।
-হাসান। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (৮৫৫), মিশকাত- (১০০৫), আল-ইরওয়া- (৩৮৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৭০. অনুচ্ছেদঃ
এক রাক‘আতে দুটি সূরা পাঠ করা
৬০২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ عَبْدَ اللَّهِ عَنْ هَذَا الْحَرْفِ (غَيرِ آسِنٍ) أَوْ يَاسِنٍ قَالَ كُلَّ الْقُرْآنِ قَرَأْتَ غَيْرَ هَذَا الْحَرْفِ قَالَ نَعَمْ . قَالَ إِنَّ قَوْمًا يَقْرَءُونَهُ يَنْثُرُونَهُ نَثْرَ الدَّقَلِ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ إِنِّي لأَعْرِفُ السُّوَرَ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرِنُ بَيْنَهُنَّ . قَالَ فَأَمَرْنَا عَلْقَمَةَ فَسَأَلَهُ فَقَالَ عِشْرُونَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرِنُ بَيْنَ كُلِّ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ ওয়ায়িলকে বলতে শুনেছি, এক ব্যক্তি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) -কে (সূরা মুহাম্মাদের) একটি শব্দ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করল, এটা কি ‘গাইর আসিনিন’ হবে না ‘গাইরু ইয়াসিনিন’ হবে? তিনি বললেন, এটা ছাড়া তুমি কি সমগ্র কুরআন পাঠ করে নিয়েছ? সে বললঃ হ্যাঁ। তিনি বললেন, একদল লোক কুরআন পাঠ করে এবং তারা এটাকে ঝাড়ে নিম্নমানের খেজুর ঝাড়ার মত। তাদের (কুরআন) পাঠ তাদের কণ্ঠনালীর উপরে উঠে না। আমি দুই দুইটি সাদৃশ্যপূর্ণ সূরা সম্পর্কে জানি যেগুলো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একত্রে মিলিয়ে পাঠ করতেন। রাবী বলেন, আমরা আলকামা (রহঃ) -কে প্রশ্ন করতে বললে তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) -কে প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, মুফাসসাল সূরাগুলোর মধ্যে এমন বিশটি সূরা রয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেগুলোর দুই দুইটিকে পরস্পরের সাথে মিলিয়ে প্রতি রাক‘আতে পাঠ করতেন (অর্থাৎ এক এক রাক‘আতে দুটি করে সূরা পাঠ করতেন)।
-সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১২৬২), সিফাতুস সালাত, বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭১. অনুচ্ছেদঃ
পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযিলত এবং প্রতিটি পদক্ষেপের পুরস্কার
৬০৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، سَمِعَ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا تَوَضَّأَ الرَّجُلُ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ لاَ يُخْرِجُهُ أَوْ قَالَ لاَ يَنْهَزُهُ إِلاَّ إِيَّاهَا لَمْ يَخْطُ خُطْوَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً أَوْ حَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করল তারপর নামাযের উদ্দেশ্যে রাওয়ানা হল। একমাত্র নামাযই তাকে (ঘর হতে) বের করল অথবা নামাযই তাকে উঠিয়েছে, এ অবস্থায় তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা তার একগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন অথবা একটি করে গুনাহ মাফ করে দিবেন।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (৭৭৪), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭২. অনুচ্ছেদঃ
মাগরিবের (ফরয) নামাযের পর (নফল) নামায ঘরে আদায় করাই উত্তম
৬০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ الْبَصْرِيُّ، ثِقَةٌ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي مَسْجِدِ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ الْمَغْرِبَ فَقَامَ نَاسٌ يَتَنَفَّلُونَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الصَّلاَةِ فِي الْبُيُوتِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالصَّحِيحُ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ فِي بَيْتِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الْمَغْرِبَ فَمَا زَالَ يُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ الآخِرَةَ . فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ دِلاَلَةٌ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ فِي الْمَسْجِدِ .
সা’দ ইবনু ইসহাক ইবনু কা’ব ইবনু উজরা (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং দাদা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুল আশহাল গোত্রের মসজিদে মাগরিবের নামায আদায় করলেন। লোকেরা নফল নামায আদায় করতে দাঁড়াল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ নামায অবশ্যই তোমাদের ঘরে আদায় করা উচিৎ।
-হাসান। ইবনু মাজাহ- (১১৬৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। কেননা এটা আমরা শুধুমাত্র উল্লেখিত সূত্রেই জেনেছি। ইবনু ‘উমারের সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি সহীহ্। তাতে আছে, “নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের পরের দুই রাক‘আত নিজের ঘরেই আদায় করতেন।”
হুযাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, “নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের নামায আদায় করলেন, তিনি বরাবর মসজিদে নামায আদায় করতে থাকলেন। এমনকি ‘ইশার ওয়াক্ত উপস্থিত হলো। তিনি ‘ইশার নামায আদায় করলেন।”
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের পর দুই রাক‘আত (সুন্নাত) নামায মসজিদেও আদায় করেছেন, এ হাদীস হতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৩. অনুচ্ছেদঃ
ইসলাম গ্রহণ করার সময় গোসল করা
৬০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَغَرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَاصِمٍ، أَنَّهُ أَسْلَمَ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَغْتَسِلَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ لِلرَّجُلِ إِذَا أَسْلَمَ أَنْ يَغْتَسِلَ وَيَغْسِلَ ثِيَابَهُ .
ক্বাইস ইবনু ‘আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইসলাম ক্ববূল করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে কূলের পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করার হুকুম দিলেন।
-সহীহ্। তাখরীজুল মিশকাত- (৫৪৩), সহীহ্ আবূ দাঊদ- (৩৮১)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। উপরোক্ত সনদসূত্রেই আমরা হাদীসটি অবগত হয়েছি। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে আলিমগণ বলেছেন, মুসলমান হওয়ার সময় গোসল করা ও পরনের পোশাক ধোয়া মুস্তাহাব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৪. অনুচ্ছেদঃ
পায়খানায় যাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ্ বলা
৬০৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ بَشِيرِ بْنِ سَلْمَانَ، حَدَّثَنَا خَلاَّدٌ الصَّفَّارُ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّصْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ سَتْرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِي آدَمَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُهُمُ الْخَلاَءَ أَنْ يَقُولَ بِسْمِ اللَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَإِسْنَادُهُ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَشْيَاءُ فِي هَذَا .
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জ্বিনের দৃষ্টি ও আদম সন্তানের লজ্জাস্থানের মাঝখানে পর্দা হলো, যখন তাদের কেউ পায়খানায় প্রবেশ করে সে যেন বিসমিল্লাহ বলে।
-সহীহ্। ইবনু মাজাহ- (২৯৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই আমরা হাদীসটি জেনেছি। এর সনদ খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয়। এ প্রসঙ্গে আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৫. অনুচ্ছেদঃ
কিয়ামাতের দিন এই উম্মাতের নিদর্শন হবে সাজদাহ ও ওযূর চিহ্ন
৬০৭
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، أَحْمَدُ بْنُ بَكَّارٍ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ قَالَ صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ خُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرٌّ مِنَ السُّجُودِ مُحَجَّلُونَ مِنَ الْوُضُوءِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ .
আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন আমার উম্মাতের মুখ-মণ্ডল সাজদাহর কল্যাণে আলোক উদ্ভাসিত হবে এবং ওযূর কল্যাণে হাত-মুখ চমকপ্রদ (আলোকিত) হবে।
-সহীহ। আস-সহীহাহ- (২৮৩৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি উপরোক্ত সূত্রে হাসান, সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৬. অনুচ্ছেদঃ
পবিত্রতা অর্জনের জন্য ডানদিক হতে শুরু করা মুস্তাহাব
৬০৮
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُحِبُّ التَّيَمُّنَ فِي طُهُورِهِ إِذَا تَطَهَّرَ وَفِي تَرَجُّلِهِ إِذَا تَرَجَّلَ وَفِي انْتِعَالِهِ إِذَا انْتَعَلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو الشَّعْثَاءِ اسْمُهُ سُلَيْمُ بْنُ أَسْوَدَ الْمُحَارِبِيُّ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পবিত্রতা অর্জন, মাথা আচড়ানো এবং জুতা পরার সময় এ কাজগুলো ডান দিক থেকে শুরু করাই পছন্দ করতেন।
-সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৪০১)। বুখারী ও মুসলিম অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদিসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৭. অনুচ্ছেদঃ
ওযূর জন্য কতটুকু পানি যথেষ্ট
৬০৯
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنِ ابْنِ جَبْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ يُجْزِئُ فِي الْوُضُوءِ رِطْلاَنِ مِنْ مَاءٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ . وَرَوَى شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَوَضَّأُ بِالْمَكُّوكِ وَيَغْتَسِلُ بِخَمْسَةِ مَكَاكِيَّ . وَرُوِيَ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দুই রিতল পানিই ওযূর জন্য যথেষ্ট।
-সহীহ। ইবনু মজাহ- (২৭০)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদিসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই শব্দে হাদিসটি জেনেছি। আনাস (রাঃ) হতে অপর এক বর্ণনায় আছে- “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসল্লাম এক মাকূক পানি দিয়ে ওযূ এবং পাঁচ মাকূক পানি দিয়ে গোসল করতেন।”
অপর বর্ণনায় আছে, আনাস (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মুদ্দ পানি দিয়ে ওযূ এবং এক সা’ পানি দিয়ে গোসল করেছেন। এই হাদীসটি শারীকের হাদীস হতে অধিক সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৮. অনুচ্ছেদঃ
দুগ্ধপোষ্য শিশুর পেশাবে পানি ছিটিয়ে দেয়া
৬১০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي بَوْلِ الْغُلاَمِ الرَّضِيعِ “ يُنْضَحُ بَوْلُ الْغُلاَمِ وَيُغْسَلُ بَوْلُ الْجَارِيَةِ ” . قَالَ قَتَادَةُ وَهَذَا مَا لَمْ يَطْعَمَا فَإِذَا طَعِمَا غُسِلاَ جَمِيعًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . رَفَعَ هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ قَتَادَةَ وَأَوْقَفَهُ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুগ্ধপোষ্য শিশুর পেশাব প্রসঙ্গে বলেনঃ পুরুষ শিশুর পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে এবং কন্যা শিশুর পেশাব ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্বাতাদা (রহঃ) বলেনঃ শিশুরা যতক্ষণ শক্ত খাবার না ধরবে ততক্ষণ এই নির্দেশ বহাল থাকবে। শক্ত খাবার খাওয়া শুরু করলে উভয়ের পেশাবই ধুয়ে ফেলতে হবে।
-সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৫২৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি হাসান সহীহ। হিশাম আদ-দাসতাওয়াঈ এটি মারফূ হিসেবে এবং ক্বাতাদা মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭৯. অনুচ্ছেদঃ
সূরা আল-মায়িদাহ অবতীর্ণ হওয়ার পর মুজার উপর মাসাহ করা প্রসঙ্গ
৬১১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، قَالَ رَأَيْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ قَالَ فَقُلْتُ لَهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ فَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ . فَقُلْتُ لَهُ أَقَبْلَ الْمَائِدَةِ أَمْ بَعْدَ الْمَائِدَةِ قَالَ مَا أَسْلَمْتُ إِلاَّ بَعْدَ الْمَائِدَةِ .
শাহর ইবনু হাওশাব থেকে বর্ণিতঃ
শাহর ইবনু হাওশাব হতে বর্ণিত; তিনি বলেনঃ আমি জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) –কে ওযূ করতে ও মুজার উপর মাসাহ করতে দেখলাম। ও তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে ওযূ করতে ও মুজার উপর মাসাহ করতে দেখেছি। আমি তাকে বললাম, এটা কি সূরা আল-মায়িদাহ অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে না পরে? তিনি বললেনঃ আমি তো মায়িদাহ অবতীর্ণ হওয়ার পরেই মুসলমান হয়েছি।
-সহীহ। ইরওয়া- (১/১৩৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ مَيْسَرَةَ النَّحْوِيُّ، عَنْ خَالِدِ بْنِ زِيَادٍ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ .
খালিদ ইবনু যিয়াদ থেকে বর্ণিতঃ
খালিদ ইবনু যিয়াদ থেকে অন্য সূত্রেও হাদীসটি অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব। শাহর ইবনু হাওশাব থেকে মুকাতিল ইবনু হাইয়ান ছাড়া অন্য কোন সূত্রে হাদিসটি জানতে পারিনি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৮০. অনুচ্ছেদঃ
নাপাক অবস্থায় ওযু করে পানাহার ও ঘুমানোর অনুমতি
৬১৩
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ عَمَّارٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ لِلْجُنُبِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ أَوْ يَشْرَبَ أَوْ يَنَامَ أَنْ يَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আম্মার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্র ব্যক্তিকে নামাযের ওয়ূর মতো ওযু করে খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমানোর সম্মতি দিয়েছেন।
যঈফ, যঈফ আবু দাউদ (২৮)। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৮১. অনুচ্ছেদঃ
নামাযের ফযিলত
৬১৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْقَطَوَانِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا غَالِبٌ أَبُو بِشْرٍ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَائِذٍ الطَّائِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أُعِيذُكَ بِاللَّهِ يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ مِنْ أُمَرَاءَ يَكُونُونَ مِنْ بَعْدِي فَمَنْ غَشِيَ أَبْوَابَهُمْ فَصَدَّقَهُمْ فِي كَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَلَيْسَ مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُ وَلاَ يَرِدُ عَلَىَّ الْحَوْضَ وَمَنْ غَشِيَ أَبْوَابَهُمْ أَوْ لَمْ يَغْشَ فَلَمْ يُصَدِّقْهُمْ فِي كَذِبِهِمْ وَلَمْ يُعِنْهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَهُوَ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ وَسَيَرِدُ عَلَىَّ الْحَوْضَ يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ الصَّلاَةُ بُرْهَانٌ وَالصَّوْمُ جُنَّةٌ حَصِينَةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ . يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ إِنَّهُ لاَ يَرْبُو لَحْمٌ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ إِلاَّ كَانَتِ النَّارُ أَوْلَى بِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى . وَأَيُّوبُ بْنُ عَائِذٍ الطَّائِيُّ يُضَعَّفُ وَيُقَالُ كَانَ يَرَى رَأْىَ الإِرْجَاءِ . وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَلَمْ يَعْرِفْهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى وَاسْتَغْرَبَهُ جِدًّا .
কা’ব ইবনু উজারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে কা’ব ইবনু উজরা! আমার পরে যেসব নেতার উদয় হবে আমি তাদের (খারাবী) থেকে তোমার জন্য আল্লাহ তা’আলার সহায়তা প্রার্থনা করি। যে ব্যক্তি তাদের দ্বারস্থ হলো (সান্নিধ্য লাভ করলো), তাদের মিথ্যাকে সত্য বললো এবং তাদের স্বৈরাচার ও যুলুম-নির্যাতনে সহায়তা করলো, আমার সাথে ঐ ব্যক্তির কোন সম্পর্ক নেই এবং এ ব্যক্তির সাথে আমারো কোন সংস্রব নেই। ঐ ব্যক্তি ‘কাওসার’ নামক হাউজের ধারে আমার নিকট আসতে পারবে না। অপরদিকে যে ব্যক্তি তাদের দ্বারস্থ হলো (তাদের কোন পদ গ্রহণ করলো) কিন্তু তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে মানল না এবং তাদের স্বৈরাচার ও যুলুম-নির্যাতনে সহায়তা করলো না, আমার সাথে এ ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে এবং এ ব্যক্তির সাথে আমারও সম্পর্ক রয়েছে। শীঘ্রই সে ‘কাওসার’ নামক হাউজের কাছে আমার সাথে দেখা করবে। হে কা’ব ইবনু উজরা! নামায হল (মুক্তির) সনদ, রোজা হল মজবুত ঢাল (জাহান্নামের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক) এবং সাদাকা (যাকাত বা দান-খায়রাত) গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়, যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। হে কা’ব ইবনু উজরা! হারাম (পন্থায় উপার্জিত সম্পদ) দ্বারা সৃষ্ট ও পরিপুষ্ট গোশত (দেহ) -এর জন্য (জাহান্নামের) আগুনই উপযুক্ত।
-সহীহ। তালীকুর রাগীব- (৩/১৫, ১৫০)
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র উল্লেখিত সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি। আমি মুহাম্মাদকে (বুখারীকে) এ হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনিও শুধুমাত্র উবাইদুল্লাহ ইবনু মূসার সূত্রেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং এটাকে খুবই গারীব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৫
وَقَالَ مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ غَالِبٍ، بِهَذَا .
ইমাম মুহাম্মাদ থেকে বর্ণিতঃ
ইমাম মুহাম্মাদ বলেনঃ ইবনু নুমাইর উবাইদুল্লাহ ইবনু মূসার সূত্রে গালিব হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৬১৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ “ اتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ وَصَلُّوا خَمْسَكُمْ وَصُومُوا شَهْرَكُمْ وَأَدُّوا زَكَاةَ أَمْوَالِكُمْ وَأَطِيعُوا ذَا أَمْرِكُمْ تَدْخُلُوا جَنَّةَ رَبِّكُمْ ” . قَالَ فَقُلْتُ لأَبِي أُمَامَةَ مُنْذُ كَمْ سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ سَمِعْتُهُ وَأَنَا ابْنُ ثَلاَثِينَ سَنَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বিদায় হাজ্জের ভাষণে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর, তোমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় কর। তোমাদের রামাযান মাসের রোজা রাখ, তোমাদের ধন-দৌলতের যাকাত আদায় কর এবং তোমাদের আমীরের অনুসরণ কর, তবেই তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। আমি (সুলাইম) আবূ উমামা (রাঃ) -কে প্রশ্ন করলাম, আপনি কতদিন পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ হাদীস শুনেছেন? তিনি বলেনঃ আমি তিরিশ বছর বয়সে তাঁর নিকট এ হাদীস শুনেছি।
-সহীহ। আস-সহীহাহ- (৮৬৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস