মুসলিম পোশাক ও সাজসজ্জা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৫৩৭৯ – ৫৪৭৮
১৫. অধ্যায়ঃ
রূপার তৈরি ও হাবশী মোহরযুক্ত আংটি
৫৩৭৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ الْمِصْرِيُّ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ خَاتِمُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ وَرِقٍ وَكَانَ فَصُّهُ حَبَشِيًّا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আংটিটি ছিল রূপার প্রস্তুতকৃত। এর মোহরটি ছিল হাবশী [১৬]। (ই.ফা. ৫৩০৯, ই.সে. ৫৩২৫)
[১৬] হাবশার পাথরের কিংবা হাবশী রঙের ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৮০
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبَّادُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، – وَهُوَ الأَنْصَارِيُّ ثُمَّ الزُّرَقِيُّ – عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَبِسَ خَاتَمَ فِضَّةٍ فِي يَمِينِهِ فِيهِ فَصٌّ حَبَشِيٌّ كَانَ يَجْعَلُ فَصَّهُ مِمَّا يَلِي كَفَّهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাতে রূপার একটি আংটি পরিধান করেছেন। তাতে হাবশী মোহর ছিল। তিনি এর মোহরটি হাতের তালুর দিকে রাখতেন। (ই.ফা. ৫৩১০, ই.সে. ৫৩২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৮১
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ، بِلاَلٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَ حَدِيثِ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى .
ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে তালহা ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) এর হাদীসের অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৩১১, ই.সে. ৫৩২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬. অধ্যায়ঃ
হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলে আংটি পরা
৫৩৮২
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ، بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ خَاتِمُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذِهِ . وَأَشَارَ إِلَى الْخِنْصَرِ مِنْ يَدِهِ الْيُسْرَى .
আনাস (রাযি) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আংটি ছিল এ আঙ্গুলে- এ কথা বলে তিনি বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুলের দিকে ইঙ্গিত করেন। (ই.ফা. ৫৩১২, ই.সে. ৫৩২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭. অধ্যায়ঃ
মধ্যমা ও তার সাথের (শাহাদাত) আঙ্গুলে আংটি পরার নিষেধাজ্ঞা
৫৩৮৩
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ إِدْرِيسَ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ نَهَانِي – يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم – أَنْ أَجْعَلَ خَاتَمِي فِي هَذِهِ أَوِ الَّتِي تَلِيهَا – لَمْ يَدْرِ عَاصِمٌ فِي أَىِّ الثِّنْتَيْنِ – وَنَهَانِي عَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَعَنْ جُلُوسٍ عَلَى الْمَيَاثِرِ . قَالَ فَأَمَّا الْقَسِّيُّ فَثِيَابٌ مُضَلَّعَةٌ يُؤْتَى بِهَا مِنْ مِصْرَ وَالشَّامِ فِيهَا شِبْهُ كَذَا وَأَمَّا الْمَيَاثِرُ فَشَىْءٌ كَانَتْ تَجْعَلُهُ النِّسَاءُ لِبُعُولَتِهِنَّ عَلَى الرَّحْلِ كَالْقَطَائِفِ الأُرْجُوَانِ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বারণ করেছেন, আমি যেন এ আঙ্গুলে অথবা এ আঙ্গুলে আমার আংটি পরিধান না করি। ‘আসিম (রহঃ) এর জানা নেই দু’টির কোনটি হবে এবং তিনি আমাকে কাস্সী জামা পরিধান করতে এবং “মায়াসির”এর উপর বসতে বারণ করেছেন।
কাস্সী হলো ডোরাদার কাপড়- যা মিশর ও সিরিয়া হতে আমদানি করা হতো, তাতে এমন এমন নকশা থাকতো। আর মায়াসির হলো- সে (নরম রেশমজাত) কাপড় যা মহিলারা তাদের স্বামীদের জন্য হাওদায় বিছিয়ে দেয়, বিছানার লাল শালের মত। (ই.ফা. ৫৩১৩, ই.সে. ৫৩২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৮৪
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنِ ابْنٍ لأَبِي، مُوسَى قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، . فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ .
আবূ মূসা (রাঃ) এর এক ছেলে সন্তান থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি। অতঃপর রাবী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অবিকলভাবে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৩১৪, ই.সে. ৫৩৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৮৫
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بُرْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ نَهَى أَوْ نَهَانِي يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বারণ করেছেন অথবা নিষেধ করেছেন। অতঃপর রাবী হুবহু বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৫৩১৫, ই.সে. ৫৩৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৮৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَتَخَتَّمَ فِي إِصْبَعِي هَذِهِ أَوْ هَذِهِ . قَالَ فَأَوْمَأَ إِلَى الْوُسْطَى وَالَّتِي تَلِيهَا .
আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বারণ করেছেন, আমি আমার এ আঙ্গুল অথবা এ আঙ্গুলে যেন আংটি পরিধান না করি। এ বলে তিনি তাঁর মধ্যমা ও তাঁর (ডান) আঙ্গুলের দিকে ইশারা করলেন। (ই.ফা. ৫৩১৬, ই.সে. ৫৩৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮. অধ্যায়ঃ
জুতা বা অনুরূপ কিছু পরিধান করা মুস্তাহাব
৫৩৮৭
حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي غَزْوَةٍ غَزَوْنَاهَا “ اسْتَكْثِرُوا مِنَ النِّعَالِ فَإِنَّ الرَّجُلَ لاَ يَزَالُ رَاكِبًا مَا انْتَعَلَ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এক জিহাদে বলতে শুনেছি- তোমরা অধিকাংশ (সময়) জুতা পরে থাকবে। কারণ মানুষ যে পর্যন্ত জুতা পরিহিত থাকে, সে পর্যন্ত সে সওয়ার থাকে। (ই.ফা. ৫৩১৭, ই.সে. ৫৩৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯. অধ্যায়ঃ
জুতা পরার সময় ডান পা আগে আর খোলার সময় বাম পা আগে খোলা মুস্তাহাব এবং এক জুতা পরে চলাফেরা করা মাকরূহ
৫৩৮৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَلاَّمٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا انْتَعَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيُمْنَى وَإِذَا خَلَعَ فَلْيَبْدَأْ بِالشِّمَالِ وَلْيُنْعِلْهُمَا جَمِيعًا أَوْ لِيَخْلَعْهُمَا جَمِيعًا ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ জুতা পরবে, তখন প্রথমে ডান পায়ে পরবে। আর যে সময় খুলবে, সে সময় আগে বাম পায়ের জুতা খুলবে। আর হয় দু’খানাই পায়ে দিবে, অথবা দু’খানাই খুলে ফেলবে। (ই.ফা. ৫৩১৮, ই.সে. ৫৩৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৮৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَمْشِ أَحَدُكُمْ فِي نَعْلٍ وَاحِدَةٍ لِيُنْعِلْهُمَا جَمِيعًا أَوْ لِيَخْلَعْهُمَا جَمِيعًا ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ এক পায়ে জুতা পরিধান করে যেন চলাফেরা না করে। হয়ত দু’খানাই পায়ে দিবে; অথবা দু’খানাই খুলে ফেলবে। (ই.ফা. ৫৩১৯, ই.সে. ৫৩৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৯০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ خَرَجَ إِلَيْنَا أَبُو هُرَيْرَةَ فَضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى جَبْهَتِهِ فَقَالَ أَلاَ إِنَّكُمْ تَحَدَّثُونَ أَنِّي أَكْذِبُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِتَهْتَدُوا وَأَضِلَّ أَلاَ وَإِنِّي أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا انْقَطَعَ شِسْعُ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَمْشِ فِي الأُخْرَى حَتَّى يُصْلِحَهَا ” .
আবূ রাযীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) আমাদের নিকট আসলেন এবং নিজ হাত কপালে চাপড়ে বললেন, তোমরা কি বলাবলি করো যে, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর মিথ্যা আরোপ করি? যাতে তোমরা তোমাদের হিদায়াতপ্রাপ্ত দাবি করতে পারো আর আমি পথভ্রষ্ট প্রতীয়মান হই? শোন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, যে সময় তোমাদের কারো একটি জুতার ফিতা ছিঁড়ে যায়, তখন সেটি ঠিক না করা পর্যন্ত সে যেন অন্য জুতাটি পায়ে দিয়ে চলাচল না করে। (ই.ফা. ৫৩২০, ই.সে. ৫৩৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৯১
وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، وَأَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْمَعْنَى .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৫৩২০, ই.সে. ৫৩৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০. অধ্যায়ঃ
“ইশ্তিমালিস্ সাম্মা” (সমস্ত দেহ একটি কাপড় দ্বারা এমনভাবে পেঁচিয়ে রাখা যাতে হাত বের করাও দুস্কর হয়) ও গুপ্তাঙ্গের কিয়দংশ অনাবৃত রেখে এক কাপড়ে গুটি মেরে বসার নিষেধাজ্ঞা
৫৩৯২
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، – فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ – عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَأْكُلَ الرَّجُلَ بِشِمَالِهِ أَوْ يَمْشِيَ فِي نَعْلٍ وَاحِدَةٍ وَأَنْ يَشْتَمِلَ الصَّمَّاءَ وَأَنْ يَحْتَبِيَ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ كَاشِفًا عَنْ فَرْجِهِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন লোকের বাম হাতে খাবার খাওয়া, এক পায়ে জুতা পরিধান করে চলাফেরা করা, এক কাপড়ে সারা শরীরে জড়িয়ে রাখা ও লজ্জাস্থান উন্মুক্ত রেখে- এক কাপড়ে গুটি মেরে উপবিষ্ট হতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫৩২১, ই.সে. ৫৩৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৯৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا انْقَطَعَ شِسْعُ أَحَدِكُمْ – أَوْ مَنِ انْقَطَعَ شِسْعُ نَعْلِهِ – فَلاَ يَمْشِ فِي نَعْلٍ وَاحِدَةٍ حَتَّى يُصْلِحَ شِسْعَهُ وَلاَ يَمْشِ فِي خُفٍّ وَاحِدٍ وَلاَ يَأْكُلْ بِشِمَالِهِ وَلاَ يَحْتَبِي بِالثَّوْبِ الْوَاحِدِ وَلاَ يَلْتَحِفِ الصَّمَّاءَ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন অথবা তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, যখন তোমাদের কারো একটি জুতার ফিতা ছিঁড়ে যায়, তখন সে যেন এক জুতা পায়ে না চলে। যে পর্যন্ত সে তার ফিতাটি ঠিক না করে। আর কেউ যেন এক মোজা পায়ে দিয়ে না চলে, বাম হাতের খাবার না খায়, এক কাপড়ে গুটি মেরে না বসে এবং এক কাপড়ে সারা দেহ জড়িয়ে না রাখে। (ই.ফা. ৫৩২২, ই.সে. ৫৩৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১. অধ্যায়ঃ
এক পায়ের উপর অপর পা উঠিয়ে চিৎ করে শোয়া নিষেধ
৫৩৯৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ اشْتِمَالِ الصَّمَّاءِ وَالاِحْتِبَاءِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ وَأَنْ يَرْفَعَ الرَّجُلُ إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى وَهُوَ مُسْتَلْقٍ عَلَى ظَهْرِهِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক কাপড়ে সারা দেহ জড়িয়ে রাখা, এক কাপড়ে গুটি মেরে বসা এবং চিৎ হয়ে ঘুমানো অবস্থায় এক পায়ের উপর অপর পা উঠিয়ে রাখতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫৩২৩, ই.সে. ৫৩৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৯৫
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ، حَاتِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ، اللَّهِ يُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَمْشِ فِي نَعْلٍ وَاحِدٍ وَلاَ تَحْتَبِ فِي إِزَارٍ وَاحِدٍ وَلاَ تَأْكُلْ بِشِمَالِكَ وَلاَ تَشْتَمِلِ الصَّمَّاءَ وَلاَ تَضَعْ إِحْدَى رِجْلَيْكَ عَلَى الأُخْرَى إِذَا اسْتَلْقَيْتَ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক জুতা (এক পায়ে) পরিধান করে হাঁটবে না, এক লুঙ্গি গুটি মেরে বসবে না, বাম হাতে খাদ্য খাবে না, এক কাপড়ে সারা দেহে জড়িয়ে রাখবে না এবং চিত হয়ে ঘুমানো অবস্থায় এক পায়ের উপর অপর পা তুলবে না। (ই.ফা. ৫৩২৪, ই.সে. ৫৩৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৯৬
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ الأَخْنَسِ – عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَسْتَلْقِيَنَّ أَحَدُكُمْ ثُمَّ يَضَعُ إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন চিৎ হয়ে শুয়ে এক পায়ের উপর অপর পা না উঠায়। (ই.ফা. ৫৩২৫, ই.সে. ৫৩৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২২. অধ্যায়ঃ
চিৎ হয়ে শোয়াবস্থায় এক পা অপর পায়ের উপর উঠিয়ে রাখার বৈধতা
৫৩৯৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَلْقِيًا فِي الْمَسْجِدِ وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى .
‘আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ) এর চাচা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মাসজিদে চিৎ হয়ে ঘুমানো অবস্থায় এক পায়ের উপর অপর পা উঠিয়ে রাখতে দেখেছেন। [১৭] (ই.ফা. ৫৩২৬, ই.সে. ৫৩৪৩)
[১৭] সতর খোলার সম্ভাবনা না থাকলে এক পায়ের উপর অপর পা উঠিয়ে শোয়া জায়িয আছে। আরও উল্লেখ থাকে যে, ঘুমন্ত অবস্থায় এক পায়ের উপর আরেক পা অনিচ্ছাকৃত উঠে যেতে পারে সেটা ভিন্ন কথা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৯৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَابْنُ نُمَيْرٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া, আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, ইবনু নুমায়র, যুহায়র ইবনু হারব, ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম, আবূ তাহির, হারমালাহ্ ও ‘আব্দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩২৭, ই.সে. ৫৩৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩. অধ্যায়ঃ
পুরুষের জন্য জাফরানী রং-এর কাপড় পরিধান নিষিদ্ধ
৫৩৯৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ، بْنُ زَيْدٍ وَقَالَ الآخَرَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ التَّزَعْفُرِ . قَالَ قُتَيْبَةُ قَالَ حَمَّادٌ يَعْنِي لِلرِّجَالِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাফরানী রং-এর কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। কুতাইবাহ্ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ (রহঃ) বলেছেন, অর্থাৎ- পুরুষদেরকে। (ই.ফা. ৫৩২৮, ই.সে. ৫৩৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪০০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَتَزَعْفَرَ الرَّجُلُ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষদেরকে জাফরানী রং-এর কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ৫৩২৯, ই.সে. ৫৩৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪. অধ্যায়ঃ
সাদা চুল-দাড়িতে হলুদ বা লাল রং-এর খিযাব লাগানো মুস্তাহাব কিন্তু কালো রং-এর হলে হারাম
৫৪০১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أُتِيَ بِأَبِي قُحَافَةَ أَوْ جَاءَ عَامَ الْفَتْحِ أَوْ يَوْمَ الْفَتْحِ وَرَأْسُهُ وَلِحْيَتُهُ مِثْلُ الثَّغَامِ أَوِ الثَّغَامَةِ فَأَمَرَ أَوْ فَأُمِرَ بِهِ إِلَى نِسَائِهِ قَالَ “ غَيِّرُوا هَذَا بِشَىْءٍ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (মাক্কাহ্) বিজয়ের বৎসর অথবা (রাবী বলেছেন, বর্ণনা সংশয়) (মাক্কাহ্) বিজয়ের দিবসে (আবূ বকর এর আব্বা) আবূ কুহাফাহ্ (রাঃ) কে পেশ করা হলো অথবা (বর্ণনা সংশয়, বর্ণনাকারী বলেছেন-) তিনি (নিজেই) এলেন। তাঁর মাথা (‘র চুল) ও দাড়ি ‘সাগাম’ [১৮] বা ‘সাগামাহ্’ এর ন্যায় (শুভ্র) ছিল। সে সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে তার গৃহের নারীদের নিকট নিয়ে যেতে নির্দেশ করলেন, অথবা (বর্ণনা সন্দেহ, বর্ণনাকারী বলেছেন) তাঁকে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেয়া হলো এবং তিনি বললেন, এ (সাদা রং) টিকে কোন কিছু দিয়ে পাল্টিয়ে দাও। (ই.ফা. ৫৩৩০, ই.সে. ৫৩৪৭)
[১৮] — (সাগাম) ও — (সাগামাহ্) এক প্রকার সাদা ঘাস কিংবা গাছ ও ফুল। যেমন আমাদের দেশের কাশফুল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪০২
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أُتِيَ بِأَبِي قُحَافَةَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَرَأْسُهُ وَلِحْيَتُهُ كَالثَّغَامَةِ بَيَاضًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ غَيِّرُوا هَذَا بِشَىْءٍ وَاجْتَنِبُوا السَّوَادَ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাক্কাহ্ বিজয়ের দিবসে আবূ কুহাফাহ্ (রাঃ) কে নিয়ে আসা হলো; তাঁর চুল-দাড়ি ছিল ‘সাগামা’র ন্যায় শুভ্র। সে সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, একে একটা কিছু দিয়ে পাল্টে দাও; তবে কালো রং থেকে বিরত থাকবে। (ই.ফা. ৫৩৩১, ই.সে. ৫৩৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৫. অধ্যায়ঃ
খিযাব লাগিয়ে ইয়াহূদীদের বিপরীত করা
৫৪০৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى لاَ يَصْبُغُونَ فَخَالِفُوهُمْ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারারা খিযাব লাগায় না। অতএব তোমরা তাদের বিপরীত করবে। (ই.ফা. ৫৩৩২, ই.সে. ৫৩৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬. অধ্যায়ঃ
প্রাণীর ছবি হারাম, বিছানা ইত্যাদিতে অপদস্ত করা ছাড়া প্রাণীর ছবিযুক্ত জিনিস ব্যবহার করা হারাম; যে বাড়িতে কুকুর ও ছবি থাকে সেখানে ফেরেশ্তারা প্রবেশ করেন না
৫৪০৪
حَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ وَاعَدَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فِي سَاعَةٍ يَأْتِيهِ فِيهَا فَجَاءَتْ تِلْكَ السَّاعَةُ وَلَمْ يَأْتِهِ وَفِي يَدِهِ عَصًا فَأَلْقَاهَا مِنْ يَدِهِ وَقَالَ ” مَا يُخْلِفُ اللَّهُ وَعْدَهُ وَلاَ رُسُلُهُ ” . ثُمَّ الْتَفَتَ فَإِذَا جِرْوُ كَلْبٍ تَحْتَ سَرِيرِهِ فَقَالَ ” يَا عَائِشَةُ مَتَى دَخَلَ هَذَا الْكَلْبُ هَا هُنَا ” . فَقَالَتْ وَاللَّهِ مَا دَرَيْتُ . فَأَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ فَجَاءَ جِبْرِيلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَاعَدْتَنِي فَجَلَسْتُ لَكَ فَلَمْ تَأْتِ ” . فَقَالَ مَنَعَنِي الْكَلْبُ الَّذِي كَانَ فِي بَيْتِكَ إِنَّا لاَ نَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةٌ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জিব্রীল (‘আঃ) কোন এক নির্দিষ্ট সময়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসার অঙ্গীকার করলেন। তবে ঠিক সময়ে তিনি আসলেন না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাতে একটি লাঠি ছিল তিনি তা হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, আল্লাহ তো তাঁর অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না; তাঁর রসূলগণও না। তারপর তিনি ভালভাবে তাঁর খাটের তলায় একটি কুকুর শাবক লক্ষ্য করলেন। সে সময় তিনি বললেন, হে আয়িশাহ্! কুকুর (ছানা) টি এখানে প্রবেশ করলো কখন? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্র শপথ! আমি এ ব্যাপারে অজ্ঞাত। সে সময় তিনি নির্দেশ দিলেন সেটিকে বের করে দেয়া হলো এমন সময় জিব্রীল (‘আঃ) আসলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আপনি আমাকে অঙ্গীকার করেছিলেন, তাই আমি আপনার অপেক্ষায় বসে ছিলাম কিন্তু আপনি আসলেন না। তিনি বললেন, আপনার গৃহে (অবস্থানরত) কুকুরটি আমার জন্য বাধা স্বরূপ ছিল। কেননা যে গৃহে কোন ছবি অথবা কুকুর থাকে, সে গৃহের ভিতরে আমরা (রহমতের ফেরেশতারা) যাই না। (ই.ফা. ৫৩৩৩, ই.সে. ৫৩৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪০৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ أَبِي، حَازِمٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ جِبْرِيلَ، وَعَدَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْتِيَهُ . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَلَمْ يُطَوِّلْهُ كَتَطْوِيلِ ابْنِ أَبِي حَازِمٍ .
আবূ হাযিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে বর্ণনা করেন যে, জিব্রীল (‘আঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসার অঙ্গীকার করেছিলেন। … অতঃপর তিনি হাদীস শেষ পর্যন্ত উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি রাবী ‘আবদুল ‘আযীয ইবনু আবূ হাযিম (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মতো তার বর্ণনা এত লম্বা করেননি। (ই.ফা. ৫৩৩৪, ই.সে. ৫৩৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪০৬
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ السَّبَّاقِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي مَيْمُونَةُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَصْبَحَ يَوْمًا وَاجِمًا فَقَالَتْ مَيْمُونَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدِ اسْتَنْكَرْتُ هَيْئَتَكَ مُنْذُ الْيَوْمِ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ جِبْرِيلَ كَانَ وَعَدَنِي أَنْ يَلْقَانِي اللَّيْلَةَ فَلَمْ يَلْقَنِي أَمَ وَاللَّهِ مَا أَخْلَفَنِي ” . قَالَ فَظَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَهُ ذَلِكَ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ وَقَعَ فِي نَفْسِهِ جِرْوُ كَلْبٍ تَحْتَ فُسْطَاطٍ لَنَا فَأَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِهِ مَاءً فَنَضَحَ مَكَانَهُ فَلَمَّا أَمْسَى لَقِيَهُ جِبْرِيلُ فَقَالَ لَهُ ” قَدْ كُنْتَ وَعَدْتَنِي أَنْ تَلْقَانِي الْبَارِحَةَ ” . قَالَ أَجَلْ وَلَكِنَّا لاَ نَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةٌ . فَأَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ فَأَمَرَ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ حَتَّى إِنَّهُ يَأْمُرُ بِقَتْلِ كَلْبِ الْحَائِطِ الصَّغِيرِ وَيَتْرُكُ كَلْبَ الْحَائِطِ الْكَبِيرِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিমর্ষ অবস্থায় সকালে উঠলেন। তখন মাইমূনাহ্ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আজকে আপনার চেহারা মুবারাক বিষন্ন দেখছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জিব্রীল (‘আঃ) আজ রাত্রে আমার সাথে সাক্ষাৎ করার অঙ্গীকার করেছিলেন, কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। জেনে রাখ আল্লাহ্র কসম! তিনি (কক্ষনো) আমার সঙ্গে ওয়া‘দা খিলাফ করেননি। পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সে দিনটি এভাবেই কাটালেন। এরপর আমাদের পর্দা (ঘেরা খাট) এর নিচে একটি কুকুর ছানার কথা তাঁর স্মরণ হলো। তিনি নির্দেশ করলে সেটি বের করে দেয়া হলো। অতঃপর তিনি তাঁর হাতে সামান্য পানি নিয়ে তা ঐ (কুকুর শাবক বসার) স্থানে ছিটিয়ে দিলেন। অতঃপর সূর্যাস্ত হলে জিব্রীল (‘আঃ) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। সে সময় তিনি তাঁকে বললেন, আপনি তো গত রাত্রে আমার সাথে সাক্ষাৎ করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে আমরা (ফেরেশ্তারা) সে সকল গৃহে প্রবেশ করি না যে সকল গৃহে কোন কুকুর থাকে। অথবা কোন (প্রাণীর) ছবি থাকে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেদিন সকাল বেলায় কুকুর নিধনের নির্দেশ দিলেন। এমনকি তিনি ছোট বাগানের (পাহারাদার) কুকুরও মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বড় বড় বাগানের কুকুরগুলোকে মুক্তি দিয়েছিলেন। (ই.ফা. ৫৩৩৫, ই.সে. ৫৩৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪০৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ يَحْيَى وَإِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةٌ ” .
আবূ তালহা (রাঃ) এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, ফেরেশতাগণ সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যে গৃহে কোন কুকুর অথবা কোন (প্রাণীর) ছবি থাকে। (ই.ফা. ৫৩৩৬, ই.সে. ৫৩৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪০৮
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةٌ ” .
আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, ফেরেশ্তারা এমন গৃহে প্রবেশ করেন না, যে গৃহে কুকুর অথবা (প্রাণীর) ছবি থাকে। (ই.ফা. ৫৩৩৭, ই.সে. ৫৩৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪০৯
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ وَذِكْرِهِ الأَخْبَارَ فِي الإِسْنَادِ .
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে ইউনুস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে সানাদের মাঝে মা‘মার (রহঃ) — এর স্থানে — লিখেছেন। (ই.ফা. ৫৩৩৮, ই.সে. ৫৩৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ لاَ تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ ” . قَالَ بُسْرٌ ثُمَّ اشْتَكَى زَيْدٌ بَعْدُ فَعُدْنَاهُ فَإِذَا عَلَى بَابِهِ سِتْرٌ فِيهِ صُورَةٌ – قَالَ – فَقُلْتُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ الْخَوْلاَنِيِّ رَبِيبِ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَلَمْ يُخْبِرْنَا زَيْدٌ عَنِ الصُّوَرِ يَوْمَ الأَوَّلِ فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ أَلَمْ تَسْمَعْهُ حِينَ قَالَ إِلاَّ رَقْمًا فِي ثَوْبٍ .
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহাবী আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফেরেশ্তারা সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যে গৃহে কোন ছবি থাকে।
বর্ণনাকারী বুস্র (রহঃ) বলেন, এরপর যায়দ (রহঃ) পীড়িত হয়ে পড়লে আমরা তাঁকে দেখতে গেলাম। লক্ষ্য করলাম তাঁর দরজায় একটি পর্দা রয়েছে, যাতে ছবি রয়েছে। আমি সে সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী মাইমূনাহ্ (রাঃ) এর পালিত সন্তান ‘উবাইদুল্লাহ খাওলানী (রহঃ) কে বললাম- (পূর্বে এক দিন) ছবির বিষয়ে কি যায়দ (রহঃ) আমাদের নিকট হাদীস উল্লেখ করেছেন (আর এখন তাঁর পর্দায় ছবি!)? ‘উবাইদুল্লাহ বললেন, তুমি কি তাঁর এ কথাটি শোননি! তিনি এটাও বলেছেন যে, কোন কাপড়ে আঁকা ছবি এর আওতাভুক্ত নয়। [১৯] (ই.ফা. ৫৩৩৯, ই.সে. ৫৩৫৬)
[১৯] অধিকাংশ ‘উলামার মতে এখানে প্রাণহীন বস্তু বা দৃশ্যাদির ছবি উদ্দেশ্য করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১১
حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ بُكَيْرَ بْنَ، الأَشَجِّ حَدَّثَهُ أَنَّ بُسْرَ بْنَ سَعِيدٍ حَدَّثَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ حَدَّثَهُ وَمَعَ، بُسْرٍ عُبَيْدُ اللَّهِ الْخَوْلاَنِيُّ أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ ” . قَالَ بُسْرٌ فَمَرِضَ زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ فَعُدْنَاهُ فَإِذَا نَحْنُ فِي بَيْتِهِ بِسِتْرٍ فِيهِ تَصَاوِيرُ فَقُلْتُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ الْخَوْلاَنِيِّ أَلَمْ يُحَدِّثْنَا فِي التَّصَاوِيرِ قَالَ إِنَّهُ قَالَ إِلاَّ رَقْمًا فِي ثَوْبٍ أَلَمْ تَسْمَعْهُ قُلْتُ لاَ . قَالَ بَلَى قَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ .
আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ফেরেশ্তারা সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যে গৃহে কোন ছবি রয়েছে।
রাবী বুসর (রহঃ) বলেন, যায়দ ইবনু খালিদ (রহঃ) পীড়িত হলে, আমরা তাঁকে দেখতে গেলাম। সে সময় আমরা তাঁর ঘরে একটি পর্দায় অনেক ছবি আছে দেখতে পেলাম। সে সময় আমি ‘উবাইদুল্লাহ খাওলানী (রহঃ) কে বললাম, তিনি কি ছবির ব্যাপারে আমাদের কাছে হাদীস উল্লেখ করেননি? উত্তরে বললেন, তিনি বলেছিলেন- তবে কাপড়ে আঁকা ছবি। তুমি কি তা শুনতে পাওনি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, অবশ্যই তিনি বলেছিলেন। (ই.ফা. ৫৩৪০, ই.সে. ৫৩৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ سَعِيدِ، بْنِ يَسَارٍ أَبِي الْحُبَابِ مَوْلَى بَنِي النَّجَّارِ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تَمَاثِيلُ ” .
আবূ তালহা আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, ফেরেশ্তারা সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যে গৃহে কোন কুকুর অথবা কোন মুর্তি থাকে। (ই.ফা. ৫৩৪১, ই.সে. ৫৩৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১৩
قَالَ فَأَتَيْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ إِنَّ هَذَا يُخْبِرُنِي أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تَمَاثِيلُ ” . فَهَلْ سَمِعْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ ذَلِكَ فَقَالَتْ لاَ وَلَكِنْ سَأُحَدِّثُكُمْ مَا رَأَيْتُهُ فَعَلَ رَأَيْتُهُ خَرَجَ فِي غَزَاتِهِ فَأَخَذْتُ نَمَطًا فَسَتَرْتُهُ عَلَى الْبَابِ فَلَمَّا قَدِمَ فَرَأَى النَّمَطَ عَرَفْتُ الْكَرَاهِيَةَ فِي وَجْهِهِ فَجَذَبَهُ حَتَّى هَتَكَهُ أَوْ قَطَعَهُ وَقَالَ ” إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَأْمُرْنَا أَنْ نَكْسُوَ الْحِجَارَةَ وَالطِّينَ ” . قَالَتْ فَقَطَعْنَا مِنْهُ وِسَادَتَيْنِ وَحَشَوْتُهُمَا لِيفًا فَلَمْ يَعِبْ ذَلِكَ عَلَىَّ .
রাবী [যায়দ ইবনু খালিদ (রহঃ)] থেকে বর্ণিতঃ
অতঃপর আমি ‘আয়িশা (রাঃ) এর কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলাম, ইনি (আবু তালহা) আমাকে বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ফেরেশ্তারা সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যে গৃহে কোন কুকুর অথবা মুর্তি থাকে। আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এ সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেন, না। কিন্তু আমি যা করতে তাঁকে দেখেছি, তার বর্ণনা তোমাদের নিকটে দিচ্ছি। আমি তাঁকে লক্ষ্য করেছি, তিনি (কোন) জিহাদে বেরিয়ে গেলেন। সে সময় আমি একটি পাতলা নরম শাল জোগাড় করলাম এবং তা দ্বারা দরজার পর্দা তৈরি করলাম। তিনি প্রত্যাবর্তন করে যখন চাদরটি প্রত্যক্ষ করলেন, তখন তাঁর চেহারায় আমি বিমর্ষভাব লক্ষ্য করলাম। তিনি তা টেনে নামিয়ে ফেললেন; এমনকি তা ছিঁড়ে ফেললেন কিংবা টুকরো করে ফেললেন। আর বললেন, মহান আল্লাহ আমাদেরকে পাথর অথবা মাটিকে বস্ত্র পরানোর নির্দেশ দেননি। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা চাদরটি কেটে দু’টি বালিশ তৈরি করলাম এবং সে দু’টির অভ্যন্তরে খেজুর বৃক্ষের আঁশ ঢুকিয়ে দিলাম। তাতে তিনি আমাকে আর দোষারোপ করলেন না। (ই.ফা. ৫৩৪১, ই.সে. ৫৩৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১৪
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ لَنَا سِتْرٌ فِيهِ تِمْثَالُ طَائِرٍ وَكَانَ الدَّاخِلُ إِذَا دَخَلَ اسْتَقْبَلَهُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ حَوِّلِي هَذَا فَإِنِّي كُلَّمَا دَخَلْتُ فَرَأَيْتُهُ ذَكَرْتُ الدُّنْيَا ” . قَالَتْ وَكَانَتْ لَنَا قَطِيفَةٌ كُنَّا نَقُولُ عَلَمُهَا حَرِيرٌ فَكُنَّا نَلْبَسُهَا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের একটি পর্দা ছিল। এতে পাখীর ছবি ছিল। আর (গৃহে) প্রবেশকারীর প্রবেশের সময় তা তার সম্মুখে পড়ত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, এটি দূরে রেখ। কারণ যতবার আমি প্রবেশ করি এবং তা দেখি ততবার আমি ইহকাল স্মরণ করেছি। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আর আমাদের একটি পশমী চাদর ছিল। আমরা দেখতাম যে, এটির কারুকার্য ছিল রেশমের। আমরা সেটি ব্যবহার করতাম। (ই.ফা. ৫৩৪২, ই.সে. ৫৩৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১৫
حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَعَبْدُ الأَعْلَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى وَزَادَ فِيهِ – يُرِيدُ عَبْدَ الأَعْلَى – فَلَمْ يَأْمُرْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَطْعِهِ .
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু আবূ ‘আদী ও ‘আবদুল আ‘লা (রহঃ) হতে উক্ত সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু ইবনুল মুসান্না (রাঃ) বলেছেন, এ সূত্রে তিনি অর্থাৎ -‘আবদুল আ‘লা বর্ধিত করে বলেছেন, “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের তা কর্তন করার নির্দেশ দেননি।” (ই.ফা. ৫৩৪২, ই.সে. ৫৩৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ سَفَرٍ وَقَدْ سَتَّرْتُ عَلَى بَابِي دُرْنُوكًا فِيهِ الْخَيْلُ ذَوَاتُ الأَجْنِحَةِ فَأَمَرَنِي فَنَزَعْتُهُ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন। আমি দরজায় একটি আঁচলযুক্ত মসৃণ পর্দা ঝুলিয়ে দিলাম, তাতে পাখাযুক্ত ঘোড়া (এর ছবি) ছিল। তিনি আমাকে নির্দেশ করলেন। সে সময় আমি তা খুলে ফেললাম। (ই.ফা. ৫৩৪৩, ই.সে. ৫৩৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، ح وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ عَبْدَةَ قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ .
ওয়াকী’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্ত ‘আবদার হাদীসে ‘সফর হতে ফিরে আসলেন’ কথাটি নেই। (ই.ফা. ৫৩৪৪, ই.সে. ৫৩৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১৮
حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ، بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مُتَسَتِّرَةٌ بِقِرَامٍ فِيهِ صُورَةٌ فَتَلَوَّنَ وَجْهُهُ ثُمَّ تَنَاوَلَ السِّتْرَ فَهَتَكَهُ ثُمَّ قَالَ “ إِنَّ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الَّذِينَ يُشَبِّهُونَ بِخَلْقِ اللَّهِ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট (হুজরায়) আসলেন। সে সময় আমি একটি মসৃণ বস্ত্রের পর্দা লাগিয়ে রেখেছিলাম, যাতে কোন ছবি ছিল। যার দরুন তার চেহারা বিমর্ষ হয়ে গেল। অতঃপর তিনি পর্দাটি হাতে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেললেন; তারপর বললেনঃ কিয়ামতের দিবসে ভয়ঙ্কর শাস্তি ভোগকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ওরাও থাকবে, যার আল্লাহ্র সৃষ্টির সাথে তুলনা কার্যে অগ্রসর হয়। (ই.ফা. ৫৩৪৫, ই.সে. ৫৩৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪১৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا . بِمِثْلِ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ثُمَّ أَهْوَى إِلَى الْقِرَامِ فَهَتَكَهُ بِيَدِهِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর [আয়িশাহ্ (রাঃ-এর] ঘরে ঢুকলেন। … পরবর্তী অংশ ইব্রাহীম ইবনু সা’দ (রহঃ) এর হাদীসের অবিকল। তবে ইউনুস বলেছেন, তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্দার দিকে ঝুঁকলেন এবং তাঁর হাত দ্বারা তা টুকরো টুকরো করে ফেললেন। (ই.ফা. ৫৩৪৬, ই.সে. ৫৩৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২০
حَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِي حَدِيثِهِمَا “ إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا ” . لَمْ يَذْكُرَا مِنْ .
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তবে ইবনু ‘উয়াইনাহ্ (রহঃ) এবং মা’মার (রহঃ) এর হাদীসে বর্ণিত আছে [আরবী] তারা [আরবী] (অর্থ একই) বলেননি। (ই.ফা. ৫৩৪৭, ই.সে. ৫৩৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، تَقُولُ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ سَتَرْتُ سَهْوَةً لِي بِقِرَامٍ فِيهِ تَمَاثِيلُ فَلَمَّا رَآهُ هَتَكَهُ وَتَلَوَّنَ وَجْهُهُ وَقَالَ “ يَا عَائِشَةُ أَشَدُّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الَّذِينَ يُضَاهُونَ بِخَلْقِ اللَّهِ ” . قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَطَعْنَاهُ فَجَعَلْنَا مِنْهُ وِسَادَةً أَوْ وِسَادَتَيْنِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট আসলেন, সে সময় আমি আমার একটি তাক পর্দা দিয়ে ঢেকে রেখেছিলাম, যার মধ্যে ছবি ছিল। তিনি সেটি দেখতে পেয়ে ছিঁড়ে ফেললেন এবং তাঁর চেহারা বিমর্ষ হয়ে গেল। তিনি বললেন, হে ‘আয়িশাহ্! কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলার নিকট ঐ সমস্ত ব্যক্তি ভয়ঙ্কর শাস্তি আস্বাদন করবে, যারা আল্লাহ্র সৃষ্টির অনুরূপ সৃষ্টি করে।
‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা সে সময় সেটি কেটে ফেললাম এবং সেটা দ্বারা একটা বা দু’টো বালিশ তৈরি করলাম। (ই.ফা. ৫৩৪৮, ই.সে. ৫৩৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الْقَاسِمِ قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهُ كَانَ لَهَا ثَوْبٌ فِيهِ تَصَاوِيرُ مَمْدُودٌ إِلَى سَهْوَةٍ فَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي إِلَيْهِ فَقَالَ “ أَخِّرِيهِ عَنِّي ” . قَالَتْ فَأَخَّرْتُهُ فَجَعَلْتُهُ وَسَائِدَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর এক টুকরো কাপড় ছিল, যার মধ্যে নানা রকম ছবি ছিল এবং তা একটি তাকের উপর ঝুলানো ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেদিকে সলাত আদায় করতেন। সে সময় তিনি বললেন, এটি আমার সম্মুখ হতে সরিয়ে নাও। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, সে সময় আমি সেটি সরিয়ে ফেললাম এবং (পরে) সেটি দ্বারা কয়েকটি বালিশ তৈরি করে নিলাম। (ই.ফা. ৫৩৪৯, ই.সে. ৫৩৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২৩
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَامِرٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبْرَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، جَمِيعًا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম ও ‘উক্বাহ্ ইবনু মুকরাম (রহঃ) সা’ঈদ ইবনু ‘আমির (রহঃ) হতে; অন্য সানাদে ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) আবূ ‘আমির ‘আকাদী হতে, দু’জনে শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৫০, ই.সে. ৫৩৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَىَّ وَقَدْ سَتَرْتُ نَمَطًا فِيهِ تَصَاوِيرُ فَنَحَّاهُ فَاتَّخَذْتُ مِنْهُ وِسَادَتَيْنِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার গৃহে প্রবেশ করলেন। আমি সে সময় একটা মসৃণ চাদর দ্বারা পর্দা তৈরি করেছিলাম, যাতে অনেক ছবি ছিল। তিনি সেটি সরিয়ে ফেললেন। পরে আমি তা দিয়ে দু’টি বালিশ তৈরি করলাম। (ই.ফা. ৫৩৫১, ই.সে. ৫৩৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২৫
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا نَصَبَتْ سِتْرًا فِيهِ تَصَاوِيرُ فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَزَعَهُ قَالَتْ فَقَطَعْتُهُ وِسَادَتَيْنِ . فَقَالَ رَجُلٌ فِي الْمَجْلِسِ حِينَئِذٍ يُقَالُ لَهُ رَبِيعَةُ بْنُ عَطَاءٍ مَوْلَى بَنِي زُهْرَةَ أَفَمَا سَمِعْتَ أَبَا مُحَمَّدٍ يَذْكُرُ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْتَفِقُ عَلَيْهِمَا قَالَ ابْنُ الْقَاسِمِ لاَ . قَالَ لَكِنِّي قَدْ سَمِعْتُهُ . يُرِيدُ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ .
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একটি পর্দা লটকালেন, তাতে বহু ছবি ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রবেশ করে তা ছিঁড়ে ফেলে দিলেন। তিনি [‘আয়িশাহ্ (রাঃ)] বলেন, আমি সেটি টুকরো টুকরো করে দু’টি বালিশ তৈরি করলাম। সে সময় বানূ যুহরার মাওলা, রাবী‘আহ্ ইবনু ‘আতা নামে পরিচিত সভায় উপবিস্ট জনৈক লোক বললেন, আপনি কি আবূ মুহাম্মাদকে এ কথা বর্ণনা করতে শুনেননি যে,‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, তারপরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে (বালিশ) দু’টিতে হেলান দিতেন। ইবনু কাসিম (রহঃ) বললেন, না।
তবে আমি কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর নিকটেই এ কথা শুনেছি। (ই.ফা. ৫৩৫২, ই.সে. ৫৩৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا اشْتَرَتْ نُمْرَقَةً فِيهَا تَصَاوِيرُ فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ عَلَى الْبَابِ فَلَمْ يَدْخُلْ فَعَرَفْتُ أَوْ فَعُرِفَتْ فِي وَجْهِهِ الْكَرَاهِيَةُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ فَمَاذَا أَذْنَبْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا بَالُ هَذِهِ النُّمْرُقَةِ ” . فَقَالَتِ اشْتَرَيْتُهَا لَكَ تَقْعُدُ عَلَيْهَا وَتَوَسَّدُهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُونَ وَيُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ ” . ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ الصُّوَرُ لاَ تَدْخُلُهُ الْمَلاَئِكَةُ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একটি বসার গদি ক্রয় করলেন, তাতে বহু ছবি ছিল। তা দেখে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দরজায় (ঘরে না ঢুকে) দাঁড়িয়ে রইলেন। আমি তাঁর মুখমন্ডলে অপছন্দের বিষণ্ণতা দেখলাম- অথবা বর্ণনাকারী বলেছেন, তাঁর অবয়বে বিমর্ষতার সাদৃশ্য প্রত্যক্ষ হলো। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নিকট তাওবাহ্ করছি। কিন্ত আমি কি অন্যায় করেছি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ গদির বিষয় কি? তিনি বললেন, আপনার জন্য আমি এটি ক্রয় করেছি, আপনি তাতে বসবেন এবং তাতে হেলান দিবেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব ছবি তৈরিকারীদের (শাস্তি) দেয়া হবে এবং তাদের বলা হবে- তোমরা যা তৈরি করেছো তা জ্যান্ত করো। অতঃপর বললেন, যে গৃহে ছবি থাকে, সেখানে ফেরেশ্তা প্রবেশ করে না (ঢুকেন না)। (ই.ফা. ৫৩৫৩, ই.সে. ৫৩৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২৭
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ الْخُزَاعِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَخِي، الْمَاجِشُونِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَبَعْضُهُمْ أَتَمُّ حَدِيثًا لَهُ مِنْ بَعْضٍ . وَزَادَ فِي حَدِيثِ ابْنِ أَخِي الْمَاجِشُونِ قَالَتْ فَأَخَذْتُهُ فَجَعَلْتُهُ مِرْفَقَتَيْنِ فَكَانَ يَرْتَفِقُ بِهِمَا فِي الْبَيْتِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কিন্ত তাদের একজনের হাদীস অন্যজনের হাদীসের তুলনায় পরিপূর্ণ। ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) তাঁর হাদীসে বর্ধিত বর্ণনা করেন যে,‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, তা দিয়ে তাঁকে আমি দু’টি হেলানো বালিশ তৈরি করে দিলাম। তিনি ঘরে সে দু’টিতে হেলান দিতেন। (ই.ফা. ৫৩৫৪, ই.সে. ৫৩৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – جَمِيعًا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা ছবি প্রস্তত করে, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে আর বলা হবে, তোমরা যা তৈরি করেছো তাকে জীবিত করো। (ই.ফা. ৫৩৫৫, ই.সে. ৫৩৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪২৯
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا الثَّقَفِيُّ، كُلُّهُمْ عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ‘উবাইদুল্লাহ সানাদে ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের হুবুহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৫৬, ই.সে. ৫৩৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، الأَشَجُّ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُونَ ” . وَلَمْ يَذْكُرِ الأَشَجُّ إِنَّ .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই কিয়ামাতের দিবসে মানুষের মধ্যে (কঠিন) শাস্তি ভোগকারী হবে ছবি তৈরিকারীরা। তবে আশাজ্জ (রহঃ) [আরবী] (অবশ্যই) শব্দটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৩৫৭, ই.সে. ৫৩৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِي رِوَايَةِ يَحْيَى وَأَبِي كُرَيْبٍ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، “ إِنَّ مِنْ أَشَدِّ أَهْلِ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَذَابًا الْمُصَوِّرُونَ ” . وَحَدِيثُ سُفْيَانَ كَحَدِيثِ وَكِيعٍ .
আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন কিন্ত ইয়াহ্ইয়া ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) আবূ মু’আবিয়াহ্ (রহঃ) এর সানাদে বর্ণিত রয়েছে, অবশ্যই কিয়ামতের দিবসে জাহান্নামবাসীদের কঠিনরূপে শাস্তি ভোগকারীদের মধ্যে থাকবে ছবি অঙ্কনকারীরা।
আর সুফ্ইয়ান (রহঃ) এর হাদীস বর্ণনাকারী ওয়াকি‘ (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীসের অবিকল। (ই.ফা. ৫৩৫৮, ই.সে. ৫৩৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩২
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صُبَيْحٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ مَسْرُوقٍ فِي بَيْتٍ فِيهِ تَمَاثِيلُ مَرْيَمَ . فَقَالَ مَسْرُوقٌ هَذَا تَمَاثِيلُ كِسْرَى . فَقُلْتُ لاَ هَذَا تَمَاثِيلُ مَرْيَمَ . فَقَالَ مَسْرُوقٌ أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَشَدُّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُونَ ” .
মুসলিম ইবনু সুবায়হ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মাসরূক (রহঃ) এর সঙ্গে একটি গৃহে ছিলাম। সেখানে মারইয়াম (‘আঃ) এর (সদৃশ) মূর্তি ছিল। মাসরূক (রহঃ) বললেন, এটি (পারস্য বাদশাহ) কিসরা’র প্রতিমা। আমি বললাম, না; এটি মারইয়াম (‘আঃ) এর প্রতিমা (সদৃশ)। সে সময় মাসরূক (রহঃ) বললেন, শুনো! আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিবসে ভয়ঙ্কররূপে শাস্তি ভোগকারী হবে ছবি প্রস্ততকারীরা। (ই.ফা. ৫৩৫৯, ই.সে. ৫৩৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩৩
قَالَ مُسْلِمٌ قَرَأْتُ عَلَى نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ إِنِّي رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِي فِيهَا . فَقَالَ لَهُ ادْنُ مِنِّي . فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ادْنُ مِنِّي . فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ ” . وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ . فَأَقَرَّ بِهِ نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ .
সা’ঈদ ইবনু আবুল হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জৈনিক লোক ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর নিকট এসে বলল, আমি এসব ছবি অঙ্কন করে থাকি; তাই এ ব্যাপারে আপনি আমাকে ‘ফাতাওয়া’ দিন। তিনি বললেন, তুমি আমার কাছে এসো। সে তাঁর নিকটে এলে তিনি বললেন, (আরও) নিকটে এসো। সে (আরও) নিকটে এলো। পরিশেষে তিনি তার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট যা শুনেছি, তা তোমাকে বলছি। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক ছবি প্রস্ততকারী জাহান্নামের অধিবাসী হবে। তার তৈরিকৃত প্রতিটি ছবিতে জীবন দেয়া হবে, সে সময় জাহান্নামে তাকে ঐগুলো ‘আযাব দিতে থাকবে। তিনি আরও বললেন, তোমাকে একান্তই যদি (তা) করতে হয়, তাহলে গাছ (পালা) এবং যার জীবন নেই, সে সব বস্তর (ছবি) প্রস্তত করো।
[ইমাম মুসলিম (রহঃ) এ হাদীস পড়ে শুনালে] নাস্র ইবনু ‘আলী (রহঃ) তার অনুমতি দিলেন। (ই.ফা. ৫৩৫৯, ই.সে. ৫৩৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَجَعَلَ يُفْتِي وَلاَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى سَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنِّي رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ . فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ ادْنُهْ . فَدَنَا الرَّجُلُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ صَوَّرَ صُورَةً فِي الدُّنْيَا كُلِّفَ أَنْ يَنْفُخَ فِيهَا الرُّوحَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَيْسَ بِنَافِخٍ ” .
নাযর ইবনু আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি (অনেক বিষয়) ফাতাওয়া দিতে লাগলেন, কিন্তু (কোন ফাতাওয়ায়) এ কথা বলেননি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পরিশেষে জনৈক লোক তাঁকে প্রশ্ন করলে সে বলল, আমি এসব (প্রাণীর) ছবি তৈরি করে থাকি। তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাকে বললেন, কাছে এসো। ব্যক্তিটি নিকটে আসলো। তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, দুনিয়াতে যে লোক (প্রাণীর) ছবি অঙ্কন করে, কিয়ামাতের দিন তাতে প্রাণ ফুঁকে দিতে তাকে বাধ্য করা হবে। অথচ সে (তা) ফুঁকে দিতে পারবে না। (ই.ফা. ৫৩৬০, ই.সে. ৫৩৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ . فَذَكَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
নাসর ইবনু আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক লোক ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর নিকটে আসলো। … অতঃপর তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবুহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৬১, ই.সে. ৫৩৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي دَارِ مَرْوَانَ فَرَأَى فِيهَا تَصَاوِيرَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذَهَبَ يَخْلُقُ خَلْقًا كَخَلْقِي فَلْيَخْلُقُوا ذَرَّةً أَوْ لِيَخْلُقُوا حَبَّةً أَوْ لِيَخْلُقُوا شَعِيرَةً ” .
আবূ যুর‘আহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) এর সঙ্গে (খলীফা) মাওয়ানের গৃহে ঢুকলাম। সেখানে তিনি বহু ছবি প্রত্যক্ষ করে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “সে লোকের চেয়ে অধিকতর অত্যাচারী আর কে আছে, যে আমার সৃষ্টি সমতুল্য মাখলূক সৃষ্টি করতে চায়; (যদি তাই হয়) তাহলে তারা একটি (অনুভূতিশীল) বিন্দু সৃষ্টি করুক? কিংবা তারা (খাদ্য প্রাণ ও স্বাদযুক্ত) একটি শস্যদানা সৃষ্টি করে দেখাক? কিংবা তারা একটি মাত্র যব (এর দানা) সৃষ্টি করুক? (ই.ফা. ৫৩৬২, ই.সে. ৫৩৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩৭
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو هُرَيْرَةَ دَارًا تُبْنَى بِالْمَدِينَةِ لِسَعِيدٍ أَوْ لِمَرْوَانَ . قَالَ فَرَأَى مُصَوِّرًا يُصَوِّرُ فِي الدَّارِ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ ” أَوْ لِيَخْلُقُوا شَعِيرَةً ” .
আবূ যুর‘আহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) সা‘ঈদ অথবা মারওয়ানের জন্য মদীনায় নির্মাণাধীন একটি ঘরে ঢুকলাম। বর্ণনাকারী বলেন, সে সময় তিনি [আবূ হুরায়রা্ (রাঃ)] প্রত্যক্ষ করলেন যে, একজন অঙ্কনকারী ঘরের দেয়ালগুলোতে (বিভিন্ন) চিত্র আঁকছে। তখন তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপরোক্ত হাদীসের হুবহু বলেছেন। কিন্তু তিনি “তারা একটি (মাত্র) যবদানা সৃষ্টি করুক” অংশটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৩৬২, ই.সে. ৫৩৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ تَمَاثِيلُ أَوْ تَصَاوِيرُ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সে ঘরে ফেরেশ্তাগণ প্রবেশ করেন না, যে ঘরে ছবি রয়েছ। (ই.ফা. ৫৩৬৩, ই.সে. ৫৩৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭. অধ্যায়ঃ
ভ্রমণে কুকুর ও ঘণ্টা রাখা মাকরূহ
৫৪৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ – حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَصْحَبُ الْمَلاَئِكَةُ رُفْقَةً فِيهَا كَلْبٌ وَلاَ جَرَسٌ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (রাহ্মাতের) ফেরেশ্তারা সে সফরকারী দলের সঙ্গে অবস্থান করেন না, যাতে কোন কুকুর বা ঘণ্টা থাকে। (ই.ফা. ৫৩৬৪, ই.সে. ৫৩৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৪০
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – كِلاَهُمَا عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
সুহায়ল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৫৩৬৫, ই.সে. ৫৩৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৪১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْجَرَسُ مَزَامِيرُ الشَّيْطَانِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ঘণ্টা হলো শাইতানের বাঁশি’। (ই.ফা. ৫৩৬৬, ই.সে. ৫৩৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮. অধ্যায়ঃ
উটের গলায় ধনুকের ছিলা বা চামড়ার তারের মালা ঝুলানো মাকরূহ
৫৪৪২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبَّادِ، بْنِ تَمِيمٍ أَنَّ أَبَا بَشِيرٍ الأَنْصَارِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ – قَالَ – فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَسُولاً – قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ وَالنَّاسُ فِي مَبِيتِهِمْ – “ لاَ يَبْقَيَنَّ فِي رَقَبَةِ بَعِيرٍ قِلاَدَةٌ مِنْ وَتَرٍ أَوْ قِلاَدَةٌ إِلاَّ قُطِعَتْ ” . قَالَ مَالِكٌ أُرَى ذَلِكَ مِنَ الْعَيْنِ .
‘আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বাশীর আনসারী (রাঃ) তাকে বলেছেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন এক সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন; ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বকর (রহঃ) বলেন, আমার ধারণা হয়, তিনি (‘আব্বাদ) বলেছেন, সে সময় দলের ব্যক্তিরা তাদের রাত কাটানোর জন্য শয্যায় (ঘুমিয়ে পড়ে) ছিল, ‘নিশ্চয়ই কোন উটের গলায়’ চামড়ার তারের মালা অথবা কোন মালা না থাকে; যদি অবশিষ্ট থাকে তবে কেটে ফেলা হবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমার বিশ্বাস, তা কুলক্ষণ হতে বাঁচার জন্য (লাগানো) হত। (ই.ফা. ৫৩৬৭, ই.সে. ৫৩৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯. অধ্যায়ঃ
পশুর মুখে আঘাত করা এবং দাগ লাগানো নিষিদ্ধ
৫৪৪৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الضَّرْبِ فِي الْوَجْهِ وَعَنِ الْوَسْمِ فِي الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (প্রাণীর) মুখে আঘাত করতে এবং মুখে সেক লাগাতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৬৮, ই.সে. ৫৩৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৪৪
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، . كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ، بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন, … (উপরোক্ত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন)। (ই.ফা. ৫৩৬৯, ই.সে. ৫৩৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৪৫
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَيْهِ حِمَارٌ قَدْ وُسِمَ فِي وَجْهِهِ فَقَالَ “ لَعَنَ اللَّهُ الَّذِي وَسَمَهُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে দিয়ে একটি গাধা যাচ্ছিল, যার মুখে দাগ দেয়া হয়েছিল। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি একে দাগ লাগিয়েছে, আল্লাহ তাকে অভিসম্পাত করুন। (ই.ফা. ৫৩৭০, ই.সে. ৫৩৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৪৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ، بْنِ أَبِي حَبِيبٍ أَنَّ نَاعِمًا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ وَرَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِمَارًا مَوْسُومَ الْوَجْهِ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ قَالَ فَوَاللَّهِ لاَ أَسِمُهُ إِلاَّ فِي أَقْصَى شَىْءٍ مِنَ الْوَجْهِ . فَأَمَرَ بِحِمَارٍ لَهُ فَكُوِيَ فِي جَاعِرَتَيْهِ فَهُوَ أَوَّلُ مَنْ كَوَى الْجَاعِرَتَيْنِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখে দাগ বিশিষ্ট একটি গাধা দেখে তাতে বিরক্তিবোধ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি (ইবনু ‘আব্বাস) বলেন, আল্লাহ্র শপথ! আমি তার মুখের কিনারায় দাগ লাগাব। এরপর তিনি তাঁর একটি গাধার উপর আদেশ জারি করলেন। অতঃপর তার দু’ পাছায় দাগ দিয়ে দেয়া হলো। ফলে তিনিই হলেন পাছায় দাগ লাগানোর প্রথম ব্যক্তি (ও প্রবর্তক)। [১] (ই.ফা. ৫৩৭১, ই.সে. ৫৩৯০)
[১] নিতম্ব প্রান্তে সর্বপ্রথম দাগ লাগিয়ে ছিলেন ‘আব্বাস (রাঃ)। তবে সম্ভবতঃ এ পদ্ধতির ব্যাপক প্রচলন ঘটেছিল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর আমলের মাধ্যমে। এজন্য তাঁকে প্রথম ব্যক্তি বলা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০. অধ্যায়ঃ
মানব ছাড়া ভিন্ন প্রাণীর ক্ষেত্রে দাগ দেয়া বৈধ মুখমণ্ডল বাদ দিয়ে, যাকাত ও জিয্য়ার জানোয়ারকে দাগ দিয়ে দেয়া উত্তম
৫৪৪৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا وَلَدَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ قَالَتْ لِي يَا أَنَسُ انْظُرْ هَذَا الْغُلاَمَ فَلاَ يُصِيبَنَّ شَيْئًا حَتَّى تَغْدُوَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُحَنِّكُهُ . قَالَ فَغَدَوْتُ فَإِذَا هُوَ فِي الْحَائِطِ وَعَلَيْهِ خَمِيصَةٌ جَوْنِيَّةٌ وَهُوَ يَسِمُ الظَّهْرَ الَّذِي قَدِمَ عَلَيْهِ فِي الْفَتْحِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (আমার মা) উম্মু সুলায়ম (রাঃ) যখন বাচ্চা প্রসব করলেন তখন আমাকে বললেন, হে আনাস! এ বাচ্চাটির প্রতি খেয়াল রেখ, সকাল বেলা তুমি যতক্ষণ তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে নিয়ে না যাবে এবং তিনি কিছু চিবিয়ে তার মুখে না দিবেন (ততক্ষণ পর্যন্ত একে কিছু খাওয়ানো হবে না)। বর্ণনাকারী [আনাস (রাঃ) ] বলেন, আমি সকালে গেলাম এবং লক্ষ্য করলাম, তিনি [রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] একটি বাগানে আছেন এবং তাঁর শরীরে একটি ‘জাওয়ানিয়্যাহ্’ কালো পশমী চাদর রয়েছে এবং তিনি যুদ্ধ হতে প্রাপ্ত (গনীমাতের) উটগুলোতে চিহ্ন দিচ্ছিলেন। (ই.ফা. ৫৩৭২, ই.সে. ৫৩৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يُحَدِّثُ أَنَّ أُمَّهُ، حِينَ وَلَدَتِ انْطَلَقُوا بِالصَّبِيِّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُحَنِّكُهُ قَالَ فَإِذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي مِرْبَدٍ يَسِمُ غَنَمًا . قَالَ شُعْبَةُ وَأَكْثَرُ عِلْمِي أَنَّهُ قَالَ فِي آذَانِهَا .
হিশাম ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, যখন তাঁর মা সন্তান প্রসব করলেন, তখন তাঁরা নবজাতককে নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দরবারে গেলেন, তিনি খেজুর চিবিয়ে লালাযুক্ত খেজুর তার মুখে দেন। বর্ণনাকারী [আনাস (রাঃ)] বলেন, গিয়ে দেখলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি খোঁয়াড়ে বকরীর গায়ে দাগ লাগাচ্ছেন, (এ সানাদের অন্য বর্ণনাকারী) শু‘বাহ্ (রহঃ) বলেন, আমার দৃঢ়প্রত্যয় এই যে, তিনি (হিশাম) বলেছেন, ‘সেগুলোর কানে’ দাগ লাগাচ্ছিলেন। (ই.ফা. ৫৩৭৩, ই.সে. ৫৩৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৪৯
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ، زَيْدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ دَخَلْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِرْبَدًا وَهُوَ يَسِمُ غَنَمًا . قَالَ أَحْسِبُهُ قَالَ فِي آذَانِهَا .
শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, আমরা একটি (ছাগলের) খোঁয়াড়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে গেলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি ছাগলের শরীরে চিহ্ন দিচ্ছিলেন। বর্ণনাকারী (শু‘বাহ্) বলেন, আমি মনে করছি, তিনি (হিশাম) বলেছেন- ‘সেগুলোর কানে’- (চিহ্ন দিচ্ছিলেন)। (ই.ফা. ৫৩৭৪, ই.সে. ৫৩৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৫০
وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، وَيَحْيَى، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সানাদে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৭৪, ই.সে. ৫৩৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৫১
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ إِسْحَاقَ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ فِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمِيسَمَ وَهُوَ يَسِمُ إِبِلَ الصَّدَقَةِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাতে ‘দাগযন্ত্র’ দেখলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি সদাকার উটে দাগ লাগাচ্ছিলেন। (ই.ফা. ৫৩৭৫, ই.সে. ৫৩৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১. অধ্যায়ঃ
কাযা’ চুল কিছু কামানো কিছু ছেড়ে দেয়া মাকরূহ
৫৪৫২
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْقَزَعِ . قَالَ قُلْتُ لِنَافِعٍ وَمَا الْقَزَعُ قَالَ يُحْلَقُ بَعْضُ رَأْسِ الصَّبِيِّ وَيُتْرَكُ بَعْضٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাযা’ (চুল কিছু ছেটে কিছু রাখা) নিষেধ করেছেন। বর্ণনাকারী (‘উমার ইবনু নাফি’) বলেন, আমি নাফি’ (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, কাযা’ কি? তিনি বললেন শিশুর মাথার (চুল) কিছু কামানো এবং কিছু রেখে দেয়া। (ই.ফা. ৫৩৭৬, ই.সে. ৫৩৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَجَعَلَ التَّفْسِيرَ فِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ مِنْ قَوْلِ عُبَيْدِ اللَّهِ .
‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু উসামাহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে তিনি কাযা’ শব্দের ব্যাখ্যাটিকে ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) এর কথা বলে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৭৭, ই.সে. ৫৩৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৫৪
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُثْمَانَ الْغَطَفَانِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ نَافِعٍ، ح وَحَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنْ عُمَرَ بْنِ، نَافِعٍ بِإِسْنَادِ عُبَيْدِ اللَّهِ . مِثْلَهُ وَأَلْحَقَا التَّفْسِيرَ فِي الْحَدِيثِ .
‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সানাদে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। এরা উভয়ে ব্যাখ্যাটিকে (মূল) হাদীসের সাথে যুক্ত করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৭৮, ই.সে. ৫৩৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৫৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ، زَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السَّرَّاجِ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৭৯, ই.সে. ৫৩৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২. অধ্যায়ঃ
চলাফেরার রাস্তায় বসতে নিষেধাজ্ঞা ও পথের হক আদায় করন
৫৪৫৬
حَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ، بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ فِي الطُّرُقَاتِ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَنَا بُدٌّ مِنْ مَجَالِسِنَا نَتَحَدَّثُ فِيهَا . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” فَإِذَا أَبَيْتُمْ إِلاَّ الْمَجْلِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهُ ” . قَالُوا وَمَا حَقُّهُ قَالَ ” غَضُّ الْبَصَرِ وَكَفُّ الأَذَى وَرَدُّ السَّلاَمِ وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ ” .
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বেঁচে থাকো। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! (পথের উপরে) আমাদের মাজলিস না করে উপায় নেই, তথায় বসে আমরা (দরকারী) আলোচনা করে থাকি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিতান্তই যদি তোমাদের তা করতেই হয়, তবে রাস্তার হক আদায় করবে। তাঁরা বললেন, রাস্তায় হক কি? তিনি বললেন, দৃষ্টি নিচু করা, কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলা, সালামের উত্তর দেয়া এবং ভাল কাজের আদেশ দেয়া ও মন্দ কর্ম থেকে নিষেধ করা। (ই.ফা. ৫৩৮০, ই.সে. ৫৪০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৫৭
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَنِيُّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – كِلاَهُمَا عَنْ زَيْدِ بْنِ، أَسْلَمَ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সানাদে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৮১, ই.সে. ৫৪০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩. অধ্যায়ঃ
পরচুল সংযোজনকারিণী, সংযোজন প্রার্থিনী, মানবদেহে চিত্র অঙ্কনাকরিণী, চিত্র অঙ্কন প্রার্থিনী, ভুরুর পশম উৎপাটনকারিণী ও উৎপাটন প্রার্থিনী, দাঁতের মাঝে দর্শনীয় ফাঁকে সুষমা তৈরিকারিণী ও আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধন কারিণীদের ক্রিয়াকলাপ অবৈধ
৫৪৫৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ، الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي ابْنَةً عُرَيِّسًا أَصَابَتْهَا حَصْبَةٌ فَتَمَرَّقَ شَعْرُهَا أَفَأَصِلُهُ فَقَالَ “ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ ” .
আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার এক সদ্য বিবাহিতা মেয়ে হাম রোগে ভুগছে। এতে তার চুল ঝরে গেছে। আমি কি তাকে পরচুল লাগিয়ে দিব? তখন তিনি বললেন, পরচুল সংযোজনকারিণী ও সংযোজন প্রার্থিনীদের (মহিলাদের) আল্লাহ তা‘আলা অভিসম্পাত করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৮২, ই.সে. ৫৪০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৫৯
حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، وَعَبْدَةُ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، أَخْبَرَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ غَيْرَ أَنَّحَدِيثِهِمَا فَتَمَرَّطَ شَعْرُهَا .
হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে আবূ মু‘আবিয়াহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া রাবী ওয়াকী’ (রহঃ) ও রাবী শু‘বাহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে …… শব্দের স্থলে ….. শব্দ আছে। (উভয় শব্দের অর্থ চুল ঝরে গেছে)। (ই.ফা. ৫৩৮৩, ই.সে. ৫৪০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬০
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ امْرَأَةً، أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي زَوَّجْتُ ابْنَتِي فَتَمَرَّقَ شَعْرُ رَأْسِهَا وَزَوْجُهَا يَسْتَحْسِنُهَا أَفَأَصِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَنَهَاهَا .
আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললেন, আমার মেয়েকে আমি বিবাহ দিয়েছি, এখন (রোগাগ্রস্ত হয়ে) তার মাথার চুল ঝরে গেছে, আর তার স্বামী তাকে (যথাশীঘ্রই কাছে পাওয়া) পছন্দ করে। হে আল্লাহর রসূল! আমি কি পরচুল সংযোজন করে দিব? তিনি তাকে নিষেধ করলেন। (ই.ফা. ৫৩৮৪, ই.সে. ৫৪০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ، مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ مُسْلِمٍ، يُحَدِّثُ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ جَارِيَةً، مِنَ الأَنْصَارِ تَزَوَّجَتْ وَأَنَّهَا مَرِضَتْ فَتَمَرَّطَ شَعْرُهَا فَأَرَادُوا أَنْ يَصِلُوهُ فَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَلَعَنَ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক আনসারী মেয়ে বিয়ে করলেন। আর সে রোগাগ্রস্ত হলে তার চুল ঝরে গেল। তার পরিবারের লোকজন তাকে পরচুল লাগিয়ে দেয়ার ইচ্ছা করল। অতঃপর তারা এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট প্রশ্ন করল। তিনি তখন পরচুল সংযোজনকারিণী ও সংযোজন প্রার্থিনী মাহিলাকে অভিসম্পাত করলেন। (ই.ফা. ৫৩৮৫, ই.সে. ৫৪০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬২
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَافِعٍ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ يَنَّاقَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنَ الأَنْصَارِ زَوَّجَتِ ابْنَةً لَهَا فَاشْتَكَتْ فَتَسَاقَطَ شَعْرُهَا فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ زَوْجَهَا يُرِيدُهَا أَفَأَصِلُ شَعَرَهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لُعِنَ الْوَاصِلاَتُ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন আনসারী মহিলা তার এক মেয়েকে বিয়ে দিলেন, মেয়েটি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ল অতঃপর তার চুল উঠে গেল। অতঃপর মহিলাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, তার স্বামী তাকে এখন পেতে চায়। আমি তার চুলের সঙ্গে পরচুল লাগিয়ে দিব কি? তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কৃত্রিম চুল সংযোজনকারিণীদের লা‘নত করা হয়েছে। (ই.ফা. ৫৩৮৬, ই.সে. ৫৪০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬৩
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ” لُعِنَ الْمُوصِلاَتُ ” .
ইব্রাহীম ইবনু নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, কৃত্রিম চুল সংযোজনকারিণীদের প্রতি লা‘নাত করা হয়েছে। তাছাড়া তাঁর বর্ননায় ……. (এ কাজে সাহায্যকারীদের লা‘নাত দেয়া হয়েছে) শব্দ রয়েছে। (ই.ফা. ৫৩৮৬, ই.সে. ৫৪০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ، بْنُ الْمُثَنَّى – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরচুল সংযোজনকারিণী ও সংযোজন প্রার্থিনী এবং মানবদেহে চিত্র অঙ্কনকারিণী ও অঙ্কন প্রার্থিনীদের অভিশাপ করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৮৭, ই.সে. ৫৪০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬৫
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ، جُوَيْرِيَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুবহু হাদীস বর্ননা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৮৭, ই.সে. ৫৪০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ – أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ وَالنَّامِصَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ . قَالَ فَبَلَغَ ذَلِكَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي أَسَدٍ يُقَالُ لَهَا أُمُّ يَعْقُوبَ وَكَانَتْ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَأَتَتْهُ فَقَالَتْ مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ لَعَنْتَ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَمَا لِيَ لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ لَقَدْ قَرَأْتُ مَا بَيْنَ لَوْحَىِ الْمُصْحَفِ فَمَا وَجَدْتُهُ . فَقَالَ لَئِنْ كُنْتِ قَرَأْتِيهِ لَقَدْ وَجَدْتِيهِ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا} فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ فَإِنِّي أَرَى شَيْئًا مِنْ هَذَا عَلَى امْرَأَتِكَ الآنَ . قَالَ اذْهَبِي فَانْظُرِي . قَالَ فَدَخَلَتْ عَلَى امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ فَلَمْ تَرَ شَيْئًا فَجَاءَتْ إِلَيْهِ فَقَالَتْ مَا رَأَيْتُ شَيْئًا . فَقَالَ أَمَا لَوْ كَانَ ذَلِكِ لَمْ نُجَامِعْهَا .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মানুষের শরীরে চিত্র অঙ্কনকারিণী ও চিত্র অঙ্কন প্রার্থিনী মহিলা, কপালে ভুরুর চুল উৎপাটনকারিণী ও উৎপাটন প্রার্থিনী এবং সৌন্দর্য সুষমা বাড়ানোর জন্যে দাঁতর মাঝে (সুদৃশ্য) ফাঁক সুষমা তৈরিকারিণী- যারা আল্লাহ্র সৃজনে বিকৃতি সাধানকারিণী- এদের আল্লাহ তা‘আলা অভিশাপ করেন। বর্ণনাকারী বললেন, বানী আসাদ গোত্রের এক মহিলার কাছে হাদীসটি পৌঁছাল যাকে উম্মু ইয়া‘কূব নামে ডাকা হয়। তিনি কুরআন পাঠ করছিলেন। অতঃপর তিনি তাঁর নিকট এসে বললেন, সে হাদীসিটি কি ধরনের, যা আপনার পক্ষ থেকে আমার নিকট পৌঁছেছে যে, অবশ্য আপনি মানুষের শরীরে চিত্র অঙ্কনকারিণী ও অঙ্কন প্রার্থিনী মহিলা ও ভুরুর পশম উৎপাটনকারিণী নারী এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য দাঁতের মাঝে দর্শনীয় ফাঁকে সুষমা তৈরিকারিণীদের- যারা আল্লাহ্র সৃষ্টিতে পরিবর্তন সাধাকারিণী-এদের অভিশাপ করেছেন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমার পক্ষে কি যুক্তি থাকতে পারে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাদের অভিশাপ দিয়েছেন, আমি সে ব্যক্তিদের অভিশাপ দিব না? অথচ তা আল্লাহ্র কিতাবে রয়েছে। অতঃপর মহিলা বললেন, মাসহাফের (আল-কুরআন) এর দু’ বাঁধাই কাগজের মধ্যবর্তী (আদ্যোপান্ত) সবটুকু আমি পড়েছি, তাতে আমি কোথাও কিছু পাইনি। অতঃপর তিনি বললেন, তুমি যদি (গভীর অভিনিবেশ সহকারে) তা পড়তে, তাহলে অবশ্যই তুমি তা পেতে। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, …………………. “আর রসূল তোমাদের নিকট যা কিছু নিয়ে আসছেন তা ধরে রাখো এবং তিনি যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন, তা তেকে দূরে থাকে”- (সূরা আলা হাশ্র ৫৯:৭) মহিলাটি বললেন, আমি নিশ্চিত যে, আপনার স্ত্রীর মধ্যে এর কোন বিষয় এখন গিয়ে দেখতে পাব। তিনি বললেন, তুমি যাও দেখো আছে কিনা। বর্ণনাকারী বললেন, এরপর মহিলা ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) এর স্ত্রীর নিকট গেলেন, তবে কিছুই দেখতে পাননি। তারপর তিনি তার নিকটে ফিরে এসে বললেন, কিছুই দেখতে পেলাম না। বর্ণনাকারী বললেন, শোন! যদি সে রকম হতো তাহলে আমরা সহবাস করতাম না। (ই.ফা. ৫৩৮৮, ই.সে. ৫৪১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَهُوَ ابْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مُفَضَّلٌ، – وَهُوَ ابْنُ مُهَلْهَلٍ – كِلاَهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ . بِمَعْنَى حَدِيثِ جَرِيرٍ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ . وَفِي حَدِيثِ مُفَضَّلٍ الْوَاشِمَاتِ وَالْمَوْشُومَاتِ .
মানসূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সানাদে জারির (রহঃ) বর্ণিত হাদীসর হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া বর্ণনাকারী সুফ্ইয়ান (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে “মানুষের শরীরে চিত্র অঙ্কনকারিণী ও অঙ্কন প্রার্থিনী” কথাটি রয়েছে এবং বর্ণনাকারী মুফায্যাল (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে “মানুষের শরীরে অঙ্কনকারিণী ও অঙ্কনকৃত মহিলারা” এ কথাটি রয়েছে। (ই.ফা. ৫৩৮৯, ই.সে. ৫৪১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬৮
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . الْحَدِيثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُجَرَّدًا عَنْ سَائِرِ الْقِصَّةِ، مِنْ ذِكْرِ أُمِّ يَعْقُوبَ .
মানসূর (রহঃ) সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত হাদীসটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। তবে তা উম্মু ইয়া‘কূব প্রসঙ্গে সব ঘটনা থেকে ভিন্ন। (ই.ফা. ৫৩৯০, ই.সে. ৫৪১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৬৯
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ – حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে (উপরোক্ত) ওদের হাদীসের হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩৯১, ই.সে. ৫৪১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৭০
وَحَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ زَجَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَصِلَ الْمَرْأَةُ بِرَأْسِهَا شَيْئًا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে মহিলা তার মাথায় কোন কিছু সংমিশ্রণ করে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ধমক দিয়েছেন। (ই.ফা. ৫৩৯২, ই.সে. ৫৪১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৭১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، عَامَ حَجَّ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَتَنَاوَلَ قُصَّةً مِنْ شَعَرٍ كَانَتْ فِي يَدِ حَرَسِيٍّ يَقُولُ يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ مِثْلِ هَذِهِ وَيَقُولُ “ إِنَّمَا هَلَكَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ حِينَ اتَّخَذَ هَذِهِ نِسَاؤُهُمْ ” .
মু‘আবিয়াহ্ ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন তিনি মিম্বারে দাঁড়িয়ে (বক্তৃতা দেয়ার সময়) একটি (নকল) চুলের খোঁপা হাতে নিয়ে, যা একজন দেহরক্ষীর হাতে ছিল, বলেছিলেন, হে মাদীনাবাসী! তোমাদের ‘আলিমগণ কোথায়? আমি শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন বস্তু হতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি বলেছেনঃ বানী ইসরাঈল ঐ সময় ধ্বংস হয়েছে, যখন তাদের স্ত্রীলোকেরা এসব ধারণ করেছে। (ই.ফা. ৫৩৯৩, ই.সে. ৫৪১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৭২
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، . بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ مَعْمَرٍ “ إِنَّمَا عُذِّبَ بَنُو إِسْرَائِيلَ ” .
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া বর্ণনাকারী মা’মার (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, “বনী ইসরাঈল সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে।” (ই.ফা. ৫৩৯৪, ই.সে. ৫৪১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَدِمَ مُعَاوِيَةُ الْمَدِينَةَ فَخَطَبَنَا وَأَخْرَجَ كُبَّةً مِنْ شَعَرٍ فَقَالَ مَا كُنْتُ أُرَى أَنَّ أَحَدًا يَفْعَلُهُ إِلاَّ الْيَهُودَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَلَغَهُ فَسَمَّاهُ الزُّورَ .
সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) যখন মদীনায় আসলেন। তখন তিনি আমাদের সামনে খুতবাহ্ দেয়ার সময় চুলের একটি খোঁপা বের করে বললেন, আমি জানতাম না যে, ইয়াহূদী ব্যতীত ভিন্ন কেউ এ কর্ম করে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এটি পৌঁছলে তিনি এটাকে ‘মিথ্যা’ (প্রতারণা) নামে আখ্যায়িত করলেন। (ই.ফা. ৫৩৯৫, ই.সে. ৫৪১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৭৪
وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ أَخْبَرَنَا مُعَاذٌ، – وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ، قَالَ ذَاتَ يَوْمٍ إِنَّكُمْ قَدْ أَحْدَثْتُمْ زِيَّ سَوْءٍ وَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الزُّورِ . قَالَ وَجَاءَ رَجُلٌ بِعَصًا عَلَى رَأْسِهَا خِرْقَةٌ قَالَ مُعَاوِيَةُ أَلاَ وَهَذَا الزُّورُ . قَالَ قَتَادَةُ يَعْنِي مَا يُكَثِّرُ بِهِ النِّسَاءُ أَشْعَارَهُنَّ مِنَ الْخِرَقِ .
সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) (একদিন) বললেন, তোমরা একটি নিকৃষ্ট বেশভুশা তৈরী করেছ। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, সে সময় একজন লোক একটি লাঠি নিয়ে আসলো যার মাথায় একটি (কৃত্রিম চুলের) খোঁপা ছিল। মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) বললেন, দেখো! এটাই মিথ্যা ও অলীক। বর্ণনাকারী কাতাদাহ্ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ- মেয়েরা তাদের চুলের পরিমাণ যেসব গোছা দিয়ে বাড়িয়ে দেখায়। (ই.ফা. ৫৩৯৬, ই.সে. ৫৪১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪. অধ্যায়ঃ
বস্ত্র পরিহিতা বিবস্ত্রা এবং আসক্তা আকর্ষণকারিণী
৫৪৭৫
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلاَتٌ مَائِلاَتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لاَ يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلاَ يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জাহান্নামবাসী দু’প্রকার মানুষ, আমি যাদের (এ পর্যন্ত) দেখিনি। একদল মানুষ, যাদের সঙ্গে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে, তা দ্বারা তারা লোকজনকে মারবে এবং একদল স্ত্রী লোক, যারা কাপড় পরিহিত উলঙ্গ, যারা অন্যদের আকর্ষণকারিণী ও আকৃষ্টা, তাদের মাথার চুলের অবস্থা উটের হেলে পড়া কুঁজের মতো। ওরা জান্নাতে যেতে পারবে না, এমনকি তার সুগন্ধিও পাবেনা অথচ এত এত দূর হতে তার সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। (ই.ফা. ৫৩৯৭, ই.সে. ৫৪১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫. অধ্যায়ঃ
পোশাক-পরিচ্ছদে মেকী সজ্জা ও যা দেয়া হয়নি এমন বিষয়ে আত্মতৃপ্তি নিষিদ্ধ
৫৪৭৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقُولُ إِنَّ زَوْجِي أَعْطَانِي مَا لَمْ يُعْطِنِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمُتَشَبِّعُ بِمَا لَمْ يُعْطَ كَلاَبِسِ ثَوْبَىْ زُورٍ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একটি মহিলা (এসে) বলেছে, হে আল্লাহর রসূল! আমার স্বামী আমাকে যা দেয়নি, আমি বলি যে, সে সে আমাকে তা (জিনিস) দিয়েছে। (এমন করা কেমন)? অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যা দেয়া হয়নি তা নিয়ে আত্মতৃপ্তি প্রকাশকারী দু’খানি মিথ্যা কাপড় পরিধানকারীর মতই। (ই.ফা. ৫৩৯৮, ই.সে. ৫৪২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৭৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ لِي ضَرَّةً فَهَلْ عَلَىَّ جُنَاحٌ أَنْ أَتَشَبَّعَ مِنْ مَالِ زَوْجِي بِمَا لَمْ يُعْطِنِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْمُتَشَبِّعُ بِمَا لَمْ يُعْطَ كَلاَبِسِ ثَوْبَىْ زُورٍ ” .
আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট সে বলল, আমার একজন সতীন আছে। আমার স্বামী যে মালপত্র আমাকে দেননি, তা দিয়ে আত্মতৃপ্তি প্রকাশ করলে আমার উপর কোন গুনাহ হবে কি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যা দেয়া হয়নি, তাতে আত্মতৃপ্তি প্রকাশকারী দু’খানি মিথ্যা বস্ত্র পরিধানকারীর মতো। (ই.ফা. ৫৩৯৯, ই.সে. ৫৪২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৪৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
হিশাম (রহঃ) সনদ থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৪০০, ই.সে. ৫৪২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস