মুসলিম হজ্জ অধ্যায় ৪র্থ ভাগ হাদিস নং ২৯৮৬ – ৩০৯৮

৪৬. অধ্যায়ঃ

‘আরাফাহ্ দিবসে মিনা থেকে ‘আরাফাতে যাবার পথে তালবিয়াহ্ ও তাকবীর পাঠ করার বর্ণনা

২৯৮৬

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالاَ، جَمِيعًا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَدَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَاتٍ مِنَّا الْمُلَبِّي وَمِنَّا الْمُكَبِّرُ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা সকালবেলা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে মিনা থেকে ‘আরাফার দিকে রওনা হলাম, তখন আমাদের মধ্যে কতক তালবিয়াহ্‌ পাঠকারী এবং কতক তাকবীর পাঠকারী ছিল। (ই.ফা. ২৯৬১, ই.সে. ২৯৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৭

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَيَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، قَالُوا أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَدَاةِ عَرَفَةَ فَمِنَّا الْمُكَبِّرُ وَمِنَّا الْمُهَلِّلُ فَأَمَّا نَحْنُ فَنُكَبِّرُ قَالَ قُلْتُ وَاللَّهِ لَعَجَبًا مِنْكُمْ كَيْفَ لَمْ تَقُولُوا لَهُ مَاذَا رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘আরাফাহ্‌ দিবসের সকালবেলা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে ছিলাম। আমাদের মধ্যে কতক তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করছিল, আর কতক তালবিয়াহ্‌ পাঠ করছিল। আমরা তাকবীর ধ্বনি করেছি। অধঃস্তন রাবী (‘আবদুল্লাহ ইবনু আবু সালামাহ্‌) বলেন, আমি (‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহকে) বললাম, কী আশ্চর্য! আপনি তাকে (‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার) কেন জিজ্ঞেস করলেন না যে, আপনি এ ক্ষেত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে কী করতে দেখেছেন? (ই.ফা. ২৯৬২, ই.সে. ২৯৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৮

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الثَّقَفِيِّ، أَنَّهُ سَأَلَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَهُمَا غَادِيَانِ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ فِي هَذَا الْيَوْمِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ يُهِلُّ الْمُهِلُّ مِنَّا فَلاَ يُنْكَرُ عَلَيْهِ وَيُكَبِّرُ الْمُكَبِّرُ مِنَّا فَلاَ يُنْكَرُ عَلَيْهِ ‏.

মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর আস্ সাক্বাফী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)–এর সাথে সকালবেলা মিনা থেকে ‘আরাফায় যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা এ দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে কিভাবে কী করতেন? তিনি বললেন, আমাদের কতক তালবিয়াহ্ পাঠ করত কিন্তু তাতে বাধা দেয়া হতো না এবং কতক তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করত কিন্তু তাতেও বাধা দেয়া হতো না। (ই.ফা. ২৯৬৩, ই.সে. ২৯৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৮৯

وَحَدَّثَنِي سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ غَدَاةَ عَرَفَةَ مَا تَقُولُ فِي التَّلْبِيَةِ هَذَا الْيَوْمَ قَالَ سِرْتُ هَذَا الْمَسِيرَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ فَمِنَّا الْمُكَبِّرُ وَمِنَّا الْمُهَلِّلُ وَلاَ يَعِيبُ أَحَدُنَا عَلَى صَاحِبِهِ ‏.

মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আরাফাহ্ দিবসের সকালবেলা আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)–কে জিজ্ঞেস করলাম, এ দিন আপনারা তালবিয়ার ক্ষেত্রে কী বলতেন? তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে আমি ও তাঁর সাহাবীগণ এ পথ ভ্রমণ করেছি। আমাদের কতক ‘আল্ল-হু আকবার’ ধ্বনি উচ্চারণ করেছে এবং কতক তালবিয়াহ্ (লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা) উচ্চারণ করেছে। এতে আমাদের কেউ কারো দোষ ধরেনি। (ই.ফা. ২৯৬৪, ই.সে. ২৯৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৭. অধ্যায়ঃ

‘আরাফাহ্ থেকে মুযদালিফায় প্রত্যাবর্তন এবং মুযদালিফায় এ রাতের মাগরিব ও ‘ইশার সালাত একত্রে আদায় করা মুস্তাহাব

২৯৯০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عَرَفَةَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالشِّعْبِ نَزَلَ فَبَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَلَمْ يُسْبِغِ الْوُضُوءَ فَقُلْتُ لَهُ الصَّلاَةَ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ‏”‏ ‏.‏ فَرَكِبَ فَلَمَّا جَاءَ الْمُزْدَلِفَةَ نَزَلَ فَتَوَضَّأَ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ أَنَاخَ كُلُّ إِنْسَانٍ بَعِيرَهُ فِي مَنْزِلِهِ ثُمَّ أُقِيمَتِ الْعِشَاءُ فَصَلاَّهَا وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)–এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব থেকে উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাকে বলতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আরাফাহ্‌ থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন, পাহাড়ের সরু পথের নিকট পৌঁছে বাহন থেকে নেমে পেশাব করলেন, এরপর হালকা ওযূ করলেন, পূর্ণ ওযূ নয়। আমি তাঁকে বললাম, সলাতের ওয়াক্ত হয়ে গেছে। তিনি বললেন, সামনে এগিয়ে সলাত আদায় করব। এরপর তিনি সওয়ারীতে আরোহণ করলেন, মুযদালিফায় পৌঁছে পূর্ণাঙ্গ ওযূ করলেন। এরপর সলাতের ইক্বামাত দেয়া হল এবং (এখানে) মাগরিবের সলাত আদায় করলেন। অতঃপর প্রত্যেকে নিজ নিজ উট বসাল (বিশ্রামের জন্য), এরপর ‘ইশার সলাতের ইক্বামাত দেয়া হল এবং তিনি ‘ইশার সলাত আদায় করলেন। এ দুই সলাতের মধ্যে তিনি অন্য কোন সলাত আদায় করেননি। (ই.ফা. ২৯৬৫, ই.সে. ২৯৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯১

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، مَوْلَى الزُّبَيْرِ عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ الدَّفْعَةِ مِنْ عَرَفَاتٍ إِلَى بَعْضِ تِلْكَ الشِّعَابِ لِحَاجَتِهِ فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ مِنَ الْمَاءِ فَقُلْتُ أَتُصَلِّي فَقَالَ ‏ “‏ الْمُصَلَّى أَمَامَكَ ‏”‏ ‏.

উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তনের পথে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য কোন এক গিরিপথে গেলেন। এরপর আমি তাঁর ওযুর পানি ঢেলে দিলাম, এরপর বললাম, সলাত আদায় করবেন কি? তিনি বললেন, সামনে এগিয়ে সলাত আদায় করব। (ই.ফা. ২৯৬৬, ই.সে. ২৯৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، يَقُولُ أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عَرَفَاتٍ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى الشِّعْبِ نَزَلَ فَبَالَ – وَلَمْ يَقُلْ أُسَامَةُ أَرَاقَ الْمَاءَ – قَالَ فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا لَيْسَ بِالْبَالِغِ – قَالَ – فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الصَّلاَةَ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ سَارَ حَتَّى بَلَغَ جَمْعًا فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)–এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ)–কে বলতে শুনেছি: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আরাফাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন। তিনি গিরিপথের নিকটে পৌঁছে বাহন থেকে নেমে পেশাব করলেন। উসামাহ্ এ কথা বলেননি যে, তিনি পানি ঢেলে দিয়েছেন। বরং বলেছেন, তিনি পানি চাইলেন এবং হালকাভাবে ওযূ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি কি সলাত আদায় করবেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সলাত তো তোমার সম্মুখে রয়েছে। রাবী বলেন, এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলতে থাকলেন এবং মুযদালিফায় পৌঁছলেন। এরপর মাগরিব ও ‘ইশার সলাত আদায় করলেন। (ই.ফা. ২৯৬৭, ই.সে. ২৯৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৩

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ أَبُو خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّهُ سَأَلَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ كَيْفَ صَنَعْتُمْ حِينَ رَدِفْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشِيَّةَ عَرَفَةَ فَقَالَ جِئْنَا الشِّعْبَ الَّذِي يُنِيخُ النَّاسُ فِيهِ لِلْمَغْرِبِ فَأَنَاخَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاقَتَهُ وَبَالَ – وَمَا قَالَ أَهَرَاقَ الْمَاءَ – ثُمَّ دَعَا بِالْوَضُوءِ فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا لَيْسَ بِالْبَالِغِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الصَّلاَةَ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ‏”‏ ‏.‏ فَرَكِبَ حَتَّى جِئْنَا الْمُزْدَلِفَةَ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ ثُمَّ أَنَاخَ النَّاسُ فِي مَنَازِلِهِمْ وَلَمْ يَحُلُّوا حَتَّى أَقَامَ الْعِشَاءَ الآخِرَةَ فَصَلَّى ثُمَّ حَلُّوا قُلْتُ فَكَيْفَ فَعَلْتُمْ حِينَ أَصْبَحْتُمْ قَالَ رَدِفَهُ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَانْطَلَقْتُ أَنَا فِي سُبَّاقِ قُرَيْشٍ عَلَى رِجْلَىَّ ‏.

কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ)–কে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে তাঁর বাহনে আরোহণ করলেন, তখন ‘আরাফাহ্ দিবসের সন্ধ্যায় আপনারা কী করেছিলেন? তিনি বললেন, যে উপত্যকায় লোকেরা মাগরিবের সময় নিজের উটকে (বিশ্রামের জন্য) বসায়, সেখানে এলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উষ্ট্রী বসালেন এবং পেশাব করলেন। উসামাহ্ (রাঃ) পানি ঢেলে দেয়ার কথা বলেননি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযূর পানি চেয়ে আনলেন এবং হালকাভাবে ওযূ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি কি সলাত আদায় করবেন? তিনি বললেন, সলাত তোমার সম্মুখে। এরপর তিনি সওয়ার হয়ে রওনা করলেন। অবশেষে আমরা মুযদালিফায় আসলাম। মাগরিবের সলাত আদায় করলেন। লোকেরা নিজ নিজ স্থানে উট বসাল কিন্তু মাল-সামান খুলল না, এমনকি ‘ইশার সলাতে দাঁড়ালেন এবং সালাত আদায় করলেন। এরপর লোকেরা মাল-সামান নামাল। আমি (কুরায়ব) বললাম, ভোর হওয়ার পর আপনারা কী করলেন? তিনি (উসামাহ্) বললেন, ফায্ল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁর বাহনে (তাঁর পিছনে) সওয়ার হলেন এবং আমি কুরায়শদের অগ্রভাগে পদব্রজে রওনা হলাম। (ই.ফা. ২৯৬৮, ই.সে. ২৯৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَتَى النَّقْبَ الَّذِي يَنْزِلُهُ الأُمَرَاءُ نَزَلَ فَبَالَ – وَلَمْ يَقُلْ أَهْرَاقَ – ثُمَّ دَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا خَفِيفًا فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الصَّلاَةَ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ‏”‏ ‏.

উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে উপত্যকায় মাক্কার সম্ভ্রান্ত লোকেরা অবতরণ করত, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে অবতরণ করে পেশাব করলেন। তিনি পানি ঢেলে দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওযূর পানি চাইলেন এবং হালকা ওযূ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! সলাত। তিনি বললেন, সলাত সামনে এগিয়ে আদায় করা হবে। (ই.ফা. ২৯৬৯, ই.সে. ২৯৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى سِبَاعٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ كَانَ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَفَاضَ مِنْ عَرَفَةَ فَلَمَّا جَاءَ الشِّعْبَ أَنَاخَ رَاحِلَتَهُ ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى الْغَائِطِ فَلَمَّا رَجَعَ صَبَبْتُ عَلَيْهِ مِنَ الإِدَاوَةِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ رَكِبَ ثُمَّ أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَجَمَعَ بِهَا بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ ‏.

উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আরাফাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সওয়ারীতে পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। উপত্যকায় পৌঁছে তিনি তাঁর উটনী বসালেন, এরপর প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য গেলেন। তিনি ফিরে এলেন। আমি পাত্র থেকে পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি ওযূ করলেন, এরপর সওয়ার হলেন এবং মুযদালিফায় পৌঁছে তিনি মাগরিব ও ‘ইশার সালাত একত্রে আদায় করলেন। (ই.ফা. ২৯৭০, ই.সে. ২৯৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৬

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفَاضَ مِنْ عَرَفَةَ وَأُسَامَةُ رِدْفُهُ قَالَ أُسَامَةُ فَمَازَالَ يَسِيرُ عَلَى هَيْئَتِهِ حَتَّى أَتَى جَمْعًا ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আরাফাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তনের জন্য রওনা হলেন। উসামাহ্ (রাঃ) তাঁর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। উসামাহ্ (রাঃ) বলেন, তিনি মুযদালিফায় পৌঁছা পর্যন্ত অনবরত চলতে থাকলেন। (ই.ফা. ২৯৭১, ই.সে. ২৯৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، – قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سُئِلَ أُسَامَةُ وَأَنَا شَاهِدٌ، أَوْ قَالَ سَأَلْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْدَفَهُ مِنْ عَرَفَاتٍ قُلْتُ كَيْفَ كَانَ يَسِيرُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَفَاضَ مِنْ عَرَفَةَ قَالَ كَانَ يَسِيرُ الْعَنَقَ فَإِذَا وَجَدَ فَجْوَةً نَصَّ ‏.

হিশাম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (‘উরওয়াহ্‌) বলেন, উসামাহ্‌ (রাঃ)-কে আমার উপস্থিতিতে জিজ্ঞেস করা হল অথবা (অধঃস্তন রাবীর সন্দেহ) আমি উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাকে তাঁর সওয়ারীর পিছনে বসিয়ে ছিলেন, তখন তিনি কিভাবে চলেছিলেন? তিনি বললেন, তিনি ধীর গতিতে সওয়ারী চালালেন, যখন খোলা জায়গা পেলেন, তখন দ্রুতগতিতে হাঁকালেন। (ই.ফা. ২৯৭২, ই.সে. ২৯৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৮

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَحُمَيْدُ، بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِي حَدِيثِ حُمَيْدٍ قَالَ هِشَامٌ وَالنَّصُّ فَوْقَ الْعَنَقِ ‏.

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। হুমায়দের রিওয়ায়াতে আছে, রাবী হিশাম (রহঃ) বলেন, (আরবি) এর চেয়ে আরো দ্রুত গতিতে চলাকে (আরবি) বলা হয়। (ই.ফা. ২৯৭৩, ই.সে. ২৯৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯৯৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الْخَطْمِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِالْمُزْدَلِفَةِ

আবূ আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মুযদালিফায় মাগরিব ও ‘ইশার সালাত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ২৯৭৪, ই.সে. ২৯৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০০

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْخَطْمِيِّ، وَكَانَ، أَمِيرًا عَلَى الْكُوفَةِ عَلَى عَهْدِ ابْنِ الزُّبَيْرِ

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সা‘ঈদ (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনু রুমহ্‌ তার বর্ণনায় ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ আল খাত্বমীর সূত্রে উল্লেখ করেছেন যে, আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর খিলাফাতকালে কূফার আমীর ছিলেন। (ই.ফা. ২৯৭৫, ই.সে. )

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِالْمُزْدَلِفَةِ جَمِيعًا ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযদালিফায় মাগরিব ও ‘ইশার সলাত একত্রে আদায় করেন। (ই.ফা. ২৯৭৬, ই.সে. ২৯৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০২

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّأَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ قَالَ جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ لَيْسَ بَيْنَهُمَا سَجْدَةٌ وَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ وَصَلَّى الْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي بِجَمْعٍ كَذَلِكَ حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ تَعَالَى ‏.

‘উবায়দুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তার পিতা বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযদালিফায় মাগরিব ও ‘ইশার সলাত একত্রে আদায় করেছেন। তিনি এ দুই সলাতের মধ্যে অন্য কোন সলাত (সুন্নাত বা নাফ্ল) আদায় করেননি। তিনি মাগরিব তিন রাক‘আত এবং ‘ইশা দু’রাক‘আত আদায় করেছেন।

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও (মুযদালিফায়) অনুরূপভাবে সলাত আদায় করতেন এবং এ অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন। (ই.ফা. ২৯৭৭, ই.সে. ২৯৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، وَسَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّهُ صَلَّى الْمَغْرِبَ بِجَمْعٍ وَالْعِشَاءَ بِإِقَامَةٍ ثُمَّ حَدَّثَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ صَلَّى مِثْلَ ذَلِكَ وَحَدَّثَ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (মুযদালিফায়) মাগরিব ও ‘ইশার সলাত এক ইক্বামাতে একই সাথে আদায় করেছেন। এরপর তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ) সম্পর্কে বলেছেন যে, তিনিও অনুরূপভাবে সলাত আদায় করেছেন। আর ইবনু ‘উমার (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ করেছেন। (ই.ফা. ২৯৭৮, ই.সে. ২৯৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৪

وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ صَلاَّهُمَا بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ ‏.

শু‘বাহ্‌ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে উল্লেখ আছে, “তিনি একই ইক্বামাতে দু’ ওয়াক্তের সলাত আদায় করেছেন।” (ই.ফা. ২৯৭৯, ই.সে. ২৯৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৫

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ صَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلاَثًا وَالْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মুযদালিফায়) মাগরিব ও ‘ইশার সলাত একত্রে (একই সময়ে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন নিয়্যাতে) আদায় করেছেন। তিনি এক ইক্বামাতেই মাগরিবের সলাত তিন রাক‘আত এবং ‘ইশার সলাত দু’রাক‘আত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ২৯৮০, ই.সে. ২৯৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي، خَالِدٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ أَفَضْنَا مَعَ ابْنِ عُمَرَ حَتَّى أَتَيْنَا جَمْعًا فَصَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ هَكَذَا صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْمَكَانِ ‏.

সা‘ঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সাথে (‘আরাফাহ্‌ থেকে মুযদালিফায়) এলাম। তিনি আমাদের সাথে মাগরিব ও ‘ইশার সলাত এক ইক্বামাতে আদায় করেন। সলাত শেষ করে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ স্থানে আমাদের নিয়ে এভাবে সলাত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ২৯৮১, ই.সে. ২৯৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর দিন, মুযদালিফায় ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই ফজরের সলাত আদায় করা মুস্তাহাব

৩০০৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى صَلاَةً إِلاَّ لِمِيقَاتِهَا إِلاَّ صَلاَتَيْنِ صَلاَةَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ وَصَلَّى الْفَجْرَ يَوْمَئِذٍ قَبْلَ مِيقَاتِهَا ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নির্ধারিত ওয়াক্তেই সলাত আদায় করতে দেখেছি। তবে মুযদালিফায় মাগরিব ও ‘ইশার সলাত আদায় করেছেন এবং রাতের ভোরে ফজরের সলাত নির্ধারিত সময়ের পূর্বে অর্থাৎ ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদায় করেছে। (ই.ফা. ২৯৮২, ই.সে. ২৯৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০০৮

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ قَبْلَ وَقْتِهَا بِغَلَسٍ ‏.

আ‘মাশ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনার শেষাংশ নিম্নরূপঃ “ওয়াক্ত হবার সাথে সাথেই অন্ধকারের মধ্যে তা আদায় করেছেন।” (ই.ফা. ২৯৮৩, ই.সে. ২৯৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯. অধ্যায়ঃ

দুর্বল ও বৃদ্ধদের, বিশেষতঃ মহিলাদের ভোর রাতে রাস্তায় ভিড় হবার পূর্বেই মুযদালিফাহ্ থেকে মিনায় পাঠানো এবং অন্যদের ফজর পর্যন্ত মুযদালিফায় অবস্থান করা মুস্তাহাব

৩০০৯

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا أَفْلَحُ، – يَعْنِي ابْنَ حُمَيْدٍ – عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ اسْتَأْذَنَتْ سَوْدَةُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْمُزْدَلِفَةِ تَدْفَعُ قَبْلَهُ وَقَبْلَ حَطْمَةِ النَّاسِ وَكَانَتِ امْرَأَةً ثَبِطَةً – يَقُولُ الْقَاسِمُ وَالثَّبِطَةُ الثَّقِيلَةُ – قَالَ فَأَذِنَ لَهَا فَخَرَجَتْ قَبْلَ دَفْعِهِ وَحَبَسَنَا حَتَّى أَصْبَحْنَا فَدَفَعْنَا بِدَفْعِهِ وَلأَنْ أَكُونَ اسْتَأْذَنْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا اسْتَأْذَنَتْهُ سَوْدَةُ فَأَكُونَ أَدْفَعُ بِإِذْنِهِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ مَفْرُوحٍ بِهِ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাওদাহ্ (রাঃ) মুযদালিফার রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগেই এবং রাস্তায় জনতার ভিড় হবার পূর্বেই মিনার উদ্দেশে যাত্রার জন্য তাঁর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি ছিলেন স্থূলদেহী। (অধঃস্তন রাবী) আল-ক্বাসিম বলেন, (আরবি) শব্দের অর্থ (আরবি) (ভারী)। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন। অতএব তিনি তাঁর আগেই রওনা হয়ে গেলেন এবং আমরা ফজর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করলাম। তারপর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে রওনা হলাম। আমিও যদি সাওদাহ (রাঃ)-এর মতো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি নিয়ে আগে ভাগে চলে যেতাম, তবে তা আরও আনন্দদায়ক হতো- যে আনন্দ এখন আমি অনুভব করছি, তার তুলনায়। (ই.ফা. ২৯৮৪, ই.সে. ২৯৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১০

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، جَمِيعًا عَنِ الثَّقَفِيِّ، – قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ سَوْدَةُ امْرَأَةً ضَخْمَةً ثَبِطَةً فَاسْتَأْذَنَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُفِيضَ مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ فَأَذِنَ لَهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَلَيْتَنِي كُنْتُ اسْتَأْذَنْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا اسْتَأْذَنَتْهُ سَوْدَةُ وَكَانَتْ عَائِشَةُ لاَ تُفِيضُ إِلاَّ مَعَ الإِمَامِ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাওদাহ্ (রাঃ) ছিলেন ভারী ও স্থূলদেহী। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট মুযদালিফাহ্ থেকে রাত থাকতেই প্রস্থান করার অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। ‘আয়িশা (রাঃ) আরও বলেন, হায়! যদি সাওদাহ্ (রাঃ)-এর মতো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমিও অনুমতি প্রার্থনা করতাম!

‘আয়িশা (রাঃ) ইমামের সাথে মুযদালিফাহ্ হতে রওনা হতেন। (ই.ফা. ২৯৮৫, ই.সে. ২৯৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১১

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ وَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ اسْتَأْذَنْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا اسْتَأْذَنَتْهُ سَوْدَةُ فَأُصَلِّي الصُّبْحَ بِمِنًى فَأَرْمِي الْجَمْرَةَ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ النَّاسُ ‏.‏ فَقِيلَ لِعَائِشَةَ فَكَانَتْ سَوْدَةُ اسْتَأْذَنَتْهُ قَالَتْ نَعَمْ إِنَّهَا كَانَتِ امْرَأَةً ثَقِيلَةً ثَبِطَةً فَاسْتَأْذَنَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَذِنَ لَهَا ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আকাঙ্ক্ষা করেছিলাম আমিও যদি সাওদাহ্ (রাঃ)-এর অনুরূপ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করতাম! তিনি মিনায় পৌঁছে ফাজ্‌রের সলাত আদায় করেন এবং লোকদের পৌঁছার পূর্বেই জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেন।

‘আয়িশা (রাঃ)-কে বলা হ’ল, সাওদাহ্ (রাঃ) কি তাঁর নিকট অনুমতি চেয়েছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি ছিলেন স্থূলদেহী এবং ভারী, তাই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তিনি তাকে অনুমতি দিয়েছিলেন। (ই.ফা. ২৯৮৬, ই.সে. ২৯৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু ক্বাসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৯৮৭, ই.সে. ২৯৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ، مَوْلَى أَسْمَاءَ قَالَ قَالَتْ لِي أَسْمَاءُ وَهْىَ عِنْدَ دَارِ الْمُزْدَلِفَةِ هَلْ غَابَ الْقَمَرُ قُلْتُ لاَ ‏.‏ فَصَلَّتْ سَاعَةً ثُمَّ قَالَتْ يَا بُنَىَّ هَلْ غَابَ الْقَمَرُ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَتِ ارْحَلْ بِي ‏.‏ فَارْتَحَلْنَا حَتَّى رَمَتِ الْجَمْرَةَ ثُمَّ صَلَّتْ فِي مَنْزِلِهَا فَقُلْتُ لَهَا أَىْ هَنْتَاهْ لَقَدْ غَلَّسْنَا ‏.‏ قَالَتْ كَلاَّ أَىْ بُنَىَّ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَذِنَ لِلظُّعُنِ ‏.

আসমা (রাঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে আসমা (রাঃ) মুযদালিফাহ্ অবস্থানকালে জিজ্ঞেস করলেন, চাঁদ ডুবেছে কি? আমি বললাম, না। অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ সলাত আদায় করলেন। পরে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, হে বৎস! চাঁদ ডুবেছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আমার সাথে রওনা হও। আমরা রওনা হলাম এবং জামরাহ্ (পৌঁছে) তিনি কাঁকর নিক্ষেপ করলেন, এরপর নিজের তাঁবুতে সলাত আদায় করলেন। আমি তাকে বললাম, হে সম্মানিত মহিলা! আমরা খুব ভোরে রওনা হয়েছিলাম। তিনি বললেন, কোন অসুবিধা নেই হে বৎস! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের খুব ভোরে রওনা হবার অনুমতি দিয়েছিলেন। (ই.ফা. ২৯৮৮, ই.সে. ২৯৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৪

وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي رِوَايَتِهِ قَالَتْ لاَ أَىْ بُنَىَّ إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَذِنَ لِظُعُنِهِ ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এতে আছেঃ “আসমা (রাঃ) বলেন, হে বৎস! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহধর্মিণীকে অনুমতি দিয়েছিলেন।” (ই.ফা. ২৯৮৯, ই.সে. ২৯৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৫

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّ ابْنَ شَوَّالٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ فَأَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بِهَا مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ ‏.

(সালিম) ইবনু শাও্‌ওয়াল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(সালিম) ইবনু শাও্‌ওয়াল (রাঃ) উম্মু হাবীবাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাকে অবহিত করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত থাকতেই তাকে মুযদালিফাহ্‌ থেকে মিনায় (পাঠিয়ে দেন)। (ই.ফা. ২৯৯০, ই.সে. ২৯৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ شَوَّالٍ، عَنْ أُمِّ، حَبِيبَةَ قَالَتْ كُنَّا نَفْعَلُهُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نُغَلِّسُ مِنْ جَمْعٍ إِلَى مِنًى ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ النَّاقِدِ نُغَلِّسُ مِنْ مُزْدَلِفَةَ ‏.

সালিম ইবনু শাও্ওয়াল সূত্রে উম্মু হাবীবাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘আমাল থেকে এরূপ করতাম, অর্থাৎ রাতের অন্ধকারেই মুযদালিফাহ্ থেকে মিনায় চলে আসতাম। নাক্বিদ-এর বর্ণনায় আছে, “মুযদালিফাহ্ থেকে আমরা রাতের অন্ধকারেই রওনা হতাম।” (ই.ফা. ২৯৯১, ই.সে. ২৯৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الثَّقَلِ – أَوْ قَالَ فِي الضَّعَفَةِ – مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে মালপত্র নিয়ে অথবা (অপর বর্ণনা অনুযায়ী) দুর্বল লোকদের সাথে রাত থাকতেই মুযদালিফাহ্ থেকে (মিনার উদ্দেশে) পাঠিয়ে দেন। (ই. ফা. ২৯৯২, ই. সে. ২৯৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي، يَزِيدَ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ أَنَا مِمَّنْ، قَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ضَعَفَةِ أَهْلِهِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পরিবারের যে দুর্বলদের (মুযদালিফাহ্‌ থেকে) সর্বাগ্রে পাঠিয়ে দেন, আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। (ই. ফা. ২৯৯৩, ই. সে. ২৯৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০১৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنْتُ فِيمَنْ قَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ضَعَفَةِ أَهْلِهِ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পরিবারের যে দুর্বলদের আগেভাগে পাঠিয়ে দেন, আমি তাদের সাথে ছিলাম। (ই.ফা. ২৯৯৪, ই.সে. ২৯৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২০

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَحَرٍ مِنْ جَمْعٍ فِي ثَقَلِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قُلْتُ أَبَلَغَكَ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ بَعَثَ بِي بِلَيْلٍ طَوِيلٍ قَالَ لاَ إِلاَّ كَذَلِكَ بِسَحَرٍ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَمَيْنَا الْجَمْرَةَ قَبْلَ الْفَجْرِ ‏.‏ وَأَيْنَ صَلَّى الْفَجْرَ قَالَ لاَ إِلاَّ كَذَلِكَ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর মালপত্র নিয়ে ভোর রাতে মুযদালিফাহ্ থেকে (মিনায়) পাঠিয়ে দেন। আমি (ইবনু জুরায়জ) ‘আত্বাকে বললাম, আপনি জানেন কি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে গভীর রাতে পাঠিয়েছেন”? তিনি বললেন, না, কেবল ভোর রাতের কথাই আমি জানি। আমি তাঁকে পুনরায় বললাম, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, “আমরা ফজরের সলাতের পূর্বেই জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেছি।” তাহলে তিনি ফজরের সলাত কোথায় আদায় করেছেন? ‘আত্বা বললেন, না, আমি এতটুকুই জানি। (ই.ফা. ২৯৯৫, ই.সে. ২৯৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২১

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُقَدِّمُ ضَعَفَةَ أَهْلِهِ فَيَقِفُونَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ بِالْمُزْدَلِفَةِ بِاللَّيْلِ فَيَذْكُرُونَ اللَّهَ مَا بَدَا لَهُمْ ثُمَّ يَدْفَعُونَ قَبْلَ أَنْ يَقِفَ الإِمَامُ وَقَبْلَ أَنْ يَدْفَعَ فَمِنْهُمْ مَنْ يَقْدَمُ مِنًى لِصَلاَةِ الْفَجْرِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَقْدَمُ بَعْدَ ذَلِكَ فَإِذَا قَدِمُوا رَمَوُا الْجَمْرَةَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ أَرْخَصَ فِي أُولَئِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার সাথের দুর্বল লোকদেরকে মুযদালিফার নিকটবর্তী স্থান মাশ‘আরুল হারামে রাতে অবস্থানের জন্য আগে ভাগেই পাঠিয়ে দিতেন। অতএব তারা রাতের বেলা যতক্ষণ ইচ্ছা আল্লাহর যিকির করত। ইমামের অবস্থান ও ফিরে আসার পূর্বেই তারা (এখান থেকে) রওনা হতো। অতএব তাদের মধ্যে কেউ ফজরের সলাতের সময় মিনায় পৌঁছত এবং কেউ ফজরের সলাতের পরে। তারা এখানে পৌঁছে জামরায় পাথর নিক্ষেপ করত। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলতেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুর্বল ও বৃদ্ধদের এ অনুমতি প্রদান করেছেন। [২৪] (ই.ফা. ২৯৯৬, ই.সে. ২৯৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪] ফকীহগণের মতে মুযদালিফায় একটি পাহাড়ই হল “মাশ‘আরিল হারাম” আর মুফাসসির এবং সিরাত রচয়িতাদের মতে সারা মুযদালিফাই আশ‘আরিল হারাম এ সকল হাদীস থেকে জানা যায় যে, শিশু ও মহিলাদের জন্য পূর্ব রাত্রিতে মুযদালিফাহ্ থেকে রওনা হওয়া জায়িয, যাতে করে ভিড় হওয়ার আগেই মিনায় পৌঁছে জামরা’য় কঙ্কর নিক্ষেপ করে মুক্ত হতে পারে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫০. অধ্যায়ঃ

মাক্কাহ্ মু‘আজ্জামাকে বাঁ পাশে রেখে উপত্যকার মধ্যস্থলে দাঁড়িয়ে জাম্রাতুল ‘আক্বাবায় কাঁকর নিক্ষেপ করা এবং প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা

৩০২২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ رَمَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ‏.‏ قَالَ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ أُنَاسًا يَرْمُونَهَا مِنْ فَوْقِهَا ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ هَذَا وَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ مَقَامُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ

‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) উপত্যকার মধ্যখানে দাঁড়িয়ে জামরাতুল ‘আক্বাবায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করেছেন এবং প্রতিটি পাথরের সাথে তাকবীর বলেছেন। রাবী বলেন, তাকে বলা হ’ল, লোকেরা তো উচ্চ স্থানে দাঁড়িয়ে পাথর নিক্ষেপ করে।

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বললেন, সে সত্তার শপথ, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, এ সেই স্থান যেখানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ নাযিল হয়েছে। (ই.ফা. ২৯৯৭, ই.সে. ২৯৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৩

وَحَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ، يَقُولُ وَهُوَ يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ أَلِّفُوا الْقُرْآنَ كَمَا أَلَّفَهُ جِبْرِيلُ السُّورَةُ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا الْبَقَرَةُ وَالسُّورَةُ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا النِّسَاءُ وَالسُّورَةُ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا آلُ عِمْرَانَ ‏.‏ قَالَ فَلَقِيتُ إِبْرَاهِيمَ فَأَخْبَرْتُهُ بِقَوْلِهِ فَسَبَّهُ وَقَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ أَنَّهُ كَانَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَأَتَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَاسْتَبْطَنَ الْوَادِيَ فَاسْتَعْرَضَهَا فَرَمَاهَا مِنْ بَطْنِ الْوَادِي بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ – قَالَ – فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ النَّاسَ يَرْمُونَهَا مِنْ فَوْقِهَا ‏.‏ فَقَالَ هَذَا وَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ مَقَامُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ ‏.

আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফকে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে বলতে শুনেছিঃ জিবরীল (‘আঃ) যে ক্রমবিন্যাসে কুরআন মাজীদ সাজিয়েছেন, তোমরা তদনুযায়ী তা সুবিন্যস্ত কর। যেমন, প্রথম সে সূরাহ্ যার মধ্যে গাভী সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। এরপর যে সূরায় মহিলাদের সম্পর্কে, এরপর সে সূরাহ্ যার মধ্যে ‘ইমরান-পরিবার সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।

আ‘মাশ (রহঃ) বলেন, এরপর আমি ইব্রাহীমের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে হাজ্জাজের বক্তব্য সম্পর্কে অবহিত করলাম। তিনি তাকে গালি দিলেন। এরপর বললেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ আমাকে বলেছেন যে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)-এর সাথে ছিলেন। তিনি জামরাতুল ‘আক্বাবায় এলেন, উপত্যকার মাঝে দাঁড়ালেন এবং জামরাহ্কে নিজের সম্মুখভাগে রাখলেন, এরপর উপত্যকার মাঝে দাঁড়িয়ে সাতটি কাঁকর নিক্ষেপ করলেন, প্রত্যেকবার নিক্ষেপের সাথে সাথে ‘আল্ল-হু আকবার’ বললেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! লোকেরা উপত্যকার উপরিভাগ থেকে পাথর নিক্ষেপ করে। তিনি বললেন, সে সত্তার শপথ যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, এ সেই স্থান যেখানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ নাযিল হয়েছিল। (ই.ফা. ২৯৯৮, ই.সে. ২৯৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৪

وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ، يَقُولُ لاَ تَقُولُوا سُورَةُ الْبَقَرَةِ ‏.‏ وَاقْتَصَّا الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ ‏.

আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হাজ্জাজকে বলতে শুনেছি, তোমরা বল না সূরাতুল বাক্বারাহ্…… এরপর ইবনু মুসহির বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ২৯৯৯, ই.সে. ২৯৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ يَزِيدَ أَنَّهُ حَجَّ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ فَرَمَى الْجَمْرَةَ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ وَجَعَلَ الْبَيْتَ عَنْ يَسَارِهِ وَمِنًى عَنْ يَمِينِهِ وَقَالَ هَذَا مَقَامُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ)-এর সাথে হাজ্জ করেন। রাবী বলেন, তিনি (‘আবদুল্লাহ) জামরায় সাতটি কাঁকর নিক্ষেপ করেন- বায়তুল্লাহকে বামদিকে এবং মিনাকে ডানদিকে রেখে এবং তিনি বলেন, এই সে স্থান যেখানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ নাযিল করা হয়েছিল। (ই.ফা. ৩০০১, ই.সে. ২৯৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৬

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَلَمَّا أَتَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ ‏.

শু‘বাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি বলেছেন, “তিনি (‘আবদুল্লাহ) যখন জামরাতুল ‘আক্বাবায় এলেন।” (ই.ফা. ৩০০১, ই.সে. ২৯৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُحَيَّاةِ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى أَبُو الْمُحَيَّاةِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ يَزِيدَ قَالَ قِيلَ لِعَبْدِ اللَّهِ إِنَّ نَاسًا يَرْمُونَ الْجَمْرَةَ مِنْ فَوْقِ الْعَقَبَةِ – قَالَ – فَرَمَاهَا عَبْدُ اللَّهِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي ثُمَّ قَالَ مِنْ هَا هُنَا وَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ رَمَاهَا الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ ‏.

‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ)-কে বলা হল, লোকেরা ‘আক্বাবার উচ্চভূমি থেকে পাথর নিক্ষেপ করে। রাবী বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) উপত্যকার মধ্যভাগে দাঁড়িয়ে তা নিক্ষেপ করলেন। এরপর তিনি বলেন, সে সত্তার শপথ যিনি ব্যতীত অন্য কোন মা‘বূদ নেই, যাঁর উপর সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ নাযিল হয়েছে, তিনি এই স্থান থেকে কাঁকর নিক্ষেপ করেন। (ই.ফা. ৩০০২, ই.সে. ২৯৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫১. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর দিন সওয়ারীতে আরোহিত অবস্থায় জামরাতুল ‘আক্বাবায় কাঁকর নিক্ষেপ করা মুস্তাহাব এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীঃ “আমার নিকট থেকে তোমরা হাজ্জের নিয়ম-কানুন শিখে নাও।”

৩০২৮

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، جَمِيعًا عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، – قَالَ ابْنُ خَشْرَمٍ أَخْبَرَنَا عِيسَى، – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَرْمِي عَلَى رَاحِلَتِهِ يَوْمَ النَّحْرِ وَيَقُولُ ‏ “‏ لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ فَإِنِّي لاَ أَدْرِي لَعَلِّي لاَ أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِي هَذِهِ ‏”‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি কুরবানীর দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সওয়ারীতে আরোহিত অবস্থায় পাথর নিক্ষেপ করতে দেখেছি এবং তিনি বলেছিলেনঃ “আমার নিকট থেকে তোমরা হাজ্জের নিয়ম-কানুন শিখে নাও। কারণ আমি জানি না- এ হাজ্জের পর আমি আর হাজ্জ করতে পারব কিনা।” (ই.ফা. ৩০০৩, ই.সে. ৩০০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০২৯

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي، أُنَيْسَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ الْحُصَيْنِ، قَالَ سَمِعْتُهَا تَقُولُ، حَجَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّةَ الْوَدَاعِ فَرَأَيْتُهُ حِينَ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ وَانْصَرَفَ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَمَعَهُ بِلاَلٌ وَأُسَامَةُ أَحَدُهُمَا يَقُودُ بِهِ رَاحِلَتَهُ وَالآخَرُ رَافِعٌ ثَوْبَهُ عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الشَّمْسِ – قَالَتْ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْلاً كَثِيرًا ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ “‏ إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ مُجَدَّعٌ – حَسِبْتُهَا قَالَتْ – أَسْوَدُ يَقُودُكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا ‏”‏ ‏.

উম্মুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বিদায় হাজ্জ করেছি এবং আমি দেখেছি, তিনি জামরাতুল ‘আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপ করে সওয়ারীতে চড়ে ফিরে আসেন এবং তার সাথে ছিলেন বিলাল ও উসামাহ্ (রাঃ)। তাদের একজন উটের লাগাম ধরে তা টেনে নিচ্ছিলেন এবং অপরজন সূর্যের তাপের কারণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথার উপর কাপড় ধরে রাখছিলেন। উম্মুল হুসায়ন (রাঃ) আরো বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক কথা বললেন। এরপর আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ যদি নাক-কান কাটা কোন কাফ্রী (কালো) ক্রীতদাসকেও তোমাদের নেতা নিয়োগ করা হয় এবং সে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী তোমাদের পরিচালনা করে, তবে তার (নির্দেশ) শোন এবং আনুগত্য কর। (ই.ফা. ৩০০৪, ই.সে. ৩০০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩০

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ، عَنْ زَيْدِ، بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ أُمِّ الْحُصَيْنِ، جَدَّتِهِ قَالَتْ حَجَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّةَ الْوَدَاعِ فَرَأَيْتُ أُسَامَةَ وَبِلاَلاً وَأَحَدُهُمَا آخِذٌ بِخِطَامِ نَاقَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالآخَرُ رَافِعٌ ثَوْبَهُ يَسْتُرُهُ مِنَ الْحَرِّ حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ وَاسْمُ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ خَالِدُ بْنُ أَبِي يَزِيدَ وَهُوَ خَالُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ رَوَى عَنْهُ وَكِيعٌ وَحَجَّاجٌ الأَعْوَرُ ‏.

উম্মুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বিদায় হাজ্জ করেছি। আমি উসামাহ্ ও বিলালকে দেখেছি যে, তাদের একজন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উষ্ট্রীর লাগাম ধরে আছেন এবং অপরজন কাপড় দিয়ে তাঁকে রৌদ্র তাপ থেকে ছায়া দান করছেন। এমতাবস্থায় তিনি জামরায় কাঁকর নিক্ষেপ করেন।

ইমাম মুসলিম বলেন, আবূ ‘আবদুর রহীমের নাম খালিদ ইবনু আবূ ইয়াযীদ যিনি মুহাম্মাদ ইবনু সালামার মামা- ওয়াকী‘ এবং হাজ্জাজ আ’ওয়ার তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩০০৫, ই.সে. ৩০০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫২. অধ্যায়ঃ

জামরায় নিক্ষিপ্ত পাথর ক্ষুদ্র হওয়া মুস্তাহাব

৩০৩১

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَمَى الْجَمْرَةَ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জামরায় ক্ষুদ্র পাথর নুড়ি (পাথর) নিক্ষেপ করতে দেখেছি। (ই.ফা. ৩০০৬, ই.সে. ৩০০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩. অধ্যায়ঃ

পাথর নিক্ষেপের জন্য মুস্তাহাব সময়

৩০৩২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، وَابْنُ، إِدْرِيسَ عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ رَمَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ ضُحًى وَأَمَّا بَعْدُ فَإِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন সূর্য কিছুটা উপরে উঠলে জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেন, পুনরায় দ্বিপ্রহরের পরে। (ই.ফা. ৩০০৭, ই.সে.)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৩

وَحَدَّثَنَاهُ عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)… পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩০০৮, ই.সে. ৩০০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪. অধ্যায়ঃ

জামরায় প্রতিবার সাতটি করে নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করবে

৩০৩৪

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، – وَهُوَ ابْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْجَزَرِيُّ – عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الاِسْتِجْمَارُ تَوٌّ وَرَمْىُ الْجِمَارِ تَوٌّ وَالسَّعْىُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ تَوٌّ وَالطَّوَافُ تَوٌّ وَإِذَا اسْتَجْمَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَجْمِرْ بِتَوٍّ ‏”‏ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইস্তিঞ্জায় ব্যবহৃত ঢিলার সংখ্যা বেজোড়, জামরায় নিক্ষিপ্ত পাথরের সংখ্যা বেজোড়, সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈর সংখ্যা বেজোড় এবং ত্বওয়াফও বেজোড়। অতএব তোমাদের যে কেউ যখন ইস্তঞ্জায় ঢিলা ব্যবহার করবে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ব্যবহার করে। (ই.ফা. ৩০০৯, ই.সে. ৩০০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫. অধ্যায়ঃ

চুল ছাঁটার চেয়ে কামানো উত্তম এবং ছাঁটাও জায়িয

৩০৩৫

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، قَالَ حَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَلَقَ طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَقَصَّرَ بَعْضُهُمْ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ – مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ قَالَ – وَالْمُقَصِّرِينَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ (ইবনু ‘উমার) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথা মুণ্ডন করলেন। তাঁর কিছু সংখ্যক সাহাবীও মাথা মুণ্ডন করলেন আর কিছু সংখ্যক চুল খাটো করলেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক অথবা দু’বার বললেনঃ যারা মাথা মুণ্ডন করেছে, আল্লাহ তাদের উপর অনুগ্রহ করুন। অতঃপর তিনি বললেনঃ যারা চুল খাটো করেছে, তাদের উপরও। (ই.ফা. ৩০১০, ই.সে. ৩০০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৬

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ ارْحَمِ الْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ ارْحَمِ الْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ وَالْمُقَصِّرِينَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি দয়া করুন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! চুল খাটোকারীদের প্রতিও। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! মাথা মুন্ডনকারীদের প্রতি দয়া করুন। তারা বললেন, চুল খাটোকারীদের জন্যও (দু’আ করুন) হে আল্লাহ রসূল! তিনি বললেন, এবং চুল খাটোকারীদের প্রতিও। ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, আবূ ইসহাক্ব ইব্রাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সুফ্ইয়ান এ হাদীসটি মুসলিম ইবনু হাজ্জাজ-এর সূত্রে আমার নিকট বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৩০১১, ই.সে. ৩০০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৭

أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ الْحَجَّاجِ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ وَالْمُقَصِّرِينَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করুন! তারা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! চুল ছোটকারীদের জন্য (দু’আ করুন)। তিনি বললেন, মাথা মুণ্ডনকারীদেরকে আল্লাহ রহম করুন। তারা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! চুল ছোটকারীদের জন্যও। তিনি বললেন, মাথা মুণ্ডনকারীদের প্রতি আল্লাহ দয়া করুন। তারা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! চুল ছোটকারীদের প্রতিও। তিনি বললেন, চুল ছোটকারীদের প্রতিও। (ই.ফা. ৩০১২, ই.সে. ৩০০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৮

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَلَمَّا كَانَتِ الرَّابِعَةُ قَالَ ‏ “‏ وَالْمُقَصِّرِينَ ‏”‏ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তার বর্ণনায় আছে, “চতুর্থবারে তিনি বললেনঃ চুল খাটোকারীদের উপরও (রহম করুন)।” (ই. ফা. ৩০১৩, ই. সে. ৩০১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৩৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ فُضَيْلٍ، – قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، – حَدَّثَنَا عُمَارَةُ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلِلْمُقَصِّرِينَ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلِلْمُقَصِّرِينَ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلِلْمُقَصِّرِينَ قَالَ ‏”‏ وَلِلْمُقَصِّرِينَ ‏”‏‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদেরকে ক্ষমা করুন। তারা বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! চুল খাটোকারীদের (ক্ষমার জন্য দু’আ করুন)। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের ক্ষমা করুন। তারা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! চুল খাটোকারীদেরও। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! মাথা মুণ্ডনকারীদের গুনাহ মাফ করুন। তারা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! চুল খাটোকারীদেরও। তিনি বললেন, চুল খাটোকারীদেরও (গুনাহ ক্ষমা করুন)। (ই.ফা. ৩০১৪, ই.সে. ৩০১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪০

وَحَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.

আবু হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদ সূত্রেও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপরোক্ত হাদীসে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩০১৫, ই.সে. ৩০১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ جَدَّتِهِ، أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ دَعَا لِلْمُحَلِّقِينَ ثَلاَثًا وَلِلْمُقَصِّرِينَ مَرَّةً ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ وَكِيعٌ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏.

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু হুসায়ন (রহঃ) থেকে তার দাদীর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (দাদী) বিদায় হাজ্জকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাথা মুন্ডনকারীদের জন্য তিনবার এবং চুল খাটোকারীদের জন্য একবার দু’আ করতে শুনেছেন। ওয়াকী’র বর্ণনায় ‘বিদায় হাজ্জ’ কথাটুকু উল্লেখিত হয়নি। (ই.ফা. ৩০১৬, ই.সে. ৩০১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪২

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيُّ ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ – كِلاَهُمَا عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَلَقَ رَأْسَهُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জকালে নিজের মাথার চুল মুণ্ডন করেছেন। (ই.ফা. ৩০১৭, ই.সে. ৩০১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর দিন সুন্নাত সম্মত নিয়ম এই যে, প্রথমে (জামরায়) কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে, অতঃপর কুরবানী করতে হবে, অতঃপর মাথা মুণ্ডন করতে হবে এবং তা ডান পাশ থেকে শুরু করতে হবে

৩০৪৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى مِنًى فَأَتَى الْجَمْرَةَ فَرَمَاهَا ثُمَّ أَتَى مَنْزِلَهُ بِمِنًى وَنَحَرَ ثُمَّ قَالَ لِلْحَلاَّقِ ‏ “‏ خُذْ ‏”‏ ‏.‏ وَأَشَارَ إِلَى جَانِبِهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ الأَيْسَرِ ثُمَّ جَعَلَ يُعْطِيهِ النَّاسَ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনায় এলেন, অতঃপর জামরায় এসে পাথর নিক্ষেপ করলেন। অতঃপর তিনি মিনায় নিজ স্থানে ফিরে এলেন এবং কুরবানী করলেন। অতঃপর হাজ্জাম (ক্ষৌরকার)-কে ইশারায় বললেনঃ মাথার ডান পাশ থেকে শুরু কর, অতঃপর বাম পাশ। অতঃপর তিনি লোকদেরকে নিজের চুল দান করলেন। (ই.ফা. ৩০১৮, ই.সে. ৩০১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالُوا أَخْبَرَنَا حَفْصُ بْنُ، غِيَاثٍ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَمَّا أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ فِي رِوَايَتِهِ لِلْحَلاَّقِ ‏”‏ هَا ‏”‏ ‏.‏ وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْجَانِبِ الأَيْمَنِ هَكَذَا فَقَسَمَ شَعَرَهُ بَيْنَ مَنْ يَلِيهِ – قَالَ – ثُمَّ أَشَارَ إِلَى الْحَلاَّقِ وَإِلَى الْجَانِبِ الأَيْسَرِ فَحَلَقَهُ فَأَعْطَاهُ أُمَّ سُلَيْمٍ ‏.‏ وَأَمَّا فِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ قَالَ فَبَدَأَ بِالشِّقِّ الأَيْمَنِ فَوَزَّعَهُ الشَّعَرَةَ وَالشَّعَرَتَيْنِ بَيْنَ النَّاسِ ثُمَّ قَالَ بِالأَيْسَرِ فَصَنَعَ بِهِ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَا هُنَا أَبُو طَلْحَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَدَفَعَهُ إِلَى أَبِي طَلْحَةَ ‏.

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। আবূ বাক্‌র (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতের ইশারা দিয়ে হাজ্জামকে মাথার ডান পাশ থেকে শুরু করতে বললেন। অতঃপর তিনি কাছের লোকদের মাঝে নিজের চুল দান (বন্টন) করলেন। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি হাজ্জামকে মাথার বাম পাশের চুল কাটার ইঙ্গিত করলেন। সে তাই করল। এ চুলগুলো তিনি উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-কে দান করলেন।

আর আবূ কুরায়বের বর্ণনায় আছেঃ হাজ্জাম ডান পাশ থেকে ক্ষৌরকার্য শুরু করল। তিনি লোকদের একটি দু’টি করে চুল দিলেন। অতঃপর বাঁ পাশের চুল কাটার নির্দেশ দিলেন এবং সে তাই (মাথা মুণ্ডন) করল। অতঃপর তিনি বললেনঃ আবূ ত্বলহাহ্‌! এখানে আসো। অতএব তিনি এবারের চুলগুলো তাকে দান করলেন। (ই.ফা. ৩০১৯, ই.সে. ৩০১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْبُدْنِ فَنَحَرَهَا وَالْحَجَّامُ جَالِسٌ وَقَالَ بِيَدِهِ عَنْ رَأْسِهِ فَحَلَقَ شِقَّهُ الأَيْمَنَ فَقَسَمَهُ فِيمَنْ يَلِيهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ احْلِقِ الشِّقَّ الآخَرَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَيْنَ أَبُو طَلْحَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরাতুল ‘আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপ করলেন, অতঃপর কুরবানীর উটের নিকট ফিরে এসে তা যাবাহ করলেন। হাজ্জাম নিকটেই বসা ছিল। তিনি মাথার দিকে হাতের ইশারা করলেন এবং সে তাঁর মাথার ডান পাশের চুল কামিয়ে দিল। তিনি তা নিকটস্থ লোকদের মধ্যে বণ্টন করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, মাথার অপরাংশ কামাও। তিনি বললেন, আবূ ত্বলহাহ্ কোথায়? তখন তিনি সেগুলো তাকেই দান করলেন। (ই.ফা. ৩০২০, ই.সে. ৩০১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৬

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَسَّانَ، يُخْبِرُ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا رَمَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْجَمْرَةَ وَنَحَرَ نُسُكَهُ وَحَلَقَ نَاوَلَ الْحَالِقَ شِقَّهُ الأَيْمَنَ فَحَلَقَهُ ثُمَّ دَعَا أَبَا طَلْحَةَ الأَنْصَارِيَّ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ الشِّقَّ الأَيْسَرَ فَقَالَ ‏”‏ احْلِقْ ‏”‏ ‏.‏ فَحَلَقَهُ فَأَعْطَاهُ أَبَا طَلْحَةَ فَقَالَ ‏”‏ اقْسِمْهُ بَيْنَ النَّاسِ ‏”‏‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরায় পাথর নিক্ষেপ করলেন। অতঃপর কুরবানী করলেন, অতঃপর মাথা কামালেন, তিনি ক্ষৌরকারের প্রতি মাথার ডান পাশ এগিয়ে দিলেন এবং সে তা চেঁছে দিল। অতঃপর তিনি আবূ ত্বলহাহ্‌ আল আনসারী (রাঃ)-কে ডাকলেন এবং তাকে (নিজের) চুল দান করলেন। অতঃপর তিনি মাথার বাম পাশ এগিয়ে দিলেন এবং বললেন, কামিয়ে দাও। (অতএব ক্ষৌরকার) তা কামিয়ে দিল। তিনি চুলগুলো আবূ ত্বলহাহ্‌ (রাঃ)-কে দিয়ে বললেন, এগুলো লোকদের মধ্যে বণ্টন কর। (ই.ফা. ৩০২১, ই.সে. ৩০১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৭. অধ্যায়ঃ

পাথর নিক্ষেপের পূর্বে কুরবানী করা, কুরবানী ও পাথর নিক্ষেপের পূর্বে মাথা মুড়ানো এবং এসবের আগে ত্বওয়াফ করা জায়িয প্রসঙ্গ

৩০৪৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ، طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِمِنًى لِلنَّاسِ يَسْأَلُونَهُ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَشْعُرْ فَحَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَنْحَرَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اذْبَحْ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَهُ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَشْعُرْ فَنَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ فَقَالَ ‏”‏ ارْمِ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ شَىْءٍ قُدِّمَ وَلاَ أُخِّرَ إِلاَّ قَالَ ‏”‏ افْعَلْ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জকালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের সঙ্গে মিনায় অবস্হান করলেন-যাতে তারা প্রয়োজনীয় বিষয় তাঁর কাছ থেকে জেনে নিতে পারে। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! না জানার কারণে আমি কুরবানী করার পূর্বে মাথা কামিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কোন দোষ নেই, তুমি কুরবানী কর। অতঃপর এক ব্যক্তি তাঁর নিকট উপস্হিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জানতাম না, ফলে পাথর নিক্ষেপের পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ অসুবিধা নেই, তুমি পাথর নিক্ষেপ কর।

রাবী বলেন, অজ্ঞতাবশতঃ কাজ আগে অথবা পরে করা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলেই তিনি বলেন, তুমি এখন করে নাও, তাতে কোন দোষ নেই। (ই.ফা. ৩০২২, ই.সে. ৩০১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৮

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ طَلْحَةَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، يَقُولُ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَاحِلَتِهِ فَطَفِقَ نَاسٌ يَسْأَلُونَهُ فَيَقُولُ الْقَائِلُ مِنْهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمْ أَكُنْ أَشْعُرُ أَنَّ الرَّمْىَ قَبْلَ النَّحْرِ فَنَحَرْتُ قَبْلَ الرَّمْىِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَارْمِ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَطَفِقَ آخَرُ يَقُولُ إِنِّي لَمْ أَشْعُرْ أَنَّ النَّحْرَ قَبْلَ الْحَلْقِ فَحَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَنْحَرَ ‏.‏ فَيَقُولُ ‏”‏ انْحَرْ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا سَمِعْتُهُ يُسْأَلُ يَوْمَئِذٍ عَنْ أَمْرٍ مِمَّا يَنْسَى الْمَرْءُ وَيَجْهَلُ مِنْ تَقْدِيمِ بَعْضِ الأُمُورِ قَبْلَ بَعْضٍ وَأَشْبَاهِهَا إِلاَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ افْعَلُوا ذَلِكَ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.

‘ঈসা ইবনু ত্বলহাহ্ আত্ তামীমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীর উপর অবস্থান করলেন। লোকেরা তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে থাকল। তাদের কেউ জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জানতাম না যে, কুরবানীর পূর্বে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। তাই আমি পাথর নিক্ষেপের পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃপাথর নিক্ষেপ কর, এতে কোন দোষ হবে না। অপর ব্যক্তি এসে বলল, আমি জানতাম না যে, মাথা কামানোর পূর্বে কুরবানী করতে হবে। অতএব আমি কুরবানীর পূর্বে মাথা কামিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কোন দোষ নেই, তুমি কুরবানী কর। রাবী বলেন, মানুষ অজ্ঞতাবশতঃ যেসব কাজের ক্ষেত্রে পরেরটি আগে করে ফেলেছে, এ সম্পর্কে বা এ জাতীয় বিষয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে জিজ্ঞেস করা হলেই আমি তাঁকে বলতে শুনেছি: তোমরা তা করে নাও, এতে কোন দোষ হবে না। (ই.ফা. ৩০২৩, ই.সে. ৩০২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৯

حَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، إِلَى آخِرِهِ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩০২৪, ই.সে. ৩০২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫০

وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ شِهَابٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ النَّحْرِ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ مَا كُنْتُ أَحْسِبُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَّ كَذَا وَكَذَا قَبْلَ كَذَا وَكَذَا ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كُنْتُ أَحْسِبُ أَنَّ كَذَا قَبْلَ كَذَا وَكَذَا لِهَؤُلاَءِ الثَّلاَثِ قَالَ ‏ “‏ افْعَلْ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন ভাষণ দিচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জানতাম না যে, এ কাজ অমুক অমুক কাজের পূর্বে করতে হয়। এরপর আর এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি মনে করেছিলাম এ কাজ অমুক অমুক তিনটি (পাথর নিক্ষেপ, কুরবানী, মাথা কামানো,) কাজের পূর্বে করতে হয়। তিনি বললেনঃ করে নাও, কোন অসুবিধে নেই। (ই.ফা. ৩০২৫, ই.সে. ৩০২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫১

وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، ح وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي جَمِيعًا، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَمَّا رِوَايَةُ ابْنِ بَكْرٍ فَكَرِوَايَةِ عِيسَى إِلاَّ قَوْلَهُ لِهَؤُلاَءِ الثَّلاَثِ ‏.‏ فَإِنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ ذَلِكَ وَأَمَّا يَحْيَى الأُمَوِيُّ فَفِي رِوَايَتِهِ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَنْحَرَ نَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ ‏.‏ وَأَشْبَاهَ ذَلِكَ ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মাদ ইবনু বাক্‌র–এর বর্ণনা ‘ঈসার বর্ণনার অনুরূপ। তবে তার বর্ণনায় “ঐ তিন কাজ” কথাটুকু উল্লেখ নেই। ইয়াহ্‍ইয়া আল উমাবীর বর্ণনায় আছে: “আমি কুরবানী করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করেছি, পাথর নিক্ষেপের পূর্বে কুরবানী করেছি ইত্যাদি।” (ই.ফা. ৩০২৬, ই.সে. ৩০২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫২

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاذْبَحْ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْمِ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এসে বলল, আমি যবাহ্ করার পূর্বে মাথা কামিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেন, কোন দোষ নেই, এখন যবাহ্ কর। (অতঃপর একজন) বলল, আমি পাথর নিক্ষেপের পূর্বে কুরবানী করেছি। তিনি বললেনঃ কোন ক্ষতি নেই, তুমি এখন পাথর নিক্ষেপ কর। (ই.ফা. ৩০২৭, ই.সে. ৩০২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৩

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى نَاقَةٍ بِمِنًى فَجَاءَهُ رَجُلٌ ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে মিনায় তাঁর উষ্ট্রীর উপর অবস্থানরত দেখেছি। এ সময় এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এলো… উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩০২৮, ই.সে. ৩০২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَتَاهُ رَجُلٌ يَوْمَ النَّحْرِ وَهُوَ وَاقِفٌ عِنْدَ الْجَمْرَةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ ارْمِ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ وَأَتَاهُ آخَرُ فَقَالَ إِنِّي ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْمِ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ وَأَتَاهُ آخَرُ فَقَالَ إِنِّي أَفَضْتُ إِلَى الْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْمِ وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا رَأَيْتُهُ سُئِلَ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَىْءٍ إِلاَّ قَالَ ‏”‏ افْعَلُوا وَلاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনু ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন জামরাতুল ‘আক্বাবার নিকট অবস্থানরত ছিলেন। আমি এক ব্যক্তিকে তাঁর নিকট এসে বলতে শুনলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি পাথর নিক্ষেপের পূর্বে মাথা কামিয়ে নিয়েছি। তিনি বললেন, কোন অসুবিধে নেই, পাথর নিক্ষেপ করে নাও। আরেক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বলল, আমি পাথর নিক্ষেপের পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেন, কোন দোষ নেই, পাথর নিক্ষেপ করে নাও। অপর এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বলল, আমি পাথর নিক্ষেপের পূর্বে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করে ফেলেছি। তিনি বললেন, পাথর নিক্ষেপ কর, তাতে কোন অসুবিধে নেই। রাবী বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি, সেদিন যে সম্পর্কেই (আগে-পিছে করার ক্ষেত্রে) তাঁর নিকট জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তিনি বলেছেনঃ কোন দোষ নেই, এখন করে নাও। (ই.ফা. ৩০২৯, ই.সে. ৩০২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৫

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قِيلَ لَهُ فِي الذَّبْحِ وَالْحَلْقِ وَالرَّمْىِ وَالتَّقْدِيمِ وَالتَّأْخِيرِ فَقَالَ ‏ “‏ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট কুরবানী, মাথা মুণ্ডন, পাথর নিক্ষেপ, আগের অনুষ্ঠান পরে, এবং পরের অনুষ্ঠান আগে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। (ই.ফা. ৩০৩০, ই.সে. ৩০২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর দিন ত্বওয়াফুল ইফাযাহ্ সম্পন্ন করা উত্তম

৩০৫৬

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفَاضَ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ رَجَعَ فَصَلَّى الظُّهْرَ بِمِنًى ‏.‏ قَالَ نَافِعٌ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُفِيضُ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ يَرْجِعُ فَيُصَلِّي الظُّهْرَ بِمِنًى وَيَذْكُرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَعَلَهُ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন ত্বওয়াফুল ইফাযাহ্ সম্পন্ন করেন, অতঃপর মিনায় ফিরে এসে যুহরের সলাত আদায় করেন।

নাফি‘ বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও কুরবানীর দিন ত্বওয়াফুল ইফাযাহ্ সম্পন্ন করতেন, অতঃপর ফিরে এসে মিনায় যুহরের সলাত আদায় করতেন এবং বলতেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন। (ই.ফা. ৩০৩১, ই.সে. ৩০২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৭

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ شَىْءٍ، عَقَلْتَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَيْنَ صَلَّى الظُّهْرَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ قَالَ بِمِنًى ‏.‏ قُلْتُ فَأَيْنَ صَلَّى الْعَصْرَ يَوْمَ النَّفْرِ قَالَ بِالأَبْطَحِ – ثُمَّ قَالَ – افْعَلْ مَا يَفْعَلُ أُمَرَاؤُكَ ‏.

‘আবদুল ‘আযীয ইবনু রুফাই‘(রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বললাম, আপনার যা স্মরণ আছে সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তালবিয়ার দিন (৮ই যিলহাজ্জ) যুহরের সলাত কোথায় আদায় করেছেন? তিনি বললেন, মিনায়। আমি বললাম (হাজ্জ সমাপনান্তে) বিদায়ের দিন তিনি ‘আসরের সলাত কোথায় আদায় করেছেন? তিনি বললেন, আবত্বাহ উপত্যকায়। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা প্রশাসকগণ যা করেন, তদ্রুপ কর। (ই.ফা. ৩০৩২, ই.সে. ৩০২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯. অধ্যায়ঃ

বিদায়ের দিন আল-মুহাস্সাবে অবতরণ এবং সেখানে যুহর ও পরের ওয়াক্তের সলাত আদায় করা মুস্তাহাব

৩০৫৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ كَانُوا يَنْزِلُونَ الأَبْطَحَ.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ) আবত্বাহ নামক স্হানে অবতরণ করতেন। (ই.ফা. ৩০৩৩, ই.সে. ৩০৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৯

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَرَى التَّحْصِيبَ سُنَّةً وَكَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ يَوْمَ النَّفْرِ بِالْحَصْبَةِ ‏.‏ قَالَ نَافِعٌ قَدْ حَصَّبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ ‏.

নাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) মুহাসসাবে যাত্রা বিরতি সুন্নাত মনে করতেন। তিনি বিদায়ের দিন (১২ অথবা ১৩ যিলহাজ্জ) সেখানে যুহরেরর সলাত আদায় করতেন।

নাফি‘ বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাসসাবে যাত্রা বিরতি করেছেন এবং তাঁর পরে খলীফাগণও। (ই.ফা. ৩০৩৪, ই.সে. ৩০৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ نُزُولُ الأَبْطَحِ لَيْسَ بِسُنَّةٍ إِنَّمَا نَزَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَنَّهُ كَانَ أَسْمَحَ لِخُرُوجِهِ إِذَا خَرَجَ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবত্বাহে অবতরণ করা সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবল এজন্য সেখানে যাত্রা বিরতি করেছিলেন যে, সেখান থেকে তাঁর জন্য যাত্রা করা সহজতর ছিল। (ই.ফা. ৩০৩৫, ই .সে. ৩০৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬১

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، ح وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الرَّبِيعِ، الزَّهْرَانِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبٌ الْمُعَلِّمُ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩০৩৬, ই.সে. ৩০৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬২

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَابْنَ، عُمَرَ كَانُوا يَنْزِلُونَ الأَبْطَحَ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا لَمْ تَكُنْ تَفْعَلُ ذَلِكَ وَقَالَتْ إِنَّمَا نَزَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَنَّهُ كَانَ مَنْزِلاً أَسْمَحَ لِخُرُوجِهِ ‏.

সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বাকর (রাঃ), ‘উমার (রাঃ) ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) আবত্বাহে অবতরণ করতেন।

যুহরী বলেন, আমাকে ‘উরওয়াহ্ অবহিত করেছেন যে, ‘আয়িশা (রাঃ) আবত্বাহে যাত্রা বিরতি করতেন না। তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবলমাত্র (বিশ্রামের জন্য) এখানে যাত্রা বিরতি করতেন যাতে সামনের পথ অতিক্রম সহজ হয়। (ই.ফা. ৩০৩৭, ই.সে. ৩০৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَأَحْمَدُ بْنُ، عَبْدَةَ – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَيْسَ التَّحْصِيبُ بِشَىْءٍ إِنَّمَا هُوَ مَنْزِلٌ نَزَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুহাসসাবে যাত্রা বিরতি বাধ্যতামূলক নয়। এটি একটি মাঞ্জিল যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাত্রা বিরতি করেছেন। (ই.ফা. ৩০৩৮, ই.সে. ৩০৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ، عُيَيْنَةَ قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ أَبُو رَافِعٍ لَمْ يَأْمُرْنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَنْزِلَ الأَبْطَحَ حِينَ خَرَجَ مِنْ مِنًى وَلَكِنِّي جِئْتُ فَضَرَبْتُ فِيهِ قُبَّتَهُ فَجَاءَ فَنَزَلَ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي رِوَايَةِ صَالِحٍ قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ قُتَيْبَةَ قَالَ عَنْ أَبِي رَافِعٍ وَكَانَ عَلَى ثَقَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ রাফি‘ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মিনা থেকে রওনা হলেন তখন তিনি আমাকে আবত্বাহে যাত্রা বিরতির নির্দেশ দেননি। বরং আমি সেখানে পৌঁছে তাঁবু খাটালাম, এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে সেখানে অবতরণ করলেন। আবূ রাফি‘ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মালপত্রের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ছিলেন। (ই.ফা. ৩০৩৯, ই.সে. ৩০৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৫

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ نَنْزِلُ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الْكُفْرِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)–এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা আগামীকাল সকালে খায়ফে বানী কিনানায় অবতরণ করব- যেখানে তারা (কাফিররা) কুফরীর উপর অবিচল থাকার শপথ নিয়েছিল। (ই.ফা. ৩০৪০, ই.সে. ৩০৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৬

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ بِمِنًى ‏ “‏ نَحْنُ نَازِلُونَ غَدًا بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الْكُفْرِ ‏”‏ ‏.‏ وَذَلِكَ إِنَّ قُرَيْشًا وَبَنِي كِنَانَةَ تَحَالَفَتْ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ أَنْ لاَ يُنَاكِحُوهُمْ وَلاَ يُبَايِعُوهُمْ حَتَّى يُسْلِمُوا إِلَيْهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْنِي بِذَلِكَ الْمُحَصَّبَ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মিনায় থাকা কালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেনঃ আগামীকাল সকালে আমরা কিনানাহ্ গোত্রের ঘাঁটিতে অবতরণ করব যেখানে তারা কুফরির উপর অটল থাকার শপথ করেছিল।

তা হচ্ছে– কুরায়শ ও কিনানাহ্ গোত্র হাশিম ও মুত্ত্বালিব গোত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে এ মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয় যে, এরা তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না এবং বাণিজ্যিক লেনদেন করবে না- যতক্ষণ তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাদের হাতে অর্পণ না করবে– এ হচ্ছে সেই মুহাস্সাব। (ই.ফা. ৩০৪১, ই.সে. ৩০৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৭

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنِي وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْزِلُنَا – إِنْ شَاءَ اللَّهُ إِذَا فَتَحَ اللَّهُ – الْخَيْفُ حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الْكُفْرِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ যদি আমাদের বিজয় দান করেন তবে ইনশা-আল্লাহ আমাদের মাঞ্জিল হবে খায়ফে, যেখানে কুরায়শরা কুফরির উপর অটল থাকার শপথ করেছিল। (ই.ফা. ৩০৪২, ই.সে. ৩০৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০. অধ্যায়ঃ

আইয়্যামে তাশরীক্বের রাতগুলো মিনায় অতিবাহিত করা ওয়াজিব, পানি সরবরাহকারীগণ এ নির্দেশের বহির্ভূত

৩০৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح. وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، اسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَبِيتَ بِمَكَّةَ لَيَالِيَ مِنًى مِنْ أَجْلِ سِقَايَتِهِ فَأَذِنَ لَهُ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) মিনার রাতগুলো মাক্কাতে অতিবাহিত করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করলেন। কারণ পানি সরবরাহের দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত ছিল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। (ই.ফা. ৩০৪৩, ই.সে. ৩০৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৯

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ، حَاتِمٍ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بْنِ عُمَرَ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩০৪৪, ই.সে. ৩০৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭০

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ عِنْدَ الْكَعْبَةِ فَأَتَاهُ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ مَا لِي أَرَى بَنِي عَمِّكُمْ يَسْقُونَ الْعَسَلَ وَاللَّبَنَ وَأَنْتُمْ تَسْقُونَ النَّبِيذَ أَمِنْ حَاجَةٍ بِكُمْ أَمْ مِنْ بُخْلٍ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْحَمْدُ لِلَّهِ مَا بِنَا مِنْ حَاجَةٍ وَلاَ بُخْلٍ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَاحِلَتِهِ وَخَلْفَهُ أُسَامَةُ فَاسْتَسْقَى فَأَتَيْنَاهُ بِإِنَاءٍ مِنْ نَبِيذٍ فَشَرِبَ وَسَقَى فَضْلَهُ أُسَامَةَ وَقَالَ ‏ “‏ أَحْسَنْتُمْ وَأَجْمَلْتُمْ كَذَا فَاصْنَعُوا ‏”‏ ‏.‏ فَلاَ نُرِيدُ تَغْيِيرَ مَا أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

বকর ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল মুযানী (রহঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সাথে কা‘বার সন্নিকটে বসা ছিলাম। এ সময় এক বেদুঈন তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, কী ব্যাপার? আমি দেখছি আপনার চাচাতো ভাইয়েরা (আগন্তুকদের) মধু ও দুধ পান করায়। আর আপনারা নাবী্য (খেজুরের তৈরী শরবত) পান করান? তা কি আপনাদের দরিদ্রতার কারণে, না কৃপণতার কারণে? ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) “আল্হামদু লিল্লাহ” উচ্চারণ করে বললেন, আমাদের না দারিদ্র্য আক্রান্ত করেছে, না কৃপণতা। প্রকৃত ব্যাপার এই যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীতে চড়ে এখানে এলেন এবং তাঁকে এক পেয়ালা নবীয দিলাম। তিনি তা পান করলেন এবং অবশিষ্টটুকু উসামাকে পান করালেন। এরপর তিনি বললেন, “তোমরা খুবই উত্তম কাজ করছো এবং এরূপই করতে থাক।” অতএব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের যা করার নির্দেশ দিয়েছেন- আমরা তার পরিবর্তন করতে চাই না। (ই.ফা. ৩০৪৫, ই.সে. ৩০৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর গোশ্ত, চামড়া ও উটের পিঠে ব্যবহৃত ঝুলদান- খয়রাত করা এবং এসব দিয়ে কসাইয়ের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করা

৩০৭১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَنْ أَتَصَدَّقَ بِلَحْمِهَا وَجُلُودِهَا وَأَجِلَّتِهَا وَأَنْ لاَ أُعْطِيَ الْجَزَّارَ مِنْهَا قَالَ ‏ “‏ نَحْنُ نُعْطِيهِ مِنْ عِنْدِنَا ‏”‏ ‏.

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর কুরবানীর উটগুলোর নিকট দাঁড়াতে এবং এগুলোর গোশ্ত, চামড়া ও ঝুল দান- খয়রাত করে দিতে নির্দেশ দিলেন এবং তা দিয়ে কসাইয়ের মজুরি দিতে নিষেধ করলেন এবং বললেনঃ আমাদের নিজেদের পক্ষ থেকে তার মজুরি পরিশোধ করে দেব। (ই.ফা. ৩০৪৬, ই.সে. ৩০৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭২

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

‘আবদুল কারীম আল জাযারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩০৪৭, ই.সে. ৩০৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৩

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، وَقَالَ، إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي كِلاَهُمَا، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي، لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا أَجْرُ الْجَازِرِ ‏.

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বর্ণনায় কসাইয়ের মজুরির কথা উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩০৪৮, ই.সে. ৩০৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَنَّ مُجَاهِدًا، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ ‏.‏ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ يَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَمَرَهُ أَنْ يَقْسِمَ بُدْنَهُ كُلَّهَا لُحُومَهَا وَجُلُودَهَا وَجِلاَلَهَا فِي الْمَسَاكِينِ وَلاَ يُعْطِيَ فِي جِزَارَتِهَا مِنْهَا شَيْئًا ‏.

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে তাঁর কুরবানীকৃত উটগুলোর নিকট অবস্থানের নির্দেশ দিলেন। তিনি তাকে উটের সমস্ত গোশ্ত, চামড়া ও ঝুল মিসকীনদের মধ্যে বিতরণ করারও নির্দেশ দিলেন এবং তা থেকে কসাইকে মজুরি স্বরূপ কিছু দিতে নিষেধ করলেন। (ই.ফা. ৩০৪৯, ই.সে. ৩০৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৫

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ، الْكَرِيمِ بْنُ مَالِكٍ الْجَزَرِيُّ أَنَّ مُجَاهِدًا، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ بِمِثْلِهِ ‏.

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দিলেন … উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩০৫০, ই.সে. ৩০৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২. অধ্যায়ঃ

ভাগে কুরবানী দেয়া জায়িয এবং একটি উট অথবা গরুতে সাতজন পর্যন্ত শারীক হওয়া যায়

৩০৭৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ نَحَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ الْبَدَنَةَ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হুদাইবিয়ার বছর (৬ষ্ঠ হিজরী) আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি উট এবং প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেছি। (ই.ফা. ৩০৫১, ই.সে. ৩০৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৭

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح. وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَشْتَرِكَ فِي الإِبِلِ وَالْبَقَرِ كُلُّ سَبْعَةٍ مِنَّا فِي بَدَنَةٍ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা হাজ্জের ইহরাম বেঁধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে রওনা হলাম। তিনি আমাদেরকে প্রতিটি উট বা গরু সাতজনে মিলে কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন। (ই.ফা. ৩০৫২, ই.সে. ৩০৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৮

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَحَرْنَا الْبَعِيرَ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে হাজ্জ সমাপন করি। আমরা সাত শারীকে একটি করে উট বা গরু কুরবানী করেছি। (ই.ফা. ৩০৫৩, ই.সে. ৩০৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৯

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اشْتَرَكْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ كُلُّ سَبْعَةٍ فِي بَدَنَةٍ فَقَالَ رَجُلٌ لِجَابِرٍ أَيُشْتَرَكُ فِي الْبَدَنَةِ مَا يُشْتَرَكُ فِي الْجَزُورِ قَالَ مَا هِيَ إِلاَّ مِنَ الْبُدْنِ ‏.‏ وَحَضَرَ جَابِرٌ الْحُدَيْبِيَةَ قَالَ نَحَرْنَا يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ بَدَنَةً اشْتَرَكْنَا كُلُّ سَبْعَةٍ فِي بَدَنَةٍ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ পালনকালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাতজনে মিলে একটি উট কুরবানী করেছি। এক ব্যক্তি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, জাযূর-এ যে ক’জন শারীক হতে পারে- বাদানাহ্-তেও কি অনুরূপ শারীক হওয়া যায়? তখন তিনি বললেন, উভয় তো একই। জাবির (রাঃ) হুদায়বিয়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা ঐদিন ৭০টি উট কুরবানী করেছি। প্রতিটি উটেই ৭ জন শারীক ছিলাম। [২৫] (ই.ফা. ৩০৫৪, ই.সে. ৩০৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫] আধিকাংশ হাদীসে এবং ফিকহের কিতাবে এর দ্বারা উট উদ্দেশ্য, তবে আরবী ভাষাবিদগণ একে ছাগল ও গরুর উপর প্রয়োগ করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮০

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَمَرَنَا إِذَا أَحْلَلْنَا أَنْ نُهْدِيَ وَيَجْتَمِعَ النَّفَرُ مِنَّا فِي الْهَدِيَّةِ وَذَلِكَ حِينَ أَمَرَهُمْ أَنْ يَحِلُّوا مِنْ ‏.‏ حَجِّهِمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ‏.

আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিদায় হাজ্জ সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছেন। তিনি [(জাবির (রাঃ)] বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ইহরাম খোলার সময় কয়েকজন শারীক হয়ে এক-একটি পশু কুরবানীর নির্দেশ দেন। এটা সে সময়ের কথা যখন তিনি তাদেরকে (‘উমরাহ্ আদায়ের পর) হাজ্জের ইহরাম ভঙ্গ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। [২৬] (ই.ফা. ৩০৫৫, ই.সে. ৩০৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৬] এ সকল হাদীস থেকে প্রমানিত হয় যে, অংশদারী কুরবানী তথা কয়েকজন মিলে একটি পশু কুরবানী করা জায়িয । ইমাম শাফি’ঈর অভিমত হল ভাগে কুরবানী জায়িয, কুরবানী ওয়াজিব হোক আর মুস্তাহাব হোক । কতকের নিয়্যাত কেবল আল্লাহর সন্তোষ্টি অর্জন ও কতকের উদ্দেশ্য কেবল গোশত খাওয়া হোক না কেন, ফলকথা হল সকলেরই ভাগে কুরবানী করা জায়িয । এ হাদিসই তার দলীল, অন্যদিকে ইমাম আহমাদ, জমহুর উলামা, দাউদ যাহিরীর মতে, নাফলের ক্ষেত্রে ভাগ দেয়া, বৈধ ওয়াজিব এর ক্ষেত্রে নয়, কতক মালিকীদের মত ও এটাই । আর মালিকীদের মতে সাধারণভাবে ভাগে দেয়া বৈধ নয় । কিন্তু এ কথা সহীহ হাদীসসমূহের বিপরীত, সুতরাং গ্রহণযোগ্য নয় । ইমাম আবূ হানিফার মতে, সকলেরই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য হয় তবে ভাগে কুরবানী জায়িয, অন্যথায় জায়িয নয় (অর্থাৎ শারীকদের মধ্যে কেউ যেন কেবল গোশত খাওয়ার নিয়্যাত না করে) । আর সকলের ঐকমত্যে ছাগল-বকরীতে শরীকী কুরবানী জায়িয নয় । বর্ণিত হাদীসসমূহ থেকে জানা যায় যে, উট এবং গরুর ক্ষেত্রে সাত সাতজন ব্যক্তি শারীক হতে পারে । যাবির (রাঃ)-এর শেষ বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, তামাত্তু‘ হাজ্জ পালনকারীর উপর কুরবানী ওয়াজিব এবং ওয়াজিব কুরবানীতে ভাগে কুরবানী করা জায়িয । আর এটা ইমাম মালিক ও দাউদ যাহিরী ও অন্যান্যদের কথাকে বাতিল ও রদ করে দেয় । মূলকথা ‘কুরবানী ভাগে না দিয়ে একাই দেয়া উচিত ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كُنَّا نَتَمَتَّعُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْعُمْرَةِ فَنَذْبَحُ الْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ نَشْتَرِكُ فِيهَا ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তামাত্তু’ হাজ্জ করেছি। আমরা সাত শারীকে মিলে একটি গরু কুরবানী করেছি। (ই.ফা. ৩০৫৬, ই.সে. ৩০৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮২

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ ذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَائِشَةَ بَقَرَةً يَوْمَ النَّحْرِ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন ‘আয়িশা (রাঃ)-এর পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেন। (ই.ফা. ৩০৫৭, ই.সে. ৩০৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮৩

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ، بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ، اللَّهِ يَقُولُ نَحَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ بَكْرٍ عَنْ عَائِشَةَ بَقَرَةً فِي حَجَّتِهِ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহধর্মিণীদের পক্ষ থেকে একটি কুরবানী করেছেন। কিন্তু ইবনু বাকর (রহঃ) কর্তৃক ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, তিনি তাঁর হাজ্জ উদযাপনকালে একটি গাভী কুরবানী করেন। (ই.ফা. ৩০৫৮, ই.সে. ৩০৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩. অধ্যায়ঃ

উটকে দণ্ডায়মান অবস্থায় কুরবানী করা মুস্তাহাব

৩০৮৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَتَى عَلَى رَجُلٍ وَهُوَ يَنْحَرُ بَدَنَتَهُ بَارِكَةً فَقَالَ ابْعَثْهَا قِيَامًا مُقَيَّدَةً سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم ‏.

যিয়াদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) এক ব্যক্তির কাছে এলেন। সে তার উটকে বসিয়ে কুরবানী করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তিনি বললেন, এটাকে দাঁড় করিয়ে কুরবানী কর। এটাই তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত। [২৭] (ই.ফা. ৩০৫৯, ই.সে. ৩০৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৭] উটের বাম পা দু’টি বেঁধে দিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় নহর তথা কুরবানী করা সুন্নাত । দু’ পা বাঁধার কারণে উট তিন পায়ে দাড়িয়ে থাকবে । ছাগল এবং গরুকে কাত করে শুইয়ে ফেলে যাবাহ করা উচিত এবং গরুর তিন পা বেঁধে নিয়ে ডানপার্শ্বের এক পা খোলা রাখবে । ইমাম সাফি’ঈ, মালিক, আহমাদ ও জমহুরের মতে উটকে দাঁড়িয়ে কুরবানী করা সুন্নাত । ইমাম আবূ হানিফা ও সাওরীর মতে দাঁড়িয়ে বা বসিয়ে উভয় অবস্থায় কুরবানী একই বরাবর । কিন্তু এটা হাদীসের বিপরিত, বিধায় প্রত্যাখ্যাত, বাতিল ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৬৪. অধ্যায়ঃ

যে নিজে (মাক্কাতে) যেতে ইচ্ছা রাখে না, তার পক্ষে কুরবানীর পশু হারামে পাঠানো ও গলায় মালা পরানো এবং মালা পাকানো মুস্তাহাব, আর (প্রেরক) ইহরামকারীর অনুরূপ হবে না এবং এ কারণে তার উপর (ইহরামধারীদের মতো) কোন কিছু হারাম হবে না

৩০৮৫

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُهْدِي مِنَ الْمَدِينَةِ فَأَفْتِلُ قَلاَئِدَ هَدْيِهِ ثُمَّ لاَ يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُ الْمُحْرِمُ ‏.

‘উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র ও ‘আমরাহ্ বিনতু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদিনাহ্ থেকে তাঁর কুরবানীর পশু (মাক্কার হারামে) পাঠাতেন। আমি তাঁর কুরবানীর পশুর (গলায় বাঁধার জন্য) মালা তৈরি করে দিতাম। এরপর তিনি এমন কোন জিনিস থেকে বিরত থাকতেন না- যা থেকে ইহরামধারীদের বিরত থাকতে হয়। (ই.ফা. ৩০৬০, ই.সে. ৩০৫৭)

৩০৮৬

وَحَدَّثَنِيهِ حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে (উপরোক্ত হাদীসের) অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩০৬১, ই.সে. ৩০৫৮)

৩০৮৭

وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح. وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا حَمَّادُ، بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَىَّ أَفْتِلُ قَلاَئِدَ هَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার চোখে সে দৃশ্য ভাসছে- আমি যেন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর পশুর (গলায় পরানোর জন্য) মালা তৈরি করে দিচ্ছি। ….. অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাদীদের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩০৬২, ই.সে. ৩০৫৯)

৩০৮৮

وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ كُنْتُ أَفْتِلُ قَلاَئِدَ هَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ هَاتَيْنِ ثُمَّ لاَ يَعْتَزِلُ شَيْئًا وَلاَ يَتْرُكُهُ.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার হাত দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর পশুর মালা বানিয়ে দিয়েছি। এরপর তিনি কোন জিনিস থেকে বিরত থাকতেন না এবং তা পরিহার করতেন না (যা হাজ্জের ইহরামধারীকে পরিহার করতে হয়)। (ই.ফা. ৩০৬৩, ই.সে. ৩০৬০)

৩০৮৯

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا أَفْلَحُ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَتَلْتُ قَلاَئِدَ بُدْنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ ثُمَّ أَشْعَرَهَا وَقَلَّدَهَا ثُمَّ بَعَثَ بِهَا إِلَى الْبَيْتِ وَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ فَمَا حَرُمَ عَلَيْهِ شَىْءٌ كَانَ لَهُ حِلاًّ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নিজ হাতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর পশুর মালা বানিয়ে দিয়েছি। এরপর তিনি কুরবানীর পশুকে চিহ্নিত করেন ও গলায় মালা বেঁধে দেন। এরপর তিনি বায়তুল্লাহ পাঠিয়ে দেন এবং মাদীনায় অবস্থান করেন। ফলে তাঁর উপর এমন কোন জিনিস হারাম হয়নি যা তাঁর জন্য হালাল ছিল। (ই.ফা. ৩০৬৪, ই.সে. ৩০৬১)

৩০৯০

وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ ابْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ الْقَاسِمِ، وَأَبِي، قِلاَبَةَ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَبْعَثُ بِالْهَدْىِ أَفْتِلُ قَلاَئِدَهَا بِيَدَىَّ ثُمَّ لاَ يُمْسِكُ عَنْ شَىْءٍ لاَ يُمْسِكُ عَنْهُ الْحَلاَلُ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কুরবানীর পশু (মাক্কায়) পাঠিয়ে দিতেন। আমি নিজ হাতে এর মালা তৈরি করে দিতাম। অতঃপর তিনি এমন কোন জিনিস থেকে বিরত থাকতেন না- যা থেকে কোন ইহরামবিহীন ব্যক্তি বিরত থাকে না। (ই.ফা. ৩০৬৫, ই.সে. ৩০৬২)

৩০৯১

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ أَنَا فَتَلْتُ، تِلْكَ الْقَلاَئِدَ مِنْ عِهْنٍ كَانَ عِنْدَنَا فَأَصْبَحَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَلاَلاً يَأْتِي مَا يَأْتِي الْحَلاَلُ مِنْ أَهْلِهِ أَوْ يَأْتِي مَا يَأْتِي الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِهِ ‏.

উম্মুল মু’মিনীন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রঙিন পশমের সূতা যা আমাদের কাছে ছিল, তা দিয়ে এ সব মালা তৈরী করেছি। অতঃপর তিনি ভোরবেলা ইহ্‌রামবিহীন অবস্থায় উপনীত হন এবং আমাদের কাছে আসেন, ইহ্‌রামবিহীন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীর সাথে যা করে, তিনিও তাই করেছেন; কিংবা তিনি বলেন, লোকে তার স্ত্রীর কাছে যেভাবে এসে থাকে, তিনিও সেভাবে আসেন। (ই.ফা. ৩০৬৬, ই.সে. ৩০৬৩)

৩০৯২

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَفْتِلُ الْقَلاَئِدَ لِهَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْغَنَمِ فَيَبْعَثُ بِهِ ثُمَّ يُقِيمُ فِينَا حَلاَلاً ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যেন নিজেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানী মেষের জন্য মালা তৈরী দেখতে পাচ্ছি। তিনি তা হারামে পাঠীয়ে দেন এবং আমাদের মাঝে অবস্থান করেন ইহ্‌রামবিহীন ব্যক্তির মতো। (ই.ফা. ৩০৬৭, ই.সে. ৩০৬৪)

৩০৯৩

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ رُبَّمَا فَتَلْتُ الْقَلاَئِدَ لِهَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيُقَلِّدُ هَدْيَهُ ثُمَّ يَبْعَثُ بِهِ ثُمَّ يُقِيمُ لاَ يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُ الْمُحْرِمُ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর পশুর জন্য মালা তৈরী করে দিতাম এবং তিনি তা নিজের কুরবানী পশুর গলায় পরিয়ে দিতেন, এরপর তা (মাক্কায়) পাঠিয়ে দিতেন। অতঃপর তিনি (মাদীনায়) অবস্থান করতেন এবং এমন কিছু থেকে বিরত থাকতেন না- যা থেকে ইহ্‌রামবিহীন ব্যক্তি বিরত থাকে। (ই.ফা. ৩০৬৮, ই.সে. ৩০৬৫)

৩০৯৪

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَهْدَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّةً إِلَى الْبَيْتِ غَنَمًا فَقَلَّدَهَا ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহর হারামে (কুরবানীর উদ্দেশে) ছাগল পাঠান এবং এর গলায় মালা বাঁধেন। (ই.ফা. ৩০৬৯, ই.সে. ৩০৬৬)

৩০৯৫

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا نُقَلِّدُ الشَّاءَ فَنُرْسِلُ بِهَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَلاَلٌ لَمْ يَحْرُمْ عَلَيْهِ مِنْهُ شَىْءٌ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা বকরীর গলায় মালা পরিয়ে তা (কুরবানীর উদ্দেশে বায়তুল্লাহ্য়) পাঠিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরামবিহীন অবস্থায় ছিলেন এবং কোন জিনিস তাঁর জন্য হারাম ছিল না (যা মুহরিমের জন্য হারাম)। (ই.ফা. ৩০৭০, ই.সে. ৩০৬৭)

৩০৯৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ ابْنَ زِيَادٍ كَتَبَ إِلَى عَائِشَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالَ مَنْ أَهْدَى هَدْيًا حَرُمَ عَلَيْهِ مَا يَحْرُمُ عَلَى الْحَاجِّ حَتَّى يُنْحَرَ الْهَدْىُ وَقَدْ بَعَثْتُ بِهَدْيِي فَاكْتُبِي إِلَىَّ بِأَمْرِكِ ‏.‏ قَالَتْ عَمْرَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَا فَتَلْتُ قَلاَئِدَ هَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ ثُمَّ بَعَثَ بِهَا مَعَ أَبِي فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَىْءٌ أَحَلَّهُ اللَّهُ لَهُ حَتَّى نُحِرَ الْهَدْىُ ‏.

‘আম্রাহ্ বিনতু ‘আবদূর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু যিয়াদ (রহঃ) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে লিখেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ ‘যে ব্যক্তি (মাক্কার হারামে) কুরবানীর পশু পাঠায়, হাজীদের জন্য যা করা হারাম তার জন্যও তা করা হারাম যতক্ষণ না ঐ পশু কুরবানী করা হয়। আমি কুরবানীর পশু (হারামে) পাঠীয়েছি। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত আমাকে লিখে জানাবেন।” ‘আম্রাহ্ (রহঃ) বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) যেভাবে বলেছেন, ব্যাপারটি তা নয়। আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর পশুর (গলায় বাঁধার) জন্য মালা তৈরী করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতে তা পশুর গলায় বেঁধেছেন, অতঃপর আমার পিতার মাধ্যমে তা (হারাম শরীফে) পাঠিয়েছেন। কিন্তু এর ফলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর এমন কোন জিনিষ হারাম হয়নি- যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর জন্য হালাল করেছেন। অতঃপর পশু কুরবানী করা হয়েছে। (ই.ফা. ৩০৭১, ই.সে. ৩০৬৮)

৩০৯৭

وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، وَهْىَ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ تُصَفِّقُ وَتَقُولُ كُنْتُ أَفْتِلُ قَلاَئِدَ هَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ ثُمَّ يَبْعَثُ بِهَا وَمَا يُمْسِكُ عَنْ شَىْءٍ مِمَّا يُمْسِكُ عَنْهُ الْمُحْرِمُ حَتَّى يُنْحَرَ هَدْيُهُ.

মাসরূক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে পর্দার আড়াল থেকে হাত তালি দিয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরবানীর পশুর জন্য মালা তৈরী করে দিতাম। অতঃপর তিনি (তাঁর) কুরবানীর পশু (মাক্কায়) পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু পশু কুরবানী হওয়ার সময় পর্যন্ত তিনি এমন কোন জিনিস থেকে বিরত থাকতেন না যা থেকে সাধারণত ইহরাহমধারী ব্যক্তিগণ বিরত থাকে। (ই.ফা. ৩০৭২, ই.সে. ৩০৬৯)

৩০৯৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، كِلاَهُمَا عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، بِمِثْلِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৩০৭৩, ই.সে. ৩০৭০)