মুসলিম কিতাবুস সিয়াম (রোজা) অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২৩৮৫ – ২৪৮৪

১. অধ্যায়ঃ

রমাযান মাসের ফাযীলাত

২৩৮৫

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমাযান মাস আসলে জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শাইত্বনগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়। (ই. ফা. ২৩৬২, ই. সে. ২৩৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮৬

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي أَنَسٍ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا كَانَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الرَّحْمَةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমাযান মাস উপস্থিত হলে রহমাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শাইত্বনগুলোকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়। (ই. ফা. ২৩৬৩, ই. সে. ২৩৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮৭

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَالْحُلْوَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ أَبِي أَنَسٍ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ ‏”‏ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন রমাযান মাস আসে … এরপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৩৬৪, ই.সে. ২৩৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অধ্যায়ঃ

চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করা, চাঁদ দেখে ইফতার করা এবং মাসের প্রথম বা শেষ দিন মেঘাছন্ন থাকলে ত্রিশ দিনে মাস পুরা করা।

২৩৮৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ ‏ “‏ لاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوُا الْهِلاَلَ وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ‏”‏ ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাস প্রসঙ্গে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, তোমরা (রমাযানের) চাঁদ না দেখে রোযা শুরু করবে না এবং চাঁদ (শাও্‌ওয়াল মাসের চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত ইফতারও করো না। আর আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে ত্রিশদিন পূর্ণ কর। (ই.ফা. ২৩৬৫, ই.সে. ২৩৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৮৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ رَمَضَانَ فَضَرَبَ بِيَدَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا – ثُمَّ عَقَدَ إِبْهَامَهُ فِي الثَّالِثَةِ – فَصُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ثَلاَثِينَ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি এক হাতের উপর অন্য হাত মেরে (ইঙ্গিত করে) বললেন, মাস এ রকম, এ রকম এবং তৃতীয়বারে বুড়ো আঙ্গুলটি বন্ধ করে হাত মারলেন (অর্থাৎ মাস ঊনত্রিশ দিনে)। তিনি পুনরায় বললেন, তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে ইফতার কর (অর্থাৎ ‘ঈদ কর)। আর যদি আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে তাহলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। [১] (ই.ফা. ২৩৬৬, ই.সে. ২৩৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] অর্থাৎ ২৯শে শা’বান ঝড় বৃষ্টির কারণে চাঁদ না দেখা যায় তবে শা’বান মাস ত্রিশ পূর্ণ করে পরের দিন থেকে সওম পালন শুরু করবে। অনুরূপভাবে ২৯শে রমাযানে আকাশ মেঘলা থাকার ফলে যদি চন্দ্র দৃষ্টিগোচর না হয় তবে রমাযান ৩০ পূর্ণ করে পরের দিন ‘ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। অধিকাংশ মুহাদ্দিস এ হাদীসের এই অর্থ করেছেন এবং অন্যান্য হাদীস ও বর্ণনা এ অর্থের পৃষ্টপোষকতা করে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯০

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ‏ “‏ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا ثَلاَثِينَ ‏”‏ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

আবূ উসামাহ্ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এতে আছেঃ মাস এরূপ, এরূপ এবং এরূপ। তিনি আরো বলেন, যদি আকাশ মেঘাচছন্ন থাকে তাহলে ত্রিশদিন পূর্ণ কর। হাদীসটি আবূ উসামাহ্ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ২৩৬৭, ই.সে. ২৩৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯১

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَضَانَ فَقَالَ ‏”‏ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ فَاقْدِرُوا لَهُ ‏”‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏”‏ ثَلاَثِينَ ‏”‏ ‏.

’উবায়দুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসের কথা আলোচনা করে বললেন, মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়। এ সময় তিনি তাঁর হস্তদ্বয়ের আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করে বললেন, মাস এতো দিনে হয়, মাস এতো দিনে হয়। তারপর বললেন, তোমরা পূর্ণ কর। কিন্ত ত্রিশ দিনের কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২৩৬৮, ই.সে. ২৩৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯২

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّمَا الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَلاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ‏”‏ ‏.

‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাস সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেনঃ মাস (কোন কোন সময়) ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে। মাস এরূপ, এরূপ এবং এরূপ। তিনি পুনরায় বলেন, মাস গণনা কর। কিন্তু তিনি ত্রিশ দিনের কথা বলেননি। (ই.ফা. ২৩৬৯, ই.সে. ২৩৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৩

وَحَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، – وَهُوَ ابْنُ عَلْقَمَةَ – عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَإِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাধারণত মাস ঊনত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। তাই (রমাযানের) চাঁদ না দেখে সিয়াম পালন করো না এবং ইফতারও করো না। আর আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলে মাসের ত্রিশদিন পূর্ণ কর। (ই.ফা. ২৩৭০, ই.সে. ২৩৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৪

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মাস ঊনত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। তাই তোমরা নতুন চাঁদ দেখে সিয়াম রাখা শুরু করো এবং নতুন চাঁদ (শাও্‌ওয়ালের চাঁদ) দেখে ইফতার কর (ঈদ কর)। আর আকশ মেঘে ঢাকা থাকলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর”। (ই.ফা. ২৩৭১, ই.সে. ২৩৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৫

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، دِينَارٍ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ لَيْلَةً لاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ إِلاَّ أَنْ يُغَمَّ عَلَيْكُمْ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ‏”‏‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর (রাখা শুরু কর) এবং চাঁদ দেখে ইফতার কর। আর যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তাহলে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ কর। (ই.ফা. ২৩৭২, ই.সে. ২৩৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৬

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَقَبَضَ إِبْهَامَهُ فِي الثَّالِثَةِ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ এত দিনে, এত দিনে এবং এত দিনে মাস হয়। তৃতীয়বার তিনি তাঁর বৃব্ধাঙ্গুলটি বন্ধ করে রাখলেন। (ই.ফা. ২৩৭৩, ই.সে. ২৩৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৭

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا حَسَنٌ الأَشْيَبُ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ ‏”‏ ‏.

ইবনু’ উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, ঊনত্রিশ দিনেও মাস (পূর্ণ) হয়। (ই.ফা. ২৩৭৪, ই.সে. ২৩৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৮

وَحَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَكَّائِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا عَشْرًا وَعَشْرًا وَتِسْعًا ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাস এতো দিনে, এতো দিনে ও এতো দিনে হয়ে থাকে। এ সময় তিনি প্রথমে দশ আঙ্গুলে, দ্বিতীয়বার দশ আঙ্গুলে এবং তৃতীয়বার নয় আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করলেন। (ই.ফা. ২৩৭৫, ই.সে. ২৩৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৩৯৯

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَبَلَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ، عُمَرَ – رضى الله عنهما – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الشَّهْرُ كَذَا وَكَذَا وَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَصَفَّقَ بِيَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ بِكُلِّ أَصَابِعِهِمَا وَنَقَصَ فِي الصَّفْقَةِ الثَّالِثَةِ إِبْهَامَ الْيُمْنَى أَوِ الْيُسْرَى ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এত এত এবং এত দিনেও মাস হয়। তিনি দু’বার হাত মেরে তাঁর সব আঙ্গুলগুলো খুলে ধরলেন এবং তৃতীয়বার তিনি বাম অথবা ডান হাতের বৃব্ধাঙ্গুলটি বন্ধ করে রাখলেন (অর্থাৎ ইঙ্গিত করে দেখালেন, কোন কোন মাস ঊনত্রিশ দিনে হয়)। (ই.ফা. ২৩৭৬, ই.সে. ২৩৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০০

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُقْبَةَ، – وَهُوَ ابْنُ حُرَيْثٍ – قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ ‏”‏ ‏.‏ وَطَبَّقَ شُعْبَةُ يَدَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ وَكَسَرَ الإِبْهَامَ فِي الثَّالِثَةِ ‏.‏ قَالَ عُقْبَةُ وَأَحْسِبُهُ قَالَ ‏”‏ الشَّهْرُ ثَلاَثُونَ ‏”‏ وَطَبَّقَ كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ ‏.

‘উক্কবাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ) – কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঊনত্রিশ দিনেও মাস হয়। শু’বাহ এ হাদীস বর্ণনা করার সময় তাঁর দু’হাত তিনবার বন্ধ করে দেখালেন এবং তৃতীয়বার তাঁর বুড়ো আঙ্গুলটি বাঁকা (নীচু) করে রাখলেন।

‘উক্কবাহ্‌ (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, মাস ত্রিশ দিনেও হয় এবং দু’হাত তিনবার বন্ধ করেছিলেন। (ই.ফা. ২৩৭৭, ই.সে. ২৩৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا – وَعَقَدَ الإِبْهَامَ فِي الثَّالِثَةِ – وَالشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي تَمَامَ ثَلاَثِينَ ‏.

সা’ঈদ ইবনু ‘আমর ইবনু সা’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু ‘উমারকে বলতে শুনেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমরা উম্মী (নিরক্ষর) জাতি। আমরা লেখিনা এবং হিসাবও করি না। মাসে দিনের সংখ্যা এত, এত এবং এত। তৃতীয়বার তিনি নিজ হাতের বুড়ো আঙ্গুলটি বন্ধ করে দু’হাত দিয়ে ইঙ্গিত করলেন (অর্থাৎ তিনবার ইঙ্গিতে ঊনত্রিশ দিন প্রমাণ করলেন)। আর কোন কোন মাস এত, এত এবং এত দিনেও হয় (অর্থাৎ পূর্ণ ত্রিশ দিন হয়ে থাকে)। (ই.ফা. ২৩৭৮,ই.সে. ২৩৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০২

وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ لِلشَّهْرِ الثَّانِي ثَلاَثِينَ ‏.

আসওয়াদ ইবনু কায়স থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্ত এ সূত্রে “দ্বিতীয় মাসের ত্রিশদিন” এ কথা উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৩৭৯, ই.সে. ২৩৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৩

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ، اللَّهِ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ سَمِعَ ابْنُ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – رَجُلاً يَقُولُ اللَّيْلَةَ لَيْلَةُ النِّصْفِ فَقَالَ لَهُ مَا يُدْرِيكَ أَنَّ اللَّيْلَةَ النِّصْفُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ الْعَشْرِ مَرَّتَيْنِ ‏”‏ وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ فِي الثَّالِثَةِ وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ كُلِّهَا وَحَبَسَ أَوْ خَنَسَ إِبْهَامَهُ ‏”‏ ‏.

সা’দ ইবনু ‘উবায়দাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, “আজ রাতে মাসের অর্ধেক হয়ে গেছে”। অতঃপর ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কবে জানলে আজ রাতে মাসের অর্ধেক হয়ে গেছে? অথচ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দশটি আঙ্গুলের মাধ্যমে ইঙ্গিত করে দু’বার বলতে শুনেছিঃ “মাস এত দিনে ও এত দিনে হয়। তিনি দু’বার আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন। তৃতীয়বারও তিনি তাই করলেন এবং সবগুলো আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন এবং বুড়ো আঙ্গুলটি বন্ধ রাখলেন অথবা নিচু করে রাখলেন। (অর্থাৎ মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনে আবার কখনো ত্রিশ দিনে হয়। কাজেই মাস শেষ না হলে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না যে মাসের মধ্যরাত কোন্‌টি)। (ই.ফা. ২৩৮০, ই.সে. ২৩৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ، الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَصُومُوا ثَلاَثِينَ يَوْمًا ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন সওম আরম্ভ করবে এবং যখন চাঁদ দেখবে তখন ইফতার করবে। যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে ত্রিশদিন সিয়াম পালন করবে। (ই.ফা. ২৩৮১, ই.সে. ২৩৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَلاَّمٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – عَنْ مُحَمَّدٍ، – وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غُمِّيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعَدَدَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রমাযানের) চাঁদ দেখে সিয়াম পালন শুরু কর এবং (শাও্‌ওয়ালের) চাঁদ দেখে ইফতার (অর্থাৎ ঈদ) কর। আর যদি (নতুন চাঁদ উদয়ের দিন) আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তাহলে ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। (ই.ফা. ২৩৮২, ২৩৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৬

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غُمِّيَ عَلَيْكُمُ الشَّهْرُ فَعُدُّوا ثَلاَثِينَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে ইফতার কর। আর আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে দিনের সংখ্যা (ত্রিশ দিন) পূর্ণ কর। (ই.ফা. ২৩৮৩, ই.সে. ২৩৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ، عُمَرَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْهِلاَلَ فَقَالَ ‏ “‏ إِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلاَثِينَ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে ইফত্বার কর (অর্থাৎ সিয়াম সমাপ্ত কর)। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে তোমরা যদি মাসের আরম্ভ বা শেষ সম্পর্কে সন্দিহান হও তাহলে ঐ মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। (ই.ফা. ২৩৮৪, ই.সে. ২৩৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অধ্যায়ঃ

রমাযানের এক বা দু’দিন পূর্বে সিয়াম পালন না করা

২৪০৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ، بْنِ مُبَارَكٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ تَقَدَّمُوا رَمَضَانَ بِصَوْمِ يَوْمٍ وَلاَ يَوْمَيْنِ إِلاَّ رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صَوْمًا فَلْيَصُمْهُ ‏”‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমাযানের একদিন কিংবা দু’দিন পূর্বে তোমরা (নাফ্‌ল) সওম পালন করো না, তবে যে পূর্ব থেকেই এ সময়ের রোযায় অভ্যস্ত সে সওম পালন করতে পারে। (ই.ফা. ২৩৮৫, ই.সে. ২৩৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪০৯

وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ الْحَرِيرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ، مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রমাযান মাস শুরু হওয়ার একদিন বা দু’দিন পূর্ব থেকে সিয়াম পালন করো না। কিন্তু যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট একদিনে সর্বদাই সিয়াম পালন করে থাকে, আর ঐ নির্দিষ্ট দিনটি যদি চাঁদ উঠার দিন (বা তার আগের দিন) হয় তাহলে সে ঐ দিন সিয়াম পালন করতে পারে। (ই.ফা. ২৩৮৬, ই.সে. ২৩৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অধ্যায়ঃ

মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়

২৪১০

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقْسَمَ أَنْ لاَ يَدْخُلَ عَلَى أَزْوَاجِهِ شَهْرًا – قَالَ الزُّهْرِيُّ – فَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – قَالَتْ لَمَّا مَضَتْ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ لَيْلَةً أَعُدُّهُنَّ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَتْ بَدَأَ بِي – فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ أَقْسَمْتَ أَنْ لاَ تَدْخُلَ عَلَيْنَا شَهْرًا وَإِنَّكَ دَخَلْتَ مِنْ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ أَعُدُّهُنَّ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ الشَّهْرَ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ ‏”‏ ‏.

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) এক মাসের জন্য তার স্ত্রীদের কাছ থেকে দূরে থাকার শপথ করলেন। যুহরী বলেন, ‘উরওয়াহ্‌ আমাকে এটা ‘আয়িশাহ (রহঃ)-এর সূত্রে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, শপথের পর আমি দিন গণনা করছিলাম, ঊনত্রিশ রাত অতিবাহিত হওয়ার পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বপ্রথম আমার কাছে আসলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো একমাস আমাদের সান্নিধ্য থেকে দূরে থাকার শপথ করেছেন, অথচ আপনি ঊনত্রিশ দিন অতিবাহিত করে এসেছেন। আমি তো দিনগুলোর পূর্ণ হিসাব রেখেছি। (অর্থাৎ একমাসের একদিন বাকী আছে) তিনি বললেনঃমাস তো ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে। (ই.ফা. ২৩৮৭, ই.সে. ২৩৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، – رضى الله عنه – أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَزَلَ نِسَاءَهُ شَهْرًا فَخَرَجَ إِلَيْنَا فِي تِسْعٍ وَعِشْرِينَ فَقُلْنَا إِنَّمَا الْيَوْمُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا الشَّهْرُ ‏”‏ ‏.‏ وَصَفَّقَ بِيَدَيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَحَبَسَ إِصْبَعًا وَاحِدَةً فِي الآخِرَةِ ‏.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মাসের জন্য তাঁর স্ত্রীদের সান্নিধ্য ত্যাগ করেছিলেন। তিনি ঊনত্রিশতম দিনে আমাদের কাছে আসলেন। আমরা বললাম, আজ তো ঊনত্রিশ দিন? তখন তিনি বললেনঃঊনত্রিশ দিনেও মাস হয়। তিনি তার উভয় হাত তিনবার একত্রে মিলিয়ে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন। তৃতীয়বার তিনি একটি আঙ্গুল বন্ধ রাখলেন। (ই.ফা. ২৩৮৮, ই.সে. ২৩৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১২

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ اعْتَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نِسَاءَهُ شَهْرًا فَخَرَجَ إِلَيْنَا صَبَاحَ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا أَصْبَحْنَا لِتِسْعٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ الشَّهْرَ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ طَبَّقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدَيْهِ ثَلاَثًا مَرَّتَيْنِ بِأَصَابِعِ يَدَيْهِ كُلِّهَا وَالثَّالِثَةَ بِتِسْعٍ مِنْهَا ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের থেকে একমাস বিচ্ছিন্ন থাকলেন। অতঃপর তিনি ঊনত্রিশতম দিনের সকালে আমাদের কাছে আসলেন। উপস্থিত লোকদের কেউ কেউ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আজ তো আমরা ঊনত্রিশতম দিনের সকালে উপনীত হয়েছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ মাস তো ঊনত্রিশ দিনেও হয়। এরপর তিনি তিনবার উভয় হাত মিলালেন। প্রথম দু’বার উভয় হাতের সব আঙ্গুলগুলো একত্রে মিলালেন এবং তৃতীয়বার নয়টি আঙ্গুল একত্রে মিলালেন ও ইঙ্গিতে ঊনত্রিশ দিনে মাস বললেন। (ই.ফা. ২৩৮৯, ই.সে. ২৩৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১৩

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ صَيْفِيٍّ، أَنَّ عِكْرِمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ – رضى الله عنها – أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَلَفَ أَنْ لاَ يَدْخُلَ عَلَى بَعْضِ أَهْلِهِ شَهْرًا فَلَمَّا مَضَى تِسْعَةٌ وَعِشْرُونَ يَوْمًا غَدَا عَلَيْهِمْ – أَوْ رَاحَ – فَقِيلَ لَهُ حَلَفْتَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَنْ لاَ تَدْخُلَ عَلَيْنَا شَهْرًا ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الشَّهْرَ يَكُونُ تِسْعَةً وَعِشْرِينَ يَوْمًا ‏”‏ ‏.

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার তাঁর স্ত্রীদের সান্নিধ্য থেকে একমাস দূরে থাকার শপথ করলেন। অতঃপর ঊনত্রিশ দিন অতিবাহিত হলে তিনি সকালে অথবা বিকালে তাঁদের কাছে আসলেন। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহর নাবী! আপনি এক মাস আমাদের কাছে না আসার শপথ করেছেন! তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ঊনত্রিশ দিনেও মাস হয়। (ই.ফা. ২৩৯০, ই.সে. ২৩৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১৪

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، – يَعْنِي أَبَا عَاصِمٍ – جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৩৯১, ই.সে. ২৩৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، – رضى الله عنه – قَالَ ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ عَلَى الأُخْرَى فَقَالَ ‏ “‏ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ نَقَصَ فِي الثَّالِثَةِ إِصْبَعًا ‏.

সা’দ ইবনু ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এক হাত দিয়ে অপর হাতের উপর আঘাত করলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মাস এভাবে এবং এভাবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তৃতীয়বারে একটি আঙ্গুল নীচু করে রাখলেন। (ই.ফা. ২৩৯২, ই.সে. ২৩৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১৬

وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، – رضى الله عنه – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ عَشْرًا وَعَشْرًا وَتِسْعًا مَرَّةً ‏.

মুহাম্মাদ ইবুন সা’দ থেকে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মাস এরূপ, এরূপ এবং এরূপ অর্থাৎ দশ দিন, দশ দিন এবং নয় দিন। (ই.ফা. ২৩৯৩, ই.সে. ২৩৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪১৭

وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، وَسَلَمَةُ، بْنُ سُلَيْمَانَ قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ – أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمَعْنَى حَدِيثِهِمَا ‏.

ইসমা’ঈল ইবনু আবূ খালিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে উপরোক্ত দুটি হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ২৩৯৪, ই.সে. ২৩৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অধ্যায়ঃ

নিজ নিজ শহরে চন্দ্রোদয়ের হিসাব অনুযায়ী কাজ করতে হবে, এক শহরের চন্দ্রোদয়ের হুকুম উল্লেখযোগ্য দূরত্বে অবস্থিত অন্য শহরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

২৪১৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ مُحَمَّدٍ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ – عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ بِنْتَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا وَاسْتُهِلَّ عَلَىَّ رَمَضَانُ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْتُ الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَقُلْتُ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ‏.‏ فَقَالَ أَنْتَ رَأَيْتَهُ فَقُلْتُ نَعَمْ وَرَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ ‏.‏ فَقَالَ لَكِنَّا رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلاَثِينَ أَوْ نَرَاهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَوَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ فَقَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَشَكَّ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى فِي نَكْتَفِي أَوْ تَكْتَفِي ‏.

কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারিসের কন্যা উম্মুল ফায্‌ল তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়াহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। কুরায়ব বলেন, অতঃপর আমি সিরিয়া পৌঁছে তার প্রয়োজনীয় কাজ সমাপন করলাম। আমি সিরিয়ায় থাকতেই রমাযান এসে গেল। আমি জুমু’আর রাতে রমাযানের চাঁদ দেখতে পেলাম। অতঃপর মাসের শেষদিকে আমি মাদীনায় ফিরে এলাম। ‘আবদুল্লাহ ইবুন ‘আব্বাস (রাঃ) সিয়াম সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে আমাদের জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কখন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমি তো জুমু’আর রাতেই চাঁদ দেখেছি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নিজেই কি তা দেখেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ, অন্যান্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারা সিয়াম পালন করেছে। এমনকি মু’আবিয়াহ্‌ (রাঃ)-ও সিয়াম পালন করেছে। তিনি বলেন, আমরা তো শনিবার রাতে চাঁদ দেখেছি, আমরা পূর্ণ ত্রিশটি রোযা রাখব অথবা এর আগে যদি চাঁদ দেখতে পাই তাহলে তখন ইফত্বার করব। আমি বললাম, আপনি কি মু’আবিয়াহ্‌ (রাঃ)-এর চাঁদ দেখা ও সিয়াম পালন করাকে (রমাযান মাস শুরু হওয়ার জন্য) যথেষ্ট মনে করেন না?

তিনি বলরেন : না, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের এভাবেই (চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করা ও ইফত্বার করার জন্য) নির্দেশ দিয়েছেন। (ই.ফা. ২৩৯৫, ই.সে. ২৩৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অধ্যায়ঃ

চাঁদের আকারে (ত্রিশতম রাতে) ছোট বা বড় দেখা গেলে তাতে হুকুমের কোন পার্থক্য হবে না, আল্লাহ তা’আলা চাঁদকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার উপযোগী করে দেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশদিন পূর্ণ করতে হবে

২৪১৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ، مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ خَرَجْنَا لِلْعُمْرَةِ فَلَمَّا نَزَلْنَا بِبَطْنِ نَخْلَةَ – قَالَ – تَرَاءَيْنَا الْهِلاَلَ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ لَيْلَتَيْنِ قَالَ فَلَقِينَا ابْنَ عَبَّاسٍ فَقُلْنَا إِنَّا رَأَيْنَا الْهِلاَلَ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ لَيْلَتَيْنِ ‏.‏ فَقَالَ أَىَّ لَيْلَةٍ رَأَيْتُمُوهُ قَالَ فَقُلْنَا لَيْلَةَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ مَدَّهُ لِلرُّؤْيَةِ فَهُوَ لِلَيْلَةِ رَأَيْتُمُوهُ ‏”‏ ‏.

আবুল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমরা ‘উমরাহ্ করার জন্য বের হলাম। যখন আমরা (মাক্কাহ ও তায়িফের মাঝামাঝি অবস্থিত) “বাত্বনে নাখলাহ্‌” নামক স্থানে অবতরণ করলাম সকলে মিলে চাঁদ দেখতে লাগলাম। লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, এ তো তিনদিনের চাঁদ, আবার কেউ বলল দু’দিনের। বর্ণনাকারী বলেন, পরে আমরা ইবুন ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম, আমরা চাঁদ দেখেছি। কিন্তু লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছে, এ তো দু’দিনের চাঁদ আবার কেউ কেউ বলেছে এতো তিন দিনের চাঁদ। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন্‌ রাতে চাঁদ দেখেছো? আমর বললাম, অমুক দিন, অমুক রাতে। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেদিন রাতে চাঁদ দেখতেন ঐ দিনেরই তারিখ ধরতেন। সুতরাং চাঁদ সে রাতেই উঠেছে যে রাতে তোমরা দেখেছো। (ই.ফা. ২৩৯৬, ই.সে. ২৩৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ أَهْلَلْنَا رَمَضَانَ وَنَحْنُ بِذَاتِ عِرْقٍ فَأَرْسَلْنَا رَجُلاً إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – يَسْأَلُهُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمَدَّهُ لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ‏”‏ ‏.

আবুল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “আমরা যখন যাতু ‘ইর্‌ক্ব নামক স্থানে অবস্থান করছিলাম তখন রমাযানের চাঁদ দেখেতে পেলাম। অতঃপর আমরা এক ব্যক্তিকে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠালাম। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনেঃ আল্লাহ তা’আলা চাঁদ দেখার সাথে মাস নির্ধারণ করেছেন, যদি তোমাদের নিকট অপ্রকাশিত থাকে (মেঘের কারণে) তাহলে তোমরা (ত্রিশ দিনে) মাস পূর্ণ কর। (ই.ফা. ২৩৯৭, ই.সে. ২৩৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অধ্যায়ঃ

মহানাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী : “ঈদের দু’মাস অসম্পূর্ণ হয় না”

২৪২১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ، – رضى الله عنه – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ شَهْرَا عِيدٍ لاَ يَنْقُصَانِ رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ ‏”‏ ‏.

‘আব্দুর রহমান ইবুন আবূ বাক্‌রাহ্‌ তার পিতা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘ঈদের দু’মাস অসম্পূর্ণ হয় না। সে মাস দু’টি হলো রমাযান ও যিলহাজ্জ। [৪] (ই.ফা. ২৩৯৮, ই.সে. ২৩৯৮[ক])

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪] সহীহ ও গ্রহণযোগ্য কথা হলো, এ উভয় মাসের সাওয়াব কোন অবস্থায় ঘাটতি পড়বে না ত্রিশ দিনে হোক বা ঊনত্রিশ দিনে। ফলকথা এই যে, একদিন কম হওয়ার কারণে যে, সাওয়াবও কম হবে তা নয়; আবার কেউ বলেছেন, একই বছরে উভয় মাস ঊনত্রিশ দিনে হয় না। যদি এক মাস ঊনত্রিশ দিনে হয় তবে অন্য মাস ত্রিশ দিনে। আবার কেউ বলেছেন, সাওয়াবের দিক দিয়ে উভয় মাস সমান অর্থাৎ রমাযানে সওম পালন আছে অন্য দিকে যিলহাজ্জ মাসে আছে হাজ্জ পালন। কিন্তু এ সকল অভিমত সঠিক নয় দুর্বল বরং সঠিক কথা তাই যা প্রথমে বলা হয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ سُوَيْدٍ، وَخَالِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ شَهْرَا عِيدٍ لاَ يَنْقُصَانِ ‏”‏ ‏.‏ فِي حَدِيثِ خَالِدٍ ‏”‏ شَهْرَا عِيدٍ رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ ‏”‏ ‏.

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ঈদের দু’মাস অসম্পূর্ণ হয় না। খালিদের বর্ণিত হাদীসে আছেঃ ঈদের দু’মাস হচ্ছে রমাযান এবং যিলহাজ্জ। (ই.ফা. ২৩৯৯, ই.সে. ২৩৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অধ্যায়ঃ

সুবহে সাদিকের পূর্বে পানাহার করা বৈধ, তবে সুবহে সাদিকের সাথে সাথেই সওম আরম্ভ হয়ে যায়, কুরআনে বর্ণিত ‘ফাজ্‌র’ শব্দের অর্থ হচ্ছে সুব্‌হি সাদিক, এ সময় হতেই সওম আরম্ভ হয় এবং ফাজ্বরের সলাতের সময় শুরু হয়, সওমের বিধি-বিধানের সাথে সুব্‌হি কাযিবের কোন সম্পর্ক নেই

২৪২৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، – رضى الله عنه – قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏{‏ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ‏}‏ قَالَ لَهُ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَجْعَلُ تَحْتَ وِسَادَتِي عِقَالَيْنِ عِقَالاً أَبْيَضَ وَعِقَالاً أَسْوَدَ أَعْرِفُ اللَّيْلَ مِنَ النَّهَارِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ وِسَادَتَكَ لَعَرِيضٌ إِنَّمَا هُوَ سَوَادُ اللَّيْلِ وَبَيَاضُ النَّهَارِ ‏”‏ ‏.

‘আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, যখন এ আয়াত (আরবী) “তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ তোমাদের সামনে কালো রেখা থেকে সাদা রেখা সুস্পষ্ট হয়ে না উঠে”- (সূরাহ্‌ আল বাক্বারাহ্‌ ২ : ১৮৭) নাযিল হলো, তখন ‘আদী (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার বালিশের নীচে একটি কালো ও একটি সাদা রংয়ের রশি রেখে দিয়েছি। এগুলোর দ্বারা আমি রাত ও দিনের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে থাকি। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হাসি-ঠাট্টাচ্ছলে) বললেন, তোমার বালিশ তো খুবই চওড়া। জেনে রাখো, এ-তো রাতের অন্ধকার ও দিনের শুভ্রতা। (ই.ফা. ২৪০০, ই.সে. ২৪০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৪

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ‏}‏ قَالَ كَانَ الرَّجُلُ يَأْخُذُ خَيْطًا أَبْيَضَ وَخَيْطًا أَسْوَدَ فَيَأْكُلُ حَتَّى يَسْتَبِينَهُمَا حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ مِنَ الْفَجْرِ‏}‏ فَبَيَّنَ ذَلِكَ ‏.

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (আরবী) “তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ তোমাদের সামনে কালো রেখা থেকে সাদা রেখা সুস্পষ্ট হয়ে না উঠে”- (সূরাহ আল বাক্বারাহ্‌ ২ : ১৮৭) নাযিল হ’ল, তখন লোকেরা একটি কালো এবং একটি সাদা রশি রাখত। তারা উভয় রশি সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত না হওয়া পর্যন্ত খেতে থাকত। এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা’আলা (আরবী) (ফাজরের) কথাটি নাযিল করে বিষয়টির অস্পষ্টতা ও জটিলতা দূরীভূত হলো। (ই.ফা. ২৪০১, ই.সে. ২৪০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৫

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو غَسَّانَ، حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، – رضى الله عنه – قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ‏}‏ قَالَ فَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَرَادَ الصَّوْمَ رَبَطَ أَحَدُهُمْ فِي رِجْلَيْهِ الْخَيْطَ الأَسْوَدَ وَالْخَيْطَ الأَبْيَضَ فَلاَ يَزَالُ يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُ رِئْيُهُمَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ بَعْدَ ذَلِكَ ‏{‏ مِنَ الْفَجْرِ‏}‏ فَعَلِمُوا أَنَّمَا يَعْنِي بِذَلِكَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ‏.

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত- (আরবী) “তোমরা সাদা রেখা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত পানাহার কর” অবতীর্ণ হলো- কোন ব্যক্তি সিয়াম পালন করার ইচ্ছা করত এবং নিজের উভয় পায়ে সাদা ও কালো দু’টি সূতা বেঁধে নিত। অতঃপর সাদা ও কালো বর্ণ স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত পানাহার করতে থাকত। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা “ফাজ্‌রের” কথাটি অবতীর্ণ করলেন। তখন তারা সকলেই জানতে পারল যে, সাদা ও কালো রেখার অর্থ হলো রাত (রাতের অন্ধকার) ও দিন (দিনের আলো)। (ই.ফা. ২৪০২, ই.সে. ২৪০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، – رضى الله عنه – عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى تَسْمَعُوا تَأْذِينَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ ‏”‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “বিলাল রাত থাকতে আযান দেয়। তাই তোমরা ইবনু মাকতূমের আযান শুনতে না পাওয়া পর্যন্ত পানাহার করতে থাক”। (ই.ফা. ২৪০৩, ই.সে. ২৪০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৭

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى تَسْمَعُوا أَذَانَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: “বিলাল রাত থাকতে আযান দেয়। তাই তোমরা ইবনু মাকতূমের আযান না শুনা পর্যন্ত পানাহার করতে থাক”। (ই.ফা. ২৪০৪, ই.সে. ২৪০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৮

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُؤَذِّنَانِ بِلاَلٌ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا إِلاَّ أَنْ يَنْزِلَ هَذَا وَيَرْقَى هَذَا ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দু’জন মুয়ায্‌যিন ছিলেন, তারা হলেন, বিলাল (রাঃ) ও উম্মু মাকতূমের অন্ধ ছেলে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বিলাল (রাঃ) রাতেই আযান দেয়। অতএব ইবনু উম্মু মাকতূম আযান না দেয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর। বর্ণনাকারী বলেনঃ দু’জনের আযানের ব্যবধান ছিল যে, একজন আযান দিয়ে নামত অপরজন আযান দিতে আরোহন করত। (ই.ফা. ২৪০৫, ই.সে. ২৪০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪২৯

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪০৬, ই.সে. ২৪০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩০

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِالإِسْنَادَيْنِ كِلَيْهِمَا ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ ‏.

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ্, ইসহাক্ব, ইবনুল মুসান্না এরা ‘উবায়দুল্লাহ (রাঃ)-এর বরাত থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু নুমায়রের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪০৭, ই.সে. ২৪০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩১

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي، عُثْمَانَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ يَمْنَعَنَّ أَحَدًا مِنْكُمْ أَذَانُ بِلاَلٍ – أَوْ قَالَ نِدَاءُ بِلاَلٍ – مِنْ سَحُورِهِ فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ – أَوْ قَالَ يُنَادِي – بِلَيْلٍ لِيَرْجِعَ قَائِمَكُمْ وَيُوقِظَ نَائِمَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏”‏ لَيْسَ أَنْ يَقُولَ هَكَذَا وَهَكَذَا – وَصَوَّبَ يَدَهُ وَرَفَعَهَا – حَتَّى يَقُولَ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَفَرَّجَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ ‏.

ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কাউকেই যেন বিলালের আযান অবশ্যই তার সাহরী খাওয়া হতে বিরত না রাখে। কেননা সে রাতেই আযান দেয়, যাতে তোমাদের ক্বিয়ামকারীগণ সাহরী খেতে শুরু করে এবং ঘুমন্ত ব্যক্তি সাহ্‌রী খাওয়ার জন্য জাগে। তিনি তাঁর হাতে আঙ্গুল ফাঁকা করে দু’জনের আযানের সময়ের ব্যবধান বুঝালেন। (ই.ফা. ২৪০৮, ই.সে. ২৪০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩২

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، – يَعْنِي الأَحْمَرَ – عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ إِنَّ الْفَجْرَ لَيْسَ الَّذِي يَقُولُ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَجَمَعَ أَصَابِعَهُ ثُمَّ نَكَسَهَا إِلَى الأَرْضِ ‏”‏ وَلَكِنِ الَّذِي يَقُولُ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَوَضَعَ الْمُسَبِّحَةَ عَلَى الْمُسَبِّحَةِ وَمَدَّ يَدَيْهِ ‏.

সুলায়মান আত্ তায়মী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি বলেছেনঃ এটাকে ফজর বলে না- এ বলে তিনি তার আঙ্গুলগুলো একত্র করলেন অতঃপর তা মাটির (পৃথিবীর) দিকে উল্টালেন। বরং ফজর এটাকে বলে- এ বলে তাসবীহ পাঠের আঙ্গুলের উপর আরেক তাসবীহ পাঠের আঙ্গুল স্থাপন করে তার দু’হাত সম্প্রসারণ করলেন। (ই.ফা. ২৪০৯, ই.সে. ২৪০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩৩

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ، إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، وَالْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، كِلاَهُمَا عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَانْتَهَى حَدِيثُ الْمُعْتَمِرِ عِنْدَ قَوْلِهِ ‏”‏ يُنَبِّهُ نَائِمَكُمْ وَيَرْجِعُ قَائِمَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ قَالَ جَرِيرٌ فِي حَدِيثِهِ ‏”‏ وَلَيْسَ أَنْ يَقُولَ هَكَذَا وَلَكِنْ يَقُولُ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ يَعْنِي الْفَجْرَ هُوَ الْمُعْتَرِضُ وَلَيْسَ بِالْمُسْتَطِيلِ ‏.

আবূ বাকর ইবনু শায়বাহ্, ইসহাক্ব ইবনু ইবরাহীম, জারীর ও মু’তামির উভয়েই সুলায়মান আত্ তায়মী (রহঃ)-এর বরাতে অত্র সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। মু’তামির-এর হাদীস এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে “তোমাদের ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগিয়ে দেন বরং ক্বিয়ামকারীদেরকে ফিরিয়ে দেন। জারীরের হাদীসে এ কথাও আছে যে, লম্বা রেখাকে ফজর বলে না বরং ফজর বলে প্রশস্ত আলোকে”। (ই.ফা. ২৪১০, ই.সে. ২৪১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩৪

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَوَادَةَ الْقُشَيْرِيِّ، حَدَّثَنِي وَالِدِي، أَنَّهُ سَمِعَ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا، صلى الله عليه وسلم يَقُولُ

সামুরাহ্‌ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, বিলালের আহ্বান যেন তোমাদেরকে সাহরী খাওয়া থেকে ধোঁকায় না ফেলে এবং এ শুভ্র রেখাও; যতক্ষণ পর্যন্ত তা বিস্তৃত হয়ে প্রতিভাত হয়। (ই.ফা. ২৪১১, ই.সে. ২৪১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩৫

وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَوَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَغُرَّنَّكُمْ أَذَانُ بِلاَلٍ وَلاَ هَذَا الْبَيَاضُ – لِعَمُودِ الصُّبْحِ – حَتَّى يَسْتَطِيرَ هَكَذَا ‏”‏‏.‏

সামুরাহ্‌ ইবুন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিলালের আযান যেন তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে এবং এ শুভ্র রেখা ও যা স্তম্ভের ন্যায় দেখা যায়, যতক্ষণ না তা বিস্তৃত উদ্ভাসিত হবে। (ই.ফা. ২৪১২, ই.সে. ২৪১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩৬

وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، بْنُ سَوَادَةَ الْقُشَيْرِيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَغُرَّنَّكُمْ مِنْ سَحُورِكُمْ أَذَانُ بِلاَلٍ وَلاَ بَيَاضُ الأُفُقِ الْمُسْتَطِيلُ هَكَذَا حَتَّى يَسْتَطِيرَ هَكَذَا ‏”‏ ‏.‏ وَحَكَاهُ حَمَّادٌ بِيَدَيْهِ قَالَ يَعْنِي مُعْتَرِضًا ‏.

সামুরাহ্‌ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিলালের আযান এবং আকাশ প্রান্তে এ লম্বা রেখা যেন তোমাদেরকে সাহরী খাওয়ার ব্যাপারে ধোঁকায় না ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না এ শুভ্র রেখা পূর্বাকাশে এভাবে বিস্তৃত হয়। হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উভয় হাত দ্বারা আড়াআড়ি হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। (ই.ফা. ২৪১৩, ই.সে. ২৪১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩৭

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَوَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ سَمُرَةَ، بْنَ جُنْدَبٍ – رضى الله عنه – وَهُوَ يَخْطُبُ يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ لاَ يَغُرَّنَّكُمْ نِدَاءُ بِلاَلٍ وَلاَ هَذَا الْبَيَاضُ حَتَّى يَبْدُوَ الْفَجْرُ – أَوْ قَالَ – حَتَّى يَنْفَجِرَ الْفَجْرُ ‏”‏ ‏.

সামুরাহ্‌ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বিলালের আযান এবং এ শুভ্র রেখা যেন তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না সুবহে সাদিক সুস্পষ্টরূপে প্রতিভাত হয়। (ই.ফা. ২৪১৪, ই.সে. ২৪১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৩৮

وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي سَوَادَةُ بْنُ حَنْظَلَةَ، الْقُشَيْرِيُّ قَالَ سَمِعْتُ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدَبٍ، – رضى الله عنه – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ هَذَا ‏.

সামুরাহ্ ইবুন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ আলোচনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪১৫, ই.সে. ২৪১৪[ক])

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অধ্যায়ঃ

সাহরীর ফাযীলাত, সাহরী খাওয়া মুস্তাহাব, এর প্রতি গুরুত্বারোপ এবং সাহরী বিলম্বে খাওয়া ও ইফত্বার তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব

২৪৩৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، ح . وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، رضى الله عنه ح . وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السُّحُورِ بَرَكَةً ‏”‏ ‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাহ্‌রী খাও, সাহ্‌রীতে বারাকাত রয়েছে। (ই.ফা. ২৪১৬, ই.সে. ২৪১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ ‏”‏ ‏.

‘আম্‌র ইবনু ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাদের ও কিতাবীদের সিয়ামের মধ্যে পার্থক্য হ’ল সাহরি খাওয়া। (ই.ফা. ২৪১৭, ই.সে. ২৪১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪১

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، ح وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، كِلاَهُمَا عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .

মূসা ইবনু ‘উলাইয়্যা (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে হাদীস বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ২৪১৮, ই.সে. ২৪১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، – رضى الله عنه – قَالَ تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قُمْنَا إِلَى الصَّلاَةِ ‏.‏ قُلْتُ كَمْ كَانَ قَدْرُ مَا بَيْنَهُمَا قَالَ خَمْسِينَ آيَةً ‏.

যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাহ্‌রী খেয়ে সালাতে দাঁড়ালাম। [রাবী আনাস (রাঃ) বলেন] আমি যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, সাহ্‌রী ও আযানের মধ্যে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বলরেন, পঞ্চাশ আয়াত পড়ার মতো সময়ের। (ই.ফা. ২৪১৯, ই.সে. ২৪১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৩

وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَامِرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.

ক্বাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪২০, ই.সে. ২৪১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلِ، بْنِ سَعْدٍ – رضى الله عنه – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ ‏”‏ ‏.

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যতদিন মানুষ বিলম্ব না করে ইফত্বার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে। (ই.ফা. ২৪২১, ই.সে. ২৪২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৫

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ سُفْيَانَ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، – رضى الله عنه – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪২২, ই.সে. ২৪২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ، عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْنَا يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ رَجُلاَنِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلاَةَ وَالآخَرُ يُؤَخِّرُ الإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ الصَّلاَةَ ‏.‏ قَالَتْ أَيُّهُمَا الَّذِي يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلاَةَ قَالَ قُلْنَا عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ ‏.‏ قَالَتْ كَذَلِكَ كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ زَادَ أَبُو كُرَيْبٍ وَالآخَرُ أَبُو مُوسَى ‏.

আবূ ‘আতিয়্যাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ও মাসরূক (রহঃ) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবীবৃন্দের দু’ ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তি ইফত্বার ও সলাত ত্বরান্বিত করে এবং অন্য এক ব্যক্তি ইফত্বার ও সলাত বিলম্ব করে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে কোন ব্যক্তি যে ইফত্বার ও সালাত ত্বরান্বিত করে? আমরা বললাম, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করতেন। আবূ কুরায়ব বলেন, অপরজনে হলেন, আবূ মূসা (রাঃ) (ই.ফা. ২৪২৩, ই.সে. ২৪২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ، عَلَى عَائِشَةَ – رضى الله عنها – فَقَالَ لَهَا مَسْرُوقٌ رَجُلاَنِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم كِلاَهُمَا لاَ يَأْلُو عَنِ الْخَيْرِ أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الْمَغْرِبَ وَالإِفْطَارَ وَالآخَرُ يُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ وَالإِفْطَارَ ‏.‏ فَقَالَتْ مَنْ يُعَجِّلُ الْمَغْرِبَ وَالإِفْطَارَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ ‏. فَقَالَتْ هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ ‏.

আবূ ‘আতিয়্যাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিন বলেন, আমি ও মাসরূক ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। এরপর মাসরূক তাঁকে বললেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণের মধ্যে দু’ ব্যক্তি যারা কল্যাণজনক কাজে কোন প্রকার অবহেলা প্রদর্শন করেন না, তাঁদের একজন মাগরিব এবং ইফত্বারের মধ্যে ত্বরা করেন। আর অপরজন মাগরিব ও ইফত্বারে বিলম্ব করেন। তিনি বললেন যে, কোন ব্যক্তি সে মাগরিব ও ইফত্বারে ত্বরা করেন? তিনি বললেন, তিনি ‘আবদুল্লাহ। তখন ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করতেন। (ই.ফা. ২৪২৪, ই.সে. ২৪২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অধ্যায়ঃ

সওমের সময় পূর্ণ হওয়া এবং দিবস সমাপ্ত হওয়া

২৪৪৮

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ – وَاتَّفَقُوا فِي اللَّفْظِ – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَقَالَ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْلُ وَأَدْبَرَ النَّهَارُ وَغَابَتِ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ ‏”‏ ‏.‏ لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ نُمَيْرٍ ‏”‏ فَقَدْ ‏”‏ ‏.‏

‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন রাত আসে, দিন চলে যায় এবং সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়, তখন সিয়াম পালনকারী ইফত্বার করবে। [৫]

ইবনু নুমায়র (রহঃ) (আরবী) শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ২৪২৫, ই.সে. ২৪২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫] অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর আর দেরী করবে না, যেমন কত কত সন্দেহ পোষণকারী বলে যে, আর কিছু দেরী করলে কী হবে এত বেখবর কেন। অথচ তারা এটা জানে না যে, প্রথম সূর্যাস্তের সময়েই ইফত্বার করা সুন্নাত। আর সূর্যাস্ত যাওয়া, রাতের আগমন ও দিনের প্রস্থান এ তিনটি একই সময়ে সংঘটিত হয়। বরং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিষয়টাকে পরিস্কার করার জন্য তিনটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন। হ্যাঁ, যে স্থানে সূর্যাস্ত বুঝা যায় না, তখায় একটু আঁধার করে ইফত্বার করা যায়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৪৯

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ أَبِي أَوْفَى – رضى الله عنه – قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فَلَمَّا غَابَتِ الشَّمْسُ قَالَ ‏”‏ يَا فُلاَنُ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَلَيْكَ نَهَارًا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَنَزَلَ فَجَدَحَ فَأَتَاهُ بِهِ فَشَرِبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ ‏”‏ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ مِنْ هَا هُنَا وَجَاءَ اللَّيْلُ مِنْ هَا هُنَا فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ ‏”‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযান মাসে কোন এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গী ছিলাম। সূর্য ডুবে গেলে তিনি বললেন, হে অমুক! অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। সে বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ! এখনো দিন রয়ে গেছে। পুনরায় তিনি বললেন, অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। তখন সে অবতরণ করল এবং ছাতু গুলে তার নিকট পেশ করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পান করলেন এবং হাত দ্বারা ইঙ্গিত করে বললেন, সূর্য এদিক থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং রাত্র যখন এদিক থেকে ঘনিয়ে আসবে, তখন সিয়াম পালনকারী ইফত্বার করবে। (ই.ফা. ২৪২৬, ই.সে. ২৪২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَعَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى، – رضى الله عنه – قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَلَمَّا غَابَتِ الشَّمْسُ قَالَ لِرَجُلٍ ‏”‏ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ أَمْسَيْتَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنَّ عَلَيْنَا نَهَارًا ‏.‏ فَنَزَلَ فَجَدَحَ لَهُ فَشَرِبَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ إِذَا رَأَيْتُمُ اللَّيْلَ قَدْ أَقْبَلَ مِنْ هَا هُنَا – وَأَشَارَ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ – فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ ‏”‏ ‏.

ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। যখন সূর্য অদৃশ্য হয়ে গেল তখন তিনি এক ব্যক্তিকে বললেন, অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। সে বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ! সন্ধ্যা হতে দিন। পুনরায় তিনি বললেন, অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। সে বলল, দিন আমাদের আরো বাকী রয়েছে। এরপর সে অবতরণ করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য ছাতু গুলে আনলো। তিনি পান করলেন এবং হাত দ্বারা পূর্বদিকে ইঙ্গিত করে বললেন, যখন তোমরা দেখবে যে, এদিক থেকে রাত্র ঘনিয়ে আসছে, তখন সিয়াম পালনকারীর ইফত্বারের সময় হবে। (ই.ফা. ২৪২৭, ই.সে. ২৪২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫১

وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى – رضى الله عنه – يَقُولُ سِرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَائِمٌ فَلَمَّا غَرَبَتِ الشَّمْسُ قَالَ ‏ “‏ يَا فُلاَنُ انْزِلْ فَاجْدَحْ لَنَا ‏”‏ ‏.‏ مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ وَعَبَّادِ بْنِ الْعَوَّامِ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ভ্রমণ করলাম। এ সময় তিনি সওমরত ছিলেন। যখন সূর্য অদৃশ্য হয়ে গেল তখন তিনি বললেন, হে অমুক! তুমি অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। এরপর তিনি ইবনু মুসহির এবং ‘আব্বাস ইবনু ‘আও্‌ওয়াম-এর অনুরূপ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪২৮, ই.সে. ২৪২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫২

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى، ح . وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، جَعْفَرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى، – رضى الله عنه – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ وَعَبَّادٍ وَعَبْدِ الْوَاحِدِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَحَدٍ مِنْهُمْ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ وَلاَ قَوْلُهُ ‏ “‏ وَجَاءَ اللَّيْلُ مِنْ هَا هُنَا ‏”‏ ‏.‏ إِلاَّ فِي رِوَايَةِ هُشَيْمٍ وَحْدَهُ ‏.‏

ইবনু আবূ আওফা (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু মুসহির, ‘আব্বাস ও ‘আবদুল ওয়াহিদ (রহঃ)-এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁদের কারো হাদীসের মধ্য রমাযান মাসের উল্লেখ নেই। অনুরূপভাবে হুশায়ম ব্যতীত তাদের বর্ণনায় “এবং যখন রাত্র এদিক থেকে ঘনিয়ে আসে” এ কথাটিও উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৪২৯, ই.সে. ২৪২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১. অধ্যায়ঃ

সওমে বিসাল বা বিরতিহীনভাবে সওম পালন করা নিষিদ্ধ

২৪৫৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْوِصَالِ قَالُوا إِنَّكَ تُوَاصِلُ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ إِنِّي أُطْعَمُ وَأُسْقَى ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমে বিসাল করতে নিষেধ করেছেন। এতে সাহাবীগণ বললেন, আপনি তো সওমে বিসাল করে থাকেন। তিন বললেন, আমার অবস্থা তোমাদের মতো নয়। আমাকে খাওয়ানো ও পান করানো হয়। (ই.ফা. ২৪৩০, ই.সে. ২৪২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫৪

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاصَلَ فِي رَمَضَانَ فَوَاصَلَ النَّاسُ فَنَهَاهُمْ ‏.‏ قِيلَ لَهُ أَنْتَ تُوَاصِلُ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ إِنِّي أُطْعَمُ وَأُسْقَى ‏”‏ ‏.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসে সওমে বিসাল আরম্ভ করলেন। তা দেখে সাহাবীগণও সওমে বিসাল আরম্ভ করলেন। এরপর তিনি তাদেরকে সওমে বিসাল করতে নিষেধ করলেন। এতে তাঁকে প্রশ্ন করা হ’ল, আপনি তো সওমে বিসাল করছেন। উত্তরে তিনি বললেন, আমি তোমাদের মতো নই। আমাকে তো খাওয়ানো হয় এবং পান করানো হয়। (ই.ফা. ২৪৩১, ই.সে. ২৪৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫৫

ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এতে রমাযান মাসের কথা উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ২৪৩২, ই.সে. ২৪৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫৬

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমে বিসাল করতে নিষেধ করেছেন। তখন মুসলিমদের এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো সওমে বিসাল করে থাকেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমাদের মধ্যে আমার মতো কে আছে? আমি রাত্রি যাপন করি এমতাবস্থায় যে, আমার প্রতিপালক আমাকে খাওয়ান এবং আমাকে পান করান। সাহাবীগণ সওমে বিসাল থেকে বিরত থাকতে অস্বীকার করলে তিনি তাদের সাথে একদিন এবং পরে আরেক দিন সওমে বিসাল করলেন। এরপর তারা চাঁদ দেখলেন, তখন তিনি বললেন, চাঁর আরো দেরীতে দেখা দিলে আমিও সওমে বিসাল দির্ঘায়িত করতাম। তাঁরা সওমে বিসাল থেকে বিরত থাকতে অস্বীকার করলে তিনি শাস্তি স্বরূপ এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। (ই.ফা. ২৪৩৩, ই.সে. ২৪৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫৭

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সওমে বিসাল থেকে বিরত থাক। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি তো সওমে বিসাল করে থাকেন? তিনি বললেন, এ ব্যাপারে তোমরা তো আমার মত নও। আমি এমতাবস্থায় রাত্রি যাপন করি যে, আমার প্রতিপালক আমাকে পানাহার করান। তাই তোমরা তোমাদের সামর্থ্যে যতটুকু কুলায়, ততটুকু ‘আমাল কর। (ই.ফা. ২৪৩৪, ই.সে. ২৪৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫৮

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)- এর সূত্রে রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (হাদীসের শেষে কয়েকটি শব্দ পরিবর্তন হলেও অর্থ একই)। (ই.ফা. ২৪৩৫, ই.সে. ২৪৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৫৯

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)- এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি সওমে বিসাল করতে নিষেধ করেছেন। এরপর বর্ণনাকারী আবূ যুর’আহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪৩৬, ই.সে. ২৪৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬০

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযান মাসে একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করছিলেন। আমি তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালাম। এরপর অন্য এক ব্যক্তি এসেও তাঁর পাশে দাঁড়ালেন। এভাবে আমরা এক দল লোক হয়ে গেলাম। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বুঝতে পারলেন যে, আমরা তাঁর পেছনে আছি, তখন তিনি সালাত সংক্ষেপ করে ফেললেন। তারপর তিনি আপন গৃহে চলে গেলেন এবং এমন (দীর্ঘ) সালাত আদায় করলেন যে, এভাবে তিনি আমাদের সাথে সালাত আদায় করতেন না। সকালে আমরা তাঁকে বললাম, রাত্রে আপনি আমাদের সম্পর্কে বুঝতে পেরেছিলেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাই তো আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে ঐ কাজের, যা আমি করেছি। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযানের শেষভাগে আবার সওমে বিসাল করতে আরম্ভ করলেন। এ দেখে কতিপয় সহাবীও সওমে বিসাল শুরু করলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, লোকদের কী হ’ল, তারা যে সওমে বিসাল আরম্ভ করেছে! তোমরা আমার মত নও। আল্লাহর শপথ! যদি মাস দীর্ঘায়িত হতো, তবে আমি এমনভাবে সওমে বিসাল করতাম যার ফরে সীমালঙ্ঘনকারীগণ সওমে বিসাল করা ছেড়ে দিত। (ই.ফা. ২৪৩৭, ই.সে. ২৪৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬১

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযান মাসের প্রথমাংশে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমে বিসাল আরম্ভ করলেন। এ দেখে মুসলিমদের কতিপয় লোক সওমে বিসাল আরম্ভ করে দিলেন। এ সংবাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পৌঁছার পর তিনি বললেন, যদি আমাদের জন্য মাস দীর্ঘায়িত করে দেয়া হতো তবে আমি এমনভাবে সওমে বিসাল করতাম যাতে সীমালঙ্ঘনকারীরা সীমালংঘন করা ছেড়ে দিত। এরপর তিনি বললেন, তোমরা তো আমার মতো নও অথবা বললেন, আমি তো তোমাদের মতো নই। কারণ আমার প্রতিপালক তো আমাকে পানাহার করান। (ই.ফা. ২৪৩৮, ই.সে. ২৪৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬২

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدَةَ، – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، – عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ نَهَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْوِصَالِ رَحْمَةً لَهُمْ ‏.‏ فَقَالُوا إِنَّكَ تُوَاصِلُ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ إِنِّي يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِي ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দয়াবশতঃ সবাইকে সওমে বিসাল করতে নিষেধ করেছেন। সাহাবীগণ বললেন, আপনি তো সওমে বিসাল করেন। তিনি বললেন, আমি তো তোমাদের মতো নই। আমাকে তো আমার প্রতিপালক পানাহার করান। (ই.ফা. ২৪৩৯, ই.সে. ২৪৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১২. অধ্যায়ঃ

কামোদ্দীপনা যাকে নাড়া দেয় না, সওমের অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দেয়া তার জন্য হারাম নয়

২৪৬৩

حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ إِحْدَى نِسَائِهِ وَهُوَ صَائِمٌ ‏.‏ ثُمَّ تَضْحَكُ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় তাঁর কোন কোন স্ত্রীকে চুমু দিতেন। তারপর তিনি হেসে দিলেন। (ই.ফা. ২৪৪০, ই.সে. ২৪৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৪

حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ أَسَمِعْتَ أَبَاكَ يُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُقَبِّلُهَا وَهُوَ صَائِمٌ فَسَكَتَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ نَعَمْ ‏.

সুফ্‌ইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুর রহমান ইবনুল ক্বাসিম (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি তোমার আব্বাকে ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে এ কথা বর্ণনা করতে শুনেছ যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় তাঁকে চুমু দিতেন? তিনি কিছুক্ষণ নীরব থেকে বললেন, হ্যাঁ, শুনেছি। (ই.ফা. ২৪৪১, ই.সে. ২৪৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُنِي وَهُوَ صَائِمٌ وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ .

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় আমাকে চুমু দিতেন। তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে, নিজের কামোদ্দীপনাকে আয়ত্বে রাখতে পারে, যেমন আয়ত্বে রাখতে সক্ষম ছিলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কামোদ্দীপনাকে। (ই.ফা. ২৪৪২, ই.সে. ২৪৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، وَعَلْقَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها ح . وَحَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ وَيُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ وَلَكِنَّهُ أَمْلَكُكُمْ لإِرْبِهِ ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় (স্ত্রীদেরকে) চুম্বন ও স্পর্শ করতেন। তবে প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ রাখায় তোমাদের সবার চেয়ে তিনি অধিকরত শক্তিশালী ছিলেন। (ই.ফা. ২৪৪৩, ই.সে. ২৪৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৭

حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ وَكَانَ أَمْلَكَكُمْ لإِرْبِهِ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় চুমু দিতেন। তিনি তাঁর প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে তোমাদের সকলের চেয়ে অধিকতর ক্ষমতাবান ছিলেন। (ই.ফা. ২৪৪৪, ই.সে. ২৪৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৮

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় (স্ত্রীদেরকে) স্পর্শ করতেন। (ই.ফা. ২৪৪৫, ই.সে. ২৪৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৬৯

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ، إِلَى عَائِشَةَ – رضى الله عنها – فَقُلْنَا لَهَا أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ قَالَتْ نَعَمْ وَلَكِنَّهُ كَانَ أَمْلَكَكُمْ لإِرْبِهِ أَوْ مِنْ أَمْلَكِكُمْ لإِرْبِهِ ‏.‏ شَكَّ أَبُو عَاصِمٍ ‏.

আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ও মাসরূক (রহঃ) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম যে, সওমের অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তাঁর স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, করতেন। তবে তিনি তাঁর প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে তোমাদের সকলের চেয়ে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ছিলেন অথবা বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে, যে তার প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম? এ ব্যাপারে আবূ ‘আসিম সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। (ই.ফা. ২৪৪৬, ই.সে. ২৪৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭০

وَحَدَّثَنِيهِ يَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، وَمَسْرُوقٍ أَنَّهُمَا دَخَلاَ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ يَسْأَلاَنِهَا ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আসওয়াদ এবং মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তাঁরা দু’জন এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গমন করলেন। এরপর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪৪৭, ই.সে. ২৪৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ – رضى الله عنها – أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُقَبِّلُهَا وَهُوَ صَائِمٌ ‏.

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় তাঁকে চুমু দিতেন। (ই.ফা. ২৪৪৮, ই.সে. ২৪৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭২

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ الْحَرِيرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، – يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ – عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪৪৯, ই.সে. ২৪৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ فِي شَهْرِ الصَّوْمِ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিয়ামের মাসেও (স্ত্রীদেরকে) চুমু দিতেন। (ই.ফা. ২৪৫০, ই.সে. ২৪৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭৪

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ، بْنُ عِلاَقَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ فِي رَمَضَانَ وَهُوَ صَائِمٌ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযান মাসে সওমের অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদেরকে চুমু দিতেন। (ই.ফা. ২৪৫১, ই.সে. ২৪৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭৫

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় (স্ত্রীদেরকে) চুমু দিতেন। (ই.ফা. ২৪৫২, ই.সে. ২৪৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭৬

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ شُتَيْرِ بْنِ شَكَلٍ، عَنْ حَفْصَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ ‏.

হাফসাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় চুমু দিতেন। (ই.ফা. ২৪৫৩, ই.সে. ২৪৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭৭

وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ جَرِيرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ شُتَيْرِ بْنِ شَكَلٍ، عَنْ حَفْصَةَ، – رضى الله عنها – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.

হাফসাহ্‌ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ২৪৫৪, ই.সে. ২৪৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৭৮

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَيُقَبِّلُ الصَّائِمُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ سَلْ هَذِهِ ‏”‏ ‏.‏ لأُمِّ سَلَمَةَ فَأَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ ذَلِكَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لأَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَخْشَاكُمْ لَهُ ‏”‏ ‏.

‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, সওম পালনকারী ব্যক্তি চুম্বন করতে পারে কি? তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, কথাটি উম্মু সালামাকে জিজ্ঞেস কর। (তাঁকে জিজ্ঞেস করার পর) তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেন। এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ তো আপনার পূর্বাপর সমূদয় গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, শোন, আল্লাহর শপথ! আমি আল্লাহ তা’আলাকে তোমাদের সকলের চেয়ে অধিক ভয় করি। (ই.ফা. ২৪৫৫, ই.সে. ২৪৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩. অধ্যায:

জানাবাত অবস্থায় কারো প্রভাত হলে তার সওম শুদ্ধ হবে

২৪৭৯

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ، بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يَقُصُّ يَقُولُ فِي قَصَصِهِ مَنْ أَدْرَكَهُ الْفَجْرُ جُنُبًا فَلاَ يَصُمْ ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ – لأَبِيهِ – فَأَنْكَرَ ذَلِكَ ‏.‏ فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ – رضى الله عنهما – فَسَأَلَهُمَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَنْ ذَلِكَ – قَالَ – فَكِلْتَاهُمَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ – قَالَ – فَانْطَلَقْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى مَرْوَانَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ ‏.‏ فَقَالَ مَرْوَانُ عَزَمْتُ عَلَيْكَ إِلاَّ مَا ذَهَبْتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَرَدَدْتَ عَلَيْهِ مَا يَقُولُ – قَالَ – فَجِئْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَأَبُو بَكْرٍ حَاضِرُ ذَلِكَ كُلِّهِ – قَالَ – فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَهُمَا قَالَتَاهُ لَكَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ هُمَا أَعْلَمُ ‏.‏ ثُمَّ رَدَّ أَبُو هُرَيْرَةَ مَا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ إِلَى الْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنَ الْفَضْلِ وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ فَرَجَعَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَمَّا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ ‏.‏ قُلْتُ لِعَبْدِ الْمَلِكِ أَقَالَتَا فِي رَمَضَانَ قَالَ كَذَلِكَ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ ‏.

আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) তাঁর আলোচনায় বললেন, জানাবাত অবস্থায় কারো ভোর হলে তার সওম হবে না। এরপর এ কথাটি আমি ‘আবদুর রহমান ইবনু হারিস (রাঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করলেন। তরপর ‘আবদুর রহমান চললেন। আমিও তাঁর সাথে সাথে চললাম। আমরা ‘আয়িশাহ্‌ এবং উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। এরপর ‘আবদুর রহমান তাঁদের উভয়কে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। তাঁরা বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহতিলাম ব্যতিরেকে জানাবাতের অবস্থায় ভোর করতেন এবং সওম পালন করতেন। তারপর আমরা মারওয়ানের নিকট আসলাম এবং ‘আবদুর রহমান তার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করলেন। এরপর মারওয়ান বললেন, আমি তোমাকে কসম দিয়ে বলছি, তুমি আবূ হুরায়রার নিকট যাও এবং তার কথাটি রদ করে দাও। এরপর আমি আবূ হুরায়রার নিকট গেলাম। এ সময় আবূ বকর (রাঃ) ‘আবদুর রহমানের সাথে ছিলেন। ‘আবদুর রহমান এ নিয়ে আবূ হুরায়রার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) বললেন, তোমার নিকট তাঁরা উভয়েই কি এ কথা বলেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা উভয়েই এ কথা বলেছেন। তখন আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) বললেন, বস্তুত তাঁরাই সর্বাধিক অবগত। তারপর আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) তাঁর এ কথাটিকে ফায্‌ল ইবনু ‘আব্বাসের প্রতি সম্পর্কিত করে বললেন, আমি এ কথাটি ফায্‌লের (ইবনু আব্বাস) থেকে শুনেছিলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনিনি। রাবী বলেন, এরপর আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) এ বিষয়ে তাঁর মত পরিবর্তন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ‘আবদুল মালিককে জিজ্ঞেস করলাম, তারা রমাযানের কথা বলেছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ অনুরূপই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহতিলাম ব্যতিরেকেও জানাবাত অবস্থায় ভোর করতেন। এরপর সওম পালন করতেন। (ই.ফা. ২৪৫৬, ই.সে. ২৪৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮০

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَأَبِي، بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ فِي رَمَضَانَ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ فَيَغْتَسِلُ وَيَصُومُ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযান মাসে ইহতিলাম ছাড়াই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জানাবাত অবস্থায় ফাজ্‌রের সলাতের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন। (ই.ফা. ২৪৫৭, ই.সে. ২৪৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮১

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ الْحِمْيَرِيِّ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ مَرْوَانَ أَرْسَلَهُ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ – رضى الله عنها – يَسْأَلُ عَنِ الرَّجُلِ يُصْبِحُ جُنُبًا أَيَصُومُ فَقَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ لاَ مِنْ حُلُمٍ ثُمَّ لاَ يُفْطِرُ وَلاَ يَقْضِي ‏.

আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা মারওয়ান তাকে উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য যার জানাবাতের অবস্থায় ভোর হলো, সে সওম পালন করতে পারবে কি? তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইহতিলাম ব্যতিরেকে স্ত্রী সহবাসের কারণে গোসল ফরয হওয়া অবস্থায় ভোর হতো। এরপর তিনি সওম ভঙ্গও করতেন না এবং সওমের কাযাও করতেন না। (ই.ফা. ২৪৫৮, ই.সে. ২৪৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي، بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمَا قَالَتَا إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلاَمٍ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ يَصُومُ ‏.

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্ এবং উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা উভয়ই বলেন, রমাযান মাসে ইহ্তিলাম ছাড়াই স্ত্রী সহবাসের কারণে জানাবাতের অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভোর হতো, এরপর তিনি সওম পালন করতেন। (ই.ফা. ২৪৫৯, ই.সে. ২৪৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ، جَعْفَرٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، – وَهُوَ ابْنُ مَعْمَرِ بْنِ حَزْمٍ الأَنْصَارِيُّ أَبُو طُوَالَةَ – أَنَّ أَبَا يُونُسَ، مَوْلَى عَائِشَةَ أَخْبَرَهُ عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَفْتِيهِ وَهِيَ تَسْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْبَابِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تُدْرِكُنِي الصَّلاَةُ وَأَنَا جُنُبٌ أَفَأَصُومُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَأَنَا تُدْرِكُنِي الصَّلاَةُ وَأَنَا جُنُبٌ فَأَصُومُ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لَسْتَ مِثْلَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمَكُمْ بِمَا أَتَّقِي ‏”‏ ‏.

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করার জন্য এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলো। এ সময় তিনি দরজার পেছন থেকে কথাগুলো শুনছিলেন। লোকটি বলল, ইয়া রসূলুল্লাহ! জানাবাতের অবস্থায় আমার ফাজরের সময় হয়ে যায়, এমতাবস্থায় আমি সওম পালন করতে পারি কি? উত্তরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, জানাবাতের অবস্থায় আমারও ফাজরের সলাতের সময় হয়ে যায়, আমি তো সওম পালন করি। এরপর লোকটি বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো আমাদের মতো নন। আল্লাহ তা’আলা আপনার পূর্বাপর সমূদয় গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার আশা, আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে সর্বাধিক ভয় করি এবং আমি সর্বাধিক অবগত ঐ বিষয় সম্পর্কে, যা থেকে আমার বিরত থাকা আবশ্যক। (ই.ফা. ২৪৬০, ই.সে. ২৪৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪৮৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَأَلَ أُمَّ سَلَمَةَ – رضى الله عنها – عَنِ الرَّجُلِ يُصْبِحُ جُنُبًا أَيَصُومُ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ احْتِلاَمٍ ثُمَّ يَصُومُ ‏.

সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, জানাবাতের অবস্থায় যার ভোর হয়, সে সওম পালন করবে কি? তিনি বললেন, ইহতিলাম ছাড়াই জানাবাতের অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভোর হতো এবং তিনি সওম পালন করতেন। (ই.ফা. ২৪৬১, ই.সে. ২৪৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস