মুসলিম জানাযা সম্পর্কিত অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২০৯১ – ২১৫২
২১. অধ্যায়ঃ
যে শান্তি লাভ করে এবং যার প্রস্থানে শান্তি লাভ করা হয়।
২০৯১
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو، بْنِ حَلْحَلَةَ عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ، أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُرَّ عَلَيْهِ بِجَنَازَةٍ فَقَالَ ” مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْمُسْتَرِيحُ وَالْمُسْتَرَاحُ مِنْهُ . فَقَالَ ” الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا وَالْعَبْدُ الْفَاجِرُ يَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلاَدُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ ” .
আবূ ক্বাতাদাহ্ ইবনু রিব্‘ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ দিয়ে একটা জানাযাহ্ বয়ে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি বলেন, “মুস্তারীহুন” ও “ওয়া মুসতারাহুন মিনহু” (অর্থাৎ- সে শান্তিলাভকারী এবং তার প্রস্থানে শান্তি লাভ হয়)। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! “মুসতারীহুন” ও “ওয়া মুস্তারাহুন মিনহু”- এর মানে কি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেন, ঈমানদার বান্দা হয়ে এ ব্যক্তি দুনিয়ার কষ্ট মুসীবাত থেকে নিষ্কৃতি লাভ করবে। আর পাপীষ্ট বান্দা হলে এ ব্যক্তি থেকে আল্লাহর বান্দারা, অত্র অঞ্চল, বৃক্ষরাজি ও পশু-পাখি সবাই পরিত্রাণ লাভ করবে। (ই.ফা. ২০৭০, ই.সে. ২০৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৯২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ ابْنٍ لِكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ “ يَسْتَرِيحُ مِنْ أَذَى الدُّنْيَا وَنَصَبِهَا إِلَى رَحْمَةِ اللَّهِ ” .
আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ-এর বর্ণিত হাদীসে আছে, সে ব্যক্তি দুনইয়ার ক্লেশ থেকে মুক্তি পেছে আল্লাহর রহমাত লাভ করবে। (ই.ফা. ২০৭১, ই.সে. ২০৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২২. অধ্যায়ঃ
জানাযার তাকবীর সম্পর্কে
২০৯৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَعَى لِلنَّاسِ النَّجَاشِيَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَخَرَجَ بِهِمْ إِلَى الْمُصَلَّى وَكَبَّرَ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জনসাধারণকে নাজাশীর ইনতিকালের সংবাদ শুনালেন, যেদিন তিনি ইনতিকাল করেন। অতঃপর তিনি তাদেরকে নিয়ে সলাতের স্থানে গিয়ে চার তাকবীরে সলাতুল জানাযাহ্ আদায় করেন। (ই.ফা. ২০৭২, ই.সে. ২০৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৯৪
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ، بْنُ خَالِدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ نَعَى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّجَاشِيَ صَاحِبَ الْحَبَشَةِ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ “ اسْتَغْفِرُوا لأَخِيكُمْ ” . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَفَّ بِهِمْ بِالْمُصَلَّى فَصَلَّى فَكَبَّرَ عَلَيْهِ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবিসিনিয়ার অধিপতি নাজাশীর যে দিন মৃত্যু হয় সে দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে তার মৃত্যুর খবর দিলেন এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।
ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) আমাকে বলেছেন যে, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) তাঁর কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিয়ে সলাতের স্থান কাতার করলেন। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করলেন এবং এতে (অতিরিক্ত) চার তাকবীর বললেন। (ই.ফা. ২০৭৩, ই.সে. নেই)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৯৫
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ – حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، كَرِوَايَةِ عُقَيْلٍ بِالإِسْنَادَيْنِ جَمِيعًا .
‘আমর আন্ নাক্বিদ, হাসান আল হুলওয়ানী ও ‘আব্দ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. উভয় সূত্রেই ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উক্বায়ল (রহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০৭৪, ই.সে. ২০৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৯৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سَلِيمِ بْنِ حَيَّانٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى على أصحمة النجاشي فكبر عليه أربعا
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজাশীর জন্য গায়েবানা জানাযাহ্ আদায় করেছেন এবং চার তাকবীরে সলাতুল জানাযাহ্ আদায় করেন। (ই.ফা. ২০৭৫, ই.সে. ২০৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৯৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَاتَ الْيَوْمَ عَبْدٌ لِلَّهِ صَالِحٌ أَصْحَمَةُ ” . فَقَامَ فَأَمَّنَا وَصَلَّى عَلَيْهِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (নাজাশী ইনতিকাল করলে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আজ আল্লাহর এক নেক্কার বান্দাহ্ ইনতিকাল করেছেন। এরপর তিনি উঠে গিয়ে আমাদের সামনে ইমাম হয়ে তার জন্য সলাতুল জানাযাহ্ আদায় করলেন। (ই.ফা. ২০৭৬, ই.সে. ২০৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ح . وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي، الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَخًا لَكُمْ قَدْ مَاتَ فَقُومُوا فَصَلُّوا عَلَيْهِ ” . قَالَ فَقُمْنَا فَصَفَّنَا صَفَّيْنِ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাজাশী ইনতিকাল করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের এক ভাই ইনতিকাল করেছেন। অতএব তোমরা উঠ এবং তাঁর জন্য সলাত আদায় কর। জাবির (রাঃ) বলেন, আমরা উঠে গিয়ে দু’টি সারি বাঁধলাম। (ই.ফা. ২০৭৭, ই.সে. ২০৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৯৯
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ أَخًا لَكُمْ قَدْ مَاتَ فَقُومُوا فَصَلُّوا عَلَيْهِ ” . يَعْنِي النَّجَاشِيَ وَفِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ ” إِنَّ أَخَاكُمْ ” .
‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের এক (নাজাশী) ইনতিকাল করেছেন। অতএব, তোমরা উঠে তাঁর জন্য সলাত আদায় কর। যুহায়র বর্ণনায় “তোমাদের ভাই” বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০৭৮, ই.সে. ২০৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৩. অধ্যায়ঃ
ক্ববরের উপর জানাযার সলাত আদায় করা
২১০০
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ، إِدْرِيسَ عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَى قَبْرٍ بَعْدَ مَا دُفِنَ فَكَبَّرَ عَلَيْهِ أَرْبَعًا . قَالَ الشَّيْبَانِيُّ فَقُلْتُ لِلشَّعْبِيِّ مَنْ حَدَّثَكَ بِهَذَا قَالَ الثِّقَةُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ . هَذَا لَفْظُ حَدِيثِ حَسَنٍ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ نُمَيْرٍ قَالَ انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَبْرٍ رَطْبٍ فَصَلَّى عَلَيْهِ وَصَفُّوا خَلْفَهُ وَكَبَّرَ أَرْبَعًا . قُلْتُ لِعَامِرٍ مَنْ حَدَّثَكَ قَالَ الثِّقَةُ مَنْ شَهِدَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ .
শাবী’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃতকে দাফন করার পর একটা ক্ববরের উপর জানাযার সলাত আদায় করেছেন এবং চার তাকবীর উচ্চারণ করেছেন। শায়বানী বলেন, আমি শা’বীকে জিজ্ঞেস করলাম, এটা আপনার কাছে কে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেন, নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)। এট হাসান-এর বর্ণিত হাদীসের শব্দ। আর ইবনু নুমায়র-এর বর্ণনাতে রয়েছে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটা তাজা ক্ববরের নিকট পৌঁছে এর উপর সলাত আরম্ভ করলে সবাই তাঁর পিছনে সারিবদ্ধ হ’ল। তিনি চার তাকবীর উচ্চারণ করলেন। আমি ‘আমিরকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার কাছে কে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেন, নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি যার কাছে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এসেছিলেন। (ই.ফা ২০৭৯, ই.সে. ২০৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، ح وَحَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَحَدٍ مِنْهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَبَّرَ عَلَيْهِ أَرْبَعًا .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাদের কারো হাদীসে এ কথা উল্লেখ নেই যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জানাযায় চার তাকবীর উচ্চারণ করেছেন। (ই.ফা. ২০৮০, ই.সে. ২০৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০২
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، جَمِيعًا عَنْ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الضُّرَيْسِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَتِهِ عَلَى الْقَبْرِ نَحْوَ حَدِيثِ الشَّيْبَانِيِّ . لَيْسَ فِي حَدِيثِهِمْ وَكَبَّرَ أَرْبَعًا .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে এবং তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
ক্ববরের উপর তাঁর জানাযার সলাত সম্পর্কে শায়বানীর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাদের হাদীসের চার তাকবীরের কথা বর্ণিত হয়নি। (ই.ফা. ২০৮১, ই.সে. ২০৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০৩
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ السَّامِيُّ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَى قَبْرٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্ববরের উপর জানাযার সলাত আদায় করেছেন। (ই.ফা. ২০৮২, ই.সে. ২০৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০৪
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ امْرَأَةً، سَوْدَاءَ كَانَتْ تَقُمُّ الْمَسْجِدَ – أَوْ شَابًّا – فَفَقَدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ عَنْهَا – أَوْ عَنْهُ – فَقَالُوا مَاتَ . قَالَ ” أَفَلاَ كُنْتُمْ آذَنْتُمُونِي ” . قَالَ فَكَأَنَّهُمْ صَغَّرُوا أَمْرَهَا – أَوْ أَمْرَهُ – فَقَالَ ” دُلُّونِي عَلَى قَبْرِهِ ” . فَدَلُّوهُ فَصَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ هَذِهِ الْقُبُورَ مَمْلُوءَةٌ ظُلْمَةً عَلَى أَهْلِهَا وَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُنَوِّرُهَا لَهُمْ بِصَلاَتِي عَلَيْهِمْ ” .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একটি কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা অথবা যুবক মাসজিদে নাবাবীতে ঝাড়ু দিত। কিছুদিন তাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) না দেখে তার সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। সাহাবীগণ বললেন, সে তো মারা গেছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আমাকে খবর দিলে না কেন? বর্ণনাকারী বলেন, খুব সম্ভব তারা বিষয়টিকে গুরুত্বহীন মনে করেছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমাকে তার ক্ববর দেখিয়ে দাও। তারা তাঁকে ক্ববর দেখিয়ে দিলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ক্ববরের উপর সলাতুল জানাযাহ্ আদায় করলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব ক্ববর অন্ধকারে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। মহান আল্লাহ আমার সলাতের দরুন তা আলোকিত করে দিন। (ই.ফা. ২০৮৩, ই.সে. ২০৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، – وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ عَنْ شُعْبَةَ، – عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ كَانَ زَيْدٌ يُكَبِّرُ عَلَى جَنَائِزِنَا أَرْبَعًا وَإِنَّهُ كَبَّرَ عَلَى جَنَازَةٍ خَمْسًا فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَبِّرُهَا .
‘আবদুর রহমান ইবনু লায়লা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যায়দ (রাঃ) আমাদের জানাযাহ্সমূহে চারটি তাকবীর উচ্চারণ করতেন। আর তিনি কোন জানাযায় পাঁচ তাকবীরও দিয়েছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ (পাঁচবার) তাকবীর দিতেন। (ই.ফা. ২০৮৪, ই.সে. ২০৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৪. অধ্যায়ঃ
জানাযাহ্ যেতে দেখে দাঁড়িয়ে যাওয়া
২১০৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ فَقُومُوا لَهَا حَتَّى تُخَلِّفَكُمْ أَوْ تُوضَعَ ” .
‘আমির ইবনু রবী‘আহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা জানাযাহ্ নিয়ে যেতে দেখ তখন দাঁড়িয়ে যাও। যে পর্যন্ত তা তোমাদের পশ্চাতে ফেলে না যায় অথবা তা মাটিতে রেখে দেয়া না হয় (ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাক)। (ই.ফা. ২০৮৫, ই.সে. ২০৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০৭
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِي حَدِيثِ يُونُسَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا رَأَى أَحَدُكُمُ الْجَنَازَةَ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَاشِيًا مَعَهَا فَلْيَقُمْ حَتَّى تُخَلِّفَهُ أَوْ تُوضَعَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تُخَلِّفَهُ ” .
কুতায়বাহ্ ইবনু সা’ঈদ, মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ, হারমালাহ্ (রহঃ) ….. সকলেই ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে বর্ণনা করেছেন এবং ইউনুস বর্ণিত হাদীসে এরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন- কুতায়বাহ্ ইবনু সা‘ঈদ, ইবনু রুমহ (রহঃ) ….. ‘আম্র ইবনু রবী‘আহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা জানাযাহ্ দেখতে পাও এবং তার সাথে যদি না যাও, তবে জানাযাহ্ এগিয়ে না যাওয়া অথবা মাটিতে না রাখা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকো। (ই.ফা. ২০৮৬, ই.সে. ২০৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، جَمِيعًا عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ، ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا رَأَى أَحَدُكُمُ الْجَنَازَةَ فَلْيَقُمْ حِينَ يَرَاهَا حَتَّى تُخَلِّفَهُ إِذَا كَانَ غَيْرَ مُتَّبِعِهَا ” .
আবূ কামিল, ইয়া‘কূব ইবনু ইব্রাহীম, ইবনুল মুসান্না, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ….. সকলেই নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ সূত্রে লায়স ইবনু সা’দ-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ব্যতিক্রম এই যে, ইবনু জুরায়জ-এর হাদীসের বর্ণনা নিম্নরূপঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন তোমাদের কেউ জানাযাহ্ দেখতে পায়, তখন তার দাঁড়িয়ে যাওয়া উচিত। আর সে জানাযার অনুসরণ না করে তবে তা অগ্রসর হয়ে তাকে পিছনে ফেলে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা উচিত। (ই.ফা. ২০৮৭, ই.সে. ২০৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১০৯
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا اتَّبَعْتُمْ جَنَازَةً فَلاَ تَجْلِسُوا حَتَّى تُوضَعَ ” .
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা জানাযার অনুগামী হও তখন জানাযাহ্ মাটিতে না রাখা পর্যন্ত বসবে না। (ই.ফা. ২০৮৮, ই.সে. ২০৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১০
وَحَدَّثَنِي سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ، هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي، سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ فَقُومُوا فَمَنْ تَبِعَهَا فَلاَ يَجْلِسْ حَتَّى تُوضَعَ ” .
আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা জানাযার পিছনে পিছনে চল, তখন তা মাটিতে না রাখা পর্যন্ত বসো না। (ই.ফা. ২০৮৯, ই.সে. নেই)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১১
وَحَدَّثَنِي سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ، عَنْ جَابِرِ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَرَّتْ جَنَازَةٌ فَقَامَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقُمْنَا مَعَهُ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا يَهُودِيَّةٌ . فَقَالَ “ إِنَّ الْمَوْتَ فَزَعٌ فَإِذَا رَأَيْتُمُ الْجَنَازَةَ فَقُومُوا ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একবার একটি লাশ নিয়ে যেতে দেখে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে গেলেন। আমরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে গেলাম। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! এতো এক ইয়াহুদী মেয়েলোকের লাশ। তিনি বললেনঃ মৃত্যু একটা ভয়াবহ জিনিস। অতএব, যখন তোমরা জানাযাহ্ (লাশ) দেখ, দাঁড়িয়ে যাও। (ই.ফা. ২০৯০, ই.সে. ২০৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِجَنَازَةٍ مَرَّتْ بِهِ حَتَّى تَوَارَتْ .
আবুয্ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবুয্ যুবায়র (রহঃ) থেকে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি জাবির (রাঃ)–কে বলতে শুনেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ এক ইয়াহূদীর লাশ যেতে দেখে এবং তা চোখের আড়াল না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন। (ই.ফা. ২০৯২, ই.সে. ২০৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَيْضًا أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ لِجَنَازَةِ يَهُودِيٍّ حَتَّى تَوَارَتْ .
আবুয্ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবুয্ যুবায়র (রহঃ) থেকে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ এক ইয়াহুদীর লাশ যেতে দেখে এবং তা চোখের আড়াল না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন। (ই.ফা. ২০৯২, ই.সে. ২০৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، أَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، وَسَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، كَانَا بِالْقَادِسِيَّةِ فَمَرَّتْ بِهِمَا جَنَازَةٌ فَقَامَا فَقِيلَ لَهُمَا إِنَّهَا مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ . فَقَالاَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّتْ بِهِ جَنَازَةٌ فَقَامَ فَقِيلَ إِنَّهُ يَهُودِيٌّ . فَقَالَ “ أَلَيْسَتْ نَفْسًا ”
‘আমর ইবনু মুররাহ্ ইবনু আবূ লায়লার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
ক্বায়স ইবনু সা‘দ ও সাহল ইবনু হুনায়ফ (রাঃ) কাদিসিয়্যাতে ছিলেন। তাদের কাছ দিয়ে একটা জানাযাহ্ অতিক্রম করলে তারা উভয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তাদেরকে বলা হল, এটা তো অত্র এলাকার (এক অমুসলিমের) লাশ! তারা বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ দিয়ে একটি জানাযাহ্ অতিক্রম করলে তিনি দাঁড়িয়ে যান। তখন কেউ তাকে বলল, এটা এক ইয়াহূদীর লাশ! তিনি বললেনঃ সেকি একটি প্রাণী নয়? (ই.ফা. ২০৯৩, ই.সে. ২০৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১৫
وَحَدَّثَنِيهِ الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِيهِ فَقَالاَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّتْ عَلَيْنَا جَنَازَةٌ
‘আমর ইবনু মুররাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আমর ইবনু মুররাহ্ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। অতঃপর তাঁরা বললেন, আমরা একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। এমন সময় আমাদের নিকট দিয়ে একটি লাশ অতিক্রম করল। (ই.ফা. ২০৯৪, ই.সে. ২০৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৫. অধ্যায়ঃ
জানাযার জন্য দাঁড়ানো থেকে অব্যাহতি
২১১৬
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، أَنَّهُ قَالَ رَآنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرٍ وَنَحْنُ فِي جَنَازَةٍ قَائِمًا وَقَدْ جَلَسَ يَنْتَظِرُ أَنْ تُوضَعَ الْجَنَازَةُ فَقَالَ لِي مَا يُقِيمُكَ فَقُلْتُ أَنْتَظِرُ أَنْ تُوضَعَ الْجَنَازَةُ لِمَا يُحَدِّثُ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ . فَقَالَ نَافِعٌ فَإِنَّ مَسْعُودَ بْنَ الْحَكَمِ حَدَّثَنِي عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَعَدَ .
ওয়াক্বিদ ইবনু ‘আম্র ইবনু মু‘আয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা এক জানাযায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় নাফি’ ইবনু জুবায়র আমাকে দেখতে পেলেন। তিনি তখন লাশ নীচে রাখার জন্য বসে বসে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমি উত্তর দিলাম। লাশটি রাখার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। কেননা আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ)-এর সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। নাফি‘ (রাঃ) এ কথা শুনে বললেন, মাস‘ঊদ ইবনু হাকাম (রহঃ) ‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ)-এর সূত্রে আমাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথমে দাঁড়িয়েছেন পরে বসে গেছেন (এ অভ্যাসে পরিত্যাগ করেছেন)। (ই.ফা. ২০৯৫, ই.সে. ২০৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ الثَّقَفِيِّ، – قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، – قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي وَاقِدُ، بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ الأَنْصَارِيُّ أَنَّ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ مَسْعُودَ بْنَ الْحَكَمِ الأَنْصَارِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ فِي شَأْنِ الْجَنَائِزِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ ثُمَّ قَعَدَ . وَإِنَّمَا حَدَّثَ بِذَلِكَ لأَنَّ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ رَأَى وَاقِدَ بْنَ عَمْرٍو قَامَ حَتَّى وُضِعَتِ الْجَنَازَةُ .
মাস‘ঊদ ইবনু হাকাম আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ)-কে জানাযার ব্যাপারে বলতে শুনেছেন : রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম দিকে দাঁড়াতেন এবং পরে বসে পড়তেন।
নাফি‘ ইবনু জুবায়র কথাটা এজন্য বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ওয়াক্বিদ ইবনু ‘আম্র (রাঃ)-কে দেখলেন তিনি লাশ নীচে রাখার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। (ই.ফা. ২০৯৬, ই.সে. ২১০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১৮
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০৯৭, ই.সে. ২১০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১৯
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ الْمُنْكَدِرِ قَالَ سَمِعْتُ مَسْعُودَ بْنَ الْحَكَمِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ رَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ فَقُمْنَا وَقَعَدَ فَقَعَدْنَا . يَعْنِي فِي الْجَنَازَةِ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা জানাযায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাঁড়াতে দেখে দাঁড়িয়েছি এবং বসতে দেখে বসে গেছি। (ই.ফা. ২০৯৮, ই.সে. ২১০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১২০
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
শু‘বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০৯৯, ই.সে. ২১০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৬. অধ্যায়ঃ
জানাযার সলাতে মাইয়্যিতের জন্য দু‘আ করা
২১২১
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، سَمِعَهُ يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَنَازَةٍ فَحَفِظْتُ مِنْ دُعَائِهِ وَهُوَ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ أَوْ مِنْ عَذَابِ النَّارِ ” . قَالَ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنْ أَكُونَ أَنَا ذَلِكَ الْمَيِّتَ
জুবায়র ইবনু নুফায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(তিনি বলেন) আমি ‘আওফ ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি : রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক জানাযায় যে দু‘আ পড়লেন, আমি তাঁর সে দু‘আ মনে রেখেছি। দু‘আয় তিনি এ কথাগুলো বলেছিলেন, “আল্ল-হুম্মাগ্ফির্ লাহূ ওয়ার্হাম্হু ওয়া ‘আ-ফিহী ওয়া’ফু ‘আন্হু ওয়া আক্রিম নুযুলাহূ ওয়া ওয়াস্সি’ মুদ্খালাহূ ওয়াগ্সিল্হু বিলমা-য়ি ওয়াস্সাল্জি ওয়াল বারাদি ওয়ানাক্কিহী মিনাল খ্বাতা-ইয়া- কামা- নাক্কায়সাস্ সাওবাল আব্ইয়াযা মিনাদ্দানাসি ওয়া আব্দিল্হু দা-রান্ খায়রাম্ মিন দা-রিহী ওয়া আহলান্ খায়রাম্ মিন আহ্লিহী ওয়া য়াওজান্ খায়রাম্ মিন যাওজিহী ওয়া আদখিল্হুল জান্নাতা ওয়া আ‘ইয্হু মিন ‘আযা-বিল ক্বব্রি আও মিন ‘আযা-বিন্না-র’-(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দাও ও তার প্রতি দয়া কর। তাকে নিরাপদে রাখ ও তার ত্রুটি মার্জনা কর। তাকে উত্তম সামগ্রী দান কর ও তার প্রবেশ পথকে প্রশস্ত করে দাও। তাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টি দ্বারা মুছে দাও এবং পাপ থেকে এরূপভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দাও যেরূপ সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। তাকে তার ঘরকে উত্তম ঘরে পরিণত কর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার দান কর, তার স্ত্রীর তুলনায় উত্তম স্ত্রী দান কর। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং ক্ববরের ‘আযাব ও জাহান্নামের ‘আযাব থেকে বাঁচাও।)।
বর্ণনাকারী ‘আওফ ইবনু মালিক বলেন, তাঁর মূল্যবান দু‘আ শুনে আমার মনে আকাঙ্ক্ষা জাগল, আমি যদি সে মৃত ব্যক্তি হতাম। (ই.ফা. ২১০০, ই.সে. ২১০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১২২
قَالَ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا
‘আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অত্র হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২১০১, ই.সে. ২১০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১২৩
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ، صَالِحٍ بِالإِسْنَادَيْنِ جَمِيعًا . نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ .
মু‘আবিয়াহ্ ইবনু সালিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উভয় সানাদে ইবনু ওয়াহ্ব-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২১০২, ই.সে. নেই)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১২৪
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ عِيسَى بْنِ، يُونُسَ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الْحِمْصِيِّ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي الطَّاهِرِ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَصَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَاعْفُ عَنْهُ وَعَافِهِ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ ” . قَالَ عَوْفٌ فَتَمَنَّيْتُ أَنْ لَوْ كُنْتُ أَنَا الْمَيِّتَ لِدُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى ذَلِكَ الْمَيِّتِ .
‘আওফ ইবনু মালিক আল আশজা‘ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানাযার সলাতে এভাবে দু‘আ করতে শুনেছি : “আল্ল-হুম্মাগ্ফির্লাহূ ওয়ার্হাম্হু ওয়া‘ফু ‘আন্হু ওয়া‘আ-ফিহী ওয়া আক্রিম নুযুলাহূ ওয়াস্সি’ মুদ্খালাহূ ওয়াগ্সিল্হু বিমা-য়িন্ ওয়াসালজিন্ ওয়াবারাদিন্ ওয়ানাক্কিহী মিনাল খ্বাতা-ইয়া- কামা- ইউনাক্কাস্ সাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ্দানাসি ওয়া আব্দিল্হু দা-রান্ খায়রাম্ মিন দা-রিহী ওয়া আহ্লান্ খায়রাম্ মিন্ আহ্লিহী ওয়া যাওজান্ খায়রাম্ মিন যাওজিহী ওয়াক্বিহী ফিত্নাতিল ক্বব্রি ওয়া‘আযা-বিন্ না-র”-(অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দাও ও তার প্রতি দয়া কর। তার ত্রুটি মার্জনা কর ও তাকে বিপদ মুক্ত কর। তার উত্তম আপ্যায়নের ব্যবস্থা কর ও তার আশ্রয়স্থলকে প্রশস্ত করে দাও। তাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টি দিয়ে ধুয়ে মুছে দাও। তাকে পাপরাশি থেকে এভাবে পরিষ্কার করে দাও যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। তাকে তার বর্তমান ঘরের পরিবর্তে আরও উত্তম ঘর দান কর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার দান কর, বর্তমান স্ত্রী অপেক্ষা উত্তম স্ত্রী দান কর এবং তাকে ক্ববর ‘আযাব ও জাহান্নামের ‘আযাব থেকে বাঁচাও।)।
‘আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, ঐ মৃত ব্যক্তির প্রতি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এরূপ দু’আ দেখে মনে আকাঙ্ক্ষা জাগল যে, আমি যদি এ মৃত ব্যক্তি হতাম। (ই.ফা. ২১০৩, ই.সে. ২১০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৭. অধ্যায়ঃ
জানাযার সলাতে ইমাম মাইয়্যিতের কোন্ বরাবর দাঁড়াবে
২১২৫
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ، ذَكْوَانَ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَصَلَّى عَلَى أُمِّ كَعْبٍ مَاتَتْ وَهِيَ نُفَسَاءُ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلصَّلاَةِ عَلَيْهَا وَسَطَهَا .
সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে জানাযার সলাত আদায় করতাম। তিনি উম্মু কা‘ব-এর জানাযাহ্ আদায় করছিলেন। তিনি নিফাস অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জানাযাহ্ আদায়কালে তার মাঝ বরাবর দাঁড়িয়েছিলেন। (ই.ফা. ২১০৪, ই.সে. ২১০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১২৬
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، وَالْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، كُلُّهُمْ عَنْ حُسَيْنٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرُوا أُمَّ كَعْبٍ .
আবূ বাকর ইবনু শায়বাহ্, ‘আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ….. সকলেই হুসায়ন (রহঃ) থেকে একই সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
অবশ্য তাঁরা উম্মু কা‘ব-এর কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২১০৫, ই.সে. ২১০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১২৭
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُسَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ قَالَ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ لَقَدْ كُنْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غُلاَمًا فَكُنْتُ أَحْفَظُ عَنْهُ فَمَا يَمْنَعُنِي مِنَ الْقَوْلِ إِلاَّ أَنَّ هَا هُنَا رِجَالاً هُمْ أَسَنُّ مِنِّي وَقَدْ صَلَّيْتُ وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى امْرَأَةٍ مَاتَتْ فِي نِفَاسِهَا فَقَامَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ وَسَطَهَا . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ قَالَ فَقَامَ عَلَيْهَا لِلصَّلاَةِ وَسَطَهَا .
সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যামানায় তরুণ বালক ছিলাম। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা মনে রাখতে পারতাম। তবে একমাত্র এ কারণে আলোচনা করতে আমার বিবেক আমাকে বাধা দিত যে, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আমার চেয়ে বয়োঃজ্যেষ্ঠ লোক উপস্থিত থাকত। আমি তাঁর পিছনে এক মহিলার জানাযাহ্ আদায় করলাম। সে নিফাস অবস্থায় মারা গিয়েছিল। তার জানাযাহ্ আদায়কালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মাঝ বরাবর দাঁড়িয়েছেন।
ইবনুল মুসান্না-এর রিওয়ায়াতে এরূপ বর্ণিত হয়েছে : আমাকে ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরায়দাহ্ (রাঃ) শুনিয়েছেন এবং বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সলাত আদায়কালে তার দেহের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়েছিলেন। (ই.ফা. ২১০৬, ই.সে. ২১০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৮. অধ্যায়ঃ
জানাযাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় জানাযাহ্ গমনকারীর সাওয়াব প্রসঙ্গে
২১২৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ، سَمُرَةَ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِفَرَسٍ مُعْرَوْرًى فَرَكِبَهُ حِينَ انْصَرَفَ مِنْ جَنَازَةِ ابْنِ الدَّحْدَاحِ وَنَحْنُ نَمْشِي حَوْلَهُ .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট রশিবিহীন একটি ঘোড়া হাজির করা হ’ল। তিনি ইবনু দাহদাহ-এর জানাযাহ্ শেষ করে এর পিঠে আরোহণ করলেন। আর আমরা তাঁর চার পাশে হেঁটে চলছিলাম। (ই.ফা. ২১০৭, ই.সে. ২১১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১২৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى ابْنِ الدَّحْدَاحِ ثُمَّ أُتِيَ بِفَرَسٍ عُرْىٍ فَعَقَلَهُ رَجُلٌ فَرَكِبَهُ فَجَعَلَ يَتَوَقَّصُ بِهِ وَنَحْنُ نَتَّبِعُهُ نَسْعَى خَلْفَهُ – قَالَ – فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” كَمْ مِنْ عِذْقٍ مُعَلَّقٍ – أَوْ مُدَلًّى – فِي الْجَنَّةِ لاِبْنِ الدَّحْدَاحِ ” . أَوْ قَالَ شُعْبَةُ ” لأَبِي الدَّحْدَاحِ ” .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু দাহ্দাহ (মারা গেলে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জানাযাহ্ আদায় করলেন। এরপর তার কাছে একটা লাগামবিহীন ঘোড়া হাজির করা হল। জনৈক ব্যক্তি তা রশি দিয়ে বাঁধল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিঠে আরোহণ করলেন। ঘোড়াটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিয়ে লাফিয়ে চলতে লাগল। আর আমরা তাঁর পিছনে দৌড়িয়ে অনুসরণ করলাম। জাবির বলেন, অতঃপর কাফিলার মধ্যে জনৈক ব্যক্তি বলল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, বহু সংখ্যক খেজুরের ছড়া ইবনু দাহ্দাহ-এর জন্য জান্নাতে ঝুলে রয়েছে। শু‘বাহ্-এর বর্ণনায় ‘আবূ দাহ্দাহ’ উল্লেখ আছে। (ই.ফা. ২১০৮, ই.সে. ২১১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯. অধ্যায়ঃ
লাহ্দ ক্ববর তৈরি এবং ক্ববরের উপর ইট স্থাপন প্রসঙ্গে
২১৩০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الْمِسْوَرِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ، مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي هَلَكَ فِيهِ الْحَدُوا لِي لَحْدًا وَانْصِبُوا عَلَىَّ اللَّبِنَ نَصْبًا كَمَا صُنِعَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
‘আমির ইবনু সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রহঃ) তাঁর মৃত্যুকালীন পীড়ার সময় বলেছেন, তোমরা আমার জন্য একটা ক্ববর ঠিক করে রাখ এবং আমার ক্ববরের উপর এভাবে ইট স্থাপন কর যেভাবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ক্ববরে করা হয়েছে। (ই.ফা. ২১০৯, ই.সে. ২১১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০. অধ্যায়ঃ
ক্ববরে চাদর বিছিয়ে দেয়া সম্পর্কে
২১৩১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الْمِسْوَرِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ، مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي هَلَكَ فِيهِ الْحَدُوا لِي لَحْدًا وَانْصِبُوا عَلَىَّ اللَّبِنَ نَصْبًا كَمَا صُنِعَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ক্ববরের লাল বর্ণের একটা চাদর বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। ইমাম মুসলিম বলেন, আবূ জাম্রাহ্-এর নাম হচ্ছে নাস্র ইবনু ‘ইমরান ও আবূ তায়ইয়্যাহ-এর প্রকৃত নাম ইয়াযীদ ইবনু হুমায়দ উভয়ে ‘সারাখ্স’ এ ইনতিকাল করেছেন। (ই.ফা. ২১১০, ই.সে. ২১১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩১. অধ্যায়ঃ
ক্ববর সমান করার নির্দেশ প্রসঙ্গে
২১৩২
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، – فِي رِوَايَةِ أَبِي الطَّاهِرِ – أَنَّ أَبَا عَلِيٍّ الْهَمْدَانِيَّ، حَدَّثَهُ – وَفِي، رِوَايَةِ هَارُونَ – أَنَّ ثُمَامَةَ بْنَ، شُفَىٍّ حَدَّثَهُ قَالَ كُنَّا مَعَ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ بِأَرْضِ الرُّومِ بِرُودِسَ فَتُوُفِّيَ صَاحِبٌ لَنَا فَأَمَرَ فَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ بِقَبْرِهِ فَسُوِّيَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ بِتَسْوِيَتِهَا .
সুমামাহ্ ইবনু শুফাই (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা একবার রোম সাম্রাজ্যের রূদিস নামক উপদ্বীপে ফুযালাহ্ ইবনু ‘উবায়দ-এর সঙ্গে ছিলাম। আমাদের একজন সঙ্গী মারা গেলে ফুযালাহ্ তাকে ক্ববরস্থ করতে আদেশ দিলেন। অতঃপর তাঁর ক্ববরকে সমান করে তৈরি করা হল। অতঃপর তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্ববরকে সমতল করে তৈরি করতে আদেশ করেছেন। (ই.ফা. ২১১১, ই.সে. ২১১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৩৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي، الْهَيَّاجِ الأَسَدِيِّ قَالَ قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَلاَّ أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ تَدَعَ تِمْثَالاً إِلاَّ طَمَسْتَهُ وَلاَ قَبْرًا مُشْرِفًا إِلاَّ سَوَّيْتَهُ
আবুল হাইয়্যাজ আল আসাদী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি কি তোমাকে এমনভাবে পাঠাব না, যে কাজে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তা হচ্ছে কোন (জীবের) প্রতিকৃতি বা ছবি দেখলে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিবে এবং কোন উচূ ক্ববর দেখলে তা ভেঙ্গে দিবে। (ই.ফা. ২১১২, ই.সে. ২১১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৩৪
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي حَبِيبٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ وَلاَ صُورَةً إِلاَّ طَمَسْتَهَا
হাবীব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একই সানাদে বর্ণিত। তিনি বলেন, মূর্তি বিলুপ্ত এবং ছবি ধংস করে দিবে। (ই.ফা. ২১১৩, ই.সে. ২১১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩২. অধ্যায়ঃ
ক্ববরে চুনকাম করা এবং এর উপর অট্টালিকা নির্মাণ প্রসঙ্গে
২১৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي، الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্ববর পাকা করতে, ক্ববরের উপর বসতে ও ক্ববরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ২১১৪, ই.সে. ২১১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৩৬
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ، اللَّهِ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবুয্ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহকে বলতে শুনেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি ….. উপরের হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ২১১৫, ই.সে. ২১১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৩৭
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نُهِيَ عَنْ تَقْصِيصِ الْقُبُورِ، .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা. ২১১৬, ই.সে. ২১১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩. অধ্যায়ঃ
কবরের উপর বসা এবং সলাত আদায় করা প্রসঙ্গে
২১৩৮
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لأَنْ يَجْلِسَ أَحَدُكُمْ عَلَى جَمْرَةٍ فَتُحْرِقَ ثِيَابَهُ فَتَخْلُصَ إِلَى جِلْدِهِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَجْلِسَ عَلَى قَبْرٍ ” .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন তোমাদের কারো জলন্ত আঙ্গারের উপর বসে থাকা এবং তাতে তার কাপর পুড়ে গিয়ে শরীরের চামড়া দগ্ধীভুত হওয়া কবরের উপর বসার চেয়ে উত্তম। (ই.ফা. ২১১৭, ই.সে. ২১২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৩৯
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ ح وَحَدَّثَنِيهِ عَمْرٌو، النَّاقِدُ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ.
কুতায়বাহ্ ইবনু সা‘ঈদ, ‘আমর আন্ নাক্বিদ (রহঃ)…. উভয়েই সুহায়ল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সানাদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২১১৮, ই.সে. ২১২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৪০
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ، عَنْ بُسْرِ، بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ وَاثِلَةَ، عَنْ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَجْلِسُوا عَلَى الْقُبُورِ وَلاَ تُصَلُّوا إِلَيْهَا ” .
আবু মারসাদ আল গানাবি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কখনো ক্ববরের উপর বসবে না এবং ক্ববরের দিকে মুখ করে সালাতও আদায় করবে না। (ই.ফা. ২১১৯, ই.সে. ২১২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৪১
وَحَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ الْبَجَلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، عَنْ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ تُصَلُّوا إِلَى الْقُبُورِ وَلاَ تَجْلِسُوا عَلَيْهَا” .
আবু মারসাদ আল গানাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: তোমরা কবরের দিকে সালাত আদায় করো না এবং ক্ববরের উপর বসো না। (ই.ফা. ২১২০, ই.সে. ২১২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪. অধ্যায়ঃ
মসজিদে জানাযার সলাত আদায় করা প্রসঙ্গে
২১৪২
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، – وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ – قَالَ عَلِيٌّ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ حَمْزَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَمَرَتْ أَنْ يُمَرَّ، بِجَنَازَةِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فِي الْمَسْجِدِ فَتُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَأَنْكَرَ النَّاسُ ذَلِكَ عَلَيْهَا فَقَالَتْ مَا أَسْرَعَ مَا نَسِيَ النَّاسُ مَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى سُهَيْلِ ابْنِ الْبَيْضَاءِ إِلاَّ فِي الْمَسْجِدِ .
‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশাহ (রাঃ) সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস-এর লাশ মসজিদে নিয়ে আসতে ও মসজিদের ভিতরে জানাযার সলাত আদায় করতে নির্দেশ দিলেন। উপস্থিত লোকেরা তাঁর আদেশ পালনে অসম্মতি প্রকাশ করল। তিনি বললেন, লোকেরা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেল! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুহায়ল ইবনু বায়যা-এর জানাযার সলাত মসজিদেই আদায় করেছিলেন। (ই.ফা. ২১২১, ই.সে. ২১২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৪৩
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا لَمَّا تُوُفِّيَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَمُرُّوا بِجَنَازَتِهِ فِي الْمَسْجِدِ فَيُصَلِّينَ عَلَيْهِ فَفَعَلُوا فَوُقِفَ بِهِ عَلَى حُجَرِهِنَّ يُصَلِّينَ عَلَيْهِ أُخْرِجَ بِهِ مِنْ بَابِ الْجَنَائِزِ الَّذِي كَانَ إِلَى الْمَقَاعِدِ فَبَلَغَهُنَّ أَنَّ النَّاسَ عَابُوا ذَلِكَ وَقَالُوا مَا كَانَتِ الْجَنَائِزُ يُدْخَلُ بِهَا الْمَسْجِدَ . فَبَلَغَ ذَلِكَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ مَا أَسْرَعَ النَّاسَ إِلَى أَنْ يَعِيبُوا مَا لاَ عِلْمَ لَهُمْ بِهِ . عَابُوا عَلَيْنَا أَنْ يُمَرَّ بِجَنَازَةٍ فِي الْمَسْجِدِ وَمَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى سُهَيْلِ ابْنِ بَيْضَاءَ إِلاَّ فِي جَوْفِ الْمَسْجِدِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) ইন্তিকাল করলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীগণ তাঁর লাশ মসজিদে নিয়ে আসার জন্য বলে পাঠালেন যাতে তারাও তার জানাযাহ আদায় করতে পারেন। উপস্থিত লোকেরা তাই করলো। তাঁকে উম্মাহাতুল মু‘মিনীনদের ঘরের সামনে রাখা হল এবং তারা তার জানাযার সলাত আদায় করলেন। অতঃপর তাকে বাবুল জানায়িয (জানাযাহ বের করার দরজা) দিয়ে যা মাক্বা‘ইদের দিকে ছিল, বের করা হল। লোকেরা এ খবর জানতে পেয়ে বলল, কি ব্যাপার! জানাযাহ্ মসজিদে ঢুকানো হয়েছে? ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি বললেন, লোকেরা কেন এত শীঘ্র সমালোচনায় প্রবৃত্ত হল, যে সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নাই? মসজিদে জানাযাহ্ নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে লোকেরা সমালোচনা করল, অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুহায়ল ইবনু বায়যা-এর সালতে জানাযাহ্ মসজিদের ভিতরেই আদায় করেছেন। ইমাম মুসলিম বলেন, সুহায়ল বিন ওয়াদা বায়যা-এর পুত্র। তার মায়ের নাম বায়যা। (ই.ফা. ২১২২, ই.সে. ২১২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৪৪
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، – يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ – عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ، عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ، لَمَّا تُوُفِّيَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَتِ ادْخُلُوا بِهِ الْمَسْجِدَ حَتَّى أُصَلِّيَ عَلَيْهِ . فَأُنْكِرَ ذَلِكَ عَلَيْهَا فَقَالَتْ وَاللَّهِ لَقَدْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى ابْنَىْ بَيْضَاءَ فِي الْمَسْجِدِ سُهَيْلٍ وَأَخِيهِ . قَالَ مُسْلِمٌ سُهَيْلُ بْنُ دَعْدٍ وَهُوَ ابْنُ الْبَيْضَاءِ أُمُّهُ بَيْضَاءُ .
আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন সা‘দ ইবনু আবু ওয়াক্কাস ইন্তিকাল করলেন ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তোমরা তার লাশ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ কর। আমি তাঁর জানাযাহ্ পড়ব। তখন লোকেরা অস্বীকৃতি জানালে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়যা-এর দু’ ছেলে সুহায়ল ও তার ভাইয়ের (সাহ্ল-এর) জানাযার সলাত মসজিদেই আদায় করেছেন (ই.ফা. ২১২৩, ই.সে. ২১২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫. অধ্যায়ঃ
ক্ববরে প্রবেশের সময় কি বলবে এবং ক্ববরবাসীর জন্য দু‘আ প্রসঙ্গে
২১৪৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكٍ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي نَمِرٍ – عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – كُلَّمَا كَانَ لَيْلَتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – يَخْرُجُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقُولُ ” السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَأَتَاكُمْ مَا تُوعَدُونَ غَدًا مُؤَجَّلُونَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأَهْلِ بَقِيعِ الْغَرْقَدِ ” . وَلَمْ يُقِمْ قُتَيْبَةُ قَوْلَهُ ” وَأَتَاكُمْ ” .
‘আয়িশাহ্ (রা্যিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অভ্যাস ছিল, যেদিন তার কাছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাত্রি যাপনের পালা আসত, তিনি শেষ রাত্রে উঠে (জান্নাতুল বাকি‘ ক্ববরস্থানে) চলে যেতেন এবং এভাবে দু‘আ করতেন : “আস্সালা-মু ‘আলায়কুম দা-রা ক্বাওমিন্ মু‘মিনীনা ওয়া আতা-কুম মা-তূ‘আদূনা গদান্ মুআজ্জালূনা ওয়া ইন্না- ইন্শা-আল্ল-হু লা-হিকূন, আল্ল-হুম্মাগফিরলি আহ্লি বাকী‘ইল গরক্বাদ” (অর্থাৎ- তোমাদের উপর সালাম ও শান্তি বর্ষিত হোক, ওহে ঈমানদার ক্ববরবাসীগণ! তোমাদের কাছে পরকালে নির্ধারিত যেসব বিষয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তা তোমাদের নিকট এসে গেছে। আল্লাহর ইচ্ছায় আমারাও তোমাদের সাথে মিলিত হব। হে আল্লাহ্! বাক্বী‘ গারক্বাদ ক্ববরবাসীদেরকে ক্ষমা করে দাও।)।
কিন্তু কুতায়বাহ্-এর বর্ণনায় “তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে” কথাটি নাই। (ই.ফা. ২১২৪, ই.সে. ২১২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৪৬
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تُحَدِّثُ فَقَالَتْ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَنِّي . قُلْنَا بَلَى ح. وَحَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ حَجَّاجًا الأَعْوَرَ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ، – رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، بْنِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ قَالَ يَوْمًا أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنْ أُمِّي قَالَ فَظَنَنَّا أَنَّهُ يُرِيدُ أُمَّهُ الَّتِي وَلَدَتْهُ . قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قُلْنَا بَلَى . قَالَ قَالَتْ لَمَّا كَانَتْ لَيْلَتِيَ الَّتِي كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيهَا عِنْدِي انْقَلَبَ فَوَضَعَ رِدَاءَهُ وَخَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عِنْدَ رِجْلَيْهِ وَبَسَطَ طَرَفَ إِزَارِهِ عَلَى فِرَاشِهِ فَاضْطَجَعَ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلاَّ رَيْثَمَا ظَنَّ أَنْ قَدْ رَقَدْتُ فَأَخَذَ رِدَاءَهُ رُوَيْدًا وَانْتَعَلَ رُوَيْدًا وَفَتَحَ الْبَابَ فَخَرَجَ ثُمَّ أَجَافَهُ رُوَيْدًا فَجَعَلْتُ دِرْعِي فِي رَأْسِي وَاخْتَمَرْتُ وَتَقَنَّعْتُ إِزَارِي ثُمَّ انْطَلَقْتُ عَلَى إِثْرِهِ حَتَّى جَاءَ الْبَقِيعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ انْحَرَفَ فَانْحَرَفْتُ فَأَسْرَعَ فَأَسْرَعْتُ فَهَرْوَلَ فَهَرْوَلْتُ فَأَحْضَرَ فَأَحْضَرْتُ فَسَبَقْتُهُ فَدَخَلْتُ فَلَيْسَ إِلاَّ أَنِ اضْطَجَعْتُ فَدَخَلَ فَقَالَ ” مَا لَكِ يَا عَائِشُ حَشْيَا رَابِيَةً ” . قَالَتْ قُلْتُ لاَ شَىْءَ . قَالَ ” لَتُخْبِرِينِي أَوْ لَيُخْبِرَنِّي اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ ” . قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي . فَأَخْبَرْتُهُ قَالَ ” فَأَنْتِ السَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتُ أَمَامِي ” . قُلْتُ نَعَمْ . فَلَهَدَنِي فِي صَدْرِي لَهْدَةً أَوْجَعَتْنِي ثُمَّ قَالَ ” أَظَنَنْتِ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ ” . قَالَتْ مَهْمَا يَكْتُمِ النَّاسُ يَعْلَمْهُ اللَّهُ نَعَمْ . قَالَ ” فَإِنَّ جِبْرِيلَ أَتَانِي حِينَ رَأَيْتِ فَنَادَانِي فَأَخْفَاهُ مِنْكِ فَأَجَبْتُهُ فَأَخْفَيْتُهُ مِنْكِ وَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ وَظَنَنْتُ أَنْ قَدْ رَقَدْتِ فَكَرِهْتُ أَنْ أُوقِظَكِ وَخَشِيتُ أَنْ تَسْتَوْحِشِي فَقَالَ إِنَّ رَبَّكَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَأْتِيَ أَهْلَ الْبَقِيعِ فَتَسْتَغْفِرَ لَهُمْ ” . قَالَتْ قُلْتُ كَيْفَ أَقُولُ لَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” قُولِي السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَلاَحِقُونَ ” .
মুহাম্মাদ ইবনু ক্বায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি- তিনি বলেন, আমি কি তোমাদেরকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ও আমার তরফ থেকে হাদীস বর্ণনা করে শোনাব না? আমরা বললাম, অবশ্যই! ইমাম মুসলিম (রহঃ) হাজ্জাজ আল আ‘ওয়ার (রহঃ) থেকে শুনেছেন ….. জনৈক কুরায়শী ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে মুহাম্মাদ ইবনু ক্বায়স ইবনু মাখরামাহ্ ইবনুল মুত্ত্বালিব (রহঃ) একদিন আমাকে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে আমার পক্ষ থেকে ও আমার আম্মাজান থেকে হাদীস বর্ণনা করে শুনাব? রাবী ‘আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ধারণা করলাম তিনি তাঁর জননী মাকে বুঝাচ্ছেন। এরপর তিনি বললেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদের আমার পক্ষ থেকে ও রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদিস বর্ণনা করে শুনাব? আমরা বললাম, হ্যাঁ অবশ্যই। তিনি বলেন, যখন ঐ রাত আসত যে রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে থাকতেন। তিনি এসে তাঁর চাদর রেখে দিতেন, জুতা খুলে পায়ের কাছে রাখতেন। পরে নিজ তহবন্দের (লুঙ্গি) একদিক বিছানায় বিছিয়ে কাত হয়ে শুয়ে পড়তেন। অতঃপর মাত্র কিছু সময় যতক্ষণে তিনি ধারনা করতেন যে, আমি ঘুমিয়ে পরেছি, বিশ্রাম গ্রহন করতেন। অতঃপর উঠে ধীরে ধীরে নিজ চাদর নিতেন এবং জুতা পরিধান করতেন। পরে আস্তে আস্তে দরজা খুলে বেরিয়ে পড়তেন। অতঃপর কিছু সময় নিজেকে আত্মগোপন করে রাখতেন। একদিন আমি আমার জামা মাথার উপর স্থাপন করে তা দিয়ে মাথাটা ঢেকে লুঙ্গি পরিধান করে, অতঃপর তাঁর পেছনে রওনা হলাম। যেতে যেতে তিনি বাক্বী‘তে[৪৩] (ক্ববরস্থানে) পৌঁছলেন। তথায় তিনি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর তিনি তিনবার হাত উঠিয়ে দু‘আ করলেন। এবার গৃহের দিকে ফিরে রওয়ানা করলে আমিও রওয়ানা হলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্রুত রওয়ানা করলে আমিও দ্রুত চলতে লাগলাম। তাঁকে আরও দ্রুত পদক্ষেপে এগিয়ে আসতে দেখে আমি আরও দ্রুত চলতে লাগলাম। এরপর আমরা দৌড়াতে আরম্ভ করলে আমি দৌড়ে তাঁর আগেই ঘরে ঢুকে পড়লাম এবং বিলম্ব না করেই শুয়ে পড়লাম। একটু পরে তিনি গৃহে প্রবেশ করে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে ‘আয়িশাহ্! তোমার কি হল? কেন হাঁপিয়ে পড়েছ? ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি জবাব দিলাম না, তেমন কিছু না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হয় তুমি নিজে আমাকে ব্যাপারটা খুলে বলবে নতুবা মহান আল্লাহ আমাকে তা জানিয়ে দিবেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার ওপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক! এরপর তাঁকে ব্যাপারটা জানিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, তুমিই সেই কাল ছায়াটি যা আমি আমার সামনে দেখছিলাম। আমি বললাম: জি হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার বুকে একটা থাপ্পড় মারলেন যাতে আমি ব্যাথা পেলাম। অতঃপর বললেন, তুমি কি ধারনা করেছ আল্লাহ ও তাঁর রসূল তোমার ওপর অবিচার করবেন? ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, যখনি মানুষ কোন কিছু গোপন করে, আল্লাহ তা অবশ্যই জানেন। হ্যাঁ অবশ্যই জানেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যখন তুমি আমাকে দেখেছ এ সময় আমার কাছে জিব্রীল (‘আঃ) এসেছিলেন এবং আমাকে ডাকছিলেন। অবশ্য তা তোমার কাছে গোপন রাখা হয়েছে। আর আমিও তা গোপন রাখা বাঞ্ছনীয় মনে করে তোমার নিকট গোপন রেখেছি। যেহেতু তুমি তোমার কাপড় রেখে দিয়েছ, তাই তোমার কাছে তিনি আসেননি। আমি ভেবেছিলাম তুমি ঘুমিয়ে পরেছ। তাই তোমাকে জাগানো সমীচীন মনে করিনি। আর আমি আশঙ্কা করেছিলাম যে, তুমি ভীত বিহ্বল হয়ে পড়বে। এরপর জিব্রীল (‘আঃ) বললেন, আপনার প্রভু আপনার প্রতি আদেশ করেছেন, বাক্বী‘র ক্ববরবাসীদের নিকট গিয়ে তাদের জন্য দু‘আ ইসতিগফার করতে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি তাদের জন্য কীভাবে দু‘আ করব? তিনি বললেনঃতুমি বল, “এ বাসস্থানের অধিবাসী ঈমানদার মুসলিমদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। আমাদের মধ্যে থেকে যারা আগে বিদায় গ্রহন করেছে আর যারা পিছনে বিদায় নিয়েছে সবার প্রতি আল্লাহ দয়া করুন। আল্লাহ চাহে তো আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব।” (ই.ফা. ২১২৫, ই.সে. ২১২৮)
[৪৩] বাক্বী‘ হচ্ছে মদীনার নিকটবর্তী একটি ক্ববরস্থান যেখানে অনেক সহাবীর কবর রয়েছে। রয়েছে অনেক কাফিরের ও সাধারন মুসলিমের ক্ববর। আমাদের দেশে এটি ‘জান্নাতুল বাক্বী‘ নামে পরিচিত। কিন্তু আসলে এটি একটি ভুল কারণ, এটির আসল নাম হচ্ছে বাক্বী‘উল গারক্বাদ। জান্নাতুল বাক্বী‘ বলা ঠিক নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৪৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، الأَسَدِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُهُمْ إِذَا خَرَجُوا إِلَى الْمَقَابِرِ فَكَانَ قَائِلُهُمْ يَقُولُ – فِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ – السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ – وَفِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ – السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَلَاحِقُونَ أَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمْ الْعَافِيَةَ.
সুলায়মান ইবনু বুরায়দাহ্ (রহঃ) তাঁর পিতা [বুরায়দাহ্ ইবনু হুসায়ব ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাঁরা যখন ক্ববরস্থানে যেতেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে দু‘আ শিখিয়ে দিতেন। অতঃপর তাদের মধ্যে কোন ব্যাক্তি আবূ বকর-এর বর্ণনানুযায়ী বলত “আস্সালা-মু ‘আলা- আহ্লিদ দিয়া-র” (অর্থাৎ- ক্ববরবাসীদের প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।)। আর যুহায়র-এর বর্ণনায় আছে : “আস্সালা-মু ‘আলায়কুম আহ্লাদ্ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা ওয়া ইন্না- ইন্শা-আল্ল-হু লালা-হিকূনা আস্আলুল্ল-হা লানা- ওয়ালাকুমুল ‘আ-ফিয়াহ্” (অর্থাৎ- হে ক্ববরবাসী ঈমানদার মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি সালাম। আল্লাহ চাহে তো আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব। আমি আমাদের ও তোমাদের জন্য আল্লাহ্র নিকট নিরাপত্তার আবেদন জানাচ্ছি।)। (ই.ফা. ২১২৬, ই.সে. ২১২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৬. অধ্যায়ঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মাতার ক্ববর যিয়ারাতের জন্য আল্লাহর নিকট অনুমতি চাওয়া সম্পর্কে
২১৪৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، بْنُ مُعَاوِيَةَ عَنْ يَزِيدَ، – يَعْنِي ابْنَ كَيْسَانَ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي أَنْ أَسْتَغْفِرَ لأُمِّي فَلَمْ يَأْذَنْ لِي وَاسْتَأْذَنْتُهُ أَنْ أَزُورَ قَبْرَهَا فَأَذِنَ لِي ” .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি আমার প্রভুর নিকট আমার মায়ের জন্য ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করার অনুমতি চাইলে আমার প্রভু আমাকে অনুমতি দান করেননি। আর তাঁর ক্ববর যিয়ারাত করার অনুমতি চাইলে তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। (ই.ফা. ২১২৭, ই.সে. ২১৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৪৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ زَارَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَبْرَ أُمِّهِ فَبَكَى وَأَبْكَى مَنْ حَوْلَهُ فَقَالَ “ اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي أَنْ أَسْتَغْفِرَ لَهَا فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي أَنْ أَزُورَ قَبْرَهَا فَأُذِنَ لِي فَزُورُوا الْقُبُورَ فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الْمَوْتَ ” .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মায়ের ক্ববর যিয়ারত করতে গেলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁদলেন এবং আশেপাশের সবাইকে কাঁদালেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন আমি আমার প্রভুর নিকট মায়ের জন্য ইসতিগফারের অনুমতি চাইলাম। কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হল না। আমি তাঁর ক্ববর যিয়ারাত করার জন্য অনুমতি চাইলে আমাকে অনুমতি দেয়া হ’ল। অতএব তোমরা ক্ববর যিয়ারত কর। কেননা ক্ববর যিয়ারত তোমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (ই.ফা. ২১২৮, ই.সে. ২১৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৫০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَابْنِ نُمَيْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، – وَهُوَ ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ – عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلاَّ فِي سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الأَسْقِيَةِ كُلِّهَا وَلاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا ” . قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ .
ইবনু বুয়ায়দাহ্ (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি [বুরায়দাহ্ ইবনু হুসায়ব ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)] বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি তোমাদেরকে ক্ববর যিয়ারাত করতে নিষেধ করতাম। (এখন অনুমুতি দিচ্ছি) তোমরা ক্ববর যিয়ারাত করতে পার। আমি ইতোপূর্বে তিনদিনের বেশি কুরবানী গোশ্ত রাখার ব্যাপারে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম। এখন তোমাদের যতদিন ইচ্ছা রাখতে পার। এছাড়া আমি তোমাদেরকে পানির পাত্রে নাবীয তৈরি করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যে কোন পানির পাত্রে তা তৈরি করতে পার। তবে নেশার বস্তু (মাদকদ্রব্য) পান করো না। (ই.ফা. ২১২৯, ই.সে. ২১৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৫১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، أُرَاهُ عَنْ أَبِيهِ، – الشَّكُّ مِنْ أَبِي خَيْثَمَةَ – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح . وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح . وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلُّهُمْ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي سِنَانٍ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরায়দাহ্ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তারা সবাই এ হাদীস আবূ সিনান-এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ অর্থে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২১৩০, ই.সে. ২১৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৭. অধ্যায়ঃ
আত্মহত্যাকারীর জানাযার সলাত পরিত্যাগ প্রসঙ্গে
২১৫২
حَدَّثَنَا عَوْنُ بْنُ سَلاَّمٍ الْكُوفِيُّ، أَخْبَرَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ قَتَلَ نَفْسَهُ بِمَشَاقِصَ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ .
জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জনৈক ব্যাক্তির লাশ উপস্থিত করা হল। সে চেপ্টা তীরের আঘাতে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জানাযার সলাত আদায় করেননি। (ই.ফা. ২১৩১, ই.সে. ২১৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস