মুসলিম জানাযা সম্পর্কিত অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২০০৮ – ২০৯০

১. অধ্যায়ঃ

‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ বলে মাইয়্যিতকে ‘তালক্বীন’ দেয়া

২০০৮

وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ كِلاَهُمَا عَنْ بِشْرٍ، – قَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، – حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ عُمَارَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু ‘উমারাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা মুমূর্ষ ব্যক্তিকে “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”(আল্লাহ ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই) তাল্‌ক্বীন দাও (পড়াও)। (ই.ফা. ১৯৯২, ই.সে. ১৯৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০০৯

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، جَمِيعًا بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

কুতায়বাহ্ ইবনু সা‘ঈদ, আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ….. সুলায়মান ইবনু বিলাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সকলে ঐ সানাদে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৯৯৩, ই.সে. ২০০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০১০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، وَعُثْمَانُ، ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ ح وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমরা মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” (আল্লাহ ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই) তাল্‌ক্বীন করো। (ই.ফা. ১৯৯৪, ই.সে. ২০০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অধ্যায়ঃ

বিপদাপদের সময় যা বলতে হবে

২০১১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، – قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – أَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنِ ابْنِ، سَفِينَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ تُصِيبُهُ مُصِيبَةٌ فَيَقُولُ مَا أَمَرَهُ اللَّهُ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا ‏.‏ إِلاَّ أَخْلَفَ اللَّهُ لَهُ خَيْرًا مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ أَىُّ الْمُسْلِمِينَ خَيْرٌ مِنْ أَبِي سَلَمَةَ أَوَّلُ بَيْتٍ هَاجَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ثُمَّ إِنِّي قُلْتُهَا فَأَخْلَفَ اللَّهُ لِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَتْ أَرْسَلَ إِلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ يَخْطُبُنِي لَهُ فَقُلْتُ إِنَّ لِي بِنْتًا وَأَنَا غَيُورٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَمَّا ابْنَتُهَا فَنَدْعُو اللَّهَ أَنْ يُغْنِيَهَا عَنْهَا وَأَدْعُو اللَّهَ أَنْ يَذْهَبَ بِالْغَيْرَةِ ‏”‏ ‏.‏

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কোন মুসলিমের ওপর মুসীবাত আসলে যদি সে বলেঃ আল্লাহ যা হুকুম করেছেন- “ইন্না-লিল্লা-হি ওয়া ইন্না-ইলায়হি র-জি‘উন” (অর্থাৎ- আমরা আল্লাহরই জন্যে এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাব) বলে এবং এ দু‘আ পাঠ করে- “আল্ল-হুম্মা’ জুর্‌নী ফী মুসীবাতী ও আখলিফ লী খয়রাম্‌ মিনহা- ইল্লা- আখলাফাল্ল-হু লাহূ খয়রাম্‌ মিনহা-” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমাকে আমার মুসীবাতে সাওয়াব দান কর এবং এর বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান কর, তবে মহান আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করে থাকেন)।

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, এরপর যখন আবূ সালামাহ্‌ ইনতিকাল করেন, আমি মনে মনে ভাবলাম, কোন্‌ মুসলিম আবূ সালামাহ্‌ থেকে উত্তম? তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যিনি হিজরাত করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পৌছে গেছেন। এতদসত্বেও আমি এ দু‘আগুলো পাঠ করলাম। এরপর মহান আল্লাহ আবূ সালামার স্থলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মতো স্বামী দান করেছেন।

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, আমার নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিয়ের পয়গাম পৌঁছাবার উদ্দেশে হাত্বিব ইবনু আবূ বাল্‌তা‘আহ্‌ কে পাঠালেন। আমি বললাম, আমার একটা কন্যা আছে আর আমার জিদ বেশী। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তার কন্যা সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে দু‘আ করব যাতে তিনি তাকে তাঁর কন্যার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন। আর (তার সম্পর্কে) দু‘আ করব যেন আল্লাহ তার জিদ দূর করে দেন। (ই.ফা. ১৯৯৫, ই.সে. ২০০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০১২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ سَفِينَةَ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ سَلَمَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنْ عَبْدٍ تُصِيبُهُ مُصِيبَةٌ فَيَقُولُ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ أَجَرَهُ اللَّهُ فِي مُصِيبَتِهِ وَأَخْلَفَ لَهُ خَيْرًا مِنْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ كَمَا أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْلَفَ اللَّهُ لِي خَيْرًا مِنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কোন বান্দার ওপর মুসীবাত আসলে যদি সে বলে “ইন্না-লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলায়হি র-জিউন, আল্লা-হুম্মা’ জুরনী ফী মুসীবাতী ওয়া আখলিফ লী খয়রাম্‌ মিনহা-ইল্লা- আজারাহুল্ল-হু ফী মুসীবাতিহী ওয়া আখলা ফা লাহূ খয়রাম্‌ মিনহা-” (অর্থাৎ- আমরা আল্লাহর জন্যে এবং আমরা তাঁরই কাছে ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমাকে এ মুসীবাতের বিনিময় দান কর এবং এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান কর। তবে আল্লাহ তাকে তার মুসীবাতের বিনিময় দান করবেন এবং তাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করবেন।)। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, এরপর যখন আবূ সালামাহ্‌ ইনতিকাল করলেন, আমি ঐরূপ দু‘আ করলাম যেরূপ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করেছেন। অতঃপর মহান আল্লাহ আমাকে তাঁর চেয়েও উত্তম নি‘আমাত অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে স্বামীরূপে দান করলেন। (ই.ফা. ১৯৯৬, ই.সে. ২০০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০১৩

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ، – يَعْنِي ابْنَ كَثِيرٍ – عَنِ ابْنِ سَفِينَةَ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ وَزَادَ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ مَنْ خَيْرٌ مِنْ أَبِي سَلَمَةَ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ عَزَمَ اللَّهُ لِي فَقُلْتُهَا ‏.‏ قَالَتْ فَتَزَوَّجْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, ….. পরবর্তী বর্ণনা উসামাহ্‌-এর হাদীস সদৃশ। তবে এ কথাটুকু বাড়িয়েছেনঃ উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, এরপর যখন আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) ইনতিকাল করলেন, আমি মনে মনে বললামঃ আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ)-এর চেয়ে উত্তম মানুষ কে আছেন যিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিশিষ্ট সহাবী? অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাকে দৃঢ়তা দান করলেন এবং আমি ঐরূপ দু‘আ করলাম। উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, এরপর আমার বিয়ে হ’ল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে। (ই.ফা. ১৯৯৭, ই.সে. ২০০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অধ্যায়ঃ

রোগী ও মৃতের নিকট যা বলতে হয়

২০১৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا حَضَرْتُمُ الْمَرِيضَ أَوِ الْمَيِّتَ فَقُولُوا خَيْرًا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سَلَمَةَ قَدْ مَاتَ قَالَ ‏”‏ قُولِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَلَهُ وَأَعْقِبْنِي مِنْهُ عُقْبَى حَسَنَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ فَأَعْقَبَنِي اللَّهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ لِي مِنْهُ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم ‏.‏

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা পীড়িত ব্যক্তি অথবা মৃত ব্যক্তির নিকট হাজির হও তখন তার সম্পর্কে ভাল মন্তব্য কর। কেননা তোমরা যেরূপ বল তার ওপর মালাকগণ (ফেরেশতামন্ডলী) আমীন বলেন। উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, এরপর যখন আবূ সালামাহ্‌ ইনতিকাল করলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললাম। হে আল্লাহর রসূল! আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) ইনতিকাল করেছেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তুমি বল, হে আল্লাহ! আমাকে ও তাঁকে ক্ষমা কর এবং তাঁর পরে আমাকে উত্তম পরিণাম দান কর।” উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি তা বললাম। আল্লাহ আমাকে তার (আবূ সালামাহ্‌-এর) চেয়ে উত্তম প্রতিদান হিসেবে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দান করলেন। (ই.ফা. ১৯৯৮, ই.সে. ২০০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অধ্যায়ঃ

মাইয়্যিতের দৃষ্টি বন্ধ করা এবং মৃত্যু উপস্থিত হলে তার জন্য দু‘আ করা

২০১৫

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَبِي سَلَمَةَ وَقَدْ شَقَّ بَصَرُهُ فَأَغْمَضَهُ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِنَّ الرُّوحَ إِذَا قُبِضَ تَبِعَهُ الْبَصَرُ ‏”‏ ‏.‏ فَضَجَّ نَاسٌ مِنْ أَهْلِهِ فَقَالَ ‏”‏ لاَ تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِلاَّ بِخَيْرٍ فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأَبِي سَلَمَةَ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ ‏.‏ وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ সালামাহ্‌কে দেখতে এলেন, তখন চোখ খোলা ছিল। তিনি তার চোখ বন্ধ করে দিলেন এবং বললেন, যখন রূহ্‌ ক্ববয করা হয়, তখন চোখ তার অনুসরণ করে। আবূ সালামাহ্‌-এর পরিবারের লোকেরা কান্না শুরু করে দিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা তোমাদের নিজেদের ব্যাপারে ভাল কথা ছাড়া কোন খারাপ কিছু বলাবলি করো না। কেননা, তোমরা যা কিছু বল তার স্বপক্ষে মালায়িকাহ্‌ ‘আমীন’ বলে থাকে। এরপর তিনি এভাবে দু‘আ করলেন, “হে আল্লাহ! আবূ সালামাহ্‌-কে ক্ষমা কর এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তাঁর মর্যাদাকে উঁচু করে দাও, তুমি তাঁর বংশধরদের অভিভাবক হয়ে যাও। হে রব্বুল ‘আলামীন! তাকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। তার ক্ববরকে প্রশস্ত কর এবং তা জ্যোতির্ময় করে দাও।” (ই.ফা. ১৯৯৯, ই.সে. ২০০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০১৬

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ مُعَاذِ بْنِ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ وَاخْلُفْهُ فِي تَرِكَتِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ أَوْسِعْ لَهُ فِي قَبْرِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلِ ‏”‏ افْسَحْ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَزَادَ قَالَ خَالِدٌ الْحَذَّاءُ وَدَعْوَةٌ أُخْرَى سَابِعَةٌ نَسِيتُهَا ‏.‏

খালিদ আল হায্‌যা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ব্যতিক্রম এই যে, এ সূত্রে বলেছেন, “তাঁর পরিবার পরিজনদের অভিভাবক হও।” এছাড়া বলেছেন, ‘তার ক্ববরকে প্রশস্ত করে দাও’ কিন্তু “আফসিহ” শব্দটি এ বর্ণনায় নেই। খালিদ আল হায্যা এ কথাটুকুও বর্ণনা করেছেন, সপ্তম অন্য আরেকটি দু‘আ আছে যা আমি ভুলে গেছি। (ই.ফা. ২০০০, ই.সে. ২০০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অধ্যায়ঃ

(রূহ ক্ববয হওয়ার পর) রূহের দিকে মাইয়্যিতের অপলক দৃষ্টিতে তাকানো

২০১৭

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ، يَعْقُوبَ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلَمْ تَرَوُا الإِنْسَانَ إِذَا مَاتَ شَخَصَ بَصَرُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَذَلِكَ حِينَ يَتْبَعُ بَصَرُهُ نَفْسَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা কি দেখ না, মানুষ যখন মারা যায় তার চোখ খোলা থেকে যায়? লোকেরা বলল, হ্যাঁ দেখেছি। তিনি বলেনঃ যখন তার চোখ তার রূহকে অনুসরণ করে তখন এ অবস্থা হয়। (ই.ফা. ২০০১, ই.সে. ২০০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০১৮

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنِ الْعَلاَءِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

‘আলা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০০২, ই.সে. ২০০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অধ্যায়ঃ

মৃতের নিকট কাঁদা

২০১৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ، عُيَيْنَةَ – قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، – عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ لَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ غَرِيبٌ وَفِي أَرْضِ غُرْبَةٍ لأَبْكِيَنَّهُ بُكَاءً يُتَحَدَّثُ عَنْهُ ‏.‏ فَكُنْتُ قَدْ تَهَيَّأْتُ لِلْبُكَاءِ عَلَيْهِ إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الصَّعِيدِ تُرِيدُ أَنْ تُسْعِدَنِي فَاسْتَقْبَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏ “‏ أَتُرِيدِينَ أَنْ تُدْخِلِي الشَّيْطَانَ بَيْتًا أَخْرَجَهُ اللَّهُ مِنْهُ ‏”‏ ‏.‏ مَرَّتَيْنِ فَكَفَفْتُ عَنِ الْبُكَاءِ فَلَمْ أَبْكِ ‏.‏

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) ইনতিকাল করলেন আমি (আক্ষেপ করলাম) বললাম, আহ! নির্বাসিত ব্যক্তি! আহ! বিদেশ ভূমিতে মারা গেল! আমি তাঁর জন্য এমনভাবে (বুক ফাটিয়ে) কান্নাকাটি করব যা মানুষের মাঝে চর্চা হতে থাকবে। আমি কান্নার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, এমন সময় একজন মহিলা আমাকে সঙ্গ দেয়ার মনোভাব নিয়ে মাদীনায় উঁচু এলাকা থেকে আসলেন এমন সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সামনে এগিয়ে এসে বললেনঃ আরে! তুমি কি শাইত্বনকে ঐ ঘরে ঢুকাতে চাচ্ছ যেখান থেকে মহান আল্লাহ তাকে দু’বার তাড়িয়ে দিয়েছেন? (উম্মু সালামাহ্‌ বলেন) এ কথা শুনামাত্র আমি কান্না বন্ধ করলাম এবং আর কাঁদলাম না। (ই.ফা. ২০০৩, ই.সে. ২০১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২০

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ إِحْدَى بَنَاتِهِ تَدْعُوهُ وَتُخْبِرُهُ أَنَّ صَبِيًّا لَهَا – أَوِ ابْنًا لَهَا – فِي الْمَوْتِ فَقَالَ لِلرَّسُولِ ‏”‏ ارْجِعْ إِلَيْهَا فَأَخْبِرْهَا إِنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ وَلَهُ مَا أَعْطَى وَكُلُّ شَىْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمًّى فَمُرْهَا فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ ‏”‏ فَعَادَ الرَّسُولُ فَقَالَ إِنَّهَا قَدْ أَقْسَمَتْ لَتَأْتِيَنَّهَا ‏.‏ قَالَ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَامَ مَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُمْ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الصَّبِيُّ وَنَفْسُهُ تَقَعْقَعُ كَأَنَّهَا فِي شَنَّةٍ فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ مَا هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ هَذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللَّهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ ‏”‏ ‏.‏

উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে ছিলাম। এমন সময় তাঁর এক কন্যা তাঁর কাছে সংবাদ পাঠালেন যে, তাঁর একটা শিশু অথবা ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায় আছে, তিনি যেন এখানে আসেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংবাদ বাহককে বললেন, তুমি গিয়ে তাকে বল, আল্লাহ যা নিয়ে গেছেন তা তাঁরই আর যা দান করেছেন তাও তাঁরই। আর প্রত্যেক বস্তুর জন্য তাঁর কাছে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে। তাকে বলে দাও যেন সে সবর করে এবং আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করে। সংবাদদাতা ফিরে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! তিনি আল্লাহর কসম দিয়ে বলেছেন, যাতে আপনি একটু আসেন। উসামাহ্‌ (রাঃ) বলেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে রওয়ানা হলেন। সা‘দ ইবনু উবাদাহ্‌ (রাঃ) ও মু‘আয্‌ ইবনু জাবাল (রাঃ) তার সাথে গেলেন আমিও তাদের সাথে গেলাম। সেখানে পৌছলে শিশুটিকে তাঁর কাছে উঠিয়ে আনা হল। বাচ্চাটির রূহ এমনভাবে ধড়ফড় করছে যেন পুরাতন মশকের মধ্যে ঝনঝন শব্দ হচ্ছে। এ করুণ অবস্থা দেখে তাঁর চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। সা‘দ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, একি হে আল্লাহর রসূল? তিনি উত্তরে বললেন, এ হচ্ছে দয়া, যা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের অন্তঃকরণে সৃষ্টি করে রেখেছেন। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে দয়ালু ও স্নেহপরায়ণদের প্রতি দয়া করেন। (ই.ফা. ২০০৪, ই.সে. ২০১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২১

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، جَمِيعًا عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ حَمَّادٍ أَتَمُّ وَأَطْوَلُ ‏.‏

মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র, আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ….. সকলেই ‘আসিম আল আহ্ওয়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে হাম্মাদের বর্ণিত হাদীসটি অপেক্ষাকৃত পূর্ণাঙ্গ ও লম্বা। (ই.ফা. ২০০৫, ই.সে. ২০১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২২

حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّدَفِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ اشْتَكَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ شَكْوَى لَهُ فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ وَجَدَهُ فِي غَشِيَّةٍ فَقَالَ ‏”‏ أَقَدْ قَضَى ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَبَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى الْقَوْمُ بُكَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَكَوْا فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ تَسْمَعُونَ إِنَّ اللَّهَ لاَ يُعَذِّبُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ وَلاَ بِحُزْنِ الْقَلْبِ وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا – وَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ – أَوْ يَرْحَمُ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ্‌ (রাঃ) কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ , সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে তাকে দেখতে গেলেন। তিনি সেখানে পৌছে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, অবস্থা কি শেষ? লোকেরা বলল, না হে আল্লাহর রসূল! অবস্থা দেখে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁদতে লাগলেন। উপস্থিত লোকেরা তাঁর কান্না দেখে কাঁদতে শুরু করল। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কি শোননি যে, আল্লাহ তা‘আলা চোখের অশ্রুর কারণে ও হৃদয়ের অস্থিরতার জন্যে বান্দাকে শাস্তি দিবেন না? বরং তিনি এ কারণে ‘আযাব করবেন বা করুণা প্রদর্শন করবেন, তিনি জিহ্ববার দিকে ইঙ্গিত করলেন। (ই.ফা. ২০০৬, ই.সে. ২০১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অধ্যায়ঃ

রোগীকে দেখতে যাওয়া

২০২৩

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عُمَارَةَ، – يَعْنِي ابْنَ غَزِيَّةَ – عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْمُعَلَّى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَدْبَرَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا أَخَا الأَنْصَارِ كَيْفَ أَخِي سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ صَالِحٌ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ يَعُودُهُ مِنْكُمْ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ وَقُمْنَا مَعَهُ وَنَحْنُ بِضْعَةَ عَشَرَ مَا عَلَيْنَا نِعَالٌ وَلاَ خِفَافٌ وَلاَ قَلاَنِسُ وَلاَ قُمُصٌ نَمْشِي فِي تِلْكَ السِّبَاخِ حَتَّى جِئْنَاهُ فَاسْتَأْخَرَ قَوْمُهُ مِنْ حَوْلِهِ حَتَّى دَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ الَّذِينَ مَعَهُ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বসা ছিলাম। এমন সময় আনসারদের জনৈক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে তাঁকে সালাম করল। অতঃপর সে ফিরে যাচ্ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আনসারদের ভাই! আমার ভাই সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ্‌ কেমন আছে? সে বলল, ভাল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে কে তাঁকে দেখতে যাবে? এই বলে তিনি উঠলেন। আমরাও তাঁর সাথে উঠে রওয়ানা হলাম। আমাদের সংখ্যা দশের অধিক ছিল। আমাদের পায়ে জুতা-মোজাও ছিল না। গায়ে জামাও ছিল না। মাথায় টুপিও ছিল না। আমরা পায়ে হেঁটে কঙ্করময় পথ অতিক্রম করে সেখানে গিয়ে পৌছলাম। তার পাশে উপস্থিত লোকেরা সরে গেল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাথী সাহাবীগণ সা‘দ এর কাছে গেলেন। (ই.ফা. ২০০৭, ই.সে. ২০১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অধ্যায়ঃ

প্রথম আঘাতেই ধৈর্যধারণ হচ্ছে প্রকৃত ধৈর্যধারণ

২০২৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الصَّبْرُ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الأُولَى ‏”‏ ‏.‏

সাবিত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রথম আঘাতেই ধৈর্য ধারণ করা হচ্ছে প্রকৃত ধৈর্য। (ই.ফা. ২০০৮, ই.সে. ২০১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى عَلَى امْرَأَةٍ تَبْكِي عَلَى صَبِيٍّ لَهَا فَقَالَ لَهَا ‏”‏ اتَّقِي اللَّهَ وَاصْبِرِي ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ وَمَا تُبَالِي بِمُصِيبَتِي ‏.‏ فَلَمَّا ذَهَبَ قِيلَ لَهَا إِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأَخَذَهَا مِثْلُ الْمَوْتِ فَأَتَتْ بَابَهُ فَلَمْ تَجِدْ عَلَى بَابِهِ بَوَّابِينَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَعْرِفْكَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّمَا الصَّبْرُ عِنْدَ أَوَّلِ صَدْمَةٍ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ عِنْدَ أَوَّلِ الصَّدْمَةِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তার পুত্রের মৃত্যু শোকে কাঁদছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর। স্ত্রীলোকটি বলল, আপনি তো আমার মতো মুসীবাতে পড়েননি। যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলে গেলেন, কেউ তাকে বলল, ইনিই তো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। এ কথা শুনে মহিলার অবস্থা মৃতবৎ হয়ে গেল। সে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দরজায় এসে দেখল তাঁর দরজায় কোন দ্বাররক্ষী নেই। সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, প্রকৃত সবর হচ্ছে প্রথম আঘাতের সময় ধৈর্য ধারণ করা অথবা বলেছেন, বিপদের প্রথম লগ্নে। (ই.ফা. ২০০৯, ই.সে. ২০১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২৬

وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، ح وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ عُثْمَانَ بْنِ عُمَرَ بِقِصَّتِهِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِامْرَأَةٍ عِنْدَ قَبْرٍ ‏.‏

ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাবীব আল হারিসী, ‘উক্ববাহ্ ইবনু মুকরিম আল ‘আম্মী, আহমাদ ইবনু ইব্রাহীম আদ দাওরাক্বী (রহঃ) …. সকলে শু‘বাহ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ

‘উসমান ইবনু ‘উমার (রহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। ‘আবদুস সামাদ-এর হাদীসে আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্ববরের নিকট ক্রন্দনরত এক মহিলার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। (ই.ফা. ২০১০, ই.সে. ২০১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অধ্যায়ঃ

মাইয়্যিতের পরিজনের কান্নাকাটির দরুন মাইয়্যিতকে ক্ববরে শাস্তি দেয়া হয়

২০২৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ بِشْرٍ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ حَفْصَةَ، بَكَتْ عَلَى عُمَرَ فَقَالَ مَهْلاً يَا بُنَيَّةُ أَلَمْ تَعْلَمِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হাফ্‌সাহ্‌ (রাঃ) ‘উমারের জন্য (ঘাতক কর্তৃক আহত হলে) কাঁদছিলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে স্নেহের কন্যা! তুমি কি জান না রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে তার স্বজনদের কান্নাকাটির দরুন শাস্তি দেয়া হয়। (ই.ফা. ২০১১, ই.সে. ২০১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.

‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার প্রতি অধিক কান্নাকাটি করার দরুন ক্ববরে ‘আযাব দেয়া হয়। (ই.ফা. ২০১২, ই.সে. ২০১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০২৯

وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ، بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.

‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার প্রতি অধিক কান্নাকাটি করার দরুন ক্ববরে ‘আযাব দেয়া হয়। (ই.ফা. নেই, ই.সে. নেই)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩০

وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي، صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ لَمَّا طُعِنَ عُمَرُ أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَصِيحَ عَلَيْهِ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ أَمَا عَلِمْتُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ ‏”‏ ‏.‏

আলী ইবনু হুজ্‌র আস্‌ সা‘দী (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন ‘উমার (রাঃ) (আততায়ীর আঘাতে) আহত হন এবং সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। লোকেরা চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করল। যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে এল, তিনি বললেন, তোমরা কি জান না রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে জীবিতদের কান্নার দরুন শাস্তি দেয়া হয়? (ই.ফা. ২০১৩, ই.সে. ২০২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩১

حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ جَعَلَ صُهَيْبٌ يَقُولُ وَاأَخَاهْ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ يَا صُهَيْبُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ক্বায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন ‘উমার (রাঃ) গুরুতরভাবে আহত হন, সুহায়ব (রাঃ) আক্ষেপ করে বলতে লাগলেন, আহ! ভাই ‘উমার! ‘উমার (রাঃ)তাঁকে বললেন, হে সুহায়ব! তোমার কি মনে নেই, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে জীবিতদের কান্নাকাটির দরুন শাস্তি দেয়া হয়? (ই.ফা. ২০১৪, ই.সে. ২০২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩২

وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ صَفْوَانَ أَبُو يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ، عُمَيْرٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ لَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ أَقْبَلَ صُهَيْبٌ مِنْ مَنْزِلِهِ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عُمَرَ فَقَامَ بِحِيَالِهِ يَبْكِي فَقَالَ عُمَرُ عَلاَمَ تَبْكِي أَعَلَىَّ تَبْكِي قَالَ إِي وَاللَّهِ لَعَلَيْكَ أَبْكِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ يُبْكَى عَلَيْهِ يُعَذَّبُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِمُوسَى بْنِ طَلْحَةَ فَقَالَ كَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ إِنَّمَا كَانَ أُولَئِكَ الْيَهُودَ ‏.

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন ‘উমার (রাঃ) গুরুতরভাবে আহত হন, সুহায়ব (রাঃ) তাঁর গৃহ থেকে রওয়ানা হয়ে ‘উমারের কাছে এলেন এবং তার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগলেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেন কাঁদছ, আমার জন্য কাঁদছ? তিনি বললেন, কসম আল্লাহর! হে আমীরুল মু‘মিনীন! হ্যাঁ, আপনার জন্যই কাঁদছি। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর ক্বসম! তুমি তো অবশ্যই জান রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার জন্য কান্নাকাটি করা হবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। (ই.ফা. ২০১৫, ই.সে. ২০২২)

তিনি [আবূ মূসা (রাঃ)] বলেন, এরপর আমি এ কথাটি মূসা ইবনু ত্বলহার কাছে বললাম। তিনি বললেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলতেন, যাদের ‘আযাবের কথা বলা হয়েছে, তারা ছিল ইয়াহূদী সম্প্রদায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩৩

وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، لَمَّا طُعِنَ عَوَّلَتْ عَلَيْهِ حَفْصَةُ فَقَالَ يَا حَفْصَةُ أَمَا سَمِعْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ الْمُعَوَّلُ عَلَيْهِ يُعَذَّبُ ‏”‏ ‏.‏ وَعَوَّلَ عَلَيْهِ صُهَيْبٌ فَقَالَ عُمَرُ يَا صُهَيْبُ أَمَا عَلِمْتَ ‏”‏ أَنَّ الْمُعَوَّلَ عَلَيْهِ يُعَذَّبُ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) যখন আহত হলেন, হাফ্‌সাহ্‌ (রাঃ) সশব্দে কাঁদতে লাগলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, ওগো হাফ্‌সাহ্‌! তুমি কি শোননি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যার জন্য উচ্চৈঃস্বরে ক্রন্দন করা হয় তাকে শাস্তি দেয়া হবে? তাঁর প্রতি সুহায়ব (রাঃ)-ও কাঁদতে থাকলে ‘উমার (রাঃ) তাকেও বললেন, হে সুহায়ব! তুমি কি জান না যার জন্য চিৎকার করে কান্নাকাটি করা হয় তাকে ‘আযাব দেয়া হবে? (ই.ফা. ২০১৬, ই.সে. ২০২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩৪

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا إِلَى جَنْبِ ابْنِ عُمَرَ وَنَحْنُ نَنْتَظِرُ جَنَازَةَ أُمِّ أَبَانٍ بِنْتِ عُثْمَانَ وَعِنْدَهُ عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ فَجَاءَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُودُهُ قَائِدٌ فَأُرَاهُ أَخْبَرَهُ بِمَكَانِ ابْنِ عُمَرَ، فَجَاءَ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِي فَكُنْتُ بَيْنَهُمَا فَإِذَا صَوْتٌ مِنَ الدَّارِ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ – كَأَنَّهُ يَعْرِضُ عَلَى عَمْرٍو أَنْ يَقُومَ فَيَنْهَاهُمْ – سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَرْسَلَهَا عَبْدُ اللَّهِ مُرْسَلَةً

‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ মুলায়কাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর পাশে বসা ছিলাম এবং আমরা ‘উসমানের কন্যা উম্মু আবান-এর জানাযাহ্‌ পড়ার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। আর তাঁর (ইবনু ‘উমার) নিকটেই ছিল ‘আম্‌র ইবনু ‘উসমান (রাঃ)। এমন সময় ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আসলেন, তাঁকে একজন পথ নির্দেশনাকারী হাতে ধরে নিয়ে আসছে। আমার ধারণা সে তাঁকে ইবনু ‘উমারের উপস্থিতি সম্পর্কে সংবাদ দিয়েছে। তিনি এসে আমার পাশে বসলেন। আমি উভয়ের মাঝখানে ছিলাম। হঠাৎ ঘর থেকে একটা (কান্নার) আওয়াজ শুনা গেল। তখন ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, মনে হয় তিনি ‘আম্‌রের প্রতি ইঙ্গিত করছিলেন যেন তিনি উঠে তাদেরকে (কান্না থেকে) বিরত রাখেন-আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবার-পরিজনের কান্নার দরুন শাস্তি দেয়া হয়। বর্ণনাকারী বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) এ কথাটা সাধারণভাবে বলেই ছেড়ে দিলেন। (ই.ফা. ২০১৭, ই.সে. ২০২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩৫

فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كُنَّا مَعَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ إِذَا هُوَ بِرَجُلٍ نَازِلٍ فِي شَجَرَةٍ فَقَالَ لِيَ اذْهَبْ فَاعْلَمْ لِي مَنْ ذَاكَ الرَّجُلُ ‏.‏ فَذَهَبْتُ فَإِذَا هُوَ صُهَيْبٌ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ إِنَّكَ أَمَرْتَنِي أَنْ أَعْلَمَ لَكَ مَنْ ذَاكَ وَإِنَّهُ صُهَيْبٌ ‏.‏ قَالَ مُرْهُ فَلْيَلْحَقْ بِنَا ‏.‏ فَقُلْتُ إِنَّ مَعَهُ أَهْلَهُ ‏.‏ قَالَ وَإِنْ كَانَ مَعَهُ أَهْلُهُ – وَرُبَّمَا قَالَ أَيُّوبُ مُرْهُ فَلْيَلْحَقْ بِنَا – فَلَمَّا قَدِمْنَا لَمْ يَلْبَثْ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ أُصِيبَ فَجَاءَ صُهَيْبٌ يَقُولُ وَاأَخَاهْ وَاصَاحِبَاهْ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ أَلَمْ تَعْلَمْ أَوْ لَمْ تَسْمَعْ – قَالَ أَيُّوبُ أَوْ قَالَ أَوَلَمْ تَعْلَمْ أَوَلَمْ تَسْمَعْ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ فَأَرْسَلَهَا مُرْسَلَةً وَأَمَّا عُمَرُ فَقَالَ بِبَعْضٍ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা একবার আমীরুল মু’মিনীন ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব-এর সাথে ছিলাম। যখন আমরা ‘বায়দা’ নামক স্থানে পৌছলাম, হঠাৎ জনৈক ব্যক্তিকে একটা গাছের ছায়ায় অবস্থানরত দেখলাম। ‘উমার (রাঃ) আমাকে বললেন, এগিয়ে যাও তো! গিয়ে দেখ আমাকে জানাও ঐ ব্যক্তি কে? আমি গিয়ে দেখলাম তিনি সুহায়ব (রাঃ)। আমি ফিরে এসে বললাম, আপনি আমাকে আদেশ করেছেন, ঐ ব্যক্তির পরিচয় জেনে আপনাকে জানাতে। তিনি হচ্ছেন, সুহায়ব (রাঃ)। পুণরায় তিনি আমাকে বললেন, তাঁকে আমাদের সাথে মিলিত হতে বল। আমি বললাম, তার সাথে তার পরিবারবর্গ রয়েছে। তিনি বললেন, তার সাথে পরিবারবর্গ থাকলে তাতে কি আছে। কখনও আইয়ূব বলেছেন- “তাকে বল- সে যেন আমাদের নিকট আসে।” এরপর যখন আমরা মাদীনায় পৌছলাম, অল্প সময়ের মধ্যেই আমীরুল মু’মিনীন ‘উমার (রাঃ) আহত হলেন। সুহায়ব (রাঃ) তাঁকে দেখতে এসে দীর্ঘ-নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, আহ! ভাই ‘উমার! আহ! সঙ্গী ‘উমার! ‘উমার (রাঃ) শুনে বললেন, সুহায়ব! তুমি কি অবহিত নও, অথবা শোননি- (আইয়ুব) বলেছেনঃ অথবা বলেছেন, “তুমি কি জান না, তুমি কি শোন না।” রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবার-পরিজনের কান্নার দরুন শাস্তি দেয়া হয়।

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, তিনি এ কথাটা সাধারণভাবে বলেছিলেন। কিন্তু ‘উমার (রাঃ) “কোন কোন লোকের” শব্দ উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ২০১৭, ই.সে. ২০২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩৬

فَقُمْتُ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَحَدَّثْتُهَا بِمَا، قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَقَالَتْ لاَ وَاللَّهِ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَطُّ ‏”‏ إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَحَدٍ ‏”‏ ‏.‏ وَلَكِنَّهُ قَالَ ‏”‏ إِنَّ الْكَافِرَ يَزِيدُهُ اللَّهُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَذَابًا وَإِنَّ اللَّهَ لَهُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَيُّوبُ قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ لَمَّا بَلَغَ عَائِشَةَ قَوْلُ عُمَرَ وَابْنِ عُمَرَ قَالَتْ إِنَّكُمْ لَتُحَدِّثُونِّي عَنْ غَيْرِ كَاذِبَيْنِ وَلاَ مُكَذَّبَيْنِ وَلَكِنَّ السَّمْعَ يُخْطِئُ ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অতঃপর আমি উঠে গিয়ে ‘আয়িশা (রাঃ) এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর উক্তি সম্পর্কে জানালে তিনি বললেনঃ না, আল্লাহর কসম! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও এরূপ বলেননি যে, মৃত ব্যক্তিকে কারো কান্নার দরুন ‘আযাব দেয়া হবে বরং তিনি বলেছেন, কাফির ব্যক্তির ‘আযাব আল্লাহ তা‘আলা তার পরিবার-পরিজনের কান্নাকাটির দরুন আরও বাড়িয়ে দেন এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহই হাসান এবং কাঁদান। “আর কোন বহনকারীই অন্যের বোঝা বহন করবে না”- (সূরাহ আল ইসরা/ইসরাঈল ১৭:১৫)।

আইয়ূব (রহঃ) বলেন, ইবনু আবূ মূলায়কাহ্ বলেছেন, আমাকে ক্বাসিম ইবনু মুহাম্মাদ জানিয়েছেন, তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট যখন ‘উমার (রাঃ) ও ইবনু ‘উমার-এ বক্তব্য পৌছল তখন তিনি বললেন, তোমরা আমাকে এমন দু’ ব্যক্তির কথা শুনাচ্ছ, যারা মিথ্যাবাদী নন আর তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্নও করা যায় না। তবে কখনও শুনতে ভুল হয়ে যেতে পারে। (ই.ফা. ২০১৭, ই.সে. ২০২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ تُوُفِّيَتِ ابْنَةٌ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ بِمَكَّةَ قَالَ فَجِئْنَا لِنَشْهَدَهَا – قَالَ – فَحَضَرَهَا ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ وَإِنِّي لَجَالِسٌ بَيْنَهُمَا – قَالَ – جَلَسْتُ إِلَى أَحَدِهِمَا ثُمَّ جَاءَ الآخَرُ فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِي فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لِعَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ وَهُوَ مُوَاجِهُهُ أَلاَ تَنْهَى عَنِ الْبُكَاءِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ‏”

‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ মুলায়কাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাক্কায় ‘উমার ইবনু ‘আফ্‌ফান (রাঃ)-এর এক কন্যা ইনতিকাল করলে আমরা তার জানাযায় হাজির হওয়ার জন্য আসলাম। জানাযায় ইবনু ‘উমার (রাঃ) ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) উপস্থিত হলেন। বর্ণনাকারী ‘আবদুল্লাহ বলেন, আমি উভয়ের মাঝখানে বসে ছিলাম। অথবা তিনি বলেন, প্রথমে আমি একজনের পাশে বসে ছিলাম। অতঃপর অন্যজন এসে আমার পাশে বসে গেলেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার তার সামনে বসা ‘আম্‌র ইবনু ‘উসমানকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা কান্নাকাটি করা থেকে কেন বারণ করছ না? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবার-পরিজনের কান্নাকাটির দরুন শাস্তি দেয়া হয়। (ই.ফা. ২০১৮, ই.সে. ২০২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩৮

فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ كَانَ عُمَرُ يَقُولُ بَعْضَ ذَلِكَ ثُمَّ حَدَّثَ فَقَالَ صَدَرْتُ مَعَ عُمَرَ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ إِذَا هُوَ بِرَكْبٍ تَحْتَ ظِلِّ شَجَرَةٍ فَقَالَ اذْهَبْ فَانْظُرْ مَنْ هَؤُلاَءِ الرَّكْبُ فَنَظَرْتُ فَإِذَا هُوَ صُهَيْبٌ – قَالَ – فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ادْعُهُ لِي ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْتُ إِلَى صُهَيْبٍ فَقُلْتُ ارْتَحِلْ فَالْحَقْ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ‏.‏ فَلَمَّا أَنْ أُصِيبَ عُمَرُ دَخَلَ صُهَيْبٌ يَبْكِي يَقُولُ وَاأَخَاهْ وَاصَاحِبَاهْ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ يَا صُهَيْبُ أَتَبْكِي عَلَىَّ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার (রাঃ) তো কোন কোন লোকের কথা বলতেন। অতঃপর তিনি হাদীস বর্ণনা করলেন এবং বললেন, আমি একবার ‘উমারের সাথে মাক্কাহ্ থেকে রওয়ানা হয়ে “বায়দা” নামক সমতল ভূমিতে পৌছলাম। দেখলাম, একটা গাছের ছায়ায় একদল আরোহী। তাদেরকে দেখে তিনি [‘উমার (রাঃ)] বললেন, গিয়ে দেখ তো, এর কারা? আমি গিয়ে দেখলাম তথায় সুহায়ব (রাঃ)। বর্ণনাকারী বলেন, আমি এসে তাঁকে (‘উমার) খবর দিলাম। তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে আন। আদেশ পেয়ে আমি সুহায়ব (রাঃ) এর নিকট ফিরে এসে বললাম চলুন, আমীরুল মু’মিনীনের সাথে সাক্ষাৎ করুন। এরপর যখন ‘উমার (রাঃ) আহত হন, সুহায়ব (রাঃ) তাঁকে দেখতে এসে কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, আহ! ভাই ‘উমার! আহ ! সঙ্গী ‘উমার! ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে সুহায়ব! আমার জন্য কাঁদছ? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কান্নাকাটির দরুন ‘আযাব দেয়া হয়। (ই.ফা. ২০১৮, ই.সে. ২০২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৩৯

فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ يَرْحَمُ اللَّهُ عُمَرَ لاَ وَاللَّهِ مَا حَدَّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ يُعَذِّبُ الْمُؤْمِنَ بِبُكَاءِ أَحَدٍ ‏”‏ ‏.‏ وَلَكِنْ قَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ يَزِيدُ الْكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ‏”‏ قَالَ وَقَالَتْ عَائِشَةُ حَسْبُكُمُ الْقُرْآنُ ‏{‏ وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى‏}‏ قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ عِنْدَ ذَلِكَ وَاللَّهُ أَضْحَكَ وَأَبْكَى ‏.‏ قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ فَوَاللَّهِ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ مِنْ شَىْءٍ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘উমার (রাঃ) ইনতিকাল করলে আমি অত্র হাদীসটি ‘আয়িশাহ (রাঃ) নিকট ব্যক্ত করলাম। তিনি বললেন, ‘উমার (রাযিঃ- কে আল্লাহ রহমাত করুন! কখনও না আল্লাহর কসম! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও এমন হাদীস ব্যক্ত করেননি যে, ঈমানদার ব্যক্তিকে কারো কান্নাকাটির দরুন শাস্তি দেয়া হবে। বরং তিনি বলেছেনঃ কাফির ব্যক্তির পরিবার-পরিজনের কান্নাকাটির দরুন আল্লাহ তা‘আলা তার আযাবকে আরো বাড়িয়ে দিবেন। এছাড়া ‘আয়িশা (রাঃ) আরও বলেছেন, তোমাদের জন্য আল্লাহর কুরআনই যথেষ্ট। কুরআনে ঘোষিত হয়েছে, “কোন ব্যক্তিই অন্যের পাপের বোঝা বহন করবে না।” বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, “এবং আল্লাহই হাসান, আল্লাহই কাঁদান।” ইবনু আবূ মুলায়কাহ্ বলেন, আল্লাহর ক্বসম! ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর ওপর আর কোন কথাই বলেননি। (ই.ফা. ২০১৮, ই.সে. ২০২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪০

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، كُنَّا فِي جَنَازَةِ أُمِّ أَبَانٍ بِنْتِ عُثْمَانَ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَلَمْ يَنُصَّ رَفْعَ الْحَدِيثِ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَمَا نَصَّهُ أَيُّوبُ وَابْنُ جُرَيْجٍ وَحَدِيثُهُمَا أَتَمُّ مِنْ حَدِيثِ عَمْرٍو ‏.

ইবনু আবূ মুলায়কাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা উম্মু আবান বিন্‌তু ‘উসমান (রাঃ)এর যামানায় উপস্থিত হলাম। অবশিষ্ট বর্ণনা উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে তিনি এ হাদীস ইবনু ‘উমার-এর সূত্রে সরাসরি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু আইয়ূব ও ইবনু জুরায়জ এটাকে মারফূ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের বর্ণনা আমর-এর বর্ণনার চেয়ে পূর্ণাঙ্গ। (ই.ফা. ২০১৯, ই.সে. ২০২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪১

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنَّحَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার বংশধরের কান্নাকাটির দরুন ‘আযাব দেয়া হয়। (ই.ফা. ২০২০, ই.সে. ২০২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪২

وَحَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، – قَالَ خَلَفٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ عَائِشَةَ قَوْلُ ابْنِ عُمَرَ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَتْ رَحِمَ اللَّهُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ سَمِعَ شَيْئًا فَلَمْ يَحْفَظْهُ إِنَّمَا مَرَّتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَنَازَةُ يَهُودِيٍّ وَهُمْ يَبْكُونَ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ أَنْتُمْ تَبْكُونَ وَإِنَّهُ لَيُعَذَّبُ ‏”‏ ‏.‏

‘উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে ইবনু ‘উমারের বক্তব্য “মৃত ব্যক্তিকে তার স্বজনদের কান্নাকাটির দরুন ‘আযাব দেয়া হয়” উল্লেখ করা হ’ল। তিনি বললেন, আল্লাহ আবূ ‘আবদুর রহমানের (ইবনু ‘উমার) প্রতি রহমাত করুন। তিনি একটা কথা শুনেছেন, তবে স্মরণ রাখতে পারেননি। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে দিয়ে এক ইয়াহূদীর জানাযাহ্ যাচ্ছিল। তখন তার আত্মীয় স্বজনরা কাঁদছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কাঁদছ? অথচ তাকে এজন্য ‘আযাব দেয়া হচ্ছে। (ই.ফা. ২০২১, ই.সে. ২০২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪৩

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ عَائِشَةَ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، يَرْفَعُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ وَهَلَ إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّهُ لَيُعَذَّبُ بِخَطِيئَتِهِ أَوْ بِذَنْبِهِ وَإِنَّ أَهْلَهُ لَيَبْكُونَ عَلَيْهِ الآنَ ‏”‏ ‏.‏ وَذَاكَ مِثْلُ قَوْلِهِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ عَلَى الْقَلِيبِ يَوْمَ بَدْرٍ وَفِيهِ قَتْلَى بَدْرٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ لَهُمْ مَا قَالَ ‏”‏ إِنَّهُمْ لَيَسْمَعُونَ مَا أَقُولُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَدْ وَهَلَ إِنَّمَا قَالَ ‏”‏ إِنَّهُمْ لَيَعْلَمُونَ أَنَّ مَا كُنْتُ أَقُولُ لَهُمْ حَقٌّ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَتْ ‏{‏ إِنَّكَ لاَ تُسْمِعُ الْمَوْتَى‏}‏ ‏{‏ وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ‏}‏ يَقُولُ حِينَ تَبَوَّءُوا مَقَاعِدَهُمْ مِنَ النَّارِ ‏.‏

হিশাম তার পিতা [‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রহঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট উল্লেখ করা হ’ল, ইবনু ‘উমার (রাঃ) সরাসরি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেন, “মৃত ব্যক্তিকে তার ক্ববরে তার স্বজনদের কান্নাকাটির দরুন শাস্তি দেয়া হয়।” তিনি বললেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) ভুলে গেছেন। আসলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে কথা বলেছেন তা হচ্ছে এই: মৃত ব্যক্তিকে তার পাপের দরুন ক্ববরে শাস্তি দেয়া হয়। আর তার পরিবার-পরিজনেরা তার জন্য কান্নাকাটি করছে। আর এটা হচ্ছে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাদ্রের একটা কূপের পাশে দাঁড়িয়ে যাতে বদরের দিন নিহত কাফিরদের লাশ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল- তাদেরকে সম্বোধন করে যেরূপ বলেছিলেন। তিনি তাদের সম্পর্কে বলেছিলেন, তারা অবশ্যই আমি যা কিছু বলছি তা শুনতে পাচ্ছে অথচ তিনি (ইবনু ‘উমার) এ কথার অর্থ ভুল বুঝেছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন তার সঠিক তাৎপর্য হচ্ছে এইঃ আমি যা কিছু তাদেরকে তাদের জীবদ্দশায় বলেছিলাম, তারা এখন ভালভাবে তা অনুধাবন করেছে যে, তা সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত ও সত্য। অতঃপর তিনি (‘আয়িশাহ্‌) এ দু’টি আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ “আপনি অবশ্যই মৃত ব্যক্তিদেরকে শুনাতে সক্ষম নন”- (সূরাহ্ আন্ নাম্ল ২৭:৭০; সূরাহ্ রুম ৩০:৫২) এবং “আপনি ক্ববরের অধিবাসীদেরকেও শুনাতে সক্ষম নন”- (সূরাহ্ ফা-ত্বির ৩৫:২২২)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথাটা তখন বলেছিলেন যখন তারা জাহান্নামে নিজ ঠিকানায় পৌছে গেছে। (ই.ফা. ২০২২, ই.সে. ২০২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪৪

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ وَحَدِيثُ أَبِي أُسَامَةَ أَتَمُّ ‏.

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সূত্রে আবূ উসামাহ্-এর হাদীসের সমর্থনে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ উসামাহ্ এর বর্ণিত হাদীসই পূর্ণাঙ্গ। (ই.ফা. ২০২৩, ই.সে. ২০৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪৫

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، سَمِعَتْ عَائِشَةَ، وَذُكِرَ، لَهَا أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَىِّ ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَغْفِرُ اللَّهُ لأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَكْذِبْ وَلَكِنَّهُ نَسِيَ أَوْ أَخْطَأَ إِنَّمَا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى يَهُودِيَّةٍ يُبْكَى عَلَيْهَا فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ عَلَيْهَا وَإِنَّهَا لَتُعَذَّبُ فِي قَبْرِهَا ‏”‏ ‏.‏

‘আমরাহ্ বিনতু ‘আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশা (রাঃ) এর কাছে শুনেছেন যখন তার কাছে উল্লেখ করা হ’ল যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে তার বংশধরদের কান্নাকাটির দরুন শাস্তি দেয়া হয়। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ আবূ ‘আবদুর রহমানকে (ইবনু ‘উমার) ক্ষমা করুন, কথাটা ঠিক নয়। তবে তিনি মিথ্যা বলেননি। বরং তিনি (প্রকৃত কথাটা) ভুলে গেছেন অথবা ভুল বুঝেছেন। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছেঃ একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ইয়াহূদী নারীর ক্ববরের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলেন তার জন্য কান্নাকাটি করা হচ্ছে। তিনি বললেন, তারা এর জন্য কান্নাকাটি করছে আর এ নারীকে তার ক্ববরে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। (ই.ফা. ২০২৪, ই.সে. ২০৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدٍ الطَّائِيِّ، وَمُحَمَّدِ، بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ أَوَّلُ مَنْ نِيحَ عَلَيْهِ بِالْكُوفَةِ قَرَظَةُ بْنُ كَعْبٍ فَقَالَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ نِيحَ عَلَيْهِ فَإِنَّهُ يُعَذَّبُ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏”‏ ‏.

‘আলী ইবনু রবী‘আহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সর্বপ্রথম যে ব্যক্তির প্রতি বিলাপ করা হয়েছে, সে হচ্ছে কুফা নগরীর ক্বারাযাহ্ ইবনু কা’ব। মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যার জন্য বিলাপ করে কান্না হয়, ক্বিয়ামাতের দিন তাকে এর জন্য ‘আযাব দেয়া হবে। (ই.ফা. ২০২৫, ই.সে. ২০৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪৭

وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ، الأَسْدِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ الأَسْدِيِّ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০২৬, ই.সে. ২০৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৪৮

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – يَعْنِي الْفَزَارِيَّ – حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، الطَّائِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০২৭, ই.সে. ২০৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অধ্যায়ঃ

বিলাপ করে কান্নাকাটি করার ব্যাপারে হুঁশিয়ারী

২০৪৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، ح وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، بْنُ مَنْصُورٍ – وَاللَّفْظُ لَهُ – أَخْبَرَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا أَبَانٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَنَّ زَيْدًا، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَلاَّمٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَالِكٍ الأَشْعَرِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ أَرْبَعٌ فِي أُمَّتِي مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ لاَ يَتْرُكُونَهُنَّ الْفَخْرُ فِي الأَحْسَابِ وَالطَّعْنُ فِي الأَنْسَابِ وَالاِسْتِسْقَاءُ بِالنُّجُومِ وَالنِّيَاحَةُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ النَّائِحَةُ إِذَا لَمْ تَتُبْ قَبْلَ مَوْتِهَا تُقَامُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَعَلَيْهَا سِرْبَالٌ مِنْ قَطِرَانٍ وَدِرْعٌ مِنْ جَرَبٍ ‏”‏ ‏.

আবূ মালিক আল আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে জাহিলী যুগের চারটি কু-প্রথা রয়ে গেছে যা লোকেরা পরিত্যাগ করতে চাইবে না। (১) বংশের গৌরব, (২) অন্যকে বংশের খোঁটা দেয়া, (৩) নক্ষত্রের মাধ্যমে বৃষ্টির জন্য প্রার্থণা করা, (৪) মৃতের জন্য বিলাপ করে কান্নাকাটি করা। তিনি আরও বলেন, বিলাপকারী যদি মৃত্যুর পূর্বে তাওবাহ্ না করে তাহলে ক্বিয়ামাতের দিন তাকে এভাবে উঠানো হবে যে, তার গায়ে আলকাতরার (চাদর) খসখসে চামড়ার ওড়না থাকবে। (ই.ফা. ২০২৮, ই.সে. ২০৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫০

وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ أَخْبَرَتْنِي عَمْرَةُ، أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ، تَقُولُ لَمَّا جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَتْلُ ابْنِ حَارِثَةَ وَجَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعْرَفُ فِيهِ الْحُزْنُ قَالَتْ وَأَنَا أَنْظُرُ مِنْ صَائِرِ الْبَابِ – شَقِّ الْبَابِ – فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ نِسَاءَ جَعْفَرٍ وَذَكَرَ بُكَاءَهُنَّ فَأَمَرَهُ أَنْ يَذْهَبَ فَيَنْهَاهُنَّ فَذَهَبَ فَأَتَاهُ فَذَكَرَ أَنَّهُنَّ لَمْ يُطِعْنَهُ فَأَمَرَهُ الثَّانِيَةَ أَنْ يَذْهَبَ فَيَنْهَاهُنَّ فَذَهَبَ ثُمَّ أَتَاهُ فَقَالَ وَاللَّهِ لَقَدْ غَلَبْنَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَتْ فَزَعَمَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ اذْهَبْ فَاحْثُ فِي أَفْوَاهِهِنَّ مِنَ التُّرَابِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ أَرْغَمَ اللَّهُ أَنْفَكَ وَاللَّهِ مَا تَفْعَلُ مَا أَمَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَا تَرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْعَنَاءِ ‏.

‘আমরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যায়দ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ) জা‘ফার ইবনু আবুত্ ত্বলিব (রাঃ) ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু রওয়াহাহ্ (রাঃ)-এর শাহাদাতের খবর পৌছল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিমর্ষচিত্তে বসে পড়লেন। তাঁর চেহারায় শোকের ছাপ ফুটে উঠল। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি দরজার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে তাদের লাশ দেখছিলাম। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! জা’ফার-এর স্ত্রীগণ অথবা তার পরিবারের মহিলারা কান্নাকাটি করছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে গিয়ে তাঁদেরকে কাঁদতে নিষেধ করার জন্য আদেশ করলেন। লোকটি গিয়ে ফিরে এসে জানাল যে, তারা তার কথা শুনছে না। তখন দ্বিতীয়বার তাকে আদেশ করলেন যেন গিয়ে তাদেরকে নিষেধ করে। লোকটি গিয়ে আবার ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রসূল! তারা আমাদের ওপর প্রাধান্য লাভ করেছে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয় এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এবার গিয়ে তাদের মুখে কিছু মাটি ঢেলে দাও। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, আল্লাহ তোমার নাককে ভূলুন্ঠিত করুক। আল্লাহর কসম! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাকে যে আদেশ করেছেন, তা তুমি পালন করছ না বা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিরক্ত করা থেকেও রেহাই দিচ্ছ না। (ই.ফা. ২০২৯, ই.সে. ২০৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫১

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمَا تَرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْعِيِّ ‏.

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্, আবুত্ ত্বহির, আহমাদ ইবনু ইব্রাহীম আদ্ দাওরাক্বী (রহঃ) ….. সকলেই ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ‘আবদুল আযীয (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে এরূপ বর্ণিত হয়েছেঃ তুমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে পরিশ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকছ না। (ই.ফা. ২০৩০, ই.সে. ২০৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫২

حَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ الْبَيْعَةِ أَلاَّ نَنُوحَ فَمَا وَفَتْ مِنَّا امْرَأَةٌ إِلاَّ خَمْسٌ أُمُّ سُلَيْمٍ وَأُمُّ الْعَلاَءِ وَابْنَةُ أَبِي سَبْرَةَ امْرَأَةُ مُعَاذٍ أَوِ ابْنَةُ أَبِي سَبْرَةَ وَامْرَأَةُ مُعَاذٍ .

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বায়‘আতের সঙ্গে এ ওয়া‘দাও নিয়েছেন যে, আমরা যেন মৃতের জন্যে বিলাপ করে কান্নাকাটি না করি। কিন্তু পরে মাত্র পাঁচজন মহিলা ছাড়া আমাদের কোন মহিলাই তা পালন করেনি। তাঁরা হচ্ছেন- উম্মু সুলায়ম, উম্মুল ‘আলা, আবূ সাবুরাহ্-এর কন্যা ও মু’আয -এর স্ত্রী প্রমুখ। (ই.ফা. ২০৩১, ই.সে. ২০৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَسْبَاطٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْبَيْعَةِ أَلاَّ تَنُحْنَ فَمَا وَفَتْ مِنَّا غَيْرُ خَمْسٍ مِنْهُنَّ أُمُّ سُلَيْمٍ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়‘আতের সময় আমাদের নিকট থেকে এ ওয়া‘দা নিয়েছেন- যেন আমরা বিলাপ করে কান্নাকাটি না করি। কিন্তু আমাদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা ব্যতীত আর কেউই এ ওয়া‘দা পালন করতে পারেনি। উম্মু সুলায়ম (রাঃ) এদের অন্যতম। (ই.ফা. ২০৩২, ই.সে. ২০৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، – قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ، – حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ، عَطِيَّةَ قَالَتْ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَنْ لاَ يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا‏}‏ ‏{‏ وَلاَ يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ‏}‏ قَالَتْ كَانَ مِنْهُ النِّيَاحَةُ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ آلَ فُلاَنٍ فَإِنَّهُمْ كَانُوا أَسْعَدُونِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلاَ بُدَّ لِي مِنْ أَنْ أُسْعِدَهُمْ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِلاَّ آلَ فُلاَنٍ ‏”‏ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হ’ল- “সে মহিলারা আপনার নিকট এ কথার ওপর বাইয়াত করছে যে, আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শারীক করবে না এবং কোন ভাল কাজে তারা নাফরমানী করবে না-(সূরাহ্ আল মুমতাহিনাহ্ ৬০:১২)।” উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ বলেন, মৃতের জন্য বিলাপ করে কান্নাও অন্তর্ভূক্ত ছিল। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তবে অমুকের পরিবার, তারা জাহিলী যুগে আমার সহায়তা করেছিল অতএব আমার ওপর তাদের সহায়তা করা জরুরী। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাকে অনুমতি দিয়ে) বললেন, আচ্ছা! অমুকের পরিবার ছাড়া। (ই.ফা. ২০৩৩, ই.সে. ২০৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১. অধ্যায়ঃ

জানাযার পিছনে যেতে নারীদের নিষেধ প্রসঙ্গে

২০৫৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ قَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ كُنَّا نُنْهَى عَنِ اتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَلَمْ يُعْزَمْ عَلَيْنَا ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদেরকে (মহিলাদেরকে) জানাযার অনুসরণ করতে (পিছনে যেতে) নিষেধ করা হত। কিন্তু আমাদেরকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হত না। (ই.ফা. ২০৩৪, ই.সে. ২০৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫৬

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنْ هِشَامٍ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ نُهِينَا عَنِ اتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ، وَلَمْ يُعْزَمْ عَلَيْنَا ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে জানাযায় অনুগমনে নিষেধ করা হয়েছে। তবে আমাদেরকে কঠোরতা আরোপ করা হয়নি। (ই.ফা. ২০৩৫, ই.সে. নেই)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অধ্যায়ঃ

মৃতকে গোসল করানো প্রসঙ্গে

২০৫৭

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ فَقَالَ ‏”‏ اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ فَقَالَ ‏”‏ أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ ‏”‏ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কন্যা (যায়নাব)-কে গোসল দেয়ার সময় তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন, “তাকে তিনবার, পাঁচবার অথবা প্রয়োজনবোধে এর চেয়ে অধিক বড়ইপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করাও এবং শেষে কিছুটা কর্পুর দিয়ে দাও।” তোমরা গোসল শেষ করলে আমাকে খবর দিও। আমরা গোসল শেষ করে তাঁকে খবর দিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিজ লুঙ্গি আমাদের কাছে দিয়ে বললেন, এ কাপড় তার গায়ে জড়িয়ে দাও। (ই.ফা. ২০৩৬, ই.সে. ২০৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫৮

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ مَشَطْنَاهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা তাঁর (যায়নাব) মাথার চুল আঁচড়িয়ে তিনভাগে ভাগ করে দিয়েছি। (ই.ফা. ২০৩৭, ই.সে. ২০৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৫৯

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ، بْنُ سَعِيدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، كُلُّهُمْ عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ تُوُفِّيَتْ إِحْدَى بَنَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ قَالَتْ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ مَالِكٍ قَالَتْ دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَتِ ابْنَتُهُ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন কন্যা ইনতিকাল করেন। ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্-এর বর্ণনায় আছে। উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কন্যাকে গোসল দেয়ার সময় তিনি আমাদের নিকট আসলেন। মালিক-এর হাদীসে এভাবে বর্ণিত হয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা ইনতিকাল করলে তিনি আমাদের কাছে আসলেন, অনুরূপ ইয়াযীদ ইবনু যুরা‘ই (রহঃ) এর হাদীস যা ….. উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০৩৮, ই.সে. ২০৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬০

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، ‏.‏ بِنَحْوِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ حَفْصَةُ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ وَجَعَلْنَا رَأْسَهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে কেবল ব্যতিক্রম এই যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনবার, পাঁচবার, সাতবার বা এর চেয়েও অধিকবার গোসল দেয়া যদি তোমরা প্রয়োজনবোধ কর তাই করবে। এরপর হাফসাহ (রাঃ) উম্মু আত্বিয়্যাহ সূত্রে বলেন, আমরা তার মাথার চুলকে তিন গোছায় ভাগ করে দিয়েছি। (ই.ফা. ২০৩৯, ই.সে. ২০৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، وَأَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، قَالَ وَقَالَتْ حَفْصَةُ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتِ اغْسِلْنَهَا وِتْرًا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا قَالَ وَقَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ مَشَطْنَاهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তাকে (যায়নাবকে) বেজোড় সংখ্যায় গোসল দাও তিনবার, পাঁচবার বা সাতবার। আর উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) বলেছেন, আমরা তার চুলকে তিন গোছায় বিভক্ত করে আঁচড়ে দিয়েছি। (ই.ফা. ২০৪০, ই.সে. ২০৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، – قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ أَبُو مُعَاوِيَةَ، – حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ لَمَّا مَاتَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اغْسِلْنَهَا وِتْرًا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا وَاجْعَلْنَ فِي الْخَامِسَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ فَإِذَا غَسَلْتُنَّهَا فَأَعْلِمْنَنِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَأَعْلَمْنَاهُ ‏.‏ فَأَعْطَانَا حِقْوَهُ وَقَالَ ‏”‏ أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ ‏”‏ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কন্যা যায়নাব (রাঃ) যখন ইনতিকাল করেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বললেন, তাকে বেজোড় সংখ্যায় গোসল দাও, তিনবার বা পাঁচবার। আর পঞ্চমবারের সাথে কর্পুর দাও অথবা বলেছেন কিছু কর্পুর দাও। গোসল শেষ করে আমাকে খবর দিও। উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) বলেন, গোসল শেষ করে আমরা তাঁকে খবর দিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে তাঁর লুঙ্গি দিয়ে বললেন, এটা কাফনের ভিতরে তার গায়ে জড়িয়ে দাও। (ই.ফা. ২০৪১, ই.সে. ২০৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬৩

وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ حَفْصَةَ، بِنْتِ سِيرِينَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَغْسِلُ إِحْدَى بَنَاتِهِ فَقَالَ ‏ “‏ اغْسِلْنَهَا وِتْرًا خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ ‏”‏ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِ أَيُّوبَ وَعَاصِمٍ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ قَالَتْ فَضَفَرْنَا شَعْرَهَا ثَلاَثَةَ أَثْلاَثٍ قَرْنَيْهَا وَنَاصِيَتَهَا ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসলেন। তখন আমরা তাঁর এক মৃত কন্যাকে গোসল দিচ্ছিলাম। তিনি বললেন, তাকে বেজোড় সংখ্যায় পাঁচবার বা তার চেয়ে অধিকবার গোসল দাও। অবশিষ্ট বর্ণনায় আইয়ূব ও ‘আসিম-এর বর্ণনার অনুরূপ। আর হাদীস বর্ণনাকালে উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) বললেন, এরপর আমরা তার চুলকে তিন গোছায় ভাগ করে দু’ কানের দু’ দিকে ও কপালের দিকে ঝুলিয়ে দিলাম। (ই.ফা. ২০৪২, ই.সে. ২০৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬৪

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَيْثُ أَمَرَهَا أَنْ تَغْسِلَ ابْنَتَهُ قَالَ لَهَا ‏ “‏ ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا ‏”‏ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাকে তাঁর (রসূলের) মৃত কন্যাকে গোসল দেয়ার আদেশ করলেন, তাকে বললেন, তার ডানদিক থেকে আরম্ভ কর এবং তার ওযূর অঙ্গগুলো আগে ধৌত করো। (ই.ফা. ২০৪৩. ই.সে. ২০৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، – عَنْ خَالِدٍ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُنَّ فِي غَسْلِ ابْنَتِهِ ‏ “‏ ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا ‏”‏ ‏.

উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কন্যার গোসল দেয়ার সময় তাদেরকে বলে দিলেনঃ তোমরা তার ডান দিক থেকে আরম্ভ কর এবং তাঁর ওযূর অঙ্গগুলো আগে ধুয়ে নাও। (ই.ফা. ২০৪৪, ই.সে. ২০৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩. অধ্যায়ঃ

মৃতকে কাফন পরানো

২০৬৬

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ خَبَّابِ بْنِ الأَرَتِّ، قَالَ هَاجَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَبِيلِ اللَّهِ نَبْتَغِي وَجْهَ اللَّهِ فَوَجَبَ أَجْرُنَا عَلَى اللَّهِ فَمِنَّا مَنْ مَضَى لَمْ يَأْكُلْ مِنْ أَجْرِهِ شَيْئًا مِنْهُمْ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ ‏.‏ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ فَلَمْ يُوجَدْ لَهُ شَىْءٌ يُكَفَّنُ فِيهِ إِلاَّ نَمِرَةٌ فَكُنَّا إِذَا وَضَعْنَاهَا عَلَى رَأْسِهِ خَرَجَتْ رِجْلاَهُ وَإِذَا وَضَعْنَاهَا عَلَى رِجْلَيْهِ خَرَجَ رَأْسُهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ضَعُوهَا مِمَّا يَلِي رَأْسَهُ وَاجْعَلُوا عَلَى رِجْلَيْهِ الإِذْخِرَ ‏”‏ ‏.‏ وَمِنَّا مَنْ أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ فَهُوَ يَهْدِبُهَا ‏.

খাব্বাব ইবনুল আরাত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে হিজরাত করলাম। অতএব, আল্লাহর কাছে আমাদের পুরস্কার পাওয়া অনিবার্য হয়েছে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ এভাবে দুন্‌ইয়া থেকে চলে গেলেন যে, তাঁর পুরস্কারের কোন কিছুই তিনি ভোগ করেননি। মুস‘আব ইবনু ‘উমায়র (রাঃ) তাদের অন্যতম। তিনি উহুদ যুদ্ধের দিন শাহাদাত বরণ করেন। তাঁকে কাফন দেয়ার মতো একটি চাদর ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। আমরা যখন তা দিয়ে তাঁর মাথা ঢাকলাম পা বেরিয়ে আসল। আর যখন পায়ের উপর রাখলাম, মাথা বেরিয়ে আসল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ“তোমরা চাদরটি এভাবে পরাও যাতে তা মাথা জড়িয়ে থাকে আর তাঁর পা ‘ইযখির নামক (এক প্রকার) শুকনো ঘাস দিয়ে ঢেকে দাও”। এছাড়া আমাদের মধ্যে কারো কারো ফল পেকে গেছে, যা তারা আহরণ করছে। (ই.ফা. ২০৪৫, ই.সে. ২০৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬৭

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ ‏.

‘আমাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২০৪৬, ই.সে. ২০৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، – عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُفِّنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ بِيضٍ سَحُولِيَّةٍ مِنْ كُرْسُفٍ لَيْسَ فِيهَا قَمِيصٌ وَلاَ عِمَامَةٌ أَمَّا الْحُلَّةُ فَإِنَّمَا شُبِّهَ عَلَى النَّاسِ فِيهَا أَنَّهَا اشْتُرِيَتْ لَهُ لِيُكَفَّنَ فِيهَا فَتُرِكَتِ الْحُلَّةُ وَكُفِّنَ فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ بِيضٍ سَحُولِيَّةٍ فَأَخَذَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ لأَحْبِسَنَّهَا حَتَّى أُكَفِّنَ فِيهَا نَفْسِي ثُمَّ قَالَ لَوْ رَضِيَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ لَكَفَّنَهُ فِيهَا ‏.‏ فَبَاعَهَا وَتَصَدَّقَ بِثَمَنِهَا ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (সিরিয়ার) সাহূল নগরীর তৈরি তিন কাপড় দ্বারা কাফন দেয়া হয়। তন্মধ্যে জামা ও পাগড়ী ছিল না। (তাঁর নিকট সংরক্ষিত) ‘জোড়া কাপড়’ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে দ্বিধা-দন্দ্ব ছিল যে, তা কাফনের উদ্দেশে খরিদ করা হয়েছে কিনা? তাই তা রেখে দেয়া হ’ল এবং সাহূল নগরীর তৈরি সাদা তিন কাপড়েই কাফন দেয়া হ’ল। এদিকে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বকর (রাঃ) জোড়াটা নিয়ে বললেন, আমি অবশ্যই তা সংরক্ষণ করব এবং আমি নিজেকে এর দ্বারা কাফন দিব। তিনি পুনরায় বললেন, আল্লাহ যদি এটা তাঁর নাবীর জন্য পছন্দ করতেন, তবে অবশ্যই তিনি তা দিয়ে কাফনের ব্যবস্থা করতেন। অতঃপর তা বিক্রি করে তিনি তার মূল্য সদাক্বাহ্‌ করে দিলেন। (ই.ফা. ২০৪৭, ই.সে. ২০৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৬৯

وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أُدْرِجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حُلَّةٍ يَمَنِيَّةٍ كَانَتْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ثُمَّ نُزِعَتْ عَنْهُ وَكُفِّنَ فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ سُحُولٍ يَمَانِيَةٍ لَيْسَ فِيهَا عِمَامَةٌ وَلاَ قَمِيصٌ فَرَفَعَ عَبْدُ اللَّهِ الْحُلَّةَ فَقَالَ أُكَفَّنُ فِيهَا ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لَمْ يُكَفَّنْ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأُكَفَّنُ فِيهَا ‏.‏ فَتَصَدَّقَ بِهَا ‏.

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- প্রথমে ইয়ামানী জোড়া কাপড়ে রাখা হয়েছিল, যা ছিল ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বাক্‌র-এর। অতঃপর তা তাঁর থেকে খুলে ফেল হ’ল এবং ইয়ামন দেশের সাহূল নগরের তৈরি কাপড়ের তিন কাপড় দ্বারা কাফন দেয়া হ’ল। এতে পাগড়ী ও কামিজ ছিল না। অতঃপর ‘আবদুল্লাহ জোড়া চাদরটা তুলে বললেনঃএ কাপড়ে আমার কাফন দেয়া হবে। একটু পর আবার বললেন, যে কাপড় দিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কাফন দেয়া হয়নি তা দিয়ে আমার কাফন দেয়া হবে? অতঃপর তিনি তা সদাক্বাহ করে দিলেন। (ই.ফা. ২০৪৮, ই.সে. ২০৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৭০

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، وَابْنُ، عُيَيْنَةَ وَابْنُ إِدْرِيسَ وَعَبْدَةُ وَوَكِيعٌ ح وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمْ قِصَّةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ‏.

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্, ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) ….. সকলে হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত সানাদে বর্ণনা করেছেন। তবে তাদের হাদীসে ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বকর-এর ঘটনা উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২০৪৯, ই.সে. ২০৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৭১

وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهُ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهَا فِي كَمْ كُفِّنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابٍ سَحُولِيَّةٍ ‏.

আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কয়টি কাপড়ে কাফন দেয়া হয়েছিল? তিনি বললেন, তিন কাপড়ে যা সাহূল অঞ্চলের তৈরি ছিল। (ই.ফা. ২০৫০, ই.সে. ২০৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪. অধ্যায়ঃ

মাইয়্যিতের সর্বাঙ্গ ঢেকে দেয়া

২০৭২

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ، الآخَرَانِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ – حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ سُجِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ مَاتَ بِثَوْبِ حِبَرَةٍ ‏.

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইনতিকাল করলে তাঁকে ইয়ামানী চাদর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। (ই.ফা. ২০৫১, ই.সে. ২০৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৭৩

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ سَوَاءً ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০৫২, ই.সে. ২০৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫. অধ্যায়ঃ

মাইয়্যিতকে সুন্দরভাবে কাপড় পরানো

২০৭৪

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ يَوْمًا فَذَكَرَ رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِهِ قُبِضَ فَكُفِّنَ فِي كَفَنٍ غَيْرِ طَائِلٍ وَقُبِرَ لَيْلاً فَزَجَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْبَرَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهِ إِلاَّ أَنْ يُضْطَرَّ إِنْسَانٌ إِلَى ذَلِكَ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا كَفَّنَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُحَسِّنْ كَفَنَهُ ‏”‏ ‏.

আবুয্‌ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন। একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)খুত্‌বাহ্‌ দিতে গিয়ে তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে জনৈক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন। তিনি মারা গেলে তাকে অপর্যাপ্ত কাপড়ে কাফন দেয়া হয় এবং তাকে রাত্রিবেলা ক্ববর দেয়া হয়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এই বলে তিরস্কার করলেন যে, কেন তাকে রাত্রিবেলা দাফন করা হ’ল। অথচ তিনি তার জানাযাহ্‌ পড়তে পারলেন না, কোন মানুষ নিরুপায় না হলে এরূপ করা ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেন, যখন তোমাদের কেউ তার মুসলিম ভাইকে কাফন দিবে সে যেন ভাল কাপড় দিয়ে কাফনের ব্যবস্থা করে। (ই.ফা. ২০৫৩, ই.সে. ২০৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬. অধ্যায়ঃ

জানাযাহ্‌ যথাশীঘ্র সম্পাদন করা

২০৭৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ – لَعَلَّهُ قَالَ – تُقَدِّمُونَهَا عَلَيْهِ وَإِنْ تَكُنْ غَيْرَ ذَلِكَ فَشَرٌّ تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা জানাযার সলাত যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি আদায় কর। যদি নেক্‌কার লোকের জানাযাহ্‌ হয়ে থাকে তবে তো কল্যাণকর, কল্যাণের দিকে তাকে আগে বাড়িয়ে দিবে। আর যদি অন্য কিছু হয় তবে তা অকল্যাণ। এ অকল্যাণ অশুভকে তোমাদের গর্দান থেকে দ্রুত সরিয়ে দিবে। (ই.ফা. ২০৫৪, ই.সে. ২০৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৭৬

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ مَعْمَرٍ قَالَ لاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ رَفَعَ الْحَدِيثَ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তাবে মা’মার-এরক বর্ণনায় হাদীসে উল্লেখ আছে, তিনি বলেন আমি এ হাদীসটি মারফূ’ হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানি। (ই.ফা. ২০৫৫, ই.সে. ২০৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৭৭

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، قَالَ هَارُونُ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ فَإِنْ كَانَتْ صَالِحَةً قَرَّبْتُمُوهَا إِلَى الْخَيْرِ وَإِنْ كَانَتْ غَيْرَ ذَلِكَ كَانَ شَرًّا تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি: তোমরা জানাযাহ্‌ যথাসম্ভব শীঘ্র আদায় কর। কেননা, যদি তা নেককার লোকের জানাযাহ্‌ হয়ে থাকে, তবে তোমরা তাকে দ্রুত কল্যাণের নিকটবর্তী করে দাও। আর যদি এর বিপরীত হয়, তা হবে অকল্যাণকর, যা তোমরা নিজেদের গর্দান থেকে দ্রুত নামিয়ে দাও। (ই.ফা. ২০৫৬, ই.সে. ২০৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭. অধ্যায়ঃ

মাইয়্যিতের জানাযার সলাত আদায় করা এবং (ক্ববরস্থানে নেয়ার সময়) তার পিছে পিছে যাওয়া

২০৭৮

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، – وَاللَّفْظُ لِهَارُونَ وَحَرْمَلَةَ – قَالَ هَارُونُ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ الأَعْرَجُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ شَهِدَ الْجَنَازَةَ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا فَلَهُ قِيرَاطٌ وَمَنْ شَهِدَهَا حَتَّى تُدْفَنَ فَلَهُ قِيرَاطَانِ ‏”‏ ‏.‏ قِيلَ وَمَا الْقِيرَاطَانِ قَالَ ‏”‏ مِثْلُ الْجَبَلَيْنِ الْعَظِيمَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ انْتَهَى حَدِيثُ أَبِي الطَّاهِرِ وَزَادَ الآخَرَانِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ قَالَ سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُصَلِّي عَلَيْهَا ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَلَمَّا بَلَغَهُ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لَقَدْ ضَيَّعْنَا قَرَارِيطَ كَثِيرَةً ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি জানাযার সলাত আদায় করা পর্যন্ত লাশের সাথে থাকে, তাকে এক ক্বীরাত সাওয়াব দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত লাশের সাথে উপস্থিত থাকে, তাকে দু’ ক্বীরাত সাওয়াব দান করা হবে। কেউ জিজ্ঞেস করল, দু’ ক্বীরাত বলতে কি পরিমাণ বুঝায়? তিনি বললেন, দু’টি বিরাট পাহাড় সমতুল্য।

আবুত্‌ ত্বহির বর্ণিত হাদীস এ পর্যন্ত শেষ হল। বাকী দু’জন বর্ণনাকারী আরো বর্ণনা করেছেন যে, ইবনু শিহাব বলেন, সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ বলেছেন এবং ইবনু ‘উমার (রাঃ) জানাযার সলাত আদায় করতে চলে যেতেন। যখন তাঁর নিকট আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস পৌঁছল তখন তিনি বললেন, আমরা তো বহু ক্বীরাত বরবাদ করে দিয়েছি। (ই.ফা. ২০৫৭, ই.সে. ২০৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৭৯

حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ، بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْلِهِ الْجَبَلَيْنِ الْعَظِيمَيْنِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرَا مَا بَعْدَهُ وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الأَعْلَى حَتَّى يُفْرَغَ مِنْهَا وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ حَتَّى تُوضَعَ فِي اللَّحْدِ .

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা “বিরাট দু’ পাহাড় সমতুল্য পর্যন্ত” বর্ণিত হয়েছে। ‘আবদুল আ’লা ও ‘আবদুর রায্যাক্ব উভয়ে হাদীসের পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি। ‘আবদুল আ’লা-এর হাদীসে “শেষ না হওয়া পর্যন্ত” এবং ‘আবদুর রায্যাক্ব-এর হাদীসে “ক্ববরে না রাখা পর্যন্ত” বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২০৫৮, ই.সে. ২০৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৮০

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ، بْنُ خَالِدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي رِجَالٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَعْمَرٍ وَقَالَ ‏ “‏ وَمَنِ اتَّبَعَهَا حَتَّى تُدْفَنَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে এবং তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

মা’মার-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনায় বলেছেন, যে ব্যাক্তি দাফন করা পর্যন্ত জানাযার অনুসরণ করে। (ই.ফা. ২০৫৯, ই.সে. ২০৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৮১

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنِي سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ وَلَمْ يَتْبَعْهَا فَلَهُ قِيرَاطٌ فَإِنْ تَبِعَهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ ‏”‏ ‏.‏ قِيلَ وَمَا الْقِيرَاطَانِ قَالَ ‏”‏ أَصْغَرُهُمَا مِثْلُ أُحُدٍ ‏”‏ .

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি জানাযার সলাত আদায় করে এবং লাশের অনুসরণ করে না তার জন্য রয়েছে এক ক্বীরাত সাওয়াব। আর যে ব্যক্তি লাশের অনুসরণ করে তার জন্য রয়েছে দু’ ক্বীরাত। কেউ জিজ্ঞেস করল “দু’ ক্বীরাত্ব” বলতে কি পরিমাণ বুঝায়? তিনি বরলেন, এর ছোটটি উহুদ পাহাড় সমতুল্য। (ই.ফা. ২০৬০, ই.সে. ২৯৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৮২

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَلَهُ قِيرَاطٌ وَمَنِ اتَّبَعَهَا حَتَّى تُوضَعَ فِي الْقَبْرِ فَقِيرَاطَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَمَا الْقِيرَاطُ قَالَ ‏”‏ مِثْلُ أُحُدٍ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে বক্তি জানাযার সলাত আদায় করে তার জন্য এক ক্বীরাত্ব সাওয়াব, আর যে ব্যক্তি মৃতকে ক্ববরে রাখা পর্যন্ত এর অনুসরণ করে, তার জন্যে রয়েছে দু’ ক্বীরাত্ব সাওয়াব। আবূ হাযিম বলেন, আমি আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম। ক্বীরাতের পরিমাণ কতটুকু? তিনি বললেন, উহুদ পাহাড়ের সমতুল্য। (ই.ফা. ২০৬১, ই.সে. ২০৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৮৩

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ – حَدَّثَنَا نَافِعٌ، قَالَ قِيلَ لاِبْنِ عُمَرَ إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ تَبِعَ جَنَازَةً فَلَهُ قِيرَاطٌ مِنَ الأَجْرِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ أَكْثَرَ عَلَيْنَا أَبُو هُرَيْرَةَ ‏.‏ فَبَعَثَ إِلَى عَائِشَةَ فَسَأَلَهَا فَصَدَّقَتْ أَبَا هُرَيْرَةَ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لَقَدْ فَرَّطْنَا فِي قَرَارِيطَ كَثِيرَةٍ ‏.

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি জানাযার অনুসরণ করে তার জন্য রয়েছে এক ক্বীরাত্ব সাওয়াব। এটা শুনে ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) আমাদের কাছে অতিরঞ্জিত করেছে। এরপর তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)- এর নিকট লোক পাঠিয়ে তাঁকে এর সত্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। ‘আয়িশা (রাঃ) আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ)-এর কথাটি সত্যায়িত করলেন। এরপর ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমরা তো বহু সংখ্যক ক্বীরাত্ব থেকে বঞ্চিত হলাম। (ই.ফা. ২০৬২, ই.সে. ২০৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৮৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي حَيْوَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ دَاوُدَ بْنَ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ قَاعِدًا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ إِذْ طَلَعَ خَبَّابٌ صَاحِبُ الْمَقْصُورَةِ فَقَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَلاَ تَسْمَعُ مَا يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ خَرَجَ مَعَ جَنَازَةٍ مِنْ بَيْتِهَا وَصَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ تَبِعَهَا حَتَّى تُدْفَنَ كَانَ لَهُ قِيرَاطَانِ مِنْ أَجْرٍ كُلُّ قِيرَاطٍ مِثْلُ أُحُدٍ وَمَنْ صَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ رَجَعَ كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُحُدٍ ‏”‏ ‏.‏ فَأَرْسَلَ ابْنُ عُمَرَ خَبَّابًا إِلَى عَائِشَةَ يَسْأَلُهَا عَنْ قَوْلِ أَبِي هُرَيْرَةَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَيْهِ فَيُخْبِرُهُ مَا قَالَتْ وَأَخَذَ ابْنُ عُمَرَ قَبْضَةً مِنْ حَصَى الْمَسْجِدِ يُقَلِّبُهَا فِي يَدِهِ حَتَّى رَجَعَ إِلَيْهِ الرَّسُولُ فَقَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ صَدَقَ أَبُو هُرَيْرَةَ ‏.‏ فَضَرَبَ ابْنُ عُمَرَ بِالْحَصَى الَّذِي كَانَ فِي يَدِهِ الأَرْضَ ثُمَّ قَالَ لَقَدْ فَرَّطْنَا فِي قَرَارِيطَ كَثِيرَةٍ ‏.

সা’দ ইবনু ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলেন। এমন সময় খাব্বাব (রাঃ) (মাকসূরাহ্‌ ওয়ালা) এসে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার! আপনি কি আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ)-এর কথা শুনছেন না? তিনি বললেন, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন: যে ব্যক্তি জানাযার সাথে ঘর থেকে বের হয় এবং জানাযার সলাত আদায় করে, অতঃপর দাফন করা পর্যন্ত জানাযার সাথে থাকে, তাকে দু’ ক্বীরাত্ব সাওয়াব দান করা হবে। প্রতিটি ক্বীরাত্ব উহুদ পাহাড় সমতুল্য সাওয়াব লাভ করবে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) এ কথা যাচাই করার জন্য খাব্বাবকে ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। খাব্বাব (রাঃ) চলে গেলে ইবনু ‘উমার (রাঃ) মাসজিদের কাঁকর থেকে এক মুষ্টি কাঁকর হাতে নিলেন এবং খাব্বাব ফিরে না আসা পর্যন্ত তা হাতে নিয়ে নড়াচড়া করছিলেন। খাব্বাব ফিরে এসে বললেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) ঠিকই বলেছেন। ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর কঙ্কর জমিনের উপর ছুঁড়ে মেরে বললেন, আমরা অবশ্যই বহু সংখ্যক ক্বীরাত্ব বরবাদ করে দিয়েছি। (ই.ফা. ২০৬৩, ই.সে. ২০৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৮৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَلَهُ قِيرَاطٌ فَإِنْ شَهِدَ دَفْنَهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ الْقِيرَاطُ مِثْلُ أُحُدٍ ‏”‏ ‏.

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি জানাযার সলাত আদায় করে তাকে এ ক্বীরাত সাওয়াব দান করা হয়। আর সে যদি দাফন কার্যেও শারীক থাকে, তবে দু’ ক্বীরাত্ব সাওয়াব সাওয়াব লাভ করবে। এক ক্বীরাত্ব উহুদ সমতুল্য। (ই.ফা. ২০৬৪, ই.সে. ২০৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৮৬

وَحَدَّثَنِي ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبَانٌ، كُلُّهُمْ عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ سَعِيدٍ وَهِشَامٍ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْقِيرَاطِ فَقَالَ ‏ “‏ مِثْلُ أُحُدٍ ‏”‏ ‏.

(হাম্মাদ) ইবনু বাশ্শার, ইবনুল মুসান্না, যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ….. সকলে ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সা‘ঈদ ও হিশাম-এর বর্ণিত হাদীসে আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ক্বীরাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, তা উহুদ পাহাড় সমতুল্য। (ই.ফা. ২০৬৫, ই.সে. ২০৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮. অধ্যায়ঃ

যার ওপর একশ’ জনের (মুসলিমের) জানাযাহ্‌ পড়বে তার জন্য এ সুপারিশ করা হবে

২০৮৭

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا سَلاَّمُ بْنُ أَبِي مُطِيعٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، – رَضِيعِ عَائِشَةَ – عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا مِنْ مَيِّتٍ يُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ مِائَةً كُلُّهُمْ يَشْفَعُونَ لَهُ إِلاَّ شُفِّعُوا فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَحَدَّثْتُ بِهِ شُعَيْبَ بْنَ الْحَبْحَابِ فَقَالَ حَدَّثَنِي بِهِ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন মৃত ব্যক্তির ওপর যখন একদল মুসলিম যাদের একশ’ হবে জানাযার সলাত আদায় করে এবং সবাই তার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করে, তবে তার জন্য এ সুপারিশ ক্ববূল করা হবে।

তিনি (সাল্লাম ইবনু আবূ মুত্বী’) বলেন, আমি এ হাদীসটি শু’আয়ব ইবনু হাব্‌হাব-এর কাছে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, আমাকে এ হাদীস আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২০৬৬, ই.সে. ২০৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯. অধ্যায়ঃ

যার ওপর চল্লিশ জন (মুসলিম) জানাযাহ্‌ পড়বে তার জন্য এ সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।

২০৮৮

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَالْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ السَّكُونِيُّ، قَالَ الْوَلِيدُ حَدَّثَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ مَاتَ ابْنٌ لَهُ بِقُدَيْدٍ أَوْ بِعُسْفَانَ فَقَالَ يَا كُرَيْبُ انْظُرْ مَا اجْتَمَعَ لَهُ مِنَ النَّاسِ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْتُ فَإِذَا نَاسٌ قَدِ اجْتَمَعُوا لَهُ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ تَقُولُ هُمْ أَرْبَعُونَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَخْرِجُوهُ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَا مِنْ رَجُلٍ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيَقُومُ عَلَى جَنَازَتِهِ أَرْبَعُونَ رَجُلاً لاَ يُشْرِكُونَ بِاللَّهِ شَيْئًا إِلاَّ شَفَّعَهُمُ اللَّهُ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ مَعْرُوفٍ عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘কুদায়দ’ অথবা ‘উসকান’ নামক স্থানে তার একটি পুত্র সন্তান মারা গেল। তিনি আমাকে বললেন, হে কুরায়ব! দেখ কিছু লোক একত্রিত হয়েছে কিনা? আমি বের হয়ে দেখলাম কিছু একত্রিত হয়েছে। আমি তাকে খবর দিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, বল তাদের সংখ্যা কি চল্লিশ হবে? বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে লাশ বের করে নাও। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: কোন মুসলিম মারা গেলে, তার জানাযায় যদি এমন চল্লিশজন দাঁড়িয়ে যায় যারা আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শারীক করে না তবে মহান আল্লাহর তার অনুকূলে তাদের প্রার্থনা কবূল করেন। (ই.ফা. ২০৬৭, ই.সে. ২০৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০. অধ্যায়ঃ

যে মাইয়্যিতের ভাল-মন্দ বর্ণনা করা হয়

২০৮৯

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، – وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، – أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، بْنُ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا خَيْرٌ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَجَبَتْ وَجَبَتْ وَجَبَتْ ‏”‏ ‏.‏ وَمُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا شَرٌّ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَجَبَتْ وَجَبَتْ وَجَبَتْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فِدًى لَكَ أَبِي وَأُمِّي مُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا خَيْرًا فَقُلْتَ وَجَبَتْ وَجَبَتْ وَجَبَتْ ‏.‏ وَمُرَّ بِجَنَازَةٍ فَأُثْنِيَ عَلَيْهَا شَرٌّ فَقُلْتَ وَجَبَتْ وَجَبَتْ وَجَبَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَمَنْ أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرًّا وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ ‏”‏ ‏.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একটি জানাযাহ্‌ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লোকেরা প্রশংসা করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে। (আরেকবার) একটা জানাযাহ্‌ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিন্তু লোকেরা তার দুর্নাম করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)তার সম্পর্কে ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে (তিনবার) বললেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার উপর আমার মা-বাপ উৎসর্গ হোক! একটা জানাযাহ্‌ অতিক্রম করলে তার প্রতি ভাল মন্তব্য করা হলে আপনি ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে বললেন! আর একটা জানাযাহ্‌ অতিক্রমকালে তার প্রতি খারাপ মন্তব্য করা হলে আপনি ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে, ওয়াজিব হয়েছে-বললেন! রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)উত্তরে বললেনঃতোমরা যার সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করেছ তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। আর তোমরা যার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছ তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেছে। তোমরা জমিনের বুকে আল্লাহর সাক্ষী, তোমরা জমিনের বুকে আল্লাহর সাক্ষী, তোমরা জমিনের বুকে আল্লাহর সাক্ষী। (ই.ফা. ২০৬৮, ই.সে. ২০৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২০৯০

وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، كِلاَهُمَا عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مُرَّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِجَنَازَةٍ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَنَسٍ غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَتَمُّ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ দিয়ে একটা জানাযাহ্‌ অতিক্রম করল। হাদীসের অবশিষ্ট অংশ আনাস-এর সূত্রে ‘আবদুল আযীয-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। তবে ‘আবদুল আযীয-এর হাদীসটি পূর্ণাঙ্গ। (ই.ফা. ২০৬৯, ই.সে. ২০৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •