মুসলিম সাহাবা (রাঃ) গণের ফজিলত (মর্যাদা) অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৬১৭৭ – ৬২৯৪

১৩. অধ্যায়ঃ

আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর ফযিলত

৬১৭৭

حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي الرَّبِيعِ – حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أُرِيتُكِ فِي الْمَنَامِ ثَلاَثَ لَيَالٍ جَاءَنِي بِكِ الْمَلَكُ فِي سَرَقَةٍ مِنْ حَرِيرٍ فَيَقُولُ هَذِهِ امْرَأَتُكَ ‏.‏ فَأَكْشِفُ عَنْ وَجْهِكِ فَإِذَا أَنْتِ هِيَ فَأَقُولُ إِنْ يَكُ هَذَا مِنْ عِنْدِ اللَّهِ يُمْضِهِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: স্বপ্নের মাধ্যমে তিনদিন তোমায় আমাকে দেখানো হয়েছে। একজন ফেরেশ্তা তোমাকে একটি রেশমী কাপড়ের টুকরায় ঢেকে নিয়ে এসে বলল, এটা আপনার সহধর্মিণী। আমি তোমার মুখের বস্ত্র সরিয়ে দেখি সেটি তুমিই। আমি বললাম, যদি এ স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে হয় তবে তা বাস্তবে প্রকাশিত হবে। (ই.ফা. ৬০৬৫, ই.সে. ৬১০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৭৮

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সূত্রে অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৬০৬৬, ই.সে. ৬১০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৭৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنِّي لأَعْلَمُ إِذَا كُنْتِ عَنِّي رَاضِيَةً وَإِذَا كُنْتِ عَلَىَّ غَضْبَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ وَمِنْ أَيْنَ تَعْرِفُ ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ أَمَّا إِذَا كُنْتِ عَنِّي رَاضِيَةً فَإِنَّكِ تَقُولِينَ لاَ وَرَبِّ مُحَمَّدٍ وَإِذَا كُنْتِ غَضْبَى قُلْتِ لاَ وَرَبِّ إِبْرَاهِيمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ أَجَلْ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَهْجُرُ إِلاَّ اسْمَكَ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমায় বলেছেন: আমি কিন্তু আঁচ করতে পারি তুমি কখন আমার উপর সন্তুষ্ট থাকো, আর কখন আমার উপর ক্রোধান্বিত হও। আমি বললাম, কিসের মাধ্যমে এটা বুঝতে পারেন? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যখন তুমি আমার উপর সন্তুষ্ট থাকো তখন তুমি বলে থাকো- না, মুহাম্মাদের প্রতিপালকের শপথ! আর যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন বলো- না, ইব্রাহীমের প্রতিপালকের শপথ! আমি বললাম, হ্যাঁ আল্লাহর শপথ! হে আল্লাহর রসূল! আপনার নামটা শুধু বাদ দেই। (ই.ফা. ৬০৬৭, ই.সে. ৬১০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮০

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ لاَ وَرَبِّ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.‏

হিশাম (রহঃ)-এর উপরোক্ত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

“না, ইব্রাহীমের প্রতিপালকের শপথ” বাক্য পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। অবশিষ্টাংশ বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৬০৬৮, ই.সে. ৬১০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ وَكَانَتْ تَأْتِينِي صَوَاحِبِي فَكُنَّ يَنْقَمِعْنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَرِّبُهُنَّ إِلَىَّ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পুতুল নিয়ে খেলা করতেন। তিনি বলেন, তখন আমার নিকট আমার সঙ্গীরা আসতো। তারা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখে আড়ালে যেতো। আর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন। (ই.ফা. ৬০৬৯, ই.সে. ৬১০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮২

حَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ كُنْتُ أَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ فِي بَيْتِهِ وَهُنَّ اللُّعَبُ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। জারীর-এর হাদীসে রয়েছে, “আমি কন্যাদের নিয়ে তাঁর গৃহে খেলা করতাম, আর কন্যার অর্থ হলো খেলনা।” (ই.ফা. ৬০৭০, ই.সে. ৬১০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৩

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

লোকেরা হাদিয়াসমূহ পাঠানোর জন্য ‘আয়িশা (রাঃ)-এর পালার প্রতীক্ষা করতো যেদিন ‘আয়িশা (রাঃ)-এর পালা হতো সেদিন তারা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সন্তুষ্ট করার জন্য উপহার প্রেরণ করতো। (ই.ফা. ৬০৭১, ই.সে. ৬১০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৪

حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَيْهِ وَهُوَ مُضْطَجِعٌ مَعِي فِي مِرْطِي فَأَذِنَ لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ وَأَنَا سَاكِتَةٌ – قَالَتْ – فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَىْ بُنَيَّةُ أَلَسْتِ تُحِبِّينَ مَا أُحِبُّ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَحِبِّي هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقَامَتْ فَاطِمَةُ حِينَ سَمِعَتْ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَجَعَتْ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْهُنَّ بِالَّذِي قَالَتْ وَبِالَّذِي قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَ لَهَا مَا نُرَاكِ أَغْنَيْتِ عَنَّا مِنْ شَىْءٍ فَارْجِعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُولِي لَهُ إِنَّ أَزْوَاجَكَ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ ‏.‏ فَقَالَتْ فَاطِمَةُ وَاللَّهِ لاَ أُكَلِّمُهُ فِيهَا أَبَدًا ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِينِي مِنْهُنَّ فِي الْمَنْزِلَةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ أَرَ امْرَأَةً قَطُّ خَيْرًا فِي الدِّينِ مِنْ زَيْنَبَ وَأَتْقَى لِلَّهِ وَأَصْدَقَ حَدِيثًا وَأَوْصَلَ لِلرَّحِمِ وَأَعْظَمَ صَدَقَةً وَأَشَدَّ ابْتِذَالاً لِنَفْسِهَا فِي الْعَمَلِ الَّذِي تَصَدَّقُ بِهِ وَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى مَا عَدَا سَوْرَةً مِنْ حَدٍّ كَانَتْ فِيهَا تُسْرِعُ مِنْهَا الْفَيْئَةَ قَالَتْ فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَائِشَةَ فِي مِرْطِهَا عَلَى الْحَالَةِ الَّتِي دَخَلَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا وَهُوَ بِهَا فَأَذِنَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ ‏.‏ قَالَتْ ثُمَّ وَقَعَتْ بِي فَاسْتَطَالَتْ عَلَىَّ وَأَنَا أَرْقُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَرْقُبُ طَرْفَهُ هَلْ يَأْذَنُ لِي فِيهَا – قَالَتْ – فَلَمْ تَبْرَحْ زَيْنَبُ حَتَّى عَرَفْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَكْرَهُ أَنْ أَنْتَصِرَ – قَالَتْ – فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا حِينَ أَنْحَيْتُ عَلَيْهَا – قَالَتْ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَبَسَّمَ ‏”‏ إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী সহধর্মিণীগণ রসূল কন্যা ফাতিমাকে তাঁর নিকট প্রেরণ করলেন। সে এসে অনুমতি প্রার্থনা করল। তখন তিনি আমার চাদর গায়ে আমার সাথে ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি প্রদান করলেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার স্ত্রীগণ আমাকে পাঠিয়েছেন, আবূ কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে তাঁরা আপনার ন্যায়-বিচার চান। আমি চুপ করে রইলাম। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃহে আদরের কন্যা! আমি যা ভালবাসি, তা-কি তুমি ভালবাসো না? সে বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তবে একে ভালবাসো। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ কথা শুনে ফাতিমা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদের নিকট ফিরে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তিনি যা বলেছেন, আর তিনি তাঁকে যা উত্তর দিয়েছেন তা তাঁদেরকে বললেন। সহধর্মিণীগণ বললেন, তুমি আমাদের কোন লাভ করতে পারলে না। তুমি পুনরায় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে বলো, আপনার স্ত্রীগণ আবূ কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে আপনার নিকট সুবিচার চাচ্ছেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! ‘আয়িশা (রাঃ)-এর ব্যাপারে আমি কোন দিন কথা বলতে যাব না। তারপর রসূল সহধর্মিণীগণ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী যাইনাবকে তাঁর নিকট প্রেরণ করলেন। তিনিই ছিলেন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমার সমমর্যাদার অধিকারিণী। যাইনাবের চেয়ে দীনদার, আল্লাহভীরু, সত্যভাষিণী, মায়াময়ী, দানশীলা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথে ও দায়-খয়রাতের জন্যে নিজেকে দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করার ন্যায় কোন নারী আমি দেখিনি। তবে তাঁর মাঝে শুধু একটা ক্ষিপ্ততা ছিল, তবে তিনি খুব দ্রুত ঠাণ্ডাও হয়ে যেতেন। তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করলেন। আর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর সাথে চাদরে ঢাকা থাকা অবস্থায়ই অনুমতি দিলেন, যে অবস্থায় ফাতিমা (রাঃ) তাঁর নিকট এসে ছিল। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার স্ত্রীগণ আমাকে পাঠিয়েছেন। আবূ কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে তাঁরা আপনার সুবিচার প্রার্থনা করেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তারপর তিনি আমার সম্পর্কে মন্তব্য করতে লাগলেন এবং বড় বড় কতক কথা শুনালেন। আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চোখের দিকে দেখছিলাম, তিনি আমায় কিছু বলার অনুমতি দেবেন কি-না? আমি বুঝতে পারলাম যে, যাইনাবের কথার জবাব দিলে তিনি কিছু মনে করবেন না। তখন আমিও তাঁর উপর কথা বলতে লাগলাম এবং অল্প সময়ের মাঝে তাঁকে নিশ্চুপ করিয়ে দিলাম। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে বললেনঃএ তো আবূ বকরের কন্যা।

(ই.ফা. ৬০৭২, ই.সে. ৬১০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৫

حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنِيهِ عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ فِي الْمَعْنَى غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا أَنْ أَثْخَنْتُهَا غَلَبَةً ‏.‏

যুহরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সূত্রে এর মর্মার্থবোধক হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি “যখন আমিও তাঁর সঙ্গে কথা বলা আরম্ভ করলাম তখন কিছুক্ষণের মধ্যেই পরাভূত করলাম” এ বাক্যটি বলেননি। (ই.ফা. ৬০৭২, ই.সে. ৬১১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَتَفَقَّدُ يَقُولُ ‏ “‏ أَيْنَ أَنَا الْيَوْمَ أَيْنَ أَنَا غَدًا ‏”‏ ‏.‏ اسْتِبْطَاءً لِيَوْمِ عَائِشَةَ ‏‏ قَالَتْ فَلَمَّا كَانَ يَوْمِي قَبَضَهُ اللَّهُ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরের ইচ্ছা করতেন তাহলে তিনি বলতেন, আমি আজ কোথায় থাকব? কাল আমি কোথায় থাকব? এ কথা ভেবে যে, ‘আয়িশা (রাঃ)-এর পালা সম্ভবত অনেক দেরী। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, যখন আমার নিকট তাঁর অবস্থানের দিন আসলো, তখন আল্লাহ তা’আলা আমার বক্ষ ও পাঁজরের মাঝ থেকে উঠিয়ে নিলেন। (ই.ফা. ৬০৭৩, ই.সে. ৬১১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ وَهُوَ مُسْنِدٌ إِلَى صَدْرِهَا وَأَصْغَتْ إِلَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মৃত্যুর আগমুহূর্তে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, তিনি তাঁর বূকে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, আর তিনিও (‘আয়িশাহ্) তাঁর দিকে কান পেতে রেখেছিলেন; তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করো, রহম করো এবং আমাকে আমার বন্ধুর সঙ্গে শামিল করো। (ই.ফা. ৬০৭৪, ই.সে. ৬১১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রেই অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা. ৬০৭৫, ই.সে. ৬১১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৯

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَسْمَعُ أَنَّهُ لَنْ يَمُوتَ نَبِيٌّ حَتَّى يُخَيَّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ – قَالَتْ – فَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ وَأَخَذَتْهُ بُحَّةٌ يَقُولُ ‏{‏ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا‏}‏ قَالَتْ فَظَنَنْتُهُ خُيِّرَ حِينَئِذٍ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি শুনতাম যে, কোন নাবীই মৃত্যুবরণ করবেন না, যতক্ষণ না তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতের মাঝখান হতে কোন একটি বেছে নেয়ার অধিকার দেয়া হবে। মৃত্যু শয্যায় শায়িতাবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যখন তাঁর উর্ধ্বশ্বাস শুরু হয়ে গিয়েছিল, “ওদের সঙ্গে, যাদের উপর আল্লাহ দয়া করেছেন; তাঁরা হলেন সিদ্দীক, শাহীদ ও সৎকর্মশীল, তাঁরা কতই না ঘনিষ্ঠ বন্ধু”- (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪:৬৯)। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমার মনে হল তখনই তাঁকে (দুনিয়া ও আখিরাতের মাধ্যমে যা ভাল সেটি গ্রহণ করার) সুযোগ দেয়া হয়েছে। (ই.ফা. ৬০৭৬, ই.সে. ৬১১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯০

حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৬০৭৭, ই.সে. ৬১১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯১

حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، فِي رِجَالٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ صَحِيحٌ ‏”‏ إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ فِي الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَلَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأْسُهُ عَلَى فَخِذِي غُشِيَ عَلَيْهِ سَاعَةً ثُمَّ أَفَاقَ فَأَشْخَصَ بَصَرَهُ إِلَى السَّقْفِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ قُلْتُ إِذًا لاَ يَخْتَارُنَا ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ وَعَرَفْتُ الْحَدِيثَ الَّذِي كَانَ يُحَدِّثُنَا بِهِ وَهُوَ صَحِيحٌ فِي قَوْلِهِ ‏”‏ إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَتْ تِلْكَ آخِرُ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْلَهُ ‏”‏ اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুস্থ থাকাবস্থায় বলেছেন: কোন নাবীই ইন্তিকাল করেননি যে পর্যন্ত না তিনি জান্নাতে তাঁর জায়গাটি দেখে নিয়েছেন। আর তাঁকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, যখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যু ঘনিয়ে আসলো আর তাঁর মাথা আমার রানের উপর, তখন কিছু সময় তিনি বেহুঁশ হয়ে রইলেন। হুঁশ ফিরে আসলে তিনি ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহ! মর্যাদাসম্পন্ন বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত করো।

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি মনে মনে বললাম, এখন আর তিনি আমাদের গ্রহণ করবেন না।

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন আমার ঐ হাদীসটি মনে পড়ল যেটি তিনি সুস্থ থাকাকালে বলেছিলেন যে, কোন নবী মৃত্যুবরণ করেন না, যতক্ষণ না তিনি জান্নাতে তাঁর জায়গাটি দেখে নেন। তারপর তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতে যেটিকে ভাল মনে করেন সেটি গ্রহণ করার অনুমতি দেয়া হয়।

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, এটাই ছিল শেষ কথা যা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “হে আল্লাহ! উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বন্ধুদের সঙ্গে”। (ই.ফা. ৬০৭৮, ই.সে. ৬১১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯২

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ، بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ أَقْرَعَ بَيْنَ نِسَائِهِ فَطَارَتِ الْقُرْعَةُ عَلَى عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ فَخَرَجَتَا مَعَهُ جَمِيعًا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ بِاللَّيْلِ سَارَ مَعَ عَائِشَةَ يَتَحَدَّثُ مَعَهَا فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ أَلاَ تَرْكَبِينَ اللَّيْلَةَ بَعِيرِي وَأَرْكَبُ بَعِيرَكِ فَتَنْظُرِينَ وَأَنْظُرُ قَالَتْ بَلَى ‏.‏ فَرَكِبَتْ عَائِشَةُ عَلَى بَعِيرِ حَفْصَةَ وَرَكِبَتْ حَفْصَةُ عَلَى بَعِيرِ عَائِشَةَ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى جَمَلِ عَائِشَةَ وَعَلَيْهِ حَفْصَةُ فَسَلَّمَ ثُمَّ صَارَ مَعَهَا حَتَّى نَزَلُوا فَافْتَقَدَتْهُ عَائِشَةُ فَغَارَتْ فَلَمَّا نَزَلُوا جَعَلَتْ تَجْعَلُ رِجْلَهَا بَيْنَ الإِذْخِرِ وَتَقُولُ يَا رَبِّ سَلِّطْ عَلَىَّ عَقْرَبًا أَوْ حَيَّةً تَلْدَغُنِي رَسُولُكَ وَلاَ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقُولَ لَهُ شَيْئًا ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সফরে বের হতেন, তখন নিজ স্ত্রীদের সম্বন্ধে লটারী করতেন। একবার লটারিতে ‘আয়িশাহ্ ও হাফসার নাম উঠল। দু’জনেই তাঁর সঙ্গে বের হলেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে সফর করতেন তখন তিনি ‘আয়িশার সঙ্গে কথোপকথন করে চলতেন। হাফসাহ্ (রাঃ) ‘আয়িশাকে বললেন, আজ রাতে তুমি আমার উটে চড় আর আমি তোমার উটে চড়ি। তারপর তুমি অপেক্ষা করবে আমিও অপেক্ষা করব। এরপর ‘আয়িশা (রাঃ) হাফসার উটে আর হাফসাহ্ (রাঃ) ‘আয়শার উটে সাওয়ারী হলেন। যখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশার উটের নিকট আসলেন এবং এসে সওয়ার ছিলেন হাফসাহ্ (রাঃ) তখন তিনি সালাম দিলেন এবং তাঁর সঙ্গে চললেন। পরিশেষে মনযিলে গিয়ে অবতরণ করলেন। ‘আয়িশা (রাঃ) তাঁকে (সাঃ-কে) না পেয়ে চটে গেলেন। যখন সকলে মনযিলে যেয়ে নামলেন, ‘আয়িশাহ্ তাঁর পা ‘ইয্খির” ঘাসের উপর রেখে চলতে লাগলেন, হে রাব! একটা সাপ বা বিচ্ছু আমার দিকে পাঠিয়ে দিন যেন আমাকে দংশন করে। তিনি তো আপনার রসূল। আমি তাঁকে কিছু বলতেও পারি না।

 

(ই.ফা. ৬০৭৯, ই.সে. ৬১১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, অন্যান্য মহিলাদের উপর ‘আয়িশার মর্যাদা সকল খাদ্যের উপর “সারীদের” শ্রেষ্ঠত্বের মতো। (ই.ফা. ৬০৮০, ই.সে. ৬১১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ‏.‏

আনাস (রাঃ)-এর সানাদে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল রিওয়ায়াত করেন। তাদের উভয়ের হাদীসে “রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি” এ কথা নেই। ইসমা‘ঈলের হাদীসে “আনাস (রাঃ) হতে শ্রবণ করেছি” আছে। (ই.ফা. ৬০৮১, ই.সে. ৬১১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَيَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا ‏ “‏ إِنَّ جِبْرِيلَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, জিব্রীল (‘আঃ) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। আমি বললাম, তাঁর প্রতিও সালাম এবং আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হোক। (ই.ফা. ৬০৮২, ই.সে. ৬১২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৬

حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمُلاَئِيُّ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَامِرًا، يَقُولُ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁদের হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৬০৮৩, ই.সে. ৬১২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৭

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

যাকারিয়্যা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৬০৮৩, ই.সে. ৬১২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا عَائِشُ هَذَا جِبْرِيلُ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَتْ وَهُوَ يَرَى مَا لاَ أَرَى ‏.‏

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: হে ‘আয়িশাহ্! এই যে জিব্রীল ‘(আঃ) তোমাকে সালাম বলছেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, ওয়া ‘আলাইহিস্ সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ্- তাঁর উপরও সালাম এবং আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হোক। তারপর ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তিনি তো এমন কিছু লক্ষ্য করেন যা আমি দেখতে পাই না।

 

(ই.ফা. ৬০৮৪, ই.সে. ৬১২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪. অধ্যায়ঃ

উম্মু যার্’ই-এর হাদীস

৬১৯৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عِيسَى، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حُجْرٍ – حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ جَلَسَ إِحْدَى عَشْرَةَ امْرَأَةً فَتَعَاهَدْنَ وَتَعَاقَدْنَ أَنْ لاَ يَكْتُمْنَ مِنْ أَخْبَارِ أَزْوَاجِهِنَّ شَيْئًا قَالَتِ الأُولَى زَوْجِي لَحْمُ جَمَلٍ غَثٌّ عَلَى رَأْسِ جَبَلٍ وَعْرٍ لاَ سَهْلٌ فَيُرْتَقَى وَلاَ سَمِينٌ فَيُنْتَقَلَ ‏.‏ قَالَتِ الثَّانِيَةُ زَوْجِي لاَ أَبُثُّ خَبَرَهُ إِنِّي أَخَافُ أَنْ لاَ أَذَرَهُ إِنْ أَذْكُرْهُ أَذْكُرْ عُجَرَهُ وَبُجَرَهُ ‏.‏ قَالَتِ الثَّالِثَةُ زَوْجِي الْعَشَنَّقُ إِنْ أَنْطِقْ أُطَلَّقْ وَإِنْ أَسْكُتْ أُعَلَّقْ ‏.‏ قَالَتِ الرَّابِعَةُ زَوْجِي كَلَيْلِ تِهَامَةَ لاَ حَرٌّ وَلاَ قُرٌّ وَلاَ مَخَافَةَ وَلاَ سَآمَةَ ‏.‏ قَالَتِ الْخَامِسَةُ زَوْجِي إِنْ دَخَلَ فَهِدَ وَإِنْ خَرَجَ أَسِدَ وَلاَ يَسْأَلُ عَمَّا عَهِدَ ‏.‏ قَالَتِ السَّادِسَةُ زَوْجِي إِنْ أَكَلَ لَفَّ وَإِنْ شَرِبَ اشْتَفَّ وَإِنِ اضْطَجَعَ الْتَفَّ وَلاَ يُولِجُ الْكَفَّ لِيَعْلَمَ الْبَثَّ ‏.‏ قَالَتِ السَّابِعَةُ زَوْجِي غَيَايَاءُ أَوْ عَيَايَاءُ طَبَاقَاءُ كُلُّ دَاءٍ لَهُ دَاءٌ شَجَّكِ أَوْ فَلَّكِ أَوْ جَمَعَ كُلاًّ لَكِ ‏.‏ قَالَتِ الثَّامِنَةُ زَوْجِي الرِّيحُ رِيحُ زَرْنَبٍ وَالْمَسُّ مَسُّ أَرْنَبٍ ‏.‏ قَالَتِ التَّاسِعَةُ زَوْجِي رَفِيعُ الْعِمَادِ طَوِيلُ النِّجَادِ عَظِيمُ الرَّمَادِ قَرِيبُ الْبَيْتِ مِنَ النَّادِي ‏.‏ قَالَتِ الْعَاشِرَةُ زَوْجِي مَالِكٌ وَمَا مَالِكٌ مَالِكٌ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكِ لَهُ إِبِلٌ كَثِيرَاتُ الْمَبَارِكِ قَلِيلاَتُ الْمَسَارِحِ إِذَا سَمِعْنَ صَوْتَ الْمِزْهَرِ أَيْقَنَّ أَنَّهُنَّ هَوَالِكُ ‏.‏ قَالَتِ الْحَادِيَةَ عَشْرَةَ زَوْجِي أَبُو زَرْعٍ فَمَا أَبُو زَرْعٍ أَنَاسَ مِنْ حُلِيٍّ أُذُنَىَّ وَمَلأَ مِنْ شَحْمٍ عَضُدَىَّ وَبَجَّحَنِي فَبَجِحَتْ إِلَىَّ نَفْسِي وَجَدَنِي فِي أَهْلِ غُنَيْمَةٍ بِشَقٍّ فَجَعَلَنِي فِي أَهْلِ صَهِيلٍ وَأَطِيطٍ وَدَائِسٍ وَمُنَقٍّ فَعِنْدَهُ أَقُولُ فَلاَ أُقَبَّحُ وَأَرْقُدُ فَأَتَصَبَّحُ وَأَشْرَبُ فَأَتَقَنَّحُ ‏.‏ أُمُّ أَبِي زَرْعٍ فَمَا أُمُّ أَبِي زَرْعٍ عُكُومُهَا رَدَاحٌ وَبَيْتُهَا فَسَاحٌ ‏.‏ ابْنُ أَبِي زَرْعٍ فَمَا ابْنُ أَبِي زَرْعٍ مَضْجِعُهُ كَمَسَلِّ شَطْبَةٍ وَيُشْبِعُهُ ذِرَاعُ الْجَفْرَةِ ‏.‏ بِنْتُ أَبِي زَرْعٍ فَمَا بِنْتُ أَبِي زَرْعٍ طَوْعُ أَبِيهَا وَطَوْعُ أُمِّهَا وَمِلْءُ كِسَائِهَا وَغَيْظُ جَارَتِهَا ‏.‏ جَارِيَةُ أَبِي زَرْعٍ فَمَا جَارِيَةُ أَبِي زَرْعٍ لاَ تَبُثُّ حَدِيثَنَا تَبْثِيثًا وَلاَ تُنَقِّثُ مِيرَتَنَا تَنْقِيثًا وَلاَ تَمْلأُ بَيْتَنَا تَعْشِيشًا ‏.‏ قَالَتْ خَرَجَ أَبُو زَرْعٍ وَالأَوْطَابُ تُمْخَضُ فَلَقِيَ امْرَأَةً مَعَهَا وَلَدَانِ لَهَا كَالْفَهْدَيْنِ يَلْعَبَانِ مِنْ تَحْتِ خَصْرِهَا بِرُمَّانَتَيْنِ فَطَلَّقَنِي وَنَكَحَهَا فَنَكَحْتُ بَعْدَهُ رَجُلاً سَرِيًّا رَكِبَ شَرِيًّا وَأَخَذَ خَطِّيًّا وَأَرَاحَ عَلَىَّ نَعَمًا ثَرِيًّا وَأَعْطَانِي مِنْ كُلِّ رَائِحَةٍ زَوْجًا ‏.‏ قَالَ كُلِي أُمَّ زَرْعٍ وَمِيرِي أَهْلَكِ فَلَوْ جَمَعْتُ كُلَّ شَىْءٍ أَعْطَانِي مَا بَلَغَ أَصْغَرَ آنِيَةِ أَبِي زَرْعٍ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كُنْتُ لَكِ كَأَبِي زَرْعٍ لأُمِّ زَرْعٍ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এগারজন মহিলা একত্রে বসে অঙ্গীকার ও চুক্তিবদ্ধ হলো যে, তারা নিজ নিজ স্বামীর বিষয়ে কিছুই গোপন করবে না।

প্রথম মহিলা বললোঃ আমার স্বামী দূর্বল উটের গোশতের মতো, যা দূর্গম এক পর্বতের চুঁড়ায় রক্ষিত। না ওখানে আরোহন করা সম্ভব আর না এমন মোটা তাজা যা সংরক্ষণ করা যায়।

দ্বিতীয় মহিলা বললোঃ আমি আমার স্বামীর সংবাদ প্রকাশ করতে পারব না। আমার আশঙ্কা হয়, আমি তাকে ছেড়ে না দেই। আমি যদি তার বর্ণনা দিতে যাই তবে তার প্রকাশ্য ও গোপনীয় সব ত্রুটিই উল্লেখ করতে হবে।

তৃতীয় মহিলা বললোঃ আমার স্বামী খুব লম্বা। ওর ত্রুটি বললে আমি ত্যাজ্য হবো, আর চুপ থাকলে ঝুলে থাকব।

চতুর্থ মহিলা বললোঃ আমার স্বামী ‘তিহামাহ্’-এর রাত্রের মতো। নাতিশীতোষ্ণ (গরমও নয় আর ঠাণ্ডাও নয়) ভয়ও নেই, ক্লান্তিও নেই।

পঞ্চম মহিলা বললোঃ আমার স্বামী যখন গৃহে প্রবেশ করে তখন চিতা বাঘ, আর যখন বাইরে যায় তখন সিংহ। সংরক্ষিত ধন-সম্পদ নিয়ে সে কোন প্রশ্ন করে না।

ষষ্ঠ মহিলা বললঃ আমার স্বামী খেতে বসলে সব খেয়ে ফেলে, পান করলে একেবারে শেষ করে ফেলে। আর ঘুমাতে গেলে একেবারে হাত পা গুটিয়ে নেয়। আমার প্রতি হাত বাড়ায় না, যাতে আমার অবস্থা বুঝতে পারে।

সপ্তম মহিলা বললোঃ আমার স্বামী বোকা, অক্ষম ও বোবার মতো। সব ত্রুটিই তার মধ্যে বিদ্যমান। ইচ্ছা করলে তোমার মাথায় আঘাত করবে কিংবা গায়ে মারবে অথবা উভয়টিই একত্রে সংঘটিত করবে।

অষ্টম মহিলা বললোঃ আমার স্বামীর ‘যারনাব’ নামক সুগন্ধির মতো, তার খরগোশের স্পর্শের ন্যায় কোমল।

নবম মহিলা বললোঃ আমার স্বামী এমন যার প্রাসাদের খুঁটিগুলো সুউচ্চ, তারবারির খাপগুলো দীর্ঘ, বাড়ীর উঠোনে অধিক ছাই। মাজলিসের পাশেই তার গৃহ।

দশম মহিলা বললোঃ আমার স্বামী ‘মালিক’। আর মালিক-এর কথা কি বলব, আমারা এ প্রশংসার চেয়ে তিনি আরো শ্রেষ্ঠ। তার রয়েছে অনেক উট, উটশালায় উটের সংখ্যা অনেক, তবে চারণভূমিতে তার সংখ্যা কম। উটেরা যখন বাদ্য-বাজনার আওয়াজ শোনে তখন নিজেদের যাবাহের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে পড়ে।

একাদশ মহিলা বললোঃ আমার স্বামীর নাম আবূ যার‘ই। কী চমৎকার আবূ যার‘ই। অলংকার দিয়ে সে আমার দু’কান ঝুলিয়ে দিয়েছে, বাহুদ্বয় ভরপুর করেছে চর্বিতে। আমাকে মর্যাদা দিয়েছে, আমিও নিজেকে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করছি। সে আমাকে পাহাড়ের কিনারায় ভেড়া ও বকরীওয়ালাদের ভিতরে পেয়েছিল। তারপর সে আমাকে উট, ঘোড়া, জমি-জমা ও ফসল ফসলাদির অধিকারী বানিয়েছে। তার নিকট আমি কথা বললে সে তা ফেলে না। আমি শুইলে ভোর পর্যন্ত শুয়ে থাকি আর পান করলে আত্মতৃপ্ত লাভ করি।

আবূ যার‘ই-এর মা, কতই না ভালো আবূ যার‘ই-এর মা। তাঁর সম্পদ-কোষ অনেক বড় আকারের। তাঁর কুঠরী প্রশস্ত।

আবূ যার‘ই-এর ছেলে, কতো ভালো আবূ যার‘ই-এর ছেলে, তার শয্যা যেন তলোয়ারের কোষ। বকরির একটি হাতা খেয়েই সে তৃপ্তি বোধ করে।

আবূ যার‘ই-এর মেয়ে, কতই না ভাল আবূ যার‘ই-এর মেয়ে। সে তার বাবা মায়ের অনুগত। পোশাক পরিচ্ছদে ভরপুর তার প্রতিবেশীদের ঈর্ষার পাত্র।

আবূ যার‘ই-এর দাসী। কতই না ভালো আবূ যার‘ই-এর দাসী। আমাদের কথা বলে বেড়ায় না। আমাদের খাদ্য বিনষ্ট করে না, বাড়ী-ঘর ময়লাস্তুপে পরিণত করে না।

উম্মু যার‘ই বলেন, একদিন আবূ যার‘ই বাইরে বের হলেন। তখন আমাদের অবস্থা ছিল এই যে, বড় বড় দুধের মাখন উঠিয়ে নেয়া হত। সে সময় জনৈক নারীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তার সঙ্গে ছিল দু’টো শিশু। শিশু দু’টো ছিল দু’টো চিতার মতো। তারা তার কোলের নীচ দিয়ে দু’টি ডালিম নিয়ে খেলা করছিল। তখন আবূ যার‘ই আমাকে তালাক দেয় এবং সে মহিলাকে বিবাহ করে। এরপর আমি জনৈক লোককে বিয়ে করলাম। সে ছিল সরদার, খুব ভালো ঘোড় সওয়ার ও বর্শা ধারণকারী। সে আমার আস্তাবলে বহু চতুষ্পদ জন্তু জড়ো করে। প্রত্যেক প্রকার হতে সে আমাকে একেক জোড়া দান করে এবং সে আমাকে বলে, হে উম্মু যার‘ই! তুমি খাও এং তোমার আপনজনকে বিলিয়ে দাও।

অতঃপর দ্বিতীয় স্বামী আমায় যা কিছু দিয়েছে তার সব যদি জমা করি তবুও আবূ যার‘ই-এর ছোট্ট একটি পাত্রের সমতুল্য হবে না।

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃতোমার জন্য আমি উম্মু যার‘ই-এর জন্য আবূ যার‘ই-এর ন্যায়। (ই.ফা. ৬০৮৫, ই.সে. ৬১২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০০

وَحَدَّثَنِيهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ، بْنُ سَلَمَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ عَيَايَاءُ طَبَاقَاءُ ‏.‏ وَلَمْ يَشُكَّ وَقَالَ قَلِيلاَتُ الْمَسَارِحِ ‏.‏ وَقَالَ وَصِفْرُ رِدَائِهَا وَخَيْرُ نِسَائِهَا وَعَقْرُ جَارَتِهَا ‏.‏ وَقَالَ وَلاَ تَنْقُثُ مِيرَتَنَا تَنْقِيثًا ‏.‏ وَقَالَ وَأَعْطَانِي مِنْ كُلِّ ذَابِحَةٍ زَوْجًا ‏.‏

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাতে নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম এতটুকু রয়েছে যে, …………….। আরো আছে- . . . এবং রয়েছে- …… (অর্থাৎ- তার চাদর হলদে রংয়ের চাদর বিশিষ্ট, অন্যান্য মহিলার মতো ছিল শ্রেষ্ঠ, সতীনের ঈর্ষার পাত্রী এবং বলেছেন- ……. . . অর্থাৎ ‘সে আমাদের খাদ্যদ্রব্য বৃথা নষ্ট করে না’। আরো বলেছেন- ……………………. ‘প্রত্যেক উপাদেয় বস্তু হতে আমাকে একজোড়া দিয়েছে’। (ই. ফা. ৬০৮৫, ই. সে. ৬১২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অধ্যায়ঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২০১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ ابْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ الْقُرَشِيُّ التَّيْمِيُّ، أَنَّحَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُونِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَلاَ آذَنُ لَهُمْ ثُمَّ لاَ آذَنُ لَهُمْ ثُمَّ لاَ آذَنُ لَهُمْ إِلاَّ أَنْ يُحِبَّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّمَا ابْنَتِي بَضْعَةٌ مِنِّي يَرِيبُنِي مَا رَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا ‏”‏ ‏.‏

মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারের উপর থেকে বলতে শুনেছেন, হিশাম ইবনু মুগীরার ছেলেরা আমার নিকট অনুমতি চেয়েছে যে, তাদের কন্যাকে ‘আলী ইবনু আবূ তালিবের নিকট তারা বিবাহ দিতে চায়। আমি তাদের অনুমতি দিব না, আমি তাদের দিব না, আমি তাদের দিব না। কিন্তু যদি ‘আলী ইবনু আবূ তালিব আমার কন্যাকে তালাক দিয়ে তাদের মেয়েকে বিবাহ করতে চায়, সেটা আলাদা কথা। কারণ আমার কন্যা আমারই একটা অংশ। যা তাকে সম্মানহানি করে তা আমাকেও সম্মানহানি করে, তাকে যা কষ্ট দেয়, আমাকেও তা কষ্ট দেয়। (ই. ফা. ৬০৮৬, ই. সে. ৬১২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০২

حَدَّثَنِي أَبُو مَعْمَرٍ، إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْهُذَلِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا فَاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي يُؤْذِينِي مَا آذَاهَا ‏”‏ ‏.‏

মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: ফাতিমা আমারই অংশবিশেষ, তাঁকে যা কষ্ট দেয় তা আমার প্রতিও কষ্টদায়ক। (ই. ফা. ৬০৮৭, ই. সে. ৬১২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০৩

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيُّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ، حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رضى الله عنهما لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَىَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا قَالَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ ‏.‏ قَالَ لَهُ هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِ أَبَدًا حَتَّى تَبْلُغَ نَفْسِي إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي وَإِنِّي أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ قَالَ ‏”‏ حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَوَعَدَنِي فَأَوْفَى لِي وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ مَكَانًا وَاحِدًا أَبَدًا ‏”‏ ‏.‏

আলী ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হুসায়ন ইবনু ‘আলী (রাঃ)-এর শাহাদতের পর ইয়াযীদ ইবনু মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর নিকট হতে রাযা যখন মাদীনায় এলেন, মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ তখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং তাঁকে বললেন, আপনার কোন প্রয়োজন থাকলে আমাকে বলবেন। আমি বললাম, না। মিসওয়ার বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তলোয়ারটি কি আপনি আমাকে দান করবেন? কেননা আমার ভয় হয় যে, লোকেরা এটি আপনার নিকট হতে আয়ত্ব করে নিবে। আল্লাহর শপথ আপনি যদি সে তলোয়ারটি আমাকে দিয়ে দেন তাহলে যতক্ষণ আমার জীবন থাকে এটি কেউ ছুঁইতে পারবে না। (মিসওয়ার আরো বলেন) ফাতিমার জীবিতাবস্থায় ‘আলী (রাঃ) আবূ জাহলের মেয়েকে বিবাহরে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ ব্যাপার নিয়ে মানুষদের সম্মুখে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিতে শুনেছি। আমি তখন সদ্য বালিগ বয়সের। তখন তিনি বললেন, ফাতিমা আমারেই অংশ। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, সে তার দ্বীনের সম্পর্কে ফিতনায় না পতিত হয়।

তারপর তিনি ‘আব্দ-ই-শাম্স গোষ্ঠীয় তাঁর জামাতার আলোচনা করলেন, তার আত্মীয়তার প্রশংসা করলেন এবং বললেন, সে আমায় যা বলেছে সত্য বলেছে, সে আমার সাথে ওয়া‘দা করেছে, আর তা পালন করেছে। আর আমি কোন হালালকে হারাম করি না, বা হারামকে হালাল করি না, তবে আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রসূলের কন্যা এবং আল্লাহর শত্রুর কন্যা কক্ষনো এক স্থানে একত্র হতে পারে না।

(ই. ফা. ৬০৮৭, ই. সে. ৬১২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ وَعِنْدَهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا سَمِعَتْ بِذَلِكَ فَاطِمَةُ أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لَهُ إِنَّ قَوْمَكَ يَتَحَدَّثُونَ أَنَّكَ لاَ تَغْضَبُ لِبَنَاتِكَ وَهَذَا عَلِيٌّ نَاكِحًا ابْنَةَ أَبِي جَهْلٍ ‏.‏ قَالَ الْمِسْوَرُ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْتُهُ حِينَ تَشَهَّدَ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ أَمَّا بَعْدُ فَإِنِّي أَنْكَحْتُ أَبَا الْعَاصِ بْنَ الرَّبِيعِ فَحَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَإِنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ مُضْغَةٌ مِنِّي وَإِنَّمَا أَكْرَهُ أَنْ يَفْتِنُوهَا وَإِنَّهَا وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ عِنْدَ رَجُلٍ وَاحِدٍ أَبَدًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَتَرَكَ عَلِيٌّ الْخِطْبَةَ ‏.‏

মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) নাবী-তনয় ফাতিমাকে ঘরে রেখেই আবূ জাহলের কন্যাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফাতিমা (রাঃ) যখন এ খব শুনলেন তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, লোকেরা কথোপকথন করে যে, আপনি আপনার কন্যাদের সম্বন্ধে রাগ প্রকাশ করেন না। আর এই যে, ‘আলী (রাঃ) আবূ জাহলের কন্যাকে বিবাহ করতে যাচ্ছেন।

মিসওয়ার (রাঃ) বললেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ালেন। এ সময় আমি শুনলাম, তিনি তাশাহুদ পড়লেন এবং বললেনঃ আমি আবুল ‘আস ইবনু রাবী‘র নিকট বিয়ে দিয়েছি, সে আমাকে যা বলেছে তা বাস্তবে পরিণত করেছে। আর মুহাম্মাদ কন্যা ফাতিমা আমারই একটা টুকরা, আমি অপছন্দ করি যে, লোকে তাঁকে ফিতনায় ফেলুক। আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রসূলের মেয়ে ও আল্লাহর শত্রুর মেয়ে কোন লোকের নিকট কক্ষনো একসাথে মিলিত হতে পারে না। মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, তারপর ‘আলী (রাঃ) প্রস্তাব প্রত্যাহার করেন।

 

(ই. ফা. ৬০৮৯, ই. সে. ৬১২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০৫

وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَرِيرٍ – عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ، – يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ – يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

যুহরী (রহঃ) হতে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেনে। (ই. ফা. ৬০৮৯, ই. সে. ৬১৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০৬

حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا فَاطِمَةَ ابْنَتَهُ فَسَارَّهَا فَبَكَتْ ثُمَّ سَارَّهَا فَضَحِكَتْ فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ لِفَاطِمَةَ مَا هَذَا الَّذِي سَارَّكِ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَكَيْتِ ثُمَّ سَارَّكِ فَضَحِكْتِ قَالَتْ سَارَّنِي فَأَخْبَرَنِي بِمَوْتِهِ فَبَكَيْتُ ثُمَّ سَارَّنِي فَأَخْبَرَنِي أَنِّي أَوَّلُ مَنْ يَتْبَعُهُ مِنْ أَهْلِهِ فَضَحِكْتُ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কন্যা ফাতিমাকে ডেকে চুপিসারে কিছু বললেন। তখন তিনি ক্রন্দন করলেন। পুনরায় চুপিসারে তিনি কিছু বললেন, তখন তিনি হেসে ফেললেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি ফাতিমাকে বললাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাকে চুপিচুপি কি বললেন যে, তুমি কান্নাকাটি করে ফেললে এবং এরপর কি বললেন যে, তুমি হেসে ফেললে? ফাতিমা বললেন, চুপিসারে তিনি আমাকে তাঁর মৃত্যু সংবাদ দিলেন, তাই আমি কান্নাকাটি করলাম। অতঃপর চুপিচুপি তিনি বললেন, তাঁর পরিবার-পরিজনদের মাঝে সর্বপ্রথম তাঁর পেছনে যাবে আমি, তাই হাসলাম। (ই. ফা. ৬০৯০, ই. সে. ৬১৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০৭

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَهُ لَمْ يُغَادِرْ مِنْهُنَّ وَاحِدَةً فَأَقْبَلَتْ فَاطِمَةُ تَمْشِي مَا تُخْطِئُ مِشْيَتُهَا مِنْ مِشْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا فَلَمَّا رَآهَا رَحَّبَ بِهَا فَقَالَ ‏”‏ مَرْحَبًا بِابْنَتِي ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَجْلَسَهَا عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ سَارَّهَا فَبَكَتْ بُكَاءً شَدِيدًا فَلَمَّا رَأَى جَزَعَهَا سَارَّهَا الثَّانِيَةَ فَضَحِكَتْ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهَا خَصَّكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ نِسَائِهِ بِالسِّرَارِ ثُمَّ أَنْتِ تَبْكِينَ فَلَمَّا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ مَا كُنْتُ أُفْشِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِرَّهُ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ عَزَمْتُ عَلَيْكِ بِمَا لِي عَلَيْكِ مِنَ الْحَقِّ لَمَا حَدَّثْتِنِي مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ أَمَّا الآنَ فَنَعَمْ أَمَّا حِينَ سَارَّنِي فِي الْمَرَّةِ الأُولَى فَأَخْبَرَنِي ‏”‏ أَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ وَإِنَّهُ عَارَضَهُ الآنَ مَرَّتَيْنِ وَإِنِّي لاَ أُرَى الأَجَلَ إِلاَّ قَدِ اقْتَرَبَ فَاتَّقِي اللَّهَ وَاصْبِرِي فَإِنَّهُ نِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَبَكَيْتُ بُكَائِي الَّذِي رَأَيْتِ فَلَمَّا رَأَى جَزَعِي سَارَّنِي الثَّانِيَةَ فَقَالَ ‏”‏ يَا فَاطِمَةُ أَمَا تَرْضَىْ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ أَوْ سَيِّدَةَ نِسَاءِ هَذِهِ الأُمَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَضَحِكْتُ ضَحِكِي الَّذِي رَأَيْتِ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীরা সবাই তাঁর নিকট ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ বাদ ছিলেন না। এমন সময় ফাতিমা (রাঃ) আসলেন। তাঁর চলার ভঙ্গি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চলার ধরণ থেকে একটুও আলাদা ছিল না। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাঁকে দেখলেন যখন তিনি এ বলে খোশ-আমদে জানালেন, মারহাবা, হে আমার আদরের মেয়ে! তারপর তাঁকে তাঁর ডানদিকে অথবা বামদিকে বসালেন এবং তাঁর সঙ্গে চুপিসারে কিছু বললেন। এতে তিনি খুব কান্নাকাটি করলেন। যখন তিনি তাঁর অস্থিরতা দেখলেন, তিনি আবার তাঁর সাথে চুপেচুপে কিছু বললেন, তখন তিনি হেসে দিলেন। আমি তাঁকে বললাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহধর্মিণীগণের উপস্থিতিতেই তোমার সাথে বিশেষভাবে কোন গোপন কথা বলেছেন। আবার তুমি কাঁদছ? তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে গেলেন। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমার নিকট কি বলেছেন? তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোপন কথা প্রচার করবো না। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, যখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তিকাল হয়ে গেলে তখন আমি তার উপর আমার অধিকারের কসম দিয়ে বললাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাকে কী বলেছেন, আমাকে অবশ্যই বলতে হবে। তিনি বললেন, আচ্ছা, এখন তবে হ্যাঁ। প্রথমবার তিনি আমাকে গোপনে বললেন, জিব্রীল (‘আঃ) প্রতি বছর একবার কি দু’বার আমাকে কুরআন তিলাওয়াত করান। এ বছর তিনি দু’বার পুনরাবৃত্তি করালেন, আমার ধারণা হয় আমার সময় সন্নিকটে এসে গেছে। তুমি আল্লাহকে ভয় করো এবং ধৈর্যধারণ করো। কারণ, আমি তোমার জন্য কত উত্তম পূর্বসূরী। তখন আমি কাঁদলাম, যা আপনি দেখেছেন। তারপর আমার অস্থিরতা দেখে তিনি দ্বিতীয়বার চুপিসারে বললেন, হে ফাতিমা! মু’মিন রমণীদের প্রধান ও এ উম্মাতের সকল মহিলাদের নেত্রী হওয়া কি তুমি অপছন্দ করো? ফাতিমা (রাঃ) বললেন, তখন আমি হাসলাম, আমার যে হাসি আপনি তা প্রত্যক্ষ করেছেন। (ই. ফা. ৬০৯১, ই. সে. ৬১৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اجْتَمَعَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُغَادِرْ مِنْهُنَّ امْرَأَةً فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ تَمْشِي كَأَنَّ مِشْيَتَهَا مِشْيَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ مَرْحَبًا بِابْنَتِي ‏”‏ ‏.‏ فَأَجْلَسَهَا عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ إِنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهَا حَدِيثًا فَبَكَتْ فَاطِمَةُ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّهَا فَضَحِكَتْ أَيْضًا فَقُلْتُ لَهَا مَا يُبْكِيكِ فَقَالَتْ مَا كُنْتُ لأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ فَرَحًا أَقْرَبَ مِنْ حُزْنٍ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهَا حِينَ بَكَتْ أَخَصَّكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثِهِ دُونَنَا ثُمَّ تَبْكِينَ وَسَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ فَقَالَتْ مَا كُنْتُ لأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ حَتَّى إِذَا قُبِضَ سَأَلْتُهَا فَقَالَتْ إِنَّهُ كَانَ حَدَّثَنِي ‏”‏ أَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ بِالْقُرْآنِ كُلَّ عَامٍ مَرَّةً وَإِنَّهُ عَارَضَهُ بِهِ فِي الْعَامِ مَرَّتَيْنِ وَلاَ أُرَانِي إِلاَّ قَدْ حَضَرَ أَجَلِي وَإِنَّكِ أَوَّلُ أَهْلِي لُحُوقًا بِي وَنِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ ‏”‏ ‏.‏ فَبَكَيْتُ لِذَلِكِ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّنِي فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ أَوْ سَيِّدَةَ نِسَاءِ هَذِهِ الأُمَّةِ ‏”‏ ‏ فَضَحِكْتُ لِذَلِكِ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সকল স্ত্রীগণ একত্রিত হলেন। তাঁদের মাঝে একজনও বাকী রইলেন না। তখন ফাতিমা (রাঃ) হেঁটে আসলেন। তার হাঁটার ধরণ যেন একেবারে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চলার ন্যায়। তিনি বললেন, হে কন্যা! তোমাকে স্বাগতম। অতঃপর তিনি তাকে তাঁর ডান পাশে অথবা বাম পাশে বসালেন এবং চুপিসারে কিছু কথা বললেন। এতে ফাতিমা (রাঃ) কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। এরপর তিনি তাঁকে চুপিসারে আবার কিছু বললেন, এতে তিনি হাসলেন। আমি তাঁকে বললাম, কিসে তোমাকে কাঁদাল? তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোপন কথা প্রকাশ করতে পারি না। আমি বললাম, আমি আজকের ন্যায় কোন আনন্দকে বেদনার এতো কাছাকাছি দেখিনি। আমি বললাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বাদ দিয়ে তোমাকে তাঁর কথা বলার জন্য বিশেষত্ব দান করলেন। আর তুমি কাঁদছ? পুনরায় তাকে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী বলেছেন, তা প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোপন কথা ফাঁস করতে পারি না। পরিশেষে যখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওফাত হলেন তখন আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম। তখন তিনি বললেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছিলেন, “জিব্রীল (‘আঃ) প্রতি বছর একবার তাঁর সাথে কুরআন তিলওয়াত করতেন। আর এ বছর তিনি তাঁর সাথে দু’বার পুনরাবৃত্তি করেছেন। এতে আমার ধারণা হয় নিশ্চয় মৃত্যু আমার সন্নিকটে। আর তুমিই আমার পরিবার পরিজনদের মধ্যে সর্বপ্রথম আমার সাথে মিলিত হবে। তোমার জন্য কতই না ইত্তম অগ্রগামী। যখন আমি কেঁদেছি। তারপর তিমি আমাকে চুপিসারে বললেন, তুমি মু’মিনা নারীদের প্রধান কিংবা এ উম্মাতের নারীদের নেত্রী হবে তা কি পছন্দ করো না? এ কথা শুনে আমি হেসেছি।” (ই. ফা. ৬০৯২, ই. সে. ৬১৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অধ্যায়ঃ

উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২০৯

حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْقَيْسِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ الْمُعْتَمِرِ، – قَالَ ابْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، – قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ لاَ تَكُونَنَّ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَوَّلَ مَنْ يَدْخُلُ السُّوقَ وَلاَ آخِرَ مَنْ يَخْرُجُ مِنْهَا فَإِنَّهَا مَعْرَكَةُ الشَّيْطَانِ وَبِهَا يَنْصِبُ رَايَتَهُ ‏.‏ قَالَ وَأُنْبِئْتُ أَنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَتَى نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ أُمُّ سَلَمَةَ – قَالَ – فَجَعَلَ يَتَحَدَّثُ ثُمَّ قَامَ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأُمِّ سَلَمَةَ ‏ “‏ مَنْ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ قَالَتْ هَذَا دِحْيَةُ – قَالَ – فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ايْمُ اللَّهِ مَا حَسِبْتُهُ إِلاَّ إِيَّاهُ حَتَّى سَمِعْتُ خُطْبَةَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُخْبِرُ خَبَرَنَا أَوْ كَمَا قَالَ قَالَ فَقُلْتُ لأَبِي عُثْمَانَ مِمَّنْ سَمِعْتَ هَذَا قَالَ مِنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ‏.‏

সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমার পক্ষে যদি সম্ভব হয় তবে বাজারে প্রবেশকারীদের মাঝে তুমি প্রথম হয়ো না এবং সেখান থেকে বহির্গমনকারীদের মাঝে তুমি শেষ লোক হয়ে না। কেননা বাজার হলো শাইতানের আড্ডাখানা। আর সেখানেই সে তার ঝান্ডা উঁচু করে রাখে।

সালমান (রাঃ) বলেন, আমাকে এ সংবাদও দেয়া হয়েছে যে, জিব্রীল (‘আঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন। তখন তাঁর পাশে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) ছিলেন। জিব্রীল (‘আঃ) কথা বলতে লাগলেন এবং পরে চলে গেলেন। তারপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু সালামাকে প্রশ্ন করলেন, ইনি কে ছিলেন? বা এমন কথা বললেন। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) জবাব দিলেন, ইনি দিহয়াহ্ কালবী (রাঃ)। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে দিহয়াহ্ কালবী বলেই মনে করেছিলাম। যে পর্যন্ত না রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বক্তৃতা শুনলাম। তিনি আমাদের কথা বলছিলেন, কিংবা এম বলছিলেন। অর্থাৎ- জিব্রীল প্রবেশের বিররণ দিচ্ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাবী আবূ উসামাকে প্রশ্ন করলাম যে, আপনি এ হাদীস কার থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে। (ই. ফা. ৬০৯৩, ই. সে. ৬১৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭. অধ্যায়ঃ

উম্মুল মু’মিনীন যাইনাব (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২১০

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى السِّيْنَانِيُّ، أَخْبَرَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَسْرَعُكُنَّ لَحَاقًا بِي أَطْوَلُكُنَّ يَدًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَكُنَّ يَتَطَاوَلْنَ أَيَّتُهُنَّ أَطْوَلُ يَدًا ‏.‏ قَالَتْ فَكَانَتْ أَطْوَلَنَا يَدًا زَيْنَبُ لأَنَّهَا كَانَتْ تَعْمَلُ بِيَدِهَا وَتَصَدَّقُ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মাঝে সর্বপ্রথম সেই-আমার সঙ্গে দেখা হবে যার হাত অধিক লম্বা। অতএব সব স্ত্রীরা নিজ নিজ হাত মেপে দেখতে লাগলেন কার হাত অধিক লম্বা।

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, পরিশেষে আমাদের মাঝে যাইনাবের হাতই সবচেয়ে লম্বা বলে ঠিক হলো। কেননা, তিনি হাত দ্বারা কাজ করতেন এবং দান করতেন। (ই. ফা. ৬০৯৪, ই. সে. ৬১৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮. অধ্যায়ঃ

উম্মুল মু’মিনীন উম্মু আইমান (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২১১

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ انْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أُمِّ أَيْمَنَ فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ فَنَاوَلَتْهُ إِنَاءً فِيهِ شَرَابٌ – قَالَ – فَلاَ أَدْرِي أَصَادَفَتْهُ صَائِمًا أَوْ لَمْ يُرِدْهُ فَجَعَلَتْ تَصْخَبُ عَلَيْهِ وَتَذَمَّرُ عَلَيْهِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু আইমানের নিকট গেলেন। আমিও তাঁর সাথে গেলাম। তিনি তাঁর দিকে একটি শরবতের পাত্র এগয়ে দিলেন। আমি জানি না যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিয়াম পালন করছিলেন, না এমনিতেই তা ফিরিয়ে দিলেন। উম্মু আইমান (রাঃ) এতে চীৎকার শুরু করে উঠলেন এবং তাঁর (সাঃ-এর) উপর (শরবত পানে) চাপ দিতে লাগলেন। (ই. ফা. ৬০৯৫, ই. সে. ৬১৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১২

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ الْكِلاَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِعُمَرَ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى أُمِّ أَيْمَنَ نَزُورُهَا كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَزُورُهَا ‏.‏ فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهَا بَكَتْ فَقَالاَ لَهَا مَا يُبْكِيكِ مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لِرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَتْ مَا أَبْكِي أَنْ لاَ أَكُونَ أَعْلَمُ أَنَّ مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لِرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَلَكِنْ أَبْكِي أَنَّ الْوَحْىَ قَدِ انْقَطَعَ مِنَ السَّمَاءِ ‏.‏ فَهَيَّجَتْهُمَا عَلَى الْبُكَاءِ فَجَعَلاَ يَبْكِيَانِ مَعَهَا ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তিকালের পর আবূ বকর (রাঃ) ‘উমার (রাঃ)-কে বললেন, চলো উম্মু আইমানের নিকট যাই, তাঁর সাথে দেখা করতে যাবো, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথে দেখা করতেন। যখন আমরা তাঁর নিকট গেলাম, তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন। তাঁরা উভয়ে বললেন, তুমি কাঁদছ কনে? আল্লাহ তা‘আলার নিকট যা কিছু আছে তা তাঁর রসূলের জন্য সর্বাধিক উত্তম। উম্মু আইমান (রাঃ) বললেন, এজন্য আমি কাঁদছি না যে, আমি জানি না আল্লাহর কাছে যা কিছু আছে, তা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য উত্তম বরং এজন্য আমি কাঁদছি যে, আকাশ হতে ওয়াহী আসা বন্ধ হয়ে গেল। উম্মু আইমানের এ কথা তাঁদেরকে কান্নাপ্লুত করে তুলল। অতএব তাঁরাও তাঁর সঙ্গে কাঁদতে শুরু করলেন। (ই. ফা. ৬০৯৬, ই. সে. ৬১৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯. অধ্যায়ঃ

আনাস ইবনু মালিকের মা উম্মু সুলায়ম এবং বিলাল (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২১৩

حَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَدْخُلُ عَلَى أَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ عَلَى أَزْوَاجِهِ إِلاَّ أُمِّ سُلَيْمٍ فَإِنَّهُ كَانَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ ‏ “‏ إِنِّي أَرْحَمُهَا قُتِلَ أَخُوهَا مَعِي ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপন স্ত্রীদের ব্যতীত অন্য কোন নারীর গৃহে ঢুকতেন না। কিন্তু উম্মু সালায়মের নিকট যেতেন। লোকেরা এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, এর উপর আমার বড় মায়া হয়। আমার সাথে থেকে তাঁর ভাই নিহত (শাহীদ) হয়েছে। (ই. ফা. ৬০৯৭, ই. সে. ৬১৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১৪

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ السَّرِيِّ – حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ فَسَمِعْتُ خَشْفَةً فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوا هَذِهِ الْغُمَيْصَاءُ بِنْتُ مِلْحَانَ أُمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম, সেখানে আমি কারও চলার আওয়াজ পেলাম। আমি প্রশ্ন করলাম, কে? লোকেরা বলল, তিনি আনাস ইবনু মালিকের মাতা গুমাইসা বিনতু মিলহান (রাঃ)।

(ই. ফা. ৬০৯৮, ই. সে. ৬১৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১৫

حَدَّثَنِي أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ، بْنُ أَبِي سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أُرِيتُ الْجَنَّةَ فَرَأَيْتُ امْرَأَةَ أَبِي طَلْحَةَ ثُمَّ سَمِعْتُ خَشْخَشَةً أَمَامِي فَإِذَا بِلاَلٌ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমাকে জান্নাত দেখানো হয়েছে যে, আমি আবূ তালাহার সহধর্মিণীকে দেখলাম। তারপর আমার সম্মুখে পদধ্বনি শুনতে পেলাম, লক্ষ্য করে দেখি তিনি বিলাল।

(ই. ফা. ৬০৯৯, ই. সে. ৬১৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০. অধ্যায়ঃ

আবূ তালহা আনসারী (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২১৬

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَاتَ ابْنٌ لأَبِي طَلْحَةَ مِنْ أُمِّ سُلَيْمٍ فَقَالَتْ لأَهْلِهَا لاَ تُحَدِّثُوا أَبَا طَلْحَةَ بِابْنِهِ حَتَّى أَكُونَ أَنَا أُحَدِّثُهُ – قَالَ – فَجَاءَ فَقَرَّبَتْ إِلَيْهِ عَشَاءً فَأَكَلَ وَشَرِبَ – فَقَالَ – ثُمَّ تَصَنَّعَتْ لَهُ أَحْسَنَ مَا كَانَ تَصَنَّعُ قَبْلَ ذَلِكَ فَوَقَعَ بِهَا فَلَمَّا رَأَتْ أَنَّهُ قَدْ شَبِعَ وَأَصَابَ مِنْهَا قَالَتْ يَا أَبَا طَلْحَةَ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ قَوْمًا أَعَارُوا عَارِيَتَهُمْ أَهْلَ بَيْتٍ فَطَلَبُوا عَارِيَتَهُمْ أَلَهُمْ أَنْ يَمْنَعُوهُمْ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَتْ فَاحْتَسِبِ ابْنَكَ ‏.‏ قَالَ فَغَضِبَ وَقَالَ تَرَكْتِنِي حَتَّى تَلَطَّخْتُ ثُمَّ أَخْبَرْتِنِي بِابْنِي ‏.‏ فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ بِمَا كَانَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ بَارَكَ اللَّهُ لَكُمَا فِي غَابِرِ لَيْلَتِكُمَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَحَمَلَتْ – قَالَ – فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ وَهِيَ مَعَهُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَى الْمَدِينَةَ مِنْ سَفَرٍ لاَ يَطْرُقُهَا طُرُوقًا فَدَنَوْا مِنَ الْمَدِينَةِ فَضَرَبَهَا الْمَخَاضُ فَاحْتُبِسَ عَلَيْهَا أَبُو طَلْحَةَ وَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – يَقُولُ أَبُو طَلْحَةَ إِنَّكَ لَتَعْلَمُ يَا رَبِّ إِنَّهُ يُعْجِبُنِي أَنْ أَخْرُجَ مَعَ رَسُولِكَ إِذَا خَرَجَ وَأَدْخُلَ مَعَهُ إِذَا دَخَلَ وَقَدِ احْتُبِسْتُ بِمَا تَرَى – قَالَ – تَقُولُ أُمُّ سُلَيْمٍ يَا أَبَا طَلْحَةَ مَا أَجِدُ الَّذِي كُنْتُ أَجِدُ انْطَلِقْ ‏.‏ فَانْطَلَقْنَا – قَالَ – وَضَرَبَهَا الْمَخَاضُ حِينَ قَدِمَا فَوَلَدَتْ غُلاَمًا فَقَالَتْ لِي أُمِّي يَا أَنَسُ لاَ يُرْضِعُهُ أَحَدٌ حَتَّى تَغْدُوَ بِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَلَمَّا أَصْبَحَ احْتَمَلْتُهُ فَانْطَلَقْتُ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَصَادَفْتُهُ وَمَعَهُ مِيسَمٌ فَلَمَّا رَآنِي قَالَ ‏”‏ لَعَلَّ أُمَّ سُلَيْمٍ وَلَدَتْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَوَضَعَ الْمِيسَمَ – قَالَ – وَجِئْتُ بِهِ فَوَضَعْتُهُ فِي حَجْرِهِ وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَجْوَةٍ مِنْ عَجْوَةِ الْمَدِينَةِ فَلاَكَهَا فِي فِيهِ حَتَّى ذَابَتْ ثُمَّ قَذَفَهَا فِي فِي الصَّبِيِّ فَجَعَلَ الصَّبِيُّ يَتَلَمَّظُهَا – قَالَ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ انْظُرُوا إِلَى حُبِّ الأَنْصَارِ التَّمْرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَسَحَ وَجْهَهُ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ তালহার ঔরসজাত উম্মু সুলায়মের একটি ছেলে মৃত্যুবরণ করলো। তখন উম্মু সুলায়ম (রাঃ) তার পরিবার-পরিজনের ব্যক্তিদের বলল, আবূ তালহাকে তাঁর পুত্রের সংবাদ দিও না, যতক্ষণ আমি না বলি। আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ) আসলেন। উম্মু সুলায়ম (রাঃ) রাতের খানা সম্মুখে নিয়ে আসলে তিনি খাবার খেলেন। এরপর উম্মু সুলায়ম আগের চাইতে ভাল মতো সাজগোজ করলেন। আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিলিত হলেন। যখন উম্মু সুলায়ম (রাঃ) দেখলেন যে, তিনি মিলনে পরিতৃপ্ত। তখন তাঁকে বললেন, হে আবূ তাল্হাহ্! কেউ যদি কারো কোন জিনিস রাখতে দেয়, তারপর তা নিয়ে নেয় তবে কি সে তা ফিরাতে পারে? আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ) বললেন, না। উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, তাহলে তোমার ছেলের ব্যাপারে মনে করো (আল্লাহ তাকে নিয়ে নিয়েছেন)। আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ) রেগে গিয়ে বললেন, তুমি আমাকে আগে বলোনি, এখন আমি অপবিত্র, এখন ছেলের সংবাদটা দিলে। অতঃপর তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে ছেলের যা ঘটেছে সব জানালেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমাদের গত রাতটিতে আল্লাহ তা‘আলা বারাকাত দিন। উম্মু সুলায়ম গর্ভবতী হলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সফরে ছিলেন, উম্মু সুলায়মও এ সফরে তাঁর সাথে ছিলেন। রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন সফর হতে প্রত্যাবর্তন করতেন তখন রাতের বেলা মাদীনায় ঢুকতেন না। যখন লোকেরা মাদীনার কাছাকাছি পৌঁছলো তখন উম্মু সুলায়মের প্রসব বেদনা আরম্ভ হলো। আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ) তাঁর নিকট থেকে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলে গেলেন। আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ) বললেন, হে প্রতিপালক! তুমি তো জানো যে, আমার ভাল লাগে তোমার রসূলের সঙ্গে বের হতে যখন তিনি বের হন এবং তাঁর সাথে প্রবেশ করতো যখন তিনি প্রবেশ করেন। কিন্তু তুমি জানো, কেন আমি থেমে গেছি। উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, হে আবূ তাল্হাহ্! আগের মতো যাতনা আমার নেই। চলুন আমরা চলে যাই। স্বামী-স্ত্রী মাদীনায় পৌঁছলে উম্মু সুলায়মের ব্যথা আবার আরম্ভ হলো। আর তিনি একটি শিশু ছেলে প্রসব করলেন। আমার মা বললেন, হে আনাস! শিশুটিকে যেন কেউ দুধ না খাওয়ায়, যতক্ষণ তুমি তাঁকে ভোরবেলা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে না যাও। সকাল হলে আমি সন্তানটিকে নিয়ে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলাম। আমি লক্ষ্য করলাম, তাঁর হাতে উট দাগানোর যন্ত্র। আমাকে যখন তিনি দেখলেন, বললেন, হয়তো উম্মু সুলায়ম এ পুত্রটি প্রসব করেছে। আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি সে যন্ত্রটি হাত থেকে রেখে দিলেন। আমি শিশুটিকে নিয়ে তাঁর কোলে রাখলাম। তিনি মাদীনার ‘আজ্ওয়া’ খেজুর আনালেন এবং নিজের মুখে দিয়ে চিবুলেন। যখন খেজুর গলে গেল, তখন শিশুটির মুখে দিলেন। শিশুটি তা চুষতে লাগল। আনাস (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, দেখো আনসারদের খেজুর-প্রীতি! অবশেষে তিনি শিশুর মুখে হাত বুলিয়ে তার নাম ‘আবদুল্লাহ’ রাখলেন। (ই. ফা. ৬১০০, ই. সে. ৬১৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ خِرَاشٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ، الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ مَاتَ ابْنٌ لأَبِي طَلْحَةَ ‏.‏ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ তাল্হার একটি পুত্র মৃত্যুবরণ করল . . . –এর পরের অংশ উপরোল্লিখিত হাদীসের অবিকল। (ই. ফা. ৬১০১, ই. সে. ৬১৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১. অধ্যায়ঃ

বিলাল (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২১৮

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ يَعِيشَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِبِلاَلٍ عِنْدَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ ‏ “‏ يَا بِلاَلُ حَدِّثْنِي بِأَرْجَى عَمَلٍ عَمِلْتَهُ عِنْدَكَ فِي الإِسْلاَمِ مَنْفَعَةً فَإِنِّي سَمِعْتُ اللَّيْلَةَ خَشْفَ نَعْلَيْكَ بَيْنَ يَدَىَّ فِي الْجَنَّةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ بِلاَلٌ مَا عَمِلْتُ عَمَلاً فِي الإِسْلاَمِ أَرْجَى عِنْدِي مَنْفَعَةً مِنْ أَنِّي لاَ أَتَطَهَّرُ طُهُورًا تَامًّا فِي سَاعَةٍ مِنْ لَيْلٍ وَلاَ نَهَارٍ إِلاَّ صَلَّيْتُ بِذَلِكَ الطُّهُورِ مَا كَتَبَ اللَّهُ لِي أَنْ أُصَلِّيَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোরের সলাতের সময় বিলাল (রাঃ)-কে বললেন, হে বিলাল! তুমি আমাকে বলো, ইসলামের মধ্যে তুমি এমন কোন ‘আমাল করেছো যার উপকারের বিষয়ে তোমার অধিক প্রত্যাশা। কারণ, আজ রাতে আমি জান্নাতে আমার সম্মুখে তোমার জুতার শব্দ শুনেছি। রাবী বলেন, বিলাল বললেন, ইসলামের মাঝে এর চেয়ে অধিক লাভের প্রত্যাশা আমি অন্য কোন ‘আমালে করতে পারি না যে, আমি দিনে বা রাতে যখনই পূর্ণ অযূ করি তখনই আল্লাহ তা‘আলা আমার ভাগ্যে যতক্ষণ লিখেছেন ততক্ষণ ঐ ওযূ দিয়ে সলাত আদায় করে থাকি।

(ই. ফা. ৬১০২, ই. সে. ৬১৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২২. অধ্যায়ঃ

আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) ও তাঁর মাতার ফযিলত

৬২১৯

حَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ التَّمِيمِيُّ، وَسَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ، زُرَارَةَ الْحَضْرَمِيُّ وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ وَالْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ قَالَ سَهْلٌ وَمِنْجَابٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، الآخَرُونَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا‏}‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قِيلَ لِي أَنْتَ مِنْهُمْ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যখন এ আয়াত নাযিল হলো: “যারা ঈমান এনেছে এবং নেক ‘আমাল করেছে তাদের খাদ্য বস্তুর মধ্যে কোন অসুবিধা নেই, যখন তারা আল্লাহকে ভয় করে এবং মু’মিন হয়” . . . (সূরাহ্ আল মায়িদাহ্ ৫:৯৩) শেষ পর্যন্ত, তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, “আমাকে বলা হয়েছে যে, তুমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত।” (ই. ফা. ৬১০৩, ই. সে. ৬১৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২০

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَدِمْتُ أَنَا وَأَخِي، مِنَ الْيَمَنِ فَكُنَّا حِينًا وَمَا نُرَى ابْنَ مَسْعُودٍ وَأُمَّهُ إِلاَّ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ كَثْرَةِ دُخُولِهِمْ وَلُزُومِهِمْ لَهُ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার ভাই ইয়ামান হতে আসলাম। আমরা অনেকদিন পর্যন্ত ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) ও তাঁর মাকে রসূল-পরিবারেরই লোক বলে ভেবেছি। কারণ তাঁরা রসূলের নিকট ঘন ঘন যাতায়াত করতেন এবং তাঁর কাছে অবস্থান করতেন। (ই. ফা. ৬১০৪, ই. সে. ৬১৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২১

حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، أَنَّهُ سَمِعَ الأَسْوَدَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى، يَقُولُ لَقَدْ قَدِمْتُ أَنَا وَأَخِي، مِنَ الْيَمَنِ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার ভাই ইয়ামান হতে পদার্পণ করি . . . অবশিষ্টাংশ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

 

(ই. ফা. ৬১০৪, ই. সে. ৬১৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২২

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أُرَى أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ ‏.‏ أَوْ مَا ذَكَرَ مِنْ نَحْوِ هَذَا ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলাম, আমার মনে হচ্ছিল যে, ‘আবদুল্লাহ তাঁরই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, কিংবা তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

(ই. ফা. ৬১০৫, ই. সে. ৬১৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الأَحْوَصِ، قَالَ شَهِدْتُ أَبَا مُوسَى وَأَبَا مَسْعُودٍ حِينَ مَاتَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ أَتُرَاهُ تَرَكَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ فَقَالَ إِنْ قُلْتَ ذَاكَ إِنْ كَانَ لَيُؤْذَنُ لَهُ إِذَا حُجِبْنَا وَيَشْهَدُ إِذَا غِبْنَا ‏.‏

আবুল আহ্ওয়াস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু মাস’উদের ইন্তিকালের সময় আমি আবূ মাস’উদ ও আবূ মূসার কাছে ছিলাম। তাঁরা একজন অপরজনকে বললেন, কি মনে হয়, তাঁর মতো আর কাউকে কি ছেড়ে গেছেন? অন্যজন বললেন, তুমি এ কথা বলছো, তার অবস্থায়ই এমন ছিল যে, যখন আমাদের বাধা দেয়া হতো তখনও তাকে অনুমতি দেয়া হতো; আমরা উপস্থিত থাকতাম না আর সে উপস্থিত থাকতো। (ই. ফা. ৬১০৬, ই. সে. ৬১৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২৪

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا قُطْبَةُ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، قَالَ كُنَّا فِي دَارِ أَبِي مُوسَى مَعَ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ وَهُمْ يَنْظُرُونَ فِي مُصْحَفٍ فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ أَبُو مَسْعُودٍ مَا أَعْلَمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرَكَ بَعْدَهُ أَعْلَمَ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنْ هَذَا الْقَائِمِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو مُوسَى أَمَا لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ لَقَدْ كَانَ يَشْهَدُ إِذَا غِبْنَا وَيُؤْذَنُ لَهُ إِذَا حُجِبْنَا ‏.‏

আবুল আহ্ওয়াস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ কতিপয় সহাবীর সাথে তাঁরা একটি কুরআন মাযীদ দেখছিলেন। ‘আবদুল্লাহ উঠে দাঁড়ালেরন। তখন আবূ মাস‘উদ বললেন, আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাব সম্বন্ধে দণ্ডায়মান লোকের চেয়ে অধিক পরিজ্ঞাত কোন লোক রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেখে গেছেন বলে আমি জানি না। আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, যদি আপনি এ কথা বলেন, তবে তার কারণ তাঁর অবস্থা এই ছিল যে, আমরা যখন উপস্থিত থাকতাম না তখন সে থাকতো উপস্থিত, আর যখন আমাদের বাধা দেয়া হতো, তখন তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হতো।

(ই. ফা. ৬১০৭, ই. সে. ৬১৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২৫

وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – هُوَ ابْنُ مُوسَى – عَنْ شَيْبَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا مُوسَى فَوَجَدْتُ عَبْدَ اللَّهِ وَأَبَا مُوسَى ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدَةَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ حُذَيْفَةَ وَأَبِي مُوسَى وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَحَدِيثُ قُطْبَةَ أَتَمُّ وَأَكْثَرُ ‏.‏

যায়দ ইবনু ওয়াহ্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হুযাইফাহ্ ও আবূ মূসার সাথে উপবিষ্ট ছিলাম। তারপর হাদীসের অবশিষ্টাংশ রিওয়ায়াত করেছেন এং কুত্বাহ্ বর্ণিত হাদীস পরিপূর্ণ ও বেশি আস্থাশীল।

(ই. ফা. ৬১০৮, ই. সে. ৬১৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২৬

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ قَالَ ‏{‏ وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ‏}‏ ثُمَّ قَالَ عَلَى قِرَاءَةِ مَنْ تَأْمُرُونِي أَنْ أَقْرَأَ فَلَقَدْ قَرَأْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِضْعًا وَسَبْعِينَ سُورَةً وَلَقَدْ عَلِمَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي أَعْلَمُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَلَوْ أَعْلَمُ أَنَّ أَحَدًا أَعْلَمُ مِنِّي لَرَحَلْتُ إِلَيْهِ ‏.‏ قَالَ شَقِيقٌ فَجَلَسْتُ فِي حَلَقِ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَمَا سَمِعْتُ أَحَدًا يَرُدُّ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَلاَ يَعِيبُهُ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “আর যে লোক কোন কিছু আত্মসাৎ করবে কিয়ামাতের দিন তা নিয়ে সে উপস্থিত হবে”- (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩:১৬১)। তারপর বললেন, তোমরা আমাকে কার মতো তিলাওয়াতের কথা বলো? আমি তো রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মুখে সত্তরের ঊর্ধ্বে সূরা তিলাওয়াত করেছি। আর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবাগণ জানেন যে, আমি তাঁদের মাঝে কুরআন সম্বন্ধে সর্বাধিক জানি। যদি আমি জানতাম যে, আর কেউ আমার তুলনায় অধিক কুরআন জানে তবে আমি তাঁর দিকে উটে সওয়ার হয়ে তার কাছে যেতাম।

শাকীক (রহঃ) বলেন, আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের একাধিক বৈঠকে বসেছি। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদের এ কথাকে বাতিল করতে কাউকে শুনিনি এবং তাঁর উপর দোষারোপ করতেও শুনিনি।

(ই. ফা. ৬১০৯, ই. সে. ৬১৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২৭

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا قُطْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ وَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ مَا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ سُورَةٌ إِلاَّ أَنَا أَعْلَمُ حَيْثُ نَزَلَتْ وَمَا مِنْ آيَةٍ إِلاَّ أَنَا أَعْلَمُ فِيمَا أُنْزِلَتْ وَلَوْ أَعْلَمُ أَحَدًا هُوَ أَعْلَمُ بِكِتَابِ اللَّهِ مِنِّي تَبْلُغُهُ الإِبِلُ لَرَكِبْتُ إِلَيْهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই তাঁর কসম! আল্লাহর কিতাবে এমন কোন সূরা নেই যা নাযিল হওয়ার জায়গার ব্যাপারে আমি না জানি, এরূপ কোন আয়াত নেই যার নাযিল হওয়ার স্পষ্ট কারণ আমার অজানা। যদি আমি এমন কোন লোককে জানতাম যিনি আমার তুলনায় অধিক কুরআন জানেন এবং তাঁর নিকট উট যেতে পারে, তবে আমি তার নিকট যাওয়ার জন্য উটে আরোহণ করতাম।

(ই. ফা. ৬১১০, ই. সে. ৬১৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنَّا نَأْتِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو فَنَتَحَدَّثُ إِلَيْهِ – وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ عِنْدَهُ – فَذَكَرْنَا يَوْمًا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ لَقَدْ ذَكَرْتُمْ رَجُلاً لاَ أَزَالُ أُحِبُّهُ بَعْدَ شَىْءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ خُذُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ – فَبَدَأَ بِهِ – وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ ‏”‏ ‏.‏

মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘অমরের নিকট গিয়ে তাঁর সাথে কথোপকথন করতাম। একদা আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদের বর্ণনা করলাম, তিনি বললেন, তোমরা এরূপ এক লোকের বর্ণনা করেছো, যাঁকে অত্র হাদীস শুনার পর হতে আমি ভালবেসে আসছি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি, তোমরা চারজনের নিকট কুরআন শিখ। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ, মু‘আয ইবনু জাবাল, উবাই ইবনু কা‘ব ও আবূ হুযাইফাহ্র ক্রীতদাস সালিমের নিকট হতে। এখানে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বপ্রথম ‘আবদুল্লাহ্‌র নাম বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৬১১১, ই. সে. ৬১৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২২৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالُوا حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو فَذَكَرْنَا حَدِيثًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، فَقَالَ إِنَّ ذَاكَ الرَّجُلَ لاَ أَزَالُ أُحِبُّهُ بَعْدَ شَىْءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهُ سَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ “‏ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ مِنِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ – فَبَدَأَ بِهِ – وَمِنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَمِنْ سَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَمِنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ‏”‏ ‏.‏ وَحَرْفٌ لَمْ يَذْكُرْهُ زُهَيْرٌ قَوْلُهُ يَقُولُهُ ‏.‏

. মাসরূক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। তখন আমরা ইবনু মাস‘উদ (রাঃ)-এর একটি হাদীসের বর্ণনা করি। এমন সময় ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) বললেন, তিনি ঐ লোক যাকে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি কথা শুনার পর হতে ভালবেসে আসছি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তোমরা চার লোকের নিকট থেকে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ কর। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ, তাঁর নামই প্রথমে বললেন এবং উবাই ইবনু কা‘ব, সালিম আবূ হুযাইফাহ্র ক্রীতদাস ও মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)।

যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ)–এর বর্ণনায় ………. শব্দটি উল্লেখ নেই। (ই. ফা. ৬১১২, ই. সে. ৬১৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৩০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِ جَرِيرٍ وَوَكِيعٍ فِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، قَدَّمَ مُعَاذًا قَبْلَ أُبَىٍّ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ أُبَىٌّ قَبْلَ مُعَاذٍ ‏.‏

আ‘মাশ (রাঃ) থেকে জারীর ও ওয়াকী’র সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

আবূ মু‘আবিয়াহ্ হতে আবূ বকর (রাঃ)-এর বর্ণিত সূত্রে মু‘আয ইবনু জাবালকে উবাইয়ের আগে এনেছে। আর আবূ কুরায়বের বর্ণনায় উবাই এর নাম মু‘আয (রাঃ)-এর নামের আগে এসেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৩১

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ، خَالِدٍ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِهِمْ وَاخْتَلَفَا عَنْ شُعْبَةَ، فِي تَنْسِيقِ الأَرْبَعَةِ ‏.‏

আ‘মাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাদের সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন, তবে তাঁদের মাঝে শু’বার সূত্রে চার (সাহাবার) নামের ক্রমধারায় পার্থক্য রয়েছে। (ই. ফা. ৬১১৪, ই. সে. ৬১৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৩২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ ذَكَرُوا ابْنَ مَسْعُودٍ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو فَقَالَ ذَاكَ رَجُلٌ لاَ أَزَالُ أُحِبُّهُ بَعْدَ مَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ اسْتَقْرِئُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ‏”‏ ‏.‏

মাসরুক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, তাঁরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ)-এর সম্মুখে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদের কথা উল্লেখ করলে তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ কথা শুনার পর হতে আমি ঐ ব্যক্তিটিকে ভালবেসে আসছি, “চারজনের নিকট হতে তোমরা কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করো- ইবনু মাস‘ঊদ, আবূ হুযাইফার আযাদকৃত গোলাম সালিম, উবাই ইবনু কা’ব ও মু’আজ ইবনু জাবাল (রাঃ)।” (ই. ফা. ৬১১৫, ই. সে. ৬১৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৩৩

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ قَالَ شُعْبَةُ بَدَأَ بِهَذَيْنِ لاَ أَدْرِي بِأَيِّهِمَا بَدَأَ ‏.‏

‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মু‘আয (রহঃ) তাঁর বাবা মু‘আয (রাঃ) হতে শু‘বাহ্ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সানাদে রিওয়ায়াত করেন। মু‘আয (রাঃ) বর্ধিত বলেছেন- “এ উভয়কে দিয়ে শুরু করেছে, কিন্তু প্রথমে কার নাম তা আমি জানি না”। (ই. ফা. ৬১১৬, ই. সে. ৬১৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩. অধ্যায়ঃ

উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) ও আনসারদের এক দলের ফযিলত

৬২৩৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ جَمَعَ الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَةٌ كُلُّهُمْ مِنَ الأَنْصَارِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَأَبُو زَيْدٍ ‏.‏ قَالَ قَتَادَةُ قُلْتُ لأَنَسٍ مَنْ أَبُو زَيْدٍ قَالَ أَحَدُ عُمُومَتِي ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগেই চারজন কুরআন সংকলন করেছেন। এর সকলেই আনসার। মু‘আয ইবনু জাবাল, উবাই ইবনু কা‘ব, যায়দ ইবনু সাবিত ও আবূ যায়দ (রাঃ)।

কাতাদাহ্ (রহঃ) বলেন, আমি আনাসকে প্রশ্ন করলাম, আবূ যায়দ কে? তিনি বললেন, আমার চাচাদের মাঝে একজন। (ই. ফা. ৬১১৭, ই. সে. ৬১৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৩৫

حَدَّثَنِي أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ مَعْبَدٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ مَنْ جَمَعَ الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَرْبَعَةٌ كُلُّهُمْ مِنَ الأَنْصَارِ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُكْنَى أَبَا زَيْدٍ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় কে কুরআন একত্রিত করেছিলেন? তিনি বললেন, চারজন, তাদের সকলেই আনসার। উবাই ইবনু কা‘ব, মু‘আয ইবনু জাবাল, যায়দ ইবনু সাবিত ও আনসারদের মাঝে একজন, তাঁর কুন্ইয়াত আবূ যায়দ (রাঃ)।

(ই. ফা. ৬১১৮, ই. সে. ৬১৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৩৬

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأُبَىٍّ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ آللَّهُ سَمَّانِي لَكَ قَالَ ‏”‏ اللَّهُ سَمَّاكَ لِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَجَعَلَ أُبَىٌّ يَبْكِي ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাইকে বললেন, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে আদেশ করেছেন তোমাকে (কুরআন) পড়ে শুনানোর জন্যে। উবাই (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তা‘আলা কি আপনার নিকট আমার নামোল্লেখ করে বলেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহই আমার নিকট তোমার নাম নিয়েছেন। তাতে উবাই (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন।

{দ্রষ্টব্য হাদীস ১৮৬৪} (ই. ফা. ৬১১৯, ই. সে. ৬১৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ ‏{‏ لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا‏}‏ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَسَمَّانِي قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَبَكَى ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-কে বললেনঃআল্লাহ তা‘আলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, তোমাকে “. . . …………………. (সূরা বাইয়্যিনাহ্)পড়ে শুনাবার জন্য। উবাই (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তা‘আলা কি আমার নাম উল্লেখ করেছেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। আনাস (রাঃ) বলেন, উবাই (রাঃ) তখন কেঁদে দিলেন। (ই. ফা. ৬১২০, ই. সে. ৬১৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৩৮

حَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأُبَىٍّ بِمِثْلِهِ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাসকে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উবাইকে হুবহু অনুরূপ কথা বলেছেন।

(ই. ফা. ৬১২০, ই. সে. ৬১৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪. অধ্যায়ঃ

সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৩৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَنَازَةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ ‏ “‏ اهْتَزَّ لَهَا عَرْشُ الرَّحْمَنِ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ)-এর জানাযাহ্ সম্মুখে রাখা হয়েছিল তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতার জন্যে দয়াময় আল্লাহর ‘আর্শ কেঁপে উঠেছে। (ই. ফা. ৬১২১, ই. সে. ৬১৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৪০

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ الأَوْدِيُّ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي، سُفْيَانُ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ اهْتَزَّ عَرْشُ الرَّحْمَنِ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: সা‘দ ইবনু মু‘আযের মৃত্যুতে মহান আল্লাহর ‘আর্শ কম্পন করে উঠেছে।

(ই. ফা. ৬১২২, ই. সে. ৬১৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৪১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرُّزِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ الْخَفَّافُ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَجِنَازَتُهُ مَوْضُوعَةٌ – يَعْنِي سَعْدًا – ‏ “‏ اهْتَزَّ لَهَا عَرْشُ الرَّحْمَنِ ‏”‏ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, সা‘দ বিন মু‘আযের জানাযাহ্ যখন রাখা হয়েছিল, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতাঁর জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর ‘আর্শ কেঁপে উঠেছে।

(ই. ফা. ৬১২৩, ই. সে. ৬১৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৪২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ أُهْدِيَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُلَّةُ حَرِيرٍ فَجَعَلَ أَصْحَابُهُ يَلْمُسُونَهَا وَيَعْجَبُونَ مِنْ لِينِهَا فَقَالَ ‏ “‏ أَتَعْجَبُونَ مِنْ لِينِ هَذِهِ لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنْهَا وَأَلْيَنُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ ইসহাক্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি বারা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এক জোড়া রেশমী পোশাক উপহার দেয়া হলো। তখন সাহাবারা তা ছুঁয়ে তার কোমলতায় বিস্ময়বোধ করতে লাগলেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমরা এর কোমলতায় অবাক হচ্ছো? জান্নাতের মাঝে সা‘দ ইবনু মু‘আয-এর রুমালগুলো হবে এর তুলনায় অধিক উত্তম ও নরম। (ই. ফা. ৬১২৪, ই. সে. ৬১৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৪৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَنْبَأَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِثَوْبِ حَرِيرٍ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنِي قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ هَذَا أَوْ بِمِثْلِهِ ‏.‏

বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রেশমী কাপড় দেয়া হলো . . . তারপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেন। ইবনু ‘আব্দাহ্ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেন। (ই. ফা. ৬১২৫, ই. সে. ৬১৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৪৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ، حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِالإِسْنَادَيْنِ جَمِيعًا كَرِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ ‏.‏

শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ দু’টো সূত্রেই আবূ দাউদের ন্যায় রিওয়ায়াত করেন। (ই. ফা. ৬১২৬, ই. সে. ৬১৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৪৫

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّهُ أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جُبَّةٌ مِنْ سُنْدُسٍ وَكَانَ يَنْهَى عَنِ الْحَرِيرِ فَعَجِبَ النَّاسُ مِنْهَا فَقَالَ ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّ مَنَادِيلَ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي الْجَنَّةِ أَحْسَنُ مِنْ هَذَا ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিহি রেশমের একটি জুব্বা উপহার দেয়া হলো। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশম পরিধান করতে বারণ করতেন। তখন লোকেরা তাতে বিস্ময়বোধ করলো! অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃঐ সত্তার শপথ! যাঁর হাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রাণ রয়েছে। নিঃসন্দেহে জান্নাতে সা’দ ইবনু মু‘আযের রুমালগুলো এর তুলনায় অধিক উত্তম। (ই. ফা. ৬১২৭, ই. সে. ৬১৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৪৬

حَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أُكَيْدِرَ، دُومَةِ الْجَنْدَلِ أَهْدَى لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ حُلَّةً فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ وَكَانَ يَنْهَى عَنِ الْحَرِيرِ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

দাওয়াতুল জান্দালের বাদশাহ্ উকাইদির রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে একজোড়া বস্ত্র উপঢৌকন পাঠালেন . . . এরপর অনুরূপ রিওয়ায়াত করলেন। কিন্তু তাতে “তিনি রেশম পরিধান করতে বারণ করতেন” এ বক্তব্যটি উল্লেখ করেননি।

(ই. ফা. ৬১২৮, ই. সে. ৬১৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫. অধ্যায়ঃ

আবূ দুজানাহ্ সিমাক ইবনু খারাশাহ্ (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৪৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ سَيْفًا يَوْمَ أُحُدٍ فَقَالَ ‏”‏ مَنْ يَأْخُذُ مِنِّي هَذَا ‏”‏ ‏.‏ فَبَسَطُوا أَيْدِيَهُمْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ يَقُولُ أَنَا أَنَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَمَنْ يَأْخُذُهُ بِحَقِّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَحْجَمَ الْقَوْمُ فَقَالَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ أَبُو دُجَانَةَ أَنَا آخُذُهُ بِحَقِّهِ ‏.‏ قَالَ فَأَخَذَهُ فَفَلَقَ بِهِ هَامَ الْمُشْرِكِينَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদ যুদ্ধের দিন একটি তলোয়ার হাতে নিয়ে বললেন, এটা আমার কাছ থেকে কে নিবে? তখন তাঁদের উপস্থিত প্রত্যেকেই হাত বাড়িয়ে বলতে লাগল আমি নিব, আমি নিব। তিনি বললেন, আর এ তরবারির উপযুক্ত হক কে আদায় করতে পারবে? এ কথা শুনেই লোকেরা থমকে গেল। কিন্তু সিমাক ইবনু খারাশাহ্ আবূ দুজানাহ্ (রাঃ) বললেন, আমিই তার হক আদায় করতে পারব।

রাবী বলেন, অতঃপর তিনি তা নিয়েই মুশরিকদের মাথার খুলি টুকরো টুকরো করলেন।

(ই. ফা. ৬১২৯, ই. সে. ৬১৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬. অধ্যায়ঃ

জাবির (রাঃ)-এর বাবা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনু হারাম (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৪৮

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ الْمُنْكَدِرِ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ جِيءَ بِأَبِي مُسَجًّى وَقَدْ مُثِلَ بِهِ – قَالَ – فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْفَعَ الثَّوْبَ فَنَهَانِي قَوْمِي ثُمَّ أَرَدْتُ أَنْ أَرْفَعَ الثَّوْبَ فَنَهَانِي قَوْمِي فَرَفَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ أَمَرَ بِهِ فَرُفِعَ فَسَمِعَ صَوْتَ بَاكِيَةٍ أَوْ صَائِحَةٍ فَقَالَ ‏”‏ مَنْ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالُوا بِنْتُ عَمْرٍو أَوْ أُخْتُ عَمْرٍو فَقَالَ ‏”‏ وَلِمَ تَبْكِي فَمَا زَالَتِ الْمَلاَئِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رُفِعَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উহুদ যুদ্ধের দিন যখন আমার বাবাকে বস্ত্রে ঢেকে আনা হলো এমতাবস্থায় যে, অঙ্গচ্ছেদন করা (নাক-কান হাত-পা কেটে ফেলা) হয়েছে। আমি তার কাপড় সরাতে চাইলে লোকেরা আমায় বারণ করল। আমি আবারও কাপড় সরাতে চাইলে আমার সম্প্রদায় আমাকে বারণ করল। আমি আবারও কাপড় সরাতে চাইলে আমার সম্প্রদায় আমাকে বারণ করল। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই তার বস্ত্র সরালেন কিংবা তিনি সরানোর নির্দেশ দেয়ায় সরানো হলো। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন ক্রন্দসী নারীর শব্দ শুনে প্রশ্ন করলেন, ইনি কে? লোকেরা বলল, ‘অমরের মেয়ে কিংবা বলল, ‘অমরের বোন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতুমি কান্নাকাটি করছো কেন? অথচ ফেরেশ্তারা তাকে তুলে নেয়া পর্যন্ত পাখা মেলে ছায়া দিচ্ছিল। (ই. ফা. ৬১৩০, ই. সে. ৬১৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৪৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أُصِيبَ أَبِي يَوْمَ أُحُدٍ فَجَعَلْتُ أَكْشِفُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، وَأَبْكِي، وَجَعَلُوا يَنْهَوْنَنِي وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَنْهَانِي – قَالَ – وَجَعَلَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ عَمْرٍو تَبْكِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَبْكِيهِ أَوْ لاَ تَبْكِيهِ مَا زَالَتِ الْمَلاَئِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رَفَعْتُمُوهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমার বাবা উহুদের দিবস শহীদ হলেন, আমি তাঁর মুখায়ব হতে বস্ত্র তুলি আর কাঁদি। ব্যক্তিরা আমাকে নিষেধ করল। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বারণ করেননি। আর ‘অমরের মেয়ে ফাতিমাও তাঁর জন্য কান্নাকাটি করতে থাকলেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তুমি কাঁদো কিংবা নাই কাঁদো, ফেরেশতাগণ তাঁর উপর আপন পাখার ছায়া বিস্তার করে রেখেছিল, যতক্ষণ না তোমরা তাঁকে তুলে নিয়েছো।

 

(ই. ফা. ৬১৩১, ই. সে. ৬১৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৫০

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، ‏.‏ بِهَذَا الْحَدِيثِ غَيْرَ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، لَيْسَ فِي حَدِيثِهِ ذِكْرُ الْمَلاَئِكَةِ وَبُكَاءُ الْبَاكِيَةِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে জুরায়জের বর্ণনায় ফেরেশ্তা ও ক্রন্দনকারীর কান্নার বর্ণনা নেই। (ই. ফা. ৬১৩২, ই. সে. ৬১৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৫১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جِيءَ بِأَبِي يَوْمَ أُحُدٍ مُجَدَّعًا فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উহুদের দিবস আমার বাবাকে অঙ্গহানী অবস্থায় আনা হলো এবং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে রাখা হলো . . . তারপর তাদের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেন। (ই. ফা. ৬১৩৩, ই. সে. ৬১৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭. অধ্যায়ঃ

জুলাইবীব (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৫২

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَلِيطٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ كِنَانَةَ، بْنِ نُعَيْمٍ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي مَغْزًى لَهُ فَأَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَقَالَ لأَصْحَابِهِ ‏”‏ هَلْ تَفْقِدُونَ مِنْ أَحَدٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ فُلاَنًا وَفُلاَنًا وَفُلاَنًا ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَلْ تَفْقِدُونَ مِنْ أَحَدٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ فُلاَنًا وَفُلاَنًا وَفُلاَنًا ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَلْ تَفْقِدُونَ مِنْ أَحَدٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لَكِنِّي أَفْقِدُ جُلَيْبِيبًا فَاطْلُبُوهُ ‏”‏ ‏.‏ فَطُلِبَ فِي الْقَتْلَى فَوَجَدُوهُ إِلَى جَنْبِ سَبْعَةٍ قَدْ قَتَلَهُمْ ثُمَّ قَتَلُوهُ فَأَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَوَقَفَ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏”‏ قَتَلَ سَبْعَةً ثُمَّ قَتَلُوهُ هَذَا مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ هَذَا مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَوَضَعَهُ عَلَى سَاعِدَيْهِ لَيْسَ لَهُ إِلاَّ سَاعِدَا النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَحُفِرَ لَهُ وَوُضِعَ فِي قَبْرِهِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ غَسْلاً ‏.‏

আবূ বারযাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক জিহাদে ছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে গানীমাতের সম্পদ দান করলেন। তিনি তাঁর সহাবাদের বললেন, তোমাদের কেউ কি হারিয়ে যায়নি? লোকেরা বলল, হ্যাঁ, অমুক, অমুক ও অমুককে। তিনি বললেন, তোমরা কি কাউকে হারিয়েছ? লোকেরা বলল, হ্যাঁ, অমুক, অমুক এবং অমুককে। তিনি পুনরায় বললেন, তোমরা কি কাউকে হারিয়েছ? লোকেরা বলল, জিনা। তিনি বললেন, কিন্তু আমি জুলায়বীবকে হারিয়েছি। তোমরা তাঁকে সন্ধান করো। তখন তাঁকে নিহতদের মাঝে সন্ধান করা হলো। তারপর তারা সাতটা লাশের সামনে তাঁকে খুঁজে পেল। তিনি এ সাতজনকে মেরে ফেলেছিলেন। তারপর শত্রুরা তাঁকে মারে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকট আসলেন এবং ওখানে দন্ডায়মান অবস্থায় বললেন, সে সাতজনকে হত্যা করেছে; তারপর শত্রুরা তাঁকে মেরেছে। সে আমার আর আমিও তাঁর। সে আমার আর আমি তাঁর। অতঃপর তিনি তাঁকে দু’বাহুর উপর উঠিয়ে নিলেন। কেবল রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাহুই তাঁকে বহন করছিল। তাঁর কবর খনন করা হলো এবং তিনি তাঁকে তাঁর কবরে রেখে দিলেন। রাবী তাঁর গোসলের বর্ণনা করেননি। (ই. ফা. ৬১৩৪, ই. সে. ৬১৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮. অধ্যায়ঃ

আবূ যার (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৫৩

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ خَرَجْنَا مِنْ قَوْمِنَا غِفَارٍ وَكَانُوا يُحِلُّونَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ فَخَرَجْتُ أَنَا وَأَخِي أُنَيْسٌ وَأُمُّنَا فَنَزَلْنَا عَلَى خَالٍ لَنَا فَأَكْرَمَنَا خَالُنَا وَأَحْسَنَ إِلَيْنَا فَحَسَدَنَا قَوْمُهُ فَقَالُوا إِنَّكَ إِذَا خَرَجْتَ عَنْ أَهْلِكَ خَالَفَ إِلَيْهِمْ أُنَيْسٌ فَجَاءَ خَالُنَا فَنَثَا عَلَيْنَا الَّذِي قِيلَ لَهُ فَقُلْتُ لَهُ أَمَّا مَا مَضَى مِنْ مَعْرُوفِكَ فَقَدْ كَدَّرْتَهُ وَلاَ جِمَاعَ لَكَ فِيمَا بَعْدُ ‏.‏ فَقَرَّبْنَا صِرْمَتَنَا فَاحْتَمَلْنَا عَلَيْهَا وَتَغَطَّى خَالُنَا ثَوْبَهُ فَجَعَلَ يَبْكِي فَانْطَلَقْنَا حَتَّى نَزَلْنَا بِحَضْرَةِ مَكَّةَ فَنَافَرَ أُنَيْسٌ عَنْ صِرْمَتِنَا وَعَنْ مِثْلِهَا فَأَتَيَا الْكَاهِنَ فَخَيَّرَ أُنَيْسًا فَأَتَانَا أُنَيْسٌ بِصِرْمَتِنَا وَمِثْلِهَا مَعَهَا – قَالَ – وَقَدْ صَلَّيْتُ يَا ابْنَ أَخِي قَبْلَ أَنْ أَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثِ سِنِينَ ‏.‏ قُلْتُ لِمَنْ قَالَ لِلَّهِ ‏.‏ قُلْتُ فَأَيْنَ تَوَجَّهُ قَالَ أَتَوَجَّهُ حَيْثُ يُوَجِّهُنِي رَبِّي أُصَلِّي عِشَاءً حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ أُلْقِيتُ كَأَنِّي خِفَاءٌ حَتَّى تَعْلُوَنِي الشَّمْسُ ‏.‏ فَقَالَ أُنَيْسٌ إِنَّ لِي حَاجَةً بِمَكَّةَ فَاكْفِنِي ‏.‏ فَانْطَلَقَ أُنَيْسٌ حَتَّى أَتَى مَكَّةَ فَرَاثَ عَلَىَّ ثُمَّ جَاءَ فَقُلْتُ مَا صَنَعْتَ قَالَ لَقِيتُ رَجُلاً بِمَكَّةَ عَلَى دِينِكَ يَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ ‏.‏ قُلْتُ فَمَا يَقُولُ النَّاسُ قَالَ يَقُولُونَ شَاعِرٌ كَاهِنٌ سَاحِرٌ ‏.‏ وَكَانَ أُنَيْسٌ أَحَدَ الشُّعَرَاءِ ‏.‏ قَالَ أُنَيْسٌ لَقَدْ سَمِعْتُ قَوْلَ الْكَهَنَةِ فَمَا هُوَ بِقَوْلِهِمْ وَلَقَدْ وَضَعْتُ قَوْلَهُ عَلَى أَقْرَاءِ الشِّعْرِ فَمَا يَلْتَئِمُ عَلَى لِسَانِ أَحَدٍ بَعْدِي أَنَّهُ شِعْرٌ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَصَادِقٌ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَاكْفِنِي حَتَّى أَذْهَبَ فَأَنْظُرَ ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْتُ مَكَّةَ فَتَضَعَّفْتُ رَجُلاً مِنْهُمْ فَقُلْتُ أَيْنَ هَذَا الَّذِي تَدْعُونَهُ الصَّابِئَ فَأَشَارَ إِلَىَّ فَقَالَ الصَّابِئَ ‏.‏ فَمَالَ عَلَىَّ أَهْلُ الْوَادِي بِكُلِّ مَدَرَةٍ وَعَظْمٍ حَتَّى خَرَرْتُ مَغْشِيًّا عَلَىَّ – قَالَ – فَارْتَفَعْتُ حِينَ ارْتَفَعْتُ كَأَنِّي نُصُبٌ أَحْمَرُ – قَالَ – فَأَتَيْتُ زَمْزَمَ فَغَسَلْتُ عَنِّي الدِّمَاءَ وَشَرِبْتُ مِنْ مَائِهَا وَلَقَدْ لَبِثْتُ يَا ابْنَ أَخِي ثَلاَثِينَ بَيْنَ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ مَا كَانَ لِي طَعَامٌ إِلاَّ مَاءُ زَمْزَمَ فَسَمِنْتُ حَتَّى تَكَسَّرَتْ عُكَنُ بَطْنِي وَمَا وَجَدْتُ عَلَى كَبِدِي سُخْفَةَ جُوعٍ – قَالَ – فَبَيْنَا أَهْلُ مَكَّةَ فِي لَيْلَةٍ قَمْرَاءَ إِضْحِيَانَ إِذْ ضُرِبَ عَلَى أَسْمِخَتِهِمْ فَمَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ أَحَدٌ وَامْرَأَتَيْنِ مِنْهُمْ تَدْعُوَانِ إِسَافًا وَنَائِلَةَ – قَالَ – فَأَتَتَا عَلَىَّ فِي طَوَافِهِمَا فَقُلْتُ أَنْكِحَا أَحَدَهُمَا الأُخْرَى – قَالَ – فَمَا تَنَاهَتَا عَنْ قَوْلِهِمَا – قَالَ – فَأَتَتَا عَلَىَّ فَقُلْتُ هَنٌ مِثْلُ الْخَشَبَةِ غَيْرَ أَنِّي لاَ أَكْنِي ‏.‏ فَانْطَلَقَتَا تُوَلْوِلاَنِ وَتَقُولاَنِ لَوْ كَانَ هَا هُنَا أَحَدٌ مِنْ أَنْفَارِنَا ‏.‏ قَالَ فَاسْتَقْبَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَهُمَا هَابِطَانِ قَالَ ‏”‏ مَا لَكُمَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتَا الصَّابِئُ بَيْنَ الْكَعْبَةِ وَأَسْتَارِهَا قَالَ ‏”‏ مَا قَالَ لَكُمَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتَا إِنَّهُ قَالَ لَنَا كَلِمَةً تَمْلأُ الْفَمَ ‏.‏ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى اسْتَلَمَ الْحَجَرَ وَطَافَ بِالْبَيْتِ هُوَ وَصَاحِبُهُ ثُمَّ صَلَّى فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ أَبُو ذَرٍّ ‏.‏ فَكُنْتُ أَنَا أَوَّلُ مَنْ حَيَّاهُ بِتَحِيَّةِ الإِسْلاَمِ – قَالَ – فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ وَعَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ مَنْ أَنْتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مِنْ غِفَارٍ – قَالَ – فَأَهْوَى بِيَدِهِ فَوَضَعَ أَصَابِعَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي كَرِهَ أَنِ انْتَمَيْتُ إِلَى غِفَارٍ ‏.‏ فَذَهَبْتُ آخُذُ بِيَدِهِ فَقَدَعَنِي صَاحِبُهُ وَكَانَ أَعْلَمَ بِهِ مِنِّي ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ مَتَى كُنْتَ هَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ قَدْ كُنْتُ هَا هُنَا مُنْذُ ثَلاَثِينَ بَيْنَ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ قَالَ ‏”‏ فَمَنْ كَانَ يُطْعِمُكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا كَانَ لِي طَعَامٌ إِلاَّ مَاءُ زَمْزَمَ ‏.‏ فَسَمِنْتُ حَتَّى تَكَسَّرَتْ عُكَنُ بَطْنِي وَمَا أَجِدُ عَلَى كَبِدِي سُخْفَةَ جُوعٍ قَالَ ‏”‏ إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ إِنَّهَا طَعَامُ طُعْمٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فِي طَعَامِهِ اللَّيْلَةَ ‏.‏ فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُمَا فَفَتَحَ أَبُو بَكْرٍ بَابًا فَجَعَلَ يَقْبِضُ لَنَا مِنْ زَبِيبِ الطَّائِفِ وَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ طَعَامٍ أَكَلْتُهُ بِهَا ثُمَّ غَبَرْتُ مَا غَبَرْتُ ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ إِنَّهُ قَدْ وُجِّهَتْ لِي أَرْضٌ ذَاتُ نَخْلٍ لاَ أُرَاهَا إِلاَّ يَثْرِبَ فَهَلْ أَنْتَ مُبَلِّغٌ عَنِّي قَوْمَكَ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَنْفَعَهُمْ بِكَ وَيَأْجُرَكَ فِيهِمْ ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَيْتُ أُنَيْسًا فَقَالَ مَا صَنَعْتَ قُلْتُ صَنَعْتُ أَنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ ‏.‏ قَالَ مَا بِي رَغْبَةٌ عَنْ دِينِكَ فَإِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ ‏.‏ فَأَتَيْنَا أُمَّنَا فَقَالَتْ مَا بِي رَغْبَةٌ عَنْ دِينِكُمَا فَإِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ ‏.‏ فَاحْتَمَلْنَا حَتَّى أَتَيْنَا قَوْمَنَا غِفَارًا فَأَسْلَمَ نِصْفُهُمْ وَكَانَ يَؤُمُّهُمْ إِيمَاءُ بْنُ رَحَضَةَ الْغِفَارِيُّ وَكَانَ سَيِّدَهُمْ ‏.‏ وَقَالَ نِصْفُهُمْ إِذَا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ أَسْلَمْنَا ‏.‏ فَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَأَسْلَمَ نِصْفُهُمُ الْبَاقِي وَجَاءَتْ أَسْلَمُ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِخْوَتُنَا نُسْلِمُ عَلَى الَّذِي أَسْلَمُوا عَلَيْهِ ‏.‏ فَأَسْلَمُوا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আমাদের গিফার সম্প্রদায় হতে বের হলাম। তারা হারাম মাসগুলোকে হালাল হিসেবে গ্রহণ করত। আমি আমার ভাই উনায়স এবং আমাদের মা সহ বের হলাম এবং আমাদের এক মামার নিকট গেলাম। মামা আমাদের অনেক সসম্মানে গ্রহণ করলেন এবং আমাদের সঙ্গে ভদ্রতাসূচক আচরণ করলেন। এতে তাঁর সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা আমাদের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হল। তারা বলল, তুমি যখন তোমার পরিবার হতে দূরে থাকে তখন উনায়স তোমার অনুপস্থিতিতে তাদের নিকট আসা-যাওয়া করে। তারপর আমাদের মামা আসলেন এবং তাঁকে যা বলা হয়েছে তিনি তা আমাদের কাছে বলে দিলেন। তখন আমি বললাম, আপনি আমাদের সঙ্গে অতীতে যে সদ্ব্যবহার করেছেন তাকে নিঃশেষ করে দিলেন। তারপর আপনার সাথে আমাদের এক থাকার কোন সুযোগ নেই। অতঃপর আমরা আমাদের উটগুলোকে সন্নিকটে আনলাম এবং তাদের উপর আরোহিত হলাম। তখন আমাদের মামা তাঁর বস্ত্র দ্বারা নিজেকে আবৃত করে কাঁদতে শুরু করলেন। আমরা রওনা হয়ে মক্কার নিকটবর্তী অবতরণ করলাম। উনায়স আমাদের পশুগুলো এবং সে পরিমাণ পশুর মাঝে বাজি ধরল। এরপর তারা উভয়ে এক গণকের নিকট গেল। গণক উনায়সকে শ্রেষ্ঠ বলে রায় দিল। তারপর উনায়স আমাদের উটগুলো এবং তার সমসংখ্যক উট নিয়ে আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাবর্তন করল।

আবূ যার (রাঃ) বললেন, হে ভ্রাতুষ্পত্র! আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে দেখা করার তিন বছর আগে সলাত আদায় করেছি। আমি (রাবী) বললাম, কার জন্যে? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্যে। আমি (রাবী) বললাম, কোন্ দিকে মুখ ফিরাতেন? তিনি বললেন, আমার মহান আল্লাহ যেদিকে আমার মুখ ফিরিয়ে দিতেন সেদিকে মুখ ফিরাতাম। আমি ‘ইশার সলাত আদায় করতে করতে রাতের শেষাংশে ঘুমের ঘোরে ঢলে পড়তাম, যতক্ষণ না সূর্যের কিরণ এসে আমার উপর পড়ত।

তারপর উনায়স (রাঃ) বললেন, মক্কায় আমার একটু দরকার আছে। সুতরাং আপনি আমার সংসার দেখাশুনা করবেন। তারপর উনায়স (রাঃ) চলে গেল এবং মাক্কায় পৌঁছলো এবং সে দেরীতে আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করল। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, তুমি কী করলে? সে বলল, আমি মাক্কায় কতিপয় জনৈক লোকের দেখা পেয়েছি যিনি আপনার দ্বীনের উপর অবিচল। তিনি মনে করেন যে, আল্লাহ তাঁকে (রসূল হিসেবে) পাঠিয়েছেন। আমি [আবূ যার (রাঃ)] বললাম, ব্যক্তিরা তাঁর ব্যাপারে কী বলে। সে বলল, তারা তাঁকে কবি, জ্যোতিষী ও যাদুকর বলে। উনায়স (রাঃ) নিজেও একজন কবি ছিল।

উনায়স (রাঃ) বলল, আমি বহু গণকের কথা শুনেছি; কিন্তু সে লোকের কথা গণকের মতো নয়। আমি তাঁর বাক্যকে কবিদের রচনার সাথে মিলিয়ে দেখেছি; কিন্তু কোন কবির ভাষার সঙ্গে তার কোন সামঞ্জস্য নেই। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয়ই তিনি সত্যবাদী এবং ওরা মিথ্যাবদী।

তিনি বললেন, আমি বললাম, তুমি আমার সংসার খোঁজ-খবর রাখবে এবং আমি গিয়ে একটু দেখে নেই। তিনি বললেন, আমি মক্কায় আসলাম এবং তাদের এক জীর্ণ লোককে উদ্দেশ্য করে বললাম, সে লোক কোথায়, যাকে তোমরা সাবী (বিধর্মী) বলে ডাক? সে আমার দিকে ইঙ্গিত করল এবং বলল, এ-ই সাবী। এরপর মক্কা পর্বতের ব্যক্তিরা ঢেলা ও হাড়সহ আমার উপর চড়াও হলো, এমনকি আমি অজ্ঞান হয়ে লুটে পড়লাম। তিনি বললেন, যখন আমি উঠলাম তখন লাল মূর্তির (অর্থাৎ- রক্তের ঢল) অবস্থায় উঠলাম। তিনি বলেন, তারপর আমি যমযম কূপের নিকট এসে আমার রক্ত ধুয়ে নিলাম। তারপর তার পানি পান করলাম। হে ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি সেখানে ত্রিশ রাত-দিন অবস্থান করেছিলাম। সে সময় যমযমের পানি ব্যতীত আমার নিকট কোন খাবার ছিল না। এরপর আমি এমন মোটা হয়ে গেলাম যে, আমার পেটের চামড়ায় ভাঁজ পড়ে গেল। আমি আমার অন্তরে ক্ষুধার যাতনা বুঝতে পারিনি। তিনি বললেন, ইতোমধ্যে মাক্কাবাসীরা যখন এক উজ্জ্বল গভীর রাতে ঘুমিয়ে পড়ল, তখন কেউ বাইতুল্লাহ্র তাওয়াফ করছিল না। সে সময় তাদের মধ্য থেকে দু’জন মহিলা ইসাফা ও নায়িলাকে ডাকছিল। তিনি বলরেন, তারা তাওয়াফ করতে করতে আমার নিকট এসে উপস্থিত হল। আমি বললাম, তাদের একজনকে অপরজনের সঙ্গে বিবাহে আবদ্ধ কর। তিনি বললেন, তবুও তারা তাদের কথা হতে বিচ্ছিন্ন হলো না। তিনি বলেন, তারা আবার আমার সামনে দিয়ে আসলো। আমি অধৈর্য হয়ে বললাম, গুপ্তাঙ্গ কাষ্ঠের ন্যায়। এখানে আমি ইশারা ইঙ্গিত না করে স্পষ্টভাবেই বললাম। এতে তারা অভিসম্পাত করতে করতে ফিরে চলল আর বলতে লাগল, যদি এখানে আমাদের লোকদের মাঝে কেউ থাকত (তাহলে এ দুষ্টকে উপযুক্ত শাস্তি দিত)! পথিমধ্যে উভয় নারীর সাথে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ)-এর দেখা হলো। তখন তাঁরা উভয়ে উঁচুভূমি থেকে নীচে নামছিলেন। তিনি তাদের দু’জনকেই প্রশ্ন করলেন, কী হয়েছে তোমাদের? তাঁরা বলল, কা‘বাহ্ ও তার পর্দার মধ্যস্থলে এ বিধর্মী আছে। তিনি প্রশ্ন করলেন, সে তোমাদের কী বলেছে? তারা বলল, সে এমন কথা বলেছে যাতে মুখ ভরে যায় (মুখে বলা ঠিক না)। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে তাঁর সাথীসহ হাজ্রে আসওয়াদ চুম্বন করলেন এবং বাইতুল্লাহ্’র তাওয়াফ করে সলাত আদায় করলেন। যখন তিনি তাঁর সলাত আদায় শেষ করলেন তখন আবূ যার (রাঃ) বললেন, আমি প্রথম লোক, যে তাঁকে ইসলামী শার’ঈ নিয়মে সালাম জানিয়ে বললাম, আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া রসূলুল্লাহ্! (আপনার প্রতি সালাম ও শান্তি বর্ষিত হোক)। অতঃপর তিনি জানতে চাইলেন, তুমি কে? তিনি বললেন, আমি গিফার সম্প্রদায়ের ব্যক্তি। তিনি বললেন, তারপর তিনি তাঁর হাত ঝুকালেন এবং তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলো কপালে রাখলেন। আমি ধারণা করলাম, গিফার সম্প্রদায়ের প্রতি আমার সম্পর্ককে তিনি পছন্দ করছেন না। তারপর আমি তাঁর হাত ধরতে চাইলাম। তাঁর সাথী আমাকে বাধা দিলেন। তিনি তাঁকে আমার তুলনায় বহু বেশী ভাল জানতেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে দেখলেন এবং আমাকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কতদিন যাবৎ এখানে অবস্থান করছ? আমি বললাম, আমি এখানে ত্রিশটি রাত্রদিন যাবৎ আছি। তিনি বললেন, তোমাকে কে খাদ্য দিত? আমি বললাম, যমযম কূপের পানি ব্যতীত আমার জন্য অন্য কোন খাদ্য ছিল না। এ পানি পান করেই আমি স্থূলদেহী হয়ে গেছি, এমনকি আমার পেটের চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে এবং আমি কক্ষনো ক্ষুধার কোন দুর্বলতা বুঝতে পারিনি। তিনি বললেন, এ পানি অতিশয় বারাকাতময় ও প্রাচুর্যময় এবং তা অন্যান্য খাবারের মতো তা পেট পূর্ণ করে দেয়।

তারপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তাকে আজ রাতের খাবার খাওয়ানোর জন্য আমাকে অনুমতি দিন। এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) রওনা হলেন এবং আমিও তাঁদের সঙ্গে চললাম। আবূ বকর (রাঃ) একটি দরজা খুললেন এবং আমাদের জন্য তিনি মুষ্টি ভরে তায়িফের কিশ্মিশ্ খেতে দিলেন। এটাই ছিল আমার প্রথম খাদ্য যা সেখানে আমি খেলাম। সেখানে যতক্ষণ থাকার তা থাকলাম। তারপর আমি রসূলুল্লা (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। তিনি বললেন, আমাকে খেজুর সমৃদ্ধ একটি দেশের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আমার ধারণ সেটি ইয়াস্রিব (মাদীনার পুরনো নাম) ব্যতীত অন্য কোন জায়গা নয়। এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতুমি কি আমার পক্ষ থেকে তোমার সম্প্রদায়ের নিকট আমার আহ্বান পৌঁছিয়ে দিবে? হয়ত তোমার ওয়াসীলায় আল্লাহ তাদের কল্যাণ দান করবেন এবং এদের হিদায়াতের জন্য তোমাকে পুরস্কৃত করবেন। তারপর আমি উনায়সের নিকট প্রত্যাবর্তন করলাম। সে বলল, আপনি কী করেছেন? আমি বললাম, আমি অবশ্যই ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছি। সে (উনায়স) বলল, আপনার দ্বীন সম্পর্কে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমিও ইসলাম কবূল করেছি এবং ঈমান এনেছি। তারপর আমরা দু’জনে মায়ের নিকট আসলাম। তিনি বললেন, তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমিও ইসলাম কবূল করলাম এবং ঈমান আনলাম। তারপর আমরা আরোহিত হয়ে আমাদের গিফার সম্প্রদায়ের নিকট আসলাম। তাদের অর্ধেক লোক ইসলাম কবূল করল এবং ঈমা ইবনু রাহাযাহ্ গিফারী তাঁদের ইমামাত করেন।

তিনি ছিলেন তাঁদের নেতা। তাদের বাকী অর্ধেক বলল, যখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় আসবেন তখন আমরা ইসলাম কবূল করব। তারপরে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাতে আসলেন এবং তাঁদের (গিফার সম্প্রদায়ের) অবশিষ্ট অর্ধেক ব্যক্তি ইসলামে দীক্ষিত হলো। এরপর আসলাম সম্প্রদায়ের লোকেরা আসলো। তারা বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ভাইয়েরা (মিত্ররা) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছেন আমরাও তাঁদের ন্যায় ইসলাম গ্রহণ করলাম। এভাবে তাঁরাও ইসলামে দীক্ষিত হলো। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃগিফার সম্প্রদায়কে আল্লাহ তা‘আলা মাফ করুন এবং আসলাম গোত্রকে আল্লাহ তা‘আলা নিরাপত্তা প্রদান করুন।

(ই. ফা. ৬১৩৫, ই. সে. ৬১৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৮] ইসাফা ও নায়িলাহ্ নামধারী সাফা ও মারওয়াতে দু’টি প্রতীমা ছিল। ইসাফা ছিল পুরুষ এবং নায়িলাহ্ সহধর্মিণী। মাক্কাবাসীদের মাঝে প্রসিদ্ধ ছিল যে, এরা উভয়ে হরমে যিনায় জড়িয়ে পড়েছিল বলে শাস্তি স্বরূপ ওদের বিকৃত করে পাথরের আকৃতিতে রূপ দেয়। কিন্তু তারা প্রতীমা হিসেবে এগুলোর আরাধনা করত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৫৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ بَعْدَ قَوْلِهِ قُلْتُ فَاكْفِنِي حَتَّى أَذْهَبَ فَأَنْظُرَ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ وَكُنْ عَلَى حَذَرٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ فَإِنَّهُمْ قَدْ شَنِفُوا لَهُ وَتَجَهَّمُوا ‏.‏

হুমায়দ ইবনু হিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে (রাবী) আবূ যার (রাঃ)-এর কথা “আমি বললাম, তুমি এখানে অবস্থান করো, আমি গিয়ে সে ব্যক্তিকে দেখে নেই।” তারপরে বর্ধিত করে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বললেন, হ্যাঁ, কিন্তু মক্কাবাসীদের সম্বন্ধে সাবধান থাকবেন। তারা তাঁর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে এবং তাঁর সাথে খারাপ আচরণ করে।

(ই. ফা. ৬১৩৬, ই. সে. ৬১৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ يَا ابْنَ أَخِي صَلَّيْتُ سَنَتَيْنِ قَبْلَ مَبْعَثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَأَيْنَ كُنْتَ تَوَجَّهُ قَالَ حَيْثُ وَجَّهَنِيَ اللَّهُ ‏.‏ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَتَنَافَرَا إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْكُهَّانِ ‏.‏ قَالَ فَلَمْ يَزَلْ أَخِي أُنَيْسٌ يَمْدَحُهُ حَتَّى غَلَبَهُ – قَالَ – فَأَخَذْنَا صِرْمَتَهُ فَضَمَمْنَاهَا إِلَى صِرْمَتِنَا ‏.‏ وَقَالَ أَيْضًا فِي حَدِيثِهِ قَالَ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَلْفَ الْمَقَامِ – قَالَ – فَأَتَيْتُهُ فَإِنِّي لأَوَّلُ النَّاسِ حَيَّاهُ بِتَحِيَّةِ الإِسْلاَمِ – قَالَ – قُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ مَنْ أَنْتَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِهِ أَيْضًا فَقَالَ ‏”‏ مُنْذُ كَمْ أَنْتَ هَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مُنْذُ خَمْسَ عَشْرَةَ ‏.‏ وَفِيهِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَتْحِفْنِي بِضِيَافَتِهِ اللَّيْلَةَ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ যার (রাঃ) বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আবির্ভাবের আগে আমি দু’ বছর সলাত আদায় করেছি। বর্ণনাকারী বললেন, আমি বললাম, আপনি কোন্ দিকে মুখ ফিরাতেন। তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বললেন, আল্লাহ যেদিকে আমার মুখ ফিরিয়ে দিতেন সেদিকে। তারপর তিনি সুলাইমান ইবনু মুগীরাহ্ (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের অবিকল রিওয়ায়াত করেন। আর তিনি হাদীসে বলেছেন, তারপর তারা দু’জনে এক গণকের নিকট গেলেন। তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বলেন, আমার ভাই উনায়স এ গণকের প্রশংসা করতে লাগল, পরিশেষে প্রতিপক্ষের উপর বিজয়ী হলো। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আমরা তার জন্তুগুলো নিলাম এবং আমাদের জন্তুগুলোর সঙ্গে একত্রিত করে রাখলাম। তিনি তাঁর হাদীসে আরও বর্ননা করেছেন, এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন এবং বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। অতঃপর মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে দু’রাকা‘আত সলাত আদায় করলেন। তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বলেন, আমি তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলাম এবং আমিই প্রথম লোক, সে তাঁকে ইসলামী বিধান অনুযায়ী সালাম করে। তিনি বলেন, আমি বললাম, আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! (হে আল্লাহর রসূল! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক) তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘ওয়া ‘আলাইকুমুস্ সালাম’ (তোমার প্রতিও শান্তি বর্ষিত হোক)। তুমি কে? তার বর্ণিত হাদীসে আরও রয়েছে যে, এরপর তিনি বললেন, তুমি এখানে কতদিন ধরে আছ? আমি বললাম, পনের (দিন) ধরে অবস্থান করছি। এ হাদীসের আরও অতিরিক্ত রয়েছে, অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তাঁকে এক রাতের আতিথেয়তার অনুমতি আমাকে দিন। (ই. ফা. ৬১৩৭, ই. সে. ৬১৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৫৬

وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنُ عَرْعَرَةَ السَّامِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، – وَتَقَارَبَا فِي سِيَاقِ الْحَدِيثِ وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حَاتِمٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَمَّا بَلَغَ أَبَا ذَرٍّ مَبْعَثُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ قَالَ لأَخِيهِ ارْكَبْ إِلَى هَذَا الْوَادِي فَاعْلَمْ لِي عِلْمَ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ يَأْتِيهِ الْخَبَرُ مِنَ السَّمَاءِ فَاسْمَعْ مِنْ قَوْلِهِ ثُمَّ ائْتِنِي ‏.‏ فَانْطَلَقَ الآخَرُ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ وَسَمِعَ مِنْ قَوْلِهِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَبِي ذَرٍّ فَقَالَ رَأَيْتُهُ يَأْمُرُ بِمَكَارِمِ الأَخْلاَقِ وَكَلاَمًا مَا هُوَ بِالشِّعْرِ ‏.‏ فَقَالَ مَا شَفَيْتَنِي فِيمَا أَرَدْتُ ‏.‏ فَتَزَوَّدَ وَحَمَلَ شَنَّةً لَهُ فِيهَا مَاءٌ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ فَأَتَى الْمَسْجِدَ فَالْتَمَسَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ يَعْرِفُهُ وَكَرِهَ أَنْ يَسْأَلَ عَنْهُ حَتَّى أَدْرَكَهُ – يَعْنِي اللَّيْلَ – فَاضْطَجَعَ فَرَآهُ عَلِيٌّ فَعَرَفَ أَنَّهُ غَرِيبٌ فَلَمَّا رَآهُ تَبِعَهُ فَلَمْ يَسْأَلْ وَاحِدٌ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَنْ شَىْءٍ حَتَّى أَصْبَحَ ثُمَّ احْتَمَلَ قُرَيْبَتَهُ وَزَادَهُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَظَلَّ ذَلِكَ الْيَوْمَ وَلاَ يَرَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَمْسَى فَعَادَ إِلَى مَضْجَعِهِ فَمَرَّ بِهِ عَلِيٌّ فَقَالَ مَا أَنَى لِلرَّجُلِ أَنْ يَعْلَمَ مَنْزِلَهُ فَأَقَامَهُ فَذَهَبَ بِهِ مَعَهُ وَلاَ يَسْأَلُ وَاحِدٌ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَنْ شَىْءٍ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الثَّالِثِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فَأَقَامَهُ عَلِيٌّ مَعَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ أَلاَ تُحَدِّثُنِي مَا الَّذِي أَقْدَمَكَ هَذَا الْبَلَدَ قَالَ إِنْ أَعْطَيْتَنِي عَهْدًا وَمِيثَاقًا لَتُرْشِدَنِّي فَعَلْتُ ‏.‏ فَفَعَلَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ فَإِنَّهُ حَقٌّ وَهُوَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا أَصْبَحْتَ فَاتَّبِعْنِي فَإِنِّي إِنْ رَأَيْتُ شَيْئًا أَخَافُ عَلَيْكَ قُمْتُ كَأَنِّي أُرِيقُ الْمَاءَ فَإِنْ مَضَيْتُ فَاتَّبِعْنِي حَتَّى تَدْخُلَ مَدْخَلِي ‏.‏ فَفَعَلَ فَانْطَلَقَ يَقْفُوهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَدَخَلَ مَعَهُ فَسَمِعَ مِنْ قَوْلِهِ وَأَسْلَمَ مَكَانَهُ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ارْجِعْ إِلَى قَوْمِكَ فَأَخْبِرْهُمْ حَتَّى يَأْتِيَكَ أَمْرِي ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَصْرُخَنَّ بِهَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ ‏.‏ فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ وَثَارَ الْقَوْمُ فَضَرَبُوهُ حَتَّى أَضْجَعُوهُ فَأَتَى الْعَبَّاسُ فَأَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَالَ وَيْلَكُمْ أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّهُ مِنْ غِفَارٍ وَأَنَّ طَرِيقَ تُجَّارِكُمْ إِلَى الشَّامِ عَلَيْهِمْ ‏.‏ فَأَنْقَذَهُ مِنْهُمْ ثُمَّ عَادَ مِنَ الْغَدِ بِمِثْلِهَا وَثَارُوا إِلَيْهِ فَضَرَبُوهُ فَأَكَبَّ عَلَيْهِ الْعَبَّاسُ فَأَنْقَذَهُ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন আবূ যার (রাঃ)-এর নিকট সংবাদ আসলো যে, মাক্কায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আবির্ভাব হয়েছে, তখন তিনি তাঁর ভাইকে বললেন, তুমি সওয়ারীতে চড়ে সে (মাক্কাহ্) উপত্যকায় যাও এবং সে লোকের ব্যাপারে আমাকে অবহিত কর, যিনি মনে করেন যে, আসমান থেকে তাঁর নিকট ওয়াহী আসে। তাঁর কথা ভাল করে শুনবে এবং এরপর তুমি আমার নিকট আসবে। তখন অপর লোক (তাঁর ভাই) রওনা হয়ে মাক্কায় আসলো এবং তাঁর কথা শুনল। এরপর সে আবূ যার (রাঃ)-এর নিকট প্রত্যাবর্তন করল এবং সে বলল, আমি তাঁকে দেখেছি যে, তিনি উত্তম চরিত্রের আদেশ দেন এবং এমন বাণী শুনান, যা কবিতার সাদৃশ্য নয়। তখন তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বললেন, আমি যা চেয়েছি তা তুমি পূরণ করতে পারনি। এরপর তিনি পাথেয় ব্যবস্থা করলেন এবং একটি পানি ভর্তি মশক নিলেন। পরিশেষে মাক্কায় পৌঁছে তিনি মাসজিদে আসলেন। আর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সন্ধান করলেন। কিন্তু তিনি তাঁকে চিনতে পারলেন না। আর তাঁর ব্যাপারে (কারও নিকট) প্রশ্ন করাও পছন্দ করলেন না। পরিশেষে রাত হয়ে গেল। তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। তখন ‘আলী (রাঃ) তাঁকে দেখলেন এবং তিনি বুঝতে পারলেন যে, ইনি একজন আগন্তুক, তখন তিনি তাঁকে দেখে তাঁর অনুকরণ করলেন; কিন্তু কেউ কারও নিকট কিছু প্রশ্ন করলেন না। এমনকি (এভাবে) সকাল হয়ে গেল। এরপর তিনি [আবূ যার (রাঃ) তাঁর আসবাবপত্র ও মশক মাসজিদে রাখলেন এবং সেদিনটি সেখানে অতিবাহিত করলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাক্ষাৎ পেলেন না, এমনকি সন্ধ্যা হয়ে গেল। এরপর তিনি তার ঘুমানোর স্থানে ফিরে এলেন। ‘আলী (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন এবং বললেন, এখনও সময় আসেনি, যাতে সে লোকটির গন্তব্য সম্বন্ধে জানা যায়। তারপর তিনি তাঁকে দাঁড় করালেন এবং তাঁকে সাথে নিয়ে চললেন। তবে কেউ কারোর নিকট কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলেন না। এমনকি তৃতীয় দিন এসে গেল। এদিনও তেমনটি করলেন। তারপর ‘আলী (রাঃ) তাঁর সাথে তাঁকে দাঁড় করিয়ে বললেন, আপনি কি আমাকে জানাবেন, কিসে আপনাকে এ শহরে এনেছে? তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বললেন, আপনি যদি আমাকে পথ দেখানোর ওয়া‘দাবদ্ধ হন তাহলে আমি আপনার নিকট বলব। তিনি (ওয়া‘দা) করলেন। তখন তিনি [আবূ যার (রাঃ)] তাঁকে সব জানালেন। তারপর ‘আলী (রাঃ) বললেন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হক এবং তিনি আল্লাহর রসূল। সকাল হলে আপনি আমাকে অনুকরণ করবেন। যদি আমি এমন কিছু দেখতে পাই যাতে আপনার ভয় আছে, তখন আমি দাঁড়িয়ে যাব, যেন আমি প্রস্রাব করছি। পুনরায় যখন আমি চলতে শুরু করব তখন আমাকে অনুসরণ করবেন। পরিশেষে আমার প্রবেশ দ্বারে আপনি প্রবেশ করবেন। তিনি তা-ই করলেন। তিনি তাঁর পশ্চাতে চললেন, শেষ অবধি তিনি [‘আলী (রাঃ)] রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত হলেন আর আবূ যার (রাঃ)ও তাঁর সাথে উপস্থিত হলেন। অতঃপর তিনি তাঁর (সাঃ-এর) কথা শুনলেন এবং সেখানেই ইসলাম গ্রহণ করলেন। তারপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, তুমি তোমার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে যাও এবং তাদের নিকট (দ্বীনের) সংবাদ পৌঁছে দাও। আমার আদেশ তোমার নিকট পৌঁছা পর্যন্ত (এ কাজ করতে থাক)। তারপর তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বললেন, সে মহান সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমি তা মাক্কাবাসীদের মধ্যে চীৎকার করে প্রচার করব। এরপর তিনি বেরিয়ে পড়লেন এবং মাসজিদে ঢুকলেন। এরপর উচ্চৈঃস্বরে প্রচার করলেন: … “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল।” এতে ব্যক্তিরা ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং তাঁকে আঘাত করে ধরাশায়ী করে ফেলল। ‘আব্বাস (রাঃ) সেখানে এলেন এবং তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়লেন। তারপর তিনি [‘আব্বাস (রাঃ)] বললেন, তোমাদের জন্য আফসোস! তোমাদের কি অজানা যে, তিনি গিফার সম্প্রদায়ের ব্যক্তি? তোমাদের সিরিয়া দেশে বাণিজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা তাদের এলাকা দিয়ে। এরপর তিনি তাঁকে তাদের নিকট হতে ছাড়িয়ে আনলেন। পরের দিন তিনি আবার আগের দিনের মতোই করলেন। ব্যক্তিরা তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং তাঁকে বেদম প্রহার করল। ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়লেন এবং তাঁকে তিনি মুক্ত করলেন। (ই. ফা. ৬১৩৮, ই. সে. ৬১৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯. অধ্যায়ঃ

জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৫৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ بَيَانٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي، حَازِمٍ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ بَيَانٍ، قَالَ سَمِعْتُ قَيْسَ بْنَ أَبِي، حَازِمٍ يَقُولُ قَالَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ أَسْلَمْتُ وَلاَ رَآنِي إِلاَّ ضَحِكَ ‏

জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইসলাম কবূলের পর হতে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে (তাঁর নিকট প্রবেশে) বাধা দেননি এবং তিনি আমার দিকে হাসি মুখ ব্যতীত দৃষ্টিপাত করতেন না।

(ই. ফা. ৬১৩৯, ই. সে. ৬১৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৫৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ أَسْلَمْتُ وَلاَ رَآنِي إِلاَّ تَبَسَّمَ فِي وَجْهِي ‏.‏ زَادَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي حَدِيثِهِ عَنِ ابْنِ إِدْرِيسَ وَلَقَدْ شَكَوْتُ إِلَيْهِ أَنِّي لاَ أَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ فَضَرَبَ بِيَدِهِ فِي صَدْرِي وَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا ‏”‏ ‏.‏

জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইসলাম কবূল করার পর হতে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকট প্রবেশে আমাকে বাধা দেননি। তিনি আমার মুখমণ্ডলে মৃদু হাসি ব্যতীত দেখেননি। ইবনু নুমায়র (রহঃ) তাঁর হাদীসে ইবনু ইদ্রীস (রহঃ) হতে বর্ধিত রিওয়ায়াত করেছেন, “আমি তার নিকট অভিযোগ করলাম যে, আমি ঘোড়ার পৃষ্ঠে দৃঢ়ভাবে থাকতে পারি না। তখন তিনি তাঁর হাত দ্বারা আমার বুকে মৃদু আঘাত করে দু’আ করলেন: ……………………. . . “হে আল্লাহ! তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হিদায়াতকারী ও হিদায়াতপ্রপ্তের অন্তর্ভুক্ত করুন।” (ই. ফা. ৬১৪০, ই. সে. ৬১৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৫৯

حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ بَيَانٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ بَيْتٌ يُقَالُ لَهُ ذُو الْخَلَصَةِ وَكَانَ يُقَالُ لَهُ الْكَعْبَةُ الْيَمَانِيَةُ وَالْكَعْبَةُ الشَّامِيَّةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ هَلْ أَنْتَ مُرِيحِي مِنْ ذِي الْخَلَصَةِ وَالْكَعْبَةِ الْيَمَانِيَةِ وَالشَّامِيَّةِ ‏”‏ ‏.‏ فَنَفَرْتُ إِلَيْهِ فِي مِائَةٍ وَخَمْسِينَ مِنْ أَحْمَسَ فَكَسَرْنَاهُ وَقَتَلْنَا مَنْ وَجَدْنَا عِنْدَهُ فَأَتَيْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ – قَالَ – فَدَعَا لَنَا وَلأَحْمَسَ ‏.‏

জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জাহিলী যুগে একটি গৃহ ছিল, যেটিকে ‘যুলখালাসাহ্’ বলা হত এবং এটাকে ইয়ামানী কা‘বাহ্ ও শামিয়্যাহ্ কা‘বাও বলা হত। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (জারীরকে) বললেন, তুমি কি আমাদের যুল্খালাসাহ্, ইয়ামানী কা‘বাহ্ ও শামিয়্যাহ্ কা‘বাহ্ থেকে চিন্তা মুক্ত করতে পারবে? তখন আমি আহমাস সম্প্রদায়ের একশ’ পঞ্চাশজন ব্যক্তি সাথে নিয়ে রওনা হলাম। যুলখালাসাকে ভেঙ্গে দিলাম এবং সেখানে যাদের পেলাম তাদের হত্যা করলাম। তারপর আমি তাঁর নিকট ফিরে এসে তাঁকে জানালাম। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি আমাদের ও আহ্মাস সম্প্রদায়ের জন্য দু’আ করলেন। (ই. ফা. ৬১৪১, ই. সে. ৬১৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৬০

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ، بْنِ أَبِي حَازِمٍ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا جَرِيرُ أَلاَ تُرِيحُنِي مِنْ ذِي الْخَلَصَةِ ‏”‏ ‏.‏ بَيْتٍ لِخَثْعَمَ كَانَ يُدْعَى كَعْبَةَ الْيَمَانِيَةِ ‏.‏ قَالَ فَنَفَرْتُ فِي خَمْسِينَ وَمِائَةِ فَارِسٍ وَكُنْتُ لاَ أَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَرَبَ يَدَهُ فِي صَدْرِي فَقَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَانْطَلَقَ فَحَرَّقَهَا بِالنَّارِ ثُمَّ بَعَثَ جَرِيرٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يُبَشِّرُهُ يُكْنَى أَبَا أَرْطَاةَ مِنَّا فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ مَا جِئْتُكَ حَتَّى تَرَكْنَاهَا كَأَنَّهَا جَمَلٌ أَجْرَبُ ‏.‏ فَبَرَّكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى خَيْلِ أَحْمَسَ وَرِجَالِهَا خَمْسَ مَرَّاتٍ ‏.‏

জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ বাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন, হে জারীর! তুমি কি আমাকে খাস’আম গোষ্ঠীর ঘর (প্রতিমা মন্দির) যুলখালাসাহ্ থেকে চিন্তা মুক্ত করবে না? এটাকে ইয়ামানী কা‘বাও বলা হত। জারীর বলেন, এরপর আমি দেড়শ’ অশ্বারোহীসহ সেদিকে রওনা হলাম; অথচ আমি উটের পিঠে স্থিরভাবে থাকতে পারতাম না। আমি এ ব্যাপারটি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। তিমি আমার বুকে তাঁর হাত মারলেন এবং দু‘আ করলেন: ………………………. “হে আল্লাহ! তাকে (উটের পিঠে) স্থির রাখুন এবং তাকে হিদায়াতকারী ও হিদায়াতপ্রাপ্তের অন্তর্ভুক্ত করুন।” বর্ননাকারী বলেন, তারপর তিনি চলে গেলেন েএবং সেটি (যুল্খালাসাহ্ মূর্তি) আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন। এরপর জারীর (রাঃ) আমাদের মাঝখান হতে আবূ আরতাহ্ (রাঃ) নামধারী জনৈক লোককে সুখবর দেয়ার জন্য রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করলেন। তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁকে বললেন, আমরা যুলখালাসাকে পাঁচড়াযুক্ত উষ্ট্রের ন্যায় করে দিয়ে আপনার নিকট এসেছি। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আহ্মাস গোত্রীয় ঘোড়া ও লোকদের জন্য পাঁচবার কল্যাণের প্রার্থনা করলেন।

 

(ই. ফা. ৬১৪২, ই. সে. ৬১৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৬১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – يَعْنِي الْفَزَارِيَّ ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي حَدِيثِ مَرْوَانَ فَجَاءَ بَشِيرُ جَرِيرٍ أَبُو أَرْطَاةَ حُصَيْنُ بْنُ رَبِيعَةَ يُبَشِّرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

ইসমা‘ঈল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সূত্রে মারওয়ান (রহঃ)-এর হাদীসে বলছেন যে, জারীর (রাঃ)-এর সুসংবাদদাতা আবূ আরতাত হুসায়ন ইবনু রাবী‘আহ্ (রাঃ) এলেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সুসংবাদ দিলেন। (ই. ফা. ৬১৪৩, ই. সে. ৬১৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০. অধ্যায়ঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৬২

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ قَالاَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ بْنُ عُمَرَ الْيَشْكُرِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّوسلم أَتَى الْخَلاَءَ فَوَضَعْتُ لَهُ وَضُوءًا فَلَمَّا خَرَجَ قَالَ ‏”‏ مَنْ وَضَعَ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ فِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ قَالُوا ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ قُلْتُ ابْنُ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়খানায় গেলেন। আমি তাঁর জন্য ওযূর পানি রাখলাম। তিনি হাজত শেষে প্রশ্ন করলেন এ পানি কে রেখেছে? যুহায়র (রহঃ)-এর বর্ণনায় ‘তারা বলল’ এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর বর্ণনায় ‘আমি বললাম’, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) রেখেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু‘আ করলেন, “হে আল্লাহ! তাকে গভীর জ্ঞান দান করুন।” (ই. ফা. ৬১৪৪, ই. সে. ৬১৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১. অধ্যায়ঃ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৬৩

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ كُلُّهُمْ عَنْ حَمَّادِ، بْنِ زَيْدٍ – قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ فِي يَدِي قِطْعَةَ إِسْتَبْرَقٍ وَلَيْسَ مَكَانٌ أُرِيدُ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ طَارَتْ إِلَيْهِ – قَالَ – فَقَصَصْتُهُ عَلَى حَفْصَةَ فَقَصَّتْهُ حَفْصَةُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَرَى عَبْدَ اللَّهِ رَجُلاً صَالِحًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমার হাতে মোলায়েম রেশমী কাপড়ের একটি টুকরা এবং জান্নাতের যেখানে আমি আকাঙ্খা করতাম সে কাপড়ের খণ্ডটি আমাকে সেখানেই উড়িয়ে নিয়ে যেত। তিনি বলেন, তারপর আমি হাফসাহ্ (রাঃ)-এর নিকট কাহিনীটি রিওয়ায়াত করলাম। হাফসাহ্ (রাঃ) তা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট রিওয়ায়াত করলেন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি ‘আবদুল্লাহকে একজন ভাল ব্যক্তি বলে জানি। (ই. ফা. ৬১৪৫, ই. সে. ৬১৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৬৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لِعَبْدٍ – قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ، الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى رُؤْيَا قَصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَمَنَّيْتُ أَنْ أَرَى رُؤْيَا أَقُصُّهَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَكُنْتُ غُلاَمًا شَابًّا عَزَبًا وَكُنْتُ أَنَامُ فِي الْمَسْجِدِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَيْتُ فِي النَّوْمِ كَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَخَذَانِي فَذَهَبَا بِي إِلَى النَّارِ فَإِذَا هِيَ مَطْوِيَّةٌ كَطَىِّ الْبِئْرِ وَإِذَا لَهَا قَرْنَانِ كَقَرْنَىِ الْبِئْرِ وَإِذَا فِيهَا نَاسٌ قَدْ عَرَفْتُهُمْ فَجَعَلْتُ أَقُولُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ – قَالَ – فَلَقِيَهُمَا مَلَكٌ فَقَالَ لِي لَمْ تُرَعْ ‏.‏ فَقَصَصْتُهَا عَلَى حَفْصَةَ فَقَصَّتْهَا حَفْصَةُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سَالِمٌ فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بَعْدَ ذَلِكَ لاَ يَنَامُ مِنَ اللَّيْلِ إِلاَّ قَلِيلاً ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবিতাবস্থায় জনৈক লোক স্বপ্ন দেখলে তা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বর্ণনা করতেন। আমি প্রত্যাশা করে ছিলাম যে, আমি কোন স্বপ্ন দেখলে তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উল্লেখ করি। বর্ণনাকারী বলেন, সে সময় আমি বলিষ্ঠ অবিবাহিত যুবক ছিলাম এবং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় আমি মাসজিদে ঘুমাতাম। তখন আমি স্বপ্নে দেখলাম যেন দু’জন ফেরেশ্তা আমাকে ধরে তাঁরা আমাকে জাহান্নামের নিকট নিয়ে গেলন। তখন দেখলাম যে, সেটি একটি গভীর গর্ত, একটি কূপের গর্তের ন্যায়। তাতে দু’টি কাষ্ঠখণ্ড দেখলাম যা কূপের উপরে স্বাভাবিকভাবে থাকে। সেখানে কিছু ব্যক্তি ছিল যাদের আমি চিনলাম। আমি তখন বলতে শুরু করলাম- ………………. . . “আমি জাহান্নাম হতে আল্লাহর আশ্রয় চাই, আমি জাহান্নাম হতে আল্লাহর আশ্রয় চাই, আমি জাহান্নাম হতে আল্লাহর আশ্রয় চাই”। বর্ণনাকারী বেলেন, সে দু’ফেরেশ্তার সাথে আরও কতিপয় ফেরেশ্তা মিলিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, তোমার কোন শঙ্কা নেই। অতঃপর আমি এ স্বপ্নের কথা হাফসাহ্ (রাঃ)-এর নিকট উল্লেখ করলাম। হাফসাহ্ (রাঃ) তা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বর্ণনা দিলেন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘আবদুল্লাহ কতই না উত্তম লোক! সে রাতে যদি (তাহাজ্জুদ) সলাত আদায় করতো। সালিম (রাঃ) বলেন, এরপর ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) রাত্রে খুব কম সময়ই ঘুমিয়ে যেতেন।

 

(ই. ফা. ৬১৪৬, ই. সে. ৬১৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৬৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ، خَتَنُ الْفِرْيَابِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنْتُ أَبِيتُ فِي الْمَسْجِدِ وَلَمْ يَكُنْ لِي أَهْلٌ فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّمَا انْطُلِقَ بِي إِلَى بِئْرٍ ‏.‏ فَذَكَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাত্রে মাসজিদে থাকতাম। সে সময় আমার কোন পরিবার-পরিজন ছিল না। একদা আমি স্বপ্নে দেখলাম যেন আমাকে একটি কূপের কাছে নেয়া হয়েছে। অতঃপর বর্ণনাকারী (‘উাবইদুল্লাহ ইবনু ‘উমার) সালিম তদীয় পিতা সানাদে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে যুহরীর হাদীসের অর্থানুরূপ উল্লেখ করেন।

(ই. ফা. ৬১৪৭, ই. সে. ৬১৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২. অধ্যায়ঃ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أُمِّ سُلَيْمٍ، أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَادِمُكَ أَنَسٌ ادْعُ اللَّهَ لَهُ فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ ‏”‏ ‏.‏

উম্মু সুলায়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার খাদিম আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন। তখন তিনি দু‘আ করলেন, ……… “হে আল্লাহ! তাকে ধন-সম্পদ এবং সন্তান-সন্ততিতে বারাকাত দিন এবং আপনি তাঁকে যা দান করেছেন তাতেও বারাকাত দিন।” (ই. ফা. ৬১৪৮, ই. সে. ৬১৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৬৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَادِمُكَ أَنَسٌ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বলেছেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার খাদিম আনাস . . . এরপর তাঁর অবিকল বর্নণা করেন। (ই. ফা. ৬১৪৯, ই. সে. ৬১৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি অর্থানুরূপ বলেছেন। (ই. ফা. ৬১৫০, ই. সে. ৬১৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৬৯

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْنَا وَمَا هُوَ إِلاَّ أَنَا وَأُمِّي وَأُمُّ حَرَامٍ خَالَتِي فَقَالَتْ أُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ خُوَيْدِمُكَ ادْعُ اللَّهَ لَهُ – قَالَ – فَدَعَا لِي بِكُلِّ خَيْرٍ وَكَانَ فِي آخِرِ مَا دَعَا لِي بِهِ أَنْ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَبَارِكْ لَهُ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে এলেন। সে সময় আমি, আমার মা ও আমার খালা উম্মু হারাম ছাড়া সেখানে কেউ ছিল না। আমার মা বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার ছোট খাদিমের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। রাবী বলেন, তিনি আমার জন্য সব ধরণের বারাকাতের দু’আ করলেন। তিনি আমার জন্য যে দু’আ করেছিলেন তার শেষাংশ ছিল- .“হে আল্লাহ! তাঁকে ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি বৃদ্ধি করুন এবং তাতে তাঁকে বারাকাত দিন।” (ই. ফা. ৬১৫১, ই. সে. ৬১৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৭০

حَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، قَالَ جَاءَتْ بِي أُمِّي أُمُّ أَنَسٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَزَّرَتْنِي بِنِصْفِ خِمَارِهَا وَرَدَّتْنِي بِنِصْفِهِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا أُنَيْسٌ ابْنِي أَتَيْتُكَ بِهِ يَخْدُمُكَ فَادْعُ اللَّهَ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ فَوَاللَّهِ إِنَّ مَالِي لَكَثِيرٌ وَإِنَّ وَلَدِي وَوَلَدَ وَلَدِي لَيَتَعَادُّونَ عَلَى نَحْوِ الْمِائَةِ الْيَوْمَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার মা উম্মু আনাস (রাঃ) আমাকে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে গেলেন। তখন তিনি তাঁর ওড়নার অর্ধাংশ দিয়ে আমার ইযার (পায়জামা) এবং বাকী অর্ধাংশ দ্বারা আমার চাদর তৈরি করেছিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এ আমার বালক পুত্র উনায়স, আমি তাকে আপনার নিকট নিয়ে এসেছি, সে আপনার সেবায় থাকবে। তার জন্য আল্লাহর নিকট দু‘আ করুন। তখন তিনি দু‘আ করলেন, ……………………… “ হে আল্লাহ! তাঁর ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বৃদ্ধি করে দিন।”

আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার ধন-মাল অনেক আর সে যুগে আমার সন্তান ও সন্তানের নাতী-নাতনীর সংখ্যা ছিল একশ’র মতো। (ই. ফা. ৬১৫২, ই. সে. ৬১৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৭১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، – يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ – عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ صَوْتَهُ فَقَالَتْ بِأَبِي وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ أُنَيْسٌ ‏.‏ فَدَعَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ دَعَوَاتٍ قَدْ رَأَيْتُ مِنْهَا اثْنَتَيْنِ فِي الدُّنْيَا وَأَنَا أَرْجُو الثَّالِثَةَ فِي الآخِرَةِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোথাও যাচ্ছিলেন। তখন আমার মা উম্মু সুলায়ম (রাঃ) তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন এবং তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক, এ ছোট বালক আনাস। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার জন্য তিনটি দু‘আ করলেন। এর দু‘টি আমি দুনিয়াতে পেয়েছি এবং আখিরাতে তৃতীয়টি পাওয়ার দৃঢ় প্রত্যাশা করি। (ই. ফা. ৬১৫৩, ই. সে. ৬১৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৭২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَتَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ – قَالَ – فَسَلَّمَ عَلَيْنَا فَبَعَثَنِي إِلَى حَاجَةٍ فَأَبْطَأْتُ عَلَى أُمِّي فَلَمَّا جِئْتُ قَالَتْ مَا حَبَسَكَ قُلْتُ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِحَاجَةٍ ‏.‏ قَالَتْ مَا حَاجَتُهُ قُلْتُ إِنَّهَا سِرٌّ ‏.‏ قَالَتْ لاَ تُحَدِّثَنَّ بِسِرِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَدًا ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ وَاللَّهِ لَوْ حَدَّثْتُ بِهِ أَحَدًا لَحَدَّثْتُكَ يَا ثَابِتُ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এলেন। আমি তখন বালকদের সঙ্গে খেলায় লিপ্ত ছিলাম। তিনি বলেন, তিনি আমাদের সালাম করলেন। তিনি আমাকে কোন একটি বিশেষ প্রয়োজনে পাঠালেন। আমি আমার মায়ের নিকট বিলম্বে ফিরে আসলাম। আমি মায়ের নিকট গেলে তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, তোমাকে কিসে আটকিয়েছিল? আমি বললাম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমাকে একটি প্রয়োজনে পাঠিয়েছিলেন। তিনি বললেন, প্রয়োজনটি কি? আমি বললাম, তা গোপনীয়। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোপনীয় বিষয় কক্ষনো কাউকে বলবে না।

আনাস (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, হে সাবিত! সে গোপনীয় ব্যাপার কারও নিকট উল্লেখ করলে তা তোমাকে অবশ্যই বলতাম। (ই. ফা. ৬১৫৪, ই. সে. ৬১৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৭৩

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا عَارِمُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَسَرَّ إِلَىَّ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِرًّا فَمَا أَخْبَرْتُ بِهِ أَحَدًا بَعْدُ ‏.‏ وَلَقَدْ سَأَلَتْنِي عَنْهُ أُمُّ سُلَيْمٍ فَمَا أَخْبَرْتُهَا بِهِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে আমার নিকট বলেছিলেন। তারপর আমি কারও নিকট তা প্রকাশ করিনি এমনকি (আমার মা) উম্মু সুলায়ম (রাঃ) সে ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন; কিন্তু আমি তাঁকেও তা জানায়নি। (ই. ফা. ৬১৫৫, ই. সে. ৬১৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩. অধ্যায়ঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৭৪

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِحَىٍّ يَمْشِي أَنَّهُ فِي الْجَنَّةِ إِلاَّ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ ‏.‏

সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) ব্যতিরেকে ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থানকারী কোন জীবিত লোকের ব্যাপারে বলতে শুনিনি যে, সে জান্নাতে বিচরণ করছে। (ই. ফা. ৬১৫৬, ই. সে. ৬১৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৭৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ كُنْتُ بِالْمَدِينَةِ فِي نَاسٍ فِيهِمْ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ فِي وَجْهِهِ أَثَرٌ مِنْ خُشُوعٍ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏.‏ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ يَتَجَوَّزُ فِيهِمَا ثُمَّ خَرَجَ فَاتَّبَعْتُهُ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ وَدَخَلْتُ فَتَحَدَّثْنَا فَلَمَّا اسْتَأْنَسَ قُلْتُ لَهُ إِنَّكَ لَمَّا دَخَلْتَ قَبْلُ قَالَ رَجُلٌ كَذَا وَكَذَا قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ مَا يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ مَا لاَ يَعْلَمُ وَسَأُحَدِّثُكَ لِمَ ذَاكَ رَأَيْتُ رُؤْيَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ رَأَيْتُنِي فِي رَوْضَةٍ – ذَكَرَ سَعَتَهَا وَعُشْبَهَا وَخُضْرَتَهَا – وَوَسْطَ الرَّوْضَةِ عَمُودٌ مِنْ حَدِيدٍ أَسْفَلُهُ فِي الأَرْضِ وَأَعْلاَهُ فِي السَّمَاءِ فِي أَعْلاَهُ عُرْوَةٌ ‏.‏ فَقِيلَ لِي ارْقَهْ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ لاَ أَسْتَطِيعُ ‏.‏ فَجَاءَنِي مِنْصَفٌ – قَالَ ابْنُ عَوْنٍ وَالْمِنْصَفُ الْخَادِمُ – فَقَالَ بِثِيَابِي مِنْ خَلْفِي – وَصَفَ أَنَّهُ رَفَعَهُ مِنْ خَلْفِهِ بِيَدِهِ – فَرَقِيتُ حَتَّى كُنْتُ فِي أَعْلَى الْعَمُودِ فَأَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقِيلَ لِيَ اسْتَمْسِكْ ‏.‏ فَلَقَدِ اسْتَيْقَظْتُ وَإِنَّهَا لَفِي يَدِي فَقَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ تِلْكَ الرَّوْضَةُ الإِسْلاَمُ وَذَلِكَ الْعَمُودُ عَمُودُ الإِسْلاَمِ وَتِلْكَ الْعُرْوَةُ عُرْوَةُ الْوُثْقَى وَأَنْتَ عَلَى الإِسْلاَمِ حَتَّى تَمُوتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَالرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ‏.‏

কায়স ইবনু ‘আব্বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাদীনাতে এমন ব্যক্তিদের মাঝে ছিলাম, যাঁদের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতক সহাবী বিদ্যমান ছিলেন। ইত্যবসরে এক লোক এলো, যার মুখমণ্ডলে ভয়-ভীতির চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। তখন লোকদের মধ্য থেকে কেউ কেউ বললেন, এ লোক জান্নাতীদের একজন, এ লোক জান্নাতীদের একজন। তিনি সেখানে দু’ রাকা‘আত সলাত আদায় করলেন। তারপর বেরিয়ে গেলেন। আমি তাঁকে অনুকরণ করলাম। তিনি তাঁর গৃহে ঢুকলেন। আমিও ঢুকলাম। এরপর আমরা আলাপচারিতায় ছিলাম। উভয়ের মধ্যে যখন অন্তরঙ্গতা তৈরি হলো তখন তাকে আমি বললাম, আপনি যখন একটু আগে (মাসজিদে) প্রবেশ করেছিলেন, তখন জনৈক লোক এরূপ এরূপ বলেছিল (এ লোক জান্নাতীদের একজন)। তিনি বললেন, সুবাহানাল্লাহ! কারো পক্ষে এমন কোন কথা বলা ঠিন নয়, যা সে অজ্ঞাত। তিনি বললেন, আমি তোমার সাথে আলাপ করব, কেন এমন হয়? (অর্থাৎ লোকেরা কেন এ কথা বলে) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে একদা আমি একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি সে স্বপ্নের কথা তাঁর নিকট প্রকাশ করেছিলাম। আমি নিজেকে একটি বাগিচায় দেখতে পাই। এ বাগানের ব্যাপকতা, উৎপন্ন ফসলাদি ও সৌন্দর্যের কথাও তিনি ব্যক্ত করেন। এ বাগানের মাঝখানে একটি লৌহস্তম্ভ ছিল যার নিম্নভাগ ছিল মাটির মাঝে এবং উপরিভাগ ছিল আকাশে। এর উপরিভাগে ছিল একটি রশি। তখন আমাকে বলা হলো, তুমি এত সওয়ার হও। আমি বললাম, আমি সওয়ার হতে পারব না। তারপর একজন মিনসাফ আসলো। তিনি বলেন, ইবনু ‘আওন (রহঃ)-এর মতে মিনসাফ অর্থ খাদিম। তিনি বলেন, তিনি পশ্চাৎদিক থেকে আমার বস্ত্র ধরলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, সে (খাদিম) তার হাত দিয়ে তাঁর পেছন হতে তাঁকে তুলে দিল। আমি সওয়ার হলাম, এমনকি খুঁটি বেয়ে উঠলাম, তারপর রজ্জুটি ধরলাম। অতঃপর আমাকে বলা হলো একে আঁকড়িয়ে ধরো।

আমি যখন জেগে গেলাম, তখনও ঐ রজ্জুটি আমার হাতেই ছিল। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ স্বপ্নের কথা উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, সে বাগানটি হলো ইসলাম। আর সে খুঁটিটি হলো ইসলামের খুঁটি এবং সে রজ্জুটি হলো সুদৃঢ় রজ্জু। তুমি আমৃত্যু শক্তভাবে ইসলামের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকবে।

বর্ণনাকারী বলেন, আর সে লোকই ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)।

(ই. ফা. ৬১৫৭, ই. সে. ৬২০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ قَالَ قَيْسُ بْنُ عُبَادٍ كُنْتُ فِي حَلْقَةٍ فِيهَا سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ وَابْنُ عُمَرَ فَمَرَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ فَقَالُوا هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏.‏ فَقُمْتُ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّهُمْ قَالُوا كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ مَا كَانَ يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يَقُولُوا مَا لَيْسَ لَهُمْ بِهِ عِلْمٌ إِنَّمَا رَأَيْتُ كَأَنَّ عَمُودًا وُضِعَ فِي رَوْضَةٍ خَضْرَاءَ فَنُصِبَ فِيهَا وَفِي رَأْسِهَا عُرْوَةٌ وَفِي أَسْفَلِهَا مِنْصَفٌ – وَالْمِنْصَفُ الْوَصِيفُ – فَقِيلَ لِيَ ارْقَهْ ‏.‏ فَرَقِيتُ حَتَّى أَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقَصَصْتُهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَمُوتُ عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ آخِذٌ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى ‏”‏ ‏.‏

কায়স ইবনু ‘আব্বাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এক মাজলিসে ছিলাম, যেখানে সা‘দ ইবনু মালিক (রাঃ) ও উবনু ‘উমার (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) যাচ্ছিলেন। তাঁরা বললেন, এ ব্যক্তিটি জান্নাতীদের একজন। আমি দণ্ডায়মান হলাম এবং তাঁকে বললাম, তাঁরা আপনাকে এমন এমন বলেছেন। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! তাঁদের এমন কোন কথা ব্যক্ত করা ঠিক নয়, যে ব্যাপারে তাঁদের ‘ইল্‌ম নেই। একবার (স্বপ্নে) আমি দেখতে পেলাম, যেন একটি খুঁটি রাখা হয়েছে একটি সবুজ শ্যামল বাগানের মধ্যস্থলে, এর চূড়ায় একটি রজ্জু ছিল। এর নিম্নে একটি ছোট্ট ‘মিনসাফ’ (দণ্ডায়মান) ছিল। মিন্সাফ অর্থ খাদিম। তখন আমাকে বলা হলো, এতে সওয়ার হও। আমি তাতে সওয়ার হলাম। শেষ অবধি রজ্জুটি সুদৃঢ়ভাবে ধরলাম। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে তা ব্যক্ত করলাম। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃমজবুত রজ্জুটি আঁকড়ে ধরা অবস্থায় ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) মৃত্যুরবণ করবে। (ই.ফা. ৬১৫৮, ই.সে. ৬২০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৭৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ – حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا فِي حَلْقَةٍ فِي مَسْجِدِ الْمَدِينَةِ – قَالَ – وَفِيهَا شَيْخٌ حَسَنُ الْهَيْئَةِ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ – قَالَ – فَجَعَلَ يُحَدِّثُهُمْ حَدِيثًا حَسَنًا – قَالَ – فَلَمَّا قَامَ قَالَ الْقَوْمُ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لأَتْبَعَنَّهُ فَلأَعْلَمَنَّ مَكَانَ بَيْتِهِ ‏.‏ قَالَ فَتَبِعْتُهُ فَانْطَلَقَ حَتَّى كَادَ أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الْمَدِينَةِ ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ – قَالَ – فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَأَذِنَ لِي فَقَالَ مَا حَاجَتُكَ يَا ابْنَ أَخِي قَالَ فَقُلْتُ لَهُ سَمِعْتُ الْقَوْمَ يَقُولُونَ لَكَ لَمَّا قُمْتَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ‏.‏ فَأَعْجَبَنِي أَنْ أَكُونَ مَعَكَ قَالَ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْجَنَّةِ وَسَأُحَدِّثُكَ مِمَّ قَالُوا ذَاكَ إِنِّي بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ أَتَانِي رَجُلٌ فَقَالَ لِي قُمْ ‏.‏ فَأَخَذَ بِيَدِي فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ – قَالَ – فَإِذَا أَنَا بِجَوَادَّ عَنْ شِمَالِي – قَالَ – فَأَخَذْتُ لآخُذَ فِيهَا فَقَالَ لِي لاَ تَأْخُذْ فِيهَا فَإِنَّهَا طُرُقُ أَصْحَابِ الشِّمَالِ – قَالَ – فَإِذَا جَوَادُّ مَنْهَجٌ عَلَى يَمِيِنِي فَقَالَ لِي خُذْ هَا هُنَا ‏.‏ فَأَتَى بِي جَبَلاً فَقَالَ لِي اصْعَدْ – قَالَ – فَجَعَلْتُ إِذَا أَرَدْتُ أَنْ أَصْعَدَ خَرَرْتُ عَلَى اسْتِي – قَالَ – حَتَّى فَعَلْتُ ذَلِكَ مِرَارًا – قَالَ – ثُمَّ انْطَلَقَ بِي حَتَّى أَتَى بِي عَمُودًا رَأْسُهُ فِي السَّمَاءِ وَأَسْفَلُهُ فِي الأَرْضِ فِي أَعْلاَهُ حَلْقَةٌ فَقَالَ لِيَ ‏.‏ اصْعَدْ فَوْقَ هَذَا ‏.‏ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْعَدُ هَذَا وَرَأْسُهُ فِي السَّمَاءِ – قَالَ – فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَلَ بِي – قَالَ – فَإِذَا أَنَا مُتَعَلِّقٌ بِالْحَلْقَةِ – قَالَ – ثُمَّ ضَرَبَ الْعَمُودَ فَخَرَّ – قَالَ – وَبَقِيتُ مُتَعَلِّقًا بِالْحَلْقَةِ حَتَّى أَصْبَحْتُ – قَالَ – فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ أَمَّا الطُّرُقُ الَّتِي رَأَيْتَ عَنْ يَسَارِكَ فَهِيَ طُرُقُ أَصْحَابِ الشِّمَالِ – قَالَ – وَأَمَّا الطُّرُقُ الَّتِي رَأَيْتَ عَنْ يَمِينِكَ فَهِيَ طُرُقُ أَصْحَابِ الْيَمِينِ وَأَمَّا الْجَبَلُ فَهُوَ مَنْزِلُ الشُّهَدَاءِ وَلَنْ تَنَالَهُ وَأَمَّا الْعَمُودُ فَهُوَ عَمُودُ الإِسْلاَمِ وَأَمَّا الْعُرْوَةُ فَهِيَ عُرْوَةُ الإِسْلاَمِ وَلَنْ تَزَالَ مُتَمَسِّكًا بِهَا حَتَّى تَمُوتَ ‏”‏ ‏.‏

খারাশাহ্ ইবনু হুর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাদীনার মাসজিদে একটি সমাবেশে উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি বলেন, সে মাজলিসে বসা ছিলেন সুন্দর চেহারার অধিকারী একজন বৃদ্ধ লোক। তিনিই ছিলেন ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তিনি তাঁদের সম্মুখে ভাল ভাল কথা বলছিলেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, যখন তিনি সমাবেশ হতে উঠছিলেন সে সময় ব্যক্তিরা বলল, কোন লোক যদি জান্নাতীকে দেখে আনন্দিত হতে চায় তবে যেন সে ঐ লোকটির দিকে দৃষ্টিপাত করে। তিনি [খারাশাহ্ (রাঃ)] বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! নিশ্চয়ই আমি তাঁর অনুসরণ করব, যাতে আমি তাঁর আবাসস্থল জানতে পারি। তিনি (বর্ণনাকারী) বললেন, এরপর আমি তাঁকে অনুসরণ করলাম। তিনি রওনা হলেন এবং মাদীনাহ্ শহর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সন্নিকটবর্তী জায়গায় পৌঁছে নিজ ঘরে ঢুকলেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন আমিও তাঁর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। অতঃপর বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি কি চাও? রাবী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, আপনি যখন সমাবেশ থেকে উঠে আসছিলেন তখন আমি আপনার ব্যাপারে ব্যক্তিদের বলতে শুনেছি, যে লোক একজন জান্নাতীকে দেখে আনন্দ পেতে চায়, সে যেন এ লোকের দিকে তাকায়। তখন আমার মনে আপনার সঙ্গ লাভের আগ্রহ জাগে। তিনি বললেন, জান্নাতীদের ব্যাপারে আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। কিন্তু ব্যক্তিদের এ কথা বলার কারণ আমি তোমার নিকট উল্লেখ করছি। একবার আমি ঘুমে অচেতন ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম যে, জনৈক লোক আমার নিকট এসেছে। সে আমাকে বলল, দাঁড়িয়ে যাও। অতঃপর সে আমার হাত আঁকড়ে ধরল। আমি তার সাথে রওনা করলাম। আমি আমার বামপাশে কয়েকটি পথ দেখতে পেলাম এবং আমি সে পথ ঘরে চলতে চাইলাম। সে আমাকে বলল, এদিকে যেয়ো না। কারণ, এটা হলো বামপন্থীদের (কাফিরদের) পথ। তিনি বলেন, এরপর আমি আমার ডানপাশে কয়েকটি আলোক সরল পথ দেখতে পেলাম। এরপর সে বলল, এ রাস্তায় চলো। তিনি বলেন, অতঃপর সে আমাকে একটি পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে আসলো। অতঃপর আমাকে পাহাড়ে উঠতে বলল। আমি পাহাড়ে উঠতে চেষ্টারত ছিলাম। কিন্তু পাছায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলাম। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকবার এরূপ চেষ্টা করতে লাগলাম। তিনি বলেন, এরপর সে আমাকে নিয়ে রওনা হলো এবং একটি খুঁটির নিকট পৌঁছল, যার মাথা ছিল আকাশে এবং তার নিম্নভাগ ভূ-পৃষ্ঠের নীচে ছিল। খূঁটির চূড়ায় একটি কড়া ছিল। সে বলল, এর উপরে উঠো। তিনি বলেন, আমি বললাম, এতে কিভাবে চড়ব? এর মাথা তো আকাশের উপরিভাগে। তিনি বলেন, এরপর সে আমার হাত ধরল এবং আমাকে উপরে ঠেলে দিল। অকস্মাৎ আমি দেখলাম যে, আমি কড়ার সাথে ঝুলে আছি। তিনি বলেন, এরপর সে খুঁটির উপর করাঘাত করল এবং তা পড়ে গেল। তিনি বলেন, আর আমি কড়ার সাথে ঝুলে গেলাম। এভাবে আমার সকাল হলো। তিনি বলেন, এরপর আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে স্বপ্নের কথা সবিস্তারে বিবরণ দিলাম। তিনি বললেনঃতুমি তোমার বামপাশে যে পথগুলো দেখেছ, তা হচ্ছে বামপন্থীদের রাস্তা এবং তোমার ডানপাশে যেসব রাস্তা দেখেছ, তা হচ্ছে আসহাবুল ইয়ামীন বা জান্নাতীগণের রাস্তা। তুমি যে পাহাড়টি দেখেছিলে তা হচ্ছে শাহীদগণের আবাসস্থল আর তা তুমি পাবে না। তুমি যে খুঁটিটি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের খুঁটি। যে কড়াটি তুমি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের কড়া। আর তুমি আমৃত্যু ইসলামের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে।

(ই.ফা. ৬১৫৯, ই.সে. ৬২০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪. অধ্যায়ঃ

হাস্সান ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৭৮

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كُلُّهُمْ عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ عُمَرَ، مَرَّ بِحَسَّانَ وَهُوَ يُنْشِدُ الشِّعْرَ فِي الْمَسْجِدِ فَلَحَظَ إِلَيْهِ فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أُنْشِدُ وَفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ ‏.‏ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ أَجِبْ عَنِّي اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ اللَّهُمَّ نَعَمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার ‘উমার (রাঃ) হাস্সান (রাঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তিনি তখন মাসজিদে কবিতা আবৃত্তিতে মত্ত ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁর দিকে তাকালেন। তখন তিনি বললেন, এমন অবস্থায় মাসজিদে আমি কবিতা আবৃত্তি করছিলাম, যখন তাতে আপনার চাইতে ভাল লোক উপবিষ্ট ছিলেন। তারপর হাস্সান (রাঃ) আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর দিকে তাকিয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! আপনি কি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, “তুমি আমার পক্ষ হতে উত্তর দাও। হে আল্লাহ! তাকে পবিত্র আত্মা (জিব্রীল) দ্বারা সহযোগিতা করো।” আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বললেন, “ইয়া আল্লাহ! হ্যাঁ।”

(ই.ফা. ৬১৬০, ই.সে. ৬২০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৭৯

حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ حَسَّانَ، قَالَ فِي حَلْقَةٍ فِيهِمْ أَبُو هُرَيْرَةَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ مِثْلَهُ ‏.‏

ইবনুল মুসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার হাস্সান (রাঃ) আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-সহ সহাবীদের এক মাজলিসে বলেছিলেন, হে আবূ হুরায়রা্! আল্লাহর শপথ! আপনি কি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন? তারপর তিনি উপরোল্লিখিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৬১৬১, ই.সে. ৬২০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ، يَسْتَشْهِدُ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ يَا حَسَّانُ أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ ‏.‏

আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি হাস্সান ইবনু সাবিত আনসারী (রাঃ)-কে আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-কে সাক্ষী করতে শুনেছেন যে, হে আবূ হুরায়রা্! আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি, আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, হে হাস্সান! তুমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ হতে উত্তর দাও। হে আল্লাহ! তাঁকে রূহুল কুদুসের (জিব্রীলের) মাধ্যমে সাহায্য করুন। তখন আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বললেন, আচ্ছা।

(ই.ফা. ৬১৬২, ই.সে. ৬২০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮১

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، – وَهُوَ ابْنُ ثَابِتٍ – قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ ‏ “‏ اهْجُهُمْ أَوْ هَاجِهِمْ وَجِبْرِيلُ مَعَكَ ‏”‏ ‏.‏

বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হাস্সান ইবনু সাবিতের উদ্দেশে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তুমি তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে বিদ্রূপ কবিতা রচনা করো কিংবা বলেছেন, তুমি তাদের ব্যঙ্গ কবিতার জবাব দাও। জিব্রীল (‘আঃ) তোমার সাথে আছেন। (ই.ফা. ৬১৬৩, ই.সে. ৬২০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮২

حَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

শু‘বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সূত্রে অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৬১৬৩, ই.সে. ৬২০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ، كَانَ مِمَّنْ كَثَّرَ عَلَى عَائِشَةَ فَسَبَبْتُهُ فَقَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي دَعْهُ فَإِنَّهُ كَانَ يُنَافِحُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

হিশাম (রহঃ) হতে তার পিতার সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

হাস্সান ইবনু সাবিত (রাঃ) সেসব ব্যক্তির মাঝে শামিল ছিলেন, যাঁরা ‘আয়িশার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন (দুর্নাম করেছেন)। তাই আমি তাকে ভর্ৎসনা করেছিলাম। তখন ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, হে আমার ভগ্নিপুত্র! তাকে ছেড়ে দাও। কারণ তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ হতে কাফিরদের বিরুদ্ধে বিদ্রূপ কবিতা দিয়ে উত্তর দিতেন। (ই.ফা. ৬১৬৪, ই.সে. ৬২০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮৪

حَدَّثَنَاهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম (রহঃ) হতে এ সূত্রে রিওয়ায়াত রয়েছে। (ই.ফা. ৬১৬৫, ই.সে. ৬২০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮৫

حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ وَعِنْدَهَا حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يُنْشِدُهَا شِعْرًا يُشَبِّبُ بِأَبْيَاتٍ لَهُ فَقَالَ حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ لَكِنَّكَ لَسْتَ كَذَلِكَ ‏.‏ قَالَ مَسْرُوقٌ فَقُلْتُ لَهَا لِمَ تَأْذَنِينَ لَهُ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ قَالَ اللَّهُ ‏{‏ وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ‏}‏ فَقَالَتْ فَأَىُّ عَذَابٍ أَشَدُّ مِنَ الْعَمَى إِنَّهُ كَانَ يُنَافِحُ أَوْ يُهَاجِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

মাসরূক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তাঁর নিকট হাস্সান ইবনু সাবিত (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি তখন তাঁর জন্য কবিতা তৈরি করছিলেন এবং তাঁর কবিতাটির কয়েকটি পংক্তি দ্বারা গান গাইছিলেন। তিনি বলেছিলেন:

“তিনি পবিত্র আত্মা! বুদ্ধিমতী, সন্দেহজনক বিষয়ে তাঁকে কোন অপবাদ দেয়া যায় না।

তিনি উদাসীনদের গোশ্ত হতে অভুক্ত হতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শয্যা ত্যাগ করেন।”

তখন ‘আয়িশা (রাঃ) তাঁকে বললেন, কিন্তু আপনি তো এমন নন। মাসরূক (রাঃ) বলেন, আমি তাঁকে (‘আয়িশাকে) বললাম, আপনি তাঁকে আপনার নিকট ঢুকার অনুমতি দিলেন কেন? অথচ আল্লাহ বলেছেন- “এবং তাদের মাঝে যে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, তার জন্য আছে মহাশাস্তি”-

(সূরাহ্ আন্ নূর ২৪:১১)।

তখন ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, এর চাইতে ভয়ঙ্কর শাস্তি আর কি হতে পারে যে, সে অন্ধ হয়ে গেছে? অতঃপর তিনি বললেন, তিনি তো রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তরফ হতে তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে উত্তর দিতেন অথবা বিদ্রূপ করে কবিতার মাধ্যমে সমুচিত জবাব দিতেন। (ই.ফা. ৬১৬৬, ই.সে. ৬২১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮৬

حَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ قَالَتْ كَانَ يَذُبُّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ حَصَانٌ رَزَانٌ ‏.‏

শু‘বাহ সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, তিনি রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তরফ হতে উত্তর দিতেন। তবে তিনি এ বর্ণনায় ………. (পবিত্র) ও …………. (পবিত্র আত্মা, বুদ্ধিমতী) শব্দটুকু বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৬১৬৭, ই.সে. ৬২১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ حَسَّانُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فِي أَبِي سُفْيَانَ قَالَ ‏ “‏ كَيْفَ بِقَرَابَتِي مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لأَسُلَّنَّكَ مِنْهُمْ كَمَا تُسَلُّ الشَّعَرَةُ مِنَ الْخَمِيرِ ‏.‏ فَقَالَ حَسَّانُ وَإِنَّ سَنَامَ الْمَجْدِ مِنْ آلِ هَاشِمٍ بَنُو بِنْتِ مَخْزُومٍ وَوَالِدُكَ الْعَبْدُ قَصِيدَتَهُ هَذِهِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হাস্সান (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাকে আবূ সুফ্ইয়ানের তিরস্কার করার অনুমতি দিন। তিনি বললেন, কিভাবে অনুমতি দিব? তার সাথে আমার আত্মীয়তার বন্ধন রয়েছে? তখন তিনি বললেন, সে মহান সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন, আটার খামির হতে যেভাবে চুল আলাদা করে নেয়া হয়, আমি ঠিক সেভাবে আপনাকে আলাদা করে নিব। তারপর হাস্সান (রাঃ) বললেন:

“মান-সম্মান ও আভিজাত্য বানূ হাশিমের বংশধরদের মাঝে

বিনতু মাখযুমের সন্তানদের জন্য এবং তোমার পিতা তো দাস ছিল।” এ হলো তার কাসীদাহ্ (দীর্ঘ কবিতা)। (ই.ফা. ৬১৬৮, ই.সে. ৬২১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَتِ اسْتَأْذَنَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي هِجَاءِ الْمُشْرِكِينَ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا سُفْيَانَ وَقَالَ بَدَلَ الْخَمِيرِ الْعَجِينِ ‏.‏

হিশাম উবনু ‘উরওয়াহ্ (রাঃ)-এর এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, হাস্সান ইবনু সাবিত (রাঃ) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট মুশরিকদের বিরুদ্ধে বিদ্রূপাত্মক কবিতা রচনার অনুমতি চাইলেন। কিন্তু তাঁরা এ বর্ণনায় আবূ সুফ্ইয়ানের কথা বর্ণনা করেননি। ‘আবদার বর্ণনায় ……. . . (আটার খামির)-এর স্থলে ………. (ঘোলা আটা) আছে। (ই.ফা. ৬১৬৯, ই.সে. ৬২১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ اهْجُوا قُرَيْشًا فَإِنَّهُ أَشَدُّ عَلَيْهَا مِنْ رَشْقٍ بِالنَّبْلِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَرْسَلَ إِلَى ابْنِ رَوَاحَةَ فَقَالَ ‏”‏ اهْجُهُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَهَجَاهُمْ فَلَمْ يُرْضِ فَأَرْسَلَ إِلَى كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ قَالَ حَسَّانُ قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تُرْسِلُوا إِلَى هَذَا الأَسَدِ الضَّارِبِ بِذَنَبِهِ ثُمَّ أَدْلَعَ لِسَانَهُ فَجَعَلَ يُحَرِّكُهُ فَقَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لأَفْرِيَنَّهُمْ بِلِسَانِي فَرْىَ الأَدِيمِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَعْجَلْ فَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ أَعْلَمُ قُرَيْشٍ بِأَنْسَابِهَا – وَإِنَّ لِي فِيهِمْ نَسَبًا – حَتَّى يُلَخِّصَ لَكَ نَسَبِي ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَاهُ حَسَّانُ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ لَخَّصَ لِي نَسَبَكَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لأَسُلَّنَّكَ مِنْهُمْ كَمَا تُسَلُّ الشَّعَرَةُ مِنَ الْعَجِينِ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِحَسَّانَ ‏”‏ إِنَّ رُوحَ الْقُدُسِ لاَ يَزَالُ يُؤَيِّدُكَ مَا نَافَحْتَ عَنِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ هَجَاهُمْ حَسَّانُ فَشَفَى وَاشْتَفَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ حَسَّانُ هَجَوْتَ مُحَمَّدًا فَأَجَبْتُ عَنْهُ وَعِنْدَ اللَّهِ فِي ذَاكَ الْجَزَاءُ هَجَوْتَ مُحَمَّدًا بَرًّا تَقِيًّا رَسُولَ اللَّهِ شِيمَتُهُ الْوَفَاءُ فَإِنَّ أَبِي وَوَالِدَهُ وَعِرْضِي لِعِرْضِ مُحَمَّدٍ مِنْكُمْ وِقَاءُ ثَكِلْتُ بُنَيَّتِي إِنْ لَمْ تَرَوْهَا تُثِيرُ النَّقْعَ مِنْ كَنَفَىْ كَدَاءِ يُبَارِينَ الأَعِنَّةَ مُصْعِدَاتٍ عَلَى أَكْتَافِهَا الأَسَلُ الظِّمَاءُ تَظَلُّ جِيَادُنَا مُتَمَطِّرَاتٍ تُلَطِّمُهُنَّ بِالْخُمُرِ النِّسَاءُ فَإِنْ أَعْرَضْتُمُو عَنَّا اعْتَمَرْنَا وَكَانَ الْفَتْحُ وَانْكَشَفَ الْغِطَاءُ وَإِلاَّ فَاصْبِرُوا لِضِرَابِ يَوْمٍ يُعِزُّ اللَّهُ فِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَقَالَ اللَّهُ قَدْ أَرْسَلْتُ عَبْدًا يَقُولُ الْحَقَّ لَيْسَ بِهِ خَفَاءُ وَقَالَ اللَّهُ قَدْ يَسَّرْتُ جُنْدًا هُمُ الأَنْصَارُ عُرْضَتُهَا اللِّقَاءُ لَنَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مِنْ مَعَدٍّ سِبَابٌ أَوْ قِتَالٌ أَوْ هِجَاءُ فَمَنْ يَهْجُو رَسُولَ اللَّهِ مِنْكُمْ وَيَمْدَحُهُ وَيَنْصُرُهُ سَوَاءُ وَجِبْرِيلٌ رَسُولُ اللَّهِ فِينَا وَرُوحُ الْقُدْسِ لَيْسَ لَهُ كِفَاءُ

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কুরায়শদের বিপক্ষে তোমরা বিদ্রূপ কবিতা তৈরি কর। কারণ, তা তাদের বিপক্ষে তীর ছোড়ার চেয়ে সর্বাধিক শক্তিশালী। তারপর তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহাহ্ (রাঃ)-এর নিকট জনৈক লোককে পাঠালেন। তিনি তাকে বললেন, ওদের বিপক্ষে বিদ্রূপ করে কবিতা তৈরি কর। অতঃপর তিনি ব্যঙ্গাত্মক কবিতা রচনা করলেন। কিন্তু তাতে তিনি সন্তুষ্ট হলেন না। তখন তিনি কা‘ব ইবনু মালিককে ডেকে পাঠালেন। তারপর তিনি হাস্সান ইবনু সাবিতের নিকট এক ব্যক্তি প্রেরণ করলেন। সে যখন তার নিকট গেল তখন হাস্সান (রাঃ) বললেন, তোমাদের জন্য সঠিক সময় হয়েছে যে, তোমরা সে সিংহকে ডেকে পাঠিয়েছ, যে তার লেজ দিয়ে আঘাত করে দেয়। তারপর তিনি তার জিহ্বা বের করে নাড়াতে লাগলেন এবং বললেন, সে মহান সত্তার শপথ, তিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আমি আমার জিহ্বার মাধ্যমে তাদেরকে এমনভাবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিব, যেমনভাবে হিংস্র বাঘ তার থাবা দিয়ে চামড়া টেনে ছিঁড়ে ফেলে। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃহে হাস্সান! তুমি তাড়াতাড়ি করো না। কারণ আবূ বকর (রাঃ) কুরায়শদের বংশ তালিকা সম্বন্ধে সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞ। কেননা, তাদের সাথে আমারও আত্মীয়তার বন্ধন বিদ্যমান। অতএব তিনি এসে আমার বংশ তোমাকে আলাদা করে বলে দিবেন। তারপর হাস্সান (রাঃ) তাঁর [আবূ বকর (রাঃ)]-এর নিকট গেলেন এবং (বংশ তালিকা সম্বন্ধে জ্ঞাত হয়ে) ফিরে এলেন। সে মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন আমি আপনাকে তাদের মাঝখান হতে এমন সুকৌশলে বের করে আনব, যেমনভাবে আটার খামির থেকে সূক্ষ্ম চুল বের করা হয়।

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তারপর আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হাস্সান-এর ব্যাপারে বলতে শুনেছি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের তরফ হতে কাফিরদের দাঁতভাঙ্গা উত্তর দিতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ‘রূহুল কুদুস’ অর্থাৎ-জিব্রীল (‘আঃ) সারাক্ষণ তোমাকে সহযোগিতা করতে থাকবেন।

আর তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, হাস্সান তাদের (কাফিরদের বিরুদ্ধে) ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি এনে দিলেন এবং কাফিরদের মান-সম্মানকে ভূলুণ্ঠিত করে আত্মতৃপ্তি লাভ করলেন।

হাস্সান (রাঃ) বললেন:

তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুর্নাম করছ,

আর আমি তাঁর পক্ষ হতে জবাব দিচ্ছি।

এর পুরস্কার প্রতিদান আল্লাহর কাছে।

তুমি দুর্নাম করছ এমন মুহাম্মাদের,

যিনি নেক লোক, সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার;

তিনি হচ্ছেন আল্লাহর রসূল,

যাঁর চরিত্র মাধুর্য অনুপম।

আমার পিতা-মাতা আমার ইয্যত-আবরু

মুহাম্মাদের সম্মানের খাতিরে উৎসর্গিত হোক।

আমি শপথ করে বলছি, কাদ্দা নামক পাহাড়ের দু’প্রান্তে (মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর) বিজয় ধূলি উড়বে

তা তোমরা দেখতে পাবে, কিংবা আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।

আনসারগণ পর্বত শৃঙ্গ থেকে কাঁধে ধারণ করবেন বর্শা

এবং তাঁরা থাকবেন তৃষ্ণা-কাতর জানোয়ারের মতো ওঁৎ পেতে

(অর্থাৎ- আনসারগণ শত্রু মুকাবিলায় সতত প্রস্তুত থাকেন)।

আমাদের অশ্বারোহীরা এত দ্রুতবেগে চলে যেন মুষলধারে বারি বর্ষিত হচ্ছে।

আর নারীরা তা হতে মুক্ত হওয়ার জন্যে পর্দা করে তাদের মুখমণ্ডল ঢেকে নিচ্ছে।

তোমরা যদি আমাদের (ইসলামের) বিমুখ হও,

তাহলেও ইসলামের বিজয় নিশান উড়বে

আর অন্ধকার চিরদিনের জন্য বিদূরিত হয়ে যাবে।

কিংবা তোমরা অপেক্ষায় থাকো ঐ সময়ের,

যেদিন মুসলিমদের সঙ্গে কাফিরদের মুকাবিলা হবে;

আর সেদিন আল্লাহ যাকে চান বিজয় মালা পরাবেন।

আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, আমি আমার বান্দাকে রসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি;

আর তিনি সবসময় লোকদের সত্যের দিকে ডাকেন, যাঁর মধ্যে নেই কোন কপটতা, অস্পষ্টতা।

আল্লাহ তা‘আলা আরও ইরশাদ করেন,

আমি এমন মুজাহিদদের মদদ করি, যারা আনসার

এবং যাদের একমাত্র লক্ষ হচ্ছে শত্রু মুকাবিলা করা।

প্রত্যহ তারা শত্রু মুকাবিলায় থাকে সতত প্রস্তুত।

কক্ষনো বা গাল-মন্দ, যুদ্ধ-বিগ্রহ অথবা নিন্দাবাদ দ্বারা।

তোমাদের মাঝে এমন কারো দুঃসাহস আছে যে, আল্লাহর রসূলের বিদ্রূপ করে;

অথচ মাখলুকাত ব্যতীতও এক মহান সত্তা রয়েছেন, যিনি তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং সর্বাবস্থায় তাঁর সহায়ক।

জিব্রীল(‘আঃ) আমাদের জন্য আল্লাহর তরফ হতে নির্বাচিত সম্মানিক বাণীবাহক (দূত) এবং তিনি রূহুল কুদুস (পূতঃ-পবিত্র আত্মা) যাঁর সাদৃশ্য ফেরেশ্তাকুলে দ্বিতীয় কেউ নেই। (ই.ফা. ৬১৭০, ই.সে. ৬২১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫. অধ্যায়ঃ

আবূ হুরাইরাহ্ আদ্-দুসী (রাঃ)-এর ফযিলত

৬২৯০

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي كَثِيرٍ، يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنْتُ أَدْعُو أُمِّي إِلَى الإِسْلاَمِ وَهِيَ مُشْرِكَةٌ فَدَعَوْتُهَا يَوْمًا فَأَسْمَعَتْنِي فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أَكْرَهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَدْعُو أُمِّي إِلَى الإِسْلاَمِ فَتَأْبَى عَلَىَّ فَدَعَوْتُهَا الْيَوْمَ فَأَسْمَعَتْنِي فِيكَ مَا أَكْرَهُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَهْدِيَ أُمَّ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اللَّهُمَّ اهْدِ أُمَّ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَخَرَجْتُ مُسْتَبْشِرًا بِدَعْوَةِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا جِئْتُ فَصِرْتُ إِلَى الْبَابِ فَإِذَا هُوَ مُجَافٌ فَسَمِعَتْ أُمِّي خَشْفَ قَدَمَىَّ فَقَالَتْ مَكَانَكَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَسَمِعْتُ خَضْخَضَةَ الْمَاءِ قَالَ – فَاغْتَسَلَتْ وَلَبِسَتْ دِرْعَهَا وَعَجِلَتْ عَنْ خِمَارِهَا فَفَتَحَتِ الْبَابَ ثُمَّ قَالَتْ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ – قَالَ – فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُهُ وَأَنَا أَبْكِي مِنَ الْفَرَحِ – قَالَ – قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبْشِرْ قَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ دَعْوَتَكَ وَهَدَى أُمَّ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ خَيْرًا – قَالَ – قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُحَبِّبَنِي أَنَا وَأُمِّي إِلَى عِبَادِهِ الْمُؤْمِنِينَ وَيُحَبِّبَهُمْ إِلَيْنَا – قَالَ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اللَّهُمَّ حَبِّبْ عُبَيْدَكَ هَذَا – يَعْنِي أَبَا هُرَيْرَةَ وَأُمَّهُ – إِلَى عِبَادِكَ الْمُؤْمِنِينَ وَحَبِّبْ إِلَيْهِمُ الْمُؤْمِنِينَ ‏”‏ ‏.‏ فَمَا خُلِقَ مُؤْمِنٌ يَسْمَعُ بِي وَلاَ يَرَانِي إِلاَّ أَحَبَّنِي ‏.‏

আবূ কাসীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রিওয়ায়াত করেছেন যে, আমি আমার মাকে ইসলামের দিকে আহ্বান করতাম, তখন তিনি মুশরিকা ছিলেন। একদা আমি তাকে ইসলাম গ্রহণের জন্য আহ্বান জানালে তখন তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ব্যাপারে আমাকে এমন কথা শুনালেন, যা আমার নিকট অনেক অপছন্দনীয় মহে হচ্ছিল। আমি কাঁদতে কাঁদতে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার মাকে ইসলামের দা‘ওয়াত দিয়েছিলাম আর তিনি আমার দা‘ওয়াত অস্বীকার করে আসছেন। তারপর আমি তাকে আজ দা‘ওয়াত দেয়াতে তিনি আমাকে আপনার ব্যাপারে এমন কথা শুনালেন, যা আমি সর্বদাই অপছন্দ করি। অতএব আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যেন তিনি আবূ হুরাইরার মাকে হিদায়াত দান করেন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ“হে আল্লাহ! আবূ হুরাইরার মাকে হিদায়াত দান করো।” তারপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দু’আর কারণে আমি খুশী মনে বেরিয়ে এলাম। যখন আমি ঘরে পৌঁছলাম তখন তার দরজা বন্ধ দেখতে পেলাম। আমার মা আমার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলেন। তারপর তিনি বললেন, আবূ হুরায়রা্! একটু দাঁড়াও (থামো)। তখন আমি পানির কলকল শব্দ শুনছিলাম। তিনি বলেন, এরপর তিনি (আমার মা) গোসল করলেন এবং শরীরে চাদর দিলেন। আর তাড়াতাড়ি করে ওড়না জড়িয়ে নিলেন, তারপর বাড়ীর দরজা খুলে দিলেন। অতঃপর বললেন, “হে আবূ হুরায়রা্! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রসূল।” তিনি বলেন, তখন আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমাতে উপস্থিত হলাম। তারপর তাঁর নিকট গেলাম এবং আমি তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে কাঁদছিলাম। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! সুখবর শুনুন। আল্লাহ আপনার দু’আ কবূল করেছেন এবং আবূ হুরাইরার মাকে হিদায়াতপ্রাপ্ত করেছেন। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলেন ও তাঁর প্রশংসা করলেন। আর বললেন, ‘উত্তম’।

তিনি বলেন, তারপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন, তিনি যেন আমাকে এবং আমার মাকে মু’মিন বান্দাদের নিকট প্রিয়পাত্র করেন এবং তাঁদের ভালবাসা আমাদের অন্তরে বদ্ধমূল করে দেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তারপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ“হে আল্লাহ! তোমার এ বান্দা আবূ হুরাইরাকে এবং তাঁর মাকে মু’মিন বান্দাদের নিকট প্রিয়পাত্র করে দাও এবং তাঁদের নিকটও মু’মিন বান্দাদের প্রিয়পাত্র করে দাও।” তারপর এমন কোন মু’মিন বান্দা পয়দা হয়নি, যে আমার কথা শুনেছে কিংবা আমাকে দেখেছে অথচ আমাকে ভালবাসেনি। (ই.ফা. ৬১৭১, ই.সে. ৬২১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৯১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الأَعْرَجِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ إِنَّكُمْ تَزْعُمُونَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُكْثِرُ الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهُ الْمَوْعِدُ كُنْتُ رَجُلاً مِسْكِينًا أَخْدُمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مِلْءِ بَطْنِي وَكَانَ الْمُهَاجِرُونَ يَشْغَلُهُمُ الصَّفْقُ بِالأَسْوَاقِ وَكَانَتِ الأَنْصَارُ يَشْغَلُهُمُ الْقِيَامُ عَلَى أَمْوَالِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ يَبْسُطُ ثَوْبَهُ فَلَنْ يَنْسَى شَيْئًا سَمِعَهُ مِنِّي ‏”‏ ‏.‏ فَبَسَطْتُ ثَوْبِي حَتَّى قَضَى حَدِيثَهُ ثُمَّ ضَمَمْتُهُ إِلَىَّ فَمَا نَسِيتُ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْهُ ‏.‏

আ‘রাজ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা বলছ যে, আবূ হুরায়রা্ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অধিক হাদীস রিওয়ায়াত করছে। আর আল্লাহই হিসাব গ্রহণকারী। আমি ছিলাম একজন নিরীহ লোক। আমি সর্বদা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সেবায় থাকতাম (খেয়ে না খেয়ে তাঁর সাহচর্যে থাকতাম) যখন মুহাজিরগণ বাজারে ব্যবসায়-বাণিজ্যে মনোনিবেশ করতেন এবং আনসারগণ তাদের ধন-সম্পদের সংরক্ষণ ও হিফাযাতে ব্যতিব্যস্ত থাকতেন। একবার রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যে লোক তার বস্ত্রের আঁচল বিছিয়ে দিবে সে আমার নিকট হতে যা কিছু শুনবে তা ভুলবে না। আমি আমার কাপড়ের আঁচল বিছিয়ে দিলাম এবং তিনি হাদীস রিওয়ায়াত করলেন। তারপর আমি সে বস্ত্রটা আমার বুকের সাথে মিলিয়ে নিলাম। তখন হতে আমি তাঁর কাছ থেকে যা কিছু শুনেছি তার কিছুই ভুলে যাইনি।

(ই.ফা. ৬১৭২, ই.সে. ৬২১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৯২

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا مَعْنٌ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ غَيْرَ أَنَّ مَالِكًا، انْتَهَى حَدِيثُهُ عِنْدَ انْقِضَاءِ قَوْلِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِهِ الرِّوَايَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ يَبْسُطْ ثَوْبَهُ ‏”‏ ‏.‏ إِلَى آخِرِهِ ‏.‏

আ‘রজ (রহঃ)-এর সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

কিন্তু মালিক ইবনু আনাস আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর উক্তি পর্যন্ত তাঁর হাদীসের রিওয়ায়াত শেষ করেছেন এবং তিনি তাঁর হাদীসে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে “যে তার বস্ত্র বিছাবে” হতে বর্ণনার শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেননি।

(ই.ফা. ৬১৭৩, ই.সে. ৬২১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৯৩

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ أَلاَ يُعْجِبُكَ أَبُو هُرَيْرَةَ جَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِ حُجْرَتِي يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُسْمِعُنِي ذَلِكَ وَكُنْتُ أُسَبِّحُ فَقَامَ قَبْلَ أَنْ أَقْضِيَ سُبْحَتِي وَلَوْ أَدْرَكْتُهُ لَرَدَدْتُ عَلَيْهِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ يَسْرُدُ الْحَدِيثَ كَسَرْدِكُمْ ‏.‏

قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَقَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ يَقُولُونَ إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَدْ أَكْثَرَ وَاللَّهُ الْمَوْعِدُ وَيَقُولُونَ مَا بَالُ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ لاَ يَتَحَدَّثُونَ مِثْلَ أَحَادِيثِهِ وَسَأُخْبِرُكُمْ عَنْ ذَلِكَ إِنَّ إِخْوَانِي مِنَ الأَنْصَارِ كَانَ يَشْغَلُهُمْ عَمَلُ أَرَضِيهِمْ وَإِنَّ إِخْوَانِي مِنَ الْمُهَاجِرِينَ كَانَ يَشْغَلُهُمُ الصَّفْقُ بِالأَسْوَاقِ وَكُنْتُ أَلْزَمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مِلْءِ بَطْنِي فَأَشْهَدُ إِذَا غَابُوا وَأَحْفَظُ إِذَا نَسُوا وَلَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا ‏”‏ أَيُّكُمْ يَبْسُطُ ثَوْبَهُ فَيَأْخُذُ مِنْ حَدِيثِي هَذَا ثُمَّ يَجْمَعُهُ إِلَى صَدْرِهِ فَإِنَّهُ لَمْ يَنْسَ شَيْئًا سَمِعَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَبَسَطْتُ بُرْدَةً عَلَىَّ حَتَّى فَرَغَ مِنْ حَدِيثِهِ ثُمَّ جَمَعْتُهَا إِلَى صَدْرِي فَمَا نَسِيتُ بَعْدَ ذَلِكَ الْيَوْمِ شَيْئًا حَدَّثَنِي بِهِ وَلَوْلاَ آيَتَانِ أَنْزَلَهُمَا اللَّهُ فِي كِتَابِهِ مَا حَدَّثْتُ شَيْئًا أَبَدًا ‏{‏ إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى‏}‏ إِلَى آخِرِ الآيَتَيْنِ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (হে ‘উরওয়াহ্!) তোমার নিকট কি বিস্ময়কর বলে মনে হয় না যে, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) আমার কক্ষে একদিকে বসে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস রিওয়ায়াত করছেন এবং তিনি তা আমাকে শুনাচ্ছেন? কিন্তু আমি সে সময় তাসবীহ পাঠে (নাফল সলাতে) মগ্ন ছিলাম। আর তিনি আমার তাসবীহ পাঠের ফারেগ হওয়ার আগেই উঠে চলে গেলেন। যদি আমি তখন তাঁকে পেতাম তাহলে তাকে প্রতিবাদ করতাম। কারণ, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ রকম তাড়াতাড়ি করে কথাবার্তা বলতেন না যেমন তোমরা বলছ। ইবনু শিহাব ও ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) বলেন যে, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বলেছেন, লোকেরা বলাবলি করত যে, আবূ হুরায়রা্ বেশি সংখ্যক হাদীস রিওয়ায়াত করেন এবং আল্লাহই (এর প্রামাণ্যতা সম্পর্কে) অধিক অবহিত। তিনি বলেন যে, ব্যক্তিরা এ মর্মে আরও নালিশ করত যে, মুহাজির ও আনসারগণ আবূ হুরাইরার ন্যায় বেশি বেশি হাদীস রিওয়ায়াত করেননি কেন? এর প্রত্যুত্তরে আমি তোমাদের নিকট বলতে চাই যে, আমার আনসার ভাইয়েরা তো ফসলাদির কাজে সর্বদা ব্যস্ত থাকতেন। আর আমার মুহাজির ভাইয়েরা হাট-বাজারে ব্যবসায়-বাণিজ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে মগ্ন থাকতেন। আর আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুহবত আমার জন্য আবশ্যকীয় করে নিতাম এবং খেয়ে না খেয়ে তাঁর সাহচর্যে থাকতাম। তাঁরা যখন উপস্থিত না থাকতেন তখন আমি উপস্থিত থাকতাম এবং তাঁরা ভুলে যেতেন আমি মুখস্থ করতাম। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা বললেনঃতোমাদের মাঝে কে আছে, যে তার কাপড়ের আঁচল বিছিয়ে দিবে আর আমার হাদীস গ্রহণ করবে? এরপর তা আপন বক্ষে স্পর্শ করবে তাহলে সে যা শুনবে কখনো ভূলবে না। আমি আমার চাদর পেতে দিলাম এবং তিনি তাঁর হাদীস বর্ণনার ইতি টানলেন। তারপর আমি চাদরখানি আমার বুকে জড়িয়ে নিলাম। সেদিন থেকে আমি কোন ব্যাপারেই ভুলে যাইনি যা তিনি বলেছেন। (সবটুকুই মনে রয়েছে)। আল্লাহ তাঁর কিতাবে দু’টি আয়াত যদি অবতীর্ণ না করতেন তাহলে আমি কখনো হাদীস রিওয়ায়াত করতাম না। আয়াত দু’টি এই- “আমি যে স্পষ্ট নমুনা ও পথ নির্দেশ মানুষের জন্য নাযিল করেছি, কিতাবে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করার পরও যারা তা লুকিয়ে রাখে আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত দেন এবং অভিসম্পাতকারীরাও অভিশাপ দেয়; কিন্তু যারা তাওবাহ্ করে এবং নিজেদের সংশোধন করে আর সত্যকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে, এ সমস্ত ব্যক্তি তারাই যাদের প্রতি আমি ক্ষমা করে দিব। কেননা আমি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু”- (সূরাহ্ আল বাকারাহ্ ২: ১৫৯-১৬০)

[দ্রষ্টব্য হাদীস ২৩৯৭] (ই.ফা. ৬১৬৫, ই.সে. ৬২০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২৯৪

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنَّكُمْ تَقُولُونَ إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يُكْثِرُ الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব ও আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বলেছেন, তোমরা বলাবলি করছ যে, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বেশি সংখ্যক হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। হাদীসের অবশিষ্টাংশ তাঁদের বর্ণিত হাদীসের অবিকল। (ই.ফা. ৬১৭৫, ই.সে. ৬২১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস