১৪. অধ্যায়ঃ
ফাজ্রের দু’ রাক‘আত সুন্নাত, তার জন্য উৎসাহ দান, সেটা সংক্ষেপে ও সর্বদা আদায় করা এবং এতে যে ক্বিরাআত পাঠ মুস্তাহাব।
১৫৬১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ حَفْصَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ مِنَ الأَذَانِ لِصَلاَةِ الصُّبْحِ وَبَدَا الصُّبْحُ رَكَعَ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ تُقَامَ الصَّلاَةُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মুল মু‘মিনীন হাফসাহ্ তাকে বললেন যে, ফাজ্রের সলাতের আযানের পর মুয়ায্যিন যখন থেমে যেত এবং ভোরের আলো প্রকাশ পেত তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয সলাতের ইক্বামাত দেয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্তভাবে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৪৬, ই.সে.১৫৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৬২
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ كَمَا قَالَ مَالِكٌ .
হাফ্সাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাজ্র উদিত হলে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হালকা করে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা.১৫৪৭,ই.সে.১৫৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৬৩
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ لاَ يُصَلِّي إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ .
হাফ্সাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাজ্র উদিত হলে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হালকা করে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা.১৫৪৮, ই.সে.১৫৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৬৪
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.১৫৪৯, ই.সে. ১৫৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَخْبَرَتْنِي حَفْصَةُ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَضَاءَ لَهُ الْفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
হাফ্সাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের আলো প্রকাশিত হওয়ার পর দু‘ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৫০, ই.সে.১৫৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৬৬
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ إِذَا سَمِعَ الأَذَانَ وَيُخَفِّفُهُمَا .
‘আয়িশাহ্হ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আযান শোনার পর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন আর তা সংক্ষিপ্ত আদায় করতেন। (ই.ফা.১৫৫১, ই.সে.১৫৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৬৭
وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيٌّ يَعْنِي ابْنَ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ .
‘আলী ইবনু হুজ্র, আবূ কুরায়ব, আবূ বকর ও ইবনু নুমায়র, ‘আম্র আন্ নাক্বিদ (রহঃ) ….. সকলে হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে আবূ উসামাহ্ বর্ণিত হাদীসে “যখন ফজরের উদিত হলো” কথাটি উল্লেখ আছে। (ই.ফা.১৫৫২, ই.সে.১৫৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৬৮
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بَيْنَ النِّدَاءِ وَالإِقَامَةِ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের সলাতের আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা.১৫৫৩, ই.সে. ১৫৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৬৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَمْرَةَ، تُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَيُخَفِّفُ حَتَّى إِنِّي أَقُولُ هَلْ قَرَأَ فِيهِمَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের দু’ রাক‘আত (সুন্নাত) সলাত এত সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করতেন যে, আমি বলতাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সলাতের দু’ রাক‘আতে সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পড়েছেন? (ই.ফা.১৫৫৪, ই.সে. ১৫৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭০
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَنْصَارِيِّ، سَمِعَ عَمْرَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ أَقُولُ هَلْ يَقْرَأُ فِيهِمَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ফাজ্রের সময় অর্থাৎ ভোর হলে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ রাক‘আত (সুন্নাত) সলাত আদায় করতেন। সলাত দু’ রাক‘আত এত সংক্ষিপ্ত হ’ত যে, আমার মনে প্রশ্ন জাগত- তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সলাতে সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পড়েছেন? (ই.ফা.১৫৫৫, ই.সে.১৫৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭১
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ عَلَى شَىْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ أَشَدَّ مُعَاهَدَةً مِنْهُ عَلَى رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الصُّبْحِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের (ফরয সলাতের) পূর্বের দু’ রাক‘আত সুন্নাত আদায় করার প্রতি যত কঠোরভাবে খেয়াল রাখতেন অন্য কোন নাফ্ল সলাতের প্রতি ততখানি রাখতেন না। (ই.ফা.১৫৫৬, ই.সে. ১৫৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ جَمِيعًا عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، – قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا حَفْصٌ، – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَىْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ أَسْرَعَ مِنْهُ إِلَى الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ফাজ্রের দু’ রাক‘আত নাফল্ সলাতের জন্য আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যত ব্যস্ততা প্রকাশ করতে দেখেছি অন্য কোন নাফ্ল সলাতের জন্য ততটা ব্যস্ততা প্রকাশ করতে দেখিনি। (ই.ফা.১৫৫৭, ই.সে.১৫৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ رَكْعَتَا الْفَجْرِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ফাজ্রের দু’ রাক‘আত (সুন্নাত) সলাত দুন্ইয়া ও তার সব কিছুর থেকে উত্তম। (ই.ফা.১৫৫৮, ই.সে. ১৫৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭৪
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ قَالَ أَبِي حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي شَأْنِ الرَّكْعَتَيْنِ عِنْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ “ لَهُمَا أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الدُّنْيَا جَمِيعًا ” .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাবীব (রহঃ) ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দু’ রাক‘আত সলাত সম্পর্কে বলেছেন যে, ঐ দু’ রাক‘আত সলাত আমার কাছে সারা দুন্ইয়ার সব কিছু থেকে অধিক প্রিয়। (ই.ফা.১৫৫৯, ই.সে. ১৫৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭৫
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ يَزِيدَ، – هُوَ ابْنُ كَيْسَانَ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ { قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} وَ { قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ}
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের দূ’ রাক‘আত সলাতে (আরবী) পড়েছেন। (ই.ফা.১৫৬০, ই.সে.১৫৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭৬
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْفَزَارِيُّ، – يَعْنِي مَرْوَانَ بْنَ مُعَاوِيَةَ – عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فِي الأُولَى مِنْهُمَا { قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا} الآيَةَ الَّتِي فِي الْبَقَرَةِ وَفِي الآخِرَةِ مِنْهُمَا { آمَنَّا بِاللَّهِ وَاشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ}
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের দু’ রাক‘আত সুন্নাত সলাতের প্রথম রাক‘আতে সূরাহ বাক্বারার (আরবী)-(সূরাহ্ বাক্বারাহ্ ২:১৩৬) আয়াতটি এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে (আরবী) (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩:৬৪) আয়াতটি পড়তেন। (ই.ফা. ১৫৬১, ই.সে. ১৫৬৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ { قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا} وَالَّتِي فِي آلِ عِمْرَانَ { تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ}
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের দু’রাক‘আত সুন্নাত সালাতে (সূরা বাক্বারার আয়াত) (আরবী) (সূরা বাক্বারা ২:১৩৬) আয়াতটি এবং দ্বিতীয় রাক’আতে (আরবী) (সূরাহ আল ’ইমরান ৩:৬৪) আয়াতটি পড়তেন। (ই.ফা. ১৫৬২, ই.সে.১৫৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৭৮
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ مَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ .
‘উসমান ইবনু হাকীম (রহঃ) মারওয়ান আল ফাযার থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা ১৫৬৩, ই. সে. ১৫৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫. অধ্যায়ঃ
ফার্যের পূর্বে ও পরে নিয়মিত সুন্নাতের ফাযীলাত এবং তার সংখ্যার বিবরণ
১৫৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، – يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ – عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَنْبَسَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ بِحَدِيثٍ يُتَسَارُّ إِلَيْهِ قَالَ سَمِعْتُ أُمَّ حَبِيبَةَ تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ صَلَّى اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ بُنِيَ لَهُ بِهِنَّ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ ” . قَالَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ عَنْبَسَةُ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ أُمِّ حَبِيبَةَ . وَقَالَ عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ مَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ عَنْبَسَةَ . وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ سَالِمٍ مَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ .
‘আম্র ইবনু আওস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে রোগে ‘আমবাসাহ ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান মৃত্যুবরণ করেছেন-সে রোগ শয্যায় থাকাকালে তিনি আমার কাছে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন যা খুবই খুশীর বা আনন্দের। তিনি বলেছেন: আমি উম্মু হাবীবাহ্কে বলতে শুনেছি; তিনি বলেছেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, দিন ও রাতে যে ব্যক্তি মোট ১২ রাক‘আত (সুন্নাত) সলাত আদায় করে তার বিনিময়ে জান্নাতে ঐ ব্যক্তির জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। উম্মু হাবীবাহ্ বলেছেন: আমি যে সময়ে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে এ সলাত সম্পর্কে শুনেছি তখন থেকে আর কখনো তা আদায় করা পরিত্যাগ করিনি। ‘আম্বাসাহ ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান বলেছেন: এ সলাত সম্পর্কে যখন আমি উম্মু হাবীবার কাছে শুনেছি; তখন থেকে আর ঐ সলাত গুলো কখনো পরিত্যাগ করিনি। ‘আম্র ইবনু আওস বলেছেনঃ যে সময়ে এ সলাত সম্পর্কে আমি ‘আম্বাসাহ্ ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান- এর নিকট থেকে শুনেছি সে সময় থেকে আর কখনো তা পরিত্যাগ করিনি। নু’মান ইবনু সালিম বলেছেন: যে সময় আমি এ হাদীসটি ‘আম্র ইবনু আওস- এর নিকট থেকে শুনেছি তখন থেকে কখনো আর তা পরিত্যাগ করিনি। (ই.ফা. ১৫৬৪, ই.সে.১৫৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮০
حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ “ مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَجْدَةً تَطَوُّعًا بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ ” .
নু’মান ইবনু সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, (হাদীসটি হ’ল) যে ব্যক্তি দিনে ১২ রাক‘আত নফল (সুন্নাত) সলাত আদায় করে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়।[২৯]( ই.ফা. ১৫৬৫, ই.সে.১৫৭২)
[২৯] এ ১২ রাক‘আত হলঃ যুহরের পূর্বে ৪ রাক‘আত ও পরে ২ রাক‘আত, মাগরিবের পরে ২ রাক‘আত, ’ইশার পরে ২ রাক‘আত এবং ফাজ্রের পূর্বে ২ রাক‘আত মোট ১২ রাক‘আত। যুহরের পর ৪ রাক‘আত আদায় করা সম্বন্ধে উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) থেকে হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি যুহরের পূর্বে ৪ রাক‘আত ও পরে ৪ রাক‘আত হিফাযাত করে আদায় করে যাবে আল্লাহ জাহান্নামকে তার জন্য হারাম করে দিয়েছেন। (আবূ দাউদ, তিরমিযী, মুসলিম শারহে নাবাবী- ১ম খন্ড ২৫১ পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يُصَلِّي لِلَّهِ كُلَّ يَوْمٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعًا غَيْرَ فَرِيضَةٍ إِلاَّ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ أَوْ إِلاَّ بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ ” . قَالَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ فَمَا بَرِحْتُ أُصَلِّيهِنَّ بَعْدُ . وَقَالَ عَمْرٌو مَا بَرِحْتُ أُصَلِّيهِنَّ بَعْدُ . وَقَالَ النُّعْمَانُ مِثْلَ ذَلِكَ .
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি। (তিনি বলেছেন) কোন মুসলিম বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে প্রতিদিন ফার্য ছাড়াও আরো ১২ রাক‘আত নাফ্ল সলাত আদায় করে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। উম্মু হাবীবাহ্ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন- এরপর আর কখনো এ সলাত সমূহ আদায় করতে বিরত থাকিনি। আর ‘আমর ইবনু আওস বলেছেন-পরবর্তী সময়ে কখনো আমি এ সলাত আদায় করতে বিরত হই না। নু’মান ইবনু সালিমও অনুরূপ কথাই বলেছেন। (ই.ফা. ১৫৬৬, ই.সে. ১৫৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮২
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ الْعَبْدِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ النُّعْمَانُ بْنُ سَالِمٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَنْبَسَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ تَوَضَّأَ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ صَلَّى لِلَّهِ كُلَّ يَوْمٍ ” . فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ .
উম্মু হাবীবাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন মুসলিম বান্দা যদি উত্তমরূপে ওযু করে আল্লাহর উদ্দেশে প্রতিদিন সলাত আদায় করে- এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ( ই.ফা. ১৫৬৭ , ই.সে.১৫৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮৩
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ الظُّهْرِ سَجْدَتَيْنِ وَبَعْدَهَا سَجْدَتَيْنِ وَبَعْدَ الْمَغْرِبِ سَجْدَتَيْنِ وَبَعْدَ الْعِشَاءِ سَجْدَتَيْنِ وَبَعْدَ الْجُمُعَةِ سَجْدَتَيْنِ فَأَمَّا الْمَغْرِبُ وَالْعِشَاءُ وَالْجُمُعَةُ فَصَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِهِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে যুহরের পূর্বে দু’ রাক‘আত, পরে দু’ রাক‘আত, মাগরিবের সালাতের পর দু’ রাক‘আত, ’ইশার সালাতের পর দু’ রাক‘আত এবং জুমু’আর সালাতের পর দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছি। তবে মাগরিব, ‘ইশা ও জুমু’আর সালাতের পরের দু’ রাক‘আত সলাত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে তাঁর বাড়ীতে আদায় করেছি। (ই.ফা. ১৫৬৮, ই.সে. ১৫৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬. অধ্যায়ঃ
দাঁড়িয়ে ও বসে নাফ্ল সলাত আদায় এবং একই রাক’আতের অংশ বিশেষ দাঁড়িয়ে ও অংশ বিশেষ বসে আদায় করার বৈধতা
১৫৮৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ تَطَوُّعِهِ فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّي فِي بَيْتِي قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعًا ثُمَّ يَخْرُجُ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ يَدْخُلُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ الْمَغْرِبَ ثُمَّ يَدْخُلُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَيُصَلِّي بِالنَّاسِ الْعِشَاءَ وَيَدْخُلُ بَيْتِي فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ تِسْعَ رَكَعَاتٍ فِيهِنَّ الْوِتْرُ وَكَانَ يُصَلِّي لَيْلاً طَوِيلاً قَائِمًا وَلَيْلاً طَوِيلاً قَاعِدًا وَكَانَ إِذَا قَرَأَ وَهُوَ قَائِمٌ رَكَعَ وَسَجَدَ وَهُوَ قَائِمٌ وَإِذَا قَرَأَ قَاعِدًا رَكَعَ وَسَجَدَ وَهُوَ قَاعِدٌ وَكَانَ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাফ্ল সলাত সম্পর্কে ‘আয়িশাহ্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃরসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের (ফার্য সালাতের ) পূর্বে আমার ঘরে চার রাক‘আত নাফ্ল আদায় করতেন। তারপর গিয়ে মাসজিদে লোকদের সাথে সলাত আদায় করতেন। পরে ঘরে এসে আবার দু’ রাক‘আত নাফ্ল আদায় করতেন। অত:পর লোকজনের সাথে মাগরিবের সলাত আদায় করতেন এবং ঘরে এসে দু’ রাক‘আত নাফ্ল আদায় করতেন। আবার ‘ইশার সলাত লোকজনের সাথে আদায় করে আমার ঘরে এসে দু’ রাক‘আত নাফ্ল আদায় করতেন। আর রাতের বেলা বিত্রসহ নয় রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাফ্ল সলাত আদায় করতেন, আবার দীর্ঘ সময় বসে বসেও নাফ্ল সলাত আদায় করতেন। যখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে ক্বিরআত পড়তেন তখন দাঁড়িয়েই রুকূ’ ও সিজদাহ করতেন। আবার যখন বসে ক্বিরআত করতেন তখন রুকূ’ ও সিজদাহ বসেই করতেন। আর ফাজ্রের সময় বা ভোর হলেও দু’ রাক‘আত নাফ্ল আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৬৯. ই.সে.১৫৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ بُدَيْلٍ، وَأَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَيْلاً طَوِيلاً فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا رَكَعَ قَائِمًا وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا رَكَعَ قَاعِدًا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা দীর্ঘ সময় সলাত আদায় করতেন। যখন তিনি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করতেন তখন দাঁড়িয়েই রুকূ’ আদায় করতেন। আর যখন বসে সলাত আদায় করতেন তখন বসেই রুকূ’ করতেন। (ই.ফা. ১৫৭০, ই. সে. ১৫৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُدَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ كُنْتُ شَاكِيًا بِفَارِسَ فَكُنْتُ أُصَلِّي قَاعِدًا فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَيْلاً طَوِيلاً قَائِمًا . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি পারস্যে অবস্থানকালীন সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তখন আমি বসে বসে সলাত আদায় করতাম। পরে আমি ‘আয়িশাহ্কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃরসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা দীর্ধ সময় পর্যন্ত সলাত আদায় করতেন। এরপর তিনি উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করলেন। ( ই. ফা. ১৫৭১, ই.সে. ১৫৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮৭
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ الْعُقَيْلِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّي لَيْلاً طَوِيلاً قَائِمًا وَلَيْلاً طَوِيلاً قَاعِدًا وَكَانَ إِذَا قَرَأَ قَائِمًا رَكَعَ قَائِمًا وَإِذَا قَرَأَ قَاعِدًا رَكَعَ قَاعِدًا .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু শাক্বীক্ব আল ‘উক্বায়লী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) কে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাত্রিকালীন সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে এবং দীর্ঘ সময় বসে সলাত আদায় করতেন। যখন তিনি দাঁড়িয়ে ক্বিরাআত পড়তেন তখন দাঁড়িয়েই রুকু’ করতেন এবং যখন বসে ক্বিরাআত পড়তেন তখন বসেই রুকু’ করতেন। (ই.ফা. ১৫৭২, ই.সে. ১৫৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮৮
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ الْعُقَيْلِيِّ، قَالَ سَأَلْنَا عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ الصَّلاَةَ قَائِمًا وَقَاعِدًا فَإِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا رَكَعَ قَائِمًا وَإِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَاعِدًا رَكَعَ قَاعِدًا .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু শাক্বীক্ব আল ‘উক্বায়লী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (নাফ্ল) সলাত সম্পর্কে ‘আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিকাংশ সলাতই দাঁড়িয়ে এবং বসে আদায় করতেন। যখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে সলাত শুরু করতেন তখন দাঁড়িয়েই রুকু’ করতেন। আর যখন বসে সলাত শুরু করতেন তখন বসেই রুকু’ করতেন। (ই.ফা. ১৫৭৩, ই.সে. ১৫৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৮৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي شَىْءٍ مِنْ صَلاَةِ اللَّيْلِ جَالِسًا حَتَّى إِذَا كَبِرَ قَرَأَ جَالِسًا حَتَّى إِذَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنَ السُّورَةِ ثَلاَثُونَ أَوْ أَرْبَعُونَ آيَةً قَامَ فَقَرَأَهُنَّ ثُمَّ رَكَعَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি কখনো রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রাতের সলাতে বসে কিছু পড়তে (ক্বিরাআত করতে) দেখিনি। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি বৃদ্ধ হয়ে পড়লে বসে বসেই ক্বিরাআত করতেন এবং শেষের সূরার ত্রিশ কিংবা চল্লিশ আয়াত যখন অবশিষ্ট থাকত তখন দাঁড়িয়ে ঐ আয়াতগুলো পড়তেন এবং রুকু’ করতেন। (ই.ফা. ১৫৭৪, ই.সে ১৫৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯০
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، وَأَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي جَالِسًا فَيَقْرَأُ وَهُوَ جَالِسٌ فَإِذَا بَقِيَ مِنْ قِرَاءَتِهِ قَدْرُ مَا يَكُونُ ثَلاَثِينَ أَوْ أَرْبَعِينَ آيَةً قَامَ فَقَرَأَ وَهُوَ قَائِمٌ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ يَفْعَلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذَلِكَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নাফ্ল সলাত বসে আদায় করতেন তখন বসে বসেই ক্বিরাআত পড়তেন। এভাবে যখন আনুমানিক ত্রিশ অথবা চল্লিশ আয়াত পর্যন্ত পড়তে অবশিষ্ট থাকত তখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন এবং দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্বিরাআত করতেন। অতঃপর রুকু’ ও সিজদাহ্ করতেন। পরে দ্বিতীয় রাক‘আতে পুনরায় অনুরূপ করতেন। (ই.ফা. ১৫৭৫, ই.সে. ১৫৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ وَهُوَ قَاعِدٌ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ إِنْسَانٌ أَرْبَعِينَ آيَةً .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাফ্ল সলাতে বসে ক্বিরাআত পড়তেন। অতঃপর রুকু’ করতে মনস্থ করলে উঠে এতটুকু সময় পর্যন্ত দাঁড়ালেন, যে সময়ের মধ্যে একজন লোক চল্লিশ আয়াত পর্যন্ত পড়তে পারে। (ই.ফা. ১৫৭৬, ই.সে. ১৫৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯২
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ كَيْفَ كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَالَتْ كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ .
‘আলক্বামাহ্ ইবনু ওয়াক্বক্বাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রাতের বেলার দু‘ রাকআত সলাত বসে কীভাবে আদায় করতেন জবাবে ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু‘ রাক‘আত সলাতে ক্বিরাআত পড়তেন। তারপর রুকু’ করার সময় উঠে দাঁড়িয়ে রুকু’ করতেন। (ই.ফা. ১৫৭৭, ই.সে. ১৫৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ هَلْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَهُوَ قَاعِدٌ قَالَتْ نَعَمْ بَعْدَ مَا حَطَمَهُ النَّاسُ .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বসে সলাত আদায় করতেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, লোকজন তাকে বৃদ্ধ করে দেয়ার পর আদায় করতেন।[৩০] (ই.ফা. ১৫৭৮, ই.সে. ১৫৮৫)
[৩০] মানবতার কল্যাণ সাধনে তাদের যাবতীয় কর্মকান্ড, ভারবহন ও তত্ত্বাবধান করতে করতে তিনি বৃদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। (মুসলিম শারহে নাবাবী-১ম খন্ড ২৫২ পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯৪
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ . فَذَكَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৫৭৯, ই.সে. ১৫৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَمُتْ حَتَّى كَانَ كَثِيرٌ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ جَالِسٌ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর পূর্বে বেশীর ভাগ সলাত বসে বসে আদায় করেছেন। (ই.ফা. ১৫৮০, ই.সে. ১৫৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯৬
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ زَيْدٍ، قَالَ حَسَنٌ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا بَدَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَثَقُلَ كَانَ أَكْثَرُ صَلاَتِهِ جَالِسًا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বয়স যখন বেশী হয়ে শরীর ভারী হয়ে গিয়েছিল তখন তিনি অধিকাংশ সলাত বসে বসে আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৮১, ই.সে. ১৫৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ السَّهْمِيِّ، عَنْ حَفْصَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي سُبْحَتِهِ قَاعِدًا حَتَّى كَانَ قَبْلَ وَفَاتِهِ بِعَامٍ فَكَانَ يُصَلِّي فِي سُبْحَتِهِ قَاعِدًا وَكَانَ يَقْرَأُ بِالسُّورَةِ فَيُرَتِّلُهَا حَتَّى تَكُونَ أَطْوَلَ مِنْ أَطْوَلَ مِنْهَا .
হাফ্সাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কখনো বসে নাফ্ল সলাত আদায় করতে দেখিনি। পরবর্তী সময়ে তাঁর ওয়াফাতের এক বছর পূর্বে তাঁকে বসে নাফ্ল সলাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি অতি উত্তমরূপে স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে সূরাহ্ পড়তেন। এ কারণে তার সলাত দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে যেত। (ই.ফা. ১৫৮২, ই.সে. ১৫৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، جَمِيعًا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُمَا قَالاَ بِعَامٍ وَاحِدٍ أَوِ اثْنَيْنِ .
আবুত্ ত্বহির, হারমালাহ্, ইসহাক্ব ইবনু ইব্রাহীম ও ‘আব্দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. সবাই যুহরী থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তারা উভয়ে (ইবনু ইউসুফ ও মা‘মার) “এক বছর অথবা দু’বছর পূর্বে” কথাটি উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ১৫৮৩, ই.সে. ১৫৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫৯৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ حَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَمُتْ حَتَّى صَلَّى قَاعِدًا .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসে সলাত না আদায় করে (অর্থাৎ বসে সলাত আদায়ের মত বার্ধক্যে পৌছার পূর্বে) মারা যাননি। (ই.ফা. ১৫৮৪,ই.সে. ১৫৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০০
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ حُدِّثْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” صَلاَةُ الرَّجُلِ قَاعِدًا نِصْفُ الصَّلاَةِ ” . قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي جَالِسًا فَوَضَعْتُ يَدِي عَلَى رَأْسِهِ فَقَالَ مَا لَكَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو قُلْتُ حُدِّثْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَّكَ قُلْتَ ” صَلاَةُ الرَّجُلِ قَاعِدًا عَلَى نِصْفِ الصَّلاَةِ ” . وَأَنْتَ تُصَلِّي قَاعِدًا قَالَ ” أَجَلْ وَلَكِنِّي لَسْتُ كَأَحَدٍ مِنْكُمْ ” .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ বসে সলাত আদায় করলে তা অর্ধেক সলাতের সমকক্ষ। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আম্র বর্ণনা করেছেন, এরপর একদিন আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে গিয়ে দেখলাম তিনি বসে সলাত আদায় করেছেন। আমি তাঁর মাথার উপর হাত রাখলাম। তিনি বললেনঃ হে আবদূল্লাহ্ ইবনু ‘আম্র! কী ব্যাপার? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, আপনি বলেছেনঃ কেউ বসে সলাত আদায় করলে তা অর্ধেক সলাতের সমান হয়। কিন্তু এখন দেখেছি আপনি নিজেই বসে সলাত আদায় করছেন। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ , তবে আমি তোমাদের কারো মত না।[৩১] (ই.ফা. ১৫৮৫, ই.সে. ১৫৯২)
[৩১] ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, এ মর্মে উলামাদের বক্তব্য হল-নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একান্ত স্বতন্ত্র কতক বিশেষত্বের মধ্যে এটিও একটি ছিল যে, দাঁড়িয়ে নাফ্ল সলাত আদায় করার ক্ষমতা থাকা স্বত্ত্বেও তাঁর বসে সলাত আদায়ের সমান সাওয়াব লাভ হত। (মুসলিম শারহে নাবাবী-১ম খন্ড ২৫৩ পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০১
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي رِوَايَةِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي يَحْيَى الأَعْرَجِ، .
আবূ বাকর ইবনু শায়বাহ্, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশ্শার, ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ….. উভয়ে মানসূর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে শু’বাহ্ (রহঃ) ইয়াহ্ইয়া আল আ‘রাজ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৫৮৬, ই.সে. ১৫৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭. অধ্যায়ঃ
রাতের সলাত, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাতের সলাতের রাক‘আত সংখ্যা, বিত্র সলাত এক রাক’আত এবং এক রাক’আত সলাত আদায় সহীহ্ সাব্যস্ত
১৬০২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ مِنْهَا بِوَاحِدَةٍ فَإِذَا فَرَغَ مِنْهَا اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمُؤَذِّنُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা এগার রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। তার মধ্যে এক রাক‘আত বিত্র আদায় করতেন। সলাত শেষ করে তিনি ডান পাশে ফিরে শুতেন। অতঃপর ভোরে মুয়ায্যিন আসলে তিনি (উঠে) সংক্ষিপ্তভাবে দু‘ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৮৭, ই.সে. ১৫৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০৩
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِيمَا بَيْنَ أَنْ يَفْرُغَ مِنْ صَلاَةِ الْعِشَاءِ – وَهِيَ الَّتِي يَدْعُو النَّاسُ الْعَتَمَةَ – إِلَى الْفَجْرِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُسَلِّمُ بَيْنَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ فَإِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ مِنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَتَبَيَّنَ لَهُ الْفَجْرُ وَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمُؤَذِّنُ لِلإِقَامَةِ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইশার সলাত ও ফাজ্রের সলাতের মধ্যবর্তী সময়ে এগার রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। এর মধ্যে এক রাক‘আত বিত্র আদায় করতেন এবং প্রতি দু‘রাকআতে সালাম ফিরাতেন। ‘ইশার সলাত কে লোকজন ঐ সময়ে ‘আতামাহ্’ বলত। মুয়ায্যিন আযান দিয়ে শেষ করলে এবং ফাজ্রের সময় স্পষ্ট হয়ে উঠলে মুয়ায্যিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসত। তখন তিনি সংক্ষিপ্তভাবে দু‘ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। এরপর ডান কাত হয়ে শুয়ে পড়তেন। পরে মুয়ায্যিন পুনরায় ইক্বামাতের জন্য আসত (তখন উঠে তিনি সলাত আদায় করতেন)। (ই.ফা. ১৫৮৮, ই. সে ১৫৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০৪
وَحَدَّثَنِيهِ حَرْمَلَةُ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَسَاقَ حَرْمَلَةُ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ وَتَبَيَّنَ لَهُ الْفَجْرُ وَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ . وَلَمْ يَذْكُرِ الإِقَامَةَ . وَسَائِرُ الْحَدِيثِ بِمِثْلِ حَدِيثِ عَمْرٍو سَوَاءً .
ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে হারমালাহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে- “ফজরের সময় স্পষ্ট হয়ে উঠলে মুয়াজ্জিন তাঁর কাছে আসত” কথাটি উল্লেখ করেননি। আর তিনি ইক্বামাতের কথাও উল্লেখ করেননি। এছাড়া হাদীসের অবশিষ্ট অংশ তিনি ‘আম্র ইবনু হারিস বর্ণিত হাদীসের মতো হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৫৮৯, ই.সে. ১৫৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ مِنْ ذَلِكَ بِخَمْسٍ لاَ يَجْلِسُ فِي شَىْءٍ إِلاَّ فِي آخِرِهَا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা তের রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। এর মধ্যে পাঁচ রাক‘আত আদায় করতেন বিত্র এবং এতে একেবারে শেষে ছাড়া কোন বৈঠক করতেন না। (ই.ফা. ১৫৯০, ই.সে. ১৫৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو أُسَامَةَ كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
আবু বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ এবং আবূ কুরায়ব (রহঃ) ….. সকলে হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৫৯১, ই.সে. ১৫৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০৭
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً بِرَكْعَتَىِ الْفَجْرِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা ফাজ্রের দু‘রাকআত সুন্নাতসহ তের রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৯২, ই.সে. ১৫৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ قَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ فَقَالَ “ يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَىَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي ” .
আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রমাযান মাসের (রাতের) সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসে কিংবা অন্য কোন সময়ে রাতের বেলা এগার রাক‘আতের বেশী সলাত আদায় করতেন না। প্রথম চার রাক‘আত তিনি এমনভাবে আদায় করতেন যে, তার সৌন্দর্য সম্পর্কে আর কি জিজ্ঞেস করবে? তারপর চার রাক‘আত তিনি এত সুন্দর করে আদায় করতেন যে, তার সৌন্দর্য সম্পর্কে ও দীর্ঘতা সম্বন্ধে আর কি জিজ্ঞেস করবে? এরপর তিনি আরো তিন রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম যে, হে আল্লাহর রসূল! আপনি বিত্র সলাত আদায়ের পূর্বেই ঘুমাতেন? জবাবে তিনি বললেন, হে ‘আয়িশাহ্! আমার চোখ দুটি ঘুমায় কিন্তু আমার হৃদয়-মন ঘুমায় না। (ই.ফা. ১৫৯৩, ই.সে. ১৬০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬০৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّي ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي ثَمَانَ رَكَعَاتٍ ثُمَّ يُوتِرُ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بَيْنَ النِّدَاءِ وَالإِقَامَةِ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ .
আবূ সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) -কে রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (রাতের) সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তের রাক‘আত আদায় করতেন। প্রথমে তিনি আট রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। তারপর বিত্র আদায় করতেন। সবশেষে বসে বসে আরো দু‘ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। পরে রুকু করার সময় উঠে দাঁড়িয়ে রুকু’ করতেন। অতঃপর ফাজ্রের সলাতের আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়েও দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৯৪, ই.সে. ১৬০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১০
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، ح وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ الْحَرِيرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ – عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِهِمَا تِسْعَ رَكَعَاتٍ قَائِمًا يُوتِرُ مِنْهُنَّ .
আবূ সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আয়িশা (রাঃ) কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। ….. পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করলেন। তবে তাদের উভয়ের বর্ণিত হাদীসে দাঁড়িয়ে নয় রাক‘আত সলাত আদায় করার কথা উল্লেখ আছে এবং তার মধ্যে বিতরের সলাত ও অন্তর্ভূক্ত আছে। (ই.ফা. ১৫৯৫, ই.সে. ১৬০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১১
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، سَمِعَ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ أَتَيْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ أَىْ أُمَّهْ أَخْبِرِينِي عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ كَانَتْ صَلاَتُهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ وَغَيْرِهِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً بِاللَّيْلِ مِنْهَا رَكْعَتَا الْفَجْرِ .
আবূ সালামাহ্ (রাঃ} থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আম্মাজান! আমাকে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাত সম্পর্কে অবহিত করুন তো। তিনি বললেনঃ রমাযান ও অন্যান মাসে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজ্রের দু’ রাক‘আত (সুন্নাত) সলাত সহ রাতের বেলা মোট তের রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৯৬, ই.সে. ১৬০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১২
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ عَشَرَ رَكَعَاتٍ وَيُوتِرُ بِسَجْدَةٍ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَتِلْكَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাতের এক বেলা রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। আর এক রাক‘আত বিত্র এবং দু’ রাক‘আত ফাজ্রের সুন্নাতসহ মোট তের রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৯৭, ই.সে. ১৬০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১৩
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَأَلْتُ الأَسْوَدَ بْنَ يَزِيدَ عَمَّا حَدَّثَتْهُ عَائِشَةُ، عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيْلِ وَيُحْيِي آخِرَهُ ثُمَّ إِنْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ إِلَى أَهْلِهِ قَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ يَنَامُ فَإِذَا كَانَ عِنْدَ النِّدَاءِ الأَوَّلِ – قَالَتْ – وَثَبَ – وَلاَ وَاللَّهِ مَا قَالَتْ قَامَ – فَأَفَاضَ عَلَيْهِ الْمَاءَ – وَلاَ وَاللَّهِ مَا قَالَتِ اغْتَسَلَ . وَأَنَا أَعْلَمُ مَا تُرِيدُ – وَإِنْ لَمْ يَكُنْ جُنُبًا تَوَضَّأَ وُضُوءَ الرَّجُلِ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ صَلَّى الرَّكْعَتَيْنِ .
আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে ‘আস্ওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ-এর কাছে বর্ণিত রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের প্রথমভাগে ঘুমাতেন এবং শেষভাগে জাগতেন। এ সময় যদি স্ত্রীদের সাহচর্য লাভের প্রয়োজন হ’ত তাহলে তা পূরণ করতেন এবং এরপর আবার ঘুমাতেন। ফাজ্রের আযানের সময় (তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে) তিনি ত্বরিতে উঠতেন। আল্লাহর শপথ! তিনি [আয়িশাহ্ (রাঃ)] বলেননি যে, তিনি গোসল করতেন। তার উদ্দেশ্য আকাঙ্খা আমি ভাল করেই জানতাম। তিনি নাপাক না হয়ে থাকলে কোন লোক শুধু সলাতের জন্য যেভাবে ওযূ করে থাকে সেভাবে ওযূ করতেন এবং তারপর ফাজ্রের দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৫৯৮, ই.সে. ১৬০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ حَتَّى يَكُونَ آخِرَ صَلاَتِهِ الْوِتْرُ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা যে সলাত আদায় করতেন তাতে সর্বশেষে আদায় করতেন বিত্র সলাত। (ই. ফা. ১৫৯৯, ই.সে. ১৬০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১৫
حَدَّثَنِي هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ عَمَلِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يُحِبُّ الدَّائِمَ . قَالَ قُلْتُ أَىَّ حِينٍ كَانَ يُصَلِّي فَقَالَتْ كَانَ إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ قَامَ فَصَلَّى .
মাসরূক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ‘আমাল সম্পর্কে ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিয়মিত ‘আমালকে পছন্দ করতেন। মাসরূক্ব বলেন, আমি তাঁকে আবার জিজ্ঞেস করলাম : তিনি সলাত আদায় করতেন কোন্ সময়? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ তিনি যখন মোরগের ডাক শুনতেন তখন উঠে সলাত আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৬০০, ই.সে. ১৬০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১৬
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا أَلْفَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّحَرُ الأَعْلَى فِي بَيْتِي – أَوْ عِنْدِي – إِلاَّ نَائِمًا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার ঘরে অথবা আমার কাছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় সব সময় ‘সুবহে কাযিব’ (সাহরীর শুরু) এর সময় হয়ে যেত। (ই.ফা. ১৬০১, ই.সে. ১৬০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَإِنْ كُنْتُ مُسْتَيْقِظَةً حَدَّثَنِي وَإِلاَّ اضْطَجَعَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাজ্রের দু’ রাক‘আত নাফ্ল (সলাত) আদায় করার পর আমি জাগ্রত থাকলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে কথাবার্তা বলতেন। অন্যথায় শুয়ে পড়তেন। (ই.ফা. ১৬০২, ই.সে. ১৬০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১৮
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَتَّابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৬০৩, ই.সে. ১৬১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬১৯
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ فَإِذَا أَوْتَرَ قَالَ “ قُومِي فَأَوْتِرِي يَا عَائِشَةُ ” .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা সলাত আদায় করতেন। তাঁর বিত্র পড়া শেষ হয়ে গেলে তিনি ‘আয়িশা (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বলতেন : হে ‘আয়িশাহ্! ওঠো এবং বিত্র পড়। (ই.ফা. ১৬০৪, ই.সে. ১৬১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২০
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي صَلاَتَهُ بِاللَّيْلِ وَهِيَ مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ فَإِذَا بَقِيَ الْوِتْرُ أَيْقَظَهَا فَأَوْتَرَتْ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতের বেলা সলাত আদায় করতেন তখন ‘আয়িশা (রাঃ) তাঁর সামনে তাড়াতাড়ি শুয়ে থাকতেন। সলাত শেষে যখন তাঁর শুধুমাত্র বিত্র পড়া বাকি থাকত তখন তিনি ‘আয়িশাহ্ কে জাগিয়ে দিতেন। আর তিনি [আয়িশাহ্ (রাঃ)] তখন উঠে বিত্র আদায় করতেন। (ই.ফা. ১৬০৫,ই.সে.১৬১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، – وَاسْمُهُ وَاقِدٌ وَلَقَبُهُ وَقْدَانُ – ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَ أَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، كِلاَهُمَا عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مِنْ كُلِّ اللَّيْلِ قَدْ أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْتَهَى وِتْرُهُ إِلَى السَّحَرِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সারা রাতের যে কোন সময় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্র আদায় করেছেন। এমন কি কোন কোন সময় রাতের শেষভাগেও তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্র সলাত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ১৬০৬, ই.সে. ১৬১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مِنْ كُلِّ اللَّيْلِ قَدْ أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ وَأَوْسَطِهِ وَآخِرِهِ فَانْتَهَى وِتْرُهُ إِلَى السَّحَرِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সারা রাতের যে কোন অংশে রসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্র সলাত আদায় করেছেন। তিনি রাতের প্রথমভাগে, মধ্যভাগে, শেষভাগে এবং এমনি ভোরে বিত্র আদায় করেছেন। (ই.ফা. ১৬০৭, ই.সে. ১৬১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২৩
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ، – قَاضِي كِرْمَانَ – عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُلَّ اللَّيْلِ قَدْ أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْتَهَى وِتْرُهُ إِلَى آخِرِ اللَّيْلِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সারা রাতের মধ্যে যে কোন সময় রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্রের সলাত আদায় করেছেন। এমনকি তিনি শেষ রাতেও বিত্র আদায় করেছেন। (ই.ফা. ১৬০৮, ই.সে. ১৬১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮. অধ্যায়ঃ
রাত্রিকালীন সলাত- আর যে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে
১৬২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، أَرَادَ أَنْ يَغْزُوَ، فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَأَرَادَ أَنْ يَبِيعَ عَقَارًا لَهُ بِهَا فَيَجْعَلَهُ فِي السِّلاَحِ وَالْكُرَاعِ وَيُجَاهِدَ الرُّومَ حَتَّى يَمُوتَ فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ لَقِيَ أُنَاسًا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَنَهَوْهُ عَنْ ذَلِكَ وَأَخْبَرُوهُ أَنَّ رَهْطًا سِتَّةً أَرَادُوا ذَلِكَ فِي حَيَاةِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَهَاهُمْ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ” أَلَيْسَ لَكُمْ فِيَّ أُسْوَةٌ ” . فَلَمَّا حَدَّثُوهُ بِذَلِكَ رَاجَعَ امْرَأَتَهُ وَقَدْ كَانَ طَلَّقَهَا وَأَشْهَدَ عَلَى رَجْعَتِهَا فَأَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَعْلَمِ أَهْلِ الأَرْضِ بِوِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَالَ عَائِشَةُ . فَأْتِهَا فَاسْأَلْهَا ثُمَّ ائْتِنِي فَأَخْبِرْنِي بِرَدِّهَا عَلَيْكَ فَانْطَلَقْتُ إِلَيْهَا فَأَتَيْتُ عَلَى حَكِيمِ بْنِ أَفْلَحَ فَاسْتَلْحَقْتُهُ إِلَيْهَا فَقَالَ مَا أَنَا بِقَارِبِهَا لأَنِّي نَهَيْتُهَا أَنْ تَقُولَ فِي هَاتَيْنِ الشِّيعَتَيْنِ شَيْئًا فَأَبَتْ فِيهِمَا إِلاَّ مُضِيًّا . – قَالَ – فَأَقْسَمْتُ عَلَيْهِ فَجَاءَ فَانْطَلَقْنَا إِلَى عَائِشَةَ فَاسْتَأْذَنَّا عَلَيْهَا فَأَذِنَتْ لَنَا فَدَخَلْنَا عَلَيْهَا . فَقَالَتْ أَحَكِيمٌ فَعَرَفَتْهُ . فَقَالَ نَعَمْ . فَقَالَتْ مَنْ مَعَكَ قَالَ سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ . قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قَالَ ابْنُ عَامِرٍ فَتَرَحَّمَتْ عَلَيْهِ وَقَالَتْ خَيْرًا – قَالَ قَتَادَةُ وَكَانَ أُصِيبَ يَوْمَ أُحُدٍ . فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ أَلَسْتَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ قُلْتُ بَلَى . قَالَتْ فَإِنَّ خُلُقَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ الْقُرْآنَ . – قَالَ – فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ وَلاَ أَسْأَلَ أَحَدًا عَنْ شَىْءٍ حَتَّى أَمُوتَ ثُمَّ بَدَا لِي فَقُلْتُ أَنْبِئِينِي عَنْ قِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ أَلَسْتَ تَقْرَأُ { يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ} قُلْتُ بَلَى . قَالَتْ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ افْتَرَضَ قِيَامَ اللَّيْلِ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السُّورَةِ فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ حَوْلاً وَأَمْسَكَ اللَّهُ خَاتِمَتَهَا اثْنَىْ عَشَرَ شَهْرًا فِي السَّمَاءِ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ التَّخْفِيفَ فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ فَرِيضَةٍ . – قَالَ – قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ مَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهَا إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ فَيَذْكُرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُوهُ ثُمَّ يَنْهَضُ وَلاَ يُسَلِّمُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي التَّاسِعَةَ ثُمَّ يَقْعُدُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُوهُ ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ وَهُوَ قَاعِدٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ فَلَمَّا أَسَنَّ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ وَصَنَعَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ مِثْلَ صَنِيعِهِ الأَوَّلِ فَتِلْكَ تِسْعٌ يَا بُنَىَّ وَكَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَحَبَّ أَنْ يُدَاوِمَ عَلَيْهَا وَكَانَ إِذَا غَلَبَهُ نَوْمٌ أَوْ وَجَعٌ عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً وَلاَ أَعْلَمُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ وَلاَ صَلَّى لَيْلَةً إِلَى الصُّبْحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً غَيْرَ رَمَضَانَ . – قَالَ – فَانْطَلَقْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسِ فَحَدَّثْتُهُ بِحَدِيثِهَا فَقَالَ صَدَقَتْ لَوْ كُنْتُ أَقْرَبُهَا أَوْ أَدْخُلُ عَلَيْهَا لأَتَيْتُهَا حَتَّى تُشَافِهَنِي بِهِ . – قَالَ – قُلْتُ لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ لاَ تَدْخُلُ عَلَيْهَا مَا حَدَّثْتُكَ حَدِيثَهَا .
যুরারাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা‘দ ইবনু হিশাম ইবনু ‘আমির (রহঃ) আল্লাহর পথে (আজীবন) লড়াই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। তাই তিনি মাদীনায় আগমন করলেন। তিনি চাচ্ছিলেন এ উদ্দেশে তিনি তার জমি-জমা বিক্রি করে তা দ্বারা অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের ঘোড়া কিনবেন এবং রোমান অর্থাৎ খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু জিহাদ করবেন। তাই মদীনায় এসে তিনি মাদীনাহ্বাসী কিছু লোকের সাথে সাক্ষাৎ করলে তারা তাঁকে ঐরূপ করতে নিষেধ করলেন। তারা তাকে এ কথাও জানালেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবদ্দশায় ছয়জন লোকের একটি দল এ একই করতে চাইলে আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা করতে নিষেধ করেছিলেন : আমার জীবন ও কর্মে কি তোমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ নেই? তারা (মাদীনাহ্বাসী) যখন তাকে এ কথাটি শুনালেন তখন তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিলেন (রুজ‘আত করলেন) এবং কিছু লোককে এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখলেন। কেননা এ কাজের (জিহাদের) জন্য তিনি তার স্ত্রীকে ত্বলাক দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস-এর কাছে এসে তাঁকে রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিত্র সলাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস তাঁকে বললেনঃ রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিত্র সলাত সম্পর্কে পৃথিবীর অধিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জানে আমি এমন একজন লোকের সন্ধান কি তোমাকে দিব না? তিনি (সা‘দ ইবনু হিশাম ইবনু ‘আমির) বললেনঃতিনি কে? ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আব্বাস বললেনঃ তিনি হলেন ‘আয়িশা (রাঃ)। তার কাছে গিয়ে তুমি জিজ্ঞেস করবে, তারপর তোমাকে দেয়া তাঁর জবাব আমাকে এসে জানাবে। আমি তখন তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলাম। প্রথমে আমি হাকীম ইবনু আফ্লাহ-র কাছে গেলাম। আমি তাকে আমার সাথে তাঁর (‘আয়িশাহ্) এ দু’ দলের ব্যাপারে কোন কিছু বলতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্ত তিনি তা না শুনে বরং একটি পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। সা‘দ ইবনু হিশাম ইবনু ‘আমির বলেনঃ তখন আমি তাঁকে ক্বসম দিয়ে যেতে বললাম। তাই তিনি যেতে রাজি হলেন। আমরা ‘আয়িশা (রাঃ) এর কাছে গিয়ে তাঁকে অবহিত করলে তিনি আমাদেরকে অনুমতি দান করলেন। আমরা তাঁর কাছে গেলে তিনি হাকীম আফ্লাহ কে চিনতে পারলেন। তাই বললেনঃ আরে , এ যে হাকীম? তিনি (হাকীম ইবনু আফ্লাহ) বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তোমার সাথে কে আছে? তিনি বললেন ” সা‘দ ইবনু হিশাম (ইবনু আমির)। তিনি প্রশ্ন করলেন। কোন্ হিশাম? হাকীম ইবনু আফ্লাহ বললেনঃ আমিরের পুত্র হিশাম। এ কথা শুনে তিনি তার প্রতি খুব স্নেহপ্রবণ হলেন এবং তার ব্যাপারে ভাল মন্তব্য করলেন। ক্বাতাদাহ্ বর্ণনা করলেন : আফ্লাহ উহুদের যু্দ্ধে শাহীদ হয়েছিলেন। এরপর আমি বললাম : হে উম্মুল মু‘মিনীন! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আখলাক্ব সম্পর্কে আমাকে কিছু অবহিত করুন। এ কথা শুনে তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি কুরআন পড় না? আমি বললাম হ্যাঁ, পড়ি। তিনি বললেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আখলাক্ব তো ছিল কুরআন। সা‘দ ইবনু হিশাম ইবনু ‘আমির বলেছেনঃ আমি তখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম উঠে চলে আসি এবং মৃত্যু পর্যন্ত এ ব্যাপারে আর কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করি। কিন্তু আমার মনে আবার একটি নতুন ধারণা জাগল। তাই আমি বললাম : আমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাতের ইবাদাত (ক্বিয়ামুল লায়ল) সম্পর্কে কিছু অবহিত করুন। তিনি এবার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন : তুমি কি সুরাহ্ “ইয়া আইয়ুহাল মুযযা্ম্মিল” পড় না? আমি বললাম-হ্যাঁ পড়ি। তিনি বললেন ” মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ এ সূরার প্রথমভাগে “ক্বিয়ামুল লায়ল” বা রাতের ‘ইবাদাত বন্দেগী ফরয করে দিয়েছেন। তাই এক বছর পর্যন্ত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ রাতের বেলা ‘ইবাদাত করেছেন। মহান আল্লাহ বারো মাস পর্যন্ত এ সূরার শেষাংশ আসমানে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন (অর্থাৎ বারো মাস পর্যন্ত এ সূরার শেষাংশ অবতীর্ণ করেননি)। অবশেষে (বারো মাস পরে) এ সূরার শেষে আল্লাহ তা‘আলা রাতের ‘ইবাদাতের হুকুম লঘু করে আয়াত অবতীর্ণ করলেন। আর এ কারণে রাত জেগে ‘ইবাদাত যেখানে ফরয ছিল সেখানে তা নাফ্ল বা ঐচ্ছিক হয়ে গেল। সা‘দ ইবনু হিশাম বলেনঃ আমি বললাম, হে উম্মূল মুমিনীন! রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিত্র সলাত সম্পর্কে আমাকে কিছু অবহিত করুন। তিনি বললেনঃ আমরা তাঁর জন্য মিসওয়াক এবং ওযূর পানি প্রস্তুত করে রাখতাম। অতঃপর রাতের বেলা মহান আল্লাহ যখন চাইতেন তখন তাঁকে জাগিয়ে দিতেন। তিনি উঠে মিসওয়াক করতেন। ওযূ করতেন এবং নয় রাক‘আত (বিত্র) সলাত আদায় করতেন। এতে অষ্টম রাক‘আত ছাড়া বসতেন না। এ বৈঠকে তিনি আল্লাহকে স্মরণ করতেন, তাঁর প্রশংসা করতেন এবং তার কাছে প্রার্থনা করতেন। অতঃপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যে আমরা তা শুনতে পেতাম। এবার সালাম ফিরানোর পর ঘরে বসেই তিনি দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। তারপর বললেনঃ হে বৎস! এ এগার রাক‘আত সলাত তিনি রাতে আদায় করতেন। পরবর্তীতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বয়স বেড়ে গিয়েছিল এবং শরীরও কিছুটা মাংসল হয়ে গিয়েছিল তখন তিনি সাত রাক‘আত বিত্র আদায় করতেন। এক্ষেত্রেও তিনি শেষের দু’ রাক‘আত সলাত পূর্বের মতো করেই আদায় করতেন : হে বৎস! এভাবে তিনি নয় রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সলাত আদায় করলে তা সর্বদা নিয়মিত আদায় করা পছন্দ করতেন। যখন ঘুমের প্রাবল্য বা ব্যথা-বেদনার কারণে তিনি রাতে ‘ইবাদাত (সলাত আদায়) করতে পারতেন না, তখন দিনের বেলা বারো রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাতে পুরো কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করেছেন বা সকাল পর্যন্ত সারা রাত আদায় করেছেন কিংবা রমাযান মাস ছাড়া সারা মাস সিয়াম (রোযা) পালন করেছেন এমনটি আমি কখনো দেখিনি। সা’দ ইবনু হিশাম ইবনু ‘আমির বর্ণনা করেছেন পরে আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে এসে ‘আয়িশা (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তিনি সঠিক বলেছেন। আমি যদি তাঁর কাছে থাকতাম বা তাঁর কাছে যেতাম তাহলে নিজে তাঁর মুখ থেকে হাদীসটি শুনতে পেতাম। সা‘দ ইবনু হিশাম বললেনঃ আমার যদি জানা থাকত যে, আপনি তাঁর কাছে যান না, তাহলে আপনাকে আমি তাঁর কথা বলতাম না। (ই.ফা. ১৬০৯, ই.সে. ১৬১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২৫
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثُمَّ انْطَلَقَ إِلَى الْمَدِينَةِ لِيَبِيعَ عَقَارَهُ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তার স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দিয়ে নিজের জমিজমা বিক্রি করার জন্য মদীনায় আসলেন ….. পুর্বোক্ত হাদীসের মতো বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৬১০, ই.সে. ১৬১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ قَالَ انْطَلَقْتُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْوِتْرِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ وَقَالَ فِيهِ قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قُلْتُ ابْنُ عَامِرٍ . قَالَتْ نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ عَامِرٌ أُصِيبَ يَوْمَ أُحُدٍ .
সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে তাঁকে রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিত্র সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। এ পর্যন্ত বর্ণনা করার পর তিনি হাদীসটি হুবহু পূর্বে বর্ণিত হাদীসের মতো বর্ণনা করলেন। তবে এতে তিনি এ কথাও বর্ণনা করেছেন যে, আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেনঃ কোন্ হিশাম? তখন আমি বললাম ‘আমির-এর পুত্র হিশাম। এ কথা শুনে তিনি বললেনঃ ‘আমির কত উত্তম মানুষ ছিলেন। তিনি উহুদ যুদ্ধে শাহাদাত লাভ করেছিলেন। (ই.ফা. ১৬১১, ই.সে. ১৬১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২৭
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، أَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامٍ، كَانَ جَارًا لَهُ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ سَعِيدٍ وَفِيهِ قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قَالَ ابْنُ عَامِرٍ . قَالَتْ نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ أُصِيبَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ . وَفِيهِ فَقَالَ حَكِيمُ بْنُ أَفْلَحَ أَمَا إِنِّي لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ لاَ تَدْخُلُ عَلَيْهَا مَا أَنْبَأْتُكَ بِحَدِيثِهَا .
যুরারাহ্ ইবনু আওফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ) ছিলেন তাঁর প্রতিবেশী। তিনি যুরারাহ্কে স্বীয় স্ত্রীকে ত্বলাক দেয়ার কথা জানালেন। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি সা‘ঈদ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করলেন যাতে এ কথাও বর্ণিত হয়েছে যে, ‘আয়িশা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন : কোন্ হিশাম-এর কথা বলছ? তখন হাকীম ইবনু আফ্লাহ বললেনঃ‘আমিরের পুত্র হিশামের কথা বলছি। এ কথা শুনে ‘আয়িশাহ্ বলে উঠলেন- ‘আমির কত ভাল লোক ছিলেন। তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে উহুদ যুদ্ধে শারীক হয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। এ হাদীসে এ কথাও বর্ণিত হয়েছে যে, হাকীম ইবনু আফ্লাহ বললেনঃযদি আমার জানা থাকত যে, আপনি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে যান না তাহলে আমি আপনাকে তার সম্পর্কে বলতাম না। (ই.ফা. ১৬১২, ই.সে. ১৬১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২৮
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، قَالَ سَعِيدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا فَاتَتْهُ الصَّلاَةُ مِنَ اللَّيْلِ مِنْ وَجَعٍ أَوْ غَيْرِهِ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ব্যথা-বেদনা বা অন্য কোন কারণে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাত্রিকালীন কোন সলাত ক্বাযা হয়ে গেলে দিনের বেলা তিনি বারো রাক‘আত সলাত আদায় করে নিতেন। (ই,ফা. ১৬১৩, ই.সে.১৬২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬২৯
وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، – وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ – عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَمِلَ عَمَلاً أَثْبَتَهُ وَكَانَ إِذَا نَامَ مِنَ اللَّيْلِ أَوْ مَرِضَ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً . قَالَتْ وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ لَيْلَةً حَتَّى الصَّبَاحِ وَمَا صَامَ شَهْرًا مُتَتَابِعًا إِلاَّ رَمَضَانَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ‘আমাল বা কাজ করলে তা সর্বদা অর্থাৎ নিয়মিতভাবে করতেন। আর রাতের বেলা ঘুমিয়ে পড়লে বা অসুস্থ হলে পরিবর্তে দিনের বেলা বারো রাক‘আত সলাত আদায় করে নিতেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কখনো ভোর পর্যন্ত সারারাত জেগে ইবাদাত করতে বা রমাযান মাস ছাড়া এক নাগাড়ে পুরো মাস সিয়াম পালন করতে দেখেনি। (ই.ফা. ১৬১৪, ই.সে. ১৬২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৩০
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ نَامَ عَنْ حِزْبِهِ أَوْ عَنْ شَىْءٍ مِنْهُ فَقَرَأَهُ فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَصَلاَةِ الظُّهْرِ كُتِبَ لَهُ كَأَنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيْلِ ” .
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ তার (রাতের বেলার) অযীফাহ্ বা করণীয় কাজ কিংবা তার কিছু অংশ করতে ভুলে গেলে তা যদি সে ফাজ্র ও যুহরের সলাতের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে আদায় করে নেয় তাহলে তা এমনভাবে তার জন্য লিখে নেয়া হবে যেন সে তা রাতের বেলায়ই সম্পন্ন করেছে। (ই.ফা. ১৬১৫, ই.সে. ১৬২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯. অধ্যায়ঃ
যখন উটের বাচ্চা গরম অনুভব করে (দিনের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়) তখনই সলাতুল আও্ওয়াবীন (চাশ্তের সলাতের সময়)
১৬৩১
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ الْقَاسِمِ الشَّيْبَانِيِّ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، رَأَى قَوْمًا يُصَلُّونَ مِنَ الضُّحَى فَقَالَ أَمَا لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ الصَّلاَةَ فِي غَيْرِ هَذِهِ السَّاعَةِ أَفْضَلُ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ صَلاَةُ الأَوَّابِينَ حِينَ تَرْمَضُ الْفِصَالُ ” .
ক্বাসিম আশ্ শায়বানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যায়দ ইবনু আর্ক্বাম (রাঃ) একদল লোককে ‘যুহা’ বা চাশ্তের সলাত আদায় করতে দেখে বললেনঃ এখন তো লোকজন জেনে নিয়েছে যে , এ সময় ব্যতীত অন্য সময় সলাত আদায় করা উত্তম বা সর্বাধিক মর্যাদার। কেননা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘সলাতুল আওয়াবীন’ বা আল্লাহকে অধিক স্মরনকারী বান্দাদের সলাতের সময় হল তখন, যখন সূর্যতাপে উটের বাচ্চাদের পা গরম হয়ে যায়। (ই.ফা. ১৬১৬, ই.সে. ১৬২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৩২
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَهْلِ قُبَاءٍ وَهُمْ يُصَلُّونَ فَقَالَ “ صَلاَةُ الأَوَّابِينَ إِذَا رَمِضَتِ الْفِصَالُ ” .
যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুবাবাসীদের এলাকায় গেলেন। সে সময় তারা সলাত আদায় করছিলেন। এ দেখে তিনি বললেনঃ ‘সলাতুল আও্ওয়াবীন’ বা চাশ্তের সলাতের উত্তম সময় হ’ল যখন সূর্যতাপে বালু গরম হাওয়ার কারণে উটের বাচ্চাগুলো পা উত্তপ্ত হতে শুরু করে। (ই.ফা. ১৬১৭, ই.সে. ১৬২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০. অধ্যায়ঃ
রাত্রিকালের সলাত দু’ দু’ রাক‘আত, আর রাত্রির শেষে এক রাক‘আত বিতর
১৬৩৩
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَلاَةِ اللَّيْلِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خَشِيَ أَحَدُكُمُ الصُّبْحَ صَلَّى رَكْعَةً وَاحِدَةً تُوتِرُ لَهُ مَا قَدْ صَلَّى ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রাতের সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ রাতের সলাত দু‘ দু‘ রাক‘আত করে আদায় করবে। যখন ভোর হওয়ার সম্ভাবনা দেখবে তখন এক রাক‘আত সলাত আদায় করে নিবে। যে সলাত আদায় করেছে এভাবে তা বিতরে পরিণত হবে। (ই.ফা. ১৬১৮, ই.সে. ১৬২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَلاَةِ اللَّيْلِ فَقَالَ “ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خَشِيتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِرَكْعَةٍ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রাতের (নাফ্ল) সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন-রাতের সলাত দু‘ দু‘ রাক‘আত করে আদায় করবে। তবে ভোর হয়ে আসছে দেখলে এক রাক‘আত বিত্র আদায় করে নিবে। (ই.ফা. ১৬১৯, ই.সে. ১৬২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৩৫
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَحُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ حَدَّثَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ قَالَ قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ صَلاَةُ اللَّيْلِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خِفْتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদিন) জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল-হে আল্লাহর রসূল! রাতের সলাত কীভাবে আদায় করতে হবে? জবাবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ রাতের সলাত দু‘ দু‘ রাক‘আত করে আদায় করবে। অতঃপর যখন ভোর হয়ে আসছে বলে মনে করবে তখন এক রাক‘আত বিত্র আদায় করবে। (ই.ফা. ১৬২০, ই.সে. ১৬২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৩৬
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَبُدَيْلٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّائِلِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ صَلاَةُ اللَّيْلِ قَالَ “ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خَشِيتَ الصُّبْحَ فَصَلِّ رَكْعَةً وَاجْعَلْ آخِرَ صَلاَتِكَ وِتْرًا ” . ثُمَّ سَأَلَهُ رَجُلٌ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ وَأَنَا بِذَلِكَ الْمَكَانِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلاَ أَدْرِي هُوَ ذَلِكَ الرَّجُلُ أَوْ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করল : হে আল্লাহর রসূল! রাতের সলাত কিভাবে আদায় করতে হবে? আমি সে সময় প্রশ্নকারী ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাঝে (দাঁড়িয়ে) ছিলাম। জবাবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দু’ রাক‘আত দু’ রাকআত সলাত আদায় করবে। আর বিত্র পড়ে তোমার সলাত শেষ করবে। (‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার বলেন) এক বছর পর জনৈক ব্যক্তি তাকে একই প্রশ্ন করল। আমি জানি না এ ব্যক্তি পূর্বের প্রশ্নকারী সে ব্যক্তি না অন্য আরেক ব্যক্তি। এবারও আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পাশে একই স্থানে ছিলাম। তিনি তাকে পূর্বের মতই জবাব দিলেন। (ই.ফা. ১৬২১, ই.সে. ১৬২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৩৭
وَحَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَبُدَيْلٌ، وَعِمْرَانُ بْنُ حُدَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْخِرِّيتِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَا بِمِثْلِهِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا ثُمَّ سَأَلَهُ رَجُلٌ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ وَمَا بَعْدَهُ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করল। এতটুকু বর্ণনা করার পর উভয়ে (আবূ কামিল ও মুহাম্মাদ ইবনু ‘উবায়দ আল গুবারী) পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। তবে তাদের বর্ণিত হাদীসে ‘অতঃপর এক বছর পরে তাঁকে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল’ এবং এর পরের কথাগুলোর উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ১৬২২, ই.সে. ১৬২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৩৮
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَسُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، – قَالَ هَارُونُ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، – أَخْبَرَنِي عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ بَادِرُوا الصُّبْحَ بِالْوِتْرِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ভোর হওয়ার পূর্বেই বিত্র আদায় কর। (ই.ফা. ১৬২৩, ই.সে. ১৬৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৩৯
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ مَنْ صَلَّى مِنَ اللَّيْلِ فَلْيَجْعَلْ آخِرَ صَلاَتِهِ وِتْرًا فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ بِذَلِكَ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি রাতের বেলায় নাফ্ল সলাত আদায় করবে সে যেন বিত্র সলাত সর্বশেষে আদায় করবে। কেননা, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবেই সলাত আদায় করতে আদেশ করতেন। (ই.ফা. ১৬২৪, ই.সে. ১৬৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ اجْعَلُوا آخِرَ صَلاَتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের রাতের সলাত বিত্র দিয়ে শেষ কর। (ই.ফা. ১৬২৫, ই.সে. ১৬৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪১
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ مَنْ صَلَّى مِنَ اللَّيْلِ فَلْيَجْعَلْ آخِرَ صَلاَتِهِ وِتْرًا قَبْلَ الصُّبْحِ كَذَلِكَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُهُمْ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কেউ রাতের বেলা সলাত আদায় করলে সে যেন ফাজ্রের পূর্বে শেষ সলাত হিসেবে বিত্র আদায় করে নেয়। কেননা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে (সাহাবীগণকে) এভাবে (সলাত আদায় করতে) আদেশ করতেন। (ই.ফা. ১৬২৬, ই.সে. ১৬৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪২
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو مِجْلَزٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْوِتْرُ رَكْعَةٌ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শেষ রাতে বিত্র সলাতের সময়। আর বিত্র সলাত এক রাক‘আত মাত্র (অথবা শেষ রাতে বিত্র সলাত এক রাক‘আত আদায় করবে)। (ই.ফা. ১৬২৭, ই.সে. ১৬৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْوِتْرُ رَكْعَةٌ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিত্র সলাত রাতের শেষাংশে এক রাক‘আত মাত্র আদায় করতে হয়। (ই.ফা. ১৬২৮, ই.সে. ১৬৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪৪
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الْوِتْرِ، فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” رَكْعَةٌ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ ” . وَسَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” رَكْعَةٌ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ ” .
আবূ মিজলায (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (‘আবদুল্লাহ) (রাঃ)-কে বিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : এক রাক‘আত সলাত রাতের শেষ ভাগে আদায় করতে হবে। তিনি (আবূ মিজলায) আরো বলেছেনঃ আমি একইভাবে ইবনু ‘উমার (‘আবদুল্লাহ) (রাঃ)-কেও বিষয়টি জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনিও বলেছিলেন : আমি রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি বিত্র সলাত এক রাক‘আত, (সলাত ) রাতের শেষ ভাগে আদায় করতে হবে। (ই.ফা. ১৬২৯, ই.সে. ১৬৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَجُلاً نَادَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أُوتِرُ صَلاَةَ اللَّيْلِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ صَلَّى فَلْيُصَلِّ مَثْنَى مَثْنَى فَإِنْ أَحَسَّ أَنْ يُصْبِحَ سَجَدَ سَجْدَةً فَأَوْتَرَتْ لَهُ مَا صَلَّى ” . قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ . وَلَمْ يَقُلِ ابْنِ عُمَرَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে উচ্চৈঃস্বরে ডাকল। তিনি তখন মাসজিদে ছিলেন। সে বলল : হে আল্লাহর রসূল! আমি রাতের সলাত কীভাবে বিত্র বা বেজোড় সলাত আদায় করব? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ কেউ রাতে (নাফ্ল) সলাত আদায় করলে দু‘রা ’আত দু‘ রাক‘আত করে আদায় করবে। অতঃপর ভোর হওয়ার আভাস পেলে এক রাক‘আত সলাত আদায় করে নিবে। এ এক রাক‘আত সলাতই সে যত সলাত আদায় করছে সেগুলোকে বিত্র বা বেজোড় করে দিবে।
আবূ কুরায়ব তার বর্ণনায় ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ না করে ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ১৬৩০, ই.সে. ১৬৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪৬
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ قُلْتُ أَرَأَيْتَ الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ أَأُطِيلُ فِيهِمَا الْقِرَاءَةَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ – قَالَ – قُلْتُ إِنِّي لَسْتُ عَنْ هَذَا أَسْأَلُكَ . قَالَ إِنَّكَ لَضَخْمٌ أَلاَ تَدَعُنِي أَسْتَقْرِئُ لَكَ الْحَدِيثَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ وَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ كَأَنَّ الأَذَانَ بِأُذُنَيْهِ . قَالَ خَلَفٌ أَرَأَيْتَ الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ وَلَمْ يَذْكُرْ صَلاَةِ .
আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, ফাজ্রের সলাতের পূর্বের দু‘ রাক‘আত সলাতে আমি কিরাআত দীর্ঘায়িত করে থাকি-এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী? তিনি বললেনঃরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা নাফ্ল সলাত দু‘ দু‘ রাক‘আত করে আদায় করতেন এবং এক রাক‘আত বিত্র বা বেজোড় আদায় করতেন। আনাস ইবনু সীরীন বলেন-এ সময় আমি বললাম : আমি তো আপনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করছি না। (আমার এ কথা বলার পর) তিনি বললেনঃতুমি তো মোটা বুদ্ধির লোক দেখছি! তুমি কি আমাকে হাদীসটা (পুরো) বলতে দিবে না।! রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা নাফ্ল সলাত দু‘ দু‘ রাক‘আত করে আদায় করতেন এবং পরে এক রাক‘আত বিত্র বা বেজোড় আদায় করতেন। আর ফাজ্রের সলাতের পুর্বে দু‘ রাক‘আত নাফ্ল এমনভাবে আদায় করতেন যেন তিনি ‘ইক্বামাত’ বা তাকবীর শুনতে পাচ্ছেন।
খালাফ ইবনু হিশাম তাঁর বর্ণনাতে “ফাজ্রের পূর্বের দু‘ রাক‘আত সলাত সম্পর্কে আপনার মতামত কী” কথাটি উল্লেখ করেছেন। তিনি ‘সলাত’ শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৬৩১, ই.সে. ১৬৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪৭
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ . بِمِثْلِهِ وَزَادَ وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ . وَفِيهِ فَقَالَ بَهْ بَهْ إِنَّكَ لَضَخْمٌ .
আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, “আমি আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম” ….. পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তবে তার বর্ণনাতে তিনি এতটুকু কথা অধিক বলেছেন যে, আর তিনি রাতের শেষভাগে এক রাক‘আত বিত্র আদায় করতেন। তাঁর বর্ণনাতে এ কথাও উল্লেখ আছে যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার বললেনঃ আরে থামো থামো! তুমি তো মোটা বুদ্ধির লোক দেখছি। (ই.ফা. ১৬৩২, ই.সে. ১৬৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ حُرَيْثٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا رَأَيْتَ أَنَّ الصُّبْحَ يُدْرِكُكَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ ” . فَقِيلَ لاِبْنِ عُمَرَ مَا مَثْنَى مَثْنَى قَالَ أَنْ يُسَلِّمَ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাতের সলাত (নাফ্ল সলাত ) দু’ রাক‘আত করে আদায় করবে। তবে যখন দেখবে যে, সকাল হয়ে যাচেছ তখন এক রাক‘আত বিত্র আদায় করবে। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল-দু‘ দু‘ রাক‘আত কীভাবে আদায় করতে হবে? তিনি বললেনঃ প্রতি দু‘ রাক‘আত আদায় করে সালাম ফিরাবে। (ই.ফা.১৬৩৩, ই.সে. ১৬৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৪৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَوْتِرُوا قَبْلَ أَنْ تُصْبِحُوا ” .
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ভোর (ফাজ্র) হবার পূর্বেই বিত্র সলাত আদায় কর। (ই.ফা. ১৬৩৪,ই.সে. ১৬৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৫০
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو نَضْرَةَ الْعَوَقِيُّ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ، سَأَلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْوِتْرِ فَقَالَ “ أَوْتِرُوا قَبْلَ الصُّبْحِ ” .
আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফাজ্রের ওয়াক্তের পূর্বেই বিত্র আদায় করে নাও। (ই.ফা. ১৬৩৫, ই.সে. ১৬৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১.অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি এ আশঙ্কা করে যে, সে শেষ রাত্রে (ঘুম থেকে) জাগ্রত হতে পারবে না, সে যেন রাতের প্রথম অংশেই তা আদায় করে নেয়।
১৬৫১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ خَافَ أَنْ لاَ يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ أَوَّلَهُ وَمَنْ طَمِعَ أَنْ يَقُومَ آخِرَهُ فَلْيُوتِرْ آخِرَ اللَّيْلِ فَإِنَّ صَلاَةَ آخِرِ اللَّيْلِ مَشْهُودَةٌ وَذَلِكَ أَفْضَلُ ” . وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ مَحْضُورَةٌ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শেষ রাতে জাগতে পারবে না বলে কারো আশঙ্কা হলে সে যেন রাতের প্রথমভাগেই (‘ইশার সলাতের পর) বিত্র আদায় করে নেয়। আর কেউ যদি শেষ রাতে জাগতে আগ্রহী থাকে (অর্থাৎ শেষ রাতে জাগতে পারবে বলে নিশ্চিত হতে পারে) তাহলে সে যেন শেষভাগে বিত্র আদায় করে নেয়। কেননা, শেষ রাতের সলাতে (মালাকগণের) উপস্থিতি থাকে। আর এটাই সর্বোত্তম ব্যবস্থা। হাদীসটি বর্ণনাকারীর আবূ মু‘আবিয়াহ্ (আরবী) শব্দের পরিবর্তে (আরবী) শব্দ উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ১৬৩৬, ই.সে. ১৬৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৫২
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، – وَهُوَ ابْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ – عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ أَيُّكُمْ خَافَ أَنْ لاَ يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ ثُمَّ لْيَرْقُدْ وَمَنْ وَثِقَ بِقِيَامٍ مِنَ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ مِنْ آخِرِهِ فَإِنَّ قِرَاءَةَ آخِرِ اللَّيْلِ مَحْضُورَةٌ وَذَلِكَ أَفْضَلُ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ যদি শেষ রাতে জাগতে পারবে না বলে আশঙ্কা করে তাহলে বিত্র সলাত আদায় করে ঘুমাবে। আর যার শেষরাতে জাগতে পারার আত্মবিশ্বাস বা নিশ্চয়তা আছে সে শেষ রাতে বিত্র আদায় করবে। কেননা শেষ রাতের কুরআন পাঠে মালায়িকাহ্ উপস্থিত থাকে। আর এটা সর্বাপেক্ষা উত্তমও বটে। (ই.ফা. ১৬৩৭, ই.সে. ১৬৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২২. অধ্যায়ঃ
ঐ সলাত সর্বোত্তম যাতে ক্বিরাআত লম্বা করা হয়
১৬৫৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَفْضَلُ الصَّلاَةِ طُولُ الْقُنُوتِ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সলাতে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে ক্বিরাআত পড়া হয় সে সলাতই সর্বোত্তম সলাত। (ই.ফা. ১৬৩৮, ই.সে. ১৬৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৫৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الصَّلاَةِ أَفْضَلُ قَالَ “ طُولُ الْقُنُوتِ ” . قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল : কোন্ সলাত সবচেয়ে উত্তম? জবাবে তিনি বলেছিলেন : দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে যে সলাত আদায় করা হয় সে সলাত সবচেয়ে উত্তম। আবূ বাক্র ইবনু আবূ শায়বাহ্ বলেছেন যে, হাদীসটি আবূ মু‘আবিয়াহ্ আ‘মাশের নিকট থেকে শুনে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৬৩৯, ই.সে. ১৬৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩. অধ্যায়ঃ
রাতে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময় দু‘আ কবূল হয়
১৬৫৫
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ فِي اللَّيْلِ لَسَاعَةً لاَ يُوَافِقُهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ خَيْرًا مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : সারা রাতের মধ্যে এমন একটি বিশেষ সময় আছে যে সময়ে কোন মুসলিম আল্লাহর কাছে দুন্ইয়া ও আখিরাতের কোন কল্যাণ প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। আর ঐ বিশেষ সময়টি প্রত্যেক রাতেই থাকে। (ই.ফা. ১৬৪০, ই.সে. ১৬৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬৫৬
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ مِنَ اللَّيْلِ سَاعَةً لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ خَيْرًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাতের মধ্যে একটি বিশেষ সময় আছে, সে সময় কোন মুসলিম বান্দা যদি আল্লাহর কাছে কোন কল্যাণ প্রার্থনা করে তাহলে তিনি তাকে তা দান করেন। (ই.ফা. ১৬৪১, ই.সে. ১৬৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস