বুখারী জাহমিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৭৩৭১ – ৭৪৩৩

৯৭/১. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র তাওহীদের দিকে উম্মতের প্রতি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আহ্বান।

৭৩৭১

أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’য়ায (রাঃ) -কে ইয়ামানে প্রেরণ করেছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

তাওহীদ [১]

[১] মূলতঃ ইমাম বুখারী এই পর্বটি জাহমিয়্যাদের আক্বীদাকে খন্ডন করার উদ্দেশ্যেই উল্লেখ করেছেন। কারণ জাহমিয়্যা এমন এক বিদ‘আতী দল যারা তাওহীদকে অস্বীকার করে থাকে। মুসতামলীর বর্ণনাতে পর্বটির নাম كتاب الرد على الجهمية وغيرهم। এখানে وغيرهم এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কাদেরিয়া সম্প্রদায়।

ইতঃপূর্বেও ইমাম বুখারী খারেজীদের আক্বীদাকে খন্ডন করার জন্য كتاب الفتن এবং রাফেজাদের (শি’আদের) আক্বীদাকে খন্ডন করার জন্য كتاب الاحكام নামে পর্ব উল্লেখ করেছেন। বলা বাহুল্য যে, এই চারটি দলই বিদ‘আতের চূঁড়া। জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায় আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকার করে, কুরআন সম্পর্কে বলে, এটা আল্লাহর কালাম নয় বরং এটা তার সৃষ্টি। আল্লাহ সম্পর্কে আরো বলে, তিনি বাতাসের ন্যায় প্রত্যেক বস্ত্তর সাথে আছেন। এদের সর্দারের নাম জাহাম বিন সাফওয়ান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৭২

و حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ صَيْفِيٍّ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مَعْبَدٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ لَمَّا بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى نَحْوِ أَهْلِ الْيَمَنِ قَالَ لَهُ إِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَى أَنْ يُوَحِّدُوا اللهَ تَعَالَى فَإِذَا عَرَفُوا ذ‘لِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ فَإِذَا صَلَّوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً فِي أَمْوَالِهِمْ تُؤْخَذُ مِنْ غَنِيِّهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فَقِيرِهِمْ فَإِذَا أَقَرُّوا بِذَلِكَ فَخُذْ مِنْهُمْ وَتَوَقَّ كَرَائِمَ أَمْوَالِ النَّاسِ

ইব্‌নু আব্বাসের মুক্ত গোলাম আবূ মা’বাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আব্দুল্লাহ্ ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’আয ইব্‌নু জাবাল (রাঃ) -কে ইয়ামান পাঠালেন, তখন তিনি তাঁকে বললেন, তুমি আহলে কিতাবদের একটি কাওমের কাছে যাচ্ছ। অতএব, তাদের প্রতি তোমার প্রথম আহ্বান হবে- তারা যেন আল্লাহ্‌র একত্ববাদ মেনে নেয়। তারা তা স্বীকার করার পর তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ্ দিনে রাতে তাদের প্রতি পাঁচ বার সালাত ফরয করে দিয়েছেন। যখন তারা সালাত আদায় করবে, তখন তুমি তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের ধন-সম্পদে আল্লাহ তাদের প্রতি যাকাত ফরয করেছেন। তা তাদেরই ধনশালীদের থেকে গ্রহণ করা হবে। আবার তাদের ফকীরদেরকে তা দেয়া হবে। যখন তারা স্বীকার করে নেবে, তখন তাদের থেকে গ্রহণ কর। তবে লোকজনের ধন-সম্পদের উত্তম অংশ গ্রহণ করা থেকে বেঁচে থাক।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৭৩

مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي حَصِينٍ وَالأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ سَمِعَا الأَسْوَدَ بْنَ هِلاَلٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا مُعَاذُ أَتَدْرِي مَا حَقُّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ قَالَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا أَتَدْرِي مَا حَقُّهُمْ عَلَيْهِ قَالَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ

মু’আয ইব্‌নু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে মু’আয! তোমার কি জানা আছে, বান্দার উপর আল্লাহ্‌র হক কী? তিনি বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলই ভাল জানেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বান্দা আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাত করবে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। (আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন) আল্লাহ্‌র উপর বান্দার হক কী তা কি তুমি জান? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলই ভাল জানেন। তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বললেনঃ তা হল বান্দাদেরকে শাস্তি না দেয়া। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৭৪

إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَجُلاً سَمِعَ رَجُلاً يَقْرَأُ {قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ} يُرَدِّدُهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ وَكَأَنَّ الرَّجُلَ يَتَقَالُّهَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ زَادَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَخْبَرَنِي أَخِي قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক লোক অন্য এক লোককে বারবার ‘ইখলাস’ সূরা তিলাওয়াত করতে শুনল। সকাল বেলা লোকটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট এ বিষয়টি উল্লেখ করল; লোকটি যেন সূরা ইখ্‌লাসের গুরুত্বকে কম করছিল। এই প্রেক্ষিতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম করে বলছি! এ সূরাটি অবশ্যই কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ।

ইস্মাঈল ইব্‌নু জা’ফর ক্বাতাদাহ ইব্‌নু আল-নুমান (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে (কিছুটা) বৃদ্ধি সহ বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৭৫

أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَمْرٌو عَنْ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ أَنَّ أَبَا الرِّجَالِ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَكَانَتْ فِي حَجْرِ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً عَلَى سَرِيَّةٍ وَكَانَ يَقْرَأُ لأَ÷صْحَابِهِ فِي صَلاَتِهِمْ فَيَخْتِمُ بِ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ فَلَمَّا رَجَعُوا ذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَلُوهُ لأيِّ شَيْءٍ يَصْنَعُ ذَلِكَ فَسَأَلُوهُ فَقَالَ لأَ÷نَّهَا صِفَةُ الرَّحْمَنِ وَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَقْرَأَ بِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبِرُوهُ أَنَّ اللهَ يُحِبُّهُ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সহাবীকে একটি মুজাহিদ দলের প্রধান করে অভিযানে পাঠালেন। সলাতে তিনি যখন তাঁর সাথীদের নিয়ে ইমামত করতেন, তখন ইখ্‌লাস সূরাটি দিয়ে সালাত শেষ করতেন। তারা যখন অভিযান থেকে ফিরে আসল তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খেদমতে ব্যাপারটি আলোচনা করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাঁকেই জিজ্ঞেস ক’রো কেন সে এ কাজটি করেছে? এরপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দিলেন, এ সূরাটির আল্লাহ্ তা’আলার গুণাবলী রয়েছে। এ জন্য সূরাটি পড়তে আমি ভালোবাসি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ তাঁকে ভালবাসেন। [মুসলিম ৬/৪৫, হাঃ ৮১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/২. অধ্যায়ঃ

তুমি বলে দাও, তোমরা আল্লাহ্‌ নামে ডাকো বা রহমান নামে ডাকো। তোমরা যে নামেই ডাকো সকল সুন্দর নামই তাঁর। [২০৬] (সূরা ইসরা ১৭/১১০)

[২০৬] মূলতঃ ইমাম বুখারী এই باب উল্লেখ করেছেন আল্লাহ তা‘আলার অসংখ্য নাম صفات কে প্রমাণ করার জন্য। সহীহ বুখারীর কোন কোন ব্যাখ্যাকারী বলেন : এ باب টি যেন মূল আর পরবর্তী ابواب গুলো শাখা-প্রশাখা। আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হলো : মুশরিকরা যখন শুনতে পেল যে রসূল (সাঃ) আল্লাহ তা‘আলাকে আহবান করেছেন يا اللهু يارحمن বলে, তখন তারা বলল যে, মুহাম্মাদ আমাদেরকে এক আল্লাহকে আহবান করার নির্দেশ দেয় অথচ তিনি দু’জন আল্লাহকে আহবান করছেন। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।

সুতরাং বুঝা গেল যে, তিনি এক সত্তা, তিনি অদ্বিতীয়, কিন্তু তাঁর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম ও গুণাবলী (صفات) রয়েছে। তাওহীদ তিন প্রকার : যথা : ১. তাওহীদ রুবূবিয়্যাত- (সৃষ্টি ও পালনে আল্লাহর একত্ব), তাওহীদে ’ইবাদাত বা উলূহিয়্যাত- (’ইবাদাত বা উপাসনায় একত্ব) এবং ৩. তাওহীদে আসমা ও সিফাত- নামও গুণাবলীর একত্ব)।

এখানে তাওহীদে আসমা ওয়াস সিফাতকে স্থির করা হয়েছে যথা তার একটি নাম رحمن ফলে তিনি رحمن সিফাতটি তার জন্য স্থির করেছেন। এই সিফাতটি তাঁর صفات ذات এর অন্তর্গত।

رحمة দ্বারা নেকী, ইচ্ছা অন্য কোন উদ্দেশ্য নেয়া যাবে না। অনুরূপ আল্লাহর রহমতের তুলনা কোন মাখলূকের রহমতের সাথে দেয়া যাবে না। সুতরাং তাওহীদে আসমা ওয়াস্সিফাত হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার ঐ সব নাম ও গুণাবলীকে যথাযথভাবে মেনে নেয়া যা আল্লাহ তা‘আলা নিজ সম্বন্ধে তাঁর কিতাবে এবং রসূল (সাঃ) তাঁর সহীহ হাদীসে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলা যে সমস্ত নাম ও গুণাবলীকে তার নিজ সম্বন্ধে কিতাবে নিষেধ করেছেন এবং রসূল (সাঃ) তাঁর সহীহ হাদীসে আল্লাহ সম্বন্ধে নিষেধ করেছেন তা নিষেধ করা। ঐ সমস্ত নাম ও গুণাবলীর কোন অপব্যাখ্যা, উদাহরণ, অস্বীকার, পরিবর্তন অথবা কোন স্বরূপ (নিজস্ব) কল্পনা করা যাবে না। ফলে আল্লাহ তা‘আলার রহমাত, আযাব, আনন্দ প্রকাশ, রাগ হওয়া, কথা বলা, দেখা, শোনা, দুনিয়ার আসমানে নেমে আসা, তিনি আরশের উপরে, তার হাত রয়েছে, পা রয়েছে, অন্তর রয়েছে ইত্যাদি কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই ঠিক যেভাবে বর্ণনায় এসেছে সেভাবেই মেনে নিতে হবে। অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলার অংশীদার নেই, পিতা-মাত নেই, সন্তান-সন্ততি নেই, তাকে তন্দ্রা ও ঘুম স্পর্শ করে না, তার মৃত্যু নেই ইত্যাদি যা নিষেধ এসেছে তা সাব্যস্ত করা যাবে না।

৭৩৭৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ وَأَبِي ظَبْيَانَ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَرْحَمُ اللهُ مَنْ لاَ يَرْحَمُ النَّاسَ.

জারীর ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তার প্রতি রহম করেন না, যে মানুষের প্রতি রহম করে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

অধ্যায়: তুমি বলে দাও, তোমরা আল্লাহ্ নামে ডাকো বা রাহমান নামে ডাকো। তোমরা যে নামেই ডাকো সকল সুন্দর নামই তাঁর।[১] (সূরাহ ইসরা ১৭/১১০)

[১] মূলতঃ ইমাম বুখারী এই باب উল্লেখ করেছেন আল্লাহ তা‘আলার অসংখ্য নাম صفات কে প্রমাণ করার জন্য। সহীহ বুখারীর কোন কোন ব্যাখ্যাকারী বলেন : এ باب টি যেন মূল আর পরবর্তী ابواب গুলো শাখা-প্রশাখা। আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হলো : মুশরিকরা যখন শুনতে পেল যে রসূল (সাঃ) আল্লাহ তা‘আলাকে আহবান করেছেন يا اللهু يارحمن বলে, তখন তারা বলল যে, মুহাম্মাদ আমাদেরকে এক আল্লাহকে আহবান করার নির্দেশ দেয় অথচ তিনি দু’জন আল্লাহকে আহবান করছেন। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।

সুতরাং বুঝা গেল যে, তিনি এক সত্তা, তিনি অদ্বিতীয়, কিন্তু তাঁর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম ও গুণাবলী (صفات) রয়েছে। তাওহীদ তিন প্রকার : যথা : ১. তাওহীদ রুবূবিয়্যাত- (সৃষ্টি ও পালনে আল্লাহর একত্ব), তাওহীদে ’ইবাদাত বা উলূহিয়্যাত- (’ইবাদাত বা উপাসনায় একত্ব) এবং ৩. তাওহীদে আসমা ও সিফাত- নামও গুণাবলীর একত্ব)।

এখানে তাওহীদে আসমা ওয়াস সিফাতকে স্থির করা হয়েছে যথা তার একটি নাম رحمن ফলে তিনি رحمن সিফাতটি তার জন্য স্থির করেছেন। এই সিফাতটি তাঁর صفات ذات এর অন্তর্গত।

رحمة দ্বারা নেকী, ইচ্ছা অন্য কোন উদ্দেশ্য নেয়া যাবে না। অনুরূপ আল্লাহর রহমতের তুলনা কোন মাখলূকের রহমতের সাথে দেয়া যাবে না। সুতরাং তাওহীদে আসমা ওয়াস্সিফাত হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার ঐ সব নাম ও গুণাবলীকে যথাযথভাবে মেনে নেয়া যা আল্লাহ তা‘আলা নিজ সম্বন্ধে তাঁর কিতাবে এবং রসূল (সাঃ) তাঁর সহীহ হাদীসে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলা যে সমস্ত নাম ও গুণাবলীকে তার নিজ সম্বন্ধে কিতাবে নিষেধ করেছেন এবং রসূল (সাঃ) তাঁর সহীহ হাদীসে আল্লাহ সম্বন্ধে নিষেধ করেছেন তা নিষেধ করা। ঐ সমস্ত নাম ও গুণাবলীর কোন অপব্যাখ্যা, উদাহরণ, অস্বীকার, পরিবর্তন অথবা কোন স্বরূপ (নিজস্ব) কল্পনা করা যাবে না। ফলে আল্লাহ তা‘আলার রহমাত, আযাব, আনন্দ প্রকাশ, রাগ হওয়া, কথা বলা, দেখা, শোনা, দুনিয়ার আসমানে নেমে আসা, তিনি আরশের উপরে, তার হাত রয়েছে, পা রয়েছে, অন্তর রয়েছে ইত্যাদি কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই ঠিক যেভাবে বর্ণনায় এসেছে সেভাবেই মেনে নিতে হবে। অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলার অংশীদার নেই, পিতা-মাত নেই, সন্তান-সন্ততি নেই, তাকে তন্দ্রা ও ঘুম স্পর্শ করে না, তার মৃত্যু নেই ইত্যাদি যা নিষেধ এসেছে তা সাব্যস্ত করা যাবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৭৭

أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ رَسُولُ إِحْدَى بَنَاتِهِ يَدْعُوهُ إِلَى ابْنِهَا فِي الْمَوْتِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ارْجِعْ إِلَيْهَا فَأَخْبِرْهَا أَنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ وَلَهُ مَا أَعْطَى وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمًّى فَمُرْهَا فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ فَأَعَادَتْ الرَّسُولَ أَنَّهَا قَدْ أَقْسَمَتْ لَتَأْتِيَنَّهَا فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَامَ مَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ فَدُفِعَ الصَّبِيُّ إِلَيْهِ وَنَفْسُهُ تَقَعْقَعُ كَأَنَّهَا فِي شَنٍّ فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللهِ مَا هَذَا قَالَ هَذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ

উসামাহ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সময় আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ছিলাম। এমন সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কোন এক কন্যার পক্ষ থেকে একজন সংবাদবাহক এসে তাঁকে জানাল যে, তাঁর মেয়ের পুত্রের মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংবাদবাহককে বলে দিলেন, তুমি ফিরে যাও এবং তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ্ যা নিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি যা দিয়ে রেখেছেন সবেরই তিনি মালিক। তাঁর কাছে প্রতিটি জিনিসের মেয়াদ সুনির্দিষ্ট। কাজেই তাকে গিয়ে ধৈর্য ধরতে এবং প্রতিফল পাওয়ার আশা করতে বল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মেয়ে আবার সংবাদ বাহককে পাঠালেন। সে এসে বলল, আপনাকে তাঁর কাছে যাবার জন্য তিনি কসম দিয়ে বলেছেন। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাওয়ার জন্য দাঁড়ালেন, তাঁর সঙ্গে সা’দ ইব্‌নু ‘উবাদাহ (রাঃ), মু’আয ইব্‌নু জাবাল (রাঃ) -ও দাঁড়ালেন। এরপর শিশুটিকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট দেয়া হল। তখন শিশুটির শ্বাস এভাবে দুর্বল হয়ে আসছিল, যেন তা একটি মশ্কে আছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর চোখ ভিজে গেল। সা’দ ইব্‌নু ‘উবাদাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল (এটা কী?) তিনি বললেনঃ এটিই রহম-দয়ামায়া, যা আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের অন্তরে সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আল্লাহ্ তাঁর রহম-দিল বান্দাদের উপরই দয়া করে থাকেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/৩. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ নিশ্চয়ই আমি তো রিযিক দাতা প্রবল, পরাক্রান্ত। (সূরা আয্‌ যারিয়াত ৫১/৫৮)

৭৩৭৮

عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا أَحَدٌ أَصْبَرُ عَلَى أَذًى سَمِعَهُ مِنْ اللهِ يَدَّعُونَ لَهُ الْوَلَدَ ثُمَّ يُعَافِيهِمْ وَيَرْزُقُهُمْ.

আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমন কেউই নাই যে দুঃখ কষ্টদায়ক কিছু শোনার পর, সে ব্যাপারে আল্লাহ্‌র চেয়ে বেশি সবর করতে পারে। লোকেরা আল্লাহ্‌র সন্তান আছে বলে দাবী করে, কিন্তু এর পরেও তিনি তাদেরকে শান্তিতে রাখেন এবং রিজিক দেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/৪. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না- (সূরা জ্বিন ৭২/২৬)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্‌র কাছে রয়েছে- (সূরা লুক্বমান ৩১/৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করেছেন- (সূরা আন্‌-নিসা ৪/১৬৬)। তাঁর অবগতি ব্যতীত কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না বা (তার বোঝা) হালকা করে না- (সূরা ফাতির ৩৫/১১)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল তাঁরই আছে- (সূরা ফুসসিলাত ৪১/৪৭)।

قَالَ يَحْيَى الظَّاهِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا وَالْبَاطِنُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا

আবূ ‘আবদুল্লাহ্ [(বুখারী (রহ.)] বলেন, ইয়াহ্ইয়া (রহ.) বলেছেন, আল্লাহ্ জ্ঞানের আলোকে সমস্ত সৃষ্টির উপর প্রকাশমান, আবার তিনি জ্ঞানের আলোকেই অপ্রকাশিত।

৭৩৭৯

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَفَاتِيحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ اللهُ لاَ يَعْلَمُ مَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ إِلاَّ اللهُ وَلاَ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ إِلاَّ اللهُ وَلاَ يَعْلَمُ مَتَى يَأْتِي الْمَطَرُ أَحَدٌ إِلاَّ اللهُ وَلاَ تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِلاَّ اللهُ وَلاَ يَعْلَمُ مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ إِلاَّ اللهُ

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উমার (রাঃ) সূত্রে নবী সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ গায়িবের চাবি পাঁচটি, যা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। (১) মায়ের পেটে কী লুকিয়ে আছে তা জানেন একমাত্র আল্লাহ্। (২) আগামীকাল কী ঘটবে তাও জানেন একমাত্র আল্লাহ্। (৩) বৃষ্টিপাত কখন হবে তাও আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। (৪) কে কোন্ ভূমিতে মারা যাবে তা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। (৫) ক্বিয়ামাত কখন ঘটবে আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৮০

مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ كَذَبَ وَهُوَ يَقُولُ {لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ} وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الْغَيْبَ فَقَدْ كَذَبَ وَهُوَ يَقُولُ لاَ يَعْلَمُ الْغَيْبَ إِلاَّ اللهُ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় রবকে দেখেছেন, সে মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেছেন, চক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গায়েব জানেন, সেও মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেন, গায়িব জানেন একমাত্র আল্লাহ্।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/৫. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধানকারী।

৭৩৮১

أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ حَدَّثَنَا شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ كُنَّا نُصَلِّي خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَقُولُ السَّلاَمُ عَلَى اللهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلاَمُ وَلَكِنْ قُولُوا التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে সালাত আদায় করতেন। তখন আমরা বলতাম, আল্লাহর উপর সালাম। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ্ তো নিজেই সালাম। হাঁ, তোমরা বল, …….التَّحِيَّاتُ للهِ অর্থাৎ মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক সকল ‘ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বারাকাত অবতীর্ণ হোক। আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [৮৩১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/৬. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ মানুষের বাদশাহ (সূরা আন্‌-নাস ১১৪/২)

এ সম্পর্কে ‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন।

৭৩৮২

أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدٍ هُوَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَقْبِضُ اللهُ الأَرْضَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَطْوِي السَّمَاءَ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الأَرْضِ وَقَالَ شُعَيْبٌ وَالزُّبَيْدِيُّ وَابْنُ مُسَافِرٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ مِثْلَهُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের দিন পৃথিবী আপন মুঠোয় ধারণ করবেন এবং আসমানকে তাঁর ডান হাতে গুটিয়ে নিয়ে বলবেনঃ আমিই একমাত্র অধিপতি। দুনিয়ার বাদশাহরা কোথায়? শু’আয়ব, যুবায়দী, ইব্‌নু মুসাফির, ইসহাক ইব্‌নু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ), ইমাম যুহরী (রহঃ) আবূ সালামাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/৭. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়- (সূরা আল-হাশর ৫৯/২৪)। পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, ইযযতের অধিকারী প্রতিপালক- (সূরা আস্‌-সাফফাত ৩৭/১৮০)। ইয্‌যত তা তো আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রসুলেরই- (সূরা আল-মুনাফিকুন ৬৩/৮)।

وَمَنْ حَلَفَ بِعِزَّةِ اللهِ وَصِفَاتِهِ وَقَالَ أَنَسٌ قَالَ النَّبِيُّ تَقُولُ جَهَنَّمُ قَطْ قَطْ وَعِزَّتِكَ وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ يَبْقَى رَجُلٌ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ آخِرُ أَهْلِ النَّارِ دُخُولاً الْجَنَّةَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ اصْرِفْ وَجْهِي عَنْ النَّارِ لاَ وَعِزَّتِكَ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا قَالَ أَبُو سَعِيدٍ إِنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَكَ ذَلِكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ وَقَالَ أَيُّوبُ وَعِزَّتِكَ لاَ غِنَى بِي عَنْ بَرَكَتِكَ

কেউ যদি আল্লাহর ইয্যত ও সিফাতের শপথ করে (তার হুকুম কী)? আনাস (রাঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নাম বলবে, হে আল্লাহ্! তোমার সম্মানের কসম, যথেষ্ট হয়েছে। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী লোকটি অবস্থান করবে জাহান্নাম ও জান্নাতের মাঝখানে। তখন সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমার চেহারাখানি জাহান্নাম থেকে ফিরিয়ে (জান্নাতের দিকে) দিন। আপনার সম্মানের কসম। আপনার কাছে এ ব্যতীত আমি আর কিছুই চাইব না। আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তখন আল্লাহ্ বলবেন, তোমাকে তা দেয়া হল এবং তার সাথে আরো দশগুণ বেশি দেয়া হল। আইয়ূব নাবী (আঃ) দু‘আ করেছেনঃ হে আল্লাহ্! আপনার সম্মানের কসম! আমি আপনার বরকত থেকে নিজেকে অমুখাপেক্ষী মনে করি না

৭৩৮৩

أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الَّذِي لاَ يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالإِنْسُ يَمُوتُونَ

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ কথা বলে দু’আ করতেনঃ আমি আপনার ইয্যতের আশ্রয় চাচ্ছি, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই। আর আপনার কোন মৃত্যু নেই। অথচ জ্বিন ও মানুষ সবই মরণশীল।[মুসলিম ৪৮/১৮, হাঃ ২৭১৭, আহমাদ ২৭৪৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৮৪

ابْنُ أَبِي الأَسْوَدِ حَدَّثَنَا حَرَمِيٌّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزَالُ يُلْقَى فِي النَّارِ ح و قَالَ لِي خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ وَعَنْ مُعْتَمِرٍ سَمِعْتُ أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزَالُ يُلْقَى فِيهَا وَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ حَتَّى يَضَعَ فِيهَا رَبُّ الْعَالَمِينَ قَدَمَهُ فَيَنْزَوِي بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ ثُمَّ تَقُولُ قَدْ قَدْ بِعِزَّتِكَ وَكَرَمِكَ وَلاَ تَزَالُ الْجَنَّةُ تَفْضُلُ حَتَّى يُنْشِئَ اللهُ لَهَا خَلْقًا فَيُسْكِنَهُمْ فَضْلَ الْجَنَّةِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ লোকদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। খালীফা ও মুতামির (র.) আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ জাহান্নামীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হতে থাকবে। তখন জাহান্নাম বলতে থাকবে আরো অধিক আছে কি? আর শেষে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, তাঁর কুদরতের কদম জাহান্নামে রাখবেন। তখন এর এক অংশ আরেক অংশের সাথে মিশ্রিত হয়ে স্থির হতে থাকবে। আর বলবে আপনার ইয্যত ও করমের কসম! যথেষ্ট হয়েছে। জান্নাতের কিছু জায়গা শূন্য থাকবে। অবশেষে আল্লাহ্ সেই শূন্য জায়গার জন্য নতুন করে কিছু মাখলুক সৃষ্টি করবেন এবং এদের জন্য জান্নাতের সেই শূন্যস্থানে বসতি স্থাপন করে দেবেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/৮. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ এবং তিনিই সে সত্তা, যিনি যথার্থই আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। (সূরা আন’আম ৬/৭৩)

৭৩৮৫

قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو مِنْ اللَّيْلِ اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ قَوْلُكَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَأَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ لِي غَيْرُكَ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بِهَذَا وَقَالَ أَنْتَ الْحَقُّ وَقَوْلُكَ الْحَقُّ

ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত্রিকালে এ দু’আ করতেনঃ হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আসমান এবং যমীনের প্রতিপালক! আপনারই সব প্রশংসা। আপনি সব আসমান ও যমীন এবং এগুলোর মধ্যকার সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। আপনারই সব প্রশংসা। আসমানসমূহ এবং যমীনের নূর আপনিই। আপনার বাণীই সত্য। আপনার প্রতিশ্রুতি সত্য। সত্য আপনার মুলাকাত। জান্নাত সত্য। জাহান্নাম সত্য। ক্বিয়ামাত সত্য। হে আল্লাহ্! আপনারই প্রতি আমি নিবেদিত। আপনার প্রতিই আমি ঈমান এনেছি। একমাত্র আপনারই ওপর ভরসা করেছি। আপনার কাছে ফিরে এসেছি। আপনারই সাহায্যে দুশমনের মুকাবিলা করেছি। (হক ও বাতিলের ফায়সালা) আপনারই উপর ন্যস্ত করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে মাফ করে দিন, মাফ করে দিন আমার আগের এবং পরের গুনাহ্, যা আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে করেছি এবং আপনি আমার ইলাহ্, আপনি ছাড়া আমার কোন ইলাহ্ নেই। (আ.প্র. ৬৮৬৯, ই.ফা. ৬৮৮১)

সুফ্ইয়ান (রহঃ) এ রকম বর্ণনা করেছেন। তবে এতে বর্ণিত আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আপনিই সত্য এবং আপনার বাণীই সত্য। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/৯. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা আন্‌-নিসা ৪/১)

وَقَالَ الأَعْمَشُ عَنْ تَمِيمٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَسِعَ سَمْعُهُ الأَصْوَاتَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى عَلَى النَّبِيِّ {قَدْ سَمِعَ اللهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا}

আ‘মাশ, তামীম, ‘উরওয়াহ (রহ.), ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর, যাঁর শ্রবণশক্তি সকল শব্দকে ঘিরে রেখেছে। অতঃপর আল্লাহ্ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর নাযিল করেনঃ হে রাসূল! আল্লাহ্ শুনেছেন সেই স্ত্রীলোকের কথা, যে তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সঙ্গে বাদানুবাদ করছে। (সূরাহ আল-মুজাদালাহ ৫৮/১)

৭৩৮৬

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَكُنَّا إِذَا عَلَوْنَا كَبَّرْنَا فَقَالَ ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا تَدْعُونَ سَمِيعًا بَصِيرًا قَرِيبًا ثُمَّ أَتَى عَلَيَّ وَأَنَا أَقُولُ فِي نَفْسِي لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ فَقَالَ لِي يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ قُلْ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ فَإِنَّهَا كَنْزٌ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ أَوْ قَالَ أَلاَ أَدُلُّكَ بِهِ

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা উঁচু স্থানে উঠার সময় তাকবীর বলতাম। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তোমাদের নফসের উপর একটু দয়া কর। কেননা, তোমরা কোন বধির কিংবা অনুপস্থিতকে ডাকছ না। বরং তোমরা ডাকছ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা এবং ঘনিষ্ঠতমকে। এরপর তিনি আমার কাছে আসলেন। তখন আমি মনে মনে لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ বলছিলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু কায়স! বল لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ কেননা এটি জান্নাতের ভান্ডারসমূহের একটি ভান্ডার। অথবা তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে সেই সম্পর্কে জানিয়ে দেব না (যা হচ্ছে জান্নাতের খাজানা)? (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৮৭

يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو عَنْ يَزِيدَ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاَتِي قَالَ قُلْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مِنْ عِنْدِكَ مَغْفِرَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি দু‘আ শিখিয়ে দিন যা দিয়ে আমি আমার সালাতে দু‘আ করতে পারি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বল, اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي…. হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসের ওপর খুব বেশি যুল্ম করেছি। আপনি ব্যতীত আমার গুনাহ ক্ষমা করার কেউই নেই। কাজেই আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনিই অতি ক্ষমাপরায়ণ ও দয়াবান। [৮৩৪; মুসলিম ৪৮/১৩, হাঃ ২৭০৫, আহমাদ ৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৮৮

يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو عَنْ يَزِيدَ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاَتِي قَالَ قُلْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مِنْ عِنْدِكَ مَغْفِرَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি দু‘আ শিখিয়ে দিন যা দিয়ে আমি আমার সালাতে দু‘আ করতে পারি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বল, اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي…. হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসের ওপর খুব বেশি যুল্ম করেছি। আপনি ব্যতীত আমার গুনাহ ক্ষমা করার কেউই নেই। কাজেই আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনিই অতি ক্ষমাপরায়ণ ও দয়াবান। [৮৩৪; মুসলিম ৪৮/১৩, হাঃ ২৭০৫, আহমাদ ৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৮৯

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَم نَادَانِي قَالَ إِنَّ اللهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জিব্‌রীল আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, আল্লাহ্ আপনার কওমের লোকদের কথা শুনেছেন এবং তারা আপনাকে যে জবাব দিয়েছে তাও তিনি শুনেছেন। [২০৭](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০৭] এ হাদীসে রাসূলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশ্বাস বাণী শোনানো হয়েছে যে আল্লাহ তাঁকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন। কাফিরগণ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে কেমন আচরণ করছে আল্লাহ তা দেখছেন ও শুনছেন। অর্থাৎ এ অবস্থায় যা করার দরকার আল্লাহ তা করবেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১০. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ আপনি বলে দিন, তিনি শক্তির অধিকারী। (সূরা আন’আম ৬/৬৫)

৭৩৯০

إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِي قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ يُحَدِّثُ عَبْدَ اللهِ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ السَّلَمِيُّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُ أَصْحَابَهُ الِاسْتِخَارَةَ فِي الْأُمُورِ كُلِّهَا كَمَا يُعَلِّمُهُمْ السُّورَةَ مِنْ الْقُرْآنِ يَقُولُ إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ لِيَقُلْ اللهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ اللهُمَّ فَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ هَذَا الأَمْرَ ثُمَّ تُسَمِّيهِ بِعَيْنِهِ خَيْرًا لِي فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ قَالَ أَوْ فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ اللهُمَّ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّهُ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ فَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِي بِهِ

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ সালামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহাবাগণকে সকল কাজে এভাবে ইস্তিখারা শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তিনি তাদের কুরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোন কাজ করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেন দুই রাক’আত নফল সালাত আদায় করে নেয়। তারপর এ বলে দু’আ করে, হে আল্লাহ্! আমি আপনারই ইল্মের সাহায্যে মঙ্গল তলব করছি। আর আপনারই কুদরতের সাহায্যে আমি শক্তি অন্বেষণ করছি। আর আপনারই অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। কেননা, আপনিই শক্তি রাখেন, আমি কোন শক্তি রাখিনা। আপনিই সব কিছু জানেন, আমি কিছু জানি না। গায়িবী বিষয়াদির বিশেষজ্ঞ একমাত্র আপনি। এরপর সালাত আদায়কারী মনে মনে স্বীয় উদ্দেশ্য উল্লেখ করে বলবে, হে আল্লাহ্! আপনি যদি জানেন যে, এ কাজটি আমার জন্য বর্তমানে ও ভবিষ্যতে মঙ্গলজনক- বর্ণনাকারী বলেন, কিংবা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ স্থানে বলেছেনঃ আমার দ্বীন-দুনিয়া ও পরিণামের ক্ষেত্রে কল্যাণকর, তাহলে আমার জন্য তা নির্ধারণ করে নিন এবং তা আমার জন্য সহজ করে দিন, আর আমার জন্য এতে বরকত দিন। হে আল্লাহ্! আর যদি আপনি জানেন যে, এটি আমার দ্বীন, দুনিয়া ও পরিণামের ক্ষেত্রে অথবা আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের ব্যাপারে অমঙ্গলজনক, তবে তা থেকে আমাকে বিরত রাখুন। আর আমার জন্যে কল্যাণ নির্ধারণ করুন যেখানেই হয় অতঃপর আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন। [২০৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০৮] যারা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর ক্ষেত্রে ইসতিখারার দু’আ পাঠ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্ত কামনা করবেন, তারা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন ইনশাআল্লাহ্।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১১. অধ্যায়ঃ

অন্তরসমূহ পরিবর্তনকারী।

আল্লাহ্‌র বাণীঃ আমিও তাদের অন্তরসমূহ ও দৃষ্টিগুলোকে ঘুরিয়ে দেব। (সূরা আন’আম ৬/১১০)

৭৩৯১

سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ أَكْثَرُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَحْلِفُ لاَ وَمُقَلِّبِ الْقُلُوبِ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিকাংশ সময় কসম করতেন এ কথা বলে- না, তাঁর কসম, যিনি অন্তরসমূহ পরিবর্তন করে দেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১২. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র এক কম একশ’ নাম আছে।

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ذُو الْجَلاَلِ الْعَظَمَةِ الْبَرُّ اللَّطِيفُ

ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেনঃ ذُو الْجَلاَلِ -এর অর্থ মহানত্বের মালিক, الْبَرُّ এর অর্থ দয়ালু।

৭৩৯২

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً إِلاَّ وَاحِدًا، مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏”‏‏.‏ ‏{‏أَحْصَيْنَاهُ‏}‏ حَفِظْنَاهُ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলার নিরানববইটি এক কম একশ’টি নাম আছে।[১] যে ব্যক্তি এগুলো মুখস্থ করে রাখবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। أَحْصَيْنَاهُ -এর অর্থ حَفِظْنَاهُ অর্থাৎ আমরা একে মুখস্থ করলাম। [২৭৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৭৩৬] কেউ কেউ এ হাদীস থেকে প্রমাণ গ্রহণ করেন যে, আল্লাহ তা‘আলার নামের সংখ্যা শুধু মাত্র ৯৯টি। অথচ হাদীসের বর্ণনা থেকে এমনটি বুঝা যায় না। বরং এ ৯৯টি ছাড়াও আল্লাহ তা‘আলার অনেক নাম রয়েছে। তার প্রমাণ রসূল (সাঃ) বলেন :

أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ أَوْ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ

হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ, ইবনু হিববান ও হাকেম। হাদীসটি সহীহ।

সুতরাং তিনি যা তার ইলমে গায়েবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন তা করো পক্ষে সীমাবদ্ধ করা সম্ভব নয়।

সুতরাং উল্লেখিত হাদীস এ সংখ্যায় সীমাবদ্ধ করার প্রমাণ বহন করে না। যদি সীমাবদ্ধতা উদ্দেশ্য হতো তবে বর্ণনাভঙ্গি হত এমন إن أسماء الله تسعة وتسعون اسما من أحصاها دخل الجنة

যেমন কেউ যদি বলে, আমার কাছে একশত টাকা আছে যা আমি সাদাকা করার জন্য প্রস্ত্তত করে রেখেছি্। এর অর্থ এটা নয় যে, তার কাছে আর অন্য কোন টাকা নেই। বরং তার কাছে টাকা আছে। কিন্তু ওগুলো সাদাকার জন্য প্রস্ত্তত করেনি। সাদাকার জন্য শুধুমাত্র এ একশত টাকাই প্রস্ত্তত করেছে।

সুতরাং হাদীসটির অর্থ হচ্ছে : আল্লাহ তা‘আলার অসংখ্য নামের মধ্য থেকে এ ৯৯টি (নামের) সংখ্যার ফযীলত হলো: যে ব্যক্তি এগুলো গণনা করবে, হিফাযাত করবে এবং নামের চাহিদা মোতাবেক আমাল করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বিস্তারিত দেখুন ’’ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালেহ আল উসাইমীনের القواعد المثلى في صفات الله وأسمائه الحسنى গ্রন্থে, ফাতহুল বারী ও ফাতাওয়ায়ে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার ৬ নং খন্ড ৩৮২ পৃঃ ও ৩৭৯ পৃঃ)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১৩. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্ তা’আলার নামগুলোর সাহায্যে প্রার্থনা করা ও আশ্রয় চাওয়া।

৭৩৯৩

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ فِرَاشَهُ فَلْيَنْفُضْهُ بِصَنِفَةِ ثَوْبِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَلْيَقُلْ بِاسْمِكَ رَبِّ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَاغْفِرْ لَهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ

تَابَعَهُ يَحْيَى وَبِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَزَادَ زُهَيْرٌ وَأَبُو ضَمْرَةَ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَاهُ ابْنُ عَجْلاَنَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ বিছানায় গেলে তখন সে যেন তার কাপড়ের আঁচল দিয়ে তা তিনবার ঝেড়ে নেয়। আর বলে, হে আমার প্রতিপালক! একমাত্র তোমারই নামে আমার শরীরের পার্শ্বদেশ বিছানায় রাখলাম এবং তোমারই সাহায্যে আবার তা উঠাব। তুমি যদি আমার জীবনকে আটকে রাখ, তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিবে। আর যদি তা ফিরিয়ে দাও, তাহলে তোমার নেককার বান্দাদের যেভাবে হিফাযত কর, সেভাবে তার হিফাযাত করবে।

ইয়াহ্ইয়া ও বিশ্র ইব্‌নু মুফাদ্দাল (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এই হাদীসেরই অনুকরণে বর্ণনা করেছেন। যুহায়র, আবূ যামরাহ, ইসমা’ঈল ইব্‌নু যাকারীয়্যা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইব্‌নু আজলান (রাঃ)………আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৯৪

مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ رِبْعِيٍّ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ قَالَ اللهُمَّ بِاسْمِكَ أَحْيَا وَأَمُوتُ وَإِذَا أَصْبَحَ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আপন বিছানায় যেতেন, তখন বলতেন- হে আল্লাহ্! আমি তোমারই নামে মৃত্যুবরণ করি, আবার তোমারই নামে জীবিত হই। আবার ভোর হলে বলতেনঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্‌র যিনি আমাদের কে মৃত্যুর (ঘুমের) পর জীবিত করেছেন এবং তাঁরই কাছে সমবেত হতে হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৯৫

سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الحُرِّ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنْ اللَّيْلِ قَالَ بِاسْمِكَ نَمُوتُ وَنَحْيَا فَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে তাঁর বিছানায় যেতেন তখন বলতেনঃ আমরা তোমারই নামে মৃত্যুবরণ করি ও জীবিত হই এবং তিনি যখন জাগতেন তখন বলতেনঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্‌র, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবিত করেন এবং তাঁরই কাছে সমবেত হতে হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৯৬

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ فَقَالَ بِاسْمِ اللهِ اللهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرُّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا

ইনবু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে এবং সে বলে আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদের যে রিযিক দেন তা থেকে শয়তান কে দূরে রাখুন এবং উভয়ের মাধ্যমে যদি কোন সন্তান নির্ধারণ করা হয় তাহলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারে না। [২১০](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১০] হাদীসে উল্লেখিত এই শেষোক্ত আযাবেই বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা আজ পিষ্ট হচ্ছে। তারা বিভিন্ন মাযহাব, বিভিন্ন তরীকা, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ ও হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ায় ইয়াহূদ-নাসারা, মুশরিক মুনাফিকরা সর্বত্র মুসলমানদেরকে গোলামে পরিণত করছে। মুসলমানরা ও আই সি গঠন করেছে কিন্তু ও আই সির অবস্থা হচ্ছে-تحسبهم جميع وقلوبهم شتى – মনে করছ তারা একত্রিত, কিন্তু তাদের অন্তরগুলো ভিন্ন ভিন্ন- ঐক্যহীন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৯৭

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا فُضَيْلٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ أُرْسِلُ كِلاَبِي الْمُعَلَّمَةَ قَالَ إِذَا أَرْسَلْتَ كِلاَبَكَ الْمُعَلَّمَةَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَأَمْسَكْنَ فَكُلْ وَإِذَا رَمَيْتَ بِالْمِعْرَاضِ فَخَزَقَ فَكُلْ

আদী ইনবু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলাম- আমি আমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ছেড়ে দেই। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যখন তুমি আল্লাহ্‌র নাম উচ্চারণ করে তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলো ছেড়ে দাও এবং যদি সে কোন শিকার ধরে আনে, তাহলে তা খাও। আর যদি তীক্ষ্ণ তীর নিক্ষেপ কর এবং এতে যদি শিকার দেহ ফেড়ে দেয়, তবে তা খাও। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৯৮

يُوسُفُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ قَالَ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ هَا هُنَا أَقْوَامًا حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِشِرْكٍ يَأْتُونَا بِلُحْمَانٍ لاَ نَدْرِي يَذْكُرُونَ اسْمَ اللهِ عَلَيْهَا أَمْ لاَ قَالَ اذْكُرُوا أَنْتُمْ اسْمَ اللهِ وَكُلُوا

تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالدَّرَاوَرْدِيُّ وَأُسَامَةُ بْنُ حَفْصٍ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এখানে এমন কতকগুলো সম্প্রদায় আছে, যারা সবে মাত্র শিরক ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছে। তারা আমাদের জন্য গোশত নিয়ে আসে। সেগুলো যবাই করার কালে তারা আল্লাহর নাম নেয় কিনা তা আমরা জানি না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে নেবে এবং তা খাবে। এ হাদীস বর্ণনায় আবূ খালিদ (রহঃ) -এর অনুসরণ করেছেন মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রহমান, দায়াওয়ার্দী এবং উসামাহ ইবনু হাফস। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৯৯

حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ ضَحَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَبْشَيْنِ يُسَمِّي وَيُكَبِّرُ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিস্মিল্লাহ্ পড়ে এবং তাকবীর বলে দু’টি ভেড়া কুরবানী করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪০০

حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ جُنْدَبٍ أَنَّهُ شَهِدَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ صَلَّى ثُمَّ خَطَبَ فَقَالَ مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيَذْبَحْ مَكَانَهَا أُخْرَى وَمَنْ لَمْ يَذْبَحْ فَلْيَذْبَحْ بِاسْمِ اللهِ

জুনদাব ইবনু আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন কুরবানীর দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘র কাছে উপস্থিত ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত পড়লেন। অতঃপর খুতবা দিলেন এবং বললেনঃ সালাত পড়ার আগে যে ব্যক্তি কুরবানীর পশু যবেহ করেছে, সে যেন তদস্থলে আরেকটি পশু যবেহ করে। আর যে ব্যক্তি (সলাতের আগে) যবেহ করেনি সে যেন আল্লাহর নামে যবেহ করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪০১

أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ وَمَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللهِ

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করো না। যে ব্যক্তি কসমকারী হবে সে যেন আল্লাহর নামেই কসম করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১৪. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র মূল সত্তা, গুণাবলী ও নামসমূহের বর্ণনা।

وَقَالَ خُبَيْبٌ وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ فَذَكَرَ الذَّاتَ بِاسْمِهِ تَعَالَى

খুবায়ব (রাঃ) বলেছিলেন, وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ (এবং ওটি আল্লাহর সত্তার স্বার্থে) আর তিনি মূল সত্তাকে তাঁর নামের সঙ্গে উল্লেখ করেছিলেন।

৭৪০২

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ حَلِيفٌ لِبَنِي زُهْرَةَ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَشَرَةً مِنْهُمْ خُبَيْبٌ الأَنْصَارِيُّ فَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عِيَاضٍ أَنَّ ابْنَةَ الْحَارِثِ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهُمْ حِينَ اجْتَمَعُوا اسْتَعَارَ مِنْهَا مُوسَى يَسْتَحِدُّ بِهَا فَلَمَّا خَرَجُوا مِنْ الْحَرَمِ لِيَقْتُلُوهُ قَالَ خُبَيْبٌ الأَنْصَارِيُّ وَلَسْتُ أُبَالِي حِينَ أُقْتَلُ مُسْلِمًا عَلَى أَيِّ شِقٍّ كَانَ لِلَّهِ مَصْرَعِي وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ فَقَتَلَهُ ابْنُ الْحَارِثِ فَأَخْبَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَصْحَابَهُ خَبَرَهُمْ يَوْمَ أُصِيبُوا

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাহি ওয়া সাল্লাম) দশজন সহাবীর একটি দল পাঠালেন। তাঁদের মধ্যে খুবায়ব আনসারী (রাঃ) -ও ছিলেন। বর্ণনাকারী ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ্ ইব্‌নু আয়ায আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, হারিসের কন্যা তাকে জানিয়েছে, যখন খুবায়ব (রাঃ) -কে হত্যা করার জন্য তারা সবাই সমবেত হল, তখন খুবায়ব (রাঃ) পাক-সাফ হবার জন্য তার থেকে একখানা ক্ষুর চেয়ে নিলেন। আর যখন তারা খুবায়বকে হত্যা করার জন্য হারামের বাইরে নিয়ে গেল, তখন খুবায়ব আনসারী (রাঃ) কবিতা পাঠ করে বললেনঃ

“মুসলিম হবার কারণেই যখন আমাকে হত্যা করা হচ্ছে, তখন আমার কোন আফসোস নেই।

যে পার্শ্বে ঢলে পড়ি না কেন, আল্লাহ্‌র জন্যই আমার এ মৃত্যু।

একমাত্র আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্যই আমার এ জীবন দান।

যদি তিনি চান তবে আমার কর্তিত অঙ্গরাজির প্রতিটি টুক্রায় তিনি বরকত দেবেন।” এরপর হারিসের ছেলে তাঁকে শহীদ করল। তাঁদের সে বিপদের খবরটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহাবাগণকে সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১৫. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌ তাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করেছেন- (সূরা আল ‘ইমরান ৩/২৮)।

আল্লাহ্‌র বাণীঃ আমার অন্তরের কথা আপনি জানেন, কিন্তু আপনার অন্তরের কথা আমি জানি না- (সূরা আল-মায়িদাহ ৫/১১৬)।

৭৪০৩

عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرُ مِنْ اللهِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ وَمَا أَحَدٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ الْمَدْحُ مِنْ اللهِ

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন আর কেউ নেই। এই কারণেই তিনি অশ্লীলতাকে হারাম করে দিয়েছেন। এমন কেউ নেই যে, আত্মপ্রশংসা আল্লাহ্‌র চেয়ে বেশি ভালবাসে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪০৪

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ الْخَلْقَ كَتَبَ فِي كِتَابِهِ ـ هُوَ يَكْتُبُ عَلَى نَفْسِهِ، وَهْوَ وَضْعٌ عِنْدَهُ عَلَى الْعَرْشِ ـ إِنَّ رَحْمَتِي تَغْلِبُ غَضَبِي ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ যখন মাখলূক সৃষ্টি করলেন, তখন তা তাঁর কিতাবে লিখলেন এবং তিনি আপন সত্তা বিষয়ে লিখছেন, যা তাঁর কাছে আরশের উপর রক্ষিত আছে, “আমার রহমত আমার গযবকে পরাভূত করেছে।”(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪০৫

عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ اللهُ تَعَالَى أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلاَ ذَكَرْتُهُ فِي مَلاَ خَيْرٍ مِنْهُمْ وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ بِشِبْرٍ تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ ঘোষণা করেন, আমি সে রকমই, যে রকম বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে। আমি বান্দার সঙ্গে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে মনে মনে আমাকে স্মরণ করে; আমিও তাকে নিজে স্মরণ করি। আর যদি সে জন-সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমিও তাদের চেয়ে উত্তম সমাবেশে তাকে স্মরণ করি। যদি সে আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসে, তবে আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে যাই, যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়; আমি তার দিকে দু’ হাত এগিয়ে যাই। আর সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। [৭৫০৫, ৭৫৩৭; মুসলিম ৪৮/১, হাঃ ১৬৭৫, আহমাদ ৭৪২৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১৬. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ আল্লাহ্‌র চেহারা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল। (সূরা আল-ক্বাসাস ২৮/৮৮)

৭৪০৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلَى أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِنْ فَوْقِكُمْ‏}‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَعُوذُ بِوَجْهِكَ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ ‏{‏أَوْ مِنْ تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ‏}‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَعُوذُ بِوَجْهِكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ ‏{‏أَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعًا‏}‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هَذَا أَيْسَرُ ‏”‏‏.‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এ আয়াত যখন অবতীর্ণ হলঃ “হে নবী আপনি বলে দিন তোমাদের উপর থেকে তোমাদের ওপর শাস্তি পাঠাতে তিনিই সক্ষম”- (সূরা আন’আম ৬/৬৫)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার সত্তার সাহায্যে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ্ তখন বললেনঃ “কিংবা তোমাদের পায়ের নীচ হতে; তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি আপনার সত্তার সাহায্যে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ্ বললেনঃ কিংবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটি অপেক্ষাকৃত সহজ। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১৭. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণী: যাতে তুমি আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হও- (সূরা ত্বহা ২০/৩৯)।

আল্লাহ্‌র বাণী: যা চলত আমার সরাসরি তত্ত্বাবধানে- (সূরা আল-ক্বামার ৫৪/১৪)।

৭৪০৭

مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ ذُكِرَ الدَّجَّالُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ اللهَ لاَ يَخْفَى عَلَيْكُمْ إِنَّ اللهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى عَيْنِهِ وَإِنَّ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ أَعْوَرُ الْعَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে দাজ্জাল সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের কাছে গোপন থাকবেন না। আল্লাহ্ অন্ধ নন। এর সঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত দিয়ে স্বীয় চোখের দিকে ইশারা করলেন। মাসীহ্ দাজ্জালের ডান চোখ কানা। তার চোখটি যেন আংগুরের মত ভাসমান।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪০৮

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا بَعَثَ اللَّهُ مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ أَنْذَرَ قَوْمَهُ الأَعْوَرَ الْكَذَّابَ، إِنَّهُ أَعْوَرُ، وَإِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ، مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ ‏”‏‏.‏

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ এমন কোন নবী পাঠাননি যিনি তাঁর জাতিকে কানা মিথ্যুকটির ব্যাপারে সতর্ক করেননি। সে কানা (দাজ্জাল)। আর তোমাদের প্রতিপালক কানা নন। তাঁর দু’চোখের মাঝখানে ‘কাফির’ লেখা থাকবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১৮. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ তিনিই আল্লাহ্‌ সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদাতা। (সূরা আল-হাশর ৫৯/২৪)

৭৪০৯

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى ـ هُوَ ابْنُ عُقْبَةَ ـ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ أَنَّهُمْ أَصَابُوا سَبَايَا فَأَرَادُوا أَنْ يَسْتَمْتِعُوا بِهِنَّ وَلاَ يَحْمِلْنَ فَسَأَلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْعَزْلِ فَقَالَ ‏”‏ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا، فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ كَتَبَ مَنْ هُوَ خَالِقٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ مُجَاهِدٌ عَنْ قَزَعَةَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ فَقَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَيْسَتْ نَفْسٌ مَخْلُوقَةٌ إِلاَّ اللَّهُ خَالِقُهَا ‏”‏‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বানী মুসতালিক যুদ্ধ বিষয়ে বর্ণনা করেন যে, মুসলিমগণ যুদ্ধে কতকগুলো বন্দিনী লাভ করলেন। এরপর তাঁরা এদেরকে ভোগ করতে চাইলেন। আবার তারা যেন গর্ভবতী হয়ে না পড়ে সে ইচ্ছাও তারা করছিলেন। তাই তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে আযল বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এতে তোমাদের কোন লাভ নেই। কারণ আল্লাহ্ কিয়ামাত পর্যন্ত যত জীবন সৃষ্টি করবেন, তা সবই লিখে রেখেছেন। মুজাহিদ (রহঃ) কাযআ (রহঃ) -এর মাধ্যমে আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যত জীবন সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, আল্লাহ্ তা’আলা অবশ্যই তা সৃষ্টি করবেনই।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/১৯. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি। [২১১] (সূরা সোয়াদ ৩৮/৭৫)

[২১১] এ আয়াতে আল্লাহ্ তা’আলার বাস্তব বা প্রকৃত হাত রয়েছে তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তার হাত কেমন এ প্রশ্ন করা যাবে না। অর্থাৎ ধরন, প্রকৃতি, মাখলূকের হাতের সাথে তুলনা দেয়া, অস্বীকার করা বা অপব্যাখ্যা করা যাবে না। যেমন বলা হয়, হাত দ্বারা উদ্দেশ্য শক্তি, রাজত্ব, নি’আমত, অঙ্গীকার ইত্যাদি। আবার বলা হয় কুদরতী হাত। এসব মনগড়া ব্যাখ্যা। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের আকীদাহ’র পরিপন্থী। সুতরাং তার প্রকৃত হাত রয়েছে, কুদরতী হাত নয়।

৭৪১০

حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ يَجْمَعُ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَذَلِكَ فَيَقُولُونَ لَوِ اسْتَشْفَعْنَا إِلَى رَبِّنَا حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا‏.‏ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ يَا آدَمُ أَمَا تَرَى النَّاسَ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَأَسْجَدَ لَكَ مَلاَئِكَتَهُ وَعَلَّمَكَ أَسْمَاءَ كُلِّ شَىْءٍ، شَفِّعْ لَنَا إِلَى رَبِّنَا حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا‏.‏ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكَ ـ وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ ـ وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا، فَإِنَّهُ أَوَّلُ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ‏.‏ فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ـ وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ ـ وَلَكِنِ ائْتُوا إِبْرَاهِيمَ خَلِيلَ الرَّحْمَنِ‏.‏ فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ـ وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطَايَاهُ الَّتِي أَصَابَهَا ـ وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى عَبْدًا أَتَاهُ اللَّهُ التَّوْرَاةَ وَكَلَّمَهُ تَكْلِيمًا ـ فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ـ وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ ـ وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولَهُ وَكَلِمَتَهُ وَرُوحَهُ‏.‏ فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم عَبْدًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ‏.‏ فَيَأْتُونِي فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي عَلَيْهِ، فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ لَهُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ لِي ارْفَعْ مُحَمَّدُ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ‏.‏ فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا، ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ سَاجِدًا، فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ مُحَمَّدُ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا رَبِّي ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ سَاجِدًا، فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ مُحَمَّدُ، قُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا، ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ وَوَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ ‏”‏‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً، ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ بُرَّةً، ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مَا يَزِنُ مِنَ الْخَيْرِ ذَرَّةً ‏”‏‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা ঈমানদারদেরকে একত্রিত করবেন, তখন তারা বলবে, আমরা আমাদের প্রতিপালকের কাছে কোন সুপারিশ যদি নিয়ে যেতাম তাহলে তিনি আমাদেরকে এ স্থান থেকে বের করে শান্তি প্রদান করতেন। এরপর তারা আদাম (আঃ) -এর কাছে গিয়ে বলবে, হে আদাম (আঃ)! আপনি কি মানুষের অবস্থা দেখছেন না? অথচ আল্লাহ্ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। আপনাকে তিনি তাঁর ফেরেশ্‌তাগণ দিয়ে সাজদাহ্‌ করিয়েছেন। আর আপনাকে সব জিনিসের নাম শিখিয়েছেন। কাজেই আপনি আমাদের রব্বের কাছে সুপারিশ করুন, যেন এ স্থান থেকে আমাদেরকে তিনি স্বস্তি দেন। আদাম (আঃ) তখন বলবেন, এ কাজের জন্য আমি উপযুক্ত নই। এবং আদাম (আঃ) তাদের কাছে নিজের ভুলের কথা স্মরণ করবেন এবং বলবেন, তোমরা বরং নূহ (আঃ) -এর কাছে যাও। যেহেতু তিনিই আল্লাহ্‌র প্রথম রসূল। যাঁকে তিনি যমীনবাসীর কাছে পাঠিয়েছিলেন। তারা নূহ (আঃ) -এর কাছে আসবে। তিনিও বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের উপযুক্ত নই। তিনি তাঁর কৃত ভুলের কথা মনে করে বলবেন, তোমরা বরং আল্লাহ্‌র খলীল ইব্‌রাহীম (আঃ) -এর কাছে যাও। তখন তারা ইব্‌রাহীম (আঃ) -এর কাছে আসবে। তিনিও তাদের কাছে স্বীয় ভুলের কথা উল্লেখ করে বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের উপযুক্ত নই। তোমরা বরং মূসা (আঃ) -এর কাছে যাও। তিনি এমন এক বান্দা যাঁকে আল্লাহ্ তাওরাত দিয়েছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে তিনি সরাসরি কথা বলেছিলেন। তারা তখন মূসা (আঃ) -এর কাছে আসবে। মূসা (আঃ) -ও বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই। তাদের কাছে তিনি নিজের ভুলের কথা উল্লেখ করে বলবেন, তোমরা বরং ‘ঈসা (আঃ) -এর কাছে যাও। যিনি আল্লাহ্‌র বান্দা, তাঁর রসূল, কালেমা ও রূহ। তখন তারা ‘ঈসা (আঃ) -এর কাছে আসবে। তখন ‘ঈসা (আঃ) বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের উপযুক্ত নই। তোমরা বরং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে যাও। তিনি এমন এক বান্দা, যাঁর আগের ও পরের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে। তারা সবাই আমার কাছে আসবে। আমি তখন আমার রব্বের কাছে অনুমতি চাইব। আমাকে এর অনুমতি দেয়া হবে। আমি আমার রব্বকে যখন দেখতে পাব, তখনই আমি তাঁর সামনে সাজদায় পড়বো। আল্লাহ্ তাঁর মরজী অনুসারে যতক্ষণ আমাকে সেভাবে রাখার রেখে দেবেন। তারপর আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মদ! মাথা উঠান। বলুন, শোনা হবে। চান, দেয়া হবে। সুপারিশ করুন, গ্রহণ করা হবে। তখন আমার রব্বের শিখিয়ে দেয়া প্রশংসার দ্বারা আমি তাঁর প্রশংসা করব। তারপর আমি শাফা’আত করব। আমার জন্য একটা সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। এরপর আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। তারপর আমি ফিরে আসব। যখন আমি আমার প্রতিপালককে দেখতে পাব তখন তাঁর জন্য সেজদায় পড়ে যাব। আল্লাহ্‌র মরজী মোতাবেক যতক্ষণ আমাকে এভাবে রাখতে চাইবেন রেখে দেবেন। তারপর আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মদ! মাথা উঠান। বলুন, শোনা হবে। চান, দেয়া হবে। সুপারিশ করুন, গ্রহণ করা হবে। তখন আমার রব্বের শিখিয়ে দেয়া প্রশংসার দ্বারা আমি তাঁর প্রশংসা করব এবং সুপারিশ করব। তখনো আমার জন্য একটা সীমা নির্দিষ্ট করা হবে। আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। তারপর আমি আবার ফিরে আসব। আমি এবারও আমার প্রতিপালককে দেখামাত্র সাজদাহ্‌য় পড়ে যাব। আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর মরজী মোতাবেক যতক্ষণ ইচ্ছা আমাকে ঐ অবস্থায় রাখবেন। তারপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠান। বলুন, শোনা হবে। চান, দেয়া হবে। সুপারিশ করুন, কবুল করা হবে। তখন আমার রব্বের শেখানো প্রশংশার দ্বারা প্রশংসা করে শাফাআত করব। তখনও আমার জন্য একটা সীমা নির্দিষ্ট করা থাকবে। আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। অতঃপর আমি তাঁর কাছে ফিরে গিয়ে বলব, হে আমার রব্ব! এখন একমাত্র তারাই জাহান্নামে বাকী আছে, যাদেরকে কুরআন আটক করে রেখে দিয়েছে। এবং যাদের উপর স্থায়ীভাবে জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ পড়েছে, আর তার দিলে একটি যবের ওজন পরিমাণ ঈমান আছে, তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তারপর বের করা হবে জাহান্নাম থেকে তাদেরকেও, যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ পড়েছে এবং তার দিলে একটি গমের ওযন পরিমাণ ঈমান আছে। জাহান্নাম থেকে (সর্বশেষ) তাকে বের করা হবে, যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’ পড়েছে এবং তার দিলে অণু পরিমাণ মাত্র ঈমান আছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

আল্লাহর বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি।[১] (সূরাহ সোয়াদ ৩৮/৭৫)

[১] এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলার বাস্তব বা প্রকৃত হাত রয়েছে তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তার হাত কেমন এ প্রশ্ন করা যাবে না। অর্থাৎ ধরন, প্রকৃতি, মাখলূকের হাতের সাথে তুলনা দেয়া, অস্বীকার করা বা অপব্যাখ্যা করা যাবে না। যেমন বলা হয়, হাত দ্বারা উদ্দেশ্য শক্তি, রাজত্ব, নি‘আমাত, অঙ্গীকার ইত্যাদী। আবার বলা হয় কুদরতী হাত। এসব মনগড়া ব্যাখ্যা। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদাহ’র পরিপন্থী। সুতরাং তার প্রকৃত হাত রয়েছে, কুদরতী হাত নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১১

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَدُ اللَّهِ مَلأَى لاَ يَغِيضُهَا نَفَقَةٌ، سَحَّاءُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ـ وَقَالَ ـ أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَغِضْ مَا فِي يَدِهِ ـ وَقَالَ ـ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الْمِيزَانُ يَخْفِضُ وَيَرْفَعُ ‏”‏‏.‏

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র হাত পূর্ণ, রাতদিন খরচ করলেও তাতে কমতি আসে না। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা কি দেখেছ? আসমান যমীন সৃষ্টি করার পর থেকে তিনি যে কত খরচ করেছেন, তা সত্ত্বেও তাঁর হাতে যা আছে, তাতে এতটুকু কমেনি। এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তখন তাঁর আরশ পানির উপর ছিল। তাঁর অন্য হাতে আছে দাঁড়িপাল্লা, যা কখনও তিনি নিচে নামান আবার কখনও উপরে উঠান। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১২

مُقَدَّمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنِي عَمِّي الْقَاسِمُ بْنُ يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ إِنَّ اللهَ يَقْبِضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الأَرْضَ وَتَكُونُ السَّمٰوَاتُ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ رَوَاهُ سَعِيدٌ عَنْ مَالِكٍ

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের দিন পৃথিবীটা তাঁর মুঠোতে নিয়ে নেবেন। আসমানকে তাঁর ডান হাতে গুটিয়ে নিয়ে বলবেন; বাদশাহ্ একমাত্র আমিই।

সা’ঈদ (রহঃ) মালিক (রহঃ) থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন। ‘উমার ইব্‌নু হামযাহ (রহঃ) সালিম (রহঃ) -এর মাধ্যমে ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এরকম বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১৩

وَقَالَ عُمَرُ بْنُ حَمْزَةَ سَمِعْتُ سَالِمًا سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا وَقَالَ أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقْبِضُ اللهُ الأَرْضَ

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ যমীনকে তাঁর মুঠোয় নিয়ে নেবেন। (আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، سَمِعَ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، وَسُلَيْمَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ يَهُودِيًّا، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ عَلَى إِصْبَعٍ وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالْجِبَالَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالشَّجَرَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالْخَلاَئِقَ عَلَى إِصْبَعٍ، ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ‏.‏ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قَرَأَ ‏{‏وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ‏}‏‏.‏ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَزَادَ فِيهِ فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبِيدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَعَجُّبًا وَتَصْدِيقًا لَهُ‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, এক ইয়াহূদী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মদ! আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের দিনে আসমানগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, পর্বতগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, গাছগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং বাকী সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ্ একমাত্র আমিই। এতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত পর্যন্ত প্রকাশিত হল। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা আল্লাহ্ তা’আলার যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি দেয়নি।

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ বলেন, এ বর্ণনায় একটু যোগ করেছেন ফুদায়ল ইব্‌নু আয়ায… আবিদাহ (রহঃ) সূত্রে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে যে, এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিস্মিত হয়ে তার সমর্থনে হেসে দিলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১৫

عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ سَمِعْتُ عَلْقَمَةَ يَقُولُ قَالَ عَبْدُ اللهِ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَقَالَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ اللهَ يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ عَلَى إِصْبَعٍ وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالشَّجَرَ وَالثَّرَى عَلَى إِصْبَعٍ وَالْخَلاَئِقَ عَلَى إِصْبَعٍ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَنَا الْمَلِكُ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قَرَأَ وَمَا قَدَرُوا اللهَ حَقَّ قَدْرِهِ

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আহ্‌লে কিতাবদের এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এসে বলল, হে আবুল কাসিম! (ক্বিয়ামাতের দিন) আল্লাহ্ আসমানগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, বৃক্ষ ও কাদামাটিকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং বাকি সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ্ একমাত্র আমিই, বাদশাহ্ একমাত্র আমিই। বর্ণনাকারী বলেন, আমি দেখতে পেলাম নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে ফেললেন। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁতগুলো প্রকাশিত হয়ে পড়ল। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ আর তারা আল্লাহ্ তা’আলার যথাযোগ্য মর্যাদা উপলব্ধি করতে পারে নি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/২০. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণীঃ আল্লাহ্‌র চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন কেউই নয়

وَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ لاَ شَخْصَ أَغْيَرُ مِنْ اللهِ

‘উবাইদুল্লাহ বিন ‘আমর ‘আবদুল মালিক থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ্ অপেক্ষা অধিক মর্যাদাসম্পন্ন আর কেউই নয়।

৭৪১৬

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ وَرَّادٍ، كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ عَنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ قَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ لَوْ رَأَيْتُ رَجُلاً مَعَ امْرَأَتِي لَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ غَيْرَ مُصْفَحٍ‏.‏ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ تَعْجَبُونَ مِنْ غَيْرَةِ سَعْدٍ، وَاللَّهِ لأَنَا أَغْيَرُ مِنْهُ، وَاللَّهُ أَغْيَرُ مِنِّي، وَمِنْ أَجْلِ غَيْرَةِ اللَّهِ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ، وَلاَ أَحَدَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْعُذْرُ مِنَ اللَّهِ، وَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ بَعَثَ الْمُبَشِّرِينَ وَالْمُنْذِرِينَ وَلاَ أَحَدَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمِدْحَةُ مِنَ اللَّهِ وَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ وَعَدَ اللَّهُ الْجَنَّةَ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ ‏”‏ لاَ شَخْصَ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ ‏”‏‏.‏

মুগীরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, সা’দ ইব্‌নু ‘উবাদাহ (রাঃ) বললেন, আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে যদি দেখি, তাকে সরাসরি তরবারি দিয়ে হত্যা করব। এ কথা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ তোমরা কি সাদের আত্মমর্যাদাবোধ দেখে বিস্মিত হচ্ছ? আল্লাহ্‌র শপথ! আমি তার চেয়েও অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। আর আল্লাহ্ আমার চেয়েও অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। আল্লাহ্ আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন হবার কারণে প্রকাশ্য ও গোপনীয় (যাবতীয়) অশ্লীলতাকে হারাম করে দিয়েছেন। অক্ষমতা প্রকাশকে আল্লাহ্‌র চেয়ে অধিক পছন্দ করেন এমন কেউই নেই। আর এজন্য তিনি ভীতি প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতাদেরকে পাঠিয়েছেন। আত্মপ্রশংসা আল্লাহ্‌র চেয়ে অধিক কারো কাছে প্রিয় নয়। তাই তিনি জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন। [৬৮৪৬; মুসলিম পর্ব ১৯/হাঃ ১৪৯৯, আহমাদ ১৮১৯২১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/২১. অধ্যায়ঃ

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ বল, সাক্ষ্য প্রদানে সর্বশ্রেষ্ঠ কী? বল, আল্লাহ্‌-(সূরা আন’আম ৬/১৯)।

এখানে আল্লাহ্‌ তা’আলা নিজেকে ‘শাইউন’ (বস্তু) বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবার নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআনকে আখ্যায়িত করেছেন বস্তু বলে। অথচ এটি আল্লাহ্‌র গুণগুলোর মধ্যে একটি গুণ।

আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র সত্তা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল- (সূরা আল-কাসাস ২৮/৮৮)।

৭৪১৭

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِرَجُلٍ أَمَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ شَيْءٌ قَالَ نَعَمْ سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا لِسُوَرٍ سَمَّاهَا

সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজনকে বললেন, তোমার কাছে কুরআনের কোন বস্তু আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, অমুক সূরা অমুক সূরা। তিনি সূরাহ্গুলোর নাম বলেছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/২২. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল- (সূরা হূদ ১১/৭)। তিনি আরশে ‘আযীমের প্রতিপালক- (সূরা আত্‌-তাওবাহ ৯/১২৯)।

قَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ ارْتَفَعَ فَسَوَّاهُنَّ خَلَقَهُنَّ وَقَالَ مُجَاهِدٌ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْمَجِيدُ الْكَرِيمُ وَ الْوَدُودُ الْحَبِيبُ يُقَالُ حَمِيدٌ مَجِيدٌ كَأَنَّهُ فَعِيلٌ مِنْ مَاجِدٍ مَحْمُودٌ مِنْ حَمِدَ

আবুল ‘আলীয়া (রহ.) বলেন, اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ -এর অর্থ হচ্ছে আসমানকে উড্ডীন করেছেন- (সূরাহ আল-আ’রাফ ৭/৫৪)। فَسَوَّاهُنَّ-এর অর্থ হচ্ছে, তিনি আসমানরাজিকে সৃষ্টি করেছেন। মুজাহিদ (রহ.) বলেছেন, اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ -এর অর্থ হল, আরশের উপর সমুন্নত হলেন- (সূরাহ আল-আ’রাফ ৭/৫৪)। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেছেন, مجيدঅর্থ সম্মানিত, الْوَدُودُ অর্থ প্রিয়। বলা হয়ে থাকে, حَمِيدٌ مَجِيدٌ মূলত প্রশংসনীয় ও পবিত্র। বস্তুত এটি مَاجِدٍ থেকে فَعِيلٌ -এর ওযনে এসেছে। আর مَحْمُود (প্রশংসনীয়) এসেছে حَمِدَ থেকে।

৭৪১৮

عَبْدَانُ قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ إِنِّي عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ قَوْمٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ فَقَالَ اقْبَلُوا الْبُشْرَى يَا بَنِي تَمِيمٍ قَالُوا بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا فَدَخَلَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ اقْبَلُوا الْبُشْرَى يَا أَهْلَ الْيَمَنِ إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُو تَمِيمٍ قَالُوا قَبِلْنَا جِئْنَاكَ لِنَتَفَقَّهَ فِي الدِّينِ وَلِنَسْأَلَكَ عَنْ أَوَّلِ هَذَا الأَمْرِ مَا كَانَ قَالَ كَانَ اللهُ وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ قَبْلَهُ وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ ثُمَّ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ وَكَتَبَ فِي الذِّكْرِ كُلَّ شَيْءٍ ثُمَّ أَتَانِي رَجُلٌ فَقَالَ يَا عِمْرَانُ أَدْرِكْ نَاقَتَكَ فَقَدْ ذَهَبَتْ فَانْطَلَقْتُ أَطْلُبُهَا فَإِذَا السَّرَابُ يَنْقَطِعُ دُونَهَا وَايْمُ اللهِ لَوَدِدْتُ أَنَّهَا قَدْ ذَهَبَتْ وَلَمْ أَقُمْ

ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে বনূ তামীম-এর গোত্রটি আসল, নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে বনূ তামীম। তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। উত্তরে তারা বলল, আপনি আমাদেরকে শুভ সংবাদ যখন দিচ্ছেন, তাহলে কিছু দান করুন। এ সময় ইয়ামানবাসী কতিপয় লোক নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সেখানে উপস্থিত হল। নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বললেনঃ হে ইয়ামানবাসী! তোমাদের জন্য সুসংবাদ। বনূ তামীম তা গ্রহণ করল না। তারা বলল, আমরা গ্রহণ করলাম শুভ সংবাদ। যেহেতু আমরা আপনার কাছে এসেছি দীনী জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে এবং জিজ্ঞেস করার জন্য এসেছি যে, এ দুনিয়া সৃষ্টির আগে কী ছিল? নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ্ তখন ছিলেন, তাঁর আগে আর কিছুই ছিল না। তাঁর আরশ তখন পানির ওপর ছিল। অতঃপর তিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করলেন। এবং লাওহে মাহফুযে সব বস্তু সম্পর্কে লিখে রাখলেন। রাবী বলেন, এরপর আমার কাছে এক লোক এসে বলল, হে ‘ইমরান! তোমার উটনী পালিয়ে গিয়েছে, তার খবর লও। আমি উটনীর খোঁজে চললাম। দেখলাম, উটনী মরীচিকার আড়ালে আছে। আলি আল্লাহ্‌র কসম খেয়ে বলছি! আমার মন চাচ্ছিল উটনী চলে যাক তবুও আমি মজলিস ছেড়ে যেন না উঠি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১৯

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامٍ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ يَمِينَ اللهِ مَلْأَى لاَ يَغِيضُهَا نَفَقَةٌ سَحَّاءُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَإِنَّهُ لَمْ يَنْقُصْ مَا فِي يَمِينِهِ وَعَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الْفَيْضُ أَوْ الْقَبْضُ يَرْفَعُ وَيَخْفِضُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র ডান হাত পূর্ণ, রাত দিনের খরচেও তা কমে না। তোমরা ভেবে দেখেছ কি? আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টির সূচনা থেকে তিনি কত খরচ করে যাচ্ছেন, তবুও তাঁর ডান হাতের কিছুই কমেনি। তাঁর আরশ পানির ওপর আছে। তাঁর অন্য হাতে আছে দেয়া আর নেয়া। তা তিনি উঠান ও নামান। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২০

أَحْمَدُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ جَاءَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ يَشْكُو فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ اتَّقِ اللهَ وَأَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ قَالَ أَنَسٌ لَوْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَاتِمًا شَيْئًا لَكَتَمَ هَذِهِ قَالَ فَكَانَتْ زَيْنَبُ تَفْخَرُ عَلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ زَوَّجَكُنَّ أَهَالِيكُنَّ وَزَوَّجَنِي اللهُ تَعَالَى مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَوَاتٍ وَعَنْ ثَابِتٍ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ نَزَلَتْ فِي شَأْنِ زَيْنَبَ وَزَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ

আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যায়দ ইব্‌নু হারিসা (রাঃ) অভিযোগ নিয়ে আসলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলতে লাগলেন, তুমি আল্লাহ্‌কে ভয় কর এবং তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছে রেখে দাও। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি কোন জিনিস গোপন করতেন, তাহলে এ আয়াতটি অবশ্যই গোপন করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, (যাইনাব রাঃ) অপরাপর নবী অন্যান্য কাছে এ বলে গর্ব করতেন যে, তোমাদেরকে বিয়ে দিয়েছে তোমাদের পরিবার-পরিজন, আমার আমাকে স্বয়ং আল্লাহ্ তা‘আলা সাত আসমানের ওপরে বিয়ে দিয়েছেন।

বর্ণনাকারী সাবিত (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহ্‌র বাণীঃ (হে নবী) আপনি আপনার অন্তরে যা গোপন করতেন আল্লাহ্ তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন, আপনি লোকদের ভয় করছিলেন। এ আয়াতটি যাইনাব ও যায়দ ইব্‌নু হারিসাহ (রাঃ) সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিল।[২১২](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১২] অতি সম্ভ্রান্ত কোরাইশ কুল রমণী যয়নব বিনত্ জাহাসের সঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় পালকপুত্র যায়েদ বিন হারেসা (রাঃ) -এর বিবাহ দেন। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবনে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এ সময় আল্লাহ তা‘আলা নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ওয়াহী যোগে জানিয়ে দেন যে , যায়দ যয়নবকে তালাক দিয়ে দিবে এবং তুমি যয়নাবকে বিয়ে করবে। আর রাসূল (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন যে, যয়নব তালাক প্রাপ্তা হলে তিনি তাকে বিয়ে করবেন। ওয়াহী যোগে এই একথা জানার পরেও নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়দকে বুঝালেন যেন সে স্ত্রীকে তালাক না দেয়। কারণ তখনকার আরবে পালক পুত্রের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীকে বিয়ে করার রেওয়াজ ছিল না। আল্লাহর অভিপ্রায় জেনে নেয়ার পরেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়দকে নাসীহাত করলেন যা বিশ্ব নবীর মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২১

خَلاَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ طَهْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ نَزَلَتْ آيَةُ الْحِجَابِ فِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَأَطْعَمَ عَلَيْهَا يَوْمَئِذٍ خُبْزًا وَلَحْمًا وَكَانَتْ تَفْخَرُ عَلَى نِسَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ تَقُولُ إِنَّ اللهَ أَنْكَحَنِي فِي السَّمَاءِ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, যাইনাব বিন্ত জাহাশ (রাঃ) -কে উপলক্ষ করে পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয়। নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়নাবের সঙ্গে তাঁর বিবাহ উপলক্ষে ওয়ালিমা হিসেবে সেদিন রুটি ও গোশ্ত খাইয়েছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রীদের উপর যাইনাব (রাঃ) গর্ব করে বলতেন, আল্লাহ্ তো আসমানে আমার বিয়ের সিদ্ধান্ত করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২২

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ لَمَّا قَضَى الْخَلْقَ كَتَبَ عِنْدَهُ فَوْقَ عَرْشِهِ إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ যখন সকল মাখলূক সৃষ্টি করার কাজ শেষ করলেন, তখন তাঁর আরশের ওপর তাঁরই কাছে লিখে রাখলেন, “আমার রহমত আমার গযব থেকে এগিয়ে গেছে।”(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২৩

إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي حَدَّثَنِي هِلاَلٌ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ آمَنَ بِاللهِ وَرَسُولِهِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَصَامَ رَمَضَانَ كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ هَاجَرَ فِي سَبِيلِ اللهِ أَوْ جَلَسَ فِي أَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَلاَ نُنَبِّئُ النَّاسَ بِذَلِكَ قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ أَعَدَّهَا اللهُ لِلْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِهِ كُلُّ دَرَجَتَيْنِ مَا بَيْنَهُمَا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللهَ فَسَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ فَإِنَّهُ أَوْسَطُ الْجَنَّةِ وَأَعْلَى الْجَنَّةِ وَفَوْقَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ وَمِنْهُ تَفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ইমান আনে, সালাত কায়িম করে, রমযান মাসের সওম পালন করে, আল্লাহ্ তাঁর সম্পর্কে এ দায়িত্ব নিয়েছেন যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সে আল্লাহ্‌র রাস্তায় হিজরাত করুক কিংবা তাঁর জন্মভূমিতে অবস্থান করুক। সাহাবীগণ বলে উঠলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! এই বিষয়টি আমরা লোকদের জানিয়ে দেব না? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ অবশ্যই, জান্নাতের একশ’টি (মর্যাদার) স্তর রয়েছে। এগুলো আল্লাহ্ তাঁর রাস্তায় জিহাদকারীদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন। প্রতি দু’টি স্তরের মাঝে আসমান ও যমীনের দূরত্ব বিদ্যমান। কাজেই যখন তোমরা আল্লাহ্‌র কাছে চাইবে, তখন ফিরদাওস জান্নাত চাইবে। কারণ, সেটি হচ্ছে সবচেয়ে প্রশস্ত ও সবচেয়ে উচ্চ জান্নাত। আর দয়ালু (আল্লাহ্‌র) আরশটি এরই ওপর অবস্থিত। এই ফিরদাওস থেকেই জান্নাতের ঝর্ণাগুলো প্রবাহিত।[২১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১৩] আল্লাহর একটি সিফাত علوه অর্থাৎ উর্দ্ধে বা উঁচুতে অবস্থান। তিনি তার স্বীয় সত্তায় আরশের উপরে রয়েছেন, কীভাবে রয়েছেন তা কেউ জানে না। তবে এতটুকুই যথেষ্ট যে, আরশের উপর যেমনভাবে তার জন্য মানানসই সেভাবেই রয়েছেন। আর আরশের অবস্থান আল্লাহর সকল মাখলূকাতের উর্দ্ধে, তার উপর আল্লাহ। আল্লাহর উপরে আর কোন কিছুই নেই। আর যেহেতু আল্লাহ স্বীয় সত্তায় আরশের উপরে সুতরাং আল্লাহ সব জায়গায় বিরাজমান এ কথা ভ্রান্ত। সহীহ আক্বীদাহর পরিপন্থী। স্বীয় সত্তায় তিনি আরশের উপরে হলেও তার ইলম, সাহায্য, দর্শন ইত্যাদি সবজায়গায় পরিব্যাপ্ত। কোন কিছুই তার দৃষ্টির বাইরে নয়, এমনকি তিনি অন্তর্যামী عليم بذات الصدور।

আল্লাহ যে আরশের উপরে তার প্রমাণ অত্র হাদীস ছাড়াও আল্লাহ তা‘আলার বাণী :

{الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى} (৫) سورة طـه

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২৪

يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فَلَمَّا غَرَبَتْ الشَّمْسُ قَالَ يَا أَبَا ذَرٍّ هَلْ تَدْرِي أَيْنَ تَذْهَبُ هَذِهِ قَالَ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهَا تَذْهَبُ تَسْتَأْذِنُ فِي السُّجُودِ فَيُؤْذَنُ لَهَا وَكَأَنَّهَا قَدْ قِيلَ لَهَا ارْجِعِي مِنْ حَيْثُ جِئْتِ فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا ثُمَّ قَرَأَ {ذٰلِكَ مُسْتَقَرٌّ لَهَا} فِي قِرَاءَةِ عَبْدِ اللهِ

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাসজিদে নাবাবীতে প্রবেশ করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সূর্য অস্ত গেল। তিনি বললেনঃ হে আবূ যার! তোমার কি জানা আছে, এ সূর্য কোথায় যাচ্ছে? আবূ যার (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলই সবচেয়ে অধিক জানেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ সূর্য যাচ্ছে এবং অনুমতি চাচ্ছে সাজদাহ করার জন্য। তারপর সাজদাহর জন্য তাকে অনুমতি দেয়া হয়। একদিন তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে, যেখান থেকে এসেছ সেখানে ফিরে যাও। তখন সে তার অস্তের জায়গা থেকে উদিত হবে। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিলাওয়াত করলেন, “এটিই তার থাকার জায়গা” ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) -এর কিরাআত অনুসারে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২৫

مُوسَى عَنْ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنِ السَّبَّاقِ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ حَدَّثَهُ قَالَ أَرْسَلَ إِلَيَّ أَبُو بَكْرٍ فَتَتَبَّعْتُ الْقُرْآنَ حَتَّى وَجَدْتُ آخِرَ سُورَةِ التَّوْبَةِ مَعَ أَبِي خُزَيْمَةَ الأَنْصَارِيِّ لَمْ أَجِدْهَا مَعَ أَحَدٍ غَيْرِهِ {لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ} حَتَّى خَاتِمَةِ بَرَاءَةٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يُونُسَ بِهَذَا وَقَالَ مَعَ أَبِي خُزَيْمَةَ الأَنْصَارِيِّ

যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) আমার কাছে লোক পাঠালেন। তাই আমি কুরআনের বিভিন্ন অংশ খোঁজ করতে লেগে গেলাম। শেষে সূরা তাওবার শেষের অংশ একমাত্র আবূ খুযাইমাহ আন্সারী (রাঃ) ছাড়া আর কারো কাছে পেলাম না। (আর তা হচ্ছে) لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ থেকে সূরা বারাআতের শেষ পর্যন্ত। [২৮০৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২০)

ইউনুস (রহ.) থেকে হাদীসটি এরকমই বর্ণনা করেছেন। আবূ খুযায়মা আনসারীর কাছে এ আয়াত পাওয়া গেছে বলে তিনিও বলেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২৬

مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عِنْدَ الْكَرْبِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ الْعَلِيمُ الْحَلِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দুঃখ কষ্টের সময় নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু‘আ করতেন এ ব’লেঃ আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। তিনি সর্বজ্ঞ ও ধৈর্যশীল। তিনি ব্যতীত আর কোন মাবূদ নেই, তিনি মহান আরশের রব। তিনি ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, তিনি আসমান-যমীনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২৭

مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ النَّاسُ يَصْعَقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَإِذَا أَنَا بِمُوسَى آخِذٌ بِقَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ক্বিয়ামতের দিন সব মানুষ বেহুঁশ হয়ে পড়বে। (আমার হুঁশ ফিরলে) তখন আমি মূসা (আঃ) -কে আরশের একটি পায়া ধরে দাঁড়ানো দেখতে পাব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪২৮

وَقَالَ الْمَاجِشُونُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ بُعِثَ فَإِذَا مُوسَى آخِذٌ بِالْعَرْشِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণনাকারী মাজিশুন ‘আব্দুল্লাহ্ ইব্‌নু ফাজল ও আবূ সালামাহ্র মাধ্যমে আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি সবচেয়ে আগে পুনরায় উঠব। তখন দেখব, মূসা (আঃ) আরশ ধরে আছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯৭/২৩. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র বাণীঃ ফেরেশ্‌তা এবং রূহ্‌ আল্লাহ্‌র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়- (সূরা আন্‌-নিসা ৪/৭০)। এবং আল্লাহ্‌র বাণীঃ তাঁরই দিকে পবিত্র বাণীসমূহ আরোহণ করে- (সূরা ইউনুস ১০/৩৫)।

وَقَالَ أَبُو جَمْرَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ بَلَغَ أَبَا ذَرٍّ مَبْعَثُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِأَخِيهِ اعْلَمْ لِي عِلْمَ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ يَأْتِيهِ الْخَبَرُ مِنْ السَّمَاءِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُ الْكَلِمَ الطَّيِّبَ يُقَالُ ذِي الْمَعَارِجِ الْمَلاَئِكَةُ تَعْرُجُ إِلَى اللهِ

আবূ জামরাহ (রহ.) ইবনু ‘আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুয়ত পাওয়ার খবর শুনে আবূ যার (রাঃ) তাঁর ভাইকে বললেন, আমার জন্য ঐ লোকের অবস্থা জেনে নাও, যিনি ধারণা করেছেন যে, আসামান থেকে তাঁর কাছে খবর আসে। মুজাহিদ (রহ.) বলেছেন, নেক কাজ পবিত্র কথাকে ঊর্ধ্বগামী করে। ذِي الْمَعَارِجِ -এর সম্পর্কে বলা হয় ঐ সব ফেরেশ্তা যারা আল্লাহর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়।

৭৪২৯

إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلاَئِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ وَصَلاَةِ الْفَجْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِكُمْ فَيَقُولُ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي فَيَقُولُونَ تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কাছে রাত ও দিনে ফেরেশতারা পালাক্রমে আসে। আর তাঁরা একত্রিত হন আসর ও ফজরের সলাতে। তারপর যাঁরা তোমাদের মাঝে রাত কাটিয়েছেন তাঁরা উঠে যান। তখন তাদের প্রতিপালক তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন- অথচ তিনি তোমাদের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জ্ঞাত- কেমন অবস্থায় আমার বান্দাদেরকে তোমরা ছেড়ে এসেছ? তারা তখন উত্তর দেবে, আমরা ওদেরকে সালাত আদায়রত অবস্থায় রেখে এসেছি, প্রথম গিয়েও আমরা ওদেরকে সলাতে পেয়েছিলাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১২ প্রথমাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২৪ প্রথমাংশ)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৩০

وَقَالَ خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلِ تَمْرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلاَ يَصْعَدُ إِلَى اللهِ إِلاَّ الطَّيِّبُ فَإِنَّ اللهَ يَتَقَبَّلُهَا بِيَمِينِهِ ثُمَّ يُرَبِّيهَا لِصَاحِبِهِ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فُلُوَّهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الْجَبَلِ وَرَوَاهُ وَرْقَاءُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ يَصْعَدُ إِلَى اللهِ إِلاَّ الطَّيِّبُ

খালিদ ইব্‌নু মাখলাদ (রহঃ) ….. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক তার হালাল ও পবিত্র উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণও দান করে, আল্লাহ্ তা তাঁর ডান হাত দ্বারা কবূল করেন। আর পবিত্র ও হালাল বস্তু ব্যতীত আল্লাহ্‌র দিকে কোন কিছু আগে গিয়ে পৌঁছে না। তারপর এটি তার মালিকের জন্য লালন-পালন ও পরিচর্যা করতে থাকে, তোমরা যেমন ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন-পালন করতে থাক। অবশেষে তা পর্বতের মত বিরাট আকার ধারণ করে। [মুসলিম ১২/১৯, হাঃ ১০১৪, আহমাদ ১০৯৪৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১২ মধ্যমাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮১১ মধ্যমাংশ)

ওয়ারকা (রহঃ) …. আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ্ তা’আলার দিকে পবিত্র জিনিস ব্যতীত কোন কিছুই গমন করতে পারে না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১২ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২৪ শেষাংশ)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৩১

عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو بِهِنَّ عِنْدَ الْكَرْبِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত যে, দুঃখ-বেদনার সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ বলে দু’আ করতেনঃ মহান ও ধৈর্যশীল আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, মহান আরশের প্রতিপালক আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, আসমানসমূহের মালিক এবং মহান আরশের অধিপতি আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৩২

قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ أَوْ أَبِي نُعْمٍ شَكَّ قَبِيصَةُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ بُعِثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذُهَيْبَةٍ فَقَسَمَهَا بَيْنَ أَرْبَعَةٍ و حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ بَعَثَ عَلِيٌّ وَهُوَ بِالْيَمَنِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذُهَيْبَةٍ فِي تُرْبَتِهَا فَقَسَمَهَا بَيْنَ الأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي مُجَاشِعٍ وَبَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيِّ وَبَيْنَ عَلْقَمَةَ بْنِ عُلاَثَةَ الْعَامِرِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي كِلاَبٍ وَبَيْنَ زَيْدِ الْخَيْلِ الطَّائِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِي نَبْهَانَ فَتَغَيَّظَتْ قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ فَقَالُوا يُعْطِيهِ صَنَادِيدَ أَهْلِ نَجْدٍ وَيَدَعُنَا قَالَ إِنَّمَا أَتَأَلَّفُهُمْ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ نَاتِئُ الْجَبِينِ كَثُّ اللِّحْيَةِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ مَحْلُوقُ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ اتَّقِ اللهَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَمَنْ يُطِيعُ اللهَ إِذَا عَصَيْتُهُ فَيَأْمَنُنِي عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَلاَ تَأْمَنُونِي فَسَأَلَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ قَتْلَهُ أُرَاهُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ فَمَنَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الإِسْلاَمِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنْ الرَّمِيَّةِ يَقْتُلُونَ أَهْلَ الإِسْلاَمِ وَيَدَعُونَ أَهْلَ الأَوْثَانِ لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لأقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ عَادٍ

আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট অল্প কিছু সোনা পাঠানো হলে তিনি চারজনকে ভাগ করে দেন।

ইসহাক ইব্‌নু নাসর (রহঃ) ….. আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ‘আলী (রাঃ) ইয়ামানে অবস্থানকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে কিছু মাটি মেশানো সোনা পাঠিয়েছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ মুজাশি গোত্রের আক্রা ইব্‌নু হাবিস হানযালী, ‘উয়াইনাহ ইব্‌নু হিসন ইব্‌নু বাদ্র ফাযারী, ‘আলক্বামাহ ইব্‌নু উলাছা আমিরী ও বনূ কিলাবের একজন এবং বনু নাবহান গোত্রের যায়দ আল খায়ল তাঈর মধ্যে তা বেঁটে দেন। এ কারণে কুরাইশ ও আনসারগণ অসন্তুষ্ট হয়ে বলল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজদবাসী সরদারদেরকে দিচ্ছেন। আর আমাদেরকে বঞ্চিত করছেন। এ প্রেক্ষিতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তাদের অন্তর জয়ের চেষ্টা করছি। তখন কোটরাগত চোখ, উচ্চ কপাল, বেশি দাড়ি, উচ্চ চোয়াল ও মুণ্ডানো মাথা ওয়ালা এক লোক সামনে এসে বলল, হে মুহাম্মদ ! আল্লাহ্কে ভয় কর। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমিই যদি তাঁর নাফরমানী করি, তবে তাঁর অনুগত হবে আর কে? আর এজন্যই তিনি আমাকে পৃথিবীর লোকের উপর আমানতদার নির্দিষ্ট করেছেন। অথচ তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করছ না। এমন সময় দলের মধ্য থেকে একটা লোক, সম্ভবত খালিদ ইব্‌নু ওয়ালিদ (রাঃ), ঐ লোকটিকে হত্যা করার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে অনুমতি চাইলে তিনি তাঁকে নিষেধ করলেন। সে লোকটি চলে যাওয়ার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ ব্যক্তির বংশ থেকে এমন কিছু লোক আসবে, যারা কুরআন পড়বে, তবে কুরআন তাদের কন্ঠনালি অতিক্রম করবে না। তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে, যেভাবে শিকারের দেহ ভেদ করে তীর বেরিয়ে যায়। মূর্তিপূজারীদেরকে ছেড়ে তারা মুসলিমদেরকে হত্যা করবে। যদি আমি তাদেরকে পাই, তাহলে আদ জাতিকে হত্যা করার মত তাদেরকে হত্যা করব। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১৪, ৬৯১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৩৩

عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِهِ وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا قَالَ مُسْتَقَرُّهَا تَحْتَ الْعَرْشِ

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করেছি, “আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে” আল্লাহ্‌র এ কথা সম্পর্কে। তিনি বলেছেনঃ সূর্যের নির্দিষ্ট গন্তব্য হল আরশের নিচে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস