আবু দাউদ পবিত্রতা অর্জন অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ২০৪ – ৩০০
অনুচ্ছেদ-৮১
যে ব্যক্তি তাঁর পায়ে ধুলা-ময়লা মাড়িয়েছে
২০৪
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنِي شَرِيكٌ، وَجَرِيرٌ، وَابْنُ، إِدْرِيسَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ كُنَّا لاَ نَتَوَضَّأُ مِنْ مَوْطِئٍ وَلاَ نَكُفُّ شَعْرًا وَلاَ ثَوْبًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي مُعَاوِيَةَ فِيهِ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ مَسْرُوقٍ أَوْ حَدَّثَهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَقَالَ هَنَّادٌ عَنْ شَقِيقٍ أَوْ حَدَّثَهُ عَنْهُ .
শাক্বীক্ব থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেনঃ রাস্থার ধুলা-ময়লার উপর দিয়ে অতিক্রম করা সত্ত্বেও আমরা উযু করতাম না এবং আমরা (সালাতের মধ্যে নিজেদের) চুল ও কাপড়-চোপড়ও সামলাতাম না।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
খালি পায়ে হাটার কারণে পায়ে ধুলা ময়লা লাগলে তাতে উযু নষ্ট হয় না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮২
সালাতের মধ্যে কারো উযু ছুটে গেলে
২০৫
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عِيسَى بْنِ حِطَّانَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ سَلاَّمٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ طَلْقٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا فَسَا أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ وَلْيُعِدِ الصَّلاَةَ ” .
আলী ইবনু ত্বালক্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সালাতের মধ্যে (পশ্চাৎ-দ্বারে) বায়ু নির্গত করলে সে যেন ফিরে গিয়ে উযু করে এবং পুনরায় সালাত আদায় করে। [২০৪]
দুর্বলঃ জঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৬০৭, মিশকাত ৩১৪, ১০০৬।
[২০৪] তিরমিযী (অনুঃ নারীদের পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করা অপছন্দনীয়, হাঃ ১১৬৪), দারিমী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ যে ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীর পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে, হাঃ ১১৪১), ইবনু হিব্বান (২০৩, ২০৪), ‘আসিম আল আহওয়াল সূত্রে। ইমাম তিরমিযী বলেন, ‘আলী ইবনু ত্বালক্ব এর হাদিসটি হাসান। আমি মুহাম্মাদকে বলতে শুনেছি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে বর্ণিত ‘আলী ইবনু ত্বালক্বের কেবল এ হাদিসটিই আমার জানা আছে। আহমাদ (১/৮৬, হাঃ ৬৫৫) শায়খ আহমাদ শাকির বলেন, এর সানাদ সহীহ এবং তিরমিযী (হাঃ ১১৬৫) ওয়াকি’ সূত্রে ইবনু আবদুল মালিক ইবনু মুসলিম হতে তাঁর পিতার সূত্রে। ইমাম তিরমিযী বলেন এখানে আলী হচ্ছে ‘আলী ইবনু ত্বালক্ব। হাদিসটির সানাদ সহীহ।
কিন্তু মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ এর সানাদে ঈসা ইবনু হিত্বত্বান রয়েছে। ইবনু ‘আবদুল বার বলেছেন, তিনি ঐ লোকদের অন্তর্ভুক্ত নন যাঁদের দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায়। হাফিয (রহঃ) ও আত-তাক্বরীব গ্রন্থে এদিকে ইঙ্গিত করেছেন। সেজন্য আমি একে যইফ সুনানে অন্তর্ভুক্ত করেছি।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। পশ্চাতদ্বারে বায়ু নির্গত হলে উযু নষ্ট হবে। সালাত আদায়কালে বায়ু নির্গত হলে বা উযু ভঙ্গের অন্যান্য কারণ ঘটলে সালাত ছেড়ে দেয়া ওয়াজিব।
২। কারো সালাতরত অবস্থায় বায়ু নির্গত হওয়ার কারণে উযু নষ্ট হলে সে যেন ফিরে এসে পুনরায় সালাত আরম্ভ করে এবং ছুটে যাওয়া অংশ থেকে আরম্ভ না করে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৮৩
বীর্যরস (মযী) সম্পর্কে
২০৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ الْحَذَّاءُ، عَنِ الرُّكَيْنِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ قَبِيصَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ كُنْتُ رَجُلاً مَذَّاءً فَجَعَلْتُ أَغْتَسِلُ حَتَّى تَشَقَّقَ ظَهْرِي فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم – أَوْ ذُكِرَ لَهُ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَفْعَلْ إِذَا رَأَيْتَ الْمَذْىَ فَاغْسِلْ ذَكَرَكَ وَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার খুব বেশি মযী নির্গত হতো। এজন্য আমি গোসল করতাম, এমনকি (অত্যধিক গোসলের কারণে) আমার পিঠ ফেটে যেত (ব্যথা অনুভুত হতো)। তাই আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিষয়টি অবহিত করলাম কিংবা কেউ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলো। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন এরূপ করো না। তোমার (লজ্জাস্থানে) মযী দেখতে পেলে তা ধুয়ে নিবে এবং সালাতের উযুর ন্যয় উযু করবে। তবে বীর্য নির্গত হলে গোসল করবে। [২০৫]
সহিহঃ তার এ কথাটি বাদেঃ ‘তবে বীর্য নির্গত হলে গোসল করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، – رضى الله عنه – أَمَرَهُ أَنْ يَسْأَلَ لَهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ إِذَا دَنَا مِنْ أَهْلِهِ فَخَرَجَ مِنْهُ الْمَذْىُ مَاذَا عَلَيْهِ فَإِنَّ عِنْدِي ابْنَتَهُ وَأَنَا أَسْتَحْيِي أَنْ أَسْأَلَهُ . قَالَ الْمِقْدَادُ فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ “ إِذَا وَجَدَ أَحَدُكُمْ ذَلِكَ فَلْيَنْضَحْ فَرْجَهُ وَلْيَتَوَضَّأْ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ” .
আল-মিক্বদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ) তাঁকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করেন, কোন ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীর নিকটবর্তী হলেই বীর্যরস নির্গত হলে তাঁর করণীয় কী? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কন্যা আমার কাছে রয়েছে, সেজন্য আমি তাঁকে (সরাসরি) এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জাবোধ করছি। মিক্বদাদ (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ তোমাদের কারো এরূপ অবস্থা হলে সে যেন তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে নেয় এবং সালাতের উযুর ন্যায় উযু করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ لِلْمِقْدَادِ وَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا قَالَ فَسَأَلَهُ الْمِقْدَادُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لِيَغْسِلْ ذَكَرَهُ وَأُنْثَيَيْهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ وَجَمَاعَةٌ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِيهِ : ” وَالأُنْثَيَيْنِ ” .
উরওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ) মিক্বদাদ (রাঃ) কে বললেন, অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। মিক্বদাদ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে (মযী বের হলে করনীয় সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সে যেন তাঁর পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষ ধুয়ে নেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَدِيثٍ، حَدَّثَهُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قُلْتُ لِلْمِقْدَادِ . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ وَجَمَاعَةٌ وَالثَّوْرِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَرَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ الْمِقْدَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَذْكُرْ “ أُنْثَيَيْهِ ” .
আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মিক্বদাদ (রাঃ) কে বললাম, অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। মিক্বদাদ (রাঃ) হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সূত্রে অন্য এক বর্ণনায় ‘অণ্ডকোষের’ কথা উল্লেখ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ – أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، قَالَ كُنْتُ أَلْقَى مِنَ الْمَذْىِ شِدَّةً وَكُنْتُ أُكْثِرُ مِنْهُ الاِغْتِسَالَ فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ ” إِنَّمَا يُجْزِيكَ مِنْ ذَلِكَ الْوُضُوءُ ” . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ بِمَا يُصِيبُ ثَوْبِي مِنْهُ قَالَ ” يَكْفِيكَ بِأَنْ تَأْخُذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ فَتَنْضَحَ بِهَا مِنْ ثَوْبِكَ حَيْثُ تُرَى أَنَّهُ أَصَابَهُ ” .
সাহল ইবনু হুনায়িফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার অত্যধিক বীর্যরস নির্গত হতো। ফলে অধিকাংশ সময় আমি গোসল করতাম। অবশেষে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাস করলাম। তিনি বললেনঃ বীর্যরস নির্গত হলে উযু করাই যথেষ্ট। আমি বললাম হে আল্লাহর রসুল! কাপড়ে বীর্যরস লেগে গেলে কি করণীয়? তিনি বল্লেনঃ এক অঞ্জলি পানি নিয়ে কাপড়ের যে স্থানে মযী লেগেছে বলে মনে হবে, ঐ স্থান হালকাভাবে ধুয়ে ফেললে যথেষ্ট হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। মযী নির্গত হলে গোসল ওয়াজিব নয়, উযু করা ওয়াজিব। তবে বীর্য বের হলে গোসল করা ওয়াজিব।
২। লজ্জাস্থান ধুয়ে মযী দূর করলেই মযীর অপবিত্রতা দূর হয়ে যায়। যেমনটি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন।
৩। স্ত্রীর পিতা অর্থাৎ শ্বশুরের উপস্থিতে যৌন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উল্লেখ না করা মুস্থাহাব (পছন্দনীয়)।
৪। একজনের সংবাদ (খবরে ওয়াহিদ) গ্রহণযোগ্য।
৫। কাপড়ে মযী লেগে থাকলে তাতে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২১১
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ صَالِحٍ – عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَرَامِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَمَّا يُوجِبُ الْغُسْلَ وَعَنِ الْمَاءِ يَكُونُ بَعْدَ الْمَاءِ فَقَالَ “ ذَاكَ الْمَذْىُ وَكُلُّ فَحْلٍ يُمْذِي فَتَغْسِلُ مِنْ ذَلِكَ فَرْجَكَ وَأُنْثَيَيْكَ وَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞাস করলামঃ কী কারণে গোসল ওয়াজিব হয়? এবং গোসলের (বা পেশাবের) পর পুরুষাঙ্গ থেকে নির্গত পানি (মযী) সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন ঐ পানিকে বীর্যরস বলা হয়। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক লোকেরই বীর্যরস নির্গত হয়। বীর্যরস নির্গত হলে তোমরা লজ্জাস্থান ও অণ্ডকোষ ধুয়ে ফেলবে এবং সালাতের উযুর ন্যায় উযু করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৮৪
হায়িযগ্রস্থা স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা ও পানাহার করা
২১২
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ حَرَامِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا يَحِلُّ لِي مِنَ امْرَأَتِي وَهِيَ حَائِضٌ قَالَ “ لَكَ مَا فَوْقَ الإِزَارِ ” . وَذَكَرَ مُؤَاكَلَةَ الْحَائِضِ أَيْضًا وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
হারাম ইবনু হাকীম থেকে তাঁর চাচার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আমার স্ত্রী হায়িয অবস্থায় আমার জন্য কতটুকু হালাল? তিনি বললেন, পায়জামার উপরের অংশ তোমার জন্য হালাল। তিনি ঋতুবতী স্ত্রীকে নিয়ে একত্রে পানাহার করার কথা ও উল্লেখ করেন। অতঃপর শেষ পর্যন্ত হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। হায়িযগ্রস্তা স্ত্রীর কাপড়ের (পায়জামার) উপর দিয়ে স্বামীর জন্য মেলামেশা করা জায়িয। অর্থাৎ স্বামীর জন্য ঋতুবতী স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গ ব্যতীত সবকিছুর সাথে আনন্দ ভোগ করা বৈধ। তবে এরূপ অবস্তায় স্ত্রীর গুতাঙ্গের উপর কাপড় ফেলে রাখতে হবে। তা আলোচ্য হাদীসসহ অন্য হাদীসে সুস্পষ্টভাবে এসেছে।
২। শরঈ হুকুম জানার জন্য লজ্জাকর বিষয়েও প্রশ্ন করা বৈধ।
৩। হায়িয অবস্থায় যৌন সম্ভোগ বর্জন করাই অতি উত্তম। এ আশঙ্কায় যে, হয়ত তা স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গে মেলামেশার দিকে ধাবিত করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৩
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْيَزَنِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ سَعْدٍ الأَغْطَشِ، – وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِذٍ الأَزْدِيِّ، – قَالَ هِشَامٌ وَهُوَ ابْنُ قُرْطٍ أَمِيرُ حِمْصَ – عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَمَّا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ مِنَ امْرَأَتِهِ وَهِيَ حَائِضٌ قَالَ فَقَالَ “ مَا فَوْقَ الإِزَارِ وَالتَّعَفُّفُ عَنْ ذَلِكَ أَفْضَلُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَيْسَ هُوَ – يَعْنِي الْحَدِيثَ – بِالْقَوِيِّ .
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞাসা করলাম, ঋতুবতী অবস্থায় স্ত্রীলোক পুরুষের জন্য কতটুকু হালাল? তিনি বললেন, পায়জামার উপরের অংশ (হালাল)। তবে তা থেকেও বেঁচে থাকাও উত্তম। [২১২]
দুর্বলঃ জঈফ আল-জামি‘উস সাগীর ৫১১৫, মিশকাত ৫৫২।
[২১২] ইমাম বাগাভী এটি ‘মিসবাহুস সুন্নাহ’ (১/২৪৬, হাঃ ৩৮৫) গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেন, এর সানাদ মজবুত নয়। মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন এর সানাদে তিনটি দোষ আছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮৫
সহবাসে বীর্যপাত না হলে
২১৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي بَعْضُ، مَنْ أَرْضَى أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا جَعَلَ ذَلِكَ رُخْصَةً لِلنَّاسِ فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ لِقِلَّةِ الثِّيَابِ ثُمَّ أَمَرَ بِالْغُسْلِ وَنَهَى عَنْ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ يَعْنِي “ الْمَاءَ مِنَ الْمَاءِ ” .
উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় লোকদের কাপড় চোপড়ের স্বল্পতার কারণে কেবল সহবাসে বীর্য নির্গত না হলে গোসল না করার অনুমতি প্রদান করেন। তবে পরবর্তীতে এরূপ অবস্থায় (বীর্যপাত না হলেও) তিনি গোসল করার নির্দেশ দেন এবং গোসল ত্যাগ না করতে বলেন।
সহিহ।
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ বীর্যপাত হলে গোসল করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الْبَزَّازُ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرٌ الْحَلَبِيُّ، عَنْ مُحَمَّدٍ أَبِي غَسَّانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، أَنَّ الْفُتْيَا الَّتِي، كَانُوا يُفْتُونَ أَنَّ الْمَاءَ مِنَ الْمَاءِ كَانَتْ رُخْصَةً رَخَّصَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَدْءِ الإِسْلاَمِ ثُمَّ أَمَرَ بِالاِغْتِسَالِ بَعْدُ .
উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুফতীগন ফাতাওয়াহ দিতেন যে, কেবল বীর্য বের হলেই গোসল করতে হবে। এটা ছিল এক ধরনের বিশেষ সুবিধা। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় এ বিশেষ সুবিধা দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি গোসল করার নির্দেশ দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৬
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْفَرَاهِيدِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، وَشُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا قَعَدَ بَيْنَ شُعَبِهَا الأَرْبَعِ وَأَلْزَقَ الْخِتَانَ بِالْخِتَانِ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ ” .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (স্ত্রীর) চার অঙ্গের মাঝখানে বসলে এবং এক যৌনাঙ্গ অপর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দিলেই গোসল ওয়াজিব হবে।
সহিহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ ” . وَكَانَ أَبُو سَلَمَةَ يَفْعَلُ ذَلِكَ .
আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পানির জন্যই পানি ব্যবহার করতে হবে। (অর্থাৎ বীর্যপাত হলেই গোসল করতে হবে)। আবূ সালামাহ (রাঃ) এরূপই করতেন।
সহিহঃ মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে হাদিসসমুহ থেকে শিক্ষাঃ
১। সহবাস করলে (স্বামী স্ত্রীর লজ্জাস্থান একত্র হলে) গোসল করা ওয়াজিব, তাতে বীর্যপাত না হলেও।
২। সহবাসে বীর্যপাত না হলে তাতে গোসল না করার সুযোগ ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা রহিত করা হয়েছে।
৩। কোন একজনের লজ্জাস্থানের মাথা গুপ্তাঙ্গের অগ্রভাগে প্রবেশ করলেই গোসল ওয়াজিব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৮৬
একাধিকবার সঙ্গমে একবার গোসল করা সম্পর্কে
২১৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَافَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى نِسَائِهِ فِي غُسْلٍ وَاحِدٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَكَذَا رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ وَمَعْمَرٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ وَصَالِحُ بْنُ أَبِي الأَخْضَرِ عَنِ الزُّهْرِيِّ كُلُّهُمْ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকল স্ত্রীদের নিকট গেলেন এবং একবারই গোসল করলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১ । কেউ তার একাধিক স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে এক সহবাসের পর আরেক সহবাসের পূর্বে গোসল করা ওয়াজিব নয়। যদিও সে একই রাতে একাধিক স্ত্রীর সাথে একাধিকবার সহবাস করে । আর এটি মোটেই এক সহবাসের পর আরেক সহবাসের জন্য গোসল করা মুস্তাহব হওয়াকে নিষেধ করে না।
২ । সামর্থ থাকলে একই রাতে অধিকবার সহবাস করা জায়িয ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৮৭
একবার সহবাসের পর পুনরায় সহবাসের পূর্বে উযু করা
২১৯
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَمَّتِهِ، سَلْمَى عَنْ أَبِي رَافِعٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم طَافَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى نِسَائِهِ يَغْتَسِلُ عِنْدَ هَذِهِ وَعِنْدَ هَذِهِ . قَالَ فَقُلْتُ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ تَجْعَلُهُ غُسْلاً وَاحِدًا قَالَ “ هَذَا أَزْكَى وَأَطْيَبُ وَأَطْهَرُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ أَنَسٍ أَصَحُّ مِنْ هَذَا .
আবূ রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন তাঁর স্ত্রীদের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিকটই গোসল করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি সবশেষে একবার গোসল করলেই তো পারতেন? তিনি বললেন, এরূপ করাই অধিকতর পবিত্রতা, উৎকৃষ্টতা ও পরিচ্ছন্নতার পরিচায়ক।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২২০
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يُعَاوِدَ فَلْيَتَوَضَّأْ بَيْنَهُمَا وُضُوءًا ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ একবার সহবাস করার পর পুনরায় সহবাসের ইচ্ছা করলে সে যেন উযু করে নেয়।
সহীহঃ মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১ । প্রত্যেক সহবাসের পূর্বে গোসল করা মুস্তাহাব । এ বিষয়ে কোন মতভেদ নেই ।
২ । কেউ পুনরায় সহবাসের ইচ্ছা করলে উযু করে নেয়া জায়িয ।
৩ । জুনুবী ব্যক্তি ঘুমের ইচ্ছা করলে হাত ধোয়া অথবা সালাতের উযুর ন্যায় উযু করা জরুরী । তাবে এসবের প্রত্যেক অবস্থায় গোসল করাই উত্তম ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৮৮
অপবিত্র অবস্থায় ঘুমানো
২২১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ تُصِيبُهُ الْجَنَابَةُ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ ثُمَّ نَمْ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আরয করলেন যে, তিনি রাতে (প্রায়ই) অপবিত্র হন (এরূপ অবস্থায় করণীয় কি?) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উযু কর এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে নাও, তারপর ঘুমাও।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৮৯
অপবিত্র অবস্থায় পানাহার প্রসঙ্গে
২২২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَهُوَ جُنُبٌ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্র অবস্থায় ঘুমানোর ইচ্ছা করলে সালাতের উযুর ন্যায় উযু করে নিতেন।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ زَادَ “ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ وَهُوَ جُنُبٌ غَسَلَ يَدَيْهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ فَجَعَلَ قِصَّةَ الأَكْلِ قَوْلَ عَائِشَةَ مَقْصُورًا وَرَوَاهُ صَالِحُ بْنُ أَبِي الأَخْضَرِ عَنِ الزُّهْرِيِّ كَمَا قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ عَنْ عُرْوَةَ أَوْ أَبِي سَلَمَةَ وَرَوَاهُ الأَوْزَاعِيُّ عَنْ يُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَمَا قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ .
ইউনুস হতে যুহরী থেকে বর্ণিতঃ
ইউনুস হতে যুহরী সূত্রে একই সানাদে সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত আছে। তাতে একথাও রয়েছেঃ অপবিত্র অবস্থায় তিনি খাওয়ার ইচ্ছা করলে তাঁর উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইউনুস থেকে ইবনু ওয়াহব ও হাদীসটিই বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি খাওয়ার কথাটা ‘আয়িশা (রাঃ)-এর বক্তব্য বলে উল্লেখ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৯০
যে বলে, অপবিত্র ব্যক্তি উযু করবে
২২৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ أَوْ يَنَامَ تَوَضَّأَ . تَعْنِي وَهُوَ جُنُبٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্র অবস্থায় খানা খাওয়ার অথবা ঘুমাবার ইচ্ছা করলে উযু করে নিতেন।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২২৫
حَدَّثَنَا مُوسَى، – يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ – حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ – أَخْبَرَنَا عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ لِلْجُنُبِ إِذَا أَكَلَ أَوْ شَرِبَ أَوْ نَامَ أَنْ يَتَوَضَّأَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ بَيْنَ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ وَعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ رَجُلٌ وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَابْنُ عُمَرَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الْجُنُبُ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ تَوَضَّأَ .
আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্র ব্যক্তিকে উযু করে পানাহার করার অথবা ঘুমাবার অনুমতি প্রদান করেছেন। ‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার এবং ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) বলেছেন, অপবিত্র ব্যক্তি খাওয়ার ইচ্ছা করলে উযু করে নিবে।
দুর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ বলেনঃ এ হাদীসে ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া’মার ও ‘আম্মার ইবনু ইয়াসারের মাঝে এক ব্যক্তি রয়েছে। আর ‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব, ইবনু ‘উমার, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর বলেনঃ জুনুবী খাওয়ার ইচ্ছা করলে উযু করে নিবে।
[২২৪] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ উযু করে নিলে জুনুবী ব্যক্তির খাওয়া ও ঘুমানোর অনুমতি আছে, হাঃ ৬১৩), আহমাদ (৪/৩২০) হাম্মাদ সূত্রে ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আহমাদ শাকির তিরমিযীর উপর তার তালীক্ব গ্রন্থে হাদীসটির পরে আবূ দাউদের কৃত বক্তব্য উল্লেখ করেন । অনুরূপভাবে উল্লেখ করেন ইমাম দারাকুতনীর বক্তব্যঃ ইয়াহইয়া ‘আম্মারের সাক্ষাত পাননি, সানাদটি মুনকাতি। অতঃপর আহমাদ শাকির বলন, ‘আম্মার নিহত হয় সিফফিনে ৩৭ হিজরীতে। অতএব এটা অসম্ভব বা দূরের কথা নয় যে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াসার এর সাক্ষাত পেয়েছেন। আলবানী একে দুর্বল বলেছেন ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৯১
অপবিত্র ব্যক্তির বিলম্বে গোসল করা
২২৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، ح حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا بُرْدُ بْنُ سِنَانٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ غُضَيْفِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَرَأَيْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ أَوْ فِي آخِرِهِ قَالَتْ رُبَّمَا اغْتَسَلَ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا اغْتَسَلَ فِي آخِرِهِ . قُلْتُ اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً . قُلْتُ أَرَأَيْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ أَمْ فِي آخِرِهِ قَالَتْ رُبَّمَا أَوْتَرَ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا أَوْتَرَ فِي آخِرِهِ . قُلْتُ اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً . قُلْتُ أَرَأَيْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَجْهَرُ بِالْقُرْآنِ أَمْ يَخْفِتُ بِهِ قَالَتْ رُبَّمَا جَهَرَ بِهِ وَرُبَّمَا خَفَتَ . قُلْتُ اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً .
গুদায়িফ ইবনুল হারিস থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বললাম, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানাবাতের গোসল কখন করতে দেখেছেন, রাতের প্রথমভাগে না শেষভাগে? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তিনি কখনো রাতের প্রথম ভাগে গোসল করতেন আবার কখনো রাতের শেষ ভাগে। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই যিনি এ ব্যাপারে প্রশস্ততা ও সহজতা দান করেছেন। আমি বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর (সালাত) রাতের প্রথম দিকে আদায় করতেন, না শেষদিকে? তিনি বললেন, কখনো রাতের প্রথমদিকে বিতর আদায় করতেন আবার কখনো শেষ রাতে। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই যিনি এ ব্যাপারে প্রশস্ততা ও সহজতা দান করেছেন। আমি বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআন তিলাওয়াত উচ্চৈঃস্বরে করতেন না নিম্নস্বরে? তিনি বললেন, তিনি কখনো উচ্চৈঃস্বরে এবং কখনো নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করতেন। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি এ ব্যাপারে প্রশস্ততা ও সহজতা দান করেছেন।
সহীহঃ মুসলিমে এর প্রথমাংশ রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২২৭
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُجَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، – رضى الله عنه – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ وَلاَ كَلْبٌ وَلاَ جُنُبٌ ” .
আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ঘরে মূর্তি, কুকুর অথবা অপবিত্র ব্যক্তি রয়েছে সেখানে মালায়িকাহ (ফেরেশতা) প্রবেশ করে না।
দূর্বল : যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৬২০৩।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২২৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنَامُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَمَسَّ مَاءً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْوَاسِطِيُّ قَالَ سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ يَقُولُ هَذَا الْحَدِيثُ وَهَمٌ . يَعْنِي حَدِيثَ أَبِي إِسْحَاقَ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোনরূপ পানি স্পর্শ না করেই অপবিত্র অবস্থায় ঘুমাতেন।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াযীদ ইবনু হারুন বলতেন, এ হাদীসটি (অর্থাৎ আবূ ইসহাক্বের হাদীস) অনুমান নির্ভর।
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষা :
১ । জানাবাতের গোসল যথাশীঘ্র করা ওয়াজিব নয় ।
২ । বিতর সলাত প্রথম ও শেষ রাতে উভয সময়েই আদায় করা জায়িয ।তবে কেউ শেষ রাতে ক্বিয়াম করলে তার জন্য শেষ রাতে আদায় করাই উত্তম ।
৩ । কুকুর ও ছবি না রাখা ।
৪ । বিলম্বে জানাবাতের গোসল করা ভাল কাজের প্রতিবন্ধক ।
৫ । জুনুবী ব্যক্তির গোসল না করে উযু করে ঘুমানো জায়িয ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৯২
অপবিত্র অবস্থায় কুরআন পড়া
২২৯
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَلِيٍّ – رضى الله عنه – أَنَا وَرَجُلاَنِ رَجُلٌ مِنَّا وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ – أَحْسِبُ فَبَعَثَهُمَا عَلِيٌّ – رضى الله عنه – وَجْهًا وَقَالَ إِنَّكُمَا عِلْجَانِ فَعَالِجَا عَنْ دِينِكُمَا . ثُمَّ قَامَ فَدَخَلَ الْمَخْرَجَ ثُمَّ خَرَجَ فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَخَذَ مِنْهُ حَفْنَةً فَتَمَسَّحَ بِهَا ثُمَّ جَعَلَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَأَنْكَرُوا ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْرُجُ مِنَ الْخَلاَءِ فَيُقْرِئُنَا الْقُرْآنَ وَيَأْكُلُ مَعَنَا اللَّحْمَ وَلَمْ يَكُنْ يَحْجُبُهُ – أَوْ قَالَ يَحْجُزُهُ – عَنِ الْقُرْآنِ شَىْءٌ لَيْسَ الْجَنَابَةَ .
আবদুল্লাহ ইবনু সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং আমার সাথে আরো দু’জন লোক ‘আলী (রাঃ) -এর নিকট গেলাম। তাদের একজন আমাদের গোত্রের আর অন্যজন সম্ভবত বানু আসাদ গোত্রের। ‘আলী (রাঃ) তাদের দু’জনকে কোন কাজে পাঠালেন এবং প্রেরণের সময় বললেন, তোমরা দু’জনেই শক্তিশালী। কাজেই তোমরা তোমাদের শক্তি দ্বীনের ক্ষেত্রে ব্যয় করবে। অতঃপর তিনি পায়খানায় গেলেন এবং সেখান থেকে বের হয়ে পানি চাইলেন। তিনি এক অঞ্জলি পানি হাতে নিয়ে (মুখ) মুছে কুরআন তিলাওয়াত করতে লাগলেন। লোকেরা বিষয়টি আপত্তিকর মনে করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের কুরআন পড়াতেন এবং আমাদের সঙ্গে গোশতও খেতেন। একমাত্র জানাবাত (গোসল ফরয হওয়ার অপবিত্রতা) ব্যতিত কোন কিছুই তাঁকে কুরআন থেকে বিরত রাখতে পারতো না। [২২৮]
দূর্বল : মিশকাত ৪৬০।
হাদীস থেকে শিক্ষা :
১ । কেউ কোন সুন্নাত বিরোধী কাজ হতে দেখলে তার উচিত ঐ কর্মসম্পাদনকারীকে নিষেধ করা
২ । ছোট অপবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত জায়িয ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৯৩
জানাবাতের অবস্থায় মুসাফাহ করা
২৩০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَقِيَهُ فَأَهْوَى إِلَيْهِ فَقَالَ إِنِّي جُنُبٌ . فَقَالَ “ إِنَّ الْمُسْلِمَ لاَ يَنْجُسُ ” .
হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে তার সাক্ষাত ঘটলে তিনি হুযাইফাহর দিকে (মুসাফাহ করতে) এগিয়ে আসলেন। তখন হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, আমি তো অপবিত্র অবস্থায় আছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মুসলমান (কখনো) অপবিত্র হয় না বা অপবিত্র নয়।
সহীহ : মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَبِشْرٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَأَنَا جُنُبٌ فَاخْتَنَسْتُ فَذَهَبْتُ فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ ” أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ” . قَالَ قُلْتُ إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ عَلَى غَيْرِ طَهَارَةٍ . فَقَالَ ” سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّ الْمُسْلِمَ لاَ يَنْجُسُ ” . وَقَالَ فِي حَدِيثِ بِشْرٍ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ حَدَّثَنِي بَكْرٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদীনার এক রাস্তায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়। আমি তখন অপবিত্র অবস্থায় ছিলাম। তাই আমি পিছনে হটে গিয়ে গোসল করে আসলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন হে আবূ হুরায়রা! তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে? আমি বললাম, আমি অপবিত্র অবস্থায় ছিলাম বিধায় অপবিত্র অবস্থায় আপনার সাথে বসা অপছন্দ করলাম। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! মুসলমান (কখনো) অপবিত্র হয় না।
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১ । জানাবাত এমন কোন অপবিত্রতা নয় যদদ্বারা জুনুবী ব্যক্তির সঙ্গে মুসাফাহ্ ও সাক্ষাতকারী অপবিত্র হয় ।
২ । জুনুবী ব্যক্তির জন্য গোসলের পূর্বে স্বীয় প্রয়োজনীয় কাজে চলে যাওয়া জায়িয আছে, যদি সলাতের ওয়াক্ত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকে ।
৩ । মুসলমান পাক, তারা কোন অবস্থাতেই (প্রকৃত) অপবিত্র হয় না ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯৪
অপবিত্র ব্যক্তির মাসজিদে প্রবেশ প্রসঙ্গে
২৩২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَفْلَتُ بْنُ خَلِيفَةَ، قَالَ حَدَّثَتْنِي جَسْرَةُ بِنْتُ دِجَاجَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، رضى الله عنها تَقُولُ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوُجُوهُ بُيُوتِ أَصْحَابِهِ شَارِعَةٌ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ ” وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ ” . ثُمَّ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَصْنَعِ الْقَوْمُ شَيْئًا رَجَاءَ أَنْ تَنْزِلَ فِيهِمْ رُخْصَةٌ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ بَعْدُ فَقَالَ ” وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ فَإِنِّي لاَ أُحِلُّ الْمَسْجِدَ لِحَائِضٍ وَلاَ جُنُبٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ فُلَيْتٌ الْعَامِرِيُّ .
জাসরাহ বিনতু দিজাজাহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে দেখলেন, সহাবাদের ঘরের দরজা মাসজিদের দিকে ফেরানো। (কেননা তারা মাসজিদের ভিতর দিয়েই যাতায়াত করতেন) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুনরায় এসে দেখলেন, লোকেরা কিছুই করেননি এ প্রত্যাশায় যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ব্যাপারে কোন অনুমতি নাযিল হয় কিনা। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে তাদের আবারো বললেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। কারণ ঋতুবতী মহিলা ও অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মাসজিদে যাতায়াত আমি হালাল মনে করি না।
দূর্বলঃ যঈফ আর-জামি’উস সাগীর ৬১১৭, ইরওয়া ১৯৩
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৯৫
ভুলবশত কোন ব্যক্তি অপবিত্র অবস্থায় সলাতে ইমামতি করলে
২৩৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ زِيَادٍ الأَعْلَمِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ فَأَوْمَأَ بِيَدِهِ أَنْ مَكَانَكُمْ ثُمَّ جَاءَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ فَصَلَّى بِهِمْ .
আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের সলাত শুরু করে (হঠাৎ তা ছেড়ে দিলেন) আর লোকদেরকে হাতে ইশারা করলেন যে, তোমরা সবাই নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান কর। কিছুক্ষণ পর (ফারয গোসল করে) তিনি ফিরে এলেন। তখন তাঁর মাথা থেকে পানি ঝরে পড়ছিল। অতঃপর তিনি সলাত আদায় করালেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩৪
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ فِي أَوَّلِهِ فَكَبَّرَ . وَقَالَ فِي آخِرِهِ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ ” إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَإِنِّي كُنْتُ جُنُبًا ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ فَلَمَّا قَامَ فِي مُصَلاَّهُ وَانْتَظَرْنَا أَنْ يُكَبِّرَ انْصَرَفَ ثُمَّ قَالَ ” كَمَا أَنْتُمْ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ أَيُّوبُ وَابْنُ عَوْنٍ وَهِشَامٌ عَنْ مُحَمَّدٍ مُرْسَلاً عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَكَبَّرَ ثُمَّ أَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى الْقَوْمِ أَنِ اجْلِسُوا فَذَهَبَ فَاغْتَسَلَ . وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مَالِكٌ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَبَّرَ فِي صَلاَةٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ حَدَّثَنَاهُ مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا أَبَانُ عَنْ يَحْيَى عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَبَّرَ .
হাম্মাদ ইবনু সালামাহ থেকে বর্ণিতঃ
হাম্মাদ ইবনু সালামাহ হতে উক্ত হাদীস একই সানাদ এবং একই অর্থে বর্ণিত হয়েছে। তবে তার বর্ণিত হাদীসের প্রথমাংশে রয়েছেঃ ‘তিনি তাকবীরে তাহরীমা বললেন।’ আর শেষাংশে রয়েছেঃ ‘তিনি সলাত আদায় শেষে বললেন, ‘আমি ও মানুষ এবং আমি অপবিত্র ছিলাম।’ আবূ হুরায়রার (রাঃ) বর্ণনায় রয়েছেঃ ‘যখন তিনি সলাতের স্থানে দাঁড়ালেন এবং আমরা তাঁর তাকবীর ধ্বনি শুনার অপেক্ষা করছিলাম, তখন তিনি ওখান থেকে চলে গেলেন এবং যাওয়ার সময় বলে গেলেন, তোমরা নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান কর।’ মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে মুরসালভাবে বর্ণনা করেন যে, ‘তিনি তাকবীরে তাহরীমা দিলেন, অতঃপর লোকদেরকে বসার জন্য ইশারা করে চলে গিয়ে গোসল করলেন। এরূপই বর্ণনা করেছেন মালিক, ইসমাঈল ইবনু আবূ হাকিম হতে, তিনি ‘আত্বা ইবনু ইয়াসীর হতে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সলাতের তাকবীর দিলেন। রাবী’ ইবনু মুহাম্মাদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, ‘তিনি তাকবীর বললেন।’
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩৫
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الأَزْرَقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، – إِمَامُ مَسْجِدِ صَنْعَاءَ – حَدَّثَنَا رَبَاحٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ وَصَفَّ النَّاسُ صُفُوفَهُمْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا قَامَ فِي مَقَامِهِ ذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يَغْتَسِلْ فَقَالَ لِلنَّاسِ “ مَكَانَكُمْ ” . ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ فَخَرَجَ عَلَيْنَا يَنْطُفُ رَأْسُهُ وَقَدِ اغْتَسَلَ وَنَحْنُ صُفُوفٌ . وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ حَرْبٍ وَقَالَ عَيَّاشٌ فِي حَدِيثِهِ فَلَمْ نَزَلْ قِيَامًا نَنْتَظِرُهُ حَتَّى خَرَجَ عَلَيْنَا وَقَدِ اغْتَسَلَ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা সলাতের জন্য ইক্বামাত দেয়া হলে লোকজন কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালো। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে তাঁর নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়ালেন। এমন সময় তাঁর স্মরণ হলো, তিনি গোসল করেননি। তিনি লোকদের বললেন, ‘তোমরা যথাস্থানে অবস্থান কর’। এ বলে তিনি ঘরে গিয়ে গোসল করে আমাদের নিকট ফিরে আসলেন, তখন তাঁর মাথা থেকে পানি ঝরে পড়ছিল। আমরা তখনও কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এটা ইবনু হারবের বর্ণনা। ‘আইয়াশের বর্ণনায় আছেঃ তিনি গোসল করে আমাদের নিকট ফিরে আসা পযর্ন্ত আমরা ঐভাবেই দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১ । জামা’আতে উপস্থিত লোকদের ইমামের জন্য অপেক্ষা করা জায়িয ।
২ । কেউ ভুলবশতঃ জুনুবী অবস্থায় মাসজিদে প্রবেশের পর তার অপবিত্রতার কথা স্মরণ হওয়া মাত্রই মাসজিদ হতে বের হয়ে যাবে ।
৩ । যখন প্রকাশ পাবে যে, ইমাম অপবিত্র হওয়ার কারণে পবিত্র হওয়ার জন্য চলে গেছেন এবং পবিত্র হয়েই ফিরে আসবেন, তখন অন্য কাউকে তথায় ইমাম নিযুক্ত করবে না ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ৯৬
কোন ব্যক্তির রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হলে
২৩৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ الْخَيَّاطُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يَجِدُ الْبَلَلَ وَلاَ يَذْكُرُ احْتِلاَمًا قَالَ ” يَغْتَسِلُ ” . وَعَنِ الرَّجُلِ يَرَى أَنَّهُ قَدِ احْتَلَمَ وَلاَ يَجِدُ الْبَلَلَ قَالَ ” لاَ غُسْلَ عَلَيْهِ ” . فَقَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ الْمَرْأَةُ تَرَى ذَلِكَ أَعَلَيْهَا غُسْلٌ قَالَ ” نَعَمْ إِنَّمَا النِّسَاءُ شَقَائِقُ الرِّجَالِ ” .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এমন ব্যক্তি সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করা হল, যে ঘুম থেকে জেগে (বীর্যপাতের দরুণ কাপড়) ভিজা দেখতে পায় অথচ স্বপ্নদোষের কথা তার স্মরণ হচ্ছে না। তিনি বললেন, তাকে গোসল করতে হবে। এটাও জিজ্ঞাসা করা হল যে, এক ব্যক্তির তার স্বপ্নদোষ হয়েছে বলে মনে পড়ছে, অথচ কাপড়ে কোন ভিজা দেখতে পেল না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাকে গোসল করতে হবে না। উম্মু সুলাইম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! নারীরাও (পুরুষের) অনুরূপ কিছু দেখতে পেলে তাদেরও কি গোসল করতে হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, নারীরা তো পুরুষের মতই।
হাসান : তবে উম্মু সুলাইম (রাঃ)-এর এ কথাটি বাদে : নারীরাও (পুরুষের) অনুরূপ কিছু দেখতে
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ -৯৭
পুরুষের ন্যায় নারীদের স্বপ্নদোষ হলে
২৩৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ قَالَ عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ الأَنْصَارِيَّةَ، – وَهِيَ أُمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ – قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ أَرَأَيْتَ الْمَرْأَةَ إِذَا رَأَتْ فِي النَّوْمِ مَا يَرَى الرَّجُلُ أَتَغْتَسِلُ أَمْ لاَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” نَعَمْ فَلْتَغْتَسِلْ إِذَا وَجَدَتِ الْمَاءَ ” . قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهَا فَقُلْتُ أُفٍّ لَكِ وَهَلْ تَرَى ذَلِكَ الْمَرْأَةُ فَأَقْبَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” تَرِبَتْ يَمِينُكِ يَا عَائِشَةُ وَمِنْ أَيْنَ يَكُونُ الشَّبَهُ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَى عُقَيْلٌ وَالزُّبَيْدِيُّ وَيُونُسُ وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ عَنْ مَالِكٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَوَافَقَ الزُّهْرِيَّ مُسَافِعٌ الْحَجَبِيُّ قَالَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ . وَأَمَّا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ فَقَالَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আনাস ইবনু মালিকের মা উম্মু সুলাইম আল-আনসারিয়্যাহ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ সত্যের ক্ষেত্রে লজ্জা করেন না! পুরুষের ন্যায় নারীরাও যদি ঘুমে ঐরূপ কিছু দেখে, তাহলে তাকে গোসল করতে হবে কিনা? ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, পানি দেখতে পেলে তাকেও গোসল করতে হবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি উম্মু সুলাইমকে বললাম, তোমার জন্য দুঃখ হচ্ছে! পুরুষের ন্যায় নারীদের আবার স্বপ্নদোষ হয় নাকি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে এসে বললেন, হে ‘আয়িশাহ! তোমার ডান হাত ধুলিমলিন হোক। যদি এরূপই না হবে, তাহলে সন্তান মায়ের আকৃতির হয় কি করে?
সহীহঃ মুসলিম।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১ । মহিলাদের স্বপ্নদোষ হলে এবং বীর্য নির্গত হওয়ার আলামত পেলে তাদের জন্য গোসল করা ওয়াজিব ।
২ । পুরুষের ন্যায় নারীদেরও স্বপ্নদোষ হয় ।
৩ । কোন বিষয়ে শারঈ হুকুম জানা না থাকলে তা জিজ্ঞেস করা বৈধ । লজ্জা যেন এতে প্রতিবন্ধক না হয় ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ – ৯৮
যে পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করা যায়
২৩৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنْ إِنَاءٍ – هُوَ الْفَرَقُ – مِنَ الْجَنَابَةِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ فِيهِ قَدْرُ الْفَرَقِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ الْفَرَقُ سِتَّةَ عَشَرَ رِطْلاً . وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ صَاعُ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ خَمْسَةُ أَرْطَالٍ وَثُلُثٌ . قَالَ فَمَنْ قَالَ ثَمَانِيَةُ أَرْطَالٍ قَالَ لَيْسَ ذَلِكَ بِمَحْفُوظٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ يَقُولُ مَنْ أَعْطَى فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ بِرَطْلِنَا هَذَا خَمْسَةَ أَرْطَالٍ وَثُلُثًا فَقَدْ أَوْفَى . قِيلَ الصَّيْحَانِيُّ ثَقِيلٌ قَالَ الصَّيْحَانِيُّ أَطْيَبُ . قَالَ لاَ أَدْرِي .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ফারাক পরিমাণ পানি সংকুলান হয় এমন একটি পাত্র থেকে পানি নিয়ে জানাবাতের গোসল করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, যুহরী থেকে মা’মার এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছে ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’জনে একই পাত্র হতে পানি নিয়ে গোসল করতাম। ঐ পাত্রে এক ফারাক পানি ধরত। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘এক ফারাক হলো, ষোল রত্বল।’ আমি তাকে এটাও বলতে শুনেছি, ইবনু আবূ যি’ব এর মতেঃ এক সা’ হচ্ছে পাঁচ রত্বল এবং এক রত্বলের এক তৃতীয়াংশ।’ আর যিনি আট রত্বল বলেছেন তা সুরক্ষিত (মাহফূয) নয়। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইমাম আহমাদ কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আমাদের রত্বলের পাঁচ রত্বল এবং এক তৃতীয়াংশ দ্বারা সদাক্বাতুল ফিতর আদায় করল, সে পূর্ণ ফিতরা দিল। লোকজন বলল, সায়হানী (মাদীনাহর এক প্রকার খেজুর) তো (ওজনে) ভারী হয়। তিনি বললেন, সায়হানী কি উৎকৃষ্ট? তিনি বললেন, আমার তা জানা নেই।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ -৯৯
জানাবাতের গোসল করার নিয়ম
২৩৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، أَنَّهُمْ ذَكَرُوا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْغُسْلَ مِنَ الْجَنَابَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَمَّا أَنَا فَأُفِيضُ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثًا ” . وَأَشَارَ بِيَدَيْهِ كِلْتَيْهِمَا .
জুবাইর ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তাঁরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট জানাবাতের গোসল সর্ম্পকে উল্লেখ করলেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি আমার মাথার উপর তিনবার পানি ঢেলে থাকি। এ বলে তিনি তাঁর দু’হাতের দ্বারা ইশারা করে দেখিয়ে দিলেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ دَعَا بِشَىْءٍ نَحْوِ الْحِلاَبِ فَأَخَذَ بِكَفِّهِ فَبَدَأَ بِشِقِّ رَأْسِهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ الأَيْسَرِ ثُمَّ أَخَذَ بِكَفَّيْهِ فَقَالَ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাবাতের গোসল করার সময় ‘হিলাব’ তথা উটের দুধ দোহনের পাত্রের ন্যায় একটি পাত্র আনাতেন। অতঃপর উভয় হাতে পানি নিয়ে প্রথমে মাথার ডান দিকে ঢালতেন, তারপর বামদিকে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর উভয় হাতে পানি নিয়ে মাথার তালুতে ঢালতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪১
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – عَنْ زَائِدَةَ بْنِ قُدَامَةَ، عَنْ صَدَقَةَ، حَدَّثَنَا جُمَيْعُ بْنُ عُمَيْرٍ، – أَحَدُ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ – قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أُمِّي وَخَالَتِي عَلَى عَائِشَةَ فَسَأَلَتْهَا إِحْدَاهُمَا كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ عِنْدَ الْغُسْلِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ يُفِيضُ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَنَحْنُ نُفِيضُ عَلَى رُءُوسِنَا خَمْسًا مِنْ أَجْلِ الضَّفْرِ .
জুমাই’ ইবনু ‘উমাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার মা ও খালার সাথে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তাদের একজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কিভাবে গোসল করতেন? ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথমে সলাতের উযুর ন্যায় উযু করতেন, এরপর মাথায় তিনবার পানি ঢালতেন। তবে আমরা চুলের গোছার কারণে পাঁচবার পানি ঢালতাম।
খুবই দূর্বল।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
২৪২
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ الْوَاشِحِيُّ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ – قَالَ سُلَيْمَانُ يَبْدَأُ فَيُفْرِغُ مِنْ يَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ . وَقَالَ مُسَدَّدٌ غَسَلَ يَدَيْهِ يَصُبُّ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى ثُمَّ اتَّفَقَا فَيَغْسِلُ فَرْجَهُ . – قَالَ مُسَدَّدٌ – يُفْرِغُ عَلَى شِمَالِهِ وَرُبَّمَا كَنَتْ عَنِ الْفَرْجِ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ يُدْخِلُ يَدَيْهِ فِي الإِنَاءِ فَيُخَلِّلُ شَعْرَهُ حَتَّى إِذَا رَأَى أَنَّهُ قَدْ أَصَابَ الْبَشَرَةَ أَوْ أَنْقَى الْبَشَرَةَ أَفْرَغَ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثًا فَإِذَا فَضَلَ فَضْلَةٌ صَبَّهَا عَلَيْهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের গোসল করতেন- সুলাইমানের বর্ণনা মতে- তখন প্রথমে ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢালতেন। আর মুসাদ্দাদের বর্ণনা মতে- তিনি উভয় হাত ধৌত করে ডান হাতে পাত্রের পানি ঢালতেন। অতঃপর উভয় বর্ণনাকারী এ বিষয়ে একমত হন যে, এরপর তিনি লজ্জাস্থান ধৌত করতেন। মুসাদ্দাদ বলেন, (ডান হাতের পর) তিনি বাম হাতের উপর পানি ঢালতেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) কখনো কথনো লজ্জাস্থানের কথা ইঙ্গিতে বর্ণনা করেছেন। তারপর তিনি সলাতের উযুর ন্যায় উযু করতেন। তারপর উভয় হাত পাত্রে ঢুকিয়ে (পানি নিয়ে) চুল খিলাল করতেন। যখন তিনি দেখতেন যে, সারা শরীরে পানি পৌঁছেছে অথবা শরীর পরিস্কার হয়েছে, তখন তিনবার মাথায় পানি ঢালতেন। সব শেষে অবশিষ্ট থাকলে তা নিজের গায়ে ঢেলে দিতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪৩
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنِ النَّخَعِيِّ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يَغْتَسِلَ مِنَ الْجَنَابَةِ بَدَأَ بِكَفَّيْهِ فَغَسَلَهُمَا ثُمَّ غَسَلَ مَرَافِغَهُ وَأَفَاضَ عَلَيْهِ الْمَاءَ فَإِذَا أَنْقَاهُمَا أَهْوَى بِهِمَا إِلَى حَائِطٍ ثُمَّ يَسْتَقْبِلُ الْوُضُوءَ وَيُفِيضُ الْمَاءَ عَلَى رَأْسِهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাবাতের গোসল করার ইচ্ছা করলে প্রথমে উভয় হাত কব্জি পযর্ন্ত ধুতেন, তারপর (শরীরের) গ্রন্থিসমূহ (যেমন বগল, কনুই, দুই রানের মধ্যবর্তী স্থান ইত্যাদি যেখানে ময়লা জমে থাকে অথবা লজ্জাস্থান) ধুতেন এবং তার উপর পানি বহাতেন। যখন উভয় হাত পরিস্কার হয়ে যেত তখন (ঘষার জন্য) দেয়ালের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেন।তারপর উযু শুরু করতেন এবং মাথায় পানি ঢালতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ شَوْكَرٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عُرْوَةَ الْهَمْدَانِيِّ، حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها لَئِنْ شِئْتُمْ لأُرِيَنَّكُمْ أَثَرَ يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَائِطِ حَيْثُ كَانَ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ .
শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, তোমরা দেখতে চাইলে আমি দেয়ালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাতের চিহ্ন তোমাদের দেখিয়ে দিতে পারি; যেখানে তিনি জানাবাতের গোসল করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৪৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لاَ يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مُسَدَّدٌ فَقُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ دَاوُدَ كَانُوا يَكْرَهُونَهُ لِلْعَادَةِ فَقَالَ هَكَذَا هُوَ وَلَكِنْ وَجَدْتُهُ فِي كِتَابِي هَكَذَا .
মায়মূনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তিনি পানির পাত্র কাত করে ডান হাতে পানি ঢেলে তা দু’বার বা তিনবার ধুলেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে তা বাম হাতে ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে ধুয়ে নিলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মূখমন্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথায় এবং সমগ্র শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর ঐ স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে উভয় পা ধুলেন। আমি (শরীর মোছার জন্য) তাঁকে রুমাল দিলাম। তিনি তা গ্রহণ করলেন না বরং শরীর থেকে পানি ঝেড়ে ফেলতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাহবীগণ গামছা ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা (গামছা ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা অপছন্দ করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মুসাদ্দাদ বলেছেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু দাউদকে জিজ্ঞাসা করলাম, গামছা ব্যবহার অভ্যাসে পরিণত হবে বলেই কি সাহাবীগণ তা অপছন্দ করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ এরূপই। আমার কিতাবেও এরূপ (তথ্য) পেয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪৬
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عِيسَى الْخُرَاسَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ إِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَانَ إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ يُفْرِغُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى سَبْعَ مِرَارٍ ثُمَّ يَغْسِلُ فَرْجَهُ فَنَسِيَ مَرَّةً كَمْ أَفْرَغَ فَسَأَلَنِي كَمْ أَفْرَغْتُ فَقُلْتُ لاَ أَدْرِي . فَقَالَ لاَ أُمَّ لَكَ وَمَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَدْرِيَ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ يُفِيضُ عَلَى جِلْدِهِ الْمَاءَ ثُمَّ يَقُولُ هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَطَهَّرُ .
শু‘বাহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) জানাবাতের গোসল করার সময় ডান হাত দিয়ে বাম হাতে সাতবার পানি ঢালতেন। তারপর লজ্জাস্থান ধুতেন। একবার তিনি (গোসলের সময়) কতবার পানি ঢেলেছেন তা ভুলে গেলে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি পানি কতবার ঢেলেছি? আমি বললাম, আমার তো জানা নেই! তিনি বললেন, তোমার মা না থাকুক! তুমি কেন মনে রাখলে না? অতঃপর তিনি সলাতের উযুর ন্যায় উযু করে সমগ্র শরীরে পানি ঢেলে দিলেন এবং বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবেই পবিত্রতা অর্জন করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৪৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُصْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَتِ الصَّلاَةُ خَمْسِينَ وَالْغُسْلُ مِنَ الْجَنَابَةِ سَبْعَ مِرَارٍ وَغَسْلُ الْبَوْلِ مِنَ الثَّوْبِ سَبْعَ مِرَارٍ فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُ حَتَّى جُعِلَتِ الصَّلاَةُ خَمْسًا وَالْغُسْلُ مِنَ الْجَنَابَةِ مَرَّةً وَغَسْلُ الْبَوْلِ مِنَ الثَّوْبِ مَرَّةً .
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফারয ছিল এবং জানাবাতের গোসল করতে হতো সাতবার, কাপড়ে পেশাব লেগে গেলে তাও সাতবার ধুতে হতো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (এর সংখ্যা কমানোর জন্য) অবিরাম দু’আ করতে থাকেন। অতঃপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফারয করা হলো, জানাবাতের গোসল একবার এবং কাপড়ে পেশাব লেগে গেলে তা ধুতে নির্দেশ করা হলো একবার। [২৪৬]
২৪৬ আহমাদ (২/১০৯, হাঃ ৫৮৮৪) আইয়ূব ইবনু জাবির সূত্রে। এর সানাদের আইয়ূব ইবনু জাবিরকে হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে দুর্বল বলেছেস। ‘আওনুল মা’বুদে রয়েছেঃ একাধিক ইমাম সানাদের ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উসামার সমালোচনা করেছেন এবং তার সূত্রে বর্ণনাকারী আইয়ূব ইবনু জাবিরের হাদীস দ্বারা দলীল দেয়া যাবে না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৪৮
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ وَجِيهٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ تَحْتَ كُلِّ شَعْرَةٍ جَنَابَةً فَاغْسِلُوا الشَّعْرَ وَأَنْقُوا الْبَشَرَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْحَارِثُ بْنُ وَجِيهٍ حَدِيثُهُ مُنْكَرٌ وَهُوَ ضَعِيفٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক পশমের নীচে অপবিত্রতা রয়েছে। সুতরাং তোমরা প্রতিটি পশম (উত্তমরূপে) ধৌত কর এবং শরীর পরিচ্ছন্ন কর। [২৪৭]
দুর্বলঃ মিশকাত ৪৪৩, যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ১৮৪৭।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আল-হারিস ইবনু ওয়াজীহ বর্ণিত হাদীসটি মুনকার এবং তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল।
২৪৭ তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ জানাবাতের গোসল, হাঃ ১০৬, ইমাম তিনমিযী বলেন, এ হাদীসটি গরীব। আমরা হারিস ইবনু ওয়াজীহকে কেবল তার হাদীসেই চিনতে পেরেছি। তিনি একজন শায়খ, তিনি তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি নন), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ প্রত্যেক লোমকূপে অপবিত্রতা রয়েছে, হাঃ ৫৯৭), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (১/১৭৫)। এর সানাদের হারিস ইবনু ওয়াজীহকে হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৪৯
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ زَاذَانَ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ تَرَكَ مَوْضِعَ شَعْرَةٍ مِنْ جَنَابَةٍ لَمْ يَغْسِلْهَا فُعِلَ بِهِ كَذَا وَكَذَا مِنَ النَّارِ ” . قَالَ عَلِيٌّ فَمِنْ ثَمَّ عَادَيْتُ رَأْسِي فَمِنْ ثَمَّ عَادَيْتُ رَأْسِي ثَلاَثًا . وَكَانَ يَجِزُّ شَعْرَهُ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জানাবাতের গোসলে একটি পশম পরিমাণ স্থান না ধুয়ে ছেড়ে দেবে, তাকে জাহান্নামে এরূপ এরূপ শাস্তি দেয়া হবে। ‘আলী (রাঃ) বলেন, এরপর থেকেই আমি আমার মাথার সাথে দুশমনি করি। এরপর থেকেই আমি আমার মাথার সাথে দুশমনি করি। তিনি তিনবার এরূপ বললেন। বর্ণনাকারী বলেন, সেজন্যই ‘আলী তার মাথার চুল কামিয়ে ফেলতেন।২৪৮
দুর্বলঃ ইরওয়া ১৩৩, যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৫৫২৪।
২৪৮ ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ প্রত্যেক লোমকূপে অপবিত্রতা রয়েছে, হাঃ ৫৯৯), দারিমী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ যে ব্যক্তি জানাবাতের গোসলে এক চুল পরিমাণ জায়গা ভিজানো পরিহার করল, হাঃ ৭৫১), আহমাদ (১/৯৪১, ১০১, ১৩৩), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (১/১৭৫) একাধিক সানাদে হাম্মাদ ইবনু সালামহ হতে, তিনি ‘আত্বা ইবনু সায়িব হতে, তিনি জাযান হতে। হাফিয ‘আত-তাখলীস’ গ্রন্থে (পৃঃ ৫২) বলেন, এর সানাদ সহীহ। কেননা এটি ‘আত্বা ইবনু সায়িবের বর্ণনা। হাদীসটি তিনি হাম্মাদ ইবনু সালামাহ হতে সংমিশ্রণের পূর্বে শুনেছেন। কিন্তু বলা হয়, সঠিক হচ্ছে এটি ‘আলী (রাঃ)-এর মাওকুফ বর্ণনা। আল্লাম শাওকানী ‘নায়লুল আওতার’ গ্রন্থে (১/২৩৯) হাফিযের এ বক্তব্যের পরপরই বলেন, ইমাম নববী বলেন, দুর্বল। ‘আত্বাকে সংমিশ্রণের পূর্বেই দুর্বল বলা হয়েছে। আর হাম্মাদের ব্যাপারে সন্দেহ আছে এবং সানাদের জাযানের বিরুদ্ধেও আলোচনা রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০০
গোসলের পর উযু করা
২৫০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ وَيُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ وَصَلاَةَ الْغَدَاةِ وَلاَ أُرَاهُ يُحْدِثُ وُضُوءًا بَعْدَ الْغُسْلِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গোসল করে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করার পর ফাজরের সালাত আদায় করতেন। আমি তাঁকে গোসলের পর পুনরায় উযু করতে দেখিনি।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১. ফাজর সালাতের পূর্বে দু’রাক’আত স্বলাত আদায় শারী’আত সম্মত।
২. জানাবাতের গোসলের পর উযু ভঙ্গ না হলে পুনরায় উযু করার প্রয়োজন নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০১
গোসলের সময় মহিলার তাদের চুলের বাঁধন খুলবে কি?
২৫১
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنَ الْمُسْلِمِينَ – وَقَالَ زُهَيْرٌ إِنَّهَا – قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أَشُدُّ ضَفْرَ رَأْسِي أَفَأَنْقُضُهُ لِلْجَنَابَةِ قَالَ ” إِنَّمَا يَكْفِيكِ أَنْ تَحْفِنِي عَلَيْهِ ثَلاَثًا ” . وَقَالَ زُهَيْرٌ ” تَحْثِي عَلَيْهِ ثَلاَثَ حَثَيَاثٍ مِنْ مَاءٍ ثُمَّ تُفِيضِي عَلَى سَائِرِ جَسَدِكِ فَإِذَا أَنْتِ قَدْ طَهُرْتِ ” .
উম্ম সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জৈনক মুসলিম মহিলা-যুহাইরের বর্ণনা মতে, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার মাথার চুল মজবুতভাবে বেঁধে রাখি (বা আমার মাথার চুল খুব ঘন), অতএব জানাবাতের গোসলের সময় আমি চুলের বাঁধন খুলে ফেলব কি? তিনি বললেন, তুমি তাতে তিন অঞ্জলি পানি ঢেলে দিলেই যথেষ্ট হবে। যুহাইয়ের বর্ণনায় রয়েছে, তুমি তোমার চুলের উপর তিনবার পানি ঢালবে, তারপর সমগ্র শরীরে পানি ঢেলে দিবে; এতেই তুমি পবিত্র হবে।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৫২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ نَافِعٍ، – يَعْنِي الصَّائِغَ – عَنْ أُسَامَةَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، جَاءَتْ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَتْ فَسَأَلْتُ لَهَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ “ وَاغْمِزِي قُرُونَكِ عِنْدَ كُلِّ حَفْنَةٍ ” .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) –এর নিকট একজন মহিলা আসল। তারপর উক্ত হাদীসের অনুরূপ। তাতে রয়েছেঃ তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম- প্রথমোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে তাতে রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, প্রত্যেক অঞ্জলি পানি ঢালার সময় চুলের বেণী বা খোপা নিংড়ে নিবে।
হাসান।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২৫৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ إِحْدَانَا إِذَا أَصَابَتْهَا جَنَابَةٌ أَخَذَتْ ثَلاَثَ حَفَنَاتٍ هَكَذَا – تَعْنِي بِكَفَّيْهَا جَمِيعًا – فَتَصُبُّ عَلَى رَأْسِهَا وَأَخَذَتْ بِيَدٍ وَاحِدَةٍ فَصَبَّتْهَا عَلَى هَذَا الشِّقِّ وَالأُخْرَى عَلَى الشِّقِّ الآخَرِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কেউ জুনুবী হলে সে হাতে তিন অঞ্জলি পানি নিত। অর্থাৎ উভয় হাতে পানি নিয়ে মাথার উপর ঢেলে দিত। তারপর এক হাতে পানি নিয়ে শরীরের এক পাশে এবং অপর হাতে পানি নিয়ে শরীরের অন্য পাশে ঢেলে দিত।
সহীহঃ বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৫৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كُنَّا نَغْتَسِلُ وَعَلَيْنَا الضِّمَادُ وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُحِلاَّتٌ وَمُحْرِمَاتٌ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাথার চুল কাপড়ে বাঁধা অবস্থায় আমরা গোসল করতাম। তখন আমাদের কেউ ইহরামবিহীন অবস্থায় এবং কেউ ইহরাম বাঁধা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে থাকতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، قَالَ قَرَأْتُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ – قَالَ ابْنُ عَوْفٍ – وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنِي ضَمْضَمُ بْنُ زُرْعَةَ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ أَفْتَانِي جُبَيْرُ بْنُ نُفَيْرٍ عَنِ الْغُسْلِ، مِنَ الْجَنَابَةِ أَنَّ ثَوْبَانَ، حَدَّثَهُمْ أَنَّهُمُ، اسْتَفْتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ “ أَمَّا الرَّجُلُ فَلْيَنْشُرْ رَأْسَهُ فَلْيَغْسِلْهُ حَتَّى يَبْلُغَ أُصُولَ الشَّعْرِ وَأَمَّا الْمَرْأَةُ فَلاَ عَلَيْهَا أَنْ لاَ تَنْقُضَهُ لِتَغْرِفْ عَلَى رَأْسِهَا ثَلاَثَ غَرَفَاتٍ بِكَفَّيْهَا ” .
শুরায়হ্ ইবনু ‘উবায়িদ রহ. থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জুবাইর ইবনু নুফায়ির আমাদেরকে জানাবাতের গোসল সম্পর্কে ফাতাওয়াহ দেন যে, সাওবান (রাঃ) তাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেনঃ একদা তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট এ সম্পর্কে ফাতাওয়াহ চাইলে তিনি বলেনঃ পুরুষ লোক তার মাথার চুল এমনভাবে ছেড়ে ধুয়ে নিবে, যাতে পানি চুলের গোড়ায় পৌঁছে যায়। তবে মহিলাদের মাথার চুল না খুললেও চলবে। তারা উভয় হাতে তিন অঞ্জলি পানি নিয়ে মাথায় ঢেলে দিবে।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১. জানাবাতের গোসলে চুল ছেড়ে দেয়া মহিলাদের জন্য ওয়াজিব নয়। বরং মাথায় পানি ঢালাই যথেষ্ট।
২. নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রীগণ জানাবাতের গোসলের সময় তাঁদের চুলের বেণী বা খোপা খুলতেন না।
৩. নারীদের জন্য মাথায় তিনকোষ পানি ঢালাই যথেষ্ট।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০২
অপবিত্র ব্যক্তির খিত্বমী (এক ধরনের ঔষধি উদ্ভিদ) মিশ্রিত পানি দ্বারা মাথা ধোয়া
২৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي سُوَاءَةَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَغْسِلُ رَأْسَهُ بِالْخِطْمِيِّ وَهُوَ جُنُبٌ يَجْتَزِئُ بِذَلِكَ وَلاَ يَصُبُّ عَلَيْهِ الْمَاءَ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খিত্বমী মিশ্রিত পানি দ্বারা জানাবাতের গোসল করতেন এবং একেই যথেষ্ট মনে করতেন, পুনরায় আর পানি ঢালতেন না।
দুর্বলঃ মিশকাত ৪৪৬।
২৫৫ বাগাভী এটি ‘মাসাবীহুস সুন্নাহ’ (১/২১৭, হাঃ ৩০৬) গ্রন্থে বর্ণনা করে বলেন, এর সনদে একজন অজ্ঞাত লোক রয়েছে। যাকে সনদে বনী সুওয়াআর জৈনিক ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ এর সনদ দুর্বল এবং উপরোক্ত শব্দে মাতানটি বাতিল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১০৩
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রবাহিত বীর্যের হুকুম
২৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي سُوَاءَةَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ عَائِشَةَ، فِيمَا يَفِيضُ بَيْنَ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ مِنَ الْمَاءِ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُ كَفًّا مِنْ مَاءٍ يَصُبُّ عَلَىَّ الْمَاءَ ثُمَّ يَأْخُذُ كَفًّا مِنْ مَاءٍ ثُمَّ يَصُبُّهُ عَلَيْهِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রবাহিত বীর্য সম্পর্কে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক অঞ্জলি পানি নিয়ে তা বীর্য লাগার স্থানে ঢেলে দিতেন। অতঃপর আরেক অঞ্জলি পানি নিয়ে তা উক্ত স্থানে ঢেলে দিতেন।
[২৫৬] আহমাদ (৬/১৫৩)। এর সানাদে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি আছে।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ভালভাবে পরিস্কার করণার্থে স্থলিত বীর্য বা বীর্যরসের উপর প্রয়োজনে একাধিকবার পানি ঢালা উচিত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১০৪
ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে একত্রে আহার ও মেলামেশা করা
২৫৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ الْيَهُودَ، كَانَتْ إِذَا حَاضَتْ مِنْهُمُ امْرَأَةٌ أَخْرَجُوهَا مِنَ الْبَيْتِ وَلَمْ يُؤَاكِلُوهَا وَلَمْ يُشَارِبُوهَا وَلَمْ يُجَامِعُوهَا فِي الْبَيْتِ فَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ { وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ } إِلَى آخِرِ الآيَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” جَامِعُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ وَاصْنَعُوا كُلَّ شَىْءٍ غَيْرَ النِّكَاحِ ” . فَقَالَتِ الْيَهُودُ مَا يُرِيدُ هَذَا الرَّجُلُ أَنْ يَدَعَ شَيْئًا مِنْ أَمْرِنَا إِلاَّ خَالَفَنَا فِيهِ . فَجَاءَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ وَعَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْيَهُودَ تَقُولُ كَذَا وَكَذَا أَفَلاَ نَنْكِحُهُنَّ فِي الْمَحِيضِ فَتَمَعَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ قَدْ وَجَدَ عَلَيْهِمَا فَخَرَجَا فَاسْتَقْبَلَتْهُمَا هَدِيَّةٌ مِنْ لَبَنٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ فِي آثَارِهِمَا فَسَقَاهُمَا فَظَنَنَّا أَنَّهُ لَمْ يَجِدْ عَلَيْهِمَا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়াহূদীদের নিয়ম ছিল, তাদের নারীদের মাসিক ঋতু আরম্ভ হলে তারা তাকে ঘর থেকে বের করে দিত। তারা তার সাথে আহার করত না এবং এক ঘরে বসবাসও করত না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মহান আল্লাহ এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “তারা তোমাকে হায়িয সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে? তুমি বল, তা অপবিত্র। কাজেই তোমরা হায়িয চলাকালে সহবাস বর্জন করবে এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত সঙ্গম করবে না। তারা যখন পবিত্র হবে তখন তোমরা তাদের নিকট ঠিক সেভাবে যাও যেভাবে (পূর্বে) যেতে, আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন। যারা পাপ কাজ হতে বিরত থাকে ও পবিত্রতা অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের ভালবাসেন।”- (সূরাহ বাক্বারাহঃ ২২২)। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা তাদের সাথে (তাদের হায়িয অবস্থায়) একই ঘরে অবস্থান ও অন্যান্য কাজ করতে পার শুধু সহবাস ছাড়া। এ কথা শুনে ইয়াহূদীরা বলল, এ লোক (মুহাম্মাদ) তো প্রতিটি কাজেই আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে চায়। উসাইদ ইবনু হুদায়ির এবং ‘আব্বাস ইবনু বিশর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! ইয়াহূদীরা এরূপ এরূপ বলেছে। তবে কি ঋতু অবস্থায় আমরা তাদের সাথে সহবাস করব না? এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল, এমনকি আমরা মনে করলাম, তিনি হয়ত তাঁদের উপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন। এরপর তাঁরা সেখান থেকে চলে গিয়ে (জনৈক সহাবীর মাধ্যমে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট দুধ হাদিয়া পাঠালেন। তিনি তাদের ডেকে দুধ পান করালেন। তখন আমরা বুঝলাম তাদের উপর তাঁর কোন রাগ নেই।
হায়িয, নিফাস ও ইস্তিহাযা পরিচিতিঃ
হায়িযঃ হায়িযের আভিধানিক অর্থঃ কোন তরল পদার্থ প্রবাহিত হওয়া। শারী’আতের পরিভাষায় হায়িয হচ্ছেঃ কোন প্রকার আঘাত, রোগ এবং প্রসবজনিত কোন কারণ ছাড়া মহিলাদের নির্দিষ্ট সময়ে স্বাভাবিক রক্তস্রাব হওয়া।
নিফাস (প্রসবোত্তর রক্তস্রাব): এটা ঐ রক্তস্রাব, যা প্রসবজনিত কারণে প্রসবকালে বা পরে নির্গত হয়ে থাকে। এর সর্বোচ্চ সময়সীমা ৪০ দিন।
ইস্তিহাযা (অনিয়মিত রক্তস্রাব): এটা হচ্ছে মহিলাদের বিরতিহীনভাবে রক্তস্রাব অথবা সামান্য সময় বিরতি দিয়ে রক্তস্রাব। কোন মহিলার স্বীয় হায়িয ও নিফাসের গণণাকৃত নির্দিষ্ট দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও যে রক্তস্রাব হয়, তাই ইস্তিহাযা বা রক্তপ্রদর রোগ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৫৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَتَعَرَّقُ الْعَظْمَ وَأَنَا حَائِضٌ، فَأُعْطِيهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَيَضَعُ فَمَهُ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي فِيهِ وَضَعْتُهُ وَأَشْرَبُ الشَّرَابَ فَأُنَاوِلُهُ فَيَضَعُ فَمَهُ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي كُنْتُ أَشْرَبُ مِنْهُ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হায়িয অবস্থায় হাড় চুষে খেয়ে তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দিতাম। তিনিও তাঁর মুখ হাড়ের ঐ স্থানে লাগাতেন, যেখানে আমি লাগিয়েছি। আবার পানীয় দ্রব্য পান করে তাঁকে দিতাম। তিনি তখনও ঐ স্থান থেকে পান করতেন যেখানে মুখ লাগিয়ে আমি পান করেছি।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ صَفِيَّةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ رَأْسَهُ فِي حِجْرِي فَيَقْرَأُ وَأَنَا حَائِضٌ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হায়িয অবস্থায় আমার কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১০৫
ঋতুবতী নারীর মসজিদ থেকে কিছু নেয়া
২৬১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” نَاوِلِينِي الْخُمْرَةَ مِنَ الْمَسْجِدِ ” . فَقُلْتُ إِنِّي حَائِضٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ حَيْضَتَكِ لَيْسَتْ فِي يَدِكِ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, মসজিদ থেকে চাটাই এনে দাও। আমি বললাম, আমি তো ঋতুবতী। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমার হায়িয তো তোমার হাতে লেগে নেই।
সহীহঃ মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। হায়িযগ্রস্তার সাথে সঙ্গম করা হারাম। এ ব্যাপারে সকলে একমত।
২। হায়িযগ্রস্তার সাথে সঙ্গম ব্যতীত অন্যান্য আনন্দ ভোগ করা জায়িয।
৩। হাদিয়া ক্ববূল করা এবং তা থেকে অন্যকে কিছু দেয়া মুস্তাহাব।
৪। স্বামীর উচিত, স্ত্রীর সাথে কোমল ব্যবহার ও এমন আচরণ করা যদদ্বারা স্ত্রী আনন্দিত হয়।
৫। ঋতুবতী মহিলার মাসজিদ থেকে হাত দিয়ে কিছু নেয়া জায়িয।
৬। ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে একত্রে পানাহার জায়িয। হায়িয অবস্থায় তাদের উচ্ছিষ্ট খাবার ও দেহের অঙ্গ প্রতঙ্গ পবিত্র। যেমন, হাত ও অনুরূপ অঙ্গ।
৭। ঋতুবতী স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত জায়িয।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১০৬
ঋতুবতী নারী কাযা সলাত আদায় করবে না
২৬২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ فَقَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ لَقَدْ كُنَّا نَحِيضُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلاَ نَقْضِي وَلاَ نُؤْمَرُ بِالْقَضَاءِ .
মু’আযাহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করল, ঋতুবতী মহিলা সলাতের কাযা আদায় করবে কি? তিনি বললেন, তুমি কি ‘হারূরিয়্যাহ’? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সময়ে আমাদের হায়িয হলে আমরা সলাতের কাযা করতাম না এবং আমাদেরকে সলাতের কাযা আদায়ের নির্দেশও দেয়া হত না।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬৩
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ – عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَ فِيهِ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .
মু’আযাহ আল-আদাবিয়্যাহ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু’আযাহ আল-আদাবিয়্যাহ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাতে আরো আছেঃ আমাদেরকে সওম কাযা করার নির্দেশ দেয়া হত। কিন্তু সলাতের কাযা আদায়ের নির্দেশ দেয়া হত না।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। ঋতুবতী মহিলার উপর ছুটে যাওয়া সলাতের ক্বাযা করা ওয়াজিব নয়। এ ব্যাপারে সকলে একমত।
২। ঋতুবতী মহিলার উপর সওমের ক্বাযা করা ওয়াজিব। অনুরূপ হুকুম নিফাসগ্রস্তা মহিলার জন্যও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১০৭
ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাসের কাফফারা
২৬৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الَّذِي يَأْتِي امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ قَالَ ” يَتَصَدَّقُ بِدِينَارٍ أَوْ نِصْفِ دِينَارٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا الرِّوَايَةُ الصَّحِيحَةُ قَالَ ” دِينَارٌ أَوْ نِصْفُ دِينَارٍ ” . وَرُبَّمَا لَمْ يَرْفَعْهُ شُعْبَةُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি হায়িয অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করে তার সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সে যেন এক দীনার অথবা আধা দীনার সদাক্বাহ্ করে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সহীহ বর্ণনাসমূহে এরূপই রয়েছে। তিনি বলেন, এক দীনার অথবা আধা দীনার। শু’বাহ কখনো হাদীসটি মারফুভাবে বর্ণনা করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ مُطَهَّرٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، – يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ – عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَبِي الْحَسَنِ الْجَزَرِيِّ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِذَا أَصَابَهَا فِي أَوَّلِ الدَّمِ فَدِينَارٌ وَإِذَا أَصَابَهَا فِي انْقِطَاعِ الدَّمِ فَنِصْفُ دِينَارٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ عَنْ مِقْسَمٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হায়িযের শুরুর অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে এক দীনার কাফফারা দিতে হবে। আর হায়িয বন্ধ হওয়ার কাছাকাছি সময় সহবাস করলে আধা দীনার কাফফারা দিতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
২৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا وَقَعَ الرَّجُلُ بِأَهْلِهِ وَهِيَ حَائِضٌ فَلْيَتَصَدَّقْ بِنِصْفِ دِينَارٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا قَالَ عَلِيُّ بْنُ بَذِيمَةَ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَرَوَى الأَوْزَاعِيُّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” آمُرُهُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِخُمْسَىْ دِينَارٍ ” . وَهَذَا مُعْضَلٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ তার হায়িযগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে সে যেন অর্ধ দীনার সদাক্বাহ করে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আলী ইবনু বাযীমাহ মিক্বসাম হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে মুরসাল হিসেবে এরূপই বর্ণনা করেছেন। [২৬৫]
দূর্বল।
‘আবদুল হামীদ ইবনু ‘আবদুর রহমান হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি তাকে দু’-পঞ্চমাংশ দীনার সদাক্বাহ করার নির্দেশ দেই। এটি হাদীসটি মু’দাল।
দুর্বল।
[২৬৫] তিরমিযী (অধ্যায় : পবিত্রতা, অনু: ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাসের কাফফারা, হা: ১৩৬), দারিমী (অধ্যায় : সলাত : অনু: যা করলে তার উপর কাফফারা অবাধারিত, হা: ১১০৫), আহমাদ (১/২৭২, হা ১১০৫), আহমাদ (১/২৭২, হা: ২৪৫৮), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (১/৩১৬), সকলেই শারীক সূত্রে খুসাইফ হতে। আহমাদ শাকির এর সানাদকে সহীহ বলেছেন। ‘আওনুল মা’বুদে রয়েছে : হাদীসের সানাদ ও মাতানে ইযতিরাব ঘটেছে। এ সম্পর্কে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ -১০৮
কোন ব্যক্তি ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস ছাড়া অন্য কিছু করলে
২৬৭
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حَبِيبٍ، مَوْلَى عُرْوَةَ عَنْ نُدْبَةَ، مَوْلاَةِ مَيْمُونَةَ عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُبَاشِرُ الْمَرْأَةَ مِنْ نِسَائِهِ وَهِيَ حَائِضٌ إِذَا كَانَ عَلَيْهَا إِزَارٌ إِلَى أَنْصَافِ الْفَخِذَيْنِ أَوِ الرُّكْبَتَيْنِ تَحْتَجِزُ بِهِ .
মায়মূনাহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের মধ্যকার কোন হায়িযগ্রস্থা স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করতেন এরুপ অবস্থায় যে স্ত্রীর উভয় রানের মাঝামাঝি অথবা হাঁটু পর্যন্ত ইযারে আবৃত থাকতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬৮
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا أَنْ تَتَّزِرَ ثُمَّ يُضَاجِعُهَا زَوْجُهَا وَقَالَ مَرَّةً يُبَاشِرُهَا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আমাদের কেউ ঋতুবতী হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে শক্তভাবে ইযার পরিধানের নির্দেশ দিতেন। অতঃপর তিনি তার সাথে শয়ন বা মেলামেশা করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬৯
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ جَابِرِ بْنِ صُبْحٍ، سَمِعْتُ خِلاَسًا الْهَجَرِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – تَقُولُ كُنْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم نَبِيتُ فِي الشِّعَارِ الْوَاحِدِ وَأَنَا حَائِضٌ طَامِثٌ فَإِنْ أَصَابَهُ مِنِّي شَىْءٌ غَسَلَ مَكَانَهُ وَلَمْ يَعْدُهُ ثُمَّ صَلَّى فِيهِ وَإِنْ أَصَابَ – تَعْنِي ثَوْبَهُ – مِنْهُ شَىْءٌ غَسَلَ مَكَانَهُ وَلَمْ يَعْدُهُ ثُمَّ صَلَّى فِيهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই কম্বলের নীচে রাত কাটাতাম। অথচ আমি তখন হায়িয অবস্থায় থাকতাম। আমার হায়িযের রক্ত তাঁর শরীরে লেগে গেলে তিনি শুধু ঐ স্থানটুকু ধুয়ে ফেলতেন, এর অতিরিক্ত ধুতেন না।অতঃপর তিনি ঐ কাপড়েই সলাত আদায় করতেন। আর যদি তাঁর কাপড়ে তাঁর দেহের (মযী) লেগে যেত, তাহলে শুধু ঐ স্থানটুকু ধুয়ে নিতেন, এর অতিরিক্ত কিছু ধুতেন না। অতঃপর ঐ কাপড়েই সলাত আদায় করতেন।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ عُمَرَ بْنِ غَانِمٍ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غُرَابٍ، أَنَّ عَمَّةً، لَهُ حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا، سَأَلَتْ عَائِشَةَ قَالَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ وَلَيْسَ لَهَا وَلِزَوْجِهَا إِلاَّ فِرَاشٌ وَاحِدٌ قَالَتْ أُخْبِرُكِ بِمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ لَيْلاً وَأَنَا حَائِضٌ فَمَضَى إِلَى مَسْجِدِهِ – قَالَ أَبُو دَاوُدَ تَعْنِي مَسْجِدَ بَيْتِهِ – فَلَمْ يَنْصَرِفْ حَتَّى غَلَبَتْنِي عَيْنِي وَأَوْجَعَهُ الْبَرْدُ فَقَالَ ” ادْنِي مِنِّي ” . فَقُلْتُ إِنِّي حَائِضٌ . فَقَالَ ” وَإِنْ اكْشِفِي عَنْ فَخِذَيْكِ ” . فَكَشَفْتُ فَخِذَىَّ فَوَضَعَ خَدَّهُ وَصَدْرَهُ عَلَى فَخِذَىَّ وَحَنَيْتُ عَلَيْهِ حَتَّى دَفِئَ وَنَامَ .
উমারাহ ইবনু গুরাব থেকে বর্ণিতঃ
তার এক ফুফু ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন আমাদের কারো কারো যখন ঋতুস্রাব হয় এবং তার ও তার স্বামীর জন্য একটি মাত্র বিছানা থাকে (এরুপ অবস্থায় করণীয় কি)? আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তোমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অবস্থার বর্ননা দিচ্ছি। এক রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে এলেন। আমি তখন হায়িয অবস্থায় ছিলাম। তিনি সলাতের স্থানে চলে গেলেন। তিনি ফিরে আসতে আসতে আমার তন্দ্রা এসে গেল। ঠান্ডায় তাঁর কষ্ট হচ্ছিল। তিনি বললেনঃ আমার কাছে আসো। আমি বললাম আমারতো ঋতুস্রাব হয়েছে। তিনি বললেন, হোক না। তোমার উরূ উন্মুক্ত করো। আমি আমার উরু উন্মুক্ত করলাম। তিনি তাঁর মুখ ও বক্ষ আমার রানের উপর রাখলেন। আমি উপর থেকে তার উপর ঝুকে পড়লাম। তিনি গরম হলেন ও ঘুমিয়ে পড়লেন। [২৬৯]
[২৬৯] বুখারী ‘আদাবুল মুফরাদ ‘ (হাঃ ১২০)। এর সানাদে আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ ইফরিক্বী দূর্বল এবং উমারাহ ইবনু গুরাব সর্ম্পকে হাফীয আত-তাকরীব গ্রন্থে বলেনঃ তিনি অজ্ঞাত তাবেঈ। এছাড়া সানাদে তার খালাও অজ্ঞাত। আল্লামা মুনযিরী “ মুখতাসার সুনান” গ্রন্থে বলেন, তাদের কারোর হাদীস দ্বারাই দলীল দেয়া যাবে না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৭১
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ أُمِّ ذَرَّةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ إِذَا حِضْتُ نَزَلْتُ عَنِ الْمِثَالِ عَلَى الْحَصِيرِ فَلَمْ نَقْرُبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ نَدْنُ مِنْهُ حَتَّى نَطْهُرَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার ঋতুস্রাব হলে আমি বিছানা ছেড়ে চাটাইয়ে অবস্থান করতাম। পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটবর্তী হতাম না। [২৭০]
[২৭০] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ননা করেছেন এবং এর সানাদ দূর্বল। সানাদে আবুল ইয়ামান ও উম্মু জাররাহ উভয়ে মাক্ববুল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৭২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ بَعْضِ، أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ مِنَ الْحَائِضِ شَيْئًا أَلْقَى عَلَى فَرْجِهَا ثَوْبًا .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন এক স্ত্রী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে কিছু করতে চাইলে স্ত্রীর লজ্জাস্থানের উপর কাপড় ফেলে দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا فِي فَوْحِ حَيْضِنَا أَنْ نَتَّزِرَ ثُمَّ يُبَاشِرُنَا وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের হায়িযের প্রাথমিক অবস্থায় শক্ত করে ইযার (পাজামা) পরিধানের নির্দেশ দিতেন। অতঃপর তিনি আমাদের সাথে মেলামেশা করতেন। তোমাদের কেউ কি তার উত্তেজনার মুর্হুতে নিজেকে সংযত রাখতে সেরূপ সক্ষম, যেরূপ সক্ষম ছিলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষা
১। কোন ব্যক্তি ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস ব্যতীত অন্যভাবে মিলন করতে পারবে। মিলনের সময় নাভী থেকে রান বা হাঁটুর অর্ধেক পর্যন্ত কাপড়ে আবৃত থাকবে।
২। ঋতুবতীর সাথে একই বিছানায় রাত্রি যাপন জায়িজ।
৩। কাপড়ে বা দেহের অন্য কোন অংশে অপবিত্রতা লেগে গেলে কেবল সেই অংশটুকু পরিষ্কার করলেই চলবে।
৪। ঋতুবতী মহিলার কাপড়ের পবিত্রতা হচ্ছে তাতে হায়িযের রক্ত লেগে না থাকা।
৫। যদি সঙ্গমের উদ্দেশ্যে স্বামী তার ঋতুবতী স্ত্রীর নিকটবর্তী হতে না চান তাহলে স্ত্রীর জন্য খুবই উচিত হল, হায়িযের কারনে তার নিকটবর্তী না হওয়া।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৯
মুস্তাহাযা নারীর বর্ননা এবং যে ব্যক্তি বলে , হায়িযের দিনগুলোতে সে সলাত ত্যাগ করবে, তার প্রসঙ্গে
২৭৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ لِتَنْظُرْ عِدَّةَ اللَّيَالِي وَالأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ ثُمَّ لْتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ ثُمَّ لْتُصَلِّ فِيهِ ” .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী উন্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে এক মহিলার (হায়িয-নিফাসের নির্দিষ্ট সময় অতিক্রমের পরও) রক্তস্রাব হতো। উন্মু সালামাহ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট ঐ মহিলার জন্য কি বিধান তা জিজ্ঞেস করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে যেন ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হবার আগে মাসের যে কয়দিন তার হায়িয হতো তা খেয়াল করে গুনে রাখে। এবং প্রতিমাসে সেই ক’দিন সলাত সে ছেড়ে দেয়। ঐ কদিন অতিবাহিত হয়ে গেলে যে যেন গোসল করে নেয়, অতপরঃ (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেধে সলাত আদায় করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَخْبَرَهُ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، كَانَتْ تُهَرَاقُ الدَّمَ . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ قَالَ “ فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْتَغْتَسِلْ ” . بِمَعْنَاهُ .
উন্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলার অত্যধিক রক্তস্রাব হতো। অতঃপর বর্ননাকারী পুর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ননা করে বলেন, যখন হায়িযের সময়সীমা পার হয়ে যাবে এবং সলাতের সময় উপস্থিত হবে তখন সে যেন গোসল করে নেয়। পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، – يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّ امْرَأَةً، كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ اللَّيْثِ قَالَ “ فَإِذَا خَلَّفَتْهُنَّ وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْتَغْتَسِلْ ” . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَاهُ .
জনৈক আনসারী থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলার অত্যধিক রক্তস্রাব হতো। অতঃপর বর্ননাকারী লাইসের পূর্বোক্ত সমার্থক হাদীস বর্ননা করে বলেন, যখন তাদের হায়িযের সময়সীমা অতিবাহিত হবে এবং সলাতের সময় উপস্থিত হবে তখন তারা যেন গোসল করে নেয়। তারপর পূর্বের ন্যায় বর্ননা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৭
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، بِإِسْنَادِ اللَّيْثِ وَبِمَعْنَاهُ قَالَ “ فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ قَدْرَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْتَغْتِسِلْ وَلْتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ ثُمَّ تُصَلِّي ” .
না’ফি লাইস থেকে বর্ণিতঃ
না’ফি লাইসের বর্ণিত (২৭৫নং) হাদীসের সূত্র ও অর্থানুরূপ হাদীস বর্ননা করে বলেন, সে যেন হায়িযের সময়সীমার (দিনগুলোতে) সলাত বর্জন করে। এরপর থেকে সলাতে সময় উপস্থিত হলে সে যেন গোসল করে এবং পট্টি বেঁধে সলাত আদায় করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فِيهِ “ تَدَعُ الصَّلاَةَ وَتَغْتَسِلُ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ وَتَسْتَثْفِرُ بِثَوْبٍ وَتُصَلِّي ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمَّى الْمَرْأَةَ الَّتِي كَانَتِ اسْتُحِيضَتْ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ .
সুলায়মান ইবনু ইয়াসার হতে উন্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুলায়মান ইবনু ইয়াসার হতে উন্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে উক্ত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তাতে রয়েছে সে যেন (হায়িযের সময়ের দিনগুলোতে) সলাত ছেড়ে দেয়। এছাড়া এর পরের দিনগুলোতে সে যেন গোসল করে (লজ্জাস্থানে) কাপড়ের নেকড়া বেঁধে সলাত আদায় করে। ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন হাম্মাদ ইবনু যায়িদ (রহঃ) আইয়ূব সূত্রে বলেছেন, এ হাদীসে বর্ণিত উক্ত রক্তপ্রদর রোগীনীর নাম ফাতিমাহ বিনতু আবু হুবাইশ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدَّمِ – فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَرَأَيْتُ مِرْكَنَهَا مَلآنَ دَمًا – فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ امْكُثِي قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحْبِسُكِ حَيْضَتُكِ ثُمَّ اغْتَسِلِي ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ قُتَيْبَةُ بَيْنَ أَضْعَافِ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ فِي آخِرِهَا وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ وَيُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنِ اللَّيْثِ فَقَالاَ جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা উম্মু হাবীবা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রক্তস্রাব সর্ম্পকে জিজ্ঞেস করেন। `আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তাঁর পানির পাত্র রক্তে পরিপূর্ণ দেখতে পেলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “তুমি হায়িযের নির্ধারিত দিনগুলো পর্যন্ত সলাত থেকে বিরত থাকবে, এরপর গোসল করবে।
সহীহঃ মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮০
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا، سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَكَتْ إِلَيْهِ الدَّمَ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ فَانْظُرِي إِذَا أَتَى قُرْؤُكِ فَلاَ تُصَلِّي فَإِذَا مَرَّ قُرْؤُكِ فَتَطَهَّرِي ثُمَّ صَلِّي مَا بَيْنَ الْقُرْءِ إِلَى الْقُرْءِ ” .
উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবু হুবাইশ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট রক্তস্রাবের সর্ম্পকে অভিযোগ করেন এবং এ সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এটা এক বিশেষ শিরা থেকে নির্গত রক্ত। অতএব তুমি তোমার হায়িযের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ঐ সময়ে সলাত আদায় হতে বিরত থাকবে। অতঃপর হায়িযের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে পবিত্র হবে। তারপর পরবর্তী হায়িয আসা পর্যন্ত (গোসল করে) সলাত আদায় করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮১
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ، أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ – أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا، أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ – أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ .1
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ قَتَادَةُ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَدَعَ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلَ وَتُصَلِّيَ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَسْمَعْ قَتَادَةُ مِنْ عُرْوَةَ شَيْئًا .2
وَزَادَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ كَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا وَهَمٌ مِنَ ابْنِ عُيَيْنَةَ لَيْسَ هَذَا فِي حَدِيثِ الْحُفَّاظِ عَنِ الزُّهْرِيِّ إِلاَّ مَا ذَكَرَ سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ وَقَدْ رَوَى الْحُمَيْدِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ ” تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ” .1
وَرَوَتْ قَمِيرُ بِنْتُ عَمْرٍو زَوْجُ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ الْمُسْتَحَاضَةُ تَتْرُكُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ .3
وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا أَنْ تَتْرُكَ الصَّلاَةَ قَدْرَ أَقْرَائِهَا .2
وَرَوَى أَبُو بِشْرٍ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي وَحْشِيَّةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ فَذَكَرَ مِثْلَهُ وَرَوَى شَرِيكٌ عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ” الْمُسْتَحَاضَةُ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي ” .1
وَرَوَى الْعَلاَءُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ أَنَّ سَوْدَةَ اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا مَضَتْ أَيَّامُهَا اغْتَسَلَتْ وَصَلَّتْ .1
وَرَوَى سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ ” الْمُسْتَحَاضَةُ تَجْلِسُ أَيَّامَ قُرْئِهَا ” .1
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَمَّارٌ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ وَطَلْقُ بْنُ حَبِيبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ 1
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مَعْقِلٌ الْخَثْعَمِيُّ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ 4
وَكَذَلِكَ رَوَى الشَّعْبِيُّ عَنْ قَمِيرَ امْرَأَةِ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ قَوْلُ الْحَسَنِ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَطَاءٍ وَمَكْحُولٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَالِمٍ وَالْقَاسِمِ إِنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَسْمَعْ قَتَادَةُ مِنْ عُرْوَةَ شَيْئًا . 1
‘উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে। [২৮০]
সহীহ।
যায়নাব বিনতু উম্মু সালামাহ সূত্রে বর্ণিত। উম্মু হাবীবাহ্ বিনতু জাহ্শের ইস্তিহাযা শুরু হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে হায়িযের সময়সীমা পরিমাণ সলাত ত্যাগের নির্দেশ দেন, অতঃপর সময়সীমা শেষে গোসল করে সলাত আদায়ের নির্দেশ দেন।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ক্বাতাদাহ ‘উরওয়াহ হতে কিছুই শোনেননি।
‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মু হাবীবার ইস্তিহাযা রোগ ছিল। তিনি এ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে হায়িযের দিনগুলোতে সলাত ত্যাগের নির্দেশ দেন।
সহীহঃ মুসলিম।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এটা ইবনু ‘উয়াইনার ধারণা মাত্র। সুহাইল ইবনু আবূ সালিহর বর্ণনা ছাড়া যুহরী সূত্রে হাদীসের হাফিযগণ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এটি উল্লেখ নেই। হাদীসটি ইবনু ‘উয়াইনাহ্ হতে হুমাইদীও বর্ণনা করেছেন। তাতে ‘হায়িযের দিনগুলোতে সলাত ছেড়ে দেয়ার’ কথা উল্লেখ নেই। ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত : “ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা হায়িযের দিনগুলোতে সলাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।”
সহীহ মাওকুফ।
‘আবদুর রহমান ইবনুল ক্বাসিম তার পিতা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে (ইস্তি হাযাগ্রস্ত মহিলাকে) হায়িযের দিনগুলোতে সলাত ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। ‘ইকরিমাহ হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে বর্ণিত, উম্মু হাবীবাহ্ বিনতু জাহ্শ (রাঃ) ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হলেন ….. অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
সহীহ।
‘আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন: রক্ত প্রদর রোগে আক্রান্ত মহিলা হায়িযের নির্ধারিত দিনগুলোতে সলাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর সময়সীমা শেষে গোসল করে সলাত আদায় করবে।
সহীহ।
আবূ জাফর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাওদা (রাঃ) রক্ত প্রদর রোগে আক্রান্ত হওয়ায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দিলেন, হায়িযের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করে সলাত আদায় করে নিবে।
সহীহ, তবে ( ……/ সালাত) কথাটি বাদে।
‘আলী ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইস্তিহাযা রোগে আক্রান্ত মহিলা হায়িযের দিনগুলোতে বসে থাকবে (অর্থাৎ সলাত আদায় করবে না)।
সহীহ।
এরূপই বর্ণনা করেছেন ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বনু হাশিমের আযাদকৃত গোলাম ‘আম্মার ও ত্বালক্ব ইবনু হাবীব (রহঃ)। অনুরূপভাবে ‘আলী (রাঃ) সূত্রে মা‘ক্বাল আল-খাস‘আমী এবং ‘আয়িশাহ্ সূত্রে ক্বামীরাহ হতে শা‘বী (রহঃ)। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আল-হাসান, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব, ‘আত্বা, মাকহূল, ইবরাহীম, সালিম ও আল-ক্বাসিম (রহঃ)-এর অভিমত হচ্ছে, মুস্তাহাযা নারী হায়িযের দিনগুলোতে সলাত ছেড়ে দিবে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ক্বাতাদাহ ‘উরওয়াহ হতে কিছুই শুনেননি।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১১০
হায়িয শেষ হলে সলাত বর্জন করা যাবে না
২৮২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ “ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي ” .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাতিমাহ্ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলেন, আমি একজন রক্তপ্রদর রোগীণী, কখনো পবিত্র হই না। আমি কি সলাত ত্যাগ করব? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এটা একটি শিরা (হতে নির্গত রক্ত), হায়িয নয়। যখন হায়িয হবে তখন সলাত ছেড়ে দিবে। হায়িযের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে (গোসল করে) সলাত আদায় করবে।
সহীহ: বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامٍ، بِإِسْنَادِ زُهَيْرٍ وَمَعْنَاهُ وَقَالَ “ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلاَةَ فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي الدَّمَ عَنْكِ وَصَلِّي ” .
হিশাম (রহঃ) যুহাইর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
হিশাম (রহঃ) যুহাইর সূত্রে উপরোক্ত অর্থবোধক হাদীস বর্ননা করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঋতুস্রাব আসলে সলাত ছেড়ে দিবে আর ঋতুস্রাবের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে নিয়ে (গোসল করে) সলাত আদায় করবে।[২৮২]
সহীহ: বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১১১
হায়িয শুরু হলে সলাত আদায় ছেড়ে দিবে
২৮৪
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، عَنْ بُهَيَّةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ امْرَأَةً، تَسْأَلُ عَائِشَةَ عَنِ امْرَأَةٍ، فَسَدَ حَيْضُهَا وَأُهَرِيقَتْ دَمًا فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ آمُرَهَا فَلْتَنْظُرْ قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحِيضُ فِي كُلِّ شَهْرٍ وَحَيْضُهَا مُسْتَقِيمٌ فَلْتَعْتَدَّ بِقَدْرِ ذَلِكَ مِنَ الأَيَّامِ ثُمَّ لْتَدَعِ الصَّلاَةَ فِيهِنَّ أَوْ بِقَدْرِهِنَّ ثُمَّ لْتَغْتَسِلْ ثُمَّ لْتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ ثُمَّ لْتُصَلِّي .
বুহায়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি শুনলাম, জনৈক মহিলা ‘আয়িশা (রাঃ) -কে এমন মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে যার হায়িযের গোলমাল হয়েছে, রক্তস্রাব অনবরত জারী রয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে (‘আয়িশাহ্’কে) নির্দেশ দিলেন আমি যেন তাকে বলি, ইতোপূর্বে প্রতিমাসে যে ক’দিন তার হায়িয হত তা গণনা করে রাখবে, ঐ দিনগুলো পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং ঐ দিনগুলোতে সলাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর গোসল করে (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে সলাত আদায় করবে। [২৮৩]
[২৮৩] এ সূত্রে আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদে আবূ ‘আক্বীল ইয়াহ্ইয়া ইবনুল মুতাওয়াক্কিলকে হাফিয দুর্বল বলেছেন। সানাদে বুহাইয়্যাহ অজ্ঞাত। ‘আওনুল মা’বুদে রয়েছেঃ সানাদের আবূ ‘আক্বীলকে ‘আলী ইবনুল মাদীনী ও ইমাম নাসায়ী দুর্বল বলেছেন। ইবনু মাঈন বলেছেন, তিনি কিছুই না। ইমাম আবূ যুর‘আহ বলেছেন, তিনি হাদীসে বর্ণনায় শিখিল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৮৫
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَقِيلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمِصْرِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ، خَتَنَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ فَاسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنْ هَذَا عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ الأَوْزَاعِيُّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ وَعَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتِ اسْتُحِيضَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ – وَهِيَ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ – سَبْعَ سِنِينَ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يَذْكُرْ هَذَا الْكَلاَمَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ غَيْرَ الأَوْزَاعِيِّ وَرَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ وَاللَّيْثُ وَيُونُسُ وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ وَمَعْمَرٌ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ وَابْنُ إِسْحَاقَ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَلَمْ يَذْكُرُوا هَذَا الْكَلاَمَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَإِنَّمَا هَذَا لَفْظُ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِيهِ أَيْضًا أَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا . وَهُوَ وَهَمٌ مِنَ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَحَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ الزُّهْرِيِّ فِيهِ شَىْءٌ يَقْرُبُ مِنَ الَّذِي زَادَ الأَوْزَاعِيُّ فِي حَدِيثِهِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর শ্যালিকা ও ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) -এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহশ সাত বছর যাবত ইস্তিহাযায় আক্রান্ত থাকেন। ফলে তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এ বিষয়ে মাসআলাহ জিজ্ঞেস করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এটা হায়িয নয় বরং এটা রগবিশেষ থেকে নির্গত রক্ত। কাজেই তুমি গোসল করে সলাত আদায় কর।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আওযাঈ (রহঃ) এ হাদীসে বৃদ্ধি করেন যে, যুহরী হতে, তিনি ‘উরওয়াহ ও ‘আমরাহ হতে ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে, তিনি বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু আওফের স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহশ (রাঃ) সাত বছর যাবত ইস্তিহাযায় আক্রান্ত থাকেন। ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দিলেন যে, তোমার হায়িয এলে সলাত ছেড়ে দিবে, আর হায়িয চলে যাবে গোসল করে সলাত আদায় করবে।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, উপরোক্ত বক্তব্য আওযায়ী ব্যতীত যুহ্রীর আর কোন শিষ্য উল্লেখ করেননি। যুহ্রী সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ‘আমর ইবনুল হারিস, লাইস, ইউনুস, ইবনু আবূ যি’ব, মা‘মার, ইবরাহীম ইবনু সা‘দ, সুলায়মান ইবনু কাসীর, ইবনু ইসহাক্ব ও সুফিয়ন ইবনু ‘উয়াইনাহ প্রমুখ। তারা উপরোক্ত বক্তব্য উল্লেখ করেননি। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসের এ শব্দ হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ তার পিতা হতে ‘আয়িশাহ্ সূত্রের। ইমাম আবূ দুউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উয়াইনাহও তাতে শব্দগত কিছু বাড়িয়ে বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে হায়িযের দিনগুলোতে সলাত বর্জনের নির্দেশ দেন।’ তবে এটা ইবনু ‘উয়াইনাহের ধারণামাত্র। এছাড়া যুহরী হতে মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর বর্ণিত হাদীসে যা কিছু রয়েছে, তা আওযাঈ বর্ণিত হাদীসের কাছাকাছি।
সহীহঃ মুসলিম। এটি গত হয়েছে ২৮১ নং-এ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو – قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ، أَنَّهَا كَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا كَانَ دَمُ الْحَيْضَةِ فَإِنَّهُ دَمٌ أَسْوَدُ يُعْرَفُ فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِي عَنِ الصَّلاَةِ فَإِذَا كَانَ الآخَرُ فَتَوَضَّئِي وَصَلِّي فَإِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ ” .1
قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا بِهِ ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ مِنْ كِتَابِهِ هَكَذَا ثُمَّ حَدَّثَنَا بِهِ بَعْدُ حِفْظًا قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ فَاطِمَةَ كَانَتْ تُسْتَحَاضُ . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَدْ رَوَى أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ قَالَ إِذَا رَأَتِ الدَّمَ الْبَحْرَانِيَّ فَلاَ تُصَلِّي وَإِذَا رَأَتِ الطُّهْرَ وَلَوْ سَاعَةً فَلْتَغْتَسِلْ وَتُصَلِّي .2
وَقَالَ مَكْحُولٌ إِنَّ النِّسَاءَ لاَ تَخْفَى عَلَيْهِنَّ الْحَيْضَةُ إِنَّ دَمَهَا أَسْوَدُ غَلِيظٌ فَإِذَا ذَهَبَ ذَلِكَ وَصَارَتْ صُفْرَةً رَقِيقَةً فَإِنَّهَا مُسْتَحَاضَةٌ فَلْتَغْتَسِلْ وَلْتُصَلِّي .3
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ تَرَكَتِ الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتِ اغْتَسَلَتْ وَصَلَّتْ .2
وَرَوَى سُمَىٌّ وَغَيْرُهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ تَجْلِسُ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا .2
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى يُونُسُ عَنِ الْحَسَنِ الْحَائِضُ إِذَا مَدَّ بِهَا الدَّمُ تُمْسِكُ بَعْدَ حَيْضَتِهَا يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ فَهِيَ مُسْتَحَاضَةٌ . وَقَالَ التَّيْمِيُّ عَنْ قَتَادَةَ إِذَا زَادَ عَلَى أَيَّامِ حَيْضِهَا خَمْسَةُ أَيَّامٍ فَلْتُصَلِّي . قَالَ التَّيْمِيُّ فَجَعَلْتُ أَنْقُصُ حَتَّى بَلَغْتُ يَوْمَيْنِ فَقَالَ إِذَا كَانَ يَوْمَيْنِ فَهُوَ مِنْ حَيْضِهَا . وَسُئِلَ ابْنُ سِيرِينَ عَنْهُ فَقَالَ النِّسَاءُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ .
ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তার রক্তস্রাব হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হায়িযের রক্ত কালো হয়, তা (দেখলে) চেনা যায়। রক্ত এরূপ হলে সলাত হতে বিরত থাকবে। আর অন্যরকম হলে উযু করে সলাত আদায় করবে। কারণ তা একটি রগ থেকে নির্গত রক্ত। [২৮৫]
হাসান।
‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহর রক্তস্রাব হয়েছিল ….. এরপর অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আনাস ইবনু সীরীন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে মুস্তাহাযা সম্পর্কে বর্ণনা করে বলেনঃ যখন সে গাঢ় ও প্রচুর রক্ত দেখবে তখন সলাত আদায় করবে না। আর যখন পবিত্রতা দেখতে পাবে- যদিও তা কিছুক্ষণের জন্য হয়- তখন গোসল করে সলাত আদায় করবে।
সহীহ।
মাকহূল (রহঃ) বলেন, মহিলাদের কাছে হায়িযের রক্ত অস্পষ্ট বা অজানা কিছু নয়। হায়িযের রক্ত গাঢ় কালো রঙের হয়। এটা দূরীভূত হয়ে হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে তা-ই ইস্তিহাযা। তার কর্তব্য হচ্ছে এ অবস্থায় গোসল করে সলাত আদায় করা।
আমি এটি পাইনি।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ ইবনু যায়িদ ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ হতে, তিনি কা‘কা‘ ইবনু হাকীম হতে বর্ণনা করেন যে, সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) মুস্তাহাযা সম্পর্কে বলেন, হায়িয শুরু হলে সলাত ছেড়ে দিবে এবং শেষ হলে গোসল করে সলাত আদায় করবে।
সহীহ।
সুমাই‘ প্রমুখ সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেনঃ হায়িযের দিনগুলোতে বসে থাকবে (অপেক্ষা করবে)। অনুরূপ বর্ণনা করেছেন হাম্মাদ ইবনু সালামাহ ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব সূত্রে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইউনুস হাসান সূত্রে বর্ণনা করেন, ঋতুবতী নারীর রক্তস্রাব বেশি দিন অব্যাহত থাকলে হায়িযের পর একদিন অথবা দু’দিন সলাত আদায় হতে বিরত থাকবে। তারপর মুস্তাহাযা গণ্য হবে। আত-তায়মী ক্বতাদাহ সূত্রে বর্ণনা করে বলেন, তার হায়িযের দিন থেকে পাঁচদিন অতিরিক্ত অতিবাহিত হয়ে গেলে সে সলাত আদায় করবে। আত-তায়মী আরো বলেন, আমি তা কমিয়ে দু’দিন ধার্য করেছি। অতএব ঐ দু’দিন হায়িযের মধ্যে গণ্য। ইবনু সীরীনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, মহিলারাই এ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
২৮৭
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَغَيْرُهُ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَمَا تَرَى فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصَّلاَةَ وَالصَّوْمَ فَقَالَ ” أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ ” . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ ” فَاتَّخِذِي ثَوْبًا ” . فَقَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا فَعَلْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ مِنَ الآخَرِ وَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ ” . فَقَالَ لَهَا ” إِنَّمَا هَذِهِ رَكْضَةٌ من رَكَضَاتِ الشَّيْطَانِ فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي حَتَّى إِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي ثَلاَثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي فَإِنَّ ذَلِكَ يُجْزِئُكِ وَكَذَلِكَ فَافْعَلِي فِي كُلِّ شَهْرٍ كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ مِيقَاتَ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ وَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ فَتَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَتُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الْفَجْرِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَدَرْتِ عَلَى ذَلِكَ ” . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَهَذَا أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ ” .1
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ عَمْرُو بْنُ ثَابِتٍ عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ قَالَ فَقَالَتْ حَمْنَةُ فَقُلْتُ هَذَا أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ .2 لَمْ يَجْعَلْهُ مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم جَعَلَهُ كَلاَمَ حَمْنَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَعَمْرُو بْنُ ثَابِتٍ رَافِضِيٌّ رَجُلُ سَوْءٍ وَلَكِنَّهُ كَانَ صَدُوقًا فِي الْحَدِيثِ وَثَابِتُ بْنُ الْمِقْدَامِ رَجُلٌ ثِقَةٌ وَذَكَرَهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ يَقُولُ حَدِيثُ ابْنِ عَقِيلٍ فِي نَفْسِي مِنْهُ شَىْءٌ .
হামনাহ বিনতু জাহশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার খুব বেশী রক্তস্রাব হত। আমি আমার অবস্থা বর্ণনা ও মাসআলাহ জিজ্ঞেস করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে আমার বোন যাইনাব বিনতু জাহশের ঘরে পেলাম। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আামর খুব বেশী রক্তস্রাব হয়। এ বিষয়ে আপনি আমাকে কী পরামর্শ দেন? আমার সলাত ও সিয়াম বন্ধ। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে তোমারা রক্ত বন্ধ্ হবে। হামনাহ বলেন, তা এর চেয়েও বেশী। তিনি বলেন, কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। হামনাহ বলেন, তাতো এর চেয়েও বেশী। আমার তো রীতিমত রক্ত প্রবাহিত হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তাহলে আমি তোমাকে দু’টি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। তার কোন একটি অনুসরণ করাই তোমার জন্য যথেষ্ট। উভয়টির উপর যদি ‘আমাল করতে পার, তাহলে তা তুমিই ভাল জান। তিনি তাকে বললেনঃ এটা শাইত্বানের লাথি বা স্পর্শবিশেষ। সুতরাং তুমি নিজেকে (প্রতি মাসে) ছয় কিংবা সাতদিন ঋতুবতী গণ্য করবে। আর প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহই ভাল জানেন। তারপর গোসল করবে। যখন তুমি নিজেকে পবিত্র মনে করবে তখন তেইশ অথবা চব্বিশ দিন যাবত সলাত আদায় ও সিয়াম পালন করবে। এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। প্রতিমাসেই এরূপ করবে যেরূপ অন্যান্য নারীরা হায়িয ও পবিত্রতার ক্ষেত্রে করে থাকে। আর তুমি এরূপও করতে পারঃ যুহরের সলাত দেরীতে এবং ‘আসরের সলাত এগিয়ে এনে আদায় করবে। গোসল করে এভাবে যুহর ও ‘আসর সলাত একত্রে আদায় করবে। অন্যদিকে মাগরিবকে বিলম্বে ও ‘ইশাকে এগিয়ে নিয়ে গোসল করে উভয় ওয়াক্তের সলাত একত্রে আদায় করবে। আর ফজরের সময় গোসল সেরে সলাত আদায় ও সিয়াম পালন করবে- যদি এরূপ করা তোমার পক্ষে সম্ভবপর হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দু’টি পন্থার মধ্যে এ দ্বিতীয় পদ্ধতিই আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। [২৮৬]
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আমার ইবনু সাবিত-ইবনু ‘আক্বীল (রহঃ) বলেন, হামনাহ (রাঃ) বলেন, দু’টি পন্থার মধ্যে শেষোক্তটিই আমার অধিকতর পছন্দনীয়। ইবনু ‘আক্বীল কথাটি হামনাহের উক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উক্তি হিসেবে নয়। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘আমর ইবনু সাবিত রাফিযী মন্দ লোক, কিন্তু তিনি হাদীস বর্ণনায় সত্যবাদী ছিলেন। আর সাবিত ইবনু মিক্বদাম একজন বিশ্বস্ত লোক। এটা ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু মাঈন সূত্রে বর্ণিত। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি ইবনু ‘আক্বীল বর্ণিত হাদীসের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করি।
[২৮৬] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ রক্তপ্রদর রোগীনী এক গোসলে দু’ ওয়াক্তের সলাত একত্রে আদায় করবে, হাঃ ১২৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঋতুবতী নারীর হায়িযের ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হলে, হাঃ ৬২২), আহমাদ (৬/৩৪৯, ৩৮১, ৪৩৯), এবং বুখারী ‘আদাবুল মুফরাদ’ (৭৯৭), সকলেরই ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ‘আক্বীল সূত্রে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১২
মুস্তাহাযা প্রতি ওয়াক্ত সলাতের জন্য গোসল করবে
২৮৮
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَقِيلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ خَتَنَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ فَاسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنْ هَذَا عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي ” . قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ فِي مِرْكَنٍ فِي حُجْرَةِ أُخْتِهَا زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حَتَّى تَعْلُوَ حُمْرَةُ الدَّمِ الْمَاءَ .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর শ্যালিকা এবং ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহ্শের সাত বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযা অব্যাহত থাকে। তিনি এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট মাসআলাহ জানতে চাইলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটা হায়িয নয়, বরং এটা শিরার রক্তবিশেষ। কাজেই তুমি গোসল করে সলাত আদায় করবে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) তার বোন যায়নাব বিনতু জাহ্শের ঘরে একটি বিরাট পাত্রে গোসল করতেন। তার ইস্তিহাযা রক্তের লালিমা পানিতে প্রাধান্য লাভ করত (দেখা যেত)।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। এটি পূর্বেই উল্লেখিত হয়েছে ২৮৫ নং-এ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَتْنِي عَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا . فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ .
ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আমরাহ বিনতু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) সূত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি (উম্মু হাবীবাহ) প্রত্যেক সলাতের জন্য গোসল করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فِيهِ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الْقَاسِمُ بْنُ مَبْرُورٍ عَنْ يُونُسَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ جَحْشٍ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَرُبَّمَا قَالَ مَعْمَرٌ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ بِمَعْنَاهُ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ وَابْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِي حَدِيثِهِ وَلَمْ يَقُلْ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ . وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الأَوْزَاعِيُّ أَيْضًا قَالَ فِيهِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উরওয়াহ ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে একই হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, তিনি প্রত্যেক সলাতের জন্য গোসল করতেন। ইবনু ‘উয়াইনাহ তার হাদীসে বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে (প্রত্যেক সলাতের জন্য) গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে যুহরী এ কথা উল্লেখ করেননি। [২৮৯]
[২৮৯] মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ মুস্তাহাযা এবং তার গোসল ও সলাত), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ২০৯, ২১০), আহমাদ (৬/১৮৭) একাধিক সানাদে যুহরী হতে ‘আমরাহ সূত্রে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
২৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمُسَيَّبِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ، اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ فَأَمَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَغْتَسِلَ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) সাত বছর পর্যন্ত রক্ত প্রদরে আক্রান্ত ছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে গোসল করার নির্দেশ দিলে তিনি প্রত্যেক সলাতের জন্যই গোসল করতেন। আওযাঈ এরূপই বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি প্রত্যেক সলাতের জন্যই গোসল করতেন।
সহীহঃ বুখারী
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ، اسْتُحِيضَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلاَةٍ وَسَاقَ الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ كَثِيرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتِ اسْتُحِيضَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” اغْتَسِلِي لِكُلِّ صَلاَةٍ ” . وَسَاقَ الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ عَبْدُ الصَّمَدِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ كَثِيرٍ قَالَ ” تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا وَهَمٌ مِنْ عَبْدِ الصَّمَدِ وَالْقَوْلُ فِيهِ قَوْلُ أَبِي الْوَلِيدِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহ্শের ইস্তিহাযা হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রত্যেক সলাতের পূর্বে গোসল করার নির্দেশ দেন। তারপর হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস আবূল ওয়ালীদ আত-তায়ালিসীও বর্ণনা করেছেন, কিন্তু আমি এটি তার কাছ থেকে শুনিনি। তিনি সুলাইমান ইবনু কাসীর হতে যুহরী থেকে ‘উরওয়াহর মাধ্যমে ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, যায়নাব বিনতু জাহ্শ ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ তুমি প্রত্যেক সলাতের জন্য গোসল করবে … তারপর পূর্ণ হাসীস বর্ণনা করেন।
সহীহ। তবে যায়নাব বিনতু জাহ্শ কথাটি বাদে। সঠিক হচ্ছে উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহ্শ। যেমন পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ‘আবদুস সামাদও সুলাইমান ইবনু কাসীর থেকে বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ প্রত্যেক সলাতের জন্য উযু করবে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এটা ‘আবদুস সামাদের ধারণা মাত্র্। এ বিষয়ে আবূল ওয়ালীদের বর্ণনাই সঠিক।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي زَيْنَبُ بِنْتُ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، كَانَتْ تُهَرَاقُ الدَّمَ – وَكَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتُصَلِّيَ وَأَخْبَرَنِي أَنَّ أُمَّ بَكْرٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الْمَرْأَةِ تَرَى مَا يَرِيبُهَا بَعْدَ الطُّهْرِ ” إِنَّمَا هِيَ – أَوْ قَالَ إِنَّمَا هُوَ – عِرْقٌ أَوْ قَالَ عُرُوقٌ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ عَقِيلٍ الأَمْرَانِ جَمِيعًا وَقَالَ ” إِنْ قَوِيتِ فَاغْتَسِلِي لِكُلِّ صَلاَةٍ وَإِلاَّ فَاجْمَعِي ” . كَمَا قَالَ الْقَاسِمُ فِي حَدِيثِهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْقَوْلُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما .
আবূ সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যায়নাব বিনতু আবূ সালামাহ আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন, জনৈকা মহিলার রক্তস্রাব হত। উক্ত মহিলা ছিলেন ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আ্ওফ (রাঃ) -এর স্ত্রী। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রত্যেক সলাতের সময় গোসল করে সলাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন।
সহীহ।
আবূ সালামাহ (রহঃ) বলেন, উম্মু বাক্র আমাকে অবহিত করেছেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহিলারা পবিত্র হওয়ার পরও এমন রক্ত দেখে থাকে যা তাকে সন্দেহে ফেলে দেয় (কিন্তু তা হায়িয নয়, বরং) ওটা হচ্ছে শিরা বা শিরাসমূহ থেকে নির্গত রক্ত বিশেষ।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘আক্বীলের বর্ণনায় দু’টি বিষয় উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেছেনঃ (এক) তোমার পক্ষে সম্ভব হলে প্রত্যেক সলাতের জন্য গোসল করবে। (দুই) অন্যথায় দুই-দুই ওয়াক্তের সলাত একত্রে আদায় করবে।
সহীহ।
যেরূপ ক্বাসিম তার হাদীসে বর্ণনা করেছেন। এটা বর্ণিত আছে সাঈদ ইবনু যুবাইর হতে, যা তিনি ‘আলী ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১১৩
যে বলে, মুস্তাহাযা দু’ ওয়াক্তের সলাত একত্রে আদায় করবে এবং এর জন্য একবার গোসল করবে
২৯৪
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتُحِيضَتِ امْرَأَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُمِرَتْ أَنْ تُعَجِّلَ الْعَصْرَ وَتُؤَخِّرَ الظُّهْرَ وَتَغْتَسِلَ لَهُمَا غُسْلاً . وَأَنْ تُؤَخِّرَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلَ الْعِشَاءَ وَتَغْتَسِلَ لَهُمَا غُسْلاً وَتَغْتَسِلَ لِصَلاَةِ الصُّبْحِ غُسْلاً . فَقُلْتُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ أَعَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لاَ أُحَدِّثُكَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِشَىْءٍ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে এক মহিলা রক্তপ্রদরে আক্রান্ত হলে তাকে ‘আসরের সলাত শীঘ্র আদায় করার, যুহরের সলাত বিলম্বে আদায় করার এবং উভয় সলাতের জন্য একবার গোসল করার আদেশ দেয়া হয়। একইভাবে তাকে নির্দেশ দেয়া হয় মাগরিবের সলাত বিলম্বে ও ‘ইশার সলাত শীঘ্র আদায় করার এবং উভয় সলাতের জন্য একবার গোসল করার, আর ফজরের সলাতের জন্য একবার গোসল করার। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ‘আবদুর রহমান ইবনু ক্বাসিমকে জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যতীত অন্য কারো থেকে কিছু বর্ণনা করি না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ سَهْلَةَ بِنْتَ سُهَيْلٍ، اسْتُحِيضَتْ فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ فَلَمَّا جَهَدَهَا ذَلِكَ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِغُسْلٍ وَالْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِغُسْلٍ وَتَغْتَسِلَ لِلصُّبْحِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ امْرَأَةً اسْتُحِيضَتْ فَسَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا بِمَعْنَاهُ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাহ্লাহ বিনতু সুহাইল ইস্তিহাযা অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে প্রত্যেক সলাতের জন্য গোসল করার নির্দেশ দিলেন। তার জন্য এটা কষ্টসাধ্য হওয়ায় তিনি তাকে এক গোসলে একত্রে যুহর ও ‘আসর এবং এক গোসলে একত্রে মাগরিব ও ‘ইশার, এবং এক গোসলে ফজর সলাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ইবনু ‘উয়াইনাহ ‘আবদুর রহমান ইবনুল ক্বাসিম হতে তার পিতার সূত্রেও বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ এক মহিলার ইস্তিহাযা হলে এ বিষয়ে সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দিলেন … পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
[২৯৪] পূর্বের হাদীস দেখুন। মুনযিরী বলেনঃ সানাদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব রয়েছে। তার দ্বারা দলীল গ্রহণের ব্যাপারে মতভেদ আছে। হাদীসটি তিনি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করেছেন। তিনি তাদলীস করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৯৬
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ اسْتُحِيضَتْ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا فَلَمْ تُصَلِّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا مِنَ الشَّيْطَانِ لِتَجْلِسْ فِي مِرْكَنٍ فَإِذَا رَأَتْ صُفْرَةً فَوْقَ الْمَاءِ فَلْتَغْتَسِلْ لِلظُّهْرِ وَالْعَصْرِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَغْتَسِلْ لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَغْتَسِلْ لِلْفَجْرِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَتَوَضَّأْ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ مُجَاهِدٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ لَمَّا اشْتَدَّ عَلَيْهَا الْغُسْلُ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهُوَ قَوْلُ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ .
আসমা বিনতু ‘উমাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ এত এত দিন যাবত ইস্তিহাযায় আক্রান্ত। তাই তিনি সলাত আদায় করতে পারছেন না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! এটা তো শাইত্বানের ধোঁকা মাত্র। সে একটি বড় (পানির) পাত্রে বসবে। পানির উপর হলুদ রঙ দেখতে পেলে যুহর ও আসরের জন্য একবার গোসল করবে, মাগরিব ও ‘ইশার জন্য একবার গোসল করবে এবং ফাজর সলাতের জন্য একবার গোসল করবে। আর মধ্যবর্তী সময়ের জন্য উযু করবে।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে মুজাহিদও বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ তার পক্ষে গোসল করা অসম্ভব হওয়ায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দু’ ওয়াক্তের সলাত একত্রে আদায় করার নির্দেশ দিলেন।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ- ১১৪
যে ব্যক্তি বলে, মুস্তাহাযা দু’ তুহরের মাঝখানে একবার গোসল করবে
২৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا ح، وَأَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُسْتَحَاضَةِ ” تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي وَالْوُضُوءُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ عُثْمَانُ ” وَتَصُومُ وَتُصَلِّي ” .
‘আদী ইবনু সাবিত হতে তার পিতা থেকে তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুস্তাহাযা সম্পর্কে বলেছেনঃ হায়িযের দিনগুলোতে সে সলাত ত্যাগ করবে, তারপর গোসল করে সলাত আদায় করবে এবং প্রত্যেক সলাতের জন্য উযু করবে। [২৯৬]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘উসমান তার বর্ণনায় বলেন, যে সিয়াম পালন ও সলাত আদায় করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ خَبَرَهَا وَقَالَ “ ثُمَّ اغْتَسِلِي ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ وَصَلِّي ” .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাতিমাহ্ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে তার ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তারপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক সলাতের জন্য উযু করে সলাত আদায় করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ الْقَطَّانُ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي مِسْكِينٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ أُمِّ كُلْثُومٍ، عَنْ عَائِشَةَ، فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَغْتَسِلُ – تَعْنِي مَرَّةً وَاحِدَةً – ثُمَّ تَوَضَّأُ إِلَى أَيَّامِ أَقْرَائِهَا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মু কুলসূম ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে মুস্তাহাযা সম্পর্কে বর্ণনা করে বলেনঃ ইস্তিহাযায় আক্রান্ত মহিলা কেবল একবার গোসল করবে, তারপর তার পবিত্র অবস্থা চলাকালে উযু করে সলাত আদায় করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ الْقَطَّانُ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، عَنْ أَيُّوبَ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنِ ابْنِ شُبْرُمَةَ، عَنِ امْرَأَةِ، مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ وَالأَعْمَشِ عَنْ حَبِيبٍ وَأَيُّوبَ أَبِي الْعَلاَءِ كُلُّهَا ضَعِيفَةٌ لاَ تَصِحُّ وَدَلَّ عَلَى ضَعْفِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ عَنْ حَبِيبٍ هَذَا الْحَدِيثُ أَوْقَفَهُ حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنِ الأَعْمَشِ وَأَنْكَرَ حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ أَنْ يَكُونَ حَدِيثُ حَبِيبٍ مَرْفُوعًا وَأَوْقَفَهُ أَيْضًا أَسْبَاطٌ عَنِ الأَعْمَشِ مَوْقُوفٌ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ ابْنُ دَاوُدَ عَنِ الأَعْمَشِ مَرْفُوعًا أَوَّلُهُ وَأَنْكَرَ أَنْ يَكُونَ فِيهِ الْوُضُوءُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَدَلَّ عَلَى ضَعْفِ حَدِيثِ حَبِيبٍ هَذَا أَنَّ رِوَايَةَ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ . فِي حَدِيثِ الْمُسْتَحَاضَةِ وَرَوَى أَبُو الْيَقْظَانِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيٍّ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – وَعَمَّارٌ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَرَوَى عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَيْسَرَةَ وَبَيَانٌ وَالْمُغِيرَةُ وَفِرَاسٌ وَمُجَالِدٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ حَدِيثِ قَمِيرَ عَنْ عَائِشَةَ ” تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ ” . وَرِوَايَةُ دَاوُدَ وَعَاصِمٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ قَمِيرَ عَنْ عَائِشَةَ ” تَغْتَسِلُ كُلَّ يَوْمٍ مَرَّةً ” . وَرَوَى هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ الْمُسْتَحَاضَةُ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ . وَهَذِهِ الأَحَادِيثُ كُلُّهَا ضَعِيفَةٌ إِلاَّ حَدِيثَ قَمِيرَ وَحَدِيثَ عَمَّارٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ وَحَدِيثَ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ وَالْمَعْرُوفُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ الْغُسْلُ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বণিত। [২৯৯]
দুর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাবীব ও আইউব আবূল আ‘লা সূত্রে ‘আদী ইবনু সাবিত ও আল-আ‘মাশ কর্তৃক বর্ণিত এ প্রসঙ্গের সকল হাদীসই যঈফ, সহীহ নয়। হাবীব বর্ণিত হাদীসের মারফু‘ হওয়ার বিষয়টি হাফস ইবনু গিয়াস প্রত্যাখ্যান করেছেন। ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে আল-আ‘মাশ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মওকূফ হওয়ার ব্যাপারে আসবাত ঐকমত্য পোষণ করেছেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু দাউদ হাদীসটির প্রথমাংশ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বক্তব্য হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে প্রতি ওয়াক্তের সলাতের জন্য (ইস্তিহাযা রোগিনীর) উযু করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। যুহরী হতে ‘উরওয়াহ থেকে ‘আয়িশা (রাঃ) -সূত্রে বর্ণিত, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি (মুস্তাহাযা) প্রতি ওয়াক্ত সলাতের জন্য গোসল করতেন- এ হাদীস হাবীব বর্ণিত উপরোক্ত হাদীসের দুর্বলতা নির্দেশ করে। আবূল ইয়াক্বাযান ‘আদী ইবনু সাবিত হতে তার পিতার সূত্রে ‘আলী (রাঃ) হতে এবং বনু হাশিমের মুক্ত দাস ‘আম্মার ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রেও হাদীস বর্ণিত আছে। ‘আবদুল মালিক ইবনু মাইসারা, বায়ান আল-মুগীরাহ, ফিরাস ও মুজালিদ আশ-শা‘বী হতে কামীর থেকে ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত আছেঃ “ইস্তিহাযা রোগিণী প্রতি ওয়াক্ত সলাতের জন্য উযু করবে”- (সহীহ)। দাউদ ও ‘আসিম-আশ-শা‘বী হতে কামীর থেকে ‘আয়িশা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসে এসেছেঃ “সে প্রতিদিন একবার গোসল করবে”- (সহীহ)। হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছেঃ “মুস্তাহাযা প্রতি ওয়াক্ত সলাতের জন্য স্বতন্ত্রভাবে উযু করবে।” এসব সূত্রে বর্ণিত হাদীসসমূহ প্রত্যেকটিই দুর্বল। তবে কামীর বর্ণিত হাদীস, বনু হাশিমের মুক্ত দাস ‘আম্মারের হাদীস এবং হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ কর্তৃক তার পিতার সূত্রে বর্ণিত হাদীস ব্যতীত। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) -এর প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, “ইস্তিহাযা রোগিণী প্রতি ওয়াক্ত সলাতের জন্য গোসল করবে।
[২৯৯] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস