মুসলিম সালাত অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৭২৩ – ৮৩৪

১. অধ্যায়ঃ

আযানের সূচনা

৭২৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ الْمُسْلِمُونَ حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ يَجْتَمِعُونَ فَيَتَحَيَّنُونَ الصَّلَوَاتِ وَلَيْسَ يُنَادِي بِهَا أَحَدٌ فَتَكَلَّمُوا يَوْمًا فِي ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُهُمُ اتَّخِذُوا نَاقُوسًا مِثْلَ نَاقُوسِ النَّصَارَى وَقَالَ بَعْضُهُمْ قَرْنًا مِثْلَ قَرْنِ الْيَهُودِ فَقَالَ عُمَرُ أَوَلاَ تَبْعَثُونَ رَجُلاً يُنَادِي بِالصَّلاَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا بِلاَلُ قُمْ فَنَادِ بِالصَّلاَةِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুসলিমরা মাদীনায় আসার পর একত্রিত হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সলাত আদায় করতেন। এজন্যে কেউ আযান দিত না। একদিন ব্যাপারটি নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করল। তাদের একজন বলল, নাসারাদের নাকূসের একটি অনুরূপ একটি নাকূস (ঘন্টা) ব্যবহার কর। তাদের অপরজন বলল, ইয়াহূদীদের শিঙ্গার অনুরূপ একটি শিঙ্গা ব্যবহার করে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমরা সলাতের জন্য ডাকতে একটি লোক পাঠাও না কেন? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে বিলাল! উঠো এবং সলাতের জন্যে ডাক। (ই. ফা. ৭২১, ই. সে. ৭৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অধ্যায়ঃ

আযানের শব্দগুলো দু’বার করে এবং ইকামতের শব্দগুলো একবার করে

৭২৪

حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، جَمِيعًا عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ، الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ ‏.‏ زَادَ يَحْيَى فِي حَدِيثِهِ عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ فَحَدَّثْتُ بِهِ أَيُّوبَ فَقَالَ إِلاَّ الإِقَامَةَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ)-কে আযানের শব্দ জোড় সংখ্যায় এবং ইকামাতের শব্দ বেজোড় বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইয়াহ্‌ইয়া তার বর্ণনায় ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্‌-এর সূত্রে বলেছেন, তিনি আইয়ূব (রাঃ)-এর কাছে এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি বললেন, কিন্তু ‘কাদ্‌কা- মাতিস্‌ সলা-হ্‌’ শব্দটি ব্যতীত (এটি দু’বার বলবে) বাকী শব্দগুলো একবার করে বলবে (ই. ফা. ৭২২, ই. সে. ৭৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৫

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ ذَكَرُوا أَنْ يُعْلِمُوا، وَقْتَ الصَّلاَةِ بِشَىْءٍ يَعْرِفُونَهُ فَذَكَرُوا أَنْ يُنَوِّرُوا نَارًا أَوْ يَضْرِبُوا نَاقُوسًا فَأُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (লোকেদের) সলাতের সময় জানানোর উদ্দেশে একটা কিছু নির্দিষ্ট করার জন্যে সহাবাগণ পরস্পর আলোচনা করলেন। তাঁরা বললেন, আগুন জ্বালানো হোক অথবা নাকূস (ঘন্টা) বাজানো হোক। বিলালকে আযানের শব্দগুলো দু’বার এবং ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে উচ্চারণ করার নির্দেশ দেয়া হল। (ই. ফা. ৭২৩, ই. সে. ৭৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৬

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ لَمَّا كَثُرَ النَّاسُ ذَكَرُوا أَنْ يُعْلِمُوا ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ أَنْ يُورُوا نَارًا ‏.‏

খালিদ আল হায্‌যা হতে উল্লেখিত সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

যখন লোকসংখ্যা বেড়ে গেল, সহাবাগণ সলাতের সময় জানানোর একটি উপায় খুঁজে বের করার জন্যে পরস্পর আলোচনা করলেন…… অতঃপর সাকাফী-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। এ বর্ণনায় (আরবি) শব্দের পরিবর্তে (আরবি) শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে। (অর্থাৎ “আগুন জ্বালানো হোক” উভয় শব্দের অর্থ একই)। (ই. ফা. ৭২৪, ই. সে. ৭৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৭

وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أُمِرَ بِلاَلٌ أَنْ يَشْفَعَ، الأَذَانَ وَيُوتِرَ الإِقَامَةَ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ)-কে আযান জোড় সংখ্যায় এবং ইকামাত বেজোড় সংখ্যায় বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (ই. ফা. ৭২৫, ই. সে. ৭৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অধ্যায়ঃ

আযানের বর্ণনা

৭২৮

حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، مَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَبُو غَسَّانَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَهُ هَذَا الأَذَانَ ‏”‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ – ثُمَّ يَعُودُ فَيَقُولُ – أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ – مَرَّتَيْنِ – حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ – مَرَّتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ إِسْحَاقُ ‏”‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মাহযূরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এ আযান শিক্ষা দিয়েছেনঃ “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” (আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান)। পাঠে (চারবার)। “আশহাদু আল লা-ইলা-হা-ইল্লাল্ল-হ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই), “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই)। “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল),“আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল)। আবার তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ” দু’বার। “হাইয়্যা ‘আলাস সলা-হ্‌” (সলাতের জন্য এসো) দু’বার। “হাইয়্যা ‘আলাল ফালা-হ্‌” (কল্যাণের জন্যে এসো) দু’বার। ইসহাক্‌ তার বর্ণনায় আরও দু’টি বাক্য উল্লেখ করেছেন, “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” এবং “লা-ইলা-হা ইল্লাহ-হ”। (ই. ফা. ৭২৬, ই. সে. ৭৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অধ্যায়ঃ

একই মাসজিদে দু’জন মুওয়ায্‌যিন রাখা ভাল

৭২৯

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُؤَذِّنَانِ بِلاَلٌ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দু’জন মুওয়ায্‌যিন ছিলঃ বিলাল (রাঃ) এবং অন্ধ ‘আবদুল্লাহ ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)। (ই. ফা. ৭২৭, ই. সে. ৭৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩০

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(উপরের হাদীসের) অবিকল বর্ণিত হয়েছে। (ই. ফা. ৭২৮, ই. সে. ৭৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অধ্যায়ঃ

অন্ধ ব্যক্তির সাথে চক্ষুস্মান লোক থাকলেও তার আযান দেয়া জায়িয

৭৩১

حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ مَخْلَدٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ يُؤَذِّنُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ أَعْمَى ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু মাকতূম (রাঃ) রসূল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মতিতে আযান দিতেন। তখন তিনি ছিলেন অন্ধ। (ই. ফা. ৭২৯, ই. সে. ৭৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩২

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লিখিত সানাদ পরম্পরায় হিশাম থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই. ফা. ৭৩০, ই. সে. ৭৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অধ্যায়ঃ

অমুসলিম রাষ্ট্রের (বা এলাকার) কোন জনপদে আযানের শব্দ শুনা গেলে সেখানে আক্রমণ করা নিষেধ

৭৩৩

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُغِيرُ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ وَكَانَ يَسْتَمِعُ الأَذَانَ فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلاَّ أَغَارَ فَسَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ عَلَى الْفِطْرَةِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خَرَجْتَ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ فَنَظَرُوا فَإِذَا هُوَ رَاعِي مِعْزًى ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রভাতে শত্রুর উপর আক্রমণ করতেন। তিনি আযানের শব্দ শুনার জন্যে কান পেতে অপেক্ষায় থাকতেন। তিনি আযান শুনতে পেলে আক্রমণ থেকে বিরত থাকতেন, অন্যথায় আক্রমণ করতেন। তিনি এক ব্যক্তিকে “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” বলতে শুনেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ ব্যক্তি মুসলিম। সে পুনরায় বলল, “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলে। অতঃপর লোকটির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলেন, সে মেষপালের রাখাল। (ই. ফা. ৭৩১, ই. সে. ৭৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অধ্যায়ঃ

মুওয়ায্‌যিনের আযান অনুরূপ শ্রবণকারীর বলা, নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দুরূদ পাঠ করা এবং তাঁর জন্যে ওয়াসীলাহ্‌ প্রার্থনা করা

৭৩৪

حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুওয়ায্‌যিন যা বলে তোমরা তাই-ই বল। (ই. ফা. ৭৩২, ই. সে. ৭৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، وَغَيْرِهِمَا، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا اللَّهَ لِيَ الْوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الْجَنَّةِ لاَ تَنْبَغِي إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ فَمَنْ سَأَلَ لِيَ الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা যখন মুওয়ায্‌যিনকে আযান দিতে শুন, তখন সে যা বলে তোমরা তাই বল। অতঃপর আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। কেননা, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তার উপর দশবার রহমাত বর্ষণ করেন। অতঃপর আমার জন্যে আল্লাহর কাছে ওয়াসীলাহ্‌ প্রার্থনা কর। কেননা, ‘ওয়াসীলাহ্‌’ জান্নাতের একটি সম্মানজনক স্থান। এটা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একজনকেই দেয়া হবে। আমি আশা করি, আমিই হব সে বান্দা। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আমার জন্যে ওয়াসীলাহ্‌ প্রার্থনা করবে তার জন্যে (আমার) শাফা’আত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (ই. ফা. ৭৩৩, ই. সে. ৭৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৬

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسَافٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَقَالَ أَحَدُكُمُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ ‏.‏ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ ‏.‏ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.‏

‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুওয়ায্‌যিন যখন “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” বলে তখন তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তার জবাবে বলেঃ “আল্লহু আকবার, আল্ল-হু আকবার”। যখন মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” এর জবাবে সেও বলেঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলে: আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্লা-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ্‌’। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “হাইয়্যা ‘আলাস সলা-হ্‌” এর জবাবে সে বলেঃ “লা-হাওলা ওয়ালা-কুও্‌ওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “হাইয়্যা ‘আলাল ফালা-হ্‌” এর জবাবে সে বলেঃ ““লা-হাওলা ওয়ালা-কুও্‌ওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার”এর জবাবে সে বলেঃ “আল্ল-হু আকবর, আল্ল-হু আকবার”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। আযানের এ জবাব দেয়ার কারণে সে বেহেশতে যাবে। (ই. ফা. ৭৩৪, ই. সে. ৭৪৯)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الْقُرَشِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا ‏.‏ غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ ‏”‏ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ وَأَنَا أَشْهَدُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ قُتَيْبَةُ قَوْلَهُ وَأَنَا ‏.‏

সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মুওয়ায্‌যিনের আযান শুনে যে ব্যক্তি বলে, “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্‌দাহু, লা-শারীকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু, ওয়া রসূলুহু, রাযীতু বিল্লা-হি রব্বান ওয়াবি মুহাম্মাদিন রসূলান ওয়াবিল ইসলা-মী দীনান” তার গুনাহ মাফ করা হবে। কুতাইবাহ্‌ তার হাদীসে (আরবী) শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ই. ফা. ৭৩৫, ই. সে. ৭৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অধ্যায়ঃ

আযানের ফাযীলাত এবং আযান শুনে শাইতানের পলায়ন

৭৩৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ يَدْعُوهُ إِلَى الصَّلاَةِ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الْمُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏

তাল্‌হাহ্‌ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া তার চাচার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ্‌ ইবনু আবূ সুফ্‌ইয়ান (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় মুওয়ায্‌যিন তাকে সলাতের জন্যে ডাকতে আসল। মু’আবিয়াহ্‌ (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামাতের দিন মুওয়ায্‌যিনদের গর্দান সবচেয়ে বেশি উঁচু হবে। (ই. ফা. ৭৩৬, ই. সে. ৭৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৯

وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ

‘ঈসা ইবনু তালহাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরোক্ত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৭৩৭, ই. সে. ৭৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ ذَهَبَ حَتَّى يَكُونَ مَكَانَ الرَّوْحَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الرَّوْحَاءِ ‏.‏ فَقَالَ هِيَ مِنَ الْمَدِينَةِ سِتَّةٌ وَثَلاَثُونَ مِيلاً ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ শাইতান সলাতের আযানের শব্দ শুনে পালাতে পালাতে রাওহা পর্যন্ত চলে যায়।

সুলাইমান (আ’মাশ) বলেন, আমি তাকে (আবূ সুফ্‌ইয়ানকে) রাওহা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এ স্থানটি মাদীনাহ্‌ থেকে ছত্রিশ মাইল দূরে অবস্থিত। (ই. ফা. ৭৩৮, ই. সে. ৭৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

আ’মাশ থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৭৩৯, ই. সে. নেই)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ أَحَالَ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ صَوْتَهُ فَإِذَا سَكَتَ رَجَعَ فَوَسْوَسَ فَإِذَا سَمِعَ الإِقَامَةَ ذَهَبَ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ صَوْتَهُ فَإِذَا سَكَتَ رَجَعَ فَوَسْوَسَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শাইতান যখন সলাতের আযান শুনতে পায় তখন বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালাতে থাকে যেন আযানের শব্দ তার কানে পৌঁছতে না পারে। মুওয়ায্‌যিন যখন আযান শেষ করে তখন সে ফিরে এসে (সলাত আদায়কারীর) সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। সে পুনরায় যখন ইকামাত শুনতে পায়- আবার চলে যায় যেন এর শব্দ তার কানে না যেতে পারে। যখন ইকামাত শেষ হয় তখন সে ফিরে এসে (সলাত আদায়কারীদের অন্তরে) সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। (ই. ফা. ৭৪০, ই. সে. ৭৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৩

حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ وَلَهُ حُصَاصٌ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুওয়ায্‌যিন যখন আযান দেয় তখন শাইতান পিছন ঘুরে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যায়। (ই. ফা. ৭৪১, ই. সে. ৭৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৪

حَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، قَالَ أَرْسَلَنِي أَبِي إِلَى بَنِي حَارِثَةَ – قَالَ – وَمَعِي غُلاَمٌ لَنَا – أَوْ صَاحِبٌ لَنَا – فَنَادَاهُ مُنَادٍ مِنْ حَائِطٍ بِاسْمِهِ – قَالَ – وَأَشْرَفَ الَّذِي مَعِي عَلَى الْحَائِطِ فَلَمْ يَرَ شَيْئًا فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي فَقَالَ لَوْ شَعَرْتُ أَنَّكَ تَلْقَى هَذَا لَمْ أُرْسِلْكَ وَلَكِنْ إِذَا سَمِعْتَ صَوْتًا فَنَادِ بِالصَّلاَةِ فَإِنِّي سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا نُودِيَ بِالصَّلاَةِ وَلَّى وَلَهُ حُصَاصٌ ‏”‏ ‏.‏

সুহায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে বানু হারিসাহ্‌ গোত্রের কাছে পাঠালেন। রাবী বলেন, আমার সাথে একটি বালক অথবা আমার এক সাথী ছিল। একটি বাগানের ভিতর থেকে তার নাম ধরে কে যেন তাকে ডাকল। আমার সাথী বাগানের মধ্যে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল, কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না। আমি এ ঘটনা আমার পিতার কাছে বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, আমি যদি জানতে পারতাম যে তুমি এমন অবস্থার মুখোমুখি হবে তবে তোমাকে পাঠাতাম না, কিন্তু যখন তুমি সেরূপ কোন শব্দ শুনতে পাও তখন সলাতের অনুরূপ আযান দিবে। কেননা আমি আবূ হুরায়রা্(রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ যখন সলাতের আযান দেয়া হয় শাইতান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যায়। (ই. ফা. ৭৪২, ই. সে. ৭৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ التَّأْذِينَ فَإِذَا قُضِيَ التَّأْذِينُ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلاَةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ يَقُولُ لَهُ اذْكُرْ كَذَا وَاذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ مِنْ قَبْلُ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ مَا يَدْرِي كَمْ صَلَّى ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন সলাতের আযান দেয়া হয়, শাইতান পিছন ঘুরে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালিয়ে যায় যেন আযানের শব্দ সে শুনতে না পায়। আযান শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে আসে। আবার যখন ইকামাত দেয়া হয় তখন সে পলায়ন করে। ইকামাত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে আসে এবং সলাত আদায়কারীদের মনে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করতে থাকে। সে তাকে বলে, এটা স্মরণ কর, এটা স্মরণ কর। সে কথাগুলো সলাতের আগে তার স্মরণও ছিল না। শেষ পর্যন্ত সলাত আদায়কারী দ্বিধায় পড়ে যে, সে বলতেও পারে না যে, কত রাকা’আত পড়ল। (ই. ফা. ৭৪৩, ই. সে. ৭৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ إِنْ يَدْرِي كَيْفَ صَلَّى ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ বর্ণনার শেষের অংশ নিম্নরূপঃ এমনকি লোকের খেয়ালই থাকে না যে, সে কিভাবে সলাত শেষ করল। (ই. ফা. ৭৪৪, ই. সে. ৭৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অধ্যায়ঃ

তাকবীরে তাহরীমার সময়, রুকূ’তে যাওয়ার সময় এবং রুকূ’ থেকে মাথা উঠানোর সময়, কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো (রফ’উল ইয়াদাইন) মুস্তাহাব, কিন্তু সাজদাহ্ থেকে ওঠার সময় এটা না করা মুস্তাহাব

৭৪৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ كُلُّهُمْ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ مَنْكِبَيْهِ وَقَبْلَ أَنْ يَرْكَعَ وَإِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُهُمَا بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ ‏.‏

সালিম থেকে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছি-যখন তিনি সলাত শুরু করতেন তখন উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি রুকূ’তে যাওয়ার আগে এবং রুকূ’ থেকে উঠার সময়ও এরূপ করতেন। কিন্তু তিনি দুই সাজদার মাঝখানে হাত উঠাতেন না (ই. ফা. ৭৪৫, ই. সে. ৭৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৮

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ لِلصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى تَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ وَإِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ وَلاَ يَفْعَلُهُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ ‏.‏

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন নিজের দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন, অতঃপর তাকবীর তাহরীমা বলতেন। তিনি রুকূ’তে যাওয়ার সময় এবং রুকূ’ থেকে উঠার সময়ও কাঁধ পর্যন্ত দুই (আল্ল-হু আকবার) হাত তুলতেন। কিন্তু সাজদাহ্ থেকে মাথা তোলার সময় তিনি (এরূপ) করতেন না। (ই. ফা. ৭৪৬, ই. সে. ৭৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৯

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنٌ، – وَهُوَ ابْنُ الْمُثَنَّى – حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ كَمَا قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ لِلصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى تَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ ‏.‏

যুহরী (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে ইবনু জুরায়জ (রহঃ)-এর অবিকল বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতে দাঁড়াতেন, দুই হাত কাঁধ বরাবর উঁচু করতেন, অতঃপর ‘আল্ল-হু আকবার’ বলে তাকবীরে তাহরীমা করতেন। (ই. ফা. ৭৪৭, ই. সে. ৭৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّهُ رَأَى مَالِكَ بْنَ الْحُوَيْرِثِ إِذَا صَلَّى كَبَّرَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَ يَدَيْهِ وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ هَكَذَا ‏.‏

আবূ কিলাবাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মালিক বিন হুওয়াইরিস (রাঃ)-কে দেখলেন যে, তিনি যখন রুকূ’তে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখনো উভয় হাত উত্তোলন করলেন এবং যখন রুকূ’ থেকে মাথা তুললেন তখনো হাত উত্তোলন করলেন। তিনি আরো বলেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করতেন। (ই. ফা. ৭৪৮, ই. সে. ৭৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫১

حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَالَ ‏ “‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাকবীর বলতেন, কান পর্যন্ত উভয় হাত উত্তোলন করতেন। তিনি যখন রুকূ’তে যেতেন উভয় হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করতেন। তিনি যখন রুকূ’ থেকে মাথা তুলতেন তখন “সামি’আল্ল-হ লিমান হামিদাহ” বলতেন এবং অনুরূপ (কান পর্যন্ত উভয় হাত উত্তোলন) করতেন। (ই. ফা. ৭৪৯, ই. সে. ৭৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫২

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّهُ رَأَى نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا فُرُوعَ أُذُنَيْهِ ‏.‏

কাতাদাহ্‌ (রহঃ) হতে উক্ত সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

[মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) বলেন যে,] তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কানের লতি বরাবর হাত তুলতে দেখেছেন। (ই. ফা. ৭৫০, ই. সে. ৭৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অধ্যায়ঃ

সলাতের মধ্যে ঝুঁকে পড়ার সময় এবং সোজা হয়ে উঠার সময় ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতে হবে, কিন্তু রুকূ’ থেকে উঠার সময় “সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলতে হবে

৭৫৩

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সালামাহ্‌ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্(রাঃ) তাদের সলাত আদায় করে দেখাতেন। তিনি প্রতিবার ঝুঁকে পড়ার সময় এবং সোজা হওয়ার সময় ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতেন। তিনি সলাত শেষে বলতেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের চেয়ে অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ সলাত আদায় করতে পারি। (ই. ফা. ৭৫১, ই. সে. ৭৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُولُ ‏”‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ ‏”‏ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يَفْعَلُ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا حَتَّى يَقْضِيَهَا وَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْمَثْنَى بَعْدَ الْجُلُوسِ ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ বাক্‌র ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবূ হুরায়রা্(রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতে দাঁড়াতেন ‘আল্ল-হু আকবার’ বলে সলাত শুরু করতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকূ’তে যেতেন। তিনি রুকূ’ থেকে পিঠ সোজা করে দাঁড়ানোর সময় (আরবি) (যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেন আল্লাহ তার কথা শুনে থাকেন) বলতেন। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় (আরবি) (হে আল্লাহ! তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা) বলতেন। তিনি তাকবীর সাজদাহ থেকে মাথা তোলার সময়ও তাকবীর বলতেন। প্রত্যেক রাক’আতে সলাত শেষ করা পর্যন্ত তিনি এরূপই করতেন। দ্বিতীয় রাক’আতের বসার পর ওঠার সময়ও তিনি তাকবীর বলতেন।

অতঃপর আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বললেন, আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ সলাত আদায় করতে পারি। (ই. ফা. ৭৫২, ই. সে. ৭৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৫

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنٌ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ إِنِّي أَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলে সলাত শুরু করতেন। …… উপরের (ইবনু খুরায়য-এর) হাদীসের অনুরূপ। কিন্তু এ বর্ণনায় আবূ হুরাইরার কথা, “আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ সলাত আদায় করতে পারি”- কথাটুকু উল্লেখ নেই। (ই. ফা. ৭৫৩, ই. সে. ৭৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৬

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ – حِينَ يَسْتَخْلِفُهُ مَرْوَانُ عَلَى الْمَدِينَةِ – إِذَا قَامَ لِلصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَفِي حَدِيثِهِ فَإِذَا قَضَاهَا وَسَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সালামাহ্‌ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মারওয়ান যখন আবূ হুরায়রা্(রাঃ)-কে মাদীনায় খলীফা নিযুক্ত করলেন- তিনি যখন ফরয সলাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলে শুরু করতেন। উপরের হাদীসের অনুরূপ। উক্ত হাদীসেই রয়েছে, তিনি সলাত শেষে সালাম ফিরিয়ে মাসজিদে উপস্থিত লোকেদের দিকে মুখ করে বসলেন। তিনি বললেনঃ সে সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি তোমাদের চেয়ে রসূলুল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ সলাত আদায় করতে পারি। (ই. ফা. ৭৫৪, ই. সে. ৭৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يُكَبِّرُ فِي الصَّلاَةِ كُلَّمَا رَفَعَ وَوَضَعَ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا هَذَا التَّكْبِيرُ قَالَ إِنَّهَا لَصَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্(রাঃ) সলাতের মধ্যে যখনই ঝুঁকতেন অথবা উঠতেন তাকবীর বলতেন। আমরা বললাম, হে আবূ হুরায়রা! এটা কিসের তাকবীর? তিনি বললেন, এটা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের তাকবীর। (ই. ফা. ৭৫৫, ই. সে. ৭৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ وَيُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ ‏.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি প্রতিবার উঠা-বসায় তাকবীর বলতেন। তিনি বলতেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমনই করতেন। (ই. ফা. ৭৫৬, ই. সে. ৭৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৫৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، قَالَ صَلَّيْتُ أَنَا وَعِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، خَلْفَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَكَانَ إِذَا سَجَدَ كَبَّرَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ كَبَّرَ وَإِذَا نَهَضَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ فَلَمَّا انْصَرَفْنَا مِنَ الصَّلاَةِ – قَالَ – أَخَذَ عِمْرَانُ بِيَدِي ثُمَّ قَالَ لَقَدْ صَلَّى بِنَا هَذَا صَلاَةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ أَوْ قَالَ قَدْ ذَكَّرَنِي هَذَا صَلاَةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

মুতার্‌রিফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) ‘আলী (রাঃ)-এর পিছনে সলাত আদায় করেছি। তিনি যখন সিজদায় যেতেন ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতেন, যখন সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন তখনও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতেন এবং দুই রাক’আত পূর্ণ করে (তাশাহুদ পড়ার পর) উঠার সময়ও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলতেন। আমরা যখন সলাত শেষ করলাম, ‘ইমরান (রাঃ) আমার হাত ধরে বললেন, তিনি (আলী) আমাদেরকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ সলাত আদায় করালেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বললেন, তিনি (‘আলী) আমাদেরকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। (ই. ফা. ৭৫৭, ই. সে. ৭৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১. অধ্যায়ঃ

প্রতি রাক’আতে সুরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পড়া অপরিহার্য, কেউ যদি (ভালভাবে) সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পড়তে বা শিখতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন তার সুবিধামত স্থান থেকে কিরাআত পাঠ করে নেয়

৭৬০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏”‏ ‏.‏

‘উবাইদাহ্‌ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি (সলাতে) সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করে না তার সলাত ই হয় না। (ই. ফা. ৭৫৮, ই. সে. ৭৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬১

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْتَرِئْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏

‘উবাদাহ্‌ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে উম্মুল কুরআন (সুরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌) পাঠ করে না তার সলাতই হয় না। (ই. ফা. ৭৫৯, ই. সে. ৭৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬২

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ مَحْمُودَ بْنَ الرَّبِيعِ الَّذِي، مَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَجْهِهِ مِنْ بِئْرِهِمْ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏

‘উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে লোক উম্মুল কুরআন (সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌) পাঠ করেনা তার সলাত ই হয় না। (ই. ফা. ৭৬০, ই. সে. ৭৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৩

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَزَادَ فَصَاعِدًا ‏.‏

ইসহাক্‌ ইবনু ইব্‌রাহীম এবং ‘আব্‌দ ইবনু হুমায়দ-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

অবিকল বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন ‘আবদুর রায্‌যাক। তিনি বলেন, আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন মা’মার যুহরী হতে উক্তরূপ। (ই. ফা. ৭৬১, ই. সে. নেই)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৪

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهْىَ خِدَاجٌ – ثَلاَثًا – غَيْرُ تَمَامٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنَّا نَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ ‏.‏ فَقَالَ اقْرَأْ بِهَا فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ الْعَبْدُ ‏{‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏}‏ ‏.‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى حَمِدَنِي عَبْدِي وَإِذَا قَالَ ‏{‏ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ‏}‏ ‏.‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي ‏.‏ وَإِذَا قَالَ ‏{‏ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ‏}‏ ‏.‏ قَالَ مَجَّدَنِي عَبْدِي – وَقَالَ مَرَّةً فَوَّضَ إِلَىَّ عَبْدِي – فَإِذَا قَالَ ‏{‏ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ‏}‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ ‏.‏ فَإِذَا قَالَ ‏{‏ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ‏}‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ حَدَّثَنِي بِهِ الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فِي بَيْتِهِ فَسَأَلْتُهُ أَنَا عَنْهُ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি সলাত আদায় করল অথচ তাতে উম্মুল কুরাআন (সূরাহ্‌ ফা-তিহা) পাঠ করেনি তার সলাত ত্রুটিপূর্ণ থেকে গেল, পূর্ণাঙ্গ হল না। এ কথাটা তিনবার বলেছেন। আবূ হুরায়রা্(রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে সলাত আদায় করব তখন কী করব? তিনি বললেন, তোমারা চুপে চুপে তা পড়ে নাও। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আমার এবং আমার বান্দার মাঝে আমি সলাত কে অর্ধেক অর্ধেক করে ভাগ করে নিয়েছি এবং আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়। বান্দা যখন বলে, (আরবী) (সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য), আল্লাহ তা’আলা তখন বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। সে যখন বলে, (আরবি) (তিনি অতিশয় দয়ালু এবং করুণাময়); আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ বান্দা আমার প্রশংসা করেছে, গুণগান করেছে। সে যখন বলে, (আরবি) (তিনি বিচার দিনের মালিক); তখন আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করেছে। আল্লাহ আরো বলেনঃ বান্দা তার সমস্ত কাজ আমার উপর সমর্পন করেছে। সে যখন বলে, (আরবি) (আমরা কেবল তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তখন আল্লাহ বলেনঃ এটা আমার এবং আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। (এখন) আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়। যখন সে বলে, (আরবি) আমাদের সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করুন। যেসব লোকদের আপনি নি’আমাত দান করেছেন, তাদের পথে নয় যাদের প্রতি আপনার গযব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, তখন আল্লাহ বলেনঃ এসবই আমার বান্দার জন্যে এবং আমার বান্দার জন্যে রয়েছ সে যা চায়।

সুফ্‌ইয়ান বলেন, আমি ‘আলা ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়া’কূবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে এ হাদীস বর্ণনা করে শুনান। এ সময় তিনি রোগশয্যায় ছিলেন এবং আমি তাকে দেখতে গিয়াছিলাম। ( ই. ফা. ৭৬২, ই. সে. ৭৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৫

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি (আগের হাদীসের ন্যায়)। (ই. ফা. ৭৬৩, ই. সে. ৭৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৬

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ، أَنَّ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى بَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةً فَلَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ سُفْيَانَ وَفِي حَدِيثِهِمَا ‏”‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي ‏”‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, যে ব্যক্তি সলাত আদায় করল অথচ তাতে সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করল না…… সুফ্‌ইয়ানের হাদীসের অনুরূপ। তাদের উভয়ের হাদীসে রয়েছে, মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি সলাত কে আমার ও আমার বান্দাদের মধ্যে দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছি, এর অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার। (ই. ফা. ৭৬৩, ই. সে. ৭৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৭

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُوَيْسٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْ أَبِي وَمِنْ أَبِي السَّائِبِ، وَكَانَا، جَلِيسَىْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالاَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهْىَ خِدَاجٌ ‏”‏ ‏.‏ يَقُولُهَا ثَلاَثًا بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সলাত আদায় করল, কিন্তু তাতে ফাতিহাতুল কিতাব (সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌) পাঠ করল না-তবে এ সলাত ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তাদের হাদীসের অনুরূপ। (ই. ফা. ৭৬৪, ই. সে. ৭৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِقِرَاءَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَمَا أَعْلَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْلَنَّاهُ لَكُمْ وَمَا أَخْفَاهُ أَخْفَيْنَاهُ لَكُمْ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কুরআন পাঠ ছাড়া সলাত ই হয় না। আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সলাতে কিরাআত উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করেছেন আমরাও তাতে তোমাদের জন্য উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করি। তিনি যে সলাতে চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করেছেন আমরাও তাতে তোমাদের জন্যে চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করি। (ই. ফা. ৭৬৫, ই. সে. ৭৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৯

حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو – قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي كُلِّ الصَّلاَةِ يَقْرَأُ فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى مِنَّا أَخْفَيْنَا مِنْكُمْ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ إِنْ لَمْ أَزِدْ عَلَى أُمِّ الْقُرْآنِ فَقَالَ إِنْ زِدْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ خَيْرٌ وَإِنِ انْتَهَيْتَ إِلَيْهَا أَجْزَأَتْ عَنْكَ ‏.‏

‘আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বলেছেন, সলাতের প্রতি রাক’আতে কুরআন থেকে পাঠ হবে (আমরা পাঠ করি)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সলাতে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করেছেন, আমরাও সে সলাতে তোমাদের শুনিয়ে কুরআন পাঠ করি এবং যে সলাতে চুপিসারে কুরআন পাঠ করেছেন সে সলাতে আমরাও চুপিসারে কুরআন পাঠ করি। একজন লোক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমি যদি সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌র বেশি না পড়ি তবে কি আমার সলাত যথেষ্ট হবে? তিনি বললেন, তুমি যদি সূরাহ্‌ ফাতিহার পর আরো আয়াত পাঠ কর তবে এটা তোমার জন্য কল্যাণকর আর যদি তুমি সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করেই থেমে যাও তবে সেটাও তোমার জন্য যথেষ্ট। (ই. ফা. ৭৬৬, ই. সে. ৭৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭০

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – عَنْ حَبِيبٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي كُلِّ صَلاَةٍ قِرَاءَةٌ فَمَا أَسْمَعَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى مِنَّا أَخْفَيْنَاهُ مِنْكُمْ وَمَنْ قَرَأَ بِأُمِّ الْكِتَابِ فَقَدْ أَجْزَأَتْ عَنْهُ وَمَنْ زَادَ فَهُوَ أَفْضَلُ ‏.‏

‘আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক সলাতেই কিরাআত পাঠ করতে হবে। নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সলাতে আমাদের শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করেছেন, আমরাও তাতে তোমাদের শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করি। তিনি যে সলাতে আওয়াজ না করে চুপিসারে কিরাআত পাঠ করেছেন, আমরাও তাতে তোমাদের না শুনিয়ে নিম্নস্বরে কিরাআত পাঠ করি। যে ব্যক্তি সূরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করল তা তার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি আরো সূরাহ্‌ পাঠ করল, এটা তার জন্য বেশি ভাল। (ই. ফা. ৭৬৭, ই. সে. ৭৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭১

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّلاَمَ قَالَ ‏”‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏”‏ ‏.‏ فَرَجَعَ الرَّجُلُ فَصَلَّى كَمَا كَانَ صَلَّى ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏”‏ ‏.‏ حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَالَ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا عَلِّمْنِي ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)মাসজিদে প্রবেশ করলেন, অতঃপর এক লোক মাসজিদে প্রবেশ করে সলাত আদায় করল। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে তাঁকে সালাম দিলে তিনি তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেনঃ যাও পুনরায় সলাত আদায় কর, কেননা তুমি সলাত আদায় করনি। লোকটি ফিরে গিয়ে আগের মতোই সলাত আদায় করল। অতঃপর নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তাঁকে সালাম করল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়া ‘আলাইকাস সালাম। অতঃপর তিনি বললেনঃ যাও তুমি পুনরায় সলাত আদায় কর, কেননা তোমার সলাত আদায় হয়নি। তিনি পরপর তিনবার তাকে এ রকম নির্দেশ দিলেন। অতঃপর লোকটি বলল, সে সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন; আমি এর চেয়ে সুন্দর করে সলাত আদায় করতে পারি না। আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি যখন সলাতে দাঁড়াও, তাকবীর বল, অতঃপর কুরআনের যে অংশ তোমার কাছে সহজ মনে হয় তা থেকে পাঠ কর। অতঃপর রুকূতে যাও এবং শান্তভাবে রুকূতে থাক। অতঃপর রুকূ’ থেকে সোজা মনে দাঁড়াও, অতঃপর সিজদায় যাও এবং সিজদার মধ্যে শান্তভাবে থাক, অতঃপর সিজদা থেকে উঠে আরামে বস। সমস্ত সলাত তুমি এভাবে আদায় কর। (ই. ফা. ৭৬৮, ই. সে. ৭৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَاحِيَةٍ وَسَاقَا الْحَدِيثَ بِمِثْلِ هَذِهِ الْقِصَّةِ وَزَادَا فِيهِ ‏ “‏ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক মাসজিদে প্রবেশ করে সলাত আদায় করল। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদের) এক প্রান্তে বসা ছিলেন, হাদীসের পরবর্তী অংশ পূর্বের হাদীসের মতোই। কিন্তু এ বর্ণনায় আরও আছেঃ তুমি যখন সলাত আদায় করার ইচ্ছা পোষণ কর তখন ভাল করে ওযূ করে নাও। অতঃপর কিবলামূখী হও, অতঃপর ‘আল্ল-হু আকবার’ বল। (ই. ফা. ৭৬৯, ই. সে. ৭৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অধ্যায়ঃ

ইমামের পিছনে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করা মুক্তাদীদের জন্য নিষেধ

৭৭৩

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، قَالَ سَعِيدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الظُّهْرِ – أَوِ الْعَصْرِ – فَقَالَ ‏”‏ أَيُّكُمْ قَرَأَ خَلْفِي بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا وَلَمْ أُرِدْ بِهَا إِلاَّ الْخَيْرَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ بَعْضَكُمْ خَالَجَنِيهَا ‏”‏ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে যুহ্‌র অথবা ‘আস্‌র-এর সলাত আদায় করালেন। সলাত শেষে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে আমার পিছনে (আরবি) (সূরাহ্‌ আ’লা) পাঠ করেছ? এক ব্যক্তি বলল, আমি। এর মাধ্যমে কল্যাণই কামনা করেছিলাম। তিনি বললেন, আমি জানতে পেরেছি তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কাছ থেকে কুরআন ছিনিয়ে নিচ্ছে। (ই. ফা. ৭৭০, ই. সে. ৭৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ زُرَارَةَ بْنَ أَوْفَى، يُحَدِّثُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ فَجَعَلَ رَجُلٌ يَقْرَأُ خَلْفَهُ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏”‏ أَيُّكُمْ قَرَأَ ‏”‏ أَوْ ‏”‏ أَيُّكُمُ الْقَارِئُ ‏”‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ قَدْ ظَنَنْتُ أَنَّ بَعْضَكُمْ خَالَجَنِيهَا ‏”‏ ‏.‏

‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাত আদায় করলেন। এক লোক তাঁর পিছনে সূরাহ্‌ ‘সাব্বিহিস্‌মা রাবি্‌কাল আ’লা-” পাঠ করল। সলাত শেষে নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ কে সূরাহ্‌ পাঠ করেছে? লোকটি বলল, আমি। তিনি বললেনঃ আমি অনুসন্ধান করেছি তোমাদের কেউ কেউ আমার কাছ থেকে (কুরআন) পাঠ ছিনিয়ে নিচ্ছে। (ই. ফা. ৭৭১, ই. সে. ৭৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ وَقَالَ ‏ “‏ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ بَعْضَكُمْ خَالَجَنِيهَا ‏”‏ ‏.‏

কাতাদাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সলাত আদায় করলেন এবং বললেনঃ আমি জানতে পেরেছি তোমাদের কেউ কেউ আমার কাছ থেকে (কুরআন) ছিনিয়ে নিচ্ছো। (ই. ফা. ৭৭২, ই. সে. ৭৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩. অধ্যায়ঃ

‘বিসমিল্লাহ’ সশব্দে না পড়ার পক্ষে দলীল

৭৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ كِلاَهُمَا عَنْ غُنْدَرٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ فَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْهُمْ يَقْرَأُ ‏{‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ‏}‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাক্‌র(রাঃ), ‘উমার (রাঃ) ও ‘উসমান (রাঃ)-এর সাথে সলাত আদায় করেছি। আমি তাদের কাউকে ‘বিসমিল্লাহ-হির রহমা-নির রহীম” (সশব্দে) পড়তে শুনিনি। (ই. ফা. ৭৭৩, ই. সে. ৭৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَزَادَ قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لِقَتَادَةَ أَسَمِعْتَهُ مِنْ أَنَسٍ قَالَ نَعَمْ نَحْنُ سَأَلْنَاهُ عَنْهُ ‏.‏

শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি কাতাদাহ্ কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি উপরের হাদীসটি আনাস (রাঃ)- এর কাছে সরাসরি শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমরা তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাদের এ হাদীস শুনান। (ই.ফা. ৭৭৪, ই.সে .৭৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَبْدَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، كَانَ يَجْهَرُ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ يَقُولُ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ‏.‏ وَعَنْ قَتَادَةَ أَنَّهُ كَتَبَ إِلَيْهِ يُخْبِرُهُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ فَكَانُوا يَسْتَفْتِحُونَ بِـ ‏{‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏}‏ لاَ يَذْكُرُونَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فِي أَوَّلِ قِرَاءَةٍ وَلاَ فِي آخِرِهَا ‏.‏

‘আবদাহ থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এ কথাগুলো উচ্চঃস্বরে পড়তেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে আল্লাহ, তোমারই পবিত্রতা বর্ণনা করি এবং তোমারই শুকর আদায় করি, তোমার নাম বড়ই বরকতপূর্ণ, তোমার মর্যাদা সর্বচ্চো, তুমি ছাড়া আর কেউ মা’বুদ নেই।”

কাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তাকে বলেছেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) , ‘উমার (রাঃ)- এর পিছনে সলাত আদায় করেছি। তারা সকলে সলাতে (আরবি) দিয়ে শুরু করতেন। তারা কিরাআতের শুরুতেও (আরবি) পড়তেন না , শেষেও না। (ই.ফা. ৭৭৫, ই.সে.৭৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، أَخْبَرَنِي إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَذْكُرُ ذَلِكَ ‏.‏

ইসহাক্ ইবনু ‘আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ তালহাহ্ (রহ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) – কে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন। (ই.ফা.৭৭৬,ই.সে. ৭৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪. অধ্যায়ঃ

যারা বলে, বিসমিল্লা-হ, সূরাহ্ বারাআহ্ (তাওবাহ্) ছাড়া আর সব সূরারই অংশ তাদের দলীল

৭৮০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا الْمُخْتَارُ بْنُ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ بَيْنَ أَظْهُرِنَا إِذْ أَغْفَى إِغْفَاءَةً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مُتَبَسِّمًا فَقُلْنَا مَا أَضْحَكَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آنِفًا سُورَةٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَرَأَ ‏”‏ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏{‏ إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ * فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ * إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ‏}‏ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَتَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ خَيْرٌ كَثِيرٌ هُوَ حَوْضٌ تَرِدُ عَلَيْهِ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ فَيُخْتَلَجُ الْعَبْدُ مِنْهُمْ فَأَقُولُ رَبِّ إِنَّهُ مِنْ أُمَّتِي ‏.‏ فَيَقُولُ مَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَتْ بَعْدَكَ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ ابْنُ حُجْرٍ فِي حَدِيثِهِ بَيْنَ أَظْهُرِنَا فِي الْمَسْجِدِ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ مَا أَحْدَثَ بَعْدَكَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর মাজলিসে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ তাঁর উপর অচৈতন্য ভাব চেপে বসল। অতঃপর তিনি মুচকি হেসে মাথা তুললেন। আমরা বললাম , হে আল্লাহর রাসুল! আপনার হাসির কারন কি? তিনি বললেনঃ এ মাত্র আমার উপর একটি সুরাহ্ অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি পাঠ করলেনঃ ‘বিস্‌মিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’। নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে ‘কাওসার’ দান করেছি। অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের জন্য সলাত আদায় কর আবং কুরবানী দাও। তোমার কুৎসা রটনাকারীরাই মূলত শিকড়কাটা, নির্মূল। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা কি জান ‘কাওসার’ কি? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এটা একটা ঝর্ণা। আমার মহান প্রতিপালক আমাকে তা দেয়ার জন্য ওয়া’দা করেছেন। এর মধ্যে অশেষ কল্যাণ রয়েছে, আমার উম্মতের লোকেরা কিয়ামতের দিন এ হাওযের পানি পান করতে আসবে। এ হাওযে রয়েছে তারকার মত অসংখ্য পানপাত্র (গ্লাস)। এক ব্যাক্তিকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। আমি তখন বলবঃ প্রভু! সে আমার উম্মতেরই লোক। আমাকে তখন বলা হবে , তুমি জান না , তোমার মৃত্যুর পর এরা কি অভিনব কাজ (বিদ’আত) করেছে।

ইবনু হজরের বর্ণনায় আরো আছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে আমাদের কাছে এসেছেন এবং আল্লাহ বলবেন, এ ব্যাক্তি আপনার পরে বিদ’আত চালু করেছে। (ই.ফা.৭৭৭,ই.সে. ৭৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮১

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَخْبَرَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ أَغْفَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِغْفَاءَةً ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فِي الْجَنَّةِ عَلَيْهِ حَوْضٌ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏”‏ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু মুসহির বর্ণিত (উপরোল্লিখিত) হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর উপর অচেতন ভাব দেখা গেল। ….. ইবনু মুসহির- এর হাদীসের অনুরুপ। তবে এ বর্ণনায় আছে, কাওসার একটি সুন্দর ঝর্ণার নাম। আমার প্রতিপালক জান্নাতের এ ঝর্ণাধারা আমাকে দেয়ার ওয়া’দা করেছেন। এ বর্ণনায় ‘তারকার মতো অসংখ্য পানপাত্রের’ কথা উল্লেখ নেই। (ই.ফা.৭৭৮, ই.সে.৭৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অধ্যায়ঃ

তাকবীরে তাহরীমার পর বুকের নিচে কিন্তু নাভির উপরে বাঁ হাতের উপর দান হাত রাখবে এবং সাজদাহরত অবস্থায় উভয় হাত কাঁধ বরাবর মাটিতে রাখবে

৭৮২

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، وَمَوْلًى، لَهُمْ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِيهِ، وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ يَدَيْهِ حِينَ دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ كَبَّرَ – وَصَفَ هَمَّامٌ حِيَالَ أُذُنَيْهِ – ثُمَّ الْتَحَفَ بِثَوْبِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ أَخْرَجَ يَدَيْهِ مِنَ الثَّوْبِ ثُمَّ رَفَعَهُمَا ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ فَلَمَّا قَالَ ‏ “‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمَّا سَجَدَ سَجَدَ بَيْنَ كَفَّيْهِ ‏.‏

ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে দেখলেন, তিনি সলাত শুরু করার সময় দুই হাত তুললেন এবং তাকবীর বললেন। হাম্মামের বর্ণনায় আছে, তিনি দুই হাত কান পর্যন্ত উঠালেন ; অতঃপর চাদরে ঢেকে নিলেন এবং ডান হাত বাঁ হাতের উপর রাখলেন। তিনি যখন রুকু’তে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন, উভয় হাত কাপড়ের ভিতর থেকে বের করলেন, অতঃপর উভয় হাত উত্তোলন করলেন, অতঃপর তাকবীর বলে রুকু’তে গেলেন, তিনি যখন ‘সামিয়াল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ বললেন দু’হাত উঠালেন। তিনি যখন সাজদায় গেলেন, দু’হাতের মাঝখানে সাজদাহ্ করলেন। [ই.ফা.৭৭৯, ই.সে. ৭৯১]

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অধ্যায়ঃ

সলাতে তাশাহহুদ পাঠ করা

৭৮৩

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نَقُولُ فِي الصَّلاَةِ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ ‏.‏ فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ فَإِذَا قَعَدَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَقُلِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ فَإِذَا قَالَهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , আমরা রসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে সলাত আদায় করার সময় (বৈঠকে) বলতাম, ‘আল্লাহর উপর সালাম হোক, অমুকের উপর শান্তি বর্ষিত হোক,একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেনঃ বস্তুত আল্লাহ নিজেই সালাম (শান্তিদাতা)। অতএব তোমাদের কেউ যখন সলাতে বসে সে যেন বলে, “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস্ সলাওয়া-তু ওয়াত্ তইয়্যিবা-তু আসসালা-মু ‘আলাইকা আইয়ুহান্ নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়াবারাকাতুহু আসসালা-মু ‘আলাইনা – ওয়া’আলা-ইবা-দিল্লা-হিস স-লিহীন’ অর্থাৎ “ যাবতীয় মান-মর্যাদা , প্রশংসা ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমাত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি নেমে আসুক।” যখন সে এ কথা গুলো বলে, তখন তা আল্লাহর প্রতিটি নেক বান্দাদের নিকট পৌঁছে যায়, সে আসমানে বা জমিনেই থাক। (অতঃপর বলবে) “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়ারসুলুহু” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রসূল।” অতঃপর সলাত আদায়কারী তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দু’আ পড়তে পারে। (ই.ফা. ৭৮০, ই. সে. ৭৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ “‏ ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ ‏”‏ ‏.‏

মানসূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সূত্রে একই হাদীস বর্ণীত হয়েছে। তবে এ বর্ণনায় “অতঃপর সলাত আদায়কারী তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দু’আ পড়তে পারে।” এ কথাটুকু উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৭৮১, ই. সে. ৭৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَ حَدِيثِهِمَا وَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ ‏ “‏ ثُمَّ لْيَتَخَيَّرْ بَعْدُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ أَوْ مَا أَحَبَّ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদা ইবনু হুমায়দ- এর সানাদে মানসুর থেকে বর্ণিতঃ

একই হাদীস অবিকল বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বর্ণনায় শেষ অংশ হছেঃ অতঃপর সলাত আদায়কারী তার ইছানুযায়ী অথবা নিজের পছন্দমত যে কোন দু’আ পড়তে পারে। (ই.ফা.৭৮২, ই.সে.৭৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كُنَّا إِذَا جَلَسْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَنْصُورٍ وَقَالَ ‏ “‏ ثُمَّ يَتَخَيَّرُ بَعْدُ مِنَ الدُّعَاءِ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে সলাতের মধ্যে বসতাম … মানসুরের হাদীসের অনুরুপ। এর শেষাংশের বর্ণনা হলোঃ তারপর সে যে কোন দু’আ পাঠ করবে। (ই.ফা.৭৮৩, ই.সে. ৭৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يَقُولُ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَخْبَرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم التَّشَهُّدَ كَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ كَمَا يُعَلِّمُنِي السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ ‏.‏ وَاقْتَصَّ التَّشَهُّدَ بِمِثْلِ مَا اقْتَصُّوا ‏.

ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত তাঁর উভয় হাতের মধ্যে নিয়ে আমাকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিয়েছেন, যেভাবে তিনি আমাকে কুরআনের সুরাহ শিক্ষা দিতেন, (অধস্তন রাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাখবারাহ্ বলেন), অন্যান্যরা যেরূপ তাশাহহুদের বর্ণনা দিয়েছেন, তিনি (ইবনু মাস’উদ) অনুরূপ তাশাহহুদের বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৭৮৪, ই. সে. ৭৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَعَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ فَكَانَ يَقُولُ ‏ “‏ التَّحِيَّاتُ الْمُبَارَكَاتُ الصَّلَوَاتُ الطَّيِّبَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ رُمْحٍ كَمَا يُعَلِّمُنَا الْقُرْآنَ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে যেভাবে কুরআনের সূরাহ্ শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবেই আমাদেরকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেনঃ আত্তাহিয়্যা-তুল-মুবা-রাকা-তুস সলাওয়া-তুত্ তাইয়্যিবা-তু লিল্লা-হিস্ সালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যুহান্ নাবিয়্যু ওয়ারহমাতুল্ল-হি ওয়াবারাকা-তুহ্ আসসালা-মু ‘আলাইনা – ওয়া’আলা-‘ইবা-দিল্লা হিস স-লিহীন , আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্ল-হ”। অর্থাৎ “যাবতীয় সম্মান ও মর্যাদা , প্রাচুর্য , প্রশংসা এবং পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বারাকাত অবতীর্ণ হোক। আমাদের ও আল্লাহর সকল নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল।”

ইবনু রুমহ এর বর্ণনায় আছেঃ তিনি যেভাবে আমাদের কুরআন শিক্ষা দিতেন। (ই.ফা. ৭৮৫, ই.সে. ৭৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে যেভাবে কুরআন শিক্ষা দিতেন, সেভাবেই আমাদেরকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিতেন। (ই.ফা. ৭৮৬, ই.সে.৭৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯০

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الأُمَوِيُّ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ صَلاَةً فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أُقِرَّتِ الصَّلاَةُ بِالْبِرِّ وَالزَّكَاةِ – قَالَ – فَلَمَّا قَضَى أَبُو مُوسَى الصَّلاَةَ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ فَقَالَ أَيُّكُمُ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا قَالَ فَأَرَمَّ الْقَوْمُ ثُمَّ قَالَ أَيُّكُمُ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَرَمَّ الْقَوْمُ فَقَالَ لَعَلَّكَ يَا حِطَّانُ قُلْتَهَا قَالَ مَا قُلْتُهَا وَلَقَدْ رَهِبْتُ أَنْ تَبْكَعَنِي بِهَا ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَنَا قُلْتُهَا وَلَمْ أُرِدْ بِهَا إِلاَّ الْخَيْرَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو مُوسَى أَمَا تَعْلَمُونَ كَيْفَ تَقُولُونَ فِي صَلاَتِكُمْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَنَا فَبَيَّنَ لَنَا سُنَّتَنَا وَعَلَّمَنَا صَلاَتَنَا فَقَالَ ‏”‏ إِذَا صَلَّيْتُمْ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَالَ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ فَقُولُوا آمِينَ ‏.‏ يُجِبْكُمُ اللَّهُ فَإِذَا كَبَّرَ وَرَكَعَ فَكَبِّرُوا وَارْكَعُوا فَإِنَّ الإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَتِلْكَ بِتِلْكَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ يَسْمَعُ اللَّهُ لَكُمْ فَإِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ وَإِذَا كَبَّرَ وَسَجَدَ فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا فَإِنَّ الإِمَامَ يَسْجُدُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَتِلْكَ بِتِلْكَ ‏.‏ وَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ مِنْ أَوَّلِ قَوْلِ أَحَدِكُمُ التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ‏”‏ ‏.‏

হিততান ইবনু ‘আবদুল্লাহ আর্ রাকাশী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ মুসা আশ’আরী (রাঃ)- এর সাথে সলাত আদায় করলাম। তিনি যখন তাশাহহুদে বসলেন, জামা’আতের মধ্য হতে এক ব্যাক্তি বলে উঠল, ‘সলাত পুণ্য ও যাকাতের সাথে ফারয করা হয়েছে’। রাবী বললেন, আবূ মুসা (রাঃ) সলাত শেষ করে সালাম ফিরানোর পর বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এরূপ বলেছে? লোকেরা নিরব থাকল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন , তোমাদের মধ্যে কে এরূপ এরূপ বলেছে? এবারও লোকেরা নীরব থাকল। অতঃপর তিনি বললেন , হে হিততান ! সম্ভবত তুমিই এটা বলেছ। তিনি ( হিততান ) বললেন, আমি তা বলিনি। অবশ্য আমার ভয় হচ্ছিল যে আপনি আমার উপর এজন্যে রেগে যান কি-না ! এমন সময় লোকদের মধ্যে হতে এক ব্যাক্তি বলল, আমি এরুপ বলেছি। আমি এর মাধ্যমে কল্যাণই আশা করেছিলাম। আবূ মুসা (রাঃ) বললেন, নিজেদের সলাতের মধ্যে কী বলতে হবে তা কি তোমরা জান না? রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন, তিনি আমাদেরকে নিয়মকানুন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন এবং আমাদেরকে সলাত আদায় করার শিক্ষা দিয়েছেন। তা হচ্ছেঃ তোমরা যখন সলাত আদায় করবে, তোমাদের লাইনগুলো ঠিক করে নিবে। অতঃপর তোমাদের কেউ তোমাদের ইমামতি করবে। সে যখন তাকবীর বলবে, তোমরাও তাকবীর বলবে। সে যখন “গাইরিল মাগযুবি ‘আলাইহিম ওয়ালায্ যোল্লীন” বলবে তোমরা তখন ‘আমীন’ বলবে। আল্লাহ তোমাদের ডাকে সারা দিবেন। সে যখন তাকবীর বলে রুকু‘তে যাবে, তোমরাও তাকবীর বলে রুকু ‘তে যাবে। কেননা , ইমাম তোমাদের আগে রুকু‘তে যাবে এবং তোমাদের আগে রুকু’ থেকে উঠবে। রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এটা ওটার বিনিময়ে, তথা ইমাম যেমন রুকু’ সাজদার আগে যাবে, তেমনি আগে উঠবে। সে যখন ‘সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলবে ,তোমরা তখন “আল্ল-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদ” বলবে, আল্লাহ তোমাদের এই কথা শুনবেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা তার নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষায় বলেছেনঃ ‘সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” (আল্লাহ তার প্রশংসাকারীর প্রশংসা শুনেন)। সে যখন তাকবীর বলবে এবং সাজদায় যাবে , তোমরাও তার পরপর তাকবীর বলে সাজদায় যাবে। কেননা, ইমাম তোমাদের আগে সাজদায় যাবে এবং তোমাদের আগে সাজদা থেকে উঠবে। রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের তাকবীর ও সাজদাহ্ ইমামের পরে হবে। যখন তোমরা বৈঠকে বসবে, তোমাদের পাঠ হবেঃ আত্তাহিয়্যাতুত্ তাইয়্যিবা-তুস্ সালাওয়া-তু লিল্লা-হি আসসালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু আসসালামু ‘আলাইনা – ওয়া’আলা-‘ইবা-দিল্লা হিস্ স-লিহীন , আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাসুলুহ” অর্থাৎ- সকল প্রকার পবিত্র ও একান্ত মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক ‘ইবাদাতসমুহ আল্লাহরই জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর পক্ষ হতে শান্তি, রহমত ও বারাকাত নাযিল হোক এবং আমাদের উপর ও আল্লাহর নেককার বান্দাদের উপরও শান্তি বর্ষিত হোক।আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ‘ইবাদাতের যোগ্য নয় এবং আমি এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দাস ও তাঁর দূত।” (ই.ফা. ৭৮৭, ই. সে. ৭৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ قَتَادَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ جَرِيرٍ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ قَتَادَةَ مِنَ الزِّيَادَةِ ‏”‏ وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا ‏”‏ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَحَدٍ مِنْهُمْ ‏”‏ فَإِنَّ اللَّهَ قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏ إِلاَّ فِي رِوَايَةِ أَبِي كَامِلٍ وَحْدَهُ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ قَالَ أَبُو بَكْرِ ابْنُ أُخْتِ أَبِي النَّضْرِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ مُسْلِمٌ تُرِيدُ أَحْفَظَ مِنْ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ فَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ هُوَ صَحِيحٌ يَعْنِي وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا ‏.‏ فَقَالَ هُوَ عِنْدِي صَحِيحٌ ‏.‏ فَقَالَ لِمَ لَمْ تَضَعْهُ هَا هُنَا قَالَ لَيْسَ كُلُّ شَىْءٍ عِنْدِي صَحِيحٍ وَضَعْتُهُ هَا هُنَا ‏.‏ إِنَّمَا وَضَعْتُ هَا هُنَا مَا أَجْمَعُوا عَلَيْهِ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) হতে এ সুত্রে থেকে বর্ণিতঃ

একই হাদীস বর্ণনা হয়েছে। জারীর সুলাইমানের সুত্রে কাতাদার এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনায় আরো আছে, ‘ইমাম যখন কুরআন পাঠ করে তোমরা তখন চুপ থাক।’ আবূ আওয়ানার সূত্রে কেবল আবূ কামিলের বর্ণনা ছাড়া আর কোন রাবীর বর্ণনায় এ কথাগুলো নেইঃ ‘মহান আল্লাহ তার নাবীর কণ্ঠে বলেছেনঃ ‘সামিআল্ল-হু লিমান হামিদাহ”।

আবূ ইসহাক্ বলেন, আবূ নাযর এর বোনের ছেলে আবূ বাক্‌র বলেছেন, এ হাদীসটির সমালোচনা করা হলে ইমাম মুসলিম তাকে বললেন, সুলাইমানের চেয়েও কি বড় হাফিয কেউ আছে? আবূ বাক্‌র তাকে বললেন, আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ)- এ বর্ণনা সম্পর্কে আপনার কী মত? তিনি বললেন, তার বর্ণনা সহীহ ইমাম যখন কুরআন পাঠ করে তোমরা চুপ থাক। ইমাম মুসলিম বলেন, এ হাদীস আমার মতে সহীহ। আবূ বাক্‌র বললেন, তাহলে আপনার কিতাবে তা যোগ করেননি কেন? তিনি বললেন, আমি যেটা সহীহ মনে করি শুধু তাই আমার কিতাবে লিপিবদ্ধ করা জরুরী মনে করিনা। বরং যেসব হাদীস সহীহ বলে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমি কেবল তাই আমার কিতাবে সংকলন করেছি। (ই. ফা. ৭৮৮, ই. সে. ৮০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯২

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ‏ “‏ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَضَى عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏”‏ ‏.‏

কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত সানাদ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ তার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষায় বলেনঃ ‘সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” অর্থাৎ যে আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি তা শুনেন। ( ই. ফা. ৭৮৯, ই. সে. ৮০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭. অধ্যায়ঃ

তাশাহহুদ পড়ার পর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর দুরূদ পাঠ করা

৭৯৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الأَنْصَارِيَّ، – وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ هُوَ الَّذِي كَانَ أُرِيَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ – أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ فِي مَجْلِسِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ فَقَالَ لَهُ بَشِيرُ بْنُ سَعْدٍ أَمَرَنَا اللَّهُ تَعَالَى أَنْ نُصَلِّيَ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تَمَنَّيْنَا أَنَّهُ لَمْ يَسْأَلْهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُولُوا ‏ “‏ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ‏.‏ وَالسَّلاَمُ كَمَا قَدْ عَلِمْتُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসলেন, আমরা তখন সা’দ ইবনু ‘উবাদাহ্ (রাঃ) এর বৈঠক এ উপস্থিত ছিলাম। বাশীর ইবনু সা’দ (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ! মহান আল্লাহ আপনার উপর দুরূদ পাঠ করার জন্যে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা কিভাবে আপনার উপর দুরূদ পাঠ করব? রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ করে থাকলেন। এমনকি আমরা আফসোস করে বললাম, সে যদি তাঁকে এ প্রশ্ন না করত ! অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা বল- “আল্ল-হুম্মা সল্লি ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা-সল্লাইতা আলা-আ-লি ইবর-হীমা ওয়াবা-রিক ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা বা-রকতা ‘আলা আ-লি ইবর-হীমা ফিল ‘আলামীন। ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।” অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ ও তার পরিবার-পরিজনের উপর রহমত বর্ষণ করো-যেভাবে তুমি ইবরাহীম (আঃ) এর পরিবার-পরিজনের উপর রহমাত বর্ষণ করেছ। তুমি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার-পরিজনকে বারাকাত ও প্রাচুর্য দান করো-যেভাবে তুমি ইবরাহীম (‘আঃ)- এর পরিবার-পরিজনকে দুনিয়া ও আখিরাতে বারাকাত ও প্রাচুর্য দান করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত।“ আর সালাম দেয়ার নিয়ম যা তোমরা ইতিপূর্বে জেনেছ। (ই.ফা.৭৯০, ই.সে. ৮০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ لَقِيَنِي كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ فَقَالَ أَلاَ أُهْدِي لَكَ هَدِيَّةً خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا قَدْ عَرَفْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ ‏ “‏ قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আবূ লাইলা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কা’ব ইবনু ‘উজরাহ (রাঃ) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, আমি কি তোমাকে কিছু উপহার দিব না? রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসলেন, আমরা বললাম আমরা আপনাকে কিভাবে সালাম করবো তা জানতে পেরেছি কিন্তু আপনার উপর কিভাবে দূরুদ পাঠ করব? তিনি বললেনঃ তোমরা বল, “ আল্ল-হুম্মা সল্লি ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা-সল্লাইতা ‘আলা- আ-লি ইবর-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্ল-হুম্মা বা-রিক ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা- বা-রকতা ‘আলা আ-লি ইবর-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।” অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর বংশধরদের উপর ঐরূপ রহমাত নাযিল কর যেমনটি করেছিলে ইবরাহীম (‘আঃ)-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর বংশধরদের উপর ঐরূপ বারাকাত নাযিল কর যেমনটি করেছিলে ইবরাহীম (‘আঃ) এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।” (ই.ফা. ৭৯১, ই.সে.৮০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৫

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، وَمِسْعَرٍ، عَنِ الْحَكَمِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ مِسْعَرٍ أَلاَ أُهْدِي لَكَ هَدِيَّةً

হাকাম থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদ সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু মিস’আরের বর্ণনায় ‘আমি কি তোমাকে কিছু উপহার দিব না’ কথাটুকু নেই। (ই.ফা. ৭৯২, ই.সে.৮০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَعَنْ مِسْعَرٍ، وَعَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَكَمِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلِ اللَّهُمَّ ‏.

হাকাম থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদ সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এ সূত্রে “ওয়া বা-রিক’আলা-মুহাম্মাদিন” উল্লেখ করেছেন এবং “আল্ল-হুম্মা” শব্দের উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৭৯৩,ই.সে.৮০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ، أَنَّهُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ ‏ “‏ قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু নুমায়র ও ‘আমর ইবনু সুলায়ম বলেন, আবূ হুমায়দ আস সা‘ইদী থেকে বর্ণিতঃ

তারা (সহাবাগণ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমরা আপনার উপর কিভাবে দরূদ পড়বো? তিনি বললেনঃ বল, “আল্ল-হুম্মা সল্লি ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা- আয্ওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা-সল্লাইতা ‘আলা-আ-লি ইবরাহীমা ওয়াবা-রিক ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা- আয্ওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা-বা-রাকতা ‘আলা-আ-লি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।” অর্থাৎ হে আল্লাহ ! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর বিবিগন এবং তাঁর বংশধরগনের প্রতি রহমাত বর্ষন কর, যেভাবে তুমি রহমাত বর্ষন করেছ ইবরাহীম (‘আঃ)-এর পরিজনের প্রতি- তুমি বারাকাত নাযিল কর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর বিবিগনের প্রতি যেভাবে তুমি বারাকাত নাযিল করেছ ইবরাহীম (‘আ)-এর পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সন্মানিত।(ই.ফা. ৭৯৪, ই.সে.৮০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়ে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমাত নাযিল করেন।(ই.ফা. ৭৯৫ ,ই.সে.৮০৭ )

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৮. অধ্যায়ঃ

তাসমী’ , তাহমীদ ও আমীন সর্ম্পকে

৭৯৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَالَ الإِمَامُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেনঃ ইমাম যখন “সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলে তোমরা তখন “আল্লা-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদ” বল। কেননা যার এ কথা মালায়িকাদের (ফেরেশতাদের) কথার সাথে মিলে যাবে তার আগের গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হবে। (ই.ফা. ৭৯৬ , ই.সে. ৮০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ سُمَىٍّ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট থেকে উপরের হাদীসের অনূরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।(ই.ফা. ৭৯৭ , ই.সে. ৮০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ آمِينَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেনঃ ইমাম যখন ‘আ-মীন’ বলে, তোমরাও তখন ‘আ-মীন’ বল। কেননা যার ‘আ-মীন’ বলা মালায়িকাদের (ফেরেশতাদের)‘আ-মীন’ বলার সাথে মিলে যাবে তার আগেকার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। ইবনু শিহাব বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আ-মীন’ বলতেন।(ই.ফা. ৭৯৮ , ই.সে. ৮১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০২

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ ابْنِ شِهَابٍ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি…… উপরের (মালিকের) হাদীসের অবিকল। কিন্তু এ বর্ণনায় ইবনু শিহাবের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়নি। (ই.ফা. ৭৯৯ , ই.সে. ৮১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০৩

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ آمِينَ ‏.‏ وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ ‏.‏ فَوَافَقَ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ সলাতে ‘আ-মীন’ বলল এবং আকাশমণ্ডলীর মালায়িকারাও (ফেরেশতারাও)‘আ-মীন’ বলল। একজনের ‘আ-মীন’ এর সাথে আরেকজনের ‘আ-মীন’ মিলে গেল। তার আগের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।(ই.ফা. ৮০০ , ই.সে. ৮১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ ‏.‏ وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ ‏.‏ فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ‘আ-মীন’ বলে এবং আকাশমণ্ডলীর মালায়িকারাও (ফেরেশতারাও)‘আ-মীন’ বলে। উভয়ের ‘আ-মীন’ যদি একই সাথে মিলে যায়, তবে আল্লাহ তার আগের গুনাহ মাফ করে দেবেন।(ই.ফা. ৮০১, ই.সে. ৮১৩ )

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে।(ই.ফা. ৮০২, ই.সে. ৮১৪ )

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا قَالَ الْقَارِئُ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏.‏ فَقَالَ مَنْ خَلْفَهُ آمِينَ ‏.‏ فَوَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ أَهْلِ السَّمَاءِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কারী (ইমাম) যখন সলাতে غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ বলে, তখন তার পিছনের লোকেরাও (মুক্তাদীগন)أمين (আ-মীন) বলবে। তাদের এ কথা আকাশমণ্ডলীর অধিবাসী মালায়িকাদের কথার সাথে একত্রে উচ্চারিত হলে, তাদের (মুক্তাদী) পিছনের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।(ই.ফা. ৮০৩, ই.সে. ৮১৫ )

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯. অধ্যায়ঃ

মুক্তাদীগণ ইমামের অনুসরন করবে

৮০৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ سَقَطَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ نَعُودُهُ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى بِنَا قَاعِدًا فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعُونَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলেন। ফলে তাঁর শরীরের ডানপাশ আহত হল। আমরা তাঁকে দেখতে গেলাম। ইতিমধ্যে সলাতের সময় হয়ে গেল। তিনি আমাদের নিয়ে বসে বসে সলাত আদায় করলেন। আমরাও তার পেছনে বসে সলাত আদায় করলাম। তিনি সলাত শেষ করে বললেনঃ ইমাম এজন্যই বানানো হয় যে, তার অনুসরন করা হবে। অতএব সে যখন আল্ল-হু আকবার বলে তোমরাও ‘আল্ল-হু আকবার’ বল। সে যখন সাজদাহ্ করে , তোমরাও সাজদাহ্ কর।সে যখন হাত উঁচু করে দাঁড়ায় তোমরাও হাত উঁচু করে দাঁড়াও। সে যখন ‘সামি আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলে, তোমরা তখন ‘রব্বানা- ওয়ালাকাল হামদ” বল। সে যখন বসে সলাত আদায় করে (ইমামতি করে) , তোমরাও সবাই মিলে বসে সলাত আদায় কর। (ই.ফা.৮০৪, ই.সে. ৮১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ خَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ فَصَلَّى لَنَا قَاعِدًا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে আহত হলেন। তিনি বসে বসে আমাদের সলাত আদায় করালেন। ………… অবশিষ্টাংশ উপরের হাদীসের অনুরুপ।(ই.ফা. ৮০৫, ই.সে. ৮১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮০৯

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صُرِعَ عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا وَزَادَ ‏ “‏ فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলেন। ফলে তাঁর শরীরের ডানপাশ আহত হল। উপরের হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় আরো আছে, ইমাম যখন দাঁড়িয়ে পড়ে, তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় কর। (ই. ফা. ৮০৬, ই. সে. ৮১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১০

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكِبَ فَرَسًا فَصُرِعَ عَنْهُ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ وَفِيهِ ‏ “‏ إِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার সওয়ার হলেন। তিনি এর পিঠ থেকে পড়ে গেলেন। ফলে তাঁর শরীরের ডানপাশ আঘাতপ্রাপ্ত হল। উপরের হাদীসের অনুরূপ। এতে আরো আছেঃ সে (ইমাম) যখন দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে, তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় কর। (ই. ফা.৮০৭, ই.সে.৮১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১১

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَنَسٌ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَقَطَ مِنْ فَرَسِهِ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَلَيْسَ فِيهِ زِيَادَةُ يُونُسَ وَمَالِكٍ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়া থেকে পড়ে গেলেন। এতে তাঁর শরীরের ডানপাশে আঘাত পেলেন। উপরের হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় ইউনুস ও মালিকের বর্ধিত বর্ণনাটুকু নেই। (ই. ফা.৮০৮, ই.সে. ৮২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ عَلَيْهِ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ يَعُودُونَهُ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا ‏.‏ فَجَلَسُوا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا ‏”‏ ‏.‏

’আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হলেন। সহাবাদের কিছু সংখ্যক লোক তাঁকে দেখতে আসলেন। রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে বসে সলাত আদায় করলেন। তাঁরা তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করতে শুরু করলে তিনি তাদেরকে ইশারায় বললেনঃ তোমরা বসে যাও। তাঁরা বসে গেলেন। সলাত শেষ করে তিনি বললেনঃ অনুসরন করার জন্যেই ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সে যখন রুকু ‘তে যাবে তোমরাও তখন রুকু‘তে যাবে। সে যখন মাথা উঠাবে তোমরাও তখন মাথা উঠাবে। সে যখন বসে বসে সলাত আদায় করবে তোমরাও বসে বসে সলাত আদায় করবে। (ই.ফা. ৮০৯, ই.সে. ৮২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১৩

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي جَمِيعًا، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরোল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা.,৮১০, ই.সে.৮২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ وَهُوَ قَاعِدٌ وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُ النَّاسَ تَكْبِيرَهُ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا فَرَآنَا قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْنَا فَقَعَدْنَا فَصَلَّيْنَا بِصَلاَتِهِ قُعُودًا فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ ‏ “‏ إِنْ كِدْتُمْ آنِفًِا لَتَفْعَلُونَ فِعْلَ فَارِسَ وَالرُّومِ يَقُومُونَ عَلَى مُلُوكِهِمْ وَهُمْ قُعُودٌ فَلاَ تَفْعَلُوا ائْتَمُّوا بِأَئِمَّتِكُمْ إِنْ صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِنْ صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমরা তাঁর পিছনে সলাত আদায় করলাম। তিনি বসে বসে সলাত আদায় করছিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) লোকদেরকে তার তাকবীর জোরে শুনিয়ে দিচ্ছিলেন। তিনি আমাদের দিকে খেয়াল করে আমাদেরকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলেন। তিনি আমাদের ইশারা করলেন। সে জন্য আমরা বসে গেলাম। আমরা তাঁর সাথে বসে সলাত আদায় করলাম। সালাম ফিরানোর পর তিনি বললেনঃ তোমরা পারস্য ও রোমের (সাম্রাজ্যের) লোকদের মতোই করতে যাচ্ছিলে। তাদের বাদশাহ বসে থাকে আর তারা দাঁড়িয়ে থাকে। তোমরা কখনো এমন করো না। সবসময় তোমাদের ইমামদের অনুসরণ করবে। সে যদি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে, তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে। সে যদি বসে সলাত আদায় করে তোমরাও বসে সলাত আদায় করবে। (ই.ফা.,৮১১, ই.সে.৮২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرُّؤَاسِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ خَلْفَهُ فَإِذَا كَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَبَّرَ أَبُو بَكْرٍ لِيُسْمِعَنَا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ اللَّيْثِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সলাত আদায় করালেন। আবূ বাক্‌র(রাঃ) তার পেছনেই ছিলেন রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাকবীর বললেন, আবূ বাক্‌র আমাদেরকে শুনিয়ে জোরে তাকবীর বললেন। ……হাদীসের অবশিষ্ট অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা.. ৮১২, ই.সে.৮২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَلاَ تَخْتَلِفُوا عَلَيْهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইমাম এজন্য নিযুক্ত করা হয় যে, তার অনুসরন করা হবে, তোমরা কখনো তার উল্টো করো না। সে যখন আল্ল-হু আকবার বলে, তোমরাও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলো। সে যখন রুকু‘ করে, তোমরাও তখন রুকু‘ করো। সে যখন “সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলে তোমরাও তখন ‘আল্ল-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদ” বলো। সে যখন সাজদায় যায়, তোমরাও তখন সাজদায় যাও। সে যখন বসে সলাত আদায় করে, তোমরাও সবাই মিলে বসে সলাত আদায় করো। (ই.ফ.৮১৩, ই.সে. ৮২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏

আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে উপরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৮১৪, ই.সে.৮২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০. অধ্যায়ঃ

তাকবীর ও অন্যান্য বিষয়ে ইমামের আগে যে কোন কাজ করা নিষেধ

৮১৮

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ، خَشْرَمٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تُبَادِرُوا الإِمَامَ إِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَالَ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏.‏ فَقُولُوا آمِينَ ‏.‏ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন , রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে (সলাতের ) শিক্ষা দিয়ে বলতেনঃ ইমামের আগে কোন কাজ করো না। সে যখন ‘আল্লা-হু আকবার’ বলে, তোমরা ‘আল্লা-হু আকবার’ বলো। সে যখন,’ওয়ালায্ যোয়া-ল্লীন’ বলে, তোমরাও তখন ‘আ-মীন’ বল। সে যখন রুকুতে যায়, তোমরাও তখন রুকুতে যাও। সে যখন “সামি ‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলে তোমরা তখন “আল্ল-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ’ বলো। (ই.ফা.৮১৫,ই.সে.৮২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ إِلاَّ قَوْلَهُ ‏”‏ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏.‏ فَقُولُوا آمِينَ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ ‏”‏ وَلاَ تَرْفَعُوا قَبْلَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছ থেকে (উপরের হাদীসের) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ বর্ণনায় ইমামের ‘ওয়ালায্ যোয়া-ল্লীন’ বলার পর ‘আ-মীন’ বলার কথা উল্লেখ নেই। তবে এতে আরো আছে, তোমরা ইমামের আগে হাত উঠাবে না। (ই.ফা. ৮১৬, ই.সে. ৮২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى، – وَهُوَ ابْنُ عَطَاءٍ – سَمِعَ أَبَا عَلْقَمَةَ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا الإِمَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ فَإِذَا وَافَقَ قَوْلُ أَهْلِ الأَرْضِ قَوْلَ أَهْلِ السَّمَاءِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ; ইমাম ঢাল স্বরূপ। সে যখন বসে বসে সলাত আদায় করে- তোমরাও বসে বসে সলাত আদায় করো। সে যখন ‘সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ’ বলে তোমরা তখন ‘আল্ল-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ’ বলো। জমিনবাসীর কথা আকাশমণ্ডলীর (ফেরেশতার) কথার সঙ্গে একত্রে উচ্চারিত হলে আল্লাহ তার (বান্দার) পিছনের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (ই.ফা. ৮১৭, ই.সে.৮২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২১

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏.‏ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‏.‏ وَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعُونَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমাম এ জন্য নিযুক্ত করা হয় যে ,তার অনুসরন করা হবে। সে যখন তাকবীর বলে- তোমরাও তাকবীর বলো। সে যখন সাজদাহ্ করে, তোমরাও সাজদাহ্ করো। সে যখন “সামি আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলে-তোমরা তখন “আল্ল-হুম্মা রব্বানা-লাকাল হামদ” বলো। সে যখন দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করে তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করো। সে যখন বসে সলাত আদায় করে তোমরাও সবাই মিলে বসে সলাত আদায় করো। (ই.ফা.৮১৮, ই.সে.৮৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১. অধ্যায়ঃ

ইমাম অসুস্থ হয়ে পড়লে বা সফরে গেলে, অথবা অন্য কোন ওজর থাকলে তিনি তার প্রতিনিধি নিয়োগ করবেন, কোন কারনে ইমাম যদি বসে সলাত আদায় করেন-সেক্ষেত্রে মুক্তাদীদের কোন অসুবিধা না থাকলে তারা দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে, কারন সক্ষম মুক্তাদীর বসে সলাত আদায় করার নির্দেশ (মানসুখ) রহিত হয়ে গেছে।

৮২২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ لَهَا أَلاَ تُحَدِّثِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ بَلَى ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّى النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ ‏”‏ ‏.‏ فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّى النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ ‏”‏ ‏.‏ فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّى النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ ‏”‏ ‏.‏ فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ ‏”‏ أَصَلَّى النَّاسُ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا لاَ وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَتْ وَالنَّاسُ عُكُوفٌ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِصَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ – قَالَتْ – فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَأَتَاهُ الرَّسُولُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكَ أَنْ تُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ رَجُلاً رَقِيقًا يَا عُمَرُ صَلِّ بِالنَّاسِ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ ‏.‏ قَالَتْ فَصَلَّى بِهِمْ أَبُو بَكْرٍ تِلْكَ الأَيَّامَ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ لِصَلاَةِ الظُّهْرِ وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ يَتَأَخَّرَ وَقَالَ لَهُمَا ‏”‏ أَجْلِسَانِي إِلَى جَنْبِهِ ‏”‏ ‏.‏ فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي وَهُوَ قَائِمٌ بِصَلاَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدٌ ‏.‏ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَدَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ لَهُ أَلاَ أَعْرِضُ عَلَيْكَ مَا حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هَاتِ ‏.‏ فَعَرَضْتُ حَدِيثَهَا عَلَيْهِ فَمَا أَنْكَرَ مِنْهُ شِيْئًا غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ أَسَمَّتْ لَكَ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ مَعَ الْعَبَّاسِ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ هُوَ عَلِيٌّ ‏.‏

’উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাকে বললাম , আপনি আমার কাছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (মৃত্যুকালীন) রোগের অবস্থার বর্ণনা করবেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসুস্থতা বেড়ে গেল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন লোকেরা সলাত আদায় করেছে কি? আমরা বললাম , না, আল্লাহর রাসুল! তারা আপনার অপেক্ষা করছে। তিনি বললেন, আমার জন্যে পাত্রে পানি রাখো। আমরা তাই করলাম। তিনি ওযূ করলেন, অতঃপর উঠতে গিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি বললেন, লোকেরা কি সলাত আদায় করেছে? আমরা বললাম , না তারা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ,হে আল্লাহর রাসুল! তিনি(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার জন্যে পাত্রে পানি রাখো। আমরা তাই করলাম। তিনি ওযূ করলেন। অতঃপর উঠতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ লোকেরা কি সলাত আদায় করেছে? আমরা বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তারা আপনার অপেক্ষা করছে। তিনি বললেনঃ আমার জন্যে পাত্রে পানি রাখো। আমরা তাই করলাম। তিনি ওযূ করে উঠতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পরলেন। অতঃপর জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ লোকেরা কি সলাত আদায় করেছে? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তারা আপনার অপেক্ষায় আছে। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, লোকেরা ‘ইশার সলাত আদায়ের জন্য মাসজিদে রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অপেক্ষায় বসেছিল। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকরের কাছে লোক পাঠালেন। সংবাদ বাহক ( আবূ বাকরের কাছে) এসে বলল, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনাকে লোকেদের নিয়ে সলাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আবূ বাক্‌র(রাঃ) ছিলেন খুবই কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি বললেন, হে ‘উমার! লোকদের নিয়ে সলাত আদায় করো। ‘উমার (রাঃ) বললেন, এজন্য আপনিই অধিক উপযুক্ত। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, এ কয়দিন আবূ বাক্‌র(রাঃ)সলাত আদায় করালেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুটা সুস্থ হলেন। তিনি দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে যুহরের সলাত আদায় করতে বের হলেন। তাদের একজন ছিলেন ‘আব্বাস (রাঃ)। ইতিমধ্যে আবূ বাক্‌র(রাঃ) লোকদের নিয়ে সলাত আদায় শুরু করে দিয়েছিলেন, আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে দেখে পিছে সরে আসতে উদ্যত হলেন। নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইশারায় বললেনঃ পিছনে হটে এসো না। তিনি তাদের উভয় কে বললেন, আমাকে তার পাশে বসিয়ে দাও। তারা তাঁকে আবূ বাক্‌র(রাঃ)-এর পাশে বসিয়ে দিলেন। আবূ বাক্‌র(রাঃ) দাঁড়িয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুকরনে সলাত আদায় করলেন এবং লোকেরা আবূ বাক্‌র(রাঃ)-এর অনুকরনে সলাত আদায় করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসেই সলাত আদায় করলেন। ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, অতঃপর আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে বললাম, নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসুখ সম্পর্কে ‘আয়িশাহ্(রাঃ) যা বলেছেন, আমি কি তা আপনার সামনে পেশ করবো না? তিনি বললেন, হ্যাঁ, বলো। আমি তার কাছে ‘আয়িশাহ্(রাঃ) এর দেয়া বিবরন তুলে ধরলাম। তিনি সামান্যতমও দ্বিমত করলেন না। শুধু বললেন, ‘আব্বাস (রাঃ) এর সাথে যে অপর ব্যক্তি ছিলো, তিনি কি তোমাকে তার নাম বলেছেন? আমি বললাম , না। তিনি বললেন, তিনি হচ্ছেন ‘আলী। (ই.ফা.৮১৯, ই.সে.৮৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ، أَوَّلُ مَا اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ فَاسْـتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِهَا وَأَذِنَّ لَهُ – قَالَتْ – فَخَرَجَ وَيَدٌ لَهُ عَلَى الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ وَيَدٌ لَهُ عَلَى رَجُلٍ آخَرَ وَهُوَ يَخُطُّ بِرِجْلَيْهِ فِي الأَرْضِ ‏.‏ فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ أَتَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ هُوَ عَلِيٌّ ‏.‏

‘আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বপ্রথম মাইমুনাহ্ (রাঃ)–এর ঘরে রোগাক্রান্ত হন। তিনি সেবা-শুশ্রূষার জন্য তার [‘আয়িশাহ্(রাঃ)–এর] ঘরে যাওয়ার ব্যাপারে নিজের স্ত্রীদের অনুমতি চাইলেন। তারা তাঁকে অনুমতি দিলেন। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেনঃ তিনি এক হাত ফাযল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)–এর কাঁধের উপর রেখে এবং অপর হাত অন্য এক ব্যাক্তির কাঁধের উপর রেখে সামনের পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে (সলাত আদায়ের জন্য মাসজিদে) গেলেন। ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) –এর কাছে এ কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, তুমি কি জানো, ‘আয়িশাহ্(রাঃ) যার নাম বলেননি তিনি কে? তিনি হলেন ‘আলী (রাঃ)। (ই.ফা.৮২০, ই.সে.৮৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৪

حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي فَأَذِنَّ لَهُ فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلاَهُ فِي الأَرْضِ بَيْنَ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ ‏.‏ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَأَخْبَرْتُ عَبْدَ اللَّهِ بِالَّذِي قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ هَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الآخَرُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قَالَ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ عَلِيٌّ ‏.‏

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন এবং উত্তরোত্তর তা বাড়তে থাকল, তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে সেবা শুশ্রূষার জন্য আমার ঘরে আসার এবং থাকার অনুমতি চাইলেন। তারা তাঁকে অনুমতি দিলেন। তিনি ‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) এবং অপর এক ব্যক্তি কাঁধে ভর দিয়ে মাটিতে পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে (মাসজিদে সলাত আদায় করতে) গেলেন।

‘উবাইদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি ‘আয়িশা(রাঃ)-এর বর্ণনা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট পেশ করলাম। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, ‘আয়িশাহ্(রাঃ) যে (দ্বিতীয়) ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি- তুমি তাকে চিনতে পেরেছ কি? ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, আমি বললাম, না। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি:) বললেন, তিনি হলেন ‘আলী (রাঃ)। (ই.ফা.৮২১.ই.সে.৮৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَقَدْ رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ وَمَا حَمَلَنِي عَلَى كَثْرَةِ مُرَاجَعَتِهِ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ فِي قَلْبِي أَنْ يُحِبَّ النَّاسُ بَعْدَهُ رَجُلاً قَامَ مَقَامَهُ أَبَدًا وَإِلاَّ أَنِّي كُنْتُ أَرَى أَنَّهُ لَنْ يَقُومَ مَقَامَهُ أَحَدٌ إِلاَّ تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ فَأَرَدْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, [রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসুস্থকালীন অনুপস্থিতিতে আবূ বাক্‌র(রাঃ) –কে ইমাম নিযুক্ত করার ব্যাপারে] আমি রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বারবার কথা কাটাকাটি করেছি। কোন লোক অধিকাংশ সময় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হোক এ উদ্দেশে আমি কথা কাটাকাটি করিনি। আমার ধারণা ছিল যে, যে ব্যক্তি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবে তাকে লোকেরা ভালবাসবে না এবং তাকে তারা অশুভ কুলক্ষণ বলে মনে করবে। সুতরাং আমি চেয়েছিলাম যে, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্‌র(রাঃ) –কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা থেকে যেন বিরত থাকেন। (ই.ফা.৮২২, ই.সে.৮৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ – قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، – أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْتِي قَالَ ‏”‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ لاَ يَمْلِكُ دَمْعَهُ فَلَوْ أَمَرْتَ غَيْرَ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا بِي إِلاَّ كَرَاهِيَةُ أَنْ يَتَشَاءَمَ النَّاسُ بِأَوَّلِ مَنْ يَقُومُ فِي مَقَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَرَاجَعْتُهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَقَالَ ‏”‏ لِيُصَلِّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرٍ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ ‏”‏ ‏.‏

‘আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ অবস্থায় আমার ঘরে এসে বললেনঃ আবূ বাক্‌রকে লোকেদের নিয়ে সলাত আদায় করতে বলো। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! আবূ বাক্‌র(রাঃ) হলেন কোমল হৃদয়ের লোক। কুরআন পাঠ করার সময় তিনি অশ্রু সংবরণ করতে পারবেন না। আপনি যদি আবূ বাক্‌র(রাঃ) –কে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নির্দেশ দিতেন ! ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ ! আমার অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। আমার আশঙ্কা ছিল, লোকেরা কুলক্ষণ মনে করবে যে, এ সে ব্যক্তি যিনি সর্বপ্রথম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। ‘আয়িশাহ্(রাঃ) বলেন, আমি দু’-তিনবার আমার কথার পুনরাবৃত্তি বললাম। কিন্তু তিনি আগের মতই বললেন ; আবূ বাক্‌র লোকদের নিয়ে সলাত আদায় করুক। তোমরা তো ইউসুফ (আঃ)-এর ঘটনার মহিলাদের মতো। (ই.ফা.৮২৩।,ই.সে.৮৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ بِلاَلٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ ‏”‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ إِنَّهُ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعِ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ وَإِنَّهُ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يُسْمِعِ النَّاسَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ ‏.‏ فَقَالَتْ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ ‏.‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَأَمَرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ – قَالَتْ – فَلَمَّا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَقَامَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلاَهُ تَخُطَّانِ فِي الأَرْضِ – قَالَتْ – فَلَمَّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ حِسَّهُ ذَهَبَ يَتَأَخَّرُ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُمْ مَكَانَكَ ‏.‏ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ – قَالَتْ – فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ جَالِسًا وَأَبُو بَكْرٍ قَائِمًا يَقْتَدِي أَبُو بَكْرٍ بِصَلاَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيَقْتَدِي النَّاسُ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অসুস্থ হয়ে পড়লেন, বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সলাতের কথা জানালেন। তিনি বললেনঃ আবূ বকর (রাঃ) -কে লোকদের নিয়ে সলাত আদায় করতে বলো। বর্ণনাকারী [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসুল! আবূ বকর (রাঃ) কোমলমনা লোক। তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবে লোকেদের (কিরাআত) শুনাতে পারবেন না, আপনি যদি উমার (রাঃ) -কে নির্দেশ দিতেন। বর্ণনাকারী [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেন, আমি হাফসাহ্ (রাঃ) -কে বললাম- তুমিও তাঁকে বলো। হাফসাহ্ তা্ঁকে বলল, ‘আবূ বাক্‌র কোমলমনা লোক। তিনি যখন আপনার স্থলে দাঁড়াবেন, লোকদের কিরাআত শুনাতে সক্ষম হবেন না। আপনি যদি উমার (রাঃ) – কে নির্দেশ দিতেন! তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তো দেখছি ইউসুফের সাথী মহিলাদের মতই। আবূ বাক্‌রকে লোকদের নিয়ে সলাত শুরু করতে বললেন,রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুটা সুস্থতাবোধ করলেন। বর্ণনাকারী [‘আয়িশা (রাঃ) ] বলেন, তিনি দাঁড়িয়ে দু’ব্যক্তির কাঁধে ভর দিয়ে (মাসজিদে) রওয়ানা হলেন। তাঁর দু’পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে মাটিতে দাগ কেটে যাচ্ছিল। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি যখন মাসজিদে ঢুকলেন আবূ বাকর (রাঃ) তাঁর আগমন অনুভব করে পিছে সরে আসতে প্রস্তুত হলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইশারায় বললেনঃ নিজের স্থানে দাঁড়িয়ে থাকো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আবূ বাকরের বাম পাশে বসলেন।রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে বসে লোকদের সলাত আদায় করালেন এবং আবূ বক্‌র দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করলেন। আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সলাতের সাথে অনুসরণ করলেন আর লোকেরা আবূ বাকরের সলাতের অনুসরণ করল। (ই.ফা. ৮২৪, ই.সে ৮৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৮

حَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِهِمَا لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَضَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ فَأُتِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أُجْلِسَ إِلَى جَنْبِهِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُهُمُ التَّكْبِيرَ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عِيسَى فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَبُو بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ وَأَبُو بَكْرٍ يُسْمِعُ النَّاسَ ‏.‏

আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে উপরের হাদীসের অনুরুপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ইসহাক্ ও মিনজাবের বর্ণনায় আছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মৃত্যু রোগে আক্রান্ত হলেন। “ইবনু মুসহিরের বর্ণনায় আছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে নিয়ে আসা হলো এবং তাঁর (আবূ বাকরের) পাশে বসিয়ে দেয়া হলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের সলাত আদায় করালেন এবং আবূ বাকর তাদেরকে তাকবীর শুনালেন। ‘ঈসার বর্ণনায় আছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসলেন এবং লোকদের সলাত আদায় করালেন। আবূ বাক্‌র তাঁর পাশেই ছিলেন। আবূ বাক্‌র লোকদের মুকাব্বির হলেন। (ই.ফা. ৮২৫ ,ই.সে. ৮৩৭ )

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ – قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فِي مَرَضِهِ فَكَانَ يُصَلِّي بِهِمْ ‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ وَإِذَا أَبُو بَكْرٍ يَؤُمُّ النَّاسَ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ اسْتَأْخَرَ فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىْ كَمَا أَنْتَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ حِذَاءَ أَبِي بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ ‏.‏ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏

’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর অসুস্থাবস্থায় আবূ বাক্‌রকে লোকদের সলাতের ইমামতি করার নির্দেশ দিলেন। এ সময় তিনি তাদের সলাত আদায় করাতেন।

‘উরওয়াহ্ (রহঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুটা সুস্থতাবোধ করলেন। তিনি সলাত আদায় করার জন্য বের হলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) লোকদের ইমামতি করছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁর আগমন বুঝতে পেরে পিছু হটতে চাইলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইশারায় বললেনঃ যেভাবে আছ সেই ভাবে থাকো। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সোজাসোজি আবূ বাকরের পাশে বসে গেলেন। সলাতের মধ্যে আবূ বকর (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অনুসরণ করলেন এবং লোকেরা আবূ বাকরের অনুসরণ করল। (ই.ফা. ৮২৬, ই.সে ৮৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩০

حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، – قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ – وَحَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فِي وَجَعِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الاِثْنَيْنِ – وَهُمْ صُفُوفٌ فِي الصَّلاَةِ – كَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِتْرَ الْحُجْرَةِ فَنَظَرَ إِلَيْنَا وَهُوَ قَائِمٌ كَأَنَّ وَجْهَهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ ‏.‏ ثُمَّ تَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَاحِكًا – قَالَ – فَبُهِتْنَا وَنَحْنُ فِي الصَّلاَةِ مِنْ فَرَحٍ بِخُرُوجِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى عَقِبَيْهِ لِيَصِلَ الصَّفَّ وَظَنَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَارِجٌ لِلصَّلاَةِ فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ أَنْ أَتِمُّوا صَلاَتَكُمْ – قَالَ – ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْخَى السِّتْرَ – قَالَ – فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে রোগে ইন্তিকাল করেন তাতে রোগাক্রান্ত হওয়াকালীন সময়ে আবূ বাকর (রাঃ) তাদের সলাতের ইমামতি করতেন। সোমবার দিন যখন লোকেরা সলাতের লাইনে দাঁড়ানো ছিল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরের পর্দা সরিয়ে দিলেন। তিনি দাঁড়িয়ে আমাদের দিকে তাকালেন। তাঁর মুখমন্ডল মুসহাফ তথা কুরআনের পাতার মতো জ্বলজ্বল করছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হাসলেন। আমরা সলাতের মধ্যে থেকেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আগমন অনুভব করে খুশিতে আত্নহারা হয়ে গেলাম। আবূ বকর (রাঃ) অনুমান করলেন,রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের জন্য বের হচ্ছেন। তাই তিনি লাইনে মিলিত হওয়ার জন্য পিছনে সরে আসছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ তোমরা তোমাদের সলাত পূর্ণ করো। বর্ণনাকারী বলেন,অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (নিজের হুজরায়) প্রবেশ করে পর্দা ছেড়ে দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঠিক এ দিন ইন্তিকাল করেন। (ই.ফা ৮২৭, ই.সে ৮৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩১

وَحَدَّثَنِيهِ عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ آخِرُ نَظْرَةٍ نَظَرْتُهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَشَفَ السِّتَارَةَ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ وَحَدِيثُ صَالِحٍ أَتَمُّ وَأَشْبَعُ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,আমি সোমবার দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে শেষবারের মতো দেখেছি, যখন তিনি (জানালার) পর্দা সরিয়ে ছিলেন। এ মর্মে সালিহ-এর হাদীস অধিক পূর্ণাঙ্গ। (ই.ফা. ৮২৭, ই.সে. ৮৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩২

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الاِثْنَيْنِ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন সোমবার দিন হলো,……… পূর্বের হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৮২৮, ই.সে. ৮৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمْ يَخْرُجْ إِلَيْنَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا فَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَذَهَبَ أَبُو بَكْرٍ يَتَقَدَّمُ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحِجَابِ فَرَفَعَهُ فَلَمَّا وَضَحَ لَنَا وَجْهُ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا نَظَرْنَا مَنْظَرًا قَطُّ كَانَ أَعْجَبَ إِلَيْنَا مِنْ وَجْهِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ وَضَحَ لَنَا – قَالَ – فَأَوْمَأَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ وَأَرْخَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحِجَابَ فَلَمْ نَقْدِرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন দিন যাবৎ আমাদের কাছে আসতে পারেননি। সলাতের জন্য ইকামাত দেয়া হলো। আবূ বকর (রাঃ) সামনে এগুতে যাচ্ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের হুজরার পর্দা উঠাতে বলে তিনি নিজেই তা উঠিয়ে ফেললেন। আমাদের সামনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চেহেরা দেখা গেল। তিনি যখন আমাদের জন্য দেখা দিলেন, তাঁর চেহারা এত সুন্দর দেখাচ্ছিল যে, আমরা ইতোপূর্বে কখনো এমন দৃশ্য দেখিনি। রাবী (আনাস) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের হাতের ইশারায় আবূ বাক্‌রকে সামনে এগিয়ে যেয়ে সলাত পড়াতে বললেন। অতঃপর আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্দা টেনে দিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি আর বাইরে বের হতে পারেননি। (ই.ফা. ৮২৯, ই.সে. ৮৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَدَّ مَرَضُهُ فَقَالَ ‏”‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لاَ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فَقَالَ ‏”‏ مُرِي أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَصَلَّى بِهِمْ أَبُو بَكْرٍ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন এবং তা দিন দিন বাড়তে লাগল। তিনি বললেনঃ আবূ বকর (রাঃ) -কে লোকদের সলাতের ইমামতি করতে বলো। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসুল! আবূ বাকর (রাঃ) নরম হৃদয়ের মানুষ। আপনার জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকেদের সলাত পড়ানোর শক্তি তার নেই। তিনি বললেন আবূ বাক্‌রকে নির্দেশ দাও, সে যেন লোকেদের নিয়ে সলাত আদায় করে নেয়। তোমরা তো ইউসুফের ঘটনা সংক্রান্ত মহিলাদের মতই। রাবী বলেন, অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবিত থাকাবস্থায় তাদের সলাতে ইমামতি করলেন। (ই.ফা. ৮৩০, ই.সে. ৮৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস