২৫. অধ্যায়ঃ
ক্বিরান হাজ্জ সমাপনকারী ইফরাদ হাজ্জ সম্পাদনকারীর সাথেই ইহরাম খুলতে পারবে, তার আগে নয়
২৮৭৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ حَفْصَةَ، – رضى الله عنهم – زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا وَلَمْ تَحْلِلْ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ قَالَ “ إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী হাফসাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! কী ব্যাপার, লোকেরা ইহরামমুক্ত হল অথচ আপনি ‘উমরাহ্ করার পরও ইহরাম খুলেননি? তিনি বললেন, আমি আমার মাথার চুল জমাট করেছি এবং কুরবানীর পশুর গলায় মালা বেঁধেছি। অতএব আমি কুরবানী না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলতে পারি না। (ই.ফা. ২৮৫০, ই.সে. ২৮৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭৫
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ، – رضى الله عنهم – قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ لَمْ تَحِلَّ بِنَحْوِهِ .
হাফ্সাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কী ব্যাপার, আপনি ইহরাম খুলেননি?… উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ২৮৫১, ই.সে. ২৮৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ، – رضى الله عنهم – قَالَتْ قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا وَلَمْ تَحِلَّ مِنْ عُمْرَتِكَ قَالَ “ إِنِّي قَلَّدْتُ هَدْيِي وَلَبَّدْتُ رَأْسِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَحِلَّ مِنَ الْحَجِّ ” .
হাফ্সাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কী ব্যাপার, লোকেরা ইহরাম খুলেছে অথচ আপনি ‘উমরাহ্ করার পরও ইহরাম খুলেননি? তিনি বললেন, আমি কুরবানীর পশুর গলায় মালা বেঁধেছি এবং মাথার চুল জমাট করেছি। অতএব হাজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান শেষ না করা পর্যন্ত আমি ইহরাম খুলতে পারব না। (ই.ফা. ২৮৫২, ই.সে. ২৮৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ حَفْصَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ “ فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাফ্সাহ্ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল!… মালিক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ-কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি হালাল হতে পারি না। (ই.ফা. ২৮৫৩, ই.সে. ২৮৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৭৮
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَخْزُومِيُّ، وَعَبْدُ الْمَجِيدِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ، – رضى الله عنها – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ . قَالَتْ حَفْصَةُ فَقُلْتُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَحِلَّ قَالَ “ إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাফ্সাহ্ (রাঃ) আমাকে বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হাজ্জের দিন তাঁর স্ত্রীদের (‘উমরাহ্ সমাপনের পর) নির্দেশ দিলেন তারা যেন ইহরাম খুলেন। হাফ্সাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনাকে ইহরাম খুলতে কিসে বাধা দিচ্ছে? তিনি বললেন, আমি মাথার চুল আঠালো করেছি এবং সাথে কুরবানীর পশু এনেছি। অতএব পশু কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি ইহরাম খুলতে পারি না। (ই.ফা. ২৮৫৪, ই.সে. ২৮৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬. অধ্যায়ঃ
বাধাপ্রাপ্ত হলে হালাল হওয়ার বৈধতা এং হাজ্জে ক্বিরান বৈধ হওয়ার বিবরণ
২৮৭৯
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَخْزُومِيُّ، وَعَبْدُ الْمَجِيدِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ، – رضى الله عنها – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ . قَالَتْ حَفْصَةُ فَقُلْتُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَحِلَّ قَالَ “ إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي ” .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হাঙ্গামা [হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর মধ্যকার সংঘাত] চলাকালীন সময়ে ‘উমরাহ্ করার উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ পৌঁছতে আমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হই তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যেরূপ করেছিলাম, এখনও তদ্রূপ করব। অতএব তিনি রওনা হলেন এবং ‘উমরার ইহরাম বাঁধলেন, তিনি সফর অব্যাহত রাখলেন; যতক্ষণ না আল বায়দা নামক স্থানে পৌঁছলেন। এখানে তিনি নিজের সঙ্গীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ উভয়ের নিয়ম একই। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি নিজের জন্য হাজ্জকে ‘উমরার সাথে বাধ্যতামূলক করলাম। (রাবী বলেন) অতএব তিনি রওনা হয়ে বায়তুল্লাহ পৌঁছলেন, সাতবার ত্বওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার সা’ঈ করলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করেননি এবং নিজের (হাজ্জ ও ‘উমরার) জন্য এটাই (এক ত্বওয়াফ ও এক সা’ঈ) যথেষ্ট বিবেচনা করলেন এবং কুরবানী করলেন। (ই.ফা. ২৮৫৫, ই.সে. ২৮৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮০
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، كَلَّمَا عَبْدَ اللَّهِ حِينَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ لِقِتَالِ ابْنِ الزُّبَيْرِ قَالاَ لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَحُجَّ الْعَامَ فَإِنَّا نَخْشَى أَنْ يَكُونَ بَيْنَ النَّاسِ قِتَالٌ يُحَالُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْبَيْتِ قَالَ فَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ حِينَ حَالَتْ كُفَّارُ قُرَيْشٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً . فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ فَلَبَّى بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ قَالَ إِنْ خُلِّيَ سَبِيلِي قَضَيْتُ عُمْرَتِي وَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ . ثُمَّ تَلاَ { لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ} ثُمَّ سَارَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَهْرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلاَّ وَاحِدٌ إِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْعُمْرَةِ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْحَجِّ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجَّةً مَعَ عُمْرَةٍ . فَانْطَلَقَ حَتَّى ابْتَاعَ بِقُدَيْدٍ هَدْيًا ثُمَّ طَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ لَمْ يَحِلَّ مِنْهُمَا حَتَّى حَلَّ مِنْهُمَا بِحَجَّةٍ يَوْمَ النَّحْرِ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ এবং সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ উভয়ে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সাথে কথা বললেন- যে বছর হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিল। তারা উভয়ে বললেন, এ বছর হাজ্জ না করলে আপনার কী ক্ষতি আছে? কারণ আমাদের আশংকা হচ্ছে- গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আপনি বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন না। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, যদি তা আমার ও বায়তুল্লাহ-এর মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়ও তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করেছেন, আমিও তদ্রূপ করব। কুরায়শ কাফিররা যখন তাঁর ও বায়তুল্লাহ্র মাঝে প্রতিবন্ধক হয়েছিল, এ সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি ‘উমরার নিয়্যত করলাম। অতঃপর তিনি রওনা হয়ে যুল হুলায়ফাহ্ নামক স্থানে পৌঁছে ‘উমরার জন্য তালবিয়াহ্ পাঠ করলেন। অতঃপর বললেন, যদি আমার পথ উন্মুক্ত থাকে, তবে আমি ‘উমরাহ্ পূর্ণ করব। আর যদি আমার ও বায়তুল্লাহ-এর মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করেছেন আমিও তাই করব। সে সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেন : “তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ”-(সূরাহ্ আল আহযাব ৩৩ : ২১)। তিনি আবার চলতে লাগলেন, যতক্ষণ না বায়দা নামক স্থানের উপকণ্ঠে পৌঁছলেন। এখানে পৌঁছে তিনি বললেনঃ হাজ্জ ও ‘উমরার বিধান একই। যদি আমার এবং ‘উমরার মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে আমার এবং হাজ্জের মাঝেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি আমার ‘উমরার সাথে হাজ্জকেও বাধ্যতামূলক করে নিলাম। অতঃপর তিনি অগ্রসর হলেন এবং কুদায়দ নামক স্থানে পৌঁছে কুরবানীর পশু ক্রয় করলেন। অতঃপর তিনি হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ উভয়ের জন্য এক ত্বওয়াফ (সাত চক্কর) ও এক সা’ঈ (সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার দৌড়) করলেন এবং ইহরাম খুললেন না, বরং হাজ্জ সমাপন করে কুরবানীর দিন উভয়ের ইহরাম খুললেন। (ই.ফা. ২৮৫৬, ই.সে. ২৮৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮১
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ أَرَادَ ابْنُ عُمَرَ الْحَجَّ حِينَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ هَذِهِ الْقِصَّةِ وَقَالَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ وَكَانَ يَقُولُ مَنْ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ كَفَاهُ طَوَافٌ وَاحِدٌ وَلَمْ يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাজ্জাজ যে বছর ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হ’ল- ঐ বছর ‘উমার (রাঃ) হাজ্জের সংকল্প করলেন। অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এ সূত্রে হাদীসের শেষাংশে উল্লেখ আছে যে, “তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি হাজ্জ ও ‘উমরার জন্য একত্রে ইহরাম বাঁধল, তার জন্য এক ত্বওয়াফই (সাত চক্কর) যথেষ্ট এবং উভয়ের অনুষ্ঠান সমাপ্ত না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলবে না। (ই.ফা. ২৮৫৭, ই.সে. ২৮৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَرَادَ الْحَجَّ عَامَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ كَائِنٌ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ وَإِنَّا نَخَافُ أَنْ يَصُدُّوكَ فَقَالَ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ أَصْنَعُ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً . ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى كَانَ بِظَاهِرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ مَا شَأْنُ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ إِلاَّ وَاحِدٌ اشْهَدُوا – قَالَ ابْنُ رُمْحٍ أُشْهِدُكُمْ – أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجًّا مَعَ عُمْرَتِي . وَأَهْدَى هَدْيًا اشْتَرَاهُ بِقُدَيْدٍ ثُمَّ انْطَلَقَ يُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ وَلَمْ يَنْحَرْ وَلَمْ يَحْلِقْ وَلَمْ يُقَصِّرْ وَلَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَنَحَرَ وَحَلَقَ وَرَأَى أَنْ قَدْ قَضَى طَوَافَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ بِطَوَافِهِ الأَوَّلِ . وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ كَذَلِكَ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ যে বছর ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হ’ল- সে বছর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হাজ্জে যাবার সংকল্প করলেন। তাকে বলা হ’ল, লোকদের মধ্যে এখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে এবং আমাদের আশংকা হচ্ছে- তারা আপনাকে বাধা দিবে। তিনি বললেন, “তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ”- (সূরাহ্ আল আহযাব ৩৩ : ২১)। এরূপ পরিস্থিতিতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করেছেন, আমিও অনুরূপ করব। আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, নিশ্চয়ই আমি ‘উমরার সংকল্প করেছি। অতঃপর তিনি রওনা হলেন। অবশেষে যখন আল বায়দার উপকণ্ঠে পৌঁছলেন তখন তিনি বললেন, হাজ্জ ও ‘উমরার অবস্থা একই, তোমরা সাক্ষী থাক। ইবনু রুম্হের বর্ণনায় আছে : আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি নিশ্চয়ই আমার ‘উমরার সাথে হাজ্জ অনিবার্য করে নিলাম। অতঃপর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিলেন যা তিনি কুদায়দ নামক স্থানে ক্রয় করেছিলেন। অতঃপর তিনি হাজ্জ ও ‘উমরার একত্রে ইহরাম বেঁধে অগ্রসর হলেন। অবশেষে মাক্কায় পৌঁছে তিনি বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সা’ঈ করলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করলেন না। তিনি কুরবানীও করেননি। মাথা মুণ্ডান বা চুল ছাঁটেননি এবং (ইহরামের কারণে) যা কিছু তার জন্য হারাম হয়েছিল, তার কোনটি হালাল করেননি। অবশেষে কুরবানীর দিন এলে তিনি কুরবানী করলেন ও মাথা কামালেন এবং তার মত অনুযায়ী তিন তার প্রথম ত্বওয়াফ দ্বারাই হাজ্জ ও ‘উমরার ত্বওয়াফ সম্পাদন করে ফেলেছেন।
ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন। (ই.ফা. ২৮৫৮, ই.সে. ২৮৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ، حَرْبٍ حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، . بِهَذِهِ الْقِصَّةِ . وَلَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ حِينَ قِيلَ لَهُ يَصُدُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ . قَالَ إِذًا أَفْعَلَ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَلَمْ يَذْكُرْ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . كَمَا ذَكَرَهُ اللَّيْثُ .
নাফি’ সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ ঘটনা বর্ণনা করেন। তবে এ সূত্রে হাদীসের প্রথমাংশে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উল্লেখ করেছেন- যখন তাকে বলা হ’ল, আপনি বায়তুল্লাহ এ পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হবেন। তখন তিনি বললেন, তাহলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেরূপ করেছেন, আমিও তদ্রূপ করব। তিনি হাদীসের শেষে উল্লেখ করেননি যে, “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন”-যেমন লায়স (রহঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে। (ই.ফা. ২৮৫৯, ই.সে. ২৮৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭. অধ্যায়ঃ
ইফরাদ ও ক্বিরান হাজ্জ প্রসঙ্গে
২৮৮৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ الْهِلاَلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، الْمُهَلَّبِيُّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – فِي رِوَايَةِ يَحْيَى – قَالَ أَهْلَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ مُفْرَدًا وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ عَوْنٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهَلَّ بِالْحَجِّ مُفْرَدًا .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইয়াহ্ইয়ার রিওয়ায়াতে আছে যে, তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ইফরাদ হাজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। ইবনু ‘আওন-এর রিওয়ায়াতে আছে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হাজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। (ই.ফা. ২৮৬০, ই.সে. ২৮৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৫
وَحَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، – رضى الله عنه – قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا . قَالَ بَكْرٌ فَحَدَّثْتُ بِذَلِكَ ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ لَبَّى بِالْحَجِّ وَحْدَهُ . فَلَقِيتُ أَنَسًا فَحَدَّثْتُهُ بِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ فَقَالَ أَنَسٌ مَا تَعُدُّونَنَا إِلاَّ صِبْيَانًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একত্রে হাজ্জ ও ‘উমরার তালবিয়াহ্ পাঠ করতে শুনেছি। (অধঃস্তন রাবী) বাক্র বলেন, আমি এ হাদীস ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের তালবিয়াহ্ পাঠ করেছেন।
অতঃপর আমি (বাক্র) আনাস (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তার কাছে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর বক্তব্য উল্লেখ করি। তখন আনাস (রাঃ) বললেন, তোমরা আমাদেরকেও শিশুই মনে কর। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একত্রে হাজ্জ ও ‘উমরার তালবিয়াহ্ পাঠ করতে শুনেছি। (ই.ফা. ২৮৬১, ই.সে. ২৮৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৬
وَحَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا حَبِيبُ، بْنُ الشَّهِيدِ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، رضى الله عنه أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَمَعَ بَيْنَهُمَا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ قَالَ فَسَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ أَهْلَلْنَا بِالْحَجِّ . فَرَجَعْتُ إِلَى أَنَسٍ فَأَخْبَرْتُهُ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَقَالَ كَأَنَّمَا كُنَّا صِبْيَانًا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একত্রে হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ আদায় করতে দেখেছেন। রাবী বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা শুধু হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছি। আমি (বাক্র) পুনরায় আনাস (রাঃ)-এর নিকট ফিরে আসি এবং ইবনু ‘উমার (রাঃ) যা বলেছেন, সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করলাম। আনাস (রাঃ) বললেন, আমরা বুঝি তখন শিশু ছিলাম! [২০] (ই.ফা. ২৮৬২, ই.সে. ২৮৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮. অধ্যায়ঃ
হাজীদের জন্য ত্বওয়াফে কুদূম, অতঃপর সা’ঈ মুস্তাহাব
২৮৮৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ وَبَرَةَ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ ابْنِ عُمَرَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ أَيَصْلُحُ لِي أَنْ أَطُوفَ بِالْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ آتِيَ الْمَوْقِفَ . فَقَالَ نَعَمْ . فَقَالَ فَإِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ لاَ تَطُفْ بِالْبَيْتِ حَتَّى تَأْتِيَ الْمَوْقِفَ . فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ فَقَدْ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَطَافَ بِالْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ الْمَوْقِفَ فَبِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَقُّ أَنْ تَأْخُذَ أَوْ بِقَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا
ওয়াবারাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তার নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, আল মাওক্বিফ (‘আরাফাহ্)-এ যাবার পূর্বে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করা আমার জন্য সঠিক হবে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে বলল, কিন্তু ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তুমি বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করো না-যে পর্যন্ত না মাওক্বিফে আসো! ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জ করেছেন এবং মাওক্বিফে যাবার পূর্বেই বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করেছেন। অতএব তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে বল, তোমার কাছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা মত ‘আমাল করা উচিত, না ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কথা মত? (ই.ফা. ২৮৬৩, ই.সে. ২৮৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৮
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ بَيَانٍ، عَنْ وَبَرَةَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ ابْنَ عُمَرَ – رضى الله عنهما – أَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَقَدْ أَحْرَمْتُ بِالْحَجِّ فَقَالَ وَمَا يَمْنَعُكَ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُ ابْنَ فُلاَنٍ يَكْرَهُهُ وَأَنْتَ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْهُ رَأَيْنَاهُ قَدْ فَتَنَتْهُ الدُّنْيَا . فَقَالَ وَأَيُّنَا – أَوْ أَيُّكُمْ – لَمْ تَفْتِنْهُ الدُّنْيَا ثُمَّ قَالَ رَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْرَمَ بِالْحَجِّ وَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَسُنَّةُ اللَّهِ وَسُنَّةُ رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم أَحَقُّ أَنْ تَتَّبِعَ مِنْ سُنَّةِ فُلاَنٍ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا .
ওয়াবারাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, আমি কি বায়তুল্লাহ্র ত্বওয়াফ করব অথচ আমি হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছি? তিনি বললেন, কিসে তোমাকে বাধা দিচ্ছে? সে বলল, আমি অমুকের পুত্রকে দেখেছি, তিনি তা পছন্দ করেন না কিন্তু তার তুলনায় আপনি আমাদের অধিক প্রিয়। আমরা লক্ষ্য করছি যে, এ দুনিয়া তাকে প্রলুব্ধ করেছে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যাকে দুনিয়া প্রলুব্ধ করেনি? অতঃপর তিনি বললেন, আমরা দেখেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছেন এবং বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সা’ঈ করেছেন। অতএব তুমি সত্যবাদী হলে আল্লাহর হুকুম ও তাঁর রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত অমুকের সুন্নাতের তুলনায় অনুসরণের বেলায় অগ্রগণ্য। (ই.ফা. ২৮৬৪, ই.সে. ২৮৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৮৯
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ سَأَلْنَا ابْنَ عُمَرَ عَنْ رَجُلٍ، قَدِمَ بِعُمْرَةٍ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ أَيَأْتِي امْرَأَتَهُ فَقَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعًا وَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ .
‘আম্র ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট এক লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যে, ‘উমরাহ্ করার উদ্দেশে আগমন করেছে, অতঃপর বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করেছে কিন্তু সাফা-মারওয়ার মাঝে সা’ঈ করেনি- সে কি তার স্ত্রীর সাথে মিলতে পারে? ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ আগমন করে সাতবার বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করেন, মাক্বামে ইব্রাহীমের পিছনে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার সা’ঈ করেন। আর তোমাদের জন্য অবশ্যই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। (ই.ফা. ২৮৬৫, ই.সে. ২৮৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ، بْنُ حُمَيْدٍ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ – رضى الله عنهما – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৮৬৬, ই.সে. ২৮৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯. অধ্যায়ঃ
উমরার উদ্দেশে ইহরামকারীর জন্য ত্বওয়াফের পরে সা’ঈর পূর্বে ইহরাম খোলা জায়িয নয়, হাজ্জের উদ্দেশে ইহরামকারীও ত্বওয়াফে কুদূমের পর ইহরাম খুলতে পারবে না, ক্বিরান হাজ্জকারীর হুকুমও অনুরূপ
২৮৯১
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ قَالَ لَهُ سَلْ لِي عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ عَنْ رَجُلٍ يُهِلُّ بِالْحَجِّ فَإِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ أَيَحِلُّ أَمْ لاَ فَإِنْ قَالَ لَكَ لاَ يَحِلُّ . فَقُلْ لَهُ إِنَّ رَجُلاً يَقُولُ ذَلِكَ – قَالَ – فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لاَ يَحِلُّ مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ إِلاَّ بِالْحَجِّ . قُلْتُ فَإِنَّ رَجُلاً كَانَ يَقُولُ ذَلِكَ . قَالَ بِئْسَ مَا قَالَ فَتَصَدَّانِي الرَّجُلُ فَسَأَلَنِي فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ فَقُلْ لَهُ فَإِنَّ رَجُلاً كَانَ يُخْبِرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ فَعَلَ ذَلِكَ وَمَا شَأْنُ أَسْمَاءَ وَالزُّبَيْرِ فَعَلاَ ذَلِكَ . قَالَ فَجِئْتُهُ فَذَكَرْتُ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ مَنْ هَذَا فَقُلْتُ لاَ أَدْرِي . قَالَ فَمَا بَالُهُ لاَ يَأْتِينِي بِنَفْسِهِ يَسْأَلُنِي أَظُنُّهُ عِرَاقِيًّا . قُلْتُ لاَ أَدْرِي . قَالَ فَإِنَّهُ قَدْ كَذَبَ قَدْ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ – رضى الله عنها – أَنَّ أَوَّلَ شَىْءٍ بَدَأَ بِهِ حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ أَنَّهُ تَوَضَّأَ ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ حَجَّ أَبُو بَكْرٍ فَكَانَ أَوَّلَ شَىْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ ثُمَّ عُمَرُ مِثْلُ ذَلِكَ ثُمَّ حَجَّ عُثْمَانُ فَرَأَيْتُهُ أَوَّلُ شَىْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ ثُمَّ مُعَاوِيَةُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ثُمَّ حَجَجْتُ مَعَ أَبِي الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ فَكَانَ أَوَّلَ شَىْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ ثُمَّ رَأَيْتُ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارَ يَفْعَلُونَ ذَلِكَ ثُمَّ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ ثُمَّ آخِرُ مَنْ رَأَيْتُ فَعَلَ ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ ثُمَّ لَمْ يَنْقُضْهَا بِعُمْرَةٍ وَهَذَا ابْنُ عُمَرَ عِنْدَهُمْ أَفَلاَ يَسْأَلُونَهُ وَلاَ أَحَدٌ مِمَّنْ مَضَى مَا كَانُوا يَبْدَءُونَ بِشَىْءٍ حِينَ يَضَعُونَ أَقْدَامَهُمْ أَوَّلَ مِنَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لاَ يَحِلُّونَ وَقَدْ رَأَيْتُ أُمِّي وَخَالَتِي حِينَ تَقْدَمَانِ لاَ تَبْدَآنِ بِشَىْءٍ أَوَّلَ مِنَ الْبَيْتِ تَطُوفَانِ بِهِ ثُمَّ لاَ تَحِلاَّنِ وَقَدْ أَخْبَرَتْنِي أُمِّي أَنَّهَا أَقْبَلَتْ هِيَ وَأُخْتُهَا وَالزُّبَيْرُ وَفُلاَنٌ وَفُلاَنٌ بِعُمْرَةٍ قَطُّ فَلَمَّا مَسَحُوا الرُّكْنَ حَلُّوا وَقَدْ كَذَبَ فِيمَا ذَكَرَ مِنْ ذَلِكَ .
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইরাকের অধিবাসী এক ব্যক্তি তাকে বলল, আমার পক্ষ থেকে আপনি ‘উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করুন যে, এক ব্যক্তি হাজ্জের ইহরাম বাঁধল, সে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফের পর ইহরাম খুলতে পারবে কিনা? তিনি যদি আপনাকে বলেন, সে ইহরাম খুলতে পারবে না- তবে তাকে বলুন, এক ব্যক্তি বলেছে, সে ইহরাম খুলতে পারবে। রাবী বলেন, অতএব আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছে, সে তা সমাধান না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলতে পারবে না। আমি বললাম, কিন্তু এক ব্যক্তি তাই বলেছে। তিনি বললেন, সে যা বলছে তা দুঃখজনক।
ইরাকের লোকটি আমার সাথে পুনরায় সাক্ষাৎ করলে আমি তাকে উপরোক্ত কথা বললাম। সে বলল, আপনি তাকে বলুন, কিন্তু এক ব্যক্তি বলে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাই করেছেন এবং আসমা (রাঃ) ও যুবায়র (রাঃ) অনুরূপ করেছেন কেন? রাবী বলেন, আমি তার নিকট গিয়ে এ বিষয় তাকে জানাই। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, লোকটি কে? আমি বললাম, জানি না। তিনি বললেন, তার কী হয়েছে যে, সে নিজে আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করছে না? আমার মনে হয়, সে ইরাকী। আমি বললাম, জানি না। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে।
রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাজ্জ সম্পর্কে ‘আয়িশা (রাঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কায় পৌঁছে সর্বপ্রথম যে কাজ করেছেন তা ছিল এই যে, তিনি ওযূ করেন, এরপর বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করেছেন, অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) হাজ্জ করেছেন। তিনি (মাক্কায় পৌঁছে) সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করেছেন এবং এরপর ‘উমার (রাঃ)-ও অনুরূপ করেছেন। অতঃপর ‘উসমান (রাঃ) হাজ্জ করেছেন। আমি তাকে সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করতে দেখেছি এবং এছাড়া অন্য কিছু করেননি। অতঃপর মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও (অনুরূপ করেছেন)। এরপর আমি আমার পিতা যুবায়র ইবনুল ‘আও্ওয়াম (রাঃ)-এর সাথে হাজ্জ করেছি। তিনিও সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করেছেন। এছাড়া অন্য কিছু করেননি। অতঃপর আমি মুহাজির ও আনসারদের অনুরূপ করতে দেখেছি। এছাড়া তারা অন্য কিছু করেননি।
অতঃপর সর্বশেষে আমি যাকে অনুরূপ করতে দেখেছি, তিনি হচ্ছেন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)। তিনি হাজ্জকে ‘উমরাহ্ দ্বারা ভঙ্গ করেননি। আর সে ইবনু ‘উমার (রাঃ) তো তাদের মধ্যে বর্তমান আছে। তারা কেন তাকে জিজ্ঞেস করছে না?
এভাবে যত লোক অতীত হয়েছে, তারা মাক্কায় পা রেখেই সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করতেন। অতঃপর তারা ইহরাম খুলতেন না। আর আমি, আমার মা [আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ)] ও আমার খালা [‘আয়িশা (রাঃ)]-কেও দেখেছি যে, তারা মাক্কায় পৌঁছে প্রথমেই বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করেছেন। এরপরও ইহরাম খুলেননি। আমার মা (আসমা) আমাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি তার বোন (‘আয়িশাহ), যুবায়র (রাঃ) এবং অমুক অমুক শুধুমাত্র ‘উমরার ইহরাম বেঁধে মাক্কায় এসেছেন এবং তারা (ত্বওয়াফ ও সা’ঈর পরে) রুকন (হাজারে আসওয়াদ) চুম্বন করার পর ইহরাম খুলেছেন। এ ব্যক্তি (ইরাকী) এ ব্যাপারে যা বলেছে, মিথ্যা বলেছে। (ই.ফা. ২৮৬৭ ই.সে. ২৮৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي مَنْصُورُ، بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمِّهِ، صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، – رضى الله عنهما – قَالَتْ خَرَجْنَا مُحْرِمِينَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيَقُمْ عَلَى إِحْرَامِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيَحْلِلْ ” . فَلَمْ يَكُنْ مَعِي هَدْىٌ فَحَلَلْتُ وَكَانَ مَعَ الزُّبَيْرِ هَدْىٌ فَلَمْ يَحْلِلْ . قَالَتْ فَلَبِسْتُ ثِيَابِي ثُمَّ خَرَجْتُ فَجَلَسْتُ إِلَى الزُّبَيْرِ فَقَالَ قُومِي عَنِّي . فَقُلْتُ أَتَخْشَى أَنْ أَثِبَ عَلَيْكَ.
আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ইহরাম বেঁধে রওনা হলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যার সাথে কুরবানীর পশু রয়েছে, সে যেন ইহরাম অবস্থায় থাকে। আর যার সাথে কুরবানীর পশু নেই, সে যেন ইহরাম খুলে ফেলে। আমার সাথে কুরবানীর পশু ছিল না, তাই আমি ইহরাম খুলে ফেললাম। কিন্তু (আমার স্বামী) যুবায়র (রাঃ)-এর সাথে কুরবানীর পশু ছিল, তাই তিনি ইহরাম খুলেননি।
রাবী বলেন, আমি আমার স্বাভাবিক পোশাক পরিধান করে বের হয়ে গিয়ে যুবায়র (রাঃ)-এর পাশে বসলাম। তিনি বললেন, আমার নিকট থেকে উঠে যাও। আমি বললাম, তুমি কি আশংকা করছ যে, আমি তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ব? (ই.ফা. ২৮৬৮, ই.সে. ২৮৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯৩
وَحَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ، الْمَخْزُومِيُّ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، – رضى الله عنهما – قَالَتْ قَدِمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ اسْتَرْخِي عَنِّي اسْتَرْخِي عَنِّي . فَقُلْتُ أَتَخْشَى أَنْ أَثِبَ عَلَيْكَ .
‘আসমা বিনতু আবূ বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হাজ্জের ইহরাম বেঁধে (মাক্কায়) পৌঁছলাম। অবশিষ্ট বর্ণনা ইবনু জুরায়জের হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় আছে, যুবায়র (রাঃ) বললেন, “তুমি আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাও, দূরে সরে যাও।” আমি (আসমা) বললাম, তুমি কি আশংকা করছ যে, আমি তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ব?” (ই.ফা. ২৮৬৯, ই.সে. ২৮৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯৪
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، مَوْلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ – رضى الله عنهما – حَدَّثَهُ أَنَّهُ، كَانَ يَسْمَعُ أَسْمَاءَ كُلَّمَا مَرَّتْ بِالْحَجُونِ تَقُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ نَزَلْنَا مَعَهُ هَا هُنَا وَنَحْنُ يَوْمَئِذٍ خِفَافُ الْحَقَائِبِ قَلِيلٌ ظَهْرُنَا قَلِيلَةٌ أَزْوَادُنَا فَاعْتَمَرْتُ أَنَا وَأُخْتِي عَائِشَةُ وَالزُّبَيْرُ وَفُلاَنٌ وَفُلاَنٌ فَلَمَّا مَسَحْنَا الْبَيْتَ أَحْلَلْنَا ثُمَّ أَهْلَلْنَا مِنَ الْعَشِيِّ بِالْحَجِّ . قَالَ هَارُونُ فِي رِوَايَتِهِ أَنَّ مَوْلَى أَسْمَاءَ . وَلَمْ يُسَمِّ عَبْدَ اللَّهِ .
আসমা (রাঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ‘আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ
আসমা (রাঃ) যখনই আল-হাজুন (হারাম শরীফের সীমার মধ্যে মাক্কার উচ্চভূমিতে একটি পাহাড়) অতিক্রম করতেন, তখনই তিনি তাকে বলতে শুনতেন, সল্লাল্লাহু ‘আলা রসূলিহী (আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুগ্রহ করুন)। আমরা তাঁর সঙ্গে এখানে অবতরণ করেছিলাম, আমাদের বোঝা ছিল কম, বাহনের সংখ্যা অত্যন্ত কম এবং রসদও ছিল সামান্য। আমি, আমার বোন ‘আয়িশা (রাঃ), যুবায়র (রাঃ) এবং আরও অমুক অমুক ‘উমরাহ্ পালন করেছিলাম। আমরা যখনই বায়তুল্লাহ স্পর্শ করলাম, তখনই ইহরাম খুলে ফেললাম। এরপর তৃতীয় প্রহরে হাজ্জের ইহরাম বাঁধলাম।
অধঃস্তন রাবী হারূন তার রিওয়ায়াতে বলেছেন, “আসমা (রাঃ)-এর মুক্তদাস” এবং তিনি ‘আবদুল্লাহ’ নাম উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২৮৭০, ই.সে. ২৮৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০. অধ্যায়ঃ
হাজ্জে তামাত্তু’ প্রসঙ্গে
২৮৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُسْلِمٍ الْقُرِّيِّ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – عَنْ مُتْعَةِ الْحَجِّ، فَرَخَّصَ فِيهَا وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَنْهَى عَنْهَا فَقَالَ هَذِهِ أُمُّ ابْنِ الزُّبَيْرِ تُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِيهَا فَادْخُلُوا عَلَيْهَا فَاسْأَلُوهَا قَالَ فَدَخَلْنَا عَلَيْهَا فَإِذَا امْرَأَةٌ ضَخْمَةٌ عَمْيَاءُ فَقَالَتْ قَدْ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا .
মুসলিম আল কুর্রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট তামাত্তু’ হাজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি তার অনুমতি দিলেন কিন্তু ইবনু যুবায়র তা নিষেধ করতেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, এই তো ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর মা, তিনি বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটা করার অনুমতি দিয়েছেন। তোমরা তার কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস কর। রাবী বলেন, আমরা তার কাছে গেলাম, তিনি ছিলেন স্থুলদেহী এবং তার দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছিল। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তামাত্তু’ হাজ্জের অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ২৮৭১, ই.সে. ২৮৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯৬
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – جَمِيعًا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ فَأَمَّا عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَفِي حَدِيثِهِ الْمُتْعَةُ وَلَمْ يَقُلْ مُتْعَةُ الْحَجِّ . وَأَمَّا ابْنُ جَعْفَرٍ فَقَالَ قَالَ شُعْبَةُ قَالَ مُسْلِمٌ لاَ أَدْرِي مُتْعَةُ الْحَجِّ أَوْ مُتْعَةُ النِّسَاءِ .
শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। অধঃস্তন রাবী ‘আবদুর রহমানের বর্ণনায় “আল মুত’আহ্” উল্লেখ আছে- “মুত’আতুল হাজ্জ” নয় এবং ইবনু জা’ফার (রহঃ)-এর বর্ণনায় শু’বাহ্ (রহঃ) বলেন, মুসলিম আল কুর্রী (রহঃ) বলেছেন, তামাত্তু’ হাজ্জ না মুত্’আহ বিবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, তা আমি জানি না। (ই.ফা. ২৮৭২, ই.সে. ২৮৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯৭
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ الْقُرِّيُّ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ أَهَلَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعُمْرَةٍ وَأَهَلَّ أَصْحَابُهُ بِحَجٍّ فَلَمْ يَحِلَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ مَنْ سَاقَ الْهَدْىَ مِنْ أَصْحَابِهِ وَحَلَّ بَقِيَّتُهُمْ فَكَانَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ فِيمَنْ سَاقَ الْهَدْىَ فَلَمْ يَحِلَّ .
মুসলিম আল কুর্রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমরার ইহরাম বাঁধলেন এবং তাঁর সাহাবীগণ হাজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল, তারা ইহরাম খুলেননি। অন্যরা (ত্বওয়াফ ও সা’ঈর পর) ইহরাম মুক্ত হয়ে গেলেন। যারা সাথে কুরবানীর পশু এনেছিলেন, ত্বল্হাহ্ (রাঃ) তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। অতএবং তিনিও ইহরাম খুলেননি। (ই.ফা. ২৮৭৩, ই.সে. ২৮৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮৯৮
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَكَانَ مِمَّنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الْهَدْىُ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ وَرَجُلٌ آخَرُ فَأَحَلاَّ .
শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তবে তার বর্ণনায় হাদীসের শেষাংশ এরূপ : “যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল না, ত্বল্হাহ্ ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ) এবং আরও এক ব্যক্তি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। অতএব তারা উভয়ে ইহরাম খুলে ফেলেন।” (ই.ফা. ২৮৭৪, ই.সে. ২৮৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১. অধ্যায়ঃ
হাজ্জের মাসসমূহে ‘উমরাহ্ পালন করা জায়িয
২৮৯৯
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ كَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ الْعُمْرَةَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ مِنْ أَفْجَرِ الْفُجُورِ فِي الأَرْضِ وَيَجْعَلُونَ الْمُحَرَّمَ صَفَرً وَيَقُولُونَ إِذَا بَرَأَ الدَّبَرْ وَعَفَا الأَثَرْ وَانْسَلَخَ صَفَرْ حَلَّتِ الْعُمْرَةُ لِمَنِ اعْتَمَرْ . فَقَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَتَعَاظَمَ ذَلِكَ عِنْدَهُمْ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْحِلِّ قَالَ “ الْحِلُّ كُلُّهُ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ জাহিলী যুগে লোকেরা হাজ্জের মাসসমূহে ‘উমরাহ্ পালন করাকে পৃথিবীর বুকে সর্বাপেক্ষা বড় অপরাধ মনে করত এবং মুহার্রম মাসকে ‘সফর’ মাস হিসেবে গণনা করত। তারা বলত, যখন উটের পিঠ ভালো হয়ে যাবে, হাজীদের পদচিহ্ন লুপ্ত হয়ে যাবে এবং সফর মাস অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন যে ব্যক্তি ‘উমরাহ্ করতে চায়, তার জন্য তা করা জায়িয হবে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ হাজ্জের ইহরাম বেঁধে যিলহাজ্জের চার তারিখে মাক্কায় পৌঁছলে তিনি তাদের হাজ্জের ইহরামকে ‘উমরার ইহরামে পরিণত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশ তাদের কাছে গুরুতর কাজ বলে মনে হ’ল। অতএব তারা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! কিরূপে ইহরামমুক্ত হব? তিনি বললেন, সম্পূর্ণরূপে ইহরামমুক্ত হবে। (ই.ফা. ২৮৭৫, ই.সে. ২৮৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০০
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، الْبَرَّاءِ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ فَقَدِمَ لأَرْبَعٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَصَلَّى الصُّبْحَ وَقَالَ لَمَّا صَلَّى الصُّبْحَ “ مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً ” .
আবুল ‘আলিয়াহ্ আল বার্রা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন : রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। তিনি যিলহাজ্জ মাসের ৪ তারিখের পর (মক্কা) পৌঁছলেন এবং ফজরের সলাত আদায় করলেন। সলাত শেষে তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি এ ইহরামকে ‘উমরার ইহরামে পরিণত করতে চায়, সে তা করতে পারে। (ই.ফা. ২৮৭৬, ই.সে. ২৮৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০১
وَحَدَّثَنَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْمُبَارَكِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ أَمَّا رَوْحٌ وَيَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ فَقَالاَ كَمَا قَالَ نَصْرٌ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ . وَأَمَّا أَبُو شِهَابٍ فَفِي رِوَايَتِهِ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نُهِلُّ بِالْحَجِّ . وَفِي حَدِيثِهِمْ جَمِيعًا فَصَلَّى الصُّبْحَ بِالْبَطْحَاءِ . خَلاَ الْجَهْضَمِيَّ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْهُ .
শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। রাওহ্ ও ইয়াহ্ইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ)-এর বর্ণনায় নাস্র (রহঃ)-এর অনুরূপ কথা আছে : “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জের ইহরাম বাঁধলেন।” আবূ শিহাব (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে : “আমরা হাজ্জের ইহরাম বেঁধে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওনা হলাম।” তাদের সকলের বর্ণনায় আছে : “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল বাত্বহা নামক স্থানে ফজরের সলাত আদায় করলেন।” কিন্তু আল জাহযামী (রহঃ)-এর বর্ণনায় এ কথার উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৮৭৭, ই.সে. ২৮৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০২
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ السَّدُوسِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ لأَرْبَعٍ خَلَوْنَ مِنَ الْعَشْرِ وَهُمْ يُلَبُّونَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ হাজ্জের ইহরাম বেঁধে (যিলহাজ্জ মাসের প্রথম) দশ দিনের চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর মাক্কায় উপনীত হন। তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিলেন, তারা যেন এ ইহরামকে ‘উমরার ইহরামে পরিণত করে। (ই.ফা. ২৮৭৮, ই.সে. ২৮৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৩
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ بِذِي طَوًى وَقَدِمَ لأَرْبَعٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُحَوِّلُوا إِحْرَامَهُمْ بِعُمْرَةٍ إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘যি তুওয়া’ নামক স্থানে ফজরের সলাত আদায় করলেন। যিলহাজ্জ মাসের চারদিন অতিক্রান্ত হবার পর (মাক্কায়) পৌঁছলেন এবং তাঁর সাহাবীগণের নির্দেশ দিলেন, তারা যেন নিজেদের ইহরামকে ‘উমরায় পরিণত করে- কিন্তু যার সাথে কুরবানীর পশু আছে, সে ব্যতীত। (ই.ফা. ২৮৭৯, ই.সে. ২৮৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ هَذِهِ عُمْرَةٌ اسْتَمْتَعْنَا بِهَا فَمَنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ الْهَدْىُ فَلْيَحِلَّ الْحِلَّ كُلَّهُ فَإِنَّ الْعُمْرَةَ قَدْ دَخَلَتْ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এই সে ‘উমরাহ্ যা থেকে আমরা ফায়দাহ উঠিয়েছি। অতএব যার সাথে কুরবানীর পশু নেই- সে যেন সম্পূর্ণরূপে ইহরাম খুলে ফেলে। কেননা ‘উমরাকে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত হাজ্জের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। (ই.ফা. ২৮৮০, ই.সে. ২৮৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا جَمْرَةَ الضُّبَعِيَّ، قَالَ تَمَتَّعْتُ فَنَهَانِي نَاسٌ عَنْ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَأَمَرَنِي بِهَا . – قَالَ – ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْبَيْتِ فَنِمْتُ فَأَتَانِي آتٍ فِي مَنَامِي فَقَالَ عُمْرَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ وَحَجٌّ مَبْرُورٌ – قَالَ – فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي رَأَيْتُ فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ سُنَّةُ أَبِي الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ জামরাহ্ আয্ যুবা’ঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি তামাত্তু’ হাজ্জ করলাম। কতিপয় লোক আমাকে তা করতে নিষেধ করল। আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে তা করার নির্দেশ দিলেন। এরপর আমি বায়তুল্লাহ্তে আসলাম এবং ঘুমালাম।
স্বপ্নে আমার কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘উমরা কবূল হয়েছে এবং হাজ্জও কবূল হয়েছে। আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে এ স্বপ্নের কথা বললাম। তিনি বললেন, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার! এতো আবুল ক্বাসিম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত। (ই.ফা. ২৮৮১, ই.সে. ২৮৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২. অধ্যায়ঃ
ইহরাম বাঁধার সময় কুরবানীর পশুর কুঁজের কিছু অংশ ফেঁড়ে দেয়া এবং গলায় মালা পরানো
২৯০৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، – قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، – عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ دَعَا بِنَاقَتِهِ فَأَشْعَرَهَا فِي صَفْحَةِ سَنَامِهَا الأَيْمَنِ وَسَلَتَ الدَّمَ وَقَلَّدَهَا نَعْلَيْنِ ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ بِالْحَجِّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুল হুলায়ফাহ্ নামক স্থানে যুহরের সলাত আদায় করলেন। অতঃপর নিজের (কুরবানীর) উষ্ট্রী নিয়ে আসতে বললেন এবং কুঁজের ডান দিক দিয়ে ফেড়ে দিলেন। ফলে রক্ত প্রবাহিত হ’ল। অতঃপর তিনি এর গলায় দু’টি পাদুকার মালা পরিয়ে দিলেন। এরপর নিজের বাহনে আরোহণ করলেন। অতঃপর তা যখন তাঁকে নিয়ে আল বায়দায় পৌঁছল, তখন তিনি হাজ্জের তালবিয়াহ্ পাঠ করলেন। (ই.ফা. ২৮৮২, ই.সে. ২৮৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ . بِمَعْنَى حَدِيثِ شُعْبَةَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ . وَلَمْ يَقُلْ صَلَّى بِهَا الظُّهْرَ .
ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে শু’বাহ্ (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, অবশ্য তিনি এখানে বলেছেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুল হুলায়ফাহ্ এলেন”- তবে “যুহরের সলাত আদায় করেছেন” এ কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২৮৮৩, ই.সে. ২৮৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَسَّانَ الأَعْرَجَ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي الْهُجَيْمِ لاِبْنِ عَبَّاسٍ مَا هَذِهِ الْفُتْيَا الَّتِي قَدْ تَشَغَّفَتْ أَوْ تَشَغَّبَتْ بِالنَّاسِ أَنَّ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ فَقَدْ حَلَّ فَقَالَ سُنَّةُ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم وَإِنْ رَغِمْتُمْ .
ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ হাস্সান আ’রাজ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আল হুযায়ম গোত্রের এক ব্যক্তি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলল, আপনি এ কী ফাতাওয়া দিচ্ছেন যা নিয়ে লোকেরা জটিলতায় পড়েছে? (তা এই) যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করবে, সে ইহরামমুক্ত হতে পারবে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, এটা তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত, তা তোমাদের মনঃপুত হোক বা না হোক। (ই.ফা. ২৮৮৪, ই.সে. ২৮৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯০৯
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، قَالَ قِيلَ لاِبْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ هَذَا الأَمْرَ قَدْ تَفَشَّغَ بِالنَّاسِ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ فَقَدْ حَلَّ الطَّوَافُ عُمْرَةٌ . فَقَالَ سُنَّةُ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم وَإِنْ رَغِمْتُمْ .
আবূ হাস্সান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলা হ’ল, এ ব্যাপারটি লোকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করে, সে হালাল হয়ে যায় এবং তার ইহরাম ‘উমরায় পরিণত হয় (যদিও হাজ্জের ইহরাম হয়ে থাকে)। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, এটা তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত যদিও তোমাদের নাক ধূলিমলিন হয়। (ই.ফা. ২৮৮৫, ই.সে. ২৮৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১০
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ لاَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ حَاجٌّ وَلاَ غَيْرُ حَاجٍّ إِلاَّ حَلَّ . قُلْتُ لِعَطَاءٍ مِنْ أَيْنَ يَقُولُ ذَلِكَ قَالَ مِنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى { ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ} قَالَ قُلْتُ فَإِنَّ ذَلِكَ بَعْدَ الْمُعَرَّفِ . فَقَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ هُوَ بَعْدَ الْمُعَرَّفِ وَقَبْلَهُ . وَكَانَ يَأْخُذُ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَمَرَهُمْ أَنْ يَحِلُّوا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ .
‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি (মাক্কায় পৌঁছে) বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করল, সে ইহরামমুক্ত হয়ে গেল- সে হাজ্জ পালনকারী হোক অথবা অন্য কিছু (‘উমরাহ্) পালনকারী। আমি (ইবনু জুরায়জ) ‘আত্বাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কিসের ভিত্তিতে এ কথা বলেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কালামের ভিত্তিতে : “অতঃপর এগুলো কুরবানীর স্থান মর্যাদাবান ঘরের নিকট” – (সূরাহ্ হাজ্জ ২২ : ৩৩)। আমি বললাম, তা তো ‘আরাফাহ্ থেকে ফেরার পর। তিনি বললেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলতেন, (কুরবানীর স্থান সম্মানিত ঘরের নিকট) তা ‘আরাফায় উকূফের পর হোক অথবা পূর্বে। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কার্যক্রম থেকে প্রমাণ গ্রহণ করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বয়ং বিদায় হাজ্জের সময়ে ইহরাম খোলার নির্দেশ দেন। (ই.ফা. ২৮৮৬, ই.সে. ২৮৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩. অধ্যায়ঃ
উমরায় চুল খাটো করা
২৯১১
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ لِي مُعَاوِيَةُ أَعَلِمْتَ أَنِّي قَصَّرْتُ مِنْ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ الْمَرْوَةِ بِمِشْقَصٍ فَقُلْتُ لَهُ لاَ أَعْلَمُ هَذَا إِلاَّ حُجَّةً عَلَيْكَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু’আবিয়াহ (রাঃ) আমাকে বললেন, তুমি কি জান আমি কাঁচি দিয়ে মারওয়াহ্ পাহাড়ের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথার চুল ছেঁটে দিয়েছি? আমি তাঁকে বললাম, এটা আপনার বিরুদ্ধে দলীল। (ই.ফা. ২৮৮৭, ই.সে. ২৮৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي الْحَسَنُ، بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، أَخْبَرَهُ قَالَ قَصَّرْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِشْقَصٍ وَهُوَ عَلَى الْمَرْوَةِ أَوْ رَأَيْتُهُ يُقَصَّرُ عَنْهُ بِمِشْقَصٍ وَهُوَ عَلَى الْمَرْوَةِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) তাকে অবহিত করে বলেছেন, আমি মারওয়াহ্ পাহাড়ে একটি কাঁচির সাহায্যে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথার চুল ছেঁটে দিয়েছি। অথবা আমি (অধঃস্তন রাবীর সন্দেহ) মারওয়াহ্ পাহাড়ের উপর কাঁচির সাহায্যে তাঁর মাথার চুল ছাঁটতে দেখেছি। (ই.ফা. ২৮৮৮, ই.সে. ২৮৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১৩
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَصْرُخُ بِالْحَجِّ صُرَاخًا فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ أَمَرَنَا أَنْ نَجْعَلَهَا عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ سَاقَ الْهَدْىَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ وَرُحْنَا إِلَى مِنًى أَهْلَلْنَا بِالْحَجِّ .
আবূ সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা উচ্চৈঃস্বরে হাজ্জের তালবিয়াহ্ পাঠ করতে করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমরা মাক্কায় পৌঁছলে তিনি আমাদের তা ‘উমরায় পরিণত করার নির্দেশ দিলেন। তালবিয়ার দিন এলে আমরা হাজ্জের ইহরাম বেঁধে মিনার দিকে রওনা হলাম। (ই.ফা. ২৮৮৯, ই.সে. ২৮৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১৪
وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرٍ، وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنهما – قَالاَ قَدِمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَصْرُخُ بِالْحَجِّ صُرَاخًا .
জাবির (রাঃ) ও আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা বলেন, আমরা উচ্চৈঃস্বরে হাজ্জের তালবিয়াহ্ পাঠ করতে করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মাক্কায় উপনীত হলাম। (ই.ফা. ২৮৯০, ই.সে. ২৮৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১৫
حَدَّثَنِي حَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَأَتَاهُ آتٍ فَقَالَ إِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ وَابْنَ الزُّبَيْرِ اخْتَلَفَا فِي الْمُتْعَتَيْنِ فَقَالَ جَابِرٌ فَعَلْنَاهُمَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَهَانَا عَنْهُمَا عُمَرُ فَلَمْ نَعُدْ لَهُمَا
আবূ নায্রাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি তার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, (তামাত্তু’ হাজ্জ ও মুত্’আহ্ বিবাহ) সম্পর্কে ইবনু ‘আব্বাস ও ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর মধ্যে মতবিরোধ চলছে। জাবির (রাঃ) বললেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে তা করেছি। এরপর ‘উমার (রাঃ) আমাদের তা করতে নিষেধ করেন। অতএব আমরা আর কখনও তা করিনি। (ই.ফা. ২৮৯১, ই.সে. ২৮৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তালবিয়াহ্ পাঠ এবং কুরবানীর জন্তু প্রসঙ্গে
২৯১৬
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنِي سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ مَرْوَانَ الأَصْفَرِ، عَنْ أَنَسٍ، – رضى الله عنه – أَنَّ عَلِيًّا، قَدِمَ مِنَ الْيَمَنِ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” بِمَ أَهْلَلْتَ ” . فَقَالَ أَهْلَلْتُ بِإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ” لَوْلاَ أَنَّ مَعِيَ الْهَدْىَ لأَحْلَلْتُ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আলী (রাঃ) ইয়ামান থেকে আগমন করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন : তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? তিনি বললেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ উদ্দেশে ইহরাম বেঁধেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমি (‘উমরাহ্ করার পর) ইহরাম খুলে ফেলতাম। (ই.ফা. ২৮৯২, ই.সে. ২৮৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১৭
وَحَدَّثَنِيهِ حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي رِوَايَةِ بَهْزٍ “ لَحَلَلْتُ” .
সালীম ইবনু হাইয়্যান (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৮৯৩, ই.সে. ২৮৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ، بْنِ صُهَيْبٍ وَحُمَيْدٍ أَنَّهُمْ سَمِعُوا أَنَسًا، – رضى الله عنه – قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا ” لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এভাবে হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ উভয়ের তালবিয়াহ্ পাঠ করতে শুনেছি : “লাব্বায়কা ‘উম্রাতান ওয়া হাজ্জান, লাব্বায়কা ‘উম্রাতান ওয়া হাজ্জান”। (ই.ফা. ২৮৯৪. ই.সে. ২৮৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯১৯
وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، وَحُمَيْدٍ الطَّوِيلِ قَالَ يَحْيَى سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا ” . وَقَالَ حُمَيْدٌ قَالَ أَنَسٌ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : আমি ‘উমরাহ্ ও হাজ্জ উভয়ের ইহরাম বাঁধছি। (ই.ফা. ২৮৯৫. ই.সে. ২৮৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২০
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ سَعِيدٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ حَنْظَلَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيُهِلَّنَّ ابْنُ مَرْيَمَ بِفَجِّ الرَّوْحَاءِ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا أَوْ لَيَثْنِيَنَّهُمَا
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, সে সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! মারইয়াম পুত্র ‘ঈসা (আঃ) নিশ্চিত রাওহা উপত্যকায় হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ্ অথবা উভয়ের তালবিয়াহ্ পাঠ করবেন। [২১] (ই.ফা. ২৮৯৬. ই.সে. ২৮৯৫)
[২১] এটা বাস্তবায়িত হবে ক্বিয়ামাতের পূর্বমুহূর্তে যখন ‘ঈসা (আঃ) পুনরায় দুনিয়াতে আসবেন। এ হতে জানা গেল যে, কুরআনের বিধান ক্বিয়ামাত পর্যন্ত চালু থাকবে। ‘ঈসা (আঃ) অবশ্যই অবতরণ করবেন এবং এ ইসলামী শারী’আত মোতাবেকই ‘আমাল করবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২১
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ قَالَ ” وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ ” .
ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, “সে সত্তার শপথ! যাঁর হাতে মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রাণ”। (ই.ফা. ২৮৯৭. ই.সে. ২৮৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২২
وَحَدَّثَنِيهِ حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ عَلِيٍّ الأَسْلَمِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ” . بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ… পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ২৮৯৮. ই.সে. ২৮৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘উমরার সংখ্যা ও সময়
২৯২৩
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ أَنَسًا، – رضى الله عنه – أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ إِلاَّ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ عُمْرَةً مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ أَوْ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنْ جِعْرَانَةَ حَيْثُ قَسَمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مَعَ حَجَّتِهِ.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারবার ‘উমরাহ্ করেছেন এবং হাজ্জের সাথের ‘উমরাহ্ ব্যতীত সকল ‘উমরাহ্ই যুল ক্বা’দায় করেন। (১) হুদায়বিয়াহ্ থেকে বা হুদায়বিয়ার সময়ের ‘উমরাহ্ যুল ক্বা’দাহ্ মাসে, (২) পরবর্তী বছরের ‘উমরাহ্ যুল ক্বা’দাহ্ মাসে, (৩) জি’রানাহ্ থেকে কৃত ‘উমরাহ, যেখানে হুনায়নের গনীমাতের সম্পদ বণ্টন করা হয়েছিল, সে ‘উমরাহ্ যুল ক্বা’দাহ্ মাসে এবং (৪) আর একটি ‘উমরাহ্ যা হাজ্জের সাথে করেন। (ই.ফা. ২৮৯৯. ই.সে. ২৮৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسًا كَمْ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حَجَّةً وَاحِدَةً وَاعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ هَدَّابٍ .
ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতবার হাজ্জ করেছেন? তিনি বললেন, একবার এবং ‘উমরাহ্ করেছেন চারবার।… অবশিষ্ট বর্ণনা হাদ্দাদের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ২৯০০, ই.সে. ২৮৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২৫
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَأَلْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ كَمْ غَزَوْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَبْعَ عَشْرَةَ . قَالَ وَحَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ وَأَنَّهُ حَجَّ بَعْدَ مَا هَاجَرَ حَجَّةً وَاحِدَةً حَجَّةَ الْوَدَاعِ . قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ وَبِمَكَّةَ أُخْرَى .
আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে থেকে কয়বার যুদ্ধ করেছেন? তিনি বললেন, সতেরবার। রাবী বলেন, যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) আমাকে আরও বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঊনিশবার যুদ্ধ করেছেন এবং তিনি হিজরাত করার পরে একবার হাজ্জ করেছেন, তা হ’ল বিদায় হাজ্জ। আবূ ইসহাক্ব আরও বলেন, তিনি মাক্কাহ্ থেকেও একবার হাজ্জ করেছেন। (ই.ফা. ২৯০১, ই.সে. ২৯০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২৬
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يُخْبِرُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ كُنْتُ أَنَا وَابْنُ، عُمَرَ مُسْتَنِدَيْنِ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ وَإِنَّا لَنَسْمَعُ ضَرْبَهَا بِالسِّوَاكِ تَسْتَنُّ – قَالَ – فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي رَجَبٍ قَالَ نَعَمْ . فَقُلْتُ لِعَائِشَةَ أَىْ أُمَّتَاهُ أَلاَ تَسْمَعِينَ مَا يَقُولُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَتْ وَمَا يَقُولُ قُلْتُ يَقُولُ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي رَجَبٍ . فَقَالَتْ يَغْفِرُ اللَّهُ لأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ لَعَمْرِي مَا اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ وَمَا اعْتَمَرَ مِنْ عُمْرَةٍ إِلاَّ وَإِنَّهُ لَمَعَهُ . قَالَ وَابْنُ عُمَرَ يَسْمَعُ فَمَا قَالَ لاَ وَلاَ نَعَمْ . سَكَتَ .
‘উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরে ঠেস দিয়ে বসেছিলাম এবং আমরা মিসওয়াক দিয়ে তার দাঁত মাজার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবূ ‘আবদুর রহমান (ইবনু ‘উমার)! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি রজব মাসে ‘উমরাহ্ করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি (‘উরওয়াহ্) বললাম, হে আম্মা! আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন আবূ ‘আবদুর রহমান কী বলছেন? তিনি বললেন, সে কী বলছে? আমি বললাম, তিনি বলছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রজব মাসে ‘উমরাহ্ করেছেন। তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা আবূ ‘আবদুর রহমানকে ক্ষমা করুন। আমার জীবনের শপথ, তিনি রজব মাসে কখনও ‘উমরাহ্ করেননি। আর তিনি যখনই ‘উমরাহ্ করেছেন, অবশ্যই আবূ ‘আবদুর রহমান তাঁর সঙ্গে ছিল।
রাবী বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) কথাগুলো শুনছিলেন, কিন্তু তিনি হ্যাঁ-ও বলেননি এবং না-ও বলেননি, বরং নীরব ছিলেন। (ই.ফা. ২৯০২, ই.সে. ২৯০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২৭
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ جَالِسٌ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ الضُّحَى فِي الْمَسْجِدِ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ صَلاَتِهِمْ فَقَالَ بِدْعَةٌ . فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَمِ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَرْبَعَ عُمَرٍ إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ . فَكَرِهْنَا أَنْ نُكَذِّبَهُ وَنَرُدَّ عَلَيْهِ وَسَمِعْنَا اسْتِنَانَ عَائِشَةَ فِي الْحُجْرَةِ . فَقَالَ عُرْوَةُ أَلاَ تَسْمَعِينَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى مَا يَقُولُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَتْ وَمَا يَقُولُ قَالَ يَقُولُ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ عُمَرٍ إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ . فَقَالَتْ يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ وَهُوَ مَعَهُ وَمَا اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ قَطُّ .
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ও ‘উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র মাসজিদে প্রবেশ করলাম। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘আয়িশার হুজরায় বসা ছিলেন এবং লোকেরা মাসজিদে চাশ্তের সলাত আদায় করছিল। আমরা এদের সলাত সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তা বিদ’আত। তাকে ‘উরওয়াহ্ বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতবার ‘উমরাহ্ করেছেন? তিনি বললেন, চারটি ‘উমরাহ্, এর একটি রজব মাসে। আমরা তার কথা অসত্য মনে করা ও তা রদ করা অপছন্দ করলাম। আমরা হুজরাহ থেকে ‘আয়িশা (রাঃ)-এর মিসওয়াক করার শব্দ শুনতে পেলাম। ‘উরওয়াহ্ বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন! আবূ ‘আবদুর রহমান কী বলেছেন তা কি আপনি শুনছেন না? তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে কী বলে? ‘উরওয়াহ্ বললেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারবার ‘উমরাহ্ করেছেন, এর একটি ছিল রজব মাসে। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তা‘আলা আবূ ‘আবদুর রহমানকে রহম করুন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই ‘উমরাহ্ করেছেন, সে তার সাথেই ছিল। তিনি কখনও রজব মাসে ‘উমরাহ্ করেননি। (ই.ফা. ২৯০৩, ই.সে. ২৯০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬. অধ্যায়ঃ
রমাযান মাসের ‘উমরার ফাযীলাত
২৯২৮
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يُحَدِّثُنَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاِمْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ سَمَّاهَا ابْنُ عَبَّاسٍ فَنَسِيتُ اسْمَهَا ” مَا مَنَعَكِ أَنْ تَحُجِّي مَعَنَا ” . قَالَتْ لَمْ يَكُنْ لَنَا إِلاَّ نَاضِحَانِ فَحَجَّ أَبُو وَلَدِهَا وَابْنُهَا عَلَى نَاضِحٍ وَتَرَكَ لَنَا نَاضِحًا نَنْضِحُ عَلَيْهِ قَالَ ” فَإِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فَاعْتَمِرِي فَإِنَّ عُمْرَةً فِيهِ تَعْدِلُ حَجَّةً ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক আনসারী মহিলাকে বললেন যার নাম ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু আমি তার নাম ভুলে গেছি- আমাদের সাথে হাজ্জ করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? মহিলা বলল, আমাদের পানি বহনকারী মাত্র দু’টি উট আছে। আমার ছেলের বাপ (স্বামী) ও তার ছেলে এর একটিতে চড়ে হাজ্জ করেন এবং অপরটি আমাদের জন্য রেখে যান পানি বহনের উদ্দেশে। তিনি বললেন, রমাযান মাস এলে তুমি ‘উমরাহ্ কর। কারণ এ মাসের ‘উমরাহ্ একটা হাজ্জের সমান। (ই.ফা. ২৯০৪, ই.সে. ২৯০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯২৯
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، – يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ – حَدَّثَنَا حَبِيبٌ، الْمُعَلِّمُ عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاِمْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهَا أُمُّ سِنَانٍ ” مَا مَنَعَكِ أَنْ تَكُونِي حَجَجْتِ مَعَنَا ” . قَالَتْ نَاضِحَانِ كَانَا لأَبِي فُلاَنٍ – زَوْجِهَا – حَجَّ هُوَ وَابْنُهُ عَلَى أَحَدِهِمَا وَكَانَ الآخَرُ يَسْقِي عَلَيْهِ غُلاَمُنَا . قَالَ ” فَعُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَقْضِي حَجَّةً . أَوْ حَجَّةً مَعِي ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু সিনান নাম্নী এক আনসারী মহিলাকে বললেনঃ আমাদের সাথে হাজ্জ করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? মহিলা বলল, অমুকের পিতা- তার স্বামীর দু’টি পানি বহনকারী উট আছে। এর একটি নিয়ে সে ও তার ছেলে হাজ্জে গিয়েছে। অপরটির সাহায্যে আমাদের গোলাম পানি বহন করছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে রমাযান মাসের ‘উমরাহ্ হাজ্জের সমান কিংবা তিনি বলেছেন, আমাদের সঙ্গে একটি হাজ্জের সমান। (ই.ফা. ২৯০৫, ই.সে. ২৯০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭. অধ্যায়ঃ
উচ্চ গিরিপথ দিয়ে মাক্কায় প্রবেশ, নিম্নপথ দিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান এবং যে পথ দিয়ে শহর থেকে বের হয়েছে তার বিপরীত পথ দিয়ে সেখানে প্রবেশ করা মুস্তাহাব
২৯৩০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْرُجُ مِنْ طَرِيقِ الشَّجَرَةِ وَيَدْخُلُ مِنْ طَرِيقِ الْمُعَرَّسِ وَإِذَا دَخَلَ مَكَّةَ دَخَلَ مِنَ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا وَيَخْرُجُ مِنَ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শাজারার পথ দিয়ে (মাদীনাহ্ থেকে) বের হতেন এবং মু’আর্রাস-এর পথ দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতেন। তিনি মাক্কায় প্রবেশকালে উচ্চ গিরিপথ দিয়ে প্রবেশ করতেন এবং নিম্নপথ দিয়ে বের হতেন। (ই.ফা. ২৯০৬, ই.সে. ২৯০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩১
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَقَالَ فِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ الْعُلْيَا الَّتِي بِالْبَطْحَاءِ .
‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সানাদে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু রাবী বলেন, যুহায়রের রিওয়ায়াতে রয়েছে, বাত্বহার দিকের উচ্চপথ। (ই.ফা. ২৯০৭, ই.সে. ২৯০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا جَاءَ إِلَى مَكَّةَ دَخَلَهَا مِنْ أَعْلاَهَا وَخَرَجَ مِنْ أَسْفَلِهَا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মাক্কায় পৌঁছলেন, তখন উচ্চ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করলেন এবং নীচু এলাকা দিয়ে বের হলেন। (ই.ফা. ২৯০৮, ই.সে. ২৯০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَامَ الْفَتْحِ مِنْ كَدَاءٍ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ . قَالَ هِشَامٌ فَكَانَ أَبِي يَدْخُلُ مِنْهُمَا كِلَيْهِمَا وَكَانَ أَبِي أَكْثَرَ مَا يَدْخُلُ مِنْ كَدَاءٍ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ বিজয়ের বছর মাক্কার উচ্চভূমিতে অবস্থিত ‘কাদা’ টিলা দিয়ে প্রবেশ করেন।
হিশাম বলেন, আমার পিতা উভয় স্থান দিয়েই প্রবেশ করতেন, তবে অধিকাংশ সময় ‘কাদা’ টিলা দিয়ে প্রবেশ করতেন। (ই.ফা. ২৯০৯, ই.সে. ২৯০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৮. অধ্যায়ঃ
মাক্কায় প্রবেশের সংকল্প করলে ‘যী ত্বিওয়াতে’ রাত যাপন করা এবং গোসল করে দিনের বেলা মাক্কায় প্রবেশ করা মুস্তাহাব
২৯৩৪
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَاتَ بِذِي طَوًى حَتَّى أَصْبَحَ ثُمَّ دَخَلَ مَكَّةَ . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ سَعِيدٍ حَتَّى صَلَّى الصُّبْحَ . قَالَ يَحْيَى أَوْ قَالَ حَتَّى أَصْبَحَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যী ত্বিওয়া নামক স্থানে ভোর পর্যন্ত রাত্রি যাপন করলেন, অতঃপর মাক্কায় প্রবেশ করলেন। নাফি‘ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-ও তাই করতেন। ইবনু সা‘ঈদের বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে ফাজ্রের সলাত আদায় করলেন। ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেন, অথবা তিনি (‘উবায়দুল্লাহ) বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এখানে সকাল পর্যন্ত অবস্থান করলেন। (ই.ফা. ২৯১০, ই.সে. ২৯০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ لاَ يَقْدَمُ مَكَّةَ إِلاَّ بَاتَ بِذِي طَوًى حَتَّى يُصْبِحَ وَيَغْتَسِلَ ثُمَّ يَدْخُلُ مَكَّةَ نَهَارًا وَيَذْكُرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ فَعَلَهُ .
নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) যী ত্বিওয়ায় ভোর পর্যন্ত রাত যাপন না করে মাক্কায় উপনীত হতেন না। তিনি (সেখানে) গোসল করতেন, অতঃপর দিনের বেলায় মাক্কায় প্রবেশ করতেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও তাই করতেন বলে তিনি বলেছেন। (ই.ফা. ২৯১১, ই.সে. ২৯১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمُسَيَّبِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسٌ، – يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ – عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ بِذِي طَوًى وَيَبِيتُ بِهِ حَتَّى يُصَلِّيَ الصُّبْحَ حِينَ يَقْدَمُ مَكَّةَ وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ لَيْسَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ وَلَكِنْ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কায় আগমন করলে প্রথম যী ত্বিওয়ায় অবতরণ করতেন, সেখানে রাত যাপন করতেন, এরপর ফজরের সলাত আদায় করতেন (অতঃপর মাক্কাহ্ শহরে প্রবেশ করতেন)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ সলাতের স্থান ছিল একটি অসমতল টিলার উপর, সেখানে নির্মিত মাসজিদে নয়, বরং নিম্নদিকে অবস্থিত টিলায়। (ই.ফা. ২৯১২, ই.সে. ২৯১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمُسَيَّبِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسٌ، – يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ – عَنْ مُوسَى، بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَقْبَلَ فُرْضَتَىِ الْجَبَلِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَبَلِ الطَّوِيلِ نَحْوَ الْكَعْبَةِ يَجْعَلُ الْمَسْجِدَ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ يَسَارَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِطَرَفِ الأَكَمَةِ وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْفَلَ مِنْهُ عَلَى الأَكَمَةِ السَّوْدَاءِ يَدَعُ مِنَ الأَكَمَةِ عَشْرَ أَذْرُعٍ أَوْ نَحْوَهَا ثُمَّ يُصَلِّي مُسْتَقْبِلَ الْفُرْضَتَيْنِ مِنَ الْجَبَلِ الطَّوِيلِ الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْكَعْبَةِ صلى الله عليه وسلم .
নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার কাছে বর্ণনা করেন : রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ও কা‘বার দীর্ঘ পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত দুই উপত্যকার দিকে মুখ করে দাঁড়ালেন। টিলার পাশে নির্মিত মাসজিদ তাঁর বাঁ দিকে থাকত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাতের স্থান এ কালো টিলার পাদদেশে দশ হাত বা তার চেয়ে সামান্য কমবেশি দূরত্বে অবস্থিত ছিল। তিনি দুই টিলার দিকে মুখ করে সলাত আদায় করলেন যা তাঁর ও কা‘বার পার্শ্ববর্তী বড় পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত ছিল। তাঁর উপর আল্লাহর রহমাত ও শান্তি বর্ষিত হোক। (ই.ফা. ২৯১৩, ই.সে. ২৯১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯. অধ্যায়ঃ
উমরার ত্বওয়াফে এবং হাজ্জের প্রথম ত্বওয়াফে রামাল (দ্রুত পদক্ষেপে অতিক্রম) করা মুস্তাহাব
২৯৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ الطَّوَافَ الأَوَّلَ خَبَّ ثَلاَثًا وَمَشَى أَرْبَعًا وَكَانَ يَسْعَى بِبَطْنِ الْمَسِيلِ إِذَا طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ ذَلِكَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহ্য় প্রথমবারের ত্বওয়াফে তিন চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে এবং চার চক্কর স্বাভাবিক পদক্ষেপে ত্বওয়াফ করতেন। তিনি সাফা-মারওয়ার মাঝে সা’ঈর সময় (বাত্বনুল মাসীল) মাসীল উপত্যকার মধ্যবর্তী স্থানে দৌড়াতেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও তাই করতেন। (ই.ফা. ২৯১৪, ই.সে. ২৯১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৩৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، – يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ – عَنْ مُوسَى بْنِ، عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا طَافَ فِي الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ أَوَّلَ مَا يَقْدَمُ فَإِنَّهُ يَسْعَى ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ بِالْبَيْتِ ثُمَّ يَمْشِي أَرْبَعَةً ثُمَّ يُصَلِّي سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ يَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথমে মাক্কায় পৌঁছে হাজ্জ ও ‘উমরার জন্য বায়তুল্লাহ্র যে ত্বওয়াফ করতেন, তাতে তিন চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে এবং চার চক্কর স্বাভাবিক পদক্ষেপে সম্পন্ন করতেন। অতঃপর দু’রাক’আত সালাত আদায় করতেন। অতঃপর সাফা-মারওয়ার মাঝে সা’ঈ করতেন। (ই.ফা. ২৯১৫, ই.সে. ২৯১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪০
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَرْمَلَةُ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ يَقْدَمُ مَكَّةَ إِذَا اسْتَلَمَ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ أَوَّلَ مَا يَطُوفُ حِينَ يَقْدَمُ يَخُبُّ ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ السَّبْعِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি দেখেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কায় পৌঁছে যখন হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করতেন, তখন তিনি সাত চক্করের মধ্যে তিন চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে সমাধান করতেন। (ই.ফা. ২৯১৬, ই.সে. ২৯১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪১
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبَانٍ الْجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ رَمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ ثَلاَثًا وَمَشَى أَرْبَعًا .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজারে আসওয়াদ থেকে শুরু করে হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত তিন চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে এবং চার চক্কর স্বাভাবিক গতিতে সম্পন্ন করেছেন। (ই.ফা. ২৯১৭, ই.সে. ২৯১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪২
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، رَمَلَ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ وَذَكَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَهُ .
নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হাজারে আসওয়াদ থেকে হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত দ্রুত পদক্ষেপে ত্বওয়াফ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছেন। (ই.ফা. ২৯১৮, ই.সে. ২৯১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৩
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ – رضى الله عنهما – أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَلَ مِنَ الْحَجَرِ الأَسْوَدِ حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِ ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজারে আসওয়াদ থেকে দ্রুত পদক্ষেপে তিন চক্কর দিয়েছেন এবং হাজারে আসওয়াদে পৌঁছে শেষ করেছেন। (ই.ফা. ২৯১৯, ই.সে. ২৯১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৪
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، وَابْنُ، جُرَيْجٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَلَ الثَّلاَثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্রুত পদক্ষেপে হাজারে আসওয়াদ থেকে হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত তিন ত্বওয়াফ সম্পন্ন করেছেন। (ই.ফা. ২৯২০, ই.সে. ২৯১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ أَرَأَيْتَ هَذَا الرَّمَلَ بِالْبَيْتِ ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ وَمَشْىَ أَرْبَعَةِ أَطْوَافٍ أَسُنَّةٌ هُوَ فَإِنَّ قَوْمَكَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ سُنَّةٌ . قَالَ فَقَالَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا . قَالَ قُلْتُ مَا قَوْلُكَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ مَكَّةَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ إِنَّ مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ لاَ يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَطُوفُوا بِالْبَيْتِ مِنَ الْهُزَالِ وَكَانُوا يَحْسُدُونَهُ . قَالَ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَرْمُلُوا ثَلاَثًا وَيَمْشُوا أَرْبَعًا . قَالَ قُلْتُ لَهُ أَخْبِرْنِي عَنِ الطَّوَافِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رَاكِبًا أَسُنَّةٌ هُوَ فَإِنَّ قَوْمَكَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ سُنَّةٌ . قَالَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا . قَالَ قُلْتُ وَمَا قَوْلُكَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَثُرَ عَلَيْهِ النَّاسُ يَقُولُونَ هَذَا مُحَمَّدٌ هَذَا مُحَمَّدٌ . حَتَّى خَرَجَ الْعَوَاتِقُ مِنَ الْبُيُوتِ . قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يُضْرَبُ النَّاسُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلَمَّا كَثُرَ عَلَيْهِ رَكِبَ وَالْمَشْىُ وَالسَّعْىُ أَفْضَلُ .
আবূ তুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, বায়তুল্লাহর চারদিক তিনবার দ্রুত গতিতে এবং চারবার স্বাভাবিক গতিতে প্রদক্ষিণ করা কি আপনি সুন্নাত মনে করেন? আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা তা সুন্নাত মনে করে। তিনি বললেন, তারা সত্য বলেছে এবং অসত্যও বলেছে। রাবী বলেন, আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম- “তারা সত্য বলেছে এবং অসত্য বলেছে”-আপনার এ কথার ব্যাখ্যা কী? তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কায় আগমন করলে মুশরিকরা বলল, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণেরা শারীরিক দূর্বলতার কারণে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করতে সক্ষম হবে না। তারা তাঁর প্রতি হিংসা পোষণ করত। তাই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণকে দ্রুত পদক্ষেপে তিনবার এবং স্বাভাবিক গতিতে চারবার (বায়তুল্লাহ) প্রদক্ষিণ করার নির্দেশ দেন। আমি তাঁকে (পুনরায়) বললাম, আপনি আমাকে সাফা-মারওয়ার মাঝে সওয়ার অবস্থায় প্রদক্ষিণ সম্পর্কে অবহিত করুন, তা কি সুন্নাত? কারণ আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা মনে করে তা সুন্নাত। তিনি বললেন, তারা সত্য বলেছে এবং অসত্যও বলেছে। আমি তাকে বললাম, “তারা সত্য বলেছে এবং অসত্যও বলেছে”-আপনার এ কথার ব্যাখ্যা কী? তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কায় এলেন। তাঁর আশেপাশে প্রচুর লোক সমাগম হলো। এমনকি যুবতী মেয়েরা পর্যন্ত (তাঁকে একটু দেখার জন্য) ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। লোকেরা বলাবলি করছিল, ইনি মুহাম্মাদ ইনি মুহাম্মাদ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে থেকে লোকদেরকে হটিয়ে দেয়া হতো না। তাঁর আশেপাশে প্রচুর লোক সমাগম হবার কারণে তিনি (উষ্ট্রীতে) আরোহণ করেন, অথচ স্বাভাবিক গতিতে পদব্রজে যাওয়া ও সা‘ঈ করা উত্তম। (ই.ফা. ২৯২১, ই.সে. ২৯২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، أَخْبَرَنَا الْجُرَيْرِيُّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَكَانَ أَهْلُ مَكَّةَ قَوْمَ حَسَدٍ . وَلَمْ يَقُلْ يَحْسُدُونَهُ .
আল জুরায়রী (রহঃ) সূত্রে অত্র সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণিত। তিনি বলেন, “তারা মাক্কাবাসী হিংসুক সম্প্রদায়”। তবে তিনি (আরবী) বলেননি তাঁরা তার সঙ্গে হিংসা করে। (ই.ফা. ২৯২২, ই.সে. ২৯২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৭
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ قَوْمَكَ يَزْعُمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَلَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهْىَ سُنَّةٌ . قَالَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا .
আবূ তুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)–কে বললাম, আপনার সম্প্রদায় বলে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহ্র ত্বওয়াফে ও সাফা-মারওয়ার সা‘ঈতে রামাল করেছেন, আর এটা সুন্নাত। তিনি বললেন, তারা সত্য বলেছে এবং অসত্য বলেছে। (ই.ফা. ২৯২৩, ই.সে. ২৯২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৮
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ، سَعِيدِ بْنِ الأَبْجَرِ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ أُرَانِي قَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَصِفْهُ لِي . قَالَ قُلْتُ رَأَيْتُهُ عِنْدَ الْمَرْوَةِ عَلَى نَاقَةٍ وَقَدْ كَثُرَ النَّاسُ عَلَيْهِ . قَالَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ذَاكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُمْ كَانُوا لاَ يُدَعُّونَ عَنْهُ وَلاَ يُكْهَرُونَ .
আবুত্ব-তুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললাম, আমি যেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখছি। তিনি বললেন, আমার কাছে তাঁর বিবরণ পেশ কর। তিনি বললেন, আমি তাঁকে মারওয়ার নিকট একটি উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় দেখেছি। তাঁর চারপাশে লোকের ভীড় ছিল। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, তিনিই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। কারণ সাহাবীগণের তাড়িয়ে দেয়া হতো না এবং তাদের ধমকও দেয়া হতো না। (ই.ফা. ২৯২৪, ই.সে. ২৯২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৪৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ مَكَّةَ وَقَدْ وَهَنَتْهُمْ حُمَّى يَثْرِبَ . قَالَ الْمُشْرِكُونَ إِنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيْكُمْ غَدًا قَوْمٌ قَدْ وَهَنَتْهُمُ الْحُمَّى وَلَقُوا مِنْهَا شِدَّةً . فَجَلَسُوا مِمَّا يَلِي الْحِجْرَ وَأَمَرَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَرْمُلُوا ثَلاَثَةَ أَشْوَاطٍ وَيَمْشُوا مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ لِيَرَى الْمُشْرِكُونَ جَلَدَهُمْ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ زَعَمْتُمْ أَنَّ الْحُمَّى قَدْ وَهَنَتْهُمْ هَؤُلاَءِ أَجْلَدُ مِنْ كَذَا وَكَذَا . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَلَمْ يَمْنَعْهُ أَنْ يَأْمُرَهُمْ أَنْ يَرْمُلُوا الأَشْوَاطَ كُلَّهَا إِلاَّ الإِبْقَاءُ عَلَيْهِمْ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ মাক্কায় আগমন করলেন। ইয়াসরিবের জ্বর তাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছিল। মুশরিকরা বলল, আগামীকাল তোমাদের এখানে একদল লোক আসবে- যাদেরকে জ্বরে দুর্বল করে দিয়েছে এবং তারা তাতে ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়েছে। মুশরিকরা হাতীম-এ বসে থাকল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণকে নির্দেশ দিলেন, তারা যেন তিন চক্কর দ্রুতপদে এবং হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মাঝখানে স্বাভাবিক গতিতে চলে- যাতে মুশরিকদেরকে তাদের বীরত্ব দেখানো যায়। মুশরিকরা বলল, তোমরা তো এদের সম্পর্কে ধারণা করেছিলে যে, জ্বর তাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছে অথচ তারা এমন শক্তিশালী। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দয়াপরবশ হয়ে তাদেরকে সাত চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেননি (যাতে তারা ক্লান্ত হয়ে না যায়)। (ই.ফা. ২৯২৫, ই.সে. ২৯২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫০
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّمَا سَعَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَمَلَ بِالْبَيْتِ لِيُرِيَ الْمُشْرِكِينَ قُوَّتَهُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বরেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এজন্য দ্রুত পদক্ষেপে বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করেছেন- যাতে তিনি মুশরিকগণকে স্বীয় শক্তি প্রদর্শন করতে পারেন। (ই.ফা. ২৯২৬, ই.সে. ২৯২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০. অধ্যায়ঃ
ত্বওয়াফের সময় দুই রুকনে ইয়ামানীতে চুম্বন করা মুস্তাহাব, অপর দুই (শামী) রুকন ব্যতীত
২৯৫১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ مِنَ الْبَيْتِ إِلاَّ الرُّكْنَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দুই ইয়ামানী রুকন ব্যতীত বায়তুল্লাহর অন্য কিছু স্পর্শ করতে দেখিনি। (ই.ফা. ২৯২৭, ই.সে. ২৯২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫২
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَلِمُ مِنْ أَرْكَانِ الْبَيْتِ إِلاَّ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ وَالَّذِي يَلِيهِ مِنْ نَحْوِ دُورِ الْجُمَحِيِّينَ .
সালিম (রহঃ) তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুক্নে আসওয়াদ (হাজারে আসওয়াদ সংযুক্ত কোণ) এবং তৎসংলগ্ন দিকের কোণ যা জুমাহী গোত্রের বসতির দিকে অবস্থিত, ব্যতীত বায়তুল্লাহর আর কোন রুকন স্পর্শ করতেন না। (ই.ফা. ২৯২৮, ই.সে. ২৯২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، ذَكَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَسْتَلِمُ إِلاَّ الْحَجَرَ وَالرُّكْنَ الْيَمَانِيَ
‘আবদুল্লাহ (ইবনু ‘উমার) (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজারে আসওয়াদ ও রুক্নে ইয়ামানী ব্যতীত আর কিছু স্পর্শ করতেন না। (ই.ফা. ২৯২৯, ই.সে. ২৯২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৪
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى، الْقَطَّانِ – قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى، – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ مَا تَرَكْتُ اسْتِلاَمَ هَذَيْنِ الرُّكْنَيْنِ – الْيَمَانِيَ وَالْحَجَرَ مُذْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَلِمُهُمَا فِي شِدَّةٍ وَلاَ رَخَاءٍ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এ দুই রুক্ন অর্থাৎ ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদ কোণ স্পর্শ করা পরিত্যাগ করিনি- যখন থেকে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তা স্পর্শ করতে দেখেছি। তা কষ্টকর বা সুবিধাজনক যে কোন অবস্থায় হোক না কেন। (ই.ফা. ২৯৩০, ই.সে. ২৯২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي خَالِدٍ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَسْتَلِمُ الْحَجَرَ بِيَدِهِ ثُمَّ قَبَّلَ يَدَهُ وَقَالَ مَا تَرَكْتُهُ مُنْذُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُهُ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে হাজারে আসওয়াদ স্বহস্তে স্পর্শ করে তাতে চুমু খেতে দেখেছি এবং তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যে দিন তা করতে দেখেছি- তখন থেকে আমি তা কখনো পরিত্যাগ করিনি। (ই.ফা. ২৯৩১, ই.সে. ২৯৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৬
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ قَتَادَةَ بْنَ، دِعَامَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا الطُّفَيْلِ الْبَكْرِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَلِمُ غَيْرَ الرُّكْنَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ .
আবূ তুফায়ল আল বাক্রী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দুই রুক্নে ইয়ামানী ব্যতীত কখনও অন্য কিছু স্পর্শ করতে দেখিনি। (ই.ফা. ২৯৩২, ই.সে. ২৯৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪১. অধ্যায়ঃ
ত্বওয়াফের সময় হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা মুস্তাহাব
২৯৫৭
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، وَعَمْرٌو، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، أَنَّحَدَّثَهُ قَالَ قَبَّلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْحَجَرَ ثُمَّ قَالَ أَمَ وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّكَ حَجَرٌ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ . زَادَ هَارُونُ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ عَمْرٌو وَحَدَّثَنِي بِمِثْلِهَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَسْلَمَ .
সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর পিতা তাঁকে বর্ণনা করতে যেয়ে বলেছেন যে, ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হাজারে আসওয়াদে চুম্বন করে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি নিশ্চিত জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র। আমি যদি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখতাম তবে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।
অনুরূপ একটি হাদীস যায়দ ইবনু আসলাম থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৯৩৩, ই.সে. ২৯৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৮
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، قَبَّلَ الْحَجَرَ وَقَالَ إِنِّي لأُقَبِّلُكَ وَإِنِّي لأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ وَلَكِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُكَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার (রাঃ) হাজারে আসওয়াদকে চুম্বন করলেন এবং বললেন, আমি তোমাকে চুম্বন করছি বটে কিন্তু অবশ্যই জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র। কিন্তু আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তোমায় চুম্বন করতে দেখেছি। (ই.ফা. ২৯৩৪, ই.সে. নেই)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৫৯
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَالْمُقَدَّمِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ كُلُّهُمْ عَنْ حَمَّادٍ، – قَالَ خَلَفٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ رَأَيْتُ الأَصْلَعَ – يَعْنِي عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ – يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ وَاللَّهِ إِنِّي لأُقَبِّلُكَ وَإِنِّي أَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ وَأَنَّكَ لاَ تَضُرُّ وَلاَ تَنْفَعُ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ . وَفِي رِوَايَةِ الْمُقَدَّمِيِّ وَأَبِي كَامِلٍ رَأَيْتُ الأُصَيْلِعَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি লৌহ মানব অর্থাৎ ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-কে কৃষ্ণ পাথর হাজারে আসওয়াদ চুমো দিতে দেখেছি এবং তিনি বলেছেন, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে চুম্বন করব এবং আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একটি পাথর, তুমি কারও ক্ষতিও করতে পার না এবং উপকারও করতে পার না।
আমি যদি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখতাম তবে আমি তোমায় চুম্বন করতাম না। (ই.ফা. ২৯৩৫, ই.সে. ২৯৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَابِسِ، بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ إِنِّي لأُقَبِّلُكَ وَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُكَ لَمْ أُقَبِّلْكَ .
‘আবিস ইবনু রবীআ‘হ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ)-কে হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করতে দেখেছি এবং তিনি বলেছেন, আমি অবশ্যই তোমায় চুম্বন করছি এবং আমি জানি যে, তুমি অবশ্যই একটি পাথর। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখলে আমি কখনও তোমায় চুম্বন করতাম না। (ই.ফা. ২৯৩৬, ই.সে. ২৯৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، – عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ قَبَّلَ الْحَجَرَ وَالْتَزَمَهُ وَقَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِكَ حَفِيًّا .
সুওয়ায়দ ইবনু গাফালাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ)-কে হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করতে এবং তা জড়িয়ে ধরতে দেখেছি। তিনি বলেছেন, আমি তোমার প্রতি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গভীর ভালোবাসা লক্ষ্য করেছি। (ই.ফা. ২৯৩৭, ই.সে. ২৯৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬২
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ وَلَكِنِّي رَأَيْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم بِكَ حَفِيًّا . وَلَمْ يَقُلْ وَالْتَزَمَهُ .
সুফ্ইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, কিন্তু আমি আবুল ক্বাসিম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তোমার প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করতে দেখেছি। এ বর্ণনায় “তিনি তা জড়িয়ে ধরলেন” কথার উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৯৩৮, ই.সে. ২৯৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪২. অধ্যায়ঃ
উট ও অন্যান্য সওয়ারীতে আরোহণ করে ত্বওয়াফ করা এবং আরোহীর জন্য লাঠি ইত্যাদির সাহায্যে পাথর স্পর্শ করা জায়িয
২৯৬৩
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَافَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ عَلَى بَعِيرٍ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটে সওয়ার হয়ে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করেন এবং একটি ছড়ির (মিহজান) সাহায্যে রুকন (পাথর) স্পর্শ করেন। (ই.ফা. ২৯৩৯, ই.সে. ২৯৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي، الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْبَيْتِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ عَلَى رَاحِلَتِهِ يَسْتَلِمُ الْحَجَرَ بِمِحْجَنِهِ لأَنْ يَرَاهُ النَّاسُ وَلِيُشْرِفَ وَلِيَسْأَلُوهُ فَإِنَّ النَّاسَ غَشُوهُ.
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটনীর উপর থেকে (বায়তুল্লাহ) ত্বওয়াফ করেন এবং তাঁর ছড়ির সাহায্যে পাথর স্পর্শ করেন- যেন লোকেরা তাঁকে দেখতে পায়। তিনি উঁচুতে থাকেন যাতে তারা তাঁকে মাসআলাহ্-মাসায়িল জিজ্ঞেস করতে পারে, কেননা তিনি লোক দ্বারা বেষ্টিত ছিলেন। (ই.ফা. ২৯৪০, ই.সে. ২৯৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৫
وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ بَكْرٍ – قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ طَافَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ عَلَى رَاحِلَتِهِ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِيَرَاهُ النَّاسُ وَلِيُشْرِفَ وَلِيَسْأَلُوهُ فَإِنَّ النَّاسَ غَشُوهُ . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ خَشْرَمٍ وَلِيَسْأَلُوهُ فَقَطْ .
আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন : বিদায় হাজ্জে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করেছেন-যাতে লোকেরা তাঁকে দেখতে পায়, তিনি সবার উপরে থাকেন এবং তার নিকট তারা (প্রয়োজনের বিষয়) জিজ্ঞেস করতে পারে। কারণ লোকেরা তাঁকে বেষ্টন করে রেখেছিল। ইবনু খাশ্রমের বর্ণনায় “তারা যেন তাঁকে প্রয়োজনীয় বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পারে” কথাটুকু উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৯৪১, ই. সে. ২৯৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৬
حَدَّثَنِي الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى الْقَنْطَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ طَافَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ حَوْلَ الْكَعْبَةِ عَلَى بَعِيرِهِ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ كَرَاهِيَةَ أَنْ يُضْرَبَ عَنْهُ النَّاسُ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটে সওয়ার হয়ে কা‘বার চতুর্দিকে প্রদক্ষিন করেন এবং রুকন স্পর্শ করেন- লোকদের তাঁর নিকট থেকে হটিয়ে দেয়াটা অপছন্দ হওয়ার কারণে। (ই.ফা. ২৯৪২, ই.সে. ২৯৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا مَعْرُوفُ بْنُ خَرَّبُوذَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ، يَقُولُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَيَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنٍ مَعَهُ وَيُقَبِّلُ الْمِحْجَنَ .
মা‘রূফ ইবনু খার্রাবূয (রহঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ তুফায়ল (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করতে, তাঁর সাথের লাঠি দিয়ে রুকন স্পর্শ করতে এবং লাঠিতে চুম্বন করতে দেখেছি। (ই.ফা. ২৯৪৩, ই.সে. ২৯৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ شَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي أَشْتَكِي فَقَالَ ” طُوفِي مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ وَأَنْتِ رَاكِبَةٌ ” . قَالَتْ فَطُفْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَئِذٍ يُصَلِّي إِلَى جَنْبِ الْبَيْتِ وَهُوَ يَقْرَأُ بِـ { الطُّورِ * وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ} .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমার অসুস্থতার কথা জানালাম। তিনি বললেন, তুমি সওয়ারী অবস্থায় লোকদের পেছন থেকে ত্বওয়াফ কর। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি (সেভাবে) ত্বওয়াফ করলাম- তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল্লাহ্র পাশে সলাত আদায় করছিলেন। আর তিনি তাতে তিলাওয়াত করছিলেন : আত্ব তূর, ওয়া কিতাবিম্ মাস্তূর। (ই.ফা. ২৯৪৪, ই. সে. ২৯৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৩. অধ্যায়ঃ
সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সা‘ঈ) হাজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হাজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৬৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ قُلْتُ لَهَا إِنِّي لأَظُنُّ رَجُلاً لَوْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مَا ضَرَّهُ . قَالَتْ لِمَ قُلْتُ لأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} إِلَى آخِرِ الآيَةِ . فَقَالَتْ مَا أَتَمَّ اللَّهُ حَجَّ امْرِئٍ وَلاَ عُمْرَتَهُ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . وَهَلْ تَدْرِي فِيمَا كَانَ ذَاكَ إِنَّمَا كَانَ ذَاكَ أَنَّ الأَنْصَارَ كَانُوا يُهِلُّونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ لِصَنَمَيْنِ عَلَى شَطِّ الْبَحْرِ يُقَالُ لَهُمَا إِسَافٌ وَنَائِلَةٌ . ثُمَّ يَجِيئُونَ فَيَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يَحْلِقُونَ . فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ كَرِهُوا أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَهُمَا لِلَّذِي كَانُوا يَصْنَعُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَالَتْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} إِلَى آخِرِهَا – قَالَتْ – فَطَافُوا .
হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে তার পিতা সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বললাম, আমি মনে করি কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়াহ্ পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সা‘ঈ না করলে তার কোন ক্ষতি হবে না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন কেন? আমি বললাম, কেননা আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেনঃ ‘সাফা-মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম ……” – (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৫৮)। তখন ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ না করলে আল্লাহ তার হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ পূর্ণ করেন না। তুমি যা বলেছ যদি তাই হতো তবে আয়াতটি এভাবে হতো, “ঐ দুই পাহাড়ের মাঝে না দৌড়ালে কোন অসুবিধা নেই।” তুমি কি জান ব্যাপারটি কী ছিল? ব্যাপার তো ছিল এই যে, আনসারগণ জাহিলী যুগে দু’টি প্রতিমার নামে সমুদ্রের তীরে ইহরাম বাঁধত। একটির নাম ইনসাফ, অপরটির নাম নায়িলাহ্। তারা এসে সাফা-মারওয়াহ্ সা‘ঈ করত। অতঃপর মাথা কামাতো। ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা জাহিলী যুগে যা করত, সে কারণে সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করা খারাপ মনে করল। তাই আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করলেন : “সাফা-মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম…….।” অতঃপর লোকেরা সা‘ঈ করে। [২২] (ই.ফা. ২৯৪৫, ই.সে. ২৯৪৩)
[২২] জাহিলী যুগে প্রতিমার নামে সমুদ্রের তীরে ইহরাম বাঁধত।
প্রতিমা দু’টি কখনও সমুদ্রের তীরে ছিল না। বলা হয় যে, আসাফ ও নায়িলাহ্ দু’জন ব্যক্তি। একজন পুরুষ, অন্যজন মহিলা। তারা ছিল জুরহাস গোত্রের। তারা উভয়ে কা‘বার অভ্যন্তরে যিনা করে, ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে পাথরে পরিণত করে দেন। এ দু’টি পাথরকে কা’বার নিকটে, আবার বলা হয়েছে সাফা-মারওয়াহ্ পাহাড়ের উপর স্থাপন করা হয়েছে যাতে করে লোকেরা এগুলো থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারে যে, তাদের পাপের পরিণতি কী দাঁড়িয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ، قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا أَرَى عَلَىَّ جُنَاحًا أَنْ لاَ أَتَطَوَّفَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ . قَالَتْ لِمَ قُلْتُ لأَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} الآيَةَ . فَقَالَتْ لَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . إِنَّمَا أُنْزِلَ هَذَا فِي أُنَاسٍ مِنَ الأَنْصَارِ كَانُوا إِذَا أَهَلُّوا أَهَلُّوا لِمَنَاةَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلاَ يَحِلُّ لَهُمْ أَنْ يَطَّوَّفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا قَدِمُوا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِلْحَجِّ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ فَلَعَمْرِي مَا أَتَمَّ اللَّهُ حَجَّ مَنْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ .
‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বললাম, আমি যদি সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ না করি তবে এতে আমার জন্য কোন দোষ মনে করি না। তিনি বললেন, কেন? আমি বললাম, কেননা মহামহিম আল্লাহ বলেন: “সাফা-মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম ….।” তখন ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তুমি যেরূপ বলছ, যদি তাই হতো, তবে আয়াতের বক্তব্য এরূপ হতো : “এ দুই পাহাড়ের মাঝে না দৌড়ালে কোন দোষ নেই।” এ আয়াত আনসারদের সম্পর্কে নাযিল করা হয়। জাহিলী যুগে তারা যখন লাব্বায়কা বলত- তা মানাৎ দেবীর নামে লাব্বায়কা ধ্বনি করত। তাই তারা মনে করত যে, সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করা তাদের জন্য ঠিক নয়। তারা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে (বিদায়) হাজ্জে এসে তাঁর নিকট এ বিষয়ে উল্লেখ করলে আল্লাহ উপরোক্ত আয়াত নাযিল করেন। অতএব আমার জীবনের শপথ! যে সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ না করে- আল্লাহ তার হাজ্জ পূর্ণ করবেন না। (ই.ফা. ২৯৪৬, ই.সে. ২৯৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭১
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا أَرَى عَلَى أَحَدٍ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ شَيْئًا وَمَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَطُوفَ بَيْنَهُمَا . قَالَتْ بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِي طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَافَ الْمُسْلِمُونَ فَكَانَتْ سُنَّةً وَإِنَّمَا كَانَ مَنْ أَهَلَّ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي بِالْمُشَلَّلِ لاَ يَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ سَأَلْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا} وَلَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ لَكَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ . وَقَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمُ . وَلَقَدْ سَمِعْتُ رِجَالاً مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ إِنَّمَا كَانَ مَنْ لاَ يَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مِنَ الْعَرَبِ يَقُولُونَ إِنَّ طَوَافَنَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَجَرَيْنِ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ . وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الأَنْصَارِ إِنَّمَا أُمِرْنَا بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَلَمْ نُؤْمَرْ بِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} . قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأُرَاهَا قَدْ نَزَلَتْ فِي هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ .
‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বললাম, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ না করলে এতে আমি দোষের কিছু দেখি না এবং আমি নিজেও এতদুভয়ের মাঝে সা‘ঈ বর্জন করায় কিছু মনে করি না। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, হে বোনপুত্র! তুমি যা বলেছ তা মন্দ বলেছ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সাফা-মারওয়ার মাঝে) ত্বওয়াফ (সা‘ঈ) করেছেন এবং মুসলিমরাও ত্বওয়াফ করেছে। অতএব তা সুন্নাত। যে সব লোক (জাহিলি যুগে) ‘মুশাল্লাল’ নামক স্থানে অবস্থিত নাফরমান মানাৎ দেবীর নামে ইহরাম বাঁধত, তারা সাফা ও মারওয়ার মাঝে ত্বওয়াফ করত না। ইসলামের আবির্ভাবের পর আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। তখন আল্লাহ তা‘আলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন, “সাফা-মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কেউ কা‘বাহ্ ঘরের হাজ্জ কিংবা ‘উমরাহ্ পালন করে, এ দু’টির মধ্যে প্রদক্ষিণ করলে এতে তার কোন পাপ নেই …..” – (সূরাহ আল বাক্বারাহ্ ২ :১৫৮)। তুমি যা বলেছ, ব্যাপারটি যদি তদ্রূপ হতো তবে বলা হতো, “এ দু’টির মধ্যে প্রদক্ষিণ না করলে তার কোন পাপ নেই।”
ইমাম যুহ্রী (রহঃ) বলেন, এ প্রসঙ্গটি আমি আবূ বকর ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু হারিস ইবনু হিশামের কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি তাতে বিস্মিত হলেন এবং বললেন, এর নামই জ্ঞান। তিনি আরও বললেন, জ্ঞানবান সমাজের অনেক লোককে বলতে শুনেছি-সাফা-মারওয়ার মাঝে ত্বওয়াফ বর্জনকারী আরবের অধিবাসীরা বলত, এ দুই পাথরের মাঝে ত্বওয়াফ করা জাহিলী যুগের কাজ। আর আনসার সম্প্রদায়ের লোকেরা বলত, আমাদেরকে বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে ত্বওয়াফের নির্দেশ দেয়া হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করলেন : “সাফা-মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম।”
আবূ বকর ইবনু ‘আবদুর রহমান বলেন, আমিও মনে করি যে, উল্লেখিত দুই সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে। (ই.ফা. ২৯৪৭, ই.সে. ২৯৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَلَمَّا سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَتَحَرَّجُ أَنْ نَطُوفَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا} قَالَتْ عَائِشَةُ قَدْ سَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الطَّوَافَ بَيْنَهُمَا فَلَيْسَ لأَحَدٍ أَنْ يَتْرُكَ الطَّوَافَ بِهِمَا.
উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম …. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় আছে- তারা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করতে গিয়ে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমরা সাফা-মারওয়ার মাঝে ত্বওয়াফকে খারাপ করি। তখন আল্লাহ তা’আলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন : “সাফা-মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কেউ বায়তুল্লাহর হাজ্জ কিংবা ‘উমরাহ্ পালন করে- এ দুটির মাঝে ত্বওয়াফ করলে তার কোন দোষ নেই।”
‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এতদুভয়ের মাঝে ত্বওয়াফ করাকে বিধিবদ্ধ করেছেন। অতএব এতদুভয়ের মাঝে ত্বওয়াফ বর্জন করার কারো অধিকার নেই। (ই.ফা. ২৯৪৮, ই.সে. ২৯৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৩
وَحَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ الأَنْصَارَ كَانُوا قَبْلَ أَنْ يُسْلِمُوا هُمْ وَغَسَّانُ يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ فَتَحَرَّجُوا أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَكَانَ ذَلِكَ سُنَّةً فِي آبَائِهِمْ مَنْ أَحْرَمَ لِمَنَاةَ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَإِنَّهُمْ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ حِينَ أَسْلَمُوا فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي ذَلِكَ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ}
‘উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশা (রাঃ) তাকে অভিহিত করেছেন যে, আনসার সম্প্রদায় ও গাস্সান গোত্রের নিয়ম ছিল, তারা ইসলাম গ্রহণের পূর্বে মানাৎ দেবীর জন্য ইহরাম বাঁধত। অতএব তারা সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করাকে পাপ মনে করত। এটা ছিল তাদের পূর্ব-পুরুষদের রীতি যে, তাদের কোন ব্যক্তি মানাৎ দেবীর জন্য ইহরাম বাঁধলে সাফা-মারওয়ার মাঝে ত্বওয়াফ করত না। তারা ইসলাম গ্রহনের পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। তখন এ প্রসঙ্গে মহামহিম আল্লাহ নাযিল করেন : “সাফা-মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। অতএব যে কেউ বায়তুল্লাহর হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ্ পালন করে, এতদুভয়ের মাঝে ত্বওয়াফ করলে তার কোন দোষ নেই এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ পুরস্কারদাতা ও সর্বজ্ঞ” – (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৫৮) (ই.ফা. ২৯৪৯, ই.সে. ২৯৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَتِ الأَنْصَارُ يَكْرَهُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى نَزَلَتْ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا}
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনসারগণ সাফা-মারওয়ার মাঝে ত্বওয়াফকে খারাপ কাজ মনে করত। অতএব এই সঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় : “সাফা-মারওয়াহ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। অতএব যে কোন ব্যক্তি বায়তুল্লাহর হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ্ পালন করে এতদুভয়ের মাঝে ত্বওয়াফ করলে, তার কোন দোষ নেই ……।” (ই.ফা. ২৯৫০, ই.সে. ২৯৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪. অধ্যায়ঃ
সা‘ঈ একাধিবার করতে হবে না
২৯৭৫
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَمْ يَطُفِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ أَصْحَابُهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ إِلاَّ طَوَافًا وَاحِدًا .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ সাফা-মারওয়ার মাঝে একবারের অধিক সা‘ঈ করেননি। (ই.ফা. ২৯৫১, ই.সে. ২৯৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৬
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ وَقَالَ إِلاَّ طَوَافًا وَاحِدًا طَوَافَهُ الأَوَّلَ .
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “একবার মাত্র সা‘ঈ (সাত চক্কর), তা হচ্ছে প্রথমবারের সা‘ঈ।” (ই.ফা. ২৯৫২, ই.সে. ২৯৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৫. অধ্যায়ঃ
কুরবানীর দিন জামরাতুল ‘আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপ শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত হাজ্জ পালনকারীর তালবিয়াহ্ পাঠ করা মুস্তাহাব
২৯৭৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح. وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، أَبِي حَرْمَلَةَ عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ رَدِفْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عَرَفَاتٍ فَلَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الشِّعْبَ الأَيْسَرَ الَّذِي دُونَ الْمُزْدَلِفَةِ أَنَاخَ فَبَالَ ثُمَّ جَاءَ فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ الْوَضُوءَ فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا خَفِيفًا ثُمَّ قُلْتُ الصَّلاَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ “ الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ” . فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَصَلَّى ثُمَّ رَدِفَ الْفَضْلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَدَاةَ جَمْعٍ
উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আরাফার ময়দান থেকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর পিছনে তাঁর বাহনে আরোহণ করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযদালিফার নিকটবর্তী পাহাড়ের বামপাশে পৌঁছে উটকে হাঁটু গেড়ে বসালেন, এরপর (নেমে গিয়ে) পেশাব করলেন এবং ফিরে এলেন। আমি তাঁকে ওযূর পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি সংক্ষেপে (অল্প পানি ব্যবহার করে) ওযূ সেরে নিলেন। এরপর আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! সলাতের সময় হয়েছে। তিনি বললেন, আরও সামনে গিয়ে সলাত আদায় করব। অতএব রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাহনে আরোহণ করলেন এবং মুযদালিফায় পৌঁছে সলাত আদায় করলেন। এরপর তিনি সকালবেলা ফাযল (রাঃ)–কে তাঁর (বাহনে) পিছন দিকে বসিয়ে রওনা হলেন। (ই.ফা. ২৯৫৩, ই.সে. ২৯৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৮
قَالَ كُرَيْبٌ فَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى بَلَغَ الْجَمْرَةَ
কুরায়ব থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ফাযল –এর সূত্রে আমাকে অবহিত করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরায় [২৩] পৌছার পূর্ব পর্যন্ত অনবরত তালবিয়াহ্ পাঠ করছিলেন। (ই.ফা. ২৯৫৩, ই.সে. ২৯৫১)
[২৩] হাজীগণ ‘আরাফাহ্ দিবসের পর মিনায় এসে যে সকল স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করে সেগুলোকে জামরাহ্ বলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৯
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، – قَالَ ابْنُ خَشْرَمٍ أَخْبَرَنَا عِيسَى، – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرْدَفَ الْفَضْلَ مِنْ جَمْعٍ قَالَ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ الْفَضْلَ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযদালিফায় ফায্লকে বাহনে তাঁর পিছনে বসালেন। রাবী বলেন, এরপর ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে অবহিত করলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরাতুল ‘আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপের পূর্ব পর্যন্ত অনবরত তালবিয়াহ্ পাঠ করতে থাকেন। (ই.ফা. ২৯৫৪, ই.সে. ২৯৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮০
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي، الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَكَانَ، رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي عَشِيَّةِ عَرَفَةَ وَغَدَاةِ جَمْعٍ لِلنَّاسِ حِينَ دَفَعُوا ” عَلَيْكُمْ بِالسَّكِينَةِ ” . وَهْوَ كَافٌّ نَاقَتَهُ حَتَّى دَخَلَ مُحَسِّرًا – وَهُوَ مِنْ مِنًى – قَالَ ” عَلَيْكُمْ بِحَصَى الْخَذْفِ الَّذِي يُرْمَى بِهِ الْجَمْرَةُ ” . وَقَالَ لَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي حَتَّى رَمَى الْجَمْرَةَ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে তার ভাই ফায্ল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর বাহনে তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আরাফাতে সন্ধ্যাবেলা এবং মুযদালিফায় ভোরবেলা লোকদের উদ্দেশে বললেন, যখন তারা অগ্রসর হচ্ছিল- “তোমরা ধীরে-সুস্থে অগ্রসর হও।” তিনিও নিজে উষ্ট্রীর গতি ধীর করে অগ্রসর হচ্ছিলেন এবং এভাবে মুহাস্সির পৌঁছলেন- যা মিনার অন্তর্গত। তিনি (এখানে) বললেন, তোমরা নুড়ি পাথর তুলে নাও যা জামরায় নিক্ষেপ করা হয়।
রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরায় পাথর নিক্ষেপ পর্যন্ত অনবরত তালবিয়াহ্ পাঠ করতে থাকলেন। (ই.ফা. ২৯৫৫, ই.সে. ২৯৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮১
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فِي الْحَدِيثِ وَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي حَتَّى رَمَى الْجَمْرَةَ . وَزَادَ فِي حَدِيثِهِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُشِيرُ بِيَدِهِ كَمَا يَخْذِفُ الإِنْسَانُ .
আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে রাবী এ কথাটি উল্লেখ করেননি –“রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরায় পাথর নিক্ষেপ পর্যন্ত অনবরত তালবিয়াহ্ পাঠ করতে থাকলেন।” কিন্তু এতে উল্লেখ আছে: “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিলেন (নিক্ষেপের জন্য) নুড়ি কিভাবে ধরবে।” (ই.ফা. ২৯৫৬, ই.সে. ২৯৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَنَحْنُ بِجَمْعٍ سَمِعْتُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ يَقُولُ فِي هَذَا الْمَقَامِ “ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ” .
‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমরা মুযদালিফায় (সমবেত) ছিলাম। এ সময় যাঁর উপর সূরাহ বাক্বারাহ নাযিল হয়েছে, তাঁকে এ স্থানে বলতে শুনলাম: “লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা।” (ই.ফা. ২৯৫৭, ই.সে. ২৯৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮৩
وَحَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُدْرِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، لَبَّى حِينَ أَفَاضَ مِنْ جَمْعٍ فَقِيلَ أَعْرَابِيٌّ هَذَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَنَسِيَ النَّاسُ أَمْ ضَلُّوا سَمِعْتُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ يَقُولُ فِي هَذَا الْمَكَانِ “ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ”
‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) মুযদালিফাহ্ রওনার প্রাক্কালে তালবিয়াহ্ পাঠ করলেন। বলা হ’ল, এ সম্ভবত বেদুঈন (হাজ্জের অনুষ্ঠানাদি সঠিকভাবে জানে না)। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, লোকেরা কি (রসূলের সুন্নাত) ভুলে গেছে, না পথভ্রষ্ট হয়েছে! যাঁর উপর সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ নাযিল হয়েছে, তাঁকে আমি এ স্থানে বলতে শুনেছি: “লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা।” (ই.ফা. ২৯৫৮, ই.সে. ২৯৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮৪
وَحَدَّثَنَاهُ حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حُصَيْنٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ
হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৯৫৯, ই.সে. ২৯৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮৫
وَحَدَّثَنِيهِ يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ الْمَعْنِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادٌ، – يَعْنِي الْبَكَّائِيَّ – عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُدْرِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، وَالأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالاَ سَمِعْنَا عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ بِجَمْعٍ سَمِعْتُ الَّذِي، أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ هَا هُنَا يَقُولُ “ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ” . ثُمَّ لَبَّى وَلَبَّيْنَا مَعَهُ .
‘আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ ও আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)–কে মুযদালিফায় বলতে শুনেছি যে, যাঁর উপর সূরাহ্ বাক্বারাহ্ নাযিল হয়েছে, তাঁকে আমি বলতে শুনেছি: “লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা।” এরপর তিনি (ইবনু মাস‘ঊদ) তালবিয়াহ্ পাঠ করলেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে তালবিয়াহ্ পাঠ করলাম। (ই.ফা. ২৯৬০, ই.সে. ২৯৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস