মুসলিম হায়েজ (ঋতুস্রাব) অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৫৬৬ – ৬৫০
১. অধ্যায়ঃ
পরিহিত কাপড়ের ওপরে ঋতুবতী মহিলার সাথে মেলামেশা করা।
৫৬৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا أَمَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَأْتَزِرُ بِإِزَارٍ ثُمَّ يُبَاشِرُهَا .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কেউ যখন ঋতুবতী হয়ে পড়ত তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশে সে পরিহিত কাপড় ভাল করে বেঁধে নিত। অতঃপর রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে মেলামেশা করতেন। (ই.ফা. ৫৭০, ই.সে. ৫৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا أَمَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَأْتَزِرَ فِي فَوْرِ حَيْضَتِهَا ثُمَّ يُبَاشِرُهَا . قَالَتْ وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কেউ যখন ঋতুবতী হয়ে পড়ত তখন রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হায়িয আসার স্থানে তাকে শক্ত করে কাপড় বেঁধে নেয়ার নির্দেশ দিতেন। অতঃপর তার সাথে মেলামেশা করতেন। তিনি [আয়িশাহ্ (রাঃ)] বলেন, তোমাদের মধ্যে কে তার যৌনকামনা সেরূপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম-রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেরূপ যৌন কামনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ছিলেন? (ই.ফা. ৫৭১, ই.সে ৫৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৬৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُبَاشِرُ نِسَاءَهُ فَوْقَ الإِزَارِ وَهُنَّ حُيَّضٌ .
মাইমুনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহধর্মিণীদের সাথে পরিহিত কাপড়ের উপর ঋতুর অবস্থায় মেলামেশা করতেন। (ই.ফা. ৫৭২, ই.সে. ৫৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২. অধ্যায়ঃ
ঋতুবতী মহিলার সাথে একই চাদরের নীচে শোয়া
৫৬৯
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ سَمِعْتُ مَيْمُونَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضْطَجِعُ مَعِي وَأَنَا حَائِضٌ وَبَيْنِي وَبَيْنَهُ ثَوْبٌ .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী মাইমূনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আমি ঋতুবতী অবস্থায় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সঙ্গে একই বিছানায় শুইতেন। এ সময় আমার ও তাঁর মাঝে কেবলমাত্র একখানা কাপড়ের আড়াল থাকত। (ই.ফা ৫৭৩, ই.সে. ৫৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ، بَيْنَمَا أَنَا مُضْطَجِعَةٌ، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَمِيلَةِ إِذْ حِضْتُ فَانْسَلَلْتُ فَأَخَذْتُ ثِيَابَ حَيْضَتِي فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنُفِسْتِ ” . قُلْتُ نَعَمْ . فَدَعَانِي فَاضْطَجَعْتُ مَعَهُ فِي الْخَمِيلَةِ . قَالَتْ وَكَانَتْ هِيَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلاَنِ فِي الإِنَاءِ الْوَاحِدِ مِنَ الْجَنَابَةِ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ও রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি রেখাযুক্ত চাদরের নীচে শুয়েছিলাম। ইতোমধ্যেই আমার হায়িয এলো। আমি চুপিসারে উঠে গিয়ে আমার হায়িয-এর কাপড় পরে নিলাম। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, ‘তোমার কি হায়িয এসেছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি আমাকে (কাছে) ডাকলেন। অতঃপর আমি তাঁর চাদরটির নীচে শুইলাম। ’
রাবী বলেন, তিনি (উম্মু সালামাহ) ও রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে (পানি নিয়ে) নাপাকির পবিত্র হওয়ার গোসল করতেন। (ই.ফা. ৫৭৪, ই.সে. ৫৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩. অধ্যায়ঃ
ঋতুবতী মহিলাদের জন্যে তার স্বামীর মাথা ধুয়ে দেয়া, তার চুল আঁচড়িয়ে দেয়া জায়িয; তার উচ্ছিষ্ট পবিত্র; তার কোলে মাথা রেখে হেলান দেয়া ও সেখানে কুরআন পাঠ করা জায়িয
৫৭১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا اعْتَكَفَ يُدْنِي إِلَىَّ رَأْسَهُ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلاَّ لِحَاجَةِ الإِنْسَانِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ই’তিকাফ করতেন তখন আমার দিকে তাঁর মাথা ঝুঁকিয়ে দিতেন। আমি তা আঁচড়ে দিতাম। (ই’তিকাফ কালে) তিনি ঘরে প্রবেশ করতেন না প্রাকৃতিক প্রয়োজন (যেমন প্রস্রাব পায়খানা) ছাড়া। (ই.ফা. ৫৭৫, ই.সে. ৫৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭২
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ إِنْ كُنْتُ لأَدْخُلُ الْبَيْتَ لِلْحَاجَةِ وَالْمَرِيضُ فِيهِ فَمَا أَسْأَلُ عَنْهُ إِلاَّ وَأَنَا مَارَّةٌ وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُدْخِلُ عَلَىَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلاَّ لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا . وَقَالَ ابْنُ رُمْحٍ إِذَا كَانُوا مُعْتَكِفِينَ .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (ই’তিকাফের সময়) আমি যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে ঘরে প্রবেশ করতাম। ঘরে কোন রোগী থাকে তাহলেও তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস না করেই চলে যেতাম। ই’তিকাফের সময় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদ থেকে আমার দিকে মাথা এগিয়ে দিতেন, আর আমি তাঁর চুল আঁচড়ে দিতাম। ই’তিকাফ থাকাবস্থায় তিনি (প্রাকৃতিক) কোন প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না।
ইবনু রুমহ্ বলেছেন: যখন তাঁরা ইতিকাফের অবস্থায় থাকতেন, প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না। (ই.ফা. ৫৭৬, ই.সে. ৫৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৩
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُخْرِجُ إِلَىَّ رَأْسَهُ مِنَ الْمَسْجِدِ وَهُوَ مُجَاوِرٌ فَأَغْسِلُهُ وَأَنَا حَائِضٌ .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইতিকাফে থাকাবস্থায় (অধিকাংশ সময়) মাসজিদ থেকে তাঁর মাথা আমার দিকে বের করে দিতেন। আমি ঋতুবতী অবস্থায় তা ধুয়ে দিতাম। (ই.ফা. ৫৭৭, ই.সে. ৫৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৪
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ هِشَامٍ، أَخْبَرَنَا عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُدْنِي إِلَىَّ رَأْسَهُ وَأَنَا فِي حُجْرَتِي فَأُرَجِّلُ رَأْسَهُ وَأَنَا حَائِضٌ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে তাঁর মাথা এগিয়ে দিতেন। আমার হুজরায় থেকে ঋতুবতী অবস্থায় আমি তাঁর মাথা আঁচড়ে দিতাম। (ই.ফা. ৫৭৮, ই.সে. ৫৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْسِلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا حَائِضٌ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাথা ধুয়ে দিতাম। (ই.ফা. ৫৭৯, ই.সে. ৫৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৬
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” نَاوِلِينِي الْخُمْرَةَ مِنَ الْمَسْجِدِ ” . قَالَتْ فَقُلْتُ إِنِّي حَائِضٌ . فَقَالَ ” إِنَّ حَيْضَتَكِ لَيْسَتْ فِي يَدِكِ ” .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, “মাসজিদ থেকে আমার জায়নামাযটি (হাত বাড়িয়ে) নিয়ে এসো”। তিনি বলেন, আমি বললাম, আমি তো ঋতুবতী। তিনি বললেনঃ তোমার হায়িয তো তোমার হাতে নয়। (ই.ফা. ৫৮০, ই.সে. ৫৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৭
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، وَابْنِ أَبِي غَنِيَّةَ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أُنَاوِلَهُ الْخُمْرَةَ مِنَ الْمَسْجِدِ . فَقُلْتُ إِنِّي حَائِضٌ . فَقَالَ “ تَنَاوَلِيهَا فَإِنَّ الْحَيْضَةَ لَيْسَتْ فِي يَدِكِ ” .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদ থেকে জায়নামায (হাত বাড়িয়ে) তুলে নিয়ে আসতে আমাকে নির্দেশ দিলেন। আমি বললাম যে, আমি তো ঋতুবতী। তিনি বললেন, তুমি তো আমার কাছে নিয়ে এসো। কারণ হায়িয তোমার হাতে নেই (লেগে যায়নি)। ই.ফা. ৫৮১, ই.সে. ৫৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৮
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كَامِلٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، – قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ ” يَا عَائِشَةُ نَاوِلِينِي الثَّوْبَ ” . فَقَالَتْ إِنِّي حَائِضٌ . فَقَالَ ” إِنَّ حَيْضَتَكِ لَيْسَتْ فِي يَدِكِ ” فَنَاوَلَتْهُ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই’তিকাফরত অবস্থায় মাসজিদ থেকে বললেন, হে ‘আয়িশাহ! আমাকে কাপড়টা এগিয়ে দাও। তিনি (‘আয়িশাহ (রাঃ)] বলেন, আমি যে ঋতুবতী! জবাবে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ঋতু তো তোমার হাতে লাগে নাই। তারপর আমি তা এনে দিলাম। (ই.ফা. ৫৮২, ই.সে. ৫৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، وَسُفْيَانَ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَشْرَبُ وَأَنَا حَائِضٌ، ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَيَضَعُ فَاهُ عَلَى مَوْضِعِ فِيَّ فَيَشْرَبُ وَأَتَعَرَّقُ الْعَرْقَ وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَيَضَعُ فَاهُ عَلَى مَوْضِعِ فِيَّ . وَلَمْ يَذْكُرْ زُهَيْرٌ فَيَشْرَبُ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় পানি পান করতাম এবং পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অবশিষ্টটুকু প্রদান করলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করতাম তিনিও পাত্রের সে স্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন। আবার আমি ঋতুবতী অবস্থায় হাড় খেয়ে তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দিলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়েছিলাম তিনি সেখানে মুখ লাগিয়ে খেতেন। তবে যুহায়র কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে “পান করার” উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৫৮৩, ই.সে.৫৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَكِّيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَّكِئُ فِي حِجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ فَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (অধিকাংশ সময়) রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হায়িয অবস্থায় আমার কোলে মাথা রেখে কুরআন পাঠ করতেন। (ই.ফা. ৫৮৪, ই.সে. ৬০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮১
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ الْيَهُودَ، كَانُوا إِذَا حَاضَتِ الْمَرْأَةُ فِيهِمْ لَمْ يُؤَاكِلُوهَا وَلَمْ يُجَامِعُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ فَسَأَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى { وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ} إِلَى آخِرِ الآيَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اصْنَعُوا كُلَّ شَىْءٍ إِلاَّ النِّكَاحَ ” . فَبَلَغَ ذَلِكَ الْيَهُودَ فَقَالُوا مَا يُرِيدُ هَذَا الرَّجُلُ أَنْ يَدَعَ مِنْ أَمْرِنَا شَيْئًا إِلاَّ خَالَفَنَا فِيهِ فَجَاءَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ وَعَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ فَقَالاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْيَهُودَ تَقُولُ كَذَا وَكَذَا . فَلاَ نُجَامِعُهُنَّ فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ قَدْ وَجَدَ عَلَيْهِمَا فَخَرَجَا فَاسْتَقْبَلَهُمَا هَدِيَّةٌ مِنْ لَبَنٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ فِي آثَارِهِمَا فَسَقَاهُمَا فَعَرَفَا أَنْ لَمْ يَجِدْ عَلَيْهِمَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহূদীগণ তাদের মহিলাদের হায়িজ হলে তার সাথে এক সঙ্গে খাবার খেত না এবং এক ঘরে বাস করত না। সাহাবায়ে কিরাম এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন আল্লাহ্ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করলেন, “তারা তোমার কাছে হায়িয সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও যে, তা হলো নাপাক। সুতরাং হায়িয অবস্থায় তোমরা মহিলাদের থেকে পৃথক থাক….”(সূরাহ আল বাকারাহ্ ২ : ২২২)। এরপর রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা (সে সময় তাদের সাথে) শুধু সহবাস ছাড়া অন্যান্য সব কাজ কর। এ খবর ইয়াহূদীদের কাছে পৌছলে তারা বলল, এ লোকটি সব কাজেই কেবল আমাদের বিরোধিতা করতে চায়। অতঃপর উসায়দ ইবনু হুযায়র (রাঃ) ও ‘আব্বাস ইবনু বিশর (রাঃ) এসে বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্! ইয়াহূদীরা এমন এমন বলছে। আমরা কি তাদের সাথে (হায়িয অবস্থায়) সহবাস করব না? রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চেহারা মুবারক বিবর্ণ হয়ে গেল। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি তাদের উপর ভীষণ রাগান্বিত হয়েছেন। তারা (উভয়ে) বেরিয়ে গেল। ইতোমধ্যেই রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে দুধ হাদিয়া এলো। তিনি তাদেরকে ডেকে আনার জন্যে লোক পাঠালেন। (তারা এলে) তিনি তাদেরকে দুধ পান করালেন। তখন তারা বুঝল যে, তিনি তাদের উপর রাগ করেননি। (ই.ফা. ৫৮৫, ই.সে. ৬০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪. অধ্যায়ঃ
মাযীর বিবরণ
৫৮২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَهُشَيْمٌ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُنْذِرِ بْنِ يَعْلَى، – وَيُكْنَى أَبَا يَعْلَى – عَنِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كُنْتُ رَجُلاً مَذَّاءً وَكُنْتُ أَسْتَحْيِي أَنْ أَسْأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِمَكَانِ ابْنَتِهِ فَأَمَرْتُ الْمِقْدَادَ بْنَ الأَسْوَدِ فَسَأَلَهُ فَقَالَ “ يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ ” .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, আমার বেশি বেশি মাযী বের হত। আমি এ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করতাম। কারণ তাঁর কন্যা ছিল আমার স্ত্রী। তাই আমি মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদকে (এ সম্পর্কে জানতে) বললাম, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন তিনি বললেন, এ তার পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেলবে এবং ওযূ করে নিবে। (ই.ফা. ৫৮৬, ই.সে. ৬০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ، قَالَ سَمِعْتُ مُنْذِرًا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّهُ قَالَ اسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَسْأَلَ، النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمَذْىِ مِنْ أَجْلِ فَاطِمَةَ فَأَمَرْتُ الْمِقْدَادَ فَسَأَلَهُ فَقَالَ “ مِنْهُ الْوُضُوءُ ” .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে মাযী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছিলাম ফাতিমার কারণে। তাই আমি মিকদাদকে বললাম, তখন তিনি তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তাতে (মাযী বের হলে) শুধু ওযূ করতে হয়। (ই.ফা. ৫৮৭, ই.সে. ৬০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৪
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَرْسَلْنَا الْمِقْدَادَ بْنَ الأَسْوَدِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنِ الْمَذْىِ يَخْرُجُ مِنَ الإِنْسَانِ كَيْفَ يَفْعَلُ بِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ تَوَضَّأْ وَانْضَحْ فَرْجَكَ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলী আবূ তালিব (রাঃ) বলেন, আমি একবার মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদকে রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে পাঠালাম। তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন যে, কোন লোকের মাযী বের হলে সে তখন কি করবে? তিনি বললেনঃপুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেলবে এবং ওযূ করবে। (ই.ফা. ৫৮৮, ই.সে. ৬০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫. অধ্যায়ঃ
ঘুম থেকে জেগে মুখ এবং দু’হাত ধুয়ে নিবে
৫৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَقَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ نَامَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে (ঘুম থেকে) জেগে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারলেন (প্রস্রাব-পায়খানা), তারপর তাঁর মুখমন্ডল এবং উভয় হাত ধুলেন। এরপর ঘুমিয়ে গেলেন। (ই.ফা. ৫৮৯, ই.সে. ৬০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬. অধ্যায়ঃ
নাপাক অবস্থায় ঘুমানো জায়িয; তবে খাদ্যগ্রহণ, শয়নকালে অথবা স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে চাইলে তার জন্যে ওযূ করা এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে নেয়া মুস্তাহাব
৫৮৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَهُوَ جُنُبٌ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাপাকী অবস্থায় যখন ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন ঘুমাবার আগে সলাতের জন্য যেমন ওযূ করতে হয় তেমন ওযূ করতেন। (ই.ফা. ৫৯০, ই.সে. ৬০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، وَوَكِيعٌ، وَغُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ جُنُبًا فَأَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ أَوْ يَنَامَ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নাপাক থাকতেন তখন কিছু খেতে অথবা ঘুমানো ইচ্ছা করলে ওযূ করে নিতেন যেমন, সলাতের ওযূ করতেন। (ই.ফা. ৫৯১, ই.সে. ৬০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى فِي حَدِيثِهِ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ، سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ، يُحَدِّثُ .
মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না, ইবনু বাশশার ও ‘উবাইদুল্লাহ্ ইবনু মু‘আয (রহঃ)-এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আল মুসান্না তাঁর হাদীসে বলেছেন: আমাকে হাকাম বর্ণনা করে বলেন যে, আমি ইবরাহীমকে এ হাদীস বলতে শুনেছি। ( ই.ফা. ৫৯২, ই.সে. ৬০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৮৯
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ – وَاللَّفْظُ لَهُمَا – قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، – قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَرْقُدُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ قَالَ “ نَعَمْ إِذَا تَوَضَّأَ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন ‘উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের কেউ নাপাক অবস্থায় কি ঘুমাতে পারবে? তিনি বললেনঃহ্যাঁ, যখন সে ওযূ করে নিবে। (ই.ফা. ৫৯৩, ই.সে. ৬০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، اسْتَفْتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلْ يَنَامُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ قَالَ “ نَعَمْ لِيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَنَمْ حَتَّى يَغْتَسِلَ إِذَا شَاءَ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার (রাঃ) একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করলেন যে, আমাদের কেউ কি নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে পারবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, সে যেন ওযূ করে তারপর ঘুমায়। এরপর যখন ইচ্ছা গোসল করে নেয়। (ই.ফা. ৫৯৪, ই.সে. ৬১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯১
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ تُصِيبُهُ جَنَابَةٌ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ ثُمَّ نَمْ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) একবার রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন, তিনি যদি রাতে (স্ত্রী সহবাসকালে) নাপাক হন (তাহলে কি করবেন)। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, তুমি (তখন) ওযূ করবে এবং তোমার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে তারপর ঘুমাবে। (ই.ফা. ৫৯৫, ই.সে. ৬১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ وِتْرِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قُلْتُ كَيْفَ كَانَ يَصْنَعُ فِي الْجَنَابَةِ أَكَانَ يَغْتَسِلُ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ أَمْ يَنَامُ قَبْلَ أَنْ يَغْتَسِلَ قَالَتْ كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ رُبَّمَا اغْتَسَلَ فَنَامَ وَرُبَّمَا تَوَضَّأَ فَنَامَ . قُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিতর সম্বন্ধে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম। তিনি (তৎবিষয়ে) হাদীস বর্ণনা করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি নাপাকির সময় কী করতেন, তিনি কি ঘুমাবার আগে গোসল করতেন, না গোসল করার আগে ঘুমাতেন? তিনি [‘আয়িশাহ (রাঃ)] বললেন, সবই করতেন। কখনো গোসল করে ঘুমাতেন আর কখনো ওযূ করে ঘুমিয়ে পড়তেন। আমি বললাম, সমস্ত প্রশংসা সে আল্লাহর যিনি সব কাজেই অবকাশ রেখেছেন। (ই.ফা. ৫৯৬, ই.সে. ৬১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৩
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنِيهِ هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، جَمِيعًا عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
যুহায়র ইবনু হারব ও হারূন সা‘ঈদ আল আইলী (রহঃ) মু‘আবিয়াহ্ ইবনু সালিহ (রহঃ) এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৯৭, ই.সে. ৬১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، كُلُّهُمْ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَعُودَ فَلْيَتَوَضَّأْ ” . زَادَ أَبُو بَكْرٍ فِي حَدِيثِهِ بَيْنَهُمَا وُضُوءًا وَقَالَ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُعَاوِدَ .
আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হবে তারপর আবার মিলিত হবার ইচ্ছা করবে সে যেন ওযূ করে নেয়।
আবূ বাকর তার হাদীসে ‘উভয় মিলনের মধ্যে ওযূ করবে’ বাক্যটি বাড়িয়েছেন এবং এর স্থলে (আরবী) বলেছেন। (ই.ফা. ৫৯৮, ই.সে. ৬১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৫
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مِسْكِينٌ، – يَعْنِي ابْنَ بُكَيْرٍ الْحَذَّاءَ – عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সকল স্ত্রীর কাছে একই গোসলে যেতেন। (ই.ফা. ৫৯৯, ই.সে. ৬১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭. অধ্যায়ঃ
মহিলার মানী (বীর্য) বের হলে তার উপর গোসল করা ওয়াজিব
৫৯৬
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ – وَهِيَ جَدَّةُ إِسْحَاقَ – إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لَهُ وَعَائِشَةُ عِنْدَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْمَرْأَةُ تَرَى مَا يَرَى الرَّجُلُ فِي الْمَنَامِ فَتَرَى مِنْ نَفْسِهَا مَا يَرَى الرَّجُلُ مِنْ نَفْسِهِ . فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ فَضَحْتِ النِّسَاءَ تَرِبَتْ يَمِينُكِ . فَقَالَ لِعَائِشَةَ “ بَلْ أَنْتِ فَتَرِبَتْ يَمِينُكِ نَعَمْ فَلْتَغْتَسِلْ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ إِذَا رَأَتْ ذَاكِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সুলায়ম (রাঃ) যিনি ছিলেন (এ হাদীসের রাবী) ইসহাকের দাদী-একদা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) তখন তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলেন-ইয়া রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)!পুরুষ যেমন স্বপ্নে দেখে, নারীও যদি তা দেখে, এমতাবস্থায় সে কি করবে? তখন আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, উম্মু সুলায়ম! তুমি নারী জাতিকে অপমানিত করেছ। তোমার অকল্যাণ হোক (তার এ কথা ছিল ভাল উদ্দেশ্যে)। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ(রাঃ) কে বললেন, বরং তোমার অকল্যাণ হোক! [এরপর উম্মু সুলায়ম (রাঃ) এর জবাবে বললেন] হ্যাঁ, উম্মু সুলায়ম! সে গোসল করে ফেলবে যখন ঐরূপ দেখবে। (ই.ফা. ৬০০, ই.সে, ৬১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৭
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ حَدَّثَتْ أَنَّهَا، سَأَلَتْ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمَرْأَةِ تَرَى فِي مَنَامِهَا مَا يَرَى الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا رَأَتْ ذَلِكِ الْمَرْأَةُ فَلْتَغْتَسِلْ ” . فَقَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ وَاسْتَحْيَيْتُ مِنْ ذَلِكَ قَالَتْ وَهَلْ يَكُونُ هَذَا فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” نَعَمْ فَمِنْ أَيْنَ يَكُونُ الشَّبَهُ إِنَّ مَاءَ الرَّجُلِ غَلِيظٌ أَبْيَضُ وَمَاءَ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ فَمِنْ أَيِّهِمَا عَلاَ أَوْ سَبَقَ يَكُونُ مِنْهُ الشَّبَهُ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বলেন, তিনি রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন যে ঘুমে পুরুষ যা দেখে তাই দেখতে পায়। রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মেয়েলোক যখন তেমনই দেখবে তখন সে গোসল করবে। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, এ কথায় আমি লজ্জাবোধ করলাম। তিনি বললেন, এ রকমও কি হয়? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হ্যাঁ, তা না হলে ছেলে মেয়ে তার সদৃশ কেমন করে হয়? পুরুষের বীর্য গাঢ়, সাদা আর মহিলাদের বীর্য পাতলা, হলুদ। দুয়ের মধ্যে থেকে যার বীর্য ওপরে উঠে যায় অথবা আগে চলে যায় (সন্তান) তারই সদৃশ হয়। (ই.ফা. ৬০১, ই.সে. ৬১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৮
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سَأَلَتِ امْرَأَةٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمَرْأَةِ تَرَى فِي مَنَامِهَا مَا يَرَى الرَّجُلُ فِي مَنَامِهِ فَقَالَ “ إِذَا كَانَ مِنْهَا مَا يَكُونُ مِنَ الرَّجُلِ فَلْتَغْتَسِلْ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ঐ মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, যে পুরুষ লোক ঘুমের মধ্যে যা দেখতে পায় সেও তাই। তখন রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃপুরুষের যা হয় (স্বপ্নদোষ) মহিলাদেরও এমন হলে সে গোসল করবে। (ই.ফা. ৬০২, ই.সে. ৬১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৯৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” نَعَمْ إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ ” . فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَتَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ فَقَالَ ” تَرِبَتْ يَدَاكِ فَبِمَ يُشْبِهُهَا وَلَدُهَا ” .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সুলামাহ একদা রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আল্লাহ তা‘আলা হক কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না। তাই মহিলাদের যখন স্বপ্নদোষ হয় তখন কি তার উপর গোসল করা জরুরী? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃহ্যাঁ, যখন সে বীর্য দেখবে। (এ কথা শুনে) উম্মু সালামা (রাঃ) বললেন, “ইয়া রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! মহিলাদেরও কি স্বপ্নদোষ হয়”? তিনি বললেন, তোমার উভয় হাত ধুলিময় হোক! তাহলে তার সন্তান কেমন করে তার সদৃশ হয়? (ই.ফা. ৬০৩, ই.সে. ৬১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَ مَعْنَاهُ وَزَادَ قَالَتْ قُلْتُ فَضَحْتِ النِّسَاءَ .
‘উরওয়াহ্ থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অর্থের অবিকল বর্ণিত আছে। তিনি আরো একটু বাড়িয়ে বলেন যে, তিনি [উম্মু সালামা (রাঃ)] বললেন, তুমি নারী জাতিকে লজ্জিত করেছ। (ই.ফা. ৬০৪, ই.সে. ৬২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০১
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ أُمَّ بَنِي أَبِي طَلْحَةَ دَخَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمَعْنَى حَدِيثِ هِشَامٍ غَيْرَ أَنَّ فِيهِ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ لَهَا أُفٍّ لَكِ أَتَرَى الْمَرْأَةُ ذَلِكِ
উম্মুল মু‘মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আবূ তালহার সন্তানদের মা উম্মু সুলায়ম একদা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে হিশামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে এ হাদীসটিতে ব্যতিক্রম যা রয়েছে তা হল, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, “ছিঃ ছিঃ (অসন্তোষ প্রকাশক শব্দ)! মেয়েলোক কি ঐরূপ দেখে?” (ই.ফা. ৬০৫, ই.সে. ৬২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০২
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، وَسَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالَ سَهْلٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ مُسَافِعِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَلْ تَغْتَسِلُ الْمَرْأَةُ إِذَا احْتَلَمَتْ وَأَبْصَرَتِ الْمَاءَ فَقَالَ ” نَعَمْ ” . فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ تَرِبَتْ يَدَاكِ وَأُلَّتْ . قَالَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” دَعِيهَا وَهَلْ يَكُونُ الشَّبَهُ إِلاَّ مِنْ قِبَلِ ذَلِكِ إِذَا عَلاَ مَاؤُهَا مَاءَ الرَّجُلِ أَشْبَهَ الْوَلَدُ أَخْوَالَهُ وَإِذَا عَلاَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَهَا أَشْبَهَ أَعْمَامَهُ ” .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলল, মেয়েলোকের যখন স্বপ্নদোষ হবে এবং সে বীর্যরস দেখতে পাবে তখন কি সে গোসল করবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এরপর ‘আয়িশাহ (রাঃ) মহিলাটিকে বললেন, তোমার উভয় হাত ধূলিময় হোক এবং তাতে অস্ত্রের খোঁচা লাগুক। তিনি [‘আয়িশাহ (রাঃ)] বলেন, তারপর রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ছেড়ে দাও ওকে (ভর্ৎসনা করো না) সন্তান মা-বাবার সদৃশের কারণেই হয়ে থাকে। যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের বীর্যের আগে জরায়ুতে প্রবেশ করে তখন সন্তানের আকৃতি তার মামাদের মতই হয়। আর যখন পুরুষের বীর্য মেয়েলোকের বীর্যের উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন তার আকৃতি চাচাদের মতই হয়। (ই.ফা. ৬০৬, ই.সে. ৬২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮. অধ্যায়ঃ
পুরুষ ও মহিলার বীর্যের বর্ণনা এবং সন্তান যে উভয়ের বীর্য ও শুক্র থেকে সৃষ্টি হয় তার বর্ণনা
৬০৩
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، – وَهُوَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ – حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ – عَنْ زَيْدٍ، – يَعْنِي أَخَاهُ – أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو أَسْمَاءَ الرَّحَبِيُّ، أَنَّ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُ قَالَ كُنْتُ قَائِمًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ حَبْرٌ مِنْ أَحْبَارِ الْيَهُودِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ . فَدَفَعْتُهُ دَفْعَةً كَادَ يُصْرَعُ مِنْهَا فَقَالَ لِمَ تَدْفَعُنِي فَقُلْتُ أَلاَ تَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ الْيَهُودِيُّ إِنَّمَا نَدْعُوهُ بِاسْمِهِ الَّذِي سَمَّاهُ بِهِ أَهْلُهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ اسْمِي مُحَمَّدٌ الَّذِي سَمَّانِي بِهِ أَهْلِي ” . فَقَالَ الْيَهُودِيُّ جِئْتُ أَسْأَلُكَ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَيَنْفَعُكَ شَىْءٌ إِنْ حَدَّثْتُكَ ” . قَالَ أَسْمَعُ بِأُذُنَىَّ فَنَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعُودٍ مَعَهُ . فَقَالَ ” سَلْ ” . فَقَالَ الْيَهُودِيُّ أَيْنَ يَكُونُ النَّاسُ يَوْمَ تُبَدَّلُ الأَرْضُ غَيْرَ الأَرْضِ وَالسَّمَوَاتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هُمْ فِي الظُّلْمَةِ دُونَ الْجِسْرِ ” . قَالَ فَمَنْ أَوَّلُ النَّاسِ إِجَازَةً قَالَ ” فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ ” . قَالَ الْيَهُودِيُّ فَمَا تُحْفَتُهُمْ حِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَالَ ” زِيَادَةُ كَبِدِ النُّونِ ” قَالَ فَمَا غِذَاؤُهُمْ عَلَى إِثْرِهَا قَالَ ” يُنْحَرُ لَهُمْ ثَوْرُ الْجَنَّةِ الَّذِي كَانَ يَأْكُلُ مِنْ أَطْرَافِهَا ” . قَالَ فَمَا شَرَابُهُمْ عَلَيْهِ قَالَ ” مِنْ عَيْنٍ فِيهَا تُسَمَّى سَلْسَبِيلاً ” . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ وَجِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنْ شَىْءٍ لاَ يَعْلَمُهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ إِلاَّ نَبِيٌّ أَوْ رَجُلٌ أَوْ رَجُلاَنِ . قَالَ ” يَنْفَعُكَ إِنْ حَدَّثْتُكَ ” . قَالَ أَسْمَعُ بِأُذُنَىَّ . قَالَ جِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنِ الْوَلَدِ قَالَ ” مَاءُ الرَّجُلِ أَبْيَضُ وَمَاءُ الْمَرْأَةِ أَصْفَرُ فَإِذَا اجْتَمَعَا فَعَلاَ مَنِيُّ الرَّجُلِ مَنِيَّ الْمَرْأَةِ أَذْكَرَا بِإِذْنِ اللَّهِ وَإِذَا عَلاَ مَنِيُّ الْمَرْأَةِ مَنِيَّ الرَّجُلِ آنَثَا بِإِذْنِ اللَّهِ ” . قَالَ الْيَهُودِيُّ لَقَدْ صَدَقْتَ وَإِنَّكَ لَنَبِيٌّ ثُمَّ انْصَرَفَ فَذَهَبَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لَقَدْ سَأَلَنِي هَذَا عَنِ الَّذِي سَأَلَنِي عَنْهُ وَمَا لِي عِلْمٌ بِشَىْءٍ مِنْهُ حَتَّى أَتَانِيَ اللَّهُ بِهِ ” .
রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে দাঁড়িয়েছিলাম। ইতোমধ্যেই ইয়াহূদীদের এক ‘আলিম এসে বলল, আসসালামু ‘আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ! এরপর আমি তাকে এমন এক ধাক্কা মারলাম যে, সে প্রায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো! সে বলল, তুমি আমাকে ধাক্কা মারলে কেন? আমি বললাম, ইয়া রসুলুল্লাহ্! বলতে পার না। ইয়াহূদী বলল, আমরা তাঁকে তাঁর পরিবার-পরিজন যে নাম রেখেছে সে নামেই ডাকি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার নাম মুহাম্মাদ। আমার পরিবারের লোকই আমার এ নাম রেখেছে। এরপর ইয়াহূদী বলল, আমি আপনাকে (কয়েকটি কথা) জিজ্ঞেস করতে এসেছি। রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তোমার কী লাভ হবে, যদি আমি তোমাকে কিছু বলি? সে বলল, আমি আমার কান পেতে শুনব। এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কাছে যে খড়িটি ছিল তা দিয়ে মাটিতে আঁকাঝোকা দাগ কাটতে ছিলেন। তারপর বললেন, জিজ্ঞেস কর। ইয়াহূদী বলল, যেদিন এ জমিন ও আকাশমন্ডলী পাল্টে গিয়ে অন্য জমিন ও আকাশমন্ডলীতে পরিণত হবে (অর্থাৎ কিয়ামাত হবে) সেদিন লোকজন কোথায় থাকবে? রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা সেদিন পুলসিরাতের কাছে অন্ধকারে থাকবে। সে বলল, কে সর্বপ্রথম (তা পার হবার) অনুমতি লাভ করবে? তিনি বললেন, দরিদ্র মুহাজিরগণ! ইয়াহূদী বলল, জান্নাতে যখন তারা প্রবেশ করবে তখন তাদের তোহফা কি হবে? তিনি বললেন, মাছের কলিজার টুকরা। সে বলল, এরপর তাদের দুপুরের খাদ্য কি হবে? তিনি বললেন, তাদের জন্য জান্নাতের ষাঁড় যাবাহ করা হবে যা জান্নাতের আশে পাশে চড়ে বেড়ায়। সে বলল, এরপর তাদের পানীয় কি হবে? তিনি বললেন, সেখানকার একটি ঝর্ণার পানি যার নাম ‘সালসাবীল’। সে বলল, আপনি ঠিক বলেছেন। সে আরো বলল যে, আমি আপনার কাছে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছি যা নবী ছাড়া পৃথিবীর কোন অধিবাসী জানে না অথবা একজন কি দুজন লোক ছাড়া। তিনি বললেন, আমি যদি তোমাকে তা বলে দেই তবে তোমার কি কোন উপকার হবে? সে বলল, আমি আমার কান পেতে শুনব। সে বলল, আমি আপনাকে সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছি। তিনি বললেন, পুরুষের বীর্য সাদা এবং মেয়েলোকের বীর্য হলুদ। যখন উভয়টি একত্রিত হয়ে যায় এবং পুরুষের বীর্য মেয়েলোকের বীর্যের উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন আল্লাহর হুকুমে পুত্র সন্তান হয়। আর যখন মেয়েলোকের বীর্য পুরুষের বীর্যের ওপর প্রাধান্য লাভ করে তখন আল্লাহর হুকুমে কন্যা সন্তান হয়্।
ইয়াহূদী বলল, আপনি ঠিকই বলেছেন এবং নিশ্চয়ই্ আপনি নাবী। এরপর সে চলে গেল। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ লোক আমার কাছে যা জিজ্ঞেস করছে, ইতোপূর্বে আমার সে সম্পর্কে কোন জ্ঞানই ছিল না। আল্লাহ্ তা‘আলা এক্ষনে আমাকে তা জানিয়ে দিলেন। (ই.ফা. ৬০৭, ই.সে. ৬২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৪
وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلاَّمٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ قَاعِدًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ زَائِدَةُ كَبِدِ النُّونِ . وَقَالَ أَذْكَرَ وَآنَثَ . وَلَمْ يَقُلْ أَذْكَرَا وَآنَثَا .
মু‘আবিয়াহ্ ইবনু সাল্লাম থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি তার বর্ণনাতে এতটুকু অতিরিক্ত বলেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বসে ছিলাম। আর তিনি বললেনঃমাছের কলিজা‘র টুকরা আর তিনি ‘আয্কারা’ ও ‘আ-নাসা’ শব্দ দুটির একবচন রূপ ব্যবহার করেছেন, দ্বিবচন ব্যবহার করেননি। (ই.ফা. ৬০৮, ই.সে. ৬২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯. অধ্যায়ঃ
অপবিত্রতার গোসলের বিবরণ
৬০৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ يَبْدَأُ فَيَغْسِلُ يَدَيْهِ ثُمَّ يُفْرِغُ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ فَيَغْسِلُ فَرْجَهُ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ يَأْخُذُ الْمَاءَ فَيُدْخِلُ أَصَابِعَهُ فِي أُصُولِ الشَّعْرِ حَتَّى إِذَا رَأَى أَنْ قَدِ اسْتَبْرَأَ حَفَنَ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ حَفَنَاتٍ ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ .
‘আয়িশাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অপবিত্রতা থেকে গোসল করতেন তখন প্রথমে দুই হাত ধুতেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধুতেন। তারা সলাতের ওযূর মত ওযূ করতেন। তারপর পানি নিয়ে তাঁর আঙ্গুলগুলো চুলের গোড়ায় ঢুকাতেন। এমনিভাবে যখন মনে করতেন যে, চুল ভিজে গেছে তখন মাথায় তিন আজল (দুই হাতের তালু ভরা) পানি ঢালতেন। তারপর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে দিতেন। তারপর তাঁর উভয় পা ধুয়ে ফেলতেন। [৮২] (ই.ফা. ৬০৯, ই.সে. ৬২৫)
[৮২] অপবিত্রতার গোসল: এমনভাবে করবে যাতে শরীরের কোন জায়গা শুষ্ক না থাকে, যেমন দাড়ি মাথার চুল খিলাল করবে, বগল নাভি ও নিম্নাঙ্গের খবর রাখবে, পায়ের আঙ্গুলের খিলাল করবে। উত্তম হলো, ডান দিক থেকে আরম্ভ করা ও পশ্চিম দিকে মুখ করে গোসল করা। গোসল সমাধা করে ওযূর দু‘আ পড়ে নিবে। তাতে সলাত আদায় করা যাবে ওযূর ভঙ্গের কারণ না পেলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৬
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمْ غَسْلُ الرِّجْلَيْنِ .
হিশাম থেকে বর্ণিতঃ
অবিকল সানাদে উক্ত হাদীসটি বর্ণিত আছে। তবে তাদের হাদীসে পা ধোয়ার কথা উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৬১০, ই.সে. ৬২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ فَبَدَأَ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ غَسْلَ الرِّجْلَيْنِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্রতা থেকে গোসলের সময় প্রথমে তাঁর উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধুতেন। এরপর আবূ মু‘আবিয়ার হাদীসের অবিকল উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি উভয় পা ধোয়ার কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬১১, ই.সে. নেই)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৮
وَحَدَّثَنَاهُ عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ بَدَأَ فَغَسَلَ يَدَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ ثُمَّ تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِهِ لِلصَّلاَةِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অপিবত্রতা থেকে গোসল করতেন তখন পাত্রে হাত ঢুকানোর আগে প্রথমেই তাঁর দুই হাত ধুতেন, তারপর সলাতের ওযূর মত ওযূ করতেন। (ই.ফা. ৬১২, ই.সে. ৬২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬০৯
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي خَالَتِي، مَيْمُونَةُ قَالَتْ أَدْنَيْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غُسْلَهُ مِنَ الْجَنَابَةِ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ ثُمَّ أَفْرَغَ بِهِ عَلَى فَرْجِهِ وَغَسَلَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِشِمَالِهِ الأَرْضَ فَدَلَكَهَا دَلْكًا شَدِيدًا ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ حَفَنَاتٍ مِلْءَ كَفِّهِ ثُمَّ غَسَلَ سَائِرَ جَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى عَنْ مَقَامِهِ ذَلِكَ فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ أَتَيْتُهُ بِالْمِنْدِيلِ فَرَدَّهُ .
‘আবূদল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমার খালা মাইমুনাহ্ আমাকে বলেছেন, আমি রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অপবিত্রতার গোসলের জন্যে পানির পাত্র এগিয়ে দিতাম। তিনি প্রথমে দু’হাতের কব্জি পর্যন্ত দু‘বার অথবা তিনবার ধুয়ে নিলেন। তারপর পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে বাম হাতে লজ্জাস্থান ধুয়ে পরিষ্কার করলেন। পরে বাম হাতখানা মাটিতে খুব করে রগড়ালেন, এরপর ধুয়ে নিলেন। অতঃপর উক্তস্থান থেকে সরে গিয়ে পা দু’খানা ধুলেন। অতঃপর আমি তাঁর শরীর মোছার জন্যে কাপড় বা রুমাল নিয়ে আসলে তিনি তা ব্যবহার না করে বরং ফেরত দিলেন। [৮৩] (ই.ফা. ৬১৩, ই.সে. ৬২৮)
[৮৩] অপবিত্র গোসলের পর রুমাল ব্যবহার করা যাবে কিনা, সহাবাগণের তিনটি মত দেখা যায়। (১) ওযূ গোসল করে রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে, দোষ নেই। যেমন আনাস বিন মালিক (রাঃ) বলেন। (২) ওযূ ও গোসল করে কাপড় বা রুমাল ব্যবহার করা যাবেনা। যেমন ইবনু উমার (রাঃ) বলেন : (৩) ওযূতে রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না, গোসলে ব্যবহার করা যাবে। যেমন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন। রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে নিখুঁতভাবে বিধান উল্লেখ নেই যে, প্রয়োজনবোধে উভয়ই রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ وَالأَشَجُّ وَإِسْحَاقُ كُلُّهُمْ عَنْ وَكِيعٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا إِفْرَاغُ ثَلاَثِ حَفَنَاتٍ عَلَى الرَّأْسِ وَفِي حَدِيثِ وَكِيعٍ وَصْفُ الْوُضُوءِ كُلِّهِ يَذْكُرُ الْمَضْمَضَةَ وَالاِسْتِنْشَاقَ فِيهِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ ذِكْرُ الْمِنْدِيلِ .
মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ্, আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, আবূ কুরায়ব, আল আশাজ্জ ও ইসহাক্ প্রত্যেকেই ওয়াকী’ হতে এবং ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও আবূ কুরায়ব আবূ মু‘আবিয়াহ্ হতে উভয়ে আ‘মাশ থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদের হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তাদের উভয়ের হাদীসে তিন আঁজলা পানি মাথায় ঢেলে দেয়ার কথা নেই। আর ওয়াকী‘-এর হাদীসে ওযূর পূর্ণ বর্ণনা দেয়া হয়েছে। অতঃপর তিনি কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়ার কথা তার হাদীসে বর্ণনা করেছেন। আবূ মু‘আবিয়ার হাদীসে রুমালের কথা উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৬১৪, ই.সে. ৬২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِمِنْدِيلٍ فَلَمْ يَمَسَّهُ وَجَعَلَ يَقُولُ بِالْمَاءِ هَكَذَا يَعْنِي يَنْفُضُهُ .
মাইমুনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রুমাল দেয়া হল, কিন্তু তিনি তা স্পর্শ করলেন না। তিনি পানি নিয়ে এরূপ করছিলেন অর্থাৎ পানি ঝেড়ে ফেলেছিলেন। (ই.ফা. ৬১৫, ই.সে. ৬৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ دَعَا بِشَىْءٍ نَحْوَ الْحِلاَبِ فَأَخَذَ بِكَفِّهِ بَدَأَ بِشِقِّ رَأْسِهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ الأَيْسَرِ ثُمَّ أَخَذَ بِكَفَّيْهِ فَقَالَ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অপবিত্রতা থেকে গোসল করতেন তখন হিলাব-এর (দুধ দোহন করার পাত্রের) মতো একটি পানির পাত্র চেয়ে নিতেন। অতঃপর এক হাত দিয়ে পানি নিয়ে প্রথমে মাথার ডান দিকে ধুয়ে ফেলতেন তারপর বাম দিক ধুতেন, তারপর উভয় হাত দিয়ে পানি নিয়ে মাথায় ঢেলে দিতেন। (ই.ফা. ৬১৬, ই.সে. ৬৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০. অধ্যায়ঃ
অপবিত্রতার গোসলে কতটুকু পরিমাণ পানি ব্যবহার মুস্তাহাব, পুরুষ এবং মেয়েলোক একই অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা এবং তাদের উভয়ের মধ্যে একজনের অবশিষ্ট পানি দিয়ে অপরজনের গোসল করার বর্ণনা।
৬১৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنْ إِنَاءٍ هُوَ الْفَرَقُ مِنَ الْجَنَابَةِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ফারাক্ (সাড়ে সাত কেজি) পরিমাণ পাত্রের পানি দিয়ে অপবিত্রতার গোসল করতেন। [৮৪] (ই.ফা. ৬১৭, ই.সে. ৬৩২)
[৮৪] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন : ওযূ এবং গোসলের জন্য পানির পরিমাণ নির্ধারিত নেই। কারণ কোন রিওয়ায়াতে গোসলের জন্য এক ফারাক (সাড়ে সাত কেজি) কোন রিওয়ায়াতের তিন মুদ। কাযী আয়ায (রহঃ) বলেন, এ রিওয়ায়াতের মুদের অর্থ ‘সা’ (আড়াই কেজি) তা হলে উভয় রিওয়ায়াতের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে। অপর এক রিওয়ায়াতে বর্ণিত হচ্ছে যে, ‘আয়িশাহ(রাঃ) এক সা পানি দ্বারা গোসল করেছেন। অপর এক রিওয়ায়াতে পাঁচ মাককুফ গোসলের জন্য আর ওযূর জন্য এক মাককুফ, এ রিওয়ায়াতে মাককুফের দ্বারা মুদ উদ্দেশ্য করা হয়েছে আর মুদের পরিমাণ ১১ ছটাক। অন্য এক রিওয়ায়াতে গোসলের জন্য ‘সা’ এবং ওযূর জন্য এক মুদের বর্ণনা করেছেন। অন্য আর এক রিওয়ায়াতে ওযূর জন্য এক মুদ এবং গোসলের জন্য এক সা থেকে পাঁচ মুদ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। সুতরাং ইমাম শাফিঈ এবং অন্যান উলামায়ি কিরাম বলেন, রিওয়ায়াতেরর এ মতপার্থক্যের দ্বারা বুঝা যায় যে, স্থান, কাল, পাত্র কিংবা অবস্থা ভেদে পানি কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে যাতে ওযূর অঙ্গসমূহ এবং গোসলের জন্য শরীরের কোন স্থানে শুকনা না থাকে ভালভাবে ভিজে যায় বরং একটি পশমের গোড়াও যেন শুকনা না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা সমীচীন নয়। এমন কি নদীর কিনারায় বসে ওযূ কিংবা গোসল করলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা যাবে না। (নাবাবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ فِي الْقَدَحِ وَهُوَ الْفَرَقُ وَكُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَهُوَ فِي الإِنَاءِ الْوَاحِدِ . وَفِي حَدِيثِ سُفْيَانَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ . قَالَ قُتَيْبَةُ قَالَ سُفْيَانُ وَالْفَرَقُ ثَلاَثَةُ آصُعٍ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ফারাক পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করতেন। অনেক সময় আমি এবং তিনি একই পাত্রে গোসল করতাম।
সুফইয়ানের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে “একই পাত্র থেকে”।
কুতাইবাহ বলেন, সুফইয়ান বলেছেন, ফারাক্ হল তিন ‘সা’ পরিমাণ। [৮৫] (ই.ফা. ৬১৮, ই.সে. ৬৩৩)
৮৫. ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন: স্বামী এবং স্ত্রীর পবিত্রতার গোসল এক সঙ্গে একই পাত্রে জায়িয। এ ব্যাপারে মুসলিমদের … ঐকমত্য হয়েছে। অনুরূপভাবে পুরুষের ব্যবহারকৃত পানি হতে উদ্ধৃত পানি দ্বারা মহিলাদের গোসল জায়িয। এ বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে। উক্ত মহিলার ব্যবহারকৃত পানি হতে উদ্ধৃত পানি দ্বারা পুরুষের জন্য পবিত্রতা অর্জন করা সম্পর্কে কিছুটা মতানৈক্য থাকলেও সহীহ হাদীসের দ্বারা জায়িয প্রমানিত হয়েছে, তবে মহিলাদেরকে একটু সতর্কতার সাথে পানি ব্যবহার করা উচিত যাতে শরীরের ব্যবহারকৃত পানি পুনরায় পাত্রে পতিত না হয় কেননা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়া পানি ব্যবহার জায়িয নয়। (নাবাবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৫
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ أَنَا وَأَخُوهَا، مِنَ الرَّضَاعَةِ فَسَأَلَهَا عَنْ غُسْلِ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم مِنَ الْجَنَابَةِ فَدَعَتْ بِإِنَاءٍ قَدْرِ الصَّاعِ فَاغْتَسَلَتْ وَبَيْنَنَا وَبَيْنَهَا سِتْرٌ وَأَفْرَغَتْ عَلَى رَأْسِهَا ثَلاَثًا . قَالَ وَكَانَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذْنَ مِنْ رُءُوسِهِنَّ حَتَّى تَكُونَ كَالْوَفْرَةِ .
আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং ‘আয়িশাহ(রাঃ) এর দুধ ভাই একবার তাঁর কাছে গেলাম। অতঃপর তাঁর দুধ ভাই তাঁকে রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি একটি পাত্র আনালেন যা ছিল এক ‘সা’ পরিমাণ। তারপর তিনি গোসল করলেন। আমাদের এবং তাঁর মধ্যে পর্দা ছিল। তিনি তাঁর মাথায় তিনবার পানি ঢাললেন। আবূ সালামা বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রীগণ মাথার চুল কেটে রাখতেন তা ওয়াফরা-এর ন্যায় হয়ে যেত (ঘার বরাবর লম্বা চুলই ওয়াফরা)। [৮৬] (ই.ফা. ৬১৯, ই.সে. ৬৩৪)
[৮৬] (ওয়াফরা) ঐ চুলকে বলা হয় যা কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকে। কাযী আয়ায বলেন, আরবের মেয়েরা মাথার চুল বেনী গেঁথে রাখতো। সুতরাং রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রীগণ তাঁর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মৃত্যুর পর সম্ভবত এরূপ করতেন সৌন্দর্য বর্জন করার জন্য। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, কাযী আয়াযের মতো অন্যান্য উলামায়ে কিরামও বলেছেন। রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবদ্দশায় তাঁরা এরূপ করেছেন বলে ধারণা করা যায় না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ بَدَأَ بِيَمِينِهِ فَصَبَّ عَلَيْهَا مِنَ الْمَاءِ فَغَسَلَهَا ثُمَّ صَبَّ الْمَاءَ عَلَى الأَذَى الَّذِي بِهِ بِيَمِينِهِ وَغَسَلَ عَنْهُ بِشِمَالِهِ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْ ذَلِكَ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ . قَالَتْ عَائِشَةُ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ وَنَحْنُ جُنُبَانِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন গোসল করতেন তখন ডানদিক থেকে শুরু করতেন। তিনি প্রথমেই ডান হাতে পানি ঢেলে তা ধুয়ে ফেলতেন। তারপর ডান হাত দিয়ে শরীরের যেখানে নাপাকী থাকত সেখানে পানি ঢেলে দিতেন এবং বাম হাত দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতেন। এটা শেষ করে তিনি মাথায় পানি ঢালতেন।
‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি এবং রসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয়েই অপবিত্র অবস্থায় একই পাত্র থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। (ই.ফা. ৬২০, ই.সে. ৬৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، – وَكَانَتْ تَحْتَ الْمُنْذِرِ بْنِ الزُّبَيْرِ – أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهَا أَنَّهَا، كَانَتْ تَغْتَسِلُ هِيَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ يَسَعُ ثَلاَثَةَ أَمْدَادٍ أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ .
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, তিনি এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে গোসল করতেন যাতে তিন মুদ্ বা তার সম পরিমান পানি ধরত। (ই.ফা. ৬২১, ই.সে. ৬৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ تَخْتَلِفُ أَيْدِينَا فِيهِ مِنَ الْجَنَابَةِ .
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। আমাদের দুজনের হাত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তাতে লাগত। এ গোসল ছিল অপবিত্রতা থেকে। (ই.ফা. ৬২২, ই.সে. ৬৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬১৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ – بَيْنِي وَبَيْنَهُ – وَاحِدٍ فَيُبَادِرُنِي حَتَّى أَقُولَ دَعْ لِي دَعْ لِي . قَالَتْ وَهُمَا جُنُبَانِ .
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র থেকে গোসল করতাম যা আমার এবং তাঁর মাঝখানে থাকত। তিনি আমার থেকে আগে তাড়াতাড়ি করে ফেলতেন। তখন আমি বলতাম, আমার জন্য একটু রেখে দিন, আমার জন্য একটু রেখে দিন। তিনি [‘আয়িশাহহ (রাঃ)] বলেন যে তারা উভয়েই অপবিত্র ছিলেন। (ই.ফা. ৬২৩, ই.সে. ৬৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي مَيْمُونَةُ، أَنَّهَا كَانَتْ تَغْتَسِلُ هِيَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মাইমুনাহ্ (রাঃ) আমাকে বলেন যে, তিনি ও রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রে গোসল করতেন। (ই.ফা. ৬২৪, ই.সে. ৬৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২১
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ أَكْبَرُ عِلْمِي وَالَّذِي يَخْطُرُ عَلَى بَالِي أَنَّ أَبَا الشَّعْثَاءِ أَخْبَرَنِي أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ بِفَضْلِ مَيْمُونَةَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাইমুনাহ্ (রাঃ) এর উদ্বৃত্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন। (ই.ফা. ৬২৫, ই.সে. ৬৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ، كَانَتْ هِيَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلاَنِ فِي الإِنَاءِ الْوَاحِدِ مِنَ الْجَنَابَةِ .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি এবং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রে অপবিত্রতার গোসল করতেন।(ই.ফা. ৬২৬, ই.সে. ৬৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ بِخَمْسِ مَكَاكِيكَ وَيَتَوَضَّأُ بِمَكُّوكٍ . وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى بِخَمْسِ مَكَاكِيَّ . وَقَالَ ابْنُ مُعَاذٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنَ جَبْرٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ মাক্কুক পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং এক মাক্কুক পানি দিয়ে ওযূ করতেন। আর ইবনু আল মুসান্না বলেছেন: পাঁচ মাক্কুক দিয়ে গোসল করতেন এবং বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনু মু’আয ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি ‘ইবনু জাব্র’ শব্দটি উল্লেখ করেননি। (মাক্কুক ও মুদ্ পৌনে এগার ছটাক পরিমাণ এবং এক সা’ দু’সের এগার ছটাক পরিমাণ।) (ই.ফা. ৬২৭, ই.সে. ৬৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنِ ابْنِ جَبْرٍ، عَنْ أَنَسِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মুদ্ পানি দিয়ে ওযূ করতেন এবং এক সা’ থেকে পাঁচ মুদ্ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন। (ই.ফা. ৬২৮, ই.সে. ৬৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ، – قَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – حَدَّثَنَا أَبُو رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُغَسِّلُهُ الصَّاعُ مِنَ الْمَاءِ مِنَ الْجَنَابَةِ وَيُوَضِّؤُهُ الْمُدُّ .
সাফীনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সা’ পানিতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অপবিত্রতার গোসল সম্পন্ন হয়ে যেত এবং এক মুদ্ পানিতে ওযূ হয়ে যেত। (ই.ফা. ৬২৯, ই.সে. ৬৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ – صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَطَهَّرُ بِالْمُدِّ . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ حُجْرٍ أَوْ قَالَ وَيُطَهِّرُهُ الْمُدُّ . وَقَالَ وَقَدْ كَانَ كَبِرَ وَمَا كُنْتُ أَثِقُ بِحَدِيثِهِ .
সাফীনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবা আবূ বকর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সা’ পানি দিয়ে গোসল এবং এক মুদ্ পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন (ওযূ)করতেন। আর ইবনু হুজ্র তাঁর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে বা তিনি বলেছেন, এক মুদ্ পানি তাঁকে অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করতেন। তিনি (আবূ রাইহানাহ্) বলেন, সাফীনাহ্ অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমি তাঁর বর্ণিত হাদীসের উপর নির্ভর করতে পারি না। (ই.ফা. ৬৩০, ই.সে. ৬৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১. অধ্যায়ঃ
মাথা এবং কতিপয় অঙ্গে (গোসলের সময়) তিনবার পানি ঢেলে দেয়া মুস্তাহাব
৬২৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ تَمَارَوْا فِي الْغُسْلِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أَغْسِلُ رَأْسِي كَذَا وَكَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُفِيضُ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثَ أَكُفٍّ ” .
জুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মুখে লোকেরা গোসল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করল। কেউ কেউ বলল, আমি তো এ পরিমাণ পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে থাকি। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তো আমার মাথায় তিন কোষ পানি ঢেলে থাকি। [৮৭] (ই.ফা. ৬৩১, ই.সে. ৬৪৬)
[৮৭] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, পবিত্রতার গোসলের সময় মাথায় তিনবার পানি ঢেলে দেয়া মুস্তাহাব। যেমন ওযূর অঙ্গসমূহ তিনবার করে ধৌত করা মুস্তাহাব।)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ذُكِرَ عِنْدَهُ الْغُسْلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فَقَالَ “ أَمَّا أَنَا فَأُفْرِغُ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثًا ” .
জুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে একবার অপবিত্রতা থেকে গোসলের আলোচনা করা হলে তিনি বললেন, আমি তো আমার মাথায় তিন বার পানি ঢেলে দেই। (ই.ফা. ৬৩২, ই.সে. ৬৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬২৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ وَفْدَ، ثَقِيفٍ سَأَلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِنَّ أَرْضَنَا أَرْضٌ بَارِدَةٌ فَكَيْفَ بِالْغُسْلِ فَقَالَ “ أَمَّا أَنَا فَأُفْرِغُ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثًا ” . قَالَ ابْنُ سَالِمٍ فِي رِوَايَتِهِ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ وَقَالَ إِنَّ وَفْدَ ثَقِيفٍ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(তিনি বলেছেন) সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দল এসে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলঃ আমাদের এলাকাটি অত্যন্ত শীতপ্রধান, সেখানে আমরা (অপবিত্রতার) গোসল কীভাবে করব? তিনি বললেন, আমি তো আমার মাথায় তিন বার পানি ঢেলে থাকি।
ইবনু সালিম হুশায়ম ও আবূ বিশর্ এর মাধ্যমে তাঁর বর্ণিত হাদীসে বলেছেন, সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দল এসে ‘হে আল্লাহর রাসুল’ বলে সম্বোধন করেছিল। (ই.ফা. ৬৩৩, ই.সে. ৬৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – يَعْنِي الثَّقَفِيَّ – حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنْ جَنَابَةٍ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثَ حَفَنَاتٍ مِنْ مَاءٍ . فَقَالَ لَهُ الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ إِنَّ شَعْرِي كَثِيرٌ . قَالَ جَابِرٌ فَقُلْتُ لَهُ يَا ابْنَ أَخِي كَانَ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرَ مِنْ شَعْرِكَ وَأَطْيَبَ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(তিনি বলেছেন) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্রতার গোসল করার সময় মাথায় তিন আঁজলা পানি ঢালতেন। হাসান ইবনু মুহাম্মাদ তাঁকে (জাবিরকে) বললেন, আমার মাথায় তো চুল অনেক (কাজেই এটুকু পানি তো আমার জন্য যথেষ্ট নয়) জবাবে জাবির বললেন, ভাতিজা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাথায় চুল তোমার চেয়ে অনেক বেশি এবং উত্তম ও পরিচ্ছন্ন ছিল। (ই.ফা. ৬৩৪, ই.সে. ৬৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২. অধ্যায়ঃ
গোসলকারিনীর (অপবিত্রতার) মাথার বেনীর হুকুম
৬৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أَشُدُّ ضَفْرَ رَأْسِي فَأَنْقُضُهُ لِغُسْلِ الْجَنَابَةِ قَالَ “ لاَ إِنَّمَا يَكْفِيكِ أَنْ تَحْثِي عَلَى رَأْسِكِ ثَلاَثَ حَثَيَاتٍ ثُمَّ تُفِيضِينَ عَلَيْكِ الْمَاءَ فَتَطْهُرِينَ ” .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো মাথায় চুলের বেনী গেঁথে থাকি। সুতরাং অপবিত্রতার গোসলের সময় কি আমি তা খুলব? তিনি বললেন, না। বরং তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, তুমি মাথার ওপর তিন আঁজলা পানি ঢেলে দিবে। অতঃপর সারা শরীরে পানি ঢেলে দিয়ে পবিত্র হয়ে যাবে। [৮৮] (ই.ফা. ৬৩৫, ই.সে. ৬৫০)
[৮৮] উম্মু সালামাহ্ ও ‘আয়িশাহ(রাঃ) বর্ণিত হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে, মহিলাদের পবিত্রতার গোসলের সময় মাথার চুলের বেনী খোলা জরুরি নয়
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩২
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، فِي هَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ فَأَنْقُضُهُ لِلْحَيْضَةِ وَالْجَنَابَةِ فَقَالَ “ لاَ ” ثُمَّ ذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ .
‘আম্র আন্ নাকিদ ও ‘আব্দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) এর সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উক্ত হাদীসটি বর্ণিত আছে। ‘আব্দুর রায্যাকের হাদীসে রয়েছে যে, “আমি কি তা হায়িয ও অপবিত্রতা থেকে গোসলের জন্যে খুলবো? তিনি বললেন, না”।এরপর ইবনু ‘উয়াইনার (উপরোক্ত) হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৬৩৬, ই.সে. ৬৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৩
وَحَدَّثَنِيهِ أَحْمَدُ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – عَنْ رَوْحِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُوسَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ أَفَأَحُلُّهُ فَأَغْسِلُهُ مِنَ الْجَنَابَةِ . وَلَمْ يَذْكُرِ الْحَيْضَةَ .
আহমাদ ইবনু সা’ঈদ আদ্ দারিমী (রহঃ) এর সূত্রে আইয়ূব ইবনু মূসা (রাঃ) হতে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
সেখানে উল্লেখ আছে যে, “আমি কি তা খুলে অপবিত্রতা থেকে গোসল করব?” সেখানে তিনি হায়িযের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৩৭, ই.সে. ৬৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৪
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ بَلَغَ عَائِشَةَ أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَأْمُرُ النِّسَاءَ إِذَا اغْتَسَلْنَ أَنْ يَنْقُضْنَ رُءُوسَهُنَّ فَقَالَتْ يَا عَجَبًا لاِبْنِ عَمْرٍو هَذَا يَأْمُرُ النِّسَاءَ إِذَا اغْتَسَلْنَ أَنْ يَنْقُضْنَ رُءُوسَهُنَّ أَفَلاَ يَأْمُرُهُنَّ أَنْ يَحْلِقْنَ رُءُوسَهُنَّ لَقَدْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ وَلاَ أَزِيدُ عَلَى أَنْ أُفْرِغَ عَلَى رَأْسِي ثَلاَثَ إِفْرَاغَاتٍ .
‘উবায়দ ইবনু ‘উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, ‘আয়িশাহ(রাঃ) এর নিকটে খবর পৌঁছিল যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র স্ত্রীলোকদেরকে গোসলের সময় তাদের মাথার চুল (বেনী) খোলার আদেশ দিয়ে থাকেন। এ কথা জানার পর ‘আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, আশ্চর্য লাগে ইবনু ‘আম্র (রাঃ) এর মত লোক মেয়েদেরকে গোসলের সময় মাথার চুল খোলার আদেশ করেন। তাহলে তো তিনি তাদেরকে মাথার চুল মুড়ে ফেলার আদেশ দিতে পারেন। অথচ আমি এবং রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সাথে একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে অপবিত্রতার গোসল করেছি। এ সময় আমি আমার মাথায় তিন কোষ (দুই হাতের তালুর) অধিক পানি ঢালিনি। (ই.ফা. ৬৩৮, ই.সে. ৬৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩. অধ্যায়ঃ
হায়িয থেকে গোসলকারিনীর জন্যে রক্তের স্থানে (লজ্জাস্থানে) সুগন্ধযুক্ত কাপড়ের টুকরা বা তুলা ব্যবহার করা মুস্তাহাব
৬৩৫
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنْ مَنْصُورٍ ابْنِ صَفِيَّةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ تَغْتَسِلُ مِنْ حَيْضَتِهَا قَالَ فَذَكَرَتْ أَنَّهُ عَلَّمَهَا كَيْفَ تَغْتَسِلُ ثُمَّ تَأْخُذُ فِرْصَةً مِنْ مِسْكٍ فَتَطَهَّرُ بِهَا . قَالَتْ كَيْفَ أَتَطَهَّرُ بِهَا قَالَ “ تَطَهَّرِي بِهَا . سُبْحَانَ اللَّهِ ” . وَاسْتَتَرَ – وَأَشَارَ لَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ بِيَدِهِ عَلَى وَجْهِهِ – قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ وَاجْتَذَبْتُهَا إِلَىَّ وَعَرَفْتُ مَا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ تَتَبَّعِي بِهَا أَثَرَ الدَّمِ . وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ فَقُلْتُ تَتَبَّعِي بِهَا آثَارَ الدَّمِ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করল যে, কিভাবে সে তাঁর হায়িয থেকে গোসল করবে? হাদীসের রাবী বলেন, ‘আয়িশাহ(রাঃ) উল্লেখ করেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভদ্রমহিলাকে সে কিভাবে গোসল করবে, তা শিখিয়ে দিলেন তারপর সুগন্ধযুক্ত কাপড় বা তুলা ব্যবহার করবে এবং তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। সে বলল, এ সুগন্ধযুক্ত কাপড় দ্বারা আমি কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করব? তিনি বললেন, তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ্! (এত সোজা কথাও বুঝ না)। এরপর তিনি (মুখ) সরিয়ে নিলেন। (রাবী বলেন) সুফ্ইয়ান ইবনু ‘উয়াইনাহ্ নিজ মুখের উপর হাত দিয়ে আমাদেরকে ইশারা করে দেখালেন। ‘আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, আমি তাঁকে আমার দিকে টেনে আনলাম। আর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা আমি বুঝে ফেললাম। অতঃপর আমি মহিলাটিকে বললাম, তুমি তা (সুগন্ধযুক্ত কাপড় বা তুলা) রক্তের স্থানে (লজ্জাস্থানে) বুলিয়ে নিবে। ইবনু ‘উমার তাঁর বর্ণিত হাদীসে বলেছেন, তিনি বলেনঃ আমি বললাম, রক্তের স্থানে সুগন্ধযুক্ত কাপড়টি বুলিয়ে দিন। (ই.ফা. ৬৩৯, ই.সে. ৬৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৬
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ أَغْتَسِلُ عِنْدَ الطُّهْرِ فَقَالَ “ خُذِي فِرْصَةً مُمَسَّكَةً فَتَوَضَّئِي بِهَا ” . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ سُفْيَانَ .
‘আয়িশাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক মহিলা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করল যে, আমি তুহ্র এর (হায়িয থেকে পবিত্রতার) সময় কিভাবে গোসল করব? তিনি বললেন, এক টুকরো সুগন্ধযুক্ত কাপড় বা তুলা নিবে তারপর তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। এরপর সুফ্ইয়ানের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৬৪০, ই.সে. ৬৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ، تُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَسْمَاءَ، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ غُسْلِ الْمَحِيضِ فَقَالَ ” تَأْخُذُ إِحْدَاكُنَّ مَاءَهَا وَسِدْرَتَهَا فَتَطَهَّرُ فَتُحْسِنُ الطُّهُورَ ثُمَّ تَصُبُّ عَلَى رَأْسِهَا فَتَدْلُكُهُ دَلْكًا شَدِيدًا حَتَّى تَبْلُغَ شُئُونَ رَأْسِهَا ثُمَّ تَصُبُّ عَلَيْهَا الْمَاءَ . ثُمَّ تَأْخُذُ فِرْصَةً مُمَسَّكَةً فَتَطَهَّرُ بِهَا ” . فَقَالَتْ أَسْمَاءُ وَكَيْفَ تَطَهَّرُ بِهَا فَقَالَ ” سُبْحَانَ اللَّهِ تَطَهَّرِينَ بِهَا ” . فَقَالَتْ عَائِشَةُ كَأَنَّهَا تُخْفِي ذَلِكَ تَتَبَّعِينَ أَثَرَ الدَّمِ . وَسَأَلَتْهُ عَنْ غُسْلِ الْجَنَابَةِ فَقَالَ ” تَأْخُذُ مَاءً فَتَطَهَّرُ فَتُحْسِنُ الطُّهُورَ – أَوْ تُبْلِغُ الطُّهُورَ – ثُمَّ تَصُبُّ عَلَى رَأْسِهَا فَتَدْلُكُهُ حَتَّى تَبْلُغَ شُئُونَ رَأْسِهَا ثُمَّ تُفِيضُ عَلَيْهَا الْمَاءَ ” . فَقَالَتْ عَائِشَةُ نِعْمَ النِّسَاءُ نِسَاءُ الأَنْصَارِ لَمْ يَكُنْ يَمْنَعُهُنَّ الْحَيَاءُ أَنْ يَتَفَقَّهْنَ فِي الدِّينِ .
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আসমা (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কাছে হায়িযের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, তোমাদের কেউ পানি এবং বরইয়ের পাতা নিয়ে সুন্দর ভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে দিয়ে ভালভাবে নাড়াচড়া করবে যাতে পানি সমস্ত চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তারপর তার উপর পানি ঢেলে দিবে। তারপর সুগন্ধযুক্ত কাপড় নিয়ে তার দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। আসমা বলল, তা দিয়ে সে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে। অতঃপর ‘আয়িশা (রাঃ) তাকে যেন চুপি চুপি বলে দিলেন, রক্ত বের হবার জায়গায় তা বুলিয়ে দিবে। সে অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, পানি নিয়ে তার দ্বারা সুন্দরভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে। তার মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ভাল করে নাড়াচড়া করবে যাতে চুলের গোঁড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে দিবে। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, আনসারদের মহিলারা কত ভাল ! লজ্জা তাদেরকে দীন-এর জ্ঞান থেকে ফিরিয়ে রাখে না। (ই.ফা. ৬৪১, ই.সে. ৬৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৮
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَقَالَ قَالَ “ سُبْحَانَ اللَّهِ تَطَهَّرِي بِهَا ” . وَاسْتَتَرَ .
শু’বাহ্ থেকে বর্ণিতঃ
অবিকল বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! তা দ্বারা পবিত্রতা লাভ করবে। অতঃপর তিনি আড়াল করলেন। (ই.ফা. ৬৪২, ই.সে. ৬৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৩৯
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ شَكَلٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَغْتَسِلُ إِحْدَانَا إِذَا طَهُرَتْ مِنَ الْحَيْضِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ .
‘আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আসমা বিনতু শাকাল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমাদের কেউ যখন হায়িয থেকে পবিত্র হবে তখন সে কিভাবে গোসল করবে? এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীসটির মধ্যে অপবিত্রতার গোসলের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৪৩, ই.সে. ৬৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৪. অধ্যায়ঃ
ইসতিহাযাহ [৮৯] বা রক্তপ্রদর রোগগ্রস্ত মহিলার গোসল ও তার সলাত প্রসঙ্গ
[৮৯] ইসতিহাযাহ্ বলা হয় ঐ রক্তকে যা হায়িয ও নিফাসের নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত মহিলাদের লজ্জাস্থান দিয়ে রক্ত বের হয় । এ রক্ত একটি রগ থেকে বের হয়ে থাকে যাকে আদিল বলা হয় । আর হায়িযের রক্ত জরায়ুর ভিতর থেকে বের হয় । ইসতিহাযার রক্ত সাধারনত লাল কিংবা হলদে অথবা মেটে রং হয় এবং হায়িযের রক্ত স্বভাবত কালচে রং হয় । সুতরাং রক্তের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখলে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় ।
ইসতিহাযাহ রোগাক্রান্ত মহিলা সুস্থ মহিলার মত সলাত, সওম, ই’তিকাফ, কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত সহ যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী করতে পারবে । তবে প্রত্যেক ওয়াক্তের সলাতে প্রারম্ভে ওযূ করে নিবে । আর যখন সলাত আদায় করার নিয়্যাত করবে তখন লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে এবং উক্তস্থানে এক টুকরো কাপড়, তুলা লাগিয়ে রাখবে । (নাবাবী)
৬৪০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ “ لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي ” .
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ফাতিমাহ্ বিনতু আবূ হুরায়শ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসুল! আমি একজন ইসতিহাযাহ্ বা রক্তপ্রদর রোগগ্রস্ত নারী। কখনো এ রোগ থেকে মুক্ত হই না। তাই আমি এ সলাত আদায় করা কি ছেড়ে দিব? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ না , তুমি সলাত আদায় ছাড়বেনা। কেননা, এ হায়িয না বরং একটি শিরা নিঃসৃত রক্ত। তাই যখন হায়িয দেখা দিবে তখন শুধু সলাত আদায় করবেনা। আর যখন হায়িয ভাল হয়ে যাবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলে গোসল করে পবিত্র হয়ে সলাত আদায় করবে। (ই.ফা. ৬৪৪, ই.সে. ৬৫৯)
[৮৯] ইসতিহাযাহ্ বলা হয় ঐ রক্তকে যা হায়িয ও নিফাসের নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত মহিলাদের লজ্জাস্থান দিয়ে রক্ত বের হয় । এ রক্ত একটি রগ থেকে বের হয়ে থাকে যাকে আদিল বলা হয় । আর হায়িযের রক্ত জরায়ুর ভিতর থেকে বের হয় । ইসতিহাযার রক্ত সাধারনত লাল কিংবা হলদে অথবা মেটে রং হয় এবং হায়িযের রক্ত স্বভাবত কালচে রং হয় । সুতরাং রক্তের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখলে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় ।
ইসতিহাযাহ রোগাক্রান্ত মহিলা সুস্থ মহিলার মত সলাত, সওম, ই’তিকাফ, কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত সহ যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী করতে পারবে । তবে প্রত্যেক ওয়াক্তের সলাতে প্রারম্ভে ওযূ করে নিবে । আর যখন সলাত আদায় করার নিয়্যাত করবে তখন লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে এবং উক্তস্থানে এক টুকরো কাপড়, তুলা লাগিয়ে রাখবে । (নাবাবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِمِثْلِ حَدِيثِ وَكِيعٍ وَإِسْنَادِهِ . وَفِي حَدِيثِ قُتَيْبَةَ عَنْ جَرِيرٍ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَسَدٍ وَهِيَ امْرَأَةٌ مِنَّا . قَالَ وَفِي حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ زِيَادَةُ حَرْفٍ تَرَكْنَا ذِكْرَهُ .
জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ফাতিমাহ্ বিনতু আবূ হুবায়শ ইবনু ‘আব্দুল মুত্তালিব ইবনু আসাদ যিনি আমাদের বংশের একজন মহিলা ছিলেন- রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলেন। আর হাম্মাদ ইবনু যায়দ-এর হাদীসে একতা অক্ষর অতিরিক্ত ছিল, আমরা তা উল্লেখ করিনি।
(ই.ফা. ৬৪৫, ই.সে. ৬৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ اسْتَفْتَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي أُسْتَحَاضُ . فَقَالَ “ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ صَلِّي ” . فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ . قَالَ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَلَكِنَّهُ شَىْءٌ فَعَلَتْهُ هِيَ . وَقَالَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ ابْنَةُ جَحْشٍ وَلَمْ يَذْكُرْ أُمَّ حَبِيبَةَ .
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ্ বিনতু জাহ্শ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে মাসআলা জানতে চেয়ে বলল, আমার ইসতিহাযাহ্ হয়েছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ওটা হল একতা রগের (ধমনী) রক্ত। তাই তুমি গোসল করে ফেলবে তারপর সলাত আদায় করবে। এরপর সে প্রতি সলাতের সময়ই গোসল করত। রাবী লায়স ইবনু সা’দ বলেন, ইবনু শিহাব এ কথা উল্লেখ করেননি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু হাবীবাহ্কে প্রত্যেক সলাতের সময়ই গোসলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বরং এটা সে নিজের থেকেই করত। ইবনু রুম্হ তার বর্ণনায় জাহ্শের কন্যার কথা বলেছেন, উম্মু হাবীবার নাম উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৪৬, ই.সে. ৬৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ – خَتَنَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ – اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ فَاسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنَّ هَذَا عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي ” . قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ فِي مِرْكَنٍ فِي حُجْرَةِ أُخْتِهَا زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حَتَّى تَعْلُوَ حُمْرَةُ الدَّمِ الْمَاءَ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَحَدَّثْتُ بِذَلِكَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَقَالَ يَرْحَمُ اللَّهُ هِنْدًا لَوْ سَمِعَتْ بِهَذِهِ الْفُتْيَا وَاللَّهِ إِنْ كَانَتْ لَتَبْكِي لأَنَّهَا كَانَتْ لاَ تُصَلِّي .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শ্যালিকা এবং আব্দুর রহমান ইবনু ‘আওফ-এর স্ত্রী হাবীবাহ্ বিনতু জাহা্শ সাত বছর যাবৎ ইসতিহাযার রোগী ছিলেন। তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এ ব্যাপারে মাসআলা জানতে চাইলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটা হায়িয নয়; বরং ধমনীর (রগের) রক্ত। তাই তুমি গোসল করে ফেল এবং সলাত আদায় কর।
‘আয়িশাহহ্ (রাঃ) বলেন, এরপর তিনি তার বোন যায়নাব বিনতু জাহ্শ-এর ঘরে একটি পাত্রের মধ্যে বসে গোসল করতেন। এমনকি পানি রক্তে লাল হয়ে যেত।
ইবনু শিহাব বলেন, আমি এই হাদীসটি আবূ বাক্র ইবনু ‘আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশাম-এর কাছের বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’য়ালা হিন্দের ওপর রহমাত করুন। সে যদি এ ফাতাওয়ার (মাসআলাহ্) শুনতে পেত! আল্লাহর কসম! সে শুধু কাঁদত। কারন সে সলাত আদায় করতনা (এ মাসআলা তার জানা ছিলনা। ফলে সলাত আদায় করতে না পারার কারণে কাঁদত)। (ই.ফা. ৬৪৭, ই.সে. ৬৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪৪
وَحَدَّثَنِي أَبُو عِمْرَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتِ اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ إِلَى قَوْلِهِ تَعْلُوَ حُمْرَةُ الدَّمِ الْمَاءَ . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ্ বিনতু জাহ্শ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলো। আর সাত বৎসর ধরে তার ইসতিহাযাহ্ চলছিল। এরপর রাবী আবূ ‘ইমরান ‘আম্র ইবনুল হারিসের অনুরূপ “এমনকি পানি রক্তে লাল হয়ে যেত” পর্যন্ত বর্ণনা করেন এর পরবর্তী অংশ তিনি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৬৪৮, ই.সে. ৬৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ ابْنَةَ جَحْشٍ، كَانَتْ تُسْتَحَاضُ سَبْعَ سِنِينَ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ
‘আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাহ্শ-এর কন্যার সাত বৎসর যাবত ইসতিহাযাহ্ ছিল। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। (ই.ফা. ৬৪৯, ই.সে. ৬৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيِبٍ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدَّمِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ رَأَيْتُ مِرْكَنَهَا مَلآنَ دَمًا فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ امْكُثِي قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحْبِسُكِ حَيْضَتُكِ ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ” .
‘আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ্ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। এরপর ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি তার পাত্র দেখেছি রক্তে পরিপূর্ণ। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তোমার হায়িয যে কয়দিন হয়, সে কয়দিন পরিমাণ তুমি অপেক্ষা কর। তারপর গোসল করে ফেল এবং সলাত আদায় কর। (ই.ফা. ৬৫০, ই.সে. ৬৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪৭
حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ قُرَيْشٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ الَّتِي كَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ شَكَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الدَّمَ فَقَالَ لَهَا “ امْكُثِي قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحْبِسُكِ حَيْضَتُكِ ثُمَّ اغْتَسِلِي ” . فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, ‘আব্দুর রহমান ইবনু ‘আওফ-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ্ বিনতু জাহ্শ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে তার রক্ত প্রদরের অসুবিধার কথা বলল। তিনি তাকে বললেনঃ তুমি তোমার মাসিক ঋতুর মেয়াদ পরিমাণ অপেক্ষা কর (অর্থাৎ) এ সময়ে সলাত আদায় করবেনা। এ সময় পার হলে তুমি গোসল করবে এবং সলাত আদায় করবে। তাই তিনি প্রতেক সলাতের সময়েই গোসল করতেন।৯০ (ই.ফা. ৬৫১, ই.সে. ৬৬৬)
[৯০] হায়য অবস্থায় সলাত মাফ এবং সওমের কাযা করতে হয় । এটা পরম করুণাময় আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ তা না হলে সলাতের কাযা করতে মহিলাদের বিশেষ কষ্ট হতো । সলাত দৈনিক পাঁচবার পড়তে হয় বিধায় বছরের বহু সলাতের কাযা করতে হতো । আর সওম বছরে একবার মাত্র । সুতরাং ৫/৭ দিন সওম কাযা করা কোন কঠিন কিছু নয় । (নাবাবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫. অধ্যায়ঃ
ঋতুবতী মহিলার উপর সওম কায়া করা জরুরী, সলাত নয়
৬৪৮
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ، ح وَحَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، عَنْ مُعَاذَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ فَقَالَتْ أَتَقْضِي إِحْدَانَا الصَّلاَةَ أَيَّامَ مَحِيضِهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ قَدْ كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ لاَ تُؤْمَرُ بِقَضَاءٍ .
মু’আযাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক মহিলা ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করল, আমাদের কেউ কি তার হায়িযের দিন গুলোর সলাত কাযা করবে? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তুমি কি হারুরিয়্যাহ্ [৯১] (খারিজীয়া)? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে আমাদের কারো হায়িয হলে পড়ে তাকে (সলাত) কাযা করার নির্দেশ দেয়া হতো না। (ই.ফা. ৬৫২, ই.সে. ৬৬৭)
[৯১] (হরুরী) ‘হারুরা’ কুফা নগরের নিকটবর্তী একটি গ্রামের নাম । প্রথমে খারিজীরা এ গ্রামে এসে একত্রিত ছিল এ জন্য তাদেরকে হারুরী বলা হয়েছে । এ খারেজীরা সহীহ হাদীস এবং মুসলিমদের ঐক্যমতের বিরোধিতা করে বলে হায়িযা অর্থাৎ ঋতুবতী মহিলাদের সলাত কাযা করতে হবে । (নাবাবী)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৪৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاذَةَ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ قَدْ كُنَّ نِسَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحِضْنَ أَفَأَمَرَهُنَّ أَنْ يَجْزِينَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ تَعْنِي يَقْضِينَ .
মু’আযাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, ঋতুবতী মহিলা কি সলাত কাযা করবে? ‘আয়িশাহহ (রাঃ) বললেন, তুমি কি হারুরিয়্যাহ্? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পত্নীগনের হায়িয হতো, তিনি কি তাদেরকে (সলাত) কাযা করার হুকুম দিয়েছেন? মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার বলেন (আরবি) সলাত কাযা করা। (ই.ফা. ৬৫৩, ই.সে. ৬৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬৫০
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ وَلاَ تَقْضِي الصَّلاَةَ فَقَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ قُلْتُ لَسْتُ بِحَرُورِيَّةٍ وَلَكِنِّي أَسْأَلُ . قَالَتْ كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .
মু’আযাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, ঋতুবতী মহিলা সওম কাযা করবে এবং সলাত কাযা করবেনা এটা কেমন কথা? তুমি কি হারুরিয়্যাহ্? আমি বললাম, আমি হারুরিয়্যাহ্ নয়; বরং আমি (জানার জন্যই কেবল) জিজ্ঞেস করছি। তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] বললেন, আমাদের এরূপ হত। তখন আমাদেরকে কেবল সওম কাযা করার নির্দেশ দেয়া হত, সলাত কাযা করার নির্দেশ দেয়া হত না। (ই.ফা. ৬৫৪, ই.সে. ৬৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস