মুসলিম কিতাবুস সিয়াম (রোজা) অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ২৬০১ – ২৬৬৯

৩১. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র পথে (যুদ্ধক্ষেত্রে) সিয়াম পালন করতে সক্ষম হলে এবং এতে কোনরূপ ক্ষতি হওয়ার বা শক্তিহীন হয়ে যুদ্ধ করতে অক্ষম হয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলে এ ধরনের সিয়ামের ফাযীলত

২৬০১

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ، أَبِي صَالِحٍ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَصُومُ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلاَّ بَاعَدَ اللَّهُ بِذَلِكَ الْيَوْمِ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفًا ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে বান্দা আল্লাহ্‌র রাস্তায় (যুদ্ধের সময়) একদিন সিয়াম পালন করবে আল্লাহ্‌ তা’আলা তার চেহারাকে এ দিনের (সিয়ামের) বারাকাতে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের পথ দূরে রাখবেন। (ই.ফা. ২৫৭৮, ই.সে. ২৫৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০২

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.

সুহায়ল (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৫৭৯, ই.সে. ২৫৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৩

وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَسُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، أَنَّهُمَا سَمِعَا النُّعْمَانَ بْنَ، أَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ بَاعَدَ اللَّهُ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفًا ‏”‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, যে বান্দা আল্লাহ্‌র রাস্তায় একদিন সিয়াম পালন করে, আল্লাহ্‌ তা’আলা তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের পথ দূরে রাখবেন। (ই.ফা. ২৫৮০, ই.সে. ২৫৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২. অধ্যায়ঃ

দিনের বেলা সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত নাফ্‌ল সিয়ামের নিয়্যাত করা যেতে পারে, নাফ্‌ল সিয়াম পালনকারীর জন্য কোনরূপ ওজর ছাড়াই সিয়াম ভঙ্গ করা জায়িয, তবে সিয়াম পূর্ণ করাই উত্তম।

২৬০৪

وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ، بْنُ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ ‏”‏ يَا عَائِشَةُ هَلْ عِنْدَكُمْ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا عِنْدَنَا شَىْءٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنِّي صَائِمٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ – أَوْ جَاءَنَا زَوْرٌ – قَالَتْ – فَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ – أَوْ جَاءَنَا زَوْرٌ – وَقَدْ خَبَأْتُ لَكَ شَيْئًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا هُوَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ حَيْسٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَاتِيهِ ‏”‏ ‏.‏ فَجِئْتُ بِهِ فَأَكَلَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ قَدْ كُنْتُ أَصْبَحْتُ صَائِمًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ طَلْحَةُ فَحَدَّثْتُ مُجَاهِدًا بِهَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ ذَاكَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُخْرِجُ الصَّدَقَةَ مِنْ مَالِهِ فَإِنْ شَاءَ أَمْضَاهَا وَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا‏.

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, “হে ‘আয়িশাহ্‌! তোমাদের কাছে কি খাওয়ার মতো কিছু আছে?” আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের কাছে খাওয়ার মতো কিছুই নেই। তিনি বললেন, আমি সিয়াম পালনকারী। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইরে চলে গেলেন। পরে আমাদের জন্য হাদিয়্যাহ্‌ হিসেবে কিছু জিনিস আসলো এবং সাথে সাথে আমাদের কাছে কিছু সংখ্যক মেহমানও আসলো। তিনি আরও বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ফিরে আসলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের কাছে উপঢৌকন হিসেবে কিছু জিনিস এসেছে এবং কয়েকজন মেহমানও এসেছে (তাই হাদিয়্যার বেশীর ভাগ তাদেরকে খাইয়ে দিয়েছি)। আমি তা থেকে কিছু অংশ আপনার জন্য লুকিয়ে রেখেছি। তিনি বললেন, তা কী? আমি বললাম, তা হলো হায়স (খেজুর, পনির ও আটার সমন্বয়ে তৈরি হালুয়া)। তিনি বলেন, তা নিয়ে এসো। অতঃপর আমি তা নিয়ে আসলাম। তিনি তা খেয়ে বললেন, আমি ভোরে সিয়াম পালন করেছিলাম। ত্বল্‌হাহ্‌ বলেন, আমি এ হাদীসটি মুজাহিদের কাছে বর্ণনা করলাম। তিনি বলেন, এটা (এভাবে নাফল সিয়াম ভেঙে ফেলা) এমন ব্যক্তির সাথে তুল্য যে নিজের সম্পদ থেকে সদাক্বাহ্‌ বের করে। অতঃপর সে ইচ্ছা করলে তা দিতেও পারে আর রেখেও দিতে পারে। (ই.ফা. ২৫৮১, ই.সে. ২৫৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৫

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَمَّتِهِ، عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَقَالَ ‏”‏ هَلْ عِنْدَكُمْ شَىْءٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنِّي إِذًا صَائِمٌ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ أَتَانَا يَوْمًا آخَرَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أُهْدِيَ لَنَا حَيْسٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَرِينِيهِ فَلَقَدْ أَصْبَحْتُ صَائِمًا ‏”‏ ‏.‏ فَأَكَلَ ‏.

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্‌ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছে এসে বললেন, তোমাদের কাছে কিছু আছে কি? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে আমি সিয়াম পালন করলাম। আর একদিন তিনি আমাদের কাছে আসলেন। আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদেরকে ‘হায়স’ (ঘি বা পনির মিশ্রিত খেজুর) হাদিয়াহ দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, আমাকে তা দেখাও; আবশ্য আমি সকালে সিয়ামের নিয়্যাত করেছি। অতঃপর তিনি তা খেলেন। (ই.ফা. ২৫৮২, ই.সে. ২৫৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩. অধ্যায়ঃ

ভুলে পানাহার করলে বা সঙ্গম করে বসলে তাতে সিয়াম ভঙ্গ হয় না

২৬০৬

وَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هِشَامٍ الْقُرْدُوسِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ نَسِيَ وَهُوَ صَائِمٌ فَأَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وَسَقَاهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সিয়াম অবস্থায় ভুলে কিছু খেয়েছে বা পান করেছে সে যেন তার সিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহ্‌ই তাকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন। (ই.ফা. ২৫৮৩, ই.সে. ২৫৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪. অধ্যায়ঃ

রমাযান মাস ব্যতীত অন্য মাসে নাবী (সাঃ) এর সিয়াম পালন করার বর্ণনা, প্রত্যেক মাসেই কিছু সিয়াম পালন করা উত্তম

২৬০৭

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ شَقِيقٍ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ رضى الله عنها هَلْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ شَهْرًا مَعْلُومًا سِوَى رَمَضَانَ قَالَتْ وَاللَّهِ إِنْ صَامَ شَهْرًا مَعْلُومًا سِوَى رَمَضَانَ حَتَّى مَضَى لِوَجْهِهِ وَلاَ أَفْطَرَهُ حَتَّى يُصِيبَ مِنْهُ ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি রমাযান মাস ছাড়া অন্য কোন সময় পূর্ণ মাস সিয়াম পালন করতেন? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর শপথ! তিনি আজীবন রমাযান ছাড়া অন্য কোন সময় পূর্ণ এক মাস সিয়াম পালন করেননি। আর এমন কোন মাসও অতিবাহিত হয়নি যাতে তিনি অন্তত কিছু সিয়াম পালন করেননি। (ই.ফা. ২৫৮৪, ই.সে. ২৫৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৮

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ – رضى الله عنها – أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ شَهْرًا كُلَّهُ قَالَتْ مَا عَلِمْتُهُ صَامَ شَهْرًا كُلَّهُ إِلاَّ رَمَضَانَ وَلاَ أَفْطَرَهُ كُلَّهُ حَتَّى يَصُومَ مِنْهُ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)- কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কখনও একটি পূর্ণ মাস (নাফ্‌ল) সিয়াম পালন করতেন? তিনি বললেন, আমার জানা মতে তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি রমাযান মাস ছাড়া অন্য কোন সময়ে পূর্ণ মাস সিয়াম পালন করেননি। আর এমন কোন মাসও কাটেনি যে মাসে তিনি (দু’ একটি) সিয়াম পালন করেননি। (ই.ফা. ২৫৮৫, ই.সে. ২৫৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬০৯

وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، – قَالَ حَمَّادٌ وَأَظُنُّ أَيُّوبَ قَدْ سَمِعَهُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، – قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – عَنْ صَوْمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ صَامَ قَدْ صَامَ ‏.‏ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ أَفْطَرَ قَدْ أَفْطَرَ – قَالَتْ – وَمَا رَأَيْتُهُ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً مُنْذُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَمَضَانَ ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সিয়াম সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তিনি একাধারে সিয়াম পালন করে যেতেন যাতে আমরা বলাবলি করতাম, তিনি অনেক সিয়াম পালন করেছেন। আর কখনো তিনি একাধারে পানাহার (সিয়াম পালন না করে) কাটিয়ে দিতেন। যাতে আমরা বলাবলি করতাম, তিনি অনেক দিন যাবৎ সিয়াম পালন করেননি, তিনি অনেক দিন সিয়াম পালন করেননি। ‘আয়িশা (রাঃ) আরো বলেন, তিনি মাদীনায় আসার পর আমি তাঁকে রমাযান মাস ছাড়া কখনো পূর্ণ একটি মাস সিয়াম পালন করতে দেখিনি। (ই.ফা. ২৫৮৬, ই.সে. ২৫৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১০

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي الإِسْنَادِ هِشَامًا وَلاَ مُحَمَّدًا ‏.‏

’আবদুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম… উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এ সানাদে অধঃস্তন রাবী হিশাম ও মুহাম্মাদের নাম উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৫৮৭, ই.সে.২৫৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، – رضى الله عنها – أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يُفْطِرُ ‏.‏ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يَصُومُ ‏.‏ وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ قَطُّ إِلاَّ رَمَضَانَ وَمَا رَأَيْتُهُ فِي شَهْرٍ أَكْثَرَ مِنْهُ صِيَامًا فِي شَعْبَانَ ‏.

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একাধারে সিয়াম পালন করতে থাকতেন। ফলে আমরা বলাবলি করতাম, তিনি আর সিয়াম ভঙ্গ করবেন না। আবার এমনভাবে তিনি ক্রমাগত সিয়াম ছাড়তে থাকতেন যাতে আমরা বলতাম, তিনি বুঝি আর (এ মাসে) সিয়াম পালন করবেন না। আমি তাঁকে কখনো রমাযান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে অধিক সিয়াম পালন করতেও দেখিনি। (ই.ফা. ২৫৮৮, ই.সে. ২৫৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنِ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ صَامَ ‏.‏ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ أَفْطَرَ ‏.‏ وَلَمْ أَرَهُ صَائِمًا مِنْ شَهْرٍ قَطُّ أَكْثَرَ مِنْ صِيَامِهِ مِنْ شَعْبَانَ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ إِلاَّ قَلِيلاً ‏.

আবূ সালামাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, কখনো কখনো একাধারে সিয়াম পালন করে যেতেন যে, আমরা বলতাম, তিনি সিয়াম পালন করে যাচ্ছেন (হয়ত আর বিরত হবেন না)। আবার তিনি কখনো কখনো একাধারে সিয়াম পালন না করে অতিবাহিত করতেন যে, আমরা বলতাম, হয়ত তিনি আর সিয়াম পালন করবেন না। আমি তাকে শা’বান মাসের চেয়ে অন্য কোন মাসে এত অধিক (নাফ্‌ল) সিয়াম পালন করতে দেখিনি। তিনি পুরো শা’বান মাসেই সিয়াম পালন করতেন। (অর্থাৎ কয়েক দিন ছাড়া পূর্ণ শা’বান মাস সিয়াম পালন করতেন)। (ই.ফা. ২৫৮৯, ই.সে. ২৫৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৩

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ، أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الشَّهْرِ مِنَ السَّنَةِ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ وَكَانَ يَقُولُ ‏”‏ خُذُوا مِنَ الأَعْمَالِ مَا تُطِيقُونَ فَإِنَّ اللَّهَ لَنْ يَمَلَّ حَتَّى تَمَلُّوا ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ يَقُولُ ‏”‏ أَحَبُّ الْعَمَلِ إِلَى اللَّهِ مَا دَاوَمَ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ وَإِنْ قَلَّ ‏”‏ ‏.

’আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা’বান মাসে যত সিয়াম পালন করতেন, সারা বছরে অন্য কোন মাসে তিনি এত অধিক সিয়াম পালন করতেন না। আর তিনি (লোকদের উদ্দেশ্য) বলতেন, “তোমরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী যত বেশী পার ‘আমাল কর।” কেননা, আল্লাহ তা’আলা (তোমাদেরকে সাওয়াব দানে) ক্লান্ত বা বিরক্ত হবেন না যতক্ষণ তোমরা অক্ষম হয়ে না পড়বে। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তা’আলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ‘আমাল হচ্ছে যা কোন বান্দা অব্যাহতভাবে করে থাকে- যদিও তা পরিমাণে কম হয়। (ই.ফা. ২৫৯০, ই.সে. ২৫৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৪

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، – رضى الله عنهما – قَالَ مَا صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَهْرًا كَامِلاً قَطُّ غَيْرَ رَمَضَانَ ‏.‏ وَكَانَ يَصُومُ إِذَا صَامَ حَتَّى يَقُولَ الْقَائِلُ لاَ وَاللَّهِ لاَ يُفْطِرُ ‏.‏ وَيُفْطِرُ إِذَا أَفْطَرَ حَتَّى يَقُولَ الْقَائِلُ لاَ وَاللَّهِ لاَ يَصُومُ ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাস ছাড়া আর কখনো পূর্ণ মাস সিয়াম পালন করতেন না। তিনি যখন সিয়াম পালন করতেন তখন ক্রমাগত সিয়াম পালন করে যেতেন। ফলে লোকেরা বলত, আল্লাহর ক্বসম! হয়ত তিনি আর সিয়াম ভঙ্গ করবেন না। আবার যখন তিনি সিয়াম ছেড়ে দিতেন একাধারেই বিরতি দিতে থাকতেন। এমনকি লোকেরা বলত আল্লাহর ক্বসম! তিনি হয়ত আর সিয়াম পালন করবেন না। [১০] (ই.ফা. ২৫৯১, ই.সে. ২৫৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০] এসব বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, বছরের বারো মাস ধরেই সওম পালন সুন্নাতের খেলাফ এবং একে ভাল মনে করা বিদ’আত এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হিদায়াতের বিপরিত। মুসলিমদেরকে কেবল পূর্ণ রমাযান মাসে সওম পালন করতে বলা হয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি মাসেই কিছু কিছু সওম পালন করতেন, বিশেষ করে শা’বান মাসে তুলনামূলক বেশি কেননা এটা রমাযানের পূর্ব প্রস্তুতি। আর এখানে যে কসম খাওয়া হয়েছে তা স্বভাবগত কসম, যে সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, অর্থাৎ এ ধরনের কসমের কারণে পাকড়াও হবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ عَنْ غُنْدَرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ بِهَذَا الْإِسْنَادِ وَقَالَ شَهْرًا مُتَتَابِعًا مُنْذُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ

আবূ বিশর (রহঃ)-এর সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এতে আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাতে আসার পর কখনো একাধারে এক মাস (নাফ্ল) সিয়াম পালন করেননি। (ই.ফা. ২৫৯২, ই.সে. ২৫৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ عَنْ صَوْمِ، رَجَبٍ – وَنَحْنُ يَوْمَئِذٍ فِي رَجَبٍ – فَقَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يُفْطِرُ ‏.‏ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يَصُومُ ‏.

’উসমান ইবনু হাকীম আল আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রজব মাসের সিয়াম সম্পর্কে সা’ঈদ ইবনু জুবায়র (রাঃ)- কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একাধারে সিয়াম পালন করতে থাকতেন যাতে আমরা বলতাম, তিনি হয়ত আর সিয়াম ছাড়বেন না। আবার তিনি এমনভাবে ক্রমাগত সিয়াম না রেখে থাকতেন যাতে আমরা বলতাম, তিনি বুঝি আর (এ মাসে) সিয়াম পালন করবেন না। (ই.ফা. ২৫৯৩, ই.সে. ২৫৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৭

وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

’উসমান ইবনু হাকীম (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৫৯৪, ই.সে.২৫৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬১৮

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه ح. وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ حَتَّى يُقَالَ قَدْ صَامَ قَدْ صَامَ ‏.‏ وَيُفْطِرُ حَتَّى يُقَالَ قَدْ أَفْطَرَ قَدْ أَفْطَرَ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিয়াম পালন করে যেতেন, এমনকি বলা হত তিনি অনেক সিয়াম পালন করেছেন, তিনি অনেক সিয়াম পালন করেছেন। আবার তিনি সিয়াম থেকে এমনভাবে বিরত থাকতেন যে, বলা হত তিনি অনেক দিন সিয়াম থেকে বিরত রয়েছেন, অনেক দিন বিরত রয়েছেন। (ই.ফা. ২৫৯৫, ই.সে. ২৫৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৫. অধ্যায়ঃ

সারা বছর ধরে সিয়াম পালন করা নিষেধ, কারণ এতে স্বাস্থ্যহানি হওয়ার এবং জরুরী কর্তব্য পালনে অক্ষম হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, একদিন পরপর সিয়াম পালন করার ফাযীলাত

২৬১৯

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ، يُحَدِّثُ عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ أُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَقُولُ لأَقُومَنَّ اللَّيْلَ وَلأَصُومَنَّ النَّهَارَ مَا عِشْتُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ آنْتَ الَّذِي تَقُولُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ قَدْ قُلْتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَإِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ فَصُمْ وَأَفْطِرْ وَنَمْ وَقُمْ وَصُمْ مِنَ الشَّهْرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنَّ الْحَسَنَةَ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا وَذَلِكَ مِثْلُ صِيَامِ الدَّهْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ صُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا وَذَلِكَ صِيَامُ دَاوُدَ – عَلَيْهِ السَّلاَمُ – وَهُوَ أَعْدَلُ الصِّيَامِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو رضى الله عنهما لأَنْ أَكُونَ قَبِلْتُ الثَّلاَثَةَ الأَيَّامَ الَّتِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَهْلِي وَمَالِي ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অবহিত করা হলো যে, আমি বলছি, আমি যতদিন বেঁচে থাকব সারা রাতে সলাত আদায় করব এবং সর্বদা দিনের বেলা সিয়াম পালন করব। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাকে) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এ কথা বলেছ? আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি এ কথা বলেছি। তিনি বললেন, তুমি এ কাজ করতে পারবে না, কারণ তোমার সে সামর্থ্য নেই। পড়, নিদ্রাও যাও। আর প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন কর। কেননা প্রত্যেক নেক কাজের জন্য দশগুণ সাওয়াব পাওয়া যায়। এতেই সারা জীবন সিয়াম পালন করার সাওয়াব পাওয়া যাবে। রাবী বলেন, আমি আরয করলাম, আমি এর চেয়েও বেশী করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তবে একদিন সিয়াম পালন কর এবং অতঃপর দু’দিন সিয়াম পালন থেকে বিরত থাক। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এর চেয়েও বেশী করতে সক্ষম’। তিনি বললেন, তাহলে তুমি একদিন সিয়াম পালন কর এবং একদিন বিরত থাক। এটাই দাউদ (আঃ)-এর সিয়াম। আর এর চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই।

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশ মত তিন দিনের সিয়াম পালন করাকে যদি আমি গ্রহণ করে নিতাম তাহলে এটা আমার কাছে আমার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের চেয়েও পছন্দনীয় হত। (ই.ফা. ২৫৯৬, ই.সে. ২৫৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২০

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الرُّومِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، – وَهُوَ ابْنُ عَمَّارٍ – حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَتَّى نَأْتِيَ أَبَا سَلَمَةَ فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهِ رَسُولاً فَخَرَجَ عَلَيْنَا وَإِذَا عِنْدَ بَابِ دَارِهِ مَسْجِدٌ – قَالَ – فَكُنَّا فِي الْمَسْجِدِ حَتَّى خَرَجَ إِلَيْنَا ‏.‏ فَقَالَ إِنْ تَشَاءُوا أَنْ تَدْخُلُوا وَإِنْ تَشَاءُوا أَنْ تَقْعُدُوا هَا هُنَا ‏.‏ – قَالَ – فَقُلْنَا لاَ بَلْ نَقْعُدُ هَا هُنَا فَحَدِّثْنَا ‏.‏ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ – رضى الله عنهما – قَالَ كُنْتُ أَصُومُ الدَّهْرَ وَأَقْرَأُ الْقُرْآنَ كُلَّ لَيْلَةٍ – قَالَ – فَإِمَّا ذُكِرْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَإِمَّا أَرْسَلَ إِلَىَّ فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ لِي ‏”‏ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ الدَّهْرَ وَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ كُلَّ لَيْلَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَلَمْ أُرِدْ بِذَلِكَ إِلاَّ الْخَيْرَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ بِحَسْبِكَ أَنْ تَصُومَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا – قَالَ – فَصُمْ صَوْمَ دَاوُدَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّهُ كَانَ أَعْبَدَ النَّاسِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَمَا صَوْمُ دَاوُدَ قَالَ ‏”‏ كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَاقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ شَهْرٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ فَاقْرَأْهُ فِي كُلِّ عِشْرِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ ‏”‏ فَاقْرَأْهُ فِي كُلِّ عَشْرٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاقْرَأْهُ فِي كُلِّ سَبْعٍ وَلاَ تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ ‏.‏ فَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَشَدَّدْتُ فَشُدِّدَ عَلَىَّ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي لَعَلَّكَ يَطُولُ بِكَ عُمْرٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَصِرْتُ إِلَى الَّذِي قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا كَبِرْتُ وَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ قَبِلْتُ رُخْصَةَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ আবূ সালামার সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশে রওনা হলাম। অবশেষে আমরা তার বাড়িতে গিয়ে পৌছলাম। তার বাড়ির সামনেই ছিল একটি মাসজিদ। আমরা সেখানে গিয়ে বসলাম এবং তাকে খবর দেয়ার জন্য একটি লোক পাঠালাম। তিনি বাড়ির ভিতর থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে এসে বললেন, তোমরা ইচ্ছে করলে ঘরে গিয়েও বসতে পার অথবা এখানেও বসতে পার। আমরা বললাম, অবশ্যই আমরা এখানে বসব। অতঃপর তিনি আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) আমার কাছে বলেছেন, আমি সর্বদা সিয়াম পালন করতাম এবং প্রতি রাতেই (রাতভর) কু্রআন তিলাওয়াত করতাম। পরে হয়ত বা আমার ব্যাপারে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আলোচনা করা হয়েছে অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি নিজেই আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। আমি গিয়ে তাঁর কাছে হাজির হলাম। তিনি বললেন, আমি জানতে পারলাম, তুমি নাকি সর্বদা সিয়াম পালন কর এবং প্রতি রাতেই (সারারাত) কুরআন তিয়াওয়াত কর? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর নবী! আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমি কল্যাণ লাভ করার উদ্দেশেই তা করে থাকি। তিনি বললেন, প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন করাই তোমার জন্য যথেষ্ট। তখন আমি বললাম, আমি এর চেয়েও বেশী করতের সক্ষম। তিনি বললেন, (এরূপ করো না)। কেননা তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অধিকার রয়েছে, যারা তোমার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে তাদেরও তোমার উপর অধিকার রয়েছে। আর তোমার উপর তোমার দেহেরও হাক্ব আছে। তাই তুমি আল্লাহর নবী দাউদ (আঃ)-এর সিয়াম অনুসরণ কর। কেননা তিনি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ‘ইবাদাত করতেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! দাউদ (আঃ)-এর সিয়াম কী? তিনি বললেন, দাউদ (‘আঃ) একদিন সিয়াম পালন করতেন এবং একদিন পালন করতেন না (অর্থাৎ একদিন পরপর সিয়াম পালন করতেন)।

তিনি (আরো) বললেন, তুমি প্রতি মাসে একবার কুরআন খতম কর। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমি এর চেয়েও বেশী পড়ার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি প্রতি বিশ দিনে একবার কুরআন খতম কর। আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর নবী! আমি এর চেয়েও বেশী করতে সক্ষম। তিনি বললেন, তাহলে তুমি প্রতি দশ দিনে একবার কুরআন খতম কর। আমি আবার বললাম, হে আল্লাহর নবী এর চেয়েও বেশী পারি। তিনি বললেন, তুমি সাতদিন অন্তর কুরআন খতম কর, তবে এর চেয়ে বেশী পড়ো না। কেননা তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক্ব আছে, তোমারে সাক্ষাতপ্রার্থীদেরও তোমার উপর হাক্ব আছে, আর তোমার শরীরেরও তোমার উপর হাক্ব আছে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি (সর্বদা সিয়াম পালন করে) নিজের উপর কঠোরতা করেছি। ফলে (আমার উপরও) কঠোরতা চেপে বসেছে। তিনি আরো বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছিলেন, তোমার জানা নেই হয়ত বা তুমি দীর্ঘায়ু লাভ করবে। (তখন তোমার পক্ষে এত বেশী ‘আমাল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।)

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছিলেন বাস্তবে তাই হলো। আমি যখন বয়োবৃদ্ধ হয়ে পড়লাম তখন অনুশোচনা করে বলতাম, “হায়! আমি যদি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেয়া অবকাশটুকু গ্রহণ করতাম! (ই.ফা. ২৫৯৭, অ.সে. ২৫৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২১

وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِيهِ بَعْدَ قَوْلِهِ ‏”‏ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ ‏”‏ ‏”‏ فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ حَسَنَةٍ عَشْرَ أَمْثَالِهَا فَذَلِكَ الدَّهْرُ كُلُّهُ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ قُلْتُ وَمَا صَوْمُ نَبِيِّ اللَّهِ دَاوُدَ قَالَ ‏”‏ نِصْفُ الدَّهْرِ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي الْحَدِيثِ مِنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ شَيْئًا وَلَمْ يَقُلْ ‏”‏ وَإِنَّ لِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا ‏”‏ ‏.‏ وَلَكِنْ قَالَ ‏”‏ وَإِنَّ لِوَلَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا ‏”‏ ‏.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে ‘প্রতি মাসে তিনদিন করে সিয়াম পালন করাই যথেষ্ট’- এ কথার পরে আরো আছে, “কেননা প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময়ে তার দশগুণ সাওয়াব পাওয়া যায়, আর এভাবে তা সারা বছরের সিয়ামের সমতুল্য গণ্য হয়”। তিনি তার বর্ণিত হাদীসের আরো উল্লেখ করেছেন, “আমি বললাম, আল্লাহর নবী দাউদ (‘আঃ)- এর সিয়াম কী (ছিল)? তিনি বললেন, বছরের অর্ধেক (অর্থাৎ একদিন সিয়াম পালন করা ও একদিন সিয়াম ভাঙ্গা)। তিনি (এ হাদীসে) কুরআন তিলাওয়াতের প্রসঙ্গে কিছুই উল্লেখ করেননি। এ বর্ণনায় তিনি “তোমার সাক্ষাত-প্রার্থীদেরও তোমার উপর হাক্ব আছে”- এ কথাটি উল্লেখ করেননি। বরং এতে আছেঃ তোমার সন্তানদেরও তোমার উপর হাক্ব আছে। (ই.ফা. ২৫৯৮, ই.সে. ২৫৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২২

حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى بَنِي زُهْرَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ – وَأَحْسِبُنِي قَدْ سَمِعْتُهُ أَنَا مِنْ أَبِي سَلَمَةَ، – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ اقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ شَهْرٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاقْرَأْهُ فِي عِشْرِينَ لَيْلَةً ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ وَلاَ تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ ‏”‏ ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি প্রতি মাসে একবার করে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ কর। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আরো বেশী পড়ার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি বিশ দিন অন্তর একবার কুরআন খতম কর। রাবী বলেন, আমি আবার আরয করলাম, আমার আরো (বেশী পাঠ করার ) শক্তি আছে। তিনি বললেন, তাহলে তুমি সাত দিন অন্তর একবার সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ কর। তবে এর চেয়ে বেশী (তিলাওয়াত) করো না। (কারণ এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যে কুরআন খতম করলে কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা এবং এর মর্ম উপলব্ধি করার সুযোগ হয় না)। [১১] (ই.ফা. ২৫৯৯, ই.সে. ২৫৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১১] এ বর্ণনাসমূহ থেকে জানা গেল যে, রমাযান মাসের এক রাত্রিতে পূর্ণাঙ্গ কুরআন মাজীদ খতম করার যে রীতি প্রচলিত আছে এবং কুরআনের হাফিযগণ এতে গর্ববোধ করেন তা সুন্নাতের খেলাফ এবং প্রকৃতপক্ষে বিদ’আত। আর বিশেষ করে এতে হাফিযদের এবং যে সকল ব্যক্তি এতে অংশগ্রহণ করে তাদের গর্ব করা যে, আমি একরাত্রিতে কুরআন খতম করেছি বা এতে অংশগ্রহণ করেছি এটা স্পষ্ট আহমকী ছাড়া আর কিছুই নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৩

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قِرَاءَةً قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنِ ابْنِ الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا عَبْدَ اللَّهِ لاَ تَكُنْ بِمِثْلِ فُلاَنٍ كَانَ يَقُومُ اللَّيْلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيْلِ ‏”‏ ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ ! (বেশী বেশী রাত জেগে) তুমিও অমুক ব্যক্তির মতো হয়ে যেও না। সে রাত জেগে জেগে সলাত আদায় করত, অতঃপর রাত জেগে ‘ইবাদাত করা ছেড়ে দিয়েছে। (ই.ফা. ২৬০০, ই.সে ২৫৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يَزْعُمُ أَنَّ أَبَا الْعَبَّاسِ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ بَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنِّي أَصُومُ أَسْرُدُ وَأُصَلِّي اللَّيْلَ فَإِمَّا أَرْسَلَ إِلَىَّ وَإِمَّا لَقِيتُهُ فَقَالَ ‏”‏ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ وَلاَ تُفْطِرُ وَتُصَلِّي اللَّيْلَ فَلاَ تَفْعَلْ فَإِنَّ لِعَيْنِكَ حَظًّا وَلِنَفْسِكَ حَظًّا وَلأَهْلِكَ حَظًّا ‏.‏ فَصُمْ وَأَفْطِرْ وَصَلِّ وَنَمْ وَصُمْ مِنْ كُلِّ عَشْرَةِ أَيَّامٍ يَوْمًا وَلَكَ أَجْرُ تِسْعَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنِّي أَجِدُنِي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَصُمْ صِيَامَ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَكَيْفَ كَانَ دَاوُدُ يَصُومُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا وَلاَ يَفِرُّ إِذَا لاَقَى ‏”‏ ‏.‏ قَالَ مَنْ لِي بِهَذِهِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ عَطَاءٌ فَلاَ أَدْرِي كَيْفَ ذَكَرَ صِيَامَ الأَبَدِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ ‏”‏ ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতে পারলেন, আমি অনবরত সিয়াম পালন করি এবং রাতভর সলাত আদায় করি। তিনি আমাকে ডেকে পাঠালেন অথবা (রাবীর সন্দেহ) আমি তাঁর সাথে দেখা করি। তিনি বললেন, আমি খবর পেয়েছি, তুমি অনবরত সিয়াম পালন কর, বিরতি দাও না, আর রাত ভর সলাত আদায় কর। এরপর আর এরূপ করবে না। কেননা তোমার উপর তোমার চোখের অংশ (হাক্ব) আছে, তোমার দেহ ও আত্মার অংশ আছে এবং তোমার পরিবার-পরিজনেরও অংশ আছে। কাজেই তুমি সিয়ামও পালন কর, বিরতিও দাও, সলাতও আদায় কর, ঘুমও যাও। তুমি দশ দিনে একদিন সিয়াম পালন কর, তাহলে বাকি নয়টি দিনেরও সাওয়াব পাবে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমি নিজের মধ্যে এর চেয়েও অধিক সিয়াম পালন করার শক্তি রাখি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি দাউদ (আঃ)-এর মত সিয়াম পালন কর।

তিনি (‘আবদুল্লাহ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! দাউদ (আঃ) কিভাবে সিয়াম পালন করতেন? তিনি (নবী) বললেন, দাউদ (আঃ) একদিন সিয়াম পালন করতেন এবং একদিন বিরতি দিতেন। এ জন্যেই (দুর্বল হতেন না এবং) দুশমনের সম্মুখীন হলে (ময়দান ছেড়ে) পালাতেন না। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! এ ব্যাপারে কে আমার দায়িত্ব নিবে? ‘আত্বা বলেন, আমি জানি না, অনবরত সিয়াম পালন করার বিষয়টি কিভাবে আলোচনায় আসল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যে ব্যক্তি অনবরত সিয়াম পালন করল, সে যেন কোন সিয়ামই পালন করেনি। যে ব্যক্তি সব সময় সিয়াম পালন করল সে যেন সিয়ামই পালন করেনি, যে ব্যক্তি সদাসর্বদা সিয়াম পালন করল সে যেন সিয়ামই পালন করেনি। ( ই.ফা. ২৬০১, ই.সে ২৬০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৫

وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ إِنَّ أَبَا الْعَبَّاسِ الشَّاعِرَ أَخْبَرَهُ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّائِبُ بْنُ فَرُّوخَ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ ثِقَةٌ عَدْلٌ ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং তিনি বলেছেন, আবূ ‘আব্বাস শা’ইর (রহঃ) তাকে অবহিত করেছেন।

(ইমাম মুসলিম বলেন): তিনি হলেন আবু ‘আব্বাস আস্ সায়িব ইবনু ফার্রূখ। তিনি মাক্কার অধিবাসী এবং বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন। (ই.ফা. ২৬০২, ই.সে.২৬০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৬

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبٍ، سَمِعَ أَبَا الْعَبَّاسِ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو إِنَّكَ لَتَصُومُ الدَّهْرَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ وَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ هَجَمَتْ لَهُ الْعَيْنُ وَنَهِكَتْ لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ صَوْمُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنَ الشَّهْرِ صَوْمُ الشَّهْرِ كُلِّهِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ فَإِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَصُمْ صَوْمَ دَاوُدَ كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا وَلاَ يَفِرُّ إِذَا لاَقَى ‏”‏ ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র! তুমি তো একাধারে সওম (রোযা) পালন করে যাচ্ছ। সারারাত ‘ইবাদাতে দাঁড়িয়ে থাক। তুমি এরূপ করলে তাতে তোমার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলবে। যে ব্যক্তি সর্বদা সওম পালন করল, সে মূলত সওম পালন করল না। মাসে তিন দিন সওম পালন করা পূর্ণ মাস পালনের সমতুল্য। আমি বললাম, আমি এর চেয়েও বেশি সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, দাউদ (‘আঃ)-এর ন্যায় সওম পালন কর। তিনি একদিন সওম পালন করতেন এবং একদিন ছেড়ে দিতেন এবং পলায়ন করতেন না যখন শত্রুর সম্মুখীন হতেন। (ই.ফা. ২৬০৩, ই.সে. ২৬০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৭

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ‏ “‏ وَنَفِهَتِ النَّفْسُ ‏”‏ ‏.

হাবীব ইবনু আবূ সাবিত (রহঃ) থেকে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এতে আরও আছে, “এবং তুমি শ্রান্ত-ক্লান্ত হয়ে পড়বে।” (ই.ফা. ২৬০৪, ই. সে. ২৬০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَقُومُ اللَّيْلَ وَتَصُومُ النَّهَارَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي أَفْعَلُ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ هَجَمَتْ عَيْنَاكَ وَنَفِهَتْ نَفْسُكَ لِعَيْنِكَ حَقٌّ وَلِنَفْسِكَ حَقٌّ وَلأَهْلِكَ حَقٌّ قُمْ وَنَمْ وَصُمْ وَأَفْطِرْ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, আমাকে তোমার সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে যে, তুমি সারারাত দাঁড়িয়ে সলাত আদায় কর এবং দিনের বেলা সওম রাখ? আমি বললাম, আমি অবশ্য করি। তিনি বলেন, তুমি এরূপ করতে গেলে অনিদ্রার কারণে তোমার চোখ কোটরাগত হবে এবং তুমি দুর্বল হয়ে পড়বে। তোমার চোখের হাক্ব রয়েছে, তোমার দেহের হাক্ব রয়েছে এবং তোমার পরিবার-পরিজনের হাক্ব রয়েছে। অতএব তুমি রাতে ‘ইবাদতও করবে এবং নিদ্রাও যাবে। সওমও পালন করবে, আবার তা বাদও দিবে। (ই. ফা. ২৬০৫, ই. সে. ২৬০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬২৯

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ أَحَبَّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ صِيَامُ دَاوُدَ وَأَحَبَّ الصَّلاَةِ إِلَى اللَّهِ صَلاَةُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ وَكَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ্‌র নিকট পছন্দনীয় সওম হচ্ছে দাঊদ (আঃ)-এর সওম এবং তাঁর নিকট পছন্দনীয় সলাত হচ্ছে দাঊদ (আঃ)-এর সলাত। তিনি অর্ধরাত ঘুমাতেন। অতঃপর এক তৃতীয়াংশ রাত ‘ইবাদাতে থাকতেন। অতঃপর এক ষষ্ঠাংশ রাত ঘুমাতেন। তিনি একদিন সওম পালন করতেন এবং একদিন বাদ দিতেন। (ই.ফা. ২৬০৬, ই. সে. ২৬০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩০

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو، بْنُ دِينَارٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، – رضى الله عنهما – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ صِيَامُ دَاوُدَ كَانَ يَصُومُ نِصْفَ الدَّهْرِ وَأَحَبُّ الصَّلاَةِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ صَلاَةُ دَاوُدَ – عَلَيْهِ السَّلاَمُ – كَانَ يَرْقُدُ شَطْرَ اللَّيْلِ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْقُدُ آخِرَهُ يَقُومُ ثُلُثَ اللَّيْلِ بَعْدَ شَطْرِهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَعَمْرُو بْنُ أَوْسٍ كَانَ يَقُولُ يَقُومُ ثُلُثَ اللَّيْلِ بَعْدَ شَطْرِهِ قَالَ نَعَمْ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ্‌র নিকট সর্বাধিক প্রিয় সওম হচ্ছে দাঊদ (‘আঃ)-এর সওম। তিনি বছরের অর্ধেক কাল সওম পালন করতেন। মহান আল্লাহ্‌র নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় সলাত হচ্ছে দাঊদ (আঃ)-এর সলাত। তিনি অর্ধ রাত ঘুমাতেন, অতঃপর সলাতে দাঁড়াতেন, অতঃপর শেষ রাতে ঘুমিয়ে যেতেন। তিনি অর্ধ রাত অতিক্রান্ত হবার পর এক-তৃতীয়াংশ রাত ‘ইবাদাত করতেন।

রাবী ইবনু জুয়ায়জ (রহঃ) বলেন, আমি ‘আমর ইবনু দীনারকে বললাম, ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) কি এ কথা বলতেন যে, তিনি অর্ধরাত অতিক্রান্ত হবার পর এক-তৃতীয়াংশ রাত ‘ইবাদাতে থাকতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ই. ফা. ২৬০৭ ই. সে. ২৬০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الْمَلِيحِ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أَبِيكَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذُكِرَ لَهُ صَوْمِي فَدَخَلَ عَلَىَّ فَأَلْقَيْتُ لَهُ وِسَادَةً مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ فَجَلَسَ عَلَى الأَرْضِ وَصَارَتِ الْوِسَادَةُ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَقَالَ لِي ‏”‏ أَمَا يَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ خَمْسًا ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ سَبْعًا ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تِسْعًا ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَحَدَ عَشَرَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ صَوْمَ فَوْقَ صَوْمِ دَاوُدَ شَطْرُ الدَّهْرِ صِيَامُ يَوْمٍ وَإِفْطَارُ يَوْمٍ ‏”‏ ‏.

আবূ ক্বিলাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে আবুল মালীহ (রহঃ) অবহিত করেছেন, তিনি বলেছেন: আমি তোমার পিতার সাথে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি আমাদের নিকট বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমার সওম সম্পর্কে উল্লেখ করা হলে তিনি আমার কাছে এলেন। আমি তাঁর জন্য একটি চামড়ার বালিশ বিছিয়ে দিলাম। তাতে খেজুরের আঁশ ভর্তি ছিল। তিনি মাটির উপর বসে গেলেন এবং বালিশটি তাঁর ও আমার মাঝে পড়ে থাকল। তিনি আমাকে বললেন, প্রতি মাসে তিনদিন সওম পালন করা কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আমি বললাম: হে আল্লাহ্‌র রসূল (আমি এর চেয়ে বেশি সামর্থ্য রাখি)! তিনি বললেন, তাহলে পাঁচদিন? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল (আমি এর চেয়ে বেশি সামর্থ্য রাখি)! তিনি বললেন, তাহলে সাতদিন? আমি বললাম : হে আল্লাহ্‌র রসূল (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি)! তিনি বললেন, তাহলে নয়দিন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি)! তিনি বললেন, তাহলে এগারদিন। আমি বললাম : হে আল্লাহ্‌র রসূল (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি)! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, দাঊদ (আঃ)-এর সওমের উপর কোন সওম নেই। তিনি বছরের অর্ধেক অর্থাত একদিন যদি এ সওম পালন করতেন, আরেক দিন বাদ দিতেন। (ই.ফা. ২৬০৮, ই. সে. ২৬০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ فَيَّاضٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عِيَاضٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو – رضى الله عنهما – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ‏”‏ صُمْ يَوْمًا وَلَكَ أَجْرُ مَا بَقِيَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صُمْ يَوْمَيْنِ وَلَكَ أَجْرُ مَا بَقِيَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَكَ أَجْرُ مَا بَقِيَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صُمْ أَرْبَعَةَ أَيَّامٍ وَلَكَ أَجْرُ مَا بَقِيَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ صُمْ أَفْضَلَ الصِّيَامِ عِنْدَ اللَّهِ صَوْمَ دَاوُدَ – عَلَيْهِ السَّلاَمُ – كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‍র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেন, তুমি একদিন সওম পালন করলে পরের দিনের সাওয়াব পাবে। তিনি বলেন, আমি আরও অধিক রাখতে সক্ষম। তিনি বললেন, তুমি দু’দিন সওম পালন কর। তাহলে অবশিষ্ট দিনগুলোর সাওয়াব পাবে। তিনি বললেন, আমি আরও অধিক সওম পালন করতে সক্ষম। তিনি বললেন, তুমি তিনদিন সওম পালন কর তাহলে অবশিষ্ট দিনগুলোরও সাওয়াব পাবে। তিনি বললেন, আমি আরও অধিক রাখতে সক্ষম। তিনি বললেন, তুমি চারদিন সওম পালন কর, তাহলে অবশিষ্ট দিনগুলোরও সাওয়াব লাভ করবে। তিনি বললেন, আমি আরও অধিক রাখতে সক্ষম। তিনি বললেন, তুমি দাঊদ (‘আঃ)-এর সওম পালন কর যা আল্লাহ্‌র কাছে সর্বোত্তম সাওম। তিনি পর্যায়ক্রমে একদিন সওম পালন করতেন এবং পরের দিন বাদ দিতেন। (ই.ফা. ২৬০৯, ই. সে. ২৬০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৩

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، – قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، – حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو بَلَغَنِي أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ فَلاَ تَفْعَلْ فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَظًّا وَلِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَظًّا وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَظًّا صُمْ وَأَفْطِرْ صُمْ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَذَلِكَ صَوْمُ الدَّهْرِ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بِي قُوَّةً ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَصُمْ صَوْمَ دَاوُدَ – عَلَيْهِ السَّلاَمُ – صُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا ‏”‏ ‏.‏ فَكَانَ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي أَخَذْتُ بِالرُّخْصَةِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‍র! আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি দিনের বেলা সওম পালন কর এবং রাতের সলাতে থাক, তুমি এরূপ করো না। কারণ তোমার উপর তোমাদের দেহের একটি অংশ (হাক্ব) রয়েছে, তোমার উপর তোমার চোখের অংশ রয়েছে এবং তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অংশ রয়েছে। তুমি সওমও পালন কর এবং বাদও দাও। প্রতি মাসে তিনদিন করে সওম পালন কর এবং এটাই হ’ল সারা বছরের সওম (এর নিয়ম)। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার আরও শক্তি আছে। তিনি বললেন, তাহলে দাঊদ (‘আঃ)-এর সওম-এর মতো সওম পালন কর। পর্যায়ক্রমে একটি সওম পালন কর এবং একদিন বাদ দাও।

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলতেন, হায়! আমি যদি সহজটার উপর ‘আমাল করতাম! (ই.ফা. ২৬১০, ই. সে. ২৬০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬. অধ্যায়ঃ

প্রতি মাসে তিনদিন, আরাফাতের দিন, ‘আশুরার দিন, সোম ও বৃহস্পতিবার সওম পালনের ফাযীলাত

২৬৩৪

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، قَالَ حَدَّثَتْنِي مُعَاذَةُ، الْعَدَوِيَّةُ أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهَا مِنْ أَىِّ أَيَّامِ الشَّهْرِ كَانَ يَصُومُ قَالَتْ لَمْ يَكُنْ يُبَالِي مِنْ أَىِّ أَيَّامِ الشَّهْرِ يَصُومُ ‏.

মু’আযাহ্ আল ‘আদাবিয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর কাছে জানতে চাইলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি প্রতি মাসে তিনদিন সওম পালন করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করলাম, মাসের কোন্ কোন্ দিন তিনি সওম পালন করতেন? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তিনি মাসের যে কোন দিন সওম পালন করতে দ্বিধা করতেন না। (ই.ফা. ২৬১১, ই. সে. ২৬১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৫

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ، – وَهُوَ ابْنُ مَيْمُونٍ – حَدَّثَنَا غَيْلاَنُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، – رضى الله عنهما – أَنَّصلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَوْ قَالَ لِرَجُلٍ وَهُوَ يَسْمَعُ ‏”‏ يَا فُلاَنُ أَصُمْتَ مِنْ سُرَّةِ هَذَا الشَّهْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ ‏”‏ ‏.

ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন অথবা (অধঃস্তন রাবীর সন্দেহ) তিনি কোন ব্যক্তিকে বলেছেন এবং তিনি তা শুনলেন, হে অমুক! তুমি কি এ মাসের মধ্যভাগে সওম পালন করেছিলে? সে বলল, না। তিনি বললেন, যখন তুমি তা ভঙ্গ করবে, তখন দু’দিন সওম পালন করবে। (ই.ফা. ২৬১২, ই. সে. ২৬১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৬

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، رَجُلٌ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَيْفَ تَصُومُ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ – رضى الله عنه – غَضَبَهُ قَالَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ وَغَضَبِ رَسُولِهِ ‏.‏ فَجَعَلَ عُمَرُ – رضى الله عنه – يُرَدِّدُ هَذَا الْكَلاَمَ حَتَّى سَكَنَ غَضَبُهُ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ الدَّهْرَ كُلَّهُ قَالَ ‏”‏ لاَ صَامَ وَلاَ أَفْطَرَ – أَوْ قَالَ – لَمْ يَصُمْ وَلَمْ يُفْطِرْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمَيْنِ وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ ‏”‏ وَيُطِيقُ ذَلِكَ أَحَدٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ ‏”‏ ذَاكَ صَوْمُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمَيْنِ قَالَ ‏”‏ وَدِدْتُ أَنِّي طُوِّقْتُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ثَلاَثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ ‏”‏ ‏.

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনি কিভাবে সওম পালন করেন? তার এ কথায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসন্তুষ্ট হলেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁর অসন্তোষ লক্ষ্য করে বললেন, “আমরা আল্লাহ্‌র উপর (আমাদের) প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামের উপর (আমাদের) দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর আমাদের নবী হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর ও তাঁর রসূলের অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি”। উমার (রাঃ) কথাটি বার বার আওড়াতে থাকলেন, এমনকি শেষ পর্যন্ত রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসন্তোষের ভাব দূরীভূত হ’ল। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! যে ব্যক্তি সারা বছর সওম পালন করে তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, সে সওম পালন করেনি এবং ছেড়েও দেয়নি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, যে ব্যক্তি একদিন পর একদিন সওম পালন করে তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, এটা দাঊদ (আঃ)-এর সওম। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, যে একদিন সওম পালন করে ও একদিন করে না, তার অবস্থা কিরূপ? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি আশা করি যে, আমার এতটা শক্তি হোক। তিনি পুনরায় বললেন, প্রতি মাসে তিনদিন সওম পালন করা এবং রমাযান মাসের সওম এক রমাযান থেকে পরবর্তী রমাযান পর্যন্ত সারা বছর সওম পালনের সমান। আর ‘আরাফাহ্ দিবসের সওম সম্পর্কে আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে। আর ‘আশুরার সওম সম্পর্কে আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফ্‌ফারাহ্‌ হয়ে যাবে। (ই.ফা. ২৬১৩, ই. সে. ২৬১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيَّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ صَوْمِهِ قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ رضى الله عنه رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِبَيْعَتِنَا بَيْعَةً ‏.‏ قَالَ فَسُئِلَ عَنْ صِيَامِ الدَّهْرِ فَقَالَ ‏”‏ لاَ صَامَ وَلاَ أَفْطَرَ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ ‏”‏ مَا صَامَ وَمَا أَفْطَرَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمَيْنِ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ قَالَ ‏”‏ وَمَنْ يُطِيقُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمَيْنِ قَالَ ‏”‏ لَيْتَ أَنَّ اللَّهَ قَوَّانَا لِذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ قَالَ ‏”‏ ذَاكَ صَوْمُ أَخِي دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ قَالَ ‏”‏ ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ وَيَوْمٌ بُعِثْتُ أَوْ أُنْزِلَ عَلَىَّ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ‏”‏ صَوْمُ ثَلاَثَةٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانَ إِلَى رَمَضَانَ صَوْمُ الدَّهْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ فَقَالَ ‏”‏ يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ وَالْبَاقِيَةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ فَقَالَ ‏”‏ يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ ‏”‏ ‏.‏ وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ رِوَايَةِ شُعْبَةَ قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَسَكَتْنَا عَنْ ذِكْرِ الْخَمِيسِ لَمَّا نَرَاهُ وَهْمًا ‏.

আবূ ক্বাতাদাহ্ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। এতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসন্তুষ্ট হলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমরা আল্লাহ্‌র উপর (আমাদের) প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামের উপর (আমাদের) দ্বীন হিসেবে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর (আমাদের) রসূল হিসেবে এবং আমাদের কৃত বাই’আতের উপর আমরা সন্তুষ্ট। অতঃপর সারা বছর সওম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেন, সে সওম পালন করেনি, ইফত্বার করেনি, সে সওম পালন করেনি এবং সওমহীনও থাকেনি। অতঃপর একাধারে দুদিন সওম পালন করা ও একদিন সওম পালন না করা সম্পর্কে জিজ্ঞস করা হ’ল। তিনি বললেন, এভাবে সওম পালনের সামর্থ্য কার আছে? অতঃপর একদিন সওম পালন ও দু’দিন সওম ত্যাগ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল। তিনি বললেন, আল্লাহ যেন আমাদের এরূপ সওম পালনের সামর্থ্য দান করেন। অতঃপর একদিন সওম পালন করা ও একদিন না করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল। তিনি বললেন, তা আমার ভাই দাঊদ (আঃ)-এর সওম। অতঃপর সোমবারের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, এ দিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং এ দিনই আমি নুবূয়াতপ্রাপ্ত হয়েছি বা আমার উপর (কুরবান) নাযিল করা হয়েছে। তিনি আরও বললেন, প্রতি মাসে তিনদিন এবং গোটা রমাযান সওম পালন করাই হ’ল সারা বছর সওম পালনের সমতূল্য। অতঃপর ‘আরাফাহ্‌ দিবসের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলেন তিনি বললেন, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহের কাফ্‌ফারা হয়ে যাবে। অতঃপর ‘আশূরার সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, বিগত বছরের গুনাহের কাফ্‌ফারাহ্‌ হয়ে যাবে।

এ হাদীসে শু’বাহ্-এর বর্ণনায় আরও আছে, “অতঃপর সোমবার ও বৃহস্পতিবারের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল”। কিন্তু আমাদের বৃহস্পতিবারের কথা ভুলবশতঃ বর্ণিত হয়েছে, তাই আমরা তার উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম। (ই.ফা. ২৬১৪, ই. সে. ২৬১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৮

وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ‏.

শু’বাহ্ (রহঃ)-এর সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৬১৫, ই. সে. ২৬১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৩৯

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا أَبَانُ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا غَيْلاَنُ بْنُ جَرِيرٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِ حَدِيثِ شُعْبَةَ غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ فِيهِ الاِثْنَيْنِ وَلَمْ يَذْكُرِ الْخَمِيسَ ‏.

গইলান ইবনু জারীর (রহঃ)-এর সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

শু’বাহ্-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে তিনি (গইলান) সোমবারের উল্লেখ করেছেন কিন্তু বৃহস্পতিবারের উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২৬১৬, ই. সে. ২৬১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪০

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، رضى الله عنه أَنَّرَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الاِثْنَيْنِ فَقَالَ ‏ “‏ فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ ‏”‏ ‏.

আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে সোমবারের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ঐদিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং ঐদিন আমার উপর (কুরআন) নাযিল হয়েছে। (ই.ফা. ২৬১৭, ই. সে. ২৬১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭. অধ্যায়ঃ

শা’বান মাসের সওম

২৬৪১

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، – وَلَمْ أَفْهَمْ مُطَرِّفًا مِنْ هَدَّابٍ – عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، – رضى الله عنهما – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَوْ لآخَرَ ‏”‏ أَصُمْتَ مِنْ سَرَرِ شَعْبَانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ ‏”‏ ‏.

‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অথবা অপর কাউকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি শা’বান মাসের মধ্যভাগে সওম পালন করেছিলে? তিনি বললেন, না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যখন তুমি সওম পালন করনি, তখন দু’দিন সওম পালন করে নিও। (ই.ফা. ২৬১৮, ই. সে. ২৬১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪২

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، – رضى الله عنهما – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِرَجُلٍ ‏”‏ هَلْ صُمْتَ مِنْ سُرَرِ هَذَا الشَّهْرِ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَإِذَا أَفْطَرْتَ مِنْ رَمَضَانَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ مَكَانَهُ ‏”‏ ‏.

‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এ মাসের মধ্যভাগে কিছু দিন সওম পালন করেছিলে? সে বলল, না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি তার বদলে রমাযানের সিয়াম শেষ করে দু’দিন সিয়াম পালন করবে। (ই.ফা. ২৬১৯, ই. সে. ২৬১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ ابْنِ أَخِي، مُطَرِّفِ بْنِ الشِّخِّيرِ قَالَ سَمِعْتُ مُطَرِّفًا، يُحَدِّثُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، – رضى الله عنهما – أَنَّصلى الله عليه وسلم قَالَ لِرَجُلٍ ‏”‏ هَلْ صُمْتَ مِنْ سِرَرِ هَذَا الشَّهْرِ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي شَعْبَانَ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ لَهُ ‏”‏ إِذَا أَفْطَرْتَ رَمَضَانَ فَصُمْ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ شُعْبَةُ الَّذِي شَكَّ فِيهِ قَالَ وَأَظُنُّهُ قَالَ يَوْمَيْنِ ‏.

’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বললেন, তুমি কি এক মাসের অর্থাৎ শা’বান মাসের মধ্যভাগে কিছু দিন সিয়াম পালন করেছ? সে বলল, না। তিনি তাকে বললেন, রমাযানের সওম পালন শেষ করে তুমি একদিন বা দু’দিন সওম পালন কর। এ সম্পর্কে শু’বাহ-এর সন্দেহ রয়েছে এবং রাবী বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি দু’দিনের কথা বলেছেন। (ই.ফা. ২৬২০, ই. সে. ২৬১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، وَيَحْيَى اللُّؤْلُؤِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَانِئِ ابْنِ أَخِي، مُطَرِّفٍ فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু হানী ইবনু আখী মুতাররিফ থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস করেছেন। (ই.ফা. ২৬২১, ই. সে. ২৬২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৮. অধ্যায়ঃ

মুহার্‌রমের সওমের ফাযীলাত

২৬৪৫

حَدَّثَنِي قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، الْحِمْيَرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: রমাযানের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সওম হচ্ছে আল্লাহ্‌র মাস মুহাররমের সওম এবং ফরয সলাতের পর সর্বোত্তম সলাত হচ্ছে রাতের সলাত। (ই.ফা. ২৬২২, ই. সে. ২৬২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৬

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، الْمُنْتَشِرِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يَرْفَعُهُ قَالَ سُئِلَ أَىُّ الصَّلاَةِ أَفْضَلُ بَعْدَ الْمَكْتُوبَةِ وَأَىُّ الصِّيَامِ أَفْضَلُ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ فَقَالَ ‏ “‏ أَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ الصَّلاَةُ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ وَأَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ صِيَامُ شَهْرِ اللَّهِ الْمُحَرَّمِ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে জিজ্ঞেস করা হ’ল, ফার্‍য সলাতসমূহের পর কোন্ সলাত এবং রমাযান মাসের সিয়ামের পর কোন্ সওম সর্বোত্তম? তিনি বললেন, ফরয সলাতসমূহের পর গভীর রাতের সলাত সর্বোত্তম এবং রমাযান মাসের সিয়ামের পর আল্লাহ্‌র মাস মুহার্‌রমের সওম সর্বোত্তম। (ই.ফা. ২৬২৩, ই. সে. ২৬২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، بْنِ عُمَيْرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي ذِكْرِ الصِّيَامِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

‘আবদুল মালিক ইবনু ‘উমায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৬২৪, ই.সে. ২৬২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯. অধ্যায়ঃ

রমাযানের রোযার পর শাও্ওয়াল মাসে ছয়দিন সওম পালনের ফাযীলাত

২৬৪৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ، – قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، – أَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عُمَرَ، بْنِ ثَابِتِ بْنِ الْحَارِثِ الْخَزْرَجِيِّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، – رضى الله عنه – أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ ‏”‏ ‏.

আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রমাযান মাসের সিয়াম পালন করে পরে শাও্ওয়াল মাসে ছয়দিন সিয়াম পালন করা সারা বছর সওম পালন করার মত। (ই.ফা. ২৬২৫, ই.সে. ২৬২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৪৯

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخُو يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ ثَابِتٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَيُّوبَ الأَنْصَارِيُّ، – رضى الله عنه – قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ২৬২৬, ই.সে. ২৬২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫০

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أَيُّوبَ، – رضى الله عنه – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.

আবূ আইয়ূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত। (ই.ফা. ২৬২৭, ই.সে. ২৬২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪০. অধ্যায়ঃ

লায়লাতুল ক্বদর-এর ফাযীলাত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – أَنَّ رِجَالاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতিপয় সহাবীকে স্বপ্ন দেখানো হ’ল যে, (রমাযানের) শেষ সাত দিনের মধ্যে ক্বদরের রাত নিহিত রয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি মনে করি যে, শেষের সাতদিন সম্পর্কে তোমাদের সকলের স্বপ্ন পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতএব যে ব্যক্তি তা অন্বেষণ করবে, সে যেন রমাযানের শেষ সাতদিনের রাতগুলোতে তা অন্বেষণ করে। (ই.ফা. ২৬২৮, ই.সে. ২৬২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫২

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ – رضى الله عنهما – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (রমাযানের) শেষ সাতদিনের রাতগুলোতে লায়লাতুল ক্বদ্র অন্বেষণ কর। (ই.ফা. ২৬২৯, ই.সে. ২৬২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫৩

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي، كَثِيرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِهِمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ انْصَرَفَ وَعَلَى جَبْهَتِهِ وَأَرْنَبَتِهِ أَثَرُ الطِّينِ ‏.

সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (পিতা) বলেন, এক ব্যক্তি (রমাযানের) ২৭তম রাতে লায়লাতুল ক্বদ্র দেখতে পেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমাকেও তোমাদের মত স্বপ্ন দেখানো হয়েছে যে, তা রমাযানের শেষ দশকে নিহিত আছে। অতএব এর বেজোড় রাতগুলোতে তা অনুসন্ধান কর। (ই.ফা. ২৬৩০, ই.সে. ২৬২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫৪

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ أَبَاهُ، – رضى الله عنه – قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِلَيْلَةِ الْقَدْرِ ‏ “‏ إِنَّ نَاسًا مِنْكُمْ قَدْ أُرُوا أَنَّهَا فِي السَّبْعِ الأُوَلِ وَأُرِيَ نَاسٌ مِنْكُمْ أَنَّهَا فِي السَّبْعِ الْغَوَابِرِ فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ ‏”‏ ‏.

সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর পিতা [আবদুল্লাহ (রাঃ)] বলেছেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে লায়লাতুল ক্বদ্র সম্পর্কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কতিপয় লোককে দেখানো হ’ল যে, তা রমাযানের প্রথম সাতদিনের মধ্যে, আবার কতিপয় লোককে দেখানো হয়েছে যে, তা শেষ সাতদিনের মধ্যে। অতএব (রমাযানের) শেষ দশকের মধ্যে তা অন্বেষণ কর। (ই.ফা. ২৬৩১, ই.সে. ২৬৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُقْبَةَ، – وَهُوَ ابْنُ حُرَيْثٍ – قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ – يَعْنِي لَيْلَةَ الْقَدْرِ – فَإِنْ ضَعُفَ أَحَدُكُمْ أَوْ عَجَزَ فَلاَ يُغْلَبَنَّ عَلَى السَّبْعِ الْبَوَاقِي ‏”‏ ‏.

’উক্ববাহ্ ইবনু হুরায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রমাযানের) শেষ দশ দিনে ক্বদ্‌রের রাত অনুসন্ধান কর। তোমাদের কেউ যদি দূর্বল অথবা অপরাগ হয়ে পড়ে, তবে সে যেন শেষের সাত রাতে অলসতা না করে। (ই.ফা. ২৬৩২, ই.সে. ২৬৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫৬

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَبَلَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَ مُلْتَمِسَهَا فَلْيَلْتَمِسْهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏”‏ ‏.

জাবালাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি ক্বদ্রের রাত অনুসন্ধান করতে চায়, সে যেন (রমাযানের) শেষ দশকে তা অনুসন্ধান করে। (ই.ফা. ২৬৩৩, ই.সে. ২৬৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ جَبَلَةَ، وَمُحَارِبٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَحَيَّنُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ فِي التِّسْعِ الأَوَاخِرِ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রমাযানের) শেষ দশকে ক্বদ্রের রাত অনুসন্ধান কর অথবা তিনি বলেছেন, শেষের সাত রাতে।(ই.ফা. ২৬৩৪, ই.সে. ২৬৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫৮

حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – أَنَّاللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أَيْقَظَنِي بَعْضُ أَهْلِي فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ حَرْمَلَةُ ‏”‏ فَنَسِيتُهَا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাকে স্বপ্নে ক্বদ্রের রাত দেখানো হয়েছিল। অতঃপর আমার পরিবারের কেউ আমাকে ঘুম থেকে জাগানোর ফলে আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা তা শেষ দশকে অন্বেষণ কর।

রাবী হারমালাহ্ (রহঃ) বলেছেনঃ “আমি তা ভুলে গেছি” (ই.ফা. ২৬৩৫, ই.সে. ২৬৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৫৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، – وَهُوَ ابْنُ مُضَرَ – عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي الْعَشْرِ الَّتِي فِي وَسَطِ الشَّهْرِ فَإِذَا كَانَ مِنْ حِينِ تَمْضِي عِشْرُونَ لَيْلَةً وَيَسْتَقْبِلُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ يَرْجِعُ إِلَى مَسْكَنِهِ وَرَجَعَ مَنْ كَانَ يُجَاوِرُ مَعَهُ ثُمَّ إِنَّهُ أَقَامَ فِي شَهْرٍ جَاوَرَ فِيهِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ الَّتِي كَانَ يَرْجِعُ فِيهَا فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَمَرَهُمْ بِمَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي كُنْتُ أُجَاوِرُ هَذِهِ الْعَشْرَ ثُمَّ بَدَا لِي أَنْ أُجَاوِرَ هَذِهِ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ فَمَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَبِتْ فِي مُعْتَكَفِهِ وَقَدْ رَأَيْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ فَأُنْسِيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فِي كُلِّ وِتْرٍ وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مُطِرْنَا لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ فِي مُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَقَدِ انْصَرَفَ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ وَوَجْهُهُ مُبْتَلٌّ طِينًا وَمَاءً ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (রমাযানের) মাঝের দশকে ই’তিকাফ করেন। অতঃপর ২০ তম দিন অতিবাহিত হবার পর এবং ২১ তম দিনের সূচনাতে তিনি নিজ বাসস্থানে ফিরে আসেন এবং তাঁর সঙ্গে যারা ই’তিকাফ করেন, তারাও নিজ নিজ আবাসে প্রত্যাবর্তন করেন। অতঃপর একবার রমাযান মাসের মাঝের দশকে তিনি ই’তিকাফ করলেন- যে রাতে তাঁর ই’তিকাফ হতে ফিরে আসার কথা, সে রাতে (পুনরায়) ই’তিকাফ আরম্ভ করলেন ও লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি বললেন, আমি সাধারণত এ (মধ্যম) দশকে ই’তিকাফ করতাম। এরপর শেষ দশকেও ই’তিকাফ করা আমার কাছে সমীচীন মনে হল। অতএব যে ব্যক্তি আমার সাথে ই’তিকাফ করতে চায়, যেন নিজ ই’তিকাফের স্থানে অবস্থান করে। আমি এ (ক্বদ্রের) রাত স্বপ্নে দেখেছিলাম, কিন্তু আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অতএব তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তা অনুসন্ধান কর। আমি স্বপ্নে নিজেকে পানি ও কাদার মধ্যে সাজ্দাহ্ করতে দেখেছি। আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) বলেন, ২১ তম রাতে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়। তিনি যখন ফজরের সলাত থেকে ফিরলেন, তখন আমি তাঁর মুখমণ্ডল কাদা ও পানিতে সিক্ত দেখলাম। (ই.ফা. ২৬৩৬,ই.সে. ২৬৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬০

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ – عَنْ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي رَمَضَانَ الْعَشْرَ الَّتِي فِي وَسَطِ الشَّهْرِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ فَلْيَثْبُتْ فِي مُعْتَكَفِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ وَجَبِينُهُ مُمْتَلِئًا طِينًا وَمَاءً ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসের মাঝের দশকে ই‘তিকাফ করতেন। অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় আছে, “সে যেন তার ই’তিকাফের স্থানে অবস্থান করে।” তিনি আরো বলেন, “তাঁর কপাল মুবারক কাদা ও পানিতে সিক্ত ছিল।” (ই.ফা. ২৬৩৭, ই.সে. ২৬৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬১

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَكَفَ الْعَشْرَ الأَوَّلَ مِنْ رَمَضَانَ ثُمَّ اعْتَكَفَ الْعَشْرَ الأَوْسَطَ فِي قُبَّةٍ تُرْكِيَّةٍ عَلَى سُدَّتِهَا حَصِيرٌ – قَالَ – فَأَخَذَ الْحَصِيرَ بِيَدِهِ فَنَحَّاهَا فِي نَاحِيَةِ الْقُبَّةِ ثُمَّ أَطْلَعَ رَأْسَهُ فَكَلَّمَ النَّاسَ فَدَنَوْا مِنْهُ فَقَالَ ‏”‏ إِنِّي اعْتَكَفْتُ الْعَشْرَ الأَوَّلَ أَلْتَمِسُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ اعْتَكَفْتُ الْعَشْرَ الأَوْسَطَ ثُمَّ أُتِيتُ فَقِيلَ لِي إِنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَعْتَكِفَ فَلْيَعْتَكِفْ ‏”‏ ‏.‏ فَاعْتَكَفَ النَّاسُ مَعَهُ قَالَ ‏”‏ وَإِنِّي أُرِيتُهَا لَيْلَةَ وِتْرٍ وَأَنِّي أَسْجُدُ صَبِيحَتَهَا فِي طِينٍ وَمَاءٍ ‏”‏ ‏.‏ فَأَصْبَحَ مِنْ لَيْلَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَقَدْ قَامَ إِلَى الصُّبْحِ فَمَطَرَتِ السَّمَاءُ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ فَأَبْصَرْتُ الطِّينَ وَالْمَاءَ فَخَرَجَ حِينَ فَرَغَ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ وَجَبِينُهُ وَرَوْثَةُ أَنْفِهِ فِيهِمَا الطِّينُ وَالْمَاءُ وَإِذَا هِيَ لَيْلَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসের প্রথম দশকে ই’তিকাফ করলেন। এরপর তিনি মাঝের দশকেও একটি তুকী তাঁবুর মধ্যে ই’তিকাফ করলেনে এবং তাঁবুর দরজায় একটি চাটাই ঝুলানো ছিল। রাবী বলেন, তিনি নিজ হাতে চাটাই ধরে তা তাঁবুর কোণে রাখলেন, এরপর নিজের মাথা বাইরে এনে লোকদের সাথে কথা বললেন এবং তারাও তাঁর নিকট এগিয়ে এলো। তিনি বললেন, এ রাতের অনুসন্ধানকল্পে আমি (রমাযানের) প্রথম দশকে ই’তিকাফ করলাম। অতঃপর মাঝের দশকে ই’তিকাফ করলাম। এরপর আমার নিকট একজন আগন্তুক (লোক) এসে আমাকে বলল, ‘লায়লাতুল ক্বদর্ শেষ দশকে নিহিত আছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ই’তিকাফ করতে চায় সে যেন ই’তিকাফ করে। লোকেরা তাঁর সঙ্গে (শেষ দশকে) ই’তিকাফ করল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বললেন, স্বপ্নে আমাকে তা কোন এক বেজোড় রাতে দেখানো হয়েছে এবং আমি যেন সে রাতে কাদা ও পানির মধ্যে ফজরের সাজ্দাহ্ করছি। (রাবী বলেন), তিনি ২১ তম রাতের ভোরে উপনীত হয়ে ফাজ্‍রের সলাতে দাঁড়ালেন এবং আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হল। ফলে ছাঁদ থেকে মাসজিদে পানি বর্ষিত হল এবং আমি স্বচক্ষে কাদা ও পানি দেখতে পেলাম। তিনি ফজরের সলাত শেষে যখন বের হয়ে এলেন, তখন তাঁর কপাল ও নাকের ডগা সিক্ত ও কর্দমাক্ত ছিল। আর তা ছিল রমাযানের শেষ দশকের ২১তম রাত। (ই.ফা. ২৬৩৮, ই.সে. ২৬৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ تَذَاكَرْنَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَأَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ – رضى الله عنه – وَكَانَ لِي صَدِيقًا فَقُلْتُ أَلاَ تَخْرُجُ بِنَا إِلَى النَّخْلِ فَخَرَجَ وَعَلَيْهِ خَمِيصَةٌ فَقُلْتُ لَهُ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَقَالَ نَعَمْ اعْتَكَفْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَشْرَ الْوُسْطَى مِنْ رَمَضَانَ فَخَرَجْنَا صَبِيحَةَ عِشْرِينَ فَخَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ إِنِّي أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ وَإِنِّي نَسِيتُهَا – أَوْ أُنْسِيتُهَا – فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ كُلِّ وِتْرٍ وَإِنِّي أُرِيتُ أَنِّي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ فَمَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلْيَرْجِعْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْنَا وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً قَالَ وَجَاءَتْ سَحَابَةٌ فَمُطِرْنَا حَتَّى سَالَ سَقْفُ الْمَسْجِدِ وَكَانَ مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ فِي الْمَاءِ وَالطِّينِ قَالَ حَتَّى رَأَيْتُ أَثَرَ الطِّينِ فِي جَبْهَتِهِ ‏.

আবূ সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা পরস্পর ক্বদ্রের রাত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। এরপর আমি আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ)-এর নিকট এলাম এবং তিনি ছিলেন আমার বন্ধু। আমি তাকে বললাম, আপনি কি আমাদের সাথে খেজুরের বাগানে যাবেন না? তিনি একটি চাদর পরিহিত অবস্থায় বের হলেন। আমি তাকে বললাম, আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে লায়লাতুল ক্বদ্র সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা রমাযান মাসের মাঝের দশকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ই’তিকাফ করলাম। আমরা ২১তম দিন ভোরে (ই’তিকাফ থেকে) বের হলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে বললেন, আমাকে স্বপ্নযোগে ক্বদ্রের রাত দেখানো হয়েছিল, কিন্তু আমি তা ভুলে গেছি অথবা আমাকে ভুলানো হয়েছে। তোমরা শেষ দশ দিনের প্রতিটি বেজোড় রাতে তা অন্বেষণ কর। আমি আরও দেখেছি যে, আমি কাদা ও পানির মধ্যে সাজ্দাহ্ করছি। অতএব যে ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ই’তিকাফ করেছে, সে যেন পুনরায় তার ই’তিকাফে ফিরে যায়। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেন, আমরা (ই’তিকাফের অবস্থায়) ফিরে গেলাম। আমরা আকাশে কোন মেঘ দেখতে পাইনি। ইতিমধ্যে একখণ্ড মেঘ এলো এবং আমাদের উপর বৃষ্টি হল, এমন কি মাসজিদের ছাদ হতে পানি প্রবাহিত হ’ল। মাসজিদের ছাদ খেজুর ডাটার ছাউনিযুক্ত ছিল। ফজরের সলাত আদায় করা হ’ল এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কাদা ও পানির মধ্যে সাজ্‌দাহ দিতে দেখলাম, এমনকি কি আমি তাঁর কপালে কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম। (ই.ফা. ২৬৩৯, ই.সে. ২৬৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৩

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي، كَثِيرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِهِمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ انْصَرَفَ وَعَلَى جَبْهَتِهِ وَأَرْنَبَتِهِ أَثَرُ الطِّينِ ‏.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) থেকে এ সানাদ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে উভয়ের (মা’মার ও আল আওযা’ঈ) বর্ণনায় আছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাত শেষ করে ফিরলেন তখন আমি তাঁর কপালে ও নাকের ডগায় কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম।(ই.ফা. ২৬৪০, ই.সে. ২৬৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، – رضى الله عنه – قَالَ اعْتَكَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَشْرَ الأَوْسَطَ مِنْ رَمَضَانَ يَلْتَمِسُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ قَبْلَ أَنْ تُبَانَ لَهُ فَلَمَّا انْقَضَيْنَ أَمَرَ بِالْبِنَاءِ فَقُوِّضَ ثُمَّ أُبِينَتْ لَهُ أَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَأَمَرَ بِالْبِنَاءِ فَأُعِيدَ ثُمَّ خَرَجَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ ‏ “‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهَا كَانَتْ أُبِينَتْ لِي لَيْلَةُ الْقَدْرِ وَإِنِّي خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ بِهَا فَجَاءَ رَجُلاَنِ يَحْتَقَّانِ مَعَهُمَا الشَّيْطَانُ فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ الْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا سَعِيدٍ إِنَّكُمْ أَعْلَمُ بِالْعَدَدِ مِنَّا ‏.‏ قَالَ أَجَلْ ‏.‏ نَحْنُ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنْكُمْ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا التَّاسِعَةُ وَالسَّابِعَةُ وَالْخَامِسَةُ قَالَ إِذَا مَضَتْ وَاحِدَةٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ وَهْىَ التَّاسِعَةُ فَإِذَا مَضَتْ ثَلاَثٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا السَّابِعَةُ فَإِذَا مَضَى خَمْسٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا الْخَامِسَةُ .‏ وَقَالَ ابْنُ خَلاَّدٍ مَكَانَ يَحْتَقَّانِ يَخْتَصِمَانِ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বদ্রের রাত অন্বেষণের উদ্দেশ্যে তা তাঁর কাছে সুস্পষ্ট হবার পূর্বে রমাযানের মধ্যেই দশদিন ই’তিকাফ করলেন। দশদিন অতিবাহিত হবার পর তিনি তাঁবু তুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। অতএব তা গুটিয়ে ফেলা হ’ল। অতঃপর তিনি জানতে পারলেন যে, তা শেষ দশ দিনের মধ্যে আছে। তাই তিনি পুনরায় তাঁবু খাটানোর নির্দেশ দিলেন। তা খাঁটানো হ’ল। এরপর তিনি লোকদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হে লোক সকল! আমাকে ক্বদ্রের রাত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল এবং আমি তোমাদের তা জানানোর জন্য বের হয়ে এলাম। কিন্তু দু’ ব্যক্তি পরস্পর ঝগড়া করতে করতে উপস্থিত হ’ল এবং তাদের সাথে ছিল শাইত্বান। তাই আমি তা ভুলে গেছি। অতএব তোমরা রমাযান মাসের শেষ দশ দিনে অন্বেষণ কর। তোমরা তা ৯ম, ৭ম ও ৫ম রাতে অন্বেষণ কর। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবূ সা’ঈদ! আপনি সংখ্যা সম্পর্কে আমাদের তুলনায় অধিক জ্ঞানী। তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমরাই এ বিষয়ে তোমাদের চেয়ে অধিক হাক্বদার। আমি বললাম ৯ম, ৭ম, ৫ম সংখ্যাগুলো কী? তিনি বললেন, যখন ২১তম রাত অতিবাহিত হয়ে যায় এবং ২২তম রাত শুরু হয়-তখন তা হচ্ছে ৯ম তারিখ, ২৩তম রাত অতিক্রান্ত হবার পরবর্তী রাত হচ্ছে ৭ম তারিখ এবং ২৫তম রাত অতিবাহিত হবার পরের দিনটি হচ্ছে ৫ম তারিখ।

ইবনু খাল্লাদের বর্ণনায়……. (আরবি)………-এর শব্দের স্থলে …… (আরবি)……শব্দের উল্লেখ আছে (অর্থ একই, অর্থাৎ তারা ঝগড়া করে)। (ই.ফা. ২৬৪১, ই.সে. ২৬৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৫

وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَهْلِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، الْكِنْدِيُّ وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، – وَقَالَ ابْنُ خَشْرَمٍ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، – عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ بُسْرِ بْنِ، سَعِيدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا وَأَرَانِي صُبْحَهَا أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمُطِرْنَا لَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْصَرَفَ وَإِنَّ أَثَرَ الْمَاءِ وَالطِّينِ عَلَى جَبْهَتِهِ وَأَنْفِهِ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ يَقُولُ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ ‏.

’আবদুল্লাহ ইবনু উনায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমাকে ক্বদ্রের রাত দেখানো হয়েছিল। অতঃপর তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাকে ঐ রাতের ভোর সম্পর্কে স্বপ্ন আরও দেখানো হয়েছে যে, আমি পানি ও কাদার মধ্যে সাজ্দাহ্ করছি। রাবী বলেন, অতএব ২৩ তম রাতে বৃষ্টি হ’ল এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে (ফজরের) সলাত আদায় করে যখন ফিরলেন, তখন আমরা তাঁর কপাল ও নাকের ডগায় কাদা ও পানির চিহ্ন দেখতে পেলাম। রাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু উনায়স (রাঃ) বলতেন, তা ছিল ২৩ তম। (ই.ফা. ২৬৪২, ই.সে. ২৬৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَوَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ ‏ “‏ الْتَمِسُوا – وَقَالَ وَكِيعٌ – تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমাযান মাসের শেষ দশ দিনে তোমরা ক্বদ্রের রাত (ইবনু নুমায়রের বর্ণনায়) অন্বেষণ কর এবং (ওয়াকী’-এর বর্ণনায়) সন্ধানে সচেষ্ট হও।( ই.ফা. ২৬৪৩, ই.সে. ২৬৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৭

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنْ عَبْدَةَ، وَعَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، سَمِعَا زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ – رضى الله عنه – فَقُلْتُ إِنَّ أَخَاكَ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ‏.‏ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ أَرَادَ أَنْ لاَ يَتَّكِلَ النَّاسُ أَمَا إِنَّهُ قَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏ ثُمَّ حَلَفَ لاَ يَسْتَثْنِي أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ فَقُلْتُ بِأَىِّ شَىْءٍ تَقُولُ ذَلِكَ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ قَالَ بِالْعَلاَمَةِ أَوْ بِالآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا تَطْلُعُ يَوْمَئِذٍ لاَ شُعَاعَ لَهَا ‏.

যির ইবনু হুবায়শ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-কে বললাম, আপনার ভাই ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি গোটা বছর রাত জাগরণ করে- সে ক্বদ্রের রাতের সন্ধান পাবে। তিনি (উবাই) বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন, এর দ্বারা তিনি এ কথা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, লোকেরা যেন কেবল একটি রাতের উপর ভরসা করে বসে না থাকে। অথচ তিনি অবশ্যই জানেন যে, তা রমাযান মাসে শেষের দশ দিনের মধ্যে এবং ২৭ তম রজনী। অতঃপর তিনি দৃঢ় শপথ করে বললেন, তা ২৭ তম রজনী। আমি (যির) বললাম, হে আবুল মুনযির! আপনি কিসের ভিত্তিতে তা বলেছেন? তিনি বললেন, বিভিন্ন আলামত ও নিদর্শনের ভিত্তিতে-যে সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে অবহিত করেছেন। যেমন, সেদিন সূর্য উদয় হবে। কিন্তু তাতে আলোকরশ্নি থাকবে না। (ই.ফা. ২৬৪৪, ই.সে. ২৬৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَةَ، بْنَ أَبِي لُبَابَةَ يُحَدِّثُ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ أُبَىٌّ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُهَا – قَالَ شُعْبَةُ وَأَكْبَرُ عِلْمِي – هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏ وَإِنَّمَا شَكَّ شُعْبَةُ فِي هَذَا الْحَرْفِ هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنِي بِهَا صَاحِبٌ لِي عَنْهُ ‏.

উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ক্বদরের রাত সম্পর্কে বলেন, আল্লাহর শপথ! ক্বদরের রাত সম্পর্কে আমি খুব ভাল করেই জানি। শু‘বাহ্ বলেন, আমার জানামতে তা হচ্ছে, সে রাত যে রাতে জেগে ‘ইবাদাত করার জন্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তা হচ্ছে রমাযানের ২৭তম রজনী। “তা হচ্ছে সে রাত, যে রাতে ‘ইবাদাত করার জন্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।” এ বাক্যটুকু সম্পর্কে শু‘বাহ্ সন্দেহে পতিত হয়েছেন এবং বলেছেন, আমার এক বন্ধু তার শায়খের সূত্রে আমার নিকট ঐ কথা বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.২৬৪৫, ই.সে.২৬৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬৬৯

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – وَهُوَ الْفَزَارِيُّ – عَنْ يَزِيدَ، – وَهُوَ ابْنُ كَيْسَانَ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ تَذَاكَرْنَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ أَيُّكُمْ يَذْكُرُ حِينَ طَلَعَ الْقَمَرُ وَهُوَ مِثْلُ شِقِّ جَفْنَةٍ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে ক্বদরের রাত সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে সে (রাত) স্মরণ রাখবে, যখন চাঁদ উদিত হবে থালার একটি টুকরার ন্যায়। (ই.ফা. ২৬৪৬, ই.সে ২৬৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস