মুসলিম মুসাকাহ (পানি সেচের বিনিময়ে ফসলের একটি অংশ প্রদান) অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৩৮৫৪ – ৩৯৪৫
১. অধ্যায়ঃ
ফল এবং শস্যের একটি অংশের বিনিময়ে মুসাকাহ্ ও মু’আমালাহ্
৩৮৫৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাইবারবাসীদের উৎপন্ন ফল-ফসলের আধাআধি শর্তে খাইবারের জমি বর্গা দিয়েছিলেন। (ই. ফা. ৩৮১৮, ই. সে. ৩৮১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫৫
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، – وَهُوَ ابْنُ مُسْهِرٍ – أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ، اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ فَكَانَ يُعْطِي أَزْوَاجَهُ كَلَّ سَنَةٍ مِائَةَ وَسْقٍ ثَمَانِينَ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَعِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ قَسَمَ خَيْبَرَ خَيَّرَ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْطِعَ لَهُنَّ الأَرْضَ وَالْمَاءَ أَوْ يَضْمَنَ لَهُنَّ الأَوْسَاقَ كُلَّ عَامٍ فَاخْتَلَفْنَ فَمِنْهُنَّ مَنِ اخْتَارَ الأَرْضَ وَالْمَاءَ وَمِنْهُنَّ مَنِ اخْتَارَ الأَوْسَاقَ كُلَّ عَامٍ فَكَانَتْ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ مِمَّنِ اخْتَارَتَا الأَرْضَ وَالْمَاءَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাইবারের জমি উৎপন্ন ফল ও ফসলের আধাআধির শর্তে দিয়েছিলেন। তিনি নিজ স্ত্রীদেরকে বছর প্রতি একশ’ ওসাক প্রদান করতেন। তম্মধ্যে আশি ওসাক খুরমা আর বিশ ওসাক যব। ‘উমার (রাঃ) যখন খলীফা হন তখন খাইবারের জমি তিন ভাগে ভাগ করে দেন। তিনি নবী সহধর্মিণীদেরকে ইখ্তিয়ার দেন যে, তাঁরা ভূমি ও পানি নিবেন। (অর্থাৎ- নিজেদের দায়িত্বে চাষাবাদের ব্যবস্থা করবেন) অথবা বার্ষিক হারে ওসাক গ্রহণ করবেন। তাঁরা এ ব্যাপারে ভিন্নভিন্ন মত গ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ভূমি ও পানি নিলেন আর কেউ বার্ষিক হারে ওসাক গ্রহণ করলেন। ‘আয়িশাহ্ ও হাফ্সাহ্ (রাঃ) ভূমি ও পানি নিয়েছিলেন। ( ই. ফা. ৩৮১৯, ই. সে. ৩৮১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫৬
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا خَرَجَ مِنْهَا مِنْ زَرْعٍ أَوْ ثَمَرٍ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فَكَانَتْ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ مِمَّنِ اخْتَارَتَا الأَرْضَ وَالْمَاءَ وَقَالَ خَيَّرَ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْطِعَ لَهُنَّ الأَرْضَ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمَاءَ .
আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাইবারের জমি খাইবারবাসীদের উৎপন্ন শস্য ও ফলের অর্ধেকের শর্তে ব্যবস্থা দিয়েছিলেন এরপর হাদীসটি ‘আলী ইবনু মুসহিরের বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেন। তবে এ কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি যে, ‘আয়িশাহ্ ও হাফ্সাহ (রাঃ) জমি ও পানি নিয়েছিলেন। তিনি এ কথা বলেছেন যে, ‘উমার (রাঃ) নবী সহধর্মিণীদের ইখতিয়ার দেন জমি নিতে, তবে সেখানে পানির উল্লেখ করেননি। ( ই. ফা. ৩৮২০, ই. সে. ৩৮১৯ )
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫৭
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ لَمَّا افْتُتِحَتْ خَيْبَرُ سَأَلَتْ يَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقِرَّهُمْ فِيهَا عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا عَلَى نِصْفِ مَا خَرَجَ مِنْهَا مِنَ الثَّمَرِ وَالزَّرْعِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أُقِرُّكُمْ فِيهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا ” . ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ وَابْنِ مُسْهِرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ وَزَادَ فِيهِ وَكَانَ الثَّمَرُ يُقْسَمُ عَلَى السُّهْمَانِ مِنْ نِصْفِ خَيْبَرَ فَيَأْخُذُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخُمُسَ .
’আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খাইবার বিজয়ের পর ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট নিবেদন করে তাদের শ্রমের বিনিময়ে তাদেরকে তথায় থাকতে দেয়ার জন্যে এই শর্তে যে, উৎপন্ন ফসল ও ফলের অর্ধেক তারা পাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উপরোক্ত শর্তে যতদিন আমরা চাই ততদিনের জন্যে থাকার অনুমতি দিলাম। এরপরে ’আবদুল্লাহ থেকে ইবনু নুমায়র ও ইবনু মুসহিরের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তাতে এতটুকু বাড়তি আছে যে, খাইবারের প্রাপ্ত ফলকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হত। আর তা থেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ ভাগের এক ভাগ গ্রহণ করতেন। (ই. ফা. ৩৮২১, ই. সে. ৩৮২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫৮
وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ دَفَعَ إِلَى يَهُودِ خَيْبَرَ نَخْلَ خَيْبَرَ وَأَرْضَهَا عَلَى أَنْ يَعْتَمِلُوهَا مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَلِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَطْرُ ثَمَرِهَا .
’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ) সুত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
খাইবারের বাগান ও যমীন খাইবারের ইয়াহূদীদেরকে এ শর্তে প্রদান করেন যে, তারা নিজেদের মাল খরচ করে তাতে কাজ করবে, আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ফলের অর্ধেক প্রাপ্ত হবেন। (ই. ফা. ৩৮২২, ই. সে. ৩৮২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৫৯
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، بْنَ الْخَطَّابِ أَجْلَى الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا ظَهَرَ عَلَى خَيْبَرَ أَرَادَ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ مِنْهَا وَكَانَتِ الأَرْضُ حِينَ ظُهِرَ عَلَيْهَا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُسْلِمِينَ فَأَرَادَ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ مِنْهَا فَسَأَلَتِ الْيَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقِرَّهُمْ بِهَا عَلَى أَنْ يَكْفُوا عَمَلَهَا وَلَهُمْ نِصْفُ الثَّمَرِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ نُقِرُّكُمْ بِهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا ” . فَقَرُّوا بِهَا حَتَّى أَجْلاَهُمْ عُمَرُ إِلَى تَيْمَاءَ وَأَرِيحَاءَ .
ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে হিজাজের মাটি থেকে বিতাড়িত করে দেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খাইবার জয় করেন তখন তিনি তাদের তথা হতে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। খাইবার যখন বিজিত হলো তখন তা আল্লাহ্, তাঁর রসূল ও মুসলিমদের সম্পত্তি হিসেবে পরিণত হয়। তাই তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীদের বিতাড়িত করার ইচ্ছা পোষণ করেন। পরে ইয়াহূদীরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে তথায় তাদের থাকার অনুমতি প্রার্থনা করে এই শর্তে যে, তারা শ্রম বিনিয়োগ করবে এবং উৎপাদিত ফলের অর্ধেক নিবে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যতদিন এ শর্তের উপর আমাদের ইচ্ছা, থাকার অনুমতি দিলাম। এরপর তারা তথায় রয়ে গেল। পরে ’উমার (রাঃ)তাদের ‘তায়মা’ ও ‘আরীহায়’ বিতাড়িত করেন। (ই. ফা. ৩৮২৩, ই. সে. ৩৮২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২. অধ্যায়ঃ
ফলজ বৃক্ষ রোপন ও ফসল ফলানোর ফাযীলাত
৩৮৬০
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا إِلاَّ كَانَ مَا أُكِلَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا سُرِقَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ مِنْهُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا أَكَلَتِ الطَّيْرُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةً وَلاَ يَرْزَؤُهُ أَحَدٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةٌ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন মুসলিম ফলজ বৃক্ষ রোপন করবে তা থেকে যা কিছু খাওয়া হয় তা তার জন্য দান স্বরূপ, যা কিছু চুরি হয় তাও দান স্বরূপ, বন্য জন্তু যা খেয়ে নেয় তাও দান স্বরূপ। পাখী যা খেয়ে নেয় তাও দান স্বরূপ। আর কেউ কিছু নিয়ে গেলে তাও তার জন্য দান স্বরূপ। (ই. ফা. ৩৮২৪, ই. সে. ৩৮২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَى أُمِّ مُبَشِّرٍ الأَنْصَارِيَّةِ فِي نَخْلٍ لَهَا فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ غَرَسَ هَذَا النَّخْلَ أَمُسْلِمٌ أَمْ كَافِرٌ ” . فَقَالَتْ بَلْ مُسْلِمٌ . فَقَالَ ” لاَ يَغْرِسُ مُسْلِمٌ غَرْسًا وَلاَ يَزْرَعُ زَرْعًا فَيَأْكُلَ مِنْهُ إِنْسَانٌ وَلاَ دَابَّةٌ وَلاَ شَىْءٌ إِلاَّ كَانَتْ لَهُ صَدَقَةٌ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু মুবাশ্শির নাখীয়া নাম্নী এক আনসারী মহিলার খেজুর বাগানে প্রবেশ করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এই খেজুর গাছ কি কোন মুসলিম ব্যক্তি লাগিয়েছে, না কোন কাফির ব্যক্তি? মহিলা উত্তর দিল মুসলিম। তিনি বললেন, “যে কোন মুসলিম গাছ লাগায় বা ক্ষেত করে, আর তা থেকে মানুষ কিংবা জীব জন্তু অথবা অন্য কিছুতে ভক্ষণ করে, তবে তা তার পক্ষে দান স্বরূপ। (ই. ফা. ৩৮২৫, ই. সে. ৩৮২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ يَغْرِسُ رَجُلٌ مُسْلِمٌ غَرْسًا وَلاَ زَرْعًا فَيَأْكُلَ مِنْهُ سَبُعٌ أَوْ طَائِرٌ أَوْ شَىْءٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ فِيهِ أَجْرٌ ” . وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَلَفٍ طَائِرٌ شَىْءٌ .
জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, কোন মুসলিম যদি বৃক্ষ রোপণ করে বা ক্ষেত করে, আর তা থেকে কোন হিংস্র জন্তু কিংবা পাখী অথবা অন্য কিছুতে খেয়ে নেয় তবে এর জন্যে সে সাওয়াব পাবে। ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) বলেছেন – পাখী বা এমন কিছু। (ই. ফা. ৩৮২৬, ই. সে. ৩৮২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى أُمِّ مَعْبَدٍ حَائِطًا فَقَالَ ” يَا أُمَّ مَعْبَدٍ مَنْ غَرَسَ هَذَا النَّخْلَ أَمُسْلِمٌ أَمْ كَافِرٌ ” . فَقَالَتْ بَلْ مُسْلِمٌ . قَالَ ” فَلاَ يَغْرِسُ الْمُسْلِمُ غَرْسًا فَيَأْكُلَ مِنْهُ إِنْسَانٌ وَلاَ دَابَّةٌ وَلاَ طَيْرٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةً إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা উম্মু মা’বাদ- এর বাগানে ঢুকলেন। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে উম্মু মা’বাদ! এ গাছ কে লাগিয়েছে? কোন মুসলিম ব্যক্তি না কোন কাফির? সে জানাল, মুসলিম। তিনি বললেন, কোন মুসলিম যদি কোন গাছ লাগায়, আর তা থেকে মানুষ কিংবা চতুষ্পদ জন্তু অথবা পাখী খেয়ে নেয়, তবে কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত তা তার জন্য সদাকাহ হিসাবে থাকবে। (ই. ফা. ৩৮২৭, ই. সে. ৩৮২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَإِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، . زَادَ عَمْرٌو فِي رِوَايَتِهِ عَنْ عَمَّارٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، فَقَالاَ عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ، وَفَى رِوَايَةِ ابْنِ فُضَيْلٍ عَنِ امْرَأَةِ، زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَفِي رِوَايَةِ إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، قَالَ رُبَّمَا قَالَ عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُبَّمَا لَمْ يَقُلْ وَكُلُّهُمْ قَالُوا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ عَطَاءٍ وَأَبِي الزُّبَيْرِ وَعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ .
আবূ বাক্র ইবনু আবূ শাইবাহ্, আবূ কুরায়ব, ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম ও ‘আম্র আন্ নাকিদ (রহঃ) হাফস্ ইবনু গিয়াস (রহঃ) হতে, আবূ কুরায়ব ও ইসহাক্ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) একসাথে আবূ মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) থেকে, ‘আমর আন্ নাকিদ (রহঃ) ‘আম্মার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) হতে এবং আবূ বাক্র ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ইবনু ফুযায়ল (রহঃ) হতে এবং এরা প্রত্যেকেই আ’মাশ-এর সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তবে ‘আম্মার (রহঃ) হতে ‘আমরের বর্ণনায় ও মু’আবিয়াহ থেকে আবূ বাকরের বর্ণনায় উম্মু মুবাশ্শির (রাঃ)- এর নাম বাড়তি এসেছে। আর ইবনু ফুযায়লের বর্ণনায় যায়িদ ইবনু হারিসার স্ত্রীর নাম যোগ করা হয়েছে। আর মু’আবিয়ার থেকে ইসহাকের যে বর্ণনা তাতে তিনি কখনও বা তার নাম বাদ দিয়েই বর্ণনা করেন। আর তাঁরা সকলেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ঐ রূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন, যেরূপ বর্ণনা করেছেন ‘আতা’(রহঃ), আবূ যুবায়র ও আমর ইবনু দীনার (রহঃ)। (ই. ফা. ৩৮২৮, ই. সে. ৩৮২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَةٌ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিম যদি বৃক্ষ রোপন কিংবা ফসল উৎপাদন করে আর তা থেকে পাখী কিংবা মানুষ অথবা চতুষ্পদ জন্তু অথবা পাখী কিছু খায় তবে তা তার পক্ষ থেকে সাদাকাহ্ স্বরূপ হবে। (ই. ফা. ৩৮২৯, ই. সে. ৩৮২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৬
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ نَخْلاً لأُمِّ مُبَشِّرٍ – امْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ غَرَسَ هَذَا النَّخْلَ أَمُسْلِمٌ أَمْ كَافِرٌ ” . قَالُوا مُسْلِمٌ . بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা উম্মু মুবাশ্শির নাম্নী এক আনসারী মহিলার খেজুর বাগানে গমন করেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করেন, এ খেজুর গাছ কে লাগিয়েছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি না কোন কাফির ব্যক্তি? তারা বলল, একজন মুসলিম। এরপর উপরে উল্লিখিত রাবীদের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৩০, ই. সে. ৩৮২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩. অধ্যায়ঃ
প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফলের মূল্য ছেড়ে দেয়া
৩৮৬৭
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنْ بِعْتَ مِنْ أَخِيكَ ثَمَرًا ”. ح. وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَوْ بِعْتَ مِنْ أَخِيكَ ثَمَرًا فَأَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَلاَ يَحِلُّ لَكَ أَنْ تَأْخُذَ مِنْهُ شَيْئًا بِمَ تَأْخُذُ مَالَ أَخِيكَ بِغَيْرِ حَقٍّ ”.
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি যদি তোমার কোন এক ভাইয়ের নিকট ফল বিক্রি করো, তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা বিনষ্ট হয়ে যায়, তবে তার থেকে কিছু আদায় করা তোমার জন্যে হালাল নয়। তোমার ভাইয়ের অর্থ না-হকভাবে কিরূপে গ্রহণ করবে? (ই. ফা. ৩৮৩১, ই. সে. ৩৮৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৮
وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৩২, ই. সে. ৩৮৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৬৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ ثَمَرِ النَّخْلِ حَتَّى تَزْهُوَ . فَقُلْنَا لأَنَسٍ مَا زَهْوُهَا قَالَ تَحْمَرُّ وَتَصْفَرُّ . أَرَأَيْتَكَ إِنْ مَنَعَ اللَّهُ الثَّمَرَةَ بِمَ تَسْتَحِلُّ مَالَ أَخِيكَ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
খেজুরের রং পরিবর্তন হয়ে পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে তা বিক্রি করতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। আমরা আনাস (রাঃ)- কে জিজ্ঞেস করলাম, রং পরিবর্তন হওয়া বলতে কী বুঝায়? তিনি বললেন, লাল রং বা হলদে রং ধারণ করা। বল তো দেখি, আল্লাহ যদি ফল নষ্ট করে দেন তবে কোন অধিকারে তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে অর্থ কিরূপে হালাল করতে পার? (ই. ফা. ৩৮৩৩, ই. সে. ৩৮৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭০
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ حَتَّى تُزْهِيَ قَالُوا وَمَا تُزْهِيَ قَالَ تَحْمَرُّ . فَقَالَ إِذَا مَنَعَ اللَّهُ الثَّمَرَةَ فَبِمَ تَسْتَحِلُّ مَالَ أَخِيكَ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন ফলের রং পরিবর্তন হওয়ার আগে বিক্রি করতে। তারা বলল, রং পরিবর্তন হওয়ার মানে কী? তিনি বললেন, লাল রং ধারণ করা। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ যদি ফল ক্ষতিগ্রস্ত করে দেন তাহলে কিসের বিনিময়ে তুমি তোমার ভাইয়ের অর্থ গ্রহণ করবে? (ই. ফা. ৩৮৩৪, ই. সে. ৩৮৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭১
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنْ لَمْ يُثْمِرْهَا اللَّهُ فَبِمَ يَسْتَحِلُّ أَحَدُكُمْ مَالَ أَخِيهِ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ যদি ফলের মধ্যে পূর্ণতা দান না করেন তাহলে কিভাবে তোমাদের একজন অপর ভাইয়ের অর্থ বৈধ করবে? (ই. ফা. ৩৮৩৫, ই. সে. ৩৮৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭২
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، وَعَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ، – وَاللَّفْظُ لِبِشْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ الأَعْرَجِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَتِيقٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّوسلم أَمَرَ بِوَضْعِ الْجَوَائِحِ . قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ – وَهْوَ صَاحِبُ مُسْلِمٍ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ عَنْ سُفْيَانَ بِهَذَا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ফলের মূল্য গ্রহণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইব্রাহীম (রহঃ) সুফ্ইয়ানের সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৩৬, ই. সে. ৩৮৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪. অধ্যায়ঃ
ঋণের কিছু অংশ ছেড়ে দেয়া মুস্তাহাব
৩৮৭৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي، سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ أُصِيبَ رَجُلٌ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثِمَارٍ ابْتَاعَهَا فَكَثُرَ دَيْنُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” تَصَدَّقُوا عَلَيْهِ ” . فَتَصَدَّقَ النَّاسُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ وَفَاءَ دَيْنِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِغُرَمَائِهِ ” خُذُوا مَا وَجَدْتُمْ وَلَيْسَ لَكُمْ إِلاَّ ذَلِكَ ” .
আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সময়ে এক ব্যক্তির ক্রয় করা ফল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক ঋণী হয়ে পড়ে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা তাকে সাহায্য কর। লোকজন তাকে সাহায্য করল, কিন্তু প্রাপ্ত ঋণ পরিশোধের পরিমাণ হলো না। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পাওনাদারদের বললেন, যা তোমরা পেয়েছ তা গ্রহণ কর; এর অতিরিক্ত আর পাবে না। (ই. ফা. ৩৮৩৭, ই. সে. ৩৮৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৪
حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
বুকায়র ইবনুল আশাজ্জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বুকায়র ইবনুল আশাজ্জ (রহঃ) হতে উক্ত সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৩৮, ই. সে. ৩৮৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৫
وَحَدَّثَنِي غَيْرُ، وَاحِدٍ، مِنْ أَصْحَابِنَا قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، – وَهُوَ ابْنُ بِلاَلٍ – عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي الرِّجَالِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أُمَّهُ، عَمْرَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَوْتَ خُصُومٍ بِالْبَابِ عَالِيَةً أَصْوَاتُهُمَا وَإِذَا أَحَدُهُمَا يَسْتَوْضِعُ الآخَرَ وَيَسْتَرْفِقُهُ فِي شَىْءٍ وَهُوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لاَ أَفْعَلُ . فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِمَا فَقَالَ “ أَيْنَ الْمُتَأَلِّي عَلَى اللَّهِ لاَ يَفْعَلُ الْمَعْرُوفَ ” . قَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَلَهُ أَىُّ ذَلِكَ أَحَبَّ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা দরজার নিকটে দু’ব্যক্তির উচ্চ কণ্ঠে ঝগড়া শুনতে পান। তাদের একজন অন্যজনের নিকট কোন এক বিষয়ে অব্যাহতি দেয়ার ও সদয় হওয়ার আবেদন করছে। আর অপরজন বলছে যে, আল্লাহ্র শপথ! আমি তা করতে পারব না। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে তাদের দু’জনের কাছে গেলেন এবং বললেন, পুণ্যের কাজ না করার জন্যে আল্লাহ্র নামে শপথকারী কোথায়? একজন বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি। এরপর তিনি বললেন, সে যেটি চায় করতে পারে।[১৭] (ই. ফা. ৩৮৩৯, ই. সে. ৩৮৩৮)
[১৭] ‘সে যেটি চায় করতে পারে’-এর অর্থ হলো সাওয়াবের কাজে কোন জোর নেই। তবে হাদীসের মর্মবাণী হলো, ভাল কাজ না করার শপথ অপছন্দনীয়, তবে কেউ এরূপ শপথ করে বসলে উত্তম হলো, শপথ (কসম) ভেঙ্গে ফেলা এবং কাফফারা আদায় করে দেয়া। (সহীহ মুসলিম- মুখতাসার শারহে, আল্লামা ওয়াহীদুজ্জামান, ৪ র্থ খণ্ড, ১৮৮ পৃঃ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৬
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ تَقَاضَى ابْنَ أَبِي حَدْرَدٍ دَيْنًا كَانَ لَهُ عَلَيْهِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا حَتَّى سَمِعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَشَفَ سِجْفَ حُجْرَتِهِ وَنَادَى كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ فَقَالَ ” يَا كَعْبُ ” . فَقَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَأَشَارَ إِلَيْهِ بِيَدِهِ أَنْ ضَعِ الشَّطْرَ مِنْ دَيْنِكَ . قَالَ كَعْبٌ قَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” قُمْ فَاقْضِهِ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আমলে একদা মাসজিদের মধ্যে ইবনু আবূ হাদরাদ নামীয় এক ব্যক্তির নিকট স্বীয় প্রাপ্য ঋণের তাগাদা করেন। উভয়ের আওয়াজ উচ্চ হতে থাকে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে আওয়াজ ঘর থেকে শুনতে পান এবং ঘরের পর্দা উঠিয়ে বাইরে তাদের নিকট চলে আসেন। তিনি কা‘বকে ডেকে বললেন, হে কা‘ব! তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি উপস্থিত আছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতের ইশারায় তাকে তার প্রাপ্য ঋণের অর্ধভাগ ক্ষমা করে দিতে বললেন। কা‘ব (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি তাই করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ঋণ গ্রহীতাকে) বললেন, যাও অবশিষ্ট (বাকী অর্ধেক) পরিশোধ করো। (ই. ফা. ৩৮৪০, ই. সে. ৩৮৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৭
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،لا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، تَقَاضَى دَيْنًا لَهُ عَلَى ابْنِ أَبِي حَدْرَدٍ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ .
কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একদিন ‘আলী ইবনু আবূ হাদরাদের নিকটে তার প্রাপ্য ঋণের তাগাদা করেন। এরপর তিনি ইবনু ওয়াহ্বের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৪১, ই. সে. ৩৮৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৭৮
قَالَ مُسْلِمٌ وَرَوَى اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ، هُرْمُزَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ كَانَ لَهُ مَالٌ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَدْرَدٍ الأَسْلَمِيِّ فَلَقِيَهُ فَلَزِمَهُ فَتَكَلَّمَا حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا فَمَرَّ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ يَا كَعْبُ ” . فَأَشَارَ بِيَدِهِ كَأَنَّهُ يَقُولُ النِّصْفَ فَأَخَذَ نِصْفًا مِمَّا عَلَيْهِ وَتَرَكَ نِصْفًا .
কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ হাদরাদ আসলামীর নিকট কিছু মাল পাওনা ছিলেন। তিনি তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং শক্ত তাগাদা দেন। উভয়ে পরস্পর কথাবার্তা বলেন এবং এক পর্যায়ে শোরগোল সৃষ্টি হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয়ের কাছে এলেন এবং কা‘বকে ডেকে হাতের ইশারায় বললেন , অর্ধেক। সুতরাং কা‘ব (রাঃ) ঋণের অর্ধেক গ্রহণ করেন এবং অর্ধেক পরিত্যাগ করেন। (ই. ফা. ৩৮৪১, ই. সে. ৩৮৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫. অধ্যায়ঃ
বিক্রিত মাল দেউলিয়া ঘোষিত ক্রেতার নিকট পাওয়া গেলে বিক্রেতা তা ফেরত নিতে পারে
৩৮৭৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – أَوْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ – “ مَنْ أَدْرَكَ مَالَهُ بِعَيْنِهِ عِنْدَ رَجُلٍ قَدْ أَفْلَسَ – أَوْ إِنْسَانٍ قَدْ أَفْلَسَ – فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন অথবা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি দেউলিয়া ঘোষিত কোন লোকের কাছে তার মাল অবিকলভাবে পায় কিংবা কোন মানুষের নিকট পায় যাকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে তবে সে তার মাল ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় বেশী হক্দার। (ই. ফা. ৩৮৪২, ই. সে. ৩৮৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، جَمِيعًا عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ . بِمَعْنَى حَدِيثِ زُهَيْرٍ وَقَالَ ابْنُ رُمْحٍ مِنْ بَيْنِهِمْ فِي رِوَايَتِهِ أَيُّمَا امْرِئٍ فُلِّسَ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া, কুতাইবাহ্ ইবনু সা‘ঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু রুম্হ রাবী’ ও ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাবীব….. আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্….. ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে যুহাইর বর্ণিত হাদীসের অর্থ মিলে বর্ণনা করেন। আর তাদের মধ্যে কেবল ইবনু রুম্হ (রহঃ) তার বর্ণনায় বলেছেন- কোন ব্যক্তি দেউলিয়া সাব্যস্ত হলে। (ই. ফা. ৩৮৪৩, ই. সে. ৩৮৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮১
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ، – وَهُوَ ابْنُ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيُّ – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي حُسَيْنٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَدَّثَهُ عَنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّجُلِ الَّذِي يُعْدِمُ إِذَا وُجِدَ عِنْدَهُ الْمَتَاعُ وَلَمْ يُفَرِّقْهُ “ أَنَّهُ لِصَاحِبِهِ الَّذِي بَاعَهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
দেউলিয়া লোকের নিকট যদি কোন বস্তু পাওয়া যায় এবং স্থানান্তরিত না হয়ে থাকে তাহলে বিক্রেতাই ঐ বস্তুর প্রাপক। (ই. ফা. ৩৮৪৪, ই. সে. ৩৮৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا أَفْلَسَ الرَّجُلُ فَوَجَدَ الرَّجُلُ مَتَاعَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যদি কোন লোককে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় আর কোন লোক স্বীয় সম্পদ অবিকলভাবে তার কাছে পায়, তবে সে ব্যক্তিই তা পাওয়ার বেশী হক রাখে। (ই. ফা. ৩৮৪৫, ই. সে. ৩৮৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৩
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، أَيْضًا حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي كِلاَهُمَا، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ وَقَالاَ “ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنَ الْغُرَمَاءِ ” .
কাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কাতাদাহ (রহঃ) হতে উক্ত রূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য এ বর্ণনার শেষে বলা হয়েছে সে ব্যক্তিই অন্যান্য সকল পাওনাদারদের চেয়ে বেশী হক্দার। (ই. ফা. ৩৮৪৬, ই. সে. ৩৮৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৪
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، الْخُزَاعِيُّ – قَالَ حَجَّاجٌ مَنْصُورُ بْنُ سَلَمَةَ – أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ خُثَيْمِ بْنِ عِرَاكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا أَفْلَسَ الرَّجُلُ فَوَجَدَ الرَّجُلُ عِنْدَهُ سِلْعَتَهُ بِعَيْنِهَا فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক যখন দেউলিয়া হয়ে যায়, আর তার নিকট কোন মাল বিক্রেতা তার বিক্রিত মাল অপরিবর্তিত অবস্থায় পায় তখন সে-ই সে মাল পেতে বেশী হকদার। (ই. ফা. ৩৮৪৭, ই. সে. ৩৮৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬. অধ্যায়ঃ
অসহায়কে সুযোগ দেয়ার ফযীলত
৩৮৮৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ، حِرَاشٍ أَنَّ حُذَيْفَةَ، حَدَّثَهُمْ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ تَلَقَّتِ الْمَلاَئِكَةُ رُوحَ رَجُلٍ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَقَالُوا أَعَمِلْتَ مِنَ الْخَيْرِ شَيْئًا قَالَ لاَ . قَالُوا تَذَكَّرْ . قَالَ كُنْتُ أُدَايِنُ النَّاسَ فَآمُرُ فِتْيَانِي أَنْ يُنْظِرُوا الْمُعْسِرَ وَيَتَجَوَّزُوا عَنِ الْمُوسِرِ – قَالَ – قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ تَجَوَّزُوا عَنْهُ ” .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতের এক ব্যক্তির রুহের সাথে ফেরেশতাগণ সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করলেনঃ বিশেষ কোন সৎকাজ তুমি করেছ কি? সে বলল, না। তারা বললেনঃ মনে করে দেখো। সে বললঃ আমি মানুষের সাথে লেনদেন করতাম। তারপর অসচ্ছল ব্যক্তিদের সুযোগ দিতে ও সচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে আমি আমার লোকদের নির্দেশ দিতাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এরপর আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ “ওকে ছেড়ে দাও।” (ই. ফা. ৩৮৪৮, ই. সে. ৩৮৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حُجْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ اجْتَمَعَ حُذَيْفَةُ وَأَبُو مَسْعُودٍ فَقَالَ حُذَيْفَةُ “ رَجُلٌ لَقِيَ رَبَّهُ فَقَالَ مَا عَمِلْتَ قَالَ مَا عَمِلْتُ مِنَ الْخَيْرِ إِلاَّ أَنِّي كُنْتُ رَجُلاً ذَا مَالٍ فَكُنْتُ أُطَالِبُ بِهِ النَّاسَ فَكُنْتُ أَقْبَلُ الْمَيْسُورَ وَأَتَجَاوَزُ عَنِ الْمَعْسُورِ . فَقَالَ تَجَاوَزُوا عَنْ عَبْدِي ” . قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ .
রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একদা হুযাইফাহ্ (রাঃ)-ও আবূ মাস‘উদ (রাঃ) একত্রিত হন। হুযাইফাহ্ (রাঃ) বললেনঃ এক ব্যক্তির তার প্রভুর (আল্লাহ) সাথে সাক্ষাৎ হয়। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞসে করেন, তুমি কী কী সাওয়াবের কাজ করেছ? সে বললঃ আমি তেমন কোন সৎকাজ করিনি; তবে আমি একজন ধনী লোক ছিলাম। আমি মানুষের কাছে পাওনা চাইতাম এভাবে যে, সচ্ছলদেরকে সময় আর গরীবদেরকে মুক্ত করে দিতাম। এরপর আল্লাহ নির্দেশ দিলেনঃ আমার বান্দাকে মাফ করে দাও। আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এরূপই বলতে শুনেছি। (ই. ফা. ৩৮৪৯, ই. সে. ৩৮৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ، عُمَيْرٍ عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم “ أَنَّ رَجُلاً مَاتَ فَدَخَلَ الْجَنَّةَ فَقِيلَ لَهُ مَا كُنْتَ تَعْمَلُ قَالَ فَإِمَّا ذَكَرَ وَإِمَّا ذُكِّرَ . فَقَالَ إِنِّي كُنْتُ أُبَايِعُ النَّاسَ فَكُنْتُ أُنْظِرُ الْمُعْسِرَ وَأَتَجَوَّزُ فِي السِّكَّةِ أَوْ فِي النَّقْدِ . فَغُفِرَ لَهُ ” . فَقَالَ أَبُو مَسْعُودٍ وَأَنَا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি মৃত্যুর পর জান্নাতে প্রবেশ করে। তাকে জিজ্ঞেস করা হল তুমি কেমন আমল করতে? রাবী বলেনঃ এরপর সে স্মরণ করে বা তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। সে বললঃ আমি মানুষের সাথে কেনা-বেচা করতাম। দরিদ্র লোকদেরকে আমি অবকাশ দিতাম এবং মুদ্রা বা টাকা মাফ করে দিতাম। এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। এরপর আবূ মাস’ঊদ বলেনঃ এরূপই আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি। (ই. ফা. ৩৮৫০, ই. সে. ৩৮৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৮
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ، عَنْ رِبْعِيِّ، بْنِ حِرَاشٍ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ “ أُتِيَ اللَّهُ بِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِهِ آتَاهُ اللَّهُ مَالاً فَقَالَ لَهُ مَاذَا عَمِلْتَ فِي الدُّنْيَا – قَالَ وَلاَ يَكْتُمُونَ اللَّهَ حَدِيثًا – قَالَ يَا رَبِّ آتَيْتَنِي مَالَكَ فَكُنْتُ أُبَايِعُ النَّاسَ وَكَانَ مِنْ خُلُقِي الْجَوَازُ فَكُنْتُ أَتَيَسَّرُ عَلَى الْمُوسِرِ وَأُنْظِرُ الْمُعْسِرَ . فَقَالَ اللَّهُ أَنَا أَحَقُّ بِذَا مِنْكَ تَجَاوَزُوا عَنْ عَبْدِي ” . فَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ الْجُهَنِيُّ وَأَبُو مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيُّ هَكَذَا سَمِعْنَاهُ مِنْ فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহ তা’আলার কাছে তাঁর এমন এক বান্দাকে হাযির করা হয়, যাকে তিনি প্রচুর সম্পদ দান করেছিলেন। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করেন, দুনিয়ায় তুমি কী ‘আমাল করেছে? রাবী বলেনঃ আর আল্লাহর নিকট কেউ কোন কথা গোপন রাখতে পারে না। সে বললঃ হে আমার রব! আপনি আপনার সম্পদ আমাকে দান করেছিলেন। আমি মানুষের সাথে ক্রয়-বিক্রয় করতাম। সুতরাং সচ্ছল ব্যক্তির সহিত আমি সহনশীলতা প্রদর্শন করতাম আর গরীবকে সময় দিতাম। আল্লাহ তা’আলা বললেনঃ এ ব্যাপারে (হে বান্দা) তোমার চেয়ে আমি অধিকযোগ্য। তোমার আমার বান্দাকে ছেড়ে দাও।
‘উক্বাহ্ ইবনু ‘আমির জুহানী ও আবূ মাস’ঊদ আনসারী (রাঃ) বলেন, এরূপই আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মুখ থেকে শুনেছি। (ই. ফা. ৩৮৫১, ই. সে. ৩৮৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৮৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ حُوسِبَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَلَمْ يُوجَدْ لَهُ مِنَ الْخَيْرِ شَىْءٌ إِلاَّ أَنَّهُ كَانَ يُخَالِطُ النَّاسَ وَكَانَ مُوسِرًا فَكَانَ يَأْمُرُ غِلْمَانَهُ أَنْ يَتَجَاوَزُوا عَنِ الْمُعْسِرِ قَالَ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ نَحْنُ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنْهُ تَجَاوَزُوا عَنْهُ ” .
আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের পূরবর্তী লোকদের মধ্যে এক লোকের হিসেব গ্রহণ করা হয়, কিন্তু তার মধ্যে কোন প্রকার ভাল ‘আমাল পাওয়া যায়নি। কিন্তু সে মানুষের সাথে লেনদেন করত এবং সে ছিল সচ্ছল। তাই দরিদ্র লোকদের ক্ষমা করে দেয়ার জন্যে সে তার কর্মচারীদের নির্দেশ দিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ বললেনঃ এ ব্যাপারে (অর্থাৎ ক্ষমা করার ব্যাপারে) আমি তার চেয়ে অধিক যোগ্য। একে ক্ষমা করে দাও। (ই. ফা. ৩৮৫২, ই. সে. ৩৮৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯০
حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ، – قَالَ مَنْصُورٌ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، وَهُوَ ابْنُ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ كَانَ رَجُلٌ يُدَايِنُ النَّاسَ فَكَانَ يَقُولُ لِفَتَاهُ إِذَا أَتَيْتَ مُعْسِرًا فَتَجَاوَزْ عَنْهُ لَعَلَّ اللَّهَ يَتَجَاوَزُ عَنَّا . فَلَقِيَ اللَّهَ فَتَجَاوَزَ عَنْهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক লোক মানুষের সাথে লেনদেন করত। সে তার গোলামকে বলে দিত, তুমি যখন কোন অভাবগ্রস্তের কাছে যাবে তখন তাকে ক্ষমা করে দিবে। হয়ত আল্লাহ আমাদেরকেও ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর সে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে মিলিত হলো। আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। (ই. ফা. ৩৮৫৩, ই. সে. ৩৮৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯১
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি শুনেছি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ বলেছেন। (ই. ফা. ৩৮৫৪, ই. সে. ৩৮৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯২
حَدَّثَنَا أَبُو الْهَيْثَمِ، خَالِدُ بْنُ خِدَاشِ بْنِ عَجْلاَنَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ، طَلَبَ غَرِيمًا لَهُ فَتَوَارَى عَنْهُ ثُمَّ وَجَدَهُ فَقَالَ إِنِّي مُعْسِرٌ . فَقَالَ آللَّهِ قَالَ آللَّهِ . قَالَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُنْجِيَهُ اللَّهُ مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلْيُنَفِّسْ عَنْ مُعْسِرٍ أَوْ يَضَعْ عَنْهُ ” .
আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) একবার তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণকারী একজনকে খোঁজ করেন। সে তার থেকে লুকিয়েছিল। পরে তিনি তাকে পেয়ে যান। সে বললঃ আমি অভাবগ্রস্ত। তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! সে বললঃ আল্লাহর শপথ। তিনি বললেনঃ তাহলে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এটা চায় যে, আল্লাহ তাকে কিয়ামাত দিবসের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দিক সে যেন ঋণগ্রস্ত অক্ষম লোকের সহজ ব্যবস্থা করে কিংবা ঋণ মওকূফ করে দেয়। (ই. ফা. ৩৮৫৫, ই. সে. ৩৮৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৩
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আইয়ূব (রহঃ) হতে উক্ত সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৫৭, ই. সে. ৩৮৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭. অধ্যায়ঃ
সক্ষম ব্যাক্তির ঋণ আদায়ে গড়িমসি করা হারাম, ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব অন্যের উপর দেয়া বৈধ এবং তা গ্রহণ করা মুস্তাহাব
৩৮৯৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَطْلُ الْغَنِيِّ ظُلْمٌ وَإِذَا أُتْبِعَ أَحَدُكُمْ عَلَى مَلِيءٍ فَلْيَتْبَعْ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সক্ষম ব্যক্তির ঋণ আদায়ে গড়িমসি করা অত্যাচারের শামিল। তোমাদের কারো প্রতি ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব দিলে সে যেন তা গ্রহণ করে। (ই. ফা. ৩৮৫৬, ই. সে. ৩৮৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৫৮, ই. সে. ৩৮৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮. অধ্যায়ঃ
মাঠে অবস্থিত পানি যা চারণ ভূমির কাজে লাগে এ পানির বাড়তি অংশ বিক্রি করা অবৈধ এবং তা ব্যবহারে বাধা দেয়া হারাম, আর ষাঁড় বা পাঁঠা দ্বারা মজুরী গ্রহণ কর হারাম
৩৮৯৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ فَضْلِ الْمَاءِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রয়োজনের চেয়ে বেশী পানি বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। (ই. ফা. ৩৮৫৯, ই. সে. ৩৮৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৭
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ ضِرَابِ الْجَمَلِ وَعَنْ بَيْعِ الْمَاءِ وَالأَرْضِ لِتُحْرَثَ . فَعَنْ ذَلِكَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন; উট দ্বারা পাল দিয়ে তার মজুরী নিতে এবং চাষের ও জমির বিনিময়ে পানি বিক্রি করতে। এসব রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। (ই. ফা. ৩৮৬০, ই. সে. ৩৮৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يُمْنَعُ فَضْلُ الْمَاءِ لِيُمْنَعَ بِهِ الْكَلأُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রয়োজনের চেয়ে বেশী পানি ব্যবহারে কাউকে বাধা দেয়া যাবে না। কারণ এর দ্বারা ঘাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। (ই. ফা. ৩৮৬১, ই. সে. ৩৮৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮৯৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، – وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ – أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَمْنَعُوا فَضْلَ الْمَاءِ لِتَمْنَعُوا بِهِ الْكَلأَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রয়োজনের চেয়ে বেশী পানি তোমরা বন্ধ করে রেখ না। কারণ এর দ্বারা তোমরা ঘাস উৎপাদন বন্ধ করে ফেলবে। (ই. ফা. ৩৮৬২, ই. সে. ৩৮৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০০
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي زِيَادُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ هِلاَلَ بْنَ أُسَامَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يُبَاعُ فَضْلُ الْمَاءِ لِيُبَاعَ بِهِ الْكَلأُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমনিতে জন্ম নেয় ঘাস বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি বিক্রি করা যাবে না। [১৮] (ই. ফা. ৩৮৬৩, ই. সে. ৩৮৬২)
[১৮] প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হতে না দিলে এমনিতে চারণভূমিতে যে ঘাস জন্মানোর কথা তা জন্মাবে না। বিধায় অতিরিক্ত পানি বিক্রি করা যেন এমনিতেই জন্ম নেয়া ঘাস বিক্রির এক ফন্দির ন্যায়। (শারহে মুসলিম- ইমাম নাবাবী, ২য় খন্ড, ১৯ পৃঃ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯. অধ্যায়ঃ
কুকুরের মূল্য, গণকের গণনা কাজের মজুরী ও ব্যভিচারিণীর ব্যভিচার দ্বারা উপার্জিত অর্থ হারাম এবং বিড়াল বিক্রি করা নিষেধ
৩৯০১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ، عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَمَهْرِ الْبَغِيِّ وَحُلْوَانِ الْكَاهِنِ ” .
আবূ মাস’ঊদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুরের মূল্য, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচার দ্বারা উপার্জিত অর্থ এবং গণকের গণনা দ্বারা উপার্জিত অর্থ গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। (ই. ফা. ৩৮৬৪, ই. সে. ৩৮৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০২
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ، بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . وَفِي حَدِيثِ اللَّيْثِ مِنْ رِوَايَةِ ابْنِ رُمْحٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مَسْعُودٍ .
কুতাইবাহ্ ইবনু সা’ঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু রুম্হ (রহঃ) লায়স ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে এবং আবূ বাক্র ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) সুফ্ইয়ান ইবনু ‘উয়াইনাহ্ (রহঃ) হতে এবং তাঁরা উভয়ে যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
তবে ইবনু রুম্হের বর্ণনায় লায়স (রহঃ) আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে শুনেননি। (ই. ফা. ৩৮৬৫, ই. সে. ৩৮৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، قَالَ سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ شَرُّ الْكَسْبِ مَهْرُ الْبَغِيِّ وَثَمَنُ الْكَلْبِ وَكَسْبُ الْحَجَّامِ ” .
রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি যে, নিকৃষ্ট উপার্জন বেশ্যা বৃত্তির উপার্জন এবং কুকুরের মূল্য আর রক্ত মোক্ষণকারীর (শিঙ্গা লাগানোর) আয়। (ই. ফা. ৩৮৬৬, ই. সে. ৩৮৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ قَارِظٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ ثَمَنُ الْكَلْبِ خَبِيثٌ وَمَهْرُ الْبَغِيِّ خَبِيثٌ وَكَسْبُ الْحَجَّامِ خَبِيثٌ ” .
রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুকুরের মূল্য নিকৃষ্ট, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারের আয় নিকৃষ্ট এবং রক্ত মোক্ষণকারীর উপার্জন নিকৃষ্ট। (ই. ফা. ৩৮৬৭, ই. সে. ৩৮৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي، كَثِيرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ)- এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহ্ইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ)- এর সূত্রে এ হাদীস উক্তরূপে বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৬৮, ই. সে. ৩৮৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৬
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৬৯, ই. সে. ৩৮৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৭
حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ، وَالسِّنَّوْرِ، قَالَ زَجَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ .
আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি জাবির (রাঃ)- এর নিকট কুকুর ও বিড়ালের মূল্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন। (ই. ফা. ৩৮৭০, ই. সে. ৩৮৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০. অধ্যায়ঃ
কুকুর হত্যার আদেশ ও তা রহিত হওয়ার বর্ণনা এবং শিকার করা অথবা ক্ষেত পাহারা বা জীবজন্তু পাহারা বা এ জাতীয় কোন কাজের উদ্দেশ্য ব্যতীত কুকুর পালন করা হারাম হওয়ার বর্ণনা
৩৯০৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যা করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। (ই. ফা. ৩৮৭১, ই. সে. ৩৮৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯০৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِ الْكِلاَبِ فَأَرْسَلَ فِي أَقْطَارِ الْمَدِينَةِ أَنْ تُقْتَلَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যা করার নির্দেশ দিয়ে মাদীনার চারপাশে লোক পাঠালেন যাতে কুকুর হত্যা করা হয়। (ই. ফা. ৩৮৭২, ই. সে. ৩৮৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১০
وَحَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ أُمَيَّةَ – عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ فَنَنْبَعِثُ فِي الْمَدِينَةِ وَأَطْرَافِهَا فَلاَ نَدَعُ كَلْبًا إِلاَّ قَتَلْنَاهُ حَتَّى إِنَّا لَنَقْتُلُ كَلْبَ الْمُرَيَّةِ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ يَتْبَعُهَا .
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যার নির্দেশ দিতেন। অতঃপর মাদীনার ভেতরে ও তার চারপাশের কুকুর ধাওয়া করা হত। আর কোন কুকুরই আমরা না মেরে ছেড়ে দিতাম না। এমনকি বেদুঈনদের দুগ্ধবতী উষ্ট্রীর সাথে যে কুকুর থাকত (পাহারার জন্য) তাও আমরা হত্যা করতাম। (ই. ফা. ৩৮৭৩, ই. সে. ৩৮৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ إِلاَّ كَلْبَ صَيْدٍ أَوْ كَلْبَ غَنَمٍ أَوْ مَاشِيَةٍ . فَقِيلَ لاِبْنِ عُمَرَ إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ أَوْ كَلْبَ زَرْعٍ . فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِنَّ لأَبِي هُرَيْرَةَ زَرْعًا
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যা করতে হুকুম দিয়েছেন। তবে শিকারী কুকুর, বকরী পাহারা দানের কুকুর অথবা অন্য জীবজন্তু পাহারা দেয়া কুকুর ব্যতীত। অতঃপর ইবনু ‘উমারের নিকট বলা হলো যে, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) তো ক্ষেত পাহারার কুকুরের কথাও বলে থাকেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ আবূ হুরাইরার ক্ষেত আছে। [১৯] (ই. ফা. ৩৮৭৪, ই. সে. ৩৮৭৩)
[১৯] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীসে ‘আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর তো ক্ষেত আছে’ –এ কথা দ্বারা ইবনু উমার (রাঃ) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে অবজ্ঞা করা কিংবা হাদীসে সন্দেহ পোষণ উদ্দেশ্য নয়। বরং এর অর্থ হবে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর ক্ষেত আছে বলে তিনি হাদীসখানা ভালোভাবে হিফাযাত করেছেন। অধিকন্তু সাহাবীগণ সকলেই হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সেকাহ বিধায় কেবল আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে হাদীসটি বর্ণিত হলেও তা গ্রহণযোগ্য। ( সহীহ মুসলিম- শারহে ইমাম নাবাবী, ২য় খণ্ড, ২০ পৃঃ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ح وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِ الْكِلاَبِ حَتَّى إِنَّ الْمَرْأَةَ تَقْدَمُ مِنَ الْبَادِيَةِ بِكَلْبِهَا فَنَقْتُلُهُ ثُمَّ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَتْلِهَا وَقَالَ “ عَلَيْكُمْ بِالأَسْوَدِ الْبَهِيمِ ذِي النُّقْطَتَيْنِ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলতেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যা করার জন্য আমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। অতঃপর কোন বেদুঈন নারী কুকুরসহ আগমন করলে আমরা তাও হত্যা করে ফেলতাম। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা হত্যা করতে নিষেধ করেন এবং বলেনঃ চোখের উপর সাদা দু’টিকা বিশিষ্ট ঘন কালো রঙের কুকুর তোমরা হত্যা কর, কেননা তা হল শাইতান (অর্থাৎ-অতি নিকৃষ্ট)। (ই. ফা. ৩৮৭৫, ই. সে. ৩৮৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، سَمِعَ مُطَرِّفَ، بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ الْمُغَفَّلِ، قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِ الْكِلاَبِ ثُمَّ قَالَ “ مَا بَالُهُمْ وَبَالُ الْكِلاَبِ ” . ثُمَّ رَخَّصَ فِي كَلْبِ الصَّيْدِ وَكَلْبِ الْغَنَمِ .
ইবনু মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যা করতে বলেন। পরে তিনি বলেছেনঃ এদের এবং কুকুরের কী অবস্থা! অতঃপর শিকারী কুকুর ও বকরীর পাল পাহারার ব্যাপারে তিনি অনুমতি প্রদান করেন। (ই. ফা. ৩৮৭৬, ই. সে. ৩৮৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৪
وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ، حَاتِمٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَقَالَ ابْنُ حَاتِمٍ فِي حَدِيثِهِ عَنْ يَحْيَى، وَرَخَّصَ، فِي كَلْبِ الْغَنَمِ وَالصَّيْدِ وَالزَّرْعِ .
শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
শু’বাহ (রহঃ) হতে উক্তরুপে বর্ণনা করেন।
আর ইবনু হাতিম ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে বলেনঃ “এবং তিনি অনুমতি দিয়েছেন বকরীর পাল পাহারার, শিকারী এবং ক্ষেত পাহারার কুকুরের ক্ষেত্রে।” (ই. ফা. ৩৮৭৭, ই. সে. ৩৮৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ مَاشِيَةٍ أَوْ ضَارِي نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কুকুর পালন করে যা গৃহপালিত জীব-জন্তু পাহারা দেয়ার জন্যেও নয় কিংবা শিকার করার জন্যেও নয়, তাহলে প্রতিদিন তার সাওয়াব থেকে দু’কীরাত হ্রাস পেতে থাকবে। (ই. ফা. ৩৮৭৮, ই. সে. ৩৮৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ صَيْدٍ أَوْ مَاشِيَةٍ نَقَصَ مِنْ أَجْرِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ ” .
সালিম (রহঃ) তাঁর পিতার থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শিকারী কুকুর কিংবা গৃহপালিত পশুর পাহারার কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালন করবে, প্রতিদিন তার সাওয়াব থেকে দু’কীরাত করে কমতে থাকবে। (ই. ফা. ৩৮৭৯, ই. সে. ৩৮৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ – قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهْوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ ضَارِيَةٍ أَوْ مَاشِيَةٍ نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি শিকারী কুকুর অথবা জীবজন্তু পাহারা দেয়ার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালন করবে প্রতিদিন তার ‘আমাল থেকে দু’কীরাত করে কমতে থাকবে। (ই. ফা. ৩৮৮০, ই. সে. ৩৮৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ – عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ مَاشِيَةٍ أَوْ كَلْبَ صَيْدٍ نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ ” . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ” أَوْ كَلْبَ حَرْثٍ ” .
সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ তাঁর পিত থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি জীবজন্তু পাহারার কুকুর বা শিকারী কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালন করবে তার ‘আমাল থেকে প্রতিদিন এক কীরাত করে কমে যাবে। ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বলেছেন, “ কিংবা ক্ষেত পাহারার কুকুর।” (ই. ফা. ৩৮৮১, ই. সে. ৩৮৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯১৯
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ ضَارٍ أَوْ مَاشِيَةٍ نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ ” . قَالَ سَالِمٌ وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقُولُ ” أَوْ كَلْبَ حَرْثٍ ” . وَكَانَ صَاحِبَ حَرْثٍ .
সালিম (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি শিকারী কুকুর অথবা গৃহপালিত পশু পাহারার কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালন করবে প্রতিদিন তার ‘আমাল থেকে দু’কীরাত করে কমতে থাকবে।
সালিম (রহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা্ (রাঃ) বলতেন- “ কিংবা ক্ষেত পাহারার কুকুর।” আর তিনি ক্ষেত খামারের মালিক ছিলেন। (ই. ফা. ৩৮৮২, ই. সে. ৩৮৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২০
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عُمَرَ حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَيُّمَا أَهْلِ دَارٍ اتَّخَذُوا كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ مَاشِيَةٍ أَوْ كَلْبَ صَائِدٍ نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِمْ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ” .
সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ঘরের মালিক জীব জন্তু পাহারা বা শিকারের কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালন করবে প্রতিদিন তার ‘আমাল থেকে দু’কীরাত করে কমতে থাকবে। (ই. ফা. ৩৮৮৩, ই. সে. ৩৮৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنِ اتَّخَذَ كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ زَرْعٍ أَوْ غَنَمٍ أَوْ صَيْدٍ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে , নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ক্ষেত বা বকরীর পাল পাহারার কুকুর অথবা শিকারী কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর রাখবে, প্রতিদিন তার সাওয়াব থেকে এক কীরাত করে কমতে থাকবে। (ই. ফা. ৩৮৮৪, ই. সে. ৩৮৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২২
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ وَلاَ مَاشِيَةٍ وَلاَ أَرْضٍ فَإِنَّهُ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ قِيرَاطَانِ كُلَّ يَوْمٍ ” . وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَبِي الطَّاهِرِ ” وَلاَ أَرْضٍ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, শিকার কিংবা জীবজন্তু পাহারার প্রয়োজন ছাড়া যে ব্যক্তি কুকুর পালন করে, প্রতিদিন তার সাওয়াব থেকে দু’কীরাত করে কমতে থাকে।
আর আবূ তাহিরের বর্ণনায় “ ক্ষেত পাহারার জন্যে” কথাটি নেই। (ই. ফা. ৩৮৮৫, ই. সে. ৩৮৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنِ اتَّخَذَ كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ مَاشِيَةٍ أَوْ صَيْدٍ أَوْ زَرْعٍ انْتَقَصَ مِنْ أَجْرِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ ” . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَذُكِرَ لاِبْنِ عُمَرَ قَوْلُ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ صَاحِبَ زَرْعٍ .
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জীবজন্তু পাহারার অথবা শিকারী অথবা ক্ষেত পাহারার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর রাখবে, তার সাওয়াব থেকে প্রতিদিন এক কীরাত করে কমে যাবে।
যুহরী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু ‘উমারের নিকট আবূ হুরাইরার বক্তব্যটি উল্লেখ করা হলে তিনি বললেনঃ আল্লাহ আবূ হুরাইরার প্রতি রহমত করুন। তিনি ছিলেন একজন কৃষক। (ই. ফা. ৩৮৮৬, ই. সে. ৩৮৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৪
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَمْسَكَ كَلْبًا فَإِنَّهُ يَنْقُصُ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ إِلاَّ كَلْبَ حَرْثٍ أَوْ مَاشِيَةٍ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কুকুর রাখবে তার ‘আমাল থেকে প্রতিদিন এক কীরাত করে কমতে থাকবে, তবে ক্ষেত পাহারার কিংবা জীবজন্তু পাহারার কুকুর ব্যতীত। (ই. ফা. ৩৮৮৭, ই. সে. ৩৮৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে উক্ত রূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৮৮, ই. সে. ৩৮৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا حَرْبٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর -এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর -এর সূত্রে উক্ত রূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৮৯, ই. সে. ৩৮৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – عَنْ إِسْمَاعِيلَ، بْنِ سُمَيْعٍ حَدَّثَنَا أَبُو رَزِينٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنِ اتَّخَذَ كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ وَلاَ غَنَمٍ نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কুকুর রাখবে যা শিকারী অথবা বকরীর পাল পাহারা দেয়ার উদ্দেশ্য ব্যতীত তাহলে প্রতিদিন তার ‘আমাল থেকে এক কীরাত করে কমতে থাকবে। (ই. ফা. ৩৮৯০, ই. সে. ৩৮৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، أَنَّ السَّائِبَ، بْنَ يَزِيدَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ سُفْيَانَ بْنَ أَبِي زُهَيْرٍ، – وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ شَنُوءَةَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا لاَ يُغْنِي عَنْهُ زَرْعًا وَلاَ ضَرْعًا نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ ” . قَالَ آنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِي وَرَبِّ هَذَا الْمَسْجِدِ .
সুফ্ইয়ান ইবনু যুহায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন শানূআহ গোত্রের লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবী। তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি এমন কুকুর পালন করবে যা তার ক্ষেতের বা জীবজন্তু পাহারার কাজে ব্যতীত হয়, তবে প্রতিদিন তার নেক আমাল থেকে এক কীরাত পরিমাণ কমতে থাকে। রাবী বললেনঃ আপনি কি এ কথা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এ মাসজিদের প্রভুর শপথ। (ই. ফা. ৩৮৯১, ই. সে. ৩৮৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯২৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ، خُصَيْفَةَ أَخْبَرَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّهُ وَفَدَ عَلَيْهِمْ سُفْيَانُ بْنُ أَبِي زُهَيْرٍ الشَّنَئِيُّ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাদের নিকট একবার সুফ্ইয়ান ইবনু আবু যুহায়র আশ্-শানায়িয়্যু প্রতিনিধি হয়ে আগমন করেন। অতঃপর তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উপরের অনুরূপ। (ই. ফা. ৩৮৯২, ই. সে. ৩৮৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১. অধ্যায়ঃ
শিঙ্গা লাগিয়ে মজুরী নেয়া হালাল
৩৯৩০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ سُئِلَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ كَسْبِ الْحَجَّامِ، فَقَالَ احْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَمَهُ أَبُو طَيْبَةَ فَأَمَرَ لَهُ بِصَاعَيْنِ مِنْ طَعَامٍ وَكَلَّمَ أَهْلَهُ فَوَضَعُوا عَنْهُ مِنْ خَرَاجِهِ وَقَالَ “ إِنَّ أَفْضَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ أَوْ هُوَ مِنْ أَمْثَلِ دَوَائِكُمْ ” .
হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর নিকট শিঙ্গা দিয়ে উপার্জন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিঙ্গা (নিজ শরীরে) লাগিয়েছেন। আবূ তাইবাহ্ তাকে শিঙ্গা দিয়েছে। তিনি তাকে দু’সা’ খাদ্য বস্তু দেয়ার নির্দেশ দেন এবং তার মুনিবের সাথে আলোচনা করেন। এতে তারা তার উপর ধার্যকৃত কর কমিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেনঃ তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও শিঙ্গা তার মধ্যে একটি উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটা তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক। (ই. ফা. ৩৮৯৩, ই. সে. ৩৮৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩১
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – يَعْنِي الْفَزَارِيَّ – عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ عَنْ كَسْبِ الْحَجَّامِ، فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ “ إِنَّ أَفْضَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ وَالْقُسْطُ الْبَحْرِيُّ وَلاَ تُعَذِّبُوا صِبْيَانَكُمْ بِالْغَمْزِ ” .
হুমায়দ (রহঃ) -এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস (রাঃ)-এর নিকট শিঙ্গা দিয়ে মজুরী গ্রহন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। অতঃপর তিনি এরূপ বর্ণনা করেন। তাছাড়া তিনি বলেন, তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও শিঙ্গা লাগানো এবং ‘কুসতুল বাহরী (চন্দন কাঠ) ব্যবহার তার মধ্যে অতি উত্তম ব্যবস্থা। অতএব তোমরা তোমাদের শিশুদের কণ্ঠনালী চেপে বসিয়ে দিয়ে কষ্ট দিও না। (ই. ফা. ৩৮৯৪, ই. সে. ৩৮৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ خِرَاشٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ دَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غُلاَمًا لَنَا حَجَّامًا فَحَجَمَهُ فَأَمَرَ لَهُ بِصَاعٍ أَوْ مُدٍّ أَوْ مُدَّيْنِ وَكَلَّمَ فِيهِ فَخُفِّفَ عَنْ ضَرِيبَتِهِ .
হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের শিঙ্গা লাগিয়ে থাকে এমন বালককে ডেকে পাঠান। সে তাঁর শরীরে শিঙ্গা লাগায়। অতঃপর তিনি তাকে এক সা’ অথবা এক মুদ বা দু’মুদ পরিমাণ পরিশোধ করতে আদেশ করেন এবং তার সম্পর্কে আলোচনা করেন। এতে তার উপর থেকে কর হ্রাস করে দেওয়া হয়। (ই. ফা. ৩৮৯৫, ই. সে. ৩৮৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمَخْزُومِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ وُهَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَأَعْطَى الْحَجَّامَ أَجْرَهُ وَاسْتَعَطَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং শিঙ্গা প্রয়োগকারীকে তার মজুরী দিয়েছেন এবং তিনি নাকে ঔষধ ঢেলে ব্যবহার করেছেন। (ই. ফা. ৩৮৯৬, ই. সে. ৩৮৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لِعَبْدٍ – قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ، الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ حَجَمَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَبْدٌ لِبَنِي بَيَاضَةَ فَأَعْطَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَجْرَهُ وَكَلَّمَ سَيِّدَهُ فَخَفَّفَ عَنْهُ مِنْ ضَرِيبَتِهِ وَلَوْ كَانَ سُحْتًا لَمْ يُعْطِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,বানূ বায়াযাহ্-এর একটি গোলাম নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে শিঙ্গা লাগায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে মজুরী প্রদান করেন এবং তার মালিকের সাথে আলোচনা করেন। এতে সে তার উপর থেকে ধার্যকৃত দৈনিক মজুরীর হার কমিয়ে দেয়। যদি হারাম হতো তা হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দিতেন না। (ই. ফা. ৩৮৯৭, ই. সে. ৩৮৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২. অধ্যায়ঃ
মদ বিক্রি করা হারাম
৩৯৩৫
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى أَبُو هَمَّامٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ بِالْمَدِينَةِ قَالَ ” يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُعَرِّضُ بِالْخَمْرِ وَلَعَلَّ اللَّهَ سَيُنْزِلُ فِيهَا أَمْرًا فَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ مِنْهَا شَىْءٌ فَلْيَبِعْهُ وَلْيَنْتَفِعْ بِهِ ” . قَالَ فَمَا لَبِثْنَا إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى حَرَّمَ الْخَمْرَ فَمَنْ أَدْرَكَتْهُ هَذِهِ الآيَةُ وَعِنْدَهُ مِنْهَا شَىْءٌ فَلاَ يَشْرَبْ وَلاَ يَبِعْ ” . قَالَ فَاسْتَقْبَلَ النَّاسُ بِمَا كَانَ عِنْدَهُ مِنْهَا فِي طَرِيقِ الْمَدِينَةِ فَسَفَكُوهَا .
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মাদীনায় খুত্বা দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ হে লোক সকল! আল্লাহ তা’আলা মদের বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। হয়তো এ ব্যাপারে তিনি শীঘ্রই কোন সুস্পষ্ট নির্দেশ দান করবেন।সুতরাং কারো নিকট এর কিছু থাকলে সে যেন তা বিক্রি করে দেয় এবং কাজে লাগায়। রাবী বলেন, অল্প কয়েকদিন পরেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা মদ হারাম করে দিয়েছেন। সুতরাং যার নিকট এ আয়াত পৌঁছবে এবং তার নিকট এর কিছু অবশিষ্ট থাকে, তবে সে যেন তা পান না করে এবং বিক্রি না করে। রাবী বলেন, তখন যাদের নিকট তা ছিল, তা নিয়ে তারা মাদীনার রাস্তায় নেমে আসলো এবং ঢেলে দিলো। (ই. ফা. ৩৮৯৮, ই. সে. ৩৮৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৬
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ وَعْلَةَ – رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ – أَنَّهُ جَاءَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ ح . وَحَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، وَغَيْرُهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَعْلَةَ السَّبَإِيِّ، – مِنْ أَهْلِ مِصْرَ – أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ عَمَّا يُعْصَرُ مِنْ الْعِنَبِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ رَجُلًا أَهْدَى لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاوِيَةَ خَمْرٍ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ عَلِمْتَ أَنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَهَا قَالَ لَا فَسَارَّ إِنْسَانًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَ سَارَرْتَهُ فَقَالَ أَمَرْتُهُ بِبَيْعِهَا فَقَالَ إِنَّ الَّذِي حَرَّمَ شُرْبَهَا حَرَّمَ بَيْعَهَا قَالَ فَفَتَحَ الْمَزَادَةَ حَتَّى ذَهَبَ مَا فِيهَا
‘আবদুর রহমান ইবন ওয়ালাতা আস সাবাঈ মিসরী (রহঃ) -এর সূত থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট আঙ্গুরের রস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এক মশক মদ উপহার স্বরূপ নিয়ে আসে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সেটা হারাম করে দিয়েছেন? সে বলল, না। অতঃপর সে এক ব্যক্তির সাথে কানাকানি করল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তাকে গোপনে কী বললে? সে বলল, আমি তাকে এটা বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছি। এরপর তিনি বললেন, যিনি (আল্লাহ) এটা পান করা হারাম করেছেন তিনি এর বিক্রিও হারাম করে দিয়েছেন। রাবী বলেন, এরপর সে মশ্কের মুখ খুলে দিল এবং তার মধ্যে যা কিছু ছিল সব পড়ে গেল। (ই. ফা. ৩৮৯৯, ই. সে. ৩৮৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৭
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ، سَعِيدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَعْلَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৯০০, ই. সে. ৩৮৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৮
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا نَزَلَتِ الآيَاتُ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاقْتَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ ثُمَّ نَهَى عَنِ التِّجَارَةِ فِي الْخَمْرِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সূরা আল-বাক্বারাহ্ -এর শেষের আয়াতগুলো লোকদের পড়ে শোনান। এরপর মদের বেচাকেনা নিষিদ্ধ করেন। (ই. ফা. ৩৯০১, ই. সে. ৩৯০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا أُنْزِلَتِ الآيَاتُ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي الرِّبَا – قَالَتْ – خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ فَحَرَّمَ التِّجَارَةَ فِي الْخَمْرِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন সূরা আল-বাকারাহ্-র সুদ সম্পর্কীয় শেষের আয়াতগুলো নাযিল হল তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদের দিকে বের হয়ে আসেন এবং মদের বেচাকেনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। (ই. ফা. ৩৯০২, ই. সে. ৩৯০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩. অধ্যায়ঃ
মদ, মৃতজন্তু, শূকর ও মূর্তি বিক্রি করা হারাম
৩৯৪০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي، رَبَاحٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَامَ الْفَتْحِ وَهُوَ بِمَكَّةَ ” إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ حَرَّمَ بَيْعَ الْخَمْرِ وَالْمَيْتَةِ وَالْخِنْزِيرِ وَالأَصْنَامِ ” . فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ شُحُومَ الْمَيْتَةِ فَإِنَّهُ يُطْلَى بِهَا السُّفُنُ وَيُدْهَنُ بِهَا الْجُلُودُ وَيَسْتَصْبِحُ بِهَا النَّاسُ فَقَالَ ” لاَ هُوَ حَرَامٌ ” . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ ” قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمَّا حَرَّمَ عَلَيْهِمْ شُحُومَهَا أَجْمَلُوهُ ثُمَّ بَاعُوهُ فَأَكَلُوا ثَمَنَهُ ”.
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মক্কা বিজয়ের বছরে মাক্কায় অবস্থানকালে বলতে শুনেছেন, আল্লাহ ও তাঁর রসূল হারাম ঘোষণা করেছেন মদ, মৃতজন্তু, শূকর ও মূর্তি বিক্রয় করা। তখন জিজ্ঞেস করা হলো হে আল্লাহর রসূল! মৃতজন্তুর চর্বি সম্পর্কে আপনি কী বলেন? কেননা এটা নৌকায় লাগানো হয়, চামড়ায় মালিশ করা হয় এবং মানুষ এর দ্বারা আগুন জ্বালায়। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না, তা হারাম। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ ইয়াহুদী জাতিকে তখনই ধ্বংস করেছেন,যখন আল্লাহ তাদের মৃতের চর্বি হারাম করেন আর তারা তা গলিয়ে বিক্রি করেছে এবং তার মূল্য খেয়েছে। (ই. ফা. ৩৯০৩, ই. সে. ৩৯০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ، بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ – يَعْنِي أَبَا عَاصِمٍ – عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ عَطَاءٌ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মক্কা বিজয়ের বছরে লাইসের হাদীসের অনুরূপ বলতে শুনেছি। (ই. ফা. ৩৯০৪, ই. সে. ৩৯০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَلَغَ عُمَرَ أَنَّ سَمُرَةَ، بَاعَ خَمْرًا فَقَالَ قَاتَلَ اللَّهُ سَمُرَةَ أَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَعَنَ اللَّهُ الْيَهُودَ حُرِّمَتْ عَلَيْهِمُ الشُّحُومُ فَجَمَلُوهَا فَبَاعُوهَا ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট এ খবর এলো যে, সামুরা (রাঃ) মদ বিক্রি করেছেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ সামুরার ধ্বংস করুন। সে-কি জানে না যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ইয়াহুদী জাতির উপর অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের উপর চর্বি হারাম করা হয়েছিল। এরপর তারা তা গলিয়ে বিক্রি করে। (ই. ফা. ৩৯০৫, ই. সে. ৩৯০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৩
حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْقَاسِمِ – عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ .
‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে উল্লিখিত রূপ বর্ণিত। (ই. ফা. ৩৯০৬, ই. সে. ৩৯০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الشُّحُومَ فَبَاعُوهَا وَأَكَلُوا أَثْمَانَهَا” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহ ইয়াহুদীদের ধ্বংস করে দিন। তিনি তাদের উপর চর্বি হারাম করেছেন, তারপর তারা তা বিক্রি করে মূল্য ভক্ষণ করেছে। (ই. ফা. ৩৯০৭, ই. সে. ৩৯০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪৫
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ حُرِّمَ عَلَيْهِمُ الشَّحْمُ فَبَاعُوهُ وَأَكَلُوا ثَمَنَهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ইয়াহুদী জাতিকে ধ্বংস করুন। তাদের উপর চর্বি হারাম করা হয়েছে, তারপর তারা তা বিক্রি করে তার মূল্য ভক্ষণ করেছে। (ই. ফা. ৩৯০৮, ই. সে. ৩৯০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস