১. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বংশে ফযীলত এবং নুবূওয়াত প্রাপ্তির আগে (তাঁকে) পাথরের সালাম করা প্রসঙ্গ
৫৮৩২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْمٍ، جَمِيعًا عَنِ الْوَلِيدِ، – قَالَ ابْنُ مِهْرَانَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، – حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، شَدَّادٍ أَنَّهُ سَمِعَ وَاثِلَةَ بْنَ الأَسْقَعِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى كِنَانَةَ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَاصْطَفَى قُرَيْشًا مِنْ كِنَانَةَ وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ ” .
আবূ ‘আম্মার শাদ্দাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ওয়াসিলাহ্ ইবনু আসকা’ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ মহান আল্লাহ ইসমা’ঈল (‘আঃ)-এর সন্তানদের থেকে ‘কিনানাহ্’-কে চয়ন করে নিয়েছেন, আর কিনানাহ্ (’র বংশ) হতে, ‘কুরায়শ’-কে বাছাই করে নিয়েছেন আর কুরায়শ (বংশ) হতে বানূ হাশিমকে বাছাই করে নিয়েছেন এবং বানূ হাশিম হতে আমাকে বাছাই করে নিয়েছেন। (ই.ফা. ৫৭৩৯, ই.সে. ৫৭৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৩৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، حَدَّثَنِي سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنِّي لأَعْرِفُ حَجَرًا بِمَكَّةَ كَانَ يُسَلِّمُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ إِنِّي لأَعْرِفُهُ الآنَ ” .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি মাক্কায় একটি পাথরকে জানি, যে আমার (নবীরূপে) প্রেরিত হওয়ার আগেও আমাকে সালাম করত; আমি এখনও তাকে সন্দেহাতীতভাবে চিনতে পারি। (ই.ফা. ৫৭৪০, ই.সে. ৫৭৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২. অধ্যায়ঃ
আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সমুদয় সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান প্রসঙ্গ
৫৮৩৪
حَدَّثَنِي الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا هِقْلٌ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَوَّلُ مَنْ يَنْشَقُّ عَنْهُ الْقَبْرُ وَأَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কিয়ামাতের দিন আদাম সন্তানদের সরদার হব এবং আমিই প্রথম ব্যক্তি যার কবর খুলে যাবে এবং আমিই প্রথম সুপারিশকারী ও প্রথম সুপারিশ গৃহীত ব্যক্তি। (ই.ফা. ৫৭৪১, ই.সে. ৫৭৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মু‘জিযা প্রসঙ্গ
৫৮৩৫
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَعَا بِمَاءٍ فَأُتِيَ بِقَدَحٍ رَحْرَاحٍ فَجَعَلَ الْقَوْمُ يَتَوَضَّئُونَ فَحَزَرْتُ مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى الثَّمَانِينَ – قَالَ – فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى الْمَاءِ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানি আনতে বললেন, তখন একটি প্রশস্ত তল বিশিষ্ট অগভীর বর্তন নিয়ে আসা হলো। (তিনি তাতে হাত রেখে বারাকাতের দু’আ করলেন) এবং লোকেরা ওযূ করতে লাগল। আমি তাদের সংখ্যা ষাট হতে আশির মাঝে ধারণা করলাম। বর্ণনাকারী বলেন, আমি পানির দিকে চেয়ে থাকলাম- যা তার আঙ্গুলসমূহের মাঝ থেকে ফোয়ারার মতো বেরিয়ে আসছিল। (ই.ফা. ৫৭৪২, ই.সে. ৫৭৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৩৬
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَانَتْ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَالْتَمَسَ النَّاسُ الْوَضُوءَ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِوَضُوءٍ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ الإِنَاءِ يَدَهُ وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَوَضَّئُوا مِنْهُ – قَالَ – فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ النَّاسُ حَتَّى تَوَضَّئُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে লক্ষ্য করলাম, তখন আসরের সলাতের সময় হয়ে গিয়েছিল আর লোকেরা ওযূর পানি সন্ধান করছিল; কিন্তু তারা খুঁজে পেল না। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু ওযূর পানি আনা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে পানির বর্তনে তাঁর হাত রেখে দিলেন এবং লোকদের তা হতে ওযূ করতে বললেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি দেখলাম, পানি তাঁর অঙ্গুলিসমূহের নিচ থেকে উচ্ছ্বল তরঙ্গের মত বেরিয়ে আসছে। তখন লোকেরা ওযূ করল, এমনকি তাদের শেষ লোক পর্যন্ত সবাই অযূ করতে সক্ষম হলো। (ই.ফা. ৫৭৪৩, ই.সে. ৫৭৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৩৭
حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – يَعْنِي ابْنَ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ بِالزَّوْرَاءِ – قَالَ وَالزَّوْرَاءُ بِالْمَدِينَةِ عِنْدَ السُّوقِ وَالْمَسْجِدِ فِيمَا ثَمَّهْ – دَعَا بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ فَوَضَعَ كَفَّهُ فِيهِ فَجَعَلَ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ جَمِيعُ أَصْحَابِهِ . قَالَ قُلْتُ كَمْ كَانُوا يَا أَبَا حَمْزَةَ قَالَ كَانُوا زُهَاءَ الثَّلاَثِمِائَةِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ ‘যাওরা’ নামক স্থানে ছিলেন। রাবী বলেন, ‘যাওরা’ হলো মাদীনার বাজার ও মাসজিদের সন্নিকটে একটি স্থান। সে সময় তিনি একটি পাত্র নিয়ে আসতে বললেন, যাতে অল্প পানি ছিল। তিনি তাঁর (হাতের) মুষ্ঠি তাতে রাখলেন। তখন তাঁর অঙ্গুলিসমূহের মধ্য হতে (পানি) উতড়িয়ে বের হতে লাগল আর তাঁর সাহাবীগণ সবাই অযূ করলেন। বর্ণনাকারী [কাতাদাহ্ (রহঃ)] বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আবূ হাম্যাহ্ (রাঃ)। তাঁরা কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, তাঁরা ছিলেন তিনশ’ জনের মতো। (ই.ফা. ৫৭৪৪, ই.সে. ৫৭৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৩৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ بِالزَّوْرَاءِ فَأُتِيَ بِإِنَاءِ مَاءٍ لاَ يَغْمُرُ أَصَابِعَهُ أَوْ قَدْرَ مَا يُوَارِي أَصَابِعَهُ . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ هِشَامٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘যাওরা’য় ছিলেন। সে সময় একটি পানির পেয়ালা নিয়ে আসা হলো, যার পানিতে তাঁর অঙ্গুলিসমূহ ডুবছিল না অথবা ঐ পরিমাণ, যা তাঁর অঙ্গুলিসমূহ ডুবাতে পারে না। তারপর (পূর্বোল্লিখিত হাদীসের) বর্ণনাকারী হিশাম (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৪৫, ই.সে. ৫৭৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৩৯
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ أُمَّ مَالِكٍ، كَانَتْ تُهْدِي لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي عُكَّةٍ لَهَا سَمْنًا فَيَأْتِيهَا بَنُوهَا فَيَسْأَلُونَ الأُدْمَ وَلَيْسَ عِنْدَهُمْ شَىْءٌ فَتَعْمِدُ إِلَى الَّذِي كَانَتْ تُهْدِي فِيهِ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَتَجِدُ فِيهِ سَمْنًا فَمَا زَالَ يُقِيمُ لَهَا أُدْمَ بَيْتِهَا حَتَّى عَصَرَتْهُ فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” عَصَرْتِيهَا ” . قَالَتْ نَعَمْ . قَالَ ” لَوْ تَرَكْتِيهَا مَا زَالَ قَائِمًا ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মু মালিক (রাঃ) তাঁর একটি চামড়ার পেয়ালায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য ঘি উপঢৌকন পাঠাতেন। (কোন কোন সময়) তার ছেলেরা তার নিকট এসে (রুটি মাখাবার জন্য) তরকারি চাইত। কিন্তু তখন তাদের নিকট কিছু থাকত না। তাই তিনি (উম্মু মালিক) সে পেয়ালাটির নিকট যেতেন যাতে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য উপঢৌকন প্রেরণ করতেন। তখন তিনি তাতে কিছু ঘি পেয়ে যেতেন। তারপর তা তার ঘরের (রুটি মাখাবার) তরকারির কাজ দিতে থাকল। যে পর্যন্ত না সেটি (আঙ্গুল দিয়ে মুছে) নিংড়ে ফেললেন। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলে তিনি বললেনঃ তুমি সেটি নিংড়ে ফেলেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ! তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি সেটিকে (না মুছে) যথাবস্থায় রেখে দিলে তা কিছু মওজুদ থেকেই যেত। (ই.ফা. ৫৭৪৬, ই.সে. ৫৭৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৪০
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَطْعِمُهُ فَأَطْعَمَهُ شَطْرَ وَسْقِ شَعِيرٍ فَمَا زَالَ الرَّجُلُ يَأْكُلُ مِنْهُ وَامْرَأَتُهُ وَضَيْفُهُمَا حَتَّى كَالَهُ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ لَوْ لَمْ تَكِلْهُ لأَكَلْتُمْ مِنْهُ وَلَقَامَ لَكُمْ ” .
সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক লোক খাবার চাইতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো। তিনি তাকে অর্ধ ওয়াস্ক যব খাবার জন্য দিলেন। লোকটি তা থেকে আহার করতে থাকল আর তার স্ত্রী এবং তাদের (দু’জনের) মেহমানরাও। পরিশেষে সে (একদিন) তা মেপে দেখল। ফলে তা ফুরিয়ে গেল। তারপরে সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট (অভিযোগ নিয়ে) আসল। তিনি বললেন, যতি তুমি তা মেপে না দেখতে, তাহলে তোমরা তা থেকে আহার করতে থাকতে এবং তা তোমাদের জন্য (দীর্ঘ সময়) বিদ্যমান থাকত। (ই.ফা. ৫৭৪৭, ই.সে. ৫৭৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৪১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، – وَهُوَ ابْنُ أَنَسٍ – عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ، أَنَّ أَبَا الطُّفَيْلِ، عَامِرَ بْنَ وَاثِلَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ أَخْبَرَهُ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ غَزْوَةِ تَبُوكَ فَكَانَ يَجْمَعُ الصَّلاَةَ فَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمًا أَخَّرَ الصَّلاَةَ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ دَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ بَعْدَ ذَلِكَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا ثُمَّ قَالَ ” إِنَّكُمْ سَتَأْتُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَيْنَ تَبُوكَ وَإِنَّكُمْ لَنْ تَأْتُوهَا حَتَّى يُضْحِيَ النَّهَارُ فَمَنْ جَاءَهَا مِنْكُمْ فَلاَ يَمَسَّ مِنْ مَائِهَا شَيْئًا حَتَّى آتِيَ ” . فَجِئْنَاهَا وَقَدْ سَبَقَنَا إِلَيْهَا رَجُلاَنِ وَالْعَيْنُ مِثْلُ الشِّرَاكِ تَبِضُّ بِشَىْءٍ مِنْ مَاءٍ – قَالَ – فَسَأَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هَلْ مَسَسْتُمَا مِنْ مَائِهَا شَيْئًا ” . قَالاَ نَعَمْ . فَسَبَّهُمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ لَهُمَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ – قَالَ – ثُمَّ غَرَفُوا بِأَيْدِيهِمْ مِنَ الْعَيْنِ قَلِيلاً قَلِيلاً حَتَّى اجْتَمَعَ فِي شَىْءٍ – قَالَ – وَغَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِ يَدَيْهِ وَوَجْهَهُ ثُمَّ أَعَادَهُ فِيهَا فَجَرَتِ الْعَيْنُ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ أَوْ قَالَ غَزِيرٍ – شَكَّ أَبُو عَلِيٍّ أَيُّهُمَا قَالَ – حَتَّى اسْتَقَى النَّاسُ ثُمَّ قَالَ ” يُوشِكُ يَا مُعَاذُ إِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ أَنْ تَرَى مَا هَا هُنَا قَدْ مُلِئَ جِنَانًا ” .
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাবূক যুদ্ধের বছর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে (যুদ্ধে) বের হলাম। (এ সফরে) তিনি (দু’) সলাত একসাথে আদায় করতেন। অর্থাৎ, যুহ্র ও ‘আস্র একসাথে আদায় করতেন, আর মাগরিব ও ‘ইশা একত্রে আদায় করতেন। পরিশেষে একদিন (এমন) হলো যে, সলাত দেরিতে আদায় করলেন। তারপর বের হয়ে এসে যুহর ও ‘আস্র একসাথে আদায় করলেন, তারপর (তাঁবুতে) ঢুকলেন। অতঃপর আবার বেরিয়ে এলেন এবং মাগরিব ও ‘ইশা একসাথে আদায় করলেন। অতঃপর বললেন, ইন্শাআল্লাহ তোমরা আগামীকাল ‘তাবূক জলাশয়ে’ পৌঁছবে, তবে চাশ্তের সময় না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সেখানে পৌঁছতে পারবে না। তোমাদের মাঝে যে (ই) সেখানে (প্রথমে) পৌঁছবে সে যেন তার পানির কিছুই স্পর্শ না করে- যতক্ষণ না আমি এসে পৌঁছি। আমরা (ঠিক সময়েই) সেখানে পৌঁছলাম। (কিন্তু) ইতোমধ্যে দু’ লোক আমাদের পূর্বে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল। আর প্রসবণটিতে জুতার ফিতার ন্যায় ক্ষীণ ধারায় সামান্য পানি বের হচ্ছিল। মু’আয বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ দু’জনকে প্রশ্ন করলেন, তোমরা তা হতে কিছু পানি ছুঁয়েছো কি? ….. তারা উভয়ে বলল, হ্যাঁ! তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের দু’জনকে ভর্ৎসনা করলেন। আর আল্লাহর যা ইচ্ছা তাই তাদের বললেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকেরা তাদের হাত দিয়ে অঞ্জলি ভরে ভরে প্রসবণ হতে অল্প অল্প করে (পানি) তুলল, পরিশেষে তা একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ জমা হলো। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মাঝে তাঁর দু’হাত এবং মুখ ধুলেন এবং তারপরে তা (পানি) তাতে (প্রসবণে) উল্টিয়ে (ঢেলে) দিলেন। ফলে পানির প্রসবণটি প্রবল পানি ধারায় কিংবা বর্ণনাকারী বলেছেন, অধিক পরিমাণে প্রবাহিত হতে লাগল। আবূ ‘আলী (রহঃ) সন্দেহ করেছেন যে, বর্ণনাকারী এর মধ্যে কোন্টি বলেছেন। এবার লোকেরা পানি প্রয়োজন মতো পান করল। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে মু’আয! তুমি যদি দীর্ঘায়ু হও, তবে আশা করা যায় যে, তুমি দেখতে পাবে প্রসবণের এ জায়গাটি বাগানে ভরে গেছে। (ই.ফা. ৫৭৪৮, ই.সে. ৫৭৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৪২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ تَبُوكَ فَأَتَيْنَا وَادِيَ الْقُرَى عَلَى حَدِيقَةٍ لاِمْرَأَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اخْرُصُوهَا ” . فَخَرَصْنَاهَا وَخَرَصَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشْرَةَ أَوْسُقٍ وَقَالَ ” أَحْصِيهَا حَتَّى نَرْجِعَ إِلَيْكِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ” . وَانْطَلَقْنَا حَتَّى قَدِمْنَا تَبُوكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” سَتَهُبُّ عَلَيْكُمُ اللَّيْلَةَ رِيحٌ شَدِيدَةٌ فَلاَ يَقُمْ فِيهَا أَحَدٌ مِنْكُمْ فَمَنْ كَانَ لَهُ بَعِيرٌ فَلْيَشُدَّ عِقَالَهُ ” . فَهَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ فَقَامَ رَجُلٌ فَحَمَلَتْهُ الرِّيحُ حَتَّى أَلْقَتْهُ بِجَبَلَىْ طَيِّئٍ وَجَاءَ رَسُولُ ابْنِ الْعَلْمَاءِ صَاحِبِ أَيْلَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِكِتَابٍ وَأَهْدَى لَهُ بَغْلَةً بَيْضَاءَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَهْدَى لَهُ بُرْدًا ثُمَّ أَقْبَلْنَا حَتَّى قَدِمْنَا وَادِيَ الْقُرَى فَسَأَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَرْأَةَ عَنْ حَدِيقَتِهَا ” كَمْ بَلَغَ ثَمَرُهَا ” . فَقَالَتْ عَشَرَةَ أَوْسُقٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي مُسْرِعٌ فَمَنْ شَاءَ مِنْكُمْ فَلْيُسْرِعْ مَعِيَ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَمْكُثْ ” . فَخَرَجْنَا حَتَّى أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ ” هَذِهِ طَابَةُ وَهَذَا أُحُدٌ وَهُوَ جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ ” . ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ خَيْرَ دُورِ الأَنْصَارِ دَارُ بَنِي النَّجَّارِ ثُمَّ دَارُ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ ثُمَّ دَارُ بَنِي عَبْدِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ دَارُ بَنِي سَاعِدَةَ وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ ” . فَلَحِقَنَا سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ فَقَالَ أَبُو أُسَيْدٍ أَلَمْ تَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيَّرَ دُورَ الأَنْصَارِ فَجَعَلَنَا آخِرًا . فَأَدْرَكَ سَعْدٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَيَّرْتَ دُورَ الأَنْصَارِ فَجَعَلْتَنَا آخِرًا . فَقَالَ ” أَوَلَيْسَ بِحَسْبِكُمْ أَنْ تَكُونُوا مِنَ الْخِيَارِ ” .
আবূ হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে তাবূক যুদ্ধের জন্য বের হলাম। আমরা ‘ওয়াদিল কুরা’ এলাকায় এক মহিলার একটি বাগানের নিকট পৌঁছলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা এর পরিমাণ ধারণা করো। আমরা এর পরিমাণ অনুমান করলাম। আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশ ওয়াস্ ক(প্রায় পঞ্চাশ মণ) পরিমাণ ধারণা করলেন এবং (মেয়ে লোকটিকে) বললেন, ইন্শাআল্লাহ আমরা তোমার এখানে ফিরে আসা পর্যন্ত এ পরিমাণ ধরে রাখো। তারপরে আমরা অগ্রসর হলাম এবং তাবূকে পৌঁছে গেলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আজ রাতে প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহ তোমাদের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। তাই তোমাদের কেউ যেন তার মধ্যে দাঁড়িয়ে না থাকে এবং যার উট আছে সে যেন তার দঁড়ি মজবুত করে বেঁধে রাখে। অতঃপর দেখা গেল, অনেক বাতাস প্রবাহিত হলো। জনৈক লোক দাঁড়ালে বাতাস তাকে তুলে নিয়ে পরিশেষে ‘তাই’ নামক পাহাড়ে ফেলে দিল। আর (ঐ সময় নিকটবর্তী) ‘আয়লার’ অঞ্চল প্রধান (শাসক) ইবনুল ‘আলমা’-র দূত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একটি পত্র নিয়ে আসলো এবং তিনি তাঁকে একটি সাদা খচ্চর উপঢৌকন পাঠালেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও তার নিকট চিঠি লিখে পাঠালেন এবং তাকে একটি চাদর উপঢৌকন হিসেবে প্রেরণ করলেন। এরপর আমরা এগিয়ে চলতে চলতে ‘ওয়াদিল কুরা’ পৌঁছলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রীলোকটিকে (বাগানের মালিক) তার বাগান সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন যে, তার ফল কি পরিমাণে পৌঁছেছে? সে বলল, দশ ওয়াস্ক। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি দ্রুত যাচ্ছি। তোমাদের মাঝে যার ইচ্ছা হয় সে আমার সাথে অবিলম্বে যেতে পারে। আর যার ইচ্ছা সে থেকে যেতে পারে। অতঃপর আমরা বেরিয়ে গেলাম। পরিশেষে মাদীনার নিকটবর্তী এলাকায় পৌঁছলাম। সে সময় তিনি বললেন, এ (মাদীনাহ্) হলো ‘তাবা’-পবিত্র ও উত্তম জায়গা। আর এ হলো উহুদ। আর তা এমন পর্বত, যে আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি। এরপর বললেন, আনসারীদের শ্রেষ্ঠ পরিবার বানূ নাজ্জার, এরপর বানূ ‘আবদুল আশ্হাল, তারপর বানূ হারিস ইবনু খাযরাজ, অতঃপর বানূ সা‘ইদাহ্ পরিবার। আর আনসারদের প্রতিটি সম্প্রদায়ই ভাল। সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ্ (রাঃ) আমাদের সঙ্গে এসে একত্রিত হলে (তাঁর সম্প্রদায়ের) আবূ উসায়দ (রাঃ) তাঁকে বললেন, আপনি কি দেখেননি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসার সম্প্রদায়গুলোর মাঝে ধারাবাহিকভাবে শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন এবং আমাদের সম্প্রদায়কে তালিকার শেষে রেখেছেন। তখন সা‘দ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আনসার সম্প্রদায়গুলোর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন এবং আমাদের শেষে রেখেছেন! তখন তিনি বললেন, শ্রেষ্ঠ তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হওয়াও কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয়? (ই.ফা. ৫৭৪৯, ই.সে. ৫৭৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৪৩
حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ “ وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ ” . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ مِنْ قِصَّةِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ وُهَيْبٍ فَكَتَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَحْرِهِمْ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِ وُهَيْبٍ فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
‘আমর ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে আনসারদের প্রতিটি সম্প্রদায়ের কল্যাণ আছে’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। তিনি পরবর্তী অংশ- সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ্ (রাঃ) সম্বন্ধে বর্ণনা উল্লেখ করেননি। তবে উহায়ব (রহঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে বেশি উল্লেখ করেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার (ইবনুল ‘আলমা)-র জন্য তাদের জনপদগুলো লিখে দিলেন। উহায়ব (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও তার নিকট চিঠি লিখে প্রেরণ করলেন- উক্তিটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৭৫০, ই.সে. ৫৭৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ তা‘আলার উপরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর তাওয়াক্কুল এবং তাঁকে লোকদের (অনিষ্ট) হতে আল্লাহ তা‘আলার হিফাযাত
৫৮৪৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي، سَلَمَةَ عَنْ جَابِرٍ، ح
وَحَدَّثَنِي أَبُو عِمْرَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سِنَانِ بْنِ أَبِي سِنَانٍ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةً قِبَلَ نَجْدٍ فَأَدْرَكَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَادٍ كَثِيرِ الْعِضَاهِ فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَحْتَ شَجَرَةٍ فَعَلَّقَ سَيْفَهُ بِغُصْنٍ مِنْ أَغْصَانِهَا – قَالَ – وَتَفَرَّقَ النَّاسُ فِي الْوَادِي يَسْتَظِلُّونَ بِالشَّجَرِ – قَالَ – فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ رَجُلاً أَتَانِي وَأَنَا نَائِمٌ فَأَخَذَ السَّيْفَ فَاسْتَيْقَظْتُ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِي فَلَمْ أَشْعُرْ إِلاَّ وَالسَّيْفُ صَلْتًا فِي يَدِهِ فَقَالَ لِي مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي قَالَ قُلْتُ اللَّهُ . ثُمَّ قَالَ فِي الثَّانِيَةِ مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي قَالَ قُلْتُ اللَّهُ . قَالَ فَشَامَ السَّيْفَ فَهَا هُوَ ذَا جَالِسٌ ” . ثُمَّ لَمْ يَعْرِضْ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নাজ্দ-এর দিকে একটি জিহাদে গেলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (পেছন হতে এসে) একটি কাঁটাবন যুক্ত উপত্যকায় আমাদের পেলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি গাছের তলায় অবতরণ করলেন এবং তাঁর তলোয়ারটি সে বৃক্ষের একটি শাখায় লটকিয়ে রাখলেন। বর্ণনাকারী [জাবির (রাঃ)] বলেন, আর লোকেরা গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়ল। বর্ণনাকারী বলেন, পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জনৈক লোক আমার নিকট আসলো তখন আমি ঘুমন্ত। সে তলোয়ারটি হাতে নিল। আমি জেগে উঠলাম, আর সে আমার মাথার কাছে দণ্ডায়মান। আমি কিছু বুঝে না উঠতেই (দেখি) উন্মুক্ত তলোয়ারটি তার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে। অতঃপর সে আমাকে বলল, কে তোমাকে আমা হতে রক্ষা করবে? তিনি বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ! সে দ্বিতীয় বার বলল, তোমাকে আমার হাত থেকে কে রক্ষা করবে? তিনি বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সে তখন তলোয়ারটি ভিতরে ঢুকিয়ে রাখল। আর ওই যে সে বসে আছে। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে কিছুই বললেন না। (ই.ফা. ৫৭৫১, ই.সে. ৫৭৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৪৫
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي سِنَانُ بْنُ أَبِي سِنَانٍ الدُّؤَلِيُّ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيَّ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُمَا أَنَّهُ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةً قِبَلَ نَجْدٍ فَلَمَّا قَفَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَفَلَ مَعَهُ فَأَدْرَكَتْهُمُ الْقَائِلَةُ يَوْمًا ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ وَمَعْمَرٍ .
সিনান ইবনু আবূ সিনান দুওয়ালী ও আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) ….. তিনি ছিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন সহাবী। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে নাজ্দ অভিমুখে একটি মিশনে গেলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ফিরে এলেন তখন তিনিও তাঁর সাথে ফিরে আসেন। এরপর দুপুরের বিশ্রামকালে সকলে উপস্থিত হলো …..। তারপর ইব্রাহীম ইবনু সা‘দ ও মা‘মার (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা.৫৭৫২, ই.সে. ৫৭৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كُنَّا بِذَاتِ الرِّقَاعِ . بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يَذْكُرْ ثُمَّ لَمْ يَعْرِضْ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এগিয়ে চললাম। পরিশেষে আমরা যখন যাতুর রিকা’য় পৌঁছলাম …..। এরপর যুহরী (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে আর কোন কিছু বলেননি- উক্তটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৭৫৩, ই.সে. ৫৭৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে হিদায়াত ও ‘ইলম সহ প্রেরিত হয়েছেন তা দৃষ্টান্তের বিবরণ
৫৮৪৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ – وَاللَّفْظُ لأَبِي عَامِرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ مَثَلَ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنَ الْهُدَى وَالْعِلْمِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَصَابَ أَرْضًا فَكَانَتْ مِنْهَا طَائِفَةٌ طَيِّبَةٌ قَبِلَتِ الْمَاءَ فَأَنْبَتَتِ الْكَلأَ وَالْعُشْبَ الْكَثِيرَ وَكَانَ مِنْهَا أَجَادِبُ أَمْسَكَتِ الْمَاءَ فَنَفَعَ اللَّهُ بِهَا النَّاسَ فَشَرِبُوا مِنْهَا وَسَقَوْا وَرَعَوْا وَأَصَابَ طَائِفَةً مِنْهَا أُخْرَى إِنَّمَا هِيَ قِيعَانٌ لاَ تُمْسِكُ مَاءً وَلاَ تُنْبِتُ كَلأً فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ فَقُهَ فِي دِينِ اللَّهِ وَنَفَعَهُ بِمَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ فَعَلِمَ وَعَلَّمَ وَمَثَلُ مَنْ لَمْ يَرْفَعْ بِذَلِكَ رَأْسًا وَلَمْ يَقْبَلْ هُدَى اللَّهِ الَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ ” .
আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) ও আবূ মূসা (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা আমাকে যে হিদায়াত ও ‘ইল্ম সহকারে প্রেরণ করেছেন; তার দৃষ্টান্ত সে বৃষ্টির মত যা কোন ভূমিতে বর্ষিত হলো, আর সে ভূমির উৎকৃষ্ট কতকাংশ পানি গ্রহণ করে এবং প্রচুর তরতাজা ঘাস-পাতা উৎপাদন করে। আর কতকাংশ হলো শক্ত মাটি, যা পানি আবদ্ধ রাখে, ফলে আল্লাহ তা’আলা তা দ্বারা মানুষের উপকার করেন এবং তারা তা থেকে পান করেন, (অন্যদের) পান করায় ও পশু চড়ায়। আর বৃষ্টি সে জমির আরও কিয়দংশ বর্ষিত হলো- যা উঁচু অনুর্বর, যা কোন পানি আবদ্ধ করে রাখে না আর কোন লতা-পাতাও উৎপাদিত করে না। সে উদাহরণ হলো সেসব লোকের- যারা আল্লাহর দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং আল্লাহ তাদের সেসব বস্তু’ দিয়ে উপকৃত করেন যা নিয়ে আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন। ফলে সে ‘ইল্ম অর্জন করে অন্যকেও শিক্ষা দেয়। আর তৃতীয় উদাহরণ হলো ঐ লোকদের যারা তার প্রতি মাথা উঁচু করেও তাকায় না এবং আল্লাহর ঐ হিদায়াতও কবূল করে না, যা নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি। (ই.ফা. ৫৭৫৪, ই.সে. ৫৭৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬. অধ্যায়ঃ
উম্মাতের প্রতি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্নেহ এবং তাদের জন্য ক্ষতিকর বিষয় থেকে গুরুত্ব সহকারে সতর্কীকরণ
৫৮৪৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلَ مَا بَعَثَنِيَ اللَّهُ بِهِ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَتَى قَوْمَهُ فَقَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي رَأَيْتُ الْجَيْشَ بِعَيْنَىَّ وَإِنِّي أَنَا النَّذِيرُ الْعُرْيَانُ فَالنَّجَاءَ . فَأَطَاعَهُ طَائِفَةٌ مِنْ قَوْمِهِ فَأَدْلَجُوا فَانْطَلَقُوا عَلَى مُهْلَتِهِمْ وَكَذَّبَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ فَأَصْبَحُوا مَكَانَهُمْ فَصَبَّحَهُمُ الْجَيْشُ فَأَهْلَكَهُمْ وَاجْتَاحَهُمْ فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ أَطَاعَنِي وَاتَّبَعَ مَا جِئْتُ بِهِ وَمَثَلُ مَنْ عَصَانِي وَكَذَّبَ مَا جِئْتُ بِهِ مِنَ الْحَقِّ ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উদাহরণ এবং আল্লাহ যা দিয়ে আমাকে প্রেরণ করেছেন তার উদাহরণ সে ব্যক্তির উপমার মতো যে তার স্বজাতির নিকট এসে বলে, হে আমার গোত্র! আমি আমার দু’ চোখে (শত্রু) সেনা দেখে এসেছি, আর আমি (সুস্পষ্ট) সতর্ককারী।
সুতরাং আত্মরক্ষা করো। তখন তার গোত্রের একদল তার কথা মেনে নিল এবং রাতের অন্ধকারে সুযোগে (জায়গা ত্যাগ করে) চলে গেল। আর একদল তাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে ভোর পর্যন্ত স্ব-স্থান হতে চলে গেল। ফলে (শত্রু) বাহিনী সকালে তাদের হামলা করল এবং তাদের সমূলে ধ্বংস করে দিল। সুতরাং এ হলো তাদের উপমা যারা আমার আনুগত্য করল এবং আমি যা নিয়ে এসেছি তার অনুররণ করল এবং ওদের উদাহরণ যারা আমার অবাধ্য হলো এবং যে সত্য আমি নিয়ে এসেছি তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। (ই.ফা. ৫৭৫৫, ই.সে. ৫৭৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৪৯
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ أُمَّتِي كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا فَجَعَلَتِ الدَّوَابُّ وَالْفَرَاشُ يَقَعْنَ فِيهِ فَأَنَا آخِذٌ بِحُجَزِكُمْ وَأَنْتُمْ تَقَحَّمُونَ فِيهِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উপমা ও আমার উম্মাতের উপমা সে ব্যক্তির উপমার মতো, যে অগ্নি প্রজ্জ্বলন করেছে ফলে মাকড় ও কীট-পতঙ্গ তাতে জ্বলতে লাগল। আমি তোমাদের কোমরবন্ধ ধরে (তোমাদের রক্ষার জন্যে) টানছি আর তোমরা সবাই যেন তাতে পড়তে যাচ্ছো। (ই.ফা. ৫৭৫৬, ই.সে. ৫৭৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৫০
وَحَدَّثَنَاهُ عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
আবূ যিনাদ (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৫৭, ই.সে. নেই)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৫১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَثَلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهَا جَعَلَ الْفَرَاشُ وَهَذِهِ الدَّوَابُّ الَّتِي فِي النَّارِ يَقَعْنَ فِيهَا وَجَعَلَ يَحْجُزُهُنَّ وَيَغْلِبْنَهُ فَيَتَقَحَّمْنَ فِيهَا قَالَ فَذَلِكُمْ مَثَلِي وَمَثَلُكُمْ أَنَا آخِذٌ بِحُجَزِكُمْ عَنِ النَّارِ هَلُمَّ عَنِ النَّارِ هَلُمَّ عَنِ النَّارِ فَتَغْلِبُونِي تَقَحَّمُونَ فِيهَا ” .
হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এগুলো হলো সেসব (হাদীস), যা আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আমাদের নিকট রিওয়ায়াত করেছেন। এরপর সেগুলো হতে তিনি কিছু হাদীস বর্ণনা করেন। তার একটি হলো, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার অবস্থা সে লোকের অবস্থার মতো যে আগুন জ্বালিয়েছিল, তখন তাতে তার চতুষ্পার্শ্ব আলোকিত হলো, তখন পতঙ্গ ও সেসব জন্তু যা আগুনে পড়ে থাকে, তাতে পড়তে লাগল আর সে লোক সেগুলোকে বাধা দিতে লাগল। তবে তারা তাকে হারিয়ে দিয়ে তাতে ঢুকে পড়তে লাগল। তিনি বললেন, এটাই হলো তোমাদের অবস্থা আর আমার অবস্থা। আমি আগুন থেকে রক্ষার জন্য তোমাদের কোমরবন্ধগুলো ধরে টানি ও বলি যে, আগুন হতে দূরে থাকো, আগুন থেকে দূরে থাকো এবং তোমরা আমাকে পরাস্ত করে তার মধ্যে ঢুকে পড়ছো। (ই.ফা. ৫৭৫৮, ই.সে. ৫৭৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৫২
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سَلِيمٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَثَلِي وَمَثَلُكُمْ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَوْقَدَ نَارًا فَجَعَلَ الْجَنَادِبُ وَالْفَرَاشُ يَقَعْنَ فِيهَا وَهُوَ يَذُبُّهُنَّ عَنْهَا وَأَنَا آخِذٌ بِحُجَزِكُمْ عَنِ النَّارِ وَأَنْتُمْ تَفَلَّتُونَ مِنْ يَدِي ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উপমা ও তোমাদের উপমা সে লোকের উপমার মতো যে আগুন জ্বালালো, ফলে ফড়িং দল আর পতঙ্গ তাতে ঝাপিয়ে পড়তে লাগল আর সে লোক তাদের তা থেকে বিতাড়িত করতে লাগল। আমিও আগুন থেকে রক্ষার জন্য তোমাদের কোমরবন্ধ ধরে টানছি, আর তোমরা আমার হাত থেকে ছুটে যাচ্ছ।
(ই.ফা. ৫৭৫৯, ই.সে. ৫৭৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শেষ নবী হওয়ার বিবরণ
৫৮৫৩
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَثَلِي وَمَثَلُ الأَنْبِيَاءِ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى بُنْيَانًا فَأَحْسَنَهُ وَأَجْمَلَهُ فَجَعَلَ النَّاسُ يُطِيفُونَ بِهِ يَقُولُونَ مَا رَأَيْنَا بُنْيَانًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا إِلاَّ هَذِهِ اللَّبِنَةَ . فَكُنْتُ أَنَا تِلْكَ اللَّبِنَةَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার দৃষ্টান্ত এবং নবী গণের দৃষ্টান্ত সে লোকের দৃষ্টান্তের সাথে তুলনীয়, যে একটি অট্টালিকা প্রস্তুত করল এবং সে তা সুন্দর ও সুদৃশ্যপূর্ণ করল। পরে (তা দর্শনে আগত) লোকেরা তার চারদিকে ঘুরে দেখতে লাগল (এবং) বলতে লাগল যে, এর চাইতে সুন্দর কোন অট্টালিক আমরা দেখিনি। কিন্তু এ একটি ইটের স্থান সমাপ্ত হয়নি। [নবী (‘আঃ) বলেন,] আমিই হলাম সে ইটখানি। (ই.ফা. ৫৭৬০, ই.সে. ৫৭৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৫৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم ” مَثَلِي وَمَثَلُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ ابْتَنَى بُيُوتًا فَأَحْسَنَهَا وَأَجْمَلَهَا وَأَكْمَلَهَا إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ مِنْ زَاوِيَةٍ مِنْ زَوَايَاهَا فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ وَيُعْجِبُهُمُ الْبُنْيَانُ فَيَقُولُونَ أَلاَّ وَضَعْتَ هَا هُنَا لَبِنَةً فَيَتِمَّ بُنْيَانُكَ ” . فَقَالَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم ” فَكُنْتُ أَنَا اللَّبِنَةَ ” .
হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন এ হলো সে সব হাদীস, যা আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাদের নিকট উল্লেখ করেছেন। তারপর তিনি কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেন। তার একটি হলো, আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার দৃষ্টান্ত ও আমার পূর্বেকার নবী গণের দৃষ্টান্ত সে লোকের উপমার মতো, যে কতকগুলো গৃহ বানালো, তা সুন্দর করল এবং সুদৃশ্য করল এবং পূর্ণাঙ্গ করল; কিন্তু তার কোন একটির কোণে একটি ইটের স্থান ছাড়া (খালি রাখল)। লোকেরা সে ঘরগুলোর চারদিকে চক্কর দিতে লাগল আর সে ঘরগুলো তাদের মুগ্ধ করতে লাগল। পরিশেষে তারা বলতে লাগল, এখানে একখাটি ইট লাগালেন না কেন? তাহলে তো আপনার অট্টালিকা পূর্ণাঙ্গ হত! অতঃপর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন যে, আমি-ই হলাম সে ইটখানি। (ই.ফা. ৫৭৬১, ই.সে. ৫৭৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৫৫
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَثَلِي وَمَثَلُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى بُنْيَانًا فَأَحْسَنَهُ وَأَجْمَلَهُ إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ مِنْ زَاوِيَةٍ مِنْ زَوَايَاهُ فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِهِ وَيَعْجَبُونَ لَهُ وَيَقُولُونَ هَلاَّ وُضِعَتْ هَذِهِ اللَّبِنَةُ – قَالَ – فَأَنَا اللَّبِنَةُ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ আমার উপমা এবং আমার পূর্ববর্তী নবী গণের উপমা সে লোকের উপমার মতো, যে একটি অট্টালিকা বানালো এবং তা সুন্দর ও সুচারুরূপে গড়ে তুলল, তবে তার কোণগুলোর কোন এক কোণায় একটি ইটের স্থান ব্যতীত। লোকেরা তার চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল আর তা দেখে আশ্চর্য হতে লাগল এবং পরস্পর বলতে লাগল, ঐ ইটখানি স্থাপন করা হলো না কেন? [নবী (‘আঃ)] বলেনঃ আমি-ই সে ইটখানি আর আমি নবী গণের মোহর ও শেষ নবী। (ই.ফা. ৫৭৬২, ই.সে. ৫৭৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৫৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَثَلِي وَمَثَلُ النَّبِيِّينَ ” . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ আমার উপমা এবং নবী গণের উপমা ….. তারপর পূর্বোল্লিখিত হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৬৩, ই.সে. ৫৭৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৫৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ، بْنُ مِينَاءَ عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَثَلِي وَمَثَلُ الأَنْبِيَاءِ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا فَأَتَمَّهَا وَأَكْمَلَهَا إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَدْخُلُونَهَا وَيَتَعَجَّبُونَ مِنْهَا وَيَقُولُونَ لَوْلاَ مَوْضِعُ اللَّبِنَةِ ” . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” فَأَنَا مَوْضِعُ اللَّبِنَةِ جِئْتُ فَخَتَمْتُ الأَنْبِيَاءَ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উপমা এবং নবী গণের উপমা সে লোকের উপমা তুল্য, যে একটি বাড়ি তৈরি করল এবং সে তা সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ করল, তবে একটি ইটের স্থান ছাড়া। লোকেরা তাতে ঢুকতে লাগল এবং তা দেখে আশ্চর্য হতে লাগল এবং বলাবলি করতে থাকল, যদি এ একখানি ইটের স্থান খালি না থাকত (তবে কতই না উত্তম হত)! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি হলাম সে ইটের স্থান। আমি আগমন করলাম এবং নবীগণের পরম্পরা শেষ করলাম। (ই.ফা. ৫৭৬৪, ই.সে. ৫৭৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৫৮
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سَلِيمٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَقَالَ بَدَلَ أَتَمَّهَا أَحْسَنَهَا .
সালীম [ইবনু হাইয়ান (রহঃ)] সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি (আরবি) (পরিপূর্ণ করেছে)-এর স্থলে (আরবি) (সুন্দর করেছে) বলেছেন। (ই.ফা. ৫৫৭৬৪, ই.সে. ৫৭৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ তা‘আলা কোন উম্মাতের প্রতি রহম করার ইচ্ছা করলে সে উম্মাতের নবী কে তাদের আগে তুলে নেন
৫৮৫৯
قَالَ مُسْلِمٌ وَحُدِّثْتُ عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، وَمِمَّنْ، رَوَى ذَلِكَ، عَنْهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا أَرَادَ رَحْمَةَ أُمَّةٍ مِنْ عِبَادِهِ قَبَضَ نَبِيَّهَا قَبْلَهَا فَجَعَلَهُ لَهَا فَرَطًا وَسَلَفًا بَيْنَ يَدَيْهَا وَإِذَا أَرَادَ هَلَكَةَ أُمَّةٍ عَذَّبَهَا وَنَبِيُّهَا حَىٌّ فَأَهْلَكَهَا وَهُوَ يَنْظُرُ فَأَقَرَّ عَيْنَهُ بِهَلَكَتِهَا حِينَ كَذَّبُوهُ وَعَصَوْا أَمْرَهُ ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন তাঁর বান্দাদের মধ্যে কোন উম্মাতের প্রতি রহ্মাতের ইচ্ছা করেন, তখন তাদের নবীকে তাদের পূর্বেই তুলে নেন এবং তাঁকে তাদের যুগের অগ্রগণ্য ও পূর্ববর্তী করেন। আর যখন কোন উম্মাতকে বিনাশ করার ইচ্ছা করেন, তখন তাদের নবীর জীবিতাবস্থায় তাদের শাস্তি দেন এবং এ অবস্থায় তাদের বিনাশ করেন যে, তিনি (নবী) তা দেখতে পান। এরপর তাদের ধ্বংস দেখে তাঁর চোখ শান্ত করেন, যেহেতু তারা তাঁকে অমান্য করেছিল ও তাঁর আদর্শ অস্বীকার করেছিল। (ই.ফা. ৫৭৬৫, ই.সে. ৫৭৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯. অধ্যায়ঃ
আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য ‘হাওয’ (কাওসার) প্রমাণিত হওয়া এবং হাওযের বিবরণ
৫৮৬০
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ أَنَا فَرَطُكُمْ، عَلَى الْحَوْضِ ” .
জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি, ‘আমি হাওয’-এর নিকট তোমাদের জন্য অগ্রগামী হব। (ই.ফা. ৫৭৬৬, ই.সে. ৫৭৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، جَمِيعًا عَنْ مِسْعَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جُنْدَبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
জুনদাব (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৬৭, ই.সে. ৫৭৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلاً، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” أَنَا فَرَطُكُمْ، عَلَى الْحَوْضِ مَنْ وَرَدَ شَرِبَ وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا وَلَيَرِدَنَّ عَلَىَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ ” . قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَسَمِعَ النُّعْمَانُ بْنُ أَبِي عَيَّاشٍ وَأَنَا أُحَدِّثُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ هَكَذَا سَمِعْتَ سَهْلاً يَقُولُ قَالَ فَقُلْتُ نَعَمْ .
সাহ্ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি ‘হাওয’ (কাওসার)-এর নিকট তোমাদের জন্য অগ্রগামী হব। যে সেখানে আসবে সে তা পান করবে এবং যে তা পান করবে, সে কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। আর আমার নিকট এমন কতিপয় দল আসবে, যাদের আমি চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনতে পারবে। অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে।
বর্ণনাকারী আবূ হাযিম (রহঃ) বলেন, আমি যখন তাঁদের নিকট এ হাদীস পেশ করি, তখন নু’মান ইবনু আবূ ‘আইয়্যাশ শুনে বললেন, তুমি কি সাহ্ল (রাঃ)-কে এমনই বলতে শুনেছ? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ! (ই.ফা. ৫৭৬৮, ই.সে. ৫৭৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬৩
قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ، عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ لَسَمِعْتُهُ يَزِيدُ فَيَقُولُ ” إِنَّهُمْ مِنِّي . فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ . فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ بَدَّلَ بَعْدِي ” .
নু’মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আর আমি আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ)–এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি অবশ্যই তাকে বর্ধিত বর্ণনা করতে শুনেছি যে, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলবেন, এরা তো আমার উম্মাত! তখন বলা হবে, আপনি তো জানেন না, তারা আপনার পরে কি ‘আমাল করেছে। তখন যারা আমার পরে (দীনে) পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছে; আমি তাদের বলবঃ দূর হও, দূর হও। (ই.ফা. ৫৭৬৮, ই.সে. ৫৭৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬৪
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ يَعْقُوبَ .
আবূ হাযিম (রহঃ)-এর মাধ্যমে সাহল (রাঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এবং নু’মান ইবনু আবূ ‘আইয়্যাশ (রহঃ)-এর মাধ্যমে আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ)-এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে (পূর্ববর্তী) ইয়া‘কূব (রহঃ)-এর হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৬৯, ই.সে. ৫৮০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬৫
وَحَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” حَوْضِي مَسِيرَةُ شَهْرٍ وَزَوَايَاهُ سَوَاءٌ وَمَاؤُهُ أَبْيَضُ مِنَ الْوَرِقِ وَرِيحُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ وَكِيزَانُهُ كَنُجُومِ السَّمَاءِ فَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ فَلاَ يَظْمَأُ بَعْدَهُ أَبَدًا ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ‘হাওয’-এর ব্যবধান এক মাসের রাস্তা, তার সকল কোণ এক সমান, তার পানি রূপার চেয়ে শুভ্র, তার ঘ্রাণ মিশ্ক-এর চেয়ে সুগন্ধযুক্ত এবং তার পাত্রের পরিমাণ আসমানের তারকার ন্যায়। যে লোক তা থেকে পান করবে, সে তার পরে কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না।
(ই.ফা. ৫৭৭০, ই.সে. ৫৮০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬৬
قَالَ وَقَالَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي عَلَى الْحَوْضِ حَتَّى أَنْظُرَ مَنْ يَرِدُ عَلَىَّ مِنْكُمْ وَسَيُؤْخَذُ أُنَاسٌ دُونِي فَأَقُولُ يَا رَبِّ مِنِّي وَمِنْ أُمَّتِي . فَيُقَالُ أَمَا شَعَرْتَ مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ وَاللَّهِ مَا بَرِحُوا بَعْدَكَ يَرْجِعُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ ” . قَالَ فَكَانَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ أَنْ نَرْجِعَ عَلَى أَعْقَابِنَا أَوْ أَنْ نُفْتَنَ عَنْ دِينِنَا
ইবনু আবূ মুলাইকাহ থেকে বর্ণিতঃ
আর আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি হাওযের সন্নিকটে থাকব, যাতে দেখতে পারি যে, তোমাদের মাঝে কারা আমার নিকট আসলো। আর আমার সম্মুখ থেকে কতক ব্যক্তিকে আটকানো হবে, তখন আমি বলব- ইয়া রাব্ব্! এরা তো আমার লোক এবং আমার উম্মাত। তখন বলা হবে, আপনি কি জানেন না যে, আপনার পরে এর কি করেছে? আল্লাহর শপথ! এরা আপনার পরে এদের পিছনের দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছে।
বর্ণনাকারী (নাফি’) বলেন, তাই বর্ণনাকারী ইবনু আবূ মুলাইকাহ্ (রহঃ) বলতেন, হে আল্লাহ! আমরা আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, আমাদের পশ্চাতে ফিরে যাওয়া হতে এবং আমাদের দ্বীনের বিষয়ে ফিতনায় আপতিত হওয়া থেকে। (ই.ফা. ৫৭৭০, ই.সে. ৫৮০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬৭
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ بَيْنَ ظَهْرَانَىْ أَصْحَابِهِ “ إِنِّي عَلَى الْحَوْضِ أَنْتَظِرُ مَنْ يَرِدُ عَلَىَّ مِنْكُمْ فَوَاللَّهِ لَيُقْتَطَعَنَّ دُونِي رِجَالٌ فَلأَقُولَنَّ أَىْ رَبِّ مِنِّي وَمِنْ أُمَّتِي . فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ مَا زَالُوا يَرْجِعُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ ” .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর সাহাবীগণের সামনে বলতে শুনেছি যে, আমি ‘হাওয’-এর নিকট তোমাদের মধ্য হতে যারা আমার নিকট আসবে তাদের প্রতীক্ষায় থাকব। আল্লাহর শপথ! আমার কাছ থেকে অবশ্যই কিছু ব্যক্তিকে আলাদা করে দেয়া হবে। তখন আমি বলব, হে রব্ব্! (এরা তো) আমার-ই এবং আমার উম্মাতেরই (লোক)। আল্লাহ বলবেন, আপনি অবশ্যই জানেন না, তারা আপনার পরে কি ‘আমাল করেছে। তারা তো তাদের পশ্চাতের দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছে। (ই.ফা. ৫৭৭১, ই.সে. ৫৮০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬৮
وَحَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّدَفِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ الْهَاشِمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، رَافِعٍ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَسْمَعُ النَّاسَ يَذْكُرُونَ الْحَوْضَ وَلَمْ أَسْمَعْ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا كَانَ يَوْمًا مِنْ ذَلِكَ وَالْجَارِيَةُ تَمْشُطُنِي فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” أَيُّهَا النَّاسُ ” . فَقُلْتُ لِلْجَارِيَةِ اسْتَأْخِرِي عَنِّي . قَالَتْ إِنَّمَا دَعَا الرِّجَالَ وَلَمْ يَدْعُ النِّسَاءَ . فَقُلْتُ إِنِّي مِنَ النَّاسِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي لَكُمْ فَرَطٌ عَلَى الْحَوْضِ فَإِيَّاىَ لاَ يَأْتِيَنَّ أَحَدُكُمْ فَيُذَبُّ عَنِّي كَمَا يُذَبُّ الْبَعِيرُ الضَّالُّ فَأَقُولُ فِيمَ هَذَا فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ . فَأَقُولُ سُحْقًا ” .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হাওযের (কাওসারের) ব্যাপারে লোকদেরকে আলোচনা করতে শুনতাম। কিন্তু আমি (নিজে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ সম্পর্কে কিছু শুনিনি। পরে যখন একদিন ঐ ব্যাপারে আলোচনা আসলো- এ সময় একটি মেয়ে আমার চুল আঁচড়িয়ে দিচ্ছিল, তখন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করতে শুনলাম, হে লোক সকল …..! তখন স্ত্রীলোকটিকে আমি বললাম, তুমি আমার হতে দূরে চলে যাও। সে বলল, তিনি তো পুরুষদের ডাক দিয়েছেন এবং স্ত্রীলোকদের ডাকেননি। আমি বললাম, আমিও, তো লোকদের একজন। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তোমাদের জন্য ‘হাওয’-এর নিকট অগ্রগামী হব। তাই হুঁশিয়ার! আমার নিকট তোমাদের এমন কেউ যেন না আসে, যাকে আমার নিকট হতে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়, যেমন হারানো উটকে ভাগিয়ে দেয়া হয়। আর আমি বলতে থাকব, কেন তাদের তাড়ানো হচ্ছে? তখন বলা হবে- আপনি তো জানেন না, তারা আপনার পরে কী নতুন বিষয়ের আবিষ্কার করেছে? তখন আমিও বলব, দূর হও!
(ই.ফা. ৫৭৭২, ই.সে. ৫৮০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৬৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ – وَهُوَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو – حَدَّثَنَا أَفْلَحُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ كَانَتْ أُمُّ سَلَمَةَ تُحَدِّثُ أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهِيَ تَمْتَشِطُ “ أَيُّهَا النَّاسُ ” . فَقَالَتْ لِمَاشِطَتِهَا كُفِّي رَأْسِي . بِنَحْوِ حَدِيثِ بُكَيْرٍ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু রাফি’ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনলেন, হে লোক সকল …..। এ সময় উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) চুল আঁচড়াচ্ছিলেন, তখন তিনি কেশ বিন্যাসকারিণীকে বললেন, আমার মাথা আঁচড়ানো বন্ধ রাখো। ….. অবশিষ্টাংশ বর্ণনাকারী কাসিম ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সানাদে বুকায়র (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অবিকল। (ই.ফা. ৫৭৭৩, ই.সে. ৫৮০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمًا فَصَلَّى عَلَى أَهْلِ أُحُدٍ صَلاَتَهُ عَلَى الْمَيِّتِ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ “ إِنِّي فَرَطٌ لَكُمْ وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ وَإِنِّي وَاللَّهِ لأَنْظُرُ إِلَى حَوْضِيَ الآنَ وَإِنِّي قَدْ أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الأَرْضِ أَوْ مَفَاتِيحَ الأَرْضِ وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا بَعْدِي وَلَكِنْ أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تَتَنَافَسُوا فِيهَا ” .
উকবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন বাইরে এসে উহুদবাসীদের জন্য জানাযার সলাতের মতো সলাত আদায় করলেন। তারপর মিম্বারের দিকে ফিরে এসে বললেন, আমি তোমাদের জন্য অগ্রগামী এবং তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষী। আল্লাহর শপথ! আমি এ মুহূর্তে আমার ‘হাওয’ দেখতে পাচ্ছি। আর আমাকে অবশ্যই দুনিয়ার ধন-ভান্ডারসমূহের চাবিকাঠি কিংবা বলেছেন, দুনিয়ার চাবিসমূহ দেয়া হয়েছে। আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের সম্বন্ধে এ আশঙ্কা করি না যে, তোমরা আমার পরে শির্কে জড়িয়ে পড়বে। তবে, আমি তোমাদের সম্বন্ধে এ সংশয় করি যে, তোমরা দুনিয়ার প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ব। (ই.ফা. ৫৭৭৪, ই.সে. ৫৮০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَرِيرٍ – حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَتْلَى أُحُدٍ ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ كَالْمُوَدِّعِ لِلأَحْيَاءِ وَالأَمْوَاتِ فَقَالَ “ إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَإِنَّ عَرْضَهُ كَمَا بَيْنَ أَيْلَةَ إِلَى الْجُحْفَةِ إِنِّي لَسْتُ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا بَعْدِي وَلَكِنِّي أَخْشَى عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا أَنْ تَنَافَسُوا فِيهَا وَتَقْتَتِلُوا فَتَهْلِكُوا كَمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ ” . قَالَ عُقْبَةُ فَكَانَتْ آخِرَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ .
উকবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদিন) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদের শহীদগণের জন্য সলাত আদায় করলেন তারপর মিম্বারে চড়ে জীবিতদের ও মৃতদের বিদায় দানকারীর মতো বলেনঃ আমি হাওযের দিকে তোমাদের অগ্রগামী। আর জেনে রাখো! তার প্রস্থ যেমন ‘আয়লা’ হতে ‘জুহ্ফা’র ব্যবধান। আমি তোমাদের সম্বদ্ধে ভয় করি না যে, তোমরা আমার পরে শির্কে লিপ্ত হবে। তবে, আমি তোমাদের সম্বন্ধে দুনিয়াকে ভয় করি যে, তা অর্জনের প্রতিযোগিতায় তোমরা জড়িয়ে পড়বে এবং হানাহানি করবে; ফলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন, তোমাদের পূর্ববর্তীরা ধ্বংস হয়েছে।
‘উক্বাহ্ (রাঃ) বলেন, এ ছিল মিম্বারের উপরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমার সর্বশেষ দেখা। (ই.ফা. ৫৭৭৫, ই.সে. ৫৮০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَلأُنَازِعَنَّ أَقْوَامًا ثُمَّ لأُغْلَبَنَّ عَلَيْهِمْ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي أَصْحَابِي . فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ ” .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি ‘হাওযে’র নিকট তোমাদের অগ্রগামী। আর আমি অবশ্যই কিছু দলের সম্বন্ধে বাক-বিতণ্ডা করব এবং আমি অবশ্যই তাদের ব্যাপারে পরাজিত হয়ে যাব। তখন আমি বলব, হে রব্ব্! (এরা তো) আমার সহচর, আমার সঙ্গী। তখন বলা হবে, আপনি তো জানেন না যে, তারা আপনার পরে কি নিত্য-নতুন (বিষয়াদি) আবিষ্কার করেছে? (ই.ফা. ৫৭৭৬, ই.সে. ৫৮০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭৩
وَحَدَّثَنَاهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَلَمْ يَذْكُرْ “ أَصْحَابِي أَصْحَابِي ” .
আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি ‘আমার সহচর, আমার সঙ্গী’ – উক্তিটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৭৭৭, ই.সে. ৫৮০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭৪
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، جَمِيعًا عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِنَحْوِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ وَفِي حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ مُغِيرَةَ، سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، .
আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ….. পূর্বোল্লিখিত আ‘মাশ (রহঃ)-এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু শু‘বাহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে মুগীরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদে রয়েছে ….. আমি আবূ ওয়ায়িল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি। (ই.ফা. ৫৭৭৮, ই.সে. ৫৮০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭৫
وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، كِلاَهُمَا عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ الأَعْمَشِ وَمُغِيرَةَ .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মুগীরাহ্ ও আ‘মাশ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৭৯, ই.সে. ৫৮১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭৬
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَعْبَدِ، بْنِ خَالِدٍ عَنْ حَارِثَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” حَوْضُهُ مَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَالْمَدِينَةِ ” . فَقَالَ لَهُ الْمُسْتَوْرِدُ أَلَمْ تَسْمَعْهُ قَالَ ” الأَوَانِي ” . قَالَ لاَ . فَقَالَ الْمُسْتَوْرِدُ ” تُرَى فِيهِ الآنِيَةُ مِثْلَ الْكَوَاكِبِ ” .
হারিসাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, তাঁর হাওয মাদীনাহ্ এবং সান’আর মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান।
অতঃপর মুস্তাওরিদ (রহঃ) তাঁকে বললেন, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে পাত্রের ব্যাপারে আলোচনা শুনেছেন কি? হারিসাহ্ (রাঃ) উত্তর দিলেন, না। তখন মুস্তাওরিদ (রহঃ) বললেন, সেখানে তারকার মতো পাত্রসমূহ লক্ষ্য করা যাবে।
(ই.ফা. ৫৭৮০, ই.সে. ৫৮১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭৭
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ حَارِثَةَ بْنَ وَهْبٍ الْخُزَاعِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . وَذَكَرَ الْحَوْضَ بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ الْمُسْتَوْرِدِ وَقَوْلَهُ .
হারিসাহ্ ইবনু ওয়াহ্ব খুযা’ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি এবং তিনি অবিকলরূপে হাওযের বিবরণ দিলেন। কিন্তু তিনি মুস্তাওরিদ ও তাঁর উক্তির বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৭৮১, ই.সে. ৫৮১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ – حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا مَا بَيْنَ نَاحِيَتَيْهِ كَمَا بَيْنَ جَرْبَا وَأَذْرُحَ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে একটি হাওয থাকবে যার উভয় দিকের ব্যবধান হবে জারবা ও আযরুহার মাঝামাঝি জায়গার সমান। (ই.ফা. ৫৭৮২, ই.সে. ৫৮১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭৯
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا كَمَا بَيْنَ جَرْبَا وَأَذْرُحَ ” . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ الْمُثَنَّى ” حَوْضِي ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে এমন একটি হাওয থাকবে যার প্রশস্ততা জারবা এবং আযরুহার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান। ইবনুল মুসান্নার বর্ণনা মতে, ‘আমার হাওয’ বর্ণিত হয়েছে।
(ই.ফা. ৫৭৮৩, ই.সে. ৫৮১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮০
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، بِشْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ وَزَادَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ قَرْيَتَيْنِ بِالشَّامِ بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ ثَلاَثِ لَيَالٍ . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ بِشْرٍ . ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ .
ইবনু নুমায়র ও আবূ বক্র (রহঃ) উভয়ে ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত হাদীসের হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বর্ধিত রিওয়ায়াত করেন। ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমি তাকে [নাফি’ (রহঃ)-কে] (জারবা ও আযরুহা সম্বন্ধে) জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি বললেন, শাম (সিরিয়িা) দেশের সন্নিকটে দু’টি গ্রামের নাম, উভয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধান তিন রাতের রাস্তার সমান দূরত্ব। আর ইবনু বিশ্রের বর্ণনাতে ‘তিন দিনের রাস্তা’। (ই.ফা. ৫৭৮৪, ই.সে. ৫৮১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮১
وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ‘উবায়দুল্লাহ্র বর্ণিত হাদীসের হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮২
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا كَمَا بَيْنَ جَرْبَا وَأَذْرُحَ فِيهِ أَبَارِيقُ كَنُجُومِ السَّمَاءِ مَنْ وَرَدَهُ فَشَرِبَ مِنْهُ لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا ” .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে একটা হাওয হবে যার প্রশস্ততা জারবা ও আযরুহার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান। সেখানে আকাশে তারকার ন্যায় অনেক পাত্র থাকবে। যে লোক এখানে এসে ঐ হাওযের পানি পান করবে, পরবর্তীতে সে কক্ষনো তৃষ্ণার্ত হবে না। (ই.ফা. ৫৭৮৬, ই.সে. ৫৮১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي شَيْبَةَ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ، الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا آنِيَةُ الْحَوْضِ قَالَ “ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ وَكَوَاكِبِهَا أَلاَ فِي اللَّيْلَةِ الْمُظْلِمَةِ الْمُصْحِيَةِ آنِيَةُ الْجَنَّةِ مَنْ شَرِبَ مِنْهَا لَمْ يَظْمَأْ آخِرَ مَا عَلَيْهِ يَشْخُبُ فِيهِ مِيزَابَانِ مِنَ الْجَنَّةِ مَنْ شَرِبَ مِنْهُ لَمْ يَظْمَأْ عَرْضُهُ مِثْلُ طُولِهِ مَا بَيْنَ عَمَّانَ إِلَى أَيْلَةَ مَاؤُهُ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ ” .
আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করেছি, হে আল্লাহর রসূল! হাওযের পাত্র কত হবে? তিনি বললেন, যার কব্জায় আমার জীবন তাঁর শপথ! সে হাওযের পাত্র মেঘবিহীন আঁধার রাতের আকাশের নক্ষত্র ও তারকারাজির চাইতেও বেশী। সে সব পাত্র জান্নাতেরই পাত্র। যে ঐ পাত্র হতে পান করবে শেষ পর্যন্ত আর তৃষ্ণার্ত হবে না। ঐ হাওযের মধ্যে জান্নাত হতে প্রবাহিত দু’টো নালার সংমিশ্রণ রয়েছে। যে লোক ঐ হাওয হতে পান করবে সে আর তৃষ্ণার্ত হবে না, সে হাওযের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান হবে। সে হাওযের প্রশস্থতা ‘আম্মান থেকে আয়লার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমতুল্য। তার পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও বেশি মিষ্টি। (ই.ফা. ৫৭৮৭, ই.সে. ৫৮১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ – قَالُوا حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنِّي لَبِعُقْرِ حَوْضِي أَذُودُ النَّاسَ لأَهْلِ الْيَمَنِ أَضْرِبُ بِعَصَاىَ حَتَّى يَرْفَضَّ عَلَيْهِمْ ” . فَسُئِلَ عَنْ عَرْضِهِ فَقَالَ ” مِنْ مَقَامِي إِلَى عَمَّانَ ” . وَسُئِلَ عَنْ شَرَابِهِ فَقَالَ ” أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ يَغُتُّ فِيهِ مِيزَابَانِ يَمُدَّانِهِ مِنَ الْجَنَّةِ أَحَدُهُمَا مِنْ ذَهَبٍ وَالآخَرُ مِنْ وَرِقٍ ” .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি আমার হাওযের পাশে থাকবো। ইয়ামানবাসীদের জন্য সর্বসাধারণ লোককে সরিয়ে দেব। আমি আমার লাঠি দিয়ে হাওযের পানির উপর করাঘাত করবো যাতে তাদের উপর তা প্রবাহিত হয়। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সে হাওযের প্রশস্ততা সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আমার এ স্থান থেকে ‘আম্মানের ব্যবধানের সমান। পুনরায় সে হাওযের পানি সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, দুধের চেয়ে অধিক শুভ্র ও মধুর চেয়ে অতি মিষ্ট। জান্নাত থেকে প্রকাহিত দু’টো নালা দিয়ে সে হাওযের মাঝে পানি আসতে থাকবে। তার একটি (নালা) সোনার এবং অপরটি রূপার। (ই.ফা. ৫৭৮৮, ই.সে. ৫৮১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮৫
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِ هِشَامٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ” أَنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ عُقْرِ الْحَوْضِ ” .
যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কাতাদাহ্ (রহঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে সাওবান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে এতটুকু পার্থক্য যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কিয়ামাতের দিন হাওযের পাশেই থাকবো। (ই.ফা. ৫৭৮৮, ই.সে. ৫৮২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ، بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدِيثَ الْحَوْضِ فَقُلْتُ لِيَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ هَذَا حَدِيثٌ سَمِعْتَهُ مِنْ أَبِي عَوَانَةَ فَقَالَ وَسَمِعْتُهُ أَيْضًا مِنْ شُعْبَةَ فَقُلْتُ انْظُرْ لِي فِيهِ فَنَظَرَ لِي فِيهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাওযের হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাম্মাদ (রহঃ)-কে বললেন, আমি আবূ ‘আওয়ানাহ্ (রাঃ) হতেও এ হাদীস শুনেছি। ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) বললেন, আমি শু’বাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীস শুনেছি। তারপর আমি বললাম যে, আপনি এ হাদীস সম্বন্ধে আমাকে একটু সময় দিন, তিনি আমাকে সময় দিলেন এবং আমাকে হাদীসটি শুনালেন। (ই.ফা. ৫৭৮৯, ই.সে. ৫৮২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَلاَّمٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لأَذُودَنَّ عَنْ حَوْضِي رِجَالاً كَمَا تُذَادُ الْغَرِيبَةُ مِنَ الإِبِلِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি আমার হাওয থেকে কতক সংখ্যক ব্যক্তিকে সরিয়ে দেব, যেরূপে অচেনা উটকে সরিয়ে দেয়া হয়।
(ই.ফা. ৫৭৯০, ই.সে. ৫৮২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮৮
وَحَدَّثَنِيهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্বেকার হাদীসের হুবহু হাদীস বলেছেন।
(ই.ফা. ৫৭৯০, ই.সে. ৫৮২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّحَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ قَدْرُ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ أَيْلَةَ وَصَنْعَاءَ مِنَ الْيَمَنِ وَإِنَّ فِيهِ مِنَ الأَبَارِيقِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার হাওযের প্রশস্ততার পরিমাণ হলো আয়লা এবং ইয়ামানের সান’আর ব্যবধানের সমান। আর সেখানে পানির পাত্রগুলো আসমানের নক্ষত্রের ন্যায় অগণিত। (ই.ফা. ৫৭৯১, ই.সে. ৫৮২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ صُهَيْبٍ، يُحَدِّثُ قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَيَرِدَنَّ عَلَىَّ الْحَوْضَ رِجَالٌ مِمَّنْ صَاحَبَنِي حَتَّى إِذَا رَأَيْتُهُمْ وَرُفِعُوا إِلَىَّ اخْتُلِجُوا دُونِي فَلأَقُولَنَّ أَىْ رَبِّ أُصَيْحَابِي أُصَيْحَابِي . فَلَيُقَالَنَّ لِي إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই হাওযের পাশে এমন কতিপয় লোক আসবে যারা পৃথিবীতে আমার সাহচর্য পেয়েছিল। এমন কি যখন আমি তাদের দেখতে পাব এবং তাদেরকে আমার সামনে নিয়ে আসা হবে, তখন আমার কাছে আসতে তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। অতঃপর আমি বলব, হে প্রভু! এরা আমার সঙ্গী, এরা আমার সঙ্গী। তখন আমাকে বলা হবে, নিশ্চয়ই আপনি জানেন না, আপনার পর এরা কিভাবে দ্বীনের মধ্যে নব উদ্ভাবন করেছে। (ই.ফা. ৫৭৯২, ই.সে. ৫৮২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، جَمِيعًا عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْمَعْنَى وَزَادَ “ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ ” .
আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অর্থানুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। অতিরিক্ত রয়েছে যে, ‘তার পাত্রগুলোর পরিমাণ নক্ষত্রের ন্যায়’। (ই.ফা. ৫৭৯৩, ই.সে. ৫৮২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯২
وَحَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، وَهُرَيْمُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، – وَاللَّفْظُ لِعَاصِمٍ – حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا بَيْنَ نَاحِيَتَىْ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَالْمَدِينَةِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার হাওযের দু’ পাশের ব্যবধান এতটুকু যতটুকু মাদীনাহ্ ও সান’আর মাঝে। (ই.ফা. ৫৭৯৪, ই.সে. ৫৮২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯৩
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا حَسَنُ، بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُمَا شَكَّا فَقَالاَ أَوْ مِثْلَ مَا بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَعَمَّانَ . وَفِي حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ “ مَا بَيْنَ لاَبَتَىْ حَوْضِي ” .
আনাস (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুবহু রিওয়ায়াত করেন। শুধু ব্যবধান এতটুকু যে, এ হাদীসে বর্ণনাকারীদ্বয় সংশয় প্রকাশ করেছেন, ‘কিংবা মাদীনাহ্ ও আম্মানের (জর্ডানের রাজধানী) ব্যবধানের সমান’। আবূ ‘আওয়ানার বর্ণনায় (আরবি) জায়গায় রয়েছে (আরবি)। (ই.ফা. ৫৭৯৫, ই.সে. ৫৮২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯৪
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرُّزِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدُ، بْنُ الْحَارِثِ عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” تُرَى فِيهِ أَبَارِيقُ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হাওযের কাছে আকাশের তারকারাজির মতো অগণিত স্বর্ণ ও রূপার পানপাত্র দেখতে পাবে।
(ই.ফা. ৫৭৯৬, ই.সে. ৫৮২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯৫
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مِثْلَهُ وَزَادَ ” أَوْ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। এতে অতিরিক্ত রয়েছে যে, ‘কিংবা আকাশের নক্ষত্রের সংখ্যার চেয়েও বেশি’। (ই.ফা. ৫৭৯৬, ই.সে. ৫৮৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯৬
حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ السَّكُونِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، – رَحِمَهُ اللَّهُ – حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَلاَ إِنِّي فَرَطٌ لَكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَإِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَ طَرَفَيْهِ كَمَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَأَيْلَةَ كَأَنَّ الأَبَارِيقَ فِيهِ النُّجُومُ ” .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, হাওযের আছে আমি তোমাদের অগ্রগামী হব। তার দু’পাশের দূরত্ব সান’আ ও আয়লার ব্যবধানের সমান। তার পাত্রগুলো যেন নক্ষত্রের ন্যায়। (ই.ফা. ৫৭৯৭, ই.সে. ৫৮৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ كَتَبْتُ إِلَى جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ مَعَ غُلاَمِي نَافِعٍ أَخْبِرْنِي بِشَىْءٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَكَتَبَ إِلَىَّ إِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ “ أَنَا الْفَرَطُ عَلَى الْحَوْضِ ” .
‘আমির ইবনু সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার গোলাম নাফি’র মাধ্যমে জাবির ইবনু সামুরার কাছে লিখে পাঠালাম যে, আপনি আমাকে এমন কোন হাদীস সম্বন্ধে অবহিত করুন যা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছেন। তিনি বলেন, এরপর তিনি আমাকে লিখেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, ‘আমি হাওযের উপর তোমাদের অগ্রগামী থাকবো’। (ই.ফা. ৫৭৯৮, ই.সে. ৫৮৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০. অধ্যায়ঃ
উহুদ যুদ্ধের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষে জিব্রীল ও মীকাঈল ফেরেশ্তার অংশগ্রহণ
৫৮৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ عَنْ يَمِينِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَنْ شِمَالِهِ يَوْمَ أُحُدٍ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا ثِيَابُ بَيَاضٍ مَا رَأَيْتُهُمَا قَبْلُ وَلاَ بَعْدُ . يَعْنِي جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ .
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উহুদ যুদ্ধে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ডানে এবং বামে দু’ লোককে দেখতে পাই তাঁদের গায়ে সাদা পোশাক ছিল। এর আগে বা পরে আমি তাঁদেরকে আর কক্ষনো দেখিনি। আসলে তাঁরা ছিলেন জিব্রীল ও মীকাঈল (‘আঃ)।
(ই.ফা. ৫৭৯৯, ই.সে. ৫৮৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯৯
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، بْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنَا سَعْدٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ يَوْمَ أُحُدٍ عَنْ يَمِينِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَنْ يَسَارِهِ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا ثِيَابٌ بِيضٌ يُقَاتِلاَنِ عَنْهُ كَأَشَدِّ الْقِتَالِ مَا رَأَيْتُهُمَا قَبْلُ وَلاَ بَعْدُ .
সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ডানে ও বামে দু’ লোককে দেখতে পাই, যাদের গায়ে ছিল সাদা বস্ত্র। তাঁরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষে কঠিনভাবে যুদ্ধ করছিলেন। এর আগে ও পরে আমি তাঁদের দেখিনি। (ই.ফা. ৫৮০০, ই.সে. ৫৮৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বীরত্ব ও যুদ্ধে অগ্রগামী
৫৯০০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا – حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ وَكَانَ أَجْوَدَ النَّاسِ وَكَانَ أَشْجَعَ النَّاسِ وَلَقَدْ فَزِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَانْطَلَقَ نَاسٌ قِبَلَ الصَّوْتِ فَتَلَقَّاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَاجِعًا وَقَدْ سَبَقَهُمْ إِلَى الصَّوْتِ وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لأَبِي طَلْحَةَ عُرْىٍ فِي عُنُقِهِ السَّيْفُ وَهُوَ يَقُولُ ” لَمْ تُرَاعُوا لَمْ تُرَاعُوا ” . قَالَ ” وَجَدْنَاهُ بَحْرًا أَوْ إِنَّهُ لَبَحْرٌ ” . قَالَ وَكَانَ فَرَسًا يُبَطَّأُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সব লোকের মাঝে অতি সুন্দর, অতি দানশীল এবং শ্রেষ্ঠ বীর ছিলেন। কোন এক রাত্রে মাদীনাবাসীরা ভীত হয়ে পড়েছিল। অতঃপর যেদিক থেকে শব্দ আসছিল, লোকেরা সেদিকে ছুটে চলল। রাস্তায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে তাদের দেখা হয়, তখন তিনি ফিরে আসছিলেন। কারণ শব্দের দিকে প্রথম তিনিই দৌঁড়ে গিয়েছিলেন। তখন তিনি আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ)-এর গদিবিহীন ঘোড়ায় চড়ে ছিলেন। তার কাঁধে তলোয়ার ছিল। তিনি বলছিলেন, তোমরা শঙ্কিত হয়ো না, তোমরা শঙ্কিত হয়ো না। তিনি আরো বললেনঃ আমি এ ঘোড়াকে পেয়েছি সমুদ্রের মতো। কিংবা বললেন, এ তো সমুদ্র। ইতোপূর্বে এ ঘোড়ার গতি ছিল ক্ষীণ। (ই.ফা. ৫৮০১, ই.সে. ৫৮৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯০১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ بِالْمَدِينَةِ فَزَعٌ فَاسْتَعَارَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرَسًا لأَبِي طَلْحَةَ يُقَالُ لَهُ مَنْدُوبٌ فَرَكِبَهُ فَقَالَ “ مَا رَأَيْنَا مِنْ فَزَعٍ وَإِنْ وَجَدْنَاهُ لَبَحْرًا ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক সময় মাদীনায় ভয়ের কারণ সৃষ্টি হয়েছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ)-এর একটি ঘোড়া চেয়ে নিলেন। এটিকে ‘মানদূব’ বলা হত। তিনি তার উপর সওয়ার হলেন। অতঃপর বললেন, আমি ঘাবড়ানোর কোন কারণ দেখতে পাইনি। আর এ ঘোড়াটিকে সমুদ্রের মতো পেয়েছি। (ই.ফা. ৫৮০২, ই.সে. ৫৮৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯০২
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ جَعْفَرٍ قَالَ فَرَسًا لَنَا . وَلَمْ يَقُلْ لأَبِي طَلْحَةَ . وَفِي حَدِيثِ خَالِدٍ عَنْ قَتَادَةَ سَمِعْتُ أَنَسًا .
শু‘বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেন। ইবনু জা‘ফারের হাদীসে আমাদের ঘোড়ার কথা বলা হয়েছে, আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ)-এর কথা বলা হয়নি। কাতাদাহ্ (রহঃ)-এর সূত্রে খালিদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আমি আনাস (রাঃ) হতে শুনেছি। (ই.ফা. ৫৮০৩, ই.সে. ৫৮৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের মধ্যে প্রবাহমান বায়ু থেকেও শ্রেষ্ঠ দানশীল ছিলেন
৫৯০৩
حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو عِمْرَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ بِالْخَيْرِ وَكَانَ أَجْوَدَ مَا يَكُونُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ إِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ كَانَ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ سَنَةٍ فِي رَمَضَانَ حَتَّى يَنْسَلِخَ فَيَعْرِضُ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقُرْآنَ فَإِذَا لَقِيَهُ جِبْرِيلُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের মাঝে দানশীলতায় সবচেয়ে বেশী অগ্রগামী ছিলেন। তবে রমাযান মাসে তিনি আরো অধিক দানশীল হতেন। কারণ জিবরীল (‘আঃ) প্রতি বছর রমাযান মাসে তাঁর সাথে দেখা করতেন। রমাযান শেষ হওয়া পর্যন্ত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সম্মুখে কুরআন পাঠ করে শোনাতেন। যখন জিবরীল (‘আঃ) তাঁর সাথে দেখা করতেন তখন তিনি বিক্ষিপ্ত বাতাসের চাইতেও বেশি দানশীল হতেন। (ই.ফা. ৫৮০৪, ই.সে. ৫৮৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯০৪
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مُبَارَكٍ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা. ৫৮০৪, ই.সে. ৫৮৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩. অধ্যায়ঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বোত্তম চরিত্রবান ছিলেন
৫৯০৫
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ خَدَمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشْرَ سِنِينَ وَاللَّهِ مَا قَالَ لِي أُفًّا . قَطُّ وَلاَ قَالَ لِي لِشَىْءٍ لِمَ فَعَلْتَ كَذَا وَهَلاَّ فَعَلْتَ كَذَا زَادَ أَبُو الرَّبِيعِ لَيْسَ مِمَّا يَصْنَعُهُ الْخَادِمُ . وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ وَاللَّهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দশ বছর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমাত করেছি। আল্লাহর শপথ! তিনি কখনো আমাকে ‘উহ্’ শব্দও বলেননি এবং কোন সময় আমাকে ‘এটা কেন করলে’, ‘ওটা কেন করনি’ তাও বলেননি।
আবূ রাবী’ (রহঃ) বর্ধিত বলেছেন, ‘কোন বিষয় সম্পর্কে যা খাদিমের করা ঠিক নয়’ এবং তাঁর রিওয়ায়াতে আল্লাহর শপথের বর্ণনা নেই। (ই.ফা. ৫৮০৫, ই.সে. ৫৮৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯০৬
وَحَدَّثَنَاهُ شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ مِسْكِينٍ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، بِمِثْلِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৮০৬, ই.সে. ৫৮৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯০৭
وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ، – وَاللَّفْظُ لأَحْمَدَ – قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ أَخَذَ أَبُو طَلْحَةَ بِيَدِي فَانْطَلَقَ بِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَنَسًا غُلاَمٌ كَيِّسٌ فَلْيَخْدُمْكَ . قَالَ فَخَدَمْتُهُ فِي السَّفَرِ وَالْحَضَرِ وَاللَّهِ مَا قَالَ لِي لِشَىْءٍ صَنَعْتُهُ لِمَ صَنَعْتَ هَذَا هَكَذَا وَلاَ لِشَىْءٍ لَمْ أَصْنَعْهُ لِمَ لَمْ تَصْنَعْ هَذَا هَكَذَا
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মাদীনায় আসেন তখন আবূ তাল্হাহ্ (রাঃ) হাতে ধরে আমাকে নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত হলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আনাস অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছেলে, সে আপনার সেবা করবে। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি তাঁর খিদমাত করেছি সফর ও ইকামাত অবস্থায়। আল্লাহর শপথ! আমি যে কোন কাজই করেছি, তিনি আমাকে বলেননি যে, কেন এমনটি করলে? আর যে কোন কাজই আমি করিনি, ‘কেন তুমি এটি করনি’, এ রকমও বলেননি। (ই.ফা. ৫৮০৭, ই.সে. ৫৮৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯০৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي بُرْدَةَ – عَنْ أَنَسٍ، قَالَ خَدَمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِسْعَ سِنِينَ فَمَا أَعْلَمُهُ قَالَ لِي قَطُّ لِمَ فَعَلْتَ كَذَا وَكَذَا وَلاَ عَابَ عَلَىَّ شَيْئًا قَطُّ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নয় বছর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সেবা করেছি। আমার জানা নেই, তিনি কখনো আমায় বলেছেন, কেন তুমি এ কাজ করলে? এবং কোন ব্যাপারে আমাকে কক্ষনো দোষারোপও করেননি। (ই.ফা. ৫৮০৮, ই.সে. ৫৮৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯০৯
حَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، زَيْدُ بْنُ يَزِيدَ أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، – وَهُوَ ابْنُ عَمَّارٍ – قَالَ قَالَ إِسْحَاقُ قَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ خُلُقًا فَأَرْسَلَنِي يَوْمًا لِحَاجَةٍ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لاَ أَذْهَبُ . وَفِي نَفْسِي أَنْ أَذْهَبَ لِمَا أَمَرَنِي بِهِ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجْتُ حَتَّى أَمُرَّ عَلَى صِبْيَانٍ وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي السُّوقِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ قَبَضَ بِقَفَاىَ مِنْ وَرَائِي – قَالَ – فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقَالَ “ يَا أُنَيْسُ أَذَهَبْتَ حَيْثُ أَمَرْتُكَ ” . قَالَ قُلْتُ نَعَمْ أَنَا أَذْهَبُ يَا رَسُولَ اللَّهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। একদা তিনি আমাকে একটি কাজে যাওয়ার আদেশ করলেন, তখন আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আবি যাব না; কিন্তু আমার মনে এ বিশ্বাস ছিল, যে কাজে আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন আমি সে কাজে যাব। অতঃপর আমি বের হয়ে ছেলেদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তারা বাজারে খেলাধূলায় লিপ্ত ছিল। হঠাৎ করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পশ্চাৎদিকে এসে আমার ঘাড় ধরলেন। আনাস (রাঃ) বলেনে, আমি তাঁর প্রতি দৃষ্টি দিলাম তখন তিনি হাসছিলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, হে উনায়স! তুমি কি সেখানে গিয়েছিলে যেখানে তোমাকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম? তিনি বলেন, আমি বললাম হ্যাঁ! হে আল্লাহর রসূল! অবশ্যই আমি যাচ্ছি। (ই.ফা. ৫৮০৯, ই.সে. ৫৮৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১০
قَالَ أَنَسٌ وَاللَّهِ لَقَدْ خَدَمْتُهُ تِسْعَ سِنِينَ مَا عَلِمْتُهُ قَالَ لِشَىْءٍ صَنَعْتُهُ لِمَ فَعَلْتَ كَذَا وَكَذَا أَوْ لِشَىْءٍ تَرَكْتُهُ هَلاَّ فَعَلْتَ كَذَا وَكَذَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর শপথ! আমি নয় বছর তাঁর সেবায় ছিলাম, কিন্তু আমার জানা নেই, কোন কাজ আমি করেছি সে ব্যাপারে বলেননি এরূপ কেন করলে কিংবা কোন কাজ করিনি, সে ব্যাপারে বলেননি, কেন অমুক অমুক কাজ করলে না? (ই.ফা. ৫৮০৯, ই.সে. নেই)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১১
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমস্ত লোকের মাঝে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। (ই.ফা. ৫৮১০, ই.সে. ৫৮৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৪. অধ্যায়ঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে কেউ কিছু চাইলে তিনি কক্ষনো ‘না’ বলেননি এবং তাঁর বদান্যতা প্রসঙ্গ
৫৯১২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَا سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا قَطُّ فَقَالَ لاَ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কেউ কিছু কামনা করলে কোন দিন তিনি ‘না’ বলেননি। (ই.ফা. ৫৮১১, ই.সে. ৫৮৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا الأَشْجَعِيُّ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ، اللَّهِ يَقُولُ مِثْلَهُ سَوَاءً .
মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদিরের সানাদে জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা. ৫৮১২, ই.সে. ৫৮৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১৪
وَحَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَا سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الإِسْلاَمِ شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ – قَالَ – فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَأَعْطَاهُ غَنَمًا بَيْنَ جَبَلَيْنِ فَرَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ يَا قَوْمِ أَسْلِمُوا فَإِنَّ مُحَمَّدًا يُعْطِي عَطَاءً لاَ يَخْشَى الْفَاقَةَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করার পর কেউ কিছু চাইলে তিনি অবশ্যই তা দিয়ে দিতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো। তিনি তাকে এত বেশী ছাগল দিলেন যাতে দু’উপত্যকার মাঝামাঝি স্থান পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর সে লোক তার গোত্রের নিকট গিয়ে তাদের বলল, হে আমার জাতি ভাইয়েরা! তোমরা ইসলাম কবূল কর। কারণ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভাবের আশঙ্কা না করে দান করতেই থাকেন। (ই.ফা. ৫৮১৩, ই.সে. ৫৮৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم غَنَمًا بَيْنَ جَبَلَيْنِ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ فَأَتَى قَوْمَهُ فَقَالَ أَىْ قَوْمِ أَسْلِمُوا فَوَاللَّهِ إِنَّ مُحَمَّدًا لَيُعْطِي عَطَاءً مَا يَخَافُ الْفَقْرَ . فَقَالَ أَنَسٌ إِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيُسْلِمُ مَا يُرِيدُ إِلاَّ الدُّنْيَا فَمَا يُسْلِمُ حَتَّى يَكُونَ الإِسْلاَمُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে দু’ পাহাড়ের মাঝামাঝি ছাগলগুলো চাইলে তিনি তাকে তা দিয়ে দিলেন। অতঃপর সে লোক তার গোত্রের নিকট প্রত্যাবর্তন শেষে বলল, হে আমার জাতি ভাইয়েরা! তোমরা ইসলাম কবূল কর। আল্লাহর শপথ! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভাবের আশঙ্কা না করে দান করেন।
আনাস (রাঃ) বলেন, যদিও মানুষ শুধু ইহকালের উদ্দেশ্যেই ইসলাম গ্রহণ করে তবুও ইসলাম গ্রহণ করতে না করতেই ইসলাম তার কাছে পৃথিবী এবং পৃথিবীর সকল প্রাচুর্যের চাইতে অধিকতর প্রিয় হয়ে যায়। (ই.ফা. ৫৮১৪, ই.সে. ৫৮৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১৬
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَاقْتَتَلُوا بِحُنَيْنٍ فَنَصَرَ اللَّهُ دِينَهُ وَالْمُسْلِمِينَ وَأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ مِائَةً مِنَ النَّعَمِ ثُمَّ مِائَةً ثُمَّ مِائَةً . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ صَفْوَانَ قَالَ وَاللَّهِ لَقَدْ أَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أَعْطَانِي وَإِنَّهُ لأَبْغَضُ النَّاسِ إِلَىَّ فَمَا بَرِحَ يُعْطِينِي حَتَّى إِنَّهُ لأَحَبُّ النَّاسِ إِلَىَّ .
ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ বিজয়ের যুদ্ধ করেন। এরপর তাঁর সাথে যে সব মুসলিম ছিলেন তাদের নিয়ে তিনি বের হন। আর তাঁরা সবাই হুনায়নের যুদ্ধ করেন। এ যুদ্ধে মহান আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দ্বীনের এবং মুসলিমদের সাহায্য করেন। সেদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফ্ওয়ান ইবনু উমাইয়াহ্কে একশ’ উট দান করেন। এরপর একশ’ উট, পুনরায় আরও একশ’ উট প্রদান করেন।
ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, সা’ঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, সাফ্ওয়ান (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দান করলেন এবং এমন পরিমাণে আমাকে দান করলেন যে, তিনি আমার কাছে সবচেয়ে নিম্নপ্রকৃতির লোক ছিলেন। অতঃপর তিনি আমাকে অবিরাম দান করতে থাকলেন এমনকি আমার নিকটে সবচেয়ে পছন্দের লোক হয়ে গেলেন। (ই.ফা. ৫৮১৫, ই.সে. ৫৮৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১৭
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ، بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، وَعَنْ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ عَلِيٍّ عَنْ جَابِرٍ، أَحَدُهُمَا يَزِيدُ عَلَى الآخَرِ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ قَالَ سُفْيَانُ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سُفْيَانُ وَسَمِعْتُ أَيْضًا، عَمْرَو بْنَ دِينَارٍ يُحَدِّثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَزَادَ، أَحَدُهُمَا عَلَى الآخَرِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَوْ قَدْ جَاءَنَا مَالُ الْبَحْرَيْنِ لَقَدْ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ” . وَقَالَ بِيَدَيْهِ جَمِيعًا فَقُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ أَنْ يَجِيءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ فَقَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ بَعْدَهُ فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى مَنْ كَانَتْ لَهُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عِدَةٌ أَوْ دَيْنٌ فَلْيَأْتِ . فَقُمْتُ فَقُلْتُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” لَوْ قَدْ جَاءَنَا مَالُ الْبَحْرَيْنِ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ” . فَحَثَى أَبُو بَكْرٍ مَرَّةً ثُمَّ قَالَ لِي عُدَّهَا . فَعَدَدْتُهَا فَإِذَا هِيَ خَمْسُمِائَةٍ فَقَالَ خُذْ مِثْلَيْهَا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমাদের নিকট যদি বাহরাইন হতে মাল আসে তাহলে তোমাকে এই, এই, এই পরিমাণ দিব এবং তিনি উভয় হাত একত্র করলেন। এরপর বাহরাইন থেকে মাল আসার আগেই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরলোক গমন করেন। তারপর আবূ বকর (রাঃ)-এর কাছে বাহরাইন হতে মাল আসে। তিনি একজন ঘোষককে এ মর্মে ঘোষণা দেয়ার আদেশ দিলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর যার কিছু ওয়া’দা অথবা ঋণ রয়েছে সে যেন (আমার) নিকট আসে। তখন আমি দাঁড়িয়ে বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছিলেন যে, বাহরাইন থেকে যদি আমাদের কাছে মাল আসে তবে তোমাকে এই, এই, এই পরিমাণ দিব। এ কথা শুনে আবূ বকর (রাঃ) এক অঞ্জলি উঠালেন এবং বললেন, গুনে দেখো। আমি তা গুনে দেখলাম তাতে পাঁচশ’ আছে। অতঃপর তিনি বললেন, এর চেয়ে আরো দ্বিগুণ তুমি নিয়ে নাও। (ই.ফা.৫৮১৬, ই.সে.৫৮৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا مَاتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَاءَ أَبَا بَكْرٍ مَالٌ مِنْ قِبَلِ الْعَلاَءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مَنْ كَانَ لَهُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم دَيْنٌ أَوْ كَانَتْ لَهُ قِبَلَهُ عِدَةٌ فَلْيَأْتِنَا . بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করলেন এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট ‘আলা ইবনু হাযরামীর তরফ হতে মাল আসলো। তখন আবূ বকর (রাঃ) ঘোষণা দিলেন, যার জন্য রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর ঋণ রয়েছে কিংবা তাঁর তরফ হতে কোন ওয়া’দা রয়েছে, সে যেন আমার কাছে চলে আসে। অবশিষ্টাংশ হাদীস ইবনু ‘উয়াইনার অবিকল। (ই.ফা.৫৮১৭, ই.সে.৫৮৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫. অধ্যায়ঃ
ছেলেদের প্রতি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর দয়া, বিনয়, আন্তরিকতা এবং তাঁর মর্যাদা
৫৯১৯
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، وَشَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، كِلاَهُمَا عَنْ سُلَيْمَانَ، – وَاللَّفْظُ لِشَيْبَانَ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وُلِدَ لِيَ اللَّيْلَةَ غُلاَمٌ فَسَمَّيْتُهُ بِاسْمِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ ” . ثُمَّ دَفَعَهُ إِلَى أُمِّ سَيْفٍ امْرَأَةِ قَيْنٍ يُقَالُ لَهُ أَبُو سَيْفٍ فَانْطَلَقَ يَأْتِيهِ وَاتَّبَعْتُهُ فَانْتَهَيْنَا إِلَى أَبِي سَيْفٍ وَهُوَ يَنْفُخُ بِكِيرِهِ قَدِ امْتَلأَ الْبَيْتُ دُخَانًا فَأَسْرَعْتُ الْمَشْىَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا أَبَا سَيْفٍ أَمْسِكْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَأَمْسَكَ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالصَّبِيِّ فَضَمَّهُ إِلَيْهِ وَقَالَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ . فَقَالَ أَنَسٌ لَقَدْ رَأَيْتُهُ وَهُوَ يَكِيدُ بِنَفْسِهِ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَمَعَتْ عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ وَلاَ نَقُولُ إِلاَّ مَا يَرْضَى رَبُّنَا وَاللَّهِ يَا إِبْرَاهِيمُ إِنَّا بِكَ لَمَحْزُونُونَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাত্রে আমার একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়, আমি তার নাম আমার পিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর নামে রাখি। এরপর তিনি উম্মু সায়ফ নামক একজন মহিলাকে ঐ সন্তানটি দিলেন। তিনি একজন কর্মকারের সহধর্মিণী। কর্মকারের নাম আবূ সায়ফ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন আবূ সায়ফ-এর নিকট যাচ্ছিলেন আর আমিও তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিলাম। যখন আমরা আবূ সায়ফের গৃহে উপস্থিত হই তখন সে তার হাপর বা ফুঁকনীতে ফুঁক দিচ্ছিল, সারা গৃহ ধুঁয়ায় ভরপুর ছিল। আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগে দৌঁড়ে গিয়ে আবূ সায়ফকে বললাম, তুমি একটু থামো। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসছেন। সে থামল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছেলেকে ডাকলেন এবং তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করলেন এবং যা আল্লাহ্র ইচ্ছা রয়েছে তা বললেন।
আনাস (রাঃ) বলেন, আমি এ ছেলেকে দেখলাম, সে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে বড় বড় শ্বাস ফেলছিল। তা দেখে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর দু’নয়ন অশ্রু ভিজে গেল। আর তিনি বললেনঃ চোখ কাঁদছে, মন কাতর হচ্ছে, মুখে আমরা তাই বলব রব্বুল ‘আলামীন যা পছন্দ করেন। হে ইব্রাহীম! আল্লাহ্র শপথ! আমরা তোমার জন্য খুবই ব্যথিত। (ই.ফা.৫৮১৮, ই.সে.৫৮৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২০
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَرْحَمَ بِالْعِيَالِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – كَانَ إِبْرَاهِيمُ مُسْتَرْضِعًا لَهُ فِي عَوَالِي الْمَدِينَةِ فَكَانَ يَنْطَلِقُ وَنَحْنُ مَعَهُ فَيَدْخُلُ الْبَيْتَ وَإِنَّهُ لَيُدَّخَنُ وَكَانَ ظِئْرُهُ قَيْنًا فَيَأْخُذُهُ فَيُقَبِّلُهُ ثُمَّ يَرْجِعُ . قَالَ عَمْرٌو فَلَمَّا تُوُفِّيَ إِبْرَاهِيمُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ ابْنِي وَإِنَّهُ مَاتَ فِي الثَّدْىِ وَإِنَّ لَهُ لَظِئْرَيْنِ تُكَمِّلاَنِ رَضَاعَهُ فِي الْجَنَّةِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চাইতে শিশুদের প্রতি বেশী দয়াশীল আর কাউকে আমি দেখিনি। তিনি বলেন, (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর ছেলে) ইব্রাহীম (রাঃ) মাদীনার গ্রামাঞ্চলে দুধ পান করতেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে দেখার জন্য সেখানে যেতেন আর আমরাও তাঁর সাথে যেতাম। তিনি দাইয়ের গৃহে ঢুকতেন, আর সেখানে ধুঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকত। কেননা, তার দুধপিতা কর্মকার (কামার) ছিল। তিনি ছেলেকে কোলে তুলে চুমু খেতেন। পরে তিনি প্রত্যাবর্তন করতেন।
‘আম্র ইবনু সা’ঈদ (রাঃ) বলেন, যখন ইব্রাহীম (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেন তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইব্রাহীম আমার পুত্র, দুধ পান করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। তার জন্য দুধপিতা ও দুধমাতা রয়েছে, যারা জান্নাতে তাকে দুধ পান করার সময়-সীমা পর্যন্ত দুধ পান করাবে। (ই.ফা.৫৮১৯, ই.সে.৫৮৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَدِمَ نَاسٌ مِنَ الأَعْرَابِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا أَتُقَبِّلُونَ صِبْيَانَكُمْ فَقَالُوا نَعَمْ . فَقَالُوا لَكِنَّا وَاللَّهِ مَا نُقَبِّلُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَأَمْلِكُ إِنْ كَانَ اللَّهُ نَزَعَ مِنْكُمُ الرَّحْمَةَ ” . وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ ” مِنْ قَلْبِكَ الرَّحْمَةَ ” .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেঁয়ো আরবীয় লোক আসলো। তারা প্রশ্ন করল, আপনারা কি আপনাদের বাচ্চাদের চুমু দেন? উপস্থিত সবাই বললেন, হ্যাঁ! তখন তারা বললেন, কিন্তু আল্লাহ্র শপথ! আমরা তো তাদের চুমু দেই না। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি কি করবো, আল্লাহ্ যদি তোমাদের হতে দয়া দূর করে নিয়ে থাকেন।
ইবনু নুমায়রের বর্ণনাতে আছে, তোমার অন্তর হতে……। (ই.ফা.৫৮২০, ই.সে.৫৮৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২২
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، أَبْصَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ الْحَسَنَ فَقَالَ إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ وَاحِدًا مِنْهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّهُ مَنْ لاَ يَرْحَمْ لاَ يُرْحَمْ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আকরা’ ইবনু হাবিস (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখলেন যে, তিনি (ইমাম) হাসান (রাঃ)-কে চুমু দিচ্ছেন। তখন আকরা’ ইবনু হাবিস (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার দশটি সন্তান রয়েছে। আমি তাদের কাউকে চুমু দেইনি। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যারা দয়া করে না (আল্লাহ্ কর্তৃক) তাদের প্রতি দয়া করা হবে না। (ই.ফা.৫৮২১, ই.সে.৫৮৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা.৫৮২২, ই.সে.৫৮৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২৪
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ – كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، وَأَبِي، ظِبْيَانَ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ لاَ يَرْحَمِ النَّاسَ لاَ يَرْحَمْهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ” .
জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক মানুষের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে না (কিয়ামতের দিন) আল্লাহও তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন না। (ই.ফা.৫৮২৩, ই.সে.৫৮৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ .
জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আ’মাশের হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা.৫৮২৪, ই.সে.৫৮৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অধিক লজ্জাশীলতা
৫৯২৬
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ، بْنَ أَبِي عُتْبَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي عُتْبَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَشَدَّ حَيَاءً مِنَ الْعَذْرَاءِ فِي خِدْرِهَا وَكَانَ إِذَا كَرِهَ شَيْئًا عَرَفْنَاهُ فِي وَجْهِهِ .
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্দানশীল কুমারী মহিলার চাইতেও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। আর যখন তিনি কোন জিনিসকে অপছন্দ করতেন আমরা তাঁর মুখাবয়ব হতে তা বুঝতে পারতাম। (ই.ফা.৫৮২৫, ই.সে.৫৮৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২৭
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو حِينَ قَدِمَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْكُوفَةِ فَذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا . وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحَاسِنَكُمْ أَخْلاَقًا ” . قَالَ عُثْمَانُ حِينَ قَدِمَ مَعَ مُعَاوِيَةَ إِلَى الْكُوفَةِ .
মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ)-এর নিকট গিয়েছিলাম যখন মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) কূফায় এসেছিলেন। মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্বন্ধে বর্ণনা দিয়ে বললেন, তিনি অশ্লীল ছিলেন না এবং অশ্লীল কথা বলতেন না।
মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) আরো বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে উত্তম সে লোক যার চরিত্র উত্তম। (ই.ফা.৫৮২৬, ই.সে.৫৮৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২৮
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، – يَعْنِي الأَحْمَرَ – كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
আ’মাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা.৫৮২৭, ই.সে.৫৮৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭. অধ্যায়ঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুচকি হাসি ও উত্তম জীবন যাপন
৫৯২৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ قُلْتُ لِجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ أَكُنْتَ تُجَالِسُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ كَثِيرًا كَانَ لاَ يَقُومُ مِنْ مُصَلاَّهُ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ الصُّبْحَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَإِذَا طَلَعَتْ قَامَ وَكَانُوا يَتَحَدَّثُونَ فَيَأْخُذُونَ فِي أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ فَيَضْحَكُونَ وَيَتَبَسَّمُ صلى الله عليه وسلم .
সিমাক ইবনু হার্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বসতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ! অনেকবার। তিনি ফাজ্রের সলাত যেখানে আদায় করতেন সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সেখান হতে উঠতেন না। এরপর যখন সূর্যোদয় হতো তখন তিনি উঠে দাঁড়াতেন। লোকেরা কথাবার্তা বলতো, জাহিলী যুগের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতো এবং হাসতো আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও মুচকি হাসতেন। (ই.ফা.৫৮২৮, ই.সে.৫৮৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮. অধ্যায়ঃ
স্ত্রীলোকদের প্রতি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দয়া এবং তাদের আরোহণ জন্তুর সাথে পরিচালকদের প্রতি আন্তরিকতার নির্দেশ
৫৯৩০
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ جَمِيعًا عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَغُلاَمٌ أَسْوَدُ يُقَالُ لَهُ أَنْجَشَةُ يَحْدُو فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يَا أَنْجَشَةُ رُوَيْدَكَ سَوْقًا بِالْقَوَارِيرِ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সফরে ছিলেন, তখন আনজাশাহ্ নামক একজন হাবশী ক্রীতদাস গীত গাইছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আনজাশাহ্! ধীরে চলো এবং উটগুলোকে কাঁচপাত্রবাহী উটের মতো (সতর্কতার সাথে) ধাবিত করো। (ই.ফা.৫৮২৯, ই.সে.৫৮৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৩১
وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، بِنَحْوِهِ .
আনাস (রাঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা.৫৮৩০, ই.সে.৫৮৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৩২
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَتَى عَلَى أَزْوَاجِهِ وَسَوَّاقٌ يَسُوقُ بِهِنَّ يُقَالُ لَهُ أَنْجَشَةُ فَقَالَ “ وَيْحَكَ يَا أَنْجَشَةُ رُوَيْدًا سَوْقَكَ بِالْقَوَارِيرِ ” . قَالَ قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ تَكَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِكَلِمَةٍ لَوْ تَكَلَّمَ بِهَا بَعْضُكُمْ لَعِبْتُمُوهَا عَلَيْهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের নিকট আসলেন। আনজাশাহ্ নামধারী একজন উট চালক তাদের উটকে ধাওয়া করছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি বিনাশ হও, ওহে আনজাশাহ্! কাঁচপাত্র নিয়ে আস্তে চলো।
আবূ কিলাবাহ্ বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন কথা বলেছেন যা তোমাদের কেউ বললে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হতো। (ই.ফা.৫৮৩১, ই.সে.৫৮৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৩৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ ح
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا التَّيْمِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ مَعَ نِسَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُنَّ يَسُوقُ بِهِنَّ سَوَّاقٌ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَىْ أَنْجَشَةُ رُوَيْدًا سَوْقَكَ بِالْقَوَارِيرِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সুলায়ম (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদের সাথে ছিলেন এবং একজন উট চালক তাঁদের উট হাঁকাচ্ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আনজাশাহ্! কাঁচপাত্র নিয়ে আস্তে চলো। (ই.ফা.৫৮৩২, ই.সে.৫৮৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৩৪
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَادٍ حَسَنُ الصَّوْتِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ رُوَيْدًا يَا أَنْجَشَةُ لاَ تَكْسِرِ الْقَوَارِيرَ ” . يَعْنِي ضَعَفَةَ النِّسَاءِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ এর একজন সুমধুর কণ্ঠের গায়ক ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ ওহে আনজাশাহ্! আস্তে চলো, কাঁচপাত্রগুলো ভেঙ্গে ফেলো না অর্থাৎ- দুর্বল নারীদের (কষ্ট দিও না)। (ই.ফা.৫৮৩৩, ই.সে.৫৮৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৩৫
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ حَادٍ حَسَنُ الصَّوْتِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, তবে ‘সুললিত কণ্ঠের গায়ক’ উক্তিটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা.৫৮৩৪, ই.সে.৫৮৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯. অধ্যায়ঃ
সৎ লোকদের সাথে নবী (আঃ)-এর আচরণ, তাঁর মাধ্যমে তাঁদের পুণ্য লাভকরণ
৫৯৩৬
حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ جَمِيعًا عَنْ أَبِي النَّضْرِ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، – يَعْنِي هَاشِمَ بْنَ الْقَاسِمِ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ جَاءَ خَدَمُ الْمَدِينَةِ بِآنِيَتِهِمْ فِيهَا الْمَاءُ فَمَا يُؤْتَى بِإِنَاءٍ إِلاَّ غَمَسَ يَدَهُ فِيهَا فَرُبَّمَا جَاءُوهُ فِي الْغَدَاةِ الْبَارِدَةِ فَيَغْمِسُ يَدَهُ فِيهَا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ভোরের সলাত আদায় করতেন তখন মাদীনার খাদিমরা তাদের পাত্রে করে পানি নিয়ে আসত আর তাঁর নিকট যদি কোন পাত্র আনা হলেই তিনি তাতে হাত ডুবিয়ে দিতেন। আর শীতের ঠাণ্ডা সকালেও মাঝে মাঝে তিনি হাত ডুবিয়ে দিতেন। (ই.ফা.৫৮৩৫, ই.সে.৫৮৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْحَلاَّقُ يَحْلِقُهُ وَأَطَافَ بِهِ أَصْحَابُهُ فَمَا يُرِيدُونَ أَنْ تَقَعَ شَعْرَةٌ إِلاَّ فِي يَدِ رَجُلٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখেছি নাপিত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল ছাটছে আর সহাবীরা তাঁর চতুর্পাশ ঘিরে রেখেছেন। তাঁরা চাইতেন যে, কোন চুল যেন মাটিতে না পড়ে তা যেন কারো না কারো হাতে পড়ে। (ই.ফা. ৫৮৩৬, ই.সে.৫৮৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৩৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ امْرَأَةً، كَانَ فِي عَقْلِهَا شَىْءٌ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً فَقَالَ “ يَا أُمَّ فُلاَنٍ انْظُرِي أَىَّ السِّكَكِ شِئْتِ حَتَّى أَقْضِيَ لَكِ حَاجَتَكِ ” . فَخَلاَ مَعَهَا فِي بَعْضِ الطُّرُقِ حَتَّى فَرَغَتْ مِنْ حَاجَتِهَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলার বিবেকে (জ্ঞানে) কিছু বিকৃতি ছিল। সে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনার সঙ্গে আমার একটা দরকার আছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে অমুকের মা! তোমার ইচ্ছামত কোন রাস্তায় তুমি অপেক্ষা কর যাতে করে আমি তোমার প্রয়োজন পুরো করতে পারি। তারপর তিনি কোন একটা জনপথে তার সাথে জনমানবশূন্য এলাকায় আলাপ করেন এবং মহিলাটি প্রয়োজনমুক্ত হয়। (ই.ফা. ৫৮৩৭, ই.সে.৫৮৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০. অধ্যায়ঃ
খারাপ কাজ হতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দূরে অবস্থান এবং মুবাহ্ কাজের মাঝে সহজটিকে গ্রহণ করা এবং আল্লাহ্র মর্যাদা হানি হয় এমন বিষয়ে প্রতিশোধ নেয়া
৫৯৩৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ، يَحْيَى قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلاَّ أَخَذَ أَيْسَرَهُمَا مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا فَإِنْ كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ وَمَا انْتَقَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِنَفْسِهِ إِلاَّ أَنْ تُنْتَهَكَ حُرْمَةُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দু’টো বিষয়ের কোন একটি গ্রহণের স্বাধীনতা দেয়া হত তখন তিনি সহজটি সাদরে গ্রহণ করতেন, যদি না তা দোষের হত। আর যদি তা দূষণীয় হতো তবে তা হতে তিনি সবার চেয়ে দূরে থাকতেন। নিজের জন্য কোন দিন প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন না, তবে আল্লাহ্র মর্যাদা হানি হলে (প্রতিশোধ নিতেন)। (ই.ফা. ৫৮৩৮, ই.সে.৫৮৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪০
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ، بْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، كِلاَهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، فِي رِوَايَةِ فُضَيْلِ بْنِ شِهَابٍ وَفِي رِوَايَةِ جَرِيرٍ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন (ই.ফা. ৫৮৩৯, ই.সে.৫৮৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪১
وَحَدَّثَنِيهِ حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ .
হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত একাধিক সূত্রের বর্ণনাকারীগণ এ সূত্রে মালিকের হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৮৩৯, ই.সে.৫৮৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَمْرَيْنِ أَحَدُهُمَا أَيْسَرُ مِنَ الآخَرِ إِلاَّ اخْتَارَ أَيْسَرَهُمَا مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا فَإِنْ كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সম্মুখে এমন দু’টো বিষয়ের স্বাধীনতা দেয়া হত যার একটি অপরটির তুলনায় সহজ তখন তিনি সহজটিকেই গ্রহণ করতেন, যদি সেটি দোষের না হত। আর দূষণীয় হলে তিনি তা হতে সর্বাধিক দূরে থাকতেন। (ই.ফা. ৫৮৪০, ই.সে.৫৮৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪৩
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ أَيْسَرَهُمَا . وَلَمْ يَذْكُرَا مَا بَعْدَهُ .
হিশাম (রাঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে বর্ণিত দু’টোর মাঝে সহজটি পর্যন্ত উল্লেখ করেন এবং তিনি পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫৮৪১, ই.সে.৫৮৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪৪
حَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا قَطُّ بِيَدِهِ وَلاَ امْرَأَةً وَلاَ خَادِمًا إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا نِيلَ مِنْهُ شَىْءٌ قَطُّ فَيَنْتَقِمَ مِنْ صَاحِبِهِ إِلاَّ أَنْ يُنْتَهَكَ شَىْءٌ مِنْ مَحَارِمِ اللَّهِ فَيَنْتَقِمَ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্বহস্তে কোন দিন কাউকে আঘাত করেননি, কোন নারীকেও না, খাদিমকেও না, আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ ব্যতিত। আর যে তাঁর অনিষ্ট করেছে তার থেকেও প্রতিশোধও নেননি। তবে আল্লাহুর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন বিষয়ে তিনি তাঁর প্রতিশোধ নিয়েছেন। (ই.ফা. ৫৮৪২, ই.সে.৫৮৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ يَزِيدُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ .
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, আবূ কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সূত্রে হিশাম হতে রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তাঁদের একে অন্য হতে কিছু বর্ধিত রিওয়ায়াত করেছেন।(ই.ফা. ৫৮৪৩, ই.সে.৫৮৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর শরীরের সুরভি ও কোমলতা
৫৯৪৬
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ حَمَّادِ بْنِ طَلْحَةَ الْقَنَّادُ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، – وَهُوَ ابْنُ نَصْرٍ الْهَمْدَانِيُّ – عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الأُولَى ثُمَّ خَرَجَ إِلَى أَهْلِهِ وَخَرَجْتُ مَعَهُ فَاسْتَقْبَلَهُ وِلْدَانٌ فَجَعَلَ يَمْسَحُ خَدَّىْ أَحَدِهِمْ وَاحِدًا وَاحِدًا – قَالَ – وَأَمَّا أَنَا فَمَسَحَ خَدِّي – قَالَ – فَوَجَدْتُ لِيَدِهِ بَرْدًا أَوْ رِيحًا كَأَنَّمَا أَخْرَجَهَا مِنْ جُؤْنَةِ عَطَّارٍ .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে যুহরের সলাত আদায় করলাম। এরপর তিনি তাঁর বাড়ীর উদ্দেশে বের হলেন, আমিও তাঁর সাথে বের হলাম। সম্মুখে কয়েকটি শিশু আসলো। তিনি একজন একজন করে এদের সবার গালে হাত স্পর্শ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমার গালেও হাত বুলালেন। আমি তাঁর হাতে এমন ঠাণ্ডা পরশ ও সুগন্ধি পেয়েছি (মনে হলো) যেন তিনি খুশবুওয়ালার পাত্র হতে হাত বের করেছেন।
(ই.ফা. ৫৮৪৪, ই.সে.৫৮৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪৭
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْقَاسِمِ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – وَهُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ – عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ أَنَسٌ مَا شَمِمْتُ عَنْبَرًا قَطُّ وَلاَ مِسْكًا وَلاَ شَيْئًا أَطْيَبَ مِنْ رِيحِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ مَسِسْتُ شَيْئًا قَطُّ دِيبَاجًا وَلاَ حَرِيرًا أَلْيَنَ مَسًّا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর (দেহের) চেয়ে অধিক সুগন্ধময় কোন ‘আম্বার, মিশ্ক বা ভিন্ন কোন বস্তুর ঘ্রাণ আমি গ্রহণ করিনি এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর (দেহের) চাইতে কোমল রেশম বা নরম বস্ত্র আমি ছুঁয়ে দেখিনি। (ই.ফা. ৫৮৪৫, ই.সে.৫৮৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪৮
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَزْهَرَ اللَّوْنِ كَأَنَّ عَرَقَهُ اللُّؤْلُؤُ إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ وَلاَ مَسِسْتُ دِيبَاجَةً وَلاَ حَرِيرَةً أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ شَمَمْتُ مِسْكَةً وَلاَ عَنْبَرَةً أَطْيَبَ مِنْ رَائِحَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন শুভ্র উজ্জ্বল বর্ণের। তাঁর ঘাম যেন মুক্তার মতো। তিনি চলার সময় সম্মুখ পানে ঝুঁকে চলতেন। আমি নরম কাপড় বা রেশমকেও তাঁর হাতের তালুর মতো নরম পাইনি এবং মিশ্ক ও আম্বারের মাঝেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শরীরের চেয়ে অধিক সুগন্ধ পাইনি। (ই.ফা. ৫৮৪৬, ই.সে.৫৮৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২২. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ঘামের সুগন্ধ এবং তা থেকে বারাকাত লাভ
৫৯৪৯
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْقَاسِمِ – عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ دَخَلَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عِنْدَنَا فَعَرِقَ وَجَاءَتْ أُمِّي بِقَارُورَةٍ فَجَعَلَتْ تَسْلُتُ الْعَرَقَ فِيهَا فَاسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا هَذَا الَّذِي تَصْنَعِينَ ” . قَالَتْ هَذَا عَرَقُكَ نَجْعَلُهُ فِي طِيبِنَا وَهُوَ مِنْ أَطْيَبِ الطِّيبِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের গৃহে আসলেন এবং আরাম করলেন। তিনি ঘর্মাক্ত হলেন, আর আমার মা একটি ছোট বোতল নিয়ে মুছে তাতে ভরতে লাগলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাগ্রত হলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, হে উম্মু সুলায়ম! একি করছ? আমার মা বললেন, এ হচ্ছে আপনার ঘাম, যা আমরা সুগন্ধির সাথে মেশাই, আর এ তো সব সুগন্ধির সেরা সুগন্ধি।(ই.ফা. ৫৮৪৭, ই.সে.৫৮৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي سَلَمَةَ – عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُ بَيْتَ أُمِّ سُلَيْمٍ فَيَنَامُ عَلَى فِرَاشِهَا وَلَيْسَتْ فِيهِ – قَالَ – فَجَاءَ ذَاتَ يَوْمٍ فَنَامَ عَلَى فِرَاشِهَا فَأُتِيَتْ فَقِيلَ لَهَا هَذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نَامَ فِي بَيْتِكِ عَلَى فِرَاشِكِ – قَالَ – فَجَاءَتْ وَقَدْ عَرِقَ وَاسْتَنْقَعَ عَرَقُهُ عَلَى قِطْعَةِ أَدِيمٍ عَلَى الْفِرَاشِ فَفَتَحَتْ عَتِيدَتَهَا فَجَعَلَتْ تُنَشِّفُ ذَلِكَ الْعَرَقَ فَتَعْصِرُهُ فِي قَوَارِيرِهَا فَفَزِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” مَا تَصْنَعِينَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ ” . فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ نَرْجُو بَرَكَتَهُ لِصِبْيَانِنَا قَالَ ” أَصَبْتِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু সুলায়মের গৃহে যেতেন এবং তার বিছানায় আরাম করতেন আর উম্মু সুলায়ম তখন গৃহে থাকত না। আনাস (রাঃ) বলেন, একদিন তিনি এলেন এবং তার বিছানায় ঘুমালেন। উম্মু সুলায়মকে বলা হলো, ইনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমার গৃহে, তোমার বিছানায় ঘুমিয়ে গেছেন। আনাস (রাঃ) বলেন, উম্মু সুলায়ম গৃহে প্রবেশ করলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন ঘর্মাক্ত হয়েছেন, আর তাঁর ঘাম চামড়ার বিছানার উপর জমে গেছে, উম্মু সুলায়ম তার কৌটা খুললেন এবং সে ঘাম মুছে মুছে ছোট একটি বোতলে ভরতে লাগলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হঠাৎ উঠে গেলেন এবং বললেন, হে উম্মু সুলায়ম! তুমি কি করছ? তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমাদের শিশুদের জন্য তার বারাকাত নিচ্ছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ভাল করেছ। (ই.ফা. ৫৮৪৮, ই.সে.৫৮৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أُمِّ سُلَيْمٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْتِيهَا فَيَقِيلُ عِنْدَهَا فَتَبْسُطُ لَهُ نَطْعًا فَيَقِيلُ عَلَيْهِ وَكَانَ كَثِيرَ الْعَرَقِ فَكَانَتْ تَجْمَعُ عَرَقَهُ فَتَجْعَلُهُ فِي الطِّيبِ وَالْقَوَارِيرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا هَذَا ” . قَالَتْ عَرَقُكَ أَدُوفُ بِهِ طِيبِي .
উম্মু সুলায়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট আসতেন এবং বিশ্রাম নিতেন, উম্মু সুলায়ম তাঁর জন্য একটা চামড়ার বিছানা বিছিয়ে দিলে তিনি তার উপর ‘কায়লূলা’৩৫ করতেন। তিনি প্রচণ্ড ঘামতেন আর উম্মু সুলায়ম তা একত্র করতেন এবং সুগন্ধির বোতলে তা মিশিয়ে রাখতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে উম্মু সুলায়ম! এ কী করছ? তিনি বললেন, আপনার ঘাম, আমি সেটা সুগন্ধির সঙ্গে মিশিয়ে রাখি। (ই.ফা. ৫৮৪৯, ই.সে.৫৮৮৪)
৩৫ দুপুরে খাবার পর কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম করাকে “কায়লুলা” বলা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩. অধ্যায়ঃ
শীতের দিনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ওয়াহী এলে তিনি ঘেমে যেতেন
৫৯৫২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كَانَ لَيُنْزَلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْغَدَاةِ الْبَارِدَةِ ثُمَّ تَفِيضُ جَبْهَتُهُ عَرَقًا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, শীতের দিনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হত আর তাঁর কপাল বেয়ে ঘাম পড়তো। (ই.ফা. ৫৮৫০, ই.সে.৫৮৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَابْنُ، بِشْرٍ جَمِيعًا عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْىُ فَقَالَ “ أَحْيَانًا يَأْتِينِي فِي مِثْلِ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَىَّ ثُمَّ يَفْصِمُ عَنِّي وَقَدْ وَعَيْتُهُ وَأَحْيَانًا مَلَكٌ فِي مِثْلِ صُورَةِ الرَّجُلِ فَأَعِي مَا يَقُولُ ” .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হারিস ইবনু হিশাম (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার নিকট ওয়াহী নাযিল হয় কীভাবে? তিনি বললেনঃ কখনো তা আসে ঘণ্টার ধ্বনির মতো শব্দ করে আর তা আমার জন্য অনেক কষ্টকর হয়। এরপর ওয়াহী থেমে যায়, আর আমি মুখস্থ করে নেই। আবার কখনো (ওয়াহী নিয়ে) পুরুষের ছদ্মবেশে একজন ফেরেশ্তা আসেন এবং তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নেই। (ই.ফা. ৫৮৫১, ই.সে.৫৮৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْىُ كُرِبَ لِذَلِكَ وَتَرَبَّدَ وَجْهُهُ .
উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর যখন ওয়াহী অবতীর্ণ হতো তাঁর খুব কষ্ট হত এবং তাঁর মুখাবয়ব কেমন যেন শুকিয়ে যেত। (ই.ফা. ৫৮৫২, ই.সে.৫৮৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْىُ نَكَسَ رَأْسَهُ وَنَكَسَ أَصْحَابُهُ رُءُوسَهُمْ فَلَمَّا أُتْلِيَ عَنْهُ رَفَعَ رَأْسَهُ .
উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর যখন ওয়াহী অবতীর্ণ হতো তখন তিনি শীর নত করে ফেলতেন এবং তাঁর সহাবীরাও শীর নত করতেন। অতঃপর যখন ওয়াহী নাযিল শেষ হয়ে আসত তিনি তাঁর মাথা উঠাতেন। (ই.ফা. ৫৮৫৩, ই.সে.৫৮৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল ঝুলিয়ে দেয়া ও তার সিঁথির বিবরণ
৫৯৫৬
حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ، قَالَ مَنْصُورٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ، ابْنُ جَعْفَرٍ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِيَانِ ابْنَ سَعْدٍ – عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَسْدُلُونَ أَشْعَارَهُمْ وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ يَفْرُقُونَ رُءُوسَهُمْ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ مُوَافَقَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ فِيمَا لَمْ يُؤْمَرْ بِهِ فَسَدَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاصِيَتَهُ ثُمَّ فَرَقَ بَعْدُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আহলে কিতাবরা তাদের চুল কপালের সামনে ঝুলিয়ে রাখতো এবং মুশরিকরা সিঁথি কাটতো। যে বিষয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি কোন নির্দেশ আসতো না, সে বিষয়ে তিনি আহ্লে কিতাবদের মতো পালন করা পছন্দ করতেন। তাই তিনি তাঁর চুল কপালে (প্রথমে) ঝুলিয়ে রাখেন এবং পরবর্তী সময় সিঁথি কাটতে থাকেন। (ই.ফা. ৫৮৫৪, ই.সে.৫৮৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫৭
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
আবূ তাহির (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ)-এর সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা ৫৮৫৪, ই.সে ৫৮৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৫. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বর্ণনা এবং তাঁর চেহারা ছিল সবচাইতে সুন্দর
৫৯৫৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مَرْبُوعًا بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ عَظِيمَ الْجُمَّةِ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ عَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ مَا رَأَيْتُ شَيْئًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ صلى الله عليه وسلم .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন মাঝারি আকৃতির পুরুষ। তাঁর দুই কাঁধের ব্যবধান ছিল অধিক (অর্থাৎ তাঁর কাঁধ ও বক্ষ প্রশস্ত ছিল)। চুল ছিল কানের লতিকা পর্যন্ত লম্বিত। তাঁর গায়ে লাল পোশাক পড়া ছিল। তাঁর চাইতে অতি সুন্দর কোন কিছু আমি কক্ষনো প্রত্যক্ষ করিনি। (ই.ফা. ৫৮৫৫ , ই.সে. ৫৮৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫৯
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ أَحْسَنَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَعْرُهُ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ . قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ لَهُ شَعَرٌ .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, চুলওয়ালা, লাল পোশাক পরিহিত কোন লোককে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে সুন্দর দেখিনি। তাঁর চুল কাঁধ স্পর্শ করতো। উভয় কাঁধের মধ্যে বেশ দূরত্ব ছিল। তিনি লম্বাও ছিলেন না, বেঁটেও ছিলেন না।
আবূ কুরায়ব (রহঃ) বলেন, ‘তাঁর চুল ছিল’। (ই.ফা. ৫৮৫৬ , ই.সে. ৫৮৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৬০
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ، يُوسُفَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ وَجْهًا وَأَحْسَنَهُمْ خَلْقًا لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الذَّاهِبِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে সুন্দর মুখাবয়বের অধিকারী ছিলেন। আর তিনি সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তিনি খুব লম্বাও ছিলেন না এবং বেঁটেও ছিলেন না। (ই.ফা. ৫৮৫৭ , ই.সে. ৫৮৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস